( এই কবিতাটা অভিজিৎ কে উৎসর্গ করলাম)
আমাকে নিয়মিত লিখতে বলেছেন, কিন্তু হয়ে উঠছেনা, আমার এই নিরুপায় অবস্থাকে ক্ষমা করবেন অভিজিৎ ,তার পরেও সামান্য চেষ্টা।
আমার বসনখানি গলে পড়ে
দুপুরের অঙ্গার রোদে
জীবনের শব্দ
পাতার মর্মরে।
রয়েছে কাজ
রয়েছে পিছুটান।
এলো বর্ষণ রাত
কতো কাদাজলে নেমেছি,
কোনোখানে নাগাল পাইনি,
একবারই স্পর্শ করেছি তোমায়
প্রকৃতির মাঝামাঝি।
শরীরে আমার ভালোবাসার গন্ধ,
তোমার হৃদয় ফেলেছে নোঙ্গর
অন্য কোনো বন্দরে।
বাসনার মুখে আগুন জ্বেলে
লাল ঠোটের অমৃতে চুমু খাওয়া,
ব্যথা আমার কবিতা
তাই, আমিই মহাকাব্য।
পছন্দ করলাম লেখাটা 🙂
ঝাল টক তেতো মিষ্টি যা কিছু মনে আসে লিখে এক্কেবারে ফাটায়া ফেলেন। হয়ে উঠবে না মানে……। :)) (F)
@কাজী রহমান,
লেখা তো ভেতর থেকে আসতে হবে। আসেনা আগের মত। দেখা যাক-চেষ্টা করব নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে গোলাপের জন্য।
আমি অবশ্য কবিতা টবিতা খুব একটা বুঝি না, কিন্তু এ কবিতাটা খুব ভাল লাগলো, বোধ হয় আমাকে উৎসর্গ করা বলেই। 🙂
ধন্যবাদ কবিতাটির জন্য, এবং সর্বোপরি মুক্তমনায় লেখা চালিয়া যাওয়ার জন্য।
@অভিজিৎ,
সখি ভালোবাসা কারে কয়
এই দিয়ে যিনি লেখার যাত্রা শুরু করেন তিনি অবশ্যই কবিতা ভালোবাসেন।
তবে আমাদের মত এমন লেখা নয়। তিনি রবীন্দ্র নাথের কবিতা, বা জীবনান্দ দাশের কবিতা ভালোবাসবেন এমনটাই ভাবা যেতে পারে।
আমার লেখা তো লেখাই নয়। চেষ্টা চালানো। তবু এতটুকু হলেও ভালোলেগেছে
তাতেই আমি ধন্য।
বরাবরের মত অনেক ভাল লাগল!
ভাল থাকুন আর লিখতে থাকুন!
@লাইজু নাহার,
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা। আপনি সব সময়ই আমার সামান্য লেখার পাঠক। এই ভাবনাটাই আমাকে অনূপ্রেরণা যোগায়।
@আফরোজা আলম,
আমি ঠিক কবি নই । তবে মনে হল আপনার জন্য এটা লিখি—–
বলতে যদি হয়
বৈষ্ণব রায়
বলতেই হবে-
সহজ কথাটা সহাজ করে
পারলে কঠিন টা ও তেমনি করে
শব্দ তো সীমিত!আমার নিজস্ব শব্দকোষ
আরো ও কম,
তবু এই রক্ত ঝরা দিনে
পৃথিবীর যে কোনো ভাষায় ,
না হোক ইংগিত ইসারায়
প্রকাশের যে কোন ফর্মে
বলতেই হবে এই তো আমার একমাত্র হাতিয়ার
বলতে হবে মানুষের কথা
যাদের নাই কোন দেশ বা কালের গন্ডী ।
গোল গোল দুর্বোধ্য শব্দের পাহাড়ে
ঢেকে দিতে পারিনা – তাদের
ছোট ছোট অনুভুতি – আণান্দ ও বেদনার!
তরংগায়িত সাগরে হাল, পাল ছেড়ে
শুধুই ডাকি ঈশ্বরে? নিরর্থক!
আধুনিকতার মোড়কে পরশি
অবোধ্য ,আদ্ভুত কাব্য শৈলী – যার
উদ্দেশ্য বিধেয়ের বালাই নাই!
‘পন্ডিতের বিলাপ’ ও বাণী?
পেট যদিও ভরে , ক্ষুধা মেটে কি?
সেই ক্রনিক ব্যধি! আর্ট ফর আর্টশেক?
কলা নিয়ে কলাকারি!
সে আমার নয়!”
আমার কণ্ঠ হোক বলিষ্ঠ স্পষ্ট আর
শব্দ চয়নিত হোক মানুষেরই অভিধানের।
বৈষ্ণব রায়
দুর্গ , ছত্তিসগঢ়
ভারত