আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ডয়চে ভেলের সম্মানজনক দ্য ববস জুরি পুরস্কার পেয়েছে মুক্তমনা। এই পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে যে তারা গত কয়েক বছর ধরেই মুক্তমনা ব্লগের দিকে নজর রাখছিল। ডয়চে ভেলে লেখক এবং ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করেছে এবং তার হত্যকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়েছে। বাকস্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার প্রসারে মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের দীর্ঘদিনের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এপ্রিলে ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় মুক্তমনা ব্লগকে মনোয়ন দেওয়া হয়৷ শনিবার দ্য ববস-এর বিচারকরা বার্লিনে এক বৈঠকে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্ধারণ করেন৷ প্রতিযোগিতার অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‘সামাজিক পরিবর্তন’ বিভাগে দীর্ঘ আলোচনা এবং ভোটাভুটির পর মুক্তমনা ব্লগকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়৷ আগামী জুন মাসে জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে এক অনুষ্ঠানের মুক্তমনা ব্লগার এবং অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে এই পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷
ডয়চে ভেলের পুরস্কার ঘোষণা সংক্রান্ত সরকারী বক্তব্যটি পাবেন এখানে।
ডয়েচভেলের অত্যন্ত সম্মানজনক অনলাইন এক্টিভিজম এওয়ার্ড ‘দ্য ববস’ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। যাঁরা মুক্তমনাকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনিত করেছেন তাঁদের সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো। একটি ধর্মনিরেপক্ষ, অসাম্প্রদায়িক এবং বিজ্ঞানমুখী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য, একটি উদার, প্রগতিশীল এবং বিজ্ঞানমনষ্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য মুক্তমনা অনলাইনে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে গত চৌদ্দ বছর ধরে। এই পুরস্কার আমাদের সেই অক্লান্ত পরিশ্রমেরই স্বীকৃতি।
মাত্র দুই মাস আগে এই ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা জনপ্রিয় বিজ্ঞানলেখক এবং যুক্তিবাদী অভিজিৎ রায় মৌলবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে ঢাকার রাজপথে নিহত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা, যিনি নিজেও একজন অনলাইন একটিভিস্ট, যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানলেখক এবং মুক্তমনার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন সেই একই হামলায়। এই পুরষ্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে আমাদেরকে দৃপ্ত পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেবে, উৎসাহ যোগাবে।
মুক্তমনার পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে মনে করি যে এই পুরস্কার প্রাপ্তির কৃতিত্ব শুধুমাত্র অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদেরই নয়, মুক্তমনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল নেপথ্য কর্মী, লেখক, পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও। আপনাদের সকলের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া মুক্তমনা এই পর্যায়ে আসতে পারতো না। আমরা মুক্তমনার পক্ষ থেকে সবাইকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মুক্ত-মনার লেখক, পাঠক, প্রশাসকবৃন্দ, কারিগরী সহায়তা দল সবাইকে অভিনন্দন। অভিজিৎ রায়ের স্বপ্ন পূরণ হোক মুক্তমনার মাধ্যমে, সেই কামনা করি।
মুক্ত-মনার লেখক, পাঠক, প্রশাসকবৃন্দ, কারিগরী সহায়তা দল সবাইকে অভিনন্দন ! অভিনন্দন ! এবং অভিনন্দন ! অভিজিৎ রায়ের আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাবার অনুপ্রেরণা হয়ে থাক এ পুরস্কার। এমন আরও স্বীকৃতি বয়ে আনুক মুক্ত-মনা। এ সব স্বীকৃতি শুধু পুরস্কার ই নয়, এক একটা মাইল স্টোন হয়ে থাকবে সভ্যতার ইতিহাসে।
অভিনন্দন মুক্তমনাকে, আরো এগিয়ে যাক দূর্বার গতিতে আর ধ্বংস করুক জন্ম থেকে মাথায় সেট আপ দেওয়া ভাইরাসকে –এটাই কামনা করি!!!!
অভিনন্দন মুক্তমনা । মুক্তমনার পরিবারের সবার জন্য শুভেচ্ছো। কৃতজ্ঞতার সাখে অভিজিৎ রায়কে স্মরণ করছি।
অভিনন্দন মুক্তমনা পরিবারকে । বিশেষ করে বন্যা আপুকে । অশেষ শ্রদ্ধা অভিজিৎদার জন্য । আমাদের অনুপ্রেরণা যেনো অক্ষুণ্ন থাকে । আমাদের আরো বড় কিছু অর্জন করতে হবে । মুক্তমনা সামনে এগিয়ে যাবেই …
জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত একটি পৃথিবীর স্বপ্নে অভিজিতের হাতে মুক্তমনার যে যাত্রা বিশ্বের কাছে তার স্বীকৃতি আমাদের আশান্বিত করছে। অভিনন্দন মুক্তমনার পেছনে এতদিন নিরলস সময় ও শ্রম দান করেছেন যারা তাদেরকে। আর বন্যা আহমেদকে, এত দুর্যোগের মাঝে সাহস ও প্রত্যয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে তিনি দেখিয়েছেন সত্যকে ধারণ করে কীভাবে পথ চলতে হয়।
মুক্তমনার জয় চিরন্তন। মুক্তমনার সাহসী কাজের স্বীকৃতির ধারাবাহিকতায় আরেকটি গৌরবজনক সংযোজন এই পুরষ্কার। অভিনন্দন মুক্তমনা। আমরা যারা পাঠক- অনেক সময় মনেও রাখি না যে কিছু মানুষের কী কঠোর পরিশ্রম আর ত্যাগের ফসল এই মুক্তমনা। অভিজিৎ রায় নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলেন এই মুক্তমনার জন্য। বন্যাদি মৃত্যুর মুখ থেকে কোন রকমে ফিরে আসতে পেরেছেন। ধর্মান্ধ বিশ্বাসের ভাইরাস আক্রান্ত মৌলবাদীরা চাপাতির আঘাত যেরকম হানছে – পর্দার আড়ালেও মুক্তমনাকে আক্রমণ করে যাচ্ছে অবিরাম। মুক্তমনার সাহসী পদক্ষেপ অনলাইনে অবিরাম চালু রাখার জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে চলেছেন যাঁরা তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন। অভিনন্দন মুক্তমনার পাঠক লেখক প্রশাসক শুভানুধ্যায়ী সবাইকে। জয়ের আনন্দ আজ আমাদের সবারই।
অভিনন্দন মুক্তমনা, জয় হোক মানুষের ও মানবতার।
জয় হোক যুক্তি, মুক্তি, মানুষ আর ভালবাসার।
মুক্তমনায় আরিফের যাত্রা শুভ হোক। এখানে নিয়মিত কার্টুন পোস্ট চাই। বিনীত অনুরোধ রইলো।
ধন্যবাদ ভাই বিপ্লব রহমান, আমি চেষ্টা করব আমার সাধ্য মত।
মুক্তমনা ব্লগ জয় করলো দ্য বব্স-এর জুরি অ্যাওয়ার্ড।
মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা ডঃ অভিজিৎ রায় বেঁচে থাকলে মুক্তমনার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ে কতটা খুশী হতেন বা আদৌ খুশী হতেন কিনা, তা আমি জানি না। কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই জানি আমাদের দেশের এবং সমস্ত বিশ্বের মানুষগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতাকে জনপ্রিয় করে ধর্মান্ধতা আর কুসংস্কারকে নিমূর্ল করাই মুক্তমনা ব্লগ এবং ডঃ অভিজিৎ রায়ের আসল সংগ্রাম ছিল এবং থাকবে। এই সংগ্রামে মুক্তমনা ব্লগ এবং মুক্তমনা ব্লগারদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করা বা তাদের পাশে দাঁড়ানো এক বিরাট সাহসের ব্যাপার। ডয়েচে ভেলে অনেক দেরীতে হলেও সে সৎ সাহস দেখাতে পেরেছে। তবুও দুঃখ থেকে যায়, অভিজিৎ রায় বেঁচে থাকতে তারা সাহসী পদক্ষেপটি নেয়নি, যদিও তার সুযোগ ছিল।
প্রিয় মুক্তমনা ব্লগ এবং বন্যা আহমেদকে অভিনন্দন দ্য বব্স এর জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করার জন্য। বিশ্বব্যাপী ধর্মান্ধতা আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান মনস্কতার আর মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হোক
প্রিয় অভিজিৎ দা,
আজ আপনি থাকলে নিশ্চয়ই অনেক খুশী হতেন।
অবশেষে মুক্তমনা জিতে নিল ববস অ্যাওয়ার্ড।
অভিনন্দন মুক্তমনাকে, মুক্তমনার ব্লগারদের, মুক্তমনার টেকনিক্যাল টিমকে এবং প্রিয় বন্যাপুকে।
আজকে অভিদা বেঁচে থাকলে হাতির মতো একটা পোস্ট লিখতেন নিশ্চিত। তিনি আলো জ্বালিয়ে অন্ধকার শেষ করতে চেয়েছিলেন, কারণ অন্ধকারে লাঠিপেটা করে তো আর লাভ নেই। অন্ধকারের পতঙ্গরা আমাদের আক্রমণ করবে নিশ্চিত কিন্তু বন্যাপা যেমন বলেছেন- এরা তো যুগে যুগেই ছিলো। আলোকযাত্রা তো ওরা কখনই নিঃশেষ করে দিতে পারে নি। পারবেও না। ওরা আমাদের চাপাতি নিয়ে আক্রমন করবে, আমাদের কাছ থেকে অভিদাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে- কিন্তু আমাদের চেতনা, আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের সংগ্রামকে তো ওরা চাপাতি দিয়ে কোপাতে পারবে না। মানুষের শরীর নিয়ে আমরা আজ আছি, কাল নেই। কিন্তু মানবতার কথা, শান্তির কথা, যুক্তির কথা, বিজ্ঞানের কথা, অসাম্প্রদায়িক সমাজের কথাগুলো ঠিকই থাকবে। অভিজিৎ দাও তেমনি থাকবেন যতোদিন মুক্তমনা থাকবে, যতোদিন বাংলার মানুষের মনে বাজবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার গান।
‘দ্য ববস’ এর জুরি পুরষ্কারের জন্য অভিজিৎ রায়ের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তমনাকে মনোনীত করায় ডয়েচে ভেলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের মানুষ একদিন ধর্মান্ধতা ভুলে যুক্তিবোধকে সামাজিক চর্চা হিসেবে গ্রহণ করবে, সেইদিনের অপেক্ষায় আছি আমরা। আমাদের আরো অনেকটা দূর যেতে হবে। মুক্তমনার একজন হিসেবে গর্ববোধ করছি মুক্তমনার এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে।
মুক্তমনা ভালবাসেন যারা তাদের সবাইকে অভিনন্দন।
ডয়েচভেলের স্বীকৃতি সম্মানের। অনলাইন এক্টিভিজম এওয়ার্ড ‘দ্য ববস’যেন এক টুকরো বিশুদ্ধ নির্মল আকাশ হয়ে এসেছে মুক্তমনার সকল পৃষ্ঠপোষকদের কাছে। অভিজিৎ হয়তো তার খুশি দেখাতে খুব সহজ ভাষায় চমৎকার একটা লেখা উপহার দিয়ে ফেলতো অনেক আগেই। হৈচৈ আর মজাদার মন্তব্যে ভরে উঠতো ব্লগটা। অভি বন্যা এবং মুক্তমনার কাছের দূরের সবাই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে বাঙলায় লেখা এই ব্লগটাকে প্রগতির উজ্জ্বলতা নিয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে। খুব কঠিন ছিল কাজটি, এবং, এখনো মোটেও কম কঠিন নয়। আগে খুব কম মানুষের কাছে পৌঁছানো যেত ইন্টারনেটের সুবিধা কম থাকায়, এখন যায় অনেকের কাছে ইন্টারনেটের সুবিধা বেশি থাকায়। এটা ভালো। তবে এটাও তো সত্যি যে যারা প্রগতিশীল নয়, যারা মৌলবাদী তারাও এই সুবিধা নিয়ে প্রমোট করছে বদ্ধ মনের স্থবির প্রগতিবিরুদ্ধ ভাবনা। কাজেই, ইন্টারনেট সুবিধা বেশি থাকলেও কাজ মোটেও কমেনি। আমাদের যুদ্ধটা কম কষ্টের হবে যদি নতুনরা এগিয়ে আসে বা ওদের আমরা উদ্বুদ্ধ করে রাখতে পারি।
নতুন মা বাবা’রা, তোমাদের শিশুদের বড় হতে দাও মুক্ত মনে, রূপকথা শুনিও না ওদের। তোমাদের সব ভাবনাই চাপিয়ে দিওনা ওদের ওপর খামোখাই, অল্প কিছু না’হয় থাক আজকের শিশু একটু বড় হওয়া পর্যন্ত।
সবাই খুব ভালো থাকুন।
মুক্তমনার সাথে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন। ভাল লাগল খবরটা শুনে। অভিজিৎ দার শূন্যতা কখনই পূরণ হবার নয়।
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ
পরিস্কার করে।
এই পুরষ্কার মুক্তমনার পাঠক-লেখক-শুভানুধ্যায়ীদের জন্য এক বিরল সম্মানের প্রতীক। মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু আমরা হারি নি, অভিজিৎ হারে নি, বন্যা হারে নি, ড অজয় রায় হারেন নি। এই পুরষ্কার তারই প্রমাণ। মুক্তমনা এখন একটাআন্দোলনের নাম, এটি এখন আর শুধু একটা ব্লগ নয়।
অভিজিৎ সমাজের প্রতি একধরনের দায়িত্ববোধ থেকে মুক্তমনাকে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। মানুষ ও মানুষের সমাজের ওপরে ছিল তার অবিচল আস্থা। ‘মুক্তি আসুক যুক্তির পথে’ – অভিজিতের প্রিয় একটা কথা। শুধু কথার কথা নয়, অভিজিতের সব লেখার পেছনে এটিই ছিল লক্ষ্য। অভিজিৎ চাইতো মানুষ মুক্ত হোক, নিজের মনকে ধর্মাচ্ছন্নতা থেকে মুক্তি দিয়ে, অযৌক্তিক মন-মানসিকতা থেকে মুক্ত হয়ে, বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে, মুক্তমনা হয়ে। আর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতো এই মুক্তি যুক্তির পথ ছাড়া অন্য কোন পথে আসতে পারে না।
আমরা শোকাচ্ছন্ন। কিন্তু এও জানি অভিজিতের আত্মত্যাগ বৃথা যায় নি। ডয়চে ভেলের দ্য ববস জুরি পুরষ্কার তারই ইঙ্গিত।
বন্যা এবং ড অজয় রায়কে অভিনন্দন এই পুরষ্কারের জন্য। মুক্তমনার এডমিন, মডারেশন টিম, এবং নেপথ্যের কারিগরি টিমকেও অভিনন্দন।
এই পুরস্কারপ্রাপ্তি মুক্তমনার জন্য যেমন আনন্দ ও গৌরবের, একইভাবে শোক এবং আক্ষেপেরও। যার অবদানের জন্য এই প্রাপ্তি, তাকেই অকালে চলে যেতে হয়েছে মৌলবাদীদের নৃশংস আক্রমণের শিকার। আমরা যারা মুক্তমনাকে ভালবাসি, তাদের জন্য দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। যে স্বপ্ন নিয়ে অভি মুক্তমনার যাত্রা শুরু করেছিলো, দীর্ঘ বৈরি পথ প্রায় একাই পাড়ি দিয়েছিলো, সেই স্বপ্নযাত্রাকে এর গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে আমাদেরকেই। তা সে যতই শ্বাপদসংকুল যাত্রা হোক না কেনো।
আনন্দ লাগছে এই প্রাপ্তিতে। অভিজিৎ নেই ভাবলেই ভীষণ কষ্ট হয়। তবুও তার আদর্শ স্বপ্ন অনুপ্রেরণা ও মুক্তমনা আছে আমাদের সঙ্গে। অপরাজিত কলম আমাদের চলবেই।
ধন্যবাদ ডয়েচে ভেলে।
খবরটা প্রথম দেখেছিলাম গতকাল বিডিনিউজ২৪এ । শিরোনাম ছিল দ্য ববস পুরস্কার জিতলেন মুক্তমনার বন্যা কিন্তু কোন ডিটেইলস ছিলনা । দুটো সংবাদই কিছুটা কনফিউজিং ছিল । যাক আমরা খুশী আমরা আনন্দিত আমরা গর্বিত । দুঃখটা রইলো, অভিজিৎ দা দেখে যেতে পারলেন না ।
এই পুরষ্কারটা দেখলে অভির চেয়ে বেশী খুশী হয়তো কেউ আর হতনা। মুক্তমনার ছোট বড় সব প্রাপ্তিতেই আনন্দে ভেসে যেত সে। ধন্যবাদ ডয়েচে ভেলেকে লেখালিখি এবং মুক্তমনা্র প্রতি অভিজিতের সেই প্রগাঢ় ভালোবাসাকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য। ডয়েচে ভেলের প্রেস রিলিজটা একটু বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু ওনারা নিশ্চিত করেছেন যে, এই পুরষ্কারটা মুক্তমনা ব্লগ সাইটকেই দেওয়া হয়েছে মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিতের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। ওনারা মনে করেন যে, বাকস্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার প্রসারে মুক্তমনা যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এটি অভিজিত এবং অন্যান্য ব্লগারদের হত্যার বিচা্রে এবং মুক্তচিন্তার উপর বাংলদেশে আজকে যে আঘাত হানা হচ্ছে তার প্রতিকারে সহযোগীতা করবে। যে কোর টিমটি গত দুইমাস ধরে রাতদিন কাজ করে মুক্তমনাকে সজীব রেখেছেন এবং অভিজিতের আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে কাজ করেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা না থাকলে আমার এই শারীরিক এবং মানসিক অবস্থায় মুক্তমনার জন্য কাজ করা আদৌ সম্ভব হতনা। ওনাদের অনুপ্রেরণা এবং প্রচেষ্টাতেই আজ মুক্তমনা এগিয়ে চলেছে। মুক্তমনার অসংখ্য শুভানুধায়ীদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ সময়ে আমাদের সাহস দেওয়ার জন্য এবং পাশে থাকার জন্য।
বন্যা দি, আপনার সাহসী ভূমিকাও আমাদের জন্য অনেক প্রেরণা দায়ক। এই সময়ে অভি দাকে আমরা সকলেই খুব তীব্র ভাবে অনুভব করছি। যদিও চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়।
কলম চলবে।
আপনার ইস্পাত কঠিন মনোবল এবং কর্মোদ্দীপনা সকল মুক্তমনাদের পাথেয়।
জয়তু বন্যা ।
কলম যুদ্ধের দ্বারা আমাদের জংধরা ভোতা মাথা চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে যাক…………
অভিজিৎ দা মারা যাওয়ার পরই আমি মুক্তমনায় অবিরত লিখে যাওয়ার শপথ নিয়ে ফেলেছিলাম। সেই আজীবন লিখে যাওয়ার উৎসাহটা ছিল মূলত কষ্টপ্রসূত, কিন্তু এই পুরস্কারের কথা শোনার পর তাতে একটু আনন্দও যোগ হলো।
আপনার এ শপথ মুক্তমনা কে আরো অনেক বেশী ঋদ্ধ ও বিকেশিত করবে।
অভি নাই আর মুক্তমনা সাইট যখনই খুলি অভির চেহারাটা যখন থিমে ভেসে উঠে আমার পরানটা ছ্যাঁত করে উঠে।বিষন্ন হই,জর্জরিত হই।বুক ফেটে আত্নচিৎকার করি।কোনভাবেই মানতে পারি না সে এই ধরা তে নাই।আর কোনদিন মানতেও পারব না এমন নিষ্ঠুর,ভয়ংকর অপঘাত মৃত্যু। সভ্যতার সবচাইতে নীচু হিংস্র,পশুর থেকে কোটি গুন অধম হায়েনাদের কোনকালে কখনো ক্ষমা নাই ,ক্ষমা হতে পারে না।
হায়েনাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ অনবরত এবং অনাদিকাল চলবে। সভ্যতা তাই বলে।
আজ অভি একটি চেতনার নাম,একটি অসাম্প্রদায়িক স্যেকুলার যুদ্ধের নাম যে যুদ্ধে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।অভি বাংলার রেনেসান্সের একটি সোনালী উজ্জ্বল নক্ষত্র যার আলো ” আলো হাতে আধারের যাত্রী ” হিসাবে মিট মিট করে বাংলার রেনেসান্সকে সামনে নিয়ে যাবে।
অভি জয়তু আর ডয়েসে ভেলের এই পুরস্কার অভি নামের চেতনার বিজয়মালা।এই বিজয়মালা সকল অসাম্প্রদায়িক ও মক্তমনাদের।এই আলো সকলের মনে মনে ও ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক এ আশাই থাকল।
কলম যুদ্ধের দ্বারা আমাদের জংধরা ভোতা মাথা চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে যাক…………
মুক্তমনার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন! মুক্তমনাতেই বাংলা ব্লগের সাথে পরিচিতি; অন্য কোন ব্লগে যাওয়া হয় না তেমন। আশাকরি মুক্তমনাকে অভিজিৎ রায় যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন এটি সেভাবেই গড়ে উঠবে। পাঠক হিসাবে গর্ব-বোধ করছি।
এর আগে জাহানারা ইমাম পুরষ্কার পেয়েছে মুক্তমনা, এবারের এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা আমাদের সত্যি আরো যত্নবান হতে এবং যুক্তির যুদ্ধকে এগিয়ে নিতে উৎসাহ যোগাবে।
অভিজিৎ’কেই আমরা এই প্রাপ্তি উৎসর্গ করতে পারি, যে আমাদের এক হতে পথ দেখিয়েছে।
মুক্তমনার লেখার মান বিবেচনায় রেখে যদি এই পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তাহলে সত্যি গর্ব করার মত একটা খবর। আর যদি হত্যাজনিত কারনে সান্ত্বনা পুরস্কার হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় ।
সান্ত্বনা মনে করার কোনো কারণ দেখছি না। আপনার কি মনে হয় না ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মুক্তমনার যা অর্জন তা সত্যিই এমন একটি পুরস্কারের দাবী রাখে? আমার তাতে সন্দেহ নেই। অভিজিৎ দা জীবিত থাকলেও আজ হোক কাল হোক এমন কোনো পুরস্কার মুক্তমনা পেতোই। অভিজিৎ দা যে প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন অনেকের অংশগ্রহণে তা বেশকিছু দিক দিয়ে ব্লগজগতে একেবারে অনন্য হয়ে উঠেছে; বিশেষ করে বিস্তৃত বিজ্ঞান প্রবন্ধ এবং ধর্ম ও কুসংস্কারের সমালোচনার ক্ষেত্রে তো মুক্তমনা অদ্বিতীয়। আশাকরি এটা মুক্তমনার সব লেখক-পাঠককে আরো উৎসাহিত করবে।
সান্ত্বনা পুরস্কার ভাবার কারণ? অনেক আগেই এ পুরস্কার মুক্তমনার প্রাপ্য ছিল। বক্তব্যটি ভালো লাগলো না।
মুক্তমনার জয় হোক!
কিন্তু আপনার মন্তব্য আমার পছন্দ হয়েছে।
খুন জখমের আগে আসিফ মহিউদ্দিন বা মালালা কি কোন পুরস্কার পেয়েছে?
এই উপমহাদেশের মানুষ পুরষ্কারের জন্য বিবেচিত হয় মরণোত্তর বা জখমোত্তর। মনে হয় প্রতিটি পুরস্কার রক্ত দিয়ে কেনা, মেধা দিয়ে নয়। খুন বা জখম না হলে কারো মেধা চোখে পড়ে না।
খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত টেনে ফেলছেন কী? খুন জখমের কারণেই ব্লগ সাইট ও ব্লগার আলোচিত হচ্ছে খুব জোরালোভাবে, তখনই ববস মূল্যায়ন করছে, তেমনটি সব সময় নাও হতে পারে। তাহলে তো নির্যাতীত কার্টুনিস্ট আরিফের অনেক আগেই পুরস্কার পাওয়ার কথা। অথবা নিহত রাজিব, ওয়াশিকুরের ক্ষেত্রেও একই কথা। আবার দেখুন, আদিবাসী বাংলা ব্লগ বা প্রতিবন্ধী নারী নেত্রী সাবরিনা খুন জখম না হয়েও মুল্যায়িত হয়েছে।
এরপরেও যোগ্যতার বিচারে মুক্তমনার আরো অনেক আগেই পুরস্কৃত হওয়া উচিৎ ছিল, এ কথা আগেই বলেছি। বিতর্কর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা