আগেই জানিয়ে দেই, এটা কোন প্রবন্ধ নয়; একেবারেই ব্লগাড্ডার চানাচুর টাইপের লেখা। তাই পড়লে নিজ দায়িত্ব পড়ুন। :))
হুমম …এবারের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কোন লেখা মুক্তমনায় এলো না দেখে আমি খুবই অবাক। কি ব্যাপার? দুনিয়ার এত বড় সার্কাস অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, আর এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই? আমি অবশ্য নির্বাচনের পর পরই একটা লেখা লিখেছিলাম, ইংরেজিতে এখানে। এখন ফিরে গিয়ে পড়তে গিয়ে বুঝলাম অনাবশ্যক আবেগের মাত্রা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। সদ্য ঘটা কোন ঘটনার তাৎক্ষণিক ধাক্কা থেকে কোন কিছু লিখলে যা হয় আরকি। এখন লিখলে আরেকটু সীমিত আবেগে লেখা যেত হয়তো। তারপরেও ভাবলাম, প্রতিটি লেখাই হয়তো স্বীয় সময়ের একটা প্রতিনিধিত্ব করে। তাই লেখাটা রদবদল না করে সেভাবেই রেখে দিয়েছি।
তবে, এবারে বাংলায় না লিখে ইংরেজিতে লেখার কারণ হল – ইংরেজি সাইটটা অনেকদিন ধরেই এতিম ছেলের মত অনাথাশ্রমে পড়ে আছে। ভাবলাম সেদিকে একটু নজর দেয়া দরকার। আর তাছাড়া মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলটা যতটা না আমাদের দেশের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক, তার চেয়েও বেশি আন্তর্জাতিক। তাই ইংরেজিই সই এবারে (তবে আমার ইংরেজির যে অবস্থা, ভরসার চেয়ে ভয়ই বেশি করে)!
কিন্তু যা বলছিলাম – আমেরিকার নির্বাচন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্কাস, ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। গত মাস খানেক ধরে অফিস থেকে এসে এই টিভি বিমুখ আমি প্রতিদিনই টিভি খুলে বসে যেতাম সার্কাসের সর্বশেষ সংবাদ জানার প্রত্যাশায়। তো এই ব্যয়বহুল সার্কাস দেখে যা বুঝলাম – সার্কাস দেখার আনন্দ যেমন আছে, তেমনি উপরিপাওনা হিসেবে আবার আছে কিছু মুখচেনা ক্লাউনের ভাঁড়ামি। এমনি এক ক্লাউন ডিক মরিস, ফক্স নিউজ চ্যানেল খুললেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে যাকে মুখ বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে অর্থহীন প্রলাপ বকতে দেখা যায়, তিনি মার্কিন নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে রীতিমত ওহী নাজিল করতে শুরু করলেন, নির্বাচনে নাকি ওবামার ভরাডুবি হবে, আর ‘ল্যান্ড স্লাইড’ জয় হবে রমনির। কিন্তু নির্বাচনের দিন ফলাফল যা বেরিয়ে এলো তা ডিক বাবাজির ঠিক উল্টো। ওবামা ৩৩২ টা ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে (ফ্লোরিডা সহ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন, আর রমনি পেলেন সর্বসাকুল্যে ২০৬। ডিক মরিসের রমনি-ল্যান্ড স্লাইডের কি নিদারুণ গতি!
আরেক বড় ক্লাউনের সার্কাস দেখলাম নির্বাচনের দিন ফক্স নিউজে। যখন নির্বাচন প্রায় শেষ, এমনকি রমনির শেষ আশ্রয়স্থল ওহায়ো স্টেস্টেও, প্রতিটি নেটওয়ার্ক চ্যানেল ওবামাকে বিজয়ী ঘোষণা করে দিল, তখনো রিপাব্লিকান পান্ডা কার্ল রোভ শেষ খরকুটোর মত ওহায়োর শেষ দেখবেন বলে গোঁ ধরে বসে থাকলেন। তিনি ওবামাকে বিজয়ী বলে স্বীকার করলেন না। এই টানা হ্যাচড়ার কারণে রমনির হার স্বীকার একটু বিলম্বিতই হল, এইটুকুই যা!
ডিক মরিস, কার্ল রোভ আর রাশ লিম্বোরা যখন রমনির ল্যান্ড স্লাইডের স্বপ্নে বিভোর হয় নানা পদের ত্যানা পেঁচিয়ে চলেছিলেন, গলার আর মুখের তুবড়িতে ওবামাকে গদিচ্যুত করেই ফেলেছিলেন প্রায়, এদিকে তখন নেট সিলভার নামে এক গোবেচারা পরিসংখ্যানবিদ তার পরিসংখ্যান এবং গণিতের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বহু আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে ওবামা জয়ী হবে। শুধু তাই না, কোন স্টেট-ভিত্তিক ফলাফলও আগেই বলে দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের ফলাফল আসার পর দেখা গেল সবকিছু নেট সিলভারের কথামতই হয়েছে। একটি রাজ্যের ফলাফলও গড়বড় হয়নি। নেট সিলভার রিপাবলিকান বিশেষজ্ঞদের ‘ফিলিংস’ এর উপর ভর করে কিছু বলেননি, বরং তিনি প্রয়োগ করেছিলেন পরিসংখ্যান এবং গণিতের আধুনিক জ্ঞান। এই নির্বাচন ওবামার বিজয়ের পাশাপাশি গণিতেরও বিজয়, বলাই বাহুল্য।
তবে এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন শেষ হবার পর পরই আমেরিকার ‘পয়লা নম্বর ক্লাউন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করলেন তা রূপকথাকেও যেন হার মানায়। তিনি ‘revolution in this country’ বলে টুইটারে টুইট করে বিপ্লবের ডাক দিয়ে সবাইকে লং-মার্চ করে ওয়াশিংটন অভিমুখে যেতে বললেন , নির্বাচনের ফলাফল ঠেকাতে (তার বিখ্যাত টুইটগুলো এখানে)। অবশ্য ট্রাম্প সাহেবের ক্লাউনগিরি নতুন নয়। ওবামার বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে ভরংবাজি তিনি আগেও করেছেন। এই নির্বাচনের কিছুদিন আগেও ওবামাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ৫ মিলিয়ন ডলারের চ্যারিটি করার কথা বলে যদি ওবামা তার কলেজের ট্রান্সক্রিপ্ট দেখাতে পারে। আমেরিকার নির্বাচন যদি ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ হয়, তবে ডোনালড বাবাজির ‘ক্লাউন দি গ্রেট’ খেতাব কেউই কেড়ে নিতে পারবে না। বিল মার কি সাধে একে ‘লেজিটিমেট এপ’ (রেপ নয়, এপ … খুব খিয়াল কৈরা) হিসেবে সাব্যস্ত করেছে!
যা হোক, এই নির্বাচন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত মোটামাথাদের যেমন পরাজয় ডেকে এনেছে, সেই সাথে পরাজয় এনেছে কিছু দেশি নিওকন ক্লাউনদেরও। আর রিপাব্লিকান পার্টির গন-ধর্ষণদলের কথা না হয় নাই বা বললাম। যাহোক, বিস্তারিত আর এখানে না বলে গোটা প্রবন্ধটির লিঙ্কই দিয়ে দিচ্ছি –
Obama’s Victory: A Hard Lesson for the Right Wing Extremists and Neocons
আমি জানি – মুক্তমনার লেখকদের অনেকেই ইংরেজিতে লেখালিখিতেও দক্ষ। আসলে একটা সময় মুক্তমনার যাত্রা শুরুই হয়েছিল ইংরেজিতে ইয়াহুগ্রুপ্স-এ লেখালিখির মাধ্যমে। কিন্তু পরবর্তীতে বর্ণসফট এবং শেষ পর্যন্ত ইউনিকোডভিত্তিক অভ্র ম্যাজিক রাজত্ব শুরু করায় ইংরেজিতে লেখালিখির জগৎটা একেবারে শীর্ণকায় হয়ে গেছে। ভাবছি, এ ব্যাপারটা একটু বদল করা দরকার। যারা বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লিখতে ইচ্ছুক, তারা ইংরেজি সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। সাইটের ডানপাশে ছোট করে রেজিস্ট্রেশনের লিঙ্ক আছে। সীমিত সময়ের জন্য পরীক্ষামূলক-ভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। বন্ধ হবার আগেই রেজিস্ট্রেশনটা সেরে ফেলুন। হয়তো কোনদিন ইচ্ছে হলে ইংরেজিতে লিখেও ফেলতে পারেন আমার মতো!
@রূপম (ধ্রুব)
এডলফ হিটলার থেকে উদ্বৃতি দিচ্ছই :
“What luck for the rulers that men do not think !
[I]n the big lie there is always a certain force of credibility; because the broad masses of a nation are always more easily corrupted in the deeper strata of their emotional nature than consciously or voluntarily; and thus in the primitive simplicity of their minds they more readily fall victims to the big lie than the small lie, since they themselves often tell small lies in little matters but would be ashamed to resort to large-scale falsehoods.
It would never come into their heads to fabricate colossal untruths, and they would not believe that others could have the impudence to distort the truth so infamously. “
@সংশপ্তক,
কিন্তু এভিডেন্স ছাড়া অবলম্বন গ্রহণ করার আমাদের আর আছেই বা কী?
@রূপম (ধ্রুব),
যাদের কাছে থাকার কথা তাদের কাছে ঠিকই আছে। Every dog has it’s day ! (&)
@সংশপ্তক,
না মানে কন্সপিরেসি থিওরি এনডর্স প্রসঙ্গে বলছিলাম। যার কাছে এভিডেন্স আছে, তার কাছে সেটা অভিয়াসলি কোনো কন্সপিরেসি থিওরি নয়, ফ্যাক্ট। কিন্তু যার কাছে নেই, তার কাছে তো এটা কন্সপিরেসি থিওরিই। সে কেনো এটাকে এনডোর্স করবে?
@সংশপ্তক,
আমার উপরে প্রদত্ত প্লসিবল সিনারিও নিয়ে আপনার কী মত?
@রূপম (ধ্রুব),
আমি ইতিমধ্যে সেটা উল্লেখ করেছি উপরে অভিজিৎ এর প্রশ্নের উত্তরে যে , মার্কিন সেনা আইন UCMJ Article 134 অনুসারে :
1) That the accused wrongfully had sexual intercourse with a certain person;
(2) That, at the time, the accused or the other person was married to someone else; and
(3) That, under the circumstances, the conduct of the accused was to the prejudice of good order and discipline in the armed forces or was of a nature to bring discredit upon the armed forces.
Maximum punishment: Dishonorable discharge, forfeiture of all pay and allowances, and confinement for 1 year.
@সফিক ,
আরে ! আপনাকে আমি যে কত মিস করি সেটা যদি জানতেন ! 😛
যা হোক , পেট্রিয়াস মহান টহান কিছু না। তিনি নিজেই যখন আইনগতভাবে ইস্তফা দিয়েছেন , আমরা বলার কে ? আপনিও তো মাঝে মধ্যে ইস্তফা দিতে চান , সঙ্গোপনে !
@সংশপ্তক,বলছেন ” আমরা বলার কে ?”, কিন্তু তাই বলে তো আপনার বলা থেমে থাকে নি? ভালো কন্সপিরেসী দাড় করাতে হলে শুধু বুলেট বুলেট করলেই হয় না, নিজে থেকে একটা কনসিসটেন্ট স্টোরী খাড়া করতে হয়।
আর আপনার আমাকে নিয়ে জটিল ইংগিত টা পুরো পুরি মাথার উপর দিয়ে গেলো।
@সফিক,
মাথা একটু নিচু করলেই চলবে । ডাকিং হবে না।
ওবামা’র ব্যর্থতা!
[img]http://dailydish.typepad.com/.a/6a00d83451c45669e2017c33bedaa3970b-320wi[/img]
@সফিক,
হাঃ হাঃ , ঠিক, আরো কিছু ব্যর্থতা ভরঘুরেকে উত্তর দিতে গিয়ে বলেছি এইখনে।
এন্টি-ইনকামবেন্ট এবং এন্টি-প্রগ্রেসিভ মনোভাবের কারণে রমনীকেই সমর্থন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার জম্বি-সুলভ আচরণ এবং রিপাবলিকানদের সোশাল কনসারভেটিভ অংশ সেটাকে সহজ করেনি। তবে প্রথম বিতর্কে রমনী প্রথম একটি মানুষ বলে প্রতিভাত হয়েছিল। শেষ বিচারে এই নির্বাচনে একটা ডোন্ট কেয়ার মনোভাব বিরাজ করেছে আমার মনে। ভোট দিতে হলে গ্যারি জনসনকেই দিতাম।
@অভিজিৎ,
পাসওয়ার্ড তো এখনও পেলাম না !
মুক্তমনার সদস্যদের মাঝে যারা মার্কিন পে-রোলে আছেন তাদের মধ্যে আপনি সহ দু একজন ছাড়া বাকীরা ইদালিং কোন বিষয়েই লেখা ছাড়ছেন না। বিশেষ করে যাদের পকেটে সরাসরি মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলতে পারে , তারাই যখন নির্লিপ্ত সেখানে, অন্যদের কাছ থেকে উদ্যোগ আশা করাটা অনেকটাই বিলাসিতা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন নিয়ে বহুদিন কোন লেখাই নজরে আসে না , যেখানে কিনা মার্কিন ভারী ইন্ডাস্ট্রীজ চাকরীগুলো ইদানিং চলে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত হয়ত দেখা যাবে যে সার্ভিস সেক্টর চলে যাবে ভারতে আর বোয়িং সহ ডিফেন্সের মত সংবেদনশীল মান্যুফ্যাকঞ্চারিং সেক্টর চীনে। রিপাবলিকানরা অন্তত ডিফেন্সটাকে চীনে না দিতে দিলেও ডেমোরা হয়ত একসময় আর অপত্তি করবে না। এসবই মার্কিন পে রোলে যারা আছেন তাদর জন্য ভাল সংবাদ নয়।
@সংশপ্তক,
হেঃ হেঃ চেক করে দেখলাম -রেজিস্ট্রেশনের সময় ইমেইল এড্রেস ভুল দিয়েছিলেন। আপনার মত দুঁদে গোয়েন্দা এত বড় ভুল করে ফেলল? ডেভিড পেট্রিয়াস ইফেক্ট নয় তো? স্কাই ফল থেকে স্পাইফল 🙂 যা হোক, মুক্তমনা এডমিনের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে ইমেইল করে পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়েছে । পেলেন কিনা জানাবেন। আর প্রোফাইলে ঢুকে ইমেইল এড্রেস্টা ঠিক করে নিয়েন (‘a’ এর জায়গায় o লেখা হয়েছে)
আর ইয়ে পেট্রিয়াস নিয়ে তো তুমুল ক্যাচাল লাগসে এখানে। লেখা দিবেন নাকি এ নিয়ে? টাইমস এ একটা বিস্তারিত রিপোর্ট বেরিয়েছে, দেখেছেন আশা করি।
@সংশপ্তক,
সরি, ইমেইল মনে হয় ঠিকই দিয়েছিলেন। হয়তো স্পামে ছিল। তবে আবার নতুন করে পাঠানো হয়েছে। দেখে নিয়েন।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ । ওখানে লগ ইন করে একটা মন্তব্য করছি কিন্তু সেটা কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
টাইমস এ যা আসে নি সেটাই আমি লিখব। নতুন প্রশাসনে একজন ভাল সেক্রেটারী অব ডিফিন্স আমরা হারালাম , ক্যারিয়ার পলিটিক্সের প্যাঁচে।
@সংশপ্তক,
পেন্ডিং এ পড়ে ছিল আপনার কমেন্ট। এটা হয় লগ ইন না করে মন্তব্য করলে। আপনি আরেকবার দেখতে পারেন, সত্যই লগইন করে মন্তব্য করছেন কিনা।
আপনার লেখার প্রতীক্ষায় থাকলাম। তবে যা হারে জেনারেল ডেভিড পেট্রিয়াসকে মাঝখানে রেখে পলা ব্রডওয়েলের সাথে অ্যাফেয়ার, ন্যাটালি খাওয়ামকে চাইল্ড কাস্টোডিতে সাহায্য, জিম কেলিকে ফ্রেড্রিখ হামফ্রের শার্টলেস ছবি প্রেরণ, এনোনিমা একাউন্ট থেকে ইমেইল থ্রেট সহ নানা কেরিক্যাচার দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে আমেরকান মিলিটারির মরয়ালিটি ফরালিটি একটা মিথ বই কিছু নয়।
টাইমের এই ছবিটাই সারমর্ম তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট –
[img]http://img.timeinc.net/time/2012/graphics/petraeus_1126.jpg[/img]
@অভিজিৎ,
একটা বিষয় আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে , এগেন্সীর কলিগদের কাছে পরকীয়া প্রেম কখনই গোপন থাকে না, বিশেষ করে এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর থেকে উপরের পর্যায়ে। পরকীয়া প্রেম খুবই সাধারণ বিষয় এখানে। ওভারসীজ আসাইনমেন্ট নির্ভর কাজে কে পরকীয়া করেনা , সেটাই বড় প্রশ্ন। জুনিয়র এনালিস্ট কিংবা ক্লার্ক পর্যায়ে হয়তো অনেক কম। সমস্যা শুরু হয় যখন মিডিয়ার কাছে এসব খবর পৌছায়। কিন্তু ডাইরেক্টর পেট্রিয়াসের পদত্যাগ করার পেছনে পরকীয়া প্রেম মূখ্য ভুমিকা পালন করেনি, ক্যাটালিস্ট হিসেবে হয়তো। উনাকে অন্যান্য গুরুতর কারণে আরো আগেই চলে যেতে হতো , শুধু নির্বাচনের কারণে ওবামা জাতীয় নিরাপত্তা টীমে এতবড় রদ বদল করতে চান নি। নির্বাচনের পরপরই ওবামা তাকে ইস্তফা দিতে বলেন এবং সেটা নিশ্চিচ করতে মিডিয়াকেও বিষয়টা জানানো হয়। এজেন্সী ডাইরেক্টরকে বরখাস্ত করতে হলে সিনেটকে জানাতে হয় এবং সেটা হতো আরো বিব্রতকর।
@সংশপ্তক,
নির্বাচনের পরে বিভিন্ন পদে রদবদল তো কমন ব্যাপার। এ জন্য এত পেঁচানোর দরকার ছিল কি?
@রৌরব,
সেটা হয়তো ক্যাবিনেট সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য কিন্তু ডাইরেক্টর সিআইএ হল অন্য এক বল গেইম! বিগত বিশ বছরে এক জর্জ টেনেট ( ৭ বছর , প্রথমে ক্লিনটন পরে বুশ ) ছাড়া কেউই তিন বছর পার করতে পারেন নি। প্রায় সবাইকেই বাঁকা পথে বিদায় করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল/ক্রিকেট দলের কোচের মতন। পেট্রিয়াস তো সবে মাত্র একবছর কাবার করলেন। ওবামার চার বছরে ডাইরেক্টর বদলানো হয়েছে পাঁচ বার ( আগামী চার বছরে কি হবে কে জানে ?) ! এর মধ্যে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মাইকেল মরেলকে দুবার ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টরের ভার সহ্য করতে হয়েছে।
@অভিজিৎ,
আমি সিএনএন সহ মিডিয়ায় আশা খবর যেটুকু শুনেছি তাতে করে কিন্তু ঊল্টো ব্যাপারটাই উঠে এসেছে। ওবামা পেট্রিয়াসকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, এটা মূল মিডিয়ার কোথাও আমি পড়িনি। বরং নির্বাচনে জয়লাভের পর সেলিব্রেশনের সময় তাকে খবরটা জনানো হয়। এবং ব্যাপারটা এতোটাই আশ্চর্যজনক ছিল যে, ওবামা নাকি অনুরোধ করেছিলেন ব্যাপারটা নিয়ে পরে চিন্তা করতে, কিন্তু পেট্রিয়াস রাজি হননি, কারণ তিনি বলেছিলেন এটা ‘অনর’ এর প্রশ্ন। আর তা ছাড়া মিডিয়ায় একবার চলে গেলে যা হয় আর কি, কেঁচো খুড়তে সাপ বেরুতে শুরু করল। শুধু পেট্রিয়াস নয়, জন এলেন কে নিয়েও কেচ্ছা কাহিনী শুরু হল। এর পর মনে হয় না তাকে রাখার কোন উপায় ছিল ।
টাইমেও তাই লিখেছে কিন্তু –
অবশ্য ভিতরের ব্যাপার ভিন্ন হতেই পারে। যাহোক আপনি যদি ভেতরের খবর আরো বেশি জানেন কোন সোর্স থেকে, লিখতে পারেন।
@অভিজিৎ,
রিভার্স ইন্জিনিয়ারিং’ আপনি ভালো বুঝবেন। একটা ঘটনা ঘটার পর সাংবাদিকেরা মারকেটিয়ারদের মতন যখন রং তুলি নিয়ে রং চড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন , ইন্টেলিজেন্স এনালিস্টরা ঘটনার কারুকার্য বুঝতে শুরু করেন ‘রিভার্স ইন্জিনিয়ারিং’। কিন্তু এটা করার পূর্বশর্ত হল কমপোনেন্ট নলেজ থাকতে হবে এবং সেসব কম্পোনেন্টের ফাংশন বুঝতে হবে।
ভেতরের খবর লাগবে না , আপনিই বলতে পারবেন । আপনি মিডিয়ার এন্ড প্রোডাক্টটা খোলামাত্র দেখবেন যে, অনেক ড্রাইভিং কম্পোনেন্ট মিসিং ! ডাইরেক্টের সিআইএ সরাসরি প্রেসিডেন্টকে রিপোর্ট করেন না, তাকে ডাইরেক্টর ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ডিএনআই) কাছে রিপোর্ট করতে হয় , যার সুপারিশে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান ডিএনআই লেঃ জেঃ জেমস ক্লাপারকে কি পাচ্ছেন সেখানে ? রাম সাম যদু মদু নয়, ডাইরেক্টর সিআইএ- র কম্পিউটার হ্যাক করতে হলে এফবিআই কে প্রথমে লেঃ জেঃ জেমস ক্লাপারকে জানাতে হবে এবং সেটা তারা করবেনও না কারন খাকীরা সবাই ভাই ভাই ! তারা তখন কার কাছে যাবেন ? এটর্নী জেনেরাল এরিক হোল্ডারের কাছে । হোল্ডার এতবড় সিদ্ধান্ত তার বস কে না জানিয়ে করার সাহস পাবেন না জানে বাঁচতে চাইলে , পরের দিন সকালেই তার কম্পিউটারে চাইল্ড পর্ন প্লান্ট করে ক্রুসিফাই করা হবে। অতএব , হোল্ডারকে তার বসের অনুমতি নিতেই হবে । এখন তার বসের নাম ? প্রেসিডেন্ট ওবামা ! আপাতত এটুকুই ।
@সংশপ্তক,
আপনার কথা সত্য হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে অস্বীকার করছি না, বিশেষত যখন এর আগেও সিআইএ চিফকে বাঁকাভাবে সরানো হয়ছে। কিন্তু আমার খটকাটা অন্যখানে। পেট্রিয়াসকে সরানোটাই যদি মূখ্য উদ্দেশ্য হত, তাহলে সেটা খুব নীরবে করাটাই বাঞ্ছনীয় ছিল না? ধরুন পেট্রিয়াস তার রেজিগনেশন লেটারে লিখল ‘ব্যক্তিগত / পারিবারিক কারণে’ ইস্তফা দিচ্ছি। এতে কিন্তু সাপও মরতো, লাঠিও ভাঙতো না। মিডিয়ার দৃষ্টিও এদিকে পড়ত না। তা না করে ঘটা করে ‘এফেয়ারের কারনে পদত্যাগ করছি’ বলার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে বলে মনে করেন? ওবামা পেট্র্যাসকে সরানোর জন্য এত কিছু করলেন, কিন্তু রেজিস্ট্রেশন লেটারে পেট্রিয়াস কি লিখবেন, সেটা ডিকটেড করতে পারলেন না? চিন্তা করে দেখুন এর আগেও বহু সিআইএ চিফকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, মিডিয়ার কোন ঔৎসুক্যই লক্ষ্য করা যায়নি। এক্ষেত্রে গেছে, কারণ রেজিগনেশন লেটারেই ‘এফেয়ারের’ উল্লেখ ছিল। আর এই শব্দগুলো থাকলে মিডিয়া যে লাফিয়েই পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
আসলে প্রথমে কিন্তু পেট্রিয়াস লাইম লাইটে ছিলেন না। পলা ব্রডওয়েল যদি কেলিকে হ্যারাসিং ইমেইল না পাঠাতো, আর কেলি যদি এফবিয়াইকে রিপোর্ট না করতো, হয়তো এগুলো কখনো প্রকাশিতই হত না। এফবিআই ইমেইলের সোর্স ট্রাক করতে গিয়ে পলা ব্রডওয়েলের খোঁজ পান, আর আবিষ্কার করেন দুই রোমাণ্টিক জুটির ইমেইল চালাচালি। পেট্রিয়াসকে সরাতে চেয়েছিলেন – এই ব্যাপারটা যদি সত্যিও হয়ে থাকে, এ ঘটনাগুলো পর পর না ঘটলে সেটা এভাবে হয়তো করা যেত না, কি বলেন?
@অভিজিৎ,
পদত্যাগ করা তো দুরের কথা। পেট্রিয়াস হতে চাইছিলেন সেক্রেটারী অব ডিফেন্স , পেনেত্তার মতন। পেনেত্তাও ডাইরেক্টের সিআইএ থেকে সেক্রেটারী অব ডিফেন্স হয়েছেন। এফবিআই জানলেই পাবলিক কে কেন জানতে হবে ? সিক্রেট সার্ভিস কি জানতো না ক্লিনটন আর মনিকা কি করতেন ? তখনও এরকম এক বান্ধবীর ফোন টেপ থেকে সমস্যা শুরু হয়।
তবে, পেট্রিয়াস রেজিগনেশনে এ্যাফেয়ার না লিখলে কোর্ট মার্শাল হতে পারত কারণ সেনা আইনে এখনও পরকীয়া একটা অপরাধ। পলা নিজেই বলত যে , আফগানিস্তানে থাকার সময়ই এসব শুরু হয়েছে।
@সংশপ্তক,
এটার জন্য তো দায়ী পেট্রিয়াসের সেই রেজিগনেশন লেটারটার ভাষাই। চিন্তা করে দেখুন, মিডিয়া ঔৎসুক্য দেখিইয়েছে পেট্রিইয়াসের চিঠিতে ‘এফেয়ারের’ গন্ধ পাবার পরেই। আমি তখন গাড়ি চালিয়ে অফিস থেকে ফিরছি। তখনো মিডিয়া বলতে পারেনি পেছনের নারীটা কে। আসলে এফেয়ার করা নারীটা যে পলা ব্রডওয়েল সেটা সন্ধ্যার আগে মিডিয়া বের করতে পারেনি। রেজিগনেশনের চিঠিতে এফেয়ার উল্লেখ করে যেন মিডিয়ার নাকের সামনে প্লেটভর্তি খাবার তুলে দেয়া হল। কাজেই ঐ লাইনটা লেটারে উল্লেখ করাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
@অভিজিৎ,
অবশ্যই। উনার ক্যারিয়ারকে তো ক্লিনিক্যালি মেরে ফেলা হয়েছে। কোন এথিক্যাল পদে কখনও যেতে পারবেন না।
প্রাচীন জাপান হলে হাতে সামুরাই তুনে দিয়ে ‘ওইবারা সেপ্পুকু’ করতে বলতেন ওবামা। আসলে পেট্রিয়াস কিছু অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন যার ফিরিস্তি দেয়ার জন্য পেছনে ফিরে লিবিয়া থেকে ইরাক এবং ইরাক থেকে আফগানিস্তান যেতে হবে।
@সংশপ্তক,জেনারেল পেট্রিয়াস তো এখন ভারমুক্ত। আর কোনো ক্যারিয়ারের পিছুটান নেই। মানসম্মান খোয়ানোরও আর কিছু নেই। সবকিছু তো বেরিয়ে গেছে। এবার তাহলে তিনি দুনিয়ার সবাইকে ওবামা’র দূরভীসন্ধি আর কূটকাচালি’র কথা জানিয়ে দিলেই পারেন। এই মহান জেনারেলের ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্যে ওবামার শুধু ইমপিচমেন্ট কেনো, জেলও হতে পারে।
@সফিক,
আমি এখানে কন্সপিরেসি থিওরিটা এনডর্স করছি না। বিস্তারিত জানিও না। আপনাদের কথোপকথন দেখে একটা প্লসিবল সিনারিওর কথা মনে হলো, যেখানে পেট্রিয়াস তারপরেও ওবামার “দূরভীসন্ধি আর কূটকাচালি”র কথা জানাতে অপারগ হবেন। যেমন, হোয়াট ইফ, পেট্রিয়াসের যেটুকু কেলেংকারি ফাঁস হয়েছে, সেটা অনলি দ্য টিপ অব দি আইসবার্গ? অদেখা অঞ্চলে পেট্রিয়াসের ইনক্রিমিনেট হবার রসদ আছে। সেক্ষেত্রে ওনার এখনো কারণ আছে অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে যাবার। Just saying. 🙂
আমিও বেশ শঙ্কিত ছিলাম না জানি ওবামা হেরে যায় এই আশঙ্কায়, যদিও ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেইটগুলোর স্ট্যাটিস্টিক্স বেশ পরিষ্কারভাবেই বলেছে ওবামার বিজয়। একটি ব্রিটিশ পত্রিকা নির্বাচনের আগেরদিন মত দিয়েছিলো যে- ‘কনসার্ভেটিভ পার্টিও এমনকি ওবামাকে বেশী সমর্থন দিচ্ছে লেবারের তুলনায়’! এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে- ওবামা অনেকটা ইউরোপিয় লিডারদের মতো, অনেক বেশী বামপন্থী, আমেরিকার মতো দেশে এটা তার ক্ষতিই করতে যাচ্ছে বলে ছিলো তাদের ধারণা (ক্রিয়েশনিজম, গ্লোবাল ওয়র্মিং ডিনাইয়াল ইত্যাদি তাদের কাছে আমেরিকার এমন একটা ইমেইজ দাড় করিয়েছে যে তারা মনে করে থাকে আমেরিকার মাত্র ১% জনগোষ্ঠিই বসবাস করে আর ক্যালিফোর্নিয়া-নিউইয়র্ক-নিউজার্সিতে এবং সভ্যতার নেতৃত্ব দেয় আর বাদবাকী সকলেই মরুভুমিতে থাকে, গম-মিষ্টীকুমড়া ফলায় এবং বাইবেল পাঠ করে অসীম পুণ্য হাসিল করে)। কিন্তু তাদের অশঙ্কাকে ধুলিস্মাত করে ওবামার ল্যান্ডস্লাইড বিজয়ে অনেক গর্বিত হয়েছি, বিশেষত গেই ম্যারিজের একটা বিজয়ই সম্ভবত এইটা বটে। আমেরিকার মতো প্রভাবশালী একটা দেশে প্রস্তরযুগীয় মানসিকতার ডানপন্থী বাইবেলজীবি স্কামেরা ক্ষমতায় আসলে এটা সমগ্র পৃথিবীর জন্যই একটা হুমকী বটে। এছাড়াও লিবেটারিয়ানিজম সম্পর্কে আপনার সাথে সহমতই প্রকাশ করবো, মুক্তমনা কারোরই লিবেটারিনিজমের মতো উগ্র ডানপন্থী সেলফিশ গনবিরোধী এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম বিরোধী একটি এন্টিসোশ্যাল ভ্যান্ডালিজমের পক্ষে সহানুভুতিশীল হওয়া উচিত না। কিন্তু বিধি বাম বাস্তবতার চেয়ে নিজের ফ্যান্টাসীর বেলুন ফুলিয়ে যাওয়াটাই যে অনেকের কাছে মনে হয় বেশী গনপন্থী! ডিনাইয়ালের উপর ভিত্তি করে যেই মতাদর্শটির জন্ম সেটি কখনই শুভ কিছু রয়ে আনতে যাচ্ছে না, যেমন কিনা শুভ কিছু বয়ে আনেনি কমিউনিজম কিংবা নাসতীইজম। ড্রেমন্সট্রেব্লি সত্য পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, এইটা সামহাও লিবেটারিয়ানদের মতাদর্শের জাঙ্গিয়া ফুলানোর পথে একটা বাধা, তো তারা কি করছে? ওয়েল- তারা যুক্তি কপচাচ্ছে গ্লোবাল ওয়র্মিংই একটা হোক্স, এপিডেমিক ডিসিসের আউটব্রেক এক একটা হোক্স, এভিডেন্স দেখাবে তারা এই দাবীর সপক্ষে গন্ডায় গন্ডায় ইউটিউব ভিডিও ftw!! লিবেটারিয়ানরা ফ্যান্টাসাইজ করে সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশক মানুষ নিছকই জন্মগত কারণে যারা কিনা আন্ডারপ্রিভিলেজড এরা পেছন দিয়ে শসা সেঁধিয়ে বসে থাকবে আর ঘি মাখন খেয়ে চর্বি জমা ভুড়িতে হাত বুলোতে বুলতে কয়েকজন মাত্র মানুষ প্রচার করে যাবে গ্লোবালাইজেশন কেনো একটা ভালো জিনিষ, অল্প কয়েকটি মানুষের মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেনো নিজ দেশের মানুষকে বেকার বানিয়ে নিজ দেশের কর্মসংস্থান চাইনীজদের কাছে বিক্রি করে শক্তি বৃদ্ধি করা উচিত মানবাধিকারের প্রতি শুণ্য শ্রদ্ধাবোধস্মপন্ন একটি অটোক্রেটিক রৌগ রাষ্ট্র- এরা তো এনিমল রাইটস এক্টিভিস্ট কিংবা এন্টিভ্যাক্সিন এক্টিভিস্টদের চেয়েও বড়ো সকাজবিরোধী ভার্মিনি! একজন অনেক বড়ো লিবেটারিয়ান নেতা আপাতত ক্রিমিনালি কনভিক্ট হয়ে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করছে। এ জেল থেকে বেরিয়ে আসলে নির্বাচনে দাঁড়াবে সুনিশ্চিত, অতপর একে ভোট মারার একটা ট্রাই নিতে পারেন :D। http://en.wikipedia.org/wiki/Kent_Hovind
@আল্লাচালাইনা,
জেনে কথা বলুন।
@রূপম (ধ্রুব), জানা জিনিষটা এতো কষ্টসাধ্য একটি প্রক্রিয়া এবং জানার মতো গুরুত্বপুর্ণ জিনিষ পৃথিবীতে এতো বেশী রয়েছে, যে সুনির্দিষ্ট একটি বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শকে জানার জন্য সময় ব্যাপক সময় ব্যয় করার ব্যাপারে আমি হবো খুবই খুবই কনসার্ভেটিভ, বিশেষত ঐ রাজনৈতিক দর্শনটির যদি কিনা থেকে থাকে ক্রনিকভাবে বাস্তবতাকে ডিনাই করার, সমাজবিরোধীতাকে প্রমোট করার, হাইপাররোমান্টিসিজমে আক্রান্ত হবার এবং সবচেয়ে গুরুতরভাবে গনবিরোধী হবার। এইটা আপনার পছন্দ হবে না হয়তোবা, যেমন কিনা আপনার পছন্দ হয়নি রমনির মতো একজন লোকের বিরুদ্ধে ওবামার বিজয়ী হওয়াটা- তবে, উগ্র ডানপন্থি একটি এন্টীসোশ্যাল মতাদর্শর বিরুদ্ধাচরন আমি বেশ ভোকালি-ই করবো। এইটা আপনাকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই করবো।
@আল্লাচালাইনা,
রমনির মতো গাড়লের পরাজয় আর ওবামার জয়ে বগল বাজানো আমার কাছে এক নয়।
এটা ক্রিটিকাল চিন্তাভাবনার জায়গা কিনা, তাই এক তরফা সমালোচনার বদলে ক্ষমতাসীনের সমালোচনা কামনা করেছি। ক্ষমতাসীনের এমন একতরফা জয়গান চোখে লাগে।
আর ক্ষমতাসীনের ব্যাপারে সচেতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কিছু তো করবেন না জানি, কারণ নিজের মনেই আঘাত লাগবে তখন। 🙂
@রূপম (ধ্রুব), হয়তো লেখক সমালোচনা করার মতো বিশেষ কিছু খুঁজে পায়নাই ওবামার মধ্যে। ওবামার কি সমালোচনা কামনা করছেন আপনি সুনির্দিষ্টভাবে? আপনি বলেন না, সমালোচনা যেহেতু করতে আগ্রহী আপনি, তো আপনারই সেটা করা উচিত, আরেকজনে সমালোচনা করবে এই কামনা করে আপনি বসে থাকবেন কেনো?
@আল্লাচালাইনা,
অত্যন্ত যৌক্তিক কথা। দেখুন, রমনি ও তার সারথীরা যে সোশ্যাল রক্ষণশীলতা দেখিয়েছে, তার সাথে ওবামার যে একটা শার্প কনট্রাস্ট আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। লিবারেলরা তাদের সকল রসদ ফলে রমনি বিরোধিতায় খুইয়ে বসে আছে। তো ওবামার লিবারেল আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডগুলোর তাহলে কী হবে? সেগুলো কিন্তু একেবারে আড়াল থেকে যাচ্ছে।
ওবামার লিবারেল আদর্শ বিরোধী যুদ্ধবাজিতা ও সিভিল রাইট্স লঙ্ঘনের উদাহরণ দেখুন। এর প্রতিটিই স্বয়ং যুদ্ধাত্মা বুশের চেয়ে কয়েকধাপ অগ্রসর। নিচের লিংকগুলো দেখুন।
Obama, in Europe, signs Patriot Act extension
Warrantless Spying Skyrockets Under Obama
President Obama Signed the National Defense Authorization Act – Now What?
Secret ‘Kill List’ Proves a Test of Obama’s Principles and Will
Drone wars and state secrecy — how Barack Obama became a hardliner
এখন তুলনা করুন। রমনির সারথীরা লিবারেল আদর্শ বিরোধী মন্তব্য করেছেন গত দুই বছর ধরে, যা অবশ্যই দোষণীয়। আর ওবামা এসব লিবারেল বিরোধী আদর্শ ক্ষমতায় থেকে বাস্তবায়িত করেছেন। আমি অভিজিৎ রায়কে লিবারেল ভেবে তাকে তাই প্রথমেই এই উপরের লিংকগুলোকে সামারাইজ করা একটা ভিডিওয়ের লিংক দিয়েছিলাম। একজন সৎ লিবারেল কী করে ওবামার এই সকল অন্যায়কে সমালোচনা না করে থাকে? ঠিক এই ধরনের আচরণগুলোর কারণেই তো লিবারেলরা বুশের বিপক্ষে উচ্চবাচ্য ছিলেন। ছিলেন না?
@রূপম (ধ্রুব), আমি উপরোক্ত পলিসিগুলোর একটিকেও গনবিরোধী পলিসি মনে করিনা, ফলশ্রুতিতে সমালোচনাযোগ্যও মনে করি না। আমি কি ধরণের পর্নোগ্রাফি পছন্দ করি এইটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস জেনে ফেলার বিপরীতে যদি রোধ করা যায় একটি টেরোরিস্ট এটাকও এমনকি, যদি রক্ষা পায় একটি মাত্র প্রাণও- আমি হাসিমুখে সিকিউরিটি সার্ভিসকে জানিয়ে দিতে রাজি আছি আমার পর্নোগ্রাফিক প্রেফ্রেন্স! আমেরিকায় ৯/১১ এর পর বা বৃটেনে ৭/৭ এর পর টেরোরিস্ট সাফল্য ০ কেননা জোরদার করা হয়েছে সার্ভেইলেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটির প্রশ্নে ব্যর্থ হয়নাই পলিসি মেইকারেরা। প্রতি মাস দুয়েক পরপরই একটা না একটা টেরোরিস্ট প্লটের মুলোচ্ছেদ করা হচ্ছে, নিঃসন্দেহেই এটা বাঁচিয়েছে মানুষের জীবন। নিজের ফ্যান্টাসী চরিতার্থ করার চেয়ে মানুষের জীবন বাঁচাকে আমি বেশী গুরুত্বপুর্ণ মনে করি, এবং যে করেনা তাকে মনে করি একজন এন্টিসোশ্যাল জার্ক।
@আল্লাচালাইনা,
এই পয়েন্টগুলো আপনাকে appeal করেও করা হয় নি। আমি বলেছি যে অভিজিৎ রায়কে আমি লিবারেল ভেবে ওনার কাছে এসবের সমালোচনা, বা অন্তত মত “আশা” করেছি। আপনি যদি লিবারেল প্রিন্সিপ্যাল জানেন, যা কিনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটা বড়সড় আদর্শিক ভিত্তি, সেটা আদর্শিকভাবে উপরের সবগুলোরই বিরোধিতা করে। তারা মনে করে প্রাইভেসি মানুষের অলঙ্ঘনীয় অধিকার, বিনা বিচারে হত্যা না হওয়া মানুষের অলঙ্ঘনীয় অধিকার, as much as libertarians do. (লক্ষ্য করুন, লিবারেলিজম আর লিবার্টারিয়ানিজম ভিন্ন আদর্শ।)
বুশের প্যাট্রিয়ট অ্যাক্টের কথা মনে আছে? আপনি হয়তো এর পক্ষে। কিন্তু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, আপনার কি মনে নেই যে লিবারেলরা এসবের বিপক্ষে সোচ্চার হয়ে মাঠে পর্যন্ত নেমেছিলেন? একই কাজ ওবামা করলে আদর্শিকভাবে সেটারও বিরোধিতা হবার কথা। হয় নি রমনিদের সমালোচনায় সকল রসদ ফুরিয়েছে, স্রেফ একারণে। আমার প্রথম থেকেই কিন্তু এতটুকুই ছিলো বক্তব্য।
@আল্লাচালাইনা,
বুলস আই। আগে এনিয়ে তেমন কিছু বলিনি, কিন্তু যে হারে ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে স্বার্থপরতা, ধর্মান্ধতা আর ফ্যাসিজমের জয়গান গাওয়া হচ্ছে, তাতে মনে হয় এবারে মুখ খুলতেই হবে। (Y)
@অভিজিৎ,
মুক্তমনায় কোথায় সেটা দেখলেন?
যারা অন্যের উপার্জনের টাকায় নিজের হেলথকেয়ার পাওয়ার জন্যে ওবামাকে ভোট দেয়, তারা তো স্বার্থহীনতার আকর, নাকি?
@রূপম (ধ্রুব),
আপনি যে পৃথিবীতে বাস করেন সেই জগতে যুক্তি ঢুকানোর চেষ্টা বৃথা। আপনার বক্তব্য ওই রমনির সিক্রেট ভিডিওর মতই। যারাই বামাকে ভোট দিচ্ছে তারা সবাই যেন অন্যের উপার্জনের টাকায় নিজের হেলথকেয়ার পাওয়ার জন্যে ‘হাঁ’ করে বসে আছে। কি আর করা, ঠিকই বলেছেন বোধ করি। আপনাদের ‘লিবার্টেরিয়ান’ নীতি অনুযায়ী কেবল নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা আর পিগ হয়ে জীবন যাপন করাটাই আদর্শ মনে হচ্ছে। অন্য কারো কথা ভাবার আর কি দরকার?
@অভিজিৎ,
যুক্তির কথা বলছেন?
আমি বলেছি –
সকল ওবামার ভোটারদের কথা বলা হয় নি।
আপনি সেটাকে বানালেন –
এটাকে বলে ফ্যালাসি অব Affirming the consequent.
অবশ্যই আছে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করুন। অর্থনৈতিক বিনিময় একটা zero-sum game এমন ফ্যালাসি ও মুর্খতায় পা না দিয়ে অর্থনীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করুন। মানুষের বিগত লক্ষ বছরের অর্থনৈতিক বিবর্তনের ইতিহাস পড়ুন। না হলে নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা আর পিগ হয়ে জীবন যাপন করাটাই তো আদর্শ মনে হবে।
@আল্লাচালাইনা,
লিবারটারিয়ানিজম সরকারের তত্ব, সমাজের নয়। সরকার ও সমাজকে এক মনে করে, এমন একটা তত্ব অবশ্য আছে যদি চান….
@রৌরব, লিবেটারিয়ানিজম কোন তত্ব কিনা আমি জানিনা, তবে এইটা যে একটা রাজনৈতিক নড়াচড়া সেইটা জানি। ফলশ্রুতিতে আমার প্রথম কনসার্ন হবে কি পলিসি মেইক করবে বলে তারা বলছে। তাদের প্রস্তাবিত পলিসি যদি হয় গনবিরোধী, আমি সেটার বিরোধীতা করবো। কেননা এই পলিসিই আল্টিমেটলি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সমাজ কিভাবে চলবে, তাই না?
@আল্লাচালাইনা,
না, সরকার ঠিক করে না (করা উচিত না) সমাজ কিভাবে চলবে তা ঠিক করা। সেটাই পয়েন্ট।
@আল্লাচালাইনা,
সেটাই করা উচিৎ। কমিউনিস্টরা ছিল এক এক্সট্রিম, আর এই লিবার্টেরিয়ানরা হচ্ছে আরেক এক্সট্রিম – বাস্তবতার সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই (আর সম্পর্ক নেই বলেই সারা নির্বাচনে এক ভাগ ভোটও পায় না)। কমিউনিস্টরা যেমন এক পার্টি সরকারের একাধিপত্যে/ টোটালিটারিনিয়াজমে বিশ্বাস করে, এই লিবার্টিয়ানরা আবার মনে করে যে কোন সরকার মানেই খারাপ’। খালি সিডর বা স্যাণ্ডির মত দুর্যোগ হলে ক্রিস ক্রিস্টিরা ফেডারেল ফান্ডের জন্য গলা ছাইড়া কান্না কাটি করে আরকি! কমিউনিস্টরা ধন সম্পদকে চুরি দারি করা বাজে জিনিস ভাবে, আর লিবার্টেরিয়ানরা মনে করে ধন সম্পদ হচ্ছে অমৃত, কাউরে কিছু না দিয়ে পিগের মত চাটা লাগবে। তারা তা মনে করে গরীব লোকেরা ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ারের সুবিধা পাওয়া মানে তাদের (মানে এই পিগদের) লভ্যাংশে ঘাটতি পড়ে যাবে (রূপম সাহেবের শেষ মন্তব্যতেও এই আলামত পাওন যায়)। এরা পারলে নিশ্বাস নেবার বাতাসটা কিংবা আপনের নীচে হেটে যাবার পথটা পর্যন্ত ‘নিঃস্বার্থভাবে’ প্রাইভেটাইজেশনে দিয়ে দেয়ার পক্ষপাতী। আর সমকামীদের ঘৃণা করা, এররশন রাইটসের বিরধিতা করা থেকে ক্রিয়েশনিজম প্রমোটের ব্যাপারগুলোতে না হয় নাই বা গেলাম।
আপনি জানেন বোধ হয় লিবার্টেরিয়ান পার্টির গ্যারি জনসন যিনি এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এবং একভাগ ভোটও পাননি, তিনি আসলে রিপাবলিকান পার্টিই করতেন আগে। এরা আসলে রিপাবলিকান পার্টিরই সাইড কিক। এর সমর্থকেরাও তাই। খুব খেয়াল করে দেখবেন, মুখে ‘নিরপেক্ষতার’ কথা বললেও রূপম সাহেবের রাগের বেশিরভাগটা ওবামার উপরেই।
@অভিজিৎ,
ওবামা ইনকামবেন্ট প্রেসিডেন্ট বলে। আপনি আবার আমার মন পড়ে ফেলার দাবি করছেন। আপনি সমগ্র মন্তব্য জুড়ে প্রচুর অতিরিক্ত আরোপ করলেন আমার উপর। সেটা না করে আপনার সাথে আলাপ করা কি সম্ভব না? আমার সম্পর্কে মনগড়া বাড়তি আরোপ না দিয়ে কি আলোচনা করা অসম্ভব আপনার পক্ষে?
@রূপম (ধ্রুব),
দেখুন,
শুরুটা তো আপনিই করেছিলেন। নির্বাচনত্তোর প্রতিক্রিয়া পোস্টের কারণে আমাকে ‘ওবামার মাথায় ছাতা ধরা’, ওবামাকে আমার ‘অবতার’ ইত্যাদি নানা কথা বলেছেন, যেগুলোর কোনটারই দরকার ছিল না।
চলেন বাদ দেই।
@অভিজিৎ,
আবার মিথ্যে কথা। দান করতে কেউ নিষেধ করছে না। তাছাড়া ধন সম্পদ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করলে সেটাতেও সমাজের লাভ হয়, যেটা অর্থনীতি-মূর্খ zero-sum game অনুমানকারীরা দেখতে পায় না।
কিন্তু আপনি তো সরকারি বলপ্রয়োগে একজনের উপার্জন অন্যের কাছে ডিস্ট্রিবিউট করাকে সমর্থন করছেন। এটা লিবার্টারিয়ান আদর্শন নাকি সমাজতন্ত্রী আদর্শ বলেন তো? আপনি দেখাচ্ছেন যে আপনি দুই এক্সট্রিম – সমাজতন্ত্রী আদর্শ আর লিবার্টারিয়ান আদর্শের বিরোধী। অথচ লিবারেল অর্থনীতি তো সমাজতন্ত্রের পথেই ধাবমান। বিল মার সেটা সগর্বেই স্বীকার করে। শুধু শুধু কেনো লিবার্টারিয়ান নীতিকে সমালোচনা করতে গিয়ে আবার সমাজতন্ত্রকে দোষারোপ করার নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছেন? লড়ছেন একজন সমাজতন্ত্রী হয়েই, ভান করছেন আপনি কোনোটাই না।
@অভিজিৎ, 😀 এই প্রপঞ্চটির মধ্যে লুক্কায়িত রয়েছে হাইপারকাব্যিকতা কেনো মানুষকে বিরিঞ্চিবাবাগিরির দিকে ধাবিত করে সেইটার গুঢ় রহস্য! মোট উতপাদিত মেডিকাল কেয়ারের ৭০% এর উপরের ভোক্তা হচ্ছে ষাটোর্ধব জনগন। বুড়োরাই মেডিকেল কেয়ারের সবচেয়ে বড় ভোক্তা। এই বুড়োরা যৌবনে রক্ত জল করে সরকারকে ট্যাক্স দিয়েছে কোন না কোন একটা রিটার্নের আশাতেই, মুফত দেয়নি। রাষ্ট্রের পক্ষ হতে মেডিকল কেয়ার তারা আশা করতেই পারে এইটা খুবই ফেয়ার একটা আকাঙ্খা। এখন যেই ব্যক্তি বলছে যে আমার উপার্জনের টাকায় কেনো বুড়োদের স্ব্যাস্থ ফান্ড করা হবে, সেও কিন্তু এককালে বুইড়া ঠিকই হবে, এবং গেস হোয়াট- নিজের সুস্ব্যাস্থ ফান্ড করতে করতে যখন সারাজীবনের সঞ্চয় ফুরিয়ে যাবে তখন ঠিকই ম্যানম্যান করে বলবে পুঁজিবাদি দুনিয়ে বড়োই কঠোর এবং খ্রাফ 😀 । বৃটেনের এন এইচ এস হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত এম্পলয়ার, বৃটেনে প্রতি ২০ জনে একজন এনএইচএস সরাসরি এমপ্লয়ি বা কন্ট্রাক্টর। এতো দৈত্যাকৃতির একটি সরকারী সংস্থা কিন্তু তথাপিও নিজেকে প্রমান করেছে প্রফিটেবল, বুড়োদেরকে সার্ভ করছে আর এমপ্লয় করছে তরুণদের, বুস্ট করছে ইন্টার্নাল সার্কুলেশন, রিসার্চ এবং ডিভেলপমেন্টে রেখেছে যুগান্তকারী অবদান। আজ যদি এনএইচএস বিলুপ্ত হয়ে যায় সবচেয়ে বড়ো বাশটা খাবে তরুণরাই, বুড়োরা হয়তো মরে যাবে কেবল কাঙ্খিত সময়ের কয়েকদিন আগে- কিন্তু লক্ষ লক্ষ তরুণ হারাবে কর্মসংস্থান, ভবিষ্যত প্রজন্ম হারাবে ডিভেলপমেন্ট। আজকে যেই কম্পিউটার আমরা ব্যাবহার করছি সেইটার কারণ হচ্ছে আজ থেকে চল্লিশ পঞ্চাশ বছর আগে আমাদের পুর্ববর্তী প্রজন্ম ফান্ড করেছিলো কিউরিয়োসিটি রিসার্চ যেইটার সুফল তারা পরিষ্কারভাবেই জানতো যে তারা ভোগ করে যেতে যাচ্ছে না। এখন এই কম্পিউটারে মুক্তমনা চালাতে চালাতে আমরা যদি ফ্যান্টাসাইজ করি কেনো আমাদের বঞ্চিত করা উচিত আমাদের আগামী প্রজন্মকে তাদের প্রাপ্য ডিভেলপমেন্ট হতে, এর চেয়ে প্যাথেটীক বিরিঞ্চিবাবাগিরি আর কি হতে পারে? আমেরিকার ফেড্রেল গভর্নমেন্টকে বড়ো করা উচিত, এডুকেশন ও হেলথকেয়ার নিজের করায়ত্ব করা উচিত, সরকারী পলিসির সুফল ভোগ করে যারা বানাচ্ছে বিশাল বিশাল প্রফিট এদের উপর ট্যাক্স আরোপ করা উচিত বিশাল বিশাল হারে, মিলিটারি স্পেন্ডিং কমানো উচিত ফিজিকাল ইন্টার্ভেশনকে ড্রোন উড়ানো দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে, এডুকেশন, রিসার্চ এবং ডিভেলপমেন্টে ঢালা উচিত অঢেল পরিমানে টাকা, ফাইনান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিকে রাখা উচিত শক্ত নজরদারী এবং রেগুলেশনের ভিতরে। এই সবগুলো কাজই ওবামা করছে বলেই আমি ওবামার প্রতি এবসলিউটলি সমর্থনশীল। আমাদের আজকের ইকনোমিক ক্ষরার অবসান ঘটলে হিরো হিসেবে যেই দুটি চরিত্র বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি, তারা হচ্ছে এঙ্গেলা মার্কেল এবং বারাক ওবামা। যদিও এইটা একান্তই আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী, আমি পালন করেছি সর্বচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী খুব ভালো কিছু না হোক অন্তত যাতে এন্টিসোশ্যাল কিছু না হয়।।
@অভিজিৎ,
বাংলাদেশের নাস্তিকদের মত 🙂
@রৌরব,
হাঃ হাঃ বাংলাদেশে নাস্তিকদের আলাদা কোন পার্টি কিন্তু নেই, তবে হ্যাঁ কমি পার্টিগুলোর প্রায় মৃতবৎ শাখা প্রশাখা আছে যারা সসস্ত্র মসস্ত্র বিপ্লব টিব্লবের কথা বলেও শেষ পর্যন্ত ইলেকশনে দাঁড়ায়, এবং অতি অবশ্যই তাদের অবস্থান বাস্তবতা থেকে শত সহস্র যোজন দূরেই। 🙂
@অভিজিৎ,
সিডরের সময় ক্রিস্টির স্টেটিস্ট ভূমিকার বিরূদ্ধে লিবার্টারিয়ানদের উত্তুঙ্গ বিরোধিতার কথা স্পষ্টতই আপনি জানেন না, “মনস্টার” শব্দটাও ব্যবহার হয়েছে।
আসলে আপনার শেষ প্যারাগ্রাফে আপনার মূল কনফিউশনটা স্পষ্ট। আপনার ধারণা, “আসলে” লিবার্টারিয়ান বলে কেউ নেই, সবই রিপাবলিকান পার্টির ধামাধরা। অর্থাৎ, সমর্থন বা বিরোধিতার কথা পরে, আপনি তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না।
জানাশোনার অভাবের পাশাপাশি এর আরেকটা কারণ হতে পারে নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এটার relevance এর অভাব। এই দ্বিতীয় কারণটির প্রতি আমার সহানুভূতি আছে।
@রৌরব,
আপনার সাথে বিতর্কের সুবিধা হল, আপনি ব্যক্তিগত বিশেষণ বাদ দিয়ে এবং আক্রমণ পরিহার করে বিতর্ক করেন, যা ব্লগের অনেকেই করতে পারেন না। বিতর্কটি যদি রূপমের সাথে না হয়ে আপনার সাথে হত তবে হয়তো জল এত দূর পর্যন্ত গড়াতো না।
আপনি শেষ প্যারাগ্রাফটির কথা বলছেন তা, আপনার হয়তো বুঝতে পারতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, রূপমের ক্রমিক মন্তব্যের ফলাফল। উনিও একইভাবে জেনারালাইজড করেছেন আমার অবস্থানকে, যা স্বভাবতই আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। সাধারণত: আপনার মন্তব্য খুব বেশি একপেশে হতে দেখা যায় না, এক্ষেত্রে ব্যক্তিক্রমটির একটি কারণ কারণ হয়তো বা এই যে আপনিও লিবার্টেরিয়ান ফিলসফির ভক্ত, এবং একটি মন্তব্যে নিজেই স্বীকার করেছেন যে সুযোগ থাকলে গ্যারি জনসনকেই ভোট দিতেন।
আসলে কনফিউশন আমার দিক থেকে নেই। গ্যারি জনসন রিপাবলিকান পার্টিই আগে করতেন, এবং তার অনেক পলিসিই রিপাব্লিকান পলিসির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এমনকি রমনি ভোটাররা একটা সময় শঙ্কিতও ছিলেন যে রমনির অনেক ভোট হয়তো গ্যারি কেটে নিতে পারেন। ডেমোক্রেটদের তরফ থেকে এ ধরণের আশঙ্কা কখনোই ছিল না।
তবে হ্যা, আমি সবাইকে রিপাবলিকান পার্টির ধামাধরা বলে মনে করি না, কারো কারো বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান অবশ্যই আছে। আসলে আগে অনাবশ্যক ব্যক্তিগত আক্রমণসূচক মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যের কারণে সেই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়নি, এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
তবে, ক্রিস ক্রিস্টির সাথে বিতর্কের ব্যাপারটা ‘জানিনা’ বলছেন, কিন্তু জানার ব্যাপারটা শুধু নির্দিষ্ট ডোমেইনেই সীমাবদ্ধ বলে মনে করি না আমি। লিবার্টেরিয়ান পার্টি প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্রিস্টিকে ফেডারেল সাহায্য নেবার জন্য ‘Boyishly Stupid’ ‘With friends like Chris Christie you don’t need enemies.’ ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে এমন উদাহরণও আছে। এমনকি নির্বাচনের পরেও বহু কনজারভেটিভ (এর মধ্যে লিবার্টেরিয়ানরাও আছেন) রমনির হারার জন্য ক্রিস্টিকে দায়ী করেছেন। যা হোক, ক্রিস্টির কথাটা বলেছিলাম এটা বোঝাতে যে, যখন দূর্যোগ দুর্বিপাক আসে তখন রাষ্ট্র এবং সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারটা স্পষ্টই বোঝা যায়। এরকম অনেক ব্যাপারই উদাহরণ দেয়া যায় বাস্তবতাগুলো বোঝানোর জন্য, লিবার্টেরিয়ান পলিসি যেটা থেকে অনেক দূরে বলেই আমি মনে করি। অনেক পলিসিই রীতিমত ইউটোপিয়ান, কেবল নীতি এবং আদর্শকেন্দ্রিক। আসলে ‘প্রিন্সিপাল ভার্সেস প্র্যাগমেটিজম’ ডিবেটটের মধ্য দিয়ে লিবার্টেরিয়ান পার্টিকে প্রতিনিয়ত জুঝতে হচ্ছে, সেটা এই পার্টি সম্বন্ধে যারা খোঁজ রাখেন তারাই জানেন।
ভাল থাকবেন।
@অভিজিৎ,
আপনি বাদ দিতে বলেছিলেন আমাকে। আশা করি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে আপনারও আগ্রহ থাকবে। না হলে আমাকে বাদ দিতে বলার পর আমার ব্যাপারে জাজমেনট পাস কনটিনিউ করাটা ফেয়ার হয় না।
@রূপম (ধ্রুব),
না সত্যই জাজমেন্ট পাস নয়, রৌরবের ব্যক্তিগত আক্রমণ পরিহার করে একেবারে নৈর্বক্তিক ভঙ্গিতে বিতর্ক করার অবিস্মরনীয় ক্ষমতা রয়েছে, যা আমার আপনার এবং ব্লগের অন্যান্য সবার কাছেই শিক্ষনীয় হতে পারে। একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।
আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়াতে আমার বেশ কিছু মার্কিন বন্ধুবান্ধবদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা যে বিষয়টি উল্লেখ করেছে তা হলো-
১। আমেরিকা পরিস্কারভাবে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। সাদা ও কালো বা মিশ্র ।
২। আমেরিকার ধ্বংসের বীজ রোপিত হলো।
৩। ওবামা আমেরিকাকে ইসলামি দেশ বানাতে চায়।
এখন তাদের যুক্তি হলো- এ নির্বাচনে কালো ও অভিবাসী মিশ্র জাতির লোক অধিকাংশই ওবামাকে ভোট দিয়েছে।
ওবামা তার মেডিকেয়ার ও অন্যান্য সেবার মাধ্যমে সরকারের ব্যয় বিপুলভাবে বাড়িয়ে ফেলেছে ( আনুমানিক ৭৫০ বিলিয়ন ডলার)। এমনিতেই আমেরিকান সরকারের সর্বমোট ঋণ হলো ১৬ ট্রিলিয়ন ডলারের মত, ওবামা যেভাবে সমাজতান্ত্রিক স্টাইলে জনগনের জন্য সেবার দ্বার উন্মোচন করছে ইউরোপিয় দেশ সমূহের মত, তাতে করে এ ঋণ আরও বাড়বে ছাড়া কমবে না। অন্যদিকে ট্যাক্সের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়াতে দেশে বিনিয়োগ কম হবে। মানুষের চাকরি সৃষ্টি হবে না। ফলে পরিশেষে সরকারের রাজস্ব আয় যথেষ্ট হবে না , ফলাফল- সরকারী ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়বে ছাড়া কমবে না যা অবশেষে আমেরিকাকে গ্রীস বা স্পেনের মত পরিস্থিতিতে ফেলে দেবে। এতে আমেরিকা যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাতে গোটা বিশ্ব ব্যপী বিপর্যয় ঘটে যাবে। রিপাবলিকানরা যেটা বলছে- এতে করে দেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে কালো মানুষ , হিস্পানিক ও মুসলমানরা দেশে সরকারের অর্থে বিনা পরিশ্রমে খেয়ে পরে দিনি দিনে বৃদ্ধি পাবে ও এক সময় তারা দেশে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এদের মত পরিশ্রম বিমূখ ও শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহী কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষে যদি দেশ ভরে যায় তা আমেরিকার মত একটা দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। তাদের ভয়- এতে করে দেশ একসময় মুসলমানদের দখলে চলে যাবে। তারা সবাই এক বাক্যে ওবামাকে সমাজতান্ত্রিক ও ইসলাম প্রেমী বলে চিহ্নিত করেছে। আর তাই তারা সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ ও ইসলাম ফোবিয়াতে ভুগছে ও আমেরিকার পতন আশংকায় ভীত হয়ে পড়েছে। ওবামার ইসলাম প্রীতির অন্যতম নমূনা হিসাবে তারা লিবিয়ার মার্কিন দুতের মৃত্যূ ঘটনায় নানা রকম টাল বাহানা লক্ষ্য করেছে বিশেষ করে ওবামা প্রশাসন পরিস্কার ভাবে আক্রমনকারীদেরকে মুসলিম সন্ত্রাসী না বলে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী বা বড়জোর আল কায়েদা সমর্থক ইত্যাদি বলে ইসলাম যে একটা সন্ত্রাসী ধর্ম এটা সুকৌশলে তুলে ধরেনি। যদিও পাল্টা যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে – বুশও তো বলেছিল যে ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম । তখন তাদের বক্তব্য ছিল – বুশ বা আমেরিকানরা তখনও ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ জানতো না , এখন সবাই কম বেশী জানে। এখন তো বুশের মত একই বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। পরিশেষে সবাই একবাক্যে বলেছে ওবামা প্রশাসন পরিস্কারভাবে ইসরাইলকে উপেক্ষা করেছে । তারা বলেছে- ইসরাইলের কারনেই আমেরিকানরা আরব দেশগুলোর কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ব্যবসা করে থাকে, ইসরাইল না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না, বরং ইসরাইল না থাকলে আমেরিকা সম্ভবত: আরব দেশে তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতেই পারত না। আরব তেলের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে কয়েক দশক আগে থেকেই আমেরিকা তদানীন্তন সমাজতান্ত্রিক রাশিয়াকে পেছনে ফেলে গোটা বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছে, এখন সেই ইসরাইলকে যদি দুর্বল করে দেয়া হয়, তাতে পক্ষান্তরে আমেরিকার ক্ষতি। উদাহরণ হিসাবে তারা বলেছে আরব বসন্তের পর প্রতিটি দেশেই মুসলিম মৌলবাদীরা ক্ষমতায় এসেছে ও অন্য দেশেও আসবে যারা আমেরিকা ও ইসরাইল উভয়কেই প্রচন্ড ঘৃণা করে। এভাবে সব দেশে মুসলিম মৌলবাদিরা ক্ষমতায় এসে তারা তাদের তৈল অস্ত্র ব্যবহার করে গোটা বিশ্বেই মারাত্মক ধ্বস নামাতে পারে কারন তাদের মতে এসব মৌলবাদিরা মোটেও মানবাধিকার বা মানবতার ধার ধারে না , জীবনের কোন মূল্য দেয় না। তারা তাদের ধর্মের প্রতিষ্ঠায় গোটা বিশ্ব উচ্ছন্নে যাক তাতেও তাদের কিছু আসবে যাবে না বলেই তারা বিশ্বাস করে। ওবামা প্রশাসন এভাবে ইসরাইলকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে মূলত: তৈল সমৃদ্ধ আরব দেশ গুলোতে মৌলবাদীদেরকে ক্ষমতায় আনছে সুকৌশলে যা সাধারন মার্কিনীরা বুঝতে পারছে না এবং এটা করার মাধ্যমে ওবামা প্রশাসন আমেরিকা তো বটেই গোটা বিশ্বকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ধর্মান্ধ মুসলমানদের হাতে দাবার ঘুটিতে পরিণত করছে খুবই কৌশলে ও সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে। তাদের দাবী ওবামা মূলত: আরবদের সমর্থক ও তাই এ নির্বাচনে আরব মুসলমানরা বিপুল তাকে ভাবে চাদা দিয়েছে। তারা আরও বলেছে – একমাত্র ফক্স টিভি ছাড়া বাকী সব মিডিয়া এক তরফা ভাবে ওবামাকে সমর্থন করেছে কারন ওসব মিডিয়ার অধিকাংশ শেয়ারের মালিক নাকি এখন আরবরা আর তাই এসব মিডিয়াতে কি কি প্রচারিত হবে না হবে তা এখন আরবরাই নিয়ন্ত্রিত করে। এর ফলেই নাকি এসব মিডিয়া সর্বাত্মকভাবে ওবামাকে সমর্থন করেছে।
উপসংহার, তাদের বক্তব্য- গর্বাচেভ যেমন বিপুল জনসমর্থন ও কারিশমা দেখিয়ে অবশেষে গোটা সোভিয়েত রাশিয়াকে ভেঙ্গে খান খান করে দিয়েছিল , ওবামাও তেমনি তার কারিশমা দেখিয়ে ক্ষমতায় এসে গোটা আমেরিকার পতন ত্বরান্বিত করছে যা সাধারন মানুষ টের পাচ্ছে না , কারন তারা প্রচন্ডভাবে রাজনীতি বিমূখ। প্রথম টার্ম ক্ষমতা্য় এসে ওবামা তার মিশন সফল করার ভিত্তি তৈরী করেছে, এখন সেসবের বাস্তবায়ন শুরু হবে এক এক করে সরকারী যন্ত্র ব্যবহার করে। তার নির্বাচনের কৌশল হিসাবে তাই সহজ সরল কৌশল সমাজতান্ত্রিক সিস্টেম সবার জন্য মাগনা খাওয়া ও চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছে। আপাত: এটা মানুষকে আকর্ষন করলেও দীর্ঘ মেয়াদে যে এটা আত্মঘাতী একটা কৌশল হুজুগে মাতাল ও রাজনীতি বিমূখ আমেরিকা বাসী মোটেও সেটা বুঝতে পারছে না।
@ভবঘুরে,
কিন্তু এইসবে ওবামার মোটিভটা তো স্পষ্ট হলো না। এতো বড় লঙ্কাকাণ্ড করে ওবামার লাভ কী? ওবামা বা ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নক্সা করে এসব করছে তেমনটা বিশ্বাস্য নয়। তবে এর অনেকগুলোই লিবারেল রাজনীতি ও কালচারাল মার্ক্সিজমের উপজাত। বিশেষ করে অর্থনীতিসংক্রান্ত ইস্যুগুলো। এই যেমন,
বা
যেকোনো সৎ লিবারেল স্বীকারই করে যে এগুলো সমাজতন্ত্রের পথে যাওয়ার নামান্তর। এবং তারা সগর্বে সেই পথে যাওয়াকে সমর্থন করে। এবং এরজন্যে সরকারের ব্যয় বিপুলভাবে বাড়া নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। তারা বড় সরকারে বিশ্বাস করে। অতিব্যয়ে বিশ্বাস করে। এর সপক্ষে ওদের আছে Keynes আর Paul Krugman।
কিছু অসৎ কিংবা নির্বোধ ওবামা সাপোর্টাররা বলবে যে মেডিকেয়ারের কারণে ঋণের বোঝা বাড়বে না আর ট্যাক্স বাড়ালে বিনিয়োগ কমবে না।
লক্ষণীয় যে, রিপাবলিকানরা কিন্তু এর চেয়ে খুব ডিফারেন্ট না। তারা মুখে যাই বলুক, তারা এলেও সেই ঋণের বোঝাও বাড়ে, সরকারি ব্যয়ও বাড়ে, সরকারও আরো বড় হয়। এই দিক দিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বরং প্রশংসাই করতে হয়। তারা বলে যে তারা বড় সরকার চায় এবং ক্ষমতায় এলে তারা বড় সরকারই উপহার দেয়। রিপাবলিকানরা বলে যে তারা ছোট সরকার চায়, কিন্তু ক্ষমতায় এলে তারা উপহার দেয় বড় সরকার।
@ভবঘুরে,
সহমত। তবে বাকি কথাগুলো কিছুটা কল্পনাশ্রয়ী মনে হল।
@ভবঘুরে, আমার তো মনে হয় আপনার আমেরিকান বন্ধু দের অস্তিত্ব আপনার কল্পনাতেই। নিজের কথাগুলো সরাসরি বললেই পারতেন। খামোকা আমেরিকান বন্ধু টানার দরকার কি ছিলো?
@ভবঘুরে,
আপনার ভিন্নধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, যদিও আপনার অধিকাংশ অভিমতের সাথেই আমি খুব একটা একমত নই। আসলে আপনি যে কথাগুলো বলেছেন তার বেশ কিছু রাইট উইং ফক্স নিউজে আমরা অহরহ শুনি। সফিকের মত আমারো ধারণা আমেরিকান বন্ধু টন্ধু নয়, ওগুলো আপনার নিজেরই কথা। যা হোক, আপনার হোক, বা আপনার বন্ধুরই হোক, মন্তব্যগুলো অনেকগুলোই একপেশে এবং সত্য থেকে অনেক দূরে। ফক্স নিউজের বাইরেও কিছু রূঢ় সত্য আছে, তা আমি আমার ইংরেজী লেখাতেই বলেছি। কয়েকটা বিষয়ে অভিমত দেই –
এই বিষয়টা রাইট উইং মিডিয়া খুব জোরে সোরে প্রচার করছে যে ওবামা ক্ষমতায় গেলে বা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসলে চাকরীর বাজার ধ্বসে যাবে, আর আমেরিকা স্পেন বা গ্রীসে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। ব্যাপারটা সত্য নয় একেবারেই। ওবামা কোন নতুন কিছু বা নতুন কোন পলিসি উদ্ভাবন করেননি, ডেমোক্রেটদের পলিসি যেটা ক্লিনটন বাস্তবায়ন করেছিলেন, সেটাই অনুসরণ করছেন। এই ব্যবস্থায় মধ্যবিত্তরা ধনিদের থেকে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায়, এবং অনেকক্ষেত্রে চাকরীর বাজারের পতন নয়, বরং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আপনার বিশ্বাস না হলে কিছু ফ্যাকচুয়াল ইনফরমেশন দেই আপনাকে।
১৯৬১ সালের পর থেকে এবারকার ওবামার বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৫২ বছরে রিপাবলিকানেরা হোইয়াট হাউসে থাকতে পেরেছে ২৮ বছর, আর ডেমোক্রেটরা ২৪ বছর। এই ৫২ বছর পাবলিক সেক্টরে ৬৬ মিলিয়ন চাকরীর ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে রিপাবলিকানেরা কতটুকু করেছে আর ডেমোক্রেটরা কতটুকু? বেশি বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও রিপাবলিকানেরা করতে পেরেছে মাত্র ২৪ মিলিয়ন, আর ডেমোক্রেটরা করেছে ৪২ মিলিয়ন। বুঝতে পারছেন হিসাবটা ? ২৪ মিলিয়ন বনাম ৪২ মিলিয়ন। অর্থাৎ ডেমোক্রেটদের পলিসি অনুসরণ করে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে চাকরীর বাজার তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। ব্যাপারটা বিল ক্লিনটন তার ডেমোক্রেটিকদের কনভেনশনে পরিষ্কার করেছিলেন – ‘এরিথম্যাটিক’ দিয়ে।
আমেরিকার রিজার্ভের বিষয়টিই দেখুন না। ক্লিনটন যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন, আর জর্জ বুশ হোয়াইট হাউসে আসেন তখন আমেরিকার রিজার্ভ ছিল ৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার সারপ্লাস, আর চার চার আট বছর রাজত্ব করার পর বুশ সাহেব যখন বিদায় নিলেন তখন আমেরিকার ঘারে ঋণের বোঝা কত জানেন ? ১১ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার সারপ্লাস থেকে ১১ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের দিকে নিয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। রিপাবলিকান পলিসি ভাল হলে কি আমরা উল্টোটাই দেখতে পেতাম না? হ্যাঁ ওবামা রাতারাতি সবকিছু বদলে দিতে পারেনিনি, কিন্তু জর্জ বুশের সময় ৬৪৬, ০০০ গুলো জব কমে গিয়েছিল, ওবামার সময় অন্ততঃ ৩৩২,০০০ জবের উন্নয়ন ঘটেছে, এটা বিশেষজ্ঞরাই বলেছেন। কাজেই রাইট উইং প্রোপাগাণ্ডাকে সত্য ভাবার আগে ডেটা দিয়ে চিন্তা করুন।
মার্কিন রাষ্ট্রদুতের মৃত্যু আগেও ঘটেছে, কিন্তু এ ব্যাপারটা নিয়ে জল ঘোলা করছেন রাইট উইং মিডিয়া ইচ্ছে করেই ওবামার ‘ইসলামের প্রীতির’ নিয়ামক হিসেবে তুলে ধরতে। বস্তুত তা নয়। ৯/১১ এর ঘটনা ঘটনার পর বুশ আরেকটি টার্ম রাজত্ব করেছিলেন কিন্তু ইসলামকে শান্তির ধর্ম ছাড়া অন্য কিছু বলেননি। শুধু তাই নয় তার পলিসিও ছিল ভুলে ভরা। ৯/১১ এর রিভেঞ্জ হিসেবে তিনি ইরাক আক্রমণ করে বসলেন, অথচ যে দেশটির সাথে –
-৯/১১ এর কোন সম্পর্ক ছিল না
– আল কায়দার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না
– কোন ‘ওয়েপন অব ম্যাস ডেস্ট্রাকশন’ ছিল না।
ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজতে আফগানিস্তানে, ইরাকে সহ নানা জায়গায় বম্বিং করেছেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন, বেসামরিক জায়গায় হামলা করেছেন, ১৩২,০০০ নারী শিশু সহ বেসামরিক লোকজন মেরেছেন, আমেরিকার ওপর ১ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা চাপিয়েছেন, কিন্তু ওসামা বিন লাদেনকে তিনি খুঁজে পাননি।
ওসামা বিন লাদেনকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেছে এই ওবামার সময়ই। তার মিশনেই ওসামা বিন লাদেন, আনোয়ার আল আওলাকি সহ আল কায়দার উচ্চপদস্থ নেতারা ধূলিস্ম্যাত হয়েছে, আল কায়দা হয়েছে দুর্বল। যে গাদ্দাফির টিকিটাও আগে ধরা যায়নি আগেকার প্রেসিডেন্টার আমলে তার পরিণতিও আমরা দেখেছি। তবে যেভাবে মিশনগুলো সম্পন্ন হয়েছে তার সাথে আমি একমত নই, এবং সমর্থনও করি না – কিন্তু এটা আমি মনে করি না, ওবামা ইসলামের প্রতি সদয় ছিলেন, আর বুশ মারাত্মক টাফ কিছু ছিলেন, যেটা আলি সিনা এবং তার অনুসারী নিওকনেরা প্রায়ই বলার চেষ্টা করেন। বাস্তবতা হল – বুশের পররাষ্ট্রনীতি ছিল অনেক দিক থেকেই অসার এবং অদূরদর্শী।
এই যুক্তি অনেকটা ‘রবীন্দ্রনাথের দাঁড়ি আছে, রামছাগলেরও দাঁড়ি আছে, অতএব, রবীন্দ্রনাথ = রামছাগল‘, টাইপের যুক্তি হয়ে গেল না? গরবাচভের ক্যারিশমা ছিল, তিনি নির্বাচিত হয়ে যা করেছেন, ওবামাও তাই করবেন এটা কে বলল? ওবামাকে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ শুধু নয় – বিপুল ভাবে সংখ্যালঘু মানুষ, ইমিগ্র্যান্ট এবং নারীরা ভোট দিয়েছে কারণ তারা ভেবেছে তার পলিসি তাদের সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক, অন্যদিকে রিপাবলিকান পলিসি ছিল তাদের জন্য বিরাট অন্তরায়। এ ব্যাপারটা বুঝলেই বরং সুবিধা।
সবই বুঝলাম, মুক্ত কন্ঠের সুযোগে এই ধরনের বহু খেলা দেখা যায়।
কথা হল, এই নির্বাচনের ফল আমাদের, অর্থাৎ পেইড ব্লগারদের ওপর কেমন প্রভাব রাখবে বলে মনে করেন? মানে আমাদের বেতন ভাতা কি বাড়বে নাকি কমবে??? বেশ কিছু চ্যানেলে বলছিল যে রিপাবলিকান জেতা নাকি আমাদের জন্য মংগল।
এ নিয়ে আপনার কাছ থেকে পূর্নাংগ বিশ্লেষনাত্মক লেখা জাতি আশা করে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনের উপর প্রভাব হবে সব সময়ই নেতিবাচক। যারা একবার মুক্তমনায় লেখা শুরু করেন,ঙ্ঘার ফিরিয়ে আবার আমার ব্লগে লিখেন, তারপর আবার ফিরে এসে মুক্তমনায় লেখা শুরু করেন, এ ধরণের পাবলিকের বিরুদ্ধে কোরানেও সতর্কবানী দেয়া আছে –
আল্লাহই যদি পথ না দেখায় তো আমি কোন ছার। তার মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সরল পাঠ নিয়া সিরিজ লেখা শুরু করছেন। এ কুল ওকুল দু-কুলই গেছে আপনার। শরিয়া আইনে আপনের বিচার হবে।
@অভিজিৎ,
আপনেরা আর মানুষ হবেন না,নাস্তিক নাস্তিকই থাকবেন। আমারে ধমেশ্বর ধমাধম ধর্মের আসল পথই দেখাইছে।
আমিও একজন প্রেরিত পুরুষ জানেন না? উপরের নির্দেশে মাঝে মধ্যে ধর্ম প্রচারের স্বার্থে হিজরত করতে হয়। আবার স্বদেশে ফেরতও আসতে হয়, সবই তার নির্দেশ। হিজরতের ফলে কত শত নরনারী তাদের বাতিকৃত জাহেলী ধর্ম থেকে ধমাধম ধর্মের ছায়া সুশীতল আরশের নীচে আশ্রয় নিছে সেইটা জানেন?
আসল কথা বলেন। বেশী বেশী পেইড ব্লগার আসায় নিজের ব্যাবসার পেটে লাত্থি পড়তেছে…।
@আদিল মাহমুদ,
দুঃখিত আমি আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। পেইড ব্লগার ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করবেন? নাকি এটা বিদ্রূপাত্মক ভাবে সেইসব ধর্মান্ধ লোকদের উদ্দেশ্যে বলা, যারা বলে থাকে যে ইহুদী খ্রিষ্টান দের টাকা খেয়ে ব্লগার রা ইস্লামের বিরুদ্ধে লেখে?
@অর্ফিউস, 😀
আপনার অনুমান সঠিক।
অন্য কথায় আমরা আসলে ধরা খেয়ে গেছি। বেশ আরামে দিক কাটাচ্ছিলাম, কিছু ইসলাম বিদ্বেষী লিখা লিখেই মাস শেষে হাজার হাজার ডলার……কিছুই করতে হয় না। কিন্তু কিছু বুদ্ধিমান ঈমান্দার ভাই আমাদের ধরে ফেলেছে। ধরে যখন ফেলেছেই, তখন আর রাখঢাক করে কি হবে, তাই বেতন ভাতা নিয়ে সরাসরিই কথা বলি আর কি।
@আদিল মাহমুদ,
ওহ আচ্ছা 😀 😀 😀 । বড্ড মজা পেলাম ইমানদার ভাইদের বুদ্ধি দেখে ।সত্যি ঈমান্দার ভাইদের বুদ্ধি আসলেই একেবারে মারাত্মক :)) ।
@অর্ফিউস,
আপনেও লেগে থাকেন, আপনেরে দিয়েও মনে হয় হবে। আমিও এমনি করেই ইসলাম বিদ্বেষী বর্নমনা নাস্তিককূলের চামচামি করতে করতে একদিন নিয়মিত পে-রোলে ঢুকে যাই।
আপনার মধ্যে আমার ছায়া দেখতে পাচ্ছি। সারা জীবন আর রুটি রোজগার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, সন্তান সন্ততিরও বাপের জোরেই পাকা চাকরি হয়ে যাবে। বছর শেষে সপরিবারে তেল আবিবের বিলাস বহুল রিসোর্টে ফ্রী অবকাশ যাপন……
তবে হ্যাঁ, ভাল বোনাস ইনক্রিমেন্ট চাইলে কিন্তু ভায়া দেবী দেবতার নামে চলবে না। সাচ্চা ইসলামী নাম অবশ্যই নিতে হবে, নবজাতকের সুন্দর নাম গোছের কোন বই খুলে খাস আরবী কোন নাম নিয়ে নিন।
@আদিল মাহমুদ,
হাহা ভালই তাহলে তো ভালই হয় রে ভাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পেটের ধান্ধায় খাটাখাটনি করতে হবে না বসে বলে লিখলেই যখন হাজার হাজার ডলার। 😀 ।কিন্তু তেল আবিবের বিলাস বহুল রিসোর্টে ফ্রী অবকাশ যাপন হবে না হয়ত।বাংলাদেশ সরকারতো ইসরায়েল কে স্বীকার করে না কাজেই ভিসা পাব কিভাবে :-s । অবশ্য আপনারা কেউ ইসরায়েলি ভিসা জোগাড় করে দিলে সেটা ভিন্ন কথা।তাহলে না হয় শুকরিয়া করে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে তেল আবিবের দিকে যাত্রা করব :lotpot:
ইসরে আগে বলবেন না কথাটা। নাম তো নিয়েই ফেলসি গ্রীক দেবতার এখন বদলান ঠিক হবে না 😉 ।
ভাল বোনাস ইনক্রিমেন্ট হাতছাড়া হয়ে গেল ইসরায়েল আর আমেরিকার সরকারের কাছ থেকে। :-X
ভোটের দিন শেষে ওবামার ইলেক্টরাল অর্জন কিন্তু ৩০৩ ছিলো, ৩৩২ নয়। মাত্র সেদিন, ভোটের এক সপ্তাহ পর অবশেষে ফ্লোরিডার গোনাগুনি মোটামুটি শেষ হওয়াতে মোট সংখ্যা দাড়ায় ৩৩২, যা কিনা জেতার জন্য প্রয়জনীয় মাত্র ২৭০ টার চেয়ে অনেক বেশী।
চানাচূর মজা লাগলো বেশ।
@কাজী রহমান,
সেটা জানি। সেজন্যই ইংরেজী আর্টিকেলটা যখন লিখেছিলাম, তখন বলেছিলাম –
Barack Obama won handily with 303 electoral votes, way more than the 270 electoral votes needed for his second term. Of the nine battleground states that were up for grabs, Obama won 7 of them, losing only North Carolina (Florida was still limbo sate).
আর এখন যখন বাংলা আর্টিকেলটা পোস্ট করছি, তখন ফ্লোরিডার ফালফলও জানা গেছে। তাই এখানে ৩৩২!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম, কিন্তু বলা হয়নি। প্রবন্ধ বা কলাম বা ব্লগাড্ডা লেখার ক্ষমতা ( দক্ষতা এবং সময়) কোনটাই নেই। তাই মন্তব্যের ঘরে আশ্রয়।
প্রবাসে অসংখ্য বঙ্গ সন্তান, যারা বাংলার চেয়ে ইংরেজী বলে ভাল, লেখাপড়া আরো ভাল। আমি বলছি অল্প বয়সি ছেলে-মেয়েদের কথা। তাদের জন্য একটা জায়গা করে দে’য়া যায় কি-না?
তারা এখানে এসে, তাদের মত করে লেখালেখি করবে। সেইসাথে তাদেরকে দিয়ে (বা অন্যভাবেও হতে পারে) তাদের ভাষায় বিজ্ঞানের পথ ধরে চলার পথটা একটু একটু করে চিনিয়ে দে’য়া।
সবাই একটু মনযোগ দিলে, অনেক অনেককিছু করা সম্ভব।
মূল লেখা থেকে অনেক অনেক দূরে, এ মন্তব্য কারো বিরক্তি উৎপাদন করে থাকলে আগাম দুঃখ প্রকাশ।
আর ভাল লাগলে, আমি সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে, ধন্যবাদ।
নেট সিলভার ভক্ত হয়ে গেলাম, অভিজিৎদা। আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং ভারতের ইলেকশান আমাকে খুব টানে, এ সংক্রান্ত টকশো বা নিউজ আর্টিকেলগুলো নিয়ে মেতে থাকি। আর নির্বাচনের রাত হলে তো কথাই নেই, নির্ঘুম রাত পার করে ফলাফল নাটক উপভোগ করি, অনেকটা শ্বাসরুদ্ধকর ক্রিকেট ম্যাচের মত! ভারতের ফলাফল এখন আলাদা দিনে হয়, সকালবেলায় শুরু হয়ে দু’তিন ঘন্টার মধ্যেই পুরো ভারতের রেজাল্ট চলে আসে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের কারণে। ফলে ভারতে্র নির্বাচনি ফলাফল সংক্রান্ত নাটক এখন আর আগের মত উপভোগ করা যাচ্ছে না। মনে আছে, হিলারি ও ওবামার প্রাইমারি ইলেকশানের প্রতিটি স্টেটওয়াইজ রেজাল্ট জানার জন্য আমি রাত থাকতেই উঠে পড়তাম, তীব্র উত্তেজনা কাজ করত।
জন কেরি-বুশ আর ওবামা-ম্যাককেইনের ইলেকশান অবজার্ভ করার পর, আমার মনে দৃঢ বিশ্বাস জন্মেছে, নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাসে পরিসংখ্যান ও গণিত আসলেই যাদু দেখা পারে। স্টেটের ডেমোগ্রাফিক, প্রত্যেকটি সেগমেন্টের আলাদ ক্যারেক্টাস্টিক্স, স্যামপ্লিং ও প্রব্যবিলিটি তত্ত্ব আসলেই সঠিক সিগনাল দিতে পারে। আমেরিকাতে শুধু নির্বাচন নয়, যেকোন সোশ্যাল ইস্যুতে এই পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশেও কিন্তু শুরু হতে পারে। দারুণ আনন্দদায়ক ব্যাপার হবে তাহলে।
লেখাটি যথারীতি স্বরস এবং অর্থবোধক হয়েছে, অভিজিৎদা!
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview18-150×150.png[/img]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview20-150×150.png[/img]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview21-150×150.png[/img]
নির্বাচনের পর পরই কিছু একটা লিখতে খুব ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু বাংলাদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যোদ্ধাদের দাপটের কথা ভেবে আর এগোই নি।
নির্বাচনের রাতে আবেগের চোটে আমার চোখেও পানি এসে গিয়েছিলো। আবেগটা মূলত এসেছিলো ওবামার ভিক্টরী স্পীচের আগে শিকাগোতে সমাবেত হাজার হাজার নারী পুরুষদের দেখে। অথচ আমি কিন্তু ওবামার খুব বেশী ভক্ত নই। আমি এখনো মনে করি ওবামার চেয়ে হিলারী আরো ভালো, কর্মঠ, যুগান্তকারী প্রেসিডেন্ট হতে পারতো।
আমার মূলত আবেগটা এসেছিলো শিকাগোর সমবেত সমর্থকদের দেখে। সেখানে ছিলো সাদা, কালো, হিস্পানিক, ভারতীয়, চাইনীজ সব ধরনের মানুষ। পুরো বিশ্বের একটা মাইক্রোকজম। আর সবার মুখেই আগামী দিনে সবার জন্যে আরো ভালো একটা পৃথিবীর প্রত্যাশা। যেভাবেই হোক বর্তমানে ডেমোক্র্যাট পার্টি আগামী দিনের আমেরিকা আর বিশ্বকে সংক্ষেপে ধারন করে। আর এর বিপরীতে বোস্টনে সমাবেত রমনীর সমর্থকদের নিয়ে আর কিছু বলার দরকার নেই। সেটা হলো ফেলে আসা আরেক সময়ে প্রতিনিধি কিছু ভীতু মানুষের প্রতিচ্ছবি।
রমনী আর বিপাবলিকান রা এখন বার বার এটাই এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করছে ওবামার বিজয় হলো কালো, হিস্পানিক, অবিবাহিত নারী আর গরীবদের সরকারী সাহায্যের প্রতিশ্রুতির বিজয়। সোজা ভাষায় সম্পদ গ্রহীতাদের বিজয়। আর বলছে রমনী ছিলো সম্পদ স্রষ্টাদের প্রতিনিধি। যেহেতু দিনে দিনে আমেরিকায় এরকম নেট দাতাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, সেকারনেই রমনীর পরাজয়।
এটা যে কতো বড়ো বুলশিট তা বলার জন্যে শক্ত যুক্তি-প্রমান লাগে না। আমেরিকায় যারা শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে, যাদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী আছে, তাদের মধ্যে ওবামার ভোটারদের বিপুল সংখ্যাধিক্য।
ইলেকশনের পরে ভোটিং এনালিসিসে আমার সবচেয়ে বেশী আগ্রহ ছিলো আমেরিকায় এশিয়ানরা কিভাবে ভোট দিচ্ছে এটা দেখার জন্যে। এশিয়ান ভোট নিয়ে তেমন কেউ একটা উচ্চবাচ্য করে না কারনে তারা সংখ্যায় কম। কিন্তু আমেরিকায় সব ধরনের লোকদের মধ্যে, এমনকি সাদাদের চেয়েও, এশিয়ানরা পড়াশোনায় টাকা পয়সায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে। এশিয়ানদের ভোট ওবামা পেয়েছে ৭১% – রমনী ২৭%। এই তথ্যকে ফক্স নিউজ হ্যান্ডল করতে পারবে না।
আমার আরো বিশেষ আগ্রহ ছিলো আমেরিকায় ভারতীয় বংশদ্ভুত হিন্দুরা কিরকম ভোট দেয় এটা দেখার জন্যে। বর্তমানে ভারতীয় হিন্দুরা আমেরিকার সবচেয়ে অগ্রসর মাইনরিটি। উপার্জন- শিক্ষা সব মেট্রিকেই তারা সবাইকে অনেক পিছে ফেলেছে, এমনকি ইহুদীদের কেও। পুরো বিংশ শতাব্দীর শেষ অর্ধজুড়ে ইহুদীরা ছিলো আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী মাইনরিটি। শিক্ষা, অর্থনীতি, মিডিয়া সবখানেই ছিলো তাদের আধিপত্য। আর ইহুদীরা বিপুল পরিমানে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক এবং লিবারেল। রিপাবলিকানরা যে আমরিকান সমাজের বড়ো বড়ো স্তম্ভ মিডিয়া, একাডেমিয়া, হলিউড এইসব জায়গায় নিজেদের অপাংক্তেয় বলে কান্নাকটি করে তার পেছনে অনেকটাই সারবত্তা আছে।
যাইহোক ইহুদীদের মতোই আগামী দশকগুলোতে সম্ভবত ভারতীয় আমেরিকান রা সবচেয়ে প্রভাবশালী মাইনরিটি হতে যাচ্ছে। আমার কৌতুহল ছিলো চার বছর ধরে ওবামা এবং ডেমোক্র্যাটদের কে গোপন মুসলিম, আরব প্রিয়, সোসালিস্ট বলে প্রচার করার পরে হিন্দু আমেরিকানদের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া হয় দেখার জন্যে। দেখা যাচ্ছে এমনকি ইহুদীদের চেয়েও ভারতীয় আমেরিকান রা আরো বেশী ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। মাত্র ৯% ভারতীয় আমেরিকান নিজেকে রিপাবলিকান আইডেন্টিফাই করে। আর ৭২% ই ডেমোক্র্যাট। আমরিকায় বলায় হয় নতুন ভোটাররা কয়েকটা ইলেকশন সাইকেল এক পার্টিকে ভোট দিলে পরে সেই পার্টির বিশ্বস্থ সমর্থক হয়ে যায়। ভারতীয় আমেরিকানরা বিপুল পরিমানে ওবামাকে ভোট দিয়েছে ২০০৮ এবং ২০১২ তে। এই গ্রুপটি বিশ্বস্থ ডেমোক্র্যাট হয়ে গেলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ফান্ডিং, নেতা, কর্মী, প্রভাবশালী সমর্থকদের জন্যে আর আগামী ৫০ বছর চিন্তা করতে হবে না।
এখানে এবছরে পিউ রিসার্চ গ্রপের কয়েকটি সার্ভের ফল দেয়া হলো।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview18.png[/img]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview20.png[/img]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview21.png[/img]
@সফিক,
এর বিপরীতে মন্তব্যে একটা ভালো পয়েন্ট এস্টাবলিশ করেছেন যে শিক্ষিতদের মধ্যেও আসলে ডেমোক্র্যাট পার্টি সমর্থক বেশি। তবে এখানে উভয় জনগোষ্ঠিতে ভিন্ন মানসিকতা কাজ করে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে liberal consciousnessটা নাড়া দেয় (ওবামা লিবারেল কি না সেটা ব্যতিরেকে)। আর অন্য জনগোষ্ঠিটার কাছে ওবামার অর্থনৈতিক লেফটিস্ট অবস্থানটা যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা কি অস্বীকার করবেন?
নিচের ভিডিওটার মতো ধ্যানধারণা খুব বিরল মনে হয় না।
https://www.youtube.com/watch?v=P36x8rTb3jI
আর মানুষের আবেগে ভেসে ওবামা আসলো শুনতে শুনতে তো কান পঁচে গেলো। আপনার কাছ থেকে ওবামার রাজনৈতিক বিশ্লেষণের অপেক্ষায় আছি। আবেগ দিয়ে হয়তো বেনগাজির কেলেংকারি ধামাচাপা দেওয়া যাবে, কিন্তু আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয় কি ঠেকানো যাবে?
@সফিক,
ভারতীয়দের সম্পর্কে তথ্যগুলি ঠিক না। সব মিলিয়ে দেড় মিলিয়ান ভারতীয় ভোটার ও নেই আমেরিকাতে। ধনী ভারতীয় যতজনকে জানি-এক রমেশ কাপুর ছারা সবাই রিপাবলিকান। সাধারন ভারতীয়রা অবশ্যই ডেমোক্রাট। তবে ভারতীয়রা আমেরিকান নির্বাচনে ভোটে প্রচুর টাকা ঢালে নিজেদের ব্যবসা আর ক্ষমতার জন্যে। ফলে আমেরিকান রাজনীতিতে ভারতীয়দের প্রভাব বেশ বেশী এখন-সবটাই টাকার জোরে। আমি আমার চেনাশোনা ভারতীয়দের মধ্যে অনেককেই জানি যারা এই নির্বাচনে ১০০,০০০ ডলারের বেশী দান করেছে। এর অধিকাংশই বেআইনি বলাই বাহুল্য কারন আইনের পথে ৪০০০ ডলারের বেশী দেওয়ার নিয়ম নেয়। আর টাকাগুলো গেছে দুই পক্ষেই।
@সফিক,
চমৎকার মন্তব্য। আপনার প্রায় সবগুলো কথার সাথেই একমত পোষণ করছি। ইপ্র্যাকটিকাল ভাবে ওবামা রমনিকে একই কাতারে ফেলে সমালোচনা করলেই (অনেকে করছেন এখানে) তো হবে না, বাস্তবতাটাও দেখতে হবে। ওবামা আর রমনির মধ্যে যে নির্বাচিত হবে, তার পলিসিগুলোই আগামী চার বছর রাজত্ব করবে – এই সহজ হিসেবটা এড়িয়ে গিয়ে যত ‘নিরপেক্ষ’ সেজেই আমরা সমালোচনা, কু-আলোচনা করি না কেন, ফলাফল শূন্যই থাকবে।
কোন কারণে আপনারদেয়া ছবিগুলো আগে ঠিকভাবে আসেনি। এখন ঠিক করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য বলছি – আপনাকে যেটা করতে হত img ট্যাগ এর ভিতরে পিএজি ফাইলগুলোর লিঙ্ক দিতে হত – এভাবে, http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/11/overview18.png ; কোন attachment id হিসেবে নয়। লিঙ্কের শেষে পিএনজি, বা জেপিজি পিকচার ফাইল আছে কিনা সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যাহোক, ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ। ডেটা স্পিক্স ফর ইটসেলফ!
নিও-কনরা ধর্মান্ধ বিজ্ঞানশিক্ষাবিহীন দেখে সমালোচনার বেলায় যে লিবারেলরা হরে দরে পার পেয়ে যায়, এটা ঠিক না। 🙂
msnbc aka ডেমোক্রাটিক পার্টির ফক্স নিউজ একেকটা ডিবেট শেষে তো কম ক্লাউনগিরি দেখায় নি। ওরা হয়তো ধর্মান্ধ আর বিজ্ঞানবিমুখ নয়। কিন্তু প্রতিদিন মিথ্যার রিসাইক্লিংতো দেদারসেই চলে।
এই lesser of two evil এর false dilemmaয় আপনারাও যদি পা দেন, তাহলে কেমনে?
কয়েকটা খুচরা সোশ্যাল ইস্যু ছাড়া আর কীসে লাভ হলো বলেন তো?
@রূপম (ধ্রুব),
সোশ্যাল ইস্যুগুলো আমার জন্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এটুকু আমি বলতে পারি। বাকি ব্যাপারগুলো যেগুলো কারণে ওবামাকে বিজয়ী করা প্রয়োজন বলে মনে করেছি, তা আমার ইংরেজী লেখাতেই বলেছি। দেখতে পারেন।
হ্যা, সমালোচনা সবকিছুরই করা যায়, কিন্তু প্র্যাক্টিকালিটিটাও দেখতে হবে। কাউকে সমর্থন না করে ঘরে বসে থাকা যেত, কিংবা লিবার্টেরিয়ান পার্টিকে সমর্থন করা যেত, কিন্তু সেটা আখেরে সর্বনাশই ডেকে আনতো। মনে আছে না – বছর কয়েক আগে রালফ নাদের ফ্লোরিডায় ডেমোক্রাটদের ভোট কেটে যেভাবে বুশকে প্রেসিডেন্ট হবার পথ সুগম করে দিয়েছিল, সেটা তো চোখের সামনেই দেখা, আর তারপরের ইতিহাসও সবার জানা।
ভাল লাগলো আপনার কমেন্ট পেয়ে।
@অভিজিৎ,
সে কথা আমিও বলবো না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির যে inevitable দুর্যোগ আসন্ন, সেটা ঠেকানোর যাদুমন্ত্র কারোই নেই।
বলছিলাম যে, lesser of two evils-কে সমর্থন করার মধ্যে একটা inherent contradiction আছে। আধুনিক গণতন্ত্র কাজ করে কেবল শাসকের উপর শাসিতের কড়া নজরদারি, vigilance এর মাধ্যমে। কিন্তু দেখুন মিট রমনি আর নিওকনরা কী বরবাদটা আমাদের করলো। ওদের চরম মুর্খতার কারণে মানুষ তাদের সকল সমালোচনা আর নজরদারির রসদ ওদের পেছনে খুইয়েই বসে আছে। এখন ওবামার হিরো হওয়া ছাড়া গতি কী? এখানে সমালোচনা করাটাই বেশি প্র্যাকটিকাল। ওটাই আমার পয়েন্ট।
আর শান্তির পায়রা লিবারেল ওবামার স্বরূপ সংক্রান্ত এই ভিডিওটা আপনার জন্য রাখলাম 🙂
httpv://www.youtube.com/watch?v=Skw-0jv9kts
@রূপম (ধ্রুব),
ভিডিও লিংকটা আবারঃ
https://www.youtube.com/watch?v=Skw-0jv9kts
@রূপম (ধ্রুব),
না বলে আর কি উপায় কি! লিপার্টেরিয়ান পার্টির যে জনসমর্থন আর মতি গতি, এদের নিয়ে বেশি কথা না বলাই উত্তম হবে। রন পল সহ বেশিরভাগ লিবার্টেরিয়ানের সাথে এই নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে তাদের আমার ইপ্রেক্টিকাল মনে হয়েছে। আর তার নামে যে রেসিজমের অভিযোগও আছে, সেগুলোতে না হয় নাই বা গেলাম। । কেউ কেউ আবার প্রকাশ্যেই ভয়ানক স্বার্থপর, ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং সুবিধাবাদী। রাষ্ট্রকে সরিয়ে চার্চের হাতে ক্ষমতা দিতে চান, রিপাবলিকানদের মতোই সমকামীদের ঘৃণা করেন, এবোরশন রাইটের ভয়ানক বিরোধী, কিন্তু ধর্মের বেলায় পা চাটতে ওস্তাদ। সমালোচনা করলে সেগুলোরও করুন।
সমালোচনা করুন সমস্যা নেই। কিন্তু সমাধানটাও তো কেউ কেউ দেখতে চাইবেন। আপনি সবাইকে তুমুল সমালোচনা করে চুপটি করে ঘরে বসে থাকুন, সমস্যা নেই; কিন্তু নির্বাচন তো থেমে থাকবে না। আর একচোখা সমালোচনাতেই বা ফায়দা কি? রূপার্ট বোনহ্যাম, রন ভ্যানভেন্ডার, ডেভিড মোরান, রোনাল্লড রেইমার্স এর মত লিবার্টেরিয়েনেরা গভর্নরের নির্বাচনে আম- ছালা সব মিলিয়ে ২% এর বেশি ভোটও নিজেদের থলিতে নিতে পারবে না সেটা সবারই জানা ছিল (হয়েছেও তাই); ওবামা আর রমনির মধ্যেই কেউ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবে – সেটাই ছিল নির্বাচনের বাস্তবতা। আর নির্বাচন যখন হচ্ছেই, কোন পলিসিগুলো ভবিষ্যতে রাজত্ব করবে, তা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল বইকি। তাই সে বিষয়ে কেবল একশন না নিয়ে কেবল সমালোচনা করে বসে থাকাটাও আমার চোখে এক ধরণের সুবিধাবাদই।
আমার মুখে কথা বসিয়ে সেটা আবার বিরোধিতা করলে ফায়দা কি? আমি তো ওবামাকে শান্তির পায়রা বলিনি। ওবামা শান্তির পায়রা যেমন নন, তেমনি আবার ময়দানবও নন। রমনির চেয়ে ওবামা নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন (কেন সেটা আমার ইংরেজী লেখাতেই বলেছি)। নির্বাচনের ফলাফল সেদিকেই গেছে। এইটুকুই।
@অভিজিৎ,
আমি কষ্মিনকালেও কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের “লিবার্টারিয়ান পার্টির” পক্ষে কথা বলেছি দেখাতে পারবেন? তাহলে ওটার কথা তুলছেন কেনো? ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আর ওবামার গুণগান তো আপনি গাইছেন, তাই তো আপনাকে তাদের মন্দের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া!
আপনার মুখে কথা বসালাম কোথায়? আমিই তো বললাম কথাটা!
@রূপম (ধ্রুব),
স্মরণটা তাহলে আমিও করিয়ে করিয়ে দেই একটু। ‘কস্মিনকালেও কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের লিবার্টারিয়ান পার্টির পক্ষে কথা না বলার কথা উল্লেখ করলেও, আমরা কিন্তু দেখেছি – লিবার্টারিয়ানিজম এবং লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রচারণামূলক পোস্ট হিসেবে শেষ যে লেখা দুটো মুক্তমনায় দিয়েছেন তার প্রথমটাতেই ডেভিড নোলান এবং তার চার্ট নিয়ে বাহাস করেছেন। ডেভিড নোলান যেন কে ছিলেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নন? তাই লিবার্টারিয়ান পার্টির মন্দের ব্যাপারটাও আপনাকে হজম করতে হবে, ঠিক আমার মতোই!
এখন যুক্তরাষ্ট্রের “লিবার্টারিয়ান পার্টির পক্ষে” কথা বলছেন না ভিন্ন কারণে। কারণ কথা বলার মতো মুখটাতো থাকা চাই। আপনাদের লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গ্যারি জনসন এই নির্বাচনে সর্বসাকুল্যে পেয়েছেন পপুলার ভোটের ১% এরও কম (স্পেসিফিকালি ০.৯৮%)। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে নিরপেক্ষ সেজে কানে তুলা দিয়ে ডেমোক্রেট আর রিপাব্লিকানের সমালোচনা ছাড়া আর গতি কি? বাংলাদেশের ইনু পার্টি, বিনু পার্টি, জাকের পার্টির মতো মরা ধরা পার্টি গুলোও তাই করে 🙂
@অভিজিৎ,
নোলান চার্ট নিয়ে লিখলে লিবার্টারিয়ান পার্টির পক্ষে বলা হয়? এটা কোন ধরনের যুক্তি হলো? আমি কমিউনিস্ট পার্টির দাবিনামা নিয়ে লিখার কারণে একই যুক্তি মতে আমি জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টিরও সমর্থক তাহলে।
আর পরের লেখাটা নিয়ে কিছু বললেন না যে? তার সাথে লিবার্টারিয়ান পার্টির পক্ষপাত নেওয়ার কী সম্পর্ক?
আপনি এতো নির্বোধ সে কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। এখানে আপনি কী করছেন, অভিজিৎ রায়, আপনিও জানেন। আমিও জানি।
অভিজিৎ রায়, আপনি ওবামার সাপোর্টে পোস্ট দিয়েছেন। সেটার সমালোচনা করলে সাফাইও আপনিই গাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তার জন্যে আমার অবস্থান নিয়ে মিথ্যাচার আর মিথ্যা আরোপ করাটা কোনো কাজের কথা নয়। ওগুলো ছাড়া ওবামার মাথার উপর ছাতা ধরা যায় কিনা দেখুন।
@রূপম (ধ্রুব),
নির্বাচনোত্তর প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটা প্রবন্ধ লেখার কারণে যদি আমাকে ‘ওবামার মাথার উপর ছাতা ধরা’ থেকে শুরু করে ‘অবতার’ ফবতার সহ হাজারটা বিশেষণ হজম করতে হয় (যেখানে আমি বলেছিই যে আমি কোন রেজিস্টার্ড ডেমোক্রেট নই), তবে ডেভিড নোলান এবং তার চার্ট নিয়ে বাহাস করলে সেটা এক যাত্রায় পৃথক ফল’ আনবে কেন? এমন তো নয় যে আপনি সমালোচনা করার জন্য চার্টটা দিয়েছিলেন, দিয়েছিলেন লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রচারণার জন্যই।
আর লিবার্টেরিয়ানিমের ‘স্বাধীনতাবাদের মূলনীতি’তে বিশ্বাসী হলে, আমার এই অবস্থানকে আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হিসবেই নিন না, তাইলেই তো ঝামেলা চুকে যায়! এত পেরেশানের কি আছে!
@অভিজিৎ,
আবার হাসালেন। এই চার্ট অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে আলোচনা হয়েছে। কেনো? লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রচারণার জন্য? এ নিয়ে পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। কেনো? লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রচারণার জন্য? না। কিন্তু এ নিয়ে আমি ব্লগ লিখলে সেটা চার্টটা নিয়া আলোচনা করার জন্য নয়, লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রচারণার জন্য নাকি করলাম। এই সিদ্ধান্তে আসার জন্যে আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে আপনি টেক্সটের বাইরেও মনের ভেতরের কথা জানতে পারঙ্গম। আর সেই মনপড়া থেকে আসা সিদ্ধান্তের সাথে আপনার নিজের স্বঘোষিত, টেক্সটে উদ্ভাসিত, পার্টিপক্ষ নেওয়ার অবস্থানকে এক করে ফেলতেও আপনার সমস্যা হয় না।
এটাই আসলে কাজের কথা। আমার প্রিমাইসে ভুল ছিলো। আমি ধারণা করেছিলাম এখানে গাড়ল রমনির সমালোচনা করতে গিয়ে lesser of two evils ওবামাকে উঠিয়ে দেওয়ার সুস্পষ্ট বিপদটা আপনিও বুঝবেন। আপনার এমন ভুল মানুষের ব্যাপারে এমন অন্ধ ভক্তি থাকবে আশা করি নি। পেরেশানির কিছু নেই। আমাদের তর্ক করে লাভ নেই। ওবামাকে অর্থনীতি নিয়ে আরো চার বছর নাড়াচাড়া করতে দিন আর আল্লা আল্লা করুন। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
হুমম …দেখুন, ‘টেক্সটের বাইরেও মনের ভেতরের কথা’ জানতে পারঙ্গমতা কিন্তু আপনিও কম দেখাননি। দেখুন আমি কখনোই ওবামার পক্ষে এর আগে একটি কথাও মুক্তমনা কিংবা অন্য কোন ব্লগে লিখিনি, নির্বাচনের আগে কোন পোস্ট দিয়ে বলিনি ‘ওবামাকে ভোট দিন’। এমনকি আপনাকে আমি এও বলেছি যে আমি কোন রেজিস্টার্ড ডেমোক্রেট নই, কোনদিন ছিলামও না। ইস্যু-ভিত্তিক কারণে এই ইলেকশনে আমি ওবামার জয় চেয়েছি, এবং সেটা চেয়েছি ওবামার পলিসির সাথে রমনির পলিসি এবং মতাদর্শের তুলনা সাপেক্ষে। আপনাকে তো বার বারই বলেছি মার্কিন নির্বাচনটা আমার কাছে ব্লগের ক্রিটিকাল আলোচনার মত দার্শনিক ময়দান ছিল না। এখানে গন্তব্য পরিষ্কার। নির্বাচনে হয় রমনি জিতে রিপাবলিকান পার্টি ক্ষমতায় আসবে, নয়তো ওবামা। যে রিপাবলিকান পলিসিগুলো আগামী চার বছর রাজত্ব করলে সামাজিক অগ্রগতি পিছিয়ে যাবে, সেটা প্রতিহত করতে চেয়েছি। কিন্তু স্রেফ এই লেখাটির কারণে (যেটাকে আমি নিজেই অভিহিত করেছি ‘চানাচুর’ টাইপের লেখা হিসেবে, যেখানে বিশ্লেষণের গভীরতা থাকবে না) আপনি ‘ধামা ধরা’, ‘ওবামার মাথায় ছাতা ধরা’ থেকে শুরু করে ওবামাকে আমার ‘অবতার’ পর্যন্ত বানিয়ে দিয়েছেন, যেগুলোর কোনটিই আমি নই। যা হোক এখানে আমি এগুলোর ইতি চাইছি।
ব্লগে আপনার লেখালিখির সাথে আমি যেমন পরিচিত, আপনিও নিঃসন্দেহে আমার লেখার সাথেও। আমি মনে করি আপনার অধিকাংশ লেখাই যুক্তি বিজ্ঞান এবং প্রোগ্রেসিভ দর্শনের উপর ভিত্তি করে চালিত। আপনাকে আমি কখনোই অশুভ শক্তি মনে করি না। আমি নিশ্চিত আমার সম্বন্ধেও আপনার ধারনা মোটেই নিচু নয় (ভুল হলে জানান দিয়েন)। কিন্তু মুশকিল হল ব্লগে ক্যাচাকেচি থেকে অহেতুক সার্কাজম, খোঁচাখুঁচি শুরু হয় যখন মূল বিষয়ে থেকে দূরে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং নিজেদের ইগো রক্ষাটাই যেন মূখ্য হয়ে উঠে। আমাদের মন্তব্য খুঁজলে আমরা দুজনেই সেই দোষে দোষী হব। আপনি নিশ্চয় সেটা বুঝতে পারছেন।
আসলে ব্যাপার কি জানেন, আপনার ব্লগ লেখা শুরু হবার অনেক আগে থেকেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাকে লড়তে হয়েছে, আমার উচ্ছ্বাস আবেগ একটু বেশিই কিছু কিছু ক্ষেত্রে। একটা সময় নাস্তিক নামধারী একটা গোত্র সাথেই মিশে ছিল যারা নির্বাচনে বুশকে সমর্থন করেছিল, প্রকাশ্যেই ইরাক আক্রমণ সমর্থন করেছিল, যে কোন ডানপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল কাজ কর্মকে দেদারসে সমর্থন করেছিলে- ইসলাম এবং মুসলিম তাড়ানোর নামে। সাইফুলের সাম্প্রতিক লেখাটাতে যে নাস্তিককূলের মাওলানা গোত্রের ইঙ্গিত আছে, সেটা কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। ইংরেজিতে ফেইথ ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল (এফএফআই), ইসলাম ওয়াচ সাইটগুলোর পাশাপাশি ‘ভিন্নমত’ বলে একটা সাইট ছিল যেখনে প্রতিনিয়ত ইরাকে গোলাবর্ষণ, প্যালেস্টাইনীদের উপর আগ্রাসন সবকিছু দেদারসে সমর্থন করা হত। আপনি হয়তো দেখবেন আমার ইংরেজী লেখাতে আলি সিনার ‘বার্থার’ ইস্যু এবং অন্যান্য ইস্যু এসেছে। রিপাবলিকানদের পাশাপাশি এই নিওকনদের ব্যাপারটাই আমার মাথায় ছিল লেখার সময়। কিন্তু দেখুন সব ছেড়েছুড়ে এখন আপনার সাথে অনর্থক বাহাস করতে হচ্ছে অনাবশ্যকভাবে, যেটার কোন দরকারই হয়তো ছিল না। আমার মনে হয় আপনি যদি আমার পূর্বেকার লেখাগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন, তবে এই লেখাটিকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিতেই পারতেন, যেমনিভাবে আমিও পারতাম আপনার লিবার্টেরিয়ান আদর্শকে ব্যক্তিগত এবং পার্টি পর্যায়ে ভিলিফাই না করে মন্তব্য দিতে। এটা শুরু করতে পারেন কিনা দেখেন।
হ্যা ওবামা ফেল করলে উনি ফেল্টুস হিসেবেই বিবেচিত হবেন, কোন সমস্যা নেই। জর্জ বুশও দুই দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু যখন তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন, তার এপ্রুভাল রেটিং ছিল – শতকরা ২২ ভাগ, অল টাইল লো। ওবামার ক্ষেত্রে তা হলে অবইশ্যই সেটাকে ব্যররথতা হিসেবে দেখা হবে। তবে আপনার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে আপনি যেন ধরেই নিয়েছেন, ওবামা ব্যর্থ হবে, আর শেষ হাসিটি আপনিই হাসবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে শকুনের দোয়ায় গরু না মরলে? :))
আমীন!
@অভিজিৎ,
কমেন্ট মিস হয়ে গিয়েছিলো। মাত্র পড়লাম। খুব ভালো লাগলো। মেইক নো মিসটেইক, যে এক হাজার একটা কারণে আপনি আমার বা অন্য অনেকের শ্রদ্ধার পাত্র, মাঝে সাঝে দুয়েকটা বেলাইনের তর্কে সেটার একটাও কমার কোনো কারণ নেই। 🙂
@অভিজিৎ,
এক্সাক্টলি।
@রূপম (ধ্রুব),
🙂
@অভিজিৎ,
আমি কিন্তু এজন্যেই বলেছি – “দেখুন মিট রমনি আর নিওকনরা কী বরবাদটা আমাদের করলো। ওদের চরম মুর্খতার কারণে মানুষ তাদের সকল সমালোচনা আর নজরদারির রসদ ওদের পেছনে খুইয়েই বসে আছে। এখন ওবামার হিরো হওয়া ছাড়া গতি কী?”
অ্যাকশন নিয়েছেন ভালো কথা। লিবার্টারিয়ান পার্টিরও সমালোচনা করলেন। আপনার ইংরেজি বাংলা লেখা মিলায়ে কোথাও ওবামা আর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সম্পর্কে কিচ্ছুটি তো দেখলাম না। আপনার কাছে তো রবীন্দ্রনাথও ছাড়া পরে না। ওবামা এতো বড় অবতার? তাতেই না অবাক হচ্ছি।
আর ক্লাউন খালি রিপাবলিকান গাছে ধরে? Debbie Wasserman Schultz আর Nancy Pelosi রা ক্লাউন না? অবশ্য একেবারে পোস্ট দিয়ে নিজের সমর্থিত রাজনৈতিক দল আর নেতার গুণগান করছেন, সেখানে এগুলো আশা করাই বাহুল্য।
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার বিশেষণগুলো আপনার যুক্তির মতোই অদ্ভুত সুন্দর। একবার ওবামাকে বলছেন ‘শান্তির পায়রা’, একবার বলছেন ‘অবতার’, যেগুলোর কোনটিই আমি বলিনি। এমনকি আমি এটাও বলিনি যে ‘লেসার ইভিল’ এর জন্য ওবামার জয় চেয়েছি। যে কথাগুলো আমি বলিনি, সেটার বজ্রবাণের আঘাত আমি সহ্য করব কেন সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যদিও আমার মুখে কথা বসিয়ে দেওয়ার কথা বলায় সেটাও আবার অস্বীকার করছেন। না, আমি কখনোই lesser of two evil এর জন্য ওবামার জয় চাইনি, চেয়েছি কারণ ওবামা অধিকতর যোগ্য ছিলেন তাই, তার পলিসি রমনির চেয়ে ভাল ছিল, ঠিক এই কারণেই। ওবামা অবতারও নন, শান্তির পায়রাও নন। উনি স্রেফ নির্বাচনের লড়াইয়ে যোগ্যতর হিসেবে জয়ী নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
একটি কথা বলি – আমি ওবামা কেন, আমেরিকান বহু পলিসিরই বহু সমালোচনা করেছি। এমনকি কাজী মামুনের সাম্প্রতিক পোস্টটিতেও গেলে দেখবেন প্রথম মন্তব্যটিতেই আমি বলেছি আমেরিকার বহু পলিসিও একটা সময় কিভাবে মৌলবাদিতার বিস্তারে সহায়তা করেছে; যেমন – ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্নের বিরুদ্ধে সারেকাত-ই ইসলামকে সমর্থন দান, পাকিস্তানে ভুট্টোর বিরুদ্ধে জামাতে ইসলামীকে সমর্থন দান, বাংলাদেশে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ক্যু তে ধর্মান্ধ খন্দকার মোস্তাককে সমর্থন দান, মৌলবাদী জিয়াউল হককে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানকে র্যাডিকাল ইসলামী দেশে পরিণত করা, আফগানিস্তানে নজিবুল্লার বিরুদ্ধে বিন লাদেন আর আল কায়েদাকে লেলিয়ে দেওয়া সহ বহু কিছুরই উল্লেখ আছে। ইংরেজিতেও খুঁজলে পাবেন, যেমন সিতাংশু গুহকে দেয়া উত্তরটি এখানে।
তাছাড়া এটাও বলে দেই – আমি কোন রেজিস্টার্ড ডেমোক্রেট নই, ডেমোক্রেট দলের কোন মুখপত্রও নই। পরিসংখ্যানবিদ নেট সিলভার যেমনটি বলেছেন, ‘এবার ওবামাকে ভোট দিলেও সবসময়ই যে ডেমোক্রেটদের ভোট দিব বা দিয়েছি তা নয়, নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীর যোগ্যতার ভিত্তিতে ভোট দেয়া হবে’। আমার অবস্থান নেট সিলভারের অবস্থানের মতোই।
আমার এই পোস্টগুলো ছিল নির্বাচনোত্তর প্রতিক্রিয়া পোস্ট। এখানে ওবামার সমালোচনার চেয়ে রমনি পরাজিত কেন হয়েছে এবং কেন তার পলিসিগুলো অধিকাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি সেটা তুলে ধরাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। আমার ইংরেজি লেখাটিতে তাই করেছি। অবতার / অনবতারের কারণে নয়। এই ব্যাপারটাই অপ্রাসঙ্গিক।
আর সবসময় নিরপেক্ষতা দেখানোর জন্য সব পক্ষের সমালোচনা করে যেতে হবে, সেটাও যৌক্তিক নয়। ধরুন আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির উপর গণহত্যা নিয়ে একটা লেখা লিখলাম। আপনার মত কেউ নিরপেক্ষতা জাহির করার জন্য বাঙালিরাও যে কোথাও কোথাও বিহারীদের এলাকা আক্রমণ করেছে, ক্ষেত্র বিশেষে হত্যা, ধর্ষন, লুন্ঠন করা হয়েছে সেটা উল্লেখ করা হয়নি কেন এ নিয়ে কেউ নরকগুলজার শুরু করতে পারেন। কিন্তু আমার চোখে সেটা আবশ্যিক কিছু নয়। আপনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কখনো লিখলে সেটা উল্লেখ করতে পারেন, আমার কোন অসুবিধা নেই; আমার এত নিরপেক্ষতা দেখানোর কোন কারণ নেই। ওবামার পলিসির সাথে রমনির পলিসির যথেষ্ট পার্থক্য দেখেছি। রমনির বিজয় আমি চাইনি। তাই হিসেবটা সোজা। এ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি নিরপেক্ষ সেজে ছিলাম না। থাকার কারণও ছিল না।
এটা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। এ লেখায় নিরপেক্ষতা আশা করা বাহুল্যই, কারণ ছদ্ম-নিরপেক্ষতা জাহির করার জন্য এ লেখাটা লেখা হয়নি। অবশ্য আমার লেখায় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে নিজের লেখাগুলোতে একটু চোখ বোলালে মনে হয় আপনার নিজের নিরপেক্ষতার ঝাঁপির তলাটা কত গভীর তা বোঝা যেত। আমি ওবামার সমালোচনা করিনি বলে উদ্বেগ প্রকাশ না করে আপনি কেন লিবার্টারিয়ানিজম এবং লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রচারণামূলক পোস্টগুলোতে কেন আপনাদের দলের ক্লাউন গুলোর সমালোচনা করেননি, সেটাও একটা নিরপেক্ষ প্রশ্ন হত, যেটা অবশ্যাম্ভাবীভাবে আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। অবশ্য কেন প্রশ্ন বা সমালোচনা করেননি সেটা আপনিও যেমন জানেন, জানি আমিও। আপনি লিবার্টেরিয়ানিজম এবং এই পার্টির পক্ষে কেস ফর্ম করতে চাইছিলেন – ‘এ কেস ফর লিবার্টারিয়ান পার্টি’ টাইপের কিছু। আমিও ঠিক তাই করেছি। রমনির তুলনায় ওবামাকে যোগ্য মনে করছি, তার পলিসিগুলো অধিকতর যুগোপযোগী এবং সামাজিক দিক দিয়ে অগ্রসর মনে করছি। আমি মনেই করি যে পার্টির রথী মহারথীরা নির্বাচনের আগে নারী ধর্ষণকে ‘গড গিফটেড’ বলেন, আরেক মহারথী ‘লেজিটিমেট রেপ’ নামের শব্দ উদ্ভব করেন, যে পার্টির নেতা সিক্রেট ভিডিওতে বলেন যে শতকরা ৪৭ ভাগ মানুষ সরকারের গিফটের জন্য হা করে বসে আছে, এমনকি নির্বাচনের হারার পরেও মনে করেন কালো আর হিস্পানিকদের জন্য ‘ওবামা-গিফট’-এর কারণে নাকি তিনি হেরেছেন, তার দলের পলিসি আবারো রাজত্ব করলে বিপর্যয় ঘটতো বৈকি। আপনি রাজনীতিকে দর্শনের ময়দান বানিয়ে যত ইচ্ছা নিরপেক্ষতার গুটলি বানিয়ে প্যাঁচ খেলতে পারেন, নানা পদের false dilemmaর প্রচ্ছদপট এঁকে দার্শনিক ধোঁয়াশার ধুম্রজাল বানাতে পারেন, আমার অঙ্কের হিসাবটা ছিল খুব সরল। ওবামা আর রমনির মধ্যেই কেউ নির্বাচিত হবে, এবং সেটাই যখন বাস্তবতা – সেক্ষেত্রে যাদের পলিসি অধিকতর অগ্রসর, সামাজিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, এবং যে পলিসিতে মূলতঃ ধনীরা নয়- বরং মধ্যবিত্তরা একটু বাড়তি সুবিধা পাবে, এবং সেই সাথে ইমিগ্রেন্ট, সংখ্যালঘু, নারী এবং প্রান্তিক মানুষজন কিছুটা হলেও উপকৃত হবে সেটাকে নির্বাচিত করাই যৌক্তিক এবং প্র্যাক্টিকাল মনে করেছি। আপনার তা মনঃপুত না হলে আমি অপারগ।
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,
ছ্যা ছ্যা, ব্লগ এইসব করার জায়গা হলো কবে থেকে? ব্লগ তো হলো সগর্বে নিজের পক্ষের পার্টির গুণগান গাওয়ারই জায়গা কেবল। দার্শনিক ধোঁয়াশার ধুম্রজাল তো কেবল রবীন্দ্রনাথ আর বিবেকানন্দের কেইসে বরাদ্দ।
@রূপম (ধ্রুব),
বাহ বেশ! বিতর্কের এত স্তর পার হয়ে ব্যাপারটা স্রেফ ‘সার্কাজম’ এসে থামলো।
ব্লগের কথা তো বলিনি, বলেছি রাজনীতির কথা। আমি তো পরিস্কার করেই বললাম – মার্কিন এই নির্বাচনে ওবামা বা রমনির মধ্যেই কেউ নির্বাচিত হত। অঙ্কের হিসেবটা তো সোজাই ছিল। যে পলিসিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ভেবেছি সেটা নিয়ে কাজ করাকে ব্লগের নানা ধরনের ত্যানা প্যাচানির সাথে কেন একসূত্রে বাধতে হবে, তা বোধগম্য হল না আবারো। এমন তো নয়, এরকম ত্যানা পেচাতে থাকলে মার্কিন নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেত। রবীন্দ্রনাথ আর বিবেকানন্দ আপনার যুক্তির মতই অপ্রাসঙ্গিক।
@অভিজিৎ,
কী করবো কন? সমালোচনার কথা বললে যদি চউক্ষে খালি “দার্শনিক ধোঁয়াশার ধুম্রজাল” দেখতে পান। 🙂
@রূপম (ধ্রুব), দেখুন lesser of two evils বলে পার পাওয়া যাবে না। শুধু “কয়েকটা খুচরা সোশ্যাল ইস্যু ” ই নয়। পররাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞাননীতি, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, অর্থনীতি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্ট মেন্ট প্রতিটি ইস্যুতে এখন ডেমোক্র্যাটদের সাথে রিপাবলিকানদের আকাশ পাতাল তফাৎ। ডেমোক্র্যাটদের অনেক ভুল ত্রুটি আছে, এখানে অনেক কায়েমী স্বার্থ আছে যারা নিজেদের পাওয়াটুকুই শুধু বোঝে। কিন্তু তবুও মোটের ওপরে ডেমোক্র্যাটরা রিয়েলিটি বেইজড কমিউনিটি। তথ্য প্রমান যুক্তি দিয়ে ডেমোক্র্যাট দের সাথে তর্ক করা যায়। এই যে আজ নেইট সিলভারের এতো জয় জয়কার, সে কিন্তু ২০১০ মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে পরিষ্কার প্রেডিকশন করেছিলো যে ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেস নির্বাচনে গো হারা হারতে যাচ্ছে। কারন যাবতীয় তথ্য উপাত্ত তাই বলে ছে। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা প্রকাশ্যেই রিয়েলিটি বেইজড কমিউনিটিকে উপহাস করে। তাদের কাছে একমাত্র সত্য হলো তাদের বিশ্বাস। রিপাবলিকানরা আমরিকান তালেবান হওয়ার পথে অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছে।
আমি নিজে বুঝি অভিজিৎ কি পরিমানে স্বস্থি আর আনন্দ নিয়ে এই লেখাটি লিখেছে। কারন নেইট সিলভার যাই বলুক, প্রথম ডিবেটে ওবামা বাঙ মেরে গোহারা হারার পড়ে চরম অস্বস্থির মধ্যে কয়েক সপ্তাহ যেতে হয়েছে রিপাবলিকানদের বিজয়ের আশংকায়। যারা রিপাবলিকান মিডিয়া আর রাজনোৈতিক নেতাদের নিয়মিত ফলো করেন তারাই জানেন এই আশংকার উৎস কি। রিপাবলিকানদের এই ভয়াবহ ভাবমূর্তি কেবল লিবারেলদের কাছেই নয়। ইউরোপের প্রতিটি ক্ষমতাশীন দল চেয়েছে ওবামার বিজয়, এমনকি রক্ষনশীলেরাও। ক্যামেরন, মার্কেল এর মতো কনজারভেটিভরা যখন রিপাবলিকানদের এড়িয়ে চলে, তখন বুঝতেই হবে সামথিং ইজ ভেরী ভেরী রং।
ডেমোক্র্যাটদের সাপোর্ট করা অনেকের কাছে কেবল পার্টি সাপোর্ট এর ব্যাপার নয়। যারা আমেরিকা এবং পৃথিবীর ভালো চান, তারা অনেকেই চান রিপাবলিকানদের সুমতি হোক। তারা বিশ্বাস ফেলে বাস্তবতায় আসুক। আমেরিকার অনেকেই, এমনকি লিবারেলরাও, ক্রিস ক্রিস্টি র মতো রিপাবলিকানদের পছন্দ করে। রিপাবলিকানরা যদি প্রকৃতপক্ষেই অর্থনোইতিক-সামাজিক স্বাধীনতাপন্থী এবং বিজ্ঞান মনষ্ক কোনো প্রার্থীকে প্রাইমারীর বৈতরনী পার করে আনতে পারে, তবে সে মডারেট দের বিপুল ভোট পাবে নি:সন্দেহে।
এই ইলেকশনে পরিষ্কার একটা চয়েস ছিলো, ওবামা (ডেমোক্র্যাট) অথবা রমনী (রিপাবলিকান)। অভিজিৎ এই চয়েস এর কারনেই রমনীকে পরাজিত করে ওবামাকে বিজিত করতে চেয়েছে। আমি তো লেখায় কোথাও দেখি নি যে সে ওবামাকে বিষ্ণুর একাদশ অবতার অথবা মেসাইয়া বলেছে। বাংলা-ইংলিশ দুটো লেখারই মূল লক্ষ্য রিপাবলিকান, রিপাবলিকান, রিপাবলিকান। কারন এটাই আসল কথা। রিপাবলিকান পার্টি বর্তমানে আমেরিকা এবং বিশ্বের জন্যে বিপদজনক।
Lesser of Two Evil বাছাই করার মধ্যে কি কন্ট্রাডিকশন আছে বুঝলাম না। পার্থক্যটা যখন স্পষ্ট এবং বাছাই করাও যখন আবশ্যকীয়, তখন কি করা উচিৎ? সমালোচনা করা উচিৎ?
হিটলার যখন রাশিয়া আক্রমন করলো তখন সাথে সাথেই চার্চিল স্ট্যালিনকে অকুন্ঠ সমর্থন দিলেন। সোজাসুজি বলেছিলেন যে হিটলার দোজখ আক্রমন করলে তিনি স্বয়ং শয়তানের সপক্ষে দাড়াবেন। স্ট্যালিন যে হিটলারের তুলনায় খুব ভালো মানুষ ছিলো না এটা তখনো সবাই জানতো। চার্চিল, রুজভেল্ট এর নিশ্চই তখন উচিৎ ছিল স্ট্যালিনকে সাহায্যের পাশাপাশি তীব্র সমালোচনাও চালিয়ে যাওয়া? এতে নিশ্চই রাশিয়া যুদ্ধটা আরো ভালোভাবে চালাতে পারতো?
@সফিক,
শেষ পর্যন্ত এটাকে যুদ্ধই বানাতে হলো। As if, রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে আপনাদের এই ওয়ারফেয়ার একদিন শেষ হবে। তার আগ পর্যন্ত আপনাদের এই এক তরফা পক্ষপাত জারি থাকবে।