মুসলিম মানস, পর্ব-১
সাধারন মুসলিম জনমানুষের মানসপটের খবর জানার জন্য ইদানিং আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু পরিচিত জন ও বন্ধু বান্ধবের সাথে (যারা সবাই মুসলমান) ইসলাম নিয়ে আলাপের চেষ্টা করেছি। আর তা থেকে বেশ কিছু মজাদার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান সঞ্চয় করেছি। যা থেকে তাদের মানস পটের একটা ছবি পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠেছে। সে গুলো এবার আমি একে একে বিবৃত করব।
এক পরিচিত জনকে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী, প্রশ্ন করলাম
-ইসলাম কি শান্তির ধর্ম ?
সে তো খুব আত্ম বিশ্বাস সহকারে উত্তর দিল- অবশ্যই।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম – আপনি কি কোরান শরিফ পড়েছেন?
সে অকাতরে বলল-আরবী কোরান কিছু কিছু পড়েছে কিন্তু বাংলাতে পড়া হয়নি।
আবার তাকে প্রশ্ন করলাম- আপনি কি আরবী বোঝেন ?
– না । – তার জবাব।
এবার আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম- কোরান না পড়ে, না বুঝে আপনি এত আত্মবিশ্বাস সহকারে কিভাবে উত্তর দিলেন যে ইসলাম শান্তির ধর্ম ?
সে তখন দৃঢ়তার সাথে বলল- বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে, ইসলামী জলসায়, ইদানিং টেলিভিশনে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনেছে আর তারা সবাই কোরান হাদিস উদ্ধৃত করে বলেছে ইসলামই হলো একমাত্র শান্তির ধর্ম। আর তা ছাড়া আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম শান্তিরই হবে এতে তো সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। কোরান বলেছে – ইহা সেই গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই।
তখন আমি তাকে কোরান শরিফ খুলে দেখালাম অনেকগুলো সূরা যে গুলোতে বলা হচ্ছে- কাফেরদের হত্যা কর, তাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ কর, তাদের সাথে যুদ্ধ কর যে পর্যন্ত না তারা ইসলাম কবুল না করে ইত্যাদি।
তখন সে বিন্দু মাত্র বিচলিত না হয়ে বলল- আপনি সম্পূর্ন কোরান তফসির সহকারে পড়ুন তাহলে দেখবেন কোরান শান্তির কথা বলছে।
এবার আমি বেশ বিরক্তির সাথে বললাম- আমি পুরো কোরান তফসির সহকারে কমপক্ষে ১০/১২ বার পড়েছি, প্রতিদিন পড়ি কিছু না কিছু , আর তা পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে কোরানে বস্তুত পক্ষে শান্তির কথা কিছুই বলে নি, বরং বলেছে- হিংসার কথা, খুন খারাবির কথা , অশান্তির কথা। অথচ আপনি একবারও কোরান না পড়ে , তফসির না জেনে এত আত্মবিশ্বাস সহকারে বলছেন কোরান শান্তির কথা বলেছে। এটা কোন যুক্তির কথা হলো ?
উদাহরন স্বরূপ, আমি কোরানের সূরা নিসার ৮৯ নম্বর আয়াতটা তাকে কোরান বের করে দেখালাম-
তারা চায় যে তারা যেমন কাফের তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের মধ্য হতে কাউকে বন্ধু রূপে গ্রহন ক’রো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা যদি বিমুখ হয়, তাদেরকে পাকড়াও কর, যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধু রূপে গ্রহন ক’রো না, সাহায্যকারী রূপে গ্রহন ক’রো না। ( বলা বাহুল্য, এ বিখ্যাত আয়াতটি বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যানে অনেকেই জানেন)
তাকে বুঝালাম ইসলামে কাফের বলতে তাদেরকেই বুঝায় যারা আল্লাহ ও তার নবীর প্রতি ইমান আনে না। সে অর্থে যত অমুসলিম আছে সবাই কাফের কারন তারা সৃষ্টি কর্তাতে বিশ্বাস করলেও মোহাম্মদকে নবী মানে না আর তার কোরান কে আল্লাহর বানী মানে না। এখন কথা হচ্ছে, প্রতিটি মানুষের কাছে তার নিজ ধর্ম শ্রেষ্ট। একজন মুসলমান যেমন তার ধর্ম ইসলামকে শ্রেষ্ট মনে ক’রে অমুসলিমদের কাছে দাওয়াত দেয়ার অধিকার রাখে, তেমনি একজন খৃষ্টান, হিন্দু বা বুদ্ধিষ্টও একজন মুসলমানের কাছে তার ধর্মের দাওয়াত দেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু দাওয়াত গ্রহন করা বা না করা যার যার অভিরুচি। সেখানে কোন জোরা জুরি করা বা বল প্রয়োগ করা সভ্য জগতের রীতি নীতির পরিপন্থি। কিন্তু আলোচ্য আয়াতে দেখা যায়- ইসলাম অন্য ধর্মের কোন অধিকারই স্বীকার করে না তার মানে, সভ্য জগতের প্রচলিত কোন রীতি নীতির ধার ধারে না, শুধু তাই নয়, ইসলামের দাওয়াত গ্রহন না করলে আল্লাহ মুসলমানকে নির্দেশ দিচ্ছেন অমুসলিমদের সাথে সাথে হত্যা করতে তার মানে প্রাচীন যুগের বর্বর রীতির বহি:প্রকাশ এটা। তো এধরনের বর্বর একটা বানী কিভাবে আল্লাহর বানী হতে পারে ?এর পরেও লোকটি মোটেও হাতোদ্যম হলো না, বলল – এর পিছনে নিশ্চ্য়ই আল্লাহর কোন গোপন রহস্য আছে যা আমরা জানি না।
মোট কথা -অনেক যুক্তি প্রদর্শন করলাম কিন্তু কোনকিছুতেই কাজ হলো না, তার মনে বিন্দু মাত্র রেখাপাত করানো গেল না , এতই মজবুত তার ইমান। আমি তাতে আরও বললাম- ইসলাম যখন অমুসলিমদের হত্যা করার হুকুম দিচ্ছে, কিন্তু যেহেতু দুনিয়ার মুসলমানরা এখন দুর্বল বলে সেটা পারছে না , তার মানে যখন তারা শক্তিশালী হবে তখন তারা ঠিকই অমুসলিমদের মেরে কেটে সাফ করে দেবে,. কোরান সেটাই সুনির্দিষ্ট ভাবে বলছে। এটাই যদি মুসলমানদের মনের অভিসন্ধি হয়ে থাকে তাহলে যারা অমুসলিম তাদের অধিকার আছে আত্মরক্ষার ও ভবিষ্যত নিশ্চিত শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের। এ ধরনের চিন্তা ধারা থেকে অমুসলিমরা যদি ঐক্য বদ্ধ হয়ে এখন দুনিয়ার গোটা মুসলমান জাতিকে মেরে কেটে সাফ করে দেয় তাহলে কোরানের বিধান অনুযায়ী সেটা অন্যায় হবে না । আপনি কি বলেন? তাহলে দেখা যাচ্ছে- মুসলমানরা দুনিয়াতে টিকে আছে অমুসলিম তথা তাদের ভাষায় কাফেরদের করুনার ওপর ভর করে। কাফেররা যদিও জানে মুসলমানদের গোপন দুরভিসন্ধির কথা তার পরেও তারা এক জোট হয়ে মুসলমানদেরকে দুনিয়া থেকে উচ্ছেদ করে দিচ্ছে না। এটা তাদের পরম দয়ারই বহি:প্রকাশ। সেই ১৪০০ বছর আগে আপনাদের আল্লাহর নবী কিন্তু সে মানবতাটুকু দেখান নি, সে দয়া দেখান নি। তিনি মক্কা বিজয়ের পর যারা তার ইসলাম কবুল করে নি তাদেরকে কচুকাটা করেছেন, এরপর আশে পাশে যে সব ইহুদি গোষ্ঠির লোকজন বাস করত তাদেরকে হত্যা করে তাদের নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ধর্ষণ করেছেন, তাদের বাচ্চা কাচ্চাদের বন্দী করে দাস বানিয়েছেন। সেই তুলনায় বর্তমানকার কাফেররা আপনার মহানবীর চাইতে অনেক অনেক বেশী মহান চরিত্রের অধিকারী। কি বলেন ?এবার লোকটা মুখে আর কোন শব্দ উচ্চারন করতে পারল না। তবে দেখলাম এবারও একটা অজুহাত সে খাড়া করল- বলল- ওসব ইহুদি নাসারাদের বানান গল্প, মহানবী ও ধরনের কাজ কখনো করেন নি। তখন আমি তাকে সহি বুখারী আর মুসলিম থেকে বের করে একে একে কিছু হাদিস দেখালাম । আমি তাকে মোহাম্মদের খায়বার আক্রমন ও খায়বারবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করার ঘটনার যে হাদিস সেটা দেখালাম।যেমন –
আনাস হ’তে বর্নিত -আল্লাহর নবী রাতের বেলায় খায়বারে পৌছলেন। এটা তার স্বভাব ছিল যখন তিনি কোন শত্রুর কাছে তিনি রাতের বেলা পৌছলে তখনি আক্রমন করতেন না , ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। ভোর হলে পর যখন ইহুদিরা তাদের কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলো তখন তাদের নজরে মোহাম্মদ ও তার সশস্ত্র সঙ্গী সাথীদের দেখল। মোহাম্মদ তখন বলল- আল্লাহু আকবর, খায়বর ধ্বংস হল, আমরা যখন একটা জাতির সাথে যুদ্ধের জন্য তাদের দিকে অগ্রসর হই, তাদের কাছে সকালটা হয় ধ্বংসের। সহি বুখারী, বই নং-৫৯, হাদিস নং-৫১০
এর পরের ঘটনা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। প্রায় ৬০০ (মতান্তরে ৯০০) ইহুদি পুরুষকে সেদিন মোহাম্মদের বাহিনী হত্যা করেছিল। আর এরপর তাদের সর্দার কিনান এর স্ত্রী সাফিয়াকে নিয়ে মোহাম্মদ রাত কাটিয়েছিলেন বিয়ে ছাড়াই। উনি কিভাবে একটা নারীকে বিয়ে ছাড়া রাত কাটাতে পারেন যেখানে তার স্বামী, পিতা , ভাই, আত্মীয় স্বজন সবাইকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন সেদিনই , এটা কি কোন আল্লাহর নবীর চরিত্রের সাথে মানানসই ? আল্লাহর নবী তো দুরের কথা , কোন সভ্য মানুষ এটা করতে পারে ? অবশ্য পরদিন উনি সাফিয়াকে বিয়ে করেছিলেন।আমি তাকে বললাম – উপরের হাদিস থেকে একটা বিষয় পরিস্কার যে মোহাম্মদ আতর্কিতে খায়বার আক্রমন করেছিলেন, কারন যখন আক্রমন করেছিলেন তখন খায়বরবাসীরা সকালবেলাতে কাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল । এটা কোন আত্মরক্ষার আক্রমন ছিল না। আক্রমনটা ছিল এম্বুস ধরনের । তার মানে নিরীহ একদল মানুষের ওপর মোহাম্মদ আর তার দল বল বিনা নোটিশেই কোন উস্কানি ছাড়াই চুড়ান্ত জিঘাংসায় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। যা ছিল তখনকার আমলের যুদ্ধের পরিপন্থি। এ কেমন আল্লাহর নবী যিনি নিরীহ জনসাধারনের ওপর হামলা করে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে আনন্দ উল্লাস করেন ? তবে কোরানের ৪: ৮৯ আয়াত অনুযায়ী কিন্তু বিষয়টা ঠিকই আছে। সেখানে বলা হয়েছে ইসলামের দাওয়াত কবুল না করলে তাদের ওপর হামলা করা যাবে, নির্বিচারে খুন করা যাবে, সেটা কোন খারাপ কাজ হবে না। খায়বারের ইহুদিদেরকে আগেই ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল আর তারা তা কবুল করে নি , সেকারনেই তাদের ওপর এহেন ভয়াবহ আক্রমন। এই হলো – ইসলামের শান্তির নমুনা! এত উদাহরন যখন দেখালাম আমার পরিচিত লোকটি তো তখন থ।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- নবীজি ৫১ বছর বয়সে ৬ বছরের শিশুকন্যা আয়শাকে বিয়ে করেছিলেন , জানেন ?
সে বলল- না তা তো জানিনা, তবে আয়শা নবীজির স্ত্রী ছিলেন তা জানি।
বললাম- আপনার ৬ বছরের মেয়েকে ৫১ বছরের একজন পুরুষ বিয়ে করতে চাইলে আপনি তাকে কি বলবেন ?
সে বলল- তাকে লম্পট, বদমাইশ বলব।
সাথে সাথে আমার প্রশ্ন- তাহলে নবীজির বেলায় কি বলতে হবে ? ,সে নিরুত্তর রইল।
– আপনি কি জানেন , নবীজি ১৩ টা বিয়ে করেছিলেন আর এছাড়া তার আরও দাসী বাদি ছিল ?
– আমি তো জানি তার ৪ টা বউ ছিল।
– আপনি কি জানেন তিনি লুঠ করার উদ্দেশ্যে মদিনাবাসীদের একত্র করে ৩১২ জন লোক নিয়ে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করতে বেরিয়েছিলেন?
– আমরা তো জানি মক্কাবাসীরা আক্রমন করার জন্য মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, ওহুদ প্রান্তরে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মক্কাবাসীদের সৈন্যসংখ্যা ছিল ১০০০ এর বেশী। আল্লাহর সাহায্যে নবীজি তাদেরকে পরাস্ত করেন।
– ভুল জানেন, সিরিয়া থেকে মক্কায় ফেরার বানিজ্য কাফেলায় ৫০ জনের মত লোক ছিল, যখন তাদের নেতা সুফিয়ান জানতে পারল তাদের মালামাল লুট করার জন্য মোহাম্মদ দল বল নিয়ে রওনা হয়েছে তখন সে বানিজ্য কাফেলাকে একটু ঘুর পথে নিয়ে যায়। আর মক্কায় সাহায্যের জন্য খবর পাঠায়। খবর পেয়ে মক্কাবাসীরা তাদের মালামাল রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে, মদিনা আক্রমন করার জন্য নয়। এর পর ওহুদ প্রান্তরে মোহাম্মদের সাথে মরুভুমিতে দীর্ঘ পথ ভ্রমনে ভীষণ ক্লান্ত মক্কাবাসীদের যুদ্ধ হয় ও মক্কাবাসীরা পরাজিত হয়। পরাজয়ের অন্য কারনের মধ্যে আছে -মক্কাবাসীদের মধ্যে কিছু মোহাম্মদের অনুসারীও ছিল যাদেরকে মক্কাবাসীরা জোর করে তাদের সাথে এনেছিল যারা যুদ্ধের সময় মক্কাবাসীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। যাহোক, যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর বিপুল মালামাল মোহাম্মদের দলের আয়ত্বে আসে। তখন মক্কাবাসী আর মদিনা বাসীদের মধ্যে লুঠের মালামাল বন্টন নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। মক্কাবাসীরা মদিনাবাসীদেরকে লুঠের মালের ভাগ দিতে অস্বীকার করে। পক্ষান্তরে মদিনাবাসীরা বলে তারা মোহাম্মদ ও অন্য হিজরতকারী মক্কাবাসীদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, তারপর মক্কাবাসীদের সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব না থাকা সত্ত্বেও তারা মোহাম্মদের কথা মত(প্রথমে মদিনাবাসী মক্কার বানিজ্য কাফেলাকে আক্রমন করতে চায়নি, মোহাম্মদ তখন কোরানের বানী নাজিল করে ও লুঠের মালের ভাগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ান) তাদের আক্রমন করেছে তাই লুঠের মাল তাদের প্রাপ্য। এ নিয়ে প্রায় মারামারির পর্যায়ে গেলে মোহাম্মদ একটা সমঝোথা করে দেন। তার মানে মদিনাবাসীরা ইসলামের জন্য যতটা নয় , তার চাইতে লুঠের মালের ভাগ পাওয়ার জন্যই এসেছিল। অন্যদিকে হিজরতকারী মক্কাবাসীরা ছিল ভীষণ পাজি ও স্বার্থপর, তারা মদিনা বাসীদের সাহায্যকে স্বীকার করতে চায়নি। এখন প্রশ্ন হলো- খোদ আল্লাহর নবী যেখানে উপস্থিত সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে কিভাবে ? আজকের যুগে আমরা যদি কাউকে আল্লাহর নবী হিসাবে চুড়ান্ত ভাবে জানি ও বিশ্বাস করি তাহলে আমরা এহেন লুটের মাল বন্টনের মত তুচ্ছ ঘটনা ঘটানোর কথা তো কল্পনাও করতে পারি না ।
আমি তাকে তখন বদর যুদ্ধের যাবতীয় ঘটনা বের করে দেখালাম। আরও বললাম- ইসলাম আর মোহাম্মদ সম্পর্কে আপনাদের শূধু ভাল ভাল খবর গুলো জানানো হয় , বিতর্কমূলক ঘটনাগুলো গোপন করা হয়। কখনো জানতেও দেয়া হয় না । আর এটাই একটা বড় সমস্যা।
এর পর সে আর কোন কথা না বাড়িয়ে বলল- ভাল করে পড়ে দেখতে হবে বিষয়টি কি ও এই বলে সে আমার কাছ থেকে তড়ি ঘড়ি উঠে চলে গেল।
ইসলাম যে মোটেও কোন শান্তির ধর্ম নয়, এটা বোঝার জন্য সত্যিকার অর্থে কোরান বা হাদিসের আর কোন কিছুই পড়ার দরকার হয় না , উক্ত একটি মাত্র আয়াতই আর উপরের হাদিসই তা প্রমান করার জন্য যথেষ্ট। একই সাথে একই ভাবে এ ধরনের ঘৃন্য ও বর্বর কথা যে পরম দয়ালু আল্লাহ বলতে পারেন না , তাও সাথে সাথে যে কোন সাধারন বুদ্ধি বিবেক সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারে। কিন্তু আমার সে পরিচিত লোকটি তা বুঝতে অক্ষম হলো , শুধু তাই নয় তার মত কোটি কোটি মুসলমান বন্ধুরাও তা বুঝতে অক্ষম। আমি উক্ত আয়াতের তফসির সম্পর্কে জানার জন্য বেশ কিছু অনলাইন কোরান ঘেটেছি , বোঝার চেষ্টা করেছি আসলে কোন প্রেক্ষাপটে সেটা নাজিল হয়েছিল। আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, আগে পরের আয়াত গুলোর তফসির নানা কায়দায় বলা হয়েছে কিন্তু নির্দিষ্টভাবে উক্ত আয়াতের কোন তফসির কোথাও নাই।
এবার একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী নারীর কথা বলব যে প্রচন্ড রকম ধার্মিক ও তাবলিগ জামাত করে। সে সব সময় বোরখা ও নেকাব পরে চলাচল করে।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম- এত নামাজ রোজা আর ধর্ম কর্ম পালন করেন কিসের জন্য?
বলল পরকালে নাজাত পাওয়ার জন্য করে। জিজ্ঞেস করলাম – নাজাত জিনিসটা কি ?
বলল- বেহেস্তে যাওয়ার জন্য নামাজ রোজা করে। জাহান্নামের হাত থেকে বাচার রাস্তাই হলো নাজাত।
তখন আমি বললাম – আপনি কি জানেন বেহেস্তে নারীদের জন্য আনন্দ ফুর্তির উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই নেই ?
সে আশ্চর্য হয়ে বলল-অবশ্যই আছে , সেখানে নারীরা খুব আনন্দে ও সুখে থাকবে।
আমি বললাম – না। বেহেস্তে শুধুমাত্র পুরুষদের ব্যবস্থা যেমন সেখানে আছে অসংখ্য যৌবনবতী হুর, মদের নহর ইত্যাদি যা নারীদের আনন্দ ফুর্তিতে কোন কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
সে খুব চালাকি করে বলার চেষ্টা করল- কোরানে তো কোথাও লেখা নাই যে নারীর জন্য আনন্দ ফুর্তির কোন ব্যবস্থা নেই ।
আমি বললাম- ওটা লেখার দরকারও তো নেই । কোরানে বার বার বেহেস্তের যে বর্ননা দিয়েছে তাতে সে জায়গাটা যে নারীদের বসবাসের জন্য খুব আকর্ষনীয় জায়গা তা মনে হয় না। উদাহরন স্বরূপ বলা যেতে পারে একটা টেইলারিং শপের কথা । যদি শপটিতে ঢুকে দেখা যায় ভিতরটা শুধু পুরুষদের পোষাক দ্বারা সজ্জিত তাহলে বুঝতে হবে সেটা বিশেষভাবে শুধু পুরুষদের জন্য শপ। সেখানে ব্যখ্যা করার দরকার নেই যে সেটা নারীদের জন্য না আর তা বুঝতে সামান্য সাধারন জ্ঞানই যথেষ্ট। সুতরাং বেহেস্ত যে শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য, নারীদের জন্য নয় , সেটা কোরানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা না থাকলেও যা উল্লেখ করা আছে তা দিয়ে বোঝা যায় তা শুধুমাত্র পুরুষ মানুষদের জন্য।
তখন সে বলল- নারীরা সাধারন ভাবে ধর্ম কর্মের প্রতি বেশী মনোযোগী থাকে, পুরুষরা কম অমনযোগী থাকে তাই পুরুষদের আকৃষ্ট করতেই আল্লাহ তাদেরকে বেহেস্তের নারী আর মদের লোভ দেখিয়েছেন।
আমি বললাম- এবার আপনি মনের অজান্তে হলেও সত্যি কথাটা বলে ফেলেছেন। তবে আপনার ধারনাও ভুল। তা হলো- নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই নাকি গুনাহের কাজ করে থাকে আর সেকারনেই তাদের অধিকাংশই দোজখে যাবে যা সহি বোখারী হাদিসে বলা আছে। সুতরাং পুরুষদের জন্য নয় , বরং নারীদেরকেই বেশী লোভ দেখানো উচিত ছিল। কারন তারাই নাকি বেশী দোজখে যাবে। হেদায়েত তাদের জন্যই বেশী দরকার ছিল। আর তার পরেও এ কেমন আল্লাহ যে বেহেস্ত তৈরী করতে গিয়ে নারীদের সুবিধা/ আনন্দ ফুর্তির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন ? ভুল করে একটা আয়াতেও তো নারীদের জন্য যেসব সুবিধা বেহেস্তে আছে তার কিছু কথা বলতে পারতেন যেখানে তিনি কম করে হলেও ১০ টা আয়াতে পুরুষদের মজা ফুর্তির আয়োজনের কথা বলেছেন ।
বেহেস্তের মজা ফুর্তির সুযোগ কি আছে তা জানতে – এখানে ক্লিক করুন
এর পরেও কিন্তু মহিলাটা আমার যুক্তিকে গ্রহন করে নি। প্রতিটি প্রশ্নেরই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু যখন আর যুক্তি দিতে পারেনি তখনই সে অকাতরে বলল- নিশ্চয়ই আল্লাহ পরহেজগার নারীদের জন্য কোন না কোন ব্যবস্থা রেখেছেন। বলাবাহুল্য, এ মহিলা দাবী করেছিল সে কিছু কিছু বাংলা কোরান শরিফ পড়েছে তবে পুরো পড়েনি।
তো এই হলো- সাধারন মুসলমানের মানস চিত্র। তাদের মধ্যে ৯৯% এর ও বেশী কোরান কখনই মাতৃভাষায় পড়েনি ( যারা অনারবীয় মুসলমান), নামাজ পড়ার জন্য ও রমজান মাসে কিছু কিছু আরবী আয়াত তোতাপাখীর মত আউড়ে যায় , অনেক সময় গোটা কোরান রোবটের মত খতমও করে ফেলে মাথা মুন্ডু না জেনেই, যার অর্থ কিছুই তারা জানে না, সে আয়াতে অমুসলিমদেরকে খুন করতে বলছে নাকি তাদের নারীদেরকে ধর্ষন করার অনুমাতি দিচ্ছে তা কিছুই তারা জানে না, অথচ প্রচন্ড বিশ্বাস করে বসে আছে কোরান হলো আল্লাহর কিতাব, মোহাম্মদ হলো আল্লাহর নবী, ইসলাম হলো মহা শান্তির ধর্ম, আর কোরান হলো মহাবিজ্ঞানময় গ্রন্থ। আর তাদের সাথে ইসলাম, কোরান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই অধিকাংশই প্রথমে আলোচনাই করতে চায় না , তার পর কায়দা করে আলোচনা করলে ও একটু ভিন্ন মত প্রকাশ করলে, তারা প্রথম যে সবক দেয় তা হলো – কোরান তফসির সহকারে পড়তে ,না বুঝলে বার বার পড়তে – কিন্তু নিজেরা ওসবের ধার কাছ দিয়েও যাবে না। তাহলে প্রশ্ন ওঠে – মুসলমানদের অধিকাংশই এরকম মানসিকতার অধিকারী কেন ?
প্রথম কারনটি হলো- মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করার পর , ধনী নির্ধনী নির্বিশেষে সব শিশুদের প্রাথমিক পাঠ শুরু হয় আরবি অক্ষর দিয়ে আর তার পর শুরু হয় কোরান পড়া , ইসলাম শিক্ষা এসবের মধ্য দিয়ে। তখন প্রথম যে পাঠ দেয়া হয় তা হলো – এই দুনিয়ার মালিক আল্লাহ , তিনি বেহেস্ত দোজখ সৃষ্টি করেছেন, মোহাম্মদ তার শেষ নবী, তিনি মহামানব, আল-আমীন বা বিশ্বাসী, তার চরিত্রে কোন কলংক নেই , যাবতীয় গুনপনা দিয়ে তার চরিত্র পূর্ন কারন আল্লাহ তাকে সব গুন দিয়েছে, কোরান হলো আল্লাহর বানী, হাদিস হলো মোহাম্মদের উপদেশ, জীবনের নানা ঘটনাবলীর বর্ননা যা মানুষকে কেয়ামত পর্যন্ত অনুসরন করতে হবে। বর্তমানে এসবের সাথে যোগ করা হচ্ছে- মোহাম্মদ হলো শ্রেষ্ট সাহিত্যিক, শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী, শ্রেষ্ট সমাজ সংস্কারক, শ্রেষ্ট দার্শনিক সব কিছুর শ্রেষ্ট। এতসব কিছু পড়ার পরই শুরু হয় তার সাধারন পাঠ মানে বিদ্যালয় শিক্ষার কারিকুলাম। তার মানে একটা শিশুর কচি মাথায় প্রথমেই ইসলাম, কোরান আর মোহাম্মদ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত সব ধারনা দিয়ে দেয়া হয় যা সে বয়ে বেড়ায় সারা জীবন। কচি শিশুর মস্তিষ্ক হলো অনেকটা সিস্টেম সফটওয়ার বিহীন মস্তিষ্কের মত, – উইন্ডোস-এক্সপি, ভিস্তা বা লিনাক্স ইন্সটল ছাড়া একটা কম্পিউটারের মত। এর পর তার মাথায় ইসলাম, কোরান ও মোহাম্মদ সম্পর্কিত অতিরঞ্জিত তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ সিস্টেম সফটওয়ার ঢুকিয়ে দেয়া হয়। যার ফল হলো- পরবর্তীতে সারা জীবন সে সেটার মধ্য দিয়েই চলাচল করে, দুনিয়ার বাকী সব কিছুই সে সেই সফটওয়ারের সাথে সমন্বয় করে চলে, যা এই সফট ওয়ারের সাথে সমন্বিত হয় না বা তাল মিলাতে পারে না, যেমন- মুক্ত চিন্তা বা কোরান ও মোহাম্মদ সম্পর্কিত ভিন্ন কিন্তু ইতিহাস নির্ভর বাস্তব তথ্য, তাকে তারা বাতিল বা অগ্রহনযোগ্য হিসাবে রায় দেয়। তাই এর পর তারা যতই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করুক না কেন, তারপরেও যত যুক্তিই প্রদর্শন করা হোক না কেন তারা প্রথমেই তাকে প্রত্যাখ্যান করে তার ব্রেনে রক্ষিত সেই ছোট বেলাকার ধ্যান ধারনার সাথে সংগতি পূর্ন না দেখে। যখন যুক্তিতে আর পেরে ওঠে না তখন তারা হয় তারা আর এ বিষয়ে আলাপ করতে চায় না বা সোজা বলে দেয়- অনেককিছুই গোপন বিষয় আছে যা একমাত্র আল্লাহই জানেন।
দ্বিতীয় কারন হলো- মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত অহর্নিশ প্রচারনা বা প্রপাগান্ডা। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জলসা, রেডিও, টেলিভিশন, রাজনৈতিক সভা সর্বত্র অনিবার্যভাবেই ইসলাম চলে আসবেই আর তাতে ইসলামের গুনগান বা কোরানের অলৌকিকতা বা অভ্রান্ততা প্রচার করা হবে, মোহাম্মদ যে কি অসীম মহামানব ছিল তা প্রচার করা হবে। ফলে মানুষের মনে তাদের ছোটবেলাকার জানা জিনিস আরও বেশী করে জেকে বসে। বর্তমান কালে-টেলিভিশনের বহুবিধ ইসলামী চ্যানেল এ বিষয়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। সেখানে অহর্নিশ মনগড়া ও আজগুবি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যার বিপরীতে কোন চ্যানেল নাই যেখানে এসব বিষয়কে যুক্তির মাধ্যমে খন্ডন করে কোন কিছু প্রচার করা হয়। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট দেশ তো দুরের কথা , পশ্চিমা দেশ সমুহেও নাই । ইসলাম সম্পর্কিত এসব প্রচার প্রচারনায় ইদানিং আরব দেশের বিপুল পেট্রোডলারের সহায়তা এসব কার্যক্রমকে বেগবান করেছে। কিন্তু বিপক্ষে একটাও টিভি চ্যানেল নাই যেখানে এসব দাবীকে ভ্রান্ত প্রমান করা হয়। আছে কিছু বই পুস্তক বা ইন্টারনেট সাইট যেখানে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করা হয় যেখানে খুবই সীমিত সংখ্যক মানুষ প্রবেশ করে আর তারা কিছু কিছু অনুধাবন করতে পারে, কিন্তু এর চাইতে টিভি চ্যনেল অনেক বেশী শক্তিশালী।
প্রপাগান্ডার মধ্যে আছে যেমন –
১। এ যাবত বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার হয়েছে তার সব কিছুই কোরানে আছে আর যা প্রমান করার জন্য আবার পেট্রোডলার সমর্থিত কিছু টিভি চ্যনেল ও ব্যাক্তিবর্গ বিপুল শ্রম ও অর্থ অকাতরে ব্যয় করে চলেছে। তারা ডার্উইনের বিবর্তনবাদ থেকে শুরু করে হালের ব্লাক হোল পর্যন্ত সব কিছু কোরানে খুজে পাচ্ছে আর তা মহাসমারোহে অসংখ্য টি ভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার করছে যা করতে তারা অকাতরে পেট্রোডলার খরচ করছে।
২। কিছু কিছু খ্যতিমান ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে প্রচার করা হয়ে থাকে যে তারা ইসলাম গ্রহন করেছে ইসলামের অভ্রান্ততা স্বীকার করে। উদাহরন স্বরূপ চাদে অবতরনকারী প্রথম মানুষ নীল আর্মস্ট্রং এর কথা ফলাও করে প্রচার করা হয় যে তিনি নাকি চাদে থেকে ফেরার পর ইসলাম ধর্ম কবুল করেছেন। কিন্তু বার বার তার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করার পরও এ অপপ্রচারে বিরতি দেয়া হয় নি যা আবার অধিকাংশ মুসলমান ভাইরা জানে না। ফলে তারা প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অন্ধকারে থাকে।
তৃতীয় কারন হলো- অশিক্ষা, দারিদ্র, কুসংস্কার। মুসলমান প্রধান অধিকাংশ দেশই দরিদ্র , অনুন্নত আর সেসব দেশের শিক্ষার হারও কম। এসব দরিদ্র কুসংস্কারচ্ছ্ন্ন মানুষ গুলো দুনিয়ার আরাম আয়েশ থেকে ভীষণভাবে বঞ্চিত। তাই তারা বিশ্বাস করে- ইহজগতে একটু কষ্ট করে ধর্ম পালন করলে পরকালে যদি বেহেস্তে যাওয়া যায় তাহলে সেটাই তো বড় প্রাপ্তি। কারন কোরানে বার বার বলা হয়েছে- ইহজগত দুদিনের জন্য, পরকাল হলো অনন্ত। তাই মানুষগুলো ইহ জগতের না পাওয়ার বেদনা থেকেই পরকালের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়ে পড়ে আর বেশী করে ধর্ম কর্মে মনোনিবেশ করে।
চতুর্থ কারন হলো- অনুন্নত দেশ সমুহে বিশেষ করে উপমহাদেশের দেশ গুলোতে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষার বিস্তার যতটা না ঘটেছে তার চেয়ে বেশী ঘটেছে কোরান হাদিস ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষার বিস্তার। বিগত বিশ বছরে একটা প্রাইমারী স্কুলের পরিবর্তে যদি ২ টি প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে , সেখানে ১টা মাদ্রাসার পরিবর্তে কম করে ৫ টা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার একটা বিরাট অংশই আবার পেট্রোডলারের সহায়তায়। আর মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে আরও বেশী হারে। তার মানে মোটামুটিভাবে গোটা মুসলিম বিশ্বে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের বিষয়টা গৌণ হয়ে ধর্ম শিক্ষাটা প্রধান ভুমিকায় চলে এসেছে। আর সরকারগুলোও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মাদ্রাসাই হলো সম্পূর্ন আধুনিক শিক্ষা বর্জিত, যাদেরকে কওমী মাদ্রাসা বলা হয়, যেখানকার শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্নতই কোরান ও হাদিস। এমনকি বাংলাদেশে এরকম মাদ্রাসায় মাতৃভাষা বাংলাও শিক্ষা দেয়া হয় না, অংক বিজ্ঞান তো অনেক কল্পনার বাইরের ব্যপার। দেখা গেছে বর্তমানে যে সব ইসলামী উগ্রপন্থি লোকজন আছে তাদের অধিকাংশই এসব মাদ্রাসা থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত। বাংলাদেশে বর্তমানে এরকম মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার যেখানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র পড়াশোনা করে, আর চোখের সামনেই তারা উগ্রবাদী ধ্যান ধারনা নিয়ে গড়ে উঠছে, এসবের বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। তথাকথিত মডারেট মুসলমানরাও কিন্তু এসবে বিরোধিতা করে না , বরং ইসলাম প্রসারে ব্যপক ভুমিকা রাখে বলে তারা এসব মাদ্রাসাতে অনেক আর্থিক সাহায্যও করে থাকে কারন এসব মাদ্রাসা কোন সরকারী অনুদান গ্রহন করে না। বহু লোক আছে যারা এসব মাদ্রাসায় তাদের সন্তানদের পড়ানোর জন্য আগেই মানত করে থাকে এই বিশ্বাসে যে তাতে তাদের গোটা পরিবার বেহেস্তে যাবে। বিষয়টাকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন বেশ বিরাট ব্যবসায়ীর দেখা পেয়েছিলাম যে তার তিন ছেলের একটাকে এ ধরনের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছে , কারন সে সেই ছেলের জন্মের আগেই এ মাদ্রাসায় পড়ানোর মানত করেছিল। তার মানে বিষয়টি ভীষণ ভাবে পবিত্রতার প্রতিক। এছাড়া এসব মাদ্রাসাগুলো সাধারনত; গ্রামের অতি হত দরিদ্র পরিবারের ছেলেদেরকে, গরিব এতিম ছেলেদেরকে সংগ্রহ করে তাদের বিনা পয়সায় শিক্ষা দেয়ার নাম করে। গরিব মানুষগুলো ভাবে এমনিতেই তো তাদের সন্তানদেরকে লেখাপড়া করানোর সাধ্য তাদের নেই, যদি মাদ্রাসা তাদের সে দায়িত্ব নিয়ে নেয় এটা তো আল্লাহর নেয়ামত। তারা আরও মনে করে এতে করে তাদের বেহেস্তে যাওয়ার রাস্তা সুগম হবে। কিন্তু তারা বোঝে না বা জানে না যে তাদের সন্তানদেরকে সে মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামের নাম করে কি শিক্ষা দিচ্ছে। মানুষের দারিদ্রের সুযোগে এভাবেই মুসলমান সমাজে জঙ্গীবাদী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ইসলামী মিথের নামে টিভি চ্যানেল গুলোতে ব্যপক ভূয়া প্রচারনা শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেই ধর্মীয়ভাবে গোড়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এসব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সৌদিরা সাহায্য করতে বেশী আগ্রহী, বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার অধিকাংশই মূলত সৌদি সাহায্য পুষ্ট। কারন এখানে সত্যিকার অর্থেই একদল অন্ধ, উগ্র ও গোড়াপন্থি মানুষ সৃষ্টি হয়, যা সৌদিদের জন্য খুব বেশী দরকার। মোট কথা চারিদিকে এখন এমন অবস্থা বিরাজ করছে যেখানে ধর্মীয় ভাবে গোড়া না হওয়াটাই বেশ আশ্চর্য ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে , শিক্ষা বা শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ না করে সৌদিরা ইসলাম প্রচারে তাদের বিপুল অর্থ কেন ব্যয় করছে। কারনটা কিন্তু খুবই সোজা । সৌদিরা বুঝতে পেরেছে যে তাদের তেল বেশীদিন থাকবে না আর তখন তাদের কপালে খারাবি আছে, তারা যে রকম দুশ্চরিত্র আর অসভ্য ( বাংলাদেশ থেকে সেখানে কাজ করতে যাওয়া একটা মানুষের কাছেও সৌদিদের সম্পর্কে ভাল কথা শুনিনি) তাতে কেউ তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে যাবে না, এমতাবস্থায় তাদের আয়ের একমাত্র অবলম্বন হবে মক্কা মদিনায় বেড়াতে আসা হ্জ্জ যাত্রীরা। বর্তমানেই প্রায় প্রতি বছর ৩ মিলিয়ন লোক হজ্জ পালন করতে সে দেশে যায়, এখন এই সংখ্যাটা যদি আরও বাড়ানো যায় তাহলে তাদের তেল ফুরালেও চিন্তা নেই, মজাসে দিন চলে যাবে তাদের। আর সে লক্ষ্য থেকেই তাদের ইসলাম প্রচার , মসজিদ, ইসলামিক টিভি, তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের পেছনে এত অর্থ লগ্নী , যাতে করে আরও বেশী লোক ধর্মের পথে আসে আর ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ্জ ব্রত পালন করে।একটা খসড়া হিসাব যদি করি , যেমন – মাথা পিছু যদি একজন হজ্জ যাত্রী মাত্র ২০০০ ডলারও হজ্জ এর সময় সৌদিতে ব্যয় করে ( যার নিচে হজ্জের মোট সময়কালীন সৌদিতে থাকা সম্ভব নয়) তাহলে মোট পরিমানটা দাড়ায়- ৬০০০ মিলিয়ন ডলার বা ৬ বিলিয়ন ডলার। এখন এই সংখ্যাটাকে যদি ১ কোটিতে উন্নিত করা যায় তাহলে আয় বেড়ে দাড়াবে ২০,০০০ মিলিয়ন বা ২০ বিলিয়ন ডলার , তাহলে তেল না থাকলেও সৌদি বাদশাদের চিন্তার আর কোন কারন থাকে না, আরাম আয়েশে বংশ পরম্পরা তারা এভাবে চলে যেতে পারবে। সোজা হিসাব। সুতরাং যতটা না তারা ইসলামের জন্যে অর্থ ব্যয় করে, তার চেয়ে বানিজ্যিক স্বার্থ আরও বেশী। অবশ্য এটাকে খারাপ বলাও যাবে না কারন যে কোন দেশই তার দেশের আয় বাড়ানোর জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, যেমন প্রতিটি দেশই তো পর্যটন খাতের উন্নয়ন করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। তাহলে সমস্যাটা কোথায় ? সমস্যাটা হলো- এ করে সৌদির আরবরা তাদের আখের গুটাচ্ছে ঠিকই কিন্তু মুসলিম বিশ্বের চরম সর্বনাশ করছে, মুসলিম দেশগুলো যেটুকু জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে তাদের দেশ গুলোকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত, তাতে বিরাট রকম ছেদ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে আধা সভ্য আরবদের কিছুই যায় আসে না। কিন্তু আমাদের ধর্মপ্রান মুসলমান ভাইরা তা একটুও বুঝতে পারছে না। কিন্তু সৌদিরা যে সুবিধা পাবে তা তো অন্য আরব দেশগুলো পাবে না , তাই আমরা লক্ষ্য করি অন্য আরব দেশগুলো যেমন- সংযুক্ত আরব আমিরাত তারা চেষ্টায় আছে দেশটাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার, পর্যটনের আকর্ষনীয় স্থানে তাদের দেশকে গড়ে তোলার। যাতে তেল ফুরিয়ে গেলেও খুব বেশী বিপদে পড়তে না হয়। যে কারনে সৌদি আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কালচারের মধ্যে বিপুল তফাত। যে কেউ দুবাই গেলে তা সহজেই বুঝতে পারে।
১. কোরআন অমুসলিমদের মেরে ফেলতে বলে, এটি ঠিক নয়। তবে মুহাম্মাদ (সঃ) কেনো বিশ বছর ধরে ইসলামের প্রচার করবেন ? তবে তিনি শুধু অমুসলিম হত্যা করতেন বিশ বছর, প্রচার করতেন না। তাহলে “ইসলাম ধর্ম গ্রহণ” বলে কোনো ব্যাপার থাকতো না।
২. মহানবীর সম্পর্কে আপনি কতগুলো ভুল কথা লিখেছেন- তিনি দাসমুক্তকারী ছিলেন। তিনি কোনো ধর্ষণ করেন নি। তিনি সর্বদা ইসলামের প্রচার করেছেন। কারো কাছে ইসলামের বাণী নিয়ে যাবার পরিবর্তে তার ঘাড়ের ‘পর তলোয়ার নিয়ে যান নি।
আপনি যেসব ‘ইতিহাস’ উত্থাপন করেছেন, সেগুলোর অথেনটিসিটি প্রমাণ করতে পারবেন ? কোরআনেরই বা অথেনটিসিটি কিভাবে প্রমাণ করবেন ? আল্লাহকে বিশ্বাস না করা মানে কোরআন মানব লিখিত বই। সে ক্ষেত্রে এই বইটি মুহাম্মাদ (সঃ) নামে একটা চরিত্র তৈরী করেছে, তার পক্ষে বিশাল বিশাল হাদিস গ্রন্থও তৈরী করেছে, এমনটাই আপনার বিশ্বাস হবার কথা। আপনি কি তা-ই মনে করেন ? আপনি যদি মনে করেন ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মাদ (সঃ) নামে কেউ ছিলো, তবে তার এই অতীতে ‘থাকা’টা আপনি কিভাবে প্রমাণ করবেন ?
৩. উন্ডোজ আর লিনাক্স ডুয়াল বুটে চালানো যায়। ক্রস প্ল্যাটফর্ম সফটগুলো উভয় জায়গায়ই চলে। আবার ওয়াইন দিয়ে লিনাক্সে উইন্ডোজের সফট চালানো যায়। যেকোনো মেশিনে আমরা চাইলেই কমপ্লিট নতুন ওএস সেটাপ করতে পারি। ব্যাপার হলো, আপনি ডুয়াল বুটে সেটাপ দিতে পারছেন না কিংবা ফ্রেশ ইনস্টলও দিতে পারছেন না। তাই মেশিনকে করাপ্টেড বলছেন। অথচ সব মেশিনই একই জিনিস দিয়ে তৈরী হয়।
৪. হা হা হা… হজ্জ্ব ? হজ্জ্ব তো ১৪০০ বছর আগে থেকে চলে আসছে। এখন যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তখন কি তা ছিলো ? আর বর্তমান সউদ বংশ ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী পরিকল্পনার ফসল (প্রায় তিনশ বছর আগে সউদি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়)। জানতে হলে পড়ুন ব্রিটিশ গুপ্তচর হ্যামফারের স্মৃতিকথা।
@নূরে আলম, ভাই আপনারা মুসলমানরা ব্রিটিশ গুপ্তচর হ্যামফারের স্মৃতিকথা পড়ার আগে একবার অর্থ বুঝে কুরআন পড়েন,হাদিস পড়েন, ইসলাম কিভাবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেল সেই ইতিহাস পড়েন,তারপর যুক্তি তর্কে আসেন।প্রমান করেন ইসলাম শান্তির ধর্ম।
ভাই ভবঘুরে, আপনার কথা আমার খুব মনে ধরেছে।আপনি দেখিয়েছেন যে ছোট বেলা থেকে মুসলমান শিশুদের কিভাবে প্রোগ্রাম করা হয় এবং তা সে সারা জীবন বয়ে বেড়ায়। আমাকেও একইভাবেই প্রোগ্রাম করা হয়েছিল,তবু জানিনা কিভাবে আমি নাস্তিক হলাম।তবে হাঁ ধর্ম গ্রন্থের ওই স্থুল ভুল গুলই এর প্রধান কারন, যেমন সম্পদের ভাগা ভাগির (সুরা নিসা)ভুলটা যা কিনা ভাগের পরে দেখা যায় যে মোট সম্পত্তি থেকে বেশি হয়ে যায়।আর তা ছাড়াও আমাকে বেশি ধার্মিক বানাতে গিয়ে এমন কষানি দেয়া হয় যে সম্ভবত এতেই আমি ছিঁড়ে গেছি! কিন্তু আমি কেন এগুলা নিয়ে লেখার চেষ্টা করি না? কারন আমি সুলেখক নই এবং নিজের নাম টাও দিলাম না কারন খুব বেশি ভিতু আমি।মরতে ভয় পাইনা ভাই কিন্তু যদি কেউ আমার অঙ্গহানি করে এই ভয়।আমি জনপ্রিয় কেউ নই যে নাম দেয়া মাত্র আমাকে লোকে চিনে ফেলবে,কিন্তু তবু আমি নিজে পরম সহনশীল(!) মুসলমান জাতিকে এতটাই ভয় পাই যে সবসময় একটা অবসেশনে ভুগি কারন খুবি বাজে ধরনের একটা গোঁড়া মুসলমান পরিবারে আমি বাস করি।
আপনাকে মূর্খ ছাড়া আর কিছু বলা যায় না ।কোরান ও মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে তামাশা করবেন না । আর জাহান্নামের রাস্তা আপনার জন্য সুগম আছে । শুধু মরতে যে সময় । দোয়া করি যেন আজরাইল তাড়াতাড়ি আপনার সাথে দেখা করে ।
@মোঃ মিজানুর রহমান, আপনি নিজেই একটা মহা মুর্খ বুঝলেন? না আপনি বুঝেন নাই কারন আপনিও একটা বিবেক বর্জিত প্রোগ্রাম ছাড়া আর কিছুই না।ছোট বেলা থেকেই আপনার মগজ এমন ভাবে ধোলাই করা হয়েছে যে তার বাইরে আর কিছু ভাবতে পারেন না। আগে আমি আপনাদের ঘৃনা করতাম কিন্তু এখন শুধু করুনা করি।
ধর্মীয় পোস্টে আমি সাধারণতঃ মন্তব্য করি না তবে এই পোস্টে করতে বাধ্য হলাম। লেখাটা বেশ ভাল হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, ৯৯ ভাগ মুসলিম কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়েনি। যেমন আগে আমি আরবি কোরান পড়লেও বাংলা কোরান পড়ে দেখিনি কখনো। মুক্তমনার লেখাগুলো পড়তে গিয়েই আমার বাংলায় কোরানের অংশবিশেষ পড়া হয়। আমি অনেককেই বাংলা কোরান পড়ার পরামর্শ দেই এখন।
তবে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার বহিপ্রকাশ ঘটানো ভবঘুরের ও রুশদীর মন্তব্যগুলো একদম-ই ভাল লাগেনি। এই জাতীয় মন্তব্য লেখার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং লেখার ইন্টেনশন নিয়েও সংশয় জাগায়। যেমন ভবঘুরে বলেন,
।
রুশদী সাহেবের মন্তব্য,
মুক্তমনাকে ফেইথ-ফৃডম বানানোর অপচেষ্টার কথা বিপ্লব পাল বলছিলেন একদিন। এসব মন্তব্য দেখে আজকাল আমার সেটাই মনে হচ্ছে। আগেও আমি এসবের প্রতিবাদ করেছিলাম, আজও করছি। ধর্মের বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা না জেনে, ধর্মীয় ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়, কেন মানুষ ধর্মীয় কারণে আত্মঘাতী হতেও দ্বিধা বোধ করে না সেসব উল্লেখ না করে কেবল একটা বিশেষ ধর্মের মানুষকে মানসিকভাবে পঙ্গু, পাগলা কুকুর বা নেমকহারাম বললে ঘৃণার বদলে ঘৃণাই ছড়ানো হয়, কাজের কাজ কিছুই হয় না। এই পোস্টে বিপ্লব পালের মন্তব্যের সাথে সহমত না জানিয়ে পারছি না।
@পথিক, আমার মনে হয় এরকম হেইট-স্পীচ সেন্সর করার সময় এসেছে। এভাবে ঘৃণা ছড়ালে ধর্মের সমালোচনা কখনওই জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করবে ধর্মের সমালোচনা মানেই ধার্মিককে জঘন্যভাবে আক্রমণ করা।
আপনি একজনকে পাগল বললে সেও আপনাকে পাগল বলবে। এই চক্র থেকে বের হতে না পারলে এসব কিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে।
@পৃথিবী,
লেখকের প্রায় প্রতিটি লেখায় এই মন্তব্য করেছি, আপনে গালি দিচ্ছেন আর তারাও আপনাকে গালি দিচ্ছে, এতে লাভটা কি হল? দুই পক্ষই সেই একই রয়ে গেল।
@পথিক,
এ জাতীয় পোস্টে আপনাদের মন্তব্য না দেয়া খুবই দুঃখজনক। বিজ্ঞানের অনেক বিষয় নিয়ে যে কোন পোস্টে মন্তব্য করার যোগ্যতা না থাকা সত্বেও অনেকে শুধু এতটুকু জানায় যে ভাল লেগেছে। সমালোচনা করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই তা করা উচিত।
বিজ্ঞানের অনেক বিষয় না বুঝার ফলে কুরানের অবৈজ্ঞানিক ব্যপারগুল ঠিকমত লিখতে পারিনা। যেমন ভার্জিন বার্থ। যতটা জানি যে একজন নারীর পক্ষে থিউরিটিক্যলি একটা মেয়ে জন্ম দেয়া সম্ভব হলেও একটা ছেলে জন্ম দেয়া সম্ভব না। অথচ এ বিষয়টি নিয়ে লিখা হচ্ছে আজকাল এবং কুরানেও এ বিষয়টি উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে আপনারা লিখতে গেলে দেখা যাবে অনুবাদের মাইনকা চিপায় ফেলে ধার্মিকেরা একচোট হেসে নিবে। আবার আমরা লিখতে গেলে ভুলভাল বৈজ্ঞানিক টার্ম লিখে ফেলব। কাজেই দু ধারার লিখাগুলোতে অনেক ফারাক তৈরী হচ্ছে।
এখন যারা এ ধরনের দুর্বল লিখাগুলো লিখছে, নানা কারণে তারা ধার্মিকদের উপর ক্ষুদ্ধ থাকে। যেমন অন্য এক ব্লগে একজন নারী ব্রিটেনে বোরখা পড়তে পেরে বোরখার গুণগান গাইল আর দেশে বোরখার সমালোচনা দেখে খুবই দুঃখ পেল। সেই লিখায় মুসলিম নারীর বোরখা পড়ার ব্যপক উপকারিতা ও ইসলামের উপযোগিতার বিস্তারিত বর্ণনা ছিল। অথচ ব্রিটেনের উদারনৈতিক সমাজ ব্যবস্থা এবং সেটি অর্জনে ধর্মের যে কোন ভূমিকাই নেই, সেটি তার চোখে পড়েনি। এ অবস্থায় অনেক সময় হেট স্পিচ এসে যায়।
তবে আপনার সাথে একমত, ব্যক্তি ও জাতি বিদ্বেষ ছেড়ে সচেতনতার জানালা খুলতে তথ্য ও যুক্তিপূর্ণ লিখার প্রতি সকলেরই মনযোগ দেয়া উচিত।
@পথিক,
আপনি ধর্ম প্রচারকারীদের কথা বার্তা শুনেছেন ? মনে হয় না । ওরা আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। আমরা তো আমাদের সীমা লংঘন করি না কারন আমরা তো অশিক্ষিত মূর্খ না।
@পথিক,
এ ক ম ত। আমি বলে বলে ক্লান্ত হয়ে গেছি।
যদিও একই কথা একটু অন্যভাবে বলার প্রয়াস। প্রথমে গল্পদুটো ভাল লাগেনি, মানে কার কার সাথে আপনে কথা বলেছেন তাদের কি কি বুঝিয়েছেন সেই যুক্তিগুলো অনেকগুলোই ভাল লাগেনি, কেননা যুক্তিসঙ্গত হয়নি।
ভুল ব্যাখ্যার উপর দাড় করিয়েছেন আরও ভুল ব্যাখ্যা। কাফের শব্দের অর্থ কি এবং ঐ আয়াতের বিষদ বর্ননা পূর্বেও দিয়েছি, তখনও আপনার বোধগম্য হয়নি, আজও হবেনা, কেননা বুঝতে কখনওই লিখেননা আপনারা, বুঝাতে লিখেন, আর ইহাও আপনাদের একটি আনন্দ বিনোদন মূলক ব্যপার হিসাবে ধরে নিয়েছেন, তাই আমিও আর বলছিনা কিছু। সেই হিসাবে মন্দ হয়নি লেখা।
আপনার লেখা পড়ার সময় ভাবছিলাম যে আপনে জিজ্ঞাসা করতে করতে যদি আমার সাথে দেখা হত তাহলে বেশ ভালই হত।হা…হা…।
মোল্লাদের একটা বাতিক আছে, তাদের এক ধরনের রোগ, তারা সত্য দেখলে পালায়, বা সত্য দেখলে তাকে ধামাচাপা বা হত্যার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে যায়। তারা সত্য জানতে চায়নি কোনদিন, জানতে চায়না, চাবেও না। ইহাই খেলা। তাই বলে আপনে …নাহ! বিষয়টা…সম্ভবত আপনে মাদ্রাসায় পড়ে সেই ভুত ছাড়াতে পারছেন না। মাদ্রাসার সেই বিদ্যা আজও আপনার মস্তিষ্কে কোথাও ঘোরপাক খাচ্ছে।
তবে যাই বলুন লেখা খারাপ না। পড়তে ভালই লাগে। মোল্লাদের উচিত শিক্ষার জন্য আপনার লেখা গুলো দারুন চমতকার। যদিও তারা ঠিক হবেনা। তারপরেও কোন না কোন একজন মানুষের অন্তরে যদি প্রশ্ন জেগেই যায় তাহলে খারাপ কি? অত্যন্ত অন্ধকার থেকে কিছুটা আলোর দিকে হয়ত আসতে পারে।
ভাল থাকবেন
@Russell,
ও দুটো তো গল্প না। আলাপচারিতা বলতে পারেন। আমি ভাই গল্প লিখতে পারিনা। আল্লাহ তো সবাইকে সব গুন দেন না , তাই না ? আর কাফের এর সংজ্ঞা দিলে বড় বাধিত হব। কারন আমরা এতদিন কাফের বলতে তাদেরকেই বুঝতাম – যারা আল্লাহ , তার নবী ও তার কিতাবকে বিশ্বাস করে না। এখন আপনি একটু পরিস্কার করলে আমি সহ মুক্ত মনার অনেক পাঠকই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হতে পারত ও ভবিষ্যতে তাদের নিবন্ধ লেখায় সহায়ক হতো।
@ভবঘুরে,
হুমম…দেখি চেষ্টা করে পারি কিনা কাফের বলতে কি বুঝায়। তবে কথা হল সব কিছুই পড়বেন।ভাল করে পড়বেন। ইহা উপলব্ধির বিষয়, আমার উপলব্ধি থেকে হয়ত আপনার আরও গভির হতে পারে। হয়ত তখন আপনার কাছ থেকেও আমি শিখতে পারি। আমি যদিও শিখাচ্ছিনা, তবুও কিছু কথা জানাতে চাচ্ছি। বাকি সব আপনারা বিজ্ঞ পাঠকদের উপর।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় কাফের শব্দের অর্থ হলঃ যে সত্যকে প্রত্যাক্ষান করে তাকে কাফের বলা হয়। বাক্যটি খুব সোজা হলেও একটু প্যাচ আছে বৈকি।আপনাকে আগে জানতে হবে “সত্য” কি, তারপরেনা আপনে সত্যকে প্রত্যাক্ষান করবেন, তাইনা? আপনে সত্যই জানলেন না প্রত্যাক্ষান করবেন কি? প্রতিটি ধর্মেই বলছে নিজে জান, নিজে বুঝ, প্রমানিত হও তারপর সেই কাজ কর, শুনা কথা, কাল্পনায় কিছুই বিশ্বাস করনা। বস্তু বিজ্ঞানেও এই কথা সত্য। কল্পনা একটি শক্তি মানুষের, তবে এর উপর ভিত্তি করে জগত চলেনা, ইহাকে বাস্তবে রুপ না দেওয়া পর্যন্ত।
এইবার আসি সত্য কি? যা সত্য তা অবশ্যই বাস্তব সম্মত, যুক্তি সম্পন্ন হতে হবে, কাল্পনিক, অবাস্তব, রুপক কিছু সত্য হতে পারেনা। যখন দেখে শুনে বুঝে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনার দৃঢ় বিশ্বাস আসবে তখন সেটা সত্য হবে। পূর্ব দিকে সূর্য উঠে, ইহা আপনে দেখেছেন, জেনেছেন, আপনে কল্পনায় বিশ্বাস আর দরকার হয়না, ইহা সত্য। ইহা চিরন্তন সত্য। যদি ইহা দেখার পর, বুঝার পর জানার পরেও আপনে মানতে নারাজ থাকেন যে না সূর্য পূর্ব দিকে উঠে বা উদিত হয় তাহলে তখন আপনে সত্যকে প্রত্যাক্ষান করলেন বলে ধরা হবে।
লালন বলছেনঃ
“নবী না মানে যারা মোহাহেদ কাফেরও তারা”
আপনে কি নবীরে দেখছেন? সুতরাং তাকে মানবেন- এই কথা নবীও কখনো বলেননি যে আমাকেই মানতে হবে, তাহলে তিনি জীবিত অবস্থায় বলতেন না- জ্ঞান আহরনের জন্য সুদুর চীনে যেতে হলেও যাও।(যদিও বদমাশ আরব জাতী, তথাকথিত আলেম জোকার নায়েক …এরা এই হাদিসকে জাল বলে ঘোষনা করেছেন)। তিনি বলতে পারতেন আমি জীবিত আছি আমার কাছে কোরান আছে আমার কাছে সব জ্ঞান নাও।না। জ্ঞানের জন্য যদি তোমার মনে হয় অন্য কেউ আরও কিছু দিতে পারে তার কাছে যাও, যতদুর হোক যাও, যত কষ্ট হোক যাও।
প্রায় একই সুরে কোরানে আল্লাহ বলছেনঃ
আমি প্রতিটি ভাষাভাষির জন্য একজন নবী-রসুল প্রেরন করেছি। জ্ঞান আহরনের জন্য তোমার ভাষায়ই শ্রেয়, উত্তম। তোমার ভাষায় কোন জ্ঞানী যদি থাকে তার কাছ থেকে নাও। সুতরাং আপনার কাছে যদি কোন জ্ঞানী আসে, তখন তার কাছ থেকে সত্য জানার পর যদি আপনে তাকে প্রত্যাক্ষান করেন, তার জ্ঞানকে প্রত্যাক্ষান করেন তাহলে তখন কুফরী হতে পারে। কুফরি করতে আগে সত্য জানতে হবে ইহা প্রথম শর্ত।
আপনে আল্লাহকে দেখছেন? তিনি আপনার কানে কানে এসে কিছু বলেছেন? আপনে তাকে বিশ্বাস করতে হবে ইহা কেন? আপনে আল্লাহকেও যদি অস্বীকার করেন এতে আপনে কুফরি হবে কিভাবে?
হ্যা যদি আপনে মানুষকে অস্বীকার করেন, মানুষকে ঘৃনা করেন সেক্ষেত্রে কুফর হতে পারে তবে সেই ক্ষেত্রে আপনে যদি জ্ঞানী হয়ে সেইকাজ করেন তাহলে।।
আপনে দেখছেন, জানছেন বুঝছেন যে মানুষ মানুষের কষ্টে এগিয়ে আসে, মানুষ আর একজন মানুষকে প্রেম করে, সহনুভূতি দান করে, বিপদে-আপদে বিভিন্ন কিছুতে মানুষই এগিয়ে আসে, বিজ্ঞান- তা চিকিতসা বিজ্ঞান বলি, কৃষি বিজ্ঞান বলি, ইলেক্ট্রনিক ইত্যাদি যত বিজ্ঞান বলি কোথাও কি দেখেছেন আল্লাহ এসে কিছু করেছে? আসমান থেকে কিছু ফেলাইছে? মানুষ করেছে। সেই মানুষকে যদি আপনে অস্বীকার করেন, প্রত্যাক্ষান করেন তাহলে হয়ত কুফরি হতে পারে। কেননা আপনে বাস্তবে এসব দেখছেন, ইহা সত্য বলে আপনে জানছেন তারপরেও যদি তাদের বাদ দিয়ে মোল্লাদের মত আকাশের দিকে তাকায় থাকেন তাহলে হয়ত কুফর হতে পারে।
শিশু জন্ম গ্রহনের পরে মা যদি দুগ্ধ না দেয় শিশু মারা যাবে, সেক্ষেত্রে সেই মা তার ভগবান। তাকে অস্বীকার করাই কুফরী। আমরা যেই ভুল করি সেটা হল আল্লাহকে আলাদা অস্তিত্ব কোথাও কল্পনায়, আন্দাজে সাত আসমানের অনেক উপরে তাকে বসিয়ে রেখেছি তাকে জমিনে মানুষএর সাথেক, তার সৃষ্টির সাথে মিশাতে জড়িয়ে দিতে পারিনা, তাই এইসব ভুল করে বসি।
কোথাও কোন ক্ষুদার্থ রাস্তার পাশে পড়ে আছে – তখন কোন মানুষই তাকে উঠায় সহয়তা করেন, খাদ্য দেয়, বস্ত্র দেয়…আল্লাহত বলছেন আমি তোমাকে সব জ্ঞান দান করে দিয়েছি, তোমার ভিতরেই আমি নিরপেক্ষ হয়ে বসে আছি, তুমি যেভাবে চলবে আমি শুধু থাকব তোমার সাথে। আমিত এখানে নিরাকার, আমি নিরপেক্ষ, শুধু বিচার দিনে আমি বিচার করব। বিচারক কি কোন কিছুতে সহায়তা করবেন নাকি? নজরুল বলছেনঃ “হাসিতেছেন তিনি অমৃত হিয়ার নিভৃত অন্তরালে”। যাইহোক তখন ঐ ক্ষুদার্থ মানুষের কাছে ঐ দান করা মানুষটি ভগবান হয়ে যায়, তাকে তখন অস্বীকার করাটা কুফর হতে পারে।
আল্লাহ কাফের এর কথা বলছেনঃ যে আল্লাহ ও তার রসুলদের সাথে পার্থক্য করে সে কাফের। কথাটা খুবই সোজা ধরনের, তাও বুঝেনত ওহী যখন মুখ নিঃসৃত হয় তখন একটু প্যাচ থাকেই। যাইহোক সেইদিকে না যাই।
বলা হচ্ছে যারা আল্লাহ ও তার রসুলদের সহিত- একজন “রসুল” না কিন্তু, সকল রসুল। রসুল কি? পথ প্রদর্শক। যে পথ দেখাবে সত্যের। এখন এই যুগে কেউ যদি আপনাকে সত্যের পথ দেখায় বাস্তবে তাহলেসে আপনার রসুল। তাকে আবার যদি আল্লাহর সাথে পার্থক্য করেন তাহলে কিন্তু আপনে কাফের। কেননা আল্লাহ প্রতি যুগে প্রতি ভাষাভাষির জন্য একজন রসুল পাঠান। ইহা চিরন্তন সত্য। কেননা কোরান চিরন্তন সত্য। আপনে খুজলে পাবেন কোন রসুল। অবশ্যই পাবেন। আবার এই বিষয়ে লালন কি বলছেনঃ যিনি রসুল, তিনি মুর্শিদ, তাতে নেই কোন ভুল, খোদাও সেই হয়, এই কথা লালন না কোরান কয়, কোরান কয়, কোরান কয়…। একসময় নবী রসুল এর সময় ছিল, পরবর্তিতে নবুয়্যত বন্ধ করে বেলায়েত থাকল তাই পরে তাদেরকেই পীর ফকির, গুরু বলা হত। এখন পীর ফকির না বলে বলা হয় তাদেরকেই জ্ঞানী। হয়ত ভবিষ্যতে এই নাম আবার কি রুপ নিবে কে জানে?
আর এদের না পেলে তখন আপনার বিচার হবেনা। কেননা আল্লাহ বলছেন আমি কোন জাতিতে নবি রসুল প্রেরন না করে সেই জাতির উপর শাস্তি দান করিনা। এইবার হয়ত এমন হতে পারে কেউ আপনাকে সত্যের বানী পথ দেখাচ্ছে কিন্তু আপনে জানার পরেও বুঝার পরেও নিজের বিদ্যা অহংকারের কারনে অস্বীকার করে গেছেন …সেক্ষেত্রে আপনে কাফের। হতে পারে। হা…হা… 🙂
আবার ধরুন আল্লাহ বলছেনঃ আল্লাহ কাফের দ্বারা আবৃত। মহান আপনাদের চিন্তা জগতের হিরো এক আল্লাহ কাফের দ্বারা বন্দি হয়ে আছে। ব্যপারটা কেমন হল? এই কাফের নিয়ে বলতে গেলে একটা বই হয়ে যাবে। আপাতত এতটুকু …
যাইহোক এর আরও গভির জ্ঞান আছে এই কুফর বিষয়ে , সেটা নাহয় আপাতত না বলি।
ধন্যবাদ।
@Russell,
আপনার সব কথাই আজগুবি হয়ে গেছে , কারন কি জানেন ? আপনি প্রথমেই বিশ্বাস করে বসে আছেন কোরান আল্লাহর কিতাব। আর তার ওপর ভিত্তি করে আপনার যাবতীয় যুক্তিজাল বিস্তার করেছেন। আপনি বলেছেন –
অথচ আপনি আপনার গোটা বক্তব্যটাই একটা কাল্পনিক ও অবাস্তব কিতাব কোরানের ওপর শত ভাগ বিশ্বাস করে দিয়েছেন যে কারনে আপনার গোটা বক্তব্যই অবাস্তব ও কাল্পনিক হয়ে গেছে। যে কিতাব দুর্বল ভাষা ও ব্যকরন দিয়ে রচিত, যাতে বিজ্ঞানগত অসংখ্য ভুল বিদ্যমান তা কিভাবে সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কিতাব হতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। কয়টি উদাহরন – কোরান বলছে- আকাশ নাকি কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ, উল্কা খন্ড নাকি রাতের বেলা শয়তান তাড়াতে ব্যস্ত থাকে, মানুষের বীর্য নাকি মেরুদন্ড থেকে তৈরী হয় ইত্যাদি। তো এধরনের এক কিতাবকে আপনি আল্লাহর কিতাব ধরে আপনার যুক্তি জাল বিস্তার করেছেন যার কারনে আপনার পুরা যুক্তিগুলোই অবাস্তব আর কাল্পনিক হয়ে গেছে যা আবার আপনি ধরতে পারেন নি। এটা অনেকটা রঙিন চশমা চোখে দিয়ে সবকিছু রঙিন দেখার মত।
@ভবঘুরে,
আমার মনে হয় আপনে মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, আপনার বিশ্রামের প্রয়োজন। সবসময় কোরান ভীতি, কোরান ভুল কোরান ভুল এই ধরনের একটা বিষন্নতা, রাগ, অস্থিরতা- কিছু একটা আপনার মস্তিষ্কে বিরাজ করছে হয়ত। হয়ত এমন হতে পারে যে, মাদ্রাসায় আপনাকে পেট মোটা হুজুররা খুব মারধর করত, তাই হয়ত তাদের উপর প্রতিশোধ ভাপান্ন আপনে এই কোরানের পিছে লাগছেন। কেননা তাদের হয়ত কিছু বলতে পারছেন না- যদিও পারবেন, কেননা আপনার কোন জ্ঞানই নাই, না আছে বস্তু জ্ঞান, না আছে কোরানের সেই সত্য জ্ঞান।হতে পারে। নয়ত এমন ব্যাখ্যার উপর আবার কেউ এইভাবে প্রশ্ন করতে পারে বলে মনে করিনা।
বলেছিলাম ভুল ব্যাখ্যা শুনতে শুনতে বিরক্ত হওয়া স্বাভাবিক। কাফের এর ব্যাখ্যা দেখুন কোনরুপ খারাপ কিছু আছে কিনা। আপনে কোরান এর আলোকে কাফের এর ভুল ব্যাখ্যা করলেন, আর আমি সেটা যদি শুদ্ধ করে দেই তখন বলছেন কোরানই ভুল? অবাস্তব? কাল্পনিক?
কোরান পড়ে আমি মানবিকতা শিখছি, আর আপনে কোরান পড়ে মানুষ হত্যা শিখেছেন। একই বই। আমি কোরান পড়ে মানুষ সৃষ্টি, প্রকৃতির প্রেম, জ্ঞানের কথা দেখি। আর আপনে পড়ে উলটাপালটা স্বপ্ন দেখছেন, অস্থির হচ্ছেন, দেশ জাতিকে সতর্ক করছেন। বুঝলাম না বিষয়টা কি? আবার আমি যখন আপনাকে একটি ব্যাখ্যা দিলাম তখন কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই আপনে অবাস্তব, কাল্পনিক বলে বসলেন? বিষয়টা বোধগম্য হলনা। আপনে একটা কাজ করেন, একটা সাইক্রিয়েটিক দেখান, আপনার মনে হয় দরকার।
তবে অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করব আপনাকে যদি আপনে বলে দেন যে, আকাশ শক্ত পদার্থের ছাঁদ ইহা কোরানের কোন আয়াতে বলা আছে। আমার খুবই দরকার। ঐ বর্নিত আকাশ আসলেই কঠিন পদার্থ দ্বারা তৈরী। আমি জানি। তবে কোরান থেকে শিওর হতে চাচ্ছিলাম। এটা আপনে বুঝবেন না। আপনে শুধু আমাকে বলুন কোন আয়াত। বাকিটা আমি দেখে নিব। ভয়ের কারন নেই, না উদবিগ্ন হবার, আমি ব্যাখ্যা দিব না আপনাকে। আমি নিজের কাজের জন্য দরকার।
আর যেটা হল কথা, সত্য কি সেটা যার যার কাছে। আমি সত্য পেয়েছি কেননা আমি যাচাই করেছি, আমি দেখেছি সূর্য পূর্ব দিকেই উঠে। আমি কিন্তু বলিনি যে উহা আপনার জন্য সত্য। আমিত বলেছি আল্লাহকেও বিশ্বাস করতে হবে ইহা আল্লাহও কোরানে বলেনি, কেননা আপনে দেখেননি তাকে। আপনে আন্দাজে আল্লাহ আল্লাহ করবেন কেন? আপনারা যা চিন্তা করেন সেই কথাই আমিও বলে যাচ্ছি কোরানের আলোকে ব্যাখ্যা দিয়ে। সমস্যা একটাই- মোল্লাদের মত আপনারও মস্তিষ্কে বাতিক আছে, রোগ আছে- কোরানের আলোকে কেন কথা কইলাম। মোল্লা কতল করতে চলে আসে, আপনে সেটা মনে হয় করবেন না। এই পার্থক্য। তবে কেউই (আপনে আর মোল্লা) বুঝতে চাবেনা, শুধু নিজের জিনিস নিয়েই বুঝায় যাবেন। আর কতজন আছে আশে পাশে থেকে আপনার লেখা পড়ে তালি মেরে যাবে। আপনেও খুশি, তারাও খুশি।
যাইহোক আপনার ব্যাপার। আপনে কি মানবেন, কি মানবেন না। শুনতে চেয়েছেন, বলে দিয়েছি। কোন খারাপ কিছু লেখা থাকলে একটা কথা ছিল, ভাল কথা লিখার পরেও কথা ঘুরায় অন্য দিকে নিয়ে গেলেন।
তবে আর একবার ভাল করে মন দিয়ে পড়বেন, পারলে জোরে জোরে পড়বেন, দেখুন কাল্পনিক কিছু লেখা আছে কিনা। আর করান আল্লাহর বানী এটা আমি কোথাও বলিনি। আপনার এক লেখার মন্তব্যে লিখেছিলাম কোরান নবীর বানী। (৮১-১৯)
আর কোরান শব্দটির সাথে ব্যক্তি গত সমস্যা থাকলে একট কাজ করতে পারেন- কোরানের বদলে, বাইবেল, গীতা, যা মন চায় লাগায় পড়ে নিন। সব ধর্মেরই এই কথাই। একই জিনিস বিভিন্ন রঙ্গে লেখা।
ধন্যবাদ
@Russell,
অনেক কষ্ট করে বিরাট মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
যাহোক, কোরানে আকাশকে কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন, নীচে আয়াতগুলি দিলাম-
সৃষ্টির দিক দিয়া তোমরাই কি অধিক শক্ত , না কি তাহার তৈয়ারী আসমান? এর দ্বারা বুঝাচ্ছে আসমান অতীব শক্ত পদার্থ। উহার ছাদকে উচ্চ করিয়াছেন আকাশ যে ছাদ এখানে পরিষ্কার ভাষায় তা বলা হচ্ছে। আকাশের কোন খন্ড তাদের ওপর পতিত করব। আকাশ শক্ত পদার্থ দ্বারা গঠিত না হলে আকাশের খন্ড পতিত করার কথা বলা হতো না। আল্লাহ তিনিই যিনি আসমানগুলিকে বিনা খুটিতে উচ্চে দন্ডায়মান রাখিয়াছেন তাহা তোমরা দেখিতেছ এ কথা দিয়ে বোঝাচ্ছে যে কঠিন আসমান খুটি ছাড়াই আল্লাহ দন্ডায়মান রেখেছেন যা আল্লাহর অসীম কুদরতের নমুনা।
এসব পড়ে আপনি আবার বলে বসবেন না যেন এসব রূপক অর্থে বলা হয়েছে। এখানে কোনই রূপক অর্থে বলা হয়নি। মোহাম্মদ আকাশ সম্পর্কে যা ধারনা করতেন ঠিক তাই হুবহু বলে
@ভবঘুরে,
না ভাই আগেই বলেছি আপনাকে এই বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। আপনে আপনার মত এগিয়ে যান। অনেক মানুষের বাহ বাহ পান। অনেকেই হাতে তালি দিচ্ছে। যা চাচ্ছেন সেটাই হচ্ছে।
ধন্যবাদ
@Russell,
কেন কিছু বলবেন না ? আপনি জানতে চাইছিলেন কোরানের কোথায় আকাশকে কঠিন পদার্থ বলা হয়েছে আমি আপনাকে আয়াত সমেত তুলে দিলাম আর আপনি এখন পিছু টান দিচ্ছেন? এটা তো ঠিক না ।আর আমরা কিছু চালাইতে চাই না , আসলে মূল উদ্দেশ্য হলো- মানুষের চোখ খুলে দেয়া। অন্ধকার জগতে আর কতদিন তারা পড়ে পড়ে ঘুমাবে ? আমরা আলোকিত মানুষ চাই, চাই নতুনভাবে জেগে ওঠা আলোকিত জাতি। নইলে এ যুগে আমরা টিকব কিভাবে ? ইহুদি নাছারা কাফের জাতিদের দয়া দাক্ষিন্যে আমরা বাচতে চাই না , আমরা নিজেদের শক্তি ও জ্ঞানে বলীয়ান হয়ে বাচতে চাই। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য ।
@ভবঘুরে,
আমি যা বলি আপনার পছন্দ হয়না, কথা ভাল হোক আর খারাপই হোক আপনেত পড়েন না। আপনাকে কাফের নিয়ে যা লিখেছি, আপনে সেটা পড়েন, দেখুন যুক্তিযুক্ত কিনা, বাস্তব কিনা। আল্লাহ আসমান থেকে কোরানের তফসীর করে দেননি, তিনি কোরানের ওহী পাঠিয়েছে মাত্র, তথা জ্ঞানের বিষয়বস্তু মাত্র। এখন এর তফসীর কি হবে সেটা আপনারা যদি ঐ দাড়ি টুপি, আলখেল্লা যুব্বা পরিহিত আক্ষরিক বিদ্যার জাহাজদের কাছ থেকে জানতে চান, গ্রহন করেন তাহলে কাফের এর ব্যাখ্যা ঐরকম খারাপ ছাড়া আর কি পাবেন বলেন? তারাত মানবিকতা, মনুষত্য জ্ঞান সম্পর্কেও ধারনা রাখেনা, সৌদি বাদশা যা স্বপ্নে দেখে তাই পরের দিন কোরানের তফসীর হয়, তাহলে সেই তফসীর আমরা পড়ে কি জ্ঞান শিক্ষা পাব বলেন?
আপনে যেই চিন্তা করছেন ঠিক একই কথাই আমি বলছি, শুধু আপনে আমার হয়ত লেখা গুলো বুঝছেন না। কোরান বাতেল, কোরান গ্রহন এসব করেত লাভ নাই। ইহা আপনে বা কেউ পারবেনা, ১৫০০ বছরের ধ্যন ধারনা, যেই মিথ্যার জাল চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে সেটা আমি আপনে সম্ভব নয়। আর বিশেষ করে ইহাকে যেইভাবে আপনে উপস্থাপন করছেন ইহাত একদমই সম্ভব নয় মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আনার জন্য।
আপনে যা শিখে এসেছেন, জেনে এসেছেন কাফের সম্পর্কে সেই সব কিছু ভুলে আপনে আমি যা লিখেছি সেটাও যদি সামান্য চোখ দিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন কাফের কি? যদিও আমি জ্ঞানী নই, তবে যা বুঝেছি খব সংক্ষিপ্তে তা বলেছি মাত্র।
ইহুদী, নাছারা, খ্রীষ্টান, হিন্দু বৌদ্ধ এরা কাফের হবে কেন? কোথাও কোরানে বলা নাই এরা কাফের। বলা হচ্ছে যারা সত্য প্রত্যাক্ষান করে, বলা হচ্ছে যারা এই সকল নবী-রসুলদের ভিতর পার্থক্য করে, তারা কাফের। যদি সকল দলের নেতারাই এক হয়ে থাকে তাহলে সেই নেতার দলের অনুসারীরা কি করে কাফের হয়? ইহাত সোজা হিসাব।
কাগজের কোরান। কালিতে ছাপানো অক্ষরের কিছু জ্ঞানের বিষয়বস্ত লেখা, সেই কোরান এমন কি? কোরান যেই মুখ থেকে নিঃসৃত হল সেই কোরান ধরতে এই কাগজের কোরানে লেখা আছে। আর কিছুই না। কাগজের কোরান মানুষকে কি হেদায়েত দিবে বলেন? ইহা কি বাস্তব সম্মত? কাগজের কালিতে ছাপানো কোরান কি মানুষকে পথ প্রদর্শন করতে পারে? নাকি একজন জ্ঞানী মানুষ আপনাকে হেদায়েত দিতে পারে, পথ দেখাতে পারে?
কোরানে লেখা জ্ঞানের বিষয় বস্ত এক বিষয়, এর ব্যাখ্যা কি(?)কিরুপ হবে সেটাত মানুষের কাছ থেকে পাওয়া, সুতরাং সেই ব্যাখ্যা কোন মানুষ দিল, কার কাছ থেকে কিরুপ ব্যাখ্যা পেলেন সেটাই মুল। এখানে কাগজের কোরানত মুল নয়। আর কোন ব্যাখ্যা, কোন জ্ঞান নিবেন সেটা সম্পুর্ন আপনার বিষয়। এবার ভেবে দেখুন আপনে কোন দিকে যাবেন?
ধন্যবাদ
@Russell,
আপনার মতে তাহলে কোরানের রচয়িতা আল্লাহ নন, নবী মোহাম্মদ?
শুধু এ কথার জন্যই তো আপনার মাথা কাটা যেতে পারে। মুসলিম ষ্ট্যাটাস তো বাতিল বলার অপেক্ষা রাখে না।
@আদিল মাহমুদ,
আমারত কথা না, কোরানের কথা। তবে কোরানে বলছে – তোমরা আল্লাহ ও তার রসুলদের সহিত পার্থক্য করনা-নিসা ১৫০-১৫২।
তাহলে কি দাড়ালো? থাক সরাসরি বইলেননা, পরে দেখা গেল মোল্লারা আমার গলা কাটার জন্য …।
@আদিল মাহমুদ,
আমাদের Russell সাহেব যে কোন দলের তা ঠিক এখনও বোধগম্য হলো না। উনি এখনো অদৃশ্য রয়ে গেলেন। তবে যদি উনি বলেন আল্লাহ ও রসুলের মধ্যে কোন তফাত নাই তাহলে তো আসলেই মুসলমান খাতা থেকে তার নাম কেটে যাওয়ার কথা, খালি কেটে যাওয়া কেন , কল্লাটাও বোধ হয় সাথে সাথে ———। তবে এক্ষেত্রে হিন্দু সনাতন ধর্মীয় তত্ত্ব মতে মোহাম্মদকে আমরা একজন অবতার হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারি। কি বলেন ?
@Russell,
আপনাকে একটা তথ্য দিতে বলেছিলাম, দেননি। গ্রামীন ফোনের একটা বিজ্ঞাপন দেখেছেন? ঐখানে এক পাগলা বলে, বুঝতে পারবা না, অন্য হাওয়া। ঐ পাগলা প্রযুক্তির ‘প’ না বুঝেও বুঝছে যে ইহা অন্য হাওয়া। ভাবে সাবে এটাও বুঝা যাচ্ছে তার কাছে গভীর জ্ঞান লুকানো আছে। আপনার কথাগুল কেমন জানি তার মতই শুনায়।
@আনাস,
দুঃখিত যদি তথ্যটি আবার বলতেন তাহলে দিব যদি পারি, যদি জানা থাকে।
আর বিজ্ঞাপনটি আমার দেখা নাই। তাই বুঝতে পারছিনা।
@Russell, আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি নতুন এক ইসলাম প্রচার করার চেষ্টা করছেন।আপনি যা বলছেন তার সবই আপনার (অথবা আপনার যদি কোন গুরু থেকে থাকে তার) কল্পনা প্রসূত।এই ধরনের মানসিকতার মানুষদেরকে-ই সম্ভবত কুরআনে কাফির বলা হয়েছে। তবে আপনার কথা গুলি আমার পছন্দ হয়েছে।কিন্তু সাচ্চা মোসলমানদের পছন্দ হবে বলে মনে হচ্ছে না।দয়া করে ভালভাবে কুরআনের অর্থ বুঝে পড়ে তারপর মন্তব্য করুন।কারন আপনার বক্তব্য কুরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক।
ইসলাম বা মুসলিমরা আলাদা এই ধরনের বিশ্লেষন করে শুধু শুধু আমরা তোমরা তত্ত্ব তৈরী হবে। সমস্যা হচ্ছে মুসলিমরা ভাবে তাদের ইসলাম সবার থেকে আলাদা ( এর থেকে ভালো ধর্ম হয় না) আর অমুসলিমরাও ভাবে ইসলাম সত্যিই সবার থেকে আলাদা ( এর থেকে ভয়ংকর ধর্ম হয় না)। ফলে দুপক্ষেরই ধারনা ইসলাম সত্যিই আলাদা!
বাস্তবে কি তাই? একজন মুসলিম মা কি তার ছেলেকে অন্য ধর্মর কোন মায়ের থেকে বেশী বা কম ভালোবাসে? অবশ্য আমি এমন উল্লুক নানান ফোরামে পেয়েছি-যেখানে অমুসলিমরা আমাকে বোঝানোর চেষ্টার করেছে মুসলিম পিতামাতারা ধর্মের কারনে সন্তানের প্রতি যত্নবান না-আর
ইসলামিস্টরা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে ইসলামে ধর্মের জন্যে
তারা ছেলে মেয়েদের প্রতি বেশী যত্ন শীল।
এসব দেখার পর, শোনার পর স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখা আমার পক্ষে সত্যিই অসম্ভব হয়। আমি শুধু ভাবি মানুষ কতটা নিরেট হলে ভাবতে পারে একজন মুসলমান মা, একজন হিন্দু বা ক্রীষ্ঠান মায়ের থেকে আলাদা হয়?
বাস্তব এটাই -আমি দেখেছি অধিকাংশ মানুষ সেটাই ভাবে। মুসলমান আর অসমুসলমানদের পক্ষে এটা মুদ্রার এপিঠ বনাম ওপিঠ হয়।
একজন ভারতীয় মুসলমান বা বাংলাদেশী মুসলমানের সাথে আমার জেনেটিক গঠনে কোন পার্থক্য নেই। আর সেটা নেই বলেই-আমরা জৈবিক ভাবে আলাদা হতে পারি না-সামাজিক যে পার্থক্যটা আছে সেটাও নগন্য কারন সামাজিক বিবর্তন ও আবাহওয়ার ওপর অনেক বেশী নির্ভরশীল-ইতিহাসের থেকে।
ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস হিন্দুর ও আছে-মুসলমানদের ও আছে। অন্ধ বিশ্বাসী মুসলমানদের সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশী। কিন্ত সেটা কি আদৌ কিছু পার্থক্য জুরে দিতে পারে? বাংলাদেশ কি পারবে সপ্তম শতকের আরবের উটের দুধ খেয়ে [ পড়ুন কোরানিক বা শারিয়া সমাজ] এক বিংশ শতাব্দীতে যে জীবিকাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে, তার সুবিধা নিতে? বা তার ১০% লোককে খাওয়াতে? তাহলে মুসলিমরা যে নিজেদের ইসলামিক বা ইমান দেখায়-সেটা শ্রেফ লোক দেখানো-সমাজচ্যুত হওয়ার একটা ইনসিকিউরিটি-সত্যিকারের ইসলাম ধর্মে বাংলাদেশীরা বিশ্বাস করলে, বাংলাদেশ কি করে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়? বা ভারতে এত লোক ধর্মে সত্যিই বিশ্বাস করলে ভারতে কি করে এত ব্যাপক দুর্নীতি হয়?
সত্যিই কি কেও ধর্মে বিশ্বাস করে? না নিজেদের বেঁচে থাকায় বিশ্বাস করে?
কেও যখন বলে সে ইসলামে বা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে-সে শ্রেফ মিথ্যে কথা বলে। আসলে সে বলছে আমার আইডেন্টি মুসলিম বা হিন্দু- এবং এই পরিচয়টা তার বেঁচে থাকার জন্যে দরকার। সেই বেঁচে থাকা…।
কারন আমি দেখেছি কাস্টমার টানতে পাকিস্থানের মুসলিম রেস্টুরেন্ট পাঞ্জাবী সেজে বসে থাকে-কারন পাকিস্থানী রেস্টুরেন্টে অনেকেই যেতে চায় না পাকিস্থানের প্রতি ঘৃণাতে। আবার বাংলাদেশের সময় রায়োটে অনেক হিন্দু রাতারাতি নিজেদের মুসলিম করেছে-সেই বাঁচতে! আমি নিজেই দেখেছি অনেক মুসলিম আমেরকাতে এসে ক্রীষ্ঠান ধর্মের নাম নিয়ে চাকরি জীবন কাটায় যাতে মহম্মদ হওয়ার জন্যে তাকে বঞ্চিত না হতে হয়। সেই বাঁচার চেষ্টা।
@বিপ্লব পাল,
সব ধর্মেই অন্ধ টাইপের কিছু মানুষ আছে তবে মুসলমানদের মধ্যে তার পরিমান মাত্রারিক্ত বেশী। আপনি কদাচিত দু একজনকে পেতে পারেন হিন্দু খৃষ্টান বা বৌদ্ধদের মধ্য হতে যারা তাদের ধর্মের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, কিন্তু মুসলমানদের মধ্য থেকে পাবেন ভুরি ভুরি। তথাকথিত মডারেট মুসলিম নামধারী কিছু মানুষ ছাড়া বাকী সমস্ত মুসলমানরা অন্য ধর্মকে ও ধর্মের মানুষদের কে হয় ঘৃনার বা নীচ চোখে দেখে, তারা গনতন্ত্র মানে না , বাক স্বাধিনতা মানে না, তাদের ধর্ম ইসলামের ন্যুনতম সমালোচনা সহ্য করবে না অথচ অন্য ধর্মকে অপমান গালাগাল করবে। মোট কথা আধুনিক সভ্য জগতের সাথে তাল মেলানোর যোগ্যতা আছে খুব কম মুসলমানদের। এরা এমনকি পশ্চিমা দেশে দীর্ঘদিন বসবাস করে, সে দেশের খেয়ে পরে, সে দেশের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেও সে দেশকে মনে প্রানে ঘৃনা করে , ধ্বংশ চায়- এ ধরনের মুসলমানের সংখ্যা নিছক কম নয়। এমনই নেমকহারাম আর অকৃতজ্ঞ। অথচ তাদের চেতনার লেভেল ইসলামের কারনে এমনই অন্ধ যে তারা যে এটা করে অসভ্য আর বর্বর মানুষের পরিচয় দিচ্ছে তা বুঝতে পারে না। আমরা মুসলমানদের নয়, ইসলামের শিক্ষা এর বিরোধী যা মানুষকে মানুষ হিসাবে গড়ে তোলে না, গড়ে তোলে অনেকটা রোবটের মত করে। আমরা চাই সব মুসলমানই মুক্ত ভাবে মানুষ হোক, শিক্ষা গ্রহন করুক, বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখুক।
@ভবঘুরে,
আপনি লিখেছেন–
আমরা চাই সব মুসলমানই মুক্ত ভাবে মানুষ হোক, শিক্ষা গ্রহন করুক, বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখুক।
আসলে যতক্ষন না ওরা মুসলমানি শ্রেষ্ঠত্ব থেকে বের হয়ে আর দশ জন মানুষের মত মুসলমানেরা নিজেকে ভাবতে না পারছে ততক্ষন বিশ্ব সভ্যতায় আংশিক অবদান লাভে সাফল্য লাভ সম্ভব হলেও পূর্ণ ভাবে কখনো সম্ভব নয়।
মুসলমানেরা আতস কাঁচ দিয়ে সর্বত্রই মুসলমান খুজে বেড়ায়।
এই সে দিন বিশ্ব কাপ ফুটবল চলাকালীন আমার এক সহ কর্মী বেশ আফসোসের সাথে বল্ল ইস ব্রাজিল-আর্জেনটিনাতে যদি কোন মুসলমান খেলোয়াড় থাকত!
আবেগ অনুভুতি কল্পনা বা হাস্য রসের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হল সিনেমা।এই সিনেমা নিয়ে ও মুসলমান দের ধর্মীয় মাতামাতির শেষ নেই (যদিও কিছুদিন আগে ইসলামে ছবি তোলা বা সিনামা করাকে কু-নজরে দেখা হত।বর্তমানে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষতে তা আর অগ্রহায্য করার উপায় নাই তাদের)।
যেমন- আমার শিক্ষিত মুসলমান বন্ধুদের বেশ ক্ষেপের সাথে বলতে শুনেছি সালমান খানের ভুলের কারনেই সে ঐশ্বরীয়া কে হারাল! তাদের কথা শুনে মনে হয় সালমানের চেয়ে তাদের দুঃখ অনেক বেশী কারণ তারা একটা বিশ্ব সুন্দরীর ইসলাম গ্রহনের সুংবাদ থেকে বঞ্চিত হল। তারা এও তৃপ্তিসহকারে আলোচনা করে মুসলমানেরা না থাকলে হিন্দি সিনেমা নাকি হিটই হত না।
এক টা সংকীর্ণ মন মানসিকতা সম্পন্ন দরিদ্র জাতির থেকে ভালো আমরা আর কি আশা করতে পারি।
@লাইট ম্যান,
যুগের সাথে তাল মেলাতে না পেরে অতীতে বহু ধ্যান ধারনা দর্শন মতবাদ বাতিল হয়ে গেছে বিবর্তনীয় ধারায়। ইসলাম যদি যুগের সাথে তাল মেলাতে না পারে , তাহলে তার জন্যও একই পরিনতি অপেক্ষা করছে যার সূত্রপাত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আত্মঘাতী আর সন্ত্রাসী আক্রমন করে মুসলমানরা দুনিয়াবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে ,. মানুষের জানার কৌতুহল হয়েছে ইসলাম কি , কোরান কি , মোহাম্মদ কে ইত্যাদি। তাদের চুল চেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে এখন। ইসলাম যদি সত্যি সত্যি আল্লাহর কাছ থেকে এসে থাকে তাহলে তা টিকে থাকবে চিরকাল , তা না হলে খুব তাড়াতাড়ি তা বাতিলের খাতায় নাম লেখাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
@বিপ্লব পাল,
:yes:
@বিপ্লব পাল,
– এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট। আমারো ধারনা বেশীরভাগ মুসলমানই একটা স্বকীয় আইডেন্টিটির জন্য মুসলমানিত্ব বা ইসলাম পালন করেন এই বিশ্বাস মনে প্রানে পালন করতে গর্বিত বোধ করেন। এই কারনেই যিনি দেশে ধর্মকর্ম তেমন পালন করেন না তিনিও বিদেশে এসে হঠাত দেখা যায় জোরে শোরে ধর্ম পালন শুরু করেছেন। বলাই বাহুল্য এই ধর্মকর্ম হল নিয়মিত কিছু রিচূয়াল পালন।
নইলে যে ব্যাক্তি নিজ ভাষায় কোনদিন পূর্ন কোরান পড়েননি,অর্থাত কোরানে কি আছে তাও জানেন না তিনি কিভাবে নিশ্চিত হন যে কোরান পূর্নাংগ জীবন বিধান বা এই গ্রন্থ ছাড়া মানব জাতির গতি নেই? এর মধ্যে আত্মপ্রতারনাও ছাপ আছে ষ্পষ্ট। ধর্ম নিয়ে সামান্য কথা চলার পরই সাধারনত শোনা যায় কম জ্ঞান নিয়ে ধর্মের সমালোচনা ঠিক না, আলেম মাওলানার কাছে যান। কিন্তু তিনি নিজে যে ধর্মগ্রন্থ এত জরূরী মনে করেন তার থেকে কি শিক্ষা নিয়েছেন বা শিখতে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন,কত সময় ব্যায় করেছেন তার কোন জবাব দিতে পারেন না। শুধু কোরান ভাল করে শিক্ষার জন্য কয়জন বাংগালীকে দেখা গেছে আরবী ভাষা শিখতে?
ইসলামী বা কোরানিক বেশীরভাগ বিধিবিধান যে আজকের যুগে বাতিল হয়ে গেছে,এবং ভবিষ্যতে আরো যাবে এই সোজা সত্যও চোখে দেখিয়ে দিলেও কেউ স্বীকার করতে চান না। আমাকে যদি কোরানে সংশয় বা পূর্ন বিশ্বাস না রাখার কারনে অমুসলমান বলা যায় তবে বাংলাদেশের বেশীরভাগ লোককেও কি অমুসলমান বলা যায় না? বাংলাদেশের সব মুসলমান তো জেনে শুনেই কোরানের অনেক নিয়ম কানুন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাদ দিয়েছে। অন্য কথায়, কোরানিক অনেক আইন মানতে গেলে বাংলাদেশে জেলে যেতে হবে। কোরানেরসব আইন নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলে যারা নিয়ত গলা ফাটান তাদের দ্বারা এটা কিভাবে সম্ভব? এটা কি ষ্পষ্টভাবে কোরানের বিরোধীতা করা নয়? আত্মপ্রতারনা করে কতদিন?
লেখাটা খুবি সুন্দর হয়েছে। ইতিহাসে মুহাম্মদ নিঃসন্দেহে একজন অত্যন্ত ধূর্ত ও প্রচন্ড আমিত্ববাদী ব্যাক্তিত্য।উনি বেশীর ভাগ আয়াতে আল্লাহর সাথে নিজের নাম টাকে সুকৌশলে যুক্ত করে নিজেকে অক্ষয় অমর করতে চেয়েছেন প্রতি মূহুর্তে। তার অনুসারীরাও তেমনি তারা কাফেরদের গালাগাল ধর্ষন থেকে হত্যা যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার রাখে অথচ কাফেরা সামান্য ইসলাম নিয়ে সমালোচনা করলেই ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মত সত্যাসত্য বিবেচনা না করে শুধু লাফাতেই থাকে।
@লাইট ম্যান,
মোহাম্মদ যে আল্লাহর নবী না তা কিন্তু মোহাম্মদের এ মানসিকতা থেকেও বোঝা যায়। একজন নবী কখনো নিজের নাম প্রচারের জন্য লালায়িত হবেন না এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মোহাম্মদের মধ্যে নিজের নাম প্রচারের আকাংখা তীব্র। তাই বার বার কোরানে আল্লাহর সাথে তার নামের উল্লেখ।
কোরানের সূরা নিসার ৮৯ নম্বর আয়াতট এভাবে হলে কেমন হয়।।
তারা চায় যে তোরা যেমন মুসলিম তোমরা তেমনি অমুলিম হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের(মুসলিমদের) মধ্য হতে কাউকে বন্ধু রূপে গ্রহন ক’রো না, যে পর্যন্ত না তারা মানবতার পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা (মুসলিম) যদি বিমুখ হয়, তাদেরকে পাকড়াও কর, যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের(মুসলিমদের) মধ্য থেকে কাউকে বন্ধু রূপে গ্রহন ক’রো না, সাহায্যকারী রূপে গ্রহন ক’রো না।।
:-X :-X :guli:
@জ্ঞানীআমিন,
ভাই এক কাজ করেন, এই চান্সে আপনি একটা কোরান রচনা করে মাঠে নেমে পড়েন , দেখেন কেমন বাজার পান। কথা দিচ্ছি, আমরা মুক্তমনা থেকে আপনাকে ভাল সাপোর্ট দেবো। 😛
সবচেয়ে বড় হচ্ছে ঘৃনাবোধ। ইসলাম প্রচন্ডভাবে ঘৃনার পসার করে,অথচ খুবই সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের হয় না। যে কোরানে কোথাও,হ্যা আবার বলছি,কোথাও বলা নেইএকজন মানুষকে তার সৎ কাজের জন্য বেহেশতে পাঠানো হবে যদিও তিনি মোহাম্মদে এবং কোরানে অবিশ্বাসী হন,বা কোন ধর্ম না মানেন,সেই কোরানকে কি করে একজন জ্ঞান বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অমোঘ ভাবতে পারেন? আমার মনে হয়, শতকরা ৯৮% মুসলিম মানসিকভাবে পঙ্গু।
@রুশদি,
যথার্থ বলেছেন। এটা যে একটা স্ববিরোধী চরিত্রের লক্ষন সেটা বোঝার যোগ্যতাও অনেকের অনেক সময় থাকে না দেখা যায়। আর ঠিক একারনেই অমুসলিমরা মুসলমানদের ওপর আক্রমন করে তাদের ধ্বংশ করে দিলেও যে অমুসলিমদের কোন অন্যায় হয় না কোরানের নির্দেশিত আইন অনুযায়ী এটাও ওরা বোঝে না। তবে ইদানিং একটু একটু বোঝার চেষ্টা করছে। বিষয়টা হলো- যেমন কুকুর তেমন মুগুর দরকার। পাগলা কুকুরকে কি ভাল কথা বলে বাগে আনা যায় নাকি ?
তাদের যতই যুক্তি দিন আর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুঝাননা কেন এটি কোন কাজ করবে না। আমার ভার্সিটির এক শিক্ষক, যিনি বেল ল্যাব এ কাজ করেছেন। তাবলিগের প্রচারণায় ব্যপক মুসল্লি হয়ে গিয়েছেন। ক্লাসে সবসময় ধর্মের বক্তব্য কিছু সময় প্রদান করবেনই। অনেক হাই প্রোফাইল তার। তিনি ক্লাসে এসে বলছেন, মানুষের মন কোথায় থাকে? মানুষ কোথা থেকে চিন্তা ভাবনা করে? বলে তিনি বুকের দিকে ইশারা করলেন। বললেন মানুষের যা কিছু ভাবনা চিন্তা এখান থেকে আসে! আমরাতো জি স্যার। একজন ছেলে সাহস করে বলেই ফেলল। স্যার মানুষতো ব্রেন থেকে ভাবে। স্যার বললেন না! ব্রেনকে কন্ট্রোল করে যে রুহ তথা আত্মা। সেটি বুকের মাঝে থাকে! ছেলেটি আবার বলল স্যার, রুহ তাহলে দেখতে কেমন? শরীরের কোন অংগ রুহ? স্যারের উত্তর সেটা বিজ্ঞানীরা এখনো আবিস্কার করতে পারেনি! এই যখন একজন শিক্ষিত বিজ্ঞানীর অবস্থা, সেখানে সাধারণ মানুষের কাছে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, যুক্তি ইত্যাদি কতটা কাজ করবে জানিনা। এরাই নিম্নোক্ত অবৈজ্ঞানিক আয়াত বিশ্বাস করে
আবার বৈজ্ঞানিক বানানোর জন্যে বিবর্তনের সাথে মিল এবং কুমারি মাতার জন্মদানের সম্ভবনা খুঁজে ফেরে।
@আনাস,
তো আপনার শিক্ষিত স্যারকে জিজ্ঞেস করুন, ঘোড়ার ডিমও তো বিজ্ঞানীরা এখনো আবিস্কার করতে পারেনি, তা’ই বলে কি ঘোড়ার ডিম আছে বিশ্বাস করেন?
ভদ্র লোককে অভিজিৎ দা’র লেখা পাঁচ পর্বের আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং পড়তে দিন।
@আকাশ মালিক,
:lotpot: :lotpot:
@আনাস,
আপনার স্যার হলেন সেই শ্রেনীর মানুষ যাদের হৃদয় আল্লাহ সীল মেরে দিয়েছেন। তাই যতই বেল ল্যাব বা অন্য কোথাও কাজ করুন না কেন , কোন লাভ নেই। ওনার আত্মা ওনার হার্ট-এর মধ্যেই বসে আছে। তবে আপনি কৃত্রিম হার্ট-এর কথা জিজ্ঞেস করতে পারতেন, মানে কোন লোকের একটা কৃত্রিম হার্ট থাকলে তার আত্মা কোথায় থাকে তা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন যদি সুযোগ হয়।
ঠিক হবে নারে ভাই, ঠিক হবে না। কাওকে কিছু বলা যাবে না। এই বিষয়ে বেশি কথাবার্তা বলাই আজকের দিনে বেশ ঝুঁকির একটা বিষয়! কখন লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে বলা যায় না! আজকাল আবার দেশে লাঠির ব্যবহার বেড়ে গেছে কিনা!!
-এ প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ন, যার জবাব আমি জানি, এখানেও একই কথাই বলা হয়েছে। ছোটবেলায় যখন মনে কোন যুক্তিবোধের জন্ম হয় না সে সময়টায় সফলভাবে নানান কায়দায় এই মানসিকতার ভিত গেড়ে দেওয়া হয়। বাকি জীবন চলে এই বিশ্বাসকে আরো পোক্ত করার কাজ। এর জন্য বাল্যকালকে ধর্ম শিক্ষার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করা হয়। এই বয়সে অন্ধবিশ্বাসের ভিত গড়া না গেলে যে বিপদের সম্ভাবনা আছে। যে জন্য তাদের মাঝে অদ্ভূত একটা মানসিকতা গড়ে ওঠে। তাদের বিশ্বাসের পক্ষে যত যাই থাক না কেন কিছুতেই তা গ্রহনযোগ্য হবে না, কোন না কোন ভাবে অস্বীকার করতেই হবে। এমন সব কথা বলেন যেগুলি শুনলে ভন্ডামী ছাড়া কিছু মনে হয় না, হয়ত তারা সেটা বোঝেন না। যেমন, কোরান শুধু অনুবাদ পড়লে ভুল বোঝা যেতে পারে, শুদ্ধ তাফসীর পড়তে হবে। যদিও তিনি নিজে শুদ্ধ তাফসীরের খোজে কতটা সময় ব্যায় করেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়। কি পেলেন সে প্রশ্ন তো বহু দূরে। কিন্তু আবার দাবী করবেন যে কোরান ছাড়া মানব জাতির গতি নেই। আর কোন কিছু পক্ষে গেলে কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়াই গ্রহন করে ফেলবেন, তখন শুদ্ধ তাফসীর অনুবাদ এসবের ধার ধারবেন না।
যারা নিজ ধর্মের মাঝে নানান শ্রেষ্ঠত্ব অলৌকিকত্ব এসব খুজে পান তাদের খুব বলতে ইচ্ছে করে একটা সহজ পরীক্ষা করুন। বাল্যকালে ছেলেমেয়েকে শুধু নিজ ধর্মের বাছা বাছা ভাল ভাল কথা না শুনিয়ে প্রাপ্ত বয়স হলে ধর্ম সংক্রান্ত যাবতীয় সূত্র সতভাবে দিন। প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলেমেয়েকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন কোন ধর্ম তার কাছে ভাল লাগে, বা আদৌ প্রয়োযনীয় মনে হয় কিনা।
@আদিল মাহমুদ,
যারা নিজ ধর্মের মাঝে নানান শ্রেষ্ঠত্ব অলৌকিকত্ব এসব খুজে পান তাদের খুব বলতে ইচ্ছে করে একটা সহজ পরীক্ষা করুন। বাল্যকালে ছেলেমেয়েকে শুধু নিজ ধর্মের বাছা বাছা ভাল ভাল কথা না শুনিয়ে প্রাপ্ত বয়স হলে ধর্ম সংক্রান্ত যাবতীয় সূত্র সতভাবে দিন। প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলেমেয়েকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন কোন ধর্ম তার কাছে ভাল লাগে, বা আদৌ প্রয়োযনীয় মনে হয় কিনা।
যথার্থ বলেছেন। তাহলে ঠক বাছতে গা উজাড় হয়ে যেত।
অসাধারণ লাগলো। চলুক। :yes:
@ ভবঘুরে,
ভ্রাতা, আপনার ‘মুসলিম মানস পর্ব’ দেখি একেবারে ‘ছাই দিয়ে মাছ’ ধরার মতো অকাট্য। খুবই সাবলীল ও যুক্তিপূর্ণ লেখা। শাবাশ! :rose:
@বিপ্লব রহমান,
কি আর করি বলেন। দুনিয়াদারিতে যেভাবে মিথ্যা আর ভুল তথ্যের বেসাতি চলছে তাতে নিজের সামান্য বিদ্যা বুদ্ধির একটু ব্যবহার করি আর কি ।