০১।

কাজ শেষ করে আমি আর আমার সহকর্মী নাজিহাত (ছদ্মনাম) আপা অফিস হতে বেরিয়ে এলাম। নাজিহাত আপার সাথে এবারই প্রথম আউটডোর অডিটে এসেছি। চট্টগ্রামে আমাদের অফিসে ওনার সাথে আন্তরিক হবার মত তেমন কোন সুযোগই  হয়নি। এর কারন নাজিহাত আপার কারো সাথে তেমনভাবে না মিশার প্রবণতা। এছাড়া, বয়সে অনেক সিনিয়র হওয়ায় আমিও তেমন প্রেরণা অনুভব করিনি এরকম কম কথা বলা, নিজের মধ্যে গুটিয়ে রাখা মানুষটির সাথে মিশতে।

আউটডোরে আমরা এসেছি কুমিল্লার একটি কোম্পানীর অডিটে। সেদিনকার মত কাজ শেষ করে বেরুতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। পুরো কান্দিরপাড় এলাকাটিকে মনে হচ্ছে মানুষের হাট। এত মানুষ! আমাদেরকে রেস্টহাউজে নেবার জন্য একটু সামনেই কোম্পানীর গাড়ি দাঁড়ানো। সেই দুপুর হতে সিগারেট পান করিনি। অভ্যাসসুলভ খচখচ করছিল ভিতরটা। তাই, নাজিহাত আপাকে বললাম, “আপনি গাড়ি করে চলে যান, আমি একটু শহর ঘুরে দেখি। রাতে খাবার সময় দেখা হবে।” কিছুক্ষণ ভেবে নাজিহাত আপা উত্তর দিলেন, “আমার ছেলেবেলা কেটেছে কুমিল্লায়। সাতাশ বছর পর আবার এলাম। অনেককিছু চেন্জ হয়েছে। চল, তোমাকে নিয়ে আশপাশটা ঘুরে দেখি।”

আমার সিগারেট পান পরিকল্পনায় বাগড়া আসছে দেখে খুব বিরক্ত হলাম কিন্তু তবুও সিগারেট পান পরিকল্পনা আপাতত দাফন করে নাজিহাত আপার সাথে কুমিল্লা শহর দেখতে গাড়িতে উঠে পড়ি।

গাড়ি কান্দিরপাড় ফেলে সেনানিবাস হয়ে এগিয়ে চলে সৈয়দপুরের দিকে।

নাজিহাত আপাকে জিগ্ঞেস করি, “আপনার দাদাবাড়ি কি কুমিল্লায়?” উত্তর দেবার বদলে কেমন যেন বিষন্ন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে মুখখানা আরো বিষন্ন করে উত্তর দিলেন, “কুমিল্লায় আমার স্টেপ-ফাদারের বাড়ি। আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত এখানে ছিলাম। এরপর দাদাবাড়ি চলে যায়। আর কখনও আসা হয়নি।” কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমার অপ্রস্তত চেহারা দেখে বললেন, “কি! অবাক হলে নাকি? আমার মা’র দুবার বিয়ে হয়েছিল, আমি প্রথম ঘরের সন্তান।” সামলে নিয়ে বললাম, “ও! তাই, না!” এরমধ্যে গাড়ি সৈয়দপুর এসে যায়।

সৈয়দপুরে আমাদের এক ক্লায়েন্টের রেস্টুরেন্ট আছে। আগে থেকে ফোন করা ছিল, পরিচয় দিতেই রেস্টুরেন্টের ইনচার্জ সাজানো একটি টেবিলে আমাদের বসার আয়োজন করলেন। বেশ গুছানো রেস্টুরেন্ট। চারপাশের টেবিলগুলোতে ঢাকা, চট্টগ্রাম রোডের যাতায়াতকারী মানুষের ভীড়। এরমাঝে, আমরা খাবারের ফরমায়েসও দিয়ে দিলাম।

টুকটাক কথা হচ্ছিল। দেশ, জাতি, বর্তমান সরকারের অবস্খা, আমাদের অফিস, অডিটিং, পরিবার, নিজেদের জীবন, নানান বিষয়ে কথা হচ্ছিল। এর মাঝে ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেল। খেতে খেতে একটা কথা মাথায় এলো, নাজিহাত আপাকে আমি যতটা গম্ভীর মনে করতাম, তিনি তা নন; বরং মিশুকই।

নাজিহাত আপা ওনার পরিবারের কথা বলছিলেন। ক্লাস নাইন পড়ুয়া একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওনাদের সাজানো পরিবার। ভাই জাতিসংঘের একটি প্রোগ্রামে চাকরি করেন। নিজের পরিবার নিয়ে আরো অনেক কথায় বললেন। বুঝতে পারলাম খুব হাই সোসাইটি মেনটেইন করেন।

“জানো, আমরা এত সব কিছু করছি শুধুমাত্র আমার মেয়ের জন্য যেন ওর জীবন আমার মত না হয়”, বলে শূণ্য দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন উনি।

আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলতে শুরু করলেন, “আমার বাবা-মা প্র্রেম করে বিয়ে করেছিল বায়াত্তরে। আমরা থাকতাম আমাদের দাদাবাড়িতে চট্টগ্রামের কামালগেইটে। আমার জন্ম পরের বছরেই তিয়াত্তরে। বাবার চাকুরী করতেন বন্দরে আর মা ছিলেন গৃহিনী। বাবার কোন ভাই-বোন ছিল না। দাদী, বাবা, মা আর আমি, ছোট সাজানো সংসার ছিল। কিন্তু মানুষের জীবন দু:খময়। পঁচাত্তরে এক গাড়ি একসিডেন্টে বাবা মারা গেলেন। আমার বয়স তখন তিন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা পরলাম অকূল পাথারে। দাদাবাড়ির একটি ভাড়া দেয়া ঘর বাদে আর কোন আয়ের পথ ছিল না। নানা-নানী মারা গেছেন অনেক আগেই আর নানার সব মেয়ে, তাই, নানাবাড়ি হতে কোন সাহায্য পাবার পথ ছিল না। বাবা মারা যাবার সাত মাসের মাথায় বড় খালা-খালু এলেন আমাদের নিয়ে যেতে। মা কিছুতেই দাদীকে ছেড়ে যেতে চাইলেন না। কিন্তু উপায় ছিল না। বাধ্য হয়ে মা আর আমি বড় খালার বাড়ি কুমিল্লায় চলে আসি। বড় খালার বাড়িতে মা ছিলেন অনেকটা ঝিয়ের মত।”

আমি চুপ হয়ে শুনছিলাম। নাজিহাত আপার চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ। কফিতে চুমুক দিয়ে শুরু করলেন, “বড় খালুর ফুফাত ভাই তখন সদ্য বিপত্মীক। একটি ছোট ছেলে আছে। প্রায় খালুর বাড়িতে আসতেন। খালু মায়ের সাথে লোকটার বিয়ে ঠিক করেন। মা অসহায়। বাধ্য হয়ে মা বিয়েতে রাজি হন। তখন আশি সাল, আমার বয়স আট বছর। বিয়েতে শর্ত ছিল, আমিও  মায়ের সাথে নতুন বাড়ি যাব। ছোট হলেও সব বুঝতাম আমি। প্রথমদিনই বুঝতে পারলাম আমার নতুন বাবা আমাকে পছন্দ করে না। নতুন বাসায় আমার জায়গা হল স্টোর রুমের ভিতর ককসিট দিয়ে পার্টিশন দেয়া ছোট কক্ষে। মা প্রতিবাদ করতেই চড় জুটেছিল ভাগ্যে।”

এটুকু বলেই চুপ হয়ে গেলেন তিনি। টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন। কি বলব বুঝতে পারলাম না। উনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলা শুরু করলেন, “শুরু থেকেই লোকটা আমার সাথে বাজে ব্যবহার করতো। সামান্য ব্যাপারে খুব বেশি বাজে ব্যবহার করত। মা প্রতিবাদ করতে চাইলে ডিভোর্সের ভয় দেখাত। কথায় কথায় আমার বাবাকে গালি দিত, মায়ের গায়ে হাত তুলত। সবসময় বলত, আমাকে দাদাবাড়ি পাঠিয়ে দেবে, আমার পিছনে অন্ন ধ্বংস করতে পারবে না। খুব অসহায় লাগত।

বাবার উপর খুব রাগ হত। কেন আমাদের অসময়ে ছেড়ে চলে গেল। স্কুলে সবাই নিজের বাবা নিয়ে কত্ত কথা বলত আর আমি শুধু হা করে সেগুলো শুনতাম। খুব কষ্ট লাগত।

আমার স্টেপ-ব্রাদারকে লোকটা খুব আদর করত। দেখে নিজের ভিতর খুব হাহাকার করত। একদিন, আমার স্টেপ-ব্রাদারকে লোকটা আদর করছিল আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। লোকটা দেখতে পেয়ে গালি দিয়ে আমাকে বলে, ‘আমার পোলার দিকে নজর দেস, হারামজাদী, রুম থেইকা বাইর হ এক্ষুণি।’ সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম। বাবার ছবি বুকে নিয়ে সেই রাতে স্টোররুমের ময়লা ঘরে শুয়ে সারা রাত কেঁদেছি।

এভাবে, দিন যায়, মাস যায়, বছর ঘুরে, আমার প্রতি লোকটার ব্যবহার আরো খারাপ হতে থাকে। অকারনে, বাবাকে গালি দিত, আমার গায়ে হাত তুলত। এত অসহায় ছিলাম, কিছু বলতে পারতাম না, কষ্ট করে সব সহ্য করতে হত। অনেকদিন লোকটা আমাকে খাবার টেবিল হতে না খেতে দিয়ে মেরে উঠিয়ে দিত। মা কিছু বলতে গেলে মাকে মেরে আধমরা করে দিত। অসহায় মা আমার কিছু করতে পারত না। বড় খালা-খালুকে জানালে ওনারা সরাসরি বলে দেন, আমাদের নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে পারবেন না। এভাবে সময় যেতে থাকে।

বিরাশিতে আমার একটা ভাই হল। ভাই হবার পর লোকটার হিংস্রতা যেন আরো বেড়ে যায়। আমাকে ভাইয়ের কাছেই আসতে দিত না। একদিন আমি ভাইকে কোলে নিয়েছি, অমনি লোকটা আমার কোল হতে ভাইকে কেড়ে নিয়ে চড় মারে, চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘হারামজাদী আর কখনো আমার পোলার গায়ে হাত দিলে হাত কাইটা ফালামু, দুধ-কলা দিয়া আমি সাপ পুষতাছি।‌‌‌‌’ সেদিন এত কষ্ট পেয়েছিলাম, বলে বুঝাতে পারব না। আল্লাহর কাছে মিনতি করেছিলাম ‘আমাকে আর কষ্ট দিয়ো না।’ কিন্তু আমার ভাগ্যে আরও ভয়াবহ কষ্ট পাওয়া বাকি ছিল।”

কিছুক্ষণ থামলেন নাজিহাত আপা। আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। চেহারা দেখে বুঝলাম বুকের চাপা কষ্ট শেয়ার করে উনি কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন।

এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার বলতে শুরু করলেন, “ঘটনাটি পঞ্চাশির মার্চে, আমার বয়স তখন তেরো। একদিন বিকেলে মা আমার দু’ভাইকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন। বাসায় আমি একা। সন্ধ্যায় লোকটা এলো। হাতমুখ ধুয়ে এসে সামনের রুমে বসলে আমি চা-নাস্তা দিই। এরপর, আমি আমার স্টোররুমের সেই ময়লা ঘরে ফিরে যাচ্ছিলাম, পিছন হতে লোকটা ঢেকে বলল, ‘তোর মায়ের আসতে তো মনে হয় অনেক রাত হবে।’ আমি জ্বী বলে উত্তর দিয়ে চলে যাচ্ছিলাম, লোকটা আমাকে আবার ডাকলো, উনার কাছে যেতে বলল। তখনও বুঝতে পারিনি কি হতে চলেছে! লোকটা খারাপ কিন্তু নরপশু তা বুঝতে পারিনি। আমি কাছে যেতেই আমার হাত টান দিয়ে কোলের উপর বসিয়ে সারা গায়ে হাত দিতে থাকে।”

এটুকু বলে নাজিহাত আপা ঢুকরে কেঁদে উঠলেন। কি বলা বা, করা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। আবার বলতে শুরু করলেন। উনি হালকা হতে চান, তাই বাঁধা দিলাম না।

“এই ঘটনা কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায় লোকটা। কিন্তু এই ঘটনার পর আর সহ্য করতে পারলাম না। আমার কিছু জমানো টাকা ছিল আর দাদাবাড়ির ঠিকানা জানতাম।পরদিন চট্টগ্রামে দাদীর কাছে চলে আসি। আসার আগে মাকে চিঠিতে লিখেছিলাম, ‘মা, আর পারলাম না। আমি দাদীর কাছে যাচ্ছি।’ মাকে কখনো বলতে পারিনি সে রাতের ঘটনা।”

বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন নাজিহাত আপা। অনেকক্ষণ কোন কথা বলতে পারলাম না কেউই।

০২।

সৎবাবা-মা দ্বারা সন্তানের নিপীড়িত হওয়াকে বলা হয় সাইকোলজির ভাষায় বলা হয় Cinderella Effect বা, বাংলায় সিন্ডারেলা প্রভাব।

গবেষণায় দেখা যায়, ৬৯% সন্তান সৎবাবা কর্তৃক নিপীড়িত হয়। অপরদিকে, ৫৭% সন্তান সৎমা কর্তৃক নিপীড়িত হয়। ৮৩% সৎবাবা-মা কখনোই স্টেপ চিলড্রেনদের উদার দৃষ্টিতে দেখেন না। ৬৩% সন্তান জীবনের কোন না কোন স্তরে সৎবাবা-মা দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে।

এই নিপীড়ণের মাঝে আছে শারীরিক নিপীড়ণ, মানসিক নিপীড়ণ ও যৌন হয়রানি। সৎবাবা-মায়ের এই নিপীড়ণ মানসিকতার পিছনে কাজ করে সন্তানের আসল বাবা-মায়ের প্রতি ঈর্ষা। আর এই ঈর্ষার সবচেয়ে বিকৃত রূপটি হচ্ছে বিকৃত কাম যা মেয়ে সন্তানের প্রতি সৎবাবাদের বেশি দেখা যায়। ভয়ংকর হলেও সত্যি ২৩% মেয়ে সন্তান সৎবাবার বিকৃত কামনার শিকার হয়।

সৎসন্তানদের হত্যা করার মানসিক প্রবণতাও আশঙ্কাজনকভাবে বেশি; ৫২%।

চিত্র: সৎসন্তানদের নিপীড়িত হবার শতকরা হার। (বড় করে দেখুন)

চিত্র: সৎসন্তানদের নিপীড়ণ করার মানসিক প্রবণতা।

চিত্র: বাংলাদেশ সৎবাবা-মায়ের সন্তান নিপীড়ণের হার।

বাংলাদেশে সৎপিতা-মাতা কর্তৃক নিপীড়ণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে সৎপিতা-মাতা কর্তৃক নিপীড়ণের হার যৌথভাবে ৮৫%। বুঝায় যায়, সন্তানের আসল বাবা-মায়ের প্রতি সৎবাবা-মায়ের ঈর্ষা আমাদের দেশে আশংকাজনক হারে বেশি।

প্রতিটি শিশু-কিশোরের নিরাপদ শৈশব-কৈশোর পাওয়া জন্মগত অধিকার। শৈশব-কৈশোর হেসে-খেলে দৌঁড়-ঝাপ করে বেড়ানোর সময়, নির্মল বন্ধুত্ব পাওয়ার সময়, চিন্তার স্বাভাবিক বিকাশের সময়। সৎপিতা-মাতার কখনই উচিত নয় ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত নষ্ট করা। তাদের উচিৎ সন্তানের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা, যাতে সন্তান কখনোই আসল পিতা-মাতা বা, বিমাতা-পিতার পার্থক্য খুঁজতে না যায়।

তবে, সবচেয়ে বড় কথা হল, আমাদের নিজেদেরকে বদলাতে হবে। মন-মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনার উন্নতি না হলে সন্তানের আসল বাবা-মায়ের প্রতি সৎবাবা-মায়ের ঈর্ষা মনোভাব যাবে না। আর মনোভাব পরিবর্তন না হলে শিশু নিপীড়ণের এই নিশ্চুপ অধ্যায়টি আরো হাজারো শিশুর সুন্দর আগামী কেড়ে নিবে।

এই বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কয়েকেটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে। সরকারকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুলে একটি সেল তৈরী করা যেতে পারে যারা শিশুদের সমস্যা নিয়ে কাজ করবে, পাঠ্য-পুস্তকে এ বিষয় নিয়ে পাঠ অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে, কমিউনিটি পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এরকম নানান উদ্যোগের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো যায়।

আমাদের মনে রাখা উচিৎ শিশুরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত। ওদের সুন্দর বর্তমান তৈরী করে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সবশিশু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকুক ও বেড়ে উঠুক এই কামনা করি।

তথ্য কৃতজ্ঞতা: পূর্বাশা (বাংলাদেশে শিশু-কিশোর অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা)।

নাজিহাত আপার ঘটনাটি ওনার সম্মতি নিয়ে লিখা হল।

——————————————————————————————————————