আতালি-পাতালি ঘুরে-ফেরা মন আমার,
নিসঙ্গ, স্বাধীন আর আনমনা |
কখনো সে একা দাঁড়িয়ে –
অকুল অশান্ত নিলাম্বু তীরে,
আবার কখনো হিমাদ্রি শিখরে,
লয়ে উদগ্র বাসনা|
কখনো সে ডুব দেয় –
সাগরের অতল গভীরে,
শঙ্খ খুঁজে ধব ধবে শাদা শব্দওয়ালা শঙ্খ !
নিনাদিতে মানবতার জয়গাঁথা |
কিন্তু হায় !
শঙ্খ দুরে চলে যায়,
ধরা দেয় না কিছুতেই !
আবার সে উদ্দাম নৃত্য করে-
গিরি-মরু-কান্তারে –
নিয়ে আকাশ ছোঁয়া কল্পনা !
কল্পনার সিঁড়ি বেয়ে-
সে চলে শূন্যে -মহাশূন্যে
কত কিছু খুঁজে –
স্বর্গ , নরক অসুর, দেবতা !
না পায় না কিছুই –
কেবলি ধু ধু শূন্যতা !!
আবার ফিরে আসে ধরাতলে,
শাশ্বত পুরাতন জীবনের টানে,
মুহুর্তে ভেসে যায় –
প্রলুব্ধ সময়ের স্রোতে,
সময়ের সীমারেখা ক্রমে বিলীয় মান
সীমাহীন দিগন্তে –
নির্ভীক সে একা এগিয়ে চলে
অনন্তের পানে !
সে বৈভব খুঁজে –
অতি দূর এক অনাগত জীবনে !
কল্পনায় প্রলম্বিত করে এই জীবনের প্রত্যাশা –
মহাসাগরের স্রোতে, মরু ঝড়ে আর বটের শিকড়ে|
কিন্তু তবুও জীবন চলে আসে মধ্যাহ্নে,
দ্রুত ধেয়ে চলে অপরাহ্নে, সায়াহ্নে !
বুড়ো বটের ছায়ায় বসে-
তবু সে জীবনের রঙিন ছবি আঁকে একান্তে –
সে ছবি –
শত বর্ষের ছবি ! সহস্র বর্ষের ছবি !!
অবুঝ মন ভাবে এ জীবন পুরাবে না কভু –
এমনি স্বপ্ন-বিলাসী মন আমার !!