মাঝে মধ্যেই “কোরআন ও নারী”, “ইসলামে নারী” বা “কোরআনের আলোকে নারী” প্রভৃতি শিরোনামের নানা পোস্ট দেখা যায়- যেখানে বিভিন্নভাবে প্রমান করার চেস্টা করা হয় যে, ইসলাম নারীকে ব্যাপক মর্যাদা দেয়, কোরআনে নারীর মর্যাদা অনেক উচ্চে- যেনবা ইসলামের মাধ্যমেই নারীর সমস্ত অধিকার আদায় সম্ভব। বলাই বাহুল্য এগুলোর সবই নানাবিধ মিথ্যায় সাজানো। সবচেয়ে বেশী আপত্তিকর হচ্ছে- মাঝে মধ্যে এমনসব বিষয়ের পক্ষে যুক্তি হাজির করা হয় যেগুলো ইতিমধ্যেই আমাদের সমাজব্যবস্থায়- আমাদের সংস্কৃতিতে পরিত্যজ্য বলে পরিগনিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে কথা বলেছি-আরো অনেকেই অনেক কিছু বলেছেন, চমৎকার সব যুক্তি করেছেন- কিন্তু জাকের নায়েকদের শিষ্যদের কোন লাজ-লজ্জার বালাই নেই, একই কাসুন্দি তারা বারেবারে ঘুরেফিরে বাজাতেই থাকে, বাজাতেই থাকে। আজকের পোস্টে সেগুলো নিয়েই কথা বলবো।
জাকির নায়েকরা কি বলছেন?
আজ সুস্থ বুদ্ধি ও বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তিমাত্রই ইসলামের যে বিষয়গুলো নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকে, প্রশ্ন উত্থাপন করে- আপত্তি করে, সেগুলো নিয়ে জাকির নায়েকরা এক ধরণের যুক্তি করার চেস্টা করছে, আর জাকির নায়েকদের এই ব্যাখ্যায় বুঝে হোক আর না বুঝেই হোক- কাঠমোল্লারা দারুন উচ্ছসিত, পায়ের নীচে মাটি পাওয়ার মতই তাদের অবস্থা। আর, তাই জাকির নায়েকরা খুব জোরেশোরে “ইসলাম নিয়ে অমুসলিমদের জিজ্ঞাসার জবাবে”, বা “কোরআন নিয়ে বিভ্রান্তির জবাবে” বা “কোরআন ও বিজ্ঞান” – এমন নানা শিরোনামে তারা বক্তব্য হাজির করছে। অন্য বিষয়গুলো আজ আপাতত আনছি না- শুরুতে ইসলাম ও নারী বিষয়ক আলোচনায় দৃষ্টি দেয়া যাক। এই লেখাটিতে মুহম্মদ সা কে কেন্দ্র করে কোন আলোচনা করছি না কারণ আগেই সেটা যথেস্ট করেছি- যারা এখনও পড়েননি তারা এখানে ও এখানে ক্লিক করতে পারেন।
প্রথমে জাকির নায়েকদের দ্বারা জবাব দেয়া ইসলাম সম্পর্কিত ‘অমুসলিম’দের (মানে যারাই প্রশ্ন তুলবে- তারাই অমুসলিম!) প্রধান তিনটি প্রশ্ন দেখা যাক:
১। “মুসলমান পুরুষদের একাধিক বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে কেন?”
২। “পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি থাকলেও নারীদের নেই কেন?”
৩। “নারীদের বোরকার আড়ালে রেখে অবমাননা করা হয় কেন?”
প্রশ্ন তিনটিই খুবই যৌক্তিক এবং প্রত্যাশিত। এগুলো নিয়ে জাকের নায়েক গং রা কি বলছে সেটা দেখি। এর বাইরেও আরো কিছু প্রশ্নকে মোল্লারা “কাফিরদের অভিযোগ” হিসাবে উত্থাপন করে কিভাবে জবাব দেয়ার চেস্টা করে সেগুলোও একে একে আলোচনা করবো। সাথে সাথে এদের করা যুক্তিগুলোও খণ্ডন করার চেস্টা করবো।
১। “মুসলমান পুরুষদের একাধিক বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে কেন?”
জাকির নায়েকের “Answers to the Non-Muslims Common Questions about Islam” গ্রন্থে অমুসলিমদের করা নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। সরাসরি জাকির নায়েকের মুখ থেকে এগুলো শুনতে ও দেখতে ইউটিউবে যেতে পারেন।
জাকির নায়েক: এক
কি সেই জবাব- কি সেই যুক্তি? এবারে সেটাই তাহলে সংক্ষেপে দেখা যাক:
“পৃথিবীতে কোরআনই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র একটি বিয়েই করা উচিত”– ঠিক এমনটি বলেই জাকির নায়েকদের যুক্তির শুরু। যেন বা নৈতিকতার বিচার অন্যসব ধর্মের সাথে তুলনা করেই হয়! মোল্লাদের খুব গর্বের সাথে গল্প করতে শুনা যায়- “বাকী সকল ধর্মগ্রন্থে (রামায়ন, গীতা, বাইবেল…) ইচ্ছেমত বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে, পুরোহিতরা মিলে একবিবাহ নিয়ম চালু করেন। কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থতে এব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। .. ১৯৫০ সালেও ইহুদীদের মধ্যে বহুবিবাহের প্রথা চালু ছিল। তারপর ইহুদী নেতারা এই প্রথা বন্ধ করেন।…. ১৯৫৪ সালে হিন্দু বিবাহ আইনে একবিবাহ প্রথা চালু হয়”। কথায় আছে- ভেড়ার পালে বাছুর পরমানিক, এ যেন গোবরের সাথে তুলনা করে হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠাকে কম দুর্গন্ধময় বলে ঘোষণা দেয়া! কিন্তু এরা যে বুঝতেও পারে না -ধর্মগ্রন্থে না থাকার পরেও যুগপ্রয়োজনে- সময়ের পরিবর্তনে ধর্মীয় প্রথাকে পাল্টিয়ে দেয়া যে কত মহৎ, কত বৈপ্লবিক!
যাহোক- একদম শুরুর যে দাবি- সেটা জাকির নায়েকরা কিসের ভিত্তিতে বলছে?
কোরআনে বলা হয়েছে:
“মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও, দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। তবে যদি আশঙ্কা হয় যে, তাদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরন করতে পারবে না তবে শুধুমাত্র একটি।” আল কোরআন (৪:৩)।
এবং:
“তোমরা চাইলেও নারীদের মাঝে ন্যায়বিচার করতে পারবে না…।” আল কোরআন (৪:১২৯)।
সুরা নিসার ৩ নং আয়াত এবং ১২৯ নং আয়াতের প্রথম বাক্যকে পাশাপাশি রেখে এরা এমনই ধারণা তৈরি করতে চায় যে- কোরআন অনুযায়ি- চারটি পর্যন্ত বিয়ার অনুমতি থাকলেও তার ক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য এবং মূল শর্তটি হচ্ছে স্ত্রীদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে হবে এবং ন্যায়বিচার করতে না পারার আশংকামাত্র থাকলেই শুধুমাত্র একটা বিয়ে করতে হবে (৪:৩) এবং স্পষ্টতই আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন- চাইলেও নারীদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা সম্ভব না (৪:১২৯)- সেহেতু চুড়ান্ত বিচারে দাঁড়াচ্ছে- কোরআনে একটি বিয়ের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। জাকির নায়েকের এই যুক্তিটুকু পড়লে বা শুনলে মনে হয় বাহ কি সুন্দর, ভালোই তো! কিন্তু জাকির নায়েক সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকায় জানি যে, এই লোক নিজের যুক্তি সাজাতে মিথ্যাচার করতে, কোরআনের আয়াত নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করে সুকৌশলে নতুন ব্যাখ্যা হাজির করতে- এমনকি মাঝে মধ্যে কোরআনের আয়াত-শব্দের প্রচলিত অর্থ পাল্টে ফেলতে সিদ্ধহস্ত। তাই সুরা নিসার ৩ নং ও ১২৯ নং আয়াত দুটি একটু যাচাই করার চেস্টা করি। ১২৯ নং আয়াতটি পুরো পড়লেই বুঝা যাবে:
And you will never be able to be equal [in feeling] between wives, even if you should strive [to do so]. So do not incline completely [toward one] and leave another hanging. And if you amend [your affairs] and fear Allah – then indeed, Allah is ever Forgiving and Merciful.
অর্থাৎ, “তোমরা চাইলেও নারীদের মাঝে ন্যায়বিচার করতে পারবে না”- এটা বলার পরপরেই যখন আল্লাহ মুমিন বান্দাদের উদ্দেশ্যে আহবান জানায়- “সুতরাং তোমরা কোন একজনের প্রতি সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়ো না ও অন্যজনকে ত্যাগ করো না”- তখন কি বলা যায়, জাকির নায়েক এর টানা সিদ্ধান্তটা খোদ আল্লাহর টানা সিদ্ধান্তর অনুরূপ? একটা ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্স করেছিলাম- সেখানে আইজেনস্টাইনের মনতাজ সম্পর্কে কিছু লেকচার দেয়া হয়েছিল। বিষয়টা অনেকটা এরকম। (আমার উদাহরণে বলছি)- ধরেন বারাক ওবামার একটা ৫ সেকেন্ডের শট – যেখানে ওবামা খুব উৎফুল্ল- দারুন হাসিখুশী- হাত তালি দিচ্ছেন। এডিটিং প্যানেলে এই শটের আগে আরেকটি শট যেখানে দেখা যায় ইরাকে বোমা ফেলা হচ্ছে- সেটা যুক্ত করে দিলে একরকম অর্থ তৈরি হয়, আবার পূর্ববর্তী শটে যদি নির্বাচনে জেতার নিউজ দেখানো হয় তবে আরেক অর্থ, পূর্ববর্তী শটে মিশেল ওবামাকে দেখালে একরকম অর্থ- আর হিলারি ক্লিনটনকে দেখালে আরেক রকম ইমপ্রেশন তৈরি হয়। সুরা নিসার দুই জায়গার দুটি আয়াতকে পাশাপাশি বসিয়ে একরকমের ইমপ্রেশন তৈরি চেস্টা দেখে মনে হলো- জাকির নায়েক ফিল্ম ডিরেকটর হলে খুব ভালো করতেন।
যাহোক, মোল্লাদের আরেকটি যুক্তি খুব জোরের সাথে করতে দেখা যায়- সেটা হলো: একের অধিক বিয়ে (চারটি পর্যন্ত) বিয়ে তো ফরজ না, সুন্নতও না, ওয়াজিব না, মুস্তাহাবও না। এটা কেবলমাত্র মুবাহ, মানে করলেও হয়- না করলেও হয়, একে কখনো উৎসাহিত করা হয়নি। অনেকে রেগে গিয়ে বলেই বসে- “আপনাকে তো বহুবিবাহ করতে বাধ্য করছে না- আপনার করতে ইচ্ছা না হলে করবেন না”। অবাক হয়ে ভাবি- এরা কি আপত্তির জায়গাটাই ধরতে পারছে না? বহুবিবাহ কেন নিষিদ্ধ নয়? কেন এটা একজন পুরুষের মর্জির উপর ছেড়ে দেয়া হলো? যে বহুবিবাহ করতে চায় না তাকে বাধ্য করা হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু মূল প্রশ্নতো- যে কামুক ব্যক্তি একের পর এক বিয়ে করে যেতে চায়- তার জন্য কি কোন বাধ্যবাধকতা রাখতে পেরেছে কোরআন?
না পারেনি। তবে কেন বাধ্যবাধকতা রাখেনি সেটার একটা বৈজ্ঞানিক কারণ হাজির করেছে জাকির নায়েকরা। বড়ই অভিনব সে কারণ। সেটাই তাহলে শুনি:
“সাধারনত নারীশিশু ও পুরুষশিশু সমান অনুপাতে জন্মায়। তবে নারীশিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বিধায়, তুলনামূলক নারীশিশু বেশি বাঁচে। এছাড়াও যুদ্ধ-বিগ্রহে, নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। দুর্ঘটনা ও রোগে, পুরুষদের মৃত্যুর হার বেশি। এটা স্বীকৃত যে, পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশিদিন বাঁচে। এসব কারনে, যেকোন নির্দিষ্ট সময়ে জরিপ করলে দেখা যায়, বিপত্নীকদের চেয়ে বিধবার সংখ্যা বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৭৮ লক্ষ বেশি। শুধুমাত্র নিউইয়র্কে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১০ লক্ষ বেশি। নিউইয়র্কে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ নারী। যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৫০ লক্ষ পুরুষ সমকামী (নারীদের বিয়ে করতে উৎসাহী নয়)। কাজেই, যদি একজন পুরুষ একজন নারীকে বিয়ে করে তাহলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৩ কোটি নারী সঙ্গীহীন থেকে যাবে। একইভাবে যুক্তরাজ্যে ৪০ লক্ষাধিক, জার্মানীতে ৫০ লক্ষাধিক, রাশিয়ায় ৯০ লক্ষাধিক নারী সঙ্গীহীন থাকবে। ধরা যাক, আমার বোন যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গীহীন অবস্থায় আছে অথবা ধরুন আপনার বোন যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গীহীন রয়েছে। তাহলে, তার সামনে ২টি পথ খোলা আছে।
১. বিবাহিত কোন পুরুষকে সঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে হবে।
২. ‘জনগণের সম্পত্তি (public property) হতে হবে।”
এই যুক্তি অভিনব তো বটেই, তারচেয়ে বেশি এটা অশ্লীল। সঙ্গীহীন থাকলে আমার বোনের সামনে দুটো পথই খোলা থাকবে? বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করতেই হবে, নচেত প্রোস্টিটিউশনে নামতেই হবে? এই যুক্তির পক্ষে বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে বলা হচ্ছে: “এটা ঠিক যে, অধিকাংশ নারীই স্বামীকে শুধু নিজের বলেই প্রত্যাশা করেন। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে এই ক্ষুদ্র প্রত্যাশা ত্যাগ করা শ্রেয়”। অবাক লাগে- কতখানি পারভার্ট হলে এমন কথা লোকে বলতে পারে! নারীদের এরা কি চোখে দেখে?
আর জাকির নায়েক যে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে সেখানেও একটা বড় রকমের ফাঁক আছে। সেটাই এবারে দেখি:
জাকির নায়েকের তথ্যমতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, রাশিয়ায় পুরুষের চেয়ে নারীর মোট সংখ্যা বেশি। ঠিক আছে। কিন্তু গোটা দুনিয়ায় নারী-পুরুষ এর অনুপাতটা কেমন? এই অনুপাত- ১:১.০৫, মানে পুরুষের সংখ্যাই বেশী।
এবারে আসুন বয়সের হিসেবে দেখি-
নারী:পুরুষ-
জন্মের সময়- ১:১.০৫
১৫ বছরের নিচে- ১:১.০৫
১৫-৬৪ বছর- ১:১.০২
৬৫ কিংবা তদুর্ধ- ১:০.৭৮
কাজেই দেখা যাচ্ছে এই যুক্তি তখনই খাটে যখন নবীন পুরুষ অতি প্রবীণ নারীদের বহুবিবাহ করে!!!!
এবার, জাকির নায়েকদের উল্লেখ করা যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যাক।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৩৪,৭৭৪,৮৯৪ জন পুরুষ এবং ১৪০,৭৮৭,৭৭৯ জন নারী।
অর্থাৎ ৬ মিলিয়নের মত নারী বেশি। এদের মধ্যে ৫.৯ মিলিয়নই কিন্তু ৬৫ বছরের উর্ধে!!
সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত নারী পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষেরা মোটামুটি ১৮-৪০/৪৫ বছর বয়সে তাদের প্রথম বিয়ে করে থাকে বলেই জানি। সেক্ষেত্রে এক পুরুষ এক নারী বিয়ে করলে অনেক নারীকে বিয়ে করার মত পুরুষ পাওয়া যাবে না বলে যে দাবী করা হচ্ছে তা অবান্তর।
আর, ৬৫ উর্ধ নারীদের সংখ্যা বেশী। সেক্ষেত্রে দুটো বিষয় হতে পারে। এক: এরা বিবাহিত কিন্তু স্বামী মারা গিয়েছে অর্থাৎ এরা বিধবা; অথবা এরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত কোন কোন কারণে বিয়ে করেনি।
এই অংশটুকু যদি স্বামীর ঘর করতে চায় তবে পুরুষ পেতে সমস্যা হতে পারে। বিধবাদের ক্ষেত্রে বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় সন্তান-সন্ততি, নাতিপুতি নিয়েই এমন ব্যস্ত এবং সামাজিক অবস্থা এমনই যে বিয়ে করা হয় না, বা বিয়ে করার চিন্তাই মাথাতে আসে না। কেননা, মেনোপেজের পরে শারীরিক চাহিদাটাও সেরকম থাকে না, ফলে সঙ্গী শুধু মানসিক সঙ্গের জন্যই প্রয়োজন হতে পারে, সেটা সামাজিক পরিমণ্ডলই পূরণ করতে পারে। আর যাই হোক পোস্টদাতার কথা মত অন্য বউ আছে এমন লোককে ৬৫ বছরের এক বুড়ি বিয়ে করতে না যাওয়ারই কথা, আর পাবলিক সম্পত্তিতে পরিণত হওয়াটা তো শুধুই পাগলের প্রলাপ। আর ৬৫ বছর পর্যন্ত বিয়ে না করে থাকলে, ৬৫ বছর পার হওয়ার পরে বিয়ে করার জন্য উতলা হবে এমন সম্ভাবনাও কম দেখি। আর যদি ৬৫ বছরে এসে বিয়ে করতে মনস্থির করে শেষে পাত্র যদি নাই পাওয়া যায়, তবে সেটাও মনে হয় সেই নারী মেনেই নিবেন। পাবলিক সম্পত্তিতে পরিণত হওয়া বা সতীনের ঘরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা পোস্টদাতার মত কিছু ধর্মান্ধের প্রভাবপুষ্ট নারী আত্মীয় স্বজনেরা ব্যতিত কমই দেখি।
এবারে আসুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেখানে বহুবিবাহের হার অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি সেগুলোর নারী-পুরুষের অনুপাত দেখি-
নারী : পুরুষ-
বাহরাইন- ১ : ১.৩
জর্দান- ১ : ১.১
কুয়েত- ১ : ১.৫
ওমান- ১ : ১.৩১
কাতার- ১ : ১.৯৩
সৌদি আরব- ১ : ১.২৪
আরব আমিরাত- ১ : ১.৫১
(২০০০ সাল পর্যন্ত) (সূত্র: উইকিপিডিয়া এবং সি আই এ ফ্যাক্ট বুক)
উপর থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এরা কেউই নারীর আধিক্যের কারণে বহুবিবাহ করেনা। এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে এই নারীদের অনেকেই ৬৫ বছরের উর্ধে, কাজেই বিবাহযোগ্য নারীর সংখ্যা কিন্তু আরো কমে যাচ্ছে!!
অনেককে আবার এমনও যুক্তি করতে শুনা যায়: “বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বহু বিবাহ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে প্রয়োজনকে সামনে রেখেই ইসলাম বহু বিবাহের অনুমোদন দান করেছে। এখন আসুন আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি বহু বিবাহের সেই বিশেষ প্রয়োজনীয় দিক গুলি কি কি? (১) কেউ তার বংশের ধারা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক; কিন্তু তার বর্তমান স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম। এ ক্ষেত্রে পুরুষ বর্তমান স্ত্রীকে সাথে রেখে আরেকটি বিয়ে করতে পারেন। (২) বর্তমান স্ত্রী স্বামীর যৌন চাহিদা মিটাতে অক্ষম হলে (৩) কোন কোন মানুষের যৌন শক্তি খুব প্রবল ও প্রচন্ড হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তার একাধিক বিয়ের প্রয়োজন হতে পারে। (৪) যুদ্ধ বিগ্রহ-মহামারী- দুর্ঘটনা ইত্যাদির কারণে কোন দেশে পুরুষের সংখ্যা সাংঘাতিক ভাবে হ্রাস পেলে মহিলাদের সার্থেই বহু বিবাহ প্রয়োজন হতে পারে। উপরোক্ত ক্ষেত্রে সমাজ এবং মহিলাদের উচিৎ সহেযোগীতা করা”।
এই সমস্ত যুক্তিকে মানতে হলে- আরো কিছু প্রশ্ন চলে আসে- জাকির নায়েকরা সেসবের জবাব কেমন করে দিবেন?
# এই সমস্ত ঘটনা কোন নারীর সাথে হলে , মানে ১) কেউ তার বংশের ধারা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক; কিন্তু তার বর্তমান স্বামী সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে, (২) বর্তমান স্বামী স্ত্রীর যৌন চাহিদা মিটাতে অক্ষম হলে (৩) কোন কোন স্ত্রীর যৌন শক্তি খুব প্রবল ও প্রচন্ড হলে (৪) কোন কারণে কোন দেশে নারীর সংখ্যা সাংঘাতিক ভাবে হ্রাস পেলে —— তখন কি নারীর বহু স্বামী জায়েজ হবে?
# যদি লিঙ্গনির্দিষ্ট গর্ভপাত নাও করা হয়, জীববৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসারেই একটি জনগোষ্ঠীতে জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়ে শিশুর অনুপাতের থেকে ছেলে শিশুর অনুপাত বেশি থাকে (জার্মানিতে ৯৪:১০০)। কিন্তু সমান সুযোগ-সুবিধা পেলে বিভিন্ন বয়স-বর্গে মেয়েদের থেকে ছেলেদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি হওয়ার ফলে মোট জনসংখ্যায় নারীর আধিক্য দেখা যায়। বাংলাদেশে লিঙ্গনির্দিষ্ট গর্ভপাত ধর্তব্যের মধ্যে না হলেও, খাদ্য, পুষ্টি, চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকায় পুরুষের আধিক্য (১০৬:১০০) রয়েছে। আপনাদের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা (!) অনুযায়ী এখানে প্রায় ৩০ লক্ষ পুরুষ অবিবাহিত থেকে যাবে। তাদের জন্য সমাধান কি?
# যুক্তরাষ্ট্রের সমকামী পুরুষদের হিসাবের পাশে সমকামী নারীর হিসাবকে কেনো গোপন রাখা হলো?
# পাশ্চাত্যে যেমন অনেক পুরুষ বিবাহের বাইরে সম্পর্ক বজায় রাখে, অনেক নারীও নিশ্চয়ই রাখে। এই প্রসঙ্গ কতটা প্রাসঙ্গিক?
২। পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি থাকলেও নারীদের নেই কেন?
জাকির নায়েকের কাছ থেকে শুনতে ইউটিউবে যান।
জাকির নায়েক: তিন
সুরা নিসায় (৪:২২-২৪) এমন নারীদের তালিকা দেয়া আছে যাদের মুসলমান পুরুষ বিয়ে করতে পারে না। সেখানে বিবাহিত নারীদের কথাও বলা আছে। অর্থ্যাৎ, বিবাহিত নারীদের বিয়ে করা মুসলমান পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ। নারীদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার জন্য কারণ হিসাবে জাকির নায়েকরা যেসব যুক্তি হাজির করেছেন সেগুলো হচ্ছেঃ
১) “একজন পুরুষ যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে সহজেই তার সন্তানের পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ, আলাদাভাবে সেই সন্তানের পিতা-মাতা সনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি একজন নারী যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে জাত সন্তানের পিতার পরিচয় নিয়ে সংশয় হতে পারে। ইসলামে মাতা-পিতা উভয়েরই সণাক্তকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যে সন্তান তার মাতা-পিতা এবং বিশেষত পিতার পরিচয় জানে না তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই সন্তানের তার পিতার নামের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সেই সন্তানের পিতার নাম কি একাধিক হবে? যদিও আমরা জানি যে, বর্তমানে বিজ্ঞান যথেষ্টই উন্নতি সাধন করেছে এবং আজকাল নিভূলভাবে পিতা-মাতার সণাক্তকরন সম্ভব। সেক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি বর্তমানের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু এই প্রযুক্তি এই তো সেদিনের, আর ইসলাম সবসময়ের ধর্ম- কিছুদিন আগেও এতা সনাক্ত করা সম্ভব ছিল না।”
২) “প্রকৃতিগতভাবেই বহুবিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি আগ্রহী। পুরুষ স্বভাবতই বহুগামী। একইকারনে, একজন পুরুষ একের অধিক স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণে সক্ষম। কিন্তু একজন নারী সাধারনত এই সক্ষমতার অধিকারী নয়”।
৩) “আলাদা আলাদা পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে একজন নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে। শারীরিক প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদ নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি”।
৪) “যদি নারীর একাধিক স্বামী থাকে তবে দেখা যাবে, একই সময়ে তাকে একাধিক পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে হতে পারে। আর এভাবে যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবণা অত্যধিক। কিন্তু বিপরীতক্রমে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে এই সমস্যার উদ্ভব হয় না”।
জাকির নায়েকদের করা উপরের যুক্তিগুলো একাধারে মিথ্যাচার ও ভুলে ভরপুর, অশ্লীল, উদ্ভট এবং বিকৃত মস্তিস্কজাত। সেগুলো নিয়ে ধরে ধরে কথা বলার আগে- মানব ইতিহাসের দিকে একটু দৃষ্টি দেই। আমরা জানি যে- একসময় মানুষের সমাজব্যবস্থা ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং তখন নারীদের বহুগামিতা সামাজিকভাবে সমর্থনযোগ্য ছিল। সে সময়ে সন্তানেরা কেবল মায়ের পরিচয়েই বেড়ে উঠতো। বলা হয়ে থাকে- দুনিয়ার প্রথম ডিফাইনড সম্পর্ক হচ্ছে “মা”। আজকের যুগেও তিব্বত- নেপাল সহ অনেক জায়গাতেই নারীর বহুবিবাহের চল আছে। নীচের এই ভিডিওতে নেপালের এমনই একটি পরিবারকে দেখা যাচ্ছে।
নারীর বহুবিবাহ: নেপাল
এবারে জাকির নায়েকদের করা (কু)যুক্তিগুলো একে একে দেখা যাক:
১) নারীর একাধিক স্বামী থাকলে, সন্তানের বাবাকে নির্দিষ্ট করণ আজ সম্ভব। সবসময়ের ধর্ম বলে যে দাবী সেটা খাটে না কারণ- কোন নিয়ম-কানুনই সবসময়ের জন্য একই থাকতে পারে না, যেহেতু মানুষ-মানুষের সমাজ- তার জানা বুঝা- আহরিত জ্ঞান, বিজ্ঞান-প্রযুক্ত সবই পরিবর্তনশীল। আর, বাবা কে না জানলে সন্তান খুব কষ্টে থাকে – এটাও যে মিথ্যা সেটা উপরের ভিডিওতে নেপালের সন্তানদের দেখেই বুঝতে পারছেন। জাকির নায়েক সোসাল সাইকোলজির এই দিকটা বেমালুম চেপে গেছেন । আমাদের এই সমাজে কয়েক জন বাবা থাকাটাকে আমরা “খারাপ” বলি বলেই সন্তান নির্দিষ্ট বাবার পরিচয়ের অভাবে মানসিকভাবে সমস্যায় ভোগে- কিন্তু বুঝতে হবে সেটা এই সমাজই সন্তানকে অমন করতে বাধ্য করে। যে সমাজে কোন সন্তানের একাধিক বাবা থাকাটা খুব স্বাভাবিক, সেখানে সন্তান একাধিক বাবা দেখেই অভ্যস্ত এবং এটাতে সে মানসিকভাবে কোন সমস্যায় না ভুগারই কথা।
২। পুরুষ স্বভাবতই বহুগামী – কথাটাই আপত্তিকর। পুরুষরা কি সারাক্ষণ বহুনারীতে উপগত হইবার চিন্তায় ব্যস্ত থাকে? আর যদি থাকেই , তাহলে নিজের চারটা স্ত্রী থাকলেও তারা ৫ম, ৬ষ্ঠ কোন নারির প্রতি আকর্ষিত হতে পারে?
৩। মানসিক ও বায়োলজিকাল কারনে নারী বহু স্বামীর সাথে ঘর করতে পারে না – এটাও নেপালের ভিডিও দেখে বুঝবেন যে মিথ্যা । শিডুল মেনে সব কয়জন স্বামীর সাথেই সুখে দাম্পত্য করতে দেখা যাচ্ছে নেপালী বউদের ।
৪। বহু স্বামী থাকলে যৌন রোগের সম্ভাবনা আছে, বহু স্ত্রী থাকলে নাই- এমন কথা একজন মূর্খের পক্ষেই বলা সম্ভব। জাকির নায়েকদের মুখ থেকে এই ধরনের “জেন্ডার বেসড” রোগের নাম শুনতে পারলে ভালো হতো। আর, রোগ ছড়ানোর ব্যাপারে- নারীর বহুগামিতা নয়, একগামি পুরুষ থেকে নারীতে বা নারী থেকে পুরুষে যৌনবাহিত রোগ ছড়াতে পারে। ফলে- এক পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকলে কোন একজনের যৌনবাহিত রোগ হলে সেটা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে- সেক্ষেত্রে রোগের বাহক হিসাবে স্বামী ব্যবহৃত হবে, অপরদিকে এক নারীর একাধিক স্বামী থাকলে- কারো কোন যৌনবাহিত রোগ হলে- ঐ নারী বাহক হিসাবে কাজ করবে।
৩। নারীদের বোরকার আড়ালে রেখে অবমাননা করা হয় কেন?
এবারেও জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনে ও দেখে আসুন।
জাকির নায়েক: চার
জাকির নায়েকরা এই প্রশ্নের জবাবের শুরুতেই – আগের সমাজগুলোতে নারীর অবস্থা কেমন ছিল সে সম্পর্কে একটা লম্বা ফিরিস্তি দেয়। ব্যবিলীয়নীয় যুগে, গ্রীক সভ্যতায়, রোমান সভ্যতায়, মিশরীয় সভ্যতায় এবং ইসলাম পূর্ব আরবে নারীদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল- নারীদের জ্যান্ত পুড়ানো হতো- মেরে ফেলা হতো, নগ্নতা – পতিতাবৃত্তি খুব সাধারণ ছিল, নারীরা সব ধরণের অধিকার ও সুবিধা বঞ্চিত ছিল.. ইত্যাদি। এমন ঢালাও আলাপ যে প্রলাপমাত্র তা বলাই বাহুল্য, ইতিহাস নিয়ে যাদের নাড়াচাড়া আছে- তারা এটা জানে। যাহোক, জাকির নায়েকদের আলোচনায় ফিরে যাই। তাদের এই ফিরিস্তি হাজির করার উদ্দেশ্য ভালোই বুঝা যায়। তারা এই ফিরিস্তি দেয়ার মাধ্যমে এটাই প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে- ইসলামই প্রথম নারীদের তাদের সুষম মর্যাদায় অধিষ্টিত করেছে এবং এই মর্যাদা যেন বলবৎ থাকে তার ব্যবস্থাও ইসলাম করেছে, অর্থাৎ ইসলাম যেসমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে তা এই মর্যাদা বলবৎ রাখার জন্য। কি সেই ব্যবস্থা? নারীদের হিজাব।
কোরআনে বলা হয়েছে: “মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তারা যেন সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তারা যেন মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে। তারা যেন স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদী, যৌণকামনামুক্ত পুরুষ বা বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত কারও কাছে সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। গোপন সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য তারা যেন জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগন, তোমরা আল্লাহর সামনে তওবা কর যেন সফলকাম হতে পার।” [সুরা আন-নূর (২৪:৩১)]
হিজাবের অত্যাবশ্যকীয়তা নিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে:
“হে নবী, আপনি আপনার পত্নীগণ, কন্যাগণ, ও মুমিন স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের অংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়, এতে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তারা উত্যক্ত হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ।” [সুরা আল-আহযাব (৩৩:৫৯)]।
নানা কথার ভিতর দিয়ে আসলে এই হিজাবের পেছনে একটি যুক্তিই পেলাম। তা হলো মোদ্দা কথায়- নারীরা হিজাব না পরলে- পুরুষদের কাম জাগ্রত হতে পারে। জাকির নায়েকরা একটা চমৎকার(!) উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বুঝিয়ে দেয়: “দুজন যমজ বোনের কথা ধরা যাক। তারা দুজনই সমান সুন্দরী। রাস্তায় হেটে যাবার সময় তাদের একজন ইসলামী হিজাব পরিধান করেছে অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণ দেহ কাপড়ে আবৃত শুধু মুখ ও হাতের কব্জি বাদে। এবং অন্যজন পাশ্চাত্যের মিনি স্কাট ও শটস পরেছে। রাস্তার পাশে কিছু বখাটে ছেলে বসে আছে। আপনার কী মনে হয়, তারা এই দুই বোনের মধ্যে কাকে উত্যক্ত করবে? যে ইসলামী হিজাব পরিধান করেছে তাকে নাকি যে পাশ্চাত্যের পোশাক করেছে তাকে। নিঃসন্দেহে যে পাশ্চাত্যের পোশাক পরেছে তাকে। আসলে এই ধরনের পোশাক বিপরীত লিঙ্গকে আগ্রাসী হবার পরোক্ষ আমণ্ত্রণ জানায়”।
বখাটে ছেলেরা তো হিজাব পরিরহিত একজনকেও উত্যক্ত করতে পারে, আমার প্রশ্ন হলো- ঐ জায়গায় জাকির নায়েক থাকলে কাকে করতো? কোনজনকে দেখে উত্যক্ত করতেন বা তার কামের উদ্রেক ঘটতো? যাহোক, নায়েকদের কথা আরেকটু শুনি। পাশ্চাত্যের তথা যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের নগ্নতা জাকির নায়েকদের মোক্ষম যুক্তি, সর্বশেষ অস্ত্র। জাকির নায়েকরা যুক্তরাষ্ট্রকে পৃথিবীর সর্বাধিক উন্নত দেশ হিসাবে অভিহিত করে জানান দেয় যে- যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের সংখ্যাও সর্বাধিক। শেষে চমৎকার একটা সমাধানও দেয়া হলো, “কোন নারীকে দেখামাত্র পুরুষ তার দৃষ্টি নত করবে, নারীরা ইসলামী হিজাব পরিধান করবে এবং এরপরও যদি কোন ব্যক্তি ধর্ষণ করে তবে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে”। জাকির নায়েকরা নিশ্চিত, এতে করেই যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ একদম না-ই হয়ে যাবে। যেনবা, যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলোতে ধর্ষণের মূল কারণ নারীদের বেপর্দা থাকা বা হিজাব না পরা! আজব!!
যুক্তরাষ্ট্রের গল্প শোনানো হচ্ছে- কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য বা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নারীর সেক্সুয়াল এবিউজমেন্টের হার কি কম? এইসব অঞ্চলে- বেশীরভাগ ঘটনাই প্রকাশ পায় না- আড়ালে থেকে যায়। সেদিন একটি রিপোর্টে পড়ছিলাম- শিশুকন্যার সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট নিয়ে- আমাদের মতো দেশগুলোতে ৬০ ভাগেরও বেশী শিশুকন্যা সেক্সুয়ালি কোন না কোন ভাবে হ্যারাজড হয় (শিশুকন্যা বলতে ১২/১৪ বছর বয়সের পূর্বে বাচ্চাদের বুঝিয়েছে)। আরো মজার কাহিনী হচ্ছে- এদের ৯০ ভাগেরও বেশী হ্যারাজড হয় না কি ফ্যামিলি মেম্বারদের দ্বারা- কাজিন, চাচা-মামা-দাদা কেউ সেই লিস্ট থেকে বাদ নেই! ঐ বাচ্চাগুলোকে বোরখা দিয়ে ঢেকে রাখলেই এসব বন্ধ হবে?
আর, উত্যক্ত করার যে উদাহরণটা জাকির নায়েক দিয়েছে- সেটা তার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলকে তুল্যজ্ঞান করেই দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উত্যক্ত করাটা সংস্কৃতি ভেদে ভিন্ন হবে। যে সমাজে মিনি স্কার্ট ও শর্টস একটি স্বাভাবিক পোষাক হিসেবে ব্যবহৃত ও স্বীকৃত কিন্তু হিজাব নয়, সেখানে হিজাবধারীকে উত্যক্ত করা হতে পারে। আর যে সমাজে হিজাব স্বাভাবিক, শর্টস ও মিনি অব্যবহৃত সেখানে উল্টো ঘটনা ঘটবে।
নীচে দক্ষিণ আফ্রিকার জুলু আদিবাসীদের নাচের একটা ভিডিও দেয়া হলো, এই লিংকে (জুলু ও ইথিওপিয়া) আর কিছু ভিডিও আছে,- দেখে আমাকে বলেন- এই সব ন্যাংটো-আধা ন্যাংটো ট্রাইবাল নারীদের বুক পাছা দেখে জাকির নায়েকদের যেমন অনুভূতি হয়- তা কি ওদের পুরুষদেরও হয়?
জাকির নায়েক: চার
শুধু একটা তথ্য দিতে পারি- এইসব ন্যাংটো মেয়েদের দিনে রাতে দেখেও ওদের পুরুষেরা উত্যক্ত করার কথা কল্পনাও করতে পারেনা, এরা হয়তো- অন্য সমাজের পুরুষদের (যারা নিজেদের সমাজে লজ্জা নিবারনের পোষাকে অভ্যস্ত) হাতে রেপড হতে পারে- কিন্তু এখানকার পুরুষদের হাতে তাদের নারীদের রেপ করার তেমন কোন নজির নেই।
পরিশিষ্ট:এক
এসব প্রশ্নের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন আলোচনা পেলাম না। প্রশ্নগুলো এখানে উল্লেখ করছি। জাকির নায়েক বা অন্য কোন মোল্লাকে এসবের জবাব দেয়ার চেস্টা করতে দেখলে- অনুগ্রহ করে একটু জানান দিয়েন।
১) কোরআনে যেহেতু একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে কেন? এর মধ্য দিয়ে দুইজন পুরুষকে একজন নারীর সমকক্ষ হিসাবে কি গণ্য করা হলো না?
২) কোরআনে স্ত্রীকে বেধরক প্রহারের অধিকার স্বামীকে দেয়া হয়েছে। এটা কি অমানবিক নয়? একই অধিকার স্ত্রীকে দেয়া হয়নি কেন? এটা কি সম অধিকার বা ন্যায়পরায়নতা প্রকাশ করে?
৩) কোরআনে নারীদের মাসিক রজঃস্রাবকে অশুচি হিসাবে গণ্য করা হয়েছে কেন? এসময়ে নারী কেন ধর্মীয় কাজকর্মের (নামাজ-রোযা প্রভৃতি) পর্যন্ত অধিকার পাবে না?
৪) কোরআনে স্ত্রীকে শষ্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করে হেয় করা হয়নি কি?
৫) কোরআনে যেহেতু নারীকে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি দেয়া হয়েছে। কেন? এর মধ্য দিয়ে কি প্রমাণ হয় না যে নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়নি?
৬) কোরআনে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করাকে নিষিদ্ধ করা হয় নি কেন?
৭) কোরআনে অমানবিক হিলা বিয়ের কথা লিখা আছে কেন?
৮) কোরআনে যুদ্ধবন্দী/ক্রীতদাসীদের সাথে সেক্স করার কথা লিখা আছে- এটা অমানবিক নয় কি? (এ প্রসঙ্গে মাহমুদ রহমানের এই পোস্টও দেখেতে পারেন।)
পরিশিষ্ট:দুই
পরিশেষে, প্রাসঙ্গিক কিছু কোরআনের আয়াত উল্লেখ করাও হচ্ছে:
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্খা কর এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও। ২-২২৩
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ্ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। ২-২২৮
আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন: একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর অংশের সমান। অত:পর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অত:পর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যেতর পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। ৪-১১
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ্ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহ্কে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অত:পর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহ্র কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরপর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহ্কে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ্ সব কিছু জানেন। ২-২৮২
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অত:পর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। ২-২৩০
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ্ তার কাজ সহজ করে দেন। ৬৫-৪
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ্ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। ৪-৩৪
সকল সধবা নারীদের তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, কিন্তু তোমাদের স্বত্বাধীন যেসব দাসী রয়েছে তাদের হারাম করা হয়নি। এ হল তোমাদের জন্য আল্লাহর বিধান। এদের ছাড়া অন্য সব নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে এ শর্তে যে, তোমরা তাদের কামনা করবে অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয়। বিয়ের মাধ্যমে যে নারীদের তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের দিয়ে দিবে তাদের নির্ধারিত মহর। আর তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি মহর নির্ধারণের পর তোমরা কোন বিষয়ে পরষ্পর সম্মত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, হেকমতওয়ালা। ৪-২৪
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
সামহোয়ারইনব্লগের রাগ ইমন, আমি ও আঁধার, মনির হাসান, নিরুদ্দেশ নীহারিকা, খলদুন,বৃত্তবন্দী প্রমুখ ব্লগার।
(আসলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার জাকির নায়েক সাহেবের নিকট ও তার শিষ্যের নিকট!!)
এই প্রবন্ধে আর কোন মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না। মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হলো।
এই থ্রেডে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়ার সময় এসে গেছে। এই রকম আজাইরা আলোচনা চালিয়ে যাবার আর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
স হ ম ত :yes:
এই নাস্তিকদের গনহত্যা আর ধার্মিকদের গনহত্যার মিল অমিল নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। কেউ যদি পণ করে বসেই থাকেন যে তিনি কিছুতেই বুঝবেন না তবে কার সাধ্য তাকে বোঝায়?
জিয়াউর রহমানকে এদেশের ইসলামপ্রিয় লোকজন একচেটিয়াভাবে সমর্থন করে। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহ যোগ করে, রাজাকার কিসিমের লোকজনকে বুকে টেনে এই ব্যাপক সমর্থন লাভ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। কারো নিশ্চয়ই মেনে নিতে আপত্তি নেই। ভাল কি খারাপ সে বিবেচণায় এখানে যাচ্ছি না।
এই জিয়াউর রহমান যেভাবে প্রহসনের বিচারে তার নিজের জীবন রক্ষাকারী কর্ণেল তাহের, ৭৭ এর বিমান/সেনা অভ্যুথানে শত শত নিরপরাধ মানুষকে বিনা বিচারে ফাসীতে ঝুলিয়েছেন তাতে তাকে রক্তলোলুপ ম্যানিয়াক বললে তেমন কোন ভুল হয় না।
এখন কোন নাস্তিক যদি দাবী করেন জিয়া ইসলামী আদর্শে বিভোর হয়ে এসব খুনাখুনি করেছিলেন তা কি ফুয়াদ সাহেব মেনে নেবেন? তিনি কি প্রথমেই চ্যালেঞ্জ করবেন না ইসলামের কোন নির্দেশাবলিতে এধরনের বিনা বিচারে গুম খুনের বিধান আছে? কাজেই, এসব অন্যায় গুম খুনের দায় ব্যক্তি জিয়ায়, ইসলামের নয়।
একই কথা খাটে নাস্তিক ষ্ট্যালিন, পলপট আরো অনেকের গনহত্যার সম্পর্কে। প্রশ্ন করতে হবে যে নাস্তিকতার স্বার্থে কি তারা এসব গনহত্যা করেছিল কিনা? যদি উত্তর হ্যা হয়, তবে নাস্তিকতাকে দায়ী করা যায়। আর যদি না হয়, অর্থাত নাস্তিকতা ছাড়া অন্য কোন কারনে তারা হত্যা করে তবে বলতে হবে যে এক্ষেত্রে নাস্তিকতার কোন ভূমিকা নেই।
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ ঐ উদাহারন টানার জন্য ।
আসুন দেখে নেই ,জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহের আর বিমান বাহীনির অফিসার মেরেছেন ।
প্রশ্ন কেন ? উত্তর ঊনার প্রতিদন্ডি ছিল ।
এখন, যদি জিয়াউর রাহমান কোন নিরাপরাদ হিন্দু বা নাস্তিক কে মারতেন যে অবশ্যই তার প্রতিদন্ডি নয় তাহলে আপনি ঐ কথা বলতে পারতেন ।
এখন,
সিভিয়েট ইউনিয়ন যদি গরীব মসুলমানকে মারে অথবা অবিচার করে, তাহলে অবশ্যই সে ধর্মের কারনে মেরেছে কারন সে ধনী বুর্জা নয় । যেহেতু, কমিউনিজম নাস্তিকতা পালন করে যা ধর্মের বিরুধিতা করে । এবং কমিঊনিস্টরা নিরাপরাদ গরীবকে ধর্মের কারনে অবিচার করে বা হত্যা করে , সেহেতু অবশ্যই কমিঊনিস্টরা নাস্তিকতার জন্য এ কাজ করেছে ।
তাছাড়া, নাস্তিকরা সব সময় সামনে না এসে পিছন দিকে ছুড়ি চালাতে উস্তাদ । ধন্যবাদ
@ফুয়াদ,
আপনাকে বোঝানোর দায়িত্ব আমি আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি, কেননা কোন মানুষের পক্ষে আসলেই সম্ভব নয় এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি।
@আদিল মাহমুদ,
😀
বোঝানোর দায়িত্ব যার হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন তিনিও পারে কিনা সন্দেহ। বাহীনি, প্রতিদন্ডি, বুর্জা, বিরুধিতা, নিরাপরাদ, ছুড়ি, – এ ধরণের মহামূল্যবান নতুন নতুন বাংলা শব্দ দেখে হয়তো ফুয়াদকেই গুরু ( :guru: ) মেনে সিংহাসন ছেড়ে দিতে পারে, কেন জানে!
পৃথিবী,মুক্তমনা হতে ব্যস্ততার জন্য একটু দূরে থাকাতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরী হলো।”সমাজতন্ত্র মানেই নাস্তিকতা” এ কথা আমি বলি নি।ইসলাম ধর্মে সমাজ তন্ত্রের কথা আছে একটু ভিন্ন ভাবে এবং তা খুবই বাস্তবভাবে প্রয়োগ করা যায়,মানুষকে মেরে,ধরে জোর করে তার উপর চাপিয়ে দেয়ার দরকার নেই।”লেনিন,স্ট্যালিন সমাজ তন্ত্র বাদ দিয়ে নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন ”-এ ধরণের কথা ও আমি বলি নি তাই প্রমাণ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
কম্যুনিজম মূলত নাস্তিকতা প্রসূত ধারণা এটা আরেক টু পড়াশোনা করলেই বুঝতে পারবেন।
@al murshed,
আরেকটি অসাধারন জ্ঞান লাভ করলাম। নাস্তিকতা থেকে কম্যুনিজম এসেছে! এত জ্ঞান দেখে আহ্লাদে ডিগবাজি খেতে ইচ্ছা করছে।
(১) বস্তুবাদ থেকে লেনিনিস্ট কমিনিউজমের উৎপত্তি। বস্তুবাদ থেকে নাস্তিকতার ও উৎপত্তি। তাহলে নাস্তিকতা থেকে কমিনিযউজম আসে কি করে? বস্তুবাদ থেকে নাস্তিকতা আসে। কিন্ত সব বস্তুবাদই কমিনিউজম হয় না। আম্রা বস্তুবাদি কিন্ত কমিনিউস্ট না। এমন কি ধনতন্ত্রের সংজ্ঞাও সম্পত্তি বাড়ানোর জন্যে যুক্তিবাদ।
অর্থাৎ
A= materialism
B=communism
C=Atheism
এখন
A–>B
And
A–>C
হলে
C–>B
হয় না।
(২) ধার্মিকদের মধ্যেও কমিনিউস্ট সম্প্রদায় আছে। যেমন আমেরিকার আমিশরা।
এই ধর্মীয় প্রতিবাদিরা মিড ওয়েস্টে কমিউন তৈরী করে থাকতেণ-যে কমিউনে ব্যাক্তি উপার্যন এবং সম্পত্তি নিশিদ্ধ ছিল। আমেরিকা আইন করে এদের বন্ধ করে। তবে কমিউন এখনো আছে দর্শকদের জন্যে।আমি এদের মধ্যে একদিন থেকেওছি।
যাইহোক ইসলামিস্টদের এবং কমিনিউস্টদের জ্ঞান গম্যি আমাকে প্রচুর আনন্দ দেয়।
@al murshed,
হ্যা স্ট্যালিন নাস্তিক ছিলেন, কিন্তু নাস্তিকতার জন্য স্ট্যালিন কিন্তু হত্যাযজ্ঞ ঘটাননি। তিনি যদি অমানবিক হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে থাকেন সেটা তিনি করেছেন কমিউনিজম নামক দর্শনে বিশ্বাসের কারণে (শ্রেনী শত্রু মারা, বুর্জোয়া খতম করা ইত্যাদির শ্লোগান কমিউনিজমের সাথে যায়, নাস্তিকতার সাথে নয়), নাস্তিকতার কারনে নয়। ফলে স্ট্যালিন কিংবা মাও সেতুং এর কাজের পেছনে নাস্তিকতাকে দায়ী করা ভ্রান্ত। স্ট্যালিন কিংবা মাও নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের বিরোধী লোকজনের উপর খুন, জখম, জেল- জুলুম করেননি, সেগুলো করেছিলেন কমিউনিস্ট মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার নামে। এদের কাজের জন্য নাস্তিকতাকে দায়ী করা সমীচিন নয়। বার্ট্রান্ড রাসেল, রিচার্ড ডকিন্স কিংবা স্টিফেন ওইনবার্গ – এদের মত ব্যক্তিত্বরাও নিজেদের ‘নাস্তিক’ হিসেবে পরিচিত করেন এবং নাস্তিকতা প্রচার করেন কোন রকম রাখডাক না রেখেই – কিন্তু কই তারা তো খুন রাহাজানি বা গনহত্যা করেননি কিংবা করছেন না। কাজেই নাস্তিকতা মুল কারণ নয়, বুঝতেই পারছেন।
কেউ ঘটনাচক্রে নাস্তিক হলেই, তার অপরাধের পেছনে নাস্তিকতাকে দায়ী করা যায় না। হিটলার স্ট্যালিন কিংবা সাদ্দামের তিনজনেরই গোঁফ ছিলো। তিনজনকেই ইতিহাসে গণহত্যা এবং বিবোধীপক্ষের মানুষ জনকে পাইকারী ভাবে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু কেউ যদি বলেন, গোঁফ থাকার কারণেই তারা গণহত্যা করেছিলেন – সেটা কি হাস্যকর যুক্তি হবে না? তাদের তিনজনেরই গোঁফ থাকাটা ঘটনাচক্রের প্রকাশ, গণহত্যার কারণ নয়।
@অভিজিৎ,
আপনি বলেছেন
কমিঊনিস্ট মতাদর্শের একটি অংশ কিন্তু নাস্তিকথা । তাই দেখা যায়, সিভিয়েট ঈউনিয়নে মসুলমানদের কত অন্যায় সইতে হয়েছে । শুধু ধর্মের কারনে যদি অত্যাচারী হতে হয়, তাহলে তা নাস্তিকতার জন্য ই হয়েছে । অন্য কারনে নয় । উদাহারন দিলে বিষয় ক্লিয়ার হবে, মনে করুন সুসীল হিন্দু ধর্মের অনুষারী, সে গরীব । এখন দেশে কমিঊনিজম প্রতিষ্টা করা হয়েছে । সে যেহেতু গরীব তাকে বুর্জা বলার কোন কারন নাই। এখন দেশে ঘোষণা করা হল সব মন্দির আজ থেকে বন্দ । সুসীল যেহেতু বুর্জা শ্রেনী নয়, তাহলে তার উপর এ অত্যাচার কেন ? কারন নাস্তিকথা ।
যাইহোক, আবার অনেক নাস্তিক ধর্মের ছদ্মবেশে থাকে । এরাও ধর্মের নামে-বেনামে ধংস সৃষ্টি করে ।
এরকম ব্যক্তি তো ধার্মিকদের মধ্যেও আছেন, যেমন শেখ আহমেদ দিদাত, জাকির নায়েক কিংবা বিবেকানন্দ অথবা মাদার তেরেসা । কই তারা তো খুন রাহাজানি বা গনহত্যা করেননি কিংবা করছেন না ।
@ফুয়াদ,
কারণ নাস্তিকতা নয়, কমিউনিজম। নাস্তিকতা কাউকে মন্দির ভাঙ্গতে বলে না।
আস্তে আস্তে যুক্তির দিকে যাচ্ছেন দেখে প্রীত হইলাম 🙂
@ফুয়াদ,
কমিঊনিষ্ট রাশিয়ায় ধর্ম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। গীর্জা, মন্দির মসজিব সবই বন্ধ করে দেওয়ায় হয়েছিল। কেউই রেহাই পায়নি।
তবে ধার্মিকদের উপর অত্যাচারের উদাহরনে আপনার মুসলিমদের কথাই মনে হয় কেন জানি না। আমার জানামতে সোভিয়েতে তখন খুব সম্ভবত খ্রীষ্টান ছিল সবচেয়ে বেশী। মুসলিম ছিল তার নগন্য কোন অংশ।
আমি নিজেও নিশ্চিত না যে শুধুমাত্র ধার্মিক বলেই মানূষের উপর কত অত্যাচার হয়েছিল। নিশ্চিত যে সব প্রথাগত ধর্ম উপাসনালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ সম্পর্কে বলতে পারি যে কোন দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ যদি ঠিক করে যে তারা আর কোন ধর্ম মানবে না, প্রচার করতে দেবে না তাহলে তাদের সেই অধিকার আছে। যেমন অধিকার আছে কোন দেশের মানুষ যদি ঠিক করে তারা তালেবানী সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তুলবে। তখন দেশে থাকা ভিন্ন মতাবলম্বীদের বৃহত্তরের ইচ্ছাকে সম্মান জানানো ছাড়া আর গতি কি।
ষ্ট্যালিন সাহেব লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মালম্বী হবার কারনে কতজনকে হত্যা করেছেন জানি না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও মনে হয় একই। কাজেই তিনি নাস্তিক বলেই মোসলমান বা আস্তিকদের বেছে বেছে মেরে ফেলেছিলেন এ ধারনা ঠিক নয়। তার হত্যা তালিকা থেকে নাস্তিক আস্তিক কেউই বাদ পড়েনি, কারন ধর্মের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
@ফুয়াদ,
নাস্তিকতার জন্য হয়নি, হয়েছে কমিউনিজমের নামে। নাস্তিকতা মানেই কমিউনিজম নয়। আপনি যেগুলো উদাহরণ দিয়েছেন সেগুলো কমিউনিস্ট রাশিয়ার উদাহরণ। শুধু নাস্তিকতার নামে অত্যাচারের খতিয়ান দেখান, তাহলেই আমি আমার যুক্তি মেনে নেব। বিপরীত দিকে, আমি কিন্তু ইসলামের নামে সন্ত্রাসের হাজারো উদাহরণ হাজির করতে পারব। কোরাণ হাদিস থেকে ভায়োলেন্ট ভার্স উল্লেখ করে হত্যার প্ররোচনা করছে বহু মসজিদের খতিব এবং ইমাম, এগুলো আপনিও জানেন। ইহুদী নাসারাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে ধর্গ্রন্থের আয়াত উদ্ধৃত করেই। আর সেই প্রচারণা মেনে সন্ত্রাসবাদীও হয়ে উঠছে। নাস্তিকদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। নাস্তিকদের কোন আলাদা ধর্মগ্রন্থ নেই যেখানে লেখা আছে বিধর্মীদের হত্যা কর। কাজেই নাস্তিকতার নামে হত্যা হয় না, যদিও কমিউনিস্ট মতাদর্শের নামে অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে পৃথিবীতে।
জাকির নায়েক আর মাদার তেরেসাকে এক লিস্টে দেখে আমোদিত হলাম। তবে সাধারণভাবে আপনার কথা ঠিক। ধার্মিক হলেই সন্ত্রাসবাদী হয় না। কারণ ধর্ম মানলেও তারা কান্ডজ্ঞান বা কমনসেন্সের (common sense) চর্চা করেন, ধর্মীয় আইনের নয়। কোরাণে নির্দেশিত থাকলেও অনেক মুসলমানই আছেন যারা কাফির দেখলেই জিহাদী জোশে তাদের উপর নাঙ্গা তলোয়ার হাতে ঝাপিয়ে পড়েন না, কিংবা তাদের বন্ধুত্ব প্রত্যাখ্যান করেন না। কিংবা আনেক হিন্দুই মুসলমানের ছোঁয়া লাগলে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করার জন্য দৌড় লাগান না, কিংবা তার আত্মীয়াকে সহমরণে যেতে প্রলুব্ধ করেন না। মানুষের সাথে ভাল ব্যবহারের দিকগুলো আসলে আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে সবাই সামাজিক শিক্ষা হিসেবে সমাজ, পরিবেশ আর অভিভাবকদের থেকে গ্রহণ করে, অনেক সময়ই অন্ধভাবে ধর্মীয় আইনের নয়। এই ব্যাপারটা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ।
আইভী,আদিল মাহমুদ,ফুয়াদ,মুহাইমীন,আনাস এবং মুক্তমনার সকল নাস্তিক ভাই-বোনদের পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আসুন এই দিনে পশুর প্রতীকী কোরবাণির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের নফস-এর পশুকে কোরবাণি দিয়ে এই অঙ্গীকার করি ,আমরা পশু বা পশুদের উত্তর পুরুষ নই,আমরা মানুষ।
@al murshed,
অসাধারন,
যা লিখলেন তার মানে দাঁড়াচ্ছে এই
(১) বিবর্তন ভুল
(২) পশুদের মেরে ধরে কেটে কুরবানিতে পাশবতার বিরোধিতা করা হয়!!!
আমি দুটি যুক্তিতেই পুলকিত-পা উপর দিকে করে শীর্ষাসন করতে ইচ্ছা হচ্ছে! এমন জ্ঞানী ধার্মিকদের কদলী বৃক্ষেই ফলে।
@মুক্তমনা কতৃপক্ষ, আল মুর্শেদের এই বেসিক বিজ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করা মন্তব্যটা মডারেশন পার হয়ে এই ফোরামে প্রকাশিত হল দেখে খুব অবাক হলাম। তাহলে এনাদের লেখা আর মডারেট করার দরকার কি?
@al murshed,
ঈদ মোবারক।
আপনার শুভেচ্ছার জবাবেও দূঃখজনকভাবে লিখতে হচ্ছে যে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই পশু কোরবানী বন্ধ করা গেলেই আমাদের মনের একটা নফস দূর হবে।
@al murshed,
আমাদের নফস-এর পশু এই বস্তুটির আকৃতি প্রকৃতি বিজ্ঞানের কোন বইয়ে পাওয়া যায়? কারো নফসের পশুদাচরণের কারণে, নিজের নফসের গলা না কেটে, একটা গরুর গলা কাটতে হবে কেন? যাদের ভেতরে নফস নামক কোন পশু নেই অর্থাৎ মানবতাবাদী, তাদের পশু কোরবাণীর কি দরকার আছে?
পশুকে হত্যা করে প্রমান করছেন আমরা পশুর উত্তরসুরী নই। এ পাশবিকতা নয় কি?
এই নফস-এর শয়তানটাকে প্রতি বৎসর পশু হত্যা করে শুদ্ধ করতে হয় কেন? নফস কি প্রতি বৎসরই অশুদ্ধ হয়? পশু হত্যা করে মানুষের নফস শুদ্ধ করার নির্দেশ যে দিয়েছে, সে যে কত বড় পশু, তা ছুরির নীচে চেপে ধরা গলা পাতানো পশুরাই জানবে ভাল।
ঝি এর গর্ভে মায়ের জন্ম? একটু খোলে না বললে কেমনে বুঝবো?
@আকাশ মালিক,
আপনি এসব কি বলেন , আমি তো জানতাম প্রাচীন গ্রীস দেশেও নাস্তিকথা ছিল । কমিঊনিজমের পেটে নাস্তিকতা কিভাবে জন্ম হয় ।
@al murshed,
পশু কোরবানী দিয়ে হাতেকলমে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন বোধ হয় পশু শ্রেণী থেকে এখনো আমাদের উত্তরণ ঘটে নি!
বিপ্লব পাল,”পরমাণুর অধিকাংশ অংশ ফাঁকা ,কিন্তু তা বস্তু জগতের বাইরে,”-এ কথাটি আমি কোথায় বললাম? অকারণে,অযৌক্তিক কটাক্ষ করার আগে অন্যের বক্তব্য ভালো করে পড়ে এবং বুঝে নিবেন।
@al murshed,
হয়তো বিপ্লবকে বলা আপনার মন্তব্য ভুল নয়, তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই পোস্টে আপনার পরমাণুর অধিকাংশ অংশ ফাঁকা — এই ব্যাপারটার অবতারণাই অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। পরমানুর বেশির ভাগ অংশ পূর্ণ না ফাঁকা – এর সাথে অন্য জগত আছে নাকি নেই – এ ব্যাপারটার কোন সম্পর্কই কিন্তু ছিলো না।
@al murshed,
আপনার কথাছিল ইন্দ্রিয় বহির্ভুত কার্য কারন সম্পর্ক রহিত শুন্যতা নিয়ে-সেরকম কিছু বিজ্ঞানে নেই! আপনি নিজেই বোঝেন নি যুক্তির কোহেরেন্স কোথায়-
@আকাশ মালিক,
ভাইয়া, যদি ‘ডারউইন থেকে ডি এন এ এবং ১৪ কোটি বছর’ বই এর লিংক টা দিতেন…..
@মিঠুন,
বইটি নেটে না পাওয়ারই কথা। যেকোন ভাল লাইব্রেরীতে খুজলেই পাবেন আশা করি।
আপনি RICHARD DAWKINS এর THE BLIND WATCHMAKER বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন এই লিংক থেকে-
http://uath.org/download/literature/Richard.Dawkins.The.Blind.Watchmaker.pdf
মুক্তমনার ই বুক বন্যা আহমদ এর লেখা ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ পড়ে ফেলেছেন, তাই না?
@মিঠুন,
স্যরি, বইটির নাম লিখতে ভুল হয়েছে। নাম হবে ‘ডারউইন থেকে ডি এন এ এবং চার শো কোটি বছর’। নেটে পাওয়া যাবেনা। কিনতে হলে, নীচে লিংক দিলাম চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আরেকটা ভরসা, আমাদের সিলেটের চির নবীণ চির মুক্তমনা অনন্ত বিজয় দাস।
http://www.flipkart.com/darwin-theke-dna-ebong-400/8177563777-3v23f1iese
Flipkart.com: Darwin Theke Dna Ebong 400 Koti Bachhar: Narayan Sen …
Publisher: Ananda Publishers Pvt. Ltd.
আমার মন্তব্ব বা বক্তব্বের উদ্দেশ্য বুঝাতে ব্যার্থ হবার জন্য দুঃখিত, আজ সকালে উঠে আব্বা আমাকে বলল্লন হাটে যেয়ে কুরবানির পশু কিনতে হবে, আমি কিছুটা বিরক্তির সাথে বললাম যে কুরবানি যদি দিতেই চাও পুর টাকাটা দিয়ে একজন গরিবকে একটা অথবা দুট রিকশা কিনে দাও, অথবা শীতার্ত মানুষকে বস্ত্র কিনে দাও, সেটা বেশি কাজে লাগবে এবং যথাপযুক্ত কুরবানী হবে। আব্বা খেপে গিয়ে বললেন, মাদ্রাসা ছেডে দিন দিন বেদীন হয়ে যাচ্ছে! কি আর করার, চুপচাপ উঠে হাটে গিয়ে একটা পশু কিনে আনলাম, আনতে আনতে ভাবলাম এটি কেটে যখন মাংশ বিলাব তখন সবাইকে খুশি করতে পারব না, কেউ মাংশ কম পেয়েছে মনে করে একটা ক্ষোভ নিয়ে চলে যাবে, আত্তীয়দের মদ্ধে যারা একটু উচু নাক ওয়ালা, তারা আবার দেখবে কোন অংশটা পেল, তারাও মনের মত না হলে মনঃক্ষুন্ন হতে পারেন, অথচ এ টাকা দিয়ে যদি বিশটা মানুষকেও বা একটি পরিবারকে, অথবা গরীব আত্তীউকে এ শীত এ একটা গরম কাপর কিনে দিতাম,তাহলে তাদের কষ্ট লাঘবের যে হাসিটা দেখতে পেতাম, তাতেই আমার কুরবানীটা স্বার্থক হত, সবাইকে খুশি করতে হয়ত পারতাম না, কিন্তু সেই একটা পরিবার বা সেই বিশজন মানুষত খুশি হত। এ কাজটা সারা বছরও করা যায়, কিন্তু সারাবছ কোন উপলক্ষ আসে না আর একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা একসাথে খরচ করা হয়না।
মুস্লিমদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবে হাজার হাজার মানুষ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে যায়, রোযার ঈদে যা দান খয়রাত করার করে, কুরবানীর ঈদে সারাদেশব্যাপী কুরবানী করা হয়,একবার ভাবুনতো, এরা সবাই যদি এভাবেই বিভিন্ন ঋতুতে অভাবী অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে তাদের অর্থকে একত্রিত করে অথবা এককভাবেই কুরবানী করত তাহলে এ অভাবী দেশের মানুষের একটুতো দুর্দশা লাঘব হত, মঙ্গা পিড়ীত অঞ্চলে, বন্যা বা ঝর বিদ্ধস্ত জায়গায়, শীত পিড়ীত মানুষের জন্ন্যে, অথবা গ্রামের অসচ্ছল কিছু মানুষকে এককালীন টাকা দিলে যে কুরবানী হত তা পশু কুরবানীর তুলনায় অনেক বড় কুরবানীই হত, খাবার দাবারের আয়োজন তো থাকতই, আর এভাবেই মানুষের সাথে মানুষের সদ্ভাব গড়ে তুলে প্রক্রিত ভাবেই মানুষের পশুটা কুরবানী হয়ে যেত।
আমার পয়েন্টটা হল যে এককালীন এতগুল টাকা আমরা খরচ করিনা আবার উৎসব ছাড়া আমরা এভাবে গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়াই ও না, তাই কুরবানীর উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরন করলে তা সত্তিকার ভাবেই মানুষে্র কাজে আসবে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
আমাদের এ বাংলাদেশী মুস্লিম সমাজ শত শত বছর ধরে এসব মুস্লিম কালচার এ অভ্যস্ত হয়েছে, এর মদ্ধে অনেক বিষয় আছে যেসবের একটু দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিলে তা সমাজের বড় উপকার বয়ে আনতে পারে, যেমন নামাজের শেষে যখন সালামে একজন মুস্লিম ডানের লোকদের কে বলে যে আপনার জীবন ও সম্পদ আমার থেকে নিরাপদ, তেমনি ভাবে বায়ের লোকদেরকেও বলে, সেই লোক্টাই অফিসে যেয়ে পাশের লোক্টির ফাইল আটকিয়ে ঘুষ চায়, অথচ তার মদ্ধে সালামের উপলদ্ধিটা থাকলে সে একাজ করতে পারত না।
এখন প্রশ্ন হছে দৃষ্টিভঙ্গি বদলের প্রয়োজন ইস্লাম অনুযায়ী পরিবর্ত্নের চেষটা করার প্রয়োজন আছে কিনা, আমার মতে আছে, কারন আপ্নারাই দেখেছেন এ দেশে উত্তরাধীকার আইনে সমতা করতে যেয়ে কি অবস্থা হয়েছে, শিক্ষা বেবস্থাও সেকুলার করা হয়েছে এমন দাবীতে কতটা সমস্যা হয়েছে, এদেশের মানুষ কতটা লাদেন ভক্ত, আমারতো ধারনা যখন বোমাবাজী শুরু হল তখন যদি সব হুজুররা বলত যে এটা কাফেরদের বিরুদ্ধে মুস্লমান্দের যুদ্ধ, তখন বেশীরভাগ মানুষ তাদের কথাই ঠিক মনে করত, রাসুলের অবমাননা হয়েছে এটার প্রতিবাদে কোন সঙ্গঠঅনের প্রয়োজন নেই, আপনি বাইতুল মোকাররমে যেয়ে ডাক দিলেই বিরাট মিছিল বের হয়ে যাবে। তাই আমার মতন আব্বাকে যদি বলেন, তিনি তো আমাকে ধমক দিয়েছেন, তারা আমাকে কাফের ঘোষনা করবে।
তাহলে কি বসে থাকব? তাতো করা যাবেনা কারন আপ্নারাই লিখেছেন জঙ্গিবাদ সমস্যা, জাকির নায়েক সমস্যা, এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে তাদের কাছাকাছি হবেন কিভাবে? আমার মতে কুরান দিয়েই হতে হবে, আমি অনেক উগ্রপন্থি চিন্তার মানষের সাথে কথা বলেছি (উগ্রপন্থি কোন গ্রুপের সাথে জড়িত এমন নয়), তারা যখন আমাকে বলেছে কাফের মারা ঠিক, তখন তাদেরকে জিজ্ঞাস করেছি, কোথা দেখেছেন? আমি তাদেরকে তায়েফের কথা বলেছি, বলেছি এখানে রাসুল মানুষের কাছাকাছি হবার ও তাদের বেচে থাকার অধীকারের শিক্ষা দিয়েছেন, কাফের মারা বা ঘৃ্না করা ঠিক হলে জিব্রাইল্কে বলতেন, আপনার কাজ হল মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য চেষটা করা, এখন আপনি তাদের মারলেন পরে তারা বলল যে আমরা সময় পাইনি, এ লোক্টা আমাদের মেরে ফেলেছে, তখনতো আপনিই জাহান্নামে যাবেন। তারা যখন বলে যে বেভীচারের সর্বচ্চ শাস্তি দিতে হবে, তখন তাদেরকে বলি সেটা অপরাধী চাইলে, মুস্লিম শরিফে এরকম বর্ণনা আছে আর কুরানে এরকম কোন শাস্তির কথা নাই। যেটা আছে তা প্রদান করতে অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়। (আমার ইংরেজী রেফারেন্সটা আনার উদ্দেশ্য আপনাদেরকে বুঝান নয়, এরকম উগ্র চিন্তাধারার লোকদের কে বুঝানর জন্য যে লিখা হচ্ছে সেটা জানান)
কারন ইস্লামী সমাজ বেবস্থায় ৪ জন বেক্তী কাউকে ইন্টারকোর্স করতে দেখবে তা অত সোজা না, এ অবস্থায় মাফ চাওয়া ও ভুল পথ থেকে সরে আসার কথাই বলা হয়েছে, এখন আপ্নারা কাশেম সাহেবের মত বলতেই পারেন যে দুজনে রাজী থাকলে কোন দোষ নাই, তাহলে তো বলতে হবে আমাদের সেক্স এর বেপারে আরো উন্মুক্ত হতে হবে।
কিভাবে দৃষ্টইভঙ্গি বদলের কাজ করা যেতে পারে, আমার কাছে মনে হয়েছে এই যেসব বই তে আদিল ভাই উল্লেখ করেছেন, সেসবি এভাবে লিখা যায়, যেখানে মুস্লিম হিসেবে অধীকারের কথা আছে সেখানে মানুষ হিসেবে অধীকারের কথা লিখলে কে আপত্তি করতে পারবে? ধর্ম শিক্ষাত বাদ দেয়া যাচ্ছে না, তাই এভাবেই লিখা যাক! তখন টেলিভিশনে আপ্নারাও বক্তব্ব রাখতে পারবেন।
এখন আপ্নারা যদি বলেন মুস্লিম মানেই খারাপ, তাদের ভাল কিছুই থাকতে পারে না, তাদের লেখা দেখলে চোখ কপাল কুচকে লিখতে বসেন আর ভাবেন এবার বেটাকে বুঝায় দিব তাহলে আর বলার কিছু নাই। সবাইকে একথা বলছিনা, অনেকেই আমার ছাই পাশ ধৈয্যের সাথে পড়েছেন যত্নের সাথে উত্তর ও দিয়েছেন।
আর আকাশ মালিক ভাই, আমি কওমি মাদ্রাসায় কুরান মুখস্ত করেছি আর আলিম পর্যন্ত ছিলাম, এত কিছু পড়ার সুযোগ হয়নি, আর মাদ্রাসা শিক্ষাকে যারা খারাপ চোখে দেখেন, তাদেরকে জানা আছে হয়ত যে অনেক বিধি নিষেধের পরও এ বছর খ ইউনিটে প্রথম হয়েছে একজন মাদ্রাসার ছাত্র, দাখিলে তার ২০০ নম্বর না থাকায় সে অনেক বিভাগে পড়্তে পারবে না, এর পক্ষে অনেক যুক্তি দেখাতেই পারেন, তবে সেই ছেলেটির কি খোভ থাকবেনা যে সে প্রথম হয়েও তার মন মত পড়্তে পারেনি অথচ শিক্ষা বেবস্থাটি দেশে অনুমদিত।
@anas,
ভাই আপনি মাদ্রাসা লাইনে পড়াশুনা করলেও আপনার চিন্তাভাবনা অনেক অতি আধুনিক উচ্চশিক্ষিত লোকের থেকে অন্তত পরিষ্কার। আপনি কোরবানীর মত একটা অমানবিক ও অর্থহীন রিচূয়ালের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলেছেন তা সত্যই প্রশংসনীয়।
@anas,
আপনার আগ্রহ আর সুন্দর চিন্তা দেখে ভাল লাগল । আমি অনেক মাদ্রাসা ফেরত ব্যক্তি দেখেছি যারা দিনকে দিন , আলিম উলামার চরম বিরুধিতা করে । গালিগালাজ ও করে । কিন্তু আপনার ধারনা গুলি অনেক সুন্দর । আপনি পরিবর্তন চান । যাইহোক, কোন ছেলে যদি মাদ্রাসায় পড়তে না চায়, আমার মনে হয়, তাদের মা-বাবার উচিত হবে মাদ্রাসায় ঐ ছেলেদের ভর্তি না করা । আপনি আমাকে ভুল বোঝবেন না প্লিজ ।
দয়াকরে, আপনি আকাশ মালিক সাহেবের পথে হাটিবেন না । খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়া ইউসুফের এই ফাদার এন্ড সান গানটি আপনি দেখতে পারেন
শুনতে পারেন http://www.youtube.com/watch?v=4cpX1ZjuaiA
কিছু অংশ তুলে ধরলাম ।
আমিও আপনার মত মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্তার আধুনিকায়ন চাই । কিন্তু উন্নত করবেন কোন স্কেলের ভিত্তিতে । যদি নাস্তিক আইডোলজি সেকুলারিসমের ভিত্তিতে করেন, তাহলে ইসলামের বারোটা বেজে যাবে । আমাদের মূল্য দিতে হবে আমাদের নিজেদের আইডলজিকে । ইসলাম ইজ ক্রসরোড বইয়ে এ বিষয়ে ব্যপক আলোচনা করেছেন মুহাম্মদ আসাদ । ইসলামের জন্য আল কোরান ঈ যতেষ্ট, কে কি বলল না বলল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না । আমরা ভাল কাজ করলেও তারা আমাদের সব থেকে খারাপ বলবে, খারাপ কাজ করলেও খারাপ বলবে । কুরবানির ব্যপারে আপনি যা বলছেন গরিবদের টাকা বিলিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন যাকাত যা ফরজ, তা গরিবদের জন্য । আপনি যা চাইতেছেন, তা সবাই যাকাত দিলেই হয়ে যেত । যাকাত, কুরবান, ফিতরা, কর্জ হাসানা আর নিরশর্ত দান । এর মধ্যে যাকাত ফরজ, কুরবানি সুন্নত (কারো মতে ওয়াজিব) । এই পাঁচটি বিষয়ের পাঁচটি ডিফ্রেন্ট রুল পালন করে । এ বিষয়ে একটু চিন্তা করে দেখেন । আদিল ভাই ও ভেবে দেখেন ।
যাকাত যা ফরজ তা আপনাকে অর্থনৈত্তিক মুক্তির দিকে নিয়ে যাবে । কুরবানি আপনার কৃপনতাকে ধংশ করবে, আর মানুষের জন্য ভাল খাবারের আয়োজন হবে, হোক না একদিনের জন্য । ফিতরা গরিবদের একদিনের জন্য হলেও , কিছু টাকা পাবে যাতে সে তার ঈদ আনন্দো ভোগ করতে পারবে । কর্জে হাসানা বিপদের মূহুর্তে সাহায্য করবে । আর দান এর কথাই, আর নাই বা বললাম । ইসলাম কিন্তু আপনারা যা চাইতেছেন, তা আগেই দিয়ে রেখেছে , না মানলে তো ইসলামের দোষ নাই । যারা প্রানী হত্যা নিয়ে কথা বলেন কুরবানীর বিরুদ্ধে, তাদের কে আমি বলি যারা ছোট মাছ হাজারে হাজারে এক দিনে খায় , তাদের বিরুদ্ধে আগে বলেন । যেমনঃ কেছকি মাছ, মকা মাছ ইত্যাদি। ভন্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার ।
কুরবানি নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা আছে দেখে নিতে পারেন আইডিয়া হিসাবে http://www.somewhereinblog.net/blog/sheulyblog/29050132
এসব বিষয়ে আরো অনেক পয়েন্ট আছে । প্লিজ, আমার উপর রাগ করবেন না । আলিম উলামারা মানুষ , তাই তারাও অনেক ভুল করেন । আসলে আমাদের সিস্টেমেই গুলমাল লেগে গেছে । এই গুলমাল শেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত সিস্টেম সঠিক পর্যায়ে না নিয়ে আসেন । আপনিঈ বলেন, আমাদের কয়জন আলেম সেকেন্ড ল অব থারমডায়নামিক্স অথবা সেন্ট্রাল ডগমা অব মলিকুলার বায়োলজি সম্পর্কে জানেন ? এ জন্য সব কিছু উন্নত করতে হবে । কিন্তু তার মানে এই নয় যে, নাস্তিকদের মত করে উন্নত করতে হবে । আমরা আমাদের মত করে করব ।আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করেন ।
আপনি যদি জাতির উন্নতি চান তাহলে
এক, সম্পূর্ণ আমাদের নিজের মত করে শরিয়া আইনের কিছু সময় উপযোগি করে (অবশঈ কোরানের আলোকে) জাতিকে চালাতে হবে ।
দুই , নয়ত আমাদের সম্পূর্ন সেকুলার এবং নাস্তিক ভিত্তিতে চলে যেতে হবে, আধা আধি নয় । (সম্পূর্ণ বাতিল পন্থা)
তিন, সব কিছু বর্তমানের মত রেখে, যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে রাজনিতি আর অর্থনিতির উন্নতি করতে হবে ।
যেহেতু ,আমরা জাতি হিসাবে মুসলিম, তাই সেকুলার বা নাস্তিকথার আইওডলজির ভিত্তিতে হলে, আজাব আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া আমাদের মনে রাখতে হবে, আসলে আমরা কি চাই ? আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি নাকি অন্য কিছু । সবাই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ঈ চায় মনে হয় । যাইহোক, আপনি আমার সাথে ইমেইলে যুগাযোগ করতে পারেন [email protected] ।
@ফুয়াদ,
আপনার প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নেই। বলে লাভ নেই।
তবে কোরবানী বিষয়ক একটি উক্তি নিয়ে আপত্তি আছে।
“যারা প্রানী হত্যা নিয়ে কথা বলেন কুরবানীর বিরুদ্ধে, তাদের কে আমি বলি যারা ছোট মাছ হাজারে হাজারে এক দিনে খায় , তাদের বিরুদ্ধে আগে বলেন । যেমনঃ কেছকি মাছ, মকা মাছ ইত্যাদি। ভন্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার”
১। কোরবানী মূল উদ্দেশ্য কি? প্রান রক্ষার্থে বা রসনা বিলাসে মাংস খাওয়া? নাকি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জবাই করে পশু হত্যা করা? পরিষ্কার জবাব দেবেন। পেচাবেন না।
আমি যতটুকু জানি মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি, এতে খাওয়ার ব্যাপার নেই। ১/৩ অংশ মাংস বিলানোটা মূল উদ্দেশ্য নয়। সেটা এমনিই বাজার থেকে কিনেও করা যেত। তার জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেরা গরু জবাই করার কোন দরকার ছিল না।
এখন বলেন আপনার কেচকী মাচের তূলনার সাথে কোরবানী কি করে মেলে? দুটোর উদ্দেশ্য কি এক?
আমি আজ রাস্থায় একটা নেড়ী কুকুর দেখে তাকে জবাই করে হত্যা করলাম, আপনি নিশ্চয়ই আপত্তি করবেন না। কারন পৃথিবীতে আমরা কত প্রানীই প্রতিদিন মারছি। রাতে পাড়ার বেড়াল বাড়িতে দুধ চুরি করতে এসে ধরা পড়ল, তাকেও রাস্তায় ফেলে জবাই দিলাম, কোন সমস্যা নেই। আরেকদিন তো হিসেব দিয়েছিলেন প্রতিদিন কয় বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস আমরা মারছি। দুধ চোর বিড়ালে আর দোষ কি? কি বলেন?
কেউ আপত্তি করলে আমি বলব, ভন্ডামির সীমা থাকা দরকার? পৃথিবীতে অকারনে নেকড়ে হত্যা, তিমি হত্যা এ জাতীয় অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে কত হাজার লোকে তাদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে জানেন? হাদীস কোরানের বই ঘাটাঘাটির ফাকে এগুলোও একটু খবর নিন, তাহলে দিব্য চক্ষু একটু খুলবে। এইসব কর্মীদের বিরুদ্ধেও গ্রুপ আছে যারা তাদের মত যুক্তি দেয়। তবে কেউ এমন আজব যুক্তি দেয় না যে আমরা ইলিশ মাছ খাই বলে নীল তিমি বা বন্য নেকড়ে হত্যা বন্ধ করার দাবী মানে ভন্ডামী।
@ফুয়াদ,
আকাশ মালিক কোন পথে হেটেছেন বলে আপনার মনে হয়? আপনি কি আকাশ মালিকের লেখা – ‘যে সত্য বলা হয় নি'( মুক্ত মনার একটি ই-বুক) বইটি পড়েছেন? আপনার কোন জায়গায় আপত্তি তা একটু জানান। আকাশ মালিক ইসলাম ধর্মে একজন বিদ্বান ব্যক্তি যার পাণ্ডিত্যপূর্ণ অভিব্যক্তি অনেকের মত আমাকেও মুগ্ধ করে।
আপনি হয়ত গতানুগতিকভাবে ভাবছেন শয়তান আমাদের ধোঁকা দিয়েছে কিন্তু আপনাকে বোঝানো বোধহয় সম্ভব নয় যে ছোটবেলায় আমাদের মাথায় যে ধর্মের বিষ ঢুকে ছিল তা দূর হয়েছে কত দূর সাধনার পর।
কে কোন পথে হাটবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরা বলি -সব পথই ভালো করে খোলামনে পর্যবেক্ষণ করুন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন যেহেতু মুক্তভাবে যেকোন পথ বেছে নেয়ার অধিকার আপনার আছে। আপনি আপনার সর্বোচ্চ বিবেচনা-ক্ষমতা প্রয়োগ করুন তাতে ইশ্বর বলে কেউ থাকলেও তার রাগ করার কথা নয় কারণ আপনাকে যে বিবেচনা-ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তার সর্বো্চ্চ ব্যবহার আপনি করেছেন। কথাটি এজন্য বললাম- অনেকে গজবের ভয়ে ধর্মের বাইরে ভাবতেও নারাজ।
@সৈকত চৌধুরী,
আনাস সাহেব আবার নাস্তিকতার পথে পা বাড়ান নাকি এই ভয়েই মনে হয় আমাদের ফূয়াদ ভাই সতর্কতাবানী দিয়েছেন 🙂
যদিও আমার ঘুনাক্ষরে মন হয়নি আনাস সাহেবের নাস্তিকতার পথে পা বাড়ানোর আশু কোন সম্ভাবনা আছে বলে, উনি কোরবানীর নৃশংসতার ব্যাপারটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি দেখে মনে হয় ফুয়াদ আশংকিত হয়েছেন যে আরেক আদিল মাহমুদ আবার না জন্ম নেয় 🙂
@ফুয়াদ,
ফুয়াদ ভাই, আমি বলব পরিবর্তনের এটাই সময়, আপনি হয়ত ভাবছেন কেউ এসে আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝাল যে তোমার মা/স্ত্রীর সাথে সেক্স করা বৈধ আমি তার উত্তর দিতে না পারলে অম্লান বদনে মেনে নিব, বা কেউ আমার অধীকার কেরে নিতে চাইলে আমি তাকে বাধা দিব না, আমার যুক্তির জবাব কেউ যুক্তি দিয়ে না দিয়ে অস্ত্র দিয়ে দিলে আমি বসে থাকব, মোটেই না এসব ক্ষেত্রে আচড়ণের জবাব তাদের আচড়ণের মতই হবে, এতে করে কেউ যদি আমাকে বলে আমি খারাপ, তাহলে বলার কিছুই নেই, কারণ আমি মানুষ এবং প্রকৃ্তির একটি অংশ। (স্বাভাবিক সময় বা সমাজ না থাকলে এছারা কোন উপায় নেই)
কিন্তু যুক্তিবাদীরা বা মুক্তমনারা তো একাজ করছেনা, তারা যুক্তি দিচ্ছে, গবেষণয়া করে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করছে, আবার এটাও এখন পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী বা যুক্তিবাদীকে করতে দেখেনি যে তারা বলছে যে আমার যুক্তিই ঠিক, না মানলে কল্লা কাইটা ফেলাব, তারা বলছে যে এটা আমার যুক্তি, আপনিও যুক্তি দেন, তারপর আমারটা ভাল মনে হলে মানবেন, আপ্নারটা ভাল হলে আমি মানব, আর না মানলে আমি আপনাকে মানতে বাধ্য করবনা আপ্নিও আমাকে বাধ্য করবেন না।
এখন আপনি আমাকে বলেন, আল্লাহ কি কোথাও বলেছেন যে আমার দ্বীন তোমরা মানুষে উপর চাপায় দাও, রাসুল কে এ কাজ করতে দেখেছেন কখন? আমাদেরকে কি বলা হয়েছে? বলা হয়েছে দাওয়াত বা প্রচার কর, তাদের সাথে তর্ক কর যুক্তির সাথে। আজকের মুস্লিম রা কি তা করছে? চিন্তা করেন, গবেষণা করেন, তথ্য প্রমাণ দিয়ে উপস্থাপন করেন, তারাও করছেন, আমরাও করি মানুষ তার বিবেচনা বোধ দিয়ে দেখুক।
আজকের যুগে মুসলমানদের জান্নাতে যাওয়া আর সোজা, কারন যারা ইস্লামে বিশ্বাসী নন, তারা যথেষট পড়াশুনা করে অবিশ্বাস করছে, আল্লাহর কাছে তারা অন্তত এটা তো বলতে পারবে না যে তাদের কাছে দাওয়াত পৌছায়নি, বরঞ্চ আমাদের ধরা খাওয়ার সম্ভবনাই প্রবল যে আমরা তথ্য গবেষণয়া আর যুক্তির সাথে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টয়াও তো করিইনি উপরন্তু অনেকের মতন বলেছি যে এসব (বিজ্ঞান, গবেষণা তথ্য, বিপরীত চিন্তাধারা) পড়না, ঈমান হারা হয়ে যাবা, তখনি আমার বুঝা হয়ে গেছে যে এদের ঈমান কত শক্ত। অথচ কুরানের যায়গায় যায়গায় বলা হয়েছে চিন্তা কর, গবেষণা কর।
আমি যুক্তিবাদীতা পছন্দ করি, তাই বলে বলিনা যে বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই, আমরা আক্ষর বিশ্বাস করি, দিমাত্রিক স্থানাঙ্ক বেবস্থা বিস্বাস করি কারন এসব কিছুই আমাকে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। যুক্তির যে কাজটা করে সেটা হল গ্রহন বর্জন এবং একটি বিষয়কে নানা দিক থেকে দেখতে সাহায্য করে। এবং যুক্তির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল যখন কেই বলে আমার যুক্তিই ঠিক, কারন তখন যুক্তি বিস্বাসে পরিণত হয়। স্রষ্টা কি আমাদের এভাবে বিশ্বাস করতে বলেছেন নাকি তাকে জানার জন্য জগতের সমস্ত কিছু জানতে বলেছেন?
ফুয়াদ ভাই, হুজুরদের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নাই, তারাও ভুল করে, কিন্ত চিন্তা গবেষণা ও প্রশ্ন করার দরজা বন্ধ করে তারা যে ভুল করে যাচ্ছে এর পরিবর্তনের সময়কি এখন আসেনি? আমি তাদের কাছে আমার নামের কি অর্থ সে প্রশ্ন জানতে চাই না, তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই বিজ্ঞান ও জ্ঞানের সকল শাখায় উন্নতির জন্য তারা শিক্ষা বেবস্থার পরিবর্তন চান কিনা। উত্তর হতাশা ব্যঞ্জক ই হবে। আর শিক্ষা বেবস্থা পরিবর্তনের স্কেলটা কি হবে সেটা আগের মন্তব্বেই বলেছি।
কুরবানী নিয়ে আর বলবনা, কুরবানী নিয়ে অনেকেই আপত্তি করেন নি, করেছেন প্রক্রিয়া নিয়ে।
আর আমার মন্তব্বে আপনি এটা যদি বুঝে থাকেন আমি সংশয়বাদী, তবে মুক্ত কনঠেই ঘোষণা করব বিশ্বাসী, কারন গ্রীন বেল্ট এ পৃথিবীর অবস্থান, বহস্পতির পৃথিবীর শিল্ড হিসেবে কাজ করা, সুর্যের আকৃ্তি এমন হওয়া সহ আর অনেক কিছু কাকতালীয় ভাবে বা র্যন্ডম কারনে মানুব জাতীর কল্লানের কারন হবে তা আমার মাথায় আসেনা, এসবের ব্যাখ্যায় আমার স্রষটার প্রয়োজন হয়, আরেকটা কারন আছে, সেটা অন্ন কোন সময় সুযোগ আসলে বলব।
আপনার উপদেশের জন্য ধন্নবাদ। 🙂
@anas,
ভাই আমি সত্যিই আশ্চর্য হয়ে গেছি মাদ্রাসায় পড়া আপনার মধ্যে এতটা যুক্তবোধ দেখে যার ছিটে ফোটাও নেই আমাদের ফুয়াদ ভাইয়ের মধ্যে। এটা ভেবে খুবই ভাল লাগছে যে, যেভাবে আমাদের সমাজে একটি শিশু জন্মের পরপরই তার প্রতিটি অস্থিমজ্জায় ধর্মের বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে তার যুক্তিবাদী মনকে ধ্বংস করা হয়, সেভাবে আপনাকে ধ্বংস করতে পারেনি।
আপনি যুক্তিবাদ পছন্দ করেন। একইসাথে বিশ্বাসও বর্জন করতে রাজী নন। কিন্তু আপনাকে বিশ্বাসে পৌছতে হবে কিন্তু যুক্তির মাধ্যমেই। আপনি যখনই যুক্তিহীন ভাবে বিশ্বাসী হতে চাইবেন তখনই আপনার অবনমন হবে। তাই বলি যে আগে আপনার যুক্তিবাদী মনকে জাগ্রত করুন সে অনুযায়ী বিশ্বাসে উপনীত হন। কোন কিছু আগেভাগেই বিশ্বাস করে তার মধ্যে যুক্তি না খুজে যুক্তির মাধ্যমে বিশ্বাস কে বরন করে নিতে শিখুন।
ধন্যবাদ।
@anas,
পদার্থবিদ্যা খুব ভাল ভাবে না জানলে এটা মানা সত্যিই কষ্টকর যে স্রষ্ঠা ছাড়া এই ভাবে পৃথিবীর মতন একটা সিস্টেম গড়ে উঠেছে। বৃহস্পতি কিন্ত খুব ভালো শিল্ড না। বড় বড় গ্রহানু ২০০-৪০০ বছর অন্তর অন্তর আছড়ে পরে জলবায়ুর পরিবর্তন করে। আর কয়েক মিলিয়ান বছরে খুব বড় গ্রহানু ধাক্কা মারে পৃথিবীতে যার একটিতে ডাইনোসররা অবলুপ্ত হয়েছিল। এবং সেই অবলুপ্ত হওয়ার ফলেই স্তন্যপায়ী বা মানুষ জাতির আজ উদ্ভব হতে পেরেছে।
এবার নিজের যুক্তিটা ভাবুন।
[১] বৃহস্পতি শিল্ড করছে বলে মানব জাতি নিরাপদ এটা ঠিক
[২] আবার বৃহস্পতি খুব ভাল শিল্প করে না বলে মাঝে মাঝেই এস্টারয়েড ধাক্কা মারে-যার এক বৃহৎ ধাক্কা না খেলে মানব জাতির উদ্ভব হত না
[৩] আবার যেকোনদিন, তেমন এক বড় ধাক্কায় মানব জাতির বিলুপ্তিও হতে পারে!
এতে স্রষ্ঠার হাত কোথায় দেখলেন? স্বাভাবিক নিয়মেই ত এসব হচ্ছে। স্পেশাল কিছু বৃহস্পতি করছে কি?
নিয়মের মধ্যে , ছন্দের মধ্যে যদি সষ্ট্রাকে দেখতে পান-তাহলে বলব একটি ছন্দপতন থেকেই মানব জাতির উদ্দভ। শ্রেফ এক্সিডেন্ট। দুর্ঘটনা। মানা কঠিন। কিন্ত সেটাই গবেষনা দেখাচ্ছে।
@anas,
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
পৃথিবীর পরিবেশ প্রাণীকূলের উৎপত্তি ও বিকাশের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় এখানে প্রাণীদের উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটেছে।এছাড়া পৃথিবীর পরিবেশের সাথে প্রাণীকূল ধীরে ধীরে খাঁপ খাইয়ে নিয়েছে। আমরা বর্তমান অবস্থা হটাৎ করে অবলোকন করে আশ্চর্য হয়ে পড়ি। আসলে প্রাণীদের উৎপত্তি ও বিকাশ জড় মহাবিশ্বের কাছে কোন তাৎপর্য বহন করে না। আমরা নিজেদের কাছে হয়ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আসলেই আমরা কি এ বিশাল মহাবিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটা কিছু? অনেকে আশ্চর্য হোন মানুষের মত বুদ্ধিমান(?) প্রাণীদের দেখে আর আমি আশ্চর্য হই বিবর্তনের ধারায় মানুষের চেয়ে উন্নত ও বুদ্ধিমান কোন প্রাণীকে না দেখে।
যদি পৃথিবী প্রাণীদের উৎপত্তি ও বিকাশের জন্য অনুকুল না হত তবে তাদের উৎপত্তি ও বিকাশ হত না। আর উৎপত্তি ও বিকাশ না হলে কি হত? – কিছুই হত না! 🙂
অনেককে দেখেছি মহাবিশ্বের বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলার বহর দেখে অহেতুক বিস্মিত হয়ে ঈশ্বরে অধিক আস্থা পোষণ করে ধর্মের দিকে ধাবমান হতে। তারা কেন যে ভুলে যান- ঈশ্বরে বিশ্বাস ধর্মে বিশ্বাস ছাড়াও সম্ভব।
@anas,
ভাইয়া আপনার মন্তব্য পড়ে বারবার মুগ্ধ হচ্ছি, আসলে আমরা যাদেরকে ফুয়াদ ভাই সরাসরি নাস্তিক বলেন,তারা হলাম সংশয়বাদী।ভবিস্যতে যদি যুক্তি তর্ক দ্বারা প্রমানিত হয় যে ঈশ্বর আছে তবে আমরা তা মেনে নিতে কুন্ঠা বোধ করব না।কারন আমরা পরিবাররের মধ্যে ধার্মিক হিসাবেই বেড়ে উঠেছি,এবং এখন কিছু প্রশ্ন যার জবাব কোন ভাবেই বর্তমানে ধর্ম দিতে পারছেনা তার ভিত্তিতেই আমরা সংশয় বাদী হয়েছি।
তাই আমরা ফিরে যেতেও দ্বিধা করব না। তবে শেষ পর্যন্তই আমরা প্রশ্ন করে যাব।
@বিপ্লব ভাই
ভাইয়া,এভাবে ছোটখাট মন্তব্য দিয়ে ওসব ভূল ধরানো যাবে না। কোন বড়সড় পোস্ট থাকলে তার লিংক দিয়ে দিন। নাইলে কোন বইয়ের নাম রেফার করে দিন,যেখানে ডিটেইল থাকবে।
@anas,
জানতাম, আপনার মন্তব্যে স্ববিরোধীতা আছে বিধায় তর্কের ঝড় উঠবে। আগেও একবার বলেছি, – যুক্তি, প্রমাণ, জ্ঞান যেখানে উপস্থিত, বিশ্বাস সেখানে মৃত, অর্থহীন, হাস্যকর। দিনের বেলা সূর্য দেখে আপনি যদি বলেন- আমার বিশ্বাস এখন দিন। মানুষ হাসবে, কারণ এখানে যুক্তি, জ্ঞান, প্রমান উপস্থিত তাই বিশ্বাস অর্থহীন। পৃথিবী সম্মন্ধে যতদিন জগতের মানুষের কাছে জ্ঞান, বিজ্ঞান তথ্য-প্রমান ছিলনা ততদিন সারা বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবী সমতল, সূর্য ঘুরে পৃথিবীর চতুর্দিকে। শক্ত ঈমান নিয়েই বিশ্বাস করতাম, চাঁদের বুড়ির সুতা কাটা, রংধনুর পরীর কেচ্ছা, ভুমিকম্পের ষাঁড়ের কাহিনী। প্রশ্নের দরজা যখন আমাদের সামনে খোলে দেওয়া হলো, এসব কাহিনীর উপর আমাদের সকল ঈমান ভেংগে চুরমার হয়ে গেল। আপনি বললেন, আমি যুক্তিবাদীতা পছন্দ করি, আবার বললেন, যদি মনে করেন, আমি সংশয়বাদী, তবে মুক্ত কণ্ঠেই ঘোষণা করব আমি বিশ্বাসী।
স্ববিরোধী বক্তব্য, তবুও বলবো আপনার কিছু কথা ভাল লেগেছে। নাস্তিক হওয়ার জন্যে নয়, প্রশ্নের দরজা খোলা রেখে যুক্তিবাদী হওয়ার লক্ষ্যে আরজ আলী মাতব্বরের ‘সত্যের সন্ধানে’ আর নারায়ন সেনের ‘ডারউইন থেকে ডি এন এ এবং ১৪ কোটি বছর’ বই দুটো পড়ুন।
ভাল থাকুন, যুক্তিবাদী হোন।
@আকাশ মালিক ,
ইস! স্রষ্টা যদি এসে একবার দেখিয়ে দিত যে সে আছে, তাহলে দিনের বেলায় দিন এরকম অর্থহীন বিশ্বাস আমাকে করতে হত না!
এখানে অনেকেই বলেছেন এ জগৎটাকে যতটা সুশৃংখল ভেবে স্রষ্টার উপস্থিতিতে বিশ্বাস করছি ততটা না, হতেই পারে, কুরানে তো এরকম কিছু বলা নেই, কুরানে বরং সকল কিছুর মৃত্যুর কথা বলা আছে, তার মানে শৃংখলা বেপারটা আপেক্ষিক, যেমন্টা আপেক্ষিক মানুষের শ্রেষ্ঠ হবার বেপারটি, কুরানে বলা আছে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুষম ভাবে সৃষ্টি করেছি, আবার বলা আছে মানুষকে সবচেয়ে দুর্ব্লভাবে সৃষ্টি করেছি, অনেকটা একাডেমিকভাবে ভাল ছাত্রের আচড়ণের কারনে স্কুলের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র হবার মতনই আপেক্ষিক। বলতে পারেন শক্তির মৃত্যু নেই, এক রুপ থেকে আরেক রুপে পরিবর্ত্ন হয়, কে বলতে পারে মানুষের মৃত্যুর মাদ্ধমে তার চেতনার একরুপ থেকে আরেকরুপে পরিবর্ত্ন হয় না, আমরা বড় জো্র বলতে পারি আমরা জানিনা, বিজ্ঞান এখন সেই রকম গবেষনায় যায়নি অথবা সেই ক্ষমতা এখন অর্জিত হয়নি, নানা প্রকার ভিন্ন গবেষণা বলতে চেষ্ট করা হছে যে এসবের পেছনে কোন কার্যকারন নেই, কিন্তু এসবি বস্তুবাদী গবেষনার ফলাফল। একটা মানুষ বসে আছে, আমরা দেখছি সে কোন কাজ করছে না, সেই মানুষটি পরদিন একটি কাজে সফল হল,সে আসলে আগের দিন চিন্তার জগতে কাজ করেছিল, আমরা যা দেখেছি তাই বলেছি, সুতরাং বস্তুগত গবেষণায় প্রাপ্ত উপসংহার আমাকে ভরসা দেয় না, (এজন্ন আমি বলেছি শৃংখলা দেখে অবিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, বলিনি প্রমান করে যে স্রষ্টা আছে ) তাই বিশ্বাস-ই সম্বল।
প্রশ্ন হচ্ছে এ ধরনের বিশ্বাস সমস্যা কিনা, দেখুন আমি যদি জন্ম থেকে দেখতাম যে আমার সমাজে ও দুনিয়া জুড়ে যত খারাপ আছে, দুর্নী্তি, হিংসা, লো্ভ, হত্তা, অন্নের অধীকার হরণ আর যা যা আছে খারাপ, সেই সব অনুপস্থিত, তাহলে আমাকে মুস্লিম হবার দরকার হত না, আমি এর বিপরীতটাই দেখেছি, তাই ভেবেছি এর পরিবর্তন কিভাবে করা যায়, আমার শিক্ষা, মুস্লিম পরিবার আমাকে এটাই শিক্ষা দেয় ইস্লামী জীবন বেবস্থা এর সমাধান দিতে পারে, আপত্তির জায়গা গুল নতুন করে ভেবে উপযোগী সমাধান দিয়ে এর বেবহার নতুন ভাবে করা যেতে পারে, এখন আপনারা যদি এসবের সমাধান ইসলাম ছাড়া অন্ন কোনভাবে দেন, একটি সমাজ গঠন করেন যেখানে ইস্লামের সুন্দর বানীগুল ইসলাম ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেক্ষেত্রে আমার বিস্বাস আপনাদের সহযোগীই হবে, সেরকম সমাজ তো আগে প্রতিষ্ঠা, অথবা করার প্রচেষ্টা ও কর্মসুচী থাকতে তো হবে।
ধরুন আমি আর আপনি একটা অংক করলাম, দুজনেরটাই ঠিক, কিন্তু আপনি রেজিস্ট্রেষণ করেননি বিধায় আপনারটা কোন নম্বরিং করা হয়নি, আমার বিশ্বাস বড় জো্র রেজিস্ট্রেষণ করেছি বলে নিরাপত্তা দিবে।
আমি অনেকটা এরুপে ভাবি যে মানুষ কম্পিউটার তৈ্রী করেছে, এখন ঢুকে যাই কম্পিউটার জগত এ, এখানে সব কিছু কাজ করছে ০ ১ ০ ১ এভাবে, এখন একে চিন্তা করার সুযোগ দিলাম, স্বাধীন চিন্তা, তারপর একেকটা প্রোগ্রাম বলা শুরু করল যে মানুষকে তো আমরা দেখিনা যাকে আমাদের স্রষ্টা বলা হচ্ছে, আমরা ০ ১ ০ ১ পদ্ধতিতে কাজ করি এর জন্য কোন স্রষটার প্রয়োজন নেই, এখন এদের কে বিস্বাস করাতে হলে কি মানুষকে কম্পিউটারের ভিতর ঢুকতে হবে? বড় জোড় একটা প্রোগ্রাম বানায় দিয়ে পাঠাব, আর ঢুকলেও তো ঐ বাইনারী পদ্ধতিতে ঢুকতে হবে এ বায়োলজিকাল দেহ কে তো আর তারা বুঝবে না, এখন সেভাবে না ঢুকলে বা পাঠানো প্রোগ্রামটি কাজ না করলে মানুষ স্রষ্টা হিসেবে সর্বশক্তিমান তা মিত্থা হয়ে যাবে? বেশী ঝামেলা মনে হলে কম্পিউটার বন্ধ করে দিলেই তো প্রমান হবে যে মানুষ আসলেই সর্বশক্তিমান, ভাল প্রগ্রাম তৈ্রী করে প্রমান করতে হবে যে সর্বশক্তিমান তার আসলে প্রয়োজন নেই, কম্পিউটারকে যে কাজ দেয়া হয়েছিল, ওটাকে যে চিন্তা শক্তি দিয়েছি বলে উলটাপালটা কাজ করলে আপনি কি শাস্তি হিসেবে নষট হিসেবে পরিগনিত করবেন না?
এখন প্রোগ্রামটি কি? আমি যতটুকু বুঝি স্রষ্টার ভাল প্রোগ্রামটি হল বিবেক, এটি যত শক্তিশালী হবে খারাপ পোগ্রাম হেরে যাবে এটি দুর্বল হলে জিতবে। আর বিবেক তো কোন ধর্মের সম্পত্তি নয়। এ থেকে অনেক প্রশ্ন আসতে পারে, যেমন খারাপ প্রগ্রামটি ও তাহলে স্রস্টা তৈরী করেছেন, তিনিই যখন খারাপ ভাল তৈ্রী করলেন তাহলে খারাপ জয়ী হলে আমাদের কি দোষ ইত্যাদী ইত্যাদী, আমি বলব ভেবে দেখেন।
আপনার ইস্লামের জন্ম… বই টা পড়লাম, আপনার লেখা ইতিহাসের প্রায় সবটাই জানা ছিল, নতুন কিছু তেমন একটা যুক্ত হয়নি, যেটা বুঝিনি যে আপনি ইস্লামের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন, নাকি ইস্লামের ইতিহাস থেকে তত্থ নিয়ে নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, কারন আমি যদি বংগবন্ধুকে খারাপ বলতে চাই তাহলে বাকশাল, দুর্ভিক্ষ, সিরাজ শিকদার হত্তা, বাম হত্তা ইত্যাদি আনব, আর যদি ভাল বলতে চাই তাহলে একাত্তর এ তার ভুমিকা, বাঙ্গালীর প্রতি তার ভালবাসা ইত্যাদি আনব, আর যদি ইতিহাস বর্ণনা করতে চাই, তাহলে উভয়টাই আনব, আর আনার সময় খেয়াল রাখব নিজের মন্তব্ব না করার, যদি ইতিহাস আলচনা করি। আমি শুধু একজন মানুষের ইতিহাসের কথা বললাম, আপনি তো একটি জাতীর ইতিহাস বর্ননা করেছেন। তাও মাত্র ছয় খন্ডে। পুর আলোচনা করা সম্ভব না কুরান সংকলন নিয়ে আপনার প্রবন্ধ থেকেই বলব, হযরত উস্মান যে কুরান সংকলন করেছিলেন, সেটা যদি রাসুলের কুরান না হত তাহলে সে সময় মদীনাতেই এর ভয়ংকর রকম প্রতিবাদ হত, কারন রাসুলের জীবদ্দশাতেই রাসুলে পুর্ণাংগ কুরান সংকলন করে গিয়েছিলেন যা সেই সময় অনেক হাফেযে কুরান রাসুলের সংকলিত কুরান-ই বুকে ধারন করত, উস্মান যদি সামান্য পরিমান রদবদল করে থাকতেন তাহলে সমস্ত হাফেযে কুরানসহ মদীনার সব লো্কের ই কুরানের উপর বিস্বাস উঠে যেত, ফলে সিফফিনের যুদ্ধে আলীর বাহিনী ধোকা খেত না, সেই সময় বর্শার মাথায় সাধারন বই এর কপি বেধে দিলেও কিছু হত না, এতেই বুঝা যায় উস্মানের সংকলিত কুরান নয় রাসুলের সংকলিত কুরান ই আমাদের মাঝে আছে, উসমান যেটি করেছেন সেটি হল আঞ্চলিক ভাষার অবলুপ্তি।
http://www.themodernreligion.com/basic/quran/quran_proof_preservation.htm
আমি জানি আমার জ্ঞানের সীমাহীন ঘাটতি আছে, আমার কথা কার ভাল লাগ্লেও লাভ নেই খারাপ লাগ্ললেও ক্ষতি নেই, এ দেশের উন্নতি হলেই আমার লাভ, এখন যুক্তিবাদীদের এজন্ন্য পছন্দ করি যে যত গাধাই হই না কেন, তারা অন্তত বলতে দেয়, গাধা মার্কা প্রশ্ন করলেও গালাগালি করে না। তাই আপনি আমাকে স্ববিরধী বলতেও পারেন।
@anas,
ভাই আমিও সেই একই কথা বলি, মনের পশুকে কোরবানী দেয়ার জন্য বনের পশুকে ধরে আনতে হবে কেন? যেখানে ঐ দুইটার মধ্যে কোন সম্পর্কই নাই?
কুরবানী শব্দের অর্থ আমি যতদূর জানি উৎসর্গ করা।তাইলে আমি মানুষের জন্যই অর্থ গুলো উৎসর্গ করি না কেন?
আপনাকে ধন্যবাদ :rose2:
সুন্নী এবং শিয়ারা বা অন্য যে কেউ কথাগুলো ভালভাবে গ্রহণ করেনা যখন আমার মতো কেউ হাদীসগুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। শিয়ারা সুন্নী মতবাদের হাদীসগুলো পুরোপুরী অস্বীকার করে আর সুন্নীরা শিয়াদের কোন হাদীসই মানে না, সব অস্বীকার করে। ঘটনাগুলো (হাদীসগুলো) যদি সত্যিই হতো তাহলে তো আর মান-মানির প্রশ্ন উঠতে পারে না; কিন্তু শিয়া-সুন্নী এবং অন্যান্য গ্রুপের মধ্যে সত্য ঘটনা বর্নণার মধ্যে এত পার্থক্য হচ্ছে কেন? মজার ব্যাপার হচ্ছে, তারা একদল যখন আরেক দলের হাদিস বাতিল করে দেয়, তখন তো আর কোন হাদিসই ইসলামে থাকার কথা নয়। 😀
ধন্যবাদ।
@আইভি,
আপা একটি যুক্তি দেই রাগ কইরেন না । এটা নাস্তিকদের পক্ষের যুক্তি মনে হবে । যাইহোক,
খ্রিস্টান রা আল কুরান বাতিল করে দেয়, হিন্দুরা আল কোরান বাতিল করে দেয় আবার হিন্দুরা বাইবেল বাতিল করে, খ্রিস্টাণরা বেদ বাতিল করে দেয় । যেহেতু একজন আরেক জন কে বাতিল করে দেয়, তাহলে এরা সবাই বাতিল ।মানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাই বাতিল । তাই নয় কি ?
(কেউ ভুলেও ভাবিয়েন না, আমি নাস্তিক , আমি সম্পূর্ণ মুসলিম)
@ফুয়াদ,
একদম আমার মনের কথা বলেছেন। আইভির এই মন্তব্য পড়ে ভেবেছিলাম এটাই লিখি, তবে অতীতেও বহুবার বলেছি তাই আর বলিনি।
এ কারনেই ধর্ম নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী বা জাতীয় জীবনে প্রয়োগ এসবের কোন মানে হয় না।
তবে হিন্দুরা বা অন্য সবাই বাকি ধর্ম বাতিল করে দেয় পুরোপুরি ঠিক না। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ম এদের অনুসারি হিন্দুরা সব ধর্মকে স্বীকৃতি দেয়। সাধারন খৃষ্টান যাদের সাথে আমার ওঠা বসা তাদের কাউকে কোরান বাতিল করে দিতে আমি শুনিনি, হতে পারে তারা ধর্ম নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামায় না। কোরান বা ইসলামের সমালোচনা অবশ্যই করে, সে তাদের নিজেদের বাইবেল নিয়ে আরো বেশী করে।
তবে যুক্তি হল যুক্তি, তার আবার নাস্তিকের কি আর আস্তিকের কি? ওজন থাকলে যেকোন যুক্তিই বিবেচ্য।
@আদিল মাহমুদ,
যুক্তির কেন বিচার বোধ নাই । ভাল ওকিল ভাল যুক্তি দেয়, খারাপ উকিল খারাপ যুক্তি দেয় । যুক্তি দিয়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যা কে সত্যে পরিনিত করা যায় । আবার যুক্তির সিমানা নির্দিষ্ট নয় । যে যেভাবে পারে উল্টাকে সোজা , আর সোজাকে উল্টা করে ফেলে ।
যাইহোক, আমি আগে একটি কমেন্ট দিয়েছিলাম ,আপনার চোখে পরেনি মনে হয় , উত্তর জানার বেশ ইচ্ছা ছিল
{{{ @ আদিল মাহমুদ ,
আপনি তো বেশ গর্ব করে বলেছিলেন মুক্তমনায় লেখার জন্য, দুইবার করেছিলেন । তারপর, একবার বলেছিলেন কেন যে এখানে লেখেন না । তারমানে সব মিলিয়ে তিনবার । যাইহোক, আমি একটি লেখা দিয়েছিলেম , কেন ছাপা হয়নি তা ও আমাকে বলা হল না । পেন্ডিং পেন্ডিং পরেছিল । আমার পরের অনেক লেখা ছাপা হইলো , কিন্তু আমার লেখা হইলো না । আমি ১০০% মসুলমান মানুষ, তাই বলে কি আমার আত্মসম্মান বোধ থাকতে নেই । তাই পোষ্ট টি তুলে নিলাম । আমার ব্লগে দিলাম । এখানে দেখুন কি কি নিতিমালা ভঙ্গ করেছি http://www.somewhereinblog.net/blog/Fuad1dinohin/29047268
আপনি রেফারন্সের কথাও বলেছিলেন , তাই রেফারেন্স সহ ঈ দিয়েছিলাম । আপনাকে ধন্যবাদ ।}}}}
@ফুয়াদ,
দূঃখিত, আপনার এ পোষ্ট আগে দেখিনি। আমি মেইন পেজ এর বামে যেসব কমেন্টস থাকে সেগুলিই সাধারনত দেখি। ই-মেইল ধরে দেখি না।
আপনার লেখা ছাপা হয়নি বা হচ্ছে না জেনে দূঃখিত হলাম। তবে লিখলেই যে ছাপা হবে তার গ্যারান্টি কিন্তু কেউ দিতে পারে না, এমনকি সাইট্র গাইড লাইন মেনে লিখলেও। মান বলে তো একটা কথা আছে, তাই না? তার মানেই যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা যায় তা ঠিক না। গত বছর মনে হয় সাতরংগে নন্দিনী হোসেনের পুরুষ ধর্মে বিকলাংগ নারী বিষয়ক একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় সদালাপে কিছু লেখক বিশ্রী ভাষায় তাকে ব্যক্তিগত আক্রমন সম্বলিত লেখা ছেপেছিলেন। আমি সেগুলির প্রতিবাদ স্বরুপ একটি লেখা তখন সেখানে পাঠাই। সে লেখাটি ছাপা হয়নি, তবে আমি শুধু সেকারনেই বলতে পারি না যে সদালাপ সম্পাদক পক্ষপাতিত্ব করে ফেলেছেন। কারন তিনি আমার লেখায় তার ভাষায় বেশ কিছু ভুল ধরে সেটা কারনসহ আমাকে জানিয়েছিলেন। আমার আর সময় হয়নি সে নিয়ে আগানোর। তাই লেখা ছাপা না হলেই পক্ষপাতিত্ত্বে অভিযোগ ঠিক নয়।
তবে আমি এটা মানি, এবং মুক্তমনার কাছে শক্তভাবে দাবী জানাবো যে কেন ছাপা যাবে না সে ব্যাখ্যা যেন লেখককে জানানো হয়। লেখাকের অন্তত এইটুকূ প্রাপ্য। আপনার লেখা কেন ছাপা হল না তা নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যাথা নেই, আমি মুক্তমনার মডারেটর নই, আপনার মতই একজন ব্লগ সদস্য, তবে আপনাকে কেন উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে না সেটা আমার কাছে গুরুত্ত্বপূর্ন। আমার বিবচেণায় কোন লেখা ছাপার যোগ্য হতে পারে, কিন্তু সম্পাদক যারা আছেন তাদের মত ভিন্ন হতে পারে। সম্পাদকের তো নিজের স্বাধীনতা আছে, তার সাইটের যোগ্য লেখা তিনিই বিচার করবেন।
আপনার সেই লেখাটা আমি পড়লাম।
বানান ভুলের জন্য আপনি নিজেই অগ্রীম দূঃখ প্রকাশ করেছেন, তবে সাথে সাথে লেখাটাতে সাধু চলতির মিশ্রনও বেশ দৃষ্টিকটূ। নিজেই যখন এসব ভুলের ব্যাপারে জানেন তখন কেন আরেকটু সময় নিয়ে লেখেন না? শুধু এসব ভুলের কারনেই কোন লেখা যতই ভাল হোক না কেন ছাপা নাও হতে পারে। নাহলে সাইটের মান নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে।
সত্য বলতে কি, আপনার এই লেখাকে ধর্মীয় প্রচারমূলক লেখার ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়।
মুক্তমণা নীতিমালার ৭ নং নিয়মটি দেখুনঃ
7. Any form of religious preaching will not be posted।
মুক্তমনা যেখানে আল্লাহ খোদা বা কোন ধর্মেই খোলাখুলিই বিশ্বাস করে না সেখানে আপনি আল্লাহর মহাত্ম নিয়ে লেখা লিখলে তারা ছাপাবে এটা কি করে ভাবলেন?
আপনি বলতে পারেন ধর্মীয় লেখা এখানে আগেও কেউ কেউ দিয়েছেন। ঠিক, দিয়েছেন। আইভি কিছুদিন আগেই কোরান বিষয়ক দুটি লেখা লেখেন, তবে ধর্ম প্রচার বা আল্লাহর মহাত্ম নিয়ে আলোচনা সেসব লেখায় ছিল না। তার লেখা্র মূল উদ্দেশ্য ছিল কোরান হাদীসের ভূল ব্যাখা বা অনুপযোগিতা বিষয়ে কিছু যুক্তিপূর্ন আলোচনা। যদিও তাতেও কিছু সদ্স্য আপত্তি করেছিলেন যে সেগুলি ধর্মীয় প্রচারের মতই মনে হচ্ছে বলে।
আরো কিছু উদাহরন বলতে পারি। ধরুন, আপনি আজ কোরানে কত বিজ্ঞান নীহিত আছে তা নিয়ে একটি লেখা লিখলেন, ছাপা হল না, কারন সেটা এই ৭ নম্বর ভায়োলেট করে। কিন্তু যদি আপনি কোরানের সাথে বিজ্ঞানের সংঘাত আছে এটা ভুল প্রমান করতে কোন লেখা লেখেন তবে তা ছাপার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। আরেকটি উদাহরন, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে নাস্তিকের ধর্মকথা যা যা বলেছেন তার রিফিউটাল হিসেবে কোন একটি লেখা লিখেন তবে তা ছাপার যোগ্য। তবে আপনিও জাকির নায়েক টাইপের যুক্তি দিয়ে ধর্মপ্রচার শুরু করলে তা ছাপা হবে না।
যতদুর মনে পড়ে, আমি আপনাকে লিখতে বলেছিলাম আমাদের কোরবানী বিষয়ক একটি বিতর্কের কমেন্টে। আপনি কোরবানীতে কোন দোষ দেখেন না, আমি এর বিরুদ্ধে যা যা যুক্তি দিচ্ছিলাম তা মানতে পারছিলেন না, কি কি যেন বলার চেষ্টা করছিলেন। তাই আমি বলেছিলাম যে আমার যুক্তি খন্ডন করে একটু পূর্নাংগ লেখা দেন, অবশ্যই সেটা যুক্তিপুর্ন হতে হবে, কোন ধর্মীয় বিধিবিধানের ভিত্তিতে নয়।
সত্য কথা বলতে, আমি আপনার লেখার মূল সুরে ব্যক্তিগতভাবে একমত, তবে মনে করি না যে এ লেখা মুক্তমণায় ছাপার যোগ্য, কারন এটা পুরোপুরী বিশ্বাসভিত্তিক লেখা, যুক্তিপূর্ন নয়।
তবে আপনাকে আবারো বলব, লিখে যান। লিখতে লিখতেই তো মানুষে শেখে। ভাল লেখা অবশ্যই লিখতে পারেন। আপনাকে সম্ভাব্য সফলতার একটু সূত্র দেই, বেশ কিছুদিন তো এখানের ফোরামে অংশ নেন। এখানকার সসস্যদের মনমানসিকতা অনেকটাই জানেন, তাই তারা আপনার লেখায় যুক্তির কোন খুত ধরতে পারবেন না এভাবে লিখেন।
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ কষ্ট করে পরার জন্য । বানান আমি সফটোয়ার দিয়ে চেক করেছিলাম । তারপর ও ভুল থাকতে পারে । তাই ক্ষমা চেয়ে ছিলাম । আসলে আমি ভুলগুলি ধরতে চেয়েছিলাম, কমেন্ট সেকশনে পাওয়া যাবে বুঝতে পেরেছিলাম । যাইহোক, একটি লাইন শুধু বিজ্ঞানের বাহিরে লেখা ছিল, আর এ জন্য ঈ আমি ঐ লাইন লিখেছিলাম, যেন কেউ ভুলেও মনে না করে আমি নাস্তিক , কারন মুক্তমনা কে নাস্তিকদের সাইট হিসাবে ধরা হয় । আমি মুসলিম, তা জানান দেওয়া কর্তব্য ছিল। তবে ধন্যবা্ আমার ভুল গুলি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য । :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: :rose2: গোলাপ গুলি আপনার জন্য । ধন্যবাদ । ঈদ মোবারক ।
@আইভি,আপনার এই হাদিস বৈরিতার উদ্দেশ্য এবং অর্থ আমি বুঝি না।কিছু হাদিস বানোয়াট তা প্রমাণিত হয়েছে।কিন্তু তাই বলে সব হাদিস বাতিল করে দিতে
হবে কেন?সব হাদিস বাতিল করে দিলে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার থাকে কি?
anas,
বলেছিলেন আপনি একজন মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত লোক। ইংরেজীতে লিখা বাক্যগুলো যেন পরিচিত মনে হয়। আপনার কাছ থেকে আশা করেছিলাম, তাফসিরুল কোরান, তার্জামানুল কো্রান, তাফহিমুল কোরান, সিরাতুন নবী, সিরাতে রাসুল, তারিখুল ইসলাম থেকে হাশিয়া, রেফারেন্স বা তথ্যবহুল কথা, আর ইবনে ইশহাক, তাবারী, মুফতি মাহমুদ, আশরাফ আলী থানভী, মৌলানা মওদুদী এবং মৌলানা মুহীউদ্দীন প্রমুখের উদৃতি। আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে বড়ই হতাশ হলাম। হজরত ওমর সত্তরতালি জামা পরে, দাসকে উটে বসিয়ে যদি প্রতাপশালী মিশর জয় করে নিতে পারেন, তাহলে আল্লাহ মুহাম্মদকে নবী বানিয়ে ভুল করেছেন। মুহাম্মদ একটা দেশও সত্তরতালি কাপড় পরে জয় করতে পারেন নাই। আপনাকে অনুরুধ করবো, মুক্তমনার ই-বুকে রাখা যে সত্য বলা হয়নি বইয়ের
ইসলামের জন্ম-বিকাশ এবং প্রাসাদ ষড়যন্ত্র প্রবন্ধটি সকল মোহ ত্যাগ করে নিরপেক্ষ ভাবে একবার পড়ুন। পাশাপাশি তথকালীন আরবীয়ান ঐতিহাসিকদের বই অথবা ইনটারনেট সার্চ করে মুসলিম ও অমুসলিমদের লেখা ইসলামের ইতিহাস পড়ুন। মুক্তমনায় বাংলায় ধর্ম ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন লেখকের যথেষ্ট লেখা আছে, সেগুলোও পড়ুন। মুসলমানগন অমুসলিমদের যে সকল দেশ দখল করেছিলেন, সেই সকল দখলকৃত দেশের নির্যাতিত, অত্যাচারিত মানুষের কাছে আশা করতে পারেন সেই সময়ের সঠিক ইতিহাস, মুসলমানদের কাছে নয়। ৫২ থেকে ৭১- এ সময়ের প্রকৃত সত্য ঘঠনাবলী বা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাকিস্থানী বা জামাতীদের কাছে আশা করা যায়না।
ব্লগারদের বিশেষতঃ anas, liton das প্রমুখদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে আপনারা বাংলা ব্লগে বাংলায় মন্তব্য দিন। ইংরেজী হরফে বাংলায় মন্তব্য দিলে, কিংবা ইংরেজীতে দীর্ঘ কাট এন্ড পেস্ট লেখা সমন্বিত মন্তব্য প্রদান করলে ভবিষ্যতে মন্তব্য প্রকাশিত হবার কোন গ্যারান্টি দেয়া যাচ্ছে না।
@ Anas
আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়লাম। যুক্তিবাদী মনকে সন্তুষ্ট করার মত তেমন কিছু নেই। সেই একই গতবাধা কথাবার্তা যেখানে বহু নড়বড়ে খুটি দিয়ে ইসলামের ভিত্তি শক্ত করার আকুলতা স্পস্ট। কোরানে বহু আয়াত আছে যেগুলো এই যুগে মানতে গেলে মানবতার লংঘন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আমরা তো বলছিনা যে কোরানের পুরোটাই খারাপ। তাই আপনাদের এই ভাল আয়াতগুলোকে সামনে রেখে ইসলামকে ডিফেন্ড করা আর খারাপ আয়াতগুলো সামনে এলেই এগুলো ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা এ জাতীয় কথাবার্তা শুনলে হাসি আসে।
আর একটা বিষয়। আপনি আদর্শ ইসলামী সমাজব্যবস্থা সব সময়রে জন্য আদর্শ মন করেন। কিন্তু সমাজ তো পরিবর্তনশীল। তাই ১৪০০ বছর আগের কোন সমাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা জীবন ব্যবস্থা কখনই সর্বকালের জন্য প্রযোয্য হতে পারেনা। মহাজ্ঞানী স্রষ্টা এ সম্পর্কে আমার আপনার সবার থেকে ভাল অবগত আছেন। তাই ইসলামকে স্রস্টা প্রদত্ত ধর্ম বলে আপনারা যে দাবী করেন তা ধোপ টেকেনা।
আপনি যখনই সেই আইন এই সমাজে প্রতিষ্ঠা করার চেস্টা করবেন তখনই ঝামেলা বাধবে।আসলে সেটা সম্ভবই নয়। সভ্যতার চাকা তাহলে সেই ১৪০০ বছর আগেই পড়ে থাকবে। আফগানিস্তান এর মত উদাহরন চোখের সামনে থাকার পড়েও আপনারা মোহাবিস্টের মত আদর্শ ইসলামী সমাজের বুলি আওরান। বর্তমান সভ্য যুগে মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্ম ইসলামের অসারতা আপনাদের চোখে বাধেনা। আসল সমস্যার জাযগাটি উপলব্ধি না করে, না বুঝে, ইসলামকে ঐশী ধর্ম ভেবে থেকে যতদিন আপনারা একে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করবেন ততদিন আপনারা মুসলমানরা পৃথিবীর বুকে একটা ভয়ংকর অস্থরিতাকে জিইয়ে রাখবেন।
আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনি আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা আদিলমাহমুদ ভাইযের মত আমিও বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। যাই হোক উনি যা বলার বলে দিয়েছেন(উনি আপনার এই মন্তব্যের জবাব অন্য মন্তব্যের উপর দিয়েছেন)-এ নিয়ে আমার নতুন করে বলার কিছু নেই।তবে একটা উপদেশ দিতে পারি- যে ইসলাম সবার শ্রেষ্ঠ বা সব যুগের জন্য প্রযোজ্য এ ধরনের অবাস্তব চিন্তা বাদ দিয়ে, মানুষের অজ্ঞতার ফসল ধর্ম নিয়ে মাতামাতি না করে, নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকে ধর্মীয় সত্ত্বার উপরে ভাবতে শিখুন। এতে সমাজব্যবস্থা আপনার আদর্শ ইসলামী সমাজব্যবস্থার থেকে বহুলাংশে উন্নত হবে।
ধন্যবাদ।
Bhai,
Apni-to Islam Dhormer puro Burkatai khule dilen!
Islamke wolonggo korben na, Lojja lage !!!!!!!!
একদম ঠিক।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সহমত । কবে কোন প্রাগৈতাহাসিক আমলে কোন এক মানসিক রোগী ইব্রাহিম
(যদিও যার ঐতিহাসিক কোন প্রমান নেই) তার ছেলেকে জবাই করার জন্য
নিয়ে গিয়েছিল, তার স্মরণে আজও মুসলমানরা কোটি কোটি পশু জবাই করে
চলছে।একে বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না।
@ফরহাদ,
পুরোপুরি একমত। উৎসব করে জঘন্য পন্থায় পশু হত্যা শুধু বর্বররাই করতে পারে। পশুদের যাতে ইচ্ছেমত জঘন্য পন্থায় হত্যা করা যায় তাই এদের মধ্যে যে বোধশক্তি রয়েছে তাকেও অস্বীকার করা হয়।
আমি পশুদের বোধশক্তি কতটা তা নিয়ে অনেক ভেবেছি । পরিশেষে আমার মনে হয়েছে যদি টিক এই মুহূর্তে পশু হত্যা চালিয়ে যেতে হয় তবে-
১।যেহেতু পশুকে ব্যাথা না দিয়ে হত্যার প্রযুক্তি আমাদের আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে তাই কোন অবস্থাতেই যেন বর্বর পন্থায় আর পশু নিধন না করা হয়।
২।পশু হত্যা কেন্দ্রিক উৎসব বর্জন করতে হবে তা সে যে ধর্মেরই হয়ে থাকুক।
@সৈকত চৌধুরী,
পশুহত্তাকে কেন্দ্র করে উতসব ডেনমার্ক এও হয়, তবে সেটা কোন ধর্ম ভিত্তিক উতসব নয়, আমার জানা মতে ডেনমার্ক নাস্তিক জনসঙ্খার দিক থেকে তৃ্তীয় স্থানে।
@সৈকত চৌধুরী,
২ নং পয়েন্টই আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্বিচারে পশু হত্যার উৎসব কোন ফর্মেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জাকির নায়েকদের কাছ থেকে এই জিনিসটারই ব্যাখ্যা চাইতেছিলাম। কিন্তু তারা দুনিয়ার যত আজে বাজে কথা বলে তাদের বোৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হাজির করে- কিন্তু এই প্রসঙ্গটি সযত্নে এড়িয়ে যায়। শুরু করে ভেজিটেরিয়ানদের নিয়া। “পশুহত্যা মহামাপ” এইটার জবাব দেন মনের মাধুরি মিশাইয়া। জ্ঞানীর মত সকলকে জানিয়ে দেন- পশুহত্যা মহাপাপ- কিন্তু গাছেরও তো প্রাণ আছে। যেনবা আমরা কেউ এই তথ্যটি জানতাম না! তারপরে শুরু করেন ইসলাম জবাই করার নিয়মের মধ্যকার যত বোৈজ্ঞানিক ব্যাপার স্যাপার। …. এগুলো নিয়াই পেচাইতে থাকেন। পেচাইতে পেচাইতে একদম ছ্যাড়াবেড়া- আর ধার্মিক ব্যক্তিরা ভাবেন- আহা! এই না হলে ইসলাম!!
আমি ভাবি- যে আমি ছোটবেলা থেকে পশুর মাংস খেয়ে অভ্যস্ত, যে আমার পশু জবাই করা নিয়ে কোনই বাছবিচার নাই (তিন কোপ আর এক কোপে জবাই হয়েছে কি না সেটা নিয়া মাথাই ঘামাই না, একবার আদিবাসীদের মারা পশুর মাংসও খেয়েছিলাম যা নাকি খুচিয়ে খুচিয়ে মারা)- সেই আমারে এইসব কথা কইয়া কি লাভ? আমরা আজ কসাইখানা নামক একটা আলাদা জায়গা রেখেছি- কিন্তু ধর্মের নামে একটা দিন দুনিয়ারে এইরকম কসাইখানা বানায় দেয়ার মানে কি হতে পারে- এইটাই বুঝতে পারি নাএবং সেইটা কেউ বুঝাইতেও আসে না। একবার একজন অবশ্য বুঝাইতে আইসা কইছিল- অন্য ধর্মেও এইরকম নির্বিচার পশুহত্যা আছে- আমি কেবল ইসলামরে নিয়া লাগছি ক্যান। আজব এখ প্রশ্ন বটে! অন্য ধর্মরে দিয়া ইসলামরে রক্ষা করার চেস্টায় যে বেচারার যে ঈমানের পরীক্ষায় মুনকার-নাকির দুইটা বেশী প্রশ্ন করবো- সেদিকে খেয়াল নাই- আমারে জিগায়, আমি ইসলামের পেছনে লাগছি ক্যান! যাউকগা, জবাব চাইতে গিয়া দেখি লোকে আমার কাছেই জবাব চায়- এই টাইপের প্রশ্নের মেলা জবাব দিছি, তাই এইটারে পাত্তা দেওনের খুব বেশি কারণ দেখি না।
আরেকজন আইসা কইলো- আল্লাহ কোরবানী দিতে কইছে- নিজ হাতে তো পশু হত্যা করবার কয় নাই- আলাদা নির্দিষ্ট স্থানে বা কসাই খানায় সমস্ত পশুর কোরবানীর ব্যবস্থা হইলেই তো হয়। আমি খুব খুশী হই, হুম যান পারলে এই ব্যবস্থা চালু করেন – আর আপত্তি করুম না। রোযার ঈদেও মুসলমানরা পোলাও-মাংস খায়, ফলে ঐদিনও দেশে বেশী গরু ছাগল জবাই হয়, কই এই ঈদ নিয়া তো বর্বরতার অভিযোগ তো কেউ তুলি না। কসাইখানা থেকে দরকারে রোযার ঈদের তুলনায় দশগুন কইরা মাংস কিনেন, কিইনা নিজে খান- বিলি করেন, ছোয়াব হাসিল করেন, পরকালের খাসা খাস সব জিনিসগুলানের বুকিং দিয়া দ্যান- কোনই আপত্তি নাই; খালি দয়া কইরা দুনিয়াটারে একটু বাসযোগ্য রাখেন- খালি আমাগো নাস্তিকগো লাইগা না- আপনেগো নেজগো লাইগাও।
আদিল মাহমুদ,
আপনার মন্তব্যে আমার নামটা উল্লেখ করায় একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।
9/11 ঘঠনার সময় ইংল্যান্ড ছিলাম। অনেক বন্ধু-বান্ধবকে জিজ্ঞেস করেছি, একজন মানুষও বলেনি যে বিন-লাদেন পথভ্রষ্ট মুসলমান বা সন্ত্রাসী। তারা এতই প্রফুল্লিত হয়েছিল যে, ঐ বিল্ডিংয়ে কর্মরত নিরপরাধ মুসলমানদের মৃত্যুকে তারা ইসলামের নামে আত্ম্যত্যাগ বা শহীদ বলে মেনে নিয়াছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ছিলাম। গ্রামের ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা ওয়াজ শুরু করার আগে একটি মাদ্রাসা ছাত্র কসিদা বা গজল আবৃতি করছিল এরকম-
এ যুগের স্রেষ্ট ওলী / উসামা-বিন লাদীন
খালিদ বিন ওলিদ রূপে/ সর্দারে মু-জাহিদীন
এ যুগের স্রেষ্ট ওলী / উসামা-বিন লাদীন
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। মনের অজান্তেই সেই রাতে আমার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল- হায় আল্লাহ, এই বুঝি আমার দেশ?
@আকাশ মালিক,
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও একই রকম। যারা মুখে পুরো সমর্থন করেনি তাদের ভাবও অনেকটা এইরকম ছিল যা ইসরাইল নীতির কারনে আমেরিকার এমন একটা শিক্ষা দরকার ছিল। কানাডার কিছু মসজিদে জিহাদের জন্য চাদাও তোলা হয়েছে।
আমাদের দেশে কি দেখেছিলাম আমরা? আমি দেশে ছিলাম না, তবে ঢাকার রাজপথে লাদেনের ছবি নিয়ে বিশাল মিছিল দেখেছি। তারা সব মোল্লা মাদ্রাসা লাইনের লোকজন হলে অত কথা বলার ছিল না। তবে মনে পড়ে অধিকাংশ লোকেই ছিল সাধারন মানুষ। একজন অতি আধুনিক চেহারার তরুন ছেলে একটা প্রতীকি ঘোড়ায় চড়ে হাতে একটা তলোয়ার (কাগজ বা প্লাস্টিকের হবে) নিয়ে মিছিলের মাঝে বসে ছিল।
এখন বলে দিলেই হবে মোসলমানরা লাদেন ফাদেন কে পাত্তা দেয় না? সব মুসলিম দেশ সরকারী ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঠিক, তবে তাদের জনসাধারনের বিপুলভাবে সমর্থন ছিল, আজো আছে।
@আদিল মাহমুদ,
মানুষ কতটা বর্বর হলে এমন বলতে পারে? এদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্র দ্রোহিতার মামলা হবেনা বলতে পারেন?
@সামির মানবাদী,
ফুয়াদ ভাই বা আল মুর্শেদ ভাই হয়ত বলতে পারেন, আমি পারি না।
তবে আমার কাছে আরো দৃষ্টিকটূ লাগে শ্যাম চাচার ভয়ে এই বাংলা হবে তালেবান ওয়ালারা যখন রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেলেন তখন। ঈমানী জোর মনে হয় একেই বলে।
জাকির নায়েককে নিয়েও একই ব্যাপারই হবে। নাস্তিক বা যুক্তিবাদীদের তেমন কিছু করতে হবে না। অলরেডী শুরু হয়েছেও। ধর্ম নিয়ে অতি চালাকি খেলার অমোঘ নিয়মে তাই হয়। কোরানে ১৯ তত্ত্বের আবিষ্কারক রাশাদ খলিফারও তেমন হয়েছে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে পরবর্তিতে কাফের ষ্ট্যাটাস।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মোসলমানদের তরফ থেকেই নানান প্রতিবাদ আসছে, তার মধ্যে কাফের ঘোষনাও আছে।
তবে এতে তেমন খুশী হবার কিছু নেই, কারন নূতন জাকির নায়েকদের আবির্ভাব হতেও বেশী সময় লাগবে না। যাদের শিক্ষা নেবার তারা কোনদিনই নেবে না।
@আদিল মাহমুদ,
খুবই খাটি কথা বলেছেন। আমাদের ফুয়াদ, আল মুর্শেদ ভাইদের মত লক্ষ লক্ষ ভাইয়েরা এই ব্যপার গুলো সামনে এলেই কেমন যেন ইচ্ছেকরেই কানে আঙ্গুল দেন, চোখ বন্ধ করে ফেলেন। ইসলামী জঙ্গীবাদ বা জিহাদের মাধ্যমে নরহত্যার বিপক্ষে কোথাও তারা উচ্চস্বরে প্রতিবাদ করেছেন এমনটা তো আমার কখনও চোখে পড়েনি।
সেদিন বাসে করে মহাখালী থেকে সাভার যাচ্ছিলাম। বাসের ভিতরে পুরোটা সময় টিভি সেটে চলছিল ওয়াজ মাহফিল।পুরোটা সময় অমুসলিমদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদাগার করা হয়েছে আর তাদের বিরুদ্ধ জিহাদের ডাক দেয়া হয়েছে। যেরকম আগ্রাসী আর আক্রমনাত্মক ভঙ্গিমায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে তার সিকিভাগও যদি জিহাদীর ভিতরে জিহাদ পালনের সময় উপস্থিত থাকে তবে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া বোধহয় কমই হয়ে যায়। আমাদের ফুয়াদ ভাইদের মতে এই জিহাদ বা জঙ্গীবাদ প্রকৃত ইসলাম কখনো অনুমোদন করেনা, এসবের প্রতি সাধারন মুসলমানদের কোন সমর্থন নেই। বেকুব বনে যাই এ ধরনের কথা শুনে। জানতে ইচ্ছা হয় ফুয়াদ ভাইদের কাছ থেকে যে ভাই প্রকৃত ইসলাম কি বস্তু। প্রকৃত মুসলমানই বা কারা? আমার খেয়াল মতে ঐদিন বাসে একজন মুসলমানও মানুষ হত্যার মত এরকম জঘন্য কাজে লিপ্ত হবার আহবানের প্রতিবাদ জানায়নি। বরং আশ্চর্য হয়ে শুনলাম কোন একজন আবার ভলিউম বারিয়ে দেয়ার জন্য বলছেন। ভাই ফুয়াদ খুব জানতে ইচ্ছে করে এই য বাসের এতগুলো মুসলমান এরা কি প্রকৃত না অপ্রকৃত? এই যে দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলমান লাদেনের ছবি নিয়ে রাস্তায় উন্মত্ত মিছিল করে, বহু শিক্ষিত তরুন যুবক জিহাদের সমর্থনে ওয়াজ মাহফিলে আগ্রাসী হুঙ্কার তোলে, দোকানে দোকানে বিন লাদেনের ছবি শোভা পায়, হাজার হাজার মুসলমান ভাই যারা ওয়াজ মাহফিল চড়া ভলিউমে না শুনলে শান্তি পাননা-এরা কি আসল না নকল?যদি বলেন যে এরা কেউই আসল নন তবে আসল কারা? আচ্ছা আপনি নিজেকে কি সাচ্চা মুসলমান মনে করেন? আমার তো মনে হয়না ঐদিন বাসে যদি আপনি থাকতেন তবে কোন প্রতিবাদ করতেন। অন্তত কখনো তো দেখিনি যে ব্লগে কোথাও সারা বিশ্বের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ইসলামী টেররিজমের প্রতিবাদে কিছু লিখতে। আর যখন সবাই আপনাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ইসলামী টেররিজমের পিছনের মূল কারনটিকে তখন আপনারা চোখ কান ঢ়েকে বালির মধ্যে মুখ ঢ়ুকিয়ে পশ্চাদদেশ উচু করে পড়ে রয়েছেন আর বলছেন ওরা প্রকৃত মুসলমান নয়।সব ইসলামের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র। আপনার কথা মত ইসলাম ধর্ম মেনে চলতে গেলে প্রকৃত মুসলমান বলতে তো আর কেউ থাকেনা।
অবশ্য এসব বিষয়ে ওনারা খুবই নিশ্চুপ।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,
@মিঠুন,
আপনার দেয়া তথ্য পুরপুরি সত্য না, এ ব্লগ এ ইংরেজী অনুমদিত থাকলে পুর পোস্টটা প্রকাশের অনুমতি চাচ্ছিত যেহেতু আপনি বলেছেন মুস্লিমরা প্রতিবাদ ও সংশধনের চেস্টা করছে না।
No doubt that perhaps the biggest misconception people have of Muslims is that they are all waging jihad through terrorism. Also, no doubt most people believe that somewhere in Islam it encourages such violence– that terrorism is apart of the Islamic faith. This misconception could not be farther from the truth, but thanks to biased media it is the most prevalent image of Muslims today. Hopefully the readers here will come to understand that nowhere in Qur’an, hadith, or sunnah does Islam permit such acts of violence.
Islam is considered a ‘way of life’ in which there are no divisions between secular and sacred. Therefore, Islam lays down strict rules on issues such as combat which include prohibitions against harming civilians, destroying crops, trees, and livestock. Nowhere does Islam enjoin the killing of innocents! Even during war times, Islam prohibits fighting those who do not fight, let alone the non-combating women, children, old-aged, handicapped, and rabbis and saints in their places of worship.
Islam is not the religion of terrorism. Rather, it is the religion of positive pacifism in the full sense of the word. It is a universal call for peace. It abhors and prohibits attacking others unjustifiably out of hate and revenge whether this is done by a Muslim or a non-Muslim.
God says in the Qur’an what means,
And do not make mischief in the earth after its reformation, and call on Him fearing and hoping; surely the mercy of Allah is nigh to those who do good (to others). (Al-A`raf 7:56)
The first community to expose and condemn terrorist attacks should be the Muslim community. This is simply because disseminating mischief in the land through terrorist acts is a strongly punishable crime in Islam.
God has referred to the punishment of those who commit these horrible crimes saying,
The punishment of those who wage war against Allah and His messenger and strive to make mischief in the land is only this, that they should be murdered or crucified or their hands and their feet should be cut off on opposite sides or they should be imprisoned; this shall be as a disgrace for them in this world, and in the hereafter they shall have a grievous chastisement. (Al-Ma’idah 5:33)
This is the punishment prescribed by Islam for those who destabilize the society and deny people their right to tranquillity. Right before this verse is another one that considers the killing of a single human being, regardless of race, faith, or geographical location as an annihilation to all members of the human family.
“Whosoever kills an innocent human being, it shall be as if one has killed all humankind, and whosoever saves the life of one, it shall be as if one has saved the life of all humankind.” (Al-Ma’idah 5:32)
*Terrorism has become an international phenomenon and people of all faiths have to join hands to remove its causes and punish its perpetrators.
*By committing acts of terror, man is acting against the commands of God; he is acting against the will of God. Here he does not submit to God; on the contrary, he tries to overtake God’s decree, imagining that he can on his own attain his goals through violence. It is an unfortunate misconception among some Muslims that acts such as suicide bombings is a rewarded effort; this cannot be farther from the truth! Muhammad (SAW) said: “Those who go to extremes are destroyed.” Suicide bombing is undoubtedly an extremity that has reached the ranks of some Muslims. It is a very big misguidance because not only is killing innocents completely forbidden in Islam, but also suicide: “He who kills himself with anything, Allah will torment him with that in the fire of Hell,” as said by the Prophet Muhammad (SAW). Some are under the misconception that by killing oneself for an Islamic cause, one commits an act which deserves Paradise. Once when a man killed himself, the Prophet (SAW) said: “He is a dweller of the Fire.” When the people were surprised at this, the Prophet (SAW) said: “A person performs the deeds which to the people appears to be the deeds befitting the dweller of Paradise, but he is in fact one of the dwellers of the Fire.” Whether one takes a life or their own, human life is very precious in Islam and this terrorism does not have any place in the Muslim faith.
The Shariah is the law of Islam as given in the Quran and the example of the Prophet himself. Neither the sources of Islam, nor the Shariah approves terrorism. Anyone who commits an act of terror simply violates the basic principles of Islam.
Still, as reasonable beings living in this world, we have to observe and rightly evaluate the current events. You know, people are being killed in various parts of the world in the name of different ideas and concepts.
If a person with a Muslim identity commits an atrocity, can we say that Islam is at fault? We have all seen what happened on September 11th. Thousands of innocent people were killed. Ironically, nobody is worried about the cold-blooded killing of innocent people as a supposed revenge for the killing of innocents on September 11th. Thermo baric bombs, daisy cutters, laser bombs, cluster bombs, etc. are being used extensively in Afghanistan, killing and injuring people who already live in stone age conditions.
Islam puts a great deal of emphasis on justice. Somehow this sense of justice has got into so many Muslims. This is despite the fact that in many so-called Muslim countries, justice is at a premium.
When people are oppressed, or when their birthright to their homeland is denied, they protest. And when the exploiters or oppressors react violently, the victims too may desperately resist such violence as strongly as they can. This leads to bloodshed and battles. This has happened in many places; but the media may support those who are at the helm, not those who have a grievance.
Since ultimately it is a question of power and resources. Those who lack resources are often branded as the wrong doers and even as terrorists. This has been the case in many countries, where the cycle of violence is a continuous feature.
এটি ইস্লামে বিশ্বাসী নন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নয়, যারা বিভ্রান্ত হচ্ছে তাদের জন্য।
@আদিল ভাই, হাদীস বা কুরানে যাই থাকুক, তাতে কিছুই আসে যায় না, সেটা তখনি গুরুত্ব পাবে যখন সেটি আইন হিসেবে সমাজে প্রচলিত হবে, আর ইস্লামী সমাজ বেবস্থায় যে সে আইনের আনুমদন দিবে না, দিবে রাস্ট্র প্রধান বা তার কতৃক নিযুক্ত কমিটি, আর সে আইনে রায় দিবে সাধীন বিচার বিভাগ। একটা আইন প্রণয়নে যে কতটা সতর্ক থাকতে হয় তা ফিকাহ শাস্র পড়লেই বুঝা যায় যে এটা পারা মহল্লার হুজুরের কাজ নয়। আইন মানে কারো অধীকার হরন ও কাওকে অধীকার প্রদান, এখানে ন্যায় করা এত সহজ কাজ না।
আপনি আদর্শ ইস্লামী সমাজের উদাহরন চেয়েছেন, রাসুলের ভাষায় বলব, ইস্লামী আদর্শ যুগ সেটি আমার যুগ তার পর আবু বকর ও ওমরের যুগ,যে যুগে কোন প্রাসাদ গড়া হয়নি, শাসক কে সাধারন জনতার কাছে জবাব দিহিতা করতে হয়েছে এক টুকর কাপরের জন্য, যে শাস্কের ঘোষনা ছিল খাদ্যাভাবে কোন কুকুর মারা গেলেও তাকে জবাব দিতে হবে, এটা শুধু ঘোষনাই না, জনতার ঘরে যেয়ে তিনি প্রমান করেছেন। সুতরাং কোন সমাজ বা রাস্ট্রকে ইস্লামী সমাজ বা রাস্ট্র বলতে হলে সেটিকে এ তিন যুগের সাথে তুলনা করতে হবে তারপর বলতে পারবেন কতটা আদর্শ ইস্লামী সমাজ,সে রকম সমাজ না থাকলে পরীক্ষা মুলক ভাবে হলেও ১০০% মুস্লিম আধুষ্যিত কোন দেশে চেস্টা করে দেখতে কারো আপত্তি থাকার তো কথা না!
কাশেম সাহেবের একটি লিখাই পড়েছি, এখান থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহন করলে এ সমাজে শৃংখলা নষ্ট হতে বাধ্য, আপনি তো এটা স্বীকার করবেন যে অন্য সমাজে একটা কিছু প্রচলিত থাকলেই তা আমাদের গ্রহন করতে হবে এমন কোন কথা নেই, আমি জানিনা আপনি ডিজুস জেনারেশনকে কিভাবে দেখেন যাদের স্লোগান হারিয়ে যাও!
সেই লেখাতে ব্যাভিচারের শাস্তি সম্পর্কে ভুল বলা হয়েছে, অপরাধী স্বেচ্ছায় শাস্তি নিতে চাইলেই তাকে সর্বচ্চ শাস্তি দেয়া যেতে পারে, অন্নথায় না।
আমি বলিনা যে এদেশে ইস্লামী সমাজ কায়েম করতে হবে, যদি আপনি কিছু না জানা মুসল্মানের কাছে যেয়েও বলেন বেহুদাই আল্লারে বিশ্বাস কর তারা তেরে আসবে, তাদেরকে অজ্ঞ মানুষ (হুজুর ও ধর্ম বেবসায়ী) রা বিভ্রান্ত করছে, তাই তাদেরকে ছেডে ও যেতে পারবেন না। এপ্রোচটা পাল্টাতে হবে, ধর্মের সঠিক শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে, দুটকে তুলনা করার খমতা অর্জিত হলেই নিজের ভুলটা আপ্নিই ধরতে পারবে। সেরকম উদ্দোগের ইচ্ছা থাকলে RTV এর আগমন আমিও প্রত্তাশা করি, আপনার সাহস দিলে অন্নত একটা পত্রিকা বের করা যেতে পারে!
@মিঠুন,
একমত।
ফূয়াদ ও মুর্শেদ ভাই এখনো এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না তাই ওনাদের নিয়ে আর বলছি না।
তবে সাধারনভাবে আমজনতার কিছু বক্তব্য মিলিয়ে যা বোঝা যায় তাহলঃ
১। কেউ কেউ অন্তত সত, তারা সরাসরি এসব সমর্থন করেন। সোজা হিসেব, পশ্চীম মানেই ইসলামের শত্রু, কাজেই লাদেন ঠিক ই আছে। জাকির নায়েক অনেকটা যেমন মনে করেন।
বোমা হামলাকারী, পশ্চীমের বিরুদ্ধে ঢালাও জেহাদীদের সমপর্কে বড়জোর দায়সারা ভাবে বলে দেওয়া এরা ইসলামের কিছু জানে না, মাত্র অল্প কিছু লোকে এমন বলে, বেশীরভাগ মোসলমান কোনদিন এমন না। যদিও কোনদিন ব্যাখ্যা দেন না এসব লোকের তাহলে কিভাবে এত হাজার ভক্ত জোটে? আরো বড় কথা বেশীরভাগ মোসলমান অমন না হলে এদের কথায় কেন শক্তভাবে প্রতিবাদ আসে না? ইসলামী সাইটগুলি কোরানে বিজ্ঞান খোজার চেষ্টা না করে কেন এসব নিয়ে সরব হয় না?
আমার চোখে প্রথম শ্রেনীর লোকদের নিয়ে তেমন ঝামেলা নেই, ঝামেলা এই দ্বিতীয় শ্রেনীর বর্ণচোরা লোকদের নিয়ে। জেহাদী সন্ত্রাসের মূল ইন্ধনদাতা এরাই। প্রথম শ্রেনী থেকে বেশ কিছু লোক দাবড়ানীর ভয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে যোগ দিলেও তাদের ভেতরে তেমন পরিবর্তন হয়নি।
@মিঠুন,আদিল মাহমুদ,পেশাগত এবং ঈদ উতসব ইত্যাদি কারণে মুক্তমনা হতে কিছুদিন একটু দূরে ছিলাম।এর মাঝেই দেখি আমার সম্পর্কে বেশ কিছু মতামত বানিয়ে ফেলেছেন।যাহোক,”আমরা হব তালেবান,বাংলা হবে আফগান,” ইত্যাদি উদ্ভট শ্লোগানের হোতা এবং বক্তাদের মস্তিষ্কের সুস্থতা সম্পর্কে আমার সন্দেহ জাগে।আমরা তালেবান বা আফগান হব কী ভাবে?আমরা জাতিতে বাংগালি(বাংলাদেশি) এবং আমাদের দেশ বাংলাদেশ।তবে আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশ আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধাদের দূরবস্থা জানা সত্ত্বেও অনেকেই হয়তো আবার মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।আর তালেবান মুক্তি যোদ্ধারা তাদের মাতৃভূমি আফগানিস্তানের মাটি হতে হানাদার,ঘাতক আমেরিকা,ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশের সৈন্যদের বিতাড়িত করুক এ কামনা সংগত কারণেই করি।কারণ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো এবং আমেরিকা ছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।
@মিঠুন,আশা করি উপরে প্রদত্ত বক্তব্য হতে ইতোমধ্যেই আমার মতামত পরিষ্কার হয়েছে।তবুও বলছি,হরকাতুল জিহাদ বা বাংলা ভাই ইত্যাদি ব্যক্তি এবং গোষ্ঠি বাংলাদেশে যা করেছে তাকে জিহাদ মনে করার কোনো কারণ দেখি না,তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য তাদের যথাযোগ্য শাস্তি হয়েছে।তবে যারা তাদের বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা দিয়েছিল তাদের ও বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করি।
@মিঠুন, ওসামা বিন লাদেন বুশ এন্ড কোং এর সহায়তায় বা পরোক্ষ সম্মতিতে বা নীরব সহায়তায় ৯/১১ এর ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তার বিচারের সাথে সাথে আফগানিস্তান এবং ইরাকে আমেরিকা ও ব্রিটেনের এবং প্যালেষ্টাইনে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের(৬০ বছর ধরে) অপরাধে সংশ্লিস্ট দেশ গুলোর সন্ত্রাসীদের ও বিচার হওয়া উচিত আর্ন্তজাতিক আদালতে।
জাকির নাইকের একই সিরিজে একটি প্রশ্ন ছিলঃ
এই প্রশ্নের প্রসঙ্গে সুধু জাকিরের প্রথম জবাবটা নিয়ে আমি একটু আলোচনা করার প্রয়াস করব।ভিডিওটি এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন। জাকিরের মতে-
সত্যি কি তাই? আসুন প্রকৃত হিসাবটা নিচে একটু দেখি
ফুয়াদ ভাই, যুক্তিতে ভুল হলে আসলেই দোষের কিছু নাই। কিন্ত একজন মেডিকেলের ছাত্র, সর্বাপরি একজন ডাক্তার হয়ে এই সাধারন তথ্যটুকু কি জাকির নাইকের অজানা ছিল নাকি তিনি যা করেছেন তা সজ্ঞানে মিথ্যাচারিতা?
@সামির মানবাদী,
জাকির নায়েক তর্ক বাদে এমনিতেই বলছি।
আপনি যে হিসেব দিয়েছেন তা শুধু পরিমানের হিসেব। মান বা গুনের কোন হিসেব দেখছি না। আমি যতটুকু জানি প্রোটিন খুব সম্ভবত ২২ প্রকার আছে। তার মধেয় বেশ কিছু উচ্চমানের প্রোটিন উদ্ভিদে পাওয়া যায় না, শুধু প্রানীতেই পাওয়া যায়। যেমন, ডালে প্রোটিন আছে বেশ ভাল পরিমানে, তবে মনে হয় শুধু ১৪ টি টাইপের।
তবে এটাও ঠিক যে এই উচ্চমানের প্রোটিন যে অতি আবশ্যিকভাবে গ্রহন করতেই হবে, না করলে শরীর ভাল থাকবে না তেমন প্রত্যক্ষ প্রমান মনে হয় পাওয়া যায় না। অন্তত তাদের ন্যাচারাল সাবষ্টিটিউট মনে হয় আছে। ভেজিটেরিয়ানরা মনে হয় গড়ে বেশী দিন বাচে, তাদের শরীর সাস্থ্যও নন-ভেজ দের থেকে মোটামুটিভাবে ভাল হয়।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই জাকির কিন্ত কোন বিশেষ প্রোটিনের কথা উল্লেখ করে নাই। তার মুল বক্তব্য ছিল ভেজ ফুডে শরীরে কিছু ঘাটতি থেকে যায়
@সামির মানবাদী,
আমারো আগে তেমন ভাষাভাষা ধারনা ছিল, তবে এখন কৌতুহলী হয়ে একটু ঘেটে দেখলাম এ ধারনা ঠিক নয়। এটা কনক্লুসিভলী প্রমানিত যে নানান জাতের উদ্ভিদজাত খাদ্য পরিমিত পরিমানে খেলে কোন পুষ্টি উপাদানেরই ঘাটতে পড়বে না। এমন কি দৌড় ঝাপ করা এথলেটরাও দিব্বী ভেজ হতে পারেন।
খাদ্যাভাস হিসেবে ভেজদের পারফর্ম্যান্স নন-ভেজদের থেকে কিছু বিচারে ভাল, যেমন হার্ট রিস্ক কম। আয়ূও দীর্ঘতর হতে পারে।
ফুয়াদ ভাই এখানে দেখতে পারেনঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Vegetarian
কাজেই “ভেজ ফুডে শরীরে কিছু ঘাটতি থেকে যায়” কেউ এমন কথা বলে থাকলে তা সঠিক নয়।
@সামির মানবাদী,
আমি ভেজেটেরিয়ানদের দুর্বলতার কাহিনী শুনেছি নিজে ।যাইহোক, আমি ডাক্তার নঈ । আর এখন সার্চকরার সময় নেই । এটা বিভিন্ন বিশ্লেষণ থেকে ডাঃ জাকিরের মতামত ছিল । এবং আরো অনেক বিশ্লেষণ ব্যক্ষা ও তিনি বলেছেন । একজন একটি প্রশ্ন করলে যার যতটূকু ধারনা এত টুকু বর্ননা করেন । এখানে মিথ্যাবাদীতার কিছু নাই ।
@ফুয়াদ,
কি শুনেছেন- সেটা আমাদেরও যদি একটু শুনাইতেন…
=>> নায়েকদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে- বিপরীত মতকে খণ্ডন করার সময়- অপরপক্ষের যুক্তগুলোকেও সঠিকভাবে স্থাপন করে না। এমন নয় যে, নাস্তিকেরা বা সকল অমুসলিমরাই নিরামিষভোজী এবং প্রাণীহত্যা পাপ এই জায়গা থেকে তারা আপত্তি তুলছে। একেক জায়গার খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেইটা নিয়ে নাস্তিকদের খুব বেশী আপত্তিরও তেমন কিছু নেই। আপত্তি যদি থেকেই থাকে- এই ধর্ম খাদ্যাভ্যাসরে যখন ধর্মের নামে থোড়াই কেয়ার করা হয় এবং একরকম চাপায় দেয়া হয়। কোরবানীর মত প্রথাকে কি বলবেন? পশু হত্যাকে কেন্দ্র করে কোন উৎসব তো বর্বরদের যুগেই চলতে পারে।
যে ভেজিটারিয়ান- সে তো তার খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ভেজিটেরিয়ান। এখন সে মুসলমান হওয়ার জন্যে তাকে খাদ্যাভ্যাস পাল্টাতে হবে? সে যদি কখনো কোন মাংস জাতীয় খাদ্য না খেয়ে থাকে- তবে তার জন্যও কোরবানীর বাধ্যবাধকতা থাকার দরকার কি আছে?
খাবার নিয়ে- অযথা কিছু ছুতমার্গও তৈরি করা আছে। শুয়োরের মাংস গোটা দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ খাচ্ছে- এটা খেলে ধর্ম কিকরে চলে যায়? স্রেফ কোন দেবদেবীর নামে উৎসর্গীকৃত হলেই সেই খাবার খাওয়া যাবে না? এতে ঐ খাদ্যের কি গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়? এগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জাকিরের প্রাসাঙ্গিক উত্তরটি ছিল
ইদানিং একটা প্রশ্ন আমাকে প্রায় নাড়া দেয়
আজকের এই দুনিয়ায় কি এমন একজন বান্দাও নেই যে কিনা জাকির নাইক কে পাবলিক ডিবেটে হারাতে পারে? নাকি কেউই তার প্রয়োজন বোধ করে না?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এ জন্য বলেছি শুনেছি কারন এক দুই জনের কথা বিজ্ঞানিক নয় । না হলে তো স্টেতিক্তিটিস দিতাম । ভেজেটেরিয়ান দের মধ্যেও ভিন্ন জাত আছে । তিন ধরনের ।আমি যাদের কথা বলতেছি তারা দুধ আইটেম খায় । অন্যদের ব্যপার অত জানি না । যাইহোক, তার দুর্বলতার জন্য নাকি দুধ বেশী খায় , এই মর্মে জেনেছি । এগুলোর কোন বিজ্ঞানিক মূল্য নাই। ভাল স্টেতিক্টিটিস যার বিজ্ঞানিক মূল্য আছে , তা আমার জানা নাই অথবা এখনি সার্চ করতে যাইতেছি না ।
এইটা আপনি কি বললেন । আপনি কি সত্যি মুসলিম থেকে নাস্তিক হয়েছেন । নাকি কোন কালেই মুসলিম ছিলেন না । মুসলমান হইলে ভেজেটেরিয়ান হওয়া জাইবো না সেটা আপনারে কে বলল ?
কোরবানি কি ফরজ নাকি ? একটু ভাল করে বোঝান তো ।
আগেই বলেছি মুসলিম দের চৌদ্দ গুস্টিও জানে না কোন আইন কেন করা হয়েছে ,কি জন্য করা হয়েছে । সবাই নিজের মত করে ব্যক্ষাদেয় । এখন আপনারা ব্যক্ষার ভুল ধরেন (তাও ব্যক্ষাকারীর কোন মতামত থাকে না) , আবার কেঊ কেঊ একে মিথ্যাচার বলেও দাবী করেন । কি অদ্ভুত , ব্যক্ষা ভুল হইলে মিথ্যাচারীতার কি আছে ।
শুয়োরের মাংস নিয়ে ডাঃ জাকির নায়েক এর বক্তব্য দেখেন
http://www.youtube.com/watch?v=P39UKEfFIzE&feature=related
তবে মাথায় রাইখেন, ডাঃ জাকিরের চৌদ্দ গুস্টিও জানে না এটা আসলে কি জন্য এ আইন দেওয়া আছে । ডাঃ জাকির তার মত ব্যক্ষা করেছেন মাত্র । আপনার পছন্দ হইলেও, ব্যক্ষা নাও নিতে পারেন ।
এটা আপনাকে কে বলল ? শূয়েরের মাংস হারাম , মানে খেলে গুনাহ হবে । কিন্তু ধর্ম চলে যাবে কেন ? ইসলামের নামে কি সব আজে বাজে কথা বলেন । যাইওহোক এখন কিন্তু আপনাকে আমি বলব না , নাস্তিকের ধর্মকতার মিথ্যাচার । কারন আপনার জানার ভুল থাকতে পারে । ঠিক তেমনি ডাঃ জাকিরের জানার ভুল থাকতে পারে । ধন্যবাদ ।
@সামির মানবাদী,
জাকিরের প্রাসাঙ্গিক উত্তরটি ছিল , মানুষ প্রতিদিন লক্ষ কোটি প্রানী হত্যা করতেছে যেমন ঃ জার্ম, ব্যক্টেরিয়া ইত্যাদি ।
@ফুয়াদ,
ভাই আপনি আসলেই একটা মজার মানুষ। আমার যেটুকু কোট করেছি তা কি জাকির বলে নি? এর মধ্যে আপনি কোন প্রাসাঙ্গিকতা পেলেন না কেন? খাদ্য হিসাবে ভাইরাসের সাথে জন্তুর তুলনা করাটা কি বেশী প্রাসাঙ্গিক?
শুয়োরের মাংস নিয়ে ডাঃ জাকির নায়েক এর বক্তব্য দেখেন
এখানেও মন্তব্য নিস্প্রয়োজন্………
@ফুয়াদ,
আমার মনে হয় নায়েক সাহেব এটা ঠিকমত বোঝাতে পারেননি। উনি বেশী এপোলেজেটিক সাজতে গিয়েছেন যার কোন দরকার ছিল না। জীব হত্যা ফুড সাইকেলের প্রয়োজনেই দরকার হয়, নাহলে জীবজগতই বিলীন হয়ে যাবে। এটা বলে দিলেই হত। এর মধ্যে কোন ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার নেই।
উনি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভুল তথ্য দিয়েছেন; উচ্চ পুষ্টি শুধু প্রানীতেই পাওয়া যায় উদ্ভিদে পাওয়া যায় না এটা ওনার ভুল ধারনা। এটা না বললেই কোন জটিলতা থাকত না। আমার আগের দেওয়া ওইকি রেফারেন্স দেখতে পারেন।
তবে ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার সাথে গরু ছাগলের তূলনা অত্যন্ত অড।
আর শুকরের মাংস খাবার অপকারিতার নায়েকিয় ব্যাখ্যায় খুব মজা পেলাম। আসলে এ জাতীয় লোকজন পশ্চীম আর নন-মুসলিমদের সম্পর্কে এমন ঘৃণা বিদ্বেষে ভোগেন যে এ ধরনের উদ্ভট হাস্যকর যুক্তি দিতে তাদের বাধে না।
পশ্চীমে কতভাগ লোকে বন্ধুর সাথে স্ত্রী বদল করে আমি নিশ্চিত জানি না, তবে বলতে পারি এটা মোট জনসংখ্যার তূলনায় অতি অতি সামান্য হবে। তার তূলনায় অনেক অনেক বেশীগুন মানুষে শুকরের মাংস খায় ও সূস্থ জীবন যাপন করে।
তানভী/সামির মানবাদী,পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ঈশ্বর বিশ্বাসহীন বা নাস্তিক হয়ে গেলে তাতে আপনাদের, নাস্তিকদের এবং মানবজাতির কি উপকার হবে?Cold War -এর সময় পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ ধর্মহীন বা নাস্তিক হয়ে গিয়েছিল, তাতে-ই বা মানব জাতির কী কল্যাণ সাধিত হয়েছিল বা হয়েছে?
@al murshed,
এই ইতিহাসটা কোন জোকার নায়েক লিখেছেন?
@বিপ্লব পাল, না কোনো জোকার নায়েক বলেন নি।নাস্তিকতা প্রসূত কম্যুনিষ্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীতে চায়না,ল্যাটিন আমেরিকা,ইউরোপ,আফ্রিকা,এশিয়ার যেসব দেশগুলোতেও কম্যুনিষ্ট বা সমাজতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তাদের সম্মিলিত জনসংখ্যা সেসময়ে পৃথিবীর জন সংখ্যার অর্ধেক (বা বেশি) হবে বলেই আমার হিসেবে বলে।Cold war পিরিয়ডের কথা বলেছি কারণ এ সময়েই(১৯৪৫-১৯৮৯) সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা এবং তাদের জনসংখ্যা সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।আমার ভুল হলে বা আপনার কাছে সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে তা জানাতে পারেন।ধন্যবাদ।
@al murshed,
প্রথমত ধর্ম জিনিসটা একটা নৃতাত্বিক প্রয়োজন।
সেই দৃষ্টিতে কমিনিউজম ইসলামের বস্তুবাদি ভার্সান! নাস্তিকতা মানে না-ঈশ্বর বললে বৌদ্ধ জৈনরা নাস্তিক হয়ে যায় বটে-কিন্ত সমাজ বিজ্ঞানের ক্ল্যাসিফিকেশন ঠিক থাকে না।
যদি, তাদের নাস্তিক বলে ধরে নিই, তাহলে সোভিয়েত ব্লকের জন সংখ্যা সব মিলিয়ে ৭০০ মিলিয়ান ও ছিল না। চীনাদের এর মধ্যে ফেলা যাবে না। ওই সময় প্রথম প্রজন্মের অনেক চীনা বেঁচে ছিল এবং যার বৌদ্ধ বা টাওস্ট ছিল। সেকুলার এডুকেশনের ধাক্কায় এখন চীন অনেক বেশী নাস্তিক -কারন দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে ধর্মকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জন্যেই আজ চীনারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং সব থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়তে চলেছে।
যাইহোক, কমিনিউস্টদের পাইকেরী হারে নাস্তিক বলা ঠিক না-কারন কমিনিউজম একধরনের আস্তিকতাই আমার কাছে০যদি নৃতত্ত্বের দৃষ্টিতে ধর্মের সংজ্ঞা খুঁজি। এই নিয়ে আমার একটা কমেডিও আছেঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=yKzhpjEeElY
@al murshed, নাস্তিকরা যেহেতু মুসলমান/হিন্দু/খ্রীষ্টানদের মত বিশেষ কোন ডগমা অনুসরণ করে না, তাই দু’জনের বক্তব্য দিয়ে সবাইকে জেনারালাইজ না করাই ভাল। আমি যতদূর দেখেছি, সব নাস্তিকেরই মূল সমস্যা হল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম বা organized religion নিয়ে। পৃথিবীর সব organized religion এর অনুসারীরা যদি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অন্য সব কিছু ছেটে ফেলে দিয়ে শুধু আধ্যাত্মিক অংশটুকু গ্রহন করত, তাহলে কেউই আপত্তি করত না। আমাদের দেশেই অনেক মুসলমান আছে যারা মনে-প্রাণে ইসলাম পালন করলেও তাদের বিশ্বাসটা তাদের কাছেই রাখে, এদের নিয়ে কারও কোন সমস্যা নেই। আমাদের সমস্যা হল মুসলিম ব্রাদারহুড, পীস টিভির বক্তাদের মত ফ্যাসিস্ট মানুষদের নিয়ে, যারা নিজেদের সাবজেকটিভিটিকে নৈর্ব্যক্তিক মনে করে। আমাদের সমস্যা ইসলামী আন্দোলনের সেসব ব্যক্তিদের নিয়ে যারা তাদের বিবেকবুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়ে একটা ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখে।
এমনিতে বিশ্বাসভিত্তিক দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। টুইন টাওয়ারের হামলাকারীরা যদি বস্তুবাদি হত, তাদের পক্ষে নিজেদের জান কুরবানি দিয়ে অন্য প্রাণ হরণ করার মত সাহস থাকত না। নরহত্যা যে কিরকম পাপ সেটা আস্তিকদের চেয়ে নাস্তিকরা ভাল বুঝে, কারণ তারা জানে যে বস্তুজগতের বাইরে আর কোন জগত নেই। আস্তিকের জন্য তো বস্তু জগতের বাইরে স্ব্র্র্গ-নরক আছে, নরহত্যার consequence সম্পর্কে তার অবগত না থাকারই কথা।
@পৃথিবী,
আমি নাস্তিকদের সর্বদাই বিরোধীতা করি বিধায় , আমি আপনার ও বিরুধী । কিন্তু আপনার লেখা দেখে অবাক হয়ে যাই । এখান থেকে, যত দূর জেনেছি আপনার বয়স খুব বেশী নয় । তারপর ও, এত সুন্দর এবং গুছিয়ে আপনার যুক্তিক মতামত তুলে ধরেন, তা ভাবতেই অবাক লাগে । স্কুলের একজন ছেলে এতকিছু জানে এবং বুঝে । আপনার জানতে পেরে ভাল লাগল । আল্লাহ পাক, আপনাকে অনেক জ্ঞান দান করুন ।
:rose2: :rose2: :rose2: :rose2: ফুল গুলি আপনার প্রাপ্য ।
@পৃথিবী, অন্যদের উত্তর দেয়ার দায়িত্ব নিজের উপর নেয়ার সাহস করার জন্য অভিনন্দন।পীস টিভির লোকজনরা ফ্যাসিস্ট বা ফ্যাসিজম প্রচার করছে এমন কোনো প্রমাণ পাই নি।জাকির নায়েক এবং পীস টিভির বক্তারা মূলত ইসলাম ধর্মের প্রচার এবং প্রসার(সীমিতভাবে) এর মধ্যেই তাদের বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখে দেখেছি।জাকির নায়কের মুখে ইউনিভার্সাল ব্রাদারহুড বা বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথা শোনা যায়,মুসলিম ব্রাদারহুডের কথা শুনি নি।তবে তিনি এবং তার অন্যান্য বক্তারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য চান,যা সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানই হয়তো চাইবে,এতে দোষের কি আছে?আজ সারা বিশ্বে মুসলমানদের উপর যে অন্যায় এবং অত্যাচার চলছে তাদের মধ্যে একতা থাকলে তা এতোটা সম্ভব হতো না।এছাড়া সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তো না।মুসলমানরা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করার জন্য ইসলামিক রাষ্ট্র চাইলেও তাতে দোষের কিছু দেখি না যদি তা অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর চাপিয়ে দিতে না চায় বা অত্যাচার না করে।অনেক হিন্দু পার্টি ও তো রামরাজ্য কায়েমের কথা বলে।
@al murshed,
==>> ভালো কথা বলেছেন। আপনি নিজে কি চান? ভারত একটা রামরাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হোক- এটা? ভারতের মুসলমান, বৌদ্ধ সহ অন্য ধর্মের লোকজন যারাও ভারতকে নিজেদের বলে মনে করে- তারা কি এটা চাইবে?
জানি না, আপনি হয়তো চাইতেও পারেন যে, ভারত একটা রামরাজ্য হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করুক, তাইলে যে আপনাদের পক্ষে বাংলাদেশকেও সম্পূর্ণ একটা মোল্লারাষ্ট্র বানাতে পারবেন- আপনাদের সাধের খিলাফত অনেক সহজ হয়ে যায় যে তাতে…..
সেকারণেই আমাদের এখানকার জামাতীদের সাথে ভারতের বিজেপি-শিবসেনাদের এত বেশী খাতির!!!
@al murshed,
জাকির নায়েক তার ওয়েবসাইটে একজনের প্রশ্নের জবাবে বলছেন যে সৌদি আরবে অন্য ধর্মের গ্রন্থ বা উপাসনালয় নিষিদ্ধ করেছে কারণ কোরান দাবি করেছে অন্যসব ধর্ম ভুল। নিজের বিশ্বাসকে এভাবে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া যদি ফ্যাসিস্ট আচরণ না হয় তাহলে দয়া করে আমাকে ফ্যাসিজমের সংজ্ঞা দিন।
আমি নায়েক ও তার সংগঠনকে মুসলিম ব্রাদারহুদের সমতুল্য বলেছি, অংশ বলিনি। আর নায়েক সবসময় মুসলিম ভ্রাতৃত্বের কথা বলেন, বিশ্ব ভ্রাতৃ্ত্বের কথা বলেন না। ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করতে পারেন।
বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন মুসলমান দেশকে কেউ তো আটকিয়ে রাখছে না। কোরানে বিজ্ঞান খোজার চেয়ে প্রকৃ্তির রহস্য উন্মোচনে ব্রতী হলে মুসলমানরাও বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু বাই ডেফিনিশন মুসলমানদের(বা অন্য যে কোন ধর্মাবলম্বী) পক্ষে তা অসম্ভব। বিজ্ঞানে উন্নতি করতে চাইলে সবসময় মনে রাখতে হবে যে অসম্ভব বলে কিছু নেই, মানুষের জ্ঞানেরও কোন সীমা নেই। ধর্ম যেমন জগত সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতাকে মহিমাম্বিত করে, তেমনি অজ্ঞতা আর মূর্খতার মধ্যে সৌন্দর্য্য খুজলে হিন্দু/মুসলমান/খ্রীষ্টান/নাস্তিক কোন দেশই বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারবে না। স্টিফেন হকিং তার বিখ্যাত গ্রন্থটি “then we will know the mind of God” বাক্যটি দিয়ে শেষ করেছেন। এটা যদিও একটা মেটাফরিক্যাল বাক্য, এই বাক্যটির আক্ষরিক অর্থ ধর্মের মূল বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এরপরও আপনারা কেমনে ভাববাদ নিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতি করবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার।
দেশটি যদি সৌদি আরবের মত শতভাগ মুসলমানের দেশ হয়, তবে আমিও কোন দোষ দেখি না(সৌদি আরবে যত বিধর্মী আছে, সবাই বিদেশী)। কিন্তু আপনার ভাবী মুসলমান রাজ্য যদি বাংলাদেশের মত দেশ হয় যেখানে কমপক্ষে ১০% মানষ হিন্দু, তখন আমি বিশাল বড় দোষ দেখি। হিন্দুরা কেন আপনাদের মুসলমান আইন মেনে চলবে?
এবং একারণে হিন্দুত্ববাদীরাও ইসলামিস্টদের মত সমপরিমানে ঘৃণ্য।
@al murshed,
আপনি ধর্মের ভিত্তীতে রাষ্ট্র গঠন করায় খারাপ কিছুই দেখেন না। একটি হাইপোথিটিক্যাল দৃশ্য চিন্তা করেন। তার মানে আমরা ইসলামী বাংলাদেশ গড়ে তুললে ভারতীয় হিন্দুরা রামরাজ্য গড়তেই পারে। আমেরিকাতে গড়া হল বিব্লিক্যাল সমাজ। তখন মনে করেন সেখানে অন্য সংখ্যালঘু বিশেষ করে মোসলমানদের কি দশা হবে তা কি ভেবেছেন? নাকি ভেবেছেন ৪৭ এর দেশভাগের মতন একটা ব্যাবস্থা করা হবে? সব খ্রীষ্টানরা চলে গেল আমেরিকা (বলতে বাধ্য হচ্ছি তখন দেখা যাবে অনেক ঈমানদার রাতারাতি খ্রীষ্টান বনে গেছে), সব হিন্দু ভারত, আমেরিকার মোসলমানদের খুজে নিতে হবে মধ্যপ্রাচ্য বা বাংলাদেশের মত গন্তব্য।
তর্ক করতে পারেন যে ধর্মীয় রাষ্ট্রের মধ্যেও সংখ্যালঘুরা থাকতে পারে। আপনি নিজে তেমনই ভাবেন তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
“না।মুসলমানরা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করার জন্য ইসলামিক রাষ্ট্র চাইলেও তাতে দোষের কিছু দেখি না যদি তা অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর চাপিয়ে দিতে না চায় বা অত্যাচার না করে”
অত আশাবাদী না হয়ে আপনার শান্তিকামী নায়েক সাহেবের কথাই শুনুন না যা আমি আগেই কোট করেছি। উনি কোনরকম রাখঢাক না করেই পরিষ্কার ভাষায় বলেন যে ইসলামী দেশে সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার থাকবে না। একে বিশ্ব ব্রাদারহুডের প্রচার কিভাবে বলা যায়? তাহলে আর রামরাজ্য বা বিব্লিক্যাল সোসাইটিতেও নিশ্চয়ই যেন মোসলমানরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে থাকে তার ব্যাবস্থা করা অন্যায় কিছু হবে না।
আপনারা কি কুরান ভায়োলেট করে বিশ্ব ব্রাদারহুডের করতে চান? কুরানেতো স্পষ্টই বলা আছে
@পৃথিবী, জাকির নায়েক এবং পীস টিভির বক্তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করছেন, তা হলো মুসলমানদের এই দূর্যোগের দিনে তাদের মনোবল এবং Moral ঠিক রেখে তাদের ইসলামের মূল পথে রাখা যাতে তারা জংগিবাদী পথে পা না বাড়ায়।টিভিতে দেখেছি এ বিষয়ে কেউ প্রশ্ন করলে তারা জঙ্গি পন্থাকে নিরুতসাহিত করছে।আর সে কারণেই ভারত সরকার তাদের কার্যক্রমে কখনো বাধার সৃষ্টি করেছে বলে শুনি নি।কারণ এতে তারা ও উপকৃত-ই হচ্ছে।আর তাদের সভাগুলোতে শুধু যে মুসলমানরা-ই যায় তা তো নয়, সব ধর্মের মানুষ ই সেখানে যেতে এবং প্রশ্ন করতে পারে এবং এভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরির প্রচেষ্টা ও প্রশংসনীয়।
@al murshed,
ভাই, আপনার ধারনায় মনে হয় মারাত্মক গলদ আছে। জাকির নায়েক সাহেব আমেরিকাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে মনে করেন তাই আমেরিকায় ৯১১ কায়দায় বোমা হামলা করাকে তিনি সমর্থন করেন। একে কি করে জংগী পন্থা কে নিরুতসাহিত করা বলা যেতে পারে? বাংলা ভাইদের সাথে এনার মৌলিক পার্থক্য কিসে?
http://www.youtube.com/watch?v=Bxk5AAA5FbI
অল মুসলিম মাষ্ট বি টেরোরিষ্ট এ জাতীয় বক্তব্য শুনলে আমারই ও সন্ত্রাসী হতে ইচ্ছে করে।
উনি যতটা উদারতার বাহ্যিক ভান করেন তাতে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারন আছে।
উনি নিজের ইসলাম ত্যাগকারীদের কেন মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত তার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
http://www.youtube.com/watch?v=JRl5c-xPVA0&feature=related
অথচ কোরানে এমন কোন বিধান নেই, এই ভদ্রলোক নিজে নিজে অতি ইসলামী সেজে এসব বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন।
তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল যে মোসলমানরা বিধর্মীদের দেশে দিব্বি ইসলাম প্রচার চালাতে পারে, অথচ বেশীরভাগ মোসলমান দেশে কেন অন্য ধর্মের প্রচারনা চালাতে দেওয়া হয় না। তার উত্তর তিনি যা দিয়েছিলেন তাতে আমারই লজ্জা লেগেছে। এসব উদার লোকেররা এমনকি এও বোঝে না যে কারা আসলে উদার আর কত সংকীর্ন।
উনি ষ্পষ্টই বলেন যে নন-মুসলিমদের সমান অধিকার নেই। আর ওনার থেকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের উদারতা শিক্ষা নিতে হবে?
http://www.youtube.com/watch?v=8YAWq89kYHw&feature=related
উদারতার কি মহান নজির।
ভারতে যতই সাম্প্রদায়িত সমস্যা থাকুক তাদের সরকার মোটামুটি ফ্রীডম অফ স্পীচে হস্তক্ষেপ করে না, তাই বাংলাদেশে আমরা বৈদিক টিভি অতি দূঃসপ্নেও চিন্তা না করতে পারলেও ভারতে জাকির নায়েকরা সহজেই পীস টিভি খুলতে পারেন।
আপনি জাকির নায়েকের এসব গুনাবলী জানেন না বলে আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এ যায়গাতেই আমার খুব আপত্তি আছে। ধর্মের স্বার্থে মনে হয় আমরা ডাহা মিথ্যা বলাকেও জায়েজ করি। নইলে আপনি বা ফুয়াদ সাহেবের কলম থেকে এই কৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ভাল ছাড়া একটিও খারাপ কিছু বের হয় না। তিনি ডাহা মিথ্যা কথা বললেও আপনারা তার কোন দোষ দেখেন না। যুক্তির ভুল এক জিনিস, সেটা বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু জেনে শুনে মিথ্যা বলা খুব নীচতার লক্ষন। ধর্মবাদী লোকজনের এই মানসিক দৈন্যতা বেশ পীড়াদায়ক। দয়া করে ব্যক্তিগত ভাবে না নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন।
যার ইসলাম পালনের সে এমনিই করবে, জাকির নায়েক হারুন ইয়াহিয়া রাশাদ খলিয়া এদের লাগবে না। এরা ইসলামকে আক এক পা এগুলে পরশু আরো দশ পা পেছাবে।
গোলাম আজমের সাথে কোনদিন কথা বলেছেন? সামনাসামনি কথা বললে বলবেন এমন ভাল মানুষ আর দূইটা হয় না।
@পৃথিবী, ৯।১১ এর ঘটনাটি আসলে ই কারা ঘটিয়েছে এ নিয়ে সারা বিশ্বেই প্রচুর জল্পনা,কল্পনা,গবেষণা,বই-পত্র লেখা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।খোদ ভিকটিমদের অনেকের পরিবারই সরকারি বক্তব্য এবং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে।টিভিতে লাদেনকে এর দায়িত্ব স্বীকার করতে দেখা গেলে ও যুক্তরাষ্ট্র এবং এর বাইরের দেশের আস্তিক,নাস্তিক নির্বিশেষে অনেকেই বিশ্বাস করে যে লাদেন একা একাজ করতে পারে না।পৃথিবীর সবচে শক্তিশালী দেশে একদল এমেচার অর্ধেক দিন জুড়ে একের পর এক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ফেলতে থাকবে আর মিসাইল এবং অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট টেকনোলজি নিয়ে এ রাষ্ট্রের বিমান বাহিনী নীরব দর্শক হয়ে মজা দেখবে তা কী করে হয়?আর লাদেনকে কোনো মুসলিম দেশ এ কাজ করার জন্য এবং এ কাজে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয় নি।
@al murshed,
৯১১ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, ভবিষ্যতেও হবে। তবে আপনি যে যুক্তি দিলেন সেটা শক্ত কোন যুক্তি নয়। আমেরিকারই ৪ জন প্রেসিডেন্ট অতীতে খুন হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার পরেও অনেক অঘটন ঘটে, শুধু আমেরিকায় নয়, সারা বিশ্ব্বেই শত শত নজির আছে। তার ফলেই বলা যায় না যে ভিক্টিমরা নিজেরা নিজেরাই সব ঘটিয়েছে।
আমেরিকায় মোটামুটি ফ্রীডম অফ স্পীচ আছে, যার যা খুশী লিখতে পারে। অনেক ব্যাবসাদারও অপেক্ষা করে এসব বড় ঘটনা পুজি করে মাল কামাতে। বিতর্ক না সৃষ্টি করতে পারলে তাদের লাভ কোথায়?
কেনেডীর মৃত্যু নিয়েও এমন বহু কাহিণী আছে। এসব কাহিনীর মূল শুরু হয় জেএফকে মুভিটার পরে। বলা হয় এটা নাকি বানানো হয়েছে পুরো আসল ঘটনার মত। সি আই এই আসল খুনী, এখনো অনেকে বিশ্বাস করে। আমি নিজে আসল ঘটনার সাথে এই মুভির তূলনা দেখেছি, অয়াকাশ পাতাল পার্থক্য আছে। আমেরিকানরা ভিয়েতনাম ঘটনার পর শিক্ষা পেয়েছে যে তাদের সরকার তাদেরকে মিথ্যা বলতে পারে, তাই তারাও এসব কাহিনী বেশ খায়।
গত বছর অষ্ট্রেলিয়ায় একটা দল অতি উচ্চ টেকনোলজী দিয়ে সিমুলেশন করে দেখেছে যে কেনেডীকে হত্যাকারী ওয়ারেন কমিশন দ্বারা চিহ্নিত সেই স্কুল বিল্ডিং ছাড়া আর কোথাও থেকে আসা সম্ভব নয়। এর পরেও কি কেচ্ছার ডালপালা বন্ধ হবে? হবে না।
৯১১ ও তাই। প্রায়ই শুনি লাখ লাখ আমেরিকান বিশ্বাস করে না…যদিও বলা হয় না যে কোটি কোটি আমেরিকান বিশ্বাস করে। অনেক বিশেষজ্ঞ রায় দিয়ছেন ইনসাইডার জব। অন্যদিকে যে আরো কত বিশেষজ্ঞ রায় দিয়েছে যে তাদের যুক্তি ভুল সেগুলির কোন খবর করা হয় না। আমি কিছু যুক্তি পালটা যুক্তি দেখেছি। কন্সপিরেসীর অকাট্য প্রমানগুলি নিতান্তই হাস্যকর লেগেছে। টুইন টাওয়ার আসলে বোমায় ভেঙ্গেছে, বোমার ফ্লাশ দেখা গেছে এসব খুবই শিশুসূলভ যুক্তি। এখানে ডিটেলস বলছি না।
৯১১ ঘটনায় উত্তর না পাওয়া বেশ কিছু বিষয় আছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে লাদেন কোনভাবেই করেনি বা বুশ নিজে করে ষড়যন্ত্র নাটক ফেদেছে। যেমন, আমাদের বাংলা ভাই শায়খ এদেকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, যদিও তারা সব জানাতে চেয়েছিল। এদের কার্যকলাপ নিয়েই বহু প্রশ্ন আছে। এখন কি বলা যায় যে আসলে বাংলা ভাই শায়খরা নির্দোষ?
লাদেন ৯১১ এই শুধু হামলা করেছে তা না। সে আগে থেকেই আরো বেশ কিছু সন্ত্রাসী ঘটনার নায়ক। কেনিয়ার দুতাবাসে বোমা হামলা ইত্যাদী।
এ জাতীয় এত বড় ঘটনায় সব উত্তর খাপে খাপে কখনো পাওয়া যায়?
লাদেনকে কোন মোসলমান দেশ নিয়োগ করেনি, ঠিক। তবে সারা দুনিয়ার মানুষ দেখেছে কিভাবে সেদিন মুসলিম দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মিষ্টি বিলানোর দৃশ্য এখা গেছে। আমিও দেখেছি আমেরিকায় বসে কিভাবে একট বড় অংশের মানুষ শুধু ধর্মের নামে কিভাবে লাদেকে সমর্থন করছেন। একবারো ভাবেননি যে তারাও এই দেশেই বাস করেন, এরি দেশেরটাই খান। লাদেনদের বোমা কাফের মোসলমান হিসেব করে মানুষ মারে না। অবশ্য শ্যাম চাচা কড়া দাবড়ানী শুরু করার পর সবাই ভোল পালটে নিতেই দেরি করেননি। তখন শুধু শুনি ইসলাম কিভাবে এসব সন্ত্রাসের কড়া বিরোধীতা করে, লাদেনরা আসলে ইসলমাএর শত্রু হেন তেন। আকাশ মালিক কাল এ ভোল্পাল্টানো বিষয়ে ভাল কিছু কথা বলেছেন।
একই ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় বাংলা ভা এপিসোডেও। প্রথম প্রথম বাংলা ভািরা ছিল মিডিয়ার সৃষ্টি, ইসলাম বিরোধীদের প্রচারনা। অনেক ইসলামী বন্ধু তো প্রকাশ্যে তাদের সমাজ পরিবর্তনের সৈনিক, এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তূলনা করে ফেলেছেন।
তারপর পরিস্তিতি আয়ত্ত্বের বাইরে যাবার উপক্রম হতেই শুরু হয় বাংলা ভাইরা কত খারাপ তার বয়ান।
এটা মানসিক দৈন্যের লক্ষন। বিলুপ্তপ্রায় জাতিরা এরকম মানসিকতার হয়। আমি ভেবে পাই না মোসলমানরা কেন নিজেদে এমন বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি ভুক্ত করে।
@পৃথিবী,” নরহত্যা যে কিরকম পাপ সেটা আস্তিকদের চেয়ে নাস্তিকরা ভালো বুঝে-”আসলেই বোঝে কি?নাস্তিক ধ্যান ধারণার(কম্যুনিজম) উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত সোভিয়েত ইউনিয়ন(অধুনালুপ্ত)-এ বিপ্লবের সময় এবং পরে বিপ্লব রক্ষার নামে দানব স্ট্যালিন,চায়নাতে মাও সে তুং এবং কম্বোডিয়াতে লম্পট,পলপট ঠান্ডা মাথায় কী ভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে তা ইতিহাসের পাতা উলটে দেখে নিতে পারেন।তারা ও কিন্তু মানুষের সম অধিকারের জন্য এবং সাম্যতা প্রতিষ্ঠার শ্লোগান দিয়ে ই এসে ছিলেন।আর যতো টুকু জানি পৃথিবীর সকল ধর্মই নরহত্যা মহা পাপ বলেই মনে করে।
@al murshed, আবারও সেই একই ভুল- “সমাজতন্ত্র মানেই নাস্তিকতা”। সমাজতন্ত্র পুঁজিবাদের মতই একটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে। মার্ক্স নাস্তিক হলেই যদি সমাজতন্ত্র নাস্তিক্যবাদী হয়ে যায়, তাহলে তো ফ্রানসিস ক্রিক ও জেমস ওয়াটসনের নাস্তিক্যের সূত্র ধরে ডিএনএ বিজ্ঞানেরও নাস্তিক্যবাদী হওয়া উচিত(ফ্রান্সিস ক্রিক রিচার্ড ডকিন্সের “গড ডিল্যুসন” এনডর্স কছেন)। আইন্সটাইন নাস্তিক ছিলেন(It was, of course, a lie what you read about my religious convictions, a lie which is being systematically repeated. I do not believe in a personal God and I have never denied this but have expressed it clearly. If something is in me which can be called religious then it is the unbounded admiration for the structure of the world so far as our science can reveal it. (Albert Einstein, 1954) From Albert Einstein: The Human Side, edited by Helen Dukas and Banesh Hoffman, Princeton University Press
), তাই বলে কি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব নাস্তিক্যবাদী হয়ে গেল? সমাজতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান হয়ত ইসলাম-পরিপন্থী হতে পারে, সেই হিসেবে গনতন্ত্রেরও তো ইসলামবিরোধী হওয়া উচিত। গনতন্ত্র বলে আইন প্রনয়ন করার ক্ষমতা কেবলই মানুষের, সেখানে ইসলাম বলে মানুষের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর হাতেই রক্ষিত।
লেনিন, স্টালিন সমাজতন্ত্র বাদ দিয়ে নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছেন, প্রমান দেন।
@পৃথিবী, বস্তু জগতের বাইরে আর কোনো জগত নেই এ কথাটি ও ঠিক নয়।একটি পরমাণুর ভেতরের অতি সামান্য অংশ-ই বস্তু বাকী টুকু ফাঁকা -পরমাণুটিকে একটি ফুটবল মাঠের সমান ভাবলে নিউক্লিয়াসটি হবে মটর দানার সমান।আর প্রোটন,নিউট্রনকে ভাংলে পাওয়া যায় কোয়ার্ক পার্টিকল।এরা আবার অনবরত ভেংগে গিয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে অথবা শক্তি হতে নূতন করে তৈরি হচ্ছে।আর আইনস্টাইনের E=mc2 সমীকরণ অনুযায়ী বস্তু শক্তির এক টা রূপ মাত্র।এবং আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের বাইরে আর কোনো জগত নেই এটা পৃথিবীর কেউ প্রমাণ করতে পারে নি।
@al murshed,
আপনি অপ্রাসঙ্গিক এবং অবান্তর বিষয়ের অবতারনা করছেন। একটি পরমাণুর ভেতরের অতি সামান্য অংশ-ই বস্তু বাকী টুকু ফাঁকা – কিন্তু এর সাথে পঞ্চেন্দ্রিয়ের বাইরে আর কোনো জগত থাকা বা না থাকার কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি স্ট্রিং তত্ত্বের হায়ার ডাইমেনশনের ব্যাপারগুলোও কেবল তত্ত্ব কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ, এখনো প্রমাণিত কোন বিষয় নয়। আর আইনস্টাইনের E=mc2 তো এখানে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।
আপনি আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের বাইরে আর কোনো কিছুর বা কোন জগতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেই পারেন, কিন্তু সেটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আপনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপিয়ে দিয়ে বলতে পারেন না যে, ‘অমুকটার যে অস্তিত্ব নেই, তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি’। যে কেউ কিন্তু আপনার যুক্তি অনুযায়ী বলতে পারে, রামগরুরের ছানা, ট্যাশ গরু, রাক্ষস ক্ষোক্কস, মামদো ভুত, মা কালী, থর, কিংবা ফ্লাইং স্পেগেটি মন্সটার যে নেই তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। আপনি কি সেগুলোর অস্তিত্ব মেনে নেবেন? কোন কিছু প্রমাণ করার দায়িত্ব দাবীদারের, অন্যদের নয়। লজিকের ভাষায় একে বলে ‘বার্ডেন অব প্রুফ’।
অনেক ধন্যবাদ।
@al murshed/অভিজিত,
আমি ইন্টারমেডিয়েটের পর পরমানু মডেল নিয়ে আর কোন পড়াশুনা করিনি। যতটুকু মনে আছে তাতে তখন বুঝেছিলাম যে রাদারফোর্ড বোরের পরমানু মডেলগুলি হাইপোথিসিস। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না যে পরমানুর ভেতর সৌর কক্ষপথের মতন ইলেক্ট্রন শো শো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ মনে হয় নেই যাতে এইসব মডেল দেখা যায়।
এখন কি এই অবস্থার উল্লেক্ষযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ইলেক্ট্রনগুলির কক্ষপথের ব্যাস কত, বা কত বেগে ঘুরছে এমন তথ্য? যাতে করে মুর্শেদ সাহেবের ভ্যাকূয়ামের পরিমান সম্পর্কে নিশ্চিত ধারনা পাওয়া যায়?
@al murshed, পরমানূর অধিকাংশ অংশ ফাঁকা-কিন্ত তা বস্তু জগতের বাইরে তা আপনাকে কে বলল? এর জন্যে আপনাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া যেতে পারে!
শুন্য কি তাই নিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে ক্রমাগত গবেষনা হচ্ছে-যে ব্রাঞ্চে এটা হয় তার নাম কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরী-এবং সেই পথেই জানা গেছে শুন্যের প্রতিটা বিন্দু অসীম শুন্যের আধার-যা পরীক্ষা লদ্ধ ভাবে প্রমানিত হয়েছে ক্যাসিমির এফেক্টে।
বিজ্ঞান আসলে আপনি কিছুই শেখেন নি-সেই জন্যেই আবার ধর্মে ফিরে গেছেন মানসিক শান্তির জন্যে। আবার আমাদের সাথে বিজ্ঞান শিখে দেখুন ধর্ম আপনাকে যা শিখিয়েছে তা বিজ্ঞান না অপবিজ্ঞান।
@পৃথিবী,ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের(দু একটা ব্যতিক্রম বাদে) বিবেক বুদ্ধিহীন,বাস্তবজ্ঞান বর্জিত, শুধুই ধর্মীয় কিতাব- সর্বস্ব ভাবা ঠিক নয়।তাদের বেশিরভাগই আমাদের মতো সাধারণ কলেজ,বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।বর্তমান পৃথিবীর এবং জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তারা ভালই অবহিত আছেন বলে মনে করি।
@al murshed,
আপনার আল কায়েদা, আফগান, বাংলা ভাই বিষয়ক সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাব সেখানে দেওয়া যাছে না দেখে এখানে দিচ্ছি।
প্রথমতঃ, আপনাকে আপনার অনুপস্থিতির সুযোগে আমি কিছু বানিয়ে দেইনি। অন্য কেউ দিয়েছেন কিনা তাও নিশ্চিত নই।
পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অংগনে বহু অন্যায় অবিচার হয়েছে তার বেশীরভাগেরই বিচার হয়নি। কোনদিন হবে বলে মনেও হয় না। এ সবগুলিকে নিঃসন্দেহে মোসলমান বনাম নন মোসলমান কাতারে ফেলা যায় না। এর তালিকা শুরু করলে ১০০ পাতাতেও শেষ হবে না।
জাপানী কাউকে কি দেখা যায় এটম বোমা ফেলার দায়ে আমেরিকায় বোমাবাজী করতে বা বিশ্বব্যাপী আমেরিকান দূতাবাস উড়িয়ে দিতে? তখন যুদ্ধ চললেও আমাএরিকার নিরস্ত্র হিরোসীমা নাগাসাকিতে বোমা ফেলা কোনমতেই যুদ্ধের অংগ বলা যায় না।
কিংবা, মার্কিন নাপাম বোমায় পুড়ে যাওয়া কোন ভিয়েত্নামীর ছেলেকেই বা কেন দেখা যায় না আমেরিকায় গিয়ে বোমা মারতে?
আমার বক্তব্য ছিল ৯১১ বিষয়ে, আন্তর্জাতিকভাবে যাবতীয় অন্যায় অনাচারের বিচার দাবী বিষয়ক কিছু না। আমার মতে ৯১১ এ লাদেনের সম্পৃকতা বিষয়ে আপনি যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দাড়া করিয়েছিলেন তার ভিত্তি খুব শক্ত মনে হয়নি। আমি সে ব্যাপারেও বলেছি। আপনার সে ব্যাপারে বক্তব্য থাকলে সরাসরি বলুন।
ইসরাঈলের বিচার না করা গেলে লাদেনের বোমাবাজীর বিচার করা যাবে না সে ধরনের যুক্তির সারবত্ত্বা যাচাই এর প্রয়োযন এখন দেখছি না। তবে আন্তর্জাতিক অংগনের অমিমাংসিত অনাচারে ইসরাইলের পাশাপাশি আপনার নিজের দেশের উদাহরন কি আগে চোখে পড়া উচিত ছিল না? পাকিস্তানী বাহিনী তাদের ৭১ এর ভূমিকার জন্য উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে? তা নিয়ে কতটা সরব হয়েছেন যতটা সরব হন ইসরাইল নিয়ে? ইসরাইলের বদমাইশী নিয়ে এখানেরও কারো মনে হয় না কোন দ্বি-মত আছে।
আর লাদেন চাচার বোমাবাজি আমেরিকার বিরুদ্ধে হলেও নাহয় কথা ছিল। তার চ্যালা চামুন্ডা ভাব শিষ্যরাই বাংলাদেশেও করেছে, এখনো তারা সক্রিয় আছে। ইসরাইলের বিচা করা না গেলে তাদের বিচার করা যাবে না কিনা তাও মনে হয় ভাবা দরকার।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য যাক আমিও চাই, আফগান জণগন ঐক্যবদ্ধভাবে চাইলে আমিও চাই।
লাদেন, বাংলা ভাই, ইসলামের শত্রু বিষয়ে এমন কিছু বলেননি যাতে নুতন কোন মন্তব্য করতে পারি।
বাংলা হবে আফগান এ শ্লোগান শুধু অল্প দুয়েকজন মোল্লা দেয়নি। এ বিষয়ে নুত কিছু বলার নেই।
@al murshed,
আপনার কথার জবাব নিশ্চই আপনি পেয়ে গেছেন? পৃথিবী এত সুন্দর করে বলার পর আমার আর কিছু বলার থাকেনা।
কে আস্তিক থাকলো,কে নাস্তিক হল তাতে আমাদের নাস্তিকদের কিছু আসে যায় না বলেই আমার মনে হয়।
আমরা শুধু আমাদের চোখে দেখা ভন্ডামিটুকুকে ইক্টু কষ্ট করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই।
তবুও আমি নিজে থেকে কোন মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করা পছন্দ করিনা, কারন মানুষ বিশ্বাস নিয়ে আর আশা নিয়েই বেঁচে থাকে।এদুটো চলে গেলে আর কিছু থাকেনা।(তবে আমি বিশ্বাস জিনিসটা থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকি, কারন এতে অনেক ক্ষেত্রেই পস্তাতে হয়,শুধু ধর্ম না বাস্তব জীবনেও বিশ্বাস ঝামেলা বাধায়)
আমি পারত পক্ষে কারো সাথে এগুলো নিয়ে ঝগড়া করতে চাইনা। কিন্তু যখন আস্তিকরা আমার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তখনই আমি আক্রমন করি তার আগে না।
আর আপনি যদি আমার এই ব্লগে লেখালেখি বা মন্তব্য করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তবে আমি বলব,আমার চোখে যা ভূল তা ডিফেন্ড করার অধিকার আমার যেমন আছে,তেমনি আপনার চোখে যা ভূল তাও আপনি ডিফেন্ড করতে পারেন।
আমি শেষে আবারো বলব আস্তিকরা যতক্ষন আমাদের জন্য সমস্যা না হয়ে দাঁড়ায় ততক্ষন আমাদের কাউকেই বিরক্ত করার কোন ইচ্ছা নাই। আমরা কাউকে তাবলীগের মত দাওয়াতও দেই না,জামায়াতের মত ধরে ধরে উলটা পাল্টা বোঝাইও না।
@তানভী,আপনার Insight সম্পন্ন বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@তানভী, হ্যাঁ, প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত প্রকাশের এবং তা ডিফেন্ড করার অধিকার রয়েছে। যে সব বিষয়(পুরনো টপিক, আপনি নিজেই বলেছেন) নিয়ে মুসলমানদের প্রশ্ন করা হয় তার উত্তর বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ নিজের মতো করে দেন।জাকির নায়েক তার মতো করে দিয়েছেন।তার উত্তর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য না ও হতে পারে।আর বৈজ্ঞানিক এবং অন্যান্য তথ্যে ভুল থাকলে তা তাকে অবহিত করলেই হয়।
[১] নারী এবং পুরুষের আদর্শগত যৌন আচরনের ভিত্তি কি -এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একই সাথে এটি অমিমাংসিত প্রশ্নও বটে-কারন জীবনের উদ্দেশ্যকি সেটা ভাল রকমের অনির্নায়ক। তবুও সংখ্যাতত্ত্বের খাতিরে এবং ন্যাচারাল ফ্যালাসিকে মেনে নিয়েও মোটামুটি ভাবে বলা যায় অধিকাংশ মানুষের কাছে পরবর্তী প্রজন্মের বেঁচে থাকার পথকে সুগম করে দেওয়া-বা গ্রুপ জেনেটিক সারভাইভালই মোটামুটিভাবে জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য। এবং এই উদ্দেশ্যকে মেনে নিয়েও-মানুষের আদর্শগত যৌন আচরন ঠিক কি হবে, সেটা মোটেও বৈজ্ঞানিক কোন দৃষ্টিভংগী থেকেই আসা যায় না-কারন স্থান কাল পাত্র ভেদে তা হবে আলাদা।
[২] নর নারীর পোষাক রক্ষনশীল হওয়া উচিত কি না-এই প্রশ্নের উত্তর ইতিহাস এবং সামাজিক বাস্তবতা থেকে দেওয়াই ভাল। নুড বিচে, যেখানে সমস্ত নর-নারী নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে-সেখানে ধর্ষনের কোন ঘটনা ঘটে নি। তাই নারীর নগ্নতা দেখলেই ধর্ষন বৃদ্ধি পায়-এসব আজগুবি চিন্তা। কারন তা হলে নুড বিচে মলেস্টেশনের ঘটনা অনেক ঘটত। বাস্তবে এসব রক্ষনশীল সমাজেই ঘটে বেশী। নুডিস্টদের মধ্যে সেক্স অফেন্ডারের সংখ্যা কম এবং তারা অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। নুডিস্টরা নন-নুডিস্টদের চেয়ে অনেক ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী। শুধু তাই না, তথ্য অনুযায়ী ন্যাচারালিস্টদের মধ্যে ধূমপান বা মদ্যপান বা লেট নাইট পার্টি করা লোকের সংখ্যাও গড়পরতা কম। মোদ্দা কথা মানুষের পোষাকের সাথে সামাজিক স্থিরতা বা অস্থিরতার কোন সম্পর্কই নেই। বরং আদৌ যদি কিছু সমাজ বিজ্ঞানের সংখ্যাতত্ত্ব হাতে নিই-তাহলে দেখা যাবে স্ক্যান্ডেনেভিয়ানদের মধ্যে সামাজিক স্থিরতা বা জীবন জাপনের মান সব থেকে উন্নত এবং তারা যৌনতার দিক দিয়ে সব থেকে লিব্যারাল ও বটে। নুডিস্টরাও অনেক বেশী ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী। তাই সহজ ভাবে বলতে গেলে-মেয়েদের পোষাক পড়িয়ে রাখলে সমাজের উন্নতি হবে, এ একধরনের উন্মাদগামী চিন্তা-বরং সমাজবিজ্ঞানের তথ্য উলটোটাই বলে।
এখানে ন্যাচারিলিস্টদের সাথে পাশ্চাত্যের ভোগবাদি সংস্কৃতির পার্থক্যটা জানা দরকার। নুড বিচে ইদানিং নুড বিউটিপেজান্ট বা লঞ্জেরি পার্টি ইত্যাদি যা কিছু কমার্শিয়াল সেক্স ইন্টারেস্ট থেকে আসে, তা নিশিদ্ধ করেছে আমেরিকান নুডিস্ট বা ন্যাচারালিস্ট এসোসিয়েশন। নুডিস্টরাও ভোগবাদ তথা ভোগবাদি পন্যকামি যৌনতার বিরুদ্ধে। যা আমার মতে মূল সমস্যা। ভোগবাদি যৌনতার সাথে যা টিভি বা সিনেমা প্রচার করে-নর নারী কি পোষাক পড়বে তা না গোলানোই ভাল। কারন যারা একদম পোষাক পড়ারই বিরুদ্ধে, দেখা যাচ্ছে তারাই সব থেকে ভাল দৈহিক এবং মানসিক স্বাস্থের অধিকারি। পোয়াকের সাথে ভোগবাদি সংস্কৃতির সম্পর্কটাই মূল সমস্যা। সালোয়াল কামিজ বা নগ্নতা উভয়ই ক্ষতিকারক যখনই তার ব্যাপক পন্যায়ন হচ্ছে। সেটা না হলে একজন নারী সালোয়ার কামিজে ঘুরবে না নগ্ন হয়ে ঘুরবে,তাতে কিছুই পার্থক্য হয় না।
নর নারীর পোষাকের সাথে সামাজিক সুস্থতা খোঁজা অজ্ঞতা এবং উন্মাদগামিতার লক্ষন।
এই নিয়ে আমি আগে বেশ কিছু লিখেছিঃ
[১] প্রবন্ধ-১
[২] প্রবন্ধ-২
[৩] প্রবন্ধ-৩
এই লিংকে যৌনতা এবং মানব বিজ্ঞান নিয়ে আরো কিছু অতীতের লেখা আছে।
@পৃথিবী এবং অভিজিৎ,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের চমৎকার আলোচনার জন্যে। সন্ধাবাতিরে জবাব দেয়াটা মুখ্য নয়- আমার নিজের জানাবুঝাটা একটু ঝালিয়ে নেয়া দরকার। তাই আরো কিছু কথা বলছি:
# বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানকে কি দৃষ্টিতে দেখা দরকার- প্রকৃতি বিজ্ঞানের পিওর শাখা হিসাবে নাকি সমাজ-বিজ্ঞান হিসাবে?
# প্রকৃতিগতভাবে কি আসলেই কেবল পুরুষের বা কেবল নারীর বহুগামি হওয়া সম্ভব, যেখানে নারী পুরুষের অনুপাত প্রায় ক্ষেত্রেই সমান সমান? পুরুষ-নারীর অনুপাত ১:১ হলে এবং কিছু পুরুষ বহুগামি ও সব নারী মনোগামি হওয়া মানে কি এটা নয় যে- কিছু পুরুষ নারী সঙ্গী বঞ্চিত? এটা কি প্রকৃতি এলাউ করে? আমার একটু ভিন্ন রকম মনে হচ্ছে, সে আলোচনাটা করছি (এখনও আপনাদের লিংকের লেখাগুলো পড়া হয়নি, অবশ্যই পড়বো)-
অবশ্য কিছু নারীর বহুগামিতা এলাউ করে- নারীবঞ্চিত ঐ সব পুরুষদের জন্য এসব নারীদের বরাদ্দ করা হলে- সবার সেক্সের নিশ্চয়তা হয়। ধরা যাক- ১০০ টা নারী ও ১০০ টা পুরুষ আছে। পুরুষদের বহুগামি হওয়া মানে মানে কমপক্ষে দুজন নারীর সাথে সেক্স করে। সবাই যদি ২জন করে নারীর সাথে সেক্স করে থাকে – তবে ৫০ জন পুরুষের জন্য ১০০ জন্য মনোগামাস নারী; বাকি ৫০ কে নারী বঞ্চিত থাকতে হয়!! ভালো সমাধান হতে পারে: ১০ জন নারীকে বহুগামি বানিয়ে দেয়া হলো, তাহলে ৪৫ পুরুষ ৯০ জন নারীর সাথে সেক্স করে। বাকি ৫৫ জন ঐ ১০ জন নারীর সাথে- মাঝে মধ্যে ৪৫ জন পুরুষের কেউ কেউ নিজেদের ভাগের ২ জনের বাইরে ঐ ১০ জনের সাথে সেক্স করে। এমন আয়োজন প্রোস্টিটিউশন নামে মানব সমাজে জারি থাকলেও এটাকে কি প্রকৃতিগত বলা যায়? আর, এমনটা ঘটলেও ঐ ১০ জনের পলিগামিটা কেমন? তা কি নিশ্চিতভাবেই পুরুষদের বহুগামিতার চেয়ে অনেক বেশী বহুগামি নয়? ৯০ জন মনোগামি নারীর ক্ষেত্রে হার ১:১ হলেও ১০ নারীর ক্ষেত্রে এই হার কিন্তু অনেক বেশি ৫.৫:১, যদি ৪৫ জন পুরুষকে বাদ দেয়া হয় ও বাকি ৫৫ জনকে মনোগামি হিসাব করে, ৪৫ জনকে ধরলে এবং ৫৫ জন যদি মনোগামি না হয়ে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন নারীর সাথে সেক্স করে ধরা হয়- তবে এদের হারটা সর্বোচ্চ ১০০:১ হতে পারে। ওভারঅল কিন্তু নারী আর পুরুষের গড় বহুগামিতার একই রকম হতে বাধ্য- যতদিন নারী-পুরুষের অনুপাত সমান সমান আছে।
# মেয়রা বাচনিক যোগাযোগে (ভার্বাল কমিউনিকেশন) ছেলেদের চেয়ে বেশি পরিপক্ক হয়, ‘পলিগামি’ বা বহুগামীত্বের ব্যাপারটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে অধিকতর প্রবলভাবে দৃশ্যমান, সম্পর্কের মধ্যে প্রতারণা বা ‘চিট্’ ব্যাপারটাও কিন্তু মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি করে থাকে, আবার মেয়েরা প্রতারণা ধরতে অধিকতর দক্ষ, পর্নোগ্রাফির প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে বেশি, কিন্তু মেয়েরা আবার ছেলেদের তুলনায় ‘লাভ স্টোরির’র বেশি ভক্ত, সিরিয়াল কিলারের সংখ্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি, মেয়েদের মধ্যে খুবই কম, সংস্কৃতি নির্বিশেষে পুরুষদের টাকা পয়সা, স্ট্যাটাস ইত্যাদর মাপকাঠিতে বিচার করা হয়, আর মেয়েদের সৌন্দর্যের — এসমস্ত কি সর্বকালে সর্বযুগে সর্ব সমাজে একই রকম – নাকি আজকের দুনিয়ার একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের সমাজ ব্যবস্থার জন্য প্রযোজ্য। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সমস্ত অনুষঙ্গকে কে সাধারণভাবে নারী – পুরুষরাই এমন- এভাবে কি বলা যায়?
জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
(সম্ভবত- অভিজতের সিরিজের প্রথম লেখাটি পড়ে এমন কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম – কিন্তু পরে আর বলা হয়নি- ভুলে গিয়েছিলাম)
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এই পোস্টে এতরকম ডামাডোলের ভীরে আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়ে ওঠেনি। আমি আজকে হাতে কিছু সময় পেলাম। দেখি আপনার পয়েন্টগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যায় কিনা।
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান মুলতঃ বিজ্ঞানের দুটো চিরায়ত শাখাকে একীভুত করেছে; একটি হচ্ছে বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান (evolutionary biology) এবং অন্যটি বৌদ্ধিক মনোবিজ্ঞান (Cognitive Psychology)। মনোবিজ্ঞান জীববিজ্ঞানেরই একটি শাখা। এটি মূলত মস্তিষ্কের গঠন, এর তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়া এবং এসব প্রক্রিয়া থেকে আচরণের উদ্ভব নিয়ে কাজ করে। এখন এই আচরণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সামাজিক বিভিন্ন প্যাটার্ণের ব্যাখ্যাও চলে আসে। সে হিসেবে এটিকে প্রকৃতি বিজ্ঞান এবং সমাজ-বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন বলা যেতে পারে। বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড উইলসন এক সময় ‘সোশিওবায়োলজি’ নামে যে শাখাটির উদ্ভব ঘটিয়েছিলেন, বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান সেটারই বর্ধিত রূপ। আমি আমার ‘মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা’
সিরিজটিতে বলেছিলাম, আমরা চাইলেও আর সামাজিক আচার ব্যবহার কিংবা মানব প্রকৃতি বিশ্লেষণে জীববিজ্ঞানকে আর সমাজবিজ্ঞান থেকে আজকে আলাদা করে রাখতে পারি না। সেজন্যই জন ব্রকম্যান তার ‘সায়ন্স এট এজ’ (২০০৮) বইয়ের ভূমিকায় বলেছিলেন –
Connection do exist: our arts, our philosophies, our literature are the product of human minds interacting with one another, and the human mind is a product of human brain, which is organized in part by the human genome and has evolved by the physical process of evolution.
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং সামাজিকবিজ্ঞানের সংযোগটুকুই ঘটিয়েছে, কিংবা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারটা বুঝতে হলে আপনাকে স্পার্ম এবং ডিম্বানুর কাজের পার্থক্যটুকু আগে বুঝতে হবে। পৃথিবী তার লেখায় ম্যাট রিডলীর রেড কুইন বইয়ের আলোকে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছে। আমি ব্যাপারটাকে আরেকটু বিস্তৃত করি। যখন পুরুষ এবং নারীর মধ্যে যৌন সংযোগ ঘটে তখন একটি মাত্র ডিম্বানুকে নিষিক্ত করতে যে মিলিয়ন স্পার্মের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে হয়, এটা বোধ হয় আপনি জানেন। সাধারণভাবে যে কোন বিজ্ঞানের বই খুললেই আপনি দেখবেন বলা হচ্ছে – ‘sperm are cheap and eggs are precious’। এখন কেনো ব্যাপারটা এমন হলো তার ব্যাখ্যা আছে। কারন ডিম্বানুর মধ্য দিয়ে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালিত হয়। স্ত্রী জননকোষ শুধু ক্রোমজমই বহন করে না, বরং সেই সাথে বহন করে কোষ বিভক্তির পুরো প্রক্রিয়াটিও। সেজন্যই স্ত্রী জনন কোষের আকার স্পার্মের চেয়ে অনেক বড় হয়। এ প্রসঙ্গে স্টিভেন পিঙ্কার তার ‘হাও দা মাইন্ড ওয়ার্ক্স’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন –
A sperm is small and cheap, so organism might as well make many of them, and give tem outboard motors to get to the egg quickly and an organ to launch them on their way. The egg is big and precious, so the organism had better give it a head start by packing it with food and protective cover.
এখন কথা হচ্ছে বিবর্তনে এর প্রভাব কি? এখন জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতে স্পার্ম যেহেতু সহজলভ্য (cheap), সেহেতু স্পার্ম যতবেশী নারীর গর্ভ সঞ্চার করতে পারবে, ততই বাড়বে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রেখে যাবার অপার সম্ভাবনা (সেজন্যই ‘সাধারনভাবে’ পুরুষদের মধ্যে বহুগামীতা মেয়েদের চেয়ে অধিক বেশী বলে অনুমিত হয়) । আবার গর্ভসঞ্চারের পুরো ব্যাপারটাই যেহেতু মেয়েদের জন্য বিশাল এক ‘ইনভেস্টমেন্টের’ ব্যাপার, সেহেতু সে পার্টনার এবং সেক্সের ব্যাপারে অধিকতর সতর্ক হবে। সাধারন জৈবিক নিয়মেই এটি ঘটে। আমি ব্যাপারটা ভাল করে বুঝানোর জন্য পিঙ্কারের বই থেকে কিছুটা উদ্ধৃত করি –
First, a single male can fertilize several females, which forces other males to go mate less. That sets up a competition among males for access of females. A male may beat up other males to prevent them from getting to a female, or compete for the recourses necessary to mate, or court a female to get her close to them . Males therefore vary in reproductive success. A winner can beget many offspring, a looser will beget none.
Second, the reproductive success of males depends on how many females they mate with, but reproductive success of females does not depend on how many males they mate with. Females scrutinizes males and mate only with the ‘best’ ones: the ones with the best genes, the ones most willing to and able to feed and protect their offspring, or ones that other females tend to prefer…
কিন্তু উপরের দুটি পয়েন্টকে একেবারে ধ্রুব সত্য ভেবে নিলে ভুল হবে। সামাজিক জীবন অনেক জটিল, আর মানব সমাজ তো জটিলতার চূড়ান্ত। দেখা গেছে নারীরা (বিশেষতঃ স্তন্যপায়ী প্রানীর ক্ষেত্রে) যেমন তাদের দেহ ‘ইনভেস্ট’ করে, তেমনি পুরুষেরা ‘রিপ্রোডাক্টিভ সাকসেস’ এর দোহাই দিয়ে বিভিন্ন নারীতে গর্ভ সঞ্চারের দুই নম্বরী প্রচেষ্টা 🙂 বাদ দিয়ে নিজের সময় এবং শক্তির বড় একটা অংশ নিয়োজিত করে স্ত্রীর সাথে মিলে নিজের বাচ্চাকে বড় করে তুলতে। এই ব্যাপারটাকে বলা হয় ছেলেদের ‘প্যারেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট’। আসলে বায়োলজিকালি চিন্তা করলে এটি পুরুষদের জন্য সময়ের অপচয়। কিন্তু সার্বিকভাবে বিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে দেখা যাবে, পুরুষদের ক্ষেত্রে অযাচারী হয়ে ছোক ছোক করার চেয়ে বরং ‘পেরেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট’ জিনপুলকে রক্ষা করতে অধিকতর দক্ষভাবে সক্ষম। কারণ সেক্ষেত্রে বাচ্চাটি পাচ্ছে দুজন অভিভাবকের কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি। আসলে খুব মোটা দাগে বললে, ভবিষ্যৎপ্রজন্ম ভালভাবে বেঁচে থাকবে কিনা, এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্ধারিত হয় প্রজাতিতে বহুগামিতা থাকবে, হারেম থাকবে নাকি থাকবে পলিএন্ড্রি। যখন প্রজাতিতে পুরুষেরা স্ত্রীর চেয়ে অনেক বেশি ‘ইনভেস্ট’ করে তখন সেখানে পলিএন্ড্রি দেখা যায়। সেখানে পুরুষেরা নয়, মেয়েরাই হারেম করে, এবং তাদের হারেমে থাকে একাধিক পুরুষ। যখন পুরুষ এবং নারীর ‘ইনভেস্টমেন্ট’ মটামুটি সমান সমান থাকে – তখন সেই সমাজ (সাধারণতঃ) মনোগামীতে রূপ নেয়।
তবে প্রকৃতিতে অধিকাংশ প্রজাতিতে পলিগামীই অধিকতর দৃশ্যমান। সেখানে নারীর দখল নেবার জন্য পুরুষে পুরুষে প্রতিযোগিতা চলে। গরিলারা যেমন হারেম করে চলে। সলোমন রাজার হারেমে যেমন ১০০০ জন সুন্দরী নারী ছিলো, অনেকটা সেরকম। কিন্তু প্রকৃতির সবাই যে ওরকম তাও হলফ করে বলা যাবে না। বেশ কিছু কিছু স্পিশিজ এবং অন্ততঃ ৫% স্তন্যপায়ী প্রানী প্রকৃতিতে আছে যারা মনোগামী। পাখিদের অধিকাংশই মনোগামী। তাহলে মানব সমাজের ব্যাপারটা কি রকম? কিভাবে বোঝা যাবে মানব সমাজ মনোগোমাস কিনা? দেখা গেছে মনোগোমাস প্রজাতির ক্ষেত্রে নারীপুরুষের আকার প্রায় সমান সমান থাকে। যেমন পেঙ্গুইন খুবই মনোগোমাস একটি পাখি। তাদের (নারী পুরুষের) দেহের আকার আয়তন সমানে সমান। আবার গরিলার ক্ষেত্রে পুরুষ গরিলার আকার গায়ে গতরে স্ত্রী গরিলার চেয়ে চার পাঁচ গুন বড় হয়। বোঝা যায় নারীর দখল নিতে গিয়ে তাদের পুরুষে পুরুষে প্রতিযোগিতা করতে হয়। ফলে সখিশালী পুরুষেরাই কেবল নারীর দখল নিয়ে হারেম গড়ে তুলতে পারে। আর গায়ে গতরে কম শক্তিশালী পুরুষের ভাগাড় শুণ্যই পড়ে থাকে। তাহলে মানুষদের ক্ষেত্রে? দেখা গেছে পুরুষদের আকার গড়পরতা নারীদের থেকে প্রায় ১.১৫ গুন বড় হয়। কাজেই আমাদের বিবর্তনীয় ইতিহাসের যাত্রাপথ পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে – পুরুষদের বহুগামীতার মধ্য দিয়েই সভ্যতাকে যেতে হয়েছে। সে সময় সমরদক্ষ শক্তিশালী পুরুষেরা একাধিক নারীর দখল নিয়েছিলো, আর কারো কারো ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। কাজেই ‘পুরুষ-নারীর অনুপাত ১:১ হলে এবং কিছু পুরুষ বহুগামি ও সব নারী মনোগামি হওয়া মানে কি এটা নয় যে- কিছু পুরুষ নারী সঙ্গী বঞ্চিত? এটা কি প্রকৃতি এলাউ করে?’ এটার উত্তর হল – দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এভাবেই আমাদের প্রজাতি এগিয়েছে।
এ ব্যাপারে কিছু উদাহরণ দেই বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বাস ছয়টি মহাদেশ এবং পাঁচটি দ্বীপপুঞ্জের ৩৭ টি ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা ১০০৪৭ জন লোকের উপর সমীক্ষা চালালেন – একেবারে আলাস্কা থেকে শুরু করে সেই জুলুল্যান্ড পর্যন্ত। প্রতিটি সংস্কৃতিতেই দেখা গেল মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে আর্থিক প্রতিপত্তিকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করে । জাপানে এই পার্থক্য সবচেয়ে বেশী পাওয়া গেল আর হল্যান্ডে সবচেয়ে কম – কিন্তু তারপরেও সংস্কৃতি নির্বিশেষে নারী-পুরুষের চাহিদার পার্থক্য কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে পুরুষদের টাকা পয়সা, স্ট্যাটাস ইত্যাদর মাপকাঠিতে বিচার করা হয়, আর মেয়েদের সৌন্দর্যের (Buss, D.M., 1989. Sex differences in human mate preferences: evolutionary hypotheses tested in 37 cultures. Behavioral and Brain Sciences 12, pp. 1–49.) ।
নারীপুরুষের এ ধরণের চাহিদার পার্থক্য আরো প্রকট হয়েছে নারী-পুরুষদের মধ্যকার যৌনতা নিয়ে ‘ফ্যান্টাসি’ কেন্দ্রিক গবেষনাগুলোতেও। ব্রুস এলিস এবং ডন সিমন্সের করা ইউনিভারসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণায় বেড়িয়ে এসেছে যে, পুরুষ এবং নারীদের মধ্যকার যৌনতার ব্যাপারে ফ্যান্টাসিগুলো যদি সততার সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে যৌনতার ফ্যান্টাসিতে ভোগে, এমনকি সারা জীবনে তাদের পার্টনারের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে কল্পনা করে তারা আমোদিত হয়ে উঠে- আর মেয়েদের মধ্যে সে সংখ্যাটা মাত্র ৮ ভাগ। এলিস এবং সিমন্সের সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অর্ধেক সংখ্যক নারীরা অভিমত দিয়েছে, যৌনতা নিয়ে কল্পনার উন্মাতাল সময়গুলোতেও তারা কখনো সঙ্গী বদল করে না, অন্য দিকে পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যাটা মাত্র ১২ ভাগ। মেয়েদের যৌনতার ফ্যান্টাসিগুলো তার নিজের পরিচিত যৌনসঙ্গিকে কেন্দ্র করেই সবসময় আবর্তিত হয়, আর অন্যদিকে পুরুষদের যৌনতার ফ্যান্টাসিগুলো সময় সময় সম্পূর্ণ অপরিচিত মেয়েকে নিয়েও উথলে ওঠে । একারণেই গবেষক এলিস এবং সিমন্স তাদের গবেষণাপত্রে এই বলে উপসংহার টেনেছেন – ‘পুরুষদের যৌনতার বাঁধন-হারা কল্পনাগুলো হয়ে থাকে সর্বব্যাপী, স্বতঃস্ফুর্ত, দৃষ্টিনির্ভর, বিশেষভাবে যৌনতাকেন্দ্রিক, নির্বিচারী, বহুগামী এবং সক্রিয়। অন্যদিকে মেয়েদের যৌন অভিলাস অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক, আবেগময়, অন্তরংগ এবং অক্রিয়।’ (B.J. Ellis, D. Symons (1990), “Sex Differences in Sexual Fantasy: an Evolutionary Psychological Approach”, Journal of Sex Research, Vol. 27 pp.527 – 555. )
নৃতত্ত্ববিদ মেলভিন কনোর খুব পরিস্কার করেই বলেন –
‘ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি সহিংস, আর মেয়েরা অনেক বেশী সংবেদনশীল – অন্ততঃ শিশু এবং নাবালকদের প্রতি। এই ব্যাপারটা উল্লেখ করলে একে যদি ‘গতানুগতিক কথাবার্তা’ (cliché) বলে কেউ উড়িয়ে দিতে চান – সেটা এ সত্যকে কিছুমাত্র দমন করবে না’।
ব্যাপারগুলো সঠিক নাকি ভুল, কিংবা ‘উচিৎ’ নাকি ‘অনুচিৎ’ সেটি এখানে বিচার্য নয়, বিচার্য হচ্ছে আমাদের সমাজ কেন এইভাবে গড়ে উঠেছে – যে সংখ্যাগরিষ্ট মন মানসিকতা একটি নির্দিষ্ট ছকে সবসময় আবদ্ধ থাকে? এখানেই মানব প্রকৃতি বিশ্লেষণে বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান যতটা সফল, সমাজবিজ্ঞান ততটা নয়। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে আমার বিবর্তনীয় মনোবিদ্যার উপর ই-বুকটিতে আলোচনা করেছি। উৎসাহী পাঠকেরা পড়ে দেখতে পারেন।
বাই দা ওয়ে, মুহাম্মদ প্রকৃত পক্ষে আস্তিক ছিল না নাস্তিক ছিল কেউ কি তা বলতে পারবেন :guli: ……?
ওহ! পরদা নিয়েও আলচনা হয়াছিল, আমারা যেহেতু গরুর মত নম্বর দিয়ে প্রায় বস্ত্রহীন করে নারীদের প্রদর্শণ করা পছন্দ করিনা (কথাটি অশ্লীল হলে মাফ করবেন) সেহেতু ঢেকে চলা অপছন্দ করার কিছু নেই, বোরখার বেপারে আমার ভিন্নতা রয়েছে, পবিত্র (decent) পোশাক পুরুষ নারী উভয়কেই পরতে হবে, শারিরীক গঠ্নের ভিন্নতার জন্য নারীদের হয়ত আরেকটু পবিত্র েপাশাক পরা আবশ্যক, ইস্লামের বিধান বলে নয়, সামাজিক প্রয়োযনেই কিছুদিন আগে একটি প্রাইভেট উইনিভার্সিটিতে ছাত্রদেরকে পবিত্র পোশাক পড়তে বলা হয়েছে। (সবকিছুর পরো আল্লাহভীতি ই সবচেয়ে উত্তম পবিত্র পোশাক তা কুরানেই বলা আছে)
@ বন্যা আহমেদ/ অভিজিৎ/ দিগন্ত/ শিক্ষানবিশ/বিবর্তনবাদ নিয়ে যিনি ভালো জানেন,
আমার একটু সাহায্য দরকার। বিবর্তনবাদে পুরুষদের কি বহুগামী ধরা হয়? আপনাদের জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
একই পোস্ট সামুব্লগে দিয়েছিলাম। সেখানে ( http://www.somewhereinblog.net/blog/nastikerdharmakathablog/29047045) এক কমেন্টে (২৪ নং কমেন্ট) সন্ধাবাতি জানিয়েছে এ কথা। তার পুরো কমেন্টটা কপি পেস্ট করে দিচ্ছি, সম্ভব হলে এটার জবাব কি হতে পারে- বিশেষ করে এ প্রসঙ্গে আজকের বিজ্ঞান কি বলছে- তা আলোকপাত করবেন।
আমি সন্ধাবাতির কমেন্টের জবাবে যেটা লিখেছি তাও কপি পেস্ট করছি:
@নাস্তিকের ধর্মকথা, প্রশ্নটা যদিও আমাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়নি এবং আমি যদিও এই বিষয়ে একেবারেই প্রাইমারি লেভেলের ছাত্র, তবুও আমি আপনার মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাই(আশা করি কিছু মনে করবেন না)। আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনি যৌন চাহিদা বা সেক্সুয়াল প্রেফারেন্সকে সমাজ-সংস্কৃতির পরিমন্ডলে বেধে রাখতে চাচ্ছেন। আমি ম্যাট রিডলীর “রেড কুইন- সেক্স এন্ড ইভল্যুশন অব হিউম্যান নেচার” বইটির উপর ভিত্তি করে বলছি, মানষের ক্ষেত্রে পুরষ পুরোপুরি একগামী না, আবার বহুগামীও না, তবে নারীরা আসলেই একগামী। প্রানীজগতে পুরুষদের মধ্যে বহুগামীতা বেশি দেখা যায়(শকুনের মত কিছু ব্যতিক্রমী প্রানী তো অবশ্যই আছে) কারণ একটা পুরুষ একই সময়ে অনেকগুলো সন্তানের পিতা হতে পারলেও একজন নারী একটা নির্দিষ্ট সময়ে শধু একটি সন্তানেরই মাতা হতে পারে, পুরষরা একারণে তাদের জিন সঞ্চালনের জন্য বহুগামীতা বেছে নিয়েছে। ওদিকে নারীদের বহুগামী হয়ে কোন লাভ নেই, একাধিক পুরুষের সাথে সঙ্গম করলেও সে শুধু একই সময়ে একবারই অন্তঃসত্ত্বা হতে পারে। এরচেয়ে শধু একটি বিশ্বস্ত পুরুষের সাথে সংসার বেধে যদি একজন নারী তার সন্তান লালন-পালনে সহযোগীতা পেতে পারে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মে তার জিন সঞ্চালনের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই কাঠামোতে পুরষ মানুষের ওই “একগামী না, আবার বহুগামীও না,” কেমনে ব্যখ্যা করা যায় তা আমার জানা নেই, তবে আমার মনে হয় এর সাথে হয়ত মানব শিশুর প্রিম্যাচিউর জন্মের সম্পর্ক আছে। অন্যসব প্রজাতির শিশুদের তুলনায় যেহেতু মানব শিশু একদমই অসহায় অবস্থায় জন্ম নেয় এবং মানব শিশুর শৈশবও যেহেতু অস্বভাবিকরকম দীর্ঘ , তাই নারীদের পক্ষে একা একা এই শিশুর ভরণপোষণের কাজ করা কঠিন। একারণে নারীরা সবসময়ই বিশ্বস্ত পুরষদেরকে সঙ্গী হিসেবে নি্র্বাচন করে। এরুপ যৌন নি্বাচনের কারণেই হয়ত পুরুষ মানুষ একগামী ও বহুগামীতার মাঝখানে অবস্থান করছে।
তবে মোদ্দা কথা হল প্রকৃতিতে কোন কিছু স্বাভাবিক হলেই তো তা আর মানব সমাজে প্রয়োগ করা যায় না, তাই পুরুষের বহুগামীতা প্রাকৃতিক হলেও তা সঙ্গত কারণেই গ্রহনযোগ্য নয়।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এ ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করা একটু জটিল। আপনি যদি বায়োলজিকাল স্পেশিজে সেক্স রেশো হিসেব করেন, তাহলে দেখবেন এটা সাধারণভাবে ৫০: ৫০। কেন প্রজাতিতে নারী-পুরুষ সমান সমান থাকে তা ফিশারের প্রিন্সিপাল থেকে বোঝা যেতে পারে। অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স তার সেলফিশ জিন বইটিতে ‘ব্যাটেল অব সেক্স’ নামের অধ্যায়টিতে খুব সাধারণ কিছু উদাহরণ এবং ক্যাল্কুলেশনের মাধ্যমে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেছিলেন। বিবর্তনে একটি পরিভাষা আছে যাকে বলে ‘EvolESSutionary Stable strategy’ (ESS)। বাংলায় নামদেয়া যেতে পারে বিবর্তনগত ভারসাম্য। কিভাবে বিবর্তনগত ভারসাম্যের কারণে নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান থাকে তা দিগন্তের এই লেখাটা থেকে কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে। কাজেই বিবর্তনগত ভারসাম্যের ব্যাপারটা বিবেচনায় আনলে জাকির নায়েকদের যুক্তি ধোপে টেকে না।
তবে একটা ব্যাপার এখানে বলা প্রয়োজন। মানব প্রজাতি সম্ভবতঃ পুরোপুরি মনোগোমাস নয়। বিবর্তনের একটি আধুনিক শাখা ‘বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান’ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করতে পারে, কেন পুরুষদের মধ্যে সবসময়ই একটা অংশ (লক্ষ্য করুণ একটা অংশ, সবাই নয়) থাকে যারা স্বভাবে মেয়েদের তুলনায় বহুগামী হয়। আসলে মানব সভ্যতার যে কোন জায়গায় খোঁজ নিলে দেখা যায় – ছেলেরা সংস্কৃতি নির্বিশেষে মেয়েদের চেয়ে চরিত্রে বেশি ‘ভায়োলেন্ট’ বা সহিংস হয়ে থাকে, মেয়রা বাচনিক যোগাযোগে (ভার্বাল কমিউনিকেশন) ছেলেদের চেয়ে বেশি পরিপক্ক হয়। ‘পলিগামি’ বা বহুগামীত্বের ব্যাপারটা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে অধিকতর প্রবলভাবে দৃশ্যমান। সম্পর্কের মধ্যে প্রতারণা বা ‘চিট্’ ব্যাপারটাও কিন্তু মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি করে থাকে। আবার মেয়েরা প্রতারণা ধরতে অধিকতর দক্ষ। পর্নোগ্রাফির প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে বেশি। কিন্তু মেয়েরা আবার ছেলেদের তুলনায় ‘লাভ স্টোরির’র বেশি ভক্ত। সিরিয়াল কিলারের সংখ্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি, মেয়েদের মধ্যে খুবই কম । সংস্কৃতি নির্বিশেষে পুরুষদের টাকা পয়সা, স্ট্যাটাস ইত্যাদর মাপকাঠিতে বিচার করা হয়, আর মেয়েদের সৌন্দর্যের। এগুলোর পুরোব্যাপারাটা পুরোটাই সাংস্কৃতিক নাকি এর পেছনে জৈববৈজ্ঞানিক কিছু ফ্যাকটরও জড়িত আছে – এ নিয়ে গবেষণা চলছে। আমি বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানীদের দৃষ্টি থেকে একটি সিরিজ লিখেছিলাম, আর পরে ইবুক আকারে এটা পড়া যাবে এখান থেকে :pdf: ।
তবে একটি জিনিস এখানে মনে রাখতে হবে। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে কেন সমাজ বা মানবপ্রকৃতির বড় একটা অংশ কোন একটা নির্দিষ্ট ছকে আবদ্ধ থাকে সেটা ব্যাখ্যা করা, সমাজ কিরকম হওয়া ‘উচিৎ’ তা নয়। আরো পরিস্কার করে বললে – ‘Evolutionary psychology describes what human nature is like – it does not prescribe what humans should do’। আর তাছাড়া কোন কিছু ‘ন্যাচারাল’ বা প্রাকৃতিক মনে হলে সেটা সমাজেও আইন করে প্রয়োগ করতে হবে বলে যদি কেউ ভেবে থাকেন, সেটা কিন্তু ভুল হবে। এটা এক ধরণের হেত্বাভাস, এর নাম, ‘ন্যাচারিলিস্টিক ফ্যালাসি’। প্রকৃতিতে মারামারি কাটাকাটি আছে। সিংহের মত এমন প্রানীও প্রকৃতিতে আছে যারা নিজের বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে। কাজেই এগুলো তাদের জন্য ‘প্রাকৃতিক’। কিন্তু তা বলে এই নয় সে সমস্ত ‘প্রাকৃতিক’ আইনগুলো মানব সমাজেও প্রয়োগ করতে হবে। বিবর্তননীয় মনোবদ্যা থেকে পাওয়া প্রকল্প থেকে আমরা বলতে পারি কেন পুরুষের মন প্রতিযোগিতামূলক হয়ে বেড়ে উঠেছে, কিংবা অনুমান করতে পারি যে পুরুষদের একাংশ কেন মেয়েদের চেয়ে স্বভাবে বহুগামী, কিন্তু তা কোনভাবেই যুদ্ধ হানাহানিকে ন্যায্যতা প্রদান করে না কিংবা বহুগামীত্বকে আইন করে দিতে বলে না। মানুষ নিজ প্রয়োজনেই যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন করে, সামাজিক ভাবে কিংবা ধর্মীয়ভাবে বিয়ে করে, বাচ্চা না নেয়ার জন্য কিংবা কম নেওয়ার জন্য পরিবার-পরিকল্পনা করে, কিংবা একগামী সম্পর্কে আস্থাশীল হয় এবং সর্বপোরি নিজেদের প্রতিযোগিতা এবং সহযোগিতার ভিত্তিতেই ঠিক করে নেয় সমাজে বিবর্তনীয় ভারসাম্যের প্রকৃতি কিরকম হবে।
আপনি ইতিমধ্যেই সন্ধ্যাবাতিকে চমৎকার উত্তর দিয়েছেন। আমি জানিনা আমার এই মন্তব্য আর কোন কাজে আসবে কিনা।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
vai zakir naiker video 4 tir link ki ektu diben?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
নারীবাদি সমাজের অস্তিত্ব আদৌ কোনকালে ছিল না-নারীবাদি সমাজ একটি মিথ। সমাজ বিজ্ঞানী স্টিফেন গোল্ডবার্গ- মর্গান এবং ফেমিনিস্ট এন্থ্রোপলজিস্ট কতৃক তৈরী এই মিথটি ভাঙেন তার বিখ্যাত গ্রন্থে Why Men Rule (1993)।
বইটির সমালোচনা হয়েছে অনেক -কিন্ত গোল্ডবার্গ খুব বেশী ভুল বলেছেন বলে কেও দাবী এখনো করে নি। এর ওপর আরো বিস্তারিত জানতে ওয়াকি লিংকে অনেক তথ্য আছেঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Why_Men_Rule
(আমার মত্তব্ব শুধুমাত্র যারা বিয়ের মাদ্ধমে পরিবার গঠনে বিশ্াশ করেন তাদের জন্য)
ইসলাম যদি বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করত তাহলে আপনাদের মদ্ধে কেউ সমকামীতার মত বহুগামীতাও প্রাকৃ্তিক বলে প্রমাণ করতেন যে ইসলাম মানব প্রকৃ্তি বিরুদ্ধ আইন দিয়েছে। মুসলমানদের আঘাত করতে আপ্নারা বল্ড করে বুঝাতে চেস্টা করেন যে এ আয়াত গুলতে এ পচা কথা বলা হয়েছে, অথচ ঐ একি আয়াতে সেই মদ্ধযুগে সমাজ সংস্কারের কত গুরুত্ত পুর্ণ কথা বলা হয়েছে তা আপ্নারা আড়াল করে ই যাবেন, ইসলাম এক কথায় মদ হারাম করতে পারত, তা না করে চার ধাপে করেছে, এর কারণ ত এটাই যে জাহেলী সমাজ বেবস্থায় আচরণগুল থেকে মুক্তহতে সেরকম ভাবে মানসিকতা তৈ্রী করা। তেমনিভাবে রোযা ভাংছেন তো দাস মুক্ত কর, বড় কোন ভুল করছ তো দাস মুক্ত কর, তোমাদের নেতা যদি দাস ও হয় তাকে অনুসরণ কর, এসবের মাদ্ধমে যেমনি ভাবে দাস প্রথাকে বিলুপ্ত করার ইংগিতের পাশাপাশি অর্থনৈ্তিক চাপ প্রয়োগে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার চেস্টা করা হয়েছে। তেমনিভাবে সামাঞ্জসসতা বিধানের কথা বলে আরবের বহুবিবাহের প্রবণতা চারটির মদ্ধে সীমাবদ্ধ রেখে একটি বিবাহের মাদ্ধমে সুন্দর পরিবার গঠনের উৎসাহ দেয়া হয়েছে। হুট করে চাপিয়ে দেয়ার মত কোন আচরণ ইসলাম করে না। তা সত্তেও বিন লাদেনের পিতার ১০০ বিবাহ করেন বা বহু আরব শেখ বিবাহের পর বিবাহ করেন আর তার ছেলে টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারে না, এসব তো ইসলাম অনুমদন করে না।
আমাদের মদ্ধে অনেকে ই আছেন যারা বাসায় ফিরে স্ত্রীর হাতে এক কাপ চা খেতে খেতে তার জন্য স্ত্রীর করা কাজের কথা বা স্ত্রীর জন্য করা তার কষটের কথা বলতে বেশী পছন্দ করেন, দুজনে অফিস থেকে ফিরে বাতাস খাও অথবা নিজের কাজ নিজে কর আর কলিগদের গল্প শুনতে অনেকের ই ভাল লাগেনা। এমনকি কাজের বেস্ততার দরুন স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার দৃশ্য ফ্রিডম রাইটারেও দেখা দিয়েছে। আর আমাদের সমাজ definitely may be এর মতন তিনজনের মদ্ধে কে মা সেটা বের করার ধাধার মদ্ধে ফেলে দেবার জন্য এখন প্রস্তুত নয়। আর এসব কারনেই পুরুষদের কতৃ্ত্য, উপার্জন ক্ষম হওয়া পর্জন্ত ধৈর্য ধরা, আর উপযুক্ত হলে সম্ভব হলে বিয়ে দিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে যতে আমাদের সমাজে juno না সৃস্টি হয়।
এ ব্লগে উত্থাপিত প্রশ্নগুলর পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আলচনা না করে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে ইস্লামের শিক্ষা গুল কিভাবে প্রয়োগ করা যায় সেদিকে চেষটা করেছি, একটি শক্ত সমাজ কাঠামো তৈ্রী করে যথাযথ ভাবে শিক্ষা দিলে কুসংস্কার গুল এম্নিতেই দূর হবে। আজকে পাশ্চাত্তে পরিবার বেবস্থা নিয়ে মানুষ চিন্তিত, অধীকারের কথা যতই বলুক, ইংলান্ড আর ইতালী তে কিছু মানুশের সাথে কথা বলে দেখেছি যে পরিবারের জন্য স্ত্রী একটি, অথবা চাকুরিই ছেরে দিয়ায়ছে। এক্ষেত্রে ইস্লামের নারী অধীকার েকান প্রভাব রাখেনি, অথচ ইসলাম সেরকমই উতসাহ দেয়। (ফরয করেনি)
@anas,
ভাই মধ্যযুগীয় ঝামেলার মধ্যযুগীয় সমাধান হচ্ছে কোরান। সেটা আপনি নিজেই বলেছেন।আর একে আধুনিক করে নেয়া হলে অনেক ভূল ত্রুটি দূর হয়ে যাবে।
আর আমরা যারা সংশয়বাদী বা নাস্তিক,তারা কিন্তু এমনও বলছিনা যে কোরান পুরাটাই খারাপ। কোরানে ভালো উক্তিও আছে খারাপ উক্তিও আছে,কিন্তু আমাদের কথা হল এই যে, এটা যেহেতু সৃস্টিকর্তা প্রেরিত তাই এতে খারাপ কথা বা ভূল নির্দেশনা কেন থাকবে ? আমাদের প্রশ্ন এখানেই।যার জবাব আমরা পাইনি।
@তানভী,
অনেকেই অনেক চর্চায় রয়েছেন, আমার মন্তব্বের উদ্দেশ্য ছিল প্রক্রিয়াটি, একটি জাহেলী সমাজ বেবস্থায় আইন প্রণয়ণে সমাজের মানুষের মানসিকতার প্রতি লক্ষ রেখে ধাপে ধাপে পরিবর্তন ও উন্নয়নের প্রতি ধাবিত করার পদ্ধতি, এ বিষয়টির প্রতি দৃস্টি আকর্ষণ করতে সে যুগের একটি বৈ্ধ বিষয় দাস প্রথা ও একটি অবৈ্ধ বিষয় মদপান আপ্রাসংগিক হলেও লিখেছি।
আর আপনি যখন এ দৃস্টি নিয়ে পড়বেন তখন আয়াত গুলকে খারাপের পরিবর্তে বৃহত্তর উন্নয়নের প্রতি ধাবিত করার প্রচেষটাটি চোখে পড়বে, আমার মত কয় জন মুক্তমনায় এসে মুক্তমনে পড়বে? মুক্তমনা যদি সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে তাহলে এরকম প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উত্তম বলে আমি মনে করি, আর যদি মুক্তমনা স্কলারদের আলোচনার যায়গা হয়, তাহলে আমার আরো যোগ্য হবার বাকী।
@anas,
এখানে বিবাহিত জীবন বা পারিবারিক জীবন গ্রহন না করে উশৃংখল জীবন যাপনের জন্য কে বলেছে জানাতে পারেন?
আপনি মূল সুর মোটেই ধরতে পারেননি। এখানে বলা হচ্চে জাকির নায়েক যে যে পয়েন্টে কোরানে পুরুষকে একাধিক বিয়ে করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে আর নারীকে সেটা দেওয়া হয়নি সেসব পয়েন্টের অসারতা। লেখক বা আর কেউ এমন দাবীও করেননি যে নারীকে বহুবিবাহের অনুমতি দেওয়া হোক।
য কোন সূস্থ মাথার লোকেই এক সংগে একাধিক স্ত্রী বা স্বামী উভয় ব্যাবস্থাই চাইবেন না।
পরিবার এর ধারনা মানুষ পেয়েছে ইসলাম আসার বহু বছর আগে এটাও মনে রাখবেন। পাশ্চাত্যের মানুষ পারিবারিক জীবন নিয়ে সমস্যায় আছে মানে এই না যে ইসলাম না মানার জন্য তারা এই সমস্যায় পড়েছে। ইসলামী দেশ ছাড়া আর কারো সূস্থ পরিবার কি নেই? ভারতীয় প্রাচীন সমাজ ব্যাবস্থাতেও পরিবার ছিল, পুরুষের বহু বিবাহও জায়েয ছিল।
হ্যা, পাশ্চাত্যের বহ্য মহিলা আমিও দেখেছি বাচ্চা ভালভাবে মানুষ করতে চাকরি ছেড়ে কয়েক বছর বাড়িতে কাটান, আবার কয়েক বছর পর চাকুরিতে ফিরে যান বাচ্চা একটু বড় হলে। এর সাথেও ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এতে কিছু বোঝা যায় না।
বাংলাদেশের কয়জন মানুষকে দেখেছেন বহু বিবাহের মাধ্যমে নিজের সেক্স ড্রাইভের সমাধান করতে? যার সেক্স ড্রাইভ আছে সে ৪ স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকবে এই গ্যারান্টি দেওয়া যায়? আরব মূল্লুকে যেসব শেখদের হারেমে বহু স্ত্রী থাকে তারা তাহলে কেন আমেরিকা বোম্বাই ফূর্তি করতে যান?
ইসলামে বিয়ের কি কোন উচ্চ সীমা আছে? লাদেনের পিতা ১০০ বিয়ে করে কিভাবে ইসলাম লংঘন করেন একটু জানাবেন?
সমকামিতা নিয়েও মুক্তমণার লেখাগুলি আপনি একই চোখে দেখছেন। মুক্তমণায় দেখানোর চেষ্টা করা হয় যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে সমকামিতা অস্বাভাবিক বা প্রচলিত অর্থে কোন বিকৃতি নয়। এর মানে এই দাড়ায় না যে মুক্তমনা সবাইকে সমকামি হতে পরামর্শ দেয়। দয়া করে দৃষ্টিভংগী পাল্টান।
@আদিল মাহমুদ,
বুঝলাম।
উচ্চসীমা আছে কি নেই সেটি বিষয় নয়, সাধারণ একটি সীমার মদ্ধে মানুষ তার চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে সে জন্য প্রক্রিয়া ও প্রশস্ত জায়গা রাখা হয়েছে, তার ভিত্তিতে কখন সমাজের কাছে যদি একটি বিষয় অপ্র্যজনীয় মনে হলে সেটিকে অনুতসাহীত করলে ইস্লামী আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হবার সম্ভবনা নেই, যদি বলা হত চারটি বিয়ে করতেই হবে, তাহলে বলা যেত সমস্যা, সেই যুগে স্ত্রীদের মাঝে ন্যায় করতে না পারলে এক্টির মদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকার যে দিক নির্দেশনা তা এক্টির দিকে উতসাহীত করে কিনা আয়াতের এ ব্যখ্যাটি অধীক গুরুত্তপুর্ণ।
আর যেহেতু নারী সেই সময়ে একি সাথে একাধিক সামী রাখত না, তাই তাদের কে কোন নির্দেষণা দেবার প্রয়জন হইনি, এটুকুই আমি বুঝি যে কেন নারীকে অনুমতি দেয়নি আর পুরষকে দিয়েছে শর্তের বেরাজালে আবদ্ধ করে কারন ন্য্য করা সম্ভব না ন্যইয় করতে পারবে না।
আর তুলনামুলক সমাজের চিত্র এজন্ন লিখেছি যে আমাদের বেশীরভাগ মানুষ মুস্লিম, তাই আয়াতের যুগপযুগী ব্যাখ্যাই ক্ষতি র হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এটিও আমার ধারনা।
@anas,
লাদেনের পিতার ১০০ স্ত্রী রাখা ইসলাম অনুমোদন করে না বলে আপনিই জানিয়েছিলেন, আমি সেটাই জানতে চেয়েছিলাম।
আমি কোরানের এই বহু বিবাহ বিষয়ক আয়াতের মাজেজা কোনদিনই বুঝতে পারিনা। বলা হয়েছে যদি সবার প্রতি সমান বিচার করতে পারো তবেই একাধিক স্ত্রী রাখতে পারা যাবে, আবার আল্লাহ বলছেন যে তিনি জানেন যে মানুষ সেটা পারবে না। ব্যপারটা কেমন হল? আল্লাহ পুরুষকে শর্ত সাপেক্ষে বহুবিবাহের অনুমতি দিচ্ছেন, যদিও যে শর্তে তিনি অনুমতি দিচ্ছেন সে শর্ত মানুষ মানতে পারবে না তাও তিনি জানেন। সেটা জেনে থাকলে তো এই বহুবিবাহের কোন কথাই আসতে পারে না। আল্লাহর কথাতেই তো কার বহুবিবাহের চিন্তা করা উচিত নয়, কারন তিনিই বলে দিয়েছেন যে কেউ তাদের সব স্ত্রীর পরতি সমান আচরন করতে পারবে না।
“আয়াতের যুগপযুগী ব্যাখ্যাই ক্ষতি র হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এটিও আমার ধারনা।”
এটা বুঝে থাকলে তো সমস্যা হবার কোন কারন নেই। সভ্যতা সমাজ স্থিতিশীল নয়, পরিবর্তনশীল। সামাজিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের সংজ্ঞা এগুলিও যুগের সাথে বদল হয়।
কোরান জাহেলিয়তের আমলে সেকালের আরবে মহামুক্তির সনদ হয়ে এসেছিল, কিন্তু আজকের বিশ্বে সে আমলের বিধিবিধান মূল্যবোধ চালু করার চেষ্টা মানে সভ্যতার চাকা উলটো দিকে চালানোর চেষ্টা করা। সভ্যতার চাকা উলটা দিকে চালানোর চেষ্টার ফল সবসময়ই হয় ভয়াবহ।
@আদিল মাহমুদ,
আমার মাথায় সারাদিন কিছু চিন্তা ঘুরছিল, কারো মন্তব্ব না পরেই সেগুল লিখে দিলাম,ভুল বুঝে থাকলে সংশোধন করে দেবেন।
বহুগামীতা নিয়ে যতটুকু বিশ্লেষণ পড়্লাম তাতে এটা বুঝলাম যে
১. পুরূষদের বহুগামীতা নিষিদ্ধ না করে ইসলাম মানব প্রকৃ্তি বিরূদ্ধ কোন কাজ করেনি।
২. নারীদের বহুগামীতার আনুমদন না দিয়েও একি বেপার ঘটেছে।
৩. প্রকৃতিতে এমন অনেক কিছুই আছে যা আইন করে নিষিদ্ধ করা যেতেই পারে, নির্ভর করে সেটি সমাজের জন্য কোন মাত্রায় ক্ষতিকর তার উপর। জোরে গান শুনা আমার ভাল লাগতেই পারে, তাই প্রতিবেশীর অনুমতি না নিয়ে তা করলে প্রতিবেশী মামলা করে দিতেই পারে, তাই আমার ভাল লাগলেই তা আমি করতে পারিনা, তেমনিভাবে অনেক কিছু আমার ভাল লাগেনা তা আমি বাধা দিতে পারিনা। কিন্তু আমি সচেতন হলে পরিবেশ বিনষট হয় তা এমনিতেই করবনা, অতএব বলা যায়, আইনটা আমার জন্য না, অসচেতন ব্যক্তিদের জন্য।
অনুরূপ, কেউ বহুগামী হতে চাও, হও, তবে যার তার সাথে না, তো্মার উপর অর্থনৈতীক ও ন্যায় করার বোঝা নাও তারপর পারলে কর, এটি করতে কেউ সক্ষম হলে আমার ভাল না লাগলেও বলার কিছু নেই ।
তারপরও ইসলাম একটা সীমানা দিয়েছে, সেটির প্রশস্ততাকে কাজে লাগিয়ে যুগের প্রয়োজনে সমাজ বহুগামীতা বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে মানুষ আগাবে কিনা জানিনা।
@ আদিল মাহমুদ ভাই, মদ হারাম করা হয়েছে, এটা যদি খারাপ ই হয় তাহলে আরেক আয়াতে কেন বলা হল এর উপকারীতা আছে? নিষেধ ই যখন করবেন, খারাপ ই যখন বলবেন, ভাল আছে এটার বলার কি দরকার ছিল! এবার আশা করি মাজেজা টা ধরতে পারবেন। ইসলাম বেপক ভাবে নারীর অর্থনৈ্তীক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। তার তুলনায় আমার প্রাই ক্ষোভ হয় যে আমাদের পুরুষদের প্রতি অন্যায় হয়েছে।
@পৃথিবী ভাই, প্রথম প্যারার সাথে দীমত করবনা, তবে বিডি আর হত্তা, অথবা সাধীনতার পর সকল রাজনৈ্তীক হত্তা কেউ বেহেশত লাভের আশায় করেনি, অধীকার বা প্রত্যাশা বেপক ভাবে ঘাটতি ঘটলে এরকম জঘন্য কাজ মানুষ করতে পারে, এদেরকে কি ছেরে দেবেন? বস্তুজগতের বাইরে আর তো কোন জগৎ নেই, এ হত্তাকারীদের সাথে কি পুরপুরি ন্যায় করতে পারবেন? যে এ বস্তুজগত এ তাদের বেচে থাকার আসলেই কোন অধীকার নেই, আর বাচিয়ে রাখলেও এদের বেচে থাকার সংজ্ঞা কি হবে? শুধুমাত্র বিশ্বাস থেকেই মানুষ হত্তা করেনা, বিশ্বাস না থাকলেও মানুষ হত্তা করতে পারে।
আচ্ছা মুক্তমনায় কারো মতের সাথে না মিল্লেই কি তাকে উম্মাদ বা তার মদ্ধে উম্মাদের লক্ষন আছে বলে আক্ষায়িত করা সমর্থন করা হয়?
@anas,
আমি একজন নারী। অর্থনৈতিক সামর্থ্যও আছে, ন্যায় করার ক্ষমতাও আছে, আমি পারবো চার পুরুষ বিয়ে করতে?
এই অসভ্য প্রথা যদি দুনিয়ার সকল ধনী মুসলমান অনুসরণ করতো, গরীব মুসলমানেরা ধনী বউদের গোপন ভাড়াটিয়া স্বামী হতো।
@anas,
মদের সাথে বহু বিবাহের তূলনা কি সঠিক হল? মদ সম্পর্কে সম্ভবত কোরানে বলা আছে যে এতে ভালও আছে, তবে খারাপের দিকই বেশী। তাই হারাম করা হয়েছে।
বহুবিবাহের ক্ষেত্রে তেমন নয়। এটা শর্ত সাপেক্ষে আনুমোদিত, এবং শর্তটা এমনই যেটা মানুষ রক্ষা করতে পারবে না সেটা আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন। ব্যাপারটা কেমন হল?
বহুগামিতা বহুবিবাহ নিয়ে আপনি আবারো ভুল বুঝছেন। এখানে কেউ কোরানে বহুগামিতা বা অবাধ যৌনাচারের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে কোরানের সমালোচনা করছে না। সমালোচনা আসলে কোরানের বিরুদ্ধেও এখানে সরাসরি হচ্ছে না। সমালোচনা হচ্ছে জাকির নায়েকের ধূর্ত যুক্তির বিরুদ্ধে। আগেই বলেছি, এক সংগে একাধিক স্ত্রী বা একাধিক পুরুষ নিয়ে ঘর সংসার করা কোন সূস্থ নারী পুরুষে কেউই চিন্তা করবে না।
ইসলাম ব্যাপকভাবে নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এটা সে আমলের আরবের জন্য পুরোপুরি প্রযোজ্য হতে পারে, এ আমলে নয়। আপনি বহু কিছু বলতে পারেন তবে ইসলামের জন্মভূমি আরব অঞ্চলে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা তা আগে আমাকে বোঝান। আর তারা ইসলাম চ্যূত হয়ে গেছে, আসল ইসলাম জানে না এ ধরনের দায়সারা কথাবার্তা না বলে আসল ইসলাম জানা মানা আদর্শ সমাজ আগে দেখিয়ে দেন যেখানে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি দেখে আমারো আপনার মত পুরুষ হিসেবে হিংসে লাগতে পারে।
ইসলামই নারীকে মুক্তি দিয়েছে এটা ধর্মের তূলনামূলক আলোচনায় সত্য হতে পারে, কিন্তু বাস্তবিকতার বিচারে এর মূল্য খুব বেশী নয়। যেসব সমাজে নারীরা তূলনামূলক বেশী স্বাধীনতা ভোগ করে সেসব সমাজ কোন ধর্মগ্রন্থ ঘেটে নারী মুক্তির সনদ বের করেনি, তারা সাধারন জ্ঞান ব্যাবহার করেছে। সেসব সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম অনুযায়ী নারীর স্থান হওয়ার কথা ভয়াবহ।
@anas,
জীবনের মূল্যবান কয়েকটি বছর কাটিয়ে দিয়েছি, ফরিদ উদ্দীন আত্তার, শেখ সাদী, ওমর খৈয়াম আর জালালুদ্দীন রুমীর আধ্যাতিক ফার্সী কবিতাগ্রন্থ, হোসেইন আহমদ মাদানী, আশরাফ আলী থানভী, মৌ্লানা মউদুদীর উর্দু তাফসীর গ্রন্থ আর আরবীতে ফিক্কাহ (শারিয়া আইন), মনতিক (যুক্তিবিদ্যা) পড়ে। এসব আমার মা বাবার অবদান, তারাও এসব জানতেন। আমার মা বাবা ধার্মিক হয়ে আমাদেরকে নিয়ে ভাল মানুষ থেকেই সুখে শান্তিতে জীবন কাটিয়ে গেছেন। আমিও প্রবাস জীবনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ধর্ম, ইসলাম তথা সম্পূর্ণ কোরান বহির্ভুত জীবন, ভাল মানুষ হয়েই বেশ সুখে শান্তিতে কাটাচ্ছি। এই দুই সুখী জীবনের তাত্বিক বিশ্লেষন সমাজ বিজ্ঞান বা বিবর্তনবাদ দিয়ে করবেন, না ধর্ম বা কোরান দিয়ে করবেন সেটা আপনার ইচ্ছে। যদি ধর্ম বা কোরান দিয়ে করেন, তাহলে আমি বলবো- তোমার হলো শুরু/আমার হলো সারা।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
@আকাশ মালিক,
আকাশ মালিক ভাই, যদি বলেন যে আপনি ইস্লামে বিশ্বাসী তাহলে, প্রথমত আপনার ন্যায় করার ক্ষমতা নাই, ৯ থেকে ১০ মাস আপনি নতুন কার আগমনের জন্য ব্যস্ত থাকবেন, আর মাসে আপনাকে সমস্যায় থাকতে হয়। আর একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমার পর আপনার সংগীগুলর ক্ষমতা থাকলেও আপনার থাকবে না। দ্বিতীয়ত, আপনার উপর পিতামাতার দেখাশুনা করা আবশ্যক করা হয়নি, ইচ্ছা হলে করতে পারেন, আপনার ও আপনার পরিবারের ভরন পোষণের দায়িত্ব আপনার উপর আবশ্যক করা হয়নি, ইচ্ছা হলে করতে পারেন, আপনার উপর উপার্জন করার দায়িত্ব দেয়া হয়নি, ইচ্ছা হলে করতে পারেন। আপনাকে বিয়ের সময় উপহার দেয়া আবশ্যক করা হয়েছে (দেন মহর), আপনার উপর আবশ্যক করা হয়নি, ইচ্ছা হলে করতে পারেন!! আর এসব কিছুই পুরুষদের উপর আবশ্যক। ইছা না হলেও করতে হবে!
আপনার দ্বিতীয় প্যারার আশংকা ইস্লামী সমাজে অমুলক।
আপ্নি অনেক বড় তাই আপনার কথার উত্তর দিতে ভয়-ই লাগে! আমার মাথায় প্রায় ঘুর ঘুর করে, যদি কখন এসব সমস্যা দূর হয় তখন কি হবে, পুরুষ ও নারী বংশ রক্ষার্থে বিয়ে করে না, কারন বাচ্চা নিতে হলে মেডিকেলে গিয়ে জিন দিয়ে আস্লেই হয়! তখন মানুষ বিয়েই করবে কেন!
@anas, ভাই আপনি বহু বিবাহের উদাহরনের জন্য মুহাম্মাদ কে টপকে বিন লাদেনে চলে গেলেন কেন ঠিক বুঝলাম না।
@সামির মানবাদী,
কি যানি কেন টপকালাম, যতটুকু জানি যে বিশ্বাসের কারনে অনেকে বিধবা, স্বমী থেকে বিচ্ছেদ, ও সামাজিক ভাবে অসহায় নারীদেরকে নবী সাহাবীদেরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতেন, তিনি নিজেও এমন নারীদের বিয়ে করেছেন, সেই সময়ে এর প্রয়োজন কতটা ছিল আমার জানা নাই, তাই বলছিনা এটা ঠিক ছিল কি ভুল ছিল, আরব শেখের কথা এ জন্য আনলাম যে তারা এমন প্রয়োজনে বিয়ে করছে বলে আমার মনে হয়নি, কারন সেরকম প্রয়োজন থাকলে ছেলেদের কে আগে বলত।
@anas,
ভাই আসলেই আপনি বড় বেশী টপকে গেছেন নবী কে না হয় বাদই দিলাম। কিন্ত উদাহরন হিসাবে ইসলামের চার খলিফা বা আলী পুত্র হাসানকেও আনতে পারতেন
ভাই, আপনি কি মুক্তমনায় নতুন? নতুন হলে এখানকার নারী বিষয়ক লেখাগুলি আগে পড়ুন তারপর মন্তব্য করুন। এই লেখকেরই নারী বিষয়ক অনেক গুলো লেখা আছে।আরও পড়তে পারেন কঙ্গর সিংহের লেখা ‘ইসলাম ও নারী’।
পড়া শেষ হলে আশাকরি অনেক কিছু জানতে পারবেন।
ভাই আমি কিন্ত একটা হাদিস জানি, যেখানে এক সাহাবী বিধবা বিয়ে করায়, তার কুমারী বিয়ে করা উচিৎ ছিল বলে মুহাম্মদ মন্তব্য করেছে। হাদিসে বিশাস না করলে সেটা অবশ্য ভিন্ন কথা। আর ইসলাম পূর্বযুগেও আরবে অকুমারী নারীদেরকে বিয়ে করা সাভাবিক ঘটনা ছিল।
@anas, adil mahmud ke onek onek dhonnobad sahajjer jonno. asole amar sob boi bangladeshe r amar memory to zakir naik er moto na je sob gol gol kore bole dite parbo tai reference dito ektu jhamela hoy.
vai hadiser to kuraner moto temon byakha korar proyojon pore na. ei niyei to musolmander joto somossa. ivy er moto keu keu to abar paikari vabe sob hadis batil korte prostut.
@anas,
প্রথমেই ধণ্যবাদ জানাই আপনার দীর্ঘ জবাবের জন্য। মুক্তমণার ইংরেজী ফোরাম আছে, আপনি সেখানে ইংরেজীতে লিখতে পারেন।
আপনি বিরাট ইংরেজী রেফারেন্স দিয়ে যা বোঝাতে চেয়ছেন তাতে নুতন কিছুই পেলাম না, বহুবার এসব গতবাধা কথাবার্তা শুনেছি, প্রায়ই শুনি। সেই কোরানে কোন সন্ত্রাস নেই, ইসলাম মানে শান্তি, বিনা যুদ্ধে কাউকে মারা যায় না, অবধারিতভাবে সব মিডিয়ার সৃষ্টি। এগুলি নাহয় মানা যায়, পরিষ্কার সত্য এভাবে এড়িয়ে গেলে তা মানা যায় না।
কিন্তু মুসলিম দেশগুলিতে যে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাকে মানুষ গণহারে সাড়া দেয়, প্রকাশ্য সমর্থন দেয় তার সামান্যতম ইংগিত এনালাইসিস এখানে নেই। একচেটিয়ভাবে সব দোষ কিছু মিডিয়ার ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। কিছু মিডিয়ায় ভূমইকা অবশ্যই আছে। তাই বলে ঢাকার রাজপথে বিশাল মিছিল থেকে বজ্রকন্ঠে “আমরা সবাই তালেবান বাংলা গবে আফগান”, ৯১১ এর ব্যাপক প্রানহানীর পর মুসলিম দেশগুলিতে মিষ্টি বিতরন এগুলি সবই মিডিয়ার সৃষ্টি? এসব আলোচনার বটম লাইন হল সব দোষ পশ্চীমাদের, মোসলমানদের কোনরকম দোষই নেই।
আর আপনি পুরোপুরি আমার কথার ভুল বুঝেছেন। আমি ইসলাম বা কোরানে সন্ত্রাস আছে কিনা সে প্রশ্নে মোটেও যাইনি। আমি বলতে চেয়েছি কিভাবে ধর্মের নামে মোসলমানরা অন্ধ সাজতে পারে, বিবেকের বুদ্ধি শূন্য হয়ে সন্ত্রাসী বোমাবাজদের পক্ষে ঢালাও সাফাই গাইতে পারে সে প্রসংগ। তাদের ড্রাইভিং ফোর্স অবশ্যই ধর্ম, তবে আসলেই কোরানে যুদ্ধ ছাড়া কাফের নিধন বা সন্ত্রাসেও ইংগিত আছে কিনা তাতে আমি মোটেও আগে গুরুত্ত্ব দেইনি। তবে যখন তুললেনই, এবার কিছু বলব।
আমি ইচ্ছে করেই এ প্রসংগ টানি না কারন কোরানে দুধরনের কথাবার্তাই আছে। একদিকে বেশ কিছু শান্তিময় বানী আছে, অপরদিকে বেশ কিছু আয়াত আছে যেগুলি কোরানে দৃডভাবে বিশ্বাসী যে কাউকে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে হিংস্র করে তুলতেই পারে। শুধুমাত্র শান্তিময় বানীগুলি কোট করে ইসলামে সন্ত্রাস নেই, শান্তির ধর্ম বলা খুব সহজ, তাতে যাদের উদ্দেশ্যে এত আলোচনা সমালোচানা তাদের কিছুই আসে যায় না। আপনি নিজেও কিছু কোট করছেন সেখানে থেকে বলছি।
“The punishment of those who wage war against Allah and His messenger and strive to make mischief in the land is only this, that they should be murdered or crucified or their hands and their feet should be cut off on opposite sides or they should be imprisoned”\
আপনারা স্বীকার না করলেও এ ধরনের আয়াতগুলি কোরানে শক্তভাবে বিশ্বাসী যে কাউকে কোরানে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ভায়োলেন্ট করে তুলতেই পারে, এবং বাস্তবেও তাই হয়। মোল্লা আলেমরা এগুলি ব্যাবহার করেই কাফের নাসারাদের বিরুদ্ধে গণহারে জেহাদের ডাক দেন, তাতে সাড়াও মেলে অভুতপূর্ব। এ আয়তে যা দেখছি আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনাকারীকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী মোহাম্মদ বহু আগেই মারা গেছেন, আল্লহর কোন শারীরিক অস্তিত্ব এ দুনিয়ায় নেই। তাই এই আল্লাহ রসূলের সাথে কে কিভাবে আক্ষরিকভাবে যুদ্ধ করবে? এর ব্যাখ্যা মোল্লা আলেমদের মতে অবধারিতভাবে হবে আল্লাহ বা রসূলে অবিশ্বাসী যে কারো বিরুদ্ধেই এ আয়াত প্রযোজ্য। আল্লাহ রসূলে বিশ্বাস না করা বা তাদের কোনরকম সমালোচনা করা মানেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা, দেশে ফ্যাতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা, আর কিছু লাগে নাকি? এর সাথে আরেকটি বাস্তবতা নিষ্ঠুর অবদান আছে। তাহল, অধিকাংশ মুসলিম দেশই দরিদ্র। এই দারিদ্রতার জন্য তাদের মনে ক্ষোভ থাকেই, পাশ্চাত্যের লোকেরা ভাল থাকে আর তারা দরিদ্র এই ফ্যাক্টরটাও প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
অতএব? মোসলমানদের বড় একটা অংশ যারা বিশ্বাস করেন যে আক্ষরিকভাবে যুদ্ধ ঘোষনা না হলেও ইসরাইল সমস্যার কারনেই কাফের নাসারা পশ্চীমা বিশ্বের সাথে ইসলামী জগতের ধর্মযুদ্ধ চলছে। কাজেই আমেরিকায় বোমা মেরে নীরিহ মানূষ মারলে খুশী হবারই কথা। বাংলা ভাই শায়খরা তো এমনি এমনি সারা জীবন ইসলামী লাইনে পড়াশুনা করে সন্ত্রাস শেখে না। এ কারনেই নবী মোহাম্মদের নামে সমালোচনাকারীদের মাথার দাম ঘোষনা করা হয়। আপনার মতে সবই ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমি আমার ব্যক্তিজঈবনে বহু মোল্লা আলেম শ্রেনীর লোকের ষ্প্ররশে এসেছি, সত্যি কথা বলতে; বিধর্মী বা অবিশ্বাসীদের প্রতি জাতিগতভাবে তীব্র ঘৃণা পোষন করেন না এমন আলেম মোল্লা মনে হয় না দেখেছি বলে। কাকির নায়েক শুকরের মাংস খাওয়া নিয়ে কি বলেছেন পড়ে দেখেছেন? বিধর্মীদের সম্পর্কে মনের খুব গভীরে কঠিন ঘৃণা পোষন করে থাকলেই প্রকাশ্যে এ জাতীয় কথাবার্তা বলা সম্ভব।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইসলামী দেশে প্রকাশ্যে কিভাবে পাশ্চত্যের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয় তার বহু প্রমান অয়েব ইউটিউবে পাবেন। টিভিতে রীতিমত আমেরিকার ধ্বংস কামনা করে বক্তব্য দেখেছি, সন্ত্রাসীদের বিরাট জেহাদী, সুইসাঈড বোম্বারদের শহীদ ঘোষনা দেখেছি। ইরানের এক টিভিতে দেখেছি ষ্ট্যাছূ অগ লিবার্টি কিভাবে গুড়ইয়ে দেওয়া হচ্ছে তার কল্পিত এনিমেশন। ইসলাম সন্ত্রাস পছন্দ করে না দয়া করে তাদের শেখান। আবার বলে বসবেন না যে পশ্চীমারাও অনেক কিছু প্রচার করে। করে, তারা ধর্ম হিসেবে ইসলামের সমালোচনা করে, নবী মোহাম্মদের ব্যক্তিগত চরিত্র নীয়ে সমালোচনা করে। কিন্তু তারা কোন কারন ছাড়া ধর্মীয় বিদ্বেষের কারনে ইসলামী দেশে সন্সত্রাস সৃষ্টির পরামর্শ দেয় না। এই দুইকে মেলাবেন না।
আমাদের মডারেট মুসলিম বাংলাদেশেই এবার আসুন না। সঠিক ইসলাম শেখানোর আহবান জানাচ্ছেন। ভাল কথা। দেখুন না আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কি মহত ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। পৃথিবী একটি সুন্দর লেখা এখানে লিখেছিল, সেটা পুরো পড়ুন। http://blog.mukto-mona.com/?p=3013
সেখান থেকে জেহাদীয় শিক্ষা তুলে দিচ্ছি।
“পৃঃ ৫৪তে বলা হয়েছে যে ইসলামের শত্রু কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জিহাদ করতে হবে এবং এর স্বপক্ষে এই আয়াতটি দেওয়া হয়েছে, “O Prophet! strive hard against the unbelievers and the Hypocrites, and be firm against them. Their abode is Hell,- an evil refuge indeed.” (৯:৭৩)। এই কথাটা হিযবুত তাহরীর এবং সমমনা সংগঠনগুলো তাদের প্রকাশনাগুলোতে প্রচার করলে অপরাধ হয়, অথচ একই কথাটা স্কুলে পড়ানো একদম বৈধ! পৃঃ ৫৬তে বলা হয়েছে প্রতিবেশী হিসেবে মুসলমানদের দু’টো(১)মুসলমান হিসেবে ২) প্রতিবেশী হিসেবে) এবং অমুসলমানদের মাত্র একটি অধিকার আছে(প্রতিবেশী হিসেবে)। আমি এখান থেকে শিখলাম- অধিকারের দিক থেকে সব মানুষ সমান না।“
প্রাকাশ্যে জেহাদের নির্দেশ থাকলে কোরানে বিশ্বাসী মোসলমানের আর উপায় আছে? কূটতর্ক বাধাতে পারেন যে এগুলি শুধু যুদ্ধাবস্থার জন্য। সে প্রসংগ আগেই বলেছি। বেশ বড় সংখ্যক মোসলমান বিশ্বাস করে যে যুদ্ধাবস্থা সততই চলমান। আর এসব সঠিক ইসলামের শিক্ষা নাহলে কিভাবে সরকারীভাবে এসব শেখানো হয়? কেন এত বড় বড় আলেম মোল্লারা প্রতিবাদ করেন না? তারা তো আরো ঊল্টা এসব বাদ দিতে গেলেই রে রে করে তেড়ে আসেন। এর ভাল একটা ব্যাখ্যা দেন, খালি দায়সারা ভাবে অল্প কিছু লোকেই এমন জাতীয় কথাবার্তা না বলে।
আপনার সেঈ বিরাট ইংরেজী রেফারেন্সকারীরা কেন জানি এসব ব্যাপারে উটপাখী নীতি অনুসরন করেন। সবই ইসলাম বিদ্বেষীদের অপপ্রচার।
যুদ্ধবস্থায় আমাকে কেউ আক্রমন করতে আসলে আমার তাকে হত্যা করতেই হবে, উপায় কি? এর জন্য কোরান হাদীসের শিক্ষার কোন দরকার আছে বলে মনে করেন? কোরানে বলা না থাকলে যুদ্ধাবস্থায় কোন মূসলমান কাউকে হত্যা করত না? অপেক্ষায় থাকত কখোন কাফের নাসারা এসে তাদের হত্যা করে?
এ প্রসংগে আমার কথা খুব পুরনো। কোরান যে সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে সেসময়ে যুদ্ধ ছিল মানূষের প্রাত্যহিক জীবনে অংগ, বিশেষ করে ধর্মের ভিত্তিতে। তাই কোরানে শান্তিময় কিছু আয়াতের পাশাপাশি এ ধরনের বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী বহু আয়াত আছে, যেগুলির গুরুত্ত্ব এ আমলে নেই। এই সরল সত্য কেউি বুঝতে চান না। পুর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে কাফের নাসারাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নানানরকম ফর্মান। কিভাবে গনীমতের মাল ভাগ করা যাবে আর যুদ্ধে হস্তগত নারীকে আইন্সিদ্ধ উপায়ে ভোগ করা যাবে তার উপায়। আপনি খোলা মনে ত্রিপিটক বা বিবেকানন্দের বই পড়ে আমাকে জানাবেন কোরান বেশী শান্তির বানী শোনায় নাকি বিবেকানন্দ রামকৃষন, বৌদ্ধ এনারা বেশী শান্তির বানী শোনায়।
আপনার চোখে আদর্শ ইসলামী সমাজ যথারীতি মোহাম্মদ বা উমরের ব্যাবস্থা। ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করেন না যা সেই আমলের বাস্তবতা আর আজকের বাস্তবতা এক না। কোনদিন চিন্তা মনে হয় করেন না যে অত ভাল সমাজ ব্যাবস্থার উদাহরন চোখের সামনে থাকতেও কেন ইসলামী দেশগুলি সে আমলে ফিরে যাচ্ছে না। কেউ তো তাদের বেধে রাখেনি। উমর খুবই সত প্রজা হিতৈষী শাসক ছিলেন। তার মানেই তো এই না যে আমরা আবার উমরের আমলে ফিরে যেতে পারি। পেট্রোল ডিজেল ব্যাবহারকারী গাড়ির থেকে উট যানবাহন হিসেবে অনেক বেশী পরিবেশ বান্ধব ছিল, তাই বলে আপনি এখন গাড়ি ফেলে উটের পিঠে চড়ে বসবেন?
কাশেম সাহেব কোন ধর্মমত বা শিক্ষা প্রচার করতে চেয়েছেন বলে আমি কোন নজির দেখিনি। আপনি স্পেসিফিক্যালী কোট করতে পারেন কিভাবে তিনি সমাজে শৃংখলা নষ্টের বীজ ছড়াচ্ছেন। তবে ব্যাভিচারকারী সম্পর্কে কোরানে ষ্পষ্ট নির্দেশনা আছে। অপরাধী স্বেচ্ছায় শাস্তি নিতেই চাইলেই কেবল তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যায়, নচেত নয় এমন চমকপ্রদ ব্যাবস্থার কথা এই প্রথম শুনলাম। জানই না কোথায় পেয়েছেন, তবে স্বেচ্ছায় কজন সর্বোচ্চ শাস্তি নেবেন তা জানতে খুব কৌতুহল হচ্ছে।
“If a person with a Muslim identity commits an atrocity, can we say that Islam is at fault”
খুব ভাল কথা, খাটি কথা। কিন্তু হিসেবটা কি অতই সোজা? কেউ কি বলছে যে বাংলাদেশে চোর চোট্টা দূর্ণীতিবাজ বেশী কারন ইসলাম তাদের এসব করার শিক্ষা দেয়??? এখন কেউ বোমা মেরে ধর্মের দোহাই পাড়লে মানুষে সেই ধর্মের সমালোচনা করবে না?
ডি জুস প্রজন্ম নিয়ে আমার কোন সিরিয়াস চিন্তা নেই। জেনারেশন গ্যাপের কারনে আমি হয়ত পছন্দ করি না, তবে এতে অত চিন্তারও কিছু নেই। এর জন্য সমান উচ্ছনে যাবে তা আমি বিশ্বাস করি না। সব আমলেই এ ধরনের কিছু নুতন প্রজন্ম আসে, আবার একসময় চলেও যায়। ৭০/৮০ দশকে ছিল ডিস্কো। এতে কি এমন হয়েছে? তরুন্দের সবসময়ই উচ্ছাস থাকে নুতন কিছু করার, সবার থেকে আলাদা করে নিজেকে দেখাবার।
মিডিয়ার ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার খোজার আগে নিজেদের আত্মসমালোচনা করেন, নিজেদের কোন ইমমিউনিটি দিয়ে রাখবেন তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হবে না। জাকির নায়েকের মিথ্যাচার, আজগুবি যুক্তি নিয়ে এখানে বহু প্রমান তুলে ধরা হয়েছে, অথচ কিছু কিছু বন্ধু তাতে নায়েক সাহেবের কোন বড় ত্রুটি দেখেন না, নানান রকমের সাফাই গান। এই মানসিকতা খুবই বিপদজনক।
@সামির মানবাদী,
“কি যানি কেন টপকালাম, যতটুকু জানি যে বিশ্বাসের কারনে” এটা আমার বিশ্বাস না, মুস্লিম নারীদের বিশ্বাসের কারনে বা নতুন ধর্মে বিশ্বাসের কারনে। আপনি ভুল ভাবে কোট করেছেন।
লেখাগুল পরব আশা রাখি।
আর হাদীস্টা খুজে বের করতে হবে, সাহাজ্জ করতে পারলে ভাল হত, ইদানীং হাদীস নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি, যে যার মত হাদীস বলছে এবং ব্যাখ্যা করছে।
@anas,
সামিরের বলা হাদীসতা আবুল কাশেমের লেখায় রেফারেন্সসহ আছে।
http://www.mukto-mona.com/Articles/kasem/IslamiKamsutra-1.pdf
৪ নং পৃষ্ঠায় দেখতে পারেন।
@সামির মানবাদী,
ভলিউম ৭ এর ১৬ নং হাদীস্টি আমার ধারনা সম্পুর্ণ না যেটি ভলিউম ৩ এর ৫০৪ নং এর সংক্ষিপ্ত রুপ হতে পারে কারন একি বর্ণনা কারী। সেটিতে রাসুল কোনভাবেই বলেননি “তার উচিত ছিল কুমারী বিয়ে করা” সাভাবিক ভাবে আপ্নিও কোন বিধবা বিয়ে করলে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতেই পারি, সম্পর্ক যদি আর কাছের হয় এটাও বলতে পারি যে তরুনি বিয়ে কেন করলিনা/করলেনা/করলেন না কেন। কিন্তু এসবের কোন কিছুই শিক্ষা না, যেটি শিক্ষা তার জন্য রাসুল যুবায়েরকে পুরস্ক্রিত করেছেন, ১. হতে পারে বোনদের জন্য তার এ মায়া দেখে, ২, বিধবাকে বিয়ে করার কারনে। কুমারী মেয়েই বিয়ে করা উচিত হত তাহলে পুরস্ক্রিত করতেন না, যাতে পুরপুরি বুঝা যেত যে উদ্দেশ্য সেটিই ছিল। যুবাইর যখন কারনটি বললেন, রাসুল বলেছেন খুবই ভাল। হাদীস্টি আপনি পড়্তে পারেন শেখার মত আরেকটা বিষয় পাবেন।
@anas,
কাশেম সাহেব বোখারী শরীফের রেফারেন্স পৃষ্ঠা নং সহ দিয়েছেন। আপনি ওনার পুরো সিরিজ পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্যই কোন ভুল পেলে জানাবেন।
ঐ রকম হাদীস যে ইতিহাসে শুধু একটিই আছে তাতো নয়, অসংখ্য আছে। সেগুলি কাফের নাসারা বা ইসলামের শত্রু বলে চিহ্নিত মহল লেখেনি। লিখেছে মোসলমান আলেম, স্কলার এনারাই, এসব বই যুগ যুগ ধরে পরম যত্নে লালন পালন করে যাচ্ছে মোসমানেরাই।
একটি দুটি হাদীস ভুল হতেই পারে, অনুবাদের দোষে বা অন্য কোন কারনে, তাই বলে এতগুলি? যদি নিজেদের পক্ষে যায় তাহলে শুদ্ধ আর বিপক্ষে গেলে ভুল এমন নীতি নিশ্চয়ই সমর্থন করবেন না।
আমার কেন জানি মনে হয় সাঈদীদের মত হুজুরদের অনুষঠানে
লোকেরা amusement এর জন্য যায়।
সচেতন লোকেরা ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে এগুলোর প্রয়োগ করে
না বললেই চলে।
আবার ও বলছি এটা আমার ধারনা।
আপনাকে জাকির নাইকের কুরান ও বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তব্যের পরিপ্রেখ্যিতে একটি ধারাবাহিক লেখা দিতে অনুরোধ করেছিলাম। যদিও টপিকটি খুবই গুরুত্তপুর্ন কিন্তু এ নিয়ে এখনো কোন বিস্তারিত লেখা চোখে পড়ে নি। জাকিরের চরিত্র বিচার করলে সহজেই বোঝা যায় পুরো বিষয়গুলিই একটা ধাপ্পাবাজি তবুও আমাদের বিজ্ঞান বিষয়ক পূর্ন জ্ঞান না থাকায় বক্তব্যের ফাক গুলো খুজে পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তাই বিষয়টি কি আপনার বিবেচনায় আছে?
@সামির মানবাদী,
শিক্ষানবিশের একটা অসাধারণ কাজ আছে। বিবর্তনাবদ নিয়ে জাকির নায়েকদেরকে বলতে গেলে পুরাই নাঙ্গা করে ছেড়েছে। পড়েছেন আশা করি। সাধারণ কোরআন ও বিজ্ঞান নিয়ে জাকির নায়েক ও অন্যদের বিভিন্ন দাবিকে রিফুট করে আমার (ধর্মে বিজ্ঞান: নিম গাছে আমের সন্ধান) একটা লেখা আছে, অভিজিতের দারুন কিছু কাজ আছে। তবে, সরাসরি জাকির নায়েকের লেকচার ধরে ধরে কোট করে এখন কোন লেখা চোখে পড়েনি (শিক্ষানবিশেরটা ছাড়া)। সেরকম লেখা তৈরির ইচ্ছা থাকলো। তবে মনে হয়- এই কাজটি অভিজিৎ, দিগন্ত, বন্যা এনারা অনেক দক্ষতার সাথে করতে পারবেন (আমার চেয়ে ওনারাই অনেক বেশী উপযুক্ত)।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমার কেন জানি জোকারের চেহারা দেখলেই মেজাজ সপ্তমে উইঠা যায়।তাই আর তার লেকচার শোনা হয় না।নাইলে কিছু ট্রাই দিতাম :-/
@তানভী,
আমার তো ঠিক উল্টো, আমি তো দারুন মজা পাই। আমি তো সময় পেলেই সামুব্লগে আস্তিকদের ধর্মীয় পোস্টে পোস্টে ঘুরে বেড়াই- আমার অধিকাংশ লেখাগুলো তাদের সাথে ডিবেট করতে গিয়ে তৈরি।
একটু কষ্ট করে- জাকির নায়েক দেখেন, দেখবেন দারুন মজা পাবেন। আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
@তানভী, আ হা হা হা, মিস করছেন!Dont miss a single lecture of him.আমার স্ত্রীকে জোর করে ওর লেকচার
শুনাই।কথায় বলে “আদপ শিখতে হয় বেয়াদপ এর কাছে”
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
ভাই আজই খাতা কলম নিয়ে বসে যান। আর হ্যা সাথে ধুর্ত জাকিরের সিডি নিতে ভুলবেন না। আভিজিৎ দা ও অন্যান্যদের সাহায্য তো চাইলেই পাওয়া যাবে। আর এতো সুন্দর একটা পোস্টের পর নাস্তিকের ধর্মকথা অন্যান্যদের চেয়ে কম কিসে বলতে পারেন?
আমি তো লেখাটি পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে আছি। ভাই তাড়াতাড়ি করুন…………
@সামির মানবাদী,
ভাই কম-বেশীর বিষয় নয়- বিষয়টা চর্চার। অভিজিৎ-দিগন্ত-বন্যা এনারা বিজ্ঞান নিয়ে নিয়মিত চর্চার মধ্যে আছেন- বিবর্তন সংক্রান্ত কোন ইনফরমেশনের জন্য আপনি বন্যা আহমেদের কাছে গেলে সবচেয়ে ভালো সুফল পাওয়া যায়, কারণ তিনি বিবর্তনবাদ নিয়ে সবসময়ই আপডেটেড থাকার চেস্টা করেন। আমি বা আপনিও যে চাইলে সেই চর্চার মধ্যে থাকতে পারবো না- তা বলছি না, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে এই যে- আমি ধর্ম-ধর্মতত্ত্ব-ইতিহাস-দর্শন প্রভৃতি নিয়ে যতখানি সময় ব্যয় করি- তার সিকিখানিও বিজ্ঞান নিয়ে করি না (এ বিষয়ে বন্যা আহমেদ,… ব্লগের বিভিন্ন লেখকদের উপরই মূলত নির্ভর করি)। ফলে- সে কারণেই বলেছি, আমার চেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি তাঁরাই। জাকির নায়েকের যে চারটি ভিডিও এর লিংক এখানে আছে- সেগুলো আসলে একটা সিরিজের, অমুসলিমদের কিছু বিভ্রান্তির জবাব দিয়েছেন তিনি- আমি এখানে তিনটি জবাব নিয়ে লিখেছি, এমন ২০ টি প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেস্টা করেছে (২৪ টা ইউটিউব ভিডিওতে)। বাকি ১৭ টা বিষয় নিয়ে কথা বলাটাও আমার জন্য সহজ সাধ্য।
এই সিরিজে জাকির নায়েক যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
১,২,৩ এর সাথে ১৩-১৪ ও নারী বিষয়ক- এই পোস্টে সেটা ঢুকানোর ইচ্ছা ছিল- কিন্তু অনেক বড় হয়ে যাচ্ছিল- ১৩-১৪ নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই লেখার ইচ্ছা পোষণ করি।
আর, ১৫ নং প্রসঙ্গটি নিয়েও কিছু কাজ করার কথা আছে (জাকির নায়েকের ভিডিও ধরে ধরে না)- কোরআন সংকলনের ইতিহাস – এইরকম শিরোনামে কিছু তৈরির আগ্রহ আছে। এই মুহুর্তে তার জন্য রেফারেন্স যোগাড় করছি। আপনারাও আমাকে সহযোগিতা করতে পারেন। ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দিকের সংকলক মুহাম্মদ ইবন জরির আল তাবেরি( 839-923) ইবন সা’দ( হিজরি 168- 230), তারপরে শাফঈ- রিসালাহ, ফাতাহ আল বারি, Abu Bakr `Abdullah b. abi Da’ud এর “K. al Masahif।” ….. প্রভৃতি খঁজছি….
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমি আপনার লেখার একজন গুনমুগ্ধ ভক্ত। জাকির নায়েকের ভন্ডামি সবার সামনে উন্মোচন করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার সংগ্রহে থাকা (৪:৩) আয়াতটি নিম্নরূপ:
And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphangirls, then marry (other) women of your choice, two or three, or four but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one or (the captives and the slaves) that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice.
ِّআর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
এখানে অনুবাদটিতে দাসীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা আপনার উল্লেখিত আয়াতটিতে পেলাম না। তবে কি জাকির নায়েক সুকৌশলে দাসীদের প্রসংগ এড়িয়ে গেলেন। এ প্রসংগে আপনার মন্তব্য কি?
@সিদ্ধার্থ,
ধন্যবাদ- বিষয়টি দৃষ্টিগোচরে আনার জন্যে। ৪-৩ আয়াত আর ৪-১২৯ আয়াতের অংশ বিশেষ আমি কপি করেছি জাকির নায়েকের এক অনুবাদ পোস্ট থেকে। ৪-১২৯ আয়াতটি পুরো দেখতে গিয়েই দেখি- বিষয়টি জাকির নায়েক যেমন দাবি করছে বিষয়টা তেমন নয়। ফলে- আর, ৪-৩ আয়াত যাচাই করা হয়নি (ওটাতে আসলে … ব্যবহার করেনি- ফলে মনে করেছি ঐ আয়াত অতটুকুই)- কিন্তু আমার বুঝা উচিৎ ছিল- এরা মিথ্যাচার ছাড়া এক মুহুর্ত চলতে পারে না!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সংশোধন করে দেয়ার জন্য। সময় করে পরে পোস্টে আপডেট করে দিবো…..
মুসলমানদের নিয়ে সব চেয়ে বড় সমস্যা হল তারা সবসময়ই জাকিরের মত কোন না কোন চরিত্রকে ঘিরে মাতামাতি করতে খুব পছন্দ করে। আবার সেই চরিত্রগুলো যখন যুক্তির হেচকা টানে সকলের সামনে বেআব্রু হয় তখন মুসলমানরা নিজেদের ধর্ম-ইজ্জত-অস্তিত্ব বাচাতে এই নবী তুল্য চরিত্রগুলোকে অসীকার করতে বিন্দু মাত্র সময় নেয় না। তারপর নতুন যুক্তি নতুন কৌশল নিয়ে নতুন জাকিরের জন্ম হয়। এভাবেই রাজা যায় রাজা আসে, জাকির যায় জাকির আসে, আপডেটেড হয়ে………
@সামির মানবাদী, জাকির নায়েককে কোন মুসলমানরা নবী তূল্য মনে করেন দয়া করে জানাবেন কি?আপনারা-ই একটা টিভি চ্যানেল খুলে বসুন না?ডকিন্স সাহেব-ই বা কি করছেন?কম্যুনিষ্ট চায়না কি এক্ষেত্রে কোনো সাহায্য করবে?মনে হয় না।আর হুগো চ্যাভেজ তো মুসলিম দেশগুলোর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ভুমিকা রাখতেই বেশি আগ্রহী।
@al murshed,
জাকির নায়েককে কে মুসলমানরা নবী বলে, এ দাবী কে করেছে আমি জানি না, করে থাকলেও সেটা হয়ত পোয়েটিক সেন্স এ বলা হয়।
কারন মুখে তিনি নবী রসুল না এ জাতীয় কথা বললেও বেশ বড় একটা অংশ প্রাক্টিক্যালী জাকির নায়েক হারুন ইয়াহিয়া এসমস্ত লোকদের তেমনই মনে করে। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এর বেশ কিছু প্রমান পেয়েছি।
জাকির নায়েক বিবর্তন রিবিউটালে তার ভিডিও তে কিছু ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। বিশ্বাস না হলে নিজে যাচাই করে দেখতে পারেন। জাকির নায়েকের গুনমুগ্ধ ভক্ত যারা বিবর্তন বাতিল করতে বিজ্ঞানের নুতন বৈপ্লবিক শাখা খুলে ফেলছেন তাদের কোনদিন দেখেছেন এসব মিথ্যাচার নিয়ে টূ শব্দ করতে? তারা নায়েকের সব ভিডিও ভাল করেই দেখেছে। আবার কেউ এদের সমালোচনা করলে উলটা বলেন জাকির নায়েকদের পিছনে নাকি নাস্তিকরা লেগেছে। ধর্ম প্রচার মানে কি ডাহা মিথ্য কথার নীরব সমর্থন জানানো?
ধর্মবাদী লোকদের এমন চোখ থাকিতে অন্ধ থাকার নীতিই বেশী বিপদজনক, জাকির নায়েকরা নয়। ধর্মের ক্ষতি এভাবেই হয়েছে।
@al murshed, পাগল হয়েছেন? মুসলিম দেশে নাস্তিক্যবাদ প্রচার করে
কোন TV চ্যানেল চালাতে দিবে? দিলেও যারা এই চ্যানেল চালাবে, তারা
ঘাডে মাথা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে ?
@সামির মানবাদী,
মিথ্যাবাদী আচরন করবেন না । কারও যুক্তি ভুল হলেই সে মিথ্যাবাদী হয়ে যায় না । মানুষ ভুল করতেই পারে । আর এই যুক্তি গুলি খালি জাকিরের না, অনেক যুক্তি পুর্বর্তীদের থেকে নেওয়া । সমস্যা মুসলমান দের না, থাকলে আপনাদের । জবাব দিন , আমি কি এখনে কখন বলেছি , ডাঃ জাকির মিথ্যাবাদী ।
। পুর্ববর্তী আলিম দের কাকে কাকে আমরা ফেলে দিয়েছে । আব্দুল কাদির জিলানী রঃ , কিংবা হোসাইন আহমেদ মাদানী রঃ ,হযরত শাহাজালাল রঃ । কাকে ফেলে দিছি দয়া করে একটু দেখাই বেন ?
আল্লাহ পাক কোন আইন কেন দিয়েছেন এটি মুসলিমদের চৌদ্দ গুস্টিও জানে না , তাই ভিন্ন ব্যক্তি যে ধরনের যুক্তি পায় সে ধরনের যুক্তিদেয় । নিচে ক্লিয়ার করে বলে দেয় , সে জানে না, আল্লাহ সুবাহানাতালাই ভাল জানেন ।
এখন যদি বলেন রাশেদ খলিফা মত ব্যক্তিরা, যারা কোরানের বা হাদিসের বাহিরে চলে যায়, তাদের আমরাই বাদ দেই । এদের সাথে অমুসলিমদের কোন হাত নেই । কেউ বে আব্রূ টাব্রু ও রাশদ দের করে নি । মসুলমারাই তারে বাদ দিছে কোরান হাদিসের বাইরে যাওয়ার জন্য ।
আপনার মত আমিও বলি, নাস্তিকদের সমস্যা হল তারা Anthony Flew দের মত ব্যক্তিদের যুক্তি নিয়ে ধার্মিকদের সাথে ছলনা করে , আর যখন ই ঐ সত্ নাস্তিক গুলি তাদের চিন্তা বাদ দিয়ে আস্তিক হয়ে যায় , তখন ঈ তাকে পাগল অথবা ব্রেইন ডেমেইজ হয়ে গেছে বলে চিল্লায় । এবং তাকে বাদ দিয়ে দেয় ।
http://www.youtube.com/watch?v=fbyTwmaJArU
@ফুয়াদ,
এন্থনি ফ্লু আস্তিক হলেই ইসলাম সত্য হয়ে যায় না। দেখতে হবে তার যুক্তিতে কতটুকু সারবত্তা আছে। এন্থনি ফ্লুর মিনিমাম লেভেলের আস্তিক্যের (যদি সেটাকে সত্যই আস্তিকতা বলা যায়) পেছনে শ্রোডারের বইয়ের প্রভাব আছে। শ্রোডার বাইবেলের বানীর সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয় করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। শ্রোডারের যুক্তিগুলো বহু আগেই পদার্থবিদরা খন্ডন করেছিলেন। শ্রোডারের সেই ভুল যুক্তিগুলোকে পুঁজি করে আস্তিক্যবাদ প্রোমোট করা কতটুকু সঠিক তা না হয় পাঠকদের হাতেই ছেড়ে দেয়া গেল। মেইনস্ট্রিম পদার্থবিদের কেউই শ্রোডারের যুক্তিকে খুব একটা কনভিন্সিং বলে মনে করেন না। ফ্লু পদার্থবিদ নন। তিনি শ্রোডারের ‘বাইবেলীয় বুকাইলিজম’ সহজভাবে গিলে ফেললেও যারা এ নিয়ে সত্যিকার কাজ করেছেন, তারা সহজে প্রতারিত হন না। এ প্রসঙ্গে পদার্থবিদ ভিক্টর স্টেঙ্গর এবং মার্ক পেরাকের লেখা নীচের আর্টিকেল গুলো দেখা যেতে পারে –
Flew’s Flawed Science – Vic Stenger
Not a Very Big Bang About Genesis
আমার নিজেরও একটা বিশ্লেষণ ছিলো এখানে।
আরো একটা কথা এ প্রসঙ্গে বলে রাখি। এমনকি কনভার্শনের পরও এন্থনি ফ্লু ইসলামকে পৃথিবীর অন্যতম ভায়োলেন্ট রিলিজিয়ন বলে মনে করেন, এবং কোরানের আল্লাহকে মোহাম্মদের বানানো বলে মনে করেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তা পরিস্কারভাবেই উল্লেখ করেছিলেন। কাজেই ফ্লুকে পুঁজি করে ইসলামভক্তদের খুশি হবার কোন কারণ আমি আসলেই খুঁজে পাইনা।
@অভিজিৎ,
বিবর্তনের রিবিউটাল বিষয়ক লেখায় চরম কৌতূককর কিছু বাণী পেয়েছি যেগুলি স্বঘোষিত বিজ্ঞানীরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে।
১। রিচার্ড ডকিন্সের মৃত্যুর সাথেই বিবর্তনবাদ নাকি মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে (নিজের চোখে দেখেই বিশ্বাস করতে পারিনি এহেন আশাবাদী যুক্তি)।
২। বিবর্তনবাদ ভুল প্রমানে ক্রেইগ ফ্লু টেনে আনা। কোন মহানাস্তিকের আস্তিকে পরিনত হবার সাথে বিবর্তনবাদ ভুল কি করে হয় আমি কিছুতেই বুঝি না। আরো যেসব বিরাট ঈমান্দার ইসলাম নিয়ে
বড় বড় লেকচার দেন, একে তাকে ইসলামের শত্রু ফতোয়া দেন তারা এহেন ইসলাম বিদ্বেষী লোককে মাথায় তুলে কেন নাচেন সেও এক বিরাট রহস্য।
@অভিজিৎ &আদিলমাহমুদ,
:yes: :yes: :yes:
@অভিজিৎ,
আপনি বলেছেন ঃ
ফ্লু আস্তিক হলেই ইসলাম সত্য হয়ে যায় না
আমি বলেছি
১ এই লেখা থেকে কখন ই প্রমান হয় না , আমি বলেছি আস্তিক হয়েছেন বলে ইসলাম সত্য হয়ে গেছে ।
আপনি বলেছেন ,
আমি কিন্তু ফ্লু এর উদাহারন টেনে আপনাদের ক্যরেক্টার বর্ননা করেছি, তাও আপনাদের লেখার পালটা ব্যবস্থা হিসাবে । এইখানেও আপনি অগ্রিম চিন্তা করে বর্ননা করেছেন । যাইহোক , ফ্লুয়ের কান্ডে কিন্তু নাস্তিকতার দুর্বলতা প্রকাশ পায় । এতে সংগত কারনেই মসুলমানদের খুশি হওয়ার কথা । আপনার অগ্রিম ধারনা ও কিন্তু নাস্তিকতার দুর্বলতা প্রকাশ করে ।
@ফুয়াদ
গুড। এইটাই ছিলো পয়েন্ট। আসলে ফ্লুর প্রসঙ্গটাই ছিলো অবান্তর। ‘কোরআন ও নারী এবং একজন জাকির নায়েক’ এই লেখার সাথে ফ্লু আস্তিক হয়েছেন নাকি নাস্তিক হয়েছেন সেটা কোন যুক্তিই প্রদান করে না। কাজেই এই লেখার কাউন্টার হিসেবে ফ্লু এর আমদানী লজিকের ভাষায় Red herring।
সেটা আপনার ধারণা। ইসলাম সম্বন্ধে ফ্লুয়ের যে মনোভাব সেটা অনেক নাস্তিকের থেকেও এক্সট্রিম। এমনকি উইকিতেও লিখেছে – “Flew is particularly hostile to Islam, and says it is “best described in a Marxian way as the uniting and justifying ideology of Arab imperialism”। কাজেই ফ্লুকে উদ্ধৃত করার আগে আপনাদের ভাবা উচিৎ। ফ্লুকে উদ্ধৃত করে গুলি চালালে সেটা নিজের বুকেই লাগবে। আমার দুর্বলতা খোঁজার আগে এগুলো মাথায় রাখলেই ভাল হবে মনে হয়।
@অভিজিৎ,
আসলে আপনাদের বুকেই লাগতেছে , কারনঃ
১ আমার ফ্লুয়ের উদহারন, আপনাদের ক্যরেক্টার বর্ননা করার উদ্দোশ্যে এনেছিলাম । এবং সমীরের যুক্তি খন্ডন করেছিলাম । আপনাদের বিশেষ ক্যরেক্টারের প্রতি, ফ্লুয়ের উদাহারন সঠিক হয়েছে । আপনাদের এই ক্যরেক্টার আমি ধরিয়ে দিতে পেরেছি ।
২ ফ্লু নাস্তিকদের পক্ষ থেকে চলে গেছে । এতে আপনাদের বুকে লেগেছে । আর ফ্লু মসুলমানদের সম্পর্কে কিছু বললেও মসুলমানদের কিছু যায় আসে না । কারন সে আগেও মসুলমান ছিল না, এখন ও নাই । কিন্তু আগে আপনাদের সাথে ছিল , এখন আপনাদের ছেড়ে চলে গেছে । অতএব, আপনাদের ই বুকে লাগার কথা ।
@ফুয়াদ,
ভাই আমার যতদুর মনে আছে আপনার প্রতি একটা কমেন্টের প্রেক্ষিতে আপনি আপনার কথা আমাকে ভুলে যেতে বলেছিলেন, তো এখন আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেবার কারন টা কি মশাই?
যুক্তিতে ভুল হলে আসলেই কোন দোষ নেই। কিন্ত জাকিরের লেকচারের মুল ম্যাটেরইয়াল গুলো যে ‘ ইচ্ছাকৃত মিথ্যা’ সেটা কি আপনি আজও বুঝেন নি? তাই প্রকৃত মিথ্যাবাদী আচরন কিন্ত আমি না, আপনার বড়দা জাকির নাইক ই করছে।
@সামির মানবাদী,
আপনি সকল মসুলমানকে উদ্দোশ্য করে বলবেন তার মানে আমাকে সহ , আর আমি কিছু বলবো না । তা কি করে হয় । আমি না দেখলে ভিন্ন কথা ছিল । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
কৌতূহলী হলাম আপনার একটি যুক্তিতে।
“২ ফ্লু নাস্তিকদের পক্ষ থেকে চলে গেছে । এতে আপনাদের বুকে লেগেছে । আর ফ্লু মসুলমানদের সম্পর্কে কিছু বললেও মসুলমানদের কিছু যায় আসে না । কারন সে আগেও মসুলমান ছিল না, এখন ও নাই । কিন্তু আগে আপনাদের সাথে ছিল , এখন আপনাদের ছেড়ে চলে গেছে । অতএব, আপনাদের ই বুকে লাগার কথা ।”
আমি ইসলামের পক্ষে বিপক্ষে বহু বিতর্ক পড়েছি। তাতে দুই পক্ষেই কিছু কমন যুক্তি ও রেফারেন্স অধিকাংশ সময়ে পাওয়া যায়। ইসলামের পক্ষে বক্তারা এক পর্যায়ে অবধারিতভাবে পাশ্চাত্যের বেশ কিছু জ্ঞানী গুনী যারা ইসলাম সম্পর্কে উচ্চ ধারনা পোষন করেন তাদেরকে কোট করেন। এই জ্ঞানী গুনীরা যে সবাই মোসলমান তা নয়।
এখন আপনি কি একই যুক্তিতে (উপরে কোট করা) এ ধরনের রেফারেন্সও বাতিল করে দেবেন, যেহেতু এসব ব্যক্তি মোসলমান নন তাই তাদের কথায় ইসলাম বা মোসলমানদের কিছু যায় আসে না? আপনার যুক্তিতে তো তাই উচিত। শুধু মোসলমানদের পক্ষে গেলেই তাদের কথার গুরুত্ত্ব আছে আর বিপক্ষে গেলে গুরুত্ত্ব নেই নিশ্চয়ই এমন নীতিতে আপনি বিশ্বাস করেন না।
বিশ্বের বুকে আমাদের নাস্তিক-যুক্তিবাদীদের অবস্থা কি সত্যই এতটা করুণ যে হাজারো স্যাটেলাইট চ্যানেলের যুগে আমরা RTV(Rationalist tv) মতো কোন চ্যানেলের মাধ্যমে আমাদের মতাদর্শের কথা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারব না? এমন কিছু করার জন্য কখনো কি আমরা চেষ্ঠা করেছি? নাকি পৃথিবী থেকে ঈশ্বরতত্বকে ঝেটিয়ে বিদায় করার মতো প্রয়োজনীয় তত্ব বা উপকরন এখনও আমাদের হাতে নেই?
আমিতো আমার জীবদ্দশাতেই ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী দেখতে চাই!!! আপনাদের কি অবস্থা………?
@সামির মানবাদী,আপনার জীবদ্দশাতেই ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী দেখতে চান?!!! আপনি আবার নাস্তিক হলেন কী করে ভাই?সোভিয়েট ইউনিয়ন এর ৭০ বছরের জীবদ্দশায় যা পারেনি তা আপনার জীবদ্দশায় ও হবে বলে মনে হচ্ছে না।দেখুন না কম্যুনিজমের পতনের সাথে সাথে ধর্ম আবার কী ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে।চার্চগুলো আবার জোরেসোরে কর্ম-কান্ড শুরু করেছে।শুনে হয়তো আশ্চর্য হবেন যে,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার যখন রাশিয়া আক্রমণ করে তখন স্ট্যালিন দেশব্যাপী চার্চগুলোতে পিতৃভুমি রক্ষার জন্য প্রার্থনা করার আহবান জানিয়েছিলেন।
@সামির মানবাদী,
চাইতে কোন সমস্যা নাই, চাওয়াটাও খুব ভালো, তবে তেমন কোন সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
সামুতে এই পোস্টে (http://www.somewhereinblog.net/blog/MonirHasan/29047602) ভবিষ্যতে ধর্মের অবস্থা-অবস্থান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে- ঢু মারতে পারেন।
@সামির মানবাদি,
চাইতে তো দোষ নাই।কিন্তু মানুষের অসহায়ত্ব যতদিন না শেষ হবে তত দিন মানুষ ধর্মকে টেনে আনবেই।আর শক্তিশালীরা দুর্বলদের উপরে ধর্মকে বন্ধন রূপে ব্যবহার করেই যাবে। যত দিন মানুষে মানুষে উচু নিচু ভেদ থাকবে ততদিন উচুতলার মানুষরা ধর্মকে প্রোটেকশন রূপে ব্যবহার করবে।
আমি এখন আইজাক আসিমভের ফাউন্ডেশান সিরিজের প্রথম বইটা পড়ছি। ঐটাতেও আসিমভ দেখিয়েছেন যে সভ্যতার চরম উৎকর্ষে পৌছেও মানুষ নতুন করে ধর্মকে টেনে এনেছে।
এক গ্রহের এটমিক পাওয়ার আছে,অন্যগ্রহের নাই।যে গ্রহের পাওয়ার আছে তারা অন্য গ্রহের কাছে একে ঈশ্বর প্রদত্ত হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়,যাতে ঐ গ্রহের লোকেরা একে তাদের নিজেদের ইচ্ছা মত ব্যবহার করতে না পারে।
তাই বলতে হয় ঈশ্বর ভূত এতো সহজে নামার নয়।
@তানভী,
ভালো বলেছেন। মানুষের উপর মানুষের ডমিনেশন যতদিন বজায় থাকবে- ততদিন ধর্মও থাকবে।
@তানভী,অনেক আগে সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত ফাউন্ডেশন-এর বাংলা অনুবাদ পড়েছিলাম,তখন মনে হয়েছিল এটা কী ধরণের সায়েন্স ফিকশন ?ভালো লাগে নি।যাহোক,ব্রিটেনে এসে পাবলিক লাইব্রেরি হতে নিয়ে ইংরেজিতে ফাউন্ডেশন সিরিজের বইগুলো এক এক করে সব পরে ফেল্লাম।এবং এখনো পর্যন্ত আমার মতে আসিমভের ফাউন্ডেশন সিরিজ শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।মানুষের সভ্যতা কীভাবে গ্যালাক্সি হতে গ্যালাক্সিতে বিস্তৃত হতে পারে তার এক অসাধারণ কাহিনী এই বইগুলো Foundation’s Edge,Foundation and Empire,Foundation’s Fear,Foundation and Earth.তবে সবগুলো বই পড়লে বুঝতে পারবেন আসিমভ ও শেষ পর্যন্ত এক ধরণের আধ্যাত্মিক চেতনার ধারণায় এসে পৌঁছেছিলেন ইউনিভার্সে Unity এবং Peace প্রতিষ্ঠার জন্য যার শুরু পৃথিবী হতে GAIA concept এর মাধ্যমে এবং Galaxy তে তার বিস্তৃতি ঘটেছে GALAXIA নামে।এ টা অনেক টা Pantheism এর সাথে মিলে যায়।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
@নাস্তিকে
ভাই আমি শুধু আমার অনুভূতিটুকু আপনাদের সাথে সেয়ার করেছি। আমার মুল প্রশ্নটা ছিলঃ
মুহাম্মদ তার জীবদ্দশাতে মানুষের মনে আল্লাহর যে চরিত্র অঙ্কন করে গেছে আমরা আমাদের জীবদ্দশাতে মানুষের মন থেকে সেই কাল্পনিক চরিত্র কেন মুছে দিতে পারব না বলতে পারেন? এই একাবিংশ শতাব্দিতে এসে যদি এক তরোয়ারধারী মধ্যযুগের আরবের কাছে হেরে যেতে হয় তবে আধুনিক মানুষের মর্যাদাটুকু কি আর শরীরে থাকবে? লক্ষে পৌছানোর জন্য শুধু চাই মুহম্মদের মতো আপোষহীন একাগ্রতা।
ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী দেখার প্রতিক্ষায় রইলাম।
@সামির মানবাদী,
ঈশ্বর মুক্ত পৃথিবী কখোনোই সম্ভব নয়। মনুষ্যত্ব যতদিন থাকবে ততদিন ঈশ্বর থাকবে। কারন মনুষ্যত্বের মাধ্যমেই ঈশ্বরের প্রকাশ ঘটে। মনুষ্যত্বই ঈশ্বর।
তবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের ‘ঈশ্বর’ বিলুপ্ত হোক এটাই কামনা করি।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
ঈশ্বরতত্ব=মনুষ্যত্ব!!!! :laugh: :laugh: :rotfl:
দারুন বলেছেন, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন…
@সামির মানবাদী,
আপনার প্রশ্নের উত্তরে আগডালে আবডালে অনেক কিছু বলা হয়েছে কিন্তু সঠিক উত্তরটি বোধ হয় পান নি, অন্তত আমি পাই নি। যদিও ফরহাদের উত্তরটা প্রশ্নের বেশ কাছাকাছি-
কেন পারবেনা? কারণ দেশের সরকারের মাথায়ও ধর্মের ভূত, সরকার আমাদেরকে প্রটেকশন দেবেনা। এর শতশত প্রমান তো চোখের সামনেই আছে। আরো একটি কারণ, তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী যারা নিজের স্বার্থোদ্ধারের লক্ষ্যে অতি মানবিক সেজে অকারণে ধর্মের গুণগান গায়, এরা বাহিরে মুক্তমনা ভিতরে ধার্মিক। বিশ্বজুড়ে ইসলামী জিহাদীদের প্রতি ধার্মিক শিক্ষিতদের ততক্ষণ পর্যন্ত পরোক্ষ সমর্থন থাকে যতক্ষণ না জিহাদী আইনের হাতে ধরা পড়ে। জিহাদী আইনের হাতে ধরা পড়ার পর তার নাম দেয়া হয় সন্ত্রাসী বা জঙ্গী। সাদ্দাম ছিলেন মুসলমানদের কাছে এ যুগের দ্বিতীয় মুহাম্মদ (দঃ)। ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত তারা বিশ্বাস করতো -সাদ্দামের গুহার মুখে মাকড়সা জাল বুনেছে, কবুতর ডিম পেড়েছে তাই আমেরিকা তাকে খোঁজে পাচ্ছেনা। সাদ্দাম যদি কু্যেত, ইরান, সৌদি আরব দখল করে নিতে পারতেন, ওমর ইবনে খাত্তাবের সত্তর তালি জামা পরে মিশর দখল করার ইতিহাস সাদ্দামের নামে আবার লিখা হতো। বিন লাদেন যদি আমেরিকা দখল করে নিতে পারতো তাহলে টুইন টাওয়ার ভাংগার ইতিহাসে আবাবিল পাখির নাম লিখা হতো। এভাবেই লিখা হয়েছে ইসলামের ইতিহাস। দুর্ভাগ্য সাদ্দাম, বিন লাদেন, শায়েখ আব্দুর রহমানদের, তারা ভুল মঞ্চে ভুল সময়ে মুহাম্মদ ও তার সাহাবীদের অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। আপনার প্রশ্নটি ছিল-
ইসলামের শ্লোগান হলো- ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হর কারবালা কে বা’দ। আল্লাহর ধর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে মানুষের রক্ত পান করে অস্ত্রের মাধ্যমে, মানবধর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করবে কলমের মাধ্যমে। তবে অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ইসলাম যেহেতু নতুন সুতরাং বিবর্তন ধারায় তার মৃত্যুও হবে সকলের পরে। আমরা কিছু না করলেও প্রকৃতি তাকে বাঁচতে দেবেনা, মৃত্যু শয্যায় শায়ীত অন্যান্য ধর্ম এর প্রমান।
বিবর্তনবাদের নিয়মে তা সম্ভব না। আমাদের পূর্ব পুরুষ পশমহীন মানুষ দেখা তো দূরের কথা কল্পনাও করেন নি। আমরাও লোমে-পশমে মানুষের রূপে কোনদিন ফিরে যাব না।
@আকাশ মালিক,
১। অতীতে কখনো কোন ব্যক্তি বা সংগঠন কি এমন কোন উদ্যোগ নিয়েছে?
২। ঈশ্বরতত্বকে পুরোপুরি ভ্রান্ত প্রমান করার জন্য প্রয়োজনীয় তত্ব বা উপকরন বর্তমানে কি আমাদের কাছে আছে?
৩। এ কাজের জন্য কি আমরা কি প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করতে সক্ষম হব?
৪। RTV বাংলাদেশ থেকেই চালু করতে হবে এমন কোন কথা নেই, গোটা পৃথিবী মানচিত্র খুজে কি এমন একটা দেশ বের করা যাবে না যেখান থেকে আমরা আমাদের সম্প্রচার শুরু করতে পারি?
৫। সবচেয়ে বড়কথা, মুক্তমনারা কি এটার প্রয়োজন অনুভব করে?
মুসলমানদের নিয়ে সব চেয়ে বড় সমস্যা হল তারা সবসময়ই জাকিরের মত কোন না কোন চরিত্রকে ঘিরে মাতামাতি করতে খুব পছন্দ করে। আবার সেই চরিত্রগুলো যখন যুক্তির হেচকা টানে সকলের সামনে বেআব্রু হয় তখন মুসলমানরা নিজেদের ধর্ম-ইজ্জত-অস্তিত্ব বাচাতে এই নবী তুল্য চরিত্রগুলোকে অসীকার করতে বিন্দু মাত্র সময় নেয় না। তারপর নতুন যুক্তি নতুন কৌশল নিয়ে নতুন জাকিরের জন্ম হয়। এভাবেই রাজা যায় রাজা আসে, জাকির যায় জাকির আসে আপডেটেড হয়ে……
আপনি কি প্রবন্ধের উপকরন আলি সিনার লেখা থেকে নিয়েছেন?
আপনাকে জাকির নাইকের কুরান ও বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তব্যের পরিপ্রেখ্যিতে একটি ধারাবাহিক লেখা দিতে অনুরোধ করেছিলাম। বিষয়টি কি আপনার বিবেচনায় আছে?
আমি জাকির নাইকের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তাকে না দেখলে কখনই আমার ইমান(অবশ্যই নাস্তিকবাদী) এতটা মজবুত হত না। অতীতে শুনেছিলাম এবার নিজ চোখে দেখলাম ধোকা কতটা আকর্ষনীয় হতে পারে। বিশেষ করে ধর্মীয় সার্থ যেখনে উপস্থিত।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা আরজ আলী মাতুব্বরকে ফিরে পেয়েছি।
সৈকত চৌধুরীর সাথে সহমত। :yes:
@আতিক রাঢ়ী ও সৈকত চৌধুরী,
আমার মনে হয়- এখানে আমরা সকলে মিলেই আরজ আলী মাতুব্বর, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের চিন্তা-চেতনা ও আদর্শকে বহন করার চেস্টা করছি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেকে আরজ আলীর একজন ছাত্র হিসাবে ভাবতেই পছন্দ করি। তার লেখার ধরণ- যুক্তি করার স্টাইলটা ফলো করার চেস্টা করি- কিন্তু যতবারই তাঁর লেখা পড়ি- বুঝতে পারি আমি এখনো তাঁর ধারে-কাছে যেতে পারিনি।
পরিশেষে আপনাদের তুলনাটা কেন যেন ভালো লাগেনি। তাই আমিও একটা মাইনাস দিলাম (১ রেটিং)।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আসলেই ভাইয়া আরজ আলি যে জায়গায় আছেন সেখানে আমাদের পৌছাতে অনেক অনেক দেরি।এমন কি হুমায়ুন আজাদ,আহমেদ শরীফ এদের থেকেও আরজ আলি অনেক উপরে।
তবুও আপনার এনালিসিস আমার ভালো লাগে।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
ajor ali matubborer ‘sotter sondhane’ r against e kono ek samuel sroshtar sondhane name e ekta boi likhesilo. boi ti pore thakle apnar montobbo janan
এদের কাছে ধর্ম হচ্ছে একটা ব্যাবসা।যে যত বাকপটু,চালাক,কৌশলি তার ব্যাবসা তত ভালো। মানুষের কি হলো না হলো তা নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় তাদের, তারা নিজেরা ভালো আছে কিনা সেটাই তাদের প্রধান চিন্তা।
ঘুরে আসতে পারেন এইখান থেকে
লেখাটি তিনবার পড়লাম। নাস্তিকের ধর্মকথার অসাধারণ বিশ্লেষণ দেখে মুগ্ধ হলাম।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা আরজ আলী মাতুব্বরকে ফিরে পেয়েছি।
হ্যা, একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমাদের গ্রামের বাজারের পাশে একটা মাদ্রাসা আছে। ছোটবেলায় আব্বুর সাথে একদিন গ্রামে বেড়াতে গেলাম। ঐদিন মাদ্রাসার পাশ দিয়ে বাজারে ঢুকার সময় দেখি কয়েকটি মাদ্রাসার ছেলে একটি বোরকা পরা মেয়েকে ইঙ্গিত করে বলছে – ঢাকা টু খুলনা। আরেকজন বলছে -আসাম টু পাবনা। পরে জানতে পারলাম এর অর্থ হচ্ছে -ঢাকা একটু খোল, আর অপর জন বলছে, আশা থাকলেও পাবিনা। 🙂
মানলাম না, তাহলে আমরা এত বড় একটা জোকার নায়ককে পেতাম কিভাবে?
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
ভাইয়া,এগুলোতো অনেক পুরোনো টপিক হয়ে গেছে। আর জোকার দের নায়কতো সারা জীবনই জোকারি করে যাবে,এবং যাদেরকে খাওয়ানোর জন্য এগুলো আপনি,আমি,আমরা এগুলো লিখছি তারা জোকার কে বাদ দিয়ে দুদিন পরে তার আরেক ভার্সন কে ধরে নিয়ে নতুন করে ত্যনা প্যঁচাবে।
আরো অন্যান্য ব্লগে এগুলো নিয়ে দুপক্ষই কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে যাচ্ছে। গাধা পিটায়ে মানুষ করার জন্য আরজ আলি মাতুব্বরই যথেস্ট।তার পরও যদি কিছু না হয়,তবে সারা জীবনেও আর কিছু হইবেনা।
এর থেকে আমরা যদি আস্তিকদের কাছেই একের পর এক প্রশ্ন রাখতে থাকি তবে তারা কি উত্তর দেয় তার উপর ভিত্তি করে যদি তাদের কে আটকানো যায় তবে সেটাই হবে উত্তম পন্থা।কারন তারা নিজেরা একবার যে কথা বলে ফেলেছে তাতো আর ফেরাতে পারবে না। তখন তাদের কথাই তাদেরকে জালে জড়িয়ে ফেলবে।
(অবশ্য তাহারা যদি একই ত্যনা বারবার প্যচাইয়া যায়,” আমি আল্লা ছাড়া অন্য কিছু খাইবো না ” ।
প্রশ্নের উত্তরে যদি টিয়া পাখির মত একই কথা বলিতে থাকে,”
আল্লা আমার জানেমান,
আল্লা ছাড়া নাফরমান”!
তাহলে এই অধম কে কেউ দায়ি করিবেন না 😀 )
নাএক সাহেবের সুবিধে মনে হয় এই যে তিনি অধিকাংশ সময়ে এক গাদা গুনমুগ্ধ দর্শকের মাঝে কনফিডেন্টলি কথা বলে যেতে পারেন। প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনিই পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, এবং প্রথমেই প্রশ্নকারীর উপর একটা সাইকোলজিক্যাল এডভান্টেজ নেন। এর পর চলে আয়াতের পর আয়াত আরবী ঈংরেজী তর্জমা। কার সাধ্য তার সাথে পারে আর সেই পরিবেশে দ্বি-মত করে?
“কোরআনে যুদ্ধবন্দী/ক্রীতদাসীদের সাথে সেক্স করার কথা লিখা আছে- এটা অমানবিক নয় কি? (এ প্রসঙ্গে মাহমুদ রহমানের এই পোস্টও দেখেতে পারেন।)”
মাহমুদুর রহমান সাহেবের সেই লেখাটার লিঙ্ক দিতে মনে হয় ভুলে গেছেন।
@আদিল মাহমুদ,
প্রথমে সামুব্লগে লেখাটা দুটো পোস্টে দিয়েছিলাম- সেটাকে এডিট করে এখানে দিয়েছি। এখানে ব্রাকেটের অংশটুকু বাদ দেয়ার কথা ছিল- মিস হয়ে গিয়েছে (এখন এডিট করতে ভয় পাচ্ছি- একবার এডিট করতে গিয়ে দেখি অর্ধেক পোস্ট হাওয়া!!)। এছাড়াও শেষের একটা ভিডিও লিংক “জুলু নৃত্য”-র জায়গায় “জাকির নায়েক:চার” হয়ে আছে। ওটাও পাল্টানো দরকার। এখানে ভিডিও গুলো লিংক হিসাবে না- বিপ্লবের ১ম কমেন্টের মত করে দিতে চেয়েছিলাম- কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব তা-ও জানি না।
যাহোক- মাহমুদ রহমানের একটা পোস্ট ছিল- “নাস্তিকের ধর্মকথার পোস্টপ্রসঙ্গেঃ সবাইকে সতর্ক করার জন্য এ পোস্ট”- তো সবাইকে সতর্ক করতে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে আমার সাথে বিশাল কথা-বার্তা হয়েছে। পোস্টের লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/rony_me01blog/28744716
আসুন যারা ধর্ম মানতে চান, চলুন নিয়ে যান নাস্তিক চার্টিরফাইড মহৎ , বৈপ্লবিক ধর্ম হিন্দু, বোদ্্ খ্রিস্টানিটি । তাড়াতাড়ি নিয়ে যান নয়ত শেষ হয়ে যাবে । :rotfl: :rotfl: :rotfl: :rotfl:
আমরা মসুলমানদের আপনাদের থেকে চার্টিফিকেইট নেওয়া লাগবেনা যে আমাদের ধর্ম মহান কি না । আল্লহ পাক যদি পছন্দ করেন তাহলেই যতেষ্ঠ ।
এক্সেসেপশন ইজ নট এক্সামপল । আপনি বেশীর ভাগ লোকের সমাজ ব্যবস্তা দেখেন ।
@ফুয়াদ,
কেউ ইসলামের সমালোচনা করার মানে কিন্তু অবধারিতভাবে এই দাড়ায় না যে সে অন্য ধর্মের প্রচারনা চালাচ্ছে যে অভিযোগ কিছু জ্ঞানী বাই ডিফল্ট ধরে নেন। ইসলামের সমালোচনা মানেই অন্য কোন ধর্মকে প্রমোট করা?
আজ হিন্দু ধর্মের কোন পন্ডিতে এসে সতীদাহ বা বর্ণবাদের পক্ষে সাফাই গাইলেও একইভাবেই সমালোচনা করা হবে, কেউই ছাড়া পাবে না। অন্য ধর্মের সমালোচনা করা যাবে আর ইসলামের করা যাবে না?
অন্য ধর্মের লোকেরা বহু আগেই তাদের ধর্মের কালো কালাকানুন যেগুলি এ যুগে বাতিল বুঝতে পেরেছে তাই তারা সেগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে না। বৈদিক বা বিবলিক্যাল সমাজ গঠনের দাবী তোলে না। তাদের কৃতিত্ত্ব তো এক্ষেত্রে দিতেই হবে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার ঐ এক লাইনকে সুন্দর ব্যখ্যা করার জন্য।
ধর্মের অনেক কিছুই- নানা প্রথা যুগের পরিবর্তনে সমাজ-সংস্ক্বতির সাথে সাথে মানুষের ব্যবহারিক জীবনের প্রয়োজনে অটোমেটিক পাল্টে যায়- অসংখ্যবার পাল্টেছে- আগামিতেও পাল্টাবে। তবে- কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষ এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে অনেক ভূমিকা রেখেছে- অনেক বিপদ, অত্যাচার সহ্য করেই তাদের একাজ করতে হয়েছে। তাদের ভূমিকার কারণেই ধর্মগুলোকে কিছুটা সহনশীল জায়গায় পাই আমরা।
ধর্মগ্রন্থের চেয়েও ধর্মকে আজকের প্রেক্ষাপট দিয়েই চিনতে হয়। বাইবেলে যাই থাকুক না কেন- আজ খৃস্টান উত্তরাধিকার আইনে- পুত্র ও কন্যা সন্তান সমান সম্পত্তি পায়। ফলে অন্তত উত্তরাধিকার আইনের দিক দিয়ে বিচার করলে বলবো যে- ইসলামের চেয়ে খৃস্ট ধর্ম অনেক অনেক বেটার। আর তাই আমি টোটালি ধর্মহীন সমাজের পক্ষে কথা বললেও, মানবধর্মকে বেইস ধরে সমস্ত আইন কানুন প্রণয়নের স্বপ্ন দেখলেও;- আজ যারা ইসলামী উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন চান, সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের জন্য লড়াই করছেন- তাদেরকেও সমর্থন করি এবং রেসপেক্ট করি।
@ফুয়াদ,
দেখুন- এখানে এক্সামপল/এক্সেপশনের আলোচনা অবান্তর। আমার ঐ আলোচনা দেখানোর মূল জায়গা হচ্ছে- একাধিক পিতা থাকলেই যে সন্তান মনোকষ্টে থাকবে- তা সবক্ষেত্রে সর্বদাই বেদবাক্যের মত সঠিক নয়। এটা নির্ভর করে সমাজ ব্যবস্থা, তার রুচি- সংস্কৃতি ইত্যাদির উপর। যে সমাজে ঐটাই স্বাভাবিক- ঐটাই নিয়ম, এবং বাচ্চারা এটার মধ্য দিয়ে সুখে শান্তিতে বেড়ে উঠেছে- সেখানে তো সন্তানের কোন মানসিক সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কেবল এটাই দেখাতে চেয়েছি।
বেশীরভাগ লোকের সমাজ বাস্তবতা বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? বেশীরভাগ লোকের সমাজ বাস্তবতায় আপনি যেটা দেখছেন- সেটা কিন্তু এই বেশীরভাগ লোকের সমাজের সংস্কৃতি- সমাজব্যবস্থার কারণেই। আপনার পরিমন্ডলে যে জিনিসটা স্বাভাবিক হিসাবে দেখে বেড়ে উঠেছেন- সেটার জন্য আপনার মনোকষ্ট না থাকারই কথা। আমাদের এক-দু প্রজন্ম আগে যে পরিমাণ পুরুষদের বহুবিবাহ ছিল- আজ কিন্তু নেই। আমার দাদার দুই বউ ছিল- আমার বাবা চাচাদের কাউকেই তা নিয়ে তেমন মনোকষ্টে ভুগতে দেখি নি (ফুপুদের কাউকে কাউকে অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছি- সেটাকে ঠিক মনোকষ্ট বলা যাবে না)। কিন্তু আজকের প্রজন্মে আমার এক বন্ধুকে দেখেছি- তার বাবার দুই বিয়েকে নিয়ে কিরকম যন্ত্রণায় থাকে! তার বাসায় বন্ধুদের নিয়ে যেতে রীতিমত লজ্জা পেত, কয় ভাইবোন এই প্রশ্ন করলেও বিব্রত বোধ করতো- কখনো দুই বলতো – কখনো পাঁচ বলতো (তিন সৎ ভাইবোন)। কারণটাও বোধগম্য, আজকের সমাজ বাস্তবতায় এটা নিয়ে একটা সামাজিক রেজিস্টেন্স তৈরি হয়েছে।
ফলে- সন্তানের মানসিক কষ্টের ব্যাপারটাও সামাজিক বাস্তবতা, সংস্কৃতি এসব দিয়েই বুঝতে হবে।
আরেকটা উদাহরণ দেয়া যায়। হাজার বছর আগেও- কোন কোন অঞ্চলে রাজাবাদশাদের মধ্যে, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইবোনের বিয়ের প্রচলন ছিল। সেটাই খুব স্বাভাবিক হিসাবে পরিগণিত হতো। তো আজ আপনি যতই নিজের বোনকে বিয়ে করার কথা মানে এক বিছানায় শোয়ার কথা অকল্পনীয় মনে করুন না কেন- আপনার জন্ম যদি ঐরকম সময় ঐ রকম কোন সমাজে ঐরকম কোন রাজার ঘরে জন্ম হতো- তবে আপনি হয়তো বাইরের নারীর দিকে না তাকিয়ে আপনার কোন সুন্দরী বোনেরই প্রণয় প্রার্থী হতেন। এটাকেই বলছি- সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল।
আশা করি, বুঝাতে পেরেছি- ধন্যবাদ।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আমি আরেকটু এ সম্পর্কে যোগ করি। বোরকা বা পোশাক মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এ ধারনার আসলেই কোন ভিত্তি নেই।
আমাদের দেশেরই নানান উপজাতি সম্প্রাদায়ের মাঝে যান, তাদের মেয়েদের পোশাকের প্রচলিত আব্রু বলতে তেমন কিছুই নেই। তাই বলে কি সেসব সম্প্রদায়ের পুরুষেরা মহিলাদের উপর জাকির নায়েকের সূত্রানুযায়ী ঝাপিয়ে পড়ছে? বরং উলটা বাস্তবে দেখা যায় সেসব সম্প্রদায়ের মধ্য রেপ তো বটেই এমনকি সাধারনভাবেও ক্রাইম রেট অনেক কম। এখনো মগ সহ বেশ কিছু উপজাতি আছে যেখানে নারীই মূলত সব ভারী কাজকর্ম করে।
এর মানে কিন্তু এই না যে সে সব সম্প্রদায়ের পুরুষেরা সব ফেরেশ্তা হয়ে জন্ম নেয়। মূল ব্যাপার হল নাস্তিকের ধর্মকথা যা বলেচেন তাই; তারা তাদের নারীদের সেই অবস্থায়ই দেখতে অভ্যস্ত, তাই তারা সেক্স ম্যানিয়াকে পরিণত হয় না।
বাংলাদেশে শর্টস পরা মেয়ে দেখলে আমি ঢাকায় বসে কি বলতাম বা আমার মাঝে কি ভাব আসত? আজ বিদেশে পাশ ঘেষে চলে গেলেও ফিরে তাকাই না।
জোকার লায়েকের নারীবাদি ইসলামের ধাপ্পাবাজি নিয়ে আমি একটি ভিডিও রিবিউটাল দিয়েছিলাম-হাজার চারেক লোক দেখেছে।।। এই মিথ্যেবাদি জোকারটার বিদ্যা ফাঁস করার জন্যে ইউ টিউব সব থেকে ভাল মাধ্যম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=5LULgVB9Tpo
@বিপ্লব পাল,
:timeout:
জাকির নায়েককে লেখাটা পড়াতে পারলে ভাল লাগত।জাকিররা টিভি তে তাদের কথা বলতে পারে কিন্তু আমাদের কথা কেবল আমারা মুক্তমনাতে বলতে পারি।টিভিতে বলার কথা চিন্তাও করতে পারিনা।
@aditi, এক্ষেত্রে ইউটিউব ই ভরসা। বিপ্লব পালের ভিডিওটার মত আরো অনেক দরকার। তবে ফর্মটা একটু পাল্টাতে হবে- আরো কমিউনিকেটিং করতে হবে। শিক্ষানবিশের জাকির নায়েক-বিবর্তনবাদ নিয়ে পোস্টে দেখেছিলাম- একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরির কথা। সেটার কি অবস্থা জানি না। ঐ পোস্ট দেয়ার সময়ে সকলের খুব আগ্রহ উদ্দীপনা ছিল- এখন সবাই মনে হয় ঝিমিয়ে পড়েছে!!
ব্লগারদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা যেন আর্টিকেল পোস্ট করার সময় খেয়াল রখেন যে কমেন্ট অপশন যেন ডিজেবল না করা হয়।
মডারেটরের পক্ষ থেকে অপশন খুলে দেয়া হলো।
দুঃখিত (আমি জানতাম না) এবং ধন্যবাদ,