ব্রেকিং নিউজ – এতকাল হিন্দু ধর্ম থেকে মানুষদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে করার ব্যবস্থা ছিল। ঢুকার রাস্তা ছিল না। এখন হিন্দু পন্ডিতেরা সে ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। এরা খৃশ্চিয়ান ও মুসলমান ধর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে মাঠে নেমেছে ধর্ম প্রচারে। হলিউডের নামী-দামী লোকজনকে পাকড়াও করতে লেগেছে।
চিত্র দেখুন পন্ডিত মশাই কী দারুন কাজ করে ফেলেছেন। মানুষের মন সত্যি বিচিত্র। আমেরিকানদের চরিত্র আরও বিচিত্র। এরা বড় সহজেই মগজ ধোলাইএর শিকার হয়।
অবস্থা দেখুন এখানে
জুলিয়া রবার্টস নাকি সারাজীবন ক্যারিয়ারের পিছনে নষ্ট করেছেন। ভারতে যেয়ে ভগবানের সেবা করার সুযোগ পেয়ে ধন্য হয়েছেন। এখন তাঁকে দেখা যাবে শিবলিংগে দুধ ঢালতে। তাঁর দেখাদেখি আরও দশজন সেলিব্রিটি ভারতে যাবেন শিবলিংগ কিনে আমেরিকাতে আমদানী করার জন্য। আমেরিকাতে শিবলিঙ্গের আমদানী ব্যবসা ভাল জমবে মনে হচ্ছে।
ছবিঃ শিবলিংগ (ডঃ আজাদ চৌধূরী)
আমরা অনেকেই আছি যারা শাস্ত্র জানি কিন্তু শাস্ত্রে যেরকম আমাদের জীবন ধরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে রকম আমরা চলি না।
হিন্দু ধর্মের মুল বিষয় হচ্ছে সাধনা এবং সাধনা……… বই পড়লে জ্ঞানী হয়েছে কেউ এমন উদাহরণ দিতে পারবে না ।
আসল শিক্ষা কর্তব্য কর্মে…… কথাবার্তায়….আর আচার আচরণে । আপনাদের মধ্যে অনেকেই যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে নিজের মতামত দিয়েছেন… খুবই ভাল ! আমরা মুর্খ আর অজ্ঞান বলেই এমন কথা বলতে পারি আর আমরা এজন্যেই নিজের মুর্খতার পরিচয় দিয়ে বেড়াই….
আপনাদের হিন্দু ধর্মের সম্বন্ধে যা বিপুল জ্ঞান ভাণ্ডার দেখলাম তাতে হাস্যরস ছাড়া অন্যকিছু পাইনি।হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তর হয়না কারণ আমাদের ধর্মে বিশ্বাস করা হয় পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই হিন্দু (নামটা অবশ্য পারসিকদের দেওয়া) হয়ে জন্মায় ,কেউ ম্লেচ্ছাচার পালন করে কেউবা সনাতন ধর্মকে মেনে চলেন। এক্ষেত্রে যারা সনাতন ধর্মকে মানেন না তাদের শুদ্ধি করা হয়ে থাকে।মুস্লিম আক্রমণের পুর্বে শুদ্ধি একটি বহুল প্রচলিত একটি ব্যবস্থা ছিল, যার উদাহরন মিহিরগুলের বৈদিক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ ,শক হুণ ও পারসিকদের বৈদিক ধর্ম গ্রহণ, এছাড়াও সিন্ধুতে কাশিমের মৃত্যুর পর সুমের রাজপুতরা যখন শক্তিশালী হয়ে ওঠে ও পরবর্তী কালে আরবদের সিন্ধু থেকে হটিয়ে দেয় তখন যে সমস্ত মুসলমানেরা মাকরানে পালাতে পারেনি তাদের হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়।শুদ্ধি বিষয়ে জানতে হলে বৈদিক সাহিত্য ,মেধাতিথি স্মৃতি ও শুদ্ধি বিষয়ক বই গুলি পড়ে দেখতে পারেন।দুর্ভাগ্যবশতঃ হিন্দুরা জোর জবরদস্তি করে ধর্মান্তর পছন্দ না করায় আপনারা ভাবেন আমাদের ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায় না।প্রসঙ্গতঃ সুলতান আলাউদ্দিনের আমল থেকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার নিদর্শন পাওয়া যায় না।
@ রিমন
আপনার কমেণ্টঃ
গাধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময়।
উনি কি ধর্মান্তর হলেন নাকি বিজ্ঞাপন করলেন যাতে সনাতনিরা উনার অভিনয় দেখে।
আমার কমেন্টঃ
গাধা কারা? বুঝতে পারলামনা।
পাগলের রাজ্যে দুনিয়া গদ্যময়।
গাধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময়।
উনি কি ধর্মান্তর হলেন নাকি বিজ্ঞাপন করলেন যাতে সনাতনিরা উনার অভিনয় দেখে।
@সালমান হাসান,
বিভিন্নো শময়ে বিভিন্নো মানুশ শনাতন ধরমো গ্রহন করেছে। জেহেতু ইস্লাম আর ক্রিস্তানিটির মত এত প্রচার করা হয়না তাই হয়ত আপ্নি জান্তে পারেননি। কয়েকটা নাম নিচে দিলাম।
Haridasa Thakur (born 1451) was a prominent Muslim-Vaishnava saint, instrumental in the early appearance and spread of the Hare Krishna movement. He is considered to be the most famous convert of Chaitanya Mahaprabhu.
ISKCON এর Krishna মন্দিরে রোজ Haridasa Thakur-এর পুজা হয়।
Rama Krishna Mission Ashram-এ অনেক Monk আছে জারা hindu, christian, muslim, jewish, sikh পরিবার থেকে এশেছে।
Alfred Ford (owner of Ford company)
Heliodorus (Greek Minister during the time of Selucus)
George Harrison (Artist who sang for Bangladesh during 1971 )
Job Charnock – (British trader)
Annapurna Devi/Roshanara Khan (surbahar sitarist)
Aashish Khan (Indian musician)
Anwar Shaikh (British author)
Khushboo (Indian Film Actress)
Zubeida (Indian Film Actress)
Nayyara Mirza (Miss India finalist)
Sonam (Indian Film Actress)
Ifa Sudewi (Female Judge of Indonesia)
Annie Besant (Theosophist, orator and feminist)
Sister Nivedita (Margaret Elizabeth Noble) – Anglo-Irish social worker, author, and teacher)
এরকম আর অনেক আছে। ভালো থাকুন। Bye.
@ নৃপেনদা,
জগতের নামী দামী ব্যক্তিরা ধর্মান্তর হলেই সেটা ব্রেকিং নিউজ হয়ে যায়। মুষ্টিযোদ্ধা ক্যাসিয়াস ক্লে ইসলাম কবুল করে মোহাম্মদ আলী নামধারণ করে ব্রেকিং নিউজ হয়েছিলেন। মাইকেল মধুসূদন খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে ব্রেকিং নিউজ হয়েছিলেন। এমনি ভাবে বিখ্যাত ব্যাক্তিরা ধর্মান্তর হলেই ব্রেকিং নিউজ হয়।
পত্রিকাগুলো বা মিডিয়াগুলোও সেই ধর্মান্তরের কাহিনী ফলাও করে ছাপে।
আমি আপনি ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক হই, তাতে মিডিয়াওয়ালারা তাকায়েও দেখবে না। কারণ আমরা যে বিখ্যাত না।
তবে মাঝে মাঝে অখ্যাতরাও কিছু সময়ের জন্য হাইলাইট হয়। কিছুদিন আগে আমাদের দেশের পটুয়াখালীর, দেব নারায়ন নামে একব্যাক্তি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে কোরানেরই বিরুদ্ধে কথা বলে হাইলাইট হয়েছিলেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন-মানুষের মন সত্যি বিচিত্র।
@মাহফুজ,
মজার ব্যপার হলো = জুলিয়া রবার্ট হিন্দু সনাতন ধর্ম গ্রহন না করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে আমাদের দেশের সব কটা পত্রিকায় সে খবর হেড লাইন হতো। ভিন্ন ধর্ম গ্রহন করাতে তা হলো না। এটাও একটা হীনমন্যতা, আর বস্তুত বাংলাদেশ যে কোন মডারেট মুসলিম দেশ নয় বরং বর্তমানে মৌলবাদী দেশের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছে তারই বহি:প্রকাশ এটা। কিছুদিন আগে মাইকেল জ্যকসন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল বলে গুজব উঠেছিল . নিশ্চিত কোন খবর ছিল না সেটা, তারপরেও কিন্তু দেশের প্রধান পত্রিকা গুলো সে খবর স্বাড়ম্বরে প্রচার করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনি। আর এখন জুলিয়া রবার্টের খবরটা তাদের কাছে কোন খবরই হলো না। দেব নারায়ন মনে হয় আগেই বুঝেছিল কোরানের অসারতা। হিন্দু হিসাবে কোরানের সমালোচনা করলে বিপদ বেশী হওয়ার সম্ভাবনা বিধায় ইসলাম গ্রহন করে সেটা শুরু করেছে। অথবা মুসলমান মেয়ের প্রেমে পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য হওয়াতে মনে হয় এখন ঝাল ঝাড়ছে। বিষয়টি সরেজমিন তদন্তসাপেক্ষ।
বিশ্বের কোন কিছুই বিচ্ছন্ন বা পরস্পর সম্পর্কহীন নয় । সব কিছুই পরস্পর নির্ভরশীল ও সংযুক্ত । তাই হিন্দু শাস্ত্র ও আব্রাহামিক ধর্ম পরস্পর সংযুক্ত এবং মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের উপর নির্ভরশীল । পন্ডিত ব্যক্তিদের মতে আলোচ্য এই ধারায় মানুষকে তিনটি স্তর অতিক্রম করতে হয়েছে । যথাঃ আদিম মানুষ, অসভ্য মানুষ ও সভ্য মানুষ । প্রকৃতি এবং তার শক্তি সম্পর্কে আদি মানুষের অজ্ঞতা তাদের মধ্যে কুসংষ্কারের জন্ম দেয় । ফলে ভাববাদের উদ্ভাব ঘটে।
আদিম সমাজে উদপাদনের উন্নতি ঘটায় শ্রমের বিভাজন ঘটে । যথাঃ কায়িক শ্রম ও বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম । ফলে ব্রাক্ষ্মণ, রাব্বি, যাজক ও মোল্লাতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে । বিভিন্ন কালে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারনে এই ব্যক্তিরা ভাববাদের ঝান্ডা দাড় করে রাখতে সমর্থ হয়েছে এবং হচ্ছে । তাই যত দিন সমাজে শ্রেনী থাকবে, তত দিন সমাজে শাস্ত্র বা ধর্মও থাকবে ।
হিন্দুধর্মে দীক্ষিত হবার পর তিনি এখন বলিউডে জুলিয়া দীক্ষিত নামে অভিনয়ে নেমে পড়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন 😀
@একজন নির্ধর্মী, :laugh: :hahahee:
জিবনে এই প্রথম শুনলাম কোন ব্যাকতই হিন্দ ধর্ম গ্রহন করল। আসলে প্রথম শোনার কারন হল আমি জানতাম কোন ধর্মের মানুষের হিন্দু ধর্ম গ্রহন করার সুযোগ নেই। এখন একটা প্রশ্ন আমার ভিতর থেকে লাফ দিয়ে উঠল। রবার্টসকে তারা তাদের কোন সম্প্রদায়ের(বর্ন) অন্তর্ভুক্ত করবে?
ব্রাক্ষন তো আবশ্যই না, ক্ষত্রিয়ও করবে বলে মনে হয় না। বৈশ্য বা শুদ্র, এগুলো তে ধরার সাহস কি ভারতের মানুষের হবে? (যদিও আজকাল ভারতে এগুলো নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় না)। ২-৩ বছর আগে আমার মনে পড়ে। আমার এক বন্ধু (হিন্দু) তার বোনের বিয়ে দেবে। এখন ছেলেকে নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। ছেলে বড় অফিসার। কিন্তু বিবাহের সব প্রস্তুতির পর জানা গেল ছেলের বর্ন তাদের সাথে মিলছে না। ছেলেরা নাকি আগে তাদের ভুল তথ্য দিয়েছিল। এখন সমস্যা হল, সব নেমনতন্য করা শেষ। বিয়েও বাতিল করা যাচ্ছে না। তাই তারা খুব বিপদে আছে। কারন এই বিয়ে নাকি কখনোই সম্ভব না। অমঙগল হবে।
এই ধরনের চিন্তা কত ভাগ হিন্দুরা বহন করে আমি জানিনা। তবে মানুষের সত্য গ্রহনের মাঝে এটা অবশ্যই একটা বড় অন্তরায়।
@সালমান হাসান,
কি যে বলেন! হিন্দুদের একটা গ্রুপ আছে যাকে বলে ইস্কন যারা হরে কৃষ্ণ হরে রাম প্রচার করে। এদের কাছে দীক্ষা নিয়ে হাজার হাজার লোক প্রতি বছর হিন্দু হয় যা ইসলামী টিভির মতো স্বাড়ম্বরে প্রচার করা হয় না।তাই মানুষ বেশী তা জানে না। এরা অবশ্য বর্ণপ্রথা মানে না। কারন তাদের গুরু চৈতন্যদেব বলেছেন- কলিযুগে সবাই এক বর্নের। আর জগতের কষ্ট দু:খ হতে মুক্তি পেতে হরে কৃষ্ণ হরে রাম জপ করলেই যথেষ্ট বেশী কিছুর দরকার নেই। শুনতে বেশ সোজা মনে হয় তবে এ লাইনে থাকলে নিরামিশাষী থাকতে হয়, এটাই যা ঝামেলা। তবে তুরীয় আনন্দ পেতে এদের হরে কৃষ্ণ হরে রাম ভাল কাজ দেয় বলে মনে হয়। বর্তমানে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ সমূহে এদের একটা ভাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন কমিউনিজম এর ছত্রছায়ায় নাস্তিক থাকার পর সেখানে ধর্মের বাজারটা বেশ রমরমা বোঝা যাচ্ছে। আপনি ইউ টিউব বা গুগল সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন খবর।
আচ্ছা, জুলিয়া রবার্টস মুসলমান হলেতো নাম পরিবর্তন করতেন। হিন্দু হবার পর তার নতুন নাম কি হবে? শ্রীমতি জুলিয়া চক্রবর্তী? আমি আবার হিন্দুদের নামের সিস্টেম জানিনা। আমার এক হিন্দু বন্ধু আছে, তাদের দু ভাই এর নাম খুবই সুন্দর। নাম শুনে অনেকদিন বুঝিনি যে তারা হিন্দু।
@আনাস,
না মনে হয়। হিন্দু ধর্ম অনেক নমনীয়, ইসলামের মত অত কঠিন নয়। তাই মনে হয় নাম পরিবর্তন করার দরকার হবে না। তবে হরে কৃষ্ণ সম্প্রদায়ের পাল্লায় পড়লে হৈমবতী দাসী বা বনলতা দাসী জাতিয় কোন নাম নিতে হতো মনে হয়। হিন্দু ধর্মে তো আবার সম্প্রদায়ের অভাব নেই , কেউ শৈব, কেউ কালী, কেউ কৃষ্ণ ইত্যাদি পন্থি।
@আনাস,
একেবারে চক্রবর্তী? অত সোজা না 😀
পানি খাওয়া যায় না, পান করতে হয় । কিন্তু সাধারণ ভাবে বলা হয় পানি খাচ্ছি । হিন্দু কোন ধর্ম নয়, তবে হিন্দু শাস্ত্র বলে একটি কথা আছে, যার অর্থ সিন্ধু অববাহিকায় বসবাসরত মানুষের আচরণ । তবে কোন কোন পন্ডিত ব্যক্তি বলেন বৈদিক ভাষার ইন্দু (পূর্ব দিকের মানুষ) শব্দ থেকে হিন্দু শব্দের উৎপত্তি । আর্যরা ভলগা থেকে ইরান হয়ে ভারতে আগমন করে । সময় নিয়েছে কয়েক হাজার বছর ।
হিন্দু শাস্ত্র বা আচরণ পরিবর্তনশীল । কিন্তু ধর্ম পরিবর্তনশীল নয় । যেমন পানির ধর্ম উচু থেকে নীচে গড়ানো । এর পরিবর্তন সম্ভব নয় । হিন্দু শাস্ত্রে হোমো-ইরেক্টাস থেকে হোমো-স্যাপএনজদের আচরণ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । ফলে অগ্নি, মাতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রতিনিধি দেবী মা-দূর্গা, পিতৃতান্ত্রিক সমাজের দেবতা, জনতার প্রতিনিধি গণেশ এবং মানব উপকারী গরু পূজ্য হয়েছে । সিংহ ও সাপ থেকে নিজকে রক্ষার কৌশাল আয়ত্ত করে তাদেরকে পূজ্য করেছে । এমনকি অসুভ থেকে বাচার জন্য খারাপের প্রতিনিধি অসুরকেও তারা পুজ্য করেছে ।
আধুনিক কালে ধর্মান্তারিত হওয়া হলো স্বার্থ উদ্ধারের একটি উত্তম পন্থা । অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস কোন কারনের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করলেন তা এখনও বোধগম্য নয় ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার ব্যাখ্যায় অনেক জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ!
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
খুব সুন্দর আলোচনা – ভালো লাগল। যদি কিছু পেতে হয় খোদা, ইশ্বর,ভগবান, নিরঞ্জন-যদি জানতে হয় অসীম প্রকৃতির প্রেম, জ্ঞান তাহলে যার যার নিজের ধর্মে থেকেই তা পাওয়া সম্ভব, জানা সম্ভব। ধর্ম পরিবর্তন করাটা আসলেই স্বার্থ উদ্ধার অথবা যদি কেউ নির্বোধ বা লোভি, বা অভাবি ইত্যাদি কিছুর জন্য।
মুলত প্রতিটি ধর্মের আচরন, অনুষ্ঠানই পরিবর্তনশীল, তবে ধর্ম পরিবর্তনশীল নয়। আমার কাছে সেটাই মনে হয়।
ধন্যবাদ
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ইয়ে… হিন্দু ধর্ম নিলে আমার জাত কোনটা হবে? :lotpot:
@বিপ্লব রহমান,
এটা একটা ভাল প্রশ্ন। ওই যে গেরুয়া পড়া লোকটা দেখা যাচ্ছে ছবিতে। ওর কাছে কোন সমস্যাই না। সুন্দর একটা উত্তর দিয়ে দেবে। জুলিয়া বাবাটির পায়ে তক্ষনই আর একটা চুমু খাবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হ! 😉
@নৃপেন্দ্র সরকার, আপনার কাছ থেকে আর একটু স্পেসিফিক জবাব আশা করেছিলাম। উত্তরটা হবে,জাতভেদ ছাড়াও কিন্তু হিন্দু আছেন। যতদুর জানি,বৈষ্ণব মতে কিন্তু জাতি বিচার করা হয় না। একইভাবে,সন্যাসীদের কিন্তু জাতি থাকে না।যদিও এইব্যাপারে আমার পড়াশোনা কম।যতটুকু জানি চেষ্টা করলাম।
@রুশদি,
Exactly বুঝতে পারছি না স্পেসিফিক কোন বিষয়টা।
সন্যাসীদের সংখ্যা কি খুব বেশী? বৈষ্ণবদের সংখ্যাও বেশী হবে না। যে ব্যাপারটার (যদিও ঠিক বুঝতে পারছি না স্পেসিফিক্যালি) কথা বলেছেন, আপনি নিজেই মনে হয় ভাল বলতে পারবেন।
যে যাই বলুক, আমি দেখতে পাই সকল ধর্মের গোড়া একজায়গায়। (আমার চিন্তা)
ব্যপারটা যদি একটা বৃক্ষের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখ যাবে, একটি মূল, সেখান থেকে একটি বিশাল বটবৃক্ষ। অসংখ্য ডাল-পালা, সাথে আরও কত শাখা-প্রশাখা। যারা একটি শুধু ডালে থাকে তারা জানেও না, বুঝবেওনা যে আর বাকি সব ডাল-পালাও ঐ একটি মূল থেকে আসা। ডাল-পালারও শাখা প্রশাখা আছে। এই ধর্ম কর্ম অনেকটা সেরকম।
সকল ধর্মের মূল এক। বিভিন্ন জন বিভিন্ন জাতিতে, ভুখন্ডে, ভাষাতে এসে তাদের প্রকাশ বিভিন্ন রকম ঘটিয়েছেন মাত্র। লক্ষি, মা ফাতেমা, মরিয়ম গভিরে তাদের সবাইকে এক দেখা যায়। বৈচিত্রময় পৃথিবী, বৈচিত্র ময় মানুষ, বৈচিত্রময় প্রকৃতি, ইহাই সৃষ্টির আর এক অপরুপ দৃষ্টি। এখানেই স্রষ্টার মহত্ব।
প্রতি ভুখন্ডে, ভাষাতে সময়ের সাথে সবসময় কোন না কোন জ্ঞানী আসিয়াছে, আসিতেছে, আসবে এবং তার জ্ঞানকে অনুসরন করে একটি শাখা তৈরী হবে। আবার সেই জ্ঞানীর জ্ঞানকে, প্রেমকে, শিক্ষা সব কিছুকে ধামা-চাপা দিতে, অথবা বলা যায় যুগে যুগে ভোগবাদি, লোভী,কামুক মানুষও আসিয়াছে, আসিতেছে, আসবে যারা ঠিক সেই জ্ঞানীদের উপরে নির্ভর করিয়া নিজেদের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করবে। যেমন আদম হাওয়ার সময়ও সেই মানুষ যেমন ছিল, বর্তমান পীর/সুফীবাদ প্রথার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মানুষ আছে। সত্যের প্রকাশ খুব ধীরে, অল্প সংখ্যায় পরিবেষ্টিত, অন্য দিকে খুবই খারাপ মানুষও কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম হয় তবে সেই পথে মানুষের প্রচার প্রসার, বা সাধারনের গমন একটু বেশি হয়ে থাকে।
যেমন মোল্লা দিয়ে বা মসজিদের বেতন ভোগী ইমাম দিয়া ইসলামকে বুঝা যায়না, না যায় তেমন মন্দিরের ঠাকুরকে দিয়ে সনাতনের বিচার করা। যাবে না পাদ্রী দিয়েও খ্রীষ্টানকে বুঝা। এই সকল ধর্মের মূলে গেলে দেখা যায় মানুষ এক, মানুষ অদ্বিতীয়, মানুষ আদি, মানুষ অন্ত, মানুষ প্রকাশ, মানুষ গোপন। ইহা সকল ধর্মের মর্ম কথা।
যদিও টপিকের বাইরের কথা বললাম, তাও লেখাটা পড়ে হঠাত মনে আসল তাই লিখলাম।
ধন্যবাদ
@Russell,
কিন্তু কি দিয়ে সনাতন ধর্ম বোঝা যায় বা কি দিয়ে ইসলাম ধর্ম বোঝা যায় বা কি দিয়ে খৃস্টান ধর্ম বোঝা যায় সে সম্পর্কে তো আপনার কোন বক্তব্য এ পর্যন্ত পেলাম না। পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব সমস্ত জাতি গোষ্ঠি একসময় মুর্তিপূজা করত, তাদের অনেক দেব দেবী ছিল। মিশরীয়, গ্রীক,রোমান, হিন্দু, মায়া, চৈনিক সব সভ্যতায় । এর মানে কি ? এর মানে হলো – তখন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি অত উন্নত ছিল না যে তারা এক ঈশ্বরের কল্পনা করবে। তবে কোন কোন সভ্যতায় একজন প্রধান দেবতা ছিল যারা কাল পরিক্রমায় এক ঈশ্বরের ভুমিকায় আবির্ভূত হয়েছে, কোথাও আগে কোথাও পরে। এ দিয়ে কোন মতেই বোঝায় না যে এদের সবার মূল উদ্ভব এক বিন্দুতে। আর আপনার কথা যদি সত্য হয় তাহলে তো দেখি সব ধর্মের চেয়ে সনাতন তথা হিন্দু ধর্মই সেরা কারন তাদের ধর্মে আছে- যুগের প্রয়োজনে স্বয়ং ঈশ্বর মাঝে মাঝে নিজে অথবা অন্য কোন দেবতাকে দুনিয়াতে পাঠান মানুষ বা অন্য কোন প্রানী রূপে অধ:পতিত মানবজাতিকে সত্য পথে পরিচালনা করতে আর সেই সাথে দুষ্টদেরও দমন কাজটা সেরে যান। এ তত্ত্বকে অবতারবাদ বলে। এ তত্ত্ব মোতাবেক তো দুনিয়ার সব ধর্মেরই ব্যখ্যা দেয়া যায়- ইসলাম , খৃষ্টান, বুদ্ধিষ্ট ইত্যাদি যেখানে মোহাম্মদ বা যিশু বা বুদ্ধ স্বয়ং ঈশ্বর বা কোন দেবতা বা অসুরের অবতার বা পূনর্জন্ম। ওহ ভুলে গেছি, সবাই অবতার না, কেউ কেউ অসুরদের পূনর্জন্ম যারা দুনিয়াতে এসে অনেক আকাম কুকাম করে. অত্যাচার নির্যাতন করে। যেমন রাবন, হিরন্যকশিপু, কংশ ইত্যাদি এরা অসুরদের পুনর্জন্ম। অন্যদিকে কৃষ্ণ, রাম, বুদ্ধ ইত্যাদি এরা নাকি ঈশ্বরের অবতার । আপনার তত্ত্ব অনুযায়ী সনাতন ধর্মই সব ধর্মের সার কথা বলে মনে হচ্ছে। তাহলে কি এখন আমরা সবাই মিলে হরে কৃষ্ণ হরে রাম শুরু করে দেব নাকি ? কারন সেটাই নাকি কলি যুগের একমাত্র মুক্তির পথ।
@ভবঘুরে,
যদিও আগে বলেছি কিন্তু যদি না বুঝেন …তাহলে…হুমম…
আপনার বাকি সব প্রশ্নের উত্তর একটি কথায় উত্তর- মানুষ। আমার লেখার শেষে আমি লিখে দিয়েছি- সকল ধর্মের মূল তত্ব এইটাই। এর বাইরে কিছুই নাই। কে কার উচু, কে কার নিচু কিছুই থাকেনা। সবার মূল বানী একটাই মানুষ।
মানুষ ধর মানুষ ভোজ, শুন বলিরে পাগল মন- কোরানে, বেদে, গীতায়, বাইবেল যা আছে সব কিছুর মূল এই। আর কিছুই না। খুব সংক্ষিপ্তে এর বেশি কিছু না বলি।
আপনে আল্লাহ খোদা ভগবান সব ভুলে কোরান পড়েন, কোরান মানুষের জন্য, বেদ মানুষের জন্য…এইসব গ্রন্থ সমুহে এই মানুষ ব্যতিত কিছুই নেই। এইখানে লেখা আছে মানুষ তুমি কে? কি? কথা হতে আসলা, কোথায় আসলা, কোথায় যাবা?কি করবা…এছাড়া আর কিছুই না।
অফটপিকে আর না বলি।
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে,
বিষয়টাকে গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলে খুব একটা খারাপ হয়েছে বলা যায় না। জুলিয়া রবার্টস ইসলামের খপ্পরেও পড়তে পারত। আর তা হলেই মহাকান্ড হতো। ওদের বিশাল প্রচার মাধ্যমে এটা হতো আগামী কয়েক বছরের হট টপিক। তারস্বরে এটা ওরা প্রচার চালিয়ে যেত আর ইসলামের মত একটা আধি ভৌতিক ধর্মের গুনপনা প্রচার করত। ওরা প্রচারের একটা বিরাট উপাদান হাতে পেত। যার প্রভাব অন্যন্য মানুষের ওপরও পড়ত। এতে আরও কিছু সেলিব্রেটি ইসলাম গ্রহন করতে পারত। একটা মানুষ অর্থ যশ খ্যতি ইত্যাদির চুড়ান্তে উঠে গেলে তার মনে একটা একাকিত্ব বোধ কাজ করে যা তাকে মানষিক ভাবে হতাশাগ্রস্থ করে তোলে। তা থেকে নিস্কৃতি পেতে তারা প্রধানত নেশা জাতিয় দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হয় যার উদাহরন – ম্যরাডোনা থেকে মাইকেল জ্যকসন পর্যন্ত। ঠিক এমনই একটা সময়ে মানসিক শান্তি লাভের জন্য ধর্মের দিকে ঝুকে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। জুলিয়া রবার্টস এর ক্ষেত্রেও ঘটেছে সেটাই। তাই হিন্দু বা সনাতন ধর্ম গ্রহন করে জুলিয়া রবার্টস অন্তত পক্ষে কোন উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে অনুপ্রানিত তো করেনি। সেটাই খারাপ কিসের ? বলা যায় মন্দের ভাল।
@ভবঘুরে,
ভাল বলেছেন। ইদানীং কয়েকজন আমেরিকান মহিলা কনভার্ট হয়েই সন্ত্রাসী কর্মততপরতা করতে যেয়ে ধরা পড়েছে।
এক্ষেত্রে জুলিয়া রবার্টসের কোন সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। দেখা যাক।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি কোন ধর্মেই বিশ্বাস করি না । গোড়া নাস্তিক বলতে পারেন । ঊইকির লিন্ক মনপুত: না হলে Google তো আছেই ।
আরে এটা আরেকটা হলিউডি মার্কেটিং জুলিয়ার লেটেস্ট রিলিজের জন্যে-হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যাপারটাই হাস্যকর-এখানে বিশ্বাস করার আছে টা কি?
হিন্দু দর্শন ধর্মান্তকরন বা আইডেন্টির কোন স্থান নেই-সত্যানুসন্ধানের সব উপলদ্ধিকেই ভারতীয় দর্শন গ্রহণ করেছে আবাহমান কাল থেকে। যদি সত্যিকারের হিন্দু ধর্ম কিছু থেকে থাকে, তাহল এটাই যে সব ইহজাগতিক দার্শনিক মতকে স্বীকৃতি দেওয়া! এই অল ইঙ্কলুসিভনেসটাই আমার কাছে হিন্দু ধর্ম। কারন ভারতীয় দর্শনে আস্তিক, নাস্তিক, বহুঈশ্বর, না ঈশ্বর, একেশ্বর সব কিছুরই অস্তিত্ব আছে।
– :laugh:
এই আশংকা আমি গত কিছুদিন করেছিলাম। শুনেছিলাম যে তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতে আছে,এবং বেশ উপভোগ করছেন সনাতন ভারতীয় জীবন যাত্রা।
কারো ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য উচিত নয়, তবে এ জাতীয় পরিবর্তনে একটু চিন্তিত হতেই হয়। আমেরিকানরা কি রকম হুজুগে এটা আমরা সবাই জানি। আরো দুয়েকজন হলিউড তারকা এখন এখন এই পথে গেলেই কাজ হয়ে যাবে,অমনি দেখা যাবে পিল পিল করে হিন্দু হবার হিড়িক পড়েছে। যাদের ধর্ম সম্পর্কেই আসলে কোন ধারনা নেই।
আমেরিকানরা সিরিয়াল কিলারের প্রেমে পড়ে জেলখানায় গিয়ে তাদের বিয়েও করে। কাজেই কোন ধর্মের কিছু বাছা বাছা মনভোলানো কথায় ঘটা করে বিশ্বাস পরিবর্তন এমন কোন ব্যাপার নয় এদের জন্য। ৬০/৭০ এর দশকে মনে হয় হরে কৃষ্ম হরে রামা দলে যোগদানের কিছু ফ্যাশন চালু হয়েছিল।
@আদিল মাহমুদ,
প্রভুপাদ তো এদেশে জগাই-মাধাইদের মাঝে হরে-কৃষ্ণ নাম বিলি করে জগদ্বিখ্যাত হলেন। আর একজন – নাম মনে আসছে না – যিনি Oregonএ সেক্স নিয়ে আধ্যাত্মবাদের নবজাগরণ সৃষ্টি করলেন। কিন্তু তার আগে যথেষ্ট আমেরিকানদের মগজ ধোলাই করেছিলেন। কত লোক অকাতরে জীবন দিল। টেক্সাসে ডেভিড কোরেশ আসলেন তারপরে।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ সৃষ্টির অদ্ভূত জীব। একটা গরুকে বিশ্বাস করা যায়। গুতানো গরু হলে সে গুতাবে – নিশ্চিত। আর না গুতানো হলে গোতাবে না – নিশ্চিত। কিন্তু মানুষ? You never know.
@নৃপেন্দ্র সরকার,
Oregon সেই বাবাজীর নাম মনে হয় রজনীশ। এই বাবাজীর শিক্ষা থেকে বোঝা যায় যে এসব ধর্মীয় কাল্টকে আইনের আওতায় আনা কতটা কঠিন। এর কাল্ট স্থানীয় নির্বাচনে জেতার জন্য খাদ্যে বিষ ঢেলে মাস মার্ডারের পরিকল্পনা করেছিল। অথচ তেমন কোন শাস্তি মূল হোতাদেরই আমেরিকার মত দেশে দেওয়া যায়নি। রজনীশকে শুধু ইমিগ্রেশন আইন ভংগের দায়ে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
হত্যাযজ্ঞের আসল পরিকল্পনাকারিনী এক ভারতীয় মহিলাকে প্রথমে জেল দেওয়া হয় কিন্তু সে কিভাবে যেন ঠিকই বেরিয়ে সুইজারল্যান্ডে নিরাপদ ঘাটি গাড়ে। সে সময়কার ভিডিও দেখেছি, কি রকম উন্মাদের মত আমেরিকানরা গেরুয়া পরে নাচানাচি করছে।
আমেরিকানদের কোন ধর্মে ধর্মান্বরিত হওয়ার মাঝে সিরিয়াস কিছু আছে বলে মনে হয় না। হুজুগে জাতি, এদের কাছে যেকোন ধর্মেরই কিছু বাছা বাছা ভাল ভাল আধ্যাতিক টাইপের কথাবার্তা বলে মগজ ধোলাই কোন ব্যাপার নয়।
@আদিল মাহমুদ,
রজনীশ নিয়ে এটা বলা যাবে না। লোকটি নাস্তিক ছিলেন এবং নব্য নাস্তিক কিন্ত আধ্যাত্মিক ধর্মের প্রচলন করেন। উনি দর্শনের অধ্যাপক ছিলেন দীর্ঘদিন এবং তার দার্শনিক চিন্তার ভিত অত আলগা কিছু না-বরং সময়ের থেকে এগিয়ে থাকাই বলব।
রজনীশ পৃথিবীর সব ধর্ম এবং ধর্মাচারনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। আমরা ধর্মের বিরুদ্ধে যেসব লেখা এবং যুক্তি মুক্তমনাতে দেখি, সেটা রজনীশের লেখা এবং লেকচারে অনেক পাবেন।
রজনীশ নিজের লোভ সামলাতে পারে নি। তার জীবন বস্তুবাদি দর্শনের পরাজয় বলেই আমি মনে করি। অত্যাধিক গাড়ি এবং নারী লোভ-রজনীশ আশ্রমকে ধ্বংশ করে। এটা ভুললে চলবে না উনি কোন ভাববাদি দর্শনের প্রচার করেন নি-বস্তুবাদি দর্শনের প্রচার করেছেন।
শুধু দার্শনিক রজনীশ অনেক নতুন পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। ওদের কমিনিউটির একটা নতুন ধাপ ছিল, ছেলে মেয়েদের কমিনিউটি মানুষ করবে। ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের কাছে বড় হবে না। রজনীশের যুক্তি ছিল-
বাবা মায়ের কাছে মানুষ হওয়ার জন্যেই মানুষের মধ্য ধর্ম জাতি ইত্যাদি নেগেটিভ ধারনা গুলির জন্ম হয়-নতুন পৃথিবী এবং মুক্তমনের স্বাদ থেকে ছেলে মেয়েরা বঞ্চিত হয়। এটির সত্যতাকে অস্বীকার করা যাবে না।
কিন্ত রজনীশের দর্শনে যেটা ছিল না-সেটা হচ্ছে লোভ এবং যৌনতা সংবরন। ওরেগাও আশ্রমে পরকীয়া বলে কিছু ছিল-বিবাহ বলেও কিছু ছিল না-ফ্যামিলি ব্যাপারটাকেই রজনীশ অনেক সামাজিক ব্যাধির কারন বলে মনে করতেন। ফলে মানুষের যৌনতা ছিল মুক্ত-কিন্ত যৌনতার সাথে ঈর্ষার সম্পর্ক এত নিবিড় আশ্রমের মেয়েরা এক সময় নানান কুকর্মে লিপ্ত হয় একে অপরে বিরুদ্ধে যার উৎস স্থল ছিল অবশ্যয় নারী সুলভ হিংসা। এবং শেষ মেষ খুন খারাপির দিকে এগোয় ব্যাপার সাপার।
ওরেগাও আশ্রমের মৃত্যুকে বলা যায় একটি সামাজিক পরীক্ষার মৃত্যু।
@বিপ্লব পাল,
আগামী পৃথিবী নতুন আপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ধর্মগুলোর কেন যে এরকম শিশু মৃত্যু হলনা?
রুগ্ন ধারণা বলেই মনে হয়। মনে হয় কেন বলর। এর মৃত্যুই প্রমাণ করে ওটি রুগ্ন ছিল। কেন ভাল শাস্তি হল না ব্যাটার। অনেক সময়েই মনে হয়, আমেরিকাতে অপরাধের তুলনায় শাস্তির পরিমান নগন্য।
@বিপ্লব পাল,
রজনীশের দর্শন আমি জানি না, অনুমান করতে বাধে না যে কিছু ভাল কথা তিনি নিঃসন্দেহে বলতেন যা মানুষকে আকৃষ্ট করত। এটা তো সব ধর্মের নবী রসূল বাবা আউলিয়াদের সম্পর্কেই বলা যায়। ডেভিড কোরেশের সমাজ ব্যাবস্থায়ও কত ভাল লোকে আকৃষ্ট হয়েছিল।
উনি আস্তিক নাকি নাস্তিক তাও বিবেচ্য নয়।
তবে তার অনুসারীরা কোন দর্শনের প্রভাবে গ্রোসারী ষ্টোরে খাদ্যে গণহারে বিষ ঢেলে মানুষ মারার পায়তারা করেছিল সেটাই বিবেচ্য। যদিও এই ঘটনায় তার কমিউন দায়ী প্রমান করা গেলেও তাকে সরাসরি জড়িত করা যায়নি।
ওনার ভিডিও দেখেছি, আলিশান গাড়ি করে রীতিমত মার্কিন প্রেসিডেন্টের মত কায়দায় অবতরন করছেন, তাকে ঘিরে উন্মাদের মত নাচানাচি করছে এক গাদা সাদা নরনারী, তিনি আবার হাত তুলে আধা নাচের ভঙ্গীমায় তাদের উদ্বুদ্ধু করছেন…এসব খুব উন্নত কোন দর্শন মনে হয়নি। বিশুদ্ধ পাগলামীই লাগে দেখলে।
পাগলামী হলেও এসব নিজেদের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তেমন কিছু বলার ছিল না। যে যেভাবে শান্তি পায় পাক না। মানুষ মেরে সরকার নিয়ন্ত্রন করার পায়তারা কষলে তাদের অপরাধী ছাড়া আর কি বলা যায়?
@আদিল মাহমুদ,
আমি এত সুন্দর করে বলতে পারিনি। রজনীশকে ঢাকা ফুলবাড়িয়াতে নিয়ে গন ধোলাই দিতে পারলে তার দর্শণের যথাযোগ্য বিচার হতে পারত। এটাই মনে।
এই আমেরিকান জাতি এত কিছু নিকট অতীতে ঘটে গেল তা থেকেও কোন শিক্ষা নেয় না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
🙂
ভাল বলেছেন। সব ধার্মিক ক্রিমিনালদেরই কিছু না কিছু লোক ভূলানো মিষ্টি মিষ্টি জটিল তত্ত্ব কথা থাকে। কিন্তু অপরাধ করলে তাদের ক্রিমিনাল ছাড়া আর কি বলা যাবে? এরা সাধারন চোর ডাকাত খুনীদের থেকেও আরো অনেক বড় ক্রিমিনাল।
এই রজনীশকে প্রমানের অভাবে মামলায় ফাঁসাতে পারেনি, কিন্তু আশ্চর্যজনক হল তার দলের বড় চাঁই শীলা নামের ভারতীয় মহিলা শাস্তি হবার পরেও আইনকে কাঁচকলা দেখিয়ে সুইজারল্যান্ডে বহাল তবিয়তে থানা গাড়ে। কোন মানে হয়?
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক। রজনীশ। নামটা আসি আসি করেও মনে আসছিল না।
:yes: :yes: :yes:
Austinএ এক ইস্কনের আমেরিকান গুরুর সাথে আলাপ হল আমার বন্ধুর গৃহ প্রবেশ পুজায়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফিজিয়ান স্ত্রী। সাথে উনিশ বছরের আমেরিকান ছেলে। ছেলেটি হাত ভর্তি কৃষ্ণের tattoo.
জিজ্ঞেস করলাম Austinএ আপনার কত শিষ্য। মুখ ভার করে সুবোধ ছেলেটিকে দেখাল। কে জানে কোন এক মায়ের কোল খালি করে ছেলেটিকে সংগ্রহ করেছে।
দুবছর পরে বন্ধুটিকে বললাম – তোমার হরেকৃষ্ণ বাবার এখন শিষ্য সংখ্যা কত?
উত্তর – সেই সবেধন নীলমনি ছেলেটিও ভেগেছে।
ভাল কথা। কিন্তু হাতের সীলগালা tattooর কী গতি করেছে কে জানে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমেরিকান মগজ ধোলাই এর জন্য দরকার শুধু ভালমত প্রচারনা।
ভেতরে কি আছে তা আর কেউ খোজ করতে যাবে না। মহামারির মত লেগে যাবে হুজুগে যোগ দিতে।
@আদিল মাহমুদ,
ধর্ম বা মতবাদ প্রচারের জন্য আমেরিকা একটি লোভনীয় জায়গা। ইসলাম প্রচারকারীরা এখন উঠে পড়ে লেগেছে এর ব্যবহারের জন্য। মাত্রাটা ৯/১১ এর পরে বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষনীয় ভাবে। ইদানীং ম্যানহাটনে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ইসলামিক সেন্টার নির্মানের পায়তারা চলছে। একই মগজ ধোলাই সুমিষ্ট যুক্তি আর বক্তব্য। ইসলামিস্টরা আমেরিকান মহিলা কনভার্ট কাজে লাগাচ্ছে মগজ ধোলাইএর কাজে। A very clever technique. অনেক আমেরিকানের মগজ ধোলাই এর মধ্যে হয়ে গেছে।
@আদিল মাহমুদ,
ইস্কন এবং যোগব্যামের জন্যে হিন্দু ধর্মের সাথে আমেরিকানদের সম্যক পরিচয় আছে।-কারন আমেরিকায় প্রায় ত্রিশ মিলিয়ান লোক যোগব্যায়াম করে-এবং প্রায় সব যোগা স্কুলেই যোগ এর বেসিকটা ( যোগাসূত্র-পতাঞ্জলি) শেখানো হয়।
ইস্কনের আন্দোলন থেমে আছে এমন মনে করার কোন কারন নেই। বিবর্তনের বিরুদ্ধে অপবিজ্ঞান প্রচারের হিন্দু ধর্মের মধ্যে ইহারাই সব থেকে বেশী অগ্রনী।
আবার উলটো দিক ও আছে। জীবনের যেহেতু কোন উদ্দেশ্য বস্তুবাদি দর্শনে পাওয়া যায় না-অন্যকে ক্ষতি না করে আনন্দ করায় ভুল নেই। কীর্তন এক ধরনের মাস হিস্টিরিয়া তৈরী করে-যাতে মনে একটা বেশ তূরীয় বা ভাল লাগার ভাব আসে-যা গাঁজা খেলেও আসে। সুফীদের দরবেশী নৃত্যও আসলে কীর্তন।
গাঁজার সাথে পার্থক্য হচ্ছে এখানে শরীর খারাপ হবে না-বরং ভাল থাকে।
কে কি ভাবে ভাল থাকতে চাইছে-আনন্দে থাকতে চাইছে-তাতে আমাদের নাক গলানোর কিছু নেই। ইসলাম এবং কমিনিউজমের বিরুদ্ধে লোকের ঘৃণা কিন্ত এই জন্যে যে এরা লোকেদের ব্যাক্তিজীবনে বেশী নাক গলায়-বেশী বাধা নিশেধ আরোপ করে। মুসলমানরা যদি শুধু নামাজ হজ্জ বা জাকাতের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখত বর্তমান বিশ্বে ইসলামের বিরুদ্ধে লোকেদের এই ঘৃণাটা থাকত না। কিন্ত মুসলমানরা ধর্মটা জোর করে সমাজ ও রাষ্ট্রর ওপর চাপাতে যায়- সেটা প্রায়
পাবলিক প্লেসে মলমূত্র ত্যাগের মতন অসভ্যতাতে পরিণত হয়েছে অনেকে ক্ষেত্রে। এটা না করলে-ইসলাম এর সাথে আর চারটে ধর্মের কোন পার্থক্যই থাকত না। হয়ত মুক্তমনার ও জন্ম হত না। আমাদের দিকের ফোরামগুলোতে ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয় না-হলেও সেই ইসলাম নিয়েই আলোচনা। কারন হিন্দু ধর্ম রাষ্ট্র এবং সমাজের ওপর চাপানোর যে চেষ্টা বিজেপি করেছিল তা এখন সম্পূর্ন ভাবেই প্রতিহত। ফলে অপ্রাসঙ্গিক। এবং এটাই আসল কথা যে ধর্ম যখন ব্যাক্তি জীবনে আবদ্ধ থাকে, তাকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
@বিপ্লব পাল,
“ইসলাম এবং কমিনিউজমের বিরুদ্ধে লোকের ঘৃণা কিন্ত এই জন্যে যে এরা লোকেদের ব্যাক্তিজীবনে বেশী নাক গলায়-বেশী বাধা নিশেধ আরোপ করে।”
কমিউনিজমকে কারা ও কেন ঘৃণা করে তা নিয়ে কিন্তু আর বিশেষ কিছু বললেন না? ইসলামের সঙ্গে পুঁজিতন্ত্র বাদ দিয়ে কমিউনিজমকে মিলিয়ে দিয়েছেন বেশ উর্বর মস্তিষ্কই বলতে হবে আপনার, ধারণা করবার ক্ষমতা অসাধারণ। অপ্রাসঙ্গিক হলেও কোনভাবে টেনে এনে কমিউনিজমকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টার মধে কি মাহাত্য লুকিয়ে আছে বুঝতে পারলাম না।
@আব্দুল হক,
আমি কমিনিউজমকে আরেকটি ধর্ম ছারা কিছু মনে করি না। এই কারন এর আগে আমি ব্লগে লিখে গেছিঃ
কমিনিউস্ট আন্দোলনের সাথে কি ধর্মীয় আন্দোলনের আদৌ পার্থক্য আছে?
কমিনিউজম নিয়ে চলা ভুল তথ্য তালিকাঃ
@আদিল মাহমুদ,
আমি আগেই হাসতে গিয়ে কি ভেবে নিজেকে সংযত করলাম। তা আপনি যখন শুরুই করেছেন… :laugh: :lotpot:
@রৌরব,
আমি আসলে তেমন একটা দৃশ্য কল্পনা করেই ফেলেছিলাম আর কি, গেরুয়াধারী জুলিয়া রবার্টসের আধ্যাতিক মুক্তির আশায় তেল মর্দন করছেন। দৃশ্যটা কল্পনা করে অট্টহাসি আর চাপতে পারিনি। এখনো হাসি পাচ্ছে।
@রৌরব ,
সাম্রাজ্যবাদের বীজ শুরুতে না থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে সাম্রাজ্যবাদীরা ধর্মকে সাম্রাজ্যবাদ প্রসারে নিজেদের মত করে পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধন করেছে । আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে , ধর্মযাজকদের পকেটে পুরে রাজনীতিবিদ এবং সমরবিদেরা ধর্ম গুলির মুখ্য পৃষ্ঠপোষকের ভুমিকা শুরুর থেকেই যত্নের সাথে পালন করে আসছেন ।
এখন দৃষ্টি ফেরা যাক জুলিয়ার দিকে । অভিনয় শিল্পীরা কোন সময় অভিনয় করছেন না – বলা বড়ই দুস্কর । আর তাদেরকে কর্পোরেট স্বার্থের দিকটাও দেখতে হয় বৈ কি !
আবারো প্রমাণ হইলো হলিউডের কিছু নাম করা নায়ক নায়িকার মাথায় ঘিলু কম আছে কিংবা তা ব্যবহারে তারা প্রবল অলস। আর তা না হইলে জুলিয়া রবার্টস কেনো হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেবে কিংবা টম ক্রুজ এবং জন ট্রাভল্টারা গ্রহণ করবে সাইন্টোলজির মতো হাস্যকর কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে!!?
তবে খুশির সংবাদ হলো- জুডি ফষ্টার,ব্রুস উইলস, বিল মাহের, উডি এলেন,এঞ্জেলিনা জোলি, কিয়ানু রিভসের মতো অনেক স্বনাম ধন্য আর্টিসরা প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেক আগেই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
হিন্দু ধর্ম আসলে ধর্মটার প্রকৃত নাম নয় । প্রকৃত নাম সনাতন ধর্ম ।
এখানে অনেক কিছু জানতে পারবেন http://en.wikipedia.org/wiki/San%C4%81tana_Dharma
@সংশপ্তক,
ঠিক বলেছেন। “হিন্দু” আসলে কোন ধর্ম নয়। একটি জনগুষ্টির নাম। সে অর্থে সিন্ধু নদের পূর্ব পাড়ের সবাই – ভারত ও বাংলাদেশের সবাই – ধর্ম হিসেবে যারা নিজেদেরকে হিন্দু এবং মুসলমান মনে করেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল “সনাতন ধর্ম” টা কী। লিঙ্ক দিয়েছেন ধন্যবাদ। লিঙ্ক পড়ার ধৈর্য্য আমার নেই। হয়তো কোন হিন্দুই লিখেছেন অনেক ভাববাদ মিশিয়ে। আপনি যদি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করেন তা হলে আমাদেরকে আলোকিত করতে পারেন আপনার সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়ে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
নামের কারণ যাই হোক, হিন্দু নামে ধর্মতো একটা আছে, সেটাকে সনাতন-টনাতন যে লেবেলই দেয়া হোক না কেন। আমার কাছে মোটা দাগের সংজ্ঞা হল ভারতীয় দর্শন অনুযায়ী যারা “আস্তিক” তারাই হিন্দু, অর্থাৎ যারা নাম-কাওয়াস্তে হলেও বেদ মানে।
@রৌরব,
আপনি আমাদের এলাকায় আসেন। হিন্দুদেরকে জিজ্ঞেস করেন -বেদ মান কিনা? উত্তরে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে – বেদ কী জিনিষ। আমাদের কোন পূজায় লাগে না।
এদেরকে কী বলবেন? আপনার ধর্ম কী প্রশ্নের উত্তরে অনেককে “সনাতন ধর্ম” বলতে শুনেছি। প্রশ্ন করিনি কারণ উত্তর দিতে পারবে না জানি তাই।
একজন মুসলমান জানে সে কেন মুসলমান। ক্রিশ্চিয়ানও জানে সে কেন ক্রিসচিয়ান। কিন্তু কোন হিন্দু জানে না সে কেন হিন্দু বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এ জন্যেই “মোটা দাগে” এবং “নাম-কা-ওয়াস্তে” টা উল্লেখ করেছিলাম 🙂
বেদ বাস্তবিক অর্থে হিন্দুদের জন্যও সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, বেদের দেব-দেবীদের প্রায় কারোরই পূজো হয় না। উপনিষদে আবার এই অপ্রাসঙ্গিকতার কথা বলেও দেয়া হয়েছে পরিষ্কার ভাবে। অর্থাৎ হযবরল। বেদটা এখন ঐতিহ্যটাকে একটি কাঠামো দেয়া ছাড়া আর কিছু করে বলে মনে হয় না।
তবে গায়ত্রী মন্ত্রটা এখনও টিকে আছে।
@রৌরব,
আবারও প্রশ্ন। কীভাবে টিকে আছে?
দেখুন, আমি কাউকে জানিনা কেউ জানে গায়ত্রী মন্ত্র কী। তারপরেও সবাই হিন্দু। কিন্তু দেখুন একজন মুসলমানকে। সে জানে কেন সে মুসলমান এবং মুসলমান হিসেবে কী জিনিষগুলো তাকে করতে হতে। সে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ না পড়লেও অন্তত শুক্রবার মসজিদে যাবেই।
@রৌরব,
সনাতন দর্শনে আস্তিক, নাস্তিক, বহুঈশ্বর, না ঈশ্বর, একেশ্বর সব কিছুরই অস্তিত্ব আছে।
https://docs.google.com/fileview?id=0Bxmb43ISDdJdNzczZGZkMWUtYWZmMi00ODZkLThhYzMtYjFhYTM0YzU0NGJh&hl=en
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমাদেরকে আলোকিত করতে পারেন আপনার সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত ধারণা নিচে আছে। সনাতন দর্শনে আস্তিক, নাস্তিক, বহুঈশ্বর, না ঈশ্বর, একেশ্বর সব কিছুরই অস্তিত্ব আছে।
https://docs.google.com/fileview?id=0Bxmb43ISDdJdNzczZGZkMWUtYWZmMi00ODZkLThhYzMtYjFhYTM0YzU0NGJh&hl=en
সনাতন ধর্ম মতে কাউকে নতুন করে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত হতে হয় না যেহেতু এটা ধরে নেয়া হয় যে , প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবেই সনাতন ধর্মের অনুসারী । যে পন্ডিত জুলিয়া রবার্টস কে ‘দীক্ষা’ দিলেন , তিনিও তা ভাল করেই জানেন । এটা মার্কেটিং স্টান্ট বৈ কিছু নয় ।
@সংশপ্তক,
তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীতে সনাতন ধর্মের উপর প্রশ্ন থাকত পরীক্ষায়। সেই অবধি সনাতন ধর্মের কথা শুনে এসেছি। রাজেন্দ্র ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হয় নাই। কারণ ওটা যে একটা প্রশ্ন হতে পারে সেই বুদ্ধি ছিল না। রাজেন্দ্র ঠাকুর মরে ভুত হয়েছেন প্রায় ৪৫ বছর আগে। এখন আপনাকেই করি – যদি কিছু ধারণা দেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপ্নার কমেন্টঃ
তৃতীয় কি চতুর্থ শ্রেণীতে সনাতন ধর্মের উপর প্রশ্ন থাকত পরীক্ষায়। সেই অবধি সনাতন ধর্মের কথা শুনে এসেছি। রাজেন্দ্র ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হয় নাই। কারণ ওটা যে একটা প্রশ্ন হতে পারে সেই বুদ্ধি ছিল না। রাজেন্দ্র ঠাকুর মরে ভুত হয়েছেন প্রায় ৪৫ বছর আগে। এখন আপনাকেই করি – যদি কিছু ধারণা দেন।
আমার কমেন্টঃ
সনাতন ধরমো শম্পরকে কিছু ধারনা নিচে লিঙ্কে আছে।
https://docs.google.com/fileview?id=0Bxmb43ISDdJdNzczZGZkMWUtYWZmMi00ODZkLThhYzMtYjFhYTM0YzU0NGJh&hl=en
@সংশপ্তক,
ইসলামেও তো এধরণের একটা ধারণা আছে বলে জানি। এ ধারণাটার মধ্যে সাম্রাজ্যবাদের বীজ লুকিয়ে আছে। হিন্দুদের যে ধারণা যে তারাই বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো তথা “সনাতন” ধর্ম ও সভ্যতা, এটাও মর্মান্তিক রকমের হাস্যকর।
এই শতক কি নতুন একটি হিপি শতকে পরিণত হচ্ছে কিনা কে জানে। জুলিয়া রবার্টস ব্যক্তিজীবনে কি করলেন, তা অবশ্য সম্পূর্ণ তাঁর ব্যাপার। আশা করি তিনি ভবিষ্যতে অভিনয় করবেন।
@রৌরব,
শতক না, দশক বলতে চেয়েছিলাম।
@সংশপ্তক, Julia robarts হিন্দু হন্নি more like তিনি একটি হলিউড
ছবি তে ( eat pray love) হিন্দু হবার অভিনয় করেছেন মাত্র আর একারনে হিন্দু ধর্মকে নিয়ে এমন কিছু(এতকাল হিন্দু ধর্ম থেকে মানুষদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে করার ব্যবস্থা ছিল। ঢুকার রাস্তা ছিল না ) বলার দরকার নেই আমি নিজে মুসলমান তবে অন্নের ধর্ম কেও সম্মান করি।