হুমায়ুন আজাদকে একজন আপাদমস্তক নারীবাদী লেখক ও মানুষ বলে জানি আমরা। তিনি নিজেই নারীবাদী হিসেবে আমাদের সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়েছেন, এবং তাঁর সেই রূপটুকু আমরা দেখেছি সবসময় তাঁর বিভিন্ন লেখায় ও কথায়। নারীবাদ নারীর অধিকার ইত্যাদি নিয়ে ‘নারী’ নামে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থও রচনা করেছেন। যে গ্রন্থটি পড়ে আমি নিজে উপকৃত হয়েছি অনেকদিক থেকে। আমার মতো আরো অনেক পাঠকই বইটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘নারী’– যে বইটি পড়ে আমরা অনেকেই অনেক উপকৃত হয়েছি সে বইয়ের লেখক হুমায়ুন আজাদের পরিবারের দিকে একটা বিষয়ে আমরা একটু তাকিয়ে দেখি; তিনি তাঁর পারিবারিক জীবনে নারীবাদের কতটুকু প্রায়োগিক বাস্তবতা ঘটিয়েছেন। আমরা জানি, তাঁর তিনজন সন্তান — মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ ও অনন্য আজাদ। কী আশ্চর্য! একজন আপাদমস্তক নারীবাদী লেখকের তিনটি সন্তানের প্রত্যেকেই বহন করছে তাদের নামের সাথে শুধুই পিতৃপরিচয়! লতিফা কোহিনূর হুমায়ুন আজাদের স্ত্রীর নাম। কিন্তু মায়ের নামের কোনো গন্ধ বা চিহ্নই নেই কোনো সন্তানের নামেই। সন্তানের জন্মে পিতামাতা দুজনেরই ভূমিকা থাকে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবেই মায়ের ভূমিকার তুলনায় বাবার ভূমিকা খুবই নগণ্য। সন্তানের জন্মের পরে মা তার নিজের শরীরে খাদ্য উৎপাদন করে সন্তানকে খাওয়ায়, লালন-পালন ও অন্যান্য কিছু তো আছেই। সেই মায়ের নামের কোনো লেশমাত্র নেই একজন নারীবাদী লেখকের সন্তানদের কারো নামে।
তাঁদের সন্তানদের নামগুলি যদি স্বতন্ত্র হতো তাহলে কোনো কথা বা প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু না, তাঁদের সন্তানেরা বহন করছে শুধুই তাদের পিতার নাম! একজন নারীবাদী মানুষের সন্তানদের নামকরণের ক্ষেত্রে আমরা এ কী সাংঘাতিক পুরুষতান্ত্রিকতা দেখলাম! প্যারেন্টের নাম যদি জুড়ে দিতে হয় সন্তানদের নামে তাহলে দুজনের নামই জুড়ে দেওয়া উচিত, নতুবা কারো নামই নয়।
আমাদের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ তেমন নারীবাদী-টাদী নন, তিনি নিজেকে কখনো নারীবাদী দাবি করেন নি। তাঁর সন্তানদের নামকরণেও আমরা নির্ভেজাল পুরুষতান্ত্রিকতা দেখতে পাই। তাঁর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের সাথে তাঁর চারটি সন্তান। তাদের নাম নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ ও নুহাশ হুমায়ূন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সাথে তাঁর দুই সন্তান। তাদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন। হুমায়ূন আহমেদের দুইজন স্ত্রীর সাথে তাঁর ছয়টি সন্তানের প্রত্যেকেই তাদের নামে বহন করছে শুধুই পিতার পরিচয়। মায়ের নামের কোনো চিহ্ন নেই এদের কারো নামের সাথে। গুলতেকিন ও শাওন দুজনই উচ্চশিক্ষিত স্বাধীনচেতা, অধিকার-সচেতন ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নারী। তাঁদের সন্তানদের নামকরণে তাঁরা এই একচেটিয়া পুরুষতান্ত্রিকতা নীরবে মেনে নিলেন কেন? এক্ষেত্রেও নামগুলি স্বতন্ত্র হলে এ-প্রশ্ন আসতো না।
এরকম আরো অনেক উচ্চশিক্ষিত স্বাধীন ও উচ্চ মননের পরিবারের নারী ও সন্তানদের নামে আমরা কেবল একচেটিয়া পুরুষতান্ত্রিকতা দেখতে পাই। যেমন, পান্না কায়সার ও শমী কায়সার। এখানে পান্না তাঁর স্বামী শহীদুল্লাহ কায়সারের নাম লাগিয়েছেন তাঁর নিজের নামে। কিন্তু শহীদুল্লাহ কায়সার তাঁর স্ত্রী পান্নার নাম লাগাননি তাঁর নামে। তাঁদের সন্তানের নামেও আমরা কেবল পিতৃপরিচয় দেখতে পাই। এমন আরো অজস্র আছে; সুবর্ণা মুস্তাফা, বিপাশা হায়াত, বিজরী বরকত উল্লাহ, জিনাত বরতক উল্লাহ, আঁখি আলমগীর, আনুশকা শংকর প্রমুখ।
ঐশ্বরিয়া বিয়ের আগে ছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। রায় হচ্ছে তাঁর পিতার পদবী। বিয়ের পর তিনি নিজের নামে তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনের পদবী কিংবা লাস্ট নেম নিজের নামে জুড়ে দিয়ে হলেন, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। অভিষেক কিন্তু তাঁর স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার রায়ের পদবী নিজের নাম বা পরিচয়ে যুক্ত করলেন না। পাশ্চাত্যেও আমরা দেখতে পাই নারী ও সন্তানদের নামে এহেন পুরুষতান্ত্রিকতার দৌরাত্ম্য এবং দৌরাত্ম্যপীড়িত নারী ও সন্তানদের খুশি-খুশি পরিতৃপ্ত মুখ। হিলারি বিয়ের আগে ছিলেন হিলারি রডহাম, বিল ক্লিনটনের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হয়ে গেলেন হিলারি রডহাম ক্লিনটন। বিল কিন্তু আগের মতোই বিল ক্লিনটনই রয়ে গেলেন। দুজনই সমান উচ্চশিক্ষা শিক্ষিত, দুজনই স্বাবলম্বী স্বাধীন, দুজনই উন্নত দেশের বাসিন্দা। কিন্তু বিলের সাথে বিয়ের পর হিলারি বিলের পরিচয়েই নিজেকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় দিতে শুরু করলেন। এরকম উদাহরণ অজস্র আছে।
আগে আমাদের দেশে মুসলিম মেয়েদের নাম হতো সাজেদা খাতুন, লায়লা বানু, আমেনা বেগম, শায়লা আকতার ইত্যাদি। এখন আমাদের দেশের পিতামাতারা তাদের কন্যাসন্তানদের নামে পিতার লাস্ট নেম জুড়ে দিয়ে নাম রাখেন; সাজেদা খান, লায়লা আহমেদ, আমেনা উদ্দীন, শায়লা নাসিম ইত্যাদি। পুত্রসন্তানদের নামও আগে স্বতন্ত্র ছিল। এখন তা পুরোই পিতৃতান্ত্রিক। যেমন হুমায়ূন আহমেদের সব ভাইদের নাম তাঁদের পিতামাতা রেখেছিলেন স্বতন্ত্র। কিন্তু তাঁরা তাঁদের নিজেদের সন্তানদের নামকরণে শতভাগ পিতৃতান্ত্রিক হয়ে উঠলেন। তখন আমাদের নারীরা বিয়ের পর নিজের নামে স্বামীর নাম জুড়তো না। এখনকার নারীদের কাছে এখন শুধু নিজের নামের পরিচয়ে পরিচিত হওয়া তেমন আধুনিক মনে হচ্ছে না। স্বামীর নাম ও পরিচয়ে পরিচিত হয়ে তারা নামে ও পরিচয়ে আধুনিক বোধ করছে। আমেনা বেগম রহীম উদ্দীনের সাথে বিয়ের পর হয়ে যাচ্ছে আমেনা উদ্দীন। কিন্তু রহীম উদ্দীন হচ্ছে না রহীম বেগম। তাদের সন্তানদের নাম হচ্ছে শিহাব উদ্দীন, শামিমা উদ্দীন। কিন্তু হচ্ছে না, শিহাব বেগম বা শামিমা বেগম।
বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর নাম ফজিলাতুন্নেসা। তাঁদের সন্তানদের নাম শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল। সবারই একচেটিয়া পিতৃতান্ত্রিক নাম। কারো নামই কামালুন্নেসা, জামালুন্নেসা, রাসেলুন্নেসা বা হাসিনুন্নেসা নয়। ফজিলাতুন্নেসার নামও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব লেখা হয়। কিন্তু শেখ মুজিবের নাম লেখা হয় না, শেখ মুজিবুন্নেসা!
আগে আমাদের হিন্দু নারীদের নাম হতো মৃণালিনী দেবী, কাদম্বরী দেবী, আশালতা দেবী ইত্যাদি। এখনকার পিতৃতান্ত্রিক পিতামাতারা তাদের কন্যাদের নাম রাখে পিতৃপদবী-যোগে মৃণালিনী রায়, কাদম্বরী দত্ত, আশালতা সেন ইত্যাদি। আবার তারা বিয়ের পর স্বামীতান্ত্রিকতার শিকার বা তাতে স্বেচ্ছা-উৎসর্গীকরণে হয়ে যায় মৃণালিনী নাথ, কাদম্বরী গঙ্গোপাধ্যায়, আশালতা ভট্টাচার্য ইত্যাদি।
সেদিন কাজে ব্রেক টাইমে সহকর্মীদের সাথে আড্ডা হচ্ছিল। হঠাৎ উঠলো নামের প্রসঙ্গ। বিবাহিত নারী সহকর্মীরা সবাই বিয়ের পর স্বামীজির লাস্ট নেম জুড়েছে নিজেদের নামে। এ-ব্যাপারে সবাইকে খুব গর্বিত আনন্দিত ও পরিতৃপ্ত দেখলাম। এবং সবাই সন্তানদের নাম রেখেছে শতভাগ পিতৃতান্ত্রিকভাবে শুধুই পিতৃদেবের নাম জুড়ে দিয়ে। এতেও সবার উচ্ছাস দেখলাম। এ-ব্যাপারে ওদের গর্ব উচ্ছাস ও পরিতৃপ্তি দেখে আমি বললাম, বিয়ে হয় দুজন মানুষের মধ্যে, এক্ষেত্রে বিয়ের পর সঙ্গীর নাম নিজের নামে জুড়তে হলে তা হওয়া উচিত উভয়পাক্ষিক। একজন জুড়বে, আরেকজন জুড়বে না, তা অনুচিত, অসাম্য, মানহানিকর ও পরিচহানিকর। নাম গ্রহণ করতে হলে দুজনই দুজনেরটা করবে অথবা কেউই কারুরটা করবে না। সন্তানদের নামকরণের ক্ষেত্রেও তাই। ওদের নাম স্বতন্ত্র হবে, অথবা প্যারেন্টের নাম যোগ করতে চাইলে পিতামাতা দুজনের নামই যুক্ত করতে হবে। আমার কথা শুনে ওরা সবাই আকাশ থেকে ধপাস করে পড়লো। কী বলো এসব? স্বামীর নাম থাকতে হবে না নারীদের নামে? এবং পিতার নাম থাকতে হবে না সন্তানদের নামে? নইলে ফ্যামিলি হবে কীভাবে? বাইরের কেউ বুঝবে কীভাবে সবাই যে এক পরিবারের? আমি বললাম, বন্ধন থাকবে মনে, নামে কীসের বন্ধন? স্বতন্ত্র নাম দিয়ে বেশ ভালোভাবেই একই পরিবারের সদস্য হওয়া যায়। আবার একই লাস্ট নেমের আরো হাজার হাজার মানুষ তো এই পৃথিবীতে আছে যারা তোমাদের পরিবারের কেউ নয়। তাহলে একই লাস্ট নেম হলেই একই পরিবারের হয় কীভাবে? আর সন্তানের নামে বাবার নাম থাকলে মায়ের নামও থাকা উচিত। সন্তান কি শুধু বাবার? এবং মানুষের পিতৃ-মাতৃ-পরিচয় থাকবে বার্থ সার্টিফিকেটে, তা নামের সাথে লাগিয়ে গলায় ঝুলিয়ে হাঁটার দরকার কী?
একজন বললো, কন্যাসন্তানদের নামে বাবামা দুজনের নাম থাকলে অসুবিধা আছে। যেমন, মেয়েটি বিয়ের পর স্বামীর নামও নিজের নামে যুক্ত করলে নামটি হয়ে যাবে অনেক লম্বা। তিনজনের লাস্ট নেম তখন তাকে বহন করতে হবে। আমি বললাম, তাহলে কারো নামের বোঝাই বহন করার দরকার কী? প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র। সে তার নিজ নাম ও পরিচয়ে পরিচিত হবে। আমি অমুকের সন্তান, তমুকের ভাজিতা, সমুকের তালুই, গমুকের তালতু বোন; এসব হাস্যকর দ্রব্য নিজের নাম ও পরিচয়ে জুড়ে দেবার দরকার কী? আর বিয়ের পরে স্বামীর নাম যুক্ত করার ব্যাপারে বললাম, বিয়ে যদি ভেঙে যায়? এবং একাধিক বার যদি বিয়ে ভাঙে সেক্ষেত্রে? প্রতিবারই তো প্রাক্তন স্বামীর নাম বাদ দেওয়ার জন্য মেয়েটিকে কোর্টে যেতে হবে, লিগেলি নাম পরিবর্তনের ঝামেলা পোহাতে হবে এবং পয়সা খরচ করতে হবে। নতুন স্বামীর নাম গ্রহণের বেলায়ও তাই। কিন্তু স্বামীবাবাজিকে এসব ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয় না কখনোই।
এরা সবাই উচ্চডিগ্রীর অধিকারী, স্বাধীনচেতা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। শুধু সন্তানের নাম ও নিজের নামের বেলায় স্বাবলম্বী নয়; পিতাশ্রয়ী ও পতি-আশ্রয়ী। অদ্ভুত!
একজন পুরুষ সহকর্মী বলে উঠলো, মেয়েদের অবশ্যই বিয়ের পর স্বামীর নাম গ্রহণ করা উচিত। আমার স্ত্রী গ্রহণ করেছে আমার নাম। সে এখন মিসেস অমুক। ওর তো কোনো সমস্যা নেই এতে! আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি গ্রহণ করেছ তোমার স্ত্রীর নাম? সে তাজ্জব হয়ে উত্তর দিলো, আরে! আমি তো পুরুষ! আমি তো স্বামী! আমি কেন গ্রহণ করবো আমার স্ত্রীর নাম? আমি বললাম, তোমার স্ত্রী যদি তোমার নাম গ্রহণ করে এবং তা তুমি উচিত মনে করো তবে তুমিও কেন তার নাম গ্রহণ করবে না? কেন তাও তুমি উচিত মনে করছ না? স্ত্রীর নাম গ্রহণ করা যদি তোমার কাছে অপমানজনক মনে হয় তাহলে একইভাবে তা তো তোমার স্ত্রীর জন্যও অপমানজনক। সে বলে, এটা তো শত শত বছরের ট্রেডিশন। আমি বলি, ট্রেডিশন মানুষের গড়া। আইন-কানুন ইত্যাদি মানুষের গড়া। এবং তা পরিবর্তনশীলও। শত বছরের মূল্যবোধ একমুহূর্তে ভেঙে দিয়ে তা থেকে বেরিয়ে আসে মানুষ, যখন সে বুঝতে পারে তা অন্যায়, অনুচিত। আর MRS শব্দের অর্থ হচ্ছে MR’s মানে, মিস্টারের। স্ত্রী কি স্বামীর অধিকারভুক্ত সম্পত্তি বা অন্য কোনো বস্তু? নাকি স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গী? মিসেস শব্দ ও পরিচয়টাই অপমানজকন অবমাননাকর। মিস্টার চুপ হয়ে গেলেন।
এখন অবশ্য কেউ কেউ বিয়ের পর পরস্পরের নাম গ্রহণ করতে শুরু করেছে। আমার বন্ধুদের মধ্যে আছে কেউ কেউ। আবার সন্তানদের নামকরণের বেলায়ও বাবামা দুজনের নামই যুক্ত করছে। এটা ভালো লক্ষণ
ভালো লাগলো লেখাটা, আপনার বক্তব্যের সাথে শতভাগ সহমত।
শারিরিক শক্তির তন্ত্রে যে তন্ত্রবাদের উদ্ভব ঘটেছিলো তা আজ মানসিক বৈকল্যতার এসে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ্যতাও বলা যেতে পারে। আমার মধ্যেও তার প্রভাব আছে। তবে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি প্রতিদিন। এও জানি প্রতিদিন সাম্যতার শরীর স্ফীত হচ্ছে। দেখবেন একদিন আমরা সবাই মানুষ হয়ে ওঠবো। সময় হয়তো আরো কিছুটা লাগবে। কিন্তু সফলতা আসবেই। ভালো থাকুন।
আমরা সব মানুষেরা যেন মানুষ হয়ে উঠতে পারি। ভালো থাকবেন।
সুন্দর লেখা, ধন্যবাদ নীলাঞ্জনা আপু।