দ্বীনের নবী মোহাম্মদ যার জীবন আদর্শ সারা জাহানের সব মানুষের জন্য সব সময় অনুকরনীয়,এহেন দ্বীনের নবী মাত্র ২৫ বছর বয়েসে ৪০ বছর বয়েসের বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেন নিজের দারিদ্র থেকে রেহাই পেতে।বলাই বাহুল্য, একটা টগবগে তরুনের জন্য বিশেষ করে রিপু তাড়িত আরবীয় মানুষের জন্য তা অত্যন্ত বেমানান কারন সেই তখনকার সময়। এমনকি বর্তমান সময়েও আরবদের রিপু তাড়নার তীব্রতা সবিশেষ লক্ষ্যনীয় তাদের জীবন আচরনে।কিন্তু উপায় নেই। মোহাম্মদ অন্য আরবদের মত শৌর্য বীর্যের অধিকারী নয়, তারপর আবার সহায় সম্বলহীন এক এতিম। দুইবার বিবাহিতা প্রায় প্রৌঢ় খাদিজার ব্যবসায়ে খাদেমের কাজ করতে আসা তরুন মোহাম্মদের প্রতি নজর পড়ে খাদিজার, বিয়ের লোভনীয় প্রস্তাব পেশ করে সে এই আশায় যে হত দরিদ্র এতিম মোহাম্মদের কাছে আর্থিক সচ্ছলতা পাওয়ার এর চাইতে ভাল কোন বিকল্প নেই সেই কঠিন আরব দেশে। বলাই বাহুল্য, খাদিজার অনুমান শত ভাগ সত্য ছিল।প্রায় প্রৌঢ় কালে জোয়ান স্বামী, এর চাইতে বেশী কি চাওয়ার থাকতে পারে একটা নারীর কাছে।বিষয়টি এভাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, মোহাম্মদ এতই উদার ও মহান হৃদয় ব্যাক্তি ছিলেন যে তার কাছে খাদিজার বয়স কোন বাধা হয়ে দাড়ায়নি। এখন কেমন উদার ও মহান ছিলেন তার একটু ব্যখ্যা করা যেতে পারে।
প্রথমেই আমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নজীর নিয়ে আলোচনা করতে পারি।যদি আমরা মোহাম্মদের জীবনকে পুংখানুপুংখ রূপে বিচার করি তাহলে দেখব অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে তিনি খাদিজার কাছেই সব চেয়ে বেশী ঋণী। কারন খাদিজাকে বিয়ে করার পরই তার দারিদ্র ঘোচে, খাদিজা তার পুরো ব্যবসার দায়িত্ব মোহাম্মদের ওপর অর্পন করে। আর মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ব্যাক্তি হলেন খাদিজা যা তাকে আল্লাহর পয়গম্বর হতে উৎসাহিত করে। হাদিসে বর্নিত আছে- হেরা গুহায় জিব্রাইল ফিরিস্তা মোহাম্মদকে আল্লাহর ওহী শুনিয়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ মনে করেছিলেন কোন অশুভ আ ত্মা বা ভুত বা প্রেত তাকে আশ্রয় করেছে। এমন অবস্থায় একমাত্র খাদিজাই মোহাম্মদকে আশ্বস্ত করে যে ভুত বা প্রেত নয় বরং আল্লাহর শুভ দৃষ্টি তার ওপর পতিত হয়েছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্য সে মোহাম্মদকে তার চাচাত ভাই নওফেলের কাছে নিয়ে যায় ও নওফেল তাকে নিশ্চিত করে যে যে ফিরিস্তা আগে নবীদের কাছে আসত সেই ফিরিস্তাই মোহাম্মদের কাছে এসেছিল। এর পর থেকেই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব শুরু ও ইসলামের পত্তন ঘটে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে- বিবি খাদিজা যদি মোহাম্মদকে সেই রাতের বেলা আশ্বস্ত না করত বা তাকে নওফেলের কাছে নিয়ে না যেতো তাহলে মোহাম্মদকে ভুতে পাওয়া রোগী হয়েই সারা জীবন থাকতে হতো ( কারন এর পর থেকেই মোহাম্মদকে প্রায়ই ভুতে পেত ও এ ঘটনাকে তিনি আল্লাহর ওহি আসার ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেন), নবী হওয়া আর হয়ে উঠত না, মানব জাতিও ইসলাম নামের অমানবিক ও বর্বর ধর্ম থেকে চিরতরে রেহাই পেত।এভাবে বিচার করলে মোহাম্মদের সব চাইতে বেশী কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত খাদিজার প্রতি, পক্ষান্তরে খাদিজা মোহাম্মদকে নবী হিসাবে বিশ্বাস করে ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার কারনে মানব সভ্যতার জন্য সীমাহীন ক্ষতির জন্য দায়ী। অথচ আমরা দেখি খাদিজার প্রতি মোহাম্মদ ন্যুনতম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন নি, বরং যত প্রকারে পারা যায় খাদিজাকে অসম্মান ও অমর্যাদা করেছেন পরোক্ষভাবে। কারন খাদিজার অর্থের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থেকে সরাসরি তাকে অমর্যাদা করার সাহস ও শক্তি কোনটাই তার খাদিজা বেঁচে থাকতে ছিল না। কিভাবে মোহাম্মদ খাদিজাকে অসম্মান করেছে তার কিছু বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
খাদিজা মোহাম্মদকে ভালবেসে বিয়ে করে তার সব সম্পদ মোহাম্মদকে বিলিয়ে দিয়েছিল।খাদিজা মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ও সমর্থনকারী।খাদিজা বেঁচে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ মক্কাতেই সমস্ত সময় কাটিয়েছেন ও সে সময়ে তার কোন প্রভাব প্রতিপত্তি সেখানে একেবারেই প্রতিষ্ঠিত হয় নি।খাদিজা ও মোহাম্মদের চাচা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর মক্কাতে থাকাটা যখন মোহাম্মদের জন্য নিরাপদ বা সুখকর স্থান হিসাবে আর ছিল না তখন তিনি তার দল বল সহ মদিনাতে প্রবাসী হন ও সেখানে বিভিন্ন কারনে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়।এর পরেই তার ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে শুরু হয় নারী লিপ্সা যার ফলশ্রুতিতে তিনি শুরু করেন একের পর এক বিয়ে।মদিনাতে হিজরতের পর থেকে তিনি মোট তের বছরের মত বেঁচে ছিলেন আর এ সময়কালে তিনি বিয়ে করেন মোট ১২ টা, গড়ে প্রতি বছর একটি করে।ইসলামিষ্টরা তার এ সব বিয়ে করার নানা কারন প্রদর্শন করে থাকে , কিন্তু তার এ এক ডজন বিয়ে কখনই খাদিজার প্রতি মোহাম্মদের মর্যাদা প্রদর্শন বা ভালবাসা প্রদর্শনের নমুনা হতে পারে কি না তা বিচার্য।দ্বীন দুনিয়ার শেষ ও শ্রেষ্ট নবী যার জীবনাদর্শ জগতের শেষ দিন পর্যন্ত সবাইতে অনুসরন করার কথা বলা হয়েছে, তিনি প্রৌঢ় বয়েসে ( ৫১ বছরের পর) একের পর এক শিশু ( ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন, আয়শার বয়স যখন ৯ বছর তখন মোহাম্মদ তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত সংসার শুরু করেন) থেকে যুবতী বয়েসের এক ডজন নারীকে বিয়ে করে তাদের সাথে পালা ক্রমে রাত কাটাচ্ছেন, এটা আর যাই হোক কোন মহান মানুষের কর্ম হতে পারে না , একই সাথে এটা হতে পারে না মোহাম্মদের খাদিজার প্রতি সম্মান বা কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন।যদি ধরে নেয়া হয় যে , বহুবিবাহ বা শিশু বিবাহ সেই আরব সমাজের ঐতিহ্য ছিল, সেকারনে মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ডকে নিন্দনীয় বলা যাবে না , তাহলে প্রশ্ন হলো- তার জীবনাদর্শ কিভাবে সকল সময়ের জন্য সব মানুষের জন্য আদর্শ হয় ? একজন মানুষের আচার আচরন সকল সময়ের জন্য অনুসরনীয় হতে পারে যদি তার আচার আচরন সকল যুগের ঐতিহ্যের পরীক্ষায় পাশ করে তাহলে। বর্তমান ঐতিহ্য হলো- এক স্বামী ও এক স্ত্রী এবং শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার না করা।শুধু তাই নয়, শিশু বিয়ে করা বর্তমানে প্রতিটি সভ্য দেশে একটি মারাত্মক দন্ডনীয় অপরাধ, আর শিশুকে বিয়ে করে তাকে বলৎকার করা তো প্রায় মৃত্যু দন্ডতূল্য অপরাধ। বর্তমান এ ঐতিহ্য যদি আদর্শ না হয় তাহলে বলতে হবে- সর্বকালীন আদর্শ ঐতিহ্য হলো- বহু বিবাহ ও শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার করা আর যেটা স্বয়ং নবী তার জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন।মোহাম্মদের এহেন কর্মকান্ডের খারাপ পরিনতি বিবেচনা করে ইদানিং কিছু ইসলামী পন্ডিত উঠে পড়ে লেগে গেছে তার এসব বিয়ের জন্য অতীব জরুরী কিছু কারন ছিল। আর শিশু আয়শাকে বিয়ে করার বিষয় যে কোনভাবেই যুক্তি সিদ্ধ করা যায় না তা উপলব্ধি করে ইদানিং কেউ কেউ আয়শার বয়স বেশী ( যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৭ ) প্রমান করার জন্য নানা রকম আজগুবি তথ্য ও ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে, আর বলা বাহুল্য তার কোনটাই ধোপে টিকছে না। বরং এ ধরনের প্রচেষ্টা যতই করা হচ্ছে- মোহাম্মদের আসল চরিত্র ক্রমশ: ফুটে উঠছে। নিম্নে মোহাম্মদের স্ত্রীদের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো-
(১)খাদিজা- বয়স্ক বিধবা, এতিম ও হত দরিদ্র মোহাম্মদ দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধনী ব্যবসায়ী বিধবা খাদিজাকে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
(২)সওদা- বয়স্ক বিধবা মহিলা। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদের যে বাচ্চা কাচ্চা ছিল তা দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না। মূলত: সেকারনেই মোহাম্মদ সওদাকে বিয়ে করেন। কারন মোহাম্মদ তখনও মক্কাতে বাস করতেন ও তখনও মোহাম্মদের এমন কোন প্রভাব প্রতিপত্তি মক্কাতে ছিল না যাতে তিনি বংশীয় একজন যুবতী নারীকে বিয়ে করতে পারতেন।
(৩)আয়েশা বিনতে আবু বকর- আবু বকরের মেয়ে। ৬ বছরের বাচ্চা আয়শাকে মোহাম্মদ তার ৫১ বছর বয়েসে বিয়ে করেন নানা রকম ছলা কলার মাধ্যমে। প্রৌঢ় মোহাম্মদ যখন আয়শাকে বিয়ে করেন তখনও আয়শা পুতুল নিয়ে খেলা করত আর সে বুঝতেই পারেনি কোন ফাকে মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার বয়স যখন ৯ বছর তখন তাকে সাজিয়ে গুজিয়ে হঠাৎ একদিন মোহাম্মদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, আয়শা তার পুতুলকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদের ঘরে ঢোকে।
(৪)হাফসা বিনতে ওমর- ওমরের মেয়ে। সে যখন বিধবা হয় , ওমর তখন প্রথমে আবু বকরের নিকট তাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আবু বকর তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে মোহাম্মদের নিকট প্রস্তাব করলে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৫)উম্মে সালামা- বিধবা
(৬)উম্মে হাবিবা- বিধবা
(৭)জয়নাব বিনতে জাহস- পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী। একদিন অকস্মাৎ জায়েদের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হন মোহাম্মদ তখন সে বাড়ীতে ছিল না। তখন ঘরের মধ্যে স্বল্প বসনে থাকা সুন্দরী বউ জয়নবের প্রতি মোহাম্মদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আর মোহাম্মদের মধ্যে তার জন্য কামভাব জেগে ওঠে। অত:পর আল্লাহর কাছ থেকে ওহি এনে মোহাম্মদ জায়েদকে তার বউকে তালাক দিতে বাধ্য করে ও পরে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৮)জয়নাব বিনতে খুজাইমা- তালাকপ্রাপ্তা
(৯)জুরাইয়া বিনতে হারিথ-বিধবা
(১০)সাফিয়া- বিধবা ইহুদী রমনী, খায়বার দখলের পর সব পুরুষকে হত্যা করে তাদের সর্দারের স্ত্রীকে ভাগে পান মোহাম্মদ। পরে বিয়ে করেন।বিশেষ বিষয় হলো- যেদিন মোহাম্মদ ও তার দলবল সাফিয়ার স্বামী সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই রাতে তিনি সাফিয়ার সাথে রাত কাটান। একজন অতি বড় নির্লজ্জ লম্পটও এ রকম কাজ করতে দুবার ভাববে।
(১১)রায়হানা বিনতে জায়েদ- বিধবা, বানু কুরাইজা গোত্রের লোকদেরকে পরাজিত করার পর তাকে গণিমতের মাল হিসাবে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেছিলেন কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে।
(১২)মায়মুনা বিনতে হারিথ-
(১৩)মারিয়াম- মিশরের বাদশার কাছ থেকে দাসী হিসাবে উপঢৌকন পান ও এর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন সঙ্গম করতেন।
উপরোক্ত তালিকাতে দেখা যায়- খাদিজা ও সওদাকে মোহাম্মদ অতি প্রয়োজনে বিয়ে করেছিলেন যা দৃষ্টি কটু নয়। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ একাকী হয়ে পড়েন, তার সন্তানদের দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না , এমন অবস্থায় অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার সামলানো একান্ত আবশ্যক ছিল। কিন্তু এর পর অকস্মাৎ কথা বার্তা নেই ৬ বছরের আয়শার প্রতি নজর পড়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের( ৫১ বছর)। কারন সেই বাচ্চা বয়েসেই আয়শা বেশ দেখতে সুন্দরী ছিল। আর তাই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তার খায়েশ জাগে শিশু মেয়েটিকে বিয়ে করার। নানা রকম ভনিতা করে অবশেষে তিনি আবুবকরের কাছে তার মনের বাসনা প্রকাশ করেন। নিমরাজি আবুবকর দিশা না পেয়ে মোহাম্মদের আবদার মেনে নিয়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে তার শিশু মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দেন। বর্তমানে কিছু কিছু ইসলামী পন্ডিত আছে যারা প্রমান করার চেষ্টা করে যে আবু বকরই মোহাম্মদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এ বিয়ে দেয়ার জন্য চাপা চাপি করে। বিষয়টি যে ডাহা মিথ্যা তা দেখা যাবে নিচের হাদিসে-
উর্সা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী আবু বকরকে তার কন্যা আয়শাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন।আবু বকর বললেন- কিন্তু আমি তো তোমার ভাই হই। নবী বললেন-তুমি তো আমার ধর্ম সম্পর্কিত ভাই, তাই আয়শাকে বিয়ে করাতে আমার কোন বাধা নেই। সহি বুখারী, ০৭:১৮
অথচ এই মোহাম্মদ ছিলেন আবু বকরের প্রায় সমবয়সী, মাত্র দুই বছরের ছোট। তারা ছিলেন পরস্পরের বন্ধু বা সাথী। তার মানে মোহাম্মদ যখন আবু বকরের বাড়ী যেতেন আয়শা তাকে চাচা বলে সম্বোধন করতেন। আর খোদ মোহাম্মদের নিজের মেয়ে ফাতিমার বয়স তখন ছিল বার বছর। কারন ফাতিমা আয়শার চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিল। যার নিজের বার বছরের একটা মেয়ে ঘরে আছে , আরও আছে বয়সী একটা বউ সওদা, সেই ব্যাক্তি কোন কান্ডজ্ঞানে তার বন্ধুর শিশু মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, আর তা কোন সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হতে পারে কি না তা গবেষণার বিষয়। যে শিশু মেয়েটি একদা মোহাম্মদকে চাচা বলে সম্বোধন করত তাকে স্বয়ং মোহাম্মদ কিভাবে বিয়ে করতে পারে তা সত্যি বোঝা অতীব দুরুহ। তাও আবার সেই লোক যেন তেন কোন ব্যাক্তি নন, তিনি হলেন – আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার আচরন দুনিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত সব মানুষের জন্য বিনা প্রশ্নে অনুকরনীয় আদর্শ।
এখানে স্পষ্ট যে, মোহাম্মদের দাসানুদাস আবু বকর সরাসরি মোহাম্মদকে প্রত্যাখ্যান করতে না পেরে অন্য রাস্তার আশ্রয় নেয়। কিন্তু মোহাম্মদ তাতেও দমবার পাত্র নয়, অতি দ্রুত উছিলা বের করে ফেলেন অনেকটা দুর্জনের যেমন ছলের অভাব হয় না এ কায়দায়। এভাবে আয়শার বিয়ের ব্যপারটিকে ধামা চাপা দিতে না পেরে অবশেষে ইসলামী পন্ডিতরা এখন নানা রকম গোজামিলের মাধ্যমে প্রমানের চেষ্টায় আছে বিয়ে কালীন সময়ে আয়শার বয়স বাড়ানোর, যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৫ বা ১৬ বা ১৭ এরকম। কিন্তু সহি হাদিসে এ সম্পর্কিত এত হাদিস আছে যে , দুর্বল হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েও আয়শার বয়স বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকটি উদাহরন যেমন-
আয়শা হতে বর্নিত- যখন নবী আমাকে বিয়ে করেন তখন আমার বয়স ছয় বছর , আর আমার বয়স যখন নয় বছর তখন আমি স্ত্রী হিসাবে তার গৃহে গমন করি। সহি মুসলিম, বই -০৮, হাদিস-৩৩১০
আয়শা হতে বর্নিত- যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছয় বছর, যখন তার বয়স নয় বছর তখন তিনি তার সাথে স্বামী হিসাবে বসবাস শুরু করেন ও তিনি তার সাথে মোট নয় বছর অতিবাহিত করেন( নবীর মৃত্যু পর্যন্ত)। সহি বুখারী, বই -৬২, হাদিস-৬৪
আয়শা থেকে বর্নিত – যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ছয়, তার নয় বছর বয়েসে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করেন। হিসাম বর্ননা করেন- আমি জ্ঞাত আছি যে আয়শা নবীর সাথে নয় বছর ঘর সংসার করেন। সহি বুখারী, বই – ৬২, হাদিস- ৬৫
উর্সা হতে বর্নিত- নবী তার বিয়ের কাবিন নামাতে লিখেছিলেন যে আয়শার বয়স যখন ছয় তখন তিনি তাকে বিয়ে করেন , যখন তার বয়স নয় বছর হয় তখন তার সাথে সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই- ৬২, হাদিস-৮৮
হিসামের পিতা হতে বর্নিত- খাদিজা মারা যাওয়ার তিন বছর পর নবী মদিনাতে হিযরত করেন। তার মারা যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর নবী আয়শাকে বিয়ে করেন যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর আর তার বয়স নয় বছর হলে তার সাথে ঘর সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই -৫৮, হাদিস- ২৩৬
আয়শা থেকে বর্নিত- আমার বয়স যখন ছয় কি সাত আল্লাহর নবী তখন আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনা গমন করলাম ও কিছু মহিলা আসল। বিশর’র বর্ননা মতে- যখন আমি খেলছিলাম তখন উম রূমান আমার কাছে আসল। তারা আমাকে নিয়ে সজ্জিত করল। অত:পর আমাকে আল্লাহর নবীর নিকট সমর্পন করা হলো আর আমার বয়স তখন নয় বছর। সুনান আবু দাউদ, বই- ৪১, হাদিস-৪৯১৫
আয়শা বর্ননা করেন যে – যখন আল্লাহর নবীর সাথে তার বিয়ে হয় তখন তার বয়স ছিল ছয়, আর যখন তার বয়স নয় বছর তখন নবী তাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তোলেন আর তখন আয়শা তার সাথে তার খেলার পুতুল গুলিও নিয়ে যান। আর যখন নবী মারা যান তখন তার বয়স আঠার। সহি মুসলিম, বই-০০৮, হাদিস – ৩৩১১
শুধু তাই নয় যখন আয়শার বয়স নয় বছর তখনও যে বিয়ে শাদীর ব্যপারে তার কোন জ্ঞান গম্যি হয় নি তা বোঝা যায় নিচের হাদিসের প্রানবন্ত বর্ননায়-
নবী আমার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন যখন আমার বয়স ছয় বছর ছিল। আমরা মদিনাতে গমন করলাম ও সেখানে হারিথ বিন খারাজের বাড়ীতে অবস্থান করছিলাম। সেখানে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম ও আমার মাথার চুল পড়ে গেল। পরে আবার চুল গজাল। একদিন আমার মা আমার উম রুমান আমার কাছে আসলেন তখন আমি আমার বান্ধবীদের সাথে খেলাধুলা করছিলাম। তিনি আমাকে ডাকলেন , আমি তার কাছে গেলাম কিন্তু তিনি আমার সাথে কি করতে চান তা বুঝতে পারলাম না। তিনি আমার হাত ধরে টেনে দরজার কাছে নিয়ে গেলেন, আমার দম বন্দ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হলো, যখন দম স্বাভাবিক হলো, তিনি কিছু পানি নিয়ে আমার মুখ ও মাথা তা দিয়ে ভাল করে ধুয়ে মুছে দিলেন। অত:পর তিনি আমাকে একটা ঘরে নিয়ে গেলেন যেখানে আগে থেকেই কিছু আনসার মহিলা ছিল। তারা আমাকে বললেন- শুভ কামনা ও আল্লাহর রহমত তোমার ওপর বর্ষিত হোক। আমার মা আমাকে তাদের কাছে দিয়ে চলে গেলেন, তারা আমাকে ভালমতো সজ্জিত করল। অপ্রত্যাশিতভাবে দুপুরের আগে আল্লাহর নবী হাজির হলেন ও আমার মা আমাকে তার কাছে হস্তান্তর করলেন, তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর। সহি বুখারি, বই -৫৮, হাদিস-২৩৪
ইসলামি পন্ডিতরা বহু গবেষণা করে দুর্বল আর সবল হাদিস বের করে যতই প্রমান করার চেষ্টা করুক না কেন যে আয়শার বয়স ছয় বছর ছিল না যখন তার বিয়ে হয় প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে , তা হালে পানি পাবে না কারন যতগুলো হাদিস উল্লেখ করা হলো তার সবই সহি হাদিস মানে পরীক্ষিত হাদিস। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই এসব হাদিসকে সংকলন করা হয়েছে। এখন কেউ এসে হঠাৎ করে বলল এসব দুর্বল হাদিস আর তাই এসব বাদ দিতে হবে- এরকম মামা বাড়ীর আবদার চলবে বলে মনে হয় না।
এ বিষয়ে একজন ইসলামী পন্ডিতের সাথে আলাপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বললেন- সেই নয় বছর বয়েসে আয়শার নাকি মাসিক রজস্রাব শুরু হয়। আর তাই তখন মোহাম্মদের সাথে তার ঘর করার বিষয়ে কোন আপত্তি থাকতে পারে না।কোথা থেকে এ পন্ডিত এ তথ্য অবগত হলেন তা অবশ্য জ্ঞাত করেন নি। যদিও আমরা জানি ১৩/১৪ বছর হলো মেয়েদের মাসিক রজস্রাব হওয়ার সাধারন সময়। ব্যাতিক্রম হিসাবে কোন কোন মেয়ের ৭/৮ বছরেও হতে পারে যা নিতান্ত অস্বাভাবিক।এখন আয়েশার ৯ বছরে রজস্রাব হলেও সে মানসিক বা দৈহিক ভাবে একজন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ের সাথে স্ত্রী হিসাবে ঘর করার যোগ্য ছিল কি না তা এসব পন্ডিতদের কাছে গুরুত্বপূর্ন নয় কারন মোহাম্মদের সব কাজ কারবারই তাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে বিশ্বাস্য। তাই তা আদর্শ ।এমন কি এটাও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন না যে , অন্য সাধারন মানুষরা যা করবে একজন আল্লাহর নবীর পক্ষে তা করা মানানসই কিনা।পুতুল হাতে নিয়ে শিশু আয়শা ৫৪ বছরের প্রৌঢ় মোহাম্মদের ঘরে তার বিছানায় যাচ্ছে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে তাও তাদের কাছে দৃষ্টি কটু লাগে না। খোদ মোহাম্মদের মনেও এ নিয়ে কোন বিকার নেই। বেশ খুশী ও ফুর্তি নিয়েই তিনি আয়শার সাথে সহবত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এ হেন নবীর আদর্শ অনুসরন করতে গিয়ে সকল মুমিন মুসলমানের উচিত ৬/৭ বছরের মেয়েকে বিয়ে করা।আয়েশাকে বিয়ে করে মোহাম্মদ প্রমান করতে চেয়েছিলেন যে বন্ধুর কন্যাকেও বিয়ে করা যায়।তাই এখন থেকে মুমিন বান্দাদের উচিত তাদের সমবয়স্ক বন্ধুদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের শিশু মেয়েদেরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়া কারন সেটাই আদর্শ , স্বয়ং মহানবী তা নিজ জীবনে প্রদর্শন করে গিয়েছেন।মুমিন বান্দারা কতটা মানসিক প্রতি বন্ধি হলে তারা এ বিষয়টাতে বিন্দু মাত্র খারাপ কিছু দেখে না তা বিশেষ বিবেচ্য।
আসলে কথা হলো- দুনিয়াতে এমন কোন সভ্য মানুষ পাওয়া যাবে না যে নয় বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী হিসাবে ঘর করবে ও তার সাথে যৌনমিলন করবে। বিয়ে করারই প্রশ্ন ওঠে না। যদি কেউ করে তাকে লোকে লম্পট বদমাশ ছাড়া আর কিছু বলবে না। অথচ সেই কাজটিই করেছেন আমাদের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার-আচরন আমাদের সবাইকে দুনিয়ার শেষদিন অবধি অবশ্যই পালন করতে হবে। এর পরে যদি আমরা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলি সেটা খুব বেশী অন্যায় করা হবে ? যুক্তি হিসাবে বলা হয়- সেই সময়ে শিশু বিয়ে প্রচলিত ছিল তাই নবী খারাপ কিছু করেননি। কিন্তু সে বিয়ে ছিল কম বয়সী ছেলে মেয়ের মধ্যে।যেমন এই ভারতীয় উপমহাদেশেও এক সময় সেটা বহুল প্রচলিত ছিল।কিন্তু একটা প্রৌঢ় মানুষের সাথে তার নাতনীর বয়সী শিশুর বিয়ে সেই তথাকথিত অন্ধকার যুগেও ছিল বিরল। তার চাইতে বড় কথা হলো- আয়শাকে তিনি বিয়ে করলেন কি কারনে ? আয়শা কি অসহায় বিধবা রমনী ছিল, নাকি কোন গো্ত্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের দরকার পড়েছিল ? আবু বকর তো তার দশ বছর আগে থেকেই মোহাম্মদের খাস দাসানুদাস হয়ে গেছে, তার কথায় ওঠে-বসে , এমনকি তার আজগুবি কথাবার্তাকেও ( যেমন মিরাজের কিচ্ছা) সে বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করে। তার কচি বাচ্চাকে বিয়ে করে তো নতুন করে কোন সম্পর্ক স্থাপনের কোন দরকার এখানে অত্যাবশ্যক দেখা যায় না। হয়ত বা যায়, কিন্তু যা আমরা বুঝতে পারছি না, তবে তা হতে পারে একমাত্র দুর্জনের ছল খুজে বের করার যুক্তির মতই যা সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। নিজের যথেচ্ছ যৌনাজীবন উপভোগ করার জন্য মোহাম্মদ কিভাবে আল্লাহর ওহীকে ব্যবহার করেছেন তার একটা উজ্জ্বল নমূনা নিচের আয়াত টি:
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, ৩৩: ৫০
উক্ত আয়াতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারা মোহাম্মদের কাছে হালাল এবং বলা বাহুল্য তার অনুসারীদের জন্যও হালাল।কি উদ্দেশ্যে হালাল? যৌন সঙ্গমের উদ্দেশ্যে। ইসলামে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যু দন্ড যা এখনও আরব দেশগুলোতে প্রচলিত। আমরা প্রায়ই সৌদি আরবে ব্যাভিচারের শাস্তি স্বরূপ মাথা কেটে নেয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যা করার খবর পত্রিকায় পড়ি।কিন্তু কোরানের উপরোক্ত আয়াত স্পষ্টভাবে ব্যাভিচারকে অনুমোদন করছে। সেটা কেমন ? যেমন -হালাল হলো- স্ত্রী গন, বিয়ের জন্য হালাল হলো- চাচাতো/ফুফাতো/মামাতো/খালাতো/ ভাগ্নি। লক্ষ্যনীয় বাক্যটি হলো- আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন। কাদেরকে বিয়ে করে যৌন সঙ্গম করা যাবে তা কিন্তু খুব পরিস্কার ভাষায় বলা আছে। কিন্তু দাসীদের বেলায় কিন্তু বিয়ে করার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তার মানে দাসীদেরকে ( যুদ্ধ লব্ধ বন্দিনী নারী) বিয়ে ছাড়াই উপভোগ করা যাবে।ইসলাম মোতাবেক বিয়ে বহির্ভুত যৌন সঙ্গম হলো ব্যাভিচার যার শাস্তি মৃত্যু দন্ড, অথচ কি অবলীলায় সেই ব্যাভচারকেই আবার মোহাম্মদ আল্লাহর নামে অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন এবং নিজ জীবনে সেটা দেদারসে করছেন। কি আজব কথা , যিনি আল্লাহর নবী, শ্রেষ্ট নবী, সারা জাহানের আদর্শ সকল যুগের জন্য তিনি যখন তখন দাসী বাদীর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন আনন্দে মেতে উঠছেন। মারহাবা! আবার তিনি বলছেন – তার এ জীবনাদর্শ সবাইকে কঠোর ভাবে অনুসরন করতে। ঠিক একারনে শোনা যায়- সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া ফিলিপিনো বা ইন্দোনেশীয় নারীরা যে সৌদি পরিবারে কাজ করে সে পরিবারের প্রায় সকল প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ দ্বারা পর্যায় ক্রমে ধর্ষিতা হয়।অর্থাৎ অবলীলায় বাপ ও পূত্র পর্যায়ক্রমে একই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে যাচ্ছে কোন রকম বিবেকের তাড়না ছাড়াই। বিবেকের তাড়না এখানে হওয়ার কথাও নয় , কারন খোদ মহানবী তো সেটা অনুমোদন দিয়ে গেছেন। এখানে আরও একটা বাক্য লক্ষ্যনীয়- কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। অর্থাৎ যে কোন নারী চাইলেই নবী তাকে বিয়ে করতে পারবেন , আর তার কোন সীমা পরিসীমা নেই। বলা বাহুল্য, মদিনার রাজা মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চাওয়া নারীর অভাব থাকার কথা নয় সেই দরিদ্র আরব দেশে, কারন তখন বহু বিবাহ কোন নিন্দনীয় ব্যপার না। সারা জাহানের সর্বশ্রেষ্ট ও সকল যুগের আদর্শ মানব মোহাম্মদ তার অবাধ যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য আল্লাহ ওহীর নামে এটা কি চরম মিথ্যাচার নয় ? তিনি আল্লাহর মূখ দিয়ে বলাচ্ছেন- শুধু তিনি যত ইচ্ছা তত বিয়ে করতে পারবেন অন্য কেউ নয়।তার মানে যেমন খুশী বিয়ে করে যৌন ফুর্তি করবেন। এ ধরনের কথা বার্তাকে কিভাবে মুমিন বান্দারা আল্লাহর বানী মনে করে তা আমি ভেবে সত্যিই অবাক হয়ে যাই। অথচ আমাদের মুমিন মুসলমান ভাইরা এসব জেনে শুনেও তাদের মনে হচ্ছে এটাও মোহাম্মদের কোন মহান কায়কারবার। কি লজ্জার কথা, শরমের কথা। ব্রেইন কতটা ওয়াশড হলে মানুষের এ ধরনের পরিনতি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। শুধু তাই নয়-
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, ৩৩: ৫১
উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন- মোহাম্মদ যখন খুশী তার যে কোন স্ত্রী বা দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারেন আর তার জন্য অন্য স্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, অর্থাৎ সবার সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে না অথচ যা আবার তিনি তার উম্মতদের জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। অর্থাৎ তার উম্মতদের জন্য বিধান হলো- তারা চারটি বিয়ে করতে পারে তবে তাদের সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে, যদি তা না পারে তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করতে হবে। উক্ত আয়াতে শানে নুযুল হলো- মোহাম্মদ তার এক ডজন স্ত্রী ও এক ডজন দাসীর মধ্যে কাউকে কাউকে বেশী পছন্দ করতেন ও তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে বেশী আগ্রহী ছিলেন। তার মধ্যে আয়শা ও জয়নব অন্যতম, দাসীদের মধ্যে মরিয়ম। বিশেষ করে জয়নব ছিল আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারিনী। যখন তখন মোহাম্মদ তার ঘরে ঢুকে তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন। আর আয়শার সঙ্গ তার বেশী ভাল লাগত। ফলে অধিক সময় তিনি আয়শার সাথে কাটাতেন ও জয়নবের সাথে অধিক যৌন সঙ্গম করতেন। বিষয়টি তার অন্য স্ত্রীরা সহ্য করতে পারে নি। তারাও দাবী করত তাদের সাথেও মোহাম্মদ যেন সমান সময় কাটান। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। আর তাই নিজের খায়েশ মিটানোর জন্য আল্লাহর ওহী নাজিল। সহজ সমাধান ।
অবশ্য এর পরেই নাজিল হয় –
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২
ততদিনে আল্লাহর নবী মোহাম্মদকে নিয়ে তার সাহাবীদের মধ্যেই কানা ঘুষা শুরু হয়ে গেছে যে মোহাম্মদ হলো নারী লিপ্সু। সেকারনেই তিনি একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছেন। সুচতুর মোহাম্মদ তাদের সামনে নিজের ভাব মূর্তি অক্ষুন্ন রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াত নাজিল করেন। তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন, অর্থাৎ বিয়ে করতে না পারলেও যখন ইচ্ছা খুশী যে কোন দাসীর সাথে যৌন মিলন করতে পারবেন সে অপশন উনি রেখে দিলেন।মোহাম্মদের উদ্দেশ্য বৈচিত্রপূর্ন যৌন আনন্দ উপভোগ করা।সে জন্য তার দরকার নিত্য নতুন নারী। তা সে বিয়ে করেই করতে হবে এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।তাই উক্ত আয়াতে কায়দা করে বলা হচ্ছে- তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন। মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে , তিনি মহানবী হয়েছিলেন কি অগনিত নারীদের সাথে অবাধ যৌন আনন্দ উপভোগ করার জন্য? এতদিন জেনে আসা বিশ্বাস করে আসা মহান ও শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদের সাথে এ মোহাম্মদের তো কোন মিল করা যাচ্ছে না।
আলা তাবারি বর্নিত মোহাম্মদের জীবনী তে উল্লেখ আছে এ কাহিনী।একদা মহানবী তার পালিত পূত্র জায়েদের বাড়ীতে গেলেন তার সাথে দেখা করতে। জায়েদ তখন বাড়ীতে ছিল না। ঘরে তার স্ত্রী জয়নাব চামড়া রং করছিল। তার পোশাক ছিল আলু থালু। দরজার ফাক দিয়ে মোহাম্মদের নজর আলু থালু বেশে থাকা জয়নাবের ওপর পড়ল। আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারী জয়নাবকে দেখে মোহাম্মদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি হলো ও তিনি মুচকি হাসি উপহার দিলেন।অত:পর তিনি বিড় বিড় করতে করতে চলে গেলেন, জয়নাব শুধু শুনতে পারল- আল্লাহ যে কখন কার মনকে পরিবর্তন করে দেন। এর ফলে জয়নাব বুঝে গেল মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়ে গেছেন।এর পর জায়েদ বাড়ীতে আসার সাথে সাথেই জয়নাব মোহাম্মদের এ প্রেমের খবর খুব গর্বের সাথে অবগত করে।জায়েদ কাল বিলম্ব না করে মোহাম্মদের সকাশে হাজির হয়ে পেশ করে- আমি জয়নাবকে তালাক দিয়ে দিচ্ছি, আপনি তাকে বিয়ে করুন। আহা কি অপরিসীম ভক্তি তার পালক পিতার প্রতি। বোঝাই যায় জায়েদের এ বক্তব্য অতিরঞ্জিত।কারন জায়েদ মোহাম্মদকে আব্বা বলে ডাকত, লোকজনও জায়েদকে জায়েদ বিন মোহাম্মদ বা মোহাম্মদের পূত্র জায়েদ বলে সম্বোধন করত। এ জায়েদ একেবারে বাল্য অবস্থা থেকে মোহাম্মদ ও খাদিজা কে তার আব্বা আম্মা বলে জানত।তারাও তাকে পুত্র স্নেহে লালন পালন করত।অর্থাৎ তাদের মধ্যে স্বাভাবিক পিতা-মাতা ও পূত্রের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল কারন তাদের কোন পূত্র সন্তান ছিল না।জায়েদের মত জয়নাবও মোহাম্মদকে আব্বা বলে সম্বোধন করত। এমতাবস্থায় কোন মানসিকভাবে সুস্থ ব্যাক্তি তার নিজের স্ত্রীকে তার পিতার সাথে বিয়ে দিতে চাইতে পারে না। তাহলে শুধুমাত্র মোহাম্মদকে লাম্পট্য এর অভিযোগ থেকে বাঁচাবার জন্য জায়েদ সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে- বলে মনে হওয়া কি স্বাভাবিক নয়? আরও বলা হয়েছে- মোহাম্মদ শোনা মাত্রই জায়েদকে বলেন- তুমি তোমার স্ত্রীকে নিয়ে সুখে ঘর সংসার কর।অর্থাৎ জোর করে মোহাম্মদকে এখানে মহান ও নিষ্কলুষ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই পরে বলা হয়েছে- জয়নাব কোরাইশ বংশের মেয়ে ও মোহাম্মদের চাচাত বোন আর মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ের হওয়ার কথা ছিল। পরে মোহাম্মদ জায়েদের সাথে তার বিয়ে দেন । জায়েদ ছিল একজন দাস যে মোহাম্মদের সাথে বিয়ের আগে থেকেই খুব ছোট বেলা থেকে খাদিজার বাড়ীতে থাকত।দাসের সাথে বিয়ে দেয়ার কারনে জয়নাব সুখী ছিল না। অত:পর মোহাম্মদের সাথে সেই একান্ত সাক্ষাতের পর মোহাম্মদের প্রতি তার দুর্বার প্রেম বৃদ্ধি পায় ও জায়েদের সাথে তার দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ন হতে থাকে।এ থেকে রক্ষা পেতেই অবশেষে জায়েদ জয়নাবকে তালাক দেয়। এর পরেই মোহাম্মদ জয়নাবকে মহা সমারোহে বিয়ে করেন। যদি জায়েদের প্রস্তাব সত্যি হয় তাহলে সংলাপটা কেমন হবে ? এরকম হবে –
জায়েদ- আব্বা হুজুর, আপনার পূত্র বধু বলেছে আপনি নাকি তার প্রেমে পড়েছেন। আমি আপনার জন্য সব কিছু উৎসর্গ করতে পারি। তাই আমি আপনার জন্য আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই যাতে আপনি আপনার পূত্র বধুকে বিয়ে করে সুখী হতে পারেন।
মোহাম্মদ- হে পুত্র, আমার পুত্র বধুকে তালাক দিও না। তুমি তার সাথে সুখে ঘর কর।
তার মানে মোহাম্মদকে নিষ্কলুষ প্রমান করতে গিয়ে তার চরিত্রে আরও বেশী কালিমা লিপ্ত করা হয়েছে যা বোঝার বোধ মনে হয় মুমিন বান্দাদের নেই। সেটা কিভাবে? উপরের সংলাপ টি দেখলেই সেটা বোঝা যাবে ভালভাবে।কোন পরিস্থিতে পড়লে স্বয়ং পূত্রকে তার আব্বাজানের কাছে উপরোক্ত কথাগুলো বলতে হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।সভ্যতার উষা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত কোন পূত্র কোন পিতাকে এ ধরনের নৈতিকতা বিরোধী প্রস্তাব দিয়েছে বলে শোনা যায় নি।দুনিয়ায় অনেক আকাম কুকাম ঘটে তবে সেগুলোকে কেউ ভাল বলে না বা তা প্রথা সিদ্ধ বলে না, সেসব ঘটনার নিন্দাই মানুষ করে। যেমন শোনা যায়- পশ্চিমা দেশ সমূহে অনেক সময় পিতা কর্তৃক সৎ কন্যা এমনকি নিজের কন্যা ধর্ষিত হয়। এসব ঘটনা জানাজানি হলে কেউ সেটাকে ভাল বলে না, বরং প্রচন্ড নিন্দা করে যার ফলে অভিযুক্ত লোক এক প্রকার সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে।অথচ সেই একই ঘটনা ঘটিয়ে মোহাম্মদ বিগত ১৪০০ বছর ধরে মুমিন বান্দাদের কাছে রয়ে গেছেন চিরকালের সর্বশ্রেষ্ট ও আদর্শ মানুষ। যদি জয়নাব সত্যি সত্যি জায়েদের কাছে মোহাম্মদের প্রেমের কথা বলে থাকে, তাহলে মোহাম্মদ যখন জায়েদের বাড়ীতে দেখা করতে যায় তখন শুধুমাত্র দরজা থেকেই মোহাম্মদ বিদায় নেয়নি। আরও ঘটনা সেখানে ঘটেছে এবং সে ঘটনা শুধু মাত্র একদিন ঘটেছে তা মনে হয় না। কারন শুধুমাত্র মুচকি হাসি দিয়ে দরজা থেকে মোহাম্মদ বিদায় নিলে জয়নাব তার স্বামীর কাছে গর্বের সাথে বলতে পারত না যে – মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েছেন।বিষয়টি মিথ্যা হলে জয়নাবের জীবনের জন্য তা ভীষণ সমস্যার কারন হতে পারত, নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার কারনে তার মাথা কাটা যেতেও পারত। তাই প্রেমে পড়ার ব্যপারটিতে জয়নাবকে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হয়েছে।সে নিশ্চয়তা পেতে তাকে মোহাম্মদের সাথে শুধু একবার নয় বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাত করতে হয়েছে বা তাদের দেখা সাক্ষাত হয়েছে।অবশেষে মোহাম্মদকে তার নিজের মনের কথা অকপটে বলতে হয়েছে জয়নাবের কাছে।আর তার পরেই বিবাহিতা জয়নাব নিশ্চিত ভাবে তার স্বামীর কাছে তালাকের কথা বলতে পেরেছে। সব দিক বিবেচনায় মোহাম্মদই যে এ অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পুরোপুরি দায়ী – এ সন্দেহ কি অমূলক ?
আমাদের মহানবী তার এ কর্মকান্ডকে জায়েজ করতে গিয়ে তিনি আল্লাহর বানীকে যে ভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন, একজন সাধারন বোধ সম্পন্ন মুমিন বান্দা যদি তা মনযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে তার সহজেই সন্দেহ হবে যে ওগুলো কিভাবে আল্লাহর কথা হতে পারে।যেমন-
আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন। কোরান, ৩৩: ০৪
মনে হয় যেন ওগুলো আল্লাহর কথা নয়, বরং মনে হয় মোহাম্মদ তার ব্যক্তিগত যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য অকাতরে বিনা দ্বিধায় আল্লাহর ওহীর নামে বলে দিচ্ছেন- তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করেন নি। বাক্যটি যে সত্যি সত্যি মোহাম্মদের তা কিন্তু বাক্যটির গঠনের দিকে তাকালেও বোঝা যায়। আল্লাহর কথা হলে এটা হতো এরকম – আমি তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করিনি।আসলে জয়নাবের সাথে মোহাম্মদের অবৈধ এ প্রেম, যদি সত্য না হতো তাহলে মোহাম্মদ তা গোপন বা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।কিন্তু ততদিনে মোহাম্মদ মদিনাবাসীর ওপর তার নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছেন। তার বিরুদ্ধে সামান্যতম কথা বলারও কেউ নেই। এমতাবস্থায়, মোহাম্মদ তার এ গোপন বাসনা গোপন না করে তা প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা থেকেই আসলে তার এ ওহী নাজিল।আর তার বলি হয়েছে দত্তক সন্তান পালন করার এক মহান কাজ।যারা নি:সন্তান তারা বঞ্চিত হয়েছে সন্তান দত্তক নেয়া থেকে , অনেক এতিম শিশু বঞ্চিত হয়েছে প্রেম ভালবাসা পূর্ন পরিবেশে মানুষ হওয়ার সুযোগ থেকে।বর্তমানে ইসলামি পন্ডিতরা এর সপক্ষে বক্তব্য দিয়ে বলে- সন্তান দত্তক নিলে পরে দত্তক পিতার পৈত্রিক সম্পদের বন্টন নিয়ে সমস্যা হয়।সেকারনেই মোহাম্মদ এ কাজটি করেন।কিন্তু আলোচ্য বিয়ের সাথে কোথাও এ সম্পদ বন্টনের কোন সমস্যা জড়িত নয়।সবার জানা আছে- নবী যখন বিপদে পড়তেন, তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করতেন।আর সাথে সাথেই আল্লাহ ওহী নাজিল করতেন। এ ওহী নাজেল হয় যখন মোহাম্মদ জয়নাবের সাথে সমস্ত রকম সভ্যতা ও নীতি বিগর্হিত প্রেমে লিপ্ত হন তখন। তা ছাড়া, যে লোক একটা এতিম বাচ্চাকে একেবারে শৈশব থেকে নিজের বাচ্চার মত মানুষ করে যুবকে পরিনত করল, অত:পর এক ঝটকায় তাকে মুখের ওপর বলে দেয়া হলো- সে কেউ না। বিষয়টা কি চরম অমানবিকতা পূর্ন নয়? বরং কোরানের আয়াত যদি বলত- যাদেরকে তুমি পোষ্য করেছ তারা তোমার নিজের সন্তানের মত ও তারা নিজের সন্তানের মতই সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবে। তাহলেই তা হতো সত্যিকার আল্লার বানীর মত কথা, মানবিকতা ও সামঞ্জস্যপূর্ন। বলা হচ্ছে- ইসলাম তো সন্তান দত্তক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে, তার পর তো এ সমস্যা আর হতে পারে না।কিন্তু প্রশ্ন হলো- মোহাম্মদের প্রশ্ন বিদ্ধ আকাংখার কারনে এ ধরনের একটা মহান কাজ নিষিদ্ধ হবে কেন ?
উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও মদিনাবাসী কানুঘুষা করতে থাকে মোহাম্মদের এ হেন অনৈতিক কাজের, যদিও সরাসরি এ নিয়ে মোহাম্মদের সাথে কথা বলার কোন সাহস আর তাদের ছিল না। ফলে আল্লাহও আর দেরী করেন নি , সাথে সাথে জিব্রাইলকে দিয়ে নিচের সূরা পাঠিয়ে দিলেন:
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে। কোরান, ৩৩: ৩৭
উক্ত আয়াত খুব পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ করছে যে মোহাম্মদ শুধু মাত্র সাধারন মদিনাবাসীর কানাঘুষা বন্দ করার জন্যই আল্লাহর নামে এ সুরা নাজিল করেন।এখানে বলা হচ্ছে- আল্লাহ ও মোহাম্মদ উভয়ের অনুগ্রহ জায়েদের ওপর ছিল ও মোহাম্মদ জায়েদকে তার স্ত্রীকে তার কাছে রাখতে বলেছিলেন।অর্থাৎ মোহাম্মদের কোনই দোষ নেই। কিন্তু আসল বিষয় হল ভিন্ন। মোহাম্মদ লোক নিন্দার ভয়ে তার অন্তরের কথা গোপন করছিল।তার মানে মোহাম্মদের মনের ভিতর ভিন্ন খায়েশ ছিল যা সে লোক নিন্দার ভয়ে প্রকাশ করছিল না। এর সোজা অর্থ – উপরে উপরে মোহাম্মদ জায়েদকে বলছে তার বউকে নিজের কাছে রাখতে , কিন্তু ভিতরে সে পোষণ করছে বদ মতলব- কিভাবে জয়নাবকে তাড়াতাড়ি নিজের করে পাওয়া যায়। আহা , মহানবীর চরিত্র কি ফুলের মত পবিত্র! ভিতরে এমন মতলব পোষণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ না নিলে জায়েদ তার বউকে পরে তালাক দিত না। কারন নবীর আদেশ অমান্য করার মত সাহস জায়েদ বা জয়নাব কারোরই ছিল না। বলা হয়- জয়নাবই তাদের দাম্পত্য জীবন অশান্তি ময় করে তোলে, তাই জায়েদ তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু গোপনে গোপনে মদিনার বাদশাহ মোহাম্মদ যদি জয়নাবকে আশ্বাস ভরষা দিতে থাকে, পরকীয়া প্রেমে উৎসাহ যোগায় জয়নাব কেন জায়েদের জীবনকে সুখী করবে? যাহোক, শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদের খায়েশেরই জয় হলো, কারন স্বয়ং আল্লাহই তাকে তার যাবতীয় খায়েশের সহযোগীতাকারী।এমন সহযোগীতাই করল যে – পরে জয়নাব , মোহাম্মদের সাথে তার বিয়েকে আল্লাহর ঘটকালির বিয়ে বলে অহংকার করত।আল্লাহর নাম করে চালিয়ে দেয়া এসব অনৈতিক কথা বার্তা ও কাজকর্ম আমাদের মুমিন বান্দাদের সামনে তুলে ধরলেও তাদের কোন বিকার নেই, নেই কোন বোধদয়। কারন তাদের বুদ্ধি ও বিদ্যা সব তারা সেই ১৪০০ বছর আগের মোহাম্মদের নিকট বন্দক দিয়ে রেখেছে। যাহোক, জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিল ও মহা ধুমধামে মোহাম্মদ ও জয়নাবের বিয়ে হলো।ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকল না। বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া হলো সকল মুমিন বান্দাদের ওপরও।অর্থাৎ কোন মুমিন বান্দাই আর কোন সন্তান দত্তক নিতে পারবে না।
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২
আবু জাহেল ছিল মূর্খের পিতা। আর নামের এই ব্লগার হল জ্ঞান হীন মূর্খ। আসলেই এই ব্লগার ভবঘুরে কারন এদের ইহকাল ও পরকাল কোথাও কোন সম্মান নাই। >> তোর পুরো লেখা আমি পড়ি নাই । তবে প্রথম দিকের একটা মিথ্যা কথার বিষয়ে বলছি >> রাসুল (সঃ) যদি খাদিযাকে সম্পদের জন্য বিয়ে করেন নাই। বিয়ে হয়েছিল রাসুলের প্রস্তাবে নয় বরং খাদিযার প্রস্তাবে। এবং বিয়ের পড়ে খাদিযার সব সম্পদ রাসুল ইসলামের প্রছারে ও মানব কল্যাণে খরচ করেন।
>> রাসুলের চরিত্র নিয়ে কাফিররাও কোনদিন কোন প্রশ্ন তুলেন নাই। বরং নবুয়াত-এর অনেক পূর্বেই আল-আমিন উপাধি পেয়েছিলেন।
>> রাসুলের উত্তম চরিত্রের সনদ দিয়েছেন আল্লাহ্ নিজে।
যে কোন. বিষয়ে দুই রকম ব্যাখ্যা করা যায়. গালি দিতে না পারায় ব্যাথিত
মদিনায় রাষ্ট্র গঠন করার পর তিনি যে ক্ষমতা পেয়েছিলেন তাতে তিনি চাইল ধনাঢ্য যুবতী সুন্দরী কুমারী নারী সহযেই বিয়ে করতে পার্তেন। এটার বেখ্যা কি হতে পারে???
হেলাল, ধন্যবাদ আপনার লিংক টির জন্য। আমি মূলত এই ঘটনাটি ধর্মকারীর এই কার্টুন টা থেকেই জানতে পেরেছি এবং যারপর নাই অবাক হয়েছি, যেই নবীকে জানতাম ফেরেশতা থেকেও পবিত্র… তার ব্যপারে এমন ঘটনা… আমার আক্কেলগুডুম অবস্থা। যাকগে, ঐ লিংকে কিন্তু EXACTLY মিথ্যা বলে বউকে বাবার বাড়ি পাঠানোর ঘটনাটির কোন হাদীস রেফারেন্স তারা দেননি। আমি তন্ন তন্ন করে খুজেছি। তারা শুধু কার্টুনে ঘটনাটি উল্লেখ করেছে। এখন আমি যদি কোন মুমিন বান্দাকে ঘটনাটি বলতে চাই, অবশ্যই এই কার্টুনকে রেফারেন্স হিসেবে বললে হবে না, দরকার সহীহ হাদীস রেফারেন্স যেমন
..”… অমুক হইতে বর্ণিত..একদা নবী… তাহার বউকে বলিলেন যে, যাও তোমার বাবা তোমাকে যাকছেন.. এরপর তিনি ব্লা ব্লা …. করলেন….” — এমন কোন হাদীস রেফারেন্স। এরকম কোন রেফারেন্স আছে কি ? মানে আমরা কিভাবে শক্ত ভাবে শিওর হতে পারব যে নবী আসলেই মিথ্যা কথাটি বলেছিলেন ?
দুঃখিত আগের মন্তব্যে লিংকটি আসেনি।
http://www.dhormockery.com/2011/02/blog-post_456.html
স্বঘোষিত অতিথি,
রেফারেন্স সহ এ বিষয়ে একটি মজার কার্টুন আছে এখানে
@হেলাল,@স্বঘোষিত অতিথি,
এখানে দেখুন মূল কার্টুনটি, রেফারেন্সসহ।
বোনাস হিসেবে পাবেন যয়নাব এর কার্টুনটিও।
লেখক, আপনার সিরিজগুলো আমি পড়ছি এবং রীতিমত ফ্যান হয়ে গেছি। বাই দ্য ওয়ে, তথাকথিত নবী মুহম্মদ যে তার বিবি হাফসা কে মিথ্যা কথা বলে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়েছিল যেন সে মারিয়ার সাথে বিছানায় যেতে পারে। এ ঘটনা টি আমি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখেছি, কিন্তু এ সংক্রান্ত একটি হাদীস রেফারেন্স আমার দরকার যেন যারা বিশ্বাস করে যে মুহম্মদ কখনও মিথ্যা বলত না, তাদের কে এই রেফারেন্স টা দেখানো যায়। আপনার কাছে কি এর হাদীস রেফারেন্স টা আছে ?
ধন্যবাদ
আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আমার একটি নির্দোষ মন্তব্য থেকে এহেন গালিগালাজের উদ্ভব হল। অনেকটা বাটারফ্লাই ইফেক্ট এর মতো।
ভবঘুরে, আপনি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কেন ওই শব্দগুলো বলেছেন।
আমি আশা করি যে আপনার মতো লেখকদের একটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মুসলিমদের সঠিক তথ্যটা জানানো। কিন্তু আপনি যে কারনেই হোক না কেন যদি গালিগালাজের আশ্রয় নেন তাহলে তারাতো আপনার কথা শুনবেই না বরং স্বাভাবিকভাবেই উল্টো প্রতিক্রিয়া হবে। তাই আমার বিনীত অনুরোধ ভবিষ্যতে গালির আশ্রয় নিবেন না।
@সফ্টডক,
ভাই সরাসরি এত-বড় লজ্জা দিতে পারলেন? এতগুলো সার্টিফিকেট কেমনে পাল্টাই, সহজ পথ জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন। কে চায় হিটলার, চেঙ্গিস, মোহাম্মদ ইত্যাদি ব্যক্তির নাম নিজের নামের সাথে লাগিয়ে জনসমক্ষে ঘুরে বেড়াতে। ছি! ছি!
@হেলাল,
আর বলবেন না ভাই, আমারও আপনার মতো অবস্থা, বাচ্চাদের নামের বেলা আর এ ভুলের পুনরাবৃত্তি করি নি। 🙂
@ভবঘুরে,
মুসলমানদের মধ্যে মুহাম্মদ নাম রাখার প্রবণতা খুব বেশী। আরবদের মধ্যে এ প্রচলন রয়েছে। দেখা যায় বাবা পুত্র দু’জনেরই নামই হয়তো মুহাম্মদ। স্বভাবতঃই আরবদের মধ্যে নবী মুহাম্মদের চরিত্রের প্রতিফলন আছে।
দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা বাঙালীরাও এ ফুলেল চরিত্রের প্রতি গদগদ হয়ে মুহাম্মদ নামকরণ করে যাচ্ছি। শুধু বাবা বা পুত্র নয় সকল জনগোষ্ঠির নামকরণই করছি শুরুতে মুহাম্মদ দিয়ে যার প্রচলন এমনকি গোঁড়া আরব দেশগুলিতেও নেই।
আমার মনে হয় ধর্ম সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে গেলে সেই ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞ্যান থাকা আবশ্যক। আমাদেরকে আগে আরবী ভাসার কোরআনও হাদিসে কি আছে তা ভাল করে জানতে হবে।এবং একই সংগে নবীর সম্পূর্ন জীবনের ঘটনা ও ইতিহাস জানতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট সুযোগ ও মুল্যবান সময় ব্যয় করার।আমাদের কয় জনের সে সুযোগ হয়ে থাকে?
আমরা কয়জনে এটা জানি যে নামাজে দিনে ৫ বার কি বলতেছি অথবা জুমা বা ঈদের খুতবায় ইমাম সাহেব আমাদেরকে কি বলছেন।
তারপর আবার মিঃ লাদেনরা তো পারলে সম্ভবতঃ আমাদেরকে ১ টি আনবিক বম্ব মেরেও উড়িয়ে দিতে এতটুকু ও দ্বিথাবোধ করবেন না।
আমরা কোথায় পৌছে গেছি এবং কার কারনে পৌছেছি এটা ভাববার প্রোয়জন আছে কি?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
প্রিয় ভবঘুরে,
আপনি আমিনুল হক সাহেবকে যে ভাষায় উত্তর দিয়েছেন, তা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং সম্পূর্ণভাবে মুক্তমনার নীতিমালা বিরোধী। এ বিষয়ে আপনাকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ রকম ভাষা ব্যবহার করে কাউকে উত্তর দিলে আপনাকে মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আপনার ওই মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হলো।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধ্নন্যবাদ এডমিঙ্কে। মুল লিখাটি কিন্তু এখনও ২য় আগস্ট এর পোস্ট এ আছে।
আমার এক খুব প্রিয় এবং কাছের এক বড ভাই এর পরামশে একটা লিখা লিখেছিলাম মুক্তমনায় ২০০৬ এ। আমি জানীনা ঐ প্রিয় বড় ভাইটি মুক্তমনায় আছেন কিনা। কারন উনার মত মননশীল মানুষ এ গালি-গালাজ এর মধ্যে স্বস্থি পাবেননা, আমি নিশ্চিত। ঐ লিখাটা খুজতে মুক্তমনাই ২০১১ এ আসা । লিখাটা আমার কম্পুউটার এ পেয়েছি। আলহামদল্লীল্লা।
ধন্যবাদ মডারেটরদের। সালাম। বিদায়।
আমিন,
আছি আমি এখনও মুক্তমনায়।
কোনো ধরনের গালিগালাজকেই মুক্তমনায় প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। তোমার সাথে যেটা ঘটেছে, সেটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। আশা রাখি যে, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না।
ইন্টারনেট এক আজব জায়গা। অদৃশ্যমানতা এবং সরাসরি পরিচয়হীনতার কারণে মানুষের আসল চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা গড়ে উঠার ঝুঁকি থেকে যায় সবসময়ই। তোমার ক্ষেত্রেও সেরকমটাই ঘটেছে। চলে না গিয়ে লেগে থাকো মুক্তমনায়। দেখবে এখানেও মননশীল মানুষের অভাব নেই।
আসুন আমরা কোরানকে নিজের ভাষায় পাঠ করি ও সাচ্চা জ্ঞানী মুমিন মুসলমান হই।
ও আ্ল্লা গো ভবঘুরে সাচ্চা মুসলমান হতে চায়। এখন সে তলোয়ার নিয়া ধৌড়ানি দিলে কে রক্ষা করবে। শুনেছি সাচ্চা মুসলমানরা বিধর্মীদের ধৌড়ানি দিয়া পেছন দিয়া কুপ মারে। ছেলেটা এমন আতংকজনক কথা কেমনে কৈল।
ভাই
কিছু মানুষ যখন নিজেকে নাস্তিক দাবি করেন তখনও আমি তাদের নাস্তিক ডাকিনা। কারন কে জানে কার কি হবে! কিভাবে বলব যে তিনি একদিন আমার চেয়ে ভাল মুসলিম হবেন না। ওমর (রাঃ) রাসুল (সঃ) কে খুন করতে এসেছিলেন। সুতরাং, কেউ হাদিস কোরআন এর বিরুদ্দে দু কলম লিখলেই তার উপর রাগ করতে হবে, গালি-গালাজ করতে হবে, তাকে পর ভাবতে হবে এটা আমি করিনা।
সুতরাং, সবাইকে সালাম।
@Aminul Haque,
ভাল কথা বলেছেন। রাগ নয় , বরং মনটা উন্মুক্ত করে কোরান হাদিস পড়ুন, ভাল করে চিন্তা করুন,আশা করি আপনারও দিল মন ও চোখ সব খুলে যাবে, তখন জানতে পারবেন আসল সত্য। সেটাই আন্তরিকভাবে কামনা করি।
@ভবঘুরে,
আপনার মন দিল উন্মুক্ত হয়েছে; দিল, মন, ও চোখ সব খুলে গেছে তাই বলে অন্যদের লিখায় যা তা লিখার কন মানে হয়না।
মাহে রমজানের আহবান
পবিত্র রমজান মাস সমাগত। মুমিন বান্দারা সবাই সিয়াম সাধনা শুরু করবেন, একই সাথে সারা মাস ধরে কোরান খতম করবে অর্থাৎ কোরান পাঠ শেষ করবেন। আমি সবাইকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন কোরান আরবীতে পড়ার সাথে সাথে বাংলা অনুবাদটাও পড়েন। ইসলামকে জানার এর চাইতে মহত উপায় আর নেই। যাদের মাতৃভাষা আরবী না, বা যারা আরবী পড়ে অর্থ বুঝতে পারেন না , তাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় আরবী কোরানের মধ্যে কি লেখা আছে। কোরানে কি লেখা আছে তা জানার জন্যে হলেও কোরানকে মাতৃভাষায় পড়া উচিত। তোতা পাখীর মত কোরান পড়ে কোন লাভ নেই, আর তাতে ভাল মুমিন মুসলমান হওয়াও যায় না। তোতাপাখীর মত কোরান পাঠকারী জ্ঞানী মুসলমান নয় , এদের মত লোকরাই মুক্তমনার মত সাইটে এসে অপ্রাসঙ্গিকভাবে অশ্লীল গালি গালাজ করে দৌড়ে পালায়। তাই আমার আহবান , আসুন আমরা কোরানকে নিজের ভাষায় পাঠ করি ও সাচ্চা জ্ঞানী মুমিন মুসলমান হই। আমিন।
@ভবঘুরে,
বাংলায় কোরআন পডার মজা অনেক। বাংলা টা পডা উচিত।
@ভবঘুরে,
আমিন।
মুসলিম হলেই কি ইসলাম বিরোধী কোন লেখা না পড়ে গলা ফাটিয়ে, চিৎকার করে, হাত-পা ছুড়ে, চুল টানাটানি করে. অশ্লীল-আক্রমণাত্মক গালিগালাজ করে অন্তরের জ্বালা মিটাইতে হবে?
গালিবাজদের কেউই মনে হয় লেখাটি পড়েনি বা গালি দেয়ার আগে চিন্তাও করেনি কিভাবে লেখাটির ভুল ধরা যায়।
এখানে যারা মুক্তমনা (নাস্তিক), তাদের অনেকেই মুসলিম ছিল এক সময় এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন এখনও মুসলিম। সুতরাং এখানে ব্রেভিকের মত মুসলিমদের শত্রু হিসেবে কেউ দেখেনা। মুক্তমনায় নিয়মিত না থেকে, কোন লেখা না পড়ে, ব্লগে নিজেকে লুকানোর সুযোগ নিয়ে ফুরত করে এসে কুৎসিত গালাগালি করে চলে যাওয়া ভাল মানুষের কাজ নয়। মুসলিম হলেও ভাল বিবেক সম্পন্ন মানুষ হতে তো চেষ্টা করা উচিত।
দারুন একটা সিরিজ লেখতেছেন ভাই। (Y) (Y) (Y)
আমি কোরান পড়িনি আর ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অধিকাংশই জেনেছি মুক্তমনার মধ্য দিয়েই।
মুসলিম ভাইদের বলছি ঠিক আছে মানলাম ভবঘুরে নিজে কিছু কাহিনী বানিয়েছে। কিন্তু এটাতো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে মুহম্মদ খাদিজা, জয়নাব আর আয়েশাকে বিবাহ করেছেন। আচ্ছা খাদিজার কথা বাদ দিলাম। ধরলাম এক্ষেত্রে খাদিজার সম্পত্তির উপর মুহম্মদের কোন লোভ ছিল না।
তাহলে জয়নাব আর আয়েশাকে বিবাহের ক্ষেত্রে আপনারা কি বলবেন?
কোন মুসলিম ভাই শুধুমাত্র আমাকে মুহম্মদের জয়নাব আর আয়েশাকে বিবাহের যৌক্তিকতাটুকু বুঝিয়ে দেন। আমি তাহলে ভবঘুরের একটা কথাও বিশ্বাস করব না।
আসুন আমরা গালাগালির পন্থা ত্যাগ করে যুক্তির পথে আসি।
@রনবীর সরকার,
ভবঘুরে কে আপনি বুঝাতে পারবেন না, আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না, আপনি আমাকে বুঝাতে পারবেন না । আর কাউকে বোঝানোর মত কিসু নাই! আমরা কেউ কাউকে বুঝাতে পারব না, যতক্ষন না নিজে বুঝবো । আমি শুনেছি যে চন্দ্র দিখন্দিত করে দেখানোর পরও অনেকে বিশ্বাস করেনি।
সবার শুভ কামনায়।
@Aminul Haque,
আমি কিন্তু ভবঘুরের সহজ কথাগুলো ঠিকই বুঝতে পেরেছি। আর ওগুলো না বুঝার মতো কথাও নয়।
এবার আমি শুধু এটা আপনাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে একটি শিশুকে বিবাহ করার ক্ষেত্রে আপনারা কি যুক্তি দেখান। আর নিজের পালিত সন্তানের স্ত্রীকে বিবাহ করার ক্ষেত্রেই বা কি যুক্তি আছে?
পৃথিবী থেকে হাতের ইশারায় চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করা অসম্ভব। আচ্ছা ঠিক আছে ধরে নিলাম মুহম্মদ চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছে। বিশ্বাসও করলাম। তারপরও বলছি আমি একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ বলব তার ক্ষমতার জন্য না, তার চরিত্রের জন্য।
ভবঘুরে আপনাদের প্রিয় নবীর চরিত্রে কালিমালেপন করেছে। আপনাদের কি উচিত নয় যুক্তি দিয়ে সেই কালিমা দূর করা? তারপর যদি ভবঘুরে, আমি বা অন্যান্যরা না বুঝে তখন হয়ত আপনি বলতে পারেন
“ভবঘুরে কে আপনি বুঝাতে পারবেন না, আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না, আপনি আমাকে বুঝাতে পারবেন না । আর কাউকে বোঝানোর মত কিসু নাই! আমরা কেউ কাউকে বুঝাতে পারব না, যতক্ষন না নিজে বুঝবো ।”
@রনবীর সরকার,
“ভবঘুরে …… চরিত্রে কালিমালেপন করেছে” আমি কখনো বলিনি। আপনি বলছেন ভবঘুরেকে যে উনি ……চরিত্রে কালিমালেপন করেছেন । আর ভাই আমি কাউকে বোঝানোর জন্য এখানে লিখিনা। কাউকে অসমমান করার জন্যও লিখিনা। যার যা খুশি সে তা লিখবেন।
যদিও আমি অন্ধ, বিদ্যার দোড কম, নিজের চরকায় তেল দিতে মনযোগী হওয়া উচিত বলে উপদেশ পেয়েছি। এবং আমি তা সানন্দে গ্রহন করেছি। আবার ও বলছি যার বুঝ তার কাছে ভাই।
@Aminul Haque,
রণবীর সরকার দুটো বিষয়ের যৌক্তিকতা বুঝতে চেয়েছিলেন- আয়শা ও জয়নাবকে মোহাম্মদের বিয়ে করা। আপনি সেদিকে না গিয়ে দার্শনিক ভাব নিয়ে এসব ফালতু কথা বললে কোন লাভ হবে ? পারলে উনি যা জানতে চেয়েছিলেন তার উত্তর দিন। আমরাও সেটা জেনে আমাদের ভুল সংশোধন করে তওবা করে সাচ্চা মুমিন বান্দা হয়ে যাই।
@ভবঘুরে,
please be polite. আমি বিনীত ভাবে বলেছি যে আমি কাউকে বোঝাতে এখানএ আসিনি। আপনার কান-এ একথা যাই-না ভাই। কাউকে দার্শনিক ভাব ,,,,,ফালতু কথা বলছে বলতে খারাপ লাগেনা। অবশ্য অনেকে এ শিক্ষা গ্রহন করেনি। আপনার মনে রাখা উচিত যে আমি আপনার মুরিদ হতে আসিনি। রেফেরেঞ্চে রেফেরেঞ্চে করছেন, প্রমান প্রমান করছেন ভাই আপনে করেন। খুব যদি আপনের মেধা, যুক্তি রেফেরেঞ্চে টগবগ করে তা হলে world famous journal এ প্রকাশনা করেন ১৫০০ বসর এর ইতিহাস পালটে ফেলেন। এ যাবত কতটা world famous journal এ লিখেছেন ভাই। আত রেফেরেঞ্চে রেফেরেঞ্চে করছেন। নাকি মুক্তমনা তে লিখেই বিদ্যার বাহাদুরি তে কাউকে মাঞ্চেন না। কিন্তু অন্যের লিখা নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের যে সভাব তা পরিহার করবেন ।
আমি আবার ও বলছি কাউকে বোঝাতে এখানএ আসিনি। আর আপনি যে ভাবে বুঝবেন সবাইকে সে ভাবে এবং সেভাবেই বুঝতে হবে তা মনে হয় থিক না। আর সত্য প্রকাস সত্য প্রকাশ করছেন কিন্তু নিজের নাম এর সত্য প্রকাশ করার সাহস কেন আপনার নাই
@রনবীর সরকার,
ভাই রনবির সরকার এখানে কেও ইসলামিক পণ্ডিত না । সবাই ইসলাম বিরুধি কথা বলে। কি করে আপনি ইসলামের আসল কথা জনাতে এবং শিখতে পারবেন এখান থেকে !!!!!!!!!!
আপনাকে আমি ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি এবং কুরআন পড়ার আহবান করছি।
এখানে যত গুলি কুরআন এবং হাদিস এর কথা বাংলায় লিখা আছে টা সব ভুল লিখা আছে। ভুল ব্যাখ্যা দেয়া আছে। কুরআন এর আয়াত নাযিল হয়েছে মানুষকে শিখানের জন্য এবং রাসুল (সাঃ) হল উত্তম এবং আদর্শ।
ভাই ভবঘুরে আমি আপনার লিখা পরেছি আর কুরআন পরেছি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আসলে আপনি একজন মুক্তমনা মানুষ নন আপনি ইসলাম বিরুধি মানুষ।
মুক্তমনা মানুষ হল সত্যি কথা মেনে নিয়ে পালন করবে। একতরফা কথা বলবে না। ভরা কাপ নিয়ে কখনও কিছু শিখতে যাবেন না।
http://quraanshareef.org/tafseer/index.php?page=1081
এখানে আপনি আপনাদের সকল ব্যাখ্যা পাবেন ভবঘুরে যত গুলি আয়াত এর নংরা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইসলামকে ছোট করার জন্য আপনারা এই লিখা পড়ে খুসি হয়েছেন তাদের মন খারাপ হয়ে যাবে সত্যি কথা জেনে । দয়া করে পরবেন।সত্তের সন্ধান পাবেন।
আল্লাহ আপনাদের সহায় হন।
** একটা ঘটনা লিখে শেষ করি।
একদিন এক নাস্তিক হযরত আবু বাকার (রাঃ) কে আল্লাহ আছে কি নাই এই বেপারে প্রশ্ন করলো । প্রশ্নের উত্তরে আবু বাকার (রাঃ) বললেন যদি আপনার কথা সত্যি হয় যে আল্লাহ নাই তাহলে আমার জীবনের ৬০-৭০ বছর কষ্ট পাবো। দিন দুনিয়ার আনন্দ বেদনা থেকে বঞ্ছিত হব কিন্তু যদি আল্লাহ থেকে থাকেন তাহলে আপনার অনন্ত কাল নরকের আগুনে জ্বলবেন । এখন আপনার ইচ্ছা কি করবেন।
বাকিটা আপান্দের ইচ্ছে।
ধন্যবাদ
সনেট
😀
@সনেট,
আপনার শেষ কাহিনীটার রেফারেন্স দেবেন? কোথায়, কোন বই? গল্পটার সাথে Pascal’s Wager মিল আছে, তাই জানতে চাচ্ছি। আর ইয়ে, এসব যুক্তি আমরা জানি। হিচেন্সের জবাব আপনার ভাল লাগতে পারে
httpv://www.youtube.com/watch?v=X94YffpUryo
@রৌরব,
http://www.youtube.com/watch?v=X94YffpUryo
@সনেট,
আবু বকর ছিল একটা আস্ত গবেট। তা না হলে সে কি করে শোনা মাত্রই বিশ্বাস করল যে মোহাম্মদ তার গোপন প্রেমিকা উম্মে হানির ঘর থেকে রাত্রি বেলায় উড়ে গিয়ে সাত আসমান ভ্রমন করে আল্লাহর সাথে দেখা করে এসেছে? মাথায় যার সামান্য ঘিলু আছে সে এরকম উদ্ভট আর গাজাখুরি গল্প বিশ্বাস করতে পারে ? আবু বকরের একবারও মনে হলো না যে- কাবা শরিফে রাত কাটানোর সময় যদি মোহাম্মদ উড়ে গিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করতে যেত তাহলেও তার একটা ন্যুনতম গ্রহন যোগ্যতা থাকত। কিন্তু না , মোহাম্মদ চুপি চুপি রাতের বেলা উম্মে হানির ঘরে ঢোকে, ভোর বেলাতে সাহাবীরা তাকে সেখানে আবিষ্কার করার পর , অর্থাৎ হাতে নাতে ধরা খাওয়ার পর মোহাম্মদ হঠাৎ করে সাত আসমানে উড়ে যাওয়ার গল্প ফাদে। আর তা যে লোক বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করে সে কি আস্ত একটা মূর্খ নয় ? আপনি তার কাহিনী দিয়ে দোজখের আগুনের ভয় দেখাতে আসছেন ? আপনার অবস্থা দেখে সত্যি করুণা হচ্ছে। এ কাহিনী পর্ব-১ ও পর্ব -২ তে ভাল করে বর্ননা করা আছে রেফারেন্স সহ , দয়া করে পড়ে নেবেন।
@সনেট,
তাহলে সঠিক টা কি সেটা প্রকাশ করে দিন। আমরা সেটা জেনে ভুল স্বীকার করে তওবা করি।
যে লোক ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে করে , তার সাথে ৯ বছর বয়েসে স্বামীর মত আচরন করে, ক্ষমতায় যাওয়ার পর একের পর বিয়ে করতে থাকে , পালক পূত্রের স্ত্রীকে নানা ছলা কলায় বিয়ে করে বিছানায় নেয়, যে লোক তার বিরুদ্ধে সামান্য তম কথাকে মৃত্যুদন্ড যোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য করে – এ ধরনের লোক আদর্শ হতে পারে একমাত্র যারা অসভ্য ও বর্বর তারাই। কোন সভ্য মানুষের কাছে এ ধরনের লোক কোনদিন আদর্শ হতে পারে না।
@ভবঘুরে,
ইয়ে মানে আরো অসামান্য থেকে সামান্য যোগ করে দিলে চতুর্দশপদীকে হয়ত সহি হেদায়েত করা হোত, এই যেমন ক্রিতদাসী সহবতের লাইসেন্স, হালাল ভাবে বৌ পেটানো এবং তালাক পদ্ধতি, স্ত্রীকে শস্যক্ষেত্র ভেবে উৎপাদন কাজে যথেচ্ছ ব্যাবহার করা ইত্যাদি ইত্যাদি আরকি। তেনারা কিন্তু মোখতাসার খুবই পছন্দ করেন।
@কাজী রহমান,
আরো আছে ভাইজান যেমন – মু-তা বিবাহ, হি-ল্লা বিবাহ।
নবীর দেশের সাচ্ছা মুসলমানদের কান্ড কিন্তু পুরাই ইসলামী শরিয়ত মতে দেখুন
@লাইট ম্যান,
উদাহরণের তো কমতি নেই মোটেও, প্রমোদের এমন মহাম্মদি লাইসেন্স থাকতে খলিফার মানা শোনে কে?
হালাল সহবতবাজির সৌদি কাম দেখলাম, এখন বাংলা হুজুরেরা দেখলেই হয়েছে, ব্যাপক মুতা শুরু হয়ে যেতে পারে।
@সনেট,
আমি এই কাজটি শুরু করেছি ১৯৯২ সাল থেকে। একজন সাথী পেয়ে ভাল লাগছে (!)। কিছু কোরান সংগ্রহ করে বিলিয়েছি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে (মুসলিম সহ)। আমাকে যিনি ধর্মান্তরিত করার দাওয়াত দিতে এসেছিলেন ৯/১১ এর মাত্র দেড় মাস পরে, তাকে কোরান পড়ে দেখা করতে বলেছিলাম। পার্টিতে দেখা হয় কিন্তু আর দাওয়াত দেন না। আমার প্রচন্ড সন্দেহ আছে – আপনি নিজেও কোরান পড়েননি। পড়ে বলবেন আপনার সাথে কথা আছে।
@রনবীর সরকার,
আপানার সাধু কথায় ধরা দিলাম; দেখি আপনে ভগবুরে আর মোনা ভাইদের থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেন কিনা ,
১. মা জয়নাব,তিনি সাগ্রহে বিবাহ করেছেন , আগের বিবাহ তালাক নেয়ার পর । কেন রাসুল বিয়ে করল ? কারন এ দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি হল , পালক ছেলের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী কে বিয়ে করা যায় ।এটা ইসলাম পূর্ব জীবনের বিধান কে খণ্ডন করে । বাজে কথার দিয়ে কোন লাভ নাই , জয়নাব কে তো আগেই বিয়ে করতে পাড়তেন ,যখন জায়াদের সাথে বিয়ে দিলেন…পরে রুপ তো আলাদা করে বাড়ার কিছু নাই।
২ . মা আশেয়া , তাকে তার বাবা মা বিয়ে দিয়েছিলেন । ৯ বছর বয়সে উনি রাসুলের ঘড়ে গেলেন , যদি ধরে নেয়া যায় রাসুল তাকে রেপ করছে , তবে বড় হয়ে তিনি এর প্রতিবাদ না করে শুধু গুণগান ই গাইলেন কেন। মা আয়েশা তো খলিফাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে উদ্দত হয়েছিলেন , তার ছিল বিশাল প্রতাপ , তাও তিনি কেন রাসুলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন নি? কোন মেয়ে কে যদি কেউ রেপ করে , ছোট বয়েসে , বড় হয়ে কি সে তাকে ভালবাসবে কখনো …..অথচ ইতিহাস দেখে মনে হয় তিনি সারা জীবন তাকে শুধু ভালই বেসে গেছে , কোন রেপিষ্টকে কি কোন রেপড হওয়া মেয়ে ভালবাসে…..
N.B: রেফারেন্স দিতে পারলাম না , আসুবিধা নাই , ছাপা হলে , আমার কথা ভুল প্রমানে ভগবুরে বা গোলাপ বাবা জী রেফারেন্স দিবেন , তার ভিতর থেকেই খুজে দিবনি । :rotfl:
তারা রেফারেন্স ভাল দেয় ব্যখাটা একটু নিজের মত করে ……… 😀
@কিন্তু ;মানব,
বাহ বাহ, পালক ছেলের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করা যায় এটা বোঝানর জন্য কি পালক ছেলের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী কে বিয়ে করতে হয়? এটা যে করা যায় তা কি একটা আয়াত দ্বারা ঘোষণা করলেই যথেষ্ট হত না? মুসলিমেরা কি এতই নির্বোধ যে শুধু আয়াত পড়ে তা বুঝতে পারবে না? নবীকে তা করে বোঝাতে হবে? নবী নাকি আল্লাহর বার্তাবাহক। বার্তা দিয়েই তো তার কাজ খতম হবার কথা। আল্লাহর আয়াত তো ইসলামের অনুসারীদের মানারই কথা।
যাইহোক কুরাণের আয়াত কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। ৩৩.৩৭ এ স্পষ্ট করেই আল্লাহ বলছেন মুহম্মদকে মুহম্মদ তুমি কেন মনের ইচ্ছা গোপন করছ যেখানে আমি নিজে তা (অর্থাৎ যয়নাবকে) তোমার জন্য জায়েজ করে দেব? অর্থাৎ মুহম্মদের মনে যয়ানবকে বিয়ে করার ইচ্ছে জেগেছিল, কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করছিলেন। এই আয়াতটি তার এই দ্বিধার থেক উদ্ধার (কিইইইইইই সুবিধাজনক) করে দিল। আরো সুবিধাজক আয়াত আছে। যয়ানবকে বিয়ে করার পর “দুষ্ট” লোকেরা (বিশ্বারীরাই) বলতে লাগল নবী নিজের ছেলের বৌকে বিয়ে করেছেন (সে সময় পালক ছেলে নিজের ছেলে হিসেবেই গণ্য হত)। এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আয়াত ৩৩.৪ নাজিল হল (যয়নাবের সাথে বিয়ের পর অবশ্যই) যাতে বলে হল পালক পুত্র নিজের পুত্র সমতূল্য নয়((কিইইইইইই সুবিধাজনক!) ।
হে হে, প্রতাপ তো মুহম্মদের বদৌলতেই। কাজেই যার সুবাদে প্রতাপ তার বিরুদ্ধে যাবেন কেন আয়াশা? আর রেপ? আপনি কি জানেন আইনী রেপ কি? রেপ মানে কি শুধুই টেনে হিচড়ে শুইয়ে দিয়ে গায়ের জোরে মতের বিরুদ্ধে সঙ্গম করা? একটি ন বছরের বালিকা কতটুকুই বা বুঝে বা করতে পারে, যেখানে তার বাবা মা, সবাই তাকে ঠেলে দিচ্ছে একই দিকে? যে কোন সভ্য দেশে ন বছইর বয়সের বালিকার সাথে সঙ্গম করলেই (মতে বা অমতে, কারণ এই বয়সে মত বা অমত প্রকাশের মানসিকতা পরিপক্কতা আসে না) তা রেপ হিসেবে গণ্য হয়। আর বড় হয়ে রাসুলের বিরুদ্ধে বলতেই হবে তা কেন? মেয়েরা বাস্তববাদী। আরব জাহানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী পুরুষের সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী হবার যে প্রতাপ/সম্মান সেটা না বোঝার কোন কারণ আয়েশার নেই নেই। তাছাড়া সবাই (সব মুসলীম) যেহেতু এই বিবাহ আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে, তিনি কোন সাহসে এর বিরুদ্ধে বলবেন। কার কাছে প্রতিবাদ করবেন? সবাই তো নবীর অনুগত ভৃত্য। আর ভালবাসা? হে হে আপনি কোন ঘোরে আছেন মহাশয়? মেয়েদের ভালবাসার “অর্থ” আপনি বোঝেন না বোধ হয়। অভিজিতের ‘সখী ভালবাসা কারে কয়’ সিরিজটা পড়ে দেখতে পারেন। সব স্ফটিক সম পরিস্কার হয়ে যাবে।
ভাই/বোনেরা
সবাইকে মাহে রমজান এর শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন এবং যে যা বুযবেন তা পালন করবেন। সবার উপর শান্তি আসুক।
এই পোস্টে কোরানের রেফারেন্স দেখেও মুমিনরা না দেখার ভান করছে কেন বুঝলাম না। মোহাম্মদকে বুঝতে হলে তো কোরান হাদিস দিয়েই বুঝতে হবে নাকি? মমিন মুসলমানদের ডাবল স্টান্ডার্ড দেখলে গা জ্বলে যায়।
তারা আসলে কোরান কেবল আরবীতেই পড়ে, বোঝে না। অথবা এখানে যারা মন্তব্য করেছে তারা আদৌ পড়ে না। যদি অর্থ এবং তার ভাবার্থ করে পড়ত তাহলে কী পড়ে সময় নষ্ট করছে তা ভেবে বমি আসত।
আমার খুব অবাক লাগে মুসলমানরা নামাজ পড়ার সময়ে বিভিন্ন সুরা পড়ে বলে আল্লাহু আকবর। কিন্তু সে সুরাগুলো যদি বাংলায় পড়ত তাহলে কী দাড়াত? ভাবতে হাসি পায়।
@লেখক,
দুর্দান্ত। চালিয়ে যান। সাথে আছি।
ভবঘুরে নামের ছদ্মবেশ ধরে দেরহাজার বছর পরে আপনি কানাকে হাইকোর্ট দেখাতে উঠে পড়ে লেগেছেন কেনো দাদা। আপনার আবোল -তাবোলের আবার জবাব চান মুসলিমদের কাছে??
জবাব তো অনেক আগেই হাজার হাজার ইতিহাস বইয়ে দেয়া আছে—বাংলা ইংরেজি, আরবী, উর্দু, ফারসী, জাপানীসহ শত শত ভাষায়, তা কি জানার মত জ্ঞানও নেই আপনার ?
অযথা ফালতু টপিক ছেড়ে কাজের পোস্ট লেখেন আর নিজের খোলস খুলে বেরিয়ে আসুন না?
আপনি যা যা বলছেন–নবীর বিরুদ্ধে, তা আজ পর্যন্ত নিরপেক্ষ কোন ঐতিহাসিকই এমন বাজেকথা বলেন নি বা দাবী করেন নি!! এতবছর পর আপনি নোবেল পাবার আশায় যদি কেচ্ছা বানাতে শুরু করেন তো–মনে রাখবেন আপনার মত আহাম্মকের স্বর্গে আমরা বাস করিনা যে, ইতিহাসে উত্তর থাকার পরও আপনাকে জবাব দেবো??
আর মুসলিম ভাইদের বলি, বিধর্মীরা আপনাদের নবীকে সম্মান করতে বাধ্য নন, তা ভুলে যান কেনো? আর কেনোই বা নবীর আদর্শ বিরোধী গালাগালে যান! যদিও কারো আবেগকে ধর্মকে গালাগাল করা বা অপমান করা মুক্তমনের পরিচায়ক নয়, মডারেটরদের এ বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার; তবুও গালাগাল সাপোর্ট করা যায়না একজন মুসলিম হিসেবে, এটা পাপ ও হাদীসবিরোধী।
@শাহ আলম বাদশা,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। নীচের কোরানের বানীগুলো একটু দেখুন তো –
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।সূরা: ৯৮বাইনিয়াহ, আয়াত: ০৬
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে। সূরা: ০৭ আল আরাফ, আয়াত-১৭৬
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।সূরা:০৭ আল আরাফ, আয়াত-১৭৯
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।সূরা:০৫ মায়েদা, আয়াত-৬০
Volume 4, Book 54, Number 524:
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “A group of Israelites were lost. Nobody knows what they did. But I do not see them except that they were cursed and changed into rats, for if you put the milk of a she-camel in front of a rat, it will not drink it, but if the milk of a sheep is put in front of it, it will drink it.” I told this to Ka’b who asked me, “Did you hear it from the Prophet ?” I said, “Yes.” Ka’b asked me the same question several times.; I said to Ka’b. “Do I read the Torah? (i.e. I tell you this from the Prophet.)”
উপরের কোরানের বানী ও হাদিস কি আপনার কথা সমর্থন করে ?
ভাই, ।কেউ বলে গ্লাস খালি কেউ বলে গ্লাস ভতী। উপরের রুপক গুলোকে আপনি গালি-গালাজ বলছেন?? বলতে পারেন। কিন্তু আমি বলি এগুলো রুপক। যেহেতু আমার “বিদ্যার দৌড় কম” তায় আমি এগুলো থেকে ভালো মন্দ পাথক্য করতে শিখি।
@Aminul Haque,
আর সেই রূপকগুলো দিয়ে বোঝানো হয়েছে মুসলমান ছাড়া অন্যরা নিকৃষ্টতম জীব, তাই তো ? তো এটা গালি গালাজ না হলে কোনটা গালিগালাজ হবে ?
@Aminul Haque,
আপনি যে ভাবে যুক্তি ছাড়া কথা বলেন তা শুনে আপনার কথাকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ মনে হয়। মাঝে মাঝে আপনাকে মনে হয় একটা গাধা। আপনার কথা শুনে ছাগলের ব্যা ব্যা বলেও মনে হয় মাঝে মাঝে। আপনি ভাই কি করেন ? লেখাপড়া করেছেন কোথায় করেছেন, মাদ্রাসায়? আপনার লেখা পড়লে মনে হয় একটা বানর কম্পিউটারে এলোমেলো কি যেন টাইপ করেছে। তাই মাঝে মাঝে আপনাকে বানর বলেও ভুল হয়।
@ভবঘুরে,
আপনার নিজের লিখা কোন প্রানির মত তা বলবেন আর আপনের নিজের আচ্ররণ কোন প্রানির মত তা মনে আসলেও কিন্তু লিখলাম না।
@ভবঘুরে, আপনি এখন পড়ুন–গালিগালাজ কাকে বলে সেই জাতীয় কিছু বই। এসব বিদ্রুপকে যে গাল বলে তার সাথে কথা বলাই বৃথা । গাল কাকে বলে কত প্রকার কী কী–তা-ই আগে আপনাকে জানতে হবে।
একজন ডাকাতকে বা অপকর্মকারীকে তার পরিনামের জন্য ভয় দেখানো বা শাস্তির জন্য বিদ্রুপ করা আর গালাগালের মধ্যে আপনি ফারাক করতে অক্ষম দেখছি ভাই।
আর আমি আপনার পোস্ট পুরোই পড়েছি–আপনি অন্য ধর্মের হয়ে অপব্যাখ্যাই শুধু করে গেছেন নবী চরেত্রের–আপনার পক্ষে ইতিহাসবিদ বা বিখ্যাত কারো সমর্থন উপস্থিত না করে নিজের মনের খায়েস মিটিয়ে যা খুশী মতামত দিয়েছেন; যা অযৌক্তিকও।
বৈধ অবৈধতার ভদ্রতার সীমাতিক্রমই করেন নি শুধু—নবীর বৈধ বিষয়গুলোকেও অন্যায় বলার চেষ্টা করেছেন। ধর্ষণ , লম্পট কাকে বলে তা-ই আপনি জানেন না–যদি জানতেন তাহলে পঞ্চপান্ডপের কাহিনী আর ধ্রৌপদীর বিয়ে কিংবা আপনাদের রাক্ষস বিবাকেই লাম্পট্য বলতেন–যার ধারে কাছেও মুহাম্মদ নেই।
কোন ইতিহাসেও নেই এমন অদ্ভুত অভিযোগ। রাধাকৃষ্ণর লীলা কি লাম্পট্য নাকি পবিত্র ছিলো–এমন কোন ঘটনা কি ছিলো নবীর জীবনে–যাকে লাম্পট্য বলার ধৃষ্টতা দেখান? আপনি নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই অন+ ধর্মের পেছনে না লেগে নিজ ধর্মের সতীদাহ প্রথাকেই বলতেন অমানবিক, হিন্দু নারীদের বিবাহের আগে ব্রাহ্মণদের ভোগের কাহিনীকেই বলতেন ধর্ষন–যা করার সুযোগ ইসলামে নেই। মুহাম্মদের তো প্রশ্নই আসেনা এমন কান্ড করার। আপনি শিশুসুলভ কথা বলে বালখিল্যদের কাছেই বাহবা পেতে পারেন কিন্তু ইতিহাস ও যুক্তির কাছে আপনি একজন শিশু বই নন।
আপনি যদি বিকারগ্রস্ত না হয়ে থাকেন, তবে এমন হাস্যকর নতুন ইতিহাস গড়ার মত পাগলামী ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন আর হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের তুলনামুলক একটা পোস্ট দিন না–দেখি আপনি কেমন নিরপক্ষ নাকি সাম্প্রদায়িক একজন হিন্দু। আর আপনাদের দেবতাদের সাথে মুহাম্মদের তুলনা করে একটা চিত্র দাড় করান না–দেখুক সবাই কে বা কারা আসল লম্পট?
আশা করি যুক্তি ও উদ্ধৃতি ছাড়া আমার মন্তব্যের জবাব দেবেন না?
@শাহ আলম বাদশা,
হুম। আপনার যদি একটা ৬ বছরের মেয়ে থাকে তাকে যদি আমি বিয়ে করতে চাই , আর তার বয়স যখন ৯ হবে তখন যদি তার সাথে স্বামীর মত আচরন করতে চাই , আপনি আমাকে কি বলবেন ? ভাল মানুষ নাকি লম্পট?
পঞ্চপান্ডবের কাহিনী স্রেফ পৌরানিক কাহিনী বলে জানি যা অনেকটা আরব্য রজনীর গল্পের মত, এ ধরনের কাল্পনিক চরিত্রকে এ নিবন্ধে টেনে আনাটা আপনার অজ্ঞতার পরিচায়ক। তার পরেও পঞ্চ পান্ডবরা কোনদিন একটা ৯ বছরের মেয়ের সাথে সেক্স করতে চেয়েছে এরকম কোন ঘটনা সেই কাহিনীতে আছে বলে শুনিনি।
@শাহ আলম বাদশা,
এখানে এত কথা না বলে আপনি সেই জবাবের কিছু অংশ এখানে প্রকাশ করলেই তো পারেন। তা না করে ফালতু প্যাচাল পাড়ার তো কোন দরকার দেখি না।
@শাহ আলম বাদশা,
ভাল বলছেন
@শাহ আলম বাদশা,
অমুসলীম /অবিশ্বাসীদেরকে আল্লাহর(মুহাম্মাদ) দেয়া গালিগালাজের অল্প কিছু নমুনা (কুরান থেকে):
Allah curses, misleads, set in astray, put a seal to non-beleivers:
Surah Baqara (Chapter 2) –Medina
Sura Al- Imran (Chapter 3) -Medina
Sura Nesa (Chapter 4) – Medina
Sura Maidah (chapter 5)
Surah Al Anam (chapter 6) – Mecca
Surah Al Araf (chapter 7) – Mecca
Command Muslims to fight /kill /not take friend or helpers from non-belivers:
Surah Baqara (chapter 2)-Medina
Sura Al Imran (Chapter 3) -Medina
Sura Maidah (chapter 5) –Medina
Sura Al-Anfal (chapter 8) – Medina
Sura Tawba (chapter 9) – Medina
“মুক্তমনায়” মন্তব্য করার আগে ভাল-ভাবে পড়াশুনা করুন। রেফারেন্স সমৃদ্ধ উপযুক্ত মন্তব্যের মাধ্যমে পাঠকদের উপকৃত করুন।প্রমান করুন লেখকের দেয়া রেফারেন্স সঠিক নয়।
@গোলাপ,
ভালো লাগলো যে আল্লাহ আপনাকে অনেক গ্যান দিয়েছেন কোরান পড়ার।
মুহাম্মাদকে গালাগাল করতে পারে শুধুমাত্র বিধর্মীরাই, লেখক যে ছদ্মবেশী পাপী কীট তা পরিষ্কার। আর যুক্তিহীন পেচালের যে ইতিহাস নেই– তা তাকে কে বোঝাবে। তার মত মূর্খকে জর্জ বারনাড’শ, ড: কারলাইল পড়ার জন্য বলি–যারা তার মাথায় মুতে দেয়ার ক্ষমতাবান ও যোগ্য ।
আমার এ মন্তব্য প্রকাশ হবার সম্ভাবনা কম তবুও বলি–এটাই কি মুক্তমনা নাকি বিদ্বেষ বিতর্ক ছড়ানো?
যে ব্লগে লেখার বলার ও সদস্য হবার সুযোগ সেন্সরের সিন্ধুকে বাধা–তারাই আবার মুক্তমনা নাকি গলাটিপেধরা অক্টোপাশ?
@জুলকারনাইন সাবাহ,
গলা টিপে ধরা অক্টোপাশ মুক্তমনাকে হতে হয় বাধ্য হয়েই। নাহলে আপনাদের মত গালিবাজদের ঠেকানোর কোনো উপায় নেই যে। আপনার মত পতিত গলির একজন গালিবাজের গলা অক্টোপাশের মত টিপে না ধরলে কি চলবে বলেন?
লেখককে গালি না দিয়ে আর জর্জ বার্নাড শ বা ডঃ কারলাইলকে দিয়ে তাঁর মাথায় না মুতিয়ে, ক্ষমতা থাকলে আপনি বরং যুক্তি দিয়ে এই লেখার বিপক্ষে কিছু একটা লিখুন। মুক্তমনা তা প্রকাশ করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। কথা হচ্ছে যে, সে মুরোদ কি আপনার আছে? মনে হয় না। গালাগালি শেখার জন্য যে পরিমাণ সময় ব্যয় করেছেন, তাতে পড়াশোনা করার কোনো সময় পেয়েছেন বলেতো মনে হয় না।
@ফরিদ আহমেদ, মুহাম্মদ এমন এক লোক যার সম্পর্কে লাখ লাখ ইতিহাস বই আছে, আমার মনে হয় একটা বইও আপনি পড়েন নি—পড়লে এসব ছাইপাশ যা লিখে বাহাদুরী করছেন, তা কোন ইতিহাসে পেয়েছেন–বাপের ব্যাটা হলে বলেন দেখি? রেফারেন্স থাকলে তো পোস্টেই দিতেন–সে মুরোদ নেই বলেই গাজাখোরী কেচ্ছা বলছেন–যার নাম দেয়া যায়, ফরিদুল মালু বাহার হাদীস।
শেষে একটিমাত্র বই যার নাম–দি হান্ড্রেড–(লেখক মাইকেল হার্ট খ্রিস্টান গবেষক) পড়ে দেখুন এবং বলুন আপনার মত গাধা তিনি কেনো হলেন না,তা খুজে পাবেন মামুর বেটা??
@জুলকারনাইন সাবাহ,
মাইকেল হার্টের নামটাই আপনি শুনেছেন কোথাও থেকে। কিন্তু বইটা পড়েন নি, এ বিষয়ে নিশ্চিত আমি। ভবঘুরের এই লেখাটিও পড়েন নি আপনি ঠিকমত। শুধু মুহাম্মদের নাম দেখেই ইসলামি তরবারি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছেন জিহাদে। জিহাদি জোশে এই লেখার লেখক যে আমি না, সেটাও খেয়াল করেন নি আপনি। নইলে, ফরিদুল মালু বাহার হাদীস বলে রঙ্গ ব্যাঙ্গ করতেন না। রেফারেন্স দেই নি বলে আমার মুরোদ নিয়েও প্রশ্ন তুলতেন না। গাধা কে সেটা এবার নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দেখে নিন।
@জুলকারনাইন সাবাহ,
ভাই, ইসলাম ও মোহাম্মদকে জানার সবচাইতে ভাল উপায় কি? অন্য মানুষের লেখা ইতিহাস নাকি সরাসরি কোরান , হাদিস , মোহাম্মদের জীবনী সেই প্রাথমিক যুগের লেখকের লেখা ? আলোচ্য নিবন্ধে তো রেফারেন্সের ছড়াছড়ি কোরান হাদিস থেকে। আপনি কি নিবন্ধটি পড়ে মন্তব্য করছেন নাকি ইসলামি জোশে মনটা তো অনেক আগেই বদ্ধ করেছেন আর এখন চোখ দুটোও কি হারিয়েছেন?
@জুলকারনাইন সাবাহ,
শুধু আপনি নন, প্রায় সব শিক্ষিত মুসলমানই মুহাম্মদকে সেরা মানব বানাতে গিয়ে মাইকেল হার্টের উদাহরণ দেন, যেমন ইসলামকে সত্যি ধর্ম প্রমাণ করার জন্য মরিস বুকাইলিকে টেনে আনেন। কিন্তু, আপনার মত এই সমস্ত মুসলমানদের মধ্যে শতকরা নিরানব্বই জনই বই দুটো পড়েন নি. লোকমুখে শুনে শুনে চালিয়ে দেন। যেমন এখানে দিয়েছেন আপনি।
মাইকেল হার্ট তাঁর বইতে সেরা মানুষদের তালিকা করেন নি, করেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী লোকদের তালিকা। এই প্রভাব আবার ইতিবাচক, নাকি নেতিবাচক সেটাকে তিনি বিবেচনায় নেন নি। সে কারণেই, তাঁর করা দ্য হান্ড্রেড এর তালিকায় চেঙ্গিস খান এবং হিটলারও বসে আছেন যথাক্রমে ২৯ এবং ৩৯ নম্বরে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ
তো, হিটলার বা চেঙ্গিস খানের সাথে এক তালিকায় বসে থাকতে মুহাম্মদের নিশ্চয়ই খুব ভাল লাগার কথা, তাই না?
মাইকেল হার্ট যে ইতিহাসের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা করেছেন, সেরাদের নয়, সেটা ভূমিকাতে দেওয়া তাঁর বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। তিনি লিখেছেনঃ
@ফরিদ আহমেদ,
ভাই , এদের দোষ দিয়ে আসলে লাভ নেই। কারন হার্টের সেই বইয়ের একটা বাংলা অনুবাদ আছে যা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়, অনেক মুমিন বান্দাদের বাড়ীতেও সেলফে বইটি শোভা পায়। সে বইয়ে Influencial এর অর্থ করা হয়েছে শ্রেষ্ট । আর এখন তো খোদ কোরানকেই নিজেদের সুবিধামত অনুবাদ করে ব্যপকভাবে মার্কেটে ছাড়া হচ্ছে।
@ফরিদ আহমেদ, মানে আপনার পছন্দ হলেই ছাপবেন না হলে নয়?
নিরপেক্ষতার বালাই নেই, তাইনা ? আপনারাই এখানে ছদ্মবেশী লেখক আবার মডারেটর–তা-ই বঝা গেল আর কি? আপনি নবীকে গাল দেবেন লম্পত বলবেন কিন্তু আর কেউ প্রতিবাদ করলেই জবাব দিলেই গালাগালের অজুহাতে প্রকাশ করবেন না—এইতো ভারতীয় তথ্য অধিকার????
@জুলকারনাইন সাবাহ,
কীসের মধ্যে কী, পান্তাভাতে ঘি। আমার পছন্দ-অপছন্দে ছাপানো বা না ছাপানো হয় না। মুক্তমনায় একটা মডারেশন টিম আছে, তাঁরাই এগুলো দেখভাল করে। আপনার মত গালিবাজদের গলা চেপে ধরে তাঁরাই অক্টোপাসের মত।
নিরপেক্ষতার বালাই আসলেই নেই। থাকলে আপনার মত গালিবাজের মন্তব্য ছাপা হয় নাকি? অন্যেরা গালি দিলেতো সাথে সাথেই সেই মন্তব্যকে মুছে দেওয়া হয়।
আপনার বোঝার ক্ষমতা যে কতখানি সীমাবদ্ধ, সেটাও বুঝে গেলাম আমি আপনার এই এক মন্তব্য থেকেই।
প্রতিবাদ কই করলেন। করলেনতো শুধু গালাগালি। ইসলাম আর তার নবীর মানসম্মান ভবঘুরে আর কী ডোবালো, সবতো ডোবালেন আপনিই।
ভারতীয় তথ্য অধিকারটা কী জিনিস ভায়া? বাংলাটা একটু ঠিকমত শিখে আসলে হয় না। কী বলতে চান সেটাইতো বুঝতে পারি না। অথচ এই আপনি-ই আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন যে, আমি মাইকেল হার্টের বই পড়ি নাই, আপনি পড়েছেন। বাংলাতেই ঠিকমত ভাবপ্রকাশ করতে পারেন না, সেই আপনি পড়েছেন মাইকেল হার্টের ইংরেজি বই। এ-ও আমাকে বিশ্বাস করতে হয়। হুহ!!
ও হ্যাঁ, ভাল কথা। মাইকেল হার্ট তাঁর বইতে কোরান নিয়ে কী বলেছেন সেটা জানেনতো? নাকি জানেন না? জানলেতো এতদিনে তাঁর কল্লার দাম ধার্য করতেন আপনারা সালমান রুশদির মতই। না পড়েই এতদিন ভেবে ভেবে সুখ নিয়েছেন এই ভেবে যে, আপনাদের নবীকে তিনি সেরা মানব বানিয়ে ছেড়েছেন। আসলে যে কী বলেছেন তাতো আর জানেন না।
মাইকেল হার্টের ভাষ্য অনুযায়ী কোরান আল্লাহ-র বাণী নয়। এর লেখক হচ্ছেন মুহাম্মদ। কী বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই না? না হবারই কথা। কত আশা ভরসা নিয়ে মাইকেল হার্টের নাম বলেছিলেন। ভেবেছিলেন যে, এই এক খ্রিস্টান গবেষকের নাম শুনিয়েই ভড়কে দেওয়া যাবে ফরিদ আহমেদকে। সব মাঠে মারা গেলো। আহা!! হার্টের বই আপনি পড়েন নি জানি। সে কারণেই তাঁর বক্তব্যের ওই অংশটুকু তুলে দিচ্ছি আপনার জন্য।
Muhammad, however was responsible for both theology of Islam and its main ethical and moral principles. In addition, he played the key role proselytizing the new faith, and in establishing the religious practices of Islam. Moreover, he is the author of the Moslem holy scriptures, the Koran, a collections of Mohammad’s statements that he believed had been divinely inspired.
@জুলকারনাইন সাবাহ,
বার্নার্ড শ ও কারলাইল কি ইসলামী পন্ডিত? কোরান পড়ে যদি তাদের মাথা এতটাই খারাপ হয়ে যায় তাহলে তো তাদের ইসলাম কবুল করার কথা। কই তা তো শুনলাম না কোন দিন।
এরা হলো চালাক মানুষ। এরা ইসলাম নিয়ে এসব কথা যখন বলেছিল তখন ইংরেজরা বেশ কিছু মুসলিম দেশে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল, বিশেষ করে এই উপমহাদেশে। মুসলমানরা যাতে স্বাধীনতা নিয়ে মাথা না ঘামায় তাই তারা ইসলাম নিয়ে কৌশলে কিছু ইতিবাচক কথা বলেছিল মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়ার জন্য, তাদের দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। মুসলমানরা ঠিক সেই ধোকায় পড়ে গেছিল আর যা থেকে তারা আজও বের হতে পারেনি, তারা পড়ে আছে সেই ১৪০০ বছর আগের যুগে। যার জাজ্জ্বল্যমান প্রমান হলো- মুসলিম পন্ডিতরা খোদ বিজ্ঞানের চর্চা না করে কোরানের মত একটা উদ্ভট ও গাজাখুরী বই থেকে বিজ্ঞান খুজে বের করায় ব্যস্ত।
@ভবঘুরে, আপনি জিজে নিজেই পন্ডিত মানে গায়ে মানে না আপনি মোড়ল, তাই কি?
আমি ইতিহাসের ছাত্র–মুসলিম শাসনে থেকে হিন্দুরা খুজছিল নতুন প্রভু–আর ইংরেজ পেয়ে তো গদ গদ। আর যায় কথায় জন গন মন অধিনায়ক জয় হে–বলেই পদলেহন শুরু? ইংরেজ-হিন্দুরা মিলে মুসলিমদের ২০০ বছর বারোটা বাজানোর খায়েস এখনো আপনাদের যায় নি দেখি??
নতুন ইতিহাস বানানের চাকরী ছেড়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন।
@জুলকারনাইন সাবাহ,
ভাই ইতিহাসের ছাত্র, আপনি কি দয়া করে জানাবেন মীর জাফর কি হিন্দু ছিলেন? কিংবা মদনলাল মুসলমান ছিলেন।
আমার ছোট বোন পড়ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিসাস বিভাগে। এক দিন ধর্ম প্রসঙ্গ কথা উঠাতে তাদের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষক নাকি তাদের বলেছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের আগেই ইসলামের জন্ম হয়েছে!
বুঝুন ইতিহাসের শিক্ষকের জ্ঞানের গভীরতা!
আর আপনি তো মনে হয় এখনো ছাত্র।
@জুলকারনাইন সাবাহ,
দুঃখিত মদনলাল নয় এটা হবে মোহন লাল।
@জুলকারনাইন সাবাহ,
ফ্যাসিজমের পূর্বপুরুষ কার্লাইল-এর কথা বলিতেছেন কি? তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট পাইয়া এত আনন্দিত? সাদা চামড়া দেখিয়া উদ্বাহু নৃত্য না করিয়া ইতিহাস-টিতিহাস কিছু শিখুন।
দারুন লিখেছেন দাদা। চালিয়ে যান। আমরা আরও জানতে চাই।
আমার কমেন্ট হয়তো দেয়া হবে না,আর দিলে তো প ড় ছেন ই,
সনেট আপনার কথার থেকে ভুল বের করে ভগবুরে আপনাকে মিথ্যুক বানাবেন, নয়ত কমেন্ট মডারেসন হবে, আর কিছু না।
মামা তার এই সুবৃহৎ পোস্ট এর শুরু তে ই কি লিখসে দেখেন
এই হল মহান লেখক এর গিয়ান।
যার উত্তর এখন ছোট ছোট বাচ্চারাও জানে,;মামু জানে খালি আন্তি ইসলাম সাইট এ যায় আর বঙ্গানুবাদ করে, তেনার সাথি রাও লেখে , ব্যপক হইসে এই সেই :rotfl: :rotfl: :hahahee: :hahahee:
নিজে কইয়া নিজেই খুশি, হে উত্তরের ধার ধারলে তো কথা ই অন্য হত। যাক আমি ও এট্টু কই, ্্্্্্ ভগবুরে <<<যা লিকেচ না>উফ 😀 হাসি আর থামে না, এ ক টু পুরান টপিচ হইসে <<চালাও তোমার মহান বঙ্গানুবাদ। :lotpot:
আসসালামু আলাইকুম সকলকে,
আমি জানিনা মুক্তমনা মানে কি । যদি মুক্তমনা মানে ইসলাম বিরোধী তাহলে আমি মুক্ত মনা না। আমি জত তুকু বুঝি মুক্ত মনা মানে হল সত্যকে মেনে নেয়া।
কোন মানুষকে আঘাত করা মুক্তমনা নয়। ১৯৭১ সালে মূক্টী্যোধারা পাকি দের কাছে ছিলো সন্ত্রাসী আর আমাদের কাছে ছিলেন বীর। আপনি যদি কাওকে ছোট কোরতে চান তো কোরতে পারেন।
নবী (সাঃ)- এর বেপারে যা বললেন তা আপনার একান্ত কথা ।
আমি একটা বিয়ের বেপারে কথা বলবো আপনি যদি চান তো সব বেপারে ই কথা বলতে আগ্রহী।
মা খাদীজা (রাঃ) কে যখন বিয়ে করেন তখন নবী (সাঃ) যে কথা বলেছিলেন তা আপনি বলেননি নবী(সাঃ) শর্ত দিয়েছিলেন মা খাদীজা (রাঃ) কে, তার সকল সম্পদ গরিবদের দান করে দিলে তিনি তাকে বিয়ে করবেন। নবী(সাঃ)-এর সততা দেখে খাদীজা (রাঃ) ই নবী (সাঃ) কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন । ঐ সময় মেয়েদের মানুষ ই মনে করতনা সমাজ সেখানে নবী(সাঃ) একজন বিধবা নাড়ী কে বিয়ে করলেন । তিনি কি পারতেন না যবূতী নাড়ী কে বিয়ে কড়তে।এখানে কী করে আপনি দেখলেন নবী(সাঃ) ধনী হওয়ার জন্য বিয়ে করেছিলেন ।
আপনার যদি আল্লাহ্ এর দেয়া জীবন বিধান থেকে ভালো বিধান দিতে পারেন তো দিন। কারো বেপারে নোংরা কথা ছোড়ানো নিশ্চয় মুক্তমনের পরিচয় বহন করেনা।
নবী(সাঃ) এর বেপারে ঐ সময় তার শত্রুরা ও এমন নোংরা মন্তব্য করেনী। আপনি ১৪০০ বছর পর এতো কিছু বুঝতে পারলেন !!!!!!!
নবী(সাঃ) এর শত্রুরা, তাদের সম্পদ নবী(সাঃ) এর কাছে রাখতেন।
মেক্সিকো তে মেয়েদের বিয়ের বয়স সরকারী ভাবে ১৪, আমেরিকা তে ১৬, ভারতে ১৯ এবং বাংলাদেশ এ ১৮।
আপনার মতে কে ঠিক। 🙂
ইসলামী বিঁধান হল মেয়ে প্রাপ্ত বয়স হলে বিয়ে দেয়া যায় (কোনই বয়স ঊল্লেখ করা নাই)।
ইসলামী বিঁধান আমাদের সৃষ্টিকর্তা করেছেন। তিনি ই ভালো জানেন আমাদের জন্য কি ভাল কি মন্দ।
ধন্যবাদ
সনেট
হ্যাঁ, আসলেই ঘটনা এখানে থেমে থাকেনি। মহাপুরুষটি তাঁর আসমানী বিয়ের মাধ্যমে সদ্য অর্জিত জয়নাবের সাথে প্রেম নিষ্কন্টক করতে চাইলেন। জায়েদের উপস্থিতি ছিল কাঁটার মতো। পরাক্রমশালী বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের বসরা শহর আক্রমণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো। চতুর মহাপুরুষটি জানতেন, এ অসম যুদ্ধে যায়েদের মৃত্যু হবেই। ব্যাপারটি আরো নিশ্চিত করতে যায়েদকে করা হয় নিশান বরদার ও বাহিনী প্রধান। নিশান বরদার বহুদূর থেকে শত্রুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর হাতে প্রতিরক্ষার কোন সামগ্রী যেমন ঢাল ইত্যাদিও থাকে না, আমৃত্যু তাঁকে নিশান ধরে রাখতে হয়। ফলে, যা হওয়ার তাই হলো। মুতার যুদ্ধে (৬২৯ খৃঃ) তিনি শহীদ হলেন।
মহাপুরুষটির ছল-চাতুরী-প্রতারণা – এসবে তাঁর সময়কার লোকদের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন।
তাঁর প্রধান প্যাট্রন, নিয়োগকত্রী স্ত্রী খাদিজা যখন ষাটোর্ধ-তাঁকে তালাক দেয়ার কথা তাঁর ঘুনাক্ষরেও মনে আসেনি, অন্য বিয়ের কথাও তাঁর চিন্তায় আসে নি। কিন্তু বার্ধক্যের কারণে অনায়াসেই তালাক দিতে চেয়েছেন তিনি অসহায় সাওদাকে।
বনু মুস্তালিক যুদ্ধের সময় আয়েশা আর সাফওয়ানকে নিয়ে দুর্নাম রটলো। মহাপুরুষ পড়লেন জটিলতায়। একদিকে আবুবকর কন্যা তরুণী আয়েশা তাঁর খুবই প্রিয়। তাঁকে নিরপরাধ ঘোষণা করা খুবই দরকার। অন্যদিকে সত্যি সত্যি যদি আয়েশা ঘটনার ফলে গর্ভবতী হয়ে থাকেন। সুতরাং বরাবরের মতো ওহি দিয়েই সমাধান করতে হবে। ওহি তো আর আসে না। দীর্ঘ একমাস পর যখন নিশ্চিত হওয়া গেল, বিবি আয়েশা ঋতুমতী হয়েছেন, ওহি আসার পথেও আর বাধা রইল না, বিলম্বও হলো না। আয়েশাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো ওহির মাধ্যমে।
মহাপুরুষ বটে!
@সফ্টডক,
চমৎকার বিশ্লেষণ (Y)
@লাইট ম্যান,
ধন্যবাদ ।
@সফ্টডক,
আয়েশার ব্যাপারে জানতে এখানে একটু গুঁতো মারুন, নীচের দিকে পরপর ছয়পর্বের ভিডিওটি দেখে মন্তব্য করবেন-
@আকাশ মালিক, কিন্তু … দাদাকে কিছু ভিন্ন প্রসঙ্গে বলি। আমি জানি না সঠিক নিন্মোক্ত বিষয় সঠিক কিনা? এটি পড়ুন –
” Good sexual health may mean better physical health. Having sex once or twice a week has been linked with higher levels of an antibody called immunoglobulin A or IgA, which can protect you from getting colds and other infections. Scientists at Wilkes University in Wilkes-Barre, Pa., took samples of saliva, which contain IgA, from 112 college students and compared IgA levels with their reported sex frequency. As the hormone oxytocin surges, endorphins increase, and pain declines. So if your headache, arthritis pain, or PMS symptoms seem to improve after sex, you can thank those higher oxytocin levels! ”
এটি সত্য হলে মুহাম্মদ (সঃ) বা আয়েশা/জয়নাবকে দোষ দিয়ে কি লাভ?
আরো একটি প্রশ্ন মনের ভিতর জানার জন্য আকু-পাকু করছে, যদি কোন লেখা, লিংক বা ভিডিও থাকলে আপনি বা অন্য কেউ দয়া করে জানান। অর্থোডক্স মুসলিমরা প্রায়ই গর্বের সাথে দাবি করেন যে, কাবা শরীফ-ই পৃথিবীর কেন্দ্র। আসলে কি তাই? এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখলাম ইউটিউবে। দেখুন – httpv://www.youtube.com/watch?v=mQJib4FL4qA
আমি মেথম্যাটিক্স কম বুঝি তাই ভিডিওটির মারপ্যাঁচ সম্পর্কে অজ্ঞ।
তবে প্রথম দর্শনেই ভিডিওটি যে কোন মানুষের বিশ্বাসে নাড়া দিবে [মুসলিমরা তো আছেই], কিন্তু ম্যাপটি দেখুন –এনশিয়ান ম্যাপ। মানে পৃথিবীর রূপরেখা পরিবর্তনশীল, তা স্থির নয়। কিন্তু কোনো স্থানের সেন্টার ধরতে গেলে তাঁকে স্থির থাকতে হবে বা স্থির হিসেবে ধরে নিতে হবে। ছবির আরো [link Picture source: Windley, Brian F. The Evolving Continents. West Sussex: John Wiley & Sons Ltd., 1995. ], এই লিঙ্কটি প্রকাশ করেছিলো। এতে নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে বুঝা যাচ্ছে, কিভাবে পৃথিবীর মানচিত্র বদল হচ্ছে। তাই, এটি কিভাবে সেন্টার হয় আমার বোধগম্য নয়। ধন্যবাদ
কিছু মানুস হাদিস কুরআন পডি বিভ্রান্ত হবে তা আবার প্রমানিত হল। আমি খুবইই খুশি এ লিখাই. Because I know islam, Prophet (MPUH) and Allah long before this writing. Very nice write up. I dont want to get anything from this writing. So I dont mind who is writing what. There r many write up to know Allah, Prophet (MPUH). And not that I did have a degree from madrasha. Rather I went university, different universities in the World. So i do produce my logic, understanding and analysis for me from the orientation I have. And the writer of this writing did the same what he Understood. Let him do, understand, write. But Farid vai you dont need to go along with the write up. you are more sharp, brilliant and respectful to others. So you can even read the original write up. dont need to support this write up.
But I dont produce my understanding in the same way
গালি গালিজ করার কিসু নাই ফরিদ ভাই। জার জার আমল তার তার কাছে। জার জার মরন, কবর তার তার।
@Aminul Haque,
আপনি এত understanding understanding বল্লেন , কিন্তু আপনার understanding টা কিন্তু বল্লেন না। আপনি যদি সেটা না বলেন কি করে বুঝব আমরা ভুল? আপনার মত আরও অনেকে প্রচন্ডভাবে মানসিক আঘাত পেয়ে অনেক কথাই বলেছে, বলেছে আমাদের ধারনা ভুল , কিন্তু কি কারনে ভুল তা কেউ প্রমান করে দেখান নি। তার মানে কি এই যে তাদের কাছে কোন প্রমান নেই যে আমরা ভুল ? তার মানে আমরা সঠিক। আপনি অন্ধ হতে পারেন , সেটা আপনার ব্যপার যদিও অন্ধত্ব কোন গুন নয়, তাই বলে আমরা অন্ধ হতে যাবো কেন ?
আপনি বলেছেন-
ভাল কথা কিন্তু এর পরেই বলেছেন-
উক্ত দুটি বাক্যে মোট ৭ টা বানান ভুল করেছেন, যেখানে মোট শব্দ সংখ্যা হলো -১৯। এ থেকেই কিন্তু বোঝা যায় আপনার বিদ্যার দৌড় কতদুর। তাই আমার বিনীত অনুরোধ- অন্যকে উপদেশ না দিয়ে – নিজের চরকায় তেল দেয়াই ভাল ।
@ভবঘুরে,
পর থম এই কতাডাই তো কিছিলাম,এই আপনে চান।
কি যে আপ্পনেরে প্রমান করুম কাকা, আপনি মুক্তমনা, শিক্ষায় ভর্তি পেট, আপনে আগে এই কথার উত্তর দেন , নিউটন সাব তো আপেল খায়তো না, তাও উনি আপেল গাছের নিচে বইসা ছিল কেন?ছায়ার জন্যি?হা?আমি বলি কি বেটা গেছিলো ওর কাজের মাইয়ারে সেটিং দিতে,আতকা কাজের মাইয়ার জামাই আইয়া পরছে , উনি ভাও নিছে থিউরি আবিস্কারের,আপ্নে পারেন তো , বা জানা থাকলে, সঠিক ব্যাখ্যা দিন, সাথে রেফারেন্স>>>>> :-s :-s 😕
উত্তরের অপেক্ষায় আছি……।। (C) :hahahee:
ভবঘুরের এই সিরিজটা অসাধারণ হচ্ছে। সিরিজটার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এখানে লেখকের নিজস্ব কোনো মতামত নেই। তিনি কোরান আর হাদিস থেকেই মুহাম্মদের চরিত্র নিংড়ে বের করে আনছেন। ফলে, তথ্য বিকৃতি বা রেফারেন্সহীনতার দোহাই দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্রকে আবিষ্কার করা। মুসলমানরা যেভাবে মুহাম্মদকে অংকন করেছে, ঠিক সেভাবেই মুহাম্মদ উঠে আসছে আমাদের চোখের সামনে তার পুতপবিত্র নূরানি চেহারা নিয়ে। 🙂
এই সিরিজটার কোনো লেখা এলেই মডারেটরদের কাজের পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যায়। কিছু সংখ্যক মুমিন মুসলমানেরা যে কী ধরনের এবং কী পরিমাণে অশ্লীল গালাগাল করতে পারেন তা মুক্তমনার মডারেটর না হলে কোনোদিন হয়তো জানাই হতো না আমার। ওই সকল অশ্লীল কমেন্টগুলো মুছে না দিয়ে সেগুলোর একটা সংকলন করতে পারলে মন্দ হতো না। নীলক্ষেতের চটির বাজারে ভালই বিকোতো মনে হয়। :))
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মস্তিষ্ক যখন বন্দক রাখা হয় কোথাও তখন তো ওই গালাগালিটাই খালি বাকি থাকে। তবে মাঝে মাঝে ওইসব মুমিন বান্দাদের হালকা টাইপের গালিগালাজ ছাপালে মন্দ হতো না। তাহলে জানা যেত এসব প্রবন্ধ তাদেরকে কতটা বিচলিত করছে।
@ভবঘুরে,
আপনার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে, আশা করি। :))
@ফরিদ আহমেদ,
মন ও মননে অশ্লীলতা না থাকলে সত্যিকারের মমিন-মুসলমান হওয়া যায় না। মহাপুরুষ পয়গম্বরটির অশ্লীল কর্ম-কান্ডগুলোকে মহাপবিত্র জ্ঞান করে তাঁর প্রতি ভক্তিতে গদগদ থাকতে হবে এবং পরকালে হিউ হেফনারের প্লেবয় ম্যানসন তূল্য হুর সমৃদ্ধ বেহেশতের বালাখানার লোভে মশগুল থাকতে হবে, এই তো হলো মমিন হওয়ার শর্ত।
শালীনতা, সততা, সভ্যতা, মানবতাবোধ – এ ব্যাপারগুলো মমিন-মুসলমানদের অভিধানে নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
প্রিয় ফরিদ ভাই
নীচের এই লিখাটি পডেছেন। নীলক্ষেত এর চটীর চেয়ে উন্নত মনন এর না। আপনারা মডারেশন করে ছাড দিয়েছেন। গালি-গালাজ করার জন্য কিসু নিম্ন প্রজাতী আছে। পায়ের নিচে কামড দিলে কি করব বলেন!! নীচের লিখাটা ও মু-ক্-ত-ম-না-র-
[উদ্ধৃত করা অংশটি মুছে দেওয়া হয়েছে – মডারেটর]
@Aminul Haque,
ভবঘুরে মুক্তমনার পূর্ণাঙ্গ সদস্য। মডারেশনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তিনি সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন। এই অসংযত এবং ব্যক্তি আক্রমণাত্মক মন্তব্যটির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। এটা মডারেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকাশিত হয় নি। সে কারণে ভবঘুরের মন্তব্যের জন্য মডারেটরদের দায়ী করাটা সঠিক নয়। মডারেটরদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ভবঘুরেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে এবং তাঁর মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে। আশা করছি যে, অসংযত কোনো বক্তব্য দেবার ক্ষেত্রে এখন থেকে আরেকটু সতর্ক হবেন তিনি।
যারা বলেন মহাম্মদ(দরুদ) দরিদ্র অসহায় ছিলেন তারা সঠিক ইতিহাস জানেন না …. এতিম ছিলেন কিন্তু তিনি ছিলেন মক্কার সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত বংশের…তার মায়ের মৃত্যুর পর তাকে লালন পালন করার জন্য দুধ মা কে নিয়োজিত করা হয়েছিল যা তখণ সম্ভ্র্ন্ত ঘরের সন্তানদের কেই করা হত ..দ্বীনের নবী অসহায় ছিলেন না …..দরিদ্র্র ছিলেন না ….অল্প বিদ্য যে ভয়ংকরী তা এই লেখা টা পড়ে বুঝলাম
@manobic30,
জনাব মানবিক৩০ (দরুদ)! আপনি যখন সঠিক ইতিহাস জানেন, আমাদের আর বঞ্চিত করছেন কেন? যথাযথ রেফারেন্স দিয়ে যুক্তিগুলো খন্ডন করে পোষ্ট দিন, ল্যাঠা চুকে যাক।
সম্ভ্রান্ত বংশের এ বিশিষ্ট ব্যক্তিটি মাতৃগর্ভে কতদিন ছিলেন আপনি সঠিক ইতিহাস পাঠ করে জানাবেন কি ? আন্দাজে ঢিল ছুঁড়বেন না কিন্তু !
@manobic30,
আপনি কিছুদিন মুক্তমনায় নিয়মিত ঢুঁ মারেন, অল্প বিদ্যা কার সেটা এমনিতেই টের পাবেন। আপনি বোধহয় এখনও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেন নি, আপনি কোথায় এসে, কাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন।
তারপরও মুক্তমনায় এসেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আজ হোক কাল হোক হেদায়েত আপনার হবেই।
@manobic30,
.
একটু পরেই এই দ্বীনের নবীকে মহান করতে গিয়ে বলতে শুরু করবেন – তিনি অনেক সময় খাবার না পেয়ে পেটে পাথর চেপে ঘুরে বেড়াতেন, তালি মারা ছেড়া কাপড় পরতেন, খেজুর পাতার বিছানায় ঘুমাতেন।
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি ঃ
“দীনের নবী মোস্তফায়
রাস্তা দিয়া হাইটা যায়
একটা হরিণ বাঁধা ছিলো গাছেরও ছায়ায়…….।”
আরব দেশের খর মরুভূমিতে গাছ কোথায় আর ছায়া কোথায়? হরিণই বা এলো কোথা থেকে?
ধর্মকথা আর গাজাঁখোরী গল্পগুলোর মধ্যে কোন তফাৎ নেই!
@সফ্টডক,
দারুন পয়েন্ট ধরেছেন দেখি
@manobic30,
সম্ভ্রান্ত বংশে জন্ম নেয়া আর দুধ মায়ের কাছে পালিত হওয়া মানে মহান হয়ে যাওয়া নয়। এখানে কোরান হাদিসের আলোকে মোহাম্মদের(দরুদ) জীবন ও চরিত্র নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আপনিও তাই করুন। তাকে ডিফেন্ড করতে চাইলে হাদিস কোরানের আলোকে করুন। হাদিসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় মোহাম্মদের লাম্পট্যের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে বর্ণিত আছে। দয়া ক’রে প’ড়ে দেখুন।
@তামান্না ঝুমু,
সহমত!
@তামান্না ঝুমু,
আগামীতে (দরুদ) এর জায়গায় সংক্ষেপে এইভাবে (দঃ) লিখলেও আদব রক্ষা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। না লিখলে কিন্তু গোনাহ হবে- :-s 😕
@আকাশ মালিক,
আদব রক্ষা তো করতেই হবে যেকোন ভাবে। মহানিবী(দঃ) ব’লে কথা।
ভন্ড আর নির্লজ্জ না হলে বুঝি মহাপুরুষ হওয়া যায় না!!!
মুহম্মদের বিয়ে কাহিনী আর সেক্স কাহিনী শুনলেই গা গুলিয়ে আসে!!!
৫১ বছর পর্যন্ত তিনি কিভাবে অপেক্ষা করে ছিলেন আমার বোধগম্য নয়!
সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন মুহম্মদকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা অহরহ শুনতে হয় আর গিলতে হয়!
@রাহনুমা রাখী,
কোন বিচারে মোহাম্মদকে মুমিন বান্দারা মহাপুরুষ মনে করে তা আমি আজও বুঝতে অক্ষম। তার অধিকাংশ কাজই সেই তৎকালের বিচারেও ছিল দারুন অপরাধ মুলক। ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের শিশু বিয়ে, বিনা নোটিশে নিরীহ জনপদ আক্রমন ও নির্বিচারে খুন, পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে- এসব কাজ সেই তখনকার সময়েও দারুন রকম নিন্দনীয় ও অপরাধ মূলক ছিল। শিশু বিয়ে ছাড়া বাকি কাজ গুলো তিনি করেছিলেন মদিনাতে শক্তিশালী শাসক হিসাবে আবির্ভুত হওয়ার পর আর সেকারনেই মানুষ জন তার এসব নেতি বাচক কর্মকান্ডের তেমন প্রতিবাদ করেনি, কারন তা করলেই তো তাদের কল্লা কাটা যেতো। যে জিনিসটা সে সময় কল্লা কাটা যাওয়ার ভয়ে করত না , আজকে সেই বিষয়টাকেই ইসলামী পন্ডিতরা যথার্থ বলে বিবেচনা করে, তাদের বক্তব্য – সেই সময় মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ড খারাপ হলে তার সাহাবীরা এর প্রতিবাদ কেন করত না ? কিন্তু তারা ভুলে যায় যে – মোহাম্মদ তখনই এসব অপকর্ম শুরু করে যখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারো কোন ক্ষমতা ছিল না যেমন ছিল না হিটলারের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা তার বেচে থাকার সময়। এখন হিটলারের বহু কাজ যদি অমানবিক ও অন্যায় হয়ে থাকে , মোহাম্মদের সেই ধরনের কাজ গুলো অমানবিক ও অন্যায় হবে না কেন ?
@রাহনুমা রাখী,
চমৎকার মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
বিত্তশালী বয়স্ক মহিলা খাদিজার চাকুরী করা অবস্থায় অসহায় মোহাম্মদের পদোন্নতি হয় স্বামী হিসেবে। তাঁর নতুন প্রচার করা ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রভাবশালী প্যাট্রনও হচ্ছেন খাদিজা। চতুর এ লোকটি্ আর্থিক বিশ্বস্ততার মাধ্যমে স্বামীত্ব অর্জন করেন, তারপর তাঁর দাম্পত্য বিশ্বস্ততা দরকার ছিল খাদিজার অব্যাহত আনুকুল্য লাভের জন্য। খাদিজার মৃ্ত্যুর পর মহাপুরুষটির আসল রূপ বেড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সাথে তিনি বয়স্ক সাওদা আর শিশু আয়েশাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তরুণী আয়েশা সহ আরো স্ত্রী যোগাড় হলে বয়স্কা সাওদাকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এ মহাপুরুষটি। কারণ হিসেবে দেখান, বয়স্ক সাওদা দাম্পত্য দায়িত্ব (?) পালনে সক্ষম নন। নিরুপায় সাওদা তাঁর পালা (রাত) আয়েশার অনুকুলে ছেড়ে দিয়ে তালাক পাওয়া থেকে বেঁচে যান, বেহেস্তে মহামানবটির স্ত্রী হিসেবে থাকাও নিশ্চিত করেন!
এসব সত্যি কথা বিস্তারিত পাবেন, তাঁর অনুসারীদের লিখে যাওয়া সিরাতুন্নবি গ্রন্থগুলোতে।
সবচেয়ে খারাপ লাগে, যখন মহিলারা এ মহাপুরুষটিকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা বলেন।
@রাহনুমা রাখী,
লেখকের উদ্ধৃতিটি দিতে ভুলে গিয়েছিলাম :
@ভবঘুরে , আপনি ত কোন ধর্ম বিশ্বাস করেন না ।শুধু ইসলাম ধর্মের উপর এমনে লাগছেন কেন? যার ধর্মের উপর বিশ্বাস নেই তার কাছ থেকে এসব মানায় না । আপনাকে ত পাগল মনে হয় এই সব লিখে কোন লাভ নেই আল্লাহ পাক ই তার মনোনিত ধর্ম কিয়াম পর্যন্ত টিকিয়ে রাখবেন ।
@বরকতি,
আমি তো লাগিনি। শুধুমাত্র সত্য প্রকাশ করছি মাত্র। সত্য সব সময় অনেকে সহ্য করতে পারে না।
যে পাগল সে নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে পাগল মনে করে ।
@বরকতি,
যে অবস্থা চলছে তাতে আল্লাহ্ পাকই ক’দিন টিকে থাকেন দেখেন! শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতাটা সার্বজনীন হলেই এ কুৎসিত বর্বর লোকটা আর তাঁর আল্লাহ্ র মৃত্যু ঘন্টা বেজে যাবে!
কোন কথা হবে না। দুর্দান্ত লেখা। :guru: (Y)
ভবঘুরে,আপনার কি এত আক্রোশ মোহাম্মদের উপর?
আসলে নাস্তিক তো আনেক আছেন,কৈ সবাই তো এমন করে না।
আপনার আসল উদ্দেষ্যটা আসলে কি??কেন এই হিংসা ভরা পোষ্ট?
আসলে আপনার বাবা মা কোন ধরম বিশ্বাস করে?নাম টা অন্তত শুনি,বা অন্তত এই বলুন,আপ্নার এত জালার কারন টাই বা কি?
আর এই পোস্ট করার উদ্দেশ্যটাই বা কি?আপ্নি কি স্যডিস্ট,আন্যদের দুঃখ দিয়ে মজা নেন বুঝি?নিজের বাবান কথা মালা কদর্যতায় ভরা,সত্যি জানতে মঞ্চায়,কেন আপনি এমন করছেন?
ছিঃ ছিঃ ছিঃ
@কিন্তু ;মানব,
আক্রোশ টা কোথায় দেখলেন? আমি তো সত্যি কথাই বলেছি। সত্য কথা বলা কি আক্রোশ? পারলে আমি যা বলেছি তা মিথ্যা প্রমান করুন।
হিংসার কি দেখলেন? সত্যই তো প্রকাশ করলাম।
উদ্দেশ্যটা হলো আপনাদের মত জীবন্মৃতদের জাগিয়ে তোলা। সত্য প্রকাশ করা।
@ভবঘুরে,
আপ্নার বিশ্লেষণ খারাপ লাগ্লেও পুরাটাই পড়ছি।
যাক উওর দিতে গেলে বহু লিখতে হবে,কি বোর্ড এত সিদ্ধহস্ত আমি না,তাই বরং ১টা লিংক দেই,দেখেন উওর গুলা পোষায় কি না।
http://www.guidedones.com/metapage/frq/Aishara.htm
@কিন্তু ;মানব,
আপনার লিঙ্কটি খুলেই,
“Reader’s Comment: By all accounts, any man over the age of 30 or 40, marrying a 9 or 12 years old girl, would be considered a paedophile in our civilized times and you cannot justify it, however hard you may try”
এর জবাবে “Guided Ones Reply:” এর প্রথম লাইন
বাবা মায়ের সম্মতি থাকলেই ‘অপ্রাপ্তবয়স্কা’ বালিকাকে বিয়ে করা যায় এমন উদ্ভট মন্তব্য যে ‘বিছমিল্লাতেই’ লিখতে পারে তাকে বিকারগ্রস্থ, ‘মানসিক’ ভারসাম্যহীন ব্যক্তি বলেই আমার মনে হয়। কারন, একমাত্র ‘মুহাম্মাদী বিধান’ ছাড়া যেকোন সভ্য আইনেই ‘অপ্রাপ্তবয়স্কার’ সাথে যে কোন ধরনের দৈহিক সম্পর্ক গুরুতর দন্ডনীয়’ অপরাধ।
এ সব আজে-বাজে লেখকের উদ্ধৃতি না দিয়ে উপযুক্ত ‘কোরান-সিরাত- হাদিসের তথ্য ও যুক্তির’ মাধ্যমে লেখক কে দাঁত-ভাংগা জবাব দিন। তাতে আপনার প্রিয় নবী ‘মুহাম্মাদের চরিত্রে কালিমা-লেপন’ যে সত্য নয় তা শুধু প্রমানই হবে না, পাঠকরাও হবেন উপকৃত ।
@গোলাপ,
এদেরকে এসব বলে কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না। কারন এদের কাছে একজন সাধারান চিকিৎসক মরিস বুকাইলি হলো – বিশ্ব খ্যাত বিজ্ঞানী, আর এক সাধারন চিকিৎসক জাকির মিয়া হলো কুরানিক বিজ্ঞানী। আলতু ফালতু মানুষকে তাদের কাছে বিশাল কোন পন্ডিত ব্যাক্তি মনে হয়। এদের জন্য সত্যি মাঝে মাঝে ভীষণ করুনা হয়।
ধর্মকারী কদিন আগে “জোকার নালায়েক: পাঁচ মিনিটে পঁচিশ মিথ্যে”
নামে এক ভিডিও লিঙ্ক প্রকাশ করেছে।
ভিডিও টির বাংলা ভার্শন টাও দেখলাম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=kkIQKM4xGKI&feature=related
@গোলাপ,
আপনি এটা ধর্মকারীতে পাঠিয়ে দিন।
@হৃদয়াকাশ, “”একটি শূকর”” পড়ুন এখানে
@সবুজ বড়ুয়া,
পড়লাম। জাকিরের আরেকটি কুযুক্তি সম্পর্কে জানলাম। ধন্যবাদ।
@কিন্তু ;মানব,
এভাবে কষ্ট করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ঠিক একই রকম কষ্ট করে যদি নিজের ভাষায় কোরান, হাদিস ও মোহাম্মদের জীবনি টা পড়তেন , তাহলে আমার চেয়ে আনন্দিত আর কেউ হবে না। আমি সকল মুমিন বান্দাদের সেটাই বলি। বলি- কাফের, নাস্তিকদের লেখা পড়ার দরকার নেই , বরং কিতাব ভাল করে পড়ুন, কিন্তু কে শোনে কার কথা , কেউ পড়তে চায় না । মুমিনদের মানসিক অবস্থা এতটাই বন্ধ্যা।
@ভবঘুরে,
আসেন সামনা সামনি বসি, দেখি আপনি যা বুঝেছেন তা ঠিক , না আমার টা, বাজী হয়ে যাক , হয় আপনি , মুস্লমান নয়ত আমি নাস্তিক হয়ে যাব , কই থাকেন? ঢাকা??
@কিন্তু ;মানব,
আপনি মানুন আর না মানুন, সভ্য সমাজের পুরো আক্রােশ এ বর্বর লোকটির ওপর, কারণ তাঁর প্রচারিত উগ্র এক জীবন বিধান এর জন্য সভ্যতাকে দিতে হচ্ছে চরম মূ্ল্য।
হাহাপগে। সবধরণের স্যাডিজম এর চরম উদাহরণ হলো তথাকথিত পয়গম্বরটি আর তাঁর কাজকর্ম তুলে ধরলে দোষ, তাই না? বেশী কিছু না শুধু একটা উদাহরণই দিচ্ছি, এখানে দেখুন ।
এখন আপনিই বলুন, কে স্যাডিস্ট ?
খুব সুন্দর পোষ্ট ভবঘুরে ভাইয়া,
খুব সুন্দর বিশ্লেষণ (F)
যা হোক, অনেক দিন পরে মুক্তমনায় কমেন্ট করছি (পাঠক কিন্তু নিয়মিত)। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, এই পোষ্টটিতে বিভিন্ন জায়গায় মোহাম্মদের সবচেয়ে কম বয়সের স্ত্রী হযরত আয়শার কথা উঠে এসেছে। তার বয়স নিয়ে নানা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ৬ বা ৯ বছরের কথা যেখানে যেখানে উঠেছে, আমার মনে হয়- আধুনিক বাৎসরিক হিসেবে (সূর্য কেন্দ্রিক) আরও কম হওয়ার কথা। কারন তখন ঐ আরবে মনে হয় সুধু চন্দ্র কেন্দ্রিক (চঁন্দ্র বর্ষ) হিসাব করা হতো। তাই আধুনিক বৎসর হিসেবে মনে হয় অন্তত আরও কিছু দিন কম হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এমন সুন্দর পোষ্টের জন্য। (F)
চালিয়ে যান…………………………………
মানুষের বিবেক কতোটা নিম্নে নাম্লে এমনটা করতে পারে… :-s
পোষ্টা খুবি ভালো হয়েছে নিঃসন্দেহে। একটা মাত্র ফাঁক আমি দেখতে পাচ্ছি আপনি যদি সব স্ত্রীগনের বয়স তুলে ধরে বিশ্লেষণ করতেন তাহলে পোষ্টটি আরো ইস্পাত কঠিন হত। তবে সেক্ষেত্রে আমার পক্ষে কিছু যোগ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ত বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ অন্তত আমাকে কিছু যোগ করার সুযোগ দানে বাধিত করার জন্য।
যার দু’হাত সমান চলে তাকে আমরা বলি “সব্যসাচী” কিন্তু যার দু’মাথা সমান চলে তাকে আমরা কি বলে বিশেষিত করতে পারি?
যাক আজাইরা প্যাচাল মেরে লাভ নাই মূল কথায় আসি। এক নজরে দেখে নিই তাঁর স্ত্রীগনের বয়সের তালিকা।
[img]http://img820.imageshack.us/img820/7744/72571873.jpg[/img]
বয়স গুলোকে সামান্য লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই প্রত্যেক দশকের ঘরেই তিনি যাতায়ত করতে চেয়েছেন অবাধে। লাভ করতে চেয়েছেন বয়স ভিত্তিক পূর্ণ রতি তৃপ্তি।
১-১০ বছর বয়সের মধ্যে পাই আয়েশা
১০-২০ বছর বয়সের মধ্যে পাই সাফিয়া, জুবাইরিয়া।
২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে পাই হাফসা, উন্মে সালমা।
৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে পাই যাইনাব বিনতে খুজাইমা, উম্মে হাবিবা, জাইনাব বিনতে জাহাশ, মাইমুনা।
৪০-৫০ বছরের বয়সের মধ্যে পাই খাজিদাতুল কুবরা, সাওদাহ ।
এছাড়াও তিনি ভোগ করে গেছেন অসংখ্য দাস দাসী, যুদ্ধ বন্দিনী। যাদের বয়স এখনো অজানা।
তাঁর সুপার স্টার চরিত্র বিশ্লেষন করে আমরা মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি ইতিহাসে এমন দু’মাথায় পারদর্শী মহাপুরুষ পৃথিবী বাসি হয়তো আর দেখতে পাবে না। ;-(
@লাইট ম্যান,
প্রবন্ধের সেরা মন্তব্য। কিন্তু যারা নিজের বিবেক বন্ধক দিয়ে দিছে ভুতের মত এক কাল্পনিক সত্বার কাছে, তারা কোনদিনই আসল সত্যটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেনা। মুফতি নোমান সিদ্দিকীর বর্ণনা সহ আপনার মন্তব্যটা আলাদাভাবে সেভ করে রাখলাম কোনদিন কাজে লাগতে পারে।
মন্তব্যটা এখানে আবার রিপিট করলাম-
(মুহাম্মদের স্ত্রীদের) বয়স গুলোকে সামান্য লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই প্রত্যেক দশকের ঘরেই তিনি যাতায়ত করতে চেয়েছেন অবাধে। লাভ করতে চেয়েছেন বয়স ভিত্তিক পূর্ণ রতি-তৃপ্তি।
১-১০ বছর বয়সের মধ্যে পাই আয়েশা
১০-২০ বছর বয়সের মধ্যে পাই সাফিয়া, জুবাইরিয়া।
২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে পাই হাফসা, উন্মে সালমা।
৩০-৪০ বছর বয়সের মধ্যে পাই যাইনাব বিনতে খুজাইমা, উম্মে হাবিবা, জাইনাব বিনতে জাহাশ, মাইমুনা।
৪০-৫০ বছরের বয়সের মধ্যে পাই খাজিদাতুল কুবরা, সাওদাহ ।
এছাড়াও তিনি ভোগ করে গেছেন অসংখ্য দাস দাসী, যুদ্ধ বন্দিনী। যাদের বয়স এখনো অজানা।
তাঁর সুপার স্টার চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি ইতিহাসে এমন দু’মাথায় পারদর্শী মহাপুরুষ পৃথিবীবাসি হয়তো আর দেখতে পাবে না।
আপনার শেষ কথাটার সাথে আরেকটু যোগ করবো- তাঁর সুপার স্টার চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা মোটামুটি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি ইতিহাসে এমন দু’মাথায় পারদর্শী মহাপুরুষ পৃথিবীবাসি হয়তো আর দেখতে পাবে না, এর আগে কোনদিন দেখেও নাই। কারণ আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা মুহাম্মদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দাবী করেছেন যে, তার মুখ দিয়ে আল্লাহর কথা বের হয়। বাকিসব নবী, রাসুল পয়গাম্বর যা’ই বলেন সবই তো মানুষের কাল্পনিক গল্পের নাম, যা মুহাম্মদ কপি করেছেন তার কোরানে। তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিলের মানুষ ও নবীগণের নাম পৃথিবীর ইতিহাসে নাই কেন? ঈসা নবী বলে কোন ব্যক্তি দুনিয়ায় বাস করতেন যিনি অন্ধকে চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দিতে পারতেন, মুসা নবী, দাউদ, ইব্রাহিম এদের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ, archeological proof আছে? মুহাম্মদ ছাড়া আর কোন নবী অস্ত্রহাতে মানুষ খুন করেছেন, মরুভুমিতে রক্তনদী বইয়ে দিয়েছিলেন, এর কোন প্রমাণ আছে? স্বঘোষিত নবী দুনিয়ায় একজনই ছিলেন। তার সফলতার কারণ এখানে একটু দেখতে পারেন-
@আকাশ মালিক,
আকাশ মালিক ভাই আপনি আমার খুবি প্রিয় একজন লেখক। আপনার সব লেখা আমি গোগ্রাসে গিলি।আপনার কাছ থেকে মন্তব্যটা আসায় খুব প্রীত হলাম। আপনার আর আমার ইউরোপের একি দেশে বাস অথচ আপনার সাথে সরাসরি দেখা বা কথা হয় না এ বেদনা আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বেদনা উপশম করবেন কি?
@ভাই আকাশ মালিক, :guru:
মুহম্মদের সফলতার কারণ আপনার দেওয়া লিঙ্কে গিয়ে ইংরেজিতে লেখা দেখলাম। এটাকে বাংলা করে কি একটা পোস্ট হিসেবে মুক্তমনায় দেওয়া যায় না ? এইটুকু সময় কি আপনার নেই ? এই সময়টা আপনি করতে পারলে আমার মতো অনেকেরই অশেষ উপকার হতো ।
@লাইট ম্যান,
ধন্যবাদ বয়ষের তথ্য সংযোযনের জন্য। আপনার তথ্য থেকে আরো একটা বিষয় আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেল, লক্ষ্য করলে দেখা যায় ১ম এবং ২য় হিজরিতে মহা-উম্মাদ নতুন কোন বিয়ে করেনি, কারনটা ভেবে দেখেন ত সবাই একটু। এর একমাত্র কারন হচ্ছে হিজরতের প্রাথমিক অবস্থায় উনি শক্তি সামর্থ্য অর্জনে ব্যস্ত ছিলেন এব তখনও উনার মনে আরবের বাদশাহ অনুভুতিটির জন্ম হয়নি… প্রথম যুদ্ধ জয়ের পর থেকেই তার আসল লাম্পট্যের বহি-প্রকাশ শুরু হয়।
@নাসের আব্দুল্লাহ,
একদম খাটি কথা বলেছেন। আপনার সুক্ষ্ম দৃষ্টিভংঙ্গির প্রশংসা করতে হয়।
মোহাম্মদের বিয়ের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ বলে ১৪, কেউ বলে ১১, কেউ বলে ২৪, কেউ বলে ৩৬, বেগম রোকেয়া লিখেছেন ৯। কোনটা সঠিক? মোহাম্মদ তার জীবদ্দশায় যা যা করেছে তা অনুসরন করা তার উম্মতের জন্য সুন্নত। তাই বহু বিবাহ ও শিশু বিবাহ মসলিম পুরুষদের জন্য সুন্নত। কিন্তু এ মহান সুন্নত কাজগুলো সভ্য সমাজের মুসলিমরা করেনা কেন, তারা কেমন মুসলিম?
@তামান্না ঝুমু,
মোহাম্মাদ একাধিক বিয়ে করেছেন বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে, তার অনুসারীদেরকে বলেননি, ১০-১৫ বিয়ে করতে। আর তাকে অনুসরনের ক্ষেত্রে তার সাহাবিরা সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন, তারা কেই সর্বাধিক ৩-৪ টার বেশি বিয়ে করেননি। তিনি কামুক হলে যখন কাফেররা তাকে তার মিশন বাদ দেয়ার জন্য তাকে অনেক সম্পদ ও নারীর লোভ দেখিয়েছিলেন, তখনই তা করতে পারতেন।
@ইমরায,
আয়েশা, হাফসা এবং জয়নাবকে কী ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিয়ে করতে হয়েছিল?
তিনি কামুক না হলে তিনি নিজে বহু বিবাহ করেছেন ও সকল মসলিমের জন্য বহু বিবাহ বৈধ করেছেন কেন? কেন যুদ্ধ বন্দিনী ও দাসীদের হালাল ঘোষণা করেছেন? গনীমতের(যুদ্ধ বন্দিনী ও যুদ্ধ লব্ধ মালামাল) লোভ দেখিয়ে কেন যুদ্ধবিমুখ মানুষকে যুদ্ধে প্রলুব্ধ করেছেন? এমন কী মৃত্যুর পরেও কেন মানুষকে হুর ও গেলমানের লোভ দেখিয়েছেন? অমুসলিমদের প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি কারণ তার পরিকল্পনা ছিল সুদূর প্রসারী, তিনি এত সহজে দমবার পাত্র ছিলেননা। তারা তাকে যত নারী ও সম্পদের লোভ দেখিয়েছিল তিনি জেহাদ এবং অমুসলিমদের উপর অতর্কিত আক্রমণের মাধ্যমে তার চেয়ে ঢের বেশি সম্পদ ও নারী লাভ করেছিলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে। সোব্হানাল্লাহ্।
@ইমরায,
যে ঘটনার বিষয় কোরান ও হাদিস থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলো কি মিথ্যা ? মিথ্যা না হলে এ ঘটনাগুলোর ব্যখ্যা হাজির করে আপনি মোহাম্মদের চরিত্র যে পবিত্র তা বুঝালেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। তা না করে ষাড় গরুর মত যুক্তি তর্ক ছাড়া গুতোগুতি করছেন, আপনার মতলব টা কি ? মক্কার কাফেররা মোহাম্মদকে কোনই গুরুত্ব দিত না , তাই তাকে নারী ও সম্পদের লোভ দেখানোর কোনই ভিত্তি নেই , যা আপনারা জানেন তা মোহাম্মদ সম্পর্কে প্রচলিত হাজারটা মিথ্যা প্রপাগান্ডার একটি।
@ভবঘুরে, “মক্কার কাফেররা মোহাম্মদকে কোনই গুরুত্ব দিত না”- এই গুরুত্বহীন লোকটা কোন শক্তির বলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে মক্কা-মদিনার বাদশা হয়ে গেলেন।
নবীর একাধিক বিয়ে নিয়ে অপপ্রচার বহুদিন আগে থেকে হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ইসলামের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ বই লেখা হয়েছে। তাতে ইসলামের কোন ক্ষতি হয়নি। বিবাহটাও একটা পুরাতন ইস্যু। এর বিস্তারিত জবাব আমার দেয়ার ইচ্ছা আছে। তবে কিছুদিন সময় লাগবে।
@ইমরায,
আপনার বিস্তারিত জবাবের আপেক্ষায় থাকলাম।
ইসলামের ক্ষতি কি হয়নি? এসব কথা লেখার জন্য তো আমার মতো একজন নাস্তিকের মাথা কাটা যাওয়ার কথা, কিন্তু আপনাকে এখন বিস্তারিত জবাব দিতে হচ্ছে। এটা কি ইসলামের ক্ষতি না? বিস্তারিত জবাবের পিছনে সময় নষ্ট না করে, আপনি হয়তো এখন কোরানের কিছু বাক্য পড়ে আরো একটু মুসলমান হতে পারতেন। ঠিক বলেছিনা?
@ইমরায,
এটা একটা ঐতিহাসিক সত্য, এর সূত্র কিন্তু তৎকালীন মুসমানদের লেখা নবীর জীবনি আর হাদিসসমূহ । নবুয়তপ্রাপ্তি থেকে হিজরত এ দীর্ঘ বার বছরে ক’জন অনুসারী জোগাড় হয়েছে তাঁর ?
ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের ফলে যতই এ লোকটির ব্যাপারে জানা যাচ্ছে ততই ঘৃনা বাড়ছে এ লোকটির প্রতি।
আপনি এত যে তাঁর ভক্ত, বলতে পারেন, এ বিশিষ্ট ব্যক্তিটি মায়ের পেটে কতদিন ছিলেন? একটু পড়াশুনা করে তাঁর জীবনি পাঠ করে আমাদের জানাবেন কি? দেখবেন কেঁচো খুঁড়তে আজদাঁহা সাপের দেখা মিলে না যায়! বিস্তারিত জবাব দেয়ার সময় এ ব্যাপারটাও একটু মাথায় রাখবেন, আশা করি।
@ইমরায,
সত্য কথাই বলেছেন। ইসলামের কোন ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে ইসলাম অনুসারীদের, মুসলমানরা অাজ একটি হীনম্মন্য জাতিতে পরিণত হয়েছে। সকল প্রগতির গতিরোধ করাই তাদের প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। হুর, গেলমান অার জন্নতের লোভে ইহকালের সকল মায়া ত্যাগ করতে তারা কখনই পিছপা নয়, এবং সঙ্গে করে পৃথীবির বাকি কাফের, মুশরিকদের ইহকালের মায়া ত্যাগ করিয়ে দিচ্ছে।
@ভবঘুরে,
অনেকদিন পরে আপনাকে মুক্তমনায় দেখলাম। ভাললাগলো। আমিও অবশ্য কম আসি। নানান ঝামেলা নিয়ে আসা হয় না।
@আফরোজা আলম,
আপনাকে দেখেও ভাল লাগল।
@ইমরায,
লোভে পড়লে পেতেন ২/৩ টি নারী। আর না পড়লে পেতেন যাকে ইচ্ছে তাকে। তাই হয়তো লোভে পড়েননি।
@ইমরায, এই পথভ্রষ্ট লোকগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু লিখা হলে সেটা হিসেব-নিকেশ না করেই মেনে নিতে চায়।কিন্তু ইসলামের পক্ষের যুক্তিগুলো নিয়ে বিশদ গবেষণায় বসে যায়।কিন্ত সঠিক গবেষণা করে উঠতে পারে না।কারন,কেউ যদি ঘুম থেকে না উঠতে চায়,তাকে তো আর জোর করে তোলা যায় না।কারন,আপনি যে যুক্তি এখানে দিলেন যে,মক্কায় থাকা অবস্থায় তো তাকে অসীম সম্পদ,অনেক সুন্দরী নারী সহ অনেক কিছুরই প্রলোভন দেয়া হয়েছিল।কিন্তু তিনি সেই সম্পদ,নারী কোন কিছুই গ্রহণ করেননি।কোন কিছুই তাঁকে ইসলাম প্রচারের মহান ব্রত থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত করতে পারে নি।
আবার এখানে বলছে,ওনাকে নাকি মক্কায় তেমন কেউ মূল্যায়নই করত না,ওনার অঢেল অর্থও ছিল না,তাহলে এত স্বল্প সময়ে কেমন করে আরব সহ সারা পৃথিবীর অগণিত মানুষের মন তিনি জয় করলেন,তা এই পথভ্রষ্টদের কাছ থেকে জানতে চাচ্ছি।
আরেকটা জিনিস কি,ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি,যাদের হৃদয়ে মোহর লেগে যায়,ওদের বুঝিয়ে কাজ হয়না।আবু জেহেল যখন মহানবী (সঃ) কে চাঁদ দুভাগ করে দেখাতে বলল,মহানবী(সঃ) আল্লাহ্র ইচ্ছায় চাঁদে ইশারা করা মাত্র চাঁদ দুভাগ হয়ে গেল।কিন্তু তার পরও আবু জেহেল এর ভাগ্যে ইসলাম নসীব হয়নি।কারন,ঐযে বললাম,মোহর।
আর চাঁদের বিভক্ত হওয়ার বৈজ্ঞানিক প্রমানও পাওয়া গেছে।
কিন্তু ঐযে বললাম,ইসলামের বিরুদ্ধের যুক্তিগুলো ওদের মাথায় ঢোকে,কিন্তু স্বপক্ষের যুক্তিগুলো ওদের মাথায় ঢুকতে চায়না।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার দুঃখ টা বোঝা যাচ্ছে। 🙂 কেন মুসলমানেরা নবীর মত করে অনেক অনেক বিয়ে করতে পারে না। আমার মনে হয় কোরানে ৩৩:৫০ নং আয়াতটাই (কোরানে এ ধরনের আয়াত আরও আছে, যেগুলো নবী এবং মুমিন ব্যাক্তিদের অধিকার ভাগাভাগী করে দেয়) কিছুটা বাধা দেয়।
নিচে ডঃ জহুরুল হকের অনুদিত কিছুটা অংশ তুলে দিলাম:
হে প্রিয় নবী! আমরা তোমার জন্য তোমার স্ত্রীদের বৈধ করেছি যাদের তুমি তাদের দেনমোহর আদায় করেছ, আর যাদের তোমার ডান হাত ধরে রেখেছে, তাদের মধ্য থেকে যাদের আল্লাহ তোমাকে যুদ্ধের দানরূপে দিয়েছেন; আর তোমার চাচার মেয়েদের ও তোমার ফুফুর মেয়েদের এবং তোমার মামার মেয়েদের ও তোমার মাসীর মেয়েদের- যারা তোমার সঙ্গে হিজরত করেছে, আর কোনো মুমিন নারী যদি সে নবীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে, যদি নবীও তাকে বিবাহ করতে চান- এটি বিশেষ করে তোমার জন্য, মুমিনগণকে বাদ দিয়ে। বিশেষ করে এই ধরণের বাক্য দেখে হয়ত মুমিনগণ/ মুসলমানরা তাদের অধিকার সম্পর্কে আর বেশি এগোয় না। আর সব বিষয়েই যদি নবীকে অনুসরণ করা সুন্নত হতো তবে, রাসুলগিরী, হিজরত, মিরাজ, হঠাৎ আক্রমন করে কোন দলের ওপর নিজের মত চাপিয়ে দেয়া এগুলোও সুন্নত হতো।
ব্যাপরটা ঠিক ক্লিয়ার না,
লেখা অসাধারন হয়েছে, এই তথ্য গুলো আম জনতার কাছে পৌছে দেয়া খুবই দরকার।
@সীমান্ত ঈগল,
পোষ্য পূত্রদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদেরকে পূত্রদের পালক পিতাদের(মুমিন) বিয়ে করতে অসুবিধা না হয়। কাছাকাছি থাকার কারনে পালক পিতার লোলুপ কু নজর তার পোষ্য পূত্রের স্ত্রীর ওপর পড়তে পারে। তো তখন সে পূত্র বধুকে বিছানায় নিয়ে ফুর্তি করার জন্য তো একটা অনুমোদন দরকার , তাই না ?
@ভবঘুরে,
পোষ্য পুত্রদের মানে কি শুধু মাত্র পালিতপুত্রদের (দত্বক সন্তান)।
সেইরকম লিখেছেন দাদা। চলুক। (Y)
@নিটোল, আর বেশী দূর চলবে না…সব নাস্তিক/ ইসলাম অপছন্দকারিদের ১ম & শেষ যুক্তি এগুলু… :-Y
@নিমো, হা হা হা। ১ম যুক্তিই যেখানে খন্ডন করতে পারছেন না সেখানে আরো যুক্তি আনলে ঝামেলায় পড়বেন তা বোঝাই যাচ্ছে। পোস্টের বক্তব্য যদি অযৌক্তিক মনে হয় তাহলে তা খন্ডন করে এখানেই কমেন্ট করুন, কেউ আপনাকে বাধা দেয়নি। তবে ব্যাপারটা হলো- আপনি করবেন না, করতে পারবেনও না; শুধু দেয়ালে মাথা ঠুকেই যাবেন।
ধন্যবাদ।
আসলে এ ধরনের কথাবার্তা লিখে কিছু মানুষের মন্তব্য পাওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না। লক্ষাধিক সাহাবী যাকে অত্যন্ত নিকট থেকে দেখেছে, তারা কখনো মোহাম্মাদের ভিতরে ভণ্ডামি, মিথ্যাবাদিতার, অশালীনতার কোন কিছু পাইনি। সেখানে ১৪০০ বছর পরে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত হাস্যকর।
কোরআন যাকে বলেছে”নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত।”
কিয়ামত পর্যন্ত যার আদর্শ পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবে, কোটি কোটি মানুষ যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বলে স্বীকার করে।
@ইমরায,
হুম——-, কিন্তু আসল কথা হলো মোহাম্মদের চরিত্রকে তার রচিত কোরান ও তার সাহাবী রচিত হাদিস এর উদ্ধৃতির মাধ্যমেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমাদের নিজেদের রচিত কিতাবের কোন উদ্ধৃতি নেই সেখানে।
নিজের ঘোলকে সবাই মিষ্ট বলে। মোহাম্মদ কথিত কোরানে মোহাম্মদ কি বলবে যে – নিশ্চয়ই আপনি নিকৃষ্ট চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত?
তার চেয়ে হাস্যকর হলো-১৪০০ বছর ধরে আপনারা কেন মোহাম্মদের চরিত্র জানার চেষ্টা করেন নি।
কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখেন কি ঘটে। ঐ যে আপনাদের মত মোহাম্মদের কাছে নিজের বুদ্ধি ও বিবেক বন্ধক দেয়া মানুষরাই তাকে সর্বশ্রেষ্ট বলে।
@ভবঘুরে, “আপনাদের মত মোহাম্মদের কাছে নিজের বুদ্ধি ও বিবেক বন্ধক দেয়া মানুষরাই তাকে সর্বশ্রেষ্ট বলে” – আমি না হয় বুদ্ধি, বিবেক বন্দক রাখলাম, কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়ার সাদা চামড়ার হাজার হাজার মানুষেরা, যারা মুক্তমনা, জ্ঞানবিজ্ঞানে উন্নত, তারা কেন ইসলাম গ্রহন করে। বর্তমানে সবচেয়ে সম্প্রসারণশীল ধর্মের নাম ইসলাম।
@ইমরায,
এই আধুনিক যুগেই ভারতের ভগবান রজনীশ ও সাইবাবারও হাজার হাজার সাদা চামড়ার চ্যালা ছিল। এতে করে কি রজনীশ ও সাই বাবা আসমানী পুরুষ হয়ে গেছে নাকি ? যারা ইসলাম গ্রহন করে তার একটা বড় অংশই ইসলামকে না জেনে গ্রহন করে, কিছুদিন থাকার পর যেই মোহাম্মদ ও ইসলামকে তারা ভালমতো চিনতে পারে, সাথে সাথেই তারা ইসলামকে ছেড়া কাগজের টুকরোর মত দুরে ছুড়ে ফেলে দেয়। গুগল সার্চ করে এর অনেক খবরই পাবেন । ইসলাম গ্রহন যারা করে আপনাদের মত মানুষ ও ইসলামী মিডিয়াগুলো তার ফলাও প্রচার করে, যারা ইসলাম ত্যাগ করে তাদের কথা কি প্রচার করে ? ইসলামে সম্প্রসারনসীল ধর্ম এটাও আপনাদের মিডিয়ার একটা অপ প্রচারনা- এসব ভুয়া প্রচারনা আপনাদের দারুন আনন্দ দেয়, তাই তা স্বাড়ম্বরে করে যান। তবে বেশীদিন নেই যখন ইসলাম ও মোহাম্মদের জারিজুরি ও ভেল্কিবাজী শেষ হয়ে যাবে। এমন একদিন আসবে যেদিন একজন মুসলমান তার ধর্ম যে ইসলাম এটা বলতেও লজ্জা বোধ করবে।
@ইমরায,
“বর্তমানে সবচেয়ে সম্প্রসারণশীল ধর্মের নাম ইসলাম।”
কারণ হচ্ছে, গিণিপিগের মতো বংশবৃদ্ধি, অন্যকিছু নয়।
বরং বলতে পারেন সবচেয়ে ক্ষয়িষ্ণু ধর্মের নাম হচ্ছে ইসলাম।
@ইমরায,
সর্বশেষ ভরসা কিয়ামতের দোহাই! ভাই, আপনি খাঁটি মুসলমান, কারণ ঠিক একই কাজটা মুহাম্মদও করেছিলেন।
অন্ধের কাছে বর্ণ সংখ্যা এক জানেন তো! অন্ধের কাছে সব বর্ণই সমান। তা তাঁকে মালিকা শেরাওয়াতের নাচ দেখান কিংবা গোলাপের লাল রঙ। আমি দুঃখিত যে, এ রকম উদাহরণ টানতে হলো… কিন্তু তারা যে প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, তাঁকে ভেড়ানো সহজ। তার চেয়েও সহজ হয় যদি মানুষের মনে দুটি জিনিস সঞ্চার করতে পারলেঃ ১। ”ভয়”, যা ইসলাম শুরুতেই ইনপুট দিয়ে দেয়। (আল্লাহ বিশ্বাস, নয় তো দোজখ) ২। ”অগাধ শ্রদ্ধা”, ইসলামে এমন ভূরী ভূরী অতিরঞ্জিত গল্প রয়েছে (যা মুহাম্মদের চরিত্রকে উজ্জ্বলতর করে) যা বিশ্বের তাবৎ সর্বাধিক মানুষের মনে এমনভাবে জায়গা করে নেয় যে, মানুষটি টিনের চশমা পরে তাকাতে বাধ্য হয়। এ দুটি জিনিস বা ফ্যাক্টর ছাড়া ইসলাম সম্পুর্ণ অচল হয়ে পড়ে। এ দুটি জিনিস বাদ দিয়ে দেখান দেখি কোন্ ব্যক্তিটি ইসলাম গ্রহণ করেছেন, যেখানে নিজে থেকে কেউ ধর্মান্তরিত হতে এগিয়ে এসেছে। যাচাইয়ের জন্য তো আর ১৪০০ বছর পূর্বে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ জোর জুলুম তুলে ফেলুন, কথায় কথায় আল্লার নামে মানুষ জবাই করা বন্ধ করুন, দেখবেন বাংলাদেশের অনেক মুসলিম নর-নারীও অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে কুন্ঠাবোধ করবে না। যা হোক, অন্য প্রসঙ্গে যাই, হিন্দিতে ইদানীং একটি জনপ্রিয় গান শোনা যায় “মুন্নি বদনাম হুয়ি…” আমি জানি না আদৌ মুন্নির এ ধরনের বদনামের জন্য কে দায়ী, তবে এই মুন্নিদের ব্যবহার করে স্বার্থ উদ্ধারের পর ইসলামের মাধ্যমে জায়েজ করা সমীচীন নয়। আমি এই কথা বলছি এই জন্য যে, মুহাম্মদ/কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আর আমরা করলে ঢং, এটা যেন না হয়। ওনারা ১৬, ২১টা বিয়ে করলেও জায়েজ আর আমরা ২-৩টা করলে নাজায়েজ হয়ে যায়। খোদ মুহাম্মদ যদি সমান বিচার, বন্টন করতেন তাহলে তাহার স্ত্রীদের অভ্যন্তরে ঝগড়া, চুলা চুলি লাগিলো কেন হে? একে অপরকে সহ্য করতে পারিত না, হিংসা করিত কেন হে? খোদ কোরান তারপর আয়াত নাজিল করে, আল্লাই নির্ধারণ করিয়া দেন, সর্ব কনিষ্ঠ প্রিয় স্ত্রীই উত্তম। তা এই কথাটি আল্লাহ বিবাহের আগে বলিতে পারেন নাই যে, –“””আমার নবীর সর্বোত্তম বিবাহিত হবেন ‘অমুক’ যিনি জন্ম গ্রহণ করিবেন ‘অমুক’ পরিবারে ‘তমুকের’ কাছে এবং তাহার মর্যাদা হইবে সর্ব স্ত্রীর উপরে”””– সর্বশেষ বলতে চাই, যিনি জেগে ঘুমান তাহাকে কেমনে জাগাই… ধর্মান্ধদের মনঃক্ষুণ্ণ হইলেও আমার সত্য বাঁকিয়া যাইবে না। রেফারেঞ্ছ দিবার প্রয়োজন বোধ করিলাম না, কারণ এসব বিষয় নিয়ে অনেক লেখা লেখি হইয়াছে, যার ইচ্ছা হইবে তিনি খুজিয়া নিতে বাধিত থাকিবেন। বলা হয় যে, খুঁজিলে ঈশ্বরও মেলে… তো ইয়্যে ক্যা চিজ হ্যায়। সবুজ
@সবুজ বড়ুয়া, “কথায় কথায় আল্লার নামে মানুষ জবাই করা বন্ধ করুন, দেখবেন বাংলাদেশের অনেক মুসলিম নর-নারীও অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে কুন্ঠাবোধ করবে না।” এই কথা দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন। আপনি যা জানেন না তা নিয়ে কেন কথা বলেন। এখন কার কিছু মানুষ যারা নিজেকে অতি স্মার্ট মনে করে আর রাস্তায় দাড়িয়ে বা হেটে সিগারেট খায়, তার মানে কি তারা স্মার্ট? যদি নিজেকে এই দাবী করে আপনি আনন্দ পান তবে সেটা আপনার জন্য। তাতে আমাদের কিছু না। আমি আমার ধর্ম পালন করব তাতে আপনার সমস্যা কোথায়?? আপনি কেন আমার ধর্ম নিয়ে কথা বলবেন?
@ইমরায,
অন গ্রেট মুসলিম ওরাটর মিঃ নায়েক, লিঙ্কটি খুঁজে পেলাম কাল আশা করি দাবীটা মিটাতে সক্ষম হবে।
@ইমরায,
লক্ষাধিক সাহাবী কি ছিলো? থাকলেও তো ওরা হয়তো ছিলো ফকির। গনিমতের মালের তাদের খুব দরকার ছিলো। আর যেহেতু মুহম্মদকে তারা ব্যবহার করে তারা লাভবান হচ্ছিলো তাই তার আর ভুল ধরা কেনো। যেমন, এখন বাঙলাদেশে হাসিনা/খালেদাকে ব্যবহার করছে তাদের সাহাবীরা!
@ইমরায,
এটা শুড়ির সাক্ষী মাতালের মত কথা। যারা নিজেরাই ছিল অসভ্য বর্বর তারা তাদের অসভ্য বর্বর নেতার খারাপ দিক দেখবে কেমনে? কারন তাদের কাছে মোহাম্মদের সেসব কাজই তো ছিল ঠিক। কিন্তু তার পরও কিন্তু তারা মাঝে মাঝে মোহাম্মদের কাজ কর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। মোহাম্মদ সাথে সাথেই আল্লাহর ওহী দিয়ে তাদের মুখ বন্দ করে দিয়েছে। জয়নবকে বিয়ে করার ব্যপারে ওহী তার জ্বলন্ত প্রমান। আপনাদের বুদ্ধি বিবেচনা সবই লোপ পেয়েছে?
এনার সম্পর্কে এমন আলোচনা তো কতই শুনলাম… কিন্তু ঠিকই বলেছেন, যারা তাদের বোধবুদ্ধি ১৪০০ বছর আগেকার লোকের কাছে বন্ধক দিয়ে রেখেছে তাদের মাথায় ঢুকলে তো!
@কৌস্তুভ,
এভাবে শুনাতে শুনাতে হয়ত একদিন বোধদয় ঘটতেও পারে, তাই না ?
আয়শা (রাঃ) ৯ বছর বয়সে নবীর (সাঃ) ঘরে গমন করেন, এটা সত্য কথা, তবে এ নিয়ে তার নিজের কোনো অভিযোগ নাই! আর আপনি কোথাকার কে যে আয়শার জন্য আপনার এত দরদ? কথায় আছে না, যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়া-পরশির ঘুম নাই!
@Muktadir,
লম্পটেরা কখনো তাদের কাজের জন্য অভিযোগ করে না।
@ভবঘুরে,
Muktadir সম্ভবত বলতে চাচ্ছেন আয়েশার কোন অভিযোগ নেই।
@রৌরব,
হুম, আপনি ঠিক। অভিযোগ করার মত বয়স হতে না হতেই তো মোহাম্মদ অক্কা পেল। আয়শার যে সব হাদিস দেখা যায়, আয়শার ১৮ বছর বয়েসে মোহাম্মদ অক্কা না পেলে ইতিহাস অন্য রকম হতেও পারত। এমন একটা হাদিসে বলা আছে- আয়শা মোহাম্মদকে বলছে- আল্লাহ তো দেখি আপনার জন্য ওহী পাঠাতে বিন্দুমাত্র দেরী করেন না । এটা নবীর কাছে আল্লাহর ওহী পাঠানোর বিষয়ে সন্দেহ করার মত ব্যপার তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
@ভবঘুরে,
আয়েশা তো নবীর মৃত্যুর পরেও অনেকদিন বেঁচেছিলেন। তখনও তিনি কখনও কোন ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।
@হীরক রাজা,
আয়শা তো আর নাস্তিক ছিল না। সেও তো আল্লাহ বিশ্বাস করত। মোহাম্মদ মৃত্যুর আগেই তো তাকে মুসলমানদের জননী করে গেছেন। সবাই তাকে বিপুল সম্মান করতো। তাছাড়া মোহাম্মদ আল্লাহর ওহীর নামে তার স্ত্রীদের আবার বিয়ের পথ বন্দ করে গেছেন। তখন কার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করবে আয়শা ?
আমাদের বেগম খালেদা জিয়াও তো অল্প বয়সে বিধবা, এর পর তো সোজা রাজনৈতিক নেত্রী, দুবার প্রধান মন্ত্রী। এমন তর সম্মানের আসনে বসে থেকে কেউ কি নতুন স্বামী খোজে বা অনুতাপ করে স্বামীর জন্য ?
@Muktadir,
লম্পট আর প্রভাবশালী শাসকের বিরুদ্ধে কে কখন অভিযোগ করেছে ? আর অভিযোগ করেই বা কী লাভ? তার উপর মুহম্মদ আবার স্বঘোষিত ’আল্লার নবী।’ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেই সময় আরবে কার বা কিছু করার ছিলো ? আবু বকরেরই তো মুহম্মদের প্রস্তাবে মিনমিন করা ছাড়া কিছুই বলা্র ছিলো না, সেখানে আয়েশা তো তুচ্ছ। তারপরও একমাত্র আয়েশাই মুহম্মদের নবীত্বে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলো, আপনি কি সত্যিই আল্লার নবী ?
কারো জন্য দরদ থাকাটা মানবতা। সেটা আপনার না থাকলেও আমরা যারা নাস্তিক, তাদের আছে। আমরা আপনাদের মতো আল্লার ভয়ে বা বেহেশেতের হুর গেলমানের লোভে ভালো কাজ করি না, ভালো কাজ করি বিবেকের তাড়নায়।
তারপরও আয়েশার জীবনী একটু খোলা মন নিয়ে পড়েন, আপনার বিবেকের কিছু মাত্র যদি অবশিষ্ট থাকে আমার বিশ্বাস তা কেঁদে উঠবে। একবার ভাবেন, মাত্র ১৮ বছরের একটি মেয়ে; যার জীবন কেবল শুরু, সেই সময় আপনার নবী, বেহেশতের গ্যারান্টিদাতা, নিজের মৃত্যুর পর বিধবা স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ ওহী নিয়ে এসে নিষিদ্ধ করে গেলো। এরপর আয়েশার সারাটা জীবন কেটেছে দীর্ঘশ্বাসকে সঙ্গী করে। আমার মনে হয় নবী বংশ যে নির্বংশ হয়েছে এটা আয়েশারই দীর্ঘশ্বাসের ফল। নিজের পাপের ফলে মুহম্মদ নির্বংশ হলো, কারণ পাপ তো আর আল্লা- ধর্ম-নবী বুঝে না। যে পাপ করবে সেই ধ্বংস হবে। কিন্তু ইসলাম নামে যে আবর্জনা মুহম্মদ রেখে গেলো, যার জন্য পৃথিবীর মানুষ আজ আতঙ্কিত, শঙ্কিত; জানি না এটা পৃথিবীবাসীর কোন পাপের ফল ?
@Muktadir,
বেহেসতে আপনার সাথে আমার দেখা হবে। তখন কিছু হুর কোলে নিয়ে বসে না হয় এসব নিয়ে আলাপ করা যাবে। ঠিক আছে? আপাতত আপনি শিশ্ন ডলতে থাকুন।
ভাল লেগেছে।
৬ বছরের শিশু কন্যা তাও নিজের বন্ধুর !!!!!!!!
ভাবতেই গা গুলিএ যায়।
মহাম্মদের মত কাম ভাবনা এখনো আধুনিক মানুষের মাঝে দেখা যায়(আমার নিজের দেখা)।
চিন্তা করতে অবাক লাগে একটা সহজ কথা মানুষ ১৪০০ বছর ধরেও বুঝতে চায় না। :-Y
@মিতু,
এই জন্যই আদর করার নামে কারো গায়ে হাত দেয়া নিয়ে আমাদের ভাবনার অনেক কিছু আছে।
@মিতু,
কারন সত্যিকার অর্থে কেউ তাদেরকে সাহস করে বোঝায় নি।
@ভবঘুরে, i defenetly agree with you.
@Nafees Sobhan,
Thanks
@মিতু,
বুঝতে চাইবে কেনো, বুঝতে গেলেই তো রিস্ক। বেহেশতের হুর গেলমান হারানোর রিস্ক।
জয়নাব আগে থেকেই মুহম্মদকে বিয়ে করার জন্য মুখিয়ে ছিলো। কারণ, মুহম্মদ তখন উড়ে এসে জুড়ে বসে মদীনার রাজা। আর রাজাকে বিয়ে করতে পারলে তো নিজেও রানী। সব সুন্দরী মেয়েদের মধ্যেই এরকম উচ্চাশা থাকে। এই উচ্চাশা ছিলো জয়নাবের মধ্যেও। তাই মুহম্মদ যখন জায়েদের জন্য, জয়নাবের ভাইয়ের কাছে জয়নাবের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান; তখন জয়নাব বলেছিলো, কেনো আমি এরকম একজন সাধারণ লোককে বিয়ে করবো ? জয়নাব বিয়েতে রাজী না হওয়ায় মুহম্মদ দেখলো, বিপদ; তার মান সম্মান তো আর থাকে না। তিনি আল্লার নবী, তিনি নিজের পালক পুত্রের বিয়ে নিয়ে একটা প্রস্তাব করেছেন। এখন সেই প্রস্তাব যদি প্রত্যাখাত হয় তাহলে তো তার নবীত্ব নিয়েও লোক জনের মধ্যে সন্দেহ উঠতে পারে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি ওহী নিয়ে এসে বললেন, জয়নাবের সঙ্গে জায়েদের বিয়ে হোক এমনটাই আল্লার ইচ্ছা। ব্যস, সমস্যার সমাধান। জয়নাব আর টু শব্দ করতে পারে না। জয়নাব আর জায়েদের বিয়ে হয়ে গেলো। কিন্তু এ বিয়ে নিয়ে সুখী ছিলো না জয়নাব। প্রথমত জয়নাব চায় নি জায়েদকে বিয়ে করতে। দ্বিতীয়ত জায়েদের মনে হয় সেক্সুয়াল প্রব্লেম ছিলো। জায়েদ সম্ভবত জয়নাবকে স্যাটিসফাই করতে পারতো না। এধারণাটি একারণে পোক্ত হয় যে, জয়নাব জায়েদের কোনো সম্তান ছিলো না। অথচ সেই সময় তো কোনো জন্ম নিরোধের ব্যবস্থা ছিলো না, তাই বিয়ের এক দেড় বছরের মধ্যেই মেয়েদের একটি বাচ্চা হওয়া বা গর্ভবতী হওয়া ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু জয়নাবের এমন কোনো ঘটনা ছিলো না। তাছাড়াও তালাকের পর ইদ্দত পালনের যে প্রথা সেটাও মূলত তালাকপ্রাপ্তা অন্তঃসত্বা কিনা সেটা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য। কিন্তু জয়নাবকে বিয়ের পূর্বে মুহম্মদ তাকে ইদ্দতকালীন সময় দিয়েছিলো কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায় না। হয়তো দেয় নি। কারণ, স্ত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোপন খবরে মুহম্মদ ঠিকই জানতো যে জায়েদের দ্বারা জয়নাবের ও কাজ হবার সম্ভাবনা নেই। তাই ইদ্দতেরও দরকার নেই।
যা হোক উপর্যু্ক্ত দুটি কারণেই সম্ভবত জয়নাব, জায়েদের সংসার নিয়ে সুখী ছিলো না। এরই মধ্যেই যখন মুহম্মদ তার বাড়ি এসে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখে বলে ফেললেন, মহান আল্লাহ যিনি মানুষের মন পরিবর্তন করে দেন। তখন জয়নাবের আর কোনো সন্দেহ রইলো না যে মুহম্মদ তাকে পেতে চায়। এই সুযোগেই জয়নাব জায়েদের সঙ্গে শুরু করে তুমুল অশান্তি; শেষে জায়েদ তার পিতার কাছে গিয়ে বলতে বাধ্য হয় আমি জয়নাবকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে মুহম্মদ জায়েদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলে, তোমরা সুখে সংসার কর। কিন্তু তারপরই আবার মুহম্মদের মনে হয়; না, মালটা বুঝি ফসকেই গেলো। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে তিনি নিয়ে আসেন সেই ওহী, যাতে বলেন, তুমি লোকলজ্জার ভয় করছো, কিন্তু তোমার আল্লাহকেই ভয় করা উচিত। ইত্যাদি ইত্যাদি। যা হোক, মুহম্মদের রক্ষা কবচ ওহী আনার পর, রাজার মতোই মুহম্মদ বললেন, এই কে আছিস, জয়নাব এই সুসংবাদটা দাও। জয়নাব তো এই সুসংবাদের জন্য রেডিই ছিলো। ব্যস, এরপর জয়নাব মুহম্মদের বিছানায়।
@হৃদয়াকাশ,
বিয়ের পর পরই মোহাম্মদ জয়নাবের বিছানায় যাওয়ার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়েছিল, সাহাবিরা বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বসে খোশ গল্প করছিল তাই সে জয়নাবের কাছে যেতে পারছিল না, পরে জোর করে তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে জয়নাবের কাছে যায়, মহানবীর অন্য সব কিছু সাথে তার কামোন্মত্ততাও প্রবল ছিল – একটা হাদিসে পড়েছিলাম কিন্তু পরে খুজে না পাওয়াতে সেটা নিবন্ধে সেট করতে পারিনি। দু:খিত।
@হৃদয়াকাশ,
অসাধারন। সবাই যদি আপনার মতন সাধারণ বুদ্ধি ধরত :lotpot:
পৃথিবীটাই বদলে যেত :guru:
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ। আমার আগের একটা লেখা ছিলো, সম্ভবত আপনি পড়েন নি। লিঙ্ক দিলাম পড়ে দেখেন, আশা করি ভালো লাগবে।
কোরান নয় আল্লার বাণী : প্রাসঙ্গিক কিছু ঘটনা।
@বিপ্লব পাল। ঠিক বলেছেন…হাজার হাজার ইতিহাসবিদ & কোটি কোটি মানুষ ১৪০০ বছর গবেষণা করেও এই সাধারণ বুদ্ধিটা ধরতে পারেনি ।ভবঘুরেকে নোবেল দেয়া ফরজ হয়ে গেছে….মহা আবিস্কার।।মানবকূল ধন্য ধন্য.. :rotfl:
দারুন লেখেছেন বস। কিন্তু ২ বার পোস্ট করে ফেলেছেন।
খুবই তথ্যবহুল। ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ হাসান,
আপনাকেও ধন্যবাদ। জানিনা জ্বীনের আসর কি না , তবে নিবন্ধটি পোষ্ট করতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। বার বার চেষ্টা করে কোন মতে পোষ্ট করেছি। আগের পোষ্ট করা নিবন্ধটা বার বার এডিট করার চেষ্টা করেছি , ব্যর্থ হওয়ার পরই কেবন নতুন করে নিবন্ধটা পোষ্ট করেছি। খেয়াল করে দেখুন কোন বোল্ড অপশন ব্যবহার করতে পারিনি। এডিট করে যখনই পোষ্ট করতে গেছি, কোন বারই পোষ্ট হয় নি।
মহানবী (সাঃ) ই একমাত্র বাক্তি যার জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন একটি ঘটনা ও বাতাসের সাগরে হারিয়ে যাই নি। পৃথিবীর আর কোন জ্ঞানী, পণ্ডিত, ধর্মগুরুর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নই। এক লক্ষাধিক এর বেশি মানুষ যার সাথে অজস্রবার যার সাথে দেখা করেছে, যার সহযোদ্ধা হয়েছে, দিনের পর দিন, রাতের পর রাতের পর রাত যার সংস্পর্শে থেকেছে, যারা নবীর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল তারা কখনো তার চরিত্র সম্পর্কে সংশয়ে পড়েনি।
কেউ যদি আমাকে এক ঘণ্টা গ্যাস চেম্বারে থাকতে বলে তাহলে আমি থাকব না। আমাদের যাই হোক গুরু আছে। কিন্তু তারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে সামনে পরিচয় দেই না। আর তাদের যারা আদর্শ যেমন লেলিন, মাও, চে ইত্যাদি- এই লোকগুলোর দুর্গন্ধময় জীবন থেকে মানব জাতির জন্য কি শিক্ষা আছে?
ধর্ম ছাড়া মানব সভতা টেকে না। মানব জাতির সমস্ত নৈতিক শিক্ষার মুল উৎস ধর্ম। মানুষের যদি এক অদৃশ্য শক্তির প্রতি বিশ্বাস না থাকে, মৃত্যুর পরের জীবনকে স্বীকার না করে, তাহলে সে মানুষ থাকেনা।
@ইমরাজ, who says without religion civilization can’t stay? religion came after civilization, not prior to civilization. if you say that Lenin, Mao or Chey were with filthy character then you have to present the proves also such as the writer did in his essay(about Mohammed).
@ইমরাজ,
মুহম্মদসহ তার সকল সাহাবী ছিলো লম্পট আর বর্বর, সবাই মিলে যুদ্ধবন্দিনীদের ধর্ষণ করতো।
@হৃদয়াকাশ, আপনাকে সাহাবীদের জীবনী ভালভাবে পড়ার জন্য অনুরধ জানাচ্ছি।
@ইমরায,
আপনি নিজেই আগে পড়েন , তার পর অন্যকে উপদেশ দেয়া ভাল। আগেও বলেছি এখনও বলছি, নিবন্ধে যা লেখা আছে তা কি মিথ্যা ? মিথ্যা হলে যুক্তি সহ তুলে ধরেন, আমরা ভুল স্বীকার করে সবার কাছে মাফ চেয়ে তওবা করে সাচ্চা মুমিন বান্দা হয়ে যাবো।
@ভবঘুরে, সল্প জীবন দরশন মানুষকে নাস্তিক করে, আর গভীর জীবন দরশন মানুষকে আস্তিক করে…… ফ্রান্সিস বেকন।।
@নিমো,
বেকনের কথাই যে সত্য হবে এমন তো নয়। হতাশাই এক সময় মানুষকে আস্তিক করে তোলে। বয়সও এখানে একটা ফ্যাক্টর। বয়স হলেই মানুষ এক সময় মৃত্যু ভয়ে হতাশায় ভুগতে থাকে যা থেকে আস্তিকতার সূত্রপাত ঘটে অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু তার মানে এটা দাড়ায় না যে – আল্লাহ বলে কেউ কোথাও ওত পেতে আছে।
@ইমরায,
আপনার নবীর চেয়ে, নবীর সাহাবীদের চরিত্র ভালো হবে; এমনটা নিশ্চয় আপনি আশা করেন না। নাকি করেন ? তাহলে তো আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে আপনার নবীর চরিত্র খারাপ।
যা হোক, আপনার নবীর জীবনী পড়ে তার সম্পর্কে যা জেনেছি, সেগুলোর কিন্তু সবই কোরান আর হাদিস থেকে। আর হাদিসের সব ঘটনাই কিন্তু নবীর সাহাবী এবং নবীর স্ত্রীদের বর্ণনা করা। এরপরও আপনি আর কার সম্পর্কে পড়তে বলছেন ? আমাদের যুক্তি দেখে কি আপনার মনে হয় যে আমাদের পড়াশুনা কম ? যদি আপনার তাই মনে হয় তাহলে এক কাজ করেন, আমরা যা বলি আপনি হাদিস কোরান থেকে তার কাউন্টার জবাব দেন। অযথা বলবেন না, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সেটা মুসলমানদের কাজ থেকে আপনাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। বইয়ে লেখা শব্দার্থ, ইসলাম মানে শান্তি, এটা আমরা মানতে রাজী নই।
সমগ্র আরববাসী দেড় হাজার বছর আগে যেমন লম্পট ছিলো এখনও তারা লম্পট। লম্পট না হলে কিভাবে তারা একেকটা গোত্রের উপর হামলা করে জয়ী হওয়ার পর তাদের সকল পুরুষদের হত্যা করে নারীদের ভাগ করে নেয় আর তাদের নিজেদের ইচ্ছে মতো ভোগ করে। সেই সময় যারা মুসলমান হয়েছিলো তারা এই যুদ্ধবন্দিনী নারী আর শত্রুর সম্পত্তির লোভেই হয়েছিলো। তাদের আপনি কী বলবেন ? শুধু তাই নয়, যেসব লোক ইসলাম গ্রহণ করার পরেও যুদ্ধে যেতে চায় নি; আপনার নবী তাদেরকে সহ্য করতে পারতো না। তাদেরকে মুশরিক আখ্যায়িত করে বলেছিলো, এরা কাফেরদের চেয়েও খারাপ। সুতরাং ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে সাধু সেজে বাড়ি বসে থাকার কোনো উপায় ছিলো না। নবী বিভিন্ন কৌশল করে নারী-সম্পদের লোভ দেখিয়ে, আয়াতের ভয় দেখিয়ে তাদের যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতো। আর কষ্ট করে যখন যুদ্ধ করা তখন তারা ভাবতো, তাহলে গণিমতের মাল ভোগে দোষ কী ?
এরপর আপনার মনে হতে পারে, তাহলে তো লোকজন ইসলাম গ্রহন না করলেও পারতো। কিন্তু সেখানেও উপায় ছিলো না; কারণ, নবীর নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকায় ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকা ছিলো অসম্ভব। কেননা যুদ্ধে জেতার পরই নবীর প্রথম কথা ছিলো, হয় ইসলাম গ্রহণ করো, নয় মৃত্যু। এরপর আপনার মনে হতে পারে, নবী কি বলে নি যে, ‘তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার’। হ্যাঁ, এটাও বলেছে। কিন্তু মক্কায় থাকতে। যখন তার শক্তি ছিলো না। কিন্তু মদীনায় গিয়ে যখন তার শক্তি বাড়তে থাকলো তখন তার রূপ অন্যরকম। শুধু যুদ্ধ লুণ্ঠন আর ধর্ষণ।
উপরে বর্তমান আরববাসীদের সম্পর্কে বলেছি যে তারা এখনও লম্পট। হ্যাঁ, এখনও তারা নবীর প্রদর্শিত পথে দাসীদের পিতা-পুত্র মিলে ধর্ষণ করে। এতে তাদের স্ত্রীরা টু শব্দ করে না। এদের আপনি কী বলবেন ? যদি বিশ্বাস না হয় সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিলো এমন মেয়েদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। সেই সৌদি আরবে আপনারা ছোয়াব অর্জনের জন্য যান হ্জ করতে! আমরা নাস্তিকরা তো বেহেশত দোযখে বিশ্বাস করি না, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি দোযখ বা নরক যদি কোথাও থেকে থাকে সেটা একমাত্র সৌদি আরবে, যেটা আপনার নবী সৃষ্টি করে গেছেন ১৫০০ বছর আগে। যার উত্তাপে জ্বলছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও।
@হৃদয়াকাশ,
জব্বর জবাব দিয়েছেন ভাই , ধন্যবাদ।
@ইমরাজ,
সেই হারিয়ে না যাওয়া কাহিনী গুলো উল্লেখ করেই তো আমরা দেখাচ্ছি যে মোহাম্মদকে এতদিন আমরা যেমন জেনে এসেছি, প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মদ তেমন ছিল না মোটেই । কিন্তু সেটা মানতে আপনার অসুবিধা হচ্ছে কেন ? আমরা কি মোহাম্মদ সম্পর্কে মনগড়া কথা বলছি ?