আমাদের সমাজে পর্ণ ছবি দেখা পুরো পুরোই হারাম। ধর্মীয় ভাবেও নিষিদ্ধ। কিন্তু আমার পরিচিত সব ছেলেই পর্ণ ছবি দেখেছে। কিন্তু আমি কখনই বাংলাদেশের কোন খবরের কাগজে বা টিভিতে পাইনি পর্ণ ছবি দেখা কেন খারাপ তা বর্ণণা করে কোন ভালো আর্টিকেল প্রকাশ হতে কিংবা অনুষ্ঠান হতে। তাই পর্ণ ছবি দেখার পর অজানা এক কারণে অন্য সব ছেলেদের মতো পাপ বোধ করতাম। কেনো এটি নিষিদ্ধ!? আসলেই কি পর্ণ ছবি দেখলে মানুষের নৈতিক অধপতন হয়? এটি কি মানুষের ধর্ষণ প্রবৃত্তি বাড়িয়ে দেয়? ধর্মের কচকচানির আলোকে নয় বৈজ্ঞানিক যৌতিক বিচার বিশ্লেষনের আলোকে জানার খুব ইচ্ছা ছিলো এই সব উত্তরের। ইয়াহু আন্সারে এ বিষয়ে কিছু আলোচনা পাই কিন্তু ভালো একটি লেখা চোখে পড়ে গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্টের হেলথ এন্ড ফেমেলি পাতায়। লেখাটির শিরোনাম ছিলো ”All men watch porn, and it is not bad for them”
লিখাটিতে কানাডার মন্ট্রিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইমন লুইস তার দু বছরের এক গবেষনার আলোকে বলেছেন-
সব পুরুষ মানুষই পর্ণ ছবি দেখে এবং বিপরীত লিংগের সাথে সম্পর্কের যা কোন ক্ষে্ত্রে খারাপ প্রভাব ফেলতে পরে না।
সেই সাথে পর্ণ ছবি দেখার ফলে কেউ অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠবে এই ধরণার সাথেও অধ্যাপক সাইমন দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন
The majority watches X-rated movies to satisfy a “fringe fantasy” and it would be unfair to extrapolate from that that it leads to criminal behavior.
মানুষ পর্ণ ছবি দেখলে তা তার ব্যক্তি জীবণেও চর্চা করবে এ ধারনাকেও তিনি বাতিল বিবেচনা করে বলেন
”Men make a distinction between their real lives and sexual fantasies”.
জাপান ও স্কেনডেনেভিয়ান দেশগুলোতে যেখানে মানুষ পর্ণগ্রাফি দেখার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করে সেসব দেশে পুরুষ কর্তৃক নারীদের যৌন নির্যাতন করবার হার অপেক্ষাকৃ্ত কম। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো- ডেনমার্ক। ১৯৬৯ সালে ডেনমার্ক পর্ণগ্রাফির উপর থেকে সকল বিধি নিষেধ প্রতাহার করে নেয়।তার পর ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৫ সালের উপাত্ত থেকে দেখা যায়- যৌন সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা লাখে ৩০ থেকে কমে লাখে ৫ এ নেমে আসে। একই ধরনের পজেটিভ ফল দেখতে পাওয়া যায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে।
আমাদের সমাজে এরকম হাজারটা কুসংস্কার রয়েছে। ধর্ম ও অশিক্ষা যে সকল কুসংস্কারের ভিত্তি মূলে শত শত বছর ধরে পানি ঢালছে। আমাদের উচিত বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোয় যে সকল টাবুকে দাড় করিয়ে পরিক্ষা করানো এবং অযৌ্তিক সব প্রর্থা পোতা ও বিশ্বাসকে সমাজ থেকে ঝাটিয়ে বিদায় করা!
মন্তব্য…পর্ণগ্রাফির ফলে সেক্সের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার দরুণ সমাজে ধর্ষণের হার বেড়ে যায়। আমাদের দেশে ছেলে-মেয়েরা সাধারণত ২০/২৫ বছর বয়সে বিয়ে করে। কিন্তু পর্ণগ্রাফি দেখার প্রবণতা অবিবাহিতদের বেশি হয়ে থাকে। যার দরুণ আপন উত্তেজনা সামাল দিতে না পেরে প্রায় সময় ধর্ষণের বিড়ম্বনার শিকার হয়। সেক্সি বিষয় দেখার পরও যদি কেউ বলে তার উত্তেজনা বিরাট আকার ধারণ করে না, তাহলে তাকে অবশ্যই হারবালের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
পর্নগ্রাফি ভাল কি খারাপ এই বিতর্কের আগে পর্নগ্রাফির মাধ্যমে নারী নির্যাতন বাড়ছে কিনা, সেটা আলোচনা করতে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে নারীদের জোর করে পর্নগ্রাফিতে বাধ্য করা হয় কি না? বেশি পরিমানে না হলেও অল্প পরিমানে হয় কি না? যদি হয়, তাহলে মানবতার দিক থেকে কি পর্নগ্রাফির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া উচিত নয়, অন্তত কিছু নারী নির্যাতনের শিকার হওয়া থেকে বেঁচে যাবে?
মজার ঘটনা বলি-
বন্ধুরা একত্রে মিলিত হলে কত কথাই না হয়। এর মধ্যে চলে পর্ণ নিয়েও আলাপ। এক বন্ধু অন্য একজনের রেফারেন্স দিয়ে বলল- কোনো এক লোক স্টেডিয়াম মার্কেটে গেছে পর্ণের সিডি কিনতে। দোকানী অনেকগুলো সিডি বের করলো। লোকটি কভারের আর সিডির লেবেলের ছবি দেখে একটি পছন্দ করলো। দোকানী একটি প্যাকেটে মুড়িয়ে দিল। বাসায় এসে নিজের ঘরে সিটকানী দিয়ে সিডিটি কম্পিউটারে ঢোকালো। দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ!! একি, শব্দ হচ্ছে- নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম, আম্মাবাদ। এ যে দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ওয়াজের সিডি। সিডিটি কম্পিউটার থেকে বের করলো। ভালো করে লেবেল লক্ষ্য করলো। নাহ্ পর্ণের ছবিই তো রয়েছে।
——-
বন্ধুরা আলাপ করতে লাগলো। একজন বলল- একদম বাজে কথা। আরেকজন বলল- সাঈদীর ক্যাসেট আর বিক্রি হচ্ছে না, তাই এই অভিনব কায়দায় ব্যবসার ধান্ধা। আরেকজন বলল- সাঈদী মাঝে মাঝে যে হুরপরীর দেহের যে বর্ণনা দেয়, তাতে পর্ণের চেয়ে কম কিসে?
@মাহফুজ,
:yes:
@মাহফুজ, :laugh: :yes:
বন্ধুরা!! আপনারা জামাত-শিবির বা সাঈদী সাহেব সম্পর্কে যা খুশি বলেন। কোনো অসুবিধা নেই। জামাত-শিবির তো আর সবাই না। তবে আমরা সবাই যে মুসলিম এটা দিবালোকের ন্যায় জ্বলন্ত,জীবন্ত। তাই ঐশী বাণীতে বর্ণিত জান্নাতের হুর-পরীদের নিয়ে কটুক্তি করা নিতান্তই অপলাপ। সংকীর্ণমনের পরিচায়ক। কোথায় জাহান্নামি পর্ণগ্রাফাররা আর কোথায় জান্নাতের শুদ্ধাচারিণী রমণীগণ!! আগারতলা আর উগারতলা সমান হয় নাকি!!!!!
ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে অনেক, দোষটা আমারই। আমি ইদানিং খুবই ব্যস্ত তাই কোথাও কোন সাইটেই ঢু মারার চেষ্টা খুব কমই করি, আজ হঠাৎ এই পোষ্টা দেখে পড়ার কৌতুহল হওয়ায় পড়লাম তবে তাড়াহুড়ো করেই। তাই সাইমন লুইসের আর্টিকেলটা আর পড়ি নি। লেখককের মানষপট সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার না করেই আমি কিছু কথা বলেছি। তাই আমি লেখকের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থী। এখন মনে হচ্ছে সম্পূর্ণটা না জেনে আমি লেখককে একটু বেশী কথাই বলে ফেলেছি, দুঃক্ষিত আন্তরিকভাবে। :rose2:
তাড়াহুড়ো করে মন্তব্য করায় আমার কথাগুলো খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করেছি, বিস্তারিত আলোচনা করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছি; তাই কিছু পয়েন্ট একেবারেই খোলাসা করিনাই। এজন্য আমি লেখকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ও দুঃক্ষিত।
তবে যেহেতু এখানে জট একবার পাকিয়েছি তাই ভাবছি আমার সময় নষ্ট করে হলেও সম্পূর্ণ মতামত আমি এখানে ব্যক্ত করে যাব, ধীরে ধীরে।
@মুহাইমীন ভাই, দুঃখিত হবার কিছু নাই! এইগুলা বেপার না। আপনার আগামী পোষ্ট পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
পর্নগ্রাফি ব্যপারটা খুবই জটিল এবং অবশ্যই আলোচনা সাপেক্ষ। লখকের উদ্যেশ্যে বলছি। পর্নগ্রাফি ধর্ম নিষেধ করেছে বলে আমরা খারাপ ভাবি ব্যপারটা ঠিক নয়। বরং সামাজিকভাবে আমরা এটাকে নৈতিকতা বিরোধী ভাবি।
ধরুন,
১. আমাদের দেশের একটা ছেলের বিয়ের স্বাভাবিক বয়স ২৭-৩২। এখন কোন ছেলে যদি ১৮ বছর বয়স থেকে নিয়মিক পর্নগ্রাফি দেখা শুরু করে, তাহলে ৩২ বছর বয়সে তার কি আবস্থা দাড়াবে?
২. পর্নগ্রাফি বলতে আসলে যা দেখানো হয় তার বেশির ভাগই কুরুচি পুর্ন। যা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব অনেক ক্ষেত্রে।
৩. পর্নগ্রাফিতে অনেক কিছু দেখায় যেটা স্বাস্থ সম্মত নয় একেবারেই। শরীরে জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো আমার মনে হয় যথেষ্ট আকর্ষনীয় করে উপস্থাপিত হয়। যেটা আমাদের সামাজিক স্বাস্থের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
৪. পর্নগ্রাফিতে অনেক কিছু দেখায় যেটা খুবই নিষ্ঠুর প্রকৃতির, যেমন এক একটা পর্নগ্রাফির .৫ থেকে এক ঘন্টা ভিডিওতে কি করে সেটা গড নোজ। এটা মানুষের সাভাবিক জীভনে অবশ্যই প্রভাব ফেলে।
৫. পর্নগ্রাফির কারনেই হোমোসেক্স আশঙকাজনক ভাবে বেড়ে চলেছে বাংলাদেশ সহ মুসলিম দেশগুলোতে।
আপনাকে আরও একটি ব্যপারে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনি বলেছেন ডেনমার্কের কথা। ডেনমার্ক আর বাংলাদেশ এক ব্যপার নয়। এই সব স্ক্যান দেশগুলোতে প্রকাশ্যে যে কোন ছেলে মেয়ে চুমু খেলে বা জড়াজড়ি করাটাকে কেই কিছু মনেই করেনা। অথচ বাংলাদেশ বা মুসলিম দেশগুলোতে এটা অসম্ভব। ওই সব দেশগুলোতে ১৩-১৪ এর পর কোন ছেলে মেয়ে সেক্স পার্টনার না থাকাটা অনেক পরিবারের নিকট আশচর্য জনক। যেটা বাংলাদেশে কল্পনাতীত। ডেনমার্কে সেক্স করাটা মিনারেল ওয়াটার খাওয়ার মত সহজ। সুতরাং বাংলাদেশের সাথে ডেনমার্কের তুলনা করা আমার কাছে বোকামী মনে হয়েছে।
@সালমান হাসান,
কেন ধরে নেব?
দয়া করে আপনি নিজেই একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন।
এতটা নিশ্চিত কিভাবে হলেন? কোন গবেষণার দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন?
আপনি অনেকগুলো খারাপ দিক উল্লেখ করেছে, কিন্তু তাদের পেছনে পর্যাপ্ত যুক্তি দেন নি। ধন্যবাদ।
@রাব্বানী, সালমান হাসানের কাছে আমারো একই প্রশ্ন তিনি কিসের ভিত্তিতে উপরোক্ত দাবি গুলো করেছে!?
এই দাবির ভিত্তি কি তা আমার খুব জানার ইচ্ছে আছে। আশা ক্রি তিনি তার দাবির সপক্ষে তথ্য সূত্র উল্লেখ্য করবেন।
ভাই এত কিছু দরকার নাই যার দেখতে মন চাইবে সে দেখবে আর যার চাইবে না সে দেখবে না।
শ্লীলতা আর অশ্লীলতা দুটো ভিন্ন জিনিষ। পর্নো মানে অশ্লীল। অশ্লীল মানে যা স্বাভাবিক মানব প্রবৃত্তির বিপরীত, যা হল মানুষের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের অভাব থেকে যা উতপত্তি লাভ করে।
যৌনাকাংখা এক জিনিষ আর পর্ণগ্রাফী আরেক জিনিষ। পর্ণগ্রাফীর মূল কারণ মানষের ভেতর ‘কামের’ লালন। এই ঋপুই অশ্লীলতার জন্ম দেয়, জন্ম দেয় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যথাযথ মূল্যায়নের অভাববোধ। তখন মানুষ বিপরীত লিঙ্গকে তার মত মানবীয় মন সম্পন্ন মানুষ না ভেবে বরং নিজস্ব ভোগ-প্রতিপত্তি মনে করতে থাকে আর তারই ফলশ্রূতিতে অশ্লীলতার জন্ম। যে লোকটা এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাহীন মনোভাব চর্চা করে সেই পর্ণোগ্রাফীর পৃষ্ঠপোষক।
মানুষের ভেতর ঋপু থাকে। কাম একপ্রকার ঋপু। এই ঋপুই সকল আকাঙ্খারা হোতা। এই ঋপুকে দমন করলে স্বর্গীয় সুখ লাভ করা যায়।
স্বাভাবিক যৌনতা কখনো পর্নোগ্রাফীর ভেতর পরে না। এটা সৃষ্টি হয় পারস্পরিক প্রকৃত ভালবাসা থেকে, প্রেম থেকে। আর কে না জানে, যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্বশীলতা, বিশ্বাস নেই সেখানে ভালবাসা নেই? তাহলে যৌনতা মানবীয় স্বাভাবিক প্রবৃত্তি; তার জন্ম পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থেকে, সেখানে কোন স্বার্থ কাজ করে না।
অপর দিকে, অশ্লীলতার জন্মই হয় স্বার্থের থেকে; নিজের একান্ত কামনা বাসনা চরিতার্থ করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে, বিপরীত লিঙ্গের ইচ্ছা অনিচ্ছার দাম সেখানে সামান্যই।
অশ্লীলতা মানে নিজ স্বার্থের চরিতার্থতা, অপরের মনে কি ঘটল তা চরিতার্থকারী আমলে নেয় না। অপর দিকে, স্বাভাবিক যৌনমিলন হল এক প্রকার ক্রীড়া(খেলা), নারী পুরুষের মনের পারস্পরিক আদানপ্রদান। এখানে মন সর্বদা ব্যস্ত থাকে অপরকে দিতে-অপরের আকাঙ্খা পূর্ন করতে, নিজেরটা নয়। নারী পুরুষের পারস্পরিক বিশেষ ভালবাসার চূড়ান্ত পরিনতিই হল যৌনতা, এখানে কামনা বাসনা, লোভ চরিতার্থতার কোন স্থান নেই। এই যৌনতা পবিত্র। এর সাথে অশ্লীলতার একীভূতকরণ চরম জ্ঞানহীনতারই বহিঃপ্রকাশ।
আমার কাছে লেখকের জ্ঞানকে অত্যন্ত সীমিত মনে হয়েছে। লেখকের কাছে অনুরোধ থাকবে আগে জ্ঞান অর্জন করুন নিজের সম্পর্কে, আসলে মানুষ কি জিনিষ, মানবীয় প্রবৃত্তিগুলোই বা কি জিনিষ, সে সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জন করুন। তাহলে এরকম সীমিত পরিসরে আর চিন্তা করতে হবে না।
@মুহাইমীন,
আপনি ভাল ব্যাখ্যা করেছেন। আমার ভাল লেগেছে। কিন্তু শেষের বাক্যটা একটু রূঢ় মনে হল।
কারও জ্ঞান সীমিত কি সীমিত না এটা বিতর্ক সাপেক্ষ। কাজেই বাক্যটা না থাকলেই ভাল ছিল। অবশ্য জানি না নাক গলায়ে ফেললাম কিনা।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ধন্যবাদ। হ্যা আমি মূলত লেখকের পর্ণোগ্রাফী বিষয়ের জ্ঞানের কথা বলেছি। সামগ্রিক ইঙ্গিত করি নি, মনের অজান্তে হয়েও যেতে পারে।
আর, না আপনি নাঁক গলাননি। আমি যেমন লেখকের লেখায় মতামত জানানোর অধিকার পেয়েছি ঠিক তেমনি আপনি আপনার মতামত জানিয়েছেন; এ অধিকার মৌলিক অধিকার, তা সবার আছে।
আমাদের প্রত্যেকের জ্ঞানই সীমিত, বলাই বাহুল্য। মানুষের সীমাবদ্ধতা অবশ্যম্ভাবী। আমি লেখকের লেখা একবার পড়েই হয়ত লেখকের মানষপট সামগ্রিক ভাবে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এই মূল্যায়ন বেরিয়ে এসেছে। তবে অবশ্যই বলব, যৌনতার প্রকৃতি বিষয়ে লেখকের জ্ঞান নিতান্তই সীমিত।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আপনি যে ডাইকোটোমি-টি দাঁড় করিয়েছেন সেটার অপ্রমাণই তো লেখক উল্লিখিত গবেষণার উদ্দেশ্য।
@রৌরব,
এখানে সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্যের বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আমি বলছি, লেখক পর্নোগ্রাফী, মানে অশ্লীলতা চর্চার সাথে যৌনতা চর্চাকে এক করে ফেলেছেন।মানে, তার লেখা পড়ে মনে হয়েছে, তিনি পর্ণগ্রাফী আর যৌনতা গুলিয়ে ফেলেছেন, যা একেবারেই, আমি মনে করি, ঠিক না।
পর্ণোগ্রাফী কেন ক্ষতিকর তা আমার উপরের মন্তব্যে ব্যক্ত করেছি পরোক্ষভাবে, তাই তা সর্বসাকুল্যে বর্জনীয়।
এখানে আমি মূলত লেখককে পর্ণোগ্রাফীর সংগাটা দিতে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
জাহিদ রাসেল কোথায় এ দুটোকে এক করলেন আমি বুঝতে ব্যর্থ হলাম। আপনি কি সেটা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করবেন? লেখকের উদ্ধৃত অংশটি আমি আবার উদ্ধৃত করি।
কথাটা লক্ষ্য করুন, লেখকের দেয়া লিংকটি দেখুন। যেখানে প্রতিপাদ্যটাই হল যে পর্ন দেখা মানুষের যৌন জীবনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনা, পুরুষেরা এ দুটো বিষয় আলাদা রাখতে সক্ষম, সেখানে আপনার মন্তব্যের ভিত্তি কোথায়?
@রৌরব, হ্যা, আমার বোঝার ভুল হয়েছে বলে দুঃক্ষিত।
লিঙ্কটি আগে পড়েছিলাম না, আপনার কথায় পড়লাম।
আমি মনে করি না যে অশ্লীল কোন জিনিষ মানুষের যৌন জীবনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। আমি প্রশ্ন করেছি মূলে। আমার কথা ছিল একটা মানুষ মনে কোন্ উদ্দেশ্য লালন করে যৌন মিলনে প্রবৃত্ত হচ্ছে সেটা নিয়ে। সেটা কি সে তার রিপু চরিতার্থ করার জন্য করছে নাকি স্বাভাবিক ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে করছে? যদি স্বাভাবিক ভালবাসার প্রকাশ হিসেবে করে থাকে তবে সে এমন কিছুই করবে না যা অশ্লীল বা মর্যাদাহানিকর বা স্বার্থপর সুলভ। আর যদি মনের কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য যৌনমিলনে উদ্দ্যত হয় তবে তার আচরনে ও কর্মে অবশ্যই অশ্লীলতার প্রকাশ ঘটবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটা অশ্লীলতার নামান্তর হবে; এটাই প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতি এভাবেই নিয়ম তৈরী করেছে।
আমার কথা, আমি পর্ণোগ্রাফীকে কেন খারাপ বলছি? মানুষ পর্ণোগ্রাফীর চর্চা করে মূলত কল্পনায় নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করার জন্য ; এটা হল একটা fantasy. তার প্রমান অধ্যাপক লুইসই তার গবেষনায় হাজির করেছেনঃ
তাহলে আসলে দাঁড়ায়, আমরা আমাদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্যই পর্ণোগ্রাফিক উপাদান গ্রহন করে থাকি।
আসলে দেখতে হবে পর্ণোগ্রাফী কেন খারাপ এবং অশ্লীল। এটার কারণ আমি আমার সর্বপ্রথমের মন্তব্যে ব্যাক্ষা করেছিলাম (উপরে)। রিপু অবশ্যই আত্মাকে(মন) কলুষিত করে তাই তা পরিত্যাজ্য।
রিপু ব্যতিরেকে যৌনসম্পর্ক হতে পারে, সেটা বৈধ এবং পবিত্র, সেটা কামহীন। বিষয়টা ভেবে দেখবেন বৈকি।
মানুষ যখনই তার কাম চরিতার্থ করে অশ্লীল জিনিষ দেখে তখন তার কামনা সাময়িক ভাবে প্রশমিত হলেও পরবর্তীতে তা বৃহত্তর পরিসরে তার মধ্যে আগমন করে। সে যত কাম চর্চা করে তত তার বাসনার পেট ফুলতে থাকে, ভবিষ্যতে তার বাসনা আরো বড় হতে বাধ্য। এ অবস্থায় সে যখনই যৌনমিলনের সুযোগ পায় তখন সে যা মনে মনে চর্চা করে তা বাস্তবে সম্পূর্ণরূপে না পারলেও কিছু আকারে প্রয়োগের চেষ্টা করে, যা গোটা ব্যাপারটাকে অশ্লীলতার দিকে নিয়ে যায়। যখন একটা মানুষ পর্ণোগ্রাফীর চর্চা করে তখন তার অবচেতন মনে সেই সুপ্ত আকাঙ্খা গাঢ় প্রভাব ফেলে, এটা চরম সত্য। তখন তার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মর্যাদা, মানুষ হিসেবে তাদেরকে দেখা এগুলো লোপ পায়। বিপরীত লিঙ্গকে সে শুধু নিজের কামনা বাসনার উপকরণ হিসেবে ভাবতে শুরু করে।
ফলে বিপরীত লিঙ্গের কোন ব্যাপারেই সে ন্যায় বিচারিক-সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে না, পুরুষরা নারী দেখলেই প্রথমে তার দেহের দিকে চোখ পড়ে এবং দেহ দিয়েই তার মূল্যায়ন শুরু করে, নারীদের ক্ষেত্রেও একই জিনিষ, যদিও প্রকটতা কিছুটা কম। কারণ, নারীদের তুলনায় পুরুষরা তাদের কাম চর্চায় বেশী স্বাধীনতা, সময়, সমর্থন পায়, ফলে দুই বিপরীত লিঙ্গে সম প্রভাব পড়ে না।
বাংলাদেশে যারা ধর্ষন কিম্বা ব্যাভিচার বা নিজের বৌকেও যারা জোর করে যৌনমিলনে বাধ্য করে, আপনি কি মনে করেন যে তাদের এসব আচরণে পর্ণোগ্রাফীর কোন ভূমিকা নেই? আছে, অবশ্যই আছে। তারা তাদের কামনা বাসনা মানষপটে চরিতার্থ করার জন্যই এসব পর্ণোগ্রাফীর চর্চা করে যা তাদের কামনা বাসনার সাময়িক তৃপ্তি আনলেও পরিনতিতে তার বৃদ্ধি বৈ হ্রাস করেনা। ফলে তাদের মানষপটে আর শুধু পরের টা উপোভোগ করে তৃষ্ণা নিবারণ হয় না, নিজে নিজে বাস্তবে কাম লীলা চালিয়ে সে চূড়ান্ত মজা পেতে চায়। এর ফলশ্রুতিতেই ধর্ষন,ব্যভিচার, অনৈতিক যৌন সম্পর্কের উদ্ভব হয়। কারণ, বাসনা চরম পর্যায়ে পৌছালে মন সর্বদা তা মেটানোর জন্য উদগ্রীব থাকে, সুযোগ পেলেই সে হিতাহীত জ্ঞানশূন্য হয়ে তার বাসনা চরিতার্থে ব্রতী হয়। এটাই চরম বাস্তব কথা। একটু জানার চেষ্টা করুন, তাহলেই জানতে পারবেন। যারা ধর্ষন করে তারা এই সব পর্ণোগ্রাফীর পর্যায় পার করেই ধর্ষকামীর পর্যায়ে উন্নীত(অবনীত) হয়। তারা যদি পর্ণোগ্রাফী দেখে কাম চর্চা থেকে বিরত থাকত তবে ঐ(?) পর্যায়ে উন্নীত(অবনীত) হত না। একটু চিন্তা করলেই সত্য ভেসে আসবে।
আর যারা পর্ণোগ্রাফীর ব্যবসা করে তারা মানুষের এই স্বাভাবিক দূর্বলতাটা জেনেই তো ব্যবসা করে এর প্রসার ঘটায়। তারা চায় না তাদের ব্যাবসায় খারাপ যাক, কারণ তারা চরম লোভী।এর প্রমাণঃ
আমরা যতই এই সব কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা, হিংসা, রিপু এগুলোকে ভাববাদ বলে উড়িয়ে দেই তার অস্তিত্ব বাস্তবে অবশ্যই আছে।
কাম মানুষের রিপু, যা মনুষ্যত্বের ক্ষতি করে; পর্ণোগ্রাফী চর্চার ও তা বিকাশের ভিত্তিই হল মানুষের কাম বাসনা। তাই তা ক্ষতিকর ও সর্বাবস্থায় বর্জনীয়।(আমি তাই মনে করি)
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
হয়ত এ ব্যাপারে আপনি আলাদা একটি পোস্ট দিতে পারেন। আপনি যেসব কথাকে “চরম বাস্তব” মনে করছেন তার অধিকাংশকেই আমার অবাস্তব মনে হচ্ছে ;), তবে জাহিদ রাসেলের পোস্টে এত আলোচনা করতে অনিচ্ছা বোধ করছি।
ধন্যবাদ।
@রৌরব, ধন্যবাদ।
এখন সময় নেই, পরে যদি পারি দেব।
@মুহাইমীন,
নবী মুহাম্মদের ভেতরেও কি ঋপু (রিপু) ছিল? তার মনেও কি কামাকাঙ্খা জাগতো?
@আকাশ মালিক,
আমি এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না বর্তমানে(খোঁচা দিয়ে লাভ নেই)
দুঃখিত। 🙁
@মুহাইমীন,
বহুদিন পরে এলেন।
মানুষ রিপু নিয়ন্ত্রন করতে পারলে সুখ লাভ করতে পারে, আমিও মনে করি। তার মানে অবশ্য এই না যে সবাইকেই সন্ন্যাস গ্রহন করতে হবে।
লেখক কিন্তু নিজের পূর্ন মত লেখায় দেননি, মত জানতেই চেয়েছেন। যদিও বোঝা যায় তিনি পর্নগ্রাফীর ভাল দিক দেখতে চাইছেব। খারাপ যদি মনে হয় কেন খারাপ তাও জানতে চেয়েছেন। এটাকে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা বলা যেতে পারে? মনে হয় বলা যেতে পারে। জ্ঞান সবারই তো সীমাবদ্ধ।
যৌন মিলন অত্যন্ত স্বাভাবিক জৈব ক্রিয়া, যা হতেই হবে নয়ত পৃথিবী হবে প্রানী শূন্য। কিন্তু যৌন মিলনকে কি অশ্লীল বলা যাবে? যাবে এবং যাবে না, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। পর্নগ্রাফিকেও হয়ত তেমন বিবচনা করা যেতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
এখানে না, এর আগে সাইফুল ভাইয়ের পোষ্টে এসেছি সম্প্রতি।
যৌনতা মানেই যে রিপুর প্রকাশ তা আমি কখোনোই বলি নি। স্বাভাবিক পবিত্র যৌন সম্পর্ক রিপু বহির্ভূত, এটা ভালবাসার নামান্তর, চূড়ান্ত রূপ। তাই সন্ন্যাসাবলম্বনের প্রশ্ন আসে না, তা আমি সর্বপ্রথমের মন্তব্যে বলেছি। আর নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতিরেকে সন্ন্যাসাবলম্বন চরম ফালতু জিনিষ।
কারণ বিয়ে, নারী পুরুষের মিলন খুবই স্বতঃস্ফূর্ত একটা জিনিষ।প্রকৃতিই এই নিয়ম করে রেখেছে। তা প্রাকৃতিক ভাবে ঘটতে দেওয়াই বাঞ্চনীয়।বাধা দেওয়া পাপ, নিজেকে বঞ্চিত করা স্বর্গীয় শান্তির আরেকটি সুযোগ থেকে।
আর, কাম রূপ অগ্নী আলাদা জিনিষ। এটা অবশ্যই ক্ষতিকর। যা মানব মনের ‘স্বর্গীয় শান্তি’র কুড়েঘড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রিপুর চর্চা করলে মনে কোন শান্তি থাকে না।অশান্তির জাহান্নামে তা দাউ দাউ করে জ্বলে। আপনি যদি মনে করেন যে, যৌন সম্পর্ক রিপুর মাধ্যমেই জন্ম লাভ করে তবে ভুল অভিজ্ঞতা আপনার। আবার বিষয়টা নিয়ে ভাবুন,দয়াকরে।
বুঝেছি দেরিতে হলেও।ধন্যবাদ।
আমার প্রশ্ন তো এখানেই, পর্ণোগ্রাফী জিনিষটিই লেখক জানেন না-তাই এর ভাল দিক খুজেছেন।আমি তো সেজন্যেই পর্ণোগ্রাফীর সংগা দিয়েছি এবং লেখক কি বলেন তাও জানতে চেয়েছি অন্য জায়গায়। আমি এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছি যে, ‘দেখো পর্নোগ্রাফী এই জিনিষ এবং এই এই কারণে তা ক্ষতিকর’।
কোন্ উদ্দেশ্যে, মনের কোন্ আকাঙ্ক্ষায় আপনি যৌন মিলনে প্রবৃত্ত হচ্ছেন তার উপর সেটা শ্লীল আর অশ্লীল আকারে ধরা দেবে। আর তা যদি অশ্লীলতায় মোড় নেয় তখনই কেবল তাকে পর্ণোগ্রাফীর আওতায় ফেলা যাবে। মানে আমি খারাপটাকেই তো পর্ণোগ্রাফী বলছি, আর বাজারে যা প্রচলিত আছে তা অবশ্যই পর্ণোগ্রাফী, তা কখোনোই স্বুস্থ মস্তিষ্কের চর্চা নয় আর পবিত্র কোন কিছু তো নয়ই।
ধন্যবাদ। :rose2:
@মুহাইমীন ভাই ,
Potter Stewart নামের একজন বিখ্যাত জাষ্টিস একবার পর্ণ গ্রাফি সম্পর্কে বলেছিলেন-
””I can’t define pornography,but I know it when I see it.”
ভাই আমি না হয় সেই জাষ্টিসের দলে। তবে আপনে নেক্সটাইপ জ্ঞান জাহির করবার জন্যে কাউকে আক্রমন করে কিছু বললে কমেন্ট দানের আগে দয়া করে পোষ্ট পড়ে কমেন্ট করবেন। 😉
@জাহিদ রাসেল,টাইপোঃ পর্টার ষ্টুয়ার্ট
@মুহাইমীন,
আমি তো আমার লেখায় কানাডার মন্ট্রিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইমন লুইস একটা গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে, তার প্রেক্ষিতে জানতে চেয়েছি- ”পর্নগ্রাফির ফলে নৈতিক অধঃপতন হইয়” এই ধারণা অমূলক নয় কি!?
তা আপনে তো ধান ভাংতে অনেক শীবের গীত গাইলেন, শ্লীল অশ্লীনের উপর জ্ঞানও দিলেন। তা আপনি কিন্তু কোথাও প্রফেসার সাইমন লুইসের গবেষোণার ফলাফলের বিপক্ষে সরাসরি একটি লাইনও লিখেন নি। কারণ আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কটাক্ষ সহজ হলেও, পশ্চিমা বিশ্বের একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসারের গবেষণা পত্রের ফলাফলের ভিত্তিতে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কটাক্ষ করার ”হেডম” আপনার নাই।
কিছু লেখক আছে অযথাই কোন জিনিস নিয়ে তেনা পেচাইতে থাকে( সম্ভবত জ্ঞান জাহিরের জন্যে); কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্যার মূলে আর পছাতে পারে না। আপনি এত কিছু বলার পরও কিন্তু বলেন নাই-
১। পর্ণ কি বেন করা উচিত?
২। একটা মানুষ পর্ণ ছবি দেখলে তার কি নৈতিক অধঃপতন হয়?
আমার মতে স্কুলে থাকতেই ছেলেমেয়েদের যৌনশিক্ষাটা দেওয়া বাধ্যতামুলক করা উচিত। আমার বন্ধুদের দেখেছি,এককপি পর্ন ম্যাগাজিন দশজনে নিয়ে টানাটানি করতে। কারন,সমাজের কঠিন বাধা। যদি সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়,তাহলে এর প্রতি দুর্নিবার আকর্ষন অনেক কমে যায়। তাছাড়া আমাদের সামাজিক পটভুমিও ঠিক পর্ণ উপযোগী নয়। এখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অনেক প্রবল,পাশ্চাত্যের তুলনায়।
নাহ!
বিষয়টা নিয়ে বেশি ভাল লাগছেনা। সবাই কুতুবের মত শুধু মতবাদ, ধারনা দিয়েই যাচ্ছে, আর আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়টাই পুরা ফালতু।
তাছাড়া আগে দেখি বিড়ালের গলায় ঘন্টি কে ঝোলায়, তারপর এই নিয়ে আলোচনা করাটাই ভাল।
আমার মনে হয় পর্নের কথা বলার আগে আমাদের ঠিক করা উচিত আমরা পতিতা বৃত্তিকে লিগালাইজ করব কিনা। পর্ন করবে অবশ্যই পতিতারা। আর পতিতা পুঁজিবাদী সমাজের সৃষ্টি।
সেচ্ছায় পতিতাবৃত্তি এক জিনিস আর বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে এ পথে নামা আরেক জিনিস। সেচ্ছায় পতিতাবৃত্তি কেউ করবে কিনা স্বভাবতই সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
@সাইফুল ইসলাম,
খুব ভুল ধারনা।
পর্ন পতিতারা করে কে বলেছে? আমেরিকান অধিকাংশ পর্ন নায়িকা মোটেও বেশ্যা না। তারা রীতিমত সংসারী।
দ্বিতীয়ত এখানে প্রচুর মেয়ে স্বেচ্ছায় পর্নে আসত-কারন টাকা এবং ক্ষমতা। এখন এই শিল্প আর নেই-ফলে আসছে না।
মেয়েদের পর্ন শিল্পে অংশগ্রহন ভাল না খারাপ তা নিয়ে নারীবাদিরা দ্বিধাবিভক্ত বহুদিন।
@বিপ্লব পাল,
কথাটা বুঝি নি।
আপনার বলা প্রথম বাক্যের সাথে এই কথাটা মিলাতে পারছি না। আমার বোঝার ব্যর্থতা হতে পারে। একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।
@সাইফুল ইসলাম,
পেটের দায় না থাকলে তো মানুষ চাষবাষও করত না। তাছাড়া কিছু নারী ও পুরুষ এই পেশাটা ইচ্ছা করেই বেছে নিতেই পারেন। বরং আইনের আওতায় আনলে যেসব অপরাধ এই পেশা গুলির সাথে জড়িত (যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা, নারী পাচার) এগুলি কিছুটা হলেও কমে আসতে পারে।
হুমম…
ব্যপারটা অতীব জটিল। দেশ,সংষ্কৃতি, ভাষা, আবহাওয়া, শিক্ষা, ধর্ম সব কিছুই মিলায় মিশায় একটা ভজঘট অবস্থা, এক কথায় বলাও যাবেনা ইহা ভাল, আবার বলাও যাবেনা ইহা খারাপ। মূল বিষয়টি পর্নগ্রাফী মুক্ত করা নয়, বরং হওয়া উচিত এই যৌন ক্রীয়া কি, কেন, কিরুপ এই ধরনের একটি শিক্ষা দান। যেখানে সবাই এই বিষয়ে পরিপূর্ন সুন্দর সাবলিল, লোভ-মোহ মুক্ত একটি পদ্ধতি পেতে পারে- এমন কোন এক বিষয় নিয়ে কথা বলা। মানুষ খাদ্য গ্রহন করে যেভাবে বেচে থাকার জন্য, এই যৌন ক্রিয়াও ঠিক তদ্রুপ, ইহাও জীবের এক অপরিহার্য বিষয়। তাই এর সঠিক জ্ঞান থাকা চাই।
প্রতিটি ধর্মেই এর শিক্ষা আছে-পরিপূর্ন সৌন্দর্য, রুপ জ্ঞান এর কথা বলা আছে। দেশ, সংষ্কৃতি, ভাষা আবহাওয়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে সেইসবের প্রকাশ ভঙ্গি শুধু পার্থক্য, মূলে সবাই একই কথাই বলেছেন যদিও। অনুষ্ঠান পরিবর্তনশীল, পরিবর্ধনশীল। তবে সত্য মূল জ্ঞান একটাই। শুধু জ্ঞানী মানুষের অভাবে, বা প্রকৃত জ্ঞানীদের কাছে এই বিষয়ে জ্ঞান না নেবার কারনে, এক শ্রেনীর লম্পট, লোভী, অহংকারীদের কাছ থেকে এই সকল ধর্মের প্রচার প্রসার হয় বলে এই সুন্দর গভির সত্য কেউ পায়না, তাই ইহাকে কোন রকমে তালা মেরে রাখা লাগে (যেমন আমাদের দেশে)।
তবে ইহাকে লোভ ও মোহ মুক্ত অবস্থায় প্রকাশ করাটা সত্যই দুরুহ, বলা যায় অসম্ভব। সেই ধরনের জ্ঞানীদের দ্বারা প্রচার না হলে বরং ক্ষতির দিকেই ধাবিত হবে সবাই বলে মনে করছি। তাই একে এইভাবে তালা মেরে রাখা হয়েছে বিভিন্ন দেশ, জাতিতে। লোভ ও মোহ মুক্ত অবস্থায় এর ভিতরকার শিল্প, সৌন্দর্য রুপ জ্ঞান পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ
আমাদের দেশে উঠতি বয়েসী ছেলেরা পর্নো দেখেনি এরকম সংখ্যা খুব কম। ধর্ম তাদের থামিয়ে রাখতে পারে নি , পারে না। তবে পশ্চিমা দেশে পর্নো যদি সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি না করে তেমনভাবে , আমাদের মত অনুন্নত পিছিয়ে পড়া দেশে তা করবে মারাত্মক ভাবেই। তার কারন ,এদেশের মানুষ অধিকাংশ নিরক্ষর, তার পরে সেক্স সম্পর্কে তারা সব সময় একটা নেতিবাচক ধারনা নিয়ে গড়ে ওঠে , মনে করে ওটা খারাপ বা গুনাহর কিছু ( বিবাহ বহির্ভুত যৌনাচার), সুতরাং এরকম একট সমাজে হঠাত করে সব কিছু আলগা করে দিলে অনেকটা বেধে রাখা এড়ে গরুকে ছেড়ে দিলে যা করে থাকে সেরকম ঘটার সম্ভাবনাই অধিক। তবে এটাই আশ্চর্যের, ইহজগতে বিবাহবহর্ভুত সেক্স বা মদ্যপান গুনাহের ব্যপার হলেও বেহেস্তে কিন্তু সেটাই আবার আইন সিদ্ধ। বরং দেখা যায়, মানুষকে ধর্ম পথে আকৃষ্ট করার জন্য ওই দুইটা জিনিসেরই লোভ দেখানো হচ্ছে অকাতরে। কি অদ্ভুত বৈসাদৃশ্য !!!
@ভবঘুরে,আসলেই বড় অদ্ভুত বৈসাদৃশ্য !!!
[১] আমেরিকার আইনে হার্ড এবং সফট পর্ণ আলাদা। সফট পর্ণ রেকোমেন্ডেড অনেক চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিন্ত হার্ড পর্ণ না।
[২] পর্ন এবং এরোটিকার মধ্যে পার্থক্য আছে। যে পর্ণ শিল্প বর্জিত তা মানুষের মনকে বিকৃত করে।
[৩] পর্ন আবার দু টাইপের-মেইন স্ট্রিম এবং হোম মেড। দ্বিতীয়টা ইন্টারনেট জেনারেশনের দান। পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রচুর ছেলেরা তাদের বৌ বা গার্লফ্রেন্ডের গোপন ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে তুলে দিচ্ছে। এসব করার অনুমতি তাদের সঙ্গিনীরা দেয় নি [ আশাকরি]। সেক্ষেত্রে এটা ঠিক কাজ না মোটেও। এবং এগুলো উৎসাহিত করা উচিত না।
[৪] মেইন স্ট্রিম পর্নের ক্ষেত্রে মেয়েদের যেভাবে ট্রিট করা হয়-তা প্রশ্নাতীত না।
প্লে বয় যা করে সেটা শিল্প-কিন্ত আরো অনেকেই যা করে-যথা মেয়েরা ছেলেদের সেক্স স্লেভ এই ধরনের একটা ফ্যান্টাসি ফ্লোট করে।
[৫] যৌনতার দিক দিয়ে আবার পর্ণ দু ধরনের। প্রথম প্রকারে মেয়েদের নিজেদের যৌন ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় প্রকারে মেয়েরা ছেলেদের যৌন ইচ্ছা পূরণ করে। দ্বিতীয় প্রকারে মেয়েদের অনেক ক্ষেত্রেই ভীষন ডেরোগেটরি ভাবে দেখানো হয়।
সুতরাং পর্নের সব কিছু ভাল এই ধরনের মনোভাব না থাকাই উচিত। যেখানে শিল্প আছে এবং নারীটি স্বেচ্ছায় তা করেছে- তা অবশ্যই ভাল-যেখানে নেই-তা পরিত্যজ্য।
@বিপ্লব পাল, ধন্যবাদ!
@বিপ্লব পাল,
খুব ভালো কিছু বিষয় তুলে এনেছেন। এই বিষয়গুলো মূল লেখায় যুক্ত করার বিনীত অনুরোধ জানাই। বোধ করি, এতে লেখাটি আরো সমৃদ্ধ হবে। :yes:
“ফিস ফাস ফিস” আর্টিকেলটা পড়লাম। এসব বিষয়ে আসলেই বেশি বেশি লেখা, আলোচনা হওয়া উচিত। আমি নিজেও ছোট বেলা থেকে জেনে এসেছি পর্ণ দেখা অনেক খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি অনেক বড় হয়ে যৌন সংক্রান্ত অনেক ব্যাপার বিভিন্ন জায়গা থেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে জেনেছি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার বাচ্চা-কাচ্চা যখন হবে তখন তাদেরকে প্রয়োজনীয় যৌনজ্ঞান দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
@লীনা রহমান, ধন্যবাদ! আপনার পজিটিভ সিদ্ধান্তের কথা শুনে ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের (বা ইউরোপ সাধারণভাবে) মধ্যে বিরাট তফাৎ। ইউরোপে তথা পশ্চিমে ছেলে মেয়েদের ফ্রী মেলামেশা আছে। শিল্প বিপ্লব, রেনেসাঁর গভীর প্রভাব আছে তাদের সমাজে। ধর্মের শিকল নেই। পর্নোগ্রাফী সেখানে একটা সাইড ব্যাপার। হয়ত গার্ল ফ্রেন্ড বা স্ত্রীকে নিয়ে কিছু উদ্দীপনার জন্য দেখা, বা বুড়দের সময় কাটানোর এক উপায়। বাংলাদেশের সমাজ অনেক পিছিয়ে আছে। এখানে ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশাই করতে দেয়া হয় না। তার উপর মেয়েদেরকে সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়। ইসলামের ইতিহাসেই তো নারীকে ভোগের পণ্য হিসেবে দেখা হয়েছে। কোন কিছু না বদলিয়ে হঠাৎ শুধু পর্নোগ্রাফীকে অবাধ করে দিলে সামাজিক স্থিতিশিলতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। বাংলাদেশ এক অনন্য জায়গা। এখানে গণ ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ নিত্য দিনের খবর যা পাশের ভারত, বর্মা, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কোথাও নেই এই মাত্রায়। এদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ শুধু ধর্মের। আর ধর্মের কারণে ছেলে মেয়েদের মধ্যে এক বিরাট তফাৎ করে রাখা হয়েছে, যার কারণে নারী লিঙ্গের প্রতি এই অস্বাভাবিক যৌন দৃষ্টিভঙ্গী। আর লেখক তো বলছেন যে পর্নোগ্রাফী দেখাটা বাংলাদেশে খুব কমন। তাহলে তাঁর সমস্যা কোথায়? এটাকে কি তিনি এক সামাজিক অধিকারের আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে চান? কজন তা সমর্থন করবে? আমি নিশ্চিত যে ৫০% নারীদের ৫% এর বেশি তা সমর্থন করবে না। পর্নোগ্রাফী আমাদের দেশে একটা পুরুষকেন্দ্রিক মাদকতা। আর এর মূল কারণ ছেলে মেয়েদের মধ্যে অবাধ মেলামেশার সুযোগের অভাব।
@যাযাবর,
আমি অবশ্যই বলছিনা, ”বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফীকে অবাধ করে দেয়া হোক”। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ”পর্নগ্রাফির ফলে নৈতিক অধঃপতন হয়” কিংবা ”হস্তমৈথুনের ফলে শারিরিক অবনতি হয়”, এ জাতিয় অসাড় চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। সেই সাথে সেক্স ইডুকেশন হাইস্কুল লেভেলে লাঞ্চ করা হোক। হস্তমৈথুন, পর্ণগ্রাফির মতো অচ্ছুত বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসুক। মানুষের ভুল গুলো ভাঙ্গুক। তাছাড়া সিনেমাকেও বয়স ভিত্তিক রেটিং কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হোক।
@যাযাবর,
চিন্তাটার মধ্যে গলদ আছে বলে মনে হচ্ছে। পর্নোগ্রাফী যদি পুরুষকেন্দ্রিক মাদকতা, এর কারন যদি ছেলে মেয়েদের মধ্যে অবাধ মেলামেশার সুযোগের অভাবে হয় তাহলে আমেরিকা, ইউরোপের মতন উন্নত দেশ গুলোতে আপনার কথা অনুযায়ী পর্ন ইন্ডাস্ট্রিজগুলোতে ধস নামার কথা। প্রশ্ন হল সেখানে কেন এ জিনিসের মহৎসব চলছে?
@সাইফুল ইসলাম, ভালো একটা পয়েন্ট হাইলাইট করেছেন :yes:
@সাইফুল ইসলাম,
আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে উক্তিটা করেছিলাম। এখানে তরুণদের মধ্যে মেয়েদের প্রতি এক অতীব যৌন কৌতুহল জন্মায় অবাধে মেলামেশার সুযোগ না থাকাতে যা পর্নোর প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি করে। আমেরিকা ইউরোপে বেশির ভাগ খদ্দেররা হল বয়স্ক লোকেরা, যারা নিঃসংগ। আর যেটা আগে উল্লেখ করেছি, মেয়ে বন্ধু বা স্ত্রীকে নিয়েও অনেকে উদ্দীপনার জন্য দেখতে পারে। তা ছাড়া পশ্চিমে এরকম অনেক প্রবাসী আছে যারা নিজের দেশে সেক্স এর ব্যাপারে অনেক বিধি নিষেধের মধ্যে ছিল। তারাও এর খদ্দের। আর এখন বিশ্বায়নের যুগে পর্নো একটা রপ্তানীযোগ্য পণ্য হয়ে গেছে। কাজেই পর্নো তৈরী হলেই যে শুধু স্থানীয় বাজারেই তা ব্যবহৃত হবে এমন তো কথা নেই।
হস্তমৈথুন সম্বন্ধেও অনুরূপ ক্ষতিকর মিথ আমাদের সমাজে বিদ্যমান, যেগুলো কেটে গেলে সমাজের যৌন স্বাস্থ্য বাড়বে বই কমবে না। এ বিষয়ক অসংখ্য anectode এর ঝাঁপি খুলে বসা থেকে আপাতত বিরত থাকছি 😀
@রৌরব, এই বিষয়ে আমার লেখা একটি আর্টিকেল আছে। লিংকঃ ফিস ফাস ফিসe
বিষয়টা বেশ ভাল। আসলেই আরো বিস্তারিত ও বিশ্লেষন থাকলে ভাল হত। বিপ্লব পালের পুরনো একটা লেখা আছে এ সম্পর্কিয়। সেখানে উনি দেখিয়েছেন যে আজকাল মানুষের সেক্সুয়াল সমস্যা ঘটিত রোগের ওষুধ হিসেবে ডাক্তাররা পর্ন ছবি দেখা প্রেস্ক্রাইব করছেন।
তবে পশ্চীমা দেশে পর্ন ছবি দেখার কুফল যতটা না দেখা যাবে আমাদের দেশে অবধারিতভাবে আরো অনেক বেশী দেখা যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
পর্ণগ্রাফি দেখার কুফলটা কি আমাকে বলেন। পশ্চিমা বিশ্বে পর্ণগ্রাফির কি কুফল আপনার চোখে পড়েছে তা একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? কি আমাদের দেশের মানুষ কি পর্ন ছবি দেখে না?
@আদিল মাহমুদ,
কুফল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বৈকি? একটা-দুটো প্রজন্মের ব্যবধানে হয়তো neutralized হয়ে আসবে। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? এপথে কে এগিয়ে নিয়ে যাবে? ভারতীয় হিন্দি সিনেমা ঘন্টা বাঁধার ভূমিকা পালন করছে এক্ষেত্রে। মন্দের ভাল।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ঠিক, কিছু সময় পর ব্যাপারটা নর্মালাইজ হয়ে আসবে। আমাদের অঞ্চলে যৌন ব্যাপার স্যাপার নিয়ে হাস্যকর রকমের গোপনীয়তা পালন করা হয় যা রীতিমত ছেলেমানুষীর পর্যায়ে যায়। তবে তার মানেই এইনা যে নোংরা পর্নগ্রাফী বানিয়ে তা দিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। পর্নগ্রাফী ফিল্ম ছেলে মেয়েদের যৌন শিক্ষার পাঠ দেবার জন্য বানানো হয় বলে শুনিনি। আমার নিজের এই বস্তুতে কেন যেন কোনদিন আগ্রহ হয়নি, তাই বিস্তারিত জানি না।
পর্নছবির কুফল কি তা বর্ননা দিতে গেলে আগে পর্নছবি কাকে বলে তার একটা সীমা রেখা টানতে হবে। ক্ষতিকর দিক কি নেই? আছে বলেই তো মনে হয়। তবে একই ছবির ক্ষতিকর দিকের মাত্রা সব দেশে বা সমাজে এক রকমের হবে তা নয়। পর্নগ্রাফি পশীমা সমাজে (অন্তত আমেরিকা/কানাডাতে)খুব ওপেন তাতো আমার মনে হয়নি। এডাল্ট বুক ষ্টোর বা ভিডিও ষ্টোর লোকজন খুব ভাল চোখে দেখে মনে হয় না। এডাল্ট ষ্টোরের কাছে কেউ শখ করে পরিবার নিয়ে বাড়ি ভাড়া নেবে না। তার সংগত কারন আছে নিশ্চয়ই।
প্রথমত, এটা হতে পারে নেশার মত। ছেলেপিলে একবার এর মজা পেলে অন্য ক্রিয়েটিভ অভ্যাস বা শখ বাদ দিয়ে এতেই ডুবে থাকতে পারে। আমার নিজের অনেক বন্ধু বান্ধবকে যেমন দেখেছি। ইলেক্ট্রনিক খেলা ধূলা আসার পর পর্ন ছাড়াই এটা একটা গুরুতর ইস্যু হয়ে দাড়াচ্ছে।
গুরুতর প্রশ্ন হল পর্নগ্রাফির ফলে নৈতিক অধঃপতন হয় কিনা? আমার কাছে ডেফিনিট উত্তর নেই। তবে ব্যাপারটার মাঝে নোংরা ভাব কিছুটা হলেও আছে স্বীকার করতে হবে। যে কারনে আমরা শারীরিক মিলন জাতীয় ব্যাপার স্যাপার আড়ালে আবডালে করি সেই কারনেই এই ব্যাপারগুলি ভিডিও আকারে উপভোগ অন্তত আমার কাছে খুব উপভোগ্য মনে হয় না। হয়ত আমার মন এখনো ততটা উদার নয়।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যেভাবে গোটা জিনিষটা উপস্থাপন করেছেন তাতে আমি প্রায় পুরোপুরি সহমত। কিন্তু পর্ণো ছবি দেখা একটা নেশা হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। একজন মানুষ কয়বার (শূন্য থেকে একশ বার) পর্ণো ছবি দেখেছে এরকম একটা জরীপ চালালে মনে হয় একশএর দিকে না হয়ে শূন্যের দিকে heavily skew হবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি যখন প্রথম নিজে কাল এটা লিখি তখন নিতান্তই নিজের মাথা থেকে লিখেছিলাম। তবে এখন দেখছি যে বিশেষজ্ঞদেরও অনেকেই তেমনই মনে করেন। যদিও নেশার মাত্রা কতটা, মানে হেরোইন বা মাদকের মত অতটা মারাত্মক না বলে অনেকে মনে করেন।
এখানে দেখতে পারেন।
লেখাটা ভাল, যদিও আরেকটু আলোচলা করলে আরো ভাল লাগত।
@রৌরব, আসলেই আরেকটু গুছিয়ে লেখার দরকার ছিলো। আশা করি পোষ্টের দূর্বলতা কেটে যাবে মন্তব্য আর আলোচনায়।