তানভীরের অবিশ্বাসের হাবিজাবি লেখার মন্তব্য বিভাগে ফারুকের কিছু মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঐ মন্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে একটা পূর্ণাংগ লেখা সমীচিন হবে মনে করে আমার এই লেখা। প্রায়ই ধর্মানুরাগীরা বিশেষ করে ইসলামিস্টরা তোতাপাখীর মত এই বুলি আওড়ান বা যুক্তি দেন যে মানুষের কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষই দায়ী। আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন চিন্তা দিয়েছেন। স্বাধীন চিন্তার দ্বারা মানুষই সিদ্ধান্ত নেয় সে ভাল না মন্দ কাজ করবে। আল্লাহর কোন হাত নেই এতে। কাজেই পাপ পুণ্যের দায় দায়িত্ব মানুষের, যার জন্য আল্লাহ পাপের জন্য শাস্তি আর পুণ্যের জন্য পুরস্কারের বিধান রেখেছেন। আবার তারা এই দাবীও করে যে আল্লাহ পরম দয়ালু আর ক্ষমাশীল (এই দুটি কথা কুরাণের অনেক আয়াতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে )। এখন দেখা যাক কুরাণের আয়াতেরই আলোকে এই বুলি বা যুক্তির সারবত্তা কতখানি। উল্লেখ করি যে একটা মন্তব্যে আদিল কুরাণের একটা আয়াতে ইংরেজীতে “Leaves straying” উদ্ধৃত করে বলেন আল্লাহই যদি মানুষকে পথভ্রষ্ট করেন তাহলে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা আছে বলার কোন মানে হয় না । প্রত্যুত্তোরে ফারুক ডুবন্ত মানুষের মত খড় ধরে ভেসে থাকার মত “Leaves straying” (stray মানে পথভ্রষ্ট হওয়া) এর এই মানে করেন যে আল্লাহ তো মানুষকে পথভ্রষ্ট করছেন না, যারা পথভ্রষ্ট তাদেরকে পথভ্রষ্ট অবস্থায় রেখে দিচ্ছেন (Leaves) বা পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে নিবৃত্ত করছেন না। মজার ব্যাপার হল এই ইসলামিস্টরাই আবার অন্য প্রসঙ্গে বলবে কুরাণের সঠিক মানে বুঝতে হলে আরবীতে কুরাণ পড়। আবার সুবিধা হলে ইংরেজী অনুবাদই উদ্ধৃত করবে। আসল ব্যাপার হল কুরাণের বেশিরভাগ ইংরেজী অনুবাদই পশ্চিমাদের মন আকৃষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল অনুবাদ করে অপ্রিয় অংশকে গ্রহণীয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। শব্দার্থে কুরাণ (বাংলায়, মওলানা মতিউর রহমান প্রণীত) এবং আল কুরাণের বাংলা অভিধানে আসল মানে বেরিয়ে যায়। দু জায়গাতেই “পথভ্রষ্ট করা”ই বলা হয়েছে আয়াতটির সংশ্লিষ্ট অংশে। এই অংশে আরবীতে বলা আছে “ইউদলিলু” যার অনুবাদ এই দুই বইতে “পথভ্রষ্ট করা” করা হয়েছে। যেহেতু এই দুই বই হল কুরানের শব্দের অর্থ অনুবাদের জন্য তাই তারা শব্দের এই ভুল অনুবাদ করার হঠকারিতা দেখাতে পারেন না, যা ইংরেজী অনুবাদকেরা সম্পূর্ণ আয়াতের অনুবাদের বেলায় করতে পারেন। কুরাণের অন্তত দুটো ইংরেজী অনুবাদ আছে যাতে মূল আরবীর অর্থ সঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি অনুবাদ খোদ মক্কা থেকে প্রকাশিত আর আরবীর পন্ডিতের দ্বারা লিখিত ও অনুমোদিত। সেটা হল “The Noble Quran by Khan and Hilali”। আরেকটা হল The Meaning And Explanation Of The Glorious Qur’an by Muhammad Saed Abdul Rahman এই দু ইংরেজী অনুবাদে “ইউদলিলু” র অনুবাদ করা হয়েছে “sends astray” অর্থাৎ পথভ্রষ্ট করা, পথভ্রষ্ট অবস্থায় রেখে দেয়া বা পথভ্রষ্ট হতে নিবৃত্ত না করা এর কোনটাই নয়। যাহোক পথভ্রষ্ট অবস্থায় রেখে দেয়া ধরে নিয়েই নীচে কুরাণের কিছু আয়াতের বিশ্লেষণ করা যাক। পথভ্রষ্ট ধরে নিলে (যেটা সঠিক) আরো খারাপ দেখায় কুরাণের আয়াতগুলি ও ইসলামিস্টদের যুক্তিসমূহ।
১। আয়াত ৩-১৭৮ > আল্লাহ পাপীদের ছাড় দেন (অর্থাৎ শাস্তি দেয়া স্থগিত করেন) যাতে তারা আরো বেশী পাপে নিমজ্জিত হতে পারে এবং তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির বিধান করা আছে।
ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াল? পাপীকে আরো পাপী করে আরো বেশি শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে আল্লাহ পাপীদের এখনই শাস্তি না দিয়ে অপেক্ষা করেন যাতে তাদের পাপের ঝোলা আরো ভারী হয়। দয়ালু আর ক্ষমাশীলের কি হল? আর পাপীদের ছাড় দেয়া বা শাস্তি স্থগিত রাখা কেন? তাদের যদি সত্যি স্বাধীন চিন্তা থাকে তাহলে তো পরে তারা সুপথে যেতেও পারে। স্বাধীন চিন্তা মানেই তো তাই। তার মানে আল্লাহ ধরে নিয়েছেন (বা জানেন) যে পাপী সব সময়েই পাপী। অর্থাৎ স্বাধীন চিন্তার দ্বারা এখন যে পাপী সে ভবিষ্যতে কখনই সুপথে আসবে না। তাহলে হয় পাপীদের স্বাধীন চিন্তা নেই অথবা তাদের স্বাধীন চিন্তা আল্লাহই পুর্বনির্ধারিত করে দিয়েছেন (যেহেতু তিন জানেন যে তারা পাপ থেকে সরে আসবে না) । তাহলে পাপ পুণ্য মানুষ স্বাধীন চিন্তার দ্বারা নিজের সিদ্ধান্তেই করে, এটা বলা একটা অসার বাক্যই বটে।
২। আয়াত ৬-২৫ -> তাদের মধ্যে অনেকে তোমার কথা শোনে। কিন্তু আমি তাদের মন চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে তারা তোমার কথা বুঝতে না পারে। আর তাদের কানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি । তারা আয়াতগুলো দেখার পরেও তা বিশ্বাস করবে না।
কেমন হল ব্যাপারটা। আল্লাহই কাফেরদের মন ঢেকে দিয়েছেন যাতে তারা আল্লাহর বাণী বুঝতে না পারে। মন ঢেকে দেয়া মানে স্বাধীন চিন্তাও কেড়ে নেয়া। এ কি ধরনের দয়ালু বা ক্ষমাপরায়ণ আল্লাহ, যিনি পাপীদেরকে তাঁর বাণী বুঝে সৎপথে আসার সুযোগই দিতে চান না।
৩। আয়াত ৬-১১০ -> এবং আমরা (আল্লাহ নিজেকে আমরা বলার মানে কি?, সে আরেক প্রসংগ) তাদের মন ও কান কে সুপথ থেকে সরিয়ে রেখেছি, কারণ তারা প্রথমেই বিশ্বাস আনে নি। আর কুপথেই অন্ধভাবে বিচরণ করার জন্য তাদেরকে আমরা রেখে দেব,
এবার কেমন হল ব্যাপারটা। প্রথমে বিশ্বাস আনলনা বলে আর চান্স দেব না। মানুষরাও তো এত ক্ষমাহীন হয় না। আর আল্লাহ, যিনি নাকি অসীম দয়ালু আর ক্ষমাশীল?
৪। আয়াত ১৭-৪৬> আমরা তাদের মন ঢেকে দিয়েছি যাতে ও তারা আয়াতসমূহ বুঝতে না পারে, আর তাদের কান ঠসা করে দিয়েছি ।
এ কেমন আল্লাহ। একবার বলেও (আয়াত ৬-২৫) ক্ষান্ত হলেন না। আল্লাহর ক্ষমাহীনতা বড়ই কড়া, একটুও নরম হলেন না। আবারো এই আয়াতে স্মরণ করিয়ে দিলেন তাঁর হিংসাপরায়ণ বাণী।
৫। আয়াত ১৮-৫৭-> … আমরা তাদের মন আচ্ছাদিত করে দিয়েছি পাছে তারা কুরাণের আয়াত বুঝে ফেলে। আর তাদের কাণ ঠস করে দিয়েছি। আর তুমি যখন ওদেরকে সৎপথে ডাকবে, তারা সেই আহবান উপেক্ষা করবে।
দুবার বলেও যথেষ্ঠ হল না। আবারো আল্লাহ এই কথার পুনরুক্তি করলেন। মানুষ এরকম পুনরুক্তি করলে আমরা বলি লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়। আল্লাহ পুনরুক্তি করলে আমারও পুনরুক্তি করতে দোষ কোথায় । “আহবান উপেক্ষা করবে?” মোহাম্মদ অবিশ্বাসীদের ইসলামে আহবান জানালে তারা কিভাবে সাড়া দেবে তা আল্লাহ আগে ভাগেই জানেন। সবই সাজান পাতান ব্যাপার তা হলে। হুমম…
৬। আয়াত ৪-১১৯ -> সত্যই আমি তাদের পথভ্রষ্ট করব। আমি সত্যই তাদের মনে খারাপ চিন্তার উদ্রেক করাব…
মন্তব্য কি প্রয়োজন পাঠক?
৭। আয়াত ৬-১৩৭-> আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে মুশরেকরা শিশুহত্যা করত না।
কি জঘন্য। আল্লাহ জেনে শুনে মুশরেকদের শিশুহত্যা থেকে বিরত করলেন না, যদিও বলে বেড়াচ্ছেন যে তিনি চাইলে তা ঠেকাতে পারতেন, চাইলে ওরা তা করত না। কোথায় গেল স্বাধীন চিন্তা। আল্লাহ কি তাদের মগজে সেই স্বাধীন চিন্তা দিতে পারলেন না, যার দ্বারা তারা এটা যে খারাপ তা বুঝে তা থেকে নিবৃত্ত হত? (অর্থাৎ তিনি যে বললেন তিনি চাইলে তারা তা করত না, তার বাস্তবায়ন?)। না আল্লাহ ত পরম দয়ালু। তা করবেন কেন।
৮। আয়াত ১৯-৮৩-> তোমরা কি দেখতে পাওনা যে আমরা শয়তানকে পাঠিয়েছি অবিশ্বাসীদের পাপাচারের দিকে ঠেলে দিতে?।
এই আয়াতের জুড়ি নেই। কোথায় অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসের দিকে আনার চেষ্টা করেবেন তা না তদেরকে আরো খারাপ পথের ঠেলে দেয়ার জন্য শয়তান পাঠান পরম দয়ালু আল্লাহ। এর জন্যই নিশ্চয় ই তিনি শয়তান সৃষ্ট করেছেন।
৯। আয়াত ৬-১১২-১১৩> আমি মানুষ আর জ্বীনের মাঝ থেকে প্রত্যেক পগম্বরের বিরুদ্ধে শত্রু বাছাই করেছি, যারা একে অপরকে অণুপ্রাণিত করবে। আমি চাইলে তারা এটা করত না। তাই তাদেরকে তাদের এই কুপথেই ছেড়ে দাও। যাতে তারা তাদের কুকর্ম চালিয়ে যেতে পারে।
শেষই হয় না দেখি। মানুষকে বিপথগামী করতে আল্লাহ বদ্ধ পরিকর। রসুলদের বাধা দেয়ার জন্য মানুষ ও জ্বীন বাছাইও করেন। আবার বলছেন চাইলে তা নাও করতে পারতেন।
১০। আয়াত ২৫-৩১-> এই ভাবে প্রত্যেক নবীর জন্য আমি মুজরেমুনদের (অবিশ্বাসী,কাফের,নাস্তিক,পৌত্তলিক ইত্যাদি) মাঝ থেকে শত্রু সৃষ্টি করে রেখেছি। কিন্তু তোমাকে সুপথে চালিত করার ব্যাপারে আল্লাহই যথেষ্ট।
সত্যই অদ্ভূত। শত্রু সৃষ্টি করে আবার সেই শত্রুদের থেকেই সরিয়ে সুপথে চালান আল্লাহ। এ যেন ভাইরাস সৃষ্টি করে এন্টি ভাইরাস তৈরী করার মত ব্যাপার।
১১। আয়াত ২৬-৪-> আমরা যদি চাইতাম, তাহলে বেহেশত থেকে এমন সঙ্কেত বা চিহ্ন পাঠাতে পারতাম যাতে সবাই নত শিরে বিশ্বাসী হয়ে যেত।
যদি চাইতাম। না তা চাইবেন কেন আল্লাহ। চাইলে তো সব ইস্যু শেষ। ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে হবে তো! কিন্তু স্বাধীন চিন্তার কি হল। সবই যদি আল্লাহর ইচ্ছা, তাহলে স্বাধীন চিন্তা দিয়ে বিশ্বাসী বিশ্বাসী হবে কেমন করে তারা? সে সুযোগ থেকে তো তারা বঞ্চিত। এর জন্য কে দায়ী?
১২। আয়াত ৭-১৭৯-> অবশ্যই আমরা জ্বীন ও মানুষদের মাঝ থেকে এমন অনেককে সৃষ্টি করেছি যারা হৃদয় থাকতেও বোঝে না, চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বধির।
সেই সৌভাগ্যবানেরা কারা। আমরা আপনারা, মুক্তমনারা? তাহলে এই মুক্তমনারা আল্লাহর প্ল্যান অনুযায়ী সৃষ্ট। আর সাজা পেতে হবে তার জন্য আমাদেরই? কি আজব বিচার!
১৩। আয়াত ১১-১১৯-> নিশ্চয়ই আমি পাপিষ্ঠ মানুষ আর জ্বীন দ্বারা দোজখ ভরতি করে ফেলব।
ও তাই বুঝি। তার মানে কজন বা কারা দোজখে যাবে (অর্থাৎ পাপিষ্ঠ হবে) সবই পূর্বনির্ধারিত। তা নাহলে আল্লাহ জানেন কেমন করে যে দোজখ ভরে যাবে। দোজখের ক্যপাসিটির বেশি পাপিষ্ঠ তৈরী করবেন না আল্লাহ, যাতে ঠিক ভরে যায় সে পরিমাণ। সবই তো দেখছি আল্লাহর আগে ভাগেই হিসাব নিকেশ করা। হা স্বাধীন চিন্তা!।
১৪। আয়াত ৩২-১৩-> আমরা যদি চাইতাম তাহলে নিশ্চয়ই সবাইকে সৎপথে চালিত করতে পারতাম, কিন্তু আমার একথাটাই ফলবে যে আমি দোজখ মানুষ ও জ্বীন দ্বারা ভরে দেব।
পাঠক, আর কোন মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে কি?
১৫। আয়াত ১৭-৯৭-> আল্লাহ যাদের পথনির্দেশ করেন তারাই সুপথে চালিত হয়, আর যারা কুপথে যায়, আলাহ তাদের সেখানই রেখে দেন, কারো সাধ্য নেই তাকে রক্ষা করার।
কি দাঁড়াল ব্যাপারটা। যারা সুপথে চালিত হয়, তারা আল্লাহর দ্বারা পথ নির্দেশিত হয় বলেই সুপথগামী হয়। যারা বিপথগামী হয়েছে নিশ্চয় তারা আল্লাহর দ্বারা পথ নির্দেশিত হয় নি। তাহলে আল্লাহ আগেই কিছু পক্ষপাতমূলক পছন্দ করে রেখেছেন কাকে পথনির্দেশ করবেন আর কাকে করবেন না। তাহলে আর স্বাধীন চিন্তার প্রয়োজন কি। পাপ পুণ্য তো আল্লাহর পথ নির্দেশনা দেয়ার বা না দেয়ারই কারণেই ।
১৬। আয়াত ৬-১২৫-> যাকে আল্লাহ পথ নির্দেশনা দিতে ইচ্ছে করেন তারা ইসলামের প্রতি বুক খুলে দেয়। আরা যাদেরকে আল্লাহ বিপথে রেখে দিতে ইচ্ছা করেন তারা বুক বন্ধ করে দেয়।
অর্থাৎ পথভ্রষ্ট হওয়া বা না হওয়াটা আল্লাহর ইচ্ছা। তাহলে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার কি মূল্য, যদি তা থাকেও?
১৭। আয়াত ৭-১৭৮-> যাকে আল্লাহ পথ নির্দেশনা দিবেন সেইই সুপথে চালিত হবে। আরা যাদেরকে তাঁর পথ নির্দেশনা দিতে অস্বীকার করবেন তারা ধংসের মুখে পতিত হবে।
আবারো এটা পরিস্কার করে দিচ্ছেন আল্লাহ যে পথ নির্দেশনা পেয়ে সুপথে চালিত হওয়া বা না পেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়া সবটাই আল্লাহর ইচ্ছা।
১৮। আয়াত ৭-১৮৬-> যাদেরকে আল্লাহ পথ নির্দেশনা দিতে অস্বীকার করবেন তাদেরকে কেউই পথ নির্দেশনা দিতে পারবে না, তারা তাদের কুকর্মের জগতেই ঘুরতে থাকবে।
পাছে আমরা এখনও এটা বুঝতে পারিনি আল্লাহ পুনরুক্তির দ্বারা তা আবার বুঝিয়ে দিলেন।
১৯। আয়াত ১৮-১৭ -> আল্লাহ যাদের পথনির্দেশ করেন তারাই সুপথে চালিত হয়, আর যাদের আল্লাহ কুপথে ছেড়ে যান তাকে সুপথে চালিত করার সাধ্য কারোরই নেই।
আরও পুনরুক্তির প্রয়োজন আল্লাহর !
২০। আয়াত ৩৫-৮-> আল্লাহ যাদেরকে খুশি কুপথেই রেখে দেন, আর যাদেরকে খুশি পথ নির্দেশনা দেন।
যদি এখনও বুঝে না থাকেন, আল্লাহ পরিস্কার করছেন যে সুপথে বা কুপথে যাওয়া/থাকা সেটা হল আল্লাহর খুশি।
আমি আর পুনরুক্তি না করেই বলি যে আয়াত ৩৯-২৩ ও ১৪-৪ এর পুনরুক্তি করেছেন আল্লাহ।
২১। আয়াত ৭৬-২৮,২৯-> যারাই চায়, তারাই আল্লাহর সোজা পথে আসুক। কিন্তু তারা চাইবে না যদি না আল্লহ চান
আর কি বলার আছে। আপনি আল্লাহর পথে আসতে চাইলেই যথেষ্ঠ না, আল্লাহকেও তা চাইতে হবে। অর্থাৎ আপনার স্বাধীন চিন্তা বলে কিছু থাকেও, তা যথেষ্ঠ নয়, আল্লাহর স্বাধীন চিন্তা ও আপনার স্বাধীন চিন্তার মাহেন্দ্র যোগ ঘটলেই আপনার আখেরের পথ প্রশস্ত হবে, নচেৎ নয়!
২২। আয়াত ৭৪-৫৫,৫৬-> যারা আল্লাহর সতর্কবাণী আমল দিতে চায় তারা তা দিক। কিন্তু তারা আমল দিবে না, যদি না আল্লাহ তা চান।
উপরের ২১ এর কথাই আল্লাহ ঘুরিয়ে বললেন, যাতে এটা পুনরুক্তি বলে মনে না হয়।
২২। আয়াত ১০-১০০-> আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কারও পক্ষে বিশ্বাসী হওয়া সম্ভব নয়।
আর কি কোন সন্দেহ আছে পাঠক যে বিশ্বাসী হওয়া কেবল আপনার স্বাধীন চিন্তার ব্যাপার নয়।
২৩। আয়াত ২-১১৮-> অবিশ্বাসীরা বলে “আমাদের কাছে আল্লাহ তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণস্বরূপ কোন আলামত পাঠান না কেন?” আমরা যাদের অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস আছে তাদের কাছে স্পষ্ট আলামত ঠিকই পাঠাই
অপাত্রে দান আর কাকে বলে। অবিশ্বাসীকেই তো আলামত পাঠানোর কথা, বিশ্বাস আনার জন্য। যারা ইতিমধ্যেই বিশ্বাসী, তাদের আর আলামত পাঠিয়ে কি লাভ?
এর সবেরই একটা গৎবাঁধা উত্তর বিশ্বাসীরা তোতা পাখীর মত আওড়ায়। সেটা হল, আল্লাহর কাজকর্ম রহস্যময়, আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন কেন তিনি যা করেন তা কেন করেন। আমরা মরণশীল মানুষ তা কি করে বুঝতে পারি? না বুঝার অযুহাত জায়গামত দেয় এরা। আবার এরাই অন্য এক প্রসঙ্গে বলবে, কুরাণ ভাল মত পড়? পড়লে ঠিকই বুঝতে। না বুঝলে কুরাণের হাফেজকে জিজ্ঞেস কর, তাঁরা ঠিকই বুঝিয়ে দেবে। আবার এই হাফেজরাই সুবিধা না করতে পারলে আল্লাহর সব কারবারই রহস্যময়, যা কেবল আল্লাহই বোঝেন এই যুক্তির আশ্রয় নেয়।
:-[ @ যাযাবর আদিন ……
মুহাম্মাদ (স) কে নিয়ে রিসার্চ হয়েছে তিনি যে শ্রেষ্ঠ মানুষ সেটা হিট্টিও স্বীকার করেছেন আর তিনি যদি খারাপ হতেন আর ঘরের মানুষ রাই বলতে পারতেন এমন না তিনি তাদের আটকে রেখেছিলেন কারো সাথে কথা বলতে দেন নি আর একজন মানুষ কতটা ভালো তা হয় তার ঘরের মানুষ বলতে পারে না হয় বাইরের মানুষ ঐ আমলের সবাই বলে তিনি সত্যবাদী তবে উনি মিথ্যা বলবেন কেন ??? আল্লাহর নাম নিয়ে কোরান রচনা করে ফেললেন ?? যদি তাই হয় উনি তো সত্যবাদী ও ভালো মানুষ আমাদের ও তাহলে ইসলাম মানা উচিত (Y)
:clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap
ফারুক সাহেবের আইডির লিংক চাই উনার অন্যান্য লেখাগুলো পড়তে চাই উনার লেখা পড়ে মনে হলো খুব আস্তে আস্তে বুঝাচ্ছেন কিন্তু তীক্ষ্ণ ধার রয়েছেঝগড়া করতে চাচ্ছেন না কিন্তু ভালো ভাবে বুঝাতে চাচ্ছেন আর জ্ঞানী তো সেই একটি মাত্র উদাহরণ দিয়েই ঈমান আনে যিনি ৪০ বছর পর্যন্ত স্কুলেই যান নি উট চড়িয়েছেন তিনি কি করে কুরানে অংক বিজ্ঞান চাঁদ এর নিজস্ব আলো নেই এসব কথা বলতে পারেন কবিতা তো আমাদের নজরুল ও লিখেছিলেন কিন্তু উনিও কিন্তু স্কুলে গিয়েছিলেন তার পর ও উনার লেখায় আমি বিজ্ঞান পাই নি যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের মুখ দ্বারা নিঃসৃত আল্লাহ প্রেরিত কোরানে পেয়েছি যারা ঈমান আনে তারা একটি উদাহরণেই যদি ঈমান আনত আর ঈমান আনার পর যদি আবার কোরান পড়ত তবে আর বলত না কুরানের মত একটি বই কেন পড়ব :/
আমার হাত তালি দিতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যাযাবর, আল্লাহ কে কষে চাবকানোর জন্য। (Y)
@অচেনা, এই ব্যাপারে প্রায় হাজার খানেক বিশ্লেষণ আছে সত্যি আমি আপনাদের জ্ঞান দেখে অভিভুত এই জ্ঞান নিয়ে যদি মনে করে থাকেন ইসলামের বারটা বাজাবেন তাহলে আসলে আপনি নিজেরই বারটা বাজাবেন 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
@অচেনা, মৃত্যুই বলে দেবে যার যার পরিণতি
এভাবে কথা বলা কি উচিত ?? যেখানে এতি মানুষের আত্মার একটী বিষয় আর নাস্তিক বাদ কেন কোথাউ নেই মানুষের মনে কষ্ট দেওয়া আর সবার জানায় আছে এভাবে কথা বললে মুসলমান কি পরিমাণ কষ্ট পাবে এভাবে বলা উচিত হয় নি (N)
আপনাদের বিতর্কের আমি একজন দর্শক। আমার কাছে ফারুক সাহেবের যুক্তিই দুর্বল মনে হচ্ছে।
এখানে পক্ষপাত মুক্ত আলোচনাই আশা করি। যুক্তি যেখানে প্রাধান্য পাবে। এমন না যে , ব্যাক্তির হার জিৎ এখানে মূখ্য। আমি জিতলে যেমন সকলেই মুসলমান হয়ে যাবে না , তেমনি যাযাবর জিতলেও সকল মুসলমান অবিশ্বাসী বা নাস্তিক হয়ে যাবেনা। সেকারনে ” প্রত্যুত্তোরে ফারুক ডুবন্ত মানুষের মত খড় ধরে ভেসে থাকার মত” এমন চিন্তা বা মন্তব্য কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা মুক্তমনারা ভালই বলতে পারবেন। অন্ধ বিশ্বাসী তবুও মেনে নেয়া যায় কিন্তু অন্ধ ও মুক্তমনা পরস্পর বিরোধী। মুক্তমনা দের পক্ষপাত দুষ্ট হওয়া তাদের নামের প্রতি অবিচার।
“Leaves straying” নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে। মনে হয় বিতর্কে আমার জয় হয়েছে , যেকারনে যাযাবর এটাকে খন্ডন করার জন্য বিভিন্ন আরবি , ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ নিয়ে এই পোস্টে হাজির হয়েছেন। এতে দোষের কিছু দেখিনা। কিন্তু মজা পেলাম , উনি যে দোষে ইস্লামিস্টদের দূষছেন , সেই একি কাজ নিজেও করলেন। এটাকি স্ববিরোধী হয়ে গেল না?
আমার কথা যদি বলেন , কেন আমি অরিজিনাল আরবি আয়াত বা অন্য কোন অনুবাদ উল্লেখ করিনি? কারন আদিল মাহমুদ যে ইংরেজি তর্জমা দিয়ে প্রশ্নটি করেছিলেন , সেটা দিয়েই যখন তার প্রশ্নের জবাব দেয়া যাচ্ছে বা তার ভুল ধরিয়ে দেয়া যাচ্ছে, তখন খামাকা কষ্ট করে অন্য অনুবাদ বা কোরানের আরবি আয়াত খুজতে যাব কেন?
যাইহোক এই পোস্ট পড়ার পরে আয়াতটি খুলে পড়লাম। এটা খুব সুন্দর একটি আয়াত। আগেই যদি আরবি আয়াতটি পড়ে আদিল মাহমুদকে উত্তর দিতাম তাহলে তার আরো প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া লাগত না বা হয়তো আপনার এই পোস্টও লেখা লাগত না। আয়াতটি হলো –
وما ارسلنا من رسول الا بلسان قومه ليبين لهم فيضل الله من يشاء ويهدى من يشاء وهو العزيز الحكيم
এই আয়াতের মানে করতে যেয়ে প্রায় সকলেই
فيضل الله من يشاء ويهدى من يشاء এই অংশের ভুল অনুবাদ করার ফলে যত বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সকলেই অনুবাদ করেছেন ” আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিপথে নেন ও যাকে ইচ্ছা সুপথে নেন”। من يشاء মানে যে চায়। من মানে ‘যে’
يشاء মানে ‘চায়’। তাহলে এই আয়াতের প্রকৃত অর্থ দাড়ায় – “যে বিপথে যেতে চায় , তাকেই আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন এবং যে সুপথ পেতে চায় , তাকে সুপথ দেখান” বলতে পারেন আল্লাহর কাজ সাহায্য করার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
Muhammad Asad 14:4 AND NEVER have We sent forth any apostle otherwise than [with a message] in his own people’s tongue, so that he might make [the truth] clear unto them;3 but God lets go astray him that wills [to go astray], and guides him that wills [to be guided] -for He alone is almighty, truly wise.
যে ২৩ টি আয়াত দিয়েছেন , তার প্রতিটিকেই নিজের মন মতো ব্যাখ্যা ও আল্লাহ কি করতে চান তার কাল্পনিক উদ্দেশ্য বর্ননা করে নিজের ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। পক্ষপাত মুক্ত হলে চোখে পড়া উচিৎ।
@ফারুক,
“যে ২৩ টি আয়াত দিয়েছেন , তার প্রতিটিকেই নিজের মন মতো ব্যাখ্যা ও আল্লাহ কি করতে চান তার কাল্পনিক উদ্দেশ্য বর্ননা করে নিজের ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। পক্ষপাত মুক্ত হলে চোখে পড়া উচিৎ।”
– আপনি কি বলতে চান এই ভদলোক এই ২৩টি আয়াত সবগুলি তার নিজের মনগড়া অনুবাদ করে পাবলিক ষ্টান্ট করেছেন?
@আদিল মাহমুদ,এই দেখেন , আপনিও আমার মন্তব্য ভাল করে না পড়ে ভুল প্রশ্ন করলেন!! ‘নিজের মনগড়া অনুবাদ‘ এমন কথাতো বলিনি। বলেছি- মন মত ব্যাখ্যা করেছেন ও নিজের কল্পনাকেই আল্লাহর উদ্দেশ্য বলে চালিয়েছেন।
“তার মানে আল্লাহ ধরে নিয়েছেন (বা জানেন) যে পাপী সব সময়েই পাপী” বা “এ কি ধরনের দয়ালু বা ক্ষমাপরায়ণ আল্লাহ, যিনি পাপীদেরকে তাঁর বাণী বুঝে সৎপথে আসার সুযোগই দিতে চান না” বা ” আল্লাহ জেনে শুনে মুশরেকদের শিশুহত্যা থেকে বিরত করলেন না, যদিও বলে বেড়াচ্ছেন যে তিনি চাইলে তা ঠেকাতে পারতেন, চাইলে ওরা তা করত না। কোথায় গেল স্বাধীন চিন্তা?” এগুলো কি অনুবাদের অংশ? আল্লাহর মনের কথা উনি বিবৃত করছেন , উনার কল্পনা দিয়ে।
উনার প্রতিটি আয়াতের ব্যাখ্যাগুলো পড়ুন , দেখবেন স্ববিরোধীতায় ভরপুর। একজায়গায় আল্লাহকে দুষেছেন কেন তিনি হস্তক্ষেপ করে পাপীকে আরো পাপ করা থেকে নিবৃত্ত করলেন না বা “আল্লাহ জেনে শুনে মুশরেকদের শিশুহত্যা থেকে বিরত করলেন না, যদিও বলে বেড়াচ্ছেন যে তিনি চাইলে তা ঠেকাতে পারতেন, চাইলে ওরা তা করত না।” এখন আল্লাহ যদি ঠিক এই কাজগুলৈ করতেন , তাহলে উনার বলতে সুবিধা হতো , কোথায় গেল মানুষের স্বাধীনতা? এ যেন – “Head I win , tail you lose” দুটোতেই উনার জয়। পাপ পুণ্যের দায়ভার উনি আল্লাহর উপরে চাপাতে চান , আবার এটাও চান যে আল্লাহ হস্তক্ষেপ করুন। এখন একে আপনি পাবলিক ষ্টান্ট বল্বেন নাকি কি বল্বেন , তা আপনিই ভালো জানেন।
সত্য জানার ইচ্ছা থাকলে , আয়াতগুলো ভালো করে পড়ুন এবং তারপরে প্রশ্ন থাকলে সেটা করুন। জানা থাকলে উত্তর দেব।
@ফারুক,
আপনার সীলগালা বিষয়ক ব্যাখ্যা আমি আংশিক মেনে নিয়েছিলাম,কারন যেহেতু সেই বাক্যে পরিষ্কার বলা নেই যে কোনটা আগে; বান্দার ভুল পথে যাওয়া আগে,নাকি আল্লাহর সীল গালা মারা আগে তাই দুভাবেই হয়ত ব্যাখ্যা করা যায়। যদিও তারপরেও বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই যায় যা এখানেও করেছি,আপনি এখনো সেগুলির তেমন যুক্তিসংগত উত্তর দেননি। আল্লাহ নিজ চাচাকে সীলগালা মারা পরেও নবীজি কেন তার মৃত্যু সজ্জা পর্যন্ত আবু তালিবকে ঈমান আনানোর চেষ্টা করে গেলেন সে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
Leaves straying – এর আপনার বর্তমান ব্যাখ্যা পড়লাম। এটা আপনি আগে না দিয়ে কেন কি কি বলে যাচ্ছিলেন বুঝি না। মনে হয় অনেক খুজে অবশেষে বের করতে পেরেছেন।
যাযাবর সাহেব কিন্তু সব আয়াতে নিজের মত ব্যাখ্যা দেননি। আর ব্যাখ্যা তো ওনার নিজের হতে পারে। আমার কাছে প্রথম গুরুত্বপূর্ন হল অনুবাদ। ব্যাক্তির ব্যাখ্যা পরের কথা।
১৭ঃ৪৫
And when you (Muhammad SAW) recite the Qur’ân, We put between you and those who believe not in the Hereafter, an invisible veil (or screen their hearts, so they hear or understand it not).
– এর থেকে কি বোঝা যায়? অবিশ্বাসীদের মনে আল্লাহ পর্দা লাগিয়ে দিয়েছেন যাতে তারা কোরান শুনে বুঝতে না পারে। এখনই বলবেন যে তারা আগে নিজ দায়িত্বে অবিশ্বাসী হয়েছে তারপর আল্লাহ পর্দাদিয়ে দিচ্ছেন। তাহলে কেউ সংশয়বাদী মন নিয়ে কোরান পড়লে তার ঈমান আনার কোনই উপায় থাকছে না। আপনাকে আগে কোরান না পড়েই বিশ্বাসী হতে হবে, নয়ত আমি তো আপনার ঈমান আনার কোনই সম্ভাবনা দেখি না।
প্রশ্ন থাকে যে ঘোর অবিশ্বাসীলোকে তাহলে হঠাত কেমন করে বিশ্বাসী হয়ে যায়? আল্লাহ কেনই বা হঠাত পর্দা সরিয়ে দেন?
এর পরের আয়াতঃ
And We have put coverings over their hearts lest, they should understand it (the Qur’ân), and in their ears deafness. And when you make mention of your Lord Alone [Lâ ilâha ill-Allâh (none has the right to be worshipped but Allâh) Islâmic Monotheism ()] in the Qur’ân, they turn on their backs, fleeing in extreme dislikeness।
১৭ঃ৯৭ঃ
And he whom Allâh guides, he is led aright; but he whom He sends astray for such you will find no Auliyâ’ (helpers and protectors, etc.), besides Him, and We shall gather them together on the Day of Resurrection on their faces, blind, dumb and deaf, their abode will be Hell; whenever it abates, We shall increase for them the fierceness of the Fire.
এখানে তো আপনার ঘটনাক্রমের বিতর্কের তেমন অবকাশ দেখি না। পরিষ্কারই লেখা দেখি,যাকে তিনি পথ দেখান সেইই সঠিক পথে থাকে। যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য আল্লাহ ব্যাতীত আর কোন সাহায্যকারী নেই। আল্লাহই তো দেখছি আরে ইচ্ছা করে কাউকে সুপথ আবার কাউকে কুপথ দেখাচ্ছেন, মানুষ কেবল আল্লাহর বাতলানো পথ অনুসরন করছে।
৩৫-৮ এও কিন্তু একই কথাই আছে। আল্লাহ যাকে ইচচছা সুপথ আর যাকে ইচ্ছে পথভ্রষ্ট করেন। এসব আয়াতে বলা নেই যে মানুষ নিজ ইচ্ছায় যে পথ বেছে নেয় আল্লাহ তাকে সেই পথেই রেখে দেন যা আপনি প্রমান করতে চান। পথের নির্দেশনার মূল চালিকাশক্তি আল্লাহর ইচ্ছা, মানুষের স্বাধীন বিবেক তেমন কোন কথা নেই।
Is he, then, to whom the evil of his deeds made fairseeming, so that he considers it as good (equal to one who is rightly guided)? Verily, Allâh sends astray whom He wills, and guides whom He wills. So destroy not yourself (O Muhammad SAW) in sorrow for them. Truly, Allâh is the AllKnower of what they do!
@আদিল মাহমুদ,
‘খাতামুল্লাহ’র মানে সীলগালা করা নাকি ব্রান্ডিং করা তা কিন্তু এখনো ঠিক করতে পারিনি। সুতরাং একি প্রশ্ন আবারো করে লাভ কি , যতক্ষন না একমত হতে পারি সীলগালাটা কি , সে বিষয়ে।
নবীজির চাচার ব্যাপারে উপরে আপনার কমেন্টের জবাব দিয়েছি। এখনো পাব্লিশ হয় নি। একারনেই বলেছিলাম সমস্যা হচ্ছে। যেখানে জানিই না , যে ইতিহাসটা জানি সেটা সত্য নাকি মিথ্যা , সেখানে ইতিহাসের গল্প নিয়ে তর্ক করার কোন মানে আছে কি?
আগে কেন আরবি আয়াত থেকে ব্যাখ্যা দেইনি তাতো মন্তব্যের সাথেই উল্লেখ করেছি। যাযাবর এই পোস্ট না দিলে বর্তমান ব্যাখ্যা ও দেয়া লাগত না। সত্যি কথা বল্তে কি , খুব একটা খোজা লাগেনি। আমি সাধারনত quranix.net
থেকে অনুবাদ পড়ি। ওখানে মুহাম্মদ আসাদের অনুবাদটাও আছে।
আপনার এই মন্তব্য পড়তে যেয়ে কেন কোন কোন অবিশ্বাসীর সীলগালা খুলে যায় তার উত্তর পেলাম।
একটা কথা মনে রাখা উচিৎ বিতর্কিত আয়াতগুলোর সঠিক মানে জানতে পুরো কোরান ভালভাবে পড়া থাকা উচিৎ। যাযাবর আমাকে ইস্লামিস্ট বল্লেও কিছু করার নেই। এটাই সত্য। কোরানে যখন বলা হয়েছে (১৪:৪) “যে বিপথে যেতে চায় , তাকেই আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন এবং যে সুপথ পেতে চায় , তাকে সুপথ দেখান” এর কোন অন্যথা নেই। আল্লাহর ভূমিকা facilitator বা সাহায্যকারীর। কোন আয়াতে যদি পান আল্লাহ কাউকে বিপথে নিয়েছেন , তাহলে ধরেই নিতে হবে সেই লোকটি বিপথে যেতে চেয়েছিল বলেই আল্লাহ বিপথে নিয়েছেন বা কাউকে সুপথে নিয়েছেন মানে লোকটি সুপথে যেতে চেয়েছিল বলেই সুপথে নিয়েছেন। আল্লাহর কাছে পক্ষপাতিত্ব আশা করা ভুল।
উত্তর আপনার মন্তব্যেই আছে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেই , আল্লাহ সাহায্য করেন পর্দা সরিয়ে দিয়ে। কারন আল্লাহ ছাড়া আর কোন সাহায্যকারী নেই। নিচে আপনার মন্তব্যের বোল্ড করা অংশ দেখুন। একারনেই মনে হয় জীবন সায়াহ্নে বা জীবনের কোন এক সময়ে নাস্তিকরা আবার আস্তিক হয়ে ওঠে।
৩৫:৮ আয়াতটি আবার কি মনে করে দিলেন? Leaves straying এর যে ব্যাখ্যা এই পোস্টে দিয়েছি , সেই একি ব্যাখ্যা ৩৫:৮ এ ও প্রযোজ্য। আপনার বোল্ড করা অশটুকু “Verily, Allâh sends astray whom He wills, and guides whom He wills” ভুল অনুবাদ।
@ফারুক,
আপনার আবোল তাবোল বক্তব্য পড়ার ধৈর্য অনেক সময় হারিয়ে ফেলি তার পরও কষ্ট করে পড়ি এই এক বিংশ শতাব্দীতে মানুষ কত গন্ড মূর্খ হতে পারে তা বুঝতে ও দেখতে। কোরানের কোন নির্দিষ্ট আয়াতের অর্থ বুঝতে আপনি কোরানের মত একটা হাবি জাবি বই গোটা পড়তে বলছেন। ভাই অন্য ধর্মের কিতাব সত্যি কি মিথ্যা তা কোনদিন কষ্ট করে পড়ে দেখেছেন ? আমার তো বিশ্বাস পড়া তো দুরের কথা ছুয়েও দেখেন নি। তাহলে তাদের কিতাব এর চাইতে কোরান যে শ্রেষ্টতর তা বুঝবেন কিভাবে ? আপনাকে হিন্দুদের গীতা পড়তে অনুরোধ করি, কোরানের মত বড় গ্রন্থ না , ছোট্ট একটা গ্রন্থ, দেখবেন আপনার কোরানের চাইতে কত উন্নত তার রচনা শৈলী, বাক্য বিন্যাশ, দার্শনিক গভীরতা। গীতার কাছে কোরান কোন কিতাব ই না। স্রেফ জ্ঞান অর্জনের নেশায় আমি গীতা পড়েছি আর তাই এই মন্তব্য করলাম।
@ভবঘুরে,
আপনার মতো জ্ঞানী ব্যাক্তি ধৈর্য ধরে যে আমার লেখা পড়েন, তাতেই আমি উল্লসিত। আমার মতো গন্ড মূর্খকে না দেখলে আপনি বুঝতেন কেমনে , আপনি কতটা জ্ঞানী? শুধু আইনস্টাইন বা ডারউইনের লেখা পড়লে নিজেকে আপনার আরো বেশি গন্ড মূর্খ মনে হতো। আমার মতো গন্ড মূর্খ আছে বলেই না আপনি জ্ঞানী। একারনে একটা ধন্যবাদ কি পেতে পারি না?
বাইবেল গীতা ও অন্যান্য ধর্মের কিছু বই আমি অবশ্য পড়েছি। তবে গন্ড মূর্খের পড়া আর না পড়া। একি কথা।
@ফারুক,
আপনি বিতর্কেতো জিতবেনই। একটা বিতর্কে মানুষ নানা রকম তথ্য প্রমান আনে। সেটাই নির্ধারন করে বিতর্কে কার অবস্থান কতটা যুক্তিযুক্ত। আপনি আপনার মনগড়া অনুবাদ করে যাবেন আর আরবী ব্যাকরন, ফিকাহের নিয়ম, ইত্যাদি দিলে আপনি মানবেন না। নিজে যা বলবেন সেটাই ঠিক। এমন কারো সাথে বিতর্ক করার ধৈর্য অনেকেরি থাকেনা। এ সুযোগে আপনি দাবী করলেন আপনি জিতসেন। আমরা ফ্রেন্ডরা কার্ড খেলি। মাঝে মাঝে ঝগড়া বেধে যায় জয় পরাজয় নিয়ে। তখন আমরা বলি আচ্ছা। পয়েন্ট দিয়া দে। ওয়ার্ল্ড কাপতো আর খেলতেসি না।
ঐ আয়াত সমুহ আপনাকে এ জন্যে দিয়েছিলাম যে আপনি বলেছেন মুক বধির অন্ধ এগুল গালি প্রথম শুনলেন। সবাই আপনার মত কুরান নিয়ে গবেষনা করে না। তাই আপনার মত হুট করে আয়াত দিতে পারে না। অথচ আপনি জানতেন কুরানে কুকুর। জন্তু এরকম নিম্ন শ্রেণীর গালি ব্যাবহার করা হয়েছে। আপনি সেসব উল্লেখ করলেন না। আপনাকে আগেরবার লিসানুল আরাব গ্রন্থের প্রমান দিয়েছিলাম। আপনার বক্তব্য আপনিই বেশী জানেন সেই সব আরবদের থেকে। তাই লিসানুল আরাব বাদ দিতে বলেছিলেন! আপনার উপরোক্ত মান ইয়াশা অর্থ করাও ব্যাকরনের নিয়মের বাইরে যেয়ে। কর্তা কর্ম ক্রিয়া এসব বিষয়কে উপেক্ষা করে।
বাট আপনি জিতসেন। কারন এসব আপনি মানেন না। আচ্ছা, আপনি কি জন্ম থেকে আরবী জানেন? বা শিখেছেন কোথা থেকে?
আমার নেট আজ কেটে যাবে। তাই তারাহুরো করে প্রশ্ন গুল করলাম। নিচের আয়াত গুল শব্দে শব্দে অনুবাদ করে দিবেন। পারলে শব্দের ব্যাখ্যা দিয়েন। পরে সময় পেলে দেখব।
فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ ألِيمٌ
উপরের আয়াতটি সুরা বাকারায় আছে। আর নিচেরটি আপনি অনুবাদ করেন ৫:৮৭
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
@আনাস,
আদিল মাহমুদের মতো আপনারো দেখি একি সমস্যা। মন্তব্য ঠিক মতো না পড়েই দোষারোপ করেন। আমি বলেছিলাম – “মনে হয় বিতর্কে আমার জয় হয়েছে ” এবং কেন এমন মনে হয়েছে তার কারন ও উল্লেখ করেছি। মনে হওয়া আর দাবী করা নিশ্চয় এক জিনিষ নয়। মনে হওয়া অর্থ হতেও পারে , নাও হতে পারে। না , আপনার ফাউ পয়েন্টের আমার দরকার নেই।
আপনি যাতে এই দোষ না দিতে পারেন , সেই কারনে মুহাম্মদ আসাদের অনুবাদটাও দিয়ে দিয়েছিলাম। লাভ হলো কিছু? সেই দোষীই বানালেন। অনেকগুলো অনুবাদের মধ্যে কোনটা ঠিক , তা আপনি কিভাবে নির্ধারন করেন?
না আমি জন্ম থেকে আরবি জানিনা। এখনো যেটুকু আরবি জানি তা আরবদেশে থাকার কল্যানে ও কোরানের word by word অনুবাদ করে যেটুকু শিখেছি , ততটুকুই। কোন প্রাতিষ্ঠানিক আরবি শিক্ষা আমার নেই।
আমি কোন মাওলানা বা মৌলভি নই। তাই আপনার দেয়া আয়াতের খন্ডিত অংশ ও পুরা আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়া থেকে বিরত থাকলাম। নেটে অনেক অনেক অনুবাদ পাওয়া যায়। দেখে নিয়েন।
@ফারুক,
এ বিষয় নিয়ে বেহুদা আর প্যাঁচাল করার মত ইচ্ছা বা সময় কোনটাই আমার নাই।
শুধু বলতে এলাম যে আমি আপনার অভিযোগমত কথা না শুনেই মন্তব্য করি না। না বুঝতে পারি সে সম্ভাবনা বেশ ভালই আছে।
আপনি ইসলামী ইতিহাস মানেন না আমি জানি। আমি যতটুকু জানি ইসলামী ইতিহাস, হাদীস, বা অন্য কোন বাইরের সূত্র ছাড়া কোরানের বেশ কিছু আয়াত নিতান্তই অর্থহীন কিছু বাক্য ছাড়া আর কিছু মনে হবে না। এ নিয়ে ভবিষ্যতে কথা হবে আশা করি। আমি এসব নিয়ে পোষ্ট দিতে চাই না, কারন এই ফোরামের কেউই এসবে তেমন আগ্রহী হবেন না।
একটি উদাহরন শুধু এই মুহুর্তে মনে আসছে কোরানের সেই ৪ বিবাহের অনুমতি ঘটিত আয়াতটি। এ আয়াতটির মানে হাজার বছর ধরে অনেকেই সাধারনভাবে ৪ বিয়ের তরিকা হিসেবে ইন্টারপ্রেট করে আসছেন। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে এখানে কিছু “কিন্তু” আছে। কারন আয়াতটি শুরু হয়েছে “এতিমদের” মধ্যে থেকে। এতিমদেরই শুধু বিবাহ করতে হবে কেন? এই আয়াতের যৌক্তিক ব্যাখ্যা (মনে হয় সদালাপে কেউ ক’মাস আগে লিখেছিলেন) আমার কাছে মনে হয়েছে যে আয়াতটি শুধুমাত্র সে সময়কার জন্য প্রযোজ্য, কারন এতিম বলতে যুদ্ধবন্দী নারীদের বোঝানো হয়েছে কার ব্যাখ্যায় যেন পড়েছিলাম। সে সময় নানান যুদ্ধে গণিমতের মাল হিসেবে প্রাপ্ত নারীদের বিবাহের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সীমা এই আয়াতে দেওয়া হয়েছে। কাজেই এর কার্যকারিতা শুধু এই ব্যাপারেই সীমাবদ্ধ।
আপনি সমকালিন ইতিহাসের সাহায্য না নিলে এই ব্যাখ্যা পেতেন না।
@ফারুক,
সবচেয়ে জোরাল যুক্তি মানুষ সবার আগে পেশ করে। আমার বিপক্ষে আপনার সবচেয়ে জোরাল যুক্তি হল আমি আপনার যুক্তিকে ডুবন্ত মানূষের খড় ধরে ভেসে থাকার চেষ্টার সঙ্গে তুলনা করেছিলাম, সেটা বলাটা পক্ষপাতমূলক, আপনার ভাষায়। ঐ তুলনাটা তখন যদি ভুল হয়েও থাকে এবার কিন্তু সত্যি তুলনাটা করতে বাধ্য হচ্ছি। এবার আপনার কুযুক্তিটা বেপরোয়া পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে শেষ রক্ষা করার জন্য। আসাদের ইংরেজী অনুবাদ এমনিতেই বিকৃত। ইউসুফ আলীকেও হার মানিয়েছেন তিনি অনুবাদ বিকৃতিতে। তাই কুরাণ অনলীদের প্রিয় অনুবাদক আসাদ । কুরাণকে স্যানিটাইজ করার জন্য ছলাকৌশলের আশ্রয় নিতে বিবেকে বাধে না তাদের । তার উপর আপনি আসাদের চেয়েও আর এক ধাপ এগিয়ে আসাদকে বাংলা অনুবাদ করে একে আরও বিকৃত করে রায় দিলেন যে আয়াত ১৪-৪ এঃ
من يشاء মানে যে চায়, من মানে ‘যে’, يشاء মানে ‘চায়’, তাই এই আয়াতের প্রকৃত অর্থ হবে “যে বিপথে যেতে চায় , তাকেই আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন এবং যে সুপথ পেতে চায়, তাকে সুপথ দেখান”।
চমৎকার। বাক্য চাতুরীর দ্বারা ড্যামেজ কন্ট্রোলের আপনার এই প্রাণপণ চেষ্টার তারিফ আল্লাহও না করে পারেন না। মনে মনে হাসছেনও নিশ্চয়, কুযুক্তির মাত্রা দেখে।
জ্বীনা, من يشاء মানে “যে চায়” না, বরং “যাকে চান” (আল্লাহ যা কে চান বোঝান হয়েছে)। ইউসুফ আলী পর্যন্ত এতদূর বিকৃত করতে পারেননি। আসাদ ছাড়া আর সব অনুবাদে “যাকে চান” তো আছেই, তার উপর শব্দার্থে কুরাণেও সেটা আছে। ১৪-৪ আয়াতের আপনার উদ্ধৃত অংশের অনুবাদ আসাদ ছাড়া আর সব জায়গায় যে ভাবে দেয়া আছেঃ
فيضل الله من يشاء ويهدى من يشاء
খান ও হিলালীর The Noble Quran এঃ
Then God misleads whom He wills and guides whom He wills And He is the
All-Mighty, the All-Wise.
অর্থাৎ فيضل الله এর মানে Then God misleads অর্থাৎ “অতঃপর আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন” । whom He wills আল্লাহ যাকে চান বোঝান হচ্ছে। শব্দার্থে কুরাণেও তাই অনুবাদ করা হয়েছে।
الله = আল্লাহ, فيضل = ফায়েদিল্লু = ফা(অতঃপর)+ ইয়াদিল্লু(পথভ্রষ্ট করে দেন)
(শব্দার্থে কুরাণ আর আল-কুরাণের অভিধানেও এই মানেই দেয়া আছে)
@যাযাবর,
একই মন্তব্য দুবার প্রকাশ হয়েছে। একটি মুছে দেয়া হলো।
@যাযাবর,
কি জানি হবে হয়তো। আমার কাছে আমার সকল যুক্তিই জোরালো মনে হয়।
এতদিন তো জানতাম রাশাদ খলিফা। আমার ব্লগের বিখ্যাত ব্লগার নরাধম (কোরান অনলি নন , ট্রাডিশনাল মুসলিম) আমাকে আসাদের অনুবাদ পড়তে উপদেশ দিয়েছিলেন। আপনার মুখেই শুনলাম – কুরাণ অনলীদের প্রিয় অনুবাদক আসাদ। কি জানি হবে হয়তো। আপনি বলছেন যখন , তখন হতেই হবে।
এর মিমাংসা একভাবে সম্ভব। আপনি যে দেশেই থাকুন , সেখানকার কোন আরবি প্রফেসরকে জিজ্ঞাসা করুন , ‘যে চায়'(who wants) এর আরবি কি? বা من يشاء মানে ‘যে চায়'(who wants হয় কিনা? তাহলেই বুঝবেন , কুযুক্তি কাকে বলে। আমি কিন্তু এখানে আরবি ভাষী উচ্চশিক্ষিত আমার এক কলিগকে জিজ্ঞাসা করেছি , যে স্কুল জীবনে আরবি গ্রামারে ৯০%এর উপরে নম্বর পেয়েছিল, সে কিন্তু এই অনুবাদে কোন ভুল পায়নি।
@ফারুক,
মনে করবেন না আমি বা অন্য পাঠকেরা একটা ব্যাপার লক্ষ্য করিনি, সেটা হল আপনি প্রথমে যুক্তি দিয়েছিলেন যে আল্লাহ মানুষকে পথভ্রষ্ট করেন না। কেবল যে নিজের ইচ্ছায় পথভ্রষ্ট হয় তাকে পথভ্রষ্ট অবস্থায় ফেলে রাখেন, রেখে দেন। আর এখন বলছেন যে, যে পথভ্রষ্ট হতে চায় আল্লহ তাকে পথভ্রষ্ট হতে সাহায্য করেন। সুবিধা বুঝে যুক্তি বা বক্তব্য পাল্টাতে পারেন আপনি। যাহোক আপনার এবারের মন্তব্যে আসি।
তাতে কি আসে যায়? ভাল কোন পয়েন্ট পেলেন না তাই তুচ্ছ ইস্যু নয়ে ক্যাচাল করেছেন। আসাদের অনুবাদ স্পষ্টতই বিকৃত, কুরাণকে স্যনিটাইজ করার লক্ষ্যে। কুরাণ অনলীরাও সেটাই চায়। এটাই মূল কথা। আসাদ এর বিষয় অন্য কোন পয়েন্ট নিয়ে ইস্যু করা অবান্তর।
আপনি এখনো দাবী করে যাচ্ছেন যে من মানে ‘যে’। কুরাণের কোন অনুবাদে
من মানে ‘যে’ (He) করা হয়নি। সব জায়গায় ‘যাকে’ (Whom) অনুবাদ করা হয়েছে। আপনার প্রিয় আসাদ ও Him (যাকে) ব্যবহার করেছেন উদ্ধৃত আয়াতটিতে। আরবীর প্রফেসররাই (পিকথল,হিলালী), কুরাণের এই আয়াতে من কে যাকে (Him) অনুবাদ করেছেন। অন্য সব অনুবাদও আরবীর পন্ডিত দ্বারাই অনুদিত। আবার আমাকে বলছেন আরবীর প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করতে। লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে আপনার কুযুক্তি।
@যাযাবর,
সুবিধা কোথায় দেখলেন? leaves straying এর মানে আপনারা সকলে বল্লেন বিপথে নেয়া , আমি বল্লাম leaves মানে রেখে দেয়া। এরপরে আপনি আয়াত হাজির করে ভুল মানে দিলেন। আমি ভুল শুধরে দিলাম। আপনি হয়তো ইচ্ছা করেই লক্ষ্য করেন নি, কিন্তু মুক্তমনারা ঠিকি লক্ষ্য করছেন, এ বিশ্বাস আমার আছে।
মন্তব্যের বাকি অংশ নিয়ে আমার নুতন করে বলার কিছু নেই। কুযুক্তি কে করছে তা পাঠকরাই নির্ধারন করুক।
@ফারুক,
আপনি লিখেছেনঃ
যে কোন আইনে, এমনকি ইসলামী আইনেও অপরাধে সহযোগিতা করার জন্য শাস্তির বিধান আছে। অপরাধের উদ্যোক্তা সহ সকল সহয়াতকারীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। আপনার অনুবাদে আল্লাহকে পাপের কাজে সাহায্যকারীর ভূমিকায় দেখিয়েছেন। আল্লাহর শাস্তির বিধান কোথায়? মহান আল্লাহকে শেষ পর্যন্ত অপরাধের সাহায্যকারী করতে হল? বিকৃত অনুবাদ করে শেষ রক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন তো কোন গর্তে নিজেকে ঢুকিয়েছেন? এর থেকে বের হবার জন্য আরও হাস্যকর যুক্তি নিয়ে আসবেন জানি অবশ্যই। আনুন। আমোদিত হই।
@যাযাবর,বিপথে যাওয়া’ আর অপরাধ করা সমার্থক , এটা জানা ছিল না। ইসলামের দৃষ্টিতে ‘নাস্তিক’ হওয়ার অর্থ বিপথে যাওয়া। তার মানে সকল নাস্তিক অপরাধী? সকল নাস্তিককে তাহলে আপনার ভাষ্য অনুযায়ী গ্রেফতার করা উচিৎ। কি বলেন? কোন গর্তে যে কে পড়ে , আল্লাহই ভালো জানেন। হাস্যকর যুক্তির সংজ্ঞা ও উদাহরন দিনতো। যাতে ভবিষ্যতে সাবধান হতে পারি।
@ফারুক,
হে হে, সেই খড় ধরে…। “যে বিপথে যেতে চায় , তাকেই আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন”
এর মানে পরিস্কার। অপরাধীরা তো বিপথেই যেতে চায়। বিপথে না গেলে অপরাধ হবে কেমন করে। অপরাধ করা মানেই তো বিপথে যাওয়া। আর যে বিপথে যেতে চায়, আর আল্লাহ তাকে যদি বিপথে যেতে সাহায্য করেন, তাহলে কি আল্লাহ সেই বিপথে যাওয়ার জন্য যে অপরাধ ঘটল সেটা ঘটতে সাহায্য করলেন না? বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে? (না কি বুঝে স্বীকার করতে কষ্ট হচ্ছে?)। চামচে করে সহজ কথাটা বুঝাতে হল। আর আমি তো কোথাও বলিনি “বিপথে যাওয়া’ আর অপরাধ করা সমার্থক”। এটা তো আপনার কথা । আমার উদ্ধৃতি দিতে পেরেছেন?। গর্তে আরো ঢুকে যাচ্ছেন।
@ফারুক,
আপনার অন্য পয়েন্টএর উপর মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলাম আগের জবাবে। হ্যাঁ, ইসলামের দৃষ্টিতে ‘নাস্তিক’ হওয়ার অর্থ বিপথে যাওয়া তো বটেই, এটা অপরাধও, অবশ্য বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের মানদন্ডে নয়। তাই আল্লাহ যদি নাস্তিক হতে সাহায্য করেন, তাহলে আল্লাহ তাঁরই দৃষ্টিতে যা অপরাধ তাতে মদদ যোগাচ্ছেন। এটা ইসলামী আইনেও অপরাধ। হ্যাঁ, সকল নাস্তিককে ইসলামী আইনে সাজা দেয়া হবে, তাই ইসলামী আইন শাসিত দেশে কেউ ভুলেও স্বীকার করবে না সে নাস্তিক। আর ঐ সুরায় পথভ্রষ্ট করা বলা হয়েছে। কুরাণের অর্থ ব্যাপক, সার্বজনীন বলে দাবী করা হয়, তাই পথভ্রষ্ট হওয়া মানে শুধু নাস্তিক হওয়া হতে পারে না। সকল অপরাধই বিপথে যাওয়ার উদাহরণ। যে ভাবেই দেখান না কেন, আপনার মহান, নিখুত, আল্লাহ যে এত নীচে নেমে মানুষ কে পথভ্রষ্ট হতে মদদ যোগান, তা সেই ভ্রষ্ট পথ যাই হোক না কেন, এটাই একটি আশ্চর্য্যজঙ্ক ও ন্যক্কারজনক ব্যাপার। আপনি তারপরো এই বাণীগুলীকে এত সুন্দর পান, তাতে আরো অবাক হই। অন্ধ প্রেমে পড়লে সাধারণ বুদ্ধি লোপ পায় সেটা অবশ্য জানি।
@যাযাবর,
তা যদি না বলে থাকেন , তাহলে আপনার নিচের এই মন্তব্যের মানে কি?
আমার অনুবাদের কোথায় আল্লাহকে পাপের কাজে সাহায্যকারীর ভূমিকায় দেখিয়েছি? দেখাতে পারবেন? মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আপনি কি অর্জন করতে চান?
নাস্তিক হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ বলেই আপনি খালাস। আপনার এই দাবীর পিছনে সুত্র কি? এই পোস্ট ও মন্তব্যগুলো পড়ুন। শুরু করেছিলাম , আল্লাহ বিপথে পাঠান নাকি মানুষ নিজের ই্চ্ছায় বিপথে যায়? সেখান থেকে কোথায় এসে হাজির হয়েছি। এভাবে যদি বিতর্কের বিষয় বস্তু পরিবর্তন করতে থাকেন , তাহলে অনন্তকাল বিতর্ক সম্ভব। সুস্থ বিতর্ক চাইলে টপিকে থাকুন ও একটু কম হাসুন। হাসি বিতর্কের জন্য প্লাস পয়েন্ট নয়। অন্য একদিন সময় হলে আপনাকে বোকার তিন হাসির গল্প শোনাব।
আর একটা জিনিষ খেয়াল করুন , নাস্তিক ও আস্তিক উভয়েই অপরাধ করে । তারা অপরাধ করে স্বেচ্ছায়। অপরাধে আল্লাহ সাহায্য করেন না।
এতগুলো এক নায়কতান্ত্রিক আয়াত ই প্রমান করে , কোরানের বানী আল্লাহর নয়, তা স্বয়ং মোহাম্মদের বানী। মোহাম্মদ তার ক্ষমতা নিরংকুশ করতেই আল্লাহর নামে এসব বানী প্রচার করেছিল। এসব স্বৈরাচারী, হিংসাত্মক আয়াত কখনই কোরানের ভাষায়, পরম করুনাময় ক্ষমাশীল আল্লাহর হতে পারে না। কোরানের আল্লাহকে কখনই মনে হয় না যে তিনি সত্যি সত্যি করুনাময় ও ক্ষমাশীল। বরং তার বক্তব্য পড়ে মনে হয় তিনি ভীষণ অসহিষ্ণু, হিংসুক, পাষাণ হৃদয়, নিষ্ঠূর, রক্তলোভী একজন একনায়ক যাকে শুধু ভয়ই পাওয়া যায়, ভালবাসা যায় না। কোরানে আল্লাহকে ভয় করার পরিবর্তে ভালবাসতে ইচ্ছে করে এরকম আয়াত খুজে পাওয়া দুষ্কর। বলতে গেলে নাই। খৃষ্টান,হিন্দু ইত্যদি ধর্মে অনেক অযৌক্তিক বিষয় থাকার পরও তাদের বর্নিত ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা অনেক দয়ালু, প্রেমময়, ক্ষমাশীল যা ইসলামের আল্লাহর নেই।
“@ভবঘুরে,
ইন্নাহু লাকাউলু রসুলীন কারিম- (৮১-১৯)
“নিশ্চয়ই ইহা রসুলের বানী”
উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলে কোন শব্দ নেই। ইহা রসুলেরই বানী, তবে ঐ সময়কার ও এখনকার পশু আকৃতি মানুষদের অনেক কাপঝাপ বুঝাতে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়েছে, হয়। ইহা মোল্লারা নিজেরাই ব্যবহার করে থাকে, কেন করে জানিনা। কোরান মুলত রসুলেরই বানী। আমাদের ভুল শিক্ষা দেওয়া হয়ে আসছে। আরও অনেক ভুল ব্যাখ্যা অর্থ করা হয়েছে যার কারনে আজও মানুষ কোরানকে বুঝে ভুল।
আল্লাহর জবাবদিহিতাবিহীন একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আনুগত্য মানবকুলের স্বাধীন চিন্তার প্রতি কতটুকু অনুকুল তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে । কোন একনায়কই তার সাম্রাজ্যে স্বাধীন চিন্তা সহ্য করেনা । শুধু এ কারণটাই আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য যথেষ্ট । আল্লাহ আছে কি নেই – এ প্রশ্ন নাই বা করলাম । বিদ্রোহীরা শাস্তির ঝুঁকি নিয়েই বিদ্রোহী হয় এবং তাতে আমাদের অনুতাপের কিছুই নেই ।
আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন চিন্তা দিয়েছেন আবার দেন নি। বিষয়টির মধ্যে আমি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর গন্ধ পাচ্ছি। ইহুদী নাসারারা কোরানের এ বিষয়টি থেকেই তাদের কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কিত যাবতীয় তত্ত্ব আবিষ্কার করেছে।
ভাল বিষয় টেনেছেন। আমার নিজেরও ধারনা ছিল না যে আল্লাহ কোরানে আরো এত যায়গায় মানুষের কুপথের যাবার বা অবিশ্বাসী হবার দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এত ষ্পষ্ট ভাষায় এত আয়াতের পর আর তিনি কিভাবে মানুষের পরীক্ষা নেন তার ভাল ব্যাখ্যা দরকার।
সেই হৃদয়ে সীল মারা আয়াতের ব্যাপারে আমি ফারুক সাহেবের কথায় কিছুটা কনভিন্সড হয়েছিলাম যে আল্লাহ সীলগালা মারেন কেউ নিজের ইচ্ছায় বেপথে গেলেই। অর্থাত,আগে আমরা বেপথে গেলাম,তারপর আল্লাহ সীলগালা মেরে দিলেন। ফারুক সাহেবের বাখ্যা এমনই,অস্বীকার করার উপায় নেই যে আয়াতটির এমন ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এখানে ঘটনাক্রম গুরুত্বপূর্ন। যদিও সংগত কারনেই মনে প্রশ্ন চলে আসে যা ফারুক সাহেব এখনো জবাব দেননি। সেগুলিএখানেও দিচ্ছি, ফারুক ভাই আর কেউ দেখি জবাব দেন কিনা।
– অন্যদিকে সনাতনী ইসলামী দর্শন মতে মানুষকে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তই সুযোগ দেওয়া হয় ঈমান আনার। কাউকে কেউ কোনদিন বলে না যে তোমার ব্যাপারে চান্স ইজ ওভার। মোহাম্মদের নিজের পালক চাচা আবু তালিবও শেষ পর্যন্ত ঈমান আনেননি। তাকে নবীজি সীলগালা ঘটিত আয়াত উল্লেখ করে আশা ত্যাগ করেননি। নবীজি তার চাচাকে দোজখের অনন্ত আগুন থেকে বাঁচাতে এমনকি তার মৃত্যু মুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন বলে সহি হাদীসে আছে। ফারুক সাহেব হাদীস মানেন না,তবে এই কাহিনী ছেলেবেলা থেকেই শুনেছি।
Volume 6, Book 60, Number 197:
Narrated Al-Musaiyab:
When Abu Talib’s death approached, the Prophet went to him while Abu Jahl and ‘Abdullah bin Abi Umaiya were present with him. The Prophet said, “O uncle, say: None has the right to be worshipped except Allah, so that I may argue for your case with it before Allah.” On that, Abu Jahl and ‘Abdullah bin Abu Umaiya said, “O Abu Talib! Do you want to renounce ‘Abdul Muttalib’s religion?” Then the Prophet said, “I will keep on asking (Allah for) forgiveness for you unless I am forbidden to do so.” Then there was revealed:–
‘It is not fitting for the Prophet and those who believe that they should invoke (Allah) for forgiveness for pagans even though they be of kin, after it has become clear to them that they are companions of the Fire.’ (9.113)
নবীজি নিজের চাচার বেলায় কোরানের সীলগালা নীতি মানেননি? ফারুক সাহেবের সীলগালা নীতি মানলে তার মৃত্যুর মুহুর্ত পর্যন্তও চেষ্টা করে যাবেন কেন? অনেক আগেই তো আশা ছেড়ে দেবার কথা। নাকি এটাও নবী স্পেশাল?
৫,৬,৭,১৫,১৬,১৭ পড়ার পর আর কোন যুক্তি কিভাবে আনা সম্ভব? এখানে সীলগালা আয়াতের মত সিকোয়েন্স বিতর্কের অবকাশ তো আমি দেখি না।
@আদিল মাহমুদ,কেন জবাবতো দিয়েছি অনেক আগেই। যেয়ে দেখে আসুন।
পুরো ইস্লামিক ইতিহাস নিয়েই আমার সন্দেহ আছে। শুধু সন্দেহই নয় , আমার ধারনা এর ১%ও সত্য নয়।
নবীর চাচার এই গল্প যদি ধ্রুব সত্য বলে বিবেচনা করেন , নবীর জন্মের সময় ও পরবর্তিতে তার জীবনে ঘটে যাওয়া অতিরন্জিত ও অবিশ্বাস্য ঘটনাগুলোকেও আপনাকে ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিতে হয়। এগুলো যদি সত্য হতো , তাহলে তো সাধারন মানুষের এইসকল মির্যাকল দেখার পরে দলে দলে বিনা বাধায় ইসলাম গ্রহন করার কথা। সেটা কি ঘটেছিল?
একথার অর্থই আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আপনি যেসব উদ্ধৃতি দিয়েছেন সে তো অনেক পরের কথা।
@রৌরব,
অবিশ্বাসের হাবিজাবি লেখার মন্তব্য বিভাগে আদিল মাহমুদকে দেয়া ফারুকের জুলাই ১৫, ২০১০ at ৪:০৭ অপরাহ্ণ তে জবাবে ফারুক লিখেছিলেনঃ
“আমি তো জানি আল্লাহ সকলকেই স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী করেছেন।“
(শেষ লাইন)
আবার ফারুককে দেয়া আদিল মাহমুদের জুলা ই ১৬, ২০১০ at ৬:২৯ অপরাহ্ণ এর জবাবে আদিল লিখেছিলেনঃ
“ধরে নিলাম আল্লাহ সবাইকে স্বাধীন চিন্তা শক্তি দিয়েই পাঠিয়েছেন।”
তখন বাক্যটার অর্থ আপনার কাছে নিশ্চয় পরিস্কার ছিল, যেহেতু তখন প্রশ্নটা তোলেন নি। আমি তাঁরা যে অর্থে এটা বলেছিলেন, আমি সেই অর্থেই তা উদ্ধৃত করেছি।
@যাযাবর,
আমি বোঝাতে চেয়েছি স্রষ্টা ঈশ্বর আমাদের “স্বাধীন ইচ্ছা” দিতে পারেন এটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়না।