আমাকে এক ভারতীয় ভাই এই লেখাটা উপহার দিয়েছেন। মুক্তমনায় লেখাটা তাই প্রকাশ করার ইচ্ছে সংবরণ করতে পারলাম না।

প্রজন্ম চত্বরে নতুন বাহান্ন

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য

 

মা, আর কীই বা আমি চাইতে পারি

দিলে – স্তন্যদুগ্ধের মত ভরা ফসলের মাঠ

নির্মল জল আর আঁচলের বাতাসে স্নিগ্ধ।

তাঁর পর মুখে দিলে প্রিয় বাংলা ভাষা।

তোমার কাছে আর কীই বা চাইতে পারি!

তোমাকে চিনেছি কাটাজি মন্দির,

শালবন বিহার, বাইতুল মোকারমে;

পদ্মা-তিতাস-মেঘনা-করতোয়ায়;

বাউল ভাটিয়ালি সারি-জারি-আলকাপে

শচীন-আলাউদ্দিন-আব্দুল করিমের গানে

তোমার ভাষা-শহীদ স্মারক প্রান্তরে

গোলাপ-শিমুল-পলাশ-রক্তকরবী হয়ে

বরকত-সালাম-রফিক-জব্বর ফুটে আছে

তাদের ডাক বাহাত্তরের রমনার মাঠ ছুঁয়ে

পৌছে গেছে প্রজন্ম চত্বরের ফুলবাগিচায়

যতন বসু মজুমদার গাইছে~ ‘শোনো ৫২ শোনো,

তোমাদের মিছিলের পায়ে পায়ে একুশের

কালো রাত কাটেনি এখনও।

তবু শত শৃংখল ভেঙে ভেঙে আমাদের গান…’

ঘাতক-দালাল-রাজাকারদের হোক আবসান।