‘শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ- সক্রেটিস
‘সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা’- এরিস্টটল।
‘শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিরেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে-রবীন্দ্রনাথ
শিক্ষাকে যে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হউক কোন একটি দেশ বা জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হল নারী পুরুষ নির্বিশেষে সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা তা আজ সর্বজনবিদিত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোন দেশ বা জাতির কৃষ্টি সভ্যতাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিরীহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর উপর বারবার খড়গ নেমে এসেছিল বহিঃশত্রু দ্বারা। দিন বদলেছে সে সব ইতিহাস এখন সুদূর অতীত। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত আজ সবদেশে। ব্যতিক্রম কেবল কিছু কিছু ইসলামি দেশ ও আলেম শ্রেণী। তাদের দৃষ্টিতে নারীর জন্য উচ্চ শিক্ষা অপ্রয়োজনীয়। স্বামীকে সেবা দেয়ার মত যৎকিঞ্চিত শিক্ষা আর পবিত্র বই আওড়ানোর মত শিক্ষাই মেয়েদের জন্য যথেষ্ট মনে করে তারা।
সার্বজনীন আধুনিক শিক্ষাকে কেন্দ্র করে তরুণ বয়সে তেজদীপ্ত মনোবাসনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে যে দুটি পরস্পর বিপরীতধর্মী চরিত্র রোমাঞ্চকর খবরের জন্ম দিয়ে বিশ্ব বিবেবকে স্তম্ভিত করেছে তাদের একজন মালালা ইউসুফজাই। অন্যজন ২১ বছরের টগবগে যুবক নাফিস। নাফিসের জন্ম অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হলেও মনন মানসে ঠিকই ধারণ করে আছে মৌলবাদী আদর্শের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক চেতনা। সেই চেতনার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল নিজ দেশে। আর মহিরূহ আকার ধারন করেছে পরবাসে। এই চরিত্রটিকে নিয়ে ইতিপূর্বে মুক্তমনায় লেখা হয়েছে। তাই আমার আজকের আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে মালালাকে ঘিরে।
এই অকুতোভয় মেয়েটির জন্ম পাকিস্তানের পাক্তুন খোয়া জেলার অন্তর্গত সোয়াত উপত্যকায় ১২ই জুলাই ১৯৯৭, বয়স মাত্র১৫ বছর। ৯ই অক্টোবর, ক্লান্ত মালালা চড়ে বসেছে বাসে, আনমনে অপেক্ষার প্রহর গুণছিল ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার অস্থিরতায়। আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে এগিয়ে চলছে বাস, বাসের তালে তালে দুলে উঠছে বাস যাত্রীদের অলস দেহ। হঠাৎ নির্দয় কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র গর্জে ওঠে ঠা ঠা শব্দে। মূহুর্তে শুরু হয় ভয়ার্ত চিৎকারে কান্না আর ছোটাছুটি। বৃষ্টির মত শত শত বুলেট তীক্ষ্ণ শব্দে সাঁই সাঁই করে ধেয়ে আসতে শুরু করে চলন্ত বাসটির দিকে। ঘটনা আঁচ করার পূর্বেই হাজার মাইল বেগে ছুটে আসা বুলেট তীব্র গতিতে বিধে যায় মালালার মাথা ও ঘাড়ে, লুটিয়ে পরে তৎক্ষনাত, খাবলে তুলে নেয় আরো দুই শিক্ষার্থীর কচি শরীরের নরম মাংস। থেতলানো শরীরের গা বেয়ে হড়হড়িয়ে ঝরে পরা রক্তে নিমিষেই ভিজে যায় চারদিক, রক্ত আর রক্ত। ছোপ ছোপ রক্তে স্তব্ধ হয় পুরো বাস। কোরবানি পশুর ফিনকি দিয়ে ছোটা লাল রক্তের সাথে গড়িয়ে পড়া এই রক্তের কোন বিশেষ পার্থক্য খুজে পায়না ধর্মান্ধের দল। অতীতেও পায় নি, ভবিষ্যতেও পাবে না। প্রগতিশীল বিজ্ঞান মনষ্ক, কুসংষ্কার মুক্ত স্বাধীন চিন্তাশীল যে কোন ব্যক্তি্র অবয়ব তাদের চিরশত্রু, চোখের বালি, পথের কাঁটা। মাথা ঠান্ডা রেখে সৃষ্টিকর্তার নামে পৈচাশিক কায়দায় তাদের ফালি ফালি করা এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠির কাছে ধর্মীয় উৎসবে পশু হত্যার মতই বিনোদনের। এক একজন তারা সর্বশ্রেষ্ঠ সহিধর্ম পথের অতন্দ্র প্রহরী, ধর্ম রক্ষক। নেই মানবিকতা, নেই সামান্য অনুশোচনার লেশ আছে দূর্বোধ্য ভাষায় দ্বিচারিত অর্থবোধক স্তবকের পর স্তবক আবৃত্তির ফুলঝুড়ি। অদৃশ্য কল্পিত লোভী স্রষ্টার মনোরঞ্জনে তোষামোদ জ্ঞাপন করে ধন্য করে নিজেদের জীবন। সুযোগ বুঝে পর জীবন করে বিপন্ন। অহর্নিশি হুংকার ছাড়ে আরো কঠোর পরিণতির।
অবাক বিস্ময়ে ভাবনার অন্তরালে উঁকি মারে, এই টুকুন বয়সে সদা হাস্য এই ফুটফুটে মেয়েটি কি এমন অসীম শক্তির খোঁজ পেয়েছিল যা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ধর্মান্ধদের কল্পিত বিশ্বাসের নিরেট দূর্গ! তাকে হত্যা করতেই হবে এই ব্রত নিয়ে কেন মরিয়া হয়ে হত্যার ছক সাজাতে হল বিশেষ পক্ষের প্রতিনিধি এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর? কি এমন অমার্জনীয় অপরাধ ছিল তার?
গোলা নেই, বারুদ নেই, বোমা নেই, নেই কিঞ্চিত পরিমাণ সামরিক জ্ঞান। শুধু মানসিক শক্তি সম্বল করে কিভাবে সে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে আর্বিভূত হল শরিয়া প্রতিষ্ঠাতাদের?
সে কি বংশ পরাম্পরা প্রাপ্ত বিশেষ ধর্মটি ত্যাগ করে অন্য কোন পছন্দ সই ধর্মকে বরণ করার দুঃসাহসী ঘোষণা দিয়েছিল?
নাকি সব ধর্মকে ক্রমাগত প্রশ্নঅস্ত্র প্রয়োগে হাড্ডি মাংস আলাদা করে ভীড়ে যেতে চেয়েছিল অবিশ্বাসী বর্গের নাস্তিক্য দলে?
না, এসব অজুহাতের বিড়ম্বনা ছিল না মোটেই।
সরাসরি সে অভিযুক্ত হয়েছিল তালেবান নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞার মারাত্মক অভিযোগে। তালেবানের হুংকার শুনলেই যেখানে পৃথিবীর কর্তা ব্যক্তিটির থরথরিয়ে কাঁপন ধরে, রাতের ঘুম উদাও হয়, সেখানে এই পুঁচকে মেয়েটি কিনা তাদের নিষধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে! এত বড় হিম্মত!
এইতো সেদিন ২০০৯ সালের শুরুর দিকে সোয়াত উপত্যকা নিয়ন্ত্রনে নেয়ার পরপরই তালেবানরা স্পষ্ট ভাষায় মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, দোকানে কেনাকাটা করতে যাওয়া, টিভি দেখা ও নাচগানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। অতঃপর সরকারি এক পুলিশ কর্মচারীর ধর থেকে মাথা আলাদা করে বিচ্ছন্ন দেহটি অনেকক্ষণ ঝুলিয়ে রাখে শহর প্রাঙ্গনে তাদের বর্বরতার নিদর্শন দেখাতে।
মালালা তখন কেবল শিশু থেকে কৈশোরে পা রেখেছে। বয়স মাত্র ১১ কি ১২ বছর হবে। বিদ্যাউৎসাহী স্বাধীনচেতা মালালা এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারেনি। উন্নত বিশ্বের আর সব মেয়ের মত সে বেড়ে উঠতে চেয়েছে স্বাধীনভাবে। শৈশবকে আলিঙ্গন করতে চেয়েছে উচ্ছ্বলতায়। প্রতিক্রিয়াশীল আঁতুড়ঘরে বাস করেও ছিন্ন করতে চেয়েছে মৌলবাদী ধ্যান ধারনার নাগপাশ। শিক্ষার পাদ প্রদীপের আলোয় খুঁজে নিতে চেয়েছে কুসংষ্কার মুক্ত জীবণ। মনের গহীন রোপন করেছিল মুক্ত জীবনের বীজ। হতে চেয়েছে স্বাবলম্বী, চেয়েছে নারীমুক্তি। লক্ষ্য পরাহত হচ্ছে দেখতে পেয়ে শুরু করে নীরব বিদ্রোহ। মেয়েদের লেখাপড়ার পক্ষে আর তালেবান শাসন ব্যাবস্থার কঠোরতা নিয়ে ক্রমাগত লিখে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করে গেছে বিবিসি ব্লগে অন্তর্জালের সহায়তায়৷
অন্তর্জালে তার লেখালেখির প্রবেশ ছিল কিছুটা নাটকিয়তা ও সাথে সাহসীকতার যৌথ মিশেল। বাবা জিয়াউদ্দীন ইউসুপজাইয়ের প্রত্যক্ষ সহায়তা পেয়েছে দু’হাত ভরে। তিনি একাধারে কবি ও স্কুল পরিচালক। তালেবানরা সোয়াত উপত্যকা দখলের পর সেখানে বসবাসরত শিশুদের পড়াশোনা, তাদের ভবিষ্যতের ওপর তালেবানের কী ধরনের প্রভাব কাজ করছে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করার চিন্তা করলেন বিবিসি উর্দু বিভাগের কিছু লোকজন। সে লক্ষ্য সামনে রেখে কিছু স্কুলশিক্ষকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন। মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। পরিচয়ের সূত্র ধরে বিবিসির নিয়মিত রির্পোটার আব্দুল হাই কাক্কর জিয়াউদ্দীনকে অনুরোধ জানান নারী অধিকার রক্ষার স্বার্থে তাঁর স্কুলের কোন ছাত্রী যাতে মেয়েদের উপর তালেবানের কট্টর অণুশাসন নিয়ে বিবিসিতে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠায়। আয়েশা নামের সাহসী একটি মেয়ে এগিয়ে আসে প্রথম দিকে কিন্তু মেয়ের জীবণের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাদসাধে মেয়েটির পরিবার। অকাল মৃত্যুর তাড়া আছে জেনেও সে সুযোগ গ্রহণ করে মালালা। পাশে পায় তালেবানের বিপক্ষে চির লড়াকু সৈনিক বাবা জিয়ায়দ্দীনকে। তালেবান শাসনের যাঁতাকলে মেয়েদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের দিনগুলোর কথা বিবিসি উর্দু সার্ভিসে প্রকাশ করতে থাকে নিয়মিত। নিরাপত্তার খাতিরে নিতে হয় ছন্ম নাম-‘গুল মাকাই’। তার লিখিত দিনলিপি ‘লাইফ আন্ডার দি তালিবান’প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে মালালা। পরের বছর “নিউইর্য়ক টাইমস” তার জীবনী নিয়ে একটি ডকুমেন্টরী প্রচার করে। তার ডায়েরিটি প্রায় ১০ সপ্তাহ নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিলো।
তালেবানের হাত থেকে সোয়াতা উপত্যকার দখল মুক্ত করতে ২০০৯ সালে সেনাবাহিনী তালেবান বিরোধী অভিযানে নামে। গোলমালের আশংখায় মালামার পরিবার আগে ভাগেই গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। তার ডয়েরি প্রকাশও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল হলে ২০০৯ সালের শেষ দিকেই মালালার পরিবার আবার নিজ গ্রাম সোয়াতে পদার্পন করে। গ্রামে ফিরে আসার কিছুদিন পর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গেলে ছন্ম নামের খোলস চিঁড়ে আসল নাম ফাঁস করেন বাবা জিয়াউদ্দীন ইউসুফজাই। শুরু হয়ে যায় মালালাকে নিয়ে সকলের হৈ চৈ। পুরো পাকিস্তানের নারী অধিকার আন্দোলনের রোল মডেল হিসাবে মিডিয়ার আলো এসে পড়ে তার উপর। পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও টিভিতে মালালার বেশ কিছু সাক্ষাৎকার প্রচারিত হতে থাকে নিয়মিত। সেইসুবাদে মামালা জনপ্রিয় ও নারীমুক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে অল্প দিনে।
ধর্মযোদ্ধা তালেবানি সিদ্ধান্তকে অবমাননা করার দুঃসাহস দেখানো পুচকে মেয়ের এই অবাধ জনপ্রিয়তা অর্জন একদম সহ্য হয়নি ধর্ম রক্ষকদের। তালেবানরাও হাত গুটিয়ে বসেছিল ভাবলে ভুল করবেন, তারাও পাঠাতে থাকে তালেবানি উপহার। বলাবাহুল্য সেসব উপহার ভরে থাকতো হুংকার, মুখ বন্ধ করার নির্দেশ, নয়তো মৃত্যু পরোয়ানা৷ এসব কিছুর পরেও মালালা দমে যায় নি একটু, পিছু হটেনি সামান্য৷ এমন সাহসী প্রতিবাদী অন্যন্য চরিত্রকে স্বীকৃতি দিতে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, আর্ন্তজাতিক পুরষ্কার সহ বেশ কিছু পুরষ্কার হাতে উঠতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। চারদিক থেকে ছুটে আসতে থাকে রাশি রাশি সন্মান আর অভিনন্দনের ঢালি।
অনেক হয়েছে আর নয়, মালালা নামের বিষ ফোঁড়া নিশ্চিহ্ন করে দিতে তালেবানরা বেছে নেয় ৯ই অক্টোবরের দিনটিকে। এর পরের ঘটনা সকলের জানা।
তালেবানি বর্বরতার পরেও কোটি মানুষের ভালোবাসা, বিজ্ঞানের আর্শীবাদ আর কাফেরদের প্রচেষ্টা এই ত্রিরত্নে সিক্ত হয়ে মালালা টিকে আছে আজো। বেঁচে থাক অনাগত দিনগুলোতে, ফিরে আসুক মানুষের মাঝে, হয়ে উঠুক উল্টোচলার দেশে নারী অধিকার আন্দোলনের উজ্জ্বলতার প্রতীক এই প্রত্যাশা হোক সকলের।
দ্বীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসার পর প্রথমবারের মত হসপিটাল ছাড়লেন মালালা।
মানুষের চাঁদে অবতরণ, ৯/১১ তে টুইন টাওয়ার ধ্বংস, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা ফোটানো, মালালা হত্যা প্রচেষ্টা ইত্যাদি সব কিছুর মধ্যেই ষড়যন্ত্র দেখতে থাকি, মনে হচ্ছে তৃতীয় নয়ন নিয়ে কোন ঘটনায় ষড়যন্ত্র আবিস্কার করতে না পারলে নিজকে কেমন বোকা বোকা লাগে।
যাই হউক, ইসলাম মেয়েদের শিক্ষার বিরুদ্ধে এই সত্যটি বলে ইসলামকে মহান বানানো যাচ্ছেনা বলে ক্ষমাপ্রার্থী বা অন্য ধর্মের প্রসংগ না টেনে শুধু একটি বিশেষ ধর্মের সমালোচনা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হবে বলে দুঃখিত, কিন্তু করার কিছুই নেই, তালিবানরা যে ঐ বিশেষ ধর্মটিরই ধারক ও বাহক। কথা হলো খাঁটি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে মালালার মতো আরো অনেক হত্যা প্রচেষ্ঠা তাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে, কারন মালালারা ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার হুমকি স্বরুপ। এর আগেও বহু জায়গায় পানিতে বিষ মিশিয়ে দিয়ে মেয়েদেরকে স্কুলে আসা বন্ধ করার উদাহরন তারা রেখেছে। নাকি এগুলোও ষড়যন্ত্র কে জানে! :-X
একটা সংশোধন। খাইবার পাখতুন খোয়া (বা খা্ওয়া) পাকিস্তানের কোন জেলা নয়, একটি প্রদেশ আগে যার নাম ছিল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বা North-west Frontier Province, সংক্ষেপে NWFP. আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিধা বিভক্ত আফগান বা পাঠানদের বিভক্তি পাক্কা রাখার জন্য এই নাম। আর সোয়াত আগে ছিল একটি দেশীয় রাজ্য যা বোধ হয় পরে NWFP-র একটি জেলা বানানো হয়েছে।
অনলাইনে ছদ্মনামে প্রকাশিত লেখার কৃতিত্ব কাউকে দেয়া কিন্তু একটু জঠিল ব্যপার। ছদ্মনামের পেছনকার আসল ব্যক্তিত্বটা কে সেটা নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত কিভাবে করা যাবে ? আমি ‘সংশপ্তকের’ বয়স কিন্তু মালালার চেয়েও কম – মাত্র পাঁচ বছর ! আমার আসল নাম আপনি জানেন কারণ আমি আপনার নিকট আত্মীয়া যে বাংলাদেশে থাকে! বাংলাদেশের মোল্লাদের ন্যাংটা করে আমিও লিখব এবং তারপর
যেভাবে :
ঠিক সেভাবেই , বাংলাদেশের মিডিয়া জানতে পারবে বাংলাদেশে আপনার নিকট আত্মীয়ার নাম ! কেমন হবে ? এনজিও – দের কেটি টাকার বখরা , পুরস্কার ইত্যাদি আপনি এবং আপনার আত্মীয়া রেখে দিতে পারেন। আমি সেখানে ভাগ বসাবো না। ভাগ্য বদলানোর এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না , রাজেশ সাহেব !
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ সংশপ্তক ভাই। মালালার ঘটনাকে নাটক হিসাবে প্রচার করতে আপনার বুদ্ধি দীপ্ত প্রশ্ন গুলি সত্যিই আকর্ষনীয়। তবে স্ংশয়বাদী দৃষ্টি কোন থেকে তোলা আপনার প্রশ্ন গুলিকে আমিও সংশয়বাদী প্রশ্ন হিসাবে নিলাম আপাতত।
একটা কথা আমার মাথায় আসছেনা- পাকিস্তান সরকার বলুন বা আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলুন সব দোষতো তালেবানের কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে তুলে দিয়ে নিজেরা বাহাবা নিল। কিন্তু এক সময়ের বন্ধু কিন্তু বর্তমানে চির শত্রু আমেরিকার এহেন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তালেবান গোষ্ঠির টু শব্দটি নেই কেনো? নাকি তালেবান আর আমেরিকা তলে তলে আবার হাত মিলিয়েছে? মিছেই আমরা খামোখা তর্ক যুদ্ধ করে মরছি!
এই বিষয়ে আপনার কি কোন তথ্য জানা আছে?
@রাজেশ তালুকদার,
আমেরিকাকে এসবের বাইরে রাখুন। অযথা কথায় কথায় সবখানে আমেরিকার মামদো ভূত আবিস্কার করা তথ্যগত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দেওলিয়াপনা নির্দেশ করে । তালাবানের ব্যপারে একটু পরে আসছি।
পাকিস্তান নিয়ে কথা বলতে গেলে পাকিস্তানের ক্ষমতার কাঠামো সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকতে হবে। সেটা কেবল পাকিস্তানে সেই কাঠামোর নিকটে বসবাস করলেই সম্ভব। করাচীর শাহ ফয়সল মোহাজের কলোনী থেকেও তা সম্ভব নয় ! উইকি এবং আমাজন পন্ডিতদের কথা নাই না বললাম।
শুধু তালাবান বলতে কোন নির্দিষ্ঠ দলকে বোঝায় না। মূলত: তিনটি গ্রুপকে চিহ্নিত করা যায় – হাক্কানী , মোল্লা ওমর এবং মেহসুদ গ্রুপ। প্রথম দুটি আফগানস্তানে অপারেশন চালায় এবং শেষেরটি পাকিস্তানে। এই সব কটি গ্রুপই আই এস আই – এর সৃষ্টি এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য দ্বারা পরিচালিত – যদিও তারা ইউনিফর্ম পরে না। যেসব অপারেশন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরকারীভাবে চালাতে চায় না, সেখানে তালাবানদের ব্যবহার করা হয়। THEY ARE PAK GOVERNMENT ASSET TO THE CORE !
@রাজেশ তালুকদার,
একটা পার্থক্য আছে – একজনের জন্য সংশয়বাদী হওয়াটা শখের এবং আরেকজনের জন্য সেটা একটা ‘পেশা ও শখ’ দুটোই !
@রাজেশ তালুকদার,
সবশেষে একটা পরামর্শ শুভাকাঙ্খী হিসেবে। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে সে বিষয়ে একজন বিপক্ষবাদীর চাইতেও বেশী জানতে হয় । একজন নাস্তিককে যেমন ধার্মিকের চেয়ে বেশী জানতে হয় ধর্ম সম্পর্কে। শুধু ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে কোন প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিতে না পারবেন না। বেদনাদায়ক ‘রিমান্ড’ কপালে জুটবে যার গ্রাফিক বর্ণনায় না যাওয়াই ভাল। অল্প বিদ্যা মাথায় নিয়ে কিছু লিখতে চাইলে , যোগ ব্যায়াম কিংবা বাগান সজ্জা জাতীয় জিনিষ নিয়ে লেখা যেতে পারে ।
@সংশপ্তক, আমার মনে হয় রাজেশ দার বদলে আপনি খুব ভালো করবেন।আপনার চেনা ডিপার্টমেন্ট ।আসছে বই মেলায় আপনার লেখা বাগান বা যোগ ব্যায়াম জাতীয় বই গুলো এসেছে দেখলে ভালো লাগবে।
@সাগর,
আপনি কিন্তু একটা বই বাইর করতে পারেন ল্যাদানোর উপ্রে।
ধর্মের বিধি অমান্য করিয়া বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ল্যাদানো। নাম হিসাবে খারাপ হয় না কী কন?
মালালার রোগ মুকত িকামনা কর।িএমন সাহসী মেয় েঅামাদের দশে েবড় দরকার।
মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রধান স্বর হোক মালালা!
দারুন লাগলো এই লাইনটা
মালালা টিকে থাকবে, এবং এমন মালালার অনেক অনেক দরকার এখনো।
মালালাকে নিয়ে আরো কিছু রিপোর্ট আরো কিছু ছবি। অনেকে আগেই হয়তো পড়েছেন বা দেখেছেন, যারা পড়েন নি তাদের জন্যে-
Malala’s November 2011 speech on education
Birmingham surgeons optimistic about Malala’s recovery
Malala’s father thanks supporters
Malala grateful for well-wishers
আমেরিকা সন্ত্রাসবাদী মারতে গিয়ে অনেকসময় নিরপরাধ শিশু এবং নারী হত্যা করে তা ঠিক। কেননা কাপুরুষ সন্ত্রাসবাদীরা শিশু এবং নারীদের মাঝে আত্মগোপন করে থাকে। আমেরিকার মূল টার্গেট কিন্তু কখনো ওরা নয়। আমেরিকা যদি নিজের অর্থ এবং রক্ত দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের দমন না করতো তবে ওরা যে পৃথিবীটাকে বসবাসের অনুপযুক্ত করে ফেলতো তাতে তো কোন ভুল নাই। নারীরা যাতে লেখাপড়া না শিখে তার জন্য মালেলাকে টার্গেট করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা মানে হল সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করা।
এই সোজা সত্য না বুঝার তো কোন কারণ দেখি না।
আচ্ছা একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি না। কেউ সাহায্য করুন প্লিজ।
কোন ধরনের বুলেট আর ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষনিক মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে কোথাও শক্ত কোন তথ্য পেলাম না। পেলে হয়ত আলোচনায় অংশ নিতে পারতাম। অদ্ভূত। মনে হচ্ছে সেসব তথ্য সযত্নে যেন আড়াল করে রাখা হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে :-s
@কাজী রহমান,
বুলেটের ব্যাপারে কোথাও কোন তথ্য পাবেন না। কেননা মানুষ সাধারণত অপ্রাসঙ্গিগ ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামায় না।তালেবানরা নিজেরাই ঘটনার দায়ভার গ্রহন করেছে।বুলেটের ব্যাপার জেনে কি হবে।তাদের হাতে অনেক ধরনের অস্ত্রই আছে।এ ছাড়া পাকিস্তানের সর্বস্তরে তাদের মতো চিন্তাভাবনা করার লোকের অভাব নেই।এ সব অহেতুক চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে আসুন আমরা এ সব ঘটনার প্রতিবাদ করি যেন রক্ষণশীল
মুস্লিম ঘরের মেয়েরাও ছেলেদের মতো পড়াশুনার সমান সুযোগ পায়।ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের যেন চার দেয়ালে বন্দী করে না রাখা হয়।
@অশোক,
কেন ভাই পাবো না কেন? ঐ তথ্য কি “ক্লাসিফায়েড” নাকি? কেন ক্লাসিফায়েড?
ঠিক টিক ঠিক টিক ঠিক ঠিক ঠিক! অসাধারন হয়ে লাভ কি? “মানুষ” নিয়ে আপনার ভাবনা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আপনার চোখে দেখলে কোন অস্ত্র দিয়ে কাকে আঘাত করা হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হলে কার মূখ দেখতে কেমন হওয়া উচিৎ, প্রচন্ড মৌলবাদী এলাকায় কন্যার প্রানের ওপর সরাসরি হামলা হওয়া সত্ত্বেও বাবা কেন সেখানেই আবার কন্যাকে ফিরিয়ে বাস করতে চাইবে এসব প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিকই তো বটেই। কি দরকার মেডিক্যাল রিপোর্ট খুঁজে? কি হবে এসব জেনে?
“জানার কোন শেষ নাই
জানার চেষ্টা বৃথা তাই’’
আহ হা, ভায়া কি সূমধুর বাণী, কি সুন্দর আহ্বান। কে কি প্রতিবাদ করেছে, ধর্মের দোহাই পেড়ে চার দেওয়ালে আঁটকে রাখার বিরুদ্ধে কোন কালে কে কি বলেছে সেসব বাদ, কি বলেন? সেসব ছুঁড়ে ফেলে, নতুন করে শুরু হোক “প্রতিবাদ”, এটাই বলছেন তো? মালালা বেচারাই হোক প্রতিবাদের ভিত্তি; এই তো?
বাঁধাই করে দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখার মত মহান বাণী। পড়ে ধন্য হয়ে গেলাম।
@অশোক,
তালেবানরা ঘটনার দায়ভার গ্রহন করুক আর, যে শট করেছিল তার বোন দুনিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক তাতে কী? জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মউলানা ফজলুর রহমান যে সাক্ষী দিলেন–
এতো বড় একজন আলেমের কথা কি মিথ্যা হতে পারে? তাই প্রমাণ চাই বুলেট মেইড ইন কোথায়? যে শট করেছিল সে কি আমেরিকার মানুষ ছিলনা, বার্মিংহাম হাসপাতালের বেডে শায়ীত মেয়ে আদৌ মালালা না কি অন্য কেউ। আর যে ডাক্তার ক্যামেরার সামনে মালালার শারিরিক উন্নতির কথা বললেন তিনি যে মিথ্যা নাটক করেন নি তাও পরীক্ষা করে দেখা দরকার। মানুষের চাঁদে অবতরণ, ৯/১১ তে টুইন টাওয়ার ধ্বংস, ২০১২ তে মালালা হত্যা এ সবই নাটক, সবই মেইড ইন আমেরিকা।
@আকাশ মালিক,
“ঠাকুর ঘরে কে রে
আমি কলা খাই নি”
বিশাল প্যারডি মন্তব্য দেখে মেনে নিচ্ছি আপনার অগাধ পাণ্ডিত্যময় ছান্দিক সৃষ্টির দক্ষতা। বেশ হয়েছে কিন্তু। আমি বিমুগ্ধ পাঠক মাত্র।
যাকগে, আপনি আপনার তার্কিক দক্ষতা নিয়ে উজ্জল থেকে উজ্জলতর হোন। মন্দ কি? ওহ, দেখুন তো ভায়া নীচের লেখাগুলো কোথাও পড়েছেন নাকিঃ
“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ পরিস্কার করে ।।
-নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
মুক্তমনার ব্যানারে ঐ লেখা দেখেছেন বলে মনে পড়ে? প্রশ্ন করা বা দ্বিমত করা যাবে তো ভায়া?
@কাজী রহমান,
দেখুন, প্রশ্ন করাটাই কিন্তু একমাত্র মুক্তমনের পরিচয় না। প্রশ্নটা কেন এবং কী উদ্দেশ্যে করা হলো , প্রশ্নটার পিছনে আদৌ কোন সারবত্তা আছে কীনা তা দেখাটাও অতি জরুরী।নইলে কেবল গোলকধাঁধায় ঘুরে মরতে হবে কিন্তু কোন সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।আওয়ামীলীগের সভায় বোমা মারা হলো, সেটাও নিশ্চয়ই আওয়ামীলীগেরই কাজ নইলে হাসিনা কী করে বেঁচে গেল? এসব কন্সপিরেসী তথ্য রহস্যউপন্যাসে মেলে কিন্তু বাস্তবে খুব কমই ঘটে। পশ্চিমাদেশে কোন একনায়ক নেই যে সমস্ত মিডিয়া এক সুরে কোরাস গাইবে। বলা হচ্ছে, কেন মালালেকে নিয়ে এতো হৈচৈ? এর উত্তর সোজা। মালেলা হলো এক প্রতীক।যাকে দেখে মুসলিমজাহানের লক্ষ কোটি অসহায় নারীরা সংগ্রামের অনুপ্রেরনা পাবে।আমারমতে মালেলাকে নভেলপুরস্কার দেয়াটা সঠিক কাজই হবে।মনুষ্য সমাজের এক বড়ো সমস্যা হাইলাইট করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ষ
ন
@অশোক,
ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে কঠিন যুক্তি দেয়া যায়।এই বিসয়েও অনেক নাস্তিক আর সকল আস্তিক পরস্পরকে অসার প্রশ্ন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে থাকে।
কাজেই আমার মনে হয় যে প্রশ্ন করাটা খুবই জরুরী।বিনা প্রশ্নে কিছু মেনে নেয়ার প্রবণতা থেকেই কিন্তু ধর্ম আর ধর্মান্ধতার জন্ম হয়েছে।কথাটা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত।
@আকাশ মালিক,
তালেবান কর্তৃপক্ষ কে? কি তাদের ঠিকানা? দায়ভার গ্রহণ যে করেছে সে কি তালেবান নির্বাচিত মুখপাত্র? যার তার কথা শুনে মাথা চুল্কে আপনি হয়ত মেনে নিতে পারেন; আমি কিন্তু কৌতূহলী না হয়ে পারছি না। অনেক মুক্তমনার মত আমারও এখন স্বভাব হয়েছে এই রকমঃ
“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
আমি চেয়েছি নাকি? কোথায় বলুন তো? এই ব্যাপারে শক্ত মন কোন তথ্য পেলাম না বলেছি। বানিয়ে বানিয়ে কি সব বলে চলেছেন? এসব দেখে আপনার আদর্শ উদ্দেশ্য নিয়েও তো সংশয় হচ্ছে। আপনি এখনো মুক্তমনা আছেন তো? আর প্রশ্নটা যদি আমারও হোত, প্রশ্ন করা যাবেনা এমন কোন কথা আছে নাকি?
বাহ একলাফে চাঁদে চলে গেলেন দেখি। ব্রেশ ব্রেশ। গল্প তৈরিতে আর লম্ফে বেশ উন্নতি হয়েছে দেখছি। আমি তো শুধুমাত্র প্রশ্ন রেখেছি। প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক অথবা অর্থবহ কি না সেসব নিয়ে হয়ত কথা হতে পারে। এইসব কি হচ্ছে? সুস্থ আলোচনার আগ্রহই তো কমে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম বোধদয় ঘটবে। দুঃখজনক।
@কাজী রহমান,
যে কোন সংঘটিত ঘটনা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত থাকা নিতান্তই স্বাভাবিক। এই সব আক্রমনাত্মক বক্তব্য পরিহার করে গঠন মূলক সমালোচনা মধ্যে আমাদের আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখলে সবার মঙ্গল হয়।
শুধু বুলেট কেন? মালালার ষড়যন্ত্র কেন্দ্র করে পাকিস্তান সরকার যদি তালেবানের উপর দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় তাহলে আরো অনেক প্রশ্ন সামনে এসে যায় যেমনঃ-
১) তালেবান পক্ষ থেকে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে নিন্দনীয় এই হামলার দায় দায়িত্ব অস্বীকার করে তালেবানের পক্ষ থেকে কোন পাল্টা বক্তব্য আছে কি? হামলা না করেও হামলার দায়িত্ব স্বীকার করবে এই মেরুদন্ডহীন মানসিকতা তালেবান কর্তৃপক্ষের নিশ্চই ধারন করে না।
২) তালেবানের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পাকিস্তান সরকার নিষ্কলুষ হয়ে ভোটের খেলা খেলতে গেলে তাতেও বিপদ আছে। পাকিস্তানের জনগনের নিরাপত্তা দিতে এই সরকারের ব্যর্থতা বহুবার প্রমাণিত। তাতে ব্যর্থতার আরেকটি পালক যোগ হয়ে যায়।
৩) তালেবান গোষ্ঠীর নিষ্ঠুরতা সর্বজন বিদিত। নতুন করে সেই পরিচয় দেয়ার কোন দায় ভার থাকার কথা নয় সরকারের।
৪) একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে তালেবান বিরোধী আক্রমণের নামে বাইরের একটি দেশকে ড়্রোন হামলার মাধ্যমে বোমা বর্ষনের যৌক্তিকতা প্রমাণে মালালা নাটক সাজাতে গেলে বহিঃবিশ্বের সাথে নিজ জনগণের কাছেও সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়।
তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে এত জটিল জটিল সব সমস্যা পাস কাটিয়ে সরকারের গদি নিশ্চিত করতে মালালা নাটক কি যথেষ্ট?
@রাজেশ তালুকদার,
আকাশ মালিকের মতলববাজিমার্কা বিতলামি মন্তব্যগুলো নিয়ে এই হিতোপদেশ দিলে আরো বেশি মঙ্গল হতো।
আপনারা এখানে মালালাকে নিয়ে বহুত রাজা উজির মারলেন। গ্রামে চুরি হলেই যেমন গ্রামের লোকেরা সেখানকার একমাত্র চোরকে ধরে আচ্ছামত ধোলাই দেয়া শুরু করে, ঠিক সে রকমই মনে হলো আমার কাছে বিষয়টা। অথচ কেউ-ই আপনারা নিশ্চিত না, ওই চোরে সেই চুরি করেছে কি না? অথবা আদৌ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না? এই সব একপেশে লেখা বা মন্তব্যের উদ্দেশ্য কী? ইসলামকে পেটানো শুধু? একে পেটানোর জন্য তথ্যপ্রমাণ না পেলেও, শুধুমাত্র তার গায়ে বিকট গন্ধ আছে বলেই পেটাতে হবে? এইরকম বিদ্বেষপ্রসূত আচরণ কি মুক্তমনাদের জন্য গ্রহণযোগ্য?
এখানে কেউ-ই সংশপ্তকের করা একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নি। অথচ হাতি ঘোড়া সব মেরে সাফ করে দিচ্ছেন। এই সব বালখিল্য আচরণের অর্থইবা কী? অন্যদের কথা বাদ দেই। আপনার অন্তত উচিত ছিল সংশপ্তকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। কারণ আপনি এক বিরাট কল্পকাহিনি ফেঁদে এখানকার ইসলাম বিদ্বেষীদের উস্কে দিয়েছেন। তারা আপনার লেখাকে কেন্দ্র করেই লাঠি সোঠা হাতে ইসলাম সাহেবকে পেটাতে নেমে পড়েছে। আপনার লেখায় আপনি লিখেছেন,
এইবার আমাকে বলেন, এই শত শত বুলেট ছোড়া হয়েছে কোন ধরণের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে? বাসে কয়জন যাত্রী ছিল? কয়জন এই শত শত গুলির আঘাতে আহত হয়েছে? মাথা আর ঘাড়ে হাজার মাইল গতিতে ধেয়ে আসা বুলেটের আঘাতের চিহ্নগুলো কোথায়? অপারেশনের আগের আর পরের ছবি দিন. এগুলো যদি আপনার কাছে না থাকে তবে দুঃখ প্রকাশ করে এই লেখা সম্পাদন করা বা তুলে নেওয়াটাই কি শোভনীয় নয়? এইখানে ইসলামের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ বা অবস্তুনিষ্ঠ যে কোনো কিছু দিলেই বিরাট হাততালি পাওয়া যায়, সেই হাততালির লোভে আপনিও ডুবে গেলেতো মুশকিল। আমি এখন পর্যন্ত আপনাকে একজন যুক্তিবাদী নাস্তিক হিসাবেই জানি। যে যুক্তিবাদী নাস্তিকদের বিশেষ ধর্মের প্রতি অহেতুক কোনো আক্রোশ নেই। বরং সব ধর্মকেই তাঁরা ক্ষতিকর বলে মনে করে। কোনোটা কম ক্ষতির, কোনোটা বা বেশি ক্ষতির, এই যা পার্থক্য।
মালালার দিকে কেউ হাজার হাজার ঘৃণার গুলি ছুড়েছে, না ভালবাসার সুগন্ধি গুল ছুড়ে মেরেছে, সেটা আগে নিশ্চিত হন ভ্রাতঃ। তারপর না হয় ঘৃণার চাষ করা যাবে এখানে। 😛
নাফিস সম্পর্কে সিদ্ধান্তটা একটু আগেই দিয়ে ফেললেন। বিচার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই ভাল করতেন মনে হয়। কোনো কারণে যদি আমেরিকান বিচার ব্যবস্থা থেকে নাফিস নির্দোষ হয়ে বের হয়ে আসতে পারে, তখন আপনার নিজেকেই নিজের কাছে হাস্যকর বলে মনে হবে এই পূর্বনির্ধারিত একপেশে বক্তব্যের কারণে।
সংশপ্তকের যে সহজ এক লাইনের প্রশ্নের উত্তর আপনারা দেন নি বা দিতে পারেন নি, ওটাই কিন্তু বুলস আইকে হিট করেছে। আপনারা মনে হয় বিষয়টা অনুধাবন করেন নি। করলে আর মন্তব্য-টন্তব্য করতেন না কিংবা কার মন্তব্য আক্রমণাত্মক এই বিচারেও নামতেন না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার বক্তব্য আমার লেখার বিপরীতে গেলেও আপনার এই গঠন মূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আমি মনে প্রাণে চাই আমার আশংকা অমূলক করে নাফিস নিজেকে র্নিদোষ প্রমাণ করে করে বেড়িয়ে আসুক।আমার বিশ্বাস বা আশংখার চেয়ে নিরপরাধ যে কোন মানুষের জীবন অনেক মূল্যবান আমার কাছে। তবে, আমাদের দেশে মৌলবাদের চাষ হচ্ছে- এ কথা আপনি নিশ্চয় অস্বীকার করতে পারবে না।
একটা ছোট্ট ঘটনার কথা বলি- আমার ফুফু চট্টগ্রামে একটা ফ্লাট কিনেছেন। নীচ তলার বাসিন্দাদের দেখলেন ফ্লাট বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ হলটিতে বেশ ঘটা করে মিলাদ পড়াতে। তাই দেখে নিজেও উৎসাহিত হলেন, ভাবলেন আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবকে দাওয়াত দিয়ে একটা বড় করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করি না কেন? কিছু পূণ্যতো অন্তত সঞ্চিত হবে যা পরকালে কাজ দেবে! সফল অনুষ্ঠান আয়োজন করার মত স্থান তো হাতের কাছেই। দিনক্ষণ ঠিক করে হলটি চেয়ে বসলেন র্নিদ্বিধায়, তখনি বাঁধে বিপত্তি। ভদ্র ভাষায় স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়- হলটিতে শুধু ইসলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে, অন্য কোন ধর্মের জন্য বরাদ্দ নয় হলটি। এই কথা শুনে বেজায় গোস্বা করে আমার ফুফুর ডাক্তার ছেলেটি। সিদ্ধান্ত নেয় দেশ ছাড়ার। এখন সে অষ্ট্রেলিয়ায়।
এ ধরনের মুখোমুখি হওয়া আরো তিক্ত অনেক ঘটনার অভিজ্ঞতা আমার থলেতে সঞ্চিত আছে।
@ফরিদ আহমেদ,
এখানে যারা মালালা আক্রমনের বিরুদ্ধে লিখছে তাদের কেন আপনার ইসলামবিদ্বেষী বলে মনে হচ্ছে। আমার কাছে তো মনে হচ্ছে তারাই মুসলিমদের প্রকৃত বন্ধু। পাকিস্তানের যারা হাজারে হাজারে নারীপুরুষ প্রতিবাদে সামীল হচ্ছে তারা কী কখনো ইসলামের শত্রু হতে পারে? মালালাকে স্যালুট কেননা সে নিজের রক্ত দিয়ে মুসলমানদের ঘুম থেকে জেগে উঠার আহবান করে চলেছে। সংশপ্তকের প্রশ্নটা দেখতে শুনতে সোজা সরল মনে হলেও উত্তর জানা সহজ নয়। কেননা এসব প্রশ্নের উদ্দেশ্য হলো সোজা জিনিসকে জটিল করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। আচ্ছা ধরা যাক, বুলেট কোথায় তৈরী জানা গেল। তাতে কী উর্বর মস্তিষ্ক ঠান্ডা হবে? মনের মতো উত্তর না পেলে প্রশ্নের তো আর শেষ দেখা যাবে না। পাকিস্তানের মিলিটারী যদি দ্বিধাদ্বন্ধ বাদ দিয়ে অবশেষে তালিবানদের সাথে মরনযুদ্ধে নামে তবে তো সবারই মঙ্গল।যাদের হাতে পারমানবিক বোমা আছে তারা যদি নিজেরাই তালেবান হয়ে যায় তবে তো সেটা হবে ভয়ংকর। তাই আমেরিকাকে অনেক চিন্তা করে কাজ করতে হয়। এসব জিনিস না বুঝে কেবল আমেরিকা কিংবা পাকিস্তানের সরকারের দোষ খুঁজে কোন ফায়দা হবে বলে মনে হ্য় না।
@অশোক,
কে বলেছে জানা সহজ নয়? মালালার প্রাথমিক মেডিক্যাল রিপোর্টের কি লেখা ছিল জানেন? খুব সরল একটা লাইন। এক আশেকানের ছুঁড়ে দেওয়া পুষ্পের আঘাতে মর্মাহত মালালা।
আশা করছি প্রশ্ন করে এই সোজা জিনিসটাকে জটিল করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজটা আপনি অন্তত করবেন না। করলে মনে করবো উত্তর আপনার মনের মত হয় নি। তাই আপনি প্রশ্নের শেষ না দেখা পর্যন্ত যেতে আগ্রহী। তবে সেরকম কিছু হবে না জানি। সেয়ানা সংশপ্তকের মত তো আর আপনি নন। আপনার উর্বর মস্তিষ্ক এমনিতেই ঠাণ্ডা থাকে। 😛
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। 🙂
@কাজী রহমান,
মৌলবাদীদের হামলায় বেনজীর ভুট্টো সহ কতো শত নারীপুরুষ এ পর্যন্ত মারা গেছে।কেউ কখনও কারো মেডিকেল রিপর্ট জানতে চেয়েছে বলে তো মনে পড়ে না। মালেলার উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ এবার মৌলবাদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে।সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলে দিচ্ছে, ধর্মের নামে এই মানুষধারী পশুগুলো কতো নীচে নামতে পারে।এখানে অবান্তর প্রশ্ন তুলে সন্দেহের বাতাবরন সৃষ্টি কাম্য নয়।এই ধরণের প্রশ্ন সাধারণতঃ অতি বাম অথবা মৌলবাদীদের হতে উদ্ভব হ্য়।যাদের নিজেদের রাজ্যে স্বাধীন মিডিয়া অলী্ক, তারাই আবার পশ্চিমা মিডিয়া নিয়ে কথা বলে।আমেরিকার অন্যায় কাজ সম্বন্ধে তো আমরা আমেরিকার মিডিয়া থেকেই জানতে পারি।এইসব প্রশ্নে মুক্তমনাদের বিভ্রান্ত হওয়া ঠিক না।এতে সুস্থ শরীর অসুস্থ হয়।নইলে যে সাহসী পিতাকে আমাদের সবার সশ্রদ্ধ চিত্তে সম্মান জানান উচিত, তাকেই আমরা আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।
>
@কাজী রহমান,
মসজিদের ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা, ভাই আপনি এখনো নাস্তিক আছেনতো? 😛
@কাজী রহমান,
এ সবের উত্তর তো জানা নেই। হয় তো তালেবান বলতে কিছু নেই, ওসব মিডিয়ার সৃষ্টি।
আপনার সুস্থ আলোচনার পথের কাঁটা সরে যাচ্ছি, আপনি আলোচনা চালিয়ে যান।
@কাজী রহমান,
না, কেন সম্মতি দিবেন? বুদ্ধির নখে শান দিন, প্রতিবাদ করুন, প্রশ্ন করুন কোথায় রিপোর্ট, বুলেট
দেখাও নইলে এ আলোচনায় অংশ নিতে পারবোনা।
কি চমৎকার, নীরেন্দ্রনাথের কবিতার সাথে মালালার মাথার বুলেটের মিল!
এক কাজ করেন, নিচের ঠিকানায় কোন ধরনের বুলেট আর ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষনিক মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে একটা দরখাস্ত ছেড়ে দিন।
Queen Elizabeth Hospital
Queen Elizabeth
Medical Centre
Edgbaston, Birmingham
B15 2TH
Tel: 0121 627 2000
আপনি কবি মানুষ আপনাকে স্বরণ করিয়ে দেয়ার দরকার নাই যে- “যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।” ছাই যখন পেয়েছেন, রতন পেয়ে যেতেও পারেন। তবে আপাতত কোন রতনেই আমার আগ্রহ নেই, শুধু একাগ্রচিত্তে কামনা করি মেয়েটি পূর্ণ সুস্থ হয়ে তার মায়ের কাছে ফিরে যাক।
Cards and donations for Malala
Malala status updates
@আকাশ মালিক,
ওখানে কেন ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষনিক মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে ? সেখানে যাওয়ার আগে মালালা কোথায় ছিল ? অবশ্যই পাকিস্তানে ! পাকিস্তানে কোথায় ?
উত্তর : Armed Forces institute of Cardiology , Abid Majid Road , Rawalpindi, Islamic Republic of Pakistan কিনা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের অধীন, যেখান থেকে তালিবান পরিচালনা থেকে শুরু করে অকেজো তালাবান বধ সবই নিয়ন্ত্রন করা হয় !
@আকাশ মালিক,
ঠিকানাটাও দিয়ে দিলাম নিচে :
Major General S.M. Shahab Naqvi
Commandant / Executive Director
Armed Forces Institute of Cardiology/National Institute of Heart Diseases
Rawalpindi – Pakistan
@সংশপ্তক, কিছু দিন আগে আমার নতুন সাইকেল্ টির টায়ার বার্স্ট হল কিন্তু বন্ধু রা বলছে নির্ঘাত এটা সি আই এর কাজ। দয়া করে যদি সি আই এর ঠিকানা দেন খুব ভালো হয়।
@সাগর,
জনৈক কাঠবলদ বিশেষজ্ঞের গভীর অনুসন্ধানে একটা চাঞ্চল্যকর ফলাফল উইঠা আসছে। ফলাফলটা হইল, কাঠবলদরা যদি কোন নতুন সাইকেল কেনে এবং চালাইতে যায় তাইলে সেইটার টায়ার নতুনাবস্থায় ফাটার সম্ভাবনা অধিক থাকে। এইখানে একটা ভ্যারিয়েবল আছে আবার। মানে সমস্ত কাঠবলদগোর ক্ষেত্রেই যে এমন ঘটব তা না। যারা বারো মাস ল্যাদানো সিন্ড্রোমে ভোগে বিশেষ কইরা ধর্মের জীবানুতে, হেগোর ক্ষেত্রে এইটা বেশি দেখা যায়। এহন বিবেচনা আপনার।
খবরে প্রকাশ, ঐ বিশেষজ্ঞর শান্তিতে নোবেল নাকি কেউই ঠেকাইতে পারব না পরের বার। সেইক্ষেত্রে গবেষনার বিষয়বস্তু হিসাবে আপনার ভাগটা নিলে ভুইল্যেন না জানি আবার। উকে?
মালালার মত একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে কোন ধরনের বুলেট দিয়ে আক্রমন করা হয়েছিল সেটা জানার অঢিকার নিশ্চয়ই আপামোর জনগনের আছে। নাকি সেটাও গোপনীয় ফাইলে থাকার দাবী রাখে ?
আপনাদের কেউ কি মালালার ঘটনা পরবর্তী তাৎক্ষনিক মেডিক্যাল রিপোর্ট পড়েছেন ?
@সংশপ্তক,
খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর আলোচকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি। সঠিক উত্তরটা পেলে, হয়তো আলোচনা কিছুটা প্রাণ পাবে।
মন্তব্যকারী একজন নীরব পাঠক, কুম্ভকর্ণের ঘুমে। সংশপ্তকের প্রশ্ন বাণে একটুখানি আড়মোড়া ভাঙ্গা।
@সংশপ্তক, আপনার মন্তব্যের তাৎপর্য বুঝলাম না? কোন ধরনের বুলেট কথাটার মানে কি?
@সফিক,
আমি জানতে চেয়েছি যে মালালার শরীর থেকে শল্য চিকিৎসকের দ্বারা অপসারিত বুলেটটি কোন ধরনের/জাতের/ ক্যালিবারের বুলেট । এখানে দেখুন তাৎপর্য Bullets for Beginners ।
@সংশপ্তক, আমার বুলেট সম্পর্কে জ্ঞানের দরকার নেই। মালালার বুলেট কি ছিলো এই প্রশ্ন কি কারনে করছেন এটা বিস্তারিত ভাবে বললে আমি একটু বাধিত হতাম।
@সফিক,
শুধু মালালার বুলেট নয় । আমি কিন্তু আরো একটি প্রশ্ন করেছি :
কি কারনে করেছি সেটা আমার প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরেই জানাবো। কেউ যদি প্রশ্ন দুটির জানেন , দয়া করে জানালে বাধিত হব।
@সংশপ্তক,আপনাকে মনে হয় বুঝতে পারছি। ইন্টারনেট ভরে গেছে হাজার হাজার পাকিস্তানী মালালা কন্সপিরেসী থিয়োরিস্ট এ। কত শত উর্বর তত্ব যে তারা বের করছে! আপনি যে মন্তব্য করছেন ঠিক এই বিতর্ক চলছে এই পাতার কমেন্ট সেকশনে,
http://tribune.com.pk/story/460904/jui-f-chief-says-attack-on-malala-was-a-drama/
পলিটিক্স মেকস স্ট্রেন্জ বেডফেলোজ!
সবচাইতে আকর্ষনীয় মালালা থিয়োরীস্ট দের দেখা মিলবে এরকম কিছু সাইটে
http://www.yanabi.com/index.php?/topic/427187-malala-shooting-false-flag-operation/
http://www.yanabi.com/index.php?/topic/427201-malala-yousafzai-her-head-was-not-hit-by-any-bullets/page__st__20
@সফিক,
আমি কিন্তু কন্সপিরেসী নিয়ে কিছুই বলিনি। আমি শুধু জানতে চেয়েছি :
এবং
কেউ যদি জানেন , উত্তর দিন। বিজ্ঞান আমাদের প্রশ্ন করতে শেখায় তা সে যতবড় বেদবাক্যই হোক না কেন।
@সংশপ্তক,আপনাকে উদ্দ্যেশ্য করে বলছি না, তবে বিশ্বজুড়ে কন্সপিরেসী থিয়োরীস্টদের সবচেয়ে ব্যবহৃত বেদবাক্য হলো , “I am just asking questions” ?
@সফিক,
সেটা তো কুরাইশরা যখন মোহাম্মদকে চ্যালেন্জ করেছিল তখনও বলা হয়েছিল । আমার প্রশ্নটা কিন্তু সেরকম নয় – যে জীবনের উদ্দেশ্য কি । বস্তুনিষ্ট প্রশ্ন করেছি যে , মালালার মত একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে কোন ধরনের বুলেট দিয়ে আক্রমন করা হয়েছিল ?
উত্তর না জানলে না দেবেন কিন্তু বস্তুনিষ্ট প্রশ্ন করার অধিকার হরন করটা ঠিক না। কেউ না কেউ নিশ্চয়ই জানেন প্রশ্নটার উত্তর। তাদের উত্তর দিতে দিন দয়া করে।
@সংশপ্তক,আপনি কিন্তু এখনো বলেন নি যে ঠিক কি কারনে আপনি এটা জানতে চেয়েছেন। সকালে উঠে হটাৎ করে নিশ্চই আপনার মনে হয় নি মালালাকে কি বুলেট আঘাত হেনেছিল এটা জানা দরকার।
আসলে ঠিক কি ধরনের লোকেরা এই প্রশ্ন করছে এগুলো পাকি ফোরামগুলো দেখলেই পরিষ্কার হচ্ছে। বস্তুনিষ্ট প্রশ্ন করার অধিকার হরন করটা অবশ্যই ঠিক না। কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিৎ যে এই ব্লগেই কেউ যদি প্রশ্ন করে ১৯৭১ এ ঠিক কতজন বাংলাদেশী গনহত্যার শিকার হয়েছিলো, তখন আপনি হারে রে রে রে করে তেড়ে উঠবেন। প্রশ্নের ধরন দেখে প্রশ্ন করার উদ্দ্যেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। কারন বিশেষ ধরনের প্রশ্ন বিশেষ ধরনের জায়গা থেকেই সাধারনত আসে।
@সফিক,
আবারো বলছি মালালার মত একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে কোন ধরনের বুলেট দিয়ে আক্রমন করা হয়েছিল ?
উত্তর না জানলে না দেবেন কিন্তু বস্তুনিষ্ট প্রশ্ন করার অধিকার হরন করটা ঠিক না। কেউ না কেউ নিশ্চয়ই জানেন প্রশ্নটার উত্তর। তাদের উত্তর দিতে দিন দয়া করে।
@সংশপ্তক, মালালাকে যে বুলেট দিয়ে গুলি করা হয়েছিলো তা ছিল ডিমের কুসুম দিয়ে,চোকোলেটের কাগজ মুড়িয়ে আর গূলি করেছিল আমেরিকার এক চর কিন্তু গুলতি দিয়ে। ডিমের কুসুমের ধাক্কা খেয়ে মালালা জ্ঞান হারান আর তারপর প্লান মোতাবেক লন্ডন। আশা করি আপনি খুশি।
ধন্যবাদ মালালাকে নিয়ে লেখার জন্য ।আশার কথা মালালা এখন অনেকটা সুস্থ ।অন্যদিকে মালালাকে শান্তি নোবেল পুরুস্কার দেয়ার আহ্বানে গণস্বাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্যের ৩০ হাজারের বেশী নাগরিক ।মালালা তথা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধকারিদের নিন্দা জানাই ।তালেবান নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক ।
মালালা, তোমাকে হাজার বার সালাম।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Malala.jpg[/img]
মালালার একটি সাক্ষাৎকার-
মালালা, তুমি এগিয়ে চলো সারা পৃথিবী তোমার সাথে আছে-
মুক্তমনা এডমিন, প্লিজ ইউ টিউব আপলোড করার সুবিধা ফিরিয়ে দিন।
@আকাশ মালিক,
আমরাতো এখনই ফিরিয়ে দিতে রাজি কিন্তু বাংলাদেশি সরকার যে সেটা ব্লক করে রেখেছে আর পেজে ইউটিউব ভিডিও থাকলে অনেকের পেজ লোড করতে নাকি সমস্যা হচ্ছে সেটার কি হবে?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বাংলাদেশের ১৪কোটি মানুষ তা সমর্থন করে বলেই তো সরকার ইউ টিউব ব্লক করে রেখেছে।
@আকাশ মালিক,
না ঠিক নয়, সমর্থন করে বলেই তো সরকার ইউ টিউব ব্লক করল না। সরকারের ইউ টিউব ব্লক করাকে বাংলাদেশের ১৪কোটি সমর্থন করে, সেটা ঠিক। দুটোর মধ্যে বড় তফাৎ আছে। ইউ টিউব ব্লক করার উদ্যোগ সরকারই আগ বেড়ে নেয়। ১৪কোটি মানুষ তা নেয় নি। সরকার ইউ টিউব ব্লক না করলে বাংলাদেশের ১৪কোটি মানুষ কিছুই করত না, তারা জানেই না ইউটিউব কি। মোল্লার লাফাত ঠিকই।
@আকাশ মালিক,
বাঙলাদেশের বাইরে বইসা মস্তিষ্কশুণ্য দ্যাশপ্রেমিগোর পক্ষেই এমন কাঠবলদীয় তথ্য দেওয়া সম্ভব। জামাতী ইসলামের মতন মুড়িরটিন দলের পতপত কইরা ইসলামী তরিকার পতাকা উড়ানো যদি ১৪ কোটি মানুষের ইউটিউব বন্ধের দাবী হয় আপনার ভাষায় তাইলে আপনারে কমু বয়স আপনার বাতাসে বাড়ছে। দ্যাশে আসেন। দ্যাশ সম্পর্কে জানতে হইলে দ্যাশে থাকতে হয়। নাইলে নিদেনপক্ষে সৎ ইচ্ছা থাকতে হয়। ঐরকম কোন ইচ্ছাও আপনার আছে বইলা মনে হয় না। থাকলে জানতেন পাবলিকের কেমন রিএকশন হইছে ইউটিউব বন্ধের বিরুদ্ধে।
@সাইফুল ইসলাম,
‘মস্তিষ্কশুণ্য কাঠবলদ’ ঠিকই বলেছেন তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।
তাইলে এটা কার দাবী? ইউটিউব বন্ধের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি মানুষ যদি দাবী জানায়, তাইলে মুড়িরটিন দলের দাবী টিকলো কী ভাবে সেই ভাবনা থেকেই কাঠবলদীয় একটা প্রশ্ন করেছিলাম আর কি। আচ্ছা এবার বলুন রাত বিয়ালে বুয়েটের আশে পাশে আমেরিকার ছায়া টায়া দেখা যায় কি না, বুয়েটে মুড়িরটিন দলের অবস্থাটা কেমন?
@আকাশ মালিক,
আমিও বাংলাদেশে থাকি এবং ১৪ কোটি মানুষের মধ্যেই একজন।ইউ টিউব ব্লক করাতে আমি ভাল বেকায়দায় পড়েছি, এবং আমি এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না!
আমার ধারনায় মালালা ইসলাম বিরোধী কাজ করেছিল আর তাই তালেবানরা তাকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে। ইসলাম নারীকে পূর্ণাংগ মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না, মনে করে একটা যৌন যন্ত্র আনন্দ দেয় ও শিশু উৎপাদন করে ও ঘরে দাসীর কাজ করে, আর তাই কোরান ও হাদিস মোতাবেক তাকে পুরুষের অর্ধেক মর্যাদার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, সেখানে সে লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়, মেয়েদের শিক্ষার দাবী জানায়, যা ইসলামি বিধান অনুযায়ী গর্হিত অপরাধ। যারা মালালার জন্য নাকি কান্না করছে তারা কি এসব জানে ? জানার পরেও নাকি কান্না করে কিভাবে ? এসব ভন্ডামী কবে শেষ হবে ? এরা বিশ্বাস করবে একরকম অথচ মুখে বলবে অন্যরকম। এ ভন্ডামির শেষ কোথায় ?
@ভবঘুরে,
একেবারেই যথার্থ বলেছেন। এ ভন্ডামীর শেষ কোথায়?
পুরুষতন্ত্র+মৌলবাদ+পাক সামরিক জান্তার গালে মালালা একটি প্রকাণ্ড চপেটাঘাত। (Y)
[img]http://news.bbcimg.co.uk/media/images/63410000/jpg/_63410459_153796420.jpg[/img]
আপনারে একটা পরিসংখ্যান দেই।
The Bureau of Investigative Journalism এর তদন্তের রিপোর্ট, মানবতা প্রতিষ্ঠা মিশনের জন্য ড্রোন নামের আম্রিকান আবাবিল পাকিস্তান, ইয়েমেন আর সোমালিয়ায় যে মানবতা বর্ষন করছে তার পরিসংখ্যান।
আমি এইখানে শুধু সংখ্যাটা দিতেছি, বিস্তারিত পড়তে চাইলে এই সংগঠনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়া পইড়া আসতে পারেন। লিঙ্কটা এইখানে। আর ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় যে আকাম করতাছে ঐগুলার হিসাব এইখানে দিলাম না কারন আপনি বর্তমানে পাইক্কা দ্যাশ লইয়া চিন্তিত।
CIA Drone Strikes in Pakistan 2004–2012
Total US strikes: 350
Obama strikes: 298
Total reported killed: 2,593-3,378
Civilians reported killed: 475-885
Children reported killed: 176
Total reported injured: 1,252-1,401
US Covert Action in Yemen 2002–2012
Total confirmed US operations (all): 53-63
Total confirmed US drone strikes: 42-52
Possible extra US operations: 122-141
Possible extra US drone strikes: 66-79
Total reported killed (all): 362-1,052
Total civilians killed (all): 60-163
Children killed (all): 24-34
US Covert Action in Somalia 2007–2012
Total US strikes: 10-23
Total US drone strikes: 3-9
Total reported killed: 58-170
Civilians reported killed: 11-57
Children reported killed: 1-3
এখন আমারে বলেন, এই সমস্ত মানবিক কাজ যখন হয় তখন আম্রিকান মিডিয়া কই? মানবতার ঝান্ডা তখন আসলে কই? পোতাইয়া গেছিল? পাইক্কা দ্যাশে মালালারে মারতেই আম্রিকান মানবিকতা জাইগা উঠল আর এর আগে যে হাজার হাজার মইরা বর্তমানে কবরে এসলামি আজাব ভোগ করতাছে হেগোর কী হইব? মানবতা কি ভাই এত্ত সস্তা? এত্তওওওওওও ?
মালালার উপ্রে হামলা চালাইছে, সত্য কতা কইতে আমার কিছুই ছিড়ে নাই। পাইক্কারা সমস্ত জাতি না খাইয়া মরলেও আমার কিছু ছিড়বা না। কিন্তু আপনার যেহেতু অনেক কিছুই হইছে সেই জন্য কই, পরবর্তিতে কিন্তু ভাই পাকিস্তানের ইতিহাস লইয়া একটা লেখা চাই। নিদেনপক্ষে বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট লইয়া।
ও ভুইল্যা গেছিলাম, পরের লেখাটার লগে পাইক্কা জাতীয় সংগীতটা এড কইরা দিয়েন।
ও মা—–লালা, তুই আমারে করলি দিওয়ানা!!
@সাইফুল ইসলাম,
আমি না হয় আমাগো মা বোনেরে যারা ইজ্জত মারছে সে পাইক্কা দ্যাশ(আপনের ভাষায়) লইয়া চিন্তত। যদিও মালালা আর তালেবান ছাড়া পাইক্কা দেশ লইয়া আমি কোন সমালোচনা করি নাই। তো আপনি বাকি হিসাবটা পোষ্ট আকারে দিয়ে দেন যাতে আমরা নির্যাতিতদের নিদেন পক্ষে সমবেদনা জানাতে পারি।
ভাই বয়সে আপনে এখনো অনেক তরুণ এত তাড়াতাড়ি ভুইল্যা গেলে কি চলব? পাইক্কা জাতীয় সংগীত এড করার কথা কোন জামাতিরে কন না কেন তাইলে আপনার মনের আশ মিটবো।
দিওয়ানা মালালার রূপে হইলেন না গুনে হইলেন বুঝলাম না।
@রাজেশ তালুকদার,
এইখানে যে হিসাবটা দিলাম এইডা কি সমবেদনা জানানোর জন্য যথেষ্ট না? নাকি সাইফুল ইসলামের পোস্ট না হইলে সমবেদনা জানানো ইসলাম সমালোচনা ধর্মের অন্তর্ভুক্ত না?
আমি নাহয় তরুন বয়সে অর্থহীন বাসাহের স্ফুরন ঘটাইয়া চলতেছি, কিন্তু আপনি কেন বয়সে প্রবীণ হইয়া পাইক্কাদের নিয়া চিন্তিত? যদি বয়সে প্রবীন হইয়া মানবতার ঝান্ডা উঠাইয়া রাখা আপনার কর্তব্য হয় তাইলে পাইক্কাদ্যাশে মালালা নামের মাইয়া ছাড়া আরো যে সকল মানুষ আম্রিকা মারছে হেইগুলা নিয়া আপনার কোন রাওচাও নাই কেন? আপনার পুরা ব্লগ ঘুইড়াও তো কই এমন কোন লেখা পাইলাম না। সমস্যাটা কোন জায়গায় আসলে? আম্রিকা, পাইক্কাদ্যাশের বীর্যে উৎপন্ন পাইক্কা তালেবানরা তো আর আজকে থিকা মাইয়াগোরে অসম্মান করতাছে না। মালালার কেসটাতে কী এমন আছে যে সারা দুনিয়া হেরে নিয়া লুটোপুটি খেলতেছে? মাছের গন্ধ পাওয়া যায় না এইহানে?
রুপ গুন কোনডাই না কারন পাইক্কা জিনিস আমার মনে কোন আলোড়ন তোলে না।তবে মালালা যেমনে আপনাগোর মতন প্রবীন জ্ঞ্যানীগোরে নাকে রশি দিয়া ঘুরাইতাছে এই নাটক দেইখ্যা, আপনাগোর চোখের আঁসু দেইখ্যা দিওয়ানা হইছি।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই সাইফুল এই কেন কেন প্রশ্ন আমিওতো আপনাকে অনেক করতে পারি যেমনঃ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রামু, উখিয়ার ঘটনায় আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে পারি কথায় কথায় এত প্রতিবাদের ঝাণ্ডা উড়ান কই এ নিয়ে আপনার লেখা?
আপনি এ নিয়ে কোন পোষ্ট দেন নি বলে আমি কি তাহলে ধরে নেব তাহলে আপনি সেই আক্রমণকারী গোষ্ঠির সমর্থক? মানবতার পক্ষে আপনার বলা কথা শুধু লোক দেখানো?
আপনি এটা লিখলেন না কেন? ওটা লিখলেননা কেন? এই রকম হাজারো প্রশ্নের কাঠগড়ায় আমিও আপনাকে দাঁড় করিয়ে আপনার মত আক্রমনাত্মক শালীন মন্তব্য যদি ঝেড়ে দিই এতে সহব্লগার হিসাবে আমাদের দুজনের মধ্যে বৈরীতা বাড়বে, সৌহার্দ বাড়বে না নিশ্চই।
অবশ্য “রাজেশ তালুকদার” নামটা দেখেই যদি মনে মনে ভেবে বসেন “শালা মালাউনের বাচ্চা” তার সাথে আবার সৌহার্দ বা শালীন মন্তব্যের প্রয়োজনটা কি তাহলে বিষয়টা ভিন্ন।
পরিশেষে এই পোষ্টে সব ব্লগার থেকে শালীন মন্তব্য আশা করছি।
ভালো থাকুন।
@রাজেশ তালুকদার,
সাইফুল ভাই যখন বললেন-
এর পরে তার সাথে এ নিয়ে আর আলোচনা চলেনা।
দাদা, অন্তত মুক্তমনায় নিজেকে এমন ভাবে সিঙ্গল আউট করে ভাববেন আশা করিনি। মুক্তমনার একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক হয়ে এ রকম ভেঙ্গে পড়লে চলবে? ওসব বাদ দেন তো প্লিজ। মালালাকে নিয়ে আপনার মতো বিষয় বিশ্লেষক লেখকের লেখাটায় আরো কিছু পেছনের ইতিহাস, তাকে খুন করার প্রেক্ষাপট আর কিশোর মালালার মেধা, প্রজ্ঞা, ইচ্ছে, চিন্তা ও চেতনার বিষয়টুকু আশা করেছিলাম তুলে ধরবেন। চলুন আমরা বরং এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষটির মাঝেই আলোচনা সীমিত রাখি। লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
না না সে আশংখা করি না। সত্যি বলতে কি কোন কোন জটিল মূহুর্তে অনেক তথাকথিত প্রগতিবাদীদের মুখ থেকে ঐ রকম বেফাঁস উক্তি শোনার বহু অভিজ্ঞতা আছে আমার। সব জীবন থেকেই শেখা।
ও হ্যাঁ, আপনাকে একটা ই বার্তা পাঠিয়েছি।
@রাজেশ তালুকদার,
খাইছে এত আবেগী হইলে তো ভাই হইব না। লেখা দিছেন রাজনীতি নিয়া। আবেগ বালিশের নিচে ফেলাইয়া তারপরেই রাজনৈতিক আলোচনা করতে আসা উচিত। আমি আপনারে পরিষ্কার পরিসংখ্যান দিয়া বলছি আম্রিকা আর পাইক্কা দ্যাশের ফাইজলামী এইটা। আপনি আসছেন আপনার আবেগ নিয়া। আপনি মালাউনের বাচ্চা নাকি কিসের বাচ্চা তাই নিয়া আমার কোন টেনশন নাই কারন তাইতে আলোচনা বস্তুনিষ্ঠ হইব না। এইখানে আলোচনা হইতেছে হার্ডকোর রাজনৈতিক বিষয়ে। সুতরাং আবেগ কন্ঠ থিকে বহিস্কার কইরা রাজনৈতিক আলোচনার মঞ্চে নামেন। নইলে একজনের করা প্রশ্নের মুখে আপনার খালি কান্নায় কন্ঠরূদ্ধ হইব।
আর আমি হয়ত আপনার সাথে আরেকটু পুতুপুতু ভাষায় কথা বলতাম, যখনই দেখাল্ম পাইক্কা দেশে কী হইছে তাই নিয়া আপনাগোর মানবতাবাদীগোর মাথায় বাজ পড়ছে ঐটা দেইখ্যা আমার মাথাও কিঞ্চিত গরম হইছে। পাইক্কা দেশ নিয়া যারাই চিন্তিত আমি তাগোর সাথেই এইরকম অশালীন(আপনাগোর ভাষায়) ভাষায় বাতচিত করুম। আপনার যদি সত্য জানার ইচ্ছা থাকে বিশেষন নিয়া চিন্তিত না হইয়া ফ্যাক্ট নিয়া চিন্তা করা উচিত। নইলে কেউ যদি বলে লেখা দিছেন খালি ব্লগ কাঁপাইতে অস্বীকার করতে পারবেন?
@সাইফুল ইসলাম,
কোনো অজানা কারণে আপনার মেজাজ সর্বদা খাট্টা হয়ে থাকে, বোঝা মুশকিল।
মালালার উপর আক্রমন হয়েছে বলে তার পাশে দাড়ানো যাবেনা, তার সমর্থনে দুচার কথা বলা যাবেনা কারণ মার্কিনরা তাকে নিয়ে আপ্লুত?
সেই আমেরিকানরা যারা নির্বিচারে Drone হামলা চালাচ্ছে আবার তলে তলে তালিবানদের সাথে সমঝোতাও করছে তাদের মুখে মানবতা নিয়ে কোনো কথা মানায়না তা ঠিক। কিন্তু এইটা ভুলে গেলে চলবেনা যে, যে দেশের মানুষ ছিল হেনরি কিসিঙ্গার, সেই একই দেশে অ্যালেন গিনসবার্গ এবং বব ডিলানের মত লোকেরাও জন্মেছিল। লড়াইটা আমেরিকা বনাম তালিবান/পাকিস্তান বা পাকিস্তান বনাম ভারত বা ভারত বনাম চীন, হিন্দু বনাম মুসলমান বনাম ক্রিষ্ঠান নয়, কখনো ছিলও না। লড়াইটা স্বাধীনতাকামী বনাম দুর্বৃত্ত শক্তির, সাম্রাজ্যবাদ(সেইটা আমেরিকান হোক বা জেহাদী, তালিবানি হোক বা চৈনিক, ভারতীয় হোক বা আরবি) বনাম মুক্তচিন্তা মানবতার।
এই লড়াইতে মালালার অবস্থান মানবতার দিকে, পশুশক্তির বিরুদ্ধে।
একদা পাকিস্তান বাংলাদেশে যা করেছিল, তার জন্যে একজন মুক্তিকামী পাকিস্তানি কিশোরীর এই অসম লড়াইকে অশ্রদ্ধা করা, তার উপর এই আক্রমনে নিস্পৃহ থাকার পিছনে যুক্তি খাড়া করা নির্লজ্জতা ছাড়া কিছুই নয়।
তাই কোনো ভারতীয় যদি আজ বলে যে আজমল কাসবের দেশের মেয়ে বলে মালালার উপর যা হয়েছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না, সে সভ্য সমাজে বাস করার যোগ্য নয়।
@অনামী,
এত সুন্দর করে আসল সত্যটা তুলে ধরেছেন যে, আমি বিমোহিত, বিমুগ্ধ! প্রিন্টেড নিউজপেপারের চেয়ে ব্লগ অন্তত কয়েকগুণ বেশি আকর্ষনীয় হয় শুধু এই আলোচনার গুনে, এত সমৃদ্ধ আলোচনা হয়, যা মূল লেখার এক একটি পালক হয়ে বিরাজ করতে থাকে, লেখাটিকে নিয়ে যায় অন্য এক মাত্রায়, স্তরে।
আমি আপনার নীচের লাইনটি বোল্ড করার লোভ সামলাতে পারছি না।
লড়াইটা স্বাধীনতাকামী বনাম দুর্বৃত্ত শক্তির, সাম্রাজ্যবাদ(সেইটা আমেরিকান হোক বা জেহাদী, তালিবানি হোক বা চৈনিক, ভারতীয় হোক বা আরবি) বনাম মুক্তচিন্তা মানবতার।
(Y) (Y) (Y) অপূর্ব, অসাধারণ!
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ।
এই কথাটা আমি প্রথম শুনেছিলাম কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতারের একটা সাক্ষাত্কারে।কোনো একটি পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক কবিকে খোচা দিচ্ছিলেন ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে। তার কিছুদিন আগেই কবি জাভেদ আখতার এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাবানা আজমি একটি ফ্ল্যাট কিনতে গেলে সেই ফ্ল্যাটের মালিক সাফ সাফ জানিয়ে দেয় যে ফ্ল্যাট বিক্রি সম্ভব নয় কারণ তারা মুসলমান।হিন্দুরা যে ফ্ল্যাটে বাস করে তাতে মুসলমান দম্পতির বাস সেইখানকার লোকেদের না পসন্দ।
এই ঘটনার সুত্র ধরে সেই সাংবাদিক ভারতে হিন্দু সামপ্রদায়িকতাতে পিষ্ট মুসলমানদের দুরবস্থার কথা জানতে চায়।
যে দেশে জাভেদ আখতার-শাবানা আজমির সাথে এই হয়, সেই দেশে বজরং দল না জানি রহিম শেখ করিম আলীদের কি দুরবস্থা করে।
তাতে জাভেদ সাহেবের বক্ত্যব ছিল যে এই ঘটনা সত্য, কিন্তু তাতে কিছুই প্রমাণিত হয় না। কারণ এই ঘটনার প্রতিবাদে তার যে সব বন্ধুরা এগিয়ে এসেছিলেন, হিন্দুত্ববাদী ছাগলগুলি মনে করে, তারা সেই মানুষদের(অর্থাৎ হিন্দুদের) প্রতিনিধি।
তাই আগে বুঝতে হবে লড়াইটা কার সাথে কার? শুধু বজরং দল আরএসএস বা বিজেপির সাথে নয়।
লড়াইটা যারা মকবুল হুসেনকে দেশ ছাড়া করে তাদের বিরুদ্ধে, আবার যারা তসলিমাকে তাড়া করে তাদেরও বিরুদ্ধে।
যারা বামিয়ান উড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে, আবার যারা বাবরি মসজিদ ভাঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে।
যেমন হিন্দুপল্লীতে মুসলমান দম্পতির বাসা পাওয়া মুশকিল, তেমনি মুসলমান এলাকায় হিন্দু পরিবার ভয়ে ভয়ে বাস করে।
এই সমাজ ব্যবস্থার হোতা যারা তাদের তফাত তো শুধু বহিরঙ্গে, ‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলে!’ অন্তরে তারা একে অন্যের দোসর।
এদের বিরুদ্ধে যারা তারা মানবতার পক্ষে, মুক্তচিন্তার পক্ষে, সভ্যতার পক্ষে। এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি এই সংঘাতে সভ্যতার পক্ষে, মানবার পক্ষে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে অবস্থান করছেন, কারণ এ ছাড়া অন্য কোনো অবস্থান যুক্তিযুক্ত নয়!
প্রাঞ্জল কথাগুলি ভারী ভালো লেগেছিল।
ভিডিও-টা ইউ টিউবে আছে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
@অনামী,
আর আমি বুঝি না আম্রিকা পাইক্কাদ্যাশের আকাম দেইখ্যা আপনাগো কেমনে মেজাজ সবসময় পুতুপুতু করে।
কোন জায়গায় পাইছেন এই হাদিস? কোন জায়গায় আমি কইলাম যে মালালারে সমর্থন দেওয়া যাইবনা। আমার উদ্ধৃত হাদিসের রেফারেন্স দেন, আমি মাইন্যা নেই। আমি আপনাগোর মতন সভ্য সমাজের দূর্ধর্ষ প্রতিনিধিগোরে এইটাই কইতে চাইতাছি যে, মালালারে নিয়া লাফালাফি কইরা যদি আপনাগোর সভ্যতা প্রকাশ করতে হয় তাইলে পরে এই সভ্যতা দেখাইন্যা হইল পরিষ্কার ভন্ডামী। মালালা তালেবানি মস্তানগুলার দ্বারা সৃষ্ট একমাত্র ক্ষত না। বরঞ্চ মস্তানি সৈকতের একটা বালি মাত্র। কিন্তু কী এমন কারন ঘটল মালালার ব্যাপারে যে সারা দুনিয়া আপনারা সভ্য নাগরিকরা দাপাইয়া বেড়াইতাছেন? আমারে একটা সলিড লজিক দেন। মুক্তমনায় ইসলামের সমালোচনা করা বহুত কুতুবুদ্দিন দেখলাম ইসলাম ভাইজ্যা মানবতার তেল বাইর করতাছে, আর এই পোস্টে আপনি সভ্যতা শিখাইতে আসছেন, কিন্তু কই আপনার বা লেখকের কোন লেখাতো দেখলাম না যেইখানে পাইক্কাদ্যাশে আম্রিকার সাধারন মানুষ মারার প্রতিবাদ করছেন? নাকি আম্রিকা মারলে ঐডা সভ্যতা আর তালেবানরা মারলে মানবতা ধর্ষন?
আবারও বলি, একটা সলিড লজিক দেন যার জন্য আরো হাজারো মানুষ মরার পরেও(উপরে আমি পরিষ্কার পরিসংখ্যান দিছি) চুপচাপ পুতুপুতু মেজাজে কবিতা ছড়া লেখা যায় আর মালালা নামের কোন মাইয়া আহত হইলেই আপনাগোর সভ্য মানুষ মানবতার ঝান্ডা ডান্ডার মতন খারাইয়া যায়। আফটার অল, আমি অসভ্য থাকতে চাই না। আমিও আপনাগোর সভ্য লিগে যোগ দিতে চাই।
বলেন কী? দুনিয়ায় বহু মানুষ না খাইয়া না পইড়া, আম্রিকার ভালোবাসার চিপায় পইড়া প্রত্যেকদিন মরতাছে তাইতে আপনারা মানবতা লিগের কর্মীরা নিস্পৃহ থাকতাছেন, আমার মতন “সর্বদা খাট্টা” হইতেছে না এইটারে আমি কী বলতে পারি তাইলে? Mimosaর ঝোপ?
@সাইফুল ইসলাম,
আহা রাগ করবেননা ভাই।আপনার রাগ দেখলে বড্ড ভয় খেয়ে যাই।
এই বুঝি অন্তর্জালের দুস্তর ব্যবধান ঘুচিয়ে আপনার মুখ থেকে বুদবুদ করে ওঠা প্রতিবাদী থুতু, বিপ্লবী ঢেকুর আর সংগ্রামী বাত্কম্মের ঝটকায় আমাদের মতন দুমুখো হাফ ভদ্র মেনিপুষী পুতুপুতুদের কাপড় চোপর নষ্ট হয়ে গেল।
কি করব বলুন, আপনার সংগ্রামী চেতনা এখনো আমাদের সুবিধাবাদী ভন্ড শরীরের শিরায় শিরায় প্রবেশ করেনি। তাই উদাস মনে পদ্য-ছড়া লিখে ফেলি।আফটার অল মধ্যবিত্ত পেটি বুর্জোয়া বাঙালি তো, রক্ত আর যাবে কোথায়? ঐসব হিসেবের মধ্যে একদম ধরবেন না, নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন কেমন?
আর আপনাকে মাপতে গিয়ে বা আপনার হাদিসের চুলচেরা বিচারে নিজের থোতা মুখ ভোতা করব এত্ত বড় আহাম্মুক নই। আরো অনেকেও বলেছে আপনার উক্তি নিয়ে, তারাও অবশ্যি সব আমার মতনই বোকা হাবা। ওই যে বলে না, দশ চক্রে ভগবান ভুত, আমারও তাই, সঙ্গদোষে এমনটা হলো স্যার।
আর কক্ষনো হবে না ।
ভারী অন্যায় হয়েছে, ছি ছি কি লজ্জার কথা- হুজুরের মুখে মুখে চোপা!ইরিবাবা ।
কেউ জানেনা ‘দশ জার্মান জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে’ – হু হু বাবা ।
যাক আপনি তাহলে মালালার বিরুদ্ধে নন, শুধু তাকে নিয়ে মাতামাতির বিরুদ্ধে ।শুনে মনে বড় শান্তি এলো ।তাইত একটু তলিয়ে ভেবে দেখলুম, এত্ত লোকে বোমার খোল ফেটে মোলো আর কে কোথাকার একরত্তি পুটকে ছুকরি, তাকে নিয়ে দরদ ওঠ্লানোর কোনো মানে হয়না।
তা ইয়ে ধর্মাবতার, এবার থেকে গরুর রচনা কোনখান থেকে শুরু করতে হবে বলুন তো? মানে রাজেশ বাবুকে বলে দিন যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে লিখলেই শুধু হবে নাকি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ, চেঙ্গিস খান, রোমান সাম্রাজ্যবাদ এবং সম্রাট আলেক্জান্দেরের ভারত আক্রমন নিয়ে লিখলেই তবে মালালা তালালার মতন পোলাপানদের কথা বলা যাবে(আবার বলছি লিস্টিতে কিছু বাদ গেলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন)।
তাহলে আজ এই পর্যন্তই থাক। কাল সক্কালে আশা করি আপনার বিপ্লবী চন্নামেত আরেক রাউন্ড পান করে ছ্যার ছ্যার করে পেচ্ছাপ করে জাতে ওঠার সুযোগ পাব(শেষ কথাটা তো আপনিই সর্বদা বলে থাকেন, এবারেও বলে দেবেনখন)।
ইয়ে যাবার আগে লাস্ট কোশ্চেন-
আচ্ছা আপনি কি সময়যানে চড়ে অতীতে গিয়ে কখনো সুকুমার রায়কে দাবড়ে দিয়ে এসেছিলেন?
নইলে ভাবি ‘নারদ নারদ’-এর মতন কবিতা উনি লিখলেন কাকে দেখে?
‘হ্যা হ্যা রে, তুই নাকি কাল সাদাকে বলেছিলি লাল, আর সেদিন নাকি রাত্রি জুড়ে নাক ডেকেছিস বিশ্রী সুরে?’
মানে আপনার মতন বিপ্লবী মহাপুরুষ যিনি ভগত সিংহকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার, লেনিনকে দিয়ে চা বানানোর আর গ্যারিবল্দিকে দিয়ে বাসন মাজনোর ক্ষমতা রাখেন, তেনার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয় কিনা!
@অনামী,
হ্যাচ্চু! হ্যাচ্চুউউ!! কিছু মনে কইরেন না দাদা, আমার বুলশিটে এলার্জি আছে।
@সাইফুল ইসলাম,আহা, বড়ো দু:খের কথা। আপনি বোধহয় সারাদিনই হাচি দেন।
@সফিক,
আপনি জ্ঞ্যানী মানুষ। ইশারাতেই বোঝেন।
@সাইফুল ইসলাম, আপনি সত্যিই একটা ইউনিক কেস। নিজ দেহের প্রধান উপাদানে অটোইমিউন এলার্জিক রিআ্যাকশন হয়, এটা আগে কখনো শুনিনি।
@সফিক,
আপনার ইংরেজি জ্ঞ্যান প্রখর।
@অনামী,
ধন্যবাদ, পড়া ও মন্তব্যের জন্য। ব্লগারদের আত্মরক্ষার্থে কিছু কিছু কৌশল রপ্ত হওয়া জরুরী মনে হচ্ছে এখন।
@সাইফুল ইসলাম,
সিরিয়াসলি সাইফুল, তোমার থেকে এই মন্তব্য আশা করিনি। নিচে আদিল মাহমুদকে যে জবাব দিয়েছ তার থেকে তোমার বক্তব্যটা পরিষ্কার হচ্ছে, গুছিয়ে লিখেছ, এবং কি বলছ বুঝতে অসুবিধা নেই।
infact আমিও প্রায় তোমার সাথে খানিকটা একমত। কিন্তু রাজেশ তালুকদার কে যে প্রথম মন্তব্যটা করেছিলে, তা বেশ কুরুচিপূর্ণ ছিল। প্রথমেই যদি গুছিয়ে বলতে এত গৌরচন্দ্রিকা করার প্রয়োজন হতনা।
তোমার স্টাইল হলো প্রথমেই confrontational হয়ে যাওয়া । তাতে অসুবিধা হয় উল্টো দিকের লোকটাও তেরিয়া হয়ে ওঠে, আলোচনা আর চলেই না। আবার ভেবে বসনা অযথা জ্ঞান দিলাম!
আশা করি মন্তব্যটা বন্ধুত্বপূর্ণ গঠনমূলক সমালোচনা হিসেবেই নেবে।
যাকগে মালালকে নিয়ে তোমার যা বক্তব্য তার ডিটেল তর্ক বিতর্ক পাবে এখানে।
ইন্টারেস্ট পেলে পরে দেখো
@অনামী,
আমি কারো আশার খেলাঘর নিয়া খেলি না, আমি যা সত্যি মনে করি তাই চিৎকার দিয়া বলি। যদি ভুই হয় তাইলে চিৎকার দিয়া সবাইরে জানান দিয়াই বলুম আমি ভুল করছি। পিট চাপড়া চাপড়ি মেরুদন্ডহীন মানুষের কাম। আমি কী যুক্তি দিলাম এইটাই হইল আসল কথা। এইখানে লেখালেখি নিশ্চই কেউ টাকা পয়সার জন্য করে না, করে নিজের চিন্তা সবার সাথে শেয়ার করতে। তাইলে বিরুদ্ধ মতেই চিৎকারে আপনাগোর এত সমস্যা কেন?
ক্ষতির তো কিছু নাই, বরঞ্চ লাভ। সত্যি শিখতে যদি পুতুপুতু আওয়াজে কথা বলাইয়া শিখাইয়তে হয় তাইলে ঐ সত্যের কোন দাম নাই। তার মুখে আমি অনেক কিছুই করি।
এইখানের অনেকেরেই দেখবেন ইসলাম নিয়া যহন মজা লুটে তহন ঐটারে বেশ মজার চোখেই দেখে। এই জিনিসে মুসলমানগোর মনে যে আপনাগোর মতন আঘাত লাগতে পারে তাই নিয়া কেউ চিন্তিত না। তাইলে আপনাগোরে কেন আমার রসালো ভাষায় আওয়াজ দিয়ে হইব? বুঝে আসে না।
@সাইফুল ইসলাম,
আচ্ছা ইসলাম নিয়ে মজা লোটে বলতে কি বুঝাচ্ছেন?আশা করি তাদের কথা বুঝাননি যারা গঠনমুলক ভাবে ইসলামের সমালোচনা করে থাকে।
সাইফুল ইসলামের আশালীন উক্তিসমূহ কোনোভাবেই মুক্তমনার দেশ্চারের সঙ্গে যায় না। তীব্র নিন্দা। (N)
@বিপ্লব রহমান,
আপনি নতুন বাঙলা গ্রামারের প্রণেতা, সাথে সাথে মুক্তমনার সেন্সরশীপ গ্রুপের চেয়ারম্যান এইটা ভুইল্যা গেছিলাম। আপনি এইহানে আইবেন জানলে অত্যন্ত শ্লীল ভাষায় প্রনীত ব্যাকরন অনুসারে কতা চালাইতাম। যাই হউক আবজাব কইয়া যহন ফেলাইছিই, অশ্লীল অশালীন যাই কই, মিছা অযৌক্তিক কিছু কইলে আমারেও অশ্লীল অশালীন ভাষায় যা ইচ্ছা তাই কন। কোন সমস্যা নাই। সরকারি প্রেসনোতের মতন তীব্র নিন্দা জ্ঞ্যাপন বাদ দিয়া লাইনের কথা বলেন, সবারই লাভ তাইতে।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার লাইনে চিন্তা করলে এ জাতীয় কোন ঘটনা নিয়েই লেখালেখি কারোই উচিত হবে না।
আমেরিকার দ্রোন আক্রমন, ইত্যাদী নানান অমানবিক কার্যকলাপ নিয়ে লেখালেখি করতে তো কেউ কাউকে মানা করেনি। তার সাথে মালালার ঘটনার সম্পর্ক ঠিক কোনখানে? নাকি এই লেখক মালালার ঘটনায় ব্যাথিত কিন্তু মার্কিন বোমার ঘায়ে নিরীহ মানুষ মারা পড়লে তাকে সাপোর্ট করেন বলে প্রমান হয়েছে? আমি ঠিক বুঝলাম না আপনার পয়েন্ট ঠিক কোথায়?
আমেরিকার মিডিয়াতেই কেবল এই ঘটনা প্রকাশ হয়েছে, নইলে আমরা জানতাম না? আর কোন মিডিয়াতে আসেনি কারন এই ঘটনা এতই নগন্য? ব্যাপার তো তেমন মনে হয় না। খোদ পাক মিডিয়াতেই এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। পাক জনতা এই প্রথমবার আমার মনে হয়েছে প্রবল ভাবে তাড়িত হয়েছে। তারা কি আপনার মত আমরিকার মিডিয়া বা দ্রোনের পরিসংখ্যান নিয়ে দৌড়াচ্ছে? কিংবা আমরিকান মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে বলেই এই ঘটনা মিথ্যা? আপনার মনে হয় আগে পাকিস্তানের মিডিয়া, ব্লগে লেখালেখি করা দরকার গণসচেতনতার বানী নিয়ে। পাকিস্তানীরাই বুঝতে পারছে না আমরিকান মিডিয়া তত্ত্ব, আর আমরা তো কোন ছার।
মানবতার যে আমরিকান বা পাইক্কা মিডিয়া স্কেল আছে তা মনে হয় খোদ পাইক্কারাই জানে না।
@আদিল মাহমুদ,
আচ্ছা আদিল ভাই, আমারে একটা কথা বলেন। মালালার কেসটাতে কী এমন মৌলিক ঘটনা আছে যার জন্য মালালারে নিয়া পুরা দুনিয়া ক্ষেইপ্যা উঠছে। ম্যাডোনার বিগত যৌবতা দেহে শুনছি মালালার ট্যাটু উঠছে, অঞ্জেলিনা জলি শুনলাম নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিতে কইছে। আমারে বলেন মালালার কাহিনী কি তালেবানরা আর ঘটায় নাই? কিন্তু ঐ ঘটনা নিয়া কেন সবাই চিল্লাচিল্লি করে নাই? মানে একই ঘটনা খালি চরিত্রের পার্থক্য। কাহিনীটা কোন জায়গায়?
সম্পর্কটা এইখানে যে মিডিয়া দিয়া আমরা পরিচালিত। একই রকম আরো অনেক ঘটনা ঘটার পরেও অন্য কেউ এইটা নিয়া এমন বিস্ফোরন ঘটায় নাই, কিন্তু এই ঘটনায় ঘটাইতেছে। প্রভুরা যা চায় আমরা তাই করি। প্রভুরা কালকে কুত্তার কুত্তানুভুতি নিয়া ঘেউ ঘেউ করতে বললে আমরা আমজামকাঁঠাল জনতা তাই করুম। আমি খালি বলতেছি, ঢোলের বাড়িতে না নাইচ্যা একটু চিন্তা কইরা দেখতে। এই এক মালালারে দিয়া আজকে পাইক্কারা, আম্রিকানরা মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা কইরা ফেলছে। যেই পাইক্কা দ্যাশের গোয়েন্দা বিভাগ তালেবানগোর সাথে প্রকাশ্যে আতাঁত রাখে সেই দ্যাশই মালালার ঘটনায় এত চিক্কুর পাইরা মানবতার ঝান্দা উড়াইতেছে। চোর পুলিশরে ভালো বললে একটু মাছের গন্ধ পাওয়া যায় না?
মালালার ঘটনায় লাভ কার? পাইক্কা সরকারের আর আম্রিকার(আম্রিকা বলতে অবশ্যই আম্রিকান মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের)। পাইক্কারা আম্রিকান ডলার গুনব কারন তালেবান হটাইতে আম্রিকান সামরিক, অর্থনৈতিক সহায়তা দরকার আর আম্রিকা হেগোর মানুষ মারার কামডা অত্যন্ত নিখুতভাবে চালাইয়া যাইতে পারব।
অবশ্যই জানতেন, কিন্তু এখন যেমন বুকে মানবতার পালস অনুভব করতাছেন তত করতেন না। প্রমান, আমার পরিসংখ্যান। অত মানুষ মরল, আম্রিকান মুস্টিমেয় কিছু মানুষ এইটা নিয়া লাফাইল, ব্যাপক মিডিয়া কভারেজ পাইল না, ফলাফল আপনাগোর মানবতাবোধও চাগাইয়া উঠল না। সমস্যাটা কোন জায়গায় বুঝতে পারতেছেন আদিল ভাই?
পাইক্কা জনতা এইটা নিয়া প্রথমবারের মতন ফাল পারতেছে, খুবই উৎসাহব্যঞ্জক কথা। কিন্তু আগেও তো কম মানুষ মরে নাই, তাইলে আগে কেন ফাল পাড়ল না, এটলিস্ট আপনি কেন সেই ফাল পাড়ার খবর পাইলেন না? সমস্যাডা কোন জায়গায়? আপনার বুঝতে হইব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু চাইলেই ফালাফালি শুরু হয় নাইলে না।
আর পাইক্কাদের নিয়া আমার তেমন মাথা ব্যাথা নাই এইটাতো বলছিই, যার জন্য এক কবি আমারে আসছেন সভ্যতা শিখাইতে। চিন্তিত হইলে হয়ত আপনার কথা মতন কিছু করতাম।
পাইক্কারা জগতের অনেক কিছুই জানে না বাইঞ্চোদগীরি করা ছাড়া এইটা আলাদা কথা। কিন্তু আম্রিকান আর পাইক্কা মানবতার স্কেল যা আলাদা এইটা তো বরঞ্চ আমিই ভাই আপনাগোর কাছ থিকা শিখতেছি। সাধারন মানুষ মরতেছে আপনারা চুপচাপ, মালালা মরল আপনারা সরব। আম্রিকা মারলে খবর নাই কিন্তু তালেবানরা মারছে ব্যাস, দুনিয়া উল্টাইয়া গ্যাছে।
@সাইফুল ইসলাম,
ব্রিটিশ-আম্রিকা যখন আফগান বা ইরাক হামলা চালায়, তখন সারা বিশ্বের মানুষ প্রতিবাদ করেনি? পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তমনা মানুষ বিশাল বিশাল সব বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। অবশ্য এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল ক্ষুদ্র ও বদ্ধমনা ফান্ডামেন্টালিস্টরাও। তবে সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, পাইক্কারা সেই অভিযানের সবচেয়ে ক্লোজ এলাই ছিল।
কিন্তু কই মালালার ব্যাপারে কোন মিছিল তো দেখলাম না ঐ আকারের? মানবতাবাদারী কি সব ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি?
সাইফুল ভাই, হপ্তায় হপ্তায় যে আমাদের ভাইয়েরা (বাম ও ডান) এন্টি-আম্রিকান মিছিল বের করে, তা কি আপনার পরান ঠান্ডা করতে পারে না? নাকি মুক্তমনায় একজন লেখকের মালালাকে নিয়ে লিখতে হলে আম্রিকার কুকীর্তি নিয়া লেখনের কোন প্রিকন্ডিশন আছে? এইভাবে লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত? একজন লেখককে তাই লিখতে দেয়া উচিত, যা উনি জানেন বা লিখতে চান। আপনি আম্রিকার কুকীর্তি নিয়ে লিখতে পারেন, যেহেতু এই বিষয়টা আপনি বেশি জানেন বা বোঝেন।
@সাইফুল ইসলাম, আপনি আম্রিকার সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে এতো লাফালাফি করেন, আফ্রিকায় চাইনীজ সরকার-কোম্পানীদের এক্সপ্লয়েটেশন নিয়ে লাফান না কেনো? আপনি সিরিয়া’র জনবিরোধী সরকারকে রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে লেখেন না কেনো? আপনি দ:ক্ষিন সুদানে উত্তর সুদানের আগ্রাসন নিয়ে লাফান না কেন? আপনি ” সিরাজগঞ্জে বাসের চাপায় শিশু নিহত”http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-09/news/304056 – এটা নিয়ে লাফান না কেনো? আপনি “৫০০ বিঘা জমির জাল দলিল http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-08/news/303676” এতো বড়ো অপরাধ নিয়ে লাফান না কেনো? আপনি ” শিক্ষকদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন প্রধান শিক্ষক – http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-06/news/303048 এই ভয়াবহ সংবাদে লাফান না কেনো?
আপনি প্রতি মুহুর্তে দেশে বিদেশে হওয়া একের পর এক ভয়াবহ-মানবতাবিরোধী ঘটনা নিয়ে সারা দিনই লাফাতে থাকেন না কেনো?
@সফিক,
আমি উত্তর দিতেছি, আগে বলেন আমার উচিত কী না? মানে প্রতি মুহুর্তে দেশে বিদেশে হওয়া একের পর এক ভয়াবহ-মানবতাবিরোধী ঘটনা নিয়ে সারা দিনই লাফালাফি করা উচিত কী না?
@সাইফুল ইসলাম,না উচিৎ না। সারা দিন ধরে লাফালাফি করলে দুই দিনেই পটল তুলে মানবজন্ম সাংগ করে ফেলবেন। মানুষের ক্ষমতা নাই পুরা বিশ্বকে একাই ধারন করা। এজন্যেই মানুষ নিজের মনোযোগের ক্ষেত্র সংকোচন করে ফেলে। মানুষ স্টোরী খোজে বিশ্বের ঘটনা প্রবাহ বোঝার জন্যে। মালালা ‘র ঘটনা বর্তমান পাকিস্তানের রাজনোৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি বোঝার জন্যে খুব সুন্দর সর্ব জন গ্রাহ্য একটা স্টোরী। একারনেই মালালাকে নিয়ে এতো লাফালাফি। মিডিয়াও একারনে সব সময়ে স্টোরী খোজে। স্টোরী ছাড়া নিউজ হয়না, মানুষের মনোযোগ ধরে রাখা যায় না।
@সফিক,
তাইলে আর কী, সারা দুনিয়ায় ঘটা আকাম দেইখ্যা চুপ কইরা থাকার সার্টিফিকেট তো দিয়াই দিলেন। আর তো কিছু কওয়ার নাই। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
দুনিয়ায় কোন ঘটনা কেন মিডিয়া কভারেজ পায় সেটার ওপর সকলের নিয়ন্ত্রন থাকে না। মিডিয়ায় কাভারেজ পেলেও গনমানসে এক ভাবে ভূমিকা রাখে সেটাও আবার ঘটে না সেটা কি বোঝেন?
কিছুদিন আগে রুমানা মঞ্জুর নামে স্বামী নির্যাতিতা এক মহিলার করুন কাহিনী নিয়ে দুনিয়াময় হইহই হল। তখনো অনেক বিবেকবান ভাই আপনার মতই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে গরীব ঘরের নাম না জানা হাজারো মহিলা প্রতিদিন এমন নির্যাতিতা হচ্ছে, তাদের বেলায় এত হই হই রই রই কোথায়? তখন নারী অধিকার, পুরুষের নির্যাতন এসব কই থাকে? কথাটা কিন্তু মিথ্যা না। কথাটা যেমন মিথ্যা না তেমনি এই যুক্তি খাটিয়ে রুমানা মঞ্জুরের ঘটনায় নীরবতা পালন করতে হবে এমন যুক্তিও খুবই খেলো। গরীব ঘরের রহিমা করিমাদের কাহিনীও পত্রিকায় আসে ঠিকই, যারা রুমানার ঘটনায় বিবেকবানের মত আঁতেলীয় প্রশ্ন করেছিলেন তারাও ঠিকই পড়েন,পড়ে আমাদের মতই ভুলে যান কারন সে শ্রেনীর সুখ দূঃখের সাথে নিজে একাত্মবোধ করেন না।
আচ্ছা, ধরেন আমেরিকানদের বোমাবাজির বিরুদ্ধে আমি লেখা দিলাম। এরপর কেউ যদি আমাকে আমাদের দেশের পুলিশ র্যাবের হাতে নিহত অত্যাচারীতের পরিসংখ্যান দেখান তবে কি সেই লেখা আমার তুলে নেওয়া উচিত হবে?
নিজের দেশের র্যাব প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে তরুন ছেলের ঠ্যাং ভেংগে আবার পরিবার শুদ্ধ মামলা দিয়ে জেলে দেয়। আমরা কিছুই করতে পারি না, উলটো দেশের অধিকাংশ লোকে র্যাব সমর্থন করে। সেই আমরা কোন মুখে ভারতীয়রা তাদের সীমান্ত অবৈধভাবে অতিক্রম করা কাউকে উলংগ করে পেটালে চীতকার করে দুনিয়া কাঁপাই? আজ পর্যন্ত দেশের পুলিশের হাতে অত্যাচারিত হয়েছে কতজন আর বিএসএফ এর হাতে অত্যাচারিত হয়েছে কতজন?
যারা বিএসএফ এর খুনাখুনীর প্রতিবাদে লেখালেখি করেন তাদের কি আগে দেশের র্যাব পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে একই সংখ্যক লেখা পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের স্বার্থে দিতে হবে, নইলে আপনি আবার প্রশ্ন করে বসবেন?
হুমায়ুন আজাদের ঘটনায়ই বা দেশের অনেকে বিচলিত কেন হয়েছিলেন তাই বা কে জানে। ওর চেয়ে কত ভয়াবহ রক্তারক্তির ঘটনা নিত্য ঘটে, বিচারও হয় না। মিডিয়াই হুমায়ুন আজাদের রক্তারক্তি ছবি পেপারে ছাপিয়ে বাজার গরম করেছে কারন এখানে ইসলামী মৌলবাদীদের ছাপ আছে। ছাত্রলীগের ছেলেপিলেও রামদাও দিয়ে কুপিয়ে কত লোক জখম করল। কই, তখন কোথায় সুশীল সমাজ, আমরিকান মিডিয়া? তাদের কেন ব্রিটিশ রাজ প্লেন পাঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে রাজকীয় মেহমান বানায় না? এমন এনালাইসিস অনেকেই পছন্দ করবে জানেন তো? ছাত্রলীগের ছেলেরা দবির সবিরকে কোপালে সমস্যা নাই, কেবল বেচারা ইসলামী মৌলবাদীরা হুমায়ুন আজাদকে কোপালেই মানবতাবাদের সমস্যা? কি অন্যায় না?
কিছু মনে করবেন না, আপনার যুক্তির মান এক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের ‘৭১ এর কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে এক শ্রেনীর লোকে যেমন ভারতীয়দের সীমান্তে হত্যা, নদীর পানি ডাকাতি এসবের প্রতিবাদ করে কয়টা পোষ্ট দিয়েছেন জিজ্ঞাসা করে তেমনই মনে হচ্ছে।
মালালাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া আমার কাছেও বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। তবে তার ঘটনায় কেন মানুষ আলোড়িত হচ্ছে সেটা যদি আপনি না বোঝেন তো বলার কিছু নেই। বোঝানোও যাবে না। দেখা যাবে আমাদের দেশের পরিমল মাষ্টারের হাতে ছাত্রী নির্যাতিতা হয়েছে সেঈ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মিডিয়া নীরব কেন এই প্রশ্ন তুলে আমেরিকান মিডিয়া, সাম্রাজ্যবাদ, এবং তাদের টার্গেট কেবলই এক বিশেষ ধর্ম এটাও প্রমান করে ফেলতে পারবেন।
আমি ভন্ডামি করতে চাই না। আমেরিকান সরকারী সন্ত্রাসের প্রতিবাদ আমি করলেও তালেবানী শক্তিকে আমি উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত কিংবা একজন বাংলাদেশী হিশেবে বেশী থ্রেট মনে করি। আমেরিকান দ্রোন আমাকে কানাডায় কোনদিন ছুবে না, বাংলাদেশেও সেটা পড়বে না। কিন্তু তালেবানি শক্তি আমাকে যেকোন যায়গাতেই পেতে পারে। কথাটায় ব্যাক্তি স্বার্থবাদী ছাপ থাকলেও চুড়ান্তভাবে লোকে এভাবেই চিন্তা করে, সকলেরই সীমাবদ্ধতা কিছু না কিছু থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের সেনাবাহিনী আকাম করলেও আমরা এভাবেই চুপ থাকি। অনেকে উলটা সমর্থনঈ দেয় কারন তারা পার্বত্যবাসীদের থ্রেট মনে করে। আমরিকানরা মংগলগ্রহ থেকে আসেনি।
মিডিয়ার কারিগরী, সাম্রাজ্যবাদ সব কিছু সম্পর্কেই সচেতন থাকা ভাল, তাই বলে মৌলবাদীদের মত ম্যানিয়ায় ভোগা শুরু হলে মুশকিল।
মালালার ঘটনা নিয়ে আমি এমন কিছু মানবতার মায়ায় লম্ফ করিনি। যে কারনে করিনি তার কারন হল এ নিয়ে বহু লেখালেখি ইতোমধ্যে হয়েছে। একই কারন মার্কিনী ইরাক আফগান দখল নিয়েও লেখালেখিতে উতসাহ বোধ করি না। এ লেখা পুরোও পড়িনি আসলে, আপনার কমেন্ট দেখেই আরো উতসাহ পেয়েছি বেশী। তালেবানদের হাতে নিত্যই এ জাতীয় ঘটনা অহরহ ঘটে, কিছুদিন আগে দেখলাম খোলা মাঠে এক মহিলার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হল। এসব পাকিস্তানী আফগানিদের কাছে ডালভাত। এক কিশোরী বালিকার সাথেও এহেন বর্বর আচরনে পাকিস্তানীদের বিবেক কেন জাগ্রত হচ্ছে সেটাও আপনার কাছে ভন্ডামির মত লাগছে। কারন তালেবাস তৈরীতে তাদের সরকারের ভূমিকা আছে। আপনি মনে হয় রাস্তায় ক্ষুধার্থ মানুষ দেখলে প্রথমেই তাকে খাওয়ার ব্যাবস্থা না করে আত্মসমালোচনায় নামবেন যে এ লোকে আজ খেতে পাচ্ছে না তার কারন এমন এক সমাজ ব্যাবস্থায় সে বাস করেন যেটা গড়তে আপনিও ভূমিকা রেখেছেন। ক্ষুদার্থর জন্য মায়া দেখানো হবে এখন ভন্ডামি, কাজেই সোজা ইগনোর।
আপনাকে এক হাতে বহু ফ্রন্ট সামাল দিতে হচ্ছে। আপাতত এইই থাক।
@আদিল মাহমুদ,
বরাবরি আমি আপনার চোখা মন্তব্যের দারুণ ভক্ত। গুছিয়ে রসালো ভঙ্গিতে আপনি যে কোন বিষয় দক্ষতার সাথে যে ভাবে আকর্ষনীয় রূপে উপস্থাপনের ক্ষমতা রাখেন তাতে আমি দারুণ মুগ্ধ।
নিজে পারি না বলে হিংসে ও মনে আসে মাঝে সাঝে। 😉
বিষয়টা আমার কাছেও মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি।
এখানে অপ্রাসঙ্গিক হলেও উল্লেখ করছি আপনার সিরিজটা এক কথায় অসাধারণ হচ্ছে। কুড়েমি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মন্তব্য করতে না পারলেও পড়ে যাচ্ছি নিয়মিত। শেষ পর্বে মন্তব্য করব সে অপেক্ষায় আছি।
@রাজেশ তালুকদার,
চোখা ভোতা জানি না, চেষ্টা করি আর কি।
আমরিকান সাম্রাজ্যবাদ আতংক, মিডিয়া ফ্রেনজি এই পর্যায়ে যাচ্ছে যে কোনদিন বিএনপি আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করলে হয়ত জিজ্ঞাসা করা হবে যে বুশের রিপাবলিকান সরকার লাখে লাখে ইরাকী আফগানি মারল তখন কোথায় ছিল আপনার নীতিবোধ মানবিকতা। মিডিয়াই আপনার মাথা খেয়েছে, বুশের অন্যায় আপনার কাছে অন্যায় না, হাসিনার খালেদার অন্যায়ই কেবল অন্যায়…তাল ছেড়ে তিল নিয়ে পড়ে আছেন……
আলসেমি ভেংগে মাঝে মাঝে আড়মোড়া ভাংগলেও পারেন।
@রাজেশ তালুকদার,
আমার কাছেও বাড়াবাড়ি মনে হয় বিষয়টা। চীনা ভিন্নমতাবলম্বীর নোবেলও আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়েছিল। এর মানে এই নয় যে, মালালা বা চীনা ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি কোন অশ্রদ্ধা রয়েছে, বরং এদের প্রতিবাদ এবং সৎ সাহস প্রশংসনীয় এবং অনূকরনযোগ্য। কিন্তু নোবেল মনে হয় আরও বেশী কিছু দাবী করে। একজন ওয়াঙ্গেরি মাথাই বা মাদার তেরেসা বা দালাইলামা বা মার্টিন লুথার কিং এক একটি ইন্সটিটিউশন। অবশ্য এদের নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, নোবেল শান্তি প্রাইজ নিয়েই তো ভুরি ভুরি সমালোচনা। গান্ধিকে পর্যন্ত নোবেল দেয়া হয়নি। তবে গান্ধিরও কিন্তু সমালোচনা আছে। তাই নোবেলের ক্রাইটেরিয়া নিয়ে কোন সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
সবচেয়ে ভাল হয়, আমরা নোবেল দিয়ে কারো কৃতিত্বকে যাচাই না করি। নোবেল পেলে মালালা বড় হয়ে যায় না, বা না পেলে ছোট হয়ে যায় না। শান্তি ও মুক্ত চিন্তার আন্দোলনে যারা কাজ করে যাবেন, তারা সবাই আমাদের শ্রদ্ধেয়, তারা আমাদের আকাশে সবসময় জ্বলজ্বল করতে থাকবেন।
@আদিল মাহমুদ,
এঁড়ে তার্কিকের জন্য বেশ কিছু তালগাছ রাখছিলাম; কিন্তু আপ্নের এত্তোসব মন্তব্যের পর তা আর দর্কার পর্লো কৈ? খিকজ। :))
@বিপ্লব রহমান,
আপনার মেরুদন্ডের আসুরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে আমার কোন কালেই সন্দেহ আছিল না, এহনও নাই।
@আদিল মাহমুদ,
বুঝতে পারছি ভাই, মানবতার পালস এখন খুবই উর্দ্ধমুখী আপনার, যার জন্য কী বলতেছেন নিজেই বুঝতেছেন না।
আমি কোন জায়গাতে বললাম মালালারে নিয়া কথা বলা যাইব না। আমি বলতেছি খালি যদি মালালারে নিয়াই লাফালাফি করি আমরা, তাইতে প্রভুগোর ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হইব। তারা যেমনে চাইছে আমরা ঠিক তেমনেই নাচলাম।
আচ্ছা মালালারে নিয়া কেন হইচই হইতেছে? কারন এমন কাজ আমরা কেউই সমর্থন করি না, ঠিক? খালি কি সমর্থন করি না এই জন্যই চিল্লাইতেছি আমরা, নাকি সাথে সাথে এইটাই চাই যে পরবর্তিতে যাতে আর এই কাম না ঘটে? আমরা ভবিষ্যতে এমন কাম চাইনা এই জন্যই আমরা প্রতিবাদ করি। কিন্তু সমস্যাটা অন্যখানে। একটা উদাহরন দিলে মনে হয় পরিষ্কার হইব। গ্রামের মোড়লের তিনটা বউ। প্রত্যেকদিনই কাউরে না কাউরে পিটনা দিতাছে। কয়েকদিন পরেই আবার গ্রামের সালিশে জব্বর কাগু কেন বৌ পিটাইছে এইটার বিচার করতেছে। এই মোড়লরে আপনি কী বলবেন, নারী অধিকার রক্ষার অগ্রগামী সৈনিক নাকি একটা ভন্ড? আপনাগোর কথায় মনে হইতাছে এইরকম যে, আরে উনি হয়ত বৌ পিটায় কিন্তু তারপরেও অন্য কারো অপরাধের সময়তো ঠিকই বিচার করে। লোকটা খারাপ না। আমি ভুল বুঝলে আমারে শুদ্ধ কইরা দিয়েন।
আম্রিকান বোমাবাজির সাথে আমগোর র্যাবের মানুষ মারার কোন সম্পর্ক নাই। মানে এই লজিক আপনি কেমনে দিলেন এইটা ভাইবাই আমি তব্দা খাইয়া যাইতেছি! আম্রিকার বোমাবাজির সাথে সম্পর্ক আম্রিকান মানবতার ঝান্ডা ওড়ানোর। অন্য দেশে বোমা মাইরা যদি মানবতার কোরাস গায় তহন আপনি আম্রিকারে ভন্ড কইতে পারেন। র্যাব মানুষ মারার পর র্যাবের মহাপরিচালক যদি মানবতার নৃত্য করে তহন আপনি ঐ কাঠবলদের পোদে লাত্থি মারতে পারেন।
আজকে যদি আপনি র্যাবের কার্যকলাপ সমর্থন করেন আর কালকে যদি মানবতার কথা বলেন তাইলে ঐ লেখা দেওয়ার পরে আপনারে ভন্ড বলা প্রত্যেক মানুষের নৈতিক দায়িত্ব হইয়া দাঁড়ায়।
আমিতো ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার ক্লাউনগুলার কথা প্রথম থিকাই বলতেছি। আম্রিকা বলতে কি আম্রিকার জনগন বুঝাইতেছি? বিএসএফের কাজের জন্য কি আমরা ভারতের মানুষ পিটাইতে বলতেছি? আমরা সমালোচনা করতেছি এই সমস্ত দ্যাশের সরকারের কার্যকলাপ নিয়া। এই জিনিস নিশ্চই এইভাবে বুঝাইয়া বলার দরকার নাই।
আজকে র্যাবের কর্মকান্ডে বহু মানুষ সমর্থন দিতেছে আবার বহু মানুষ নিন্দা জানাইতেছে। কে সঠিক আর কে ভুল এইটার জন্য আপনার দুই দলের মানুষরেই পরীক্ষা কইরা দেখতে হইব। আবার এইটাও দেখতে হইব এই দুই মতামত ব্যাতিরকেই র্যাবের কাম র্যাব কইরাই যাইতেছে। জোরটা কোন খানে? ক্ষমতা কই পাইতেছে? যারা সমর্থন করে তারা দেয়? আপনি আমরা যারা নিন্দা করি তারা দেয়? না তো!
র্যাব চালায় সরকার। তাইলে আসল দোষী কে? আমি আপনি বা যারা সমর্থন করে তারা? সরকার!
সরকার চালায় কে? আমি? আপনি? আবার বাপ? সাধারন জনগন? নাতো! সরকার চালায় হাতে গোনা কয়েকটা পাবলিক যাগোরে খালি হাতে আপনি আমি একলাই পিটাইতে পারি। তাইলে এই ক্ষমতার উৎস কই? ঝামেল হ্যাজ আদিল ভাই?
একই ভুল। আগেই যেহেতু বলছি পুনরাবৃত্তি করলাম না।
অবশ্যই অন্যায়। কারন একজন হুমায়ূন আজাদ মেধায় আপনার আমার চাইয়া বহুত বড়সড় হইতে পারে কিন্তু তার যে মানবিক অধিকার ঐটা আমার আপনার থিকা এক ফোটাও বেশি না। আর আম্রিকার কথা যদি বলেন তারা চায়ই এমন আউলা জল, কারন তাইলে লুইট্যাপুইট্যা খাইতে সুবিধা। বাঙলাদেশ বাদ দেন, কারন এইখানে পাইক্কা, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, ফিলিস্তিন, লেবাননের মতন ঘোলা জল কম যার জন্য মাছ শিকারে রকটু ঝামেলা। কিন্তু তারপরেও মাছ যে ধরতেছে না এমনটা ভাইবেন না।
তৃতীয়বারের মতন ভুল বললেন (নাকি বুঝলেন?) একই মন্তব্যে। আপনি পাইক্কাগোর অন্যায় অত্যাচারের কথা বলার নৈতিক অধিকার হারাইবেন তখনই যখন আপনি ভারতের বাঙলাদেশের সাথে করা আকামগুলারে সমর্থন করবেন। আপনি ভারতের সীমান্ত হত্যা সমর্থন কইরা পাকিস্তানের কল্লা ফেলাইতে গেলেই ভন্ডামী করলেন। আমিতো তা করতেছি না! আমি মালালার উপরে হামলাও সমর্থন করি না একই সাথে আম্রিকা পাকিস্তানে যে হামলা চালাইয়া মানুষ মারতেছে ঐটাও সমর্থন করি না। কারন আমার চক্ষুতে মালালার আলাদা কোন আবেদন নাই। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে আপনারা মালালার মইধ্যে আলাদা কিছু পাইছেন যার জন্য মালালার অধিকার রক্ষায় আপনারা সোচ্চার কিন্তু আম্রিকা যহন ড্রোনা হামলা চালায় তহন কোন সমস্যাতো নাই ই, বরঞ্চ আমি দেখাইলে ঐটারে আপনি/আপনারা ধরতেছেন মালালার উপরে হামলার সমর্থন হিসাবে!! সমস্যাডা আসলে কার?
কেন মালারে নোবেল দেওয়া কেন বাড়াবাড়ি হইব? ওবামা শত সহস্রবার বোমা হামলা চালাইয়াও যদি পশ্চীমা দেশের সমর্থনে নোবেল পাইতে পারে তাইলে মালালার নোবেল পাওয়া তো একটা নৈতিক অধিকারের মইধ্যে পড়ে। আর বোঝানো যাইব না এই টাইপ কথা খুবই কমন, যখন আসলে যে বুঝাইতে চায় তার কাছেই ব্যাপারটা পরিষ্কার না। আপনি পরিষ্কার জানলে আমারে না বুঝাইতে পাড়ার কিছু নাই আদিল ভাই।
অবশ্যই আমি আপনার কথার সাথে একমত। তালেবান সন্ত্রাসের ভয় থাকা খুবই স্বাভাবিক, এবং তালেবানি শক্তি আপনারে যে কোন জায়গাতেই আক্রান্ত করতে পারে। আমি এইটাও যেমন মানি সাথে সাথে এইটাও করতে আপনাকে অনুরোধ করুম একটু কষ্ট কইরা জানতে চেষ্টা করেন আজকে তালেবান শক্তির উত্থানের পিছনের কারনটা কী? এইটা জানতে নিশ্চই আপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইব না। আপনার আল্লা রাসুলের দোহাই লাগে এইটার মানে আবার কইরা বইসেন না আমি তালেবানগো সমর্থন করতাছি। 🙁
আগেই বলি শেষের লাইনটা আর আগের কথার সাথে সম্পর্ক পাইলাম না, যার জন্য এই ব্যাপারে মন্তব্য করা থিকা বিরত থাকলাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী আকাম করলে কিংবা যারা ঐখানে সেনাবাহিনী থাকারেই সমর্থন দেয় এইটা হয়ত স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা থিকাই করে, কিন্তু মানেন তো যে এইটা উচিত না? খালি স্বাভাবিকের উছিলা দিলে দুনিয়ার সমস্ত আকামই জায়েজ হইয়া যায়, এইটা মনে হয় মাথায় রাখা দরকার আদিল ভাই।
এইটা একটু সুবিধাবাদী কথা হইয়া গেল না। আপনি যদি জানেন আপনার পাশের বাড়ির লোক একটা সিরিয়াল কিলার, আপনার নৈতিক দায়িত্ব হইল প্রশাসনরে জানানো। প্রশাসন আপনার কথা আমলে না নিলে এলাকায় এর ব্যাবস্থা করা(অবশ্যই আপনার কাছে যথেষ্ট প্রমান থাকা লাগব)। এখন যদি এই কাম করতে আপনার বছরের পর বছর কাইট্টা যায় আর আপনার কথা শুইন্যা পাবলিকে কয় আপনিতো মিয়া ম্যানিয়াক ডিপ্রেশনে ভুগতাছেন তহন কেমন হয়?
আমি খালি সচেতন থাকারে কামের কিছু মনে করি না। আমরা অনেক বিষয়েই সচেতন। বাঙলাদেশ দূর্ণীতি আখরাখানা এইটা দুই বছরের শিশুও জানে। কিন্তু কামের কাম কী হইছে? বহুত সচেতন তো ভাই আমি আপনি হইলাম লাভের গুড় কে খাইতাছে? যারা দূর্ণীতি করতাছে হেরাই বছর বছর ক্ষমতায় আইতাছে। আমি আর আপনি কিন্তু পায়ে স্যান্ডের মারি হ্যান্ডেল।
শেষে আইসা বুঝলাম আপনি তর্কে জেতার চিন্তায় আলোচনায় নামছেন। এমন হইলে আর যাই হউক যৌক্তিক বৌদ্ধিক আলোচনা হয় না। আপনি একই ভুল চিন্তায় বার বার ঘুরপাক খাইতাছেন, এই হাইপোথিসিস থিকা যে আমি মালালার আক্রমন সমর্থন করি। যেইটা ভুল চিন্তা। পাইক্কাদ্যাশ সম্পর্কে আমি কেন ভাবনার ভেলায় ভাসি না এইটা কোন বাঙলাদেশীরে বুঝাইতে হইব এইটা আমি মনে করি না কিংবা না বুঝলে তারে বুঝানোর কোন দায়িত্বও অনুভব করি না।
ও আরেকটা কতা কইতে ভুইল্যা গেছিলাম,
যেই বিষয়ে আমার পক্ষপাতিত্ব থাকব সেই বিষয়ে একই সাথে আমি হাজার ফ্রন্ট সামাল দিতে প্রস্তুত। উপরে করা এক তালগাছ ব্যাবসায়ীর মত আরেকজনের ঘারে তালগাছ চাপামু না। আপনি নিশ্চিন্তে আপনার সমস্ত দ্বীমত প্রকাশ করতে পারেন।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনি যে মালালার উপরে হামলাকে সমর্থন করেন না, তার প্রমাণ কই? রাজেশদা আম্রিকার পাকি বা তালেবি হামলাকে নিয়ে পোস্ট না দেয়াতে আপনার নিশ্চিত উপপাদ্য: রাজেশদা সাম্রাজ্যবাদী আম্রিকার তালে নাচতাছে। এখন আপনি মালালার উপর হামলার প্রতিবাদ করে পোস্ট না দেয়াতে অন্য পাঠকরা যদি উপপাদ্য টানে: সাইফুল ভাই তালেবানগো তালে তালে নাচে, তাহলে আপনি তা খণ্ডাবেন কি করে, জানতে খুবই মঞ্চায়।
একমত। আপনার এই কথাটা খুব ভাল লেগেছে, সাইফুল ভাই।
তালেবান শক্তির উত্থানের পেছনে আম্রিকাই একক ও অবিসংবাদী নিয়ন্ত্রক? আচ্ছা, আম্রিকা ভারতে একটি তালেবান শক্তি উথিত করতে পারলো না কেন? নাকি তালেবি রূপ-যৌবনই আম্রিকারে টানে? পৃথিবীর অন্য কোন দেশ বা জাতির কোন সম্পদ নেই বোধহয়? চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল—–এসব দেশের রূপ-যৌবন কি এতই বিশ্রী যে আম্রিকা একটা তালেবর শক্তি পর্যন্ত পয়দা করতে পারল না? সাইফুল ভাই জানতে মঞ্চায়, বড় মঞ্চায়।
@সাইফুল ইসলাম,
– আপনার এমন ধারনার কারন কি সে আপনিই ভাল জানেন। আমি এখন পর্যন্ত আপনি মালালার আক্রমন সমর্থন করেন এমন কিছুই বলিনি। এটা ঠিক যে আপনার যায়গায় অন্য কেউ এমন ধরনের কথা বললে সে সন্দেহ করতাম, আপনাকে আগে থেকে চিনি বলেঈ কেবল তেমন সন্দেহ করিনি। অন্য কেউ হলে সেটা সরাসরি না বললেও সন্দেহ করতাম। মালালাকে নিয়ে আপনি সাধের লাউ ঘটিত যেমন রসালো সুর ভেজেছিলেন সেটা মুক্তমনার নিয়মিত কোন সদস্যর কাছ থেকে বেরিয়েছে বিশ্বাস করা একটু শক্ত বলতে হবে, আপনি কবি মানুষ, হয়ত আপনার ভাব আবেগ প্রকাশের ধরন আলাদা। আমি সাধারন মানূষের চোখে বুঝি যে এক কিশোরী মেয়ে তার এই পরিনতির জন্য আমেরিকান কি তালেবান যেইই দায়ী হোক আর মিডিয়া বা ব্লগার যে ভাবেই এই ঘটনা প্রচার করুক এমন ধরনের স্যাটায়ার ঠিক শোভন নয়।
আপনি নিজে আসলে উত্তেজিত আছেন বেশী, সে উত্তেজনা চেপে রাখতে উলটো বার বার অন্যদের উত্তেজিত হবার অভিযোগ করে আসছেন।
– আপনার হাতে বিশেষ ধরনের থার্মোমিটার আছে,বার বার আমার পালস মাপছেন। আমি মালালা বা মানবতা ঘটিত কি এখানে বললাম সে আপনিই ভাল জানেন। নাহলে বার বার এই পালস কিভাবে মাপেন? আপনাকে মাপামাপির সেই কষ্ট থেকে রেহাই দেওয়াই ভাল। আমারো আপনার সম্পর্কে আপনার বলা পরের বাক্যই মনে হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি যে মালালা ঘটিত এমনকি পুরো কোন খবরও আমি আজ পর্যন্ত পড়িনি, এই লেখাও পুরো পড়িনি। মালালার ঘটনার চেয়েও আকৃষ্ট হয়েছিলাম বেশী আপনার কমেন্টে। মালালার ঘটনা নিয়ে কোন কথাই আমি বলিনি, বলেছি কেবল কেন মানুষ এ নিয়ে আলোড়িত হচ্ছে সেটার স্বপক্ষে কিছু কথা যা আপনার মতে ভুল। আপনার মতে যা বুঝি তাতে লোকের উচিত হয় এই ঘটনায় কেবল তালেবানকে দোষী না বলে আমেরিকাকেও আধাআধি দোষ দেওয়া যেহেতু তালেবান তৈরীতে আমেরিকারও হাত আছে। খুবই ভাল কথা।
আমার হাতে অর্থহীন তর্ক করার মত সময় নাই, আপনার কথাই ঠিক, আমি জিতার জন্য মাঠে নামছিলাম, সুবিধে করতে পারি নাই, এখন পরাজিত হয়ে বিদায় নিচ্ছি। আপনি ভাল থাকেন।
@আদিল মাহমুদ,
😀 😀 😀 😀 😀
আপনি বাপু পারেনও বটে!!
এইজন্যই বোধহয় কবি বলেছেন- ‘মাত্রাধিক কাইব্যচর্চা স্ব্যাস্থের জন্য খুউব খ্রাফ’।
@আদিল মাহমুদ,
ইসলামের সমালোচনা করলে মুসলমানরা কী কয় নিশ্চই আপনারে বলার দরকার নাই? এগোর আসল কথা হইল কেন পুতুপুতু মেজাজে মোহাম্মদ নিয়া কথা কওয়া হয় না। আপনি/আপনারাও দেখতেছি একই সমস্যায় ভুগতাছেন। অভিমান কইরা কত দিন আদিল ভাই? কে জানি কইছিল চোখ বন্ধ করলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।
বুঝতে পারতেছি “আপনারা খালি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খোজেন, আম্রিকারে আপনারা শয়তান মনে করেন কোন কারন ছাড়াই, আপনাগোর বুঝানো যাইব না” এইগুলা ছাড়া আর তেমন কোন শব্দ বা তথ্য ভান্ডার নাই আপনাগোর কাছে যার জন্য আমি মালালারে আদর সোহাগের কথা কইছি না কী কইছি তাই নিয়া আপনারা উত্তেজিৎ হইয়া উঠছেন। উপসর্গ পরিচিত ভাই। থলের মাল শেষ।
আপনার মূল্যবান সময়ের আর অপচয় করলাম না। আপনিও ভালো থাকেন।
@সাইফুল ইসলাম, ধর্ম জিনিষ্ টা আমি দু চোখে দেখতে পারিনা তাই আমার কাজ ই হচ্ছে এই বদনা জিনিষ টাকে ল্যাদানো।আমি এটা নিয়ে লিখি। রাজেশ দার পছন্দের বিষয় নিয়ে তিনি লিখবেন । আপনার যা ভালো লাগে তাই নিয়ে লেখেন।কথা শেষ।
@সাগর,
আপনের চক্ষুতে সমস্যা থাকতেই পারে যার জন্য আপনে ধর্ম দেখেন না। আবার আপনার প্যাটে বারো মাস কলেরার জীবানু থাকতেই পারে যার জন্য আপনি ল্যদানো অব্যাহত রাখেতে পারেন। এইটা আপনার কলোরিক-গণতান্ত্রিক অধিকার।
তালুকদার সাহেব এইখানে যাই ইচ্ছা তাই নিয়া লেখতে পারে, এমন কী ল্যাদানো বিশেষজ্ঞ হিসাবে আপনারও অধিকার আছে ক্রমাগত ল্যাদানোর। আমি কোথাও বলি নাই ইচ্ছা মতন লেখা কিংবা ল্যাদানো যাইব না। খালি বলছি লেখলে যাতে মস্তিষ্কের ধুসর অংশের সাহায্য নিয়া লেখা যায়, আর আপনারে কইতাছি ল্যাদাইবেন ভালো কতা, দূর্গন্ধ যাতে না আসে। তাইলে আমার পক্ষ থিকা গদাম একটাও কম পড়ব না আপনার পশ্চাৎদ্যাশে।
@সাইফুল ইসলাম,
আচ্ছা ধরেই নিলাম যে তালেবানদের আরো অনেক ঘটনায় কেউ চিল্লাচিল্লি করে নাই কিন্তু তার মানে তো এই না যে এই একটা ঘটনা নিয়ে লেখা যাবে না। আরো যে সব ঘটনা তালেবান রা ঘটিয়েছে সেগুলি নিয়ে কেউ কিছু করেনি বলে যদি আপনার মনে হয় তবে আপনিই কাজটা শুরু করেন না কেন? কেউ তো আপনাকে মানা করছে না।ইসরায়েল ফিলিস্তিন নিয়েও তো একটা লেখা দিয়েছেন, তো আরও কিছু লেখা দিন সেই সব বিষয় গুলো নিয়ে,যেগুলো নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে না বলে আপনার মনে হয়। আপনার মন্তব্য গুলো পড়ে মনে হচ্ছে আপনি একটু উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন, কেন সেটাই বুঝতে পারছি না আমি!
তালুকদার সাহেব,
অনেকদিন পরে এলেন।আপনার প্রবন্ধ গুলী পাঠকদের অত্যন্ত আকর্ষনীয় হয়।
মালালা ইউসুপ এই সময়ের একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় ছিল। অথচ কোন লেখকই সাড়া দিচ্ছিলেননা। এই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাই সাবধান!!!
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ চাকলাদার সাহেব।
স্যালুট মালালাকে!
দেশের অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি কিন্তু মনে করেন, মালালা কেস সাজানো, মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার লক্ষে আদ্যোপান্ত বানানো হয়েছে একটা মুখরোচক নাটক। এই জ্ঞানী ব্যক্তিরা লাদেন সম্পর্কেও নিঃসন্দেহ, লাদেন বলে কিছু নাই, সব আম্রিকার প্লান করা, আফগান ও ইরাক দখলের জন্য আম্রিকান নকশা। হালের নাফিসও এদের কল্পিত সাজানো নাটকের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করতে পারেনি!
যাইহোক, খুব দরকারি একটা পোস্ট, রাজেশদা!
@কাজি মামুন, “দেশের অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি কিন্তু মনে করেন,” ……. আসলে এই জ্ঞানী ব্যাক্তি বলতে আপনি কাদেরকে বোঝাতে চেয়েছেন। এরা কারা? তাদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? তারা কি ঠিক বলছে? যদি ঠিক না হয় তবে তাদের যুক্তি খণ্ডন করে একটা লেখা চাই আপনার কাছ থেকে। ধন্যবাদ।
@কাজি মামুন,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমেরিকা ইসলামী দেশ নিয়ে খেলা কেন এত সহজে খেলতে পারে আবার ইসলামী জাহানের বান্দারাও কিসের লোভে শত্রু দেশ আমেরিকা যেতে মরিয়া তা সেই হিসাব আমি মেলাতে পারি না।
women rights.in the modern world women have proved that they are not behind the male in the filed of work but they should not be raped in the university like jahangirnagor.
পরবর্তিতে ইংরেজি কিংবা বাঙরেজিতে করা মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর