১.
মেজাজ খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে তাঁর। সে কারণেই কিনা কে জানে, ডান হাতটাকে তীব্রবেগে নিয়ে এসে নিজের গালেই সশব্দে চড় লাগালেন । একটা মশা রক্ত খেয়ে ঢোল হয়ে ছিল। এই অতর্কিত আক্রমণে চারিদিকে রক্ত ছিটিয়ে মুহুর্তের মধ্যেই প্রাণ হারালো সেটা।
মেজাজ অবশ্য খামোখাই খারাপ না। যথেষ্ট কারণ রয়েছে এর পিছনে। আজ এবং কাল, এই দুইদিন ধরে ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিং এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি। ওয়ারলেসের একঘেয়ে ঘড়ঘড়ানি ছাড়া কিছুই আসছে না তাতে। সামনে শীতের শুষ্ক মহানন্দা। বর্ষার প্রমত্তা যৌবন হারিয়ে হাড্ডিসার এক সাদা চুলের শীর্ণদেহী বুড়িতে পরিণত হয়েছে সে। ওপারে লম্বা উঁচু বাধ। তার আড়ালেই ব্যাংকার খুঁড়ে লুকিয়ে আছে শত্রুরা। আর এপাশে বসে তিনি আঙুল চুষছেন।
বারঘরিয়ায় তাঁরা এসেছেন আরো একদিন আগে। ডিসেম্বরের দশ তারিখে। পঞ্চাশজনের দুর্ধর্ষ এই দলটা নিষ্কর্মা পড়ে আছে সেই তখন থেকেই। একদল সশস্ত্র যোদ্ধাকে এরকমভাবে ফেলে রাখা আর মেরে ফেলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি পেশাদার যোদ্ধা। সামরিক বাহিনী থেকে কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। যুদ্ধের প্রয়োজনে যুদ্ধহীন দীর্ঘ প্রতীক্ষাতেও সমস্যা হয় না তাঁর। কিন্তু, তাঁর সাথের যোদ্ধারা প্রায় সবাই সামরিক পটভূমিকাবিহীন। কেউ ছাত্র, কেউ মাঠে কাজ করতো, কেউ ইটের ভাটায়, কেউ বা টুকটাক ব্যবসা করতো, কেউ ছিল বেকার। বাপের হোটেলে বসেই অন্ন ধ্বংস করতো। এই যুদ্ধ শুরু হবার আগে এরা কেউ আগ্নেয় অস্ত্র চোখেও দেখে নি।ওপারে শত্রুদের রেখে এপারে নিশ্চুপ বসে থাকায় স্নায়ুর উপর তীব্র চাপ পড়ছে সবারই।
এই দলের প্রায় সবাই তাঁর কাছাকাছি বয়সের। কেউ কেউ তাঁর থেকে বয়সে বড়ও। কিন্তু কী কারণে যেন তাঁকে যমের মত ভয় পায় এরা। হয়তো তাঁর গম্ভীর আচরণের কারণে। কিংবা ভয়ংকর মেজাজের জন্যেও হতে পারে। একবার এক টগবগে রক্তগরম কিশোর যোদ্ধার সৌখিন চুল চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ছেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। দেশের জন্য যুদ্ধ করার সময় ব্যক্তিগত বিলাসিতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, এই ছিল তাঁর যুক্তি। আরেকবার কয়েকটা ছেলে অবসরে রেডিওতে গান শুনছিল বলে, সেই রেডিও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেছিলেন তিনি। তিরস্কার করে বলেছিলেন, “গ্রাম পুড়ছে, মানুষ মরছে, মেয়েদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, আর তোমরা গান শুনে ফুর্তি করছো? রেডিও শুধু খবর শোনার জন্য। খবর শুনবে, তারপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে কালকে কোথায় যুদ্ধ করতে যাবে, কীভাবে যুদ্ধ করবে?”
তবে, তাঁর যোদ্ধারা তাঁকে শুধু ভয় পায় বললে ভুল হবে। এদের প্রবল শ্রদ্ধা এবং অসীম আস্থা তিনি অর্জন করে নিয়েছেন নিজ যোগ্যতা বলে। আর সে কারণেই মুখ ফুটে কেউ কিছুই বলছে না তাঁকে। কিন্তু তাদের চোখের অস্থির ভাষাটা পড়তে কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না তাঁর। এভাবে বেশিক্ষন আটকে রাখা যাবে না এইসব টগবগে তরুণদের। বিশেষ করে যখন এরা টের পেয়ে গিয়েছে যে, যুদ্ধজয় আর বেশি দূরের ঘটনা নয়। একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হতে যাচ্ছে তাদের হাত দিয়ে। এর থেকে রোমাঞ্চকর বিষয় আর কী হতে পারে?
চাপাই নবাবগঞ্জ দখল করার জন্য তিনটে দল ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। একটা দল পজিশন নিয়েছে রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জ সড়কে। রাজশাহী থেকে চাপাই নবাবগঞ্জকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলাই মুল উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় দল দায়িত্ব পেয়েছে কাটঅফ পার্টি নিশ্চিত করার। আর তাঁর দলের উপর মূল দায়িত্ব। চাপাই নবাবগঞ্জ দখল করা। আক্রমণের মূল পরিকল্পনা করা হয়েছিল ভারতে বসে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিং ছিলেন সেই মিটিং এ। কথা ছিল যে, তাঁরা মহানন্দার এপাশে পজিশন নেবার পরেই এগারো তারিখে শত্রুপক্ষের উপর আর্টিলারির গোলাবর্ষণ করবে ভারতীয় বাহিনী। তাদের বিভ্রান্ত এবং দুর্বল করাই মূল লক্ষ্য। এই হট্টগোলের মধ্যে তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন শত্রুর উপরে। তারপর দখল নেবেন চাপাই নবাবগঞ্জের।
সেই গোলাবর্ষণ আর হয় নি। ওয়ারলেসে হাজার চেষ্টা করেও ব্রিগেডিয়ার প্রেম সিং এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি তিনি। মেজাজের পারদ সর্বোচ্চতে পৌঁছে গেছে সেই সময় থেকেই। দায়িত্বে অবহেলা আর কথা দিয়ে কথা না রাখাকে প্রবলভাবে ঘৃণা করেন তিনি। এই চুতিয়াদের উপর নির্ভর করাটাই বোকামি হয়েছে। এই দেশ আমাদের। যুদ্ধটাও আমাদের। যা করার আমাদেরই করতে হবে। মনে মনে প্রেম সিং এর মাকে নিয়ে প্রেম ভালবাসা বিষয়ক কুৎসিত একটা গালি দেন তিনি।
আবছা অন্ধকারে কিশোরীর রুপোলি ফিতার মত নিথর হয়ে পড়ে থাকা মহানন্দার দিকে তাকান তিনি। কপালে চিন্তার ভাঁজ। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে আছেন নিজের অজান্তেই। নদীটা পাড়ি দিতে হবে। ওপারে একটা ব্যাংকারে লাইট মেশিনগান আছে। ওটাকে অকেজো করতে না পারলে নদী পার হওয়াটা অনেক বিপদজনক। কচুকাটা হয়ে যাবে তাঁর অপেশাদার বাহিনী। মহানন্দার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সময়টা পিছিয়ে যেতে থাকে ক্রমাগত। এরকমই এক নদী পেরিয়ে এসে মাত্র কয়েক মাস আগে যুদ্ধে নেমেছিলেন তিনি। আজ আরেক নদী পেরিয়ে সেই যুদ্ধের শেষ করতে যাচ্ছেন। মাঝখানে পেরিয়ে গিয়েছে কতখানি সময়, কতখানি ভৌগলিক দূরত্ব।
২.
জুলাই মাসে তিনি ছিলেন কারাকোরামে। আরো তিনজন বাঙালি অফিসারকে নিয়ে মিলিশিয়ার ছদ্মবেশ ধরে শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতে আসেন তাঁরা। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল সারা এলাকা। কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি, কোথাও কোমর পানি, কোথাও বা গলা পরিমাণ পানি। এগুলো ভেঙেই এগোচ্ছিলেন তাঁরা। ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে তাঁরা ভুল করে পৌঁছে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি রেঞ্জারদের ক্যাম্পের পাশে। কোন হ্যায় বলে অস্ত্র হাতে তারা বের হয়ে এসেছিল খোঁজাখুঁজি করার জন্য। পানির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে শুধু নাক জাগিয়ে নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন তাঁরা। বৃষ্টিময় রাতে অন্ধকারে কাউকে না দেখতে পেয়ে ফিরে গিয়েছিল রেঞ্জাররা।
গভীর রাতে তাঁরা পৌঁছেছিলেন মুনাওয়ার তাবী নদীর ধারে। এই নদী পার হলেও ওপারে ভারত। কিন্তু নদীতে পা দিয়ে চমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। ভয়ংকর স্রোত আর বরফের মত শীতল পানি নদীর। বরিশালের ছেলে তিনি। নদী নালাতে জীবন কেটেছে তাঁর। সেই তিনিও সাহস পেলেন না এই যৌবন উন্মত্ত নদীতে সাঁতার দিতে। আরো দুই তিন মাইল উজানে হেঁটে গিয়েছিলেন তাঁরা যৌবনবতী নদীর সরু কোমরের আশায়। পেয়েছিলেন সেরকম। কিন্তু সেখান দিয়ে পার হতে গিয়েও জীবন প্রায় বিসর্জন দিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। পুরো পথটাই তেমন কোনো কথা হয় নি তাঁদের। বিশেষ করে তিনি একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন। তাঁকে গম্ভীর দেখে অন্যেরাও কথা বলে বিরক্ত করে নি তাঁকে। কিন্তু বিদায় নেবার সময় আচমকাই ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন প্রশ্ন করে বসেছিলেন তাঁকে।
“আচ্ছা, পালাবার ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেকের মনেই এক-একটা না একটা কারণ কাজ করেছে। আপনার পালানোর পিছনে বিশেষ কোনো কারণ ছিল কী?”
আচমকা এই প্রশ্নে স্থির হয়ে যান তিনি। যখন ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন যে, এর উত্তর তিনি পাচ্ছেন না, ঠিক সেই সময়ে কথা বলে উঠেন। মৃদু স্বরে বলেন, “প্রথম থেকেই পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যাবো, এরকম ইচ্ছে ছিল। তবে পালাবার পথ বা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম যে, পাকিস্তানিরা কিছু বাঙালি মেয়েকে ধরে এনে লাহোরে বিক্রি করে দিয়েছে, সেদিন থেকে আমি মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম।“
একটু দম নেন তিনি। চোখ নামিয়ে নেন মাটির দিকে। তারপর প্রায় শোনা যায় না, এমন অনুচ্চ স্বরে বলেন, “খবরটা জানার পর আট-দশদিন পানি ছাড়া আর কিছু খেতে পারি নাই আমি। আমার নিজের একটা কিশোরী বোন আছে। ওর ছবি সবসময় আমার মানিব্যাগে থাকে। তার মুখটা শুধু ভেসে উঠেছে আমার চোখের সামনে।“
৩.
নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে দাঁড়ান তিনি। তাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে আউয়ালও এসে দাঁড়ায় পাশে। আউয়াল এই অপারেশনের সহকারী কমাণ্ডার।
“কোনো সমস্যা স্যার?”
“সবাইকে জড়ো করো। কথা বলা প্রয়োজন।“ গম্ভীর স্বরে তিনি বলেন।
নিশব্দে বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে এগিয়ে যায় আউয়াল। দীর্ঘদিনের ট্রেনিং তাকে বিড়ালের মত শব্দহীন বানিয়ে ছেড়েছে।
অল্পক্ষণের মধ্যেই সবাইকে জড়ো করে ফেলে আউয়াল। দ্রুতগতিতে তাঁর নজর ঘুরে আসে সবার উপর দিয়ে। দৃঢ় প্রত্যয়ী সব মুখ। নির্ভীক চোখ। কিন্তু তারপরেও তাদের অস্থিরতাটুকু দৃষ্টি এড়ায় না তাঁর। অধৈর্য হয়ে পড়েছে এই তরুণেরা।
“তোমরা জানো আমরা কেন এসেছি এখানে। ওপারে শত্রুরা অপেক্ষা করছে। ওদের নিকেশ করে চাপাই নবাবগঞ্জের দখল নিতে হবে আমাদের। ভারতীয় বাহিনী আমাদের সাহায্য করার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই সাহায্য আমরা পাই নি। পাবো কিনা তাও জানি না। ওয়ারলেসে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাদের সাথে।“ সামান্য থামেন তিনি। এক ঝলকে ঘুরে এলেন সবার মুখ। মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছে সবাই।
“সাহায্য আসে নি, খারাপ কথা। কিন্তু এর জন্য আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে লড়ছি আমরা। এই যুদ্ধ যখন শুরু করেছিলাম, আমরা কারো আশায় শুরু করি নাই। কেউ আমাদের সাহায্য করবে সে আশাও আমরা করি নাই তখন। এটা আমাদের যুদ্ধ, নিজের মাকে বাঁচানোর যুদ্ধ। নিজেদেরই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।“
আবারো থামেন তিনি। সহযোদ্ধাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। ঘাড় ঘুরিয়ে একবার মহানন্দার দিকে তাকান। মৃদু একটা কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করেন। তারপর আবার শুরু করেন।
“মহানন্দা পার হবো আমরা। তারপর চোরাগুপ্তা আক্রমণ শানাবো শত্রুর উপরে। অনেকটা হাতাহাতি ধরণের। মেশিনগানটাকে অকেজো করতে হবে। এর জন্য বিশজন লোক প্রয়োজন আমার। কে কে যাবা আমার সাথে, হাত উঠাও।“
একটা হাতও ওঠে না। তার পরিবর্তে পিছন থেকে ভেসে আসে মৃদু কণ্ঠের জিজ্ঞাসা।
“এটা কি আত্মঘাতী মিশন?”
স্থির চোখে তিনি তাকিয়ে থাকেন সহযোদ্ধাদের দিকে। চোখ দুটো কুঁচকে গিয়েছে। চোয়ালটা সামান্য শক্ত।
“হ্যাঁ, এটা আত্মঘাতী মিশন। আমিসহ তোমাদের এই বিশজনের কেউ-ই হয়তো কাল আর বেঁচে থাকবো না। যদি বেঁচে থাকি, আবার দেখা হবে। নাহলে এই শেষ দেখা। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ নেয়, তাদের মধ্যে খুব কম লোকই বাঁচে। আমরা ভাগ্যবান যে এখনো বেঁচে আছি। কিন্তু এই অপারেশনে যাওয়া বা না যাওয়াটা তোমাদের ইচ্ছাধীন। আমি কাউকে জোর করবো না।“
তাঁকে অবাক করে দিয়ে একে একে সবগুলো হাত উঠে আসে শূন্যে।
অজানা আবেগে চোখের কোণ দুটো ভিজে যায় তাঁর। ভাগ্য ভালো আবছা অন্ধকারে কেউ দেখতে পায় নি তাঁর এই আবেগ। নইলে ভারি লজ্জায় পড়ে যেতে হতো তাঁকে। কিংবা কে জানে দেখেছে হয়তো।
“এদের মধ্য থেকে বিশজনকে বাছাই করো আউয়াল। আর কয়েকটা নৌকা জোগাড় করো। কাল ভোরে আমরা নদী পার হবো। বাকিদের নিয়ে তুমি এখানে থাকবে। আমরা ইশারা করলেই মহানন্দা পার হবে তোমরা। তার আগে নয়।“ আদেশ করেন তিনি।
৪.
কুয়াশার চাদরকে আড়াল হিসাবে ব্যবহার করে ঠিক ভোরে নদী পার হয়ে আসে যোদ্ধা দলটা। উত্তর দিকের বাংকার থেকে কমান্ডো আক্রমণ শুরু করে তারা। নীরবে, নিঃশব্দে। বাংকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেয়োনেটের আঘাতে পরপারে পাঠিয়ে দিতে থাকে পাকিস্তানিদের। আর মাত্র অল্প কিছু বাংকার বাকি। এই সময়েই টের পেয়ে যায় পাকিস্তানিরা। বাধের উপরে কিছু সৈন্য ছিল। তারাও এসে যোগ দেয় এদের সাথে। অনর্গল গুলি ভেসে আসতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে। মেশিনগান থেকে খইয়ের মত গুলি ফোটাচ্ছে পাকিস্তানিরা।
হাতাহাতি যুদ্ধ শেষ। গুলির প্রত্যুত্তরে গুলিই চালাতে হবে। ব্যাগের ভিতর থেকে গ্রেনেডটা বের করেন তিনি। ক্রলিং করে এগিয়ে যান মেশিনগান রাখা বাংকারের দিকে। এটাকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত শান্তি নেই তাঁর। বাংকারের খুব কাছে এসে গ্রেনেডের পিন খোলেন তিনি। তারপর ডান হাতটাকে উঁচিয়ে গ্রেনেডটাকে সর্বশক্তি দিয়ে ছুড়ে দেন বাংকারের দিকে। ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে চারিদিক। গ্রেনেডটা ছুড়েই বুঝেছিলেন যে, এতেই কাজ হবে। প্রবল আত্মতৃপ্তি নিয়ে তিনি তাকিয়ে থাকে আগুনের লেলিহান শিখার দিকে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের ফুলকি। ফুলকিতো নয়, যেন ফুল ঝরে পড়ছে চারপাশে। পরম তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে তাঁর ঠোঁটে। ক্লান্তি আর অবসাদে ঘুম এসে যাচ্ছে। চোখ মুদলেন তিনি। আহ! কী শান্তি!!
“পালিয়ে গেলো, পালিয়ে গেলো।“ বিকট শব্দ আর হৈচৈ এর মধ্যে কে যেনো চেচাচ্ছে। চোখ খুলে এদিক ওদিক তাকালেন তিনি। আগুন আর ধোঁয়ায় একাকার চারিদিক। ডান পাশ থেকে নাদিম নামের বাচ্চা ছেলেটা চেচাচ্ছে। এরই বাবরি চুল জোর করে কেটে দিয়েছিলেন তিনি। নাদিমের প্রসারিত হাত এক পলায়নপর পাকিস্তানি সেনার দিকে। কুয়াশার আড়ালে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে সে।
বিদ্যুৎ খেলে যায় তাঁর সারা শরীরে। এক লাফে শোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ান তিনি। রক্তে আগুনস্রোত অনুভব করছেন। এই জানোয়ারগুলো তাঁর সোনার দেশটাকে ছারখার করে দিয়েছে। এই খচ্চরগুলোই তাঁর দেশের মেয়েদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। এই শ্বাপদ্গুলো বিনা কারণে মেরে ফেলেছে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে। সেই দ্বিপদী শ্বাপদটা ছুটে যাচ্ছে তাঁর চোখের সামনে দিয়ে।
লক্ষ লক্ষ বছর আগে তাঁর কোনো এক পুর্বপুরুষ হয়তো শ্বাপদ শিকারে গিয়েছিল। ঢাকের দ্রিম দ্রিম শব্দে গ্রানাইটের মত কালো শরীরটা নেচে নেচে উঠেছিল তার। বর্তমানের কোনো কোলাহল কানে আসছে না তাঁর, কোনো হইচইও শুনতে পাচ্ছেন না। তিনি চলে গেছেন বহু বহু অতীতে। সেই দ্রিম দ্রিম করা মাদলের আদিম মাতাল শব্দ শুনতে পাচ্ছেন তিনি শরীরের প্রতিটা রক্ত কণায়। ভেসে আসছে সুপ্রাচীন কোনো কাল থেকে, অজানা কোনো উপায়ে।
অভুক্ত চিতার ক্ষিপ্রতা নিয়ে ধাবমান জন্তুর দিকে তিনি ছুটে যেতে থাকেন প্রবল আক্রোশে। যুদ্ধের প্রচলিত নিয়ম ভুলে গেছেন তিনি। ভুলে গেছেন নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মৌলিক সূত্রটা। কে যেন চিৎকার করে মানা করছে তাঁকে। কিন্তু কিছুই কানে যাচ্ছে না তাঁর। পশুটা পালাচ্ছে। তাকে হত্যা করতে হবে। আদিম এই বর্বর ভূমিতে বেঁচে থাকার লড়াই বড় নিষ্ঠুর, বড় নির্মম। হয় মারো, না হয় মরো। এর বাইরে আর কিছু নেই।
পাশের একটা বাংকার থেকে ছুটে আসে বুলেটটা। বখাটে ছেলের মত শিস বাজিয়ে। তীব্র গতিতে লাল একটা বৃত্ত এঁকে দেয় তাঁর কপালের ঠিক মধ্য বিন্দুতে। মনে হয় যেন তাঁর প্রাণপ্রিয় দেশের পতাকার মাঝখানের লাল সুর্যটা কেউ বসিয়ে দিয়েছে তাঁর ললাটে। বুলেটের তীব্র আঘাতে থমকে যান তিনি। ধীরে, খুব ধীরে হাঁটু ভাঁজ হয়ে পড়ে যেতে থাকেন মাটিতে।
কপালে উদিত সূর্য নিয়ে তিনি শুয়ে থাকেন শ্যামল মাটিতে, শিশির ভেজানো এক ভোরে।
_______________________
শেষের কথাঃ
এখন থেকে একচল্লিশ বছর আগের ঘটনা। তেইশ বছরের এক তরতাজা তরুণ দেশের জন্য যুদ্ধ করতে করতে প্রাণ দিয়েছিলেন। চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন সূর্য দেখে যেতে পারেন নি, কিন্তু এর উদয়নে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে গেছেন তিনি।
যুদ্ধের শুরুতে তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। কাজ করতেন সামরিক বাহিনীতে, অফিসার পদে। বিলাসবহুল জীবন ছিল তাঁর, ছিল আরামদায়ক এবং নিশ্চিত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। কিন্তু সেসবকে তুচ্ছ করে দিয়ে পালিয়ে আসেন তিনি ভারতে। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বিলাসিতা বন্ধ করেন এই তরুণ। তাঁর দলের মধ্যে যাতে বিভাজন তৈরি না হয় সে কারণে সবার একই ধরণের পোশাক পরার নির্দেশ দেন। লুঙি, গেঞ্জি, লাল গামছা আর ক্যানভাসের জুতো। নিজেও একই পোশাক পরতেন। শুধু যে পরতেন তাই নয়, এই পোশাক পরেই ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করতেন তিনি। বিলাসিতা বলতে যা ছিল তা হচ্ছে বই। ৭ নম্বর সেক্টরে তাঁর ঘর ভর্তি ছিল একগাদা বই। মাও সে তুং এর সামরিক রচনাবলী, রক্তে রাঙা লাওস, চট্টগ্রাম বিপ্লব, কম্বোডিয়া নয়াফ্রন্ট, চে গুয়েভারা, এই সব বিপ্লব, মুক্তিযুদ্ধ, গণ আন্দোলন আর গেরিলা তৎপরতা বিষয়ক বই দিয়ে ভরা ছিল তাঁর ঘর।
ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখে চাপাই নবাবগঞ্জ মুক্ত করার জন্য অল্প কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে পাকিস্তানিদের শক্তিশালী পজিশনে আক্রমণ করেন তিনি। এই সময়ই শত্রুর ছোড়া ক্লোজ র্যাঞ্জের গুলি তাঁর কপালে বিদ্ধ হয়। অসমসাহসিক এক তরুণ যোদ্ধার জীবনাবসান হয় তা্ৎক্ষণিকভাবে।
আজ সেই চৌদ্দ তারিখ, ডিসেম্বর মাস।
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ আপনি। শ্রদ্ধা আর ভালবাসায়পূর্ণ বরমাল্য পরিয়ে দিলাম আপনার গলায়।
অনেক ধন্যবাদ, আরো বেশি জানতে চাই, এদের কথা, আমাদের বীরত্বগাথার কথা। লিখুন, আমাদের জন্য। অনেক শুভকামনা।
অনবদ্য লেখনী আপনার ফরিদ ভাই! চোখের সামনে ঘটতে দেখলাম যেন সব।
আপনি এমন আরো লিখুন। (F)
(F) (F) (F) (F) (F)
এহে ফরিদ ভাই, এটা আপনার পুরানো লেখা!! তারিখ দেখতে একটু ভুল হয়েছে, তাই ভেবেছি নতুন লেখা!! কিন্তু তাতেও আবেদন কিছুমাত্র কমেনি, বরং আরো বেড়েছে!! পুরাতনকে নতুন রুপে সামনে পাবার অনুভুতি!!! (Y)
@দারুচিনি দ্বীপ,
এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ১৪ তারিখ । এই দিনে মারা গিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর । সেকারণেই আমি মডারেটরদের অনুরোধ করেছিলাম অন্তত এই একদিনের জন্য লেখাটাকে প্রথম পাতায় আনার জন্য । তাঁরা আমার অনুরোধ রেখেছেন বলে কৃতজ্ঞ আমি ।
@ফরিদ আহমেদ,
নতুন লেখা আশা করেছিলাম।
@কাজী রহমান,
আশার ছলনে ভুলিতে নাহি।
@ফরিদ আহমেদ,
থ্রি নট থ্রি গুলির মত কানের পাশ দিয়ে চলে গেলো। হল্কাতে যা বুঝলাম তা হোল; ফরিদ আহমেদ একটা কুঁড়ের বাদশা :-[
@কাজী রহমান,
একাত্তর নিয়ে ফরিদ আহমেদের কোনো স্মৃতি নেই। কিন্তু যাঁরা ধাড়ি লোক, সেই স্মৃতি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু লেখে না, তাঁদের কানের পাশ দিয়ে গুলি না, ঠিক বুকের মাঝখানে গুলি করা দরকার। থ্রি নট থ্রি দিয়ে না, একেবারে লাইট মেশিনগান দিয়ে। (H)
@ফরিদ আহমেদ,
সে সময়কার মানুষ গুলো যুদ্ধ শোকে হয়ত এখনো পাথর। তীব্র আতঙ্কভোগের মাত্র চার বছরের মাথায় আবার সেই রাইফেল, হানাদার; বেয়নেট। আতঙ্কনীল হয়ে যাওয়া মানুষগুলো আবার দেখেছে জলপাই রঙ , আবার দেখেছে ভয় আবার দেখেছে সেই হায়েনাদের দোসরদের; যুগ যুগ ধরে।
মা আর ঝরা পাতারা মনে রাখলো তা,
মনে রাখলো ফাগুনের রঙ লাগা কজনা।
কষ্টের একটা মুক্তিযুদ্ধে নতুন দেশ হলেও
ধূর্ত কিছু দানব রয়ে গেলো পোষাক পাল্টে।
নতুন আরো দানবও পাল্টালো পোষাক
কথা বলতেই ঘিরলো; মারলো আবার;
অপমান হল ঝরাপাতাদের আর মায়ের।
সঞ্চারিত হল সেটা সবুজ পাতাদের কাছে।
অনেকদিন পর; দানবের উদ্বাহু নৃত্য চরমে;
যখন কেউ দেখেনি সবুজ পাতাদের তারুণ্য;
তখন, হঠাৎ হাসলো মা অনেককাল পর;
সবাই দেখল নতুনরা ভার নিয়েছে, প্রতিশোধের।
… আজো নাটক হয় কিছু শুয়োরকে কোলে বসিয়ে গু আর কাদা ভাগাভাগির খেলা মঞ্চায়নে।
.. ৭১ এ কাকগুলো বড্ড চকচকে ছিলো, ডোবা খাল নদী নালা ভরা খাবার। আহা কাকেদের কি আনন্দ। ফুলে ফেঁপে ওঠা মানুষ আর গরু, অজস্র, দেশ ভরা; ভেসে যায়, ওরা ফুটো করে আর খায়, ওদের ধারালো ঠোটে গলিত পুঁজের বন্যা, জড়িয়ে থাকে অসহায়ের ল্যাগব্যাগে নাড়ী; আর শুয়োরের বাচ্চারা ভি চিন্হ দেখায় আজো। ওদের পাতানো আত্মীয়রা ধর্ষকের জন্য পড়ে গায়েবানা জানাজা।
কি লিখবো রে ভাই।
থ্রি নট থ্রির আরেক রূপ লাইট মেশিন গানের নাম ছিলো ব্রেনগান। আর ওটার চাচাতো ভাই ছিলো সিঙ্গেল শট হারামি রাইফেল ৩ নট থ্রি। ওদের সবার চেয়ে বড় হারামি ছিলো দেশ জুড়ে রাজাকার, আল বদর আর এই বাংলা মায়ের দুধ খাওয়া কিছু দুগ্ধাপরাধী।
কি লিখবো; ওই সব ধর্ষিতা মা বোনেদের কথা ক’জনা মনে রাখে? মনে রাখে শুধু ধর্ষকের গায়েবানা জানাজার কথা।
আহ
:guru:
সত্যি ফরিদ ভাই, ইতিহাসকে রোমাঞ্চ গল্পের আকারে লিখে টান টান উত্তেজনা নিয়ে পাঠক কে এক নিঃশ্বাসে পড়তে বাধ্য করার ক্ষমতা মনে হয় শুধু আপনারই আছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি (F) আর বিজয় দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছাও (FF)
আর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা :candle:
ফরিদ ভাই, বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।
অসাধারন একটি লেখা পড়লাম। এই লেখাটা আবার প্রথম পাতা নিয়ে আসার জন্য মডারেটর ভাইকে ধন্যবাদ ও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। (FF)
@তারিক,
আপনিসহ মুক্তমনার সকল লেখক এবং পাঠকদের জন্যও রইলো বিজয়ের শুভেচ্ছা । এবারের বিজয় দিবস অন্য এক মাত্রা নিয়ে আসবে আমাদের সবার কাছেই । (FF)
এই সব অকুতোভয় বীর দামাল ছেলেরাইতো আমাদের গর্ব, তারাই আমাদের ইতিহাস, তারাই আমাদের প্রেরণা।
না না না তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না
এই বিজয়ের মাসে বীর শ্রেষ্ঠ নিয়ে অনবদ্য লেখার জন্য ফরিদ ভাইকে অভিনন্দন।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। এরাই আমাদের সেরা বীর, সেরা অহংকার।
আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। (FF)
অসাধারণ, হৃদয় ছোঁয়া। গল্প আর ইতিহাসের এক অনবদ্য ও অসামান্য যূথবদ্ধতা।
বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা, ফরিদ ভাই। (FF) (FF) (FF)
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ মামুন। তোমাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। (FF)
তুমি কি জানো যে, রামগড়ুড়ের ছানাকে বাদ দিলে, এই ইমোটার (FF) প্রথম ব্যবহার মুক্তমনায় ঘটেছে তোমার হাতে?
অসাধারণ।
কিন্তু দুঃখ এক্টাই, দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এখনো পশুমুক্ত হয় নাই। দেশের সোনার ছেলেরা শহীদ হয়ে নষ্টদের হাতে দেশ।
স্যালুট হে বীরশ্রেষ্ঠ । (FF)
@অগ্নি,
একটা প্রজন্মের সব সোনার ছেলেরা তাঁদের জীবন দিয়ে একটা দেশ দিয়ে গেলো আমাদের। আর ব্যর্থ আমরা তা তুলে দিলাম নষ্টদের হাতে। অথচ এই ছেলেগুলো জানলো না প্রেয়সীর চোখে চোখ রাখলে কেমন লাগে, কেমন লাগে নিজের সন্তানকে বুকে চেপে ধরলে, জানলো না নাতি-নাতনির হাত ধরে হাঁটলে কেমন অনুভূতি হয়। সব কিছু জানার আগে সব ত্যাগ করে গেলো আমরা সব পাবো বলে। পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু ধরে রাখার যোগ্যতা ছিল না আমাদের। হাত ফসকে চলে গেছে রক্তের দামে কেনা মহামূল্যবান রত্ন। এখন হা পিত্যেস আর কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
আমাদের জন্য প্রাণ দেওয়া প্রিয় প্রজন্মের কাছে ব্যর্থ এই প্রজন্মের ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
চমৎকার! (Y)
@চলনামৃত,
ধন্যবাদ আপনাকে। বিজয়ের শুভেচ্ছা রইলো। (FF)
“Never was so much owed by so many to so few”, ১৯৪০ এর আগস্টে ব্যাটল ওফ ব্রিটেনের ঠিক পরেই চার্চিলের এই বিখ্যাত উক্তিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রেও খাটে।
@সফিক,
না, একেবারেই খাটেনা। কেন খাটেনা এই বিতর্কের উপযুক্ত সময় এখন এই মাস নয়। ভবিষ্যতে অন্য কোন মাসের জন্য থাক।
@সফিক,
মন্তব্যটা পছন্দ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ঋণ আসলেই শোধ হবার নয়।
শুভেচ্ছা রইলো বিজয় দিবসের। (FF)
+++++++++++++ :candle:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লেখাটি প্রথম পাতায় স্টিকি করা হলো।
—–মুক্তমনা মডারেটর
@মুক্তমনা এডমিন,
অসংখ্য ধন্যবাদ মুক্তমনা এডমিন।
বরাবরের মতই অনবদ্য! বাকী বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে লিখে একটা বই বের করে ফেলুন, দারুন হবে!!
@মনজুর মুরশেদ,
হুমম! দেখি কী করতে পারি। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো বিজয় দিবসের। (FF)
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাকে, মুক্তমনার সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বলেই বাংলাদেশ নামের স্বাধীন দেশটার অভ্যুদয় ঘটেছিল। তার জীবন, চেতনা, সাহস সবকিছুই অনুকরণীয়। লুঙি, গেঞ্জি, লাল গামছা আর ক্যানভাসের জুতো সবার জন্য বরাদ্দ করেছিলেন, আর তিনি নিজেও যে তার ব্যতিক্রম ছিলেন না – এ ব্যাপারটা সত্যই ভাবার মতো।
এ ধরণের লেখাগুলোই আমাদের প্রাণ। ধন্যবাদ আবারো।
@অভিজিৎ,
যুদ্ধের খবর শোনার জন্য তাঁর একটা রেডিও ছিল, আর অন্ধকার রাত্রের জন্য একটা টর্চলাইট। একজন যুদ্ধরত সৈনিকের এর চেয়ে বেশি কিছু লাগে না বলে অভিমত ছিল তাঁর।
সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রইল শ্রদ্ধা।
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্য রইল আমার স্যালুট। মুগ্ধ হয়ে লেখাটা পড়লাম।
@হোরাস,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো। (FF)
মহিউদ্দিন জাহাংগীর সম্পর্কে এভাবে আর লেখা হয়েছে কিনা মনে পড়ে না।
মনে হচ্ছে উনিও সে আমলের অন্য অনেক মুক্তিযোদ্ধার মতই বাম আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন।
এক রাশ শ্রদ্ধা ছাড়া আর দেবার কি আছে তাদের? মহিউদ্দিনদের গাদ্দার বলার মত লোকেরও অভাব আমাদের প্রিয় স্বদেশবাসীদের মাঝে নেহায়েত কম নেই, তাদের অনেককেই আমাদেরই নানান কারনে ভাই ব্রাদার ডেকে ভদ্র ব্যাবহার করে যেতে হয়। বড়ই অভাগা আমরা।
ঐতিহ্যবাহী সোনা মসজিদে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাংগীর আর মেজর নাজমুল আলমঃ
[img]http://s1325.beta.photobucket.com/user/adilmahmood570/media/Mohiuddin_Jahangir_Tomb_by_Mustafiz_zpsb04a6942.jpg.html?sort=3&o=0#/user/adilmahmood570/media/Mohiuddin_Jahangir_Tomb_by_Mustafiz_zpsb04a6942.jpg.html?sort=3&o=0&_suid=135549485392107933234718256941[/img]
@আদিল মাহমুদ,
http://s1325.beta.photobucket.com/user/adilmahmood570/media/Mohiuddin_Jahangir_Tomb_by_Mustafiz_zpsb04a6942.jpg.html?sort=3&o=0#/user/adilmahmood570/media/Mohiuddin_Jahangir_Tomb_by_Mustafiz_zpsb04a6942.jpg.html?sort=3&o=0&_suid=135549485392107933234718256941
@আদিল মাহমুদ,
খুব সম্ভবত। কলেজে পড়া অবস্থাতেই লেনিন, মাও-সে-তুং, চে গুয়েভারা, এদের রচনার সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর অবিলাসী জীবন এবং তিনি যেভাবে তাঁর গ্রুপের মধ্যে সমতা বিধানের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেটাও এই ধারণাকেই পোক্ত করে।
@ফরিদ আহমেদ,
খালেদ মোশারফ, রুমি, মেজর জলিল, ওনারাও সকলেই এই পথেরই যাত্রী ছিলেন।
ভাল কথা, আপনার স্বপ্নের নায়িকা অলিভিয়াকে যখন বৃষ্টি এলো সিনেমার গানে খুঁজে পাওয়া গেছে। এই পেজে পাবেন।
@আদিল মাহমুদ,
কথাতো ভালো না। আপনি অলিভিয়ারে দেখেন ক্যান? (H)
সিনেমাটা থাকলে দেন। ওইটাই আসল দরকার। গানের জন্য ধন্যবাদ আর বিজয়ের শুভেচ্ছা। (FF)
@ফরিদ আহমেদ,
দেখা কি আর বাকি রাখছি নাকি 😛 😛 😛 ।
সিনামা নাই, তবে মাসুদ রানা পাইছিলাম, সেইখানে তো আপনার স্বপ্নের নায়িকা জাঁদরেল ভ্যাম্প। দেশে যাইতেছি সহসা, দেখি পাই নাকি, পাইলে আওয়াজ দিব।
@আদিল মাহমুদ,
কইলেই হইলো নাকি। সেন্সরবোর্ড আছে না। সেন্সরবোর্ডেরর ভয়ে ঠিক টাইমে পরিচালক ট্রেন চালায় দিছে আপনার চোখের সামনে দিয়া। যান মিয়া আবার গিয়া টিকেট কাটেন। কওনতো যায় না, ট্রেন লেট হইলেও হইতে পারে।
সিরিয়াসলি। দেখেনতো মুভিটা পাওয়া যায় কিনা। দুইজনে মিলে জাকায় বসে দেখে ফেলবো আপনি ফিরে এলে। (লুল ফেলার ইমো দরকার এইবার রামগড়ুড়ের ছানা। :)) )
@ফরিদ আহমেদ,
পাইলে অবশ্যই মচ্ছব হবে। আপনের চয়েস আছে মানতেই হবে, খিটখিটা মিজাজের লোকেরও যে রসবোধ ভাল থাকে এইটা আপনেই প্রমান করলেন।
রামগড়ুড়ের ছানারে দিয়ে লুল ইমো মনে হয় না হবে বলে। সে ডাল আলু বাদে আর তেমন কিছু বুঝে বলে মনে হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
খিটিখিটা মিজাজ কই পাইলেন? এইটা বরাদ্দ খালি ভণ্ড হুজুরগো লাইগা, যারা সারাদিন নামাজ রোজা কইরা, মাঝরাতে বাথরুমে লুকাইয়া মুক্তমনা সাইজা বিরাট বিরাট বক্তিমা দেয়। ভণ্ডামি সইতে পারি না ভায়া।
@ফরিদ আহমেদ,
আমার কথা কন নাকি??? আমি এইখানে চিপায় চুপায় ধর্মের পিছনে লাগলেও একজন ছোটখাট নবী মানুষ এইটা তো ভালই জানেন। আমার কাছে ওহী আসলে কি আমার দোষ, নাকি যে পাঠায় তার দোষ? ধমাধম ধর্মে প্রাথমিক কৌশল হিসেবেই নাস্তিকদের সাথে দোস্তির অনুমতি দেওয়া আছে, কারন এইভাবে তাদের কাঁধে সওয়ার হয়ে বাকি ধর্ম বাঁশ দেওয়া যায়। এরপর বাহুবলে আমরা বলীয়হান হইলেই আসল চেহারা দেখানো হবে।
আর অন্য কারো কথা বললে উপযুক্ত তথ্য প্রমান দিয়া ভন্ডামি ফাঁস কইরা দ্যান।
@আদিল মাহমুদ,
হইলেও হইতে পারে। আপনারেওতো আধা আধা চিনি। অর্ধেক তার চিনিয়াছি আমি, অর্ধেক তার নয়। 🙂
চিপা চুপায় গিয়া ধর্মের পিছনে লাগলে ক্ষতি নাই, চিপা চুপায় গিয়া মুক্তমনার কথা কইতে হইলে সমস্যা আছে। আপনার জন্য অম্ল পরীক্ষা এখন। আপনি মুক্তমনায় ব্লগিং করেন কোথা থেকে?
১। বাথরুম থেকে (ভাবি যখন ঘুমায়, চুপি চুপি বসে চিপায়)
২। বেডরুম থেকে (ভাবি পাশে শুয়ে থাকে, মৃদু হাস্যে উপভোগ করে স্বামীর আতলামি)
৩। বেইজমেন্ট থেকে (ভাবি জানে, কিন্তু চান না সামনে পড়ে ঝাড়ি খেতে)
৪। বাসার যত্রতত্র থেকে (নবী আমি ধমাধম ধর্মের, কার সাহস করে বিচার আমার কর্মের)
এইবার চুড়ান্ত পরীক্ষা। আপনার বাসায় ফোন করে আদিল সাহেবকে চাইলে ভাবি রং নাম্বার বলে লাইন কেটে দেবে কিনা? :))
দেবো দেবো, সময় হলেই দেবো। সিংহ যেমন মুষিক নিয়ে খেলা করে, তেমনি খেলছি আমি। কে যেন বলেছিল না, মুষিকছানা যখন সিংহের সাথে লড়াইয়ে নামে তখন হাসি পায়, ক্ষোভ হয়। (H)
আজ যারা মুক্তিযুদ্ধকে গন্ডগোল বলে, যারা ভারতীয় চক্রান্ত বলে, আর বাংলার শ্যমল প্রান্তরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের ধ্যানে নিমগ্ন থাকে, যারা তখনকার পাকিস্তানী কোলাবরেটরদের পরিবারে, সমাজে, দলে এবং দেশে উপেক্ষা নাকরে মাথায় করে রাখতে আজ সঙ্কল্পবদ্ধ তারা কার গর্ভে জন্মেছিলো ফরিদভাই?
দেশ কি আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর-এঁর নির্দ্দেশিত পথে এগিয়ে যাচ্ছে?
@কেশব অধিকারী,
উল্টোদিকে যাচ্ছে কেশবদা। দেখেন না প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় কীরকম নিরীহ একটা ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেললাম আমরা। কোনো বিচার নেই, নেই কোনো অনুশোচনা, নেই কোনো আত্মদগ্ধতা। সভ্য না হয়ে, অসভ্য হচ্ছি আমরা দিন দিন।
@ফরিদ আহমেদ,
আমাদের অনুশোচনা থাকবে কেনো বলুন? আমরা হচ্ছি সেই মানুষ যারা কোন কারণ ছাড়াই সাইকেলের স্পোক বাঁকিয়ে কুকুরের গলায় ছুড়ে মারি আর ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্ত দেখে তৃপ্তি পাই, বেড়ালের পিঠে গরম ভাতের মাড় ঢেলে দিয়ে কদর্য্য আনন্দ পাই, কাজের মেয়েকে ঘরের বাইরে থেকে তালা আটকিয়ে রেখে সিনেমায় যাই। আমাদের অনুশোচনা হয় না বলেই কর্মীদের পুড়িয়ে মারি বছরের পর বছর, বিশ্বজিতদের পিটিয়ে কুপিয়ে মারি । আমি বুঝি না কত বড় ঘাটে এদের নাও বাঁধা যে কাউকে তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্য দিবালোকে এই নরকযজ্ঞ চালাবার স্পর্ধা দেখাতে কার্পন্য বোধ করে না।
কি হবে এসব বীরের কাব্য লিখে অথবা পড়ে? তবে কি এই কথা সত্য নয় যে আমাদের এখন আর কিছুই ছোঁয় না?
@কেয়া রোজারিও,
আমাদের হীনমণ্যতাবোধ আমাকে পীড়িত করে। সেই পীড়া থেকেই বাঙালির শৌর্যবীর্যগাথার এই সিরিজটার জন্ম। প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে বর্তমান কাল, সব কালের সব যুগের বাঙালির বীরত্বের বন্দনা গাথা লিখতে চাই আমি। পারবো কিনা জানি না, কিন্তু চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না আমার।
আমাদের কিছু ছোঁয় না, কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। সবার হয়তো ছোঁয় না, কারো কারো নিশ্চয়ই ছোঁয়। কাল দেখলাম আমার এই লেখাটাই অশ্রুসজল চোখে একটা বাচ্চা মেয়ে ফেইসবুকে শেয়ার করেছে। তাঁর বন্ধুরাও পড়ছে এটা, পড়ে তাদের আবেগ আলোড়িত হচ্ছে। আশ্চর্য হয়ে দেখছে কীভাবে একজন তরুণ দেশকে ভালবেসে হাসিমুখে প্রাণ দিচ্ছে। এই দেশপ্রেম, এই আত্মত্যাগের ইতিহাস এদের কোমল হৃদয়ের কোথাও না কোথাও গিয়ে আঘাত হানবে। এদের দিয়ে তখন রাস্তায় মানুষ মারাতো দূরের কথা, কুকুরের গায়ে গরম ফ্যান ঢালাও সম্ভব হবে না। বরং প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে, জন্ম নেবে আরেকজন প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, সূর্যসেন, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কিংবা মতিউর রহমানের। এখানেই আমার সার্থকতা। শুধু এ কারণেই লিখে যাবো আমি।
কাল ফেসবুকে ওই বাচ্চাগুলোর সাথে কথা বলতে বলতে একটা কথা বলেছিলাম ওদের। এখানেও সেটি বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো। (FF)
কিছু কিছু জিনিস মানুষ ভুলে যায় সহজেই। আর আপনার সেই সব জিনিস গুলোর দিকে খেয়াল রয়েছে। আপনার থেকে অনেক কিছু শিখছি।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
বিচিত্র ধরণের প্রশংসা পেলাম আপনার কাছ থেকে। মনে ভাবনা কাজ করলো কিছুক্ষণ।
বিজয় দিবসের বর্ণিল শুভেচ্ছা আপনাকে। (বাংলাদেশের পতাকার একটা ইমোর খুব অভাব বোধ করি।)
@ফরিদ আহমেদ,
আমি থাকতে আবার কিসের অভাব? এনে দিলাম ইমো (FF) (FF) , চলবে? ইমোর লিস্টে দেখেন যোগ হয়ে গেছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা ভাই,
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া। বয়সের দিক থেকে নবীন হলেও দেশ ও জাতির সেবায় বা মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনে আপনি অনেক প্রবীনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আগেও বলেছি, আপনাদের জন্য ভীষন গর্ব হয়, আপনারা আমাদের এই ঘোর অন্ধকারে আশার আলো দেখান।
(FF) (FF) (FF)
বিজয়ের শুভেচ্ছা!
@শাফায়েত,
ক্যাপ্টেন শাফায়েত আশরাফ, আমাদের টেকিশ্রেষ্ঠ আপনি। অভিনন্দন এবং কৃত্তজ্ঞতার মাল্য পরিয়ে দিলাম আপনার গলায়।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা লাল-সবুজের ইমো দিয়ে। (FF)
বিজয়ের মাসে সকল শহীদের জন্য … শ্রদ্ধাঞ্জলী (F)
@লাইজু নাহার,
শ্রদ্ধাঞ্জলি সকলের প্রতি। :candle:
প্রতিবাদের ভাষা-র বয়স আমার জানা নেই। মনে হয় বাদ শুরু হ’বার পর, প্রতিবাদের আগমন। মানব সমাজে কত রকমের বাদ-এর উদ্ভব হলো, বাদ-কে বাতিল করতে গিয়ে প্রতিবাদ চলে এলো সামনে। বাদ-এর চেয়ে প্রতি-বাদ হয়ে হয়ে গেলো আলোক বর্তিকা।
আত্মত্যাগী এই সব মহান মানুষদের ইতিহাস, প্রতিবাদ ও কালের প্রয়োজনেই উঠে আসবে বারবার।
লেখককে ধন্যবাদ, বিনোদনের খাঁচার বাইরেও যে প্রাণ আছে, তাকে ষ্পর্শ করে যাবার জন্য।
লেখাটি দেবার জন্য ধন্যবাদ ফরিদ আহমেদ।
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠসহ সব মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক একটি লাল (F)
@কাজী রহমান,
আমার জন্য খালি শুকনো ধন্যবাদ দিলেন। লাল গোলাপ কই? এইটাতো পক্ষপাতি আচরণ। একাত্তরে তরুণ থাকলেতো আমিও মুক্তিযোদ্ধা হতাম।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি বরাবরের মতোই অসাধারণ / বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা (F)
@রতন কুমার সাহা রায়,
আরে লজ্জা দিচ্ছেন আমাকে আপনি। কাজী ভাই মহা কঞ্জুস লোক। তাই তাঁরে খানিকটা কুকথা শোনাচ্ছিলাম কিপটেমির কারণে। সিরিয়াস কিছু না।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকেও। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
বটেই তো; কিন্তু ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধাও কম ছিলোনা। সেইসব বীর ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধারা কেউ কেউ একেবারে শেষ মুহুর্তেও আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছে যাতে করে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেতে পারি।
যারা স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে, চর্চা এবং লালন করে তাদের সবার জন্য ভালবাসা এবং পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সবগুলো লাল গোলাপ (F)
@কাজী রহমান,
ভালো বলেছেনতো। আমাদের ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ লিখবে, এই আশায় রইলাম।
এই লাল গোলাপ পাওয়ার আমি কি যোগ্য? লন্ডনি হুজুর যে আমার গায়ে জামাতি ট্যাগ লাগায় দিছে। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
যা খুশী তা বললেই কি হবে নাকি, প্রমান দিতে হবে তো।
:guru:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধন্যবাদ রামগড়ুড়ের ছানা। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো। (F)
গল্প আর ইতিহাস একাকার। সাথে ব্যবহৃত উপমাও কাব্যিক। যেমন,
@গীতা দাস,
ধন্যবাদ দিদি। ইতিহাসতো কেউ পড়তে চায় না। গল্পের বটিকা দিয়ে খাওয়ানো যায় কিনা দেখি।
কাপুরুষের মৃত্য হয় প্রতিদিন আর বীরের মৃত্যু একবারই – তবেই তো বীরেরা মৃত্যুঞ্জয়ী।
[img]http://www.birsreshtho.com/Bir_Sreshtho_Medal.png[/img]
@সংশপ্তক,
মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাণ হল বলিদান।