সূচিপত্র
প্রস্তাবনা
প্রথম অধ্যায়ঃ নবি মুহাম্মদ
জন্ম পরিচিতি
নবির বাল্যকাল
নবুওতির সমস্যা
মুহাম্মদের নবি হয়ে ওঠা
নবুওতি অর্জনের পর
পাদটীকা
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ইসলাম ধর্ম
ধর্মীয় কাঠামো
অলৌকিকত্ব
কোরানের অলৌকিকতা
মুহাম্মদের মানবিকতা
পাদটীকা
তৃতীয় অধ্যায়ঃ রাজনীতি
দেশান্তর
মুহাম্মদের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন
একট সুগঠিত অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ
নবুওতি ও শাসন
ইসলামে নারী
নারী ও মুহাম্মদ
পাদটীকা
চতুর্থ অধ্যায়ঃ অধিবিদ্যা
কোরানে আল্লাহ
জিন ও জাদু
মহাবিশ্বের সৃষ্টি কাহিনী
পাদটীকা
পঞ্চম অধ্যায়ঃ মুহাম্মদের পর
পরবর্তী প্রজন্ম
গনিমতের মাল
পাদটীকা
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ সারাংশ
পাদটীকা
প্রস্তাবনা
বিশ্ব-ইতিহাসে ইসলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ধর্ম। ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা নবি মুহাম্মদ ইতিহাসের একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। অন্যান্য ধর্মের প্রচারকদের সাথে নবি মুহাম্মদের অন্যতম তফাৎ হচ্ছে তিনি কেবল একাধারে সফল ধর্মপ্রচারকই নন, তিনি ছিলেন একইসাথে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ এবং দক্ষ প্রশাসক। দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে বহু বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রচণ্ড পরিশ্রম, ত্যাগ আর লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি কেবল বিশ্বের বুকে ইসলামের বিস্তারই ঘটাননি, একই সাথে একটি রাষ্ট্রের গোড়পত্তন ঘটিয়েছেন, আরব-জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে বহু গোত্রে বিভক্ত মরুবাসী বেদুইনদের একত্রিত করেছেন। জীবদ্দশাতেই তিনি স্থির লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় সাড়ে তেরশ বছর পার হয়ে গেছে। আজ শুধু মরুবাসী আরব-ই নয়, বিশ্বের বহু দেশের,বহু জাতির লক্ষ-কোটি অনারব মুসলমান এই পতাকাতলে সমবেত। ফলে এদিক দিয়ে দেখলে নবি মুহাম্মদ অতুলনীয়। তিনি নিঃসন্দেহে সফল।
ইসলামের ইতিহাস, নবি মুহাম্মদের জীবনী নিয়ে প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রচুর সংখ্যক বই প্রকাশিত হয়। এই বইগুলির বেশিরভাগই হয় স্তুতিভিত্তিক-অলৌকিকতার ধূম্রজালে আবদ্ধ আবার কোনোটা হয় অযথাই নিন্দা আর সমালোচনাকে ভিত্তি করে। কিন্তু ইসলামের ইতিহাস নিয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণে খুবই কমসংখ্যক বই প্রকাশিত হয়েছে। এটা স্বীকার করতে হবে ইসলাম আজও গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য, নবি মুহাম্মদের জীবনী আজও কোটি মানুষের চর্চার বিষয়। অনেকের কাছে এটিই একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান।
অন্য আরও সকল ধর্মের মতোই সুদূর অতীতকাল থেকে ইসলাম নিয়েও লৌকিক ভিত্তি ত্যাগ করে অলৌকিক-গায়েবি সংস্কারে নিমজ্জিত প্রচুর মানুষ। ধর্ম নিয়ে যৌক্তিক-বিশ্লেষণী আলোচনা আমাদের এই সমাজে এমনিতে বিরল। ভাববাদী-আধ্যাত্মবাদী বহু দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইসলাম আলোচিত হয়েছে বহুজনের লেখনীতে। কিন্তু ইসলামের উত্থান-বিকাশ এবং নবি মুহাম্মদের ‘অসাধ্য সাধন’ নিয়ে বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ইসলামকে জানার ও বোঝার চেষ্টা দুর্লভ বটে। সে-হিসেবে ইরানের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী আলি দস্তি রচিত ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ গ্রন্থটি ঐতিহাসিক এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
আলি দস্তির মতে, অলৌকিকতা কোনো ঐশী নির্দেশ নয়। অলৌকিকতা কেবল দুর্বলচিত্তের জনগণের কাছে ধোঁয়াশার জালে আবদ্ধ সংস্কার নয়। কিংবা নয় কোনো ধরনের বিভ্রম। অলৌকিকতা একটি অর্থবহ বিষয়। একজন ব্যক্তি তার দক্ষতা,কৌশল,বুদ্ধিমত্তা আর পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে আপাত ‘অসাধ্য সাধন’ করতে সক্ষম হন, তখন সেই কাজকে অলৌকিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। নবি মুহাম্মদও এই অর্থে অসাধ্য সাধন করেছেন। প্রায় একা একজন মানুষ অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আর কৌশল অবলম্বন করে নিজ জাতির বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রচণ্ড লড়াই করে নিজস্ব ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেছেন। অসংখ্য মানুষের পূর্বতন ধর্মমতের বিলোপ ঘটিয়েছেন। নবি মুহাম্মদের এই ইতিহাস সৃষ্টিকারী বিশাল কর্মযজ্ঞ কোনো অর্থেই ‘অলৌকিকতা’র মহিমা থেকে খাটো নয়। আলি দস্তি তাঁর বইয়ে ইসলাম এবং নবি মুহাম্মদের জীবন নিয়ে সকল রহস্যময় ও আলঙ্কারিক মিথ্যে ভাষণের ঢালি সরিয়ে নির্মোহভাবে বস্তুবাদী ইতিহাস রচনা করেছেন। যার জন্য এই বইও ইতিহাসে ধ্রুপদী গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে।
আজকের এই একুশ শতকে গোটা মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়া, আফ্রিকার মুসলিম-প্রধান দেশগুলিতে একদিকে পরাক্রমশালী রাষ্ট্রগুলোর অযাচিত হস্তক্ষেপ, অন্যদিকে সেখানকার স্বৈরতান্ত্রিক শাষকগোষ্ঠীর ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অত্যাচার-নিপীড়ণে অতিষ্ঠ জনতা আবার আল কায়েদা, আইএস, বোকো হারাম, তালেবান ইত্যাদি জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর নৃশংস কর্মকাণ্ডে বিশ্বের বুকে ‘ইসলাম’ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য। এই অবস্থায় ইসলামকে খাটো বা হেয় করে নয়,নবি মুহাম্মদকে নিন্দা বা অবহেলা করে নয়,যাবতীয় আধ্যাত্মিক ও গায়েবি দৃষ্টিভঙ্গি সরিয়ে প্রাকৃতিক জগতের নিয়মের লঙ্ঘন না ঘটিয়ে ‘মানব’ মুহাম্মদের বিশাল কীর্তি ও ইসলামের নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের পুনর্পাঠ অতি জরুরি। আর এই বিষয়টিই আলি দস্তির শক্তিশালী লেখনী থেকে ফুটে উঠেছে দ্বিধাহীনভাবে।
@ইন্দ্রনীল, কোনো ঐতিহাসিক বাক্তির সম্বন্ধে না জেনে মন্তব্য করা অনুচিত। স্বামী বিবেকানন্দ কোনো ঐতিহাসিক মানুষ নন।ওনার জীবনী অতি সহজলভ্য।তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা আপনি সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন যদি আপনি তাঁর রচিত গ্রন্থ গুলি নিরপেক্ষ ভাবে নির্মোহ দৃষ্টিতে পাঠ করেন।
সন্ন্যাস গ্রহনের পর তিনি সম্পূর্ণ ভোগসর্বস্য হয়ে উঠেছিলেন।মুখে জীবপ্রেমের বাণী বলে তাঁর জীবগনের প্রতি স্বাদপ্রেমিতা অথবা নিজের রাজসিক জীবনযাপন ও আহার্য সম্পাদনের নিমিত্ত সম্পুর্ন নির্লজ্জ ভাবে মিসেস ম্যাকলাউড এর মত ইংরাজের পদচুম্বন, তাঁর এইসকল কার্যের বিস্তৃত বিবরণ পাঠের পরও যদি তাঁর স্ববিরোধিতা ও ভন্ডামির বিবরণ আপনার কাছে যথেষ্ট যুক্তির অভাব বলে প্রতিপন্ন বলে মনে হয়, তবে বুঝতে হবে আপনি নিজের চক্ষে তাঁর প্রতি অন্ধ ভক্তির প্রলেপ লাগিয়ে তাঁর রচনাগুলি পাঠ করেছেন। তাঁর সন্নাস গ্রহণ, বাস্তবে গর্ধভের সিংহচর্ম ধারণের অনুরূপ।
দয়া করে আমাকে “স্পর্ধিত যবন” বলে মনে করবেন না ।
@ সৈকত, আপনি এই জীবনীমূলক তথ্যনির্ভর গ্রন্থটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে খুবই ভালো কার্য করেছেন ।
@অভিষেক চট্টোপাধ্যায় দাদা, আপনাকে তো আমি কিছু বলিনি, যদি বলি হজরত মহম্মদ সম্বন্ধে শুনতে ভাল লাগবে? এটা কি হল আমি বুঝলাম না। আহার্য দিয়ে একটা মানুশের বিচার করে তাকে খাটো করে দিলেন ? এইখানে দেখছি অলৌকিক জিনিষ টা কে সমর্থন করা আছে। তা সেটা কি কুসংস্কার নয় ? আরো একটা ব্যাপার বিবেকান্নদের অব্দান , আর রামকৃষ্ণ মিশনের দান ধ্যান আপনারা বেমালুম চেপে গেলেন আর হজরত বন্দনা শুরু করলেন , সারা প্রিথিবি যেখানে জেনে গেছে , ইসলাম কি লেভেলের ত্রাস। তাই বলি নিজেকে জানুন তার পরে লিখুন।
@ ইন্দ্রনীল,
ভাই, আমি তো আপনাকে হজরত মহম্মদের সমালোচনা করতে কোনপ্রকার নিষেধ করিনি, আগে আপনি ভালোভাবে তাঁর জীবনী পড়ুন, তারপরে তো সমালোচনা করার ভাষা পাবেন।যদি কোনো বাক্তির, যাঁর সম্বন্ধে আপনি সমালোচনা করতে চান, তাঁর সম্বন্ধে কোনো প্রকার বই ভালোভাবে না পড়েন, তবে সমালোচনা করবার প্রয়োজনীয় যুক্তি পাবেন কোথা থেকে ?
স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে অনেকপ্রকার বই বর্তমানে উপলব্ধ।যেমন, শঙ্করের “অজানা অচেনা বিবেকানন্দ” প্রভৃতি।ওইসকল বই যদি আপনি সম্পুর্ন নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পাঠ করেন, তবে আমার ধারণা, তাঁর ভোগসর্বস্ব জীবনযাপন আপনার কাছে কখনই মহাপুরুষোচিত বলে প্রতিপন্ন হবে না। কোন যুক্তিতে স্বামী বিবেকানন্দের এই রাজসিক জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাস কে ( যা তাঁর ৭৯ প্রকার রোগের জন্য দায়ী ) আপনি সন্ন্যাসীসুলভ বলে মনে করছেন ?একজন সন্ন্যাসী হয়েও তিনি মাংসভক্ষনের প্রতি এতই আসক্ত ছিলেন, যে বেলুড় মঠে পশুবলি প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন।সারদা দেবীর বাঁধায় যখন তিনি সেই কাজ করতে পারলেন না তখন তিনি কালিঘাটে বলি দেওয়া ছাগমাংস বেলুড় মঠে আনিয়ে খেতে থাকলেন।যদি আপনি কোনদিনও বেলুড় মঠের বিবেকানন্দ মিউজিয়ামে যান (আমার বাড়ি বেলুড় মঠের অত্যন্ত নিকটে বলে আমার অনেকবার সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে ) তবে আমি তাঁর ব্যবহৃত মহার্ঘ্য জিনিসপত্র (যেমন মূল্যবান বেলজীয়ম কাঁচের দর্পণ) দেখতে পাবেন।
ভারতে “সন্নাসাশ্রম” এর অর্থ হলো সম্পূর্ণ ভাবে বাক্তিসম্পত্তির বিলোপ ঘটানো।সন্ন্যাসীদের লক্ষ্য হলো সকল মনুষ্য ও প্রানীকে সমান ভাবে দর্শন।কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ যদি এই কঠিন সন্ন্যাসব্রত প্রকৃতই মেনে চলতেন, তবে তিনি এইপ্রকার বিলাসবহুল জীবনযাপন বা পশুবলি প্রবর্তনের চিন্তা করতেন না।
আর আপনি যে “রামকৃষ্ণ মিশন” এর সেবাকার্যের প্রসঙ্গ তুলছেন, আপনি কি ভুলে গেছেন, শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যান্য সন্ন্যাসীশিষ্যদের কথা ? স্বামী ব্রহ্মানন্দ,স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ (যিনি স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মতবিরোধের কারনে বরাহনগর মঠ ত্যাগ করেছিলেন) স্বামী অখন্ডানন্দ, লাটু মহারাজ প্রমুখের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রামকৃষ্ণ মিশন গড়ে উঠেছিল, অথচ স্বামী বিবেকানন্দের অনুগামীদের অপপ্রচারের কারণে এঁদের সের্ম্ভাবে কেউ মনে রাখেনি।
অনুগ্রহ করে আপনি সঠিকভাবে স্বামী বিবেকানন্দের কার্যকলাপগুলি বিবেচনা করুন, তবে নিজেই তাঁর প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারবেন।
বুঝলাম, বাদ দিন , একটা ইনফরমেশন দি , রাজা রামোহন রায় ছিলেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুশ। তার নিজের দোশ ছিল
তিনি অনেক নিয়ম ভেঙ্গেও পৈতে রাখতে চাইতেন , বামুন রাধুনির রান্না ছাড়া খেতেন না । এদিকে নিরাকার ব্রহ্মের কথা বলতেন এদিকে অনেক চিহ্ন আংটি ধারণে অসুবিধা ছিল না। এইরকম স্ববিরোধি চরিত্রের ছিলেন তিনি। কিন্তু তার মেইন কৃতিত্ব ছিল যে তিনি সতী দাহ নামক মারণ প্রথা বন্ধ করেন। তা আপনি তার কোনটা দিয়ে বিচার করবেন, তার এই সব ত্রুটি না তার মেইন কাজ টা দিয়ে। আপনাকে সায় দিলাম অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মহাশয়, কিন্তু এই নাস্তিক মানবতা বাদি ব্লগে মহম্মদ কে কেন আনা হচ্ছে বুঝলাম না। মেনে নিলাম আপনি ঠিক আমি ভুল , তাহলে বলি “অলৌকিকতা কেবল দুর্বলচিত্তের জনগণের কাছে ধোঁয়াশার জালে আবদ্ধ সংস্কার নয়। কিংবা নয় কোনো ধরনের বিভ্রম। অলৌকিকতা একটি অর্থবহ বিষয়। একজন ব্যক্তি তার দক্ষতা,কৌশল,বুদ্ধিমত্তা আর পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে আপাত ‘অসাধ্য সাধন’ করতে সক্ষম হন, তখন সেই কাজকে অলৌকিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়” এই দিয়ে অলৌকিকতা এর আবার জয়গান গাওয়া হচ্ছে না তো । এই সাইট তো মেইনলি নাস্তিক ব্লগারদের তাহলে মহম্মদ বন্দনা কেন ? আর এর পর কি যীশু, বুদ্ধদেব, কৃষ্ণ , এদের নিয়েও আলোচনা হবে তো ? কারণ ব্যাপারটা আমার কাছে কনফিউসিং , পরিষ্কার করে দিন , নাস্তিক ব্লগে মহম্মদ বন্দনা কেন? আমাকে আবার হিন্দু মৌলবাদী মনে করবেন না। আমার কৌতুহল টা একটু বেশি। ধন্যবাদ।
@ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলী মহাশয়, মহম্মদের জীবনী সংক্রান্ত কোনো বই নিয়ে আলোচনা করা মানে কি মহম্মদের গুনকীর্তন করা ? আপনি ওই বইটি পরে মহম্মদের সম্বন্ধে বা উক্ত বইটির বিষয়বস্তু সম্বন্ধে যথেচ্ছভাবে সমলোচনা করতে পারেন — এখানে “মহম্মদ বন্দনা” আসছে কোথা থেকে? আপনার যদি মনে হয় ওই বইটিতে মহম্মদের চরিত্রে অলৌকিত্ত্বের অবতারনা করা হয়েছে, তাহলে আপনি অবশ্যই ওর সম্পর্কে সমালোচনা করবেন—এইবিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
আপনি “মেইন কাজ” বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন ? চিকাগোতে গিয়ে আমেরিকার সামনে হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করাকে আপনি কি “মেইন কাজ” বলছেন ? ভারতে ইসলাম আক্রমনের পূর্বে religion এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না।ধর্ম বা “ধম্ম” শব্দটি শুধুমাত্র নৈতিক আচরণ অর্থে ব্যবহৃত হত।বৈদেশিক জাতিরা সিন্ধু নদের তীরে বসবাসকারীদের উচ্চারণের ভুলবশত “হিন্দু” বলে আখ্যায়িত করত।যখন ব্যাপকভাবে ইসলাম ভারতীয়দের ধর্মান্তরিত করতে শুরু করে, তখনই অবশিষ্ট ভারতীয় জনগণ নিজেদের ইসলামের থেকে একটি পৃথক জাতি রূপে চিন্তিতকরনের নিমিত্ত নিজেদের হিন্দু বলতে শুরু করে।সুতরাং,হিন্দু শব্দটি সম্পূর্ণ অযোক্তিক এবং বিকৃত।তিনচারশ বছর ধরে আমরা বংশগতভাবে ওই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত বলে আমরা নিজেদের “হিন্দু” বলে মনে করি, কিন্তু বাস্তবে এই religion এর ধারণা শুধুমাত্র ভেদাভেদই সৃষ্টি করে। “কৌলিন্য প্রথা”-র প্রবর্তক বল্লাল সেনের আবির্ভাবের বহু পূর্বেই কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় ঋষি ঋগ্বেদের “ঐক্যমত্য সুক্তে” সকলের মধ্যে ঐক্য ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জয়গান গেয়ে গেছেন – সমানো মন্ত্রস্সমিতিস্সমানী
সমানং মনঃ সহচিত্তমেষাং ||
সমানং মন্ত্রমভিমন্ত্রয়ে বঃ
সমানেন বো হবিষা জুহোমি ||
সমানী ব আকূতিস্সমানো হৃদয়ানি বঃ
সমানমস্তু বো মনো যথা বস্সুসহাসতি || – ঐক্যমত্য সুক্ত, ঋগ্বেদ,১০ম মন্ডল,১৯১ সুক্ত
অর্থাৎ–“তোমাদের মন এক হোক, হৃদয় এক হোক, সমিতি এক হোক”।প্রাচীন ভারতীয় দর্শন এই সংকীর্ণ বিচ্ছিন্নতাবাদী religion এর ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।অতএব স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগোয় “বিশ্ব ধর্মসভায়” “হিন্দু রিলিজিওন” এর মাহাত্য প্রতিষ্ঠা করে আমাদের একপ্রকার প্রতারিতই করেছেন।তাঁর অপপ্রচারের জন্যই “হিন্দু ধর্মের” ধারণা বদ্ধমূল ভাবে চেপে বসেছে।
আপনি বলেছেন—
পিডিএফ লিংকটা কাজ করছে না। 🙁
দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে , অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর আন্দোলন ঠিক দিকে জাচ্ছে না, ইসলামি সন্ত্রাসের সময় মহম্মদ বন্দনা।
আশাহত হলাম । আর আপনাদের “স্ববিরোধী বিবেকানন্দ” লেখাটিতে যুক্তির বুনোট পেলাম না।
————————- যাকগে আশাহত হলাম , আপনারা কি শেষ পর্যন্ত ইসলামের দিকে ধাবিত হলেন ?
:negative:
এ কী এ কী ? মুক্ত মনা শেষ পর্যন্ত ইসলাম , হজরত মহম্মদ নিয়ে মাতল? আর নিন্দে করল স্বামী বিবেকানন্দের মত মহামানবকে ? এ
আন্দোলন কোন দিকে যাবে? ধর্মীয় মউলবাদের বিরুদ্ধে জেতে পারবে তো ? শেষ কালে ইসলাম বন্দনা ? হতাশ হলাম ? তাহলে স্বামী বিবেকানন্দ কি দোষ করলেন ?
হিজরি সনের গণনা করা হয় মুহাম্মদের হিজরতের সন থেকে অর্থাৎ ৬২২ সন থেকে। কিন্তু আপনাদের এই বইয়ে বিভিন্ন ঘটনায় এবং ব্যক্তিবর্গের জন্মে উল্লেখিত হিজরি সন ও গ্রেগরি সনের হিসাব করলে দেখা যায় কোনটায় হিজরি সন শুরু হয় ৬০৫, কোনটায় ৬০৮, ৬১০, ৬১২, ৬২০ সন। এরকম পার্থক্য হওয়ার কারন কি জানালে ধন্য হব।
ধন্যবাদ
দারুণ
ধন্যবাদ
দারুন কাজ হয়েছে।
:rose:
খুব ভালো কাজ হয়েছে।
ধন্যবাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায়। :good: