এতদিন জেনে এসেছি বিজ্ঞান সকল কিছুর বিজ্ঞাসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করে , এখানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই। কিন্তু…..
কয়েকদিন আগে কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বা সিএমবি (CMB) আবিষ্কারক দুজনের একজন , নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আর্নো পেন্জিয়াসের সাক্ষাৎকার পড়ে দ্বীধায় পড়ে গেলাম। তিনি বলেছেন-
“বেশিরভাগ পদার্থবিজ্ঞানী ব্যাখ্যা ছাড়াই এই মহাবিশ্বের বর্ণনা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এবং বিজ্ঞান কোন কিছুর ব্যাখ্যা দেয় না , শুধু বর্ণনাই দেয়।“
এটার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন – “কেউ একজন জিজ্ঞাসা করল , ‘কোন এক কোম্পানির সকল সেক্রেটারিই মহিলা কেন’? আপনি উত্তরে বলতে পারেন , ‘কোম্পানির শুরু থেকেই এমনটাই হয়ে আসছে।’ এটা ব্যাখ্যা না দিয়েই পার পাওয়ার একটি পন্থা।”
এটা পড়ে চিন্তা জাগল , আসলেই কি তাই? বিজ্ঞান কি কোনই ব্যাখ্যা দেয় না? মনে পড়ল নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার সেই বিখ্যাত গল্পটির কথা। যার ফলশ্রুতিতে আমরা থিওরী অফ গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ সুত্রটি জানতে পেরেছি। এই সুত্র কি আপেল মাথায় কেন পড়ল বা মাথায় না পড়ে কেন আকাশে উড়ে গেল না , তার ব্যাখ্যা নয় কি? যতই চিন্তা করি ততই মাথা গুলিয়ে যায়। দুটি মহাজাগতিক বস্তু পরস্পরকে আকর্শন করে , এটা তো বর্ণনা। নিউটনের আগেও আপেল মাথায় পড়ত এবং এখনো পড়ে। সকলেই দৈনন্দিন জীবণে এটা দেখছে।
কেন আপেল মাথায় পড়ে? কেন দুটি মহাজাগতিক বস্তু পরস্পরকে আকর্শন করে বা আকর্ষন না করে কেন পরস্পরকে বিকর্শন করে না? এর জবাব কি নিউটন বা অন্য কোন বিজ্ঞানী দিয়েছেন? নিউটনের সুত্র থেকে জানতে পারি আকর্শনের পরিমানটা নির্ভুলভাবে। ব্যাখ্যাটা কি জানতে পারি?
:hahahee: :rotfl: :lotpot:
মডারেটর ভাই,
আমার কমেন্টটি মনে হয় ছাড়া পেলনা 🙁 🙁 জানি নীতিমালায় সুস্পষ্ট ভাবে প্রমিত বাংলায় লেখার কথা বলা আছে, কিন্তু মনে হল সেভাবে লিখলে গল্পটার মজাই নষ্ট হয়ে যাবে। মজা করে, literary ভাবে হলেও আমার গল্পের মেসেজটা, আমার মনে হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ। দর্শনের যুক্তিতে অন্তত ফারুক ভাই এর প্রশ্নে নিশ্চয়ই ভুল নেই? Liberal Arts একটা কলেজে পদার্থবিজ্ঞান পড়তে গিয়ে এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে বহুবার। তাদের মধ্যে খুব অল্প মানুষ ছিল যারা ধার্মিক। পপুলার সায়েন্স পড়া মানুষ, হাই স্কুল সায়েন্স পড়া মানুষ, এমনকি পদার্থবিজ্ঞানের ডক্টরাল ছাত্র (এদের মধ্যে আবার সবাই ধার্মিক ছিল) এমন প্রশ্ন করেছে। সমাজে এরকম মানুষের সংখ্যা মনে হয় কম না।
@জয়,
একমত পোষণ করছি।
ধন্যবাদ মডারেটর, প্রথম কমেন্টটি ছেড়ে দেয়ার জন্য 🙂
মুক্তমনায় আমার দ্বিতীয় পোস্ট। “কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা” প্রবন্ধটিতে আমার পোস্টের উত্তর আশা করছি এখনও।যারা veteran নাস্তিক তাদের উত্তর বেশি উপযোগী হবে, কারন মূলত তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটি করা সেই পোস্টে।
ফারুক ভাই,
একটা গল্প শোনেন।
মতিমিয়া যখন প্রথম হাটতে শিখতেছে, ট্যাঁ ট্যাঁ করতে করতে টের পাইলো, সেকেন্ডে সেকেন্ডে সে হুমড়ি খাইয়া পড়ে। ক্যান পড়ে, কিভাবে পড়ে কিছুই বুইঝা উঠতে পারে না। কিন্তু দুই দিন পর যখন দেখল, আব্বার চশমা, আম্মার তরকারির বাটিও নিচে পড়ে, মতিমিয়ার মনে হইল এই আজাব্ শুধু তার কপালেই না। ফিডার চুষতে চুষতে তাই একদিন মতিমিয়ার মাথায় Eureka খেইলা গেল। দুনিয়ার সবকিছুই নিশ্চয় নিচে পড়ে! এইভাবেই মতিমিয়ার প্রথম Paradigm প্রতিষ্ঠা হইল।
ফুটবল খেলার বয়সে, একদিন উশঠা খাইয়া পইড়া, ঠ্যাং ভাইঙ্গা ফেলল মতিমিয়া। হাসপাতালে আ-উ-কু-কু! করতে করতে বড় আপারে জিগায়া বসল, ক্যান সব কিছু নিচেই পড়েতে হইব? আপা বললেন, মহাকর্ষ বল নিচে টানে বলেই সব নিচে পড়ে। ঠ্যাংগের যন্ত্রণা লইয়াও নতুন ব্যাখ্যায় মতিমিয়া মহা খুশি। এই ভাবেই মতিমিয়ার প্রথম Paradigm Change হইল।
ক্লাস ৮-এ রঞ্জু স্যার মতিমিয়ারে মহাকর্ষ বলের ফলে কিভাবে, নিউটন কাকার আইন মাইনা ফুটবল, টেনিস বল, গাম বল নিচে পড়ে দেখাইয়া দিল। মতি মিয়া ধইরা নিল, দুনিয়ার সকল বস্তুই কাকার আইন থেকে লব্ধ বর্ণনা অনুযায় নিচে পড়ে। আবারও মতিমিয়ার Paradigm Change.
তবুও মতিমিয়ার মন মানে না- কাকার আইন মাইনা ক্যান নিচের দিকেই পড়তে হইব সব কিছু? সবার দোয়া আর দুই পোঁটলা কাঁথা-কাপড় লইয়া তাই একদিন মতিমিয়া আম্রিকার সম্ভ্রান্ত NIT-তে হাজির হইল। সেখানে, Dr. Shylock, General Relativity পড়াইতে গিয়া মতিমিয়ারে আব্জাব্ বুঝাইয়া দিল। ভর এর কারনে Spacetime Curvature তৈয়ার হয়। ওই Curvature এর জন্যই সবকিছু পাতালের দিকে টান্ মারে। মতিমিয়া পাইয়া গেল তার ক্যান-এর উত্তর, নতুন Paradigm Change. Tensor Calculus-এর বর্ণনা মতিমিয়ার মাথার সাত আসমান উপর দিয়া যায়। কিন্তু মতিমিয়ার ওই সব ভাবনের সময় নাই। নতুন প্রশ্ন মতিমিয়ার মাথায় চিল্লা মারে। Spacetime ক্যান ভাজ মারতে গেল?
NIT-র কাফের বৈজ্ঞানিকগুলা মতিমিয়ার-মতে-দুনিয়া-কাঁপানো-প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। মেধার মূল্যায়ন না পাইয়া মতিমিয়া ঠিক করে সে সাংবাদিক হইয়া দুনিয়ার সমস্ত কাফের বৈজ্ঞানিকদের মুখোশ উন্মোচন কইরা দিবে। মতিমিয়ার প্রথম টার্গেট Feinman Uncle.
Interview Video
দুর্ভাগ্যবশত, এই সাক্ষাতকারের পর BBC মতিমিয়ারে বহিষ্কার করে। রাগে-দুঃখে মতিমিয়া বাংলাদেশে ফিরা আসে।
তারপর অনেক বছর কাইটা গেছে। মতিমিয়া এখন কুরানিয়া মাদ্রাসায় বিজ্ঞান পড়ায়। মতিমিয়ার লেকচারের সময় সোবাহানআল্লাহ ধ্বনিতে তিন আসমান কাইপ্পা কাইপ্পা ওঠে। কিন্তু মতিমিয়া মেধার পূর্ণ মূল্যায়ন পায় যেদিন জাকির নায়েকের সাথে পরিচয় হয়। মতিমিয়া এখন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ায়, নায়েক সাহেবের লেকচার তৈয়ার কইরা দেয়।
-ফিনিশদ্
অশিক্ষা, ইংলিশ ব্যবহার এবং যেকোনো বানান ভুলের জন্য অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।
@জয়,
😀 মতি মিয়ার মনে নতুন নতুন ক্যান আজীবনই তৈরী হতে থাকবে, এর কোন শেষ নেই। গল্পটি বেশ মজার।
@জয়,
ঝাক্কাস হৈসে। :guli:
ধন্যবাদ, আসরাফ এবং ব্রাইট স্মাইল্ ভাই 🙂
@জয়,ছালাম/ওম শান্তি/peace be on you/ নাস্তিকেরা যেটা বলে শুভেচ্ছা জানায় সেটা, (যেটা আপনার জন্য প্রযোজ্য , সেটাই গ্রহণ করুন)
আপনার গল্পটি ভাল লেগেছে। যেহেতু এটা গল্প , তাই এর পোস্টমর্টেমে গেলাম না। তবে যেহেতু এই গল্পে বাস্তবের মানুষকে (জাকির নায়েক )ও টেনে এনেছেন তাই বুঝছিনা , এটা গল্প নাকি সত্য।
গল্পের উত্তরে আপনাকেও একটা গল্প শোনাই , যার সাথে বাস্তবতার মানুষের কোন সম্পর্ক নেই।
আস্তিক ও (বিজ্ঞানমনস্ক)নাস্তিকের গল্প।
এক সুন্দর বিকালে আস্তিক ও নাস্তিক দুই বন্ধু , আস্তিকের বাসার বৈঠকখানায় চা নাস্তা খেতে খেতে তর্কে মেতে উঠল।
নাস্তিক: তুমি একই সাথে দুটোরই পক্ষ নিতে পার না। হয় তোমাকে বাইবেলের পক্ষ নিতে হবে অথবা বিবর্তনবাদের। বাইবেল বলছে পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য জীব ও গাছপালার বয়স অনধিক ১০ হাজার বছর এবং সূর্য তথা মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম। কিন্তু বিজ্ঞান এবং বিবর্তনবাদিরা বলছে , ওরা ৩৬০ কোটি বছরের পুরানো জীবাশ্ম (fossil) খুজে পেয়েছে।মহাবিশ্বের আগে পৃথিবীর জন্ম অসম্ভব।পরষ্পরবিরোধী দাবী।
আস্তিক: অবশ্যই তুমি দুপক্ষ নিতে পার।এর জন্য তোমাকে কিছু তথ্য জানা লাগবে।
নাস্তিক চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো : ঠিক আছে। বলো শুনি। সাবধান, উল্টাপাল্টা বুঝ দিয়ে কিন্তু পার পাবে না।
আস্তিক কোন কথা না বলে, সোফা থেকে উঠে বুকশেল্ফ থেকে রাজা জেম্স ভার্সান বাইবেল (সবচেয়ে বেশি পঠিত) ও ইংলিশ-হিব্রু-ইংলিশ ডিকশনারি এনে নাস্তিককে দিয়ে বললো: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদী উভয়েই বাইবেলের প্রথম দুটি আয়াতের মানে বুঝতে ভুল করেছে। সমস্ত রহস্য মাত্র একটা শব্দের মধ্যে নিহিত।
নাস্তিক: একটা শব্দ ! কোনটা?
আস্তিক: ঈশ্বরবাদী ও বিবর্তনবাদীর মধ্যেকার বিতর্ক শুধু শেষই করবে না , ওদেরকে এক করে দেবে। ঠিক আছে , বাইবেল খুলে প্রথম আয়াত দুটি পড়ে শোনাও।
নাস্তিক: Genesis
1:1 In the beginning God created the heaven and the earth. (ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী সৃষ্টি করলো)
1:2 And the earth was without form, and void; and darkness was upon the face of the deep. And the Spirit of God moved upon the face of the waters.(এবং পৃথিবী ছিল নিরাকার ও শূন্যময়; অতল গহ্ববরের উপর অন্ধকার বিরাজ করত। ঐশ্বরিক এক বায়ু জলরাশির উপর বইত।)
আস্তিক: জানোই তো বাইবেল হিব্রু ভাষায় নাযিল হয়েছিল। এখন ডিকশনারি খুলে দেখতো , “ছিল”র (was) সমার্থক আর কি কি শব্দ আছে? হওয়া বা হয়ে গেল (it came to pass or became) আছে না? ২য় আ্য়াতের সঠিক মানে হবে পৃথিবী হয়ে গেল (became) বিশৃঙ্খল (chaotic) ও খালি (empty)।
নাস্তিক রেগে গিয়ে বললো: তুমি বাইবেল নুতন করে লিখবে নাকি?
আস্তিক: আমি তোমাকে আদি হিব্রু থেকে ২য় আয়াতের মানে দেখাচ্ছি , ইংরাজি অনুবাদ ভুলে যাও। আদি হিব্রুতে নিরাকার ও শূন্যময়ের আরো মানে হয় – বিশৃঙ্খল ও খালি। আরো দেখ , হিব্রু শব্দ “হায়া , তহু আর বোহু” র সঠিক কোন ইংরাজি প্রতিশব্দ নেই।এই সবকিছু এক করলে দেখবা , ১ম ও ২য় আয়াতের মাঝে শত শত কোটি বছরের ব্যবধান। বাইবেলে মাঝের এই সময়ের কোন বর্ননা নেই।
১ম আয়াত – ঈশ্বর প্রথমে মহাবিশ্ব ও পৃথিবী সৃষ্টি করেন। সেটা বিগ ব্যন্ঙের মতো শুরু হতেই পারে , ঈশ্বর যখন বলেন নি কেমনে তিনি সৃষ্টি করেছেন। ২য় আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী বিশৃঙ্খল ও খালি হওয়ার আগ পর্যন্ত (ঈশ্বরবাদীদের দাবী অনুযায়ি ১০ হাজার বছর পূর্ব পর্যন্ত) মহাবিশ্ব বিজ্ঞানিদের ধারনার সাথে মিল রেখে বিকশিত হয়েছে এবং এ পৃথিবীতে ডারউইনের থিওরী অনুযায়ি জীবণের বিকাশ ঘটেছে।
নাস্তিক: সে না হয় হলো, তা ১০ হাজার বছর পূর্বে পৃথিবী খালি হলো কি করে? যার ফলে ঈশ্বর কে আবার সবকিছু নুতন করে সৃষ্টি করতে হোলো, বাইবেলে যেমন বলা হয়েছে?
আ্স্তিক: সঠিক বলতে পারব না । এর কারন বিজ্ঞানিরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি কিছু ধারনার কথা বলতে পারি। হয়ত প্রকান্ড কোন উল্কাপাত হয়েছিল বা দীর্ঘদিন ধরে বিশাল অগ্নুৎপাত হয়েছিল , যার ফলে সমগ্র পৃথিবী আগুনে পুড়ে যায় ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফলে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠে না পৌছার ফলে তৃণ , গাছপালা সব মরে যায়। ফলশ্রুতিতে সকল জীব মারা যায় খাদ্যের অভাবে। সূর্যের তাঁপের অভাবে শুরু হয় বরফ যুগ। সমস্ত পৃথিবী বরফে ঢেকে নিরাকার ও খালি হয়ে যায়। সমুদ্রের গভীরে কিছু মাছ জাতীয় প্রাণী বেচে থাকতে পারে। কিছু কিছু প্রমানের কথা শুনতে পাই , সত্যি মিথ্যা জানি না। ম্যমথের গনকবর পাওয়া গেছে , তারা নাকি হটাৎ বরফে জমে ঘাস খেতে খেতে মারা গেছে , মুখে নাকি ঘাস ছিল। এটা নাকি ঘটেছিল আনুমানিক ১০ হাজার বছর আগে। একই সময়কার টক্সিক ভলকানিক ডাস্ট নাকি পাওয়া যায় , যা পুরো পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছিল।
নাস্তিক: হুম ! এ পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে , কিন্তু বাইবেলে পরে যা বলা হয়েছে , তা তো বিশ্বাসযোগ্য না।
আস্তিক: সন্ধ্যা হয়ে গেছে । মাগরেবের নামাজ পড়বো। আজ বাড়ি যাও। আরেকদিন বাকিগুলো নিয়ে আলাপ করব।
ফারুক ভাই,
অয়ালাইকুম আসসালাম। নাস্তিকরা মানুষ ফারুক ভাই, common sense-ওয়ালা মানুষ। বেশিরভাগই যেকোনো সংস্কৃতির সাথে মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চায়। সংস্কৃতির কোন অংশে যদি মানুষের জন্য, পুরো পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর কিছু চোখে পড়ে, সেগুলো বর্জন করার চেষ্টা করে, বদলাবার চেষ্টা করে। কোন নাস্তিক মনে হয় পিঠে নাস্তিক লেবেল লাগিয়ে ঘোরে না। সাধারণ কোন সম্ভাষণের সাধারন প্রত্যুত্তর দেয়।Common Sense ব্যবহার করে। এই জিনিষটার এতো অভাব কেন ভাই আপনার মধ্যে? অন্তত টিভি দেখে, আশেপাশের দু-একজন মানুষ দেখে এইটা শিখতে পারলেন না যে ওম্ শান্তি কোন শুভেচ্ছা বার্তা না? নাকি বিশ্বাস করেন কাফেরদের খোঁচা মারা সোয়াবের বিষয়।
এই গল্প যখন খুজে বের করতে পেরেছেন, এর হাজারটা জবাব ও নিশ্চয়ই পেয়েছেন। গল্পের লেখকের অনেক শিক্ষা বাকি, কারন বিজ্ঞান কি জানলে নাস্তিকমিয়া যে বিজ্ঞানমনস্ক এমন claim কোনোদিন করতে পারতেন না।
বিজ্ঞান আপনার জন্য সব কিছু প্রমান করতে যাবে না। বিজ্ঞানের মুলেই আছে inductive reasoning. বিজ্ঞান অল্প কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতির ব্যাপারে কিছু prediction করে। Prediction যে মিলবে সেটা মানার জন্য common sense লাগে শুধু।
আপনার জন্য, আর একটি ছোট গল্প।
শনিমিয়ার জন্ম কাফের(নাস্তিক) পরিবারে। তাই সে ছোট বেলায় কোন ধর্ম শিক্ষা পায়নি। মতিমিয়ার মতনই ছোটবেলায় সে টের পেল সব কিছু নিচেই পড়ে। বড় হয়ে রঞ্জু স্যার-এর ক্লাসে সে নিউটন মামার আইন শিখলো। কিন্তু তার মনে হল, ফুটবল, টেনিস বল নিচে পড়লেও, গাম বল কোন না কোন দিন উড়াল দিবেই। তাই সে নিয়মিত গাম বল ফেলে পরীক্ষা চালাতে লাগলো। এভাবেই তার জীবন কেটে গেল।
মতিমিয়া, শনিমিয়া, আপনার গল্পের আস্তিক, নাস্তিক সবারই জীবন কেটে যায়। তবুও আমাদের, মুক্তমনাদের কোথায় জানি একটা দুঃখ থেকে যায়।
@জয়, সালামুন আলাইকুম।
নাস্তিকরা যে মানুষ না , এমন ধারনা আমার কোন মন্তব্যে বা পোস্টে প্রকাশ পেয়েছে? আমি তো জানি না। আপনার জানা থাকলে একটা স্ক্রীনশট দিলে বাধিত হব।
আমার এই গল্পে ও দেখুন নাস্তিক ও আস্তিক দুই বন্ধু এবং কেউ কারো বুদ্ধিমত্বাকে খাটো করে দেখছেনা। বরং গল্পে চেষ্টায় করা হয়েছে দুজনের মাঝের বিরোধকে নাই করে দিতে। লাভ হলো কিছু? উল্টো বুঝলি রামের মতৈ আপনি বুঝলেন।
খোঁচাটাতো ভাই আপনিই মারলেন। আমিতো শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েই আমার মন্তব্য শুরু করেছিলাম। আপনার কাছে ওম্ শান্তি শুভেচ্ছা বার্তা মনে না হলেও আমার কাছে বা অন্য অনেকের কাছেই এটা শুভেচ্ছা বার্তা । একটু common sense খাটিয়ে গুগলিঙ করলেই আপনি এমন মিথ্যা দোষারোপ করতে পারতেন না।
http://omshantimandiram.org/
http://yogainventure.com/yoga-greetings/
আরেকটু গুগলিঙ করেন , তাহলে অনলাইনে বিভিন্ন রকমের ‘ওম শান্তি’ গ্রিটিং কার্ড কিনতে পারবেন।
শুধু একটা দুঃখ থাকলে তো আপত্তি ছিল না। বাকি টুকু এই পোস্টের মুক্ত(?)মনা দাবীদারদের মন্তব্য থেকে বুঝে নিন।
ফারুক ভাই,
অজ্ঞানতার জন্য এবং এই বিষয়ে আপনাকে দোষারোপ করার জন্য আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত। আমি আসলেই ওম শান্তি বাঙ্গাত্তক ভাবে ছাড়া কোন সম্ভাষণে ব্যবহার হতে দেখিনি। লিঙ্কসগুলোয় ঢুকে দেখলাম না সময়ের অভাবে, কিন্তু আপনার কথা আপাতত বিশ্বাস করে নিলাম।
অন্তত আমার ক্ষেত্রে ওই একটা দুঃখই বড় হয়ে থেকে যায়।
মুক্তমনার সদস্যদের আপত্তির কারণে লেখাটিকে মূল পাতা থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।
@মুক্তমনা এডমিন,
ব্যবস্থা নিতে অনেক দেরী হলো, তারপরেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সেরকম কিছুই তো মনে হচ্ছে। মন্তব্য করেছিলাম সেই সকাল বেলায়, তারপরেও এখনো এই পোষ্ট ঝুলে আছে।
লেখকের জানার আগ্রহের প্রতি যথাপূর্বক সম্মান রেখেই বলছি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে সেটাকে খুব ভাল ভাবেই আমি নিতে চাই। যদি সত্যি করে বলি তবে এই জানার আগ্রহ থেকেই বিজ্ঞানের শুরু বা গবেষণার শুরু। আপনি জানা শুরু করেছেন, এখন নিজেই নিজের প্রশ্নের জবাব খুঁজুন।
সপ্তম শ্রেণীতে থাকতে আমাদের গণিতের একজন শিক্ষক ছিলেন, যখনই বলতাম স্যার বুঝিনি। স্যারের জবাব হতো, “কি বুঝছ নাই সেটা আগে বুঝছোস তো?” আপনার জন্যেও আমার একই জবাব।
শুধু সাথে আরেকটি তথ্য দিতে পারি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। আমি পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি একটি ছোট্ট বিষয় নিয়ে। গত এক বছর ধরে চেষ্টা করছি একটি জার্নাল প্রকাশের, পাঁচ বছরের কাজের ফলাফল নিয়ে। যদি শুধু বর্ণনা দিয়েই জার্নাল হয়ে যেতো তাহলে এতো দিনে বছরে দুইটা করে প্রকাশনা থাকতো।
তাই বলছি জানার চেষ্টা ভুল নয়। কিন্তু জানার আগেই নিজের সিদ্ধান্তে পৌছে যাওয়া ভুল। আমি আপনার কাছ থেকে আরেকটি পোষ্ট চাই, আপনি আপনার এই প্রশ্নের জবাবে কি পেয়েছেন সেটা নিয়ে। সময় নিন। জানুন। তারপরেও যদি কোন জবাব না পান, যান আরেকটি পোষ্ট দিয়েন। একটা যখন দিয়েছেন আরেকটা দিলে ক্ষতি নেই।
এই আবর্জনা লেখার কারণে ফারুকের সাথে সাথে সবাই যে হারে এডমিনকেও পিটুনি দিলে তাতে আমি বেশ শংকিতই। ফারুকের না হয় কোনো হায়া-শরম নেই। সে হয়তো লজ্জার মাথা খেয়ে আবারও এরকম লেখা দেবে। কিন্তু সবার এরকম রামধোলাই খাবার পরেও এডমিনের কোনো সাড়াশব্দ না দেখে ধারণা হচ্ছে যে, বেচারা হয়তো মান সম্মান বাঁচাতে মুক্তমনা থেকেই পালিয়েছে।
@ফরিদ আহমেদ,
এই পোস্টটা যে আবর্জনা , মডারেশন ছাড়পত্র দেয়ার সময় আপনি বুঝতে পারেন নি? আপনাকে আরেকটু বুদ্ধিমান ভেবে ছিলাম।
হায়া শরম যে কাদের নেই , সে বোধ বা বিচারের জ্ঞান যে আপনার নেই , তা বোঝা যায় এই পোস্টকে যখন আপনি নিজেই আবর্জনা বলেন । নিজের কর্মের দায়ভার নেয়ার সৎসাহস ও আপনার নেই।
ভাল থাকুন এবং হায়া শরম নিয়ে ব্লগ পরিচালনা করুন।
@ফারুক,
এই পোষ্ট যে ফরিদ ভাই মডারেট করেছেন তা আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন? মডারেটর যতটুকু জানি একাধিক রয়েছেন। তাই নিশ্চিত না হয়ে কোন সদস্যকে দোষারোপ করার কোন যুক্তি নেই।
তাছাড়া ব্যক্তি মডারেটর হয়তো আপনাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়েছে কিন্তু সদস্যরা দেয়নি। এখানে মডারেটর কেবল মাত্র সদস্যদের দাবীর বাস্তবায়ন করেছে।
আপনার কিছু বলার থাকলে এডমিন বরাবর মেইল করুন অথবা এডমিনের মন্তব্যের জবাবে কিছু বলুন। ব্যক্তি ফরিদ আহমেদের একাউন্ট এবং এডমিনের একাউন্ট দু’টো আলাদা। এই বিষয়টি পরিষ্কার থাকা দরকার।
@স্বাধীন, [img]http://www.amarblog.com/uploads_user/3000/3981/farid.JPG[/img]
উপরের ছবিটি দেখুন , তাহলেই বুঝবেন কিভাবে নিশ্চিত হয়েছি।
আপনাকে ঠিক আকাশ মালিক বা আল্লাচালাইনার মতো ফ্যানাটিক/ফ্যাসিস্ট কখনো মনে হয় নি। তবে এই পোস্টে করা আপনার মন্তব্য (১০) পড়ে মনে হলো আসলেই আপনারা মুক্তমনা নন , মুখোশপরা এক একটি বদ্ধমনা।
আপনি কি সত্যিই মনে করেন , এই ব্লগে আমাকে বা আমার পোস্টকে ব্যান করলে বা ১ম পাতা থেকে সরিয়ে দিলে আমার বক্তব্য আর প্রচার পাবে না? আপনারা যে এক একেকজন মননে ও চিন্তায় হিপোক্রাট , সেটাকি বোঝেন?
আমার বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমানিত করলে সেটা যে আমার কন্ঠ চেপে ধরার থেকে আরো বেশি সাধারন পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে , এটা কি বোঝেন না? পাঠককে এত বোকা ভাবেন কেন?
আমার পোস্ট সরানোর দাবীর পিছনে আপনার যুক্তি কী কী ? সেটা কী বলেছেন? আপনারা ও ফ্যানাটিক মুসলমানেরা একি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। আমি নিশ্চিত , সুযোগ পেলে আপনারা ও বোমা ফাটাবেন বিরোধী কন্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য। আপনাদের কার্যকলাপ স্টালিন আর পলপটদের মতো নাস্তিকদের কথাই স্মরন করিয়ে দেয়।
@ফারুক,
হিপোক্রাট, ফ্যানাটিক/ফ্যাসিস্ট্, মুখোশপরা এক একটি বদ্ধমনা, ভাষাটা একটু শক্ত হয়ে গেল না? সদস্যপদ বাতিল হউক এটা অবশ্যই আমি চাইনা।
@ফারুক,
আপনি আপনার বক্তব্য প্রচার করুন। আপনাকে আপনার বক্তব্য প্রচারে কেউ বাধা দিতে পারবো না। কিন্তু মুক্তমনায় সেটা নয়। আপনি আপনার বক্তব্য নিজে ব্লগ লিখে ছড়ান, ফেইসবুকে ছড়ান কিংবা সোনার বাংলা ব্লগে গিয়ে ছড়ান আমার আপত্তি থাকবে না। আমি কোন দিন সেই সব ব্লগে যাই না। সেই সব ব্লগে যার যাবে তাদের নিয়ে আমি চিন্তিতও নই। সমাজের সবাইকে পরিবর্তন করা সম্ভব সেটা আমি মনে করি না। আপনি নিজে বিজ্ঞান শিখবেন সে ধারণাও পোষণ করি না। আপনি শিখতে চাইলে নিজেই শিখতে পারতেন, কিন্তু শেখার ইচ্ছে নেই আপনার। আপনি বলেছেন আমি কোন যুক্তি দেই নি। ঠিক আপনার পেছনে আমি যুক্তি খরচ করতে রাজী নই। আমাকে বদ্ধমনা, হিপোক্রেট যা খুশি আপনি বলে বেড়াতে পারেন। সেটা আপনার মর্জি। নীচে আমার ১৪ নম্বর মন্তব্যে কিছু বলেছি। তাতেও সন্তুষ্ট না হলে কিছু করার নেই।
এখন বুঝলাম ফরিদ ভাইয়ের নাম কিভাবে পেলেন। এডমিনদের বলবো এই ইমেইলের ব্যবস্থাটি পরিবর্তন করে এনোনিমাস রাখার জন্যে। আমি উপরের মন্তব্যে বলেছি যে মডারেটরের কাজ অনেক কঠিন কাজ। ব্যক্তি মডারেটর হয়তো আপনাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়েছেন কিন্তু সদস্যদের মতামতের ভিক্তিতে তিনি সেটা বাস্তবায়ন করেছেন। এই ক্ষেত্রে কিছু বলতে হলে আপনি মুক্তমনার সদস্যদেরকে বলুন যারা আপনার লেখাকে বাতিল করেছে।
হ্যাপি ব্লগিং।
@স্বাধীন,
ভুলটা আমারই হয়েছে। আমি এডমিনের বদলে নিজস্ব আইডি দিয়ে লগইন করেছিলাম। যার কারণে ইমেইলে আমার নাম চলে গিয়েছে। এডমিন নামে লগইন করলে ইমেইল যেতো এডমিনের নামেই।
আমার আইডিতে এডমিনের পূর্ণ সুবিধা থাকাতে, এডমিনের বেশিরভাগ কাজই সাধারণত আমি করে থাকি নিজস্ব নামে লগইন করে। এতে করে কোনো সমস্যা হয় নি কখনো। কিন্তু, এক্ষেত্রে ঝামেলা পাকিয়েছে এই ইমেইলটা। পোস্ট অনুমোদনের ফলশ্রুতিতে যে লেখকের কাছে একটা নোটিফিকেশন ইমেইল যায়, সেটা একেবারেই খেয়াল ছিল না আমার।
@ফারুক,
আপনি আর সোনার বাংলাদেশ ব্লগের এই ব্যক্তি মনে তো হচ্ছে একই জন। এই লেখাটিও সেখানে আছে দেখা যাচ্ছে। তো আপনার লেখা তো মানুষের কাছে যাচ্ছেই। দয়া করে মুক্তমনাকে রেহাই দিলে ভালো হয়। মানুষ খাল কেটে কুমীর আনে, কিন্তু মুক্তমনার এডমিনেরা তো দেখি খাল কেটে ডাইনোসর আনে।
@স্বাধীন,
আরেকটি বিষয় বুঝতে পারছি না। যেখানে কোরান যে কোন অলৌকিক গ্রন্থ নয় সেটিই মুক্তমনার সদস্যরা যুক্তি দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করে, সেখানে একজন কুরান অনলি ধার্মিক কিভাবে মুক্তমনার সদস্য হোন। এর মাধ্যমে মুক্তমনা এডমিনেরা কি বুঝাতে চাচ্ছেন দয়া করে ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়। উনি কি তাহলে আমাদেরকে কোরানের সত্যিকার ব্যাখ্যা দিয়ে নসিহত করার জন্যে আছেন এই ব্লগে? আমি আসলেই কনফিউজড। মুশফিকের মত একজন তার পাকি প্রেমের বয়ান শুনিয়ে যায় নির্বিঘ্নে, আরেকজন এসে বিজ্ঞান শিখিয়ে যায়। :-X
@স্বাধীন,
এই দেখেন , আবার মিথ্যাচার করলেন। এই লেখাটি এখানে ছাড়া অন্য কোন বাংলা ব্লগে এখনো দেই নি , তবে ভবিষ্যতে দেয়ার ইচ্ছা আছে।
হ্যা , আমি ও সোনার বাংলাদেশ ব্লগের ব্যাক্তিটি একি। কোন অসুবিধা?
@ফারুক,
আপনার সাথে একমত। এই পোস্টটাকে অন্যেরা যাই বলুক না কেন, আমার তরফ থেকে একে আবর্জনা বিশেষণে ভূষিত করাটা সঠিক কাজ হয় নি। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এজন্য।
@ফরিদ আহমেদ,
জ্বি, আসলেই এটা ঠিক হয়নি। আপনার উচিত ছিল এই বিতর্কে নিশ্চুপ থাকা। প্রত্যেক মডারেটরের উচিত কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া। এনি ওয়ে, ভুল থেকেই আমরা শিখবো। আমার মনে হয় গত কিছু দিন ধরে অনেক অযাচিত মন্তব্য হয়েছে। সময় এসেছে একটু কঠোর হওয়ার। আমি মানি যে সব সময় এডমিনের আসাটাও ভালো নয়। কিন্তু বিতর্ক যখন ব্যক্তি আক্রমণে চলে যায় তখন ত্বরিত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সদস্যদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মাঝখান থেকে বহিরাগতরা মজা লুটে।
@স্বাধীন,
এই পোস্টে বা আমার অন্য কোন পোস্টে কোরানের আয়াত দেয়া আছে কী? অভিযোগ যখন করবেন , তখন তা সত্য নিষ্ঠ হওয়া উচিৎ নয় কী?
আপনাদের এই ব্লগ কি কোন কাল্ট (নাস্তিকতা ধর্মে বিশ্বাসী) গ্রুপের মাঝে সীমাবদ্ধ? অন্য কারো সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ? জানা ছিল না তো!! বহিরাগত কারা? এদেরকে কিভাবে চিহ্নিত করেন? ব্লগের ব্যানারে এগুলো লিখে টানিয়ে দেন , তাহলে না জেনে আমার মতো লোক হুট হাট ঢুকে পড়ে আপনাদের বিরক্ত করবে না।
@ফারুক,
নিচে জয়কে দেয়া আপনার মন্তব্য দেখুন।
@রৌরব, আপনি কি সবকিছু হলুদ দেখছেন? :-O
জয়কে দেয়া আমার মন্তব্যে কোরানের আয়াত কোথায় দেখলেন?
@ফারুক,
আমি জানতাম ঠিক এই মন্তব্যটিই আপনি করবেন 😀 😀
@রৌরব, নেন , ‘মধুরেন সমাপেত’ এর মতো আমাদের বিতর্কটাও ‘হাসিরেন সমাপেত’ করি। 😀 😀
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার কাছে আবর্জনা মনে হলে অবশ্যই আমার পোস্টকে আবর্জনা বিশেষণে ভূষিত করবেন , এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। এটা আপনার অধিকার। আমার পোস্ট সকলের কাছে ভাল লাগবে , এমন আশা কখনৈ করি না।
আমার আপত্তি ছিল আপনার দ্বিচারিতা নিয়ে। দুঃখ প্রকাশ করার চেয়ে নিজেকে যদি শুধরাতে পারেন , তবে সেটাই হবে উত্তম।
@ফারুক,
কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে দুঃখ প্রকাশের সুসভ্য আচরণটা অপাত্রে বর্ষিত হয়। আপনি মনে হচ্ছে সেরকমই এক পাত্র। আমি দুঃখ প্রকাশ না করে, আপনার আক্রমণাত্মক মন্তব্যের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণও করতে পারতাম। করি নি। না করে তার বদলে দুঃখপ্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু, দেখা গেল যে, আমার সেই সুসভ্যতা বিন্দুমাত্রও মূল্য পেল না আপনার কাছে। কাজেই, ওই দুঃখপ্রকাশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি আমি। এখন থেকে আক্রমণে এলে, প্রতি আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন বলেই আশা রাখছি।
দ্বিচারিতার কিছু নেই। এর আগেও একাধিকবার বলেছি আমি মুক্তমনায়। আবারও বলছি। ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ এবং মডারেটর ফরিদ আহমেদ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুজন মানুষ। মডারেটর ফরিদ আহমেদ একজন আবেগহীন, নৈর্ব্যক্তিক মানুষ। তাঁর সহনশীলতার মাত্রা, সদস্যদের লেখা বা মন্তব্য মনোনয়ন দেয়ার মানদণ্ড ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ এর তুলনায় একেবারেই ভিন্নতর। যে লেখাকে ব্যক্তি ফরিদ আহমেদ ভাবছে আবর্জনা বলে, সেই একই লেখাকেই হয়তো ভিন্নতর কোনো বিবেচনায় ছাড়পত্র দিয়ে দিচ্ছে মডারেটর ফরিদ আহমেদ। আপনার লেখা যে মডারেটর ফরিদ আহমেদ অনুমোদন করেছে, এটা আপনার জানার কথা নয়। মডারেটরের ভুলে সেটা আপনি জেনে গেছেন বলেই এই অভিযোগ করছেন। আমিও আপনাকে মডারেটর এবং আপনার মধ্যেকার গোপন বিষয়টাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার বিষয়ে অভিযুক্ত করতে পারি। কিন্তু সেটা করছি না।
আমার ভদ্রতাকে যারা দুর্বলতা হিসাবে ভেবে থাকে, তারা নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই নয়।
@ফরিদ আহমেদ,নির্বোধ হলেও এটা বুঝি , অপাত্রে কিছু দান করা উচিৎ নয়। আপনি নিজেকে শুধরিয়ে দুঃখপ্রকাশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন জেনে আমি আনন্দিত। ভাল থাকুন , মানসিক শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক,
এইল্যা ক্ষেমা দেন। আর কতো…
ফরিদ ভাই
পাহাড়ের অস্থিরতা নিয়ে একটি লেখা দিন। বিপ্লব ভাইকেও অনুরোধ করেছি। উনার হয়তো সময় লাগবে। তার আগে আপনি একটি নামিয়ে ফেলুন, এই সব অপ্রয়োজনীয় কাজ ফেলে।
@এডমিন
সময় যত গড়াবে পাঠকদের মন্তব্য তত কঠোর হবে। এডমিন সমীপে সবিনয় নিবেদন, ফারুক সাহেবের সংশ্লিষ্ট লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হউক।
আকাশ।
@আকাশ মালিক, আমি আকাশ মালিকের প্রস্তাবের সাথে সহমত জানাচ্ছি।
বেশ কিছু পাঠকবৃন্দের কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে এই লেখাটি প্রকাশ হওয়ার ব্যাপারে। আমি ভাবছি, কতটুকু পর্যন্ত আমরা বলতে পারি-
I may disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it.?
@আকাশ মালিক,
এটা আমরা সবসময়েই বলতে পারি। ফারুকের এই কণ্ঠস্বর যাতে সরকার আইন করে বন্ধ করে দিতে না পারে, তার কথা যাতে নিষিদ্ধ না করে, তাকে এসব বলার জন্যে যাতে জেল জরিমানা না করে, তার জন্যে সবসময়ই তাকে ডিফন্ড করা যায়। কিন্তু একটা ব্লগে লেখা পাশ না করলে সেই অধিকার লঙ্ঘন হয় না, যেটার কথা আপনি উক্তিটাতে বলছেন। ফারুকের অধিকার আছে দেখে তিনি বিভিন্ন ব্লগে, নিজে ব্লগ খুলে, বই ছাপিয়ে এসব প্রকাশ করতে পারেন। তবে একটা ব্লগে সকলকে যা খুশি বলতে লিখতে দিতেই হবে, এমনটা আইন দাবী করে না। একটা গোষ্ঠি তাদের নিজেদের মধ্যে নিজস্ব নিয়ম করতে পারে। যাদের সে নিয়মে মন বসে না, তারা সেই গোষ্ঠি ত্যাগ করতে পারে। কিন্তু তাই বলে এক মত হয়ে কিছু নিয়ম পালন করা একটা গোষ্ঠিকে বাধ্য করা যায় না তাদের এক মত হওয়া নিয়মগুলো পরিত্যাগ করতে।
ফলে, রাষ্ট্র ফারুকের বলার অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কিন্তু তাই বলে রাষ্ট্র তাকে যে কোন স্থানে বলার অধিকার জোর করে দিয়েও দিতে পারে না। আমার চলাচলের অধিকার আছে দেখে কি যেকোন অনুষ্ঠানেও ঢুকে যাবার অধিকার আমি পোষণ করি, যদি অনুষ্ঠান যারা চালাচ্ছেন, তারা আমাকে না চান?
এখন মুক্তমনা কি বদ্ধগোষ্ঠি নাকি না? আমি বলবো, অবশ্যই বদ্ধগোষ্ঠি। এখানে তো নিয়ম অনুযায়ীই চাইলে লেখা বা মন্তব্য ছাপানো যায় না। বদ্ধ গোষ্ঠি খারাপ কিছু না। বরং বেশ ভালো জিনিস। সমমনাদের বদ্ধ ও শক্তিশালী গোষ্ঠি থাকতেই পারে। থাকা উচিতও, তাদের নিজেদের মত পথ চর্চার জন্যে।
@রূপম (ধ্রুব), (Y)
@রূপম (ধ্রুব),
(Y)
রাগ করলেন, মুক্তমনার উপর অভিমান? ফারুক সাহেবরা মুক্তমনার উপর বাকস্বাধীনিতা হরণের কালিমা লাগাতে বড়ই ওস্তাদ। আমরা আরেকটু ধৈর্য ধরিনা, এডমিনকে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আগ-পিছ অনেক কিছু ভাবতে হয়। আমি নিশ্চিত সময় মত তারা যথপোযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
@আকাশ মালিক,
নাহ। অভিমানের প্রশ্নই উঠে না। বেশ উপভোগ করি এখানে। প্রতিবার উল্টোপাল্টা হবার সাথে সাথেই ডান্ডা না দেখানোটাও যে এখানের একটা অঘোষিত নিয়ম, এটা খুবই পছন্দ করি। আর মুক্তমনা তো আর সরকার না যে বাক-স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করা যাবে এর বিরুদ্ধে। যারা এমন বলবে, তারা এখন থেকে পত্রিকা বা গবেষণা জার্নালের বিরুদ্ধেও বাক-স্বাধীনতা হরণের দাবী জানাক।
@রূপম (ধ্রুব),
এটা আমিও পছন্দ করি, কিন্তু এখানে কয়েকটি কিন্তু আছে। প্রথমত ফারুক একজন ইস্লামিস্ট, সে সমুন্নত করে অমানবিক, অনৈতিক, অন্যায্য, প্রস্তরযুগীয় লোকাচার যেমন- চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া, দোররা মেরে নারী হত্যা, শিশু নির্যাতন ও অর্গানাইজড, লিগালাইজড পিডোফিলিয়া, বোরকা পড়ানো, হিল্লা বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কতোটুকু ইসলাম ফ্রিডম অফ স্পিচের আন্ডারে পড়ে এটাও সুনির্দিষ্ট। নামায পড়ো, যাকাত দাও ইয়াডা ইয়াডা ইয়াডা এগুলো বললে কেউ তার টুটি এমনিতেই চেপে ধরবে না; কিন্তু টুটি চেপে ধরাটা ফরজ যখন কিনা মুসলমান বলছে যেখানে বিধর্মী পাও হত্যা করো, ইহুদীদের ঘৃণা করো, নারীরা পুরুষের অর্ধেক ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। মাত্রাতিরিক্ত ইসলামকে ফ্রিডম অফ স্পিচের ছায়াতলে কোন আশ্রয় দেওয়াটা আমি মনে করি খুবই খুবই ক্ষতিকর। ইসলাম এবং যেকোন সমাজবিরোধী মতবাদ যেমন- নাতসিইজম, ফ্যাশিজম, কমিউনিজম ইত্যাদিরি ক্ষেত্রে ফ্রিডম অফ স্পিচের এপ্লিকেশন আমি মনে করি হওয়া উচিত আরও অনেক অনেক সতর্কভাবে।
আরও একটি ব্যাপার হচ্ছে ফারুক এন্টিসায়েন্স। এবং সায়েন্স ম্যাটার্স, science is not a matter of joke. মুক্তমনা নিজেকে একটি প্রসায়েন্স ফোরাম হিসেবে পরিচয় দেয়, সায়েন্সের উপর পিস টেইকিং সে কেনো সহ্য করবে? এই জাগাটাই কি ছাড় না দেওয়ার সবচেয়ে বড় যায়গা না? এমনকি ইসলামকে ছাড় দিলেওতো আমি মনে করিনা এন্টিসায়েন্স আলোড়নকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া উচিত!
পরিশেষে ফারুককে অনতিবিলম্বে ডান্ডা দেওয়া উচিত কেননা ডান্ডা ফারুক এমনিতেই খাবে। প্রত্যেকটি বাংলা ব্লগেই তার বিচরণ ছিলো কোন না কোন সময়, প্রত্যেকটি থেকেই সে ডান্ডা খেয়েছে, নিজের কোর্স অফ কন্ডাক্টের কারণে। মুক্তমনা হতেও ডান্ডা যে সে খাবে এটা সে নিজেও জানে, এডমিনও জানে, আমিও জানি, আপনিও জানেন। ডান্ডা খাওয়ার আগে যতোটুকু সম্ভব ভ্যান্ডালিজম সে করতে চায়, এটাই তার উদ্দেশ্য। এই কারণেই আমি মনে করি তার অনতিবিলম্বে ডান্ডা খাওয়া উচিত।
@আকাশ মালিক,
খুব কষ্ট পাবো আসলেই যদি কখনও জানতে পারি যে মুক্তমনাকে ইসলামের হাতে জিম্মি হয়ে চলতে হয়, ইসলামের সাত-পাঁচ ভেবে পদক্ষেপ নিতে হয়। একজন ইস্লামিস্টের বাকস্বাধীনতা হরণ করে কালিমালিপ্ত হয়ে যাবে মুক্তমনা, এটা সর্বদা মাথায় রেখে মুক্তমনাকে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়, সেটি তবে হবে খুবই খুবই ফ্রাস্ট্রেইটিং! ইসলাম এমন কিছু বলে যেগুলো কিনা একটি সমাজে যতো কম বলা হয় ততোই ভালো। ইসলাম মানুষকে বলে যে মৃত্যুর পর সে ভোগ করতে যাচ্ছে অবর্ণনীয় যন্ত্রনা, আর বিজ্ঞান মানুষের মৃত্যুকে ক্রমশ করে পরাজিত ও কোঁনঠাঁসা। ইস্লামিস্ট ফারুক অকৃতজ্ঞের মতো এখানে করছে বিজ্ঞানবিরোধিতা। শুধু এখানেই নয়, প্রত্যেকটাবার বড় কোন বৈজ্ঞানিক ঘটনা ঘটলে যেমন- ল্যাবে কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি হলে বা স্টিফেন হকিং ইশ্বরকে ধরে ট্রাশক্যানে ছুড়ে ফেললে পরে আকাশ থেকে একটি অদৃশ্য হাত এসে ফারুকের টিউনিকা আলবুজিনি কচলে দিয়ে যায়। ইসলামের যা বলতে মন চায় সে সেটা কি অন্যকোনখানে গিয়ে বলতে পারে না? একটি সুসভ্য এবং কালচার্ড জনসমাগমে এসব বলে মানুষের ব্লাডপ্রেসার বাড়িয়ে না দিলে কি ইসলামের ফ্রিডম অফ স্পিচ থাকবে না?
@আকাশ মালিক,
আরেকটা ঘনিষ্ঠ তুলনা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলো। বা পত্রিকার কথাই ধরেন। পাঠালেই যে লেখা ছাপায় না, আমরা কি তখন ভাবি যে আমার বলার অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে?
@রূপম (ধ্রুব),
আমি তো বুঝেই লিখেছি ভাই। মুক্তমনার নিজস্ব নীতীমালা আছে না? আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ। মুক্তমনা যে অপবিজ্ঞান ছড়ানোর উপযুক্ত যায়গা নয়, ফারুক সাহেব তা ভালভাবেই জানেন। জেনেবুঝেও যখন তিনি বারবার একই চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এডমিন হয়তো তাকে কিছুটা ভাবার সময় দিচ্ছেন।
@আকাশ মালিক,
আমিও কি আর আসলে আপনারেই বলতেছি কন? 🙂
শুধু জানার জন্যেই একজন এরকম একটি পোষ্ট মুক্তমনায় দিতে পারে জানা ছিল না। আপনার এটি বড় জোর কোন সংশ্লিষ্ট পোষ্টে মন্তব্য হিসেবে আসতে পারতো।
এডমিন/মডারেটরদের প্রতি একটি প্রশ্ন রাখছি। ফারুক সাহেবের এই লেখা কি মডারেশন পার হয়ে এসেছে নাকি সরাসরি প্রকাশিত হয়েছে? ফারুক সাহেব সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন জানি, কারণ উনি এখন সদস্য। কিন্তু সরাসরি লেখাও কি প্রকাশ করতে পারেন? বিষয়টি পরিষ্কার করলে ভালো হয়।
একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। মুক্তমনায় আসি কিছু জানার জন্যে, বিনোদনের জন্যে নয়। বিনোদনের জন্যে অন্তর্জালে অনেক ব্লগ পড়ে আছে। মুক্তমনাকে বিনোদনের ব্লগ হিসেবে দেখতে আগ্রহী নই। এর মাঝে অনেক বিনোদন দেখা হয়েছে, এবার এডমিনেরা একটু শক্ত হোন, বিনোদনের উপকরণগুলো বন্ধ করুন।
@স্বাধীন,
আরও একটি চমতকার গরুবান্ধা পোস্ট ফারুকের পরিবেশনায়!!!:clap :clap এবিউসিভ না হয়ে এই লেখাটা কিভাবে হজম করা সম্ভব?
আমি স্বাধীনের বক্তব্যের সাথে ১০০০% সহমত প্রকাশ করছি। প্রথমত ফারুকের লেখাটা নিন্মমানের, এইরকম একটি লেখা লিখতে দশ মিনিটের বেশী সময় কোন মুক্তমনার লাগার কথা না। এমনকি ফারুকেরও আমি মনে করিনা নিন্মমানের এই লেখাটি লিখতে আধাঘন্টার বেশী একও মুহুর্তও লেগেছে (২০০% উপরি হেডস্টার্ট তার জন্য)। এখন কথা হচ্ছে গিয়ে দশ মিনিটের প্রসবযন্ত্রনায় (ফারুকের জন্য যেটি ৩০ মিনিটের প্রসবযন্ত্রনার সমতুল্য) কেউ পোস্ট প্রসব করেনা মুক্তমনায় সাধারণত, করলেও বলাই বাহুল্য কোন আতিথ্যপুর্ণ ট্রিটমেন্ট সে পায় না। তাহলে ফারুকের এই গরুবান্ধা পোস্টটি কেনো এতক্ষণ ধরে নির্বিঘ্নে প্রথম পাতার সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে??? নাকি মুক্তমনা মডারেশনের পক্ষ হতেও স্বতস্ফুর্তভাবে ফারুকের লেখার মানের উপরেও এমনকি ২০০% উপরি হেডস্টার্ট প্রদান করে রাখা হয়েছে, যে ফারুক যেইসব পোস্ট লিখবে সেগুলো অন্য একটি সাধারণ মুক্তমনা সদস্যের লেখা পোস্টের মানের চেয়ে ২০০% পিছিয়ে থাকলেও সেটিকে গন্য করা হবে একটি সাধারণ সদস্যের লেখা পোস্টের গড়মানের সমান মানসম্পন্ন হিসেবে? সেটিতো মোটেও ফেয়ার এবং লিবারেল হয়না তাই না? সমতাবোধের খাতিরে আমি মনে করি এই সুযোগ সবার জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত, যে প্রত্যেকটি সদস্যই দুই প্যারার শুণ্যগর্ভ গরুবান্ধা পোস্ট লিখে যেতে পারবে যতোখুশী। তাহলে আমরা সকলেই অংশগ্রহন করলাম, অন্যের কথা জানিনা তবে আমি মনে করি আমি দশ মিনিটে যদি এইরকম একটি পোস্ট প্রসব করি, তবে সেটাতে ফারুকের এই পোস্টটির চেয়ে বিনোদনের খোরাক অন্তত বেশী থাকবে, মানুষকে ফারুকের এই পোস্টটির চেয়ে বেশী হাসাতে সেটি সক্ষম হবে।:-D
ফারুকের লেখাটি এন্টিসায়েন্স আন্ডারটোনে পরিপুর্ণ। সায়েন্স সবার জন্য না, সবার জন্য সব কিছু না। সায়েন্স নিয়ে ফারুকের মাথা ব্যাথা কেনো, ফারুকের মাথাব্যাথা হবে কোরান, হাদিস, কাছাছুল আম্বিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কিতাব-পুস্তক নিয়ে, যেগুলো অধ্যয়ন করতে কিনা সায়েন্স অধ্যয়ন করার চেয়ে কয়েকশো অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড কম কগনিটিভ ক্ষমতা লাগে এবং পড়াশুনা জানা লাগে? ফারুকের আগ্রহ থাকবে যাদুটোনা, আলিফলায়লা, জিনপরী, ফেরেস্তা-আল্লা-রাসুল, রাক্ষস খোক্কস ইত্যাদি নিয়ে; প্রকৃতি এবং বাস্তবতা নিয়ে তার এতো মাথাব্যাথা কেনো? যেই মডার্ন সায়েন্সের প্রতি ফারুকের এই প্রগাড় ডিসডেইন এবং কন্টেম্পট, সেই মডার্ণ সায়েন্সের অনুপস্থিতিতে বলাই বাহুল্য, কালো মহিষে চড়ে যমদুত ফেরেস্তা প্রতি সপ্তাহে একবার করে করে এসে ওর এবডোমিনাল ক্যাভিটির পোস্টেরিয়র ওপেনিং দিয়ে লাল সুতা নীল সুতা টেনে টেনে বের করে আঁটি বেধে ওর কন্ঠনালীতে ঠেঁসে দিয়ে বলতো now how it tastes like? কিংবা অল্টার্নেটিভলি, সার্ন নাকি খুব শিজ্ঞিরই বলতে পারবে টাইম ট্রাভলিং আসলেই সম্ভব কিনা। যদি সম্ভব হয়, এবং যদি তারা একটা কাজ চালানোর মতো ছোটখাটো টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেলে, তবে সেই টাইম মেশিনে চড়িয়ে ফারুককে প্রস্তরযুগে ওর প্রিয় নবী মোহাম্মদের আমলে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে। মোহাম্মদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাইপারেকটিভ যৌনতা থেকে কতোটুকু নিরাপদ থাকবে ফারুক, সেটা যদিও প্রশ্নাধীন; তবে ইলেকট্রিসিটি, লোকোমোশন, কমিউনিকেশন, এন্টিবায়োটিক, এনালজেসিক বিহীন গহীন প্রস্তুরযুগে কিছুকাল বাস করে বর্তমানে ফেরত আসলে পরে ফারুক খুব সম্ভবত এটা বর্ণনা করে একটা পোস্ট দিতে পারবে যে- ‘আঁটিবাধা লাল-নীল সুতার স্বাদ আসলেই কেমন’, এবং আমি নিশ্চিত সেই পোস্টটি এখনকার এই পোস্টটির মতো এতোটা নিন্মমানের কোন প্রসব হবে না!!
প্রত্যেকটাবার মুক্তমনায় এসে প্রথম পাতায় সবার উপরে ফারুকের পোস্ট দেখে বিতৃষ্ণায় বিকর্ষিত হচ্ছি, স্ক্রল করে আর নীচে যাওয়া হচ্ছে না। অন্যান্য আরও অনেক পাঠকেরও নাকি একই অনুভুতি। এডমিনদের কাছে এটার একটা প্রতিকারতো আমরা চেতেই পারি।।
@আল্লাচালাইনা,মনটাকে মুক্ত করে রাখতে ফারুককে প্রস্তর যুগে বা অন্যান্য ব্লগে ‘হিজরত’ করার মত একটি প্রতিকার আমরা “চেতেই” পারি।
@ ফারুক, বিজ্ঞান আমার ঢুকে না কারন ওখানে সবকিছুই ‘সেটেল্ড’ বলে মনে হতো।নিজের প্রকৃতিপ্রদত্ত মনে নিজ কল্পনাগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভালবাসি বলে আমি স্কুলে থাকতেই হিজরত করেছি অন্য শাখায় আর বর্তমানে আছি সমাজবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট জগতে।এখানেও কি,কেন,কিভাবে নিয়েই প্রশ্নউত্তর চলে এবং এটাতে প্রশ্ন করা ‘পারমিটেড’ আপনিও যোগ দিন এবং দিনভর প্রশ্নের মাঝেই ডুবে থাকুন 😉
এত প্রশ্ন ভেতরে নিয়ে শুধু শুধু বিজ্ঞান নিয়ে টানাটানি নাই বা করলেন।
তবে এই পোস্টের কারনে আপনার এবং মুক্তমনার বিজ্ঞান পাঠকদের উভয়েরই মনে আঘাত পাওয়া দেখে সবাইকে অনুভব করে আমি সত্যিই ব্যাথিত।সেজন্যই বিজ্ঞানবর্জিত আমিও মন্তব্য করলাম।কেউ আবার অনধিকার চর্চা মনে করে বিরক্ত হবেন না (B)
মুক্তমনা সম্পাদক,
আমি আপনাদের এই ব্লগের একজন নিয়মিত পাঠিকা। জন্মসূত্রে জার্মান হলেও কাজের এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাংলাভাষার চর্চা করে থাকি । আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন , এই জাতীয় লেখা আপনারা কি করে মুক্তমনায় অনুমোদন করতে পারলেন ?
@ভেরোনিকা,
আপনাকে আগে দেখিনি। মুক্তমনায় স্বাগতম। ফারুক সাহেব আমাদের হাউজ কন্ট্রারিয়ান (দুর্ভাগ্যক্রমে খুব উচ্চমানের নন), যদিও এখন নতুন দু-তিন জনের আগমনে উনার প্রয়োজন ফুরিয়েছি কিনা বোঝা যাচ্ছে না :-s ।
ফারুকের উদ্দেশ্যেঃ
ফারুক সাহেবের কপাল ভাল যে মুক্তমনা’র ব্লগাররা ভদ্র ভাষায় বাৎচিত করে, আপনার জ্ঞানহীন বিরক্তিকর মন্তব্য ও পোস্টে বিনয়ের সাথে যথা সম্ভব সহজবোধ্য ভাষায় আলোচনা করে। আপনার খাসলত কি, এই ধরণের পোস্টের উদ্দেশ্যে কি সেটা খুব ভালভাবেই সবাই বোঝে। নিজেকে গর্ধভ প্রমাণ করাতেই যেন আপনাদের সার্থকতা। আপনি নবম দশম শ্রেণীর, (তাও বিজ্ঞান শাখার নয়, মানবিক শাখার) জ্ঞান নিয়ে যদি কোয়ান্টাম ফিজিক্স বুঝতে চান তাহলে তো সমস্যা। আপনার উদ্দেশ্যে আমার বলার একটাই আছে- পারলে পদার্থবিজ্ঞানের উপর বছর খানেকের ক্র্যাশ কোর্স করে আসুন (কোনও কলেজের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেটও পড়তে পারেন)।
এডমিন/মডারেটর-এর উদ্দেশ্যেঃ
মুক্তমনায় আমাদের মত লোকদের আসাই হয় জ্ঞানগর্ভ আলোচনা দেখার জন্য, সারমর্মসম্পন্ন পোস্ট পড়ার জন্য। কার্ল সেগানের “ডিমন হন্টেড ওয়ার্ল্ড”-এর কয়েক পরিচ্ছদ অনুবাদ করার পরেও আমার সাহসে কুলায় না মুক্তমনায় সেটা পোস্ট করার জন্য, সেখানে এই ধরনের নুইসেন্স বিরক্তিকর পোস্ট দেখলে কেমন লাগা উচিত আপনারাই বলেন।
@আবরার আহসান,
দেরি করবেন না। দ্রুত লেখা জমা দিন 🙂
@আবরার আহসান, ভাই, এটা নিয়ে মাইন্ড খাইয়েন না। জ্ঞানগর্ভ আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে কিছু বিনোদনও দরকার! যাই হোক, আপনি যে কাজটা করে ফেলেছেন সেটা মুক্তমনায় পোস্ট করে দিন অতশত না ভেবে। ওই বইটা নিয়ে আমার খুব আগ্রহ।
@আবরার আহসান,
ভয়ের কি আছে,তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিন লেখাটি। আপনারা ভালো লেখা দিলেইতো মুক্তমনা আরো সমৃদ্ধ হবে :-)।
@আবরার আহসান,
সাহস দিলাম। এবার…. (F)
@আবরার আহসান,
জ্ঞানগর্ভ আলোচনা দেখার ও শোনার জন্যই তো এই পোস্ট দেয়া। আপনারা যদি জ্ঞানগর্ভ আলোচনা না করেন , তার দোষ কি আমার?
আপনার মন্তব্য অনেক জ্ঞানগর্ভ ও উপদেশমূলক ছিল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ধন্যবাদ উপদেশের জন্য। আপনি পদার্থবিজ্ঞানের উপর বছর খানেকের ক্র্যাশ কোর্স করেছেন তো?
:))
আরিস্টটল মেতেছিলেন ‘কেন’ কোনোকিছু ঘটে এ প্রশ্ন নিয়ে বিজ্ঞান সেখানে থেমে নেই এখন পদার্থবিদরা “কীভাবে” প্রশ্নের দিকে মনোযোগ দেন।
ব্যাখ্যা কীভাবে দেয়না আমি বুঝিনা! আমরাতো হিসেব নিকেশ করে বের করতেই পারি (হয়ত পারফেক্ট ভাবে না) সবল নিয়ক্লীয় বল একটু হেরফের হলে (বোধহয় ৫%) হাইড্রোজেন এর চেয়ে ভারী অ্যাটম তৈরী হতো না। ফলে বিশ্বের মডেলটাতে কেমন পরিবর্তন আসত সেটাও হিসেব কষে বের করা সম্ভব। মশায় কই এখানেতো সেই মডেলকে না পর্যবেক্ষন করেও এঁকে ফেলছি পদার্থবিজ্ঞানের খাতায়। এবং ঐ মডেলটা কেন এমন আঁকলাম তার ব্যাখ্যায়তো দিব নাকি?
সবকথা বাদ দিয়ে বলি হকিং উনার বইয়ে লিখেছেন -তারাও
খালি দেখি আমিই না এত্ত বড় বিজ্ঞানীও বর্ননা আর ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য বুঝে না :)) খেয়ল করুন কোয়ার্ক দ্বারা ঘটনাটা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে নাকি বর্ননা করা হচ্ছে সেটা নিয়ে মাথা উনিও ঘামাননি, আমিও মনে করে এটা নিয়ে শব্দবিদেরা যুদ্ধ করে মরুক আমার যাই আসেনা!
পোষ্টটা আজাইরা মনে হয়েছে, পাঠক হিসেবে (N)
ভালো থাকুন
আমি অবশ্য আশা করেছিলাম যে , মহাকর্ষ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার আগে শক্তি বা এনার্জী সম্পর্কে প্রশ্ন তুলবেন। কারন এনার্জী না বুঝলে মহাকর্ষ বোঝা আরও জটিল হয়ে দাড়াবে।:))
পদার্থবিজ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ যেসব এলাকায় হয় সেখানে পদার্থবিদ্যার নিয়মগুলো কড়াকড়িভাবে মানা হয়।কিছু উদাহরন দেয়া যাক।
আপনার পিসির সেমিকন্ডাক্টরগুলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স মেনে বানানো বলেই লগইন করে এখন এই পোস্টটা দিতে পারলেন । আপনি যে নিরাপদে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়াতে পারছেন সেটাও আইনস্টাইনের জেনারেল রিলিটিভিটি তত্ত্বের কল্যানে। আপনাকে বহনকারী বিমানের জিপিএস -এ স্যাটেলাইট সিগন্যালকে টেরেস্ট্রিয়াল পজিশনে রূপান্তর করা হচ্ছে জেনারেল রিলিটিভিটি তত্ত্ব মেনে। এর ফলে আবুধাবীর বদলে জিপিএস -এ হবিগঞ্জ দেখাচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় যেখানে খালি চোখে কিছুই দেখা যায় না, সেখানে একটা এয়ারবাস ৭৭৭ নিরাপদে অবতরণ করছে আপনাকে সাথে নিয়ে।
একটা তত্ত্ব ভুল না সঠিক তার চেয়েও বড় প্রশ্ন বাস্তবে ঐ তত্ত্ব প্রয়োগের ফলাফল কি বলে। বিজ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করে ফলসিফাই করা যায় যেটা অধিবিদ্যা , ভাববাদে কিংবা দর্শনে সম্ভব নয়। দূঃখের বিষয় , এ বিষয়টা ভাববাদীদের দ্বারা কখনই বোঝা সম্ভব নয় । আর তারা বুঝলেও সকল প্রসংশা কিংবা কৃতিত্ব ঈশ্বরের কাছে হস্তান্তর করতে ভুলবে না।
@সংশপ্তক,
সংশোধন : এয়ারবাস ৭৭৭ এর বদলে বোয়িং ৭৭৭ হবে। ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। তবে বললেন না তো , এতদিন ভুল জানতাম নাকি ঠিক জানতাম?
বাচ্চাদের মত কথা বলছেন কেন!!
আগে “ব্যখ্যা দেয়া” বলতে আপনি কি বোঝেন তা ইকটু উদাহরন সহকারে ব্যখ্যা করুন!!!
”মহান সৃস্টিকর্তা চান এবং একমাত্র এই কারনেই আপেল আমাদের মাথায় পরে”
এই কথাকে আপনার ব্যখ্যা মনে হয়? নাকি
”মহাবিশ্বের সকল বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করছে, এই আকর্ষনের নাম মহাকর্ষ……………… ” এই সুত্র সহ পুরো ব্যপারটাকে আপনার ব্যাখ্যা মনে হয়!? বর্ণনা ছাড়া ব্যখ্যা দেয়া যায় কি?
আসলে এভাবে বলে লাভ নেই। ব্যখ্যা বলতে আপনি কি বোঝেন টা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে!
@তানভী,
আমারো সন্দেহ আছে। একারনেই তো মাথা গুলিয়ে গেছে।
An explanation is a set of statements constructed to describe a set of facts which clarifies the causes, context, and consequences of those facts
আমি এই কারনটাই জানতে চাচ্ছি।
এটা নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে অভিজিৎ-এর কোন একটি লেখায়। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও মতপার্থক্য আছে, আমার নিজের মত পেন্জিয়াসের মতামতের মতই — ব্যাখ্যা-ফ্যাখ্যা বলে কিছু নেই, সবই বর্ণনা। কিন্তু তার সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক কি?
বরং “কেন” প্রশ্নটি সবসময়ই বৈধ প্রশ্ন বা এর উত্তর সবসময়ই থাকতে হবে — আপনার এই প্রতাশ্যাই বিশ্বাস নির্ভর। আপনার-আমার প্রত্যাশার উপর বিজ্ঞান নির্ভর করেনা।
@রৌরব,
আমার এই পোস্টে বিজ্ঞান ব্যাখ্যা নাকি বর্ণনা , এটাই নিজের কাছে পরিস্কার করতে চেয়েছি । আপনার মন্তব্যেও বুঝলাম বিজ্ঞান শুধু বর্ণনাই করে। অর্থাৎ , এতদিন ভুল জানতাম। ধন্যবাদ।
ব্যাখ্যা (কেন’র জবাব) ছাড়া কোন কিছু মেনে নেয়ার সাথেই তো বিশ্বাসের সম্পর্ক।
আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বমানার পূর্বশর্ত হলো আলোর গতিবেগ সর্বোচ্চ এবং অনাপেক্ষিক এইটা মানা বা বিশ্বাস করা। আলোকে অনাপেক্ষিক না মানলে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব পড়ে কোন লাভ আছে কী?
@ফারুক,
ব্যাপার হলো গিয়ে, বর্ণনাগুলো পর্যবেক্ষণ ছাড়া সিদ্ধ। ফলে বরং আমাদের মানা না মানাতেও কিছু যায় আসে না। বারবার পরীক্ষা করে একই পর্যবেক্ষণ পুনরুৎপাদন করা সম্ভব। এই যে পর্যবেক্ষণের একটা রেগুলারিটি, এটাকে আপনি লিপিবদ্ধ করলেন। এটা কি বিশ্বাস নাকি না? এটাই কিন্তু বিজ্ঞান।
বিজ্ঞানের সাথে pair হিসেবে গাণিতিক তত্ত্ব কাজ করে, যাতে অনাগত পর্যবেক্ষণের উপরেও একটা আভাস দেয়া যায়। এখন গণিত কিন্তু অ্যাসাম্পশন নির্ভর। কিন্তু বিজ্ঞানে তার ব্যবহার পর্যবেক্ষণ দ্বারা যাচাই হয়ে যখন আসে, তখন ভাষার সুবিধার্থে বলা হয় যে ব্যবহার করা গণিতের অ্যাসাম্পশানগুলে সঠিক ছিল। আসল ঘটনা হলো গণিতকে ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণের কিছু রেগুলারিটির পূর্বাভাস করা গেছে মাত্র। পুনরুৎপাদনযোগ্য পর্যবেক্ষণে বিশ্বাসফিশ্বাসের কিছু নাই।
আপেলের মাটিতে পড়ার পর্যবেক্ষণকে নিউটনের সূত্র পূর্বাভাসযোগ্য করে তোলে কেবল, মানে ঠিক কোন মুহূর্তে কোথায় থাকবে আপেলটা। সেটা করতে গিয়ে যেসব অ্যাসাম্পশান তৈরি করা হয়, সেগুলো অন্যান্য পর্যবেক্ষণেও কাজে লাগে। বিজ্ঞানের সূত্রগুলো এভাবে পর্যবেক্ষণকে যে পূর্বাভাস করতে পারে, এটা মানার জন্যে খালি পর্যবেক্ষণ করাই কিন্তু প্রয়োজন। মানা না মানার প্রশ্ন আসে না। পিছনের অ্যাসাম্পশানগুলো আপনি কাজের হিসেবে ব্যবহার করবেন যাতে আরও পর্যবেক্ষণ পূর্বাভাস করতে পারেন। ব্যবহারের বস্তুর ব্যাপারে মানা না মানার প্রশ্ন আসে না।
@রূপম (ধ্রুব),
পর্যবেক্ষণ ছাড়া সিদ্ধ -> লিখতে চেয়েছি পর্যবেক্ষণ দ্বারা সিদ্ধ
@রূপম (ধ্রুব),
বর্ণনা নিয়ে কি কোন আপত্তি বা মানা না মানার প্রশ্ন আছে এই পোস্টে? আমিও তো এই কথাই বলেছি। বিজ্ঞান শুধুই পর্যবেক্ষণ নির্ভর বর্ণনা , কোন ব্যাখ্যা নয় , কারন দর্শানো ও নয়। এটা অনেকটা ক্রিকেটের ধারাভাষ্য বর্ণনার মতো। তাও দেখুন , এতদিন জানতাম বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষন পর্যবেক্ষক নির্ভর নয়। কুয়ান্টাম জগতে জগতে দেখি এ ধারনাই আমূল বদলে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষন ও পর্যবেক্ষক নির্ভর হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানের আলোচনায় অবধারিত ভাবেই গণিতকে নিয়ে আসা হয় এবং এটা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় তত্বগুলো যেহেতু গাণিতিক হিসাব অনুযায়ী করা হয়েছে , সেকারনে এটাতে কোন ভুল নেই । তাই কি? যে সমস্ত তত্ব বর্তমানে বাতিল হয়েছে , সেগুলো ও কিন্তু গাণিতিক মডেল নির্ভর ছিল।
থমাস কুহনের বলা Paradigm shift সম্পর্কে কিছু জানেন? উনার বই The Structure of Scientific Revolutions পড়ে দেখলে বুঝবেন , বিজ্ঞান কতটা অ্যাসাম্পশন নির্ভর।
@রূপম (ধ্রুব),
বর্ণনা নিয়ে কি কোন আপত্তি বা মানা না মানার প্রশ্ন আছে এই পোস্টে? আমিও তো এই কথাই বলেছি। বিজ্ঞান শুধুই পর্যবেক্ষণ নির্ভর বর্ণনা , কোন ব্যাখ্যা নয় , কারন দর্শানো ও নয়। এটা অনেকটা ক্রিকেটের ধারাভাষ্য বর্ণনার মতো। তাও দেখুন , এতদিন জানতাম বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষন পর্যবেক্ষক নির্ভর নয়। কুয়ান্টাম জগতে জগতে দেখি এ ধারনাই আমূল বদলে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষন ও পর্যবেক্ষক নির্ভর হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানের আলোচনায় অবধারিত ভাবেই গণিতকে নিয়ে আসা হয় এবং এটা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় তত্বগুলো যেহেতু গাণিতিক হিসাব অনুযায়ী করা হয়েছে , সেকারনে এটাতে কোন ভুল নেই । তাই কি? যে সমস্ত তত্ব বর্তমানে বাতিল হয়েছে , সেগুলো ও কিন্তু গাণিতিক মডেল নির্ভর ছিল।
থমাস কুহনের বলা Paradigm shift সম্পর্কে কিছু জানেন? উনার বই The Structure of Scientific Revolutions পড়ে দেখলে বুঝবেন , বিজ্ঞান কতটা অ্যাসাম্পশন নির্ভর।
@ফারুক,
গণিত বিজ্ঞানের ভাষা ও পদ্ধতির অংশ, “প্রমাণ” নয় — যদিও কথ্য ভাষায় গাণিতিক প্রমাণের কথা বলা হয় বটে। বিজ্ঞানের একমাত্র প্রমাণ পর্যবেক্ষণের সাথে মিল। আপনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বর্ণনা যেকোন জায়গা থেকে পড়ে দেখতে পারেন, এগুলো বহু পুরোনো জিনিস।
@ফারুক,
না পোস্টে হয়তো নেই। আপনি রৌরবকে বলেছেন –
ওই কথাটা মাথার আটকে গেছিল। আমার মনে হয়েছিল আপনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে রূপকথার গল্প আমি মানি না ব্যাখ্যাহীন বলে, কিন্তু সেই ব্যাখ্যাহীন স্ট্যাটাসসমৃদ্ধ বিজ্ঞানকে আমরা ঠিকই মেনে নেই, যেটা একটা বিশ্বাস ছাড়া কিছু না। আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন ওই বাক্যে আপনিই ভালো বলতে পারবেন।
নাহ। একই জিনিসের ব্যাপারে আপনি দুটো ভিন্ন অ্যাসাম্পশান এর উপর ভিত্তি করে দুটো ভিন্ন এমন কি পারস্পরিক সাংঘর্ষিক গাণিতিক তত্ত্ব তৈরি করতে পারেন। তার মানে কি জগতে দুইটাই ঘটবে? যদি এদের কেবল একটা ঘটে, অন্যটা তো ভুল। ফলে “আমি বিজ্ঞানে গণিত ব্যবহার করেছি বলে এটা নির্ভুল” এমন ছেলে মানুষি দাবী কেউ করার কথা না।
এখন ওই সাংঘর্ষিক দুটো তত্ত্বের মধ্যে কোনটা বাস্তব ঘনিষ্ঠ, সেটা যাচাই করা হয় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। পর্যবেক্ষণ তখন ইঙ্গিত দেয় যে দুটো তত্ত্বের মধ্য প্রথমটা বা দ্বিতীয়টা জগতকে বেশি প্রেডিক্ট করতে পারছে। অন্যটাকে তখন ধরা হয় যে, ভুল অ্যাসাম্পশান বা বাস্তবতা-অঘনিষ্ঠ অ্যাসাম্পশানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ওটাই হচ্ছে আপনি যেটা বললেন, “যে সমস্ত তত্ব বর্তমানে বাতিল হয়েছে , সেগুলো ও কিন্তু গাণিতিক মডেল নির্ভর ছিল।”
পর্যবেক্ষণ বর্জিত অবস্থায় গণিত বাস্তবতার ব্যাপারে কোন সত্যাসত্য বহন করে না। যেকোন অ্যাসাম্পশানের উপর ভিত্তি করে আপনি পুরো এক সেট নতুন গণিত তৈরি করতে পারেন, যেটার সূত্রগুলো আপনার জানা সূত্রগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক। যেমন আপনি জানেন যে ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি ১৮০ ডিগ্রি। কিন্তু এটার পেছনে আছে ইউক্লিডিয় তলের অ্যাসাম্পশান। এই অ্যাসাম্পশানটা পরিবর্তন করে দিলে কোণের সমষ্টি আর ১৮০ থাকবে না।
বিজ্ঞান অ্যাসাম্পশান নির্ভর বলতে কী বোঝাচ্ছেন? অ্যাসাম্পশান ভিন্ন হলে পর্যবেক্ষণ ভিন্ন হয়ে যাবে? আমি পড়ি নাই। আপনি এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারেন। বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। কিন্তু ওতে তিনি কী বলেছেন না জেনে ওর কোন তত্ত্ব এই তর্কে আনয়ন করা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানের ক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা, আকার প্রকার নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ। এটাকে কাজের বস্তু ছাড়া ভিন্ন কিছু আমি ভাবি না।
তবে আপনি আগে যা জানতেন, এখন যে সে জানা পাল্টে গেল, তাতে কী কী ইম্প্লিকেশান হলো একটু বললেন না? ধরেন রকেট, কম্পিউটার এগুলো কী নাই হয়ে গেল হঠাৎ? নাকি বিবর্তন ঘটা বন্ধ হয়ে গেলো? নাকি অদেখা রাক্ষস খোক্ষসেরা আবার অস্তিত্বশীল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হলো? একটু হাল্কা চালে প্রশ্নগুলো করলাম। উত্তর দিয়েন। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
ফারুকের অস্পষ্ট অ-থিসিস অগ্রাহ্য যদি করিও, প্লাটোনিস্ট দের সম্বন্ধে আপনার মত কি? বহু কট্টর বিজ্ঞানবাদী চিনি যারা আবার বৈজ্ঞানিক সূত্রের পর্যবেক্ষণ-ঊর্দ্ধ সত্যতায় বিশ্বাসী, এদের অনেকেই আবার গাণিতিক aesthete।
@রৌরব,
প্লেটোনিস্টদের সাথে চাইলে তর্ক লম্বা করা যায়। আমার শিক্ষাগুরু তাদেরকে সংক্ষেপে উত্তর করেন এটা বলে – “অবশ্যই সত্য। খালি বাস্তব নয়, এই যা!”
এই প্লেটোনিস্টরা সাধারণত সাধারণ বিজ্ঞান সম্বন্ধে বিজ্ঞান-পাঠক আর পপুলার বিজ্ঞান লেখকদের মনজয় এবং বিভ্রান্ত করে থাকেন। জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন ভুল ভাঙে, ততদিনে সব কিছু ব্যাড়াছ্যাড়া লেগে যায়। ফলে ভুল জানার পরীক্ষিত চর্চার কারণে ভুল ভাঙতে ভাঙতেই আরও দশটা ভুল তৈরি হয় চোখের সামনে।
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার শিক্ষাগুরু সত্যিই গুরু :guru: পছন্দ হয়েছে phrase টা আমার।
@রৌরব,
🙂
রূপম (ধ্রুব) ভাই, Thomas Kuhn এর লেখা আপনার হয়তো ইন্টারেস্টিং লাগবে কারন বিজ্ঞানের দর্শনে আগ্রহ আপনার। আমার মোটামুটি লেগেছে, কারন revealing তেমন কিছু পাইনি। আর, বিজ্ঞানের দর্শনেও খুব একটা আগ্রহ ছিল না আমার। Kuhn-এর উপরে ছোট কিছু লেকচার নোট ছিল। Email করে দিবো?
@জয়,
আলবত, দ্যান পাঠাইয়া
[email protected]
@জয়,
ধন্যবাদ। পেয়েছি। সকল প্রশংসাই আল্লাহর। কিংবা তার অবর্তমানে ফারুক ভাইয়ের। ওনার পোস্টের জন্যেই কিনা এটা পেলাম। খালি পোস্টগুলো যদি আরেকটু গুছিয়ে বিস্তারিত করতেন। সোনার বাংলাতেও তো দু চার পাতা বেশি লেখেন। এখানে এমনভাবে লেখেন, ভাবসাবে মনে হয় এই বুঝি ঈশ্বরের অনস্তিত্ব নাই করে দিবেন।
:-O
একটু ধৈজ্জ ধরে বিস্তারিত বলা যায় না? কী জানতেন, আর কী জানলেন? ব্যাখ্যাবুখ্যাসমেত?
@ফারুক,
:-Y :-X
আলোর গতি যে মহাবিশ্বে সর্বোচ্চ এটা আপেক্ষিকতা তত্ত্বের পুর্বশর্ত নয়, এটা হল বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের গাণিতিক বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসা অনুসিদ্ধান্ত। স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে করেক রকম গাণিতিক সমীকরণ বেরিয়ে পড়ে।ধরা যাক,তার একটি হল ভর সমীকরণ। এই সমীকরণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেখা যায়, আলোর বেগের চেয়ে বেশি বেগে যদি কোনো বস্তু চলে তাহলে তার ভর হয় অসীম,দৈর্ঘ্য হয় শুন্য ইত্যাদি। তাছাড়া বহুবার পরীক্ষা করে আলোর বেগের অনাপেক্ষিকতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাই, আপনি কোথায় পেলেন যে আলোর বেগ সর্বোচ্চ আর অনাপেক্ষিক এটা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে??
কমেন্ট করবার পূর্বে একবার প্রিভিউ বাটিনে ক্লিক করে দেখে নেবেন আপনি কী লিখেছেন।সেটা করলে বোধ হয় আপনারই লাভ।
(বিঃদ্রঃ- এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞান বইটি স্টাডি করে আসলে ভালো হয়।)
@নিটোল,
আপনি যে এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞান বইটি স্টাডি করেই মন্তব্য লিখছেন , তা বোধহয় বুঝতে পারছি। :))
তাই কি? আলোর গতি যে মহাবিশ্বে সর্বোচ্চ নয় , এটা জানেন কি?
According to Einstein’s special theory of relativity, it would require an infinite amount of energy to propel an object at more than 186,000 miles per second.
However, Dr Gunter Nimtz and Dr Alfons Stahlhofen, of the University of Koblenz, say they may have breached a key tenet of that theory.
The pair say they have conducted an experiment in which microwave photons – energetic packets of light – travelled “instantaneously” between a pair of prisms that had been moved up to 3ft apart.
Quantum Tunnelling , Casimir Effect , Expansion of the Universe বা Speed of Gravity এগুলো সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়া আছে?
@ফারুক,
এটা জানি ছিল। আমি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেছি। উপরোক্ত বক্তব্য যদি বিজ্ঞানের জগতে যুক্তি-প্রমাণসহ প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে তা আমি মেনে নেব।
নাহ!কোনো আইডিয়া নেই। আপনি লিখুন না এসব নিয়ে। কিছু আইডিয়া তাহলে আমিও পাই।
@ফারুক,
দেখুন রূপম (ধ্রুব)-র জবাব। বিশ্বাসের কোন বিষয় নেই এখানে। আলোর গতি বৈজ্ঞানিক মতে ধ্রুব — এর অর্থ আর কিছুই নয়, এর অর্থ হল এটা ধরে নিলে পর্যবেক্ষণকে সুন্দর ভাবে সংকলিত করা যায়। হাইপোথেসিস গঠনের জন্য আপনি যা ইচ্ছা তাই “বিশ্বাস” করতে পারেন, সেটা সমস্যা না। শেষে গিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে মিলতে হবে। কথা শেষ।
আমিও বিজ্ঞানের মতই ব্যাখ্যাহীন। আপনি যে অপবিশ্বাসে ভরপুর একজন মানুষ, এটাই শুধু বলি। কোনো ব্যাখ্যা দেই না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ, ফরিদ আহমেদ বলেছেন……. :clap :clap
এখানে ‘কিন্তু’ শব্দটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য পুরো লেখা পরার পরও বুঝতে পারলাম না। ধরে নিলাম, বিজ্ঞান যদি কোনো কিছু ব্যাখ্যা করে না(পোস্টের ভাষ্য মত) কোনো কিছু বর্ণনা করে, তারপরও বিজ্ঞানে বিশ্বাসে জায়গা কোথায়?
:-O :-O
কেন আপেল মাথায় পড়ে? = মহাকর্ষের কারণে পড়ে।
মহাকর্ষ কেন হয় বা দুটি বস্তু পরস্পরকে কেন আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে? এর জবাব কি কেউ দিয়েছেন? = আইনস্টাইন দিয়েছেন। তার জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি এই প্রশ্নের খুব সুন্দর জবাব দিয়েছে। অভিজিৎ রায়ের ‘আলো হাতে চলিয়াছে আধাঁরের যাত্রী” বইয়ে বিস্তারিত উত্তর পাবেন।
এ জন্মে আরো কতো কি শুনতে হবে ভেবে কূল পাচ্ছিনা। যিনি এই মন্তব্য করেছেন ( কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বা সিএমবি (CMB) আবিষ্কারক দুজনের একজন , নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আর্নো পেন্জিয়াস) তিনি কি তার মন্তব্যের সপক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ দেখিয়েছেন? আপনার লেখার প্রথম বাক্যটাই শুধুমাত্র ঠিক। বিজ্ঞান যুক্তি ও প্রমাণ ফলো করে, বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। যতো বড়ো বিজ্ঞানীই হোক না কেন তিনি যদি তার বক্তব্যের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে সেই বক্তব্য-দাতা যদি আইনস্টাইনও হয়ে থাকেন তবে তার বক্তব্য বিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্য হবে না।
@নিটোল,
বিজ্ঞানে ও বিশ্বাসের জায়গা আছে। পরদেশী নামের এক ব্লগার একটি মন্তব্য করেছিলেন –
প্রতিটা থিউরির কিছু ফান্ডামেন্টাল পষ্টুলেট বা স্বতঃসিদ্ধ থাকে যা বিশ্বাস না করলে মূল থিউরিটিকে প্রমান করা যায়না। যেমন ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির মুল ধারনা হলো বিন্দু, রেখা, তল ইত্যাদি। বিন্দুর সংজ্ঞায় বলা আছে যার কোন আকার, আয়তন নেই শুধু অবস্থান আছে। এখন বিশ্বের এমন কোন কিছু কি আছে যার কোন আকার আয়তন নাই শুধু অবস্থান আছে? একই ভাবে রেখার নাকি কেবল দৈর্ঘ আছে প্রস্থ নাই? বাস্তব বিশ্বের কোন রেখার প্রস্থ নাই?
এখন যদি আমরা ইউক্লিডের এই স্বতসিদ্ধকে না বিশ্বাস করি তা হলে পুরো জ্যামিতি তথা পুরা বিজ্ঞানই বৃথা। কিন্তু ইউক্লিড কি আমাদের জোর করেছিল তার সংজ্ঞা মেনে নিতে? না আমাদের ঠেকাতেই আমরা তা মেনে নেই।
@ফারুক, আমি অনেক দিন আপনার মন্তব্যগুলো খেয়াল করে দেখেছি। পাঠক হয়ত আপনার লেখা বা মন্তব্য নিয়ে গঠনমুলক কিছু আলোচনা করল।কিন্তু আপনি সেই আলোচনার দিকে না গিয়ে পাঠকের মন্তব্যের কোনো এক কোণ থেকে একটা বক্তব্য নিয়ে সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন, ফলে আলোচনাটা আসল জায়গা থেকে সরে আসে। আপনি যা বললেন তা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়। যেসব কথা বলেছেন তা নিয়ে এই মুক্তমনা ব্লগেই যথেষ্ঠ তর্ক-বিতর্ক হয়ে গেছে। পুরোনো আর্কাইভ থেকে তা ঘেটে জেনে নিতে অনুরোধ করব।
আমার মন্তব্যের অন্য অংশগুলো নিয়ে আপনার বক্তব্য কী? পোস্টের সাথে সংগতিপূর্ণ প্রশ্নগুলোর জবাব দিন দয়া করে।
@নিটোল,
আপনি কি কোন প্রশ্ন করেছেন? আমার চোখে তো পড়ল না।
“নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আর্নো পেন্জিয়াস) তিনি কি তার মন্তব্যের সপক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ দেখিয়েছেন?” এটাই যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে , তবে তার উত্তর তো পোস্টেই আছে। সকল মহিলা সেক্রেটারির যুক্তিটা তো ওনার দেয়া।
@নিটোল,
আপনি কি কোন প্রশ্ন করেছেন? আমার চোখে তো পড়ল না।
“নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আর্নো পেন্জিয়াস) তিনি কি তার মন্তব্যের সপক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ দেখিয়েছেন?” এটাই যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে , তবে তার উত্তর তো পোস্টেই আছে। সকল মহিলা সেক্রেটারির যুক্তিটা তো ওনার দেয়া।
বেশির ভাগ সময়ই মনে হয় আপনি বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন গুলি খুঁজে বের করেন।
তবু অপেক্ষায় থাকলাম কেউ এর উত্তর দিবে।
@আসরাফ, আমি তো মনে করি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের উত্তর খোজাটাই গভিরভাবে জানার সর্বোত্তম পন্থা।
@ফারুক,
আমার তা মনে হয়না। প্রশ্ন প্রশ্নই। এর আগে বিভ্রান্তি লাগানোর অর্থ হল। প্রশ্নটা নিয়েই সমস্যা। প্রশ্নটাই যদি বিভ্রান্তিকর হয় তবে তার উত্তর কেমন করে সম্ভব???