১
মুক্তমনায় সম্প্রতি অভিজিৎদার বিবাহ বিষয়ক লেখাটা বেশ ভাল লাগলো। যাই হোক, বাজে ব্যাপার হল উনি নিজেই বিবাহিত, কোন কাজের কথা না! লেখায় সিনসিয়ারিটির অভাব আছে তার মানে। 😉
ভাবলাম, নিজের কাহিনী লিখি অল্প অল্প করে, কারণ বিয়ে বিষয়ে নিজের মতামত কখনো ফরমালি কোথাও লিখিনি। জিনিসটাকে বেশি সিরিয়াসলি না নেয়াই বোধকরি ভাল হবে, তবে একেবারে ফেলেও দিয়েন না যেন! 🙂 আপনাদের মন্তব্যের ভিত্তিতেই পরের পর্ব আসলে আসবে, যদিও আমি বড় ধরণের সিরিজখেলাপি। 🙂
২
একটু ব্যাকগ্রাউন্ড।
আমার বয়স আটাশ বছর এক মাস। প্রাক্তন কোন যৌন অভিজ্ঞতা নেই, সেল্ফ-এডমিনিস্টারড ছাড়া। আমার কোন মেয়েবন্ধু (গার্লফ্রেন্ড) ইত্যাদি নেই, ছিলও না। তবে ‘মেয়ে বন্ধু’ অর্থে মেয়েবন্ধু আছে, এবং একজন খুব সম্ভবত প্রায় বেস্ট ফ্রেন্ড পর্যায়ে।
৩
বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থে যে বিয়ে, সেটার কথা ভাবলেই আমার রিপালসিভ লাগে। বলছি না এর মধ্যেও ভাল জিনিস নেই। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে অনেক প্রথা আছে, যেটা আমার ধারনা আমার ব্যক্তিসত্ত্বার সাথে ঠিক যায় না। এই যে চার-পাঁচটা অনুষ্ঠান ইত্যাদি করে মানুষ বিয়ে করে, লাখ লাখ টাকা পয়সা খরচ করে, সেটা তো আমার চরম বিরক্তিকর লাগেই। তারপর যেটা হয়, বিয়েটা তো আসলে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে হয় না কেবল, ছেলে আর মেয়ের পরিবারের মধ্যেও হয়। এই সব পরিবারের নানারকম ‘হাউস রুল’ মেনে চলা আরেক ঝামেলা। এরপর আছে বিয়ে-পরবর্তী সামাজিকতা।
বিয়ের আগে বিবেচ্য চলক হিসেবে আসছে এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ বনাম প্রেম করে বিয়ে করা। এ্যারেঞ্জড ম্যারেজকে আগে একেবারে ‘এবহরেন্ট’ লাগতো। মাঝখানে গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছিল নানা কারণেই। এখন আবারও কিছুটা ‘ব্যাক টু এ্যাবহরেন্স’। তারপরও, প্রেম আর এ্যারেঞ্জড ম্যারেজ মিলিয়ে মিশিয়ে খারাপ জিনিস করা যায়, ভালই সফল হওয়া সম্ভব, মনে হয়।
৪
যাই হোক, উপরের সেকশনের সবগুলো চলক ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সুন্দর করেই বিয়ে করা যায়। সমস্যা হল ‘আমি’।
ব্যক্তি হিসেবে আমি একেবারে ‘শিজয়েড’ পর্যায়ের অন্তর্মুখী না। মায়ার্স-ব্রিগস পার্সোনালিটি ধরন হল আইএনএফপি। সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া খারাপ না, ভালই পারি। কিছু কিছু মানুষের দ্বারা এনার্জাইজডও হই।
কিন্তু আমার *নিজের* বেশ বড় পর্যায়ের স্পেস লাগে। দিনশেষে আমাকে আমার মত থাকতে দিতে হবে। আমি খামাখাই ‘পাছে লোকে কি বলবে’ এ জন্য ড্রইংরুম গুছাতে বা নতুন গাড়ি কিনতে পারবো না। আমার ‘স্বাধীনতা থ্রেশোল্ড’ এখনো অনেক বেশি।
আমি এখনো এমন কোন ‘এভেইলেবল’ নারীর সাথে পরিচিত হইনি, যিনি কিনা এই থ্রেশোল্ড-এর থেকেও বেশি পুরষ্কৃত করেন।
৫
বিবাহের বিরুদ্ধে আমার খুব যে বেশি কিছু আছে তা না। তবে আমি বিবর্তন-সংঘাতে ভুগি। আমি কি একটি ‘জন্তু’, না একটি বিবর্তিত মানুষ? ফ্রন্টাল কর্টেক্স থাকলে কি হবে, আমার যে একটি লিম্বিক ব্রেইনও আছে। যৌনভাবে আকৃষ্ট হওয়া তো আমার অস্তিত্বেরই অংশ!
তারপরও বিবর্তিত মানুষ হিসেবে নিজের এ ধরণের বিবর্তিত ইমপালসগুলো নিয়ে মাঝে মাঝেই লজ্জিত হই, যদিও রাশনাল মন বলে লজ্জিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
৬
আমার ধারণা, আমরা এখন এমন এক সমাজে বসবাস করি, যেখানে ‘অস্বাভাবিক’ হওয়া খুব সহজেই সম্ভব। সুতরাং এখানে আমরা নিজেদের বিবর্তনের কিছু অংশ বাদ দিয়ে নিজের মত ‘সুখ’ অপটিমাইজ করাটা খুব ভুল কিছু না।
বিবাহবন্ধন সামাজিকভাবে বসবাসরত মানুষের জন্য যৌনাকাঙ্খার মত বিবর্তনগতভাবে শক্তিশালী ইমপালস মেটানোর দারুণ উপায়। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিকও বটে। আমাদের মস্তিষ্ক বিবর্তিত হয়েছেই সেভাবে। বিশালসংখ্যক মানুষের জন্য বিবাহপরবর্তী ‘পার্টনারশিপ’ জীবনযাপনেরও অত্যন্ত সহজ, আরামদায়ক এবং পুরষ্কারসমৃদ্ধ উপায়।
বিয়ের বদলে এখন যা চালু, লিভ-টুগেদার, ওপেন রিলেশনশিপ, এই একই মতামত সেসব ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিশাল এই যুগ্মতার সংজ্ঞাকে অস্বীকার করা আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি কখনোই বলতে পারি না আমি কোন রিলেশনশিপ-এ যাবো না। ইন ফ্যাক্ট, আমার জীবনের এখনো দারুন ফ্রুটফুল সম্পর্ক আছে।
কিন্তু ৫০ বছর ধরে পাশাপাশি দু’জন লোক বসবাস করছেন এ্যারেঞ্জড ম্যারেজের পর, ‘বিয়ে’ বললে এখন চোখের সামনে এই চিত্রটি যেটি মাথায় আসে, সেটিকে অসাড় মনে হয় তা বলতেই হবে।
কিছুই মনে করিনি, বরং আপনারা কি চাইছেন পরিষ্কার হলে আমার কাছেও সুবিধা। 🙂
প্রথমে মনে হচ্ছিল বার্ট্রান্ড রাসেলের ব্যাক্তিগত ডাইরী পড়ছি, পরে মনোনিবেশ করতে না পেরে লেখকের কথা গিলবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না। পরে মনে হলো লেখা আসলে খুব বড় আর্ট বা কলা, এবং এও বুঝলাম মুক্তমনাকে সেই আগের মত কলামন্ডিত রূপে দেখা হয়তো আর সম্ভব হবে না। সত্যি কথা বলতে কি, আজকাল মুক্তমনার য়নেক লেখা বালখিল্লতার দোষে দুষ্ট পাওয়া যায়।
@শাখা নির্ভানা,
হুমম … সব জায়গায়ই এখন বালখিল্য আর চটুল লেখার জয়জয়কার, এর ছিটে ফোঁটা প্রভাব মুক্তমনাতেও পড়বে, পড়ছে।
আপনার মন্তব্য শুনে কেন যেন মনে হল – আপনি অনেকদিন ধরেই মুক্তমনা পড়ছেন এবং ব্যতিক্রমধর্মী জিনিসপত্র পড়ার এবং এ নিয়ে লেখার অভ্যাস আছে। লিখতে পারেন এখানে ইচ্ছে হলে।
@শাখা নির্ভানা,
আমি আপনার মন্তব্যের নির্দেশনাটি বুঝতে পেরেছি। সামনে চেষ্টা থাকবে লেখার মান এবং কনটেন্টে উন্নতি করার।
@শাখা নির্ভানা,তবে আমি বলবো অকপট, সহজ-সরলভাবে বাস্তব জীবনের কথা নিয়ে লিখতে পারাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সব লেখা কলা হলে রিলেট করা একটু কষ্টকর হতে পারে। ব্লগার হিসেবে আমি প্রথম পদ্ধতিটাই অনুসরণের চেষ্টা করি। এটা অনেকের ভাল লাগে, কারো কারো লাগে না। 🙂
তবে অবশ্যই এ লেখাটিতে বা এ ধরনের লেখাতে আরো উন্নয়নের স্কোপ আছে।
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
আত্ম জৈবনিক ব্লগে ব্লগিং জগতটা এতোই ভরে গেছে, যেখানেই যাই, সেখানেই আজ কি করলাম, কাল কি করব, বিকৃত শব্দে কথোপকথন এবং অতি স্মার্ট আচরণ এসব দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে হয়ে গেছি। মুক্তমনায় আসলে একটু দম ছেড়ে লিখি এবং পড়ি। মুক্তমনার প্রগতিশীল, বিজ্ঞান মনস্ক লেখালেখি এবং আলোচনা আমাদের মত পাঠকদের জন্য কাঠফাটা রোদের মধ্যে একফোঁটা বৃষ্টি। তাই শাখা নির্ভানার মত আমারও অনুভূতি হয়েছে। ভাববেন না, আত্ম জৈবনিক ব্লগিং বা কথা চালাচালির স্পেস আমাদের মত পাঠকেরা দিচ্ছে না। বরং আমরাই স্পেস পাচ্ছি না বলে অন্য জায়গাগুলো ছেড়ে পালাচ্ছি। এটাই মুদ্রার উল্টোপিঠের সত্য।
আমার কথায় কিছু মনে করেন না সিরাত ভাই, ব্লগিং পেজে নীল রোদ্দুর ব্লগার হিসেবে ছাড়া আর কোনরূপে কথা বলে না।
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
একমত। শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়, কঠিন ব্যাপার বলেও মনে হয়। তবে আপনার লেখার বিষয়বস্তু এবং স্টাইলটি ভাল লেগেছে। আশা করছি বিবাহ-২ অচিরেই পাব।
এই লেখাটা যে ছাপা হবে আমি সেটা ভাবি নাই; দেয়ার ২৪ ঘন্টার মত পর যখন দেখলাম আসে নাই ভাবলাম আর আসবে না। মোটামুটি হিট আর মন্তব্যে ভেসে গেছে জানলাম স্পর্শ/তানভীর এর ফেসবুক মন্তব্য পড়ে। অফিস থেকে একেবারেই চেক করা হয়নি কাজের চাপে। মন্তব্যের দেরীর কারণে আমি দুঃখিত।
সবাইকে ধন্যবাদ!
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
নিজের উপর আত্মবিশ্বাস এত কম থাকলে তো চলবে না। তাহলে তো আর বিবাহ না করে থাকতে পারবে না। আমার আগের কোন একটি লেখায় বলেছিলাম যে জিনগত এই তাড়না আর ব্যক্তিগত সুখের তাড়না এই দু’ইয়ের মধ্যে যেটি স্ট্রং হবে সেটিই কাজ করবে। যদি দু/টো সমান বা কাছাকাছি হয় তবে বিয়ে করে, ফাঁকে ফাঁকে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করা এই হল গড় জীবন, যেটা গড়-পরতার সবাই করে চলছি।
যদি তোমার সচেতন পার্ট যথেষ্ট স্ট্রং হয় তবে বিবাহ না করেও জীবন চালিয়ে যেতে কোন সমস্যা দেখি না। সে রকম জীবন অনেকেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখবে যে অবচেতনে জিনগত তাড়না কিন্তু সব সময় থাকবে। নিজের সচেতন পার্ট যদি যথেষ্ট যথেষ্ট স্ট্রং না হয় তবে একটি সময়ে এসে জীবনকে অর্থহীন মনে হবে (যদিও জীবন আসলেই অর্থহীন)। তখন ডিপ্রেশান ভর করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভাল হচ্ছে আগে নিজেকে জানা। নিজে আসলেই কি চাও সেটা ভালভাবে জানো।
নিজের কথা যদি বলি, নিজে কি চাই বুঝে উঠার আগেই জিনগত তাড়নাতেই খেয়ে ফেললো। যথারীতি একজনকে পছন্দ, বিয়ে, সংসার, সন্তান, এইসব কিছুর জালে আটকা পড়ে গেলাম। তারপর যখন নিজের সচেতন পার্ট জেগে উঠলো তখন দেখি আর উপায় নেই। এখন বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছি 😥 । এখন নিজের জিনগত দায়িত্ব পালন করেও নিজের আনন্দ যতটুকু বাড়ানো যায় সেটাই করে যাই।
এত লজ্জা শরম ধানাই পানাই এর কিছু নাই।
জোয়ান মর্দ মানুষ…সবই বুঝি।
ধর তক্তা মারো পেরেক নীতি নিয়া ফালান।
@আদিল মাহমুদ, আপনে এমনে হাঁটে হাড়ি ভাঙ্গলে ক্যামনে কি!
আসো ভাই কোলাকুলি করি। 🙁
মনে হচ্ছে যৌনাকাঙ্খার তাড়নায় বিয়েশাদি করে ফেলাটাই তোমার নিয়তি হতে চলেছে। বিবর্তনীয়-সংঘাত বলে কথা।
আর স্পেস রিকোয়ারমেন্টের সাথে নারীসঙ্গপ্রাপ্তির সম্ভাবনার একটা হাইজেনবার্গীয় শত্রুতা আছে। কারণ, বিবর্তনীয় কারণেই মেয়েরা (গড়ে) একটু লতায় পাতায় থাকতে চায়। এক্সট্রাওর্ডি’নারী’ ও কেউ কেউ নিশ্চই আছে। কিন্তু আমরা তো ‘গড়-মানব’। তাই গড়ের হিসাব করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আর তোমার পড়াশুনা এবং অন্যান্য আগ্রহাদি থেকে বোঝা যায়, তোমার জন্য অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক এর মত একটা জীবনই বেশি এনজয়েবল হবে। 🙂
পরের পর্ব লিখে ফেল।
@তানভীরুল ইসলাম,
মধু, মধু। চমৎকার।
@তানভীরুল ইসলাম, এক্সট্রাওর্ডি’নারী’-টা পইড়া হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইতেসি মিয়া!
তুমি সিঙ্গল থাকবা নাকি আগে সেটা কও! 😉
ভাই,বিয়ে নিয়ে আপনার এইরুপ সচেতনতা দেখে খুব ভাল লাগলো। ব্যাপারটা অনেক জটিল। মনে হয় বিয়ের পূর্বে আপনার নিজের সম্পর্কে বেশ পরিস্কার ধারনা হয়েছে, তবে যদি আপনার এখন একজন মেয়ে বন্ধু ( মনের মানুষ) থাকতো তাহলে আপনি বাস্তব চিত্রটা দেখে নিতে পারতেন এবং নিজের কতটুকু স্পেস ছাড় দিতে পারবেন তাও দেখে নেয়া যেত। হয়তো নতুন করে নিজেকেও খুজে পেতে পারতেন। রিলেশনের প্রতি মুগ্ধতা দরকারী তাই আগে নিজের মুগ্ধ হবার ক্ষমতা সম্বন্ধে ভাল আইডিয়া থাকা ভাল। আর বিয়ে? সেটা হওয়া উচিত, ভালবাসার যৌথখামার।
@অসামাজিক, উত্তর দিতে গিয়ে আমি মোটামুটি ধাঁধায় পড়ে গেলাম। সব কথা এখানে বলে ফেলাও সম্ভব না; আমার লেখায় যে ক্রুডিটি সেটা ব্যক্তিক্ষেত্রে না আগানোই ভাল। 🙂
‘ভালবাসার যৌথখামার’? 🙂 এ ব্যাপারে জোনাথান হাইট পড়ছিলাম, প্যাশিওনেট লাভ বনাম কম্প্যানিয়নেট লাভ নিয়ে। দেখি, সেটা নিয়ে সামনে লেখার ইচ্ছা রইলো। 🙂
লেখক তো দেখা যাচ্ছে ন্যাচারাল সিলেক্সনের একেবারে দাড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে পোস্টটি লিখলেন!
এখন বন্যা আহমেদ যদি বিবর্তন নিয়ে লেখা তার পরবর্তী কোন পোস্টে ‘ন্যাচারাল সিলেক্সন কিভাবে কাজ করে’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সরাসরি আপনার এই পোস্টটি লিঙ্ক করে বসা হতে বিরত থাকেন, বলাই বাহুল্য সেটিই হবে সুস্থ সৌজন্যবোধ ও সহানুভুতিবোধের পরিচায়ক!
এবং একজন মডারেটলি অল্চ্রুইস্টিক পুরুষ হিসেবে আপনার প্রতি সহানুভুতি থাকলো আমারও। আপনার তো তাও সেল্ফ এডমিন্সট্রেশন আছে, অনেকের তো তাও থাকেনা।
সমাজের একজন সহোদর সদস্যকে পার্সোনাল স্পেসের বিশাল চাহিদা ঠেলে ঠেলে একেবারে নির্বাচন-কূপের কোনায় এনে আটকে রেখেছে এই দৃশ্যের মধ্যে আর কিছু না থাকুক কিছুটা মেলানকলি রয়েছে নিঃসন্দেহে।
আপনার জাগায় আমি থাকলে আপাতত সেল্ফ এডমিন্সট্রেশনের গুনগত মান কি করে আরেকটু ভালো করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা শুরু করতাম।এর সাথে একটা ডেডলাইনও নিতাম- “২৮ বছর, প্রিটি লং, আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আমি বিবর্তনদেবীর বেদীতে আমি আমার কুমারত্ব বিসর্জন দিচ্ছি অথবা বিসর্জন দিচ্ছি সম্পুর্ণ কুমারটিকেই।” :laugh:
কিংবা ব্যাপারটা এমন না তো আবার যে- সেল্ফ এডমিন্সট্রেশনের গুনগত মান আপনার এতোটাই ভালো যে কনফার্মেশনাল বায়াস কোন এক্সপেরিমেন্ট ছাড়াই আপনার কাছ থেকে উপসঙ্ঘার আদায় করে নিচ্ছে যে- ফরেন এডমিন্সট্রেশন এর চেয়ে ভালো হতে পারে না? এটা হলেও আপনাকে আবার ভেবে দেখার আমন্ত্রন জানাচ্ছি কেননা বেশীরভাগ মানুষই এই উপসংহারে পৌছে না।
ফাইনালি আপনার পোস্ট ভালো লাগলো। নির্ভিক চিত্তে সত্যের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি থাকলো সাধুবাদ এবং আপনার দুর্দশা লাঘবে কোনকিছু যদি আমি করতে পারতাম, যেমন- ‘সেক্স চেইঞ্জ সার্জারি করে নিয়ে নারী সেজে আপনার কাছে গিয়ে আপনাকে সিডিউস করে ফেলা, মেনকা যেমন সিডিউস করে ফেলেছিলো অষ্টধাতু, যমদাগ্নি প্রভৃতি সব ঋষি চিষি কে’ আমি ঠিক তাই-ই করতাম।
পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম!
@আল্লাচালাইনা,
ওরিয়েন্টেশন চেঞ্জ করাটাও আরেকটা সমাধান হতে পারে। :-/
@তানভীরুল ইসলাম,
আপনার এই কথাটা একেবারেই বোধ্যগম্য হচ্ছিলো না প্রথমে। ভাবছিলাম আপনি কি আমাকে একটি ‘স্ট্র্যাপ অন’ পরিধান করার পরামর্শ দিচ্ছেন কিনা, উলটো করে :lotpot:! পরে বুঝতে পারলাম যে আপনি বস্তুত আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করেছেন।
ওয়েল, সেখানেও একটা ক্ষুদ্র জটিলতা রয়েছে। আরিয়েন্টশনতো শুধু আমি পরিবর্তন করলেই হবে না, সিরাতকেওতো পরিবর্তন করতে হবে। ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে আমি অরিয়েন্টেশন টরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করে পুরা রেডি, ঐদিকে সিরাতের অরিয়েন্টেশন পরিবর্তনের কোন নাম গন্ধ নেই, পুরো ব্যাপারটা তাহলে একটা ফিউটাইল সাইকেল হয়ে যায় না?
আরেকটা হাইপথেটিকাল রিসিপ্রকাল অবস্থা কল্পনা করে ব্যাপক মজা পেলাম। কেমন হবে- সিরাতকে সিডিউস করার জন্য আমি সেক্স চেইঞ্জ করে নারী হয়ে গেলাম, আর ঐদিকে সিরাত যদি অরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করে সমকামী হয়ে যায়, the gift of the magi গল্পের মতো! :lotpot:
@আল্লাচালাইনা, ওরিয়েন্টেশন পাল্টানো কি এতই সোজা? এটা তো আর ফুকেটে গেলেই হইবো না! 😉
@আল্লাচালাইনা,
:hahahee: এত tortuous মস্তিষ্ক নিয়ে রাতে ঘুমান কি করে? :lotpot:
@আল্লাচালাইনা,
হা হা উ প গে কে ধ…
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বিপ্লব রহমান, হা হা প গে মানেটাতো শিখেছি আপনার ডিকশনারি পড়ে। কিন্তু কে ধ মানেটা আবার কি? আর হা ও প এর মাঝখানে একটা উ বসলোই বা কেনো? :-X
@আল্লাচালাইনা,
“উল্টে” এবং “কেউ ধর”
@আল্লাচালাইনা, ভাইজান আপনি এই পর্যায়ের সহানুভূতিশীল, সিরিয়াস ভাল লাগলো পড়ে। ব্যাপক আনন্দ পেলাম। কখনো সেক্স/ওরিয়েন্টেশন পাল্টালে আমাকে বলেন কিন্তু! 🙂
@আল্লাচালাইনা, প্রথমত আপনার মন্তব্যটি মজা লাগলো। 🙂
আপনি কি সিরিয়াসলি ব্যাপারটাকে ‘দুর্দশা’ মনে করেন? বলবেন আরেকটু কেন? 🙂 যৌনকর্ম ছাড়া কি জীবন বৃথা?! 🙂 এ বিষয়ে আমার উইলিয়াম লিস্ট-হিট মুনের ‘ব্লু হাইওয়েস’ বইয়ের একটা অধ্যায়ের কথা মনে পড়ছে। সেখানে মার্কিন ক্যাথলিক মোনাস্টেরির সন্ন্যাসীদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সাথে জোনাথন হাইটের আলোচনাও উল্লেখ্য, ‘প্যাশনেট লাভ’-এর বিশাল আপস এ্যান্ড ডাউনস নিয়ে।
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
অবশ্যই ব্যাপারটা যেহেতু আপনাকে কেন্দ্র করে, আমি এটা দুর্দশা কি নয় তা নির্ধারণ করতে পারি না। আমি যেই স্টেইট অফ মাইন্ডে আছি তাতে আমার কাছে হলে আমি একে দুর্দশাই বলতাম। নারীসঙ্গ কনফিডেন্স বাড়ায়, কাজ করার স্পৃহা বাড়ায়, উইল টু পাওয়ার বাড়ায় যেটা কিনা জার্মান দার্শনিক নিটশের কয়েন করা একটি টার্ম। সর্বোপরি এই মাপকাঠিতে পৃথিবী নামক হার্শ গ্রহটিতে জীবের ফিটনেস যেই কয়টি চলক ধরে বিচার করা হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে মেইট যোগাড় করতে পারা। আমরা ম্যামাল, রোদে পুড়বো না, বৃষ্টিতে ভিজে মরবো না, তুষারে মরবো না, অগ্নুতপাতে মরবো না, তাহলে করবোটা আমরা কি? একটা কিছু নিয়েতো থাকতে হবে। ভালোবাসা দেখা যাচ্ছে ডোপামিন মেকানিজম খুব আবেগীভাবে কার্যকর করে। এমতাবস্থায় পিটুইটারি ফিটুইটারি ফায়ার করতে করতে কাহিল হয়ে পড়লো এখন যদি একটা মেইট যোগাড় না হয় বলা যায় না বৈরাগ্যে পিটুইটারি হয়তোবা একসময় বলেই বসবে আমি ছাতার আর ফায়ারই করবো না, তখন তো ন্যাচারাল সিলেক্সন ছাড়া গতি নেই নাকি? আর যৌনকর্ম ছাড়া জীবন বৃথা না, জীবন বৃথা হচ্ছে ভালোবাসা ছাড়া। নারীর প্রতি পুরুষ কিংবা পুরুষের প্রতি নারীর ভালোবাসা যেটাকে বলে, যদি কিনা আপনি একজন হেটেরোসেক্সুয়াল পুরুষ হয়ে থাকেন। প্রেমকে যদি আপনার কাছে যৌনকর্মই মনে হয়, তাহলে আমি বলবো নিজের পার্সোনাল স্পেসের চাহিদা আপনার নিছকই একটা অজুহাত, খুব সম্ভবত আলস্য ঢাকার লক্ষ্যে। ছয় বিলিয়ন পপুলেশন সাইজ যেই প্রজাতির তার একটা সদস্য নিজের মতো একজন মেইট পাচ্ছে না এটা হতে পারে না।
@আল্লাচালাইনা,
ভাই আপনি বড়ই কনফিউজিং। একটু আগে আরেক পোষ্টে দেখলাম নারী জাতিরে ইলেক্ট্রিফাইড করে দিলেন, আমি যেন চোখের সামনে হেয়ার ড্রায়ার হাতে এক সুন্দরী রমনীকে বিভিন্ন অংগভঙ্গী করে লো ভোলটেজে ধীরে ধীরে ইলেক্ট্রিফাইড হতে দেখতে পেলাম। আর এখানে এসে নারী জাতির জয়গান গাইতে শুরু করলেন :-X । আপনি কেন ধরেই নিচ্ছেন যে সিরাত হেটেরোসেক্সুয়াল পুরুষ? যিনি এই পৃথিবীতে কিলবিল করা তিন বিলিয়ন নারীর মধ্যে একজন নারীর পিছনেও ১৫ মিনিট ( ১৫ দিয়াই শুরু করলাম) ইনভেস্ট করতে উৎসাহ পান না তার কিন্তু হেটারো ফেটারো না হওয়ার চান্স খুবই বেশী। আপনেরা সবাই মিলে হয়তো ওনারে এক্কেরে ভুল একটা উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। আপ্নের হাইপোথিসিসের বাউন্ডারিটারে সম্প্রসারিত করতে অনুরোধ করছি, পিটুইটারি ফায়ারিংটারে অন্যদিকে প্রবাহিত করার রাস্তা বাতলায় দেখতে পারেন কিন্তু । সিরাতের লম্বা অন্ধকার সুড়ঙ্গটার ওপারে টর্চ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিটা হয়তো আদৌ নারী নন, একজন মহমান্বিত পুরুষ!
@ফাহিম রেজা,
আমি পুরোপুরিই হেটেরোসেক্সুয়াল। এই অটোমেটিক সন্দেহটা কেন? গে হলে কি এরকম লেখাও লিখতাম? 🙂
@আল্লাচালাইনা,
এই অংশের সাথে পুরোপুরিই একমত। 🙂
@আল্লাচালাইনা,
ইশসসস, দিলেন তো, এত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ‘স্প্যন্ডেল, ফ্যান্ডেল’ এর মত বিবর্তনীয় কিছু জারগ্যান দিয়ে একটা উত্তর দিলাম সিরাতকে আর আপনি এসে দিলেন হাটে হাড়ি ভেঙ্গে (আপনার এই মন্তব্যটা দেখিনি আগে)! আমার চারপাশের মানুষগুলো আমার ‘খ্যাড়খ্যাড়ানি’ ব্যবহারে অতিষ্ট বলে ব্লগে একটু মিষ্টভাষী হওয়ার চেষ্টা করলাম, আপনি সেটাও দিলেন না। ঠিক এই কথাগুলো মনে করেই সিরাতকে বলার চেষ্টা করেছিলাম যে এখানে বিবর্তনীয় কোন সংঘাত নেই, বরং বিবর্তনের সাথে এক্কেবারে খাপের খাপ মিলে যাচ্ছে সব কিছু। কিছু মানুষ বিবর্তনীয় ডেড এন্ডে এসে না পৌঁছালে প্রাকৃতিক নির্বাচনই তো চাঙ্গে উঠবে 🙂 । একে এই মনোগমাস সমাজ এবং প্রত্যেকের একটি বা দুটি সন্তানের চাপে প্রাকৃতিক নির্বাচনের দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়, সেখানে সিরাতের মত কিছু মানুষ না থাকলে চলবে কি করে? এ নিয়ে এতো চিন্তার কি আছে, এ তো বিবর্তনীয় সংঘাত নয়, বিবর্তনীয় গন্তব্য।
কি আর করবেন ভাই, আপনার স্বাধীনতা থ্রেশোল্ড’ -এর যাঁতাকলে পিস্ট হবার ভয়ে আপনার ‘এভেইলেবল’ নারীদের এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ -র অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে।
@ব্রাইট স্মাইল্, ঠিক বুঝলাম না? একটু ইজি করবেন নাকি? 🙂
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
দুঃখিত, আমার অক্ষমতা। লেখালেখিতে পারদর্শিতা না থাকলে লেখা ইজি করা কি সোজা কথা? 🙁
লেখক মহাশয়
আপনি একটা বিয়া করে নিন। তারপরে না হয় লিখবেন। অভিজ্ঞতা ছারা লেখা উচিত না।
@বিপ্লব পাল, এই ক্ষেত্রেও ডিসকাউন্ট নাই?! 🙂
লেখাটি ভাল লেগেছে। সিরাতের লেখা বরাবরই চমৎকার হয়। :rose:
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
@সৈকত চৌধুরী, কন কি?! আমার লেখা তো আমার তেমন চমৎকার লাগে না। 🙂
আমাদের প্রচলিত বিবাহ প্রথার কোন কিছুই আমার খুব একটা ভাল লাগে না, সবকিছুর মধ্যেই কেমন যেন একটা “সম্পত্তি স্থানান্তর” এর গন্ধ থাকে। তবে আমি কোন মতেই আমার পোলাও-কোরমা আর বোরহানীর শেয়ার ছাড়তে রাজি না 😀
@পৃথিবী, আপনার পোলাও এর লোভে মানুষকে এরকম দুর্ভাগ্য পোহাতে হবে? 🙂 নাহয় খসলো দু’শো টাকা! 😉
@পৃথিবী,
“কোন মতেই আমার পোলাও-কোরমা আর বোরহানীর শেয়ার ছাড়তে রাজি না”
:guru:
:yes:
সুন্দর লেখা। আসলে আপনি চাইছেন কেবল আপনার সুখের মধ্যে থাকতে। সময় থাকলে তা অন্যের। কর্তব্য আর ভালবাসার মধ্যে একটা তফাৎ আছে। সঙ্গীকে সমমর্যাদার মন নিয়ে দেখলে আপনার মনের গতি ফিরে দেখতে পারে।
@ভাস্কর, জোনাথান হাইটের বইয়ে ডুর্খেইমের এরকমই একটা কথা উদ্ধৃত আছে। চরম ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাকে আমরা এখনো বাঁকে চোখেই দেখি, কিন্তু এটা কি আজকের দিনে কিছুটা বিবর্তনগত ল্যাগ না?
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
‘চরম’ বলে কিছু কি হয়? আপনি যখন অন্যের সমালোচনা করছেন, তখন কি তার ‘চরম ব্যক্তিস্বাধীনতা’ -কে উপেক্ষা করছেন না?
“বিবাহ – ১”
শিরোনাম দেইখা ডরাইসি! কয়টা বিবাহের বাসনা আপনের? 😉
@নির্ধর্মী,
আমি সিরাতের “বিবাহ – ২ এর অপেক্ষায় ।
@নির্ধর্মী,
হা হা প গে!!! :hahahee:
@নির্ধর্মী, :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@নির্ধর্মী, চারটা পর্যন্ত এ্যালাওড আছে ধর্মে, এমুন করেন ক্যান আপনারা?!
@মনওয়ার হোসেন (সিরাত),
গুরুজীতো শুনি ১১/১৩টা সম্পন্ন করেছিলেন। আর শিষ্যদের জন্য মাত্র ৪টা! আমি খেলুম না :-Y
আহারে…
আপনার স্যম্পল সাইজটা বড্ড ছোট মনে হচ্ছে , একটু এক্সপ্যান্ড করে দেখবেন নাকি :-Y ।
বিবর্তন-সংঘাত!!! বিবর্তনীয়ভাবে আপনার কিরকম হওয়ার কথা ছিল? বিবর্তনের যেমন কিছু মৌলিক কাঠামো আছে, তেমনি হাজার হাজার ব্যতিক্রম আছে, প্রকারণ আছে, স্প্যন্ডেল আছে। কেমন যেন একই দোষে দুষ্ট মনে হচ্ছে এই কথাগুলোও। বিবর্তন নিয়েও আপনার ধারণাটা একটু এক্সপ্যান্ড করবেন নাকি :hahahee: ।
কথাগুলো খুব কন্ট্রাডিক্টারি শোনালো। প্রথম প্যারাটার সাথে পরেরটা মিলাতে পারলাম না।
আপনার এই লেখাটা কি আত্মকথন নাকি অন্যরা কি বলতে চায় সেটা শোনার প্রচেষ্টা? একটু কনফিউসড হয়ে গেলাম। এই যুগে এসে আপনি আপনার পার্টনারের সাথে কোথায়, কিভাবে, কতদিন সম্পর্ক রাখতে চান, তার সব কিছুকেই কাস্টোমাইজড করে নেওয়ার ব্যবস্থা এত সহজলভ্য হয়ে গেছে যে আপনার কথাগুলোর সারমর্ম ধরতে কেমন যেন কষ্ট হল। হয়তো আমারই সীমাবদ্ধতা, কে জানে!
আর একটা ছোট্ট অনুরোধ, স্নিগ্ধাকে সম্মানী দিয়ে খামাখা সেকন্ড হ্যান্ড তথ্য নেবেন কেন? সম্মানীটা একটু বাড়ালে আমিই অভিজিত রায় সম্পর্কে ফার্স্ট হ্যান্ড কিছু তথ্যই দিতে পারি। বিবাহ নিয়ে আপনার সংশয় নিমিষে কেটেও যেতে পারে 😉
বুঝলামনা মিমেরা সব আমার বিয়া ভাঙ্গার জন্য উঠে পড়ে লাগসে ক্যান! এতো কষ্ট না করে আমারে বললেই তো হয়।
@বন্যা আহমেদ,
:laugh: :laugh: :laugh:
@বন্যা দি,
আপ্নের দিলে কী রহম নাই? দিদি গো, সব সত্য কথা সব সময় বলতে নাই!
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@বন্যা আহমেদ,
এখানে আমি গ্রস জেনারেলাইজেশনের দোষে দুষ্ট আরকি। 🙂 আমার ব্যক্তিগত মত যে ১০% ক্ষেত্রে হয়তো এটা সম্ভব। কিন্তু পাশ্চাত্যে, যেখানে বিয়ের আর্থিক ডাইমেনশনটা প্রাচ্যের মত নয়, সেখানে ডিভোর্স রেট তো খুবই উঁচু, ৬০% এর মত। বাকি কিছু পার্সেন্ট হয়তো কম্প্রোমাইজে চালিয়ে দেয়। এ কারণেই লং-টার্ম রিলেশনশিপ জিনিসটা নিয়ে আমি একটু সন্দিহান। মানুষ তো কালেক্টিভ অর্গানাইজেশনই লং-টার্ম টিকিয়ে রাখতে পারে না; ১০০ বছরের পুরোনো ভাল কর্পোরেশন আছে কয়টা, অন্তত নিজেদের মূল অস্তিত্ব আমূল না বদলে (আগের আইবিএম বনাম আজকের?)।
[সিরাত, সবচাইতে ভাল লাগলো – “বিবর্তন-সংঘাত”! 😀 এই টার্মটা কি তোমার আবিষ্কার, না কি অন্য কেউ আগেই ব্যবহার করসিলো?]
লেখাটা, যথারীতি, একইসাথে আত্মকথন এবং পাঠককেও আলোচনায় সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী লেখকের আমন্ত্রণ – যে ব্যাপারটা তোমার বেশির ভাগ লেখাতেই থাকে। পরের পর্বগুলোর প্রকাশ-ভবিষ্যত পাঠকের মন্তব্যের ওপর নির্ভর করছে বলা হয়েছে, তাই পাঠক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সে সম্পর্কে আগ্রহ জানিয়ে রাখলাম। কৌতূহল হচ্ছে খুবই! ‘বিয়ে’ নামক জিনিষটা নিয়ে আলোচনা কোথায় গিয়ে পৌঁছোয়, দেখাই যাক।
তুমি প্রধানত বিয়ের ‘মানসিক/মনস্তাত্ব্বিক’ দিকগুলো নিয়ে কথা বলছো বলে আর এই সামাজিক প্রতিষ্ঠানটির আইনি, অর্থনৈতিক বা সামাজিক সুবিধা/অসুবিধাগুলোর কথা তুলছি না, পার্টনারশিপ বা যৌথ জীবনের রিটার্ন বা রিওয়ার্ড এর দৃষ্টিকোণ থেকেই নাহয় জিজ্ঞেস করি –
কেন অসাড় মনে হয়? এই ছবিটাতে সমস্যা কোথায়? যদি তোমার মত কারুর নিজের স্পেস এর থ্রেশোল্ড এত বেশি না হয়, এ্যারেঞ্জড ম্যারেজেও কোন এ্যাবহরেন্স না থাকে, যদি দুজন ব্যক্তি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কোন উপায়ে যৌনাকাঙ্খা মেটাতে থাকেন, যদি তাদের “হাউস রুল” ইত্যাদি মেনে চলতে অসুবিধা না থাকে, তাহলে এটা অসাড় নাকি সাড়সমৃদ্ধ – সেটা কে ঠিক করে দেবে?
বুঝলাম, তুমি বলছো শুধুমাত্র ‘সিরাত’এর জায়গা থেকে। এটা নিছকই ‘তোমার’ মতামত যে এরকম বৈবাহিক অস্তিত্ব তোমার কাছে অসাড়, মানছি। তবে, এর মানে কিন্তু এটাও দাঁড়ায় যে তোমার বিয়ে নিয়ে কিছু এক্সপেক্টেশন বা অনুমিতি আছে, যেটার পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত পরিস্থিতিটা তোমার কাছে খুব আরাধ্য কিছু নয়। তুমি বরং আগে সেটাই আমাদের জানাও – বিয়ে বলতে তুমি কী বোঝো, সমাজে কী চালু আছে সেটা নয়। তাহলে আলোচনা করতে সুবিধা হবে।
তোমার “জীবনের এখনো দারুণ ফ্রুটফুল সম্পর্ক আছে” – এই কথাটার মানেও বুঝতে পারলাম না।
[আর একটা কথা – অভির বিয়ে, বিয়ের আগে, বিয়ের পরে, বিয়ে চলাকালীন, বিয়ে থামাকালীন, বিয়ে নিয়ে অভির বায়াস আছে কিনা বা থাকলে কত ডিগ্রীর, অথবা ওর বিয়ে ভাঙ্গতে গেলে কী করতে হবে – মোটকথা অভিজিৎ রায়ের বিয়ে বিষয়ে কোনরকম কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে উপযুক্ত সম্মানীসহ আমাকে প্রশ্ন করতে পারো!]
@স্নিগ্ধা আপু, ‘দারুন ফ্রুটফুল’ বলতে নন-রোমান্টিকভাবে বুঝাচ্ছিলাম আসলে। লার্নিংটা খুব বেশি, এ অর্থে, এবং বেশ ইনটেনস-ও। সুতরাং ‘ইনসেনটিভ’-ও অনেক।
অসাড়ত্বের বিষয়ে নিচে বন্যা আপুর মন্তব্যের উত্তরে বলেছি।
বিয়ে বলতে আমার অনুমিতিগুলো এখানে যথেষ্ঠ পরিষ্কার হয়নি বলছেন? ঠিক আছে, সামনে বিস্তারণের ইচ্ছা রইলো, বা আলাদা মন্তব্যের।
ধন্যবাদ! 😉