আজ যে শিশু ভূমিষ্ট হল,
সে আমাকে অভিশাপ দিলঃ
এ কি অবস্থা করেছি আমি ধরার!
চোখ জোড়া মুক্তভাবে ঘোরানোর অবকাশটুকু নেই।
সে শিশু কাঁনতে পারে না, কারণ?
কারণ, বুক ভরে যে বায়ু নেবে তা আজ বিষাক্ত।
না, প্রচন্ড অস্বস্তি আর বুক ভরা অভিশাপেঃ
শিশু বড় হচ্ছে; কিন্তু… একি!
তার মুক্ত বিহঙ্গের খেলার মাঠ পরিনত আজ কংক্রীটের ঝোপে।
ওই যে, মাঠের পাশে ওটা কি শোনা যাচ্ছে?
নির্মল বাতাসের ফিসফিসানি? নাতো, নারে, না;
ও যে হিন্দি চ্যানেলের বিশ্রী গানের ধবনি।
না থাক, শিশু কিছুতো একটা শিখছে…
বলতে পারবে না যে, ওরা আমাদের জন্য
শেখার কিছু না রেখেছে।
ওঃ খেলতে খেলতে শিশুর বোধ হয় ক্ষুধা লেগেছে
কোথায় ছোটে সে? ওইতো দোকানে-
কিন্তু একি! ওর হাতে এনার্জি ড্রিঙ্ক আর বার্গার?
বুঝেছি, ক্ষুধার বদলে ওর চেপেছিল রসনা আর লোভ;
পেট ভরল খুব- খাওয়াটা হল জোরদার।
কিন্তু পাশের যে ছেলেটি ওর দিকে
ক্ষুধা পেটে হা করে তাকিয়ে রয়;
শিশু বলে, what’s up! yeh, U r a dirty boy.
আরে ভাই, তুমি এই শিশুকে নিয়ে এতো মাতছো কেন?
হাজার হোক ওকে spoken English এ তো দক্ষ বানিয়েছি;
দেখেছো, স্যাটেলাইট চ্যানেলে বাচ্চারা কি দপদপ করে ইংরেজী ছোড়ে?
যাক, বাঁচা গেল,এই দুর্মূল্যের চাকরীর বাজারে শিশুর demand তো বাড়ে।
শিশু আম্মুর কথা শোনে আর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেঃ
যাক, life টা একদম clear, বড্ড relax মেলে।
শিশু হাটে রাস্তায়, দেখে, ওগুলো কি মুরগীর খোপ?
ওঃ বুঝেছি, সাইবার ক্যাফে; এটা বুঝি সেই দিন বদলের স্কোপ।
কি সুন্দর privacy র ব্যবস্থা, কোন ভয় নেই-
নিঃসংশয়ে নিজের প্রবৃত্তি দুচোখ ভরে মিটিয়ে নেই।
আহ! আমার বাচ্চাটা daily দু ঘন্টা করে ক্যাফেতে কাটায়ঃ
IT তে যেভাবে দক্ষ হয়ে উঠছে, চাকরী তো confirm প্রায়ঃ।
(চলবে…..)
আপনাদের সকলকে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। এভাবে উৎসাহিত করছেন শুনে আমার যারপরনাই ভাল লাগছে। হ্যা আমিও তাই চাইঃ
আরো অনেক অনেক লিখতে চাই। ধন্যবাদ। :rose2: :rose2: :rose2:
মুহাইমীন,
কবিতাটা পড়লাম – ভাল লাগলো। আসলে আরো আগেই আমার তরফ থেকে মন্তব্য আসা উচিৎ ছিলো। আফটার অল মুক্তমনায় প্রথম লেখা এটি আপনার।
যাত্রা শুভ হোক!
চমতকার!
কবিতাটা ভালো লাগলো!
দেশে থাকতে এ ধরনের অনেক কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম।
হালকা হওয়ার জন্য, যেহেতু নিজের কোন ক্ষমতা নেই সমাজব্যবস্থা পাল্টানোর।
যাদের ক্ষমতা আছে, মন্ত্রী, সাংসদরা মনে হয় এসব কবিতা টবিতা পড়েন না!
আজ প্রথম আলোয় দেখলাম মন্ত্রী ও সাংসদরা কিভাবে প্লট নিয়েছে!
আসলেই কি তারা বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা চায়?
@লাইজু নাহার,
মন্ত্রী, সাংসদরা এই বৈষম্যবাদী সমাজব্যবস্থা বদলাতে চায় এটা অপনাকে কে বলেছে।এই মহাজোট সরকার সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করবে এরকম কিছু বলেছে না কি কোথাও? তারা তো বটেই, তাদের যারা প্রভু তারাতো এই বৈষম্যবাদী/ শোষণশূলক সমাজ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই সমস্ত আয়োজন/ মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন এবং প্রতিনিয়তই তা করে যাচ্ছেন।
তবে আপনি যে এই বৈষম্যবাদী ব্যবস্থা পছন্দ করছেন না তা আপনার লেখা দেখে বুঝা যাচ্ছে। অভিনন্দন আপনাকে। আপনিও লেখা শুরু করুন, সাথে সাথে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সক্রিয় কাজে নেমে পড়ুন। ধন্যবাদ
@অাবদুল হক,
ধন্যবাদ গঠনমূলক সমালোচনার জন্য!
জানিনা একাকী আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বিশাল অতলান্তিক সমস্যার সমুদ্রে
কোন নুরি ফেলার মত আদৌ কোন শব্দ হবে কিনা!
@লাইজু নাহার,
একাকী কেন ভাবছেন? বৈষম্যের শিকার, শোষণ-পীড়নের শিকার, বর্তমান ব্যবস্থার অসহায় শিকার লাখো কোটি মানুষ আগনার পাশে আছে। ভাগ্য-কিছমত-নিয়তির মাদকতায় তারা আচ্ছন্নহয়ে, মানষকে বিশ্বাস করে ঠকতে ঠকতে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বেহুস ঘুমিয়ে পড়েছে, এই যা। এই বিশাল ক্ষমতাধর মানুষদের জাগিয়ে তুলুন –এটাই এখন কার কাজ। পৃথিবী নামক জাহাজের এই যাত্রীদেরকে তাদের ক্যাপটেন ইন্জীয়ররা ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছে। সবাইকে বাঁচাতে, নিজে বাঁচতে ডেকে তুলুন সবাইকে। ধন্যবাদ ভাল থাকুন আর কেউ না থাকলেও আমি আছি আপনার পাশে [email protected]
মুহাইমীনের কবিতাটি পড়ে ভাল লাগল। :rose2:
প্রধানমন্ত্রী নাকি ডিজিটাল শিশুদের অল্প বয়সে মানুষ করে ফেলার জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেয়েছেন।মারহাবা……
অভিনন্দন মুহাইমীন,
আপনার কবিতায় বতর্মান বৈষম্যবাদী সমাজের রূপটা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আরও লিখুন।
@আবদুল হক,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অধমকে উৎসাহিত করার জন্য। :rose2: হ্যা, আপনাদের ভালবাসায় আমি ঈশ্বর যদি চান তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক কাজ করব, শুধু কবিতা দিয়ে নয়ঃ
@মুহাইমীন,
অমন কাজে আমাদের ভালবাসা সব সময়ই পাবেন। তবে ইশ্বর চাইবে কিনা এবিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। প্রিয় মুহাইমীন সত্যই কি আপনার ইশ্বরে বিশ্বাস আছে?
ব্লগে সমালোচনার পদ্ধতিটা আমার নিকট ভাল লাগছে না। আমি বলতাম আমার কোন লেখা বা কথা ভাল না লাগলে সমালোচনা করুন আমাকে যাতে আমি নিজেকে সংশোধন করতে পারি, আর তা ভাল লাগলে বলুন সকলকে। মুক্তমনায় দেখি বা ব্লগের নিয়মেরই এটি অসফলতা, হয়তোবা। মুহাইমীন আপনার চিন্তাভাবনায়, আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা তীক্ষ্ণতা লক্ষ্য করেছি, যা নিয়ে আপনাকে একটা মেইলও করেছি। তবে এখানে যে বিষয়টি আমার মনযোগ আকর্ষণ করেছে তা হলো আপনার ইশ্বর বিশ্বাসে। এই মুক্তমনা সাইটে আপনি এবিষয়ে প্রচুর লেখা পাবেন। আপনার বুদ্ধিদীপ্ত মন আপনাকে ঠিক জায়গায় পৌছেঁ দেবে, এব্যপারে আমি নিশ্চত। এস্থলে বন্যা আহমেদের বিবর্তনের পথ ধরে বইটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে এই ভরসাও আমি আপনাকে দিচ্ছি। আপনার চিন্তাভাবনা আরও শাণিত হউক, সমাজের অসংগতি দূর করতে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করুন এই আশা রাখছি।
@অাবদুল হক,
আপনার এরূপ উৎসাহ দানে আমি লজ্জা পাচ্ছি। কারণ এই অধমের গুণগুলো ধরা থেকে তিরোধাণ করতে শুরু করেছে।আর, আপনার মেইল আমি পাই নাই, দয়া করে [email protected] ঠিকানায় আবার একটু কষ্ট করে পাঠিয়ে দিন।
আর হ্যা, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তবে কোন কারণ গুলোর জন্য আমার এই বিশ্বাসের প্রাদুর্ভাব তা আমি এই মুহুর্তে বলতে পারছি না( বলতে আলসেমি ও অনীহা লাগছে)। আমার ত্রুটি মার্জনা করবেন। :rose2: :rose2: :rose2:
মুহাইমিন ভাই, কেমন আছেন? ভাল আছেন। সুন্দর একটি কবিতা উপহার দিলেন। ভাল থাকবেন।
@ফুয়াদ, থাঙ্কু ভাই। এই আর কি সুকান্তের ‘ছাড়পত্র‘ কাব্যগ্রন্থটি পড়ছিলাম। তার রচনা শৈলী দেখে মনে হলঃ আরে কবিতা লেখা তো সহজ । তাই আর কি! মনের অনুপ্রেরণায় লিখে ফেললাম। এই অধম কে উতসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর ভাল থাকার কথা বলছেন? না রে ভাই, বর্তমানে ভাল থাকা যায় কিসে; নিজের আদর্শ নিয়েই টানে আছি।কোন একদিন শুনবেন এই মুহাইমীন নিজের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে যুগের স্রোতে খড়-কুটার সাথে ভেসে গেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :rose2:
চমতকার ও সময়োপযোগি কবিতা।
মুশকিল হল হাসিনা শুনলে তো আপনাকে জেলে ভরে দেবার জোর সম্ভাবনা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি তো কুকুর বিষয় বলেছিলেন। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান নিতান্তই কম। আপনি পিস ইন ইসলাম ব্লগে গিয়ে ঐখানে প্রশ্ন করতে পারেন। যাইহোক, এই কবিতার মত কিন্তু আরকটু দাড়ুন আহসান হাবীবের ধন্যবাদ, যা আপনাদের সখের পোষা কুকুর কে নিয়ে লিখা। রাগ করবেন না প্লিজ। শুধু বলার জন্য বলা। পড়ে নিতে পারেন। আমার মুঘস্ত ছিল ভুলে গেছি ক্লাস ইলাভেন-টোলভে পাঠ্য অথবা নাইন-টেনে। ধন্যবাদ, না না সে কি অনেক খেয়েছি, ধারনাই ছিলনা আমার, আপনার অধিনস্ত কর্মচারী। কবিতাটা এ রকম। আমার মনে নেই বলে কাহিনি বলতেছি, একজন কর্মচারীকে মূলত তার কর্মকর্তার কাজ কর্মের প্রয়োজনে কুকুরের জন্মদিনে দাওয়াত দেয়। কিন্তু ঐ কর্মচারী মনে করে, তার মালিকের মেয়ের জন্ম দিন। আসার সময় তার কষ্টের টাকা থেকে কিছু চকলেট নিয়ে আসে। অনুষ্ঠান শেষ হবার পর, কর্মকর্তাকে চেকলেট গুলি দিতে গেলে সে জানতে পারে, আসলে তার কর্মকর্তার কুকুরের জন্মদিন। তার চোখে পানি ঢেকে, কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দেয় দাওয়াতের জন্য।
@ফুয়াদ,
মুহাইমিন সাহেবের কবিতার চেয়ে আপনারটা সুন্দর হয়েছে।
@আকাশ মালিক,
বাংলাদেশে কাউকে সাধারনত প্রশ্ন করে তুমি কোন ক্লাসে পড়? ক্লাস সিক্স, ক্লাস ফাইভ এ সব ই বলে। কেউ এসবের বাংলা করতে যায় না সাধারনত। এ গুলো বাংলা ভাষার অংশ হয়েগেছে।
@আকাশ মালিক, আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। :rose2:
@ফুয়াদ,
বহু দিন দেশে যায় নাই তো, এই প্রথম শুনলাম। সেদিন একজন বললেন, বাংলা ভাষায় খোদা হাফিজ মিউটেশন প্রক্রীয়ায় বিবর্তিত হয়ে আল্লাহ হাফিজ নামে ঢুকে আবার ইতিমধ্যে জাজাকাল্লাহ না কি এ রকম কিছু হয়ে গেছে। আচ্ছা আপনি কি জানেন খোদা হাফিজ এর বিবর্তন পূর্ববর্তি বাংলা নাম কি ছিল?
@আদিল মাহমুদ,
এসব হাসিনা আর খালেদার চক্র থেকে বিশ্বকে ডিজিটাল ভাবে রক্ষা করার জন্যই আমার আবির্ভাব।
আর উৎসাহ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে অনেক বিষয় নিয়ে কবিতা লেখার ইচ্ছা আছে। :rose2: