না, এ প্রশ্ন আমার না। এ প্রশ্ন আমাদের দেশের এক জনপ্রিয় গায়ক কাম বুদ্ধিজীবীর । আমি শুধু পাঠকদের জন্য তুলে দিলাম।

আসলে ব্যপারটা ছিল সরল। আমি কখনো সোজা রাস্তা ছেড়ে বাঁকা রাস্তায় চিন্তা ভাবনা করতে পারি না। তাই যখন থেকে টিভিতে “বাঁচতে হলে জানতে হবে” সিরিজের বিজ্ঞাপনগুলো দেখি,তখন ভালোভাবেই নিয়েছিলাম।আমার মনে হয় যে বেশির ভাগ জনতাই আমার মত সোজা পথে চিন্তা করে।
আবার ওই সিরিজ বিজ্ঞাপন গুলোর সাথেই একই ধারায় শুরু হয় আরো বিভিন্ন কোম্পানির জন্মনিয়ন্ত্রনকারী পন্যের বিজ্ঞাপন। এগুলোর বিজ্ঞাপন আগেও ছিলনা যে তা না। আগেও ছিল তবে হয়ত কিছু কম মাত্রায়। না, আমার এগুলো নিয়েও কোন প্রশ্ন জাগেনি। কেনই বা জাগবে? এগুলোতো আমজনতাকে সচেতন করতেই দেখানো হচ্ছে। তো এতে প্রশ্ন জাগবার কি আছে? সচেতনতার অবশ্যই প্রয়োজন আছে।

কিন্তু ঝামেলাটাতো আর আমি বাধাই নি!! ঝামেলা বাধিয়েছে ঐ শিল্পি। তার চিন্তা ভাবনাগুলো আমি তুলে দিচ্ছি এক এক করে।
১- বার বার এসব বিজ্ঞাপন দেখানোতে নাকি আমাদের নির্লজ্জতা প্রকাশ পাচ্ছে।
২-আমাদের নৈতিক অধঃপতন(!!) ঘটছে।
৩-অবৈধ মিলন বৈধতা পেল।
৪-বহু গামিতার নিশ্চয়তার লাইসেন্স পাওয়া গেল(!)
৫-এতে করে কিশোর কিশোরীরা দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে সাহস পাচ্ছে।
৬-অতীত নিয়ম নীতির ধ্বংস ঘটছে।
৭-এই এইডস বিরোধী বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে সবার অবাধ মিলনের সামাজিক স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।
৮-এসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নাকি ঈশ্বর বানী কে দলিত করে শয়তানের জয়জয়কার করা হচ্ছে!
৯-এটা ওটা ব্যবহার না করে ঈশ্বরবানী মেনে চললে তবে ওসব রোগ আর হবে না(!)
১০-শুধুমাত্র সংযত মন মানসিকতাই এইডসের প্রতিকার হতে পারে।

এই হল তার গানের সার বক্তব্য। আমি আপনাদের জবাবপ্রার্থী। আমি নিজে কিন্তু সোজা পথেই চলব।


(১)


(২)