আঁধারে প্রতিবেদন পত্র
আঁধারে অনেক ত্রুটি আমার সহজাত কড়া দৃষ্টি এড়িয়ে যায়
পরিদর্শন প্রতিবেদন লেখাটাও সহজ হয়।
ক্ষতিপূরণের মামলা নিয়ে ঝামেলা কমে যায়
পরিদর্শিত পক্ষ থাকে ভীষণ খুশী
যেহেতু উৎকোচের প্রয়োজন পড়েনা।
তবে আঁধারে অন্য চারটি ইন্দ্রিয়গুলো
আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে,
অনেক কিছুই গোচরে আসে চোখের
বিশ্বাসঘাতকতার অনুপস্থিতিতে।
তবে এসকল কিছুই আমি প্রতিবেদনে রাখিনা
কেননা আঁধারে স্বাক্ষী যোগাড় করা কঠিন।
শত্রুকে আঘাত হানতে কিংবা মিত্রকে ভালোবাসতে
আঁধারের কাছে আলো নিতান্তই আনাড়ী।
পাশের কামরার মেয়েটা
পাশের কামরার মেয়েটা
মুখ চেপে হাই থামানোর চেষ্টা করছে,
বসনের ফিতাটা ঠিক করছে,
চুলের বেনী এদিক ওদিক নাড়াচ্ছে,
মেয়েটার প্রেমিক বসনমুক্ত হচ্ছে।
এ কিসের আওয়াজ শোনা যায় ?
আমার তো এখন ঘুমিয়ে থাকার কথা।
হতে পারে এটা কারও ফোঁপা কান্নার আওয়াজ ?
হয়ত মেয়েটা ওখানে আছে
কিংবা সেখানে হয়ত কিছুই নেই ,
শুধু অতীতের ফেলে যাওয়া কিছু চিহ্ন ?
পাশের কামরার মেয়েটা
চোখের পাতায় এখন কাজল দিচ্ছে,
মুখে রক্তিমাভা লাগাচ্ছে,
তাকে চেনা চেনা লাগছে ।
দ্বিধা
দ্বিধা মানে সংশয় নয় , সীমাবদ্ধতা নয়।
দ্বিধা মানে নয় চোরাবালিতে হটাৎ আটকে যাওয়া পদ যুগল।
দ্বিধা মানে চেনা ভুবন হারিয়ে
অচেনা মহাবিশ্বে নিখোঁজ হওয়ার অজানা আশংকা,
যেখানে প্রতিটা শব্দ আর তরঙ্গ মহাবিপদ সংকেত মনে হয়।
দিন আর রাতের মাঝামাঝি উষার করবী আভা ,
মিষ্টি বিকেল কিংবা ক্ষনিকের গোধূলি সূর্যের দ্বিধাহীন ছেলেমানুষি ছাড়া কিছু নয়,
সূর্যের এই ছেলেমানুষি আমরা সানন্দে আরও কিছুটা ছেলেমানুষি ঢেলে বরণ করে নেই।
সেখানে নেই কোন দ্বিধা , নেই কোন সংশয়।
সর্বনাশ, খুব ক্ষেপেছেন দেখছি। ‘কে’ বা ‘কাহারা’ দের বিরুদ্ধে মামলা করে দেন :))
যে সময়ে আনাড়ী অন্ধকারেও খেলবে ভালো;
সে সময়ের অপেক্ষায় থাকা যাক, ততক্ষণ (D)
@কাজী রহমান,
একমত। শক্ত প্রতিপক্ষের সাথে খেলার মজাই আলাদা।
সেখানে পরাজয়েরও একটা মূল্য আছে , অনেক কিছু শেখার আছে ! (D)
ভালো।
তিনটি কবিতার মাঝে শেষেরটা বেশি ভালো লেগেছে। প্রথম কবিতার ছন্দে কেমন যেন এলোমেলো ভাব আছে। দ্বিতীয়টার মাঝে শেষের প্নগক্তিখানি ভালো লেগেছে বিশেষত: “হয়ত মেয়েটা ওখানে আছে
কিংবা সেখানে হয়ত কিছুই নেই ,
শুধু অতীতের ফেলে যাওয়া কিছু চিহ্ন ?”
এ বাক্যটিতে যোগ্যতার কেমন যেন সামান্য অভাব…… !!
ক্যাটাগিতে দেখলাম লেখা ব্লগাড্ডা! কিন্তু এগুলো তো কবিতা। যদি আমি ভুল না করে থাকি।