খুব ছোটবেলায় একবার ডোবাতে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের কামড় খেয়েছিলাম!!!
বাইন মাছ মনে করে কালো কুৎসিত একটি সাপের লেজ চেপে ধরেছিলাম তাই কামড় খেতে হয়েছিলো।
ভাগ্য ভালো সাপটি বিষাক্ত ছিলনা; আর জানামতে বেশী বিষাক্ত সাপ ডোবার পানিতে থাকেনা 🙂
মানুষের সাথে সাপের বসবাস এবং শত্রুতা সেই গুহাযুগ থেকেই; বাইবেলে বলা হয়েছেঃ
আদিপুস্তক অধ্যায় ৩
১ প্রভু ঈশ্বর যত রকম বন্য প্রাণী সৃষ্টি করেছিলেন সে সবগুলোর মধ্যে সাপ সবচেয়ে চালাক ছিল। সাপ সেই নারীর সঙ্গে একটা চালাকি করতে চাইল।………………
১৪ সুতরাং প্রভু ঈশ্বর সাপটাকে বললেন,“তুমি ভীষণ খারাপ কাজ করেছ; তার ফলে তোমার খারাপ হবে। অন্যান্য পশুর চেয়ে তোমার পক্ষে বেশী খারাপ হবে। সমস্ত জীবন তুমি বুকে হেঁটে চলবে আর মাটির ধুলো খাবে।
১৫ তোমার এবং নারীর মধ্যে আমি শত্রুতা আনব এবং তার সন্তানসন্ততি এবং তোমার সন্তান সন্ততির মধ্যে এই শত্রুতা বয়ে চলবে। তুমি কামড় দেবে তার সন্তানের পায়ে কিন্তু সে তোমার মাথা চূর্ণ করবে।”
গুহা মানবদের আঁকা বিভিন্ন গুহাচিত্রে আমরা সাপের সাথে মানুষের সম্পর্কের নানা চিত্র দেখতে পাই।
একটা সময় ছিল যখন বিষাক্ত সাপের কামড় মানে ছিল নির্ঘাত মৃত্যু; কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে আমরা সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুহার অনেকাংশে কমিয়ে এনেছি।
কিছুদিন পূর্বেও সাপের কামড়ের একমাত্র চিকিৎসা ছিল ঝাড়ফুঁক ওঝা এবং দুধ ও গোবর থেকে দূরে থাকা।
সময়ের সাথে সাথে আবিষ্কার হয়েছে এন্টি ভেনম; সাপের কামড়ে এখন আর অত বেশী মানুষ মড়ে না যতটা ১৫০ বছর আগেও কল্পনা করা যেত না।
সাপের ভেনমের এন্টি ভেনমের কথা বলতে গেলে সবার আগে যার নাম আসে তিনি হলেন ফ্রান্সের ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী আলবার্ট ক্যালমেট। পরবর্তীতে লুই পাস্তুর সেটার উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন।
১৮৯০ সালে আবিষ্কৃত সেই পদ্ধতিতে এখনো বাণিজ্যিক ভাবে এন্টি ভেনম উৎপাদন করা হয়।
ছবিঃ বামে Albert Calmette এবং ডানে Louis Pasteur
এবার আসুন কিভাবে এন্টি ভেনম তৈরি করা হয় সংক্ষেপে সে সম্পর্কে জানি।
###প্রথম ধাপ- সাপের বিষ সংগ্রহঃ
যে সাপের বিষের এন্টি ভেনম তৈরি করতে হবে প্রথমে সেই সাপের বিষ সংগ্রহ করা হয়।
প্রত্যেক সাপের বিষ আলাদা ধরনের তাই এক সাপের বিষের এন্টি ভেনম অন্য সাপের বিষ ধ্বংস করতে পারেনা।
একটি পাত্রের মুখে কাগজ বা প্লাস্টিক আটকে সেখানে সাপের দাঁত ঢুকিয়ে দিলে ফোঁটায় ফোঁটায় সাপের বিষ ঝরে পড়ে। একই সাপ হতে এভাবে সপ্তাহে একবার পূর্ণ পরিমানে বিষ পাওয়া যায়।
সাপের বিষ সংগ্রহ করা একটি শিল্প। জংলী সাপের বিষ থেকেই পূর্বে বিষ সংগ্রহ করা হত। কিন্তু ব্যাপক চাহিদার কারনে আজকাল বিষের জন্য সাপের খামার রয়েছে বিভিন্ন দেশে।
পাশের দেশ ভারতে বেশ বড় আকারের কিছু সাপের খামার রয়েছে।
বাংলাদেশে এমন খামার এখনো তেমন নেই; সম্ভবত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সাপ পালন এখনো তেমন একটা প্রসার লাভ করেনি বাংলাদেশে।
###দ্বিতীয় ধাপ- ভেনম ফ্রিজিংঃ
মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জমিয়ে ফেললে বিষ থেকে জলীয় অংশ আলাদা হয়ে সাপের বিষ গুড়ো পাউডারে রূপান্তরিত হয়। একটি সাপ থেকে খুব অল্প পরিমানেই পাউডার পাওয়া যায়; তাই সাপের বিষের গুড়ো সোনার মতনই দামী। অন্য আর ১০ টি দেশের মতন বাংলাদেশ থেকেও বিপুল পরিমানে সাপের বিষের গুড়ো বিদেশে পাচার হয়ে যায়; মাঝে মধ্যে যখন সীমান্তে বিষ আটক হয় তখনি বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। বাকী সময় তা থেকে যায় আমাদের চোখের আড়ালে।
###তৃতীয় ধাপ- ঘোড়ার শরীরে এন্টি ভেনম উৎপাদনঃ
এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিছুটা ঝক্কির কাজও বটে। তাই সব দেশে এন্টি ভেনম উৎপাদন হয়না; সম্ভবও নয়।
প্রথমে মূলনীতি জেনে নেই।
সকল প্রাণীরই বাইরে থেকে আসা উটকো সমস্যা গুলো থেকে মুক্তির নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাবস্থা রয়েছে।
আমাদের শরীরে বাইরে থেকে কোন রোগ জীবাণু প্রবেশ করলে শরীর নিজে থেকেই তার অ্যান্টিবডি তৈরি করে নেয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য; সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে তার প্রতিবিষ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের তেমন নেই।
পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক প্রাণী নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রতিরোধের অসুধ তৈরি করতে পারে।
যেমনঃ গাধা, ভেড়া, ছাগল, খরগোশ, বেজি, মুরগী, উট, ঘোড়া, হাঙ্গর!!!
বেশী রক্ত এবং অনেকদিন বাঁচে আর বারবার ব্যবহার করা যায় বলে বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে এন্টি ভেনম উৎপাদনের জন্য ঘোড়ার ব্যাবহার সর্বাধিক; তবে হাঙ্গরের ব্যাবহার সবচাইতে কার্যকর হওয়া সত্তেও আশা করি কি কারনে হাঙ্গরের চাইতে ঘোড়ার ব্যাবহার বেশী করা হয় সেটা আর বলে দিতে হবেনা।
এবার আসুন ঘোড়ার থেকে কিভাবে এন্টি ভেনম উৎপাদন হয় সেটা জানি।
সাপের কামড়ে কখনোই ঘোড়া মড়ে না; তা একটি সাপ কামড়াক কিংবা ১০ টি সাপ।
খামারে ঘোড়াকে পূর্বে সংগ্রহ করা সাপের বিষ ইনজেকশনের মাধ্যমে ধমনীতে প্রবেশ করানো হয়। এত ঘোড়া মড়ে না; বরং তার শরীরে এন্টি ভেনম উৎপাদন শুরু হয়ে যায়।
প্রায় ৩ দিন ঘোড়াটি অসুস্থ থাকে; আমাদের যেমন জ্বর হয় অনেকটা তেমন। ৩-৪ দিন পর ঘোড়াটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। তার শরীরের সমস্ত বিষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে ততদিনে।
এখন এই ঘোড়াকে একই জাতীয় অন্য কোন সাপ কাম্রালে তার শরীরে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
###চতুর্থ ধাপ- ঘোড়ার রক্ত থেকে এন্টি ভেনম আলাদাকরনঃ
ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। ঘোড়া বেশ স্বাস্থ্যবান এবং অনেক রক্ত থাকে বলে বেশ ভালো পরিমানে রক্ত নিলেও (গড়ে প্রতি ঘোড়া থেকে প্রায় ৬ লিটার রক্ত নেয়া হয়) ঘোড়ার তেমন ক্ষতি হয়না। এখন এই এন্টি ভেনমের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে শিশিতে ভড়ে বাজারে সরবরাহ করা হয়।
চিকেন পক্সের এন্টিবডি এবং সাপের বিষের এন্টি ভেনমের মূলনীতি প্রায় একই। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীর; আর সাপের বিষের ক্ষেত্রে সেটি তৈরি হয় ঘোড়ার শরীরে। এই এন্টি ভেনম সাপে কাটা রুগির শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টি ভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রুগির জীবন বাচায়। বছরের হাজার হাজার মানুষের জীবন এই এন্টি ভেনমের কারনে বেঁচে যায়।
কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং দাম দুর্মূল্য হওয়ার কারনে সকল সাপে কাটা রুগির ভাগ্যে এন্টি ভেনমের আশীর্বাদ জোটে না; অপচিকিসার কারনে পৃথিবীতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সাপের কামড়ে জীবন হারান। এন্টি ভেনম সবসময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সংরক্ষণ করতে হয় বলে সবসময় সবজায়গায় সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়না।
এবার সিরিয়াস কথা থেকে একটু ফানের দিকে যাই 🙂
এন্টি ভেনমের প্রতি ফাইলের দাম প্রায় ১৫০০ ডলার; ক্ষেত্র বিশেষে শরীরের সকল বিষ প্রশমিত করতে ২০-৩০ ফাইল এন্টি ভেনম লেগে যায়।
যারা চিন্তা করছেন এত টাকা পাবো কই তাদের সামনে ২ টি রাস্তা রয়েছে।
###০১ প্রতিদিন শরীরে একটু একটু করে সাপের বিষ গ্রহণ করুন; একটা সময়ে আপনার শরীরে এন্টি ভেনমের মাত্রা এমন হয়ে যাবে যে আপনার শরীরে আর সাপের বিষ কাজ করবে না। জি কথাটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। মানুষ খুব অল্প মাত্রায় এন্টি ভেনম তৈরি করতে পারে তার শরীরে। জমতে জমতে হয়তো একদিন ২০-৩০ ফাইলের সমান হবে। আজ থেকেই শুরু করুন।
###০২ যীশুকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে একজন পিওর খৃস্টান হয়ে জান!!!
ভাবছেন ঠাট্টা করছি???
না ঠাট্টা নয়; বাইবেলে এমনটা লেখা আছে মার্ক ১৬ অধ্যায় ১৭-১৮ পদে
যীশু বলেছেনঃ
১৭ যাঁরা বিশ্বাস করবে এই চিহ্নগুলি তাদের অনুবর্তী হবে। আমার নামে তারা ভূত তাড়াবে; নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে;
১৮ হাতে করে সাপ তুলবে এবং মারাত্মক কিছু খেলেও তাদের কোন ক্ষতি হবে না; আর তারা অসুস্থ লোকের ওপর হাত রাখলে তারা সুস্থ হবে।’
অর্থাৎ এন্টি ভেনম ঠেনমের দরকার নেই; যীশুতে বিশ্বাস করুন তবেই সাপ আর কখনোই আপনাকে কামড়াবে না; হাতে তুলে নাচালেও না।
এবং তার নামেই যখন অসুস্থ রুগী ধরুন সাপে কাটা রুগীকে সাড়াতে পারেন তবে এত টাকা খরচ করে এন্টি ভেনম কেনার দরকারটা কি???
একটি বাইবেল কিনুন এবং সকল ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত থাকুন 🙂
সাপ নিয়ে এমন সুন্দর সুন্দর রহস্যজনক তথ্য আরও বেশি জানতে চাই।
সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরির জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে এবং অনেক প্রতিষেধক তৈরীও হয়েছে। এমন প্রাণী সম্পর্কে আমাদের আরও জানতে হবে।
ধন্যবাদ নিলয়। বেশ আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার নিয়ে লেখেছেন।
আমার এ বিষয়ে আগ্রহ আছে।
সাপ, বিচ্ছু , মাকড়, শামুক এসব প্রাণীর কিছু প্রজাতি বিষাক্ত, অর্থাৎ তারা বিষ ধারণ করে। কোনো কোনোটা আবার এত বিষাক্ত যে এর বিবরণ শুনলে লোম খাঁড়া হয়ে যায়। এই বিষের উৎস কী? ঠিক কিভাবে কিছু প্রাণী বিষাক্ত হয়ে উঠল এবং কেন শুধু কিছু প্রাণী বিষাক্ত হল অন্যগুলো হয়নি? এর মাধ্যমে এই প্রাণীদের কী লাভ-ক্ষতি হল?
এই ডকুমেন্টারি বেশ সুন্দরভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। আসুন তবে দেখি
httpv://www.youtube.com/watch?v=1W_N_N1ZZ5A
একদম শেষে আপনার উল্লেখিত বাইবেলের বাণীগুলোতে বিশ্বাস করে এখনো কিছু মানুষ মারা যাচ্ছে সাপের দ্বারা উপাসনা করে পরিত্রাণের আশায়, এমনকি সাপের দংশনের পরেও তারা চিকিৎসা না নিয়ে মৃত্যুকেই বরণ করে নেয়। দেখুন
httpv://www.youtube.com/watch?v=95B3WnKwnt8
@সৈকত চৌধুরী, আপনার ভিডিও দুটি আমার লেখাকে শক্তিশালী করলো 🙂
বিবর্তনের এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের এত অহরহ প্রমান আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে তবুও তাতে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস নেই; বিশ্বাস শুধুই বিশ্বাসে।
দুঃখজনক।
কত আজব বিশ্বাসে যে মানুষ বিশ্বাস করে; ভাবতেও লজ্জা লাগে।
ভিডিওর জন্য ধন্যবাদ 🙂
লেখাটি বেশ উপভোগ করলাম। অনেক তথ্য জানা হলো। আমি যতটুকু জানি-
বিষাক্ত সাপের উপরের চোয়ালের দুই পাশে দুইটি দাঁত থাকে (ইনজেক্শনের সুই এর মতো ছিদ্রযুক্ত)। আর অবিষাক্ত সাপের দাঁত থাকে অসংখ্য। কাজেই কারও দেহে কামড় দিলে যদি সামান্য দূরত্বে দুইটা ছিদ্র তৈরী হয়, তবে নিশ্চিত হতে হবে- সাপটি বিষাক্ত। আর যদি অসংখ্য ছিদ্র থাকে তবে বুঝতে হবে- সাপটি অবিষাক্ত। আমার জানামতে, সাপুড়ে/ওঝারা সেই সকল রোগীকেই বাঁচাতে পারে, যাদের অবিষাক্ত সাপে কামড়ায়।
লেখায় ভেনম এবং এন্টি ভেনমের রাসায়নিক গঠন , বিষ নিষ্ক্রিয় হবার রাসায়নিক পদ্ধতি সংক্রান্ত কোন বিষয় আলোচনা হয়নি। আশা করি নতুন কোন পোস্টে এসকল বিষয় জানতে পারবো।
ধন্যবাদ জনাব এস এম নিলয় কে।
@বাকীদুল ইসলাম,
জি সেটাই হল ওঝার কেরামতি; আমি মনে করি ওঝারা যাদের বাঁচাতে সক্ষম হয় তাদের ওঝা ছাড়াও বেঁচে যাওয়ার কথা।
লেখাটি সরল রাখতে ওদিকে আর যাইনি। সময় করে পর্ব ২ কখনো লেখা হলে আপনার সাজেশন মাথায় রাখবো 🙂
আসলে ওই বিষয়ে আমার আপাতত কোন জ্ঞান নেই; আগে নিজেকে পড়ে শিখতে হবে তারপর লেখার চিন্তা আসবে 🙂
আমার লেখাপড়া কিন্তু রসায়ন নিয়েই। তাই বিষয়টা শিখতে বেশী বেগ পেতে হবেনা বলেই মনে করি 🙂
আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
@এম এস নিলয়,ভাই দারুণ লেখা। অনেক কিছু জানলাম যা জানতাম না। সাপ সম্বন্ধে আমাদের রয়েছে অনেক অজ্ঞতা। শুনেছি সাপ তরল পদার্থ খেতে পারে না, সাপের স্মৃতি শক্তি নেই তবু সমাজে গল্প প্রচলিত আছে গোহালে ঢুকে সাপ রোজ গরুর দুধ খেয়ে যায়! আঘাত পেলে প্রতিশোধ পরায়ন বিষাক্ত সাপ রাতে বাড়ি চিনে এসে কামড়ে যায়!
ভিন্নধর্মী লেখা ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
@সুষুপ্ত পাঠক, কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
খুব ভাল লেগেছে ভাই……
অনেক তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ….
@রিয়াদ হোসেন, কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ 🙂
তথ্য সমৃদ্ধ দুর্দান্ত একটি পোস্ট। বলার ভঙ্গিও সাবলীল।
(Y)
@দেব প্রসাদ দেবু, ধন্যবাদ 🙂
ইন্টারেষ্টিং লেখা। যদিও ধর্ম টেনে আনা লেখাটির মান কিছুটা হলেও নামিয়েছে মনে করি।
সাপের বিষ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ছিল। কিছু জিনিস জানলাম, নিশ্চিত হলাম।
সাপের কামড়ে ঘোড়া এবং কিছু প্রানী মরে না তা আমারো জানা ছিল না। ঘোড়া বেচারাদের ব্যাবহার করে এন্টি-ভেনম বানানো হয় এটাও জানা ছিল না। পদ্ধুতিটা খুব একটা মানবিক নয় যদিও, মানুষ তার প্রয়োযনে অন্যান্য প্রানীর ওপর যে নিষ্ঠূরতা দেখায় তার তূলনায় ৩/৪ দিন জ্বরে ভোগানো কিছুই নয়।
সাপে কাটার এন্টি-ভেনম সময়মত সরকারী হাসপাতালে পাওয়া অত্যন্ত দুরুহ। এমনকি পশ্চীমের উন্নত দেশগুলিতেও ব্যাপারটা খুব একটা সহজ নয়। শুনেছিলাম যে চিকিতসার জন্য আগে কোন জাতের সাপ কামড়েছে সেটা জানতে হয়, সে অনুযায়ী এন্টি-ভেনম দেওয়া হয়। বলাই বাহুল্য সেটা রোগীর ভাষ্য ছাড়া নিশ্চিত হবার উপায় নেই। মনে হয় সকলেরই সব জাতের সাপের ছবি সহ বর্ননা জানা থাকা দরকার। নইলে কোন কুক্ষনে কোন জাতের সাপে কামড় দিল তখন চিকিতসার সময় ভুল বর্ননা দিলে তো মহা বিপদ।
@আদিল মাহমুদ, ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে প্রকৃতিতে সবচাইতে সবল প্রাণীরাই টিকে থাকে; আমরা মানুষরা সবল বলেই টিকে আছি আর হয়তো টিকে থাকবো পৃথিবীর শেষ অবধি। কে জানে হয়তো পৃথিবী ধংসের পরেও 🙂
মানুষ টিকে থাকতে তার পরিবেশ এবং প্রানিকে প্রয়োজন মতন ব্যাবহার করতে শিখেছে।
এটাই মানুষের সবচাইতে বড় অর্জন।
এন্টি ভেনম পাওয়াও কিন্তু অসম্ভবের মতন প্রায় বাংলাদেশে। আশেপাশে খুজে দেখুন জেনে রাখুন কোন দোকানে পাওয়া যায়। কারন দরকারের সময় সারা বাঙলা ঘুরেও এক ফাইল এন্টি ভেনম পাবেন কিনা সন্দেহ।
ভয় লাগানোর মতন অবস্থা; যীশু, খেজুর এবং ওঝাই তবে শেষ ভরসা 😕
### বাইবেলের কথা এনেছিলাম মূলত সাপের থেকে রক্ষা পাওয়ার হাস্যকর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে। আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লাগেনি। বরং বেশী বেশী প্রাসঙ্গিক লেগেছিল লেখার সময়।
আর এক ভাইয়ের কমেন্টের উত্তর দেয়ার প্রয়োজনে একটি হাদিস বলেছিলাম। সেটাও প্রাসঙ্গিক 🙂
যেহেতু বিষ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তবে বাইবেল হাদিস বাদ থাকবে কেনো; যেহেতু সেখানে বিষ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বলা আছে সেহেতু এই লেখায় তাদের না আনলেই বরং লেখাটি অসম্পূর্ণ থাকতো বলে মনে করি 🙂
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
@এম এস নিলয়,
ভাবের আতশায্যে সব কিছুর মাঝে ধর্ম টেনে নানান ভাবে ধর্মের গুনগান গাওয়া ধার্মিকদের বৈশিষ্ট্য। যুক্তিবাদীদের লেখায়ও তেমন হলে মুশকিল। ধর্ম যেখানে আসা দরকার সেখানে অবশ্যই আসবে। ধার্মিকরা যতই ভাব দেখাক তারাও ভাল করে জানে ধর্মের নানান রকম কেচ্ছা কাহিনীর দৌড়। এই লেখার ট্যাগ হল বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান – সেখানে ধর্মের বানী কোট করা লেখকের স্বাধীনতা হতে পারে, কিন্তু নিরপেক্ষ পাঠক হিসেবে বলতে হয় অনাবশ্যক।
বাংলাদেশে যতটা শুনেছি এন্টি-ভেনম কেবল জেলা পর্যায়ের সরকারী হাসপাতালে পাওয়া যেতে পারে। যতটা মনে হয় সাধারন ঔষধের দোকানে পাওয়া যায় না।
ওপরের একজন যে ওঝার গুন বর্ননা করলেন সেটায় অবিশ্বাসের বেশী কিছু দেখি না। ওঝা মানেই সোলেমানী ঝাড়ফুক তা নয়। বিষ হয়ত নেমেছিল মোটামুটি বৈজ্ঞানিক উপায়েই, নাম হয়েছে ওঝার গুনের। গ্রামের দিকের লোকে সাপে কাটার প্রাথমিক চিকিতসা মোটামুটি জানে, যা অতি সরল। কাটা যায়গার ওপর কয়েকটি শক্ত গিট দিয়ে রক্ত প্রবাহ শরীরে ছড়ানো বন্ধ করা, এরপর কাটা যায়গার আশেপাশে ছুরি দিয়ে পেশী কেটে বিষাক্ত রক্ত বের করে দেওয়া। ওঝা চিকিতসা এবং এই প্রাথমিক চিকিতসা দুটোই অনেক সময় সমান্তরালে চলে। আবার বহু ক্ষেত্রে রোগীর স্বাস্থ্য, বিষের মাত্রা বা সাপের প্রকারের ওপর নির্ভর করে রোগী মরবে কিনা। বিষাক্ত সাপে কামড়ালেই লোক মরবে এমন কথা নেই। সাপের বিষও অসীম নয়। সাপ একবার কামড়ে বিষ ঢেলে দিলে আবার তার থলি জমা হতে সময় লাগে। সেই সময়ের মাঝে কাউকে আবার কামড়ালে স্রেফ কামরের ব্যাথা ছাড়া আর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বিষাক্ত সাপ সাধারন লোক বসতির মাঝে থাকে না। তাদের চেনার রুল অফ থাম্ব হল গায়ের রং। বিষাক্ত সাপ সাধারনত রংগীন হয়।
@আদিল মাহমুদ, বুঝলাম 🙂
আপনার কথা গুলো মাথায় রাখলাম; ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো এই বিষয়ে 🙂
নিলয় ভাই, ঘোড়ার মাংস কি এন্টিভেনমের কাজ করতে পারবে? যেহেতু ঘোড়ার শরীরে সাপের বিষের এন্টিবডি তৈরি হয়?
@অর্ফিউস, খাওয়ার কথা বললেন ??? খেলে তো হবেনা :-s
আর ঘোড়ার রক্ত খেলেও হবেনা।
ঘোড়ার রক্ত সরাসরি শরীরেও নিতে পারবেন না।
দুঃখিত 🙁
সাপ অত্যন্ত উপাদেয় খাবার। অকিনাউয়াতে থাকা কালীন সময় অনেক খেয়েছি। শরীরে antibody তৈরি
হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য এখন সাপের কামড় খেতে চাই।
@পলাশ,
সাপ খাইতে কেমন লাগে ভাই? মাছ না মাংসের মত স্বাদ?
@অর্ফিউস,
কচি মুরগির বুকের মাংসের মত। না জানলে বুজবেনই না কি খাচ্ছেন। 😀
@পলাশ, নাহ সাপ খাবার ইচ্ছা নাই। ওই জিনিস দেখলেই আমার গা ছম ছম করে 🙂 তবে ব্যাঙ খাবার ইচ্ছা আছে কিন্তু সুযোগ পাইতেছিনা 😀
@পলাশ, সাপ খাইনি কখনো।
তবে কুইচা হর হামেশাই খাওয়া হয়।
কোন রেস্টুরেন্টে সাপের সুপ বা ফ্রাই বিক্রি করলে অবশ্যই চেকে দেখবো 🙂
খাওয়ার ব্যাপারে আমার তেমন বাছ বিচার নেই 🙂
খেলে যদি শরীরের ক্ষতি না করে তবে সেটাই আমার খাদ্য 🙂
মফস্বলে বড় হয়েছি তাই সাপের সাথে নিত্য সাক্ষাৎ ছিল আমার। ১৪-১৫ বছর বয়সে সাপের কামড় খাই। গ্রামের ওঝা সেই বিষ ঝেড়ে নামায়। দেখতেই পারছেন আমি এখনো বেচে আছি।
ওঝাদের ভুয়া বলা ঠিক হয়নি; আপনি অনেক কিছুই জানেন না এই ভুবনের।
বিজ্ঞানের বাইরেও অনেক শক্তি আছে যা সাপের বিষ পানি করে দিতে পারে।
নিলয় ভাই; অনেক দিন থেকে আমি আপনার ফলোয়ার লিস্টে আছি; তাই আপনি হয়তো আমাকে চিনবেন না।
আপনার একটা জিনিস আমার খুব ভালো লাগে।
সেটা হল আপনি মুসলিমদের পেছনে কম লাগেন; আপনার বেশীরভাগ লেখায় খৃষ্টানদের বিপক্ষেই তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। এইটা একটা ভালো দিক।
নাস্তিক মানেই তো আজকাল মুসলিম বিদ্বেষী; আপনি তাদের স্রোতের বিপরীতে।
বাইবেল এবং খৃস্টানদের বিশ্বাস যে ভুয়া সেটা আপনি প্রমান করে দিলেন।
আমাদের মুসলমানদের প্রধান শত্রু খৃস্টানরা; তাদের ভুয়া প্রমান করা মানেই হল ইসলাম সত্য সেটাই প্রমান করে দেয়া।
বিশ্বাস করলে সাপে কামড়াবে না; হাহ। কি হাস্যকর কথা।
কোরআন হাদিসে এমন ভুল পাবেন না।
ইসলামকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইসলামের জয় হবেই।
@মঞ্জু সিদ্দিক,
এই আধুনিক সময়ে বসে এই কথা বললেন???
ভাই কি গিলে এসেছিলেন নাকি গিয়ে গিলবেন???
আপনাকে ঢোরা সাপে কেটেছিলো সম্ভবত; আবার সেটা ব্যাঙের কামড়ও হতে পারে 😛
বিষাক্ত সাপে কাটলে ওঝা কখনোই আপনাকে বাচাতে পারতেন না।
আপনি ফলোয়ার লিস্টেই থাকেন; আপনার মতন ওঝা প্রেমীর জন্য আমার ফ্রেন্ড লিস্টে কোন জায়গা নাই।
আমি ধর্মের নাম বিচার দেখে সমালোচনা করিনা। যখন যেটায় অসঙ্গতি পাই তখন সেটা নিয়েই লেখি। ইসলাম নিয়ে কম লেখা নেই আমার; কোন কারনে হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।
আমি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নই। আমার কাছে সকল ধর্ম সমান হাস্যকর।
আমি কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে নিয়ে সমালোচনা করিনা; আমার কাছে সব ধর্ম সমান হাস্যকর; তবে কোনটা একটু কম ক্ষতিকারক কোনটা আবার বেশী।
আজকে খৃস্ট ধর্ম নিয়ে মজা করলাম বলে ধরে নিলেন ইসলামকে সত্য বানিয়ে দিলাম। বাহবা দিলেন। কিন্তু কালকেই যখন ইসলামের হাস্যকর দিক গুলো নিয়ে সমালোচনা করবো তখন আপনিই তেড়ে আসবেন।
ভণ্ডামি ছাড়ুন।
তাই নাকি ??? তবে একটি হাদিস শুনুনঃ
সাদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,’ যে লোক প্রতিদিন সকালে সাতটি উন্নত মানের খেজুর (আজওয়া) খেয়ে নেবে, তবে সেদিন কোন রকম বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ।’
[সহীহ বুখারী ৫/৫০৪২]
হাস্যকর লাগছে কি ???
খেজুর খেলে সাপের বিষে (যে কোন রকমের বিষেই) কিছু হবেনা 😛 হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা।
মহা বিনোদন 😉 আপনার নবী যে সঠিক পারবেন তার কথার প্রমান দিতে ???
আপনার নবী যে আন্তাজে মিথ্যা কথা বলেন না পারবেন খেজুর খেয়ে তারপরে সাপের কামড় খেয়ে সেটা প্রমান করতে???
যীশুর সেই বানী আর মুহম্মদের এই আজাইরা বানী কি বেশ কাছাকাছি লাগছে না???
খেজুর খেয়েই যখন সাপের বিষ থেকে মুক্ত থাকা যায় তখন এত টাকা খরচ করে এন্টি ভেনম কেনার দরকার কি 😛
খেজুর খান আর বিনোদন দেয়া চালিয়ে জান 🙂
আমার কথাতে যদি ইসলাম এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে তবে আমি মনে করি এই ব্লগেই ইসলামের যত আলোচনা করা হয়েছে তার হাজার ভাগের এক ভাগেই ইসলাম ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তবুও আপনাদের বিশ্বাসে কোন হেরফের হয়না।
আসলে আপনারা দেখেও দেখেন না; শুনেও শোনেন না; বুঝেও বোঝেন না।
বিশ্বাসের ভাইরাস আপনাদের সত্তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সাপের বিষের এন্টি ভেনম আছে কিন্তু বিশ্বাসের ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক নেই।
কারন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশীরভাগ মানুষ সুস্থ হতে চায়না।
কিন্তু যে সুস্থ হতে চায় তাদের জন্যই আমরা নিরলস লিখে যাচ্ছি।
মন খোলা রেখে পড়ুন; সত্য নিজেই বুঝতে পারবেন 🙂
@এম এস নিলয়,
(Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y)
@মঞ্জু সিদ্দিক,
ভালোই বলেছেন!
😛 😛 😛
@শেহজাদ আমান, ওইজে বললাম খেজুরে বিষ পানি করে দিতে পারে 😛
আপনার কমেন্ট পড়ে মঞ্জু ভাইকে দেয়া আমার নিজের উত্তর পড়ে এখন নিজেই মজা পাচ্ছি 😛
মঞ্জু ভাইকে বেস্ট কমেন্ট অফ দা পোস্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়ে দিলাম 🙂
@এম এস নিলয়: U2 ব্যান্ডের একটা গান আছে, ‘উইথ অর উইদাউট ইউ’ নামে। গানে বলা আছে, ‘নাউ আই ক্যান লিভ, উইথ অর উইদাউট ইউ’। ইউ টু ব্যান্ডের সদস্যরা বলেন, গানটা গাওয়া হয়েছে ইশ্বরকে নিয়ে। গানটা আমাদের বর্তমান বাস্তবতার সাথে খুব বেশি মিলে যায়। আমরা যেন এখন ইশ্বরকে নিয়ে অথবা ইশ্বরকে ছাড়া – যে কোনভাবে বেচে থাকতে পারি।
তবে, সমস্যাটা অন্যখানে……। একমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থগুলোই কিন্তু বলে যে মৃত্যুর পরও মানুষ বেচে থাকবে। অন্য কেউ কিন্তু এই গ্যারান্টিটা দেয় না। এই কারণে অনেক মানুষ চাইলেও ধর্মে বিশ্বাস ছাড়তে পারেনা।
কারন মানুষ চায়না যে, মৃত্যর সাথে সাথে তার অস্বিত্ব শেষ হয়ে যাক। সে চায়, যে কোনভাবেই হোক, মৃত্যুর পরেও যেন তার স্বত্ত্বা বেচে থাকে।
যেন এ এক ইশ্বরের মত অনিবার্য আকাঙ্ক্ষা…!
এই ব্যাপারে নিলয় ভাই, আপনার মতামত জানতে চাচ্ছিলাম… ।
চমৎকার একটি তথ্যবহুল লেখা, ধন্যবাদ এম এস নিলয়।
একজন চিকিৎসক হওয়ার কারনে আমাকে বেশ কয়েকবার Polyvalent snake antivenom ব্যবহার করতে হয়েছে। এ ধরনের ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ডাক্তার কে নিজে দাড়িয়ে থেকে পুশ করতে হয়। এর antivenom তৈরির প্রক্রিয়া বিস্তারিত জানতে পারলাম। যদিও প্রায় সকল antivenom/ প্রতিবিষ তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একেই রকম।
আপনি লিখেছেন “প্রত্যেক সাপের বিষ আলাদা ধরনের তাই এক সাপের বিষের এন্টি ভেনম অন্য সাপের বিষ ধ্বংস করতে পারেনা।” বাংলাদেশে শুধু polyvalent antivinen ব্যাবহার হয়। আর আমার জানা মত- এর নাম polyvalent একরনে যে এটি একাধিক প্রজাতির বিষাক্ত সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে, যেমন-Russell’s Viper, গোখরা, কেউটে।
@তাপস মন্ডল, বিষের অনেক গুলো ধরন আছে। যেসব সাপের বিষ একই রকম তাদের জন্য এন্টি ভেনম একই রকম হতে পারে।
জানেন হয়তো এক এক ধরনের সাপের বিষ শরীরের একেক রকমের প্রতিক্রিয়া করে।
কোনটা স্নাইউ, কোনটা টিস্যু কোনটা আবার রক্তের উপরে প্রভাব ফেলে 🙂
তবে পূর্বে প্রত্যেক সাপের জন্য আলাদা আলাদা করেই এন্টি ভেনম উৎপাদন হত।
সময়ের সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা হয়তো সকল বিষের জন্য একই রকম এন্টি ভেনমের শিশি আবিষ্কার করে ফেলবো 🙂
একদিন হয়তো পৃথিবীতে সাপের কামড়ে মৃত্যুহার শূন্য হবে যখন মানুষের শরীরেই এন্টি ভেনম উৎপাদনের প্রভাবক টিকা আবিষ্কার করবে বিজ্ঞানীরা।
দেখা যাক কি হয় 🙂
এটা কি পুরোপুরি সঠিক? সন্দেহ হওয়ায় গুগল করে দেখলাম সাপের কামড়ে ঘোড়ার মৃত্যু সহজে না হলেও ব্যাপারটা অসম্ভব না।
http://www.equinews.com/article/rattlesnake-bites-may-be-serious-horses
ঘোড়া বিষয়ক এই ফোরামে কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও পড়লাম যেখানে সাপের কামড়ে ঘোড়া মারা যাবার কথা আছে।
ব্যাপারটা আসলে কিরকম তাহলে? অল্প পরিমাণে বিষ প্রবেশ করানো হয় যাতে মৃত্যু না হয়?
@রামগড়ুড়ের ছানা, আসলে ১০০০ ঘোড়ার মধ্যে ১ টি ঘোড়া যদি সাপের কামড়ে মাড়া যায় তাকে মনে করি গোনায় ধরার কিছু নেই।
ধরুন মধু খেয়ে তো কেউ মাড়া যাইনা আমরা; কিন্তু গুগল করে দেখুম মধু খেয়ে মাড়া যাওয়ার ১০-২০ টা খবর আপনি পাবেন।
এখানে দোষ মধুর নয়; দোষ যে মধু টা খেয়েছে তার শরীরের। বহুমুত্র রোগ থাকা সত্তেও মধু খাওয়ার কারনে বিপত্তি।
সবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ সমান নয়। তাই যে আবহাওয়ায় আমরা সবাই সবল থাকি আমাদের মধ্যে ২-১ জন সেই আবহাওয়ায় কাহিল হয়ে যায়।
এখানে আমি “সাপের কামড়ে ঘোড়া কখনোই মড়েনা” বলতে মূলত সুস্থ সবল স্বাভাবিক ঘোড়ার কথা বলেছি। কোন ঘোড়া যদি শারীরিক ভাবে আগে থেকেই অসুস্থ বা কোন ঘোড়ার যদি এন্টিবডি তৈরি করার ক্ষমতা কম থাকে তবে সে বিষ প্রতিরোধ করতে পারবে না সেটাই কিন্তু স্বাভাবিক।
আরেকটু খোঁজ নিলে দেখা যাবে ঘোড়া গুলোর আগে থেকেই সমস্যা ছিল 🙂
আমার সেটাই ধারনা।
আমার কাছে থাকা সকল তথ্য বলছে স্বাভাবিক ভাবে সাপের কামড়ে ঘোড়া মড়েনা; অসুস্থ হয় মাত্র।
ভিন্ন ফলাফল কিছু থাকবেই 🙂
কিন্তু তাদের “বাই চান্স” বলা হয় 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা, কতটুকু বিষ ইঞ্জেক্ট করা হয় সে বিষয়ে কোথাও তো কিছু পেলাম না লেখা।
প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার মাঝেই আনন্দ; পুরনো জানাকে নতুন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে রিপ্লেস করতে পারি সে জন্যই তো আমরা মুক্তমনা 🙂
কতটুকু বিষ দেয়া হয় ঘোড়ার শরীরে সেটা আপনি কোথাও পেলে জানাবেন 🙂
তাহলে লেখা সংশোধন করে ফেলবো 🙂 সাথে নিজের জানাকেও 🙂
কষ্ট করে তথ্য খোঁজার এবং লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
@এম এস নিলয়,
আমি নিজেও আসলে সেরকম কিছু দেখিনি, আপনার কাছেই প্রশ্ন করেছি জানার জন্য। আমার মনে হয়েছে বিষ একটা মাত্রার বেশি গেলে ঘোড়ারও নিশ্চয়ই মারা যাবার কথা অ্যান্টিবডি তৈরির আগেই। তবে এসব ব্যাপারে আমি খুবই অজ্ঞ, আপনার জানা থাকতে পারে মনে করে জিজ্ঞেস করেছি :-)।
সাপ ভয় পাই; আর কামড় খেতেও চাইনা।
সাপ দেখলেই ঘিন্না লাগে।
শুনেছি অনেক জাতি নাকি সাপ খায়; ইয়াক!!!
তথ্যবহুল লেখা।
অনেক নতুন কিছু জানলাম।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ নিলুদা 🙂
পুনশ্চঃ বাইবেলে কি সত্যি অমন কথা লেখা আছে?
আমার কাছে বাইবেল নেই তাই পড়তে পারছি না।
@রাম্মি রাসনাত,
সাপ তো পুষ্টিকর খাবার 🙂 ট্রাই করে দেখতে পারো চাইলে 🙂
খাবারে ইয়াক বলে কিছু নেই; সকল কিছুই খাওয়া যায় যদি সেটা খেলে তোমার ক্ষতি না হয় তো 🙂 সাপ খেয়ে কেউ মাড়া গিয়েছে বলে শুনিনি; সুস্বাদু বলেই শুনেছি 🙂
তোমার কি মনে হয় বানিয়ে বানিয়ে বলছি???
আমি কিন্তু বাইবেলের পদ গুলোতে ইন্টারনেটে থাকা বাইবেলের কপির লিংক দিয়েছি। সবুজ হয়ে থাকা বাইবেলের রেফারেন্সে ক্লিক করলেই তুমি বাইবেলের পেজে চলে যাবে সহজেই।
কাগজের পাতার বাইবেল আর ইন্টারনেটে থাকা বাইবেল একই; ধর্মগ্রন্থ যে শুধু কাগজের পাতায় পড়তে হবে সেটা কে বলল ??? আমি তো বেশীরভাগ লেখাপড়া মোবাইলেই সারি 😉
কম্পুতে বাইবেল-কোরআন পড়ার সুবিধা হল ওজু ছাড়াই পড়তে পারা যায় 😉
বাইবেলের পিডিএফ পাঠাচ্ছি তোমাকে; পড়তে আশা করি খারাপ লাগবে না 🙂
উল্টো ব্যাপক বিনোদন পাবে 🙂
বেশ মজার পোস্ট…
@সাব্বির হোসাইন, উহু সাপে কাটা মতেই মজার কিছু নয়; তবের শেষের অংশটা আমার নিজের কাছেই মজার লেগেছে 😉
আমাকে কেউ যীশুর শিক্ষা দিতে আসলে তাকে প্রথমেই প্রশ্ন করি “আপনি নিজে যীশুতে বিশ্বাসী??? যদি বিশ্বাসী হোন তবে বিষ খেয়ে আগে প্রমান করুন আপনি নিজে যীশুতে বিশ্বাসী; প্রমান না করতে পারলে আগে নিজে বিশ্বাসী হয়ে আমাকে বিশ্বাস করাতে আসুন”।
আজ পর্যন্ত কোন পিওর যীশু বিশ্বাসী পেলাম না; তাই আমিও খৃস্টান হতে পারলাম না জীবনে 🙁
আফসোস (U)
@এম এস নিলয়,
এরকম একটি গল্প পড়েছিলাম…
উত্তর আফ্রিকার বারবার মুসলমানদের কাছে এক ফ্রেঞ্চ ক্যাথলিক ধর্মযাজক ধর্মপ্রচার করতে আসে।
তখন, বারবার মুসলমান পন্ডিতরা ফ্রেঞ্চ ক্যাথলিক ধর্মযাজককে ধর্মের সত্যতা প্রমাণে বিষপান করতে বলে।
আফসোস!
বিষ খেয়ে যাজক বাবা ওখনেই অক্কা পেলেন…
আসলে, ধর্মগ্রন্থগুলো একেকটা ভাঁড়ামী ভান্ডার।
@সাব্বির হোসাইন,
থাক আপাতত ওই বিষয় বাদ দেই।
প্রাণী সাপ থেকে আলোচনা ধর্ম সাপে চলে গেলে সমস্যা 🙂
প্রাণী সাপের বিষের তো নাহয় এন্টি ভেনম আছে কিন্তু বিশ্বাস সাপের বিষের প্রতিষেধক কই???
আমি আমার পরিবারের অনেক মানুষের কথা শুনেছি যারা বিশ্বাস করতো ওষুধে নয় ঈশ্বর যীশুর কাছে প্রার্থনাই পারে রোগ মুক্তি ঘটাতে; কারন বাইবেল বলেছে সে কথা।
পূর্বে অনেক মৃত্যু হয়েছে ওষুধে আস্থা না রেখে বিশ্বাসে আস্থা রেখে; ভবিষ্যতেও হবে।
এই মৃত্যু গুলোর দায় নেবে কে ???
কেউ কখনো সাপের কামড় খেয়ে নিজেকে যীশু বিশ্বাসী বলে প্রমান করার চেষ্টা করেছে এমন কাউকে দেখিনি। কিন্তু প্রার্থনায় রোগ মুক্তি হয় এই কথা প্রায় প্রতিদিন শুনি।
আর যেহেতু আমি একজন মুক্তমনা তাই আমি মূর্খ।
জানেন না বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।
তাই সবাই আমাকে দূর দূরই করে 😛