দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দয়ায় পাওয়া নয়
ছাত্র অবস্থায় আপনার কবিতা পড়ে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম। সদ্য যুদ্ধ ফেরৎ কবি, আপনি ১৯৭১ এর বারুদের সৌরভ ছড়িয়ে লিখেছিলেন:
আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো বিপ্লবের সামনে
আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো ইতিহাসের সামনে
হাতে দিয়েছো স্টেনগান
আঙ্গুল ভর্তি ট্রিগার
এখন আমার আর ফেরার কোনো পথ নেই…
নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের কালে সামরিক জান্তা এরশাদের পুলিশ বাহিনী ছাত্র মিছিলে ট্রাক তুলে দিয়েছিলো। ঘটনাস্থলেই ট্রাক চাপায় মারা গিয়েছিলেন ছাত্রকর্মী সেলিম-দেলোয়ার। আমাদের ইস্কুলের দেওয়ালে আন্দোলনকারীরা বেনামে চিকা মেরেছিলো: ট্রাক চাপা দিয়েছো, আন্দোলন থামেনি, ট্যাংক চাপা দিলেও আন্দোলন থামবে না। আর আপনি লিখেছিলেন, ‘লেফটেনেন্ট জেনারেলের ট্রাক!’
কবিতার বইটি সেই সময় বইমেলায় খুব চলেছিলো। পরে সেটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে। আপনাকে জেলও খাটতে হয়। ১৯৮৬-৮৭ তে আমারদের সাংস্কৃতিক সম্মেলনে টিএসসি’র নীচতলার হলরুমটি ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। প্রয়াত লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছিলেন এর সভাপতি। তিনিই সম্মেলনের পোস্টারের মূল শ্লোগান লিখেছিলেন, এখনো মনে আছে। সেখানে লেখা ছিলো, শিল্প-সাহিত্য বিপ্লবকে দিক ভাষা, বিপ্লব শিল্প-সাহিত্যকে দেবে মুক্তি। সম্মেলনে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম আপনাকে। বক্তৃতার বদলে আপনি নিজেই হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে ছেঁড়া গলায় গান ধরেছিলেন, যুদ্ধ ফেরৎ স্বরচিত কবিতাকে সুর দিয়ে গানে বলেছিলেন,
এই নষ্ট শহরে, নাম না জানা যে কোনো মাস্তান…
বিনির্মাণকালে
পরে এইসব গান, কথামালা, আবৃত্তি অডিও ক্যাসেট বন্দীও হয়েছিলো, সেটিও আমাদের সংগ্রহে ছিলো দীর্ঘদিন। আর এই গানটিই দেখুন, কিছুদিন আগে ‘দলছুট’ সঞ্জিব চৌধুরী গেয়ে কি সুনামই কুড়িয়েছেন! নতুন করে গাওয়া গানে সবই আছে, কিন্তু আমাদের কিশোর বেলায় আপনার কণ্ঠে যে শোনা গানে যে বিপ্লব স্পৃহা খুঁজে পেয়েছিলাম, তার ঘাটতি তাতে ধরা পড়ে মারাত্নক। দ্রুত আমাদের ছাত্রত্ব ফুরাতে থাকে, আমরা বড়ো হতে থাকি নানান পাঠ-পর্যবেক্ষণে, এমনকি আপনার লেখার চিন্তনেও। সাপ্তাহিক ‘খবরের কাগজে’ সে সময় নিয়মিত আপনার কলাম পাঠ ও এ নিয়ে বিতর্ক জমিয়ে তোলা আমাদের বৈকালিক অভ্যাসে পরিনত হতে থাকে। ততদিনে আপনি বিদেশী টাকা ও পরামর্শে খুলেছেন, উন্নয়ন বিষয়ক নীরিক্ষা ও গবেষণা — উবিনীগ। ‘চিন্তা’ নামে আপনার সম্পাদিত অনিয়মত পত্রিকাটিও আমাদের আড্ডায় প্রাণ পায়। মনে আছে, দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামে কিশোরীকে পুলিশের গণধর্ষন করে মেরে ফেললে সারা দিনাজপুরে অভূতপূর্ব জনবিক্ষোভ ঘটে। সারাদেশে এর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ‘চিন্তা’ সে সময় খুব সাহসের সঙ্গেই ইয়াসমিন সংখ্যা প্রকাশ করেছিলো। জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’, ‘বিচিন্তা’ বা ‘খবরের কাগজ’ এ নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করতে সাহস পায়নি। এনজিও ঘেঁষা বলে আমাদের শ্রদ্ধা অনেকটাই টলে গেলেও আমরা তখনো আপনার মেধাবী লেখার ভক্তই ছিলাম।
মাঝে আপনি অগ্রসর লেখক আহমদ ছফার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছফাকে সেই প্রথম ও শেষবারের মতো ক্ষিপ্ত ও অশালীন ভাষায় আপনাকে পাল্টা আক্রমণ করে কলম ধরতে দেখি। আপনি নিয়মিত কলামে বলেছিলেন, এনজিওগুলো নাকি এদেশে সমাজ বিনির্মান করছে, যা রাষ্ট্র বিপ্লবকে এগিয়ে নিচ্ছে! আপনার এই নয়া তত্ত্বের বিরুদ্ধে ছফা খুব রূঢ় ভাষায় যা লিখলেন, ভদ্র করে বললে, তা দাঁড়ায় অনেকটা এরকম, গনিকার পুত্র হে, আপনি নিজে এনজিও ব্যবসা করছেন, করুন না, রাষ্ট্র বিপ্লবের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন কেনো?
এ নিয়ে সেই সময় খুব হইচই হয়। আমরা আপনার সর্ম্পকে সেই প্রথম সতর্ক বার্তা পাই। ততদিনে আমরা প্রায় সকলেই অনেকটা কলম ঘষে সাংবাদিকতার কষ্টকর পেশায় নাম লিখিয়েছি। আমাদের কেউ কেউ ছফাকে সমর্থন করে সংবাদপত্রে পাঠ প্রতিক্রয়া লিখে থাকবে, আমরা এ-ও মনে করতে পারি।
পরে আপনি মেতে ওঠেন লালন-চিন্তনে। কবি, আপনি কবিতা উৎসবে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করলেন নতুন কথা: নবীর যুগ শেষ, এখন কবির যুগ শুরু। …আমরা নড়েচড়ে বসেছি, আপনার কথা, কবিতা ও লেখনীতে আমাদের চিন্তার যাচাই-বাছাই বেড়েছে, মুগ্ধতা আর নয়, তার মেয়াদ ফুরিয়েছিলো রাষ্ট্র বিপ্লবের সঙ্গা নির্ধারণের কালেই । এমনকি আপনার নয়া কৃষি আন্দোলন নামক জৈব কৃষি ব্যবস্থার ‘প্রবর্তন’ বা লালন সাঁই কেন্দ্রীক ‘নব প্রাণ’ আমাদের মনে দাগ কাটেনি। তখনও আমরা আপনাকে ঢেঁড়া চিহ্নের নীচেই রেখেছি, একেবারে বাতিল করিনি।
ব্রুটাস! তুমিও?
সবশেষ ২০০৫ সালের দিকে লাদেন-তালেবান উত্থানের কালে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ঘেঁসে মোল্লার বড় বড় সমাবেশ করতে থাকে। সরকারি আস্কারায় প্রকাশ্যে ম্লোগান ওঠে: আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান! পাঁচ টাকায় লাদেনের একে-৪৭ সহ নূরানী চেহারার পোস্টার বিকায় বিস্তর। আপনি প্রেসক্লবের সেমিনারে সে সময় বয়ান করে বলেছিলেন, তালেবানরা সকলেই নাকি মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে আপনারা যে কারণে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিলেন, তালেবানরা নাকি একই কারণে মুক্তিযুদ্ধ করছে। …
এ নিয়ে নানান মহলে আপনাকে তুলোধুনো করা হতে থাকে। আমরা তালাশ করে জানতে পাই, বিএনপি-জামাতী ঘুনপোকা বাসা বেঁধেছে আপনার করোটিতে। তারাই আপনাকে তখন চালিত করছে, তারাই আপনার মগজ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, ইসলামী বিপ্লবের মুখপত্র ইনকিলাবে কলাম লেখাচ্ছে। তালেবান সমর্থিত সভা-সেমিনারে কবিবর, আপনার ডাক পড়ছে নিয়মিত।… ইসলামী ব্যাংকের টাকায় করা দৈনিক ‘নয়া দিগন্তে’ কলামিস্ট হিসেবে আপনার কদর বাড়ে।
আমরা তরুণ সাংবাদিকরা গোপন দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে তালেবানী তত্ত্বের ফেরিওয়ালা কবি, আপনার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করি, ১৯৭১ এর রক্তের দায় থেকেই। আমরা জেদ করে বসি, আপনাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, মাফ চাইতে হবে।…ডান, বাম, মধ্যপন্থী তাবৎ বাঘা সাংবাদিকরা আমাদের সমর্থন জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর দেয়। …আমরা মনস্চক্ষে দেখতে পাই, ‘৭১ এর স্টেনগান নয়, লাদেনের একে-৪৭ তাক করে আপনি কুৎসিত দেঁতো হাসি হাসছেন। বেগুনি রঙের শয়তানি আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে আপনার চশমার কাঁচ ভেদ করে।…
না হে সাবেক কবি, ভুল মুক্তিযোদ্ধা, আপনি বক্তব্য ফিরিয়ে নেননি, মাফও চাননি। পাল্টা বিবৃতি দিয়ে পুরো ঘটনাই আপনি অস্বীকার করলেন। ধোঁয়াশা তৈরি করে দাবি করলেন, সংবাদপত্র নাকি আপনার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করেছে। আদৌ আপনি ওই সেমিনারে তেমন কোনো বক্তব্যই দেননি!
ইনকিলাব-নয়া দিগন্তের কলাম চাপা পড়তে থাকে আমাদের সকলের সম্মিলিত ঘৃণার স্তম্ভের নীচে। কবিরাজ (অব.) রাইসু এক্সপ্রেসের ভক্তিবাদের সুতোয় বিডিনিউজের মতামত বিভাগে আপনি পুচ্ছ নেড়ে আবার প্রগতির ভেক ধরেন। দৈনিক আমার দেশ নামক নিউজপ্রিন্ট ও অক্ষরের অপচয় সরকার বন্ধ করতে চাইলে আপনি মতামত জানান এভাবে, এটি সরকারের ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ, বাক স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ — ইত্যাদি। আমাদের অনেকের কাছেও সে সময় এটিকে আওয়ামী বাড়িবাড়ি বলে মনে হয়। তবে আমরা এই তালেবানী দৈনিক ও আপনার ভাষ্য আদৌ আমলে নেই না; একে একরকম উপেক্ষাই করি। …
তোমারে বধিবে যে…
গণদাবিতে শাহবাগের মোহনায় গণজাগরণ-গণবিস্ফোরণে নতুন করে লেখা হতে থাকে অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। আমরা প্রজন্ম ‘৭১ ব্লগার, ছাত্র, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনতা এক-দুজন করে জড়ো হতে হতে জনসমূদ্রে পরিনত হই। আমাদের আহার, ঘুম, বিশ্রামের সময় থাকে না…বউ-বাচ্চা, বন্ধু-বান্ধব, বৃদ্ধ বাবা-মা’সহ আমরা সদলবলে জড়ো হতে থাকি। তখন ও এখনকার মুক্তিযোদ্ধারা ওঙ্কার দিয়ে বলে: বিচার চাই! বিচার চাই!
সারাদেশে, জেলায়, জেলায়, উপজেলায়, থানা শহরে, এবার বাংলায়, ওপার বাংলায়, পাহাড় ও সমতলে, দিকে দিকে, দশদিগন্তে জ্বলে ওঠে সব প্রাণ, ৪২ বছরের ঋণের শোধ চাই! সব হিস্যার অবসান চাই! লাল-সবুজ বাংলায় হায়নার পদচারণা আর নয়! …
শোন মৌলবাদের নাতি
তুমি যে ধর্মেরই হও,
আমি নিরপেক্ষতাবাদী
তুমি আমার বন্ধু নও।[কবির সুমন]
ইতিহাসের অনিবার্য মিমাংসারকালে বাংলাদেশ যখন এই গুঢ় প্রশ্নের মুখোমুখি, দেশ মৌলবাদের লেজে মধ্যযুগে ফিরে যাবে, না প্রগতির পথে মুক্তির আলোয় হাঁটবে, তখন শেষ মরণ কামড় বসায় জামাত-শিবির। গলা কেটে ব্লগার খুন. জাতীয় মসজিদে হামলা, সাংবাদিকদের পিটিয়ে নাস্তানাবুদ, শহীদ মিনারে আগুন, পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, তাণ্ডবের পর তাণ্ডব। …
সবশেষ যুদ্ধাপরাধী বাঁচাতে জামাতি হরতালে সহিংসতায় পুলিশসহ নিহত হন প্রায় ৪০ জন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একে “১৯৭১ এর গণহত্যার সামিল” বলে আমাদের “গণহত্যা”র সঙ্গা শিক্ষা দেন। আমরা মেকাপ বিহীন ম্যাডামের সংবাদ সম্মেলনে যেনো বিএনপি’র জামাতে অবলুপ্তির ঘোষণাই শুনি। ম্যাডাম জিয়ার বয়ানে যেনো সেদিন গোলাম আজমই ১৯৭১ এর বর্বোরচিত “গণহত্যা”কে উপহাস করে দম্ভের সঙ্গে বলেন, “একাত্তরে আমরা ভুল করিনি!”
আর আমাদের আলোচ্য ফসিলাইজড কবি, এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধেরকালে আপনিও কি না খোলস ছেড়ে, মুখোশ নামিয়ে, ওই ট্রাশ দৈনিকেই কলাম লিখলেন একই সুরে, দাঁড়ালেন গণজাগরণের বিপক্ষে:
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে পুলিশ যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, তাকে ‘নির্বিচার গণহত্যা’ ছাড়া মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের দিক থেকে আর কিছুই বলা যায় না। বিক্ষোভ ও মিছিল দেখলেই গুলি করার নির্দেশ পালন করছে পুলিশ। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ‘হত্যার উত্সব’ চলছে। কাদের মোল্লার রায়ে কেন তাকে ফাঁসি দেয়া হলো না, এ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারির ছয় তারিখ থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। দাবি করছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নয়; যেভাবেই হোক ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসির রায় ছাড়া শাহবাগ ঘরে ফিরবে না। আদালতের ওপর এ অন্যায় চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটা ঘটছে প্রকাশ্যে। পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ক্ষমতার চাপ।
বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
রাজনীতিকের ধমনী শিরায়
সুবিধাবাদের পাপ।
বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
বুদ্ধিজীবীর রক্তে স্নায়ুতে সচেতন অপরাধ…
[রুদ্র মুহম্মাদ শহীদুল্লাহ]
এর চেয়ে অধিক বাক্যে আপনাকে ধীক্কার দিতে আর রুচি হয় না, হে আমাদের বালক বেলার স্বপ্নের কবি, ছিঃ!!
চমৎকার লেখা। অনেক ধন্যবাদ। (F)
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। চলুক। (Y)
<অাপনাকে লালসালাম
এমন বলিষ্ঠ সত্য নিষ্ঠ লেখা মুখোস খুলে দেয়ার জন্য এ মূহুতের্ ভীষন জরুরী। অাপনার এ ভূমিকার জন্য লালসালাম। এমন অনেক ভ্যাসাল (লাউলতাসাপ) বুদ্ধিজীবী দেখি – এদের সাদা েলবাস খুেল িদেত হেব। অাপিনই পারেবন। এ প্রজন্ম েবশী েমধাবী খঁুেজ েনেব সব সত্য ইিতহাস (!) সুতরাং িলখেত হেব অাপনােদরেকই। দীঘর্জীবী েহান।
জয়বাংলা
@জনেশ লোটন রায়,
আগামীতেও সঙ্গে থাকবেন, অনুরোধ রইলো। (Y)
সত্যি কথা বলতে সাহস লাগে আর আপনার সে সাহস যে আছে এর প্রমাণ আরেকবার দিলেন। ব্যক্তিটি ঢাকা ক্লাবে লুঙ্গি পরে ঢূকতে গিয়ে একবার নাটক সৃষ্টি করেছিল। আরেকবার বাংলাদেশে equitus ( কানাডার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান) এর Alumniদের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালায় উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিল। এ ঘটনাটি অবশ্য জনসমক্ষে আসেনি। কয়েকজন তার চেয়েও আরেক ডিগ্রী উপরে ওঠে অধিবেশন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল।
বিপ্লব রহমান, ব্যক্তিটির সাথে আরও কয়েকজন আছে যারা মুক্তিযুদ্ধও করেছিল। মনে হয় এখন হয়ত মনে করে যুদ্ধ করাটা ভুল ছিল। টিভিতে দুয়েকদিন তাদের একসাথে দেখেছি। তাদের নিয়েও লিখুন।
@গীতা দি,
ঠিকই বলেছেন। এদের সবারই মুখ ও মুখোশটি চিনিয়ে দেওয়া খুব জরুরি।
ভালো থাকবেন।
বাহ!!
এই দুশ্চরিত্র লোকটি আমার সময়ে পড়ন্ত। স্কুলবেলায় “চিন্তা” ভালবাসতাম। বাম ঘেঁষা চলা ফেরার সুবাদে কারো কারো মুখে কুশ্রাব্য ভাষায় ওনার গুষ্ঠী উদ্ধার করতে শুনেছি। তখন “চিন্তা”র কিছু সংখ্যা আমাকে এতই মোহিত করেছিল যে বুঝতে পারতাম না যে মানুষটি হাইব্রিড বীজের বিপক্ষে কথা বলে, নারীর হাত থেকে কৃষি ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের কথা বলে, কীটনাশক প্রয়োগে চড়ুই পাখিদের মৃত্যুতে শোকাভিভুত হয় গোটা একটি “চিন্তা” সংখ্যা, তিনি কি করে ……..! অশেষ কৃতজ্ঞতা লেখক। আমার খুব প্রয়োজন ছিল আপনার এই লেখাটি।
@নিবেদিতা,
চিন্তার এই আগ্রসণটিই ফ.ম. গত চার দশক ধরে খুব চতুরতার সঙ্গে করছেন। এদের চেয়ে কেউটে সাপও বোধহয় অনেক কম বিষাধর।
আগামীতেও সঙ্গে থাকার অনুরোধ। (Y)
এই বেজন্মাটিকে নিয়ে এতো বড় লেখা লিখে নিজের সময় নষ্ট করলেন কেন? অনেক আগেই সে বাতিলের খাতায় চলে গেছে। এই বাতিল মালের পিছনে এখন আর কেউ ঘোরে না। তার আয়-রোজগারেও মনে হয় হাত পড়েছে তাই দিগন্ত টিভিতে তাকে ঘন ঘন হাজিরা দিতে হয়।
এরচেয়ে চোখকান খোলা রাখুন। অচিরেই বরবাদ মগবাজারের মতো আরো নতুন নতুন লুঙ্গি পার্টির দেখা পাবেন। জামায়াতের ভাতাখোরদের ওপর এখন প্রকাশ্যে অবস্থান নেবার জন্য চাপ আসবে।
@ষষ্ঠ পাণ্ডব,
পাণ্ডব দা, ফেবুর সুতো ধরে মুক্তমনায় আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। ফ.ম.কে নিয়ে এই নোট লেখার কারণটি ব্যক্তিগত, বালক বেলার বিগত শ্রদ্ধাবোধ, তা নোটেই বলা হয়েছে। একে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়াও বলতে পারেন। আপনার সব কথার সঙ্গে একমত।
বিনীত পাঠ ও প্রতিক্রয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক।
ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ এবং জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের নগ্ন মিথ্যাচারে বারবার ক্ষত বিক্ষত হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাl মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত করতে হলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং যেসব জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী দরজার আড়ালে থেকে কলকাঠি নাড়ছে তাদের মুখোশ খুলে আসল চেহারা উন্মোচিত করে দিতে হবে যেন সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত না হয়l
@রসি মজুমদার,
এ ক ম ত। আগামীতেও সঙ্গে থাকার বিনীত অনুরোধ।
@রসি মজুমদার,
না ভাই, এমন কথা বলতে নেই। দু একজন পথভ্রষ্ট মানুষ আমেরিকা ও ভারতের উষ্কানিতে সংখ্যালঘু অমুসলিমদের ঘর-বাড়ি মন্দির উপাসনালয় পুড়িয়েছে তো কী হয়েছে? ওগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। যদিও খুনিরা সব সময়ই তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ উত্থাপন করে দাবী করেছে যে, তারা তাদের ঈমানী দায়ীত্ব পালন করেছে। এখানে মুসলমান আর ইসলামের কোনই দোষ নাই, সুতরাং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবীটা ভুল। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ইসলাম আহত হয়, গনতন্ত্র কলুষিত হয়, মানবতা কলংকিত হয়। সংখ্যালঘু অমুসলিমদের ঘর-বাড়ি মন্দির উপাসনালয় পুড়ানো যদি ইসলাম বিরোধী কাজ হতো তাহলে এর প্রতিবাদে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ওস্তাদরা এতক্ষণে রাস্থায় বেড়িয়ে আসতো। এ সমস্ত কাজের প্রতিবাদে ৯০% মুসলমানের বেশীরভাগই চুপ, সুশীলরা তো অবশ্যই।
আমি বলি- সুধাংশু, বন্ধু তুমি এবার পালাও, এখানে তোমার কেউ নেই।
@আকাশ মালিক,
মানব সভ্যতার ইতিহাস সৃষ্টির ইতিহাস,ধ্বংসের ইতিহাসㅣপুরানো প্রথা ধ্বংস করে নতুন প্রথা সৃষ্টির মাধ্যমেই মানব সভ্যতার অগ্রগতিlসমাজ,প্রগতি এবং মানুষের আত্মিক প্রয়োজনে তাই বিভিন্ন সময় ধর্মীয় বিপ্লবের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন ঘটেছেlকিন্তু রাজতন্ত্র থেকে শুরু করে সাম্রাজ্যবাদের শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন ভাবে ধর্মকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেlএকসময় রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য চার্চ দ্বারা সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করা হতl
ধর্মের অজুহাত দিয়ে প্রগতির পথকে,শাসকের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের ক্ষোভকে অবদমিত করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিলlব্রুনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিলlডাইনী আখ্যা দিয়ে হাজার হাজার নারীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিলlধর্ম রক্ষার নামে বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের বিকাশের পথকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলlশাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্রান্তের কারনে ধর্মের আত্মিক এবং মানবিক প্রয়োজনীয়তার বিকাশ হয়নিl
এখনো শাসকগোষ্ঠী প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলোকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছেlকোন মানুষ যদি কোন নির্দিষ্ট ধর্মের চর্চা করতে চায় তবে সেটা তার মানবিক অধিকারlকিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাবে ধর্মচর্চা মানবতার অপমানl
তথাকথিত ধর্মপ্রাণ মানুষদের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে ভালোই বলেছেনl
পালিয়ে কোথাও যাওয়া যায় নাlতাই পারিপার্শ্বিকতাকে পরিবর্তনের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবেl
সঞ্জিব চৌধুরীর গাওয়া গানটা বরবাদ মাজহারের জানা ছিলনা।
ফয়েজ আহমেদ এর “মধ্য রাতের অশ্বারোহী ” পড়ে আমি মুগ্ধ ।
এবার আপনার কাছ থেকে এই রকম একটা সিরিজ আশা করছি।
@ডাইনোসর,
আপনার আগ্রহকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে দেখুন, ‘মধ্য রাতের অশ্বারোহী’ এ পর্যন্ত পড়া শ্রেষ্ঠ রিপোর্টারের ডায়েরি। একই সঙ্গে এটি ঐতিহাসিক দলিলও। ফয়েজ আহমেদরা যুগে যুগে আসেন না, একবারই তারা জন্ম নেন। এটিই হচ্ছে রূঢ় সত্য। তাই আটার কলের কাছে আখের রস চেয়ে লাভ কি ভাই? 😕
অনেক ধন্যবাদ।
বিপ্লব রহমানকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। তবে আশা করেছিলাম ফরহাদ মজহার-এর লেখা থেকে যে উদ্ধৃতিটা দিয়েছেন তা যে মিথ্যাচার ও অতিকথন সে ব্যাপারে লিখে জানাবেন। কাগজ পড়ে, টিভি দেখে যা আমরা জেনেছি তাতে পুলিশ যে পরিস্থিতিতে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছে তা ‘নির্বিচার গণহত্যা’ অভিধা পেতে পারে না, অসহায় ও আক্রান্ত না হয়ে পুলিশ গুলি চালায়নি, এবং অনেক পুলিশকেও অত্যন্ত নির্মমভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে মারা হয়েছে। ফরহাদ বলেছেন, ‘বিক্ষোভ ও মিছিল দেখলেই গুলি করার নির্দেশ পালন করছে পুলিশ।’ এ কথা যদি সত্যি হত তবে শত শত মানুষ মারা যেত। এটা নির্জলা মিথ্যা কথা। যেখানে একাত্তরের ভয়ঙ্কর অত্যাচারী, বহু অপরাধে অপরাধী গণহত্যাকারীদের বিচার হচ্ছে, (অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ নানা কাগজে, পুস্তকে, দলিলপত্রে প্রচারিত, প্রকাশিত–সকলেরই জানা থাকার কথা) সেখানে ফাঁসি বা সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করার কথা সকলেরই। আর তা ‘অন্যায়’ মনে হয়েছে কাছে ফরহাদ সাহেবের কাছে, দেখুন কিরকম ন্যায়বোধ তার!
উদ্ধৃতির সঙ্গে এসব কথা থাকলে ফরহা্দ মজহারের ভূমিকাটা পাঠকের কাছে স্পষ্টতর করা যেত মনে হয়।
@হামিদ আশফাক,
মাফ করবেন ভ্রাতা। এটি গুঢ় কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষণ তো নয়; নিছকই একটি ব্যক্তিগত কথন। এছাড়া আপনার উল্লেখিত ওই বিশ্লেষণটি তো একদমই প্রকাশ্য। এ নিয়ে এরই মধ্যে ফেবু, টুইটার, অনলাইন পত্র ও ব্লগে ব্লগে অসংখ্য নোট লেখা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। এসব কারণে চলতি নোটে এর পুনরাবৃত্তি আমার কাছে মনে হয়েছে একেবারেই বাহুল্য।
পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার বিপ্লব রহমান! অসাধারন! প্রায় অশিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত এদেশের জনগন যতটানা দেশের ক্ষতি করে তার চেয়ে বেশী করে ভেকধারী এই সব শিক্ষিতেরা! আসলেই এদের কে আহমদ ছফার ভাষাতেই
সম্বোধন করে ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে কোনদিন হয়তো সম্বিৎ ফিরলেও ফিরতে পারে। আর না ফিরলেও ক্ষতি নেই, কারন বিশেষ ঐ বিশেষনের গুনে ঐতিহাসিক আস্তাকুঁড়ে ওদের জায়গাতো হয়েই থাকবে!
@কেশব অধিকারী,
ঠিকই বলেছেন। আবর্জনার গন্তব্য আস্তাকুঁড়ে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হতবাক হই এই সব জ্ঞান পাপীদের অন্ধত্ব, চাটুকারিতা দেখে। ততোধিক দুঃখ পাই সহপাঠিরা যখন স্ট্যাটাস দেয় বিএনপি জামাতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সরকার নিজ ব্যর্থতা ঢাকতেই নাকি হিন্দু বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরীর পায়তারা করছে। ব্যথিত হই সহপাঠিদের অনেকেই ধর্ম রক্ষার নামে রাজাকারদের প্রতি এমন উলঙ্গ সর্থনের মাত্রা দেখে।
@রাজেশ তালুকদার,
এরা এতটাই সস্তায় মাথা বিক্রি করে যে… (U)
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@রাজেশ তালুকদার,
চাটুকারিতা হচ্ছে এক রকমের ধর্ম। আল্লাহ’কে ও প্রশংসা না করলে তিনি নাখোস হন।
আপনাকেও( ঠাট্টা) কেও চাটুকারিতা না করলে আপনি না -খোশ হবেন। যেমন, আ- সরকার যাদের
মন্ত্রী বানিয়েছে দুষ্টু লোকের কথা নেত্রী যখন অবরুদ্ধ ছিলেন সেই সময় টিফিন হাতে রোজ যারা
দৌড়া-দৌড়ি করেছে,তারাই আজ গদীতে বসে মোচে তা দিচ্ছে। আসলে রাজনীতি এমন এক ব্যাপার যাকে বেশ্যাবৃত্তির চাইতেও মাঝে মাঝে জঘন্য মনে হয়( আমার মতে)।
তাই চাটুকারিতা কে না পছন্দ করে বলুন? ভুল বলে থাকলে মাফি (U)
আপনি সত্যই উঁচুমানের লেখক। না হলে এই বরবাদ মজহারকে নিয়েও যেভাবে অনুপম একটা লেখা লিখে ফেললেন, তাতে অভিভূতই হতে হয়।
বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে, বরবাদকে নয়। আপনার নিশ্চয় মনে আছে ২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট বাংলাদেশের সব জেলায় জঙ্গিরা বোমাবাজি করেছিলেন, তখন এই বরবাদ মজহার লুঙ্গি পরে প্রেস্ক্লাবে সভা করে তাদের বিপ্লবী বলে আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, ‘তারা তাদের মত করে সমাজটাকে বদলাতে চায়’। সে সময় ভোরের কাগজ খুব স্মমুখ সারির পত্রিকা ছিল। সেখানে আমি একটা কলাম লিখেছিলাম ‘ফরহাদ মজহারের বিভ্রান্তি’ নামে। তখ ইউনিকোড ছিল না বলে নেটে সার্চ করলে পাওয়া যায় না। মুক্তমনার আর্কাইভে আছে লেখাটা –
ফরহাদ মজহারের বিভ্রান্তি
পড়ে দেখতে পারেন। লুঙ্গি মজহারকে নিয়ে লেখাটি নানা ধরণের আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল।
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
@অভি দা,
এভাবে লজ্জা দিচ্ছেন কেনো? আমি খুবই সামান্য মানুষ, নেহাৎ অভ্যাসে কলমজীবী মাত্র।
ফ. ম. র তালেবানী বিভ্রান্তির কালে আমরাও খুব সোচ্চার ছিলাম, চলতি নোটে তার উল্লেখ আছে, সালটি বিস্মৃত হয়েছিলাম, এখন সংশোধনী দিয়েছি।… এ বিষয়ে আপনার নোট পড়ে আরেকবার সমৃদ্ধ হলাম।
বিনম্র শ্রদ্ধা। (F)
@বিপ্লব রহমান,
আপনার লেখার প্রশংসা করা মানে আপনাকে অপমান করা। এমন লেখা আপনার কলম থেকেই বের হবে তাই আপনাকে-
@বিপ্লব রহমান,
দু;খিত টিপ পড়ে গেছিল আপনাকে তাই- (F) (F)
@আফরোজা আলম,
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান, আপনার লেখা খুব বেশি একটা পড়া হয় নি।কিন্তু অভিদা ঠিকই বলেছেন।এই লেখার গঠনশৈলী এতই চমৎকার লেগেছে আমার যে ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করতে চাই না।শুভেচ্ছা নেবেন (F) ।
@অর্ফিউস, ভাল কথা সঞ্জীব চৌধুরীর এই গানটি খুব প্রিয়।তবে গানটির আসল লেখক যে এই ব্যক্তি সেটা আমি জানতাম না।
@অর্ফিউস,
মুক্তমনায় আপনি নবাগত বলেই হয়তো আমার নোট তেমন পড়া হয়নি; তাছাড়া তেমন কেউকেটা কোনো লেখকও তো নই! আর ওই গানটি ফ.ম. ই লিখেছেন ও সুর করেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান, ভাল থাকবেন। 🙂