লিখেছেন – ফারহানা আহমেদ
আসিফ মহিউদ্দিন ছুরিকাহত হলেন, আমরা বললাম ছবির হাটের গন্ডগোল এর কারন হতে পারে, এ নিছক ব্যক্তিগত শত্রুতা, ওর বন্ধুদের কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। আর তাছাড়া, আসিফ ছেলেটা খালি ‘আমি আমি’ করে, ওকে তো ইচ্ছা হয় আমিই ধরে মারি, যে মেরেছে তার আর দোষ কী? এরপর, ‘থাবা বাবা’ রাজীবের পালা, আমাদের মনে হলো ওই ‘কুৎসিত’ লেখাগুলো না লিখলেই পারতেন, ওইসব পড়ে আমারই তো কুৎসিত লেগেছে, ছিহ! এরপর, সানিউর রহমান ওরফে নাস্তিক নবী, তার কাজকারবার তো আরও ভয়াবহ, আর তাছাড়া সে তো ব্লগার না, কোন কালে বোধ হয় ছিলেন, কিন্তু এখন তো আর নেই, সো, তার দায় আমরা নেব কেন? মোটাদাগে এই হলো, ফেসবুক-ব্লগে যাদের মোটামুটি প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন হিসেবে জানতাম তাদের প্রতিক্রিয়ার সারমর্ম। আমাকে বিষয়টা একদিকে যেমন ব্যথিত করেছে, তেমনি একটা প্রশ্নও মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, একের পর এক ধর্মে অবিশ্বাসী ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্টরাই কেন আক্রান্ত হচ্ছেন? জামাত-শিবির চক্রের বিরুদ্ধে তো আসিফ-রাজীব-সামিউরের চেয়ে অনেক বেশি সোচ্চার আস্তিক ব্লগাররা আছেন। এই ব্লগাররা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখত, জামাতের বিরুদ্ধে লিখত, কিন্তু তার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করত ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখিতে। তাহলে বেছে বেছে এরাই কেন?
আমার মনে হয়, এই রকম ঘটার পেছনে দুটো বিষয় কাজ করছে। প্রথমটা অনেকটা তাত্ত্বিক, নাস্তিকদের নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী বা অ-ব্যবসায়ী দু’শ্রেণীর এস্টাব্লিসমেন্টের পক্ষের লোকজনের মনে সন্দেহ ব্যাপক। এসটাব্লিসমেন্টের স্তম্ভগুলোর মধ্যে ধর্ম অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম, কখনো কখনো তা রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী, রাষ্ট্রকেই ধর্মের মদদ নিতে হয়। এসটাব্লিশমেন্টের অন্য স্তম্ভগুলোও ধ্বসে পড়ার উপক্রম হলে মদদ মাঙ্গে ধর্মের। এস্টাব্লিশমেন্টের পক্ষে কাজ করার জন্য ধর্মের সবথেকে বড় সুবিধা হলো এর অতিপ্রাকৃত রহস্যময়তা। বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া, অতিপ্রাকৃত শক্তির ভয়ে ভীত করে রাখা—এইসব অস্ত্র ব্যবহার করে ধর্ম তার কার্য হাসিল করে। নারী পুরুষের পুরুষতান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে উঠলে, ধর্মই তাকে ঠান্ডা করে; মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিক যেতে পারে না, কারণ আল্লা যাকে এই যামানায় কিছু দেননি, আখেরাত তো তারই জন্য। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহজ ব্যবহার্য অস্ত্র হলো ধর্ম, বাংলাদেশেই দেখি আমাদের পতিত স্বৈরাচারী ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রধর্মের এমনই ক্লস সংবিধানে যুক্ত করেছেন, যা থেকে বের হওয়া বাংলাদেশের পক্ষে কবে সম্ভব হবে কেউ জানে না।
এহেন মহাপরাক্রমশালী হাজার বছরের চেষ্টায় নির্মিত ধর্ম নিয়ে যারা প্রশ্ন করতে শুরু করে, পরকালের ভয়ংকর শাস্তির ভয় যাদের মনে কাঁপন ধরাতে পারে না, তাদের সন্দেহ করাটা, এবং কিছুটা ভয় পাওয়াটা এস্টাব্লিশমেন্টের পক্ষে অসম্ভব নয়। এমনকি, এস্টাব্লিশমেন্টের পক্ষের যে সব তুলনামূলক লিবারেল ফোর্স আছে তারাও নাস্তিকদের সন্দেহের চোখে দেখে; শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ নাস্তিকদের পক্ষে কথা শুধু যে রাজনৈতিক কারণে বলেন না তা নয়, তারা নিজেরাও এদের ঠিক বিশ্বাস করেন না। করার কারণও নেই। আস্তিক লোকজনের সবসময় একটা সুবিধা থাকে, যে কোন বিষয়ে আপোষ করে নেওয়া যায় ধর্মের নামে, কেউ কিচ্ছু মনে করে না। নাস্তিকের সেই সুবিধাটা নেই, তাকে নিজের কাছেই প্রতিনিয়ত জবাব দিতে হয় আমি যে পক্ষে আছি, কেন আছি? কোন যুক্তিতে? তার মনের গঠনটা এইরকম না হলে তার পক্ষে আসলে ঈশ্বরকে নিয়েও প্রশ্ন করা সম্ভব হতো না। নারী প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে নাস্তিকের অবস্থান তাই অনেক পরিষ্কার, অনেক র্যাডিক্যাল, অনেক প্রগতিশীল। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজনও নাস্তিক পাই নি, যিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, বা নারীদের প্যাকেটে মুড়ে রাখতে চান। নাস্তিকের এই র্যাডিক্যাল আপোষহীন চরিত্রই তাকে মধ্যমপন্থী লোকজনের কাছে অপ্রিয় করেছে।
দ্বিতীয় দিকটা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিক্রিয়ার সাথে জড়িত। আমি শুরু করেছিলাম অনলাইনে পড়া কিছু প্রতিক্রিয়া দিয়ে। হ্যাঁ, মোটাদাগে এই রকম প্রতিক্রিয়াই দেখেছি গণজাগরণ মঞ্চের কার্মী-সমর্থকদের মধ্যে। নাস্তিক মরলে বা মার খেলে তার প্রতি যে ঔদাসীন্য দেখাচ্ছেন আন্দোলনের সহযোদ্ধারা তাতে করে নাস্তিকরা জামাত-শিবির-হি্যবুতের সবথেকে সহজ টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রমাণ করে কেউ যদি নিহত বা আহত হন এবং তার একই সাথে অনলাইনে ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে মাতামাতি হবে না, হলেও কম হবে। বিশ্বাসের জায়গা থেকে হোক, বা শাহবাগ আন্দোলনকে ধর্মীয় গোষ্ঠিগুলোর কাছে প্রিয় রাখার যায়গা থেকেই হোক, বা নিজের প্রাণের ভয়েই হোক, আন্দোলনের উদ্যোক্তারা ধর্মীয় মৌলবাদ সংক্রান্ত আলোচনার জায়গাটা বাদ দিয়েই জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবী জানাচ্ছেন। তাই নাস্তিকদের সাথে কোন রকম সংশ্রবও তারা অস্বীকার করছেন। হয়তো, এটাই সময়ের দাবী, এভাবে না হলে জামাত-শিবির কুৎসা রটানোর আরো কিছু অস্ত্র পেয়ে যেত। কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে একজন ধর্মহীন লোক এবং একইসাথে শাহবাগের গণজাগরণের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে আমার কষ্টই লাগে যখন দেখি ইমরান এইচ সরকার মাইকে উপস্থিত জনতাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে কোন নাস্তিক আছেন?’ এবং, উপস্থিত জনতা সমস্বরে আওয়াজ তোলে, ‘না, না।‘
ফারহানা আহমেদ
[…] Blogger Farhana Ahmed [bn] explained on Mukta Mona (Free Thinkers), a blog on freedom of expression, the reasoning behind why atheists and secular online activists are being targeted: আমার মনে হয়, এই রকম ঘটার পেছনে দুটো বিষয় কাজ করছে। প্রথমটা অনেকটা তাত্ত্বিক, নাস্তিকদের নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী বা অ-ব্যবসায়ী দু’শ্রেণীর এস্টাব্লিসমেন্টের পক্ষের লোকজনের মনে সন্দেহ ব্যাপক। এসটাব্লিসমেন্টের স্তম্ভগুলোর মধ্যে ধর্ম অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম, কখনো কখনো তা রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী, রাষ্ট্রকেই ধর্মের মদদ নিতে হয়। এসটাব্লিশমেন্টের অন্য স্তম্ভগুলোও ধ্বসে পড়ার উপক্রম হলে মদদ মাঙ্গে ধর্মের। [..] বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া, অতিপ্রাকৃত শক্তির ভয়ে ভীত করে রাখা—এইসব অস্ত্র ব্যবহার করে ধর্ম তার কার্য হাসিল করে। নারী পুরুষের পুরুষতান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে উঠলে, ধর্মই তাকে ঠান্ডা করে; মালিকের বিরুদ্ধে শ্রমিক যেতে পারে না, কারণ আল্লা যাকে এই যামানায় কিছু দেননি, আখেরাত তো তারই জন্য। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহজ ব্যবহার্য অস্ত্র হলো ধর্ম। I thinks there are two reasons behind this. The first one is theoretical, both the Islamist hardliner and practicing Muslims are skeptic about atheists. Religion is very powerful, sometimes more than the state such as when the state has to accept the help of religion. If any of those establishments are in trouble, they take refuge in religion. [..] Religion accomplishes their job by deploying instruments like blind faith, taking things for granted, and keeping people in fear. When patriarchal oppression is protested by women, religion keeps them in check, workers cannot revolt against autocratic employers as religion reminds that for those who have less in this world, there is an afterlife waiting for them. To remain in power the simplest of weapons is religion. […]
এখন নাস্তিকদের বলা দরকার “ওরা আমার নাস্তিকতা কাইরা নিতে চায়”।
[img]https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/550037_547552491955864_1566363514_n.jpg[/img]
নোটের ওপর অনেক আলাপচারিতা হয়েছে। আপাতত একটি ছবি দিয়ে যাই। [খুব খেয়াল করে] (Y)
কথাগুলো সবাই জানেন, তাও বলছি।
উন্নত দেশগুলো তাদের স্বার্থে সব সময় ছোট ছোট দেশগুলোকে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে দূর্বল করে রাখে । স্হিশীলতা, ধারাবাহিকতা থাকলে ত্রুটিপূরণ গণতন্ত্রও (এমনকি একনায়কতন্ত্রও) আস্তে আস্তে দেশকে সকল সূচকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এসকল ছোট ছোট দেশ উন্নতি করলে উন্নত দেশগুলো কোথায় পাবে সস্তা শ্রম? কোথায় করবে উচ্চ সূদের ঋণ ব্যবসা? শিল্পপন্ন্য কোথায় বিক্রি করবে? উন্নত দেশগুলো এসকল দেশে কিছু উগ্রবাদি রাজনৈতিকদল (ধর্মীয়, সমাজতন্ত্রীয়, বা জাতীয়তাবাদী-যখন যে ট্রেন্ড থাকে, প্রয়োজনমত ব্যবহারের জন্য) –কে দুধ কলা দিয়ে পুষে রাখে। ’৭২-’৭৫-এ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে উগ্রসমাজতন্ত্রীদের ‘বিপ্লব’ দেশের পরিস্হিতি এমন কের দেয় যা ‘৭৫এর পটপরিবর্তনে কাজে লাগে। বর্তমানে দেশ সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে-যা কিনা কিছু পশ্চিমা সংবাদ সূত্রে বলা হচ্ছে। সকল সূচক নিম্নমুখী করতে হলে অবধারিতভাবে গোলযোগ দরকার-উগ্রধর্মীয় গষ্ঠিকে প্রস্তুত রাখা আছে। এখনই সময় ‘ইসলামী’ বিপ্লব করার। তবে এ বিপ্লব ‘নিয়ন্ত্রীত’ মাত্রায় হবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, ঢাকায় এফবিআই অফিস, বিদেশী নৌঘা৺টির কথা শোনা যাচ্ছে (‘সর্বসম্মত’ভাবে)।
’৭২-’৭৫-এর উগ্রসমাজতন্ত্রী বিপ্লবীরা(সর্বহারা,নকশাল,এম-এল, ….ইত্যাদি)জানত না, কারা তাদের(বিপ্লবীদের) ফিনান্স করছে। জানলে হয়ত ‘ভুয়া’ বিপ্লবে জীবন দিত না। আজকের ‘শিক্ষিত’ যুবক শিবির কর্মী জানে ,কাদের ফিনান্সে তারা চলছে –তার পরেও তারা কেন আত্মহণনে প্রস্তুত? একি আদর্শহীনতার গ্যাপ পূরণ? নাকি ২০/২৫ বছর পর পর আত্মাহুতি একটা প্রাকিতিক রুটিন?
আসন্ন বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব কি?
সাবধান!!
মহানবী ও ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তিকারীদের সনাক্তে সরকারের কমিটি গঠন।
এখানে দেখুন-
অথবা নীচে-
http://www.nowbd.com/2013/03/13/152882.htm
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এটা কি দিলেন? এখনতো আমারও ধরবে, আমিতো আগের মন্তব্যেই মহানবীকে নিয়ে লিখে ফেলেছি। এখনতো বিপদে পড়ে গেলাম। হায় হায় 🙁
নাস্তিক হতে অনেক সাহস লাগে বলে আমার মনে হয়, যে কারনে আমি নাস্তিক নই বা হতে পারিনি। আমি আমার সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি। জানি, এই বিশ্বাসকে যদি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, তাহলে বিশ্বাসে টান পরতে পারে। সেজন্য আমি এই ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি ঘাটতেও যাইনি। শুধুই আল্লাহের উপর বিশ্বাস রেখেছি। ব্যস। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে ইসলাম নিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্য পড়ে আমি সত্যটা যাচাই করার জন্য অবশেষে কুরানের অর্থ পড়া শুরু করি। আমি ছোটবেলায় কুরান আরবিতে পড়া শিখেছিলাম, কিন্তু অর্থ না জেনে বেশিদূর পড়া হয়ে ওঠেনি। যাই হউক, কুরানের অর্থ পড়তে গিয়ে দেখলাম কুরানে অর্থাৎ আল্লাহর বানীতে হত্যা, খুন, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান……… ইত্যাদি হিংসাত্ত্বক কথাবার্তা লেখা আছে। আমার খুব বড় একটা ধাক্কা লাগলো এটা পড়ে। প্রথমে বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিল এই ভেবে যে, যে আল্লাহকে আমি এত বিশ্বাস করি, এত ভালোবাসি তিনি কিনা তাঁর নিজের পাঠানো বানীতে তাঁরই সৃষ্ট অন্য মানুষ (যে কিনা কাফের/অন্য ধর্মের) কে হত্যা করতে বললেন? তখন মনে হল, এটা কিভাবে সম্ভব? পরে নিজের মনেই ভেবে নিলাম, আমার আল্লাহ কখনই এমন কথা বলতে পারেননা। এটা তৎকালীন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কোন মানুষের পক্ষেই এমন হিংস্র মনভাব পোষন করা বা লেখা সম্ভব।
অনেক ভাবলাম, আমার কেন জানি মনে হয়, ইসলাম আমার স্রষ্টা আমার আল্লাহকে অনেক নীচে নামিয়ে এনেছে, অনেক ছোট করে ফেলেছে। অবশ্য আমি অন্য ধর্মের কোন বই এখনো পড়িনি, তবে এখন থেকে পড়ব ঠিক করেছি।
@নাশিদ,
আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন।
তবে আমার মতে যে পবিত্র গ্রন্থখানির নির্দেশে আজ প্রতিদিন অসংখ্য মুসলিম তরুন আত্মঘাতি হয়ে আল্লাহরই সৃষ্ট অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে চলেছে, নাফিসরা আমেরিকার জেলে আটক আছে-সেই গ্রন্থখানিকে মুসলমান মাত্রেরই একটু মাতৃভাষায় বুঝে পড়ে দেখার দরকার আছে বৈ কি?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ চাকলাদার ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা অধিকাংশ মুসলমানই শুনে মুসলমান। অবশ্যই কুরান মুসলমান মাত্রেরই একটু মাতৃভাষায় বুঝে পড়ে দেখার দরকার আছে, তবে খোলা মন নিয়ে। কারো মগজ আগেই ধোলাই করার পরে কুরান পড়তে দেয়া হয়, তাহলেতো আমার মনে হয় হিতে বিপরীত হতে পারে।
@নাশিদ,
একেবার সঠিক কথা। মগজ একবার ধোলাই হয়ে গেলে সেই ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা বা স্বাধীনতা বলে আর কিছুই থাকেনা।
AID ভাইরাছ মানুষের কোসের নিউক্লীয়াছের মধ্যে ঢুকে DNA এ দখল করে তার নিজের নিয়ন্ত্রনে লয়ে আসে। ফলে DNA তার GENETIC CODE এর মাধ্যমে যে অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবন প্রণালী চালাচ্ছিল তা হারিয়ে ফেলে।
ফলে লোকটি অশুস্থ হয়ে যায়।
বিশ্বাষের ভাইরাছ এর চাইতেও মারাত্মক। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি জন্য অন্যকে মারা তো কোন ঘটনাই নয় বরং সে নিজেও জলন্ত অগ্নিকুন্ডে ঝাপ দিতে পারে।
অভিজিৎ রায় এর “আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী” বইটা এখানে পড়ে দেখলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। বইটির উপস্থাপনা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও সাবলীল হয়েছে। বইটি বাংলাদেশে প্রকাশিত হওয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা আছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধন্যবাদ হাকিম ভাই। আমি বইটি পড়ে দেখবো।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
@প্রশ্নকারী,
আমিতো ভাই বলেইছি,আমি নাস্তিক না। আমি বিশ্বাস করি যে , এই যে এত সৃষ্টি, সবকিছুর মূলে একজন স্রষ্টা আছেন। যদি বিবর্তনের মাধ্যমেও হয় , তাহলে এই সম্পূর্ন প্রক্রিয়া সৃষ্টির পিছনে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। ধন্যবাদ।
@নাশিদ,
আপনি আস্তিক বা নাস্তিক এটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
আপনার কি মনে হয় বিশ্বাস আর যুক্তি বা সত্যানুসন্ধান একসাথে থাকতে পারে? আপনি যে বিশ্বাসের জোরে বলছেন সবকিছুর মূলে একজন স্রষ্টা আছে ঠিক একই বিশ্বাসের জোরে ব্লগার রাজীবের হত্যাকারীরা বলছে তারা তাদের ইমানি দায়িত্ব পালন করার জন্য রাজীবকে হত্যা করেছে। এই ধরনের বিশ্বাসকে আপনি নিজে কি ভালো মনে করেন?
@প্রশ্নকারী,
ঠিকই বলেছেন আপনি, আস্তিকতা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এটা নিয়ে কারও সাথে তর্ক বা বোঝাতে যাইনা। কারন যে ব্যাপারটি শুধুই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আমি অন্যকে কি দিয়ে বোঝাবো, কোন যুক্তিতে বোঝাবো?
তবে জীবনের একটি গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় হল বিশ্বাস এবং জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির প্রয়োজন আছে। তাই নয় কি? না হলে তো জীবনই চলতে পারেনা। তবে বিশ্বাসে অন্ধ হয়ে যেতে হবে তা কে বলেছে? তরকারিতে লবন দিতে হবে, না হলেতো খাওয়াই যাবেনা। আবার বেশি লবন হলেও খাওয়া যাবেনা। পরিমান মত থাকতে হবে। আমি এটা বলিনি যে আমি ইসলামকে পূর্ন বিশ্বাস করি। কারন ইসলামের অনেক কিছুই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য হয়নি। এটা আমি করতে পেরেছি কারন আমি বিশ্বাসে অন্ধ হয়ে যাইনি। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে আমি শান্তি পাই এবং এটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আর আমি মনুষ্যত্ত্ব ধর্মে বিশ্বাস করি। কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত, কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ এটার পার্থক্য করার জন্যতো কোন ধর্মগ্রন্থের দরকার পড়েনা। মানুষ তার স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনায় তার নিজ কর্তব্য নির্ধারন করার ক্ষমতা রাখে। এখানে ধর্ম কি কাজে লাগে, আর মানুষ কেন এটার পেছনে ছোটে, সেটাই রহস্য। আর এই ধর্ম নিয়ে এত মাতামাতি, ঠিক বেঠিকের হিসেব নিকেষ করতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকেই আমাদের মুল্যবান সময়কেই অপচয় করছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি কিন্তু শুনে মুসলমান না। তাই আমি প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরার চেষ্টা করি , আর যারা ভুল ভাল ও নিজেদের মনগড়া ইসলাম প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। তাই্ আমার শ্লোগান হলো –
আমরা সবাই তালেবান , বাংলা হবে আফগান।
@বিদ্রোহী,
আপনার শ্লোগানই যথাযথ। এবং সেটাই তো হতে চলেছে। এটা না হলে যে আর ইছলাম রক্ষা হবেনা। সবারই জাহান্নামের জলন্ত অগ্নিকুন্ডে অনন্তকাল পুড়েপুড়ে ছারখার হতে হবে।
যাবে কোথায়?
@আঃ হাকিম চাকলাদার, :lotpot: :lotpot:
@নাশিদ,
ইসলামের কৌশলটা আপনি ৯০% ধরে ফেলসেন। নিরপেক্ষ মন নিয়ে পরুন আর ভাবুন। সব পরিস্কার হবে।
@মুনিয়া মুশতারি,
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যটি করার জন্য। আমি চেষ্টা করছি সেটাই করার। অনেক পড়াশুনার প্রয়োজন আছে আপনাদের মত অতখানিক না হলেও একটু জ্ঞানী হবার জন্য।
@নাশিদ,
হুবহু আপনার মত অভিজ্ঞতা আমারও। আমি আপনার চেয়ে আরো অগ্রসর হয়ে ইবনে কাথিরের তাফসিরে গেলাম। সেখানে গিয়ে তো চক্ষু চড়ক গাছ। শান্তির ধর্ম ইসলামের এ কি ভয়াবহ রূপ! যেমন – নিচের আয়াতটি দেখুন-
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা আত তাওবা -৯:০৫
এটা সোর্ড ভার্স বা তরবারির আয়াত নামে পরিচিত। আমি বেশ কিছু মোল্লার সাথে এ আয়াতটি নিয়ে কথা বলেছি, তারা বলেছে- এটা নাকি নবীর সেই সময়কার অবস্থার জন্যে প্রজোয্য ছিল। বর্তমানে এর কোন উপযোগীতা নেই। আর তা ছাড়া এটা নাকি মুহাম্মদের আত্মরক্ষার যুদ্ধের ঘোষণা। কাফিররা হুদায়বিয়ার চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে , অত:পর আল্লাহ উক্ত আয়াত নাজিল করে ও মুহাম্মদকে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের আদেশ দেয়। পরে ভাল করে খোজ খবর করে দেখি সেই হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত কাফিররা নয় , বরং মুহাম্মদই আগে ভেঙ্গেছিল। হুদায়বিয়ার সন্ধি শর্তে ছিল যদি মক্কার কোন লোক ইসলাম গ্রহন করেও মদিনায় মুহাম্মদের কাছে চলে যায়, তাকে সে মক্কায় ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। তো এ সন্ধি চুক্তির পর পরই কয়েকজন ( সম্ভবত : দুইজন ) নারী মদিনায় চলে যায়। সাথে সাথে তাদের ভাই মদিনায় গিয়ে তাদের বোনদেরকে ফিরিয়ে আনতে যায়, আর তখনি নাজিল হয় নিচের আয়াত –
মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। সূরা -মুমহাহিনা-৬০:১০
অর্থাৎ মুহাম্মদের আল্লাহ বলছে তাদেরকে ফেরত না দিতে। তার অর্থ মুহাম্মদই হুদায়বিয়ার শর্ত প্রথম ভঙ্গ করেছিল। তদনুযায়ী মুহাম্মদ সেই দুইজন নারীকে ফেরত তো দেয় নি, পরন্তু তার সাহাবীদেরকে বলছে তাড়াতাড়ি তাদেরকে বিয়ে করে ফেলতে যাতে করে আর ফেরত দিতে না হয়। এর পর স্বাভাবিক ভাবেই মক্কার কুরাইশরা মুহাম্মদের বিরদ্ধে কতিপয় কাজ করে যা হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি বিরুদ্ধ আর যার কারনও বোধগম্য। সেটা বিরাট আলোচনার বিষয়। কিন্তু আসল বিষয় হলো মুহাম্মদই আগে সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করে পরে সেই দোষ কুরাইশদের উপর চাপায় ও একতরফাভাবে সন্ধি চুক্তি বাতিল করে দিয়ে তার আল্লাহর কাছ থেকে ৯:৫ নামক তরবারির আয়াত নাজিল করে। এবং এটা শুধু সেই সময়ের জন্য প্রজোয্য ছিল না বা এটা আত্মরক্ষার যুদ্ধ ছিল না। সেটা খুব পরিস্কার ভাষায় বিখ্যাত তাফসিরকার ইবনে কাথির বলেছে, যেমন-
আল্লাহ বলছেন-তোমরা মসজিদে হারামের পাশে যুদ্ধ করো না তবে কাফিররা যদি সেখানে যুদ্ধ করে তবে সেখানেও তাদের সাথে যুদ্ধ কর। তোমরা তাদেরকে পাকড়াও করতে পার, হত্যা করতে পার, তাদের দুর্গ অবরোধ করে ওৎ পেতে থাক তারপর সামনে পেলে তাদেরকে হত্যা কর। অর্থাৎ তোমাদেরকে শুধু এই অনুমতিই দেয়া হচ্ছে না যে শুধু তাদেরকে সামনে পেলে হত্যা করবে বরং এ অনুমতিও দেয়া হচ্ছে যে – তোমরা আগ বাড়িয়ে তাদের পথ রোধ করে দাড়াবে , তাদের ওপর আক্রমন করবে এবং তাদেরকে ইসলাম গ্রহন অথবা তাদেরকে যুদ্ধ করতে বাধ্য করবে। তাফসির ইবনে কাথির, ৮ম, ৯ম,১০ম ও ১১শ খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৬৪৩, অনুবাদ : ড. মুজিবুর রহমান, প্রাক্তন অধ্যাপক ও সভাপতি, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ , রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ তাফসির পাওয়া যেতে পারে – http://www.quraneralo.com এ সাইটে।
তো এই গেল শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রকৃত রূপ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যারা ইসলাম প্রচার করে – তারা কি পরিমান মিথ্যা কথা বলে ও প্রচার করে। তারা যে মিথ্যা কথা বলে সেগুলো –
১। মুহাম্মদ নাকি সব সময়ই আত্মরক্ষার যুদ্ধ করেছে
২। কুরাইশরাই নাকি প্রথম হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করেছে আর তাই ৯:৫ নাজিল হয়েছে
৩। এসব জিহাদী আয়াত নাকি শুধুমাত্র সেই মুহাম্মদের সময়েই প্রযোজ্য ছিল
@বিদ্রোহী,
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই আপনার এই তথ্যসম্বলিত মন্তব্যের জন্য।
এই প্রযোজ্য থাকার ব্যাপারটি কোন আয়াতের মাধ্যমে জায়েজ করা হয়েছে বলতে পারেন? বা হুজুররা কি বলতে পারে?
@নাশিদ,
না ভাই নাজিল হয় নি। কেমনে হবে কারন তওবাই তো শেষ সুরা। নাজিল হওয়ার টাইম পাইলো কই ? যারা বলে এ আয়াত তখনকার সময়ের জন্য প্রযোজ্য তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে
বাংলাদেশের জনগন পরিস্কার দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে ধর্মান্ধ বিশাল বর্বর জনগোষ্ঠী এবং তাদের মতদদাতা কিছু ধান্ধাবাজ জ্ঞানপাপী। তারাই অন্যের বাসায় আগুন দিয়ে উল্লাস করে। অপ্রিয় সত্যকথা হলো এরাই আমার দেশে সংখ্যাগুরু। অন্যদিকে আছে কিছু শিক্ষিত ,সেকুলার , মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ। এই সেকুলার এলিট শিক্ষিত শ্রেনীর কিছুকাল কঠোর একনায়ক শাসন ছাড়া দেশের এই মুহুর্তে আর কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না।
@অশোক,
কঠোর একনায়কের শাসনকে একটা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য, তা সে গণতন্ত্র যত শিশুই হোক না কেন, সমাধান বলে মানছেন কিভাবে বুঝলাম না। ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া একনায়কের কাজ না, বরং ক্ষমতার স্বাদ একবার পেয়ে গেলে ক্ষমতায় টিকে থাকার বাসনায় একনায়করাই ধর্মকে ব্যবহার করে সবথেকে বেশি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বলে একনায়কদের আমলে কিন্তু “ধর্মান্ধ বিশাল বর্বর জনগোষ্ঠী এবং তাদের মতদদাতা কিছু ধান্ধাবাজ জ্ঞানপাপী” কারুরই কোন ক্ষতি হয়নি। জামাত ও গোলাম আজম গং-কে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন এক একনায়ক জিয়াউর রহমান, আরেক একনায়ক এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করে সংবিধানে যে স্থায়ী অসংগতি তৈরি করে রেখে গেছেন তার যের টানছে আজকের বাংলাদেশ। আর গত কেয়ারটেকারের কথা চিন্তা করেন……আওয়ামী লীগ মার খেলো, মার খেলো বিএনপি, জামাতের কিন্তু তেমন কিছু হলো না। বরং তারা আরামসে তাদের বিজনেস চালিয়ে গেল।
যারা পরম সত্যে বিশ্বাস করে তারা আস্তিকlযারা পরম সত্যে বিশ্বাস করে না তারা নাস্তিকlকেউ যদি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন পরম সত্যের আরাধনা করে তবে সেটি তার মানবিক অধিকারlআবার ধর্মের ত্রুটি নিয়ে মত প্রকাশ করাও একজন মানুষের মানবিক অধিকারlকিন্তু হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখব ধর্মযুদ্ধের নামে বারবার মানব সভ্যতা রক্তাক্ত হয়েছেlআর এর প্রধান কারন হচ্ছে ধর্মকে শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা বিস্তারের কৌশল হিসেবে ব্যাবহার করেছেlশাসন কাজের সুবিধার জন্য বৌদ্ধের মতবাদ কে অগ্রাহ্য করে এবং বিকৃত করে মহাযান পন্থার উদ্ভব হয়েছে যা এখন বৌদ্ধ ধর্মের মূলধারা lযীশুর মৃত্যুর পর তার আধ্যাত্মিক দর্শন নিয়ে চার্চের রাজনীতির কথা আমরা সবাই জানিlহিন্দু ধর্মের জাতিভেদের কথা বলে শাসকরা সাধারন মানুষকে শোষণ করতlঅপরদিকে খলিফারা আরব ভূখণ্ডে ধর্মের নামে মানুষের বিকাশের পথকেই রুদ্ধ করে দিয়েছিলlআবার ধর্মকে ধারন করে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করেছে এমন অনেক মানুষের কথাও আমরা জানিl
মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের নাস্তিক বুদ্ধিজীবী এবং গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত ধর্মপ্রাণ কৃষক শোষণের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিলlইসলামের নামে কেউ তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারেনিl
কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হাসিলের জন্য ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেlআওয়ামীলীগ এবং বি এন পির রাজনৈতিক লড়াই হচ্ছে কুৎসিত ক্ষমতা দখলের লড়াইlএই দুটি দলই সাম্প্রদায়িক দল। শাসকগোষ্ঠীর মদদ না পেলে জামাত শিবির চক্র কখনই এ দেশে ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারত না।অপর দিকে নাস্তিক হওয়া মানেই কিন্তু প্রগতিশীল হওয়া নয়lজিন্নার মত জ্ঞানপাপী নাস্তিক আমাদের দেশেও আছে যারা নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যাবহার করেlতাই রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে বাদ দিতে হবেlধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দলকে আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবেlআবার কেউ যদি কোন ধর্ম অনুসরণ করতে চায় তবে তার অনুভূতির প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হতে হবেl
@রসি মজুমদার,
জিন্নাহ যে কাজ করেছে তার পেছনে তার ধর্ম(অ)বিশ্বাস নয়, কাজ করেছে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস। ভারতবর্ষে ‘মুসলমান’ শুধুই একটা ধর্মীয় এনটিটি না, বরঞ্চ একটা ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক এনটিটি। জিন্নাহ এই গোষ্ঠির মুক্তি দেখেন ভারতীয় হিন্দুর সাথে সহাবস্থানে নয়, বরং তাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে। ভারত থেকে পাকিস্তানকে আলাদা করতে জিন্নাহ সেই অস্ত্রটাই ব্যবহার করেন, যে অস্ত্রের কৌশলগত প্রয়োগ এই উপমহাদেশে অব্যর্থ। পূর্ব বাংলার জনগন যে ধর্মের বটিকা পেলে কি আরামে খায়, জিন্নাহ তা হাতে-নাতে প্রমাণ করে দিয়েছেন। জিন্নাহ সফল। জিন্নাহর দেখানো পথে আরো অনেকে সফল।
@ফারহানা আহমেদ,
মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছেlসাম্রাজ্যবাদী শক্তি বারবার সাম্প্রদায়িক চেতনাকে ব্যাবহার করে নিজেদের শোষণ ব্যাবস্থা কায়েম করতে চেয়েছে এবং সফল হয়েছেlআল কায়েদার মত জঙ্গি সংগঠন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্রের ফসলlমৌলবাদী কিংবা আস্তিক না হয়েও ধর্মকে নিজ স্বার্থে ব্যাবহার করা যায়lসেই কাজতাই জিন্নাহ করেছিলlএই উপমহাদেশের শাসকগোষ্ঠী এখনো তা করছেlতার মানে সমস্যাটা রাজনৈতিকlতাই ধর্মকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া না গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে নাlআবার যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সে দেশে ধর্মহীনতা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে কোন লাভ নেইl
@রসি মজুমদার,
এই মন্তব্যে (Y)
এইটা কেন বললেন বুঝলাম না।
@ফারহানা আহমেদ,
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিতl তাই জ্ঞানপাপীরা তাদের অন্ধ অনুভূতি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলছেl একটি শোষণহীন এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণ না করে ধর্মহীন সমাজ নির্মাণ করা সম্ভব নয়l
আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই নাস্তিকদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে এবং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আক্রমণকারীরা আংশিক সফল হয়েছে।
তাছাড়া আপনারা জানেন– যখন রবীন্দ্রনাথকে এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তখন এর বিরুদ্ধে যে সোচ্চার আন্দোলন হয়েছিল, গান গেয়ে চর্চার মাধ্যমে যারা রবীন্দ্রনাথকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের মধ্যে মূল অংশটি নাস্তিক ছিল অথবা নিদেন পক্ষে তাদের ধর্ম বিশ্বাস ততটা দৃঢ় ছিল না। বিশেষ করে মুসলমান ধর্মের মৌল কাঠামোতে গান-বাজনার স্থান নেই, তার ওপর রবীন্দ্রনাথে গান মুসলিম ধর্মানুসারে নানা বেদাতী বিষয়ে ভরপুর। ধার্মিকেরা যে কোনো দেশীয় সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে ধর্ম বহির্ভূত উপাদান খুঁজে পান।
টনটনে ধর্ম বিশ্বাসীদের পক্ষে কি ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়া সম্ভব? যাদের সুদৃঢ় ধর্ম বিশ্বাস আছে তারা সেই ধর্মের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। আর ১৯৭১-এ যারা ধর্মীয় রাজনীতি করেছে তাদের ভূমিকাও আমরা জানি।
আবার খোঁজ নিলে দেখা যাবে যারা শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠক পর্যায়ে আছে তারা হয়ত নাস্তিক নয় তবে তারব ধার্মীয় আচার-আচরণ পালনের ক্ষেত্রে তেমন সিরিয়াসও নয়। তাদের আন্দোলনেন দিকে তাকালে দেখবেন প্রথম দিকে ধর্ম বলতে মানুষের জীবনে কিছু আছে তার কোনো চিহ্ন ছিল না। যখনই নাস্তিক-আস্তিক বিষয়টি শুরু হয়েছে তখনই তাদের এমন কিছু করতে হচ্ছে যাতে প্রমাণ হয় তারা আস্তিক বা ধর্ম বিরোধী নয়। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেকুলার চেতনা, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম মৌলিক ভিত্তি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ সেকুলার রাষ্ট্র গড়ার প্রক্রিয়া আবার হোঁচট খেল।
:-Y
@আলসে কুড়ে, (Y)
ফারহানা, অভিনন্দন… অনেক সুন্দর লিখেছেন।। (*)
@রুচী,
ধন্যবাদ।
খুব বড় জ্ঞানী না হয়েও সাধারণ ভাবে এ্টা বুঝা যায় যে, বর্তমান সময়ে দেশে দেশে সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন শুধুমাত্র গুন্ডামির জোরে তাদের ধর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ধর্ম এখন টিকে আছে কঠোর প্রহরায়, প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক পৃষ্টপোষকতায়। সুবিধাবাদী শ্রেণী তাদের স্বার্থে বাঁচিয়ে রেখেছে এই আদিম ব্যবস্থাকে। মানুষ নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনেক দূর, কিন্তু ঘাড়ের উপর চেপে বসা এই অপ্রয়োজনীয় বোঝা নামাতে পারছে না।
এক সময় মানুষ যখন সমাজ পরিচালনার জন্য ধর্মীয় বিষয়গুলো প্রচলন করে তখনও এর পিছনে ছিল সুবিধা আদায়ের অশুভ চিন্তা। চিন্তায় পিছিয়ে থাকা জনসমাজকে পরকাল নামক জুজুর ভয় ও লোভ দেখিয়ে সুবিধাবাদী শ্রেণী তাদের সুবিধা আদায় করেছে ও সমাজের উপর কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। সময়ের পরিবর্তনে মানুষ শিক্ষায়, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে। কিন্তু এই সময়েও অবাক করা ব্যাপার ধর্মীয় মাদকতা মানুষকে পুরোপুরি আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
আমি খেয়াল করে দেখি যারা লেখাপড়া জানে এবং কোন চাকুরী বা পেশায় থাকে তাদের মধ্যে ধর্ম চর্চা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। যারাই একটু সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যায় তারা ধর্ম চর্চা বাড়িয়ে দেয়, বেশী বেশী করে ধর্মীয় বিষয়গুলোকে প্রচারে আনে, অন্যকে তা চর্চা করতে প্রভাবিত ক্ষেত্র বিশেষে বাধ্য করে। এর একটা কারণ সুবিধাবাদী শ্রেণীর তালিকায় নিজেকে অন্তর্ভূক্ত করে নিরাপদ রাখা। আর একটি কারণ চলমান এই সনদ প্রাপ্তির তথাকথিত লেখাপড়া মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিাক্ষত করছে না। তাই তার অবচেতন মনে ধর্মীয় মাদকতার বিষয়টি পারিপার্শ্বিক ধর্ম অনুকুল পরিবেশ,বিশাল প্রচার ও চাপের কারণে সুপ্ত অবস্থা থেকে এক সময় বেরিয়ে পড়ে। এক সময় সে ও এই মাদকতায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
আর একটি শ্রেণী জন্মের পর থেকেই এক আবদ্ধ পরিবেশে বড় হয়ে তথাকথিত লেখাপড়া করে অথবা না করে ভয়ঙ্কর ধর্মীয় দানবে পরিণত হয়। সমাজ, রাষ্ট্র, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অনবরত মানুষকে ধর্মের দিকে ধাবিত হবার জন্য প্রভাবিত করে, চাপ সৃষ্টি করে ও বাধ্য করে। কারণ হিসেবে বলা হয় ধর্মের পথে গেলে নকি মানুষের নিজের ও সমাজের মঙ্গল হয়। অথচ যুগে যুগে বিভিন্ন ভাবে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রচলিত ধর্মমতগুলো সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিদ্বেষ, হিংসা ও অশান্তি ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। ধর্ম একজনকে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান করে কিন্তু তাকে কোনভাবেই মানুষ করে না।
ধর্ম আমাদের এই বদ্ধ সমাজে এখন বসে আছে বিশাল পাহাড় হয়ে। একে টলানো সহজ নয়। তাই সবাই এক ধরণের আপোষকামীতার আশ্রয় নেয়। শাহবাগ চত্বরের ভুমিকা ও ধাপে ধাপে এগুনোর স্বার্থে এক ধরণের আপোষকামীতা, যা না করে এই মুহুর্তে আর কোন পথ খোলা নেই।
@মোহন লাল দাস,
এমনকি বড় বড় অপরাধ ,খুন,ডাকাতি,ধর্শন করার পরেও শেষে যদি একবার হজ করে ফেলা যায়,সবকিছু মাফ হয়ে যায়। এমন ধর্মকে কী কেহ তুচ্ছ মনে করতে পারে?
একবার তাবলীগে ঢুকে পড়তে পারলেও সব খুন মাফ।
প্রমাণ চান?
৯০ এর দশকে কোন এক ব্যক্তি জমি জমা বাড়ী দখল করার উদ্দেশ্যে এক রাত্রে তার এক দুর্বল পড়সীর ৮-১০ জন পরিবার সদশ্যকে খুন করে টুকরো টুকরো করে বড় মাটের পাত্রে ঢুকিয়ে পানি ভর্তি বিলে ডুবিয়ে দিয়ে সেই ব্যক্তি নিরাপদ আশ্রয় নিয়মিত তাবলীগ জামাতে ঢুকে পড়ে।
জণগনের নিকট সে একজন খাটি ধার্মিক ব্যক্তি বলে পরিচিতি লাভ করতে থাকে,
যতদিন না তার দুর্ভাগ্য বসতঃ হঠাৎ করে একদিন গোয়েন্দা পুলিস তাকে তাবলীগ জামাতের হেড কোয়ার্টার কাকরাইল মসজিদে আবিস্কার করে ফেলে। পরে এহেন দুস্কৃতকারীর ফাঁসী হয়ে গিয়েছিল।
ইসলাম ৰ্ধম , সেই ১৪০০ সাল পুরানো আরবের ৰ্ববর মানুষদের জন্য লিখিত জীবন ব্যবস্থা .কে লিখছে হয়ত আমরা জানি… এতদিন আফগানিস্থান / পাকিস্থানেই ইসলামের ৰ্ববর রূপ দেখতাম , কিন্তু এখন আমাদের সামনে ইসলামের ৰ্ববরতা ফুটে উঠছে . :guli: :guli: :guli:
@তারিক,
সবে তো শুরু……।। দেখেন আরও কতো জবাই করতে হয় শান্তির ধর্মের শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য………।। 😛
@মুনিয়া মুশতারি,
সহমত। ইছলামের কারামতি আফগানিস্তান,পাকিস্তান,ইরাক হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করতে পারতেছে। বাংলাদেশেও প্রায় আসা আসা ভাব।
বুজুর্গ মাওলানা দেলোয়ার ছায়িদী সাহেবের বিস্তারিত কারামতিটা এখানে বা নীচের লিংকটায় দেখতে পারেন।
http://www.shodalap.org/
@আঃ হাকিম চাকলাদার, খেয়ে দেয়ে কাজ পান না বুঝি যে ওই ছাগল ব্লগ সদালাপে গিয়ে সময় নষ্ট করেন? :-O :-Y
@অর্ফিউস,
মনে রাখা ভাল, ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত বাচতে পারব এটা কখনো মুখে বলতে হয়না।
হায়াত-মউত মানুষের হাতে কিছুই নাই।সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে।
আর উক্ত ব্লগ টিতে তেমন কিছুই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় থাকেনা ঠিকই, তবে এই একটি মাত্রই দেলোয়ার ছায়িদী সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সম্বলিত প্রবন্ধ ওখানে পেলাম।
আর এটা মুনিয়া মুশতারী ঠিকই ধরতে পেরেছে। নীচে তার মন্তব্য দেখুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কেন? আমি নবযুগে মহসিনা নামের ওই ভন্ড ব্লগার যে কিনা মন গড়া কাহিনী ফাঁদে আর রেফারেন্স চাইলে দিতে পারে না, আর আপনারা সেটাকে মৌলিক প্রবন্ধ বলে হাত তালি দ্যান তাকে চ্যালেঞ্জ করেছি বলেই কি আপনার এই ক্ষোভ?ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম রা নাকি রাম কে আল্লাহর সমান ভাবে যেটা সে তার ধার্মিক বাবার সাথে তার কথপকথন নিয়ে লেখায় লিখেছে, যেটার সুত্র আমি চাইলাম আর সে পিছলে গেল?
সুত্র ছাড়া যারা লেখে, আর সেই লেখা যারা খায় তাদের স্টান্ডার্ড যে একই সেটা আপনি প্রমান করলেন।আমি ১০০ বছর আরো বাচব, এটা বললাম এখন এই মুক্ত মনা তে। আপনার কোন সমস্যা আছে?আল্লাহ যদি জানেন সেটার দরকার আপনার মত লোকের হতে পারে, আমার নেই।আমি নিজেই নিজের প্রভু।
খুব ভাল তবে এটাও বলতে পারি যে ওই সস্তাদরের ব্লগ সদালাপই সম্ভবত আপনার জন্য উপযুক্ত স্থান।কেন জানেন? কারন সেটা না হলে আপনি আমার এই
সোজা কথার বাঁকা অর্থ করতেন না।আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আপনার মত বিবেচনা সম্পন্ন লোকের জন্য ওইসব ফালতু ব্লগের দরকার নেই কিন্তু এখন বুঝতে পারছি যে আমার ভাবনা টা ভুল ছিল।ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস, আর সদালাপ বলেই আমি ওটা পড়িনি।সচলায়তন বা মুক্ত মনা হলে পড়তাম।সাইদির দোষ প্রমানের জন্য সদালাপের সার্টিফিকেট আমার দরকার নেই, দরকার নেই সদালাপ নামের গোবরে ফোটা পদ্মফুলেরও। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
আঃ হাকিম চাকলাদার যে লেখাটি সাজেস্ট করেছেন সেটির লেখককে কিন্তু বেশ মুক্তমনা মনে হল। আপনি কষ্ট করে একবার ঢু মেরে আসুন। নিজেই বুঝে যাবেন।
আর আমরা নিজেদের মধ্যে এতো ঝগড়া করছি কেন? অভিজিৎ ভাইয়ার পোস্টেও বিদ্রোহীর সাথে সাইফুল ইসলামের ঝগড়া থামালাম, এখানেও আপনি আর চাকলাদার ভাই শুরু হয়ে গেলেন। বলি, সবাই এতো চেইত্তা আছে কেন? আর কেউ ঝগড়া করবেন নাতো। এই নেন গরম গরম (C) 😀
@মুনিয়া মুশতারি,
নিচে উনার মন্তব্য দেখুন না 🙂 ।উনি যেহেতু গনকঠাকুর তাই আমার সিক্রেট ধরে ফেলেছেন যে রাত জেগে আমি শুধু ব্লগেই সময় কাটাই।চিন্তা করেন, ফেসবুক না ইয়াহু না ব্লগে সময় কাটানো। বুদ্ধিবৃত্তি কি পরিমানে অসাড় হয়ে পড়লে মানুষ ব্লগকে সময় কাটানোর স্থান হিসাবে বেছে নেয় যেমন চাকলাদার সাহেব নিচ্ছেন(আমাকে বলেছেন মানেই তো উনি ব্লগ জিনিসটাকে টাইমপাস হিসাবে দেখেন),তাও আবার দুপুর রাতে।
ধন্যবাদ । :)) আপনার জন্যও গরম কফি আর ওয়াইন (D) ।
@অর্ফিউস @ আঃ হাকিম চাকলাদার,
ব্যাপার না। আমরা সবাই ভাই-বেরাদার। চিয়ার্স। (D)
@অর্ফিউস,
এখন বাংলাদেশ রাত্র ২টা।আপনি কি রাত্র দিন শুধু কম্পিউটারে ব্লগের উপর সময় ব্যয় করেন নাকি? আমার তো ব্লগে বেশী সময় কাটাতে মোটেই ভাল লাগেনা। তবে আপনি যেখানে যেটা লিখেন সেটার দিকে আমি সর্বাগ্রে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি।
ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
প্রশ্নটা খুবই ব্যক্তিগত হয়ে গেল না?
আপনার কেন মনে হল যে রাত জেগে পিসি অন করে মানুষ শুধু ব্লগেই সময় কাটায়?
পিসি কি শুধু ব্লগ ব্যবহারের জন্যেই? নাকি আরো অনেক কাজের কাজ করা হয় পিসি দিয়ে? :-s
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এতো ভালো একটা লেখা সাজেস্ট করার জন্য। সদালাপের মতো গোবরে যে ওই লেখাটির মতো এমন পদ্মফুল ফুটতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। সবাইকে অনুরোধ করছি… সাইদির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও অভিযোগসমূহের অকাট্য প্রমান সম্বলিত লেখাটি একবার পড়ে আসুন। আমিতো পিডিএফ ফাইলে ডাউনলোড করে রেখেছি।
নীচের উদ্ধৃতি টুকু এক জায়গায় পেলাম। আমার কাছে ভাল লাগল। তাই অন্য সবাইকে দেখানোর জন্য এখানে কপি পেস্ট করে দিলাম। বিষয়টি আমারো জানা ছিলনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
অসাধারনভাবে উপস্থাপন করলেন। এই অতি সহজ কথাগুলো কেন যে মানুষ বুঝতে চায় না…… আফসোস আফসোস…।।
[img]https://fbcdn-sphotos-c-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/527575_390351047675563_1182682539_n.jpg[/img] :rotfl:
কারন নাস্তিকদের আঘাত করলে ওদের কার্য্যকলাপ সহজেই মিডিয়া ও লোকসমক্ষে তুলে এনে দেশের লোককে বুঝানো যায় যে শাহবাগ আন্দোলনটা আসলে পরিচালনা করছে আল্লাহ-রাসুলকে অমান্যকারী একদল নাস্তিক। এতে করে যুদ্ধপরাধী প্রশ্নে ও জামাত-শিবিরকে বন্ধে অনড় শাহবাগ আন্দোলনটা অতি সহজেই জনগনকে ধাপ্পা দিয়ে ভন্ডুল করা সহজ হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
(Y)
যে সকল কারণে জামাতে ইসলামকে যুদ্ধপরাধী বলে মুখে ফেনা তুলে, ঠিক একই কারণে অন্য ইসলামকে যুদ্ধপরাধী স্বীকার করতে রাজী নয় এমন মানুষের সংখ্যা অনেক আছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যেন শুধু জামাতে ইসলামই ছিল আর কেউ নয়। এই দলের মানুষেরাই বলে নাস্তিক কেউ যদি শাহবাগ না যেতো মোল্লারা এই প্রলয় ঘটাতো না। এই মোল্লারা- জামাতে ইসলাম, জমিয়তে ইসলাম, খেলাফতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম সকলেই যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তারা তা বেমালুম ভুলে যায়। কারণ ইসলামানুভুতি যে তাদেরও আছে, এই ইমানানুভুতি বাঁচিয়ে রাখতে তাদেরও যে কিছু মোল্লার প্রয়োজন। যে জামাত-শিবির সাঈদিকে চাঁদে দেখায়ে নিশীরাতে মানুষকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কিয়ামত ঘটাতে পারে, ধর্ম রক্ষার নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন করতে পারে, তাদের জন্যে শাহবাগ আন্দোলন পরিচালনাকারীদেরকে আল্লাহ-রাসুল অমান্যকারী একদল নাস্তিক প্রমাণ করা কোন ব্যাপারই না। নয়া দিগন্ত, সংগ্রাম, আমারদেশ পত্রিকা এতো প্রোপাগান্ডা, মিথ্যাচার, ফটোশপের ভেলকিবাজি দেখালো অন্য মোল্লারা চোখ বুঝে তা বিশ্বাস করে নিল। রাস্তায় নেমে এলো সদলবলে জামাতের ডাকে ইসলাম রক্ষায়। কেউ প্রশ্ন করেছে কেন জামাত এই মিথ্যাচার করে? ইদানিং নতুন দুটি দল গঠন করা হয়েছে একটার নাম ‘সেইভ বাংলাদেশ’ আরেকটার নাম ‘দেশ বাঁচাও ঈমান বাঁচাও’।
জামাতের জন্যে রাজিব কোন ফ্যাক্টরই নয়, তারা এই শাহবাগ মঞ্চ থেকে হাজার রাজিব আবিষ্কার করে নিত। আর অশিক্ষিত জনতা, মগজহীন মোল্লারা, জামাতের তৈরী ইসলামী বিষ বেহেস্তি সরবত মনে করে চুকচুক করে পান করতো।
@আকাশ মালিক,
দেখেন, বিএনপি তেও অনেক রাজাকার আছে।আ’লীগের ভিতরেও ঘাপটি মেরে আছে।তাহলে এদেরও কি একই শাস্তি হওয়া উচিত না?খালি অন্য ইসলাম, মানে ইসলামী দোলগুলোকেই দোষ দিলে চলবে কেন?আপনার কি মনে হয় যে আসলেই আ’লীগও চায় যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক?
@অর্ফিউস,
যে দলের কথা বললাম অর্থাৎ যারা শুধু জামাতে ইসলামকে যুদ্ধাপরাধী বলে তারাই আওয়ামী লীগার ও অন্যান্য ইসলামী দল। এই আওয়ামী লীগাররা যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের পিছনে নামাজ পড়ে। সিলেটে এর অনেক বাস্তব প্রমাণ আমি নিজে দেখেছি।
@আকাশ মালিক,
তাহলেই বুঝেন ঠ্যালা!আসলে পরিবর্তনের সময় এসেছে রাজনীতিতে, তবে কে বা কারা কে বা কাদের পরিবর্তন করবে যেখানে ধর্মের নাম আসলেই সবাই একসাথে চিল্লাফাল্লা শুরু করে যে সে নাস্তিক না ধার্মিক?এই সঙ্কীর্ন মন নিয়ে কিবা পরিবর্তন আনতে পারে এই মানুষগুলো!কিছুই না।নেতৃত্ব বদল যারা করতে চায় তারাও ওই ধর্মের পতাকার বাইরে যেতে চায় না।আর সমস্যাটা এখানেই। :-Y
@আকাশ মালিক,
এই কথাটাই এখন কাউকে বুঝানো যাচ্ছে না যে রাজীব নাস্তিক না হলেও, সে যা কিছু লিখেছে তা না লিখলেও রাজীবকে ভিলেন বানানো হতো। রাজীব কি লিখে প্রাণ দিল তার থেকে বড় কথা হলো যারা রাজীবকে হত্যা করল তারা কোন উদ্দেশ্যে করল। যা সব মৌলানা-মৌলোভি আজ নাস্তিক ব্লগারদের বিচার চেয়ে মসজিদ ফাটিয়ে ফেলছেন, তারা কি কারও লেখা পড়েছেন? ৯৯.৯৯% সম্ভাবনা পড়েন নি। ধর্মে তাদের অন্ধ বিশ্বাস, ধর্মীয় নেতায় তাদের অন্ধ বিশ্বাস। ধর্মীয় নেতা যা বলবেন, আমারদেশ যা ছাপবে, তাতে তারা চোখ-কান বন্ধ করে বিশ্বাস করবে। জামাতের একজন নাস্তিক দরকার ছিলো, রাজীবকে পাওয়া গেছে। রাজীব না থাকলে আরিফ জেবতিক-অমি পিয়ালের স্ট্যাটাস ঘেঁটে নাস্তিকতা ঠিকই তারা বের করত, না পাওয়া গেলে ফটোশপে তাদের নামেই নুরানীচাপা শরীফ বের করা হতো। রাজীব বা তার নাস্তিকতা এইখানে ফ্যাক্টর না, এই কথাটা আন্দোলন ও ব্লগের মাথারা বুঝতে পারছেন না। মাঝখান দিয়ে জামাতের হইছে লাভের মধ্যে লাভ, আরিফ-পিয়ালরা যুদ্ধযপরাধীর ফাঁসির দাবীর স্ট্যাটাস বাদ দিয়ে নাস্তিক বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। নাস্তিকরাও পালটা কৈফিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন। ডিভাইড এন্ড রুল মে বি আ ওল্ড পলিসি, বাট ইট অলওয়েজ ওয়র্কস।
@ফারহানা আহমেদ,
একটা লেজেগোবরে অবস্তা হয়ে গেলোনা? সেদিন ইংল্যান্ডে একটি বাংলা চ্যানেলের অভিমত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে একজন ব্লগারকে ফোনালাপে আনা হয়েছিল। সঙ্গত কারণে ব্লগারের নামটা বলছিনা তবে তার লেখার মাধ্যমে তাকে ভাল চিনতাম, কিন্তু এতটুকু জানতাম না সেদিন যা জানলাম। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও যুদ্ধাপরাধী জামাতের বিপক্ষেই তার প্রায় সবগুলো লেখা। আমি অবাক হয়ে গেছি, শুধু অবাক নয় রিতিমত বিরক্ত, ক্ষোব্ধ ও হতাশ হয়েছি তার স্টেইটমেন্ট শুনে। আমি তাকে নাস্তিক না হলেও একজন নিশ্চিত সংসয়বাদী মনে করতাম। উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন- শাহবাগ মঞ্চের বর্তমান অবস্থানটা কী? ব্লগার তার উত্তরটা শুরু করেছিলেন ঠিক এই ভাবে- আমি একজন মুসলমান, আমি শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই পড়িনা প্রত্যেক দিন তাহাজ্জুদের নামাজও পড়ি। এর পর ভদ্রলোক ননষ্টপ সুরা বাকারার ৭ টি আয়াত আরবীতে উচ্চারণ করে বাংলা তর্জমা সহ ব্যাখ্যা করে জামাতকে বিদাতি বা গোমরাহ ইসলামী দল প্রমাণ করতে সচেষ্ট হলেন। ৬ নং আয়াতের পর উপস্থাপক বাধ্য হয়ে তার ওয়াজ বন্ধ করে প্রশ্নের উত্তর দিতে আহবান করলেন। কিন্তু ব্লগার ৭ নং আয়াত ব্যাখ্যা না করে আর ছাড়লেন না।
খুবই কঠিন একটা সময় এসে দাঁড়িয়েছে মুক্তমনা সহ অন্যান্য ব্লগের লেখকদের জন্যে, যারা ধর্মের সমালোচনা করে লেখালেখি করেছেন। যারা এতোদিন বলে আসছিল যে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়, জামাত ঘৃণা করে, সময়ে তাদের আসল রূপটা বেরিয়ে এসেছে। তাদের জন্যে এখন কুত্তা কুত্তির আষাঢ় মাস। এই ব্লগটি সোনা ব্লগের চেয়েও ধর্মান্ধ ও ভয়ংকর রকমের সাম্প্রদায়ীক। সরকার ডরাইছে, ওদের ছুঁইলে এক কামড়ে প্রেগনেন্ট করে দিবে। যে সকল পত্রিকা, ব্লগ, ফেইসবুক ও ইসলামী সাইট থেকে অনবরত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা, ধর্মীয় উম্মাদনা, জঙ্গীবাদি ইন্দন, মানুষ খুন করার উস্কানী দেয়া হচ্ছে সে সকল বন্ধ না করে, সরকার সকল মুক্তচিন্তার ব্লগ ফেইসবুক বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আখেরে শাহবাগ আন্দোলনের পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে আমি আজ সত্যিই সন্দিহান।
@আকাশ মালিক,
আপনার কি ধারনা শাহবাগী ব্লগাররা নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দিলে সুবিধা হবে ?
এক রাজীবের জের এখনো সামলে উঠতে পারে নি।
এখন শাহবাগ আন্দোলন যদি ব্যর্থও হয় আমার ধারণা একটা বড় বিজয় অর্জন হয়েছে।
তা হলো মানুষের মধ্যে কৌতুহল তৈরী হয়েছে, তারা জানতে পারছে এদেশেই এমন বহু তরুন আছে যারা ধর্মকে অস্বীকার করার সাহস অর্জন করেছে। অন্যরা এখন কৌতুহলী হয়ে ধর্ম জানার আগ্রহ অনুভব করবে। এতে করে অবশ্যই কিছু ধর্মোন্মাদ নতুন করে তৈরী হবে তবে উদার পন্থী লোকের সংখ্যও বেড়ে যাবে অনেক।
@বিদ্রোহী,
আমি বুঝতে পারছিনা শাহবাগ আন্দোলনকারীদের নাস্তিক-আস্তিক-ধর্মপরায়ন ইত্যাদি পরিচয় দেবার দরকার কি। এসবতো একজনের সম্পুর্ন ব্যাক্তিগত ব্যাপার হওয়া উচিৎ। আসল কথা হলো শাহবাগের আন্দোলনটা যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার আর কুখ্যাত জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবী নিয়ে আন্দোলন। এই আন্দোলন কখনই কে আস্তিক, কে নাস্তিক ইত্যাদি নিরুপনের আন্দোলন নয় বা এটা কোন ধর্ম যুদ্ধও নয় এটা বুঝতে হবে।
ধর্মের লেবাস পরিয়ে যারা এই আন্দোলনকে অন্যদিকে মোড় নেয়াতে চাচ্ছে বা লোকজনের দৃষ্টি অন্য কোন সেন্সেটিভ ইস্যুতে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে তারা যে আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে তা বলাই বাহুল্য বা এটাকে বলতে হবে আন্দোলনটা বানচাল করার একটা ষড়যন্ত্র। এই মুহুর্তে সকল আন্দোলনকারীদের এবং তাদের প্রতি সহানুভুতিশীল সবাইকে এই সর্ম্পকে সজাগ থাকা দরকার।
@আকাশ মালিক,
লেজে-গোবরে অবস্থা তো হয়েছেই। সঠিক রাজনৈতিক বোধের জায়গা থেকে শত্রু-মিত্র চিহ্নিত না করে আবেগে মাঠে মেনে গেলে পরে একটা গুবলেট যে পাকবে, তাতে আর সন্দেহ কি? মুক্তমনা, যারা এতদিন কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে মাঠে লড়াই করেছে বিশ্বাসীদের সাথে, তারা হঠাৎ যখন দেখছেন পাশের বন্ধুটি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন তাদের মনের অবস্থাটা একবার চিন্তা করুন।
@ফারহানা আহমেদ,
আমি নিজে এই অবস্থার মুখোমূখি হই প্রতিনিয়ত। আওয়ামী লীগ সমর্থন করি, নাই মামার চেয়ে কানা মামার মত। আমার দলের মানুষেরা আমাকে কখনও সংস্কার পন্থি কখনও কমিউনিষ্ট পন্থি ডাকে। কে আছে কার কাছে যাবো? যে কোন এলাকায়, দেশে অথবা বিদেশে, যে কোন কারণে যখন যেখানে আওয়ামী লীগ দূর্বল সেখানেই জামাত ক্যান্সারের মত বংশ বিস্তার করে। আওয়ামী লীগ হারলে সংকিত হওয়ার বহু কারণ আছে। একমাত্র বিকল্প ছিল কমিউনিষ্ট পার্টি, কিন্তু স্বাধীনতার চার দশক পরেও দাঁড়াবার মত তাদের নিজের পায়ের তলায়ই মাটি নেই।
দেখুন আওয়ামী লীগ ভুল পথে পা বাড়ালো। দশ দিন যাবত সারা দেশ জুড়ে কিয়ামত ঘটিয়ে চলছে জামাত শিবির, তাদের কেশটুকুও ধরতে পারছেনা। কোথায় অমুসলিমদের পাশে দাঁড়াবে, ধর্ম্মোদদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবে, উলটো ” ইসলামের কটূক্তিকারীদের শনাক্ত করতে কমিটি ” গঠন করেছে। এই ভুলের মাসুল যে কী হবে কত ভয়ংকর হবে আওয়ামী লীগ টের পাচ্ছেনা। হেফাজতে ইসলাম আর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর মুখোমুখী হচ্ছে চট্টগ্রামে। মোল্লাদের ভয়েই হউক আর ভোটের হিসেবেই হউক আওয়ামী লীগ নিশ্চিত মৃত্যুর পথে এগুচ্ছে।
@আকাশ মালিক,
টিভি স্ক্রলে খবরটা দেখে খুব হতাশা বোধ করেছি।
@ফারহানা আহমেদ,
কিছুদিন পর যখন বাংলাদেশের তালেবানী করন শুরু হবে তখন কি করবেন?আমারতো দৃঢ় বিশ্বাস যে কিছু রাজাকার কে ঝুলিয়ে, জামাতকে পবিত্র ঘোষণা করতে যাচ্ছে আ’লীগ।তখন দেখেন জামাত আর লীগ মিলে জোট করে কিনা।করলেও আমি অবাক হব না।আর সেইদিন হবে বাংলাদেশের পরাজয়।
হরতালের কয়েকদিন সরকারী দলের নীরবতা আমাকে অনেক কিছুই ভাবাচ্ছে!আপনার এরকম কিছু মনে হচ্ছে না?
@অর্ফিউস, ফারহানা, এই খবরটি পরেছেন আশা করি?
এরা নাকি বাংলা ভাইয়ের জেএমবির চেয়েও খারাপ।যদি খবরটা সত্যি হয় তবেই সেরেছে।
@অর্ফিউস,
আজই দেখলাম।
@আকাশ মালিক, গত কালকেও মোবাইলে এইরকম একটা মেসেজ পেয়েছি।শালার সরকার ঢং শুরু করছে।
@আকাশ মালিক,
আওয়ামীলীগ একটি সাম্প্রদায়িক দলlতাদের বর্তমান পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারাও ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছেl
@আকাশ মালিক,
আসলে শাহবাগ আন্দোলন কোথায় গিয়ে দাড়াবে বুঝা মুশকিল। সরকারি দলের পরোক্ষ হস্তক্ষেপে
এখন আন্দোলনের প্রবাহ অন্য দিকে যাচ্ছে। দুষ্টূ লোকের কথা-
নাস্তিক বনাম
আস্তিকের লড়াই।
এই প্রচারে মনে হয় বিপক্ষ দল জয়ী হতে চলেছে। আর আমরা ভালো করেই জানি, ধর্মের নামে জুজু বুড়ির
ভয়ে দেশের অধিকাংশ মানুষ কত ভীত হয়।
@আফরোজা আলম,
বর্তমান আওয়ামী লীগের বেশীরভাগ সদস্যরাই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেনা, গনতন্ত্রের অর্থ বুঝেনা। অনেকে মুখে সাম্প্রদায়ীক না বললেও অন্তরে সাম্প্রদায়ীক। আদিবাসী নির্যাতনে, সাতক্ষীরায়, রামুতে অমুসলিমদের উপাসনালয় ধ্বংসে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও ছিল। কারণ তাদের মাঝে যে ধর্মীয় অনুভুতি আছে ঠিক একই অনুভুতি আছে জামাত, বি এন পি সহ সকল ইসলামী দলের মাঝে। এখানে এই নির্দিষ্ট জায়গায় এসে এরা সবাই এক মত, এক পথ, এক আদর্শের সহযোদ্ধা সহ যাত্রী। ইসলামানুভুতি জামাতের, খেলাফতের, জমিয়তের যেমন আওয়ামী লীগেরও তেমন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই আলীম ওলামাদের উপর নির্যাতন করে কথাটা আওয়ামী লীগের মানুষদের মুখ থেকেই শুনেছি বহুবার। সিলেটে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার মুহাদ্দিসে গহরপুরীর জানাজায় যত আওয়ামী লীগার ছিল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ আযাদের জানাযায় তার অর্ধেকও ছিলনা। সাঈদীকে চাঁদে দেখার জন্যে ভোর রাতে শুধু ইসলামী দলের মানুষেরাই বাহির হয় নি, আওয়ামী লীগও ছিল। তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেনা সাঈদী অপরাধী হতে পারেন। ধর্মের টান বা তাদের ইসলাম প্রেম তাদেরকে বাধ্য করেছে ঘর থেকে বাহির হতে।
আওয়ামী লীগ এখন সাতপাঁকে বাঁধা পড়েছে, শ্যাম রাখি না কুল রাখি। প্রজন্ম চত্বরের সহজ সরল নবীণদের, পাবলিক যদি একটু জল-খাবার দিয়ে সাহায্য করে, জামাত সমর্থককারীরা ( বর্তমানে বাম পন্থী ও কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সকল দল জামাত সমর্থক) অপবাদ দেয় আওয়ামী লীগ হালুয়া রুটি দিয়ে ওদেরকে লালন পালন করছে। নিরাপত্তা দিলে বলে সরকার পাবলিকের টাকা খরছ করে পাহারা দিচ্ছে। প্রজন্ম চত্বর বলছে সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেনা জামাতীরা আমাদের মানুষের গলা কাটছে। শুধু রাজনৈতিক কারণে বা ভোটের লোভে আওয়ামী লীগ ধর্ম ব্যবহার করে তা আমি মনে করিনা, ধর্মানুভুতি তাদের অন্তরে মননে ঢুকেছে ঠিক অন্যান্য ইসলামী দলের মতোই। উদাহরণ- সদালাপে আওয়ামী সমর্থক লোকের অভাব নাই তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচারও চায় তবে শর্ত সাপেক্ষে। আগে নাস্তিকদের ধরা হউক তারপর যুদ্ধাপরাধীর বিচার। এই নাস্তিক ইস্যু শাহবাগে আবিষ্কার করেছে কে? জামাত। জামাতের নেতৃত্বে নাস্তিক ইস্যুতে বা নাস্তিক নিধনে এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এরা সবাই জামাতের সহযোদ্ধা। যদি প্রস্তাব দেয়া হয় আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে চাই যেখানে বিসমিল্লাহ নাই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নাই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নাই, সকল আগে ব্লাস্ফেমি আইন জারী করবে সদালাপীরাই, অথচ তারা অনেকেই আওয়ামী সমর্থক। এই ধর্মীয় নষ্টানুভুতির জন্মদাতা মেজর জিয়া নামের একটা শয়তান। সুদীর্ঘ বিশ বছরে সেই অনুভুতি, সেই পরিবেশে জন্ম নেয়া বড় হওয়া, আওয়ামী নতুন প্রজন্ম ভুলেই গেছে তাদের অসাম্প্রদায়ীক অতীতের গর্বিত ইতিহাসের কথা।
@আকাশ মালিক,
ইতিহাসের একটি নিজস্ব গতি আছে। ৫২’র ভাষ আন্দোলনের কারণেই বাংলা আজ রাষ্ট্র ভাষা। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হযেছে। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পরাজয় হয়েছে।
আবার ভাষা আন্দোলনের চেতনার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রেও এই কথা বলা যায়। আর পরাজিত এরশাদের হম্বিতম্বি প্রমাণ করে ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সাথে কতটা বেঈমানী করা হয়েছে।
— এর ব্যাখ্যা কী? ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মূল কারিগর ছাত্র জনতা। কার্যকর নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র নেতারা। মূল রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশনা অমান্য করেই সেদিন আন্দোলন চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন সেই নেতারাই যা সতস্ফূর্ত আন্দোলনের পরিত্যাক্ত হয়েছিলেন।
৭১-এর ঘটনাবলী একটু ভিন্ন। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কিন্তু আওয়ামীলীগই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একমাত্র দল ছিল না। আর মুক্তিবাহিনীই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বাহিনী নয়। অস্থায়ী সরকারের ৪ জন উপদেষ্টা ছিলেন যাঁরা আওয়ামীলীগে নেতা ছিলেন না। মুক্তিবাহিনী ছাড়াও মুজিব বাহিনীসহ আরও কয়েকটি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ একাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এর ফলে প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয় (এর পিছনে কী কারণ ছিল তা নিয়ে আওয়ামীলীগ এবং অন্যান্য দলগুলোর একে অপরকে দোষারোপ করে)। জাসদের জন্ম হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সিংভাগ তরুণ বিরোধী দলে চলে যায়। আর ৯ মাস যিনি মূল নেতার অবর্তমানে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনিও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন কয়েক বছর বাদে। মোদ্দা কথা আন্দোলনের কারিগরদের বৃহত্ অংশ আন্দোলনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ পায় নাই। তার ফল কী হয়েছে তা তো আমরা দেখতে পাচ্ছি।
৯০-এর কথা বিস্তারিত বলব না। আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন কী বলতে চাচ্ছি।
এবার শাহবাগের কথায় আসি। আন্দোলনের নেতাদের অধিকাংশই বিভিন্ন দলের নেতা। আবার ইমরান এইচ সরকার ছাত্রলীগ করতেন বা তিনি স্বাচিপের নেতা ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু আওয়ামীলীগ সমর্থক এটা কে জানে না? এই আন্দোলনের সুপার স্টার নায়ক ’লাকী’ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক কে কোন দল করেন বা করতেন অথবা কোন দলের বা গোষ্ঠীর সমর্থক তাও আপনারা জানেন। কিন্তু দাবী করা হচ্ছে এই আন্দোলন
যদিও আন্দোলনটিকে
বলা যেত
তবে আন্দোলনে এমন অনেকেই সমর্থক হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন যারা প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো ভাবেই কোন দলকে ধারণ করেন না। রাজীব হয়ত তাদেরই একজন ছিলেন। আমি টিভিতে রাজীবের বন্ধুর সাক্ষাত্কার দেখেছি তাতে দাবী করা হয়েছে রাজীব নাস্তিক ছিলেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো দল তাকে নিজেদের সদস্য বলে দাবী করে নাই। রাজীবের বিরোধীরাও এরকম কোনো দাবী করে নাই। সানির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
অভিজিত রায় কী আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন দল করেন? আবার শাহবাগ আন্দোলনে আস্তিক সমর্থকদেরও নাস্তিকদের বিষয়ে গাত্রদাহের কোনো প্রকাশ দেখা যায় নাই। এই কারণে তারও মৌলবাদীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রথমদিনে শাহবাগের আন্দোলনের উদ্যোগতা একাধিক তরুণকে চিনি যারা আন্দোলনটি গড়ে তুলতে পাইওনিয়ারদের অন্যতম। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও আন্দোলনের গৌরবময় নেতৃত্বে আছেন। এদেরকে আন্দোলন থেকে আলাদা করতে পারলে আন্দোলন তার শেষ আবেদনটুকুও হারাবে। আর চারিদিকে তারই প্রস্তুতি চলছে।
আখেরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। আমি মনে করি ইতিহাসের গতি সে দিকেই। জামায়াতও নিষিদ্ধ হতে পারে। তবে সেক্যুলার বাংলাদেশ হয়ত হবে না। দু-চার জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলেই দৃশ্যত শাহবাগের বিজয় হিসেবে দেখান হবে। যে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের সমর্থনে জামায়াত নেতারা যুদ্ধাপরাধ করেছে সেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হয়ত স্ব-গৌরবে টিকে থাকবে। আর এখানটাই তারা কোনো ছাড় দেবে না যাদের কোন ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাস নেই অথবা যাদের জীবনে এদের কোনো গুরুত্ব বা ভয় নেই। ফলে গণমানুষের সতস্ফূর্ত চাহিদার আংশিক পূরণ করে বড় ধরনের ফাঁকি অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন হবে। ৫২, ৭১, ৯০-এ যাহা হয়েছে হয়ত ১৩-তে তাহাই ঘটবে।
ছোট বেলায় পরেছিলাম, পাপকে ঘৃণা কর পাপিকে নয়। শাহবাগ আন্দোলনের সাথে সম্পূর্ণ একাত্ম হতে পারিনি। প্রথমে আন্দোলনটাকে আমার বলে মনে হলেও, শেষে আর তা মনে হয়নি। কারন আমার চারপাশে অনেকেই আছে যারা হয় শিবিরের সাথে জড়িত, নয়ত ইসলামি ব্যাংক এ চাকুরি করে। কারো কারো ছেলে বা মেয়ে রাডার এ কসিং করে। এরা খুব দুরের কেউ নয়। আমার আপনার ভাই, বন্ধু, আত্মীয়স্বজন। এরা বেশির ভাগ ছেলে-মেয়ে ৭১ সালে জন্ম নেয়নি। তারা যদি ভুল পথে যায়, তাহলে সেই ভুলের জন্য কী আমারা একটুও দায়ী নই। রাষ্ট্র সমাজ কোন ভুমিকায় ছিল? আসুন তাদেরকে বর্জন না করে আদর ভালবাসায় ফিরিয়ে আনি আমাদের পাশে। কত ভাল ছাত্রকে দেখেছি শিবির হতে। একসময় নকশাল আন্দলনে অনেক মেধাবী ছেলে যোগ দিয়েছিলে। তারা কী সবাই কী খুব বড় সয়তান ছিলে? রাষ্ট্র যখন বিপথে চলছিল তখন অনেক ছেলেই ভুল রাস্তায় চলেছে। আমাদের সমাজে আজকের এত শিবির এলো কোথা থেকে? সমাজের বঞ্চিত মানুষদের কাছ থেকেই শিবির জন্ম নিয়েছে। এদেরকে আমরা কুকুরের মত গুলি করে, ভাতের কষ্ট দিয়ে, অপমান করে মেরে ফেলব? কিন্তু কেন? প্রশ্নটি সবার কাছে।
@বাসার,
আমার আত্মীয়-স্বজনের কেউ যদি জামাত শিবির করে, তার সাথে সম্পর্ক থাকবে না এটাই আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক। এই মেন্টালিটির লোকের সাথে বন্ধুত্ব হবার তো প্রশ্নই আসে না। এ
আপনি বলেছেন, কেবল অর্থের প্রয়োজনেই মানুষ শিবিরে যোগ দেয়? আসলে কি তাই? নর্থ সাউথ থেকেও যে শিবির-হিযু বের হচ্ছে, সে ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
আপনার কাছেও আমার একটা প্রশ্নঃ এই “সমাজের বঞ্চিত মানুষরা” যে নির্বিচারে মানুষ খুন করল, বাড়ি ঘরে আগুন দিল, মন্দির ভাঙচুর করল, হিন্দু বাড়ি লুটপাট করল, মুক্তমনাদের গলায় ছুরি চালালো, সে বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
@ফারহানা আহমেদ,
আর যদি অন্য কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের অংশ হয় তাহলে কি করবেন? 🙂
@অর্ফিউস,
আমার কিছু করতে হবে না, যা করার সেই করবে…আমার থেকে শত হস্ত দূরে থাকবে।
@ফারহানা আহমেদ,
আমার আত্মীয়-স্বজনের কেউ যদি জামাত শিবির করে, তার সাথে সম্পর্ক থাকবে না এটাই আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক।
আপনার জন্য যা স্বাভাবিক, অনেকের জন্য তাই হতে পারে বেশ কঠিন। যে পরিবারের একজন নাস্তিক, একজন সংশয়বাদী, দুজন ধার্মিক আওয়ামীলিগার, দুজন ধার্মিক বি এন পি বাস করে সেখানে কাজটা আপনার মত সহজ নয়।
”আপনার কাছেও আমার একটা প্রশ্নঃ এই “সমাজের বঞ্চিত মানুষরা” যে নির্বিচারে মানুষ খুন করল, বাড়ি ঘরে আগুন দিল, মন্দির ভাঙচুর করল, হিন্দু বাড়ি লুটপাট করল, মুক্তমনাদের গলায় ছুরি চালালো, সে বিষয়ে আপনার অভিমত কী”?
খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমার অভিমত প্রতিটি ঘটনার জন্য দায়ীদের সঠিক ভাবে চিনহিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব রাজাকারকেই ফাঁসি দিতে হবে এটাই বা কেমন দাবি। নিশ্চয়ই সব রাজাকার সমান অপরাধী নয়। যেখানে ন্যায় বিচার একমাত্র দাবী হওয়ার কথা, সেখানে দাবী রাজাকারের ফাঁসি চাই। এটা কতটা যুক্তিসংগত? ছাত্রদল ছাত্রলীগ হিসাবে যাদের চিনি, তাদের কাজকর্ম অনেক দিন ধরেইত দেখছি।
রাজীবের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন রাজীব প্রথম শহিদ। কিন্তু যখনি মোল্লারা রাস্তায় নামল, তখন মন্ত্রীরাই অন্য কথা বলা শুরু করল। মোল্লাদের ভয়ে রাজীবের নামটি মনে হয় ভুলেই গেছে মনে হয়। আসিফের উপর আক্রমনের পর অনেক মন্তব্য দেখেছি যেটি নিয়েই আপনার আজকের লেখাটি। নিজেদের মধ্যে একত্রিত না হয়েই অনেক বড় একটি আন্দোলন শুরু করেছেন বলেই আমার মনে হয়।
আমারমত যাতা লোকের মন্তব্য পড়েছেন এবং উত্তর দিয়েছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। মুক্তমনাদের আরও একটু মুক্তমনা হওয়ার আহবান জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
@বাসার,
কঠিন কাজটা করার জন্যই তো আমরা। শাহবাগ গিয়ে ‘ফাঁসি চাই’ বলে সারাদিন চেঁচালাম, তারপর ঘরে ফিরে শিবির ভাইয়ের সাথে এক টেবিলে ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে গেলাম, এই এথিক্স নিয়ে আন্দোলনও হয় না, নাস্তিকতাও হয় না।
ভালো কথা, কিন্তু আপনার প্রথম কমেন্টে রাজীব, মিরাজ বা তানভীর হত্যার বিচার চান বলে কিছু দেখলাম না। বোধহয় ভুলে বাদ পড়ে গেছে।
মোটেও না। লেখাটি আবার পড়ুন।
মানে কি? আপনি আমাদের দলে নেই?
ভাই রে, আন্দোলন কর্পোরেট অফিসের মিটিং না যে আগেই এজেন্ডা ঠিক করে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আন্দোলন একটা কমন দাবীতে নানা পথের নানা মতের লোকের সম্মিলনে হয়। এক দাবী ছাড়া অন্য সব বিষয়ে তাদের মধ্যে ঐকমত্য জরুরী না, যেমন জরুরী না একটা মাত্র স্ট্রাটেজিক প্ল্যানের। নানা মানুষের নানা মতের মিথষ্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিরধারিত হবে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি এবং প্ল্যান অব একশান। এখানে আমরা সেই কাজটিই করছি। আমরা কারো সমালোচনা করছি মানে এই না যে সে আমদের শত্রু বা আমরা আর তার সাথে নেই।
কেন, ভাই? কোন জায়গায় কমতি দেখলেন, তা একটু জানিয়ে যান। চিন্তায় তো আমার হাত-পা………
@ফারহানা আহমেদ, শাহবাগ গিয়ে ‘ফাঁসি চাই’ বলে সারাদিন চেঁচালাম, তারপর ঘরে ফিরে শিবির ভাইয়ের সাথে এক টেবিলে ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে গেলাম, এই এথিক্স নিয়ে আন্দোলনও হয় না, নাস্তিকতাও হয় না।আ
তাহলে বাড়িতে গিয়ে কী করা উচিত? বাড়িতে ভাত খাওয়া বাদ দিলে কেমন হয়।
ভালো কথা, কিন্তু আপনার প্রথম কমেন্টে রাজীব, মিরাজ বা তানভীর হত্যার বিচার চান বলে কিছু দেখলাম না। বোধহয় ভুলে বাদ পড়ে গেছে।
প্রায় তাই। তাছাড়া আরও অনেকের কথাই বলতে হয়। আর নেটে লিখতে অনেক সময় লাগে।
আসিফের উপর আক্রমনের পর অনেক মন্তব্য দেখেছি যেটি নিয়েই আপনার আজকের লেখাটি।মোটেও না। লেখাটি আবার পড়ুন।
দুঃখিত আবার পরতে পারব না। প্রথমে এরকম কিছু একটা লিখেছিলেন মনে হয়।
আমার একমাত্র ছোট ভাই শিবিরের সদস্য। কিন্তু কাউকে রগ কেটে দিতে পারে এরকম ভয়ংকর মনে করতে পারিনা। একসময় বুঝিয়েছি, মার দিয়েছি কিন্তু ফেরাতে পারিনি। কয়েক বছর যাবত কথাও হয়না বললেই চলে। ইসলামী ব্যাংক এ চাকরি করে। ভয় পাই কখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ওকে ফিল করি কিন্তু শেয়ার করতে পারিনা। এজন্যই মুক্তমনাদের আর একটু মুক্তমনা হতে বলেছিলাম।
তবে এটাও স্বীকার করছি মৌলবাদীরা নাস্তিকদের মেরে ফেলার জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে। ভয় পাচ্ছি শাহবাগ আন্দোলনের সাথে জরিত নাস্তিকদের ওরা মেরে ফেলার চেষ্টা করবে। অনেক বড় বড় মানুষ ধরমের নামে কথা বলে নিস্তার পায়নি। যেখানে উন্নত দেশগুলোতেই নাস্তিকদের বিপদের মুখে থাকতে হয়, সেখানে বাংলাদেশে ধার্মিকরা, যেখানে রাষ্ট্রও ধর্মকে ভয়ও পায় সেখানে কিভাবে আপনারা টিকে থাকবেন। আমি ভিতু মানুষ, সত্যি কথা জোরে জোরে বলে প্রাণ খোয়াতে পারব না। তাই আপনাদের দলে থেকেও নেই।
তারপরও ক্লাস এ একদিন ভুল করে হকিন্স এর নাম বলে প্রায় মার খেয়েছিলাম। ভয়ে আর সত্যি কথা বলিনা। ছাত্ররা বলছিল খ্রিষ্টান বেটাকে নিয়ে আপনার এত মাথা বেথা কেন? তুই শালা নাস্তিক। প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাড়াতাড়ি বলেছিলাম আমি নাস্তিক না, আমি আস্তিক। আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে।
@বাসার,
আপনি কি করবেন সেটা আপনার বিষয়, সে প্রশ্ন মুক্তমনাদের করা হাস্যকর নয়?
ওহ, তাই? এত লম্বা লম্বা অহেতুক কমেন্ট না লিখলে হয় না?
তাহলে ল্যাদানো বাদ দেন। পড়বেন না, আন্দাজে কথা বলবেন, আবার প্রশ্ন করবেন……ভালোই!
নর্থ সাউথের যে ৫টা ধরা পড়ছে, তাদের ফ্যামিলির লোকজনও ঠিক এইরকম কমেন্ট করেছে।
এইখানে অন্যদের সবক না দিয়ে নিজের ভাইয়ের পেছনে সময় ব্যয় করেন। আখেরে কাজে দিবে।
কথা দিলাম আপনার ভাইয়ের গলায় আমরা ছুরি চালাবো না।
এই তথ্য কোথায় পেলেন?
আপনি কি মাদ্রাসায় পড়তেন? তা না হলে এমনটিতো হবার কথা নয়।
@ফারহানা আহমেদ,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: (Y)
একদিন নিশ্চই সময় হবে এই বাধা পেরোনোর, সে দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
– তেমন সোচ্চার আস্তিক ব্লগারদের এখনো শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়ত হয়নি তবে তাদেরকেও নাস্তিক মুরতাদ এসব লেবেল লাগানো হয়েছে। সমস্যার মূল আসলে শুধু জামাত শিবির বিরোধী লেখালেখি নয়।
– এটা জানা ছিল না। শাহবাগ আন্দোলনে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে চুড়ান্ত জয় হয়েছে আসলে যাদের জামাত শিবির এবং তাদের সমমনা মৌলবাদী গোষ্ঠিরই। এই আন্দোলন যতটা বুঝেছি দেশে যুক্তিবাদী আন্দোলনকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক দূর। আপোষ রফা করা কৌশলগত কারনে ঠিক আছে, তাই বলে মৌলবাদের কাছে নতি স্বীকার? আশা করি শাহবাগের নেতারা যা করছেন বুঝে সুঝে করছেন। এক সময় পৃথিবীর নানান অঞ্চলে সংখ্যাগুরু ধর্মমতে অবিশ্বাসীদের গায়ে নানান রকমের সনাক্তকরন চিহ্ন, বিশেষ পোষাক পরার আইন ছিল।
কোনদিন জানি শুনতে হয় শাহবাগ থেকে সার্টিফাইড আস্তিক পরিচয়পত্র প্রদানের দাবী ওঠে।
@আদিল মাহমুদ,
‘চুড়ান্ত জয় হয়েছে’ বলবোনা তবে এদের মত ঘিলুহীন ইডিয়ট, যারা মুখে বলে জামাত ঘৃণা করে আর অন্তরে জামাত প্রেম পুরোই ধারণ করে, তাদের অত্যোৎসাহী, বিজয়োল্লাসী লম্পজম্ফ দেখে তা’ই মনে হতে পারে। প্রথমে বলতো, রায় না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা যায় না। এখন আদালতের রায়ের পরে বলছে এই সাঈদী সেই সাঈদী কিনা দেখতে হবে।
এই আন্দোলন যতটা বুঝেছি দেশে যুক্তিবাদী আন্দোলনকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক দূর।
সাময়িকভাবে তা’ হয়েছে মনে হলেও এর আরেকটা দিকও আছে বোধ হয়, অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের কাছে যুক্তিবাদী আন্দোলনের প্রচার। এ প্রচার থেকে অনেকেই সত্যানুসন্ধানী হতে, জগতটাকে ভিন্ন চোখে দেখতে, প্রশ্ন করতে অনুপ্রাণীত হবে। আমি তো দেখি দিনে দিনে নাস্তিক্যবাদী ব্লগে নতুন লেখকদের সংখ্যা বাড়তেই আছে। জামাতিদের ভয়ে কিংবা শঠালাপীদের বাদড়ামী দেখে কোন নাস্তিক আস্তিক হবেনা বরং উল্টোটাই হচ্ছে।
আপোষ, মাথা নত, সারেন্ডার, পরাজয় অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নাই। এর বিবিধ কারণও আছে। শাহবাগ মঞ্চের সরলমনা অরাজনৈতিক তরুণ প্রজন্ম ভাবতেও পারেনি জামাত এমন কুটচাল খেলবে, জামাত কেমন বিষধর ধূর্ত, প্রতারক এবং এ দেশের বৃহৎ অংকের কিছু জনতা এখনো চাঁদে সাঈদীকে দেখা যেতে পারে বিশ্বাস করে। আমি মনে করি ওরা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল অবস্থার ভয়াবহতা কল্পনা করে। রাজীবকে নিয়ে তারা চরম সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিতে ভুগেছে। রাজিবের জানাজাটা যদি শাহবাগ মঞ্চে না হয়ে পারিবারিক ভাবে হতো, বিষয়টা হয়তো অন্য রকম হতে পারতো। আপোষকামী আচরণ কতটুকু ভাল বা মন্দ হয়েছে তা বিচার করা মুশকিল, কারণ আমরা জানিনা আপোষকামী আচরণ না করলে কী হতে পারতো। তবে শাহবাগ ব্যর্থ নয়, ব্যর্থ হবেনা। এত ত্যাগ এত কষ্ট বৃথা যায় না।
@আকাশ মালিক,
একজনের লেখা দিয়ে কি বোঝা যায়? সাঈদী প্রেমি এমন বহু লক্ষ লোকই বাংলাদেশ সহ নানান দেশে আছে, তারা সকলে পপুলার ধারনা মতে জামাতি এমন ধারনা খুবই শিশুসূলভ।
ব্লগের ছাগু ফাইটারদের সাথে আলোচনার সময়ই পরিষ্কার বুঝতাম যে এরা কাদের সাথে লড়ছে সে সম্পর্কে কোন পরিষ্কার ধারনা নেই। তাদের ধারনা জামাত শিবিরই একমাত্র স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যাদের কোন সমর্থন নেই, কাজেই মাঠে ময়দানে জামাত খেদাও ডাক দিলেই দেশ থেকে জামাত হাওয়া হয়ে যাবে, স্বাধীনতা বিরোধীরাও গায়েব হয়ে যাবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের হয়ে লড়ার জন্য যে এক বড় সংখ্যক সাপোর্ট বেজ তৈরী আছে যাদের দরকার শুধু আস্তিক নাস্তিক ছূতা এটা অনেক চেষ্টা করেও বোঝাতে পারিনি। তাদের ধারনা নিজেদের ব্লগ ফেসবুকে তারা যেমন দেখে বাস্তব জীবনও তেমন।
আন্দোলনকারিরা শুরু করলেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক। ব্লগে বহু লোককে দেখেছি শুধু এই ধারনার বিরোধীতা করায় ছাগু গালি খেতে। এরপর যখন বাস্তব বুঝলেন তখন এই দাবী ভুলে গেলেন, রফা হল জামাত নিষিদ্ধ কর। প্রধানমন্ত্রী পাতি মন্ত্রী অনেকেই প্রথম থেকেই এমন আশ্বাস দিয়ে আসলেই এক পর্যায়ে পরিষ্কার না করে দিলেন। সরকারে থাকলেও ওনারাও ভাবের ঠেলায় বহিঃবিশ্বের চাপ এমন অনেক কিছুই অস্বীকার করতে চেয়েছিলেন। বহিঃবিশ্বের সমর্থনের কথা বলে তো আমি এক সাচ্চা বিপ্লবীর কাছে রীতিমত নাকাল হলাম। শাহবাগে হাজার কয়েক লোক জড়ো করেই ওনারা ফাঁসী, জামাত শিবির নিষিদ্ধ করন সব আদায় করে ফেলবেন। সে যাক, আন্দোলনকারী ভাইরাও যথারীতি আপোষ ফর্মূলায় জামাত শিবির নিষিদ্ধকরন নিয়েও আর তেমন উচ্চবাচ্য করেন না।
শাহবাগ আন্দোলনের প্রাপ্তি আপনার চোখে কি? সাঈদীর ফাঁসির রায়? যাবত জীবন না হয়ে ফাঁসির রায় পাওয়া? যাবত জীবন হলে সুবিচার হত না? এই প্রাপ্তির উলটো দিকের চিত্রটা কেমন? মনে রাখবেন ধর্ম নিয়ে খেলা ভন্ডামি সবাইকে মানায় না। হাসিনা হিজাব মাথায় তসবিহ জপার ছবি দেশময় লাগালে লাভের থেকে ক্ষতিই হয় বেশী।
@আদিল মাহমুদ, খুবই চিন্তার বিষয় আদিল ভাই।এই আন্দোলনের সমাপ্তি কি দিয়ে হবে বলে মনে করেন?খবরে আর তেমন কিছু পাইনা।যদিও প্রথম আলো পত্রিকাই কেবল পড়ি।বাকিগুলোর খবর জানা নেই।
ভাল কথা, এইটা আবার কি বলতে পারেন? এই লোক কি করে কোনধরনের পুরষ্কার পায়? এই ব্যাটা যদি ভাল কোনপুরষ্কার পায় তবে আপনার বা আমার নোবেল পাওয়া উচিত। :-s
@অর্ফিউস,
সমাপ্তি জানি না, আমি তো আর গনক ঠাকুর নই। তবে তেমন একটা আশাবাদী প্রথম থেকেই ছিলাম না। কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়েছিলাম ঠিকই। ফেসবুকে ছাগু ঠ্যাংগানো এক কথা আর সর্বশ্রেনীর মানুষের কাছে আবেদন করতে পারে তেমন কোন আন্দোলন সফলভাবে গড়ে তোলা সম্পূর্ন ভিন্ন কথা। দ্বিতীয়টির জন্য মাঠে ময়দানে নামার আগে দরকার প্রচুর গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। কার বিরুদ্ধে কিসের বিরুদ্ধে লাগছে সেটা না জেনে যুদ্ধের ময়দানে লাফ দিয়ে নেমে যাওয়া বীরত্ব নয়, কৌশলগত ভুল।
@আদিল মাহমুদ, হুম :-s তবে আমি যথেষ্ট হতাশ।আরো বেশি কিছু আশা করেছিলাম আমি।
@আদিল মাহমুদ, আন্দোলনের প্রথম থেকেই বলেছিলাম ফোকাস রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয়, অভিযোগ প্রমানিত যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি এমন একটি দাবী যেটির পিছনে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর পূর্ন সমর্থন আছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরন অনেক জটিল একটি বিষয় যার কোন সহজ সমাধান নেই। আইন করে আর নিষিদ্ধ করে একটা দেশ-সমাজ পাল্টে দেয়া যায় না। আন্দোলনের উচ্ছাসে সেকথা অনেকেই ভাবে নি।
সাইদী-নিজামী-গোলাম আজমের মতো ঘৃনিত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি আদায় করা অপেক্ষাকৃত সহজ দাবী। দেশে প্রকৃত গনতন্ত্র, আইনের শাসন, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার এসব প্রতিষ্ঠার জন্যে দরকার কষ্টকর দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিবর্তন। এসবের জন্যে সবচেয়ে প্রথমে দরকার গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ যেটার স্বল্পতা বাংলাদেশে মারাত্মক।
তবে শাহবাগ আন্দোলনের প্রাপ্তি আছে অনেক আমার মতে। আওয়ামী সরকার ইচ্ছেয় হোক আর অনিচ্ছায় হোক একটা বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে। এখন সাইদী-কাদের মোল্লা ও আরও কিছু যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী না দিতে পারলে এই দলটি সবকিছু হারাবে। রাজনীতি যে অনেক high stake এ পরিনত হয়েছে এই উপলদ্ধিটি তাদের হয়েছে। এই high stake এ সফল হলে তাদের প্রাপ্তি হবে সকল আশার চেয়েও বেশী। ব্যর্থতা হবে অচিন্তনীয়।
কমপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি বিষয়টি যে চিরাচরিত রাজনৈতিক game এর বাইরে চলে গেছে, এই সাফল্যটুকু অবশ্যই শাহবাগের প্রাপ্য।
@সফিক,
যে কোন আন্দোলনেই দাবী তুলে সেটার কথা ভুলে গেলে ডেডিকেশন বা সিরিয়াসনেসের ব্যাপারে সংশয় জাগে। আপোষের কথা বুঝলাম। আমি যেমন সেটা বুঝি তেমনি যাদের খুশী করতে এই ধরনের আপোষ তারা আরো ভাল বোঝে। কাজেই এই ধরনের আপোষের নেট ফল আসলে শূন্য।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে যাদের মোটামুটি পরিচিতি দেশের সুধী মহল এবং ব্লগ জগতে আছে তারা সকলেই কড়াভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে এটা বাচ্চা ছেলেও জানে। এটা এতই সাধারন ব্যাপার যে ব্লগে ছাগু সনাক্তকরনের অন্যতম সূত্র হিশেবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির স্বপক্ষে কোন কথা বলাকে ধরা হয়। এই দাবী কৌশলগত কারনে সাময়িকভাবে বাদ দেবেন ভাল কথা, তাই বলে দাবী করে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখার পর প্রত্যাহার করাটা সুবিবেচকের কাজ নয়। আমি নিজে ব্যাক্তি অভিজ্ঞতায় জানি যে দেশের এক বড় সংখ্যল লোকের এটা মানার মত মানসিক পরিপক্কতা নেই। কোনদিনও ছিল না। ‘৭২ সনে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি বাধা পায়নি মুক্তিযুদ্ধের জোশে ও চোখের সামনে ধর্মওয়ালা দলগুলির নৃশংতা দেখার কারনে সাময়িকভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর ঘৃনা আসার কারনে। সেটা উবে যেতেও তেমন সময় লাগেনি।
– এটাই ব্লগে বোঝানো যায় না। তবে সাচ্চা ঈমান্দারগনের হুংকারে কাজ হয়। আইন করে, সকাল বিকাল একে তাকে নাস্তা করে একটা প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধ রাতারাতি বদল করা যায় না। আইন পাশ করার আগে দরকার প্রচুর গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে কেবল তাদের কিছু শীর্ষ নেতার ‘৭১ এর ভূমিকার কারনে এই জ্ঞান নিয়ে মাঠে নামলে সে আন্দোলন ব্যার্থ হবার সম্ভাবনা সাড়ে ১৫ আনা। সে কারনেই মনে হয় একজন কারো ফাঁসির রায়ের বিনিময়ে সম্ভবত দেশে ব্লাসফেমি আইন কায়েম করাও স্বাগত জানানো হবে।
– সরকারের তেমন কোন ডিপ থট আন্দোলন নিয়ে ছিল মনে হয় না।
– কতটা গেছে? আন্দোলনকারী ব্লগাররা সংগত কারনেই বলতে গেলে বিএনপি বিরোধী, কোন কোন শীর্ষ ব্লগার চরমভাবে আওয়ামী লীগের প্রতি দূর্বল আমিই জানি। সেটা আমার কাছে বড় কথা নয়। আমি জোর করে রাজনৈতিক নেতাদের মঞ্চ থেকে দূর করার পক্ষপাতি নই। রাজনৈতিক নেতারাও দেশের নাগরিক, তারা দলীয় এজেন্ডা বাদ দিয়ে সাধারন নাগরিকের মত ঐক্য জানাতে আসতেই পারেন। নিজেদের দলের এজেন্ডা শুরু না করলেই হয়।
চুড়ান্তভাবে যাইই বলেন, বিএনপি গোষ্ঠির সমর্থকরা কি এই আন্দোলনে এক হতে পেরেছেন? এদের সংখ্যা কি অগ্রাহ্য করার মত নগন্য? আমার তো মনে হয় না। ছাত্রদলের সদস্যরা অন্তত কয়েকজন যদি দলীয় নীতি ভংগ করে যোগ দেবার ঘোষনা দিত তাহলে বুঝতে পারতাম যে আন্দোলন দলীয় গন্ডির সংকীর্নতা ছাড়াতে পেরেছে। রাজাকারি মানসিকতার লোকে কি আন্দোলনে উদ্বেলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত হচ্ছে বলে আপনার মনে হয়? তাই এই আন্দোলন অরাজনৈতিক বা দলীয়ভাবে প্রভাবিত না হলেও সেটার তেমন একটা সুফল মনে হয় না পাওয়া যাচ্ছে বলে, অবশ্যই সেটা আন্দোলনকারীদের দোষ নয়। তেলা মাথায় তেলই ইচ্ছে বা অনিচ্ছেয় হোক লাগছে।
@আদিল মাহমুদ,
আরিফ জেবতিক আর অমি পিয়ালের সাম্প্রতিক ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো দেখেছেন নিশ্চয়ই। আমি ভীষণ হতাশ বোধ করেছি যখন উনাদের মত দুইজন লোক মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা শাহবাগ আন্দোলন বাদ দিয়ে পড়েছেন আসল আর নকল নাস্তিক নিয়ে। অভিজিৎ দা’র মতো নিপাট ভদ্র লোককেও উনারা বাদ দেননি। অথচ, আমার জানা মতে কোন নাস্তিক তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে কিছু লেখেননি বা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা নিয়েও কোন প্রশ্ন তোলেননি। তাদের বর্তমান ভূমিকা আমার চোখে খুবই সন্দেহজনক। তারা কি প্রকারান্তরে জামাত-শিবিরের পারপাস সার্ভ করছেন না?
@ফারহানা আহমেদ,
জানিনা আপনি কি নামে ফেসবুকে আছে, আর আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন কিনা, আমার স্ট্যাটাসটা হয়তো দেখেছেন এ নিয়ে।
@অভিজিৎ,
আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে আছি, তবে ওখানে আসল নামেই আছি। ওই স্ট্যাটাস আর তার পাল্টা স্ট্যাটাসের ফলাফল এই লেখা।
@আদিল মাহমুদ,
ব্লাসফেমি করে ফেলসেন। ছাগু ট্যাগ খেয়ে যাবেন। ইদানিং অবশ্য নাস্তিকদেরও ছাগু ট্যাগ করা শুরু হইসে। দেখতে পারেন এখানে। 🙂
@অভিজিৎ,
ছাগু কোন ব্যাপার না, একাধিকবার ঐ উপাধি পেয়ে গেছি কোন চেষ্টা ছাড়া। আমার কথা না হয় বাদ থাক, আমি সেলিব্রিটি ব্লগারদের ধারে কাছেও কেউ না। রোহিংগাদের ব্যাপারে নমনীয় মানবীয় লেখা লিখাতে জাফর ইকবাল স্যারও মোটামুটি একই উচ্চতায় পৌছে গেছিলেন।
যারা মডারেট সেজে এই রকম পলিটিক্যালি কারেক্ট সাজার চেষ্টা করেন তাদের কারো কারো নামেই তো দেখেছি নাস্তিক মুরতাদ লেবেল লাগিয়ে শাস্তি দাবী করা হয়েছে। জাফর ইকবাল স্যার, জাহানারা ইমাম, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন এরাও সকলেই সময়ে সময়ে নাস্তিক মুরতাদ ঘোষিত হয়েছে। এনারা কবে কোথায় কোন ধর্মের বিরুদ্ধে উগ্র কথাবার্তা বলেছিলেন? পলিটিক্যালি কারেক্ট দুয়েক লেখা নামিয়ে দিলেই পার পাওয়া যাবে? স্ত্রী পরিবার সকলে নিরাপদ হয়ে যাবে? নাহ, এই ব্যাটা আধা নাস্তিক আগে বদ ছিল, তবে এখন ভাল হয়ে গেছে, নাস্তিকদের গালিগালাজ করে মাশাল্লাহ, এর নাম বাদ দেই?
সামনের সপ্তাহ থেকে সাচ্চা আস্তিক ছাড়া শাহবাগে প্রবেশ নিষিদ্ধ আইন পাশ হয়ে গেলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। মুশকিল হল যেসব আস্তিক ভাই এই জাতের আইন পাশ করাবেন তারাও যে প্রবেশাধিকার পাবেন না সেটা মনে হয় তারা এখনো ধরতে পারেননি।
ভাগ্য ভাল ফেসবুকে যাই না, আজাইরা সময় নষ্ট। এইসব বাদ দ্যান। আপনার রুপ ও যৌবনের রহস্য বলেন। আপনের ছবি যখনই দেখি মনে হয় বয়স খালি কমতেছে। আবার দেখি মিলিটারি ছাঁট দিছেন। কাফের নাছারার পয়সায় দেখি হিল্লী দিল্লীও ভালই বেড়াইতেছেন।
@আদিল মাহমুদ,
ছাগু আর আপনে??? কন কি?? এই উপাধি আপনাকে দিল কোন গাধা? :lotpot:
@ ফারহানা আহমেদ,
তাড়াহুড়া করে লিখেছেন বোধ হয়। নিচের টাইপোগুলো ঠিক করে নিন, পড়তে সুবিধে হবে।
এই রকম ঘটার পেছনে দুটো বষয় কাজ করছে।
ধর্মের সবথেকে বড় সুবিধা হলো এর অতিপ্রাকৃওত রহস্যময়তা।
অতিপ্রাকৃত শক্তর ভয়ে ভীত তকরে রাখা
তার মনের গঠন্টা এইরকম না হলে তার পক্ষে
তাকে মধ্যমপন্থী লোকজনের কাছে আপ্রিয় করেছে।
বিশ্বাসের যায়গা থেকে হোক, বা শাহবাগ
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ। তাড়াহুড়ো ছিল, তার চেয়েও বড় সমস্যা ছিল নেটবুকে ভালো দেখতে পাচ্ছিলাম না। সে যাই হোক, এখন ঠিক করতে চাইছি, কিন্তু কিভাবে এডিট করব খুঁজে পাচ্ছি না। কেউ একটু সাহায্য করবেন, প্লীজ?
@ফারহানা আহমেদ,
আপনাকে লগইন তথ্য ইমেইলে পাঠানো হয়েছে। দয়া করে লগ ইন করে লেখাটিতে গেলে দেখবেন লেখার নীচে ‘সম্পাদনা’ অপশন রয়েছে। সেখান থেকে এডিট করতে পারবেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধন্যবাদ, এডমিন। এডিট করতে পারছি, কিন্তু এডিট করার পরে কিভাবে সেটা সংরক্ষণ করব সেটা বুঝতে পারছি না।
একটি সময়োপযোগী লেখা – বিধর্মী-র তবু একটা ধর্ম আছে – নির্ধার্মিক এর কেউ নেই কোথাও নেই – তাদের কে নিকেশ করা সোজা – কারণ এরা আলাদা – এদের গোষ্ঠী নেই, দল নেই, এলাকা নেই – তথাকথিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা-ও নেই। নাস্তিক রা স্বাভাবিক ভাবেই স্বাধীনচেতা এবং গড্ডলিকা প্রবাহ বিরোধী – ফলে সব ব্যাটা কে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটা কে ধরা খুবই সোজা :-s
@বকধার্মিক,
ধন্যবাদ। খুব সুন্দর করে বলেছেন।
@ ফারহানা আহমেদ,
আপনি একেবারে সঠিক কথাগুলোই তুলে ধরেছেন স্বাগতম আপনাকে- (F)
@আফরোজা আলম,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
কেহ তার নাস্তিকতার প্রকাশ করার দরকার নাই। আস্তিকতা নাস্তিকতা ধার্মিকতা এসব নিতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার যারটা তার কাছেই থাকুক। বরং নীতি থাকতে হবে অন্যের বিশ্বাষের প্রতি আমারা শ্রদ্ধাশীল।
তবে ধর্মীয় বিশ্বাষকে যার যার গৃহে ও উপাসালয় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। রাজপথ,সংসদ বা শাসনতন্ত্র পর্যন্ত কখনই নয়। ধর্মের নামে রাজনীতি ও মসজিদ-পলিসি নিষিদ্ধ করতে হবে।
মসজিদ তো আর শুধু জামাত-শিবিরের একার নয়।
এবং দেশে শান্তি রক্ষার খাতিরে জামাত-শিবিরকে এই মুহুর্তে চিরতরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করিতে হইবে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সহমত। (Y)
অতি খাটি কথা বলেছেন হাকিম ভাই। এটা যত দ্রুত করা যায় ততই মঙ্গল-টিউমার ক্যান্সারে পরিনত হওয়ার আগেই। নাহলে বাংলাদেশের অবস্থা হবে আজকের পাকিস্তানের মত। কিন্তু সরকার খুব সম্ভবত এখনও তেমন কিছু ভাবেননি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার এই একটি কথা ছাড়া আমি বাকি সবগুলোতে আপনার সাথে একমত। দেখুন, নাস্তিকতা ব্যক্তিগত ব্যাপার হলেও এটি লুকোচুরি করার মতো ব্যাপার নয়। আমার পরিচয় আমি নাস্তিক। আর আমার পরিচয় শুনে কেউ ভিরমি খেলে আমার কি করার আছে বলুন। আমিতো আর ভয় দেখাইনি।
@মুনিয়া মুশতারি,
কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।
১। শাহবাগের আন্দোলন কারীরা একটি যুগান্তকারী আন্দোলনে নেমেছে। এদের দ্বারা নিজেকে দেশবাশীর কাছে নাস্তিক বলে দাবী ও সেটা জণগণের নিকট প্রচারিত ও প্রমাণিত করার চাইতেও অনেক বড় কাজ করতে বাকী রয়ে গিয়েছে, যেমন ধরুন যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করানো, ধর্মভিত্তিক-রাজনীতি ও মসজিদ কে রাজনীতির একটি আখড়া হিসাবে ব্যবহার করে জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করা।
জনসমর্থন ছাড়া কখনোই কোন দাবী পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।
২। এরা যদি ঘোষনা দিতে থাকে আমরা নাস্তিক তাতে হয়েছে কী? কারণ কোন ধর্মই তো সঠিক নয়। আমরাইতো ঠিক পথে আছি। আমরা কেন লুকোচুরি করতে যাব? যেটা ঠিক আপনার বক্তব্য।
৩। তাহলে দেশের বোধ হয় ৯০% লোক এদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। তখন এই গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও এর দাবী পুরণে বাধা দেওয়ার জন্য আর জামাত-শিবির এবং বিএনপির ও কিছু করার দরকার হবেনা। আর তারা ষড়যন্ত্রের জন্য বসেই আছে। তখন জনগন এদের বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে ঝাপিয়ে পড়বে।এরা নবিজীর জন্য ও ইছলামের জন্য নিজেরা মরতেও পারে ও অপরকেও মারতে পারে, কিন্তু একজন নাস্তিক কখনই নিজেও মরতে যাবেনা এবং অন্যকেও মারতে যাবেনা।
এবার কী আপনি আমার সংগে একমত হতে পেরেছেন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এরা কেন ঘোষণা দিবে যে তারা নাস্তিক? তারা সকলেই তো নাস্তিক নন। নাস্তিক মরলে তালিয়া বাজিয়ে উনারা কি অর্জন করবেন সেটা ঠিক পরিষ্কার নয় বলেই আমাদের এত আলোচনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি কিন্তু আপনার সাথে একমত। দাবী পুরনের জন্য এখন দরকার একটা ইউনিক প্লাটফর্ম। আ্তিক নাস্তিকের সুক্ষ্ম বিভেদ ঠিকমত তুলতে পারলে বেশীরভাগ অশিক্ষিত(স্বশিক্ষিত নয় এই অর্থে) জনগন শাহাবাগ থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিবে ফলে ৪২ বছরের ইতিহাসের দায় কখনই মেটাতে পারবেনা এই জাতি। আমি মনে করি যেমন করেই হোক রাজাকার ফাসির এই দ্বাবীতে আমাদের যেকোন মূল্যে এক হয়ে থাকতে হবে।তুমি কে আমি কে বাঙ্গালী বাঙ্গালী
@ছন্নছাড়া,
আপনার সংগে আমিও একমত। কয়েকদিন আগে জনাব এরসাদ সাহেব কী বলেছেন দেখেছেনতো? “শাহবাগে নাস্তিকেরা যা করতেছে তা মেনে লওয়া যায়না। তাদের ইছলাম যদি ভাল না লাগে তাহলে তারা ধর্মান্তরিত হয়ে যাক।”
জামাত-শিবির- তাদের নেতাদের বাচানোর জন্য এবং বিএনপি-শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে (চাই দেশটি গোল্লায় যাক, তাতে তাদের কিছু আসে যায়না) জনগনের ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে,দেশের উপাসানালয় মসজিদ গুলিকে রাজনৈতিক কারবার চালানোর উপযুক্ত আখড়া বানিয়ে -সর্বশক্তি লয়ে এই গুরুত্বপুর্ণ আন্দোলনটির বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে জামাত-শিবিরকে খতম করার এইটাই শেষ সুযোগ। এই সুযোগটা হারালে এবং/বা
শাহবাগ আন্দোলন ব্যর্থ হলে দেশটি বিএনপি-জামাত-শিবিরের খপ্পরে পড়ে-এটা একটি ২য় পাকিস্তান বা ২য় আফগানিস্তানে পরিণত হয়ে যাবে।
সেখানকার আত্মঘাতি পার্টিগুলো,তালেবান,ও আলকায়েদাদের নির্বিঘ্নে বিচরণ ও পবিত্র কর্মক্ষেত্রে পরিণত হইবে।
প্রতিদিন ২/৩টা করে আত্মঘাতি বোম ফুটবে।
আফগানিস্তানে গতকালও ৩টা আত্মঘাতি বোম ফুটে অন্ততঃ ১৮জন নিহত ও অনেক আহত হয়েছে।
একই দিনে পাকিস্তানেও একটি ছুন্নী মছজিদে আত্মঘাতি বোমের আঘাতে অজস্র মুসল্লী মারা গিয়েছেন।
এসব দেখেও আমরা যদি শিক্ষা গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের কপালে দুখঃ আছে।
কাজেই এখন আমরা একটি ক্রন্তি লগ্নে অবস্থান করছি।
@ছন্নছাড়া,
দাবীপূরণের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ থাকাটা জরুরী, কিন্তু সেই আর্জটা থাকতে হবে সবার মধ্যেই। এক পক্ষের ছাড় আর অপর পক্ষের সুবিধাবাদ আন্দোলনের মধ্যে আরো বিভক্তি আর বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হুম…… এই কথায় আমি সম্পূর্ণ একমত। কে আস্তিক , কে নাস্তিক এই প্রশ্ন এখন উহ্য রাখাই শ্রেয়।
এখানে আমার একটু কথা ছিল। দেখুন, আসলে আমি নাস্তিক, আর আমিই সঠিক পথে আছি এই ধরনের অহংকারবোধ থেকে কিন্তু আমি নিজেকে নাস্তিক পরিচয় দেই না। নাস্তিক হিসেবে নিজেকে জাহির করে বেড়ানোর কোনও ইচ্ছাই আমার নাই। আমি শুধু কারো প্রশ্নের উত্তরে আমার সঠিক পরিচয়টি দিতে চাই। ঠিক যেমনভাবে একজন আস্তিক ব্যক্তি তার ধর্মীয় পরিচয়টি দিয়ে থাকেন। আমি নাস্তিক আর এটি যদি আমাকে লুকিয়ে রাখতে হয় তখন কিন্তু আমার আত্মসম্মানে লাগে। আর এতে আমার অধিকারও কিন্তু খর্বিত হচ্ছে।
দেখুন, দেশের ৯০% লোক যদি এখনো নাস্তিকদের/ ভিন্নমতের মানুষদের প্রতি এতো ঘৃণা পোষণ করেন তাহলে কিন্তু জামাতকে নিষিদ্ধ করলেও আরেকটি নতুন জামাত গড়ে উঠতে দেরি হবে না। ধর্মান্ধ লোকদের সহায়তায় পাওয়া বিজয় খুব বেশিদিন উপভোগ করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
একজন নাস্তিক অকারণে আগ বাড়িয়ে মরতে যাবে না কিন্তু ঘাড়ের উপর মৃত্যু চলে এলে ডিগবাজি খেয়ে নাস্তিক থেকে আস্তিকও হয়ে যাবে না ( যদি সে জেনেবুঝে নাস্তিক হয়ে থাকে) অন্তত রাজিব ভাই ও আসিফ ভাইয়াকে দেখে আমরা একথা বলতে পারি। তবে পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে ব্যতিক্রম যে হবে না তা না। আবার আমি কিন্তু একথাও বলছি না যে এখন দেশের সব নাস্তিক নিজেদের পরিচয় তুলে ধরে শহীদ হওয়ার মহান ব্রত নিক।
একথায় আমি আপনার সাথে একমত। আর জামাত- শিবিরকে নিধনের জন্য যদি আমার নাস্তিক পরিচয় গোপন করলে কাজ ত্বরান্বিত হয় তবে আমি তাতেও রাজি। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি,
কঠিন সহমত।
@ফারহানা আহমেদ,
আর আপনাকেও ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য। :clap পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম………। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি,
প্রচন্ড সহমত। শুনছেন নাকি কুতুব্দিয়াতে সাইদি প্রজন্ম মঞ্চ তৈরী হয়েছে। চাইরখানা মাইক লইয়া তাহারা জিকির আজগর চালাইয়া যাইতেছে।
পূনশ্চঃ পাকিস্তানের জঙ্গীদের নিরাপদ অভয়াণ্য হিসাবে সে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা ব্যবহৃত হয় যেখানে প্রশাসনের হাত পৌছায়না।
@ছন্নছাড়া,
:-O নাহ শুনি নাই তো। তয় জানতাম এরম কিছু একটা হইব। সাইদি সাহেবের মেশিন কি হুদাই নাকি? প্রজন্ম তো জন্ম নিবই। 😉
@মুনিয়া মুশতারি,
(Y) (Y)
মরুঝড়ের হাতে তালগাছটা ধরিয়ে দিয়ে আপনি বরং কলম হাতে তুলে নিন। একটা লেখা আপনার উপর ফরজ হয়ে গেছে। তবে আল্লাহর ওয়াস্তে কোরান হাদিসের উদ্ধৃতি না দিয়ে। কোরান হাদিসের আয়াত আর ব্যখ্যা শুনতে শুনতে কান জালা-পালা, আর না প্লিজ।
@আকাশ মালিক,
😛 😛 . যেহেতু উনি মার্জিত কমেন্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক আলোচনা করছেন সেহেতু উনাকে সম্মান করে আর একটি মন্তব্য শুধু দিবো। এতে উনি বুঝলে বুঝবেন না বুঝলে কি আর করা।
বলছেন? :)) :))
কসম এই বায়ুমণ্ডলের, কসম এই জলপাই গাছের…মুক্তমনায় আমার প্রথম লেখায় আমি এমন কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো না যা আপনাদের নাসিকাকে গর্জন করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
@মুনিয়া মুশতারি, কসম এই মুক্ত মনার, এইটাও বললেন না যে? বললে দারুন হিট হত হাহা। :))
@অর্ফিউস,
কসম এই মুক্তমনার, কসম অর্ফিউসের … আমার প্রথম লেখায় আমি কুরান হাদিস লইয়া ত্যানা / ন্যাকড়া/ লিছুন পেচামু না। আর যদি এই কসম ভাঙ্গি তাইলে অর্ফিউসের মাথায় ঠাডা পরবো। 😛 😛 😛
বি. দ্র. আমি রেফ দিতে পারতেসি না। কিভাবে দিবো?
@মুনিয়া মুশতারি, হাহাহাহা 😛
R দুবার প্রেস করেন। যেমন অর্ক লিখতে o তারপর r দুবার তার পর k
@মুনিয়া মুশতারি, রেফ তো আপনি দিসেনই, না হলে অর্ফিউস কিভাবে লিখলেন? :-O
@অর্ফিউস,
কপি পেস্ট (H)
@মুনিয়া মুশতারি, ওহ আচ্ছা, এইবার রেফ দিতে পেরেছেন?যাহোক সদালাপের লেখাটায় চোখ বুলালাম ভালই তবে সেই যে পুরোন ধর্মীয় গন্ধ খানিক্টা লেগেই আছে। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি, @ফারহানা আহমেদ, @আঃ হাকিম চাকলাদার, @বিদ্রোহী, @অর্ফিউস,
কিয়ামত পর্যন্ত করতে থাকেন, কোরান আর হাদিসের নতুন এমন কিছু আয়াত, বাক্য, তর্জমা তাফসির ব্যাখ্যা আলোচিত হবেনা যা ইতিমধ্যে মুক্তমনায় আলোচিত হয়নি বলা হয়নি, লেখা হয়নি। এক যুগ ধরে তা চলছে, এখন আর পুরাতনেরা অন্তহীন অর্থহীন এই ত্যানার পেছনে সময় অপচয় করেন না।
@আকাশ মালিক, সমাজের পরিবর্তন এক দিনে হয় না, এজন্যে সময় দরকার।১৪০০ বছরের বিশ্বাস কে এত সহজে সরিয়ে ফেলা যায় না।এটা আপনি বুঝেন তারপরেও এত হাল ছেড়ে দেবার কারন তো আমি দেখি না।
@অর্ফিউস, (Y)
@অর্ফিউস,
কিছু লোক যে ত্যানা প্যাচায় আকাশ মালিকের এই দাবীও সত্য।
@আকাশ মালিক, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখিত, ধর্ম নিয়ে তর্ক ঠিক এই মহুরতেই করা ঠিক হয়নি। আমার কারনে হয়ত আপনাদের কন্সেন্ট্রেশন ব্রেক হয়েছে-দুঃখিত।
@মরুঝড়,
নাহ, করেন। মরুঝড় নয় সুনামীঝড় তুলে ফেলেন। ৯০ পার্সেন্ট মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের ধর্ম ইসলাম আর ইসলাম অর্থ শান্তি। এই ইসলাম আমাদেরকে কত শান্তি দিয়েছে এখনও দিচ্ছে তা তো দুনিয়ার মানুষ স্বচক্ষে দেখছেই, তর্ক করার দরকার আছে? দু একজন নাস্তিক বুঝতে পারছেন না কোরান আর হাদিস কী জিনিষ? পাকিস্তান ইতিমধ্যে আমাদের কাছে ফেইল্ড। বাকি ১০ পার্সেন্ট অমুসলিমকে এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারলেই আমরা শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার পেয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
@আকাশ মালিক, আহা ভাই, মরুঝড় কিন্তু মার্জিত ভাষায় কথাবার্তা বলছেন।আপনি জানেন যে বিশ্বাসের ভাইরাস একদিনে দূর হয় না।উনি ছোট বেলা থেকেই যেটা শিখেছেন সেটা থেকে বেরিয়ে আসা যে কতখানি মুশকিল সেটা আশা করি আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে না( ছোট বেলায় যেটা শিখানো হয় সেটা নাকি অনেকটা প্রোগ্রামড হয়ে যায় মানুষের ক্ষেত্রে) । আমি আপনি সহ আরো অনেকেই হয়ত যে কোন কারনে ব্যাপারটা বুঝেছি, কিন্তু অন্যরা পারছেন না। সেক্ষেত্রে সবার উচিত্ ধর্য সহকার বুঝানো। উনি নিজে তো এমনটা কখনই বলেন নি যে ১০% কে তাড়াতে হবে তবে কেন উনাকে এইভাবে খোঁচা মারা?কাজ হোক বা না হোক,একটু সহনশীলতা নিয়েই বুঝানো উচিত বলে আমার মনে হয় ।
@অর্ফিউস,
একদম সহমত। (F) আমরা ধৈর্য না দেখাইলে মানুষ কইবে যে আমরা হুদাই ফাল পারি। যে বুঝতেসে না তাকে যত্ন নিয়ে বুঝাতে হবে। রাগারাগি , খোঁচাখোঁচি করলে হবে না। ভ্রান্তি দূর করার দায়িত্ব কিন্তু আমরা নিজেরাই নিসি সো এখন চেতাচেতি করলে হবে না। আর মরুঝড়ের ব্যবহার ভালো। কথাবার্তাও ভদ্র। তাকে আমরা সময় দিতেই পারি।
@মুনিয়া মুশতারি, ধন্যবাদ, হ্যা সেটাই,আসলে মাথায় হাত বুলিয়েই কাজটা আদায় করা সহজ, মারামারির চেয়ে। 🙂
@আকাশ মালিক,
হা হা হা… :hahahee:
@মরুঝড়,
জ্বি, জনাব। একটা গঠনমূলক আলোচনার সম্ভাবনাকে আপনি টেনে ধর্মের ভাগাড়ে নিয়ে গেছেন। আপনার উদ্দেশ্য তো সফল, তাই না?
@ফারহানা আহমেদ, সে জন্য ক্ষমা চেয়েছি মালিক ভাই এর কাছে। আর ভাল কথা কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
@আকাশ মালিক,
আপনি আমায় ৮০ টি দুররা মারুন। আপনার কথা প্রথমে শুনিনি। মরুঝড় ছুপা রুস্তম। সেই ঝড় তুলল । তবে আমিও বিনা যুদ্ধে নাহি দিসি সুচাগ্র মেদিনী। মেদিনী এখন আমাদের দখলে। :rotfl:
@মুনিয়া মুশতারি, উপরের দিকে আপনার সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে অস্বস্তি বোধ করছি কারন আকাশ মালিক আর ফারহানা আহমেদ আমার উপর নাখোশ। ঐ বিষয় টি আটকে আছে তাই না করেও পারছিনা । একবার শেষ হলেই ,আমি মানে মানে বিদায় নেব। ততক্ষন পর্যন্ত আমাকে সহ্য করুন।
@মরুঝড়,
না রে ভাই, আপনি চালিয়ে যান অনন্তকাল আমার কোন আপত্তি নাই। আপনার ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে, চলাফেরায়, আচরণে বিচরণে, সয়নে স্বপনে আপনি ইসলামের বিধান, শরিয়ার আইন মেনে চলুন আমার কোনই আপত্তি নাই। প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে আপনি আল্লাহর নাম জিকির করুন, আমার কোন আক্ষেপ অভিযোগ নাই। দেখেন না, জামাতিরা একজন করে নাস্তিক মারে আর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে সকল নাস্তিকদের এক সাথে মেরে দেশকে নাস্তিকমুক্ত করার। সুবহানাল্লাহ বলেন। তাই আপনি যে ওয়াজ শুনাচ্ছেন, আপনাকে কষ্ট করে আর তা করার কি প্রয়োজন আছে? কিছুদিন সবুর করেন না, আমরা তো খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগেই চলে যাচ্ছি। আহা, কত সুখের কত সুন্দর দিনগুলোই না হবে, যখন জমিয়তে ইসলাম, খেলাফতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম আর জামাতে ইসলাম থেকে একজন করে নিয়ে চার খলিফার হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার অর্পণ করা হবে। আমি সেই পরম সুখের দিনের প্রতিক্ষায় আছি।
@আকাশ মালিক,
তা কি করে হবে? এরা তো কেউ কাউকে প্রকৃত ইসলামী দল মনে করে না, আবার প্রত্যেকেই নিজেদেরকে ১০০% সহি ইসলামী মনে করে। তা ছাড়া সহি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আপনাকে বাংলাদেশে কোটি কোটি উট আমদানী করতে হবে কারন সহি ইসলাম একমাত্র অনুসরন করা সম্ভব যদি খোদ মুহাম্মদ যে কায়দায় যে ভাবে জীবন যাপন করেছে সেটা অনুসরন করা হয়। তো সে তো সব সময় উটের পিঠে চলাচল করত, তাহলে সহি খিলাফত কিভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে ?এছাড়া তখন এখনকার মত আধুনিক টয়লেট তো দুরের কথা স্যনিটারী ল্যট্রিনও ব্যবহার করা যাবে না , কারন আমরা দেখেছি খোদ নবী ও তার স্ত্রীরা রাতের বেলা খোলা যায়গাতেই সে কাম সারত। হয়ত মনে করছেন আধুনিক কালে উট বা খোলা যায়গা দরকার নেই। জ্বী না। সেটা সঠিক না। কারন , আমরা জানি মরুভূমিতে পানির অভাব হেতু প্রসাব বা এমন কি পায়খানা করার পরে ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করত মুহাম্মদ ও তার সাহাবীরা । বাংলাদেশের বহু মানুষই এখনো আধুনিক টয়লেটে ঢুকে ইট বা মাটির ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করে। কেন? কারন সেটাই নবীর সুন্নত। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সহি খিলাফত প্রতিষ্ঠা এত সোজা না।
@বিদ্রোহী,
:lotpot: :lotpot:
@মরুঝড়,
তালগাছ আপনার। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি, ১।তালগাছ তো চাইনি। লেখকের কাছে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই ধর্ম নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। আমি ধার্মিক কিনা তাই এটা নিয়েই আলোচনা করতে চাই, তাই ফাঁক পেলেই সেদিক দিয়ে ঢুকে আলোচনা ধর্মের দিকে টেনে আনি। (খুব খারাপ অভ্যাস তাই না)-তাই একটা জড়তা ছিল মনের ভিতর। আকাশ মালিক ভাই বা ফারহানা আহমেদ চান না আলোচনা তার প্রাসংগিকতা হারাক আর এমন হয়েছে দেখে তারা কিছুটা বিরক্ত। তাই আর আলোচনা করতে চাচ্ছিলাম না।
২। ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার একটা উদ্দেশ্য আমার আছে-আমার বিশ্বাস কতখানি যৌক্তিক তা দেখা। কাউকে তর্কে হারিয়ে তালগাছ নেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়,কোন দিন ছিলো না। আকাশ মালিক ভাই ,ফারহানা আহমেদ, অর্ফিউস এবং আপনি অ অন্যান্য যারা মুক্তমনায় আছেন তাদের সাথে কথা বলে আমি আমি যা পাচ্ছিলাম তা যে কতখানি অমুল্য তা শুধু আমি ই জানি। আমি কোন দিন চাইনি আমার বিশ্বাস -অন্ধ হোক। যতটুকু বিশ্বাস করি তার পুরোটাই যেন যৌক্তিক হয় তেমন্টাই চেয়েছি সবসময়। তাই আগামীতে যদি আপনাদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তো মনে রাখবেন -কোন তালগাছ নেই।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তবে রাস্তায় বের হলে অনেকর মুখে শুনি এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কি দরকার, এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যই তো দেশে আজ হানাহানি মারামারি। তাছাড়া শাহবাগের আন্দোলনকে জামাত-শিবিররা নাস্তিকদের আন্দোলন বলে যে অপপ্রচার চালিয়েছে বা চালাচ্ছে তাতে বেশ কিছু মানুষ মনে করছে এই শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ইসলাম ধ্বংস করতে আন্দোলন করছে। মানুষের এই কিচ্ছা কাহিনী শুনলে খুব হতাশ লাগে।
@(নির্জলা নির্লজ্জ),
সহমত। তবে হতাশ না হয়ে যত পারেন গণসচেতনতা তৈরি করুন। সত্যি কথাটা যত বেশী সম্ভব প্রচার করুন। হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে… 🙂 🙂 এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশী দরকার নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করা।
ফারহানা আহমেদ,
স্বাগতম আপনাকে। চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন! একেবারেই খাঁটি। এই কথাটিই সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ
আমি ভয় পাচ্ছি এই জন্যে যে, এরকম এক ট্র্যানজিশনাল পয়েন্টে শাহবাগ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় কিনা। কারন, আপোসের সুর ধ্বনিত হতে আমিও শুনি। সাথে সাথে হুমকি আর ধমক তো প্রাত্যহিক ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে। নাস্তিকদের উপড়ে আসা আঘাতই হয়তো শাহবাগের স্নায়বিক বৈকল্যের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। আজকের তরুণদের তাই শিক্ষা, ইতিহাস, যুক্তি আর মুক্তচিন্তার সাথে সঙ্গতি রেখে পথক্রম তৈরী করতে হবে।
@কেশব অধিকারী,
শাহবাগের প্রথম সমস্যা আমার মনে হয় পুলিশ প্রটেকশনে আন্দোলন। সত্যিকারের লড়াই যখন শুরু হয়েছে, সহযোদ্ধা (যদিও উনারা স্বীকার করেন না) যখন লাশ হচ্ছেন, তখন ভয়ে আবোল-তাবোল বকছেন অনেকেই। কী করছি, কেন করছি—এই দুটো ক্লিয়ার না করে অনেকেই তাৎক্ষণিক আবেগে মাঠে নেমে গেছেন, এখন পিছাতেও পারছেন না, মাঝখান থেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন।
নাস্তিকরাই হবে মৌলাবাদী উন্মাদদের প্রথম আক্রমন আর সেটাই তো স্বাভাবিক। যেমন আপনি বলেছেন-
সুতরাং ধর্ম শাসককে অনেকটাই মুক্তি দেয় বহু ঝামেলা থেকে। সুতরাং এমনকি নাস্তিকরাও যদি কখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করে তারাও সুযোগটা নিতে ছাড়ে না। তা দেখা যায় বর্তমানে সাম্যবাদী যে সব নেতারা মন্ত্রী হয়ে আছেন তাদের বোল চাল শুনে। এটা শুনলে বেশ হাসিও লাগে। তবে তাদের না করে উপায়ও নেই। দেশের সিংহভাগ মানুষ যেখানে ধর্মের আফিমে বুদ হয়ে আছে সেখানে কিভাবেই বা তারা ভিন্ন তর আচরণ করতে পারেন?
এখন এই ভীতি ভাঙ্গতে পারে অকুতভয় নাস্তিকরাই। মৌলবাদীদের সেটাই বড় ভয়। তাই তারা তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষকে ভয় দেখাতে চায়, যাতে কেউ আর নাস্তিক হওয়ার বা নাস্তিকতা প্রচার করার সাহস না পায়। তবে যারা এ হত্যা কান্ড চালায় তারা আবার সেটা করে একে একটা পবিত্র দায়িত্ব মনে করে। সে দিক থেকে বলা যায় এসব লোকেরা ধর্মের শিকার। আমাদের ভাবা দরকার ধর্মের শিকার থেকে তাদেরকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়।
@বিদ্রোহী,
আপনি কি আমাদের বাম মন্ত্রীদের কথা বলছেন? উনারা তো নাস্তিকও না, কমিউনিস্টও না। উনাদের দায় নাস্তিক বা কমিউনিস্টের ঘাড়ে চাপানো কি ঠিক হবে?
@ফারহানা আহমেদ,
তাহলে উনারা কি ?
@বিদ্রোহী,
হে হে হে! এখনও চিনেন নাই?
@বিদ্রোহী,
ইউ রাইট লাইক এ বস। (Y)
বাংলাদেশ এখনো সবার হতে পারে নাই, আক্রমনের চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ও ঘটছে, পাঁচবিবিতে আওয়ামীলীগ করলে ঈমান থাকেনা, মুসলমান থাকেনা সেই সুবাদে জামাতের নেতারা এলাকার সংখ্যালঘু আওয়ামীলীগের নেতাদের ধরে নিয়ে গিয়ে মসজিদে তওবা পড়িয়ে মুসলমান করেছে। দেশের মানুষের সামগ্রিক মানষিকতা খুব খারাপ, অসাম্প্রদায়ী চেতনা প্রায় বিলুপ্ত! আজকে নাস্তিক মরছে বলে যে সব প্রগতিশীল আস্তিক বসে আছেন তাদের জন্য সামনের দিনগুলো খুব খারাপ! কারন তারা আপনাদের ও ধরবে!
@গরীব মানুষ,
বলেন কি? এই ২০১৩ সালে?
@অর্ফিউস,
গরীব মানুষ ঠিকই বলেছেন। আওয়ামী লীগের কর্মীদের মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে আবার মুসলমান বানানো হয়েছে কয়েকদিন আগে। পত্রিকায় এরকম সংবাদই এসেছে।
@ফারহানা আহমেদ, তাহলে তো মাশাল্লাহ কোন কথাই নাই।৭১ যুদ্ধের সময়ও নাকি এই কাম করা হইত।
@ফারহানা আহমেদ,
জামাত ইসলামের দৃষ্টিতে একমাত্র তারা ছাড়া আর কেউ খাটি মুসলমান না। সুতরাং তারা এভাবে আধা মুসলমান, নামে মুসলমান, শুনে মুসলমান, মুনাফিক, মুরতাদ এদেরকে তওবা করিয়ে খাটি মুসলমান বানাতেই পারে। এতে দোষের কিছু তো দেখি না। আমিও চিন্তা করছি ওদের কাছে তওবাটা করে ফেলব কি না।
@অর্ফিউস, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আওয়ামী লীগের ১৬ জন সমর্থককে ধরে মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে ‘মুসলমান’ করানোর ঘটনায় জড়িত যাঁদের নাম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তাঁদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের তওবা পড়িয়ে ‘মুসলমান’ করা নিয়ে গত ৬ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতকাল স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পাঁচবিবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি সাত দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকার পক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পত্রিকায় সাত ব্যক্তির নাম এসেছে। তাঁদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই সাতজন হলেন- স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াত নেতা (এলাকায় রাজাকার হিসেবে পরিচিত) জাফর উদ্দিন, জামায়াত সমর্থক সিদ্দিক, আশরাফ ও আবদুল খালেক, জাবেকপুর মসজিদের ইমাম ময়েজ উদ্দিন এবং এলাকার মাতবর বিএনপি সমর্থক আবদুর রহিম ও আবদুল মালেক মাস্টার।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ‘জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জামায়াত-অধ্যুষিত এক গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক কাদের, কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াছিন, হাসান, নুরুন্নবী, আজিজুল হকসহ ১৬ জনকে গত রবিবার ও সোমবার দুই দফায় মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে ‘মুসলমান’ করা হয়। বলা হয়, এরা আওয়ামী লীগ দলের সমর্থক হওয়ায় এঁদের মুসলমান বলা যাবে না, তাই তওবা পড়িয়ে তাঁদের মুসলমান করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামায়াতে ইসলামী দলকে সমর্থন করার জন্য ওয়াদাও করানো হয়েছে।’
Link
@গরীব মানুষ,
একদম ঠিক কথা বলেছেন। (Y)
ইসলামই এই সব হামলার মুল কারন। ইসলাম শুধু নাস্তিক নয় বিধর্মিদের ব্যাপারে ও অত্যন্ত কঠোর। ইসলামে এদেরকে কতোল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর আওয়ামীলীগ বা মডারেট মুসলিম দাবীকারীরা হয় জানে না বা জানার চেষ্ঠা করে না বা জানলেও না জানার ভান করে। আমি মনে করি জামাত শিবিরই ইসলামকে সঠিকভাবে অনুসরণ করে অন্যরা নয়। তাই মুল সমস্যা ইসলামে, জামাত-শিবিরে নয়। ইসলামকে নির্মুল না করলে এই সব নির্মুল করা যাবে না।
@মইনুল মোহাম্মদ,
একমত নই। সমস্যাটা রাজনৈতিক ইসলাম। সমাধান- ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বা রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করা। মানুষের ধর্মের প্রয়োজন থাকতে পারে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারেনা। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা যখন সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের ধর্ম ইসলামের, তার নবীর বন্দনা গান, ঘোষনা দেন- কোরান বিরোধী নারী অধিকার আইন আমরা করছিনা, তখন বুঝতে বাকি থাকেনা সমস্যাটা কোথায়।
@আকাশ মালিক,
কোন ধর্মে যদি বলা থাকে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও। কোরান হলো সার্বজনীন জীবন বিধান, সংবিধান নয়। নারীদের থেকে পুরুষেরা উত্তম। ইহুদী ও খৃস্টানরা কখনও তোমাদের বন্ধু হতে পারে না। সেই ধর্মের অনুসারিরা যদি তার ধর্ম অনুযায়ী রাষ্টীয় আইনকে অস্বীকার করে বা চ্যালেঞ্জ জানায় বা তার ধর্মীয় আইন মানতে বাধ্য করে। তবে কি সেখানে সেই ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সহবস্থান হতে পারে?
@মইনুল মোহাম্মদ,
খ্রিষ্ট ধর্ম কিন্তু আরো খারাপ কথা বলে। এইখানে সদাপ্রভু ইশ্বর তার পেয়ারের বান্দাদের কে শিশু হত্যাও করতে উৎসাহিত করেছে। ওল্ড টেস্টামেন্টের Judges 21 এই অধ্যায় পুরোটা পড়লেই বুঝতে পারবেন, ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
আপনি হয়ত জানেন না ইসলামে যতগুলো হেইটস্পিচ আছে অন্য কোন ধর্মে এর অর্ধেকও নাই। রেসনাল মন নিয়ে কোরান পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। খুব কম সংখ্যক ক্রাইম আছে যেগুলো কোরান করতে উৎসাহিত করে নাই।
@মইনুল মোহাম্মদ,
সম্পুর্ন ভ্রান্ত ধারনা।ওল্ড টেস্টামেন্টে হেইটস্পীচ আছে কোরানের চেয়েও মেলা বেশি, এখানে শান্তির কথা খুব কমই আছে।এইখানে ঈশ্বর নিজেকে ইর্ষাপরায়ন হিসাবে দাবী করেছেন।এখানে ইশ্বর প্রথমে মুসার লোকদের মাংস খাওয়াবার নাম করে কোয়েল পাখি উড়িয়ে আনেন,তারপর যেই মাংস লোকগুলো কুড়িয়ে নিয়ে দাঁতে কাটতে যাবে অমনি ঈশ্বর তাদেরকে কতল করার ব্যবস্থা করেন এবং ইশ্বর কে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে বাবাকে সন্তানের গলায়, ভাইকে ভাইয়ের গলায় ছুরি চালাতে হয়। এইরকম ইশ্বরের চেয়ে কোরানের আল্লাহ ঢের ভাল।এই কাহিনী পেন্টাটিউকের ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বইতে আছে। সঠিক মনে করতে পারছি না, আপনি পড়ে জেনে নিন।না পারলে আমি কোন একসময় পড়ে আপনাকে জানিয়ে দেব সঠিক ভার্স নাম্বার।
আপনিও একই মন নিয়ে ওল্ডটেস্টামেন্ট পড়ে দেখুন, আপনিও বুঝতে পারবেন।
তবু তো কিছু সংখ্যক ক্রাইম আছে যা কোরান করতে উৎসাহিত করে নাই কিন্তু বাইবেলের পুরাতন নিয়ম( ওল্ড টেস্টামেন্ট) তো সেগুলো করার রীতিমত নির্দেশ দিয়েছে।সেক্ষেত্রে কি খ্রিষ্টানদের সদলবলে ক্রিমিনাল বলা লাগবে নাকি খ্রিষ্ট ধর্মই সব নষ্টের গোড়া বলে দাবী করতে হবে?
যেটা জরুরি সেটা হল ধর্ম সংস্কার, ব্লগে উদ্যেশ্যহীন ভাবে একটা মাত্র ধর্ম কে টার্গেট করে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।
@অর্ফিউস,
এটাও কিন্তু একটা প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা যা ইসলামী পন্ডিতরা অহরহ ইহুদি ও খৃষ্টানধর্মও যে হিংস্র তা বুঝাতে ব্যবহার করে থাকে। আপনি যদি মন দিয়ে ওল্ড টেস্টামেন্ট পড়েন, দেখবেন , মূসার নেতৃত্বে মিশর থেকে বহিস্কৃত বা আগত ইসরাইলিদেরকে তথাকথিত প্রতিশ্রুত ভূমিতে তাদের বসত গড়ার জন্যই কেবল মাত্র তাদের ঈশ্বর উক্ত গণহত্যা বা দখলের নির্দেশ দিয়েছিল। এর কারনও সঙ্গত, কারন তারা একটা নতুন দেশে বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছে, সে নতুন দেশেও তো বাসিন্ধা আছে, তাদেরকে উচ্ছেদ বা গণহত্যা না করে তো সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু কথা হলো গণহত্যা কেন ? একারনে যে তাদের ঈশ্বর চায় ইসরাইলি বংশে যেন কোন বাইরের রক্ত না প্রবেশ করে। অর্থাৎ তারা হবে বিশুদ্ধ ইহুদী বা ইসরাইলি কারন তারা তো তাদের ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রাপ্ত। এবং একবার তাদের রাজ্য দখল ও প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে অত:পর তাদের ঈশ্বর কিন্তু তাদেরকে তাদের ধর্ম প্রচারের জন্য কাউকে জোর করতে বলে নি বা তাদের ধর্ম বিশ্বাস না করলে অবিশ্বাসকারীকে খুন করতে বলে নি। বস্তুত: তাদেরকে তাদের ঈশ্বর তাদের ধর্ম প্রচারই করতে বলে নি। আর তাই দেখবেন সেই তখন থেকেই ইহুদিদের রাব্বীরা কখনই তাদের ধর্ম প্রচারের মিশন নিয়ে বের হয় নি। তারা তাদের মধ্যেই তাদের ধর্মটাকে প্রচার ও ধরে রাখার জন্যেই সর্বদা সংগ্রাম করে গেছে। তবে বর্তমানে ইসরাইলে যে ইহুদিদেরকে দেখা যায় তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক মিশ্র বর্ণের মানুষ দেখা যায়। তবে যতদুর জানা যায় ওরা ওদের মূল রক্ত ধারা অদ্যাবধি অনেকেই বিশুদ্ধ রাখতে পেরেছে। একারনে তাদেরকে অনেক কষ্ট ও সংগ্রাম করতে হয়েছে বলা বাহুল্য। সম্প্রতি একটা খবরে জেনেছি, ওদের ছেলে মেয়েদের গড় আই কিউ স্কোর অন্য যে কোন জাতি গোষ্ঠীর চেয়ে উচ্চে। জানিনা ব্যপারটা ঠিক কি না। তবে বিভিন্ন দেশে বসবাস রত বর্তমানে মোট ১৫ মিলিয়ন ইহুদিদের মধ্য থেকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সকল বিভাগে মোট ১৮০ এর অধিক নোবেল পুরস্কার পেয়েছে আর তা থেকেই বোঝা যায় তারা আসলেই অন্য যে কোন জাতির চেয়ে অনেক বুদ্ধিমান। বিশ্ব সভ্যতায় তাদের অবদান বিশাল, বিশেষ করে বর্তমান প্রাযুক্তিক বিশ্ব সভ্যতায়। আর সেখানে আপনি ১৫ বিলিয়ন মুসলমান বা ১ বিলিয়ন হিন্দু বা ১ বিলিয়ন বৌদ্ধদের কথা ধরুন। এদের কোন পাত্তাই নেই ঐ সামান্য ১৫ মিলিয়ন ইহুদির কাছে।
আর এখানেই হলো ইসলামের সাথে এর বিশাল পার্থক্য। ইসলামের বিধান হলো – মোহাম্মদ নিজেও তখন গণহত্যা করেছে নিজ ধর্ম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে , পরবর্তীতে তার উম্মদেরকেও বলে গেছে তার পদাংক অনুসরণ করে অন্যদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করলে তাদেরকে জোর করতে , না হলে যুদ্ধ করে তাদের দেশ দখল করতে , প্রয়োজনে গণহত্যা চালাতে যা চলবে কিয়ামত তক। তার সোজা অর্থ ওল্ড টেষ্টামেন্টের নির্মমতা নিষ্ঠুরতার বিষয়টি সাময়িক, ইসলামের বিষয়টি চিরকালের জন্য। না জেনে না বুঝে অনেকেই দেখি ওল্ড টেষ্টামেন্টের এ বিষয়টিকে ইসলামের বর্বর ইস্যূটাকে জাস্টিফাই করার জন্য তুলে ধরে মহা উৎসাহে।
@বিদ্রোহী,
আসলে ইসলামী পন্ডিতদের ভাষণ আমি বিশেষ একটা শুনিনা।আমি এটা নিজে পড়ে জেনেছি, খ্রিষ্ট ধর্মকে হিংস্র বলে প্রমান করার জন্যে নয়,বরং সব ধর্মেই হেইট স্পীচ আছে এটা দেখানোর জন্য।
আমি এই গনহত্যার কথা বলিনি। যেটার কথা বলেছি সেটা হল যে ঈশ্বর যা দেন মানুষকে সেটাই খুশি মনে নিতে হবে, ভাল লাগুক বা না লাগুক।ইশ্বর তাদের মান্না নামের একধরনের ধনে বীজের মত খাবার দিতেন, আর অনেকদিন ধরে একই জিনিস খেয়ে তারা মিসরে থাকাকালীন খাবারের জন্য আহাজারি করছিল, আর তাই দয়াময়(!) ইশ্বর দয়ার অসাধারন নমুনা দেখিয়ে এই কাজ করেন।
আএ আপনি যে গনহত্যার কথা বলেছেন সেটাও গনহত্যাই।এই কাজ যে কারনেই হোক না কেন ইশ্বর যদি করিয়ে থাকেন তবে ইশ্বরের সাথে ভুমি দখল কারী দস্যুর পার্থক্য খুজে পাওয়া মুশকিল।
কি ভয়ানক, এ যে দেখি ব্রাহ্মণ্য বাদী ইশ্বর।এই ইশ্বরের কর্মকান্ড কে আপনার কাছে সঙ্গত মনে হচ্ছে?
ওয়েল আপনি হয়ত বেশি জানেন, তাই বলে কি “না জেনে আর না বুঝে” এই কথাটা বলা ঠিক হচ্ছে?মুসলিমরাও তো অনায়েসেই বলতে পারে যে সুরা তওবাও সাময়িক একটা ব্যাপার;শুধুই তখনকার সময়ের যুদ্ধের জন্যে বলা, সেই জিনিসটিই বা আপনি কিভাবে এত জোর দিয়ে অস্বীকার করতে পারেন? এখানে আপনার বলা কথাটি কিন্তু আপ্নাকেই অনায়াসে ফিরিয়ে দেয়া যায়।
ইহুদী ধর্ম কোন মিশনারী ধর্ম না, কাজেই এটার প্রসঙ্গ এখানে আসে না।আসে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রসঙ্গ।আপনি আরো ভাল করে পড়ে দেখুন,ইস্রায়েলিদের সাথে একহয়ে যাবার আহ্বান করা আছে বেশ কিছু জায়গায়।
আর দাউদের কাহিনী মনে আছে?একজনের বউকে দেখে কামাসক্ত হয়ে পড়ল দাউদ, আর সেই লোকটিকে যুদ্ধে পাঠাল একেবারে সম্মুখ ভাগে যেন সে আর ফিরে আসতে না পারে?তারপর তার বউয়ের সাথে দাউদের শয়ন করা আর সেই মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর ঈশ্বর যেভাবে দায়ুদের উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সেই নব্জাতক ছোট বাচ্চাকে সংহার করলেন মনে নেই?দিনের পর দিন না ইশ্বরের ক্ষমা আদায়ের জন্য দায়ুদ অনশন করে গেল, কিন্তু দয়াময় (!) কোন দয়া দেখালেন না বন্রং পিতার পাপে শিশু সন্তানকে খুন করলেন এই ইশ্বরকে কি আপনি ভাল বলেন?
কোরানের আল্লাহর কিন্তু এই রেকর্ড নেই। কাজেই কে শয়তানের বেশি কাছা কাছি? অবিশ্বাসী দের হত্যাকারী আল্লাহ নাকি নিরপরাধ শিশু হত্যাকারী ইশ্বর? ভাবেন ভাই ভাল করে ভাবেন।
@অর্ফিউস,
ভাই, ইসমাইলের কোরবানির ঘটনা তো অনেকটা দাউদের কাহিনির মতোই। দাউদের পাপে তার শিশুসন্তান মরেছে আর ইব্রাহিম তার ঈশ্বরপ্রেম দেখাতে নিজের শিশুসন্তানকে ছুরির নিচে শুইয়েছে। ইসলামের আল্লাহও কিন্তু বান্দার প্রেম নিজ বুঝে বুঝতে না পেরে সন্দিহান প্রেমিকার মতো বলে বসেছিলেন যে, “এই তুমি আমার জন্য মরতে/মারতে পারো?” এছাড়াও এই ইসমাইলের জন্মের পরপরই কিন্তু মহান ইসলামিক আল্লাহ আদেশ দিয়ে নবজাতক শিশু ইসমাইল ও তার মা হাজেরাকে জনমানবহীন ধু ধু মরুতে নির্বাসিত করেছিলেন। এসব দেখে ইসলামিক আল্লাহ সম্পর্কেও মনে প্রশ্ন জাগে। 😕
@মুনিয়া মুশতারি, প্রশ্ন তো আমারো আছে। কিন্তু আমি শুধু কিছু লোকের একটা মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি আর সেটা হল যে, ইসলামই নাকি একমাত্র শয়তানী আর অমানবিকতার আখড়া আর অন্য ধর্মের বানী নাকি অনেক মানবিক।
@অর্ফিউস,
নাহ। মোটেই না। শয়তানি বুদ্ধিতে কোনও ধর্মই একটা আরেকটার চেয়ে কম না।
হ। আছে তো। আর হিন্দু ধর্মে আছে নরবলি।
@মুনিয়া মুশতারি, আর ওল্ড টেস্টামেন্ট এও কিন্তু কোরবানী আছে, শুধু ইসমাইলের জায়গাতে ইসহাক। 😛
@মুনিয়া মুশতারি, ওখানে আর উত্তর দেয়া যাচ্ছে না তাই এখানে দিচ্ছি।
মুলধারার হিন্দু ধর্মে নরবলি আছে এমনটা শুনিনি তো আগে!!শুনেছি যে এটা কাপালিক আর তান্ত্রিকদের ভিতর থাকে,যারা নাকি আসলে হিন্দু ধর্মানুসারে পিশাচের পুজারী।এদেরও কালী নামের এক পিশাচীনি আছে( এইটা দেবি কালী না) আর তার সমর্থক রাই নরবলি দেয়।আপনি উইকি দেখতে পারেন, আমি মনে হয় এটা ওখানেই দেখেছিলাম সঠিক মনে নেই।
@বিদ্রোহী,
খুবই হতাশ হলাম। ঈশ্বর গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন আর আপনি সেটাকে “সঙ্গত” বলছেন!!গণহত্যার নির্দেশ ঈশ্বর দিন আর ইয়াহিয়া দিন, যা অন্যায় তা চিরদিনই অন্যায়। এই নির্দেশ অস্থায়ী বা চিরস্থায়ী যাই হোক না কেন তা অন্যায়। এধরনের চরম অমানবিক কাজ যারা যৌক্তিক বলে মনে করেন তাদের বিদ্বেষ আসলে কিসে তা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
আজকে আপনি ইহুদীদের রক্ত বিশুদ্ধ রাখার খাতিরে গণহত্যা, জবর দখল ইত্যাদি সমর্থন করছেন। কাল যদি নতুন এক “ঈশ্বরের আশীর্বাদের” দাবীদার জনগোষ্ঠির আবির্ভাব হয়, তারা আপনার বাড়ীঘর কেড়ে নেয়, আপনার নিকটজনকে মেরে ফেলে আপনি কি তা সমর্থন করবেন? আপনি মনে করেন রক্তের বিশুদ্ধতার কারনে ইহুদীরা বেশী মেধাবী এবং সেজন্য গণহত্যাও জায়েয। নাজীরাও তো সুপার রেস তৈরী করতে চেয়েছিল, ওদের তাহলে দোষ কোথায়?
পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭ বিলিয়ন; সেখানে মুসলিম ১৫ বিলিয়ন হয় কি করে?
আপনার মন্তব্যে খৃষ্টান বা ইহুদী ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব পরিষ্কার। আপনি যদি খৃষ্টান বা ইহুদী ধর্মের অনুসারী হন তাহলে আপনার ইসলামের সমালোচনা সাঈদী-গোত্রীয় অর্ধশিক্ষিত আলেমদের হিন্দু ধর্মকে বিদ্রুপ করার মতই শোনাবে।
@মনজুর মুরশেদ, আর্ফিউসর্ফ্
হতাশ কেন হলেন? আমি সঙ্গত বললাম কোথায়? আমি শুধু বলতে চেয়েছি ইহুদিদের নবী মুসা বা অন্যরা তাদের সময় ধর্মের নামে তাদের ঈশ্বরের নির্দেশে যেটা করেছিল তাদের বক্তব্য যে সেটা শুধু মাত্র তখনকার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা ছিল, আর এটা ছিল তাদের বংশধারাকে বিশুদ্ধ রাখার জন্য যা অনেকটা হিটলারীয় বিশুদ্ধ জার্মান জাতি তত্ত্বের মত। এ ধরনের হত্যার নির্দেশ চিরকালীন ছিল না। পক্ষান্তরে ইসলামে জিহাদের যে বিধান তা চিরকালীন, বিশেষ করে ৯:৫ ও ৯:২৯ এর যে জিহাদের আদেশ। এটাই ইসলামি বিখ্যাত সব তাফসিরকারদের অভিমত, আয়াতগুলো সরাসরি পড়লেও সেটাই পরিস্কার । এছাড়া বহু হাদিস আছে সেখানেও এ বিষয়টা খুব পরিস্কার- এক হাদিসে মুহাম্মদ বলছে- যতক্ষন পর্যন্ত অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহন না করবে ততক্ষন পর্যন্ত তাকে যুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে তার আল্লাহ আর সে যুদ্ধ তরবারির যুদ্ধ। ইহুদি ও খৃষ্টানরা এভাবেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে।
যীশু বলেছিল- আমি তৌরাত কিতাবের বিধান বাতিল করতে আসি নাই তা পূর্ণ করতে এসেছি।
সেই বিধান কি ? সে তো হলো ১০ আদেশ । সেখানে কি খুনাখুনি হত্যার আদেশ আছে ?
যীশু বলেছিল – আমি পিতার বিরুদ্ধে পূত্র , ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে দাড় করাতে এসেছি।
এটা একটা উপমাসূচক। তার অর্থ- নতুন কোন ধর্মমতে কেউ দীক্ষিত হলে স্বাভাবিক ভাবেই তার পরিবার তা মেনে নেয় না। শুরু হয় একটা দ্বন্দ্ব, মনোমালিন্য।সেটা যে তরবারির যুদ্ধই হবে তার তো কোন মানে নাই। হয়ত হতে পারে , নাও পারে। আবার এটা আধ্যাত্মিক যুদ্ধও হতে পারে। এটা তো বাস্তব কথা। কিন্তু এর জন্য যীশু কাউকে তো খুন হত্যা করার জন্য বলেনি। যদিও এটাকে দলিল ধরে নিয়ে একসময় খৃষ্টান রোমানরা বহু যুদ্ধ বিগ্রহ করেছে।
আসলে আমি বলতে চেয়েছি- ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের কিতাব ও শিক্ষা অনুযায়ী প্রমান করতে পারে যে – তাদের ধর্মের নিষ্ঠুরতা ছিল সাময়িক ও প্রয়োজন সাপেক্ষ। সেটা মোটেও চিরকালীন ছিল না। সেখানে ইসলাম সেটা বলতে পারে না । যদি বলে তাহলে তা কোরানের শিক্ষার পরিপন্থি। মুহাম্মদের শিক্ষার পরিপন্থি। ইহুদি ও খৃষ্টানদের মত একই যুক্তি প্রদর্শন করে ইসলামের সরে যাওয়ার কোন কায়দা নেই।
আপনারা বাইবেল ভাল মতো পড়লেই সেটা বুঝতে পারবেন। আশা করি বোঝা গেছে।
@বিদ্রোহী,
একটি বিশেষ ধর্মের অনুসারী নিজ ধর্মের দোষত্রুটি না দেখে তাকে মহিমাহ্নিত করার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। একজন নাস্তিকের কাছে সব ধর্মই একই ভাগাড়ের আবর্জনা।
@মনজুর মুরশেদ,
(Y) (Y) :clap
@অর্ফিউস,
ওহ বলতে ভুলে গেছি, পরবর্তীতে যীশু খৃষ্ট এসে তার নতুন শিক্ষা প্রদান করে যাতে কিন্তু কোন হিংসার কথা বার্তা নেই। বর্তমানের খৃষ্টানরা যীশুর শিক্ষা অনুসরণ করে । সে হিসাবে খৃষ্টান ধর্ম শান্তির কথা প্রচারের জন্য ইসলাম থেকে বহু বহু আগে- এটাই সত্য।
লুকের গসপেলে কয়েকটা বাক্য আছে হিংস্রতা বিষয়ক কিন্তু সেটা হলো যীশু যখন পরে আবার ফেরত আসবে তখনকার কথা, বর্তমান কালের কথা না, অর্থাৎ অনাগত ভবিষ্যতের কথা। – উপমা আকারে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে – তখন যে যীশুকে গ্রহন করবে না তাকে যীশুর সামনে বধ করা হবে। কিন্তু গসপেলে কোথাও যীশু বলেনি যে বর্তমানে কেউ যদি তাকে রক্ষাকর্তা হিসাবে গ্রহণ না করে তাদেরকে হত্যা বা নির্যাতন করতে হবে। ইসলামি পন্ডিতরা এটা নিয়ে নিজেদের মনগড়া বক্তব্য দেয়, বুঝে অথবা না বুঝে।
@বিদ্রোহী,
আপনি মনে হয় যিশুর একটা কথা ভুলে গেছেন আর তা হল যিশু বলেছিলেন যে কেউ যেন না ভাবে যে তিনি পুর্বের নিয়ম বদলে দিতে এসেছেন, বরং তিনি আরো বেশি করে সেগুলো পাকাপোক্ত করতেই এসেছেন।
আবার এই যিশুই কি বলেননি যে তিনি এসেছেন স্ত্রীকে স্বামীর বিরুদ্ধে পুত্রকে পিতার বিরুদ্ধে আর ভাইকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাড় করাতে এসেছেন?
এইসব ভুলে গেলে চলবে কেন?আবার নিউ টেস্টামেন্ট পড়েন ভাল করে।
আর খ্রিষ্টানরা যাই করুক ওল্ড টেস্টামেন্ট কে অস্বীকার করতে পারে না কারন তাতে আদি পাপের কনসেপ্টটাই নষ্ট হয়ে যায়, আর এতে যীশুকে দুনিয়াতে এসে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মরে মানুষের সেই পাপের প্রায়শচিত্ত করতে হয় না সেক্ষেত্রে কিন্তু গোটা খ্রিষ্টান ধর্মই বাতিল হয়ে যায়।
দেখেন হলি ট্রিনিটি হল খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাণ।পিতা পুত্র আর পবিত্র আত্মা এই তিন সত্বা হলেন এক ইশ্বরের প্রকাশ আর Co Eternal. আর পুত্র হলেন ১০০% মানুষ আর একই সাথে ১০০% ইশ্বর।মানুষ যিশু যন্ত্রনা ভোগ করেন ক্রুশে।আপনি যদি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করেন আর এইসব জিনিসের এক্টাকেও অন্য ধারায় ব্যখ্যা দেন অমনি আপনাকে হেরেটিক হিসাবে ঘোষনা করা হবে।
কাজেই ট্রিনিটি এবং আদি পাপ ছাড়া খ্রিষ্ট ধর্মের অস্তিত্ব নেই।
@মইনুল মোহাম্মদ, কোরআনে মুশরিকদের হত্যা করতে বলা হয়েছে যেই আয়াতে তা হল ওই সময়কার চলমান যুদ্ধে মুসলিমদের প্রতি পরমকরুনাময় আল্লাহ্র নির্দেশ। তাই বলে যে সব সময়ই তাদের হত্যা করতে হবে, এমনটা কোথায় বলা আছে দেখলেন? কোরআনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকুন। আগে সঠিক ভাবে জানুন তারপর মতামত দিন। ২-১ লাইন পড়েই মনে হচ্ছে পুরো কুরআন বুঝে নিয়েছেন?
@Siyam e noor Hasan,
আপনারাই তো দাবী করেন কোরান সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য।
কোরানের (Q.9:123),(Q.8:12),(Q.3:85),(Q.9:5),(Q.2:191),(Q.9:193), (Q.9:14),(Q.9:66),(Q.9:28),(Q.9:29) আয়াতগুলো আগে মুক্তমন নিয়ে পড়ে আসুন। তারপর কথা হবে।
@মইনুল মোহাম্মদ,
কিভাবে ইসলাম কে নির্মুল করতে হবে জানিয়ে এই অধম কে বাধিত করবেন।ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
সময়ই ইসলামকে নির্মুল করবে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কমুনিটি হলো নাস্তিক কমুনিটি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামি ৩০/৪০ বছরে বাংলাদেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। শুধু অপেক্ষা।
@মইনুল মোহাম্মদ,
আমার সেটা মনে হয় না আর ইসলামের নির্মুল হবার দরকারো নেই। যেটা দরকার সেটা হল ইসলামের নির্বিষ হওয়া এবং সময়েই ইসলাম কে নির্বিষ করবে বলেই আমার মনে হয়।এতগুলো মানুষের ধর্মবিশ্বাস কে নির্মুল করা যায় না কোনদিন।
@অর্ফিউস,
আপনি জ্যোতিষী নাকি? এতো আগে এতো নির্ভুল সত্য বলেন কিভাবে? সুপার লাইক। (F) (F) (F)
@মুনিয়া মুশতারি, ধন্যবাদ। 🙂
@মইনুল মোহাম্মদ,
যারা হামলা করছে, মানুষ মারছে, তারা ইসলাম নিয়ে কতটা ভাবেন তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যুগে যুগে যারা ইসলামের ধারক-বাহক ছিলেন তারা যদি সত্যি সত্যি ইসলাম নিয়ে চিন্তা করতেন, তাহলে এই ধর্মটার অনেক বেশি সংস্কার হতো, যুগোপযোগী হতো, যেমনটা হয়েছে হিন্দু বা খ্রীষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে। সেটা না করে ইসলামকে বরাবরই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, কোরান-হাদিসে যে সব হেইট স্পীচ আছে সেগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে। আমার মনে হয়, এভাবেই ইসলাম পরিণত হয়েছে সবথেকে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মে।
@ফারহানা আহমেদ, ইসলাম ধর্মের সংস্কার করার দরকার নেই, এটা অন্যান্য ধর্মের মতো নয়। সোজা কথায় যে ধর্ম সংস্কার করতে হয় সেটা ঐশ্বরিক ও নয়। আপনার হেট স্পীস কথা টা নিয়েও দ্বিমত আছে। এখন পর্যন্ত আমি কোন সমস্যা দেখিনি। অনেকেই বলেন -ইসলামে নাকি বিধর্মী দের ধরে ধরে হত্যা করতে বলেছে। তারা ব্যাখ্যা গুলো কেন পড়েন না , সেটা ভাববার বিষয়। ব্যাখ্যা পড়ে আপনার মনে হবে, যা ভেবেছিলেন আসলে তা নয়। আর বলতে গেলে সব ধর্মকেই রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে । যেভাবে সিধান্ত টেনেছেন তা মানা যায়না। এত তাড়াতাড়ি একটি বড় সিদ্ধান্ত না নেয়াই ভাল। কথা হবে…
@মরুঝড়, আপনি ঠিক বলেছেন..
@মরুঝড়,
প্রথমেই নাক গলানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেহেতু আপনি ফারহানাকে উদ্যেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন।
ইসলাম যে ঐশ্বরিক সেটার প্রমাণও কিন্তু আপনি দিতে পারেন নি। 🙂
থাকাটাই স্বাভাবিক।প্রত্যেক ধর্মেই হেট স্পিচ কমবেশি আছে, আর প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরাই সেটা মানতে চায় না, অন্যভাবে অন্যরকম ব্যখ্যা দিয়ে এড়িয়ে যায়।হ্যাঁ যদি মুসলিমরা সবাই এইটা করার পাশাপাশি ধর্মোন্মাদনাটা কমিয়ে আনতে পারে, তাহলে মনে হয় না সমস্যা খুব বেশি একটা থাকবে।তবে এই ঘটনাটি কবে ঘটবে, সেটা আমার জানা নেই, আমার জীবদ্দশাতে ঘটার কোন সম্ভাবনা আমি দেখছি না।
না দেখারই কথা যেহেতু আপনি এটাকে ঐশ্বরিক বলেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।তবে সমস্যা না দেখার পাশাপাশি আপনি যদি ব্যক্তিগত জীবনেও কারও কোন সমস্যা না করে ধর্ম পালন করেন, আর ধর্ম নিয়ে করা সমালোচনা গুলোকে সহজ ভাবে নিতে পারেন তবে সেটাকেই আমি পজিটিভ সাইন বলে ধরে নেব। (Y)
একটা কথার ব্যখ্যা কিন্তু নানা ভাবেই দেয়া যায়।এটা সম্পুর্ন দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার।আপনি যে ব্যখা বিশ্বাস করেন, সেই অনুযায়ী ভাল কাজ করেন সহনশীল হোন, তাতেই কিন্তু কম্পপ্লেইনটা থাকে না তাই না? 🙂 সহনশীলতাই এখানে আসল।সহনশীলতা দেখাতে পারলেই আপনি ঠিক আছেন।
ধন্যবাদ, ভাল থাবেন।
@অর্ফিউস,
একজন ধর্মপ্রান মানুষের চিন্তার প্যাটার্নটা খেয়াল করুন। প্রথমে সে ধরেই নিয়েছে যে তার ধর্ম ঐশ্বরিক। এ অনুমিত বিশ্বাসের পরেই নিশ্চিত হয়ে পড়েছে যে অত:পর কোরান হাদিসে যা আছে সবই ঐশ্বরিক আর তাই কোরানের কোন আয়াতেই কোন সমস্যা নেই , অন্তত: তিনি কোন সমস্যা দেখেন না। এখন আপনি যখন উক্ত বক্তব্য দিলেন দেখবেন সে হয় উক্ত বক্তব্যকে এড়িয়ে যাবে না হলে বলবে ধর্ম তো বিশ্বাসের ব্যপার এবং তিনি বিশ্বাস করেন , মোহাম্মদ হলো আল্লাহর নবী , কোরান হলো আল্লাহর কিতাব, আর তাই তিনি নিশ্চিত কোরানে যা আছে তা ঐশ্বরিক। দেখুন বার বার তার নিশ্চিত হওয়ার ভিত্তিটা হলো অনুমিত বিশ্বাস। তিনি কিন্তু বুঝতেই পারছেন না যে যার ভিত্তি হলো বিশ্বাস, সে জিনিসটাও বিশ্বাস হবে, সুনিশ্চিত কিছু হবে না। তো এখন , যে জিনিসগুলো সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ব্যপার , সেটার জন্য কিভাবে অন্যকে হত্যা করা , জোর করা , উচ্ছেদ করা যায় ? আমি বিশ্বাস করলাম – আমার মা বাপ কে খুন করলে আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবো , এ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে তা বাস্তবায়ন করলে কি প্রেসিডেন্ট হবো ?
@বিদ্রোহী,
হ্যাঁ সেটাও কথা।কাজেই আশা করি যে পরেরটুকু আপনার মনঃপুত হয়েছে।সত্যি যদি উনি বিশ্বাস করেন তবে তাতে মাথা ব্যাথা থাকা উচিত নয় কারোরই, কিন্তু তিনি যদি এটা ধরে নেন যে, যেহেতু এটা ঐশ্বরিক তাই এর কোন সমালোচনা তিনি সহ্য করবেন না,এতেই কিন্তু বিপত্তিটা বাধে, আর তখন নানা রেফারেন্স আসে, আর সেটা নিয়ে আরো অসহনশীল হয়ে পড়লে কথা আরো বেড়ে যায়।এই জন্যেই আমি সহনশীলতার কথা বলেছি। যদি সহনশীল হয়ে কেউ ধর্মের যেকোন সমালোচনাকে মেনে নেন এবং সুস্থ সমালোচনামূলক আলোচনায় অংশ নিতে রাজি থাকেন তবেই কিন্তু কাজ অনেকটাই হয়ে গেল।কারণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতা চলে আসলে কিন্তু আর এই দ্বন্দ থাকে না, কি বলেন আপনি? 🙂
@মরুঝড়,
ব্যাখ্যা পড়তে হবে কেন? যেখানে কোরান নিজেই বলেছে কোরান এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন তার অনুসারিরা সহজে বুঝতে পারে। তাহলে আরেকজনের সাহায্য নেয়ার প্রয়োজন আছে কি?
@মইনুল মোহাম্মদ,
এই একই কথা মুক্ত মনাতে অন্তত একশ বার বলা হয়ে গেছে, আর কতবার বললে ইমানদার ভাই বোনেরা আপনার এই যুক্তি গ্রহণ করবেন বলে আপনার ধারনা?
@মইনুল মোহাম্মদ,
(Y) (Y) (Y) ।
@মইনুল মোহাম্মদ,
(Y) (Y)
@মরুঝড়,
১) ভালো ব্যাখ্যা যদি থেকে থাকে তাহলে মানুষ খারাপ কাজে অনুপ্রানিত হচ্ছে কিভাবে? তাও আবার এতো বিশাল সংখ্যক মানুষ?
২) যেহেতু জিহাদ বিষয়ক এবং Hate Speech মূলক আয়াতগুলো নিয়ে এত বিভ্রান্তি হচ্ছে সেহেতু ইসলামিক টক শো বা ইসলামিক চ্যানেলগুলোতে কেন এইসব আয়াতসমূহের ভালো ব্যাখ্যাগুলো ঢালাও ভাবে প্রচার করা হচ্ছে না? কেন মানুষকে সত্যটা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
৩) সুরা নিসা আয়াত ৮৯ এ কাফের/ইসলাম অমান্যকারিদের যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই বিনা বিচারে হত্যা করতে বলা হয়েছে। তো আয়াতটির মেসেজ কি পরিস্কার নয়? নাকি এটারও ভালো ব্যাখ্যা আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে জানান।
ইসলামকে ঐশ্বরিক প্রমান করার জন্যই কি জেদ বশতঃ প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করা হয় না?
@মুনিয়া মুশতারি,
অসাধারন প্রশ্ন করেছেন। (Y) (Y) (Y)
@অর্ফিউস,
:)) :)) :))
@মুনিয়া মুশতারি,
আমার বিশ্বাস আপনার উদ্ধৃত এসকল আয়াত প্রকৃতপক্ষে বিধর্মীদের প্রতি প্রেমমূলক, অর্থাৎ এ সব আয়াতে বরং বিধর্মীদের প্রতি ভালবাসা ও বন্ধুত্বের আহবান জানান হয়েছে। ইহুদি নাসারা বা কাফিররা এ আয়াতগুলোকে ভিন্নভাবে অনুবাদ করে ইসলামকে হেয় করার উদ্দেশ্যে প্রচার করে যাচ্ছে। আর তাদের কিছু দালালও পয়সা খেয়ে এসব অনুবাদ যে ঠিক তা স্বীকার করছে , তবে তারা মানুষকে এসব আয়াতের প্রকৃত প্রেক্ষাপট ব্যখ্যা না করে নিজস্ব মনগড়া প্রেক্ষাপট ব্যখ্যা করে যাচ্ছে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস , শান্তির ধর্ম ইসলামে বিধর্মীদের হত্যা বা অত্যাচার করার কোন আয়াত থাকতেই পারে না , যদি কেউ দেখায় তাহলে সেটা বিকৃত বা ভুল অনুবাদ। প্রকৃত অর্থ জানতে আরবী জানতে হবে। একমাত্র তাহলেই কোরানের প্রকৃত সৌন্দর্য জানা যাবে।
@বিদ্রোহী,
অবশ্যই প্রেমমূলক। আমরা বিধর্মীদের এতোটাই ভালবাসি যে আমরা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেই, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলি এবং সবশেষে তাদেরকে জবাইও করে ফেলি। এসবই আমাদের ভালোবাসার অংশ। এসব নিয়ে মিথ্যা রটনা করলে হবে না।
একদম ঠিক। কোরান আর ইসলাম সহিহভাবে জানার প্রকৃত পথ হচ্ছে বাংলা ভুলে আরবি জানা। আর এক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিকভাবে উর্দুও শিখতে পারেন। তবে বাংলা আপনাকে ভুলতেই হবে। আর যদিচ কোরানে বলা হয় যে,আল্লাহতালার প্রেরিত ইসলাম ধর্মে মালাউনের ধর্মের মতো কোনও জাতিভেদ নেই তদাপি আরবি ভাষা ও আরব দেশের লোকদেরকে আমরা বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকি আর আরব দেশের লোকেরাও এই বিশেষ সম্মান নিতে আপত্তি করেন না। তারা আমাদের এমনই মুরুব্বী যে তারা আমাদের ৮ জন শ্রমিকের মাথা বিনা বিচারে কর্তন করলেও আমরা মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার/ শ্রমিক অধিকার ইত্যাদি অধিকারের কথা বলে তাদের সাথে বেয়াদবি করি না। কিন্তু, খ্রিস্টান আমারিকা বা ইয়াহুদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা সব সময়ই মানবাধিকার নিয়ে লাফ ঝাপ দিব। তাদের দেয়া বাক স্বাধীনতা ব্যাবহার করে তাদেরকে মানবাধিকার নিয়া ছবক দিব কিন্তু সৌদি আরবকে কিছু বলবো না। কারন,কিছু বললেই সৌদি আরব আমাদেরকে কোরানে বর্ণিত উপায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং ভালোবেসে আমাদের মাথা কর্তন করে ফেলতে চায়। তাই আমরা কিছু বলি না। যা বলার এহুদি নাসারাকেই বলি।
@মুনিয়া মুশতারি, ১ নম্বরে যে কথাটি বলেছেন তার একটি নিদির্ষ্ট উদাহরণ দিলে ভাল হয়। ২ এবং ৩ নম্বরে যা লিখেছেন -যেমন নিসার ৮৯ নম্বর আয়াত, জিহাদ ইত্যাদি। আচ্ছা বলুন তো ঠিক কখন জিহাদ করতে হবে? আর আপনার তথাকথিত hate speech জনিত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা কি কখনো পড়েছেন? আর ইসলামের কি সংস্কার করতে চান? কোথায় সংস্কার লাগবে?
@মরুঝড়,
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আলোচনায় অংশগ্রহনের উদারতা দেখানর জন্য। এবার সরাসরি মূল কথায় আসছি।
১ নম্বরে আমি বলেছিলাম,
আপনি এক্ষেত্রে সুরা নিসার ৮৯ নাম্বার আয়াতটিই ধরুন না। এটির কি ভালো ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে?
জিহাদ করতে বিশেষ কোনও কারন বা পরিস্থিতির দরকার হয় বলে মনে হয় না। খুনির শাস্তি চাইলেও জিহাদের বলি হতে হয়। দেখুন, ১৯৭১ এ আমরা অস্ত্র ধরেছিলাম ২৬ শে মার্চ আমাদের দেশে গণহত্যা হওয়ার পর। অর্থাৎ তখন আমাদের জান-মালের উপর হুমকি চলে এসেছিল। কিন্তু রাজীব বা অন্যান্য নাস্তিক ব্লগারদের লেখা কি মুসলিমদের জান-মালের উপর হুমকিস্বরূপ ছিল? তারপরেও রাজীব হত্যা তো জিহাদি দায়িত্তের মদ্ধেই পরে তাই না?
হ্যাঁ পড়েছি। পড়ার পরেও সেসব আদেশকে কুৎসিতই লেগেছে। যেমন সুরা নিসার ৮৯ নাম্বার আয়াতের প্রেক্ষাপট বা তর্জমা হোল ( ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে গৃহীত) উহুদের যুদ্ধকালিন। উহুদের যুদ্ধে নবির অমান্যকারিদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তারা আল্লাহ কর্তৃক ভুল পথে চালিত, আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করেছেন এবং নবী যেন আল্লাহর ইচ্ছাকর্তৃক পরিচালিত সেই জাহান্নামীদের !!! ধরে ধরে হত্যা করেন। এখন আপনিই বলুন, যারা আল্লাহের ইশারায় ভুল পথে পরল, আল্লাহ যাদেরকে ভুল পথ দেখিয়ে অপরাধ করালেন তারা কেন জাহান্নামী হবেন বা তাদেরকে কেন হত্যা করা হবে? তারা কি অপরাধ নিজের ইচ্ছায় করেছিল? আল্লাহের ইচ্ছায় যে অপরাধ তারা করলো সেই অপরাধের আবার শাস্তি হয় কিভাবে? আল্লাহ তো নিজে চেয়েছেন যে তারা অপরাধ করুক। তো আল্লাহ এর ইচ্ছা পুরন করে তারা অপরাধ করলো। এখন আল্লাহ এর ইচ্ছা পুরন করলে কি আল্লাহ শাস্তি দেন? কিন্তু তারপরেও আল্লাহ তাদের বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আয়াত নাযিল করেছেন। এজন্যই তাফসির পরলেও hate speech, hate speech ই থাকে। 🙂 তাও যদি আপনার কাছে কোনও ভালো/সহিহ তর্জমা থেকে থাকে (যদিও ইবনে কাথিরের তর্জমার চেয়ে শুদ্ধ আর কোনও তর্জমা ইসলামি দুনিয়াতে নেই) আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের ভুল ধরিয়ে দিন। আমরা ভুল ঠিক করে নিবো। 🙂
সংস্কার তো লাগবে বহু জায়গায়। আগে আপনি আয়াতের সহিহ ব্যাখ্যা মূলক বিতর্ক শেষ করুন তারপর বলছি। 🙂
@মুনিয়া মুশতারী, নিসার ৮৯ আয়াতটি মুনাফিকদের নিয়ে,অবিশ্বাসী বা অমুস্লিমদের নিয়ে নয়। আপনার জন্য নেট সেট ঘাটা ঘাটি করতে হল,তাই গতকাল সকালেই উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম সময় লাগবে,তাই দেরি হল। ধৈর্য নিয়ে পড়লে কৃতজ্ঞ থাকব। নীচে ব্যাখ্যা-
1. These verses were revealed in Madinah, after the Messenger of Allah (peace be upon) had laid foundation of the new Islamic state. It was within the context of this fledgling Islamic state that the above verses were revealed. The first principle that emerges, therefore, is that these verses are directed to the Islamic state and not individual Muslims. Any intelligent person will understand that the power given to a State or Administration is far more forceful, encompassing, and comprehensive than that enjoyed by an individual. However, even in these rules, the Islamic State is not given a carte blanch to kill disbelievers at whim and wish, as will be explained further.
2. The phrase until they migrate in the Path of Allah gives us another indication of the application of this verse. The verse cannot be referring to non-Muslims because migrating in the Path of Allah is not an act of disbelievers or non-Muslims. Nowhere in The Holy Quran are disbelievers required to migrate or leave their hometowns for the sake of Islam. It is, therefore, evident that until they migrate in the Path of Allah is a reference to people who profess to be Muslims. These are the hypocrites, people who outwardly proclaimed to be Muslims but inwardly were not so. They were the impostors and spies among the Muslim community who were out to create mischief and strife. These traitors were also guilty of instigating other communities and nations to attack Muslims, as mentioned in several books of history. The verse before this one, that is, verse number, 88 clearly states: “And what is wrong with you, that you are split (in opinion) with regards to the Hypocrites…….? The context of this section of the chapter tells us clearly that verse 89 refers to Hypocrites and not to disbelievers such as the Jews, Christians, or Pagan Arabs. এই অংশ টুকু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৮৯ আয়াতটি ৮৮ তম আয়াত টির সংগে এমনকি ৯০ ও ৯১ তম আয়াত টিও ভাল করে পড়তে হবে।
3. Verse 89 states: And if they turn away, then seize them… This instruction means that if these hypocrites, after embracing the Islamic faith, renounce the Religion and renegade against the Muslim community then they must be seized, that is, arrested, and then killed. But the killing is not a summary form of execution. The commentaries state that they will be arrested, tried, and if found guilty, executed. They will be executed because they committed the unpardonable sin of treason, which in any Government or Country is a major crime punishable with death. This law applies to the Islamic state, and is not a licence to any Muslim to just go and kill non-Muslims. It might be argued that these details are not mentioned in the Quran so Muslims who read the Quran will be mislead into believing any person can just go and kill any non-Muslim who renounces his religion. Well, it must be well understood that these details are taught to the Muslim communities through different forums such as the madresas, question and answer platforms, public lectures, booklets, writings, and newsletters on a regular basis. Muslims are therefore well aware of the rules that apply; hence you will not find Muslims resorting to such methods in spite of several incidents of so-called Muslims turning away from Islam. আশা করি বুঝেছেন। ইসলাম এমন বলেনি যে -যাও অবিশ্বাসীদের ধরে কাটো…যেখানে আয়াতটি ই শুধুই মুনাফিক নামের মহা প্রতারকদের নিয়ে।
4. The words wherever you find them, must be taken in conjunction with both the phrases before it, i.e. seize them and kill them. That means the perpetrators of treason should be hunted down and seized wherever they hide, and the punishment of death be meted out. This is an injunction for efficient government and law enforcement. Any Government will need to have the ability and expertise to hunt down major criminals within its structures. An Administration that is unable to achieve this becomes the laughing stock of all and sundry. এবার ৯০ তম আয়াত টি দেখুন কি বলেছে—-
5. Verse 90 is another clear sign of the justice and fairness meted out by Islam, and refutes the notion non-Muslims have falsely inferred from the previous verse, that Muslims are commanded to kill disbelievers wherever they are found. In this verse the Muslim government is given the following guidelines:
a) Honouring its treaties, pacts, and pledges with other nations.
b) Honouring even the friends of those with whom it has a pact or treaty.
c) Even the renegades and traitors have to be spared and honoured if they befriend a nation that has a pact with Muslims.
d) Not to fight or kill those who come to them with peaceful motives and offers of friendship.
e) It is forbidden for Muslims to fight people who make an offer for truce.
f) Fighting is only resorted to when there is an act of violence or aggression from the other party.
The above elements form part of the Divine Justice that is so profound in Islam. On this basis, the criticism levelled at Islam by its antagonists is totally unfair, unwarranted, and stems from ignorance about the true meanings of the Holy Quran. এটাই শেষ নয় ৯১ তম আয়াতটিও পড়ুন—
6. In verse 91 that follows the above, another clear ruling is mentioned: “And if they withdraw not from (fighting) you, nor offer you peace or restrain themselves (from aggression), then seize them and kill them wherever you find them. This command confirms the fact alluded to above, that even the hypocrites and renegades will be granted peace on condition that they refrain from aggression and violence. Again, this is the mandate granted to a State, whose duty it is to maintain law and order and protect the rights of people. এবার অন্তত বুঝেছেন, এতদিন যা ভাবতেন আসলে তা নয়।
নীচে আর একটি ব্যখ্যা-
Qur’anic Commentary on Sura’ An-Nissa’ (4):89
Recently, we hear Christians making strange claims about Sura’ An-Nissa’ (4):89, by saying that it is a verse meant to be applied as a punishment for apostates. The said verse is as follows
They long that ye should disbelieve even as they disbelieve, that ye may be upon a level (with them). So choose not friends from them till they forsake their homes in the way of Allah if they turn back (to enmity) then take them and kill them wherever ye find them, and choose no friend nor helper from among them.
But who are the they being referred to in the verse above? The previous verse had the answer.
“What aileth you that ye are become two parties regarding the hypocrites, when Allah cast them back (to disbelief) because of what they earned? Seek ye to guide him whom Allah hath sent astray? He whom Allah sendeth astray, for him thou (O Muhammad) canst not find a road.” (Qur’an 4:88)
It is the hypocrites being referred to (not apostates as insinuated by Christians) and in dealing with those who pretend to be Muslims on the outside, but are the enemies of Islam in reality. Such hypocrites are the ones who would aid the pagans against the Muslims. So we see the missionaries’ claims that the verse in Sura’ An-Nissa’ (4):89 refers to the punishment of apostates falls flat on their face. This is further attested to by Ibn Katheer in this tafseer of the above verse, when he says
q489ibnkatheer Qur’anic Commentary on Sura’ An Nissa’ (4):89
And His [God’s] saying “They but wish that ye should reject Faith, as they do, and thus be on the same footing (as they)” means that they (the hypocrites) wish you misguidance so as to be like them in it; and this is due only to their great animosity and hatred towards you, that’s why God said “so take not friends from their ranks until they flee in the way of Allah(meaning left al-hijrah)” as said by Al-Awfy based on Ibn Abbas, and Al-Saddy said “they showed their kufr, then take them and kill them wherever you find them, “and take no friends or helpers from their ranks” means not to take any of them as allies or seek their support against the enemies of Allah as long as they are like this; then Allah excluded from them.
So, the next question is: who are the hypocrites? Hypocrites are those who take the Islamic Shahada (Confession of Faith) but do not mean it. They do so on the sole aim of trying to cause division and hatred within the Muslim ranks. Consider the following from Sura’ Al-Munafiqun (63):1, as follows:
“When the hypocrites come to thee, they say ‘We bearth witness that thou art indeed the messenger of Allah. Yea, Allah knoweth that thou art indeed his messenger, and All?bearth witness that the hypocrites are indeed liars.”
The above verse speaks for itself. Here, God Almighty is describing the hypocrites; they are the people who profess the Islamic faith but are lying and do not mean it. When the Prophet(P) first migrated to Madina and preached to the people there, there were some Jews and pagan Arabs who profess Islam but in fact seek to destroy the faith. Thus, the hypocrites are not synonymous with apostates as Christians are trying to claim. আর আল্লাহ কাউকে নিজেই বিপথে ঠেলে দেন কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে…
@মরুঝড়,
শেষ পর্যন্ত আপনি সুনামিঝড় করেই ছাড়লেন তবে আপনার ধৈর্য এবং আগ্রহের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। । আপনার পুরো লেখাটি পড়লাম। আপনি এটা নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন কিন্তু এটি কার তাফসির সেটি কিন্তু উল্লেখ করেননি। আমি যদি আমার আগের কমেন্টে ইবনে কাথির এর নাম উল্লেখ না করতাম তাহলে কিন্তু আপনি সাথে সাথে আমাকে বলে বসতেন যে, আমি যার অনুবাদ/তাফসির পড়েছি সেটি ভুল। তো আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি যার তাফসির পড়েছেন সে কে? কতোটুকু তার যোগ্যতা? তিনি কি ইবনে কাথিরের মতো মুহাদ্দিত, ফিকাহ এবং মুফাসসির ডিগ্রিধারী? তার তাফসির তো ভুলও হতে পারে। আর যদি আপনার পছন্দের তাফসিরকারি এতগুলো ডিগ্রির অধিকারি না হয়ে থাকেন তাহলে কি বুঝে আপনি তার অনুবাদ সিলেক্ট করলেন এবং কোন প্রমানে এই অনুবাদটিকেই শুদ্ধ বলছেন?? নাকি এই জন্য সিলেক্ট করলেন যে এই তাফসিরকারি কাফের হত্যার আয়াতগুলোকে ইতং বিতং করে অনেকটাই নরম করে দেখিয়েছে? আর আপনি ইবনে কাথিরের তাফসিরকে কেন উলটে ফেলে দিলেন বুঝলাম না। যেখানে সারা WORLD এর ইসলামিক আলেমরা ইবনে কাথিরের তাফসিরকেই সবচেয়ে বিশুদ্ধ বলে থাকেন।
আপনার কমেন্ট মোতাবেক আপনি দাবি করছেন যে সুরা নিসা এর আয়াত ৮৯ শুধু মুনাফিকদের জন্যই প্রযোজ্য। কাফেরদের জন্য নয়। কিন্তু ,জনাব,আপনি ভুল এবং আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সুরা নিসা এর আয়াত ৮৯ একইসাথে কাফের এবং মুনাফিকদের জন্য। কারন দুই দলই মুহাম্মাদের অনুসারী নয় এবং সুরা নিসা আয়াত ৮৯ এ আল্লাহ স্পষ্ট ভাবে মুনাফিক ও কাফেরকে সমতুল্য ( মুনাফিক ও কাফের যে আল্লাহ এর কাছে সমান পাপী তার প্রমান হল সুরা নিসা এর আয়াত ১০৪, আল্লাহ সেখানে বলেছেন মুনাফিক ও কাফির জাহান্নামের এক জায়গাতে থাকবে) বলেছেন (كَفَرُ ) বা “কাফারু” শব্দটি উল্লেখ করে। আয়াত ৮৯ কে আপনি যতভাবেই আয়াত ৮৮ তে বর্ণিত মুনাফিকের শাস্তির আয়াত আর কাফের/ ইসলাম অমান্যকারির প্রতি স্নেহময় বলে চালাতে চেষ্টা করুন না কেন আপনি ব্যর্থ হবেন। কারন, আয়াত ৮৯ এ স্পষ্টভাবে কাফের শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আগের আয়াত অর্থাৎ আয়াত ৮৮ এর মুনাফিক শব্দটি নয়। সুতরাং, আয়াত ৮৯ স্পষ্টভাবেই কাফের ও কাফেরতুল্য মুনাফিকের শাস্তি ও ঘৃণা বর্ণনার জন্য। ঃ)। তাই আপনার দাবি,
সম্পূর্ণই ভুল। আল্লাহ নিজেই আয়াত ৮৯ এ এই বিতর্কের মীমাংসা করে দিয়েছেন স্পষ্টভাবে “কাফারু” শব্দটি ব্যবহার করে। কারন, আল্লাহ এর কাছে উহুদের যুদ্ধের মুনাফিক ও কাফেররা সমতুল্য এবং দুই দলই শাস্তি পাবে। আর আল্লাহ যদি এই আয়াতে শুধু মুনাফিক হত্যার কথাই বলে থাকতেন তাহলে তিনি আয়াতে কাফারু বা কাফেরদের উল্লেখ করতেন না ,আয়াতে মুনাফিকুন/ মুনাফিক ( যা আয়াত ৮৮ তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে) যেকোনো একটি শব্দ থাকতো। তা কিন্তু নেই। আছে শুধু কাফারু। আর কাফারু কারা? যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না,{(كَفَرُواْ) শব্দের অর্থ পাবেন গুগল ট্রান্সলেশন বা যেকোনো আরবি টু ইংলিশ/বাংলা ডিকশনারিতে} আল্লাহ যদি আয়াত ৮৯ এ মুনাফিক বা hypocrite কে মারার নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি সেই আয়াতে মুনাফিক উল্লেখ না করে কাফের শব্দের উল্লেখ করলেন কেন বলুন? আল্লাহ কেন মুনাফিক না বলে কাফের মারতে বললেন এটি বুঝতে হলে আপনাকে সুরা নিসা এর আয়াত ৬০ থেকে পরতে হবে আর এই আয়াত ৬০ থেকেই এই সুরার জিহাদি বা বিদ্বেষমূলক আয়াত শুরু। আয়াত ৬০ থেকে তাফসির ও অনুবাদ পড়লে দেখবেন যে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কিছু লোকেরা মুনাফিকদেরকে শুধু মিথ্যা কথা বলার জন্য মারতে চাইছিল না। এতে করে সেই লোকেরা দুই দলে ভাগ হয়ে পরল যার এক দল সেই মুনাফিকদের মারতে চাচ্ছিল আর এক দল মুনাফিকদের না মেরে ক্ষমা করতে চাইছিল। যে দল ক্ষমা করতে চাইছিল মুহাম্মাদ আল্লাহ এর নামে বহুভাবে সেই দলকে উস্কানি দিচ্ছিলেন আখিরাতের লোভ দেখিয়ে ( আয়াত ৭৭), নিজেকে সব সিদ্ধান্তের বিচারক দাবি করে ( আয়াত ৬৫), নবি, সিদ্দিক ইত্যাদি উপাধি এর লোভ দেখিয়ে ( আয়াত ৬৯)।কিন্তু তারপরেও যখন কিছু লোক মুনাফিকদের হত্যা করাটা নিরমম বলে মনে করছিলো সেই লোকদের উসকানি দিতে আল্লাহ মুহাম্মাদকে সাহায্য করলেন আয়াত ৮৮ নাজিল করে যাতে আল্লাহ বলেছেন, ” অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না।”
অর্থাৎ মুনাফিকরা তো আল্লাহ এর ইচ্ছাতেই ভুল পথের পথিক , তো এদেরকে হত্যা নিয়ে তোমরা দুই দলে ভাগ হয়ে সময় নষ্ট করো কেন? অতঃপর মহান !! আল্লাহ আয়াত ৮৯ এ আরও এরশাদ করিলেন, ” তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।’
লক্ষ্য করুন, এই আয়াতে স্পষ্টভাবে মুনাফিকদেরকে কাফের ডেকে ফেলা হল যাতে তাদেরকে হত্যা করতে কারু কোনও সংশয় না থাকে। কারন ইসলামে কাফির হত্যা সম্পূর্ণ জায়েজ ( সুরা আনফাল এর ১২ নাম্বার আয়াতে কাফিরদের গলা এবং আঙ্গুল কেটে ফেলতে বলা হয়েছে এবং আয়াত ১৩ তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এই শাস্তি শুধু ইসলাম ও আল্লাহ-রাসুলকে না মানার কারনে , কোনও যুদ্ধের কারনে নয়।)
আপনি কিন্তু দুটি ব্যপার নিয়ে খুব ত্যানা পেচিয়েছিলেন। একটি হল এই বলে যে ইসলাম নাকি কোনও কাফেরকে বিনা কারনে হত্যার নির্দেশ দেয় নাই আর আরেকটি হল কাফির আর মুনাফিক নাকি আলাদা জিনিষ। দুইটি ভুল ধারনা কিন্তু প্রমান দিয়ে দেখালাম ( সুরা আনফাল এর আয়াত ১২,১৩ এবং সুরা নিসা এর আয়াত ১০৪) তো আবার নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনি এতক্ষন আমড়াকে আম বলে চালানোর চেষ্টা করছিলেন। আর না বুঝতে পারলে বুঝতে হবে আপনি শুধু তর্কের জন্যই তর্ক করছেন , সত্য জানার অভিপ্রায়ে নয়। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি, নীচের ব্যাখ্যাটি verse by verse quran study circle থেকে নেয়া। আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর আছে তাই পড়লে কৃতজ্ঞ থাকব।
Ayaat 88 – 91 deal with the problem of those hypocritical Muslims who had accepted Islam in Makkah and other parts of Arabia but had not emigrated to Madina. They lived as before with their people and took more or less a practical part in all their hostile activities against Islam and the Muslims. প্রথমেই খেয়াল করেন, ৮৮ থেকে ৯১ পর্যন্ত কোন কাফেরের কথা বলাই হয়নি। আপনি ৮৯ আয়াতটি বুঝতে ভুল করেছেন। এখানে শুধু মুনাফিকদের কথা বলা হয়েছে।
They had become a very difficult problem for the Muslims who did not know how to deal with them. Some Muslims were of the opinion that they were after all ‘Muslims’ because they recited the Kalimah, offered the Salah, observed fast and recited the Qur’an. Then how could they be dealt with like the disbelievers?
Allah subhanahu wa ta’ala in this passage criticizing the believers removes the difference of opinion from among the Muslims and tells them how to deal with them.
Imam Ahmad recorded that Zayd bin Thabit radhiAllahu anhu said that Messenger of Allah sallAllahu aalyhi wa sallam marched towards Uhud. However, some people who accompanied him went back to Madinah, and the Companions of the Messenger of Allah divided into two groups concerning them, one saying they should be killed and the other objecting. Allah sent down,
فَمَا لَكُمْ فِى الْمُنَـفِقِينَ فِئَتَيْنِ
“So what is (the matter) with you (that you have) become two parties concerning the hypocrites?” এখানে একটু ভাল করে পড়ুন কারন আপনি এখানেই ভুল করেছেন। ঠিক এই মুনাফিক দের ব্যাপারেই বলা হয়েছে ৮৯ নম্বর আয়াতে।
The Messenger of Allah sallAllahu aalyhi wa sallam said, “She (Madinah) is Taybah, and she expels filth, just as the billow expels rust from iron.” The two saheehs also recorded this hadeeth.
Al-Awfi reported that Ibn Abbas said that the ayah was revealed about some people in Makkah who said they embraced Islam, yet they gave their support to the idolators. Once these people went out of Makkah to fulfill some needs and said to each other, “If we meet the Companions of Muhammad, there will be no harm for us from their side.” When the believers got news that these people went out of Makkah, some of them said, “Let us march to these cowards and kill them, because they support your enemy against you.” However, another group from the believers said, “Glory be to Allah! Do you kill a people who say as you have said, just because they did not perform Hijrah or leave their land Is it allowed to shed their blood and confiscate their money in this case?” So they divided to two groups, while the Messenger was with them, and did not prohibit either group from reiterating their argument. আশা করি আপনার আর ভুল বোঝার অবকাশ নেই, এটা শুধুমাত্র মুনাফিকদের নিয়ে। Thereafter, Allah revealed,
فَمَا لَكُمْ فِى الْمُنَـفِقِينَ فِئَتَيْنِ
Ibn Abi Hatim recorded this hadeeth.
Allah said,
وَاللَّهُ أَرْكَسَهُمْ بِمَا كَسَبُواْ
“…And Allah cast them back for what they earned.…” আপনার খুব একটি বিষয় যে আল্লাহ নিজেই এইসব মুনাফিকদের বিপথে ঠেলেছেন। ভাল করে লক্ষ্য করুন লেখা আছে ”they earned”। তারা কি এমন করেছিল যার কারণে তাদের এই ডিগ্রী হাসিল হল। they were not given,they earned it. তারা ইসলাম কেন গ্রহণ করেছিল যখন কিনা তারা মুনাফিক? অবিশ্বাসী থাকলে তো কোন সমস্যা ছিলনা তবে কেন শুধু শুধু এই ছলনা। মুখে আল্লার নাম ,সাহাবিদের সাথে নামায আদায় অথচ অন্তরে ইসলামের অনিষ্ট চিন্তা। ভাবা যায় কি রকম ফাযলামি। এই জন্য ই বলা হয়েছে-allah cast them back ”for” what they earned. তারা যদি মুনাফিকি না করত তবে কি আল্লাহ তাদের এমন করত। কিন্তু আল্লাহ কখন এমন করেন তারো রয়েছে সুন্দর ব্যাখ্যা।
meaning, He made them revert to, and fall into error. Ibn Abbas said that, Allah’s statement, بِمَا كَسَبُواْ means, because of their defiance and disobedience to the Messenger and following falsehood.- এই লাইন দুটি ভাল করে পড়বেন।
Allah subhanahu wa ta’ala then says,
أَتُرِيدُونَ أَن تَهْدُواْ مَنْ أَضَلَّ اللَّهُ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ سَبِيلاً
“Do you wish to guide those whom Allah has let go astray? And whoever Allah lets go astray – never will you find for him a way (of guidance).”
meaning, there will be no path for him, or way to guidance. Allah turned the hypocrites back to their former unbelief because they followed a double-faced policy and were time-servers. আর কি জানতে চান , আপনার এর পরেও কি ব্যাখ্যা লাগবে। কেন আল্লাহ এমন করলেন আশা করি উত্তর পেয়েছেন।As they preferred the life of this world to that of the Hereafter, they had entered the fold of Islam with some mental reservations. They were not prepared to sacrifice those interests which came into conflict with the requirements of the Faith and they did not have that firm belief in the Hereafter which makes one sacrifice with perfect peace of mind this world for the sake of the Next World. It has thus become obvious that the line of demarcation was so clear cut that there ought not to have been two opinions about hypocrisy.
At this place one should clearly understand why those Muslims who did not emigrate to Madina were declared to be hypocrites. When the Prophet sallAllahu aalyhi wa sallam migrated to Madina and conditions were created there for the fulfillment of the requirements of Islam, a general order was given that all those Muslims who were oppressed in any place and in any tribe or clan and could not freely carry out their Islamic obligations, should migrate to Madina, “the Abode of Islam.”
As a result, all those who could emigrate but did not do so because they loved their homes, their relatives and their interests more than Islam, were declared to be hypocrites.
It is obvious that the Muslims living in the “abode of unbelief” may be declared hypocrites for not migrating only if a general invitation is extended to them by the people living in “the Abode of Islam”, or at least the doors of” the Abode of Islam” are kept open for them. In such a case all those Muslims who may be doing nothing to change “the abode of unbelief” into “the Abode of Islam”, nor emigrate to “the Abode of Islam”, even if they could, would be declared hypocrites.
@মরুঝড়, বিখ্যাত ৮৯ আয়াত টির ব্যাখ্যা যদি আর একবার পড়েন কৃতজ্ঞ হব। আর একবার কষ্ট করে পড়বার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এটাও ভার্স বাই ভার্স কোরান স্টাডি সার্কেল থেকে নেয়া।Come Let’s Study Quran – We are following the Tafseer of Ibn Kathir
Tafseer Surah an-Nisa Ayah 89
Leave a comment
November 6, 2012 by versebyversequranstudycircle
Censuring the Hypocrites
“They wish if you disbelieve as they disbelieved so that you would be alike. So do not take from among them allies until they emigrate in the way of Allah.
In ayah 89 Allah subhanahu wa ta’ala states,
وَدُّواْ لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُواْ فَتَكُونُونَ سَوَآءً
“They wish if you disbelieve as they disbelieved so that you would be alike….”
which means, they wish that you fall into misguidance, so that you and they are equal in that regard. This is because of their extreme enmity and hatred for you. Therefore, Allah said,
فَلاَ تَتَّخِذُواْ مِنْهُمْ أَوْلِيَآءَ حَتَّى يُهَاجِرُواْ فِى سَبِيلِ اللَّهِ
“So do not take from among them allies until they emigrate in the way of Allah.”
فَإِنْ تَوَلَّوْاْ فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَلاَ تَتَّخِذُواْ مِنْهُمْ وَلِيّاً وَلاَ نَصِيراً
“…But if they turn back, seize them and kill them wherever you find them. And do not take from among them any ally or helper.”
if they abandon Hijrah they be arrested and killed. As-Suddi said that this part of the Ayah means, “If they make their disbelief public.”
@মরুঝড়,
আপনি যদি মনে করেন ইসলামের জ্ঞান ফলাবেন তাহলে বৃথাই সে চেষ্টা।
কারা মুনাফেকি করত ? মক্কা থেকে সিরিয়াতে যাওয়ার বানিজ্য পথের মাঝখানে মদিনা। এমন কি গাধার পিঠে চড়ে সাত আসমানের ওপর গিয়ে আল্লাহর সাথে মিটিং করে আসার পরেও মক্কাবাসীরা তার ইসলাম গ্রহন করে নি। যাহোক, মক্কায় ইসলাম প্রচারে সুবিধা করতে না পেড়ে মুহাম্মদ মদিনাতে ঘাটি গাড়ে। মদিনায় তার সাথে যায় তার প্রায় ৬০/৬৫ জন সাহাবী। মদিনার মানুষের মূল পেশা ছিল কৃষি কাজ ও গরিব। মক্কার লোকেরা কৃষি কাজ জানত না। এতগুলো লোক কে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর মত অবস্থা মদিনাবাসিদের ছিল না। মুহাম্মদ তাই বেকায়দায় পড়ে যায়। কিভাবে তার এই সব লোকদেরকে সে ভরণ পোষণ করবে। অত:পর সিদ্ধান্ত নেয় মক্কার যে সব বানিজ্য কাফেলা মদিনার পাশ দিয়ে সিরিয়া থেকে মালামাল নিয়ে ফেরত আসবে তাদের ওপর চোরা গোপ্তা আক্রমন করে মালামাল লুট করা। যেমন কথা তেমন কাজ। ফলে খুব দ্রুতই মুহাম্মদের প্রভাব মদিনাতে বৃদ্ধি পেতে থাকে কারন খুব কম আয়াশে অনেক উপার্জন। প্রথম প্রথম মদিনার লোকজন এ হেন অন্যায় কাজে যেতে রাজি ছিল না কারন তারা মক্কার অনেক লোককেই চিনত তাদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। এভাবে বার বার মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করে তা লুটপাট করে নিয়ে যাওয়াতে মক্কাবাসীরা বিপদে পড়ে যায়। এর ফলে মক্কার কিছু লোক একট ফন্দি আটে। তারা মক্কা থেকে সিরিয়ার দিকে যাওয়ার পথে মদিনাতে গিয়ে মুহাম্মদকে বলত যে তারা ইসলাম কবুল করেছে যাতে করে সিরিয়া থেকে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে মুহাম্মদের দল তাদের ওপর আক্রমন না করে। কিন্তু তারা সিরিয়া থেকে মক্কায় ফিরে গিয়ে বলত তারা ইসলাম পরিত্যাগ করেছে ও একই সাথে মদিনায় মুহাম্মদ ও তার দলবল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বলে দিত। আর এদেরকেই উক্ত ৪:৮৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে মুনাফিক।
বিষয়টি ভাল মতো বুঝতে দেখুন আরব দেশের ম্যাপ-
[img]http://www.google.com.bd/imgres?imgurl=http://www.lonelyplanet.com/maps/middle-east/saudi-arabia/map_of_saudi-arabia.jpg&imgrefurl=http://www.lonelyplanet.com/maps/middle-east/saudi-arabia/&h=350&w=466&sz=55&tbnid=pjSssK9AZeXBIM:&tbnh=90&tbnw=120&prev=/search%3Fq%3Dmap%2Bof%2Bsaudi%2Barabia%26tbm%3Disch%26tbo%3Du&zoom=1&q=map+of+saudi+arabia&usg=__3DjOoqZTTIGN15RGHIGl0tYxMA4=&docid=5UuusNEUeDTj2M&sa=X&ei=g-BBUdLxBo2Nrget8oG4Dw&ved=0CC4Q9QEwAQ&dur=94[/img]
এখন বলুন তো তারা কেন মুনাফিকি করত ? শুধুমাত্র বাঁচার তাগিদে। তাদের ব্যবসাকে বাচিয়ে রাখার তাগিদে। কারন তা না করলে মুহাম্মদের দল রেডি ছিল তাদেরকে আক্রমন করে মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে একই সাথে তারা মারাও পড়তে পারত বা হতে পারত বন্দী। তাহলে তারা যে মুনাফেকি করত ,তার জন্য দোষটা কার ? তাদের নাকি মুহাম্মদের দলের লুট তরাজ ?
@মরুঝড়,
আপনার মতো ইন্টারনেটের কোনও এক অজ্ঞাতকুলশীল সাইট থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী তাফসির কপি পেস্ট করে দিয়ে যদি নুরানি কোরানের আসমানি কিতাব হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে পারতাম তাহলে তো আর নাস্তিক হতাম না। আপনার মতোই বিরাট ধার্মিক হতাম। আপনি আমাদেরকে তিনবার জ্ঞান দিয়েছেন এই বলে যে, কুরান বুঝতে হলে ভালো তাফসির পরতে হবে।
তো, আপনার দেয়া ভার্স বাই ভার্স এর তাফসিরই যে একমাত্র বিশুদ্ধ তাফসির তা কিভাবে বুঝলেন ভাই? সেই প্রশ্নের উত্তর তো আপনাকে জিজ্ঞাস করা সত্ত্বেও আপনি দিলেন না। এড়িয়ে গেলেন। আপনি যেটা ভালো বলবেন সেটাই ভালো? আপনি কোন ইসলাম বিশারদ যে আপনার পছন্দের তাফসির পরতে হবে। যেই তাফসির আপনার মনপুতঃ হবে সেটাই বিশুদ্ধ ? যেই তাফসির আপনার কুতর্কে সাহায্য কবে সেটাই সহিহ? ইবনে কাথিরের তাফসিরগুলোকে কেটে কেটে অর্ধেক অর্থ লুকিয়ে কিভাবে আপনি আপনার মনের মতো তাফসির বানালেন নিচে তার প্রমান দেখুন।
আপনার দাবি হল সুরা নিসা এর আয়াত ৮৮-৯১ পর্যন্ত নাকি কাফির( বিধর্মী) হত্যার আদেশ দেয়া হয়নি।
আমার দাবি মতে ৮৯ আয়াতে একইসাথে মুনাফিক ও কাফির হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । কারন, যুদ্ধ হচ্ছিলো কাফেরদের বিরুদ্ধে। কাফেরদের মারতেই সেই যুদ্ধের আয়োজন। এবং কাফেরদেরকে ছেড়ে না আসার জন্য কিছু মুসলমানকে প্রথমে মুনাফিক (আয়াত ৮৮) ও পরবর্তীতে এই ৮৯ আয়াতে কাফের ডাকা হয়েছে কাফেরদের অনুরূপ মৃত্যু তাদেরকেও দেয়ার জন্য। উহুদের যুদ্ধে কাদেরকে মুনাফিক ডাকা হল? যারা উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহন করে নাই ও মুহাম্মাদের এক কথায় নাচতে নাচতে মক্কা থেকে নিজেদের পরিবার, সন্তান, আত্মীয়দেরকে ছেড়ে মদিনাতে চলে আসে নাই। আপনিও এটাই স্বীকার করেছেন। আপনি বলেছেন,
অর্থাৎ তারা ইসলাম গ্রহন করেও মুনাফিক আখ্যা পেলো শুধু এইজন্যে যে তারা তাদের মূর্তিপূজক পরিবারের প্রতি স্রেফ পারিবারিক মমতা পোষণ করতো। এই মমতা আমরা নাস্তিকরাও আমাদের আস্তিক মা-বাবার প্রতি পোষণ করে থাকি এবং কোনও যুদ্ধবাজ উন্মাদ নাস্তিকের কথায় আমাদের ধর্মপ্রাণ মা-বাপের বিরুদ্ধে তলোয়ার ধরবো না। সেই কারনেই তথাকথিত মুনাফিক লোকেরা তাদের পরিবারকে ভরণপোষণ না করে পথে বসিয়ে অকারন উহুদের যুদ্ধ নামক ” গন্ডগোলে” অংশ নিতে ইচ্ছুক ছিল না। ইবনে কাথির ও এটাই বলেছেন,
ইবেনে কাথির আরও বলেছেন,
অর্থাৎ তারা তাদের পরিবারের সাথে মক্কায় বসবাস কালে কিছু কাজ করার জন্য ( fullfill some needs) একদা মক্কার বাইরে মদিনা/অন্যস্থানে গিয়েছিলো। ইবনে কাথিরের তাফসিরের লিঙ্ক, http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=621&Itemid=59 । এখন প্রশ্ন হল কেন তারা মক্কার বাইরে গিয়েছিলো? হতে পারে সেটা তাদের পরিবারের খাবার সংগ্রহের জন্য, হতে পারে ব্যাবসা করার জন্য।ইবনে কাথিরের তাফসিরে এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে বলা নাই। কিন্তু, আপনি ইবনে কাথিরের নামে ভয়াবহ যে মিথ্যে কথাটি বলেছেন তা হল,
অর্থাৎ, মক্কাবাসী সেই নব্য মুসলমানগুলো ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর কাজে কমবেশি লিপ্ত ছিল। ছি ছি মরুঝড়, ধিক আপনাকে। ইবনে কাথিরের নামে এতো বড় মিথ্যা আপনি কিভাবে বললেন? ইবনে কাথির তার তাফসিরের কোথাও বলেননি যে সেই লোকগুলো ইসলামবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল। আপনাকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম। আপনি পারলে প্রমান দেখান। এটা আপনার সেই কুফরি সাইট ভার্স বাই ভার্স এর নিজস্ব তাফসির। সেই অভিশপ্ত সাইট এটি বলেছে শুধু সেই অসহায় লোকগুলো যারা শুধু তাদের পরিবারকে ছেড়ে না আসার অপরাধে আপনার নবীর রোষানলে পরেছিল এবং আপনার যুদ্ধবাজ নবীর লুটেরা দল দ্বারা মক্কার চারপাশে ঘেরাও হয়ে মক্কাতে একরূপ বন্দি জীবন কাটাত তাদেরকে হত্যা জায়েজ দেখানোর জন্য। ঠিক যেমনভাবে জামাতের কুকুরগুলো শাহবাগের ন্যায্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যুবকদেরকে মেরে ফেলতে চায় যুবকরা ইসলামবিরোধী কাজে লিপ্ত এই অছিলা দেখিয়ে।
এবার আসছি আপনার সেই দাবি যে আয়াত ৮৯ নাকি শুধুই মুনাফিক হত্যার নির্দেশ দেয়। আয়াত ৮৯ যদি শুধুই মুনাফিক হত্যার আদেশ দিয়ে থাকে তাহলে আপনার কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন গুলোর জবাব দিন। ১)কাফির হত্যা যদি আপনার নবীর লক্ষ্য না হয়ে থাকে তাহলে তিনি উহুদের যুদ্ধ কাদের বিরুদ্ধে করছিলেন?
২) উহুদের যুদ্ধ যদি কাফিরদের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে তাহলে মুহাম্মাদ কি কাফের না মেরে বিনা রক্তপাতে যুদ্ধ করছিলেন?
৩) বিনা রক্তপাতে যদি কোনও যুদ্ধ হয়ে থাকে তবে তাকে কি আদৌ “যুদ্ধ” বলা যাবে?
৪) যুদ্ধ বলা না গেলে উহুদের ঘটনাটিকে ” যুদ্ধ” বলা হল কেন?
৫) কাফির হত্যা যদি আপনার নবীর উদ্ধেশ্য না হয়ে থাকে তাহলে তিনি কিছু মুসলমানের উপর কেন ক্ষেপে গেলেন তাদের কাফের পরিবারকে ত্যাগ না করার জন্য?
৬) কাফির হত্যা যদি মুহাম্মাদের উদ্দেশ্য না হয়ে থাকে তাহলে তিনি গোপন খবর চালাচালি করার জন্য কেন কিছু মুসলমানকে মুনাফিক বললেন?
৭) হঠাৎ হামলা করে কাফির জনপদকে মেরে ফেলা যদি মুহাম্মাদের উদ্দেশ্য না হয়ে থাকে তাহলে তার কি এতো গোপন খবর ছিল যা মক্কার কাফিরদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে হচ্ছিল?
৮) কাফির যদি মুহাম্মাদের কাছে এতো ভালোবাসার পাত্র হয়ে থাকে তাহলে তিনি কেন বারবার সেই নতুন মুসলমানদেরকে তাদের কাফির পরিবার ত্যাগ করে চলে আসতে বলছিলেন? তারা তাদের পরিবারের সাথে থাকলে কি ক্ষতি ছিল?
৯) নতুন মুসলমানরা মুহাম্মাদের উপর বিশ্বাস রেখেছিল। তাদের আশা ছিল যে মুহাম্মাদ আর যাদেরই হোক তাদেরকে মেরে ফেলবেন না। যেহেতু তারা ইসলামের অনুসারী। এ প্রসঙ্গে ইবনে কাথির বলেছেন,
তো যেই লোকগুলো আপনার নবীকে বিশ্বাস করেছিল সেই লোকগুলোকে আপনার দয়াময় নবী কেন মেরে ফেললেন? তাদের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কমপক্ষে তাদেরকে যুদ্ধবন্দিও তো করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে দয়ার ভাণ্ডার নবী কেন তাদেরকে যেখানে পেলেন সেখানে মেরে ফেললেন?
১০) আমরা জানি, ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের ( বিধর্মী) ও মুনাফিক ( বেইমান) আসলে একই জিনিস। কারন, আল্লাহের কাছে কাফের ও মুনাফিকের অপরাধ সমান ও তারা পরস্পরের সমতুল্য এবং তারা সমান শাস্তি পাবে কারন আল্লাহ বলেছেন কাফের ও মুনাফিক জাহান্নামের এক জায়গাতেই থাকবে (সুরা নিসা আয়াত ১০৪)। তো আয়াত ৮৯ এ যদি মুনাফিক হত্যার আদেশ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটা কি কাফেরদের জন্যও প্রযোজ্য না? যেহেতু তারা একরকমের পাপী…..
১১) কাফের হত্যা যদি ইসলাম সমর্থন না করে তাহলে সুরা আনফাল এর আয়াত ১২ তে কেন কাফেরদের গলা ও আঙ্গুল কেটে ফেলতে বলা হল? এবং এটি করতে বল হয়েছে শুধু তারা ইসলাম মানে না বলেই। কোনও যুদ্ধের প্রয়োজনে বা কোনও চুক্তি ভঙ্গ বা কোনও বেইমানির জন্য নয়। প্রমান সুরা আনফাল আয়াত ১৩।
প্রশ্নগুলোর জবাব দিন। যেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে একদম নির্দিষ্টভাবে ২/৩ লাইনে সেটার জবাব দিন। কোনও কথা ঘুরাবেন না। আর কোনও সাইট থেকে কপি পেস্ট দিবেন না। লম্বা লম্বা কপি পেস্ট দিয়েই ইসলাম ঐশ্বরিক প্রমান করে ফেলবেন না? এতই সহজ? আপনি শুধুমাত্র নিজে যা বুঝেন অল্প কথায় তা বলবেন আর কোরান বা হাদিসের উদ্ধৃতি দিবেন। আপনারে বিশ্বাস কইরা কথা বলতে দেয়ায় পুরা ব্লগ ভরায়া ফেলসেন আজাইরা কথা কপি পেস্ট দিয়া। যেমনে বলসি ওইভাবে আলোচনা করতে পারলে করেন আর না হয় ফুটেন। আমরা সারা রাত জাইজ্ঞা, নিজের মেধা কাজে লাগায়া কমেন্ট করি, আর আপনে কি সুন্দর আরেকজনের ভুয়া লেখা কপি পেস্ট কইরাই খালাস। বাহ বাহ। কি সুন্দর বুদ্ধি…
@মরুঝড়,
আমার কমেন্টে আমি কুরানের বাংলা অনুবাদ নিয়েছি http://www.ourholyquran.com/ এই সাইট থেকে।
@মুনিয়া মুশতারি,
কে ইসলামকে সংস্কার বা যুগোপযোগী করার দায়িত্ব নেবে? মোল্লারা? তারাতো উল্টো এটার ফায়দা নিচ্ছে। আর তাছাড়া কুরআনে হাত দিয়ে তারা কি নরকবাসী হবে? আর যেই এই সংস্কারের কথা বলবে তাকেই তো নাস্তিক বলা হবে। তাকেতো প্রকাশ্যে খুন করতে বলা হবে।
@নাশিদ,
এতক্ষনে বুঝি আপনি আমাকে এই বুঝলেন? আর মোল্লারাই শুধু ধর্মের প্রচার বা সংস্কার করবে কেন? ধর্মের ভুল যদি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষই ধর্মের সংস্কার করতে সক্ষম।
হুম…… তা বলবে। তবে এটার ভয়ে কি সত্য চেপে রাখা উচিৎ হবে?
@মরুঝড়,
আপনি ধরেই নিয়েছেন, ইসলাম অন্য ধর্মের মত মনুষ্যসৃষ্ট নয়, এটা ঐশ্বরিক। অন্য ধর্মের অনুসারীরাও যার যার ধর্ম নিয়ে এই দাবী করেন। এখন আমি কিভাবে যাচাই করব যে আপনার দাবীটিই সঠিক?
আপনার দ্বিমত থাকতে পারে। মুনিয়া মুশরারি উপরে দুটো উদাহারণ দিয়েছেন, এই দু’টো কি ভালোবাসার স্পীচ?
যারা মানুষের গলা কাছে, ঘর-বাড়ি পোড়াচ্ছেন, তারাও তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে কোন সমস্যা দেখছেন না বলেই তো করছেন। এই কর্মযজ্ঞ ইসলামের নামেই কিন্তু হচ্ছে। এখন, আমাকে একটু বুঝিয়ে দেবেন কি যে ধর্মের অপর নাম শান্তি সেই ধর্মের অনুসারিরা এত ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠেন কি করে?
ব্যাখ্যা তো যে যার জায়গা থেকে দেয়। একই বিষয়ে বিশ্বাসীর ব্যাখ্যা এক রকম, অবিশ্বাসীর অন্য রকম। আপনিও বা অবিশ্বাসীর ব্যাখ্যা মেনে নেন না কেন?
তাতে ইসলামের কী লাভ হলো? তুলনামূলক বিচারে কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে অবিশ্বাসীর মাথা ব্যথা নেই কোন।
আপনি যতটা ভাবছেন অতটা হ্যাস্টিলি আমি সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রশ্ন করা সহজ নয়।
অবশ্যই। ধন্যবাদ।
@ফারহানা আহমেদ, আমি সব সময় ই একটা কথা বলি- অবিশ্বাস করলেই একজন অবিশ্বাসীর কাজ শেষ হয়ে যায়না । তাকে কোন মতবাদ বাতিল করতে হলে তার চেয়ে ভাল কোন মতবাদ হাজির করতেই হবে। এটা তার দায়িত্ব। আলোচনা আরও ছোট করে ফেলি-…। আমরা একটা ভুল করি তা হল -ইসলামকে ধর্ম বলি। ইসলাম একটা ধর্ম এটা ইসলামের একটি ক্ষুদ্র পরিচয় আর ইসলামের আসল পরিচয় হল-ইসলাম একটি সমাজ ব্যবস্থা। এই বিষয় অন্য ধর্মে পাবেন না। এখন আপনার কাজ হল এটা প্রমান করা যে ইসলামের চেয়েও ভাল সমাজ-ব্যবস্থা সম্ভব বা আছে। তাহলেই হবে,আমি ইসলাম মানা ছেড়ে দেব। এতে প্রমানিত হবে ইসলাম ঐশ্বরিক কিনা——-আপনার পরের বক্তব্য এখন যারা ঘর -বাড়ি পোড়াচ্ছেন তারা কি ইসলামের নির্দেশ পালন করছেন নাকি তাদের রাজনৈতিক বাবাকে বাচানোর জন্য করছেন? এখানে তাদের আমিও আপনার মত ই ঘৃনা করি। তাই এখানে ধর্মকে নিয়ে আসা ঠিক নয়। আশা করি এবার বুঝেছেন। কোরান পড়বেন আর তার আয়াতের ব্যাখ্যা পড়বেন না কথাটি যুক্তিযুক্ত হল কি?? আয়াতে কি বলল তা বুঝবেন কি করে? উদাহরন দিই-বংগবন্ধু ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবি পেশ করেছিলেন। আমরা জানি কিন্তু আমি যদি বলি -কেন করেছিলেন? তখন কি জবাব দেবেন? কোরানের অনেক আয়াতের কাহিনী আছে সেগুলো অইসব ঘটনা না জেনে পড়লে আপনার ভুল হবে। কথা হবে…
@মরুঝড়,
কোরানের সেই সব আয়াতের পেছনের ঘটনা জানার উপায় কি ? এসব ঘটনা খুজতে যেয়ে যে ভুল ঘটনার বর্ণনা পাব না তার নিশ্চয়তা কি কারন দেখা যায় সেই একই বিষয়ে বিভিন্ন ইসলামি পন্ডিতদের বক্তব্য ভিন্ন। সত্য জানার উপায় কি ?
ইসলাম মোটেই একটা ধর্ম না , এটা হলো একটা ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক মতবাদ। একটা ব্যপারে আপনি ঠিক , এটা অন্য ধর্মে পাওয়া যাবে না, সে কারনে সে সব ধর্ম আজকে রাষ্ট্রের জন্য হুমকি না্, যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার হয়ে গেছে। ইসলাম সব সময়ই রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ করেছে , করতে চেয়েছে ও রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রন করতে চেয়েছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে রাষ্ট্রিয় মদদে সেই মুহাম্মদের মাধ্যমে। যতদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা মুহাম্মদ দখল করতে পারে নি ততদিন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় নি। ইসলামের চেয়ে অন্য ভাল ব্যবস্থা অন্যদেরকে প্রমান করতে বলার আগে আপনাকে প্রমান করতে হবে কেন ইসলাম অন্য সব ব্যবস্থার চেয়ে ভাল। গত ১৪০০ বছরে পৃথিবীর কোন দেশে ইসলাম একটা ভাল ন্যয় ভিত্তিক ও সকলের চাহিদা পূরণে সক্ষম একটা সমাজ উপহার দিতে পেরেছে, উদাহরণ দিন। বাস্তব উদাহরণ দিয়ে প্রমান করুন ইসলাম সবচাইতে উন্নত ও একমাত্র শ্রেষ্ট ব্যবস্থা তাহলে আমরা আপনার কথা মেনে নেব। কোন রকম ধানাই পানাই কথা বার্তা না বলে সোজা লাইনে আসুন ও জবাব দিন।
@বিদ্রোহী,
সেটা হয়ত পারেনি কিন্তু দেখেন যখন ইনকুইজিশনের যুগে ইহুদীদের পোড়াচ্ছিল খ্রিষ্টান রা তখন কিন্তু এই ইহুদীরাই অটোমান সাম্রাজে গিয়ে শুধুই প্রানেই বেঁচে যায়নি বরং অনেক সুযোগ সুবিধাও পেয়েছিল।
এটা আমার মনগড়া কথা না, এইটা আমি এখানে দেখেছি।গুগল সার্চ দিয়ে এটা পেয়েছি।ইহুদীরা নিশ্চয়ই খ্রিষ্টান দের বাঁশ দিতে মুসলিম দের পক্ষে লিখবে না কি বলেন, যেখানে আজ ইহুদী আর মুসলিমদের দা কুমড়া সম্পর্ক।
@অর্ফিউস, বিদ্রোহী, ওই লিঙ্কের চুম্বক অংশ তুলে দিয়ে আবার লিঙ্ক টি দিচ্ছি।
Thousands of Jews who fled Spain went to Turkey, which historically has been very nice to the Jews. Opening his doors to them, the Sultan of the Turkish Ottoman Empire, Bayezid II, declared: “They tell me that Ferdinand of Spain is a wise man but he is a fool. For he takes his treasure and sends it all to me.”
How did the movement of the Jews affect these countries? Spain, which having discovered and colonized the new World should have been the wealthiest of countries, was bankrupt within one hundred years of the expulsion. Turkey, on the other hand, prospered. The Ottoman Empire became one of the greatest powers in the world. The next two sultans, Selim I and Suleiman I, expanded the empire as far as Vienna, Austria.
@বিদ্রোহী,
:guru: :guru: :guru:
@বিদ্রোহী, ১। তাফসির পড়ুন
২। ভাল তাফসির কিনুন তাহলে আর ভুল জানবেন না
৩। জি আপনি ঠিক ই বলেছেন-ইসলাম রাজনৈতিক মতবাদ, শুধু তাই নয় এটি সামাজিক মতবাদ,অর্থনৈতিক মতবাদ, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক সব কিছুই আছে।
৪। আর হস্তক্ষেপ তো করাই উচিত ,আলু থালু গনতন্রে আর কত?
৫। ইসলাম ভাল সমাজ উপহার দেবে কিভাবে কেউ তো ইসলাম কে সেই সুযোগ ই দেয় না। তবে ইসলাম পেরেছে কিনা বলার চেয়ে আমার মনে হয় এভাবে বলা ভাল-ইসলাম ভাল সমাজ উপহার দিতে পারে কিনা ? উত্তর -পারে,খুব পারে।
৬।মহানবী রাষ্ট্র ক্ষমতা পাবার পর ইসলাম প্রসারিত হয়েছে। হ্যা ঠিক ই বলেছেন। এবং এটি স্বাভাবিক। রোম সম্রাট খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণের পর খৃষ্ট ধর্মের বিস্তার লাভ করেছে, অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর তা গতি পেয়েছিলো। কারন কি? তবে এটা নিশ্চয় বলবেন না যে মহানবী জোর করে সব মুস্লিম বানিয়েছিলেন। কথা হবে…
@মরুঝড়,
@মরুঝড়,
ভালোই বলছেন। বাজারে কলা বেচেন আপনি, সেই কলা ভালো না খারাপ সেইটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার না, আমার, কারণ যেহেতু আমি কলা বেচি না। আপনার যুক্তিতে জাঝা!
ইসলামের সমস্যাটাই এইখানে যে, সেটা একটা ধর্ম না, একটা সমাজব্যবস্থা, ১৪০০ বছরের পুরাতন সমাজ ব্যবস্থা, যেটা পরিবর্তন সম্ভব না।
কেন, বাপু? আমি কি অন্য ধর্মের সোল এজেন্ট?
হবে না। কম্পারেটিভলি একটা মতবাদ অন্যটার চেয়ে ভালো প্রমাণিত হলেই সেটা ঐশ্বরিক এমনটা প্রমাণিত হয় না।
বিঝি নাই। ধর্ম তো আমরা আনি নাই, বরং উনারাই এনেছেন। উনারা ধর্মের নামে বাড়ি-ঘর পোড়াচ্ছেন, মানুষ মারছেন।
তা কোন ব্যাখ্যাটা পড়ব? মওদুদীরটা, না অন্যটা?
বই ভালো না হলেই নোট বইয়ের প্রয়োজন হয়।
@ফারহানা আহমেদ, ১। আপনি কলা নাইবা বেচলেন কিন্তু আমার কলাকে অচল বলেছেন তাই আমার জিজ্ঞাসা- ভাল কলা কোথায় পাব? আছে সন্ধান ভাল কলার? আপনি যখন ই আমার কলার চেয়ে ভাল কলার সন্ধান দিতে পারবেন তখন ই আমি আমার কলা না বেচে আপনার কলা বেচব।
২। ১৪০০ বছরের পুরোন হতে পারে কিন্তু এর চেয়ে ভাল বিধান নেই। আর পুরনো বলছেন কেন? নতুন কোন কিছু কি যোগ করতে হবে? কি যোগ করবেন?
৩। আপনাকে সোল এজেন্ট হতে হবে না ,শুধু বলতে হবে কি কারনে ইসলাম কে বাতিল করবেন? এর চেয়ে ভাল কি আছে?
৪। তাহলে কোন কিছু ঐশ্বরিক কিনা কিভাবে প্রমান করব? যদি পথ বাতলে দেন তাহলে সেভাবেই চেষ্টা করব।
৬। ধর্ম আর ধর্মপালন কারী এক জিনিষ নয়। উদাহরণ দিই- দাড়ি কামাবার নাম করে ব্লেড কিনে কেউ যদি তা দিয়ে গলার রগ কেটে আত্মহত্যা করে তাহলে সে দোষ নিশ্চয় সেই ব্লেডের নয়,ব্যবহার -কারীর।
যারা ধর্মের নামে এসব করেন তারা এসব কোথায় পান? সে প্রশ্ন আমারো।
৭। মওদুদী না পড়লেই ভাল,কারন আমি জানিনা তার তাফসীর কেমন। অন্য কিছু পড়ুন। আর ভুল বলেছেন -ইসলামের ক্ষেত্রে বই ,নোট বই দুটো মিলেই বই, আলাদা না করাই ভাল। কথা হবে…
@ মরুঝড়,
আমি কিন্তু আয়াত ও তাফসিরসহ দেখিয়ে দিলাম যে আপনার কলা আসলেই পচে গেছে। আপনি এটা মন থেকে মানতে পেরেছেন তো? মন থেকে আপনার কলার অচলতা মানতে পারলে আপনি নিজেই সঠিক পথের সন্ধান পেয়ে যাবেন। 🙂
আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি সময় শুনেছিলাম যে ইসলাম ১৪০০ বছরের পুরনো আর এখন আমি ইউনিভার্সিটি এর শেষ পর্যায়ে। এখনো শুনি ইসলাম ১৪০০ বছরের পুরনো। Evergreen ইসলাম যার কিনা বয়স বাড়ে না। যাই হোক, ইসলামের চেয়ে ভালো বিধান বা ভালো সমাজ ব্যাবস্থা এই দুনিয়াতে আর নেই এটা হোল আপনার বক্তব্য। বেশ। উদাহরন ও প্রমান দিন।
আপনি প্রমান করলে বা আপনাকে প্রমান করতে হলে সেটা কি আর ঐশ্বরিক থাকবে?
যে পাগল দাড়ি কামাবার নাম করে গলা কেটে ফেলে সেই পাগলের কাছ থেকে ব্লেড ছিনিয়ে নেয়া কি উপযুক্ত বুদ্ধিমানের কাজ না? তেমনি যেই উন্মাদেরা ধর্মের নাম করে সমাজে শুধু অশান্তিই সৃষ্টি করে সেই ধর্ম ছিনিয়ে নেয়াই কি শ্রেয় না? ক্ষুরধার অশান্তির সেই ধর্মটি না থাকলেই তো আর উছিলা পাবে না অশান্তি করার।
ভাই/বোন, আস্তে… সাবধান… কোরান=হাদিস=তাফসির এমন কথা কিন্তু কথাও বলা নাই। সবচেয়ে উপরে কিন্তু কোরান, তারপর হাদিস তার পর তাফসির। অর্থাৎ প্রথমে কোরান পড়বেন, না বুঝলে হাদিস পড়বেন, না বুঝলে তাফসির পড়বেন। সো, মেইন বই আর গাইড বইরে এক কাতারে ফেললে কিন্তু শিরক হয়ে যাবে। কারন, কোরান আল্লাহের তৈরি আর গাইড বই/তাফসি মানুষের তৈরি। আল্লাহ= মানুষ !!! নাউজুবিল্লাহ। অতএব খিয়াল কৈরা …………।।
@মুনিয়া মুশতারি,
১। আয়াত ও তাফসিরের ব্যাখ্যা দিয়েছি, দেখলে বাধিত হব।
২। ১৫০০ বছর হোক , খামাখা খুচরা বছরের হিসাব করবেন কেন, একটু অপেক্ষা করুন।
৩। পাগলের কাছ থেকে ব্লেড কেড়ে নেয়া উচিত-একমত। তারপর যে সমাধান দিয়েছেন তা সহজ ভাবে বললে দাড়ায়-মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা। মনে রাখুন -কোন কালেই ধর্ম কোন অশান্তি তৈরি করেনি, কিছু উজবুকের কারণে অশান্তি হয়। তাই ধর্ম নয় সেসব মানুষের প্রতিকার দরকার। চাকু দিয়ে ছিন্তাই করা যায় বলে কি কাজের এই জিনিস টি বানানো বন্ধ করা ঠিক হবে নাকি ছিন্তাই বন্ধ করবেন?
৪। আচ্ছা বলেন তো তাফসির কেন লেখা হয়েছে? তাফসিরে আসলে কি আছে? আর কিভাবে তা কুরানের অংশ নয়? ইন্টারের বাংলা বই খুলুন, দেখবেন কবিতা অংশে কবিতার পর মুলভাব দেয়া আছে(যতদুর মনে পড়ে) যা আপনাকে কবিতাটি বুঝতে সাহায্য করবে। এখন প্রশ্ন মুল্ভাব কোথা থেকে এল? উত্তর-কবিতা থেকে। তাহলে এই ভাব কোথায় লুকিয়ে আছে? উত্তর কবিতায়। আমি ঠিক এ কথাই বলছি।
@মরুঝড়,
আপনার এই ব্যাখ্যার ব্যাপারে মন্তব্য না করে পারছিনা বলেই অনধিকার চর্চা করছি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রথমেই। এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে আপনিই কি স্বীকার করলেন না যে, ইসলামে (মাথা) ব্যাথা আছে? তাছাড়া আপনিই কি ইসলাম বা ধর্মকে চাকুর সাথে তুলোনা করলেননা যা দিয়ে খুন পর্যন্ত করা সম্ভব? তাহলে ইসলাম সবার জন্য পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা কিভাবে হয় যেখানে এটা বেছে বেছে মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে? তা না হলে এটা দিয়ে খুনের মত ধংসাত্বক কাজ সম্ভব?
@নাশিদ,
:guru: :guru: :guru:
আপনার যুক্তি খাসা। দাবী করবেন আপনি, আর তার প্রমণ সরবরাহ করতে হবে আমাকে! ক্রেতা আসলে কোন দোকানদার বলে, আমার কলা নিতেই হবে, নইলে কলা খারাপ এইটা প্রমাণ করতেই হবে? কোন বিক্রেতা বলে আমার কলা না কিনলে আরো ভালো কলা বেঁচে দেখিয়ে দেন?
আপনার যুক্তি অনুযায়ী, আমি দাবী করলাম আপনার মাথায় দুইটা অদৃশ্য শিং আর পেছনে একটা অদৃশ্য লেজ আছে। প্রমাণ করুন নেই।
আপনার সমস্যা হলো আপনি ধরেই নিয়েছেন, প্রত্যেকের একটা ধর্ম থাকতে হবে। না থাকলে সমস্যা কি?
পুরনোকে পুরনো বলব না? ১৪০০ বছরের নতুন বলব?
আবারও বলছি এই দায়িত্ব আমার না, বিশ্বাসীর। বাতিল করার প্রশ্ন আসে তখনই যখন আমি এটা গ্রহন করে থাকি। আমি তো এটা গ্রহনই করি নি কখনো।
একই কথা আবার, ঈশ্বর বিশ্বাস আপনার, ঐশ্বরিকতা প্রমাণের দায় আমার হবে কেন?
বাহ, শান্তি শান্তি করে মুখে ফেনা তুলে ফেলবেন, আবার সেই শান্তির নামে জবাইও করবেন, অতঃপর দাবী করবেন ইহাই প্রকৃত শান্তি, আর আমরা সব মেনে নেব? দাঁড়ি কামানোর সময় যদি এক-দুই জন নিজের গলা কেটে ফেলে (যদিও প্র্যাকটিক্যালি সেতা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে) সেটা হয়তো ব্যবহারকারির সমস্যা, কিন্তু দাড়ি কামানোর ব্লেড দিয়ে যখন যুগে যুগে দেশে দেশে লোক জন নিজের গলা না কেটে, নদের গলায় পোচ দেয়, এবং সেই ঘটনা একবার-দুইবার না, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বার ঘটতে থাকে, তখন আমার বিচারে সমস্যা ব্লেডেই, তার ব্যবহারে নয়।
অন্য কিছু মানে কি? স্পেসিফিক করেন। মওদুদী কেন নয়?
ঈশ্বর যদি কুরানকে সকল মানুষের জন্য জীবন বিধান হিসেবে নির্ধারন করে দেবেন, এবং চাইবেন সবাই এর বিধি-বিধান মেনে চলুক, তাহলে সবার পক্ষে বোধগম্য করে কেন নাযিল করেননি? কেন আমাদের মওদুদী-চরমোনাই পীরের হাতে ছেড়ে দিলেন?
@ফারহানা আহমেদ,
:hahahee: এইবারও যদি মরুঝড় না বোঝেন, তবে মনে হয় না যে উনাকে আর বোঝানো সম্ভব। :-Y
@অর্ফিউস,
আমারো তাই মনে হয়। সামু ব্লগে এই রকম প্রচুর দেখেছি। কোন কিছু বোঝার জন্য মনের জানালা মিনিমাম যেটুকু খোলা থাকা দরকার, সেটুকু যদি না থাকে, সে কোন দিন বোঝে না—-আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। আমাদের মধ্যে হাতেগোনা দুই একজন বাদে কেউই নাস্তিকতার পাঠ পারিবারিকভাবে পাইনি। চিন্তা করে দেখেন কিভাবে আমাদের শুরু হয়েছিল। প্রথমে ছোট ছোট প্রশ্ন তৈরি হওয়া, সেগুলোর জবাব খোঁজার চেষ্টা—এভাবেই তো মানুষের মধ্যে জানার আগ্রহটা তৈরি হয়। যার মনে বিশ্বাসটাই সব, সে প্রশ্ন করবে কিভাবে? আর উত্তরও বা পাবে কিভাবে?
@ফারহানা আহমেদ, হ্যাঁ সঠিক বলেছেন।আসলে আমার মনে হয় যে মুক্ত মনাদের বেশিরভাগ কেই সবার সাথেই যুদ্ধ করতে হয় নিজের পরিবারের সাথেও। আর আপনার মনে যে প্রশ্ন আসে সেটা আপনি কাউকে জিজ্ঞেস করতে গেলে ছোট বেলাতে হয়ত শুনতে হয়েছে যে এটা আল্লাহ জানেন কাজেই এসব নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।আরেকটু বড় হলে আপনার মনে যদি আরো প্রশ্ন বাড়তে থাকে, আপনি অনেক বৈরি পরিবেশের স্বীকার হবেন। আর তার পর কি হতে পারে সেটা আমাদের কারোরই অজানা নয়।
কিন্তু দেখেন এখানে মরুঝড় কে কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পরেও তিনি দেখছেন না বা দেখতে চাইছেন না।সেখানে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি আসলে বুঝতে চাইছেন না।
কাজেই কেউ যদি বুঝতে না চায় তবে তাকে আসলেই বুঝানো যায় না।তর্কের খাতিরেই শুধুমাত্র তর্ক করাটা ভাল দেখায় না আর আমার মনে হচ্ছে যে উনি এটাই চাচ্ছেন।উনার অন্ধ বিশ্বাসের শিকড়টা এতই গভীরে যে তিনি দেখেও দেখছেন না।
তবে তিনি যদি নিজের জীবনে ধর্ম নিয়ে সহনশীল হন, তবে সেটা ভাল, কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে, ( ব্যক্তিগত অভিমত)ব্লগের মরুঝড় যতটা সহিষ্ণু আচরন করছেন বাস্তবে তিনি হয়তো তার উলটা। কারন উনি নিজেই একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন যে কোরান যে ঐশ্বরিক তা তিনি প্রমান করতে পারছেন না, অতচ তবু তাঁর সেই অন্ধ বিশ্বাস যাচ্ছে না,তাই তিনি প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েও তাঁর নিজের মতকে অন্যভাবে চাপানোর চেষ্টা করছেন; বাস্তব জীবনে হয়ত অনেক অসহিষ্ণূ ভাবেই সেটা করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে তাঁকে বুঝানোর চয়েসটা করা মানে অরণ্যে রোদনের শামিল।
@মরুঝড়,
অন্য কেউ পথ বাতলে না দিলে আপনি নিজে যদি প্রমান করতেই না পারেন কোন কিছু ঐশ্বরিক কিনা, তবে কিভাবে আপনি সেটাকে ঐশ্বরিক বলে বার বার চালানোর চেষ্টা করছেন?
@অর্ফিউস, (Y)
@মরুঝড়,
মওদুদী না পড়লেই ভাল,কারন আমি জানিনা তার তাফসীর কেমন। অন্য কিছু পড়ুন।
আপনি যেটা পড়েনই নি, জানেনই না সেটা ক্যামন, তাহলে কিভাবে আপনি সেটা না পড়ার জন্য বলেন বা অন্যকিছু পড়তে বলেন? আপনাদের সমস্যা ওইখানেই রে ভাই। কোন কিছু না পড়েই বা না বুঝেই সেইটা নিয়ে মন্তব্য করা এবং অন্যকিছু যদি ভালোউ হয় তা না পড়েই, তুলোনা না করেই সেই অন্যকিছুকে খারাপ বলা। একেই মনেহয় ধর্মান্ধ বলে, যার চোখ থাকলেও খুলেনা।
@নাশিদ,
(Y) (Y) (Y)
@ফারহানা আহমেদ,
:lotpot: :guru:
@মরুঝড়,
ভালোই বলছেন। বাজারে কলা বেচেন আপনি, সেই কলা ভালো না খারাপ সেইটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার না, আমার, কারণ যেহেতু আমি কলা বেচি না। আপনার যুক্তিতে জাঝা!
ইসলামের সমস্যাটাই এইখানে যে, সেটা একটা ধর্ম না, একটা সমাজব্যবস্থা, ১৪০০ বছরের পুরাতন সমাজ ব্যবস্থা, যেটা পরিবর্তন সম্ভব না।
কেন, বাপু? আমি কি অন্য ধর্মের সোল এজেন্ট?
হবে না। কম্পারেটিভলি একটা মতবাদ অন্যটার চেয়ে ভালো প্রমাণিত হলেই সেটা ঐশ্বরিক এমনটা প্রমাণিত হয় না।
বিঝি নাই। ধর্ম তো আমরা আনি নাই, বরং উনারাই এনেছেন। উনারা ধর্মের নামে বাড়ি-ঘর পোড়াচ্ছেন, মানুষ মারছেন।
তা কোন ব্যাখ্যাটা পড়ব? মওদুদীরটা, না অন্যটা?
বই ভালো না হলেই নোট বইয়ের প্রয়োজন হয়।
@ফারহানা আহমেদ,
অসাধারন (Y) । আসলে আমারো উচিত ছিল এমন একটি কথা বলা, সরাসরি চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে।
@ফারহানা আহমেদ,
কিন্তু এটাওতো বলা হয় যে , কুরআন একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেটার কোন পরিবর্তন বা বিবর্তন সম্ভব নয়। এটা অবিকৃত অবস্থায় আছে এবং থাকবে। তাহলে অন্য ধর্মের মত ইসলামকে পরিবর্তন করা বা যুগোপযুগী করা কিভাবে সম্ভব?
@নাশিদ,
করতে হবে, তা না হলে অন্যরা যখন চাঁদে মহাকাশচারী নামাবে, আমাদের তখন চাঁদে সাঈদী সাহেবের মুখ দখেই কাল কাটাতে হবে।
@ফারহানা আহমেদ,
😀 :lotpot:
@মইনুল মোহাম্মদ,
সকল অমুসলিম ও অবিস্বাসীদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা ইসলাম কখনই সমর্থন করে না।
ইসলামিক খেলাফত ব্যবস্থায় বিধর্মীদের জান-মাল এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার অধিকার সকল মুসলমানদের জন্য আমানতস্বরূপ। নাস্তিক্যবাদ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান অন্য সকলের মতোই স্বতন্ত্র ধর্মবিশ্বাস হিসাবে চিহ্নিত হবে। তাই ইসলাম যে কাজ সমর্থন করে না তার দায় ইসলামের উপর ফেলবেননা। তবে অযৌক্তিকভাবে কুৎসিত নোংরা আক্রমণ করা অবশ্যই দন্ডনীয় অপরাধ।
@নোমান,
এতদিন কই ছিলেন ভাই ? আপনার মত জ্ঞানী মানুষকেই আমাদের দরকার।
তাই নাকি ? তো কোথায় পেলেন আপনার এ মহা মূল্যবান তথ্য ? আপনি কি কোরান হাদিস পড়া সাচ্চা মুসলমান নাকি শুনে মুসলমান ? যাহোক , এখন দয়া করে আমাদেরকে সূরা আত তাওবা ৯: ৫ ও ৯:২৯ আয়াতের অর্থটা শানে নুযুল সহকারে বুঝিয়ে দেবেন ?
আপনার সুবিধার্থে কোরান ও ইবনে কাথিরের বাংলা বই নিচের ঠিকানায় পাবেন –
বাংলা কোরান
তাফসির ইবনে কাথির
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@নোমান,
সুরা আনফাল এর আয়াত ১২তে বলা হয়েছে বিধর্মীদের গলা ও আঙ্গুল কেটে ফেলতে। তো গলা আর আঙ্গুল কেটে ফেললে তারা কিভাবে অন্যদের মতো তাদের ধর্ম পালন করবে? আর সব বিধর্মীর গলা আর আঙ্গুলই তো কেটে ফেলতে বলসে ওই সুরায়। ভিন্ন ধর্ম পালন করার জন্য তো আর কেউ জীবিত থাকবে না :O :O :O
কুরানেই তো বলল বিধর্মীর গলা কেটে ফেলতে। কুরানের কথা কি ইসলাম সমর্থন করে না? :O :O :O
কি আর করা বলেন। আমি ভাবতাম আন্দোলনকারীরা দল-মত নির্বিশেষে একটি দাবি নিয়েই থাকবে আর তা হল রাজাকারের ফাঁসি। কিন্তু তার জন্য এইভাবে আপোষ করবে কখনো ভাবিনি।
একটা আন্দোলনকে অন্যদিকে মোড় ঘুরানোর যে প্রচেস্টা একটা মহলের ছিল, তা কিন্তু ঠিক ই কাজে লেগে গেল।
কয়দিন ধরে এই কথাগুলুই মাথায় ঘুরছিল, আপনার লেখাটা ভাল লাগলো।
@মিঠুন তলাপাত্র,
কে যে কোন পক্ষে খেলছে, এখন বলা মুশকিল। অনেকের আচার-আচরণ দেখে মনে হয় তারা জামার-শিবিরেরে এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছেন।
@ফারহানা আহমেদ,
সহমত।