সকালে কেবল ঘুম থাইকা উঠছি। কে যানি আইসা দরজায় ঠক ঠক করতেছে। চোখ কচলাইতে কচলাইতে দড়জা খুইলা দেখি চকচকা জামা পড়া দুই পাবলিক খাড়ায় রইছে। একজন বাঁইট্টা আর একটা লম্বু। জিগাইলাম-
: কি চাই।
হেরা বিগলিত হাসি দিয়া কথা শুরু করলো।
: আমি হইলাম জব্বার (বাঁইট্টা ডা), আর এইডা হইলো কুদ্দুছ।
: ঠিক আছে, এবার কন কি চাই।
: আমরা আপনারে জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দেওনের লাই্গা ডাকতে আইছি। বহুত ফায়দা হৈব।
: কি!!
হেঁচকি খাইলাম একটা।
: কি কইতাছেন এইগুলা? হেমায়েতপুর থেইকা পলায়া আইছেন নাকি?
: জী না জনাব।
: তাইলে জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিতে কইতেছেন ক্যান? আমি হ্যার পাছায় চুম্মা দিবার যামু ক্যান?
: কারন হ্যার পাছায় চুম্মা দিলে হে আপনারে কুটি কুটি টেকা দিবো।
: ওই মিয়া, মাথা ঠিক আছেনি?
: হ, ঠিকাছে। পাছায় চুম্মা না দিলে হ্যায় আপনার পাছায় লাথথি দিয়া এই গেরাম থেইকা খ্যাদায় দিবো।
: সাত সক্কাল বেলা কোন পাগল ছাগলের পাল্লায় পড়লাম?!
: জয়নাল ব্যাপারী হইলো কুটি পতি। হ্যায় পারেনা এমন কুনো কাম নাই। এই গ্রামডা হ্যার “রেস্ট্রি” করা সম্পত্তি।
: তো কি হইছে?
: অই মিয়া, আপনারে এত কথা কইতে হইবো ক্যান? চলেন একসাথে গিয়া জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিয়া আসি। একটা চুম্মা দিলে কি হয়?
: না, চুম্মা দিলে কিছু হয়না। কিন্তু…
: তাইলে আর তালগাছের মতন খাড়ায় রইছেন ক্যান। ইসতিরি করা একখান কাপড় পিন্দা আসেন, চটপট কয়ডা চুম্মা দিয়া আসি।
: আপনেরা কি পরতেক দিন জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দেন?
: আবার জিগায়। পরতেক দিন।
: আর হ্যায় লগে লগে আপনাগো কুটি ট্যাকা দেয়?
: না, তা দিবো ক্যান? যে দিন আমরা গেরাম ছাইড়া যামুগা, সেইদিন সব ট্যাকা একসাথে পামু।
: তো গেরাম ছাড়া যাইতেছেন না ক্যান?
: জয়নাল ব্যাপারীর যদ্দিন না কইবো, তদ্দিন গেরাম ছাড়া যাওয়া যাইবো না।
: খাইছেরে…। আপনেরা এমন কারো নাম কইতে পারবেন, যে জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিছে, গেরাম ছাইড়া গেছে আর কুটি টেকাও পাইছে?
: আমার আব্বায় গেরাম ছাইড়া গেছে। আমি শিওর হ্যায় কুটি টেকা পাইছে। কারন বাজান দিনে রাতে জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিতো।
: ক্যান, গেরাম ছাইড়া যাওনের পর আপনার বাপের লগে আপনার কথা হয় নাই?
: তা হইবো ক্যামনে? জয়নাল ব্যাপারী তো সেইডা করতে দিবো না।
: তাইলে নিশ্চিত হইলেন ক্যামনে যে গেরাম ছাড়লেই আপনেরা টেকা পাইবেন।
: কুটি টেকা না পাইলেও গ্রামে থাকতেই জয়নাল ব্যাপারী কিছু কিছু টেকা দেয়। এই যেমন সেদিনই তো হাটে গিয়া আমি রাস্তায় ৫০০ টেকার একখান নোট কুড়ায়া পাইছি। এই আকালের বাজারে জয়নাল ব্যাপারী ছাড়া এই ট্যাকা আমারে কে দিবো? ৫০০ টেকা… হু হু বাবা…
: দেখেন ভাইজানেরা। সাত সক্কালে উইঠা আপনাগো ফাও প্যাচাল শুইনা মেজাজ কইলাম বিলা হইতেছে…
: আরে মিয়া, এইডা হইল কুটি টেকার মামলা। আর কথা আছে, আপনি জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা না দিলে হ্যায় কিন্তু আপনারে গেরাম থেইকা খ্যাদাইবো।
: ঠিক আছে, কুটি ট্যাকা পাইলে পাছায় চুম্মা দিতে সমস্যা নাই। তয় এইডা টেকার বিষয়ডা নিশ্চিত হওন দরকার। আমি জয়নাল ব্যাপারীর লগে কথা কইতে চাই।
: জয়নাল ব্যাপারী কারো লগে কথা কয় না। কেউ তারে দেখবার পায় না।
: তাইলে আপনেরা হ্যার পাছায় চুম্মা দেন কেমনে?
: ব্যাপারীর পাছা উদ্দেশ্য কইরা আমরা বাতাসে চুম্মা দিই। অথবা মোকলেছের পাছায় চুম্মা দিই, হ্যায় এইডা জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় পৌঁছাইয়া দেয়।
: এই মোকলেছ আবার কেডা?
: মোকলেছ হইলো আমাগো এক দোস্ত। আমাগো চুম্মা জয়নাল ব্যাপারী পাছায় পৌঁছানির দায়িত্ব হ্যায় পাইছে।
: এই মোকলেছই আপনাগো জয়নাল ব্যাপারীর কাহিনী কইছে?
: আরে নাহ্। বহুদিন আগে জয়নাল ব্যাপারী মোকলেছের কাছে একখান চিঠি দিছে। সেইডাতে সব কিছু ল্যাখা আছে। সেই চিঠি ফটোকপি কইরা আমরাও সাথে রাখছি। চাইলে দেখাইতে পারি।
: দেখান দেখি।
হ্যারা পকেট থেইকা ন্যাত ন্যাতা এক টুকরা কাগজ বাইর কইরা আমারে দিলো। সেইখানে আঁকাবাঁকা অক্ষরে কি সব লেখা। আমি পড়তে শুরু করলাম।
এই চিঠি জয়নাল ব্যাপারীর আড়ৎ থেকে নাযিল হইতেছে
১. মহান জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দাও, তোমাদিগকে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হইবে।
২. তাড়ি খাইবার সময় সাবধানে খাইবে।
৩. যারা তোমাদের পছন্দ করেনা, তাদের পাছায় লাথি দিয়া গ্রাম ছাড়া করিবে।
৪. ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিবে।
৫. এই চিঠির যাবতীয় দায় দায়িত্ব জয়নাল ব্যাপারীর।
৬. চাঁদ আলুর ভর্তা দিয়া তৈরি।
৭. জয়নাল ব্যাপারীর কথায় কোন ভূল নাই।
৮. প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার পর ভাল করিয়া হাত ধুইবে।
৯. খবরদার তাড়ি সেবন করিবেনা।
১০. আলু ভর্তা দিয়া ভাত খাবার সময় ডাল নেওয়া যাইবে না।
১১. যেইসব গর্ধব তোমাদের মত জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিবে না, তাদের পাছায় লাথি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করিবে।
: এইডা তো মনে হইতেছে মোকলেছের হাতের লেখা।
: হু, মোকলেছই তো লেখছে। জয়নাল ব্যাপারী মুখে কইছে আর মোকলেছ লেখছে।
: মোকলেছ যে জয়নাল ব্যাপারীর নাম ভাঙ্গায়া খাইতেছে না, সেইডার প্রমান কি?
: ধূর মিয়া, কি কন এইসব। চিঠিতেই তে লেখা আছে যে “এই চিঠির যাবতীয় দায় দায়িত্ব জয়নাল ব্যাপারীর”।
: আপনাগো কাছে টেকা দেওনের কথা শুইনা ভাবছিলাম জয়নাল ব্যাপারী মনয় খুব দয়ালু। কিন্তু তার পাছায় চুম্মা না দিলেই গেরাম ছাড়তে হইবো, এইডা কেমুন কথা?
: ঠিকই তো কইছে। দেখেন না চিঠির ৭ নম্বরে ল্যখা রইছে – “জয়নাল ব্যাপারীর কথায় কোন ভূল নাই।”
: এইডা দিয়া প্রমাণ হয়না যে এই পুরা কাহিনী মোকলেছ বানায় নাই।
: মহা যন্ত্রণায় পড়লাম দেখি। চোখ দুইটা খুইলা ভালো কইরা চিঠিখান পড়েন। সাফ সাফ লেখা রইছে যে .. “তাড়ি খাইবার সময় সাবধানে খাইবে”, “ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিবে”, “প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার পর ভাল করিয়া হাত ধুইবে”। সগ্গলেই জানে যে এইগুলা সত্যি কথা। তাইলে অবশ্যই চিঠির বাকি কথাগুলা সত্য হইবোই হইবো।
: ক্যান, চিঠি ৯ নম্বরে তো ল্যাখা আছে যে “খবরদার তাড়ি সেবন করিবেনা”, এই ডা তো ২ নম্বরের পুরা উল্টা কথা। আবার ৬ নম্বরে লেখছে “চাঁদ আলুর ভর্তা দিয়া তৈরি”। অই মিয়া আমারে ছাগল মনে করছেন নাকি?
: ২ আর ৯ নম্বর একটা আরেকটার উল্টা কথা না। ২ নম্বরে যা আবছা আবছা বলা হইছে, ৯ নম্বরে সেইডা পরিষ্কার কইরা বলা হইছে। আর আপনে চান্দে গেছেন নাকি? চান যে আলু ভর্তা দিয়া তৈরি না, সেই কথা কে কইলো আপনেরে?
: ছাগলের মত কথা কন ক্যান? আম্রিকা থাইকা ডজন খানেক লোক চান্দে গেছে। হ্যারা দেখছে চান্দে খালি পাথর আর পাথর। সেই পাথর হ্যারা পকেটে কইরা নিয়াও আসছে।
: সেই পাথর যে আলু ভর্তা থাইকা তৈরি হয়নি, সেইডা আপনেরে কে কইছে? আর বৈজ্ঞানীকেরা অহরহ ভূল করে, কিন্তু আমাগো জয়নাল ব্যাপারী কক্ষোনো ভূল করেনা। চিঠির ৭ নম্বরে সেই কথা পষ্ট কইরা ল্যাখা আছে।
: ভাই জানেরা একটু মাথা খাটায়া চিন্তা করেন। আপনারা কইতেছেন জয়নাল ব্যাপারী যা কইবো, সবই ঠিক। কারন চিঠিতে লেখা আছে। আবার চিঠিতে যেইডা লেখা আছে, সেইটাও ঠিক। কারন চিঠিতে লেখা আছে যে জয়নাল ব্যাপারীর সব কথাই ঠিক। কুমিরের এক বাচ্চারে সাতবার দেখানির মত কাহিনী এইডা। এই ভূয়া চক্করটা বুঝবার পারতেছেন না ক্যান?
: এই বিষয়গুলা আপনি এখন বুঝবেন না। একবার খালি ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দিয়া দেখেন। সব কিলিয়ার হইয়া যাইবো। আপনার দিল সীলমোহর হইয়া আছে। চুম্মা দিলে সেইডা ছুইটা যাইবো।
: তাইলে ১০ নম্বরের আলুভর্তা ভাতের লগে ডাইল না খাওনের কাহিনীডা কিলিয়ার করেন। আমি তো ডেইলি ডাইল দিয়া আলুভর্তা ভাত খাই। কুন সমস্যা নাইতো।
: কি? ডাইল দিয়া আলুভর্তা ভাত খান? আমি কানে আঙ্গুল দিছি। আপনার কথা শুনুম না। আপনি মানুষ না, শয়তান। জয়নাল ব্যাপারী আপনার পাছায় লাথ্থি দিয়া গেরাম থেইকা খেদাইবো। তখন আমরা গলা চড়ায়া হাসুম। চল কুদ্দুস, আজ ব্যাপারীরে ১০ টা চুম্মা বেশি দিমু। এই শয়তানের লগে বেশিক্ষণ থাকলে আমাগো বিশ্বাসও ঢিলা হইয়া যাইবো।
এই কইয়া হ্যারা দুইজন রাগে গজগজ করতে করতে চইলা গেল। আমিও পাগল ছাগলের পাল্লা থাইকা বাঁচলাম। 🙂
মোখলেস রে যে বাড়তি সুবিধা দিতে হইবে সেইডা তো কইলেন না।
:rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl: :hahahee: :hahahee:
চরম চরম চরম মজা পাইলাম। :lotpot:
দারুণ হইছে।
@প্রদীপ দেব,
ধন্যবাদ 🙂
এরকম অসাধারণ স্যাটায়ার উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।হাসতে হাসতে পেটে খিল। :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: কিন্তু কথা হচ্ছে যারা জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় প্রতিনিয়ত চুম্মা দিয়েই যাচ্ছে তাদের কবে বোধোদয় হবে? ঘুমন্ত লোককে জাগানো যায়, কিন্তু যে ঘুমের ভান করছে, তাকে?? :-Y :-Y :-Y :-Y :-Y
…..
আমার মুগ্ধতা এখনো কাটেনি। :guru: :guru: আপনি এটা অনুবাদ বললেও এটা আসলে ঠিক অনুবাদ না, বলতে পারেন ‘ছায়া অবলম্বনে’ (বড় বড় বইতে এবং কোন কোন নাটকে দেখি!!!) … আসল লেখার চাইতে আপনারটা হাজার গুণে ভালো …. :clap :clap
@রাতুল,
ধন্যবাদ রাতুল ভাই।
হুমম ছায়া অবলম্বনে লেখা উচিৎ ছিল।
ভালো থাকবেন।
চমৎকার। :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap
অসম্ভব রকম ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru:
প্রমান ছাড়া জয়নাল ব্যাপারীর কোনো কথা বিশ্বাস করমু না :rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl:
আপনার জন্য উত্তম :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
@শান্ত কৈরী,
ধন্যবাদ 🙂
@সাদাচোখ
ভালো লাগল ধর্মের পাছায় কষে ন্যায্য লাথিটা মারার জন্য। এভাবে একদিন উপর্যূপরি আঘাতে সব জয়নাল ব্যপারীদের ধর্মের পাছাগুলো খসে খসে পড়বে,আশা করি।ধন্যবাদ।
@আহমেদ সায়েম,
দারুণ বলেছেন ভাই।
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। 🙂
সব ই না হয় বুঝলাম, কিন্তুক তারপরেও কথা থাইক্কা যায়। মগরেবের নামাজ পড়লে মন ডা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে কেলা?। কেউ কি জানেন নি?… সব ধর্মেই সাইঞ্ঝের বেলায় ধরমকরম করাডা একডু বেশী চলে। কেলা?… কারন ডা কি , জানি না। বিবর্তন দিয়া না হয় বুঝলাম এইডা বুঝানো যাইব কিন্তুক ভালা যে লাগে এইডা অস্বীকার করি কেমতে?।মাগার জুম্মা পড়তে আবার ভালা লাগে না ঠাডা রইদ্দের মইধ্যে বকর বকর।
@সপ্তক,
লোকমুখে শুনছি ড্রাগস নিলেও নাকি মনটা হাল্কা হাল্কা লাগে।
কি কইতে চান ঠিক বুঝলাম না। ক্লিয়ার করেন।
জুম্মা আর মাগরীবের মধ্যে ঠান্ডা লাগা না লাগার কারনে সূর্যরে দায়ী করা যাইতে পারে। ঠাডা রোদে খাড়াইলে মনটা ঠান্ডা হওয়ার কুন কারন নাই। :))
@সাদাচোখ,
লোকমুখে শুনছি ড্রাগস নিলেও নাকি মনটা হাল্কা হাল্কা লাগে।
কার্ল মার্ক্স এর তাবৎ কচকচানি যদি ভুলও হয় মাত্র একটি বক্তব্যের জন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন আর তা হোল ” ধর্ম হচ্ছে আফিম এর মত যা মানুষকে সারাজীবন ঘুম পাড়িয়ে রাখে।”
এ লেখাটা একটা কথাই বারে বারে মনে করিয়ে দেয় –
ধর্মই সকল কৌতুকের উৎস।
আপনার লেখার হাত যেরকম – আপনার উচিৎ এরকম স্যাটায়ারের একটা সিরিজ শুরু করা – সিরিয়াসলি!
@অভিজিৎ,
😮 কি বলেন এইসব? আমার মত অলস পাবলিকের কাছে এটা বেশি চাওয়া হয়ে গেলনা? আমি তো শীত নিদ্রায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। 🙂
ভালো থাকবেন।
@সাদাচোখ, আভিজিত দা ঠিক বলেছেন। অবিলম্বে আপনি একটা সাটায়ার সিরিজ শুরু করুন। কারন মুক্ত মনায় এই ধরনের সিরিজ নেই বললেই চলে। অতএব নো শীত নিদ্রা। ইয়েস সাটায়ার সিরিজ।
:rotfl: হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল। এই জয়নাল ব্যাপারী, মোখলেছ, জয়নাল ব্যাপারীর চিঠির সাথে আমাদের খুব ভালো পরিচয় আছে, এমনকি জব্বার, কুদ্দুছকেও আমরা খুব ভালভাবেই চিনি।
তাই পড়ে খুব মজা পেলাম। চালিয়ে যান! (Y)
@ব্রাইট স্মাইল্,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
🙂
গল্পটা বুঝতে কঠিন হয় নি। বাস্তবতাই এই।
আপনারে গ্রাম ছাড়া করবে না, আপনারে চাকরী ছাড়া করবে, যাতে আপনি না খাইয়া মারা যান। এই লাইগাই তো সবাই বুঝবার পাইরাও কিছু কইতে পারে না জয়নাল ব্যাপারিরে।
এখন যা কত্তে হইবো, সবাই মিলে ব্যাপারির পাছায় চুম্মা না খাইয়া, পাছায় লাত্থি দিয়া আসতে হইবো সে মোখলেস এর পাছায়, মানে আমাদের ইমাম দের পাছায়।
@রঞ্জন বর্মন,
দারুন বলেছেন।
(Y)
মোখলেছদের লিখা জয়নাল ব্যাপারীর গল্প বিশ্বাস না করলে কাঠমোল্লারা কল্লা কেটে নিতে চায়, এতে অবাক হই না। কিন্তু অবাক হই, কষ্ট লাগে যখন দেখি আমার পাশেই আমারই উচ্চশিক্ষিত (তথাকথিত) বন্ধু শুধু বিশ্বাসই করে না, সাথে অন্যদের বিশ্বাস করতে উদ্ভুদ্ব করে। আর বিশ্বাস না করলে রাগ করে ভালো-মন্দ বলতেও দ্বিধা করে না। এটা আমাদের দূর্ভাগ্য।
@মজিবর রহমান (দুলাল),
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষর্থীরা যখন পিসি ভর্তি করে জাকির নায়েকের লেকচার রাখে, তখন রাগে দুঃখে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। 🙁
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটি পড়ে সালমান রুশদির দ্য স্যাটানিক ভার্সেস এর কথা মনে পড়ল । বইটির বাংলা ভার্সন আমার সংগ্রহে নেই। যদি কোন সহৃদয় পাঠক আমাকে বইটি পাবার জন্য ওয়েব লিঙ্ক দেন অথবা কোন লাইব্রেরীর খোঁজ দেন তাহলে বড়ই কৃতজ্ঞ হব।
@মাসুদ রানা,
স্যাটানিক ভার্সেসের বাংলা অনুবাদের কোন ওয়েব লিংক জানা নেই। তবে ইংরেজি টা চাইলে পিডিএফ কপি দিতে পারি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আজ চারু দাদু মারা গেছেন।
তাকে নিয়ে একটা ঘটনা বলি।
আমি দাদুর পাশে দাঁড়িয়ে তার ছেলের কাছ থেকে গয়না কিনছিলাম। এমন সময় তাবলীগের কয়টা হুজুর এসে দাদুকে নামাজ ও আসরে নিয়ে যেতে চাইলো। আমরা সবাই চুপ করে দেখছিলাম দাদু কি বলে। দাদু শুধু হেসে বললঃ আমি বুড়ো মানুষ। এতোক্ষন থাকব না। ওরা অনেক জোরাজুরি করে চলে গেল।
তারপর দাদু আমাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসল শুধু।
@কাক,
🙂
@সাদাচোখ,
আপনার লেখায় খুব ধার। চালিয়ে যান। কিন্তু তলোয়ার দিয়ে কখন দাড়ি চাচবেন না যেন। প্লিজ।
আপনার অনন্ত শুভ কামনায়…
@কাক,
ঠিক বুঝলাম না… 🙁
@সাদাচোখ,
তলোয়ার চালায় যোদ্ধারা । বীরের হাতে তলোয়ার থাকে।
একে কখন ভুল ব্যবহার করবেন না।
আমি অনেক তলোয়ারধারিকে দাড়ি চাচতে দেখেছি। তাই বললাম।
আপনার তলোয়ার যেন শুধু দস্যুকেই আক্রমন করে।
আপনি পারবেন। আমি প্রচুর ব্লগ পড়ি। কিন্তু কমেন্ট করার ইচ্ছা হয়নি কখন। আপনার লেখা পড়ে আর থাকতে পারলাম না।
অবশ্যই ভালো থাকবেন।
@কাক,
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই কথাটা মনে রাখবো।
আপনিও ভালো থাকবেন। 🙂
হাহাহা, মারথাবা…মারথাবা…পড়ে বড়ই মজা পেলাম।
@কিশোর,
🙂
ধন্যবাদ।
চাঁদ আলুর ভর্তা দিয়ে তৈরি !!! কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়, কালকে থেকে একাই একাই হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি। মা আমাকে জিগ্যেস করে, “কি রে, কি হইসে তোর ???” কেমনে বলি, কি হইসে আমার ??? :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@শুভ্রা,
চাঁদের আলো খানিকটা হলদে হয়না? এখান থেকেই বোঝা যায় চাঁদ আলুর ভর্তা দিয়ে তৈরি… :))
পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
জয়নাল ব্যাপারী আমার উপর ভালোই নাখোশ হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। সকাল থেকে কতবার যে চেষ্টা করলাম কমেন্ট করার, কোন ভাবেই পারলাম না। পেজ রিফ্রশ দিলেই সব কমেন্ট হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। 🙁
@সাদাচোখ,
কঠিন স্যাটায়ার হইছে ভাই। মনে হইতাছে সচলের মুখা মুক্তমনায় আইছে। এইভাবে হাসতে হাসতেই জয়নাল ব্যাপারীর ব্যাপক চুম্বিত পাছায় আগুন ধরায়া দিতে হইবে। হাজার হাজার বছর ধইরা তার পাছায় বহুত চুম্মা পড়ছে এহন টাইট দেয়া দরকার। পাশাপাশি মোখলেসের মত পাবলিকদেরও ধরা দরকার যাতে ভাল মন্দ কয়েকটা কথা মিশায়া মানুষরে ধোঁকা দিতে না পারে। আপনারা যেমন আগুন লেখা ছাড়তাছেন তাতে বুঝতাছি জয়নাল ব্যাপারীর আর বেশি দিন নাই। চলুক। :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@আলোকের অভিযাত্রী,
ধূরো ভাই, কিসের মাথে কিসের তুলনা। কোথায় মুখা :guru: আর কোথায় বকলম সাদাচোখ। মানুষের শিক্ষিদীক্ষা বাড়তেছে। ভেলকিবাজীর দিন শেষ হয়ে আসছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 🙂
@সাদাচোখ,
**শিক্ষাদীক্ষা
শুরুতেই পড়েছি। দারুণ!
@তানভীর চৌধুরী পিয়েল,
অনেক অনেক ধন্যবাদ। 🙂
আমার কাছে মনে হয় লেখাই যে যুক্তি তুলে ধরা সেটা এভাবে বলা হলে রূচির দিকটা পরে যায়। তাতে যুক্তির ধারটাকে খাটো করা হয়।
@প্রদীপ্ত,
ভালো ভাবে কিইতে পারি না যে। 🙁
স্যরি।
ফাট্টাফাট্টি…………।।
@বরুন জামান,
ধন্যবাদ 🙂
সত্যি কথা কইতাছি…
এই ছোট্ট পোস্টের মধ্যেই আছে ‘পরিপূর্ণ জীবন দর্শন’, ‘বেবাক রোগের ঔষধ’ এবং ‘হগল মুশকিলের আসান’ !
এইডারে এট্টু ছেন্ছর কইরে ছোটদের বইতে দেয়া যায় না ? বড় উপকার হইত !
@আলকেমিস্ট,
জ্বী না, ছোটরা বখে যাবে। ওদের জন্য আছে বাধ্যতামূলক ধর্ম শিক্ষা নামক বুলশিট।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকার
@শান,
🙂
আসলেই কি আপনি এই পাগল ছাগলের হাত থেকে বেঁচেছেন? এই সব পাগল ছাগলরাই রাতদিন সবাইকে বিরক্ত করে চলেছে কিন্তু কি আজব ব্যপার এদেরকে কিছুই বলা যাবে না। এরা দিন রাত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে তাদের বানী শোনাবে, মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবন নষ্ট করবে, যখন তখন এদেরকে চাঁদা দিতে হবে- কিছুই বলা যাবে না। বললেই নাকি সেটা হবে – ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত। অথচ এরা প্রতি নিয়ত অন্যের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধা গ্রস্থ করছে- কিছুই তাদেরকে বলা যাবে না। সরকার, রাজনৈতিক দল- সবাই তাদেরকে তোয়াজ করে চলে। কি আজব সমাজে আমাদের বাস!
@ভবঘুরে,
আমার বাড়ির সীমানার ঠিক ৫ হাত দূরেই মহল্লার মসজিদ। এর যন্ত্রণাটা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝেছি। আর মসজিদের নামে জমি দখলের কথা নাহয় বাদ-ই রাখলাম। 🙁
রাজনৈতিক সারমেয়দের কথা আর না বলি, শুধু শুধু মুখ খারাপ হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে, আপনার ধারণা সঠিক। সত্যি আজব এক সমাজে আমাদের বাস। কিন্তু আমি চরম আশাবাদী এই সমাজ নিয়ে। একদিন এই সমাজ ধর্মের রাহুগ্রাস মুক্ত হবে। ধর্মের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এখন শুধু দেখার পালা। আমি আশাবাদী একদিন সমাজ ধর্ম মুক্ত হয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।হয়তোবা আমরা না দেখতে পেলেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধর্ম মুক্ত সমাজ দেখতে পাবে
নচিকেতার সেই গানের ভাষায় ,
একদিন ঝড় থেমে যাবে
পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
বসতি আবার উঠবে গড়ে
আলোয় আবার উঠবে ভরে
জীর্ণ মতবাদ সব ইতিহাস হবে
পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
ধর্মের রুপক…।জটিল হইসে
@ফয়সাল,
তাই নাকি? 🙂
অচাম, অচাম-
বেশ আগে লেখা আমার একটা চিন্তার সাথে কত মিল !!!!!!!!!!!!!
http://www.somewhereinblog.net/blog/biddutdey/28971382
ছোটবেলা এমন কি এখনও মুসল্লিদের খপ্পরে পড়তে হয়; এটার একটা খুব সুন্দর নাম আছে: দাওয়াতি কার্যক্রম, যারা বেনামাজী মুসলিম ভাই-বোনদের নামাজ এবং ধর্মে উৎসাহী করে তোলার চেষ্টা করে।
যদিও বলা হয় যার যার ধর্ম তার তার গাছে তবুও এই দাওয়াতি কার্যক্রম নিয়ে কেও কখনও অভিযোগ তুলে নাই কারন কেও কেও বিরক্ত বা বিব্রত হলেও দাওয়াত একটি শান্তিপূর্ণ কর্মকান্ড। আমার মনে হয় সবাই এই কথার সাথে একমত হবেন।
যাইহোক এখন কথা হইল: আমরা কিছু সংশয়বাদী/ নাস্তিকরা মিলে যদি এরকম দাওয়াতি কার্যক্রমে রাস্তায় বের হই অবস্থা কেমন ঘটতে পারে তার একটা চিত্র মনে মনে আকার চেষ্টা করছি। আমার মাথায় আসছে না ঠিক কি কি ঘটতে পারে।
@খালি পিডাইতে ইচ্ছা ক,
কল্লাটা খুজে পাওয়া যাবে butbutbbকিন্তbut without দেহ ছাড়া
@খালি পিডাইতে ইচ্ছা ক,
তাবলীগী রাস্তাটা আমার কাছে খুব সস্তা লাগে। আমার মনে হয় এত সস্তায় সংশয়বাদী/ নাস্তিক হওয়া ঠিক না। এর থেকে আমি মনে করি ধর্মান্ধতার ভূলগুলো ধরিয়ে আমরা যদি পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করে রাখি, তবে চোখ ওয়ালা মানুষেরা ঠিকই সেসব খুঁজে নেবে। তাদের মানষিক পরিবর্তনের জন্য পায়ে তেল মালিশের প্রয়োজন হবে না।
সামুতে আমি আপনার লেখা পড়েছি। এখন অনিয়মিত কেন?
ভালো থাকবেন।
ধর্মের লুঙ্গি খুলে দেয়া লিখা… আমার কাছে প্রসংশাবাচক শব্দ কম পড়ে যাচ্ছে!
@থাবা,
ধন্যবাদ ভাই। এতেই অনেক বলা হয়ে গেছে। ডিকশনারী দেখার দরকার নাই। 🙂
অসাধারন হয়েছে। খুবই আনন্দ পেলাম পড়ে। :lotpot: চালিএ যান, এরকম স্যাটায়ার খুবই দরকার। পড়ে যদি দু একটা ছাগলের মাথায় বুদ্ধি শুদ্ধি গজায়।
:clap :clap
@সৌরভ,
বুদ্ধি না হয় হল, কিন্তু ভোকাল কর্ড চেঞ্জ করতে হবে না? 🙂
তা না হলে তো ব্যা ব্যা করতেই থাকবে। 🙂
ধন্যবাদ ভাই।
জয়নাল ব্যাপারীর চিঠিখানা কয়েকবার পড়লাম। রীতিমত এক খানা ধর্ম গ্রন্থের সারাংশ। ভাল কিছু উপদেশ বানীর মোড়কে মোড়ান ফন্দীবাজী।
ছেলেবেলায় হাটে কিম্বা গ্রামের বাসে দেখতাম নানা পদের হকার উঠত। তারা শুরুতেই বলতঃ ভাইজানের, আপানার পকেট সাবধান।বাসের জানালা দিয়ে হাত কিম্বা মাথা বাহির করিবেন না, ইত্যাদি। প্রতিটা কথাই সুন্দর ও অনুসরন যোগ্য। তারপর শুরু হত তাঁর বেচাকেনা।
খুব হতাশ লাগে যখন দেখি অনেক বুদ্ধিমান মানুষ জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুমা দেবার জন্য লাইন দিয়েছে। সারা জীবনের সঞ্চয় মক্কা কিম্বা গয়া কাশিতে ঢেলে আসছে।
সুন্দর স্যাটারের জন্য ধন্যবাদ।
@মুরশেদ,
হকারের সাথে দারুন তুলনা করেছেন। অসাধারন।
লেখাটা পড়ার জন্য এবং সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
একদম ফাটাফাটি (Y)
@আস্তরিন,
Thanks 🙂
গল্পটা যে সিরিয়াস জোশ হইসে তা আগেই বলসি, তয় গল্পের শেষ লাইনডা –
গল্পে না হয় ঠিকাছে, মাগার বাস্তবে অবশ্য জয়নাল ব্যাপারীর চ্যালারা চুমা না দিয়া খালি গজ গজ কইরা চইলা যায় না, বরং মাইরা ফেলনের ফতোয়া দেয়, চাপাতি দিয়া কোপায়, বাসায় গিয়ে বোমা মারে … আরো কত কি! ব্যাপারীর পাছা বইলা কথা। তাই ‘পাগল ছাগলের পাল্লা থাইকা’ আসলেই বাচ্ছেন কিনা আইজকা ঘুমানোর আগে আরেকবার চিন্তা কইরা দেইখেন।
@অভিজিৎ,
গল্প তো শেষ হবেই। হয়তো সেই উজবুক দুটো তাদের মতো আরো সব উজবুক সাঙ্গপাঙ্গদের ডাকতে গেলো আমার কল্লা নানানোর ব্যবস্থা করার জন্য।
একটা অদ্ভূত বিষয় লখ্য করেছেন, ধর্মগাধারা মাথায় জৈব সারের আধিক্যের কারনে কেন যেন অন্যের কল্লার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। 😀
হ এইডা চরম পত্র হইসে। হাসতে হাসতে মইরা যাইতেসিলাম, জয়নালের পি তে চুম্মা দিয়া হাল্কার উপ্রে এই দফা বাচলাম 😀
@কাজী রহমান,
“কুটি টেকা” পাইছেন? 🙂 যদি পাইয়া থাকেন, তাইলে আমারেও কিছু ভাগ দিয়েন। 😉
আফটার অল আমিই আপনাদেরকে তার সাথে পরিচয় করায়া দিছি। :))
ধন্যবাদ ভাই।
@সাদাচোখ,
আইচ্ছা অর্ধেক দিলাম যান, গায়েবী চুম্মা গায়েবী ভাগ :))
:hahahee: :hahahee:
চরম!!
@সৈকত চৌধুরী,
এমনে গড়াগড়ি দিয়া হাসলে তো জামায় ময়লা মাটি লাইগা যাইবো। এই শীতে কাপড় ধুইয়া দিবো কেডা? 😉
তুলনাহীন এক পোস্ট নাজিল হয়েছে। নিশ্চয়ই বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে বিয়াপক শিক্ষা।
@মাহফুজ,
তাদের আর শিক্ষা হইছে। খবর পাইলে আমারেই শিক্ষা দিয়া দিবো। 😉
চরম চরম। এমন রসালো অনুবাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুক্তমনায় এটা আমার প্রথম কমেন্ট।
@অ বিষ শ্বাসী,
আপনার কমেন্ট পেয়ে ধন্য হলাম। আশা করি নিয়মিত কমেন্ট করবেন। 🙂
প্রথমে শিরোনাম দেখে ভড়কায় গেসিলাম,পড়ার পর হাসতে হাসতে শেষ :)) ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধন্যবাদ ভাই। 🙂
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@আমি তোমাদেরই লোক,
🙂
দুর্দান্ত! দুর্দান্ত!
(C)
@ক্রান্তিলগ্ন,
থ্যাংক্স থ্যাংক্স.. 🙂
দুর্দান্ত লেখা! আপনারেও চুমা দেওয়ার ইচ্ছা করের। 😀
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেলো। 🙂
@শোভন,
কুটি ট্যাকা দিবার পারুম না কিন্তু। 😉
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ স্যাটায়ার। অনুবাদ এত সাবলীল আর রসালো হইছে মনেই হয় নি এটা অনুবাদ ছিল। অনেক ধন্যবাদ।
@নাজমুল,
ধূরো, খালি শরমিন্দা করেন।
ধন্যবাদ ভাই।
চরম :guli: :lotpot:
@স্বাধীন,
গুল্লি চালাইতে থাকলেতো আটা চালুনী হইয়া যামু। 🙂
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: সেইরাম লেখা!
@নিটোল,
অনেক ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত! দুর্ধর্ষ! :hahahee:
@শতদ্রু,
অনেক ধন্যবাদ ভাই.. 🙂
কার্টুনটা জটিল হইছে, আর প্লিজ নিয়মিত লিখেন। (F) (F) (F) (F) (F) (F)
@কামরুল আলম,
ফেসবুকে শেয়ার দিলে এই কার্টুনটাই প্রথমে আসছে। আমার তো মনেহয় এটা দেখেই অনেকে পালিয়েছে। 🙂
মোকলেছের কথায় বিশ্বাস করে আমরা তো প্রতিনিয়ত জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুমা দিচ্ছি, একটাই কারন গ্রাম থেকে যাবার কালে যদি কুটি টাকা পাই আর পাই রঙ্গরস। ঠিকই বলেছেন, কিছু ভালো উপদেশ এর ভীরে মোকলেছ তার স্বার্থ উদ্ধার করে নিয়েছে আর বেকুবের মত আমরাও জয়নালের পাছায় চুমু দিয়ে চলেছি। সেই জয়নালের পাছায়, যে জয়নাল শুধু মোকলেছের কথায় উঠবস করে আর মোকলেছের আরাম আয়েশের জন্যে বানী নাজিল করে, আর আমরা মোকলেছের কথায় বিশ্বাস করে মোকলেছের স্তুতি করি।
থু মারি সেই জয়নালের পাছায়, পে** করি সেই মোকলেছের মুখে। (D)
@কামরুল আলম,
কোন অস্তিত্ব নেই জয়নাল ব্যাপারীদের। মোকলেছরা-ই সব তৈরি করেছে নিজের আখের গোছাবার জন্য।
এই সহজ বিষয়টা মানুষকে বোঝানো কি যে কষ্ট। এখানে চিঠিতে তো মাত্র ১১ টা পয়েন্ট। তাই খালি চোখেই অসামঞ্জস্যতা টা চোখে লাগছে। কিন্তু যদি এটা হতো কোন বিদেশী ভাষায় লেখা ডিকশনারীর মত মোটা কোন বই, তাহলে কি আর সেটা পড়ে দেখা হত। সেই উজবুকগুলোর কথায় হা করে শুনতে হত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।:)
ভালো থাকবেন।
প্রাণ খুলে হাসলাম! আপনার লেখার হাত অনবদ্য। আর বিদ্রূপগল্পটা পুরোপুরি দেশি স্বাদে নিয়ে আসার চমৎকার কাজটা আপনার অসাধারণ একটা কৃতিত্ব।
অনেক ভালো থাকুন আর লিখতে থাকুন প্রাণ খুলে। 🙂
@অবর্ণন রাইমস,
অবশ্যই লেখার চেষ্টা করবো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। 🙂
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: পইড়া খুবই মজা পাইলাম
@জাহিদ রাসেল,
থ্যাংক্স জাহিদ। 🙂
ভালো থাকবেন।
আর তারা কি দুনিয়ার কোটিপতিদের লক্ষ্য করে না? জয়নাল ভিন্ন কে তাদের টাকার জোগান দেয়? নিশ্চয় এতে আছে প্রকৃত নিদর্শন। তাদের জন্য, যারা বিশ্বাস করে।
চুম্মা দিন।
@জুপিটার জয়প্রকাশ,
🙂
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
অনুবাদ এবং স্যাটায়ার চরম হয়েছে!
@জোবায়েন সন্ধি,
পিডিএফ বানাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন। 🙂
সন্ধি ভাই এই লেখার একটা পিডিএফ তৈরি করেছেন। সেটার ডাউনলোড লিংক হল– http://www.mediafire.com/?q4c9re56w3q867j
@জোবায়েন সন্ধি,
দাদা পিডিএফ এর কারনে মনে হচ্ছে কয়েকজন পড়াতে পারবো। অফিসে এই লিংক দিলে আমার বাড়োটা বেজে যাবে। তাই পিডিএফটাই পড়াই, কয়েকজনকে।
যেহেতু তাড়ি খাবার সময় সাবধানে খায় না, ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না, বা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার পরও ভাল করে হাত ধোঁয় না, তাইতো জয়নাল ব্যাপারীর নিজের লেখাকে মোখলেসের লেখা বলে ভ্রম হয়! মোখলেসরা কিন্তু এমন যুক্তিও দিয়ে বসে মাঝে মাঝে! 🙂
সাদা চোখে অনেক কঠিন সত্য খোঁজার চেষ্টা হয়েছে গল্পে! আর এখানেই লেখাটির বিশেষত্ব ফুটে উঠেছে দারুনভাবে!
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ মামুন। মূল ধন্যবাদটা প্রাপ্য, যারা এইটার মূল স্ট্রিপ্ট লিখেছে। আমি এটার জগাখিঁচুড়ি অনুবাদ করেছি মাত্র। 🙂
@সাদাচোখ,
ইংরেজীটাও পড়লাম,তেমন মজা পেলামনা,আমার কাছে আপনার অনুবাদটাই অনেক বেশি ভালো মনে হয়েছে।
এটার থেকে অনুবাদ্টাই চরম:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
🙂
@সাদাচোখ,
খুবই সাবলীল অনুবাদ। আমার বেশীরভাগ সময় বাংলায় অনুবাদ লেখা পড়ে, English মূল কমিক রচনাটা আবার পড়তে হয়। আপনার এটা পড়ে মূল উৎস দেখার কোনো প্রয়োজনই হলো না। চলতে থাকুক।
@নির্মিতব্য,
থ্যাংক ইউ ভাই। ভালো থাকবেন। 🙂
অসাধারন লেখা।কোরানের সাথে চিঠিটার পুরো মিল আছে।এই গল্পটা দেখে রক্ষনশীলরা কি বলে সেটাই আমার কৌতুহল
@সজিব,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সজিব।
ভালো থাকবেন।
========================================
ডিসক্লেইমার
এই লেখাটা নিচের ভিডিও অবলম্বনে লেখা।
httpv://www.youtube.com/watch?v=fDp7pkEcJVQ
========================================
ছোট্ট করে একটা স্বপ্নের কথা বলি। ভার্সিটিতে থাকার সময় আমার বন্ধু জুনিয়রদেরকে হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে ছোট খাটো নাটক, মিউজিক ভিডিও বানাতে দেখেছি। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো ইউনিভার্সিটিতেই এই ধরনের ভিডিও তৈরি করে থাকে। এটা নিয়ে সামুতে একটা পোস্টও দিয়ে ছিলাম। এই লেখাটা যেই ভিডিও অবলম্বনে লেখা, সেটার কোয়ালিটিও খুব একটা ভালো না। তবুও কত সুন্দর উপস্থাপনা। আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েগুলো তাবলীগ-জামাত আর নোংরা রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এই ধরনের মুক্ত চিন্তার ভিডিও বানাবে। কারন সেই সময়টাই হল সঠিক বেঠিক রাস্তা বের করার আসল সময়।
মুক্ত চিন্তার জয় হোক।
ক্লাসিক! (Y)
কত বিশ্বাসী ভক্তই যে ‘মোকলেছ’দের এর কথায় বিশ্বাস করে অদৃশ্য জয়নাল ব্যাপারীর ওদৃশ্য পশ্চাৎ দেশে অহর্নিশি চুমু খেয়ে চলেছে, পরকালে সরি – গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় ‘কুটি টাকা’ পাওনের আশায় – সেটার কোন তুলনা নাই!
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎদা। অনুবাদ যে জগাখিঁচুড়ি হইছে, সেইডাতে সন্দেহ নাই। 🙂
ভালো থাকবেন।
অসাধারণ…………।। (Y)
দুর্দান্ত। আপনার নিয়মিত লেখা উচিত।
@ফরিদ আহমেদ,
ক্যান যে শরমিন্দা করেন। প্রথম কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সেই সন্ধ্যা থেকে কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছি। কেন যেন যাচ্ছিল না।
ভালো থাকবেন।
🙂
@সাদাচোখ,
জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় যে চুম্মা দেন নাই তাই।
@ফরিদ আহমেদ,
সেইটাই হবে। ব্যাপরী ব্যাপক ক্ষেপছে। 😉 :))
দুর্দান্ত হয়েছে! :clap “কিসিং হ্যাংকস এ্যাস” আগেই পড়েছিলাম – আপনার তবলিগীয় ভার্সনটি পড়ে আরো বেশি হাসলাম! :lotpot: এই কেচ্ছাটি বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে, jhuger.com-এ আপনার আপনার বাংলা রুপান্তরটির লিংক যোগ করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ চন্দ্র বিষয়ক আলোচনা ঈষৎ সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে।