খুব তরতাজা খবর। কয়েক ঘন্টা আগেই বেরিয়েছে। কিন্তু দারুণ উদ্দীপক এবং আমাদের জন্য খুবই প্রেরণাদায়ক খবর এটি। অবশেষে বিজ্ঞানী ক্রেগ ভেন্টরের প্রায় পনেরো বছরের ক্লান্তিহীন গবেষণা সফলতার মুখ দেখেছে। তিনি তৈরি করেছেন প্রথম ‘কৃত্রিম প্রাণ’। কম্পিউটারে কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্রোমোজোমের মাধ্যমে একটি পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোষে ‘প্রাণ’ সঞ্চারে সফল হয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নতুন সিন্থেটিক জীবন যুগের সূচনা হলো – যখন প্রাণ ‘সৃষ্টি’র ব্যাখ্যার জন্য কোন অলৌকিক কিংবা অপার্থিব অনুকল্পের দরকার পড়ছে না, বিজ্ঞানীরা হাতে কলমেই তৈরি করে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আর সম্ভবতঃ এর মাধ্যমে ভেঙ্গে পড়লো ধর্মবাদীদের শক্তিশালী ‘ডিজাইন আর্গুমেন্টের’ শেষ সিঁড়িটি, যেটি প্রাণের উৎসের জন্য দোহাই পাড়ত কোন এক অদৃশ্য সর্বময় ক্ষমতাশালী এক সত্তার। অক্কামের ক্ষুরের আরেকটি গভীর পোঁচ যেন পড়ে গেলো তাদের গালে অবধারিতভাবেই!
দেশ বিদেশের সকল পত্র-পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে খবরটি ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’ এই অগ্রগতিকে অভিহিত করেছে বিজ্ঞানের ইতিহাসের এক বিশাল মাইল ফলক হিসেবে হিসেবে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান, ডিস্কোভার সহ সকল বিজ্ঞানের পত্রিকাই প্রথম পৃষ্ঠায় ফিচার নিউজ হিসেবে খবরটি দিয়েছে। যারা স্বল্প সময়ে ভেন্টরের এই গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কা্র সম্বন্ধে অবহিত হতে চান তারা প্রথমেই দেখে নিতে পারেন এই ভিডিও দুটি –
httpv://www.youtube.com/watch?v=eoqBSNmYJYI
(১)
httpv://www.youtube.com/watch?v=qPE2CnThito
(২)
বলা বাহুল্য, ক্রেগ ভেন্টরের কাজ নিয়ে মুক্তমনায় এর আগেও লেখালিখি হয়েছে। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই জেনেটিক্সের জগতে এক অতি পরিচিত নাম। তিনি জীববিজ্ঞান জগতে যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা। যখন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো বিভিন্ন জীবের জিনের পঠনের শুরু করেছিলেন, তখন ভেন্টর নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন ইন্সটিটিউট ফর জেনেটিক রিসার্চ (TIGR), এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ব্যাকটেরিয়ার জিনোম ডিকোড করতে সমর্থ হন ১৯৯২ সালে। বেসরকারী উদ্যোগে তিনিই প্রথম মানুষের জিনোম শৃঙ্খলা লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং সবাইকে চ্যালেঞ্জ করে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনিই বিশ্বে প্রথম মানুষের জিনোম সংশ্লেষণ করতে সমর্থ হবেন। এবং সেই চ্যালেঞ্জকে পূর্ণতা দিয়ে ২০০১ সালে তিনি ফলাফল প্রকাশ করেন – যা ছিলো মুল সময়সূচীর অন্ততঃ এক বছর অগ্রগামী। ২০০৫ সালে তিনি সিন্থেটিক জিনোমিক্স বলে একটি কোম্পানীও প্রতিষ্ঠা করেন ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে জীবন তৈরীর উদ্দেশ্যে। তিনি জ়ে ক্রেগ ভেন্টর ইন্সটিটিউট (JCVI)-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা জেনেটিক্সের গবেষণায় অগ্রণী এক সংস্থা আজ। এই সংস্থার মাধ্যমেই ভেন্টর তৈরি করলেন আজকের বহুল আলোচিত কৃত্রিম সিন্থেটিক প্রাণ।
কৃত্রিম জীবন তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি বেশ ক’ বছর ধরেই। বলা হচ্ছিলো, যে কোন সমইয়েই তিনি তৈরি করে ফেলতে পারেন প্রথম কৃত্রিম জীবন। বিগত কয়েক বছরে অনেক সাক্ষাৎকারেই তিনি বলে বেড়াচ্ছিলেন সেটি। কেউ হয়ত ভ্রুকুটি করতো। কেউ মুখে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে পোষণ করতেন সেই চিরন্তন – ‘হ আপ্নের পোলা চাকরি পাইছে, কিন্তু দেইখেন বেতন পাইবো না’ গোছের মনোভাব। অথচ রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে ভাইরাস তৈরী করার প্রচেষ্টা তার হাত দিয়ে সফল হয়েছে অনেক দিন হল; ২০০৩ সালে প্রথম সিন্থেটিক ভাইরাস তৈরী করা হয়েছিল ক্রেগ ভেন্টরের হাতেই – এবং তা ১০০% নিখুঁত। পোলিও ভাইরাস সহ দশ হাজার প্রজাতির ভাইরাস তৈরী করা গেছে ভাইরাসের জিনোম পর্যবেক্ষণ করে এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে। এক ব্যাক্টেরিয়া থেকে অন্য ব্যাক্টেরিয়াতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াও সফল হয়েছে। আজ তিনি ব্যাকটেরিয়া সদৃশ সরল কোষ তৈরি করে দেখালেন। ভেন্টর এখন বলছেন যে, তার পরবর্তী প্রোজেক্ট হচ্ছে এর চেয়ে আরেকটু জটিল ইউক্যারিওট বানানো। তিনি মনে করেন অদূর ভবিষ্যতে খুব জটিল প্রানীও তৈরি করা যাবে, যদি সিন্থেটিক জীবনের গবেষণা এগিয়ে যেতে থাকে এরকম অবিশ্বাস্য গতিতে।
কিন্তু সিন্থেটিক লাইফ ব্যাপারটি কি? ব্যাপারটি আর কিছুই নয় – শুধুমাত্র ডিএনএ বা আরএনএ ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সাংখ্যিকীকরণ বা ডিজিটাজেশন। জিনোমের সিকোয়েন্স করা থেকে যাত্রা শুরু, তারপরে তার ডিজিটাল কোডকে কম্পিউটারে স্থাপন।তারপর কম্পিউটারের সাহায্যে নতুন জীবনের মালমশলা সাজানো। ক্রোমোজম বানানোর কৌশল অনেকটা প্রকৃতি থেকেই শেখা। তিনি প্রাথমিকভাবে ইস্ট থেকে ক্রোমোজমের বিভিন্ন মাল মশলা সংগ্রহ করেন, কিন্তু ক্রোমজমের পূর্ণাঙ্গ রূপটি কম্পিউটারে সিমুলেশন করে বানানো Mycoplasma mycoides নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার জিনোমের অনুকরণে। তাঁরা এটি বানানোর জন্য তৈরি করেন এক বিশেষ ধরণের সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের সাহায্যেই তৈরি করা হয় কৃত্রিম ক্রোমোজোম এবং তাতে সংযুক্ত করা হয় কিছু জলছাপ (এটি আসলে ইমেইল আইডি, ভেন্টরদের দলের সদস্যদের নাম এবং কিছু বাড়তি তথ্য)। এভাবে বানানো ক্রোমোজমটি পরে পুনঃস্থাপিত হয় Mycoplasma capricolum নামের একটি সরল ব্যাক্টেরিয়ার কোষে, যার মধ্যেকার ক্রোমোজম আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। এভাবেই তৈরি হয় প্রথম কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়া। নামে কৃত্রিম হলেও আচরণে এটি অবিকল মূল ব্যাকটেরিয়ার (Mycoplasma mycoides) মতোই। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়াটি ‘স্বাভাবিকভাবে’ বংশবিস্তারও করছে। সংক্ষেপে এই পদ্ধতিকেই বলা হচ্ছে সিন্থেটিক প্রক্রিয়ায় জীবনের বিকাশ ঘটানো্র সুদূরপ্রসারী প্রক্রিয়া। এভাবে মশলা সাজিয়ে সরল জীবনের ভিত্তি গড়ে ফেলেছেন তিনি, তৈরি করে ফেলেছেন প্রথম কৃত্রিম জীবনের। তিনি নিজেই বলছেন, এই পদ্ধতিতে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া তিনি বানিয়েছেন যার অভিভাববক প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে না, কারণ অভিভাবক রয়েছে কম্পিউটারে।
সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অধ্যাপক ভেন্টরের পেপারটিরর নামই ছিলো – Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় – ‘রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষিত জিনোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাকটেরিয়া কোষের সৃষ্টি’ (Published Online May 20, 2010, Science DOI: 10.1126/science.1190719)। মুক্তমনার পাঠকদের জন্য নীচে এই গুরুত্বপূর্ণ পেপারটির অ্যাবস্ট্রাক্ট-এর অংশবিশেষ দেয়া হল –
রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষিত জিনোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাকটেরিয়া কোষের সৃষ্টি
অ্যাবস্ট্রাক্ট:
এই নিবন্ধে আমরা ১.০৮ Mbp Mycoplasma mycoides JCVI-syn1.0 জিনোমের ডিজাইন, সংশ্লেষণ এবং সন্নিবেশন প্রকাশ করছি, যেখানে সাংখ্যিক জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য একটি গ্রাহক Mycoplasma capricolum কোষের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে একটি নতুন Mycoplasma mycoides কোষ তৈরি করা হয়েছে যে কোষটি শুধুমাত্র কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট ক্রোমোজম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই কোষের একমাত্র ডিএনএ’টি কৃত্রিম ভাবে প্রস্তুতকৃত ডিএনএ যেটি গঠনের সময় তাতে সনাক্তকরণ ‘জলছাপ’যোগ করা ছাড়াও অন্যান্য পরিকল্পিত বিমোচন, বহুরূপতা এবং পরিব্যক্তি ঘটতে দেওয়া হয়েছে। এই নতুন কোষগুলোর প্রত্যাশিত ফেনোটাইপিক ধর্মসমূহ রয়েছে এবং এরা ক্রমাগত বিভাজনের মাধ্যমে বংশবিস্তারে সক্ষম … (পুরো পেপারটি পড়া যাবে এখান থেকে)।
এটা সত্যিকারের প্রাণ সৃষ্টি কিনা এটি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই হয়ত বিতর্ক করা হবে কোন কোন মহল থেকে। সাদা দৃষ্টিতে এটি কেবল জিনোমের স্থানান্তর বলে মনে হতে পারে অনেকের কাছেই। কিন্তু এটি মনে রাখতে হবে যে, ভেন্টর কম্পিউটারে কৃত্রিম উপায়ে যে জিনোম তৈরি করেছিলেন, সেটাই ‘প্রাণ প্রদান’ করেছিলো একটি নিথর ব্যাকটেরিয়ার পোষক দেহের । জিনোম সরিয়ে ফেলা Mycoplasma capricolum ব্যাক্টেরিয়াটির মধ্যে প্রাণের কোন লক্ষণ (যেমন প্রতিলিপি তৈরি করা, মিউটেশন ঘটানো ইত্যাদি) প্রকাশিত ছিলো না। প্রাণের লক্ষণগুলো ‘পুর্নবার’ প্রকাশিত হয়েছিলো তখনই যখন অধ্যাপক ভেন্টর এটির মধ্যে সার্থকভাবে Mycoplasma mycoides-এর কৃত্রিম জিনোম প্রবেশ করিয়েছিলেন, তাও সেটি পোষক দেহের প্রাণ নিয়ে আসেনি, প্রাণ পাওয়া গিয়েছিলো Mycoplasma mycoides-এর । সে হিসেবে, প্রাণের সৃষ্টি বলতে কারো আপত্তি থাকলেও ‘সিন্থেটিক জিনোমের সাহায্যে মৃত ব্যাকটেরিয়াকে জীবন প্রদান’ বলতে আপত্তি থাকার কথা নয়। সেজন্যই সায়েন্স পত্রিকায় এলিজাবেথ পেন্নিসির প্রবন্ধের শিরোনামই ছিলো –Synthetic Genome Brings New Life to Bacterium (Science 21 May 2010: Vol. 328. no. 5981, pp. 958 – 959; OI: 10.1126/science.328.5981.958), যার বাংলা করলে দাঁড়ায় – সিন্থেটিক জিনোম ব্যাকটেরিয়ায় প্রাণ নিয়ে আসলো। আর এ ধরণের বহু কারণের জন্যই ব্যাকটেরিয়া কোষটিকে বিজ্ঞানীরা প্রথম জীবন্ত সিন্থেটিক কোষ হিসেবে রায় দিয়েছেন। সায়নেটিফিক আমেরিকান পত্রিকায় আনবিক জীববিজ্ঞানী ডেনিয়েল গিবসন বলেন –
We refer to the cell we have created as being a synthetic cell because it is a cell controlled by a genome assembled from chemically synthesized pieces of DNA.”
ছবিঃ (উপরে) কৃত্রিম জীবন তৈরির ‘ভেন্টরীয়’ পদ্ধতি (ছবির সূত্রঃ সায়েন্স)
(নীচে) ভেন্টরের বানানো কৃত্রিম ‘জীবন্ত’ সিন্থেটিক কোষ
আর্থার ক্যাপ্লান ক্রেগ ভেন্টরের এই যুগান্তকারী কাজকে গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস, ডারউইন, আইনস্টাইনের কাজের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি নেচার পত্রিকায় বলেন –
“Their achievement undermines a fundamental belief about the nature of life that is likely to prove as momentous to our view of ourselves and our place in the Universe as the discoveries of Galileo, Copernicus, Darwin and Einstein.”
আমি দৈনিক সমকালে ক্রেগ ভেন্টরের কাজ নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম যেটি প্রকাশিত হয়েছিলো ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে। আমি সেই প্রবন্ধে ভেন্টরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলাম,
ভেন্টর মনে করেন, আগামী দু’বছরের মধ্যেই আদি কোষ বা প্রোক্যারিয়ট আর ১০ বছরের মধ্যে প্রকৃত কোষ বা ইউক্যারিয়ট বানানো সম্ভব হবে। এমনকি তার ‘সিনথেটিক লাইফের’ গবেষণা অদূর ভবিষ্যতে ‘মলিকিউলার বায়োলজি’কে প্রতিস্থাপন করতে চলেছে বলে ভেন্টর মনে করেন।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে – মাত্র তিন মাসের ব্যবধানেই আমরা সুখবরটি পেয়ে গেলাম – কৃত্রিম প্রাণ তৈরির গবেষণা সফল হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ আমার মনে পড়ছে মুক্তমনায় আদিল মাহমুদ সোচ্চারে বলেছিলেন, বিজ্ঞানীরা প্রাণ তৈরি করে দেখাতে পারেননি। আরেক ‘আনবিক জীববিজ্ঞান’ পড়া ব্লগার ঋণগ্রস্ত মুক্তমনায় এসে সদম্ভে জানিয়েছিলেন, আগে বিজ্ঞানীরা প্রাণ তৈরি করে দেখাক, তারপর তিনি নাকি বিবর্তনে বিশ্বাস করেবেন। এ ধরণের মন্তব্য এবং আপ্তবাক্যের সাথে কমবেশি সকলেই পরিচিত। নিঃসন্দেহে ক্রেগ ভেন্টরের সাম্প্রতিক আবিস্কার এই সমস্ত যুক্তির কবর রচনা করলো। তবে তারপরেও ধর্মবাদীরা থেমে থাকবেন না, জানি। নানা ধরনের প্যাচ-ঘোচ খুঁজে বের করবেন। হয়তো বলবেন, এটা আসল প্রাণ নয়, কারণ মাল মশলা প্রকৃতি থেকেই যোগাড় করা; ঈশ্বরের প্রাণ আরো নিঁখুত। কেউ বা বলবেন – এতে প্রমাণিত হল আসলেই ডিজাইনার লাগে। আবার কেউ কেউ হয়তো এখন প্রাসঙ্গিক নানা আয়াত কিংবা শ্লোক ধর্মগ্রন্থে পেয়ে যাবেন। মৌলভী, পোপ, পাদ্রী এবং পুরুত ঠাকুরেরা এই ধরনের গবেষণার নৈতিকতা আর মূল্যবোধ নিয়ে নরকগুলজার শুরু করেবেন অবধারিতভাবেই।
লেট দেম বার্ক ফর এ হোয়াইল, এন্ড দ্য ক্যামেল অফ সায়েন্স সাইলেন্টলি পাসেস!
জয়তু বিজ্ঞান, জয়তু ক্রেগ ভেন্টর!
আজকের এই করোনা ভাইরাসের দিনগুলোতে আপনাকে খুব মনে পড়ছে। আপনার এই লেখাটা ১০ বছর আগে লেখা তারমানে এতো দিনে এই তত্ত্ব এবং বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখুন এই করোনা ভাইরাসের এই দিনে এই সব বিজ্ঞান এখন কেমন অসহায় লাগছে। আপনি বেঁচে থাকলে হয়তো আজও আরো লেখা পড়তে পারতাম। তবে মরে গিয়ে কোথায় আছেন যদি সময় হয় একটু লিখবেন।
তাহলে এবার মানুষ অমর হয়ে যাবে ক্রেগের আশীর্বাদে,যিনি প্রাণ সৃষ্টি করেছেন, তিনি নিশ্চয় প্রাণ সঞ্চারণ ও করতে পারবেন।।
@আরিফুল
কোটি কোটি বছর ধরে জৈব বিবর্তন ও প্রকৃতির experiment এর ফলস্বরূপ আদিম পৃথিবীতে জীবগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছিল, এমনিই হয়ে যায়নি।এখানে স্রষ্টার প্রয়োজন কোথায় ? অনেকের মনে হয় হে জীবদেহের design পুর্বপরকল্পিত।কিন্তু বাস্তবে সম্পুর্ন অনিশ্চয়তার মাধ্যমে সবকিছু সৃষ্টি হয়েছিল, অনিশ্চিত combination এর সমন্বয়ে।
যদি এত গবেষণা, এত জ্ঞান, এত ডিজাইনের পর একটি প্রাণি কোষ মানুষ তৈরি করে,
আমি কীভাবে বিশ্বাস করব যে বিলিয়ন বছর আগে সেইরকম একটি কোষ এমনি এমনিই তৈরি হয়ে গিয়েছিল?
এখন যদি বলাহয় যে, মানুষ কখনই প্রাণ আবিষ্কার করতে পারবেনা, আমি বলব, ‘হয়ত পারবেনা, কিন্তু যদি আবিষ্কার করা হয় অথবা আবিষ্কারের চেষ্টা করা হয় তবে আমি সে চেষ্টাকে সমর্থন করি।’ কারণ কৃত্রিম ভাবে যদি জীবাণু তৈরি সম্ভব হয় তবে অনেক রোগের প্রতিরোধক তৈরি সম্ভব হবে। সেই সাথে আরও একটি বিষয় নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত হবে যে, স্রষ্টা ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়নি। হয়ত ভাবছেন, ‘তা কীভাবে হয়? তখন তো স্রষ্টার প্রতি অবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে।’ যদি কোন দিন প্রাণ আবিষ্কৃত হয় তাহলে আবিষ্কর্তা অস্বীকার করতে পারবেন না যে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ চিন্তাশক্তি, জ্ঞান, নিঁখুত ভাবে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, বুদ্ধিমত্তা ও সতর্কতা ব্যতীত আবিষ্কারের কাজটি করতে পেরেছেন। এতে তাকে কমপক্ষে কয়েক লক্ষ শব্দ প্রোগ্রামিং করে জেনেটিক কোড তৈরি করতে হবে অথবা অন্য কোন কোষ থেকে কপি করতে হবে। যে কোষ তৈরিতে বিজ্ঞানীর এত পরিশ্রম হবে, মানুষ যদি সামান্যও বুদ্ধিমত্তার অধিকারি হয় তবে কখনই বলবেনা, “অনুরূপ একটি কোষ এমনি এমনিই হয়ে গিয়েছিল।”
মুক্তমনাতে মাঝে মাঝে কিছু কাঠমোল্লা টাইপের ব্লগারের অযাচিত মন্তব্যে আপনার মত বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের ভেঙ্গে পড়ার কোন কারণ দেখি না, বরং তাদের পিছুটান টাইপের মল্লীয় মন্তব্য কে এড়িয়ে যান আর আমাদের কে আরো বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা উপহার দেন। বিবর্তন বাদের হাজার টা সুবিধা আজ কৃষক শ্রেণী ভোগ করতেছে তারপরও তারা এই বিবর্তনবাদ কে নাস্তিকিয় উদ্ভাওবনা বলে হাস্যকর ভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছে দোষ তাদের নয়, খোদ বিস্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্স এ পাশ করা ব্যক্তি টিও এটিয়ে না বুঝেই এড়িয়ে যায়, অই যে আপনি বলেন না যে ছেলে আপনার চাকরি হয়তো পেয়েছে কিন্তু বেতন পাবেনা। আগে মোল্লা ব্লগারেরা সারাক্ষণ হইচই করে বলত সব মানলাম, বিজ্ঞান আগে প্রাণ তৈরি করে দেখাক তাহলে বিবর্তন মানব, আজকে তারা নিশ্চুপ থাকবে।
“বিবর্তন বাদের হাজার টা সুবিধা আজ কৃষক শ্রেণী ভোগ করতেছে তারপরও তারা এই বিবর্তনবাদ কে নাস্তিকিয় উদ্ভাওবনা বলে হাস্যকর ভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছে দোষ তাদের নয়, খোদ বিস্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্স এ পাশ করা ব্যক্তি টিও এটিয়ে না বুঝেই এড়িয়ে যায়, অই যে আপনি বলেন না যে ছেলে আপনার চাকরি হয়তো পেয়েছে কিন্তু বেতন পাবেনা।”
না রে ভাই। এগুলো বিবর্তনের ফল না। বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে বিজ্ঞানীদের এই সমস্ত নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন করতে হয়েছে। বিবর্তন হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে প্রকৃতিকে দেয়া ঠিক হবে বলে মনে করি না।
অভিজিৎ রায় হত্যার আগে আমি কোনো দিন তাঁর লেখা পড়িনি।তার লেখা পড়ে এখন মনে হচ্ছে জাতি তার এক সুর্য্য সন্তানকে হারিয়ে ফেলল।
ঠিক বলেছেন ভাই ?
ক্রমোসোম প্রতিস্থাপন করে জীবন সঞ্চার এটি ১৯৯৬ সালে বিজ্ঞানী উইলমাট ক্লোনিং করে দেখিয়েছেন । তবে সবচেয়ে বড় কথা হল কৃত্রিম ক্রমোসোম তৈরি করা । আপনি উপরে লিখেছেন কিছু মাল মসলা দিয়ে তৈরি করেছেন । আমার মতে মাল মসলা গুলো হতে পারে এডিনিন, থাইমিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন নামে কিছু নিউক্লিক এসিড । এই পৃথিবীতে ক্রমোসোম সংখ্যা দিয়ে প্রাণীকে সনাক্ত করা যায় যেমন গোলক্রিমিতে এক জোড়া, মানুষের দেহে ২৩ জোড়া, শূয়রের দেহে ৩৮ জোড়া, বানরের দেহে ৪৬ জোড়া ইত্যাদি । মৃত ব্যাকটেরিয়াকে যেভাবে পুনঃ জীবিত করা গেছে তেমনি মৃত প্রাণীকে পুনঃ জীবিত করা যায় কিনা । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য ভুল হলে সংশোধন করবেন ।
দারুন সংবাদ তবে ধর্মান্ধ বর্তমান বাঙ্গালির জন্য নয়। কারন বর্তমান বাঙ্গালির অন্য নাম বিশ্বাস। বিশ্বাসের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ বাঙ্গালির চাইতে কেউ ভাল বুঝে বলে মনে হয় না। সবচাইতে হাস্যকর বিষয় হল যে বিশ্বাস দিয়ে বাঙালি খোদার নাম জপ করে সেই একই বিশ্বাস দিয়ে আবার অন্য ধর্মের মানুষের উপর হামলা করে। হামলা করার পর পরই এই একই বিশ্বাসীদের একটা অংশ বলে ওদের বিশ্বাস আমাদের সাথে যায় না, ওরা ভুল পথে আছে। তবে সবচাইতে অবাক করার মত বিষয় হল হামলার আগে দুই বিশ্বাসীই একই সাথে লাইনে লাইন মিলিয়ে খোদার নাম জপ করেছে।
জয়তু বিজ্ঞান , জয়তু মানবতাবাদ
“সিন্থেটিক জিনোমের সাহায্যে মৃত ব্যাকটেরিয়াকে জীবন প্রদান” করা হয়েছে, প্রান তৈরি করা হয়নি। সেটার পসিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছিনা, (ধর্ম ও টেনে আনছি না) , কিন্তু দুইটা সম্পুর্ন ভিন্ন বিষয় নয় কি ?
একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করা হয়েছে, ভালো কথা, তা দিয়ে নাস্তিকতা (যার যা বিলিফ, রেস্পেক্ট করি, নাস্তিকতা নিয়ে কোন সমস্যা নাই) প্রচার করা হচ্ছে ।
নাস্তিকতা মানে ধর্মে অবিশ্বাস, অন্যের বিশ্বাসে হানা দেওয়া নয় 🙂 কিন্তু পোস্ট এবং তার কমেন্ট এ চরম অফেন্সিভ ভাবে তাই করা হচ্ছে, তাই না ? 🙂
@আঁধারের সৈনিক,
এইখানে এমন কেউ করতেসে নাকি রে ভাই? বিজ্ঞানের প্রবন্ধ লিখলে অন্যের বিশ্বাসে হানা দেয়া হয় নাকি? জানতাম না তো আগে :-s
পোস্টের জন্য অংসখ্য ধন্যবাদ।আমি কেমিস্ট্রি এর ছাত্রি।আমাদের এক স্যার ঐদিন ক্লাস এ লেকচার দিতে গিয়ে বলতেছিলো অনু পরমানু আল্লাহ্র সৃষ্ট।আল্লাহ আমাদের জীবন দিয়েছে বলেই আমরা আজ এত কিছু আবিষ্কার করতে পারছি। একজন কেমিস্ট্রির সার কিভাবে এই কথা বলে বুঝতে পারি না।ঠিক করেছি এই লেখাটা উনাকে পরতে দিবো। 🙂 :guru:
অনু-পরমানু কি মনুষ্য সৃষ্ট?
সত্যের জয় হোক!
মানুষের জীবনে ধর্ম ও ইশ্বরের অসাড়তা এভাবে উঠে আসুক।
পোস্টের জন্য অংসখ্য ধন্যবাদ দাদা। (Y)
ব্যপারটা একটা প্রান রক্ষাকারী আবিস্কার। কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র তাদের সীমাবদ্ধতায় কি বলল তা গুরুত্বহীন।
প্রথম ব্যপার হচ্ছে এটা একটা ভালো আবিস্কার। এটি মানব কল্যানে ব্যবহার হবে। সাধুবাদ।
কোন ধর্মে, কোন বর্ণে, কোন মতাদর্শে; জীবন/ প্রান নিয়া কি বলছে তাতে কি আসে যায়? রাস্তার পাশে টিয়া পাখি মার্কা জ্যোতিষ কি বলল? সেটা গুরুত্বহীন।
গুরুত্বহীন বিষয়ে সময় নষ্ট।
শুনে খুশি হলাম
ইমরান হাসান নামে একজন প্রশ্ন করেছেন – “পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার এত বৎসর পর কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করল বিজ্ঞানীরা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা মানব ও অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদ যে প্রাণ নিয়ে চলছে সেটা কে সৃষ্টি করেছে?”
এই পোস্টের লেখক সমর্থকদের কাছে এর কোন জবাব কি আছে?
@ফারুক, উপরে দেখেন 😀 😀 😀 😀 :)) :))
@ফারুক,
নিঃসন্দেহে এ প্রশ্নটি একটি লোডেড কোশ্চেন। এর উত্তর তো আপনি জানেনই। মহান ঈশ্বর।
‘কে আমাদের বানিয়েছে, কে আমাদের সৃষ্টি করেছে’ – এগুলো প্রশ্নের পেছনে উত্তরটি আগেই অনুমান করে নেয়া হয়েছে – ‘কে আবার, ঈশ্বর’। অর্থাৎ, ঈশ্বর আছে ধরে নিয়ে এ ধরণের প্রশ্ন করে উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা এক ধরণের চক্রাকার ভ্রমণ ছাড়া কিছু নয়।
যদিও মহান ঈশ্বরকে কে বানালো বা কে সৃষ্টি করল তার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে না সেটা নিশ্চিত।
আর বাই দ্য ওয়ে, জৈববিজ্ঞানের জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল হয়ে উত্তর দিলে বলব, প্রাণ সৃষ্ট (created) হয়নি, প্রাণের উৎপত্তি (originated) হয়েছে। কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আছে। এ নিয়ে মুক্তমনাতেই আগে বহু আলোচনা হয়েছে। আর বিজ্ঞানীদের গবেষণার কথা সরাসরি জানতে চাইলে, আপনি প্রাসঙ্গিকভাবে অধ্যাপক মাইকেল রুস, অধ্যাপক জোসেফ ট্রাভিস আর অধ্যাপক এডোয়ার্ড ও উইলসনের লেখা ‘Evolution: The First Four Billion Years’ ৯৭৯ পৃষ্ঠার ঢাউস আকারের বইটি পড়ে দেখতে পারেন। বইটি প্রাণের উৎপত্তি থেকে শুরু কতে প্রথম চার বিলিয়ন বছরের বিবর্তনের গবেষণালব্ধ পেপারের সংকলন। যে সমস্ত প্রথিতযশাঃ বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে নিরন্তর গবেষণা করছেন, তাদের পেপারগুলো এ বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, তাদের কাজের কোথাওই ঈশ্বরের অনুকল্প হাজির করার প্রয়োজন পরেনি।
@অভিজিৎ, Scientific jargon ব্যবহার করে এবং ৯৭৯ পৃষ্ঠার ঢাউস আকারের বইটি পড়ে ও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।
প্রাণের উৎপত্তি যদি ঈশ্বরের অনুকল্প ছাড়া এত সহজে এমনি এমনিই হয়ে থাকে , তাহলে ভেন্টর কোটি কোটি ডলার খরচ করে সর্বাধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে পর্বতের মতোই যে মূষিক প্রসব করলেন , তাকে নিয়ে এই যে লম্ফঝম্প এবং ঈশ্বরের অনুকল্পের সাথে তার তুলনা করাটাকে কী বলা যায়? বুদ্ধি প্রতিবন্ধী?
হেকেলের দাবী মতো পানি , রাসায়নিক উপাদান ও পর্যাপ্ত সময় দেয়া হলেও কেউ এখনো প্রাণ সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা কি কিছুর ইঙ্গীত করে?
@ফারুক,
আমি তো তাও বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের রেফারেন্স দিচ্ছি, কিন্তু আপনার ঈশ্বর অনুকল্প মানে ‘আল্লায় বানাইছে’ বলতে কোন শাকও লাগে না মাছও লাগেনা। ফারুকীয় লজিকে মুখগব্বর দিয়ে উদগীরণ হলেই হল!
তা বটে, ভেন্টর তো তাও মূষিক প্রসব করলেন, কিন্তু আপনার ‘আল্লায় বানাইছে’ অনুকল্পকে স্রেফ অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছুই প্রসব করতে দেখলাম না।
হ্যাঁ, আমি সত্যই মনে করি আদম, হাওয়া গন্দম ফলের ম্যাওয়া ব্যাচা রূপকথার ঈশ্বর যিনি সাবাতের দিনে মাছ ধরার কারণে মানুষকে বন্দরে পরিণত করায় ব্যস্ত, সেই আজীব অনুকল্পের চেয়ে সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতি আস্থা রাখাটা মোটেই অযৌক্তিক নয়।
আর কে বুদ্ধিমান আর কে ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী’ তা না হয়ে পাঠদের হাতেই ছেড়ে দিন। বিশেষণ প্রয়োগের দরকারটা কি?
হ্যা, ইঙ্গিত করে যে –
১) আপনি বিজ্ঞানীদের গবেষণা নয়, স্রেফ গড ইন গ্যাপ্সের উপর নির্ভরশীল।
২) বিজ্ঞনীদের সাম্প্রতিক কাজ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন, সেটা জানতেও চান না, বরং অপরিনত জ্ঞান নিয়ে তাদের খুঁত ধরে ধরে তার মধ্যে অস্তিত্বহীন ঈশ্বরকে হান্দিয়ে দিতে ব্যস্ত।
৩) আপনার ঈশ্বর হান্দানো অনুকল্প আমাদের জ্ঞানের কোন উত্তরণ ঘটায় না, কেবল আপনাদের অলস মস্তিষ্ক এবং ‘লেইজি বাট’-এর প্রতি ইঙ্গিত করে।
৪) মানুষ অনেক কিছুই তৈরি করতে পারে না, কিন্তু মানুষ না পারলেই সেটা ঈশ্বর বানিয়েছেন মনে করা যে ফ্যালাসি অব বাইফারকেশন, সেটা আপনি বুঝতে পারেন না, কিংবা চান না।
৫) কেউ যেমন প্রাণ সৃষ্টি করতে পারেনি, তেমনি আপনাদের মত বিশ্বাসীর দল ঈশ্বরকে আমাদের সামনে এনেও দেখাতে পারেনি। যথারীতি আপনি ফারুকও তা পারছেন না, কেবল গলাবাজি করা আর সব কিছু ‘ঈশ্বর করেছেন’ বলা ছাড়া।
৬) ‘ঈশ্বর বানাইছে’ র সাথে ক্রিপ্টন প্ল্যানেটের ‘সুপারম্যান বানাইছে’ কিংবা ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার বানাইছে দাবী করার মাঝে মাত্রাগত পার্থক্য নাই। এর জন্য জ্ঞান অর্জনের কোন দরকার নাই, যে কেউ ‘গড ইন গ্যাপ্স’ পূরণে যা ইচ্ছা দাবী করতে পারেন, সেটা ঈশ্বরই হোক, এলিয়ানই হোক, সুপারম্যানই হোক, চার চক্ষু বিশিষ্ট হাম্পটি ডাম্পটি হোক, কিংবা হোক ফ্লাইং স্পেগেটি মন্সটার।
৭) আপনার সংজ্ঞামত ‘প্রাণ’ একেবারে স্ক্র্যাচ থেকে সৃষ্টি করতে না পারলেও এর অনেকগুলো ধাপই পরীক্ষাগারে ঘটানো সম্ভব হয়েছে। ইউরে মিলারের সেই বিখ্যাত পরীক্ষা (যাতে আদি পরিবেশের দশায় অজৈব পদার্থ থেকে অ্যামিনো এসিড পাওয়া গেছে), সেটার পরে সিডনী ফক্সের তাপীয় প্রোটিনয়েড, প্রোটিনয়েড মাইক্রোস্ফিয়ার (যেটাকে আদি কোষ দিসেবে চিহ্নিত করা হয়) সহ বহু গবেষণার কথাই বলা যায়। বলা যায় জৈব অনু থেকে প্রটোসেল পাওয়া সংক্রান্ত নানা গবেষনার কথা। বলা যায় আরএনএ, ডিএনএ প্রোটিন ওয়ার্ল্ডের ট্রাঞ্জিশন নিয়ে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক আকর্ষনীয় কাজের কথা। বলা যায় কৃত্রিমভাবে ভাইরাস তৈরির কথাও। প্রথম কোষের রেপ্লিকেশন কিভাবে ঘটেছিল, তা নিয়েও অনেক কাজ হয়েছে সম্প্রতি। এই তো আজকেও কৃত্রিম ডিএনএ – XNA বানানোর সফল পরীক্ষা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন বেঙ্গলেনসিস। আমরা এগুচ্ছি, সবকিছু ‘ঈশ্বর করছেন’ বলে হা করে বসে নেই।
৮) প্রাণের পেছনে ‘ঈশ্বর বানাইছে’ অনুকল্প নিয়া আসলেও সেই ‘ঈশ্বরকে কে বানাইছে’ – এই প্রশ্নে কবি ববারবরই নীরব। এই নীরবতা কাংক্ষিত নয়।
@ফারুক, “প্রাণের উৎপত্তি যদি ঈশ্বরের অনুকল্প ছাড়া এত সহজে এমনি এমনিই হয়ে থাকে , তাহলে ভেন্টর কোটি কোটি ডলার খরচ করে সর্বাধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে পর্বতের মতোই যে মূষিক প্রসব করলেন , তাকে নিয়ে এই যে লম্ফঝম্প এবং ঈশ্বরের অনুকল্পের সাথে তার তুলনা করাটাকে কী বলা যায়? বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ?” এই প্রশ্ন করে কিন্তু আপনি নিজেই প্রমান করে দিলেন যে আপনি শুধু বুদ্ধি প্রতিবন্ধিই নন,…………………। যাকগে, ঈশ্বর সর্ববুদ্ধিমান, তাই উনি এত সহজে মুষিক প্রশব করতে পারলেন, কিন্তু আমরা সল্প বুদ্ধির জীব হয়েও যে সেই তথাকথিত সর্ববুদ্ধিমানের মত কাজ করে বসলাম ; এটাই বা কম কি ? এতেই ত অই ঈশ্ব্ররের মহিমা ম্লান হয়ে যায় ।
@ফারুক,
//আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা মানব ও অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদ যে প্রাণ নিয়ে চলছে সেটা কে সৃষ্টি করেছে?//
মানব, প্রাণী বা উদ্ভিদ যে প্রাণ নিয়ে চলছে তার স্রস্টা মহামতি ব্রহ্মা। ব্রহ্মার সৃষ্টি আবার গর্ভোদকোশায়ী বিষ্ণুর নাভিকমল থেকে হয়েছিল। সেই বিষ্ণু আবার মহাবিষ্ণু থেকে সৃষ্টি হয়েছিলেন। যাহোক আর এগোলাম না।
সামান্য জ্ঞান অনেক ভয়ঙ্কর। কিসের মাঝে কি চলে আসে তখন বোঝাই যায়না।
কতগুলি লেখক যে কোন আবিস্কারের কথা শুনলেই বলে উঠে এইবার আল্লাহ-ধর্ম ইত্যাদি যাইব কই, আল ক্বোরয়ানের জাড়িজুড়ি এবার শেষ, হুজুররা এবার কি বলবে, ইত্যাদি, ইত্যাদি।আমি বুঝি না বিজ্ঞানী তা আবিস্কার করছে, ঐ ব্লগার তো করে নাই, তাই তার এত ফালাফালি কেন? ঐ বিজ্ঞানী কি তার মার পেটের খালাত ভাই যে, তার আবিস্কার যেন ঐ ব্লগারের ক্রেডিট।তাই আগে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ দেখিয়ে তারপর আল্লাহ-ধর্ম নিয়ে মহাভারত লিখুন কোনো আপত্তি নাই।
@নটিলাস, mr. notilus, রে নরাধম, তুমিও ত আল্লাহ এর মায়ের পেটের খালাত ভাই না, তাহলে তুমি এত কুরান নিয়া ফালাফালি কর কেন ? তুমি যেমন অলৌকিকের তথা আল্লাহের অনুসারী, আমরাও ত তেমনি বিজ্ঞানের তথা বিজ্ঞানীদের অনুসারী । আর তুমি বিজ্ঞানীদের আবিস্কার করা জিনিস use কর না ? তুমি টিভি দেখ না ? ফোন use কর না ? তোমার বাসায় ফ্রিজ নাই ? নাকি সব আছে কিন্তু বিদ্দুত নাই ? কোনটা ? তুমি নিজে যদি invent নিয়া ফালাফালি করতে পার ত যেটা একইসাথে invent & discover সেটা নিয়া ফালাফালি কর না কেন ? গরু।
কোরআন অথবা হাদিস এ আছে কেমতের আগে সকল সৃষ্টি রহস্য উন্মোচন হবে। তার মানে এই না মানব জাতির সৃষ্টি কর্তা নেই। মহান আল্লাহ তালা পৃথিবী এবং বিশ্বজগৎ কে সৃষ্টি করেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডিতে তার মানে এই যে সব কিছুই স্যন্তিফিক ভাবে হয়েছে যেহেতু সময়ের ব্যাবহার হয়েছে। ধন্যবাদ
অভিজিৎ দা, আজ থেকে প্রায় মনে হয় ৩-৪ বছর আগে কোন একটা সায়েন্স সাময়িকীতে পড়েছিলাম- কি যেন নিয়ন্ত্রণ বা সৃষ্টিকারী জীন মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল এই প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বছর আগে। বিবর্তনের সপক্ষে সেটা খুব জোরাল একটা প্রমাণ বলে মনে হয়। আমার একদমই মনে নেই।
এই বিষয়ে একটা লেখা দিলে সবারই খুব উপকার হয়। আর এই লেখাটা খুবই ভালো লেগেছে, তবে কিছু কিছু বাংলা শব্দের বদলে বরং সরাসরি ইংরেজী পরিভাষা ব্যবহার করলে এবং সাধারণ পাঠকদের জন্য বৈজ্ঞানিক কিছু ঘটনা, যেগুলো একশব্দে লিখিত, সেগুলোর ফুটনোট ইউস করলে বুঝতে সুবিধা হয়।
অপেক্ষায় আছি, যখন শুনতে পাব আর মরতে হবে না মানুষকে, কিংবা মানুষ নিয়ন্ত্রন করবে এই মহাবিশ্ব,
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
লেখাটা পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো। আরো অনেকে মন্তব্য দিয়েছেন। সময় করে পরে পড়ে নেবো।
সুন্দর লেখার জন্যে ধন্যবাদ অভিজিৎ দা ।
বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার আমাদের যে ক্ষমতা দেয় তার সাথে স্রষ্টার(যদি আদৌ তার অস্তিত্ব থাকে) ক্ষমতার সবচেয়ে বড় পার্থ্যক্য হল বিজ্ঞানের ক্ষমতা সবার জন্য আসে, আর স্রষ্টার ক্ষমতা তার একার(classified?), তাই বিজ্ঞানের ক্ষমতা special কিছু না, কিন্তু স্রষ্টার ক্ষমতা হচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে, যা এই ক্ষমতার(যদি আদৌ তার অস্তিত্ব থাকে) মূল ঊৎস। 😕
এইটা কি ধরনের হেড লাইন! মানুষ আবার কিভাবে ঈশ্বর হয়?
হেড লাইনটা এমন হওয়া উচিত ছিল-
(তৈরি হল প্রথম কৃত্রিম প্রাণ)
অনেক বছর ধরে মুক্তমনা পড়ছি। অনেক বছর ধরে মুক্তমনার এগিয়ে যাওয়া দেখেছি। অনেক কিছু জানাবার আছে, অনেক কিছু লেখার আছে, কিন্তু কখনই সময় করে লেখা হয়ে উঠেনি। আজকে মনে হল, অন্তত কম্মেন্টস-এ একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেই।
যুক্তি নাস্তিকতা থেকে আসে নাকি, নাকি নাস্তিকতা যুক্তি থেকে আসে? মুক্তমনার অনেক লেখাই, অন্তত literary ভাবে মনে হয় নাস্তিকতার জন্য যুক্তি খুজছে। আমি বলছি না এরকম লেখা বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। এরকম লেখারও দরকার আছে- অন্তত তাদের জন্য যারা নাস্তিকতার যুক্তি খুজছে। কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, অন্য বেশির ভাগ মানুষদের স্রেফ যুক্তিগুলো ধরিয়ে দিয়ে, তাদের মনের ভিতরে যদি কিছু প্রশ্ন জাগিয়ে দেয়া যায়, তাহলে তারা আরও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অন্যান্য বিষয়েও যুক্তি খুজবে।
ঈশ্বরে বিশ্বাস চলে গিয়েছিল ১৩ বছর বয়সে। সেই বয়সে এত বড় revelation-এর excitement ধরে রাখতে পারিনি। আশেপাশের সব মানুষদের বুঝাতে গেলাম ঈশ্বর বিশ্বাস কতটা অযৌক্তিক। বাজে রকমের ধাক্কা খেলাম।খোলা মনে যুক্তি শোনার, তর্ক করার ন্যূনতম আগ্রহ কিছু মানুষের মধ্যে দেখতে পাই, কিন্তু ধর্ম নিয়ে বলতে গেলে বেশির ভাগই লেজ গুটায়ে পালায়।যারা শুনে তাদের বেশির ভাগেরই একটা আত্মরক্ষার জেদ চেপে বসে। খুব কম মানুষই পেয়েছি যারা মন খুলে আলোচনা করতে আগ্রহী হয়েছে।
নাস্তিকতার যদি গানিতিক প্রমান থাকত, মানুষকে হয়তো আরও অনেক সহজে বুঝানো যেত। বৈজ্ঞানিক ভাবে চিন্তা করতে জানলে ঈশ্বরে বিশ্বাস এমনিতেই উঠে যায় এক সময়।আমার মনে হয়েছে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি কি, সেটা মানুষকে বুঝানো সবচেয়ে বেশি দরকার।
ইংলিশ ব্যবহার করার জন্য এবং যেকোনো বানান ভুলের জন্য অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
গোগ্রাসে গিলছি! (লিংকগুলোর জন্য বন্যা ও অভিজিৎ ভাইকে ধন্যবাদ)
সত্যি বলছি প্রতিটি বাক্য ধরে ধরে ইংরেজিতে মুখস্ত করছি। কেও আমাকে নিয়ে হাসবেন না প্লিজ, আমি মহা ঝামেলাতে আছি। আমাদের জীববিজ্ঞান ম্যাডাম মাঝে মাঝেই আমাকে ডায়াসে ডেকে নিয়ে ওনার মহান ছাত্রদেরকে আমার পিছে লেলিয়ে দেন। ঊনিও নিরপেক্ষ থাকেন না, ওদেরকে সাপোর্ট দেন।
এক ভার্সেস আটাত্তর, আমার অবস্থাটা কলপ্না করুন?! তাতে কি? বীর ডরে না কভূ! ওদেরকে আমি একাই দেখে নেই, :guli: কিন্তু মুশকিলটা হয় যখন সবাই একসাথে তেড়ে আসে, একসাথে ১ জিলিয়ন প্রশ্ন করে।বাঙ্গালী জাতিতো, তাই তখন একটু ইংরেজীতে বলা শুরু করি। মন দিয়ে শুনে অথবা ভালো বুঝেনা, তাই নো-হাউকাউ! :guru:
মুক্তমোনাতে এসে জ্ঞানের বৃত্তের ব্যাসার্ধ খানিক করে বাড়ছে বলে মনে করছি, তাই এখানে নিয়মিত আসছি, পড়ছি, জানছি এবং জানাচ্ছি!
দুঃখিত খানিক অফ-টপিকে কথা বলার জন্য, আসলে নিউজটা কত বড়, ধর্মের সাথে এর বিক্রিয়া, আপ্নার-আমার প্রতিক্রিয়া সবই জানানো হয়ে গেছে ওপরের কমেন্টগুলোতে!
কিছু জিজ্ঞাসা, ১) ভেন্টর চাচা ছাড়া আর কে বা কারা এই ধরনের গবেষণা করছেন? তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নেয়ার ইচ্ছে হচ্ছে, কি জানি তারা কি আবিস্কার করতে চলেছেন!
২) সবাই পজেটিভ কমেন্ট করছেন, কিন্তু কারা কারা (না, আমি জাকির নায়েক বা ড.শমসের কথা বলছি না। বলছি খ্যাতনামা বিজ্ঞানী/গবেষকদের কথা) নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন, এই আবিস্কার নিয়ে? এবং তাদের জবাবগুলো কি দেয়া হয়েছে বা দেয়া যেতে পারে?
আসলে আমি জানতে চাচ্ছি, নিন্দুকেরা আমাকে কোন কোন অংশে আঘাত করবে আর আমি কিভাবে জবাব দিব যুক্তি দিয়ে, জ্ঞান দিয়ে, আর ভাল করে বললে বিজ্ঞান দিয়ে!
জয়তু মুক্ত-মোনা, জয়তু বিজ্ঞান!
সাইটের নাম শুনেছিলাম আগেই। শুধু পোস্টগুলো পড়ে যেতাম। রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় কমেন্ট করা হয়নি। গত সপ্তাহে কিভাবে যেন আবার লিঙ্কটা পেয়ে গেলাম। সেই থেকে আবার পড়েই যাচ্ছি- কমেন্টগুলোসহ।
সবচেয়ে মজা লাগে এই কমেন্টগুলো পড়তে। মাঝে মাঝে কিছু বলতেও ইচ্ছে করে। কিন্তু জ্ঞান সীমিত বিধায় সাহসে কুলায় না তর্কে যেতে। তবে প্রশ্ন করতে আশা করি সমস্যা হবার কথা নয়। ইচ্ছে রইল ভবিষ্যতে…
অফটপিক:
কিছু একটা হলেই তার সাথে ঈশ্বরকে জড়িয়ে ফেলার ঠিক মানে খুঁজে পাই না। তিনি আছেন কি নেই- বিজ্ঞানের কী দায় থেকছে এসবের উত্তর দেয়ার! উনি বেঁচে থাকেন বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
অনেক ধর্মগ্রন্থের প্রথম ইয়েটাই নাকি “পড়ো”! তো পড়ে হবেটা কি? পড়তে গেলেই তো জানতে ইচ্ছে হয়। আর সে ইচ্ছেটা শেষ পর্যন্ত এসে থেকে ঈশ্বরের উপর। অবাক বিষয়- তখনই “ধার্মিক”রা তেড়ে আসেন।
পড়ে পড়ে এই মুহূর্তে প্রশ্ন জাগছে- যখন শেষ পর্যন্ত ধর্মের সংঘাত বিজ্ঞানের সাথে তখন এই “ধার্মিক”রা রোগ-শোক হলে ঈশ্বরের নাম না জপে বিজ্ঞানের তলায় আশ্রয় খোঁজেন কেন?
আপাতত এই পর্যন্তই।
@শ্রাবণ আকাশ, স্বাগতম।
@রৌরব, ধন্যবাদ।
(একটা স্থায়ী একাউন্ট হলে মন্দ হত না। কিভাবে করি বলুন তো?)
@শ্রাবণ আকাশ, পড় বলতে উক্ত বইটি পরতে বলা হয়েছে।
মানুষ যদি মানুষ ও অন্যান্য জীব তৈরি করতে পারে, সেটা বিজ্ঞানের নয়, বরং হবে শয়তানের উন্নতি। কারণ উন্নত বিশ্ব তখন আরো ভালো করে তৃতীয় বিশ্বকে নিপীড়ন করবে। এবং পরে আর কাউকে না পেয়ে নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে নিজেরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য ইতোমধ্যেই, গোপনে, ক্লোনের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
সনাতন ধর্মে যারা বিশ্বাসী, তারা বিশ্বাস করে নিরাকার পরমাত্মার কিয়দংশ প্রতি জীবের মাঝে আছে। আর যেহেতু মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান, তাই বুদ্ধির শক্তি, আত্মার শক্তি ও ঐক্যশক্তি – এই ত্রিশক্তিহেতু মানুষের ক্ষমতা অসীম। তাই বলে ক্ষমতার অপব্যাবহার কাম্য নয়, অথচ তাই ঘটছে।
ঈশ্বর আছে মানি, আর নাই মানি, এটা মানতেই হবে যে এই পৃথিবীর সবকিছু যুক্তিযুক্ত। আর মানুষের ক্ষমতার অপব্যাবহার না হলে সবকিছুই ভারসাম্যপূর্ণ। এবং কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
কিছু কিছু বিষয় সেই অদৃশ্য শক্তির হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ।
এই কৃত্রিম প্রাণ কি আমাদের স্বাভাবিক প্রাণের মত কাজ করতে সক্ষম হবে?যদি না করে তাহলে এই কৃত্রিম প্রাণ তৈরির স্বার্থকতা কোথায়?এই কৃত্রিম প্রাণ দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য লাইফ সাপোর্ট দেয়া যাবে কিন্তু পুরোপুরি কাজ করবে না আমার মনে হচ্ছে।পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার এত বৎসর পর কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করল বিজ্ঞানীরা।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমরা মানব ও অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদ যে প্রাণ নিয়ে চলছে সেটা কে সৃষ্টি করেছে?
@ম্যাক্সিমাস, আরজ আলী মাতবরের রচনা সমগ্র পড়ুন উত্তর পেয়ে যাবেন
@ম্যাক্সিমাস, সেটা যে অন্য কনো intelligent প্রানীর সৃষ্টি না, কিভাবে sure হলেন ? মানুষই ত সৃষ্টি হইছে এই সেদিন । বিজ্ঞানীরা ত মানুষই নাকি ? কাজেই, এত বছর ত লাগবেই । আমরা যে প্রান নিয়ে চলছি, তা কারুর সৃষ্টি হতে যাবে কেন ? আপনাআপনি ( রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ) সৃষ্টি হতে পারে না বুঝি ?
টাইটেল দেখেই ধাক্কা খেলাম। কৃত্রিম প্রাণ এবং সেই সাথে মানুষের ঈশ্বর হোয়ে উঠা।
ধন্যবাদ “রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষিত জিনোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাকটেরিয়া কোষের সৃষ্টি” পুরো পেপারটি Attach করে দেয়ার জন্য। লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করছি। ফোরামটিতে কিভাবে নিয়মিত সদস্য হওয়া যেতে পারে?
@Rashed Latif,
মুক্তমনার নীতিমালায় লেখা আছে:
এখানে ক্লিক করে নীতিমালা দেখুন।
মসজিদের হুজুরের কাছে ক্রেগ ভেন্টর কর্তৃক কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টির সংবাদটি দিলাম।
হুজুরের জবাব: এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। আল্লাহ পাক মানুষকে পয়দা করেছেন তার নিজের ছুরতে। অর্থাৎ আল্লাহ পাক মানুষকে তার নিজের কিছু বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। আল্লাহ যেমন সৃষ্টি করতে পারেন, মানুষও তেমনি সৃষ্টি করতে পারে। তবে পার্থক্য হচ্ছে- আল্লাহ বলেন, হও, আর হয়ে যায়। মানুষ তা পারে না। আল্লাহ নাই থেকে সব সৃষ্টি করতে পারেন, কিন্তু মানুষ নাই থেকে কিছুই করতে পারে না। যা আছে তা থেকেই সৃষ্টি করতে পারে।
@মাহফুজ,
ভাল কথাই তো বলেছেন আপনার হুজুর। কোয়ান্টাম মেকানিক্স তো মনে হয় ওনার ভালই পড়া আছে।
@আদিল মাহমুদ,
ভাবছি আরো কয়েকজন হুজুরের কাছে গিয়ে সংবাদটি তবলিগ করবো। কী কী ধরনের জবাব আসে কিম্বা নতুন কোন আয়াত নাজিল হয় কিনা দেখতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক বলেছেন। PHYSICS LETTERS এ প্রকাশিত (Volume 117B, number 1, 2) আলেকজান্ডার ভিলেঙ্কিনের এই পেপারটা হুজুরকে দিয়ে একটু রিভিউ করানো দরকার –
CREATION OF UNIVERSES FROM NOTHING :
Alexander VILENKIN
সাথে এলেন গুথ আর আঁদ্রে লিন্ডের ইনফ্লেশন নিয়ে সাম্প্রতিক কাজগুলোও 🙂
@মাহফুজ,
যেন তিনি প্রতিদিন আল্লার সাথে একবার করিয়া সাক্ষাত করেন।
বিজ্ঞানীরা যদি শূন্য থেকে সব কিছু সৃষ্টি করে ফেলতে পারত তবে বোধহয় উনারা বলতেন- আরে, এই শূন্য তো আল্ল্যাই সৃষ্টি করেছেন, বিজ্ঞানীরা তো আল্ল্যার কুদরতি শূন্য থেকেই এগুলো সৃষ্টি করেছে :-)। আর কোরানের কত আয়াতেই না শূন্যতার কথা বলা হয়েছে!!
উহ, এই সব মুসলমানরা কবে যে মানুষ হবে।
@সৈকত চৌধুরী,
ছি: এভাবে বলতে নেই। বলতে হবে- উহ, এই সব মানুষ (বিজ্ঞানীরা) কবে যে মুসলমান হবে!
আজকে একজনের ইমেইল থেকে জানলাম এই কৃত্রিম প্রাণ বিষক লেখাটা শুনেছি আজকের (২৯ শে মে) দৈনিক সমকালে ছাপানো হয়েছে, যদিও অনলাইনে সমকাল পত্রিকায় সেটা পেলাম না। 🙁
কেউ কি একটু কনফার্ম করবেন?
মে মাসে ছাপা হয় নি, দৈনিক সমকালের আজকের (শনিবার, ১২ জুন ২০১০) কালস্রোতের সংখ্যায় লেখাটি সংক্ষিপ্ত আকারে ছাপা হয়েছে দেখলাম। লিঙ্ক এখানে।
@অভিজিৎ,
দারুন সু-খবর :yes: :yes: :yes: :yes: :yes:
Hello,
I’m a simple person. I’m very much very happy to know about the invention (!) of Craig Venture. Obviously he is a brilliant scientist and he has such a brain to make such a synthetic cell. Mr. Avijit, I know you’re very much excited because of this invention as you’re now able to prove that God is not actually necessary to create animals or trees or a simple cell.
But you see Mr. Craig has used a Computer and yeast to produce a cell or Bacteria. Okay fine!
But if a computer and something else are being used to produce a simple cell, so think how a complex cell can be produced by itself. According to your comment, to create a complex cell, a super computer is needed in the creation time. So are you trying to let us understand that there were many super computers at that time? IS IT POSSIBLE?
So, isn’t it proving that your comment is a nice joke?
I can undoubtedly say that your sense of humour is very high! But I have a request to you, “ Please don’t joke about everything”. And if you do so, you will be laughed at.
@Prince,
আমার লেখায় মন্ত্যব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি ‘স্পিম্পল পারসন’ নাকি ‘কম্পলেক্স পারসন’ তা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়, তবে মুক্তমনার বাংলা ব্লগে ইংরেজীতে মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি যখন আমার সমালোচনা করেছেন এবং অট্টহাসি হাসছেন, তখন এটা ‘বিশেষ বিবেচনায়’ অনুমোদন করা হল (না হলে আবার বলে বেড়াবেন যে আপনাদের মন্তব্য প্রকাশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে)। এর পর থেকে বাংলায় মন্তব্য করবেন দয়া করে।
এবার আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে আসি। ভদ্রলোকের নাম ক্রেগ ভেন্টর (craig venter), ক্রেগ ভেঞ্চুর (Craig Venture) নয়। তিনি তার পরীক্ষায় কম্পিউটারের সাহায্যে কৃত্রিম জিনোম বানিয়েছেন, এবং সেটিকে একটি পোষক ব্যাকটেরিয়ার দেহে প্রবেশ করিয়ে প্রাণ সঞ্চার করেছেন। আপনি কি ভাবছেন পৃথিবীতে প্রথম যে ব্যাকটেরিয়া কোষ তৈরি হয়েছিল, তা এরকম ‘সিন্থেটিক’ উপায়ে তৈরি হয়েছিলো বলে ভেন্টর দাবী করেছেন? যদি তাই মনে করেন তা হলে জেনে রাখুন এভাবে জীবনের কিংবা প্রজাতির উৎপত্তি হয়নি। ব্যাকটেরিয়ার মত সরল কোষের উদ্ভব একসময় পৃথিবীতে ঘটেছিল ধাপে ধাপে লক্ষ কোটি বছরের বিবর্তনের পরিক্রমায়,কোন টেস্ট টিউবে কিংবা কারো কম্পিউটারে নয়। তাহলে সুপার কম্পিউটার থাকা কিংবা না থাকার প্রশ্ন আসছে কি করে, প্রিন্স? ক্রেগ ভেন্টর তার ল্যাবে বিবর্তনের কোন সিমুলেশন করেননি, সেই দাবীও তিনি করছেন না, বরং তিনি বলছেন সিন্থেটিক উপায়ে খুব কম সময়ের মধ্যে (মহাজাগতিক স্কেলে) পরীক্ষাগারে কৃত্রিম জীবন তৈরি করেছেন। আমরা সেটা নিয়েই কথা বলছি। দুটোর মধ্যে পার্থক্য না বুঝে বোকার মত হেসে চললে লোকে কি বলবে, বলুন? 🙂
@Prince,
আপনাদের মত বিদ্যাসাগর থাকতেও দেশের যে এই হাল কেন, তাই বোধগম্য হয়না 😕 ।
হ্যা থাকতে পারে। আর সেই ডিজাইনার বা ঈশ্বর বা ঈশ্বররা ধর্ম গ্রন্থগুলোর বাইরের কেউ হতে কি হতে পারে না? তাহলে যুক্তিবাদীরা কেন বলে আমরা স্রষ্টায় বিশ্বাস করি না? প্রকৃত যুক্তিবাদীদের তো উল্টো বলা উচিৎ স্রষ্টা বা স্রষ্টারা আছে কি নেই আমরা এখনো জানি না।
@ঈশ্বরহীন,
সেই ডিজাইনার বা ঈশ্বর বা ঈশ্বররা ধর্ম গ্রন্থগুলোর বাইরের কেউ হতে পারে কি পারে না সেটা তো প্রশ্ন ছিলো না। সেই ডিজাইনার ঈশ্বরকে বানাতে অন্য কোন ডিজাইনার লাগবে কিনা সেটা হল প্রশ্ন, নাকি তিনি ‘এমনি এমনি হয়ে গেলেন’?
প্রকৃত যুক্তিবাদীদের বলা উচিৎ আগে স্রষ্টার সংজ্ঞা পরিস্কার করুন, তারপরে না হয় মানা না মানার প্রশ্ন। কেউ ‘চারকোনা বৃত্তের’ মত স্ববিরধী সংজ্ঞা দিলেও কি যুক্তিবাদীরা বলবেন, চারকোনা বৃত্ত আছে কি নেই আমরা এখনো জানি না?
আরো একটি বিষয় যুক্তিবাদীরা স্মরণ করিয়ে দেবেন, কোন কিছু কেউ দাবী করলে সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব দাবিদারের, বিপরীত পক্ষের নয় – সেটা জিউস, থর, মামদো ভুত এলিয়েনই হোক আর ধর্মগ্রন্থের বাইরের ঈশ্বরই হোক। এটাকে দর্শনের পরিভাষায় বলে বার্ডেন অব প্রুফ।
@অভিজিৎ,
সেই ডিজাইনার ঈশ্বরকে বানাতে অন্য কোন ডিজাইনার লাগবে কিনা সেটা হল প্রশ্ন, নাকি তিনি ‘এমনি এমনি হয়ে গেলেন’?
মানুষের তৈরী কোনো জিনিস, মানুষের প্রকৃতি/গঠন/ক্ষমতা সম্পর্কে কতটুকু চিন্তা/উপলব্ধি করতে পারে?
অর্থাৎ, মানুষের সৃষ্ট জিনিস, তার স্রষ্টা (অর্থাৎ মানুষ) সম্পর্কে যতটুকু ভাবতে পারে, মানুষও তার স্রষ্টা সম্পর্কে ততটুকুই ভাবতে পারে। আশা করি আনুপাতিক সাদৃশ্য যেটা বোঝাতে চাইছি তা বোঝাতে পেরেছি। এই যুক্তিতে আপনার প্রশ্নটাই অবান্তর।
@Shahbaz Nazrul,
‘মানুষও স্রষ্টা সম্পর্কে ততটুকুই ভাবতে পারে’ বলে আপনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। মানুষ যদি তার স্রষ্টা সম্পর্কে বেশি কিছু নাই ভাবতে পারে, তবে তার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি দেওয়াটাও আমার চোখে অবান্তর। আমার ব্রেনের লিমিটেশন আমার থাকলে তা রয়েছে আপনারও, একই কারণে। লিমিটেড ব্রেন নিয়ে আপনিও এমন ‘অতিরিক্ত কিছু’ জানতে পারেননি, কিন্তু তার অস্তিত্বের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছেন। আমি হয়তো অস্বীকার করছি প্রমাণ না পেয়ে, আর আপনি বিশ্বাস করছেন কোন প্রমাণ না পেয়েই, কিন্তু সেটাকে সুগারকোট করছেন লিমিটেড ব্রেন আর নানা ইতং বিতং হাজির করে। এটা আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনরেন্স। আর্গুমেন্ট অব ইগনরেন্স কোন মিনিংফুল আর্গুমেন্ট নয় কোন কিছু প্রমাণের ব্যাপারে।
ঈশ্বরবাদীদের এমন দাবী কিন্ত একদম হেলায় ফেলে দিতে পারবেন না। একটা পোষক ব্যাক্টেরিয়ার শরীরে প্রাণ পুনঃ সঞ্চারন করতে যদি মানুষের(তাও আবার বিশ্বের প্রথম শ্রেনীর বিজ্ঞানীদের একজন) এত কিছুর এত আয়োজন করতে হয় তবে তবে জীবজগৎ আর মহাবিশ্বের মতো এমন জটিল সৃষ্টি কিভাবে এমনি এমনি হয়ে গেল???
@ঈশ্বরহীন,
ঠিক আছে ধরে নিলাম জীবজগৎ আর মহাবিশ্বের মতো এমন জটিল সৃষ্টি কিভাবে এমনি এমনি হয়নি। কোন এক ডিজাইনার বানিয়েছেন।
সেই ডিজাইনারকে বানানোর জন্য আবার কোন ডিজাইনার লাগবে না? 🙂 যিনি এত কিছুর এত আয়োজন করে জীবজগৎ আর মহাবিশ্বের মতো এমন জটিল সৃষ্টি করেছেন সেই ততোধিক জটিল ডিজাইনার এমনি এমনি হয়ে গেল??? 😕 :-/
বিসমিল্লাহির রাহামানির রহিম
আমি আপনাদিগের সকলকে ধন্যবাদ জানাইতেছি এই অধম বান্দার পূর্বেকার সামান্য একটি প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিয়া কৌতুহল নিবৃত্ত করিবার জন্য। বিশেষ করিয়া এখানকার হেড মৌলভী ক্কারী আবুল আবুল কাশেমের উত্তরে আমি দিশা ফিরিয়া পাইয়াছি । আমি জানিয়াছি এই কৃত্রিম জীবনগুলার আসলেই আত্মা আছে কিনা এবং উহারা মৃত্যুর পরে বেহেস্তে যাইবে নাকি দোজখে।
আমার মনে আরো কয়েকটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উদয় হইয়াছে। কেউ কি জবাব দিবেন?
১) মরার পর এই কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়ার কি গোর আজাব হইবে?
২) এই কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়ার কাঁধেও কি মনকির নকির ফেরশতা বাস করেন?
৩) ইহারাও কি বেহেস্তে হুরী- ব্যাকটেরিয়া পাইবেক?
৩) লেখক বলিয়াছেন ইস্ট হইতে ভিন্টর সাহেব কাঁচামাল সংগ্রহ করিয়াছেন। আমরা জানি ইস্ট কাফের নাসারাদের দেশে বিয়ার ওয়াইন প্রভৃতি মাদক দ্রব্য চোলাইয়ে ব্যবহৃত হয়। এই হারাম কাঁচামাল দিয়া তৈরি ব্যাকটেরিয়া কি হালাল হবে নাকি হারাম?
আপনারা আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়া কৃতার্থ করুন।
@কবিরা গুনা, :hahahee: :lotpot:
নোবেল বিজ্ঞানীর এই বক্তব্যটা পড়ুন।
http://www.stockwatch.in/experts-don-t-agree-venters-life-creation-claims-26292
@ফারুক,
আমি যেটা বলেছি সেটা বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স দিয়ে। http://www.stockwatch.in বা অনুরূপ কোন সাইটে এ প্রকাশিত নোবেল লরিয়েটের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত বক্তব্যই থাকছে যতক্ষণ না তা বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হচ্ছে। সেরকম পেপারের বা অনলাইন খবরের লিঙ্ক দিলে অনেকেই দেওয়া যায় যেখানে আবার উলটো কথাও বলা হয়ছে, যেমন Scientists Create First Self-Replicating Synthetic Life কিংবা ‘Artificial life’ breakthrough announced by scientists কিংবা Craig Venter creates synthetic life form। আমি সেগুলোতে না গিয়ে ভেন্টরের কাজ যে বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তার উল্লেখ করেছি। ভেন্টর কখনোই দাবী করেননি তিনি কেমিক্যাল দিয়ে পুরো কোষই তৈরি করেছেন। কিন্তু একটি নিথর পোষক দেহকে প্রাণে সঞ্চারিত করতে পেরেছেন কম্পিউটারে তৈরি কৃত্রিম ক্রোমজম প্রবেশ করিয়ে । পাশাপাশি কেমিক্যাল দিয়ে পুরো কোষ তৈরির গবেষণাও চলছে এই ফিল্ডে, অচীরেই হয়তো বিজ্ঞানীরা সেটাও করে দেখাবেন। কিন্তু সেটাকে পুঁজি করে ‘গড ইন গ্যাপ্স’ আর্গুমেন্ট তৈরি করা অর্থহীন।
@ফারুক, আপনার দেয়া উদ্ধৃতিটাই আবার উদ্ধৃত করছি।
লক্ষ করুন, এখানে বলা হয়েছে যে, ভেন্টর কোন নতুন ধরনের জীব (‘new form of life’ বলতে সম্ভবত এটিই বোঝানো হয়েছে) তৈরি করেন নি, কেবল M mycoides এর জিনোমটি নকল করেছেন। খুবই সত্য কথা। নিশ্চয়ই এও জানেন যে, জীবনের যাবতীয় মালমশলা ও তথ্য জিনোমে সংরক্ষিত থাকে এবং জিনোম ছাড়া বস্তু আদতে কোন জীব না। তাই ভেন্টরের সংশ্লেষিত ক্রোমোসোমটিকে মানুষের তৈরি প্রাণ বলা যায় নির্দ্বিধায়।
এখন কথা হচ্ছে, ভেন্টর যে জিনোম কপি করলেন, সেটিকে নতুন জিনোম বলা যায় কি না। আমার মতে, অবশ্যই বলা যায়। একটা এনালজি দিয়ে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করি। ধরুন, আপনি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখলেন। কেউ একজন সেই প্রোগ্রামে সামান্য সংযোজন-বিয়োজন করে দিল (রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ তৈরির মতো)। এক্ষেত্রে তাকে কোনভাবেই নতুন প্রোগ্রামের লেখক বলা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি আপনার লেখা সেই প্রোগ্রামটা নিজেই আগাগোড়া নতুন করে লেখে, তাহলে আপনি বলতে পারবেন না যে, সে কোন প্রোগ্রাম তৈরি করে নি; বড়জোর তাকে নকলবাজ বলা যেতে পারে যে আপনার লেখা প্রোগ্রামটিই নতুন করে তৈরি করেছে। বিবর্তন-টিবর্তন সব বাদ, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ঈশ্বরই M mycoides এর জিনোম কোড করেছেন (আপনার প্রোগ্রাম লেখার মতো)। তাহলে ভেন্টর শুধু (নকলবাজের মতো) সেই কোডকেই একই সিকোয়েন্সে সংশ্লেষণ করে সিন্থেটিক ক্রোমোসোম তৈরি করেছেন (কিছু ভেজাল অবশ্য আছে। যেমন- ইমেইল আইডি, ভেন্টরদের দলের সদস্যদের নাম এবং কিছু উদ্ধৃতির প্রবিষ্টকরণ) যেটি নিঃসন্দেহে সম্পূর্ণ কৃত্রিমভাবে তৈরি নতুন একটা ক্রোমোসোম যার বেস সিকোয়েন্সটিই কেবল নকল করা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে, এই ক্রোমোসোম ব্যাক্টেরিয়া সাইটোপ্লাজমে প্রাণ সঞ্চার করেছে। তাহলে এটা কি বলা যায় না যে ভেন্টরদের দল সিন্থেটিক লাইফ তৈরি করেছে?
পুনশ্চঃ আপনার কাছে প্রাণের সংজ্ঞা কি, তা আমার জানা নেই, আর এ বিষয়ে আমি নিজেও কোন বিশেষজ্ঞ নই, তবে আর্থার ক্যাপ্লানের নিচের উক্তিটির সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতে পারছি না–
@অভিষেক খান,
ভাল কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করেছে। বোঝা যাচ্ছে পেপারটা তুমি আগা গোড়া পরেছ। নাইলে ওয়াটার মার্কে ইমেইল আইডি, ভেন্টরদের দলের সদস্যদের নাম এবং কিছু উদ্ধৃতির প্রবিষ্টকরণের ব্যাপারটা জানতে না । :yes:
তুমি কোত্থেকে মাঝে মধ্যে ধুমকেতুর মত আবির্ভুত হও, তারপরে আবার অদৃশ্য হয়ে যাও 🙂 । আমাদের এখানে নিয়মিতভাবে লিখবা কবে থেকে?
@অভিজিৎ দা, দুঃখিত, ব্যস্ততার কারণে আপনার মন্তব্য পড়া হয় নি। আজ মেইল ইনবক্স ফলো করে এখানে আসা। আগামী ৭ তারিখে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে নিয়মিত হওয়ার কোন সম্ভাবনাও দেখছি না। তার সপ্তাহ খানেক পরে আবার কোচিং শুরু হবে। তখন আবার ব্যস্ততা, তবে মাত্রা কিছুটা কম। তখন কিছু একটা করে দেখা যাবে খন।
@অভিষেক খান,
তাই কি? মানুষ বা জীব জন্তুর প্রাণ নির্গত হওয়া মানে তার দেহের প্রতিটি কোষের ক্রোমোসোমগুলো নাই হয়ে যাওয়া তা কিন্তু নয়।
ভেন্টরের কাজকে জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ও গেনোম ট্রান্সপ্লান্ট বলা বেশি যুক্তিযুক্ত বলেই এখনো আমার মনে হচ্ছে।
@ফারুক,
প্রাণ নির্গত হওয়া মানে কি বুঝালেন? আমি যতদূর জানি, প্রতিটি বহুকোষী জীব হচ্ছে অনেকগুলো কোষের একেকটা কলোনি। কোষগুলো মিলেমিশে কাজ ভাগাভাগি করে একটা দেহকে সচল রাখে। কখনো যদি এরা তাদের কাজ কারবার বন্ধ করে দেয়, তাহলে সেই জীবটিকে সচরাচর আমরা মৃত বলে থাকি (যদিও কোষগুলো তখনও বেঁচে থাকতে পারে)। এটিকে যদি আপনি প্রাণ নির্গত হওয়া বলেন, তাহলে M mycoides এর কোন প্রাণ নেই, কারণ তার বহুকোষী কোন ধারক জীবই নেই। 🙂
অভিজিত দা যেটি আগেই বলেছেন যে, প্রাণের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি রেপ্লিকেইট করতে পারে। আমাদের বহুকোষী জীবদেহ (বা কোষের কলোনি) প্রায় অনুরূপ আরেকটি কলোনির জন্ম দিতে পারে। সে হিসেবে এই কলোনিরও প্রাণ আছে বলা যায়। তদ্রূপ প্রতিটি সজীব কোষও একটি থেকে দুটি কিংবা চারটি কোষের জন্ম দিয়ে তার প্রাণের অস্তিত্ত্বের জানান দেয়। জিনোম ছাড়া কোন কোষ রেপ্লিকেইট ও অন্যান্য জৈবিক কাজকর্ম করতে পারে না, তাই তখন তার প্রাণ থাকে না বলে ধরে নেয়া যায়। আবার কোষের প্রাণ না থাকলে সে কলোনিও তৈরি করতে পারবে না। এভাবে ভাইস ভার্সা।
ভেন্টর যে কৃত্রিম জিনোমটা বানিয়েছেন, সেটি M capricolum এর জিনোমহীন তথা প্রাণহীন সাইটোপ্লাজ্মে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। তা-ও নিজের প্রাণ না, M mycoides এর প্রাণ। এটি কৃত্রিম না প্রাকৃতিক প্রাণ এবার আপনিই বলুন। 🙂
@অভিষেক খান,
আপনাদের সবার আলোচনায় অনেক কিছু শিখলাম। আমার সাধারন বুদ্ধিতে যা বুঝেছি তাতে ব্যাপারটা অনেকটা একটা মৃত মানব দেহে আর্টিফিশিয়াল সব অর্গান লাগিয়ে সেই দেহে প্রান সৃষ্টি করার মত মনে হচ্ছে। এই কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার কোনই অবকাশ নেই, তবে কেউ যদি দাবী করে যে একে কৃত্রিম প্রান সৃষ্টি করা বলা যায় না তবে বিতর্কটা মনে হয় প্রান সৃষ্টি করা কাকে বলে তার ব্যাকরনগত সংজ্ঞার উপর নির্ভর করবে।
এটা সত্য যে একেবারে শূন্য থেকে মৌল উপাদান সৃষ্টি করে এবং তারপর সেগুলি কৃত্রিম ভাবে জোড়াতালি দিয়ে কোন নুতন জীব সৃষ্টি করাকে মনে হয় সংজ্ঞাগতভাবে কৃত্রিম প্রান সৃষ্টি করা বোঝায় (এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা, কোন ভিত্তী নেই)। তবে মৃত কোন দেহেও তার সব অংগ প্রত্যাংগ, আর্গান কৃত্রিমভাবে বানিয়ে এবং প্রতিস্থাপন করে তাতে জীবনের সব লক্ষন ফিরিয়ে আনাকেও কৃত্রিম প্রান সৃষ্টিই হয়ত বলা যায়। আমার কাছে সংজ্ঞাগত পার্থক্যটা পরিষ্কার নয়।
@অভিষেক খান,ভাইরাস একটি জিনোম কিন্তু নিজে নিজে রেপ্লিকেট করতে পারেনা। রেপ্লিকেট করার জন্য ভাইরাসকে কোন জীবিত হোস্ট সেলে আশ্রয় নেয়া লাগে এবং হোস্ট সেলের সাহায্যে রেপ্লিকেট করে। এখন ভাইরাস কে কি বলবেন? প্রাণ? প্রাণ হলে, জীবিত সেলকে আবার নুতন করে কিভাবে প্রাণ দান করে?
@ফারুক,
ভাইরাস যে পরাশ্রয় কোষের দখল নিবে, সেই নির্দেশনাটা কই পায়? আমার জানামতে ডিএনএবিহীন কোষ হল মগজবিহীন মানুষের মত।
@ফারুক,
ভাল করেছেন ভাইরাসের কথাটা উল্লেখ করে। আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, বড় বড় জীবের ক্ষেত্রে জীবন বলতে যে ব্যাপারটা বুঝি এবং তার সাহায্যে জীবগগৎ এবং জড়জগৎকে পৃথক করি, তাকে আমরা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে যখন ছোট স্কেলে চলে যাই, পার্থক্যটা আর সেভাবে থাকে না। যে জৈব পদার্থ গুলোকে আমরা জৈব বলি, সেগুলো কিন্তু আসলে অনেক অজৈব পদার্থ দিয়েই তৈরি, যেমন মিথেনের কথা বলেছি – সেটা তৈরি কার্বন আর হাইড্রোজেন দিয়ে। এমোনিয়াম সায়ানেটকে উত্তপ্ত করে যে জৈব ইউরিয়া পাওয়া যায় তা বহু আগেই বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন। সে হিসেবে ভাইরাসকে যেমন জীব বলতে পারেন কেউ কেউ, আবার অনেকে জড়ও বলতে পারেন। আসলে এরা জীব ও জড়ের যোগসূত্র।
কারণ, ভাইরাস বাস করে ওই প্রাণ অ-প্রাণের সীমারেখা বা বর্ডার লাইনের ঠিক মাঝখানে। তবে ভাইরাসই যে প্রাণের সবচেয়ে সরলীকৃত রূপ, তা কিন্তু নয়। ভাইরাসের চেয়েও সরল প্রাণের সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন ভিরইডস এর মধ্যে। এগুলো মূলতঃ পেঁচানো সরল জেনেটিক পদার্থ দিয়ে তৈরী, যেগুলোকে টেনে লম্বা করলে বেড়ে ৩ ফুটের মত দাঁড়ায়। এই ভিরইডস এর কারণে গাছপালায় “avocado sun blotch’, “coconut cadang cadang’ কিংবা “tomato bunchy top’ জাতীয় বিদঘুটে নামের নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হয়। ভাইরাসের মত ভিরইডসদেরও জীবিত হওয়ার জন্য ‘পোষক দেহ’ দরকার হয়, নইলে এরাও জড় পদার্থের মতই আচরণ করে। ভিরইডসই শেষ নয়, এর চেয়েও ক্ষুদ্র পরিসরে বিজ্ঞানীরা জীবনের সন্ধান পেয়েছেন। যেমন ওই প্রিয়নের কথাই ধরা যাক। এগুলোর আকার এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচাইতে ছোট ভাইরাসের একশ ভাগের এক ভাগ থেকে শুরু করে এক হাজার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত। আর এগুলো এতই সরল যে এর মধ্যে জেনেটিক উপাদানও নাই, এগুলো স্রেফ প্রোটিন দিয়ে তৈরী। প্রোটিন কিন্তু মৃতই। কিন্তু প্রিয়ন গুলো ম্যাড কাউ রগের সৃষ্টি করে তা বধ হয় আপনি জানেন।
সেজন্যই, আমি আমার বইয়ে বলেছি, জড় থেকে জীবকে একটি শক্ত সীমারেখা দিয়ে পৃথক করার চেষ্টাই হচ্ছে প্রকারন্তরে মেনে নেওয়া যে ‘প্রাণ’ জিনিসটা প্রাকৃতিক কিছু নয় বরং যাদুকরী, অপার্থিব কিংবা অলৌকিক কিছু। কাজেই এ ধরনের পৃথকীকরণ প্রচেষ্টাও হয়ত এক ধরনের দীর্ঘদিনের ‘চ্যানেল্ড থিংকিং’ ছাড়া কিছু নয়। প্রাণ জিনিসটা কিন্তু এমন নয় যে, ওপর থেকে কিছু খোসা ছাড়িয়ে নিলেই ভিতর থেকে ‘সজীব’ কোন অণু বেড়িয়ে পড়বে – যেটি জীবনের ভিত্তিমূল। ওভাবে মাটি খুঁড়ে ‘জীবন’ পাওয়া যাবে না; কারণ এ ধরনের কোন ‘সজীব অণু’র কোন অস্তিত্বই আসলে নেই। বরং প্রাণ নামক সজীব অভিব্যক্তিটি গড়ে উঠেছে অসংখ্য নিষ্প্রাণ অণুদের বিভিন্ন সমন্বিত প্রক্রিয়া থেকেই।
আরেকটি সাধারণ উদাহরণ দেই। পানির সিক্ততার ধর্মটির কথা ধরুন। এই ‘সিক্ততা’ ধর্মটি পানিতে কোত্থেকে এল? পানিতো কেবল তৈরি হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন দিয়ে বলে জানি। হাইদ্রোজেন বা অক্সিজেন – কারোই কোন ভিজা ধর্ম বা অনু/পরমাণু নাই। তাহলে এই শুকনো বস্তু গুলো পানির মত ভিজা জিনিস বানায় কি করে? এখানেই আপনি আপনার উত্তর পাবেন। আসলে সিক্ততা ধর্মটি তৈরি হয়েছে এদের আনবিক অঙ্গসজ্জা এবং সমন্বিত প্রক্রিয়ার কারণে। প্রাণও অনেকটা তাই। আগেই বলেছি, প্রাণ অভিব্যক্তিটি গড়ে উঠেছে অসংখ্য নিষ্প্রাণ অণুদের বিভিন্ন সমন্বিত প্রক্রিয়া থেকেই। ছোট স্কেলে ব্যাপারগুলো ভাল বোঝা যায়।
@অভিজিৎ,ধন্যবাদ। এই যে ‘পোষক দেহ’ র কথা বলছেন , ওটাকে যদি তাপ দিয়ে বা রাসায়নিক প্রয়োগ করে বা রশ্মি দিয়ে ওর ভিতরের রিবোসোমগুলো ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো ধ্বংস করে ফেলি , তাহলে ক্রেগ ভেন্টরের সিন্থেটিক জিনোম রেপ্লিকেট করে প্রাণ দিতে পারবে কি?
@ফারুক,
এর উত্তর তো আমি জানি না ভাই, ভেন্টরকে জিজ্ঞেস করতে হবে। 🙂 এটা নির্ভর করছে এ বিষয়ে তার গবেষণা কতটুকু এগিয়েছে তার উপর। তবে একটা জিনিস আমি বুঝি যে, রিবোসোমগুলো কিংবা অন্যন্য জৈব পদার্থগুলো আলাদাভাবে কোন প্রাণ নয়। কিন্তু তাদের সমন্বিতরূপ + সেখানে কৃত্রিম জিনোমের প্রবেশ তৈরি করছে প্রাণের।
@অভিজিৎ,আপনি জবাবটা এড়িয়ে গেলেন। আপনার যে জ্ঞান জীববিজ্ঞানে আগের কমেন্টে দেখলাম , তাতে আমি নিশ্চিত যে , আপনিও জানেন আমার প্রশ্নের উত্তর কি হবে। ভেন্টরের সিন্থেটিক জিনোম রেপ্লিকেট করে প্রাণ দিতে পারবে না।
@ফারুক,
না এড়িয়ে যাই নি। আপনি একটা হাইপোথিটিকাল প্রশ্ন করেছেন, আমিও হাইপোথিটিকাল উত্তর দিয়েছি। কি হলে কি হতে পারতো তা নিয়ে আলোচনা না করে কি হয়েছে সেটা নিয়েই আলোচনা করা বোধ হয় ভাল। ভেন্টরের সিন্থেটিক জিনোম রেপ্লিকেট করে পোষক দেহে প্রাণ দিতে পেরেছে, এবং যে প্রাণ পাওয়া গেছে সেটা পোষক দেহের নয় বরং M mycoides এর। এটাই বাস্তবতা।
@ফারুক,
জী পড়লাম এবার এইবার আপানার বক্তব্যটা যদি বলতেন তাহলে বুঝতে পারতাম ঠিক কি উদ্দেশ্যে আপনি লেখাটুকু পড়তে বলেছেন।
@নিদ্রালু,উদ্দেশ্য? এই পোস্টে করা আমার সকল কমেন্ট পড়ুন , তাহলে পরিস্কার হবে আমার উদ্দেশ্য।
খবরটা প্রথম বিবিসির নিউজ ওয়েব সাইটে পড়েই আনন্দে, উত্তেজনায় লাফাচ্ছিলাম 😀 । এখন আপনার লেখা থেকে বিস্তারিত জানলাম । এত জনের এত এত মন্তব্য পড়ে নিজে কি লিখব খেই হারিয়ে ফেলছি 🙂 তবে আমি বন্যার কথার সাথে সহমত পোষণ করি, ধর্মবাদীরা কি বলল না বলল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই আসলে, তাদের থলিতে কূ-যুক্তির কোন অভাব কোন কালে ছিল না, বিজ্ঞান মানুষ বানিয়ে দেখালেও তাদের কু-যুক্তির অভাব হবে না । অতএব আমার কথা হচ্ছে ধর্মবাদীদের ‘কু-যুক্তি’ থেকে বিনোদন পাওয়া যেতে পারে কিন্তু পাত্তা বেশী না দেওয়াই ভালো । 🙂
আয়াত পাওয়া যায় নাই তবে সৌর্স পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং আয়াত এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বিস্তারিত জানতে দেখুন-
http://shodalap.com/a-murshed/5071
@আকাশ মালিক,
আসলেই ধর্ম এবং ধার্মিকদের কর্মকান্ড ‘বিয়াপক’ বিনোদোনের উৎস! 😀 🙂 :laugh: :hahahee:
মরা ব্যাক্টেরিয়াকে জ্যাতা করায় দাজ্জাল রূপী ক্রেগ ভেন্টরকে আবারো শুভেচ্ছা। বদ্ধমনারা যে কেন এই সহজ ব্যাপারটা বোঝে না – সব কিছুই তো ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে, বিজ্ঞানীরা খালি চোথা মারে। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, মুর্শেদ সাহেবের কাছ থেকে দাজ্জাল সংক্রান্ত আয়াতের পাঠ নিলে ক্রেগ ভেন্টর আরো বহু আগেই প্রাণ তৈরির রহস্য সমাধান করে ফেলতেন।
একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। ‘ধার্মিক আম্মার কাছে সেই ছোট বেলা থেকেই দাজ্জালের কথা শুনার পরেও, আর সারা জীবন ধরে এতোবার কোরান হাদিসের পাঠ নেয়ার পরেও সদালাপী A Murshed কিংবা সেরকম আল্লাহর কোন সাচ্চা বান্দা কেন কৃত্রিম প্রাণ বানাতে পারলেন না, কেন তাদের বার বার মুখাপেক্ষী থাকতে হয় শেষ পর্যন্ত ক্রেগ ভেন্টরের মত কাফের বিজ্ঞানীদের সফলতার জন্য? 😕 :-/
@অভিজিৎ,
ক্রেগ ভেন্টর আপাতত ব্যাক্টেরিয়া জগতের দজ্জাল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বলা চলে, মরা মানুষ জ্যান্ত না করা পর্যন্ত তাকে আসল দজ্জাল মনে হয় বলা চলে না। আমাদের ফুয়াদ ভাইও দেখা যায় এ ব্যাপারটা সার্টিফাই করেছেন।
তবে ওনাদের বক্তব্য বুঝতে পারছি না। ওনাদের কারো কারো মতে একে কৃত্রিম প্রান বলা চলে না। আবার কারো কারো মতে কৃত্রিম প্রান মানুষ দিতে পারলেও এ নিয়ে হৈচৈ করার কিছু নেই, কারন দজ্জাল বিষয়ক হাদীস প্রতিষেধক হিসবে আছে।
@আকাশ মালিক, আপনার দেয়া লিঙ্কটা পড়ে প্রথমে জীবনের প্রতি বৈরাগ্যই চলে এসেছিলো, পরে মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখলাম যে ভালোই। সম্ভবত আমার সবচেয়ে পছন্দের বাংলা ব্লগ হতে যাচ্ছে এটা। প্রতিদিন যাবো ওখানে। মানুষের মনস্তত্ব সম্পর্কে আগ্রহী যে কোন ব্যক্তিই এটা পছন্দ করবে। কতো বিচিত্র মানুষের মনোজগত!!!
@আল্লাচালাইনা,
ঐ সাইটকে আমি সাইট বলি না, বলি ‘প্যারাসাইট’। আরো পরিস্কার করে বললে, সদালাপী প্যারাসাইইট। ওরা প্যারাসাইটের মতো বেঁচে থাকে মুক্তমনার দিকে তাকিয়ে। মুক্তমনায় কখন কি লেখা হবে তা জানার জন্য তীর্থের কাকের মত হা করে বসে থাকে। এ ছাড়া তাদের আর কোন মৌলিকত্ব নেই। মুক্তমনায় কোন লেখা হলেই তারপর দুদিন পরেই আমরা পাই সেখানে তাদের ইসলামিক বিনোদনের মজার মজার নমুনা। মুক্তমনার কে শিব সেনা, আর কে ভারত কিংবা ইসরায়েল থেকে ক্রমাগত টাকা খেয়ে সবই উনারা উনাদের জ্ঞানগর্ভ গবেষণা থেকে জানেন, যেমন তারা জেনেছেন আজকের এই কৃত্রিম প্রাণ তৈরির কথা বহু আগে নাকি তাদের ধর্মগ্রন্থেই লেখা ছিলো। ভদ্রলোক ধার্মিক আম্মার কাছ থেকে দাজ্জালের কথা যেমন জেনেছিলেন, তেমনি অনেক রুচিকর কৌতুকও শিখেছিলেন ছোটবেলায়। মুক্তমনায় এসেও কিছু সুবাতাস ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন; এর কিছু নমুনা আপনি পাবেন এখানে। (একদম শেষ দিকের কৌতুকগুলো দেখুন)। আরেক সদালাপি সদস্য মুরাদ হ্যাকার সেজে থ্রেট করতে এসে লেজে গোবরে করেছেন এখানে। সত্যই উপভোগ্য।
কাজেই মাঝে মধ্যে বিনোদনের অভাব বোধ করলে সেখানে অবশ্যই যেতে পারেন, কিন্তু সেখানকার বিনোদন প্রায়শঃই ভাঁড়ামিতে পরিণত হয় হর হামেশাই। :-), নন্দিনী যেমন নীচে বলেছেন, বেশি পাত্তা না দেওয়াই বোধ হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বোধ হয় মার্ফির ল মেনে চলাই শ্রেয় – “Never argue with an idiot, people may not be able to tell the difference.”
@অভিজিৎ, মুর্শেদের কমেন্ট পড়লাম, মজা পেলাম। সামলাতে না পেরে নিজের ক্রোধকে এতোটা নগ্নভাবে প্রকাশ করে ফেলে সকলের সম্মুখে নিজেকে একটি নির্জলা ইডিয়ট প্রমান করে তিনি আমাকে দিয়ে আরও একবার স্বগতোক্তি করিয়ে নিলেন “কি বিচিত্র মানুষের মনোজগত!” আর মুরাদ? আমরা যাহেতু জানি সে জার্মানীতে থাকে, আমরা তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারি। সে অপরাধ করেনি কোন যদিও তবে হুমকী বিশেষ করে ইসলামিক হুমকী সাধারণত ইউরোপে সিরিয়াসলিই নেওয়া হয়। আমরা জার্মান মেটকে একটা মেইল অন্তত করতে পারি, এটাতে মুরাদের কোন ক্ষতি হবে না, তবে একটি ইসলামিস্টরূপে মেটের কাছে সে জ্ঞাত থাকলে লাভ যেটা হবে ভবিষ্যতে আসলেও কোন নাসকতামূ্লক কাজের পদক্ষেপ নেওয়াটা তার জন্য কঠিন হবে। সমাজের সহোদর সদস্যদের প্রতি দায়িত্ববোধের খাতিরে হলেও আমরা এটা করতে পারি। বিনোদনের জন্য ধন্যবাদ, এমন আরও আছে নাকি?
@আকাশ মালিক,
আপনার কি মনে হয়? আগামী ৫-১০ বছর পর বিজ্ঞান কি কি আবিস্কার করবে যা আপনাদের কিতাবে আগাম ভবিষৎ বানী করা আছে, যে হেতু আপনাদের কীতাব ঐশী বানী নিশ্চই আপনারা জানেন আর কি কি নতুন আসছে? যেমন ধরেন ১৪০০ বছর আগে ইন্টারনেট কি জিনিস তারা জানতেন না কিন্তু বিধর্মী লোকেরা ঠিকিই কেতাব পড়ে ইন্টারনেট বের করে ফেলেছে আর অজকে আপনাকে আমার পক্ষথেকে এই প্রশ্ন পৌছাইয়া দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে. তাইলে এমন কিছু বলেন যা কেতাবে আছে বাস্তবে নাই??? কিন্তু বিধর্মী রা তা কেতাব থেকে চুরি করার চেষ্টা করছেন।।। (O)
আমার তো মনে হয়, বিপদ আরও বাড়ল। কারন হাদিসে বলা আছে- কেয়ামতের আগে যে দজ্জাল আবির্ভূত হবে দুনিয়াতে সে নাকি নতুন জীবন সৃষ্টি, মৃতকে জীবিত এসব কাজ নাকি করতে পারবে। ভেন্টর ক্রেগ সাহেব কি সেই দজ্জাল নাকি? তাহলে তো কেয়ামতের আর বেশী টাইম নাই। ভাই ও বোনেরা, আপনাদের যার যার শেষ ইচ্ছাটা পুরন করে ফেলেন প্লিজ, সময় আর হাতে নেই। যে কোন মুহুর্তে ইস্রাফিল ফেরেস্তা শিঙ্গায় ফুক দিয়ে ফেলতে পারে। আর আপনারা যারা মুক্ত-মনাতে লেখালেখি করেন, তারা অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পোড়ার জন্য রেডি হয়ে যান। কারন আপনাদের ধরন ধারন দেখে মনে হয় অধিকাংশই আপনারা নাস্তিক, কাফের, মুরতাদ। জাহান্নামে আল্লাহ আপনাদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
@ভবঘুরে,
খবরে পড়লাম সুইডেন না নরওয়ে কোথায় যেন বিলাসবহুল কারাগার বানান হচ্ছে। পরম করুনাময় কি মুক্তমনাদের জন্য জাহান্নামে অন্তত ইন্টারনেটের ব্যবস্থা কি করে দেবেন না? তাহলে এই ব্লগ ওখানেও কন্টিনিউ করা যাবে, তাতে দোজখের দুঃখ কষ্ট কিছুটা হলেও ত লাঘব হবে। ব্লগের বিশ্বাসী সদস্যরা (ফুয়াদ?) ব্লগে জান্নাতের বর্ণনা দিয়ে ও সেখানে তাদের রঙ্গীন অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঝে মাঝে লিখে আমাদের মনোরঞ্জন (সেই সাথে আমাদের দীর্ঘনিঃশ্বাসও) করবেন। এইটুকু দয়া কি অন্তত আমরা আশা করতে পারি না পরম করুণাময়ের কাছে?
@অপার্থিব,
:hahahee: :lotpot: :rotfl: ভাই পারেনও আপনারা…
@অভিজিৎ
এটাকে কি সত্যিই প্রাণের সৃষ্টি বলা যায়? যদি যায়, তবে তা কিভাবে?
সৃষ্টিবাদীদের যদি ঘিলু থাকত তবে তারা এটা আগেই উপলব্ধি করতে পারত যে- যেকোনো জৈব যৌগ কিছু মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত যা পৃথিবীতে সহজলভ্য। আর উপযুক্ত পরিবেশ ও সময় দিলে এসব মৌলিক পদার্থের সংযোগে জৈব যৌগ গঠিত হতে পারে। এছাড়া ঘিলুহীন সৃষ্টিবাদীরা কি দেখে না যে একটা প্রাণী মারা যাওয়ার পর ঠিকই নির্দিষ্ট কিছু অজৈব যৌগে পরিণত হয়। মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণী যদি স্বর্গে তৈরী হত বা ঈশ্বর নামক কোনো বড়বাবু স্বর্গীয় উপাদান দ্বারা তা তৈরী করতেন তবে মানুষ বা প্রানীদেহে অন্তত এমন একটা মৌলিক পদার্থ বা উপাদান পাওয়া যেত যা অপার্থিব। জৈব যৌগ সৃষ্টির পেছনে যে লাইফ ফোর্স নামক উদ্ভট কোনো শক্তির প্রয়োজন নেই তা তো আবিষ্কৃত হল সেই কত যুগ আগে!!
নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানী ক্রেগ ভেন্টরের আবিষ্কারটি আমাদেরকে এগিয়ে দিল বহু বহুদূর।
@সৈকত চৌধুরী,
হায় হায়, এটা আপনি কি বললেন? আল্লাহ আদমকে বেহেস্তে বানিয়েছিলেন ঠিক ই কিন্তু তিনি তা করেছিলেন এই দুনিয়া থেকে মাটি নিয়ে। তাই জীব দেহ থেকে অপার্থিব কোন উপাদান পাওয়া সম্ভব নয়। যারা কোরান বাইবেল ভাগবত লিখেছে তারা কি অত গাধা নাকি ? দুর্দান্ত ধূর্ত না হলে তাদের ঐ সব ছাই পাশ শত শত হাজার হাজার বছর ধরে দুনিয়াতে রাজত্ব করে কিভাবে ?
আমি অনেককাল আগেই বাঙালী ব্লগপাঠকদের সাথে ক্রেগ ভেন্টরের পরিচিতি করিয়েছিলাম। যাহোক আমার জিন নিয়ে লেখাটা দেবার এখনই সবথেকে ভাল সময় মনে হচ্ছে। তাড়াতাড়িই শেষ করে লেখাটা দেবার চেষ্টা করি।
@দিগন্ত,
তুমি তো একেবারে অমাবশ্যার চাঁদ হয়ে গেছ। তোমার লেখা পাবার প্র্যতাশায় আছি। তোমার ক্রেগ ভেন্টর নিয়ে লেখাটা সম্ভবতঃ একমাত্র লেখা ছিলো সিন্থেটিক লাইফ নিয়ে। সেখানেই তুমি বলেছিলে খুব তাড়াতাড়ি কৃত্রিম জীবন তৈরি হতে যাচ্ছে। তোমার লেখাটা ছিলো ২০০৭ সালে। দু বছরের মধ্যেই সুখবর পেয়ে গেলাম আমরা।
মুক্তমনায় এখন বিজ্ঞান নিয়ে লেখার উদ্দীপনা আর এ নিয়ে চুল চেরা আলোচনা হয়, তা তো আর কোথাওই দেখি না। তোমাকে আরো নিয়মিতভাবে এখানে চাই।
মানব প্রজাতির অগ্রগতির আরেকটা মাইলফলক। এককোষী প্রাণীর ওপরেও ঈশ্বরের সোল প্রোপাইটারশিপ আর রইলো না, বিবর্তন তত্ত্বের ধাক্কায় অন্যগুলোর ওপরে আধিপত্য তো আগেই গেছে। বেচারা ঈশ্বর!
ভয় হয়, এই কৃত্রিম প্রাণীগুলো না আবার উল্টা-পাল্টা চিন্তা শুরু করে ঈশ্বর নামে এক ভয়াবহ ধারণার জন্ম দেয় নিজেদের মস্তিষ্কে…। ক্রেগ ভেন্টর সাহেব যদি আগে থেকেই একটু ডি’বাগিং-এর ব্যবস্থা করে রাখেন তো ভালো হয়।
আমি এই পোস্টের লিঙ্কসহ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এই খবর দিয়েছিলাম বলে আগে জানিয়েছিলাম। আমার স্ট্যাটাসেও এই খবর দিয়েছি। আমার ফ্রেন্ডলিস্ট খুব বড় নয়। স্ট্যাটাসে গড়ে ১৫-২০ টা কমেন্ট আসে। তবে ব্যাপার হল আমার এই স্ট্যাটাসে কেউ কোন কমেন্ট করে নি। ধার্মিক বন্ধুরা সবাই পুরোপুরি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। :clap2:
লেখককে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপরের মন্তব্যে কিছু মূল্যবান বইয়ের তালিকা দেয়ায়। সবাই উপকৃত হবে।
@অভীক,
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, নিজ উদ্যোগে এটি করার জন্য।
এটা তো খারাপ না। বাকরুদ্ধ থাকাই ভাল। জানেন না, বোবার কোন শত্রু নেই! 🙂
আপনাকেও ধন্যবাদ। মুক্তমনায় নিয়মিত লেখালিখি করবেন আশা করি।
@অভিজিৎ,
আমিও মুক্তমনায় লিখতে ইচ্ছুক। কিছু লেখা তৈরী করছি। মুক্তমনায় পোস্টকরার পর অন্য ব্লগে তা পোস্ট করলে কোন সমস্যা হবে কি।
তারপরও কী তারা স্বীকার করবেনা, তিনি মহান, সব জানেন। তাঁর ঈশারায় পোকা ওড়ে, পাখি গায় গায় … হে মুহাম্মদ! আপনি মুক্তমনা কাফিরদের বলে দিন, তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে অনন্ত আগুন। যেখানে তাদের টরি লেন, শাকিরাদের সাথে অনন্ত সময় অবস্থান করতে হব, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক 😀
চমৎকার লেখা !!!
অভিজিৎ রায় আপনাকে ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন ।
বুক অফ সিনথেসিস শ্লোক এক
অতঃপর ক্রেইগ ভেন্টার বলিলেন, বি ফ্রুটফুল অ্যান্ড মাল্টিপ্লাই
জোকটা কেমুন বানাইলাম ? 😉
@পথিক,
এইটা আরবীতে নিতে হবে। ক্রেগ ভেন্টরের বাণীর সংকলন করতে হবে। উনি ব্যক্তিগত জীবনে কিসব আচার আচরণ পালন করেন, যেমন টয়লেটে কোন ট্যিসুপেপার ব্যবহার করেন এসব জানতে হবে, মানতে হবে। আমেন।
অপার্থিব-এর উদ্দেশ্যে,
যা বোঝা সম্ভব হয় নি তা আবার একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হয় কিভাবে বুঝলাম না। জীবকোষের বিবর্তন ঘটবে তার আভ্যন্তরীন প্রয়োজনীয়তা ও প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার স্বার্থে। কিন্তু অজৈব পদার্থ তথা রাসায়নিক পদার্থের তো সেরকম কোন দরকার নেই। তাহলে তাদের আবার বিবর্তন কেমনে হয়? রাসায়নিক পদার্থ অনুকুল পরিবেশ পেলে পরস্পর রাসায়নিক বিক্রিয়া করে , সেটা কিন্তু কোন উদ্দেশ্যে ঘটে না, ঘটে উদ্দেশ্য বিহীন, স্বতঃস্ফুর্ত প্রক্রিয়ায়। সেটাকে কিভাবে বিবর্তন বলা হবে তা ঠিক বোধগম্য নয়। কারন বিবর্তন বলতে যা আমরা এতদিন বুঝে এসেছি তা হলো- জীব জগত সংক্রান্ত আর তা ঘটে স্রেফ টিকে থাকার স্বার্থে, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট একটা উদ্দেশ্য বিবর্তনের ক্ষেত্রে কাজ করে যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে না। বিবর্তনের ক্ষেত্রে খোদ জীবানু বা জীবটা নিজেই সে প্রক্রিয়ায় চালকের বা সহায়কের ভুমিকায় সক্রিয়ভাবে থাকে, তা না থাকলে বিবর্তন ঘটত না। চালকের বা সহায়তার ভুমিকায় থেকে যারা সঠিকভাবে নিজেদের চালিত অর্থাৎ পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে নিজেকেও পরিবর্তন করতে পারে তারা টিকে থাকে যারা পারে না তারা বিনাশ হয়ে যায়।তো সে যাই হোক, এ ধরনের স্বতঃস্ফুর্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ডি এন এ চেইনের মতো একটা অতীব জটিল জিনিস যেখানে কোটি কোটি বেস অনু একটা পারফেক্ট শৃংখলে আবদ্ধ হবে সে ঘটনা কিভাবে ঘটা সম্ভব তা সত্যিই বোধগম্য নয়। রসায়ন বিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী, যে কোন বড় (কোটি কোটি অনু সমন্বয়ে গঠিত) রাসায়নিক জৈব অনু প্রকৃতিতে সৃষ্টি হতে পারে না , কারন তা যথেষ্ট বড় হওয়ার আগেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভেঙ্গে যায়, সেখানে কোটি কোটি ক্ষারীয় বেজ পরস্পর ১০০% নিখুত ভাবে শৃংখলাবদ্ধ হয়ে প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে শুধু সৃষ্টিই হবে না সাথে সাথে তা বৈরী প্রকৃতিতে টিকেও থাকবে , তার সম্ভাবনা কতটুকু ? ধরা যাক প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে একটা বড় ডি এন এ চেইন তৈরী হয়েই গেল, সাথে সাথে প্রশ্ন উঠবে তাকে ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দরকার হবে অনুর চারিদিকে একটা সুরক্ষা আবরন যাকে আমরা নিউক্লিয়াসের আবরন বলি। তার অর্থ একই সাথে দুটো ঘটনা যুগপৎ ঘটতে হবে , তা হলো স্বতঃস্ফুর্তভাবে একটি অতি জটিল অনূ গঠিত হবে কোটি কোটি ক্ষুদ্র অনুর সমন্বয়ে তাও আবার শত ভাগ সুষম আকারে এবং সেই সাথে তাকে সুরক্ষার জন্য একটা আবরনী গঠিত হতে হবে যা আবার কোটি কোটি অনুর সমন্বয়ে গঠিত হবে। যেখানে আমরা দেখছি শুধু একটি ডি এন এ চেইন তৈরী করতেই আমাদের দরকার পড়ছে, একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরী, সব রকম সুষম ও অনুকুল পরিবেশ, শত শত প্রথম শ্রেনীর বিজ্ঞানী, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতী, সুপার কম্পিউটার ইত্যাদি ও দীর্ঘকাল সময়ের শ্রম। তারপরেও কিন্তু তাকে প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে একটি আগে থেকেই পাওয়া ব্যাক্টেরিয়ার ভিতরে তার নিজের নিউক্লিয়াসকে অপসারন করে অর্থাৎ ব্যাক্টেরিয়াটার সাইটোপ্লাজম এখানে কৃত্রিম ভাবে তৈরী নিউক্লিয়াসের আবরনী হিসাবে কাজ করছে অথবা হয়ত বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে নিউক্লিয়াসের আবরনী তৈরী করে দিয়েছেন। এখন আমার প্রশ্ন এই অতি দুরুহ ও অতীব জটিল প্রক্রিয়া কিভাবে বৈরী প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ঘটতে পারে? তার সম্ভাবনা কতটুকু ? সাধারন বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুসারে, প্রকৃতিতে বিরাজমান জীবজগতের পরিবর্তন ঘটা যত সহজ, স্বতঃস্ফুর্তভাবে একটি সম্পূর্ন জৈব অনু প্রকৃতিতে তৈরী হয়ে যাওয়া ঠিক ততই কঠিন। একটা ডি এন এ চেইন কত বিপুল সংখ্যক অনু সমন্বয়ে গঠিত হয়, একটি কোষের গঠন প্রক্রিয়া কেমন জটিল ইত্যাদি বিষয়ে যাদের ভাল ধারনা আছে আশা করি তারা আমার বক্তব্যের নিহিতার্থ ভালই অনুধাবন করতে পারবেন।
@ভবঘুরে,
প্রাণ সৃষ্টির রহস্য সমাধানের খেলায় আমি এক দর্শক মাত্র, খেলোয়াড় নই। যারা খেলোয়াড় তাঁদের লেখা পড়লেই যেটুকু তাঁরা জেনেছেন সেটুকু অন্তত জানতে পারি আমরা। অনেক, অনেক লেখা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে। কিন্তু চূড়ান্ত কথা এখনো এই যে রহস্যের সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি। সে আর আশ্চর্য্য কি। যা হোক আমি কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম, এর দ্বারা জানার যাত্রা শুরু করা যাবে অন্তত।
http://www.scientificamerican.com/article.cfm?id=origin-of-life-on-earth
http://www.sciencedaily.com/releases/2009/02/090219105324.htm
(Origin of Life On Earth: Scientists Unlock Mystery Of Molecular Machine)
http://en.wikipedia.org/wiki/Abiogenesis
http://www.biology-online.org/10/1_first_life.htm
আরেকটা ব্যাপার। বিবর্তন নিয়ে বেশী পড়তে গিয়ে বিবর্তনের বৃহৎ চিত্রটাই আমরা অনেকে ভুলে যাই। প্রাণীদের নিজেকে বাঁচানই বিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য নয়। বিবর্তনের মূল লক্ষ্য হল বংশাণুর অনুলিপিকরণ ও সঞ্চালন। (Gene replication and propagation). বংশাণুই প্রানী নামক বংশাণু যন্ত্র (Gene machine) তৈরী করে তাদের অনুলিপিকরণ ও সঞ্চালন এর সুবিধার জন্য। বংশাণুর কিন্তু প্রচলিত অর্থে প্রাণ নেই। বংশাণু যদিও জৈব অণু দ্বারা গঠিত, কিন্তু এর ভেতরের সংরক্ষিত তথ্যটাই আসল সত্ত্বা। কেন বংশাণুর অনুলিপিকরণ ও সঞ্চাল্নের এই তাগিদ? এর উত্তরে শুধু এটাই বলা যায় যে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রেই এটা নিহিত। এর বেশী কিছু আর বলা সম্ভব নয়।
@ভবঘুরে,
আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর উত্তর দিতে হলে অনেক টেকনিকাল ডিটেলে যেতে হবে। এখানে সেই প্রেক্ষাপট নেই। অপার্থিব কিছু বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। আমিও কিছু করি এপ্রসঙ্গে।
রাসায়নিক বিবর্তনের ব্যাপারটা বুঝতে হলে আপনাকে সিডনী ফক্সের গবেষণা থেকে শুরু করতে হবে। আপনি এই গবেষণাপত্রটি দেখুন –
Sidney W. Fox, Molecular and Natural Selection, The Quarterly Review of Biology, vol 61, no. 3, 1986
এছাড়া এই পেপারগুলোও আপনাকে অনেক তথ্যের যোগান দেবে-
* Mills, Donald R., Ronald L. Peterson, and Sol Spiegelman. “An Extracellular Darwinian Experiment with a Self-Duplicating Nucleic Acid Molecule.” Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America 58, no. 1 (1967): 217-224
* Spiegelman, S, An In Vitro Analysis of a Replicating Molecule, American Scientist 55, 221–. 64, 1967.
* Levisohn, Reuben, and Sol Spiegelman. “Further Extracellular Darwinian Experiments with Replicating RNA Molecules: Diverse Variants Isolated Under Different Selective Conditions.” Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America 63, no. 3 (1969): 805-811.
* M. Eigen, P. Schuster, The Hypercycle:A Principle of Natural Self-Organization, Springer Verlag, Berlin, 1979.
* M. M. Conn, E. A. Wintner and J. Rebek, Jr. Studies in Molecular Replication, Accounts Chem. Res. 1994, 27, 198-203.
মলিকিউলার সিলেকশনের গবেষকদের গবেষণার একটি সজীব বিষয়। আপনি গবেষকদের গবেষণার কথা না জেনে ঢালাওভাবে কিন্তু বলে দিতে পারেন না যে, রাসায়নিক বিবর্তন হয় না। আপনি বাংলায় এ সম্বন্ধে পড়তে চাইলে ডঃ ম আখতারুজ্জামানের ‘বিবর্তনবিদ্যা’ বইটি যোগাড় করে পড়তে পারেন। সেখানে জীবনের উৎপত্তি এবং জড়জগতে বিবর্তনের উপর আলাদা করে বেশ কয়েকটি অধ্যায় রাখা আছে। এ ছাড়া আমার আর ফরিদ আহমেদের মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার বইটির প্রথম চার পাঁচটি অধ্যায় দেখতে পারেন।
এখানে কিন্তু আপনি একটা বড় সড় ভুল করছেন। সার্বিকভাবে বিবর্তনও কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে না। বিবর্তনের পেছনে যে আসলে কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই তা নিয়ে গাদা গাদা বই লেখা হয়ছে। আপনি বিবর্তনের উপর যে কোন বেসিক বই পড়ে নিলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। আপনি যে টিকে থাকার ব্যাপারটি বলেছেন, সেটা আসলে প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। যে প্রকারণগুলো তাদের পরিবেশের সাথে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিযোজনের (adaptation) ক্ষমতা রাখে, তাদের বাহক জীবরাই বেশীদিন টিকে থাকে এবং বেশী পরিমানে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রকৃতি প্রতিটা জীবের মধ্যে পরিবেশগতভাবে অনুকুল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের নির্বাচন করতে থাকে এবং ডারউইন প্রকৃতির এই বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়ারই নাম দেন প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection)”। এর সাথে ‘বিবর্তনের উদ্দেশ্যে’র কোন সম্পর্ক নেই। আর টিকে থাকাটাই যদি বিবর্তনের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তবে প্রজাতির উদ্ভবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আপনি দেখবেন, বিবর্তনের ইতিহাসে শতকরা ৯৯ ভাগ প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, টিকে গেছে খুব ক্ষুদ্র অংশই। মহাকায় ডায়নোসার বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকে আছে। তার মানে কিন্তু এই নয় তেলাপোকাকে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে বিবর্তন ঘটছে। বিবর্তন কোন উদ্দেশ্য সামনে রেখে কাজ করেনা বলেই আমাদের দেহে অসংখ্য ত্রুটিপূর্ণ অংগের অস্তিত্ব দেখা যায়। আপনি আমাদের বিবর্তন আর্কাইভে রাখা এই বিষয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখে নিতে পারেন (এখানে, কিংবা এখানে )।
এগুলো নিয়েই এবায়োজেনেসিস বা অজৈবজনি কাজ করে চলেছে। আর সম্ভবনার ব্যাপারটি এখানে মূখ্য নয়। কারণ বায়োকেমেস্ট্রি কোন চান্স নয়, বরং পুরো ব্যাপারটি ধাপে ধাপে ঘটে। আমি হয়লের বিমান ৭৪৭ উপমা ব্যাখ্যা করার সময়ে সম্ভাবনার পরিমাপ নিয়ে বিস্তৃতভাবে লিখেছিলাম। আর এ নিয়ে গবেষনার কথা যদি বলেন, তাহলে সিডনী ফক্সের প্রোটিনয়েড মাইক্রোস্ফেয়ার (Fox 1960, 1984; Fox and Dose 1977; Fox et al. 1995; ), ক্রেইন স্মিথের ক্লে ক্রিস্টাল (Cairn-Smith 1985), আয়রন -সালফার ওয়ার্ল্ড (Russell and Hall 1997; Wächtershäuser 2000), পলিমারাইজেশন (Smith et al. 1999), এবং এমার্জিং হাইপারসাইকেল (de Duve 1995a, Nelson et al. 2000) প্রমুখের গবেষণা উল্লেখযোগ্য। তাদের সকলেই দেখিয়েছেন আদিম পরিবেশে জড় পদার্থ থেকে ধাপে ধাপে সরল জীবের এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে জটিল জ়িবের উন্মেষ কোন অসম্ভাব্য ব্যাপার নয়। আপনি নীচের লিঙ্কগুলো থেকে এ সম্বন্ধে জানতে পারবেন –
Missing links made simple (Published online 5 March 2001 | Nature | doi:10.1038/news010308-5)
Musgrave, Ian. 1998. Lies, damned lies, statistics, and probability of abiogenesis calculations.
The Origin of Life Albrecht Moritz
এর পাশাপাশি দেখতে পারেন নীচের বইগুলো –
*Emergence of Life on Earth: A Historical and Scientific Overview, Iris Fry Rutgers University Press; (February 1, 2000)
* Life’s Origin: The Beginnings of Biological Evolution J. William Schopf , University of California Press; 1 edition (October 7, 2002)
* Vital Dust: The Origin And Evolution Of Life On Earth, Christian De Duve, Basic Books (December 22, 1995)
* Evolution: The First Four Billion Years, Michael Ruse, Belknap Press of Harvard University Press; 1 edition (February 28, 2009) , ইত্যাদি
আমি যে লেখকদের বইয়ের তালিকা দিলাম তারা কিন্তু আমার আপনার মত ‘ব্লগ লেখক’ নন, তারা বিজ্ঞানী এবং প্রাণের উৎপত্তির এই বিষয়েই দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। তাদের বহু ফলাফল উঁচূমানের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তারা সকলেই মনে করেন জড় পদার্থ থেকে এক সময় পৃথিবীতে প্রাণের উন্মেষ খুবই স্বাভাবিক বাস্তবতা। এছাড়া উপরে অপার্থিবের লিঙ্কগুলোও দেখতে পারেন।
@ভবঘুরে,
অপার্থিব এবং অভিজিৎ আপনাকে উত্তর দিয়েছে এপ্রসঙ্গে, আমি সেটাকেই আরেকটু বিস্তারিত করছি। নাহ, বিবর্তনের কোন উদ্দেশ্য নেই, বিবর্তনের যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে তারা মাথায় কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে না। জীবেরা তাদের জিন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বংশবৃদ্ধি করে। বংশবৃদ্ধির সময় ডিএনএ বা আরএনএ তে মিউটেশন ঘটে। মিউটেশন একটা র্যান্ডম প্রক্রিয়া। আবার, যৌন পদ্ধতিতে বংশবৃদ্ধির সময় জিনের রিকম্বিনেশনও ঘটে। ওদিকে আবার প্রাকৃতিক নির্বাচন, যৌন নির্বাচন বা জেনেটিক ড্রিফটের মত পদ্ধতিগুলো জীবের ফিনোটাইপ বা কখনও বংশগতীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর কাজ করে। যারা কিছু বাড়তি সুবিধা পায় তারা টিকে থাকে অন্যরা ধ্বংস হয়ে যায়, এখানে কোন প্ল্যানিং নেই, উদ্দেশ্য নেই, নীল নক্সা নেই। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন পৃথিবীতে ৯৯% জীবই ধ্বংস হয়ে গেছে। আজকে যে বৈশিষ্ট্যগুলো যে কারণে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে কালই তা পরিবেশ বা অন্য কিছুর ভিন্নতার কারণে বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
@বন্যা আহমেদ,
এটা বলাটা ঠিক না। বিবর্তনের পেছনে কোন ঐশ্বরিক বা ডেটারমিনিজম নেই সেটা ঠিক-কিন্ত বিবর্তন ত একটা মিউটেশন ফিলটারিং প্রসেস যেখানে পরিবেশের সাথে বেশী খাপ খাপে, সেই ধরনের মিউটেশন গুলো টিকে যাচ্ছে। সুতরাং বিবর্তনের উদ্দেশ্য প্রকৃতির সাথে আরো ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে এমন এমন মিউটেশনগুলোতে নির্বাচন করা। সেটা কোন উদ্দেশ্য নির্ধারিত পথে হয় না। ঠিক। কিন্ত যেহেতু ব্যপারটা পরিবেশ নির্ভরশীল সেহেতু ডেটারমিনিজম একদম নেই, সেই কথাটা বললে কনফিউশন হবে।
@বিপ্লব পাল,
আমার মনে হয় তুমি এবং বন্যা দুজনেই ঠিক আছ। হয়তো সামান্য ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে একমত হচ্ছ না (কিংবা দুজন হয়তো দেখছ দুই দৃষ্টিকোন থেকে)। পরিবেশের কারণে ডিটারমিনিস্টিক ব্যাপারটা বিবর্তনে (আরো সঠিকভাবে বললে প্রাকৃতিক নির্বাচনে) আছেই। কিন্তু তারপরেও সেটি কিন্তু কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে না। রিচার্ড ডকিন্সের ‘ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার’ বই থেকেই উদাহরণ দেই, যেখানে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচনকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন –
“Natural selection, the unconscious, automatic, blind yet essentially non-random process that Darwin discovered, has no purpose in mind. If it can be said to play the role of watchmaker in nature, it is the blind watchmaker.”
দেখো, এখানে নন-র্যান্ডম বৈশিষ্ট যেমন আছে, তেমনি ‘নো পারপাস ইন মাইন্ড’ ব্যাপারটাও কিন্তু একই রকম সত্যি। আমি ভবঘুরেকে উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি, এখানে আর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলাম না।
THANKS GOD (!!!!!!!!!!!!) 😀
আপনকে যাদুঘরে রাখার সময় হয়েছে……
আচ্ছা, ধার্মিকেরা এই বৈজ্ঞানিক মাইলফলকগুলোকে মেনে নিল কি নিল না, এ সম্পর্কে তারা কি নতুন যুক্তি নিয়ে হাজির হল তাতে কি আসলেই কিছু যায় আসে? এই পৃথিবীর মানুষ তো কত কিছুতেই বিশ্বাস করে। তথাকথিত সুশিক্ষিত পশ্চিমা বিশ্বেই যা অবস্থা দেখি তা তে বাকিদের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। কয়দিন আগে শুনলাম হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে মেরির পাথরের মূর্তি থেকে চোখের পানি বেড়িয়ে আসা দেখতে। পীর, দরবেশ, সাধু, গণক …এরকম আজগুবি জিনিসের তো কোন অভাব নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আজকের রাষ্ট্রব্যবস্থায় ধর্মকে টিকিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন কারণেই। দারিদ্রতা, জ্ঞানের সুযোগ না পাওয়াই যদি ধর্মের টিকে থাকার পিছনে কারণ হতো তাহলে আজকে আমেরিকার উন্নত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে রক্ষণশীল দেশ হওয়ার কোন কারণ থাকতো না। সামাজ থেকে অনিশ্চয়তা যতদিন দূর না হবে, ততদিন স্বতস্ফূর্তভাবেই হোক আর কৃত্রিমভাবেই হোক, ধর্ম টিকে থাকবে বা টিকিয়ে রাখা হবে। শুধু মানুষের হাতে প্রাণ তৈরির জন্য ধর্ম অপেক্ষা করে ছিল না, গত একশ’ দেড়শ’ বছরে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা যা জেনেছি তা থেকে অর্গানাইজড এবং ইনষ্টিটিউশানাল ধর্মগুলো অনেক আগেই বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু তা কি হয়েছে? তাই বিজ্ঞানের মাইলফলকগুলোকে ধার্মিকেরা কি বললো আর কি করলো তা তে আটকে না ফেলে চলুন আমরা সামনের দিকে আগাই।
@বন্যা আহমেদ,
এর উত্তরটা আমি অন্য ব্লগে দিয়েছিঃ
বিজ্ঞানের আবিস্কারের সাথে সাথে ধর্মের লোকেরা পিচু হটবে এমনটা ভাবা ভুল। বিস্বাস ব্যাপারটা ধর্মের ভিত্তি না-ধর্মের ভিত্তি সামাজিক পরিচিতি-এবং তার থেকে উদ্ভুত সামাজিক আইনের প্রয়োজনীযতা যা সমাজের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বজায় রাখে। এই প্রশ্নগুলো করলে ব্যাপারটা পরিস্কার হবে
[১] যদি কেও অমরত্ব পায়, সে ধার্মিক হবে? কেন হবে?
[২] রাস্ট্র যদি খাদ্য চাকরি শিক্ষা সেক্স নিরাপত্তা দিতে পারে-লোকে কবি বা গায়ক হবে-কেন ধার্মিক হবে যদি জীবনে অনিশ্চয়তা না থাকে?
[৩] রাস্ট্র যদি ছেলে মেয়ে মানুষ করার এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়-তাদের খাদ্য-শিক্ষা-বাসস্থানের নিরাপত্তা দেয়-অনেকটা ইউটোপিয়ান কমিনিউস্ট সমাজ যেখানে ব্যাক্তি সম্পত্তির প্রয়োজন সম্পূর্ন বিলুপ্ত হয়েছে-সেখানে কি করে ধর্ম থাকবে? কারন সেখানে সামাজিক পরিচিতির ইউটিলিটি ভ্যালু নেই। “ধার্মিক” দের আমাদের সমাজে একটা ইউটিলিটি মূল্য আছে-হিন্দু না হলে ভারতে কেও বাড়ি ভাড়া দেবে না-বাংলাদেশে মুসলিম না হলে জমি জায়গা হারানো খুবই স্বাভাবিক।
ধর্ম তথ ঈশ্বরের সপক্ষে সব যুক্তিই অজ্ঞতা ছাড়া কিছু না-সেটা এই আবিস্কারের ফলে আরো বেশী অজ্ঞ হবে, এমন ভাবার কোন কারন নেই। কুযুক্তির কোন শেষ নাই-তাই কুযুক্তিকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা বৃথা। ধর্মের আসল রসদ সমাজে-সেটাকে না বদলালে, কুযুক্তি বেড়েই চলবে।
@বিপ্লব পাল আর বন্যা,
আমার মনে হয় সামনের দিকে আগানোর পাশাপাশি আমাদের একটু আধটু বিনোদনও দরকার, কি বল? পথিক একটা লিঙ্ক পাঠিয়েছে ইমেইলে, সেটাতে দেখলাম –
রোমের ক্যাথলিক চার্চ বিজ্ঞানীদের আগুন নিয়ে খেলতে নিষেধ করছেন!
খবরদার আগুনে হাত দিও না , পুড়ে যাবে কিন্তু ( পাদ্রীদের অফিশিয়াল বক্তব্য) ! 😀
@অভিজিৎ, ইয়ে মানে হিউমারের বেসিক ডেফিনিশনই হচ্ছে অন্যদের দুর্বলতা এবং দুর্গতি নিয়ে নিজেদের আত্মতৃপ্তি। শত্রু না থাকলে আর কার জন্যেই লিখব। আমাদের দিকে ছাই ধর্মবাদি বড়ই কমে গেছে। তারা তর্ক করে না-শুধু মন্দির বানাচ্ছে আর মুসলমানদের গালাগাল দিচ্ছে। আমাকে যেমন একজন হিন্দুত্ববাদি ব্রহ্মনামের মহত্মা গাইতে গিয়ে বলে ছিল সন্তান উৎপাদনের সময় ব্রহ্মনাম জপলে মহান সন্তানের জন্ম হয়।
আমি কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলাম-স্পার্মগুলো কি ব্রহ্মনাম শুনতে পায়?
সে বললো-ব্রহ্ম নাম হচ্ছে রেজনান্স-ব্রহ্ম নাম নিয়ে সঙ্গম করলে স্পার্ম গুলো রেজোনেট করবে-রেসনান্সে শক্তি ট্রান্সফার হয় আমরা সবাই জানি। তাই শক্তিশালী স্পার্মগুলি শক্তিশালী সন্তানের জন্ম দেবে।
( ইয়ার্কি মারছি না-আর্কাইভ করে রেখেছি)
আমি বললাম দুটো বেসিক সমস্যা আছে-প্রথমত ব্রহ্মনাম নিয়ে কিভাবে মানুষ সঙ্গম করতে পারে-সেটা প্রথম রহস্য। দ্বিতীয়টা হচ্ছে যদি টেকনিকালি ধরে নিই শীৎকারের বদলে ব্রহ্মনাম জপে সঙ্গম করা সম্ভব, তার পরেও বুঝতে পারলাম না ৪৮ ঘন্টা কি করে ব্রহ্মনাম করে থাকব। কারন ফার্টিলাইজ করতে ৪৮ ঘণ্টা লাগে-আর অতক্ষন ধরে!
একটু খাটিয়ে দেখলে ধর্মের সপক্ষে সব যুক্তিই দারুন বিনোদন দিতে পারে। শুধু উপস্থাপনাটা জানা চাই।
@বিপ্লব পাল,
ঠিক, সেজন্যই তো জ্ঞানী গুণিরা বলেন,
জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস
আর ধর্মই সকল বিনোদনের উৎস 😀
@অভিজিৎ vvavভাই, আপনি পোস্ট দিয়েছেন দেখে আমার পোস্টটা অন্য ব্লগে দিলাম।
প্রাণের প্রাণ জাগিছে—মনুষ্য সৃজনে!
আচ্ছা,অন্য ব্লগে দেওয়া আমার লেখাগুলোকে পরে মুক্তমনায় প্রথম পাতায় না এনে কিভাবে আমার ব্লগে যোগ করা যাবে?
এই খবর পড়ার সাথে সাথেই ফেসবুক, টুইটারে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে দিয়ে দিয়েছি। এখনও কোন ধর্মবাদীর কমেন্ট পাই নি। দেখা যাক ওনারা এবার কি বলেন। তবে হ্যাঁ, ক্লোনিংএর মত এই আবিস্কারের পিছনেও ওরা উঠে পড়ে লাগবে আশা করি।
আমার খোঁজখবর মোতাবেক বলছিঃ ভেন্টর, যাকে গোদা বাংলায় প্রাণ বলে তা ঠিক সৃষ্টি করতে পেরেছেন কি ? তবে স্টেম সেল থেকে এটা অনেক ভিন্ন। এ বিষয়ে তিনি এক নতুন পথ দেখালেন। আশা করি শীঘ্রই “প্রাণ” সৃষ্টি দেখতে পাবো – এ আমার অনেক দিনের প্রতীক্ষা, সেটাই ঈশ্বর বাদীদের জন্য বাঘা তেঁতুল।
ক্রেগ ভেন্টরকে অভিনন্দন। আপনাকে অভিনন্দন দারুন পোস্টটির জন্য। ইউক্যারিয়োট বা আরেকটু জটিল অর্গানিজম বানাতে পারলেতো ঈশ্বরের কফিনে পেরেক গাঁথা মনে হয় শেষ হবে।
@হোরাস,
আমার অবশ্য এতে সন্দেহ আছে। ইউক্যারিয়োট বানালে কিংবা আরো জটিল জীব বানালেই তারা বলবে বিজ্ঞানীরা আগে মানুষ বানিয়ে দেখাক, কারণ মানুষ অন্য প্রাণী থেকে আলাদা। আরো একটা জিনিস হয়তো আসবে তাদের যুক্তিতে । তারা বলবে, মানুষ যদি ডিজাইন করে প্রাণ বানায়, তাহলে নিশ্চয় ঈশ্বরও এভাবেই সব জীবজগত বানিয়েছিলো, কাজেই বিবর্তনের ফলে জটিল জীবজগৎ তৈরি হবার দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা। আরো বহু হাবিজাবি যুক্তির অবতারণা হবে, নিঃসংশয় থাকুন 🙂
অফ টপিক – আপনার থেকে আমরাও কিন্তু লেখা আশা করছি। এবার তো মুক্তমনায় একাউন্ট আছে, অতএব লেখা দিতে পারেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
@অভিজিৎ, উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। অনেকদিন ধরেই পোস্ট দিব ভাবছি, কিন্তু দেয়া হচ্ছে না। অন্য ব্লগে পোস্ট করেছি এরকম কোন লেখা এখানে যদি পোস্ট করি তাহলে কি সমস্যা হবে?
@হোরাস,
ধোকাবাজের সাথে ধস্তাধস্তি নিয়া একটা লেখা ছাড়েন, ব্যাপক আমোদের খোরাক আছে 🙂 ।
@অভিজিৎ দা,
অন্য ব্লগে ছাড়া পোস্ট, মুক্তমনার ব্লগাররা মুক্তমনাতে ছাড়লে কি কোন অসুবিধা আছে? আমরা অনেকেই মুক্তমনা ছাড়া অন্য ব্লগে যাইনা। সেক্ষেত্রে মূল্যবান লেখাগুলো মিস্ হয়ে যাচ্ছে। তাই মুক্তমনায় যারা নতুন আসছেন তাদের ব্যাপারে কি বিশেষ কোন বিবেচনার অবকাশ আছে আমাদের সুবিধার জন্য?
@হোরাস,
মৌলিক লেখা হলেই ভাল হয়, নাইলে আবার এডমিন সাহেব আপনাকে সতর্ক করতে পারেন। 🙂 তবে মিঠুন যে “মূল্যবান লেখা মিস্ ” হবার কথা বলেছেন সেটাও ঠিক। একটা কাজ করুন না – নতুন লেখা দিন, আর না পারলে পুরানো লেখাই একটু রদ বদল করে এবং ভিন্ন শিরোনামে মুক্তমনার জন্য দিতে পারেন। এতে দুই কূলই রক্ষা পায়। 🙂
@অভিজিৎ,
আমি কিন্তু কথাবার্তা সব শুনতেছি !!
(C) কপিরাইট: স্নিগ্ধা আপু। 😀
গতকাল রাতে খবরেই দেখলাম সুখবরটি। এ রকম খবরে অভিজিৎ’দা ছাড়া আর কে লেখা দিবে। লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। বিস্তারিত জানা হল।
দারুণ খবর!!
নাহ, এবার মনে হয় বিবর্তন টিবর্তন একটু ভালো করে পড়ে দেখতেই হবে, অসহ্য! 🙁
অভি – মন্তব্য সম্পাদনার সুযোগ বন্ধ করসো কেন?? কী অসহ্য!!
উপরের কমেন্টে “এবার মনে হয়” হবে 🙁
লেখা ভালই লেগেছিল, হঠাত শেষে এসে এই অধমের নাম দেখে আঁতকে উঠতে হল। দুনিয়ায় এত কট্টর ধর্মবাদী বিবর্তন বিরোধী লোক থাকতে (যারা বিভিন্ন ব্লগে মাননীয় লেখক এবং সমমনাদের নানান মধুর বিশেষনে নিত্য ভূষিত করাটাকে অনেকটা জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়েছেন) বেছে বেছে এই বিন্দু সদৃশ উদাহরন কেন বের করা হল বুঝলাম না। এ জন্যই মনে হয় কথায় বলে যে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখগড়ার জীবন যায়।
– কথাটা যখন বলেছিলাম তখন তো সেটা ঠিকই ছিল। নাকি? আর আমি তো এমন কোন দিব্ব্যী দেইনি যে মানুষ কৃত্রিম ভাবে প্রান সৃষ্টি কোনদিনও করতে পারবে না। করে ফেলার আগেই সফলতার দাবী নিশ্চয়ই বিজ্ঞান সমর্থন করে না। তবে আমার মনে মনে ধারনা ছিল যে বিজ্ঞান তা করতেই পারে, এমন অসম্ভব কিছু না। সেজন্যই আমি সজ্ঞানে কোনদিন চ্যালেঞ্জ দেইনি যে মানুষ তা কোনদিন পারবে না। ভিনগ্রহে প্রানের অস্তিত্ব এখনো পাওয়া যায়নি, অনেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন সন্ধান পেতে। তাই বলে কি সেই চেষ্টার ভিত্তীতে এখনই বলে দেব যে ভিনগ্রহে প্রান আছে? নাকি বলব যে থাকতে পারে, তবে নিশ্চিত প্রমান পাবার আগে নেই সেটাই ধরে নিতে হবে।
এবার মূল বিষয়ে আসি। এই আবিষ্কার নিসন্দেহে যুগান্তকারী আবিষ্কার, কোন সন্দেহ নেই। তবে পুরোপুরি মৌলিক প্রান সৃষ্টি একে কি বলা যায়? আমি নিঃসন্দেহ নই। এর ক্রোমোজমের মাল মশলা তো প্রথমে কপি করা হয়েছে অন্য ন্যাচারাল জীব (ঈষ্ট) থেকে। এরপর কম্পিউটর সিমুলেশন করে কৃত্রিম ক্রোমোজম বানিয়ে তা আরেক ন্যাচারাল ব্যাক্টেরিয়ার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। জানি না ভুল বুঝেছি কিনা, তবে আমার কাছে তো সংক্ষেপে ব্যাপারটা এমনই মনে হচ্ছে। দয়া করে কেউ আবার ধর্মবাদীর নিষ্ফল রোদন বলে ধরে নেবেন না। পুরো ব্যাপারটার মাঝেই তো অন্য ন্যাচারাল জীবের প্রধান ভূমিকা থেকেই গেল। ব্যাপারটা তো এমন নয় যে বিভিন্ন মৌল উপাদান জৈবরাসায়নিক উপায়ে সংশ্লেষন করে নুতন প্রান সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে আগে থেকেই ছিল তেমন কোন ন্যাচারাল জীবের কোনরকম ভূমিকাই নেই। আমি কোনরকম চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি না, তবে পুরোপুরি আর্টিফিশিয়াল লাইফ বলতে বোধ করে বেশীরভাগ সাধারন লোকে এমন কিছুই বুঝবেন। জানি না জীববিজ্ঞানীদের কাছে হয়ত ব্যাপারটা ভিন্ন।
বিজ্ঞান থেমে থাকে না, এই আবিষ্কারের পথ ধরেই হয়ত অদুর ভবিষ্যতে তেমন কিছুও সম্ভব হবে।
আর এর সাথে ঈশ্বরের কথা টানলে বলতে হয় যে এই প্রসংগে আমি আরেকটি কথা বলেছিলাম। মানুষ প্রান সৃষ্টি করতে পারে তার মানেই ঈশ্বর নেই – এই আর্গুমেন্ট তাদের জন্য যারা মানূষের পক্ষে প্রান সৃষ্টি কোনদিন সম্ভব নয় বলে জোর গলায় চ্যালেঞ্জ দেন তাদের জন্য। আমার কাছে এর সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমানের কোন যোগ নেই। অতীতে অচিন্ত্যনীয় অনেক কিছুই এই যুগে করা গেছে যেগুলিকে এককালে মনে হত ইশ্বরের সাক্ষাত ভূমিকা ছাড়া সম্ভব নয়।
ইতোমধ্যে অন্য ব্লগে কিছু আলোচনা দেখলাম। একজন সাফ বলে দিয়েছেন আগে কুকুর বেড়াল বানিয়ে দেখাক, তারপর বুঝব। আরেকজন বলেছেন যে মানুষ প্রান সৃষ্টি করতে পারলেই ঈশ্বর নেই প্রমান হয় না। কারন হযরত ঈসা মৃত মানুষ জীবিত করতে পারতেন (এই দাবীর সত্যতা আছে কিনা জানি না)।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কিংবা অন্য কারো নাম উল্লেখ করায় ‘আঁতকে’ উঠেছেন বলেছেন, এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে নামগুলো এখানে মূখ্য ছিলো না। পেছনের বক্তব্য এবং যুক্তিগুলোই ছিলো মূখ্য। আসলে সত্যি বলতে কি ধর্মবাদীরা (আপনাকে মিন করছি না) প্রায়ই এধরণের যুক্তি সাজাতে পছন্দ করেন যে, বিজ্ঞান এটা করতে পারে না, ওটা করতে পারে না। আর তারপর অবধারিতভাবেই নিজ নিজ বিশ্বাসের সাফাই গেয়ে বলেন – ঈশ্বর আছেন, তিনি মহান। আসলে তারা বোঝে না যে, এগুলো আসলে এক ধরণের হেত্বাভাস – আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনরেন্স। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সব যুগেই ছিলো, থাকবে। কিন্তু সেই ফাঁক ভরাট করার জন্য আমাদের অপার্থিব কিংবা অলৌকিক কিছুর স্মরণাপন্ন হবার কিছু নেই। শেষ কয়েকশ বছরের বিজ্ঞানের অগ্রগামিতা লক্ষ্য করুন। ধর্মবাদীদের তৈরি করা অনেক ফাঁক ফোকরই বিজ্ঞান ভরাট করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে আরো করবে। প্রান্তিক অমীমাংসিত রহস্য সমাধান করাই বিজ্ঞানের কাজ। অথচ ধর্মবাদীরা সেটার প্রশংসা না করে ফাঁক ফোকর যেন বজায় থাকে তাই চান। তাতে করে তাদের অলীক ঈশ্বরের গ্রাহ্যতা তাদের কাছে বজায় থাকে। আসলে একটু চিন্তা করলেই দেখবেন, এগুলো আসলে কোন যুক্তি নয় ‘গড ইন গ্যাপস’। এই যে কৃত্রিম প্রাণের ব্যাপারটাই দেখুন। এতদিন পর্যন্ত তারা সদম্ভে বলে বেড়াচ্ছিলো, বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে জীবকোষ তৈরি করে দেখাতে পারবে না। এখন বিজ্ঞান সেটা করে দেখালো। এখন আবার তারা বলছে জটিল কোষ বিজ্ঞান কখনোই বানাতে পারবে না। সেটা বানালেও বলবে (এবং সেটার ইঙ্গিত আপনি দিয়েছেন মন্তব্যের শেষে) “আগে কুকুর বেড়াল বানিয়ে দেখাক, তারপর বুঝব”। সেটা বানালেও বলবে মানুষ বানাক আগে… এভাবে গড ইন গ্যাপস এর খেলা চলতেই থাকে অহর্নিশি। এই ব্যাপারটাকে ফোকাস করাই ছিলো মূখ্য, অন্য কিছু নয়।
এই সিন্থেটিক লাইফের কারিগরি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, অনেকের মনে হতেই পারে এটা সত্যিকার প্রাণ নয়, কারণ মাল মশলা ইস্ট থেকে নেয়া। আসলে ইস্টের ক্রোমজমের ম্যাটেরিয়াল কোন ‘জীবিত’ বস্তু নয়। তবে জৈব পদার্থ নিঃসন্দেহে। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই দেখবেন যে, জৈব পদার্থগুলো আসলে বিভিন্ন ‘প্রাণহীন’ অজৈব পদার্থেরই মিশ্রন। যেমন, মিথেন গঠিত হয় কার্বন এবং হাইড্রোজেন দিয়ে। ইউরিয়া তৈরি হয় এমোনিয়াম সায়ানেট থেকে, ইত্যাদি। আমরা অনেকেই ব্যাপারটা বুঝতে পারি না; জৈব পদার্থকে অজৈব পদার্থ থেকে আলাদা করতে ভালবাসি, কারণ আমাদের ‘চ্যানেল্ড থিঙ্কিং’ গরে উঠেছে আমাদের বহুদিনের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রথা আর বিশ্বাসের সমন্বয়ে। এগুলো থেকে আমরা বেরুতে পারিনা প্রায়শঃই। কারণ আমরা ভাবি জৈব পদার্থের পেছনে কাজ করে ‘আত্মা’ বা ‘লাইফ ফোর্স’ জাতীয় কিছু। কিন্তু ১৮২০ সালে এসে যখন বিজ্ঞানী ভোয়েলার (Wöhler) তাপ প্রয়োগে অজৈব এমোনিয়াম সায়ানেট থেকে ইউরিয়া নামক জৈব পদার্থ উৎপন্ন করে দেখালেন – লাইফ ফোর্স টোর্স কিছু নয়, আসলে আনবিক সজ্জার বদলেই অজৈব পদার্থ পরিণত হতে পারে জৈব পদার্থে। পরে আমরা ইউরে মিলারের পরীক্ষার কথা জেনেছি, যেখানে তারা বিজারকীয় পরিবেশে অজৈব বস্তু থেকে জৈব বস্তু পেয়েছিলেন। এতোদিন বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিতে কোন জীবকোষ তৈরি করতে পারেননি, যদিও তৈরি করার কাছাকাছি অবস্থায় ছিলেন অনেকদিন ধরেই। ভেন্টরের কাজের সফলতা সে হিসেবে আরেকটি মাইলফলক। তিনি সিন্থেটিক লাইফের মাধ্যমে জীবকোষ বানিয়ে দেখালেন।
লক্ষ্য করুন, সিন্থেটিক লাইফের মাধ্যমে বানানো জীবকোষ বানাতে ভেন্টরের কোন আত্মা বা লাইফফোর্সের দরকার পড়েনি, পড়েছে কতকগুলো অজৈবপদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হওয়া জৈবপদার্থের, আর প্রাণহীন পোষক দেহের। উপরে কবিরা গুনার মন্তব্যটি দেখুন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “এই কৃত্রিম জীবনের কি আত্মা আছে? এইগুলা কি মরার পরে দোজখে যাবে না বেহেস্তে?”। হয়তো তিনি রসিকতা করেই এই প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু এর তাৎপর্য ফেলে দেবার মতো নয়। আত্মা ছাড়াই বিজ্ঞানীরা প্রাণ বানাতে সমর্থ হলে, আত্মার অস্তিত্বের ধারনা অনেকটাই বাহুল্যে পরিণত হয়।
ভাল লাগলো আপনার সাথে আলোচনা করতে।
@অভিজিৎ,
আমাকে কোট করায় দূঃখিত হইনি, তবে কিঞ্চিত বিস্মিত হয়েছিলাম বইকি। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারা দেখে অনেক কিছুই আশা করা যায়, তবে আবিষ্কার হবার আগেই তা হয়েই গেছে এমন দাবী করা যায় না।
আমি বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম বা ঈশ্বর বিশ্বাস মেলাবার ঘোর বিরোধী সব সময়ই বলি। আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনরেন্স ভালই বুঝি। একটু আগে স্থানীয় কাগজে একজন মহিলা সহকর্মীকে খবরটা দেখালাম, তার একমাত্র প্রতিক্রিয়া; “আই ডোন্ট বিলিভ দিস, আই বিলিভ গড ক্রিয়েটেড আস অল”। যদিও তাকে জিজ্ঞাসা করলাম না এর মাঝে গডের অস্তিত্ব কেন চ্যালেঞ্জের মাঝে পড়ল? বিশ্বাসের দৃষ্টিতে জগতের সবকিছুই করেন গড, আমরা তার নিমিত্ত মাত্র। সে হিসেবে গডের সব কাজ তো আমরা মানুষই করে চলেছি। এখন বলা যাবে যে আমরা আসলে কোন কাজ করি না, সব করেন গড?
জৈব ও অজৈব পদার্থের দর্শনটা জানা ছিল না আগে। এটা এখন মানলাম যে তিনি কোন লাইফ ফোর্স (আপনাদের কাছে যা অস্তিত্ব বিহীন) ছাড়াই আসলে লাইফ এনেছেন, যদিও কাজটা অনেকটাই রি-প্রোডাকশন যা এখানকার কাগজেও মন্তব্য করেছে। তবে লাইফ বিহীন মৃত দেহে লাইফের সঞ্চার করাও সনাতনী ধর্মের চোখে অসম্ভব বলেই জানি। তিনি তা করে দেখিয়েছেন।
তবে ধর্মওয়ালা লেকচারারদের পরবর্তি কদিন বেশ ব্যাস্ততার মাঝে কাটবে, কি কি শিরোনাম হতে পারে তা দিব্য চোখেই দেখছি। “নাস্তিক বিজ্ঞানীদের নুতন ষড়যন্ত্র – নুতন জীবন সৃষ্টির হাস্যকর দাবী”… আমি আগে এ সম্পর্কে যা বলেছিলাম সেগুলি আরেকটু ঘষে মেজে বড় করে লিখলেই দারুন একটা লেখা হয়ে যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@বকলম,
আমাদের এবার লং উইক এন্ড। ভাবছি নিজেই লিখে ফেলব একখানা এটম বোমার মত লেখা!
বিনোদনের জন্য সবসময়ই আমরা কেন পরের মুখাপেক্ষি হতে যাব?
@অভিজিৎ,
এই লেখার সূত্র ধরে ‘আক্কামের ক্ষুর’ ও ‘চোখের সামনেই ঘটছে বিবর্তন’ লেখা দুটিও পড়া হলো। এ জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ। :rose:
মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের ঘর থেকেও অনেক কিছু জানলাম। ঋণগ্রস্থ’র মন্তব্য ও তার জবাবী মন্তব্যগুলো সত্যিই খুব চিত্তকর্ষক। 🙂
@অভিজিৎ,
আমি নিজে কি জীব নাকি নির্জীব? এক কোষী জীবটি কি জীব নাকি নির্জীব। মনে হয় nano level এ অত্যন্ত জটিল রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার বিভিন্নতার কারণে কোন কিছুকে আমরা জীব বলে সনাক্ত করি, আর কোনটাকে নির্জীব বলে সনাক্ত করি।
আমি চোখে যা দেখি, যা ভাবি, প্রেম-প্রীতি, আবেগ-ভালবাসা সবই রাসায়ণিক বিক্রিয়ার ফসল!
মাথা উলটা- পালটা হয়ে যাচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
আমি বিবর্তনবাদ এর সাথে প্রানের উতপত্তি আর বিকাশ জুরে দিয়ে ভুল করেছিলাম না মনে হয় 🙂 ।
যাইহোক, এখন ও তো মুসলমান দের পক্ষ থেকে তেমন কিছু বলা হয় নি, যতদূর দেখলাম, ভেটিকান আর হিন্দুস্থান (টাইমস না কি জানি) কিছু তাল বেকাল পাকোনা হয়েছে তবুও দেখা যাইতেছে পথিক ভাই আর ফরিদ ভাই আগ বাড়িয়ে মসুলমানদের ব্যাপারে কথা বলা শুরু করেছেন। মনে হয়, উনাদের কাছে ওহী আসা শুরু হয়েছে, তবে ওহী টা কে আনে বুঝতে পারতেছি না, মনে হয়, এটমের ভিতরে কুয়ার্কের মধ্যে স্ট্রংগুলি এক ধরনের বিশেষ পক্রিয়ার দোলতে পারে, এটা আবার পথিক ভাই আর ফরিদ ভাই এর মাথায় বিশেষ দোল তোলে, এতেই উনারা আগে ভাগেই সব বুঝে যান। তাহলে, পাওয়া গেল ওহী গুলি তাদের কাছে তরংগের(প্রীডিকশন) মাধ্যমেই আসে। কিন্তু কথা তা না, কথা হল এই তরংগ গুলি কি ইলেক্টে মেগনেটিক নাকি শব্দের মত সাধারন ওয়েভ। যদি ইলেক্ট্রমেগনেটিভ হয়, তাহলে এর দ্বারা কি আলোর মত সোর কোষ জাতীয় কিছু দিয়ে বিদ্যুত উতৃপাদন করা যাবে কি না? কারন দেশে নাকি বিদ্যুতের বেশ সমস্যা। যদি না যায়, তাহলে এটলিস্ট এই তরংগ গুলিকে বুঝার ক্ষমতা আমরা সাধারন মানুষদের শিখানো উচিত 😀 এতে করে আমরাও ভবিষত বানী করতে পারব, দেশে থেকে কিছু জ্যাতীষী রপ্তানী করা যাবে। কিন্তু সমস্যা আরেক জায়গায়, কুরার্কে তো আর সৃর্যের মত কোন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ঘটতেছে না, তাই ঐখান থেকে প্রাপ্ত শক্তি কোথায় থেকে আসল? তাহলে তো শক্তির নিত্যতা সূত্র এর ও পথন ঘটে যেতে পারে, আর এই আবিষ্কারের জন পথিক ভাই আর ফরিদ ভাই, যদি যৌথভাবে নবেল পুরষ্কার পান, তাহলে বাংলাদেশের বেশ নাম হয়ে যাবে।
কাহীনি হচ্ছে, কৃত্রিম ডি.এন.এ যেহেতু হয়েছে, সেহেতু মরা মানুষকেও জীবিত করার পক্রিয়া বানো নো দরকার, এ ব্যাপারে পথিক ভাই আর ফরিদ ভাই, এগিয়ে আসতে পারেন। উনারা ভবিষত বানী করে সব বলে দিবেন, আমরা এই অনুযায়ী বের করব। মনে করুন একটি সেল ব্যাংক বানানো হবে, ঐ খানে সবার সেল সংরক্ষন করে রাখা হবে। কেউ মারা গেল তার সেলটা নিয়ে বিশেষ পক্রিয়ায়, আবারো তাকে নিয়ে আসা হবে, এক্ষেত্রে হাইড্রা এর ডি.এন.এর কিছু অংশকে কাজে লাগানো যেতেও পারে। কিন্তু কথা হল, তার সৃতি গুলো কিভাবে আনা হবে। মনে করুন, এখানা সুপার কম্পিঊটার থাকবে, সবাই রাতরে ঘুমানোর আগে ঐটার সামনে বসবে, সে তার মাথার নিঊরন সেল আর সৃতিগুলি সংরক্ষন করে রেখে দিব। কিন্তু পুরো পক্রিয়ায় পথিক ভাই আর ফরিদ ভাই এর বিশেষ তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে, কারন উনারা আমাদের(ধার্মিকদের) মত সাধারন মানব ্নহেন। মিঊটেশন থেকে(ডি.এন.এ এর ভুল ক্রমে) বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যাক্তি, বিজ্ঞানিক পক্রিয়ায় ওহী আসে।
যাইহোক, একটু মজা করলাম, মাফ করবেন।
আমি ভাই, ঐ ছোট বেলা থেকেই মনে করি, মানুষ একদিন মরা মানবকে জীবিত করতে পারবে, হ্যা অবশ-ই- খানে দাজ্জাল বিষয়ক হাদীস থেকে, আল কুরানের এক আয়াত থেকেও। তাই উপরের লেখার ব্যাপারটা তে তো আমার খুশি-ঈ হওয়ার কথা। তবে যাইহোক, আপনাদের তো ভিন্ন মত থাকবেই।( আপনারা হয়ত মনে মনে ভাবতেছেন পথিক ভাই আদ ফরিদ ভাইয়ের ভবিষত বানী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল)
সতর্কতাঃ
কেউ আবার ভুলেও ভাবিয়েন না, উপরের কথা দ্বারা আমি কিছু দ্বাবী করতেছি। জাস্ট আমি আমার কথা গুলি বললাম। আর কিছু নয়।
@ফুয়াদ,
পথিক, ফরিদ ভাইয়ের কথা বাদ দেন। আমি আছি আপনার সাথে, সামনে আগাইয়া যান। মরা মানুষ জিন্দা করার আয়াত কোরান হাদীসে আছে, আর অজৈব পদার্থ থেকে প্রাণ আবিষ্কারের কথা থাকবে না তা কি হয়? সে দিনও মুক্তমনায় একজন চেলেঞ্জ করেই বলে দিয়েছেন, মানুষ এমন কিছু কোনদিনই আবিষ্কার করতে পারবেনা, যা কোরানে আগে থেকে লেখা নেই। আজ হউক কাল হউক, নিশ্চয়ই সেই আয়াত পাওয়া যাবে।
সুতরাং, ধর্য্য ধরুন, ইন্নাল্লাহা মাআসসাবিরি-ন।
@ফুয়াদ,
পথিকের বিষয় জানি না, তবে আমার কাছে কোন ওহী আসে নাই। আল্লাহর অতো পেয়ারের বান্দা এখনো হতে পারি নাই আমি। অবশ্য হওয়ারও তেমন কোন ইচ্ছা নাই। অনিন্দ্য সুন্দর আল্লাহর চেয়ে অনিন্দ্য সুন্দরী অলিভিয়ার প্রতি প্রেম-ভালবাসা প্রবল আমার। অলিভিয়া যাবে দোজখে আর আমি থাকবো বেহেশতে। তাই কী হয় বলেন?
তবে আমার কাছে ওহী না এলেও আমার পীরবাবা হারুন ইয়াহিয়ার কাছে নিয়মিতই ওহী নাজিল হয়। ফলে কোরানের কোন আয়াতে কী কী বৈজ্ঞানিক মিরাকল আছে তিনি তা সবই ঠিকঠাক মতই জেনে যান। এই যে দেখেন কী রকম একটা লিস্টি বানিয়েছেন তিনি কোরানে বৈজ্ঞানিক মিরাকলের। আমি তার মণিমানিক্য ভান্ডার থেকে দুই একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
টেকনোলজির ক্ষেত্রে বায়ুশক্তিকে যে ব্যবহার করা হবে স্বল্প সময়ে অনেক বেশি দুরত্ব অতিক্রম করা যাবে তা কোরানের নিচের দুই আয়াতের মধ্যেই দেওয়া রয়েছে।
And to Sulayman We gave the fiercely blowing wind, speeding at his command toward the land that We had blessed. And We had full knowledge of everything. (Qur’an, 21:81)
And We gave Sulayman power over the wind-a month’s journey in the morning and a month in the afternoon… (Qur’an, 34:12)
খামোখাই দেখেন সেই লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি থেকে রাইট ব্রাদার্সরা প্লেন আবিষ্কার করার জন্যে কী কষ্টটাই না করলো। এই আয়াত দুটো পড়ে নিলেইতো আর এতো কিছু করা লাগতো না। তবে আমার অবশ্য ক্ষীণ একটা সন্দেহ আছে। প্লেন আবিষ্কারের পিছনের ঘটনায় ওই দুই রাইটভ্রাতা মনে হয় না রাইট বিষয়টাকে উল্লেখ করেছে। গোপনে গোপনে মনে হয় কোরানের আয়াত দুটো পড়ে নিয়েছিল। খ্রীস্টান-নাসারা কী আর মুসলমানদের কৃতিত্বের কথা স্বীকার করবে?
জাহাজও যে ভবিষ্যতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হবে সেটাও কোরানে উল্লেখ করা আছে। প্রমাণ দেখুন নিচের আয়াতেঃ
A Sign for them is that We carried their families in the laden ship. And We have created for them the like of it, in which they sail. (Qur’an, 36:41-42)
শুধু প্লেন নয়, আধুনিক সমস্ত যানবাহনের হদিসও দেওয়া আছে নিচের দুই লাইনের এক আয়াতেঃ
And horses, mules, and donkeys both to ride and for adornment. And He creates other things you do not know. (Qur’an, 16:8)
দেখেছেন আল্লাহ কত জ্ঞানী। ঘোড়া, গাধা আর খচ্চ্রের পাশাপাশি অজানা যত যানবাহন তৈরি হবে তার সবকিছুর কথাই তিনি মাত্র দুই লাইনেই বলে দিয়েছেন।
এই যে আজকের যুগে আমরা বিদ্যুৎ ছাড়া এক কদমও এগোতে পারি না সেটাও তিনি জানতেন। জানবেনই বা না কেন। সে কারণেই তিনি বলেছেনঃ
And We made a fount of molten copper flow out for him. (Qur’an, 34:12)
মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে একদিন যে তারা মহাকাশেও সেটাও মহান আল্লাহতালা বলে দিয়েছেন আগেভাগেইঃ
O company of jinn and human beings. If you are able to pierce through the confines of the heavens and Earth, pierce through them. You will not pierce through, except with a clear authority. (Qur’an, 55:33)
খামোখাই মহাকাশভ্রমণের সব কৃতিত্ব আমরা দেই আমেরিকান আর সোভিয়েত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। এই রকম একটা আয়াত ছিল বলেই সে না তারা মহাকাশে যাবার বিষয়টা জানতে পেরেছিল। নাহলে কী আর মহাকাশ ভ্রমণ হতো?
এই যে দেখেন মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আমি আর অভি একখান বই লিখে ফেললাম, কিন্তু কোনই সমাধান দিতে পারলাম না। কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নত বিশ্ব SETI গবেষণা করছে। অথচ ফারুক সাহেব সদালাপে কত সুন্দর করে বলে দিলেন যে, মহাবিশ্বের অন্যত্র যে প্রাণের অস্তিত্ব আছে তাতো কোরানের আয়াতেই আছে।
এই আয়াতটা আগে থেকে জানা থাকলেইতো আর SETI- র পিছনে এরকম কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হতো না।
উদাহরণ আর বড় করি না। সব উদাহরণ দিতে গেলে পৃথিবীর সমস্ত কাগজেও তা আটবে না, সমস্ত কলমের কালি দিয়েও তা লিখে শেষ করা যাবে না।
তবে শুধু দুঃখ একটাই। এই যে পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলমানেরা রাতদিন সুর করে কোরান পড়ে যাচ্ছে তারা কেউ-ই আল্লাহর এতো অসামান্য তথ্যভান্ডার খুঁজে পায় না। গোপনে গোপনে কোরান পড়ে তা থেকে সমস্ত গুপ্ত রহস্যগুলো আবিষ্কার করে ফেলে সব খ্রীস্টান-নাসারা বিজ্ঞানীরা। ওরা বের করার পরেই আমাদের মুসলমানদের জ্ঞান চক্ষু খুলে যায়। আর তখনই আমরা আয়াতগুলোকে সনাক্ত করে ফেলি, বুঝে ফেলি কোন আয়াত থেকে তারা কোনটা আবিষ্কার করে ফেলেছে।
একারণেই আমি বলেছিলাম যে, ক্রেগ ভেন্টরের আবিষ্কার কোরানের কোন আয়াতে আছে সেটা বের করতে আমাদের মাত্র দুইদিন সময় লাগবে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে এক্ষেত্রে আমাদের দুইদিনও লাগেনি। তার আগেই আল মুর্শেদ সাহেব জানিয়ে দিয়েছেন যে, কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টির বিষয়টা মুসলমানদের কাছে নতুন কিছু নয়। চৌদ্দশ বছর আগে থেকেই আমরা তা জানি। তার ভাষাতেই,
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, জানেনই তো কোন লাভ নাই; এসব কথা ওনাকে অসংখ্যবার শোনানো হয়েছে। কোন লাভ হয়েছে কি? উনি তো কোন জবাব দিতে পারেন না এই অভিযোগের। তারপরও ক্যান আঝাইড়া তর্ক করেন?
@ফরিদ আহমেদ,
ভালও বিপদেই পড়া গেল। এতদিন দুষেছেন , কেন আবিস্কারের পরে আয়াত খুজে পাওয়া যায়। এখন যখন আগেই ভবিষ্যতবাণী করা গেল , তাতেও দোষ দিচ্ছেন। যাব কোথায় , আমরা আস্তিকরা?
@ফারুক,
আপনাদের ভবিষ্যদ্বানী তো দুই দিকেই কাটে। এতদিন ইসলামী আলেম বুজুর্গদের কাছ থেকে জোর গলায় ভবিষ্যদ্বানী শুনতাম – মানুষ কখনোই প্রাণ তৈরি করতে পারবে না। যেই মাত্র বিজ্ঞানীরা সেটা করলেন ওমনি আপনারা দাজ্জাল নিয়ে আসলেন, আর বলতে শুরু করলেন – হযরত মুহম্মদ(সঃ) নাকি ১৪০০ বছর আগেই যে উপমার ছলে জানিয়ে গেছেন। কাজেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’তে যাই ঘটুক না কেন তালগাছ আপনাদেরই থাকছে, সমস্যা নেই।
আমার এক বন্ধু মূদ্রা নিক্ষেপের আগে প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলত – “টেল উঠলে আমি জিতছি, আর হেড উঠলে তুই হারসস”। কাজেই মূদ্রা নিক্ষেপের পর যাই ঘটুক না কেন, অবধারিত ভাবেই ফলাফল তার পক্ষেই যেত। আপনাদের ভবিষ্যদ্বানী শুনলে বন্ধুটির কথা মনে পড়ে যায়। 🙂
যা হোক, ভবিষ্যদ্বানীর জন্য আগাম অভিনন্দন।
@অভিজিৎ,অন্যদের কথা জানিনা, আমার ভবিষ্যতবাণী দুদিকে কেমনে কাটে একটু যদি ব্যাখ্যা করতেন। দাজ্জালের কথা জানি না বা শুনিনি। এবং এটা আমার ভবিষ্যতবাণীর সাথে সম্পর্কযুক্ত ও নয়।
আপনারা যাকে প্রাণ সৃষ্টির কথা বলে বাহবা নিচ্ছেন , আসলেই কি একে প্রান সৃষ্টি বলা যায়? আমার তো মনে হইতেছে , একে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ট্রান্সপ্লান্টের মতো জিন বা ক্রমোসোম ট্রান্সপ্লান্ট বলাই বেশি সঙ্গত।
@ফারুক,
আমরা প্রাণ সৃষ্টির কথা বলে কোন বাহবা নেই নি, নিজেই খুঁজে দেখেন – বিবিসি, গার্ডিয়ান, ডিস্কোভার সব মিডিয়াতেই ঐ দিন এটাকে সিন্থেটিক প্রক্রিয়ায় জীবন তৈরি বলে হেডলাইন দেয়া হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলোতেও কৃত্রিম প্রাণ তৈরির সংবাদ শিরোনাম করেই খবর প্রকাশিত হয়েছে (আপনি প্রথম আলো বা সমকাল কিংবা বিডিনিউজ২৪ এ হেডিং গুলো দেখে নিন)। এখন, “প্রান সৃষ্টি” বলতে ঠিক কি বোঝায় এই টেকনিকাল ডিটেলে না গিয়েও বলা যায়, ভেন্টর সিন্থেটিক জিনোমের সাহায্যে নির্জীব পোষকদেহকে ‘জীবন্ত’ করেছেন। এটা নিয়ে কোন কনফিউশন নেই কারো। আর সিন্থেটিক জিনোমটা কম্পিটারেই বানানো। সব মিলিয়ে তিনি একটি কৃত্রিম সিন্থেটিক কোষ তৈরি করেছেন যা রেপ্লিকেট করে। সেজন্যই ভেন্টর বলেছেন, এমন একটি ব্যাকটেরিয়া তিনি বানিয়েছেন যার অভিভাবক প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে না, কারণ অভিভাবক রয়েছে কম্পিউটারে। সায়েন্স জার্নালে ভেন্টরের পেপারটার শিরোনামই ছিলো – Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome।
‘ক্রিয়েশন অব ব্যাকটেরিয়াল সেল’ কথাটা ভাল করে লক্ষ্য করুন। এই শিরোনাম সায়েন্সের মত বৈজ্ঞানিক জার্নালেই প্রকাশিত হয়েছে। আরো লক্ষ্য করুন এই মরা ব্যাকটেরিয়াকে জীবন্ত করতে ভেন্টর কোন আত্মা বা লাইফ ফোর্স পুরে দেননি, পুরেছেন কম্পিউটারে তৈরি কৃত্রিম সিন্থেটিক জিনোম। আর এতেই ব্যাকটেরিয়া জীবন্ত হয়ে উঠেছে আর রেপ্লিকেট করতে শুরু করেছে। এ নিয়ে আমার আর বেশি কিছু বলার নাই।
যেহেতু বহির্জাগতিক কোন জীবের অস্তিত্ব এখনো পাওয়া যায়নি, সেহেতু আপনার ‘কোরানিক ভবিষ্যদ্বানী’ যে সফল তা হলফ করে বলতে পারছি না। তবে কার্ল স্যাগানের মত বিজ্ঞানী যিনি বহির্জাগতিক সভ্যতার খোঁজে ক্লান্তিকর গবেষণা করে গেছেন, তিনি আপনার খোঁজ আগে পেলে অনেক উপকৃত হতেন, এটুকু বলতে পারি। 🙂 আর আপনি যখন আপনার ‘ভবিষ্যদ্বানী’ নিয়ে বলছেন, তাহলে আমারটাও বলি। দেখুন – আমি আমার প্রবন্ধের শেষে ইঙ্গিত করেছিলামই ধর্মবাদীরা এখন নানা বিষয় নিয়ে নরকগুলজার করবেন। কেউ বলবেন এটা সত্যিকারের প্রাণ নয়, কেউ বা আবার ধর্মগ্রন্থের আয়াতে এর উৎস খুঁজে পাবেন। ঠিক ঠিক তাই কিন্তু হচ্ছে কিন্তু। দেখেছেন, আমার ভবিষ্যদ্বানীও কম সফল নয়, কি বলেন? 😀
আপনি দাজ্জালের কথা শোনেননি সেটাও আমাকে খুব অবাক করলো। যারা ইসলামে কেয়ামতের বিভিন্ন আলামতের কথা জানেন, তারা সবাই দাজ্জালের কথা জানেন। আপনি যে সাইটে লিখেন আর ভবিষ্যদ্বানী করেন সেই সাইটেরই এক আলীম ব্লগার তার কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা তো তাঁকেই কোট করেছি মাত্র।
ভাল থাকবেন।
@অভিজিৎ,
এটা নিয়ে এখন কিন্তু সমালোচনা হচ্ছে , আপনাদের মতৈ তাদের অতি উৎসাহের জন্য।
এখানে একটু মিথ্যাচার(জেনেশুনেই?) হয়ে গেল না। ব্যাকটেরিয়াটা মরা ছিল এই তথ্য কোথায় পেলেন? We report the design, synthesis, and assembly of the 1.08-Mbp Mycoplasma mycoides JCVI-syn1.0 genome starting from digitized genome sequence information and its transplantation into a Mycoplasma capricolum recipient cell to create new Mycoplasma mycoides cells that are controlled only by the synthetic chromosome। http://www.sciencemag.org/cgi/content/abstract/science.1190719
যেটাকে কম্পিউটারে তৈরি কৃত্রিম সিন্থেটিক জিনোম বলছেন , এটাতো আমার কাছে স্রেফ জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং মনে হইতেছে। কম্পিউটার ব্যবহার হয়েছে ‘ডিএনএ’ র সিকুয়েন্স ঠিক করার জন্য।
আপনি একটু ইন্টারনেট ঘাটুন (কোন আস্তিক সাইটে যাবেন না) , তাহলেই বুঝবেন , প্রাণ সৃষ্টির দাবী কতটা অসার।
আপনিও ভাল থাকুন , শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক,
বিতর্ক হচ্ছে। বিজ্ঞানে এ ধরনের বিতর্ক খুবই সাধারণ। কিন্তু তিনি সিন্থেটিক লাইফ বানিয়েছেন সেটা মিথ্যা নয়। আমি তার পেপারের রেফারেন্স তো দিয়েছিই। আপনি কি জানেন ক্রোমজম যেটা ব্যাক্টেরিয়ার ‘পোষক’ দেহে বসানো হয়েছিলো সেটা আটিফিশিয়ালি বানানো? এবং তারা ওয়াটার মার্কও যোগ করেছেন তাতে । সেটা কি আপনি অস্বীকার করবেন?
আপনি পেপারটা ভাল মত পড়েন – “Mycoplasma capricolum recipient cell to create new Mycoplasma mycoides cells that are controlled only by the synthetic chromosome. The only DNA in the cells is the designed synthetic DNA sequence, including “watermark” sequences and other designed gene deletions and polymorphisms, and mutations acquired during the building process. The new cells have expected phenotypic properties and are capable of continuous self-replication.and polymorphisom.
আপনি লেখা পড়ে বুঝতেই পারেননি কোন ব্যাকটেরিয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমি বলছি Mycoplasma capricolum এর কথা, যেটার ক্রোমজম আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো। আপনার কি মনে হয় ক্রোমোজম সরিয়ে ফেলার পর ব্যাকটেরিয়াটি চলে ফিরে বেড়াচ্ছিল নাকি রেপ্লিকেট করছিলো? চলে ফিরে না বেড়ালে তাকে কি জীবন্ত বলা হবে নাকি মরা? পড়ে দেখুন – Mycoplasma capricolum প্রাণ পেয়েছিলো যখন সিন্থেটিক জিনোম সেটাতে প্রবেশ করানো হয়, এবং সেটাতে বৈশিষ্ট প্রকাশ পেয়েছিল Mycoplasma mycoides এর এবং সেটা রেপ্লিকেট করছিল। এটা বুঝতে কি খুব বেশি অসুবিধা হবার কথা?
@অভিজিৎ,
বুঝতে পারছি , কেন আপনি এত ব্যাগ্র হয়েছেন ব্যাকটেরিয়াটিকে মৃত প্রমানের জন্য? lower forms of life এত সহজে মরেনা। নিচে এক ফরাসীর কমেন্ট দিয়েছি। পড়ুন, আশা করি আপনার অনেক ভুল ভাঙবে।
@ফারুক,
‘এত সহজে’ মরে কি মরে না সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন ছিলো প্রাণের লক্ষণ প্রকাশিত ছিলো কিনা, যেমন প্রতিলিপি করতে পারতো কিনা কিংবা মিউটেশন করতে পারত কিনা ইত্যাদি। প্রাণের লক্ষণ প্রকাশিত না থাকলে তাকে জীবিত ধরে নেবার কোন অর্থ নেই। লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়েছিলো সিন্থেটিক জিনোম তাতে প্রবেশ করানোর পরেই। এটাই ছিলো পরীক্ষার বাস্তবতা।
@অভিজিৎ, A lot of people are getting confused about this. Venter did not create a synthetic cell. He created a synthetic operating manual.
A cell is loaded with all sorts of equipment necessary for building more body parts, and eventually another duplicate cell out of ordinary chemicals in the environment. It knows how to do this by following an instruction booklet made of long strands of DNA, or in the case of very simple cells, a strand of RNA.
What Venter did was make a synthetic INSTRUCTION MANUAL. He then put this in a real, live (not synthetic) cell that had had its own instruction manual taken out. The cell then followed the new instructions to re-build its body parts, and then any reproduction from that body followed the new instructions (which were also copied) making a new cell.
That’s like taking your Morris Minor and putting in the instructions for making a Bentley. As your mechanic reads the instructions and parts manual, a Bentley appears instead of a Morris. Neither the Bentley nor the original Morris are/were synthetic. Just the manual was. And the result is a pleasant surprise.
frank ludwig grossmann
France
@ফারুক,
বড় বড় ইংরেজী কোটেশন দিলেই তো হবে না, ব্যাপারটা বুঝতে হবে কি হচ্ছে। আমি আগের মন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছি প্রক্রিয়াটা। আপনি সাইন্টিফিক আমেরিকান থেকে “Man-Made Genetic Instructions Yield Living Cells for the First Time” প্রবন্ধটা পরে নিন। ওটাতে পুরো প্রক্রিয়াটা খুব সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। This is the first self-replicating cell on the planet to have a computer for a parent বলে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এমনকি সায়েন্সের রেফারেনসেও ক্রিয়েশন অব সেল বলা হয়েছে। আপনি এখান ওখান থেকে আন অথেণ্টিক উদ্ধৃতি হাজির করলে আর কি হবে? এমনকি যে উদ্ধৃতিটি দিয়েছেন সেটাও ঠিক মত পরেননি কিংবা বুঝেননি মনে হচ্ছে। আপনি আরেকবার পড়েন। synthetic INSTRUCTION MANUAL এর যে কথাটা সেটা কম্পিউটারেই বানানো হয়ছিলো।
যা হোক, আমি তো বলেছিই তালগাছ শেষ পর্যন্ত আপনারই থাকবে, কি আর করা। আপনাদের একদল বলবেন ওটা প্রাণ নয়, আরেকদল আবার দাজ্জাল নিয়ে বৈধতা দেবেন। করুন। আমি বরং খ্যামা দেই।
@অভিজিৎ,ঠিকাছে আমার কথা বাদ দিন। আপনি যে কোন জীববিজ্ঞানীকে (যদি পরিচিত কেউ থাকে আপনার) জিজ্ঞাসা করুন। এই যে তালগাছ দিয়ে দিতে চাওয়া , এটা কিন্তু কূযুক্তি।
@ফারুক,
ভাই সায়েন্স, ন্যাচার প্রভৃতি জার্নাল গুলোতে যারা লেখেন তারা কি কবি সাহিত্যিক নাকি?
@ফারুক,
ভেন্টর তার ল্যাবে যাদের সাথে মিলে পরীক্ষাটি করেছেন তাদের অনেকেই জীববিজ্ঞানী, আর সায়েন্সের মত পত্রিকায় যারা লেখাটি প্রকাশ করেছেন সেই রিভিউয়ারদের মধ্যেও জীববিজ্ঞানী আছেন।
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ দা,
কোটেশন দেয়ার সময় তার পরিচয় দেয়াটা কি উচিৎ নয়? যে কেউ যে কোন কিছু বলতে পারে।
আমার মনে হয় কে কি বলল তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, বৈজ্ঞানিক জার্নাল গুলোতে কি লিখল তার রেফারন্সে দেয়াটা বাঞ্চনিয়।
এই বিষয়টা অনেকেই বুঝতে চায়না। অঘা মঘা কাউকে পাইলেই হইল। লাফালাফি শুরু হইয়া যায়।
বড়ই হতাশাজনক।
@মিঠুন,
একেবারে ঠিক কথা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যতক্ষণ না কারো বক্তব্য বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়, ততক্ষন পর্যন্ত সেটা ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবেই থাকে, তা সে যত বড় রথি মহারথিই হোক না কেন। সেজন্য বৈজ্ঞানিক জার্নাল এবং বৈজ্ঞানিক ম্যাগাজিন থেকে রেফারেন্স দেওয়াই সমীচীন। কারণ সেই তথ্যই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি অথেন্টিক।
@ফারুক, প্রথমত বলি বিজ্ঞানে লিভিং অরগানিজম বলতে কী বোঝায়।
যেকোন ম্যাটেরিয়ালকে লিভিং অরগানিজম বলতে হলে তার দুটি ক্ষমতা থাকতে হবে।
১. সেটার খাদ্য গ্রহন করে এনার্জি উৎপাদনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
২. সেটার বংশবিস্তারের ক্ষমতা থাকতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল এই যে DNA ছাড়া ব্যাকটেরিয়া সেল এই দুটি কাজ করতে পারেকিনা। উত্তর হোল পারেনা। তার এটা পারতে হলে আপনার ঐ ইন্সট্রাকশন ম্যানুয়েল (DNA) লাগবে। এখন যেহেতু ঐ ব্যাকটেরিয়া সেলের কোন DNA ছিলোনা তাই ঐটা মৃত। এখন ঐ বিজ্ঞানী যখন একটা কৃত্রিম DNA তৈরী করে ঐ মৃত সেলে ঢুকিয়ে সেটাকে কার্যকর করেছেন সেক্ষেত্রে বলতেই হবে তিনি আদতে কৃত্রিমভাবে প্রান সৃষ্টি করেছেন ঐ মৃত ব্যাক্টেরিয়া সেলটার মাঝে।
@শাফী মাহমুদ, তাইলে তো বলতে হয় গত শতাব্দিতে ৪৫ বছর আগে ১৯৬৭ সালে ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথম বারের মতো হৃদয় প্রতিস্থাপন করে মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন। কারন হৃদয় / হার্ট ছাড়া মানুষ বাচে না , বলা যায় মৃত। সেই হার্ট ফেলে দিয়ে মৃত মানুষটির দেহে অন্য হার্ট বা কৃত্রিম হার্ট বসিয়ে তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব ভেন্টরকে না দিয়ে ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ডকে দেয়াই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। কারন ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড তবুও কৃত্রিম হার্ট প্রতিস্থাপন করেছিলেন , কিন্তু ভেন্টর তাও করেন নি। উনি রেডিমেড ফাঙ্গাসের ডিএনএ তে কিছু রদবদল করে ব্যাক্টেরিয়ার দেহে প্রতিস্থাপন করেছেন। সুতরাং আপনার যুক্তি অনুযায়ী ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রাণ সৃষ্টির অধিক দাবীদার। 😀
@ফারুক,
আচ্ছা আমাকে বলেন যখন হার্ট প্রতিস্থাপনের সার্জারিটা করা হয় তখন কী শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন বন্ধ রাখা হয়? একটা এক্সটার্নাল পাম্প দিয়ে সার্কুলেশন ঠিকই চালু রাখা হয়। নইলে কয়েক মিনিটের মদ্ধে মৃত্যু। ঐ পাম্প চালু থাকা অবস্থায়ই আরেকটা সুস্থ হার্ট জুরে দেয়া হয়। সুতরাং এই সার্জারির সময় শরীর কখনোই মৃত না। তাই নতুন প্রান সৃষ্টির কোন প্রশ্নই এখানে নেই। খেয়াল করেন কৃত্রিম মেকানিক্যাল পাম্প দিয়ে কিন্তু দিব্বি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখাও সম্ভব। সেই পাম্প যদি হার্টের মত ওয়েল টিউনড হয় তবে কিন্তু সেই মানুষ দিব্বি খেয়েদেয়ে বেঁচে থাকবে। এমনকি ঐ মানুষেড় দ্বারা বংশবিস্তারও সম্ভব। অর্থাৎ লাইফের সকল ধর্মই তার মাঝে থাকবে বায়োলজিক্যাল হার্ট ছাড়াই।
এখন একটা ওর্গানিজমের কথা চিন্তা করুন যার DNA নাই। তার দ্বারা কী এখন আর বংশবিস্তার আর খাদ্য গ্রহন সম্ভব? যদি সম্ভব না হয় তবে সে কী জীবিত? আমি কোন বিদ্রুপাত্তক স্মাইলি ব্যবহার না করে বিনয়ের সাথেই প্রশ্নটা করলাম।
@শাফী মাহমুদ, দেখুন প্রাণের সংজ্ঞা নিয়ে জীববিজ্ঞানীরা মনে হয় এখনো একমত হতে পারেন নি। আপনার দেয়া সংজ্ঞা মেনে নিলে প্রশ্ন ওঠে – বন্ধ্যা নারী বা নপুংশক পুরুষ যার বংশবিস্তারের ক্ষমতা নেই , তাকে কী বলব? জীবিত নাকি মৃত?
তেমনি গাছের যে বীজটি লক্ষ লক্ষ বছর বরফের নিচে চাপা পড়েছিল খাদ্য ও বংশবিস্তার ছাড়া , সেটা জীবিত নাকি মৃত?
আবার দেখুন দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়ে ফেল্লে , মানুষটি মরে না বা ব্লাড সার্কুলেশন ছাড়াও কর্তিত পাটি ও কয়েক ঘন্টা মরে না। তাহলে কিভাবে আপনি দাবী করতে পারেন সাময়িক সময়ের জন্য (ব্যাক্টেরিয়ার নিজস্ব ডিএনএ ফেলে দিয়ে ফাঙ্গাসের ডিএনএ ট্রান্সপ্লান্ট করতে যে সময়টুকু ব্যায় হয়েছিল) ডিএনএ ছাড়া থাকার ফলে ব্যাক্টেরিয়াটি মরে গিয়েছিল?
হ্যা , যদি এমনটি হোত , প্রথমে তাপ বা কেমিক্যাল দিয়ে ব্যাক্টেরিয়াটাকে মেরে ফেলার পরে , ভেন্টর সাহেব ফাঙ্গাসের ডিএনএ সংস্থাপন করে ব্যাক্টেরিয়াটিকে বাচিয়ে তুলেছেন , তাহলে তার প্রাণ সৃষ্টির দাবীটিকে মেনে নিতে মনে হয় কারো আপত্তি থাকত না।
আমার হাসিটি যদিও বিদ্রুপাত্তক ছিল না , তবুও আমি দুঃখিত।
(চুপি চুপি একটা কথা বলে রাখি , ভবিষ্যতে যদি মানুষ প্রাণ সৃষ্টি করে , তাহলেও আমি অবাক হব না)
@ফারুক, দেখুন ন-পুংশক পুরুষ বা বন্ধ্যা নারী কিন্তু খাদ্য গ্রহনের শর্তটি খুব ভালোভাবেই পুরন করে। তাছাড়া তাদের ক্লোন সৃষ্টি করাটাও কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। সুতরাং ঐ দুই শর্তানুসারে তাদের বেঁচে থাকার বিষয়ে কোন প্রশ্নই অবান্তর।
যাইহোক আমিও এটা মানি যে লাইফের সঙ্গা নিয়ে জীববিজ্ঞানীরা এখনো সবাই একমত হতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ প্রানের সঙ্গায়ন এভাবেই করেন। সেক্ষেত্রে সেই বিজ্ঞানীরা ভেন্টরের কাজকে নতুন প্রান সৃষ্টি বলে দাবী করতেই পারেন।
@শাফী মাহমুদ,দাবী করতে তো আর পয়সা খরচ হয় না , সুতরাং যে কেউ যা ইচ্ছা দাবী করতেই পারে।
যেমন দেখুন ইমরান হাসান নামে একজন প্রশ্ন করেছেন – “পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার এত বৎসর পর কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করল বিজ্ঞানীরা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা মানব ও অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদ যে প্রাণ নিয়ে চলছে সেটা কে সৃষ্টি করেছে?”
আপনার বা এই পোস্টের লেখক সমর্থকদের কাছে এর কোন জবাব কি আছে?
@ফারুক,
প্রথম প্রানের উতপত্তির সমস্যা নিয়ে ইতোমদ্ধে কাজ শুরু হয়ে গেছে। কাজ অনেকদুর এগিয়েছেও।
দুইটা হাইপোথিসিস আছে প্রথম প্রানের উৎপত্তি নিয়ে।
১ প্রথম প্রান কোন মিউটিরয়েটের সাথে মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে এসেছে।
২ অ্যামাইনো এসিডের স্যুপ থেকে এর স্বতস্ফুর্ত উৎপত্তি।
দ্বিতীয় হাইপোথিসিসের একটা গানিতিক ব্যাখ্যা ইতোমদ্ধেই দাঁড়া করানো হয়েছে। আপনি নিশ্চই কেওজ থিওরির নাম শুনেছেন। আমি যতদুর জানি এই থিওরি দিয়েই ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার কাজ চলছে। আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। আমি এই থিওরিটা নিয়ে পড়াশোনা করিনি। তবে থিওরিটা সম্পর্কে জানতে আপনি বিবিসি র তৈরী এই ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন।
http://ishare.rediff.com/video/entertainment/the-secret-life-of-chaos-bbc-20-low-/3944150
আরেকটা ব্যাপার, বিজ্ঞানীরা রোগের উৎসের সন্ধান দিয়েছেন। রোগ এখন কোন শয়তানের কারসাজি না বা কেউ আপনাকে তার উপাসনা না করার শাস্তিস্বরুপ রোগাক্রান্ত করেননা। বিজ্ঞানীরা প্রজাতির উৎপত্তির বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রানীরা হটাৎ আকাশ থেকে পরেনি। এভাবেই বিজ্ঞানীরা গ্রহ-নক্ষত্রের স্বতস্ফুর্ত উতপত্তির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। আরেকটু অপেক্ষা করেন, প্রানের স্বতস্ফুর্ত উতপত্তির ব্যাখ্যাও পাওয়া যাবে, তাই আমি এখনই প্রানের উতপত্তির ক্রেডিট কোন কাল্পনিক সত্তাকে দিয়ে দেয়ার বিরোধী।
@শাফী মাহমুদ, এক ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা যদি হয় অন্ধ বিশ্বাসী , আপনি তাহলে ডবল অন্ধ বিশ্বাসী।
এই বলছেন – ” প্রানীরা হটাৎ আকাশ থেকে পরেনি।” , আবার বলছেন – ” প্রথম প্রান কোন মিউটিরয়েটের সাথে মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে এসেছে।” মেটেওরয়েট কবে পাতাল থেকে পড়া শুরু করল? আপনার যুক্তিবোধ দেখে আমি টাস্কিত। তারপরেও “প্রথম প্রান কোন মিউটিরয়েটের সাথে মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে এসেছে” এই হাইপোথেসিস অন্ধ ভাবে মেনে নিলেও , প্রথম প্রাণ কোথায় , কখন , কিভাবে সৃষ্টি হলো তার জবাব কী এতে মেলে?
ঠিক একি ভাবে ২য় হাইপোথেসিস উত্তরের বদলে আরো বহু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেমন- অ্যামাইনো এসিডের স্যুপ কোথায় , কখন , কিভাবে সৃষ্টি হলো ? এর কনসেন্ট্রেশন কত ছিল? এটা কি সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিল নাকি কোন এক জায়গায় জমা হয়েছিল? অ্যামাইনো এসিড থেকে প্রটিন কোন ডিএনএ কোড অনুসরন করে কোন রিবোসমের ভিতরে হয়েছিল? সর্বপরি এটা করে দেখানো সম্ভব কী না? এর থেকে হাট্টিমাটিমের ডিমে বিশ্বাস করা আরো সহজ।
@ফারুক,
\\এই বলছেন – ” প্রানীরা হটাৎ আকাশ থেকে পরেনি।” , আবার বলছেন – ” প্রথম প্রান কোন মিউটিরয়েটের সাথে মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে এসেছে।” //
” প্রথম প্রান কোন মিউটিরয়েটের সাথে মহাবিশ্ব থেকে পৃথিবীতে এসেছে।” এর দ্বারা আমি আস্ত কোন বহুকোষী প্রানীর কথা বুঝাইনি। আমি বোঝাতে চেয়েছি মিঊটিরয়েটের সাথে এককোষী অনুজীব আসতে পারে। “প্রানীরা হটাৎ আকাশ থেকে পরেনি।” এর দ্বারা আমি বুঝিয়েছি যে বহুকোষী কমপ্লেক্স জীব (ধরেন জেব্রা) হটাত আকাশ থেকে পরেনি, বরং তারা অন্যান্য জীব থেকে বিবর্তিত হয়েছে। আমার ভাষার দুর্বলতার কারনেই হয়তো আপনার মাঝে এই কনফিউশন তৈরী হয়েছে। আমি এজন্য দুঃখিত।
যাহোক আমি কিন্তু কখনোই বলিনি যে আমি ঐদুটো হাইপোথিসিসে এখনই বিশ্বাস করি। আমি বলেছি হাইপোথিসিসগুলো নিয়ে এখন কাজ চলছে
\\ঠিক একি ভাবে ২য় হাইপোথেসিস উত্তরের বদলে আরো বহু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যেমন- অ্যামাইনো এসিডের স্যুপ কোথায় , কখন , কিভাবে সৃষ্টি হলো ?//
আমি ভেবেছিলাম অ্যামাইনো এসিড কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে উতপন্ন হয়েছিলো তা আপনি জানেন। যাহোক এটা জানতে “মিলার-ইউরি এক্সপেরিমেন্ট” টাইপ করে ঊইকিতে সার্চ দিন।
\\অ্যামাইনো এসিড থেকে প্রটিন কোন ডিএনএ কোড অনুসরন করে কোন রিবোসমের ভিতরে হয়েছিল? সর্বপরি এটা করে দেখানো সম্ভব কী না? এর থেকে হাট্টিমাটিমের ডিমে বিশ্বাস করা আরো সহজ।//
আর অ্যামাইনো এসিড থেকে DNA বা RNA তৈরী হতে পারার সম্ভাবনা সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে আপনাকে কেওজ থিওরির ভিডিওটা দেখতে বলেছিলাম। তবে পুরো ব্যাপারটা শেষঅব্ধি তলিয়ে না দেখে আপনি জ্বীনে বিশ্বাস করেন বা হাট্টিমাটিমটিমে অথবা আরো বড়ো কোন কাল্পনিক সত্তায় বিশ্বাস করেন, যতক্ষন না আপনার বিশ্বাস অন্যের ক্ষতি না করছে ততক্ষন কোন অসুবিধা নেই। আপনার বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে বিজ্ঞান কখনো একজায়গায় বসে থাকবেনা।
আরেকটা ব্যাপার, আমি কিন্তু কখনোই বলিনি যে সব প্রশ্নের উত্তর ইতোমদ্ধেই পাওয়া গিয়েছে। আমি বলেছি যে ভবিষ্যতে সব উত্তর পাওয়া যেতে পারে। তথাপি আপনি বলেছেন আমি নাকি অন্ধবিশ্বাসী! আমি বিশ্মিত ও হতভম্ব আপনার মন্তব্য পড়ে। মাফ করবেন, কেমন জানি ব্যাক্তি আক্রমনের আভাস পাচ্ছি।
আমার এক হিন্দু মৌলবাদী বন্ধুকে খবরটা জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম। তা ফোনে খবরটা বলতে না বলতেই ওপার থেকে ভেসে এল… “এ আর নতুন কি? শোন তুই যদি একটা কেচো কাটিস…” যা: শালা…লাইনটা কেটে গেল। তার মূল্যবান বক্তব্য আর শোনা হলনা। ভাবছি রাতে আবার ফোন দিব।
forgive my commenting in english………..
when i first saw the news, i became very excited. but i couldn’t understand the concept. so i decided to rush to MUKTOMONA and post a comment on the first blog telling “someone please write anything about synthetic life. i am very eager to understand it.” but i couldn’t post it because already you guys had started writing. thanx 2 u. i expect more and detailed blogs about the topic
at first i thought is created from matter, but ur writing states that i’m wrong. i wish someone will write focusing on it…
এ ব্যপারে একটা মন্তব্য করতে চাই। ভেন্টর ক্রেগ বহু বছর ধরে অগনিত বিজ্ঞানীকে কাজে লাগিয়ে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে তার পর সিমুলেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম ডি এন এ চেইন তৈরী করে অতঃপর তা একটা ব্যক্টেরিয়ার নিউক্লিয়াসে প্রতিস্থাপন করে তাতে প্রান সঞ্চার করতে সমর্থ হয়েছেন। প্রশ্ন হলো- যেটা করতে ভেন্টর ক্রেগকে এত পরিশ্রম করতে হলো, সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করতে হলো, অত্যন্ত পরিপাটি ও উন্নত সব যন্ত্রপাতী সজ্জিত পরীক্ষাগার দরকার হলো, অগনিত বাঘা বাঘা সব বিজ্ঞানীদেরকে ব্যবহার করতে হলো, সময়ও লাগল অনেক বছর সেধরনের একটা অতি জটিল ও কঠিন পরিঘটনা প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কিভাবে সম্ভব? কিভাবে সম্ভব ডি এন এ এর মত একটা বিস্ময়কর জটিল ও অতিশয় দীর্ঘ অত্যন্ত সুষমভাবে সজ্জিত চেইন প্রকৃতিতে এমনি এমনি তৈরী হয়ে যাওয়া ? চারটে বেজ – এডেনিন, সাইটোসিন, থায়ামিন ও গুয়ানিন ( কোটি কোটি সংখ্যক) পর্যায়ক্রমে নিখুতভাবে ও সুষমভাবে সজ্জিত হয়ে এক একটা ডি এন এ চেইন তৈরী হয়। কিভাবে সেটা স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রকৃতিতে তৈরী হবে বিজ্ঞানীদেরকে কিন্তু সে প্রশ্নের উত্তর যথাযথ ভাবে দিতে হবে। এর সাথে কিন্তু বিবর্তনবাদের কোন সম্পর্ক নেই। বিবর্তনবাদ যেটা বলছে তা হলো – এককোষী জীব আদিম পৃথিবীতে সৃষ্টি হওয়ার পর তা কালের পরিক্রমায় পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ইত্যাদি হয়ে আজকের জীবজগতের পর্যায়ে পৌচেছে যা শত শত বছর ধরে পাওয়া জীবাশ্মের ফসিল দ্বারা অনেকটাই প্রমানিত। কিন্তু বিবর্তনবাদ এখনও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি সেই আদিম প্রাথমিক জীবকনাটির পত্তন কিভাবে ঘটল। এখানে আরও একটি বিষয় প্রনিধানযোগ্য। কোষের দুটি অংশ- সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস কোষের যাবতীয় গুনাবলী ও বিভাজন নিয়ন্ত্রন করে ঠিকই কিন্তু সাইটোপ্লাজম কোষের বাহ্যিক গড়ন তৈরী করে।এখন একটি কৃত্রিম সম্পুর্ন কোষ আমরা তাকেই বলব যেখানে সাইটোপ্লাজম সহ নিউক্লিয়াস সবকিছুই পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরী করে তাতে প্রান সঞ্চার করা সম্ভব হবে। ভেন্টর ক্রেগের আলোচ্য ঘটনাটি কৃত্রিম কোষ তৈরীর একটা প্রাথমিক ধাপ বলা যেতে পারে, কৃত্রিম কোষ তৈরী করতে এখনও বহুদিন সময় লাগবে বলে আমার ধারনা। আর কৃত্রিম কোষ তৈরী করা গেলেও, প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কি করে এ ধরনের একটা অতি জটিল পরিঘটনা ঘটতে পারে তার উত্তর এখনও বহু দুরে। আমাদের মূল সমস্যা সেটাই। যার জন্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি।
@ভবঘুরে,
[এর সাথে কিন্তু বিবর্তনবাদের কোন সম্পর্ক নেই]
এর সাথে জৈব বিবর্তনের (Biological Evolution) সম্পর্ক নেই ঠিকই কিন্তু এর সাথে রাসায়নিক বিবর্তনের (Chemical Evolution) সম্পর্ক আছে । কিন্তু জৈব বিবর্তনের মত রাসায়নিক বিবর্তন অতটা ভালভাবে বোঝা সম্ভব হয় নি আর জৈব বিবর্তনের জীবাশ্মের মত সেরকম সাক্ষ্য প্রমাণ ও নেই। কিন্তু রাসায়নিক বিবর্তনের তত্ব্ব যে নেই তা নয়। নানারকম ব্যাখ্যা আছে। আর প্রকৃতিতে এটা কি করে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ঘটল তার উত্তর হল সময়। প্রকৃতিতে বিবর্তন (তা রাসায়নিক ই হোক বা জৈব হোক) অনেক সময় ধরে ঘটে। ভূতাত্বিক সময় বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী। ডকিন্স তাঁর বই গুলিতে সময়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। বিশেষ করে Climbing Mount Improbable বইতে। অনেক সফটওয়্যার ও বেরিয়েছে যার দ্বারা সুদীর্ঘ সময়ের দ্বারা প্রায় অসম্ভব ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যতা দেখান যায়। অনেক বানর কে দিয়ে পিয়ানোর কী টিপিয়ে এক সময় শেক্সপীয়াররে ম্যাকবেথ রচিত হয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। আর একটা গুনক হল আদিম পৃথিবীর পরিবেশ। ঐ পরিবেশ রাসায়নিক বিবর্তনের জন্য আদর্শ ছিল। এখনকার পৃথিবীর পরিবেশ বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারের পরিবেশ তার ধারে কাছেও যেতে পারবে না। এটা একবার ঘটে যাওয়ার মতই এক ব্যাপার।
আরেকটা অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে মন্তব্য। কৃত্রিম ব্যাক্টেরিয়া সৃষ্টির দরুণ ধর্মবাদীরা বিব্রত বোধ করবে এটা ভাবা ঠিক হবে না। কারণ ধর্মবাদীরা তো বিবর্তনেই বিশ্বাস করে না। তারা ত বলে যে মানুষ সরাসরি ইশ্বর দ্বারা সৃষ্ট, আদিম প্রাণের বিবর্তনের দ্বারা নয়। কাজেই তারা বলবে মানুষ সৃষ্টি করে দেখাও তাহলেই বিজ্ঞান/বিজ্ঞানীদের মাহাত্ম্য প্রমাণিত হবে।
বিজ্ঞানের এই সাফল্যে যারপরনাই আনন্দিত আমি। বাসায় আজ পোলাও মাংস রান্না হচ্ছে। অবাক লাগছে কেউ তো জানতো না সুখবরটির কথা। তাহলে? বোধ হয় ঈশ্বরের ইচ্ছায়ই হচ্ছে সব :-/
যাই হোক আমি বের হচ্ছি ২ কেজি রসমালাই কিনতে। আপনাদের সবার দাওয়াত রইল বাসায়… 😀
@মিঠুন,
হুমম, এইটা তো আগে দেখি নাই। ভার্চুয়াল দাওয়াত দিলে হবে নাকি? আসল খাওয়া কই?
আর খাওয়ার খবরে আদিল মাহমুদের কোন রিকেশন দেখলাম না, এটাই রহস্যজনক। আলু পুরি আর ডালপুরির মাস্টার মাহমুদ সাহেব কি ডায়েটিং এ চলে গেলেন নাকি? :-/
@অভিজিৎ,
এহ হে, গেল মনে হয় খ্যাটটা ফষ্কাইয়া।
উপায় আর কি? শিশু ধর্ষন রোধেই নিদারুন ব্যাস্ত আছি। পোলাউ কোর্মার পিছে ধাওয়া করার সময় কই?
@অভিজিৎ,
হা হা হা, বুঝলেন না? দাওয়াতটা ছিল মিস্টির। ওটা বোধ হয় ওনার পছন্দ নয়।যদি ডাল পুরী আর আলু পুরীর দাওয়াত থাকত তাহলে কি আর পুরীর এজেন্ট আদিল ভাই চুপ করে থাকতে পারত? অবশ্য আমি যাই বলি না কেন উনি বোধ হয় স্বীকার করবেন না 😉
@মিঠুন,
উঁহু, মিষ্টিতে অরুচি এমন মহাপাপের কথা আদিল কোনদিন বলে না। বিদেশ বিভূইয়ে পোলাও কোর্মা ভালই খাওয়া যায়, তবে ভাল মিষ্টির জন্য হাহাকার করতেই হয়। আর বাসী পোলাঊ এর নাকি স্বাদ বাড়ে। ভাল আলুর সিংগাড়ার আশা তো ইহজীবনে ছেড়েই দিতে হয়েছে। বেহেশতে গেলেই প্রথম চটপট এইগুলার অর্ডার দিতে হবে। আমার ৭০ হুরী থেকে এইসব জাগতিক মজাদার খাদ্যদ্রব্যের প্রতিই আকর্ষন প্রবল।
দোজখে অভিজিতের নেতৃত্বে আপনাদের বেগুন পোড়া হবার দৃশ্য দেখতে দেখতে রসমালাই সিংগাড়া মন্দ লাগবে না :laugh: ।
@আদিল মাহমুদ,
এতো খুশি হবার কিছু নেই। আপ্নে যেভাবে দুই নৌকায় পা রেখে চলেন, মরার পরেও আপনের একই দশা হবে। একসাইড বেগুন পোড়া হবে আর আরেক সাইড সিঙ্গারা পোড়া।
দোজখে তো তাও আমাদের কিছু বন্ধু বান্দব থাকবে, আর আপনি দোজখ আর বেহেস্তের মাঝে কলা গাছের মত ঝুলতে থাকবেন একা। 😉
@অভিজিৎ,
এ তো বড় চিন্তার কথা হল দেখি। এই জন্যই বলে যে ভালমানুষের দুনিয়ায় ভাত নাই, বেহেশতেও যে নাই এমন সম্ভাবনা মাথায় আসে নাই :brokenheart:
@আদিল মাহমুদ,
একমাত্র ধর্মীয় লিজার্ড রাই অন্যকে (তাদের ধর্মের নয়) কষ্টে দেখে(বেগুন পোড়া হতে দেখে) আনন্দ পায়। যারা সত্যি কারের মানুষ তারা কখনই অন্যর মন্দ চিন্তা করে না, তারা ভালমন্দ মিলিয়ে ধার্মীক অধার্মীক সকলকে মানুষকে ভালবাসে। কারন সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। হয়ত বলবেন আল্লাহ/ঈশ্বর আছে এবং তিনি সবার উপরে, কিন্ত এই মূহুর্তে জন্য আপনি অমি আর সকল মানুষই সব, কারন তাকে যে বিশ্বাস করে সে তার কাছে আছে আর যে বিশ্বাস করে না তার কাছে নাই।
অনেক স্বস্থিদায়ক একটা খবর শোনালেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখককে।
“জয়তু বিজ্ঞান, জয়তু ক্রেগ ভেন্টর”
@তানভীর চৌধুরী পিয়েল,
আপনাকেও এখানে দেখে ভাল লাগলো। আপনার লেখা বোধ হয় পড়েছি অন্য কোন ব্লগে। আমাদের জন্যও লিখবেন আশা করছি।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের মস্তিষ্কে সব ক্ষমতাই ঈশ্বর আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন। শুধু এর ব্যবহার করতে পারেনি বলে এতকাল তা সম্ভব হয়নি। ঈশ্বরের আশির্বাদে এখন একটু একটু ব্যবহার করতে পারছে, এই যেমন ভেন্টর করেছেন। সবই তার লীলা ! তিনি না চাইলে কি ভেন্টর তা পারতেন ! এ হলো মহান ঈশ্বরের অপার মহিমা !
তাঁর আশির্বাদ থাকলে একদিন মানুষ ঈশ্বরের জিনোমও ডিকোড করতে পারবে, হাহ্ হা হা !
এখান থেকে সাইন্স জারনালে প্রকাশিত Genetics: Synthetic Biology Breakthrough লেখাটার পিডিএফ ভার্সানটা ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া Synthetic Genome Brings New Life to Bacterium লেখাটাও পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে।
@বন্যা আহমেদ,
ধন্যবাদ আপনাকে।
বিসমিল্লাহির রাহামানির রহিম।
আচ্ছা, কেউ কি বলবেন, এই কৃত্রিম জীবনের কি আত্মা আছে? এইগুলা কি মরার পরে দোজখে যাবে না বেহেস্তে?
জটিল সমস্যার কথা।
@কবিরা গুনা,
:hahahee:
@ব্রাইট স্মাইল্,
ha ha ha! 😀
@কবিরা গুনা,
:-/ :lotpot: :hahahee:
@কবিরা গুনা, :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@কবিরা গুনা,
আল্লাহ্ পাকের সব সৃষ্টিই ইসলামের পথ পালন করে। কৃত্রিম বলে কিছু নেই, সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি। এই সব তথাকথিত কৃত্রিম জীব গুলো আসলে মুসলমান। তাই তারা ইসলামী স্বর্গের বাসিন্দা হিসেবেই জন্মাবে। তবে যদি কাফেরদের হাতে লালনপালন হয় তবে তাদের জন্য নির্ঘাত রয়েছে ইসলামী দোযখ।
আরা আত্না? আল্লাহ্ বলেছেন পাথর, কাঁকর, নদ নদী, পাহাড় পর্বত, গাছ পালা, হাঁস মূরগী, বাঘ, শিয়াল, হাতী, ঘোড়া, বানর, শুকর—-ইত্যাদি সব কিছুর আত্মা আছে। এই সব হচ্ছে ইসলামী আত্মা।
কাজেই, কি বুঝলেন?
@আবুল কাশেম, :laugh:
আরা আত্না? আল্লাহ্ বলেছেন পাথর, কাঁকর, নদ নদী, পাহাড় পর্বত, গাছ পালা, হাঁস মূরগী, বাঘ, শিয়াল, হাতী, ঘোড়া, বানর, শুকর—-ইত্যাদি সব কিছুর আত্মা আছে। এই সব হচ্ছে ইসলামী আত্মা।
সব নয় আবার,কৃষ্ণচূড়া,রাধাচূড়া আর তুলশী হিন্দু আত্মা।তাই এইসব বৃক্ষ নরকে যাবে।
:lotpot:
@আনোয়ার রানা, ভাই একটাতো বাদ পোড়ে গেলা, আপনি তো রাম ছাগোল বলেন নাই :lotpot:
@আবুল কাশেম, এখন থেকে মুসলিম জীবদের পরীক্ষাগার বনানো হবে |অর বানাবে অন্য লোকেরা|| :lotpot:
@কবিরা গুনা,
:hahahee: :clap2: :guli: :yes:
@কবিরা গুনা,
আচ্ছা, কেউ কি বলবেন, এই কৃত্রিম জীবনের কি আত্মা আছে? এইগুলা কি মরার পরে দোজখে যাবে না বেহেস্তে?
জটিল সমস্যার কথা।
😀 :lotpot:
@কবিরা গুনা, একটু বলতে পারেন আত্মার আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা? আত্মা ছাড়াই কিন্তু modern Biology জন্ম এবং মৃত্যুকেও, সাথে চেতনা, বোধশক্তি এগুলি ব্যখ্যা করতে পারে। (I)
@কবিরা গুনা, “বিসমিল্লাহির রাহামানির রহিম”
আফনেরে একলারে পাইলাম সাচ্চা আদমি। আর যত সব উরাধুরা পুলাপাইন। আমাগু সকুলেরই এইডা দিয়া শুরু করা উছিত।
অভিজিৎ রায়দের মত নাদান নাস্তিকদের কৃত্রিম প্রাণ তৈরির খবরে উল্লসিত হওয়ায় করুণা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথই খোলা পাচ্ছি না আমি। মহান আল্লাহতালার হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও যেখানে নড়ে না, সেখানে কীভাবে গবেষণাগারে কৃত্রিম প্রাণ তৈরি হয় সেটা বোঝার মত তওফিক তিনি এই মাহাপাপিষ্ঠদেরকে দেননি। এদের শুধু অন্তরই নয়, মস্তিষ্ক পর্যন্ত সিলগালা করে দিয়েছেন তিনি।
আরে কৃত্রিম প্রাণ যে আবিষ্কার হবে সেটাতো আল্লাহ রাব্বুলামিন সেই কবেই কোরানের আয়াতের মধ্যে রূপক আকারে প্রবিষ্ট করে রেখেছেন। যে আয়াতটা দেখে ক্রেগ ভেন্টর এই আবিষ্কার করেছেন সেটা খুঁজে বের করতে দুই একদিন সময় লাগবে শুধু আমাদের। তারপরই আমরা ওটা আন্তর্জালে ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেবো ইনশাল্লাহ। ব্যাদপন্থিরা যদিওবা বেয়াদবের মত সব ব্যাদে আছে বলে কিছুদিন চিল্লাফাল্লা করবে, তবে সেগুলোতে আপনারা কান দেবেন না বলেই আশা রাখছি। মনে রাখবেন কোরানই একমাত্র ঐশী গ্রন্থ, কোরানই সকল বিজ্ঞানের একমাত্র আধার।
@ফরিদ আহমেদ,
হুমম… ধৈর্য ধরেন, দৈনিক সংগ্রাম কিংবা ইনকিলাবে আগামীকাল খবরও বেরুতে পারে যে, ভেন্টর নিয়মিত কোরান পড়তেন। ভারতের হিন্দুবাদী পত্রিকায় হয়তো গীতার নাম থাকতে পারে, কে জানে। সেগুলো থেকেই তিনি এই আবিস্কারের প্রেরণা পেয়েছেন। সবই তেনার ইচ্ছা।
@অভিজিৎ,
ধর্মীয় লিজার্ড রা সবসময় সুযোগ খোজেন কখন কোন বিজ্ঞানী কিছু কষ্ট করে আবিস্কার করবেন আর কখন তারা তাদের আবিস্কারকে তাদের ধর্মী জ্ঞান বলে চালিয়ে দিবেন, সব যখন কেতাবেই আছে তাহলে রোগে ভুগে এত মানুষ কেন কষ্ট পায়, ধর্মীয় লিজার্ড রা কেন কেতাবের সকল জ্ঞানকে মানব সেবায় প্রয়োগ করেন না, কেন তারা শুধু আবিস্কার হবার পরই ধর্মীয় সিল মারতে আসেন? এর আগে তারা কোথায় থাকেন কি করেন???
যাদের জীবন মিথ্যা দিয়ে শুরু,তারা সত্যের সন্ধান পাবে কি ভাবে?পৃথিবীর ১ম মানব কে সৃস্টি করেছে? মানুষ না আল্লাহ ?
@juwel123,
এইগুলো প্রশ্ন করার আগে বিজ্ঞান কি বলছে তা একটু জেনে আসলে হয় না? মানুষ কেন কোন প্রজাতিকেই আলাদা আলাদা ভাবে ‘সৃষ্টি’ করা হয়নি। মানুষ সহ সব প্রজাতিরই ‘উদ্ভব’ ঘটেছে বিবর্তনের পথ ধরে। এ নিয়ে হাজার হাজার পেপার আর শত শত বই আছে। দরকার শুধু পড়ে নেবার।
আর, আমাদের জীবন না হয় মিথ্যা দিয়েই শুরু হল, আপনাদের মত সত্যের সৈনিকদের যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার কথা মত যদি ধরেও নেই প্রথম মানুষ না হয় আল্লাহ সৃষ্টি করেছিলেন, তা আল্লাহ বাবাজিকে সৃষ্টি করেছিলেন কে? তখনই তো ত্যানা প্যাচাবেন। যনি মানুষের মত জটিল প্রাণী পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য সৃষ্টি করলেন, তিনি নিজে তো মানুষের চেয়েও শত সহস্রগুণ জটিল হবেন। অথচ আল্লাহর অস্তিত্বের জন্য সৃষ্টিকর্তার কোনই প্রয়োজন নেই, তাই না?
কেমন সুন্দর ‘সত্য দিয়ে আপনার জীবন শুরু’ বলে মনে হচ্ছে না এখন?
@অভিজিৎ, ভাই আমি একজন বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র।আমি বিজ্ঞান অস্বীকার করি না ।আমি অস্বীকার করি ঐই মতবাদের উপর যা ধর্মের সাথে মিল নেই । ভাই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা কত সাল থেকে আর ধর্মের যাত্রা কত সাল থেকে আপনি বলবেন ?বিজ্ঞানে প্রানী সৃষ্টির বির্বতন একটা মতবাদ, এটা শক্তিশালী কোন প্রমান না্ । যারা এর মতবাদ দিয়েছে তারা বলেছে আমার কাছে এটাই মনে হয় বা এটা হতে পারে । কিন্তু তারা এটা বলেন নাই যে এটাই কারেক্ট।আর ভাই আপনি আল্লাহ সম্পর্কে জানতে চাইলেন, তা আল্লাহ আজ থেকে ১৫00 বছর আগে পবিত্র কুরআনে বলেছেন এ রকম
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
(১) বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
(২) আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নয়,
(৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
(৪) এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
ভাই এ ৪ টি আয়তের ব্যাখ্যা আমি যদি সারা জীবেন ধরে আপনাকে বলি তারপরও শেষ করতে পারব না।এটাই হচ্ছে আল্লাহর পরিচয়।এমন কোন তথ্য নেই যা আপনি কোরআনে পাবেন না ।যদি পারেন কোরআনের বাংলা অনুবাদ টা পরেন ।১০০% নিশ্চিত দিয়ে বলতে পারি অনেক কিছু শিখতে পারবেন
@juwel123,
আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র না আর্টসের ছাত্র তা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই, আমার বক্তব্য আপনি কোন বিষয়ে পড়াশুনা করছেন তা নিয়ে নয়, আপনি কি বলছেন তা নিয়ে। “আমি অস্বীকার করি ঐই মতবাদের উপর যা ধর্মের সাথে মিল নেই” – বাক্যের মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইলেন তা পরিষ্কার নয়। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ধর্মের উপর মুখাপেক্ষী নয়। ধর্মে কি আছে বা নেই তা নিয়ে বিজ্ঞানের কোন মাথাব্যাথা নেই। বিজ্ঞান তার অনুসন্ধানের ব্যাপারে নির্মোহ এবং নিঃস্পৃহ। কারণ বিজ্ঞানের দায় পড়ে নি ধর্মগ্রন্থ থেকে সবক নিয়ে আলোর সন্ধান লাভ করতে, বরং ধর্মগুলোই জেনে গেছে, বিজ্ঞান ছাড়া তারা টিকে থাকতে পারবে না। কাজেই, নিত্য-নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোকে ধর্মগ্রন্থের সাথে জুরে দেবার জন্য ধর্মবাদীরা এখন মুখিয়ে থাকে। একটা সময় বাইবেল–বিরোধী সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্ব প্রকাশের জন্য কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও, ব্রুনোর উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বাইবেল- ওয়ালারা, সেই তারাই এখন বাইবেলের নানা জায়গায় সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের ‘আলামত’ পেয়ে যান। কোরআনের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার খাটে। আজ বিবর্তনের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন, আজ থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই আপনারাই আবার কোরানে বিবর্তন খুঁজে পাবেন। সেইদিন খুব দূরে নয়।
তা আপনার কি মনে হয় যত পুরনো তত ভাল? ইসলাম ধর্ম তো বয়স বিচারে সবচেয়ে নবীন। কেউ যদি বলে ইসলামের জয়যাত্রা কতদিন আর প্যাগান, হিন্দু, ইহুদী বা খ্রিষ্ট ধর্মের জয়যাত্রা কতদিন? ইসলামের চেয়ে তো প্যাগান ধর্মগুলো অনেক পুরনো। আপনি তাহলে ইসলাম ছেড়ে প্যাগানদের মূর্তি পূজা শুরু করে দিন!
যাদু টোনা,অ্যাট্রোলজি, কুসংস্কার, অপসংস্কার, পতিতাবৃত্তি থেকে শুরু করে হাজারটা জিনিস বিজ্ঞানের আগে এসেছে, তা বলে তারা বিজ্ঞানের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করতে পারে না। পারে কি? ধর্মগুলো যখন পয়দা হয়েছিল তখন মানুষের জ্ঞান এত উন্নত ছিল না। তারা নিজেদের মত করে জগৎজীবনের রহয় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে, জন্ম দিয়েছে হাজারটা ধর্মীয় রূপকথার। বিজ্ঞানের নির্মোহ অনুসন্ধানে সেই রূপকথাগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেলে তার দায় বিজ্ঞানের নয়।
আপনি যত বেশি মুখ খুলছেন তত বেশি করে আপনি আপনার অজ্ঞতা প্রকাশ করে চলেছেন। জীববিজ্ঞানে ‘ প্রাণী সৃষ্টির বির্বতন’ বলে কোন মতবাদ নেই। আপনাকে বারে বারেই বলছি কোন প্রাণীর আলাদা করে সৃষ্টি হয়নি, প্রজাতির উদ্ভব হয়েছে, এবং এর পেছনে প্রমাণ অসংখ্য। এর মধ্যে আছে, প্রাণ রাসায়নিক প্রমাণ, কোষবিদ্যা বিষয়ক প্রমাণ, শরীরবৃত্তীয় প্রমাণ, জীবাশ্ম বা ফসিলের প্রমাণ, সংযোগকারী জীবের প্রমাণ, ভৌগলিক বিস্তারের প্রমাণ, তুলনামূলক অঙ্গসংস্থানের প্রমাণ, শ্রেণীকরণ সংক্রান্ত প্রমাণ, নিষ্ক্রিয় বা বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গের প্রমাণ ইত্যাদি। এ ছাড়া তবে ১৯৫০ সালের পর থেকে বিবর্তনের সপক্ষে সবচেয়ে জোরালো এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে ‘আণবিক জীববিদ্যা’ এবং সাইটোজেনেটিক্স থেকে। আধুনিক জীববিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ববিজ্ঞান, জেনেটিক্স, জিনোমিক্স এবং আণবিক জীববিদ্যার সকল শাখাতেই বিবর্তনের পক্ষে জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে। আপনার দরকার একটু বিবর্তনের বইগুলো পড়ে এসে তারপর এখানে কথা বলা। এ বইগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে জীববিজ্ঞানের ক্লাসে পড়ানো হয় –
* ড. ম. আখতারুজ্জামান, বিবর্তনবিদ্যা, বাংলা একাডেমী (১৯৯৮)
* Mark Ridley, Evolution, Wiley-Blackwell; 3 edition, 2003
* Douglas Futuyma, Evolution, Sinauer Associates Inc.; 2nd Edition 2009
আর জনপ্রিয় ধারার বিজ্ঞানের বইয়ের মধ্যে দেখতে পারেন –
* বন্যা আহমেদ, বিবর্তনের পথ ধরে, অবসর, ২০০৭ (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত ২০০৮)
* Richard Dawkins, The Greatest Show on Earth: The Evidence for Evolution, Free Press; 2009
* Jerry A. Coyne, Why Evolution Is True, Viking Adult; 2009
আমাদের বিবর্তন আর্কাইভটাও এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
কিছু না পড়ে কথা বলতে থাকলে কেবল নিজের অজ্ঞতাই জাহির করা হবে।
এ ব্যাপারগুলো এখানে কেন প্রাসঙ্গিক বুঝলাম না। আপনি নিজেই বিবর্তন কে ‘ মতবাদ, এটা শক্তিশালী কোন প্রমাণ না’ বলে তাচ্ছিল্য করেছেন, আপনার বক্তব্য এমনকি মতবাদ হবারও অযোগ্য, প্রমাণ তো দূরের কথা। আপনি বা কেউ আপনার সৃষ্টিকর্তাকে দেখেননি। তার থাকার কোন প্রমাণও কেউ এখন পর্যন্ত দিতে পারেননি। তিনি ‘এক, কারো মুখাপেক্ষী নন, কাউকে জন্ম দেননি, তার সমতুল্য কেউ নেই’ – এগুলো আল্লাহ আপনাকে এসে কানে কানে বলে যায়নি। কেবল কোরান দিয়ে আল্লাহকে প্রমাণ করতে গেলে এইরকম চক্রাকার যুক্তিতে ঘুরপাক খাবেন –
তাই বিজ্ঞানের আলোচনায় ধর্মগ্রন্থের আয়াত উদ্ধৃত করে তানা না পেঁচানোই কাম্য হবে।
@অভিজিৎ, ভাই, আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। আপনার কোন ধর্মে বিশ্বাস নেই সেটা বুঝলাম কিন্তু অন্যের প্রতি সম্মান দিয়ে কথা বলার মানসিকতাও আপনার হয়ে ওঠেনি তাও বুঝেলাম। আর সেটা থাকা কী উচিত নয়! ভাই, এবার ভুল বললাম না তো!
@পথ,
এখানে অসম্মানের কি দেখলেন?
আর আপনিও তো আমাকে ‘সম্মান দিয়ে’ কথা বলছেন না। তো – আমি কি ভেউ ভেউ করে কাঁদতে লেগেছি?
@অভিজিৎ, ভেবেছিলাম আপনি বেশ সোজাই কথা বলেন। কিন্তু না সেই ঘুরেফিরে একই; একটু যাচাই করে দেখলাম। লাভ নেই ভাই। একটু চিন্তা করে দেখুন তো আপনি অন্যের প্রতি বা কোন সিদ্ধান্তে কততুকু সহনশীল?ধন্যবাদ…
@পথ,
ঠিকি বলেছেন, কোন লাভ নেই।
আমি ঠিক ততটুকুই সহনশীল, যতটা সহনশীলতা আম্পনি আমার প্রতি দেখাচ্ছেন। এর বাড়তি কিছু আমিও আশা করি না, আপনারও সেটার দরকার নাই।
@juwel123,
ভাইজান, যেই কাজটা সারা জীবনেও করে শেষ করতে পারবেন না সেইটা করার বা অন্ধের মত আঁকড়ে ধরে থাকা কি খুব বুদ্ধিমানের কাজ? 😕
আপনি মনে হয় না এইখানে এসে আমাকে জবাব দিবেন কারন মুক্তমনাতে আসার পরথেকেই আপনার কোন মন্তব্য এর আগে আমার চোখে পড়েনি। তবু আপনার পোষ্ট করা সুরা এখলাসের এই আয়াতগুলা মনে হয় না বিশেষ ব্যাখ্যার দরকার আছে। নিজের ঢোল সবাই পিটাতে পারে, আল্লাহই বা এর ব্যতিক্রম হবেন কেন?
কিন্তু এই ঢোলের বাড়িতে মুমিন মুসলমান ভাই বোনদের ছাড়াও যে অন্যদের নাচতে হবে, না হলে যে ঢোলের মান সম্মান থাকবে না!!!
@ফরিদ আহমেদ,
খুবই সত্যি কথা। দেখুন আল্লাহ্ পাক কি লিখেছেন কোরআন শরীফে:
২৭:৮২ যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবএ, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ কারণে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞানী ড: শমশের আলী সহ প্রচুর ইসলামী বিজ্ঞানী মনে করেন যে এই জীব অথবা জন্তু হচ্ছে কম্পিউটার।
১৩:৪ এবং যমিনে বিভিন্ন শষ্যক্ষেত্র রয়েছে—একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙ্গুরের বাগান আছে আর শষ্য ও খর্জ্জুর রয়েছে—একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলোকে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে।
১৬:৬৬ তোমাদের জন্যে চতূষ্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তুসমূহের মধ্য থেকে গোবর ও রক্ত নিঃসৃত দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্যে উপাদেয়।
১৬:৬৭ এবং খেজুর বৃক্ষ ও আংগুর ফল থেকে তোমরা মধ্য ও উত্তম খাদ্য তৈরী করে থাক, এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
২০:৫৪ তোমরা আহার কর এবং তোমাদের চতূস্পদ জন্তু চরাও। নিশ্চয় এতে বিবেকবানদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
২৩:২১ এবং তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তুসমূহের মধ্যে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। আমি তোমাদেরকে তাদের উদরস্থিত বস্তু থেকে পান করাই এবং তোমাদের জন্যে তাদের মধ্যে প্রচুর উপকারিতা আছে। তোমরা তাদের কতককে ভক্ষণ কর।
উল্লিখিত ইসলামী বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে ঐ সব নিদর্শনের অর্থ হচ্ছে ডি.এন.এ
আসলে ঐ সব কাফের বিজ্ঞানীরা কিছুই আবিষ্কার করে নাই। যা করেছে তা কোরআন শরীফে বহু আগেই লিখা হয়েছে। কাফেররা কোরআন পড়েই তার কপি-পেস্ট করে দিয়েছে।
@আবুল কাশেম, “২৭:৮২ যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবএ, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ কারণে যে, মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না।” এখানে আমি টা কে ? উনি কি সরাসরি না ভায়া হয়ে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করবে তার একটু বরননা দিতেন জদি দয়া করে !!!!!
@আবুল কাশেম ভাই, আপনার academic status এর কথা না জেনেই জিজ্ঞাসা করি, আপনি কি বিজ্ঞাণের কিছু আদৌ জানেন? যে উদাহরণ গুলোর কথা আপনি বললেন তার মাত্র একটির সাথে DNA এর সম্পর্ক আছে(১৩:৪ঃ……আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই) যেহেতু inheritance DNA দ্বারাই বাহিত হয়। বাকিগুলোর ব্যাপারে DNA এর role কি যে এই নিদর্শন DNA হবে? DNA স্রেফ একটা অণুমাত্র, যেমন পানির অণু H2O. এ সাধারন এক কেমিক্যাল যে বৈশিষ্টের কারণে এত গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে এর দ্বি-স্বর্পিল(double helix) গঠন, যা কিনা সম্ভব হয় এর দুটি চেইনের মধ্যে secondary bonding এর মাধ্যম, আপনি কি বলতে পারেন ভাই কোরআনের কোথায় exactly এগুলো সম্পর্কে লেখা আছে?
@অনীক সামীউর রহমান,
স্যাটায়ারটি বোঝা যাচ্ছে আপনার মাথার ওপর দিয়েই গেছে। 😀
ইসলামের বড়ো বড়ো পণ্ডিতরা কুরানের বিষদ ব্যক্ষা জানেন বা কারতে পারেন, তাদের দ্বারা কেন কোন কিছু আবিস্কার হচ্চেনা? শুধু মাত্র আবিস্কারের পরে কেন তারা কুরান চষে বেড়ান? এই ভাবে এক জনের কৃ্তিত্ত আন্যকে দেয়া কি ভণ্ডামি নয়? বিজ্ঞানের সবই যদি করানে থাকে তাহলেত ভবিষ্যতে সকল নোবেল পুরস্কার মরনোত্তর হযরত মহাম্মদকেই দিতে হবে।
@ওমর ফারুক, দেয়া হয় না কারণ মুহাম্মদ স. কোরআন লিখেননি।এটা আল্লাহর কথা।আর আপনারা যা নিয়ে লাফালাফি করছেন তা একটা মতবাদ,প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়। আর তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে অনেক বছর।যখন আপনাদের মত মুন্ডুহীনদের তৈরী করা হবে।
@ওমর ফারুক, ভাই আপনার নাম ওমর ফারুক না হয়ে ‘আমি ফাঁকা’ নাম হওয়া উচিত ছিল ।কারন আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান আছে বটে,কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে ফাকা ।আর সেটা আপনার মন্তব্য দেখে বুজা যায়
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার লেখাকে আস্তিকেরা এতদিনে হয়ত প্রেরণা হিসেবে নিয়ে ফেলসে। আর ফতোয়া লেখা শুরু করে দিসে।
কয়দিন বাদে বলবে- এই কথা আগে থেকে আল্লাহ’র বাণী কোরানে ছিল।
LOLZ…. :hahahee:
@পাপিয়া চৌধুরী, আপু মানুষের অজান্তে অনেক সময় সত্য বেরিয়ে আসে, কোরআনে কি আছে সেটা সেই জানে ,যে কোরআন পড়ে। যে পড়ে না সে কিবাবে জানবে? আপনি কোরআনের বাংলা অনুবাদ টা পড়ুন পৃথিবীর সকল কিছুর জবাব পাবেন ইনশাল্লাহ
@ফরিদ আহমেদ,
সিলগালা করে দিলে যদি নতুন নতুন আবিষ্কার করা যায় যা মানুষের উপকারে আসে, তাহলে ত যত মানুষ সিলগালা হয় ততই ভাল।
আল্লাহর উপর বাটপারি করেন মিয়াঁ ?? ১০৪ খানার কথা তো সবাই জানে! আল্লাহ নিজেও(!) ৪ খানার কথা তো কোরআনেই লিখেছেন।
কুরানের ঐ সকল আয়াতের মাধ্যমে ফরিদ আহমদ এর মত লোকদের মস্তিষ্ক পর্যন্ত সিলগালা করে দিয়েছেন । তারা বিজ্ঞান মানেনা,যুক্তি মানেনা,এদের মাথায় কোন কিছুই ঢোকেনা। বিশাস করে হাজার বছরের পুরানো রুপ কথায়। তাই তারা বিজ্ঞানের সুবিধা ভোগ করে বিজ্ঞানীকে গালি গালাজ করে।
@ওমর ফারুক,
হা হা হা। ভাইয়াতো দেখি মিরাজ রহমানের নাস্তিক সংস্করণ। :hahahee:
@ফরিদ আহমেদ, বাইবেলেও পাওয়া যেতে পারে! :lotpot:
@ফরিদ আহমেদ, 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
“আরে কৃত্রিম প্রাণ যে আবিষ্কার হবে সেটাতো আল্লাহ রাব্বুলামিন সেই কবেই কোরানের আয়াতের মধ্যে রূপক আকারে প্রবিষ্ট করে রেখেছেন। যে আয়াতটা দেখে ক্রেগ ভেন্টর এই আবিষ্কার করেছেন সেটা খুঁজে বের করতে দুই একদিন সময় লাগবে শুধু আমাদের। ”
?????
মহা সহমত। এবার দেখি কি নতুন যুক্তি(!) অবতারণ হয়।আরবি ডিকশনারি নিয়ে লোকজন অল্ রেডি বইসা গেছে। শীঘ্রি আসিতেছে… ইন চ্যাপ্টার নম্বর অমুক ভার্স নম্বর তমুক…
ক্রেগ ভেন্টর কে অভিনন্দন আর অভিদাকে খবরটা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। আমিও পোস্ট লিখমু ভাবতেছিলাম, বাঁচায়ে দিলেন। 😀
@পথিক,
তোমারে বাঁচাইতে চাচ্ছে কে? লেখা ছাড়ো তাড়াতাড়ি! গ্যালারিতে বইসা মামদোবাজি আর কত করবা! 😀
@অভিজিৎ,
আপনেরা যদি গুতাগুতিই না করেন তাইলে আমরা নতুন কিছু পামু কেমনে…. পথিক ভাইরে গুতা মারেন লেখা দিতে কন…
আপনার সুন্দর লেখার জন্য অভিনন্দন (F)
@পথিক,
:hahahee:
@পথিক,
:lotpot:
@পথিক, :lotpot: