ইদানিং একটি প্রবচন খুব বেশী বেশী শোনা যায়- ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ইসলামী পন্ডিত কাঠ মোল্লা সবাই এক বাক্যে তারস্বরে চিৎকার করে বলছে- শান্তির ধর্ম ইসলাম, ইসলাম কোন সংঘাত, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা উগ্রবাদীতাকে প্রশ্রয় দেয় না। তার মধ্যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ বা বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যেমন আছে, তেমনি আছে জাকির নায়েক, হারুন ইয়াহিয়া এমনকি বাংলাদেশের দেলোয়ার সায়েদি। ইসলামি পন্ডিতদের বক্তব্য- সেই অতীত কাল থেকে মানুষ যে ইসলামের পতাকা তলে এসেছে তা এসেছে মূলতঃ ইসলামের শান্তির বানী ও সাম্যতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- হঠাৎ করে ইসলাম যে একটা শান্তির ধর্ম ঘটা করে সেটা এভাবে প্রচারের জন্য কেন এত হাক ডাক? এমন কি ঘটল যে- এখন রেডিও, টিভি, পত্র-পত্রিকা খবরের কাগজ, ইসলামি মজলিস, ইন্টারনেট সব যায়গাতে জোরে সোরে ইসলামের পে এভাবে সাফাই গাওয়া শুরু হলো যে ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম?
আগেও হয়ত এ বিষয়টা ছিল কিন্তু তত প্রকাশ্য বা জোরে শোরে ছিল না। বিষয়টা ব্যপক ভাবে সাধারন্যে আসে ২০০১ সালে নিউইয়র্কের সেই বিখ্যাত বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে কতিপয় ইসলামী জঙ্গি কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলা করা ও তাকে গুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান পার্ল হারবারে যে ভয়াবহ আতর্কিত আক্রমন করেছিল তাতে লোক মারা গেছিল তিন হাজারের কিছু বেশী। কিন্তু বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে লোক মারা গেছিল তার চাইতেও বেশী। আমেরিকার ইতিহাসে সন্ত্রাসী হামলা তো দুরের কথা গত দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ সহ কোন যুদ্ধেই এক সাথে এত মানুষ কখনও মারা যায় নি। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে সেটা গুড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা এতটাই বিস্ময়কর ছিল যে প্রথমে অনেকেই খবরটি শুনে বিশ্বাসই করতে চায় নি। তার মধ্যে আমিও অন্যতম। পরে যখন টেলিভিশনে দেখি তখন সেটা বিশ্বাস করি। আর যেহেতু ঘটনার নায়করা ছিল সবাই মুসলমান ও একটি মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠির সদস্য বা সমর্থক, তাই সব দোষ গিয়ে পড়ে মুসলমানদের ওপর পড়ে। বিষয়টির ভয়াবহতা ও গুরুত্ব এতটাই ছিল যে- আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ আবেগ ও উত্তেজনার বশে ঘোষনাই দিয়ে ফেলেছিলেন যে- আবার মুসলমানদের সাথে ধর্ম যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যদিও বিষয়টি পরবর্তীতে নানা কারনে চেপে যাওয়া হয়। তবে এ ঘটনার পর পরই আমেরিকায় সন্ত্রাসী আক্রমন ঠেকাতে গঠন করা হয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যার পেছনে হাজার হাজার কোটি ডলার প্রতি বছর খরচ করা হচ্ছে। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী আক্রমনের হোতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমন ও দখল করে। রাসায়নিক ও পারমানবিক অস্ত্র তৈরী করছে অজুহাতে তারা ইরাক আক্রমন ও দখল করে। আর স্বাভাবিক ভাবেই এসব আক্রমন ও দখলে ল ল নিরীহ লোক এ পর্যন্ত প্রান হারিয়েছে। যে কারনে মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গিবাদী চিন্তা চেতনার আরও প্রসার ঘটেছে। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার কারন জানাতে গিয়ে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন বলেছিলেন যে পবিত্র আরব ভুমিতে আমেরিকান ইহুদি নাসারারা ঘাটি গেড়ে বসেছে বলেই আমেরিকায় হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি কিন্তু গুরুত্বপূর্ন। ১৯৯১ সালে ইরাক যখন কুয়েত আক্রমন করে, তখন তথাকথিত বহুজাতিক বাহিনীর নামে আমেরিকান সৈন্যরা মুসলমানদের পবিত্র আরব ভুমিতে পদার্পন করে। কুয়েত থেকে সাদ্দাম বাহিনী হটে গেলেও আমেরিকান সৈন্যরা আরবের প্রতিটি দেশেই ঘাটি গেড়ে বসে। মুসলমানদের কাছে আরব দেশ বিশেষ করে বাদশাহ শাসিত সৌদি আরব হলো অতি পবিত্র দেশ কারন সেখানে ইসলামের নবী মোহাম্মদের জন্ম ও মুসলমানদের প্রধান ও সবচাইতে পবিত্র মসজিদ কাবা শরিফ সেখানে অবস্থিত। সুতরাং পবিত্র ভুমিতে কাফের নাসারা ইহুদি বাহিনী ঘাটি গেড়ে বসে থাকবে তা সাচ্চা মুসলমান মাত্রেরই সহ্য হওয়ার কথা না, সহ্য হয়ও নি। ফলাফল- আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দেয়া। এ হামলার পর আমি অন্তত আমাদের দেশে একটা মানুষকেও খুজে পাইনি যারা মনে মনে অখুশী হয়েছে। মুখে এর নিন্দা করলেও মনে মনে যে দারুন খুশী হয়েছে তা ছিল প্রকাশ্য। এর কারনও বহুধা। আমাদের দেশে এর কারন আরও বিচিত্র। যারা ইসলাম পন্থি রাজনীতি করে বা তাদেরকে মনে মনে সমর্থন করে তারা খুশী হয়েছিল ঠিক আগের উল্লেখিত কারনে। আর যারা ধর্মনিরপে রাজনীতি করে বা সমর্থন করে তারা খুশী হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমেরিকার পাকিস্তানের পে অনৈতিক ও অমানবিক সমর্থনের কারনে , এছাড়াও প্রথমোক্ত কারনও এদের মনের মধ্যে কাজ করেছিল কারন এরাও তো সব মুসলমান। এরাও চায় না ইসলামের পবিত্র ভুমিতে আমেরিকা ঘাটি গেড়ে বসে থাকুক। সুতরাং চুড়ান্ত বিচারে বিষয়টি ছিল ধর্মীয় চেতনার। কিন্তু সবচাইতে গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হলো- উক্ত আত্মঘাতী হামলায় যে কথিত ১৯ জন মুসলমান অংশ গ্রহন করেছিল তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে যারা প্রত্যেকেই প্রায় আমেরিকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিল। এখন প্রশ্ন হলো- আমেরিকার মত একটা দেশে বসবাসকারী সেসব নবীন তরুনদের সামনে ছিল জীবনকে উপভোগ করার অবারিত সুযোগ সেসবকে অকাতরে জলাঞ্জলী দিয়ে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নিয়ে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিল কোন্ আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে? বিষয়টি আমার মনে হয়না হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ আছে। গোটা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাসী হামলায় মদদ দান ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্য বা পরো ভাবে আমেরিকার ইন্ধনের বিষয়টি সুবিদিত। সেকারনে যুক্তির খাতিরে হলেও ধরে নেয়া যেতে পারে যে- তাদের এসব অনৈতিক অপকর্মের জন্য একটা শিা পাওয়া দরকার ছিল যা কোন দেশ কখনো দিতে পারেনি। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে এ তরুনরা দারুন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে বলাই বাহুল্য। কিন্তু আসল বিষয়টা হলো- কি এমন সে আদর্শ যাতে উজ্জিবীত হয়ে এভাবে তরতাজা তরুনরা তাদের জীবনকে অকাতরে শেষ করে দিল স্বেচ্ছায়? এর একটাই উত্তর ইসলাম। আত্মঘাতী হামলার উদাহরন যে এটাই একমাত্র তা কিন্তু না। শ্রীলংকায় তামিল টাইগারদের আত্মঘাতী হামলার কথা আমরা জানি, এমনকি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও কিছু বাঙালীও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু সেসব ছিল পরাধীনতার হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার উদগ্র কামনায়। তারা স্ব স্ব দেশেই পরাধীনতার শৃংখল থেকে দেশকে স্বাধীন করতে এসব হামলা চালিয়েছিল। অন্য দেশে গিয়ে কিছু করেনি। অথচ ১৯ তরুনের সবার জন্মস্থান ছিল আরব দেশ আর তারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে আমেরিকাতে। আমেরিকা কিন্তু কোন আরব দেশকে দখল করে পরাধীনও করেনি, কিছু সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রেখেছিল তাও সেসব দেশের বাদশাহ আমীরদের অনুমতি ক্রমেই। সুতরাং গোটা বিষয়টি বিশ্লেষণের দাবী রাখে। ইদানিং বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে বসবাসকারী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত মুসলমান তরুনদের এধরনের আত্মঘাতী প্রবোনতা বেশ লনীয়। ২০০৫ সালে লন্ডনে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এরকম একজন পাকিস্তানী, সম্প্রতি নিউইয়র্কে ফয়সাল নামের আর এক পাকিস্তানীকে পাকড়াও করেছে এফ বি আই সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে। খেয়াল করুন এসব তরুনরা ওসব দেশে জন্ম গ্রহন করেছে, ওখানকার পরিবেশে মানুষ কিন্তু শুধু ধর্ম ইসলাম হওয়াতে তারা কিন্তু ওদেশের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ দুরের কথা গ্রহনও করতে পারেনি, উল্টো ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরীহ মানুষকে আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে হত্যা করার মধ্যে পবিত্র দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে আর তা করা পবিত্র কাজ মনে করেছে। এসব ঘটনা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার তা হলো- মুসলমানদের মানসিকতার ন্যূনতম কোন পরিবর্তন নেই তা সে যে দেশে বা পরিবেশে জন্মগ্রহন করুক অথবা বাস করুক। হয়ত সব মুসলমান এরকম সন্ত্রাসী আক্রমনে অংশ নেবে না , কিন্তু আশংকা থেকেই যায় যে , যে কেউ যে কোন সময়ই জিহাদী আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এ ধরনের কাজে অংশ নিতে পারে। অর্থাৎ মুসলমানরা শূধুমাত্র তাদের ধর্মের কারনেই সবার কাছে অবিশ্বস্থ হয়ে পড়েছে যা গোটা মানবজাতির জন্য সবিশেষ হুমকির কারন। কারন তাদের সংখ্যা কম করে হলেও গোটা পৃথিবীতে ১.৫ বিলিয়ন। এখন দেখা যাক, তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে তারস্বরে এত চিৎকার চেচামেচির পরও কেন এসব তরতাজা তরুন এধরনের আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে? এটাও বিশ্লেষণ করা যাক, ইসলাম কি আদৌ শান্তির ধর্ম? আর ইসলাম যদি সত্যি সত্যি শান্তির ধর্ম হয়েই থাকে তাহলে তো তার কিতাবেই তা ভালমতো লেখা থাকবে, তারস্বরে চিৎকার করে বা মিডিয়াতে ব্যপক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তো তা প্রচার করার দরকার নেই। এটাও দেখা যেতে পারে যারা আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে এরা সাচ্চা মুসলমান নাকি যারা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলছে এরা সাচ্চা মুসলমান?
বিশ্লেষণের আগে আমাদের জানতে হবে ইসলাম কি ও মুসলমান কারা। ইসলাম হলো কোরানের ভাষায় শেষ নবী মোহাম্মদ প্রবর্তিত ধর্ম। মুসলমান হলো যারা ইসলামে বিশ্বাস করবে। ইসলামের পাচটি স্তম্ভ- ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। তার মধ্যে ইমান বা বিশ্বাস হলো সর্বপ্রথম ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন। কিসে বিশ্বাস? আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাস, শর্তহীন বা প্রশ্নহীন চুড়ান্ত বিশ্বাস। যে এতে সামান্যতম সন্দেহ বা প্রশ্ন করবে সে মুসলমান না। তবে সবার আগে আল্লাহ কে সেটার ফয়সালা আগে করা দরকার। তা না করলে আলোচ্য নিবন্ধের মূল ভাবটা বোঝা মুসকিল হবে। আমরা প্রচলিত অর্থে যাকে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর বলি তারই অনেকটা আরবি নাম আল্লাহ। তবে কোরান খুব মন দিয়ে পাঠ করলে দেখা যায়, কোরানে বর্নিত আল্লাহ আমাদের ধারনা করা প্রচলিত সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর এর সাথে মেলে না। কোরানের বানী গুলো পড়লে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে এর আল্লাহ আসলে স্বয়ং মোহাম্মদ নিজেই। মোহাম্মদ তার নিজের কথাগুলোকেই আসলে আল্লার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুন-
যে লোক রসুলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। ৪ঃ ৮০
এখানে মোহাম্মদ আর আল্লাহ হুবহু এক বা সমার্থক অর্থাৎ মোহাম্মদ ও আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এখানে।কোরানের বানী প্রচার করা ছাড়াও মোহাম্মদ অনেক হুকুম দিতেন, বিচার সালিশ করতেন, আদেশ উপদেশ দিতেন। আর বলা বাহুল্য তা সবই ্েয প্রকারান্তরে আল্লার হুকুম , বিচার সালিশ, আদেশ নিষেধ তা কিন্তু উক্ত আয়াতে পরিষ্কারভাবেই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কোন রূপক নেই, নেই কোন অস্পষ্টতা। উপরোক্ত আয়াতটির পরের অংশ দেখা যাক-
আমি আপনাকে( মোহাম্মদকে) তাদের জন্য রক্ষনাবেক্ষনকারী রূপে পাঠাইনি। ৪ঃ ৮০
উক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ অনেকটা হিন্দু সনাতন ধর্মীয় মতানুযায়ী নিজেকে আল্লাহর অবতার রূপে প্রতিষ্ঠা করে লোকদেরকে বলছেন যে- তার হুকুম, আদেশ নিষেধ সবকিছু বিনা প্রশ্নে মানতে হবে, কারন তার অত সময় নাই মানুষকে দেখা শোনা তথা রক্ষনাবেক্ষন করার।
এরা কি লক্ষ্য করে না কোরানের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অপর কারো পক্ষ থেকে হতো তবে এতে অবশ্যই কিছু বৈপরিত্য দেখতে পেত। ৪ঃ ৮২
তার মানে মোহাম্মদের দাবী তার কোরানে কোন বৈপরীত্য নেই। এবার দেখা যাক, কোন বৈপরিত্য আছে কি নেই।
দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। ২ ঃ২৫৬
্
কি সুন্দর কথা। সত্যিই মনে হয় ইসলাম হলো মহা শান্তির বানী। মূলতঃ এই একটি বানী প্রচার করতে করতে ইসলামী পন্ডিতরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। আর প্রান পনে প্রমান করার চেষ্টা করছে ইসলামের চেয়ে মহাশান্তির ধর্ম সত্যি সত্যি আর নেই। এখন এর পরেই আয়াতটি দেখা যাক-
আর তোমরা লড়াই কর যে পর্যন্ত ফেতনার অবসান না হয়, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। অতঃপর যদি তারা বিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি জবর দস্তি নাই, কিন্তু যারা যালেম তাদের কথা আলাদা। ২ঃ ১৯৩
ল্ক্ষ্য করার বিষয়, এক ফুৎকারে শান্তির বানী হাওয়া হয়ে গেছে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। তাহলে দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই- কথা গুলি কোথায় গেল? তারা যদি নিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের প্রতি জবর দস্তি নাই- এর অর্থ কি? তার মানে অমুসলিমরা যদি আত্মসমর্পন করে বা পালিয়ে যায় তাহলে তাদের ওপর চড়াও হতে নিষেধ করছে। মনে হয় আহা কি সুন্দরই না ব্যবস্থা, অনেকটা আজকের যুগের জেনেভা কনভেনশনের মত যাতে বলা আছে যুদ্ধেক্ষেত্রে আত্মসমর্পনকারী শত্র“র ওপর কোন অত্যাচার নির্যাতন বা তাদেরকে খুন করা যাবে না। এখন এই আক্রমনাত্মক আয়াতের যে ব্যখ্যা ইসলামী পন্ডিতরা করে থাকে তা হলো-মোহাম্মদ কখনই আগ বাড়িয়ে আক্রমন করেননি, সব সময় তিনি আত্মরার্থে যুদ্ধ করেছেন। এবার নীচের হাদিসটি দেখা দেখা যেতে পারে তিনি আগ বাড়িয়ে আক্রমন কারী নাকি আক্রান্ত হয়ে আত্মরাকারী।
ইবনে আনু থেকে বর্নিত- আমি নাফির কাছে একথা জানতে চেয়ে একটা বার্তা পাঠিয়েছিলাম যে কোন গোত্রকে আক্রমনের আগে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেয়া আবশ্যক কিনা। তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগে সেটা প্রয়োজন ছিল। আল্লাহর নবী আবু মুত্তালিক গোত্রের লোকদের ওপর যখন আক্রমন করলেন তখন তারা অপ্রস্তুত ছিল আর তারা তাদের গবাদি পশুকে পানি পান করাচ্ছিল। যারা তার সাথে যুদ্ধ করেছিল নবী সবাইকে হত্যা করলেন আর বাকীদেরকে বন্দী করলেন। সেদিনই তিনি জুরাইয়াকে দখল করলেন। নাফি বর্ননা করেন- এ রীতিটি আব্দুল্লাহ বিন ওমরের সাথে সম্পর্কিত ছিল যিনি নিজেই আক্রমনকারী দলের সাথে ছিলেন। সহী মুসলিম, বই-১৯, হাদিস-৪২৯২
এখন উপরে কোরানের আয়াতটি পড়েও কিন্তু বোঝা যায় যে মোহাম্মদই আক্রমনকারী।কারন তিনি বলছেন- লড়াই কর যে পর্যন্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয় । একজন বলশালী মতাবান ব্যক্তিই এমন ধরনের জঙ্গী কথা তার অনুসারীদের বলতে পারে। দুর্বল কোন নেতার পক্ষ এ ধরনের কথা বলা সম্ভব নয়। যখন উনি দুর্বল ছিলেন সেই মক্কাতে তখন তার বানী ছিল-
দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। ২ ঃ২৫
আর যেই তিনি শক্তিশালী হয়ে গেছেন, লড়াই করে অন্য গোষ্ঠিকে পরাস্ত করার মত মতা অর্জন করে ফেলেছেন তখন তার বানী হয়ে গেছে- লড়াই কর যে পর্যন্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয় । তো এধরনের আচরন তো কোন আল্লাহর নবীকে মানায় না, মানায় একজন গোষ্ঠি নেতাকে।
যাহোক, মদিনার আশে পাশে যে সব গোত্র ইসলাম কবুল করেনি, অথচ মোহাম্মদের বাহিনী ততদিনে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, আশে পাশের ছোট ছোট গোত্রগুলিকে আক্রমন করে পরাস্ত করতে পারঙ্গম, তাই এভাবে মোহাম্মদ তার বাহিনীকে আল্লাহর বানীর নামে ক্রমাগত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর বলাবাহুল্য সে েেত্র মোহাম্মদ ই আক্রমন কারী। যেটা উপরের হাদিসে বর্নিত ঘটনা তাকেই সমর্থন করছে। এেক্ষেত্র মোহাম্মদের সর্বাত্মক আগ্রাসী চরিত্রও ফুটে উঠেছে খুব সুন্দরভাবে। হাদিসটি পড়ে বোঝা যায়- সেই যুগেও অর্ধ সভ্য আরবরা যতই বর্বর হোক না কেন, তারা একটা নীতি অনুসরন করত আর তা হলো কাউকে বিনা প্ররোচনায় আক্রমন করত না। তারা যেটা করত- কোন একটা গোত্র প্রথমে কোন একটা ব্যপারে অন্য গোত্রকে আহবান করত তাদের শর্ত মেনে নেয়ার জন্য। যদি অন্য গোত্র সে শর্ত না মানত তারপরেই তারা আক্রমন করতে উদ্যত হতো। প্রথম দিকে মোহাম্মদও সেটাই করতেন কারন তখনও মদিনা বাসীদের ওপর তিনি নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করতে পারেন নি। যে কারনে প্রথম দিকে আশে পাশের গোত্রকে আহ্বান করা হতো ইসলাম কবুল করে তাদের অধীনে আসতে। অর্থাৎ দুর্বল গোষ্টিগুলি একটা সুযোগ পেত। যেটা হাদিসটিতে খুব স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ যখন মদিনা বাসীর ওপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করলেন তখন নিয়মটি আমুল পাল্টে যায়। তখন থেকে যখন তখন মোহাম্মদ তার বাহিনী নিয়ে অপ্রস্তুত ছোট ছোট গোত্রের ওপর আক্রমন করত, পুরুষ মানুষগুলোকে হত্যা করত, নারীগুলোকে বন্দী করে গনিমতের মাল হিসাবে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিত যৌন আনন্দ করার জন্য, ধন-সম্পদও সব লুটপাঠ করে নিজেদের মধ্যে বিলি বন্টন করা হতো। উপরোক্ত ঘটনায় দেখা যায়-মোহাম্মদ জুরাইয়া নামের এক সুন্দরী যুবতীকে ভাগে পেয়েছিলেন, অবশ্য পরে তাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। বিনা উস্কানীতে একটা অপ্রস্তুত গোত্রকে আক্রমন করে তাদের পুরুষ মানুষগুলোকে হত্যা করার পর তাদের সুন্দরী নারিদেরকে ধরে এনে জোর পুর্বক বিয়ে করা কি ধরনের মহত্ব তা সত্যিই আমি বুঝতে অপারগ। আর এ ধরনের কাজটি করেছেন কে ? আল্লাহর প্রেরিত রসুল, সর্বশ্রেষ্ট মানুষ, মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ। যে একটা সভ্য নীতি অর্ধ সভ্য আরবরা পর্যন্ত অনুসরন করত, যা হলো- বিনা উস্কানীতে কাউকে আক্রমন না করা, আমাদের প্রিয় নবী মহামানব আল্লাহর রসুল মোহাম্মদ তাও এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে চুড়ান্ত ভাবে আগ্রাসী ও অনৈতিক আক্রমনকারী হিসাবে আবির্ভূত হলেন।আর এসব করার পর তার ধর্মকে বলা হচ্ছে চির শান্তির ধর্ম। এর চাইতে নিষ্ঠূর কৌতুক আর কি হতে পারে? এটা আমার কোন নিজস্ব বক্তব্য না, কোরানের আয়াত আর হাদিস যা বলছে সেটাই এখানে ব্যখ্যা করা হচ্ছে। অথচ এসব ঘটনাকেই আবার একদল ইসলামী পন্ডিত আত্মরার্তে যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিতে কি প্রান পাত চেষ্টা টাই না করে যাচ্ছে। ধুরন্ধর এসব তথাকথিত পন্ডিতরা এসব করে, প্রকারান্তরে গোটা মুসলমান জাতিরই অপরিসীম তি সাধন করছে।
এবারে শান্তির ধর্ম ইসলামের আরও কিছু আয়াত দেখা যাক।
তোমরা কিতাবধারীদের (ইহুদি ও খৃষ্টান) সাথে তর্ক বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়, তবে তাদের সাথে নয় যারা তাদের মধ্যে বে ইনসাফ। এবং বল আমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তারই আজ্ঞাবহ। ২৯ঃ৪৬
আয়াতটি পড়লে মনে হয় মুসলিম খৃষ্টান ইহুদি ভাই ভাই, কোন ঝগড়া বিবাদ নাই। আরও মনে হয় ইসলামের মত উদার ও শান্তিপ্রিয় ধর্ম আর নাই। আর বলা বাহুল্য উক্ত সূরার আয়াতটি মক্কাতে অবতীর্ন যখন মোহাম্মদ ছিলেন অতিশয় দুর্বল, দুই চারজন ছাড়া তার কোন অনুসারী ছিল না। কারও সাথে ধর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক তো দুরের কথা, নিজের জীবন বাচাতেই তাকে সব সময় তটস্থ থাকতে হতো। ঠিক আজকের মত অনেকটা , কোন মুসলিম দেশে আপনি ইসলাম নিয়ে সামান্যতম সমালোচনাও করতে পারবেন না, যদি করেন যে কোন সময় আপনার কল্লা কাটা যেতে পারে। ঠিক সেকারনেই মোহাম্মদের কন্ঠ থেকে কুরানের বানীর নামে মহাসাম্য আর মহা শান্তির বানী ঝরে পড়ছে।কিন্তু এর পরেই দেখেন একই মাহাম্মদের বানী যা তিনি আল্লাহর বানী রূপে প্রচার করছেন-
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের (খৃষ্টান) সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরের ওপর ইমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম, যতন না তারা জিজিয়া প্রদান না করে। ৯ঃ ২৯
আমাদের মহান আল্লাহর নবী মোহাম্মদের মুখ থেকে সাম্য, মৈত্রী আর শান্তির বানী উধাও হয়ে গেছে। আমাদের মহামানব মোহাম্মদের মুখ থেকে কেন তা উধাও হয়ে গেল? কারনটা কিন্তু সহজেই বোধগম্য। এ সূরার আয়াত মদিনাতে অবতীর্ন। মদিনাতে ততদিনে লুট তরাজের মালের ভাগ দেয়ার লোভ দেখিয়ে একটা বড় সড় শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তখন তিনি মক্কার মত আর এতিম ও দুর্বল নন। তখন আর মদিনার আশে পাশের এলাকাতে ছোট ছোট গোষ্ঠিতে বাস করা ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে আর ভয় করার কিছু নেই। বরং যে কোন সময়ই তাদেরকে আক্রমন করে নিঃশেষ করে দেয়া যায়। তাই এবার মোহাম্মদ সিংহের মত হুংকার ছাড়ছেন।আয়াত দুটো লক্ষ্য করলেই কিন্তু তা সহজে বোঝা যায়, বেশী চিন্তা ভাবনা করা লাগে না। এখন পাঠক আপনারাই বলুন ইসলাম কি শান্তির ধর্ম?
শুধু তাই নয়, পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অপর কারো পক্ষ থেকে হতো তবে এতে অবশ্যই কিছু বৈপরিত্য দেখতে পেত। ৪ঃ ৮২- এ আয়াতে আল্লাহ চ্যলেঞ্জ করেছিলেন যে কোরানে কোন বৈপরিত্য নেই। এখন উপরোক্ত সূরাগুলো কি প্রমান করে? স্ববিরোধিতা বা বৈপরিত্য নেই? মোহাম্মদ যখন দুর্বল একাকি তখন তার মুখে শান্তি আর সাম্যের বানী ঝরে পড়ে, আর যখন তিনি শক্তিশালী তখন বাঘের মত হুংকার দিয়ে দুর্বলের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। এ হলো আমাদের শ্রেষ্ট মানব আল্লাহর নবী মোহাম্মদের চরিত্র , আর আল্লাহ প্রেরিত কোরানের ঐশি বানীর নমুনা। মহানবী যে একই মুখে দুইরকম কথা বলছেন তা কিন্তু তিনি ভালই বুঝতে পেরেছিলেন , আর মক্কায় থাকতে কোরানের বানীর নামে যে সব সাম্য ও শান্তির বানী তিনি বলেছিলেন মদিনাতে কয়েক বছর থেকে শক্ষিশালী হওয়ার পর হঠাৎ করে কেন তিনি উল্টো সুর ধরলেন এ ব্যপারে তার সাহাবীরা তাকে প্রশ্ন করতে লাগল। ফলে এরও একটা যুত সই ব্যখ্যা দেয়ার দরকার হয়ে পড়ল, আল্লাহও আর বিন্দু মাত্র দেরী না করে ওহি পাঠিয়ে দিলেন মোহাম্মদের চাহিদা মোতাবেক-
যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন তিনি সে সম্পর্কে ভাল জানেন, তখন তারা বলেন, আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন, বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। ১৬ঃ ১০১
কি আজব কথা , সর্বজ্ঞানী সব জান্তা আল্লাহ কিছুদিন আগে এক কথা বলেছিলেন , আর কিছু কাল পরেই তা যথার্থ মনে না হওয়ায় তা বাতিল করে নতুন আয়াত উপহার দিচ্ছেন ? এ আয়াত দিয়ে এটাই বোঝানো হচ্ছে যে-অমুসলিমদের ব্যপারে পূর্বে যেসব সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলা হয়েছিল , পরবর্তী আয়াত সমুহে জেহাদের আহ্বান তথা যুদ্ধ করে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার মাধ্যমে অতঃপর সেসব সাম্য ও মৈত্রীর আয়াত সমূহ বাতিল হয়ে গেল। এর পর কোরানের বানী শান্তি বানী তথা ইসলাম শান্তির ধর্ম কেমনে হয় যেখানে স্বয়ং আল্লাহ আগেকার সাম্য মৈত্রী বর্ননাকারী আয়াত নিজেই বাতিল ঘোষণা করে নতুন আয়াত নাজিল করেছেন?
একমাত্র অর্ধ বা পুরোপুরি অসভ্য এক দল মানুষকেই এ ধরনের কথা বলে ধোকা দেয়া যায়। অবশ্য আজকের যুগেও একশ্রেনীর ইসলামী পন্ডিতরা মুসলমানদেরকে ধাপ্পা দিয়ে চলেছে। এ ধরনের কথা বলাটা যে আল্লাহর সর্বজ্ঞানী সত্ত্বাকে অস্বীকার করা হচ্ছে সেটা বোঝারও মতা সেই আরবদের ছিল না। আর থাকলেও কারও সাহস ছিল না কিছু বলার। কারন সেরকম কিছু বললেই তো গর্দান কাটা পড়ত খোলা তলোয়ারের নীচে। অথচ কি বিস্ময়কর ব্যপার , স্বয়ং আল্লাহ তথা মোহাম্মদ যেখানে আগের এসব সাম্য মৈত্রীর আয়াত বাতিল করে দিয়ে গেছেন, সেখানে এখন কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত মহাসমারোহে প্রচার করে চলেছে ইসলাম হলো একটা শান্তির ধর্ম। এছাড়াও আয়াত টি ভাল করে ল্ক্ষ্য করলে দেখা যায়, এটা রচনা করতে গিয়ে নিরক্ষর মোহাম্মদ দক্ষতারও পরিচয় দিতে পারেন নি, বাক্যটি যে তার নিজের তা কিন্তু খুব সহজেই বোঝা যায়। দেখুন- বাক্যটি শুরু হয়েছে আমি সর্বনাম দিয়ে মানে খোদ আল্লাহ বলছেন, যা হলো- যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি , ঠিক এর পরেই একই বাক্যে (যৌগিক বাক্য) বলা হচ্ছে- এবং আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন তিনি সে সম্পর্কে ভাল জানেন। এটা কেমনে সম্ভব ? তার মানে সহজেই বোঝা যাচ্ছে মোহাম্মদ নিজে কথা শুরু করেছিলেন পরে মনে পড়ে গেল এটা তো আসলে আল্লাহর বানী তাই তিনি বাক্যের পরের অংশেই বললেন আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন—–। একই বাক্যে ফার্ষ্ট পারসন (আমি) ও থার্ডপার্সন( আল্লাহ) একই সাথে কর্তা বা সাবজেক্ট ব্যকরনর কোন ধারায় হয় তা আমি বুঝতে একেবারেই অম। আরবী ব্যকরনে বোধ হয় এটা সম্ভব তার কারন আসলে আরবী ব্যকরন টা মনে হয় কোরান নাজিল হওয়ার পরই সৃষ্টি করা হয়েছে আর তাতে কোরানের ব্যকরনকে বজায় রেখে সেটাকেই আসল ব্যকরন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারন কয়দিন আগে একজন ইসলামী চিন্তাবিদের কথা বার্তা শুনে তাই মনে হলো।শুদ্ধ ব্যকরনের এটা ব্যকরনের ধারায় এটা অমার্জনীয় ভুলের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
এক পর্যায়ে অবস্থা ও পরিবেশ অনুযায়ী যা মনে আসত সেটা বলেই মোহাম্মদ তাকে আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিতেন এটা তার এক উজ্জ্বল নমুনা। কারন আল্লাহ কিছুদিন আগে এক কথা বলেছিলেন আর এখন অন্য কথা বলছেন, এটা বললে যে আসলে আল্লা সবজান্তা বা সর্বজ্ঞানী এটা অস্বীকার করা হয়, এটারও ধার ধারতে মোহাম্মদকে দেখা যাচ্ছে না আলোচ্য আয়াতে। আর এটা নিয়ে সাধারন সাহাবীদেরও কোন মাথা ব্যথা ছিল না কারন তারা ততদিনে মোহাম্মদের বাহিনীতে যোগ দিয়ে আশেপাশের জনপদ আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ লুটপাট করছে, তাদের সুন্দরী নারীগুলোকে দেদারসে ভোগ করছে, আর কি চাই। তখন মোহাম্মদ আল্লাহর বানীর নামে কি বলল না বলল এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন ছিল না।
এখন যদি কোন মুসলমান এটাকেই আল্লাহর আমোঘ বানী মনে করে, তাহলে তার পক্ষে তো চুপ করে বসে থাকা যায় না, ইসলামের জন্য জান বাজী রেখে অমুসলিমদের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে সময় সুযোগ পেলেই, যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। আর সেকারনেই মুসলিম তরুনেরা আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
যে ভাবে নিচেরে তারে বিধাতায়
সে ভাবে নিবেরে তোদের সাহসায়।
লেখায় যে বাক্যগুলোর উদ্ধৃতি দেয়া হল, তাতে কুরআনে বৈপরিত্য থাকার তেমন কোন কারন দেখি না। রাসুল (স) এর মাক্কী যুগের প্রেক্ষাপটে শত্রুমিত্র ছিল, মাদানী যুগেও ছিল। মক্কার কুরাইশরা কখনো বিরোধীতা করেছে, আবার তাদের সাথে মদীনার ইহুদী খ্রিষ্টানরা বিরোধীতা করেছে। সঠিক ও শান্তির পথে আহবানকারী রাসুল (স) নবুয়্যতের প্রথম যুগে দুর্বল ছিলেন। অন্যায়ের বিপরীতে সদুপদেশ দেয়া এবং ধৈর্য ধরাই ছিল সময়ের দাবী। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সেই মোতাবিকই তাকে গাইড করেছেন। আবার পরবর্তী যুগে তিনি মজলুমের পক্ষে জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উপযোগী ক্ষমতা অর্জন করেছেন। তাই সময় এসেছিল অত্যাচারীকে ধ্বংস করার। আল্লাহ রাব্ব্রুল আলামীন সেই মোতাবিকই নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং সেভাবেই রাসুল কাজ করেছেন। কুরআন রাসুল (স) এর জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কুরয়ানের অর্থ-ব্যাখ্যা সব কিছুর জন্যে সমসাময়িক রাসুল (স) জীবনের ঘটনাগুলীকে সামনে রেখেই করতে হয়।
ইসলাম যেমন শান্তির ধর্ম, তেমনি যুক্তিরও ধর্ম। দুর্বল অবস্থায় কৌশলের মাধ্যমে না এগিয়ে ধ্বংস হওয়ার শিক্ষা যেমন ইসলাম তার অনুসারীদেরকে দেয় না, একই ভাবে সবল অবস্থায় অন্যায়কারীর প্রতিবিধান না করে তাকে কেবল সদুপদেশ দেয়াও সঠিক কার্যপদ্ধতি হতে পারে না। আপনার উদ্ধৃত আয়াতগুলো দুটি ভিন্ন অবস্থায় দেয়া আল্লাহর নির্দেশ। প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় এগুলো কেবল মানানসইই নয়, বরং এটাই যুক্তির দাবী। এই আচরন কারও ভাল লাগলে সে মুসলিম হতে পারে। আর ভাল না লাগলে তার উপর মুসলিমদের কোন জবরদস্তি নেই। কিন্তু অন্যায় বা জুলুম কারো উপর চাপিয়ে দিলে, মুসলিমরা দুর্বল হলেও তার প্রতিবাদ করবে, সবল হলেও করবে। কিন্তু দুর্বল অবস্থার প্রতিবাদ এবং সবল অবস্থার প্রতিবাদ একই পদ্ধতিতে হবে না, এটি সহজ যুক্তির কথা এবং মুসলিমরা তাই মেনে চলে।
এবার আপনি হয়তো বলবেন, আল্লাহ তাহলে দুই রকম কথা বললেন কেন। দুই পরিবেশেতো দুই রকম বিধানই আল্লাহ দিবেন, তাই না। একজন ছেলে যখন তার বাবার সামনে যায়, তখন তার কথা-বার্তা সন্তানের অনুরুপ হয়। আবার যখন এই ছেলে তার ছেলের সামনে যায়, তখন তার কথা বার্তা বাবার অনুরুপ হয়। এই পরিবর্তনে যেমন কোন অসঙ্গতি নেই, আল্লাহর দুই পরিশ্তিতির জন্যে দেয়া নির্দেশেও কোন অসঙ্গতি নেই। নাস্তিকদেরকে আগে আমি ভাবতাম সুন্দর লিখে, যৌক্তিক লিখে, ধর্মের গভীন জ্ঞান না থাকলে তাদের লিখার উত্তর দেয়া কঠিন। কিন্তু এই লিখাটি সুন্দর বা যৌক্তিকতার চাইতেও নাস্তিকদের মনের কোনে লুকিয়ে থাকা জ্ঞানপাপিতার নিদর্শন স্বরুপ হতে পারে। আপনাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লিখা দিন, আমাদের মুসলিমদের জানতে বুঝতে ভাল হবে। এই জাতীয় লিখা দিয়ে বিনোদিত করে কি লাভ!
ধর্ম মানুষের কল্যাণের জন্য। কখনই ক্ষতির জন্য নয়। এর বাণীর ভাবার্থ ভালো করে উপলব্ধি করা দরকার। ধর্মের বাণী এবং এর ভাবার্থ উপলব্ধি করার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণে ধর্মের অপব্যবহার প্রকট হচ্ছে। উগ্রবাদীর জন্ম হচ্ছে ,সৃষ্টি হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ীর।অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী বলে একটা প্রবাদ প্রচলন আছে।আর ধর্ম বিষয়ে অল্প জ্ঞানি/বিদ্যান ব্যক্তিগণ সমাজ ও দেশের প্রতিনিয়ত ক্ষতি করে চলেছেন। এর থেকে প্রতিকারের সহজ একটি উপায় আমার মনে হয় -ধর্ম যেহেতু মানুষের কল্যাণের জন্য তাই প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি অন্যের ক্ষতি করতে পারেন না। তাই ধর্ম শিক্ষার স্কুল /প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ জরুরী। সব জায়গাতেই উপযুক্ত লোকের নিয়োগ গুরুত্ব বহন করে। ধন্যবাদ।
@রহ্মান, ভাই আপনি কি কখনো কুরআন অর্থ বুঝে পড়েছেন?কুরআনে আল্লাহ বলেছেন কুরআন একটি স্পষ্ট কিতাব যাতে আল্লাহ সব কিছু বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, যেন মানুষ বুঝতে পারে।এরপরও কেন কুরআনের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে?তাহলে কি মানুষের জন্যে আল্লাহর যা ব্যাখ্যা করেছেন তা যথেষ্ট নয়? ধর্ম শিক্ষার স্কুল /প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত শিক্ষকরা কুরআনে যা আছে তাই তো শিক্ষা দিবেন,নাকি আপনি অন্য কিছু বলতে চাইছেন।
@আদিল মাহমুদ ,
মানলাম । এখন আমেরিকাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কিভাবে পোষ মানানো যায় ? একটা বাস্তবসম্মত সমাধানই আমাদের সকলের কাম্য ।
@সংশপ্তক,
পুরো পোষ কোনদিন মানানো যাবে না।
আর ৭৫ এর পর থেকে যে স্থায়ী ক্ষতিটা হয়েছে তার জের কতদিনে কাটবে জানি না। সাঈদী, আমিনী এই জাতীয় অল্প কিছু উগ্রবাদী মোল্লা এখন আর মূল সমস্যা নয়।
৭৫ এর পটপরিবর্তন গণমানুষের মনমানসিকতা বদলে দিয়েছে। উগ্রবাদী মোল্লা গোষ্ঠী পাকিস্তান আমলেও ছিল। কিন্তু তখন তাদের এত সরব ও নীরব সমর্থক ছিল না। এখন আছে।
শিক্ষিত মানুষেরাই যখন জংগীবাদের প্রতিবাদ করলে ধর্ম গেল বলে তেড়ে আসেন সেখানে খুব একটা আশা করার মত কিছু দেখি না।
চমৎকার। বেশ পরিশ্রম সাধ্য একটি রচনা।
মাক্কি সুরা আর মাদিনা সুরার নির্দেশ গুলো যে এভাবে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যায় তা এই প্রথম জানলাম। লেখক’কে আবারও ধন্যবাদ।
তবে আক্ষেপ আছে একটা। শেষের দিকে দায়সাড়াভাবে “কে খাঁটি মুসলমান, টেররিস্ট’রা নাকি শান্তির বাণী প্রচারক সুবিধাবাদী মডারেট মোল্লা’রা” এর উপসংহারটা টানা হয়েছে। আরও বিস্তৃত এবং বিশদ হবার প্রয়োজন ছিল এই অংশটা।
@মনির হাসান,’
ধন্যবাদ আপনাকে। হবে ভাই । এটা তো মাত্র প্রথম পর্ব। পরের পর্ব গুলোর জন্য একটু অপেক্ষায় থাকতে হবে। তখন আপনার মনের আশা পুরন হবে আশা করি।
@ভবঘুরে,
এই মাক্কি আর মাদানী সূরাগুলির সূরের পার্থক্যের কথাটা আগেও শুনেছিলাম। যদিও বিস্তারিত জানতাম না।
আপনার কাছে একটা পূর্নাংগ পোষ্ট আশা করছি তূলনামূলক বিশ্লেষনের।
@আদিল মাহমুদ,
আমি কোরান পড়তে যেয়ে এটা বুঝিনি অবশ্য । আমিও জেনেছিলাম অন্য উৎস থেকে। এর পর পড়ে তো আমি তাজ্জব। কোরানে যেটুকু সামান্য শান্তির কথা বলা আছে তা আছে মাক্কি সূ্রাতে আর তা নাজিল হয়েছিল মোহাম্মদের মদিনায় হিজরতের আগেই। তখন তিনি ছিলেন দুর্বল ও শক্তিহীন। তাই তার মুখে শান্তির কথা ঝরে পড়ত। মদিনায় যাওয়ার একে বারে সাথে সাথেই যে তার সুর পাল্টে গেল তা নয়। যখন তিনি শক্তি সঞ্চয় করলেন একটা লুটেরা বাহিনী গঠন করলেন আর অন্যদেরকে চ্যলেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা অর্জন করলেন তখনই তার সূরার সুর পাল্টে গেল। তখনই শুরু হলো সব ঘৃনা বিদ্বেষ যুদ্ধ বিগ্রহ হত্যা লুটপাটকে উৎসাহদানকারী সূরা। নারীদেরকে অপমান করে যত সূরা আছে তাও কিন্তু আপনি যদি অনুসন্ধান করেন তাহলে দেখবেন সেসব গুলো এসেছে খাদিজা মারা যাওয়ার পর। খাদিজা থাকতে নারীদের অপমানকর একটা সুরাও নাজিল হয় নি। কারন মোহাম্মদ তো তখন খাদিজারটাই খেত -পরত। চাইলে আপনি বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এছাড়াও আরও ভানুমতির খেল আছে। কোন কোন সুরার কিছু অংশ মক্কায় , কিছু অংশ মদিনাতে নাজেল হয়েছে, কিন্তু ক্রম অনুযায়ী সাজাতে গিয়ে সুবিধা অনুযায়ী, মদিনার অংশ আগে ,মক্কার অংশ পরে কোরানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
@ভবঘুরে,
বিষয়টি কোরান বিষয়ক বিতর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ন মনে হচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত এ নিয়ে পূর্নাংগ লেখা দেখলাম না।
একই সূরার বিভিন্ন অংশ মক্কা মদীনায় নাজিল হওয়া, তার ক্রম আবার বদলে ফেলা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়? সূরার বিভিন্ন আয়াত কোন তারিখে নাজিল হয়েছিল তার কি কোন তালিকা আছে?
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যে যুদ্ধ সংক্রান্ত কয়েকটি বাক্য উল্লেখ করেছেন তার সবগুলোই মাদীনায় রচিত। হাত কাটো, পা কাটো, গর্দান কাটো, পেছন থেকে আক্রমন করো, দৃষ্টান্তমুলক এমন শাস্তি দাও যেন তাদের বংশদররাও মনে রাখে, কোনদিন মুসলমানের দিকে চোখ তুলে কথা বলতে না পারে, তোমরা মারোনি আমি মেরেছি, তোমরা কাটোনি আমি কেটেছি, দাসীর সাথে সঙ্গম, চার বিয়ে, শিশু বিয়ে, পুত্রবধু বিয়ে, নারী পেটানো, পর্দা প্রথা, ইসলামই একমাত্র মনোনীত ধর্ম , আমি তোমাদের হাতে কাফেরদের শাস্তি দেবো এ সব কিছুই মদীনায় রচিত। মুহাম্মদ বোকা ছিলেন না, খাদিজা জীবিত থাকতে এ সব লিখবেন। মক্কার সুরায় আছে- তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে, আমার ধর্ম আমার জন্যে, লা’ত, মানাত, উজ্জা ভাল দেব দেবী ছিলেন, আমি তো তোমাদের মাঝেই ছিলাম, তোমাদের মতই মানুষ, আমি তো শুধুই বার্তাবাহক, শাস্তি দেয়ার মালিক আল্লাহ ব্লা-ব্লা- ব্লা-
এখান থেকে কোরান বিষয়ে কিছু তথ্য পাবেন-
@আদিল মাহমুদ
মার্কিনরা ইসরাইলকে সমর্থন না দিলেই ইসলামী জঙ্গিবাদ থাকবেনা এটার নিশচয়তা কিভাবে দিচ্ছেন ? এর ফলে ইহুদীরা যে আবার গনহত্যার শিকার হবেনা তার নিশচয়তা কে দেবে ? বাংলাদেশে হুমায়ুন আজাদদের নিরাপত্তার সাথে মার্কিনদের কি সম্পর্ক ? মার্কিনরা ইসরাইলকে সমর্থন না দিলেই কি আমাদের মত নাস্তিকেরা বাংলাদেশে নির্ভয়ে তাদের মত প্রকাশ করতে পারবে ? আমরা কি পারবো মুক্তমনা ছাপিয়ে বাংলাদেশে অবাধে প্রকাশ করতে ?
@সংশপ্তক,
তাছাড়া ইহুদি খৃষ্টানরা যখন জানে মুসলমানরা শক্তিশালী হলে বা সুযোগ পেলে তাদের ছাড়বে না, তখন তারাই বা কেন মুসলমানদের ছেড়ে কথা বলবে ? কোরানের আইন অনুযায়ী, ইহুদী খৃষ্টানরা তো সঠিক কাজই করছে। যেটাকে বলা হয় আত্মরক্ষা। আত্মরক্ষার অধিকার তো সবারই আছে। বরং এখনো তারা মুসলমানদের ওপর সেরকম গনহত্যা চালায় নি যা মুসলমানরা যখন ক্ষমতাশালী ছিল তখন করেছিল। খোদ মুহাম্মদ নিজেই তো ইহুদীদের ওপর বেশ কয়টি গনহত্যার নায়ক ছিল। যেমন- খায়বারে ইহুদীদেরকে মুহাম্মদের ঠান্ডা মাথায় গনহত্যা।
@সংশপ্তক,
আমি কিন্তু তেমন কিছু দাবী করিনি। ইসলাম ধর্মে যে সমস্যার বীজ আছে তা আমি আগেই বলেছি।
আমি শুধু অল্প কিছু জংগী জেহাদীর উপর দায় চাপাইনি। সাধারন বা মডারেটর মুসলমান বলে যারা পরিচিত তাদের দ্বি-চারিতাও উল্লেখ করেছি। তবে বলতে হবে যে এই ব্যাধী রাজনৈতিক কারন ছাড়া এত ভয়াবহ মাত্রায় হত না। ৬০/৭০ এর দশকে কয়টা ইসলামী বোমাবাজের কথা আমরা শুনেছিলাম? বুশ সাহেবদের ডান্ডাবাজীতে সবচেয়ে পড় সুবিধে হয়েছে এই জংগীবাদের ধারক বাহকদের। নাহলে তাদের কথা কেউই শুনত না। এখন তারা বিধর্মীদের ইসলাম বিদ্বেষের মোক্ষম প্রমান দেখাতে পারছে।
হুমায়ুন আজাদের উপর হামলার সাথে সরাসরি আমেরিকার সম্পর্ক না থাকলেও যোগাযোগ আছে। কারন আমাদের দেশের জংগীবাদের উত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই লাদেন চক্র।
এবার ভাল বিষয় টেনেছেন। ইসলাম এবং জংগীবাদ ৯১১ এর পর থেকেই হট টপিক, আরো বহুদিন হট থাকবে বোঝাই যায়। যদিও ৯১১ এর পর থেকেই যে এ বিষয়টা এসেছে তা নয়। আগে থেকেই ছিল, তবে এতটা ব্যাপকতা পায়নি।
লেখাটায় কিছু তথ্যগত ত্রুটি আছে বলে মনে হয়, অন্তত আরো গভীর বিশ্লেষনের দাবী রাখে যা আতিক বলেছে। আমেরিকা ৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছিল – এই কারনে কোন কোন বাংলাদেশী ৯১১ বোমাবাজিতে খুশী হয়েছিল এমন বিশ্লেষন এই প্রথম শুনলাম। আমার ব্যাক্তিগতভাবে তেমন কোনদিন মনে হয়নি। আজকাল খোদ পাকিস্তানেই বলতে গেলে প্রতি সপ্তাহে বোমাবাজিতে ৫০/১০০ করে লোকে প্রান হারাচ্ছে। পাকিস্তান ঘৃনাকারী বাংগালীরাও ৭১ এর কথা তুলে এই কারনে বিকৃত আনন্দে ভুগে বলে কারো মনে হয়? আমেরিকা বা চীনের ৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে আজকাল কিছু ইতিহাসবিদ ছাড়া আর কেউ পাত্তা দেয় মনে হয় না।
৯১১ এর সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম। প্রথম কদিন দেখেছি মুসলমান কমিউনিটিতে অধিকাংশেরই কারো প্রকাশ্য ও কারো চাপা উল্লাস। কেউ কেউ উল্লসিত হননি, দূঃখিত হয়েছেন। তবে ৯৫% লোকেই একমত যে আমেরিকার এমন শিক্ষার প্রয়োযন ছিল। এর কারন আমেরিকার ইসরাঈল ঘেষা নীতি। যদিও আমেরিকার বিরুদ্ধে অন্য নন-মুসলিম দেশেরও গোলযোগ, যুদ্ধবাজীর আরো বহু উদাহরন আছে তবুও এক্ষেত্রে ডিসাইডিং পয়েন্ট হয়েছে ইসরাইল। অন্য কথায়, ইসরাইলের সাথে আমেরিকার সখ্যতা না থাকলে মুসলমান পারসেপশন অনেক ভিন্ন হত বোঝা যায়। কাজেই এক্ষেত্রে ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন বড় হয়েছে, ন্যায় অন্যায়ের প্রশ্ন তারপর। অবাক হয়ে দেখেছি যে ফূর্তিওয়ালারা কেউ এটাও ভাবেননি যে এ ঘটনায় কিছু নিরীহ মুসলমানও মারা গেছে। তারা নিজেরাও এমন ঘটনার স্বীকার হতে পারতেন, ভবিষ্যতেও হতে পারেন। আমেরিকা ভিয়েতনামে নাপাম বোমা ফেলে পুরো গ্রামের মানুষে জালিয়ে দিয়েছে, তাই বলে ভিয়েতনামীরা ৯১১ এর কারনে নিশ্চয়ই মধ্যপ্রাচ্যের বা আমেরিকাবাসী মুসলমানদের মত ফূর্তি করেনি।
মুসলমান দেশগুলি সরকারীভাবে শোক প্রকাশ করেছে, যদিও একই সাথে সেসব দেশের সাধারন মানুষের ফূর্তি চাপা থাকেনি। বাংলাদেশেও অনেকেই প্রকাশ্যেই আনন্দ ফূর্তি করেছেন। সেসবই মিডিয়ায় এসেছে। যদিও প্রাথমিক শোক কাটার পর আমেরিকা আক্রমনাত্মক ভূমিকা গ্রহন করার পর অনেকেই ভোল পালটে ফেলেছেন। আমাদের দেশের তালেবান হবার শপথগ্রহন কারি আমিনী হুজুর থেকে শুরু করে আমেরিকাবাসী মুসলমানেরা কেউই বাদ নেই। যেসব মসজিদে মিষ্টি বিতরন হয়েছে বা জেহাদের জন্য টাকা তোলা হয়েছে সেসব মসজিদেও ব্যাপকভাবে শান্তির বানী প্রচার শুরু হল।
কমিউনিটিতে এরপর এই ইস্যু নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে আলাপ চালাতেও অস্বস্থি বোধ করতেন। জেহাদ শব্দ কেউ মুখ ফসকে বলে ফেললে অন্যরা আবার জীভ কেটে ইশারায় না না করতেন। মুখেও বলতেন না পাছে আবার কোন গোপন রেকর্ডারে রেকর্ড হয়ে যায়। এই সময় থেকে শুরু হল ৯১১ এর নায়কেরা আসলে মুসলমান নয়,লাদেন দায়ী নয়, সে যে করেছে এমন প্রমান কি এ ধরনের যুক্তিতর্ক। নানান ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শুরু হয়ে গেল, মোটামুটিভাবে বাক স্বাধীন আমেরিকানরাও এতে বাদ গেল না (আমেরিকার বড় ধরনের কোন ঘটনাই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বাইরে নয়)।
তারপর থেকেই ৯১১ নিয়ে মুসলমান সমাজে একটি সুষ্পষ্ট দ্বি-চারিতা আছে বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। প্রকাশ্যে বলতে না পারলেও (পাছে আবার আমেরিকা থেকে বের করে দেয়) বেশীরভাগেরই সন্ত্রাসীদের প্রতি গোপন কিছু সহানুভূতি আছে। মুখে মুখে প্রতিবাদ বা শোক প্রকাশ করে গেলেও এই সহানুভূতির মৃত্যু ঘটেনি। সন্ত্রাসীদের সংখ্যা মোট মুসলমানদের তূলনায় অতি নগন্য হলেও তাদের গোপন ও প্রকাশ্য সাপোর্টারের সংখ্যা এখনো মোটেও নগন্য নয়।
এখন কথা হল এই মানসিকতার কারন কি? ধর্মকে কি এর কারনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়? আমার তো মনে হয় না। জেহাদী বোমাবাজেরাও কেউ এ বিষয়ে কোন গোপনীয়তা রাখছে না। তারা ধর্মের দোহাই পাড়ছে। যদিও বলতে হবে যে এই ধর্মের দোহাই পেড়ে সন্ত্রাসের বীজ ধর্মগ্রন্থে থাকলেও তার চাষ হয়েছে রাজনৈতিক কারনে। সাধারন মুসলমানদের বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা অবশ্যই আছে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এইসব ঘটনার পর তাদের প্রতিক্রিয়ায়।
এখন কথা হল যে পাশ্চাত্য দেশগুলির মিডিয়া কি দোষমুক্ত? পাশ্চাত্য দেশের মিডিয়াগুলি সাধারনভাবে ইসরাইল ঘেঁষা। মিথ্যা সংবাদ তেমন প্রচার না করলেও সবসময় একতরফা খবর ও মুসলমান দেশগুলির নানান পশ্চাতপদ দিক প্রচার করে করে পশ্চীম ও মুসলমানদের মাঝে একটা বড় ধরনের দেওয়াল তুলতে এরা সমর্থ হয়েছে। এর ফলে মুসলমানেরা সফলভাবে একঘরে হয়েছে। মুসলমান মানেই সন্ত্রাসী,দাড়ি টুপি পরা মানুষ মানেই জেহাদী এই ধরনের কথাবার্তা সরাসরি না বললেও ধারনা দিতে অনেকটা সফল হয়েছে। কোন একটা বড় জনগোষ্ঠীকে এভাবে একঘরে করা মোটেও ভাল ফল আনে না।
শুধু মুসলমানদের এক তরফা গালিগালাজ দিয়ে এর সমাধান কোনদিন হবে না। তাতে সমস্যা আরো বাড়বে। বলা যায় একটা দুষ্টচক্রের হাতে বিশ্ব বন্দী হতে চলেছে। চক্রটা অনেকতা এরকম। ইসরাঈল নীতির কারনে আমেরিকায় বোমা হামলা, তার শোধ নিতে আফগান ইরাকে মার্কিন হামলা, এর প্রতিশোধ নিতে আবারো ভবিষ্যতে আমেরিকায় বা তার মিত্র দেশগুলিতে হামলা……
দুই তরফেরই আসলে দায়িত্ব আছে সংযত হবার।
উপরের মন্তব্যে অনেকগুলি বানান ভুল হয়েছে। আগে খেয়াল না করার জন্য দুঃখিত।
@আতিক রাঢ়ী,
আপনি যে বিষয়ে মন্তব্য করলেন, তা ছিল আসলে ভুমিকা। আসল বিষয়বস্তু হলো কোরান হাদিসের ব্যখ্যা।
কোরানের অসঙ্গতি পর্ব চমৎকার হয়েছে। এ বাপারে কোন দ্বীমত নাই কিন্তু এর প্রভাব বিশ্লষনে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সরলীকরন করে ফেলছেন বলে আমার মনে হয়েছে।
আমেরিকা বা পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গির সাথে হুবহু মিলে যাবে আপনার বিশ্লেষন কিন্তু সেটাই পুরো সত্য তুলে ধরে না।
যেমন বলেছেনঃ
এখানে ‘ই’ প্রত্যয়ের ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আসলে অনেকগুলি উত্ত্রের মধ্যে ইসলাম হচ্ছে একটা উত্তর। এই ‘ই’ প্রত্যয়ের আমদানি করার পেছনে বিবিসি, সি এন এন, হলিউড এর বিশাল বাজেট আছে। এটা একটা তৈ্রী করে দেয়া চিন্তা কাঠামো, যা অত্যন্ত সচেতন ভাবে করা আর প্রভাব সুদূর প্রসারী।
বহু মুসলমান আছে যারা জীবনে কোরানের একটা আয়াত কখনো পাঠ করেনি, যেমনটা সব ধর্মের আনুসারীদের মধ্যে দেখা যায়।
আবার বলেছেনঃ
খুবই হতাশাজনক অবস্থান এখানে আপনি ব্যাক্ত করেছেন। এর মানে হচ্ছে ইস্ট-ইন্ডিয়া কম্পানিও ভারত দখল করেনি, যেহেতু বাহাদুর শাহ জাফর তখনো ভারতের সম্রাট ছিলেন।
তারপরে ধরুণঃ
হতাশ্র মাত্র আচূড়ান্ত হলো এখানে এসে। তামিলরা রাগিব গান্ধীকে মেরেছে ভারতে। আমাদের মুক্তি বাহিনী পাকিস্থানে গিয়ে কিছু করেনি কিন্তু করতে পারলে শান্তি পেত। এটা ইচ্ছার অভাবের ব্যপার না সক্ষমতার ব্যাপার। আমাদের বীর শেষ্ঠ মতিউর রহমান পাকিস্থান থেকে যুদ্ধ বিমান ছিনতাই করে পালিয়ে আসার সময় শহীদ হন। ১৯ আরব তরুন সেটা পেরেছে বলে তাদেরকে আলাদা কাঠ গড়ায় দাড় কি মানে আমি বুঝলাম না।
বলেছেন ঃ
মুসলমানদের মানসিকতাকে এভাবে জিহাদের প্রতি সহজাত আবেগের মধ্যে সংকুচিত করে ফেলা একটা ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে আজকাল। এরকম ঢালাও সাধারনীকরনের মানে হচ্ছে তাদেরকে একঘরে করে ফেলা। এর ফলাফল ভয়ংকর। আপনি কি দেখেননি বহু মুসলমান তরুনকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে আতস্থ করতে ? শরিয়া আইনের বিরোধিতা করতে যেয়ে জীবন দিতে ? এই ১.৫ বিলিয়নের মধ্যে কতগুলি মাজহাব, কতগুলি সংস্কৃতির উত্তরাধিকার রয়েছে সব ভুলে ব্যপারটাকে জিহাদের বোতলে পুরে ফেলা একটা উদ্দেশ্য প্রনদিত ব্যাপার। যা আপনি আজকে মুসলমানের সম্পর্কে বলতে পারছেন তা কিন্তু আর কোন ধর্ম, জাতি বা সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে পারবেন না। যেমন -কালোরা ঐতিহাসিক ভাবে হীনমন্যতার স্বীকার- এটা বললে আজকে আপনাকে সবাই বর্নবাদী বলবে। অথচ সুফী মতবাদের বিশাল ঐতিহ্য ধারন করে চলা সহ সব মুসলমানকে কমন লেবেল এটে দেয়ার অধিকার কারো নেই।
@আতিক রাঢ়ী,
১.
‘ই’ প্রত্যয় ব্যবহার নিয়ে এত সমস্যা থাকার কারন বুঝতে পারলাম না … ‘ই’ প্রত্যয় ব্যবহার করা মানেই কি বাকি সব সম্ভাবনা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো ? আর এই ‘ই’ প্রত্যয় এর ব্যবহার যতটা না সচেতন ভাবে ঠিক করা হয়েছে তার থেকে বেশি সেটার অর্থকে নিজেদের মতো করে অতি-সরলীকরন করা হয়েছে … এই অভিযোগটাও ডাষ্টবিনে ফেলে দেওয়ার নয়।
বহু মুসলমান কোরান পাঠ করে নি, বহু মুসলমান আত্মঘাতি হামলাও করে নি… এইটা বোঝার মত ক্ষমতা আমাদের না থাকার কথা না।
কিন্তু যদি এখানে কোরানের ভুমিকার কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সেই দিকে মনযোগ দেওয়া উচিৎ… পরকালে হুর-পরি নিয়ে থাকতে পারলে এই দুনিয়ায় আজাইরা কষ্ট করার মানে আছে কোন ?
বোমা মারো মানুষ মারো নিজেও মরো… মরার কষ্ট একদম কম, এর পরেই হুর পরি… জান্নাত ! এই লোভ রিচার্ড ডকিন্সের বইয়ে না… হলিউডের মুভিতে না, সি এন এন / বি বি সি’র নিউজ এ দেখানো হয় নাই… এগুলা কোরান থেকেই ইন্টারপ্রেট করা হয়েছে… তাই দায়টা কোরানের অস্বীকার করার উপায় দেখি না।
২. আমেরিকা আরবের ক্ষমতা নিয়ে নেয় নি… এখনো আরবে, আরবের আইন চলে, চুরি করলে হাত কাটার আইন সম্ভবত। যাই হোক… আমার ধারনা আপনি বুঝতে পারেন নি লেখন এখানে কি বোঝাতে চেয়েছেন। সম্রাট থাকালেও তার ক্ষমতা কি ছিল এটা আমরা সবাই জানি… কোন আইন চলতো বৃটিশ আমলে সেটাও জানার কথা। আর বৃটিশদের সাথে আমেরিকানদের তুলনাটা ঠিক খাপ খায় না।
৩. মুসলমানদের মানসিকতাকে এভাবে জিহাদের প্রতি সহজাত আবেগের মধ্যে সংকুচিত করে ফেলা একটা ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে আজকাল। সাথে আপনাকে এইটাও বুঝতে হবে , যারা এই অতি-সরলিকরন করে অর্থ করছে সেটা তাদের মুর্খামি… আর এখানে আমরা কেউ মানুষ বা গোষ্ঠি নিয়ে কথা বলছি না… কথা বলছি কোরানে এমন কিছু আছে কিনা যেটা জিহাদ নামের নেশা’র উদ্রেক করতে পারে সেইটা নিয়ে… তাই আমরা পয়েন্ট এর বাইরে না গিয়ে কথা বলি…
ওয়েষ্টার্ন মিডিয়া কে অনেক দোষ দিচ্ছেন… অথচ ওয়েষ্টার্ন মিডিয়ার কারনেই আসল সত্যি গুলো বেরিয়ে আসছে … বুশের ভন্ডামি , রিপাব্লিকানদের কারসাজি সবই হলিউড থেকেই বের হচ্ছে… বাজেট সবকিছুর জন্যই আছে… শুধু ধর্য্য চাই।
@অনন্ত নির্বাণ,
:yes:
@অনন্ত নির্বাণ,
আপনি নিবন্ধের মর্ম কথা ধরতে পেরেছেন ।
হুমম, আবার চলে আসলাম কমেন্ট করতে। ভাল আছেন আশা রাখি।
অনেক পড়া লেখা করেন কোরান হাদিস নিয়ে। একটু অফটপিকে কথা বলতে চাই প্রথমেঃ
এইখানে বেশিরভাগ সবাইকে দেখা যায় তারা কোরানের ভুল ধরায় বিধি ব্যস্ত, আর ইহাতে নিজেদের অনেকে মুক্তমনের পরিচয় দিয়ে থাকেন, সাথে সাথে দেখা যায় আরও অনেকে আছেন যারা খুব জোড়ে তালিও বাজান। ভুল না ধরে আমার মনে হয় সমাধানের তাগিদে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
ভুল না ধরে মনে হয় সেই বিষয়ে প্রশ্ন করাটা ভালো। যেমন বলা যেতে পারেঃ কোরানে কোরানে কোন বৈপরিত্য নাই বলা হচ্ছে, তাহলে কেন এইরকম দেখা গেল। হতে পারে। ইহা আমার মনের ভাব মাত্র। হয়ত আমরা কারো কাছ থেকে কিছু জেনেও যেতে পারি। কেননা প্রশ্ন করলে হয়ত কেউ উত্তর দিতে আসতেও পারে। বুঝতে, জানতে অনেক প্রশ্ন করাই যেতে পারে, আগের থেকেই “আমি জানি”, “আমি জেনে গেছি” এই ভাবটা না থাকাই ভাল বলে মনে করছি। এই ভাবটা শুধু নাস্তিক নয় বরং আস্তিকদের মাঝেও অনেক বিদ্যমান। যদিও এই অতি আস্তিকগন অতি মাত্রায় জেনে গেছে ভাবটা থাকায় ধর্মের করুন পরিনতি। সবাই যেন বুঝে গেছে জেনে গেছে, আর বিপদটা হল তারা যা জেনেছে তা সবাই নিজেদের মত করে জেনেছে।
দ্বিতীয়তঃ
আমার জানা মতে, কোরান হাদিস বেদ গীতা,বাইবেল এইসকম মহা গ্রন্থ সমুহ বিশ্লেষন বা তফসির করতে হলে প্রথমে দুইটা বিষয় জ্ঞানবান হতে হবে, এক আধ্যাত্ন জগত, দুই বস্তু জগত। এই দুই জগতের সমুহ জ্ঞান বা পরিমত জ্ঞান যার জানা নাই তার উচি্ত নয় ইহাদের ব্যাখ্যা করা। তাহাদের উচিত জানার জন্য প্রশ্ন করা। শুধু আধ্যাত্ন তথা বস্তুর ভিতরের গভীর জ্ঞান, যাকে মারুফতি জ্ঞান, কালিন্দর জ্ঞান, বা সিনার জ্ঞান, আত্নার জ্ঞান বা সৃষ্টি তত্ব জ্ঞান দিয়েও এই কোরানের বা বেদ, গীতা বাইবেল ইত্যাদির ব্যাখ্যা করা কিছুটা সম্ভব হলেও বস্তু জ্ঞান, শরিয়তী জ্ঞান, আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতি জ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কেও বদ্ধ ধারনা থাকা চাই।
তৃতীয়তঃ
ইহা বুঝিতে অবশ্যই আত্নত্যাগী তথা জাকাতী, পবিত্রতার উপর দাঁড়াইতে হইবে, পবিত্রতা অর্থ মনের গোলযোগ শুন্যতা। আমিত্বের উতসর্গ তথা জাকাতের সাহায্যেই সম্ভবপর। পবিত্র ছাড়া যেহেতু কোরান স্পর্শ করতে পারেনা।
বৈপরিত্য কোরানে কোথাও আছে বলিয়া বিশ্বাস করাই যাবেনা, যদি কেউ সত্য সন্ধানে প্রকৃত প্রকল্পবদ্ধ থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই বিনয়ী, ধৈর্যের সাথে সত্য সন্ধানী মন নিয়ে সামনে আগাতে হবে, এক্ষেত্রে কোরান আক্ষরিক অর্থ ধরিয়া না পড়ে বরং দরকার আত্নিক সাধনার দ্বারা উপলব্ধি বা বুঝিয়া লওয়া। যেমন কদর রাত্রিতে সাধকের উপর কোরান নাজিল হয়ে থাকে।
নজরুল বলেনঃ
তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান
সকল শাস্ত্র খুজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রান।।
মোহকামাত ও মোতাশাবেহাত আয়াত সম্পর্কে জ্ঞান থাকা চাই।
আবার যেমন ধরুনঃ
ব্রক্ষ্মা একদিন তার নিজের মেয়ে শতরূপাকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেন নি- এখানে এমন কিছু ব্যপার আছে যা প্রকাশ করা যায়না, এর গভিরে আমি যদি বলি এমন সৌন্দর্য কিছু কথা লুকিয়ে আছে তবে সেই সত্য সুন্দর কথা শুনার জানার সৌভাগ্য সকলের হয়না, হবেনা,ইহা সৃষ্টির আর এক সৌন্দর্য বলা যেতে পারে, নয়ত সবাই তাহলে বস্তুজগত থেকে বিদায় নিত। খোদার অপার লীলা ত আর চলেনা। জেলে আর মাছ ধরত না, কৃষক আর চাষ করত না।।।।তাই ঐ দিকে না যাই।
যেমন ধরুন, জাত সেফাতে মিলনের দ্বারাই এই সৃষ্টি গতিশীল। বস্তু আর গুন। বস্তু গুন ব্যতিত নয়। তার কিছু না কিছু গুন থাকবে। এই গুন দেখা যায়না তবে তা বস্তুর সাথেই মিশেই থাকে এবং বস্তুকে রুপ, প্রকাশ দান করে, গতিশীল করে। সৃষ্টি সৃজিত হয়। যেমন নজরুল বলছেনঃ
লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনুগো আখি খোল।।। এখানে লাইলি সেফাত আর মজনু হল জাত। তথা আত্না যখন জীবাত্নায় পুন মিলিত হল তখন উহা প্রকাশিত হল। তাই জীবাত্নাকে তথা নফস (বলা যেতে পারে) বলা হচ্ছে মজনু তুমি ছিলে অপ্রকাশিত, ঘুমিয়ে ছিলে, নিরাকারে ছিলে, দেখ তোমার লাইলি তোমার সাথে মিলিত হতে আসছে, তুমি আর ঘুমিওনা, জাগো, প্রকাশিত হও। আর আমরা যা জানি তা হল এই সৃষ্টি জগত এক এর অসীম রুপ। তিনি সর্বত্র বিরাজিত, প্রকাশিত, সকল কিছুই তিনি। তিনি ব্যতিত কিছুই না। শুধু প্রকাশের ভিন্নতা। তাই কোরানও বলছেঃ আমি আদি, আমি অন্ত, আমি ্প্রকাশিত, আমি গুপ্ত।। সেই লাইলিও তিনি, সেই মজনুও তিনি। তিনি মিলেই এক। আর তিনি যখন গতিশীল হন তখন তাকেই মোহাম্মদ বলা হয়ে থাকে।
আহম্মদ তথা প্রশংসাকারী – তিনি তার মিম যখন সরে যায় তখন তিনি আহাদ রুপ ধারন করেন, আর এই মিম এর দ্বারা মোহাম্মদ রুপ নিয়ে তিনি এই সংসারে মোহাম্মদ রুপে এই ধরনীতে বিভিন্ন রুপে আসেন এবং সৃষ্টি পরিচালনা করেন।তাই মোহাম্মদ অর্থ প্রশংশিত। মূলত আল্লাহ আল্লাহর বা স্রষ্টাই স্রষ্টার প্রশংসা করে থাকে।
এই যেমন ধরুন আপনে জগত গুরু মোহাম্মদ (সাঃ) এর কথাই বলছেন, সেখানে আমি আর একজনের কথা বলি, বাইজিদ বোস্তামী (রাঃ) – তিনি বলছেন, এই সৃষ্টি জগতের যত আত্না আছে সে সব আমি। আবার যত জীবাত্না আছে সেও আমি। আমি ছাড়া এই জগতে কিছুই নাই।
তাহলে এখানে আপনে কি বলবেন তাঁকে (বাইজিদ বোস্তামী) বলেন?
যাইহোক অফটপিকে এত কথা বলার জন্য দুঃখিত। হয়ত আপনাদের মূল্যবান সময়টা নষ্ট হল। ভালথাকবেন
@Russell,
যা ভুল তাকে তো ভূল বলতেই হবে। আপনার মন্তব্যের নিগুঢ় অর্থ হলো- কোরান আল্লাহর বানী তাতে কোন ভুল নেই। কৌশলটা কিন্তু ধরা খেয়ে গেছে ভাইজান। কোরান হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে যে ব্যখ্যা করা হয়েছে- আপনি পারলে তা আপনার ব্যখ্যা দিয়ে ভুল প্রমান করতে পারেন। যুক্তি তর্কের সেটাই নিয়ম। কিন্তু আপনার বিরাট মন্তব্যের মধ্যে তার ছিটে ফোটাও নেই। তাই আপনার সাথে যুক্তি তর্ক চলে না। দুঃখিত।
@ভবঘুরে,
আসুন তাহলে যুক্তি তর্কের ভিতরে একটু যাই,
আপনে বলছেন “যে লোক রসুলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। ৪ঃ ৮০” – এখানে আপনে তেমন ভুল কিছুই বলেন নি। কেননা সুরা নিসা ১৫০-১৫২ এর ভিতরে দেখুন কি বলা হয়েছে, যে পার্থক্য করে আল্লাহ ও তাঁর রসুলদের সহিত সেই কাফের। এখানে “রসুল” শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি কিন্তু, করা হয়েছে “রসুলদের”। তাহলে কি দাড়ালো? আসুন লালন কি বলছেন তার গানেঃ
যিনি রসুল তিনি মুর্শিদ সেইত খোদা হয়।
এ কথা লালনে না কোরানে কয়, কোরানে কয়, কোরানে কয়…।
দেখুন বাবা লালন শাহ আপনার মত হাদিস কোরান পড়ে একদম উঠে পরে বৈপরিত্য খুজেছিলেন কিনা জানিনা, তবে তিনি কি, কে সেটা তার এই গানে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আসুন একটু হাদিসের দিকে যদি তাকাই তাহলে পাইঃ
যে তার নিজেকে চিনল সে তার রবকে চিনল- হাদিসে রসুল। আবার আল্লাহ আর এক যায়গায় বলছেনঃ যে ব্যক্তি আমার অতি প্রিয় হয়ে যায়, তখন আমি বান্দার হাত হয়ে যাই, মুখ হয়ে যাই, পা হয়ে যাই যে হাত দিএ সে ধরে, পা দিয়ে চলে, মুখ দিয়ে কথা বলে, খায় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইহাও হাদিসে কুদসী। আবার যদি একটু মাওলানা রুমী (রাঃ) এর দিকে দেখি তাহলে তার কাছ থেকে শুনতে পাইঃ “মানুষ খোদা নয় তবে খোদা হতে জুদাও নয়”।
আর নবী তিনি নিজেইত বলে গেছেন তিনি সব। তিনি মক্কায় এক মজলিসে বলেছিলেন ” আমি-ই কাল” । আর এই কারনেই মূলত তাকে হিজরত করতে হয়েছিল।
আপনার দ্বিতীয় যেই বিষয়ঃ
“উক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ অনেকটা হিন্দু সনাতন ধর্মীয় মতানুযায়ী নিজেকে আল্লাহর অবতার রূপে প্রতিষ্ঠা করে লোকদেরকে বলছেন যে- তার হুকুম, আদেশ নিষেধ সবকিছু বিনা প্রশ্নে মানতে হবে, কারন তার অত সময় নাই মানুষকে দেখা শোনা তথা রক্ষনাবেক্ষন করার”।
আয়াত পুরোটা পরেছেন নাকি এমনি এমনি লিখে দিলেন ভাইজান? জ্ঞানপাপী বলে একটা কথা আছে সেটা কি জানেন? হা…হা…যাইহোক বাদদিলাম।
আপনার অবগতির জন্য পুরো আয়াতটা আমি বলছিঃ
“যে রসুলের আনুগত্য করে তবে নিশ্চয় সে আল্লাহরই আনুগত্য করে। এবং যারা মুখ ফিরায় তাহলে তাদের উপর তোমাকে আমরা সারা জীবন হেফাজতকারীরুপে পাঠাই নাই”।
আপনে “আমি আপনাকে( মোহাম্মদকে) তাদের জন্য রক্ষনাবেক্ষনকারী রূপে পাঠাইনি।“- এই লিখে নিজের মনগড়া তফসীর করে দিলেন। “এবং যারা মুখ ফিরায় তাহলে তাদের উপর…” এই লাইনটুকু বাদ দিয়ে দিলেন কেন? এখানে একটাই বাক্য। সুতরাং সেই হিসাবে ঠিকি আছে- যদি আনুগত্য নাই-ই করে তবে তাদের দেখা শুনা, রক্ষনা বেক্ষনের জন্য নবী কেন সময় নষ্ট করবেন?
আর ইসলাম চিরশ্বাসত, চির সবুজ, শান্তির ধর্ম বটে। যুগ যুগ হতে এক ইসলামই সর্বত্র। কেননা স্রষ্টা এক সুতরাং তার দ্বীন একটাই হবে। ইসলাম অর্থ শান্তি। এখন ইহা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নামে, রঙ্গে, রুপে জাতিতে জাতিতে বিভিন্ন নাম নিয়েছে, এর বহিরাবরন শুধু পরিবর্তন হয়েছে, অনুষ্ঠান পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। এর গভির সত্য একটাই আছে। যার কারনে আমরা বলে থাকিঃ মোহাম্মদি ইসলাম, ঈসাই ইসলাম, মুসাই ইসলাম…কৃষ্ণ ইসলাম, এখানে ইসলাম কোন গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সুন্দর কথা হইল সবাই এক মানুষের কথাই বলে গেছেন বিভিন্ন কথা ঘুরায় ফিরায়। মানুষ ছাড়া কিছুই নাই।
আপনারা জোকার নায়েক, ইয়াহিয়া এইসব বিদ্যান আলেম দাড়ি টুপি পরিহিত হায়ওয়ানী আত্নার মানুষদের কাছ থেকে ( শুধু আকারেই মানুষ) ইসলাম শুনবেন, তো জানবেনটা কি? যদিও আজ এরাই আজ ইসলামের ধারক, বাহক কত কি হয়েছে, জগত গুরু মোহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের সাথে সাথে যেমন ইসলামকে নিয়ে মিথ্যার চাবুক দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আজ সেই সময়ের পশুদেরই প্রেতাত্না বিভিন্ন জোকার নায়েক, ইয়াহিয়া বিভিন্ন নামে আজও ইসলামকে ধ্বংস করে যাচ্ছে, যাদের হাত থেকে আপনারাও বাদ নাই। কিন্তু শুধু সেই বুঝটুকুর অভাবে ধরতে পারেন নাই। যদিও অনেক ভাল ঐ সকল আস্তিকদের থেকে আপনারা যে সত্য না জেনে না বুঝে অন্ধকারে আল্লাহ, নিরাকারে আল্লাহ এইরকক করেন না। ঐ সকল ধার্মিক পশুদের থেকে অনেক ভাল যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে হত্যা করে, ধর্ষন করে, চুরি করে…।
আপনার ঐ বৈরপরীত্য পরের মন্তব্যে করব। কেননা একটা মন্তব্য এত বড় হয়ে যায় যে আরও দিতে গেলে বেক্ষাপ্পা হয়ে যাবে হয়ত। তবে বৈপরীত্য কোরানে নাই। পরে আলোচনা করব।
@Russell,
বানানগত ভুল হতে পারে, ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর লাললেন গানটি হুবুহু না করে একই কথাই নিজের মত করে লিখেছি। ইহা একটি গানের অংশ বিশেষ। এসব বিষয়ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ
@Russell,
ভাইজান, আপনি ২ঃ২৫৬ ও ২ঃ ১৯৩ , ২৯ঃ৪৬, ৯ঃ ২৯, ১৬ঃ১০১ আয়াত গুলো নিয়ে তো কিছুই বললেন না। নাকি ওগুলোর ব্যপারে আমি যা বলেছি তা আপনি মেনে নিচ্ছেন? আলোচ্য নিবন্ধের মূল বিষয় কিন্ত ওই আয়াতগুলো। আপনি যে আয়াত নিয়ে বললেন ,ওটার ভুমিকা তেমন না, নিবন্ধের নামকরন থেকেও কিন্তু সেটাই বোঝা যায়। আশা করি উক্ত আয়াতগুলির ব্যপারে আপনার একটা বক্তব্য পাওয়া যাবে।
@ভবঘুরে,
(2:256)
এখানে আশা রাখি বলার কিছুই নাই। ধর্মের ভিতর জবরদস্তি নেই। ঠিকি আছে। মানে আপনে জোর করে কাউরে ধর্ম পা্লন করানো, ধর্মে প্রবেশ করাবেন না। যার যার ধর্ম তার তার কাছে।
(2:191-193)
এই বাক্যে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদিগকে তাহাদের আক্রমনকারী শত্রুগণকে সংহার করার আদেশ দিয়েছেন।ইহাতে কেহ কেহ কোরানের উপর দোষারোপ করতে চায়, কিন্তু এইরুপ আদেশ আদৌ অসংগত নয়। কারণ যুদ্ধ ঘোষিত বা আক্রান্ত হবার পর শত্রুগণকে সংহার করা যুদ্ধ রীতির চির অনুমদিত ও অপরিহার্য বিষয়। যুদ্ধকালে শত্রু বিনাশের অধিকার না থাকলে কোন জাতিই অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবেনা।
ইসলামী বিদ্বেষী কোরেশরা মুসলমানদিগকে মক্কা হইতে নির্বাসিত এবং বহিষ্কৃত করেছিল।তারপর কাবা ্গৃহে আসিয়া হজ্ব করতেও বাধা দিয়েছিল যদিও তাহারাই ছিলেন প্রকৃত তৌহিদবাদি। ইহার ফলে হজ্ব পালন না করে হুদায়বিয়ার সন্ধি করে ফিরিয়া যাইতে হয়েছিল। তাই পৌত্তলিকদিগকে বিতাড়িত করে কাবা গৃহ অধিকার করার জন্য মুসলমানদিগকে অনুমতি দিতেছে।
এখানে নিজেদের অধিকার রক্ষার যুদ্ধ, আর একজনকে জোড় করে ধর্মে দিক্ষিত বা কোন অন্যায় ভাবে নিজেদের দলে প্রবেশ করানোর বা হিংসা থেকে করা কোন যুদ্ধ নয়।
এইভাবে কাবার অধিকার হস্তগত করবার জন্য মুসলমানদিগকে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে যতকাল ইহা হস্তগত না হয় এবং অশান্তি দুরিভুত না হয়।
মুলত আল্লাহর ধর্ম পালন করা অর্থ বস্তুমোহ ত্যাগ করিবার অনুশীলন। আর কাফের গন বস্তুবাদী হওয়ার কারনে এইরুপ অনুশীলন গ্রহনে অনিচ্ছুক। শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে ধর্মদ্রোহীদের সংগে আর কোন বিরোধ ও শত্রুতা থাকিবে না যেহেতু তাহারা ধর্ম পালন বিষয়ে নিরপেক্ষ হয়ে যাবে।
সামাজিক ফেতনা ক্বাফ-শক্তি (বিশেষ ৬শক্তি) অর্জনের পথের অন্তরায়। নেতৃত্বাধীনে তথা একজন গুরুর নিয়ন্ত্রনে তথা আল্লাহ দ্বারা প্রেরিত রসুলের দ্বারা যে যুদ্ধ হয় তাহা ক্বাফ শক্তি অর্জন করবার পথ সুগম করবার জেহাদ ব্যতিত কিছুই নয়। এইরুপ হেজাদ অপেক্ষা ফেতনা অধিকতর মারাত্নক আপদ। অবশ্য কতল বা যুদ্ধ করবার নির্দেশ সম্যক নেতার নির্দেশ হতে হবে। যাহা হয় তাহা জেহাদের নামে যুদ্ধ। মোহাম্মদী ইসলাম গ্রহনের পর আরব জাতি “মসজিদুল হারাম” এর আদর্শ রক্ষা করে নাই এবং ইহার অধিকার বিনষ্ট করেছে। মুসলমানদের পক্ষে অবশ্যই যুদ্ধ পরিচালিত হতে হবে আল্লাহর প্রতিনীধিত্ব স্থানীয় ব্যক্তি, তাহলেই উহা আর অন্যায় যুদ্ধ হবেনা। অবশ্য পরবর্তিতে “উলিল আমর” শাসকের অভাবে কোরানে আকাংখিত ন্যয়-নীতি সংরক্ষিত থাকেনি।
ধন্যবাদ
@Russell,
যুক্তির খাতিরে কুরাইসদের ব্যপারে আপনার বক্তব্য মেনে নেয়া গেল। কিন্তু ইহুদী আর খৃষ্টান সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি ? ২৯ঃ৪৬, ৯ঃ ২৯, ১৬ঃ১০১ আয়াত গুলোর ব্যপারে কি বক্তব্য ? এরা তো কাবা ঘর দখল করে বসে থাকে নি। এরা হলো খৃষ্টান ও ইহুদী। কাবা ঘর দখল করেছিল কুরাইসরা। ইহুদী আর খৃষ্টান দের প্রতি এত হুংকার কেন?
@ভবঘুরে,
29:46 ; 9:29
ইহাও আশা রাখি দেখবেন। এখানেও তেমন বৈপরীত্য নেই। একই কথা- কারো সাথে তথা যাহারাই আহলে কিতাব এর অনুসারী, তাদের সাথে ঝগড়া বিবাদ, যুদ্ধ লিপ্ত হওয়া যাবেনা। তবে যদি আহলে কিতাবধারীদের ভিতর কেউ (তা যেকোন দল হতে পারে- মুসলিম,ইহুদী,খ্রীষ্টান,হিন্দু।) যদি বর্নিত তিনটি বিষয়ের বা মূলনীতির বিরুদ্ধে যায় তাহলে যুদ্ধ করা যাবে- এখানে আপনাকে যদি অন্য দল থেকেও ডাকা হয় সাহায্যের জন্য আপনে যেতে পারেন। ধরুন কেউ অন্য ধর্মে তাদের রসুলের বিরুদ্ধে গেল-তখন সেই দলের লোকদের সাহায্যে আপনে যেতে পারেন। ইহাতে দোষের কিছু নাই। স্বাভাবিক।
আসুন এবার মূলনীতি তিনটি বিষয় কি আছেঃ যারা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস আনেনা, যারা রসুল ও আল্লাহ যা হারাম করেছে তাই করে, সত্য দ্বীনকে বিধান রুপে মেনে নেয় না-খুবই সুন্দর। এখানে আল্লাহ বলতে মুসলমানের পৈতৃক সম্পত্তি আল্লাহ না। এখানে পরম ও চরম এক শক্তি, আখিরাত তথা চিরঞ্জিবী, চিরস্থায়ী, গতিশীলতা অনেক কিছুই আছে।।।ইহাও ঐ তথাকথিত আলেমদের মরার পরে কাল্পনিক হাশরের ময়দান না। প্রতিটি ধর্মেরই এইসব মূলনীতি আছে বিভিন্ন রুপে, রংগে, বর্ননায়, যাইহোক, আর রসুল তথা প্রেরিত নেতা, প্রতিনীধি, তথা এমন এক জ্ঞানী যিনি সম্যক জ্ঞান রাখেন ইহকাল পরকাল, বস্তুবিজ্ঞান, আধ্যাত্নবিজ্ঞান, মানুষ এর অসীম এক রুপ, সুতরাং তিনি যে বিধান দিবেন তা অবশ্যই আমাদের দেশের হাসিনা -খালেদা আপার মত বা দেলোয়ার হোসেন সাইদী, নিজামী এদের মত হবেনা। উনাদের স্তর অনেক উপরে। যে বিষয়ে সাধারনেরা চিন্তাই করতে পারবেনা। সুতরাং তারা যদি বলেনো যে বিষ খাওয়া হালাল তাইলে তাও হালাল হয়ে যায়- যদিও ইহা এক উদাহরন তবে সত্য। সিলেটের শাজালাল (রাঃ) একদা এক রাজার বাড়িতে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রনে-সেখানে রাজা বিষ দিয়েছিল, কিন্তু সেই বিষ ওলীর কিছুই হয়নি বরং রাজার পরিবার ধ্বংশ হয়ে যায়। যাইহোক এরকম অনেক বাস্তব কেচ্ছা আছে।
আমাদের মুসলমানরা এখন বাপ-মা ছাড়া এতিম হয়ে গেছি, ইসলামের প্রকৃত ধারক বাহক যারা তাদের ত্যাগ করে , হত্যা করে আজ নিজেরাই রাজা হয়েছি, তাই এই করুন দশা। তাই আত্নঘাতি হামলা, একে অপরকে খুন , কাফের বলে গালি দিয়ে বেড়াই যখন যুক্তিতে আসেনা, বুদ্ধিতে আসেনা।
ঠিকি বলেছেন- আমরাও আজ সত্য বলতে পারিনা, কেননা ঐ দাড়ি টুপি আলখে্ললা পরিহিতি আলেমদের জ্বালায় চুপ করে থাকতে হয়, কোন সময় আবার বোমা মেরে বসে বলাত যায়না। সত্য হারিয়ে গেছে, লুকিয়ে পড়েছে, নবী (সাঃ) আজ সাধারন মানুষ হয়ে গেছে, জোকার নায়েক, সৌদি বাদশা আজ মহত হয়ে গেছে। (নাউজুবিল্লাহ) আর এইসকল পশুদের (জোকার নায়েক, সৌদি আলেম) দ্বারাই আজ ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটছে।
যাইহোক দেখুন আপনার যুক্তিতে আসে কিনা।
ধন্যবাদ
@Russell,
তোমরা কিতাবধারীদের (ইহুদি ও খৃষ্টান) সাথে তর্ক বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়, তবে তাদের সাথে নয় যারা তাদের মধ্যে বে ইনসাফ। এবং বল আমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তারই আজ্ঞাবহ। ২৯ঃ৪৬
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের (খৃষ্টান) সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরের ওপর ইমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম, যতন না তারা জিজিয়া প্রদান না করে। ৯ঃ ২
আপনার ও অন্যান্য পাঠকদের সুবিধার্থে আয়াত দুটো পাশা পাশি আবার ছেপে দিলাম। এখন আপনি পাঠ করে বলেন তো দেখি কোন বৈপরিত্য আছে কি না ? ভাইজান , সত্যিই চোখ কান আর মাথায় ঘিলু থাকতেও আল্লাহ আপনার ব্রেনে সীল মেরে দিয়েছেন বুঝতে পারছি । আপনার কোন আশা নেই ।
@ভবঘুরে,
ভাবছিলাম মাথায় ঘিলু না থাকলেও গোবর আছে যা দিয়ে কিছুটা সার হবে, ্মাথা দেখি আপনার পুরাটাই খালি, পরহিংসা, অহংকার, কামভাবনা এইসকল বিষয় ছাড়া আপনা্র কিছুই নাই।
প্রথমে ভেবেছিলাম আপনে হয়ত শুধু নাস্তিক বা হতে চান, বা হয়ত হাজার চেষ্টা করেও কোরানের জ্ঞান খুজে পাচ্ছেন না, তাই হয়ত হাজার প্রশ্ন ভিতরে জাগ্রত হচ্ছে, কিন্তু এখন দেখি না, আপনারও রোগ আছে, ব্যধি আছে মস্তিষ্কে, যেই ব্যধি এই সমগ্র বিশ্বে ঐ দাড়ি ওয়ালা মোল্লাদের, উজবুখ শিক্ষিত জোকার নায়েকের আছে, তারা এক ধরনের রোগে ভু্গছে আর আপনে ভুগছে ঠিক তার বিপরীত রোগে।
আপনার এই লেখার প্রথমেই বলেছি কোরান জ্ঞান নিতে কি কি প্রয়োজন, আর তখন বললেন উলটা পালটা কথা বলছি। শুধু সুধু লিখিনাই।কেননা জানতা্ম আপনাদের এই জ্ঞান নাই। আগে ঐ সব মন দিয়ে শিখেন, জানার বুঝার চেষ্টা করেন।
আগে পড়েন কি লিখেছি, এক বার না, দুই বার না, পারলে শত বার পড়েন, তারপর যদি কিছুটা বুঝেন ।।।তাও নিরঞ্জনের অসীম কৃপা থাকা চাই।
আর মাদ্রাসায় পরেছেনত তাই মাথা আর আপনার মাথা নাই সেটা বুঝাই যাচ্ছে। ঐ মোল্লা বিদ্বেষ থাকলেই কোরান শিখা যায়না, সেই তকদির লাগে।
উপরের দুইটি আয়াত কোন কালেই একে অপরের বিপক্ষে যায় নিঃ
একটিতে বলছে সবাই সমান, অপরটিতে বলছে দলের ভিতরেই যদি ঐ ৩টি মুলনীতি কেউ না মানে তাহলে তাদের সাথে যুদ্ধ কর। কতবার লিখলাম। আমার বাকি লেখাগুলো পড়েন। না বুঝলে বলেন বুঝি নাই, লজ্জার কিছু নাই, তার জন্য
এইসব লেখার কোন কারন নেই।
যতযাই বলে থাকি মন থেকে নয়, দুঃখিত।
ভাল থাকবেন।
@ভবঘুরে,
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে আপনার দৃষ্টিভংগিতে সমস্যা আছে, তাই আপ্নার ব্যাখ্যায় গন্ডো্গোল আছে, ভুল আছে। ইহা আপনার দোষ না। যেমন মানুষদের কাছ থেকে যেমন শিখেছেন। বইলেন না যে মেজরিটি এইধরনের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। এই কথা অনেকবারেই বলেছিঃ মেজরিটির আওয়াজ সব সময়ের জন্যই ভুল ছিল, ভুল আছে আর ভুল থাকবে।
৯ঃ২৯ নং আয়াত যে ব্যাখ্যা করেছেন শানে নজুল এর দ্বারা তা সম্পুর্ন ভুল।
্বলা হচ্ছে কেতাবধারীদের অনুসারী গন (যেকোন অনুসারী হতে পারে-হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদী, মুসলমান); যদি বাইরের আক্রমন ব্যতিত, দলের ভিতরেও উপরুক্ত তিনটি বিষয়ের বা মূলনিতির বিরুদ্ধে যায় তবে তাহাদের সাথেও যুদ্ধ করা যেতে পারে। আপনার দলের ভিতর থাকিয়াও যদি আপনার মতের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে আপনে কি করবেন? আপনে যদি একজন আদর্শ নেতা হয়ে থাকেন? তারা আপনার দলের ভিতর থাকিয়া আপনার বিরুদ্ধে যায়। ইহা সুধু অন্য কোন ধর্মের না বরং যদি মুসলমানের ভিতরেও ঘটে তবেও ইহা হতে পারে। তবে এইখানে নির্দেশের ভিতরে একটা ব্যপার আছে সেটা হল অবশ্যই আল্লাহর প্রেরিত প্রতিনীধি দ্বারা আদেশ হতে হবে। ২ঃ১৯১ আয়াতের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। নেতা হতে হবে অবশ্যই আল্লাহ প্রেরিত পুরুষের দ্বারা। নবী (সাঃ) এর দেহত্যাগের পরে এই উলিল আমরের বিষয় একদম বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে কুচক্রকারী মোয়াবীয়া, ইয়াজিদ ও পরবর্তি বিভিন্ন ভন্ড এবং বর্তমানে তাদের উত্তরসূরী জোকার নায়েক, সৌদি বাদশা ইত্যাদি। যদিও আবু বকর খেলাফত পাওয়ার পর থেকে এই ইসলামের ১২টা বাজার ঘন্টা বাজা শুরু হয়। দেখুন এইসকল বিষয় আসলে এমন সোজাভাবে বলা যায়না, কেননা কোরানের একটি আয়াত বুঝাতে যদি যাই তাহলে দিন রাত ধরে আমার সারাজীবন চলে যাবে।
উদাহরন আর একটা দেয়া যেতে পারে, ধরুন রাষ্ট্রের নিয়ম নীতি মেনে চলা প্রতিটি নাগরিক এর কর্তব্য, সেখা্নে নাগরিক যদি সেই নীতি লংঘন করে থাকে তবে অবশ্যই তাকে সাজা কাটতে হবে। আর যদি সেই দল বিরোধিতা করে উঠে, বড় হয়ে থাকে সেই বিরোধিতা তাহলে রাষ্ট্র নায়ক এর দ্বারা অবশ্যই সেখানে যুদ্ধ ঘটতে হবে। এখানেও তার বিপরীত কিছুনা।
২ঃ১৯১ আয়াতের সার্বজনীন ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করিঃ
স্বপ্ত ইন্দ্রিয় দ্বার দিয়ে যে সকল ধর্মরাশি গন্ধ-ঘ্রান, দৃশ্য-ছবি, শব্দ, স্পর্ষ অনুভূতি, স্বাদরুপে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে যা দিয়ে প্রতিনিয়ত অহরহ অজ্ঞাত ভাবে, অদৃশ্য আকারে, চুপি চুপি লোভ, লালসা, মায়া ইত্যাদি প্রবেশ করে যাচ্ছে, যে ব্যপারে সাধারন মানুষেরা উদাসীন থাকে, বা বুঝতে পারেনা। ফলতঃ এসব ধীরে ধীরে মানব মনে (মস্তিষ্কে) হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধ, কাম, লোভ, মোহ, সংষ্কার রাশি সৃষ্টি করে। এসবের দ্বারা আমিত্ব ভাব জাগ্রত হয়। আমিত্বই দুনিয়া। দৃশ্যমান এই বস্তু জগতকে কোরানে দুনিয়া বলে নাই। কেননা বস্তুই নূর, উহার গুনও নুর। দৃশ্য অদৃশ্য সকল বস্তুই পবিত্র। দৃশ্যমান এই দুনিয়া এক পবিত্র ভজনালয়। অপবিত্র বলে কিছুই নাই। মাওলানা রুমী বলেছেনঃ
চিশ্চ দুনিয়া? আজ খোদা গাফেল
বুদান, ন্যায় ক্কমাও নক্করাও জান ও ফরজন্দ।
আর এই অদৃশ্য বিষয়ের মস্তিষ্কে জমা হওয়াই হল শিরিক। আল্লাহ থাকেন মানুষের মস্তিষ্কে, সুতরাং মানুষ এই শিরক এর দ্বারা মানুষ এক অসীম আল্লাহ হইতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, সুরা বাকারায় ১৯ এর শেষাংসে বলা হচ্ছে আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত। মানে এই সকল বিষয় বস্তু মোহ দ্বারা মানুষ তার নিজের শ্রেষ্টত্ব হারিয়ে ফেলে, ঢেকে রাখে আল্লাহর গুন। আর এই সকল বিষয়ের সাথে সব সময় যুদ্ধ করাই হল জেহাদে আকবর, আর এদেরকে দেখে দেখে বুঝে এরদের সাথে যুদ্ধ করা, ্কখ্ন কিভাবে লোভ মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে, মস্তিষ্কের ভিতর কোথায় লোভ উতপন্ন হচ্ছে এসকম বিষয়ে সব সময় ওত পাতিয়া থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, এই বস্তুবিষয়রাশির উপর সর্বদা দর্শনের নাম সালাত, বা সালাত প্রক্রিয়ায় এই সকল খুটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষন করে ইহাদের সাথে যুদ্ধ করিতে হবে,
যেমন একটা উদাহরন দেই ঃ
নারী দেখলে কারও ভিতর হয়ত কামনা লোভ জাগা স্বাভাবিক, ঠিক একই নারী দেখে কেউ তার ভিতর রব এর নিদর্শন পেয়ে থাকে, কামনা লোভ ব্যতিত, কেন? দৃশ্যমান বস্তুর সাথে চোখের ভিতর অদৃশ্য লোভ প্রবেশ করছে, সেটাকে কতল করলেই আল্লাহর নিদর্শন পাওয়া যাবে। এখানে সেই অদৃশ্য বিষয়কে দেখতে হবে, দৃশ্যমান করতে হবে। তবেই তাকে কতল কর। ইসলাম বা যেকোন ধর্মই বলেন তা পালন সোজা নয়।
আপনাকে জানতে হবে সালাত কি? এই উঠাবসা শারিরীক কসরত করার নাম সালাত নয়। ইহা সবার জন্য নয়। যাইহোক আর না আগাই। ভালথাকেন।
@Russell, ভাই আপনি কি হিন্দু ধর্ম কে-ও আল্লাহর অনুমদিত ধর্ম বলতে চাইছেন?কুরআনে কোথাও কি সেরকম কিছু বলা আছে ?আমার জানা মতে আহলে কিতাব বলতে কুরআনে ইহুদি,খ্রিষ্টান দের কথা বলা হয়েছে।সুরা বাকারায় ১৯ এর শেষাংসে আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত বলা হয় নি,বলা হয়েছে ”অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।” আপনি কুরআনের যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তা কুরআনের মুল বক্তব্যের সাথে মিলাতে পারছি না।কুরআনে আল্লাহ বলেছেন কুরআন একটি স্পষ্ট কিতাব যাতে আল্লাহ সব কিছু বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, যেন মানুষ বুঝতে পারে।এরপরও কেন কুরআনের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে?
লেখাটিতে মন্তব্য করার অপশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লেখকদের লেখা পোস্ট করার সময় বিষয়টি নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ কোন কারণ না থাকলে ‘মন্তব্য করতে দিন’ এই অপশন থেকে দয়া করে টিক মার্ক তুলে দেবেন না।
@মুক্তমনা এডমিন,
দুঃখিত, ভুল হয়ে গেছে। ক্ষ অক্ষরটি নিয়ে যন্ত্রনা করায় এ সমস্যাটি ঘটেছে।আমি বিজয় থেকে টাইপ করে তারপর অভ্রে পরিবর্তন করে নেই। কিন্ত তখন ক্ষ অক্ষরটি আসে না। সমাধান কি ? কষ্ট করে কয়েক জায়গাতে ক্ষ আলাদা ভাবে জুড়ে দিয়েছি, কিন্তু তারপরও অনেক যায়গাতে মিস হয়ে গেছে।
@ভবঘুরে, একেবারে সরাসরি অভ্রতে টাইপ করাই বোধহয় সবচেয়ে নিরাপদ। আমি জীবনে কোনো দিন বিজয়ে টাইপ করার কথা চিন্তাও করতে পারিনি। কিন্তু অভ্রতে বাংলা টাইপ শিখেছি মাত্র এক ঘন্টায়। 🙂
@মুক্তমনা এডমিন
ওটা ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। মন্তব্য বাটনে ক্লিক করতে ভুলে গেছিলাম।