এক কাজ কর বরং
বাড়িঘরগুলো সব পুড়িয়ে দাও পেট্রোল ঢেলে
তাহলে আর বেরুতে হবে না বজ্জাতগুলোকে!
আর পেট্রোডলার নিয়ে একেবারেই ভেবো না,
আছে উপচানো মজুদ- আসমানি এবং অসীম।
বাড়িঘরগুলি পোড়ালে পরে
কত সুনসান একটা দেশের দখল পাবে বল !
শ্মশানঘাটের মতই খোলামেলা, নিরিবিলি,
আর কঠিন আগ্নেয় শিলায় গড়া-পেটা ।
জানোই তো ওদের খুব পেট পোড়ায়
আর তাইত দেখ
যখন বোমার ভয়ে পালায় নামি-দামি বীমা
বেরোয় ওরা দলে দলে।
অবোধ জীব, অবরোধ বোঝে না,
পেটের আগুন নেভানোই চাই।
দেশ-গণতন্ত্র চুলোয় যাক,
পেট-যন্ত্রটা শুধু রক্ষা পাক।
আর তাইত পেটের জ্বালা জুড়োয় জন্মের তরে
ক্ষুধিত পতঙ্গের মত আসে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে,
পেট্রোল ঢেলে অতর্কিত
মিটিয়ে দেয়া হয় যুগ-যুগান্তের অগ্নি-তৃষ্ণা ।
তারপর একদা জ্বালামুখ ফুটে বেরোয়
পাথর-চাপা প্রাণের লেলিহান অভিশাপ ।
পাতাল ফুড়ে রাজপথ দাপিয়ে বেড়ায় আজ
বোতলজাত জীবাশ্ম দানোর দল !
সময়ের কবিতা। প্রতিবাদি কন্ঠ আরো বজ্র-কঠোর হয়ে উঠুক ফেটে পড়ুক বজ্র নিনাদে।
সময়ের প্রতিফলন এবং খুবই চেতনা জাগানিয়া লেখা।
@গীতাদি,
কার চেতনা জাগবে? চেতনার মৃত্যু তো অনেক আগেই ঘটেছে।
আমাদের চেতনালোক এখন কৃষ্ণগহবর।
তাইতো তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে চিতা। সেই চিতায় এক এক করে নিক্ষেপ করছে খুবই নিপুন কায়দায়। আমরা পুরছি, কিন্তু খুনীরা নিশ্চিন্তে নিরাপদে, রাশি রাশি পেট্র ডলারে আয়েশে স্বপ্নে বিভোর। তারা সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
আর তাইত পেটের জ্বালা জুড়োয় জন্মের তরে
ক্ষুধিত পতঙ্গের মত আসে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে,
পেট্রোল ঢেলে অতর্কিত
মিটিয়ে দেয়া হয় যুগ-যুগান্তের অগ্নি-তৃষ্ণা ।
[img]http://i40.tinypic.com/2vki3k0.jpg[/img]
দানোরা সব মিলেমিশে একাকার আর আমরাই শুধু বিভক্ত। :-Y :-Y :-Y
জীবাশ্ম জ্বালানির মজুদ আরো বাড়বে নিকট ভবিষ্যতে। সেই সাথে বাজারে বিস্বাদ জলপাই আসারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
@ফরিদ আহমেদ,
এক সময় জলপাই মনে হত বিস্বাদ টক, এখন মনে হয় সেই ফল বড়ই ভিটামিন যুক্ত। দেশে গনতন্ত্র এখন ডেথবেডে, বিকল্প কিছু দেখি না।
জোড়াতালি দিয়ে হয়ত আবারো একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়ে নির্বাচিত স্বৈরশাসক আসবে……চক্রের পূণরাবৃত্তি ঘটবে, সামনের বার বাসা বাড়িতে ঢুকে জীবাশ্ম সংগ্রহ অভিযান চলবে।
@ফরিদ ভাই,
সামান্য পরিবর্তন করলাম। শব্দ ও বাক্যের পরিবর্তন যথোপযুক্ত হল কি?
খুব কষ্ট হচ্ছিল, শিল্পচর্চার তাগিদে কিন্তু লিখিনি।
জানেন, জলপাইয়ের গন্ধ একেবারেই পছন্দ নয়, তবু মাঝে মাঝেই জলপাই দেখতে পাই খাবার টেবিলে! বিশেষত, প্রাণ যখন ত্রাহি ত্রাহি, তখন বিস্বাদ জলপাই গিলতেই হয়! চোখের জল, নাকের জলে একাকার হয়ে!
@কাজি মামুন,
চমৎকার।
এবং; এবং অত:পর অবধারিত ভাবেই পেটপীড়াক্রান্ত হতে হয়, ওইটা ত্যাগ না ওরা পর্যন্ত ফুরফুরে হওয়া যায় না।
১০০ কি ২০০ ঘন্টার হরতাল অবরোধ দিলে তো এমনই হবে।
যারা হরতাল দেয় তাদের কে বা কারা হরতালে মারা গেছে ?? তারা তো পুলিশি হেফাজতে থাকে সারা দিন।
তারা ক্ষমতায় থাকলে গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায় আর ক্ষমতায় না থাকলে …………………
কিন্তু তারা কোনকালে মানুষ দেখে নি, মানুষ চিনেনি।
দেখবে না, চিনবে না।
এই লাইনগুলো চমৎকার লেগেছে।সত্যি, কেউ পেটের দায়ে পুড়তে ও পোড়াতে আসে।কেউ আসে পতঙ্গের মত আগুনের সোভায় প্রাণ বিলিয়ে দিতে।বাকীরা স্বীকার হয় আগুনখেলার ও খেলোয়াড়দের।
বিভাগের জায়গায় ব্লগাড্ডা লিখেছেন যে!
@তামান্না ঝুমু,
আগেও বলেছি, আপু, কবিতা লিখতে জানি না। মনের দুঃখ প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম শুধু।
আহা এইসব লিখতে নেই। সবই গণতান্ত্রিক অধিকার। বাকশালী দেয়াল ভাংতে হেফাজতের পাশাপাশি কিছু মানুষ পোড়ানোরও হয়ত দরকার আছে।এতে দোষের কিছুই নেই। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে না হয় পেটের ক্ষুধা সহ্য করে ঘরে বসে থাকব, তাই বলে বাকশালীদের পা চাটা? নাহ এ সহ্য করা যায় না, কাজেই ঢালো পেট্রোল, জালাও আগুন, করো জনসেবা। :-s
জীবাশ্ম জ্বালানির বিরাট মজুদ আছে দেশে,
তাহলে কেন শুধু শুধু আমদানী হবে জ্বালানী ভারত থেকে ? :-s