* সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, এটি একটি গ্রন্থ পরিচিতি, তথা বিজ্ঞাপনী নোট। “পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ” [সাংবাদিকের জবানবন্দীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অকথিত অধ্যায়]:: বিপ্লব রহমান
‘পাহাড়ের বিপন্ন জনপদ’ গ্রন্থটি লেখক লিখেছেন প্রায় দুই দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে প্রতিবেদন করার অভিজ্ঞতা নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে লড়াই করা গেরিলা নেতা সন্তু লারমার ১৯৯৪ সালে নেয়া সাক্ষাৎকার, এমএন লারমার ঐতিহাসিক চিঠি, জুম্ম জনগোষ্ঠীর বিপন্নতা, লোগাংসহ অনেকগুলো গণহত্যার বিবরণ, ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে উদ্বাস্তু মানুষজনের জীবনচিত্র, কল্পনা চাকমার অপহরণ, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসনসহ পার্বত্য জীবনের অনেকগুলো দিক উঠে এসেছে এই গ্রন্থে।
প্রতিবেদকের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কিংবা অনুসন্ধানে উঠে আসা ঘটনাবলি বিশ্বস্ততার সাথে বর্ণনা করেছেন লেখক, কিন্তু তার অবস্থান নিরপেক্ষ নয়। যে মমতা নিয়ে তিনি ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষগুলোর বিবরণ দিয়েছেন, অপরাধবোধে আক্রান্ত হয়েছেন ভিটেছাড়া শিশুদের মুখোমুখি হয়ে, তা এই গ্রন্থটিকে নিছক সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে অনন্য একটি মানবিক দলিলের মর্যাদা দিয়েছে।
কিন্তু একই সাথে তার বিবরণগুলো বস্তুনিষ্ঠ এবং গভীর অনুসন্ধানী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজ, সেখানকার মানুষদের ইতিহাস, কাপ্তাই বাঁধের ফলে পাহাড়ি জনপদের ডুবে যাওয়া এবং অসন্তোষের সূত্রপাত, ৭০ দশক থেকে আজ পর্যন্ত সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদিত শান্তিচুক্তির পূর্বাপর বিষয়াদি, পার্বত্য অরণ্য-নদীগুলোর প্রতিবেশগত বিপন্নতা, জাতিগত বিদ্বেষের চাপিয়ে দেয়া নিপীড়ন, আত্মঘাতী অন্তকলহ, মুক্তিযুদ্ধে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের বিবরণ, জুম চাষ ও জুম চাষের সংস্কৃতিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যাঁরা জানতে আগ্রহী, তাদের সকলের জন্য অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থ‘পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ’।
[প্রকাশকের বয়ান থেকে, গ্রন্থের শেষ প্রচ্ছদ]
পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ
Author: বিপ্লব রহমান Biplob Rahman
Publisher: সংহতি Samhati publications
Cover designer: সব্যসাচী হাজরা Sabyasachi Hazra
Subject: জাতিসত্তা
First edition: ফেব্রুয়ারি, ২০১৫; সংহতি
Book size: ৫.৭৫” x ৮.৭৫”
No. of Pages: ১৮৪
Price: Paperback: ২৪০.০০
ISBN: 978 984 8882 84 9
Available: Yes
ঘরে বসেই বইটি এখন পাওয়া যাচ্ছে বই কেনার অনলাইন শপ porua.com.bd তে। পাঠক, লেখকের হাত ধরে চলুন, পর্যটনের দৃষ্টিসুখের মোহের বাইরে জেনে নেই অজানা এক পাহাড়কে… [লিংক]
__
ছবি: ০১. কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্পের কারণে লেকের পানিতে ডুবে যাচ্ছে চাকমা রাজার প্রাসাদ, রাঙামাটি, ১৯৬০, সংগ্রহ লেখক এবং ০২. আলোচ্য বইয়ের প্রচ্ছদ, সব্যসাচী হাজরা।
“বিজ্ঞাপনী নোট”টি থেকে বইয়ের কথাটি মনে হল , যদিও ফোনে এ নিয়ে কথা হয়েছিল, তবে মাঝখানে মনে ছিল না। অভিজিৎ রায়ের খুনের পর ( মেলার শেষদিন ) প্রতিবাদে অংশ নিতে ও খুনের স্থানটি দেখতে মেলায় গিয়ে কিছু বই কিনলেও পরিকল্পনা মত কিনতে পারিনি। মন খারাপ ছিল। খুনের দিনই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়েছিলাম । যাহোক, কিনে নেব।
সময়টা সত্যিই অস্থির। এর পরেও তোমার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। সাথে থেকো।
বিপ্লব রহমান ,আপনার প্রতিনিয়ত ধারাবাহিক অভ্যাহত অবহেলিত,দলিত,নিষ্ট,পিষ্ট,নির্যাতিত আদিবাসীদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে কলম যুদ্ধটি বাংলাদেশের অনেকের চোখ-কান খুলে দিয়েছে।
আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকার একটি গনতান্ত্রিক অধিকার।বাঙালিদের একথা অতিদ্রুত বুঝতে হবে । পাকি দের মত বাঙালিরাও আদিবাসীদের উপর আর যেন অত্যাচার , অন্যায়,অবিচার ,শাসন – শোষন ও উচ্ছেদ না করে সে দিকে আমাদের খুব জোরালো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।বুঝতে হবে তারাও ৭১;এ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল।
কলম যুদ্ধের দ্বারা আমাদের জংধরা ভোতা মাথা চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে যাক…………
এ ক ম ত। পাহাড়ে পাকিপনা বন্ধে চাই তুমুল আন্দোলন।
Comment…ঢাকার বাইরে কোথায় পাওয়া যাবে বইটা স্যার,
আপাতত শুধু ঢাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর http://www.porua.com.bd র মাধ্যমে সারা দেশজুড়ে। আপনাকে ধন্যবাদ।
পাহাড় প্রকৃতি নিয়ে আপনার এই অফুরান ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক। প্রকৃতি বাঁচুক, মানুষ প্রকৃতি ভালোবাসুক, আপনার পরিশ্রম সফল হোক। শুভকামনা।
আগ্রহের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। চলুক
অভিনন্দন আপনাকে, অবহেলিত ও নির্যাতিত ভূমির এ আদি সন্তানদের পক্ষে কলম ধরার জন্য। আদিবাসীদের পক্ষে কলম অব্যাহত থাকুক।
অথচ কী দুর্ভাগ্য আমাদের, বাংলাদেশ সরকারের এক প্রতিনিধি দল জাতিসংঘে গিয়ে বলে এসেছেন যে, বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। পার্বত্য চট্রগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা হলো নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। অথচ যাঁরা হাজার হাজার বছর যাবৎ বসবাস করে এসেছেন নিজেদের সংস্কৃতি-কৃষ্টি-জীবনযাপন প্রনালী নিয়ে,যা দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র, তাঁরাই তো হলেন আদিবাসী। আদিবাসীদের এ সংজ্ঞা ইন্টারনেশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলও কনভেনশন-১৬৯ দ্বারা স্বীকৃত। শুধু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতই শুধু নয়, বাংলাদেশের নৃতাত্ত্বিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতেও বাংলাদেশের ভূমির এ আদি সন্তানেরা পার্বত্য চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন এবং দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের কাছেও তারা আদিবাসী হিসেবেই পরিচিত। অথচ ২০১১ সালে এসে ঘোষনা করা হলো এরা আদিবাসী নয়, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। এ চাতুরীর কারণ, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে, সে আশঙ্কা। কী নির্মমতা এ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি।
আবারও অভিনন্দন আপনাকে, বিপ্লব রহমান।
আপনি ঠিকই বলেছেন। আর তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও জাতীয় পার্টির বাঙালি অংশের ভোটে টান পড়ার সমূহ আশং্কা রয়েছে। তার তাই আদিবাসীর সঙ্গা পাল্টে দেওয়ার ক্ষেত্রে তো বটেই, এমনকি তাদের অধিকার হননে এসব দল পাহাড়ে আশ্চর্যজনকভাবে একাট্টা। চোরে চোরে মাসতুত ভাই আর কাকে বলে!
সেদিন কোথাও আলোচনা হচ্ছিল আপনার বইটির রেফারেন্স টেনে কিন্তু বলছিলো এখন নাকি বাজারে আর নেই। কপি শেষ এরকম কিছু ……………
আরে নাহ! বই তো বাজারে এলো মাত্র তিন মাস হলো। তবে প্রকাশক এর বিক্রির বহরে বেশ খুশী।… আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।
বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে – এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
অভিনন্দন বিপ্লব রহমান।
বিপ্লবী কলম চলুক।
আপনাকে ধন্যবাদ। 🙂
প্রকাশকগণ যদি বই বিশেষ করে মুক্তচিন্তার বইগুলু সেবা প্রকাশনীর ন্যায় নিউজপ্রিন্টে ছাপত তাহলে ছাত্রছাত্রীদের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকত! এক্ষেত্রে বলতে বাধ্য হচ্ছি সাধ থাকলেও সাধ্য নেই।
আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো। প্রকাশকের আগ্রহে প্রায় সাড়ে পাঁচ ফর্মার এই বইটি পেপার ব্যাকে ছাপানো হয়েছে। অবশ্য সাদা কাগজে। একটিই লক্ষ্য, এটি যেনো সুলভ মূল্যে খুব বেশী সংখ্যায় পাঠকের কাছে পৌঁছে। কারণ, দুর্মূল্যের এই বাজারে সাদা কাগজে শক্ত বোর্ডে বইটি ছাপা হলে এর দামও হতো অনেক বেশী। সেক্ষেত্রে, আমার বইটি একটি বিশেষ অঞ্চলের, আবার কয়েকটি বিশেষ জনগোষ্ঠির সমস্যা কেন্দ্রীক বলে পাঠক প্রিয়তা হারানোর ঝুকিঁ থেকে যেতো।
আর সেবার মতো নিউজ প্রিন্টে পেপার ব্যাক ছাপানোর আমি ঘোর বিরোধী। এতে দাম কমে আসলেও আমাদের দেশের আবহাওয়া জনিত কারণে নিউজ প্রিন্টের বই খুব বেশীদিন সংগ্রহে রাখা যায় না। পেপার ব্যাক তো নয়ই। তাই লক্ষ্য করবেন, প্রথম দিকে সেবা প্রকাশনী কিছু চিরায়ত গ্রন্থ অনুবাদ করলেও পরে তারা তা বাদ দিয়েছে। এখন তাদের থ্রিলার বইই ভারসা।
আপনাকে বিনীত আহবান জানাই, আপাতত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আমার ই-বুক “রিপোর্টারের ডায়েরি: পাবাড়ের পঘে পঘে” পড়ার জন্য। এটি অভি দা’র আগ্রহেই মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়। আমার এই বইটিসহ অনেক বইই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
[লিংক]
অনেক ধন্যবাদ।
ভেবে খারাপ লাগছে মুক্তমনায় আদিবাসী সমস্যা নিয়ে লিখতে সব সময় উৎসাহিত করতেন যিনি, তিনি হয়তো এই বইমেলার শুরুতেই প্রকাশিত বইটি দেখে যেতে পারলেন না। এই বই নিয়ে ফেবুর ইনবক্সেও খুব আগ্রহর কথা জানিয়েছিলেন অভি দা। খুজলে হয়তো সেটিও পাওয়া যাবে। কিন্তু হায়! কে আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
[লিংক]