শাহবাগ আন্দোলন জনমনে যে আশার সঞ্চার করেছিল সেখানে এখন এক অনাকাঙ্খিত দুর্যোগের ঘনঘটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । জাতীয় যুদ্ধকে হাইজ্যাক করে সেটাকে এখন পরিনত করা হয়েছে ‘ইসলাম বনাম নাস্তিক’ যুদ্ধে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র জামাতী প্রপাগান্ডা যন্ত্রের কৃতিত্বে – এমন মনে করাটা বোকামির নামান্তর। শাহবাগ আন্দোলনের সিংহভাগের সাথে নাস্তিকতার কোন সম্পর্ক নেই এটা যেমন সত্য তেমনি তাদের মধ্যে সক্রিয় হার্ডকোর ব্লগারের সংখ্যা বেশী নয়। ধর্মমত নির্বিশেষে শাহবাগ তথা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরের যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে – এটাই বাস্তব। এই বাস্তবতাকে শুধূ শাহবাগের চিত্র দিয়ে দেখলে ভূল করা হবে কারণ শাহবাগে উপস্থিত হতে পারেন নি এমন কোটি কোটি বাংলাদেশী যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি কোন অংশে কম কামনা করেন না। কিন্তু একটা জাতীয় দাবী কোন ভেল্কিবাজিতে কেবলমাত্র নাস্তিকদের দাবীতে পরিনত হয়েছে এবং পুরো আন্দোলনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে ? আপনারা হয়তো জামাতী ঘরানার মিডিয়ার বিরামহীন প্রপাগান্ডাকে এর কৃতিত্ব দিতে চাইবেন । কিন্তু এর মধ্যে কতটুকু সত্যতা আছে ? আমরা কি আমাদের নিজেদের অপরিণামদর্শিতাকে এর জন্য বিন্দুমাত্র দায়ী করতে কুণ্ঠিত হব ? সাহেব সাধুরা বহু আগেই তো বলে গেছেন যে , চোর তো চুরি করিবেই , কিন্তু গৃহকর্তাকে সজাগ থাকিতে হইবে !
যে কোন জাতীয় আন্দোলনের সফলতা নির্ভর করে সর্ব শ্রেনীর প্রতিনিধিত্বের উপর । একটি দেশের আপামর জনগন যখন একটি আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তখনই সেই আন্দোলনের সফলতার সূযোগ থাকে। বাংলাদেশের জনগন এখানে ধর্মমত নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধপরাধের বিচার চাচ্ছে। শাহবাগে কত লক্ষ মানুষ সমবেত হয়েছে তার চেয়েও জরুরী সেখানে কোন কোন শ্রেনীর মানুষ প্রতিনিধিত্ব করছে । বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ খেটে খাওয়া মানুষ যাদের জীবনে ইন্টারনেট সংযোগের চাইতে দিনের ভাত রুটির যোগান নিশ্চিত করাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ , নাস্তিকতা সেখানে অনুপস্থিত। এরা সবাই ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুপাতে এই শ্রেনীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব আমাদের দেখাতে হবে আন্দোলনের প্লাটফর্মে। ধর্মীয় সমাজের একটা বিরাট প্রভাব বাংলাদেশের সমাজে আছে । এই ধর্মীয় সমাজে যারা প্রভাবশালী বলে পরিচিত – তাদের একাংশকে যে কোন উপায়ে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে ধর্মের যে কোন সংযোগ নেই সেটা প্রমাণ হবে। প্রয়োজনে আলেমদের দিয়ে ফতোয়া দেয়াতে হবে। দেশের সবচেয়ে ‘শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর’ সমর্থন আদায় করতে হবে । ফাইট ফায়ার উইথ ফায়ার ! রাস্তার রাজনীতির সাথে আর্ম চেয়ার ব্লগের রাজনীতির বিস্তর পার্থক্য যে আছে তা নতুন করে বলে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আর্মির সমর্থন না থাকলে কায়রোর তাহরীর আজ তাহরীর থাকতো না !
সবশেষে বাস্তববাদী হতে হবে । বৃহত্তর পরিসরে ইমেজ সংকট আছে এমন ব্যক্তি যদি জাতীয় আন্দোলনের সম্মুখভাগে অবস্হান নেন , তাহলে সেই আন্দোলনে একটা সময় পরে ইমেজ সংকট দেখা দিতে বাধ্য যা জামাতীরা নিজেদের অনুকূলে ব্যবহার করতে পিছপা হবে না। এই ধরনের ব্যক্তিগন তখন আর আন্দোলনের সম্পদ থাকেন না , উনারা তখন দায়ে পরিনত হন। ইতিহাস আমাদের এটাই সাক্ষ্য দেয় । আমরা নিজে নাস্তিক কি না সেটা শাহবাগে দেখানোর কি প্রয়োজন ? নিজামী – মোল্লা গংদের ফাঁসী দেয়ার জন্য রিচার্ড ডকিন্সকে কি আমরা এখন শাহবাগে নিয়ে আসবো ? শাহবাগের সামনে এখন অগ্নি পরীক্ষা এবং এই অগ্নি পরীক্ষায় শাহবাগকে যে কোন মূল্যে হারতে দেয়া যাবেনা কেননা শাহবাগের পরাজয় মানে সমগ্র বাংলাদেশের পরাজয় এবং একাত্তরের ঘাতকদের বিজয়। স্হান – কাল এবং পাত্র হিসেবে রেখে যারা লড়াই করে তাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারে না। আসুন আমরা সময় থাকতেই নতুন উদ্যমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি কারণ এখনও আমাদের যেতে হবে বহু দূর !
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ ভাই, আপনার টাই চেষ্টা করে দেখব নি, দেখি পারি কিনা 🙂 না পারলে আপনাকে জিজ্ঞেস করে নিব নি। মহাছাগল ভাইকেই ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখার জন্য 🙂
@সংশপ্তক, পেন ড্রাইভ তো যেকোন সাইজের হলেই হবে তাই না?কোথায় যেন শুনেছিলাম যে নেটবুক যেগুলো তে ডিস্ক ড্রাইভ থাকে না,সেখানে নাকি ২গিগা পেন ড্রাইভ হলে ভাল হয় অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার জন্য।আমারটা ৩২ জিবি, এতে কি কোন সমস্যা হবে?
@অর্ফিউস,
সবচেয়ে আদর্শ ২থেকে ৪ গিগের FAT32 ফাইল সিস্টেমে ফরম্যাট করা ছোট্ট ফ্ল্যাশ মেমোরী স্টিক এবং এগুলো একদম সস্তা ও সহজে বহনযোগ্য। আপনারটা দিয়েও হবে , তবে খেয়াল করবেন যে ওটা কোন রকম পার্টিশন ছাড়া সম্পূর্ণ FAT32 তে ফরম্যাট করা আছে কিনা কারণ unetbootin বর্তমানে শুধুমাত্র FAT32 ফাইল সিস্টেমে কাজ করে। না থাকলে ফরম্যাট করে নেবেন। ফাইল জার্নাল NTFS হলে কাজ করবে না এবং ৩২ গিগের বেশী মেমরী হলে উইন্ডোজ থেকে ফরম্যাট করা যাবে না।
@সংশপ্তক, অনেক ধন্যবাদ ।দেখি অন্তত চেষ্টার ত্রুটি করব না।নতুন একটা জিনিস ব্যবহার করার মজাটা পেতে চাই। 🙂
@সংশপ্তক, @অর্ফিউস,
অফটপিক প্রশ্ন: আপনারা দুইজন কি মুক্তমনার ইয়াহুগ্রুপে আছেন?
মহাছাগলের ম্যাম্যাগিরি: এই সাইটে চ্যাটবক্স ফিচার অবিলম্বে যুক্ত করা হোক যাতে করে কমেন্ট করে করে কথা বলার ঝামেলা করতে না হয়। http://chatango.com/ অথবা http://www.freejavachat.com/ থেকে চ্যাটরুমের কোড জেনারেট করে সেটা সাইটে নতুন কোনো php পেজ বানিয়ে তাতে পেস্ট করে দেয়া হোক। প্যাথ হিসেবে http://mukto-mona.com/chat.php কে বাছাই করার জন্য আমার আকুল ম্যাতকারি রইলো 😛
শাহবাগের আর তেমন কোন খবর দেখতেসি না।কি হল কে জানে।মনটাই খারাপ হয়ে গেল।তবে কি জনতা আর মঞ্চে ফিরবে না?
@অর্ফিউস,
কেন ? আমি আমার এই লেখায় যেসব বিষয় প্রস্তাব করেছিলাম তার প্রায় সবগুলোই দেখা যায় বাস্তবায়ন হচ্ছে । যেমন আমি প্রস্তাব করেছিলাম যে ,
এখন দেখুন তাই হয়েছে :
তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়ালেন আলেমরা – দৈনিক কালের কন্ঠ
http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1166&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=0
আরও আছে :
মার্চ মাসজুড়ে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়
http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1166&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=5
@সংশপ্তক, ধন্যবাদ, সুন্দর লিঙ্ক দিয়েছেন।আমি আবার প্রথম আলোতেই ঢুকি বেশিরভাগ সময়ে,এখন মনে হচ্ছে সব ধরনের পত্রিকাই পড়া দরকার।
তবু ভাই যাই বলেন, রাজাকার রা ঝুলার পরেই মন আরো ভাল হবে, সেই সাথে জামাত নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে। 🙂
@সংশপ্তক, তবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষ হয়েও একটি ব্যাপারে আমি প্রায় সম্পুর্ন ব্যর্থ , আর তা হল বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতি ধরতে না পারা। 😕 সেইদন পড়লাম যে জামাত ছাড়াও অন্য ধর্মীয় দলগুলাও ভাংচুর করেছে, আর এখন দেখি যে প্রজন্ম চত্ত্বরে তারাও এক হয়ে জামাতের বিরুদ্ধে গলা মিলাচ্ছে।বড়ই আজব এই দেশের মানুষ। 🙁 । তবে যেকোন কিছুর বিনিময়ে রাজাকার দের ফাঁসি চাই,সেই সাথে রাজাকার দল জামাত কে না নিশানা মুছে দেয়া হোক, এইটাই আমার একমাত্র কামনা। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী দলটি এই দেশের রাজনীতি করা মানে প্রত্যকে মুহুর্তে এই দেশের স্বাধীনতা কে অপমান করা। এদের প্রত্যেক নিঃশ্বাস বাংলাদেশের মহান মুক্তি যুদ্ধের অপমান।
আজ এসে এই আন্দোলনের কি ভবিষ্যত দেখা যাচ্ছে ????
বাংলাদেশে মাথামোটা মানুষের কমতি নেই। দৈনিক জনকন্ঠে নামহীন সরকারী গোয়েন্দা সংস্হার বরাত দিয়ে এবার দাবী করা হয়েছে যে থাবা বাবা কখনই নাস্তিক ছিলোনা । বেচারা থাবার মরেও শান্তি নেই !
@সংশপ্তক,
এইসব অতি উতসাহী, বাস্তবতা বোধ শূন্য মিডিয়া, আর কিছু মাঠ পর্যায়ের অতি উতসাহী ব্লগারের কারনেই রাজীব ইস্যু আজ মহীরূহে দাঁড়িয়ে গোটা আন্দোলনে এক ধরনের ভাটা এনে দিয়েছে।
এটা ঠিক যে রাজীবের নাস্তিকতা, ইসলাম বিদ্বেষী নানান কমেন্ট/প্রচারনায় কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে, তবে তার মানে এই না যে এ বিষয়ে যাবতীয় সব প্রচারনাই জামাত শিবিরের বানানো।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল সাহেব , অন্ততঃ কিছু মানুষের সামনে নাস্তিক হওয়ার একটা গোপন ব্যাপার আছে যা এখানে প্রকাশ্যে বলা যাবে না। ইন্টারনেটের বেশীরভাগ নাস্তিকই ভূয়া বা ভন্ড। অর্থ্যাৎ এরা বাস্তবে নাস্তিক নয় , শুধু অনলাইনে এবং ‘বিশেষ কিছু মানুষের কাছে’ নাস্তিক।
@সংশপ্তক,
এসব কৌশল যারা করার চেষ্টা করেছে তারা সকলেই কিন্তু ঘোষিত নাস্তিক নয়। এরা আসলে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে এ কাজ করেছিল, এখানে এই মিথ্যা প্রচারনার প্রচেষ্টাকে নাস্তিকতা প্রচারের ষড়যন্ত্র আসল রাজাকার কিংবা উন্মাদের পক্ষেই ভাবা সম্ভব। শাহবাগে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন আসলে দেশ থেকে ইসলাম হঠানোর আন্দোলন এটা কোন সূস্থ মাথার লোকের মাথায় সহজে আসবে?
এরা জামাতকে আন্ডার এষ্টিমেট করেছে এবং দেশের এক বড় সংখ্যক ধর্মভিরু লোকের মানসিকতা জানে না বলেই এই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। ধর্ম নিয়ে জামাতের সাথে খেলার পরিনতি ভাল হয় না। ব্যাক্তিগত এবং ব্লগ জীবনেও দেখেছি যারা নিজ ভাষায় কোরান কোনদিন পুরো পড়েও দেখেননি তারাও রায় দিয়ে চলেছেন জামাত শিবির ইসলাম জানে না, ইসলামের সাথে কোন সম্পর্ক নেই ইত্যাদী……এমন বিদ্যা নিয়ে জামাতিদের সাথে ধর্ম নিয়ে লড়াই?
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক। তবে আসল কথাটা আপনাকে বলতে চেয়েও সমস্যার কারনে বলতে পারছিনা। বিশেষ এক ধরনের ইন্টারনেট নাস্তিক যাদের সাথে রাজনীতির সরাসরি সম্পর্ক নেই কিন্তু ‘একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে’ এরা নিজেদের ইন্টারনেটে নাস্তিক বলে প্রচার করে। এরা ব্যক্তি জীবনে নাস্তিক নয় এবং এ ব্যপারে আগ্রহীও নয়। তবে, এদের লেখালেখিকে জামাত চাইলেই এদের অজান্তে নিজ,স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
@সংশপ্তক,
এটা গবেষণালব্ধ তথ্য, না অনুমান নির্ভর?
জামাতের স্বার্থ বিবেচনা করে তো কেউ লেখালেখি করবেনা, তার মনের কথা লিখবেনা। জামাতের কোন স্বার্থে আঘাত পড়লো যে, অভিজিতের বই আর তার নাম তাদের তালিকায় তুললো? রাজিবের চেয়ে শতগুন বেশী ইসলামবিদ্বেষী লেখা আরো অনেকে লিখেছেন। ইসলামবিদ্বেষী নাম তো আসার কথা ছিল আবুল কাশেম, আদিল মাহমুদ, ভবঘুরে, আকাশ মালিকের মত মানুষের, সেখানে নাম আসলো আস্তিক কিছু মানুষের যারা ইসলামবিদ্বেষী লেখা কোনদিন লিখেন নাই। রাজিবের দূর্ভাগ্য ভুল সময়ে তিনি সেখানে ছিলেন। রাজিবকে না পেলে জামাতিরা যে কোন একজনকে টার্গেট করেও এই অবস্তার সৃষ্টি করতে পারতো। যখন দুনিয়ায় ব্লগ ছিলনা তখনও তারা পেরেছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা, কওমীর ছাত্ররা রাস্থায় নেমেছে রাজিবের লেখা পড়ে? স্যরি ভাই, আপনার এই ধারনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
@আকাশ মালিক,
আদিল মাহমুদের লেখায় আমি কেন জানি ইসলাম বিদ্বেষী কিছুই দেখি নাই।(সবার প্রতি পুর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি)অসাধারন ভাবে আদিল ভাই লিখে থাকেন;এটা অনেক ক্ষেত্রে কড়া সমালোচনা হয়। তবে মনে হয় না খোদ ধার্মিকরাও আদিল ভাইয়ের লেখা পড়ে খেপে যাবে। বরং তারা চিন্তা করবে এই নিয়ে বার বার চিন্তা করবে যদি তাদের মাথায় একফোঁটা ঘিলু থাকে।
তবে কাউকে অপবাদ দিতে অবশ্য মুসলিম মৌলবাদীদের কোন বাছ বিচারই করা লাগে না, কারন তারা এই ব্যাপারটায় এক্সপার্ট। কাজেই যদি হার্ড কোর বা সফট লেখক হোক না কেন, কিছু ভন্ড মৌলবাদীর কাছে সবাই সমান।
@অর্ফিউস,
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। আপনি দেখেন নি আদিল মাহমুদ নিজেই অবাক হয়েছেন তার নাম না দেখে, বলেছেন শুকুর আলহামদু লিল্লাহ। আদিল মাহমুদকে একটি ব্লগে যে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আমার তো সন্দেহ ছিল উনি বাংলাদেশ থেকে জান নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন কি না। শাহবাগ থেকে যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির দাবীটাকে ভিন্নদিকে ডাইভার্ট করার জন্যে একটা টোপ খুনীদের দরকার ছিল। শাহবাগে সব চেয়ে ইজি টোপ ছিলেন রাজিব। তবে রাজিবকে না পেলেও তাদের টোপের কোন সমস্যা হতোনা। জামাত এখানে আপাতত সাফল্য পেয়েছে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে।
@আকাশ মালিক,
সত্যি নাকি? খুবই ইন্টারেস্টিং তো।লিঙ্কটা জানা থাকলে দেন তো দয়া করে দেখি যে আদিল মাহমুদের মত নির্বিষ ভদ্রলোককে কারা নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করল!!!
@আকাশ মালিক,
কোন তথ্যের কথা বলছেন ?
@আকাশ মালিক,
রাজিবকে হত্যা করা হয়েছে , থাবা বাবাকে নয় – এটা আপনারা কেউ লক্ষ্য করছেন না। রাজিবই যে থাবা বাবা -এর কোন অকাট্য প্রমাণ আছে ? দশজন লোকের সামনে নিশ্চয়ই রাজিব বলেনি যে সেই থাবা বাবা।তাকে বরং থাবা বাবা সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে অথবা হতে পারে রাজিবকে থাবা বাবা লেবেল লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ধরা যাক টাওয়ার হ্যামলেটের বাসিন্দা ‘এম ডি আব্দুল আকিজের ‘ ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে যদি রটিয়ে দেয়া হয় যে , এম ডি আব্দুল আকিজই মুক্তমনার আকাশ মালিক , তাতে কি কিছু প্রমান হয় ? একজন ছায়া লেখকের দায় জলজ্যান্ত একজন মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া সহজ নয় , যতই মিডিয়ায় দাবী করা হোক । তবে এমনটা যে কখনও ঘটতে পারে না সেটাও হলফ করে বলা সম্ভব নয়। প্রতিটি ছায়ার পেছনের কায়াকে খোঁজা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
@সংশপ্তক,
এখানে সন্দেহের কোন অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয়না। প্রথমত, রাজিব হত্যার পরপর তার বিতর্কিত লেখা সরিয়ে নেয়া দ্বিতীয়ত, রাজিবকে যারা কাছে থেকে দেখেছেন, যেমন রণদীপম বসু তাদের অনেকের স্মৃতিচারণে এই প্রমাণ পাওয়া যায়। জামাত তাদের উপযুক্ত সঠিক টার্গেট খুঁজে নিতে ভুল করেনি।
@আদিল ভাই,
খুবই তিক্ত সত্য কথা বলেছেন। জামাত অনেক বেশি সেয়ানা আর পেশাদার খেলোয়াড়। ওইযে যখন রোমান সৈনিকরা প্যালেস্টাইন থেকে ইহুদি বিতাড়ন করল, তখন নাকি ১১ লাখ ইহুদী মিলেও ৩০/৪০ হাজার পেশাদার রোমান সেনার সাথে কচুকাটা হয়। :-s
@সংশপ্তক, আমি নিজেই কিছু নাস্তিক দেখেছি এইরকম। যারা নাস্তিক বলত নিজেদেরকে অতি আধুনিক পরিচয় দিতে গিয়ে। আজকাল ওদের কাছে হয়ত আধুনিকতার সংজ্ঞা বদলে গেছে। তাই তারা বলে কি জানেন? বলে যে তারা আগে নাস্তিক ছিল আর এখন বুঝতে পারে যে কি ভুল্টাই না তারা করেছিল, কোরান পড়ে ভাল করে বুঝার পর তারা আজ জানে যে কোরান ভিন্ন কোন কিছুই হতে পারে না। আল্লাহর কি মহান লিলা। আমরা যখন নাস্তিক ছিলাম তখন সব ধর্ম গ্রন্থ স্টাডি করেছি ( কিভাবে সম্ভব? দুনিয়াতে যে পরিমান ধর্ম গ্রন্থ আছে তা ৭ জনমে পড়ে শেষ করা যাবে না বলেই আমার বিষাস!!!!!!!), এবং বুঝেছি যে ওইগুলা সব ভুয়া আর কাল্পনিক। আর কোরান পড়লেই বুঝা যায় যে এটা কি মহা গ্রন্থ যা মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ!!!
বুঝলেন ভাই, এইসব জিনিসগুলার জন্যেই মানুষের ধর্মান্ধতা আরো বাড়ে, প্রথমে ফ্যাশনেবল নাস্তিক, পরে খোলা মন(????) নিয়ে সব ধর্ম গ্রন্থ স্টাডি, অতপর সত্যের সন্ধান লাভ( কোরানের বৈজ্ঞানিক বিশুদ্ধতা) :hahahee:
@সংশপ্তক, ভাই অনলাইনে কি আজ প্রথম আলোতে ঢুকতে পারছেন?আমি তো সকালেও ঢুকলাম। আর এখন ঢোকা যাচ্ছে না ফায়ার ফক্স দেখাচ্ছে যে reported attack site.তবু এটা ইগ্নর করে ঢুকতে গেলাম কিন্তু পারছি না।ভাল যন্ত্রনায় পড়লাম। হ্যাক হয়ে গেল নাকি প্রথম আলো ওয়েবসাইট?
@অর্ফিউস,
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অথবা অপেরা ব্যবহার করুণ। কে বা কাহারা ( ১৫ বা ২০ হাজার হবে) গুগুলকে নালিশ দিয়েছে যে প্রথম আলোতে ম্যালওয়ার বসানো আছে , আমি জানি কারা এটা করেছে কিন্তু এখানে বললেই আমার কাছে সূত্র চাওয়া শুরু করবে মানুষে। তবে , এই জিনিসটা আপনিও চাইলে যে কোন ওয়েব সাইটের বিরুদ্ধে করতে পারেন । যদিও এটার ইফেক্ট সাময়িক কিন্তু অনবরত করতে থাকলে পুরো বছর ধরে চালানো যায় কারণ গুগুল এ ধরনের নালিশে কোন ঝুকি নেয় না , বিশেষ করে যেখানে প্রতি বারই হাজারটা ইউনিক আইপি থেকে নালিশ আসছে।
@সংশপ্তক, ধন্যবাদ ভাই, আমি তাহলে অপেরা দিয়েই ঢুকব।
এইটা ভাই আমারো খানিক্টা সন্দেহ হয় একটি গোষ্ঠীকে, কিন্তু আপনি যেখানে জেনেই বলছেন না, তাই আমি না হয় সন্দেহের কথাটা চেপেই রাখলাম :))
@সংশপ্তক,
এইটাই মনে হয় ডাইনামিক আইপির ঝামেলা তাই না? এর কাছে গুগল বাবাও ধরা খায়। 🙁
আর বেশিভাগ মানুষই( আসলে প্রায় সবাই তাই না?) ডাইনামিক আইপি ব্যবহার করে।
@সংশপ্তক, পারলাম ভাই।তবে অবশ্যই ফায়ার ফক্সের অ্যাটাক সাইট ব্লক অপশন কে আন মার্ক করে দিয়ে। :rotfl:
@অর্ফিউস,
তাতে তো আসল অ্যাটাক সাইটও খুলে দিলেন ! :-s
@সংশপ্তক, হুম সেটাও কথা।কিন্তু অ্যাটাক সাইট কোনগুলো?আমি কোন শিবিরের সাইটে ঢুকি না বললেই চলে। ওরাই হয়ত এইসব কাজ করতে পারে কি বলেন?নাহ আমি নিউজ পড়েই আবার সেটিংস বদলে দেব। 🙂
তবু কি কোন ক্ষতির আশঙ্কা আছে? থাকে বাধ্য হয়েই অপেরা দিয়ে ঢুকা লাগবে। আমি আবার ফায়ারফক্স ছড়া মজা পাই না, এমনকি chrome এও না। 🙁
@অর্ফিউস,
আমিও ফায়ারফক্স দিয়েই প্রথম আলো পড়ছি। কোন সমস্যা নেই , যদিও অ্যাটাক সাইট ব্লক অপশন অন করাই আছে। একটা বিষয় অবশ্য উল্লেখ করতে হয় যে, আমি আমি ফায়ারফক্সের লিনাক্স ভার্সন ব্যবহার করি আর আমার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমটা আমার নিজের জন্য আমি বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করে নিজেই নির্মাণ করেছি অনেক কষ্ট করে। হ্যাকার ফ্যাকার ম্যলওয়ারদের জন্য আতিথেয়তার তেমন ব্যবস্হা রাখিনি বললেই চলে। ব্যক্তিগত কাজে লিনাক্স ব্যবহার করতে পারেন।
@সংশপ্তক, ধন্যবাদ ভাই, তবে আমি কমপিউটার ব্যবহারে তেমন দক্ষ না। উইন্ডোজ ছাড়া কিছুই ব্যবহার করতে পারি না( মানে লিনাক্সে চলে এমন কমপিউটার আমি সত্যি বলতে চোখেও দেখিনি , ব্যবহার করা তো দুরের কথা!)আমি ইউজ করছি স্টাইল এক্সপি ।খুব সোজা তো ইউজ করা 😉
@অর্ফিউস,
মহাছাগলের ছ্যাবলামি,
পেনড্রাইভ থেকে লিনাক্স বুট করে সেখান থেকে নেট ব্রাউজ করতে পারেন। ঝুকিপুর্ন এলাকায় যাওয়া হলো, সাথে ম্যালওয়ার ও হ্যাকারদেরকে “উত্থিত মধ্যমা আংগুল” দেখানো হলো। :guli:
@মহাছাগল, আচ্ছা চেষ্টা করে দেখবনি ভাই।দেখি ইন্সটল করার পর ইউজ করতে কেমন লাগে। :))
@অর্ফিউস,
একটু ভুল হইসে। এখানে ইনস্টল করার কেস নাই, কেস হলো পেনড্রাইভ থেকে বুট করা, অনেকটা উইন্ডোজ ইনস্টল করার সময়ে যেভাবে সিডি থেকে বুট মারেন, তেমনে।
ব্যবহারের নিয়ম
১।http://unetbootin.sourceforge.net/ এইটা নামান। বিস্তারিত জানতে পারবেন উইকিপিডিয়া থেকে http://en.wikipedia.org/wiki/UNetbootin
২। লিনাক্সের যে ডিস্ট্রোটা বুট করতে চান, সেটার ISO ফাইল নামান, সহজতার জন্য http://www.ubuntu.com থেকে উবুন্টু নামাতে পারেন। desktop এর 32 bit টা recommended কারন 64 bit পুরানো মডেলের মাদারবোর্ডগুলা সাপোর্ট করেনা।
৩। ১ এ বর্ণিত জিনিসটা চালু করেন। সেখান থেকে diskimage অপশনটা সিলেক্ট করে সর্বডানে থাকা বাটনে ক্লিক করে iso ফাইলটা নামায়া যেখানে রাখসেন, সেখান থেকে সিলেক্ট করে দেন। নিশ্চিত হবেন যে পেনড্রাইভ যেন পিসিতে লাগানো থাকে।
৪। drive letter ঘরে পেনড্রাইভটা সিলেক্ট করেন। তারপরে ok বাটনে ক্লিক করেন। পেনড্রাইভে ইনস্টলেশন হওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
৫। কাজ হয়ে গেলে আপনার পিসির বায়োসে গিয়ে usb drive বা পেনড্রাইভকে প্রথম বুট ডিভাইস হিসেবে সিলেক্ট করে সেট করেন। এটা করতে না পারলে যেখান থেকে পিসি কিনেছেন বা সেটাপ করেছেন, সেখানকার টেকনিশিয়ানের শরনাপন্ন হন।
এখন আপনি যতবার পেনড্রাইভ থেকে বুট করবেন, ততবার আপনি উবুন্টুর ডেস্কটপে এসে হাজির হবেন, যেখানে ব্রাউজ করার মতো প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে এবং ফ্রেশ ইনস্টলেশন। এবার সে “বিশেষ দল”টিকে দেখান (N) (N) (N) :guli: :guli: :-[
@অর্ফিউস এবং মহাছাগল,
পেনড্রাইভ থেকে বুট করে চালানোর জন্য অপ্টিমাইজড লাইট ওয়েট লিনাক্স ডিস্ট্রো আছে অনেকগুলি। প্রাইভেসী এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলি ছাড়াও মাল্টি মিডিয়া আউট অব দ্য বক্স সাপোর্ট করা হয়। কোন মডিফিকেশনের দরকার নেই। পেন ড্রাইভ লিনাক্সের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ১ মিনিটে বুট করে অনলাইনে গিয়ে ২ মিনিটে কাজ শেষ করে অন্য কাজে মন দেয়া। উবুন্টুর মত মাথাভারী ডিস্ট্রো দিয়ে এগুলো সব করা সম্ভব হলেও সময়সাপেক্ষ এবং বাস্তব সম্মত নয়। হার্ড ড্রাইভ ইনস্টলের জন্য উবন্টু বেশী উপযোগী।
আমি পেন ড্রাইভে কি ব্যবহার করি জানেন ? লাইট ওয়েট পোর্টেবল সিকিউরিটি । এটা মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরকারী কর্মচারীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। মাত্র ১৮১ মেগাবাইটের লাইভ ইমেজ , সহজ এবং অবশ্যই ‘ফ্রি’। এটা দিয়ে যা যা করতে চান সহ অনেক কিছুই করা যায় , দরকারের চেয়েও বেশী ! একবার ব্যবহার করলেই মজা পাবেন।
@ সংশপ্তক,ভাই ওখানে আর উত্তর দেয়া যাচ্ছে না তাই এখানেই দিলাম।
তাহলে আমাদের কি কোন মুক্তি নেই?হ্যাঁ আপনার কথা পুরাই সঠিক।আমার ফ্যামিলি , আমাদের আত্মীয় স্বজনদের ফ্যামিলি রীতিমত ইমানদার মানুষে ভরপুর( যদিও কিছু মুরুব্বি ছাড়া মাশাল্লাহ নামাজ কেউ এক ওয়াক্তও পড়ে না 😛 ) , দেখেন উপরে আদিল মাহমুদ কে উদ্দেশ্য করে একটা মন্তব্যে আমার ছেলেবেলার চড় খাবার একটা অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছি। যদিও তারা সবাই আওয়ামী লীগ অথবা বি এন পির সমর্থক, কিন্তু ধর্মের সমালচনা করতে গেলে সবাই এক হয়ে খর্গহস্ত হয়ে তেড়ে আসে।
অন্য অসংখ্য নন জামাতী পরিবারেই হয়ত কেউ না কেউ ধর্মীয় রাজনীতি কে সমর্থন করে;শুধু মাত্র জামাতীদের ছাড়া।আর এইসব বাংলাদেশী উপাখ্যানে আমি রীতিমত ক্লান্ত।
আপনি তো এইটা শুনেছেন ছোটবেলায়। আমি শুনেছি গত পরশুও, আমার কোন এক পরিচিতের মুখ থেকে রীতিমত কোরান হাদিসের প্রমান সহকারে।পরের ঘটনা আর মনে হয় না আপনাকে বুঝিয়ে বলার দরকার আছে, হাতাহাতি টাই শুধু বাকি ছিল তার সাথে আমার।
বিশেষ আপডেইট
শুক্রবারে দেশব্যপী লক্ষ মুসল্লীদের সমাবেশ করার যে পরিকল্পনার কথা চারপাশে রটানো হয়েছে সেটা সফল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। জামাত যেসব ছোট খাটো ইসলামী দলকে উপঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করেছিল , তাদের ডি-ম্যানেজ করা হয়েছে ইতিমধ্যে । পরিস্থিতি কোন কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে প্রয়োজনে কারফিউ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত উপর মহলে নেয়া হয়েছে। শুধু বাক সর্বস্ব মিডিয়া দিয়ে যে রাজনীতি হয় না এর প্রমাণ সবাই শুক্রবারে দেখতে পারবেন।
অস্বাভাবিক ব্যস্ততার কারণে এ পর্যন্ত আপনাদের মন্তব্যের উত্তর না দিতে পারায় আমি অত্যন্ত লজ্জিত এবং দুঃখিত। এছাড়া প্রকাশিত কয়েকটি ভালো পোস্টে মন্তব্য করতে চেয়েও পারছিনা। আপনারা দয়া করে আলোচনা চালিয়ে যান । আশা করছি শীঘ্রই আপনাদের সাথে যোগ দেব। জনতার জয় হোক ।
@সংশপ্তক, অসাধারন খবর দিয়েছেন ভাই। (Y) (F)
@অর্ফিউস,
শুধু অসাধারণ বললে হবে না; যত বেশী সম্ভব জনে জনে ছড়িয়ে যাক এই খবর 😉
@মনজুর মুরশেদ, ঠিক বলেছেন :)) । তবে মনে হয় সংশপ্তক কাজটা আরো বেশি ভাল পারবেন। 😉
@মনজুর মুরশেদ,
সত্যি এটার মত আনন্দ আর আশার বানী কিছুই হতে পারে না, যেখানে বাংলাদেশীদের মুল সমস্যা হল ধর্মানুভুতি। 🙂
@অর্ফিউস,
এতে করে অবশ্য পৌষ আনতে গিয়ে কারও না কারও সর্বনাশও হবে। কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলতে পারেন।
@সংশপ্তক, সেটাও একটা কথা বটে।আচ্ছা ভাই এই মুহুর্তে কি সরকার সব আর্মি আর পুলিশ, র্যাব এদের নামিয়ে দিয়ে জামাত ঠ্যাঙাতে পারে না?এইবার মনে হয় আর্মি সত্যিকার একটা কাজ করার সুযোগ পাবে,অবশ্য গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে আর্মি নামানো ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না। এখন যাই চাই না কেন, রুপম ধ্রুব র একটা কথাই মনে আসে আর সেটা হল যে যেটাই উইশ করি, সেটা যেন সতর্কতার সাথেই করি।মুক্ত মনায় সক্রিয় আলোচনা করতে এসে এই একটা লাভ আমার হয়েছে, আর তা হল খুব গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা না করে কোন কথা না বলার অভ্যাস। 🙂 । মুক্ত মনাকে এইজন্য অনেক ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক,
জেনে খুব ভালো লাগলো। কয়েকদিন থেকে বুকের মধ্যে পাথর চেপে ছিল। শংকিত ছিলাম প্রজন্ম চত্ত্বরের আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে। ধর্মীয় উন্মাদনাকে আমি খুব ভয় পাই, এখনো চোখে ভাসে আরিফ কিম্বা ডেনিশ পত্রিকার কার্টুন ছাপানো নিয়ে উন্মাদনাকারীদের ধ্বংশযজ্ঞের ছবি। জয় হোক জনতার।
@সুমন,
চিন্তার কোন কারণ নেই । বাংলাদেশে জামাতের দিনগুলো এখন কেবলি কিছু নম্বর ।
@সংশপ্তক,
ভাই একটা কথা বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক কি আসলে জামাতের ব্যাঙ্ক নাকি শুধুই ইসলামী মাইন্ডেড? আমার সঠিক জানা নেই,আপনি জানলে দয়া করে বলবেন। কেউ বলে যে এটি জামাতের, আবার কেউ বলে যে এটি জামাতের না!আমার জানামতে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল ব্যঙ্ক।
@অর্ফিউস,
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেতরের ব্যপার স্যাপার সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আরো ২টি সংস্হা সম্পর্কে জানতে হবে যারা ব্যতীত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জন্মই হোত না। প্রথম , ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাবেতা আলমে ইসলামী( ইসলামী বিশ্ব লীগ) । এই তিনটি সংস্হার সকল বাংলাদেশী কর্মকর্তা জামাতের সাথে যুক্ত।
@সংশপ্তক,
তাহলে এই ব্যাপার!যদিও তারা সাফাই দিচ্ছে যে জামাত তো দুরের কথা, কোন ধর্মিয় দলের সাথেই নাকি সম্পর্ক নেই।এখনো তাহলে কেন যে মানুষ তাদের টাকা সরিয়ে নিচ্ছে না কে জানে!খালি মুসলিম না, অনেক অমুসলিমও এই ব্যঙ্কে টাকা রাখে। :-Y
@সংশপ্তক,
দেখলাম, চোখ ভরেই দেখলাম। এখানে জামাতে ইসলাম ছাড়া আর কোন ইসলাম ছিলনা। ৭১ এ ছোট ছিলাম, রাজনৈতিক ইসলামের পাশবিকতার ছবি মনে নেই, ২০১৩ তে দেখলাম লাল সবুজ পতাকার অপমান আর শহিদ মিনার ভাঙ্গায় তার জিহাদী রূপ। আহত অন্তরের এই ক্ষত কোনদিন শুকাবার নয়, এই বিভৎস স্মৃতি কোনদিন ভুলবোনা। একটা অসহায়ত্ত, পরাজয়ের গ্লানিবোধ ভর করেছে আমার সকল অনুভুতি আর চেতনায়। অসত্যের বিরোদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে আমি যেন আজ অস্ত্রহীন অসহায় এক পরাজিত সৈনিক।
@আকাশ মালিক,
এত সহজে পরাজয় মেনে নিলেন? আমি কিন্তু আশা ছাড়িনি। এক মাঘে শীত যায় না।আজ হোক কাল হোক সত্যের জয় হবেই, অন্তত এইবারের গনজাগরন সেটাই প্রমান করে।তবে হয়ত আরো সময় লাগবে। এই ধর্ম ধামে;যেখানে মানুষ ধর্মের নামে কিছু বললে অনেক ক্ষেত্রে পিতা পুত্রকে অস্বীকার করে বাড়ি থেকে খেদাতেও দ্বিধা করে না।সর্ব নিম্ন সাজা হল ছেলের হাত খরচ বন্ধ করে দেয়া। আগে নামায পড় তবেই হাত খরচ পাবি। লে হালুয়া!!
ব্যক্তিগত ভাবে আমি যা মনে করিঃ
১। আমি একজন নাস্তিক। কিন্তু আমি আশা করিনা যে অন্য একজনকেও নাস্তিক হয়ে উঠতে হবেই। আমার আশা হলো মানুষ প্রশ্ন করতে শিখুক সন্দেহ করতে শিখুক মিলেমিশে থাকতে শিখুক। তারপর সে তার নিজের মতো যা ইচ্ছা তাই হোক। নাস্তিকতা তো আর ধর্ম না, এটা নিজস্ব একটা বিশ্বাস।
২। একটা কথা প্রায়ই শোনা যাই আর তা হলো নাস্তিকেরা ইসলামকে সমালোচনা করে বেশি। অন্যদের কথা জানিনা। নিজের থেকে বলতে পারি এইটুকুঃ আরে ভাই আমার জন্ম মুসলমানের ঘরে, ইসলাম সম্পর্কে জানিও সবচেয়ে বেশি, আর ইসলামের প্রভাবই আমার উপর সবচেয়ে বেশি, কাজেই ইসলামের সমালোচনায়ই আমার থেকে আসে বেশি। আর আমি কোন বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মাতবো তাও আমার নিজস্ব ব্যপার।
৩। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে হতে হবে আইনের দিক দিয়ে সবার জন্য সমান। কিন্তু আমাদের দেশে সংবিধানেই আছে আল্লার কথা ইসলামের কথা। আমাদের নাস্তিকদের উচিৎ এই সংবিধানটাকে আগে ঠিক করতে বাধ্য করা। উদহারণ দিয়ে বলিঃ দেশের আইনে আছে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি, কাজেই সবাই রাজাকারদের ফাঁসি চায়। দেশের আইনে কিন্তু আবার এমন অনেক কিছু আছে যা দিয়ে মুক্তমনের মানুষদের বা অন্য ধর্মের মানুষদের বা নাস্তিকদের ফ্যাঁছাদে ফেলা যায়। কাজেই দেশের সংবিধান ও আইন আগে ঠিক করতে হবে। সবার জন্য সমান অধিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। কোনটা শ্লীল আর কোনটা অশ্লীল? এটা কেউ বলতে পারেনা শুধু যে প্রকাশ করছে সে ছাড়া, কেননা সে-ই জানে তার উদ্দেশ্য কি। কাজেই যে প্রকাশ করছে এটা তার সততার উপর নির্ভর করে। যেমন যারা প্রপাগান্ডা ছড়াই তারা বলতেই পারে আমি যা বলছি তা আমার বলার অধিকার আছে। সত্যও কিন্তু তাই। সবারই যা ইচ্ছে বলার অধিকার থাকতে হবে, আর তা না হলে কোনো না কোনো একদল মত প্রকাশের অধিকার থেকে দূরে থেকে যাবেই।
৫। মানুষের মানবিক জ্ঞানের বৃদ্ধি পেতে হবে। মানুষের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে আমরা যতো বিজ্ঞানই জানিনা কেনো তাতে মানব জাতির কোনো লাভ হবেনা। আর আমাদের যা করা তা তো মানব জাতির উন্নয়নের জন্যই।
৬। নাস্তিকেরা কখনোই এক ছাতার তলে আসবেনা। কারন? খুঁটিনাটি নিয়ে একটা পার্থক্য থেকে যাবেই নাস্তিকদের ভিতরে। কেউ বলবে আমি নাস্তিক কিন্তু আমি ফাঁসিতে বিশ্বাস করিনা। আবার কেউ বলবে এর উল্টোটা। কেউ বলবে, আমি নাস্তিক ও আমি সকলের সকল মতের প্রকাশের পক্ষে। আবার কেউ বলবে না কিছু কিছু কথা না বলাই ভালো। কাজেই মূল বিষয়ে আমাদের একতা থাকবে, কিন্তু খুঁটিনাটিতে না।
৭। আমি একটি প্রস্তাব দিতে চাই। তা হলো আমাদেরকে বাকস্বাধীনতার পাশাপাশি “অপমান/অবমাননা/অসম্মান/অমর্যাদা” করার অধিকারও আদায় করতে হবে। কারন? আমি মনে করি ধর্মগ্রন্থগুলির মতো এতো বেশি অপমান আর কোন গ্রন্থ মানব জাতিকে করেনাই। কাজেই যেহেতু “অপমান/অবমাননা/অসম্মান/অমর্যাদা” করার অধিকার ধার্মিকদের রয়েছে, অন্য সকলেরও এই একই অধিকার থাকতে হবে।
আঙ্গুল ব্যথা হয়ে গেছে। এতো লেখার অভ্যাস নেই। আর একদিন আরো কিছু বলা যাবে!
ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন! শাহবাগের শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের সার্বজনীনতা দেখে জামাতের প্রপাগাণ্ডাযন্ত্র শুরুতে বেকায়দায় পড়লেও থাবা বাবার মৃত্যু তাদের ঋণাত্নক প্রচারনায় সুবিধা এনে দিয়েছে। অথচ থাবা আন্দোলনটির নেতৃত্বে ছিলেন না বা এর মূল সংগঠকও নন। হতে পারে প্রচারনায় এই বিশেষ সুবিধাটি পাবার জন্যই জামাত/শিবির পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করেছে। বলা বাহুল্য, নিহত ব্যক্তি বিতর্কিত (বাংলাদেশের ধর্মভীরু আমজনতার বিবেচনায়) না হলে এই সাময়িক সুবিধাটি তারা পেত না বরং জনতার রোষানল আরো প্রবলভাবে জামাত/শিবিরের উপর পড়তো। তবে ঘটনাক্রম বিবেচনায় আমার মনে হয় হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ছিল, শাহবাগ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে মাত্র।
উপরের মন্তব্যটি আদিল মাহমুদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা।
@মনজুর মুরশেদ,
এরা বেছে বেছেই রাজীবকে হত্যা করেছে হত্যার পর তার কিছু লেখালেখি দিয়ে ধর্মানুভূতি সুড়সুড়ি দেওয়া যাবে বলে। ধর্মবিদ্বেষীদের মাঝেও উগ্র থেকে শুরু করে নরমপন্থী সব ধরনেই আছে। নরমপন্থী ধর্মবিরোধীদের কাউকে কাউকে আমি সরাসরি সংগঠকের দায়িত্বে দেখছি, তাদের টিভিতে পত্রিকায় সাক্ষাতকার দেখছি। অথচ তাদের হত্যা করা হয়নি এবং আপাতত হবেও না। কারন তারা থাবা বাবার মত অতটা উগ্র কমেন্ট করে না, কাজেই তাদের মৃত্যু ভাংগিয়ে মতলব্বাজির অবকাশ নেই। উলটো এদের গায়ে হাত দিলে দেশ থেকে ঝাড়ে বংশে নিপাত হবার সম্ভাবনা আছে, থাবার বেলায় তেমন ভয় ছিল না, সে তেমন সুপার জনপ্রিয় কোন ব্লগার ছিল না। সত্য কথা বলতে আন্দোলনে তো দুরের কথা, আমি এই ব্লগারের নামও আগে শুনেছি বলে মনে পড়ছে না। এই আন্দোলন না চললে থাবা বাবারও মৃত্যু হত না, অন্য কথায় সে নির্বিঘ্নে ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারত।
এক শ্রেনীর লোকে স্পিকারের কাছে দেওয়া দাবীতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই তীব্র মনযন্ত্রনায় ভুগছিলেন, এদের শুধু দরকার ছিল থাবা বাবার মৃত্যু এবং জামাতি মিডিয়া কর্তৃক কিছু কমেন্ট রং চং চড়িয়ে প্রকাশ করা। এই দলের কাছে কোনদিনই যুদ্ধপরাধী ইস্যু তেমন গুরুত্বপূর্ন নয়, তাই মূল ইস্যু হয়ে গেছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার নয়, ব্লগের ইসলাম বিদ্বেষীদের এই সুযোগে এক হাত নেওয়া। এই দলের স্বভাবই এমন। আমিনী হুজুর যখন রাস্তায় নেমে তান্ডব করবে, কোরান হাতে নিয়ে রাজনীতি করবে তখন এরা নীরব দর্শক, আপনি যেইই এসব ঘটনার প্রতিবাদে কিছু লেখবেন তখন লাফ দিয়ে উঠবে তার মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষের উপকরন বার করে। জামাতি মৌলবাদীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই দলেরই আষ্কারায়।
@আদিল মাহমুদ,
(Y) (Y)
আফগান ফেরত আল-কায়েদা যুদ্ধা হাবিবুর রহমান বুলবুলি একাই যথেষ্ট শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাষ্কর্য নির্মাণ বন্ধ করে দিতে। সুশীলরা এর বিরোদ্ধে কোনদিন কিছু লিখেছেন। আমি লেখি সেটা হবে মুসলিম বিদ্বেষ। সঠালাপ দেখি নতুন উদ্যোমে মুক্তমনার পেছনে লেগেছে। সুযোগে পেলে এরা কি কম করবে?
@আকাশ মালিক,
সুশীলদের দিয়ে কিছু লেখাতে চাইলে যে তাদের জন্য হালুয়া রুটিরও বন্দোবস্ত করতে হয় , মালিক সাহাব। হালুয়া রুটির ব্যাবস্থা করে ঢাকুন , দেখবেন কেমন সুরসুর করে সুশীলেরা নিজের নানীকেও বেশ্যা বানিয়ে ছেড়ে দেয় ! আপনি এদের চেনেন না ? :-O
@আদিল মাহমুদ, অসাধারন। :clap :clap (Y)
@আদিল মাহমুদ, (Y)
@আদিল মাহমুদ,
মুক্তমনা পাঠকদের সংক্ষেপে এই ‘দলটির’ একটা পরিচিতি দিতে পারেন – তারা কত ক্ষমতাবান , বাংলাদেশের সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত এদের ইশারায় ঘটে ইত্যাদি ইত্যাদি । খোলাসা না করে বললে পাঠকেরা ভুল বুঝবে। তারা মনে করবে যে , আপনি হয়তো গতানুগতিক বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের কথা বলছেন। এই অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতার ব্যপকতা সম্পর্কে মানুষের সচ্ছ ধারণা দেয়া প্রয়োজন।
@সংশপ্তক,
একটা লেখা লিখছি, দুয়েক দিনের মধ্যে নামাবো।
I also concur with you.that’s the point,preaching of atheism brings nothing fruitful.can we mention one occurrence in the era of history, where revolution succeed one the basis of atheism,rather there sole agenda was ensure public demand,necessity of Time.we have to remember general public common sense will never support atheists.notice threre are majority people who live behind yours era of higher thought,who are firmly stick to religious feelings though they are not particular in their prayers,that’s the reality,we should live in the bubbles of utopia.if we really want a change,we should proceed to political change respecting general sentiment,without arguing about fruitless religious dispute.no one can succeed harassing religion,even the president of America has to his knowledge about religion for achieving vote,that’s the reality.dear friends don’t forget other world when you absorbed in world of bits and bits I.e internet.
বাঙলা ব্লগে বাঙলায় মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ থাকল। পরবর্তীতে বাঙলা ভাষায় এবং বাঙলা অক্ষর ছাড়া অন্য কোন ভাষার মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
প্রথমে আমি মুক্তমনা পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অসংখ্য শুভকামনা জানাই । আমি ভারতে বসবাসকারী বাঙালী । কিন্তু আবেগ আমার খাঁটি বাংলার ।
সে যাইহোক ব্যক্তিগত পরিচয় তুলে না ধরে সাহাবাগ স্কয়ারের আন্দোলনের প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রস্তাব রাখছি । এই আন্দোলনের উদ্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য চাই দীর্ঘস্থায়ী লড়াই , সংগ্রাম । ত্রিশ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এবং আশা- আকাঙ্ক্ষা রাজাকার বাহিনীর চক্রান্তে ব্যর্থ হোক এ অসহনীয় যন্ত্রণার । আমাদের দেশের দৈনিক গুলি তেমন ভাবে সাহাবাগ আন্দোলনের সংবাদ পরিবেষণ করে না , কোন দেশের কর্পোরেট হাউস নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম প্রগতিশীল গনআন্দোলনের খবর প্রচার করতে চাই না পাছে সেই দেশে তরুণ সমাজ গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রেরণা পাই । তবে যতটুকু ইন্টারনেট থেকে খবর সংগ্রহ করে বুঝতে পেরেছি এই আন্দোলন ব্লগারদের প্রচারে সংঘটিত । শাসকশ্রেণীর প্রতি সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ , স্বাধিনতাপ্রিয় বাঙালীদের উপর মৌলবাদীদের ক্রমবর্ধমান অত্যাচার এই আন্দোলন সংঘটিত হতে সাহায্য করেছে । কোন প্রগতিশীল নেতা বা সংগঠন এই আন্দোলনের নেত্রীত্বে নেই । ফলে দুঃখজনক হলেও একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে দুষ্টচক্রের কবলে পড়ার । কোন আন্দোলন সাফল্য লাভ করতে পারে না সঠিক রাজনৈতিক সংগঠন , সঠিক নেত্রীত্ব , সঠিক রণনীতি না থাকলে ।
একুশের চেতনা , মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির আকাঙ্খা পূর্ণতা প্রাপ্তির এই আন্দোলনকে রক্ষা করা এবং ধাপে ধাপে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জয়যুক্ত জন্য কিছু পদক্ষেপ এখনই নেওয়া প্রয়োজন ।
১ এই উষ্ণতার মধ্যেই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী গণকমিটি এখনই গঠন করতে হবে ।
২ এই কমিটিকে পরস্পরের মধ্যে আলাপ-আলচনা করে আন্দোলনের রণনীতি নির্ধারণ করতে হবে । এই আন্দোলন পরিচালনার মধ্যে থেকে উপযুক্ত নেতা উঠে আসা সম্ভব ।
৩ এই আন্দোলনের দাবী যেহেতু কয়েক জনের ফাঁসীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় , এর সঙ্গে যুক্ত দেশের দুর্নীতি দূর করার দাবীও । তাই দুর্নীতির সঠিক কারণ কি খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে । আবারও বলছি , আন্দোলন সাফল্য লাভ করতে পারে না সঠিক রাজনৈতিক সংগঠন , সঠিক নেত্রীত্ব , সঠিক রণনীতি না থাকলে । আমি এপার থেকে আশা করি বাংলাদেশের জনগণ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতই জয় লাভ করবে । এবং ধর্মীয় মৌলবাদ মুক্ত , দুর্নীতি মুক্ত , অর্থনৈতিক বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের কাছে উপহার দিতে পারবে । :candle: :candle: :candle: [img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/candle.gif[/img]
শাহবাগ আমার মতো প্রবীনদের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। না, এখন দেখছি, আশা পূরণ হবার নয়। আহবাগ হাইজ্যাক হয়ে গেছে। রাজনীতিটা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট। যে কোন গণজাগরণ হচ্ছে এক ধরনের বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে। ৫২র আন্দোলন ছিল ভাষার জন্যে সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লব। ৫৬ সালের বাংলা সারা পাকিস্তানের রাস্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ৬২,৬৯ ছিল সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণরোষ। ৭০ এর নির্বাচনে তাই পূর্ব বাংলার মানুষ একক ভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
পরিতাপের বিষয়, শাহবাগ জনগণকে সে ধরনের কোন দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি। কারণ এই জাগরণকে সরকার সমর্থন দিয়েছে, সরকারী লোকেরা সকল প্রকার প্রয়োজনীয় জিনিষ সরবরাহ করেছে। পৃথিবীর কোন জাগরণই সরকারী সমর্থনে হয়নি।
দেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন। এ নিয়ে দুই মহাজোটে লড়াই চলছে। শাহবাগ সরকার সমর্থন দিয়েছে মূল বিষয়কে আড়াল করার জন্যে। এছাড়া থাবাবাবার নাস্তিক্য এবং ধর্মবিরোধী কর্মকান্ড দেশবাসীকে আহত করেছে। পরে জানা গেল শাহবাগের উদ্যোক্তা ব্লগাররা সবাই নাস্তিক এবং আল্লাহ, রাসুল ও কোরআনের বিরুদ্ধে। নাস্তিক থাকো বাবা, অন্যকে আঘাত করার দরকার কি? এখন জনগণ মনে করছে শাহবাগের লক্ষ্য ইসলামের বিরুদ্ধে।
মহাছাগলের ছ্যাবলামি,
ব্লগ আর ফেসবুকের বাংলাদেশি অংশে একটা কথা খুব বেশি প্রচলিত, সেটা হলো “ল্যান্জা বের হয়ে আসা।” এই শাহবাগ ইভেন্টে সব সাইডের মতবাদের লোকজনদের মধ্যে মতলববাজ লেনজাধারি বের হয়ে আসছে। এটা আজ বাংগালি সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় আগুনজ্বলা পরীক্ষা। বাংগালি আজ তার “ইমেজপ্রিয়তা” কে ইগনোর করে রাজাকার যুদ্ধাপরাধিদের ঝুলাতে পারবে কিনা, সেটা এই আন্দোলনের শেষপ্রান্তে হয়তো দেখা যাবে। ব্যক্তিগত মত, যদি বাংগালি জাতি রাজাকারদের ঝুলাতে ব্যর্থ হয় এবং ধর্মীয় ইমেজকে মানবতার ইমেজের উপরে বড় বলে মনে করে এবং সে অনুযায়ি একশন করে, আমি আর কোনোদিন আন্দোলন করবোনা। এখন DO OR DIE! :guli:
সংশপ্তকের সাথে ১০০% একমত। শাহবাগকে হাইজ্যাক ও সাবোট্যাজ হতে দেওয়া যাবেনা। জামাত এখন স্পিড চেস (টাইম লিমিট সহকারে দাবা) খেলতেসে, আমাদেরকে তার চেয়ে বেশি ট্যাকটিকাল এবং টিমওয়ার্কিং হতে হবে।
@মহাছাগল,
(Y) সহমত।তাহলে বুঝতে হবে যে বাংলাদেশীদের আসলে ঈমান দন্ডের( বুঝে নেন 😉 ) জোর থাকলেও মনে জোর নেই।
বি.দ্র. ভাই , আপানার নিক টা মহা ছাগল হলেও আপনার কথাবার্তা কিন্তু মোটেই ছাগলের মত লাগছে না।তাহলে এই নিক নিলেন কেন?যদিও আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবু জানতে খুব কৌতূহল হচ্ছে। 🙂
@অর্ফিউস, ইমানদন্ডের জোর কেনো বেশি সেটা আমি মনে হয় সবচেয়ে ভালো বুঝি(মাইন্ডে নিয়েন না)। মহাছাগল নামটা আমার নিকনেমের বড় চয়েস থেকে বাছাই করা একটা চয়েস।
আপনার নিকনেমটা আমার পছন্দ। ওটা দেখে আমার নিচের জিনিসটার কথা মনে পড়ে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Arceus
হ্যা, আমি pokemon এর ফ্যান এবং গেমটা অনলাইনে খেলি।
@মহাছাগল,
ওহ ভাল :)।
ধন্যবাদ 🙂
– বর্ৎমানে যা হচ্ছে তা কি অপ্রত্যাশিত কিছু? অন্তত আমার কাছে নয়। আমি নিজে কোনদিনই বাংলাদেশে রাজাকার বদরদের বিচার, তার চেয়েও বড় প্রত্যাশা এদের বন্ধ্যাকরনে তেমন আশাবাদী কোনদিনই হতে পারিনি কারন আমি সে দেশে জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছি, দেশের আম পাবলিকের মাইন্ডসেট কিছুটা হলেও বুঝি। নুতন প্রজন্মের লাখো আলোকিত সদস্যই পুরো দেশ রিপ্রেজেন্ট করে না, যেমনি জাফর ইকবাল পুরো ইন্টেলেকচুয়াল সোসাইটি রিপ্রেজেন্ট করেন না, শোলাকিয়ার ইমাম সাহেবও আলেম সমাজ রিপ্রেজেন্ট করেন না।
‘৭১ এর ভয়াবহতার সাথে ধর্মের কোন যোগ নেই বলে ধার্মিকরা (সব মাত্রার, কট্টর থেকে শুরু করে অতি মডারেট) সব সময়েই চীতকার করেন এবং জেনেশুনে একটি ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডে থাকার চেষ্টা করেন। ধর্মের যোগ একেবারেই না থাকলে বর্তমানে যা হচ্ছে সেগুলি শুধু ‘জামাতি’ ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করা যায়? যুদ্ধপরাধীদের বিচার বলেন আর রাজাকার প্রতিরোধ বলেন এক সময় না এক সময় ধর্ম আসতে বাধ্য, সে সরাসরি হোক আর ঘুরিয়ে হোক। সমস্যার মূলে যা আছে তাকে গায়ের জোরে অস্বীকার করা যায় না।
এই আন্দোলনের মূল নেতা থাবা বাবা দূরে থাক, এমনকি থাবা বাবার সাথে আন্দোলনের কোন যোগ ছিল এমন কথাও আমি শুনেছি বেচারার মৃত্যুর পর। অথছ তাকে কালার করে এই আন্দোলন এখন হয়ে গেছে ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র। কেউ যদি দাবী করেন যে এমন প্রচারনায় কাজ হয় না তাতে আমার কড়া দ্বি-মত আছে। কাজ যা হবার ঠিকই হয়। কারন বহু লোকে যুদ্ধপরাধীদের বিচার পুরো ইস্যুটা এভাবেই দেখতে চায়, এতদিন গনজাগরনে গতবাধা সেসব কথা বলতে সাহস পাচ্ছিল না, এখন থাবার মৃত্যুর পর তার ধর্মবিদ্বেষী কথাবার্তা হাইলাইট করে নৈতিক সাহস পাচ্ছে। তারা হয়ত বর্তমানে শাহবাগে জমায়েত করতে পারবে না কিন্তু এদের সংখ্যা নেহায়েত নগন্য নয়, আর সবচেয়ে দূঃখজনক হল যে এরা সকলে ছাগু বা রাজাকার এমন নয়। সময় হলে এরাও একই সাইজের বা আরো বড় জমায়েত করতে পারবে।
আপনার লেখার মূল টোনে বাস্তবতার আলোকেই মনে হয় আপোষের টোন হয়ে গেছে বড় বেশী, আপোষ রফা একটা ব্যালেন্সিভ লেভেলে না দাঁড়ালে বৃহত্তর অর্জন বলে কিছু হবে না।
– কেন? ৭১ সাথে মুক্তিযুদ্ধে তেমন কোন ভাঁড়ামো করতে হয়েছিল? ধর্মের কোন রকম প্রভাব ছাড়া সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হতে পারলে এ আন্দোলনে কেন ধর্ম হাইলাইট করতে হবে? ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে ধর্ম ব্যাবহার করা হয়নি? আরো সফলভাবেই হয়েছিল। ‘৭১ সালেও মুজিব নগর সরকার বলার চেষ্টা করেছিলেন যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ নয়, সে লাইনে কোন ফল আসেনি। ‘হিন্দু’ ভারত জড়িত আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু প্রফেসররা পেছনে আছে, বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র ভেঙ্গে যাচ্ছে কাজেই সেটা ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশের ততকালীন আলেম সমাজের বৃহত্তম অংশ এভাবেই ‘৭১ মূল্যায়ন করেছে, মুসলিম বিশ্বেও এভাবেই মূল্যায়িত হয়েছে, আজো পাকিস্তানের পাঠ্যবইতে এভাবেই হচ্ছে। একই ধারাই আজো বিরাজমান আছে।
রাজাকার বদর নেতাদের প্রায় সকলেই আলেম বলে সুপরিচিত আরা ধর্মীয় বিশ্বাসের খাতিরেই রাজাকারি করেছে সে আমলেও বলেছে, আজো বলে আসছে। রাজাকার বদর স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে (সে ‘৭১ হোক আর ২০১৩ হোক) বিধর্মী/নাস্তিকদের অংশ কতটা? তো তাদের অপরাধের দায় ধর্মওয়ালারা না নিলে (যৌক্তিক কথা) এক থাবা বাবার দায় নিয়ে কেন আন্দোলনকারীদের এপোলেজিটিক হতে হবে? থাবা বাবা আন্দোলনের মঞ্চ থেকে অরুচিকর কথাবার্তা বললে না হয় বোঝা যেত। কেন বলা যায় না যে আন্দোলনের মঞ্চে আমরা কেউ হিন্দু মুসলমান আস্তিক নাস্তিক নই, সকলে পরিচয় একটিই – আন্দোলনকারী?
একজন মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম আলেম যখন শিশু নির্যাতনের দায়ে ধরা পড়ে তখন কি আমরা রাস্তায় নেমে মিছিল করি মসজিদ মাদ্রাসা বদমায়েশ বানানোর কারখানা বন্ধ হোক বলে নাকি তার ব্যাক্তিগত অপরাধের দায় যার সাথে ধর্মের যোগ নেই সেটা তাকেই ব্যাক্তিগত ভাবে দেই?
– :))
– ঠিক কাদের কথা বলছেন? এই আন্দোলনের স্বীকৃত কোন নেতা আছে বলে এখনো জানি না। মন্দ চরিত্রের থাবা বাবা কি নেতা ছিল? জামাতিরা আপনি যত যাইই করেন, দুয়েকজন আলেমকে এনে ফতোয়া দেওয়ান যা করার তা ঠিকই করে যাবে, উপকরনের অভাব হবে না। আম পাবলিকের মূল্যবোধের পরিবর্তন না ঘটা পর্যন্ত বল তাদের কোর্টেই থাকবে।
পিয়াল, আরিফ জেবতিক এরাও কেউ নেতা নয়। এরা আমাদের মত ইসলাম বিদ্বেষীও নয়। নেতা না হলেও এদের ইমেজ সংকট ঠিক কেমন? পিয়ালের নামে কিছু বদনাম শোনা যায় (ধর্মীয় লাইনে নয়), আরিফ জেবতিক কবে কি করেছে? সে সব সত্য ধরে নিলেও দেশের আলেম সমাজের নামে এভাবে কেন দায় দেওয়া যায় না, ‘৭১ সালে এদের ভূমিকা কি ছিল?
অথছ এদের ফাঁসী দাবী করে ছবি নিয়ে মিছিল হচ্ছে। এসবই জামাতিদের ষড়যন্ত্র যা আপনি কিছু আলেম শাহবাগে জড়ো করে ফতোয়া দিয়ে মোকাবেলা করবেন? যারা আজ থাবার নামে নানান ভাবে ঘৃনা প্রকাশ করে ব্লগ লিখে চলেছে, আন্দোলন নিয়ে কূট প্রশ্ন করে চলেছে তারা নিজামী গোলাম আজমদের নিয়ে জীবনে কয়টা ব্লগ লিখেছে? এদের কাউকে কাউকে দেখেছি ঘোর রাজাকারি মানসিকতার লোককে বড় আলেম হিসেবে অসীম সম্মান করতে। কেউ রাজাকারির প্রতিবাদ করলে দেখেছি ইসলামের রজ্জু ধরে মত পার্থক্য কমিয়ে আনার সুপরামর্শ দান করতে, যদিও এরা দাবী করে এরা রাজাকারদের তীব্রভাবে ঘৃনা করে। অমি পিয়াল আরিফ জেবতিকের নামে যে আলেম সমাজের নামে কিছু লোকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে হত্যার ঊষ্কানীর দিচ্ছে সেসব নিয়ে এরা কি বলে? এই সমস্ত লোকই আমাদের সমাজের এক উল্লেখযোগ্য অংশ। এরা মুখে যাইই বলুক ভেতরে ভেতরে চায় দেশটা অমি পিয়াল বা আরিফ জেবতিকের মত লোকের হাতে যেন না যায়, দেশটা যেন তাদের প্রিয় রাজাকারি মানসিকতার আলেমদের হাতেই যায়। এদের কাছে প্রকাশ্য রাজপথে এসব মিথ্যাচার করে হত্যার উষ্কানী দিয়ে জংগী মিছিল বড় নয়, বড় হল মৃত থাবা বাবার কিছু উক্তি যা সে করেছিল ব্লগের পাতায়।
থাবার মৃত্যুর পর অনেকে শুনেছি উপযাচক হয়ে তার সব ইসলাম বিদ্বেষী কথাবার্তা মুছে ফেলার দায় নিয়ে জামাতের ঘাড়ে মিথ্যাচারের দায় দিচ্ছে। খুবই হাস্যকর এবং অনৈতিক কাজ। যা সত্য তাইই থাক, থাবার ভাল মন্দ অবদান যাইই থাক সেটা তারই থাকবে। আন্দোলনের সাথে যার কোন যোগ নেই সেসবের দায় কেন আন্দোলনকারীদের নিয়ে মিউ মিউ করতে হবে? বড়জোর এই আন্দোলন ধর্মের বিরুদ্ধে নয় সেটা ঘোষনা দেওয়া যায়।
বাস্তবতার স্বার্থে আপোষ করতে হয়, তবে বরাহ শিকারের জন্য ফ্র্যাংকেনষ্টাইনের সাথে দোস্তির ফল হয় মারাত্মক।
@আদিল মাহমুদ,
এপোলেজিটিক! এই আন্দোলন যদি ব্যর্থ হয় তার দায়ভার নাস্তিক ইসলামের সমালোচনাকারী লেখকদের উপর বর্তাবে এমন কিছুও বলা শুরু হয়ে গেছে। আমার তো মনে হয় একটা অপরাধবোধ অলরেডি জাগিয়ে দেয়া হয়েছে সেই সকল লেখকদের মনে। তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে অথবা দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে আন্দোলন থেকে। নিঃসন্দেহে এর প্রভাব ব্লগেও পড়বে।
থাবাবাবা নাস্তিক তাতে কারো কিছু আসে যায়না। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। দেশে হয়ত আরো অনেক নাস্তিক আছেন। তারা কেউ শাহবাগের নেতা নন। তারা কেউ ইসলাম ও রাসুলের বিরুদ্ধে আজে বাজে জিনিষ লিখছেননা। সকলকে মনে রাখতে হবে দেশের মানুষ বা জন সাধারন নাস্তিক নন। তাদের ধর্মে আঘাত দেয়ার অধিকার কারো নেই। আহবাগকেতো সকল মিডিয়া সাপোর্ট দিচ্ছে। মাত্র দুয়েকটি মিডিয়া সমালোচনা করছে। যে কোন আন্দোলন না গণ জাগরেনে মেধার কাজ বেশী আবেগের নয়।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে ভাই আমার মনে হয় যে মানুষের ধর্মান্ধতা বর্তমানে খুব বেশি বেড়ে গেছে, আর তাই হয়ত এর কিছুটা দরকার আছে রণকৌশলের খাতিরেই।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মুহাম্মদ বিড়াল জাতীয় কৌতুক পড়েছিলাম।যদিও সেটা ছিল মুহাম্মদ টাকি( মাছ) তখন সেইসব কৌতুক নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করত মাছ ধরুয়া ছেলেটির নির্বুদ্ধিতা নিয়ে। আর এই যুগে দেখেন, কার্টুনিস্ট আরিফ কে কি নাজেহালটাই না হতে হল!
ভাবতে অবাক লাগে যে দিন দিন কিভাবে আমাদের দেশের মানুষগুলো ধর্মের পাঁকে সেঁধিয়ে যাচ্ছে!!
@অর্ফিউস,
– কেউ পাগলামি করলে আপনি কি করা ভাল মনে করেন? তার পাগলামিতে সায় দেওয়া কিংবা আরো বড় পাগলামি করে পাগল সারানোর আশা করা? আপনি যতই হুশের পাগল সাজেন তাতে লাভ হবে না, লোকে আসল পাগল ছেড়ে আপনাকে নিয়ে আরো বেশী হাসাহাসি করবে।
ইতোমধ্যেই জামাতকে যেমন ধর্মব্যাবসায়ী বলা হয় তেমনি এই আন্দোলনকারিদেরও অনেকে ধর্মব্যাবসায়ী বলে চলেছে; কারন নাস্তিক রাজীবের জানাযা পড়ানো, তার ইসলাম বিদ্বেষী কথাবার্তা লেখা সরিয়ে ফেলার নাম করে তার দায় নিজেদের ঘাড়ে নেবার অপচেষ্টা। ধর্ম নিয়ে এসব ছেলেমানুষী খেলে লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতিই হয়েছে বেশী? কেন বলা যায়নি যে রাজীব কোন ব্লগে কি বলেছে তার সাথে আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই? শাহবাগের মঞ্চ নাস্তিকতা, কোন ধর্মীয় চরিত্রকে যেমন গালিগালাজের যায়গা নয় তেমনি ধর্মচর্চারও যায়গা নয়? যার দরকার মনে হয় সে তার দরকার মত অন্য কাউকে আহত না করে নামাজ পূজা এসব করবে তাতে কেউ বাদ সাধবে না, তেমনি যার এসব দরকার মনে হয় না সে এসব পালন করবে না এবং অন্তত সেখানে এসব নিয়ে কাউকে কিছু বলবে না। মামলা শেষ। আন্দোলনকারীদের কেন এখন জামাতে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব যেচে নিতে হবে?
আফটার অল এসব কাজকর্ম অনৈতিক, এখন এসবের ফলে বলার ক্ষেত্র হয়েছে যে আন্দোলনকারীরাও ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করছে। ইমাম মোল্লা এনে ফতোয়া দেওয়ালেও কোন লাভ হবে না, আরো জোরেশোরে এসব গলাবাজি চলবে, তখন উলটো দিকেও ফতোয়া দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
(Y) সহমত।
@আদিল ভাই,
মন্তব্যটা পড়লাম। দ্বিমত করছিনা কারন সেই সুযোগ সাধারনত আপনি খুব কমই রাখেন। আমিও কি বুঝি না ভাই? সবই বুঝি।কিন্তু কেন জানি এখন আমার মনে শুধু একটাই চিন্তা আর কামনা যে খুনী আর আমাদের মা বোন দের ধর্ষন কারী ওই পশু রাজাকার গুলো কে ফাসিতে ঝুলতে দেখা।ওই যে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সুভাষ বসু যে জন্যে হিটলারের সাথে সমঝোতা করতেও কুন্ঠিত হন নাই,ইংরেজ তাড়ানোর খাতিরে,মনে হয় একই জটিলতায় ভুগছি আমি।এই জিনিসটাকে গলদ আছে বুঝার পরেও, কেন জানি এটাই মনে হচ্ছে।
অনেকদিন আগ থেকেই রাজাকার দের ঝুলানো হবে এই স্বপ্ন দেখেছি। আজ যখন জাতি জেগে উঠেছে তাই কেন জানি মনে হচ্ছে এই সুযোগ হারালে ইতিহাসের কাছে আমরা মাতৃ হত্যা আর ধর্ষন কারী জাতি হিসাবে চিহ্নিত হব।( দেখেনই তো পাকিস্তানের খেলায় বাঙ্গালীর নর্তন কুর্দন, এটাকে কি বলব?সেই দেশ কে নিয়ে দেশের তরুন তরুনী রা কি পাগল পারাই না ছিল;হয়ত এখনো আছেই!)
তাই এখন রাজাকার দের ফাসির জন্য যেকোন কিছুর সাথেই আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপোষ করতে রাজি,যদিও সাময়িক ভাবে।
অনেকটা, মারি অরি পারি যে কৌশলে…… এই নীতিতে।
@অর্ফিউস,
যে কৌশল ব্যাক ফায়ার করবে জানা কথা সেটায় কেন পা গলানো?
আবারো বলছি, আন্দোলনে ধর্মের ব্যাবহার হবে খুব বড় ভুল। জামাত শিবির ঠিক এটাই চায়। এরপর এরা বেছে বেছে নামাজরত কিছু ব্লগারের তথাকথিত ইসলাম বিদ্বেষী কমেন্ট বেছে বেছে ব্লগ থেকে তুলে দেখাবে যে এরাই আসল ধর্মব্যাবসায়ী।
মনে রাখবেন এই আন্দোলনে ধর্ম আনলেও দোষ, না আনলেও দোষ; যেদিকেই যান পার পাবেন না :)) । কোন না কোন ভাবে এসে যাবেই।
@আদিল মাহমুদ, হুম আদিল ভাই, আপনার যুক্তিগুলো খুব সিরিয়াস ধরনের।আবেগ কম আছে আপনার মধ্য।যাইহোক সত্যি যদি ব্যাক ফায়ার করে তবে তো সেই কৌশল অবলম্বন না করাই ভাল। তবে যে কৌশল ব্যাক ফায়ার করবে না কিন্তু রাজাকারদের ঝুলাতে সাহায্য করবে, সেইধরনের কৌশলের সাথে আমি আপোষ করব সাময়িক ভাবে, যদিও বুঝতে পারছি না যে কি হতে পারে সেই কৌশলগুলো :)) ।
বাংলাদেশের মানুষের অতিমাত্রায় ধর্মীয় অনুভুতি যাকে আমি সস্তা অনুভুতি বলেই মনে করি,সেটাকে আমি ভীষণ ভয় পাই। 🙁 ।
অতীতে একবার ধর্ম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার জন্য( একগুঁয়ের মত) আমার অতি আদরের মামার কাছে চড় খেয়েছিলাম,( এই দেশে মামা রা ভাগনে দের মারে না, চাচারা মাইর দেয়!!) কাজেই বাবা মার কাছে কি বেকায়দা অবস্থার শিকার হতাম তা আর নাই বা টেনে আনলাম। আমার বিশ্বাস যে, শুধু আমি না, এখানকার আরো অনেকেরই এমন মধুর(!?) অভিজ্ঞতা আছে। 😛
@অর্ফিউস,
মানুষ যখন নিজের সাথে জেনে শুনে প্রতারনা করে চলে তখন ফল হয় অতি মারাত্মক। নিজেদের ধর্মের সবকিছুই নিখুত নয় কিংবা সবকিছুর মাঝে ধর্ম টানার ফল যে সব সময় ভাল হতে পারে না এটা গ্রহন করার মত ম্যাচুরিটি সামগ্রিকভাবে মুসলমান সমাজে অনুপস্থিত। এই ম্যাচুরিটি নিজেরা গড়ে তুলতে না পারলে বাইরে থেকে কেউ এসে শেখাতে পারবে না।
অন্যান্য ধর্মের লোকে মানসিকভাবে সেটা বহু আগেই গ্রহন করতে পেরেছে এবং ধর্মকে আলাদা করেছে। তাদের কারোরই ধর্ম ত্যাগ করতে হয়নি, এমনকি অফিশিয়াল কোন ঘোষনাও দিতে হয়নি যে এই এই কারনে তারা বাদ দিল। এ কারনে তাদের সমাজে বর্তমানে ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশের মত টেনশন নেই, সবকিছুর মাঝে ধর্ম চলে আসে না। হাস্যকর, অমানবিক বিধিবিধান শুধু কিছু পবিত্র সূত্রে আছে বলেই মানতে হবে এমন আজগুবি দাবী তাদের ফাদার পুরোহিতরা করে না, সেসবের বিরোধিতা করেও কারো সময় নষ্ট করতে হয় না, সব খৃষ্টান মিলে এক রাষ্ট্র বানাবে এমন আজগুবি ধর্মীয় জাতীয়তাবোধের আছরে সেসব দেশের লোকে সংঘবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা বিরোধিতা করে রগকাটা গলাকাটা বদমায়েশদের হয়ে দালালি করে না।
সময়ের এক ফোড় কথা আছে। ৭২ এর সংবিধান আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ার সুযোগ দিয়েছিল, আমরা হারিয়েছি। সে সুযোগ আর মনে হয় না নিকট ভবিষ্যতে আসবে। কয়জন নিজামী কাদেরের হয়ত ফাসি হলেও হতে পারে; কিন্তু আরো হাজারো এমন চরিত্র জন্ম নেবে, তাদের তৈরী করার উপযুক্ত জল হাওয়া, প্রতিষ্ঠান সব দেশেই আছে। ধর্ম টেনে জীবন চালাবার অভিশাপ কেয়ামত পর্যন্তই জাতিকে করে রাখবে বিভক্ত, বর্তমানের মত সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি বারে বারেই আসবে।
গত সপ্তাহে থাবার মৃত্যুর পর একটা কথা বলেছিলাম,
আজকের খবরে মিলিয়ে নেন –
হামলার লক্ষ্য জাতীয় পতাকা, গণজাগরণ মঞ্চ ও শহীদ মিনার (ভিডিও)
– এক থাবা বুঝলাম খুব খারাপ লোক। এমনকই আন্দোলনকারিরাও সকলে ইসলাম বিদ্বেষী মানলাম। তাই বলে দেশের জাতীয় পতাকা, শহীদ মিনার এসবও ইসলাম বিদ্বেষী? এসবের ওপর ক্ষোভের কারন কি? কারো নিজ দেশের ওপর ন্যূনতম সম্মান, দরদ থাকলে জাতীয় পতাকা অপমান করতে পারে?
এসব কি একা জামাতিরা করছে? এসবের ইন্ধন আসলে কোথায়?
আমি গনক ঠাকুর নই, এমন শুরু না হলেই খুব অবাক হতাম। যারা অবাক হবার ভান করেন তাদেরই মনে হয় অভিনয় করেন। দেশের মাদ্রাসাগুলিতে জাতীয় সংগীত/পতাকা নিষিদ্ধ এমন হাজার সংবাদ সামান্য গুগল সার্চ দিলেই পাবেন। এমনকি সেজন্য আইন পর্যন্ত করতে হয়েছে। এসবই জামাতিরা করায়? মূল সমস্যা জামাতিতের মাঝে, নাকি ধর্মীয় জাতিয়তাবোধের মাঝে? নিজেদের সাথে অভিনয় করে যাবার ফল কেমন হচ্ছে?
জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, শহীদ মিনার এসবের অপমান ভিন্ন মতের প্রকাশ? ভিন্ন মত খুবই দরকার। তাই বলে দেশের জাতীয় পতাকা, সংগীত অপমান ভিন্ন মতের প্রকাশ বলে ধরে নিতে হবে?
@আদিল মাহমুদ, সুন্দর বলেছেন আদিল ভাই।
পুরাপুরি একমত।
আচ্ছা বলেনতো দেশের সরকারের কি সত্যি কোন মাথা ব্যাথা নেই শাহবাগের আন্দোলন কারীদের নিয়ে?এরা তো কাজের কাজ তেমন কিছু করছে বলে মনে হয় না।
ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোন ইচ্ছা এদের আছে বলে মনে হয় না। ২৬ মার্চ এর ভিতর জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানানো হয়েছে কিন্তু সরকারের কি আসলেই টনক নড়বে বলে আপনার মনে হয়?
আমার মনে হচ্ছে আপনিই সঠিক ছিলেন।রাজাকারদের ফাঁসির পাশাপাশি ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলাকেও নিষিদ্ধ করা জরুরি।খবর তো এটাই বলে যে তান্ডব চালাচ্ছিল আজ ধর্ম ভিত্তিক দল গুলো; শুধু একা জামাতী ইসলামি না। :-s
@অর্ফিউস,
এটা দর কষাকষি। এরা সরকারকে এই মেসেজ দিতে চাইছে , আমাদের সাথে প্রেম না করলে সরকারের খবর আছে !
@সংশপ্তক,
এইবার কি করা যায় ভাই বলেনতো? সরকার কি কোন ব্যবস্থা নিবে না?আমার তো মনে হয় যে ধর্মীয় দলগুলো সব সীমা অতিক্রম করে গেছে।এইবার এদের প্যাদানি খাবার সময়।প্যাদানী টা কি সরকার দেবে, নাকি সাধারন মানুষদের দিতে হবে?সাধারন মানুষ কি এই ধর্মীয় দলগুলোর এই প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সন্ত্রাসীরদের সাথে পেরে উঠবে?আপনার মতামত জানতে চাই।
@অর্ফিউস,
কাকে কে প্যাদানী দেবে ? জামাতকে প্যাদানী দেয়া হবে সন্দেহ নেই । কিন্তু বাকীগুলোকে দিতে গেলে দেখা যাবে যে নিজের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একজন করে হজ্জ করে আসা হাজি আছে।
ছোটবেলায় নিজের কানেই শুনেছি যে , শহীদ মিনারে ফুল দেয়া আর পুজা করা একই কথা – এটা শেরকী। জামাত কোন সমস্যা নয় কারণ জামাত কেবল রাবণের একটা মাথা। দশানন রাবনের একটা মাথা কাটলেও নতুন একটা সাথে সাথে গজায়।
@আদিল ভাই , ভাল কথা,কাল সারারাত প্রায় জেগে ছিলাম আজ শুক্রবার বলে, আর আজ ঘুম থেকে উঠেছিলাম সম্ভবত দুপুর আড়াইটার দিকে 🙂 । তাই এইমাত্র আপমার দেয়া লিংকেই আজকের খবর পড়লাম প্রথম বারের মত।সত্যি ধর্ম ভিত্তিক দল গুলোর এই দুঃসাহস দেখে আমি হতবাক।রাগে ঘৃণায় সারা শরীর রিরি করছে আমার। এত সাহস এরা পাচ্ছে কিভাবে?কোথায় এটার উৎস?
এ সবই মনে হয় বাংলাদেশের মানুষের অতিমাত্রায় ধর্মানুভুতি , আর ধর্মীয় দলগুলোর দিকে অবচেতন মনের সমর্থনের জন্য হচ্ছে।আপনি ঠিকই বলেছেন, আসলেই নিজেদের সাথেই প্রতারনা করছে তথাকথিত ধর্ম ভীরু মুসলিম রা। :-s
@আদিল মাহমুদ,
বাস্তবতার কথা বললে , আপোষ একটা শিল্প। আপোষের বিকল্পের নাম সংঘাত কিংবা যুদ্ধ । যুদ্ধে তখনই যাওয়া যায় যখন শক্তির ভারসাম্য নিজেদের দিকে নিশ্চিতভাবে ঝুঁকে থাকে। মানুষ দুর্বলের সাথে আপোষ করে না , শক্তিশালী অথবা সমান প্রতিপক্ষের সাথেই আপোষ করা হয় । ধর্মীয় শক্তির শেকড় অনেক গভীর বাংলাদেশে যা তৃনমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে দেশের ৯০% মানুষকে কি সেক্ষেত্রে ফ্র্যাংকেনষ্টাইনের পর্যায়ে ফেলবেন ? বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করা আপাতত অসম্ভব , কেউ পারলে সেটা করে দেখাক – তাতে আমার আনন্দের সীমা থাকবে না । জামাতকে সাইজ করা এবং তাদের কিছু নেতা ফাঁসিতে ঝুলানো সে তুলনায় কঠিন নয়। এখন আমরা অসম্ভবের দিকে ধাবিত হলে শেষ পর্যন্ত কোনটাই সম্ভব হবে না। আমও যাবে ছালও যাবে।
@সংশপ্তক, বাহ ভাই জটিল কথা বলছেন তো।আসলে কি করা উচিত এই নিয়ে আমিও বিভ্রান্ত;তবে জামাত কে নিষিদ্ধ করা এবং রাজাকারদের ঝুলালেই আমি আপাতত মহা সন্তুষ্ট!
@সংশপ্তক,
ফল পাকার আগেই সে ফল পেড়ে মিষ্টি স্বাদ নেবার আশা করাটা বোকামী।
আমি প্রথম থেকেই এ আন্দোলন নিয়ে তেমন আশাবাদী ছিলাম না আগেই বলেছি কারন এ আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে সফল করতে সর্বশ্রেনীর আম জনতার যে ধরনের মূল্যবোধের প্রয়োযন তার অভাব অতি তীব্র। ওটা রাতারাতি তৈরী করা যায় না, অনলাইন ব্লগাররা সমাজের অতি নগন্য শ্রেনীর প্রতিনিধি। আমি কিছুটা মানসিক শান্তি কেবল পেয়েছি অনেকদিন পর অদলীয়ভাবে রাজাকার বদর শ্রেনীর প্রতি লোকের প্রকাশ্য ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ দেখে, তার বেশী কিছু নয়।
আপোষ তো অনেক হল, শাহবাগ অনেকে অভিযোগ করছেন ধর্মীয় জলসায় পরিনত হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী, নেতারা আজকাল উল্লেখযোগ্য সময় কাটাচ্ছেন নানান ওয়াজ মাহফিলে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবীর কথা মনে করালে মনে হয় এখন শাহবাগেই অপদস্ত হতে হবে। লেটেষ্ট ডেভেলপমেন্ট, সরকারের জামাতকেও নিষিদ্ধ ঘোষনা করার পরিকল্পনা নেই, কিছু মন্ত্রী এতদিন হাওয়ার ওপর গায়েবী আশ্বাস দিয়ে চলেছিলেন।
আপোষের সুফল কি আসল বলতে পারেন?
কাদের মোল্লার ফাঁসি?
@আদিল মাহমুদ,
নিষিদ্ধ না হওয়ার গ্যারান্টির বদলে জামাত শুধু কাদের মোল্লাকে কেন অনেক কিছুই কোরবান করতে প্রস্তুত। অতীতেও করেছে।কাদের মো্ল্লার ফাঁসি যদি সত্যিই হয় , এর বিনিময়ে জামাত নিশ্চিতভাবে বড় ধরনেরসরকারী হাদীয়া আদায় করে নেবে। আমার শক্ত ধারণা করার মত কারণ রয়েছে যে, যাই ঘটুক না কেন আগামী নির্বাচন জামাত এবং বি এন পি এক সাথে করছেনা।
অহিংস আন্দোলনে সফলতা আসে না। ধীরে ধীরে গা সওয়া হয়ে যায়। ভারত গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে স্বাধীন হয় নি। সুভাষের সশস্ত্র আন্দোলনেই হয়েছে। আমি মনে করি সময় হয়েছে সরকারকে জানিয়ে দেয়ার… যা করার তাড়াতাড়ি, নইলে আমরা আপনাদের সাথে নেই। দরকার হলে হরতাল, অসহযোগ দিতে হবে।
খুব ভাল লিখেছেন ভাই (Y) ।আসলে জামাতের মেলা ধরনের কায়দা কৌশল আছে, তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা খুবই জরুরি।তাছাড়া নাস্তিক বা ধার্মিক, কোনটা হওয়াই পাপ বা পুন্যে কাজ না, এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতাই বড়,তবে অবশ্যই সেটা যেন কারো ক্ষতির কারন না হয়ে দাঁড়ায়।মুক্ত চিন্তা আমি এটাকেই বলে থাকি।
এই প্রশ্নটা কেন? কেউ কি শাহবাগে নাস্তিকতা প্রচার করে বক্তৃতা ভাষণ দিয়েছেন?
আন্দোলনের সম্মুখভাগে অবস্থান নেয়া লাকি আখতার, আরিফ জেবেতিক, অমি রহমান পিয়াল এদের ইমেজ সংকট আছে কি? এদেরকে কোনদিন ধর্মের বিরুদ্ধে লিখতে দেখি নাই কিন্তু এরা জামাতের হট লিষ্টে আছেন।
কী ফতোয়া দেওয়াবেন? শুনেছি আগামীকাল শাহবাগে বিরাট জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। হয়তো নাস্তিকরাও বাধ্য হবে নামাজ পড়তে, না হয় শাহবাগ ত্যাগ করতে। এর চেয়ে বড় ফতোয়া আর কী হতে পারে বুঝতে পারছিনা।
@আকাশ মালিক,
:))
@আকাশ মালিক,
পরতে হইলে পড়বেন সমস্যা কি?নামাজে দাঁড়িয়ে না হয় পড়লেনই ২ রাকাত নামাজ, তাতে সমস্যা কি?২ একদিন নামাজ পড়লেই নাস্তিক আস্তিকে পরিনত হয় না।
@অর্ফিউস,
শাহবাগ চত্বরে মানবতা বিরোধী অপকর্মের জন্যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের শাস্তির দাবী জানানোর অপরাধে হিন্দুদের বাধ্য করবেন নামাজ পড়তে? বেশ তা’ই হউক। দরকার হলে লুঙ্গি মাথায় তুলে মুসলমানী পরীক্ষা দেয়া হউক। তবে রাষ্ট্রের কাছে আমার আরজিটুকু হলো, আমি এখানে এই শাহবাগ চত্বরে নুনু দেখাতে আসিনি, কারো দাড়ি টুপি নিয়ে টানাটানি করিনি, এসেছি নির্দিষ্ট একটি দাবী নিয়ে। আগে আমার দাবী মানতে হবে। আপনার কোন দাবী কোন অভিযোগ শুনার জন্যে এই আয়োজন নয়।
আমি হতবাক হয়ে গেছি বিভিন্ন ব্লগে ফেইসবুকে কিছু মুক্তমনা সুশীল বুদ্ধিজীবিদের কথবার্তা আচরণ পরামর্শ দেখে। সবিনয়ে সেই সকল সুশীলদেরকে বিচারকের আসনে বসিয়ে দাবী জানাচ্ছি, আমি আমার বোনের ধর্ষণকারীর, আমার মায়ের হত্যাকারীর বিচার চাই। আপনারা কি আমার কেইসটাকে না দেখে আমার নুনু চেক করবেন, আমাকে নামাজ পড়তে বাধ্য করবেন? এ কেমন সুবিচার আপনাদের?
@আকাশ মালিক, ভাইজান কি মস্করাও বুঝেন না? :)) ।আমি তো ওই শালার পুত দের খোঁচা মারতে কথাটা বলেছি আর আপনি কিনা নিজের দিকে টেনে নিলেন।আর আমাদের বলতে কি বুঝাচ্ছেন?আমি নাস্তিক আস্তিক কোনটাই না আর, গত ৭/৮ বছরে এমনকি ঈদের নামাজটাও পড়ি নাই। 😀
@অর্ফিউস,
মানে ওইসব মিডিয়া যারা, শাহবাগের আন্দোলন কে ঘিরে চক্রান্ত পাকাচ্ছে যেমন আমার দেশ ইত্যাদি পত্রিকা । 🙂
@অর্ফিউস,
আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলি নাই। অন্যান্য ব্লগে ফেইসবুকে এই সুর উঠেছে আগেই। বৃহত্তর অর্থে তাদেরকে বলেছি যারা এই আন্দোলনকে প্রথম আলোর কার্টুনিষ্ট আরিফের কাজ মনে করে মতিউরের পথ ধরে বায়তুল মোকাররাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে চান।
@আকাশ মালিক, ওহ আচ্ছা। ধন্যবাদ।ভুল বুঝার জন্যে দুঃখিত।ভাল থাকবেন।
@আকাশ মালিক,
এইবার নিশ্চয়ই আপনার কাছে আমার একটা ফরমাল সরি পাওনা হয়েছে কি বলেন? আপনি তো আমার রসিকতা ধরতে না পেরে আমাকে সেই দলেই ফেলে দিলেন যারা কিনা রাজাকারদের বিচার চাওয়া কে, আর করে ফাঁসী চাওয়া কে অপরাধ মনে করে।অথচ দেখেন আমি নিজেই কিন্তু আপনারই একটা লেখায় রীতিমত আদনানের সাথে যুদ্ধ করেছি, তার রাজাকার দের শুধুই যাবজ্জীবন দেবার কুযুক্তি গুলোর বিরুদ্ধে। (N)
@আকাশ মালিক,
একদম খাটি কথা। (Y)
আমি নাস্তিক এই কারনে আমি বিচার চাইতে পারবোনা এইটা কোন ধরনের কথা।অনেকেই বলছে শাহবাগে কোন নাস্তিক নাই থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ করছে না।আরে ভাই থাকলে কি হয় বিচার চাওয়া অন্যায় হয়? এদের কথা শুনলে মনে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে জঘন্য প্রাণীটির নাম নাস্তিক। তো ঘোষণা দিলেই তো হয় কোন নাস্তিক শাহবাগ আন্দোলনে আসবেন না। আপনারা অনলাইনেই চ্যাঁচামেচি করুন। শাহবাগ শুধুই আস্তিকদের জন্য।এতদিন যেসব মুক্তমনাদের কথায় কথায় আগুন ঝরত এখন তাদের অনেকেই মিন মিন করছে। মনে হয় আমরা সৌদিআরবে বাস করি।দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে।আমি নাস্তিক এটা সরকার জানলেই ক্যাঁক করে ধরবে ধরে বিচার করবে।
একমত। গতকাল মাওলানা ফরিদউদ্দিন (শোলাকিয়ার ইমাম) এক টকশোতে উপস্থিত হয়ে মওদুদি দর্শনের
বিপদগুলো সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।
@কাজি মামুন,
হ্যা , এরকম অনেকগুলি শোর প্রয়োজন আছে। কম করে হলেও এটার প্রতীকী মূল্য আছে।
লেখাটার মূল সুরের সাথে একমত, তবে এতোটা হতাশ না হলেও চলে। জাগরণ মঞ্চ থেকে আজই ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে এই আন্দোলনের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। আমার দেশ কিংবা নইয়া দিগন্ত যে অপপ্রচারগুলো চালাচ্ছে, তা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই। এগুলো প্রচারণায় মানুষকে এখন আর কাবু করা যাবে না।
জামাত শিবির যে কতটা মরিয়া তা তাদের অপপ্রচারের নমুনাগুলো দেখলেই কিন্তু বোঝা যায়। প্রথমে তারা ছড়াতে চেষ্টা করল যে শাহবাগে কতগুলো গাঁজাখোর ভ্যাগাবণ্ডেরা হাউমাউ করছে, আর তাদের সাথে আছে বখে যাওয়া মেয়ে মানুষের দল। বহু মেয়ে নাকি শাহবাগে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, ইত্যাদি। শাহবাগের মেয়েদের সাথে অন্য ছবি জোড়াতালি দিয়ে কুৎসিৎ প্রচারণা নেমেছিল ফেসবুকে। তার একটি নমুনা এরকমের –
[ডানদিকেরটা ছিল আসল ছবি, আর ওটাকে বিকৃত করে ফেসবুকে শিবিরের বাশের কেল্লা সাইটে উপস্থাপন করা হয়েছিল বামপাশের ছবিটা দিয়ে]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/02/projonmochottor_shibir_bikriti.jpg[/img]
মুক্তমনা দিগন্ত বাহার (ঘটনাক্রমে এই ছেলেটাও নাস্তিক, কি আর করা!) এ ধরণের বহু জামাতি প্রপাগান্ডার ফাঁস করেছেন তার একটি ফেসবুক পোস্টে এভাবে –
কথিত ইসলামী দল জামাত ইসলামের মিথ্যাচার সমগ্র
আমি বলব হতাশ না হয়ে চলুন সবাই মিলে এভাবেই এর মোকাবেলা করি। শাহবাগে ‘বেশ্যারা যায়’, ‘মদ খাওয়া নাস্তিকেরা এগুলো শুরু করেছে’ – কোন প্রলাপেই কাজ হবে না আমরা শক্ত থাকলে – এই আস্থা আমার আছে।
@অভিজিৎদা,
ওরা মুখে বলে ওরা সত্যের অনুসারি, অথচ সেকেন্ডে সেকেন্ডে ওরা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। ওরা ফেইক ফেসবুক আইডি তৈরি করে ইসলাম ধর্মকে অশালীন ভাষায় আক্রমন করছে এবং একই সাথে শাহবাগ আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে, যাতে দেশের ধর্মবিশ্বাসি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই আন্দোলনকে ভুল বুঝে দূরে সরে যায়! ওরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে ধর্মকে যাতে রাস্তার সাধারণ মানুষ শাহবাগ আন্দোলনকে ভুল বুঝে। ওরা প্রজন্ম স্কয়ারের আহবায়ক ও ব্লগার ইমরান ভাইয়ের বাজে একটা ছবি তৈরি করে নেটে ছেড়ে দিয়েছে। অথচ ওরা প্রমান করতে পারবে, শাহবাগ জাগরনের সমর্থক কোন ব্লগার এমন মিথ্যে ছবি বানিয়েছে বা নেটে ছেড়ে দিয়েছে? কোন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ভুলেও রাজাকার সাজতে পারে না, বা ইসলামে বিশ্বাসি ব্যক্তি মহানবী(সা)র প্রতি কুৎসামূলক লেখা বিলি-বন্টন করতে পারে না। অথচ ওরা এইসব ছল অবলীলায় ধরতে পারে।
ভাবতে কস্ট লাগে, যারা এই কাজগুলো করছে তারা আমাদের দেশেরই তরুন। এই তরুনেরা যদি তাদের মেধা দেশের প্রয়োজনে ব্যবহার করতো, তাহলে দেশের কত উপকার হত! অথচ এদের মেধা-মনন নিবেদিত হচ্ছে এইসব নোংরা টেকনিক্যাল কাজে।
@অভিজিৎ,
দেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী মহলটি’ এখন ‘মাইনাস জামাত’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহী। এতে করে জামাতকে মেরে বাকী ধর্মীয় দলগুলিকে ছেড়ে দেয়া হবে। যুদ্ধপরাধ আদালতে জামাতের কয়েকজন নেতাকে ফাঁসিও দেয়া হবে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে বাকী ধর্মীয় দলগুলোর সাথে কিছু আপোষ করতে হয়েছে। ধর্মীয় রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হবে না । সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আপোষটা হয়েছে ‘থাবার’ মত ‘বেতমিজ’ ব্লগারদের নিয়ে। এদের ব্লগ পারলে বন্ধ করা হবে যতদূর পারা যায় । না পারলে , ধর্মীয় দলগুলো নিজে থেকে কোন ব্যবস্থা নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে চোখ বুজে থাকবে সরকার। কোন বাধা দেয়া হবে না। এসবের বিনিময়ে ধর্মীয় দলগুলো সরকারকে ধর্মীয় অনুমোদন দেবে এবং সরকার ইসলাম বিরোধী বলে কোন নতুন ইস্যু নিয়ে ঝামেলা করবে না। এখন বলেন দেশ এখন কোন দিকে ধাবমান ?
(Y)
রাজাকার জামাত শিবিরের সাংগঠনিক চাতুর্যকে কোন ভাবেই ছোট করে দেখা উচিত না। আগামী জুম্মাতে ওরা যদি সত্যিই অন্ধ ধর্মীয় উত্তেজনা দিয়ে বিশালাকারে আঘাত হানতে পারে তাহলে কি ভাবে সেগুলো প্রতিহত করা যাবে সেটা নিয়ে ভাবা দরকার। এক্ষুনি। প্রতিবাদ তো চলছেই।
আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ এবং পাল্টা জবাব কি হবে? কোথায় সেই দিক নির্দেশনা? কোথায় সেই নেতৃত্ব? কোথায় পরিকল্পনা? সম্ভাব্য আক্রমন আগে থেকে ঠেকানোর ব্যাপারে কি ভা বা করা যায়? নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কি কি করা যায়। ভাবতে হবে। করতে হবে।
খুব দরকারী জরুরী লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ সংশপ্তক।
@কাজী রহমান,
কাজ শুরু হয়ে গেছে কাজী সাহেব। পপ কর্ণ নিয়ে বসে শুধু দেখতে থাকুন । :))
@সংশপ্তক,
বাদ জুম্মা জামাত শিবিরের জোশ-স্পর্ধা দেখে বোঝা গেল যে সত্যিই ওদের দিন শেষ।
শাহবাগ সহ দেশব্যপী সমাবেশে অংশগ্রহনকারী সবাই নিরাপদ থাকুন।
জামাত শিবির এবং সকল দুগ্ধাপরাধি নিপাত যাক।