এই সবুজ মাঠের প্রতিটি ঘাসের সাথে,
এই ক্ষেতের প্রতিটি ফসলের গাছের সাথে
আমার কথা হতো প্রতিদিন।
এই বনের গাছগুলির প্রতিটি পাতা
আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতাম পরম আদরে।
এই কুটিরের ছাউনির খড়ের সাথে
মাটির মেঝের সাথে
বাঁশের বেড়ার সাথে
ছিল আমার গভীর ঘনিষ্ঠতা।
এই পুকুরের প্রতিটি জলবিন্দুর সাথে
প্রতিটি কলমিলতার সাথে
প্রতিটি শাপলা ফুল ও কচুরিপানার সাথে
আমার অন্তরের সখ্যতা ছিল।
আমার নিত্যদিনের পদচারণা ছিল এই মেঠোপথে,
আমার কতো আপনার যে ছিল
এই উঠোনের ধূলিকণাগুলি, এই ঝোপের বুনোফুলগুলি
দূরের ওই চাঁদটা,ওই তারাগুলি, মাটির এই সুবাস!
এই আকাশ মেঘ করে মুখ গোমড়া করলে
আমার মনেও মেঘ জমে যেতো,
সে কাঁদলে আমার মনও কাঁদতো ঝরঝরিয়ে,
ঝলমল করে হাসলে আমার মনও খুশিতে নাচতো।
এই হাওয়া গাইলে আমিও গুনগুন করতাম।
একদিন আমার জীবন আবর্তিত হতো এদের নিয়ে,
আমি আবর্তিত হতাম এদের ঘিরে।
আমার দিনরাত্রি কেটেছে এদের পরম ভালোবাসার ছোঁয়ায়।
আজ আক্ষরিকভাবে আমি এদের থেকে বহুদূরে।
তবুও মনের গভীরে নিবিড়তম বন্ধনে
বাঁধা রয়েছে এরা
রয়েছে একান্ত অনুভবে।
বাহ, মুগ্ধতা দিয়ে গেলাম কবি
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা,
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা।
আপু বেশ ভাল লাগলো। খুব সাধারণ শব্দ ব্যবহারে অন্যরকম এক অনুভূতি দিলে।
@শুভ মাইকেল ডি কস্তা,
আরে শুভ যে! কেমন আছ তুমি? ধন্যবাদ তোমার পাঠ-প্রতিক্রিয়া জনানোর জন্য।
@তামান্না ঝুমু, :lotpot:
@শুভ মাইকেল ডি কস্তা, এত বাধভাঙা হাসির কী হলো শুভ?
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বাংলার মা’কে আর মায়ের সৌন্দর্যকে কখনোই ভুলতে পারবেন না। কারন বাংলার মা’ই পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর মা। কবিতাটি ভালো লাগলো।
@বাউন্ডুলে বাতাস, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে যারা অনেক দুরে থাকে তাদের দেশের প্রতি টানটা অনেক বেশী হয় যা আমরা দেশে বসে কখনোই উপলব্ধি করতে পারি না। ভালো লাগলো, তাড়াতাড়ি দেশে চলে আসেন। (F) (F) (F)
@নিলয় নীল, দেশে যেতে ইচ্ছে তো করে। বিভিন্ন কারণে যাওয়া হয় না অনেকদিন। গেলে তোমার সাথে দেখা হবে নিশ্চয়ই।
গাছের কান্ড যতো উপরেই উঠুক শেকড়ের সাথে সংযুক্ত থাকবেই।
আপনি যত দূরেই থাকুন না কেন আপনার শেকড় আপনার নিজ গ্রাম, মেঠোপথ, বাড়ির পাশের পুকুর, পুকুরের শেওলা — এসবের সাথে আপনি যে মিশে আছেন—তারই এক ব্যাকুল চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার কবিতায়।
খুব ভাল লাগল।
শুভকামন। (F)
@গৌমূমোকৃঈ,
শেকড় নাড়িতে লুকিয়ে থাকে। শুভ কামনা আপনার জন্যও (F) (F)