বছর খানেক আগে ১৬ বছরে এক কিশোরীকে মরা পাখীর মতন কাঁটাতারের বেড়াতে ঝুলিয়ে দেওয়ার রেশ শেষ না হতেই বি এস এফের, আরেক ভিডিও ভারতের জাতীয় লজ্জার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই ভিডিওতে যেখা যাচ্ছে , বি এস এফের ১০ জওয়ান , বাংলাদেশের এক গরু চোরাচালানকারী হাবু শেখকে উলঙ্গ করে পেটাচ্ছেঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=wGptKuEqmX8
সীমান্তে গরুর চোরাচালান একটি বিশেষ সমস্যা। এবং এর পেছনে যদি কেও দায়ী থাকে- সেটা হচ্ছে বি এস এফ নিজে। এরাই এই সব গরু চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয় এবং গরুর চোরাচালানের সব থেকে বড় পার্টনার। বাংলাদেশের এই হাবু শেখ বা হতভাগ্য গরীব লোকগুলি হচ্ছে “ক্যারিয়ার”- যারা পেট চালাতে এপার কার মাল ওপারে করে থাকে। এই চোরাচালানের আসল কেষ্ট বিষ্টু হচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কিছু মহাজনি ব্যক্তি-যারা এই ব্যবসাতে টাকা খাটায় এবং হাবু শেখের মতন হত দরিদ্রদের ক্যারিয়ার হিসাবে নিয়োগ করে-বি এস এফ এবং বিডিয়ার কে ম্যানেজ করে।
আমি সেই প্রসঙ্গে আসছি না। প্রশ্ন হচ্ছে একটি পেশাদারি বাহিনী যদিও কোন চোরাচালান ধরেও ফেলে, পৃথিবীর কোন আইনেই তাকে এই ভাবে নৃশংস ভাবে পেটাতে পারে না। সীমান্তে চোরাচালানের বিরুদ্ধে আইন আছে এবং আইন মোতাবেক তাকে পুলিশের কাছ হস্তান্তর করে কোর্ট তোলা উচিত ছিল। এই ভাবে একজন গরীব লোককে পেটানোর মধ্যে আদিম আদিবাসী “মব” মানসিকতা কাজ করে। এই সব নৃশংসতা, শুধু ডকুফ্লিমের মাধ্যমে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান এবং জার্মান সেনাবাহিনীর মধ্যে দেখতে অভ্যস্ত আমি। ভাবতে পারছি না-কিভাবে একটা পেশাদার সেনাবাহিনী এই ধরনের কাজ করতে পারে।
বি এস এফের মানবিকতা বিরোধি কার্যকলাপের লিস্টটা দীর্ঘ। গত দশ বছরে প্রায় ৭০০ জন বাংলাদেশী এবং ২০০ ভারতীয় বি এস এফের অত্যাচার ও গুলির শিকার হয়েছে।
কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিল্লী বি এস এফকে শোধরানোর চেষ্টা করছে না। বছর খানেক আগে কানাডা কোন এক বি এস এফ অফিসারের ভিসা বাতিল করেছিল এই গ্রাউন্ডে যে এটি একটি কুখ্যাত প্যারামিলিটারী ফোর্স যারা অপেশাদার এবং মানবাধিকার মানে না। এই ঘটনায় দিল্লী কানাডাকে চাপ দিতে থাকে-পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বি এস এফের হয়ে সাফাই গাইতে থাকেন এবং কানাডা যেহেতু ভারতের মতন বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে যাবে না, শেষমেশ কানাডা এই নিশেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এই অবস্থায় এস এম কৃষ্ণা নিজের কর্তব্য করেছেন-কিন্ত তার সাথে সাথে বি এস এফের এত দুর্নাম কেন বাজারে সেটা নিয়ে কোন তদন্ত কমিশন বসাতে পারতেন। তাহলেই বুঝতেন এমন অপেশাদার সেনাবাহিনী আফ্রিকার যুদ্ধবাজ জমিদারদের ও নেই। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের কাছে এটি একটি “কালো সংগঠন”।
তবে বি এস এফের এই ঘটনাকে ভারতে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা হিসাবে দেখতে রাজী নই। গত দুই সপ্তাহে পশ্চিম বঙ্গে ছাত্ররা আরাম করে নিজেদের কলেজের প্রিন্সিপালকে পিটিয়ে হাঁসপাতালে পাঠিয়েছে। আর হাবু শেখত কোন এক অন্যদেশের গরীব গরুচোর। আসলে জনসংখ্যার প্রচন্ড চাপে বিরাট অসহিষ্ণু হয়ে বড় হচ্ছে এক প্রজন্ম। তাদের যারা শিক্ষাদিক্ষা দিতে পারত-সেই সব শিক্ষক সমাজ এত অধপতিত যে ছাত্ররা পারলে শিক্ষকেই যখন খুশী পেটাতে পেছ পা হয় না। রাজনৈতিক দলগুলি আবার তাতে ইন্ধন যোগায়। বি এস ফের জওয়ানরা আসে ভারতের সেই সব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি থেকে যেখানে এই ধরনের অসহিষ্ণু পরিবেশে তারা বড় হয়েছে। ফলে, হাতে ইনস্যাস রাইফেল পাওয়া মাত্রই তার অপব্যবহার করতে ছারে না। বর্ডার এলাকাতে ধর্ষন, দোকান লুটপাট কিছু এরা বাকী রাখে নি। আর এই ব্যপারে ভারতের আইন ও অসহায়। এদের জন্যে আলাদা মার্শাল আইন। ফলে অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় বি এস এফ। এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষামন্ত্রকে অভিযোগ জানালে তবে “কোর্ট মার্শাল” হতে পারে!
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে বি এস এফের বিরুদ্ধে ভারতের মানবাধিকার কমিশন ও সোচ্চার। বি এস এফের এই পেটানোর ঘটনায় মমতা ব্যানার্জি ও ক্রুদ্ধ হয়ে বি এস এফের হাই কমান্ডের কাছ থেকে উত্তর চেয়েছেন। ফেসবুকের অনেক বাংলাদেশী দেখলাম, এই ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি বাতিল-ইত্যাদির দাবী তুলেছেন। তারা ভুল করছেন। বি এস এফের বিরুদ্ধে ভারতের মানবাধিকার কমিশন থেকে আরো অনেকেই সোচ্চার। অমানবিকতার দেশ হয় না-অত্যাচারীর ও দেশ হয় না। এইসব ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা একসুরে বি এস এফকে না চাপ দিলে, ফয়দা লুটবে ভারত আর বাংলাদেশের ধর্মীয় জাতিয়তাবাদিরা। ভারতের জাতীয়তাবাদিরা এই ঘটনায় খুশী-কারন একটা মুসলমান গরুচোরকে পেটানো গেছে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদিরাও খুশী-কারন ভারত বিরোধিতার সুযোগ এসেছে।
মানবতাবাদি হিসাবে আমি ভীষন অখুশী-কারন এই ধরনের ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর ছায়া ফেলবে। এবং তার জন্যে দিল্লীর বিরাট দায় আছে। এই বি এস এফ বাহিনী জাতীয় কলঙ্ক এবং অপেশাদার মানতে বাধা কোথায়? এদের আরো ট্রেনিং দরকার, দরকার কাউন্সেলিং-দরকার এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল আরো বেশী করে বসানো।
নইলে বি এস এফ, ভারতের লজ্জার আরো অনেক বেশী কারন হবে।
পূর্ণ সামরিক বাহিনীর থেকে এই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অনেক বেশি বর্বর,অসভ্য। সামরিক আইন, নীতিমালা যে ব্যারাকে প্রযোজ্য এই শাদা বিষয়টি বোঝার মত বুদ্ধি অধিকাংশ সদস্যের নেই। এই সীমান্ত বিরোধ এবং অত্যাচার বন্ধ হোক,মনে প্রানে এই আশাই করি।
আপনার লেখা ভাল লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ।
শুধু ব্লগ এই লেখা লেখি, যুক্তি, সংবাদ, নিন্দা, ধিক্কার , প্রতিবাদ কাম এর কাম কিছুই নাহ, ফলাফল জিরো। ব্লগ এ প্রতিবাদ করতে করতে যায় বেলা।
ভালো লাগলো নিবন্ধটি পড়ে
পয়লা মার্চ বাংলাদেশে ভারত বন্ধ!
দেখা যাচ্ছে, ঘটনাটিকে অধিকাংশ বাংলাদেশী জাতীয় অপমান হিসাবে নিচ্ছে। যদিও বাস্তব এই, এই ভিক্টিম হাবু শেখ জানাচ্ছেন, বি এস এফকে ঘুঁশ দিতে পারার মতন টাকা ছিল না বলেই মার খেয়েছেন। নইলে বি এস এফকে ঘুঁশ দিয়ে তিনি এপার ওপার করেই থাকেন। হাবু শেখ বাংলাদেশী বলে বি এস এফ এমন করে পিটিয়েছে এটা অতিসরলীকরন-এটা হাবু শেখের কথাতেই পরিষ্কার। মোদ্দা কথা পুরো ঘটনাটা বি এস এফের অপেশাদারিত্ব এবং দুর্নীতিপরায়নতার প্রমান। সেই জন্যেই ওদের আমি জাতীয় কলঙ্ক বলেছিলাম।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ব্লগাররা যেভাবে ঝড় তুলেছেন-সেটা দেখে বেশ ভাল লাগছে। এই ভেবে যে ব্লগার রা স্যোশাল মিডিয়ার সাহায্যে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছেন। পয়লা মার্চ যদি ইনারা ভারতের দ্রব্য বয়কট করতে পারেন, আমি সেটাকে আধুনিক প্রযুক্তির সার্থকতা বলে মনে করব।
খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, এই সব করে ইনারা বাংলাদেশের আসল সমস্যাটাকে আরো হিমঘরে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশে আরো বেশী উৎপাদক ইউনিট দরকার। ডিস্ট্রিবিউশন ভাল হওয়া দরকার। বাংলাদেশে অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্য বা প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ভারতের ২ থেকে তিনগুন। এটা যদ্দিন থাকবে, ভারতের দ্রব্যেই বাংলাদেশ চলবে। সুতরাং বাংলাদেশের উৎপাদন কি করে উন্নত করা যায়-বন্টন কি করে ভাল হয়-উৎপাদনে আরো বিনিয়োগ আসে-এসব নিয়ে লিখুন ব্লগার রা। নইলে এই প্রতিবাদ অরন্যে রোদন।
এরপরে বাংলাদেশের ব্যবসাতে মাফিয়ারাজ। ফলে সাধারন বাংলাদেশীদের মধ্যে বাণিজ্যে বিনিয়োগ কম যেহেতু বাণিজ্যের পরিবেশটা সম্পূর্ন কালোটাকার লোকেদের হাতে চলে গেছে।
আমি খুশী হব, যদি ব্লগাররা, কেন হাবুশেখকে ভারতে যেতে হয় পেট চালাতে, এটা নিয়েও লেখেন। তাতেই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী আশু মঙ্গল।
আপনার লেখাটি মানবাধিকারের আবেদনে পূর্ণ। ধন্যবাদ এ জন্যে। এর আরেকটি দিক হচ্ছে, ভারতীয়দেরকে ও বি এস এফ কে বুঝাতে হবে যে তাদের বুড়া গরু বাংলাদেশে পাঠিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। হিন্দু অধ্যুষিত দেশে বুড়া গরুকে মরার আগ পর্যন্ত শুধু শুধুই পালতে হত বুড়া মা জ্ঞানে। বাংলাদেশের মানুষও ভারতীয় গরু আসে বলে গরুর মাংস খাওয়ার স্বাদ ভুলেনি এবং আমরা সে কথা কিছুটা কৃতজ্ঞতা নিয়ে স্বীকার করি।
আমরা সব সময় নানা সমস্যায় জর্জরিত। দেশ বিভাজন দিয়েছে আরো কিছু বাড়তি সমস্যা। বিভাজনের প্রাচীর নির্মাণ যতটা সহজ, ভেঙ্গে ফেলা ততটাই কঠিন। আমরা ভারত বাংলাদেশ পাকিস্থান নেপাল নিয়ে কি একটা অভিন্ন স্বপ্ন দেখতে পারি? খুব প্রাথমিক পর্যায়ের স্বপ্ন। যে কাজটা করে যাচ্ছেঃ
বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরাম (বিবিপিপিএফ)
বাংলাদেশি বন্ধুদের বলছি, গলা ফাটিয়ে কোন লাভ নেই। পরিবেশ উদ্বাস্তু হয়ে কোথায় ঠাঁই নেবেন,ভাবুন। অথবা প্রজ্ঞার সাথে নিজেদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করুন। সময় হাতে খুব একটা নেই। নোনা জল কিভাবে মূল ভূ-খন্ডে প্রবেশ করছে তা আশা করি পত্রিকা মারফত জানতে পারছেন। ভারত কাঁটাতারের বেড়া গরুচোরদের ঠেকাবার জন্য দেয়নি। তারা আগামদিনের খোঁজ-খবর কিছুটা রাখে বলেই, দিয়েছে। হোরাস যে কথাটা বলেছেনঃ
এ ক্ষেত্রে আমরা আক্রান্ত বলে আমাদেরকেই উদ্যোগী হ’তে হবে।
@স্বপন মাঝি,
(Y)
এমনি এমনি পাওয়া
হেলেঞ্চা লতাটিও ওরা
ছিঁড়ে খুঁড়ে খায়
কবরের মাটিও, হায়।
বিপ্লবদাকে ধন্যবাদ এই নিয়ে লেখা দেবার জন্য। আমার মনে হয়না বি এস এফকে ভারতের জাতীয় কলঙ্ক বলার কিছু আছে। ভারতের সর্বত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের যা রেকর্ড আছে তার তুলনায় এই ঘটনা কিছুই না। কাশ্মীরে ১৯৮৯-৯০ সালে যা হয়েছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অনেক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে ভারত। মণিপুরে আফস্পার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর লড়ে যাচ্ছেন চানু। অরুন্ধতী অনেককাল হল ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লিখে আসছেন। কাজের কাজ কিছু হয় না, কিছু উন্নতি হলেও সবটাই বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার মতই গল্প। ভারতীয় মধ্যবিত্ত মানবাধিকার বিষয়ে উদাসীন, নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। আর আমাদের মত পলায়নপর মনোবৃত্তি নিয়ে কিছু লোকে বিদেশে পালিয়ে আসে।
যাই হোক, এইরকম ঘটনা কমানোর তিনটে পথ আছে। প্রথমটা কাম্য। বি এস এফকে জওয়ানদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে ঘটনা কমানো। এ পর্যন্ত আমার জানা একটা ক্ষেত্রেই ভাল শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আর এরকম ঘটনা হয়েছে হাজারের ওপর। সুতরাং, রাতারাতি এই পথে সমাধান আসবে সে সম্ভাবনা কম।
এর সাথে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা অঞ্চলে মানুষের মধ্যে সীমানা পেরোবার ঝুঁকি নিয়ে ধারণা আসা দরকার। এদের অনেকেই কয়েকশো টাকার জন্য পুরো ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। এদের কিছু বিকল্প জীবিকা সংস্থান করা গেলে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে।
সবথেকে সহজ যেটা সেটা হল ভারতে গরু বেচার বৈধতা জারী করা। বর্তমানে ভারতে ডোমেস্টিক পারপাস ছাড়া গরু-ব্যবসা বে-আইনী। সেটা যদি বৈধতা দেওয়া যায়, অন্তত লোকাল পর্যায়ে, তাহলে এইরকম গরু ব্যবসা লুকিয়েচুরিয়ে করতে হবে না। ঘুষ আর মানুষ মারা দুইই বন্ধ হতে পারে। আমি জানি সীমান্তে কিছু হাট খোলার কথা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এইসব হাটে গরু বিক্রি বৈধতা দেওয়া যায়। এতে গরু নিয়ে পালিয়ে আসতে গিয়ে মারা যাওয়া কমবে।
@দিগন্ত,
আমি চিন্তিত অন্য যায়গায়।
পলিটিক্স ইন ওয়েস্টবেঙ্গল ফোরামে এই লেখাটা দিয়েছিলাম। এবার দেখা আমাদের দিকের “ছেলেদের” প্রতিক্রিয়া একই ঘটনায়ঃ
http://www.orkut.com/Main#CommMsgs?cmm=62384129&tid=5699439065235316201&start=1
*****************
আমি যেটা দেখছি দিগন্ত-সেটা মব মেন্টালিটি এই ব্যপারে কি?
[১] লোকটা হাবু শেখ – গরীব, গরুচোর, বাংলাদেশী । সুতরাং তাকে পিটিয়েছে বেশ করেছে।
( অর্থাৎ এখানে “শ্রেনী সচেতনাটা” খেয়াল কোরো। লোকটা হাবু শেখ না হয়ে যদি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী হরিপাল হত, এরাই বি এস এফের বিরুদ্ধে লিখত )
[২] পিটিয়েছে? ওমন পিটানো এমন কি ব্যাপার। সর্বত্র হয়। বাংলাদেশের বি ডি আর ও এমন অপেশাদাদার!
[৩] মানবতার অপমান-? মানুষ বস্তুটা কি?
রবীন্দ্রনাথের কথাতেই ফিরে আসি। মানুষের মন দেশ, জাতি, ধর্ম, শ্রেনী ইত্যাদির ক্ষীন ধারার কাদায় এমন ভাবে পুঁতে গেছে, এদের মানবতার শ্রোতস্বিনী নদীতে ফেরানো কঠিন কাজ। সেনা বাহিনী দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু না। যেখানে দেশের লোকেদের মানবতাই উচ্ছন্নে গেছে, সেখানে সেনাবাহিনীকে আলাদা করে গাল দিয়ে কি হবে?
@বিপ্লব পাল, হ্যাঁ এটাই আর কি। এইরকম জনগণের দেশে বি এস এফ কি করে কলঙ্ক হয় সেটাই বুঝি নি। দেশের জনগণ যেমন বাহিনীও সেরকমই হবে আর কি।
@দিগন্ত,
ভাই, আমি এর কারণটাই বার বার বোঝার চেষ্টা করছি! যেমন: সাইফুল সাহেব উপরে বলে দিয়েছেন, এভাবে লেংটা করে পেটানোরই ট্রেনিং দেয়া হয় যা আমার কাছে অতি সরলীকরণ মনে হয়েছে। আসলে এটা একটা সামাজিক অবক্ষয় ছাড়া কিছু নয়, যা ভারতের আর্মড-ননআর্মড সব মানুষকে নষ্ট করে ফেলছে। ব্যাপারটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সমান সত্য। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আর্মড ফোর্সের ট্রিটমেন্ট তো আমরা হরহামেশাই দেখছি- এ থেকে ধারণা করি, আমরা যদি ভারতের মত শক্তিশালী হতাম, আমরা হয়ত বাইরের দেশের সাথেও একই কাজ করতাম। সুতরাং, সমস্যার গোঁড়ায় হাত দিতে হবে; মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে উভয় দেশের জনগণেরই। এ ঘটনার জন্য হাসিনা-মনমোহনকে দায়ী করে ব্লগ লিখলে সমস্যার বালুতে চোখ খুঁজে থাকারই সামিল হবে কেবল, কাজের কাজ কিচ্ছু হবে না। আপনার লিংকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
@বিপ্লব পাল,
আপনার এই সব উচিত কথার কারনে ভারতীয় অনেক নাগরিক আপনার উপরে মহা খাপ্পা। এই জন্যে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম। যেমন বিবেকানন্দ’কে নিয়ে লিখেছিলেন সেটা নিয়ে ক্ষ্যাপা।
আবার এই সব ভারতীয়রা নিজেদের অন্যায় কে ঢেকে রাখতে চায়।মনে হয় এই তাদের দেশ প্রেম।
উচিত কথা জানালেই মনে করে দেশ প্রেম থাকেনা। কী জানি সব রাম জানে- 🙂
@আফরোজা আলম,
হ্যা। সেটা এখনো চলছে।
http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1326597227378&contentPageNum=1
আসলে প্রথম প্রথম যখন বিবেকানন্দ বিরোধি প্রবন্ধ দেখতাম, তখন আমিও বিরক্ত হতাম। কিন্ত আমার নিজের দর্শন নিয়ে পড়াশোনা যত বেড়েছে, তত উনার লেখার দুর্বলতা আরো বেশী করে চোখে পড়েছে। এখন দেখুন বাংলাদেশের ও ত একই অবস্থা- ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে মুক্তমনারা কি কম গালাগাল খান? শ্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটা বরাবরই কঠিন।
তবে মিশনের সব কিছু র ওপরে মানবসেবার আদর্শকে স্থান দেওয়াটাকে আমি সমর্থন করি। আমিও মনে করি সেটাই জীবনের আদর্শ হওয়া উচিত। ধর্ম জাতীয়তাবাদ যুক্তিবাদের ওপরে মানবসেবার আদর্শকে স্থান দেওয়া উচিত।
আমি যদ্দুর জানি বাংলাদেশে ভারতের রফতানি, ভারতের সমগ্র রফতানির ১% বা তার কাছাকাছি। ধর আইন করে এটা বন্ধ করা হল। তাহলে বাংলাদেশের দ্রব্যের ভারতে রফতানিও বন্ধ হয়ে যাবে। সেটাতে বাংলাদেশের ১৫-২০% রফতানি যাবে। তাহলে এটা কি করে বাস্তব সমাধান হয়??? এতে ভারতের কিছু ক্ষতি হবে না-উলটে বাংলাদেশের ক্ষতি অনেক অনেক বেশী।
ভারত -বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরো বাড়ানো উচিত। এতে সম্পর্ক আরো বাড়বে। আবেগ দিয়ে পাটিগণিত মেলাতে পারবে না-তাতে দুটো বেশী হাততালি পাবে। পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রএর উন্নতির জন্যে বানিজ্য ছারা গতি নেই। আবেগে দুটো ব্লগ লিখলে, বাংলাদেশের কিস্যু হবে না-চাই বাংলাদেশী পণ্যের আরো বিরাট বাজার। সেটা ভারতই একমাত্র দিতে পারে। এবং সেই দিকেই তাকানো উচিত।
খুব ভুল ধারনা। একদম ভুল। ভারতের প্রায় ২০০,০০০ এর বেশী আমেরিকান নাগরিক বাস করে। এদের মধ্যে অধিকাংশই জন্মসূত্রে ভারতীয় ছিল। এদের অনেকেই ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যে ভারতে থাকে। আমি অন্তত দুজনের কেস জানি, যাদের বিনা আইনে, এবং চার্জে পুলিস পিটিয়ে বন্দী করে রেখেছিল। যেহেতু আমেরিকান হলেও গায়ের চামড়া ভারতীয় ছিল। এবং তাদের পেছনে টাকা তোলার জন্যে লেগেছিল স্থানীয় ব্যবসায়িরা। এরা টাকার জন্যে সব কিছু পারে। হাবু শেখকে পিটিয়েছে টাকা পায় নি বলে। এদের তুমি চেন না। শুধু ভারত ভারত বলে একটা বিমূর্ত ধারনা নিয়ে বসে আছে।
@বিপ্লব দা,
ভারতের ১% রপ্তানি, আর বাংলাদেশের ১৫% রপ্তানি মনে হয় এক না। আমি জানি না। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশি ইলিশ না রপ্তানি হলে আমি মহা খুশি হই।
@নির্মিতব্য,
রফতানী না করে দেশের সম্পদ বাড়াবে কি করে?
বাংলাদেশের মেইন এক্সপোর্ট লেবার আর গার্মেন্টস। এর মধ্যে গার্মেন্টেস এর বিরাট বাজার ভারতে আছে। কারন ভারতে গার্মেন্টেস এর দাম অনেক বেশী।
বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিস আর যত ভারতের মার্কেটে দেখি না-আমেরিকাতে প্রচুর পায়। এর কারন দাম। ভারতের ইলিশ আসে জলঙ্গী আর কোলাঘাট থেকে। সাইজে ছোট-খেতে ভাল না। কিন্ত দাম কম বলে মার্কেটে তাই চলে।
বাংলাদেশের জনঘণত্ব অনেক বেশী-এখানে অনেক বেশী করে আই টি শিল্প চালাও।
@বিপ্লব দা,
রপ্তানি তো অবশ্যই দরকার, কিন্তু একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, ভারতীয় ব্যবসা বাংলাদেশে অনেকটা একপেশি। এই নিয়ে অনেক লেখা লিখিও হয়েছে। কিন্তু এর একটি বড় উদাহরণ হলো বাংলাদেশে পোল্ট্রি খাত ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যহত হয়েছে ভারতীয় রপ্তানী যাতে ঠিক থাকে তাই। আমি প্রতিবেশি দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক করতে চাই না, কিন্তু দিল্লী বেশিরভাগ সময় আমাদের জন্য উপকারী বা ফেয়ার ডিল করে না। আমাদের নিজেদের দূর্বল পররাষ্ট্রনীতি আর লোভী ব্যবসায়ী এর বড় কারন। এই বিষয়টা নিয়ে খুব সুন্দর একটা রূপক লেখা আসছে মুক্তমনায়।
(ইলিশ মাছ আসলেও আমেরিকাতে বড় বড় সিটিতে অনেক পাওয়া যায়। এত ইলিশ আমি বাংলাদেশেও খাই নি। আর দামও ফিক্স।)
আই টি সেক্টর ভালোই এগুচ্ছে বাংলাদেশে। আমি আশাবাদী।
@নির্মিতব্য,
আমি বাংলাদেশ নিয়ে কম জানি। তবে যেটুকু বুঝি
১) বাংলাদেশে ভাল উৎপাদন এবং বন্টন কাঠামো নেই। আসলে সস্তায় জমি নেই। তাই উৎপাদনে খরচ সাংঘাতিক বেশী। এরপরে বন্টনের প্রতিটা স্তর অপেশাদারিত্বে ভর্তি।
২) এরপরের সমস্যা বিনিয়োগে। প্রতিটা প্রবাসী ভারতীয় ভারতে কিছু না কিছু বিনিয়োগ করে। আমি নিজেই ভারতের তিনটি ব্যবসাতে বিনিয়োগ করেছি । ভারতের আই টি শিল্পটা তৈরীই হয়েছে প্রবাসী বিনিয়োগে। কিন্ত আমার বাংলাদেশী বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখেছি, উনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পান। কারন বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, ওখানে বিজনেস করতে গেলে মাফিয়া না হইয়ে ঊপায় নেই। এগুলো ঠিক করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা ব্লগে ঝড় তোলার পেছনে যতটা সময় দেয়, তার একভাগ ও যদি দেশে তরুন যুবক যুবতীদের দিয়ে ব্যবসা করানোর পেছনে দিত, বাংলাদেশে চিত্র অনেকটা বদলাত।
@বিপ্লব পাল,
আপনার দুটি কথাই ঠিক। আমি খুব আশা করি আপনার এই কমেন্টটা পড়ে কারো একটু দেশে আরো বিনিয়গ করার ইচ্ছা জাগুক। মুক্তমনাতে ট্যাগ করার উপায় থাকলে, সবাইকে আপনার কমেন্টটায় ট্যাগ করতাম। অনেক সময় মা এর কথা কানে ঢুকে না, মাসির কথা মধুর লাগে। (F)
@নির্মিতব্য, (Y)
লেখাটার জন্যে প্রথমেই সাধুবাদ জানাই। কারন মুক্তমনারা ধর্মরে যতবড়ো সমস্যা মনে করে, নারীদের কালো সাদা বললে যত ক্ষেপে, ততটা ক্ষেপে না অন্য দেশে নিজের জনগন মরলে, অন্য দেশের সীমান্তে নিজের ভাই পিটনা খাইলে। যাই হউক আপনি বিদেশী হইয়া আমাগোর হকটা পালন করছেন। ধন্যবাদ।
আপনি এই গান্ধীবাদী মন্তব্য করলেন, আবার আরেকজন ঝাপাইয়া পইড়া আপনার সমর্থনও কইরা ফালাইল। দেখেন আপনার এই সুগভীর গবেষনা আমি কেমনে এক তুড়িতেই নাই কইরা দেই।
আজকে বাঙলাদেশের জায়গায় আমেরিকারে আইন্যা ফালান। ঐসব সামাজিক তত্বের কোন দরকার নাই। সবগুলা ভিজা বিলাই অইয়া যাইব। আপনার ঐসব তত্বরে বুড়া আঙ্গুল দেখাইয়া নাক ডাইকা ঘুম পাড়ব।
দুনিয়াতে ভদ্রতার দাম নাই বিপ্লব দা, বাঙলাদেশের সরকার যতদিন নিজের পাছাডা ইন্ডিয়ার কোমর উচ্চতায় জাগাইয়া রাখব ততদিনই ইন্ডিয়ার বিএসএফ-রা বাঙালি ল্যংটা কইরা যাইব। পারুক না পারুক আজকে বাঙলাদেশে ইন্ডিয়ান সমস্ত পণ্য আনা বন্ধ কইরা দেন, মনমোহনের ইন্ডিয়ান শিং ভাইঙ্গা গুরা অইয়া যাইব আর নিজেই বিএসএফরে থাপ্রাইয়া ঠিক করব।
আপনি কইলেন প্রফেশনাল একটা বাহিনী কেমনে এই কাম করে ঐডা নাকি আপনার মাথায় ঢোকে। না ঢোকার কী কারন থাকতে পারে আমি জানি না। এই সমস্ত সেনা সদস্যগুলারে আসলে কী শিখানো হয় কন তো? মারামারি কাটাকাটি করতেই যেইখানে এইগুলারে ট্রেনিং মারা অয় অইহানে এদের কাছ থিকা আপনি যদি শিক্ষিত আচরন আশা করেন তাইলে তো সমস্যা। একটা লেফটেন্যন্ট চুপ থাকব একটা ক্যাপ্টেনের সাথে, একটা মেজরের সাথে, সোজা বাঙলায় সুপিরিয়র অফিসারের সাথে। আবু শেখের লগে মিষ্টি মধুর পুতুপুতু কতা কইতে হেগোর বইয়া গ্যাছে! কারন একজন কাপ্তান একজন লেফটেন্যন্ট এর সাথে পুতুপুতু কতাবার্তা কয় না। হেরা হুকুম দেয়। শিক্ষিত আচরনের কোন ব্যাপার এইহানে নাই। তার উপ্রে শিং-সরকারের আশ্বাস-প্রশ্বাসের ছায়া তো আছেই।
আমার হাতে ব্যাপক ক্ষমতা থাকলে আমি কী করতাম জানেন? দুনিয়ার তাবত মানবাধীকার সংস্থাগুলারে মঙ্গলগ্রহে পাডাইয়া দিতাম। কারন এরা সীমান্তের উত্তেজনায় শিৎকার করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারব না। এইডা বাঙলাদেশের ইন্ডিয়ার সব দেশের কর্মীগুলার কতাই কইতাছি। এইসব চিৎকারে তো কিছু অয় না। চিল্লাইয়া লাভ কী?
তারপরে মমতা না ক্ষমতা ব্যানার্জী, উনি ক্রুদ্ধ হইলেও ভারতের দাদাগীরি চিন্তাভাবনা কোনভাবেই শুদ্ধ হইব না। এইসব অভিনয়ের ফলাফল একটা উট পাখির ডিমের লাহান বড় গোল্লা।
মৈত্রী চুক্তি বাদ দিলে ভুল করব কেন? ভারতের বেচা বিক্রি নাই অইয়া যাইব এই জন্যে কইতাছেন? আমি তো বাদ দেওয়াতে কোন সমস্যা দেহি না। মিত্রের সাথে ব্যাবহার যদি অয় কয়দিন পরপরই ল্যংটা কইরা পাবলিক পিটাইন্যা ঐ মিত্রের সাথে লদকালদকি না করাডাই তো বেটার মনে হয় আমার কাছে। 🙁
আর সত্য কতা কইলে যদি সুযোগসন্ধানীরা সুযোগ পায় তাইলে আমি সত্য কতা কইতেই চাই। কারন ইতিহাস সাক্ষি দেয়, সুযোগসন্ধানীগুলারে সুযোগ দিতে অয় না। ওরা সুযোগ বানাইয়া নেয়। আপনি যেইটা করতে পারেন ঐটা অইল সুযোগসন্ধানীগুলারে পিটাইয়া সোজা করা। হিসাব সহজ দাদা।
আপনার প্রবাস জীবন সার্থক। না অইলে জানতেন বাঙলাদেশের সাথে ইন্ডিয়ার সম্পর্কে কোন দিনই ছায়া(পেটিকোট অর্থে) পড়ব না। আর যদি সুশীতল ছায়ার কথা কন তাইলে ঐছায়া আগের থিকাই পইড়া আছে। ঐটা কেউ সরাইতে পারব না। এট লিষ্ট, আওয়ামি লিগের আমলে। কোনভাবেই সম্ভব না।
এইখানে যদি ভারতীয় জনগনের কথা বলেন তাইলে আমি জানি না। আর যদি সরকারের কথা বলেন তাইলে কমু, ভারতের লজ্জা আছে এই কতাডাই তো লজ্জাজনক!
@সাইফুল ইসলাম,
(Y) :clap :clap :clap
@সাইফুল ইসলাম,
স্পস্ট বক্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ (Y)
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার গভীর চিন্তা-প্রসূত বক্তব্যগুলো থেকে প্রতিনিয়তই শিখছি! শুধু কিছু ব্যাপার খোলাসা করলে কৃতার্থ বোধ করব।
এটা ঠিক, আমেরিকান ন্যাশনালদের সাথে বিএসএফ এমন আচরণ করার সাহস পেত না। কিন্তু বাংলাদেশের মত ছোট দেশের জনগণ পেলেই যে, তাদের ভিতর পশুত্ব জেগে উঠে, তার কারণ কি বলে মনে হয় আপনার? এর পেছনে কি তত্ত্ব কাজ করছে? ও আচ্ছা, আপনি তো পরে বলেই দিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানদের মানুষ ল্যাংটা করে পেটানোরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সরকারীভাবে! এর পেছনে আর কোন সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ খুঁজতে যাওয়া বৃথা তাই! তবে আপনার কাছে একটা বিনীত প্রশ্ন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই যে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে অনেকে হরহামেশাই ল্যাংটা হচ্ছে, দেশেই অবস্থানকারি হিসাবে সে খবর আপনার নিশ্চয়ই অজানা নেই; তো তাদের ব্যাপারে আপনার ফয়সালা কি? তাদের তো আর মনমোহন ট্রেনিং দেয় নাই; তাছাড়া, মনমোহনের বান্ধবীও তো শুরু থেকেই ক্ষমতায় ছিল না। তাহলে? জানি আপনি তবু সামাজিক অবক্ষয়কে দায়ী করবেন না, সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একটি প্রস্তাব আছে: আপনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হবে; শর্ত হল, আপনাকে গ্যারান্টি দিতে হবে, আপনার আমলে পুলিশের হাতে কেউ নির্যাতিত হবে না।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানও এমন কথা বলেছিলেন; সে অর্থে কথাটা খুব একটা নতুন নয় আর বাংলাদেশের এক শ্রেণীর লোককে এমনই ধারনা দেয়া হয়েছে যে, ভারত বেঁচে বর্তেই আছে বাংলাদেশের বাণিজ্য দিয়ে। অথচ অর্থনীতিবিদ-গন ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ বলছেন, বেশী না, খালি ইন্ডিয়ান সুতা আনতে না পারলেই, বাংলাদেশের এত সাধের গার্মেন্টস শিল্প হুমকির মুখে পড়ব। আর অন্যান্য জিনিসের কথা না হয় বাদই দিলাম। সুতরাং, শিং যে কার ভাঙবে, তাই বুঝতে পারছি না ভাই! তবু ভয় নেই, আপনি যখন আছেন, শিং আবার ঠিকই জোড়া লাগানো যাবে, কি বলেন?
কে বলল, ছায়া পড়ে না, দেশে থাকা দেশনেতাদের সময় তো বেশ ভদ্রগোছের ছায়া পড়ে? কেন, আপনি দেখেননি?
এদের হাতে তো আর পুলিশ-আর্মি নেই যে এরা বিএসএফ জওয়ানদের ধরে ধরে লটকাবে? তাই তারা চিৎকার করেই প্রতিবাদ জানায়, যেমনটা আপনি লেখায় জানান। আর তাদের চিৎকারের কারণেই কিন্তু আপনার ভাষায় মমতাকে সাময়িকভাবে হলেও নাটক করতে হয়!
@কাজি মামুন, শুধু ভারতীয় গোরু আমদানী বন্ধ করতে পারলেই সীমান্তে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
বাকি বিষয়ে আমি বলব, বি এস এফ থাকুক কি না থাকুক – দেশের জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা অন্তত করুন। এটা সাধারণ ভাল অভ্যাস হিসাবে অন্তত কাজে আসবে।
@দিগন্ত,
অন্য দেশের জিনিস ব্যবহার করলে সেটা খারাপ অভ্যাস হয়ে যায়? না ভাই, আমার দেশপ্রেম এত উচ্চমার্গের নয়; আমি বিদেশের পন্য ব্যবহার করব; বিদেশীরা আমার বানানো শার্ট গায়ে দেবে- এতে আমি দোষের কিছু দেখি না; আজকের যুগে উগ্র জাতীয়তাবোধের বাহার একেবারেই বেমানান! ভাই দিগন্ত, এই আদিগন্তের যুগে আপনাকে খুশী করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
@কাজি মামুন, আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা আমার এই পোস্টে পেয়ে যাবেন –
http://blog.mukto-mona.com/?p=10084
@কাজি মামুন,
শ্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য কথা বলাটা কঠিনতম কাজ। বানের জলে কচুরী পানা ভেঁসে যায়-কিন্ত যে গাছের শিকড় গভীরে সে দাঁড়িয়ে থাকে।
গ্লোবালাইজেশনের সাথে যুক্ত না হলে, পৃথিবীর কোনদেশ বাঁচবে না। এটাই বাস্তব। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ হতে গেলে, একে আরো বেশী বিশ্ববাণিজ্যের সাথে যুক্ত হতে হবে।
মুক্তমনা যদি যুক্তিবাদি ফোরাম হয়, প্রতিটা মুক্তমনার সবার আগে জানা উচিত “জাতিয়তাবাদ” হচ্ছে বর্তমান কালের সব থেকে বেশী অযৌত্বিক কুসংস্কার। আর এর জন্যেই এই সব সেনাবাহিনীর জন্ম যার জন্যে ২০% খরচ হয়। আর দেশে দেশে লোকেরা না খেয়ে থাকে।
@বিপ্লব পাল,
(Y)
@কাজি মামুন,
সহমত সহমত
@সাইফুল ইসলাম, (Y)
অন্যায়-অত্যাচার-অবিচার-অনিয়ম, ভয়-ভীতি-ত্রাস-সন্ত্রাস ও শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতন থাকবে,কতিপয় অগ্রসর মানুষ প্রতিবাদ করবে এবং এর দ্বারা প্রমাণিত হবে আমরা গণতান্ত্রিক আবহাওয়ার মধ্যে বসবাস করছি, যা কি-না অনেকটা দখিনা সমীরণের মতো।
আসুন আমরা উত্তুরে হাওয়ায় একটু এগুবার চেষ্টা করি। পুলিশ থাকলে, পুলিশের পিটুনি কম-বেশি খেতে হবে, এ কোন সীমান্ত মানে না। তো
ভারতীয় উপমহাদেশ গঠন নিয়ে যারা কাজ করে যাচ্ছে, আসুন এবার আমরা তাদের কথা একটু শুনি। http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-01-15&ni=83336
বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা বাতিল ও বাণিজ্য সুবিধা দাবি
ত্রিদেশীয় ফোরাম সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরাম (বিবিপিপিএফ)। তিন দেশের মধ্যে ভিসা ব্যবস্থা বাতিল করে নাগরিকদের অবাধ যাতায়াত এবং বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের দাবি করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, তিন দেশের নাগরিকদের সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কার্যকর কিছু একটা করার উপায় বের করতে হবে।
এ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
আমার ধারণা এ সব ঘটনায় ভারতীয় সরকারের প্রচ্ছন্ন সম্মতি আছে। এ কারণেই তারা কোন ব্যবস্হা গ্রহণ করে না। বাংলাদেশের বর্ডার জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া এবং সুযোগ পেলেই গুলি চালানো একটি সূদূর প্রসারী পরিকল্পনার ফসল। জনসংখ্যার ভারে ন্যুহ্য বাংলাদেশ থেকে মাস্ মাইগ্রেশন ঠেকানোর জন্য তাদের আগাম সতর্কবার্তা। আন্তর্জাতিক কম্যুনিটিকেও জানান দেয়া যে এরা নিয়ম ভাঙছে বলেই আমরা গুলি চালাচ্ছি। ব্যাপারটাকে সহনীয় করে তুলবার জন্য। যাতে ভবিষ্যতে বড় ধরণের চাপের মুখে পরলে ব্যাপারটা সামাল দিতে সুবিধা হয়। নাইলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং কানাডার মত দেশের চাপে পরেও তারা বিএসএফের কোন ব্যবস্হা নেয় না অথচ কানাডাকেই তাদের পলিসি চেঙ্জ করতে হয়। এ থেকেই আসলে প্রমাণিত হয় সরকারের প্রচ্ছন্ন সম্মতি আছে। তবে এবার ভিডিওটা ব্যপক প্রচার পাওয়ায় একটু বেকায়দায় পরে ৮ জনকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছে। কিছুদিন পরে ঝড় থেমে গেলে এরা সবাই আবার স্ব স্ব পদে ফেরত যাবে।
@হোরাস,
(Y)
এ নির্যাতনের আনকাট ভিডিও, ১৮+
@হোরাস, (Y)
@হোরাস,
দারুণ মন্তব্য।
@হোরাস, (Y)
বি এস এফের এই ধরণের কার্যক্রম কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। ভিডিওটা দেখে আমার রীতিমত অসুস্থ লাগছিলো। একটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে উলঙ্গ করে পেটানো এবং তা ভিডিও করে রেখে হিরোর মত ভাব নেয়াটা সাইকোপ্যাথের পর্যায়ে পড়ে। এদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাঁচিতে পাঠানো উচিত। চোরাচালান এখানে কোন ইস্যুই না। সীমান্তে চোরাচালানের জন্য বি এস এফ ই দায়ী। বাংলাদেশের চোরাচালানীদের কাছ থেকে এরা নিয়মিতভাবে মাসোহারা নেয়। হাবু শেখ নিজেই স্বীকার করেছে যে বি এস এফ সদস্যরা তার কাছে প্রথমে মোবাইল, টাকা পয়সা এসব চেয়েছিল। দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শায়েস্তা করার জন্য এভাবে নির্যাতন চালানো হয়। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ বিপ্লবদা। ভারতের মানবতাবাদীরা যদি এর বিরুদ্ধে জোরগলায় প্রতিবাদ জানায় তবেই দুই দেশের সম্পর্ককে সুন্দর অবস্থানে নিয়ে আসা সম্ভব। নাহলে দুই দেশের উগ্রবিদ্বেষীরা এর থেকে ফায়দা লুটবে।
তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ধিক্কার ।
বাংলাদেশের শক্তি কি কানাডা’র চেয়ে বেশী? এই যদি হয় বটমলাইন তাহলে আর এত কথায় কাজ কি? তবু, মানবতার প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে, লেখাটা এখানে দেবার জন্য ধন্যবাদ বিপ্লব পাল (D)
@কাজী রহমান,
আপনার মন এবং লেখার মধ্যে দূরত্ব দেখতে পাচ্ছি-মনে কিছু থাকলে সেটা ঝেড়ে কাশা ভাল। সর্দি বসার থেকে ঝেড়ে ফেলুন (H)
@বিপ্লব পাল,
সর্দি লাগেনি মোটেও, ঝাড়তেও হবেনা তাই। আশা করছি আপনারও তা লাগেনি খামোখা।
বলেছি ভারতের মত এই বিশাল শক্তি অপকর্মই করে পার পেতেই থাকবে। মানবতাবাদীরা ছাড়া অন্য কোন শক্তি ওকে প্যাঁদাতে পারবে বলে মনে হয় না।
মানবতার প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে লিখলেন তাই সাধুবাদ। সমস্যা কি? :-s
@বিপ্লব পাল,
আগেই মন্তব্য করেছি একটা প্রশ্ন-
অঃট- এই লেখা আর স্বামী বিবেকানন্দ কে নিয়ে লেখা আরো অন্য ব্লগ এ দিয়েছেন জানলাম।
কোথায় আগে দিয়েছেন? মুক্তমনায়? নাকি গুরুচন্ডালিতে?
এখানে ?
জানতে ইচ্ছুক।
@আফরোজা আলম,
আমি এই প্যাটার্ন অনুসরন করি।
সাধারন বা আন্তর্জাতিক টপিকে লিখলে, সেটার এক কপি মুক্তমনা ( বাংলাদেশ) এবং আরেক কপি গুরুতে ( পশ্চিম বঙ্গের জন্যে ) দিই। এছারা ফেসবুকের বাংলা পলিটিক্স ফোরামে নোট দেওয়া থাকে, আর আমার ব্যক্তিগত ব্লগে একটা কপি থাকে। মূলত আমার ব্যক্তিগত ব্লগেই প্রথম খসরা লিখি।
তবে শুধু ভারতীয় বা পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতির ওপর লেখা, মুক্তমনাতে দিই না-সেগুলো শুধু গুরু বা ফেসবুকের নোটেই থাকে।
@বিপ্লব পাল,
হাঁ সেইটাই। আপনার লেখা বেশ সাড়া জাগানো। অনেক ক্ষেত্রে অনেক স্থানে। ধন্যবাদ আমার প্রশ্নের জবাবের জন্য এবং আপনার জোরালো লেখার জন্য- (F)
পত্রিকায় পড়লাম। এখানেও পড়লাম। এমন ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে। ভারতীয় সরকারের চক্ষু, কর্ণ যদি না খুলে আর কিছু বলার নাই। ধন্যবাদ লেখক’কে সময়োপযোগী লেখা দেবার জন্য।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানর জন্য ভারত সরকার বি এস এফ এর উপর কি ব্যবস্থা নেবে? একের পর এক দুর্ঘটনা ত ওরা নিশ্চিন্তে ঘটিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিওটি দেখা কষ্টকর, খুবই অমানবিক। আর কতকাল বি এস এফের হাতে বাংলাদেশীদের নির্যাতন চলবে?
”
এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে এবং ভারতে অহরহ ঘটে। পুলিশ নিজেই গুম করে দেয় বা মেরে ফেলে। কিন্তু এক দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন এমন ধরনের ঘটনা ঘটায় তখন এর প্রভাব মানুষের মনে পরে , দুই দেশের সম্পর্কের ওপরেও পরে। ১৯৯৬/৯৭ এর দিকে বাংলাদেশের বি,ডি,আর এর সদস্যরা কিছু বিএস এফ এর সদস্যকে হত্যা করে গরু/ছাগলের মত বাঁশে ঝুলিয়ে বহন করেছিল।কিন্তু ভারত সরকার চরম ধৈর্যের পরিচয় দেয় । এধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যপারে সতর্কতা প্রয়োজন। চরাচালানি এখানে মূল বিষয় না। দুই দেশের সীমান্তবর্তী মানুষ (অনেক সবাই না) এর সাথে জড়িত। বাংলাদেশ থেকেও অনেক পন্য যায় ভারতে। ভারত একটি পরাশক্তি হিসেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগনের মনে ভীতি উদ্রেক করবে না এটাই কাম্য।যদিও ভারত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা করতে ব্যারথ হয়েছে,সেটা অন্য প্রসঙ্গ। জানি না মুক্তমনায় রাজনীতি আলাচনা হয় কিনা?। হলে পরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
ধন্যবাদ বিপ্লবদা, আপনি বরাবরের মত আবারো বাংলাদেশের জাতীয় অপমানের সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এমনকি নিজের দেশকে এক হাত নিতেও ছাড়েননি!
সম্পূর্ণ একমত! সবাই ঘটনার পরবর্তি অ্যাকশানগুলো নিয়েই চিন্তা; এর পেছনের কারণগুলি খতিয়ে না দেখলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি কখনই এড়ানো সম্ভব হবে না।
ভারতের কথা জানি না, কিন্তু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ফায়দা লোটা শুরু হয়ে গেছে। গোলাম আযমের গ্রেফতার ইস্যুতে ঝিমিয়ে থাকা জামাতি বা ভারত বিদ্বেষী ব্লগাররা ইতিমধ্যে এ ঘটনার জন্য হাসিনাকে দায়ী করেছে এবং বলছে যতদিন হাসিনা থাকবে ততদিন ভারত এমন অপমান করতে থাকবে। শুধু তাই নয়; পাকিস্তানকেও মহান করে তোলা হচ্ছে, বলা হচ্ছেঃ”ভারতের চেয়ে তো পাকিস্তানই ভাল ছিল! পাকিস্তান কি ১৯৭১ সালে এত নির্যাতন করেছে?” আজকের বাংলাদেশে যেখানে মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি এমন মানুষের সংখ্যাই বেশী, তারা এইসব কথা গিলছেও গোগ্রাসে!
@কাজি মামুন,
আমি একমত নই। বি এস এফ এর জওয়ানরা ভারতের কোন্ বিত্তের মানুষ, কোন মূর্খ ডাকাত সন্ত্রাসী পরিবার থেকে এসেছে তা আমার মোটেই জানার ইন্টারেষ্ট নেই। ভারতের কোন্ স্কুলে নতুন প্রজন্মের ছাত্ররা কোন শিক্ষককে চড় থাপ্পড় মারলো সেটাও আপাতত আমার জানার দরকার নেই।
এটা আমাদের দেখার ব্যাপার না। আমি জানতে চাই ভারত সরকার আন্তর্জাতিক আইন মানছে কি না, সুষ্ঠ বিচার করছে কি না, ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটার জন্যে কোন পদক্ষেপ নিল কি না। সীমান্ত পাহারায় নিয়োযিত ভারতের গুন্ডা বাহিনী অসহিষ্ণু পরিবেশে বড় হয়েছে বলে ফ্যালানীকে গুলি করার লাইসেন্স পেয়ে গেল?
আসল ঘটনা সেখানে নয় দাদা। ভারত জানে আমরা কী করেছি সৌদীতে ১০ বাংলাদেশীর গলা কাটা দেখে। এটা আমাদের কর্মফল, আমাদের ভুলের পরিণতি। আমি বলছি ৭৪/৭৫ এর পরের ভুলের কথা। আমরা ভারতের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারতে মারবোনা সত্য কিন্তু প্রতিবাদের অন্য পথও আছে, আমরা সেটাও সঠিকভাবে করছিনা।
@আকাশ মালিক,
আমি বা মামুন ভাই-কেও ই কি সেটা লিখেছে?
কিন্ত কারন গভীরে অনুসন্ধান না করে, এদিক ওদিক ছুটে লাভ কি? বাংলাদেশের রয়াব কি বি এস এফের থেকে বেশী মানবিক? সব সমান। এগুলো আমাদের সামাজিক কলঙ্ক যে আমরা মানুষকে সন্মান করতে শিখি নি। আপনারা যেমন অপমানিত বোধ করছেন, দেখুন ভারতের দিকে একই ফোরামে এই ঘটনাতে “শিক্ষিত বাংলা সমাজ” আনন্দ করছে। বি এস এফ ঠিক করেছে বলে।
তাহলে ব্যপারটা কি? মানুষকে মানবতাকে সন্মান করার নুন্যতম শিক্ষাটাও এদের নেই। আর এটা নেই যখন, এটাকে ঠিক না করতে পারলে, আপনি এই ধরনের ঘটনা আইন করে আটকাতে পারবেন না-কারন এগুলো আইন বিরুদ্ধ কাজ এমনিতেই।
@আকাশ মালিক,
কেন ইন্টারেস্ট নেই? ভারত অন্য দেশ বলে? তাহলে আর খামোখা শক্তিশালী আমেরিকাকে দোষ দেয়া কেন? লাদেন ১১ই সেপ্টেম্বর যা করেছে, তার জবাবে বরং আমেরিকা কমই করেছে; আফগানিস্তান থেকে তালিবান হটিয়েছে মাত্র; উচিৎ তো ছিল পুরো আফগানিস্তান গুড়িয়ে দেয়া! দেখুন বর্বরতা বর্বরতাই; কোন দেশ করেছে, কোন সংগঠন করেছে, আমার জাতির উপর করেছে না অন্য জাতির উপর করেছে, সেইসব বিশ্লেষণের চেয়েও আমার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এইসব অসভ্য/নৃশংসতার পেছনের কারণগুলি খুঁজে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা! যতদূর জানি আলোচ্য ঘটনার সাথে দায়ী ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে; এখন হয়ত আপনি তাদের কঠিনতম শাস্তি কামনা করছেন; তাতে ক্ষতি নেই; কিন্তু তাদের জায়গায় নতুন যে জওয়ানেরা আসবে, তারা যে এর চেয়েও বেশী বর্বরতা করবে না, তার নিশ্চয়তা কি? নাকি আপনি মনে করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এইসব হচ্ছে! (আমার কোন কোন ফেইসবুক বন্ধু তো এই ঘটনার জন্য হাসিনাকেই দায়ী করে ফেলেছে ইতিমধ্যে!)। তো এখন হাসিনা-মনমোহনকে একযোগে পদত্যাগ করতে হবে? সেক্ষেত্রে আমার আর বলার কিছু নেই। তবে একটা কথা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেই, আমাদের দেশের বিভিন্ন বাহিনীর গায়েও বর্বর শক্তি কিন্তু একেবারে কম নেই এবং সেইসব বর্বরতার প্রধান শিকার কিন্তু আমাদের দেশেরই নিরীহ মানুষ! উদাহরণগুলো এখানে তুলে ধরার দরকার আছে বলে মনে হয় না! যদি একান্তই চান, সেক্ষেত্রে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলালেই যথেষ্ট।
ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্যই একেবারে গোঁড়া থেকে শুরু করতে বলেছিল বিপ্লবদা, হিংসা-পশুত্বের বীজ গোঁড়া থেকে নষ্ট করে দিলেই কেবল এর পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।
পথগুলো যদি একটু বলে দিতেন, তা হলে ভাল হত!
@কাজি মামুন,
ব্যাপারটা অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। আমার মতো অনেকেই যে বিপ্লব দা ও আপনার সাথে একমত নন তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। যেহেতু কিছু প্রশ্ন রেখেছেন তাই উত্তর দেয়াটা কর্তব্য মনে করছি। উগ্র জাতীয়তাবাদী বলেন, অন্ধ স্বদেশপ্রমী বলেন, বিশ্বমানব বা মুক্তমনা হওয়ার অযোগ্য বলেন, এমন কি ক্ষুদে হিটলার বললেও সকল অপবাদ মাথা পেতে নেব, কিন্তু কোন ভিনদেশী আমার দেশের মানুষ তো দূরের কথা একটা কুকুরের গায়ে হাত তুললেও আমি তা মেনে নিতে পারবোনা।
জ্বী।
দেশের পুলিশ যখন মারে তাই ভারতের মারও ঠিক আছে?
হিংসা-পশুত্বের বীজ গোঁড়া থেকে নষ্ট করে দিলে দুনিয়ার দারোগা পুলিশ, কোর্ট কাছারির কী হবে? এ কাজটা বুদ্ধ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রুমী, লালনদের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভাল।
চলেন ১৫ কোটি মানুষ সীমান্তে দাঁড়িয়ে যাই। দেখি ভারতের কোন্ বাবার শক্তি আছে আমাদেরকে এক ইঞ্চি পেছনে ঠেলতে পারে। কিসের বানিজ্য, কিসের চুক্তি? প্রশ্রাব করি এমন মৈত্রিত্বের সম্পর্কের মুখে। তবে আশরাফুলের মতো নপুংসকদের দিয়ে ওসব হবেনা।
@আকাশ মালিক,
????? এই আবেগ ভাল-কিন্ত আপনি নিশ্চিত এমন আবেগ দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব?
হাবু শেখ নিজেও স্বীকার করেছে, ওর কাছে টাকা থাকলে, দুটো ঘুঁশ দিলেই বি এস এফ পেটাত না। পুলিশ চোরে কাছে ঘুঁশ চেয়েছে-দিতে পারে নি-পিটিয়েছে। ঘটনাটা বি এস এফ এবং ভারতের নৈতিক অধপতনের ঘটনা।
@আকাশ মালিক,
ঘটনা নিয়ে ব্লগে ব্লগে বেশ আবেগময় লেখা আলোচনা হচ্ছে। অত্যন্ত অমানবিক ঘটনাটি দেখলে যে কারোই খারাপ লাগবে। তবে মনে হয় আমাদের কাছে ঘটনায় ভারতীয়দের হাতে মার খাওয়া পয়েন্টই বেশী লেগেছে। আমাদের নিজেদেরই বীর পুলিশ বাহিনী নিরীহ কত লোক ধরে কত রকমের আজগুবি কায়দায় পেটায়, সারা জীবনের জন্য পংগু করে দেয় তার হিসেব কে রাখে?
এহেন পাশবিক শক্তির একষ্ট্রা জুডিশিয়াল প্রয়োগ দূর হোক পৃথিবী থেকে।
বাংগালী হিসেবে এই মুহুর্তে বলা উচিত নয়, তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমাদের কোন মিডিয়ায় মনে হয় না এমন খোলাখুলি বলবে যে আমাদের কোন বীর বাহিনীর সাথে অর্থ সংক্রান্ত লেনদেনে বনিবনা না হওয়াই পেটানোর কারন। ঘটনা তো মনে হয় মিডিয়ায় আসার আগেই ৮ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমাদের হলে যথারীতি বক্তব্য চলে আসত; সবই ষড়যন্ত্র, দেশের বীর বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিদেশী মদতে চিহ্নিত কুচক্রী মহলের…
@আদিল মাহমুদ,
আমি জানি বি এস এফ এর থেকে র্যাফ বা বিডিয়ার এই ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। কারন বি এস এফের এই রোগটা আমাদের উপমহাদেশের পুলিস এবং সেনাবাহিনীর মজ্জায়। তবুও এক্ষেত্রে বি এস এফ কে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না-মালগুলোকে জন্ম অব্দি দেখেছি অত্যাচারী। আমার বর্ডার এরিয়াতে বাড়ি। এমন দিন ও গেছে সাইকেলে করে যাচ্ছি। হঠাৎ উলটো দিক থেকে আসা একটা সাইকেল আওলা বললো ওই দিকে যাবেন না !!
কেন?
দুটো বি এস এফ মাল খেয়ে নাকি ওই রাস্তা দিয়ে যত লোক সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে আরবিট ধরে পেটাচ্ছে।
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ, বিপ্লব।