আজকের আজকালেই পড়লাম। সিপিএমের বিতর্কিত মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিমূলক পেশাদারি শাখার উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন-মুসলমানরা ভাগ্যবান-কারন তাদের জীবনের পরম প্রাপ্তি কোরানে জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ আছে।
মন্ত্রী বলতেই পারতেন ইসলাম জ্ঞানার্জন করতে নির্দেশ দিয়ে থাকে। আমাদের ও মাথাব্যাথা থাকত না। কিন্ত ভোটের বাজারে সংখ্যালঘু তোষনের তাড়নায় এই প্রবীন কমিনিউস্ট নেতাটিও বলে বসলেন মুসলীমদের জীবনে সব থেকে বড় প্রাপ্তি কোরান! কোরান যেহেতু খাবার জন্য কোন মিস্টি না বা পাছা মোছার ন্যাপকিন না-এই কথাটির একটিই মাত্র অর্থ হয়। মুসলমানদের কোরান অনুসরন করে জীবন ধারন করা উচিত-এবং তারা খুবই ভাগ্যবান যে তাদের জীবনাদর্শ ঠিক করার জন্যে পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ তাদের আছে!
জামাত বা বুর্জোয়া পার্টির নেতারা ইসলামি মনন তোষন করে ভোট পাওয়ার জন্যে এরকম কথাবার্ত্তা এই উপমহাদশে আবাহমানকাল থেকে বলে আসেন। কিন্ত যখন কোন বর্ষীয়ান কমিনিউস্ট নেতা এবং মন্ত্রী এই ধরনের প্রতিক্রিয়শীল কথাবার্ত্তা বলেন তখন বিষয়টি একটু গভীরে না গেলে বোঝা যাবে না কিভাবে এইধরনের ধর্মীয় তোষন দক্ষিনএশিয়ার রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িক কুম্ভীপাকে আবদ্ধ রাখে। এবং ধর্মীয় ধারনাগুলির সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই মৌলবাদের আসল আঁতুর ঘর।
ক্ষমতার উৎস কি? কিসের বলে কোরান বা ধর্মগ্রন্থগুলি আজ বলীয়ান? বা সভ্যতার চাকা উলটোদিকে ঘোরাতে চাইছে? এই প্রশ্নটির মূলে আমাদের আঘাত করতে হবে। এইসব গুটিকয় মৌলবাদিদের এত ক্ষমতা আসে কি করে?
গত শতাব্দিতে “ক্ষমতা” এবং তার উৎ স নিয়ে সব থেকে বেশী দার্শনিক কাজ করেছেন মাইকেল ফুঁকো। তার বিখ্যাত গ্রন্থের নাম “ডিসিপ্লিন এন্ড পানিশ” । ফুকোর কাজের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জ্ঞান এবং ক্ষমতার মধ্যে সম্পর্ক। ফুকো এই প্রসঙ্গে “সাধারন জ্ঞান” বলে একটি সামাজিক প্যারামিটার চালু করেন-যার অর্থ- যত বেশী লোক কোন একটা বিলিফ সিস্টেমের ( ধরুন এই হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট বা কমিনিউজম) বিশ্বাসগুলিকে সাধারন জ্ঞান হিসাবে গ্রহন করবে, সেই বিলিফ সিস্টেম সমাজের ওপর তত ছড়ি ঘোরাবে। এমন নয় যে ব্যাপারটা আমরা জানি না। কিন্ত এইসব বিলিফ সিস্টেমের ক্ষমতার উৎস সন্ধান করতে হলে-আমাদের ইতিহাস থেকে দেখতে হবে কি ভাবে একটি বিলিফ সিস্টেমের কিছু বিশ্বাস সাধারন জ্ঞানে পরিণত হচ্ছে। সাধারন জ্ঞান বলতে এক্ষেত্রে আমরা বুঝবো-জন সাধারন যে জ্ঞানগুলিকে নর্ম বা স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করেছে।
যেমন ধরুন -কমিনিউস্টদের রাজনৈতিক বিশ্বাস হচ্ছে একদিন সাম্যবাদি কমিনিউস্ট সমাজ আসবে। যতবেশী লোক এটাকে বিশ্বাস করবে-প্রমান্য সত্য হিসাবে দেখবে, কমিনিউস্টদের তত শক্তি বৃদ্ধি হবে। সোভিয়েতের পতনের আগে, অনেক অনেক বেশী লোকের কাছে এটা ছিল একটি স্বতসিদ্ধ প্রমানিত বিশ্বাস-তাই সাধারন জ্ঞান। কারন তারা মনে করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ানে সত্যিকারের সমাজতন্ত্র -সাম্যবাদি সমাজ আছে। কিন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ান ভেঙে গিয়ে সাম্যবাদের নরকগুলজার ক্রমশ প্রকাশ্য হতে, আজকের সমাজের খুব অল্প লোকের কাছেই এটা বিশ্বাস্য যে কমিনিউজম বলে আদৌ কোন সমাজ কোন দিন আসতে পারে। ফলে ধণতন্ত্রের এই চরম দুর্দিনেও কমিনিউস্টরা প্রতিটা দেশে মাটি হারাচ্ছে! কারন সেই সাধারন জ্ঞানের ভিত্তিটা-অর্থাৎ জনসারাধন যে মনে করত সাম্যবাদী স্বর্গীয় সমাজের অস্তিত্ব আছে-সেই জায়গাটাই আজ ভীষন দুর্বল। কোন তত্ত্বের নির্ভুলতা বা বৈজ্ঞানিক সত্য সেই তত্ত্বের শক্তির উৎস না। তত্ত্বের পেছনের ক্ষমতার উৎসের আসল নাম মানুষ। তারা বিশ্বাস করেছিল বলেই একদিন কমিনিউস্ট গাঙে জোয়ার ছিল।
ঠিক একই ব্যাপার কোরানের জন্যেও সত্য। কোরান আল্লা প্রেরিত নির্ভুল এবং শ্রেষ্ঠ জীবন দর্শন–এটাই মুসলমান সমাজের সাধারন জ্ঞান। বিশ্বাস না। কারন ইসলামের জন্ম লগ্ন থেকেই যেসব বুদ্ধিজীবিরা এই বিশ্বাসের বিরোধিতা করতে গেছে, তাদের প্রায় সবাইকেই খুন করা হয়েছে। কোরানে অবিশ্বাসীদের প্রতি অভিশাপ, ঘৃণা, ভয়দেখানো কি নেই! দাস প্রথার সমর্থন থেকে বৌ পেটানোর অনুমতি সব কিছুই পাওয়া যাবে। আবার বিদ্যান, বুদ্ধিমান দয়ালু ক্ষমাশীল হওয়ার উপদেশ ও আছে। বাকী ধর্মগ্রন্থগুলির মতন কোরান ও একটি ভাল-খারাপ উপদেশের ককটেল। এবং বাকী ধর্মগ্রন্থগুলির মতন এটিও একটি প্রতিক্রিয়াশীল গ্রন্থ কারন এর রাজনৈতিক তত্ত্বগুলি সপ্তম শতকের আরবদেশের উপযোগী। মোদ্দা কথা বাকী ধর্মগ্রন্থগুলির ন্যায় অতীতের নৃতাত্ত্বিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যেই কোরান লিখেছিলেন সম্ভবত ২০ জন জ্ঞানী ব্যাক্তি। কিন্তু এইসব সত্য ইসলামিক ব্যাটারীর চার্জার হতে পারে না। “কোরান শ্রেষ্ঠ জীবন দর্শন” এটাকে বিশ্বাস না-একদম সাধারন জ্ঞানের পর্যায়ে নিয়ে এলে তবেই এই ইসলামি মৌলবাদের আসল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। এবং মাননীয় কমিনিউস্ট মন্ত্রী মহোদয় ঠিক সেটিই করলেন-তিনিও সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে মৌলবাদিদের ক্ষমতার উৎসেই রাবার স্ট্যাম্প মারলেন। মুসলামানদের শিক্ষিত করতে যদি এই ভাবে কোরানের সাহায্য নিতে হয় তাহলে প্রক্ষান্তরে সেই মৌলবাদেরই বীজ চাষাবাদ করা হয়। কারন “কোরান শ্রেষ্ঠ জীবন দর্শন” সেই তত্ত্বকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে যা মৌলবাদের আসল শক্তি। বা ঘাঁটি।
বর্তমানে রেজ্জাক সাহেব ডিগবাজি খেয়ে আপাদমস্তক চরম দক্ষিণপথী প্রতিক্রিয়াশীল দলের গুরুত্বহীন মন্ত্রী হজ করে হাজী হয়েছেন।
ভাল লিখেছেন। চালিয়ে যান।
@নিশাচর,
পুরোনো পোষ্ট খুজে খুজে বের করে পড়ছেন। নামটা সত্যিই সার্থক হয়েছে।
আমার কাছ সবসময়ই মনে হয়েছে ধর্ম রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। যারা ধর্ম প্রচার করেছে তারা ক্ষমতা পাবার উদ্দেশে বা সমাজ সংস্কারের উদ্দেশে তা করেছে।
Hijbuttahrir has been banned!!!! WOW!! Three cheers for Awami League!
it seems , there is a militant here…. Mr Mahdali.. r u member of Hijbuttahrir?
U have gone Mr. Biplob Pal!!!!!!!! U r lucky enough that you are not in BD, otherwise……
কিছু উদাহরণ দিতে পারবেন??? আর যদি প্রায় সবাইকেই খুন করা হতো তাহলে আপনি এখনো বেঁচে আছেন কি ভাবে????
@রাশেদ,
[১] আমি বেঁচে আছি, কারন আমি মুসলমান ফ্যানাটিকদের চেয়ে অনেক দূরে নিরাপদে বাস করছি বলে। তা স্বত্ত্বেও লস এঞ্জেলেসে আমাদের ভিন্নমত গ্রুপের বিরুদ্ধে গলাকাটার পোস্টার পরেছিল। মহম্মদ আসগার, আবুল কাশেমকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল এই তিন বছর আগেই-এবং সেসব ডকুমেন্ট ও আমার নথিবদ্ধ আছে! সামান্য কিছু নেটেও পাবেন
[২] মুতাজিল এবং উদরনৈতিক মুসলমানদের খুন করার ইতিহাস -ইসলামে ধারাবাহিক ভাবে এর জন্ম থেকেই প্রায় চলে আসছে। এই নিয়ে আবুল কাশেম সাহেব একটি তথ্য সমৃদ্ধ লেখা লিখেছিলেন। এই প্রবন্ধে মুসলমান মুক্তমনাদের ধর্মের হাতে খুন হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস তিনি লিখেছিলেন।
[৩] বাই দি ওয়ে, তসলিমা কি ইচ্ছা করে বাংলাদেশ বা ভারত ছেড়েছেন? রুশদি ইচ্ছা করে পালিয়ে বেড়াতেন? ভ্যান গগ আত্মহত্যা করেছিলেন?
দেখুন আপনারাই হছে জিহাদিদের বি টিম। ধার্মিক মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন ইল্যুউশন নেই।
@রাশেদ,
সবাই খুব হয়েছেন কথাটা গাণিতিক ভাষায় ভুল, কারন ১০০% খুন হয়েছেন তো কোনদিন বলা যাবে না। এটা অনেকটা প্রতিকী বলা যায়।
তবে ইসলামের সমালোচনা করে কিছু বলা কি ইসলামী দেশগুলিতে সম্ভব? আমাদের মডারেট বাংলাদেশের কোণ পত্রিকায় কি মুক্তমণায় প্রকাশিত লেখাগূলি প্রকাশ হওয়া সম্ভব? যদিও মুক্তম্নার বেশ কিছু লেখা আছে ‘অথেন্টিক” ইসলামী সোর্সের উপর ভিত্তি করে, যেমন আবুল কাশেম সাহেবের একটা লেখা আছে মহানবীর ব্যক্তি জীবন নিয়ে, যা প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন “সহী” হাদীস রেফারেন্সের উপর লেখা। এ লেখাও কি আমাদের দেশে কেউ সাহস করবেন ছাপাতে? বিড়াল বিষয়ক নির্দোষ কৌতুক লেখা নিয়ে কি তান্ডব চোখের সামনে এই সেদিন হল তা কি আপনার চোখে পড়েনি? নাকি বেচারা কার্টূনিষ্ট প্রানে বেচে গেছেন বলে তেমন বড় ব্যাপার মনে হয়নি?
আহমেদ শরীফ, বাংলাদেশের সর্বকালের একজন জনপ্রিয় কবি শামসুর রহমান এরা সমালোচনাও সরাসরি করেননি, শুধু নিজেরা নাস্তিক ছিলেন বলে সে টাইপ কথাবার্তা বলতেন তাতেই তাদের হুজ্জত পোহাতে হয়েছিল জানেন তো। শামসুর রহমান সাহেব তো প্রানে বেচেছিলেন একবার, ভাগ্যক্রমে হুয়ামূন আজাদের পরিনতি হয়নি। এ জাতীয় ঘটনাগুলির কি ব্যাখ্যা দেবেন? অল্প কিছু লোকে এমন করছে…।তাদের সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই…।।? তাহলে দেশের আলেম সমাজ বলে যাদের ব্যাপক পরিচিতি তারা কেন এসব ব্যাপার নীরব দর্শকের মত দেখেন? মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কেন অন্য ধর্মের প্রচার নিষিদ্ধ?
আমাদের মোসলমানদের মত আর কোন দেশের রাষ্ট্রনায়ক কি স্রেফ ধর্মের সমালোচনামূলক কোন বই লেখার কারনে কারো মাথার দাম সরকারীভাবে ঘোষনা করেছেন বলে আপনার জানা আছে? অন্য ধর্মের সমালোচনামুলক বই কি কেউ লিখছে না?
The greatest advantage of Allah, Mohammed and Koran is that they are the rulers of mostly fools!
It should be obvious by now after boundless discussions in this forum on all religious scriptures that, if someone tries to follow them as stated in those books, he or she will safely land in the dark ages. Those books are very effective in doing so and we can see countless examples around us. Now, my question is: does this communist leader want Muslims to remain in the dark ages so he can exploit them forever? What a great advice – just follow Quran, even though I won’t! What a hypocrite this man is! Oh, I forgot, he is a politician, and his religion is: saying things people want to hear.
আমি বলবো যে সকল ধর্মীয় গ্রন্থ একটি বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান করে, আর তা হলো মানুষের সুস্থ জীবন যাপন। সকল খারাপ কাজ বর্জন ই সকল ধর্মের মূল অর্থ।
Response: I have requested Mukto-mona editor to send my invitation to the creator of the YouTube video for a formal and unambiguous written debate on the article.
The debate must be conducted in a civil manner following the rules of debate. Two members from each side must agree on the rules of the debate.
Readers will vote before the debate, and after the debate. This will determine whose arguments are more convincing.
Until these formalities are done, it is useless to make YouTube videos; there are countless videos, one may get tired of these one-sided tirades.
Here is one more YouTube video that attempts to refute some of my claims on the contradictions in the Qur’an. Astute readers might recognise this video is based on Zakir Nailk’s write-ups, that is filled with logical fallacies and gross errors.
http://www.youtube.com/watch?v=zsllge0QhQE&feature=channel
http://www.youtube.com/watch?v=LqU4suOQkQc&feature=channel
Alternatively, Mr Mufassil might consider wrting a full featured article crtiquing my article. He may write this article in several parts, if he wishes. Once this article is published in Mukto-mona, I shall respond in due course.
I am waiting for the response from Mr Mufassil and the MM editor to organise this debate.
Please note I have no skill or hardware to make YouTube videos.
AK
@Abul Kasem,
It is very easy to make youtube video. I can help you. Easiest thing for you-but a HD webcam like Philips HD. or You can use your existing webcam in the laptop. Then use microsoft movie to capture and store it. Then click upload button in Youtube and upload it.
Better quality you can achieve by buying an expensive digital camcorder like Sanyo or Sony [ $500-$800]. And then upload the digital file. To take self pic buy a tripod-which is very cheap. Normally I would do last option if I do comedy. But capturing through HD Webcam also works very well-it is easy and fastest.
There are other cheaper option like by a Flip camcorder-which is $140 only and they are simplest to use. Speak your stuff and upload the video file. Flip uses mp4 format-so it is easy to upload and good quality as well.
@Abul Kasem,
আপনার কথায় যুক্তি আছে। আমিও মনে করি ডিবেটের জন্য ইউটিউব থেকে লিখিত আকার অনেক ভাল, ওতে ঠান্ডা মাথায় ধীরে সূস্থে বোঝা যায়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে কোরানিক বিতর্ক বোঝা কোন সহজসাধ্য কাজ না, আরবী ভাষার মারপ্যাচে মাথা সহজেই গুলিয়ে যায়। কাশেম সাহেবের লেখা পড়লে মনে হয় ওনারটাই ঠিক আবার মুফাসসিল সাহেবেরটা পড়লে মনে হয়, আরে তাই তো, এভাবে তো চিন্তা করিনি!
মোফাসসিল সাহেব আশা করি চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবেন। উনি নিজেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার জন্য যেখানে উদগ্রীব। মুক্তমণার কোন লেখার প্রতিবাদ বা চ্যালেঞ্জ করতে হলে তো মুক্তমনাতেই করা উচিত। নিজে বেমক্কা কোন সাইট খুলে বসলে বা ইউটিউবে আলটপকা লেকচার দিলে মুক্তমনার পাঠকরা কিভাবে জানবে?
“আসলে ইজমের চক্কোরে মানুষ পড়ে গেলে, তাকে তোলা খুব কঠিন। এবং এই ব্যাপারে শুধু ইসলামকে দোষ দিয়ে লাভ নেই-কমিনিউজমের দোষ বরং অনেক বেশী।”
আমি কমিউনিজম সম্পর্কে খুব বেশী কিছু না জানলেও সাধারন বুদ্ধিতে এটুকু বুঝতে পারি যেকোন কেতাবী ইজমের সফলতা ব্যার্থতা নির্ভর করে ব্যাবহারকারীদের উপর, শুধু বই এ কি লেখা আছে তার উপর নয়, সে ইসলামী জীবন দর্শন হোক বা কমিউনিজম যাই হোক।
হ্যা আমি অভিযোগ স্বীকার করলাম। এটা কোন তথ্যবহুল লেখা না। মূলত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা। আসলে এসব এখন এমন লেবুর কচলানো হয়ে গেছে, বেশী লিখলে লেবু তেঁতো হওয়ার জোগার।
বাস্তবিক মুক্তচিন্তার লোক এপার ওপার কোন বাংলাতেই পাবেন না। আমাদের এদিকের ফোরামে তর্ক করলে দেখবেন কমিনিউজমটা একটা ধর্ম। আসলে ইজমের চক্কোরে মানুষ পড়ে গেলে, তাকে তোলা খুব কঠিন। এবং এই ব্যাপারে শুধু ইসলামকে দোষ দিয়ে লাভ নেই-কমিনিউজমের দোষ বরং অনেক বেশী।
প্রবন্ধের হেডলাইন পড়ে একটি তথ্যপূর্ন গবেষনাধর্মী লেখা আশা করে ছিলাম। লেখাটি পড়ে আশা ভঙ্গ হল।
@সামির মানবাদী,
লেখাটি পড়ে আমারো বেশ কিছুটা আশাভংগ হয়েছিল বটে একই কারনে, বিপ্লব সাধারনত ধর্ম বিষয়ক লেখাগুলি খুবই যুক্তিপুর্ণ আর নিরপেক্ষভাবে লেখেন। এ লেখাটিকে বিশ্লেষনমূলক না বলে অনেকটা রিপোর্ট আকারের লেখা বলা যায়।
মুল বক্তব্য আসলে আমরা সবাই অবগত, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাভার নূতন কিছু না। কম্যুনিষ্ট নেতা তার ভোট ব্যাংকের স্বার্থে আজ কোরানে মহত কিছু পাবেন, কাল আবার গীতা বা বাইবেলেও মানব মুক্তির মহাসনদ পেয়ে যাবেন, হতেই পারে। এসব দেখতে দেখতে চোখ পচে গেছে।
‘ফুয়াদ মোল্লার’’ দেখি পৃথিবীর ১৫০ কোটি মোসলমান নিয়ে বেজায় অহংকার। যেন মোসলমানরা অন্যান্য ধর্মানুসারিদের মত জন্মগত ভাবে নয়, বাজারের তাবৎ ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ে, যাচাই বাচাই সেড়ে; তারপর ইসলাম গ্রহন করে। কাউকে কখনো কোন আস্তিককে প্রশ্ন করতে শুনিনি ‘’ তুমি ঈশ্বরে কেন বিশ্বাস করো গো বাপু?’’ অপর দিকে প্রতিটি নাস্তিককে সর্বদা সকল শ্রেনীর মানুষের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়। তাই কোন কিছু না জেনে আস্তিক হওয়া গেলও, যায় না নাস্তিক হওয়া। কেউ বা কোন গোষ্ঠী যদি যুক্তি-বুদ্ধির বদলে সুধুমাত্র সঙ্গমের দারা সংখ্যায় ফুলে-ফেঁপে-বেড়ে ওঠে সেক্ষেত্রে আর যাই হোক গর্বের কিছু থাকে না। ইসলাম যদি শ্রেষ্ঠ জীবন-বিধানই হয় তবে তো ধর্ম-বর্ণ, মুসলিম-অমুসলিম, আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে পৃথিবীর তামাম মানুষের উচিৎ কুরানের প্রতিটি দাড়ি কমা পর্যন্ত গিলে খাওয়া। কিন্তু ধর্ম পালন তো দূর কি বাত, ক’জন মোসলমান যে ইসলামের সাধারন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহল তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। ফুয়াদ, আইভির মত যারা কুরান ও ইসলামের পক্ষে সর্বদা চটাং চটাং বুলি ছাড়েন তারাই ব্যক্তি জীবনে ঐ শ্রেষ্ঠ জীবন-বিধানের ক’লাইন পালন করেন? তারা ভাল করেই জানেন, নিজের নামের সাথে মুসলমানের মত একটি স্টাটাস সিম্বল লাগিয়ে ঘুরাটা অনেক বেশি শুখকর ও নিরাপদ হতে পারে, কিন্তু পালন করতে গেলেই মানুষকে ফিরে যেতে হবে আফগানিস্তানের মতো মধ্যযুগীয় বর্বরতার মাঝে। তাই কুরানের সংগা মত বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা গুনতে গেলে- লোম বাছতে মুসলমান উজাড় থুক্কু কম্বল উজারের মত দশা হয়।
বাকি থাকল মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেবার বেপারটা। আঘাত না হানলে অমন ভয়ানক ক্ষতিকর জিনিষ ভেঙ্গে মানুষকে মুক্ত করা যাবে কিভাবে? ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বললে ধর্ষকদের যৌনাভুতিতে আঘাত লাগবে- এ কথা চিন্তা করে কি মুখ বুজে ধর্ষণকে সমর্থন দেব? তারাও তো সংখ্যায় অনেক।
ঐ ১৫০ কোটি মুসোলমানের মধ্যে কি আমিও একজন যেহেতু আমার প্রকৃত নামের সাথে আহমেদ আছে?
@সামির মানবাদী,
ভাই, আমার উপর লেখা, লেখি করে লাভ নাই তারচেয়ে অন্য বিষয় নিয়ে লেখন । তাতে আপনার ও ভাল, আন্য দের ও ভাল । আমাকে মাফ করেন । জগতের একটা ফুয়াদ এ কি আসে যায় ।
আমি কোরানে আঘাত করলে ১৫০ কোটি মানুষ আঘাত পায় বলছি । তারমানে, সব মুসলিম ই পড়ে, ঐ সব ব্যাক্তি পড়ে না , যারা পায় না । যেমনঃ- আপনি । এখানে, “বেজায় অহংকার” বিষয়ক কিছু আসে নাই ।
আমার কথা বাদ দেন, মনে করুন ফুয়াদ নামে কেউ কিছু লেখে নাই ।
জনাব আদিল,
কোরাণে কি কোনো ভুল নেই? আপনার কি মনে হয়?
আদনান
@adnan lermontov,
আপনি ভাই আমাকে বিষ্ম বিপদে ফেলে দিলেন। খুব কঠিন প্রশ্ন, কঠিন এ হিসেবে যে আমি এখনো নিজেকে মোসলম্ন বলে মনে করি। তাই মোসলমান হিসেবে কোরানে ভুল আছে এটা স্বীকার করাটা বেশ বড় ধরনের গুনাহের মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে, নিজের ধার্মিক সত্ত্বা বাদ দিয়ে যদি ব্যক্তিসত্ত্বাকে প্রশ্ন্ করি তাহলে আমার জবাব ভিন্ন হতে পারে, কারন আমি নৈতিক সততায় বিশ্বাস করি। কোরানের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বা সুবিধা মনে হয় যে এর অনেক বিতর্কিত আয়াতগুলিকে (যেমন যুলকারনাইনের পংকিল জলাশয়ের কাহিনী) যে যেভাবে খূশী সেভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। তাই এর ভুল ও শুদ্ধতার কি মাপকাঠি তাই আমি জানি না। তবে যারা নানানভাবে কোরানের ভুলগুলির ব্যাখ্যা দেন তারা সম্ভবত অন্য কোন ধর্মে একই ধরনের বিতর্কিত কিছু পেলে তা রুপক নাকি সংস্কৃত/হিব্রু মুল কি এসব গবেষণায় না গিয়ে সরাসরি ভুল বলে সিদ্ধান্ত টেনে ফেলতেন। এ মানসিকতা আমাকে আহত করে।
তবে আমি অত কথার প্যাচ না ফেদে সরাসরি স্বীকার করতে পারি যে কোরানে বেশ কিছু বিধি বিধান আছে যা সেকালের আরব পটভূমিতে অত্যন্ত আধুনিক মানবতাবাদী হলেও আজকের পটভূমিতে সেগুলি আক্ষরিকভাবে অচল। আমার কথা ফুয়াদ সাহেবের মত অনেকেরই পছন্দ হবে না। তাদের প্রতি আমার আহবান, পৃথিবীতে ১০০ ভাগ কোরান মেনে চলা এমন কোন দেশ বা সমাজ ব্যাবস্থা এই যুগে দেখান। কোরানের কোন যায়গাতেই বা এর প্রতিটা আয়াত সব যুগে সব সময়ে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে তাও দেখান।
@আদিল মাহমুদ,
“আমি নিজেই নিজেকে দেখি , কোরান বিপরীদ কিছু পাই না । নিযেকে পরিক্ষা করাই সব থেকে ভাল । আমি নিজেই নিজের ইমাম, আমি অন্য ইমাম দের ও মানি, তাদের ও শিষ্য। তাই বলে সবার ব্যক্ষা আমার ভাল লাগবে তা ও নয় । কিন্তু আমি সম্মান করি । তাদের ব্যক্ষাকে ও মান্য করি । ” -(আমার আশা, অন্য মুক্তমনা রা[আদিল ভাই ছাড়া] আমার এই কথায় মন্তব্য করবেন না )
প্রায় কাছকাছি আপনাকে আমি আগে একবার বলেছিলাম ।
@ফুয়াদ,
আপনি আমার কথার কিন্তু সরাসরি জবাব দেননি।
যাইহোক, আপনি যা বললেন তাতে আমার পূর্ণ সম্মতি আছে। ধর্ম ভুল হোক ঠিক হোক তা বড় কথা নয়, মন থেকে পালন করলে শান্তি পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত সবই ঠিক আছে, কারোই কোন সমস্যা হবার কথা না। ধর্মে ভুল থাকলেই বা কি আসে যায়, যদি না সেই ভুল বোঝাই না যায়?
মুশকিল হয় তখন যখন মানুষ সবকিছু ধর্মের চোখে বিচার করতে শুরু করে, ধর্মের অমানবিক অযৌক্তিক কালাকানুন গায়ের জোরে চাপাতে চায়, ধর্মীয় সুপিরিয়রিটি ফিলিং এসে যায়, ধর্মের চোখে মানুষের ভেদাভেদ শুরু করে, তোমার ধর্ম আমার ধর্ম তত্ত্ব প্রচার শুরু করে। এই প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে পারলে ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মে বিশ্বাস শান্তি আনতেই পারে।
তবে আমি কোরানে বিশ্বাস করলেও কোরানের সব বিধিবিধান এই যুগে বা সব যুগে অবশ্য পালনীয় বললে আমাকে দ্বি-মত করতেই হবে। আমি জানি না এটা কোরান না মানার সমান কিনা।
@আদিল মাহমুদ,
কোন রূপকের সাহায্য ছাড়া যুলকারনাইনের ওপর জাকির নাইকের বক্তব্যটি দেখতে পারেন, যদিও এর জবাব আলি সিনা দিয়েছেন-
(Dr. Naik) The other point that Dr. William Campbell raised was regarding Sura Kahf 18:86. The Sura says the sun setting in murky water, in turbid water. Imagine, sun setting in murky water! Unscientific! The Arabic word used here is: it’s wajada meaning, it appeared to Zulqarnain. Dr. William Campbell knows Arabic. Wajada means… you can look in the dictionary also; it means it appeared. Allah (swt) is describing what appeared to Zulqarnain. If I make the statement that a student in the class said 2+2=5 and you say “oh Zakir said 2+2=5. I didn’t say. I am telling that the student in my class said 2+2=5. I am not wrong, the student is wrong. There are various ways to try and analyze this word. One is this way, according to Muhammad Asad, that vajada means it appeared to. It appeared to Zulqarnain.
@সামির মানবাদী,
নুতন কিছুই না, মুল কথা সেই একই, “There are various ways to try and analyze this word.”। যার যেভাবে খুশী সেভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।
সুন্দর ও যৌক্তিক প্রবন্ধ।আবুল কাশেম সাহেবের অনবদ্য প্রবন্ধটি পড়ার পর অন্তত কুরানের ঐহিকতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ করার অবকাশ নেই।নিঃসন্দেহে এটি মানব-রচিত,ঠিক যেমন অন্য প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ।
@আগন্তুক,
আবুল কাশেম সাহেবের পাল্টা এই ভদ্রলোক দিচ্ছেন। দেখতে পারেন। কাশেম সাহেব জানি না দেখেছেন কিনা, তার বক্তব্য জানতে বড় ইচ্ছে করছে।
http://www.youtube.com/watch?v=fAx84wrchTU
@আদিল মাহমুদ,
দেখলাম। কেও যদি নরক , ধর্মী বিধর্মী স্বর্গ নিয়ে তর্ক করে এবং সেটাকে প্রমান করতে চাই-তার পালটা জবাব বোধ হয় না দিলেও চলে। তবে আবুল কাশেমের উচিত এই ইউ টিউব ভিডিওটির পালটা জবাব দেওয়া।
আমি যখন প্রথম মুক্তমনা সাইটকে ব্লগে রূপান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম – তখন দেখলাম কোত্থেকে এক নালা-খ্যাপা ভদ্রলোক হাজির নাম মুফাসিল ইসলাম (Mufassil Islam) – সবাইকে আগ বাড়িয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। কিন্তু কি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছেন, কাকে চ্যালেঞ্জ করছেন- কিছুই পরিস্কার না। শুধু তাই নয়, বাংগালীদের মধ্যে মৌলিকত্ব এতই কম – যে নিজের সাইটের নামও ঠিক করেছিলেন মুক্তমনার আদলে – যুক্তিমনা। আমি জানিনা বাংলাভাষায় ‘যুক্তিমনা’ বলে কোন শব্দ আছে কিনা, কিন্তু মুক্তমনার আদলে যে তিনি ‘যুক্তিমনা’ বলতে পেরেছেন, তাতেই তিনি খুশি। তিনি মুক্তমনায় এসে কমেন্ট করেছিলেন এক সময়। আমরাও কিছু নির্দোষ বিনোদন উপভোগ করেছিলেম। দেখুন সেই বিনোদনের চিহ্ন এখানে।
আবুল কাশেমের যুক্তি খন্ডন নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার ধারণা আবুল কাশেম নিজেই তার উত্তর দিতে পারবেন। কি দেবেন না দেবেন তা আমি কাশেম সাহেবের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি। আর মুক্তমনা নিয়ে যা বলেছেন তা ওই একই গতানুগতিক কথাবার্তা। আমরা ইসলামের নামে লিখছি, ইসলাম ধবংস করতে চাই, বাংলাদেশের লোকজন নাকি খুব ধর্মসহিষ্ণু, আমরা নাকি ধর্মকে আক্রমন করে বিভক্তি ছড়াচ্ছি – ইতাদি ইত্যাদি। মুফাসিল ইসলাম যদি সত্যই মনে করেন আমাদের একটু টোকাতেই ইসলামের বারোটা বেজে যাবে, তা হলে সত্যই চিন্তার কথা। আর তাছাড়া ধর্ম যদি এতোই ‘সহিষ্ণু’ হয় গুটি কয় লোকের ধর্মের সমালোচনাকে সহজ ভাবেই নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সামান্য বিরুদ্ধ মত প্রকাশের জন্য হুমায়ুন আজাদের মত ব্যক্তিত্বকে চাপাতির আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে প্রলম্বিত মৃত্যু দিকে চলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী মানুষজনকে যুগে যুগে – আর মুফাসিল সাহেব যদি তারপরেও নিজের দামামা বাজিয়ে যেতে চান – তো বাজান। আমার অভিবাদন রইলো।
জনাব ফুয়াদ,
কোরাণে কি কোনো ভুল নেই? আপনার কি মনে হয়?
আদনান
@adnan lermontov,
ভাই, আমার দৃষ্ঠিতে নাই । আমি কিছু পাই নাই । আর আপনার প্রমান করার চেষ্ঠা করে লাভ নেই । কারন মুক্তমনা তে অনেক দিন ধরে আসতেছি । তাই আপনাদের যুক্তিগুলো ও আমি জানি । এ বিষয়ে তর্কের দরকার নাই । আর যদি আপনার রা, আগবড়িয়ে লেখেন , তাইলে ত , আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা জানি তা ত বলবই । অতএব, লেখকের , লেখার উপর মন্তব্য করেন। আমার কথা ভুলে যান ।
@ Mufakharul Islam
ভাই, আমি কিংবা আদিল ভাই কিংবা IVY আপা, মসুলমান না , আপনাকে কে বলল ।
আমি ১৫০ কোটি বলছি, আছে বইলাই বলছি , আপনার মত কিছুরে বাদ দিলে ও ১৫০ এর উপ্র হইবো । যাইহোক, আবার ধর্ম নিয়ে লেখা লেখি না । তার চেয়ে লেখকের , লেখার উপর মন্তব্য করেন।
@ফুয়াদ,
ভাই
Do you have any truth [from Quran or any where in the wold] ja 100% true….????
আপনি ভেবে উত্তর দিন। পৃথিবীতে এমন কোন সত্য কি পেয়েছেন যাতে ভেজাল নাই? কোরান অনেক দুরের কথা। আপনি যেকোন একটি সত্যের কথা ভাবুন-এবং আমাকে বলুন যে এ সত্যে ভেজাল নাই!
এমন কি ” মানুষ মরনশীল” এই সত্যেও অনেক ভেজাল মশাই। সত্য ব্যাপারটা মশাই এত গোলমেলে যে, ভেজাল ছাড়া এর প্রকাশ সম্ভবই না। এটাই কিন্ত বিজ্ঞানের দর্শন বলে। ভেবে দেখুন। কোরান ১০০% সত্য এই দাবী কিন্ত সব থেকে বড় অসত্য কারন ১০০% সত্যের কোন অস্তিত্ব নেই এই মহাবিশ্বে।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা, প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ, যে আপনি অন্যদের মত আমাকে আক্রমনাত্তক লিখেন নি ।
Do you have any truth [from Quran or any where in the wold] ja 100% ?
আপনার প্রশ্ন বুঝলাম । মনে করুন, আছে , কিন্তু আমি প্রমান দিতে পারব না । সবকিছুর প্রমান হয় না । তাহলে, প্রশ্ন আসে সেটা ১০০ % truth হয় কিভাবে ?
কিন্তু, আপনি বা আমি ইচ্ছা করলেই, পৃথিবীর সকল সত্যকে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারি , যদি না পারতাম, তাহইলে “মিথ্যা” থাক তো না । মিথ্যার জন্ম ই, সত্যকে ঢাকা বা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, তাই নয় কি ? নাহলে মিথ্যা থকতো না ।
আমার প্রশ্ন, জগতের কোন মিথ্যা, সত্যকে ঢাকা বা বিকৃত করার জন্য নয় ?
আপনি ও এই বিষয়টি ভেবে দেখেন ।
@ফুয়েদ ভাই
কিন্তু, আপনি বা আমি ইচ্ছা করলেই, পৃথিবীর সকল সত্যকে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারি , যদি না পারতাম, তাহইলে “মিথ্যা” থাক তো না । মিথ্যার জন্ম ই, সত্যকে ঢাকা বা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, তাই নয় কি ? নাহলে মিথ্যা থকতো না ।
আমার প্রশ্ন, জগতের কোন মিথ্যা, সত্যকে ঢাকা বা বিকৃত করার জন্য নয় ?
আপনি ও এই বিষয়টি ভেবে দেখেন ।
আপনি আবার ভাল করে ভাবুন। মিথ্যাও কি ১০০% মিথ্যা হতে পারে? তাহলে ত লোকে বিশ্বাসই করবে না সেই মিথ্যেই!
মুশকিল হচ্ছে আপনাকে এটা বোঝাতে আমাকে এখন দেরিদা থেকে শুরু করতে হবে। আচ্ছা আপনি চেষ্টা করেই দেখুন না ১০০% কোন সত্য কথা তৈরী করতে পারেন কি না? পারবেন ই না। তার কারন, আপনি যা বলতে চাইছেন বা যা দেখেছেন, তার সাথে আপনি যা লিখবেন, বা যা ভাষা দেবেন, পার্থক্য থাকবেই। মানব ভাষায় যা কিছু আজ পর্যন্ত লেখা হয়েছে, তা অপূর্ণ হতে বাধ্য-কারন ভাষা দিয়ে যখন কোন ভাব প্রকাশ করা হয়, তখন সেই ভাবকে ১০০% ভাষাতে নিয়ে আসা যায় না। এটা ভাষার ডিকনস্ট্রাকশন থিওরীর মূল কথা। এর পরে ত সত্যের ১০০% ঠিক নিয়ে গন্ডোগল আছেই। কারন এমন কোন সত্য আপনি পাবেন নি না-যা স্থান-কালের ভিত্তিতে সদা সত্য থাকবে। প্রতিটা সত্যের মধ্যেই কিছু ইন্ডাকশনিজম থাকে। যেমন ধরুন বাংলাদেশের মেয়েদের দেখে আপনার মনে হল মেয়েরা লাজুক। বা নিজেদের দেহ পর পুরুষকে দেখাতে ভীষন লজ্জা পায়। আমেরিকাতে এসে আপনার এই ‘সত্যের’ ইনডাকশনিজম সম্ভব না। আবার ধরুন আমেরিকাতে যে ২০০ বছর আগে জন্মেছিল-সেও মনে করত মেয়েরা দেহ দেখাতে লজ্জা পায় এটা সসৈর্ব সত্য। সে ২০০ বছর বাদে জন্মালে এমন সত্যে উপনীত হত না। আবার আপনিই হয়ত বাংলাদেশে ১০০ বছর বাদে জন্মালে অন্য সত্যে উপনীত হতেন।
কোরান ১০০৫ নির্ভুল-এটা মানতে গেলে ভাষাবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের দর্শনকে লাটে তুলতে হয়। যারা এই ধরনের কথা মনে করেন তারা ভাষাবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের দর্শনে বিরাট রকমের অজ্ঞ।
@adnan lermontov,
কোরআন- এ কোন ভুল নেই। থাকলে তা প্রমান করত আপনাদের মত নাস্তিক বা কাফের – রা। অনেক try করেও কেউ এখনও prove করতে পারেনি। আর আপনি… হাসালেন।
সত্য ব্যাপারটাই বা আসলে কি? সত্যের মধ্যে কি দ্বন্দ নেই? দন্দ ছাড়া কি সত্যের অস্তিত্ব আছে? না মানুষ ছারা সত্যের অস্তিত্ব আছে? আসল সোনা যেমন হয় না-সব সোনাতেই ভেজাল থাকে, ঠিক তেমনই সত্যের দ্বান্দিক রূপটাই বাস্তব-সব সত্যেই কিছু খাদ আছে। শুধু এইটুকু বুঝলেই মানুষ আর কোনদিন মৌলবাদি হবে না-সংশয়বাদি হবে-এবং কোরান পড়লেও ধার্মিক হবে না।
@বিপ্লব দা,
সব সত্য যেমন মানুষ বিশাস করে না ঠিক তেমন ই সব মিথ্যা মানুষ বিশাস করে না । তাই বলে সত্য তে ভেজ়াল আছে তা কি করে বলি । ধরুন, আমি বলাম আমি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রি বরতমানে, তাই লে কি এইটা ১০০% মিথ্যা নয় ?
এটা কেঊ বিশাস করুক আর না করুক ।
মানুষ এত কষ্ট করে কোরান শরীফ সংগ্রক্ষন করল, আপনাদের কাছ থেকে এসব শুনার জন্য । কিছু আধুনিক(মিথ্যা) বই পড়ে এই ধারনা হইছে যে কুনটা সত্য কুনটা মিথ্যা তা দেখতে চান না । লক্ষ লক্ষ মানুষ এত কিছু খুজে বেড়ায়, আপনারা শুধু আল কোরান এ কি হইল না হইল তা ই খুজেন । “ধারনা” আর “সম্ভবত” আর “হতে পারে” আর “মনে হয়” উপর ভিত্তি করে, ১৫০ কুটি মানুষ কে আঘাত করা কি ঠিক ।
আজকের দুনিয়ায় মিথ্যাই সত্য । সব জায়গায় শুধু লেখা আর লেখা । বিশাল মিথ্যার জগতে সত্য কোন মতে ঠিকে আছে । আর কতদিন থাকবে জানি না । কিন্তু জানি, সত্য কোনো দিন পড়াজিত হবে না । সত্য এর পক্ষে কেউ না থাকলেও না ।
তবে এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, যারা ধর্মকে ব্যবহার করতে চায়, তাদের কথা প্রকাশ করার চেষ্টার জন্য । কিন্তু, আপনি কি পারবেন তাদের আটকাতে ? নাহ পারবেন না ।
@ফুয়াদ,
১৫০ কোটি মোসলমান পাইলেন কোই????!!!! মোসলমান এর সংগা কি? বাংলাদেেেশর সবাই কি মোসলমান??!!! সেৌদি অারবের সবাই?!!!
জাকের পাটির ভক্ত ২.৫ কোটি, দেওয়ান বাগেরে নাকি ৩ কোটি! এরা কি মোসলমান?!!
অামি কি মোসলমান??? অাপনি??!! কিংবা অাই ভি অাপা ??!!!
@ফুয়াদ,
সাধেই কি আর লোকে বলে ইসলাম সত্য 😛
@ফুয়াদ,
এত লেখালেখির কারন একটাই। মুসলমানদের জাগ্রত করা, ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা। কারন কোরান আর হাদিসের মত আজগুবি জিনিস নিয়ে পড়ে থেকে তাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে যা তারা বুঝতে পারছে না। অন্যান্য জাতি গোষ্ঠী যেখানে তর তর করে উপরে উঠে যাচ্ছে সেখানে মুসলমানরা তর তর করে নিচে নেমে যাচ্ছে। যা আমাদের ভাল লাগছে না।