আজ আর শ্রমিকদের লাল ব্যান্ড পরাতে যেও না দয়া করে।
তাদের কারো হাত-পা-মাথা, কারো সারা দেহ,
কারো বা হৃদয়ের গহীনে বাস করা টলটলে হৃদ,
রক্ত-রঙে ভীষণ লাল হয়ে আছে, তাকিয়ে দেখ।
ওদের জরাজীর্ণ কপালে তোমরা নিপুণ হাতে পরিয়ে দাও লাল পট্টি।
দুর্ভাগ্যের কঠিন দেয়ালে কপাল ঠুকতে কিঞ্চিৎ সুবিধে হয় বটে! অন্যদিকে
পট্টির আড়ালে ছেঁড়া-ফাঁটা বিবর্ণ কপালগুলোও কেমন অনায়াস চাপা পড়ে!
এই মে দিবসের দোহাই দিয়ে বলছি ~
আর বিক্রি করো না লাল পতাকা।
দেখিয়ো না আর কোন লাল টুকটুকে স্বপ্ন।
ভাবছ, মে দিবস বুঝি না?
তাৎপর্য-ইতিহাস-ঐতিহ্যের রাখি না কোন খবর?
তাই বুঝি না এইসব লাল লোল কথার মর্মসর্ম?
মিথ্যে নয়, আমরা আম-আদমি,
ওজোন স্তরের ফুটোর খবর কতটুকুই বা জানি?
কি যতনে শ্রমিকের পিঠ বুলিয়ে দাও তোমরা মে-দিবসে!
আবার মালিকের উষ্ণ-হাত চেপে ধর নিঝুম মে-নিশীথে!
জানি, এসবই ঐতিহ্য তোমাদের, খাঁটি বঙ্গীয়।
মাত্র তিন হাজার টাকার সস্তা ফিতেয়,
বেঁধে রাখত চাও উনিশ বিলিয়ন ডলারের রাক্ষুসে পিরামিড…
মহান মে দিবসের দোহাই লাগে!
আর বিক্রি করো না লাল-লোল স্বপ্ন…
বা শ্রমিকের ঘামের মহানুভবতা…..
প্রত্যাশা আমারও (Y)
সুন্দর কবিতা। তবে বিভাগে ব্লগাড্ডা লিখেছেন যে! ঠিক করে দিন।
@তামান্না ঝুমু,
আপু, মনের কিছু ক্ষোভ প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, কবিতা লিখতে জানি না ( ছন্দজ্ঞানশূন্য বলতে পারেন)। এটাকে কবিতা না ধরে বাংলাদেশের একজন ক্ষুদ্র ও অকেজো নাগরিকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ধরে নিতে পারেন! তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, এই ক্ষোভ প্রকাশও এক প্রকার বিলাসিতা। মধ্য-বৃত্তিয়!! কিছুই তো করতে পারছি না।
ভাই এই জন্যই আমি এখনো এই ব্লগে একাউন্ট পেলাম না। এত ভাল লেখা লিখেন আপনারা কি কমেন্ট করব বুঝতে পারি না।
মামুন ভাই, জবাব নেই! মে দিবস উপলক্ষ্যে চরম বাস্তবধর্মী চমৎকার একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্য, ধন্য বলি আপনাকে…!
মোটের উপরে সব গুলি পঙ্তি মন ছুঁয়ে গেছে!
কিন্তু ‘চুরে না শুনে যেমন ধর্মের কাহিনী, ঠিক তেমনি মে দিবসের দোহাই দিয়ে কি লাভ বলেন? কে শোনে কার কথা?
সত্যিই খুব ভাল লেগেছে।
সমাজতন্ত্রের ফেরিওয়ালাদের কথায় আর ভুললে চলবে না।
ওরা ব্যাস্ত থাক টক শো আর কলাম লিখায়।
শ্রমিকদের দাবি আদায় শ্রমিকদেরকেই করতে হবে।
@বাপ্পীদা,
জানি না, সমাজতন্ত্রের ফেরিওয়ালা বলতে আপনি বামবর্গীয়দের বুঝিয়েছেন কিনা। তবে, সমাজতন্ত্রের ফেরিওয়ালা কিন্তু কম-বেশী সবাই। আর মে দিবসে কমবেশি সব দলই লাল ফিতে পরাতে ভাল বাসে তাদের শ্রমিক কর্মিদের। আসলে কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ধারাকে টার্গেট করে নয়, বরং সব দলের সব মান্যবর নেতানেত্রীদেরকেই আহবান জানানো হয়েছে এই লেখায়।
আসলেই। তবে সর্বাগ্রে শ্রমিকদেরকে স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলগুলোর পকেট থেকে বেরুতে হবে। আশ্চর্য হলেও সত্য, মে-দিবসেই তারা সবচেয়ে বেশী পকেটবন্দী থাকে!
@কাজি মামুন,
“সমাজতন্ত্রের ফেরিওয়ালা” বলতে বিশেষ কোন রাজনৈতিক ধারাকে বুঝাচ্ছি না।
বরংচ তাদের কথা বলছি যারা মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু আড়ালে শ্রমিক শ্রেণির শত্রুদের সাথে হাত মেলায়।
@কাজি মামুন,
শ্রমিকরা স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলগুলোর পকেট থেকে তখনি বেরুতে পারবে যখন তারা নিজেদের ন্যায্য দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।
মন ছুঁয়ে গেল| (F)
হৃদয় ছেঁড়া ও ছোঁয়া কবিতা।
(D)
একটা মনোবেদনা অনুভব করলাম। ধন্যবাদ ।
একটি ভাল কবিতা। পড়ে ভাল লাগলো।
অসাধারন!
@সাইফুল ইসলাম,
একমত!
@সাইফুল ভাই,
মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, আপনার মন্তব্যে কিছুটা বিস্মিত! সস্তা সুতোর বুননে আমরা যে বিপুলকায়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলছি (আমরা অহংকার করে বলি, আমরা এখন বিশ্বের দ্বিতীয়, আর পাচ বছর পরেই ফার্স্ট হব!) , তার ভিত যে কত নড়বড়ে, তা মনে করিয়ে দিতে রানা প্লাজার মত ঘটনা বারবার ঘটছে! হয়ত ঘটবে আরো!
ওদের পাশে দাঁড়াতে পারি না, তাই দু’চার লাইন ক্ষোভ বের করেই দায়িত্ব সাড়ি। কিন্তু টিভিতে/পত্রিকায় ওদের টুকরো টুকরো স্টোরিগুলি পড়লে চোখের পানি নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যায়।