প্রাচীন বাংলাদেশে হিন্দু নামে এক সম্প্রদায় ছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল সকাল সন্ধ্যা দুই বেলা পুজা করা আর দেবতার উচ্ছিষ্ট নিরামিষ খাওয়া। কিছু দুষ্ট লোক তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই দুষ্ট লোকদের কাজ ছিল ছুতা খুজে তাদের পিটানো। যেমন নির্বাচনে হারলো দুঃখ ভুলতে হিন্দু পেটাত, নির্বাচনে জিতলো খুশিতে হিন্দু পেটাত, তাদের নেতার সাজা হলে হিন্দু পেটাত, বাজ পরে তাদের ধর্মস্থান নষ্ট হলেও হিন্দু পেটাত। হিন্দুরা ছিল খুব ভদ্র শুধু মার খেত আর খুব কষ্ট হলে ভিটে মাটি ছেড়ে বিদেশ পালাত। কোন উত্সবে তাদের লোকের অভাব হত না কিন্তু কেউ মার খেলে অন্য জন কখনও এগিয়ে আসত না। এমনকি তাদের সুবিধাভোগী অংশ কিছু বলত না পাছে ‘সাম্প্রদায়িক’ তকমা গায়ে লেগে যায় এই ভয়ে। যখন তাদের পাশের বাড়িতে হামলা হত তখন তারা না পেরে স্ট্যটাস দিত তাও সব দিক রক্ষা করে লিখত ‘খ্রিস্টান হিন্দু মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি’। তারপরও তারা অনেকদিন বেচে ছিল শুধু সমাজের বাকি লোকগুলোর জন্য। সমাজের বেশির ভাগ লোক ছিল অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। তারা আপ্রান চেষ্টা করেও তাদের শেষ পর্যন্ত বাচাতে পারে নি। কারন তারা জন্মাতে শিখেছিল, বাচতে শিখে নি।
(২১১৩ সালের ইতিহাস বইয়ের কিছু অংশ।)
-শুভদ্বীপ চন্দ (ফেসবুক থেকে)
বাংলাদেশে একটি সম্প্রদায় রয়েছে। ১৯৭১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৩.৫০ ভাগ, ১৯৮১ সালে ১২.১৩ ভাগ, ১৯৯১ সালে ১১.৬২ ভাগ, ২০০১ সালে প্রায় সাড়ে ৯ ভাগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের ৩০ বছরে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪ ভাগ কমেছে । প্রিয় পাঠক আপনারা সবাই বুঝছেন আমি কোন সম্প্রদায়ের কথা বলছি। হ্যাঁ আমি বলছি বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের কথা।
বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানী হিন্দুদের বলা হয় সবথেকে শান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। তারা শত নির্যাতনের মুখেও আস্ফালন করে না। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা রাখাইনদের হাতে নির্যাতিত হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। লেবানিশ খ্রিস্টানরা তো গৃহযুদ্ধই বাঁধিয়ে দিয়েছিল লেবানিশ মুসলমানদের সাথে। ভারতের মুসলিম জঙ্গিদলগুলো প্রায়ই বোমা হামলা চালায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দুদের বেরই করে দিয়েছে ইসলামিক জঙ্গিদলগুলো। এমন কি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানী হিন্দুরা নির্যাতিত হয় এবং নিঃশব্দে দেশ ত্যাগ করে। এটা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায়ের পর দেশের বিভিন্ন জায়গাতে হিন্দুদের উপর জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সবার স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনে ১৯৮৯-১৯৯২ এবং ২০০১ এর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চিত্র।
এক দাদা আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “ মর , সবকয়টা মর , তোদের পেছনে জাপানের মত দেশ নেই যে ধংস হওয়া মন্দির-বাড়িঘর নতুন করে তুলে দেবে সরকার, বিরোধী দল দিনে দশবার বিবৃতি দেবে, তোদের পেছনে আমেরিকা-ব্রিটেন নেই যে তোদের মারার আগে কেউ দুবার ভাববে, তবুও তোরা ভাবিস তোরা পার পেয়ে যাবি ! মালাউন কা বাচ্চা, কাভি না আচ্ছা ”
সাইদীর রায় থেকে এখন পর্যন্ত হিন্দুদের উপর নির্যাতনের খতিয়ান পেশ করব (জানি না ভবিষ্যতে আরও হামলা হবে কিনা)ঃ
নোয়াখালীঃ
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর অনেকে জানান, সকাল থেকেই বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মহড়া দিতে শুরু করেন। সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর বেলা দুইটার দিকে তাঁরা একযোগে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারের পাশে বাইন্নাবাড়ির সামনের কালীমন্দিরসহ দুটি মন্দির ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাইন্নাবাড়ি ও নাপিতবাড়িসহ আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালান ও ভাঙচুর করেন।
হামলাকারীরা কাপড়, টাকা, ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার লুট করেন। বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দুই জায়গাতে (আলাদীনগর ও টঙ্গীরপাড়া গ্রামে) মোট ৬টি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করা হয়। মন্দিরগুলো হচ্ছে_ রাজগঞ্জ বাজারের কালী মন্দির, বাজারের পশ্চিম পাশের কালীতলার নবনির্মিত কালী মন্দির, বণিক্যবাড়ির সেবা ঠাকুর আশ্রম মন্দির, বণিক্য বাড়ির মনসা মন্দির, কুরি বাড়ির নিজস্ব মন্দির, কালীর হাটের কালী মন্দির।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘরে খাবার নেই, গোসল করে পরনের কাপড়টি যে বদলাবেন সেটিও নেই। আলাদীনগর গ্রামের ঠাকুর বাড়ি, মালি বাড়ি, শীল বাড়ি, বণিক বাড়ি, কুরি বাড়ি, শান্তি বাবুর বাড়ি, বাইন্না বাড়ি ও নাপিত বাড়ি এবং টুঙ্গীরপাড়া গ্রামের গঙ্গা প্রসাদ ভূঁইয়া বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এসব বাড়ির প্রায় ৫০টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন বাড়িগুলোর বাসিন্দারা। যার মধ্যে ২৫টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই গ্রামের মালি বাড়ির সুনীল চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চলে তাঁদের বাড়িতে। বাড়ির ১৫টি পরিবারের ১৩টি বসতঘরে লুটপাট শেষে আগুন দেয় হামলাকারীরা। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে প্রতিটি পরিবারের দুপুরে রান্না করা ভাত-তরকারি, ঘরের কাপড়-চোপড়সহ সবকিছু। পরনের কাপড়টি ছাড়া বাড়ির কারও কিছুই নেই। আগুন দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়ির সামনের মন্দিরেও।
বণিক বাড়ির শান্তি রঞ্জন বণিক বলেন, বিকেল চারটার দিকে ৫০-৬০ জনের একদল লোক, যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৭-২০ বছর হবে; অতর্কিতে এসে প্রথমেই বাড়ির সামনের হরি সেবাশ্রম মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পাশের একটি বসতঘরে আগুন দেয়। পরে বাড়ির ভেতরে গিয়ে আরও একটি ঘরে আগুন দেয় এবং ছয়-সাতটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
কুরি বাড়ির রূপচাঁদ চন্দ্র বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে ২৫-৩০ জনের একদল লোক এসে প্রথমেই তাঁর ঘরের বেড়ায় কোপাতে থাকে। তিনি ভয়ে দরজা বন্ধ করে ভেতরেই ছিলেন। হঠাৎ দেখেন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগুনে তাঁর ঘর ছাড়াও আরও দুটি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় প্রতিটি ঘরে।
শুক্রবার সকাল ৯টা। জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার ১৬ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হচ্ছিল আগুনের ধোঁয়া। এরই মধ্যে পুড়ে যাওয়া কিছু চাল কুড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আগুনে সর্বস্বান্ত মিনতি রানী মালাকার (৫২)। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় যখন তার ঘরে আগুন দেওয়া হয়, তখন শুধু পরনের কাপড় নিয়েই দৌড়ে পাশের মুসলমান বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে কিছুই নিতে পারেননি। তাই সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগর গ্রামের মালীবাড়ির চিত্র এটি।
গ্রামের বাসিন্দা অজিত কুমার বণিক (৬১), মুক্তিযোদ্ধা সামছল হকসহ উপস্থিত লোকজন জানান, ৭১ সালেও এই গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেনি। পাশের বাড়ির মুসলমানরা এসে বাড়ি ও মন্দিরের আগুন নেভান বলে জানান তারা।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আহছানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও প্রায় দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নুরুল হকের নেতৃত্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারপ্রতি ৫০ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি আলু বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ পরিবারের মাঝে খাবারের জন্য চাল, ডাল, আলু, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণজলদি ধোপাপাড়ায় গতকাল সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আগুন দেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ফিরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, পৌরসভার শীলপাড়ায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ছয়টি বাড়ির মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বাঁশখালী পৌরসভার শীলপাড়ার ছয়টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দয়াল হরি নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে এলাকা ত্যাগ করে জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দয়াল হরি। রাতে ফেরেন লাশ হয়ে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ছয়টি বাড়ির সবকিছু পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়াও পুড়ে গেছে লোকনাথ মন্দির, দুটি গোয়ালঘর, ২১ দিন বয়সী একটি বাছুর, ঘরের হাঁস-মুরগি, বইপত্র, আসবাব, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মাটির পাত্রে থাকা চাল।
শীলপাড়ার একেবারে পশ্চিম সীমানায় পাশাপাশি চারটি বাড়িতে বসবাস করেন চার ভাই পুলিন শীল, সুনীল শীল, দুলাল শীল ও আশীষ শীল। তাঁদের পাশে দুটি বাড়িতে বাস করেন স্বপন শীল ও সম্ভু শীল। পুলিন শীলের স্ত্রী নিপু সুশীল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সূর্য তখন ডুবু ডুবু, বাড়ির উত্তর পাশের বিলে লোকজন বিকেল থেকে জড়ো হচ্ছিল। অবস্থা দেখে আমরা সবাই ভয়ে ঘরে জড়সড় হয়ে বসে আছি। এ সময় শীলপাড়ার পশ্চিম দিকের আশকরিয়াপাড়া ও পূর্ব পাশের দুয়ারিয়াপাড়া থেকে আরও লোক এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং হামলা চালায়।’
নিপু সুশীল বলেন, ‘বাড়িগুলো পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীরা প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে। এ সময় প্রশাসন বা রাজনৈতিক দলের কেউ আমাদের উদ্ধার করতে আসেনি।’ সুনীলদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর দুর্বৃত্তরা পাশের স্বপন ও সম্ভুর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কুপিয়ে মারে দয়াল হরিকে। রাতে সবকিছু হারিয়ে গতকাল বিকেল পর্যন্ত এ ছয় পরিবারে কোনো রান্না হয়নি। পরিবারের লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালি কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরটি জামাতের কর্মীরা পুড়িয়ে দিয়েছে । বাসনখালি কোর্ট বিল্ডিং, ইউ.ন.ও. অফিস, উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদটিও পুড়িয়ে ফেলা হয় ।
কুমিল্লাঃ
গত বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ইকবাল হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের উত্তর চান্দলা বাজার এলাকায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি অটোবাইকের কাচ ভাঙচুর করেন। পরে সড়কের পাশে শিবমন্দিরের বটগাছের নিচে শীতলা দেবী নামে একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেন। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তিনি পালিয়ে যান। পরে বিকেলে পুলিশ তাঁকে উপজেলার জামতলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
কক্সবাজার:
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েক হাজার কর্মী উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। পরে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়, শিক্ষা কার্যালয়সহ সরকারি দপ্তরের বেশ কয়েকটি কার্যালয় ভাঙচুর ও সেখানে অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর আশপাশে অবস্থিত হিন্দুসম্প্রদায়ের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রাত নয়টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে নেতা-কর্মীদের জড়ো করে জামায়াত-শিবির। পরে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও মন্দিরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রাত ১০টার দিকে কুতুবদিয়া থানায় হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
জেলার কান্তজি মন্দির ভাঙার জন্য কয়েক শ লোক সংগঠিত হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া, জেলার রাজবাড়ির মন্দিরে পুলিশি প্রহরা বসেছে।
বাগেরহাট:
জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের সিংজোড় গোপালপুর সর্বজনীন পূজামন্দিরে গত বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এই ঘটনার জন্য দায়ী কোনো চক্রকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।কারা এই প্রতিমা ভাঙচুর করেছে, তা মন্দির কর্তৃপক্ষ ভয়ে জানাতে চায়নি। তবে এলাকাবাসী দাবি করেছেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন। চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, মন্দিরে ঢুকে দুর্গা প্রতিমার গলা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি সরস্বতী, গণেশ ও কালী প্রতিমা উল্টে ফেলে রেখে গেছে। তিনি বলেন, মন্দিরটি সব সময় খোলা থাকত। মন্দির কমিটির সভাপতি ক্ষিতিশ বাছাড় এ ঘটনায় অজ্ঞাতব্যক্তিদের দায়ী করে গতকাল রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি সর্বজনীন পূজামন্দির ও হিন্দুসমপ্রদায়ের দুটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ও বনগ্রাম ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া সর্বজনীন পূজামন্দির, বনগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বসুর বাড়ির গুদাম ও রান্নাঘর এবং একই ইউনিয়নের বহরবুল গ্রামের তাপস সেনের বাড়ি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল রাত ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে আগুন লাগানো হয়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বনগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বসু চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর বাড়ির দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বিএনপির কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
তবে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার মোল্লা এ ধারণা নাকচ করে বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।’
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাগুলো রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করছেন না। ঘটনাগুলো তদন্ত করে প্রকৃত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।
আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের এএসপি শহিদুল হক ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জোহর আলী।
লক্ষ্মীপুরঃ
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রায়পুর উপজেলার গাইয়ারচরে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর মন্দির ও স্বামী বিবেকানন্দ সেবাশ্রমে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওসি জানান।
এখন থেকে রাতে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থপনায় পাহারার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল কীর্তনীয়া, স্থানীয় মানিক কর্মকার, দ্বিপাল কর্মকার, কাঞ্চন কর্মকারসহ অনেকে।
বরিশালঃ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের পিংলাকাঠী সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে শনিবার ভোরে আগুন দেয়া হয় বলে পুলিশ জানায়।
মন্দির কমিটির সভাপতি নবকৃষ্ণ দত্ত অভিযোগ করেন, রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মন্দিরের অগ্নিসংযোগ করে।
আগুনে ঘরসহ দুর্গা প্রতিমা পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মন্দির কমিটির সভাপতি শনিবার সকালে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওই মন্দিরের পাশেই একটি মাদ্রাসা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা পলাতক বলে জানায় পুলিশ।
গাজীপুরঃ
গাজীপুরের কাশিমপুরেও একটি স্থানে প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার কাশিমপুর নামাবাজার এলাকায় শুক্রবার রাতে এক মণ্ডপে স্বরস্বতী প্রতিমা ভাংচুর হয় বলে জয়দেবপুর থানার চক্রবর্তী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
কাশিমপুর রাধা গোবিন্দ মন্দির কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নন্দ দুলাল দাস জানান, সম্প্রতি স্বরস্বতী পূজাশেষে প্রতিমাটি ওই মণ্ডপে রেখে দেয়া হয়। রাতে কে বা কারা প্রতিমার মাথা এবং বীণাসহ বাম হাতটি ভেঙে দেয়।
পূর্বধলা (নেত্রকোনা):
জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা গত শুক্রবার গভীর রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় একটি কালীমন্দিরে আগুন দেন। আগুনে উপজেলা সদরের মঙ্গলবাড়িয়ায় রাজপাড়া কালীমন্দিরের চালের ও কাপড়ের সিলিংয়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
মন্দির কমিটির সভাপতি অমর চন্দ্র রায় জানান, মন্দিরে একটি কেরোসিনের বোতল পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি নাশকতামূলক।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর):
রামগতি পৌরসভার চরসীতা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বসতবাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় গৃহকর্তা নীতিশ চন্দ্র দাসসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। নীতিশ চন্দ্র দাস জানান, আগুনে তাঁর ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
গতকাল সকালে ইউএনও আ স ম হাসান আল আমিন এবং রামগতি থানার ওসি মো. ইসমাইল মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল মিঞা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
কসবা উপজেলার খেওড়া বাজারে গত শুক্রবার রাতে ১১টি দোকানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন। এর মধ্যে চারটি দোকান হিন্দু ব্যবসায়ীদের ও ছয়টি আওয়ামী লীগের সমর্থিত ব্যক্তিদের।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে যান। রাত ১০টার দিকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় লোকজনসহ ব্যবসায়ীরা বাজারে ছুটে যান। পরে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
দোকানমালিক ও মেহারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফুরকান আহাম্মদ বলেন, ‘দোকানগুলোতে রাতে কেউ থাকতেন না। এটি নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক কাজ। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা এ কাজ করতে পারে।’
ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ব্যবসায়ী যাদব চন্দ্র জানান, আগুন লাগার সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। তাঁদের দোকানের পেছন থেকে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল সাইফুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গাইবান্ধাঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, বামনডাঙ্গা ও সুন্দরগঞ্জে সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যালঘুর বাড়ি ও দোকানে হামলা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রণজিৎ বকসি বলেন, বেলকা ইউনিয়নে দুটি এবং শান্তিরামে তিনটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেক সংখ্যালঘুর বাড়ি ও দোকানে হামলা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জের শান্তিরাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরজিত কুমার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিরাম মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়। এরপর আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। স্বাধীনতার এত বছর পরও যদি এভাবে আমাদের বাঁচতে হয়, সেই কষ্ট কোথায় রাখব।’
কৃতজ্ঞতাঃ
১। দৈনিক প্রথম আলো
২। দৈনিক সমকাল
৩। বিডিনিউজ২৪
এই সব ঘটনাতো ঘটবেই কারন বিৰ্ধমীদের ৰ্ধমান্তরিত করে বা মেরে ফেলে বেহেশতের টিকেট নিশ্চিত করতে হবে না . ৭২টা হুরির সাথে সঙ্গমের জন্য্ আমরা মুসলিমরা এইটুকু করতেই পাড়ি …
”চির সুখী জন ভ্রমে কি কখন. ব্যাথিত বেদন বুঝিতে কি পারে ? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কীসে. কভু আশীবিষে দংশেনি যারে ! যতদিন ভবে না হবে, না হবে. তোমার অবস্থা আমার সম ! ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে,. বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম ।”-যতীন্দ্র মোহন বাগচি।
ভাবসম্প্রসারণ- ১৯৭১ সালে যারা রাজাকারদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় নি,যাদের বাবা-ভাই দের জীবন দিতে হয় নি,যাদের মা-বোন দের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয় নি, যাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয় নি, যাদেরকে প্রান বাঁচাতে দেশ ছাড়তে হয় নি,তারা কি করে একজন শহীদের সন্তানের কষ্ট বুঝবে?তারা কি করে একজন বীরাঙ্গনার কষ্ট বুঝবে?তারা কি করে একজন বাস্তুহারা শরণার্থীর কষ্ট বুঝবে?তারা বুঝবে না,বরং এদের কষ্টের কথা শুনে দাঁত কেলিয়ে হাসবে।
মুক্তমনা মুসলমানরা হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ব্যক্তিগতভাবে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানতে মন চায় খুব।
(Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y)
হৃদয় জুড়ে ক্ষত। আমরা কবে মানুষ হব! শ্রেফ মানুষ।
@সুমন, দেরি আছে ভাই, মেলা দেরি আছে।বুঝতে পারতেছেন আশা করি? 🙁
‘টু নেশন থিওরী’র ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে আলাদা হয়ে মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান হয়েছে, । কাজেই এ অঞ্চলে/উপমহাদেশে হিন্দু বা মুসলমান কেউই সংখ্যালঘু হয়ে ভিন্নধর্মী সংখ্যাগুরুর কোন রাষ্ট্রে থাকার যৌক্তিকতা ছিল না। যারা সংখ্যালঘুত্ব বরণ করে ভিন্নধর্মী সংখ্যাগুরুর দেশে রয়েছেন তারা নির্যাতিত হবেন কারণ সংখ্যালঘু নির্যাতন অনেক পুরাতন ব্যাধি।
আবেগ দিয়ে অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতে পারবেন, কিন্তু বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।
আমার তখন বয়স অনেক কম। এক মামার বিয়ে হবে। তার বউ হিন্দু। কিন্তু তাকে মুসলমান আগের দিনই বানানো হয়েছে। যাহোক আমি ছোট বলে কেউ লক্ষ্য করেনি। মামার এক বন্ধু বলে, “শালা তুমি তো আর সেই আরাম পাবানা।”
“কোন আরাম?”
শোনো শালা তুমারে বলি, “ভীন ধর্মের মেয়েদের করার মজাই আলাদা। কিন্তু ও তো এখন মুসলমান, কাজেই আরামটা মারা গেলো তুমার। আশা করি আগে লাগায়ে নেছো বেশ।”
এই হলো আমাদের জোক করার ধরণ। আবার এটা কারো কারো দৃঢ় বিশ্বাসও হতে পারে বলে আমি মনে করি।
আবার সেই মেয়ে ছিলো কলকাতার। আমার সেই মামার মায়ের ভাষায়, “মেথরের মেয়ে। ভারতীয় মালাউন। দারূন টেটকা মারা মাল।” আমার সেই মামা-মামি কিন্তু ভালোই আছে টেক্সাস-এ। সেই নানি তাদের সাথেই থাকে আর বিশাল সুখি একজন দাদি। এখন সেই নানি সেই “দারূন টেটকা মারা মাল”-এর অনেক প্রশংসা করে।
যা বলতে চাচ্ছি তা হলো আমাদের একটা অভ্যাস আছে সবকিছুকে ভারতের সাথে গুলিয়ে ফেলার। আর সেখানে একজন হিন্দু যদি থাকে তো কথাই নেই! আমাদের সরকারকে সামাজিক সমতা আনার জন্য কাজ করতে হবে আরো অনেক বেশি। আমাদের সরকারকে আমাদের জনগণের মনে ভারত সম্পর্কে পজেটিভ ইমেজের সৃষ্টিতে সাহায্য করতে হবে, আর তার জন্য ভারতকেও প্রতিবেশি হিসেবে আরো অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। টেকস্টবুক ধারণা দিয়ে সমস্যার সমাধান হবেনা। বাস্তব ও মাঠপর্যায়ের ডাটা নিয়ে কাজে নামতে হবে। কিন্তু সরকারের ভিতরে আমি কখনও সেই আন্তরিক চেষ্টা দেখিনাই।
আমার এক প্রাইভেট মাষ্টার ছিলো হিন্দু। আমার এক চাচা সেই মাষ্টারকে প্রায়ই বলতো, “তুমি এতো ভালো একটা ছেলে। একদিন তুমি অনেক ভালো কাজ পাবা। কিন্তু তুমি স্যান্ডেল পরো কেনো?” এভাবে চলার কিছুকাল পরে একদিন চাচা ধম করে বলে, “মাষ্টার ওঠো! তোমারে আজ আমি দু’জোড়া জুতো কিনে দেবো।” কি সুন্দর-ই না এই দৃশ্য!!! আবার সেই একই চাচা তার হিন্দু বন্ধুরা বাড়িতে আসলে রান্নাঘরে দাদিরে গিয়ে বলতো, “মা ওদের ভাত দাও। গরুর গোষততে অসুবিধা নেই। এরা ভালো হিন্দু।“
কাজেই সমস্যা অনেক গভীরে। অনেক কাজের এখনো বাকি।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
সুন্দর উদাহরণ
আওয়ামিলীগ সরকারের ব্যার্থতাগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুনে ঘি ঢালছে, জামাত শিবির পরিকল্পনা করে চলে, আর আওয়ামিলীগ চলে মাথামোটাদের কথাতে। শিবির নিরন্তর বংশবিস্তার করে চলেছে, আর লীগ ? নিজেদের মধ্যে মারামারি করে নিজেকেই শেষ করেছে। গ্রামের লোক এত ধর্মান্ধ যে একবার শুধু শুনলে হয় আল্লাহ নবীরে কেউ গালি দিয়েছে, ব্যাস অমনি শুরু, যারা বছরে ছমাসেও নামাজ কালাম পড়ে না, মদ খায়, তারাও সেদিন বেহেস্তে যাবার মওকা পেয়ে যায়। এই উগ্রতাকে গুলি চালিয়ে থামানো যায় না, এটাকে থামানোর একমাত্র হাতিয়ার হল সংস্কৃতির বিকাশ যেটা আমরা পরিমাণমত করতে পারিনি, সেটা পারলে আজকে অশিক্ষিত মহিলারা কোলে বাচ্চা নিয়ে থানা ঘেরাও করতে যেত না। আমার মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়, বিবর্তনের ধারায় এমন ঘিলুবিহীন প্রাণির আবির্ভাব কী করে সম্ভব !!
@রিগ্যান,
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শহরের লোকজন উগ্র বেশি। ভাল করে খেয়াল করে দেখবেন।এরাই বেশি ক্ষতিকারক। অশিক্ষিত অনেক লোকের চেয়ে তথাকথিত শিক্ষিত কিছু লোকের ভিতর ধর্মান্ধতা বেশি থাকে!
@রিগ্যান,
এত কিছুর পরও আওয়ামী লীগ কিভাবে টিকে থাকে আমি অবাক হই ভেবে
আমরাও তো একাত্তরের পিরোজপুরের হিন্দুদের মতই এ দেশে আছি।ধর্মান্তরিত( তথাকথিত) হয়ে হলেও জন্মভূমিতে থাকতে চাই। না, ভুল বললাম । নব্য মুসলমান তো সাচ্চা মুসলমান নয়। কাজেই এখন ধর্মান্তরিত হলেও পিরোজপুরের দেলু রাজাকারের মত তার সাগরেদরা আমাদের ছাড়বে না।
‘দাগ দিয়েছে মর্মে আমার গো গভীর হৃদয়ক্ষত’ লেখাটি আমার ক্ষতকে আরও একটু ঘা করে গেল। আমার অনুজা শনিবার দিন মেয়েকে নিয়ে ভিকারুন্নেছা স্কুলে গেছে নিজের হাতের শাখা খুলে।
সংখ্যালঘুর মানচিত্র নাম দিয়ে ধারাবাহিক লিখেছিলাম মুক্ত-মনায়। অনেকে আমার সাথে একমত ছিলেন না। না, হবারই কথা। চির সুখীজন ভ্রমে কি কখন ………………..।
নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, আমি আপনার সহযাত্রী। হ্যাঁ, আপনার লেখাটির সাথে নিজের অবস্থান বাই ডিফল্ট মিলে গেছে বলে।
@গীতা দাস,
আপনার লেখাটি কোথায়? লিঙ্কটা দেয়া যাবে? ধীরে ধীরে পড়ে নিতাম তাহলে।
@অর্ফিউস,
মুক্ত-মনায় আমার নামের বিপরীতে খুঁজলেই পাবেন। চৌদ্দটি পর্ব আছে।
@গীতা দাস, আচ্ছা ধন্যবাদ।
@গীতা দাস,
দিদি, আমি ও ব্যক্তিগত ভাবে কোন দিন অন্যধর্মালম্বীদের সংখ্যা লঘু ভাবিনা। কেনোনা
আমরা তো এক দেশের ই মানুষ। এক আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা আমরা। কেনো অন্য কেউ সংখ্যা লঘু হবে?
কিন্তু, এই অসভ্য বর্বরেরা কী তান্ডব করছে ভাবতে পারিনা। এই আন্দোলনের সাথে কিসের সম্পর্ক
এইটাই অবাক হবার ব্যাপার।
লেখাটা মনের গভীরে গিয়ে যেনো ক্রন্দন হয়ে বাজতে লাগল। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। একী বর্বরতা (N)
@গীতা দাস,
জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ।
জামাত-শিবির পৌত্তলিকদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বিপুল ছওয়াব হাছিল করছে।
@তামান্না ঝুমু,
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
জামাতি বদমায়েশরা এমন করবে এটা আন্দাজ করা খুব কঠিন কিছু ছিল না। সরকার এ দিক চিন্তা করে কেন আগে থেকে প্রস্তুতি নিল না এটা খুব বিস্ময়কর।
@আদিল মাহমুদ, দেখেন ভাই, আমার ধারনা সরকার আসলে নিজেই জানত না যে জামাতিরা তলে তলে এতদুর গেছে।মাথামোটা হলে যা হয় আর কি।
@অর্ফিউস,
ব্লগের পাবলিকে জামাতিদের আন্ডার এষ্টিমেট করতে পারে, কয়টাকে ফাঁসি দিলে বা নিষিদ্ধ করে দিলেই বিষদাঁত ভেঙ্গে যাবে…… সরকার কিভাবে একই ভুল করতে পারে সেটা আমি বুঝি না।
যে তাণ্ডব এই বিএনপি জামাত গোষ্ঠি ২০০১ এর নির্বাচনের পর দেখিয়েছিল তারপরেও এই দিক কেন বিবেচনায় নেওয়া হয়নি আল্লাহই মালুম।
প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরান হযরত মাওলানা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মাঝে মধ্যেই বয়ান দিতেন “এ দেশে হিন্দুদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে”। এই বয়ান সরকার কোনদিন শোনেনি?
@আদিল মাহমুদ, দেখেন, রাজাকারদের ফাঁসী দিলে এই কালসাপগুলা খেপে উঠবে, কিন্তু এরা যে এত শক্তিশালী এইটা মনে হয় না আসলেই কেউ ধারনা করেছিল।সত্যি ভাবতে অবাক লাগে যে সরকারও কি ভুল করল নাকি ইচ্ছা করেই এই কাজ?মাথায় আমার আপাতত কিছু ঢুকছে না সত্যি বলছি।
সাইদি বাবার ফাঁসিতেই জামাতের এই রূপ, গো আজম আর নিজামী বাবাদের ফাঁসী দিলে তো মন হয় এরা ইসলামী বিপ্লবই করে ফেলবে।যাইহোক আদিল ভাই, আপনি কি জামাতকে নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে ধর্মভিত্তিক সব দলকেই নিষিদ্ধ করতে বলেন?আমি ভাবছি যে এতে কি আ’লীগ সরকার সামাল দিতে পারবে?
সেনা বাহিনী নামিয়েও তখন কি লাভ হবে?আমার একটা বড় সমস্যা হল যে মাঝে মাঝে পড়া কিছু খবরের কথা মনে পড়ে যায় কিন্তু রেফারেন্স চাইলে দিতে পারব না, কারন সেগুলো রাখার দরকার মনে হয়নি কোনদিন। এরকম একটা হল, একবার কোন পত্রিকায় নাকি ওয়েবসাইটে পড়েছিলাম যে সেনাবাহিনীর মধ্যে নাকি মুসলিম অংশকে বাধ্যতামুলক ভাবে নামাজ রোজা করানো হয়।
আমার কথা হল,এই যদি হয় সেনাবাহিনীর নিয়ম, তাহলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে এই সেনাবাহিনীই যে কায়দা করে গদী আঁকড়ে বসবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দিবে? এইদেশের সেনাবাহিনীর অতীত পারফরম্যান্স বলে দেয় যে এরা খুব উচ্চাভিলাষী।
এদের উদর হল দেবতা ইদ্রের মত স্থুল, ৩০০টা মহিষের মাংস না খেয়ে যে নাকি অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে না।
এখনই দেশের সিংহভাগ সুযোগ সুবিধা এরা ভোগ করছে,ক্ষমতায় গেলে তো এদের পুষতে গিয়ে বাঙ্গালী ফতুর হয়ে যাবে। :-s
@অর্ফিউস,
লিঙ্কটা দিয়েই দিলাম।
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/message/6907
Here are some excerpts from the book “Amaar Fashi Chai” by freedom
fighter Motiur Rahman Rentu for some alternate pages of history.
Motiur Rahman Rentu was Sheikh Hasina’s personal secretary for 16
years and was a close witness to all that happened behind the scenes
during all those years. This book was published in 1999 and was
banned by Hasina and he was targetted for assasination by Hasina.
From Page-115:
Golam Azam met with Hasina secretly at her cousin Sheikh Helal’s
Indira Road house where he promised Hasina that Jamat would
not side with Khaleda and assured Hasina of full support in bringing
down Khalesa’s BNP government. In return Hasina assured him that
she and her AL will take all necessary steps to undermine his death
sentence issued on 26th March 1992 by the people’s court (Gono adalot)
of Jahanara Imam . From then on an intimate relationship developed
between Golam Azam and Hasina.
@আফরোজা আলম,
ব্যাস এটুকুই যথেষ্ট।এটা যদি সত্যি হয় তবে তো বলাই বাহুল্য যে কেন আজ হাসিনা চুপচাপ।
@অর্ফিউস,
আপনি ভেবে দেখুন কিছু দিন আগেই বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়েছে যারা তাদের দলে সরকারি সমর্থক লোকজনেও ছিল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে রামু গিয়েছিলাম তখন এই তথ্য পাই, ওখানকার
প্রধান(ভান্তে) এর সাথে কথা বলে। ইচ্ছে আছে এই নিয়ে ছবি সহ লেখা দেব। তার আগেই আবার শুরু হল আর এক তান্ডব।
তাহলে কী করে ভাবি যে সরকার তার দায় এড়াতে পারবেন? তাদের আগেই কী সতর্ক হওয়া দরকার ছিল না? দরকার ছিল না এই নিরীহ মানুষদের কে প্রটেকশন দেয়া?
@আফরোজা আলম, আমার মনে হয় কি, এইযে আ, লীগ এর ভিতরের যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে এরা যদি সচেতন হত, অন্তত তাহলে বিএনপির হাতে কোন ইস্যু থাকতো না।আ লীগ নিজের ঘরে আগুন কিছুতেই দিবে না,যদিও মুখে মেলা কিছুই বলে। আমার মনে হয় যে রাজাকার ধরা শুধু জামাতের ভিতর সীমাবদ্ধ না রেখে যদি সব দলের ( লীগ সহ) ভিতর ঘাপটি মেরে যাকা রাজাকার গুলো কেও ধরে তবেই মানুষের আরো কাছে আসতে পারবে এরা।কিন্তু এরা কি সেটা করবে?ভাবে সেটা মনে হয় না।
এই জন্যেই কি বিএনপি মাঠে নেমেছে? নাকি শুধুই জামাতকে প্রোটেকশন দিতে? যে কারনেই হোক বিএনপির এই অবস্থান সমর্থনযোগ্য না।
হ্যাঁ ছবি দেখেছি, একজন ছাত্রলীগের নেতাকেও দেখা গেছে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে।ওইযে শর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে যা হয় আর কি। লীগের পূজারীরা কিন্তু এটাকেও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল তখন।যাহোক বৌদ্ধ লোকটির দোষ কি? দোষ হল ফেসবুক ব্যবহার করা( এই ফেস বুকে যে কি আছে কে জানে,অপরাধ না হলেও সময়ের মারাত্মক অপচয়)
।ফেসবুক ব্যবহার করলে মানুষ ট্যাগ করতেই পারে,সেটাই স্বাভবিক, কিন্তু যে জানোয়ার গুলো এটাকে তার নিজে স্ট্যাটাস বলে দাবী করে তাণ্ডব করেছে, এরা আসলে কারা?ফেসবুকে সম্ভবত মুহাম্মদের দাড়ি, বদনা, জুতা এইসবে চুমু খওয়া পার্টি।
এরা কি দেখেওনি যে এটা ওই লোকের না? এটা শুধু ট্যাগ করা হয়েছে ওই লোককে? আমার মনে হয়েছে যে পুরাটাই সাজানো, আর পুর্বপরিকল্পিত।না হলে বেচারা বৌদ্ধ সম্প্রদায় যারা কারো সাতেও নেই, পাঁচেও নেই এদের উপর এই নির্যাতন কেন?আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের যে ধর্মান্ধগুলো ঘাপটি মেরে আছে এটা হতে পারে, তাদেরই পরিকল্পিত কাজ।
অবশ্যই ছিল, কিন্তু ওইযে বললাম না যে শর্শের ভিতর ভুত। যে জেহাদে নিজের লোকজন থাকে সেইটাকে হয় ভাল কাজ বলে চালাও না হয় নিরপেক্ষ থাকো এবং ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় কর।
সেক্ষেত্রে আমাদের একটা কমন নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কিছু পেতে হলে কিছু নাও।আজ দেখা যাচ্ছে যে এই নীতি আসলে বুমেরাং হয়েই ফিরে এসেছে।
আমার মনে হয় যে এখন বাংলাদেশের মানুষের জেগে ওঠার পালা। শাহবাগে এর ঝলকানি দেখেছি কিন্তু খালেদা জিয়া নামের এই বিষাক্ত কীট যে কান্ড শুরু করেছে তাতে আমি ভাবছি যে জামাতের আর কি দোষ? আমার কোনদিন মনে হয়নি যে জামাত কিছু করতে পারে বড়ভাইদের সাহায্য ছাড়া।আর আজ জামাত তার বড়ভাই বিএনপি কে গ্রাস করে এটাকে তাদের বি টিম বানিয়ে নিয়েছে।
আর বর্তমানে সরকারও যেহেতু বিশেষ কিছু ব্যপারে আপোষ করেছে ওলামা লীগ খুলেছে আরো নানা কর্মকান্ড। সবচেয়ে যুগান্তকারী হল ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের সহাবস্থানের ভণ্ডামি।
তো এই দলের অভ্যন্তরেই এত সমস্যা সেখানে এরা দেশকে সুরক্ষা দিবে কি?
শাহবাগ তো আর আসলেই লীগ চায় নি, এটা গনজাগরন। এটা লীগ চাইলে লীগ আগে থেকেই সাবধান হতে পারত।
আর রামুর ব্যাপারটায় যেহেতু লীগের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল বলেই মনে হয়, কাজেই এরা সাবধান থাকলেই বা কি আর না থাকলেই বা কি বলেন? কিছুই যায় আসে না তাই না?
আসলে কি জানেন? আ’লীগ ২ নৌকায় পা রেখে চলতে চাইছে একে ধর্মের নৌকা সেই সাথে আবার ধর্ম নিরপেক্ষতার নৌকা।আর দুই নৌকাতে পা রেখে দাঁড়ালে কি হয় বুঝতেই পারেন।
@অর্ফিউস,
ঠিক তাই যেমন এখন বলা হচ্ছে রাজীব ছিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।
সব চাইতে আশ্চর্যের ব্যাপার কী জানেন? আপনি কোন দেশে থাকেন জানিনা। মুঠোফোনে
এখান বার্তা আসছে কেউ যেনো নবী বা মোহাম্মদ কে নিয়ে কোনো কটূক্তি না করে তার থেকে
সাবধান। ইত্যাদি। বার্তা”টা মুছে ফেলেছি। তাহয় হুবহু এখানে তুলে দিতাম।
আর কদিন আগে এক লিঙ্কে দেখলাম আমাদের প্রধান মন্ত্রী সন্ত্রাসবাদী এক হুজুরের কাছে দোয়া নিতে গিয়েছিলেন। চাইলে আমি লিঙ্ক দিতে পারি।
এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতিক দলের নেতাদের চরিত্র।
@আফরোজা আলম,
বেচারা রাজীব। দুঃখ হচ্ছে আমার যে মরার পরেও ভদ্রলোকের শান্তি নাই।ধর্মের প্রাবল্য এদেশে এতই বেশি যে একজন মৃত মানুষকে নিয়েও খেলা বন্ধ হচ্ছে না।
বাংলাদেশেই থাকি চোদ্দপুরুষ ধরে,এইসব মেসেজ আমিও পেয়েছি। এমনকি এয়ারটেল নম্বরেও।
মুছে ফেলে ভালই করেছেন, আমি অবশ্য এইসব ফালতু মেসেজ পড়েও দেখি না বিশেষ করে যেখানে Govt Info. লেখা থাকে।
লিঙ্ক দেবার দরকার নাই। আমাদের নেতানেত্রী রা এমনই। বগলে ইট আর মুখে শেখ ফরিদ টাইপ।বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষ নেত্রীর ধর্মপ্রীতি যেটা ভোটের আগে বাড়ে সেটা সত্যি চোখে লাগার মত।কপাল ভাল যে বিএনপি জামাত জোট হয়েছে। এর উলটাটা হলে বিএনপি যদি রাজাকার দের বিচার করত আর আ’লীগ সেটার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতো যেমন আজ বি এন পি নেমেছে; সেতা ন্যক্কারজনক ব্যপার হত।
@অর্ফিউস,
মাক্স ঠিক বলেছিলেন ধর্ম মানেই আফিম।
@নিঃসঙ্গ গ্রহচারী, সেতো অবশ্যই।যুগে যুগে ধর্ম কিছুটা হয়ত ভাল করেছে তবে খারাপ করেছে তারচেয়ে অনেক বেশি।আর তাছাড়া ধর্মগ্রন্থের শিক্ষাগুলোতেই ভেজাল আছে সাম্প্রদায়িকতাই এটার প্রকৃত শিক্ষা।ভারতীয় ধর্মগুলোও একই দোষে দুষ্ট হলেও, একেশ্বরবাদী আব্রাহামিক ধর্মগুলোতেই( সম্ভবত এক ঈশ্বরই সেরা তথা সবার আমিই বড়,আমার সমান কেউ নাই ,এই সস্তা মনোভাব থেকে) এই জিনিসটি বেশি লক্ষ করা যায়।বিশেষ করে অধুনা ইসলাম ধর্মে এটি খুবই প্রকট আকার ধারন করেছে।
কাঁদো বাংলাদেশ! শেষ পর্যন্ত পড়া গেলনা। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে তালিকা আর আমরা মুক্ত মনের দাবিদার যারা, তারা অহিংসার বাণী প্রচার করতে থাকব, আর আমাদের আজকের নায়কেরা কে কত বড় মুসলমান তা প্রমানে ব্যস্ত থাকবেন। কাঁদো প্রিয়তম দেশ!
@শিরীষ ফুল,
দেশ তো কেঁদেই চলেছে স্বাধীনতার পর থেকে।