হাতে তাদের মারণাস্ত্র,
চোখে অঙ্গীকার
সূর্যকে তারা বন্দী করবে,
এমন অহংকার।
বাইশে সেপ্টেম্বর, ঊনিশশো একাত্তর সাল।
জলদিয়া, চট্টগ্রাম।
রাত এগারোটা। চন্দ্রিমাহীন নিকষ কালো অন্ধকার একটি রাত। সাগরতীরে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রয়েছে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত অল্প বয়েসি চারজন শক্তপোক্ত তরুণ। সবার পরনে সুইমিং কস্টিউম। গামছায় বাঁধা লিমপেট মাইন। ঘামে ভিজে গেছে সবারই দেহ। মুক্তোর মত স্বেদবিন্দুগুলি চিকচিক করছে তাঁদের কপাল আর কপোল। লক্ষ কোটি মাইল দূর থেকে ভেসে আসা নক্ষত্রের ম্লান আলো প্রতিফলিত হচ্ছে সেখানে। অজানা বিপদ আর রোমাঞ্চের আসন্ন সম্ভাবনায় তিরতির করে কাঁপছে চারজনেরই বুক। অন্ধকারে শিকারি চিতার মত জ্বলজ্বল করছে তাদের প্রত্যয়দৃপ্ত চোখগুলো। সুগভীর মনোযোগে উজ্জ্বল চোখগুলো তাকিয়ে রয়েছে গভীর সমুদ্রের দিকে।
দূরে, বহুদূরে বঙ্গোপসাগরের বুকে নোঙর করে রয়েছে তিনটে বিদেশি জাহাজ। দূরবর্তী সেই জাহাজগুলি থেকে ভেসে আসছে অস্পষ্ট আলোর আভা। সাগরের বুকে আলোকিত শহরের মত অলস ভেসে রয়েছে বিশাল জলযানগুলো। এই জলযানগুলোর একটিকে ডুবিয়ে দেবার কঠিন শপথ এবং ইস্পাতদৃঢ় সংকল্প নিয়ে সাগরতীরে জড়ো হয়েছে চারজনের এই ছোট্ট দলটা। শুধু এরাই নয়, একই সময়ে কাছাকাছি জায়গা থেকে আরো সাতজন তরুণও দুটো দলে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্য জাহাজ দুটোকেও সাগরের অতল তলে তলিয়ে দেবার জন্যে।
আমির হোসেন, জয়নাল আবেদীন কাজল, আব্দুর রশীদ এবং হোসেন ফরিদ নামের এই চার তরুণ, মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডো দলের সদস্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নিবিড় নৌ কমান্ডো ট্রেনিং নিয়েছেন তাঁরা মে মাস থেকে। বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল যে পলাশির আম্রকাননে, সেখানেই ভাগীরথী নদীতে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনার জন্য অমানুষিক কঠোর ট্রেনিং করে এসেছেন তাঁরা।
মার্চ মাসে ফ্রান্সের ছোট্ট একটা শহর তুলনের সাবমেরিন ডকইয়ার্ডে সাবমেরিনারদের ট্রেনিং এর জন্য অবস্থান করছিল ফ্রান্স থেকে লিজ নেওয়া পাকিস্তানি সাবমেরিন ম্যাংরো। এর ক্রদের তেরোজন ছিলেন বাঙালি, বাকী আটাশজন পাঞ্জাবি। রেডিও-র সংবাদের মাধ্যমে পঁচিশে মার্চের ক্রাকডাউনের কথা জেনে যান বাঙালি সাবমেরিনাররা। ক্ষুব্ধ সাবমেরিনাররা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেন ম্যাংরোকে হাইজ্যাক করে নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন বা ম্যাংরোকে ধ্বংস করে ফেলবেন গভীর সাগরে নিয়ে এসে। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তাঁরা।
এপ্রিল মাসের এক তারিখে ম্যাংরো পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হবার কথা। আগের দিন বাঙালি তেরোজনের মধ্যে নয়জনই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাংরো থেকে পালিয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তায় এদের মধ্যে আটজন পালিয়ে চলে আসেন ভারতে। এদেরকে হাতে পেয়েই ভারতীয় নৌবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযোদ্ধা ছেলেদের নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো ইউনিট গঠন করার। বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে জড়ো করা হয় তিনশজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাকে। এটা যে একটি আত্মঘাতী মিশন সেটা জেনেও স্বেচ্ছায় এই অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। পলাশিতে খোলা হয় ট্রেনিং ক্যাম্প। পাশের ভাগীরথী নদীই হচ্ছে কমান্ডোদের ট্রেনিং এর জায়গা।
প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হতো ট্রেনিং। শেষ হতো রাত নয়টায়। পিটি, সাঁতার, জুডো, ক্যারাতি সবকিছুই শেখানো হতো সেই ট্রেনিং এ। জাহাজ ডুবানোর জন্য যুগোশ্লাভিয়া থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত দুই হাজার লিমপেটে মাইন কিনে এনেছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। জলের নীচে ব্যবহারের জন্য এর কাঠামোগত পরিবর্তনও করেছিল ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। লিমপেট মাইন বুকে বেঁধে ভ্গীরথীতে সাঁতারও কাটতে হতো কমান্ডোদের। এছাড়া কীভাবে এই মাইনের বিস্ফোরণ ঘটাতে হয় এবং সেইসাথে হালকা অস্ত্রের ব্যবহারও শিক্ষা দেওয়া হতে থাকে সেখানে। আক্রমণ রচনা এবং আত্মরক্ষার কৌশলও শিক্ষা দেওয়া হয় তাঁদেরকে।
এই কমান্ডোরা দেশের ভিতরে নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, মংলা এবং চট্টগ্রামে প্রথম অপারেশন চালায় অগাস্ট মাসের ষোল তারিখে। এই অপারেশনের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন জ্যাকপট’। অপারেশন জ্যাকপটের প্রথম অভিযানেই নৌ-কমান্ডোরা ধ্বংস করে দিয়েছিল ছাব্বিশটি জাহাজকে।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় অপারেশন জ্যাকপটের অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তেইশজনের একটা দল হিসেবে গোপনে বাংলাদেশে ঢুকেছিল আমির হোসেন, হোসেন ফরিদদের দলটি। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর মধ্য থেকে যতগুলোকে সম্ভব ডুবিয়ে দিয়ে বন্দরকে অকেজো করে দেওয়াটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
পলাশি থেকে তাঁদেরকে সামরিক ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় কোলকাতায়। সেখান থেকে সামরিক বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয় আগরতলায়। তারপর রাতের আঁধারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ভিতরে। সীমান্ত অতিক্রম করে অস্ত্রসস্ত্র এবং লিমপেট মাইন নিয়ে সারারাত হেঁটে হেঁটে কমান্ডোরা পৌঁছে যায় ইছাখালিতে। সেখান থেকে দেশি নৌকোয় চড়ে চলে আসে সীতাকুন্ডের সায়েরখালির বেইজ ক্যাম্পে। এই সমস্ত বেইজ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাই কমান্ডোদের থাকা, খাওয়া, নিরাপত্তা এবং পথ পরিদর্শকের ভূমিকা পালন করতে থাকে। সীতাকুন্ড থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কমান্ডোরা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামের দিকে যেতে থাকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পথ ধরে। চট্টগ্রামের নিউমার্কেটের লাকী টেইলার্স ছিল মিলনস্থল। সেখানে পৌঁছোনোর নির্দেশ ছিল সবার উপরে। এখানে পৌঁছানোর পর থেকেই একেকজনকে নিয়ে যাওয়া হতে থাকে একেকটি গুপ্তিস্থানে। তাঁদের বহন করা লিমপেট মাইন এবং অস্ত্রসস্ত্রগুলো ভিন্নপথে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। আমির হোসেনের গুপ্তিস্থান ছিল সিটি কলেজের ভিপি মনির হোসেনের বাড়িতে। অপারেশনের আগে আসকর দীঘির এক বাড়িতে জড়ো করা হয় দশজন কমান্ডোকে। ধরা পড়লেও হাজারো অত্যাচার নির্যাতনে অপারেশন জ্যাকপটের কথা স্বীকার করা হবে না বলে সেখানে কোরান হাতে নিয়ে শপথ নেয় তাঁরা। তারপর গ্রামবাসীর ছদ্মবেশে সাথে ছাগল নিয়ে কর্ণফুলির অপরপারে মুসন আউলিয়ার মাজারে যাবার অছিলায় নদী পাড়ি দেয় তারা। এই মাজারেই সারাদিন অবস্থান করেন তাঁরা। রাতের বেলা মাজার থেকে বেরিয়ে চলে আসেন সাগরপারে। এর মধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে লিমপেট মাইন, সুইমিং কস্টিউম এবং পায়ের ফিনসগুলো।
গামছা দিয়ে বুকের সাথে একটা করে লিমপেট মাইন বেঁধে নেয় কমান্ডোরা। আগের দিনই একজন কমান্ডো রেকি করে গিয়েছে। তার তথ্য অনুযায়ী জাহাজগুলো তীর থেকে এক মাইল দূরে থাকার কথা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেই তথ্য ভুল। কমপক্ষে সাত-আট মাইল দূরে রয়েছে জাহাজগুলো। পানিতে নামার পূর্বমুহুর্তে নার্ভাস ব্রেকডাউনে আক্রান্ত হন আব্দুর রশীদ। হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন তিনি। কোন কারণে মারা গেলে তার পরিবারকে দেখার আর কেউ থাকবে না বলে বার বার জানাতে থাকেন সবাইকে। ভীত-সন্ত্রস্ত সহযোদ্ধাকে তীরে রেখে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয় দলের বাকি সদস্যদের। ফলে, আব্দুর রশীদকে বাদ দিয়েই উত্তাল সাগরের বুকে নেমে আসে অন্য তিনজন সদস্য। একজনের হাতের মধ্যে আরেকজনের হাত ঢুকিয়ে নিঃশব্দে সাঁতার কাটতে থাকেন তাঁরা নির্দিষ্ট জাহাজের আলো লক্ষ্য করে।
বঙ্গোপসাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ এসে মুহুর্মুহু আঘাত করতে থাকে কমান্ডোদের। ভাগ্য ভাল যে তখন ভাটার সময়। অন্তর্মুখী স্রোতের টানে ভেসে যেতে থাকেন তাঁরা জাহাজের দিকে। কয়েকশ গজ সাঁতার কাটার পরে হঠাৎ করে আমির এবং ফরিদ টের পান যে, উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় কাজল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তাঁদের কাছ থেকে কখন যেন। অন্ধকার সাগরপক্ষে শুরু হয় অনুসন্ধানের পালা। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে অবশেষে পাওয়া যায় কাজলকে। পরিশ্রম আর ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্লান্ত-শ্রান্ত তিনি। জাহাজ পর্যন্ত সাঁতরে যাবার মত অবস্থায় কাজল আছে বলে মনে হয় না তাঁদের কাছে। তাঁকে ডাঙায় ফিরে যাবার নির্দেশ দেন তাঁরা। আমির হোসেন আর হোসেন ফরিদ ভেসে চলেন গন্তব্যের দিকে।
প্রায় চার ঘন্টা সাঁতরানোর পরে নাগাল পান তাঁরা জাহাজের। ডুবসাঁতার দিয়ে জাহাজের খোলের সাথে লেপ্টে যান তাঁরা। ছুরি দিয়ে কিছুটা দূরত্ব রেখে খোলের দুটো যায়গা থেকে শ্যাওলা সরিয়ে লিমপেট মাইন দুটো লাগিয়ে দেন। মাইনের সাথে সংযুক্ত চুম্বকের কারণে নিঃশব্দে তা লেপ্টে যায় খোলের সাথে। তারপর একটা বড়সড় ডুবসাঁতার দিয়ে দুজনে সরে আসেন জাহাজ থেকে যতখানি দূরে সরে আসা যায় ততখানি। তীরের কাছে জ্বলা বাতিঘর দেখে দুজনেই রওনা দেন সেদিকপানে।
অপারেশনের আগে কথা ছিলো যে, অপারেশন শেষে নরমান’স পয়েন্ট বাতিঘরকে নির্দেশনা ধরে নিয়ে ফিরে আসবেন কমান্ডোরা। দীর্ঘ পরিশ্রম আর বিপদের উত্তেজনায় ক্লান্ত আমির হোসেন এবং হোসেন ফরিদ, দুজনেই বাতিঘরের নির্দেশনা ভুল করে বসেন। নরম্যান’স পয়েন্ট বাতিঘরের পরিবর্তে আরো পশ্চিমে অবস্থিত পতেঙ্গা বাতিঘরকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়ে তীরের দিকে রওয়ানা দেন তাঁরা। যাবার সময় যে রকম হাত ধরাধরি করে রওয়ানা দিয়েছিলেন সুনির্দিষ্ট জাহাজে মাইন লাগানোর জন্যে, ফেরার সময় সেই প্রয়োজনীয়তা না থাকার কারণে বিচ্ছিন্নভাবে সাঁতার কাটা শুরু করেন দুজনে।
আমির হোসেনের কাছে মনে হতে থাকে যে এটাই বোধ হয় তাঁর জীবনের শেষ দিন। ক্লান্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন তিনি তখন। হাত পা ছুড়ে সাঁতার কাটার মত সামান্যতম শক্তিও বুঝি আর অবশিষ্ট নেই। প্রচন্ড ঢেউ এসে ভেঙে পড়ছে তার উপরে। অনিচ্ছাতেও লবন মেশানো জল ঢুকে যাচ্ছে পেটে। তারপরই বমি হয়ে তা আবার বেরিয়ে আসছে পেট থেকে। ভাগ্যিস জোয়ার শুরু হয়েছে তখন। নবযৌবনা ঢেউগুলো সোল্লাসে তাঁকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে তীরের দিকে। জীবনের আশা যখন ছেড়ে দিয়েছেন তিনি, ঠিক তখনই হঠাৎ করে পায়ের নীচে বালুর অস্তিত্ব টের পান। ক্লান্ত শ্রান্ত দেহটাকে টেনে নিয়ে আসেন ডাঙায়। তারপর ঘাসের উপর শুয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। সকালের আলো চোখে পড়তেই জ্ঞান ফিরে পান। টের পান যে নরম্যান’স পয়েন্ট বাতিঘরের বদলে পতেঙ্গা বাতিঘর অনুসরণ করে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাড়ে নৌঘাটিতে চলে এসেছেন তিনি। গামছা কোমরে পেঁচিয়ে সুইমিং স্যুটকে আড়াল করেন তিনি। গ্রামবাসীর মত ভাব নিয়ে হেঁটে যেতে থাকেন। কয়েকজন সৈন্য তাঁকে থামায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে একজন সৈন্য তার কোমরের গামছা ধরে টান দেয়। গামছার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে সুইমিং কস্টিউম। ভারতীয় ফ্রগম্যান মনে করে সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দি করে ফেলে তাঁকে সৈন্যরা। একজন সৈন্য তাঁর কান বরাবর ক্যারাতির চপ লাগায়। বিষম সেই আঘাতে গলগল করে কান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসতে থাকে তাঁর। দুইজন সৈন্য তাঁকে মাটিতে উপুড় করে ফেলে দেয়। একজন পা দুটো চেপে ধরে। অন্যজন কোমরের উপর বসে গলার পিছনে হাত দিয়ে উলটো দিকে চাপ দিয়ে শিরদাঁড়া ভাঙার চেষ্টা করে। অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে শিরদাঁড়া ভাঙতে না পেরে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে তুলে নেয় গাড়ীতে।
আমির হোসেনের মত হোসেন ফরিদও লক্ষ্য ভুল করেছিলেন। বিধস্ত অবস্থায় হাবুডুবু খেতে খেতে তিনি উঠেন গিয়ে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাড়ে, মেরিন একাডেমীর ভিতরে। একেবারে বাঘের ঘরে। ওখানে তখন পাকিস্তান আর্মির ক্যাম্প ছিল। তীরে পা রাখার সাথে সাথে পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে বন্দি করে ফেলে। নিয়ে যাওয়া হয় মেরিন একাডেমির প্রিন্সিপ্যালের অফিসের পাশে। সেখানে রাস্তার পাশে রাখা সুয়ারেজ পাইপের ভিতরে ফরিদের শরীরের নিম্ন অংশ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর উর্ধাংশকে সর্বশক্তি দিয়ে উলটো দিকে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় তার মেরুদণ্ড। তীব্র যন্ত্রণায় মৃত্যুর আগ মুহুর্তে ‘ও মারে মা’ বলে বিকট এক অমানুষিক আর্তচিৎকার দিয়ে উঠে ফরিদ। মায়ের একমাত্র সন্তানের মৃত্যু মুহুর্তেও হয়তো মমতাময়ী মাকেই মনে পড়ে গিয়েছিল। মেরুদন্ড ভাঙা ফরিদের লাশ নিতান্ত অবহেলা আর চরম ঘৃণায় পাকিস্তানিরা ছুড়ে ফেলে দেয় কর্ণফুলি নদীতে।
ফরিদের সেই বিকট আর্তচিৎকার কানে গিয়েছিল মেরিন একাডেমির প্রশাসনিক কর্মকর্তার স্ত্রীর কানে। প্রশাসনিক কর্মকর্তার বাসা প্রিন্সিপ্যালের অফিসের পাশেই ছিল। এই ভদ্রমহিলা ফরিদের সেই যন্ত্রণাকাতর মৃত্যুর হাহাকার শুনে এমনই আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন যে পরবর্তী ছয় মাস তিনি খেতে বা ঘুমোতে পারতেন না। সারাক্ষণই তার কানে বাজতো ফরিদের সেই মরণ চিৎকার।
মাত্র এক প্রজন্ম আগে আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে সীমাহীন সাহস দেখিয়েছেন, যে দৃশ্যমান দেশপ্রেম দেখিয়েছেন তার তুলনা মেলা ভার। মৃত্যুকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে, তার কোলে মাথা রেখে তারা অনবরত জীবনের গল্প লিখে গিয়েছেন আমাদের জন্যে। একটি অসম যুদ্ধে যে বিপুল বিক্রম নিয়ে তারা লড়েছেন তার তুলনা ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া বিরল। এই সমস্ত অসমসাহসিক বীরদের কথা আমরা প্রায় সময় বলি ঠিকই, কিন্তু কখনোই সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করি না যে ঠিক কীসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাদেরকে, ঠিক কতখানি কষ্টসাধ্য ছিল তাদের যুদ্ধকালীন সময়গুলো, কতখানি জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছিল তাদেরকে বৈরী সময়ে।
একটি দেশকে জন্ম দিতে গিয়ে একাত্তরে কত কত অসংখ্য তরুণ প্রাণ হারিয়েছে এ দেশের কত কত অজানা অচেনা জায়গায়। দেশকে ভালবেসে লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে গিয়েছে ফরিদের মত কত শত তাজা প্রাণ। তাঁদের শরীরের রক্ত নির্যাস দিয়েই শ্যামল থেকে শ্যামলতর হয়েছে এই ভূখন্ড। এদের রক্ত ঋণে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছি আমরা চিরতরে।
আমাদের পূর্বপুরুষ এই সমস্ত বীরপ্রাণদের জন্যে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের উত্তরপুরুষদের বুকের সবটুকু ভালবাসা ঢেলে দিলেও শোধ হবে না তাঁদের রক্তের ঋণ।
জনাব আমির হোসেন, বীরপ্রতীক, আমার একজন খুব কাছের বন্ধু আনোয়ারের বাবা। বাইশে সেপ্টেম্বরের এই অপারেশনের পরে পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বন্দি অবস্থায় তাঁর উপর নিয়মিত প্রতিদিন অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতো পাকিস্তানিরা এবং তাঁদের দোসর রাজাকারেরা। দেশ স্বাধীন হবার পরে মুক্তি পান। বাহাত্তর সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে চাকুরি করার পরে পেটি অফিসার থাকা অবস্থায় চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অল্প কিছুদিন আগে অভিবাসন নিয়ে স্বপরিবারে ছেলের কাছে ক্যানাডায় চলে এসেছেন তিনি। শহীদ হোসেন ফরিদের গল্প তাঁর কাছ থেকেই শোনা আমার।
প্রবন্ধটির শিরোনাম নেওয়া হয়েছে হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘আগুনের পরশমণি’-র টাইটেল সং থেকে। গানটিও হুমায়ুন আহমেদেরই লেখা। একারণে কৃতজ্ঞতা রইলো এই গুণী কথাশিল্পীর জন্যে।
(Y)
আমরা তাদের বংশধর হয়ে কোন সাম্প্রদায়ীক শক্তির কাছে মাথা নত করতে পারি না।
ফরিদভাই,
মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি যত কষ্টেরই হোক, তা থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাই, সাহস পাই, কারণ মুক্তিযুদ্ধে আমরাই জিতেছি। বন্যাদির মত আমিও বলছি – ‘লিখবো ক্যাডা’ না বলে যেমন লিখছেন- লিখতে থাকুন, হয়ে যাবে।
লাইজু নাহার,
আমার মন্তব্যে সাড়া দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।মহিলার ঠিকানা দেওয়া যাবে কি?
ইউরোপে প্রবাসী মুক্ত-মনার পাঠকদের কাছে যুদ্ধ শিশুর তথ্য বিষয়ে সহযোগিতা চাচ্ছি।
@গীতা দাস,
নীলিমা ইব্রাহিম বেচে থাকলে অনেক সাহায্য করতে পারতেন।
আমরা অনেক হীনমন্যতার কারনে এই বীরংগনা ও যুদ্ধুশিশুদের দূরে ঠেলে দিয়েছি, এমনকি তাদের যথাযথভাবে খুজে বের করে সম্মান জানানোর কোন উপায়ও মনে হয় রাখিনি।
ফরিদ,
আমরা কি পারি না এমনি অলিখিত ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করতে?
মুক্ত-মনা গোষ্ঠি তো একটা প্রচেষ্টা চালাতে পারে।
আমার মেয়ের এক বন্ধু যুদ্ধ শিশু নিয়ে কাজ করতে চায়। ডকুমেন্টারি বানাতে চায়। কেউ কি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন?
@গীতা দাস,
আমার এক প্রতিবেশী মহিলা সম্ভবত যুদ্ধশিশু!
ওর জীবনবৃত্তান্ত শুনে তাই মনে হয়েছে!
ভাল আছে!
সংসার করছে।
ওর মার ঠিকানা চেয়েছিলাম দেয়নি।
বলে আমার মা বেঁচে নেই।
ও যে পাকিস্থানী রক্ত দেখলে বোঝা যায়!
সম্ভবতঃ অতীত করুণ চিত্র কাউকে জানাতে চায়না।
তবে অনুমান করি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এরা ছড়িয়ে আছে।
ফরিদ ভাইর লেখাটি পড়ে মনে করিয়ে দিল সেই গানটির কথা…
যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে
লক্ষ মুক্তি সেনা
দে না তোরা দে না
সে মাটি আমার
অঙ্গে মাখিয়ে দে না ।।
সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা…..
লাখো মুক্তিসেনাদের সালাম……
লাখো মুক্তিসেনাদের ফুলেল ভালবাসা…..
@Saeed Hassan Sazzad,
আরে সাঈদ ভাই যে!!
আপনাকে মুক্তমনায় মন্তব্য করতে দেখে আমি যুগপৎ বিস্মিত এবং আনন্দিত।
ইরতিশাদ ভাইয়ের মত আমারো একই অবস্থা। ভেবেছিলাম এই লেখায় মন্তব্যই করব না। কিন্তু পারা গেল না। আমি আসলেই চাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ফরিদ ভাইয়ের একটা সংকলন গ্রন্থ বের হোক।
পড়ার জন্য আমি আছি এক নম্বর পাঠক হিসাবে। ছাপানোও মনে হয় না কোন সমস্যার ব্যাপার। এখন আসল কাজ শুধু লেখার।
মন্তব্যগুলো মুক্তিযুদ্ধ থেকে মুজিবের দিকে ঘুরে গেলো কিভাবে? 😕
‘অপারেশন জ্যাকপট’ যে দ্বিতীয়বার হয়েছিলো, তা জানা ছিলো না। প্রথমবারেরটার কথা পড়েছিলাম ‘রক্ত, আগুন, অশ্রুজল: স্বাধীনতা’ বইতে, বাচ্চাবেলায়। ওখানেই গানটার কথা ছিলো। বলতে যাবো, দেখি আদিল ভাই বলেই ফেলেছেন।
ঋণশোধের দায় সম্ভবত আর কখনোই পূর্ণ হবে না।
আলগা মাতব্বরি: শিরোনাম: সূর্যকে তারা বন্দি করবে/সূর্যকে তাঁরা বন্দি করবেন (Subject-Verb agreement)।
অ.ট.-১: আপনার বেদনার্ত শৈশবকাতরতাময় লেখাটা পড়লাম। কিছু বলতে পারছি না, কারণ নিজের অবস্থাও খারাপ।
অ.ট.-২: মুক্তমনায় এখন কমেন্টও করতে পারি না। এতোই খারাপ অবস্থা। সকাল থেকে প্রায় ৪/৫ ঘন্টা চেষ্টা করে এই মন্তব্যটা করছি। ব্যাপারখানা কী? :-X :-X :-X
আপনার অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। পেজ পুরোটা লোড করছে নাকি অর্ধেক করছে? কমেন্ট করতে গিয়ে ঠিক কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে? মুক্তমনার গতি নিয়ে আগে থেকেই সমস্যা আছে এরকম অবস্থা হবার কথা না। অন্যদেরও কি একই অবস্থা? আমি ঢাকাতেই থাকি, এরকম সমস্যা আমার হচ্ছে না। মুক্তমনার গতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, কিন্তু এ কাজে বেশ কিছু সময় লাগবে, হয়তো এরপর অবস্থার উন্নতি হবে। আমার আগের পোস্ট আপনার চোখে পড়েছে কিনা জানিনা, তবে পোস্টটি পড়ে আপনি হয়তো উপকৃত হবেন।
(আর যখন দেখবেন খুব বেশী সমস্যা হচ্ছে তখন আপনার কমেন্টটি আমাকে মেইল([email protected]) করে দিতে পারেন, কোন লেখায় কমেন্ট করছেন সেটাও উল্লেখ করবেন, আমি পেয়েই সেটা প্রকাশ করে দিব, দিনের বেশীভাগ সময় আমি পিসির সামনেই থাকি।)
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ছেলেবেলায় শিক্ষকদের যেরকম ভয় পেতাম, আপনাকেও আমার পোস্টে দেখলে সেরকমই ভয় পাই। মনে হয় এই বুঝি কোন বানান বা ব্যাকরণের ভুল ধরে বসবেন। 🙂
আমার সেই ভয়কে সত্যি প্রমাণ করে সত্যি সত্যিই ব্যাকরণগত ভুল ধরে বসেছেন আপনি। ব্যাকরণের বিষয়ে আপনার তুলনায় আমি নস্যি মানুষ। তারপরেও ভয়ে ভয়ে বলছি, আপনি দেখিয়ে দেবার পরেও শিরোনামে কর্তা এবং ক্রিয়ার অসামঞ্জস্য এখনো আমার চোখে পড়লো না। আর ভুলভ্রান্তি যদি হয়েই থাকে তবে সেটার জন্যে দায়ি কিন্তু হুমায়ুন আহমেদই। তার লেখা গানের একটা লাইনকে হুবহু ব্যবহার করেছি আমি এই প্রবন্ধের শিরোনাম হিসেবে।
আমি যদ্দুর জানি কবিতা বা গানে প্রয়োজনে ব্যাকরণের নিয়মের কিছুটা ব্যত্যয় অশুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও গ্রহণযোগ্য। নাকি ভুল জানি?
অ.ট.-১। শৈশবের অভিজ্ঞতায় দেখছি আমরা দুজনেই সমান।
@ফরিদ আহমেদ,
আজো প্রায় দশ-পনেরো বার রিফ্রেশ করে করে অবশেষে আপনার পোস্টে ঢুকতে পারলাম। :-Y :-Y :-Y
কখনো আদ্ধেক, কখনো সিকি, কখনো শুধু শিরোনাম-এমনিই অবস্থা।
যাক, একে একে বলি।
বাংলায় তিন নম্বর পুরুষটির (নাম/প্রথম পুরুষ, যা অপ্রত্যক্ষ বা উদ্দিষ্ট কাউকে বোঝাতে ব্যবহৃত) দুটি রূপ আছে।
একটি সাধারণ, উদাহরণ- সে (একবচন/কর্তৃকারক), তারা (বহুবচন/কর্তৃকারক), তাকে (একবচন/কমর্কারক), তার (একবচন/সম্বন্ধ পদ) ইত্যাদি।
অন্যটি সম্ভ্রমাত্মক/দূরত্বজ্ঞাপক, উদাহরণ- তিনি (একবচন/কর্তৃকারক), তাঁরা (বহুবচন/কর্তৃকারক), তাঁর (একবচন/সম্বন্ধ পদ), তাঁদের (বহুবচন/সম্বন্ধ পদ) ইত্যাদি।
আপনার শিরোনামে ব্যবহৃত ‘তাঁরা’ সম্ভ্রমাত্মক নাম পুরুষ, বহুবচনে এবং কর্তা হিসেবে বসে।
তাই, এর সাথে সঠিক ক্রিয়াটি হবে, ‘করবেন’। যদি বসাতেন ‘তারা’, তাহলে হতো ‘করবে’।
এবার বোধগম্য হলো কি?
লেখকেরা যাইচ্ছেতাই লিখলে কিন্তু যাচ্ছেতাই হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
আমার শৈশব, কৈশোরে দাগ কম, কিন্তু, যৌবন অকালবার্ধক্যাক্রান্ত; এর পেছনে ধর্মেরও ভূমিকা আছে বেশ। 😀 😀 😀
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ওরে সব্বোনাশ!! চন্দ্রবিন্দুর এমন ছলাকলাময় চন্দ্রকলা দেখেতো আমি রীতিমত চন্দ্রাহত। 🙁 শিরোনাম থেকে সসম্মানে তাই দিলেম একে সরিয়ে।
ধর্ম কাউকে কাউকে বার্ধক্যে অকাল যৌবনস্রোতাক্রান্ত করে বলেই জানতাম (ভবঘুরে এবং আকাশ মালিকের লেখা এক্ষেত্রে রেফারেন্স), কিন্তু যৌবন অকালবার্ধক্যাক্রান্ত করতেও যে এর ভূমিকা আছে তাতো জানতাম না। 😀
@ফরিদ আহমেদ,
সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ।
হে যায়েদ শুনেছো, তোমার জয়নব যেন আমার চোখের সামনে না পড়ে।
তবে হুমায়ুন আহমেদ যদি ‘সূর্যকে তাঁরা বন্দি করবে’ লিখে থাকেন তাহলে তিনি ভুল লিখেছেন। চন্দ্রবিন্দুর এমন ছলাকলাময় চন্দ্রকলা নিয়ে আমার প্রীয় লেখক আবু হাসান শাহরিয়ার বেশ কিছু কথা বলেছেন তাঁর একটি বইয়ে।
অফ টপিক-
যৌবনস্রোতাক্রান্ত এর উত্তম রেফারেন্স হুমায়ুন আহমেদকে বোধ হয় বেশি মানায়। অবশ্য তাঁর সন্মন্ধে আমার চেয়ে হুমায়ুন আযাদ, আবু হাসান শাহরিয়ার ও গুলতেকিন জানেন ভাল।
মুরুব্বিরা (বন্যা-অভি) আদেশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপর একটা বই লিখে ফেলতে, ব্যস আর কোন অজুহাত নেই আপনি লিখে ফেলুন। গ্যারান্টি দিলাম আমরা পড়বো, সারা জাতিকে পড়াবো।
@আকাশ ভাই,
আসলে একটু ভুল হচ্ছে এখানে। এর জন্যে অবশ্য আমিই দায়ি। আমি হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন বলতে তিনি গানটি রচণা করেছেন এটাই বুঝিয়েছি। ‘তারা’ বানানটি হুমায়ুন আহমেদ কীভাবে লিখেছেন জানি না আমি। গানটি শুধু শুনেছি আমি। ব্লাডি সিভিলিয়ানকে যখন আমি ওই কথা লিখেছিলাম তখন চন্দ্রবিন্দু আমার মাথাতেও ছিল না। কিন্তু দেখা গেল ওই চন্দ্রবিন্দু দিয়েই তিনি আমার মাথায় চন্দ্রাঘাত করেছেন শেষমেশ।
শেখ মুজিবের প্রসঙ্গ আসায় একটা প্রশ্ন করি- শেখ মুজিবের বকৃতাগুলোর কোন সংকলন কি কখনও করা হয়েছিল? বাকশাল নিয়ে তাঁর একটা বকৃতা দেখেছিলাম, ক্যারিশমা কাকে বলে তা তাঁর বকৃতা না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।
@পৃথিবী,
পৃথিবীর কাছ থেকে একবার নয় দুইবার নয় পুরো তিনবার বকৃতা আশা করিনি।
বক্তৃতা কোথায় শুনেছিলেন, সংগ্রহ করা যাবে?
@আকাশ মালিক, আপনি যেভাবে বকৃতা লিখেছেন সেভাবেই লিখে কেমনে? ওই অক্ষরটাই তো মাউসের কিবোর্ডটাতে দেখতে পাচ্ছি না!
শেখ মুজিবের বক্তৃতাটি- http://www.youtube.com/watch?v=vah6mMI3BJI
শেখ মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধী লালকেল্লায় যে ঐতিহাসিক ভাষন দেন , তা এই প্রথম দেখলাম।
ভিডিওটাতে একটা জিনিস খুব ভাল লাগল-শেখ সাহেব ইংরেজিতে শুরু করেছিলেন-কিন্ত দিল্লীর জনগন তাকে বাংলায় বলার দাবী করে-এবং তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা দিল্লীতে লালকেল্লা থেকেই করেন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=vomp8fG_Jlw&feature=related
লালকেল্লায় আর কেও বাংলায় ভাষন দিয়েছে বলে জানা নেই।
@বিপ্লব পাল,
দারুণ একটা জিনিষ। :rose2:
farid bhai,
Sorry I don’t have Bangla Font. Lekha ti pore onek bhalo legeche. Thank you. But Abbar kach theke jakhan ai kahiniti suni abong uni jai bhabe bolen bhoi lage and sarir kapte thake. But I know it’s hard to put everything in writing. Great job!
Anwar
@Anwar Hossain,
ধন্যবাদ আনোয়ার এখানে মন্তব্য করার জন্য। তোমার উপস্থিতি মুক্তমনার অন্য সদস্যদেরকেও আনন্দিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
আংকলের স্মরণশক্তি অসাধারণ। ঊনচল্লিশ বছর পরেও খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়গুলোকে যেভাবে মনে রেখেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। ওনার মুখে ঘটনার বর্ণনাগুলো শুনলে শুধু তুমি একাই নও, সকলেরই গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে এটা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। আমারও উঠেছিল।
সবসময় যেটা বলি আবারো সেটা বলে যাচ্ছি এখানে। এরকম একজন অসাধারণ মানুষের, এরকম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে সত্যি সত্যিই ঈর্ষা করি তোমাকে আমি।
ফরিদ ভাই,
আপনার মুখ থেকে গল্পটা শুনেছিলাম ফোনে, তখনি গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল, পড়ে আরও খারাপ লাগতে শুরু করলো। আপনার এই গল্পটা দেখে বুঝলাম এবার মুক্তিযুদ্ধের এই অবিশ্বাস্য কাহিনীগুলো নিয়ে একটা দারুণ বই বের হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
@বন্যা আহমেদ,
লিখবোই বা ক্যাডা আর ছাপাইবো ক্যাডা? পড়বোই বা ক্যাডা? :-/
জনাব ফরিদ,
এই ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি করেছিলো, তাদের পরিচয় (সে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা কুখ্যাত জংলী পাকিস্তান হোক) জনসমুক্ষে প্রকাশ এবং ট্রাইবুন্যালের আওতায় আনা যায় না? যাতে ঐ নাম গুলো উচ্চারণের সাথে সাথে আমরা এবং গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুগ যুগ ধরে ঘৃণা প্রকাশ করতে পারি? কিংবা আরোপ করা যেতে পারে অনুরূপ ভয়ংকর শাস্তি, যাতে বসুন্ধরাকে কোন যুদ্ধাপরাধীর জন্মের দায় আর নিতে না হয়।
@কেশব অধিকারী,
এদেরকে বিচার করাতো উচিত ছিলই। কেন হয়নি সেতো আমরা সবাই-ই জানি। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে গেছে অসংখ্য অপরাধী লোকজন। এর থেকে লজ্জার আর আছে কী?
ইরতিশাদ ভাইয়ের সাথে ১০০% সহমত।
ফরিদ ভাইয়ের লেখা আসলেই ভয় লাগে। কারন ওনার লেখাগুলো বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখাগুলো পড়লেই আমার চোখে পানি আসে।
বরাবরের মতই অসাধারন মর্মস্পর্শী লেখা। অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাইকে।
@ইরতিশাদ ভাই এবং সাইফুল ইসলাম,
চোখে পানি আসার জন্য আমার লেখার কোন দায় নেই। ঘটনাগুলোই আসলে প্রচন্ড করুণ, চোখে পানি নিয়ে আসে এমনিতেই।
ফরিদের মুক্তিযুদ্ধের ওপরে লেখাগুলো পড়তে ভয়ই লাগে। কারণ বেশ কিছুদিন মন-মানস আচ্ছন্ন করে রাখে লেখার বিষয় আর ভাষা। যথারীতি না পড়েও পারা গেল না এবং এটিও ব্যতিক্রম নয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পৃথিবী সব মুক্তিকামী লোকেদেরই অনুপ্রাণিত করতে পারে-এগুলো নিয়ে সিনেমা করা দরকার যাতে সবাই জানতে পারে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিক।
ভাবতেই কেমন লাগছে ৮ মাইল সাঁতার কেটে মাইন চার্জ করা।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশের চলচিত্রের মান এ পর্যায়ের নয়। বাজেট এবং কারিগরী দিক থেকে এ জাতীয় সিনেমা করার মত উপযুক্ত ব্যাবস্থা মনে হয় না আমাদের আছে।
এইখানে এসে চোখের জল ধরে রাখা গেল না। কেন জানিনা নীজেকে তেলাপোকার মত মনে হয় যখন আমাদের এইসব পূর্বপুরুষেরা কথা শুনি।
আমারা তাদের ত্যাগের মূল্য দেইনি।
ফরিদ ভাই কে অজস্র শুভেচ্ছা। তিনি মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেন আর তখন আমাদেরও খানিকটা মনে পড়ে।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি মাঝে মাঝে ভাবি ভাগ্যিশ টাইম মেশিন গোছের কিছু আবিষ্কার হয় নাই। তাহলে হয়ত বা বর্তমান বাংলাদেশের চেহারা আগেই দেখে এই বীরেরা ফ্রান্স থেকে পালিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধে জড়ানোর চাইতে ফ্রান্সের ইমিগ্রেশন নিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটানোই পছন্দ করতেন, রুমী হয়তবা আমেরিকাতেই চলে যেত…
@আদিল মাহমুদ,
ফ্রান্স থেকে পালিয়েছিলেন নয়জন সাবমেরিনার। ভারতে হাজির হন এদের মধ্যে আটজন। যুদ্ধে অংশ না নিয়ে একজন চলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। তিনি হয়তো অলৌকিক কোন উপায়ে বর্তমান বাংলাদেশের চেহারা দেখে ফেলেছিলেন। তাই আগেভাগেই ভেগে গিয়েছিলেন আরকি। 🙂
অতীত, বর্তমান বলে আসলে কোন কথা নেই। সব সময়ে, সব যুগেই বীরপুরুষ আত্মত্যাগীরা যেমন বুক ফুলিয়ে থাকে, তেমনই কাপুরুষ সুবিধাবাদীরাও চোরের মত লুকিয়ে থাকে।
@ফরিদ আহমেদ,
এটাই প্রমানিত হল যে আমার মত “ভিশনারী” সব যুগেই ছিল, আছে, এবং দূঃখজনকভাবে থাকবে।
@আদিল মাহমুদ, :hahahee:
ওনাদের কাহিনী জানা ছিল, তবে এতটা খুটিনাটি জানা ছিল না। হোসেন ফরিদের পরিনতি যানতাম, আমির হোসেনেরটা জানা ছিল না।
এই বীরদের প্রতি আর কিভাবে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি? সে সাধ্য আমার নেই।
আকাশবানী থেকে “আমার পুতুল আজকে যাবে শ্বশুরবাড়ী” গানটা অপারেশনের আগে চুড়ান্ত নির্দেশ হিসেবে মনে হয় বাজানো হয়েছিল।
@আদিল মাহমুদ,
গানটা কোথায় পাওয়া যাবে?
@আকাশ মালিক,
গানটা আসলে “আমার পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুরবাড়ী”।
এই মুহুর্তে খুজে পাচ্ছি না, পেলে আপনাকে জানাবো।
ফরিদ ভাই এর কাছে পাওয়া যাবার কথা, উনি গানের খবর অনেক ভাল জানেন।
@আদিল মাহমুদ,
এই গান বাজানো হয়েছিল শুধুমাত্র প্রথম অপারেশন জ্যাকপটের সময়ে। আমির হোসেন, হোসেন ফরিদরা যে অপারেশন করেন সেটি ছিল চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অপারেশন জ্যাকপট। এতে কোন গান বাজানো হয়নি। এই অপারেশনের সমন্বয়কারী ছিলেন ফারুক-এ-আজম নামের একজন নৌ-কমান্ডো। তিনিই ধাপে ধাপে কমান্ডোদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
অগাস্টের ষোল তারিখ থেকে শুরু করে নৌ-কমান্ডোরা যতগুলো অপারেশন করেছিলেন তার সবগুলোরই সাংকেতিক নাম ছিল অপারেশন জ্যাকপট। এদের মধ্যে প্রথম অপারেশনটাই ছিল সবচেয়ে বড় এবং বিপুল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। পাকিস্তানিদেরকে চমকে দেবার জন্যে এবং ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক করার উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, মংলা, সিলেটের নিম্নাঞ্চল এবং চট্টগ্রামে একযোগে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কখন হামলা করতে হবে সেটা যাতে সব এলাকার কমান্ডোরাই বুঝতে পারে সে কারনে প্রত্যেকটা দলের সাথে একটি করে ছোট্ট এক ব্যান্ডের রেডিও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল যে আকাশবাণী থেকে ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান’ -এই গানটি প্রচার করা হবে তখনই বুঝতে হবে যে, আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই অপারেশন শুরু হবে। আর ‘আমার পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুর বাড়ী’ গানটি প্রচারের অর্থই হচ্ছে অপারেশন শুরু করতে হবে ওই রাতেই।
@ফরিদ আহমেদ,
ওহ হো, অপারেশন জ্যাকপটের কথায় আসলে প্রথম জ্যাকপট দ্বিতীয় জ্যাকপটের কথা সেভাবে উঠে আসে না।
“আমার পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুর বাড়ী” – গানটা কি কোথাও পাওয়া যায়? মালিক ভাই খুজছিলেন, আমারও কৌতূহল আছে। কোথায় যেন শুনেছিলাম এটা রবীন্দ্রসংগীত।
@আদিল মাহমুদ,
গান খুঁজতে গিয়ে সন্ধান পেলাম ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর। ঘটনাগুলো বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে বর্ণীত আছে। এই জাহাজই কি সেই জাহাজ?
বীর সাহসী মুক্তি সেনা– আপনাদেরকে হাজারবার প্রণাম।
@আকাশ মালিক,
অপারেশন জ্যাকপটের সংক্ষিপ্ত ফলাফলঃ
১। চট্টগ্রামঃ ৬০ জন কমান্ডোকে মোট পাঠানো হয়েছিল, ৩১ জন চূড়ান্ত আঘাত হানতে সমর্থ হন। পাক বাহিনীর আল আব্বাস, হরমুজ, এবং একটি বার্জ ডুবে যায় মোট ১৯০০০ টণ অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে।
২। চাঁদপুরঃ ৪০ জনের মাঝে ১৮ জন কমান্ডো আঘাত হানেন, ডুবে যায় ৩ টি ষ্টীমার ও বার্জ।
৩। নারায়নগঞ্জঃ ২০ জন কমান্ডো, ৪টি জাহাজ ডুবে যায়।
৪। মংগলাঃ ২০ জন কমান্ডো ৬টি বিদেশী জাহাজের ক্ষতিসাধন করেন।
@আদিল মাহমুদ,
এটা শুধুমাত্র প্রথম অপারেশন জ্যাকপটের ফলাফল। পরে আরো অসংখ্যবার এই অপারেশন করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে।
অগাস্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী চার মাসে অসংখ্য জাহাজকে ডুবিয়ে দিয়েছে নৌ-কমান্ডোরা। ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা সাবমেরিনারদের মধ্যে একজন ছিলেন বদিউল আলম (বীর উত্তম)। তিনি তার “কঠিন সময় ১৯৭১” (শতাব্দী প্রকাশনী) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,
পৃথিবীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ রেকর্ড কি না সে বিষয়ে সন্দেহ থাকতে পারে, তবে এটা যে একটা অবিশ্বাস্য ধরনের অহংকার জাগানিয়া দুর্দান্ত কার্যকর অপারেশন ছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
আসলেই তাদের কৃতিত্ব এক অনন্য ইতিহাস। দূঃখজনকভাবে আধুনিক সামরিক ইতিহাসে এই কৃতিত্বের খোঁজ কেউ তেমন করে না।
অপারেশন জ্যাকপট নামে সেজান মাহমুদের একটি বই আছে।
@আদিল মাহমুদ,
সেজান মাহমুদের বইটি একটি কিশোর উপন্যাস। অপারেশন জ্যাকপটের উপর ভিত্তি করে এর কাহিনি গড়ে উঠেছে।
ধন্যবাদ এই অসাধারণ লেখাটির জন্য।
অ টঃ ফেসবুকের ব্যান তো মনেহয় উঠেগেছে। ব্যানারটা পরিবর্তন করা উচিৎ এখন।
–যথার্থই বলেছেন।
@ ফরিদ আহমেদ
খুব ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটা।দারূণ ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আচ্ছা,আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞস্য ছিলো,তা হচ্ছে আপনার প্রোফাইলে গিয়ে পুরনো লেখা পড়তে পড়তে গান সম্পর্কে একটা লেখা পেলাম যা খুব ই উপভোগ্য।খুব খুব ভালো লাগলো। এখন আমার প্রশ্ন,গান কী ভাবে পোষ্ট করা যায় মুক্ত-মনায়।না,নাহ ভুল বুঝবেন না যে আমি আবার গান টান দেবো। আমার অন্য কিছু দেবার
আগ্রহ আছে। আপনি বা মুক্ত-মনা এডমিন যদি জানান ,বিশেষ ভাবে উপকৃত হবো।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ আপনাকে।
গান কীভাবে পোস্ট করবেন সেটা নির্ভর করে গানটার উৎস কোথায় তা দিয়ে। যদি ইস্নিপ্স থেকে হয় তবে এর একটা এমবেড কোড আছে। গানের নীচের দিকেই সাধারণত থাকে। ওটাকে কপি করে এনে আপনার পোস্টের যেখানে গানটি দিতে চান সেখানে পেস্ট করে দিলেই হবে।
ইউটিউব থেকে হলে লিংকটা কপি করে এনে পেস্ট করে দিন। এরপর http এর পরে শুধু একটা v যোগ করে দিন। এতেই চলবে।
এর বাইরে অন্য সোর্সগুলো থেকে দিলে শুধুমাত্র লিংকটাই দিতে পারবেন। প্লেয়ার আসবে না।
আর এগুলোর কোনটাই যদি করতে না পারেন তবে তারস্বরে চেঁচিয়ে মুক্তমনা এডমিনের ঘাড়ে ফেলে দিন কাজটা। অলস ব্যাটার তেমন কোন কাজ কর্ম নেই বলতে গেলেই। কাজেই এটুকু কাজ সে করে দেবে বলেই আমার ধারণা। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
প্রবন্ধটি অসাধারণ এবং বিষাদময়। অসংখ্য ধন্যবাদ।
তা যা বলেছেন :rose2: :rose2: ।