২০১২ সালের একুশে পদক ঘোষণা করা হয়েছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালের একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকার ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছে। আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে সেই তালিকায় মুক্তমনার সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম অধ্যাপক অজয় রায়ের নামও রয়েছে। তিনি পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশে শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘শিক্ষা’ বিভাগে। উল্লেখ্য, গতবছর তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে। এছাড়া আমাদের ভূতপূর্ব সদস্য প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ মরণোত্তর একুশে পুরস্কার পেয়েছেন ভাষা এবং সাহিত্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন সেটা অনেকেই জানেন। পাশাপাশি এই মুক্তমনা লেখকের সাহসিকতাপূর্ণ লেখালিখি ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন এই লেখক, চাপাতির আঘাতে পথমধ্যে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলা হয় তাঁকে। সে বছর মে মাসে জার্মানিতে মৃত্যু হয় তার (দেখুন এখানে)। আমরা শ্রদ্ধাভরে আজকের দিনে স্মরণ করছি এই প্রথাভাঙা লেখককে। এদের বাইরে, একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় আছে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর এবং মমতাজ বেগমের নামও। এদেরকে নিয়ে মুক্তমনা লেখকেরা বিভিন্ন সময়েই ব্লগ-প্রবন্ধ লিখেছেন (দেখুন এখানে, কিংবা এখানে), স্মরণ করেছেন তাদের অবদান কৃতজ্ঞতাভরে। আমরাও আজকের দিনে তাঁদের স্মরণ করছি।
২০১২ সালের একুশে পদকের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন:
ভাষা আন্দোলনে মমতাজ বেগম (মরণোত্তর);
শিল্পকলায় মোবিনুল আজিম (মরণোত্তর), তারেক মাসুদ (মরণোত্তর), ড. ইনামুল হক, মামুনুর রশীদ ও অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী;
সাংবাদিকতায় এহেতশাম হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), আশফাক মুনীর চৌধুরী (মিশুক মুনীর) (মরণোত্তর), হাবিবুর রহমান মিলন;
শিক্ষায় অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, ড. মনসুরুল আলম খান, ড. এ কে নাজমুল করিম (মরণোত্তর);
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী;
সমাজসেবায় শ্রীমত্ শুদ্ধানন্দ মহাথের;
ভাষা ও সাহিত্যে ড. হুমায়ুন আজাদ (মরণোত্তর)।
উৎস – প্রথম আলো, ০৯-০২-২০১২
২০১২ সালের একুশে পদকপ্রাপ্তদের মুক্তমনার তরফ থেকে শুভেচ্ছা।
খুব ভাল লাগছে। অভিনন্দন অভিনন্দন।
অভিনন্দন অভিনন্দন। (F) (F) (F)
জেনে খুব ভাল লাগছে।স্যারকে অভিনন্দন । (F)
আনন্দ প্রকাশের ভাষা নাই
এই খবর
যতটুকু পারি ছড়িয়ে দিতে চাই
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
ফেসবুকে একখান স্ট্যাটাস দিছিলাম। ঐটা এইখানেও দিলাম।
বাঙলাদেশ শহীদের দ্যাশ। এই দ্যাশে বাইচ্যা থাকলে কেউ জিগায় না। যেই মইরা যাইবেন, হেরপরে শুরু অইব সভা-সমিতি, মিছিল মিটিং, পদবী আর পুরুষ্কার।
হুমায়ূন আজাদ স্যারকে এইবার একুশে পদক দেওয়া হইছে। অবশ্যই পাতিলের ত্যালত্যালা কালির লাহান অন্ধকারচ্ছন্ন দ্যাশে এইডা বিগ ব্যং-এর লাহান ঘটনা। কিন্তু দুষ্ট লোকে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন তারে প্রাপ্য পুরুষ্কারের জন্য জীবন দিতে হইল? পুরুষ্কার দিয়া সরকার যদি মনে করে কাহিনী খতম, তাইলে ভুল করব। আমার লাহান কিছু বাঙালি আজীবন এমন মানুষের হত্যার বিচার চাইয়াই যাইব। একুশে পদক হুমায়ূন আজাদ না পাইলেও স্যারের কোন কিছু অইত না, কিন্তু স্যারের মতন মানুষ না পাইলে বাঙালির অনেক কিছু ছিড়ত আর পুড়ত।
অজয় স্যারকে শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশে যোগ্য লোকরা অত সহজে মর্যাদা ও সম্মান পায় না, সেটা আবারও বোঝা গেল।
হুমায়ূন আজাদ বেঁচে থাকতে সরকার বুঝতে পারে নি যে তিনি একজন প্রতিভাবান ও কৃতি লেখক ছিলেন, মরার বেশ কিছুদিন পর সেটা জানতে পারল।
যে দেশে গুণী ব্যক্তিদের কদর নেই, সে দেশে গুণী ব্যক্তি জন্ম নেয় না।
এ পুরস্কার শুধু শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক অজয় রায় এবং হুমায়ুন আজাদেরই নয়, বরং প্রতিটি প্রগতিশীল, সত্যান্বেষী, বিজ্ঞানমনস্ক, যৌক্তিক মানুষের। সমাজ যেখানে কূপমণ্ডূক, ধর্মের নামে যেখানে নারী-পুরুষের পায়ে শেকল, সেখানে স্রোতের সম্পুর্ণ বিপরীতে কিছু প্রগতিশীল মানুষের “আমি সঠিক” এই বোধের আত্মবিশ্বাস জন্মানো এবং অনুপ্রেরণার জন্য এই পুরস্কার বিশাল প্রাপ্তি।
এই আত্মবিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণার জন্য তাঁদের অজস্র শ্রদ্ধাসহ শুভেচ্ছা। (F) (F) (F)
দারুণ! কাল রাতেই শুনেছিলাম আমার বাবার মেডিকেলে পড়াকালীন ক্লাসমেট অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী পুরস্কার পেয়েছেন,ডাক্তারী জগতে তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আজ হুমায়ুন আজাদ আর অজয় স্যারের খবরটা শুনে আরো ভালো লাগলো :)।
মরণোত্তর পুরস্কার বিশেষ কোনো গুরুত্ব বহন করে কী যে পায় তাঁর বা সৃষ্টি কর্মের জন্যে! কিংবা প্রশ্ন মিশুক মুনির, তারেক মাসুদ গত বছর মরেই কী মরণোত্তর পুরস্কার পেলেন? জীবিত থাকলে কী পেতেন এ বছর? কিংবা হুমায়ুন আজাদ জীবিত অবস্থায় কী তাঁর সাহিত্যে কোনো অবধান ছিল না? এত বছর পর হঠাত্ করেই যেন সবাই আবিস্কার করল, তাঁর সাহিত্যে কিছু অবধান আছে। যদিও কোনো মননশীল লেখক্ই পুরস্কারের আশাতে লেখেন না, তথাপি সেটা তাঁর জীবিত অবস্থায় পেলে, তাঁর সৃষ্টিআনন্দের পালে কিছুটা হাওয়া লাগে বৈ কি। সবার মতো আমিও আনন্দিত, তবুও প্রশ্নগুলোর চোরাস্রোত ব্ইছিল মনের গহীনে। হয়তো কোনো কোনো পাওয়া যুগপত্ আনন্দ ও কষ্টের কারণ হতে পারে মাঝে মাঝে। তবুও জয় হ্উক সকল মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তমনা মানুষগুলোর। ধন্যবাদ।
অধ্যাপক অজয় রায় ও হুমায়ুন আজাদকে পদক দেয়ায় ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে মুক্তমনাদের বিজয় উৎসব।
আজকের সকালটি আমার জীবনে মনে রাখার মতো একটি দিন! অফিস-কাম ল্যবে এসেই খুলেছি মুক্তমনা! আর প্রথমেই হৃদয় জুড়ানো খবর! ধন্যবাদ মুক্তমনা এডমিন এমন অনাবিল আনন্দ সংবাদের জন্যে। শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক অজয় রায় এর এই সম্মান প্রাপ্য ছিলো। সেই সাথে সরকারকেও বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই এই কারণে যে, কৃতী মানুষের হাতেই তাঁর প্রাপ্য সম্মান আজ সরকার দ্বিধাহীন চিত্তে তুলে দিতে পারছে। অধ্যাপক হূমায়ুন আজাদের সম্মানটি আরো আগেই প্রাপ্যছিলো, তবুও তিনি এই বিরল সম্মানে শেষাবধি ভূষিত হলেন এটি আমাদের পরম পাওয়া বলেই মনে করি। আমাদের মুক্তমনা পরিবার যে এদেশের আগ্রপথিকের ভূমিকায়, সেবিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ আর রইলো না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের পাশাপাশি আমাদের তৃতীয় নয়নের উন্মীলন যে জরুরী, সে জরুরী কাজটিই বোধহয় মুক্তমনার হাত দিয়ে একটি অবয়ব পেতে যাচ্ছে! আপনাদের সবার সাথে আমিও আমার চূড়ান্ত গর্ব নিয়ে বিস্ফারিত নয়ণে চির উন্নত শিরে তাকিয়ে রইলাম এই বিশ্বচরাচরে। আবারো শ্রদ্ধাভরা প্রনাম অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক হূমায়ুন আজাদ এবং অভিবাদন একুশে সম্মাননা প্রাপ্ত সকল গুনীজনকে।
অভিনন্দন (F)
শ্রদ্ধার্ঘ্য (F)
মন ভালো করা খবর। ভালো লাগছে।
অভিনন্দন – অভিনন্দন – অভিনন্দন,
প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর দুঃখজনক হচ্ছে হূমায়ুন আজাদ এর মরনোত্তর পুরুষ্কারে।
খুব কাছ থেকে দেখা আমার এক প্রিয় মুখ ডঃ অজয় স্যর। যাকে প্রথম দেখায় বলেছিলাম,
আপনাকে দেখলে বাবাকে মনে হয়।
তিনি ও আমাকে দেখলে কন্যাসম মনে করেন(আমার ধারণা) আপনাকে সেল্যুট :guru:
অজয় স্যারকে অভিনন্দন এবং তাঁর পুরুস্কার পাওয়াকে কেন যেন মুক্ত-মনাই পেয়েছ এমন অনুভূতি হচ্ছে। উনি যে মুক্ত-মনার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত।
হুমায়ুন আজাদ স্যারের সরাসরি ছাত্রী হিসেবে উনি বেঁচে থাকলে এ পুরস্কার নিয়ে তাঁর কী অনুভূতি হত তা ভাবছি!!
ভুলে যাওয়া ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনার জন্য লেখক আসিফসহ মুক্ত-মনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ পুরস্কার নির্বাচনের কমিটিকেও।
অভিনন্দন পুরষ্কারপ্রাপ্ত সবাইকে।
(Y)
খুবই আনন্দের খবর (Y) । অজয় রায় এবং হুমায়ুন আজাদ সহ অন্যান্য যারা একুশে পদক পেয়েছেন সবার জন্যেই অভিনন্দন। শুধু কষ্ট লাগছে এতো গুলো মরণোত্তর শব্দ দেখে।
অজয় স্যার আর হুমায়ুন আজাদ স্যার এই দুজনকে একুশে পদক দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেই হচ্ছে। এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা দেখে মনে হচ্ছে সব যোগ্য লোকদের হাতেই যাচ্ছে। তবে উপরে আদনান ভাইয়ের সাথে একমত যে হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকলে হয়ত এই পদক গ্রহণ করতেন না। যাই হোক, শুভেচ্ছা সবাইকে। (F) (F)
প্রাণে আনন্দের দোলা অনুভব করছি।
দুজনকেই অশেষ শ্রদ্ধা।
(F) (F)
খবরটা বেশ কয়েকদিন ধরেই জানা ছিলো। আসলে হুমায়ুন আজাদের একুশে পদক পাওয়ার কথা ছিলো গত বছর। কিন্তু বেশ কিছু কারণে তা হয়ে ওঠেনা। গত তিন বছর ধরে আমি বাঙলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই একটা প্রশ্ন-ই ক রে আসছি। কেনো হুমায়ুন আজাদ একুশে পদক পাবেনা? কিন্তু তিনি তার কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এটা দুঃখজনক যে বাঙলাদেশ সরকার হুমায়ুন আজাদকে একুশে পদক দিতে পারেনি তিনি যখন আমাদের মাঝে ছিলেন। অবশ্য আমার বিশ্বাস হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকলে একুশে পদক গ্রহণ করতেন না।
সত্যের জয়
সুন্দরের জয়
মানুষের জয়
সভ্যতার জয়
মুক্তির জয়
বদ্ধ মনা মানুষের সুমতি হোক
মুক্তমানার জয় হোক
জয় দিয়ে শুরু বাঙ্গালীর
জয় দিয়েই শেষ হোক।
(F) (F) (F) (F) অজয় রায় , হুমায়ুন আজাদ
অধ্যাপক অজয় রায় এবং হুমায়ুন আজাদের প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন।
অধ্যাপক অজয় রায় এবং হুমায়ুন আজাদ সহ সকল একুশে পদক-প্রাপ্তদের আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন!!
দারুন! অধ্যাপক অজয় রায়কে অভিনন্দন।
একই সাথে হুমায়ুন আজাদ একুশে পদক পেলেন। আমাদের হুমায়ুন আজাদ।
[img]https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc3/31872_393862154535_816034535_3844605_7395572_n.jpg[/img]
গতবছর মুক্তমনায় এই লেখাটি দিয়েছিলাম।
ভাষাসৈনিক মমতাজ বেগমঃ আজীবন বিপ্লবী এক নারীর ভুলে যাওয়া অধ্যায়।
এর আগে তাকে নিয়ে কোথাও তেমন কোন আলোচনা হয় নি, তার অবদান নিয়ে কেউ খুব বেশি কথা বলেন নি। সবাই যেন এই অমর ভাষা সৈনিককে ভুলেই গিয়েছিল!
এ বছর মমতাজ বেগমকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে। আমি জানি না এতে আমার সামান্যতম কৃতিত্ব রয়েছে কিনা, কিন্তু আমি খুব আনন্দিত। আমার কোন লাভ ক্ষতি হয় নি, কিন্তু গর্বে বুক ভরে উঠেছে। আমি একজন অমর ভাষা সৈনিককে তুলে আনতে পেরেছিলাম, এবং সবাইকে জানাতে পেরেছিলাম তার কথা।
অজয় স্যার এবং হুমায়ুন আজাদ স্যারের একুশে পদক প্রাপ্তিতে এই আনন্দ আরো কয়েকগুন বেড়ে গেল।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
কল্যাণী রায় চৌধুরী ওরফে মমতাজ বেগমকে সে সময় আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ছিলো আপনার বড় কাজগুলোর একটি। তিনিও এবারের একুশে পদক পাওয়ায় অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। সেই সাথে আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
অভিনন্দন। খুব খুশি লাগছে।
আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন শ্রদ্ধেয় অজয় স্যারকে। (F) বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না হওয়াতে অজয় স্যার সম্পর্কে ছাত্র থাকাকালীন তেমন কিছু জানতাম। কিন্তু অভিজিৎদার একটা লেখায় ধারনা পাই এই অসাধারণ মানুষটি সম্পর্কে, যিনি অনেক লোভাতুর হাতছানি উপেক্ষা করে এ দেশকে ভালবেসে, এ দেশের জন্য কাজ করার ব্রত নিয়ে থেকে গিয়েছিলেন এ দেশে। একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এ দেশের শিক্ষার উন্নয়নে। এখনো কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান’ এর সম্পাদনা প্যানেলের সভাপতিত্বও করেছেন। এ থেকে উপলব্ধি করা যায়, এ দেশের মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনে এই বয়সেও উনি একজন কর্মঠ সৈনিক।
পুরস্কারের তালিকায় তারেক মাসুদ, ড. ইনামুল হক, মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী, মিশুক মুনীর, অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী, ড. হুমায়ুন আজাদ প্রমুখের নাম দেখেও খুশী। এদের সাথে অন্য যারা একুশে পদক পেয়েছেন, সবার প্রতি আমার অপার শ্রদ্ধা। (F)
সকাল বেলা উঠে লিস্টটা দেখে মনটাই ভালো হয়ে গেলো। অজয় স্যার সহ আর বেশ কিছু সুযোগ্য লোকের নাম আছে।
ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে বসে, অজয় স্যার একদিন ঘন্টার থেকেও বেশি সময় ধরে, তার জীবনের ছোটবেলা থেকে শুরু করে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাহিনী আমার সাথে শেয়ার করেছিলেন। আমিও নাছোড় বান্দার মত এই-সেই অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করলাম। আজ দুঃখ হয় যে, শুধু রেকর্ড করতে না পারার কারণে সবার সাথে সেটা শেয়ার করেত পারছি না। এরপর আর রেকর্ডার ছাড়া কথাই বলছি না।
অভিনন্দন স্যার কে ,সাথে সাথে অন্য সব পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকেও। 🙂
অস্বাভাবিক ভালো লাগছে। একই সাথে অজয় রায় আর হুমায়ুন আজাদ। খুবই ভালো লাগছে। অনেক অনেক অভিনন্দন।