দীপনের বাবার মত আমিও বিচার চাইনা। আমি নিশ্চিত জানি টুটূলের স্ত্রী, দীপনের স্ত্রী, অনন্তের বোন, রাজিব, বাবু, নীলয়ের বন্ধুরাও আর বিচার চান না। বাবাকে (ডঃ অজয় রায়) ফোন করলে উনি এখনো আশার কথা বলেন, জীবন যে থেমে থাকেনা সেটা বলেন, আমাকে অনুপ্রেরণা দেন যাতে আমি থেমে না যাই, আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে বলেন। আশি বছরের একজন সন্তানহারা পিতার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যাই, নিজেকে বলি, ওনারা এরকম ছিলেন বলেইতো একাত্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছিলেন। কিন্তু আমরা পারিনি, আমাদের প্রজন্ম পারেনি, সংখ্যায় ওরা ক্রমাগত বাড়ছে, খালি মাঠে যেভাবে আগাছা বেড়ে ওঠে প্রবল উদ্যমে। আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতাই ওদের এভাবে আগাছার মত বাড়তে দিচ্ছে।
এই সরকারের কাছ থেকেও কিছু চাওয়ার নেই আমাদের, একটাই অনুরোধ ওনাদের কাছে, দয়া করে দিনরাত আর ‘আমরা সেক্যুলার পার্টি’ বলে গলা ফাটিয়ে নিজেদের এনার্জি নষ্ট করবেন না। আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করেই থাকুন; অভিজিৎ, অনন্ত, রাজিব, নিলয়, বাবু, দীপনরা আপনাদের জন্য একেকটা স্কোর কার্ড। আপনারা বুক ফুলিয়ে বলে যান যে সবই ‘রাজনৈতিক খেলা’ সবই ‘পারসেপশান’। মৌলবাদীদের চাপাতিতে নিশ্চুপভাবে তেল দিয়ে যান, না হলে আপনাদের ভোট কমে যেতে পারে। আপনারা খুব ভালো করে জানেন যে আপনাদের মৌনতাই ওদের অস্ত্রে শান দিতে সহায়তা করে যাচ্ছে। হয়তো আমরা দিনের বেলায় ভুল করে একে নিশ্চুপতা ভাবি। কে জানে, রাতের অন্ধকারে আপনারা হয়তো মুখর হয়ে ওঠেন, ভোট ভাগাভাগি করে নেওয়ার খেলায় যোগ দেন তাদের সাথে। আপনাদের দোহাই লাগে আপনারা ভোটের থলি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করেই থাকুন, আমরা আপনাদের কাছে আর কোনদিন বিচার চাইতে আসবোনা।
যারা মরেছে তারাতো মরেছেই, তাদেরকে তো আর পাবোনা, কোনদিনো না, ওরা আসবেনা। এই উদাসীন প্রকৃতির সীমাহীন নিস্তবদ্ধতার মাঝে মাথা কুটে মরলেও ওরা আর আসবেনা। আমি আশির দশকের শেষে ঢাকা মেডিকেলে পড়েছিলাম দুই বছর। মনে আছে আমরা বলতাম জামাত শিবির কোনদিনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ঢোকার সাহস পাবেনা। তখন তো আনাসারুল্লাহর মত জঙ্গীদলদের কথা চিন্তাও করতে পারতামনা। আজ শুধু তারা সেখানে ঢোকেইনি, চোখের সামনে একের পর এক হত্যার উন্মত্ত হোলি খেলাও চালিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা সবাই ওদের প্রলয় নৃত্য দেখে আমরা অসহায়, স্তম্ভিত। দীপনের বাবা, অভিজিতের বাবারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন সেখানেই, চোখের সামনেই, জঙ্গীরা চাপাতি চালায় তাদের ছেলেমেয়েদের উপর, বড্ড সাহস আজ তাদের। আজকাল আর রাতের আঁধারে চুপিসারেও আঘাত হানতে হয়না ওদের। আলোকিত রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ, পুলিশের সামনেই তারা বুক ফুলিয়ে চাপাতি চালায়। আমি নিজেইতো, মাথায় চারটা চাপাতির আঘাত আর ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকা আঙ্গুল হারানো হাত নিয়ে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাহায্য ভিক্ষা করেছিলাম শত শত মানুষের কাছে! লোকে লোকারণ্য সেই রাস্তায় কেউ কি এগিয়ে এসেছিল? জীবন এগিয়ে আসার আগে মানুষেরা গোল হয়ে ঘিরে মজা দেখেছে, পুলিশও ছিল সেই ভীড়ে। জীবনদের সংখ্যা এখন খুব কমে গেছে, ওদের মত মানুষেরা আজ দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।
আমাদের শোক আর ক্রোধে পরিণত হয়না, আমরা আর ৫২ তৈরি করতে পারিনা, আমরা আর ৬৯, ৭১ তৈরি করতে পারিনা। নির্যাতনের এই রাষ্ট্রযন্ত্র আজ এতটাই সার্থকভাবে আমাদের স্তব্ধ করে দিতে পেরেছে যে আমরা ভয়ে নিথর হয়ে যাই। আলোর সামনে অসহায় হরিণের দল যেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ঠিক তেমনি আমরাও দাঁড়িয়ে থাকি রক্তাক্ত এই দেশ দেখে। অনেকের কাছে শুনেছি, আজকাল যারা এগিয়ে আসে সাহায্যের জন্য তাদেরকেই নাকি পুলিশ উলটো হেনস্থা করে, সেই ভয়ে কেউ আর এগিয়েও আসেনা। তাই নীলয়কে ঘরে ঢুকে হত্যা করা যায়, অনন্তকে রাস্তার দিনের আলোয় শিকার করা যায়, টুটুল, রণদা, তারেককে অফিসে ঢুকে বহু মানুষের মধ্যেও কুপানো যায়, দীপনকে আজিজ সুপার মার্কেটের মত ভীড়ের জায়গায়ও খুন করা যায়। খুনীরা জানে ওদের আর কোন ভয় নেই, ওরা জানে ওদের অভয়ারণ্য সর্ব-বিস্তৃত, ওরা জানে ওদেরকে নিশ্চুপতার জয়মাল্য দিয়ে বরণ করা হবে। অথবা আরো এক ডিগ্রী বাড়িয়ে বরং আমাদেরকেই ৫৭ ধারায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
এদেশে আদালতে বিচার হয়না সেটা আমরা জেনে গেছি। ইদ্রিসদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় সেটাও জানি। ছোট খাটো ভাড়াটে খুনীদের ধরে এনে প্রেস রিলিজের প্রহসন করা হয়। দীপনের বাবা ঠিকই বলেছেন, এটা রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক। আমি আরেকটু যোগ করে বলবো এটা বৈশ্বয়িক এবং জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতির এবং সংস্কৃতির সম্মিলিত যোগ বিয়োগের ফলাফল। মৌলবাদ বলুন, সাম্রাজ্যবাদ বলুন, এদের কারোরই শক্তি কম নয়, আর ওদের সম্মিলিত শক্তির তো কোন তুলনাই নেই আজকের পৃথিবীতে। আজকে আমাদের দেশে যা ঘটছে তা পূর্বপরিকল্পিত, বহুদিনের চাষের ফসল। আমরা ওদের জায়গা করে দিয়েছি, উর্বর জমিগুলো সব খালি করে দিয়েছি। সার, পানি দিয়ে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছি। এদের হাত অনেক লম্বা, এদের ব্যাপ্তি অনেক গভীর। শুধু কথায় আর কিছু হবেনা, এদের রুখতে হলে ভিতর থেকে সব কিছু ভেঙ্গেচুরে বদলাতে হবে। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়ার আগেই সেটা করতে হবে।
যারা চাপাতি ব্যবহার করছে , তারা কী ঈমানী দায়ীত্ব পা্লন করছে না ? তাদের বিচার চাওয়া কী যুক্তিসঙ্গত ?
দেখ দেখ স্বদেশ,তোমার আঙ্গিনা দেখ, আবারো রক্তময়,
নয় নয় নয়,অশ্রু বা আবেগে,আর কোন সমাধান নয়।
বিচারকের চেহারায় ভণ্ড ঈশ্বর, চারিদিকে শুধু অবিচার,
বিচার চাই না,বিচার চাই না, চাইব না কভু আর ।
এক হও বাঙ্গালী, এক হও আবার, একাত্তরের মতো,
ধ্বংস কর, ফ্যাসিবাদের স্নায়ুতে,প্রতিবন্ধি বিবেক যত।
জাগো জাগো, বাঙ্গালী জাগো,অবাক অভ্যুদয়
মুক্তির বীর দুয়ায়ে আজি, আমাদের কিসে ভয়?
ওরা এসেছে, জয় করেছে,ভয়াল অন্ধকার,
যুক্তির সংগ্রাম, কে রুখবে? আছে সাধ্য কার!
আলোর ভুবনে কাটুক আঁধার, জেগে উঠুক উজ্জ্বল রোদ্দুর
জেগে উঠো, জেগে উঠো, স্বদেশ, যেতে হবে বহুদুর।
জ্ঞানের মিছিলে,সূর্য সভায়,মুক্তির যত স্লোগান,
রক্তের ঋণে ধ্বংস কর, মৌলবাদী জঙ্গির উত্থান।
কলমে স্পর্শে , মুক্তির দাবি, আরো তীব্রতর
ওরা এসেছে,জনতার এইবার নির্ভয় কণ্ঠস্বর।
বিচার নেই,বিচার নেই,শাসকের নেই কোন দায়,
রক্ত দিয়ে লিখো বাংলা, অবিচারের যত রায়।
@আকাশ মালিক,
নিরাপত্তাজনিত কারণে আপনার কমেন্টটি মুছে ফেলা হলো। মুক্তমনা ব্লগে বাল্যখিল্য আচরণ ও বিনা অনুমতিতে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।
বন্যাপা, শুভেচ্ছা। অনেক দিন পর মন্তব্যে লিখছি।
বিচার চাই না, কারণ পাব না। আর এটাও ঠিক, আগামীতে আমাদের মধ্য থেকে অন্য কেউ যাবে। মৃত্যু নিয়ে আমি বা আমরা ভীত নই কিন্তু কথা হচ্ছে, আমাদের কি কিছুই করণীয় নেই? এভাবে কি ওরা আমাদেরকে চাপাতির নিচে স্তব্ধ করে দিবে? ওদের শাণিত চাপাতির তলে আমরা কি পরাজিত হয়েই যাব? আমরা যারা মুক্তবুদ্ধি চর্চার সাথে যে যেভাবে জড়িত (লেখক, পাঠক, ব্লগার, মন্তব্যকারী, প্রকাশক, অনুরাগী) সবাই কি জোরেসোরে এবার একাট্টা হবো না? এটাই ত সময়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। শারীরিকভাবে একত্রিত ও জোটবদ্ধ হওয়া কি প্রয়োজন নয়? তারপর পরবর্তী কর্মসূচী নির্ধারণ কি এখনই প্রয়োজন নয়? আমার মনে হয় সকল সমমনার সমন্বিত সংগঠণ এবার আমাদের পরিস্থিতির দাবি। আমার মনে হয় আমাদেরকে কঠিন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খুবই বড় পরিকল্পনা। মহাপরিকল্পনা। সামগ্রিক পরিকল্পনা। যুক্তি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার অনুকূল পরিবেশ তৈরী করতে হলে আমাদের অবশ্যই এর প্রতিবন্ধকতাগুলো সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। কারণ এরা যতদিন থাকবে ততদিন আমাদেরকে মানবতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে দেবে না। তাই এদের বিনাশ করেই আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে।আর স্পষ্টতই, সেটা লেখা ও যুক্তি দিয়ে হবে না। কারণ, তারা জড়বুদ্ধিসম্পন্ন, প্রচণ্ডভাবে সম্মোহিত, আফিমায়িত। গণতান্ত্রিক উপায়েও সেটা হবে না। অমানবিকদের সাথে অমানবিক হয়েই মানবিকতা, জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা পথ তৈরী করতে হবে। পাল্টা রক্তপাত প্রয়োজনই হবে। পরিকল্পিতভাবে এবং ইফেক্টিভলী। আমার মনে হয়, এখন এ ব্যাপারে আমাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন।
আকাশদা: ভালোবাসা নেবেন। অনেক আগে একদিন আমি আপনার কাছে যে সত্য বলা হয় নি’র একটা হার্ড কপি চেয়েছিলাম। আপনি তখন অনন্তর সাথে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। আমার তখন সেটি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি। আজ আর অনন্ত নেই। শয়তানের বাচ্চারা অসম্ভব মেধাবী ও ভাল মনের ছেলেটাকে শেষ করে দিয়েছে। এখন কি এই বইটা হার্ড কপিতে পাওয়ার আর কোন উপায় আছে?
আপনাদের সবার প্রতি অজস্র ভালোবাসা, সহানুভূতি।
অভিজিৎদা বেঁচে থাকুক আমাদের মাঝে জন্ম-জন্মান্তরে।
সবকিছুই চলে গেছে নষ্টদের অধিকারে। আর কিছুই বাকি নেই বন্যাদি। আমরা আজ বড়ই সংখ্যালঘু। আরো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ক্রমেই মুক্তমনাদের স্থান এই বাংলাদেশে। সবাই পালাচ্ছে দেশ ছেড়ে। সবাই পালাবে চাপাতির ভয়ে। যারা থাকবে সবাই মরবে। সামনে আরে বড় দুঃসময় অপেক্ষা করছে। আমরা স্পষ্টত: এক অন্ধকার যাত্রায় সামিল। অন্ধকার বাংলাদেশ।
বন্যাপা, আসলেই তো কার কাছে আমরা বিচার চাইবো, কিসের বিচার চাইবো? আজকে নাস্তিকদের চাপাতি দিয়ে কোপানো হবে কি হবে না এই গোপন ভোট আয়োজন করলে সেই ভোটে আনসার বাংলার পক্ষে পাল্লা ভারী হইলেও আমি অবাক হবো না। প্রতিটি ঘরে, প্রতিটা অফিসে, প্রতিটি পেশায় সবখানে প্রায় সবার মগজ খেয়ে নিয়েছে জামায়াতি ইসলাম। যেনো দেশে কিছু হচ্ছে না, মন্ত্রীদের কথা শুনলে মনে হয় তারা তামাশা করছেন। পুরো বছর জুড়ে দেশের সেরা সন্তানদের একের পর ঘোষণা দিয়ে জবাই করা হচ্ছে আর আমাদের তথাকথিত সেক্যুলার সরকার আমাদের ব্লগ লেখা শেখাচ্ছে আর শফি হুজুরের কাছে দোয়া নিয়ে দিন শুরু করছে। ইসলামি বাকস্বাধীনতার মতও এইটাও মনে হয় ইসলামি সেক্যুলারিজম, যেখানে ইসলাম ধর্ম খুব সেন্সটিভ ইস্যু বাকি সব কিছুতে জবাই করা যায়েজ।
অভিজিৎ দার মতো একটা মানুষকে এমন নির্মমভাবে হারালাম, আপনার মতো একজনকে রক্তাক্ত করে দেশ থেকে ফেরত পাঠালাম, বাবু তো কিছু টেরই পেলো না, অনন্ত দাকে চোখের সামনে দিয়ে হারালাম, নীলয় নীল আমাদের বলে বলে চলে গেলো, শুদ্ধস্বর, জাগৃতির দীপন ভাই!! কিসের জন্য হারালাম এই মানুষগুলোকে? তাদের অপরাধটা কী? তাদের তো কোনো অপরাধ নেই, যারা ধর্মের নামে এই আলোকিত মানুষগুলো একে একে ধ্বংস করে দেশকে অন্ধকারের সম্রাজ্য বানাচ্ছে অপরাধী তো তারাই। কিন্তু আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশ তাদের মোটেও অপরাধী মনে করছে।
আওয়ামী মুসলিমলীগের তো পোয়াবারো। এভাবে মানুষ হত্যা হবে, তারা মন্ত্রী মশাই পুলিশ দিয়ে মশকরা করবে আর একই সাথে সেক্যুলার ও ইসলামি ভোট সবই কামানোর জন্য থালা পেতে রাখবে। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ মানবতবাদীরা তো আজ দিশাহীন এই দেশে!ধর্মভোটের লোভে সব রাজনৈতিক দল তো আফিমাক্রান্ত!
কারও কাছে কিছুই চাওয়ার নাই।
একদম ঠিক বলেচেন বন্যাদি। এই কথা গুলোই হামেশা বলে যাচ্ছি….!
আম্বালীগের মত এতো বড় পার্টিতে<http://www.ittefaq.com.bd/politics/2015/11/01/41699.html মত অসভ্য,বর্বর অশিক্ষিত লোক কিভাবে পার্টির এত বড় পদে আসিন হয়।
আর আরেক আইনের রক্ষক ও ভক্ষক
Him, he is Mr Hanif. who was failed to share one fathers feelings. I m surprised he is the one who leading our Aoamiligue. On what basis he has been qualified to realise the feeling of whole nation. Braboo Aoamileague Braboo
Prime Minister…..
এ হত্যাকাণ্ড বৈশ্বিক পুঁজিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ। বন্যা ঠিকই ধরেছেন। নিহতের পিতা সে কথাই সংক্ষেপে বলেছেন। আমাদের রাষ্ট্র এই নোংরা বিশ্বপুঁজিবাদের ধারক বাহক। একই সাথে হত্যাকাণ্ডেরও ধারক বাহক। এর প্রতিকারের জন্য নাস্তিকতাসর্বস্ব বীরত্ব নয়, প্রয়োজন– বৈশ্বিক পুঁজিবাদের প্রতিপালক সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ ও এ-দেশীয় পুঁজিবাদী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, হন্তারক রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী জনশক্তি সংগঠিত করা, যুক্তিযুক্ত আদর্শের ভিত্তিতে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রশক্তিকে উচ্ছেদ করা, সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের মতামতের ভিত্তিতে গণশাসণ প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই।
এই দেশে আইন নেই।বিচার চাইবো কোথায়?আদালতে আমাদের পথ বন্ধ।আমাদের দেশে সরকার নেই।এই সরকারই সকল কার্যের দায়ী।তিনিই আমাদের রক্ষক, তিনিই ভক্ষক।আমরা বিচার চাই না।বরং,তার পরিবর্তে আমরা অনুপ্রেরণা চাই।যেন আরো এগিয়ে যেতে পারি।এক ব্লগার খুন হয়েছে হোক, প্রয়োজনে আরো দশ ব্লগার জন্ম হবে।
আর এদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী (ইসলামী) লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন-
‘আমরা কোন মুক্তমনা লেখক প্রকাশকদের হত্যার বিচার চাইনা’এই মেসেইজটা আওয়ামী (ইসলামী) লীগ সরকারকে জানিয়ে দেয়া দরকার। এটাই হবে সব চেয়ে এফেকটিভ প্রতিবাদের ভাষা। জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষক মদিনা সনদি এই সরকারের কাছে বিচার চেয়ে নিজেকে মৌলবাদীদের সামনে আরো হাস্যকর করে তোলার কোন মা’নে নেই।
I’m a son of a freedom fighter but feel so unsecured in my own country. I can’t but want to ask my father about why you all sacrificed so much to create this country? But I can’t! One thing very clear that Bangladesh is no more a land to thrive loveliness, affection, respect, education, generosity and universality. But this country is very suitable for politicians, corrupts, selfish, police, killers, blinds, dumbs, preachers and brokers. We will never live in this nightmares where justice is always denied and labeled with gray shades. Where the government is always denies the truth and nurtures all this for their vested interests. Those who want freedom, please wait for your departures. Soon this will happen and we all will get rid off our uncomforts.
বিচার চাওয়া এই দেশে বিলাসিতা । বাংলায় মুক্তবুদ্ধির জন্ম হয়েছে মৌলবাদের চাপাতির কোপ খাবার জন্য ,…এর আবার “বিচার” !!!
এত এত ডিগ্রী আর প্রতাপ নিয়াও সোসাইটির মাথারা নিজেদের প্রটেক্ট করতে ব্যর্থ হইলে সাধারন পাব্লিক কই যাবে?? তাদের তো আল্লাই ভরসা, জেনারেল পাব্লিকের সাপোর্ট এম্নি এম্নি আসবে না, তাদের সমস্যাগুলাকে আপারক্লাস ইগ্নর করতাছে, তারাও এইসব আপার ক্লাসের প্রব্লেম ইগনর করছে
বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডকে আর দেশ বলা যায় না। এটা এখন কেবলই মানবতার বধ্যভূমি।
সরকার কিছুদিন আগে, অদম্য বাংলাদেশ নামক তরুণদের এক সংগঠনের সৃষ্ট ‘মজার স্কুল’ নামক পথশিশুদের স্কুলের উদ্যোক্তাদের ‘ছেলেধরা’ নাম দিয়ে ধরেছিলো। এর পর অনলাইন অফলাইনে নানান রকম ক্যাম্পেইন করেও তাদের মুক্তি মিলছিলো না। সরকারী তদন্ত কর্মকর্তারা এদেরকে ছেলেধরা প্রমাণে উঠে পড়ে লেগেছিলো। মাসখানেক পরে তাদের জামিন হয়। কিন্তু সেই কেইস থেমে গেছে বলে শুনিনি। হয়তো একদিন এদের জেল জরিমানা কিংবা ক্রসফায়ারও জুটে যাবে। সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
সেই প্রসংগ এখানে তোলার কারণ, সরকার এসব করে স্পষ্টতই তাদের দক্ষতা এবং সদিচ্ছার অভাবের চুড়ান্ত প্রমাণ রেখেছে। এবং সম্ভবত, এতদিন অন্যান্য ব্লগারদের হত্যার সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের একটা বড় অংশও, হয় কোনো চুনোপুটি অপরাধী অথবা, স্রেফ অসংশ্লিষ্ঠ লোকজন। সত্যিকার কেউ গ্রেফতার হলে, তাদের থেকে তথ্য বের করে জঙ্গিবাদের মূল কারিগরদের কাছে পৌছানো মোটেই কঠিন কিছু না।
ওহ্ দুঃখিত, দেশে তো কোনো জঙ্গি নেই! এত কথা খরচ করলাম শুধু শুধু।
এই জোড়া হামলা হয়ে বেশ ভালোই হলো বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগের। শাহবাগ এলাকায় যদি কোনো রাজনৈতি প্রতিপক্ষ থাকে তাদেরকে এখন ঠিকঠাক দেখে নেওয়া যাবে।
এখন আর বিচার চাওয়ার কিছু নেই। আর আমাদের রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে হবে কেন ? এটাতো বর্বর রাষ্ট্রের নিজেদেরই দায়িত্ব যে রাষ্ট্রের নিজ প্রজাদের জান-মালের রক্ষা করার । যেহেতু এই বর্বর রাষ্ট্রের সেই হাডান নাই তাই এখন সময় হয়েছে নিজের আত্নরক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নিতে হবে যেমন আমরা নিয়েছিলাম ১৯৭১ এ।
বাংলাদেশ নিরিবিচ্ছিন্নভাবে একটি যুদ্ধের ভিতরে আছে আর সেটা হলো দেশ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলবে না-কি জামাতহিজাবি রাষ্ট্র হবে ?
তাই জাতিকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোনটি চাইছি ??? সিদ্ধান্ত নিতে যত দেরী হবে তত বেশী আমাদের রক্ত বাংলার মাঠে-ঘাটে-নদীতে ভেসে যেতে থাকবে……সেখানে কারই মনে করার কারন নাই যে আমি তো নিরাপদ আছি।
কলম চলুক দূর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক সকল চিন্তার জড়তা.……..।।