[ ২০৬ টি প্রবন্ধের সংকলন যা ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে লিখে ছিলাম-এই লিংকে প্রকাশ করলাম]
চোখের সামনে প্রকাশনার বিবর্তন যত দ্রুত ঘটছে- আমি মাঝে মাঝে নিজেই ভাবি দশ বছর বাদে ভবিষ্যত কি? মনে মনে লিখতে হবে না ত?
২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একটা ছোট গল্প লিখে মুক্তমনা তথা বাংলা ওয়েবে খাতা খুলেছিলাম। তখন ব্লগ ছিল না। পিডিএফ করে সার্ভারে পুরে অভিজিত মুক্তমনায় আর কুদ্দুস খান ভিন্নমতে প্রকাশ করতেন। অভিজিতের উৎসাহেই বাংলায় লেখার চেষ্টা শুরু করি। ‘৯৫ সালে শেষ বাংলা লিখেছিলাম-তারপর ২০০৫ সালে এসে বাংলায় দুটো বাক্য ঠিক ঠাক লিখতে পারব-সেটাই ভাবতে পারতাম না। অভিজিত সেই সব অজস্র বাংলা বানান ভুলে ভরা লেখা ছাপিয়ে আমাকে ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে গেছে। অভিজিত মুক্তমনা প্রকাশনাটা না চালিয়ে গেলে, আমার বাংলায় লেখা লেখি কোন কালেই সম্ভব হত না। আমার মতন আরো অনেক বাঙালী লেখকই অভিজিতের কাছে এই ব্যাপারে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে, সে ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ।
মৌলবাদের বিরুদ্ধেই মূলত লিখে গেছি এই সময়। আসলে এই সময়টা বাংলাদেশে বি এন পির সময়কাল এবং ইসলামিক মৌলবাদ তার সহস্রফণায় আমাদের ভীত করে তুলেছিল। পাশাপাশি গুজরাটের দাঙ্গার টাটকা ঘা তখনও দগদগে। ফলে ধর্মীয় মৌলবাদ বিরোধি লেখাই এই সময়টাতে অনেক বেশী লিখেছি। সেটাই ছিল সময়ের দাবী। তবে আমি বরাবরই সমাজ এবং নৃতত্ব বিজ্ঞান দিয়েই ধর্মকে বোঝার চেষ্টা করে আসছি। এছারাও এই সংকলনে অনেক নারীবাদি প্রবন্ধ আছে। আসলে আমার কাছে ধর্মটা মূলত পুরুষতন্ত্রের ম্যালাডিস হিসাবেই প্রতিভাত। তাই এতগুলি নারীবাদি লেখা বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে এসে গেছে। তবে যাদের যৌনতা নিয়ে শুচিবাই আছে, তারা নারীবাদি লেখাগুলো না পড়লেই ভাল করবেন কেন না তা আপনাদের রক্ষনশীল মনোভাবে ভীষন ভাবেই আঘাত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশেষ করে, মার্কিন সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটা সিরিজ লিখছিলাম। ১১টা কিস্তি লিখে আর শেষ করি নি। আমি ইরান, ইস্রায়েল, আমেরিকা-আসলে এদের কাওকেই পছন্দ করি না। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে, বেশ কিছু ভুল করেছি আগে। মুম্বাই এর ২০০৬ সালের বিষ্ফোরনের পরে আমার মনে হয়েছিল যেহেতু বি এন পি সন্ত্রাসবাদি পুষছে ( যা এখন খুব ভাল ভাবেই প্রমাণিত) , সেহেতু ভারত সরকারের উচিত সন্ত্রাসবাদি ক্যাম্পগুলোতে ইস্রায়েলের স্টাইলে বোমা বর্ষন করা । এই নিয়ে ফরিদ ভাই এর সাথে বাদ-বিতন্ডাও হয়েছে। আমার এই বিশ্লেষনে ভুল ছিল। এই জন্যে নয়, যে আমি কোন দেশের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। কারন আমার ধারনা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অতি দ্রুতই বিলুপ্ত হবে । তাই উত্তর আধুনিকতার প্রতিনিধি হিসাবে জাতিয়তাবাদ পরিহার করে চলার পথপ্রদর্শক আমাদেরই হওয়া উচিত। আমার আসলে ভুলটা হয়েছিল এই জন্যে যে গণতান্ত্রিক সরকারের নেপথ্যের কুশীলবদের চিনতাম না তখন। পরবর্তীকালে আমি সখের সাংবাদিকতা শুরু করি ( আমি লস এঞ্জেলেস প্রেসক্লাবে কার্ডধারী জার্নালিস্টও হয়েছি) । সরকার, মিডীয়া এবং ব্যাবসায়ীদের মধ্যে নেক্সাস, যা আমাদের সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে, সেটা বেশ ভাল ভাবে টের পেতেই অনেক ভুল ভেঙে গেছে। ফলে দিল্লী এবং ওয়াশিংটনে আসল খিলাড়িদের জানার পরে, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হই যে মেইন স্ট্রীম মিডিয়া সবদেশেই যেভাবে ঘটনাটা খাওয়ানোর চেষ্টা করে-তা একধরনের আই ওয়াশ। সব রাজনীতিই আসলে পুতুল নাচের ইতিকথা। পুতুলই আমরা দেখি-সুতো আর খেলোয়াড় আমাদের চোখে পড়ে না। তাই বি এন পির কিছু নেতার জন্যে আমার উগ্র জাতিয়তাবাদি অবস্থান নেওয়া বেশ ভুল ছিল। ভুলের মধ্যে দিয়েই আমরা শিখি-এবং এই শেখাটাই উত্তোরনের একমাত্র পথ। তবে ভুল ঠিক-সব লেখাই দিলাম।
এখন বাংলা লেখা আরো সহজ হয়ে গেছে, অভ্র ফন্ট আসার পর। নিজের ব্লগে লিখে সোস্যাল নেট ওয়ার্কিং ফোরাম গুলোতে ছেড়ে দিলেই কাজ শেষ। ইনফর্মেটিভ লেখা আমি লিখি না-কারন আমার ধারনা লোকে গুগুল করে সব ইনফর্মেশন জোগার করতে পারে। এবং সেটাই হবে ভবিষ্যতে তথ্য সংগ্রহের মডেল। তাই তথ্য শুধু বিশ্লেষনের জন্যেই ব্যাবহার করা উচিত। ব্যাক্তিগত উপলদ্ধি এবং অনুভুতির জগতটাকে আমরা আজ সোস্যাল মিডিয়ার জন্যে যত ভাল ভাবে জানছি-তা আগে সম্ভব ছিল না। স্যোশাল মিডিয়া থেকে যে সামাজিক উপলদ্ধি তৈরী হচ্ছে-আইডিয়া গুলোর একটা ডারুইনিয়ান প্রসেসে ছড়িয়ে যাচ্ছে-এটা ভবিষ্যতের প্রকাশনা এবং জ্ঞান বৃদ্ধির মডেল। তাই আমার ধারনা স্যোশাল মিডিয়াতে সম্পাদকরা মেম্বারদের ব্যাক্তিগত উপলদ্ধির জগতটা নিয়ে বলতে বাধা সৃষ্টি না করলেই ভাল হয়। তথ্য আমরা অনেক ওয়েব সোর্স থেকেই জানতে পারব-কিন্ত ব্যাক্তিগত উপলদ্ধি জানার জন্যে স্যোশাল মিডিয়ার বিকল্প নেই। আমার লেখাগুলো মূলত সেই উপলদ্ধির জগৎ থেকেই উঠে আসা। এটা ঠিক না বেঠিক স্টাইল আমি জানি না-তবে তথ্যভারাক্লান্ত লেখাতে আমার বেশ অনীহা। যাইহোক মোটামুটি ৮০% লেখা আমি উদ্ধার করতে পেরেছি ওই তিন বছরের। বানান ঠিক করতে পারলাম না-কারন প্রায় সবটাই বর্নসফটে লেখা, আর বর্নসফটের লাইসেন্স আমার কবে হারিয়ে গেছে! ফলে সেই পিডিফ যা ছিল তাই ভরসা!
পাঠক আমার পল্লবগ্রাহীতা নিজগুনে ক্ষমা করবেন আশা করি। লিংকের পেজটির বাম দিকের নীচে নানান টপিকে ভাগ করে লেখাগুলি ফেলা আছে। সেখান থেকে আপনারা বিষয় অনুসারে লেখা ব্রাউজ করতে পারবেন।
***********Link************
[ ২০৬ টি প্রবন্ধের সংকলন যা ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে লিখে ছিলাম-এই লিংকে প্রকাশ করলাম]
*****************************************
বিপ্লব দাদা,
শুভেচ্ছা নিবেন। আপনার প্রবন্ধ সংকলনের লিংক টা একটু আপডেট দেবেন দয়া করে (ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না)।
প্রসঙ্গত আমি আপনার ফ্যান হয়ে গেছি এবং চুপিসারে শুধু পড়ে যাচ্ছি। এ লেখাটা পড়তে পারছি না, তাই অলসতা ছেড়ে মন্তব্য করতে বাধ্য হলেম। এবং ইহাই মুক্ত-মনায় আমার প্রথম মন্তব্য।
সংশয়ের সাথে প্রতিউত্তরের প্রতীক্ষায় ।
গনতন্ত্রের সাম্রাজ্যবাদঃ ঠান্ডা যুদ্ধ-১
কম্যুনিজম না ফ্যাসিজম ?
লেখাটা প্রথম পড়লাম। খুব ভাল লাগলো। বিপ্লবদার লেখা আমার এমনিতেই ভাল লাগে। বিশেষত রাজনিতী ও দর্শন বিষয়ক লেখা গুলো। বিপ্লবদা যেটা বলে সেটা জোর দিয়ে বলে। তাই বলা উচিৎ। বিতর্কের ক্ষেত্রে তাতক্ষনিক পরাজয় মেনে নেবার ব্যাপারে একধরনের রক্ষনশীলতা মাঝে মাঝে টের পাই। তবে পরে কখনো আবার স্বীকার করতে দেখি। যেমন ফরিদ ভাই বলেছেন।
ভালই হলো, বিপ্লবদার আনেক লেখাই পড়া হয়নি। সেগুলি আস্তে ধীরে পড়ে যখন তখন তর্ক জুড়ে দিতে পারব।
বিপ্লব’দা
আপনার বেশ কিছু লেখা পড়লাম। অনেকগুলো লেখার বিষয়ে তেমন আগ্রহ না থাকায় সেগুলো পড়িনি। মূলত ধর্ম, দর্শন, মার্ক্সবাদ, রাজনীতি নিয়ে লেখাগুলোই পড়লাম। বাঙ্গালীদের রাজনীতি নিয়ে বক্তব্যের সাথে খুবই সহমত। আপনার “কেন লিখি” সে লেখাটাও পড়া হল। লেখক হিসেবে আপনার স্বপ্ন সফল হোক সেই কামনা করি।
আমার কিছু অভিমত ছিল লেখা নিয়ে তা তুলে ধরছি। লেখাগুলো এভাবে বিক্ষিপ্ত ভাবে না ফেলে রেখে ভিন্ন ভিন্ন সংকলন করুন। যেমন ধর্ম,দর্শন ও বিজ্ঞান বিষয়গুলোকে একত্র করে, রাজনীতি নিয়ে লেখাগুলোকে নিয়ে, আবার সাহিত্য, গল্পগুলোকে নিয়ে সংকলন করুন, তাতে পাঠকের সুবিধে হবে। সংকলনের প্রয়োজনে লেখাগুলোকে একটু সম্পাদনা করতে পারেন ধারাবাহিকতার জন্য।
এবার কিছু অপ্রিয় বক্তব্য, কিন্তু লেখক বিপ্লবকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রাসঙ্গিক বলে মনে করি। আমি এই কথা অভিজিৎ’দার লাস্ট ব্লগেও বলেছি, আপনার চোখে পড়েছিল কিনা জানি না তাই আবারো বলছি। আমি আপনার মত অভিজ্ঞ লেখকের কাছ থেকে অনেক পরিণত মন্তব্য আশা করি। কারোর মাঝে আদর্শবাদ থাকলেই তাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়া আপনার মত সিনিয়র ব্লগারের সাজে না। এটি করতে পারে বয়সে তরুন এবং অস্থির বালক, কিন্তু আপনি না।
দ্বিতীয়টি হল, আপনার কিছু লেখা, যেগুলো অন্য লেখার জবাবে লেখা, সেগুলোতে লেখার ভুমিকায় ব্যক্তি বিদ্বেষ প্রকাশ পায় যা লেখার মূল বক্তব্যকে খাটো করে দেয়। এটা বিতর্কে যেতার জন্য ভাল, কিন্তু লেখার জন্য নয়। আপনার মাঝে বিতর্কে যেতার একটি প্রবল চেষ্টা থাকে যা আপনার লেখার গ্রহনযোগ্যতাকে কমিয়ে দেয়।
অযাচিত ভাবে উপদেশ দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার লেখা অনেক ভাল লাগে তাই ধরুন পাঠক হিসেবেই এই সমালোচনা। আপনার সংকলন গুলো করে ফেলুন। কোন সাহায্য লাগলে প্রস্তুত।
@স্বাধীন,
১) ওই পেজের তলায় বাঁদিকে আলাদা আলাদা ১৫ টা ক্যাটেগরীর ফোল্ডারে টপিক অনুযায়ী লেখা গুলো আলাদা করাই আছে।
২) এগুলো ৩-৪ বছর আগে লেখা-তখন অনেক বেশী আক্রমনাত্মক লিখতাম। ইদানিং এত আক্রমনাত্মক লিখি বলে মনে হয় না। তবে আক্রমনাত্মক লিখলেই বক্তব্যের জোর হ্রাস পায়, এটা মানি না।
৩) বিজ্ঞান এবং দর্শন ভিত্তিক বিতর্ক এক না। দুই বিজ্ঞানীর বিতর্ক হলে, তা ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কখনোই যাবে না। কারন সেখানে অবজেক্টিভ, ব্যাক্তিনিরেপেক্ষ সত্যের সন্ধান করা হয়।
কিন্ত দর্শনে তা সম্ভব না। কারন মানুষ দর্শনের সিঙ্গুলারিটি পয়েন্ট। বিজ্ঞানের সাথে বিজ্ঞানীকে আলাদা করা যায়-কিন্ত দার্শনিকের সাথে দর্শনকে আলাদা করা মুশকিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে। উপলদ্ধি এবং দর্শনকে আলাদা করা যায় বলে মনে করি না। যার জন্যে কার্যত আলথুজারের সাথে দেরিদার বিতর্কে বা দেরিদার সাথে ফুঁকোর বিতর্কে ব্যাক্তিগত আক্রমন যথেষ্টই আসে-তবে তা অনেক সুক্ষ ভাবে আসে। রিচার্ড ডকিন্স পোষ্ট মডার্ণ দার্শনিকদের সরাসরি ধাপ্পাবাজি বলেছেন লাইন তুলে তুলে দেখিয়ে। নোয়াম চমস্কিও দেরিদা সম্মন্ধে যা বলেছেন তা ব্যাক্তিগত আক্তমন না হলে তার বাপ বলা যায়। কিন্ত তারা উভয় ক্ষেত্রেই অন্যদের ধাপ্পাবাজ বলেছেন যুক্তি প্রমান সহ দেখিয়ে। আমি যুক্তি তথ্যা ছারা কাওকে ডাউন দিই নি। লেলিন-বার্নস্টাইন বা লেনিন-কাউটস্কি বা মার্ক্স-বাকুনীন ইত্যাদি ঐতিহাসিক বিতর্ক গুলো পড়ে দেখে আমাকে জানাও যেখানে যে পরিমান ব্যাক্তিগত আক্রমন আছে, তার ১০% ও আমার লেখাতে আছে কি না। এই সব ব্যাক্তিগত আক্রমন মোটেও লেনিন, কাউটক্সি, মার্ক্স বা ডকিন্স বা দেরিদাকে ছোট করে নি। কারন তারা যা লিখেছেন যুক্তি সহ লিখেছেন। এবং ব্যাক্তির সাথে দর্শনের বিযুক্তি অত সহযে করা যায় না। দর্শনের জগতে তোমার যা উপলদ্ধি সেটা তোমার অতীত জীবনের অর্জন-কারন অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের মিশ্রনেই উপলদ্ধি তৈরী হয়। ফলে ব্যাক্তি ব্যাতীত যে দর্শনের চর্চার কথা বলছ-সেটা নেহাতই বুকিশ ব্যাপার স্যাপার। তা কোন মৌলিক অবদান হতে পারে না।
এ তো অনেক প্রবন্ধ। আস্তে আস্তে পড়তে হবে। কোন লেখাকে প্রিয়তে রাখার কোন ব্যবস্থা আছে নাকি মুক্তমনায়?
দারুণ খবর। বিপ্লব দার অনেকগুলো লেখাইতো দেখছি পড়া হয়নাই। এবার মাথা বেধে লাগছি।
বিপ্লব,
অসংখ্য ধণ্যবাদ সব লেখা প্রকাশ করায়। আমরা যারা অপেক্ষাকৃত নুতন তাদের জন্য এটা মহা সুখবর। সবচেয়ে ভাল হত বিতর্কমূলক লেখাগুলির অন্য পক্ষের বক্তব্যও পাওয়া গেলে।
বিপ্লবদা,
ঐখানেই তো প্রোবলেম, ক্ষীর আর হয়না ঘোল হয়ে যায়! নিজের মাথায় ঢালা ছাড়া ওতে কি আর কাজ হয়? কাজেই তানভী-ই ঠিক। আর মুখই যেহেতু নড়ে বেশী ওটাই নাড়াবো সঙ্গেতো রইলো আপনাদের শক্ত গাঁথুনীর নোড়া (লেখা আরকি!), ভয় কি!
তানভী,
আমিও তা ভাবছিলাম ২য় বার, প্রথম বরে দেখি নামটাই ভুল হয়েছে, পরে দেখি তাইতো মিস মিসেস নাকি মি, কোন টা যে ঠিক কে জানে! আমার এখানে একটি কোরিয়ান সুন্দরী আছে, থাকে মালেশিয়াতে বাবার কাজের সূত্রে। মাঝে মাঝে দেশে এলে আমার এখানে আসে গপ্প করতে। ওর নাম-ও তানভী, ভুলের গোড়াটা ওখানে কিনা তাই। পরে অবশ্য এই বলে সান্তনা খুঁজে পেলাম যে মুক্তমনায় নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই! কাজেই জাত মারা যায় নাই!
@কেশব অধিকারী,
ওই মিয়া আমি মিস না মিসেস আপনি কেম নে জানলেন?
দিলেন তো আমার ইজ্জত খায়া 😕 , তানভী নামে কোন মেয়ে আছে তা তো আগে শুনি নাই!!
আমি জলজ্যান্ত সুপুরুষ( ইকটু বাড়িয়ে আরকি! :-)) ) আর আপনি আমাকে মিস বানায়ে দিলেন?
এই দুঃখ কই রাখি,
ধরনী তুমি দ্বিধা হও,আমি তোমাতে প্রবেশ করি! 😕 🙁 :-((
@তানভী,
:-))
মিস তানভী,
না, আপনার বক্তব্য একেবারেই মিথ্যে নয়। একেবারেই খাঁটি। আপনি না না বলে আমাকে আর দূরে ঠেলে দিচ্ছেন কেনো, পাশেই রেখে দিন। আর আমরা ওনাকে এক আধটু উসকে না দিলে অমন মন-খোরাকি পাবো কোথায়? এই উস্কে দিয়ই যদি কিছু পাওয়া যায়!
@বিপ্লব ভাইয়া,
আপনার লেখা গুলো সরাসরি ডাউনলোড করে নেবার কোন অপশন কি আছে? না থাকলে সেরকম একটা অপশন দেয়া দরকার। কারন এখানে নেট এমনিতেই স্লো ,তাই এক একটা পেইজ লোড হতে অনেক সময় নেয়। ডাউনলোড করা গেলে অন্তত সব এক সাথে নামিয়ে নিয়ে ইচ্ছা মত পড়ে নেয়া যেত।
@তানভী, হ্যা, স্ক্রাইব থেকে যে কেও ডাউনলোড করতে পারে। সব লেখাই ফ্রি ডাউনলোডে আছে।
@বিপ্লব পাল,
ভাইয়া অমনে একটা একটা কইরা ডাউনলোড করতে হইলে তো আমি বুইড়া হয়া যামু!! :pain:
সব গুলা একত্রে ডাউনলোড করার কোন সুযোগ নাই?
আবার ওই ফাইলগুলা মনে হয় এডোবি রিডার ছাড়া পড়াও যায় না।
আমি ফক্সিট রিডার দিয়ে ট্রাই দিলাম,কিন্তু কাজ হইলো না।
:-$
@তানভী,
[১] পিডিএফ পড়তে এক্রোব্যাট রিডার ত লাগবেই। যেকোন সরকারি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেপার কিন্ত পি ডি এফ ফর্মাটেই হয়। তাই এটা কম্পুতে রাখা এমনিতেই ভাল
[২] স্ক্রাইবে গিয়ে, অল ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে, যে ডকুমেন্ট গুলো ডাউনলোড করতে চাও তা সিলেক্ট করে নাও-আল সিলেক্ট দিলে একবারেই হয়ে যাবে। তার পরে ডাউনলোড দিলে সব একেবারেই ডাউনলোড হয়ে যাবে।
মিস তানভি,
না, আপনার বক্তব্য একেবারেই মিথ্যে নয়। একেবারেই খাঁটি। আপনি না না বলে আমাকে আর দূরে ঠেলে দিচ্ছেন কেনো, পাশেই রেখে দিন। আর আমরা ওনাকে এক আধটু উসকে না দিলে অমন মন-খোরাকি পাবো কোথায়? এই উস্কে দিয়ই যদি কিছু পাওয়া যায়!
বিপ্লব পাল,
গৌরচন্দ্রিকাতো পড়লাম! এবার ভেতরটা পড়ে নিই। তারপর দেখবো কি করা যায়! গত পরশু থেকে বাংলায় পড়ার কিছু পাচ্ছিলাম না। তবে ডঃ অভিজিতের মতো ঞ্জ্যান বিকাশের ডারউইনীয় পদ্ধতিটির ব্যপারে আমারো একি ধরনের মত। তবে এই নামটি নিঃসন্দেহে আমার কাছে নতুন। আর নতুন শোনালেও অন্যভাবে ঊপলব্ধিটি ছিলো। আমিও আন্তর্জাতিকতায় বিশ্বাসী; রাষ্ট্র, সীমানা বিহীন বিশ্ব, আর এটা যেনো দেখতেও পাচ্ছি। তবে যাই হোক আগে পড়ি তার পরে আবার কথা হবে। প্রবন্ধ গুলো দেওয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ডঃ বিপ্লব পাল। তবে ভাবছি এত্তো এত্তো লিখার সময় পেলেন কি করে! আমারতো মুখের কাছে কিলবিল করে কিন্তু হাত দিয়ে বেড়োয় না!
@Keshab K. Adhikary,
“তবে ভাবছি এত্তো এত্তো লিখার সময় পেলেন কি করে! আমারতো মুখের কাছে কিলবিল করে কিন্তু হাত দিয়ে বেড়োয় না!”
এই জন্যি উনি লেখেন আর আমাদের মত আবজাব পাঠকরা সেগুলো পড়ে উস্কানীমূলক কমেন্ট করে উনার বিরক্তি উৎপাদন করি। 😀
(না না আপনি না, ওটা আমি :-)) )
@Keshab K. Adhikary,
পদ্ধতিটা খুব সহজ কেশবদা। কোন কিছু ভাবনা মাথায় এলে সেটা নিয়ে আরো ভাবতে থাকুন। অন্যভাবনাতে যাবেন না। সেটা ক্ষীর হলে, নামিয়ে দিন বাজারে দু চার লাইন লিখে।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রচুর প্রবন্ধ প্রসবিনী প্রবাসী বিপ্লবকে তার বৈপ্লবিক বীরত্বগাঁথার জন্য বিপ্লবী সালাম। :hammer:
ফাজলেমী বাদ দিয়ে এবার সি্রিয়াস নোটে আসি।
বাংলা অন্তর্জালে মানের দিক থেকে আমার দেখা সবচেয়ে অধারাবাহিক লেখক হচ্ছে বিপ্লব পাল। একেবারে আমাদের আশরাফুলের মত। যেদিন ফর্মে থাকে বিশ্বের সব সেরা সেরা বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে গলির বোলার বানিয়ে দেয়। আবার পরের খেলাতেই হয়তো অতি নিরীহ নির্বিষ বলে অনাড়ীর মত আউট হয়ে মাথা নিচু করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরে। বিপ্লবের দশাও সেই একই রকম। মাঝে মাঝে তার কিছু লেখার গুণগত মান দেখলে রীতিমত চমকে উঠতে হয়। আবার কিছু লেখা আছে যেগুলো দেখলে ভাড়া করা কাউকে দিয়ে লেখিয়েছে কিনা বলেই সন্দেহ দানা বেধে উঠে। লিখতে বসে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যায় বলেই এরকম হয় বলেই আমার ধারনা। আশরাফুলের মত এতোখানি আক্রমণাত্মক মেজাজে না থেকে নিজের ডিফেন্স শক্ত করে এগোলে হয়তো ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কোন সমস্যা হতো না তার। কারণ, লেখালেখির জন্য যে ধরনের বহুমুখী পড়াশোনা দরকার, সেটা বিপ্লবের খুব ভাল করেই আছে। যেটা নেই সেটা হচ্ছে দ্রাবিড়ীয় ধৈর্য্য।
লেখার মানের ক্ষেত্রে যেমন পরস্পরবিরোধী বিপ্লব, তর্কের ক্ষেত্রেও একই রকমের পরস্পরবিরোধী সে। সুতর্ক এবং কুতর্ক দুটোতেই সমানভাবে পারদর্শী সে। অনেক প্রতিক্রিয়াশীলের পিঠেই প্রাণপনে রদ্দা চালিয়েছে সে, আবার অনেক প্রগতিশীলের সাথেও অযাচিত বাহাসে লিপ্ত হয়েছে। তর্ক বিতর্কে বিপ্লব বিমলানন্দ পায় বলেই আমার বিশ্বাস। এর ফলে অনেক সময়ই বুঝতে পারে না যে কোথায় গিয়ে ব্রেক করা দরকার। তবে চান্দের গাড়ীর ড্রাইভারের মত পাশ থেকে কেউ চিৎকার করে ব্রেক করতে বললে (বন্যা এই কাজটা খুব ভাল পারে) সাথে সাথেই গাড়ী থামিয়ে দেয় সে। তর্ক বিতর্কে যত রুক্ষ, কঠিন এবং দাম্ভিকই মনে হোক না কেন, বাস্তবে আপাদমস্তক নিখাদ ভদ্রলোক আমাদের এই বিপ্লব বাবু। কোন বিতর্কে ভুল অবস্থানে থাকলে, অনেকদিন পরে হলেও সেটা সে স্বীকার করে নেয়। 😉
একটা বিষয়ে অবশ্য বিপ্লবের ধারাবাহিকতার কোন অভাব নেই। সেটা হচ্ছে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখিতে। কিন্তু এই বিষয়টাকেই সবচেয়ে বেশি উপেক্ষা করে গেছে বিপ্লব তার অতিরিক্ত দর্শন প্রীতির কারণে।
ও হ্যাঁ, বলতে ভুলে গিয়েছি। আরেকটা ক্ষেত্রে বিপ্লব তার বৈপ্লবিক ধারার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে সেই শুরু থেকেই। বানান ভুলের ক্ষেত্রে এত বড় বিপ্লবী অন্তর্জালে আর কেউ জন্মাবে না কখনো। 😀 বর্ণ সফট বা অভ্র কোন কিছু দিয়েই এই বিপ্লবীকে বশে আনা যাবে না বলেই আমার বিশ্বাস। :rotfl:
অভিনন্দন, বিপ্লব!! লাল সালাম, সেই সাথে লাল গোলাপ! :rose:
@ফরিদ আহমেদ, আসলে ভাল বা খারাপ লেখা-এগুলো সবটাই নির্ভর করে একটা লেখার পেছনে কতটা সময় ঢালা যাচ্ছে। আমেরিকায় যারা সংসারী লোক-চাকরী বাকরি সেরে, বৌ সন্তানের পেছনে সময় দিয়ে-বাকী সময় কোথায়? সমরেশ বসু প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে লিখতেন। কারন ঠিক ঠাক লিখতে ঠিক অতটাই সময় লাগে। সেসব ত আমাদের প্রবাসী জীবনে হবার না। শুধু উপলদ্ধি গুলো সাবানের বুদবুদের ন্যায় চোখের সামনে ফুলে ওঠে-আর লেখা চালু হয়। এগুলোকে স্যোশাল মিডিয়ার উপলদ্ধি বিনিময় হিসাবেই ভাবা উচিত।
বিপ্লব প্রবন্ধ সংকলনের লিঙ্কটা লেখার নীচেও দিয়ে দিতে পারো। গৌরচন্দ্রিকার পর আবার উপরে উঠে ক্লিক করার আগ্রহ নাও পেতে পারে 😉 (ফাজলামো করলাম)
এটা আমারো মাঝে মধ্যে মনে হয়। প্রথম প্রথম যখন উইকিপেডিয়া দেখতাম – তথ্যের এত পূর্ণতা ছিলো না – কিন্তু ওভাবেই ভাঙ্গা-চুড়া অবস্থায় যাত্রা শুরু করেছিল ফ্রি এনসাইক্লোপেডিয়া হিসেবে। আর এখন? আসলে ডারউইনিয়ান মডেলের বিশেষত্বই এই – কখনোই বাগ ফ্রি করে মানে একেবারে পার্ফেক্ট করে পন্য বাজারে ছাড়া হয় না (মাইক্রোসফটের বিল গেটস এই পদ্ধতিটা অনেক আগে থেকেই ভাল করে জানে 😀 )। সাংঘর্ষিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াতেই ধীরে ধীরে এর স্তর উত্তোরিত হয়। অনেকটা শিশু যেভাবে ধীরে ধীরে হাটতে শেখে…। রবোটিক্সেও নাকি এখন ডারুইনীয় পদ্ধতিতেই ‘বুদ্ধিমত্তা’র বিকাশ ঘটানো হচ্ছে বলে শুনেছি…।
@অভিজিৎ,
আসলে মৌলবাদ এবং ধর্মের পৃথিবীটা আরো অনেক দ্রুত এই প্রসেসের জন্যে ভঙে যাচ্ছে। ধর্মীয় মিস ইনফর্মেশনগুলোও এই পক্রিয়াতে ছড়াচ্ছে। নইলে ডারউইন বিরোধিতা ইন্টারনেটে ছড়ালো কি করে? ডারউইনবাদের ওপর খুব কম করে হলেও কয়েক লাখ গবেষনা পেপার গত ১৫০ বছর ধরে আছে। বিপক্ষে একটিও নেই। তবুও ডারুইন বিরোধিতা কি করে সম্ভব হচ্ছে?
প্রশ্ন হচ্ছে সঠিক এবং ভুল এই ধরনের ইনফোর মধ্যে সঠিকটা বেঁচে যাচ্ছে বা যাবে কি করে?
এটা খুব ইন্টারেস্টিং পদ্ধতি। আসলে দুটি সঠিক তথ্যের মিউটেশনে আরো কয়েকটি তথ্য বেড়বে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভেরিফায়েবল বা পরীক্ষালদ্ধ সত্য বা উপলদ্ধ সত্য হিসাবে ঠিকে যায়। এবং সেটা সবার ক্ষেত্রেই এক হবে। কিন্ত দুটি মিথ্যে তথ্যের মিউটেশনে হাজার হাজার মিথ্যের সৃষ্টি হতে পারে-যার অনেক কিছু উপলদ্ধির জগতে কাকতালীয় ভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে। যেহেতু এর সবকটিই ভুল-কিন্ত তাও ঠিক ভেবে লোকে মেনে নিচ্ছে ( কোরানের সংখ্যাতাত্বিক মাহাত্ম্য একটা উদাহরন) , সেহেতু সমস্যা হবে পরবর্তী মিউটেশনে অনেক রকমদারী ভ্যারিয়েশন ( যা স্ববিরোধিও হতে পারে) এক অন্যের প্রতিদ্বন্দী হয়ে, নিজেদের মিথ্যেকে এক্সপোজ করবে। ফলে পরবর্ত্তী প্রজন্মেই সেই মিথ্যে আটকে যাবে। এটা লেনিনবাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখছি। যেহেতু বীজটাই ভুল, এর একাধিক মিউটেশনের ফলে কোনটি ঠিক, তারা নিজেরাই বার করতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এখানেই বিজ্ঞান জিতে যাচ্ছে এবং ওয়াইকি এই পদ্ধতির সব থেকে বড় ভেরিফায়ের।