হাসান মাহমুদ (ফতেমোল্লা)’র হিল্লা
হাসান মাহমুদ (ফতেমোল্লা) মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম এবং মুক্তমনার উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে গল্প, কবিতা, নাটক, সঙ্গীত তার পদচারণা পেয়ে ধন্য হয়েছে প্রতিনিয়ত। তার খ্যাতি আজ বাংলাভাষাভাষীর সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। শারিয়া ও ইসলামিক ল, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি, সম্প্রতি তিনি সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন কনফারেন্স এবং সেমিনারে ইসলাম ও মানবাধিকারের উপর সফল বক্তা। হাসান মাহমুদের বাংলা বই ‘ইসলাম ও শারিয়া’ বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
শারিয়ার উপরে তার ডকুড্রামা হিল্লা নিউইয়র্কের একটি নাট্য প্রতিযোগীতায় সেরা পুরষ্কার পেয়েছলো ২০০৫ সালে। ছবিটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়, টরোন্টো’তে এবং ভারতের একটি ইসলামিক কনফারেন্সে প্রদর্শিত হয়েছে। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে হিল্লা বিয়ের মত একটি অমানবিক প্রথা কিভাবে ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে টিকে আছে। ছবিটি সম্প্রতি ইউটিউবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আট পর্বের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রটি মুক্তমনার পাঠক এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হল।
(1)
(2)
(3)
(4)
(5)
(6)
(7)
(8)
——–
কাহিনী: হাসান মাহমুদ
President, Muslim Canadian Congress
Canadian Representative, FreeMuslims Coalition, Washington USA
Associate Member, World Muslim Congress, Dallas USA
Email:- [email protected] / [email protected]
পরিচালনা: রাকিব হাসান
ইন্টারনেট সহায়তা: কাওছার আহমেদ (আমার ব্লগ)।
thanks a lot !
It requires a heroic courage to take a step to modernise a socieity from the grip of a religious doctrine. Mr. Hasan has taken one such great step by making a direct definance to Al-Baqara:230.
I failed to take a single such step in my own society. I couldn’t take any successful attempt even in my own family.
কাল সারাদিন বসে বসে ডাউনলোড করলাম…….
দেখি কতজনকে দেখাতে পারি…
Onek dhonyobad Mamun, please spread the link far-n-wide.
No book or movie remains banned for ever – it will reach people in its due time.
Many thanks for distributing the book – it will go a long way – please inspire others to do the same.
Cheers !
কই গেলো সবাই । এমন একটি স্হপর্শাকাতর বিষয়ের উপর ডকোমেনটরী এই প্রথম ছবি বানিয়ে হাসান ভাই কোটি কোটি মুসলমানের মনের,চিন্তার ও জীবনের এবং সামাজিক ও রাষ্টীয় মাথার উপর যে প্রভাব ফেলবেন তাতে কোনো সন্দেহ করার অবকাশ নেই। আশা করি অতি মোটা মাথা ভারী বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্টান আজকের বাংলাদেশের এই ঘন দুর্যোগের দিনে ছবিটি সর্বএ বিশেষ করে মিডিয়া ও গ্রামে গ্রামে প্রচারের ব্যবস্হা করলে জংগীবাদ ও উগ্র-ধর্মীয় মৌলবাদ সহ গ্রামের অশিক্ষিত মোল্লা ও মোড়লদের ক্ষমতার দাপট যেমন অনেকাংশে কমে যাবে,সাথে সাথে তেমনি মানুষের মাঝে সহমর্মিতা, মানবাধিকার ও মানবিকতার বিকাশ ঘটবে বলে মনে করি।
হাসান ভাইর এবারের বই মেলা থেকে ” ইসলাম ও শারিয়া”র অনেক কপি কিনে পরিবারের আত্বীয়-স্বজন সহ কিছু বন্ধু-বান্ধবদের দিয়েছি।
জয়তু হাসান ভাই।
মামুন।
AMARBLOG.COM
http://kawsarahmed.amarblog.com/posts/50907#comment-208297
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র “হিল্লা” প্রথমবারের মত ইন্টারনেটে (Youtube):
লিখেছেন : কাওছার আহমেদ | 15 এপ্রি (বুধ), 2009 1:03:12 PM
অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “হিল্লা” ইন্টারনেটে এলো।
“বাংলাদেশ থিয়েটার টরোন্টো” একটি নাট্য প্রতিযোগীতায় এটি মঞ্চস্থ করে সেরা পুরষ্কারটি পেয়েছিলেন ২০০৫ সালে। ছবিটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়, টরোন্টো’তে এবং ভারতের একটি ইসলামিক কনফারেন্সে প্রদর্শিত হয়েছে। দু:খের ব্যাপার হলো বাংলাদেশের কোন মিডিয়া সামাজিক সাংস্কৃতিক দল ছবিটি দেখানোর ব্যবস্থা করেননি। জানতে ইচেছ করে– কেন করেননি?
এই ছবিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে হিল্লা বিয়ের মত একটি জঘন্য ইসলাম বিরোধী প্রথা সমাজে কি ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে। সেইসাথে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ইসলামি দলিল থেকে প্রমাণ করা হয়েছে কেন তাৎক্ষণিক তালাক ও হিল্লা দেয়া হয় তা ইসলাম বিরোধী।
আমাদের মিডিয়া কর্তাব্যক্তিদের মাথায় ঢুকেনি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ, ধর্মীয় তথ্যসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রচার করা তাদের দায়িত্ব!
আসলে তা নয়, মূল কারণ হলো আমাদের মিডিয়ার লোকেরা ভীতু, কাপুরুষ। আজো মিডিয়া দায়িত্ববোধ থেকে বেশি শংকিত রাজনৈতিক সুবিধাভোগ এবং সেইফ সাইড খোঁজায়। মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে অর্ধনগ্ন ফ্যাশন শো, তাতে আমাদের ইসলামিক রাজনৈতিকেরা মাথা ঘামান না, কারন তাতে তাদের ধর্ম ব্যবসায় কোন ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে টিভিতে দেখানো হচ্ছে ধর্মপাপীদের বেহেস্তের টিকিট বিক্রি, ইসলাম বিরোধী, মানবতা বিরোধী সব প্রচার। কারণ তাতে আমাদের মত তেল ঘি খাওয়া মধ্যবিত্ত সমাজের কিছু যায় আসে না।
অবহেলায় পড়ে থাকে মানুষের কথা, মানবতার কথা, ইসলামের কথা!!!
“ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক ষ্টাডিজ” এর ডাইরেক্টর ড. আসগর আলি সিনেমার সুত্রগুলোকে বৈধ এবং নির্ভরযোগ্য হিসাবে সত্যায়িত করেছেন। তিনি জনাব হাসান মাহমুদকে বলেছেন:
“তিন তালাক” এর উপর নির্মিত আপনার চলচ্চিত্রটি আমি যখন দেখছিলাম এক ধরনের ক্ষোভ অনুভব করছিলাম। ছবিটি আমি মনোযোগ সহকারে দেখেছি এবং ছবিতে ব্যবহৃত উপাত্ত ইসলামিক সুত্রের সাথে মিলিয়ে দেখেছি: এগুলো ঠিক আছে। যারা লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি । আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই ছবির মাধ্যমে নারী এবং পুরুষদের মৌখিক তালাকের সমস্যা এবং কার্যকারীতা সম্পর্কে জাগরনণ তৈরির জন্য।