কাল্পনিক ঈশ্বরকে সন্ত্তষ্ট করার জন্য আস্তিকদের কোরবানী প্রথার সমালোচনা করলেই শুনতে হয়,- কোরবানী পছন্দ নয়, কিন্তু মাংস তো ঠিকই খান। জ্বি নাস্তিকরাও মাংস খায়। খেতেই হয়। বেঁচে থাকার জন্য এটা খাদ্যচক্র।
কথা হচ্ছে- মাংস কে কিভাবে খায়। এই পৃথিবীতে অনেক জাতিগোষ্ঠী আছে যারা মানুষের মাংস ভক্ষণ করে। একে বলে ক্যানিবালিজম, অর্থ্যাৎ যারা মানুষ হয়েও অন্য মানুষের মাংস খায়। লিবিয়া ও কঙ্গোর বেশ কিছু যুদ্ধে এই ক্যানিবালিজমের চর্চ্চা হয়েছিল। কঙ্গোর লেন্দু উপজাতি মানুষের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে পরিচিত। আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোর বিভিন্ন প্রদেশের গহীন জঙ্গলে বাস করে তারা। লেন্দুরা যখন তখন পিগমি উপজাতিদের হত্যা করে তাদের কাঁচা মাংস খেয়ে ফেলে। উল্লাস করে মানুষের মাথা নিয়ে। লেন্দুরা মূলত জীব-জন্তুর মাংস খেয়ে থাকে। পিগমিরা জঙ্গলে বাস করে বলে লেন্দুরা তাদের জীব-জন্তুর ন্যায় মনে করে এবং হত্যা করে। এছাড়া করোওয়াই নামে একটি উপজাতি আছে যারা এখনো বিশ্বাস করে যে নরমাংস ভক্ষণ তাদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ। এখনও মিলেনেশিয়ান উপজাতিরা তাদের ধর্ম চর্চ্চায় ও যুদ্ধে ক্যানিবালিজমের চর্চ্চা করে। ক্যানিবালিজম এমন একটি প্রথা যা নৃতত্ত্ববিদদের সমস্যায় ফেলে দেয় মানুষের আচরণের গ্রহণযোগ্যতার সীমানা নির্ধারণে।
আফ্রিকার মাসাই আদিবাসী আর উত্তর মেরু বা সুমেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের পশুর রক্ত পান বা কাঁচা মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি আমরা সবাই জানি। আফ্রিকার মাসাইরা পশু জবাই করেই তার রক্ত মাটিতে পড়তে দেয়না। তারা পাত্রে সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে জবাই করা পশুর তাজা রক্ত পান করতে শুরু করে। এস্কিমো জনগোষ্ঠীর মানুষেরা শুধুমাত্র কাঁচা মাংস খেয়েই জীবন ধারণ করে। সিদ্ধ মাংস খায় সভ্য সমাজে এমন মানুষ যেমন কম নয়, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- পশু জবাই করে সঙ্গে সঙ্গেই কাঁচা মাংস খেতে শুরু করে এমন মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। আবার অনেক জনগোষ্ঠী কাঁচা মাংস খায় রক্তসহ। মাংস ধোয়ারও প্রয়োজন মনে করে না এরা। আফ্রিকা আর ব্রাজিলে এমন অনেক জনগোষ্ঠী আছে- যারা পশু জবাই করেই প্রথমে পশুটির হৃদপিন্ড, ফুসফুস আর কলিজার মতো নরম অংশগুলো নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে। হাতে পাওয়া মাত্রই তা কাঁচা খেতে শুরু করে। এরা সভ্য বিশ্ব থেকে এখনো অনেক দূরে।
ভারতেও এমন অনেক ধর্মীয় জনগোষ্ঠী আছে- যারা পশুর তাজা রক্ত পান করে। তুলনামূলক ভাবে এরা অনেকটা সভ্য হলেও এ রক্ত এরা পান করে ধর্ম বিশ্বাস থেকে। হিন্দুরা এখনো পশুবলি দেয় প্রকাশ্যে, তবে মাংস এরা রান্না করে খায়।
মুসলমানরাও বেশ সভ্য। এরা রক্ত বা কাঁচা মাংস না খেলেও পশু কোরবানী দেয় প্রকাশ্যে এবং উৎসব করে। উৎসবের দিন তাদের লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানী দেবার দৃশ্য শিশু থেকে শুরু করে দূর্বলচিত্তের বা অসুস্থ মানুষেরাও উপভোগ করে। তারা প্রকাশ্যে পশু কোরবানীর এ উৎসবকে মোটেও বিভৎস বা বর্বর মনে করে না। বরং এটাকে খুবই সভ্য এবং স্বভাবিক ধর্মীয় আচরণ বলে মনে করে।
ইউরোপিয়ানরাও মাংস খায়। তবে উত্তর ও মধ্য ইউরোপের উন্নত ও শিক্ষিত দেশগুলোতে প্রকাশ্যে পশু এমনকি পাখি জবাই করাও অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ। কাল্পনিক ঈশ্বরের সন্ত্তষ্টিতে পশু বলি- এ অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করেনা। এরা পশু বা পাখির মাংস বাজার থেকে কিনে খায়। পশু বা পাখি কোথায় বা কিভাবে জবাই হয়- এ অঞ্চলের মানুষদের তা দেখতে হয় না। ইউরোপের শিশুরা মুরগী বা পশু জবাইয়ের দৃশ্য কখনো দেখেনি। কসাইখানায় পশুর মাংস প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পেশাগত শিক্ষা এবং দক্ষতা অর্জন করার পরই একজন কসাই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কসাইয়ের কাজ করার সুযোগ পায়। আর প্রতিটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় থাকে মাংসের গুনগত মান আর রোগ-জীবানু পরীক্ষা করার জন্য নিজস্ব ল্যাবরেটরী। আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া সহ আরো অনেক উন্নত দেশে এরকম ব্যাবস্থা আছে।
মাংস খাওয়ার এত রকম উদাহরণ এজন্য দিলাম যে, আপনাকে আমি এখন প্রশ্ন করতেই পারি,- কোন্ জনগোষ্ঠীর মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি বা ধরণ আপনার কাছে সবচেয়ে সভ্য বলে মনে হয়? কোরবানীর প্রশ্নে নাস্তিকরা মুসলমানদের আরেকটু সভ্য হতে পরামর্শ দেয়। অন্য সব ধর্মের ধার্মিকদের পশু বলির বেলায়ও তাই। মাংস খাবার জন্য বা কাল্পনিক ঈশ্বরকে সন্ত্তষ্ট করার জন্য প্রকাশ্যে পশুহত্যা বা রক্তের উৎসব আর যাই হোক, সভ্য মানুষের সুস্থ আচরণ হতে পারে না। আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন, বিশ্বের যে অঞ্চলগুলোতে প্রকাশ্যে পশু জবাইয়ের সংস্কৃতি প্রচলিত আছে, সেসব অঞ্চলে মানুষ জবাইয়ের মত অপরাধও সংঘঠিত হয় বেশি। রক্তারক্তির খেলা শুরু হয় পশু থেকেই, আর তা শেষ হয় মানুষে।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার তথ্যবহুল পোষ্ট এর জন্য। আপনার পোষ্টে ভালো লেগেছে এই বিষয়টি যে আপনি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন অসভ্য থেকে সভ্য সমাজে পশু জবাইয়ের বিভিন্ন চিত্রগুলো। আপনার পোষ্টের পরতে পরতেই আমরা দেখতে পাই যে কিভাবে অসভ্য থেকে একেবারেই সভ্য সমাজে পশু হত্যার বিষয়টি রাখঢাকের সাথে হয়ে থাকে। হ্যাঁ এ কথা সত্য যে আমাদের উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল সহ আরো কয়েকটি দেশে দেখা যায় পশু হত্যার বেলায় কোনো রাখ ঢাক ছাড়াই যত্র তত্র জবাই করা হচ্ছে। এমনকি আমাদের দেশের ছেলেদের বয়স ৮-১০ পা দিতেই দেখা যায় মুরগী জবাই এর সময় সাহায্য করতে। তার মানে হচ্ছে একজন ব্যাক্তি বাচ্চাকালেই জবাই, রক্ত, কাটাকাটির সাথে পরিচিত হয়ে যায়। এটা কিন্তু মুসলমানের উৎসব দেখে এমন হচ্ছে, তা কিন্তু যুক্তি দিয়ে বলার সম্ভাবনা কম। কারণ উন্নত মুসলিম বিশ্বে পশু হত্যার বিয়ষটি অগোচরেই হয়ে থাকে বা এটাই ঐ সকল দেশের নিয়ম। কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশে আসলেই বিষয়টি পালটে হয়ে যায় প্রকাশ্যে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তা নিয়ে আপনি আলোকপাত করেননি।
এর জন্য আমি মনে করি ধর্মীয় উৎসব বা রীতিনীতির চাইতে বেশী যেটা প্রভাব ফেলছে তা হচ্ছে একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক এবং নৈতিক শিক্ষার অবস্থা। উন্নত বিশ্বে বা ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে মানুষ নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সর্বোপরি তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতোটাই ভালো যে সেই দেশের মানুষের বেসিক নিড নিয়ে বেশী চিন্তিত হওয়া লাগে না, তাই তারা অন্যান্য বিষয়গুলোতে আলোকপাত এবং জোড় দেওয়ার সুযোগ বেশী পেয়ে থাকে। অপরদিকে ভারত, বাংলাদেশের মতো দেশ গুলোতে যেখানে সকল মানুষের নিরাপদ বাসস্থান, শিক্ষা দিতেই পারছে না সেখানে পশু জবাই প্রকাশ্যে না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। এই সকল বিষয়ে লেখা লেখি করে এখনই কোনো লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না, নাস্তিকদের অনুরোধ হোক আর সরকারি হুকুমই হোক; এই পরিস্থিতি এখনই চাইলে আইন করেও সংশোধন করা সম্ভব না। কারণ আইনের প্রতিফলন তখনই প্রতিফলিত হয় যখন মানুষের বেসিক নিড নিয়ে চিন্তা করা লাগে না। যেখানে সরকার বাসস্থান দিতে পারেনা সেখানে ‘বিলাসিতামূলক’ আইন কখনোই কার্যকরি হবে না। আপনি নিশ্চয়ই একজন টোকাইকে আইন করে বলে পারেন না যে ডাস্টবিন থেকে খাওয়া নিয়ে খেতে পারবে না। এর আগে অবশ্যই আপনাকে ঐ টোকাইয়ের বেসিক নিড পূরণ করেই তারপর বলতে হবে। তাই আমাদের দেশে মুসলমানদের যত্রতত্র প্রকাশ্যে পশু জবাইয়ের উপর ধর্মীয় প্রভাবের চাইতে অর্থনৈতিক প্রভাব বেশী দায়ী।
কুরবানি নিয়ে আমার পড়া সেরা লেখা… লুক্স ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মংস না খেলেও কিন্তু চলে। বিশেষ করে উপমহাদেশের মত গরম প্রধান দেশে।এমনকি আমরা মংস খাওয়া সম্পূর্ণ ত্যাগ না করেও আনেকটা কমাতেই পারি। আসলে পশু হত্যা করা বা না করার আগে, অন্য পশুদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গির একটু বদল হওয়া দরকার। পশুরা শুধুই খাদ্য নয়। আমাদের মত তাদের প্রাণ আছে।আবার সব পশুই সমান নয়। পোকা বা ডিম খাওয়া আর গরু বা তিমি খাওয়া এক নয়। ছাগল, গরু এই সব “উন্নত” পশুদের সুখ-দুঃখের বোধ আছে। ভালোবাসার বোধ আছে। আমি একবার এক গরুর দিনের পর দিন নিজের মৃত সন্তানের জন্য কান্না শুনেছি। তা মানব জগতে সন্তান হারার জ্বালা মতই বলে মনে হয়েছে। এদের কে স্রেফ মাংস হিসাবে দেখাটা কি ঠিক?
আর ধর্মীয় কারণে এই সব উন্নত প্রাণীদের হত্যা ত আরই খারাপ। নিজের পুণ্যের জন্য একটা সুন্দর প্রাণীকে জবাই /বলি দেওয়া। কোরবানি যদি দিতেই হয় দিন না নিজের কোন কু অভ্যাসের কোরবানি! বা কেনই না কিজের মাইনে “কোরবানি” দিয়ে অন্য কারুকে একটু সাহায্য করলেন।
কথা হচ্ছে আমরা যখন পশু হত্যা করি সত্যিই কি বেচে থাকার জন্যে করি? আমার মনে হয় সভ্য জগতে যত প্রাণী হত্যা করা হয় তার বেশীর ভাগ টাই এভয়ডেবেল। এই পৃথিবীর উপর যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছি আমরা, কারণ আমরা সব চেয়ে বেশী শক্তিশালী। কখন ধর্মীও কারণ, কখন বেচে থাকার জন্য প্রয়োজন, কখন আমরা omnivore, যখন যেটা কাজে লাগে আরকি, যুক্তি দিয়ে পশুদের স্রেফ commodity বানিয়ে ফেলেছি। আর তাচ্ছিল্য ত আছেই। ধর্ম বলে মানুষই সেরা, সে ভগবান- ভগবান করতে পারে, বিজ্ঞান মানুষের বুদ্ধির দৌর নিয়েই পাগল। আর আন্য পশুরা কিইবা পারে। না পারে প্রার্থনা করতে, না পারে জ্ঞান চর্চা করতে। তাই তারা যদি means to our end হয়, ক্ষতি কি? গলদ এখানে।
মানে animal rights এর বিষয়ে মন দিই না কেন? কারণ কি, ধার্মিক, কি নাস্তিক দুপক্ষই যে কারণে পশু হত্যা justify করে কনটাতেই তেমন দম নেই।
ধর্ম হোলো এই সকল অনাচারের মূল। কাজেই দেশে দেশে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে প্রকৃত শিক্ষার আলোকে ধর্মান্ধকার দূর হয়। তবেই এই সব বলি, কোরবানি বন্ধ হবে। একটা পরিবেশ বান্ধব শারীরবিজ্ঞান সম্মত সমাজ গড়ে উঠবে।
@মহম্মদ মহসীন, (Y)
মুসল্মান সম্প্রদাই আরম্ভ টা মুহাজের হয়ে বিস্তার টা মুজাহিদ হয়ে ,হত্যা দখল ধর্মের অনুসঙ্ঘ মাত্র ।এখন সমস্যা হোল কিছু বলা যাবে না , বললেই নাস্তিক হবেন ,কাফের মুরতাদ তো অনিবার্য এবং এ কারনে কতল বা হত্যা করা ফরয ।আস্তিক নাস্তিক বিষয় এ একটু পরিবর্তন দরকার ,যারা দেখে বিশ্বাস করে তারা আস্তিক আর যারা নাদেখে বিশ্বাস তারা নাস্তিক । ( যদিও বিশ্বাস মিথ্যার ই নামান্তর )। বলছিলাম হত্যা করা ফরয নিয়ে ,আসলে ধরমান্দরা সৃষ্টিকর্তা কিংবা পরকাল বিশ্বাস করে না । যদি করতো তাহলে মহান আল্লা পাক রোজ হাশরের ময়দান এ আমলনামা দেখে নিজ হাতে বিচার করবেন কুরান শরিফের আইয়াত বিশ্বাস করে মানুষ কে মুরতাদ কাফের বলে হত্যা করতো না ,শুধু তাই না আল্লা রাব্বুল আলামিন ঘুসনা দিয়েছন ,আমি সর্ব সক্তিমান, আসমান জমিন দুনিয়া এবং আখেরাত সব কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে এবং আমি ভঙ্গ করি না অঙ্গীকার ,আমি তওবা কারি কে পছন্দ করি ,যে তওবা করে আমি তার সমস্ত গুণা মাফ করি । মুজাহিদ হতে হলে খুন হত্যা করতে হবে আর এর জন্য পশু হত্যা প্রশিক্ষণ এর অংশ ,বেহেশতের (যেখানে নিসিধদ সব জিনিষ যেমন ৭০ হুর ,সরাবান তহুরা ,আদিগন্ত ভুমির )কথা বলে এ পশু হত্যা করে এর মাধ্যমে জাকাত, ফেত্রা ,দান ,খুএরাত, লিল্লা, সদ্গা ,বাএমুদারাবা ইত্যাদি ফজিলতের কথা বলে মূলধন সংগ্রহ করে ।যার দ্বারা মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে মানুষকে অন্ধ করে সমাজ সভ্যতাকে বিপদ্গামি করছে ।সত্যি কথা বলি আসলে, এবাদত আর ধর্ম এক জিনিষ নয় ,যদি হতো তাহলে দুনিয়ার মানুষ সত্যিকারের মানুষ হতো , যেমন আজানের আওয়াজ কে না শুনেছে এদেশে ,৯৫% মুসল্মানের দেশে কে না যাই নামাজে ? এবাদদকারিরা বলবেন ঘুষ দুর্নীতি ,লোট তরাজ ধর্ষণ রাহাজানি কে করে ?পরকালের ধার্মিকরা তারপরেও কি আপনাদের ধর্ম ভাল জিনিষ বলবেন? লোকজ ধর্ম যদি ভালো হতো তাহলে দুনিয়ার সকল মানুষ এত দিনে মানুষ হতো ,খুনি ধর্ষক বদমাশ চোর ডাকাত কেও হতো না ।
@ফারুক, (Y)
আপনার লেখায় ফিজি দ্বীপের উল্লেখ না দেখে একটু হতাশ হলাম। মানুষ খেকো হিসেবে ওদের জুড়ি মেলা ভার। পরাজিত শ্ত্রুদের ভক্ষন করা ওদের জন্য ছিল একটা অবশ্য পালনীয় ব্যাপার। শ্ত্রু মিত্র সুযোগ পেলে সবাইকে সাবার করত ওরা। আর কাজটি করত ঊতসবের আমেজে, যেমনটি করি আমরা কোরবাণি ঈদে বা অন্য পালা পার্বণে।
ওনেকেরই বমি বমি ভাগ আসবে আরো পুঙ্খানু পুঙ্খ বিবরণ দিলে। কিন্তু প্রশ্ন হলে, এতে অন্যায়টা কোথায়। যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে তো বাধা নেই। তাওলে তার মাংস অপচয় না করে খাওয়া তে দোষ্ টা কোথায়? (আমাদের ধর্মে কি মানুষের মাংস হারাম বলা আছে? আমি জানিনা)
মাংস খাই বলেই জানোয়ার হতে হবে কেন? যার তার মাংস যখন তখন যে ভাগে খুশী খাওয়াটা হল জানোয়ারের কাজ। মানুষের সাথে জানোয়ারের তফাতটা ওখানেই, ওটাই সভ্যতা। নাস্তিক বা আস্তিকের ব্যবধান নয়, সভ্যতা আরা মানবতার ব্যবধান।
@শফি আমীন, ধন্যবাদ। ইন্টারনেট ঘাটলে এরকম নির্ভরযোগ্য উদাহরণ শত শত পাওয়া যায়। সব কি লেখা সম্ভব? তবে আমি সুযোগ পেলে আপনার উদাহরণটা কাজে লগাবো।
সাংবাদিকার কিছু মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে ,উনি মূলত দুষ্টুমি করতে এসেছে আবার প্রথম মন্তব্য পড়ে মনে হতে পারে উনি সিরিয়াসলি ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তিত কিন্তু সবগুলো মন্তব্য এক করলে বুঝা যায় উনি লেখাটি পরেন নাই অথবা পড়ে থাকলেও লেখাটি বুঝতেই পারেন নাই । প্রথমে ভেবেছিলাম তাকে লেখাটি পড়ার অনুরধ করবো বা পুনরায় পড়ার অনুরধ করবো , কিন্তু না তা করার প্রয়োজন নাই । তিনি হাজার বার পড়লেও তাল গাছ তার সীমানায় রাখতে চাইবেন ।
তিনি লেখাটির ভুল তুলে ধরতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাকে প্রশ্ন ও যুক্তি উথাপন করতে বলা হলেও তিনি পিছলিয়ে অন্য দিকে চলে গেছেন এবং অস্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে গেছেন । কিন্তু ভুল প্রমান করতে বা দেখাতে পারেন নাই ।
ফেসবুকে একটি পরিচিত কথা আছে ” ত্যানা প্যাঁচানো” , এখানে উনি সেই কাজটি সুন্দর ভাবে করেছেন । যা তাকে হাসি পাত্রে পরিণত করেছেন মাত্র । :lotpot:
যাই হোক , লেখাটি বেশ ভাল লেগেছে তবে আর বড় বিস্তারিত হলে ভাল হতো । অন্তত পরে এই নিয়ে আর কিছু জানতে চাচ্ছি লেখকের কাছ থেকে । (Y)
মনে করুন কোরাণে এমন বিধান আছে যে , যিনি /যারা কোরবানি দেবেন তিনি /তাঁরা ঐ মাংস খেতে পাবেন না, তাঁর / তাঁদের পরিবার পরিজন কেউ ওই মাংস খেতে পাবেন না । কারণ সেই পশুটি ছিলো তাঁর/তাঁদের প্রিয়তম।প্রিয়জনের মাংস খাওয়া আমার মনে হয় পশুরও অধম কার্য্য হবে। তা এই কোরবানির মাংস কারা খাবে ? যার কাছ থেকে ওই কোরবানি দাতা কোনও রকম সুবিধা পায়না বা পাবেও না। তাহলেও বোধহয় কিছুটা আত্মত্যাগ হচ্ছে বলে বোঝা যায় । নাহলে প্রিয় পশু হত্যা করাটা কি করে স্যাক্রিফাইস হয় তা আমি বুঝতে পারিনা।নিজে বেঁচে থাকবো আর নিজের সন্তানকে কোরবানি দেবো এটা চরম স্বার্থপরতা। আর দেখুন একটা দেশের নিয়ম কানুন ! কেউ মনে করলো নিজের ছেলেকে বলি দেবো অমনি সে তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলো! কি ভয়ংকর ব্যাপার। এই রকম থাকলে এখন তো অনেক পরিবারই বধু কোরবানি দিতো তাহলে প্রতি ভোরে সংবাদ পত্র খুলেই বধুনির্যাতন শেষে বধু হত্যার খবের পড়তে হতো না। তখন আমরা শুনতাম ঈদুল আযহায় ***শত গৃহবধূ কোরবানি হয়েছে আর সেই দ্ররশ্য দেখে আমরাও কত নেকি লাভ করতাম, হায় সে রামও নেই আর সেই রাম রাজত্বও নেই।
@মহম্মদ মহসীন, দেরী হয়ে গেছে। আপনি দেড় হাজার বছর আগে মুহম্মদকে এই কথাটা মনে করিয়ে দিলে, তিনি কোরানে এই কথাটা অবশ্যই লিখে দিতেন।
দেশে তো বুদ্ধিজীবির অভাব নেই। নামের নয়, কাজের মুসলমানদের ভেতরে এই বুদ্ধিজীবি জাতটা খুজে পাওয়া দুস্কর। কাজেই বুদ্ধিজীবিরা ইসলামের বিপক্ষে না হলেও, পক্ষে কখনো থেকেন না। এরা রাজনীতিবিদদের মতন লাগামহীন কথা বলে দুর্নাম কামায় না। তাদের কথা বলার একটা বিশেষ ধরন আছে। এরা প্রথমে জানান দেয় যে তারা কিন্তু যা বলছে সেটা ঠিক, বরং আপনিই এতকাল ভুল জানতেন। এর পরে দীর্ধ সময় ধরে প্রাসঙ্গিক/অপ্রাসঙ্গিক অজানা, অদ্ভুত তথ্য দিয়ে নিজের জ্ঞান জাহির করে। এর পরে শেষে তার মতবাদ প্রতিস্টা করে সমাজের কল্যান বয়ে আনার ভান করে। আপনি যে কোন বুধিজীবির লেখা দেখে আমার কথাটা মিলিয়ে নিবেন।
এই পোস্টের লেখাটাও একটি বুদ্ধিজীবি লেখা। এটা ওই বিশেষ ধরন অনুসরন করেই লেখা হয়েছে। কবে, কোথায়, কে, মানুষ খায়, রক্ত খায়, কাচা মাংশ খায় ইত্যাদী বিষয়ে নিজের জ্ঞান জাহির করেই তিনি এসেছেন মুল কথাতে।
তার মুল কথা হল –
যে জিনিসটা লেখকের ও পাঠকদের চোখে পড়েনিঃ
– পশিমা দেশে যেখানে জবাই নিষিদ্ধ সেসব দেশে কিন্তু মুসলমানেরা কোরবানী প্রকাশ্যে দেয়না বা দিতে পারেনা। তারা এটা প্রকাশ্যে করতে চায়ও না। অনেক পশ্চিমা দেশেই প্রকাশ্যে বোরখা পরার দাবী এসেছে মুসলমানদের কাছ থেকে। কিন্তু দুনিয়ার কোথাও, কখনো প্রকাশ্য কোরবানী (জবাই) করার দাবী আসেনি। অর্থাৎ প্রকাশ্যে কোরবানী করাটা কোন ইসলামিক নিয়ম নয়। কোরবানী করাটা হল আসল কথা। সেটা প্রকাশ্যে বা গোপনে যাই হোক না কেন।
– কোরবানীর ঈদে যে কয়টা গরু-ছাগল জবাই করা হয়, তার চেয়ে কয়েক গুন বেশী মুরগী জবাই করা হয় রোজার ঈদে। মুরগীগুলো সবাই আড়ালেই জবাই করে। কারন সেটা ছোট এবং সামলানো সহজ। গরুর মতন বড় প্রানী তো আর ঘরের মধ্যে জবাই করে মাংশ কাটা যায় না। কাজেই ঘরের বাইরে বের হতে হয়। শহরে তো মানুষ বাস করে ইট পাথরের জঙ্গলের ভেতরে। এখানে তো কোন ফাকা জায়গা নেই। গরু রাস্তায় এনে জবাই করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যাদের পর্যাপ্ত যায়গা আছে তারা আড়ালেই জবাই করে।
– দেশে জবাই করার প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কোন না থাকলেও সেই কাজে নিয়োজিত আছে প্রধানত মৌলভী সাহেবেরা। তারা এই কাজ করতে করতে শিখে গেছে। একজন সাধারন মানুষের, এই গরুর গলা কেটে অভ্যাস নেই। তারা এই কাজের জন্য মৌলবী সাহেবের উপরে নির্ভশীল । তাই কোরবানীর জন্য, সাধারন মানুষ গলাকাটার অভ্যাস হয় না। এই গলা কাটার অভ্যাস হয় মৌলভী সাহেবদের। লেখকের কথামতন, এই অভ্যাস বাড়তে বাড়তে যদি মানূষ খুনে রূপ নিতো তাহলে নেষাখোর ও দুঃচরিত্রের লোকদেরকে ছাড়িয়ে গিয়ে, মৌলভী সাহেবেরাই দাগী আসামী ও সন্ত্রাসী হয়ে জেলে যেতো।
@এস এম এলিট, প্রথমেই ধন্যবাদ আমাকে ”বুদ্ধিজীবি”র দলে ফেলার জন্য। কাল্পনিক আল্লাহয় বিশ্বাসী আর ইব্রাহীমের ৪ হাজার বছরের আগের বর্বর কোরবানী প্রথার অনুসারী ধার্মিকরা সাধারণত আমাকে ”বুদ্ধিহীন”দের দলে ফেলে।
আপনি বলেছেন-
আপনি না জেনেই মন্তব্য করেছেন। মুসলমানরা সব সময়ই তাদের নিজেদের আয়োজনে কোরবানী দেবার সুযোগ আদায়ের জন্য ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের কাছে চিঠি লিখে যাচ্ছে। কারন, প্রচলিত পদ্ধতিতে কোরবানী দিলে মুসলমানরা দেখারই সুযোগ পায়না- গরু বা ছাগলটা কে এবং কিভাবে জবাই করলো। আদৌ জবাই করলো, নাকি একজন কসাই একাই একটা বিশাল গরু ইলেট্রিক শক্ দিয়ে হত্যা করার পর মাংস আলাদা করলো। তারা এটাও নিশ্চিত হতে চায় যে- একজন মুসলমান কসাই দোয়া দুরুদ পড়ে গরুটা জবাই করুক। যেটা বেশীর ভাগ কসাইখানাতেই নাই। একুযগ আগে, ইতালীতে মুসলমানরা আন্দোলন করে মাঠে কোরবানী দেবার সুযোগ আদায় করেছিল। পরে ইতালিয়ান সরকার তাদেরকে দ্বিতীয়বার আর এই সুযোগ দেয়নি। কারন কোরবানী দেবার পর তারা রক্ত আর নাড়ী ভূড়ি পরিস্কার করে রেখে যায়নি। আমি নিজে তখন রোমে ছিলাম। এখনো জার্মানীতে আমার এলাকার মুসলমানরা তাদের মসজিদ এলাকায় কোরবানী দেবার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেই যাচ্ছে।
কমেন্টের আগের অংশে আপনি বলেছেন ///কিন্তু দুনিয়ার কোথাও, কখনো প্রকাশ্য কোরবানী (জবাই) করার দাবী আসেনি। ///
এবার আমিও আপনাকে প্রশ্ন করতেই পারি,- বাংলাদেশের মুসলমানরা নির্দিষ্ট আর পরিকল্পিত কসাইখানার জন্যও কি সরকারের কাছে দাবী বা আন্দোলন করেছে?
(অবশ্য আমি কাল্পনিক ঈশ্বরে বিশ্বাস আর ইব্রাহীমের ৪ হাজার বছর আগের দূঃস্বপ্নের মূল্য দিতে গিয়ে ইসলামী কোরবানী প্রথা বন্ধের দাবী জানাই।)
ভালো কথা বলেছেন। বাংলাদেশে এবং সমগ্র বিশ্বে এরকম মৌলভী সাহেবদের সংখ্যা কত? মাদ্রাসায় পড়ে এবং প্রতি বছর পাশ করে বের হয়- এরকম মৌলভী সাহেবদের সংখ্যা কত? ধর্মানুভূতিতে আঘাত পেয়ে কথায় কথায় রাস্তায় লাঠি-সোটা, সেন্ডেল আর আগুন হাতে ধ্বংস লিলায় মাতে- এরকম মৌলভী সাহেবদের সংখ্যা কত? শুধু আইসিসে-ই যোগ দিয়ে মাথা কাটতেছে ৩২ হাজার শিক্ষিত মৌলভী সাহেব। এবার ভাবেন, ইসলাম বিশ্বে কত কোটি মৌলভী সাহেব তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে?
৪ হাজার বছর আগের কোনো এক ধর্ম ব্যাবসায়ীর পশু বিক্রীর চক্রান্ত সফল করতে রচিত তার দূঃস্বপ্নের নাটককে সভ্য বিশ্বে আজীবন লালন করতে কল্পনিক ঈশ্বরের নামে বর্বর কোরবানী প্রথার পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করা আপনাকে একজন ”বুদ্ধীজীবি” আর ”বুদ্ধীহীন” এর সঠিক নির্ণায়ক হিসেবে মেনে নিতে ভরসা পাচ্ছি না। ক্ষমা করবেন।
অভ্র দিয়ে লিখলে যা হয়, কয়েকটি বানান ভুল হয়ে গেলো। দুঃখিত ।
লেখাটি ভালো লাগলো। খুবই প্রাসঙ্গিক এবং সথক সময়ে লেখা। ছোট লেখার মধ্যেও আপনি সমস্যা টি তুলে ধরেছেন। আমাদের মাঝে সব সময়েই, কিছু বন্ধু বান্ধব আছেন, যারা যেকোনো ইস্যুতে, ভিন্ন একটি যুক্তি তুলে ধরে বলবেন, অইটা যদি হয়, তাহলে এইটার সমস্যা কি?
অর্থাৎ, পশ্চিমাদের রেস্তরা ব্যবসায় যদি মাংস বিক্রি হয় তাহলে মুসলমানদের কুরবানীর কি সমস্যা? কিম্বা অমুকে যদি একটি অগ্রহণযোগ্য কাজ করে, তাহলে আমার করতে সমস্যা কি? ইত্যাদি নানান জাতীয় যুক্তি।
সবচাইতে আগ্রহউদ্দিপক হচ্ছে, মুসলমানদের কুরবানী কে যদি কেউ “ন্যাচারাল ব্যালান্স” বলতে চান, তাহলে বলতেই হয় যে, তার বুদ্ধিবৃত্তিতে “নেচার” এর বয়স হচ্ছে ১৪০০ বছর, এর আগে “নেচার” প্রায় ধ্বংস হয়ে জাচ্ছিল ব্যালেন্স এর অভাবে, কেবল মুসলমানদের কুরবানী প্রথা এসে কোনও মতে সেই “ব্যালান্স” টিকে রক্ষা করলো।
আহা কি বাঁচাটাই না বেঁচে গেলো “নেচার” …… !
সরি, ওমর ফারুক লুক্স ভাই, একটু ভিন্ন রকমের মন্তব্য করলাম।
@মুহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একটি সত্য গল্প
তখন আমি পড়ি ক্লাস এইটে। ঐ বছর আমাদেরকে ঘরের গরু দিয়েই কোরবানীর ঈদ করতে হয়েছিল। মনে পড়ছে না ঠিক কি কারণে কোরবাণী দেয়ার জন্যে হাট থেকে গরু কিনতে পারি নি। তাই নিরুপায় হয়েই ঘরের গরু দিয়ে ঈদ করার সিদ্ধান্ত হয়।
গরু ছিল আমার বাবার ধ্যান জ্ঞান। স্কুল থেকে ফিরে তাঁর প্রথম কাজ ছিল গরুকে কুড়া খাওয়ানো। কাপড়-চোপড় পর্যন্ত ছাড়তো না। বাড়িতে গরুর দেখাশোনার জন্য রাখাল থাকলেও তার উপর ভরসা করতো না। আপন পুত্রের মতন যত্ন নিত। আর গরুটা যেন প্রতিদিন আব্বার স্কুল থেকে ফেরার অপেক্ষায় থাকত। সাইকেলের বেলের আওয়াজ পেলে সে হাম্বা হাম্বা করা শুরু করত। যেন নালিশ করছে- তোমার রাখাল আমাকে আজ ঠিক ভাবে খাওয়াই নি।
চোখে ভাসছে- উঠোনে সাইকেল। খড়ের গাদার পাশে খুঁটিতে বাঁধা গরু। গরু খুড়া খাচ্ছে। আব্বা শার্ট-প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় তাকে খাওয়াচ্ছে। আর মুখে হাত ঠেস এক দৃষ্টে চেয়ে আছে তার পানে। আর আমিও পড়ার টেবিলে বসে তাদের ভালোবাসার কাণ্ড দেখি। কিছু সময়ের জন্য মনে হয় গরুটি আমারই মতন আমার বাবার পুত্র।
ঈদের দিন সকাল বেলা। বাড়ীর উত্তর ভিটায় সবাই প্রস্তুত। হুজুর সবাইকে দোয়া দরুদ পড়াচ্ছেন। আর সবাই সবলে গরুটিকে ঠেলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে মাটিতে পা গেঁথে রেখে প্রবল ভাবে না যাওয়ার চেষ্টা করছিল। লক্ষ্য করলাম, বাবা গরুটিকে ঠেললেও, সেরকম ভাবে জোড় দিচ্ছেল না। শেষ পর্যন্ত আমার বাবা গাছের একটি ঢাল নিয়ে তাকে মারতে শুরু করল। আর ঠেলে নিয়ে যেতে লাগল। লক্ষ্য করলাম বাবার চোখে জল। বাবা কাঁদছে। গরুর চোখ দিয়েও অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। আর সে উচ্চ স্বরে ডাকছে। যেন সে বাবাকে বলছে- তুমি প্রতারক, তুমি নিষ্ঠুর। তুমি আমার কেউ নও।
তার জায়গায় কেন জানি নিজেকে কল্পনায় এল। বাবা আমাকে মেরে মেরে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে উত্তর ভিটায়। সেখানে হুজুর সাহেব ধাঁরালো কিরিছ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
অনেক বছর ধরে আমি গরু কোরবানীর দৃশ্য দেখি না।
@saiful kayes, ধন্যবাদ আপনার পারিবারিক গল্পটি শেয়ার করার জন্য। গৃহপালিত পশু পরিবারের সদস্য হয়ে যায়- এটাই স্বাভাবিক।
মুক্তমনার অন্যতম একটি ব্যাপার হল – এখানকার বেশিরভাগ লেখাই হয় “ঘাঁটাঘাঁটি” নয়ত “দীর্ঘ সময়ের ভাবনা” এর ফসল। তবে মাঝে মাঝে এমন সব লেখা পড়তে হয় মনে হয় যেন “ব্লগ জগতের কোন এক জায়গায়” চলে এসেছি…… ঐ টাইপের প্ল্যাট ফর্মের অবশ্যই প্রয়োজন আছে যার আবেদন ভিন্ন। মুক্তমনার টাইপও ভিন্ন এর উদ্দেশ্যও ভিন্ন… সব মিশেয়ে ফেললে তবে কাদা হয়ে যাবে…
লেখক যাই বলেছেন…… আমি কোন তর্কে যেতে চাইনা। শুধু বলতে চাই – আমার আশেপাশের মুসলিম ধর্মের “সিলেক্টিভ” ধর্ম পালন “তাদের নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী” দেখে শুধু মনে মনে বলি হায়রে হিপোক্রেসী!! মনে হচ্ছে এমন “কোগ্নিটিভ সিলেকশন” কারী ব্যাক্তি সব গ্রুপেই আছে!!!!
লেখকের আরো ঘাঁটাঘাঁটি করে লেখা উচিত ছিল —
কয়েকটি ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার…
hidden video on animal being killed in the meat industry – from farm to
https://www.youtube.com/watch?v=XXq3u4sPBW4
আর যারা শুধু এবং শুধু প্রাণ হত্যার বিরুদ্ধে যেয়ে প্রাণী ভক্ষণ ক্রেনা তাঁদের জন্য –
https://www.youtube.com/watch?v=fGLABm7jJ-Y
আসলে বাগাড়ম্বর না ক রে আমাদের সবার “ন্যাচারাল ব্যালেন্স” কিংবা “ব্যালেন্স অফ ন্যাচার” এর উপর বেশি জোর দেওয়া উচিত।
পরিশেষে বলি – বেশি বেশি শাক সবজি খান সুস্থ থাকুন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=XXq3u4sPBW4
@সংবাদিকা, আপনি অনেক ঘাটাঘাটি করেছেন ঠিকই, কিন্তু আমার লেখাটাই ঠিক ভাবে পড়েন নি। এখানে পশু হত্যার বিরুদ্ধে আমি কোন্ বাক্য বা শব্দগুলো লিখেছি, দয়া করে তা কপি-পেষ্ট করে দিয়ে পরের কমেন্টটা করবেন।
@ওমর ফারুক লুক্স,
আপনার লেখাতে কিছু মিস ইনফরমেশন এবং কন্ট্র্যাডিক্টরি বাক্য আছে…
আপনারটি সহ মুক্তমনার আজকের প্রথম পাতার সবগুলো লেখাই পড়েছি 🙂
ভালো থাকবেন।
@সংবাদিকা, আপনি লিখেছেন ১. ///আর যারা শুধু এবং শুধু প্রাণ হত্যার বিরুদ্ধে যেয়ে প্রাণী ভক্ষণ ক্রেনা তাঁদের জন্য –///
২. ///আসলে বাগাড়ম্বর না ক রে আমাদের সবার “ন্যাচারাল ব্যালেন্স” কিংবা “ব্যালেন্স অফ ন্যাচার” এর উপর বেশি জোর দেওয়া উচিত। পরিশেষে বলি – বেশি বেশি শাক সবজি খান সুস্থ থাকুন।///
এখন আবার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলছেন,- ///আপনার লেখাতে কিছু মিস ইনফরমেশন এবং কন্ট্র্যাডিক্টরি বাক্য আছে…///
খামাখা কেন পাঠকদের কাছে নিজেকে হাসির পাত্র করে তুলছেন, বুঝলাম না? এখানে পশু হত্যার বিরুদ্ধে আমি কোন্ বাক্য বা শব্দগুলো লিখেছি, তা কপি-পেষ্ট করে দিতে আপনার অসুবিধা কোথায়?
@ওমর ফারুক লুক্স,
আপনি “সভ্য” এবং “সভ্যতা” শব্দটিরই সঠিক ব্যবহার করেননি!! আর কি বলব… বাকি গুলো নাই বললাম। কুয়োট করে দেখাতে বলেছেন… পুরো লেখাটাকে কুয়োট করে কি লাভ 😕
@সংবাদিকা,
তার মানে আপনি বলছেন- আমার পুরো লেখাটাই পশু হত্যার বিরুদ্ধে?
আপনার জন্য আমার দূঃখ হচ্ছে সংবাদিকা। সারাদিন চেষ্টা করলেন লেখাটকে পশু হত্যার বিরুদ্ধে একটা লেখা বলে প্রমাণ করার জন্য। আর এখন নিজেই জানেন না- লেখায় কি ভুল ধরতে চাচ্ছেন।
অপ্রাঙ্গিক এবং অর্থহীন কমেন্ট করে খামাখা নোটিফিকেশন না পাঠানোর জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
@ওমর ফারুক লুক্স, *লেখাটাকে *অপ্রাসঙ্গিক
@ওমর ফারুক লুক্স,
এই সংবাদিকার কথা বাদ দেন। এই লোক মাঝে সাঝেই আমাদের সাইটে আসেন। লেখা না পড়েই লেখক এবং মুক্তমার বিরুদ্ধে কিছু উস্কানিমূলক কথা বলেন, কেউ ‘যাইতা ধরলেই’ বিদায় হন।
উনি নিজে অবশ্য ‘বৌদ্ধ ধর্মে সহিংসতা’ নিয়ে প্রবন্ধ লেখেন, কিন্তু ইসলামী সহিংসতা নিয়ে কেউ প্রবন্ধ লিখলে নিতান্ত বেজার হন। বুঝলেন কিছু?
@অভিজিৎ,
হা হা হা………..
@অভিজিৎ,
“মাঝে মাঝে” শব্দচয়নটি মনে হয় অপপ্রয়োগ 🙂 প্রায়ই আসি। তবে বেশ কয়েকমাস মন্ত্যব্য করা হয়নি কিংবা করিনি। কেননা এখানে আলোচনায় অংশ নেয়াটা গুরুত্বপূর্ন। আর আমি লেখা না পড়ে কক্ষনই মন্তব্য করিনি কিংবা করিনা। এই লেখক “সভ্যতা” শব্দটিরই ভুল প্রয়োগ করেছেন। আরো কতগুলো ভুল তথ্য দিয়েছেন। অযথাই আস্তিক-নাস্তিক শিরোনামে নিয়ে এসেছেন!!!! আমাদের দেশে যেখানে সেখানে পশু জবাই দেওয়া হয় – এটা শুধু অস্বাস্থ্যকর নয় – মানবিকতার দৃষ্টিতেও ঠিক নয়। এই বিষয়টি ব্যাখা করতে গিয়ে উনি…… আর কি!!! অথছ ভালো যুক্তি দিয়ে পুরো বিষয়টি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যেত!!! একটি ভালো এবং গুরুত্বপূর্ন বিষয় যে কেবল এবং কেবল লেখনীর দূর্বলতার জন্য আবেদন হারায় – এই লেখা তার প্রমান।
হা হা… আমার লেখা তাহলে অনেকের মনেই দাগ কাটে 🙂 ইসলামী সহিংসতা নিয়ে লিখলে আমি মোটেও বেজার হইনা। আমি সকল ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে।
@সংবাদিকা,
এ লেখাটাতে কিন্তু লুক্স সাহেব পশু হত্যার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। উনার মূল আর্গুমেন্টটা ছিল কাল্পনিক ঈশ্বরকে সন্ত্তষ্ট করার জন্য প্রকাশ্যে এক দিনে এতো পশুহত্যা বা রক্তের উৎসব সত্যই দরকার কিনা এ নিয়ে। আপনি এ ব্যাপারটা না বুঝে একেবারে ইউটিউব থেকে ভিডিও ফিডিও দিয়ে মন্তব্য করেছেন – “যারা শুধু এবং শুধু প্রাণ হত্যার বিরুদ্ধে যেয়ে প্রাণী ভক্ষণ ক্রেনা” ইত্যাদি বলে। আপনার মন্তব্য থেকেই পাঠকেরা বুঝেছেন যে আপনি হয় লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েননি, কিংবা প্রসংগ ভিন্নদিকে নিয়ে গেছেন।
এটা কিন্তু আপনার মন্তব্যের ক্ষেত্রেও খাটে। 🙂
তা বটে 🙂 ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন বলেন, “আই এম নট এ রেসেস্ট, আই হ্যাভ এ লট অফ ব্ল্যক ফ্রেন্ডস” :))
@অভিজিৎদা, অসীম ধৈর্য্য নিয়ে সংবাদিকাকে আবারো যুক্তি এবং প্রাসঙ্গিক-তর্ক সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার অতো ধৈর্য্য নাই। বার বার অযৌক্তিক কমেন্ট এবং অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে আলোচনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টাকে এখন থেকে ইগনোর করবো।
অনেকদিন পরে লিখলেন। আর লিখলেন একতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। আপনার লেখার এই লাইনগুলো বেশ লাগলো –
@অভিজিৎ’দা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
@ওমর ফারুক লুক্স,
অভিজিৎ রায়ের সাথে একমত উদ্ধৃতিটিসহ। তাছাড়া, ফেইস বুকে আপনার করা কথা ধার করে বলছি–
মুসলমানদের কাছে জবাই, রক্ত এবং জবাই রক্ত কাঁচা মাংস কোরবানি বড়ই সুন্দর এবং আনন্দের। সোয়াব আর ধর্মের।
দিনটি যেন “আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে”।
ঈদের দিন সেজন্যই জবাই করা কোটিকোটি গ্যালন লাল তাজা বহমান রক্তের ওপর হেঁটে বেড়ায় নুরানী মনের সাচ্চা মুসলমান ।
মুরুব্বীরা শিশুদের দেখায় জবাই দৃশ্য যাতে বড় হলে তারা রক্ত জবাই দেখে আনন্দ পায় আর জবাই রক্ত এসব স্বাভাবিক আর সুন্দর বলে গন্য করে । এদের মধ্যে যারা বড় হয়ে জ্বিহাদী হবে, সুযোগ পেলে ধর্মযুদ্ধে বিধর্মী মানুষদের কল্লা কাটবে, উল্লাস করবে রক্ত দেখতে দেখতে , তারা যেন সাহসী হয়; সেজন্য এইসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তুলনা দেখিয়ে ভালো করেছেন । দেখেন মুসলমানরা কিন্তু মানুষখেকো যে লেন্দু, ওদের চেয়ে ভালো; যদিও উন্নত বিশ্ব, যেমন ইউরোপের চেয়ে খারাপ; তো তাতে কি, মানুষখেকো লেন্দুদের চেয়ে কিঞ্চিৎ উত্তম বটেক ।
@কাজী রহমান, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।