বেদবিরোধী গীতার বৈদিকায়ন এবং রামায়ণের অতীতযাত্রা

ভারতীয় পুরাণ ঘাঁইটা ইতিহাস খুঁজতে যাওয়ার সব থিকা বড়ো ঝামেলাটা হইল এইসব পুরাণের রচয়িতা ঋষি কিংবা কবিদের অন্য কোন বিষয়ে কোন জ্ঞান আছিল আর কোন বিষয়ে আছিল না সেইটা নিশ্চিত না হইলেও একটা বিষয় পরিষ্কার যে তাগো মধ্যে বিন্দুমাত্র সময়-সংখ্যা কিংবা ইতিহাস জ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব আছিল না; অথবা অদরকারি মনে কইরা তারা এই তিনটা জিনিসের [...]

| চার্বাকের খোঁজে…০৮ | চার্বাক সাহিত্য: বার্হস্পত্য, চার্বাক-মতের আদিরূপ |

(আগের পর্বের পর...) … ৪.০ : বার্হস্পত্য, চার্বাক-মতের আদিরূপ … চার্বাকী জড়বাদী চিন্তাধারার উপর কেবলি এক দেহাত্মবাদী ভোগলিপ্সু দৃষ্টিভঙ্গি আরোপ করে এই মতটি যে ঘৃণ্য অসুর মত তা প্রমাণ ও প্রচারে ব্যস্ত হওয়ার নিদর্শন শুধু ভিন্নমতাবলম্বী দার্শনিকদের মধ্যেই নয়, বরং এর প্রবনতা-উৎস ঢের পেছনে সেই উপনিষদ যুগ থেকেই দৃষ্টিগোচর হয়। প্রাচীন ছান্দোগ্য-উপনিষদের (৭০০খ্রীস্টপূর্ব) ‘প্রজাপতি ও [...]

|চার্বাকের খোঁজে…০৩ |ভূমিকা : ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন সম্প্রদায় |

(আগের পর্বের পর...) ... ৩.০ : ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন সম্প্রদায় … প্রাচীন ভারতে দর্শনের জগতে প্রথমে যে আস্তিক দর্শনেরই উদ্ভব হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা, এই আস্তিক্যবাদের বিরোধিতার সূত্র ধরেই মূলত নাস্তিক্য দর্শনের সূত্রপাত। আস্তিক দর্শনগুলির মতে বেদ কোন মানুষের সৃষ্টি নয়, অর্থাৎ বেদ অপৌরুষেয়। এবং বেদমন্ত্রগুলি প্রাচীন আর্য ঋষিদের দৃষ্টিতে উদ্ভাসিত হয়েছিলো [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৬/..|

(পঞ্চম পর্বের পর…) ... মনুর দৃষ্টিতে নারীর প্রকৃতি ও সম্পত্তি বিচার প্রাকৃতিকভাবেই নারী যে পুরুষের মতোই প্রাণীজ আবেগসম্পন্ন জৈব-মানসিক সত্তা, তা পিতৃতান্ত্রিক কূটবুদ্ধিতে অজানা থাকার কথা নয়। তাই নারীকে ক্ষমতা ও অধিকারশূণ্য করে পিতৃতন্ত্রের পূর্ণ-কব্জায় নিতে গিয়ে পুরুষের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক সংকট ও জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, শেষপর্যন্ত তা হয়তো গোপন রাখা যায় নি। আর এই [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৫/..|

(চতুর্থ পর্বের পর…) ... মনুশাস্ত্রে বিয়ে ও নারীর স্থান বৈদিক শাস্ত্রে বিয়ে হচ্ছে সুনির্দিষ্ট উপভোগ্য নারীকে প্রয়োজনীয় ভোগের নিমিত্তে পুরুষের ব্যক্তি-মালিকানায় শর্তহীন হস্তান্তরের ধর্মসিদ্ধ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া যাতে কিছুতেই ব্যহত না হয় সে লক্ষ্যে ‘বিবাহ-সংস্কারকেই স্ত্রীলোকদের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ উপনয়নস্থানীয় বৈদিক সংস্কার’ (২/৬৭) হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘এই সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্ত্রীলোকদের দেহশুদ্ধি হয় না’ [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৪/..|

(তৃতীয় পর্বের পর…) ... মনুসংহিতায় নারী এক কথায় বলতে হলে, মনুশাস্ত্রে নারী হচ্ছে পুরুষের ইচ্ছাধীন কর্ষণযোগ্য ক্ষেত্র বা জৈবযন্ত্র, যাতে পুরুষপ্রভু তার বীর্যরূপ বীজ বপন করে পুত্ররূপ শস্য হিসেবে যোগ্য উত্তরাধিকারী উৎপাদনের মাধ্যমে ধর্মরূপ পুরুষতন্ত্রের বহমান ধারাটিকে সচল রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। এখানে নারী কেবলই এক পুরুষোপভোগ্য জৈবসত্তা। নারীর মনস্তত্ত্ব বা কোনরূপ মানসিক সত্তাকে মনুশান্ত্রে স্বীকারই [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০২/..|

(১ম পর্বের পর...) . মনুসংহিতার উন্মেষ ও ব্রাহ্মণ্যবাদ বেদ (Veda) ও উপনিষদের পরে ভারতবর্ষে ছয়টি আস্তিক দর্শনের আবির্ভাব ও পর্যায়ক্রমে স্তরে স্তরে এগুলোর ক্রমবিকাশ ঘটে। অর্থাৎ বেদের সংহিতাকে আশ্রয় করে পরবর্তীতে পর্যাক্রমে রচিত অন্য সাহিত্য বা স্মৃতিগ্রন্থগুলো যেমন ব্রাহ্মণ, আরণ্যক হয়ে উপনিষদের যুগে এসে পুরোপুরি ভাববাদে প্রবেশ করেছে। ততদিনে ভারতীয় সমাজে হিন্দুইজম (Hinduism) বা বৈদিক [...]

মনু’র বৈদিক চোখ : নারীরা মানুষ নয় আদৌ| পর্ব-০১/…|

[স্বীকারোক্তি : ইতঃপূর্বে মুক্তমনায় 'অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন দাদাসাহেব' শিরোনামে আট পর্বের একটি ধারাবাহিক লেখা দেয়া হয়েছিলো। যা মুক্তমনার ই-বুক আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। সেটাতে ব্রাহ্মণ্যবাদী বৈদিক ধর্মের অনুশাসক গ্রন্থ মনুসংহিতকে ভিত্তি ধরে জঘন্য বর্ণাশ্রম প্রথায় অমানবিক অস্পৃশ্যতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এবং দলিত আন্দোলনের অমর ব্যক্তিত্ব ড. ভিমরাও আম্বেদকরের জীবন ও কর্মের উপর কিছুটা আলোকপাতের [...]

| অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন বাবাসাহেব |০৬/৮|

(পূর্ব-প্রকাশিতের পর…) … অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ পর্ব:[০১] [০২] [০৩] [০৪] [০৫] [*] [০৭] [০৮] ০৭ ধর্মীয় মোড়কে সম্ভবত ব্রাহ্মণ্যবাদই পৃথিবীর প্রাচীনতম বর্ণবাদী দর্শন। এবং বেদ-নির্যাস হিসেবে স্বীকৃত মনুস্মৃতি বা মনুসংহিতা যদি এ দর্শনের তাত্ত্বিক ও প্রয়োগিক ভিত্তিমূল হয় তাহলেই বলতেই হয়, এটা কেন সম্পূর্ণ মানবতা-বিরোধী একটা অসভ্য দর্শন হবে না ? একটা সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠিকে জঘণ্যতম [...]

| অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন বাবাসাহেব |০৫/৮|

(পূর্ব-প্রকাশিতের পর…) … অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ পর্ব:[০১] [০২] [০৩] [০৪] [*] [০৬] [০৭] [০৮] ০৬ ব্রাহ্মণদের প্রভূত্বকামী শাসনব্যবস্থা ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রধান অস্ত্রই হলো চতুবর্ণ প্রথা। অর্থাৎ সমাজে চারটি বর্ণের উপস্থিতি- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। এই প্রথার মাধ্যমে গোটা জনগোষ্ঠিকে এক অদ্ভুত বর্ণবৈষম্যের মধ্য দিয়ে বিভাজিত করে যে ‘ভাগ করো, শাসন করো’ নীতি কায়েম করা হয়েছে, সেখানে [...]

Go to Top