ক্রিকেট ক্রিকেট! ক্রিকেট খেলা!! ক্রিকেটকে বুঝতে শুরু করি ৯২ এর বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে। তখন মাদ্রাসায় পড়তাম, মাদ্রাসার নিচে কতগুলো ফার্মেসী ছিল, ফার্মেসীর বদরুদ্দোজা ভাই বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে তার বাসার টিভিটি ফার্মেসীতে এনেছিলেন। সেই সময়ে এত কিছু বুঝতাম না, ফাইনালে যখন পাকিস্তান জিতল, তখন ছাত্রদের সাথে হুই হুল্লোড় করতে করতে ক্রিকেটের ব্যাপারে আগ্রহ জন্মালো। এরপর ছিয়ানব্বই এশিয়ার দেশ শ্রীলংকার বিশ্বকাপ জয় ক্রিকেটের ব্যাপারে আমকে যেন মোহগ্রস্ত করে ফেলে।
ক্রিকেট খেলতে শুরু করি বাসার ছাদে। মাদ্রাসার বন্ধে বাসায় আসলে খেলা হত। একান্নবর্তী পরিবারে চাচাতো, ফুফাতো ভাইয়েরা ছাড়াও আশপাশের কিছু ছেলেপুলেরাও আসতো খেলতে। আমাদের ছাদটা বেশ বড়সড়ই ছিল। আমি ছিলাম ফাস্ট বোলার, দুই চার পা দৌড়ে হাত ঘুরিয়ে বোলিং করতাম, প্লাস্টিকের বলে টেপ পেচিয়ে টেপ টেনিসের আইডিয়া তখন থেকেই আমরা জানতাম।
ছাঁদ থেকে মাঠে আসতে কিছুটা দেরী হয় ছোট বয়সের কারণে, আমাদের মাদ্রাসাটা ঢাকার একটি সরকারী কলোনীর মধ্যে হওয়াতে কলোনীর মাঠে খেলতে পারতাম। একটা মাঠই ছিল আমাদের দখলে। হুজুররা খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন না, আবার মানাও করতেন না। তবে ছাত্রদের মাঝে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহের কোন কমতি ছিল না, চাঁদা দিয়ে স্টাম্প ব্যাট বল কিনতাম। আবার চাঁদা দিয়ে নিজেরাই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতাম। মোটামুটি অলরাউন্ড প্লেয়ার ছিলাম, তাই টুর্নামেন্টে নিজের দলের অধিনায়কত্বও করেছি। আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত খেলার সময় পেতাম, তাই বেশী ওভারের খেলা যেত না, বড়জোড় দশ ওভারের খেলা হত।
বিভিন্ন সময়ে আমাদের মাঝে খেলা নিয়ে ঝগড়া বেধে যেত। একবার ঝগড়া করে আমরা দুটো গ্রুপ আলাদা হয়ে যাই, সেই সাথে আলাদা হয়ে যায় আমাদের ক্রিকেটীয় উপকরণ, স্ট্যাম্প পরে আমাদের ভাগে, আর ব্যাট পড়ে তাদের ভাগে, তো মাঠের দুই প্রান্তে আমরা আমাদের উপকরণ নিয়ে অদ্ভুত ক্রিকেট শুরু করলাম! স্ট্যাম্প পার্টি শুধু বোলিং প্র্যাক্টিস করে, আর ব্যাটিং পার্টি স্ট্যাম্প ছাড়া ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করে। কয়েকদিন এভাবে চলার পর সিনিয়ররা ব্যাপারটি খেয়াল করে আমাদের আবার ইউনাইট করার জন্যে টুর্নামেন্টের আয়োজন করলেন।
সেবারে টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে যাই। তবে সেমিফাইনালটা বেশ উত্তেজনাকর ছিল। সেমিফাইনালে আট ওভারে আমরা ৪৫ রান তুলেছিলাম। আমার দলে দুজন ভাল বোলার থাকায় কনফিডেন্ট ছিলাম যে এ রান ডিফেন্ড করতে পারব। প্রতিপক্ষে সাবেক শক্রু পক্ষের দুজন ছিল, তাই অনেকটা মর্যাদার ব্যাপার মনে হয়েছিল আমার কাছে, ব্যটিং এ এসে তারা প্রথম চার ওভারেই ২৫ রান তুলে ফেলে, আস্কিং রান রেটের চেয়ে তাদের রানরেট বেশী। চাপের মধ্যেই ছয় নম্বর ওভারটা ভাল করলাম। প্রতি বোলার তিন ওভারের বেশী করতে পারবে এমন বাধ্যবাধকতা ছিল। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল চার রান, আর আমাদের দরকার দুই উইকেট, বল করতে এসে প্রথম বলেই একটি উইকেট ফেলে দেই। তারপরের বলে তারা একটি রান নেয়, চার বলে তিন রান দরকার, এমন মুহুর্তে চার নম্বর বলে তাদের শেষ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেই, কিন্তু আম্পায়ার সে আউট গ্রহন করবে না, ঘটনা হল আগেরবার আউটের পর স্ট্যাম্প যে বসিয়েছিলাম, তখন মিডল স্ট্যাম্প কিছুটা নিচে ছিল, আর তখন আমাদের বেলস ছিল না, বল দুই স্ট্যাম্প এর মাঝখান দিয়ে চলে যায় কিন্তু স্ট্যাম্প পড়েনি, তাই আম্পায়ার আমাদের জোড় দাবী প্রত্যাখ্যান করলেন। আমার তখন ভীষণ জেদ চেপে গেল, রান আপ বাড়িয়ে দৌড়ে এসে বল করলাম, দিলাম ওয়াইড! এখন তিনবলে দুই রান দরকার, সবাই আমাকে শান্ত হয়ে স্বাভাবিক বল করতে বলল, আমি বলে চুমু খেয়ে আবার বল করলাম, বল করেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম! তাকিয়ে দেখি ব্যাটসম্যানের অফ স্ট্যাম্প নেই! :rotfl: উচ্ছাসে পুরো কেদেই ফেললাম!
এরপর ক্রিকেটে দেশ এগিয়েছে, আর আমি পিছিয়েছি, কিছু ঘটনায় খেলাধুলা ছেড়ে দিয়েছিলাম, হাফেজী শেষের পর নতুন যে মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম, সেখানে খেলাধুলা ছিল পুরো নিষিদ্ধ, কিন্তু আইসিস ট্রফির খেলা শুনার জন্যে পাগল ছিলাম। ট্রাংকের ভেতর একটা একশত টাকা দামের রেডিও লুকিয়ে রেখেছিলাম। খেলা চলাকালীন সময়ে বাথরুমে যেয়ে অনেক্ষন খেলার বিবরণ শুনতাম, আর শুনতাম বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তালেব এলেমদের চিৎকার চেচামেচি! :-X :guli:
তিন বছর পর আবার মাঠের ক্রিকেটে ফিরি আলিয়া মাদ্রাসায় এসে। কিন্তু ততদিনে বোলিং এর জোড় কমে গেছে, বল করতে গেলে ওয়াইড আর চার ছক্কা খেয়ে ওভার পার করতে হয়। তার সাথে যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাইয়া ভুড়ি, যা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি :p
তবে বাংলাদেশ বয়ে বেড়াচ্ছে পনের কোটি প্লাস মানুষের স্বপ্ন, আমাদের স্বপ্ন বিশ্ব ক্রিকেটে স্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা। বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়া যে আমরাও পারি পেছন থেকে উঠে আসতে, আমরাও পারি বাধাকে অতিক্রম করতে, আমরাও পারি অসাধ্য সাধন করতে। আজকে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের যাত্রা আবার শুরু হবে স্বপ্নভুমি এই বাংলার মাটিতেই! আর তাই আজকের দিনে আমাদের স্লোগান;
“এগিয়ে যাও বাংলাদেশ! দেখিয়ে দাও বাংলাদেশ!! ভাল খেল বাংলাদেশ!!!
সবাই বলেন বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রদর্শনীটা খারাপ হবার যথেষ্ট কারন রয়েছে, প্রথমে ওদের শেখানো হচ্ছিলো সাওতাল নাচ,মনিপুরী নাচ,পার্বত্য নাচ আরো হরেক রকমের নাচ। কিন্তু হলোটা কি! দেখাগেলো কেওই শিখতে পারছে না, অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা আর ইন্ডিয়ার পুরো উঠে গেছে। 😛
আমি এসব জানি কারন প্রদর্শনীতে যে ২৮০০ ছেলে/মেয়ে ছিলো তাদের মধ্যে আমি একজন ছিলাম :))
ব্রায়্যান অ্যাডামস কে এত কাছে থেকে কোনদিন দেখতে পেতাম কিনা কে জানে, অনুষ্ঠানের কল্যানে দেখলাম।
ইরাজ ভাটিয়া,BNS এর লায়ন নেশান সব থেকে ভাল লেগেছে। httpv://www.youtube.com/watch?v=uOuzr6Xrni4
আজকে আব্বু,ছোট ভাই, আমি একসাথে নেচেছি :)) এত উত্তেজনা!! মিছিলে গেলাম, চিল্লালাম শেষে ম্যানহোলে পড়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছি 🙁
চোকারদের এখন একটু টাইট দিতে পারলেই হয়! :))
@টেকি সাফি,
আপনার দেয়া লিংকটা আমার এখানে কাজ করছেনা কেন বুঝতে পারছিনা।
বিদেশ থেকে সপ্নকে একটু ছুঁয়ে দেখি যেমন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=md5rfFQeAeM
তোরা সব জয় ধ্বনি কর!
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি!
বীর বাঙালিরা আবারও জিতল!
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এই দুর্দান্ত জয়ের পরে নিশ্চয় এই থ্রেড আবার পুনর্জাগরিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
শুরু হক স্বপ্ন দেখা …।
@অভিজিৎ,
টেনশনে তো হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড় হয়েছিল।
আহা! এখন কী অপার শান্তি!
আহা, কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
বিটিভি তে ধারা ভাষ্যকার উল্লাসে বলছিলেন—
তোরা সব জয় ধ্বনি কর। পরেরটুকু শোনার ধৈর্য হারিয়ে নিজেই চিল্লিয়ে উঠলাম—
ঐ নতুনের কেতন উড়ে কাল বৈশাখীর ঝড়।
তোরা সব জয় ধ্বনি কর।
আসুন উল্লাস করি!!!!! আনন্দ করি!!!
মিছিলের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি ঘর থেকে। আওয়াজ আসছে-
জিতলো কে?
– বাঙলাদেশ।
কত রানে?
-সাতাশ রানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হেব্বি লাগছে। সম্পূর্ণ নতুন ভাবনার প্রতিফলন দেখা গেছে বিল্ডিং-এ ক্রিকেট খেলাটার মাধ্যমে। ইন্ডিয়ার প্রদর্শনী পুরাই ফালতু লেগেছে, মোটামুটি মান করেছে শ্রীলংকা আর বাংলাদেশ করেছে সবচেয়ে জোস।
প্রথম কথা হল, এরকম ফ্ল্যাট পিচে খুবই স্পিডি বোলার না থাকলে কাজের কাজ হবে না। যেটা বাংলাদেশের ছিল না। আর এধরনের পিচে বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারে না। যেটা ভারত বাংলাদেশ দুদলের ব্যাটিং দেখেই বোঝা গেছে। আসল কথা হল ফলাফল যা হয়েছে সেটাই হওয়া যৌক্তিক ছিল। হয়তবা আর কয়েকটা রান বাংলাদেশ বেশী করতে পারত। কিন্তু জেতার আশা মনে হয় কেউই করে নি। শেষ কথা, খেলা চরমভাবে এনজয় করেছি। :))
ধন্যবাদ আনাসকে চমৎকার পোষ্টটার জন্য।
ইউটিউবে অনুষ্ঠান দেখলাম।
উদ্বোধণী অনুষ্ঠান আমার কাছে ভালই মনে হয়েছে। তবে আরও উন্নত করা যেত। বাংলাদেশের মতো দেশে যে এই অনুষ্ঠান হয়েছে সেটাই ত বড় কথা। আরও একটি ব্যাপার, পাকিস্তান এবং ভারতের চাইতে আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশে জিহাদি (আত্মঘাতী বোমারু) ভয় অপেক্ষাকৃত কম। তাই দর্শক এবং খেলোয়াড়রা একটু শান্তিতে খেলা উপভোগ করতে পারবে।
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন ভাই আনাস–যেহেতু আপনি মদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন–তাই জিজ্ঞাসা করছি।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কি কোন খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল?
হাদিস থেকে জেনেছি নবীজি দু’বার বিবি আয়েশার সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছিলেন। একবার বিবি আয়েশা জিতলেন–আর একবার নবীজি জিতলেন। সিরাহ থেকে জানলাম নবীজি নাকি সাঁতারও শিখেছিলেন। কাসায়েসুল কুবুরা লিখেছে নবীজি নাকি এক কুস্তীগিরকেও পরাজিত করেছিলেন।
এখন বলুন ত কোন কোন খেলাধুলা হালাল? ক্রিকেট কি হারাম না হালাল?
পেসারগুলান ফাউল বোলিং করসে, এত্তো ফাউল! রাসেলটা যে কই! এইটা থাকলেও কাজ কিছু হইত! মগা মগা পেসার কত্তগুলান!! 🙁 :-X :guli:
স্লগওভার হিটারেরও বড় অভাব। এইখানেও মাশরাফির অভাব! মাশরাফি থাকলেও হয়ত তেমন কিছুই হতো না! তবে লাভের মধ্যে একটা কাজই হয়েছে, হেরে গিয়ে হা-হুতাশ করার মত একটা ভাল অজুহাত পাওয়া গ্যছে! ( আহা! পুলাডা যদি আইজ থাকতোরে! বল মাইরা শেবাগের মাজা ভাইঙ্গা দিত! )
@তানভী,
😀
সব ব্লগে বিশ্বকাপ নিয়ে পোস্ট এসেছে। মুক্তমনায় নেই দেখে ভাবছিলাম আমিই দিব,আর দেয়া লাগবেনা :)। লেখাটি সুন্দর হয়েছে।
স্টেডিয়াম থেকে ফিরলাম। একটাই টিকেট পেয়েছি তাই একাই যেতে হয়েছে। বেশ কিছু সিট দেখলাম খালি পড়ে ছিল। আমার পাশে ৩টি সিট খালি ছিল,আরামে পা উঠায় খেলা দেখসি। ভারত এবার খুব শক্তিশালী তাই এই ম্যাচে তেমন আশা করিনি,ব্যাটিং টা ভালোই হয়েছে তবে ৫০-৭০ রান করে আটকে গেলে সমস্যা,বড় ইনিংস খেলতে হবে জিততে হলে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
অন্য ব্লগে হাজার হাজার পোস্ট আসতেছে, এইখানে দিলে সমস্যা কি? আপনি পোস্ট দেন, সেখানে লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা থাকবে। চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে।
একা খেলা দেখতে কেমন লাগে? যদিও ক্রাউডের মাঝে নিজেরে একা লাগে না, তবুও মাঠের অভিজ্ঞতা নিয়া একটা প
@রামগড়ুড়ের ছানা, ওই মিয়া আইলসামি ছাড়ো। তুমি স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটাই জানাও না কেন???
নেট স্পিড এত বাজে যাচ্ছে যে সবার সাথে শেয়ার করে নিতে পারছি না, পারছিনা মন্তব্যের জবাব দিতে। এদিকে বাংলাদেশের খেলা প্রায় শেষ, আজ বাংলাদেশ ভালই খেলেছে, পুরো ব্যাটিং উইকেটে ভারতের শক্তিশালী ব্যটিং লাইনের বিপক্ষে মাশরাফি বিহীন বাংলাদেশ তেমন সুবিধা করতে পারেনি। মাশরাফি থাকলে ওর বাঘের মতন চাহনি দেখেই ভারত আধা বধ হয়ে যেত। আমাদের ব্যাড লাক টা খারাপ :P। কি আর করার।
@আনাস, মাশরাফিকে বাদ দেওয়া হল কেন?
@অভিজিৎ,
ইচ্ছা করে বাদ দেয়া হয়নি,মাশরাফির ইনজুরি।
@রামগড়ুড়ের ছানা
কমেন্ট ডিলিট এডিটের সিস্টেম কি বন্ধ করে দিসেন? আগেতো এডিট করা যেত।
@আনাস,
কমেন্ট এডিটের অপশনতো বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ রাখা হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঝামেলা এড়াতে এটা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র মডারেটররা।
@অভিজিৎ,
মাশরাফিকে নিয়ে সংশয় ছিল। বিশ্বকাপের আগে ফিট হবে কি হবে না এই চিন্তায় তাকে বাদ দিয়েই দল ঘোষণা করা হয়েছে, তারপরে আইসিসির নিয়মে দলে নেয়ার সুযোগ নেই। তবে আপনি ভাবেন দলের মধ্যে কারে ইনজুরড করা যায়? তারে পিটাইয়া ইনজুরড করে দেই, তাহলে মনে হয় বদলী হিসেবে দলে নেয়ার নিয়মের সুযোগ ব্যাবহার করা যাবে 😀
(Y)
আমিও নস্টালজিক হয়ে গেলাম। বিশ্বকাপ শুরু হবার পরই আমার আব্বুকে খুব মনে পড়ছে। লোকটা ক্রিকেট বলতে পুরো পাগল ছিল আর আমাদের মাঝেও সে পাগলামি সংক্রমিত করতে পেরেছিল…মনে পড়ে যখন কোন খেলা হত আমরা ৪ ভাই-বোন আর আব্বু মিলে এমন চিৎকার করতাম যে নিচের বাসা থেকে কমপ্লেইন আসত। আম্মু এসে তার মত বকাবকি করত আমরা আমাদের চিল্লানো চিল্লিয়েই যেতাম।সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম, আমি ছিলাম ভাল বোলার! আব্বু-আম্মুর ম্যারেজ ডে, আমাদের কারো জন্মদিন সেলিব্রেট করার একটাই উপায় ছিল মাথায়, “ক্রিকেট ম্যাচ!!!”
মনে পড়ে আব্বু অসুস্থ অবস্থায়ও ক্রিকেট খেলতেন আমাদের সাথে। আমরা ৪ ভাই বোন, আম্মু, খালামনি আর আমাদের সাহায্যকারী মেয়েটি…
আমার হঠাৎ খুব খারাপ লাগছে বাবার জন্য ;-(
ধন্যবাদ আমাকে এত ইমোশনাল করে দেবার জন্য।
@লীনা রহমান, (W)
@লীনা রহমান,
আপনি ক্রিকেট খেলতে পারতেন যেনে আমারো ভাল লাগছে, তার উপর বোলার! স্মৃতি আমাদের সকলকেই কিছু সময়ের জন্যে নিজেকে আবিস্কারের সুযোগ করে দেয়, কিছুটা হাসায়, কিছুটা কাঁদায়। প্রিয় মানুষটির কিছু আনন্দময় কর্মকান্ডের কথা মনে করেই দেখুন না, অজান্তেই হেসে উঠবেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
এখান থেকে খেলা ফ্রি লাইভ দেখার ব্যবস্থা আছে দেখলাম।
সকাল থেকেই দেখছি। বাংলাদেশের অবস্থা ত এখন কাহিল। তামিমও আউট হয়ে গেল!
দল নির্বাচন ভাল হয়নাই। মাহামুদুল্লাহ, নাইম এক সাথে দলে থাকার দরকার ছিল না। শুভ থাকলে বোলিং আরেকটু ব্যালান্স হত। আর আমাদেরতো একটাই মাসরাফি……… এই আমাদের আসল শক্তি। মাঝে মাঝে চমক দেখাতে পারি এই আর কি।
আয়ারল্যান্ড আর নেদারল্যান্ডের সাথে জয় মনে হয় না খুব সহজ হবে। লেট্স হোপ ফর দা বেস্ট।
পোস্ট নিয়ে পরে মন্তব্য করবো। বুঝতেই পারছেন মুড নাই…………
@আতিক রাঢ়ী,
পোস্ট নিয়া মন্তব্য করার দরকার নাই ;-( যে খেলা হল আজ, ব্যাটিং এ ভরসাই বা কতটা। ভারত এক নম্বর দল, তাই প্রত্যাশা জয় ছিল না, ছিল ফাইটিং ম্যাচের প্রত্যাশা।
@আনাস, তামিম এইটা কী করলো? আরেকটু আগে পিটানো শুরু করলে কী হইতো :-Y ।
@বন্যা আহমেদ,
বাংলাদেশ ব্যাটিং এর যে জবাব দিসে তাতে ভারতের দুর্বল বোলিং লাইনের শ্রীই ফুটে উঠসে, আমাদের প্লেয়াররাও ভাল খেলসে। তামিমের আরেকটু আক্রমনাত্মক হবার টাইম হইল তখনি আউট ;-( কিন্তু সে দর্শকদের প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পু
@আনাস,
হ্যাঁ, ভারতের ইনিংস-এর পরে মনে হচ্ছিল লেজে-গোবরে হতে যাচ্ছে। কিন্তু অন্তত সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছাব আমরা।
@আনাস,
ক্রিকেট বিশ্বকাপের পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।তোমার এই পোষ্ট দেখে ও পড়ে গত বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা মনে পড়ে গেল।
সাকিব এর ৫০ বলে ৫৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়া ছিল বাংলাদেশ টীমের জন্য ছিল অশনি সংকেত!!
কাল আশা করি আমাদের দেখা হচ্ছে।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ফুটবলে আমরা ছিলাম না, ছিল আমাদের সমর্থন করা কিছু দল। কিন্তু ক্রিকেটে আমরা আছি, তাই আমাদের আবেগ অনুভুতি সেটার থেকে হাজারগুন উঠবে আর নামবে। এই যে খেলার আগে অনেক ফুলে ফেপে ছিলাম। স্বপ্ন দেখতে দেখতে ভাবতে বসেছিলাম এবার বিশ্বকাপটাই না জিতে নেই! হেরে মন খারাপ হলেও স্বপ্নটা আবার দেখতে ভালই লাগছে। কত দলই তো প্রথম খেলায় হেরেছে। কিন্তু শেষে চ্যাম্পিয়নতো হয়েছে। অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট!
@আতিক রাঢ়ী, আরে আপনি কোথা থেকে এতদিন পরে? হাওয়া হয়ে গেছিলেন কেন?
@বন্যা আহমেদ,
হাওয়া হইনাই, আপনার ভয়ে পালিয়ে ছিলাম। ;-(
নৈতিকতারে বিবর্তনের উপরে খারা করার একটা জোর কসরত চালিয়ে যাচ্চিলাম। ভাবলাম আপনার ২য় পর্বের পরেই পোষ্ট করব। অপেক্ষাতো আর শেষ হয় না। ওমা ২য় পর্ব পড়ে তো আমার মাথায় হাত। পুরাই গুগলি। অলমোস্ট ৯০ ডিগ্রি টার্ন। আরতো লেখা খুঁজে পাই না। কমেন্ট করলে আপনি বলবেন লেখা কই? ভাবলাম তার চেয়ে পলাই।
আজকে একটা রিস্ক নিলাম। ভাবলাম আপনার চোখে পড়বো না। কিন্তু গোল্ডেন ডাক। ফাস্ট বলেই আউট। 🙁
@আতিক রাঢ়ী,
একমত। শেষের দিকে একটা হার্ডহিটারেরও খুব অভাব অনুভব করবে দল।
ভালো একটা পোষ্ট দিলেন। ভাবছিলাম এমন একটা পোষ্টের কথা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান জঘন্য হয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশেরটা। উপস্থাপকদের বিকৃ্ত উচ্চারনে বাংলা বলা বড্ড পীড়াদায়ক। এক মেয়ে সালোয়ার কামিজ পরে জাতীয় অনুষ্ঠানে কী করে গান গাওয়ার অনুমতি পেলো? এর চাইতে সার্ক অনুষ্ঠান অনেক ভালো হয়েছিল।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার অনুষ্ঠান, ভারতীয় অনুষ্ঠানগুলো তাদের ভালোই সংস্কৃতির পরিচয় বহন করেছে।
একটাই থিম ভালো লেগেছিল বাংলাদেশের তা হচ্ছে
-রিকশা করে মাঠে ঢোকা। দারুণ হয়েছে।
লাইট সম্পর্কে বলতে হয় একই কথা। অত্যান্ত নিম্ন মানের।একটা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানে এমন লাইটিং ১৬ ডিসেম্বরের মতন লাগলো।
চার শো কোটি টাকা গেলো কোথায়? :-O
@আফরোজা আলম,
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এবারো আড্ডার পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে উদ্বোধনী দিনেই, কিন্তু সেটি আর পারলাম না। আজকে তারাহুড়ো করে লিখতে গিয়ে তেমন কিছুই মাথায় আসছিল না, তাই স্মৃতিচারণই লিখে ফেললাম, যাহোক, অন্যকেউ হয়ত আড্ডার পোস্ট দিবেন।
ইদ্বোধন নিয়ে আর কি বলব, রাজনীতিকদের কান্ডজ্ঞান দেখে অনেক বিরক্ত হয়েছি, কারো কারো বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে পল্টন ময়দানে বিপ্লবী ভাষণ দিচ্ছেন! পুরো অনুষ্ঠানে ক্রিকেটের অনুপস্থিতি খারাপ লেগেছে তবে এরিয়াল ক্রিকেট খুব ভাল লেগেছে, ভাল লেগেছে পর্যটন কর্পোরেশনের অনন্য সাধারণ বিজ্ঞাপনটি, এদেশের মানুষ অনেকদিন মনে রাখবে। আরোকিছু বিষয় যোগ বিয়োগ করলে ভাল হত, যাহোক, সেটি শেষ।
এখন বাংলাদেশ যে রানের পাহাড়ে চাপা পড়তে যাচ্ছে ;-( স্বপ্নের শুরুটা ভাল হচ্ছে না দেখে দুঃখে আছি।
@আনাস,
যা ভেবেছিলাম তাই হল। আপনারা যখন ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন কোন একটি কারণে নবি মুহাম্মদের আরাফাতের ময়দানের শেষ ভাষণ পর্যালোচনা, অন্য কথায় সুরা মাঈদা নিয়ে ব্যস্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ছোট্ট একটি মন্তব্য কপি-পেষ্ট লেখা লিখেছিলাম, তা আর দেয়া হলোনা। আফরোজা যে কথাগুলো বলেছেন, অন্যান্য ব্লগেও একই অভিযোগ দেখেছি। রুনার উর্দু গান দমাদম মস্কেলান্দর, সাবিনার ও আমার রসিয়া বন্ধু, আর মমতাজের গান অনেকেরই ভাল লাগেনি। রাজনীতিবিদদের বকবকানি কারোই ভাল লাগেনি। তবে সকলেরই ভাল লেগেছে পর্যটন কর্পোরেশনের অনন্য সাধারণ বিজ্ঞাপন। আমার কাছে ফায়ারওয়ার্ক্সটাও বেশ ভাল উন্নতমানের মনে হয়েছে। সব ভুল ত্রুটির পরেও আমার মনে হয় প্রথমবারের মত এমন একটি অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্ম্বরণ রাখবে বহু দিন। জাতীয় সঙ্গীতটা শুনে কিছুক্ষণ কাঁদলাম-
httpv://www.youtube.com/watch?v=Bv3VovNLgts&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=L-2DRKbvKTI&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=jZx-yY-DiXE&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=MGN77W-Qo9M&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=VvtctMwGH8c&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=Icvyyfuwabs&feature=related
@আকাশ মালিক,
সবার প্ল্যানের বারোটা বাজায় দিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভিডিও গুলো শেয়ার করার জন্যে। আপনি এখনো এসব বিষয়ে পড়াশুনা করেন! যাহোক, উদ্বোধন ওভারঅল ভালই হয়েছে। আরো ভাল হতে পারত, তবে ভালোর তো আর লিমিট নেই!
বাংলাদেশে বিশবকাপ ক্রিকেট উদবোধনী অনুষঠান ভালোই হয়েছে দেখলাম।তবে ভুল ভ্রানতি হয়েছে।করার কিছু নেই,মেনে নিতে হবে।প্রথমবার বলে।সংগঠকদের মনে সাহস যোগান।মনে রাখবেন ভালো কাজে সমালোচনা হবে।
ধন্যবাদ——
@আফরোজা আলম,
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমার কিন্তু খুব ভালো লেগেছে। ৬টার আগে ক্লোজআপ ওয়ানগুলো নিয়ে অংশটা অবশ্য তেমন ভালো ছিলনা। স্টেডিয়ামে বসে দেখেছি,লাইটিং,এরিয়াল ক্রিকেট,ঘুড়ি,আতশবাজি সবই খুব ভালো লেগেছে। খারাপের মধ্যে মমতাজ আর রুনা লায়লা বিরক্ত লেগেছে,থিম সংটাও তেমন ভালো হয়নি,রাজনীতিবিদগুলোর কথা বাদই দিলাম। তবে মূলত যার জন্য অনুষ্ঠানে গিয়েছি তাকে দেখতে পেরে বাকি সব ভূলে গিয়েছি,BRYAN ADAMS বহুদিন ধরে আমার সবথেকে প্রিয় গায়ক।
আনাস,
অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট দেবার জন্য। ফুটবলের পোষ্টটাও আপনি দিয়েছিলেন। আশা করি আগের মতই সকলে আনন্দ করবে।