আমেরিকা এবং ইসলাম। কেমেস্ট্রি অব রিলেশন।
গ্রাউন্ড জিরো বিতর্কের মধ্যেই আরেকটি সিভিল বিতর্কে উত্তাল হচ্ছে আমেরিকা। এবার
ডিবেট আরো চমকপ্রদ। ফ্লোরিডার রেভারেন্ড টেরি জোন্স 9/11 এর প্রতিবাদ জানাতে চান কোরান পুড়িয়ে। ব্যাস গোটা বিশ্ব উত্তাল। ইন্দোনেশিয়া থেকে আফগানিস্থানে মুসলিমরা উত্তাল ক্ষোভে-হিলারী ক্লিনটন কাতর আমেরিকার টলারেন্স ইমেজে ( কি সুন্দর বললেন মাত্র ৫০ জনের চার্চের জন্যে বদনাম হবে ত্রিশ কোটি আমেরিকানের!)। আর আফগানিস্তানে আমেরিকার জেনারেল ডেভিড পেট্রাস চিন্তিত আমেরিকান সৈন্যদের নিরাপত্তা নিয়ে। আফগানিস্তানের এক মোল্লা রাজনৈতিক পার্থী জানিয়ে দিয়েছে আমেরকাতে কোরান পোড়ালে সব জায়গায় তারা আমেরিকান মারবে। কিছু যায় আসে না যদি ৫০ জন আমেরিকান কোরান পোড়ায় এবং বাকীরা তার বিরোধিতা করে! গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বিতর্কে যিনি মুসলমানদের সমর্থন করেছিলেন, সেই নিউ ইয়ার্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ ও কোরান পোড়ানোর বিরোধিতা করছেন না। কারন আমেরিকার সংবিধানের প্রথম ও মূল বক্তব্য-ব্যাক্তিগত স্বাধীনতাতে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
আমেরিকা তার ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট এতটাই মেনে চলে, আমেরিকান সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত মানতে বাধ্য হয়েছে, কেও ব্যাক্তিগত সম্পত্তিতে আমেরিকান পতাকা পোড়ালে, রাষ্ট্রের কিছু করার নেই। কারন তা ব্যাক্তিস্বাধীনতার বিপক্ষে যাবে। বিতর্কিত পাদ্রী টেরি জোন্সও স্বীকার করেছেন কোন মুসলিম তার প্রাইভেট এলাকাতে বাইবেল পোড়ালে তার কোন বক্তব্য নেই।
টেরিকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যতই ধমকি দিক-তার যুক্তিও অখন্ডিত। সে যদি মনে করে কোরান এভিল এবং তার জন্যে সে কোরান পোড়াবে-সেই স্বাধীনতা আমেরিকান সংবিধান দিয়ে থাকে। ঠিক যে আইনে মুসলিমরা আমেরিকাতে ইসলাম পালনের স্বাধীনতা পাচ্ছে, ঠিক একই আইনে আমেরিকাতে আরেকজনের ইসলামের মুন্ডপাত করার ও স্বাধীনতা আছে।
এবার আসি মূল বিতর্কে কি ভাবে দেখবো এই কোরান পোড়ানো খেলা?
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি পান্ডুলিপি পোড়ানো যায় না। একটা বই পোড়ানোর অর্থ আমার কাছে পরিস্কার না। কোরান পোড়ালে কি আয়াতগুলো নষ্ট হবে?
সুতরাং টেরি দেখাতে চাইছেন, ইসলামকে তিনি ঘৃণা করেন। কারন বইটা নাকি অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণায় ভর্ত্তি। সেটা যদি হয়েও থাকে আমি পরিস্কার ভাবেই বলব ঘৃণা দিয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না। ইসলামে অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা এবং হিংস্রতাকে কেও যদি সভ্যতার শত্রু বা অসভ্যতা বলে মনে করে-এবং সেটি প্রকাশ করার জন্যে নিজে অসভ্যতা এবং ঘৃণার আশ্রয় নেয়- তার উদ্দেশ্য ও পন্থা ভুল। অন্যের অসভ্যতা ধরাতে নিজেদের সভ্য হতে হয়। অন্যের ঘৃণাটা দেখাতে নিজেকে ভালোবাসা দেখাতে হয়। অনেকে বলবেন-সেটাকে মুসলমানরা অমুসলমানদের দুর্বলতা বলে মনে করে এবং ইউরোপের মতন পেয়ে বসবে। আমি কিন্ত মনে করি ইউরোপ মুসলমানদের কখনোই ভাই হিসাবে মেনে নেয় নি-তারা ঘৃণা এবং বৈষম্যেই পেয়েছে। তাই তারাও ঘৃণাই উগরে দিয়েছে জাতিদাঙ্গাতে। বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গের দেভাঙ্গাতে গত দু দিন ধরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লেগেছে। তাতে মিলিটারি নামাতে হয়েছে পুরো এক ব্যাটেলিয়ান। বেশ কিছু হিন্দু দোকান ভাংচুর হয়েছে মুসলিম প্রধান দেভাঙ্গাতে। আশে পাশে সবাই ফিস ফাস করছে, যেখানেই মুসলমান সেখানেই দাঙ্গা।
কিন্ত সত্যিই কি তাই ? এর পেছনে বস্তুবাদি কারন খুব সিম্পল। মুসলিমদের মধ্যে জন সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ে-কারন তারা অশিক্ষার কারনে ধর্মের মাদকে জন্ম নিয়ন্ত্রন করে না। ফলে একটা লিমিটেড রিসোর্স শেয়ার করার জন্যে সর্বত্র একটা কঠিন পরিস্থিতে তাদের বাঁচতে হয়। এমন পরিবেশে তারা বড় হয় তাদের বঞ্চনার জন্যে অন্যদের দোষ বিক্রি করা সহজ। তারপরে সেই অন্যদের চোখে যখন ঘৃণা ছারা কিছু দেখে না-তখন তারা আরো বড় মৌলবাদি হয়ে ওঠে।
শুধু কিছু মিডিয়া এটেনশন টেনে অন্য ধর্মকে অপমান করে কি লাভ আছে আমি জানি না। কোরান যদি কেও এভিল বলে মনে করে, সে সেটা যুক্তি দিয়ে প্রমান করলেই সব থেকে ভাল করবে। অনেকেই তাই করছে। এবং তার বিরুদ্ধে মুসলমানরাও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। এই দ্বন্দটাই কাম্য। কারন দ্বন্দের ফলেই উন্নতি বা অগ্রসরতা আসে।
বহুদিন ধরে ইসলাম এবং তার রাষ্ট্রীয় রক্ষকরা ধর্মের সমালোচনার এই স্বাধীনতা দেয় নি। আজ ইন্টারনেটের যুগে যখন সেন্সরশিপ অচল-সেখানে তাদের যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই ইসলামকে ডিফেন্ড করতে হচ্ছে। এটা খুব ভাল। কারন সেক্ষেত্রে অবস্থার তাগিদেই তারা কোরানের উন্নততর ব্যাখ্যাগুলি আনতে সমর্থ হবে। ভারতে হাজার হাজার বছর আগে উপনিষদিক চিন্তা এই ভাবেই এসেছিল। বৌদ্ধদের চ্যালেঞ্জ খেয়ে, বেদকে বাঁচাতে বেদান্তের বা উপনিষদের জন্ম হয়। যা সেই বেদের উন্নততর ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়েই এসেছে।
সুতরাং ধর্মের সমালোচনা পুরো মাত্রায় চলুক। কিন্ত ধর্মের বিরুদ্ধে আমার অবস্থানটাকে যেহেতু আমি অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তোরন-অসভ্যতা থেকে সভ্যতায় যাত্রা বলে মনে করি-সেহেতু ধর্মের সমালোচনার ক্ষেত্রে আমি মোটেও অসভ্যতাকে সমর্থন করতে পারি না। সদালাপ বলে একটি মুসলিম মৌলবাদি সাইট যুক্তিবাদিদের বিরুদ্ধে যে অসভ্যতা করে-তাতে আমাদের বক্তব্য আরো জোরালো হয় যে-ধর্ম আসলেই লোকেদের অসভ্য করে। কিন্ত যুক্তিবাদিরা বা সভ্যতার দাবিদার কেও যদি, সেই অসভ্যতাই করে, তাহলে পার্থক্যটা কোথায় রইল?
আপনার ঘর জালিয়ে দিলেও বলুন—চরমপন্থা অবলম্বন করবেন না । অথচ আপনি দেখেছেন, কে আপনার ঘর পুড়িয়েছে। তাকে কি আপনি ছেড়ে দেবেন ? সেখানে এ্যাকশনে যাচ্ছেন। অথচ কোরান পোড়ালে মধ্যপন্থা অবলম্বন করার কথা বলছেন। আসলে কোরানকে আপনার নিজের ভাবতে পারছেন না। যদি কোরানে বিশ্বাসই করেন। তাহলে এর ভিতরে যে লেখা আছে– হাতের বদলে হাত/ কানের বদলে কান/ চোখের বদলে চোখ এভাবে বদলা নিতে হবে । মধ্যপন্থার কথা কিন্তু এখানে বলা হয়নি । ক্ষেত্র বুঝতে হবে। তার হাত পুড়িয়ে দিন….দেখবেন= কোন কাফেরও আপনার দিকে চোখ তুলে তাকাবে না । কোরান পোড়াতো ভালো কথা..
@মামুনুর রশিদ,
গীতাতে বলছে বিধর্মীদের কচুকাটা করতে-হিন্দুরা যদি গীতা পড়ে ভারতে মুসলমান কাটা শুরু করে, আপনি কি সেটা সমর্থন করবেন? আর আপনার এই উগ্র কথা দেখে, আপনাকে একজন মুসলিম সন্ত্রাসবাদি ভাবা যেকোন ইন্টালিজেন্স এজেন্সির পক্ষে স্বাভাবিক-তারা যদি আপনাকে ধরে গুয়াতামা বের জেলে পুরে চাবুক দিয়ে পেটায় সন্ত্রাসবাদি সন্দেহে কোন সন্দেহ নেই অনেক কাফের ও কিন্ত আপনার মত মুসলিম মৌলবাদির সেই দশা দেখে আনন্দিত হবে।
তাই আপনার কাফেরের হাত পোড়ানোর বাসনা এবং পৃথিবীর সমস্ত উগ্রধর্মবাদিদের মধ্যে যে পশুটা বাস করছে, সেটা বুঝতে শিখুন। মুসলিমদের হাতে মিমিটারি পাও্য়ার নেই। হিন্দু এবং খ্রীষ্ঠান বিশ্ব যদি তাদের ধর্মে বিশ্বাস করে মুসলিম দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, কি দুরাবস্থা আপনার হবে সেটা আগে ভাবুন।
তাই বুঝতে শিখুন ধর্মে বিশ্বাস করা মানে এই পৃথিবীটাএ নরক বানানো।
আজ এই (উইকি ইসলাম) ওয়েব সাইটটির খোঁজ পেলাম। এখানে ইসলাম ও কোরান খন্ডন করে নানান ভুক্তি করা আছে। সাধারণত ধর্ম নিয়ে, বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে মুক্তমনায় বেশিরভাগ যা যা লেখা আসে সবই এখানে আরো বিস্তারিত রয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে একজন মুসলিম সেটা পড়বে না, আর পড়লেও বিশ্বাস করবে না। ইসলাম বা যে কোন ধর্মের ইতিহাস জানানোর প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে খন্ডন করার প্রয়োজন রয়েছে সেটাও মানি। কিন্তু উদ্দেশ্যটা কি? শুধু খন্ডন করার জন্য আর নিজের নামে অনেক অনেক লেখা বের করার জন্য কি? সে জন্যে তো কেউ নিশ্চয়ই লিখি না। লিখি যদি একজন মানুষও যদি সেটা পড়ে লাভবান হয়, ধর্মের পথ থেকে সরে আসে, অথবা যদি নাও সরে আসে তারপরেও যেন অন্য ধর্ম বা যারা ধর্ম পালন করে না তাঁদেরকে যেন ঘৃনার চোখে না দেখে, সে জন্য লিখি। কিন্তু লেখার শুরুতেই যদি ধার্মিক/ধর্ম মাত্রেই ‘বাঁশ’ দিতে হবে মনোভাব পোষণ করি, আমার বিশ্বাস সে লেখা পড়তে পারে অনেকেই, হিট হতে পারে, কিন্তু সেটি কোন বিশ্বাসীকে তার বিশ্বাস হতে সরে আসার জন্য সাহায্য করবে না। বরং সে আরো অন্ধভাবে সেটাকে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করবে। কারণ সেটাই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
@স্বাধীন,
আপনার সাথে শতভাগ একমত । আমাদের এটা প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে, আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে কনভার্ট করা নাকি মানুষকে কনভিন্স করা যে যুক্তির পথেই মুক্তি সম্ভব। কনভার্ট করতে চাইলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এর বদলে মানুষকে ধীরে ধীরে যুক্তির দর্শন শেখালে মানুষকে কনভিন্স করা হয়তোবা এক সময় সম্ভব হবে যেখানে বেশীরভাগ মানুষই যুক্তির দর্শন সম্পর্কে অজ্ঞ। এ সব কিছুই সফট ডিপ্লোম্যাসি দিয়ে করা সম্ভব।
@সংশপ্তক,
আপনার প্রোফাইল দেখে দেখলাম মন্তব্যের সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন, কিন্তু পোষ্ট লেখায় এখনো গোল্ডেন ডাক কেন? লিখে ফেলুন হাত/পা খুলে 🙂 । আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
অভিজিত;
আমি দুঃখিত এই নতুন মন্তব্য করতে হচ্ছে যেহেতু তোমার মন্তব্যের সরাসরি উত্তর দেবার প্রথা মনে হয় বন্ধ —অথবা কেমন করে নুতন ভাবে ব্যবহার করতে হয় আমি জানিনা।
আমার ভূল হয়ে গেছে। ঐ সব সাইটের নাম উল্লেখ করা হয়ত ঠিক হয় নাই।
যাই হো্ক, যে কারণে করেছিলাম তা হল এই–
যারা ইসলামের সমালোচনা করে বাংলায় লিখেন তাদের লেখাগুলো যাতে বেশী পাঠক পায় সে জন্য আমি পরামর্শ দিলাম যেন তাঁদের লেখাগুলো ইংরাজিতে অনুবাদ করে ঐ সব সাইটে প্রকাশ করতে। ঐ সব সাইটের পাঠক অনেক বেশী সেটা ত অস্বীকার করা যায় না।
কিন্তু আমি কোন ক্রমেই মুক্তমনাকে খাটো করে দেখাইতে চাই নি। শুধু এইটাই বলেছিলাম যে মুক্তমনার পাঠক শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষী। কিন্তু তাদের ্লেখা ত আনর্জা্তিক পাঠকের জন্য।
অনেকের কাছে ঐ সাইট গুলো খুব নিম্নমানের মনে হতে পারে। কিন্তু অনেকের কাছে ঐ সাইটগুলো উচ্চমাণের—এই নিয়ে তর্ক করা নিতান্তই অবান্তর ও বালখিল্য স্বরূপ। মুক্তমনাকে আমরা অনেক উঁচু দরের সাইট মনে করি। ্কিন্তু অনেক সাইট আছে যারা এ ব্যাপারে এক মত নয়।
তাই এই নিয়ে তর্কবিতর্ক একেবারেই অর্থহীন।
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়? হ্যঁ, ঠিক, কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় না। কিন্তু লাঠি দিয়ে পেটানো তো দরকার। না হলে আরও মানুষকে কামড়াতে পারে। জোন্স যা করতে চেয়েছেন, তা বুঝেশুনে ঠিকই করতে চেয়েছেন। সামনে ভোট, সেজন্য ওবামা কোরান পোড়াতে দিল না। কিন্তু এভাবে কি মানুষের ক্রোধকে শান্ত করতে পারবেন? ইসলাম গত দেড় হাজার বছর ধরে পৃথিবীর যত ক্ষতি করেছে এবং এখনও করে চলেছে, তার জন্য তার শাস্তি পাওয়া উচিত।
আজকেরই খবর। চট্টগ্রামে মন্দিরে ঢুকে পবিত্র প্রতিমা মুসলমানরা ভাঙচুর করেছে। আমি কোন ব্যক্তিকে এর জন্য দায়ী করবো না। এটা ইসলামেরই দোষ।
@গোপাল,
১] ইসলাম প্রতিমা ভাঙার পক্ষে। কিন্ত কজন মুসলমান প্রতিমা ভাঙার পক্ষে বলে আপনার মনে হয়?
২] ইসলামের আরো কিছু বদভ্যেস আছে-লিস্ট করলে শেষ হবে না। সব মুসলিম কি তা সমর্থন করে?
হিন্দু ধর্মেও ভুল ভাল আচার আচরন অনেক-সব কিছু কেও কি মেনে চলে? বিধর্মীকে খুন করার নির্দেশত গীতা দেয়। মুসলিমদের মূর্তি ভাঙা যেমন পবিত্র কাজ তেমন হিন্দুদের ক্ষেত্রেও বিধর্মী খুন করা “কর্তব্য”। কজন হিন্দু বা মুসলিম ওপরের লাইন গুলোর সাথে সহমত হবেন যদিও তা ধর্মীয় কর্তব্য?
শুনুন যারা ধর্ম ধর্ম করে- ইসলাম বা হিন্দু-যাই হোক না কেন নিজের ধর্মকে সেরা বলে মনে করে তারা একই সাথে বদ্ধ উন্মাদ এবং অন্ধের চেয়েও বেশী দৃষ্টিহীন। দুর্ভাগ্য এই যে এই ধরনের লোকের সংখ্যা ইসলামে বেশী কারন ইসলামে সংস্কার কম হয়েছে রাজনৈতিক কারনে-ধর্মটাও বেশী বিবর্তিত হয় নি।
@বিপ্লব পাল,
এটা আমার কাছে নতুন খবর মনে হচ্ছে। আমার অজ্ঞতা একটা বড় কারণ। আমি গীতা পড়ে দেখিনি। বাবা পড়তেন সেই জন্য জানি, অন্যের কাছেও শুনেছি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের উপর গীতা অর্জুন আর কৃষ্ণের কথোপকথন।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে প্রায় তিন হাজার বছর আগের ঘটনা/কাহিনী/গল্প বলা হয়। পৃথিবীতে মুসলিম, খ্রীস্টিয়ান, বৌদ্ধ কোন ধর্মই ছিল না । বিধর্মী বলতে আপনি কাকে বুঝাচ্ছেন? গীতার রেফারেঞ্চটা দিলে ভাল হত। কোন না কোন হিন্দুর কাছে গীতা পাওয়া যাবে। একটু পড়ে দেখতাম। দয়া করে পৃষ্ঠার নম্বরটি দেবেন। সমস্ত গীতা পড়ার মূর্খতা আমার নাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
অধর্মের উপাসকরাই বিধর্মী হিন্দু ধর্মে।
Bhagavad Gita 2.38
sukha-duhkhe same kritva
labhalabhau jayajayau
tato yuddhaya yujyasva
naivam papam avapsyasi
“Do thou fight for the sake of fighting, without considering happiness or distress, loss or gain, victory or defeat—and by so doing you shall never incur sin.”
আবার সুফীদের মতন বৈষ্ণবরা এই ভার্সের অন্য রকম মানে করে-তাদের বক্তব্য এটি রূপক এবং কৃষ্ণ এখানে আমাদের অন্তরের অধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলছেন।
@বিপ্লব পাল,
এর সাদামাটা অর্থ হল খুন করে যাও ডাইনে বায়ে।
আমার বিবেচনায় এটি একটি স্টুপিড স্টেটমেন্ট মনে হচ্ছে।
কিন্তু বৈষ্ণবরা কায়দা করে একটা সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রশংসা করতেই হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষ্ণ নিশ্চয় অন্তরের অধর্মের কথা বলেন নাই। তিনি ডাইনে-বায়ের কথাই বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ। সরাসরি স্টেটমেন্টটি পাঠানোর জন্য।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বৈষ্ণব তত্ত্বে কৃষ্ণের প্রেমরূপই আসল-হিংসা রুপের স্থান নেই। সেখানে মহাভারতের যুদ্ধটাই রূপক-
সুফীদের আল্লাও প্রেমময়-তিনি হিংসা ছড়ান না -ভয় দেখান না!
বৈষ্ণব ধর্ম এবং সুফী ধর্মে অনেক মিল বিদ্যমান। পড়ে দেখবেন।
@বিপ্লব পাল,
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ রূপকথা ছাড়া অন্য কিছু মনে করার আমার কোন কারণ নেই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
রূপক আর রূপকথা সমার্থক না।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতন বৃহৎ কোন যুদ্ধ হয়ত হয়েছিল-যা কাল ক্রমে লোকগাথা হয়ে মহাভারতের রূপ নেয়-যা আসলে রূপকথা।
যুদ্ধ হচ্ছে শিক্ষাভূমি। কারন আসলে ত আমাদের সর্বদা যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয়-যেমন ধরুন পোকা, ভাইরাস, রোগ, দুর্বান্ধব, দেশের শত্রু, পকেট কাটা মার্কেট, ইত্যাদি শত্রুর অভাব নেই জীবনে। বৈষ্ণবরা এই লাইনেই ভাবে। কৃষ্ণও সেখানে রূপক-এক প্রেমাভাব যাকে সারা জীবন মানুষ পেতে চাই। অস্তিত্ব নেই তাও পেতে চাই!
এই মিস্টিসিজিম ঠিক এই ভাবে বোঝা যাবে না। এরা আস্তিকতা , নাস্তিকতার ওপরে অবস্থান করে। ওদের বক্তব্য জীবনে আনন্দ চাই-তার জন্যে যুক্তিভাবের চেয়ে প্রেমাভাব কার্যকরী।
@বিপ্লব পাল,
ওরাই সুখী। এই প্রেম ভাব থাকলে মুক্তমনা ছেড়ে একতারা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারতাম। Cholesterol এর চিন্তা করতে হত না।
@গোপাল,
হযরত মুহাম্মদ কাবার ৩৬০ টি প্রতিমা ভেঙ্গে ইসলাম কায়েম করে প্রতিমা ভাঙ্গার আদর্শ তৈরী করে রেখে গেছেন সূতরাং………………।
গোপাল সাহেব,
আপনি কি দেখেছেন কে মন্দিরে প্রতিমা ভেঙ্গেছে? খোঁজ নিয়ে দেখুন যে কোন ধর্মেই আস্থা রাখে না সে-ই এ কাজটি করে থাকবে। আর আপনি যেভাবে ইসলামকে দুষলেন। এ রকম একটি জঙ্গি দুষণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই কেউ এ কাজ করে থাকবে। আপনি আমার ভাই । সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করলেই দেখবেন আপনার আত্মাও তৃপ্তি পাবে। সকল ধর্মই স্রষ্টার সৃষ্ট পৃথিবীতে বিদ্যমান। স্রষ্টাই যখন সহ্য করছে । আপনিও অনুভুতিকে একটু শানিত করুন।
আদিল মাহমুদ লিছেন –
“…ফ্লোরিডার একজন ইমাম সাহেব। এই ইমাম সাহেবকে আমি চিনি না, তবে এনার ইমামতিতে বহু নামাজ পড়েছি। উনি কোন ফালতু কথা বলার মানুষ না। খুবই স্মার্ট লোক, পশ্চীমের অন্য ইমামদরে মত কাফেরদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে, কাফের নাসারাদের জীবন পদ্ধুতি কত জঘন্য এ ধরনের কথাবার্তা তিনি বলেন না। এই ব্যাক্তি গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ হবে না বলে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বাস করা যায়? ফ্লোরিডার ইমাম সাহেবের আদৌ সে আশ্বাস দেবার ক্ষমতা আছে? কমনসেন্সের ব্যাপার নয় কি?”
মনে হচ্ছে, আপনার প্রিয় ইমাম সত্যিই স্মার্ট। তার ধীরস্থির ভঙ্গির কথাবার্তা শুনে সেটাই মনে হয়। তবে তার ডালের কিছু অংশ ভালোমতোই কালো বলে মনে হচ্ছে।
প্রথমে একটি ছোট্ট অ্যালার্ট ভিডিও দেখুন। ইউটিউবে প্রকাশ তারিখ ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০১০।
httpv://www.youtube.com/watch?v=y3kULrLBjlM
এবারে উপরের ভিডিওতে উল্লেখ করা ভিডিও দেখুন। প্রকাশকাল ২৯শে আগষ্ট, ২০১০ অর্থাৎ এই ইমামের চরিত্রে কালিমালেপনের বিশেষ উদ্দেশ্যে নির্মিত নয়। এখানে দেখান হচ্ছে তার মসজিদের হামাস-কানেকশন এবং হামাসের জন্য অর্থ সংগ্রহ। ভিডিওতে ইমামের নামও এসেছে।
httpv://www.youtube.com/watch?v=f-HIQQMUrLc
@নিস্তব্ধ বার্তা,
আমার বন্ধু যার কাছে এক লেখক (বা লেখিকার) ছদ্মনাম নিয়ে বাজি ধরে দশটা পাউন্ড হারিয়েছিলাম, তার সাথে বসে পাদ্রি পাস্টর আর ইমাম মুসুরির বক্তব্য শুনছিলাম। হঠাৎ সে আমাকে প্রশ্ন করলো- বেশ কিছু ইন্টারভিউ তো আমরা দেখলাম, এবার বলো – ইমাম মুসুরি নিয়ে তোমার ধারণা কী? আমি বললাম – নারে ভাই, ইমাম মুসুরির মিঠামিঠা কথা, বুদ্ধিজীবী ভাষা, মায়াবি দুটো চোখ, নিস্পাপ-নিস্কলংক চেহারা দেখে আমি অনুমান নির্ভর কথা বলে আর বাজি ধরতে রাজি নই। সে বললো, তাহলে চলো আমরা এই ভিডিটিওটা দেখি (আপনার দেয়া দ্বিতীয় ছবি)। সে মাঝে মাঝে ঐ সমস্ত বিতর্কিত ইম্পোর্টেন্ট বিষয়াদি রেকর্ড করে রাখে, পরে অবসর সময়ে আমরা বসে দেখি।
আপনার দেয়া ভিডিও দুটো আমি আগেই দেখেছিলাম। এন্টি মুসলিম বা এন্টি ইসলামের অপবাদ পাওয়ার ভয়ে এ নিয়ে আর কথা বাড়াইনি। অবাক হলাম দ্বিতীয় ভিডিওটি দেখার পর মুক্তমনায় কোন মন্তব্য আসছেনা দেখে। আমার বন্ধু মন্তব্য করেছিল এই বলে- ইমাম মসুরি পাস্টরের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধি করেছে। অবশ্য আমি তার মন্তব্যের সাথে এখনও একমত নই।
@নিস্তব্ধ বার্তা,
আমি ইমাম সাহেবের সম্পর্কে বিস্তারিত রিসার্চ কোনদিন করিনি। তার সাথে আমার ব্যাক্তিগত আলাপ নেই তাও বলেছি। তার সম্পর্কে আমার মন্তব্যের সম্পূর্ন ভিত্তি ছিল জুমার নামাজে শোনা তার খোতবা সমূহ। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন নামাজ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যত ওয়াজ শুনেছি তার মধ্যে তিনি একজন বিরল চরিত্র যাকে কোনদিন কাফের নাসারাদের গালিগালাজ ও আমরা মুসলমানেরা কত সভ্য ও উন্নত দর্শনের অধিকারী এই তত্ত্বের ভিত্তিতে কথাবার্তা বলতে শুনিনি। স্বভাবতই তার সম্পর্কে আমার তূলনামূলকভাবে ভাল ধারনা হয়েছিল। এসব কারনেই আমি এক সময় মসজিদে যাবার উতসাহও হারিয়ে ফেলি।
এই ভদ্রলোক ফ্লোরিডার গভর্নরেরও আস্থাভাজন ছিলেন তাতো ভিডীওতেই দেখলেন। খোদ গভর্নর ঘোল খেলে আর আমি আদিল কে বলেন? তবে এ বিষয়ে ভদ্রলোকের বক্তব্য শুনতে পেলে ভাল হত।
ওনারও এই রোগ আছে আমার জানা ছিল না, তবে খুব একটা অবাক হইনি। কোন ধর্মই হিংসা দ্বেষ ছড়ায় না, সব ধর্মই সমান বা একে অপরকে শ্রদ্ধা করে এই ধরনের মহা পুরুষ সূলভ কথাবার্তা প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস করলে পালন করা সম্ভব নয় আমি আগেও বলেছি। এক সময় না এক সময় উদারতার মুখোশ ত্যাগ করতেই হবে।
কোরান পোড়ানো উচিত ছিল। পড়ুন http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=136054&cid=2
আফগানস্থানে একসময় কত মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে , তখন আমাদের দেশে ও মুসলিম দেশগুলোতে তেমন কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। কথায় আছে ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হয়। যার কোরান সে ইচ্ছা হলে পুড়াতে পারে , এতে অনেকে অসভ্যতা দেখতে পাচ্ছেন ।কিন্ত কোরানে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের বিরুদ্ধে যে সব কথা লেখা আছে তাতে কোন অসভ্যতা দেখতে পাচ্ছেন না!!!!!!!!
@আদিল মাহমুদ,
আমি বলেছিলাম, কোরান পোড়ানোকে মুসলমানরা যদি কোন পাত্তা না দেয়, তারপর কী হবে? আপনি উত্তর দিয়েছেন, কী কারণে কী উদ্দ্যশ্যে পাদ্রী কোরান পোড়াতে চান। এটা আমার প্রশ্নের উত্তর নয়।
আচ্ছা এর আগেও পৃথিবীতে শুধু কোরান নয় অন্যান্য ধর্মগ্রন্থও পুড়েছে, কেউ পাত্তা দেয়নি। মনে করুন আজ মুসলমান নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে কয়েক হাজার বাইবেল পোড়ালো, খৃষ্টান কোরান পোড়ালো, কেউ কাউকে পাত্তা দিলনা, তখন কী হবে? বড়জোর দুই আল্লায় আসমানে কিছুদিন কিলা-কিলি, কুস্তা-কুস্তি করবে, তারপর তারাও শান্তি হয়ে যাবে? ঠিক কি না বলেন।
আচ্ছা আপনি কি আহমেদ দিদাত এর কোন বই কেতাব পড়েছেন। ভদ্রলোকের নামধাম শুনেছি, এই প্রথম দেখলাম। এ বেচারার অবস্থা তো দেখি জাকির নায়েকের চেয়েও খারাপ। বেচারা সারা দুনিয়ার সামনে বাইবেলের যে কলঙ্ক তুলে ধরলেন, কেউ কি কোন টিভি চ্যানেলে কোরানের সমালোচনা এভাবে করতে দেখেছেন?
httpv://www.youtube.com/watch?v=Cr6YMffi40g&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=JelO2hwx83U&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=nuERO10ZMGo&feature=related
@আকাশ মালিক,
নাহ, এই ভদ্রলোকের কথা তেমন জানি না। মনে হয় ইনি আরো আগের আমলের। বেশ জনপ্রিয় শুনেছি, জাকির নায়েকের সাথে সাথে এনার নামও উচ্চারিত হতে শুনেছি।
ভিডিও এখনো দেখিনি। তবে যা বলবেন মনে হছে তাতো নুতন কিছু না। প্রথাগত ধর্মগুলির আরেক দ্বি-চারীতার অত্যতম নিদর্শন হল সব ধর্মই সমান, কোন প্রকৃত ধার্মিক অপর ধর্মের প্রতি বিরুপ হতে পারে না এই ধরনের মন ভোলানো সুমিষ্টি কথাবার্তা। ধর্মের বিষময় দিক যথাসম্ভব চাপা দিতে একটু উদারমনারা এই ধরনের কথাবার্তা বলে থাকেন। যদিও ধর্মগ্রন্থগুলি এই ধারনার সম্পূর্ন পরিপন্থী। এটা হল আসলে একটি অলিখিত চুক্তি; তুমি আমার নোংরা ধরে টানাটানি করতে যেয়ো না, তাহলে আমি আমিও কিন্তু ছাড়ব না। কি দরকার দুজনরাই গুহ্য কথা ফাঁস করার? তার চেয়ে তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার। তবে এই অলিখিত চুক্তি সবসময় রক্ষা করা সম্ভব হয় না বলাই বাহুল্য।
কাগজের কোরান বাইবেল পোড়ালে আল্লাহ বা গডের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় না, নবীজির কার্টুন ছাপালে পরলোকগত নবীজিরও কিছু যায় আসে না। তবে যায় আসে অতিমাত্রায় ধার্মিক কিছু মানুষের, যারা নিজেদের মানুষ পরিচয়ের থেকে বড় করে দেখে ধার্মিক পরিচয়।
আমার ব্যাক্তিগতভাবে এসবে তেমন কিছু যায় আসে না, শুধু মূল্যবান সময় ও শ্রমের অপচয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া। তেমনি ঈশ্বরের প্রমান ঘটিত বড় বড় দার্শনিক লেখা বিতর্ক দেখলেও আজকাল তেমনই অনুভূতি হয়।
এসব মেনে নিতে পারি না নিরীহ মানুষ হিসেবে শান্তিপূর্ন জীবন চাই বলে। আল্লাহ গডের অনুসারীরা এসব করে বেড়াবেন আর ফল ভোগ করব আমরা তা কিভাবে মেনে নেই?
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
দেখেছেন, লাখ লাখ মানুষ হা করে শুনছে।
“কথা বলতে পারা্টা” সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গুণ। পৃথিবীতে প্রচুর মানুষ জন্মেছেন যারা তাদের এই গুণ দিয়ে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। কাদের কথা বলছি? – যারা ধর্মগুলো সৃষ্টি করেছেন। তারা প্রত্যেকে মাত্র একটা করে বিরাট মিথ্যা বলেছেন আর একটা করে ঈশ্বর সৃষ্টি হয়েছে। কোটি কোটি লোক অন্ধ বিশ্বাসে এখনও বিশ্বাস কর চলেছে।
আহমেদ দিদাত একই রকম কথা বলার উস্তাদ। এই যুগে তিনি নতুন কোন ঈশ্বর সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন না । সম্ভবও না। তাই তিনি মানুষের মগজ ধোলাই করে চলছেন। ভিডিওগুলো দেখে আমার মগজও ধোলাই হয়ে যায় যায় অবস্থা।
কোরান পুড়ানোর হুমকি দেওয়াকে অসভ্যতা বলা গেলে গীবত গাওয়াকে কি অসভ্যতা বলা যায়?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
– অবশ্যই অসভ্যতা। আমি বাইবেল বা গীতা পোড়ালাম না, তবে সেসব ধর্মের শাপ শাপান্ত করে ছাড়লাম, এর সাথে পোড়ানর তেমন কোন পার্থক্য আমি বুঝি না।
@আদিল মাহমুদ,
আহারে, আমাদের আদিল ভাই বলেছেন । আচ্ছা আদিল ভাই, দেখান তো উনি কোন জায়গায় এই কথা বলেছেন ? অথবা অর্থগত দিক থেকে এই কথা বলেছেন ? আপনার কথা বার্তা দেখলে অবাক হতে হয়, বুঝতে পারি না, আপনি কি যুক্তিবাদী নাকি অন্ধবিশ্বাসী।
@ফুয়াদ,
– প্রথমেই বলি যে ভদ্রস্থ ভাবে বিতর্ক করতে চাইলে এই জাতীয় ভাষা দয়া করে পরিহার করবেন।
আমার এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে এখন আর তেমন ভাল লাগে না। আপনার কথায় বেহুদা সময় নষ্ট করতে হল কিছুটা।
এই ভদ্রলোকের মতে বাইবেল গডের বানী নয়, এবং তিনি তা রীতিমত প্রমান করে দিয়েছেন,তাই না? এই বক্তব্য মনে হয় উনি আমেরিকায় দিচ্ছেন নাকি দেবেন (ব্যাটন রুশ শহরের নাম শুনলাম মনে হয়)। এহেন বক্তব্যে আপনি কোন রকম সমস্যা পাননি,পাবার কথাও না কারন আপনার নিজের বিশ্বাসও সেটি। এখন একজন ধর্মপ্রান খৃষ্টান এনার এই লেকচার কিভাবে নেবে? তার অনুভূতিতে আঘাত লাগবে না? নাকি ধর্মানুভূতি শুধু একা আপনাদেরই আছে?
এখন কেউ যদি বলে যে কোরান গডের বানী নয়, আপনি তা কিভাবে নেবেন? উদারতা দেখিয়ে বলবেন যে তাতে কোন সমস্যা দেখেন না; নাকি তেড়ে ফুড়ে উঠবেন? কেউ যদি বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে অবিকল একইভাবে কোরান হাতে নিয়ে এতে অনেক বিধিবিধান আছে যা এ যুগে হাস্যকর, ভাষাগত বা নানান অসংগতি আছে -তাই এটা গডের বানী হতে পারে না বলে প্রচারনা করে তবে তার কি পরিনতি আপনি আশা করতে পারি? প্রথমেই চীতকার দেবেন না যে আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে?
এক ধর্মের লোকে কখনো অন্য ধর্মকে হেয় বা অপমান করে না এই বক্তব্য কতটা ঠিক বলে আপনার মনে হয়? আমি অন্য ধর্মকে অপমান করি না, তাদের পুর্ন সম্মান করি, তবে প্রমান করে ছাড়ি যে তাদের ধর্মগ্রন্থ গডের নয়, কেবল আমারটাই অথেন্টিক গডের – এহেন এনালজিকে আমি কিভাবে বিচার করতে পারি? উদারতা নাকি অন্য কিছু?
আপনি নিজে কি বিশ্বাস করেন তা আপনার ব্যাপার। তবে কেউ যদি একই সাথে দাবী করেন যে তিনি কোন ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে দুই নম্বর বলে মনে করেন কিন্তু সেই ধর্মের প্রতি কোন অশ্রদ্ধা পোষন করেন না তবে তাকে আমি হয় নির্বোধ না হয় ভন্ডই বলব। এখন আপনি যদি সরাসরি বলেন যে আমি অবশ্যই আমার ধর্মকে শ্রেষ্ঠ এবং বাতিল সব ধর্মকে বাতিল বলে মনে করি তাহলে আমার কিছু বলার নেই। প্রথাগত ধর্মে শতভাগ বিশ্বাস করলে এই পথ ধারন না করে আসলে উপায় নেই। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।
কোরান বাইবেল কোনটা গডের বানী আর কোনটা নয় তা প্রমানের যৌক্তিক কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই।
আমার অন্ধিবিশ্বাস এখানেই আপনার উদার দৃষ্টিভংগীর কাছে পরাজিত।
@আদিল মাহমুদ, শুধু শুধু মন্তব্য করে নিজের পাঁচ-দশ মিনিট নষ্ট করলেন। এই চুয়াদ রামছাগলটাকে আপনি আর হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাবেন মনে করেছেন? ও নেই এখন, উধাউ হয়ে গিয়েছে। হরিণ যেমন তাড়াকরা বাঘকে না দেখার ভান করে ঝোপে মুখ লুকিয়ে রাখে, চুয়াদ ফান্ডিও সেইরকম উধাউ হয়ে গিয়ে না দেখে থাকার ভান ধরছে কতোটা অস্বাগত সে মুক্তমনাতে। হয়তোবা ওর সদালাপী হয়রান-বাবার কোলে উঠে বসে আছে, ঘোড়া চালাচ্ছে হয়তোবা। হয়রানের জোব্বার তলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছে চুয়াদ, লোমশ বুকের উষ্ণতায়। এখন আপনি আর ওর দেখা পেতে যাচ্ছেন না। আদিল মাহমুদ আমার মনে হয় আপনার জেন্টেলম্যানশিপ আর পলিটিকাল কারেক্টনেসকে দুর্বলতা হিসেবে জ্ঞান করে ইসলামিস্টরা আপনাকে বুলিয়িং করার জন্য সবার প্রথমে পছন্দ করে। এটা আপনি মানুন আর নাই মানুন, ইসলাম কিন্তু শক্তের ভক্ত নরমের জম। এই হম্বিতম্বি করতে করতে নিজেদের প্রস্টেট ঘাড়ে তুলে ফেললো আবার কোঁককা মেরে ধরলে করে মিউ মিউ। ডুস-থলে।
@আল্লাচালাইনা,
ফুয়ার সাহেব যা জানতে চেয়েছিলেন জানিয়েছি বলে মনে হয়। ওনার কাছে গ্রহনযোগ্য না হলে উনি অবশ্যই কারন জানাতে পারেন। না জানালেও বলার কিছু নেই। এ ধরনের কথাবার্তা ওনার সাথে আগেও বহুবার হয়েছে।
উনি ওনার মন্তব্যে একটু ব্যাক্তিগত ব্যাক্তিগত সুড়সুড়ি দায়ক কথাবার্তা ছিল, সে বিষয়ে ওনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছি, আশা করছি উনি সেটা বুঝতে পারবেন।
তবে আপনি যে ভাষা ব্যাবহার করলেন তা আমরা মুক্তমনায় মনে হয় না কেউই আশা করি। একই কথা বিশেষ শব্দগুলি ব্যাবহার না করেও বলা যেত। আশা করি ব্যাক্তিগতভাবে নেবেন না। সাইটের স্বার্থেই বলছি। যাদের সূস্থ যুক্তিতর্কের অভাব হয় তারাই আড়ালে গালিগালাজ করে, তাদের গুরুত্ব দেবার কিছু দেখি না। আর তাদের পথ আমরাও অনুসরন করা মানে তো নিজেদের তাদের শ্রেনীতে নামিয়ে আনা।
@আল্লাচালাইনা,
অশালীন ভাষা এবং বিশেষণ ব্যবহারের জন্য আপনাকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য এলে মডারেটরদের তরফ থেকে তা মুছে দেওয়া হবে।
আমাকে আক্রোশ করিল, আমাকে প্রহার করিল, আমাকে জয় করিল, কিংবা আমার সম্পত্তি হরণ করিল, যাহারা এইরূপ চিন্তা পোষণ করে তাহাদের শত্রুতার উপশম হয় না। কোরাণ পোড়ানোর মাধ্যমে হিংসা প্রদর্শন করে হিংসা বাড়ানো যায়, কিন্তু হিংসার শেষ হয় না। আমি জানি কোরানের কিছু কিছু উক্তি হিংসা মূলক। এই হিংসার উত্তর দিতে হবে যুক্তির ও মৈত্রীর মাধ্যমে।
বই পোড়ানোর ইতিহাস-লিংকে ক্লিক করুন
ভারতে ২০০১ সালে কোরান পোড়ানো হয়েছিল বাহমান বুদ্ধের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে-মিডিয়া সেই খবর ছাপায় নি-কারন ভারতে মিডিয়া সেন্সরশিপ প্রবল। পরে সেই খবর বেড়িয়েছে।
কোরান পোড়ানোর বিষয়টা আসলে প্রতিকী একটা ব্যপার। এর অর্থ মানুষকে বুঝিয়ে দেয়া যে কোরান আসলে ঐশী কোন গ্রন্ছ নয়। এটা অন্যান্য গ্রন্ছের মতই সাধারন একটা বই যা পোড়ালে কোন কিছুই হয় না। অন্য অর্থে এটাকে আল্লাহর প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবেও নেয়া যায়।আল্লাহ যেহেতু কোরানের রক্ষাকর্তা, তাহলে কোরান পোড়ানোর সময় আল্লাহ কোননা কোন ভাবে কোরানকে রক্ষা করবে। এখন দেখা যাক, কোরান পোড়ানোর সময় আল্লাহ তার কোরানকে রক্ষা করে কিনা।
কুরান পুড়ানোর মধ্যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্টার সুত্র খুজে পাওয়ার মুর্খামি শুধুমাত্র ধার্মিকদের পক্ষেই সম্ভব। যুগ যুগ ধরে ধার্মিকরাই মসজিদ ভেংএছে মন্দির ভেংএছে। এসব অপকর্মে নাস্তিকদের অবদান বরাবরি শূন্য। কেউ যদি মনে করে গোটা শয়েক কুরান পোড়ালে পৃথিবী থেকে এই রাক্ষসী গ্রন্থটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে, মুছে যাবে জিহাদীদের মন থেকে কুরানের জিহাদ সংক্রান্ত ভয়ংকর সব আয়াত গুলো তবে তাদের থেকে বড় ঐশ্বরিক গাধা আর কে হতে পারে???
পুনশ্চঃ
আপনারা অনেকেই অনুরোধ করেছেন ‘ইসলামের ইতিহাস’ (অবশ্যয়ই রক্ত ঝরা) নিয়ে একটি বই লেখার। এই আনুরোধের জন্য আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতার্থ— আমার যে বিশ্বাসই হয় না কেউ আমার বাংলা লেখা বই পড়বে।
বর্তমানে আমার দুই হাত পরিপূর্ণ—অনুবাদের কাজে প্রচুর সময় লাগছে। এই কাজটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু ্লিখার অবশর পাচ্ছি না–এমন কী মুক্তমনা ও নিয়মিত দেখা হচ্ছে না।
তবুও আপনাদের এই অনুরোধ ভবিষ্যতে পূরণ করার আশা করছি।
@আবুল কাশেম,
কী যে বলেন, আপনার হাতে বাংলা ভাষায় লেখা বই পড়ার জন্য কী কৌতুহল নিয়ে বসে আছি তা যদি আপনাকে বুঝানো যেত। প্লিজ লেখেন। আপনার ইংরেজিতে লেখা বই গুলোও আস্তে আস্তে যদি অনুবাদ করে ফেলতেন।
তবে হ্যা, বর্তমানে যে কাজটা করছেন তা ঠিকভাবে সম্পন্ন করে ফেলেন। অনেক ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
আরো একটা ধর্ম-মোকারী সাইট? না, না, তা করতে যাবেন কেন? ‘ইসলাম ব্যাশিং’ শব্দটাই আপত্তিকর। ইসলাম বা কোরানের সমালোচনা করার নাম ‘ইসলাম ব্যাশিং’ নয়। আর শুধু ইসলাম কেন, সমালোচনা হবে সকল ধর্ম ও সকল ধর্মগ্রন্থের। ধর্মগ্রন্থকে বিজ্ঞানের মুখোমুখি দাঁড় করায়ে, ধর্মের ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে, দালিলিক, প্রামাণিক বুদ্ধিভিত্তিক, যৌক্তিক, তথ্যবহুল অনুসন্ধানী লেখা দিয়ে, মানুষের সামনে ‘যে সত্য বলা হয়নি’ সেই সত্য তুলে ধরবেন, মানুষকে সত্যের দিকে আহবান করবেন, এর নাম ‘ইসলাম ব্যাশিং’ নয় বরং ‘সত্যের সন্ধান’। যে সমাজের মানুষের মঙ্গলার্থে এই মহৎ উদ্যোগ, সেই সমাজের সমর্থন ও সহযোগিতা জোরপূর্বক (by bashing) অর্জন করা সম্ভব নয়। এতে হিতে বিপরীত হয়। এ পর্যন্ত যে সকল বাংলা ওয়েবসাইট দেখেছি, আমার তো মনে হয়না ধর্মের সমালোচনা ‘মুক্তমনা’ এর চেয়ে বেশী কোথাও হয়েছে। মুক্তমনায় ধর্মের সমালোচমুলক জ্ঞাণীগুণীদের প্রচুর লেখা আছে, আলাদা বাংলা ওয়েবসাইট করতে হলে, চিন্তাশীল মানুষের সহযোগীতা সমর্থন প্রয়োজন।
অনাহারি ক্ষুধার্তের মুখে অন্ন তুলে দিতে গিয়ে প্রশ্ন করা উচিৎ নয়- ‘তোমার তকদিরে আল্লাহ ভাত লিখে নাই কেন’? এর উত্তর তার জানা নেই।
বেঁচে থাকলে পরে হয়তো একদিন বুঝতে পারবে, তার দুটো হাতের নামই তকদির বা ঈশ্বর।
@আকাশ মালিক,
আপনার কথা সঠিক—সব মেনে নিলাম।
আসল ব্যাপার এই রকম।
আমি ‘ব্যাশার’ শব্দটা ব্যবহার করেছি, বড়ই দুঃখে ব্যাবহার করেছি । আমাদেরকে অত্যান্ত অন্যায়ভাবে ব্যাশার আখ্যায় আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা কিছুই বলি না। এ ব্যাপারে আমি ফরিদকে লিখেছি। পড়ে দেখবেন।
ধর্মের ব্যাপারে আপনি আমার স্থান ভালভাবে জানেন। আমরা যারা ইসলাম নিয়ে প্রচুর ঘাঁটাঘাঁটি করেছি তারা ইসলাম নিয়ে লিখবে এটাই ত স্বাভাবিক। আমরা কি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদী ধর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করার যোগ্যতা রাখি?
যাই হোক ওয়েব সাইট খোলার মত আমার যোগ্যতা অথবা সময় নাই। তাই এই আইডিয়াটা মাঠে মারা পড়ল। আমি আমার ‘চিন্তা’ উঠিয়ে নিলাম।
@আবুল কাশেম,
আপনি আপনার মতামত, বক্তব্য, প্রতিবাদকে ইসলাম ব্যাশিং বলেন আর যাই বলেন অথবা যে শব্দেই আখ্যায়িত করেন এটাতে কিছু যায় আসেনা, এটা নিয়ে মাথা ব্যথা হওয়ারও কোন কারন দেখিনা। একটাই অনুরোধ আপনি আপনার লেখা দিয়ে অবশ্যই সত্য উদ্ঘাটন করে যাবেন। আমরা সবাই জানি সত্য সবসময়ই অপ্রিয় হয় এবং হবে।
দেখুন-
Fla. minister cancels burning of Qurans on 9/11
ভাল কথা। এই খবরটা যদি সত্যি হয় তবে মানতেই হবে টেরি জোন্স, সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সে বলদ নয়। সে নিশ্চয় এক ধুর্ত শৃগাল। তার পদক্ষেপ সঠিক হয়েছে। ইসলামিরা শক্তের ভক্ত —নরমের জম। ব্লুম্বার্গ, হিলারী ক্লিন্টন–মায় ্তথাকথিত মহা শক্তিশালী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যা করতে পারেন্ নাই—এক খুদে, অজানা পাদ্রী এক ধাপেই করে ফেলল। সত্যই এই পাদ্রীর বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়।
@আবুল কাশেম, নাহ, এখন শোনা যাচ্ছে যে এরকম কোন চুক্তি নাকি ইমাম কখনই করেনি। এই পাদ্রি তো মনে হয় মানসিক রোগী, এর বুদ্ধির বেশী প্রশংসা না করাই ভাল 🙂 । আজকের খবরে বললো সে যখন কোরান পোড়ানোর কথা বলেছিল তখন নিউইয়র্কের মসজিদ নাকি কোনরকম কোন এজেন্ডার মধ্যেই ছিল না, এখন চাপের মুখে নিজের মুখ বাঁচাতে সে নাকি এসব কথা বলছে। সব ধর্মের ফ্যানাটিকেগুলারই একই চেহারা…
@বন্যা আহমেদ,
এই মাত্র আমি আমার এক বিশ্বস্ত বন্ধুর এ-মেল পেলাম। সে লিখেছে ইমাম রৌফ রাজী হয়েছে গ্রাউণ্ড জিরো থেকে মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নিতে। হয়ত কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা প্রকৃত সংবাদ জানব।
যাই হোক, ঐ সংবাদটা যদি সত্যি নাও হয় তবুও পাদ্রি টেরি জোনস কে বলদ ্বলা হয়ত সঠিক হবে না। এর কারণ আমি আগের মন্তব্যে দিয়াছিলাম। হাস্যরূপে হয়ত ‘ছাগল’ বলতে পারি।
একটা কথা স্বীকার করতেই হবে—আমেরিকার ভীরু, সুবিধাবাদী, মেরুদণ্ডহীন ও লোভী তথাকথিত নেতাদের চাইতে এই ক্ষুদ্র, অজানা, অবহেলিত পাদ্রীর অনেক সাহস আছে—তা ভালোর জন্যই হোক অথবা মন্দের জন্যেই হোক। আমেরিকার সৈনিকরা কী এতই দুর্বল যে নিজেদের আত্ম রক্ষা করার মত ক্ষমতাও নাই। তা হলে ত মনে হয় আমেরিকার সব সৈন্য ঘরে ফিরে মায়ের ্দুগ্ধ পান করুক। অতি দূর্বল এই সব নপুংশক সৈনিকদের বিদেশে গিয়ে যুদ্ধ করা শোভা পায় না।
হাঁ, আমি আপনার সাথে একমত–সব ধর্মের চরমপন্থীদের মানসিকতা বোধকরি একই প্রকার। তফাৎ হচ্ছে, ইসলামি চরম্পন্থিরা কথায় এবং কাজে এক—তারা যখন খুন করবে বলে তখন ঠিকই তাই করে ফেলে। অন্যান্য ধর্মের চরম্পন্থীরা কিছুটা অলস ও ভণ্ড–তারা শুধু ধর্ম প্রচারই করে—কাউকে খুন করার ধমকি দেয় না। দিলেও তা করতে চায় না।
এই দেখুননা, ইসলামি খুনিরা আমাকে খুন করবে বলে অনেক ই-মেল দিয়েছে। আমি ্কি তাদের ই-মেল গুলিকে উপেক্ষা করতে পারি?
আবুল কাশেম,
জীবনে একবার চরম রক্ষণশীল ফক্স নিউজের সাথে একমত না হয়ে পারলাম না। বিল ও রাইলি এই পাদ্রিকে ‘পাব্লিসিটি হোর’ বলে সম্বোধণ করলেন। সর্বশেষ খবরটা মনে হয় এটাই যে কোন সিদ্ধান্তই হয়নি এ ব্যাপারে, গতকাল যা ঘটেছে তা কতখানি সত্য এবং কতখানি মিথ্যা তা এখনো কেউ বলতে পারছে না।
তবে আপনি আমেরিকার নেতাদের যেভাবে ‘ভীরু, সুবিধাবাদী, মেরুদণ্ডহীন ও লোভী তথাকথিত নেতা’ বলে অভিহিত করছে সেটার সাথে দ্বিমত পোষণ না করে পারছি না। তারা ( অন্যান্য সব দেশের রাজনীতিবিদদের মতই তারা, কিন্তু ক্ষমতা আছে বলে অনেকের চেয়ে অনেক বেশী কিছু করতে পারে তারা) আপনার আমার চেয়ে অনেক যোগ্য, চতুর, বোল্ড, লজ্জাহীনভাবে সুযোগসন্ধানী। সারা পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধগুলো দেখলেই বুঝবেন, তারা যা করে তার সবকিছুর পিছনেই খুব চতুর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক হিসাব কাজ করে। তারা প্রয়োজনে করতে পারে না এমন কিছুই নেই, সেটা কোরাণ পুড়ানোই হোক আর বাইবেল পুড়ানোই হোক আর মানুষ পুড়ানোই হোক। তারা এই কোরাণ পুড়ানোর বিরোধিতা করছেন অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবেই। এ ব্যাপারে আমার নিজস্ব অবস্থানটা ক্লিয়ার করি, তাহলে হয়তো বিতর্কটা খারাপ দিকে যাবে না। আমি আসলে গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর বিরোধী এবং একই কারণে কুরাণ পুড়ানোরও বিরোধী এবং আমার কাছে মসজিদ বানানোর চেয়ে কুরাণ পুড়ানোটা অনেক ছোট সমস্যা বলেই মনে হয়। তবে এই পাদ্রি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করতে চাচ্ছে তা আমার কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
আমার মতে তারা করে না কারণ ওরা তেমন একটা সুযোগ পায় না এবং ইসলামের যে রিফরমেশন এখনো হয়নি তারা সেই রিফরমেশনের মধ্যে দিয়ে ইতোমধ্যেই যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেলেই যে করে তার প্রমাণ হচ্ছে এবরশান ক্লিনিকের ডাক্তারদের হত্যা বা হোমসেক্সুয়ালদের হত্যা করার মত ঘটনাগুলো অথবা গডের রাজত্ব কায়েমের জন্য নেটিভ আমেরিকানদের বিলুপ্ত করে দেওয়ার কাহিনি।
ইসলাম এখনো সেই মধ্যযুগীয় ফিউডাল পর্যায়েই রয়ে গেছে। আমার কাছে কারা এই ইসলামকে এভাবে টিকিয়ে রাখছে এবং কেন রাখছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাক, এ নিয়ে বিতর্ক করে কোন লাভ নেই, আপনি এবং আমি এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি 🙂
@বন্যা আহমেদ,
বন্যার সাথে দেখছি ইসলামের ব্যাপারে একমত হওয়া গেল। আমার ও কোন সন্দেহ নেই ইসলামিক মৌলবাদের উত্থানে আমেরিকার পরিকল্পিত হাত খুবই লম্বা। ওয়াশিংটনে এসে ব্যাপারটা আমার মনে আরো দৃঢ়বদ্ধ হচ্ছে। ডিফেন্স কোম্পানীগুলির প্রাইভেটাইজেশন খুব ভয়ংকর। আগে শুধু আমেরিকা ছিল। এখন চীনেও ডিফেন্স প্রাইভেটাইজেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারতে প্রচুর চীনের অস্ত্র আসছে-যার কিংপিন পরেশ বরুয়া। ভারতেও ডিফেন্স রিসার্স ও উৎপাদন যা সম্পূর্ন সরকারি শুনছি বেসরকারি হাতে যাবে। এটা হলে ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের যুদ্ধ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ডিফেন্স কোম্পানীগুলির প্রাইভেটাইজেশন এই সভ্যতার ভয়ংকরতম দুশমন। অশান্তি সন্ত্রাসবাদ হত্যা যুদ্ধ না থাকলে এদের ব্যাবসা বসে যাবে। কমিনিউস্টরা যদ্দিন ছিল, এদের শত্রু লাগে নি। কমিনিউজমের পরে এখন ইসলামকে খেলাচ্ছে-কারন ইসলামিস্ট এবং কমিনিউস্টদের মতন নির্বোধ কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। আই কিউ লেভেল সব থেকে কম ধর্মভীরু মুসলিমদের-আর সেই জন্যে তাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে, নিজেদের ব্যাবসা টেকাচ্ছে এরা।
কালকের খবরে যা পড়লাম তাতে বাংলাদেশের জন্যে ভয় হচ্ছে। চীনের প্রাইভেট কোম্পানীগুলো থেকে প্রচুর অস্ত্র বাংলাদেশ হয়ে ভারতে আসছে। এরা চাইবে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো খারাপ হোক-বাংলাদেশে আরো ইসলামিক জঙ্গি আসুক-যাতে এদের অস্ত্র বিক্রি বারে পরেশ বরুয়াদের কেও না ধরে।
@বিপ্লব পাল, না পড়ে থাকলে এবং সময় পেলে দ্য কনফেশান অফ এন ইকনমিক হিটম্যান বইটা পড়ে ফেল। আমি লেখকের বিশ্লেষণের সাথে কয়েকটা জায়গায় একমত না, কিন্তু তার বলা ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানাটা জরুরী। তার দেওয়া প্রতিটা তথ্যই সত্য কি সত্য না তা তে আমার কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে ম্যাসেজটা গুরুত্বপূর্ণ। তোমার সাথে যেহেতু এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই, তোমারও হয়তো বইটা পড়ে আমার মতই মনে হবে যে, এসব কিছুই তো জানতাম, কিন্তু এগুলোর সাথে সরাসরিভাবে জড়িত কেউ স্পেসিফিক উদাহরণ দিয়ে এ নিয়ে লিখছে দেখে ভালো লাগলো।
@বন্যা আহমেদ,
পড়েছি এবং এর একটা সামারীও আমার একটা আর্টিকলেই পাবে
এই লিংক কে দিলাম।
ডাউনলোড না করলে পিডিফ ফাইলটা কোরাপ্ট দেখাবে
@আবুল কাশেম,
কিছু উদারপন্থীরা (এই ব্লগেও আছে) প্যাস্টর জোন্সের কুরাণ পোড়ান ইসলামী জঙ্গীবাদীদের (যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করে) মতই ঘৃণ্য অপরাধ বলছে, কারণ কুরাণ পোড়ালে ইসলামী জঙ্গীরা নিরীহ মানুষ হত্যা করবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে তারা ইসলামী জঙ্গীদের ভয়ের কারণেই কুরাণ পোড়ানকে এত ঘৃণ্য কাজ বলছে। কুরাণ পোড়ালে ইসলামস্টের মনে আঘাত পেয়ে মানুষ মারবে এই কারণেই কুড়ান পোড়ান ঘৃণ্য। শক্তের ভক্ত শুধু ইসলামিস্টরাই নয়। সৌদি আরব প্রত্যেক বছর কত বাইবেল পোড়ায়, মুসলীম জঙ্গীরা/ছাত্ররা বাইবেল পুড়িয়েছে, পাকিস্তানে, গাজায়, অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু কেউ সেগুলি নিয়ে মাথা ঘামায় না, কারণ খ্রীষ্টান জঙ্গী (যদি বাস্তবে সেরকম কিছু থেকে থাকে) তো এর কারণে মুসলমান নিধনের হুমকি দেয় না। শুধু অমুসলিমদের/প্রাক মুসলিমদের বেলায় মৌলবাদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক নীচু করা হয়। কোরাণ পোড়ালে বা ইসলামের কড়া সমালোচনা করেলই তারা ইসলামী জঙ্গীদের মতই চরম বনে যায়। যদি সম্ভাব্য ফলাফলের দ্বারা কোন কার্যের দোষ গুণ বিচার করা হয় তাহলে মাইট ইজ রাইট কেই যায়েজ করা হল।
@যাযাবর,
মুরগীর বিষ্ঠায় নাকি গরুর গোবরে দূর্গন্ধ বেশী তা গবেষনা করা কি জরুরী, নাকি সব দূর্গন্ধ দূর হোক এই কামনা করাই জরুরী?
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
@আদিল মাহমুদ,
মুরগীর বিষ্ঠাটা বাস্তবে নেই, এটা একজন তার মগজে নিজেই তৈরী করে কাল্পনিক গন্ধ পাচ্ছে। গরুর গোবর বাস্তবে আছে বলেই তার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, মগজে তৈরী নয়। কুরাণ পোড়ালে কারো মাথা কাটা যায়না, কারো সন্তান,স্ত্রী, পিতা মাতা বেঘোরে প্রাণ হারায় না। কুরান পুড়ালে কারো মগজে যদি নিরীহ মানুষ হত্যার জিঘাংসা জাগে তাহলে তার মগজ বিকৃত, সেই দায়ী হবে এই বিকৃতির জনিত হত্যার জন্য, কুরাণ পোড়নকারী নয়। কুরান পোড়নকারী অতীতে এই কোরানের অনুসারীদের দ্বারা নিরীহ মানুহ মারার প্রতিবাদ হিসেবে কুরান পোড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতীক হিসেবে। মানুষ অপরাধের প্রতিবাদে অনেকরকম হাস্যকর প্রতীকী কাজ করে, যেমন কুশপুত্তলিকা দাহ , বাইবেল পুড়ান্ ইত্যাদি। ঐ সময়ে তো ঠিকই এগুলিকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা হয় বা হাল্কা ভাবে নেয়া হয়। কুরান পোড়ানর জন্য মুসলিম উগ্রবাদীরা নিরীহ মানুষ হত্যা করবে বলেই কুরান পোড়ান এত বড় একটা জঘন্য অপরাধ হয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার সমান হয়ে গেল? (মুরগীর বিষ্ঠা =গরুর বিষ্ঠা) ? একমাত্র গীতা দাসের মন্তব্যেই দেখছি এই অসমতা বুঝতে পেরেছেন । যেন এটা খুব শোক্ত বোঝা। এটা অপ্রিয় সত্য, রাজনৈতিকভাবে এটা স্বীকার করা শুদ্ধ নয়। তাই কেউ এই অসমতাকে স্বীকার না করে দুটোই সমান বলে বেড়াচ্ছে। পাদ্রী জোন্স এর মাথার ভিতর কি, কি তার আসল মতলব এসব অনুমানে (কারো মনের কথা অনুমান করা যুক্তির কাজ নয়) না গিয়ে ফেস ভাল্যুতেই এটা মানতে হবে যে পাদ্রী জোন্স আইনের মধ্যে থেকে প্রতিবাদের সবচেয়ে চরম পন্থা বেছে নিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদের কারণ যথার্থ। শেষ খবর পর্যন্ত সে তা প্রত্যাহারও করেছে। ইসলামী মোল্লারা কখন অন্যের মতামতকে পাত্তা দিয়ে তাদের
কাজ থেকে বিরত হয়েছে (আর পাদ্রী জোন্স এর কুরান পোড়ান তো দৈহিক সহিংসতাও নয়) ? ডানিএল পার্লের মত শান্তিপ্রিয় নিরীহ সাংবাদিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে গোটা দুনিয়ার জনমতকে উপেক্ষা করে। কাজেই পাদ্রী জোন্স আর ইসলামী উগ্রবাদী সমান বলা নীতিগতভাবে কখনই মেনে নেয়া যাবে না। আপনি যদি বিচারক হতেন তাহলে নিরীহ মানুষ হত্যাকারী ইসলামী সন্ত্রাসী আর পাদ্রী জোন্সকে উভয়কেই মৃত্যদন্ড দিতেন ? কুরান পোড়ানর জন্যে মৃত্যদন্ড দিলে সেটাই তো এক উগ্রবাদী কাজ হবে। এই কুরান পোড়ালে যদি নিরীহ মানুষ হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় সেটা ইসলাম ধর্মের অসহনশীলতা টাকেই সামনে নগ্নভাবে নিয়ে আসবে, পাদ্রী জোন্সের পাগলামী বা ছাগলামী নয়।
@যাযাবর,
এখানে কোনটা বেশী সহিংশ আর কোনটা কম সেটা প্রশ্ন নয়। এখন পৃথিবীতে মুসলমানরা অন্য ধর্মালম্বিদের তুলনায় যে অধিক পরিমান সহিংশ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্তু ইসলাম ধর্মের অসহনশীলতাটাকে সামনে নগ্নভাবে নিয়ে আসা, এই কারনটার জন্যই কি নিরীহ মানুষ হত্যাযজ্ঞ শুরু করাটাকে সমর্থন করা যায়? ইসলাম ধর্মের এই উগ্রতা ও অসহনশীলতা কি অন্য কোনভাবে পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসার উপায় নাই? যে কার্য্যকলাপে নিরীহ মানুষ হত্যাযজ্ঞ শুরুর সম্ভাবনা জড়িত সেটাকে কোনক্রমেই ইন্ধন দেওয়া যায়না।
বাস্তবে কোরান বা অন্য কোন গ্রন্থ বা কুশ-পুত্তলিকা পোড়ানো কোন বিশ্বাস বা মতবাদের বিরুদ্ধে প্রতিকী প্রতিবাদ ছাড়া আর বিশেষ কোন অর্থ বহন করেনা এবং এটা করে সবিশেষ কোন কাজ হয় বলেও মনে হয়না। কিন্তু এই ধরনের প্রতিবাদ করার কন্সিকোয়েন্স হিসাবে যদি কতগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে সেটা প্রতিহত করা দরকার নয় কি? যেখানে আমরা সবাই জানি যে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে মুসলিম উগ্রবাদীদের এতটুকু হাত কাঁপবেনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার সাথে কোন দ্বিমত নেই। যারা তার কোরান পোড়ানর অধিকার স্বীকার করে ও তার প্রতিবাদের কারণও সঠিক বলে স্বীকার করে তারাও রক্তপাত এড়ানর জন্য তাকে অনুরোধ করছে এটা না করতে। আর সে অনুরোধ আপাতত রাখছে বলেও মনে হচ্ছে। আমি শুধু ঢালাওভাবে তাকে ইসলামী চরমপন্থীর সঙ্গে ইকুএট করার অযৌক্তিকতার কথা বলছিলাম। কারণ কুরণ পোড়ান আর নিরীহ লোককে হত্যা করার মধ্যে তফাৎটা মুরগীর বিষ্ঠা আর গরুর বিষ্ঠার তফাৎ নয়। আর কুরান পোড়ানর জন্য নিরীহ লোক মরলে যারা নিরীহ লোককে মারবে তারাই প্রকৃত দোষী। এটা স্বীকার করেও প্র্যগম্যাটিক কারণে পাদ্রী জোন্সকে কুরাণ পোড়ান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা উচিত। এবং সবাই তা করছে, শুধু তার চার্চের কিছু নিবেদিত সদস্য ছাড়া।
@যাযাবর,
একমত।
@যাযাবর,
🙂 কিন্তু আপনিই না আবার অন্যত্র বললেন, আরেকজনের মাথায় কি আছে সেটা নিয়ে অনুমান করাটা যুক্তিবাদিদের কাজ নয়?
:-/
যা হোক, একটা অনুরোধ করি। কারো ব্যক্তিগত মতামত দয়া করে ব্যক্তিগতভাবেই রিফিউট করবেন। এই ব্লগেও আছে … এখানেও আছে…এগুলো এতো বলার কি হল? আপনার মত চিন্তাধারার মানুষও এই ব্লগে আছে। আপনার মত চিন্তা করেননা সেরকমও হয়তো খুঁজলে পাওয়া যাবে। যারা মন্তব্যের সমর্থন বা বিরধিতা করছেন নিজের চিন্তা থেকেই মন্তব্য করছেন, কারো প্রভাবে নয়। সেটাকে ‘এখানেও আছে, সেখানেও আছে’ … বলে অর্থহীন কথামালার মোড়কে পুরার কোন অর্থ নেই। আমি সেন্সেটিভ জায়গায় গ্রাউণ্ড জিরো মস্ক বানানো যেমন সমর্থন করি না, তেমনি করি না কোরান পোড়ানোকেও। আমি বা কেউ বলছে না দুইটাই ‘সমান’ মাত্রার অসভ্যতা। কিন্তু সমান না হলেও দুইটাকেই অপছন্দের তালিকায় রাখার অধিকার যে কারোরই আছে।
@অভিজিৎ,
আমার বোঝানর দুর্বলতা।
কুরান পোড়ানর দরুন “কুফল/ক্ষয়ক্ষতি” = মুরগীর বিষ্ঠা
নিরীহ লোক হত্যা = গরুর বিষ্ঠা
নিরীহ লোক হত্যাটা মনের মধ্যে নয়, বাস্তবে।
কুরান পোড়ালে বিরাট ক্ষতি হওয়াটা মগজের মধ্যে। আমার গায়ে কোন আচড় লাগছে না, আমার প্রিয়জনের কারো গায়েও না। হয়ত আপনারো না। কিন্তু আবার অনেকের মনের মধ্যে এর দরুন বিরাট ক্ষতির ভাব সৃষ্টি হয়। এটাই মনের ব্যাপার বলতে চেয়েছিলাম। কারো মনের ভেতরে না গিয়েই এটা বলা যায়।
@অভিজিৎ,
একথাগুলো আপনার একজন মহামান্য মডারেটরকে আগে বলা উচিত,কারন বিষয়টি উনিই এই থ্রেডে নিয়ে এসেছেন। আপনার মন্তব্যটা তার কমেন্টে হলে শোভন হত।
@যাযাবর,
এখানে আমি বা কেউ পাদ্রী জোন্সের কোরান পোড়ানো = ইসলামী জংগীদের উগ্রবাদী ততপরতা এই সমীকরন দাড়া করাতে চেয়েছি বলে মনে হয় না।
আমরা বলতে চেয়েছি যে ধরন এক। মাত্রা ছোট বলে বা দেশের প্রচলিত আইনের মাঝেই পড়ে বলে তাকে আমরা উপেক্ষা করতে চাইনি। আমাদের সাথে আপনার বক্তব্যের পার্থক্য এখানেই। আমাদের দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের খবর আসলেই এক শ্রেনীর লোকে বুক ফুলিয়ে ফিরিস্তি দিতে বসেন যে ভারতে মুসলমানদের উপর আরো কত ভয়াবহ অত্যাচার হচ্ছে। যুক্তিটা হল ভারতে মুসলমানদের উপর আরো অনেক বেশী অত্যাচার হয়, কাজেই আমাদের দেশের হিন্দুদের উপর ছোট খাট অত্যাচারের খবরে গুরুত্ব দেবার কিছু নেই (প্রকারান্তে অত্যাচারে তারা সমর্থনই দিচ্ছেন)। আপনার যুক্তি কিছু্টা তেমনই শোনাচ্ছে।
ধর্ম হিসেবে ভাগ করলে বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে তীব্র। ধর্মীয় যেকোন ব্যাপারে অর্থহীন বাড়াবাড়ির তূলনা তাদের কাছে কেউ নেই। এটা তো অন্তত এখানে কেউ অস্বীকার করবে না।
এসব পোড়াপুড়ি, খোচাখুচি শুরু হলে এর শেষ কোথায় কে বলতে পারে? এরপর যে গীর্জায় বা সিনেগগে রাতের আধারে বিষ্ঠা নিক্ষেপ হবে না তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন? ঘটনা ঘটার পর গালাগালির নহর বইয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু আদৌ এসব শুরু করার কি দরকার ছিল তার জবাব কে দেবে? বলতে পারেন যে দায় যারা করবে তাদের। পাগলা কুকুর আপনাকে কামড় দিলে সূস্থ মানুষ হিসেবে কি আপনি সেই পাগলা কুকুরের পথ ধরতে চাইবেন নাকি তার চিকিতসার ব্যাবস্থা করতে চাইবেন?
আমেরিকায় আমি বহুদিন থেকেছি, এ দেশের প্রতি আমার আলাদা দরদ আছে। এসব অর্থহীন ফালতু নীচু শ্রেনীর ঝামেলায় এমন চমতকার একটি দেশের উপর কালিমা পড়বে তা কোনভাবেই চাইতে পারি না। ধর্মের বা কোরানের সমালোচনা যত খুশী করা যায়। তাতে কোন দোষ দেখি না। তাই বলে কার্টুন একে রং তামাশা, কোরান বাইবেল পোড়ানো এসব কাজ সমর্থন করি না। এসবে ধর্মের সমালোচনা তো হয়ই না, উলটা আরো উদারপন্থী ধার্মিকেরাও বিরক্ত হয়। তাদের হয়ত যৌক্তিক সমালোচনা দেখিয়ে বোঝানো যেত সেই পথটাও বন্ধ হয়ে যায়। ধর্ম মানুষের খুবই কোমল অনুভূতির একটি বিষয়। সেই অনুভূতিতে আঘাত না হেনে সমালোচনা করা যায় না মানি। কিন্তু এই অনুভূতির প্রতি কিছুটা সম্মান প্রদর্শন করলে তাতে লাভ বই ক্ষতি নেই।
পাদ্রী সাহেব কোরান না পুড়িয়ে কোরানের কোন কোন আয়াত আতা বাহিনী ব্যাবহার করেছিল সেসব নিয়ে নিবন্ধন লিখলে অনেক ভাল করতেন। তিনি নিজে আদৌ কোরান পড়েছেন কিনা তা কিভাবে বুঝব? আমি আজ খৃষ্টান কোন নাম ধারন করে বাইবেলের দোহাই দিয়ে কোথাও বোমা মারলে আপনি তার প্রতিবাদে বাইবেল পোড়ানো শুরু করে দেবেন, নাকি আগে বাইবেল পড়ে দেখবেন যে সেই দাবী আদৌ কতটুকু সঠিক? তারপরেই না পোড়ানোর প্রশ্ন।
@আদিল মাহমুদ,
এমন নিবন্ধনতো হাজার গন্ডা লোক লিখে গেছেন তাতে কি কোন কাজ হয়েছে? আর তা ছাড়া পাদ্রী সাহেব এমন কোন জ্ঞানী লোক নন যে নিবন্ধন লিখলেই লোক সেটা জানবে, পড়বে বা পড়ে সেটা দ্বারা প্রভাবান্বিত হবে। তাই পাদ্রী সাহেব কোরান পুড়িয়ে পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করছে। কারন সে জানে মুসলমানরা এতে ডেফিনিটলি রিএক্ট করবে, আর এটাই হবে একমাত্র উপায় পৃথিবীর বেশী সংখ্যক লোকের মনযোগ আকর্ষন করার।
প্রতিবাদ করার ধরন একেক জনের একেক রকম হবেই, কিন্তু প্রশ্ন হলো সেটা কতখানি ডিসেন্ট এবং ইফেকটিভ। কিন্তু ধরনটা যেমনই হউক না কেন সেটা পৃথিবীর আর দশটা পাঁচটা খারাপ-ভাল ঘটনার মত ভাল লাগুক আর না লাগুক মেনে নিতেই হবে। এ নিয়ে মুসলমানদের এতো মাতামাতি করার কি আছে আমি বুঝিনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
লিখেছেন, তাতে লাভ কি একেবারেই হয়নি? সাধারন মুসলমান অনেকেই বুঝতে পেরেছে।
আর মুক্তমনার এথিষ্টরা লিখলে যে ফল হবে একজন পাদ্রী লিখলে আলোড়ন এমনিতেই অনেক বেশী হবে।
পাদ্রী সাহেবের আসল মতলব কি তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে। আমি অনেকটাই নিশ্চিত ৯১১ এর শোক বড় কথা নয়, মিডিয়া ক্রেজ সৃষ্টি ওনার একটি বড় লক্ষ্য। যা পুরোপুরি সফল।
ওনার সূস্থতা নিয়েও এখন মিডিয়ায় কথা হচ্ছে। এক একবার এক এক চটকদার কথা বলে তিনি আলোড়ন জিইয়ে রাখার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। একবার দাবী করছেন যে গ্রাউন্ড জিরোর মসজিদ করা হবে না বলে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাই তিনিও মহত্ব দেখিয়ে কোরান পোড়াবেন না। এই আশ্বাস তাকে দিলেন কে? ফ্লোরিডার একজন ইমাম সাহেব। এই ইমাম সাহেবকে আমি চিনি না, তবে এনার ইমামতিতে বহু নামাজ পড়েছি। উনি কোন ফালতু কথা বলার মানুষ না। খুবই স্মার্ট লোক, পশ্চীমের অন্য ইমামদরে মত কাফেরদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে, কাফের নাসারাদের জীবন পদ্ধুতি কত জঘন্য এ ধরনের কথাবার্তা তিনি বলেন না। এই ব্যাক্তি গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ হবে না বলে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বাস করা যায়? ফ্লোরিডার ইমাম সাহেবের আদৌ সে আশ্বাস দেবার ক্ষমতা আছে? কমনসেন্সের ব্যাপার নয় কি?
প্রতিবাদ করার ধরন এক একজনের এক এক রকম ঠিক। পাদ্রীর আইনী অধিকার আছে, উদ্দেশ্য যাই হোক। মাতামাতির কথাই যদি বলেন তো গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ হবে, সেটাও সম্পূর্ন আমেরিকান আইনের ভেতরেই। সেটা নিয়েই বা এত মাতামাতির কি আছে?
ধর্ম জগতটাই এই, এখানে আবেগ অনুভূতি খুবই সূক্ষ্ম। আপতঃ শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের অন্তরালে ঘৃণা বিদ্বেষের বীজ হঠাত করেই মহীরূহ হয়ে ওঠে।
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু মাতামাতির ধরনটা কি ভিন্ন নয়? একপক্ষ করছে বক্তৃতা, বিবৃতি দিয়ে আর অন্য পক্ষ করছে উগ্রতা আর ধ্বংসাত্বক কার্য্যকলাপ দিয়ে।
@আদিল মাহমুদ,
যদি নাই করে থাকেন তাহলে আবার নীচের এই উক্তি করলেন কেন?
নিরীহ মানুষ মারা = পাগলা কুকুরের কামড়
কুরান পোড়ান = পাগলা কুকুরের কামড়
অতএব কুরান পোড়ান = নিরীহ মানুষ মারা ( অর্থাৎ সমান গুরুত্বের অপরাধ)
সমীকরণ তো স্পষ্টই করলেন এখানে। নিরীহ মানুষ মারা যে প্রথমে ঘটল সেটার কথা নাই বা বললাম।
কাদের যুক্তি এটা? কোন কল্পিত মানুষের? বড় আর ছোট তুলনা করে কোন যুক্তি দেয়ার কথা এই প্রথম শুনলাম। দুটো অত্যাচারই তো একই ব্যাপার। মানুষের গায়ে বা সম্পদে হাত তোলা। এটা ছোট বড় আর কেমন করে হয়? বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর যা অত্যাচার হয় বা হয়েছিল তার মাত্রা বা তীব্রতা কি মুসলমানদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বা তীব্রতা থেকে কম এটা কোন বিচারে আপনি বা অন্য কেউ বলতে পারে?। কাজেই এই ঘৃণ্য যুক্তি দিয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচারকে যারা জাস্টিফাই করে তারাই ঘৃণ্য। আর আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি এই ধরনের ঘৃণ্য যুক্তি দিচ্ছি কুরান পোড়ানর গুরুত্ব মানুষ হত্যার গুরুত্বের সমান নয় বলাতে।
আপনি নিজেই উপরে দাবী করলেন যে আপনি পাদ্রী জোন্সের কোরান পোড়ানো = ইসলামী জংগীদের উগ্রবাদী ততপরতা এই সমীকরন দাড়া করাতে চাননি, আর আমি যখন এই সমীকরণ করাটা ভুল বলি তখন আপনার কাছে আমার যুক্তি হয়ে যায় হিন্দুদের অত্যাচার সমর্থন করার মত? একটু চিন্তা করুণ নিজের মনে মনে। আপনার যুক্তিটা কতটা যথাযথ।
@যাযাবর,
:yes:
@আদিল মাহমুদ
অনেক তো হল, এবার একটা প্রশ্ন করি। শুনতে বেয়াড়া ধরণের মনে হবে, তবু কথা মনের ভিতর যেহেতু উদয় হয়েছে আটকে লাভ নেই বলেই ফেলি। বলেছি কোরান পোড়ানো অন্যায় আর এ অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাও অন্যায়। এ কথা বলার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে। এখন মনে করুন, ঐ মূর্খটা কোরান পোড়ালো (যার পেছনে কোন ধর্মের মানুষেরই সমর্থন নেই) আর মুসলমানগণ ব্যাপারটাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করলো, কোন জংগীমিছিল করলোনা, কাউকে খুন করার হুমকি ধমকি দিলনা। এরপর কী হবে?
@আকাশ মালিক,
মুসলমানগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে না জানলে আর সেই পাদ্রী মহোদয় এভাবে ঘটা করে তার ব্যাক্তি স্বাধীনতার প্রয়োগ করার কোন উতসাহ পেতেন? আমার তো মনে হয় না। প্রতিক্রিয়া দেখাবে জেনেই তিনি এই নাটকে নেমেছেন। এখন আবার নিত্য নুতন ঘোষনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
@আদিল মাহমুদ, রোগ সবিই রোগ,কিন্তু এইডস,ক্যান্সার হলে মানুষ হাউমাউ করে,আর ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ডায়রিয়া হলে গুরুত্ব দেয না। এখন প্রশ্ন হল,মানুষ কোনটাকে বেশী গুরুত্ব দেবে?
@রুশদি,
এইডস ক্যান্সারের গুরুত্ব দেওয়া যাবে না বা জিইয়ে রাখতে হবে তেমন কথা তো কেউ বলছে না।
তবে এইডস ক্যান্সারের চিকিতসার নামে সর্দি জ্বরকে দাওয়াত করে আনতে হবে সেটা তো তেমন ভাল যুক্তি ঠেকে না। বিশেষ করে সি সর্দি জ্বরের ঔষধ যদি ক্যান্সার নিরাময় না করে যদি আরো উল্টা ক্রিয়া করে তবে তাকে তো হালকা করে দেখা যায় না।
@আদিল মাহমুদ,
এই এইডস ক্যান্সারের কোন চিকিৎসক/চিকিৎসা যুক্তিবাদীদেরও জানা নেই, টেরি জোন্স এর তো নয়ই। যে যার মত করে এই রোগের বিরূদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। যুক্তি দিয়ে কুরান খন্ডন করে কি ইসলামী জংগীদের মন জয় করা গেছে? তবুও তো যুক্তিবাদীরা তাই করছে।
সর্দি জ্বরকে দাওয়াত করে এইডস ক্যান্সারের চিকিতসা করার উপমাটা যথার্থ নয়। বরং ঠিক উপমাটা হল একজন (‘ক’) ভাইরাস বানানোর ম্যানুয়াল ঘেটে ভাইরাস বানিয়ে তা নিরীহ লোকদের উপর ছড়াচ্ছে আর এর প্রতিবাদে আর একজন (খ) ঐ ভাইরাস বানানোর ম্যানুয়াল পুড়িয়ে তার প্রতিবাদ করছে। ‘খ’ এর এই ম্যানুয়াল পুড়িয়ে প্রতিবাদ করার কারণে ‘ক’ আরো ভাইরাস বানিয়ে আরও নিরীহ মানুষের উপর ছড়াচ্ছে।
@যাযাবর,
– কাজেই খ এর পোড়ানোর ফল যে পরিস্থিতির অবনতি ছাড়া উন্নতি কিছুই করবে না তা তো মেনে নিলেন?
জংগীবাদ ঠেকানোর কি উপায় আমিও নিশ্চিত জানি না, তবে এভাবে যে অবস্থা আরো খারাপ ছাড়া ভাল হবে না তা বুঝতে পারি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার এই কথাগুলির সাথে কে দ্বিমত পোষণ করতে পারে। কিন্তু একটা ব্যাপার এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, ইসলামী জঙ্গীদের নিরীহ মানুষ না মারতে অনুরোধ করলেও তাদের মন নড়ে না। তাই সবাই টেরি জোন্সকে কুরান না পোড়াতে বলছে। এটা করাই বাস্তবসম্মত। কারণ এটা করা অনেক সহজ আর টেরি জোন্সের এই অনুরোধ রাখাটা অনেক বেশি সম্ভাব্য। কিন্তু টেরি জোন্স আর ইসলামী জঙ্গীদের একই লেভেলে ফেলা নীতিগতভাবে অসম। আমরা ইসলামী জঙ্গীদের কাছেই আত্মসমর্পণ করছি নিরীহ মানুষ বাঁচাতে। মাইট ইজ রাইট আফটার অল।
@যাযাবর,
– এই বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না। তবে কোরান পোড়ানোর ক্ষতিকর দিক হিসেবে শুধু ইসলামী জংগী ভীতিই একমাত্র পয়েন্ট এই ধারনার সাথে আমি একমত নই। দুনিয়ায় নিরীহ মুসলমান কোট কোটি আছেন, তারা বুঝে হোক না বুঝে হোক কোরানকে অতি ভক্তি করেন,কেউ কেউ হয়ত নিজের জীবনের চাইতেও বেশী ভক্তি করেন। তাদের অনুভূতির দিকটা ভেবে দেখবেন না? সবচেয়ে বড় পয়েন্ট; এই কাজে ক্ষতি ছাড়া লাভের কোন সম্ভাবনা নেই।
সম্মান/অসম্মান এগুলি সবই ইন্টারচেঞ্জেবল।
আত্মসমর্পনের কথাই যদি বলেন তো বলি যে এ ধরনের আত্মসমর্পন কি আমি আপনিও নিত্য দিনই কিছু না কিছু ক্ষেত্রে করি না? ধরেন, কোন এলাকায় ছিনতাই বেশী হয় জেনে কি আপনি ছিনতাইকারীদের চ্যালেঞ্জ জানাতে রাত বিরেতে সে এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, নাকি সে এলাকা এড়িয়ে যাবেন? বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের সতর্কতাকে আত্মসমর্পন হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে। তবে বাস্তবতা হল আপনি গোয়ার্তূমি না দেখিইয়ে এড়িয়েই যেতে চাইবেন।
@আদিল মাহমুদ,
তাদের অনুভূতিকে আঘাত দেয়ার জন্য কুরাণ পোড়ানর কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছিল ৯/১১ এ কুরাণের অনুসারী ইসলামী মৌলবাদীদের দ্বারা নিরীহ লোকদের হত্যার প্রতিবাদে। কোটি কোটি লোক যদি আঘাত পায় (সেটা তাদের মগজে সৃষ্ট, আগেই উল্লেখ করেছি) তাহলে তাদের উচিত হবে খতিয়ে দেখা কি কারণে এই পোড়ানর কথা বলা হচ্ছে। আপনি কি চিন্তা করেছেন কেন আমেরিকায় বাইবেল, ফ্ল্যাগ ইত্যাদি পোড়ান বেয়াইনী নয়? কারণ এতে কারো গায়ে আচড় লাগে না। মনের আচড় লাগাটা যার যার নিজের স্বাধীন চিন্তার ব্যাপার। নিজের মগজে সৃষ্ট আঘাতের দায় দায়িত্ব মগজের অধিকারী মানুষটির। মুসলিমদের বেলায় অন্য স্ট্যান্ডার্ড কেন প্রয়োগ করা হবে? তারা কি বিশেষ সুবিধার অধিকারী?। তাদের মগজের দায় দায়িত্ব মওকুফ করা হবে কেন, যখন আমেরিকানদের বেলায় তা করা হচ্ছে না? একই যুক্তি অনুসারে সব রবীন্দ্র ভক্তরা যদি বলতে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করলে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে আর তারা যদি সহিংসতায় লিপ্ত হয় রবীন্দ্রসমালোচনার কারণে তখন কি আপনি তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগার দোহাই দিয়ে রবীন্দ্রসমালোচনা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেবেন? আপনার যুক্তি যে স্লিপারি স্লোপের দিকে যাচ্ছে সেটা আশা করি বুঝতে পারছেন। শুধু আমার মনে এটাতে আঘাত লাগে বলেই কোন কাজকে অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
@যাযাবর,
ভাগ্যিস 🙂 । না হলে তো মুক্তমনা অন্যান্য সব সাইটের মত হয় ইসলাম ব্যাশিং নয়তো ইসলাম প্রচারকারী সাইটেই পরিণত হয়ে যেতো। বিজ্ঞান, যুক্তি, ইতিহাস থেকে অর্জিত জ্ঞান নিয়ে লেখাগুলো সব অর্থহীন জারগন এ পরিণত হত :-Y ।
@যাযাবর, আসুন আপনার কথামত এই জোন্সের দাবীগুলো ফেস ভ্যালুতেই না হয় দেখি। দেখুন তো এই কোরান পুড়ানোর পিছনে প্রথম তিনটি কারণ কি কি? পড়ে কি মনে হচ্ছে যে কোন প্রি-ব্রুনো সময়ের কোন মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধ খ্রিষ্টানের লেখা কথা পড়ছেন? কোরান পোড়ানোর পিছনে প্রধাণ কারণগুলো কিন্তু সহিংসতার বিরোধীতা করা নয়, বরং খ্রিষ্টান ধর্ম এবং জিসাসকে অস্বীকার করা, প্যাগানিজমের রেফারেন্স থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি। এক ধর্মান্ধতাকে রোখার জন্য আরেক হাস্যকর ধর্মান্ধতাকে সমর্থন করার দরকার নেই। আজকে এই ধরণের মানসিকতাসম্পন্ন কেউ এই কাজটা না করে যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহিংসতার প্রতিবাদ করে কোরান পোড়ালে আলোচনাটা অন্যরকম হতে পারতো। এই পাদ্রির ওয়েবসাইটটা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাই আরও কিছু মজার তথ্য দিতে পারছি না …
Ten Reasons to Burn a Koran – by Pastor Terry Jones
On 9/11/10 we are burning Korans to raise awareness and warn. In a sense it is neither an act of love nor of hate. We see, as we state in the Ten Reasons below, that Islam is a danger. We are using this act to warn about the teaching and ideology of Islam, which we do hate as it is hateful. We do not hate any people, however. We love, as God loves, all the people in the world and we want them to come to a knowledge of the truth. To warn of danger and harm is a loving act. God is love and truth. If you know the truth it can set you free. The world is in bondage to the massive grip of the lies of Islam. These are:
One
The Koran teaches that Jesus Christ, the Crucified, Risen Son of God, King of Kings and Lord of Lords was NOT the Son of God, nor was he crucified (a well documented historical fact that ONLY Islam denies). This teaching removes the possibility of salvation and eternal life in heaven for all Islam’s believers. They face eternal damnation in hell if they do not repent.
Two
The Koran does not have an eternal origin. It is not recorded in heaven. The Almighty God, Creator of the World, is NOT it’s source. It is not holy. It’s writings are human in origin, a concoction of old and new teachings. This has been stated and restated for centuries by scholars since Islam’s beginnings, both Moslem and non-Moslem.
Three
The Koran’s teaching includes Arabian idolatry, paganism, rites and rituals. These are demonic, an ongoing satanic stronghold under which Moslems and the world suffer.
Four
The earliest writings that are known to exist about the Prophet Mohammad were recorded 120 years after his death. All of the Islamic writings (the Koran and the Hadith, the biographies, the traditions and histories) are confused, contradictory and inconsistent. Maybe Mohammad never existed. We have no conclusive account about what he said or did. Yet Moslems follow the destructive teachings of Islam without question.
Five
Mohammad’s life and message cannot be respected. The first Meccan period of his leadership seems to have been religiously motivated and a search for the truth. But in the second Medina period he was “corrupted by power and worldly ambitions.” (Ibn Warraq) These are characteristics that God hates. They also led to political assassinations and massacres which continue to be carried out on a regular basis by his followers today.
Six
Islamic Law is totalitarian in nature. There is no separation of church and state. It is irrational. It is supposedly immutable and cannot be changed. It must be accepted without criticism. It has many similarities to Nazism, Communism and Fascism. It is not compatible with Western Civilization.
Seven
Islam is not compatible with democracy and human rights. The notion of a moral individual capable of making decisions and taking responsibility for them does not exist in Islam. The attitude towards women in Islam as inferior possessions of men has led to countless cases of mistreatment and abuse for which Moslem men receive little or no punishment, and in many cases are encouraged to commit such acts, and are even praised for them. This is a direct fruit of the teachings of the Koran.
Eight
A Muslim does not have the right to change his religion. Apostasy is punishable by death.
Nine
Deep in the Islamic teaching and culture is the irrational fear and loathing of the West.
Ten
Islam is a weapon of Arab imperialism and Islamic colonialism. Wherever Islam has or gains political power, Christians, Jews and all non-Moslems receive persecution, discrimination, are forced to convert. There are massacres and churches, synagogues, temples and other places of worship are destroyed.
@বন্যা আহমেদ,
যৌক্তিক দৃষ্টিকোণটাতো একেকজনের কাছে একেক রকম হবে। ধর্মান্ধ Terry Jones-এর কাছে যেটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে যুক্তিবাদী অন্যের কাছে সেটা অযৌক্তিক। এখন তার নিজস্ব সেই যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সে যদি কোরান বার্ন করতে চায় সেটা করার তার অধীকার আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এতে কি কোন ফায়দা আছে? কোন মতবাদকে অস্বীকার বা ঘৃনা করে পুড়ানোর মধ্যে একটা বালখিল্যতা কাজ করে এবং এটা খুব একটা বিগ ডিল বলেও মনে হয়না। মুসলমানরাওতো এই কাজটি হরহামেশা করছে, কিন্তু বিশ্বের কেঊ কি এটাকে তেমন পাত্তা দেয়?
আসলে প্যাস্টরের এই কাজটা ইস্যু হওয়ার কারন সেই একটাই অন্য ধর্মের তুলনায় মুসলমানরা উগ্র এবং ভায়োলেন্ট। আর এই কারনে রক্তপাত ঘটবার সমুহ সম্ভাবনা আছে, যেটা অন্য ধর্মের বেলায় সাধারনত ঘটেনা।
টেরি জোন্স ফাইনালি কোরান পোড়াচ্ছেন না। এই মাত্র খবর এল। তার বক্তব্য অনুযায়ী ইসলামিক কমিউনিটি রাজী হয়েছে গ্রাউন্ড জিরো থেকে মসজিদ সরিয়ে আনতে। অবশ্য শেষের খবরটা ভেরিফায়েড না।
এই মাত্র খবর এলো আমেরিকা ট্রাভেল এলার্ট দিয়েছে। দূতাবাসগুলোকেও আগাম সতর্কতা দিয়েছে। ট্রাভেল এজেন্টদের গেল। ঘটনাটা ঘটলে যে যুদ্ধটা গোপনে চলছিল, তা সামনে আসবে।
এই ধর্মই কি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণ হয়ে দাড়াবে? :guli:
সময় উপযোগী,
শেষের কথাটা ভালই লেগেছেঃ
কবেযে এদের বোধগম্য হবে!!! মনে হয় হবেনা। জানিনা।
ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল
একমত নই দাদা। যারা ইসলামের ইতিহাস জেনে, অনুসন্ধান, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপর ইসলামের সমালোচনা করেন, ধর্ম নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করেন তারা কেউই ‘ইসলাম সকল সমস্যার মূল’ এ কথা বলেন না। তবে সম্ভবত পৃথিবীতে এমন কোন ইসলামের সমালোচক খোঁজে পারেন না, যার কপালে এ অপবাদ জুটেনি। যত প্রকারের শালীন ভদ্র ভাষা ব্যবহার করা হউক না কেন, বৌদ্বিক, যৌক্তিক, প্রামাণিক দলিল উপস্থাপন করে ইসলামের সমালোচনা হউক না কেন, এ সমালোচনার নাম দেয়া হয় ‘ইসলাম ব্যাশিং, মুসলিম বিদ্বেষ, আর সমালোচকের কপালে জোটে ইসলাম ব্যাশার, মুসলিম হেটার বদনাম। এ এমন নতুন কিছু নয়। তারপরও বেহায়ার মত তারা (নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো) আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদের সমাজ, তাদের জাতিকে জাগিয়ে তুলতে, ধর্মের বেড়াজাল থেকে তাদেরকে মুক্ত করতে। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় তাদের উপস্থাপনায় গলদ হতে পারে তবে নিঃসন্দেহে তারা কেউই ইসলামকে মুসলমানের জীবনের সকল সমস্যার মূল মনে করেন না আর অবশ্যই মানুষকে ঘৃণা করেন না, সে মানুষ যেকোন ধর্মের বর্ণের জাতির অন্তর্ভুক্ত হউক না কেন।
মুসলমান জানতে উদ্যোগি হয়েছে তাদের দূর্বলতা তাদের সমস্যাটা কোথায়। আজ মুসলমান ইসলামের শেকড় খুঁজে বের করতে চায়, তার মূল ইতিহাস জানতে চায়, পরিবর্তন চায়, তাই এত লেখালেখি এত সমালোচনা। এ আলোচনা সমালোচনার পরিসর এক যায়গায় না হয় অন্য যায়গায়, দিনদিন বাড়বে বৈ কমবেনা। আলো হাতে আধারের যাত্রী এক ঝাঁক মুসলমান একদিন মুক্তমনায় :guru: এসে ভীড় করেছিল। আমাদের পড়শি বাংলা ওয়েব সাইট ও তাদের গুরু সেতারা হাশেম আফা উরফে মহিউদ্দিন ভাইছাব প্রায় একযুগ ধরে এদের মুখ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে দেখেছেন, কোন লাভ হয় নাই। ইসলামের সমালোচনা পড়ে, না বিজ্ঞান পড়ে মানুষ ইসলাম ত্যাগ করে সে বিতর্ক হতে পারে, তবে কোনটাকেই খাটো করে দেখার বোধ হয় অবকাশ নেই।
আসলে ঐ পাদ্রী বলদ নয়। সে যা করছে খুব ভালভাবেই, চিন্তা ভাবনা করে করছে।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান কোরান পুড়িয়েছেন। একমাত্র নিজের বানানো কোরান রেখে বাকী সমস্ত কোরান উনি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন–যাতে ভবিষ্যতে কেউ জানতে না পারে আসল কোরানে কি লেখা ছিল।
কিন্ত ইসলামি বিশ্ব এ ব্যাপারে একেবারেই চুপচাপ, কোন টুঁ শব্দটি করে না। কারন মুসলিম দিয়ে কোরান পোড়ান বোধকরি ধর্মমত হিসেবে হালাল ধরা হয়।
তার পর, হযরত ঊসমানের অন্যতম খুনী—খলিফা আবু বকরের প্রিয় সন্তান, ইসলামের অগ্রদূত, নির্ভীক সৈনিক, আবদুর রহমান– হযরত উসমানের ঘরে ঢুঁকে লাথি মেরে কোরান কে ঊসমানের হাত থেকে ফেলে দেন।
এ ব্যাপারে সমস্ত ইসলামি বিশ্ব নিশ্চুপ, নির্বিকার। একজন মুসলিম যদি কোরানকে লাথি মেরে অবমাননা করে–তবে সেটা সহনীয়।
খারিজিরা হযরত আলীর আক্রমন হতে রেহাই পাবার জন্য বর্শার ডগায় কোরান বেধে উঁচিয়ে ধরে—যাতে হযরত আলী ভড়কে সরে যান। এই ভাবে কোরআনের অবমাননা করে খারিজিরা রেহাই পায়।
এ ছাড়াও আরও অনেক ঘটনা আছে—ইসলামের ইতিহাসে যা থেকে জানা যায় কোরান…এমনকি কাবার পাথরের বিশ্রি অবমাননা করা হয়েছে। এই সব তথাকথিত ঘৃনিত কাজগুলি কিন্তু কোন কাফের করে নাই। ইসলাম দিয়েই ইসলামের ধ্বংস বা অবমাননা করা হয়ছে যুগে যুগে নানা ভাবে।
কথা হচ্ছে—এই সব মুসলিমরা যারা ইসলামকে পদে পদে দলিত করেছে, কোরানকে অবমাননা করেছে, কোরানকে পুড়্যেছে তারা কি বলদ ছিল? নিশ্চয়ই নয়। এরা খুব ভালভাবেই জানত ইসলাম এক ঠুনকো বিশ্বাস—ইসলামের কোন ভিত্তি নাই। কোরান এক মামুলি লিখা যার আগা গোড়া কিছুই নাই এবং কোরানের পবিত্রতার দাবীও মিথ্যা।
মুসলিমরাই সর্বপ্রথম কোরান পুড়িয়েছে। কাজেই এই পাদ্রীকে শুধু শুদু বলদ বলা সঠিক নয় বলেই আমি মনে করি। এই পাদ্রী হয়ত শিয়াল হতে পারে–কারণ সে জেনে শুনেই সবকিছু করছে।
@আবুল কাশেম,
আপনি ইসলামের ইতিহাস নিয়ে বাংলায় বই লিখুন। সত্য সবার জানা দরকার।
@আবুল কাশেম,
আমি বিপ্লব পাল এর সাথে একমত। বাংলা অনেক জরুরি,আপনার লেখা, এবং সত্যকে উন্মোচিত করার
জন্যে বাংলা আবশ্যক।
@আবুল কাশেম,
আমি এই ওসমান কর্তৃক কোরান সংকলনের মত গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারটি প্রথম জানতে পারি আপনাদের দৌলতে, মাত্র বছর তিনেক আগে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই এই ঘটনা জানে না। আমার যেমন ধারনা ছিল তাদেরও নিশ্চয়ই ধারনা যে নবী মোহাম্মদ নিজে কোরান আদি অবিকৃত অবস্থায় রেখে গেছেন।
তবে ইসলাম ডিফেন্ডারদের দাবী অনুযায়ী তারা ওসমান কর্তৃক কোরান সংকলন অস্বীকার করে না। তাদের মতে তিনি আসল কোরান সংকলন করে ভেজাল কপিগুলি নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। তার সংকলনকৃত কোরানের অরিজিন্যাল কপি তুরষ্ক না কোথাকার কোন এক মিউজিয়মে আছে।
@আদিল মাহমুদ,
তার মানে তারা স্বীকার করেন, কোরান বিকৃত করা হয়েছিল বা ভুল ভেজাল মেশানো ছিল। আল্লাহ নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোরানের হেফাজত করতে পারলেন না, যার কারণে মেরামতের কাজটা উসমানকে হাতে নিতে হয়েছিল।
আর সেই কপির সাথে বর্তমান কপির যদি মিল না হয়?
@আকাশ মালিক,
– এই তথ্য বা যুক্তি খন্ডনের সামান্যতম উপায়ও আমি দেখছি না। এটা অস্বীকারের কোন উপায় নেই। তবে বলা যেতে পারে যে আল্লাহই ঊসমানের উছিলায় মেরামতির কাজটা সম্পন্ন করেছিলেন 🙂 । এবার যাবেন কোথায়? আর সেই মেরামতির পর তো আর মেরামতির দরকার পড়েনি।
সেই কপির সাথে বর্তমান কপির বেমিল আছে কিনা আমার পক্ষে পরীক্ষা সম্ভব নয়, আরবী জানি না কিছুই। শুধু দাবী শুনি আর তর্কাতর্কি পড়ে জ্ঞানলাভের চেষ্টা করি। তবে উসমান সংকলিত বলে দাবীকৃত আদি কোরানের ছবি কয়েক যায়গায় দেখেছি।
@আদিল মাহমুদ,
ভাগ্যিস “উছিলা” বলে পৃথিবীতে একটা ওয়ার্ড আছে! 😀
@ব্রাইট স্মাইল্,
তা আছে, তবে উছিলা সব সময়ই যে লাগে তা নয়।
কিছু ব্যাপার আবার আল্লাহ নিজে নিজেও দেখান আমাদের মতন নাদানদের কিঞ্চিত সাবধান করার জন্য। যেমন গাছে কেবলামুখী হয়ে রুকুতে বেকেছে, পাথরে সিজদা দিচ্ছে এমন।
এখানে
এখানে
কুদরতের কি আর শেষ আছে?
@আদিল মাহমুদ,
ইসলাম দিয়ে ইসলাম ধ্বংশের আরো অনেক কাহিনী আছে। এই স্বল্প পরিসরে তা জানানো সম্ভব নয়। অতিশয় সংক্ষিপ্ত ঘটনা এই।
নবীজী তাঁর জীবদ্দশায় ঠিক করেছিলেন কারা কোরানের রক্ষনাবেক্ষন করবে এবং কাদের কাছ থেকে মুসলিমরা কোরআন শিখবে। এঁরা হলেন নবীজীর সবচাইতে চারজন বিস্বস্ত সাহাবিঃ যথা–
আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ
উবায় ইবনে ক্বাব
মোয়াজ বিন জাবাল
সলিম–আবু হুজায়ফার ক্রীতদাস–যাকে আবু হুজায়ফা পরে মুক্ত করে দেন।
নবীজী কোন দিনই আবু বকর, ওমর, অথবা উসমানকে কোরআনের রক্ষনাবেক্ষণের দায়-দায়িত্ব দেন নাই। পরে কোরআনের একটা সঙ্কলন খলিফা ওমরের কণ্যা–নবীজীর স্ত্রী, হাফসার, গৃহে রাখা হয়। হযরত ঊসমান এই কোরআনের ভিত্তিতে নতুন কোরআন সঙ্কলন করেন। এ ছাড়াও ঐ চারজনের কাছে যে কোরান ছিল সেগুলোও মৌখিক ভাবে গ্রহণ করা হয়।
কাজেই বুঝা যায় যে খলিফা উসমান যে কোরআন সংকলন করেছিলেন তা ছিল অন্যান্য বিভিন্ন ভাবে সংগ্রীহিত কোরানেরই অংশ বা অনেক ক্ষেত্রে হাফসা ও ঐ চারজনের কোরানেরই হুবুহু অথবা প্রায় হুবুহু অনুলিপি। খলিফা উসমান এর পর যার কাছেই কোরআন পাওয়া গেছে তার কাছ থেকেই তা কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেন। সৌভাগ্যক্রমে ঐ চারজন লুকিয়ে রাখেন তাঁদের কোরআন।
তা হলে বুঝা গেল ইসলামিরা যতই ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উসমানের কোরআন কে প্রকৃত কোরআন বলেন–ইসলামের ইতিহাস কিন্তু পরিষ্কার বলে দিচ্ছে—হযরত উসমান যা করেছেন তা পুরাপুরি নবীজীর বিরুদ্ধে গেছে।
আসলে কোরআন পোড়ানো ছিল উসমানকে খুন করার অন্যান্য কারণের একটি।
হয়ত প্রশ্ন করবেন–কি হল হাফসার কাছে যে কোরআন ছিল? –যা ছিল সব চাইতে বিস্বাসযোগ্য এবং অকলুষিত? উত্তরটা লিপিবদ্ধ করে নিতে পারেন:
বিবি হাফসার জীবিতকালে খলিফা মারোয়ান হাফসার কাছে মূল কোরানটা চাইলেন। কিন্তু হাফসা মারোয়ানকে কোন ক্রমেই তা দিলেন না। বিবি হাফসার মৃত্যর পর, মারোয়ান হাফসার ভ্রাতা আবদুল্লাহ বিন ওমরের কাছে ঐ আসল কোরানটি চেয়ে বসলেন। আবদুল্লাহ না করলেন না।
মারোয়ান হাফসার কোরানটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করলেন এবং টুকরো গুলো আগুনে পুড়িয়ে দিলেন।
এই হল কোরান পোড়ানোর ইতিহাস—
ইসলামের প্রথম যুগের ইতিহাসে আমি আজ পর্যন্ত পড়ি নাই যে কোন কাফের কোরআন পুড়িয়েছে। কোরআন পুড়িয়েছে কিন্তু মুসলিমরাই।
কিন্তু আমার সবচাইতে বড় প্রশ্ন হচ্ছে—আল্লাপাক বলেছেন যে তিনিই কোরআন দিয়েছেন এবং তিনিই রক্ষা করবেন—সর্বদা। এখন দেখা যাচ্ছে আল্লাপাক হয় মিথ্যা বলেছেন, অথবা তিনি এতই দুর্বল যে কোরআন কে পোড়ানর হাত থেকে বাঁচানর শক্তিও তাঁর নাই।
@আবুল কাশেম,
আপনার এই উক্তির সমর্থনে নীচের লেখাটুকু তুলে দিলাম-
Zayd Ibn Thabit gathered the Quran in one book. He was charged to do this by Abu Bakr al-Siddiq, according to an advice from Umar Ibn Al-Khattab. Its resource was the parts written by the Revelation scribes; so he gathered all of it in one book, the Holy Quran.
Compiling Quran during the era of Uthman Ibn Affan: In his reign, the Quran was written from the main copy gathered during the era of Abu Bakr al-Siddiq. It was kept at the residence of Hafsah Bint Umar, (one of the Prophet’s wives). He charged the following scribes to do it:
Zayd Ibn Thabit.
Abdullah Ibn Al-Zubair.
Said Ibn Al-`As.
Abdul-Rahman Ibn Al-Harith Ibn Hisham.
They scribed many copies of Quran, reflecting in their writing the different correct readings (Arabic accents) of it; excluding any incorrect one. It was not marked with dots or vowel points. Uthman kept a copy at Medina and sent the remaining copies to the various Islamic countries.
Dotting and Vowelization. Dotting and vowelization passed through three stages:
In the first stage: Dots were used as syntactical marks. This was in the era of Mu`awiyah Ibn Abi Sufyan, who charged Abu Al-Aswad Al-Dualy to do it in order to prevent people from a faulty reading of the Quran.
In the second stage: Arabic letters were marked with different dotting to differentiate between them (e.g.:B, T,TH). This was in the time of Abdul-Malik Ibn Marawan, who charged Al-Hajjaj to do it. Al-Hajjaj, in his turn, charged Nasr Ibn Asem and Hayy Ibn Yaamor to accomplish it.
In the third stage: Complete vowel points (e.g. dammah, fathah, kasrah) were used, in the form we are using nowadays. This method was invented by Al-Khaleel Ibn Ahmed Al Faraheedi.
Imam al-Bukhari narrates in his Sahih (6:183-184) from Anas ibn Malik (RA) that Hudhayfa ibn al-Yaman came to `Uthman at the time the people of Sham were battling for the conquest of Armenia and Azerbaijan [~year 25H] with the people of Iraq. Their divergences in Qur’anic reading had alarmed Hudhayfa, so he said to `Uthman: “O Commander of the Believers! Rescue (adrik) this Umma before they differ over the Book the way the Jews and Christians differed.” Whereupon `Uthman wrote to Hafsah: “Send us the folios (suhuf) so that we copy them then we shall return them to you.” Hafsa then sent them to `Uthman who ordered Zayd ibn Thabit, `Abd Allah ibn al-Zubayr, Sa`id ibn al-`As, and `Abd Allah ibn al-Harith ibn Hisham who copied those folios into the volumes (masahif). `Uthman said to the group – the three Qurayshis: “If you find yourselves differing, [the three of] you and Zayd ibn Thabit in anything of the Qur’an, write it in the tongue of the Quraysh. For it was not revealed but in their tongue.” They did [as instructed] and when they finished copying the folios into the volumes, `Uthman returned the folios to Hafsa, sent one mushaf to each region from those they had copied, then ordered that all other [copies] of the Qur’an in each and every folio or volume be burnt.
In his commentary on the above hadith in Fath al-Bari, at the line “when they finished copying the folios into the volumes, `Uthman returned the folios to Hafsa,” Ibn Hajar says:
“Abu `Ubayd [a tashif for Abu `Ubayda al-Qasim ibn Sallam as proven below] and Ibn Abi Dawud [in Kitab al-Masahif] added: with a chain from Shu`ayb, from Ibn Shihab who said: Salim ibn `Abd Allah ibn `Umar told me:
“‘Marwan used to send courier to Hafsa – meaning, when he was governor of al-Madina on behalf of Mu`awiya – asking her for the folios from which the Qur’an had been copied [kutiba minha] but she would refuse to give them to him.’ Salim continued: ‘When Hafsa died and we returned from her burial, Marwan sent an imperative request to `Abd Allah ibn `Umar for those folios to be sent to him, whereupon `Abd Allah ibn `Umar sent them to him. Then Marwan gave an order so they were ripped up (fashuqqiqat). He said: ‘I only did this because I feared that after the passing of time, some doubter might foster doubt with regard to those folios.’
“The wording in Abu `Ubayda’s narration has: ‘so they were torn up’ (famuzziqat). Abu `Ubayd [sic] said: ‘It is unheard of that Marwan tore up the folios except in this narration.’ I say: Ibn Abi Dawud narrated it with a chain from Yunus ibn Yazid, from Ibn Shihab, in a similar wording which has:
“‘When Marwan was governor of Madina he sent courier to Hafsa asking her for the folios but she refused him access to them.’ He [Ibn Shihab al-Zuhri] said: ‘Salim ibn `Abd Allah [ibn `Umar] narrated to me saying: “When Hafsa died…”‘ and he narrated it [as above] and said in it: ‘So he had them ripped up and burnt’ (fashaqqaqaha wa harraqaha).
“And this addition also came up in the narration of `Umara ibn Ghuzayya, also an abridged one, but he, also made it part of the narration of Zayd ibn Thabit who said in it: ‘So he had it washed out thoroughly (faghassalaha ghaslan)’…. And all this can be reconciled by saying that this was done with all the folios – renting, them washing out, then burning – and it is possible that the word [harraqaha] be read ‘kharraqaha’ (he had them rent) so that he has them first torn up then washed out, and Allah knows best.”
আমার প্রশ্ন উসমানের কোরান সঙ্কলন কমিটিতে নবীর বিশ্বস্ত কোরান লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে আবি সারাহ ও হজরত আলী নেই কেন? হাফসার কাছে রক্ষিত কোরানই যদি সংকলন করা হবে, বারোজনের কমিটি কেন? উসমান কি লেখকদেরকে সন্দেহ করতেন? ‘ভাষা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিলে কোরায়েশদের ভাষা অনুসরণ করবে’ উসমান এ কথা তার কমিটিকে কেন বলেন?
@আকাশ মালিক,
আব্দুল্লাহ ইবন সরাহ-নবীজীর ্ভণ্ডামি ধরে ফেলেছিলেন। তাই নিজের জীবন বাঁচাবার জন্য আব্দুল্লাহ ইবন সরাহ তড়িঘড়ি করে নবীজীকে না জানিয়ে মক্কায় চলে আসেন। মক্কায় এসে উনি মোহাম্মদের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে ধরেন।
আপনি নিশ্চয় বাকী অংশটুকু জানেন। এহেন আবদুল্লাহ সরাহকে কি উসমান কখনও কোরান কমিটিতে নিতে পারেন? তা হলে হয়ত হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে যেত। তাই ত হযরত উসমান আবদুল্লাহ কে মিশর বা অন্য কোথাও শাসনকর্তা নিয়োগ করে আপদ বিদায় করেন। উসমান কি খাল কেটে নিজের ঘরে কুমীর আনবেন?
ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অনেক চিন্তা করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সঠিক উত্তর পাই নি। তা ছাড়া হাফসার কাছেই যখন প্রকৃত কোরান ছিল তবে আবার নতুন করে কোরান সঙ্কলনের কী প্রয়োজন ছিল? ছয়টা অনুলিপির জন্য ছয়জন নিয়োগ করেলেই ত হত। এই প্রশ্নের জবাব ইসলামিরা দেয় যে প্রত্যেক অনুলিপির পিছনে দুই জন ছিল অনুলিপি যাচাই করার জন্য। এটাও আমার বিশ্বাস হয় না।
সত্যি বলতে কি নবীজী নিজেই কোরান সংকলন করে গেছেন। এ ব্যাপারে আমি আদিল মাহমুদের মন্তব্যের উত্তরে লিখেছি। পড়ে নিতে পারেন।
সেটা ত পরিষ্কার। উসমান নিজের পছন্দ মত সংকলক নিয়েছিলেন নিজের ইচ্ছায় যেমনভাবে কোরান লিখা যায় তার জন্যে।
আর একটা ব্যাপার সর্বদায় আমার মনে উদয় হ্য়–উসমান নিজের কোরান বাদে অন্য সব কোরান পুড়িয়ে দেন কিন্তু হাফসার কোরান পোড়ালেন না। কেন? এটা কি এই জন্যে যে হাফসার কোরান এবং উসমানের কোরান অবিকল একই ছিল। আরও একটা ব্যাপার–হযরত আলীর কাছেও নাকি একটা কোরান ছিল–যা তিনি নিজে সংকলিত করে ছিলেন ধারাবাহিকভাবে (chronologically). উসমান তা জানা সত্যেও আলীর কোরান কে পোড়ালেন না কেন?
কেন খলিফা ্মারোয়ান হাফসার কোরান পুড়িয়ে দিলেন? তবে কি হযরত মারোয়ানও গোপনে আবার কোরান সংশোধন করেছিলেন?
এই সব সত্যিই রহস্যময়।্
এখানে খলিফা উসমান নবীজীর আদেশ পরিষ্কার ভাবে লংঘন করেছেন। নবীজীর জীবদ্দশায় নবীজী বলে গেছেন কোরান সাতটি আরবি আণচলিক ভাষায় নাজেল হয়েছে—এবং ঐ সাতটিই সঠিক। এই ব্যাপারে হযরত জিব্রিল পর্যন্ত আল্লার সংবাদ শোনালেন নবীজীকে। এর পরেও উসমান একমাত্র কুরাইশদের কোরান ছাড়া অন্য কোরান বাতিল করে দেন। এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে নবীজীর আদেশের লঙ্ঘন।
আমি সত্যই এর উত্তর জানি না।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ দীর্ঘ ঐতিহাসিক তথ্যের জন্য। নবীজি কর্তৃক চার সাহাবীর কোরান সংরক্ষনের দায়িত্ব এই প্রথম শুনলাম। শুধু জানতাম যে তিনি নিজে তার জীবদ্দশায় কোরান পূর্নাংগ আকারে সংকলন করে যাননি। তাতে আমার মনে সবসময়ই প্রশ্ন আসে; যে কোরান , জগতের শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান, জ্ঞান বিজ্ঞান নৈতিকতা সব কিছুরই উতস, যার প্রতিটা আয়াত আমাদের মেনে যেতে হবে সেই অসীম গুরুত্বপূর্ন গ্রন্থ নবীজি কেন নিজে সংকলন করে গেলেন না? তবে কি কোরানের তেমন কোন গুরুত্ব তিনি দিতেন না? হতে পারে তিনি কোরানে হাফেজ ছিলেন। তাই বলে তিনি চিরজীবি এমন আশা নিশ্চয়ই কোনদিন করেননি।
এগুলি নিয়ে যৌক্তিক তর্ক করে আসলে কোন লাভ নেই। পুরোপুরি বিশ্বাসের ব্যাপার। কোরানের কোন সুরার মত সুরা কেউ রচনা করতে পারবে না এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিতর্ক যেমন অর্থহীন তেমনি আল্লাহ হেফাজতকারী তেমন দাবী নিয়ে যুক্তি তর্কও বৃথা।
আমাদের সময় ক্লাস এইটে একমাত্র কোরানই কেন আদি অবিকৃত ধর্মগ্রন্থ এ নিয়ে একটি অংশ ছিল। তাতে কি কি যেন যুক্তি দেওয়া হত, একটি যতদুর মনে পড়ে দুনিয়ার সব কোরানই এক, সেগুলিতে এক বর্নও বেমিল নেই যেমন্টা অন্য ধর্ম গ্রন্থে আছে। সব কোরানের পেপার কপি আজ কোন কারনে ধ্বংস হয়ে গেলেও কোনই সমস্যা হবে না। কারন বহু হাফেয আজ কোরান মুখস্ত করে ফেলছেন এই ধরনের যুক্তি। যদিও কোরান সংকলনে এই উসমান এপিসোডের মত গুরুত্বপূর্ন বিষয় পুরোপুরি অনুপস্থিত। নবীজি যে তার জীবদ্দশায় পূর্নাংগ কোরান সংকলন করে যাননি এটাও জানাবার প্রয়োযন কেউ বোধ করেননি।
@আদিল মাহমুদ,
@আদিল মাহমুদ,
আপনি সঠিক ধরেছেন। কে বলেছে নবীজী কোরান সংকলন করে যান নাই?
নবীজী এতো বোকা ছিলেন না। উনার জীবদ্দশায়ই উনি দেখে গেছেন তাঁর অনুসারীরা কেমন ভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে—টাকা পয়সা, ধন দৌলত ও ক্ষমতার লোভে। তাই ত তিনি ঐ উল্লিখিত চারজন ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করতেন না কোরানের ব্যাপারে। সে জন্যেই উনি কোরান রক্ষনাবেক্ষনের ভার ঐ বিশ্বস্ত চার জনের উপরে ন্যাস্ত করেন। নবীজী তাঁর চার খলিফা—যথা আবু বকর, ওমর, উসমান, এবং আলি—কাউকেই ্পরিপূর্ণ বিশ্বাস করতেন না কোরানের ব্যাপারে। তাই এই চার জনের কাউকেই উনি কোরান রক্ষনাবেক্ষনের কিংবা সঙ্কলনের দায়ীত্ব দেন নাই।
তাছাড়া, কে বলেছে কোরান নবীজীর সময়ে পূর্নাঙ্গ ছিল না। আমরা হাদিস থেকে প্রচুর উদ্ধৃতি পাচ্ছি যাতে পরিষ্কার লিখা আছে সুরার নাম এবং আয়াত (আজকাল ্নম্বর হয়েছে–নবীজীর আমলে নম্বর ছিল না।)। এমনকি সর্বপ্রথম সুরা থেকে সর্বশেষ সুরা পর্যন্ত।
নবীজী ঠিকই জানতেন কোরানের ব্যাপারে কাকে বিশ্বাস করবেন এবং কাকে বিশ্বাস করবেন না। ঊনি ভালোভাবেই জানতেন ঊনার মৃত্যুর পর কোরান হয়ত ছিন্ন বিছিন্ন করা হবে, নতুনভাবে কোরানে মনগড়া কথা লিখা হবে। তাইত তিনি যারা ক্ষমতা লিপ্সু, ধনদৌলত লোভী ছিল তাদের হাতে কোরানের ভার দিয়ে যান নাই।
সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। বিতর্ক হলেই সত্য বেরিয়া আসবে। এবং এই বিতর্কের জন্যেই আজ অনেক সঠিক তথ্য পাচ্ছি যা ইসলামিরা সহস্র বছর লুকিয়া রেখেছিল তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্যে। যত বিতর্ক হবে ততই আমরা সত্য জানতে পারব।
@আবুল কাশেম,
আসলেই গুরুত্বপুর্ণ কিছু তথ্য দিলেন। অনেক ধন্যবাদ! আমিও সবার সাথে একমত। এগুলোর ইতিহাস নিয়ে বাংলায় লিখতে পারেন।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই,আপনার কি মনে হয় মুহাম্মদ আজকের যুগের মুসলমানদের মত, নামাজ, রোজা, তারাবিহ এসমস্ত ধরা বাঁধা নির্দিষ্ট নিয়মে করতেন?
@আকাশ মালিক,
জামিলুল বাশার সাহেব, ফারুক ভাইদের মত কোরান অনলিরা তো তেমনই বিশ্বাস করেন। তাদের মতে আজকে যে ইসলাম আমরা দেখি তা অনেকটাই বিকৃত।
@আদিল মাহমুদ,
ইসলাম আজ যেভাবে সমালোচিত হচ্ছে তাতে তো একটা বর্মই হাতে থাকে বলা যে আজকের ইসলাম “অনেকটাই বিকৃত”।
তো অবিকৃত কোরান কোথায় আছে? আল্লাহর কাছে লা মাহফুজে অথবা পৃথিবীর কোন দেশের কোন মিউজিয়মে সংরক্ষিত আছে।
তা অবিকৃত কোরান পাওয়ার কি কোন উপায় আছে? না কোন উপায় নাই, আমাদেরকে বিকৃত কোরান নিয়েই জীবন যাপন করতে হবে। এটাই আল্লাহর ইচ্ছা। 🙁
@ব্রাইট স্মাইল্,
আসল ইসলাম কে জানে, কারাই বা সেটা পালন করে এই প্রশ্ন ইসলাম কায়েম করার দাবী যারা করেন তাদের সুযোগ পেলেই জিজ্ঞাসা করি। কোন সন্তোষজনক জবাব পাই না। কারন আসলে তেমন কোন নজির সর্বসম্মতিক্রমে পাওয়া সম্ভব নয়।
@আকাশ মালিক,
আজকের মুসলিমরা বিশেষতঃ বাংগালী মুসলিমরা যে ভাবে রোজা নামায পড়েন বা অন্যান্য ইসলামি আচার ব্যবহার করেন তার সাথে প্রাথমিক ইসলামের তেমন যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না,
কোরানে রোজা রাখার আয়াত নাজেল হবার আগে ্নবীজী কি করেছেন? এর উত্তর আমি জানি না। রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখা ফরয করেছেন নবীজী। কিন্তু তিনি নিজে ৩০ টি রোজা রাখতেন কি না আমি সঠিক নই। কারণ, দুই একটা হাদিসে দেখা যাচ্ছে নবীজী রমজান মাসে রোজা থাকাকালীন নাবালিকা বিবি আয়েশাকে ওষ্ঠায় চুমু খাচ্ছেন এবং আয়েশার জিহবা চুঁষছেন। এ সব তো অবশ্যয় রোজা ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু নবীজী বললেন আল্লা রমজান মাসে বৃদ্ধ লোকদের ঐ সব করার অনুমতি দিয়েছেন। এ ছাড়াও নবীজী হয়ত রমজান মাসের রোজা ভেঙ্গে খেয়ে ফেলতেন। লোকে জিজ্ঞাসা করলে বলতেন আল্লা তাঁকে খাদ্য সরবরাহ করেছেন।
তাছাড়া নামাজের ব্যপারে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শিয়াদের নামাজ এবং সুন্নিদের নামায এক নয়। এমনকি শাফীদের নামাজ ও হানিফিদের নামাজ এক নয়।
নবীজী দিন রাত নামাজ পড়তেন তা হাদিস থেকে বুঝা যায়। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত কি না সে সম্বন্ধে আমি সঠিক নই। কোরানে কোথাও পরিষ্কার লেখা নাই যে দিন রাত পাঁচ বার নামাজ পড়তে হবে। রমজান মাসে তারাবির নামাজের কথাও পরিষ্কার ভাবে নাই। তবে হাদিসে দেখা যায় তারাবি নামাজের ব্যবস্থা।
আমার মনে হয় নবীজীর সময় প্রাথমিক দুইবার নামাজের ব্যবস্থা ছিল–ভোরে এবং সন্ধ্যায়। মনে হ্য় আরবরা কাবা গৃহে এই দুই সময় তাদের দেবদেবীর পাদতলে সিজদা দিয়ে উপাসনা করত। ্নবীজী সে প্রথায়ই চালু রাখলেন—শুধু বলে দিলেন দেবদেবীর স্থলে আরবদের একমাত্র সর্বমহান দেবতা আল্লাহ (অথবা হুবাল) কে উপাসনা করার জন্য।
আর তিরিশ দিনের রোজা ও অজু, এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নবীজী মনে হয় সিনায় মরুভুমির খৃষ্টিয় মোহান্ত অথবা সবেয়িদের কাছ থেকে কপি পেস্ট করেছেন। এ ব্যাপারে বেঞ্জামিন ওয়াকারের ‘ফাউন্ডেশন অফ ইসলাম’ পড়া যেতে পারে। এই ক্ষুদ্র পরিসরে এই দীর্ঘ্য ব্যাপারে লিখা সম্ভব নয়।
@আবুল কাশেম,
অনেক কিছু জানলাম। আসলে সন্ধ্যায় এবং সকালে পার্থনা করাটা প্রগৈতিহাসিক নিয়ম। তাই ৫ বারের ব্যাপারটা জানতাম না।
ইসলামের ওপর আপনার একটা কমপ্লিট ট্রিটিস করা উচিত। আপনি ত অনন্তকাল বাঁচবেন না। আপনার এই জ্ঞানগুলিকে সন্নিবদ্ধ করে একটি সিরিজ থাকা উচিত।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লবদার সাথে সহমত পোষন করছি। আবুল কাশেম স্যারের আসলেই এই ব্যাপারে বই লেখা দরকার। যদিও বুঝতে পারছি তিনি খুবই ব্যস্ত আছেন। 🙁
@আবুল কাশেম,
দারুণ একটা বই। ঐ বইটি শা’দ উল্লাহ অনুবাদ করেছেন বাংলা ভাষায়। কিন্তু সরকার অনূবাদ বইটিকে কোন দুঃখে নিষিদ্ধ করল কে জানে। সকলকে বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
@সৈকত চৌধুরী
আমি সা’দউল্লার অনুবাদের কথা জানতাম, যদিও অনুবাদ টা পড়ি নাই। এই গুরুত্বপূর্ণ বইটি বাংলাদেশ সরকার কেন নিষিদ্ধ করে দিল তা আমার মোটেই বোধগম্য নয়। তা হলে বুঝা গেল বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার কি অবস্থা।
বেঞ্জামিন ওয়াকারের বইতে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছুই নাই। এই বইতে দেখান হয়েছে ইসলামের উৎপত্তি কোথা হতে। প্রায় সমস্ত উদাহরণ দেওয়া হয়েছে ইসলামি তথ্য থেকে।
তা হলে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে চিন্তার স্বাধীনতা বা মুক্তভাবের কোন পরিবেশ`ই নাই। যেই ক্ষমতাই থাকুক না কেন সেই চালাচ্ছে ইসলামি নিষ্পেষন।
বুঝা গেল ‘যে সত্য বলা হয়নি’ অথবা আমরা যারা ইসলামের সমালোচনা করে লিখালিখি করি তাদের কোন লেখা কোনদিনই বাংলাদেশে প্রধান মিডিয়াতে প্রকাশ পাবে না।
বাংলাদেশে যে মুক্তচিন্তা ও গনতন্ত্র আছে–এটা ত হাস্যকর ব্যাপার। আরবদের পা চাটাচাটি করে ও সৌদি ও ইসলামি দয়া দাক্ষিন্যে যে দেশের অর্থনীতি চলে সে দেশে সা’দউল্লার অনুবাদ যে নিষিদ্ধ হবে—তাতে বিস্ময়ের কিছু নাই।
@আবুল কাশেম,
প্রধান মিডিয়া বলতে কিছু থাকবে না। ব্লগ মিডিয়া আগামী দশ বছরে প্রধান মিডিয়া হয়ে উঠবে। তাই নিরাশ হবেন না। ব্লগকে এখনই সবাই ভয় পাচ্ছে-যত দিন যাবে আরো পাবে। সত্য প্রকাশ হবেই।
@বিপ্লব পাল,
ততদিন কি আমরা (মানে ইসলাম ব্যাশার রা) কি জীবিত থাকবে?
আমি অতটুকু আশাবাদী না হলেও আজ বিশ্বব্যাপি ইসলামের যে তৃণমূল আন্দোলন গড়ে উঠতে চলেছে তাতে আমরা খুবই আনন্দিত। মনে হচ্ছে আমাদের এই সূদীর্ঘ নিরলস পরিশ্রম যেন সুর্যের উত্তাপ পাচ্ছে। খোদ আমেরিকাতেই দেখা যাচ্ছে এই তৃণমূল আন্দোলন পরিষ্কার দানা বেঁধে উঠছে।
তাই প্রধাণ মিডিয়া আমাদের উপেক্ষা করুক–কোন অসুবিধা নাই। আপনার কথাই সঠিক। এই দেখুন না আপনার এই ছোট্ট সমসাময়িক রচনার পাঠক সংখ্যা—এই তিন চার দিনেই পাঠক সংখ্যা হয়েছে ১২০০ বেশী এবং মন্তব্য পড়েছে ১২৫ টা।
কি বুঝলেন এই সব থেকে? যে যাই বলুক— আমাদের ইসলাম ব্যাশিং মনে হয় ঠিকই কাজ করছে।
এই অদুর ভবিষতে দেখবেন সমগ্র বিশ্ব কিভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
@আবুল কাশেম,
দুঃখিত
এই লাইনটি হবে ঃ
আমি অতটুকু আশাবাদী না হলেও আজ বিশ্বব্যাপি ইসলামের বিরুদ্ধে যে তৃণমূল আন্দোলন গড়ে ।।.।।।….।
@আবুল কাশেম,
সা’দ উল্লার অনূদিত বইটি যেহেতু নিষিদ্ধ কয়েক বৎসর থেকে তাই একে যদি ই-বুক করে রাখা যেত তা হলে একটা দারুণ কাজ হত।
@সৈকত চৌধুরী,
আমার নিজস্ব কোন ওয়েব সাইট নাই।
মুক্তমনা কি এই কাজটা করবে? কারও কাছে কি সা’দউল্লার অনুবাদ টা আছে? থাকলে স্ক্যান করে ই-বুক করা যেতে পারে। মুক্তমনা কি তা করবে?
অথবা বাংলায় টাইপ করার দরকার পড়লে আমি সাহায্য করতে পারি। দুঃখের বিষয় অন্যান্য ইসলাম ‘ব্যাশিং’ ওয়েব সাইটে বাংলা প্রকাশের কোন ব্যাবস্থা নাই।
অনেক দিন থেকেই আমি একটি বাংলা ইসলাম ‘ব্যাশিং’ ওয়েব সাইটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। যে ভাবে বাঙ্গালি ‘ইসলাম ব্যাশার’ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মনে হয় অনায়াসে একটা বাং`লা ইসলাম ‘ব্যাশিং’ ওয়েব সাইট করা যেতে পারে। আমি এ ব্যাপারে কিছু ইসলাম বিদ্রোহী ওয়েব সাইটের সাথে আগে আলাপ করেছিলাম। কিন্তু ওরা খুবই ঠাণ্ডা মনে হল। কারণ বাংলা ভিসিটর তাদের অতি নগণ্য।
কিন্তু এটা মনে হয় চিকেন ও ডিম সমস্যার মত। যেহেতু ওয়েব সাইটে বাংলা নাই—তাই বাঙ্গালি যায় না—আরা যেহেতু বাঙ্গালি যায় না তাই ওয়েব সাইট বাংলার ব্যাপারে উৎসাহী নয়। এই চক্র ভাঙ্গা দরকার। তাদের ইংরেজি পাঠক সংখ্যা মুক্তমনার চাইতে দশ থেকে বিশ গুন বেশী।
লক্ষ্য করুন এই মুক্তমনাতেই দেখা যাচ্ছে ‘ইসলাম ব্যাশিং’ রচনার পাঠক সংখা কি বিপুল। তাই আমাদেরকে যে যতই গালাগালি দিক—যে যতই উন্মাদ ভাবুক—আমাদের পরিশ্রমের ফল আজ আমরা লক্ষ্য করছি—বিশ্বব্যাপি ইসলাম বিরোধি তৃণমূল আন্দোলন ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।
এই আন্দোলনকে কেই আর অবজ্ঞা করতে পারবে না।
@আবুল কাশেম,
ওয়েব সাইট সেকেলে জিনিস। যে কেও নিজে ব্লগ খুলে তার বক্তব্য লিখে ফেসবুকের মাধ্যমে আজকাল সংঘঠিত হতে পারে।সমষ্টিগত ভাবেও ব্লগ সাইট খুলতে পারে। ইংরেজিতে ইসলাম ব্যাশিং সাইট খুব পপুলার-এই সিদ্ধান্তে কি করে আসা যায় জানি না-সব থেকে বড় ইসলাম ব্যাশিং সাইট ফেইথ ফ্রিডমে একেকটি আর্টিকলে হিটের সংখ্যা মুক্তমনার থেকে খুব বেশী না। সেসব প্রসঙ্গ যাক।
ইসলাম ব্যাশিং কেন দরকার আমি বুঝলাম না। ফ্রেইথ ফ্রিডমের বেশ কিছু আর্টিকল সম্পূর্ন আন ক্রিটিক্যাল ঘৃণার চাষাবাশ। ধর্ম থেকে উন্নততর আধ্যাত্মিকতা বা উন্নততর জীবন জিজ্ঞাসায় উত্তোরনের জন্যে দরকার বিজ্ঞান চর্চা এবং যুক্তিবাদ। ইসলাম ব্যাশিং করে কিছু হবে না। ইসলামের যুক্তিপূর্ন সমালোচনা করুন।
ইসলাম এবং ইসলাম ব্যাশিং উভয় জিনিসই আসলে ঘরির কাঁটার বিপরীতে যাত্রা। চাই গণতন্ত্রের জন্যে আন্দোলণ-বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজের জন্যে আন্দোলন। পরিবেশ রক্ষার জন্যে আন্দোলন। ইসলামিস্ট এবং ইসলাম ব্যাশারদের আমি একই বন্ধনীতে রাখব।
@বিপ্লব পাল,
অনুগ্রহপূর্বক দুই একটি উদাহরণ দিবেন কী?—কী ভাবে ইসলামের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করতে হবে?
আপনি কী ইসলামের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করছেন? আমরা কী ইসলাম ‘ব্যাশিং’ করছি?
লক্ষ্য করুন ব্যাশিং শব্দটি ইনভারটেড কমার মধ্যে।
@আবুল কাশেম,
আপনারা অধিকাংশ সময় ইসলামের যে ত্রুটি গুলি ধরেন তা অন্য ধর্মেও বিদ্যমান এবং ঐতিহাসিক। সমস্যা হচ্ছে অন্য ধর্মে সেসব আজকাল কেও মানে না-ইসলাম মানতে চাই অনেক মুসলিম-যার কারন ও রাজনৈতিক। তুলনামুলক এবং ক্রিটিক্যাল আলোচনা করাটাই উচিত। আপনাকে অনেক ক্রীষ্ঠিয়ান এবং হিন্দু মৌলবাদি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হিরো বলে মানে-এক অর্থে আপনি আপনার ইসলামে অগাধ জ্ঞান নিয়ে অন্য ধর্মের মৌলবাদিদের হাত শক্ত করেছেন মাত্র-যাতে ইসলামিক মৌলবাদ আরো বাড়বে। কমবে না।
আমি দুঃখিত। কিন্ত সত্যি কথাটা বলতেই হত। আপনার পান্ডিত্যের প্রতি অগাধ আস্থা আমার আছে। কিন্ত যখন ব্যাঙ্গালোর বা দিল্লীতে গিয়ে দেখি হিন্দু মৌলবাদিরা ইসলাম কত ঘৃণিত সেটা প্রমান করার জন্যে আপনার লেখা আমাকে দেখাচ্ছে-আমার মনে প্রশ্ন জাগে-এতে কাদের কি লাভ হচ্ছে?
@বিপ্লব পাল,
তার জন্য কি ইসলামের সমালোচক (এ ক্ষেত্রে আবুল কাশেম) কে দায়ি করা ঠিক হবে? যৌক্তিক সমালোচনা কিনা সেটাই কি বিবেচ্য হয়ার কথা নয়? অনেকে হিন্দু ধর্ম বা খ্রীষ্টান ধর্মের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করাতে ইসলামী মৌলবাদী্রা যদি সেইসব সমালোচকদের হিন্দু/খ্রীষ্টান ধর্মেরবিরূদ্ধে যুদ্ধে হীরো বলে মানে তাতে কি সেই সমালোচনা অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে ? আবার সেই বাসী কথাই বলতে হচ্ছে, কে কি ভাবে নিল তার ভিত্তিতেই কি আমার বক্তব্য নৈতিক বা অনৈতিক বিচা র করা হবে?। আমার বক্তব্যের নিজস্ব গুনাবলীর বিচারে নয়?
একই ব্যক্তিকে সব ধর্মের সমালোচনা করতে হবে কেন? আপনি তো হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করতে পারেন। অনেকে মুক্তমনাই বাইবেল উদ্ধৃতি দিয়ে তার সমালোচনা করেছেন। ক্রিটিক্যাল আলোচনায় সবার অংশগ্রহনই তো কাম্য এবং তা জোরদার হয়। প্রত্যকে ধর্মের ত্রুটির স্বরূপ আলাদা। একই বাক্য দিয়ে সব ধর্মের সব ত্রুটি সমালোচনা করা সম্ভব? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইসলামের সমালোচনা করা (তা যে ভাবেই হোক) কে ইসলামিস্টরা (উগ্রবাদী বা শান্তিপ্রিয় নির্বিশেষ) ইসলাম ব্যাশিং বলে। আপনার সংজ্ঞায় ইসলামের সমালোচনা ব্যাশিং না বনে যাবার নৈর্ব্যক্তিক মানদন্ডগুলি কি?
@আবুল কাশেম,
প্রয়োজনীয়তা যেহেতু অনুভব করছেন, তখন না হয় খুলেই ফেলুন একটা বাংলা ইসলাম ব্যাশিং ওয়েবসাইট আপনারা সব ক্রমবর্ধমান বাঙালি ‘ইসলাম ব্যাশাররা’ মিলে। খুব একটা কঠিন কাজ হবে না মনে হয় এটা। ‘ইসলাম ব্যাশিং রচনার পাঠক সংখ্যা যে বিপুল’ তাতে ভালোই হিট খাবেন এটাও নিশ্চিত। আমার শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্যে।
মুক্তমনা সব ধর্মকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করে, সমাজ প্রগতির জন্য প্রতিবন্ধক এবং ক্ষতিকর বলে মনে করে, কিন্তু কোনো ধর্ম বা ধর্মালম্বীদের প্রতিই ব্যক্তিগত কোনো বিদ্বেষ পোষণ করে না। নিরাসক্ত এবং নির্মোহ দৃষ্টিতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে মানব সমাজে ধর্মের অপ্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরাতেই মুক্তমনার মূল আগ্রহ। বিপরীতে, কোনো বিশেষ ধর্মকে মনের সব ঘৃণা উগড়ে ব্যাশিং করে বাঁশ দেওয়ার বিষয়ে তার অনাগ্রহ সুস্পষ্ট।
@ফরিদ আহমেদ,
ভাল কথা। আপনার উদার মনের প্রশংসা করছি। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল সব ধর্মকেই আপনি অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন—এর মাঝে কী ইসলাম অন্তর্গত?
যদি তাই হয়–তবে আমরা কি অন্যায় করছি ইসলামের সমালোচনা করে? একটু পরিষ্কার করে বলবেন কী?
মুক্তমনায় সব ধর্মের সমালোচনা করা হয়। তা হলে ইসলামের সমালোচনা করা যাবেনা কেন?
আচ্ছা দেখান, কোথায় আমরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ইসলাম ‘ব্যাশিং’ করেছি।
অনুগ্রহপূর্বক লক্ষ্য করুন ব্যাশিং সব্দটি ইনভারটেড কমার মধ্যে।
আর ওয়েব সাইট করার মত আমার বুদ্ধি অথবা দক্ষতা আমার নাই। কাজেই আমার পরাজয় স্বীকার করে নিলাম।
আমি শুধু লিখেছিলাম প্রয়োনীয়তার কথা। আমার যদি দক্ষতা এবং বুদ্ধি থাকত তবে ত এতদিনে একটা ওয়েবসাইট নিশচ্যয়ই করে
ফেলেতাম।
যাক, আপনি যে কষ্ট করে আমার মন্তব্য পড়ে মন্তব্য করেছেন সেজন্য প্রচুর ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
আমার উদার মনের প্রশংসা করার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ। হ্যাঁ, উদারমনা নাস্তিক হওয়ার দিকেই ঝোঁক আমার প্রবল, মৌলবাদী নাস্তিক হতে চাই না কিছুতেই।
একটু স্ববিরোধী হয়ে গেলো না কথাটা? বলছেন যে, আমার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে সব ধর্মকেই আমি অপ্রয়োজনীয় মনে করি, আবার জিজ্ঞাসা করছেন যে, ইসলাম এর মাঝে অন্তর্গত কি না? আমার ধারণা ছিল যে, আমি যথাসম্ভব পরিষ্কার করেই লিখি। কোনো দ্ব্যর্থবোধকতা আমার লেখায় সাধারণত থাকে না। মনে হচ্ছে সেই ধারণাটা ভুল আমার। যাইহোক, ‘সব’ বলতে আমি সবই বুঝিয়েছি, সব ধর্মকেই বুঝিয়েছি। কোনো ফাঁকিজুকি করি নি। ইসলামকে বাদ রাখার মত আলগা কোনো খাতির ইসলামের সাথে আমার নেই। এর সাথে আমার সম্পর্কচ্যুতি ঘটেছে সেই কৈশোরেই। তারপর থেকে আর কোনো সংস্রব নেই।
আপনারা ইসলামের সমালোচনা করে অন্যায় করছেন এমন কোনো কথা মনে হয় আমি বলি নি। আমার মন্তব্যটা আবার পড়ে দেখতে পারেন।
ইসলামের সমালোচনা মুক্তমনায় করা যাবে না এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং মুক্তমনায় অন্যান্য যে কোনো প্রতিষ্ঠিত ধর্মের তুলনায় ইসলামের সমালোচনা বহুগুণে বেশি হয় বলেই আমার ধারণা।
এটা দেখানোর আমি কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। আপনি ব্যাশিং করেন কি করেন না সেটা মুক্তমনার পাঠকেরাই সবচেয়ে ভাল করে বলতে পারবে। ব্যাশিং শব্দটা আমি আপনার মন্তব্য থেকেই নিয়েছি, যেখানে আপনি আপনাদেরকে ইসলাম ব্যাশার বলে ঘোষণা দিয়েছেন, ইসলাম ব্যাশিং করার জন্য ওয়েবসাইট করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আপনার মত আমিও ‘ইসলাম ব্যাশার’ শব্দদ্বয়কে ইনভার্টেড কমার মধ্যেই রেখেছি, কমার বাইরে নিয়ে যাই নি। হয়তো বিষয়টা নজরে পড়ে নি আপনার।
‘ব্যাশিং’ ইনভার্টেড কমার মধ্যে রেখে যদি আপনি ভেবে থাকেন যে আসলে আপনি ব্যাশিং বোঝাননি, তবে সেটা খুবই হাস্যকর হবে। আপনার পুরো মন্তব্য পড়লে যে কেউই বুঝবে যে, আপনি ইসলামকে ব্যাশিং করতে কতখানি আগ্রহী, ইসলামকে ব্যাশিং করে কতখানি আনন্দিত হন। এর কারণে আপনি ইসলাম ব্যাশিং ওয়েবসাইট খুলতে চান, ইসলাম বিদ্রোহী ওয়েবসাইটের সাথে আলাপ আলোচনা করেন, ইসলাম ব্যাশিং লেখায় হিট প্রচুর দেখে উল্লসিত হন, গর্বিত হন।
আপনার না থাকলেও অন্যান্য ‘ইসলাম ব্যাশারদের’ সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন। খুব বেশি ঝামেলার কোনো কাজ এটা নয়। শুধু দরকার রামগড়ুড়ের ছানাের মত একজন দক্ষ প্রোগ্রামার।
আপনার মতো একজন গুণী লোক যে আমার মন্তব্য গুরুত্বের সাথে পড়েছেন এবং প্রতিমন্তব্য করেছেন, সে কারণে আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি আপনার সব কথা মেনে নিলাম।
একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি পরিষ্কার করে বলি।
আসলে আমাদেরকে ইসলাম ব্যাশার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে—আমরা কোনদিন নিজেদের ইসলাম ব্যশার মনে করিনা। আমরা যা লিখি তাতে কি ঘৃণা প্রচার করি? হয়ত আপনি সহ অনেকেই বলবেন–হাঁ আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃনা উস্কে দিচ্ছি।
আসলে, আপনি পরিষ্কার জানবেন আমার কোন লেখায় আমি মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র ভাবি নাই। আমার ভাই বোন, মা, বাবা সহ প্রায় সব আত্মীয় ্মুসলিম—-আমি কি তাঁদের ঘৃণা করি? কক্ষনই নয়। আমি ও অন্যান্য যারা ইসলাম নিয়ে লিখেন তারা শুধু ইসলামের আসল চেহারা তুলে ধরি। আমি গত দশ বছরেও একজন ইসলামি পাইনি যে আমার সাথে সিভিল ভাবে তর্কেবিতর্কে এসেছে। এই মুক্তমনাতেই কিছু ইসলামি লিখালিখি করেন—তাঁদের কেউই বিতর্কে যেতে চান না।
এতদ সত্বেও আমাদেরকে ইসলাম বাশ্যার বলা হ্য়। এটা কি ন্যায় সঙ্গত হল? আচ্ছা যাঁরা হিন্দু ধর্ম নিয়ে এত কর্কশ মন্তব্য করছেন যেমন ধরুন আভিজিৎ, ডঃ বিপ্লব—এঁদেরকে কেন হিন্দু ব্যাশার বলা হয় না?
এই খানেই আমাদের আপত্তি—আমরা যতই পরিপূর্ণ যুক্তি দিয়ে ইসলামের সমালোচনা করি না কেন, আমাদেরকে সর্বদাই ইসলাম ব্যাশার, ইসলাম হেটার, পাগল, ছাগল (থুক্কু এগুল এখনো আসেনি–আসবে শীঘ্রই) ইত্যাদি বলা হয়। আমরা তার বিরুদ্ধে কিছুই বলি না—যদিও আমার মনে হয় এই সব আখ্যায় আমাদের আখ্যায়িত করা ন্যায়সঙ্গত হচ্ছেনা।
তাই, কিছুটা ব্যাঙ্গ অথবা দুঃখ প্রকাশের জন্যই আমি ‘ব্যাশার’ শব্দটা ব্যাবহার করেছি।
আচ্ছা, চিন্তা করুন। আপনি স্বীকার করেছেন আপনি নাস্তিক। আপনি আস্তিকদের সমালোচনা করেন। তা হলে আস্তিকরা যদি আপনাকে আস্তিক ‘ব্যাশার’ বলে তবে আপনার কী জবাব হবে? আপনি কী সত্যি আস্তিক ব্যাশার?
কাশেম ভাই আর ফরিদ ভাই,
আমার মনে হয় দু’পক্ষেরই কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
১) কোন কিছুর সমালোচনা করলেই কাউকে ‘ব্যাশার’ বলে আখ্যায়িত করা বোধ হয় যুক্তিসঙ্গত নয়। ক্রিয়েশনিজম, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস সহ সব প্রগতিবিমুখ ধারনারই সমালোচনা হচ্ছে মুক্তমনায়। ইসলামেরও হবে। সেটাই স্বাভাবিক। এই ব্যাপারটাকেও স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে।
২) ফেইথ ফ্রিডম বা ইসলাম ওয়াচে কি হচ্ছে সেটা বারে বারে না আনাই ভাল। আমাদের ডিরেকশন ফেইথ ফ্রিডমের মত সাইট বানানো নয়, সেটা বোধ হয় পরিস্কার এতদিনে। আমরা বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ নিয়ে কাজ করতে চাই, একটি মাত্র ধর্মকে ফোকাস করে নয় (যদিও কোন লেখক ইসলাম ইস্যু নিয়ে লিখতে চাইলে বাধা দেয়া হয়না বা হবে না কখনোই)। কাজেই ফেইথ ফ্রিডমের মটো সাইটে কি হচ্ছে তা আমাদের জন্য আসলেই অপ্রাসঙ্গিক। আমরা তো ফেইথ ফ্রিডমকে রিচার্ড ডকিন্সের সাইটের মত কোন কিছুতে রূপান্তরিত হতে বলছি না, কিংবা ইসলাম ওয়াচকে বলছি না পাণ্ডাস থাম্বের মতো কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্লগ সাইটে রাতারাতি পরিণত হয়ে যেতে। তাহলে আমাদের উপর এ ধরণের চাপ তৈরি করার মানে কি? আমরা আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সফল এবং গৌরবান্বিত। মুক্তমনা তার স্বীয় বৈশিষ্ট এবং স্বাতন্ত্রে বাংলা সাইটগুলোর মধ্যে একটা আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এটির ডিরেকশন অদূর ভবিষ্যতে বদল করার ইচ্ছে আমাদের আপাততঃ নেই।
অভি,
কাশেম ভাইকে আমি ব্যাশার বলি নাই। তিনি নিজেই নিজেকে ব্যাশার বলেছেন, ইসলাম ব্যাশিং এর জন্য ওয়েবসাইট খুলতে চেয়েছেন, ইসলাম ব্যাশিং লেখায় হিট বেশি হয় বলে সেটার পিছনে তাঁদের পরিশ্রমের কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
কোনটা সমালোচনা আর কোনটা ব্যাশিং সেটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধি থাকার প্রয়োজন পড়ে না। ইসলাম নিয়ে আমার কোনো প্রীতি যেমন নেই, অজানা কোনো ভীতিও নেই তেমনি। অন্য সব প্রতিষ্ঠিত ধর্মের মত এটার সমালোচনা করাটাও যুক্তিবাদীদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সমালোচনার নামে যখন কিছু মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষোভ দেখতে পাই এই ধর্মের প্রতি, এই ধর্ম পালনকারী কোটি কোটি নিরীহ মানুষের প্রতি (যারা আসলে ধর্ম কী সেটা ভাল করে জানেই না, বাপ-দাদা এই ধর্ম করতো বলে তাঁরাও এই ধর্ম পালন করে) তাঁদের ঘৃণা-বিদ্বেষে যখন মুক্তমনার পাতাগুলো ভারি হয়ে আসে, তখন একজন যুক্তিবাদী মানুষ হিসাবে তার প্রতিবাদ করাটাই আমার জন্য দায়িত্ব হয়ে পড়ে। ইসলামকে সমালোচনা করে বহু, বহু লেখা প্রকাশ করা হয়েছে মুক্তমনায়। ব্লগ হবার আগে সেগুলোর বেশিরভাগই আমার হাত ঘুরে মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়েছে। কই কোনো লেখাকে বা লেখককেতো আমি দায়ি করি নি ইসলাম ব্যাশার বা মুসলিম হেটার বলে। কোনো লেখাকেতো আটকেও দেই নি ইসলামের সমালোচনার অজুহাতে। এখন কিছু কিছু মানুষের আচরণে সেই ঘৃণাটা দৃশ্যমান দেখেই, এই প্রসঙ্গে আলোচনাও উঠে আসছে।
একজন যুক্তিবাদীকে আমি সার্জিক্যাল ছুরি হাতের সার্জন হিসাবে দেখতে চাই, বিষনিঃশ্বাস ছড়ানো রামদা হাতের কোনো সাম্প্রদায়িক গুন্ডা হিসাবে নয়।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই, আপনারা অন্যায় করেছেন এরকম কথাটা তো এতদিন কেউ বলেনি এতদিন। তবে আপনি সৈকতকে যে মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদ ভাই এবং বিপ্লব আপত্তি জানিয়েছে, আগে মন্তব্যটা পড়লে আমিও জানাতাম ঠিক যেভাবে এই ব্লগে আগের কিছু মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছিলাম। ফরিদ ভাইকে দেওয়া আপনার উত্তরটা দেখে মনে হচ্ছে আপনি হয়তো আপনার অরিজিনাল মন্তব্যের ইম্পলিকেশনটা ঠিক মত বুঝতে পারছেন না। আপনি ইনভারটেড কমার মধ্যে লিখলেও এখানে ইসলাম ব্যাশিং এবং ইসলামের প্রতি ঘৃণাটা অত্যন্ত প্রকটভাবে সুস্পষ্ট। আপনি এ নিয়ে লিখতে চান, তা লিখুন, তা তে তো কেউ আপত্তি জানাচ্ছে না। তবে শুধুমাত্র এক ধর্মের ‘ব্যাশিং’ করা হবে সেটা বোধ হয় কিন্তু মুক্তমনার ডিরেকশানের সাথে কোনভাবেই যায় না। মুক্তমনায় যে ধরণের লেখা ( আপনাদের ধর্ম নিয়ে লেখাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেই বলছি) প্রকাশিত হয় তা আর কোন বাংলা ব্লগ বা ফোরামে হয় না। এত দিনের এই প্রাপ্তিগুলোকে শুধু এক ধর্মের ব্যাশিং করে নষ্ট করে ফেলার কোন কারণ নেই। যারা শুধু ইসলাম নিয়ে লিখতে চান তারা লিখুন না, আপত্তি তো কেউ করছে না, তবে তারা মুক্তমনার অনেক লেখকের মধ্যে কয়েকজন হয়েই থাক সেটাই কাম্য। ফেইথ ফ্রিডম বা ইসলাম ওয়াচের মত শুধু এক ধর্মের গীবত গেয়ে জীবনটা নষ্ট করতে অনেকেই নাই চাইতে পারেন এবং আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় কোন যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞানমনষ্ক নাস্তিকেরই আসলে সেটা চাওয়ার কথা নয়।
আপনাকে মনে হয় এই কথাটা আগেও বলতে শুনেছি। পাঠক সংখ্যা দিয়ে বিচার না করাই বোধ হয় ভালো, সে হিসেবে তো পর্ণসাইটগুলোর পাঠক সংখ্যা অনেক গুণ বেশী 🙂 । আজকে পৃথিবী জুড়েই রক্ষণশীল, মৌলবাদীদের জয়জয়কার, আমেরিকায় ড্যানিয়েল পাইপ, রাশ লিম্ব, সারাহ প্যলেনদের জনপ্রিয়তা দিনদিনই বাড়ছে, ফক্স নিউজের বেশ কিছু প্রোগ্রামের রেটিং এখন সর্বোচ্চ। তাই বলে কি সবাই এখন তাদের আদর্শেরই দোকান খুলে বসবেন? আর ইংরেজি সাইটের সাথে মুক্তমনার তুলনা করে বোধ হয় কোন লাভ নেই, একে তো সেটা আন্তর্জাতিক ভাষা তার উপরে আবার বাংলায় বিজ্ঞানমনষ্কতা, যুক্তি, দর্শন ইত্যাদির চর্চা এমনিতেই কম। স্বাধীনকে আগে একবার বলেছিলাম যে মুক্তমনায় যে ধরণের লেখা এবং চিন্তাধারা প্রকাশিত হয় তার পাঠকসংখ্যা কোনদিনও অনেক বেশী হওয়ার কথা নয়। অনেকেই দেখবেন মন্তব্য করে থাকেন যে, অন্যান্য ব্লগে ওনারা যেসব লেখা দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন মুক্তমনায় সেগুলো দেন না, এখানে শুধু কষ্ট করে লেখা ক্রিটিকাল লেখাগুলোই দেন, আর এখানেই বোধ হয় মুক্তমনার বিশেষত্ব।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার সাথে আমি প্রায় একমত।
তবে, বলুন আমি কেমন করে হিন্দু, বৌদ্ধ—-ইত্যাদি ধর্ম নিয়ে লিখব? আমি ইসলাম যা জানি তাই নিয়ে লিখতে পারি। অন্য ধর্ম নিয়ে আমি তেমন পড়াশোনা করি নাই—তাই কেমন করে আমি অন্য ধর্ম নিয়ে লিখব? আপনি যদি অন্য ধর্ম জানেন তবে লিখুননা?
আপনার কথামত আপনি যদি হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে লিখেন তবে আপনাকে হিন্দু ব্যাশার বলা যাবে?
যাই হোক, আপনার সাথে আমি একমত ট্রাফিক দিয়ে এক ওয়েব সাইটের মান নির্নয় করা সঠিক হয়ত হবে না।
আমি ঐ সব সাইটের উল্লেখ করেছি—সত্য সংবাদ দেওয়ার জন্য—মুক্তমনাকে খাটো করে দেখানোর জন্য নয়। যদি তাইই হ্ত তবে আমি আপনার মন্তব্যের উত্তর দেবার কোন প্রয়োজনীয়তাও দেখতাম না এবং মুক্তমনা সাইটেও আসতাম না। ঐ সাইটগুলোর কথা বলেছিলাম এই জন্য যে ও গুলো আন্তজার্তিক ট্রাফিক পায়। মুক্তমনার প্রায় সব পাঠক বাংলাদশী। তাই যারা ইসলামের সমালোচনা করে–এবং বিপুল পাঠক পেতে চায় তারা তাদের লেখা ইংরেজীতে অনুবাদ করে ঐ সব সাইটে পাঠাবার চিন্তা করতে পারে।
আশা করি আপনি আমার এই চিন্তাকে মুক্তমনার অবমাননা হিসেবে দেখবেন না।
@বন্যা আহমেদ,
সমস্যা অন্য জায়গায়। একটা বিরাট সার্কেল তৈরী হয়েছে-যারা মনে করে ইসলাম সব সমস্যা মূলে ( তার কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যন্ত)। যেন ইসলাম কে সার্জারি করে বাদ দিলে সভ্যতার সমস্যা মিটে যেত। ইসলাম বর্তমান সভ্যতার সমস্যা সন্দেহ নেই-কিন্ত একমাত্র বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদি চিন্তার উন্মেষই যে এই সমস্যা দূর করতে পারে সেটা তারা বুঝতে চাইছে না।
মুসলমানরা আমাদের যুক্তিবাদি লেখা পড়া দলে দলে নাস্তিক হবে, বা ধর্মান্তরিত হবে এইসব আশা একমাত্র পাগলেই করতে পারে। কিন্ত যেটা আশাকরা যৌত্বিক, সেটা হচ্ছে এই যে তারা তাদের মুসলমান পরিচয়টি রেখেও আজ়কে কোরান বা ধর্মের অন্যান্য ব্যাপারে যেসব অন্ধ আচরন করে বা ধর্মের প্রতি সংবেদনশীলতা অনেক কমাবে। অন্য সংস্কৃতি বা ধর্মর সাথে বিদ্বেষ ভাব কমাবে।
একজন হিন্দু ভারতীয়কে জিজ্ঞেস করলে দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্মের পরিচয়টা নিয়ে তারা বেশী চিন্তিত না ( ব্যাতিক্রম আছে ) বরং তারা সব থেকে বেশী সচেতন তাদের ভারতীয় পরিচয়টা নিয়ে। একজন বাংলাদেশ মুসলিমের ক্ষেত্রেও আমাদের আশা হবে, যে তিনি তার বাংলাদেশী বা বাঙালী পরিচয় নিয়েই বেশী সচেতন হবেন। কিন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা তাদের ইসলামিত্ব এবং ইসলামিক ভাতৃত্ব নিয়ে বেশী সচেতন। অর্থাৎ বাঙালী বা বাংলাদেশী সত্ত্বার চেয়েও ইসলাম তার অস্তিত্ত্বে অনেক বেশী।
পশ্চিম বঙ্গের দিকের বাঙালী হিন্দুদের মধ্যে খুব কম লোক পাবেন যারা হিন্দুত্ব নিয়ে চিন্তিত ( ইদানিং কিছু উঠেছে)-কিন্ত বাংলাদেশী হিন্দুরা নিজেদের হিন্দুত্ব নিয়ে অনেক বেশী সচেতন। হিন্দুত্ব যে একটা পরিচয় হতে পারে-সেটা আমরা কোনদিন ই বুঝিনি। ভারতে বিজেপি প্রথম এই ব্যাপারটা নিয়ে এসেছে।
অর্থাৎ এগুলো খুব কৃত্রিম ব্যাপার যা রাষ্ট্র ফুয়েল করে। গণতন্ত্রে বিশাক্ত ভাইরাসের মতন এই আইডেন্টি রাজনীতির ভাইরাস ছড়াতে থাকে। এগুলোকে রোখা সম্ভব।
@বিপ্লব পাল,
আপ্নার কমেনটঃ
কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানে দাঙ্গা হয় না??
আমার কমেনটঃ
ওই দেশগুলওতে এমনীতেই ধরমিও সংখ্যালঘুরা এমন অত্তাচারিত হয় জে দাঙ্গা করার আর দরকার পরেনা।
http://hrcbm.org/
http://pakistanhindupost.blogspot.com/
কারা যুক্তিবাদী? এই রক্ষণশীল এবং চরম প্রতিক্রিয়াশীল চার্চের পাদ্রীগুলো? এদের সাথে ইসলামিক মোল্লাদের পার্থক্য কোথায়? কোথায় যেন পড়লাম, এই চার্চের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন লিটারেচারে লেখা আছে যে হোমোসেস্কুয়ালরা সিনার, এবরশান মৃত্যদন্ডযোগ্য অপরাধ, মুসলিমদের অন্যতম অপরাধ হচ্ছে যে তারা জিসাসকে গডের ছেলে বলে স্বীকার করে না :-Y ।
খ্রীষ্টানরাও একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়ে নিজেদের বদলাতে বাধ্য হয়েছে। মধ্যযুগে খ্রিষ্টানিটি যে অবস্থায় ছিল ইসলাম আজকে মনে হয় সেই একই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে।
@ফাহিম রেজা,
এই রক্ষণশীল এবং চরম প্রতিক্রিয়াশীল চার্চের পাদ্রিগুলো, ইসলামিক মোল্লারা আর এই ব্লগের কিছু ইসলাম এবং মুসলিম হেটাররা, যারা কোরান পুড়ানোর খবর শুনে উল্লসিত, তাদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য আসলেই নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
ঠিক তাই। লড়াইটা আসলেই ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা ঘৃণা আর অন্ধকারের বিরুদ্ধে। ইসলামে ঘৃণা আর অন্ধকার বেশী-সেই জন্যেই অনেক সময় ব্যাপারটা ইসলাম ব্যাশিং লাগে। কিন্ত এটা ভুললে চলবে না শত্রুর নাম অন্ধকার এবং ঘৃণা।
@ফরিদ আহমেদ,
কোরান পুড়ানোর খবর শুনে আস্তিক নাস্তিক, বিশ্বাসী অবিশ্বাসী, যে কোন ধর্মের বর্ণের, কোন মানুষেরই উল্লসিত হওয়া উচিৎ না, বরং এর প্রতিবাদ না করাটাই অন্যায়। যারা কোরান পোড়াতে চায় তারা শধু মুসলমানের নয়, গোটা মানবজাতির শত্রু। তাদের এই ঘৃণীত উদ্যোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিপ্লব পাল
দারুন লিখেছেন :yes:
বলতে পারেন ধর্ম নামের অধর্ম গুলো কত দিন চলবে???????
আদিল ভাইয়ের সাথে সহমত।
আমার কাছে ম্যাক্রো লেভেলে যেটা মনে হচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা এখন সাম্যবস্থার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। এবং এ কারণেই এই চরমপন্থার জন্ম। একটি বড় রকমের যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। শুনতে খারাপ লাগলেও মনে হয় সেটি খুব বেশি দূরে নয় :-Y । শত বছরের মধ্যেও হতে পারে।
আমরা আসলে বিবর্তন সিস্টেমের বাহিরে যেতে পারবো না, যদি না আমরা বিবর্তনকে সঠিকভাবে বুঝে সেটাকে কাজে লাগাই। যদি সভ্যতাকে এভাবেই চলতে দিতে থাকি তবে সংঘর্ষ অবধারিত। যেমনতর চলে আসছে মানব সভ্যতার শুরু থেকেই। এখন বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মৃত্যুর হার অনেক কম। তাই জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় বেশি। এভাবে চলতে থাকলে সেই পরিমান জনসংখ্যাকে চালানোর জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ পৃথিবীতে থাকবে কিনা সন্দেহ। তখন যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, মহামারী অনিবার্য।
আমি লক্ষ্য করছি অনেকের মন্তব্য হচ্ছে ইসলামিস্টদের ভয়ে আমরা তাদের কথা শুনলে , তারা পেয়ে বসবে কি না।
একটা জিনিস জানা দরকার। শুধু কোরানের আয়াত দিয়ে সন্ত্রাসবাদি তৈরী হয় না। তার জন্যে অস্ত্র লাগে, ফান্ডিং লাগে। পাকিস্তান যে ১০ বিলিয়ান অর্থের অস্ত্র পাচ্ছে তা আই এস আই এর হাত হয়ে তালিবানদের হাতে যাচ্ছে। টাকাও আসছে। তালিবানদের প্রতি মার্কিন মদত মোটেও থামে নি। থামলে, যারা আমেরিকান সরকার দুইয়ে বড়লোক হচ্ছে, তাদের লাভ কমে যাবে।
মানুষের নিষ্ফল রাগকে কেও ভয় পায় না-কিন্ত তার রাগের সময় যদি কেও তারহাতে বন্দুক তুলে দেয় সে সাংঘাতিক লোক।
@বিপ্লব পাল,
:yes: :yes: :yes:
কোরান পুড়ানোটা আমার কাছে শিশুসুলভ আচড়ন মনে হচ্ছে। এটি আমেরিক্যানদের স্বভাবের সাথে যায় না। আমেরিকার সভ্যতার অহংবোধে একটি আঁচড় পড়বে।
মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিক্যান ফ্ল্যাগ প্রতিদিন পুড়ানো হচ্ছে। আমেরিকাতে এ নিয়ে কিছুই যায় আসে না। কিন্তু কোরান পুড়ানো মুসলমানদের জন্য একটা বড় আঘাত। ঘটনাটি পৃথিবী জুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। কুরান পুড়ানো কোন সমস্যার সমাধান নয়। ববং এটি একটি ভুল পদক্ষেপ।
তারপরও কথা থাকে – রেভারেন্ড টেরি জোন্স তো গীতা বা ত্রিপিটক পুড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন না। আমেরিকাতে হিন্দু, বৌদ্ধ সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তারা তো গ্রাউন্ড জিড়োতে মন্দির বানানোর জন্য মিছিল করছে না। গঠনতান্ত্র অনুযায়ী মসজিদ বানানোতে বাধা নেই। ৯/১১ এর আগে বানালে বাধা আসত না। কিন্তু এখন আসছে। মুসলমানদেরও নতুন করে ভাবা উচিত।
আমি আশায় আছি রেভারেন্ড টেরি জোন্স তাঁর ব্যক্তিকেন্দ্রিক মত পাল্টাবেন। বরং তিনি বলুক – আসুন আমরা কুরান পড়ে দেখি এর মধ্যে কোথায় শান্তির বাণী লেখা আছে।
এই ব্লগের অধিকাংশ যুক্তিবাদীদের একটা সাধারণ সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেটা হল ঘৃণা দিয়ে ঘৃণাকে পরাজিত বা জয় করা যায় না বা এক চরম পন্থার জবাব আরেক চরম পন্থা দিয়ে হয়না , যুক্তিবাদের দাবীদাররাও যদি একই অসভ্যতাই করে, তাহলে পার্থক্যটা কোথায় ,পাদ্রী জোন্সএর কোরান পোড়ানর জন্য কত নিরীহ লোক মারা যাবে তা কি তিনি জানেন?, ইত্যাদি ইত্যাদি।
একদিকে এই ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে যে ইসলামী চরমপন্থী আর পাদ্রী জোন্সের কর্মকান্ডের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। কিন্তু আবার অপরদিকে পাদ্রী জোন্স এর কাছ থেকে ইসলামী চরমপন্থীদের চেয়েও উচু স্ট্যান্ডার্ড মেটানোর দাবী/আশা করা হচ্ছে, যে সে যেন কুরাণের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করে খন্ডন করে, কুড়ান পুড়িয়ে প্রতিবাদ না করে। ইসলামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে এইটূকু দাবী বা আশাও তো কেউ করছে না তারা যেন নিরীহ মানুষ না মেরে দরকার হলে বাইবেল পুড়িয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাক। তাতে পৃথিবী এক বিরাট সমস্যা থেকে বেঁচে যাবে।
কিছু পয়েন্ট গভীর মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করুন (আবেগকে ক্ষণিকের জন্য দূরে সরিয়ে):
১। ৯/১১ তে ইসলামী চরমপন্থীরা নিরীহ মার্কিনীদের হত্যা করেছিল। তার জবাবে পাদ্রী জোন্স বা একই গোষ্ঠির কোন লোক নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করে নি।
২। কোরাণের আয়াতই ইসলামী সন্ত্রাসীদের নিরীহ বিধর্মীদের হত্যার কারণ পরিস্কার হয়ে যাওয়ায় এখন পাদ্রী জোন্স ৯/১১ তে ইসলামী চরমপন্থীদের দ্বারা নিরীহ বিধর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে কুরাণ পোড়ানর কথা বলছে। কোন নিরীহ মুসল্মান হত্যার কথা বলছে না। আর ইসলামী চরমপন্থীরা কুরাণ পোড়ানর প্রতিবাদে আবার নিরীহ মানুষ হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে।
ব্যালান্স শিট দেখা যাক। ইসলামী সন্ত্রাসীরা দুবার নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে বা করবে, যার কোনটাই নিরীহ মুসলিমদের হত্যার বদলে নয়। আর পাদ্রী জোন্স তার প্রতিবাদে ৯/১১ তে কিছুই করেন নি, আর এখন শুধু কুরাণ পোড়ানর কথা বলছেন।
এখন ভাল করে চিন্তা বলুন ইসলামী মৌলবাদী আর মৌলবাদী জোন্স এর মধ্যে সত্যই সমতা বা সাম্য দেখা যাচ্ছে? তাহলে কেন এই বৌদ্ধিক ভন্ডামী করে দুটোকেই সমান বলে সমান ঘৃণা করা?
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সবারই দেখি একই সুর। সেটা হল যদি কুরাণ পোড়ানোর জন্য নিরীহ লোক মারা যায় সেটার জন্য পাদ্রী জোন্স দায়ী হবে। পাদ্রী জোন্স যখন কুরাণ পোড়াবে তখন কি ভুডু পুতুলের মত নিরীহ মানুষেরা চারিদিকে পড়ে মরতে আরম্ভ করবে?। হত্যাটা কার হাতের দ্বারা ঘটবে? কার বন্দুক, ছোরা বা তরবারী দ্বারা?
যখন কোন মেয়ে শালীন পোষাক পরেনা বলে ধর্ষিত হয় তখন তো আমরা বলিনা যে ধর্ষণের জন্য সেই মেয়েই দায়ী, সেই ধর্ষণ উস্কিয়ে দিয়েছে তার পোষাকের দ্বারা। বা আমরা বলিনা সেই মেয়ে পাব্লিসিটীর কারণে বা সেলিব্রিটি হবার জন্য জেনে শুনে অশালীন পোষাক পরেছে। আমরা ধর্ষককেই দায়ী করি, তার শাস্তি দাবী করি। তাহলে যদি পাদ্রী জোন্স তার সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে কুরাণ পোড়ানয় ইসলামী চরমপন্থীরা নিরীহ মানুষ খুন করে তার বেলায় কেন পাদ্রী জোন্সকে দায়ী করব বা সে সেলিব্রিটি হবার জন্য তা করেছে এটা বলব। এটা দুমুখো হয়ে গেল না?
আমার বটম লাইন, পাদ্রী জোন্স যা করছে বা করবে তা সাংবিধানিকভাবে বৈধ কিন্তু কুরুচিপূর্ণ, ও নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য। কিন্তু তাই বলে অযৌক্তিক বা অসম বিবেচণা প্রসূত সমালোচনা করাটাও ভুল।
@যাযাবর,
আপনার সাথে একমত।
আমিও খেয়াল করেছি অনেকেই বিষয়টিকে একটা বৌদ্ধিক লড়াই এর বিষয় হিসাবে দুটি অসম বিষয়কে হালকা ভাবে দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পাদ্রী জোন্স কোরান পোড়াতে চায় কারন তার মনে হয়েছে, কোরানে ঘৃণার কথা বলা হয়েছে। সাংবিধানিক ভাবে সে এটা করার অধিকার রাখলেও সামাজিক শিষ্টাচারের রীতিতে তা অবশ্যই খারাপ একটা বিষয়। ইসলাম সত্যিকার শান্তির ধর্ম হলে, মুসলমানরা ব্যপকভাবে এর নিন্দা প্রকাশ করতে পারত। কিন্তু পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে তারা হুমকি দিচ্ছে নিরীহ মানুষ হত্যার যারা মূলত কোন দোষ করেনি। এ হত্যার পিছনে কিন্তু তাদের যুক্তিও অকাট্য যা তারা কোরান থেকেই আহরন করছে যাতে বলা আছে অবিশ্বাসীদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করতে হবে। তার অর্থ এ ধরনের কাজকে কোনমতেই তারা অপরাধ হিসাবে গন্য করা তো দুরের কথা, বরং জিহাদের একটা অংশ বলে মনে করবে। এখন প্রশ্ন হলো, সাধারন ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে একটা ধর্মীয় কিতাব পোড়ান আর নরহত্যা করা কি এক কাতারের অপরাধ হলো নাকি
@যাযাবর,
ঠিক, সাম্য দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু পাদ্রী জোন্স যা করছে তাও সমর্থনযোগ্য নয়। এতে ঘৃনা বাড়ানো ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হবেনা। তবে আপনার এ কথা ঠিক যে
এটা সত্য যে অন্যান্য ধর্মের মৌলবাদীদের থেকে ইসলাম ধর্মের মৌলবাদীরা হিংস্রতার চরম প্রান্তে অবস্থান করে। সিএনএন-এ ইন্টারভিউতে ইমাম ফয়সাল আবদুর রাউফ পরিস্কারভাবেই বলেছেন যে
পুরো বিশ্বই মনে হয় চরমপন্থীদের হাতে চলে যাচ্ছে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চরমপন্থী নয়, কিন্তু সবাই ধীরে ধীরে এদের হাতে জিম্মী হয়ে যাচ্ছে। এক চরম্পন্থার জবাবে আরেক চরমপন্থা জন্ম নিচ্ছে।
এই পাদ্রী সাহেব এক কোরান পুড়িয়ে কত বিধর্মীর জীবন হুমকির কারন হবেন তা কি তিনি জানেন? তার তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি যা চেয়েছেন তা এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন। তিনি এখন রীতিমত সেলিব্রিটি। তার চার্চও আশা করা যায় এরপর ডোনেশনে সয়লাব হয়ে উঠবে।
কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে বিধর্মী মারা গেলে মুসলমানরা কত ইন্টলারেন্ট, অসভ্য এসব নিয়ে হাজার কথা বলা যাবে কিন্তু না পোড়ানোর মত অর্থহীন কাজটা না করলে যে অনেক ঝামেলা হয়ত অনেকের জীবন হুমকির মুখে পড়ত না এই সোজা কথাব তেমন কেউই চিন্তা করবেন না। আইনী অধিকার থাকলেই তা সবসময় করা উচিত না, বিচার বিবেচনা বলে কিছু কথা থাকে। আমার আজকে টাকা আছে বলে আমি ১০ জন মানুষের খাবার কিনে ড্রেনে ফেলে দিতে পারি না। সে কাজ কেউ করলে তার আইনী অধিকার আছে বলে প্রতিবাদ করব না তাও সভ্য মানুষের আচরন বলে মনে করি না।
কোরান পুড়িয়ে কি ফায়দা হবে? মুসলমানরা কোরান বাদ দিয়ে বাইবেল গ্রহন করবে? ফল হবে আরো উলটো। তারা আরো বেশী করে ইসলামী জাতীয়তাবাদ আঁকড়ে ধরবে। তার থেকে কোরান কেন খারাপ বা এর সাথে ৯১১ সুইসাইড বোম্বারদের কি সম্পর্ক তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টাই তো প্রকৃত সভ্য ও যুক্তিবাদীর কাজ। ব্লগে ব্লগেও দেখি এক শ্রেনীর অতি আধুনিক লোকজন ধর্ম সমালোচনার নামে যা তা লেখেন, যাতে ধর্মের সমালোচনা তো হয়ই না, হয় আরো উলটা। সাধারন উদারমনা ধার্মিকেরাও হয় বিরক্ত। ধর্মবিরোধী সব লেখাই তখন তারাও সন্দেহের চোখেই দেখে।
@আদিল মাহমুদ, :yes: :clap2:
@আদিল মাহমুদ,
যাই বলেন না কেন , শো ডাউন এক সময় না এক সময় হবেই। এটা অবিশ্যম্ভাবী। আর সেরকম একটা সন্ধিক্ষনে মনে হয় আমরা পৌছে গেছি।
@ভবঘুরে,
শোডাউন যাকে বলে সেটা মনে হয় না সেভাবে এখনো হবে। দুই পক্ষের শক্তি অন্তত তূলনা করতে হবে তো।
সেটা হোক বা না হোক, সভ্যতার উপর এসব অত্যাচার বিষ ফোঁড়ার মতই আমাদের সহ্য করে যেতে হবে।
উত্তরনের একমাত্র উপায় সব পক্ষেরই সাধারন ধার্মিকদের সরব হওয়া। মুশকিল হল ধর্মের নামে মানুষ এতই দূর্বলতা বোধ করে যে পাদ্রী মোল্লাদের চরমপন্থী কথাবার্তার প্রতিবাদ সেভাবে কেউ করতে চান না, আবার না শেষে গায়ে ধর্ম বিদ্বেষী লেবেল পড়ে। সেই সুযোগে এই চক্র মাথায় চড়ে বসেছে।
@আদিল মাহমুদ,
দুর্বলতা না। এটা বিবর্তন ঘটিত কারনেই হয়। সমাজে সবাইকে বাসতে হয় একটা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। সাপোর্ট সিস্টেম সবার দরকার। একে বলে সোশ্যাল ইউটিলিটি ভ্যালু। এবং সেই অলটারনেটিভ সাপোর্ট সিস্টেম না তৈরী হলে কেও সেই বিদ্রোহ করতে রাজী হবে না।
আমি নাস্তিক লেখকদের তথা নাস্তিকদের উদ্দেশ্য এ কথা বছর তিনেক আগে লিখেছিলাম-কিভাবে হতে পারে একটি প্রকৃত ধর্ম নিরেপেক্ষ সমাজের ভিত্তি। এবং তার প্রথম কথাই হচ্ছে একটি অলটারনেটিভ সাপোর্ট সিস্টেম
এখানে পুরো লেখাটা আছে।
বিপ্লব পালের সাথে একমত।
কিছু লোক গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ বানাবার বিপক্ষে এই কারনে যে ৯/১১ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য লোকের অনুভুতিকে আঘাত দেয়া হবে। সেই একই কারনে তারা কোরান পোড়ানেরও বিপক্ষে যে একটি ধর্মের অনুসারী লোকের অনুভুতিকে আঘাত দেয়া হচ্ছে।
আবার অন্য দিকে আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী ব্যাক্তিগত স্বাধীনতাতে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না বিধায় নিউ ইয়ার্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গের মতো কিছু লোক গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বানাবার পক্ষে কথা বলছে। আর ঠিক একই যুক্তিতে কোরান পোড়ানোর বিরোধিতাও তারা করছে না যে তাতে ব্যাক্তিগত স্বাধীনতাতে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করার সামিল হবে।
উপরোক্ত দুই পক্ষের বক্তব্যই বেশ পরিস্কার।
কিন্তু প্রশ্ন হলো যারা গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বানাবার পক্ষে কিন্তু কোরান পোড়ানোর বিপক্ষে অথবা গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ বানাবার বিপক্ষে কিন্তু কোরান পোড়ানোর পক্ষে তাদের যুক্তিটা কি তা আমার বোধগম্য নয়। যে কোন ধর্মের এই লোকগুলোকেই বোধ হয় রাডিক্যাল হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
দারুণ বলেছেন। সহমত।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এটাই প্রমান করে ইসলাম আধুনিক উদার ও গনতন্ত্রের সাথে তাল মিলাতে অক্ষম। মুসলমানরা উদার গনতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে পেট্রো ডলারেরর সহায়তায় গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোর আবদার করছে, অথচ একই গনতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে যখন কেউ কোরান পোড়াতে চাইছে তখন আমেরিকানদের কল্লা কাটতে চাইছে। বলা বাহুল্য, কিছু না বললেও এতে কিন্তু তথাকথিত মডারেট মুসলমানদেরও মৌন সম্মতি আছে। এখন মুসলমানরা যদি একই সুযোগ নিয়ে বাইবেল বা গীতা বা তৌরাত পোড়ায়, মনে হয় না কোন খৃষ্টান বা হিন্দু বা ইহুদি মুসলমানদের কল্লা কাটতে চাইবে। আর এ কারনেই ইসলাম মানবজাতির জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে বলে আমার মনে হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
:yes:
আমিও সেটা জানতে চাই!
আদিল মাহমুদ নীচে খুব চমৎকার ভাবে বলেছেন, আমেরিকায় সবকিছুরই আইনী অধিকার আছে, যতক্ষণ না তা ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত করে। কিন্তু আইনী অধিকার থাকলেই অসভ্য আচরণ করা উচিত কিনা তা ভেবে দেখতে হবে বৈকি। টাকা আছে বলেই কেউ ১০ জন মানুষের খাবার কিনে ড্রেনে ফেলে দিতে পারে না। এটা সভ্য মানুষের আচরণ নয়। সে হিসেবে ৯১১ এর মতো এত সেন্সিটিভ জায়গায় এমন বিলাস বহুল মসজিদ নির্মাণ, আর আরেক বলদ পাদ্রীর কোরান পোড়ানো দুটোই আমার কাছে ঘৃণ্য।
@অভিজিৎ,
আমার কাছেও তাই। ব্যাপারটা হলো কোন জিনিষটাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, সংবিধান নাকি মানুষের দুঃখ, শোক, অনুভুতি। আমার কাছে মনে হ্য় মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, যেমন বলা হয় মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।
যে সব দেশে মুসলমানরা সংখ্যা লঘিষ্ঠ সেখানে দাঙ্গা একটা নৈমিত্তিক ব্যপার। কিন্তু যেসব দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ সেখানে দাঙ্গা না হওয়ার কারন কি ?
@ভবঘুরে,
কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানে দাঙ্গা হয় না??
@বিপ্লব পাল,
হয়, তবে সেসব ক্ষেত্রে প্রথম আক্রমনকারীরা কখনই সংখ্যালঘুরা নয়। বরং সংখ্যালঘুরা সেখানে একতরফা মার খায়। বলতে গেলে সেখানে সংখ্যালঘুরা কোন পাল্টা আক্রমনই করে না, জান বাচানোতে ব্যস্ত থাকে।আসল বিষয় হলো- মূলত কিছু লোভী লোকজন দাংগার নামে সংখ্যালঘুদের সহায় সম্পদ লুঠপাট করে, নারী ধর্ষণ করে। একে প্রচলিত অর্থে দাংগা না বলে, সুযোগসন্ধানী লুটেরা গোষ্ঠীর সুযোগমত আক্রমন বলা যায় যা সাধারনত ভারতে কোন দাংগার প্রেক্ষিতে ঘটে থাকে।
@ভবঘুরে,
ইসলামিক দেশগুলোতেই এর প্রকোপ বেশি।কারণ ইসলাম ধর্মে গোঁড়ামী ও নীতির কাঠিন্য তুলনামূলকভাবে বেশি।ফলে জন্ম নেয় মৌলবাদ ও দাঙ্গা।
কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক বৃথা। উপরন্তু কেউ আমেরিকায় ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে কোরাণ, বাইবেল , গীতা , বেদ বা আমেরিকার সংবিধান যা ইচ্ছে তা পোড়ালে কেউ মানুষ মারার হুমকি দিতে পারে না। কাগজ পোড়ালেও মানুষ মারার হুমকি তো মানা যায় না।কাগজে আয়াত বা আমার মা বাবার নাম বা আমার নাম যা ই লেখা থাকুক না কেন।
@গীতা দাস,
এটাই তো মুসলিম মানসের মাজেজা! এত কিছুর পরেও ইসলাম একটা সম্পূর্ন জীবন বিধান ও ইমলাম হলো মহা শান্তির ধর্ম। ওম শান্তি !!!
ইসলামি বিশ্বে জোরে শোরে আমেরিকার পতাকা পোড়ান হয়, আমেরিকার পতাকাকে পদদলিত করা হয়। এই সব ‘ইসলামি শান্তি’ যখন বিশ্ব দেখে তখন সবাই নির্বিকার, চুপ চাপ। তার পরও আছে ইসলামি সন্ত্রাসিদের হাতে নিরিহ ‘কাফের’ খুন।
এতদ সত্বেও সমস্ত মধ্যপন্থী ইসলামিরা ্নির্বিকার, চুপ চাপ—যেন কাফেরদের খুন করা ত খুবই স্বাভাবিক।
সব ধৈর্যেরই একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে প্রতিক্রিয়া হবে।
আমি বিপ্লবের সাথে একমত—কোরান পুড়িয়ে তেমন কিছু লাভ নেই। ্কোরানকে আমরা পরিজিত করব যুক্তি দিয়ে। ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে পরাজিত করা হয়ত ভাল দেখায় না। কিন্তু, সময় বিশেষে লাঠি না ধরলে সাপও মারা যায় না।
@আবুল কাশেম,
সহমত। সাপ মারত েলাঠ িলাগবইে।
@আবুল কাশেম,
সাপ মারতে লাঠি লাগবেই।
@আবুল কাশেম,
ঘৃণাকে আরো বেশী ঘৃণা দিয়ে পরাজিত করা যায় না।
Confucius
@আবুল কাশেম,
ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে পরাজিত করা হয়ত ভাল দেখায় না। কিন্তু, সময় বিশেষে লাঠি না ধরলে সাপও মারা যায় না।
সহমত।
@আবুল কাশেম,
এই বিষয়ে একটি লিঙ্ক দেখতে পারেনঃ
http://www.dhormockery.com/2010/08/blog-post_598.html
:yes:
@আবুল কাশেম, আমার ভয় লাঠি না ভেঙ্গে যায়। কোরান পোড়ালে হয়তো মুসলিম ধর্মবাদীদের প্রাণে আঘাত লাগবে। সেই প্রাণে লাগায় কত প্রাণ যায় তাই দেখার? আল্লার কানে টান পড়ে না যিশুর কানে টান পড়ে। যদিও আমার এক পাকিস্থানি বন্ধু বলেছিল আল্লার শক্তি বেশী কারণ যিশু ছিলেন মানুষ আর যিশুকে আলাহই তৈরী করেছেন। আপনারা কেউ খারাপ পাবেন না আমার কথায়। আমি একটু পাগলের মতো মুক্তমনায় এসে মুক্তমনে আবুল তাবুল বকি। :hahahee:
লেখাটার সাথে আমি একমত। কুরান বা যেকোন ধর্মগ্রন্থের এবং ধর্মগুলোর যুক্তিপূর্ণ আলোচনাই কাম্য। কারণ ধার্মিকদের ধর্মই হল প্রতিক্রিয়াশীলতা। তারা না বুঝে ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং সভ্যতা ও মানবতার সকল নীতি ছাড়িয়ে রক্তপাত ও সংঘর্ষের পথে চলে যায়। অনেকে আবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধার্মিকদের এই ধর্মকে ব্যবহার করে। ধর্মগ্রন্থের আবেদন মানুষের মনের একটি নরম জায়গায় যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যুক্তি অচল হয়ে থাকে। তাই মানুষের মনের অযৌক্তিকতা জেগে উঠে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে পারে এমন কোন কাজ করা উচিত নয়। তাছাড়া ইসলাম এমনিতেই বেশ প্রতিক্রিয়াশীল একটি ধর্ম। এজন্যই কিন্তু তারা বলছে যে কুরান পোড়ানো হলে তারা যেখানেই মার্কিনী পাবে তাদেরকে মারবে। এভাবে গোটা বিশ্বেই পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। আমি চাইনা কতিপয় মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের নির্র্বুদ্ধিতা ও বিদ্বেষের মাশুল হোক অগণিত নিরীহ মানুষের মৃত্যু এবং গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া অশান্তির বিষ। আমিও মনে করি
@লীনা রহমান,
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য অনেকেই চাই পৃথিবীতে ছড়াক অশান্তির বীজ। কারন সেই অশান্তি থেকেই তারা বিলিয়ান বিলিয়ান ডলার রোজগার করে-আমেরিকার প্রতিটা ডিফেন্স কোম্পানীর কাছে এ ঘটনা আশীর্বাদ। এ ঘটনা আশীর্বাদ প্রতিটা ইসলামিক মৌলবাদি নেতার কাছেও-যাদের বক্তব্য ইসলাম বিপন্ন তাই আমাকে টাকা দাও। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য গোটা পৃথিবী জুরেই আছে মৃত্যু ব্যাবসায়ি-তারাই কোরানের রক্ষক আবার ভক্ষক। চোর-পুলিশের পালা।
@বিপ্লব পাল,
ঠিক এই সময় আপনার লেখাটা একদম সময়োপযোগী হয়েছে। আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
উন্নত ব্যাখ্যা সেটা কি?
বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা??
আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা খুব ভালো লাগল। :rose2:
আমার মনে হয় ব্যাক্তিগত স্বাধীনতার ভিত্তিতে কৃত কর্মকান্ড যদি বিশ্বব্যাপী অসহিষ্ণুতার জন্ম দেয় তাহলে এ বিষয়ে আরও সুষ্ঠু আইন প্রণয়নের প্রয়োজন আছে। :-/
:yes:
সহমত। আমিও এ যুক্তিযুক্ত সমালোচনার পক্ষপাতি।
:yes: :yes: :yes:
বিপ্লব পালের লেখার সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি।তবে আমার মনে হয় নব্য এই ক্রসেডে,যা অনেক বছর দীর্ঘায়িত হতে পারে,ধর্ম নামক প্রতিষ্ঠানটি নিদারুন ঠুনকো হিসেবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রতিয়মান হবে।আর ধনতন্র কীভাবে নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে তা দেখতে পেলাম আবারো।ব্যাক্তিস্বাধীনতার যাঁতাকলে সামষ্টিক-রাষ্ট্রীক-আমেরিকা এখন কীভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করে-তা দেখতে গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।আর সভ্যতা-অসভ্যতার ব্যাপারটা বেশ ঘোলাটে।আমার তো মনে হয়,আমাকে কেউ আঘাত করলে আমি তার প্রত্যুঘাত করবই।কিছুদিন আগে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ নির্লজ্জের মত ছাত্র-ছাত্রীদের পেটালো।স্টুডেন্টরা করলো কী যেখানেই পুলিশ পেল সেখানেই আক্রমণ করল।প্রশ্ন উঠতে পারে যে ক্যাম্পাসে বিশৃংখলা করে কী ফায়দা।কিন্তু এটা সেন্টিমেন্টের ব্যাপার।আর এর ফলেই কিন্তু রব উঠল যে চাকসু নির্বাচন দেয়া উচিত।এটা এক ধরণের প্রগতি।ঠিক এরকম না হলেও, ধর্ম যখন ব্যক্তি ও বিশাল সমষ্টিকে বিপদে ফেলে দিবে তখন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরূদ্ধে কিন্তু লোকজন সোচ্চার হবে।আমার মনে হয় তত্ত্বীয় বিতর্ক সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছুতে পারে না।ফলে যে লাউ সেই কদুই থেকে যায়।ধর্মের নগ্ন রুপটা না দেখা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে এর বিরুদ্ধে বলতে গেলে উল্টো ফল হবার সম্ভাবনাই বেশি।
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
আপনি নিশ্চিত?
আমি নিশ্চিত না। যুদ্ধবাজ লবিস্টদের হাতে বিলিয়ান ডলার। কালকে দেখছিলাম লিস্ট-আমেরিকার প্রথম ২০ টা ডিফেন্স কোম্পানী-যাদের ব্যাবসা ক্লিনটনের আমলে ডুবে গেছিল-৯/১১, বুশ, ইরাক এবং আফগানিস্তানের দয়ায় এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অশান্ত মিডল ইস্ট, ইসলামিক মৌলবাদ এদের আসল ক্যাপিটাল। এই ঘটনা ডিফেন্স কোম্পানীগুলির জন্যে আশীর্বাদ। আরো বেশী যুদ্ধ হবে-সন্ত্রাসীর জন্ম হবে-ওদের ব্যাবসা বাড়বে।
@বিপ্লব পাল,
সমস্যা হচ্ছে কেউ কোন বিষয়ে নিশ্চিত হয় কিভাবে?আপনি আমার চেয়ে হাজারগুণ বেশি জানেন,তাই আপনার কাছে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে তর্ক করতে আসব না।আমার অর্থনীতির যা জ্ঞান তাতে তো দেখেছি এই ধনতন্ত্রে মারাত্নক বিরোধী উপাদান-এর জন্ম হয় যেগুলোর তীব্রতা একদিনে বাড়ে না।আর আপনি জানেন যে, ইউরোপের বণিক পুঁজ়ির ইতিহাস,এর উদ্ভব হওয়া থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত,কমছে কম আটশ-ন’শ বছর।সুতরাং এত বিশাল একটা সিস্টেম ভাঙতে সময় তো নেবেই।আর এই সিস্টেমে মানুষ একটা বড় ফ্যাক্টর।তাদের তো জানাতে হবে তাদের জন্য এইরকম একটা চিন্তা-ভাবনা আছে।তবেই তো এই মানুষ নামক ফ্যাক্টর গুলো কাজ করবে।
এটা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের বিশ্লেষণ
লেখাটার মূল সুর ঠিক ছিল। কিন্তু এই শেষের লাইনে গিয়ে একটা ভ্রান্তিময় কথা বললেন। রেভারেন্ড টেরি জোন্স যুক্তিবাদী কে বলে? ধর্মীয় গুরু/পন্ডিত যুক্তিবাদী হয় কি করে? যারা যুক্তিবাদী ইসলামী সমালোচক তারা তো এই ধরণের অসভ্যতায় জড়ায় না বা উস্কানিও দেয়া না। বড় জোর বলতে পারে প্রথম অ্যামেন্ডমেন্টের জন্য এটা আইনগতভাবে ঠেকান যায় না। যেটা সত্যি।
আমি যেটা বড় সমস্যা দেখি সেটা হল যে রেভারেন্ড টেরি জোন্সএর মত মুষ্টিমেয় কিছু গোড়া ধর্মবাদীদের এই ধরনের কাজের সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিনীরা এর সঙ্গে একাত্মতা না দেখিয়ে এর বিরোধিতাই করে। কিন্তু ইসলামী চরমপন্থীরা এর প্রতিবাদে বাইবেল না পুড়িয়ে নিরীহ মার্কিনীদের হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। আর যখন তারা হত্যা করবে তখন তথাকথিত ইসলামী মডারেটরা বলবে, ঠিক হয়েছে, উচিত শিক্ষা পেয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু গোঁড়া পাদ্রীদের কুরান পোড়ানকে নিরীহ মার্কিনী (যারা এই কুরান পোড়ানকে নৈতিক সমর্থন দেয় না) হত্যার দ্বারা সমতা টানতে চাইবে মডারেটরাও। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হবে।
@যাযাবর,
লাইনটা আবার পড়ুন। ওটা ছিল “যুক্তিবাদি বা সভ্যতার দাবিদার”-
টেরি যখন মুসলিমদের অসভ্য বলেন অনুমান করতে পারি তিনিও একজন সভ্যতার দাবিদার…
লাইনটি আমি অনেক ভেবেই রেখেছি…চিন্তা নেই।
@বিপ্লব পাল,
লাইনটা পড়েই মন্তব্য করেছিলাম। আপনি লিখেছেন যুক্তিবাদিরা ও সভ্যতার দাবীদার । আপনি বলেননি যুক্তিবাদের দাবিদার, বলেছেন যুক্তিবাদিরা । আর যুক্তিবাদের বা সভ্যতার দাবিদার কে নয়? ইসলামিস্টেরা কি নয়? রেভারেন্ড জোন্স একজন গোঁড়া ধর্মযাজকের কাজ করছেন। আর ইসলামিস্টেরা ইসলামী মৌলবাদী কাজ করছে। যে যার প্রথামত কাজ করছে । এখানে যুক্তিবাদি বা সভ্যতার দাবিদার বলাটা কোন পক্ষের জন্যই বান্তর নয়।
@যাযাবর,
ভাল বলেছেন। :yes: