আমিও তীব্র ঘৃণাভরে ওদের নাম দিলাম দুগ্ধাপরাধী। মায়ের দুধ খেয়ে মা'র বুকে লাথি মারা সেই দুগ্ধাপরাধী, বাচাল, রাজনীতির ক্ষমতালোভী ভিক্ষুক, এবং অনাত্মীয়; দুগ্ধাপরাধী, মা'র দুধ খাওয়া, ঋণ ভুলে যাওয়া, দুগ্ধাপরাধী। ছদ্মবেশী জনপ্রতিনিধি, ভন্ড, রাজ ঠিকাদার, ঘৃনাবাদ। ঘৃণাবাদ তোমাদের, ধিক্। অন্তর থেকে, শ্বাশত ঘৃনাবাদ। সুপ্রভাতের বদলে তোমাদের জানাই অসীম ঘৃনাবাদ। স্বাধীনতা স্বদেশ বিরোধী চতুর ঠিকাদার, দুগ্ধাপরাধী। [...]
খুব অযত্নে পড়ে থাকা কটা পাতায় কোত্থেকে যেন সুর এসে লাগলো পাতাগুলো প্রাণ পেলো, শক্তি পেলো, তারপর উড়ে উড়ে ছড়িয়ে গেলো। তখনো গ্রীষ্ম আসেনি, বসন্ত ছুঁই ছুঁই; ফাগুনের রঙ লাগা এক উজ্জল দিনে ওদের কয়েকটা ভাব করে এক হোল, কথা বলতে, নিজের মত করে এখানে। কথা বলতেই ঘিরলো; মারলো ওদের; দখলদার কিছু জলপাই খাকি দানব। [...]
চাই না কোন রাজাকারি রাজাকারের বিচারে, চাই না কিছু ফাঁসি ছাড়া, জন্তুমানব বিদায় দে। চাইনা কোন দলের নেতা চাইনা কোন বাচাল রে, ধর্ষিতা মা ক্ষেপসে আমার, ভাত চায় না শাস্তি দে। জন্তু ছেঁড়া বোনের কথা ভুলিস নারে ভুলিস না, রাজাকারের শাস্তি ছাড়া ঘরে তোরা ফিরিস না। আমার দেশের আইন কেন আমার কথা বলেনা, ভন্ড যারা [...]
অতিক্রান্ত সময়ের ভার বয়ে, ক্ষুধা পেটে দড়ি বেঁধে, আজো অপেক্ষায়। অঙ্গার মনে অবশিষ্টে উজ্জল শুধু চোখগুলো, নতুনদের পানে। নতুনদের পানে. ঋজু অথচ; অভিমানী স্বত্বা। সাধারণ দিয়ে যায় মূল্য, নেয় না মোটে, নেওয়া হয় না, পথিমধ্যে হয়ে যায় লুট বদলায় মুখোশ শুধু, যতসব স্বার্থপর হায়েনায়। গলিত দেহ একাকার আবর্জনা থেকে, দেহাবশেষের জানালা বেয়ে, বেরোয় নতুন [...]
আমাকে যে ওরা দান করে দিয়েছিলো, মাথা হেঁট করা লজ্জায় গো, আমার মা। যুদ্ধ-শিশুটিও হতে পারিনি তখন, তোমার অজান্তে ছিল দানপত্র তৈরি ভারমুক্তির তাচ্ছিল্যে মা গো, আমার মা। দেহ-মন রক্তলাল, অন্ধ তুমি কেঁদে, এই বাংলায়, ছিলে বা আছো বহুকাল, তুমি পরিত্যক্ত, এবং, আমিও মা গো, মা। মাতৃভাষা পারিনি শিখতে দূরদেশে, বলিদানের বিশ্ব-শিশু আমি, মা তুমি, [...]
