কোরান ওনলি মুসলমান-ধারনাটির ইতিহাস সম্পর্কে আমার ভাল ধারণা নেই। কে বা কারা এর প্রধাণ প্রবক্তা তাও জানিনা। ধারণাটির সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। কিন্তু তখন আমার কাছে ধারণাটিকে খুব একটা সম্ভাবনাময় কিছু বলে মনে হয়নি। সম্প্রতি মুক্তমনার মাধ্যমে এই চিন্তা ও এর অনুসারীদের সাথে সরাসরি পরিচয় ঘটে। চিন্তাটা বেশ অভিনব, আর এর অনুসারীরাও যথেষ্ট আধুনিক। বোধ,বুদ্ধি, রুচি সবকিছুতে আধুনিকতার ছাপ স্পষ্ট। মানে আপনি তর্ক চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ আধুনিকতা সম্পর্কে আপনার পূর্ব ধারণা, আধুনিকতার ছাপ দ্বারা বিভ্রান্ত হবে। ছাপ ভেদ করে অরো ভিতরে প্রবেশ করার পরে আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন। যেহেতু আপনার কাছে আধুনিকতা মানে ইউরোপের শিল্প বিপ্লব ও তা থেকে অনুপ্রাণিত বৌদ্ধিক বিকাশ, যেটাকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অঙ্গীভূত করে দেখা হয়। যেমন গনতন্ত্র, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিজ্ঞাণ মনস্কতা, নারী মুক্তি, আইনের শাসন ইত্যাদি যাবতীয় মূল্যবোধ, যাকিছু এখন আর পাশ্চাত্যের একক কোন সম্পদ নয় বরং মানবজাতির উন্নয়ণের মাণদন্ড বলে আপনিও মনে করেন। এই আপনি আপনার যাবতীয় পরমত সহিষ্ণুতা সত্ত্বেও যীসুর জন্ম বৃত্তান্তের ধর্মীয় উপাখ্যানকে মেনে নিতে পারবেন না, যেমন সম্ভব হবে না তাঁর মৃতকে জিবীত করার মহান কাহিনীকে মেনে নেয়া। কারণ আধুনিকেরা জানতে চায় মূলত কোন প্রক্রিয়াতে এমনটি ঘটেছিল। জানাটা এমন হতে হবে যেন আবার ঐ একই ব্যাপার প্রকাশ্যে ঘটান যায়। কিন্তু কারণ হিসাবে যখন পাওয়া যায় কেবল মাত্র ব্যাখ্যাতীত কোন স্বর্গীয় প্রেরণা তখন তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে এবং আগ্রহের তালিকা থেকে একে বাদ দেয়।
বিজ্ঞাণের সীমাবদ্ধতা নিয়ে একটা অভিযোগ এই ছাপওয়ালাদের তরফ থেকে প্রায়ই করা হয় যে, মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞাণ আমাদেরকে কিছুই বলতে পারেনা। আসলে মৃত্যুর পরে একটা জীব দেহে কি ধরণের পরিনতি ঘটে তা বিজ্ঞাণ ঠিক ঠিক বলে দিতে পারে কিন্তু তা অনেকের কাছেই যথেষ্ট না। তারা এমন কিছুর ব্যাপারে জানতে চায় যা তারা আজো নিশ্চিৎ করে বলতেই পারেনি। যেমন আত্মা, আত্মার যে সকল ব্যাখ্যা এযাবৎ হাজির করা হয়েছে তা শেষ পর্যন্ত কোন স্পষ্ট অবয়ব ধারণ করার আগেই মিইয়ে যায়। অর্থাৎ বিজ্ঞাণকে এমন কিছুর জন্য ব্যার্থতার দায় নিতে বলা হয়, যেটা সমস্যা হিসাবেই পরিস্কার না।
আধুনিকতার ছাপওয়ালারা সবসময় নিজেদেরকে একটা সামগ্রীক ধারনায় উপনীত দেখতে চান। বিশ্বজগতের এমন একটা ব্যাখ্যা তারা খোঁজেন যাতে তারা সন্তুষ্ট। সেই ব্যাখ্যাটা মোটামুটি এরকম – কোন একজন স্রষ্টা, অতি অবশ্যই একজন এই বিশ্বের সমস্ত কিছুকে সৃষ্টি করেই কেবল ক্ষান্ত হননি বরং এদের বিচার করার জন্য নিদৃষ্ট সময়ের অপেক্ষায় ধৈর্য ধরে বসে আছেন। আরো অভিনব ব্যাপার হচ্ছে এই স্রষ্টা একখানা গ্রন্থ মানব জাতির জন্য দিক নির্দেষনা হিসাবে প্রেরণ করেছেন। কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়াতে তিনি এই গ্রন্থ প্রেরণ করেছেন এসবই গুরুত্ত্বহীন প্রশ্ন। একমাত্র গুরুত্ত্বপূর্ন ব্যাপারটি এখানে এই মহিমান্বিত গ্রন্থটি সয়ং। এমন কি এতে যা কিছু বলা আছে তাও গ্রন্থটির মত সমান গুরুত্ত্বপূর্ন নয়। এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় মহিমা হচ্ছে এটি স্রষ্টা কতৃক রচিত ও সংরক্ষিত ছিল। উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতীতে ক্রমাগত আসমান থেকে জিবরাইলের পাখায় ভর করে নেমে এসেছে। এই ছাপওয়ালাদের বিশ্বাস, আস্থা ও ভক্তি যা কিছে এভাবে আসমান থেকে নেমে আসে, তার প্রতি। লালসালু উপন্যাসের মজিদ যেভাবে মধ্য দুপুরে বড় রাস্তা থেকে নেমে আসে অথচ গ্রামবাসীর বেশী পছন্দ হতো যদি সে গাছ থেকে নেমে আসত। ঠিক অনুরূপ আস্থা লক্ষ্য করা যায় এইসব ছাপওয়ালাদের মাঝে। যীসুর জন্ম বৃত্যান্ত তারা এজন্যই কেবল মেনে নেন যেহেতু তা এই গ্রন্থ কতৃক সত্যায়িত। আর গ্রন্থটি যেহেতু আসমানি ফলে ২ + ২ = ৪, একেবারে হাতে নাতে প্রমাণ।
আসলে এই গ্রন্থের ব্যাপারে অন্য সব মুসলমানদের থেকে এই ছাপওয়ালাদের চিন্তায় মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। তাদের নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনার কারণ, তারা নাকি এই গ্রন্থখানি ছাড়া আর কোন কিছুতে বিশ্বাস করেন না। এমন কি হাদিসও না। এইখানে এসে তারা মুসলমানদের অন্য সব প্রজাতি থেকে নিজেদেরকে আক্ষরিক অর্থেই আলাদা করে ফেলেন। যেহেতু আল্লাহ সয়ং হাদিসের বিশুদ্ধতা রক্ষার দায় নিজে গ্রহন করেন নি, যেমনটা করেছেন কোরানের ক্ষেত্রে, ফলে এর বিশুদ্ধতে প্রশ্নবিদ্ধ। আর তাছাড়া হাদিস যেভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এই সংগ্রহ আন্দোলনের সময়কাল, কোন কিছুই এর বিশুদ্ধতার ব্যাপারে গ্যারান্টি দেয় না, যেমনটা জিবরাইল মারফত নবি মোহাম্মদের কাছে আল্লাহর বানী পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ঘটে ! হাদিস সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিযে কেবল প্রশ্নবিদ্ধ তাই নয়, বরং যা কিছু তারা হাদিসের নামে সংগ্রহ করেছে তা ক্ষেত্র বিশেষে নবি মোহাম্মদ ও আল্লাহর বানী সংকোলন উভয়ের জন্য চূড়ান্ত মানহানীকর। বলে রাখা ভাল যে এই মান বা সম্ভ্রমবোধটি কিন্তু আধুনিক। ইউরোপের রেনেসা যুগের অগে কেউ এর মধ্যে মানহানীকর কিছু খুঁজে পায়নি।
এবারে আসুন দেখি এই সুমহান গ্রন্থখানিতে বিশ্বাসীরা যখন বলেন তারা শুধুমাত্র এটিকেই বিশ্বাস করেন; তখন তারা মূলত কি বোঝাতে চান। প্রায় ১৪০০ বছর আগে আরবের মক্কাবাসী এক ব্যাক্তি দাবি করেন যে, এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক তাঁর ফেরেস্থা জিবরাইল মারফত তার কাছে একখানি গ্রন্থ পাঠিয়েছেন। যেটা মানব ও জিন জাতির জন্য সর্বশেষ বা চূড়ান্ত পথ প্রদর্শক। গ্রন্থখানি বহু প্রাচীন ও আরবি ভাষায় লেখা। কাজেই একে বোঝার একমাত্র উপায় অনুবাদ। কিন্তু অনুবাদ বা তাফসিরের সীমাবদ্ধতা হলো এটি মূলগ্রন্থের ভাবধারা কখনই শতভাগ তুলে ধরতে পারেনা। যারা নিজেদেরকে কোরান ওনলি মুসলমান বলে দাবি করেন। তারাও এমন একজন তাফসির কারকের নাম বলতে পারবেন না যার কাজকে তারা সঠিক হিসাবে মেনে নিয়েছেন। বিগত ১৪০০ বছর ব্যাপি করা তাফসিরের মধ্যে থেকে কোন একটার সঠিকতার ব্যাপারে আজো মতৈক্যে পৌঁছান সম্ভব হয়ে উঠেনি। আগামী দিনে মতৈক্য হবে এমন কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ কেউ দেখাতে পারেনি। তবে এখানে পূর্নাঙ্গ তাফসিরের ব্যাপারে একমত হওয়া না গেলেও এই গ্রন্থের কিছু কিছু অংশের তাফসিরের ব্যাপারে অভূতপূর্ব মতৈক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন- “ ইহা একটি সত্য গ্রন্থ” এই জাতীয় সমুদয় বাক্যবিন্যাস গুলো অবিশ্বাস্য ভাবে শতভাগ সফলতার সাথে এবং মূলভাব থেকে একচুল বিচ্যুৎ না হয়েই অনুদীত হতে দেখা যায়। হাজারটা তফসিরের ক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই এগুলোকে সফল হতে দেখা যায়। ভাষার কাব্যময়তা ও আদিমতা কোন কিছুই সফল অনুবাদেরে পথে বাঁধা হয়ে উঠতে পারে না। এই বাক্য সমূহকে প্রামান্য স্বরূপ ধরে নিয়ে চলতে থাকে সত্যানুসন্ধান। যেহেতু কোরান নিজেই বলেছে যে, সে একটি সত্য গ্রন্থ ফলে এখানে কোন মিথ্যা থাকতে পারে না। ফলে যে সকল তাফসির যুগোপযোগী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক তা সরাসরি বাজে তাফসির হিসাবে পরিত্যাক্ত হয়। যদি বিগত ১৪০০ বছরে এমন একটা তাফসিরও পাওয়া না যায়, যা যুগোপযোগী নীতি, নৈতিকতা, এমন কি বিজ্ঞাণের সর্বশেষ আবিস্কারের সাথে তাল মেলাতে ব্যার্থ, তবুও অসুবিধা নেই, ধরে নেয়া হয় যে আসল তাফসিরটি হারিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিজ্ঞাণের বেলায় বিপরীত ফলদায়ী তাফসিরের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যে, বিজ্ঞাণ এখনো তার শৈশবে বিচরন করছে, ফলে আমাদেরকে এর মর্মার্থ উপলদ্ধি করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, যে পর্যন্ত না বিজ্ঞাণ সাবালক হচ্ছে।
মোদ্দা কথাটি হচ্ছে, যেহেতু তারা জানে যে, কোরান একটি সত্য গ্রন্থ, ফলে এখানে মিথ্যা, ভুল, অপবিজ্ঞান, এক কথায়; নেতিবাচক কোন কিছুই থাকতে পারে না। সে কারণে কোরান ওনলি মুসলমানদের যাবতীয় তৎপরতা, শ্রম ও মেধা নিবেদিত আছে সভ্য ও আধুনিক বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের উপযোগী তাফসির প্রণয়নে। এই কাজে তাদের মধ্যে কাজ করে এক বিচিত্র স্বর্গীয় অনুপ্রেরণা। হাদিসের সত্যাসত্য, যুক্তিগ্রাহ্যতা বিচারের সময় তাদের মধ্যে যে ধরণের নিরীক্ষাধর্মী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, যে ধরণের আপোষহীন অনুসন্ধিষ্ণুতা দেখা যায়, কোরানের ক্ষেত্রে রহস্যজনক ভাবে তার কিছুই দেখা যায় না। বরং দেখা যায়, চিত্তাকর্ষক সব কাব্য প্রতিভাব উচু মাত্রার বিকাশ। এখানে স্বর্গীয় প্রেরণা এতই প্রবলভাবে কাজ করে যে, তা সমস্ত দ্বীধা-সংকোচের উর্ধ্বে নিয়ে যায় একজনকে। যুগপযোগী মূল্যবোধের আমদানি ঘটাতে গিয়ে পিতাকে যদি ভ্রাতা বানাতে হয় তবু কিছু যায় আসে না। ( যেমন- আয়েশা হচ্ছে আবু বকরের বোন।)
হাদিসের উপরে মূল ক্ষোভ এই যে, এটি এখন আর কোরানের বিশুদ্ধতাকে রক্ষাতো করেই না বরং কোরানের বানী সমূহের অবতীর্ণ হবার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তাফসির করার সীমাহীন স্বাধীনতাকে খর্ব করে। অথচ তারা চান তাফসির করতে পারার সার্বজনীন অধিকার। যে পথের প্রধাণ অন্তরায় আজকে হাদিস।
হাদিসের এইসব সংকোলন আসলে ইতিহাসের আকড় বিশেষ। একটা সময়কে বোঝার জন্য এর গুরুত্ত্ব অপরিসীম। মেগাস্তিনিস ভারত সম্পর্কে যত আজব কথাই বলে গিয়ে থাকুন না কেন, একে ছেঁকে আমরা কিন্তু ঠিকই সত্য সম্পর্কে একটা ধারণায় পৌঁছাতে পারি। তো হাদিস নামক ইতিহাসের এই সব বাতিঘরগুলো নিভিয়ে দিতে পারলে এমন এক অন্ধকার ঘনায়মান করা যাবে, যেখানে বসে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যাবে যে, আয়েশা, জায়েদ, জয়নব এগুলো কোন মানুষের নাম ছিলো না। এগুলো ছিলো স্থানের নাম বিশেষ। মুসার হাতের লাঠিটি ছিলো মূলত একটি মমিকৃত সাপ। ফলে মানব বিবর্তনের অতিরিক্ত লেজটির মত হাদিসকে খসিয়ে ফেলা মুসলমানদের এই অভিনব প্রজাতিটির জন্য এখন একান্ত জরুরী হয়ে উঠা এক অনিবার্যতা।
আগেই বলেছি, তারা এসব করে চলেছে এক বিশেষ স্বর্গীয় প্রেরণায়, যার মূলে রয়েছে সত্যানুসন্ধান। তবে সত্যানুসন্ধানের সার্বজনীন রীতির সাথে প্রক্রিয়াগত দিক দিয়ে একটি মাত্র অমিল রয়েছে তাদের। আমরা সত্যকে জানার জন্য তর্ক-বিতর্ক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অনুসন্ধান-গবেষণা ইত্যাকার যাবতীয় যা কিছু করে থাকি, এর সবই কোরান ওনলি মুসলমানরাও করেন। তবে ঐ বিশেষ স্বর্গীয় প্রেরণাবসত তারা এসব কষ্টসাধ্য কাজ করে থাকেন সত্যে উপনীত হবার পরে। মানে আমরা জ্ঞান থেকে প্রজ্ঞায় উপনীত হই, তারা প্রজ্ঞা থেকে জ্ঞাণে।
লেখাটি সেইসব নিবেদিত প্রাণ কোরান ওনলি মুসলমানদের তরে উৎসর্গীকৃত। শুভহোক আপনাদের পথচলা।
মন্তব্য…প্রথমে যা বলব, আপনার যে বিষয়ে কোন দখল নাই সে বিষয়ে চিন্তাহীন কথা বলা যেমন আদার ব্যাপারী জাহাজের খবরে শামিল।
আমৃত্যু বোঝারবার সুযোগ আছে তার পরে নয়।
ফারুক~ আমার ত মনে হয় আপনি কুরআন (বাংলায়) পড়েছেন, আপনার কাছে কোনও আয়াত কি আসামঞ্জাস্যপুর্ণ মনে হয়নি? নাবীর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আয়াতগুলো। তাৎক্ষনিক আয়াত, অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষমূলক আয়াত। আপনার কি একবারের জন্য মনে হয়নি পরম করুণাময় কারু পক্ষ থেকে এইরকম বাণী আসে কি করে? বিশ্বাস কি মানুষকে এতটাই অন্ধ করে দেয়?
কেউ কি আমাকে এই লাইনটি বুঝতে সাহায্য করবেন?
@ফরহাদ,
কেন আপনার তো না বোঝার কথা নয়। সূরা আলাক নাজিল হয়েছিল একেবারে প্রথমে। কোরানে সেটা ৯৬ নম্বর সূরা হয় কেমনে ? হওয়ার কথা তো ১ নম্বর। তাহলে সূরার ক্রমবিন্যাস নিয়েও যে লুকোচুরি হয়েছে তা তো না বোঝার কথা না। এমনকি দেখা যায়, একই সূরার মধ্যে কোন আয়াত প্রথম দিকে মক্কায় নাজিল হয়েছিল , কোন আয়াত পরে মদিনায় নাজিল হয়েছিল কিন্ত সংকলনের সময় সুবিধার জন্য মদিনায় নাজিল হওয়া আয়াত ক্রমিক নম্বরে আগে বসানো হয়েছে। মক্কায় নাজিল হওয়া আয়াত পরে ।
@ভবঘুরে,
“যেটা জানি তা হলো” …”সত্য মিথ্যা জানিনা” ….একই লাইনে কিভাবে ব্যবহার হয়? সত্য মিথ্যা না জানলে এ কি ধরনের জানা ?
@ফরহাদ,
ভাই এটাই হলো আপনাদের লুকোচুরি খেলা। যখন সুনিদিষ্ট ত্রুটি তুলে ধরা হয়, আর আপনারা তার উত্তর দিতে পারেন না ,তখন সব আল্লায় জানে। এটাকে বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা। আল্লাহ আপনাদের মাথায় এত পরিমান ঘিলু দান করল , আপনারা তার ব্যবহার করলেন না। আমার মনে হয়, এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করা লাগবে।
@ফরহাদ,
যেটা জানি , সেটা কিভাবে জানি? আমি তো সেই সময়ে উপস্থিত ছিলাম না। একমাত্র প্রচলিত গল্প বা প্রচলিত ইতিহাস থেকেই যেটা জানি , সেটাকেই বলেছি – যেটা জানি। এখন এই প্রচলিত গল্প বা প্রচলিত ইতিহাস সত্য নাকি মিথ্যা , সেটা ১০০% নিশ্চয়তা সহকারে কি বলা সম্ভব? সেকারনেই বলেছি – …”সত্য মিথ্যা জানিনা”।
আমার মতে এটা কোন জানাই নয় । সমস্যা হলো , এই (সত্য বা অসত্য) জানা দিয়েই কোরান বিদ্বেষীরা যেমন কোরানকে আক্রমন করে ব্লগে ঝড় তুলছে , তেমনি আস্তিকরা ও এই (সত্য বা অসত্য) জানা দিয়েই তার প্রতিবাদ করছে বা কোন কিছু প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।
@ফরহাদ,
ফারুক ভাইয়ের এই আয়াত যদি আপনাদের বুঝতে কষ্ট হয় তাহলে এই আয়াত বুঝবেন কীভাবে?
সুবহা-নাল্লাজি আসরা বি আবদিহি লাইলাম মিনাল মাসজিদিল হারা-মি ইলাল মাসজিদিল আকসা—————-
Exalted is He who took His Servant by night from al-Masjid al-Haram to al-Masjid al- Aqsa, whose surroundings We have blessed, to show him of Our signs. Indeed, He is the Hearing, the Seeing.
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।
জালাজালাইন বাক্যটির ব্যখ্যা দিচ্ছেন-
Tafsir al-Jalalayn
Glory be to Him — an affirmation of [God’s] transcendence — Who carried His servant, Muhammad (s), by night (laylan is in the accusative as an adverbial qualification; isrā’ means ‘to travel by night’; what is instructive about this mention [of laylan, ‘by night’] is that, through its being indefinite, there is an indication of the brevity of its duration) from the Sacred Mosque, that is, Mecca, to the Farthest Mosque, the Holy House [of Jerusalem], so called because of its distance from the former; the environs of which We have blessed, with fruits and rivers, that We might show him some of Our signs, the marvels of Our power. Indeed He is the Hearing, the Seeing, that is to say, the Knower of the Prophet’s (s) sayings and deeds. Thus He [God] was gracious to him by way of [carrying him on] the night journey, which comprised his encountering the [other] prophets, his ascension to heaven and the sight of the marvels of the [Divine] Realm and His communion, exalted be He, with him. For he [the Prophet] (s) said: ‘I was brought al-Burāq, a white animal, larger than a donkey but smaller than a mule; it was able to place its hoof [back] towards its extremity and so I mounted it. It set off carrying me until I reached the Holy House [of Jerusalem]. [There] I fastened the animal to the ring where the prophets fasten [their animals]. I then went in and prayed two units inside it. As I came out, Gabriel came to me with a jug of wine and a jug of milk, and so I chose the milk. Gabriel said [to me], “You have made the right choice [by choosing] the primordial nature (fitra)”.’ He [the Prophet] continued [the narration], ‘We then ascended to the heaven of this world, whereat Gabriel asked to be let in. Someone asked, “Who are you?”. He replied, “Gabriel”, “And who is with you?”, “Muhammad (s)”, he said. “Has he been sent for?”. “Yes, he has been sent for”. Then it was opened for us, and lo! Adam stood before me; he greeted me and prayed for well-being for me. We then ascended to the second heaven and Gabriel asked to be let in. Someone asked, “Who are you?”. He replied, “Gabriel”, “And who is with you?”, “Muhammad (s)”, he said.
সুত্র-
ইসলামি বিশ্বে জালালাইনের তাফসিরের উপর সন্দেহ করার সাহস সম্ভবত কারো নেই।
মেরাজের পুরো কাহিনি পড়ুন এখানে-
@আকাশ মালিক,
আমি তো মনে করি জালালাইনের তাফসির , তাদের নিজস্ব অভিমত। ওরা তো আর আল্লাহর ওহী (কোরানের মতো) লেখেন নি , যে সন্দেহ করা যাবে না। আমার মতে যারা জালালাইনের তাফসির বিনা সন্দেহে মেনে নেয় , তারা ভুল পথে আছে।
@ফারুক,
তর্কের পূর্বে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন যে, আপনাকে খোদা ভীরু হতে হবে, মুত্তাকীন হতে হবে। আগে আল্লাহ বিশ্বাসী, খোদাভীরু্ মুত্তাকীন হয়েছেন এবং বলছেন
তারপর বলছেন-
আপনার পক্ষে আল্লাহর ভুল ধরা সম্ভব নয়। মুত্তাকীন হওয়ার শর্তে আগেই আপনার বুঝ, বিবেক, ইচ্ছেশক্তি যুক্তিবোধ বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। মুত্তাকীন কারা? যারা শর্তহীন, যুক্তিহীন প্রশ্নাতীত, অন্ধভাবে অদৃশ্য বস্তুতে বিশ্বাস করে। আপনি কোরান বুঝে পড়েন নাই, পড়া সম্ভব নয়। বুঝে পড়তে হলে, সন্দেহ করতে হয়, প্রশ্ন করতে হয়। আপনি প্রশ্ন বা সন্দেহ না করার শর্ত মেনে নিয়েই খোদাভীরু মুত্তাকীন হয়েছেন।
বারবার বলছেন কোরান শুরু হয়েছে- সুরা বাকারার প্রথম আয়াত দিয়ে। মুহাম্মদ বোকা নাকি, শুরুতেই বলবেন – জালিকাল কিতাবু ফি লারাইবাফিহ- এই সেই বই যে বইয়ে কোন সন্দেহ নাই।
কোরানের প্রথম বাক্য থেকে এই বাক্যের দূরত্ব ১০ বৎসর। সুরা গরু কোরানের প্রথমে কে বা কারা কেন কখন বসায়েছেন?
আপনি কীভাবে বুঝলেন, কোরানে বর্ণীত ইউসুফ জুলেখার প্রেম কাহিনি সত্য? মুসা, ফেরাউন, ঈসা, লুত, ইব্রাহিম হারুত মারুত, মে’রাজ সত্য?
কোরানে যেখানে ‘কুল’ (বলো) শব্দ লেখা নেই, আপনি বলছেন সেখানে ‘কুল’ উহ্য থাকে, বা ধরে নিতে হয় আছে। আছে যখন, তখন তেলাওতের সময় বা নামাজে উচ্চারণ করলে কেমন হয়? মক্কা আর মদীনার সুরাগুলো পাশাপাশি রেখে তুলনা করে দেখুন, দেখতে পারবেন ক্ষমতার সাথে মুহাম্মদের ভাষা ও কথা বলার পরিবর্তিত রূপ।
@আকাশ মালিক,
আরে ভাই আমি কোন শর্ত জুড়িনি। কোরানের প্রথমেই একথাটি লেখা আছে। (আপনি খোদা ভীরু না , সে কোরানে ভুল খুজে পাচ্ছেন। এটাও কিন্তু কোরানের সত্যতার প্রমান।)
আমার মন্তব্যগুলো পড়ে কি আপনার মনে হয় , আমার কোন বুঝ, বিবেক, ইচ্ছেশক্তি যুক্তিবোধ নেই? সকল কথাই কি অবুঝের মতো বলছি? ইচ্ছেশক্তি যদি না থাকবে , তাহলে আপনার মন্তব্যের জবাব কে লিখছে? আপনার কি মনে হয় না কোথায় যেন একটা গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।
এর উত্তর জেনে আমার লাভটা কি? এর উত্তর না জানলে কি , আমার নামাজ রোজা পালনে বা বাপ মাকে সম্মান করতে বা গরিবকে সাহায্য করতে অসুবিধা হবে? এর উত্তর ইতিহাস থেকে জানা সম্ভব, যদিও যে ইতিহাস আমরা জানি তার সত্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যেটা জানি তা হলো , রসূল নিজেই মরার আগে কোরানের সূরাগুলির ক্রমবিন্যাস ঠিক করে গিয়েছিলেন। সত্য মিথ্যা জানিনা।
অতি প্রাচীন ইতিহাস ১০০% নিশ্চয়তা সহ সত্য নাকি মিথ্যা জানা আদৌ কি সম্ভব? কোরানে এই গল্পগুলো এসেছে কিছু শেখানোর উদ্দেশ্যে। শেখাটাই আসল। গল্পগুলো সত্য নাকি মিথ্যা , তাতে কিছুই যায় আসেনা।
সুরা ফাতিহা থেকে নাস পর্যন্ত পড়েছি কয়েকবার। আরবীতে সুরা ফাতেহা যে কতবার পড়েছি তার হিসেব নাই। আল্লাহর কাছে বলেছি- হে আল্লাহ, তুমি আমাকে সঠিক পথের সন্ধান দাও। আর আমি সত্যিই সঠিক পথের সন্ধানের দিকে এগিয়ে চলেছি- আর সেটা হলো মুক্তমনার পথ। আল্লাহ-ই আমার এমনি করে মনের বাসনা পূর্ণ করলো ক্যান? মুক্তমনার পথ কি তাহলে আল্লাই দেখাইলো?
আল্লাহ থাকুক বা না থাকুক, কিন্তু আমার মনষ্কামনা পূর্ণ হইছে।
আমি ভালোমতই উপলব্ধি করেছি-
কোরানের মধ্যে রয়েছে শুধু ভয় আর ভয় এবং লোভের পর লোভ দেখানো হয়েছে।
নিচের বাক্যগুলিও গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি-
সব ধর্মের নৈতিকতার ভিত্তি ভয়। বহু ধর্মে বিধাতা ক্রদ্ধ ও হিংস্র; ক্রদ্ধ ও হিংস্র হয়ে থাকা ছাড়া তাঁর আর কোনো কাজ নেই; অবিশ্বাসীকে শাস্তি দেয়ার জন্যে তিনি ব্যগ্র, এবং বিশ্বাসীকেও সব সময় রাখেন সে ভীতির মধ্যে।
কেন যেন কোরানের একই প্যাচাল শুনতে আর ভালো লাগে না।
কোরান অনলি নামটি অনেকের মুখে প্রায় গালির মতো শোনায়। অনেক নেক বান্দা তো এদেরকে যিন্দিক (মানে জিজ্ঞাসা করেও জানতে পারি নি) বলেই ঘোষনা দেন । আবার অনেকে তাদের ব্লগে কোরান অনলিদের মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন। যেন তারা অস্পৃষ্য। এখন দেখা যাক , কারা এই কোরান অনলি?
কোরান অনলি – এরা কোন দল বা গ্রুপ নয়। এদের কোন গুরু , পির বা ইমাম নেই। এরা যার যার বিচার বুদ্ধি বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী এরা স্বাধীন চিন্তায় বিশ্বাসী। এরা ভেড়ার পালের মতো দলের নেতৃত্বকে অন্ধ অনুসরন করে না। তাইতো দেখা যায় একি বিষয়ে একেকজনের একেক মত। যেমন ‘সালা’র (নামাজ) ব্যাপারে দেখুন। যে যার মতো বুঝে নিয়েছে। নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তির মতকে শিরোধার্য করার মানসিকতা এদের নেই। এরা একমাত্র কোরানকেই , যার যার বুঝ অনুযায়ী , সকল আদেশ নির্দেশের মূল হিসাবে মানে। এরা কি মুসলমান? অবশ্যই। কারন এরা এক আল্লাহ’য় বিশ্বাসী ও আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করতে নারাজ। এরা মনে করে কোরান আল্লাহর বানী এবং ধর্মীয় বিধি নিশেধ ও পরকালে মুক্তির জন্য শুধু কোরান-ই যথেষ্ঠ।
ব্লগে লেখার উদ্দেশ্য , অন্যের সাথে নিজের চিন্তা ভাবনাকে ভাগাভাগি করা। আমরা একেকজন স্বতন্ত্র ব্যাক্তি। প্রতিটি ব্যাপারেই প্রত্যেকের স্বতন্ত্র মত থাকে। এটাই স্বাভাবিক। একারনেই কোরানের আয়াত পড়েও একেকজন একেকরকম মত পোষন করে। এখানেই প্রয়োজন পড়ে অন্যের সাথে চিন্তা শেয়ার করার। ১০ মাথা নিশ্চয় এক মাথার থেকে উত্তম। সাধারন জ্ঞান তাই বলে। যে বিষয়গুলো আমার কাছে অস্পষ্ট , তার উত্তর খুজি অন্যের চিন্তায় , বিভিন্ন বই পুস্তকে। কখনো সফলকাম হই , কখনো না।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। দলবেধে থাকতে পছন্দ করে। বৃহত্তর অংশের সাথে নিজেকে চিহ্নিত করে স্বাচ্ছন্দবোধ করে , নিরাপদ ভাবে। সে কারনে কেউ পারতপক্ষে সংখ্যালঘু হতে চায় না। কিন্তু ইসলামে বিশ্বাসীর ক্ষেত্রে পরিস্থীতি উল্টো। আল্লাহর আদেশ অলঙ্ঘনীয়। সমগ্র বিশ্ব আল্লাহর আদেশের বিপক্ষে রায় দিলেও গ্রহনযোগ্য নয়। যারা দলগত সংখ্যাগুরু নিয়ে গর্বিত উল্লসিত , তাদের জন্য নিম্নের দুটো আয়াত –
১২:১০৩ আপনি যতই চান, অধিকাংশ লোক বিশ্বাসকারী নয়।
১২:১০৬ অনেক (وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللّهِ বেশিরভাগ মানুষ যারা আল্লাহ’য় বিশ্বাসী) মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শির্কও করে।
এখন চিন্তা করুন। আপনি বেশিরভাগ বিশ্বাসীদের দলে অন্তর্ভূক্ত কিনা? মুসলিম হিসাবে আমি সংখ্যালঘু থাকতেই স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপদ বোধ করি।
@ফারুক,
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আপনার কথামত আবারো কোরানের বেশ খানিকটা পড়লাম কিন্তু মোটেও অলৌকিক বলে মনে হল না। এবার আমাকে একটু বলেন- আমি ঠিক কোনভাবে পড়লে তা অলৌকিক বলে মনে হবে?
আল্লা যদি কোরান মানুষের জন্য পাঠিয়ে থাকেন তবে এটা যে আল্লার বাণী তা বোঝার জন্য সার্বজনীন একটা উপায়ও নিশ্চয় দিয়ে দিয়েছেন- সেটা কি একটু বললে খুশি হতাম। আপনি শুধু বলেন কোরান পড়ার কথা, কোরান তো পড়তেছি সে কবে থেকে। আবার যদি পড়ার কথা বলেন তবে কিছুটা হলেও মাইন্ড করব কয়া দিলাম।
আর ভাই, অনেকে আপনাদের উপর অত্যাচার করে শুনে বড্ড খারাপ লাগল। আগেই বলেছি ধৈর্য ধরতে কারণ- إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
@সৈকত চৌধুরী,
সকলেই যে কোরান বুঝবেনা বা কোরানকে আল্লাহর বানী (অলৌকিক) মানবে না , এটা কিন্তু কোরানেই লেখা আছে। কোরান পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনভাব বা পদ্ধতির কথা কোরানে লেখা নেই।
আমি যতটুকু বুঝেছি , কোরান শুধুমাত্র আল্লাহভীরু তথা সৃষ্টিকর্তাভীরুদের জন্য। সকল মানুষের এটা বোঝার কথা নয়।
2:2 THIS DIVINE WRIT – let there be no doubt about it is [meant to be] a guidance for all the God-conscious.
মাথা খারাপ, কোরান পড়ার কথা আর বলি। আপনার মাইন্ড করা লাগবে না।
নারে ভাই আমার উপরে কোন অতাচার এখনো হয় নাই। সবর করা কিন্তু খুবি দুরুহ , যতটা সহজ ভাবছেন , অতটা সহজ নয়।
@ফারুক,
অর্থাৎ কোরান পড়ার আগেই মুসলমান (আল্লাহে বিশ্বাস) হতে হবে। আল্লাহ্ এ বিশ্বাস আনার জন্য কোরানের কোন ভূমিকা নেই? বাহ, বেশ্ মজার ব্যাপার ত। সকল মানুষের জন্য নয়? তার মানে সবাই মুসলমান হবে না এটা আল্লাহ আগেই স্থির করে নিয়েছেন? আরো মজার ব্যাপার।
@যাযাবর, আসলেই বহুমজার ব্যাপার এই দুনিয়ায় পাবেন , যদি ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন। এই যে মজা পাইলেন , এর দায় কার ? আপনার নাকি আল্লাহর?
মুক্তমনায় দুইখান ব্যাপক বিনোদনের উৎস লক্ষ্য করতেসি। দুইটাই “ফ” দিয়া শুরু 😀
(ফরহাদ সাহেব, আপনেরে কই নাই কিন্তু!)।
@একজন নির্ধর্মী, ভাল কইচ্ছেন, নইলে কিন্তু………. :rotfl:
@একজন নির্ধর্মী,
বিনোদন কার না ভালো লাগে,বলেন ?তাছাড়া বিনোদন জীবনে না থাকলে সবই তো রস-কসহীন মরু সাহারার মতো বিরানভূমি।
“ফ” রার মতো নায়করা আছে বলেই তো মুক্তমনা থিয়েটারের এতো আকর্ষন :clap2: দেখেন না ওরা থিয়েটারে আসলেই কেমন হাততালি জমে উঠে এবং আগেভাগেই সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায 😀 ়
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
:rotfl: :rotfl: :rotfl:
@একজন নির্ধর্মী,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@একজন নির্ধর্মী,
“ফ” দেখে লাফাইয়া উঠা নাস্তিকরা যখন দোজখে জ্বলবে তখন নিশ্চয়ই জান্নাতে ‘ফ’ দের ডুগডুগি বাজানোর দায়িত্ব দেয়া হবে।
আমি ফারুক সাহেবের কাছে তালিম নিচ্ছি, দেখি জান্নাতে যাবার একটা উপায় পাই কিনা 😥
@সৈকত চৌধুরী,
নিশ্চয়ই আল্লাহপাক নাস্তিকগণকে সৃষ্টি করিয়াছেন দোজখের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করিবার জন্য। তিনি সর্বজ্ঞ ও দূরদর্শী।
মনে করেছিলাম , এখানে পোস্টের বক্তব্য নিয়ে , যুক্তিপূর্ন আলোচনা হবে। হতাশ হতে হোল। এখানে দলগত পিঠ চাপড়ানো ও বিপক্ষ মত ও মন্তব্যকারীকে বিভিন্ন নামে ভূষিত করার মধ্যেই আলোচনা সীমাবদ্ধ।
কিছু মন্তব্য-
উপরোক্ত মন্তব্যগুলোর সাথে মন্তব্যের স্বপক্ষে অল্পবিস্তর ব্যাখ্যা থাকলে কিছু শেখা যেত।
আবার যখন নির্দিষ্ট উদাহরনের কথা বলা হয় , তখন সেই উদাহরন আর আসেনা।
@ফারুক,
একটু ধৈর্য ধরতে হবে বৈকি। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছি, জানতে চেয়েছি বেশ আন্তরিক ভাবে। দেখুন একটু সাহায্য করা যায় কি না।
আরেকটি কথা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গিয়েছি। আপনাদের কোরান অনলিদের নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপ আছে কিনা? কোরান অনলিদের ব্যাপারে বিস্তারিত কোথা থেকে জানা যাবে?
@সৈকত চৌধুরী,
কোরান ওনলি দের একটা সাইট অনেক খুজে পাওয়া গেল- http://www.free-minds.org/ আপনি পরখ করে দেখতে পারেন।
@ভবঘুরে,
রাশাদ খলিফা নাকি কোরান অনলী ধারনা আধুনিক কালে প্রবর্তন করেন বলে শুনেছি।
@আদিল মাহমুদ,
তা তো করবেই। কারন তিনি তো আবার নিজেকে শেষ নবী মনে করেন । দেখা যাক , এর পর আর কোন নবীর আবিভাব ঘটে কিনা।
রেফ ফলা কেমনে এখানে লেখে বুঝলাম না।
@ভবঘুরে,
অর্ক = orrk
তর্ক = trrk
সাইফুল ভাইয়ের কাছে গতকাল শিখলাম।
@ভবঘুরে,
একটু মনে হয় ভুল হল, নবী না; উনি নিজেকে রাসূল দাবী করতেন বলে শুনেছি 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
দুইটাই ঠিক।
দেখুন মনে পড়ে কিনা ?
ইয়া নবি সালামালাইকা————————
ইয়া রাসুল সালামালাইকা———————-
ইয়া হাবিব সালামালাইকা———————–
সব রাসুলই নবি কিন্তু সব নবিই রাসুল না।
যাদের কাছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চটি এসেছে তারা নবি আর যাদের কাছে কিতাব এসেছে তারা একাধারে নবি ও রাসুল।
খাতামুন নবুয়াত–মানে নবুয়াতের শেষ। তাই মোহাম্মদকে নবি / রাসুল যেটাই বলুন ভুল হবে না।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি কিছুতেই বুঝি না যে ধর্মওয়ালারা কেন এই যুক্তি দিয়ে ধর্মগ্রন্থ প্রমান করার ফাঁদে ধরা দেন।
আমি বিশ্বাস করি, যার কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমান নেই – এইটা স্বীকার করে নিলেই তো সবার সময় বাঁচে। গণিত কষে বা ল্যাবরেটরিতে কোনদিন ইশ্বর প্রমান সম্ভব?
@আদিল মাহমুদ,
ঈশ্বর প্রমাণ সম্ভব না তবে ধর্ম গ্রন্থের সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করা খুব সম্ভব।
যাদি সততার অভাব না হয়। 🙂
@আতিক রাঢ়ী,
ধর্মগ্রন্থের সত্য মিথ্যাও প্রমান সম্ভব নয় যদি আগে থেকেই ধরে নেন যে ধর্মগ্রন্থের প্রমান স্বয়ং ধর্মগ্রন্থ নিজেই।
প্রি-রিকুইজিট হল আগে বিশ্বাস, তারপর প্রমান।
এ জন্যই আজকাল প্রায়ই যুক্তি শুনি; এটা বুঝতে হলে আপনাকে আগে পূর্ন বিশ্বাস আনতে হবে।
কোরান অবিশ্বাসীদের জন্য নয়, মানে বিশ্বাসী হলেই আপনি বুঝে যাবেন। অবিশ্বাসী হলে কিছুতেই বুঝবেন না।
নিজেরাও বোঝেন না যে এধরনের কথাবার্তা যে কতটা অযৌক্তিকই শুধু নয়, নির্বোধের মতও শোনায়।
@আদিল মাহমুদ, পরদেশী ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১০ @ ৩:৫৬ পুর্বাহ্ন ২.১.১
@ফারুক,
প্রতিটা থিউরির কিছু ফান্ডামেন্টাল পষ্টুলেট বা স্বতঃসিদ্ধ থাকে যা বিশ্বাস না করলে মূল থিউরিটিকে প্রমান করা যায়না। যেমন ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির মুল ধারনা হ্লো বিন্দু, রেখা, তল ইত্যাদি। যেমন বিন্দুর সংজ্ঞায় বলা আছে যার কোন আকার, আয়তন নেই শুধু অবস্থান আছে। এখন বিশ্বের এমন কোন কিছু কি আছে যার কোন আকার আয়তন নাই শুধু অবস্থান আছে? একই ভাবে রেখার নাকি কেবল দৈর্ঘ আছে প্রস্থ নাই? বাস্তব বিশ্বের কোন রেখার প্রস্থ নাই?
এখন যদি আমরা ইউক্লিডের এই স্বতসিদ্ধকে না বিশ্বাস করি তা হলে পুরো জ্যামিতি তথা পুরা বিজ্ঞানই বৃথা। কিন্তু ইউক্লিড কি আমাদের জোর করেছিল তার সংজ্ঞা মেনে নিতে? না আমাদের ঠেকাতেই আমরা তা মেনে নেই।
আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বমানার পূর্বশর্ত হলো আলোর গতিবেগ সর্বোচ্চ এবং অনাপেক্ষিক এইটা মানা। আলোকে অনাপেক্ষিক না মানলে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব পড়ে কোন লাভ নেই।
আগে মানা তার পর জানা, এটাতো বিজ্ঞানই আমাদের শিখায়।
@আদিল মাহমুদ,
কথা যদি নির্বোধের মত হয় তবে তা তো নির্বোধের মত শোনাবেই। 😀
বিশুদ্ধ যুক্তি।
দেখুন আল্লাহভীরু মানে যদি সৃষ্টিকর্তা ভীরু হয় তবে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বিরা কিন্তু কোরান পড়ার সাথে সাথে এর সত্যতা বুঝে ফেলা উচিৎ। কিন্তু আল্লাহভীরু মানে যদি মুসলমানদের আল্লাই কেবল হয় তবে এই কথার মানে হবে কেবলমাত্র আল্লাহভীরু মুসলমানরাই এর মধ্যে সত্যতা পাবে। মানে আল্লাহভীরু মুসলমানরা ছাড়া বাকিদের কাছে পড়ার পরে এটাকে বোগাস মনে হবে।
মানে মূলত মুসলমান পরিবারে বেড়ে উঠার সময় নিজেকে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে এই যেমন,জুম্মা নামাজে গিয়ে দোজখের আগুনের লেলিহান শিখার গল্পশুনে নিজেকে ভয় পাবার জন্য প্রথমে প্রস্তুত হতে হবে। তার পরে এই ভয়টাকে নিজের মজ্জায় গেঁথে ফেলতে হবে। এরপরে আপনি কোরান পড়বেন আর বেহেস্তের বাতাস আপনাকে দোলা দিতে থাকবে। মনের কোনে কোন সন্দেহ উঁকি দেয়া মাত্র আপনি আগুনের আঁচ পেতে থাকবেন।
এগুলি মনস্তাত্তিক ব্যাপার, যেটাকে খুব একটা সূক্ষ্মও বলা যাবে না।
@ফারুক
বিজ্ঞানের কোন থিওরিকেই ১০০% সঠিক মনে করা হয় না। তাহলে সেটা আর বিজ্ঞান থাকে না, হয়ে যায় ধর্ম। নিটনের সূত্রদিয়ে আমরা গ্রহ- নক্ষত্রের চলাচল ব্যাখ্যা করতে পারি। আবার অইনস্টাই দিয়ে আরো ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি। হয়তো সামনে আরো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার সূত্র অন্য কোন বিজ্ঞানী আমাদেরকে উপহার দেবেন। বিজ্ঞানমনস্ক ব্যাক্তি কোন চীরস্থায়ী সমাধান খোঁজেন না। এই খোঁজার প্রক্রিয়ার উৎকর্ষতা নিয়েই সে মূলত ভাবিত। এখানে ততক্ষন পর্যন্ত মানা হয় যতক্ষন পর্যন্ত আরো অধিক কার্যকরী সূত্র পাওয়া না যায়।
আশাকরি বু্ঝতে পেরছে, প্রাগৈতিহাসিক কিছু সেমেটিক গল্পের সংকোলন মানা আর বিজ্ঞানের থিওরী মানার পার্থক্য।
@ভবঘুরে,
ঘুরে ঘুরে খুজতে খুজতে শেষ পর্যন্ত পেলেন তো! লিংক অনুসারে এক নজর দেখলাম। পিডিএফ ফাইলে কোরান, বই-ও দেখলাম পড়ে নামাবো। এখন একটু পরখ করলাম, পরে তল্লাসী চালাবো।
থ্যাংক ইউ।
@মাহফুজ,
আপনাদের যখন এত আগ্রহ , তাই অধমের এ কষ্ট করা। আমার আবার একটা বদ দোষ আছে। অন্যের উপকার করা। 😉
@সৈকত চৌধুরী,কোরান অনলিদের নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপ আছে কিনা বলতে পারিনা , আমার কথা যদি বলেন তো আমি একা। এপর্যন্ত ব্লগে ৩/৪ জন কোরান অনলির দেখা পেয়েছি , তবে ১ জনের সাথেই বাস্তবে সাক্ষাৎ ঘটেছে মাস তিনেক আগে , ব্লগে পরিচয়ের সুত্রে। সকলেই স্বাধীন ভাবে চিন্তা করে , সকল ব্যাপারেই সকলের মত এক হবে বা কোরানের ইনটার্প্রিটেশন এক হবে এমন কোন কথা নয়। তবে একটা ব্যাপারে একমত , তা হলো ধর্মীয় দিগনির্দেশনার জন্য একমাত্র কোরান-ই যথেষ্ট ।
http://www.submission.org
http://www.free-minds.org/
19.org এইরকম বহু সাইট আছে। এক জায়গায় গেলে আরো অনেক জায়গার লিঙ্ক পাবেন।
@ফারুক,
আপনারা যারা ধর্মের তত্ত্বীয় দিকের গবেষনা করে থাকেন তাদের একটা মৌলিক সমস্যা কি জানেন? আমি বহুবার বহুজনকে বলেছি, কেউই কথাটার গুরুত্ব দেন না। কেবল গত বাধা কিছু বুলি তোতা পাখীর মত আউড়ে যান।
ধর্মের মূল সমস্যা হল এটা যেহেতু বিশ্বাসের ব্যাপার, তাই এর ইন্টারপ্রেটশন ব্যাক্তি বিশেষে ভ্যারী করবে। করতে বাধ্য। এবং ধর্ম জগতে সেটাই হয়। একজনের অনুবাদে এক অর্থ, একজনের তাফসীর এক রকমের। কারো মতে এই হাদীস সঠিক, কারো মতে একই হাদীস সন্দেহযুক্ত, কারো মতে অমুক হাদীস বাতিল করা হয়েছে। এখন তো আবার নুতন থিয়োরী শুনি যে কোরানেরি নাকি কিছু আয়াত “মানসুখ” হয়ে গেছে।
যাক, মূল ব্যাপার হল ধর্মের সর্বজন গৃহিত ইন্টারপ্রেটেশন কোনদিন সম্ভব নয়। তাই এ নিয়ে যত ঘাটবেন বা বোঝার চেষ্টা করবে তাতই মত পার্থক্যই বাড়বে। তার প্রমান তো ভুরি ভুরি আছে। এমন একজন জনপ্রিয় ইসলামী আলেম আছেন কিনা যিনি নিজের ইসলামী সমাজেই সমালোচিত হননি আমি জানি না। জাকির নায়েকের নামে কতজনে অন্ধজনে অন্ধ কালা সাজেন, সেই তার নামে কাফের ঘোষনা, বিক্ষোভ মিছিল এসব মুসলমানেরাই করেছে। মওদুদী, আশরাফ আলী থানভী, হারুন ইয়াহিয়া, বিলাল ফিলিপস সবার ব্যাপারেই কম বেশি একই কথাই খাটে। আপনি আরো ভাল জানেন এসব।
ধর্মের ব্যাপারে আমার চূড়ান্ত কথা এই যে ধর্ম মানুষের মনের শান্তির জন্য খুবই উপকারী। ধর্ম পালন করে ভক্তিভরে কোরান পড়লে মনে সাময়িকভাবে হলেও শান্তি আসতে পারে। তবে ধর্ম কেন্দ্র করে জীবন ব্যাবস্থা চালাতে গেলেই গোলযোগ বাধতে বাধ্য যার ভুরি ভুরি প্রমান আছে। যেখানে নিজেরাই একমত হতে পারেন না কোরানের সব আয়াতের মানে কি (হাদীস ইজমা কিয়াস এসব তো অনেক দুরের কথা), কোন আয়াত মানসুখ হয়েছে সেখানে কোরানের ভিত্তিতে সমাজ চালাবার দাবী কি হাস্যকর ঠেকে না?
কোন আইন গ্রন্থ বা জীবন বিধান নিয়ে এরকম মৌলিক বিতর্ক হলে আপনি তাতে তেমন কোন সমস্যা দেখেন না?
@আদিল মাহমুদ,এ ব্যাপারে আগেও আপনার সাথে আলাপ হয়েছে। মনে হয় ঠিক মতো আমার কথা বলতে পারিনি। আবারো চেষ্টা নেই-
একমত। কোরানে আল্লাহ নিজের বুদ্ধি বিবেচনা ব্যাবহার করতে বলেছেন। প্রতিটি মানুষের বুদ্ধি বিবেচনা ভিন্ন। সুতরাং কোরানের ইন্টারপ্রেটশন ব্যাক্তি বিশেষে ভ্যারী করবে , এর সাথে দ্বিমত করার কিছু নেই।
কোরানের ভিত্তিতে সমাজ চালাবার দাবী কি হাস্যকর ঠেকে না? অবশ্যই হাস্যকর। আমার নিজের ধারনা ধর্মপালন যার যার নিজস্ব।
কারো উপরে ধর্মকে চাপিয়ে দেয়া বা কাউকে নির্দিষ্ট কোন ধর্ম পালন করতে বাধ্য করার কথা কোরানে নেই। এখন কেউ যদি কোরানের নির্দেশের পরিপন্থি এই কাজটি ইসলামের নামে করতে চায় , তার জন্য ইসলামকে তো দায়ী করতে পারি না।
আমি কোরান অনুযায়ী আমার জীবন পরিচালিত করি বা করার চেষ্টা করি। আমার তো কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। আপনি বলছেন -“তবে ধর্ম কেন্দ্র করে জীবন ব্যাবস্থা চালাতে গেলেই গোলযোগ বাধতে বাধ্য যার ভুরি ভুরি প্রমান আছে।” কয়েকটি প্রমান কি দেবেন কি কি গোলযোগ আমি বাধিয়েছি ?
আমি তো কোন সমস্যা দেখিনা । আপনি যদি দেখেন , তো উদাহরন দিন।
@ফারুক,
কারন কোরান ও হাদিস এই দুটোকে একই সাথে সামাল দিতে আপনাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব আমার উপরে ন্যস্ত করা হয় নি। সেকারনে কোরান ও হাদিস এই দুটোকে একই সাথে সামাল দেয়ার কোন চেষ্টাই কখনো করিনা। আমি শুধু নিজের জীবন কোরানানুসারে পরিচালিত করার চেষ্টা করি।
@ফারুক,
কিন্তু যে ধর্ম আপনি পালন করছেন তাকে ডিফেন্ড করার দায়িত্ব নিশ্চয়ই অন্যের উপর ন্যস্ত করা হয় নি।
আপনি আপনার জীবন কি অনুসারে পরিচালিত করবেন, কোরান দিয়ে করবেন, না বাইবেল দিয়ে করবেন সেটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা থাকার কথা না। কথা তো শুধু আপনার জীবন নিয়ে হচ্ছেনা, কথা হচ্ছে মানব জাতির জীবন নিয়ে। এই পোষ্টে যাঁরা কমেন্ট করছেন তাঁরা কোন ব্যক্তি বিশেষের জীবন নিয়ে কথা বলছেননা। আপনিও যখন কমেন্ট করছেন তখন ধরে নেয়া হচ্ছে যে আপনি আপনার চিন্তা ও মতবাদ ডিফেন্ড করছেন। তাই অন্যেরা তার প্রতি-উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
ঠিক কথা। আপনি কোরান অনলি মতবাদের অনুসারী। আপনি হয়তো চেষ্টা করেন নাই, অন্যেরা করেছেন, আপনি দেখেছেন। এখন হাদিসকে বাদ দিয়ে আপনার কাজতো অর্ধেক সোজা হয়ে গেল। এখন আপনাকেতো আর দুটো নিয়ে একই সাথে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ক্ষ্ট করতে হচ্ছেনা ভাই। 🙂
@ফারুক,
আপনার আগের জবাব এখানে দিচ্ছি।
দোযখের এক তরফা ভয় দেখিয়ে, বেছে বেছে নিজ ধর্মের ভাল জিনিসগুলি দেখিয়ে ও অন্য ধর্মের বাজে দিকগুলিই শুধু দেখিয়ে মানুষকে বাল্যকাল থেকেই একটি ধর্মে বিশ্বাস আনয়নের মাঝে কতটুকু ঐশ্বরিক মহত্ব আছে বলে আপনি মনে করেন? নৈতিকতার প্রশ্ন না হয় বাদই থাকল। এই পদ্ধুতির কারনে সফলভাবে প্রায় প্রতিটা মুসলমান শিশু বাল্যকাল থেকেই ধর্মীয় সুপ্রিমেসি রোগে আক্রান্ত হয় এবং আজীবন তা লালন পালন করে। সোজা কথায় সাম্প্রদায়িক হয়। আমাদের দেশের ধর্মীয় শিক্ষা ব্যাবস্থায় যেসব বিতর্কিত হাদীস/কোরানিক আয়াত নিয়ে ব্লগে ব্লগে ঝড় ওঠে সেইগুলি কেন পড়ানো হয় না? ইসলামী ইতিহাস বলতে কেন শুধুই বেছে বেছে গৌরবময় দিক পড়ানো হয়? কলংকিত দিকগুলি কেন পড়ানো হয় না? সেগুলি স্কুলে কলেজে পড়ান, খোলা মনে ছেলে মেয়েদের বিচার করতে দিন তারপর দেখেন কতজন লোকে আপনার স্বতঃসিদ্ধ মানে।
এর সাথে বৈজ্ঞানিক স্বতসিদ্ধ মেনে নেওয়ার তূলনা আপনার কেমন করে মনে হল? বৈজ্ঞানিক স্বতঃসিদ্ধ কেউ দিব্ব্যী দেয়নি যে কোনভাবেই ভুল প্রমান করা যাবে না। বৈজ্ঞানিক স্বতঃসিদ্ধে কেউ দোযখের ভয় দেখায়, নাকি নিজের পছনের বৈজ্ঞানিক কত মহান এবং অন্য বৈজ্ঞানিকেরা কত খারাপ তা ধরে টানাটানি করে? ধর্মের ব্যাপারে কি তা খাটে? বৈজ্ঞানিক স্বতঃসিদ্ধ স্রেফ মন থেকে যা মনে হল তাই চালিয়ে দেওয়া যায় না। তাও যুক্তিভিত্তিক হতে হয়। ১০০% খাটি বলা যাবে না , তবে সমসাময়িক যাবতীয় সবগুলির মাঝে সবচেয়ে যুক্তিপূর্ন এভাবে গ্রহনযোগ্য হতে হয়।
আপনাকে আরেক যায়গায় জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আল্লাহ যে শুধু একজনই, বহুজনের মিলিত প্যানেল না তা আপনি কিভাবে যুক্তি দিয়ে প্রমান করবেন? আপনার দায় এড়ানো জবাব ছিল যে সব ধর্ম গ্রন্থ পড়লেই আমি জেনে যাব। এটা কিছুতেই স্বীকার করবেন না যে কোরান পড়লে যেমন এক আল্লাহর স্বতসিদ্ধ মানতে হয়, তেমনি অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে বহু ঈশ্বরের স্বতঃসিদ্ধ মানতে হয়। তার চেয়েও বড় কথা, এই সমস্যা সমাধানের যৌক্তিক কোন উপায় নেই।
জ্যামিতির বিভিন্ন দেশের বই এ কি তেমন কোন ব্যাপার থাকে নাকি?
কোরান দিয়ে আপনি ফারুক জীবন চালাতে গিয়ে সমস্যা বাধিয়েছেন তাতো আমি দাবী করিনি। সেটা যাচাই করতে গেলে আপনার সাথে আমাকে বসবাস করতে হবে, যদিও পানই ব্লগে তেমন কোন আলামত দেখাননি। তবে এর উদাহরন এত ব্যাপক যে বলার তেমন দরকার দেখি না।
উদাহরন দিলেও অবশ্য আপনার আগাম জবাব আমি জানি। বলে দেবেন যে তারা সবাই ভুল ইন্টারপ্রেটশন করছে, কাজেই এর দায় কোরানের নয়; মানুষের। আপনাকে আগেও একটি উদাহরন দিয়েছিলাম যে ১০০ জন লোকে কোন মেশিন কিনে মেশিনের ম্যানুয়াল দিয়ে যদি ৫ জন লোকের মেশিন চালাতে সমস্যা হয় তবে বলা যেতে পারে যে দোষ ম্যানুয়ালের নয়, ঐ ৫ জনের। কিন্তু ৫০ জন লোকেরই একই সমস্যা হলে তখন মনে করার যুক্তিসংগত কারন থাকে যে সমস্যা আসলে ব্যাক্তির নয়, ম্যানুয়ালেরই।
@আদিল মাহমুদ,
ওয়াও – :guru: :guru: :guru:
@আকাশ মালিক,
আমি কিন্তু বলিনি যে দায় অতি অবশ্যই ম্যানুয়ালের 🙂 ।
শুধু আমার কাছে যা যৌক্তিক সম্ভাবনা মনে হয় তাই বলেছি।
তবে ম্যানুয়াল দিয়ে মেশিন চালানো তো পরের কথা, আগে ম্যানুয়াল বোঝা নিয়েই যদি মেশিন চালকদের ভজঘট বেধে যায় তবে আর কি বলার থাকতে পারে জানি না। ম্যানুয়াল পড়ে বেশীরভাগ লোকেই ঠিকমত না বুঝতে পারলে (ফারুক ভাই এর ভাষ্যমতে) সেই দায় তো ম্যানুয়ালের উপর পড়া খুবই স্বাভাবিক। ম্যানুয়ালের লেখক এমন রহস্য কেন করেন যাতে তার বেশীরভাগ বান্দা হাজার হাজার বছর ধরে ধোকা খায়?
@ফারুক,
আদিল ভাই বলেছে আমার লেখার ব্যাপারে। সেখানে কিছু উদাহরন দেয়া গেলে আর ভালভাবে আমার বক্তব্য ফুটতো। নতুন করে তিনি উদাহরন দিতে বলেছেন সেরকম আমার মনে হয়নি।
আপনি হতাশ কারন এখানে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না।
দেখুন নিচে আদিল ভাই কি বলেছেনঃ
আপনি যদি আদিল ভাইয়ের সাথে একমত না তা আপনার কোন কথাতেই মনে হয়নি ।
আপনি সৈকত ভাইকে বলেছেনঃ
আমি আমার লেখাতে আগেই বলেছিঃ
যেহেতু পূর্বের বিশ্লেষনের থেকে নতুন কিছু পাচ্ছি না, ফলে আগ্রহের তালিকা থেকে এটি বাদ পড়ছে।
আর বিশেষণ প্রয়োগের ব্যাপারে বহুবার আলোচনা হয়েছে। আমি আশা করব সবাইকে বিশেষণ এড়িয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে।
@আতিক রাঢ়ী,
এটা আদিলের নিজস্ব মত। উনি যদি ব্যাখ্যা করতেন , কেন তিনি মনে করেন সম্পূর্ন যৌক্তিক উপায়ে কোরান ব্যাখ্যা করা কোনদিন সম্ভব নয় , তাহলে চেষ্টা করা যেত ওনার যুক্তি খন্ডনের। অন্যথায় আমি যদি বলি আদিল ভুল বলছে , তাহলে আমাকে তো বলতে হবে কেন আমি একমত না। কিসের উপর ভিত্তি করে আমার বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত করব? একারনেই এধরনের ক্যাটাগরিক্যাল মন্তব্যের জবাব সাধারনত দেইনা। আমি বল্লেই তো আর আমার কথা বিশ্বাস করার প্রশ্ন ওঠে না।
কোন নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকলে তার জবাব দেয়া যায় , পাঠকের নিজস্ব উপলব্ধির জবাব দেয়া কিভাবে সম্ভব?
আমার মনে হয়েছে কোরান মির্যাকল। সেকথাই বলেছি। এখন কোরান মির্যাকল কিনা , সেটা যাচাই করার উপায় কি? আমি বল্লেইতো আর হলো না। কোরান পড়েই সেটা যাচাই করা সম্ভব। সে কারনেই কোরান পড়ে দেখতে বলেছি। আমি আশা করতেই পারি যে , তিনি হতাশ হবেন না , যেহেতু কোরান পড়ে আমার কাছে মির্যাকল মনে হয়েছে। একি বই পড়ে বা একি ঘটনা কি সকলের একি উপলব্ধি ঘটে বা ঘটায়? প্রত্যেকটা মানুষ-ই তো ভিন্ন। সুতরাং উপলব্ধি ও ভিন্ন হবে , এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? এখন কার উপলব্ধি সঠিক , তা কিসের মাপকাঠিতে যাঁচাই করবেন?
@ফারুক,
”
”
– কোরানের অথেন্টিসিটির প্রমান কোরান নিজেই।
– কোরান থেকেই , এই নিয়োগ দানের বিষয়টি আমি জেনেছি। যেহেতু কোরান পড়ে আমার ধারনা হয়েছে , কোরান সত্য, সেকারনে অন্য কোন নিয়োগ পত্রের কপি আমার জানার প্রয়োজন মনে করি না।
এইগুলি কোন যুক্তিগ্রাহ্য কথা?
@আদিল মাহমুদ,কোরান সকলের জন্য নয়। কোরান শুধু আল্লাহভীরু তথা সৃষ্টিকর্তাভীরুদের জন্য। কোরান আল্লাহর বানী কিনা সেটা কোরান পড়ে ও অনুধাবন করেই সেটা বোঝা সম্ভব। কোরানেই বলা আছে অবিশ্বাসীরা এটা বুঝবে না। সেখানে আমার পক্ষে কিভাবে সেটা বোঝানো সম্ভব?
@ফারুক,
এই কিতাব আল্লাহ ভীরুদের জন্য। আর ওখানেই তো সুভংকরের ফাকি। ব্যপারটা অনেকটা রঙিন কাচের চশমা দিয়ে চারপাশ দেখার মত। যদি কাচের রং লাল হয় তখন সবকিছু লাল দেখায়। সাদা বা হলূদ আর খুজে পাওয়া যায় না। তার মানে কোরান পড়তে গেলে প্রথম শর্তই আল্লাহ ভীরু হতে হবে মানে চোখে লাল চশমা দিতে হবে। সেটা দিলে সব কিছুই লাল অর্থাৎ অলৌকিক মনে হবে। আর না দিলে সব ফকফকা- মানে সব ফাকা বুলি। আপনার যুক্তিতেই কিন্তু কোরান যে একটা অর্থহীন বই তা প্রমানিত হয়ে যায়।বিষয়টা কেন এমন নয় যে- বইয়ের বিষয় বস্তু সাদা মনে পড়লে একসময় মনে হবে যে তা অলৌকিক ? আগেই কেন ধরে নেব যে তা অলৌকিক ? এ তো অনেকটা বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার ধরনের শালিশ মানার মত। মোহাম্মদ ভালই জানত যে- যারা শিতি ও মুক্তমনা তারা কোরানের হিজি বিজি পড়ে কোন দিনই বিশ্বাস করবে না যে তা অলৌকিক। তাই তার এসব কথা বলা। আর বিষয়টাও কিন্তু তাই। শত শত বছর ধরে সাধারন মানুষ সত্যিই খোলা দৃষ্টি দিয়ে কোরান পড়া তো দুরের কথা , কোরান হাদিসই পড়ে নি। আমি আমার বন্ধু বান্ধব, পরিচিত জনের মধ্যে একটা সমীা চালিয়ে দেখেছি-তাদের ১০০% ই কোরান বাংলাভাষায় পুরোটা তো দুরের কথা সামান্য অংশও পড়েনি। রোজা রমজানে সুর করে আরবী কোরান খতম করে অবশ্য অনেকেই। কিন্তু আরবী ভাষায় ওখানে দামী কথা নাকি বাজে কথা লেখা আছে তা তো তারা জানে না কেউই। শুধূ সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে কোরান হাদিস পড়ছে জানার জন্যে, বোঝার জন্যে যে কি কারনে মুসলমানদের কেউ কেউ ধর্মের নামে আত্মঘাতী হামলায় নিজেদের জীবন দিচ্ছে তা জানতে। আর তাই আস্তে আস্তে থলের বিড়াল সব বেরিয়ে আসছে। সূর্যকে আষাঢ়ের মেঘ দিয়ে দুই একদিন আটকে রাখা যায়, তার পর সূর্য তার স্বরূপে বেরিয়ে এসে আলো ছড়াবেই। সূর্যকে আটকে রাখা যায় না কিছুতেই।
@ভবঘুরে,গ্রাজুয়েট লেভেলের কোন বই পড়ে বুঝতে হলে অন্তত প্রিগ্রাজুয়েট পাশ বা জ্ঞান থাকা জরুরী । একারনেই বইয়ের উপরে লেভেল দেয়া থাকে দশম শ্রেনীর বই বা গ্রাজুয়েট লেভেলের বই। সকল বই তো সবার জন্য হয় না বা সকলে সব বই পড়ে বোঝাও সম্ভব না। তদ্রুপ কোরানের শুরুতেই বলে দেয়া হয়েছে এ বই কাদের জন্য। এতে আশ্চর্য হওয়ার কারন আছে কি? একে যদি আপনার মনে হয় রঙিন চশমা পরার কথা বলা হয়েছে , তাইলে তাই সই।
কেউ কি ধরে নিতে বলেছে ? পড়ার পরেই না আপনি স্বীদ্ধান্ত নেবেন , বইটি অলৌকিক কিনা? একটাই শর্ত , আপনাকে আল্লাহভীরু (মুত্তাকীন) হওয়া লাগবে।
আপনার কথাই ঠিক । এরা সব উত্তরাধীকারসুত্রে পাওয়া মুসলিম। থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার কথা যেটা বল্লেন , সেটা আপনার কল্পনা। বরং বলতে পারেন কোরান হাদীস পড়ার জন্য মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত অনেক ভ্রান্ত ধারনা ও মীথ মুক্ত হচ্ছে আজকের মুসলমানরা। তবে এখনো কোরান হাদীস পড়া মানুষের সংখ্যা নিতান্তই নগন্য। আগের থেকে পরিস্থিতীর খুব একটা উন্নতি হয় নি। বরং মানুষ বেশি করে কাঠ মোল্লাদের ওয়াজ মাহফিল শুনে আরো বিভ্রান্ত হচ্ছে।
@ফারুক,
আপনার কথা অনুযায়ী কোরান পড়ার আগে আল্লাহভীরু (মুত্তাকীন) হওয়া একমাত্র শর্ত। কারন কোরানের শুরুতেই বলে দেয়া হয়েছে এ বই মুত্তাকীনদের জন্য যেমন অন্যান্য বইয়ে বলে দেওয়া থাকে “দশম শ্রেনীর বই বা গ্রাজুয়েট লেভেলের বই”। দশম শ্রেনী বা গ্রাজুয়েট হতে গেলেতো একটি স্বীকৃত পরীক্ষা থাকে যেটা পাশ করে কাউকে সে লেভেলে যেতে হয়।
প্রশ্ন হলো আল্লাহভীরু বা মুত্তাকীন হওয়ার জন্য কি কোন পুর্ব শর্ত বা কি কোন পরীক্ষা আছে?
মানে আমি বলতে চাচ্ছি একজন লোক প্রথমে কোরান পড়ার আগে তাকে যাচাই করতে হবে যে সে মুত্তাকীন আছে কিনা। মুত্তাকীন না হলেতো সে যত হাজারবার কোরান পড়ুকনা কেন কোন লাভ নেই, সে কোরানের আসল ভাবার্থ ধরতে সক্ষম হবেনা। সুতরাং আগে মুত্তাকীনের পরীক্ষা হওয়া উচিৎ, নচেৎ কোরান পড়ার গোটা চেষ্টাটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, এবং তা হবে সময়ের অপচয়।
আমি চিন্তা করছি কোরান পড়ে নতুন করে বুঝার চেষ্টা করব। তার মানে পুর্ব শর্ত অনুযায়ী আমাকে মুত্তাকীন হতে হবে। আমাকে দয়া করে বলবেন কি কোরান পড়তে প্রিকোয়ালিফাইড হওয়ার জন্য অর্থাৎ আমি মুত্তাকীন আছি কিনা তা জানার জন্য আমার কি কি পরীক্ষার দরকার হবে অথবা এমন কি কিছু শর্ত আছে যা পালন সাপেক্ষে বলা যাবে যে আমি মুত্তাকীন।
আরও একটা ব্যাপার আছে। কেউ বেশি, কেউ মধ্যম, কেউ কম মুত্তাকীন। মুত্তাকীনের লেভেলটা জানাও একান্ত জরুরী যে কোন স্কেলে মুত্তাকীন হলে কোরানের ভাবার্থ বুঝতে অসুবিধা হবে না। সময়ের তো মুল্য আছে। আমি অনর্থক সময় অপচয়ের পক্ষপাতি নই।
আপনি আপনার নিজের উদাহরনও দিতে পারেন যে আপনি কিভাবে মুত্তাকীন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন। অবশ্য আপনার যদি আপত্তি না থাকে। কারন আপনিই হলেন যোগ্য লোক যিনি এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ।
@ফারুক,
– আপনার এই যুক্তির অপর মনে হল যে কোরান পড়ার আগেই আগে বিশ্বাস করে নিতে হবে। তারপর কোরান পড়ে কেবল সেই বিশ্বাসকে আরো শক্ত করা। এটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না?
যদি অস্বীকার করতে চান তো একটু ব্যাখ্যা করি। কোরান পড়া শুরু করার আগে নিশ্চয়ই আমি নিরপেক্ষ, তার মানেই কিন্তু অবিশ্বাসী। কারন কোন গ্রন্থ পড়ার আগে সেটার ভুল ত্রুটি বা ভাল খারাপ নিশ্চয়ি কেউ জানবে না। পড়ার পরই কেবল সেটা বোঝা যাবে। এখন কোরান শুধুই অবিশ্বাসীদের জন্য এই সূত্র অনুসারে বলতে হয় যে কোন নিরপেক্ষ লোকের পক্ষে (পড়ার আগে থেকেই বিশ্বাস করে না থাকলে) কোরান পড়ে কোরানে বিশ্বাস আনা সম্ভব নয়।
আপনার কথা আসলেই অল্প কিছু ব্যাতিক্রম বাদে সঠিক হতে বাধ্য।
পৃথিবীতে কিছু ব্যাতিক্রম বাদ দিলে বেশীরভাগ ধার্মিকই ধর্মবিশ্বাস লাভ করে পারিবারিক সূত্রে। নিজে গবেষনা করে বা কোরান বাইবেল বেদ গীতা পাঠ করে সিদ্ধান্ত নেয় না, বলা ভাল যে সেই সুযোগ তো তাকে দেওয়া হয়ই না উলটা সেই সুযোগ যাতে না পায় তার সর্বময় চেষ্টা করা হয়। মুসলমানেরাও তার ব্যাতিক্রম কিছু না। বরং বলা ভাল যে এই টেকনিকে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে। সফলতার হারও অতি। কারন অন্য ধর্মের লোকেরা আজকাল পৈত্রিক ধর্ম অনেকটা পারিবারিক ঐতিহ্য বা রিচুয়াল হিসাবে পালন করলেও ধর্মকে মুসলমানদের মত অতটা গুরুত্ব আর কেউই দেয় না।
কাজেই জন্ম হবার পর থেকেই মুসলমান শিশুর চিন্তা চেতন মানসে ইসলামই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম, শ্রেষ্ঠ জীবন ব্যাবস্থা, আর সব ধর্ম ভুল ও বাজে (এই ধারনা শক্ত করতে অন্য ধর্মের বাজে দিকগুলি বেছে বেছে তুলে ধরা হয় পদে পদে আর সাথে সাথে ইসলামের ভাল দিকগুলি দেখানো হয়) কোরানই একমাত্র আসমানি কিতাব যা অবিকৃত অবস্থায় আছে আর সব গ্রন্থ দুই নম্বরচ এই তত্ত্বগুলি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও যত্নের সাথেই গেড়ে দেওয়া হয়। র ফল হয় সুদুর প্রসারী। শিশুকাল হতে প্রাপ্ত এই শিক্ষা বা বিশ্বাসের আছর থেকে বের হওয়া পরবর্তিতে উচ্চ শিক্ষিত হওয়ায় সহজে সম্ভব হয় না।
এর কারনেই বেশীরভাগ মুসলমান কোরান নিজে না বুঝে আরবীতে পড়েই কোরানে যে কোন ভুল নেই থাকতে পারে না বা পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা এই কথায় পুরোপুরি বিশ্বাস করে। কাজেই অধিকাংশ মুসলমানের ধর্মবিশ্বাসের সাথে আসলেই কোরানের কোন সম্পর্ক নেই। আরবী কোরানে কি আছে তার বেশীরভাগ তারা নিজেরাই জানে না।
তারপর ধরেন যারা কনভার্ট হয়। তারাও যে কোরান পড়ে কনভার্ট হচ্ছে এমন মনে করার কোন কারন নেই। বেশীরভাগ কনভার্ট হয় প্রচারনার কারনে। ইসলামের আদিযুগ থেকেই এটা সত্য। কোরান নবীর আমলে পূর্ন আকারে নাজিল হলেও পূর্নাংগ গ্রন্থ হিসেবে সংকলিত হয়নি। পূর্নাংগ গ্রন্থ হিসেবে সংকলিত হয়েছে নবীজির মৃত্যুরও বেশ কবছর পর। কোরান যখন মোটে নাজিল হওয়া শুরু করে এবং ওসমানের সংকলের আগ পর্যন্ত; এই সম্যের ব্যাবধানে বহু লোকেই ইসলাম গ্রহন করেছে। বেশীরভাগ লোকে এমনকি কোরান মনে হয় অর্ধেকও নাজিল হবার আগেই ইসলাম গ্রহন করে ফেলেছে। এর জন্য মূলত কৃতিত্ব আমার মনে হয় ব্যাক্তি মুহম্মদের ক্যারিশমা। তিনি ব্যাক্তি সততা ও স্বাভাবিক লীডারশিপ স্কিলের কারনেই বেশীরভাগ লোককে আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন। কাজেই তার মাঝে কোরানের কোন কৃতিত্ব নেই।
এরপর ধরেন আমাদের উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের নানান অমানবিক প্রথার যাঁতাকল থেকে মুক্তি পেতে বড় সংখ্যক মানুষ ইসলাম সাদরে গ্রহন করেছে। তার সাথেও কোরান পড়ার বা তার অথেন্টিসিটির আসলে কোন সম্পর্ক নেই। বিজাতীয় আরবী ভাষায় লেখা বই পড়ে নিরক্ষর ভারত উপমহাদেশের লোকে ইসলাম জেনে বুঝে গ্রহন করেছে এমন ভাবনাই হাস্যকর।
আজকের আধুনিক যুগেও অনেকেই ইসলাম গ্রহন করে। তারাও কোরান নিজ ভাষায় পুরো পড়ার পরেই ইসলাম গ্রহন করেন এমন ভাবার কোন কারন নেই। এ ক্ষেত্রেও মূলত চালিকা শক্তি প্রচারনা। মুসলমানদের মত এগ্রেসিভ ধর্মীয় প্রচারনা এই যুগে আর কেউই চালায় না।
বাইরের কারো থেকে প্রভাবিত না হয়ে কেবল নিজে নিজে কোরান বুঝে পড়ে ইসলাম গ্রহন করেছেন তেমন লোক আমার মনে হয় অতি নগন্য।
@আদিল মাহমুদ,আপনার পুরা মন্তব্যের সাথে একমত। দু একটি ভুল ছাড়া।
অবশ্যই অস্বীকার করি না। কোরানের শুরুতেই বলা হয়েছে ” কোন সন্দেহ নেই , এ বই মুত্তাকীনদের (আল্লাহভীরু)জন্য গাইড স্বরুপ। অবিশ্বাসীদের জন্য তো আর কোরান গাইড হতে পারেনা।
ভুল কথা। আমি বেশ কয়েকবার কোরান বুঝে বুঝে পড়েও ভুল পাই নি।
এটাও ভুল কথা। কারন বিশ্বাসীদের জন্য কোরানের প্রথমদিকের সয়য়রাগুলিই শির্কমুক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল বলে মনে করি। আদতে মক্কার কাফেররা বহু দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিল। প্রথম প্রথম কম লোকেই মুসলমান হয়েছে। ব্যাক্তি মুহম্মদের ক্যারিশমায় মুসলমান হলে মক্কার লোকদেরি দলে দলে মুসলমান হওয়ার কথা ছিল , কারন তারাই তাকে ভাল জানত। ইতিহাস কিন্তু উল্টোটাই বলে। ( ইসলামের ইতিহাস নিয়ে আমার সন্দেহ আছে) তাকে মক্কা থেকে বিতাড়িত করা হয়।
@ফারুক,
– এক আপনার কথা তো বলিনি। সাধারনভাবে নন-এরাবিক বিশেষত আমাদের অঞ্চলের মুসলমানদের কথা বুঝিয়েছি। বাংলাদেশের কয়জন মুসলমান বাংলায় পুরো কোরান কয়বার পড়েছেন? আর যারা পড়েছেন তারা কি তাদের সিদ্ধান্ত পড়ার আগেই নিয়েছিলেন নাকি পড়ার পরই নেন?
– আর আমি কিন্তু দাবী করিনি যে কোরানে অতি অবশ্যই ভুল আছে। আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে কোন গ্রন্থ বুজে পাঠ করার আগেই দৃঢ় সিদ্ধান্ত টানা যে সেই বইতে কোন ভুল নেই বা সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধান এ ধরনের দর্শন হল অন্ধবিশ্বাস।
আপনি বা আর কেউ যদি আগে কোরান পড়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেন তবে তাদের প্রতি আমার পূর্ন শ্রদ্ধা (একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই, তবে তারা অন্ধবিশ্বাসী নন)।
ইসলামী ইতিহাস নিয়ে আমিও আসলে তেমন জানি না। তবে যতটুকু মনে হয়েছে যে ওনার ব্যাক্তিগত সত বিশ্বাসী ইমেজ অনেক কাজ করেছে। ওনার পর প্রথম মুসলমান হন ওনার স্ত্রী বিবি খাদিজা। তিনি নিশ্চয়ই কোরানের তেমন কোন আয়াত পড়েননি। তিনি জানতেন যে তাঁর স্বামী কোনদিন মিথ্যা কথা বলেন না, তাই বিশ্বাস করেছেন – অন্তত আমার তেমনই মনে হয়েছে।
আল আমিন মুহম্মদের যায়গায় কোন দূশ্চরিত্র যে উঠতে বসতে মিথ্যা কথা বলে তেমন লোকে এসে যদি দাবী করত যে তার কাছে আল্লাহর ওহী আসে তাহলে তাকে কেউ বিশ্বাস করত বলে মনে করেন? আপনি নিজে সে সময় থাকলে করতেন?
আপনাকের কোরান অনলীদের মৌলিক তত্ত্বে এখানেই আমি বড় সমস্যা দেখি। আপনারা ব্যাক্তি মুহম্মদকে কোন গুরুত্ব দিতে চান না যা আমার কাছে অদ্ভূত লাগে। ব্যাক্তি মুহম্মদ বাদে কোরানের ক্রেডিবিলিটি সেই আমলেই খুবই প্রশ্নবিদ্ধ হত (তারপরেও যে খুব হয়েছিল তাও নয়)।
@আদিল মাহমুদ,
এটাতো স্বাভাবিক। বউ স্বামীকে যদি অনুসরন না করে , তাহলে কে করবে?
রসূলের প্রতিপালনকারী তার চাচা আবু তালেব ও কিন্তু ইসলাম গ্রহন করেন নি।
অনেক কিন্তুর জবাব না পেলে কি ভাবে উত্তর দেই? আমার শিক্ষা কেমন ছিল? ইন্টারনেট ও অগাধ তথ্য আমার আঙুলের ডগায় ছিল কিনা? এ সকলের উত্তর জানলে সঠিক জবাব দেয়া সম্ভব।
আপনার ভুল হচ্ছে। রসূলকে সম্মান দিতে হবে , এটা আল্লাহর আদেশ। রসূলের জীবদ্দশায় তার কোরানের প্রচার ছাড়াও আরো অনেক কাজ ছিল নিঃসন্দেহে। রসূলের মৃত্যুর পরে তার মিশন শেষ।
@ফারুক,
ধরুন একজণ মাদকাশক্ত ব্যাক্তি মাদকের প্রতিক্রিয়াতে মনে করলো সে পাখির মত উড়ছে, তখন তার সেই উপলব্ধি সঠিক কিনা সেটা আমরা কিভাবে যাচাই করবো ? এটাতো তার নিজস্ব উ্পলব্ধি। একই মাদক বিভিন্ন জণে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ঘটাবে।
পাখির মত উড়ার অনুভূতী মাদক ছাড়াও হতে পারে, যেমন স্বপ্নে, বিশেষ কোন মানসিক রোগের জন্য বা ধ্যান জনিত সাময়িক মানসিক বিকার ইত্যাদি থেকে। আমাদের রায় হচ্ছে, এর কোনটাই স্বাভাবিক উপলব্ধি না। এখন এই রায়ের ভিত্তি কি ?
ভিত্তি হচ্ছে, সাধারন জ্ঞাণ, সাধারন যুক্তিবোধ।
মানুষের পাখির মত ডানা নেই।
মানুষ উড়তে পারে না।
কোন মানুষকে কেউ কখন উড়তে দেখেনি।
মানুষের পাখির মত ডানা ঝাপটে উড়ার অভিজ্ঞতা নেই।
কেবল মাত্র কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতীতে মানুষের এমন ভ্রান্ত অনুভূতি হতে পারে।
এখন জিবরাইলের প্রতি যদি এই সাধারন জ্ঞাণ ও সাধারন যুক্তিবোধ গুলি প্রয়োগ করা যায় তবে ফলাফল কি হতে পারে ?
মানুষ কখনও ফেরেস্তা দেখেনি।
কোন মানুষ দেখেনি অন্য মানুষের কাছে ফেরেস্তাকে আসতে।
ফেরেস্তা এমন কিছু বয়ে আনেনি যা মানুষ বয়ে আনতে পারে না।
কেবল মাত্র কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতীতে মানুষের এমন ভ্রান্ত অনুভূতি হতে পারে।
আমরা খুব সাধারন জ্ঞাণ আর সাধারন যুক্তিবোধের কথাই বলছি। এবারে আসুন কোরানের উপরে একই ভাবে সাধারন জ্ঞাণ ও সাধারন যুক্তিবোধ গুলি
প্রয়োগ করলে কি পাইঃ
এটা একটা বই।
কাগজের উপরে কালি দিয়ে লেখা।
অন্য বইয়ের মত এটাও পোকায় কাটে।
অন্য বইএর মত একই ভাবে প্রেসে ছাপা হয়।
অন্য বইএর মত দোকানে কিনতে পারা যায়।
এটা মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের মুখের ভাষা আরবিতে লেখা।
কোরান লিখিত হবার আগেও এই ভাষার ব্যাবহার ছিল।
মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব না এমন একটা কথাও এখানে নেই।
মানে এটি মানুষের লেখা বই না হবার কোন কারণ নেই।
আপনি হয়তো বিশেষ অনুভূতীর বা উপলব্ধির কথা বলবেন। যাদি বলেন তাহলে সমস্যাটা হচ্ছে, সাধারন আর বিশেষের।
এই বিশেষের ব্যাখ্যাকরা দরকার,
আপনি যখন কোরান পড়েন, তখন কি শেষ বিচারের কথা ভুলে থাকেন ?
মানে বলতে চাইছি কোন প্রকার ভয় শূন্য অবস্থায়কি আপনি কোরান পড়তে পারেন ? উত্তর হচ্ছে না। ফলে আপনার ক্ষেত্রটি হচ্ছে একটি বিশেষ ক্ষেত্র। মানে আপনার পক্ষে স্বাভাবিক ভাবে অন্য বই পড়ার সময় যে মানসিকতা কাজ করে সেভাবে কোরান পড়া সম্ভব না। বলছিলাম অন্য বই পড়ার সময় আপনার মধ্যে কোন প্রকার শেষ বিচারের ভয় জনিত অনুভূতি কাজ করে না। ফলে আপনার কোরান পাঠ জনিত অনুভূতি ভয় বা লোভ জনিত প্রভাব মুক্ত না। মানে আপনার অনুভূতী প্রভাবিত অনুভূতী। তো কেবল মাত্র ব্যাক্তি অনুভূতির উপরে বিষয়টা ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলেই এর সঠিকতা প্রমানিত হয়ে যাবে মনে করা কতটা ঠিক ?
বরং আলোচনা করা ভাল এর কোন কোন অংশ এখনো প্রাসঙ্গিক আর কোন অংশ এখন একেবারে অচল।
@আতিক রাঢ়ী,
সেটাই করুন। আমরা ও কিছু শিখি।
@ফারুক,
এই উদ্ধৃত প্যারাটির ঠিক উপরে অনুভূতী নিয়ে আরো কিছু লিখেছিলাম। এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে পারলে ভাল লাগত।
@আতিক রাঢ়ী,
পরীক্ষার পড়া আর গল্পের বই পড়ার অনুভূতি নিশ্চয় এক না। তেমনি কোরান পড়ার অনুভূতি অন্যরকম হবে , এটা স্বাভাবিক। কোন গল্পটি বানোয়াট আর কোনটি সত্য ঘটনা এটাতো পড়লেই সকলে বোঝে। তেমনি কোরান পড়লেও সত্য মিথ্যা বোঝার কথা। তবে কোরানের প্রথমেই বলা হয়েছে এই কিতাব আল্লাহভীরুদের (মুত্তাকীন) জন্য। যারা আল্লাহভীরু নয় তারা এই কোরান পড়ে কতটুকু উপকৃত হবে , আমার সন্দেহ আছে।
@ফারুক,
মানুষ পড়ে মূলত জানার জন্য। পড়ার পরে আনন্দ, বিষাদ, ভয় ইত্যাদি নানা অনুভূতি হতে পারে। কিন্তু পড়ার আগেই ভয় পেতে হবে বিষয়টা খুবই অদ্ভূৎ আর সুচতুরও বটে !!!!!!
@আতিক রাঢ়ী,মানুষ যা সামনে পায় , তাই পড়েনা। তার নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে। লাইব্রেরিতে অনেক ধরনের বই থাকে। সব ধরনের বই সবাই পড়েনা। পছন্দ মতোন বেছে বেছেই বই পড়ে। এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? কোন লেখক যখন কোন বই লেখে , তখন তা নির্দিষ্ট কোন পাঠক শ্রেনীর কথা মাথায় রেখেই লেখে। যেমন বাচ্চাদের বই , প্রাপ্তবয়স্কদের বই, উপন্যাস , ধর্মীয় বই ইতাদি। এর মধ্যে চতুরতার কি দেখলেন?
@ফারুক,
পড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলছিলাম, আপনি বলছেন পড়ার রুচি নিয়ে। যাই হোক।
ধরুন একটা বাচ্চাকে ভুতের বই পড়তে দেয়া হলো আর বলা হলো তুমি যদি এই গল্প বিশ্বাস না কর তবে রাতে ভুত এসে তোমাকে কামড়ে দেবে। আর যদি পরিটাকে তোমার ভাল লাগে তবে ও এসে তোমাকে পরির দেশ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। বাচ্চাদের উদাহরন দিচ্ছি বলে আশাকরি কিছু মনে করবেন না। কিন্তু ধর্মভীরুদের কোরান পড়া আর বাচ্চাদের ভুতের বই পড়ার ব্যাপারটা আসলে একই। এখন বুঝতে পারছি এগুলিকে সুচতুর বলা আমার ঠিক হয়নি, বলা উচিৎ ছিল শিশুতোষ মনসতত্ত্ব।
@আতিক রাঢ়ী,
ভুল কথা। বাচ্চার ও প্রাপ্ত বয়স্কের psychology এক না। বাচ্চাকে যত সহজে প্রভাবিত করা যায় , প্রাপ্ত বয়স্ককে তত সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব নয়। এখানেও দেখবেন অনেক আস্তিক পরিবারে জন্মগ্রহন করা নাস্তিক আছেন। তাদের উপরেও আস্তিক বাবা মায়ের প্রভাব ছিল । তাহলে তারা কেন আলাদা হলো? সকলেই কেন নাস্তিক হয় না? সহজ সরলিকরন করা ভুল।
@ফারুক,
আস্তিক আর ধর্মভীরু সমার্থক না। আমি আমার মন্তব্যে আস্তিকদের কথা বলিনি, বলেছি ধর্মভীরুদের কথা। যাদের শৈশব হচ্ছে চীরস্থায়ী শৈশব।
যাদের শারিরীক বিকাশের সাথে সাথে মানসিক বিকাশ হয়না। আস্তিক আর ধর্মভীরুকে একাকার করে ফেলার জন্য আমার মন্তব্যকে আপনার কাছে সরলিকরন মনে হয়েছে।
@আতিক রাঢ়ী,
– আসলেই তাই। আপনার লেখা যথেষ্ট ভাল হয়েছে, যুক্তিপূর্ন। সন্দেহ নেই। তথ্যগত কোন ভুলও নেই। তারপরেও আমার মনে হয়নি আপনি খুব বেশী গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করেছেন বলে। এইজন্যই আমি উচ্ছসিত প্রসংশা করতে পারিনি, আশা করি কিছু মনে করবেন না।
আপনার মূল বক্তব্য আমি যা ধরতে পেরেছি তা হল যে কোরান অনলীরা কোরান ইন্টারপ্রেটশনের বেলায় হাদীসের মত উদার মনা হতে পারেন না। তাই মূলত তাদের সাথে সনাতনী মুসলমান্দের কোন মৌলিক তফাত নেই। আমি এই মূল বক্তব্যে একমত। শুধু মনে হয়েছে যে কোরান অনলীরা কোরান ইন্টারপ্রেটশনের বেলায় কিভাবে সনাত্ন ধারা লোকের মতই আচ্রন করেন তার কিছু উদাহরন তাদের ইন্টারপ্রেটশন থেকেই দেখালে বক্তব্য সলিড হত। একটি উদাহরন দশটি বাক্যের থেকে বেশী শক্তিশালী, তাই না?
তবে আপনার কাজ ফারুক ভাই কিছু পরিমানে হলেও মনে হয় করে দিয়েছেন 🙂 ।
আবারো আশা করি আমার এই সরল মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
না, কিছু মনে করি নাই। পাঠক ভগবান। 😀
@আতিক রাঢ়ী,
ভগবানের আশীর্বাদ নিন :rose2: :rose2: :rose2:
হাদিস সমুহে কাল্পনিক, অবাস্তব অমানবিক সব কথাবার্তা দেখে কুরান অনলিরা শুধু কুরানকে যথেষ্ঠ মনে করছে। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের মাজহাবী ইমামদের ঠিকই অনুসরন করে চলেছে। কারন অন্যের করা অনুবাদ সমুহ তাদের জীবনাচারের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নয়। তাদের মাঝে কতজন আরবী জানে? অনেকের মতে আরবী জানার নাকি দরকার নেই। তাহলে তারা আরবী ভাষায় নাযিলকৃত কুরান বুঝে কোন ভাষায়? এক্ষেত্রে ঘুরে ফিরে অন্যের অনুবাদকৃত সেই কুরানের তাফসির অথবা আরবী ভাষা শিক্ষাতেই তাদের ফিরে যেতে হবে। এর পরেও তাদের রেহাই আছে কিনা সন্দেহ। কারন কুরানে নামাযের বিস্তারিত পদ্ধতি লিখা নেই। সেই পদ্ধতি হাদিস থেকে পাওয়া যায়। কুরান থেকে নয়।
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।
অতঃপর যদি তোমাদের কারো ব্যাপারে ভয় থাকে, তাহলে পদচারী অবস্থাতেই পড়ে নাও অথবা সওয়ারীর উপরে। তারপর যখন তোমরা নিরাপত্তা পাবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমাদের শেখানো হয়েছে, যা তোমরা ইতিপূর্বে জানতে না।
উপরের দুটি আয়াতে নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হতে বলা হয়েছে। পরের আয়াতটিতে ভয় থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করার পদ্ধতি বাতলে দেয়া হয়েছে এবং আয়াতের শেষে বলা হয়েছে নিরাপত্তা পাবার পর যেভাবে শেখানো হয়েছে সেভাবে সালাত আদায় করতে হবে। যে পদ্ধতি আগে তোমরা জানতে না। আয়াত থেকে এটা পরিস্কার যে সালাতের যে পদ্ধতি আজ মুসলিমরা অনুসরন করে, তা নবীর মাধ্যমে তাদেরকে শেখানো হয়েছে। কুরানের কোথায় সালাতের এ পদ্ধতি আল্লাহ তায়ালা শিখিয়েছেন? অথচ তিনি বলছেন যে তিনি পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। একটা আয়াত তারা দেখাতে পারবে না যেখানে আল্লাহ বলেছেন সালাতে তোমরা এটা কর। তারপর এটা কর।
এরপরে কুরানের সরাসরি নির্দেশঃ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর “রসূলের” এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।
এ আয়াতে আল্লহর নির্দেশ তথা কুরান, রাসুলের নির্দেশ ??? কুরান না হাদিস? তারপর নেতাদের অনুসরনের কথা বলা হল। তারপরে নেতাদের অনুসরনে গন্ডগোল লেগে যায়, তাহলে আল্লাহকে রেফার করা মানে কুরানের নির্দেশ মানা আর তা না পারা গেলে আল্লাহই বলছেন, রাসুলকে রেফার কর। রাসুলের প্রতি প্রত্যাবর্তনটা কি?
তবে কুরান অনলি আমাদের পথকেই সহজ করে দিচ্ছেন। তারা কুরানকে যথেষ্ঠ মনে করে হাদিসগুল বাতিল করুক। এতে করে শরিয়াহ নামক সাপের একটা বিশদাত ভাংবে।
@আনাস,
আমি একটু সন্দিহান এ ব্যাপারে। তারা একটা জীর্ন ঘরের মেরামত করছেন। উদ্দেশ্য আরো কিছু দিন টিকে থাকা। এটা যুক্তির অভাবে ধ্বসে পড়লেই বরং মুসলমানরা একটু আগে এই বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারত। তাদের এই প্রচেষ্টার দ্বারা মুসলমান বা অপরাপর মানব সম্প্রদায়ের লাভ হচ্ছে না ক্ষতি হচ্ছে ?
প্রতিটা সম্প্রদায় যেহেতু নিজেদেরকে অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে ফলে তারা সবাই সভ্যতার জন্য হুমকি। যারাই তাদের ধর্মের টিকে থাকার জন্য কাজ করছে তারাই প্রগতির জন্য অন্তরায়।
এখন এদের কাজকে উদ্দেশ্যর দিক থেকে না দেখে ফলাফলের দিক থেকে দেখলে কি দাঁড়ায় ? তারা হয়তো চাইছেন টিকে থাকতে কিন্তু তাদের কাজের ফলে হয়তো ঘটছে ঠিক তার উল্টোটা। বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে।।
@আতিক রাঢ়ী,
আপনি যেভাবে জাতির কথা ভাবছেন, এক্ষেত্রে এরা ব্যাক্তি স্বার্থের কথা ভাবছে। কারন ঈমান হারালে জাহান্নামে যাবার ভয় আছে না। ব্যক্তি স্বার্থের কথা কথা না ভাবলে এরা নিজের সন্তান এমনকি বাবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কিভাবে? আমরাও স্বার্থের কথা ভাবি। তবে ধর্মের কারনে সে মাত্রা আমাদের ভাবার তুলনায় আসমান যমিন। সুতরাং এসব সমস্যা সহজে দূর হবার নয়।
@আনাস,মনে হইতেছে দুনিয়ার ভার আপনাদের উপরে। Wish you good luck.
@ফারুক,
যাকে ( আনাস ) আপনি সবক দিতেছেন ওনি কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষায় স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটি পাশ করা লোক ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,আমি আবার কি সবক দিলাম? একটু খুলে বলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষায় স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটি পাশ করা লোককে কি সবক দেয়া নিষিদ্ধ?
@ফারুক,
এ পোস্ট এ আপনাকে উত্তর দেয়নি। কারন আপনি কুরানের বক্তব্য নিজের মন মত তো বলেনই। তার উপর আমার বক্তব্যই বিকৃত করেন। তাই আপনার সাথে কথা বাড়াতে চাইনি। তবে আপনার সবকটা বুঝিনি। আপনি বিরাট জ্ঞান ওয়ালা মানুষ। জন্ম থেকেই কুরানের ভাষা জানেন। এটাও আপনাকে জ্ঞানী মনে করার আরেকটা করাণ।
@আনাস,
জ্বিনা তখন কুরান অনলি শরিয়াহ্ নামক আরেকটি সাপের আবির্ভাব ঘটবে।
ফারুক@ কেনরে ভাই,মাইর দিবেন ক্যান? আপনারা না দাবি করেন ইসলাম মানে শান্তি? আহারে শান্তি, ওহোরে শান্তি 😛
@ফরহাদ,
ভেবে অবাক হই, এই ভন্ডের দল কতটা নির্লজ্জ হতে পারে যে তারাই আবার বেহায়ার মত শান্তির বানী প্রচার করে। এদের সাথে তর্ক সময়ের অপচয় মাত্র। কারন এদের আপনি বুঝাবেন কি? এরা সবই বোঝে..এবং বুঝেও এরা তা গোঁয়ারের মত স্বীকার করবে না তো করবেই না। যে জেগে থেকে ঘুমানোর ভান করে তাকে জাগায় সাধ্য কার!!
@ফরহাদ,কে কারে মারতে চায় , এটা ভালই বুঝেছেন! এই বুঝের জন্যই আপনারে মারা উচিৎ।
@ফারুক,
“হে ইশ্বর ( :lotpot: ) ইহাদের ক্ষমা কর, ইহারা কি বলিতেছে ইহারা জানে না”
আতিক ভাই,
দারুন লাগল লেখাটি। পড়ার সময় এর সাবলীলতার জন্য বেশ তৃপ্তি পেলাম। আমারও একই প্রশ্ন- আপনি এত কম লেখেন কেন?
@মিঠুন,
লেখা আপনার ভাল লেগেছে, আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ভাই লেখা-লেখি খুব কষ্টের কাজ। এর চেয়ে মাটি কাটা সোজা। যারা লেখেন তারা পাঠকদের কতটা ভালবেসে যে এই কষ্ট স্বী্কার করেন তা বোঝান যাবেনা। তাদের সবার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
চেষ্টা করব বেশি বেশি লিখতে। অনেক শুভেচ্ছা।
@ আতিক রাঢ়ী
আপনি তো দারুণ লেখেন। আমি অভিজিতের সাথে একমত এতো কম লেখেন কেন? মুগ্ধ হয়ে গেলাম
আপনার বিশ্লেশনে।
@আফরোজা আলম,
বেশি বেশি লেখার উৎসাহ বোধ করছি। উৎসাহীত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একটা সুন্দর নিবন্ধের জন্য ধন্যবাদ। তবে বিষয়টিকে আরও বিস্তাারিত আলোচনা করার দরকার ছিল।
এ ধরনের এক কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারী এর সাথে কথা হয়েছিল। তার দাবী হাদিস সংকলন করেছে ইহুদি নাসারা গোষ্ঠি ইসলামকে কলুষিত করার জন্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম- তা কি বুঝতে ১২০০/১৩০০ বছর লেগে গেল? কোন সদুত্তর পেলাম না। আমি আরও জিজ্ঞেস করলাম- হাদিসের ওপর ভিত্তি করেই তো মুসলমানরা ইসলামী শরিয়া আইন চালু করতে চায়। তো হাদিস কে বাদ দিলে কিভাবে তা সম্ভব। কারন কোরানে তো আইন কানুনের কথা খুব বেশী লেখা নেই। কোন সদুত্তর পাওয়া গেল না। আমি আবারও প্রশ্ন করলাম-একমাত্র হাদিস ই মোহাম্মদের জীবন কাহিনী কার্যকলাপ ইত্যাদি সংরক্ষন করে এসেছে। যে কারনে তাকে আল আমীন , মহামানব ইত্যাদি অভিধায় অভিষিক্ত করা হয়। তো হাদিস বাতিল করে দিলে মোহাম্মদের ওসব গুনও বাতিল হয়ে যাবে। এবার সত্যি সত্যি লোকটা বিপদে পড়ে গেল। অন্য দিকে- একজন সাচ্চা মুসলমানের বৈশিষ্ট্যই হলো- তাকে কোরান ও হাদিসের ওপর পুর্ন আস্থা রাখতে হবে। না হলে সে মুসলমান না। বিষয়টি বেশ গোলমেলে বোঝা যাচ্ছে। তবে- ইসলাম, কোরান আর মোহাম্মদ যে ভাল গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে এই ১৪০০ বছর পর তা বেশ বোঝা যাচ্ছে এই সব কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারীদের আবির্ভাবে। এটা মুলতঃ ইসলামকে বাচানোর শেষ প্রচেষ্টা। এখন দেখা যাক, ভবিষ্যতে কি ঘটে।
@ভবঘুরে,
কোরান অনলি মতবাদে বিশ্বাসীরা কি বাংলাদেশে আছে? এদের ইতিহাস সম্পর্কে জানা থাকলে কিছু বলুন। আমিসহ পাঠক উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে ওয়েবের কোন লিংক থাকলে দিয়ে দিয়েন।
@ভবঘুরে,
বিস্তারিত লেখার জন্য আপনারা আছেন। ভাই অভ্রতে টাইপ করতে গেলে হাত, মাথা সব ব্যাথা হয়ে যায়। কিভাবে যে আপনারা এত লেখেন জানিনা।
তবে আপনাদের অবদান ও ত্যাগ আমার চেয়ে ভাল কেউ বুঝবেনা। আপনাদের :guru:
@আতিক রাঢ়ী,
আপনাকে অভ্রতে লিখতে কে বলেছে? স্রেফ বিজয় দিয়ে লিখে মুক্ত মনা সাইটের অভ্রতে পরিবর্তনের যে অপশন আছে সেখান থেকে একটা মাত্র কিক করে পরিবর্তন করে নিন। ও হ্যা ওটা আপনি পাবেন মুক্ত মনাতে লেখা পাঠাবার নিয়মের অপশন থেকে। দেখবেন সব একেবারে ফক ফকা। মানে মাছের রাজা ইলিশ আর বাতির রাজা ফিলিপ্স।
@ভবঘুরে,
ধুর মিয়া, অভ্র না আসলে জীবনে যার বাংলায় লেখা হতোনা তারে কন বিজয়ে লিখতে। আমি ভাই অভ্র মোটামুটি সাইজ করে ফেলেছি, কিন্তু র্অ (রেফ) কার টা মাউস ছাড়া দিতে পারিনা। এটা কি বোর্ডে দিতে পারলেই পাস। বুঝলেনতো অবস্থা। কষ্ট কষ্ট করে কেন এত নাঁকি কান্না।
@আতিক রাঢ়ী,
আহেন গো দাদা হিগাইয়া দেই। 😀
যেমন ধরেন আপনে লেখবেন অর্ক। এইডা লেহার জইন্যে লাইগবো পরথমে
অ(o) হের পরে হইল গিয়া পরপর দুইডা র(rr) তারপরে দিবেন ক(k)। কি বুঝলেন?
যাই হউক, বহুত অইছে এইবার কিছু খাওয়ান। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
অর্ক—– :rotfl: ইউরেকা। :rotfl:
এত সোজা !!!!!!!!!!!!!!!!! সাইফুল ভাই, বিরাট উপকার করলেন।
খালি কথায় কাম নাই। লন :coffee:
@সাইফুল ইসলাম,
আমি তো পর পর দুই র দিলাম হইলো না তো?
আমার হইলো এভাবে:
shift F (সিফট এফ) তারপর j (জে) shift A (সিফট এ) = অর্ক
ও বুঝছি বুঝছি- অভ্র ফনেটিক দিয়া করতাছেন? হেইডা তো আমার মাথায় আছিল না।
@ভবঘুরে,আমার মনে হয় আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। কোন কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারীর সাথে আপনার কথা হয় নি।
ইসলামী শরিয়া আইন বা মোহাম্মদ আল আমীন , মহামানব কিনা এনিয়ে কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারীদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ইসলামকে বাচানোর কোন প্রচেষ্টাই এদের নেই। কারন এরা ভালভাবেই জানে ইসলামকে বাচানোর জন্য (যদি তেমন কোন দরকার থেকে থাকে) আল্লাহ-ই যথেষ্ঠ। কোরান ওনলি মতবাদের অনুসারীরা ইসলামের প্রথম আমল থেকেই ছিল এবং এখনো আছে। হটাৎ করে এর আবির্ভাব হয় নি। প্রচলিত ইসলামের অনুসারী কর্তৃক এদের দমন পীড়ন ও মৃত্যুদন্ড দেয়ার জন্য , এদের কথা শোনা যেত না। আজো প্রকাশ্যে এদের মতবাদ প্রচার একি কারনে সম্ভব নয়। ইন্টারনেটে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে এরা আজ মুখ খুলতে পেরেছে বলেই , এদের কথা , বক্তব্য জানা সম্ভব হচ্ছে।
@ফারুক,
ইন্টারনেট জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ। ইস্ মুহাম্মদের সময় কেন যে ইন্টারনেট আবিষ্কার হলো না। তাহলে এত ফ্যাসাদ হতো না।
@মাহফুজ,ঠিকি বলেছেন , ইন্টারনেট জিন্দাবাদ। ইন্টারনেটের কাছে আমরা যেমন কৃত্জ্ঞ , তেমনি মুক্তমনার নাস্তিকদের ও কৃত্জ্ঞ থাকা উচিৎ। কারন তারা মুক্তমনায় এমন অনেক মন্তব্য ও পোস্ট লেখেন , যা বাংলাদেশে জনসম্মুখে বল্লে , মার একটাও মাটিতে পড়তনা।
@ফারুক,
এইতো…সাবাশ ফারুক ভাই, নিজের মনের কথাটা বলে ফেলার জন্য। যতই নিজেদের আধুনিকায়ন এর চেষ্টা করুন না কেন মারামারি, রক্তারক্তি আপনাদের রক্তে মিশে আছে। উপরে আতিক ভাই একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন যে এইসব ভন্ড আধুনিক কোরান অনলিদের ভিতর থেকে একটা করে ফুয়াদ ভাই বের হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। হাতে নাতে এমন ফল পেয়ে আমি খানিকটা অবাকই বটে।
যতই ভেক ধরুন না কেন, থলের বেড়াল বের হবেই। আপনার উপরের বক্তব্যই প্রমান করে আপনাদের মত ভন্ড আস্তিকরা মুক্তমনাদের প্রতি কিরকম যুদ্ধংদেহী মনোভাব পোষন করেন। এই আপনারাই আবার শান্তির ধর্মের ধ্বজা বাহক। বাহ্ মচেৎকার। চালিয়ে যান।
@মিঠুন,
আপনি মনে হয় ফারুক ভাইকে ভুল বুঝছেন। উনি শুধু বাস্তবতার কথাই বলেছেন। কোনরকম হুমকি কিংবা উনি নিজে মারধোর করবেন তেমন কথা বলেননি।
উনি নিজেও ওনার বিশ্বাস প্রচারের জন্য বিভিন্নভাবেই হুমকি গালাগালির সম্মুখিন হন। কাজেই এক্ষেত্রে মুক্তমনা এবং ওনার পাবলিক ইমেজে এমন কিছু তফাত নেই। মার শুরু হলে ওনাকে দিয়েই শুরু হবে।
@আদিল মাহমুদ,
উপস্ সরি, আমার বুঝতে আসলেই ভূল হয়েছিল। আমরা না হয় মার খাব আল্লায় বিশ্বাস করি না বলে, কিন্তু ফারুক ভাই এর জন্য দু:খ হচ্ছে এই জন্য যে বেচারা আল্লায় বিশ্বাস করেও বেদম মার খাবে। আমি ফারুক ভাই এর ব্যাথায় সমব্যাথী।
@মিঠুন,
ওনাকে ইতোমধ্যেই সামু আর কোথায় কোথায় যেন সোলেমানী ব্যান মারা হয়েছে 🙂 । আমার ব্লগ নো মডারেশন বলে এখনো টিকে আছেন। আর সদালাপে গেলে তো ওনাকে নিয়ে অনেক কিছুই পাবেন।
বাংলা ব্লগগুলির একটা বড় সংখ্যক পাঠকের ধারনা উনি ইহুদী কাফের নাসারাদের পেইড এজেন্ট।
@আদিল মাহমুদ,
আমি মুক্তমনা বাদে অন্য কোন ব্লগে সাধারনত ঢুকিনা। আপনার কথা শুনে আমি হাসব না কাঁদব কিছুই বুঝতে পারছিনা। সেই রকম কাহিনি শুনাইলেনরে ভাই। সত্যিই বড় বিচিত্র এই জগৎ।
@ফারুক,
এটা কি আর নতুন করে বলতে হয় দাদা? ১৫শো বছরের ইসলামের ইতিহাস তো সেটাই প্রমাণ করে আর বর্তমান ইসলামী বিশ্ব তো আপন চোখেই দেখছি, যার জ্বলন্ত সাক্ষী আপনার এই মন্তব্য।
অন্য একটি ব্লগে আপনি বলেছিলেন- কোরানে জ্ঞানীদেরকে মর্যদা দেয়া হয়েছে। তাইতো ইসলামের প্রথমযূগে জ্ঞান বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি দেখা যায়। ধর্ম যদি বাঁধাই হবে তাহলে এটা হবার কথা ছিল না।
আমি বলেছিলাম-
ইসলামের প্রথমযুগ বলতে ঠিক কোন মানুষের শাসনামল বা কোন সময়টাকে বুঝাচ্ছেন? সেই সময়ের জ্ঞান বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির কিছু উদাহরণ দেবেন কি?
উত্তরে আপনি বললেন এই ভিডিও দেখুন। আপনার কাছ থেকে ইসলামের প্রথমযুগের ইতিহাস আশা করেছিলাম ভিডিও নয়। কোরান আর ইসলামের মহিমা গুন কীর্তন করবেন, প্রচারণা চালাবেন ইউ টিউব দিয়ে? ভিডিওটার কিছু অংশ আমার ৮ বছর বয়সের শিশুর মুটামুটি ভাল লেগেছে, ১৫ বছরের কিশো্রী বলেছে- ওয়েস্ট অব টাইম, আবসুলেড ননসেন্স।
@আকাশ মালিক,
আপনি চাইলেন বিজ্ঞানের উন্নতির উদাহরন , আমি দিলাম ভিডিও লিঙ্ক , যেখানে এই উদাহরন আছে। এখন আপনি বলছেন – “আপনার কাছ থেকে ইসলামের প্রথমযুগের ইতিহাস আশা করেছিলাম ভিডিও নয়।” আসলেই আপনার ও আপনার ১৫ বছরের কিশোরীর মতো জ্ঞানী নই , যেকারনে উন্নতির উদাহরনকে যে ইসলামের প্রথমযুগের ইতিহাস বলে এটা বুঝিনি বলেই এই “আবসুলেড ননসেন্স” ভিডিও দিয়ে ফেলেছি। মুখ্যু সুক্কু মানুষ। এইবারের মতো ক্ষ্যামা করে দিয়েন দাদা বাবু।
@আকাশ মালিক,
সম্ভাব্য উত্তর:
ক) খাবি দাবি আমার আর ঘুর ঘুর করবি আরেকজনে পিছনে?
খ) ইউ টিউবও বানানো হয়েছে, কোরান বিশ্লেষণ করে।
এখন বলুন-
এই ধরনের চারিত্রিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে কী নামে আখ্যায়িত করা যায়?
@ফারুক,
কোরান ওনলি মতবাদের অসারতা প্রমানের জন্য একটি উদাহরনই যথেষ্ট। নবী মোহাম্মদের দাবী- জিব্রাইল ফেরেস্তা দিনে রাতে উড়ে এসে তার কাছে কোরানের বানী বলত। আর কেউ কোনদিন জিব্রাইলকে দেখে নাই একমাত্র মোহাম্মদ ছাড়া। তার মানে একমাত্র মোহাম্মদই সাক্ষী ও দাবিকারী কোরান যে আল্লাহর কিতাব। এখন এ বিষয়টি অন্য মানুষ বিশ্বাস করতে গেলে প্রথমেই সে দেখবে যে দাবি করছে সে লোকটির স্বভাব চরিত্র কেমন ইত্যাদি। যে কোন রহিম করিম যদু মধু এ ধরনের দাবি করলে কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে পাগলা গারদে পাঠানো হবে। তাই না ? এখন মোহাম্মদ যে মহান সত্যবাদী আল আমীন, শ্রেষ্ট মহামানব এ বিষয়টি কিন্তু হাদিস ছাড়া প্রমান করা যাবে না। কারন অন্য কোনভাবেই মোহাম্মদের জীবনী কেউ সংরক্ষন করে রাখেনি। এখন আপনি যদি হাদিসকে ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেন তাহলে মোহাম্মদের সত্যবাদিতা আর মহামানবত্বের কিচ্ছাও কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছেন সাথে সাথে যা আপনারা বুঝতে পারছেন না। তখন মোহাম্মদ কিন্তু রহিম করিম যদু মধুর চাইতে আর বেশী কিছু থাকছে না। এমতাবস্থায়, তার কোরানকে ঐশি কিতাব দাবির যৌক্তিকতা বা বিশ্বাস যোগ্যতা কতটুকু থাকে? দয়া করে বলবেন কি ? সেক্ষেেত্র তো হাদিসের মত কোরানও উড়ে যাওয়ার পর্যায়ে চলে যায়, তাই না ? মনে হয় কোরান ওনলি মতবাদের বিরোধিতা যারা করে তারা বিষয়টির নিহিতার্থ বুঝতে পারে বলেই বিরোধিতা করে। আর তারা তা করে বলেই ইসলাম আর কোরান এখনও টিকে আছে। কোরান ওনলি মতবাদীরা পাল্লায় ভারী হলে হাদিসের সাথে কোরান অনেক আগেই দুনিয়া থেকে উবে যেত। আর মানবজাতি রা পেত এ ধরনের একটা আজগুবি মিথের হাত থেকে। মুসলমানরাও তাহলে এতদিনে অন্যান্য উন্নত জাতিগুলোর মত বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নতি করে দুনিয়ার বুকে মাথা তুলে দাড়াত। তারা তাদের মহামূল্যবান মস্তিষ্ক ও অর্থ সম্পদকে আর কোরান হাদিস চর্চার মত অর্থহীন কাজে ব্যয় না করে বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগাত। আমরাও তাহলে আর একটা হত দরিদ্র দেশের নাগরিক থাকতাম না। কতই না ভাল হতো বলেন ?
@ভবঘুরে,আপনি মুহম্মদের আল আমীন বা শ্রেষ্ঠ মহামানব এই সকল টাইটেলের পরে অহেতুক গুরুত্ব দিচ্ছেন। এগুলির যদি এতই গুরুত্ব থাকবে , তাহলে মক্কায় রসূলের উপর বা কয়েকবছর চেষ্টার পর ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হাতেগোনা কয়েকটি মুসলিমকে এত নির্যাতন সহ্য করার কথা না বা মক্কা থেকে বিতাড়িত হওয়ার কথাও নয়। যেহেতু তিনি আল আমিন , সর্বশ্রেষ্ঠ , সেহেতু সকলেরি তাকে বিশ্বাস করে মুসলমান হয়ে যাওয়ার কথা। নয় কি?
আপনার দাবীর অসারতা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
ইসলামের শুরু থেকেই যারা মুসলমান হয়েছে , তারা কোরানের বানীতে মুগ্ধ হয়েই মুসলমান হয়েছে , মুহম্মদের সত্যবাদীতায় মুগ্ধ হয়ে নয়। কোরানের বানী অনুযায়ী কাউকে সত্যপথে আনার ক্ষমতা মুহম্মদের ছিল না , এমনকি নিজের আত্মীয়দের ও।
আগেই বলেছি এমন দাবী কোন কোরান ওনলি করেনা।
আপনি চিঠির বক্তব্য নাকি চিঠির বাহক , কাকে গুরুত্ব দেবেন , তারপরেই নির্ভর করছে মোহাম্মদ রহিম করিম যদু মধুর চাইতে আর বেশী কিছু থাকার দরকার আছে কি না। একটা কথা মনে রাখবেন কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী মুহম্মদের নিজের ভবিষ্যত জানা নেই , তার নিজের বা অন্যের ভাল বা ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই। তার একমাত্র কাজ হলো কোরানের প্রচার।
কোরান উবে যেত কেন বুঝলাম না। অন্যান্য উন্নত জাতিগুলোর বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নতি করে দুনিয়ার বুকে মাথা তুলে দাড়ানোর জন্য ধর্মকে পরিত্যাগ করা লাগে নি। আবার একি ধর্ম পালনকারী বহু দেশ দরিদ্র রয়ে গেছে। ধর্ম আমাদের দেশকে কিভাবে হতদরিদ্র বানিয়েছে , যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন , তাহলে আপনার দাবী যতার্থ হোত।
@ফারুক,
ভাই, মুক্ত মনাতে সবাই নাস্তিক না। অনেকেই আস্তিক তবে তারা বোধ হয় প্রেরিত পুরুষ, ঐশি কিতাব এসব আজগুবি ধারনায় বিশ্বাস করে না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সেই দলে। কারন, সৃষ্টি রহস্যের এমন একটা পর্যায় আছে যা বিজ্ঞানীরা এখনও ব্যখ্যা করতে পারেনি। আর পারবে বলেও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অনেকেই দেখেছি বিজ্ঞানীদের নানা থিসিস কে অনেক সময় থিওরী ভেবে ভুল করে সৃষ্টি রহস্যের সব কিনারা হয়ে গেছে বলে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো- সৃষ্টি রহস্যের কিনারা এখনও বহু দুর অস্ত। প্রেরিত পুরুষ বা ঐশি কিতাবে অবিশ্বাসের কারন, প্রেরিত পুরুষ বা তাদের কথিত ঐশি কিতাবে বহু স্ববিরোধিতা, অতিরঞ্জন, অতি কথন, অবৈজ্ঞানিক কথা বার্তা আছে। যা আমাদেরকে বাধ্য করে তাদের ওপর থেকে আস্থা উঠিয়ে দিতে। উদাহরন স্বরূপ, ইসলামের প্রবর্তক মুহাম্মদের অনেক নিরীহ জনপদে অকস্মাৎ আগ্রাসী আক্রমনকে আত্মরা মূলক যুদ্ধ বলে অপপ্রচার করা হয়েছে, তার ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করাটা অমানবিক মনে হয়েছে যদিও আপনাদের মত মানুষ আবার তাকে গায়েবী আদেশ বলে অকাতরে বিশ্বাস করেছে, তার পালিত পূত্র জায়িদের স্ত্রীকে কৌশলে বিয়ে করাটা জঘন্যতম মনে হয়েছে যেখানে আপনাদের মত মানুষের কাছে তা আল্লাহর কোন নিদর্শন মনে হয়েছে, কুরানে ভাষাগত ব্যকরন গত অনেক ভুল আছে, পৃথিবীকে সমতল বলা হয়েছে, আকাশকে কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ বলা হয়েছে, উল্কা খন্ডকে শয়তান তাড়াবার অস্ত্র হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে, পাহাড় পর্বতকে পৃথিবীকে নড়াচড়ার হাত থেকে বাচানোর জন্য সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে, পথ ঘাট আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন বলা হয়েছে, নারীদেরকে অকাতরে অপমান করা হয়েছে, অমুসলিমদের প্রতি জঘন্য ঘৃণা ও হিংসামূলক কথা বলা হয়েছে, তাদেরকে জিহাদের নামে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে খুন করতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্দি নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ধর্ষণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনাচার করার কথা বলে প্রকারান্তরে দাসপ্রথার মত জঘন্য অমানবিক প্রথাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে, অভিব্যক্তিবাদের মত প্রমানিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে আদম হাওয়া তত্ত্বের বর্ননা করা হয়েছ্।ে এরকম একটা কিতাব কিভাবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহর হতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ হলো আপনার কথিত বাহকের চিঠির প্রকৃত বক্তব্য। এ বিষয়ে এ মুক্তমনা সাইটেই অনেক লেখা হয়ে গেছে। আমি খেয়াল করে দেখেছি এ ধরনের স্ববিরোধিতা মূলক ও অবৈজ্ঞানিক যে সব বিষয় কোরানে আছে আপনি সজ্ঞানে সেসব বিতর্ক এড়িয়ে গিয়ে ধোয়াসাপূর্ন বিষয়গুলো নিয়েই বেশী আলোচনা মুক্তমনা সাইটে করে থাকেন। যেমন বর্তমান বিষয়ে আপনি অনেক কথা বলছেন কিন্তু অবৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে যেসব নিবন্ধ লেখা হয়েছে সেখানে আপনার কোন বক্তব্য নেই। এ থেকে আপনার বিতর্কের কৌশল বোঝা যায়। আমার একটা বক্তব্যের উত্তরে আপনি একটা সাইট দিয়েছেন যাতে আপনি কোরানের রূপক বর্ননা করেছেন বলে দাবি করেছেন। বস্তুত সেটা পড়ে দেখেছি ও ধরনের তেমন কিছুই আপনি করেন নি। আর রেফারেন্স হিসাবে আপনি যে আয়াত দিয়েছেন তা মোটেও রূপক কিছু নয়। ওখানে স্রেফ বৃষ্টি কিভাবে হয় তার বর্ননা করা হয়েছে। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়, বৃষ্টি হলে জীবন বাচে এসব। এর মধ্যে আপনি রূপকের কি দেখলেন বোধগম্য হলো না। আর বৃষ্টি কিভাবে হয় তা কোরান আসার হাজার বছর আগেই মানুষ জানত। এর চাইতে আপনি রবীন্দ্রনাথ বা অন্য কোন নাম করা কবির কবিতা পড়লে ওর চেয়ে বেশী ও সুন্দর রূপক খুজে পাবেন। আপনি কোরানে শুধু মেঘ না বলে কেন মেঘ সমূহ বলা হয়েছে তা ব্যখ্যা করতে গিয়ে নিজের বক্তব্য জাহির করেছেন। মেঘমালা বা মেঘ সমূহ বা মেঘ গুচ্ছ মানে কি তা আপনি জানেন না বলে বোঝা গেছে। আকাশে সব সময় মেঘ সব এক সাথে উড়ে যায় না। যায় অনেক সময় খন্ড খন্ড আকারে বিচ্ছিন্ন ভাবে আর তাকেই বলে মেঘমসূহ বা মেঘ মালা। এতে রূপকের কিছু নেই। আর এই খন্ড খন্ড মেঘ মালা উড়ে যাওয়া দেখে কত কবি কত কবিতা লিখেছে তার কোন ইয়ত্বা নেই। আপনি না বিশ্বাস করলে আকাশের দিকে কিছুন তাকিয়ে দেখতে পারেন। যাহোক, বাস্তবতা হলো- এখানে আপনি যাদের সাথে বিতর্ক করেন তারা এত বেশী পড়াশুনা করেছে আর এখনও করে যে তা আপনার মত মানুষ কল্পনাও করতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমি আগেই বলেছিলাম আস্তিক হতে জ্ঞান সাধনার দরকার নেই কিন্তু নাস্তিক বা উদারপন্থি হতে গেলে প্রচুর জ্ঞান সাধনার দরকার। এত কিছুর পরও যদি আপনাদের মত মানুষ মনে করে কোরান ঐশি কিতাব তাহলে আমরা কিন্তু আপনাদের প্রতি সত্যিই করুনা ছাড়া আর কিছু প্রদর্শন করি না। তখন মনে করি- মানুষের উন্নত মানের মস্তিষ্ক থাকতেও কত নির্বোধ, চোখ থাকতেও কত কানা। কোরানের সেই আয়াতটি আমার আবার বড়ই পছন্দের যেখানে বলা আছে- আমি তাদের হৃদয়ে সীল মারিয়া দিয়াছি। আসলে ওটা হবে আমি তাদের মস্তিষ্কে সীল মারিয়া দিয়াছি। মোহাম্মদ জানতেন না যে, মানুষ আসলে চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস, অবিশ্বাস সব কিছুই মস্তিষ্ক দিয়ে করে হৃদয় দিয়ে নয়। তার জানার কথাও নয়।আর এটাও কিন্তু একটা বিজ্ঞান গত ভূল যা মোহাম্মদ তার কোরান বলতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। তো আপনার মত মানুষের মস্তিষ্ক সীল মারা, তাই কোরানের মত একটা অর্থহীন গ্রন্থকে ঐশি কিতাব বলে প্রচার ও প্রমান করতে গিয়ে আপনার ও আপনার মত আরও অনেকে তাদেও মূল্যবান মস্তিষ্কের অযথাই অপচয় করছেন। দয়া করে এটা আপনারা বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির দিকে কাজে লাগান , তাহলে দেশ ও জাতি অনুন্নতি ও দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবে।
অধিকাংশ অমুসলিম দেশ হয় উন্নত নয়ত উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, কিন্তু কোন মুসলিম দেশই উন্নত নয়। এ থেকে মুসলিম আর অমুসলিমদের তফাত টা বুঝে নিন। তার পরেও কিন্তু আপনারা দমে যান না। তখন তারস্বরে প্রপাগান্ডা ছড়ান- অমুসলিমরা কোরান আর হাদিস ঘেটেই নাকি উন্নতি করেছে। তাহলে সেই কোরান আর হাদিস ঘেটে আপনারা কেন উন্নতি করতে পারেন না ? আপনারা কেন দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছেন? বলতে পারেন? আপনারা শুধু জ্ঞানে ও অর্থে নয়, মনেও ভীষণ দরিদ্র। অমুসলিমরা বহু পরিশ্রম, মেধা আর অর্থ খরচ করে তাদের দেশ ও জাতিকে জ্ঞান ও অর্থনীতিতে উন্নত করল, আর আপনারা তাদের কৃতিত্বের জন্য প্রাপ্য সম্মান টুকু দেখানোর মতও উদারতা দেখাতে পারেন না , বলেন – কোরান গবেষণা করে নাকি তারা উন্নতি করেছে। অথচ কোরানের কোন আয়াত গবেষণা করে উন্নতি করেছে তা জিজ্ঞেস করলে আবার মুখে কুলুপ এটে বসে থাকেন। বস্তুত আপনাদের মত ধুরন্ধর ও ধর্মব্যবসায়ী কতিপয় মানুষের জন্যই মুসলমান জাতি গোষ্ঠির এ অধঃপতন। সাধারন মানুষকে ধর্মের আফিম সেবন করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন আর নিজেদের আখের গোছান। দেশ ও জাতি রসাতলে নাকি জাহান্নামে গেল তা নিয়ে আপনাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। আপনাদের মত ধুরন্ধর মানুষের হাত থেকে সাধারন মানুষ যত তাড়াতাড়ি রেহাই পাবে ততই দেশ ও জাতির মঙ্গল।
@ভবঘুরে,
আপনি নিশ্চিত আমার বিতর্কের কৌশল বুঝে ফেলেছেন? ২/১টা উদাহরন দেন কোথায় ধোয়াসাপূর্ন বিষয়গুলো নিয়েই বেশী আলোচনা মুক্তমনা সাইটে করেছি।
আপনার তো অদ্ভুত পর্যবেক্ষন ক্ষমতা। গায়েবি খবর ও জানেন দেখি। আমি যে ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ী , এত কষ্ট করেও লুকানো গেল না!! আমাদের মত ধুরন্ধর মানুষের হাত থেকে সাধারন মানুষ কিভাবে তাড়াতাড়ি রেহাই পাবে , সে সম্পর্কে একটু আলোকপাত করুন। ভালো থাকুন।
@ফারুক,
চিঠির বাহকের অবশ্যই একটা গুরুত্ব আছে। কেউ চোর-বদমায়েশ লোককে নিশ্চয়ই চিঠির বাহক নিয়োগ করেনা। এমনকি পোস্টাল সার্ভিস থেকে যারা চিঠি লোকের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদেরকেও নিয়োগ দেয়া হয় বিভিন্ন পরীক্ষা এবং ভেরিফিকাশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি যে চিঠির বাহকের কাজটাও কিন্তু বেশ একটা দায়িত্ব সম্পন্ন কাজ হিসেবে বিবেচিত।
এখন আমার প্রশ্ন হলো আল্লাহ কিসের উপর ভিত্তি করে বা কোন ক্রাইটেরিয়াতে মোহাম্মদকে চিঠি বাহক হিসাবে নিয়োগ দিলেন? এর নিশ্চয়ই কোন কারন আছে। নাকি আপনি বলতে চাচ্ছেন আল্লাহ রহিম করিম যদু মধু যে কোন একজন লোককে রেনডম্লি সিলেক্ট করে তাকে কোরানের প্রচারের গুরুদায়িত্ব দিয়ে দিলেন। কারন আপনি বলেছেন তার (মোহাম্মদ) একমাত্র কাজ হলো কোরানের প্রচার। এখানে মোহাম্মদ যে শুধু চিঠি বাহক তা নয়, চিঠির বিষয়বস্তুও লোককে জানান দেওয়াও তাঁর কর্তব্য ছিলো।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সাধারনত চিঠি পোস্ট করার সময় বা চিঠি যখন পাই , তখন চিঠির বাহকের চারিত্রিক সার্টিফিকেট কেউ খোজ করে বলে আমার জানা নেই। আপনার কথা বলতে পারিনা। আমাদের দেশে সরকারি কর্মচারিরা পরীক্ষা এবং ভেরিফিকাশনের মাধ্যমেই নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। এরপরে কয়জন সৎ থাকে , গবেষনার বিষয়।
আল্লাহ কিসের উপর ভিত্তি করে বা কোন ক্রাইটেরিয়াতে মোহাম্মদকে চিঠি বাহক হিসাবে নিয়োগ দিলেন , তা আল্লাহই ভালো জানেন। কোন বিশেষ কারন আছে কিনা বা আল্লাহ রহিম করিম যদু মধু যে কোন একজন লোককে রেনডম্লি সিলেক্ট করে তাকে কোরানের প্রচারের গুরুদায়িত্ব দিয়ে দিলেন কিনা , সেই উত্তর আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন নয়।
14:11 Their apostles answered them: “True, we are nothing but mortal men like yourselves: but God bestows His favour upon whomever He wills of His servants. Withal, it is not within our power to bring you a proof [of our mission], unless it be by God’s leave-and [so] it is in God that all believers must place their trust.
@ফারুক,
চিঠির বাহকের সাথে নবুয়তের ব্যবধান আছে। যেহেতু কোরান অবতরণ অলৌকিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে বলে দাবি করা হয় আর মুহাম্মদই কোরানের অলৌকিকতার মূল দাবিকারক তাই মুহাম্মদের ব্যাপারটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কোরানের নামে মূহাম্মদ ভাঁওতাবাজি করেছেন কিনা তা অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে।
আরেকটি কথা, একটু ভিন্নভাবে বলি। মনে করেন একজন মানুষের কাছে কোরান নিয়ে যাওয়া হল। সে কোরান সম্পর্কে কিছুই জানত না বা কোরান সম্পর্কিত কোনো বিশ্বাস বা অবিশ্বাস তার ছিল না। এখন বলেন লোকটা কিভাবে নিশ্চিত হতে পারে যে কোরান অলৌকিক গ্রন্থ??
আরেকটা কথা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই- আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে কোরান অলৌকিক গ্রন্থ??
@সৈকত চৌধুরী,
আমি কোরান পড়েই নিশ্চিত হয়েছি যে , কোরান অলৌকিক গ্রন্থ। আমি নিশ্চিত হয়েছি বলেই যে আপনি ও নিশ্চিত হবেন এমন কোন কথা নেই। কোরানের বক্তব্যই আমার কাছে অলৌকিক মনে হয়।
@ফারুক,
যেই গ্রন্থে আপনার আমার মা বোন দের ধর্ষণ করা কে হালাল করা হয়, যুদ্ধে পাওয়া নারীদের গণিমতের মাল ঘোষণা করা হয়, রাজাকারদের কাজের বৈধতা দেয়া হয়, সেই গ্রন্থের রচয়িতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। অলৌকিক সত্তারও যে সেক্স প্রবনতা আছে সেটা কল্পনা করে আমি বিস্ময়ে অভিভূত হই!!
@তানভী,কোন গ্রন্থে? আপনি শিওর এমন কিছু আছে ঐ গ্রন্থে? নিজে পড়েছেন ঐ গ্রন্থ? আপনার বক্তব্যে আমি ও বিস্ময়ে অভিভূত।
@ফারুক,
নিয়োগ দানের ভিত্তি আপনার জানা নেই ভালো কথা। আর আল্লাহ যে মোহাম্মদকে চিঠি বাহক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন সেটা আপনি স্বীকার করছেন। কিন্তু এই নিয়োগ দানের বিষয়টা আপনি জানলেন কি করে সেটা বোধগম্য হলোনা। এই নিয়োগ পত্রের কোন কপি কি আপনি প্রমান হিসেবে দেখাতে পারবেন?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কোরান থেকেই , এই নিয়োগ দানের বিষয়টি আমি জেনেছি। যেহেতু কোরান পড়ে আমার ধারনা হয়েছে , কোরান সত্য, সেকারনে অন্য কোন নিয়োগ পত্রের কপি আমার জানার প্রয়োজন মনে করি না।
আপনি ঠিক কি ধরনের নিয়োগ পত্রের কপি আশা করেন , যা পেলে সন্তুষ্ট হবেন? একটু জানাবেন কি?
@ফারুক,
ভালো কথা, চিঠিটি পড়ে আপনি জানতে পারলেন যে কে চিঠিটি পাঠিয়েছে। তার মানে যদু-মধু-কদু যেই আপনাকে চিঠি দিল, আপনি যাচাই বাছাই না করে চিঠিতে যা আপনাকে করতে বলা হলো তাই আপনি করা শুরু করে দিলেন। সেটা যা হউকনা কেন, পা উপরের দিকে দিয়ে গাছে ঝুলে থাকতে বললো, তাই আপনি করা শুরু করে দিলেন। আপনার কি একবারও মনে হলোনা যে সেই যদু-মধু-কদু আপনাকে ঘোলা পানি খাওয়াচ্ছে কিনা, অথবা যে আপনাকে পত্র পাঠিয়েছে বলে আপনি মনে করছেন সে আদৌ এই লোককে দিয়ে পত্র পাঠিয়েছে, নাকি পত্র বাহক একজন বোগাস লোক, নিজের নাম-ধাম পৃথিবীতে ছড়াবার জন্য নিজেই চিঠি বানিয়ে এনেছে।
আপনাকে জানিয়ে কোন লাভ আছে কি? আপনারতো একটাই উত্তর ‘কোরান’। এটা একটা বেশ মজার জিনিষ, কোন কিছুই ব্যাখ্যা করার ঝামেলা নাই। সব কিছুর একটাই উত্তর ‘কোরান’।
কি ধরনের নিয়োগ পত্রের কপি পেলে আমি সন্তুষ্ট হব সেটা যখন আপনি জানতে চাচ্ছেন তখন বলি, ‘কোন আসমানী কিতাব ছাড়া’ পৃথিবীতে রচিত অন্য কোন ডকুমেন্ট যেটা প্রমান করবে যে পত্র বাহক এবং পত্র দুটোই অথেনটিক্। এই প্রমান আপনার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়, কারন আপনাদের সব প্রমানইতো আসমানী। পৃথিবীতে ঐশী অথবা আসমানী ডকুমেন্ট দিয়েতো আর কোন কাজ-কারবার বা লেন-দেন হয়না।
কোরান অনলীদের মতবাদে আমি বিশ্বাসী না হলেও (কারন কোরানের অনেক আয়াতের মানে বোঝার জন্যই কোন না কোন এক্সটারনাল সোর্স ছাড়া গতি নেই) এনাদের মাঝে যে সংস্কারবাদী মানসিকতা আছে সেটা সবার মাঝে থাকলে মনে হয় না আজ ধর্ম নিয়ে আমাদের এত লেখালেখিতে নামতে হত।
যুগের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার কারনেই এনারা আজকাল হাদিস বা অন্য ইসলামী ইতিহাস অস্বীকার করছেন- এই অভিযোগ কিন্তু এনারা কড়াভাবে অস্বীকার করেন। ওনাদের মতে কোরান অনলীরা সবসময়ই ছিল। যুগের চ্যালেঞ্জের সাথে এর সম্পর্ক নেই।
দেখি, বিশিষ্ট কোরান অনলী ফারুক ভাই এখানে আসেন কিনা। তাহলে হয়ত অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। এক পক্ষের কথা আর কথা বলা বা শোনা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
কোরানে আল্লাহ নিজেই বলেন- “কোরানকে আমি সহজ সরল ভাষায় নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পারো।”
এমনই সহজ সরল যে, কোন একটি আয়াতকে বুঝবার জন্য কত তফসির যে বের হয়েছে তার হিসেব নেই। একদল একটা তাফসির মানে তো আরেক দল মানে না।
বলা হচ্ছে “যাতে তোমরা বুঝতে পারো”- বুঝতে পারে না বলেই এত এক্সটারনাল সোর্স।
এতে কী আল্লাহর কথা মিথ্যা হয়ে গেলো না?
@আদিল মাহমুদ,আমাকে বিশিষ্ট কোরান অনলী বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন। আমি বিশিষ্ট কেউনা। আমার ধর্ম জ্ঞানের দৌড় গত পাচ বছর। আমার নিজের কোন অবদান নেই। অন্যের লেখা মূলত অনুবাদ করেই , যা কিছু ব্লগে লিখে থাকি।
আতিক রাঢ়ী সাহেবের এই লেখাটি তার নিজস্ব চিন্তার ফসল এবং কোরান অনলিদের নিয়ে খুব বেশি গবেষনা করে যে এই পোস্ট লিখেছেন তা মনে হয়না। তিনি নিশ্চিত যে , কোরান কোন ঐশীগ্রন্থ নয় এবং এই ধারনা মাথায় রেখেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। কোরান নিয়ে তিনি নিজে গবেষনা করেছেন কিনা আমি জানি না। যদি করে থাকেন এবং তারপরে কোরান সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন করে থাকেন , তাহলে তাকে সাধুবাদ জানাই। অন্যথায় তার নিজের কথা , “প্রজ্ঞা থেকে জ্ঞাণে” উন্নীত হওয়ার দোষে তিনি নিজেই দোষী।
এখানেই উনি সবচেয়ে বড় ভুলটি করেছেন। কোরানের তাফসিরের কোন প্রয়োজন নেই। যারা কোরানকে সত্য হিসাবে মানে তারা তাফসির করতে পারে না। কারন তাফসির করা মানেই আল্লাহর কথা মিথ্যা প্রমানিত হওয়া। আল্লাহ কোরানেই বলেছেন,
কোরান বোঝার জন্য আরবি জানা লাগবে বা তাফসীরের প্রয়োজন , এটা ভুল কথা। কারন , রসূলের সময় তার আশেপাশের সকলেই আরবি জানত এবং রসূলেরমতো সর্বোত্তম তাফসিরকারকের তাফসীর শোনার পরেও বহু আরব কাফের রয়ে গিয়েছিল। কোরান বোঝার জন্য চাই চিন্তাশীল মন।
আরেকটি ভুল ধারনা হলো – কোরান অনলিরা হাদীসকে বাদ দিয়েছে , মান বা সম্ভ্রমবোধ থেকে বা হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস ত্রুটিপূর্ন , এসকল কারনে নয়। কোরান অনলিরা মনে করে যেহেতু কোরান সম্পুর্ন এবং একজন মুসলিমের পরকালে মুক্তির জন্য যা কিছু দরকার সবি কোরানে আছে , সে কারনে হাদীসের দরকার নেই।
একটা সময়কে বোঝার জন্য হাদীসের গুরুত্ত্ব অপরিসীম। একথার সাথে একমত। তবে হাদীস শোনাকথা , রুপকথা , সেই সময়ের স্বার্থান্বেষী মহলের রসূলের নামে বানানো কথার উপর ভিত্তি করে রচিত। তাই এর ঐতিহাসিক মূল্য কতটা , তা নিয়ে তর্ক করাই যায়। দেখুন পরকালে যার যার কর্মফলের উপরেই তার বিচার হবে। একারনে আয়েশা, জায়েদ, জয়নবদের ইতিহাস জানলেই বা কি আর না জানলেই বা কি? এরা বা রসূল ও আমাদের কোন উপকারে আসবে না। মূসার লাঠি মমি ছিল কিনা তা জানা না জানার ফলাফল একি।
একটা কথা বলেই শেষ করব। ইসলাম বা কোরানকে যুগোপযোগী করার দায় কারো নয়। কোরান যুগোপযোগী সকল সময় ছিল ও আছে। আমি তো আজকের যূগের মানুষ। আমি যদি কোরান মানতে পারি , তাহলে এর অর্থ দাড়ায় কোরান ব্যাকডেটেড হয়ে যায় নি। সকলেই যে কোরান বুঝবেনা এবং পড়লেও যে সকলে বিশ্বাসী হয়ে উঠবেনা , এটাও কিন্তু কোরানেরি বানী। তাই আমি অন্তত হতাশ নই।
@ফারুক,
ফারুক সাহেব, কোরানকে অলৌকিক গ্রন্থ প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনাদেরই কারণ আপনারাই তা দাবি করেন। আপনারা যদি কোরানকে অলৌকিক বলে প্রমাণ করতে না পারেন তবেই কিন্তু খেল খতম। আচ্ছা এমন কিছু নিখুঁত প্রমাণ দেন তো যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে কোরান আলৌকিক গ্রন্থ বা আল্লা প্রেরিত গ্রন্থ। আশা করি আমাকে হতাশ করবেন না। ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
তর্কের খাতিরে যদি বলি , তাহলে কোরান যে অলৌকিক গ্রন্থ , তা কিন্তু প্রমান হয়েই গেছে। বিশ্বের শতকোটি মুসলমান একে অলৌকিক গ্রন্থ বলেই বিশ্বাস করে । এর থেকে বড় প্রমানের দরকার আছে কি? কই রবীন্দ্রনাথের গীতান্জলিকে কেউতো অলৌকিক গ্রন্থ বলে না বা দাবী ও করেনা।
সত্যি কথা হলো শত কোটি মানুষ বল্লেই যে সেটা সত্যি হয়ে যাবে সেটা আমার জন্য কন্ভিন্সিং নয়। আমি নিজেও শিওর নই ঠিক কত শতাংশ মুসলমান কোরানকে বুঝে শুনেই অলৌকিক গ্রন্থ মানে। কেউ বলছে এটা অলৌকিক গ্রন্থ , আবার কেউ বলছে এটা অলৌকিক গ্রন্থ না। কাকে বিশ্বাস করব? বিশ্বাস করার দরকারি বা কি? বিশ্বাস করে যে ঠকব না তার নিশ্চয়তায় বা কি? সে কারনে লোকের মুখে ঝাল না খেয়ে , আল্লাহ/ভগবান যখন আমাকে বুদ্ধি বিবেচনা দিয়েছেন বা বিবর্তনের মাধ্যমে যখন বুদ্ধি বিবেচনা লাভ করেছি , তখন সেটার সদ্ব্যবহার করা উচিৎ নয় কি?
কোরান যখন নিজে বলছে , এটা সত্য , এটা মির্যাকল এবং শত কোটি মানুষ একে সত্য বলেই মানছে , তখন গুরুত্বের সাথে কোরান পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন। অতঃপর আপনার যদি মনে হয় কোরান বোগাস , তখন আমি বা অন্য কেউ কোরানের স্বপক্ষে হাজার প্রমান দিলেও যেমন লাভ নেই , তেমনি আপনার কাছে সত্য মনে হলে , কোরানের বিপক্ষে হাজার প্রমান দিলেও লাভ হবে না।
কোরান নামক মির্যাকল আপনার সামনেই। কোরানের প্রমান কোরান নিজেই। আশা করি হতাশ হবেন না , যদি সত্যই আপনার সত্য জানার ইচ্ছা থাকে।
@ফারুক,
আচ্ছা ফারুক সাহেব, আপনারা বিতর্কের সময় শিশুর মত হয়ে যান কেন??(আপনাকে আঘাত দিতে চাচ্ছি না, সত্যিই দুঃখ হচ্ছে) শতকোটি মানুষ কোরানকে অলৌকিক গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করে বলেই কোরান কিভাবে অলৌকিক গ্রন্থ হয় তা ছোটবেলায়ও আমার বোধগম্য হয় নাই। এখন আন্যান্য ধর্মগ্রন্থ যেগুলো কোটি কোটি মানুষ অলৌকিক বলে বিশ্বাস করে সেগুলোর কি হবে?? বাস্তবতা ভোট দিয়ে নির্ধারিত হয় না। একসময় পৃথিবীর সকল মানুষই বিশ্বাস করত সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে তাই বলে এটা কি সত্যি হয়েছে?? আপনারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না আবার বলবেন শতকোটি মানুষ বিশ্বাস করে বলে এটা অলৌকিক অথবা বলবেন কোরানের অলৌকিকতার প্রমাণ কোরান নিজে — একটু ভাল করে ভেবে দেখুন এসব কথার কোনো মানে আছে কি??
আপনি নিজেই যে যুক্তি দিলেন তা আবার পরের প্যারায় নিজেই খণ্ডণ করছেন।
আমার কাছে কোরান পড়ে বোগাসই মনে হয়েছে। এখন আপনি উপযুক্ত প্রমাণ দিলে আমি কেন তা মেনে নেব না?? আর আপনি যদি তা প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি মেনে না নিয়ে কিভাবে পারব?? কোরান অলৌকিক কি না তা আপনি আগে প্রমাণ করবেন তো, পরে আমি তা মেনে নিলাম কি না দেখবেন।
এরকম কথা বিনোদন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। কোরানের প্রমাণ কোরান নিজেই এ ধরণের কথার অর্থ কি?? আর হতাশ না হয়ে পারলাম না কারণ কোরানের অলৌকিকতার স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণই আপনি হাজির করতে পারেন নাই কিন্তু। অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
সেগুলো ও ঐশী গ্রন্থ হবে।
আপনার কাছে বোগাস মনে হওয়ার পরে আবার আমার কাছে প্রমান চাচ্ছেন কেন? নিজের উপরে আস্থা নেই? আমি তো আগের কমেন্টেই বলেছি – “অতঃপর আপনার যদি মনে হয় কোরান বোগাস , তখন আমি বা অন্য কেউ কোরানের স্বপক্ষে হাজার প্রমান দিলেও লাভ নেই ।”
@ফারুক,
কোটি কোটি মানুষ বিশ্বাস করলেই তা ঐশী হয়- এ সূত্র কোত্থেকে আবিষ্কার করলেন?? :hahahee:
আর প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ যে কোটি কোটি মানুষ ঐশী বলে বিশ্বাস করছে না এতে কি তাহলে এগুলো ঐশী নয় বলে প্রমাণিত হয় না?? (আপনাকে অনুসরণ করে বলছি) আসলে যেকোন ধর্মগ্রন্থকে ঐশী বলে বিশ্বাস করা লোকের চেয়ে তা অবিশ্বাস করার মত মানুষ কয়েক গুণ বেশি।
নিজের উপর আস্থা আছে কি না এটা এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। হাজার প্রমাণের কথা বলে একটাও প্রমাণ দিবেন না এটা কি হয়?? আর আপনার প্রমাণ উপযুক্ত হলে তা মানব না কেন?? আমি আপনার কাছ থেকে প্রমাণ আশা করেছি। ভাল থাকবেন।
@ফারুক,
😥 😥 😥
@আশিকুর রহমান, নিজের জন্য ও কিছু কান্না জমা রাখুন। কে জানে কখন কার দরকার পড়ে!!
@ফারুক,
আতিক রাঢ়ী সাহেব কোরান ভালমতই পড়েছেন, ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কেও ওনার জ্ঞান বাংলাদেশের গড় মুসলমান্দের তূলনায় অনেক বেশী এর প্রমান বহুবার আমি পেয়েছি।
এ লেখা অবশ্যই ওনার ব্যাক্তিগত চিন্তার ফসল। খুব বেশী ভেতরের বিশ্লেষনে যাননি; তাহলে হয়ত আয়াত ধরে ধরে দেখাতে হত কোরান অনলী মতবাদের সমস্যা।
তবে এটা ঠিক যে উনি এই লেখার আগেই ধরে নিয়েছেন যে কোরান কোন ঐশ্বী বা অভ্রান্ত গ্রন্থ নয়। আমার কাছে একটু অবাক লেগেছে যে ওনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে যে তিনি আশা করছিলেন যে কোরান অনলীরা যে খোলা মন নিয়ে হাদিস প্রত্যাখ্যান করে তেমনি একই মানসিকতা নিয়ে কোরানও প্রত্যাখ্যান করবে 🙂 ।
সেটা কোরান অনলীদের থেকে আশা করা কিভাবে জানি না। তাহলে আর মুসলমান দাবী করারই তো মানে হয় না।
আপনি কোরান কতটুকু মানেন আমি জানি না। তবে আপনার কোরান ইন্টারপ্রেটশন নিয়ে মূলধারার মুসলমানদেরই কড়া আপত্তি আছে। তাদের মতে আতিকের অভিযোগই সত্য।
আপনি হয়ত কোরান গবেষক হিসেবে বিশিষ্ট নন, তবে ধার্মিক তার্কিক হিসেবে অতি বিশিষ্ট, কারন আপনার মত ঠান্ডা মাথায় ভদ্রভাবে ধর্ম ডিফেন্ডকারির সংখ্যা অত্যন্ত বিরল।
মাহফুজ,
আপনিও একই কথাই বলেছেন তাই এক সাথেই বলি।
““৫৪:১৭ আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?” ”
– এই কথা আমিও জানি। কিন্তু অধিকাংশ মুসলমানে এটা মানে না। কোরানের কন্সেপ্টের মাঝে এমন বড় বড় কনফিউসশনের বীজ আছে যে এসব কথার তেমন গুরুত্ব নেই। কোরানে এ কথা আছে। আবার এমন কথাও আছে যে কোরানের সব আয়াত মানুষ বুঝতে পারবে না। কিছু আয়াত আছে রূপক যা মানুষ কোনদিন বুঝতে পারবে না। এই দুই আয়াত আমার কাছে সাংঘর্ষিক মনে হয়। বিশেশ করে যখন নির্দিষ্ট করে বলা নেই যে এই এই আয়াত রুপক। তারমানে, আপনার যেটাকে খুশী রূপক বলে দায় সারার সুযোগ আছে।
কোরানের আরেক পড়লে মনে হয় যে এটা শুধু আরবী ভাষীদের জন্যই।
আবার অন্য আয়াত পড়লে মনে হয় সমগ্র বিশ্ববাসীর। এসবের কোন যৌক্তিক সমাধান নেই।
@আদিল মাহমুদ,
কাওকে মুসলমান থাকার জন্য বা মুসলমানের খাতায় নাম রাখার জন্য কি কি করতে হবে এটা তার ব্যাক্তিগত আভিপ্রায়। এটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা থাকার কথা না বা উচিৎও না। যুক্তি-তর্ক কিন্তু কেবল মাত্র কোন কিছুকে প্রত্যাখান করার জন্যই করতে হয় না বরং প্রতিষ্ঠার জন্যও করা হয়। কোন হাদিস গুলি ঠিক আর কোনটা অবান্তর তা জানার জন্যই যুক্তি-তর্ক, গবেষনা-অনুসন্ধান এসবের প্রয়োজন।
কিন্তু কোরান জানার জন্য এসব না প্রয়োজন ভিন্ন কিছুর । কারন সততার অভাব। কারন সত্যকে সামনে দাড়াবার সাহসের অভাব। ফলে এড়িয়ে যাবার জন্য নানা ভন্দামী। এই ভন্ডামির সাতকাহনই লিখেছি। আর কিছু না।
লেখায় অন্য কিছু প্রকাশ পাওয়াতে আন্তরিক দুঃখিত।
@আদিল মাহমুদ,
দেখুন ফারুক সাহেব কি বলেছেনঃ
আদিল ভাই, আমি কিন্তু আমার লেখাতে আগেই বলেছিঃ
তাহলে আমি কোরান ওনলিদের মানসিকতা নিয়ে ভাল ভাবে ভাবিনি একথাটা ঠিক না। আমি আসলে আজো ভাল ভাবে কোরান পড়ার উপদেশটার অর্থ বুঝলাম না। এর মানে কি যতদিন না আমার কাছে একে একখানা ঐশি গ্রন্থ মনে হচ্ছে তত দিন পাঠ করা ?
একটা ব্যাপার সবার বোঝা দরকার। যাদের জন্ম মুসলিম পরিবারে, বেড়ে উঠা মুসলিমদের সাথে তারা যখন কোরানেকে মানুষের লেখা গ্রন্থ বলেন তখন পড়ে এবং বুঝেই বলেন। এখানে আগে থেকে সীদ্ধান্ত টানার কিছু নেই, বরং যেটাকে তারা বিশ্বাস করেন সেটা যে বহুলাংশে বা মূলত পৈ্ত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বিশ্বাস, এটাও কেন জানি ভুলে যান।
আমি আসলে বলেছি, তাদের সব প্রগতি, যুক্তি একটা যায়গায় এসে থেকে যায়। হাদিসের সমস্যা খুব সুচারু ভাবে নজরে আসে অথচ কোরানেরটা আসেনা। কারণ কোরানে বলা আছে, এখানে কোন সমস্যা নেই। ব্যাস। আর কিছু জানার দরকার নেই।
আমার প্রচেষ্টা ছিল, আধুনিক চিন্তার সাথে আধুনিকতার ছাপওয়ালাদের চিন্তার এই যে পার্থক্য সেটা দেখান। যাতে অনেকেই বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ফারুক সাহেব আরো যা বলেছেনঃ
অর্থাৎ প্রজ্ঞা থেকে জ্ঞাণে উন্নীত হওয়াটা একটা দোষ। মানে অন্যায়, মানে মিথ্যা, মানে ঠিক না। যা ঠিক না, তা করাও উচিৎ না। মানে কোরান ওনলিরা সেই কাজটা করে না।
এর সত্য- মিথ্যা বিচারের ভার আমি পাঠকদের হাতেই তুলে দিতে চাই। 🙂
@আতিক রাঢ়ী,
ফারুক ভাই কিন্তু প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন- “আমার ধর্ম জ্ঞানের দৌড় গত পাচ বছর। আমার নিজের কোন অবদান নেই। অন্যের লেখা মূলত অনুবাদ করেই , যা কিছু ব্লগে লিখে থাকি।”
আপনি তার বক্তব্যের মধ্যে সামঞ্জস্যহীন খুজে পেয়েছেন। এবং এখানে তা আলোচনাও করেছেন।
এজন্য ধন্যবাদ।
কোরান নিজের সম্পর্কে বলে, “এটা এমন গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই।” কিন্তু বর্তমানে হাজার হাজার মানুষ কোরানকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
এই সন্দেহকারীদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন! তার মানে কোরানকে নিয়ে সন্দেহ করা যাবে না, বিনা শর্তে সেটাকে মেনে নিতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেয়ার মত। কোন প্রকার যুক্তি টুক্তি দেয়া চলবে না।
এই রকম নেহাত শাস্ত্রানুগত্য থেকে নৈতিক চেতনার উদ্ভব ঘটে না কখনো।
পাঠক হিসেবে আমার এটাই উপলব্ধি।
@মাহফুজ,
আপনার উপলব্ধির মধ্যে সততা আছে। আনেকের মধ্যে যেটা নেই।
@মাহফুজ,
পাঁচ বছর সময় কি কিছু কম?? ৫ বছরে এইচ, এস, সি, পাশ একটা ছেলে কোনো একটা বিষয়ে অনার্স করে মাস্টার্স করে ফেলতে পারে। 🙂
আর হ্যা, কোরানকে যতক্ষণ অলৌকিক মনে না হচ্ছে ততক্ষণই এটা পড়ে যেতে হবে। পড়তে হবে, পড়তে হবে, পড়তে হবে। পড়ার কোনো বিকল্প নেই। 😥
@আতিক রাঢ়ী,
আপনি কিভাবে আশা করতে পারেন যে কোরান অনলীরা হাদীস প্রত্যাখ্যানের মত কায়দায় কোরানকেও যুক্তি তর্ক দিয়ে প্রত্যাখ্যান করবে? সেটা কি সম্ভব? তাহলে আর তারা নিজেদের মুসলমান দাবী করবেন কিসের ভিত্তিতে?
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, আপনি বলার পরে লেখাটা আবার পড়লাম। কিন্তু কোথায় এরকম আশা করলাম যে কোরান ওনলিরা যুক্তি-তর্ক দিয়ে কোরান কে প্রত্যাক্ষান করবে, খুঁজে পেলাম না। এরকম কিছু প্রকাশ পেয়ে থাকলে তা আমার ভাব ফুটিয়ে তুলতে পারারই ব্যার্থতা।
সত্যকে জানার প্রক্রিয়া এক এক গ্রন্থের জন্য এক একটা হওয়া উচিৎ না। এটা ভন্ডামী ছাড়া কিছু না। আসলে কোরান ওনলিরা হাদিস ব্যাখ্যা করার সময় একজন আধুনিক ও শিক্ষিৎ মানুষের মত কথা বলেন। এটা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সাবধান করেছি।
মূলত তাদের চিন্তা যে গুহাবাসীদের থেকে খুব বেশী দূর এগোয়নি, সেটাই দেখিয়েছি। যে ব্যাক্তি ২০০ বছর পরে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে হাদীসে বিশ্বাস করেননা সেই আবার জিবরাইলের গল্প মাথায় নিয়ে নাচেন। এগুলি ভন্ডামি। আপনিও যদি এগুলিকে ভন্ডামি মনে করে থাকেন তবে কোন কথা নাই। আর যদি না করে থাকেন তবে আসুন আলোচনা করি।
তাদের সত্যানুসন্ধানের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অন্তন সৎ হওয়া উচিৎ। আগে থেকে ধরে নেয়ার কথা কেন বলছেন বুঝলাম না। আমাকে শিশুকাল থেকে এই গ্রন্থকে মেনে চলতে বলা হয়েছে। সন্মান করতে শেখান হয়েছে। আমি আসলে ধরে নিয়েছিলাম -“ইহা একটি ঐশি গ্রন্থ” কোন কিছু না জেনেই। কিন্তু এখন ধরে নেয়ার প্রশ্ন উঠেনা। বরং উল্টোটাই ঠিক। তারাই আগে ধরে নিয়ে পরে সত্যে পৌঁছাতে চাচ্ছে।
@আতিক রাঢ়ী,
প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস মানেই কিন্তু আগে বিশ্বাস, তারপর যুক্তি। কোন ধর্মবাদীর কাছ থেকে এর উল্টাটা কি আশা করা যায়?
আপনার লেখার পুরো পয়েন্টই হল তারা কোরানকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করছে না, যেটা তারা হাসীদের ক্ষেত্রে করছে। এক্ষেত্রে কিন্তু তারা পরিষ্কার, তারা কোরানকে আল্লাহর বানী, জীব্রাঈল দ্বারা পাঠানো বলে ধরেই নেই।
-কাজেই, আমি তাদের এ ব্যার্থতার মাঝে রহস্যের কিছু দেখি না। আপনি যদি কিছু উদাহরন দিতেন তাহলে মনে হয় আপনার বক্তব্য আরো ভালভাবে ফুটত। এ হিসেবে যে কোন ঐশ্বী গ্রন্থে পূর্ন বিশ্বাস মানেই যুক্তিহীনতা।
@আদিল মাহমুদ,
তারা কোরানকে যাচাই করছেনা বলে আমার মধ্যে কোন আফসোস নেই। অনেকেই আছেই যাদের যাচাই করার ক্ষমতাই নেই। কিন্তু কোরান ওনলিদের সেটা আছে। যার প্রমান তারা হাদিস বিশ্লেষনের সময় খুব রাখেন। কেন তারা তাদের অনুরূপ বিশ্লেষনের মাধ্যমে কোরান কে তুলে ধরছেন না ? খারিজ হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে ?
এই যে আপনার বিশিষ্ট কোরান ওনলি বলা শুরু করেছেন, কোরানের প্রমাণ কোরান সয়ং। আমারাও খুশি, ঠিক আছে বাবা, থাক তুমি তোমার প্রমাণের বহর নিয়ে কিন্তু ময়ুর পুচ্ছ ধারন কোরনা। মানে ছদ্দ বৈজ্ঞানিক আবরন ছাড়।
ভন্ডামী বন্ধ কর।
@আতিক রাঢ়ী,
স্বীকার করতেই হয়, হ্যা, ওনারে কোরানের ক্ষেত্রে একই যুক্তিভিত্তিক এনালাইসিসে পিছিয়ে আছেন খারিক হয়ে যাবার ভয়েই।
তবে ওনারা কিন্তু সেটা আগেই বলে নেন। ওনারা যদি বলতেন যে কোরানে যা কিছু আছে বা কোরানের অথেন্টিসিটি ওনারা ১০০% যৌক্তিক উপায়ে প্রমান করে দেবেন তাহলে আপত্তি করতাম। যে কাজটি আজকাল অনেক আধুনিক আলেম মোল্লা বীর দর্পে দাবী করেন।
কোরান অনলীরা অন্তত হাস্যকর যুক্তি বা মধ্যযুগীয় রীতিনীতি মূল্যবোধের পক্ষে এ আমলে গলাবাজি করে লোক হাসান না। তবে একই সাথে নিজেকে মুসলমান দাবী আর সম্পূর্ন যৌক্তিক উপায়ে কোরান ব্যাখ্যা করা কোনদিন সম্ভব নয়।
@আদিল মাহমুদ,
মুসলমানরা হাস্যকর যুক্তি দিয়ে অনেকদিন ধরে লোক হাসিয়ে চলছেন বলেইতো কোরান অনলীদের আবির্ভাব। ইনারা এখন অন্য ভোল ধরে আরও হাস্যকর ও অবাস্তব যুক্তি দিয়ে লোকের মুখ চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আতিক রাঢ়ীর কমেন্টে দেখুন উনি বলেছেন,
কথাটা সত্য।
আতিক ভাই কম লেখেন সত্য। কিন্তু যা লেখেন তা গভীর চিন্তার ফসল। গভীর সত্যকে এভাবে তুলে আনাটাই আতিক ভাইয়ের কাজ। যেমন- সদা সত্য কথা বলিবে।
পড়ার সময় বানানের দিকে নজর দেবার ফুরসত পেলাম না। লেখার গভীরে ঢুকে গেলে বোধ হয় বানানের দিকে নজর থাকে না। তার আগের লেখাগুলোর মতো এবারও ভালো লাগলো। অনেক বাক্যই মনে গেঁথে রাখবার মত। তার মধ্যে একটি তুলে দিলাম-
@মাহফুজ,
নিজেরাই নিজেদের লেখা পড়ছি। ওনারা চুপ করে আছেন কেন, কিছু বলতে পারেন?
ভুল যে কেউ করতে পারে। বান্দাকে হেদায়াত করা ভাল বান্দার কর্তব্য। আশা ছিল কেউ আসবেন ভুল ধরিয়ে দিবেন।
কি জানি, সময় হয়তো শেষ হয়ে যায়নি।
আর লেখা ভাল হইছে, জেনে ভাল লাগলো। 🙂
এত গভীরে প্রবেশ করে সত্য কথাটা এমন সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন, সকলের পক্ষে তা সম্ভব হয়না। কেউ অপরাধ নিবেন না প্লীজ, মনের ভাবটা অন্য ভাষায় প্রকাশ না করে মনে শান্তি পাচ্ছিনা-
আফনে বাঙ্গিটা আস্তা ফাটাইয়া ফালাই দিছইন।
@আকাশ মালিক,
আকাশ ভাই বাঙ্গিতো কতই ফাটাই, কিন্তু উৎপাদনের যে হার, কুলান মুসকিল।
কি আর করা, চেষ্টাতো করে যেতে হবে।
আপনি হলেন আমাদের বাঙ্গি ফাটান পার্টির সরদার। আপনার উৎসাহ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
@আকাশ মালিক,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@আকাশ মালিক,
:yes: :yes: :yes: 🙂
আতিক ভাইকে নিয়মিত লেখার জন্য এবার টাইস্যা ধরব। তিনি যে কোরান অনলিদের মারাত্মক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ভাবছেন তা তো জানতাম না। :guli:
@সৈকত চৌধুরী,
আসলে কোরান ওনলিরা যে কুচক্রি তা কিন্তু না। তারা মোহাম্মদের কিছু নাজায়েজ কাজকে জায়েজ করার জন্যই হাদিসের পিছে লেগেছেন তাও পুরোপুরি ঠিক না। আমি লেখাতে বলেছি, তারা এক ধরণের প্রবল স্বর্গীয় পেরনা থেকে এটা করছেন।
দেখবেন একটু চাপাচাপি করলেই তাদের ভিতর থেকে একটি করে ফুয়াদ ভাই বেরিয়ে আসবে। ধৈর্য ধরুন এখানেই দেখতে পাবেন। আপাত আধুনিকতার আড়ালে প্রাগৈতিহাসিক ভাস্কর্য। তারা খুব সাচ্ছন্দে আপনার সাথে এমনকি বিবর্তন নিয়েও ইতিবাচক কথা বার্তা চালিয়ে যেতে পারবে।
কিন্তু যেইনা কোরানের ব্যাপার আসবে, ওমনি আং-সাং বলা শুরু করবে।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি ও তা বোঝাই নি।
আর ধৈর্য ধরলাম ও হাতেনাতে ফল পেলাম। :lotpot:
অনেকদিন পরে আতিক রাঢ়ীর কাছ থেকে পূর্ণাংগ একটি লেখা পেলাম। :yes: আপনি এত কম লেখেন কেন?
@অভিজিৎ,
বানান ভুল হবার ভয়ে। 😀
@আতিক রাঢ়ী,
:clap2:
@আতিক রাঢ়ী,
জব্বর একখান কথা কইছেন,,,,,,,, :clap2:
সময়োপযোগী লেখা। চালিয়ে যান। :yes: