খুব তরতাজা খবর। কয়েক ঘন্টা আগেই বেরিয়েছে। কিন্তু দারুণ উদ্দীপক এবং আমাদের জন্য খুবই প্রেরণাদায়ক খবর এটি। অবশেষে বিজ্ঞানী ক্রেগ ভেন্টরের প্রায় পনেরো বছরের ক্লান্তিহীন গবেষণা সফলতার মুখ দেখেছে। তিনি তৈরি করেছেন প্রথম ‘কৃত্রিম প্রাণ’। কম্পিউটারে কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্রোমোজোমের মাধ্যমে একটি পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোষে ‘প্রাণ’ সঞ্চারে সফল হয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নতুন সিন্থেটিক জীবন যুগের সূচনা হলো – যখন প্রাণ ‘সৃষ্টি’র ব্যাখ্যার জন্য কোন অলৌকিক কিংবা অপার্থিব অনুকল্পের দরকার পড়ছে না, বিজ্ঞানীরা হাতে কলমেই তৈরি করে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আর সম্ভবতঃ এর মাধ্যমে ভেঙ্গে পড়লো ধর্মবাদীদের শক্তিশালী ‘ডিজাইন আর্গুমেন্টের’ শেষ সিঁড়িটি, যেটি প্রাণের উৎসের জন্য দোহাই পাড়ত কোন এক অদৃশ্য সর্বময় ক্ষমতাশালী এক সত্তার। অক্কামের ক্ষুরের আরেকটি গভীর পোঁচ যেন পড়ে গেলো তাদের গালে অবধারিতভাবেই!

দেশ বিদেশের সকল পত্র-পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে খবরটি ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’ এই অগ্রগতিকে অভিহিত করেছে বিজ্ঞানের ইতিহাসের এক বিশাল মাইল ফলক হিসেবে হিসেবে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান, ডিস্কোভার সহ সকল বিজ্ঞানের পত্রিকাই প্রথম পৃষ্ঠায় ফিচার নিউজ হিসেবে খবরটি দিয়েছে। যারা স্বল্প সময়ে ভেন্টরের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কা্র সম্বন্ধে অবহিত হতে চান তারা প্রথমেই দেখে নিতে পারেন এই ভিডিও দুটি –

httpv://www.youtube.com/watch?v=eoqBSNmYJYI

(১)

httpv://www.youtube.com/watch?v=qPE2CnThito

(২)

বলা বাহুল্য, ক্রেগ ভেন্টরের কাজ নিয়ে মুক্তমনায় এর আগেও লেখালিখি হয়েছে। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই জেনেটিক্সের জগতে এক অতি পরিচিত নাম। তিনি জীববিজ্ঞান জগতে যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা। যখন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো বিভিন্ন জীবের জিনের পঠনের শুরু করেছিলেন, তখন ভেন্টর নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন ইন্সটিটিউট ফর জেনেটিক রিসার্চ (TIGR), এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ব্যাকটেরিয়ার জিনোম ডিকোড করতে সমর্থ হন ১৯৯২ সালে। বেসরকারী উদ্যোগে তিনিই প্রথম মানুষের জিনোম শৃঙ্খলা লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং সবাইকে চ্যালেঞ্জ করে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনিই বিশ্বে প্রথম মানুষের জিনোম সংশ্লেষণ করতে সমর্থ হবেন। এবং সেই চ্যালেঞ্জকে পূর্ণতা দিয়ে ২০০১ সালে তিনি ফলাফল প্রকাশ করেন – যা ছিলো মুল সময়সূচীর অন্ততঃ এক বছর অগ্রগামী। ২০০৫ সালে তিনি সিন্থেটিক জিনোমিক্স বলে একটি কোম্পানীও প্রতিষ্ঠা করেন ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে জীবন তৈরীর উদ্দেশ্যে। তিনি জ়ে ক্রেগ ভেন্টর ইন্সটিটিউট (JCVI)-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা জেনেটিক্সের গবেষণায় অগ্রণী এক সংস্থা আজ। এই সংস্থার মাধ্যমেই ভেন্টর তৈরি করলেন আজকের বহুল আলোচিত কৃত্রিম সিন্থেটিক প্রাণ।

কৃত্রিম জীবন তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি বেশ ক’ বছর ধরেই। বলা হচ্ছিলো, যে কোন সমইয়েই তিনি তৈরি করে ফেলতে পারেন প্রথম কৃত্রিম জীবন। বিগত কয়েক বছরে অনেক সাক্ষাৎকারেই তিনি বলে বেড়াচ্ছিলেন সেটি। কেউ হয়ত ভ্রুকুটি করতো। কেউ মুখে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে পোষণ করতেন সেই চিরন্তন – ‘হ আপ্নের পোলা চাকরি পাইছে, কিন্তু দেইখেন বেতন পাইবো না’ গোছের মনোভাব। অথচ রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে ভাইরাস তৈরী করার প্রচেষ্টা তার হাত দিয়ে সফল হয়েছে অনেক দিন হল; ২০০৩ সালে প্রথম সিন্থেটিক ভাইরাস তৈরী করা হয়েছিল ক্রেগ ভেন্টরের হাতেই – এবং তা ১০০% নিখুঁত। পোলিও ভাইরাস সহ দশ হাজার প্রজাতির ভাইরাস তৈরী করা গেছে ভাইরাসের জিনোম পর্যবেক্ষণ করে এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে। এক ব্যাক্টেরিয়া থেকে অন্য ব্যাক্টেরিয়াতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াও সফল হয়েছে। আজ তিনি ব্যাকটেরিয়া সদৃশ সরল কোষ তৈরি করে দেখালেন। ভেন্টর এখন বলছেন যে, তার পরবর্তী প্রোজেক্ট হচ্ছে এর চেয়ে আরেকটু জটিল ইউক্যারিওট বানানো। তিনি মনে করেন অদূর ভবিষ্যতে খুব জটিল প্রানীও তৈরি করা যাবে, যদি সিন্থেটিক জীবনের গবেষণা এগিয়ে যেতে থাকে এরকম অবিশ্বাস্য গতিতে।

কিন্তু সিন্থেটিক লাইফ ব্যাপারটি কি? ব্যাপারটি আর কিছুই নয় – শুধুমাত্র ডিএনএ বা আরএনএ ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সাংখ্যিকীকরণ বা ডিজিটাজেশন। জিনোমের সিকোয়েন্স করা থেকে যাত্রা শুরু, তারপরে তার ডিজিটাল কোডকে কম্পিউটারে স্থাপন।তারপর কম্পিউটারের সাহায্যে নতুন জীবনের মালমশলা সাজানো। ক্রোমোজম বানানোর কৌশল অনেকটা প্রকৃতি থেকেই শেখা। তিনি প্রাথমিকভাবে ইস্ট থেকে ক্রোমোজমের বিভিন্ন মাল মশলা সংগ্রহ করেন, কিন্তু ক্রোমজমের পূর্ণাঙ্গ রূপটি কম্পিউটারে সিমুলেশন করে বানানো Mycoplasma mycoides নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জিনোমের অনুকরণে। তাঁরা এটি বানানোর জন্য তৈরি করেন এক বিশেষ ধরণের সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের সাহায্যেই তৈরি করা হয় কৃত্রিম ক্রোমোজোম এবং তাতে সংযুক্ত করা হয় কিছু জলছাপ (এটি আসলে ইমেইল আইডি, ভেন্টরদের দলের সদস্যদের নাম এবং কিছু বাড়তি তথ্য)। এভাবে বানানো ক্রোমোজমটি পরে পুনঃস্থাপিত হয় Mycoplasma capricolum নামের একটি সরল ব্যাক্টেরিয়ার কোষে, যার মধ্যেকার ক্রোমোজম আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। এভাবেই তৈরি হয় প্রথম কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়া। নামে কৃত্রিম হলেও আচরণে এটি অবিকল মূল ব্যাকটেরিয়ার (Mycoplasma mycoides) মতোই। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়াটি ‘স্বাভাবিকভাবে’ বংশবিস্তারও করছে। সংক্ষেপে এই পদ্ধতিকেই বলা হচ্ছে সিন্থেটিক প্রক্রিয়ায় জীবনের বিকাশ ঘটানো্র সুদূরপ্রসারী প্রক্রিয়া। এভাবে মশলা সাজিয়ে সরল জীবনের ভিত্তি গড়ে ফেলেছেন তিনি, তৈরি করে ফেলেছেন প্রথম কৃত্রিম জীবনের। তিনি নিজেই বলছেন, এই পদ্ধতিতে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া তিনি বানিয়েছেন যার অভিভাববক প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে না, কারণ অভিভাবক রয়েছে কম্পিউটারে।

সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অধ্যাপক ভেন্টরের পেপারটিরর নামই ছিলো – Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় – ‘রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষিত জিনোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাকটেরিয়া কোষের সৃষ্টি’ (Published Online May 20, 2010, Science DOI: 10.1126/science.1190719)। মুক্তমনার পাঠকদের জন্য নীচে এই গুরুত্বপূর্ণ পেপারটির অ্যাবস্ট্রাক্ট-এর অংশবিশেষ দেয়া হল –

রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষিত জিনোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাকটেরিয়া কোষের সৃষ্টি

অ্যাবস্ট্রাক্ট:

এই নিবন্ধে আমরা ১.০৮ Mbp Mycoplasma mycoides JCVI-syn1.0 জিনোমের ডিজাইন, সংশ্লেষণ এবং সন্নিবেশন প্রকাশ করছি, যেখানে সাংখ্যিক জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য একটি গ্রাহক Mycoplasma capricolum কোষের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে একটি নতুন Mycoplasma mycoides কোষ তৈরি করা হয়েছে যে কোষটি শুধুমাত্র কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট ক্রোমোজম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই কোষের একমাত্র ডিএনএ’টি কৃত্রিম ভাবে প্রস্তুতকৃত ডিএনএ যেটি গঠনের সময় তাতে সনাক্তকরণ ‘জলছাপ’যোগ করা ছাড়াও অন্যান্য পরিকল্পিত বিমোচন, বহুরূপতা এবং পরিব্যক্তি ঘটতে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন কোষগুলোর প্রত্যাশিত ফেনোটাইপিক ধর্মসমূহ রয়েছে এবং এরা ক্রমাগত বিভাজনের মাধ্যমে বংশবিস্তারে সক্ষম … (পুরো পেপারটি পড়া যাবে এখান থেকে)

 

এটা সত্যিকারের প্রাণ সৃষ্টি কিনা এটি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই হয়ত বিতর্ক করা হবে কোন কোন মহল থেকে। সাদা দৃষ্টিতে এটি কেবল জিনোমের স্থানান্তর বলে মনে হতে পারে অনেকের কাছেই। কিন্তু এটি  মনে রাখতে হবে যে,  ভেন্টর কম্পিউটারে কৃত্রিম উপায়ে যে জিনোম তৈরি করেছিলেন, সেটাই ‘প্রাণ প্রদান’ করেছিলো একটি নিথর ব্যাকটেরিয়ার পোষক দেহের  ।  জিনোম সরিয়ে ফেলা Mycoplasma capricolum ব্যাক্টেরিয়াটির মধ্যে প্রাণের কোন লক্ষণ (যেমন প্রতিলিপি তৈরি করা, মিউটেশন ঘটানো ইত্যাদি) প্রকাশিত ছিলো না। প্রাণের লক্ষণগুলো  ‘পুর্নবার’ প্রকাশিত হয়েছিলো তখনই যখন অধ্যাপক ভেন্টর এটির মধ্যে সার্থকভাবে Mycoplasma mycoides-এর কৃত্রিম জিনোম প্রবেশ করিয়েছিলেন, তাও সেটি পোষক দেহের প্রাণ নিয়ে আসেনি, প্রাণ পাওয়া গিয়েছিলো Mycoplasma mycoides-এর । সে হিসেবে, প্রাণের সৃষ্টি বলতে কারো আপত্তি থাকলেও ‘সিন্থেটিক জিনোমের সাহায্যে মৃত ব্যাকটেরিয়াকে জীবন প্রদান’ বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়। সেজন্যই সায়েন্স পত্রিকায় এলিজাবেথ পেন্নিসির প্রবন্ধের শিরোনামই ছিলো –Synthetic Genome Brings New Life to Bacterium (Science 21 May 2010: Vol. 328. no. 5981, pp. 958 – 959; OI: 10.1126/science.328.5981.958), যার বাংলা করলে দাঁড়ায় – সিন্থেটিক জিনোম ব্যাকটেরিয়ায় প্রাণ নিয়ে আসলো।  আর এ ধরণের বহু কারণের জন্যই  ব্যাকটেরিয়া কোষটিকে বিজ্ঞানীরা প্রথম জীবন্ত সিন্থেটিক কোষ হিসেবে রায় দিয়েছেন।  সায়নেটিফিক আমেরিকান পত্রিকায় আনবিক জীববিজ্ঞানী ডেনিয়েল গিবসন বলেন –

We refer to the cell we have created as being a synthetic cell because it is a cell controlled by a genome assembled from chemically synthesized pieces of DNA.”

ছবিঃ (উপরে) কৃত্রিম জীবন তৈরির ‘ভেন্টরীয়’ পদ্ধতি (ছবির সূত্রঃ সায়েন্স)

(নীচে) ভেন্টরের বানানো কৃত্রিম ‘জীবন্ত’ সিন্থেটিক কোষ

আর্থার ক্যাপ্লান ক্রেগ ভেন্টরের এই যুগান্তকারী কাজকে গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস, ডারউইন, আইনস্টাইনের কাজের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি নেচার পত্রিকায় বলেন –

“Their achievement undermines a fundamental belief about the nature of life that is likely to prove as momentous to our view of ourselves and our place in the Universe as the discoveries of Galileo, Copernicus, Darwin and Einstein.”

আমি দৈনিক সমকালে ক্রেগ ভেন্টরের কাজ নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম যেটি প্রকাশিত হয়েছিলো ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে। আমি সেই প্রবন্ধে ভেন্টরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলাম,

ভেন্টর মনে করেন, আগামী দু’বছরের মধ্যেই আদি কোষ বা প্রোক্যারিয়ট আর ১০ বছরের মধ্যে প্রকৃত কোষ বা ইউক্যারিয়ট বানানো সম্ভব হবে। এমনকি তার ‘সিনথেটিক লাইফের’ গবেষণা অদূর ভবিষ্যতে ‘মলিকিউলার বায়োলজি’কে প্রতিস্থাপন করতে চলেছে বলে ভেন্টর মনে করেন।

ফেব্রুয়ারি থেকে মে – মাত্র তিন মাসের ব্যবধানেই আমরা সুখবরটি পেয়ে গেলাম – কৃত্রিম প্রাণ তৈরির গবেষণা সফল হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ আমার মনে পড়ছে মুক্তমনায় আদিল মাহমুদ সোচ্চারে বলেছিলেন, বিজ্ঞানীরা প্রাণ তৈরি করে দেখাতে পারেননি। আরেক ‘আনবিক জীববিজ্ঞান’ পড়া ব্লগার ঋণগ্রস্ত মুক্তমনায় এসে সদম্ভে জানিয়েছিলেন, আগে বিজ্ঞানীরা প্রাণ তৈরি করে দেখাক, তারপর তিনি নাকি বিবর্তনে বিশ্বাস করেবেন। এ ধরণের মন্তব্য এবং আপ্তবাক্যের সাথে কমবেশি সকলেই পরিচিত। নিঃসন্দেহে ক্রেগ ভেন্টরের সাম্প্রতিক আবিস্কার এই সমস্ত যুক্তির কবর রচনা করলো। তবে তারপরেও ধর্মবাদীরা থেমে থাকবেন না, জানি। নানা ধরনের প্যাচ-ঘোচ খুঁজে বের করবেন। হয়তো বলবেন, এটা আসল প্রাণ নয়, কারণ মাল মশলা প্রকৃতি থেকেই যোগাড় করা; ঈশ্বরের প্রাণ আরো নিঁখুত। কেউ বা বলবেন – এতে প্রমাণিত হল আসলেই ডিজাইনার লাগে। আবার কেউ কেউ হয়তো এখন প্রাসঙ্গিক নানা আয়াত কিংবা শ্লোক ধর্মগ্রন্থে পেয়ে যাবেন। মৌলভী, পোপ, পাদ্রী এবং পুরুত ঠাকুরেরা এই ধরনের গবেষণার নৈতিকতা আর মূল্যবোধ নিয়ে নরকগুলজার শুরু করেবেন অবধারিতভাবেই।

লেট দেম বার্ক ফর এ হোয়াইল, এন্ড দ্য ক্যামেল অফ সায়েন্স সাইলেন্টলি পাসেস!

জয়তু বিজ্ঞান, জয়তু ক্রেগ ভেন্টর!