মুক্তমনার প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
এবার হতে Chemsuschem 2008 এর ভলিউম ১-এ প্রকাশিত ইটালীর বলগ্না বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত রসায়নবিদ অধ্যাপক ভিনসেঞ্জো বালজানি, আলবার্টো ক্রেডি এবং মার্গেরিটা ভেঞ্চুরী কর্তৃক প্রকাশিত “ Photochemical Conversion of Solar Energy” শিরঃনামের প্রবন্ধটির ভাবানুবাদ খানিকটা সরলীকৃত আকারে আমার সীমিত ক্ষমতায় সম্ভাব্য অধিকাংশ সাধারন পাঠকের বোধগম্য আকারে পর্যায়ক্রমে আপনাদের উদ্দ্যেশ্যে উপস্থাপন করবো। প্রবন্ধটি সমকালীন শক্তি সংকটের যুগে সমধিক গুরুত্ব বহনকরে বিধায় এর লেখকত্রয়ের এবং সংশ্লিষ্ট জার্নালের সম্পাদকের অনুমোদন ক্রমে নিবেদিত হলো। প্রবন্ধটি পাঠককুলের চিন্তার জগতে সামান্যতম ভাবান্তরে সহায়ক হলে নিজেকে স্বার্থক মনে করবো। যেহেতু প্রবন্ধটির একটি নীরেট বৈঞ্জানিক প্রবন্ধ, তাই ভাষান্তরের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বাংলা প্রতিশব্দের অপ্রতুলতা কিংবা যথাযথ ব্যবহারে ত্রুটি হয়তো রয়েছে। এব্যপারে পাঠক কুলের সহৃদয় সহযোগীতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে আরো যথাযথ প্রতিস্থাপণ যোগ্য শব্দের প্রস্তাবনা (যা অনুবাদের গুনগত মান এবং পাঠের সাবলীলতা বজায় রাখবে) কামনা করি। আজকে প্রকাশিত হল প্রবন্ধটির প্রথম পর্ব।
————————————————-
ভূত্বকের নীচে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানীর এক বিশাল কিন্তু প্রায় নিঃশেষিত সম্ভার! বর্ত্তমান বিশ্বের প্রয়োজনীয় শক্তির শতকরা ৮৫ ভাগই প্রকৃত পক্ষে আসে এই জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে। আর এই একুশ শতকে শক্তির উৎস অনুসন্ধান-ই হচ্ছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যুগ যুগের ক্রমাগত ব্যবহারে দিন দিন নিঃশেষিত হয়ে আসছে এই সঞ্চিত জ্বালানী উৎস। শুধু তাই নয়, এই জ্বালানীর ব্যাপক ব্যবহারও ফেলেছে ভয়ঙ্কর নেতিবাচক প্রভাব আমাদের ধরিত্রীতে তার জলবায়ুর চিরায়ত চাড়নাচড়নে। এই জ্বালানী ব্যবহারের উদ্গত দূষনে বিশেষ করে গ্রীনহাউজ গ্যসের প্রভাবে বিশ্ব উষ্ঞায়নের কারন দেখা দিয়েছে। একদিকে ক্রমবর্ধমান জ্বালানী সংকট আর অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যাপক ব্যবহারে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয় অধুনা বিকল্প জ্বালানীর উৎস অনুসন্ধানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সুতরাং নিবিঢ় কার্যক্রম চালাতেই হচ্ছে, অবস্থার প্রেক্ষাপটে একদিকে মনে হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যাপক ব্যবহার রোধে রক্ষনশীল হবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, আবার বিকল্প পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎসের সন্ধান না করলেই নয়। বেশ কয়েক দশক ধরেই মনে হচ্ছে এব্যাপারে আপাততঃ সৌর শক্তির ব্যবহারই একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আমাদের বেছে নিতে হবে। এর অন্তর্নিহিত কিছু কারনও রয়েছে (এর পরে পড়ুন এখানে )।
চমৎকার। আমার খুবই আগ্রহের বিষয় সোলার এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং। এ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেবারও আগ্রহ আছে- যদিও সুযোগের অভাব দেখছি …
এ পর্ব নামিয়ে নিলাম। আশা করি পরের পর্বগুলোও শীঘ্রই পাবো। ধন্যবাদ।
খুব ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। কিন্তু আমার আবার পি ডি এফ খুলে না। আর কি ভাবে জানতে পারি পুরো বিষয়টা ?
@বিপ্লব দাস,
আপনার আগ্রহ আমার উৎসাহ হবে। কিছু ছবি আর প্রয়োজনীয় ফরমেট বজায় রাখতেই PDF এর আশ্রয় নেওয়া। আমি পর্যায়ক্রমে দিয়ে যাবো, তবে adove reader 8, ডাউনলোড করে নিলে পিডিএফ ফাইল পড়তে পারবেন অনায়াসে। কম্পিউটারের খুঁটিনাটিতে আমি বিষ্ময়কর ভাবেই বকলম! কি সাজেশন দেবো বাঝছিনা। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
কেশব অধিকারী