কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ান-উল আহসান নাফিস, ২১ বছর বয়সী বাংলাদেশী এই সুদর্শন যুবকের ছবি দেখে কে বলবে কাঁদি কাঁদি কলা আর উন্নতবক্ষা কামিনি চিরকুমারী হুরীর জন্য সে হাজার মানুষকে মেরে ফেলতে চেয়েছে? নিউইয়র্কে অন্ততপক্ষে ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদপূর্ণ একটি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বোমা ফাটিয়ে উড়িয়ে দেবার প্লটে আজ ধরা পড়েছে সে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে; অভিযোগ প্রমানের অপেক্ষায়।
গত জানুয়ারীতে ছাত্র হয়ে এসেছে নাফিস আমেরিকায়। এফ বি আই আর নিউইয়র্ক পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী আল কায়েদার সাথে সম্পর্কযুক্ত নাফিস নিউইয়র্ক এসেইছে আমেরিকায় ধ্বংসাত্মক কাজের জিহাদী অভিপ্রায়ে। নাফিসকে সব সময়ই মনে করতে দেয়া হয়েছে যে সে সত্যি সত্যিই অন্যান্য পাক্কা জিহাদিদের সাথে কাজ করছে। সেই মত সে মারাত্নক বোমা বানায় আর ফাটাতে চায়। ট্রিগার টিপে দেবার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইন্টারনেটে পরিচিত হয়েছে সে তার জিহাদী-কর্মের সহযোগীর সাথে। ছদ্দবেশী এফ.বি.আই আন্ডার কাভার সেই এজেন্ট বিল্ডিং উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা জানতে পেরে নাফিসের সাথে সহযোগীতার অভিনয় চালিয়ে যায়। নাফিস ঐ এজেন্টের সহায়তায় ১০০০ পাউন্ডের বিস্ফোরক বোমা বানায়। আজ সকালে ফেডারেল রিজার্ভ বিল্ডিংএর সামনে বোমাসুদ্ধ ভ্যান রেখে এসে দূর থেকে ভূয়া বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ধরা পড়ে সে। বিস্ফোরণ ব্যর্থ হলে সে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলো। বিস্ফোরণের ঠিক আগে আগেই সে একটি ভিডিও তৈরী করে সে বলে রাখে যে ধর্মীয় বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জিহাদ চলতেই থাকবে। অভিযোগে আরো বলা হয় নাফিসের প্রথমিক পরিকল্পনায় নাকি ওবামাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা সহ আমেরিকার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির পরিকল্পনাও ছিলো।
খবরের কয়েকটা লিঙ্কঃ
মার্কিন ইমিগ্রান্ট হয়ে আসা বাংলাদেশীদের প্রথম পছন্দ নিউইয়র্ক। লাখ লাখ বাঙালীর বসবাস নিউইয়র্কে। নতুন প্রজন্মের অনেকে স্কুল কলেজগুলোতে ঈর্ষনীয় রকম সফল। ব্লু-কলার থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া বাংলাদেশী বাঙালীদের নাম ডাক নেহায়েত মন্দ নয়। ধর্মের জিহাদ নিয়ে নাফিসের আগে কোন বাংলাদেশী এমন ঝড় তোলেনি মিডিয়ায়। বিব্রত আমেরিকান বাংলাদেশীরা একটা নাফিসের অপকর্ম সামলে নিতে পারবে আশা করা যায়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার চাওয়াটাও স্বাভাবিক। অভিযোগ প্রমানের আগে মার্কিন মুলুকে কেউ অপরাধী নয়। আলামত দেখে অবশ্য মনে হচ্ছে জিহাদী নাফিসের মুক্তি মিলবে না; মিলবে যাবজ্জীবন।
এখন কথা হচ্ছে ছেলেটার মাথায় কে ঢোকালো রূপকথার বেহেশত? চারপাশের ধর্মান্ধ সমাজ? ওর বন্ধুরা? আত্মীয় স্বজন? বড়রা? নাকি মা বাবা? মা বাবা এমন কাজ করতে পারে? মা বাবা তো সারাক্ষণ সন্তানদের আগলে রাখে। বাঁচিয়ে রাখে বিপদ থেকে। আগুন, ভাঙা কাঁচ, উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, খারাপ, ভালো, সাদা কালো নানা ব্যপার থেকে অবিরাম বাঁচাতে থাকে। অভিজ্ঞতা দিয়ে বাঁচায়। যুক্তি দিয়ে বাঁচায়। যুক্তি দিয়ে যাঁচাই করে শেখায় ভালো মন্দ। শুধু যুক্তি খাটায় না ধর্মের ব্যপারে। ওখানে অন্ধ। মগজ ধোলাই করে নিজ সন্তানকে অবলীলায় ঠেলে দেয় ধর্ম নামের অন্ধকারে। আর সন্তান? সে তার সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে ভরসার, সবচেয়ে আপন মা বাবাকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করে ঝাঁপ দেয় অস্তিত্বহীন, প্রমানহীন, যুক্তিহীন, যাঁচাইহীন অন্ধকারে, মা বাবার দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহারে।
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
আরো লেখা লিঙ্কঃ কোথা থেকে এলো আজকের কোরান,সূরা মোখতাসার ১,সূরা মোখতাসার ২,সূরা মোখতাসার ৩, সূরা মোখতাসার ৪, সূরা আল মূত্ত্যাজিয়া, হিজাবী মেয়ে বেহেস্তি সুখ, নামাজ, ধনসম্পদ ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন” , সূরা আল্ আব্ যাব
-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-
একজন বাংলাদেশী হিসেবে নাফিসের শাস্তিতে খুবই দূঃখ পেলাম, কিন্তু কিছুই করার নেই। এ দেশের লোকে জাত পাত দেশ ধর্ম নিয়ে মাথা না ঘামালেও লেজুড় হিসেবে দেশের নামটি থেকেই যাবে। নাফিসের পরিবারের জন্যও সমবেদনা লাগছে।
আদালত নাফিসের ত্রিশ বছরের জেল দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে এপিল হতে পারে, কিন্তু শাস্তি বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশী।
@দিগন্ত,
নাফিসের ভাগ্য ভাল বলতে হবে, অনেকেই কিন্তু এর চেয়ে কঠোর শাস্তির আশংকা করেছিলেন!
নাফিস আপডেটঃ
ওপরে দেয়া খবরের লিঙ্কটি আসেনি, তাই আবার দিচ্ছিঃ
http://mzamin.com/details.php?nid=NDE4Mjk=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==
@সফটডক,
আপডেটের জন্য ধন্যবাদ। এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী রায় হবে ৩০শে মে ২০১৩।
নাফিস আপডেটঃ
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী গ্রান্ডজুরী নাফিস কে আদালতে বিচারের মুখোমুখি করবার জন্য সব রাস্তা পরিস্কার করে দিলো। এর মানে হচ্ছে, আমেরিকান সরকার খুব শক্ত করেই অভিযোগ এনেছে। এটা থেকে নাফিসের বের হওয়া দুস্কর।
লিঙ্ক
http://www.bloomberg.com/news/2012-11-15/federal-reserve-bomb-plot-suspect-indicted-in-u-s-court.html
আমি আগে থেকেই বলে আসছি,এদের উপর এখনি চাপের সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অন্যথায় এই দানব জাতি যে কোন মুহূর্তে বিশ্বের মানব সভ্যতাকে ধংশ করে দিয়ে মানব জাতিকে আদিম বর্বর যুগে পৌছে দিতে পারে। কিন্তু কে কার কথা শুনে?
এরা যে দলিল গ্রন্থ খানির জোরে এই কাজে নেমে পড়েছে সেই দলিল গ্রন্থ খানিকে যৌক্তিকতার মাধ্যমে খন্ডন করে দিলেই এদের তো উৎসটাই কেটে যায়।
একটা ৯/১১ এর ধাক্কা আমরা সামলিয়ে উঠতে পারি নাই, আর ইতি মধ্যেই আর একটা তো প্রায় এসেই গিয়েছিল বা আরো আসবার অপেক্ষায় রয়েছে।
আমরা এবং আমাদের বংসধরদের উন্নত বিশ্বে বসবাস করতে আকাংখী। দানবদের দ্বারা এই সুন্দর উন্নত বিশ্ব ধংশ হয়ে যাক আমরা কখনোই চাইনা।
তাই এদের মূল দলিল গ্রন্থ খানি যেখান থেকে এরা উৎসাহ পাচ্ছে তাকে এখনি যুক্তির মাধ্যমে খন্ডন করে দেওয়া হউক। তাহলে তখন এই দানব জাতি নিষ্প্রাণ ও শক্তিহীন হয়ে পড়বে।
এছাড়া এদের হাত থেকে সাময়িক ভাবে কিছুটা নিস্তার পাওয়া গেলেও অবশেষে নিস্তার নাই।
কারন কতক্ষনই বা এই মানব রুপী দানবদের উপর নজরদারী করা সম্ভব হতে পারে?
এক নাফিস কে কোনমতে আটকানো সম্ভব হলেও শত শত, হাজার হাজার,লক্ষ লক্ষ নাফিছ লাইন দিয়ে পিছনের সারিতে রয়ে গিয়েছে। তারা একের পর এক আগামী কাল হতেই আসতে আরম্ভ করতেছে।
এভাবে কতক্ষন কয়জন কে সরকারের পক্ষে ঠেকানো সম্ভব?
WORLD TRADE CENTER কেও ১ম বার ধংস করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ২য় বার পূর্ণমাত্রায় সফলকামী হয়েছে
এদের কোন মা-বাপ,থাকেনা। ধর্মগুরুরাই এদের মা বাবা।এবং ধর্ম গুরুদের মূল দলিল কোরান আর হাদিছ।
আর সেখানে নবীর উপর পরিস্কার নির্দেশ রয়েছে পৃথিবী হতে সমস্ত অমুছলিমদের নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে নবীকে অনবরত যু্দ্ধ চালিয়ে যাওয়ার।
আর তাদের জন্য ওয়াদা পর্যন্ত করা হয়েছে যে এই যুদ্ধে তারা নিহত হলে তারা মৃত হইবেনা বরং তারা সাথে সাথে বেহেশত বাসী হইবে।
এমন লাভ তারা কেন ছাড়তে যাবে?
মূল দলিলকেই খন্ডন করে দিলেই এ সমস্ত আশ্বাষ গুলী যে একটা নিরেট ধোকাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয় তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।
তখন এই সব তরুনেরা প্রকৃত বিষয় বস্তুটি উপলদ্ধি করিতে সক্ষম হইবে।
এটা করা ছাড়া এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আর কোনই পথ নাই।
ধন্যবাদ কাজী সাহেব।
নাফিছের পরবর্তী পরিস্থিতি গুলি একটু আমাদেরকে জানাবেন।
ধন্যবাদ কাজী রহমান ভাইয়া, অসাধারণ লাগলো। (Y)
ভাবতে ভালই লাগে যে জিহাদি জোশে আমরা পিছিয়ে নেই।এটা নাকি মডারেট মুসলিম দেশ কাজেই সাচ্চা ইসলামী না হতে পারলে তো চলবে না। 🙂 । ওটা হতে না পারলে বেহেশতের কোন আশাই নেই।তবে বেহেশতের খানা খাদ্য আমার পছন্দ হচ্ছে না।
উন্নতবক্ষা কামিনি চিরকুমারী হুরী ঠিক আছে, :rotfl: কিন্তু কলার কি অভাব আছে দুনিয়াতে যে জান্নাতে গিয়ে কলা খেতে হবে? নবীজির রসবোধ বলে কিছ ছিল বলে মনে হয় না। :-s
আমার মনে হয় এইসব বাবা মাকেই আগে শাস্তি দেয়া উচিত।ধর্ম নামের ভাইরাসটাতো আসলে বাবা মা রাই ঢুকিয়ে দেয়। আসলে আন্তর্জাতিক ভাবে আইন করে ধর্মপালন নিষিদ্ধ করা দরকার।কিন্তু সমস্যা ওই একটাই। আইনটা করবে কে বা কারা!
সর্বশেষঃ
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র স্বপন সাহা নাকি স্থানীয় সাংবাদিকদরে জানিয়েছেন, কাজী নাফিস মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছেন তিনি কোন ধরনের সাহায্য চান না।
কিন্তু কাজী নাফিস কেন সাহায্য নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তার কোন ব্যাখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুরো লেখাটির বিবিসি বাংলার লিঙ্ক দেখে নিতে পারেনঃ এখানে
@কাজী রহমান,
এখানে দেখুনঃ
আল্লাহ্ ছাড়া কারো সাহায্য প্রার্থনা শিরক!
@সফ্টডক,
ব্রেশ ব্রেশ।
@কাজী রহমান,
নাফিস কন্স্যুলার অ্যাক্সেস চায়না, বাংলাদেশের সাহায্য তার দরকার নেই। এই যুবকটার প্রতি সারা দেশ সহানুভুতি দেখাচ্ছে, তাকে বাঁচাতে চাইছে কিন্তু সে তা চায়না, বিষয়টা কী? সে নিশ্চয়ই জানে দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়ে যেতে পারে। আচ্ছা, সে কি এখন পর্যন্ত কারো কাছে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেছে?
@আকাশ মালিক,
কারনের জন্য নতুন খবরের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এই ধরনের উদ্ভট ব্যাপার ঘটে যখন শাস্তি বা বিচার বিষয়ে বাদী বিবাদীর আঁতাত আর দর কষাকষি চলতে থাকে।
ওদিকে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারযোগ্যতা নিয়ে গ্র্যান্ডজুরির ছাড়পত্র পেলেই শুধুমাত্র এই ব্যাপার আদালতে যাবে; আসল বিচারের জন্য। প্রচুর সময় লাগে।
ইতিমধ্যে দেখা যাক নতুন কি ঘটে।
@দিগন্ত,
সব কথার শেষ কথা এই যে , এরকম স্টিং অপারেশনের যেমন প্রয়োজন আছে এবং তেমনি নাফিসের শাস্তি পাওয়ারও প্রয়োজন আছে। নাফিসের মত আরো হাজারটা বেওকুফকে এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চার থেকে বিরত রাখার জন্য এটা একটা ওয়েইক আপ কল। প্রকৃত সন্ত্রাসী মাস্টার মাইন্ডরা তো নিজে বা নিজ পরিবারের কাউকে পাঠায় না হামলা চালানোর জন্য। তারা নাফিসের মত বেওকূফদের দিয়ে কুকাম ঘটিয়ে নিজেরা পর্দার অন্তরালে থাকে পরবর্তী হামলা চালানোর অপেক্ষায়।
সবারই দূ একটা দূর্বল দিক থাকেই। সেজন্য এক বি আই কে হেলা ফেলা করার সুযোগ নেই। তারা এমন কিছু করতে সক্ষম যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর ঈর্ষার বিষয়বস্তু। যেমন , মাত্র কয়েক ঘন্টার নোটিসে যুক্তরাষ্ট্রের মত এত বড় দেশের যে কোন প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল এবং স্টাটিক সারভেইল্যান্স অপস চালানোর মত ক্ষমতা এফ বি আই ব্যাতীত আর কোন দেশের কারও আছে কিনা সন্দেহ। উল্লেখ্য যে , এ ধরনের সারভেইল্যান্স অপস অত্যন্ত ব্যয়বহুল কাজ , দক্ষ জনবলের কথা নাই বা বললাম। ভাল থাকুন।
@সংশপ্তক,
একমত। আশা করছি একদিন নাফিস তার ভুল বুঝতে পারবে; সে জানবে ধর্মান্ধতা তাকে কোন সর্বনাশা পথে ঠেলে দিয়েছে। যে অন্ধকারের মানুষেরা ধর্মের নামে নাফিসের মত তরুনদের এভাবে প্ররোচিত করে তাদেরও একই পরিনতি হোক।
নাফিসকে ফাঁসানো হয়েছে এই থিওরি (বা তার মা-বাবার ভাষ্য) উড়িয়ে দেয়া যায় না। একটা একুশ বছরের বিভ্রান্ত ছেলেকে সন্ত্রাসবাদী বানানো হয়ে থাকলে যারা বানিয়েছে তারাও অপরাধী। তা সে আল-কায়দা হোক আর এফবিআই হোক।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকার ভিসা পাওয়া মুস্কিল হবে মনে হয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। আরও অনেক কিছু হতে পারে, যেমন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমেরিকার অযাচিত নাকগলানো আর দাদাগিরি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা হবে কথায় কথায়। মডারেট মুসলিম কান্ট্রির তকমাটা আর ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো যাবে না।
চীন আর ভারতকে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করার সুযোগ খুঁজছে না তো স্যাম চাচা? কি জানি? উইথ ফ্রেন্ডস লাইক ইউএসএ উই ডোন্ট নিড এনিমিস।
@ইরতিশাদ,
তার চেয়ে অনেক বেশী সম্ভাবনা যেটা উড়িয়ে দেয়া যায় না সেটা হল নাফিস ইসলামী জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী হয়ে এই কাজে স্বেচ্ছায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিল। কেউ অপরাধী হতে না চাইলে তাকে জোর করে অপরাধী করা যায় না। আর এফবিআই তো randomly কাউকে নিশানা করেনা ফাঁদে ফেলার জন্য। আগে অপরাধী নিজেই অপরাধ করার আলামত দেখালে তখনই না তাকে তাক করার প্রশ্ন ওঠে। এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাজারে (বিশেষ করে বাংলাদেশে) জোরেসোরে রটিয়েছে যে আমেরিকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নাফিসকে ফাঁদিয়েছে। এখানেও এটা দেখে অবাক লাগছে।
“উইথ ফ্রেন্ডস লাইক ইউএসএ উই ডোন্ট নিড এনিমিস” এর দেশে ভিসার জন্য লালায়িত হবে লোকে কেন? বা থাকার জন্য?
অযাচিত কেন। যদি সত্যি বাংলাদেশে থেকে এরকম জিহাদীরা যেঁচে মার্কিন মুল্লুকে জঙ্গী ক্রিয়াকলাপে জড়াতে থাকে তাহলে এটাই আশা করা যায়। অযাচিত হবে না।
হাস্যকর কথা । কোথায় কোন প্রমোশন কামী এফবিআই একজেন্ট স্টিং অপারেশন চালাল আর এটা হয়ে গেল চীন আর ভারতকে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করার মার্কিনী ষড়যন্ত্র। বাই দ্য অয়ে আমেরিকা আর ভারত এখন হরিহর আত্মা।
:lotpot: @অনায়ক,
হাস্যকর প্রশ্ন।
এটা মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রেসনোট।
নাফিসের ঘটনাটার বেশ কয়েকটি দিক আছে।
প্রলোভনে হোক আর ধর্মীয় আদর্শগত কারনেই হোক, সে হাতে নাতে ধরা পড়েছে এবং তার অবস্হা এখন ‘ঘন স্যুপে’ পড়া একটা মাছির চেয়ে দুরের কিছু নয়। এ অবস্হা থেকে বেড়িয়ে আসা তার জন্য অসম্ভব না হলেও খুবই কঠিন। সোজা বাংলায় সে এখন ফাটা বাঁশের চিপায় আছে। তবে , সিনেমা সবে শুরু হয়েছে মাত্র , অনেক সিন বাকী আছে এখনও। যারা এখনই সেনসেশনাল কিছুর জন্য ডিগবাজী দিতে প্রস্তুত , তাদের বোধহয় বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
অন্যদিকে, চাকরীতে দ্রুত প্রমোশনের জন্য ‘স্টিং অপারেশন বা উত্তেজনা উদ্রেককারী অপারেশন’ বেশ কার্যকরী এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। তবে এর সফলতা নির্ভর করে সাফল্যের সাথে দোষী সাব্যস্ত করার উপর। অপারেশনে নেতৃত্ব দানকারী অফিসার যদি আদালতে তার কেস জিততে ব্যর্থ হন, তিনিও ক্যারিয়ার নিয়ে ভাল সমস্যায় পড়বেন। এটা অনেকটা ক্যারিয়ার নিয়ে জুয়া খেলার মত। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা যে , গ্রেফতার করলেই কাহীনি শেষ নয়। আসল কাহিনী শুরু হয় আদালতে এবং নাফিসের কেসে এফ বি আই টিম বেশ কিছু ভুল করেছে যার কারনে আদালতে তাদের জেতা সহজ হবে না।
যখন একটা স্টিং অপারেশনের মামলা আদালতে হেরে যায় , তখন তাকে বলা হয় , ‘এনট্রাপমেন্ট বা ফাঁদে ফেলা’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘এনট্রাপমেন্ট বা ফাঁদে ফেলা’ একটা ফেডারেল অপরাধ। জ্যাকবসন বনাম সরকার মামলায় বিচারক রায় দেন যে, “Government agents may not originate a criminal design, implant in an innocent person’s mind the disposition to commit a criminal act, and then induce commission of the crime so that the Government may prosecute.” Jacobson v. United States, 503 U.S. 540, 548 (1992).
অর্থ্যৎ , সরকারী কর্মকর্তারা আদালতে হাজির করার নিমিত্তে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তির মনের মনে অপরাধের প্রবনতার বীজ বপন করে , তাকে দিয়ে অপরাধ সংঘটিত করাতে পারেনা। একটা পেশাদার অপরাধীকে সাজা দেয়ার জন্য প্রমান সংগ্রহ কল্পে এটা ঠিক আছে যেহেতু তার অতীত বলে দেয় যে সে অপরাধ সংঘটন করতে সক্ষম। কিন্তু একজন আনকোরা , অর্বাচীন ব্যক্তির ( যার কোন পুলিশ রেকর্ড নেই) মনে আগে থেকেই অপরাধ প্রবনতা ছিল এটা উচ্চ আদালতে প্রমান করা কঠিন হবে। নাফিসের ক্ষেত্রে এই ভুলটাই এফ বি আই করেছে। তাদের উচিৎ ছিল , কিছুটা হলেও জঙ্গী সংশ্রব আছে এমন কারো উপর স্টিং অপস চালানো। তবে, স্টিং অপারেশনের মামলায় জেতার হার অনেক কম। এখন ,এ ঘটনাটা যেহেতু মিডিয়ায় ভালোমতই এসেছে , জুরিদের পক্ষে নাফিসকে শুলে চড়ানো অনেকটাই সহজ হবে। দেখা যাক এখন মামলা কোন দিকে যায় । বিষয়টা মার্কিন সুপ্রীম কোর্টে শেষ পর্যন্ত গড়ালে আবার বিষয়টা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে কারণ সাধারণ কর্মজীবি জুরীদের সাথে মার্কিন উচ্চ আদালতের বিচারকদের বিস্তর পার্থক্য আছে। আমি আসামী এবং বাদী দুই পক্ষেরই সাফল্য কামনা করছি – আদালতের নাটক আমি আবার বেশ উপভোগ করি না ! :))
@সংশপ্তক,
ভাল মন্তব্য। তবে আমার মনে হয় ব্যাপারটা ‘এনট্রাপমেন্ট বা ফাঁদে ফেলা’ হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। যদি সাক্ষ্য থেকে বেরিয়ে আসে নাফিসকে এফবিআই এর কর্মকর্তারাই ‘উত্তেজিত’ করেছে, তাহলে রায় সম্ভবতঃ নাফিসের দিকেই যাবে, কর্মকর্তাদের কাজকে ফেডারেল অপরাধ হিসেবেই দেখা হবে। তবে এ রিপোর্ট থেকে যা বুঝলাম, ফেসবুকে আলোচনায় –
এ কথোপকথন-এর রিপোর্ট সত্য হলে এ থেকে বোঝা যাচ্ছে নাফিসই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছিল হামলাতে, কর্মকর্তা বরং প্যাসিভলি নেগেটিভ ছিল। আপনার কি মনে হয়, ফেসবুকের আলাপচারিতা থেকে নাফিসের অপরাধের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা বৈধ হবে? আইন কি বলে?
@অভিজিৎ,
আদালতে এভিডেন্স এ্যাক্টের আওতায় অডিও ভিজ্যুয়াল এভিডেন্সের কোন মূল্য নেই। বিচারকেরা এক কথায় এসব এভিডেন্স ছুড়ে ফেলে দেবেন । তবে, এসবের মূল্য আছে রিমান্ডের সময় , এসব দেখিয়ে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুর্বল করে দিয়ে অন্যান্য ‘ফিজিক্যাল এভিডেন্স’ আদায় করার চেষ্টা করা হয়। বিচারকেরা কেন অডিও ভিজ্যুয়াল এভিডেন্সের মূল্য দেন না সেটারও যৌক্তিক কারন আছে। এসব এভিডেন্স ফ্যাবরিকেইট বা ম্যানিপিউলেট এবং প্লান্ট করা জলবৎ তরলং। এ ব্যপারে মার্কিন সহ নানা দেশের উচ্চ আদালতের অনেক রায় আছে। আসামীর স্বীকারোক্তিও সব সময় শক্ত সাবুদ হিসেবে টেকে না বিশেষ করে যে অপরাধে মৃত্যদন্ডের বিধান আছে। বিজ্ঞানের সাথে সবচেয়ে বেশী মিল পাওয়া যায় যে বিষয় সেটা আইন-আাদালত। বস্তুনিষ্টতার ওজন এখানে বিজ্ঞানের মতই সর্বোচ্চ।
@সংশপ্তক,
এবং পরিসংখ্যানের টেস্টের সাথেও একটা মিল পাওয়া যেতে পারে। আদালতে নাল হাইপোথিসিস হলো বিবাদী নির্দোষ। নাল হাইপোথিসিস beyond reasonable doubt রিজেক্ট হলেই (e.g., p-value < 0.05 🙂 ) কেবল তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়।
মানুষ অবশ্য এমনিতে অন্য অনেককিছুর মতোই এখানেও উল্টোভাবে ভেবে অভ্যস্ত। অনেকের নাল হাইপোথিসিসই হলো "বিবাদী অপরাধী।" সেটা প্রমাণ না করতে পারায় বিবাদী ছাড়া পেয়ে গেলে তাদের চোখে অপরাধী ছাড়া পেয়ে গেলো।
@রূপম (ধ্রুব),
হ্যা, পার্থক্য শুধু একটাই যে , বিজ্ঞানে আদালতের মতন beyond reasonable doubt বলা হয় না। অন্য কোন সম্ভাবনা একেবারে বাতিল না করে open to falsification পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আর এই ব্যপারটাতা খুবই সহজ। এক সূন্দরী আপনাকে তার একটা ছবি তোলার জন্য আইফোনটা আপানার হাতে তুলে দিয়েই উধাও। আপনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আইফোনটা হাতে তাকে খুঁজছেন। এমন সময় চারজন শক্ত পুরুষ আপানাকে পেভমেন্টের উপর চিৎ করে ফেলে দিয়ে আপানার কাছ থেকে আইফোনটা ছিনিয়ে নিয়েই বলল ” চার্লি নাইনার , ডেটোনেটরটা পাওয়া গেছে ………………………….. রজার দ্যাট , স্যার ” 🙂
@সংশপ্তক,
একদম ঠিক পয়েন্ট। একারণে আমি স্ট্যাটিস্টিক্সের হাইপোথিসিস টেস্টিংয়ের কথা বলছিলাম, যেখানে একটা ক্ষুদ্র ভুলের সম্ভাবনা রেখে নাল হাইপোথিসিসটা এক্সেপ্ট অথবা রিজেক্ট করা হয়। এতে এমন কি স্ট্যাটিস্টিক্সের পরিভাষাতেও নাল হাইপোথিসিস সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ হলো তেমন দাবি করা যায় না। আর বিজ্ঞানের আলোকে সেটা তো অবান্তর বটেই – ফলে open to falsification পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উদাহরণটা চমৎকার হয়েছে। 🙂
@সংশপ্তক,
আপনার বিশ্লেষন অসাধারন লেগেছে। ব্লগে ঢোকার অসামান্য প্রাপ্তি হল এই ধরণের বিশ্লেষন, কত নতুন কিছু যে শেখা যায়! আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
@কাজি মামুন, @সংশপ্তক,
এটা একটা অবাস্তব উদাহরণ হল। আমার সাথে পূর্ব শত্রুতা না থাকলে সেই সুন্দরী এই কাজ করবে কেন। কেউ কি randomly কাউকে ফাঁসায়? ধরে নিচ্ছি যে আমি ক্রিমিনাল না সেটা ধরে নিয়েছেন (তা না হলে আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকে তাকে খুঁজতে যাব কেন?) এই উদাহরণ দিয়ে নতুন কি শেখা গেল আমার মাথায় ঢুকল না।
@অনায়ক,
সব প্রশ্নের উত্তর রিমান্ডে গেলেই জানতে পারবেন – এই কথা কোনদিন কেউ আপনাকে বলেছে ? যদি না বলে থাকে , অপেক্ষা করুন কারন “সব প্রশ্নের উত্তর রিমান্ডে গেলেই জানতে পারবেন”।
@সংশপ্তক,
এইটার রেফারেন্স কোথায় পাব?
@দিগন্ত,
ফেডারেল রুলস অব এভিডেন্স , দশম অনুচ্ছেদ । এই অনুচ্ছেদের ব্যপারে বিভিন্ন সময়ে দেয়া সুপ্রীম কোর্টের রায়গুলোও রেফারেন্সের আওতায় আসবে। এখানে প্রধান চ্যালেন্জ হচ্ছে দশম অনুচ্ছেদের যোগ্যতা অর্জন করা যা খুবই কঠিন। একটা ভিডিও বা অডিও ফাইলকে এই দশম অনুচ্ছেদের ছাকনীর মধ্য দিয়ে যেতে হয় , তবেই তা বৈধ তথ্য প্রমান হিসেবে আদালতে গৃহীত হয়।
@সংশপ্তক, পড়লাম। এবার বলুন এর কোন অংশটা এ ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে না? আমি তো এর মধ্যে শক্ত কিছুই দেখলাম না।
আমেরিকায় গত বছর দশেকে দশটা স্টিং অপারেশনে ভিডিও ও অডিও ফুটেজ ব্যবহার হয়েছে। কনভিকশন রেট ১০০%। (সেকশন ৯)
“Ten defendants who have been caught up in sting operations since 9-11 formally presented entrapment as a defense in court proceedings, but the defense has never been successful in a terrorism prosecution.”
@দিগন্ত,
ফেডারেল রুলস অব এভিডেন্স বুঝতে বছরের পর বছর লেগে যায় । এক ঘন্টার মধ্যে এটা নিয়ে উপসংহারে আসা কি ঠিক ? এটার জন্য সিরিয়াসলি গুগুল ছেড়ে আদালত পাড়ায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে বৈকি । ফেডারেল রুলস অব এভিডেন্সের কোন অংশটায় শক্ত কিছু পাননি ? এ বিষয়ের উপর (ধারা ১০০৮ এবং ধারা ১০০৪) সুপ্রীম কোর্টের রায়গুলো পড়েছেন ?
১০০% মামলায় ১০০% কনভিকশন কোথাও বলা হয় নি আপনার দেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের লিংকটায়।
২০০১ পরবর্তী 100% এর যে পরিসংখ্যান দিলেন সেখানে কি লক্ষ্য করেছেন যে, Guilty by Plea -এর হার কত বেশী ? ৯৬% সব রকম ফেডারেল অপরাধে এবং ৭৫% গড় সন্ত্রাসী মামলায় । ২০০১ সাল থেকে যে দশটা মামলার কথায় বললেন সেই মামলাগুলোর নাম না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে, এটা বলা হয়েছে যে তাদের এনট্রাপমেন্ট দাবী টেকেনি। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে শুধুমাত্র ১০০% হারে স্টিং অপারেশনের কনভিলশনের সপক্ষে কোন পরিসংখ্যান নেই ঐ লিংকে নেই। স্টিং অপারেশন কোন ধরনের ব্যক্তির উপর চালানো হয়েছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি আগেই বলেছি যে, চিহ্নিত অপরাধীকে সাজা দেয়ার জন্য যদি প্রমানের প্রয়োজন হয় , সেই উদ্দেশ্যে স্টিং অপস টিকে যায়।
@সংশপ্তক, “শক্ত কিছু” অর্থে এমন কিছু যা এফ বি আই জানে না। এফ বি আই ম্যানুয়ালে এগুলো সবই আছে। এফ বি আই কাঁচা কাজ না করে থাকলে ছাড়া পাওয়া শক্ত।
এনট্র্যাপমেন্ট ডিফেন্স কোথাও টিঁকছে না টেরর কেসে – মোটা দাগে ঐ গবেষণায় এরকমই দাবী করা হয়েছে যা আলোচ্য কেসটির সাথে সংশ্লিষ্ট।
@সংশপ্তক,
– এই কথাটাই আমি অনেক কষ্ট করেও সাইফুল মিয়ারে বুঝাতে পারি নাই। অনেক ধন্যবাদ এটা যোগ করায়। বাংগালীর ষ্টিং সম্পর্কে তেমন ধারনা নাই। এই সুযোগে অনেকেই চেষ্টা করবে এটা প্রতিষ্ঠা করার যে নিরীহ একজন মানুষকে আমেরিকা নিজেই ব্রেন ওয়াশ করিয়ে সন্ত্রাসী বানিয়ে বিচার করে সাজা দিইয়েছে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অব্যাহত জুলুমের নয়া এপিসোড নির্মানে। এ নিয়ে ব্লগে ব্লগে বহু ঝড় উঠবে, শুধু ইসলামপ্রেমি নয়, আরো অনেক আধুনিক প্রগতিশীলরাও এ তত্ত্বে মেতে উঠবেন কারন প্রতিপক্ষ আমেরিকা।
আমি নিজেও নিশ্চিত না ষ্টিং এ এক্ষেত্রে আসলেই ঠিক কিভাবে কাজ করেছে, মামলা টিকবে কিনা (টিকলেই বা কি, আদালত তো সেই আমেরিকারই!)…আমি শুধু এটাই বলব যে ষ্টিং সম্পর্কে সাইফুল বা তেমন অনেকেরই ধারনা খুবই জেনারেলাইজড।
তবে আমার মনে হয় না যে এফবিআই কনভিকশন সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এগিয়েছে বলে। তারা নিজের ক্যারিয়ারে সেধে ঝুকি নেবে নাকি, আপনি সেটা বুঝলে তারা জানে না? এসব ষ্টিং বা কোভার্ট অপারেশনে তারা প্রতি পদক্ষেপ পাবলিক প্রসিকিউটরের সাথে পরামর্শ করেই করে যেন এত কাঠখড় পোড়ানোর পর আদালতে আইনী সূক্ষ্মতায় মামলা কেঁচে না যায়। পাবলিক প্রসিকিউটরই পরামর্শ দেয় ঠিক কোন পর্যায় পর্যন্ত ষ্টিং চালাতে হবে, এরেষ্ট করতে হবে কখন এইসব।
ষ্টিং অপারেশনে ফাঁসা কিছু কুখ্যাত মাফিয়া ডনের কাহিনী দেখেছি যেগুলিতে তারা আমেরিকার সেরা উকিল লাগিয়েও সুবিধে করতে পারেনি। আমেরিকার এফবিআই যেমন ঝানু তেমনি এন্টি-ডোটও যে নেই তাও নয়, ডিফেন্স ল’ইয়াররা নিশ্চিত করে ষ্টিং এর খুঁত বার করার। একবার একটা কেসে দেখেছিলাম অডিও এভিডেন্স কোর্টে গ্রহনযোগ্য হয়নি কারন সে অডিও ডিভাইস যথাযথ নিয়ম মেনে রোপন করা হয়নি।
@আদিল মাহমুদ,
এখানে “পারেনা” কথাটা সংশপ্তক আমার মনে হয় সম্ভাব্যতা অর্থে বলেন নি। ঔচিত্য অর্থে বলেছেন।
@রূপম (ধ্রুব),
রজার , রজার :))
@আদিল মাহমুদ,
সাইফুলের বক্তব্যের বিষয়টা একটু খোলাসা করি। এখানে দুটি ঘটনা ঘটেছে: এক, তিনি ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে পারেন নি। দুই, এই কারণে তার বক্তব্য থেকে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমি কিন্তু সাইফুল যেটা বলতে চেয়েছেন সে ইতিমধ্যে আমার মন্তব্যে উল্লেখ করেছি। যখন একটা স্টিং অপারেশনের মামলা আদালতে হেরে যায় , তখন তাকে বলা হয় , ‘এনট্রাপমেন্ট বা ফাঁদে ফেলা’। সেটা তখন আর স্টিং অপস থাকেনা এবং এই ‘এনট্রাপমেন্ট বা ফাঁদে ফেলা’ ফেডারেল আইনে অবৈধ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে , আদালত ( আম জনতা নয় !) কিভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন যে , একটা স্টিং অপারেশন অবৈধভাবে পরিচালিত হয়েছে ? প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে , স্টিং অপারেশন পরিচালনার জন্য গোয়েন্দা দপ্তরের উপর মহলের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই অপারেশনে যিনি চালাবেন তাকে চালানোর অনুমতি চেয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হয় এবং সেই আবেদন পত্রে পরিস্কার উল্লেখ ( সত্যি মিথ্যা সে অন্য প্রশ্ন ) করতে হয় যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা, রিসোর্স এবং ইচ্ছা আছে কিন্তু প্রমানের অভাবে তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। অপরাধের সাথে অতীত সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেটাও উল্লেখ করতে হয়। অনুমোদন পাওয়া গেলে তবেই অপারেশন শুরু করা যায়।
গ্রেফতারের পর মামলা আদালতে উঠলে আদালত দুইটি বিষয় জানতে চাইবে। (1) government inducement of the crime, and (2) the defendant’s lack of predisposition to engage in the criminal conduct. Mathews v. United States, 485 U.S. 58, 63 (1988). এখানে ২ নম্বর পয়েন্টটা (predisposition) সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ। আদালত দেখতে চাইবে , If the defendant “was an unwary innocent or, instead, an unwary criminal who readily availed himself of the opportunity to perpetrate the crime.” Mathews, 485 U.S. at 63. এর উত্তর যদি হ্যা হয় , তাহলে আদালত এটাকে ‘এনট্রাপমেন্ট’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। মামলা খারিজ হয়ে যাবে এবং প্রমোশন প্রত্যাশী অফিসারের কপালে খারাবী আছে।
এটা ছাড়াও জুরীদের প্রভাবিত করার মানসে আদালতে উপস্হাপন করা হয় নি বা পরিত্যাজ্য হয়েছে এমন তথ্য প্রমান মিডিয়ায় লিক করা একটা ফেডারেল অপরাধ যা মাননীয় বিচারক অবশ্যই হিসেবের মধ্যে আনবেন। এই কাঁচা কাজ ও ভুলও যেহেতু সংশ্লিষ্ট এফ বি আই কেস অফিসার ইতিমধ্যে করেছে , আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই কেস অফিসারের কত বয়স এবং তার সাথে উপরের অভিজ্ঞ মহলের তেমন সহযোগীতা আছে কি না। এক লাফে প্রমোশন পাওয়ার জন্য নিরূপায় হয়ে অনেক অর্বাচীন গোয়েন্দা অফিসার তাদের ক্যারিয়ার অঙ্কুরেই বিনাশ করে ফেলে। অন্য চাকরীর কথা জানি না , এই পেশায় পাকা চুল দাড়ির অনেক মূল্য।
@সংশপ্তক,
কি কি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যা এখনও অবধি ফেডারেল অফিসার মিডিয়াতে ফাঁস করেছেন?
@দিগন্ত,
মিডিয়াতে এখন যা যা দেখতে পাচ্ছেন তার সবই। ফেডদের কাছে যে ফেইসবুক রেকর্ড আছে তা তো আদালতের আগে মিডিয়ার জানার কথা নয় !
@সংশপ্তক,
আপনি কি অভিযোগটা পড়েছেন? তার মধ্যে কিন্তু এই সবই আছে। মিডিয়াতে যা রিপোর্ট আসছে তার সবই এর ভিত্তিতে। আমি সবাইকেই বলব আগে এটা পড়ে নিতে, যদিও আকারে অনেক বড়। এফ বি আই খুব একটা কাঁচা কাজ করেনি বলেই মনে হয়েছে আমার।
@দিগন্ত,
অভিযোগ গঠন মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অভিযোগ যদি ‘ অতিরিক্ত মেদে’ ভরপূর হয় যে ‘মেদের’ গ্রহনযোগ্যতা আদালতে ‘অনিশ্চিত’ , এটা কোন পাকা কাজ নয়। যাহোক, মামলা চলুক , এমনিতেই জানতে পারবেন।
@আদিল মাহমুদ,
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কিন্তু এটা বোঝা যে ষ্টিং এর নামে কাউকে টার্গেট করে ব্রেন ওয়াশ করে অপরাধী বানিয়ে মামলায় জড়ানোর বিরুদ্ধে আইনী প্রটেকশনই আছে। আমার মনে হয় না আম পাবলিক এটা সেভাবে বুঝতে পারছে।
গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও এসব আইনী বিধি নিষেধ ভালই জানে, তাদের সরকারী উকিল প্রতি পদক্ষেপেই পরামর্শ দেয়। ক্যারিয়ারের লোভে ফাউ মামলা সাজানোর সম্ভাবনা তাই কমে যায়।
@আদিল মাহমুদ,
কয়েকটা বানান টাইপো ঠিক করে নিয়ে আপনার এই মন্তব্যটি ফ্রেইম করে আই মিন সেইভ করে রাখলাম, কোনদিন কাজে লাগতে পারে।
৭ জুলাই ২০০৫ লন্ডনে যারা কিয়ামত নামিয়ে ছিল তাদের বয়স কতো ছিল জানেন? সিদ্দিক খানের ৩০, শাহজাদ তানভিরের ২২, আর হাসিব হোসেইনের বয়স ছিল মাত্র ১৮।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/untitled22.jpg[/img]
নাফিসের ঘটনায় আমাদের তথাকথিত মডারেইট মুসলিম ও বাম পন্থি কম্যুনিষ্টদের ভাবখানা এমন যেন তারা এরূপ কিছু আগে কোনদিন দেখেন নি। বাংলাদেশে কতশত জিহাদী ধরা পড়লো, ৫শো টা জায়গায় এক সাথে বোমা ফুটলো, মাজারে, আদালতে, পার্কে, সিনেমায়, মেলায় বোমা ফুটলো আগুন জ্বললো, কোথাও নাফিসের মতো ২১ বছরের কোমল মতির সুন্দর চেহারার যুবক ছিলনা? জিহাদীরা একটা সময় পর্যন্ত মেধাবী, কোমলমতি, মাসুম এঞ্জলিক সুন্দর চেহারা, সত্যবাদী, আল-আমিন চরিত্রের হবে, এখানে অবাক হওয়ার কী আছে? প্রত্যেকটা ঘটনার পরই জিহাদীর মা-বাবা, ভাই বোন, আত্মীয়স্বজন, স্কুলের শিক্ষক, খেলার সাথী, ইউথ ক্লাবের সহকর্মী পারিবারিক ডাক্তার, স্কুলের সহপাঠি সবাই হা- করে তাকায়, এ তো হবার নয়, এ অবিশ্বাস্য। একদিন হা-করা বোয়াল হয়েছিল মক্কার কোরায়েশরাও।
ইংল্যান্ডের কথাই বলি। নিজের ঘরে কাল-নাগ সাপ বেড়ে উঠেছে কেউ জানেনা, কেউ টের পায়না, টের পেল মানুষ ভর্তি তিনটা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেইন, বাস ভর্তি যাত্রী বাহী বাস বোমার আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর। ৭ জুলাই ২০০৫ ঘটনার আগে লন্ডনের গোয়েন্দা পুলিশ এদের যদি ষ্টিং অপারেশন বা সন্দেহের চোখে রাখতো, ৫৭ জন নিরপরাধ মানুষ অকালে প্রাণ হারাতোনা, ৫০০ জন মানুষ আহত হতোনা।
নাফিস যদি ভুল করে এফ বি আইয়ের কাছে সাহায্য না চাইতো, আজ হউক কাল হউক সে ঘটনা ঘটাতোই। ছাগু না হলে কেউ কাউকে কাঠাল পাতা খাওয়াতে পারবে? পারবেনা। কওমী মাদ্রাসার বা আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা কিন্তু ভন্ডামী করেনা। তারা কোরান হাদিস জেনে বুঝে পড়ে ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং মানে তার সবকিছু। তারা অকপটে স্বীকার করে তাদের ঈমানী দায়ীত্ব কী? ভন্ডামীটা করে তথাকথিত মডারেইট মুসলিম আর বাম পন্থি কমিউনিষ্টরা।
নয়া দিগন্তে পড়লাম ফারহাদ মাজহার সাতক্ষীরা আর রামুতেও আমেরিকার ছায়া দেখতে পেয়েছেন। কালের কণ্ঠে দেখলাম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দিন ওমর বলেছেন, রামুর ঘটনা আন্তর্জাতিক বলয়ের একটা চক্রান্ত। যুগান্তর থেকে কপি করে বদরুদ্দিন ওমরের আরেকটি লেখা আছে সোনা ব্লগে। সুতরাং হিন্দু পাড়াই বলেন আর বৌদ্ধ গ্রামই বলেন, কিংবা আমেরিকা অথবা লন্ডন যেখানেই আগুন দেখবেন, মরা মানুষের গন্ধ পাবেন মনে করবেন সেখানে কোন মুসলমান আদৌ উপস্থিত ছিলনা। জগতের কোন অঘটনে মুসলমানের হাত নেই, তাদের কোন দোষ নেই কোন দায়ভার নেই। সকল দোষের দোষী আমেরিকা, ইসরাইল, ভারত ও আওয়ামী লীগ। ধর্মীয় সন্ত্রাসের নামে যা কিছু হয় সবই ইসলামকে দুনিয়ার সামনে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে প্রমাণ করার জন্যে কু-চক্রী আমেরিকা, ইসরাইল, ভারত ও আওয়ামী লীগের ষঢ়যন্ত্র। এদেরকে খতম করুন, দেখবেন দুনিয়ায় শুধু ইসলাম আর ইসলাম, শান্তি আর শান্তি। একজন সম্মানিত লেখক বলেছেন- ‘চীন আর ভারতকে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করার সুযোগ খুঁজছে না তো স্যাম চাচা’? মনে রাখার মতো একটা মন্তব্যই বটে।
নতুন প্রজন্মের মগজে বিশ্বাসের ভাইরাস, এই ধর্মীয় বিষ কী ভাবে ছড়াচ্ছে নিজ চোখে দেখছি, আপনার আমার চারপাশেই তা হচ্ছে। একদিন কোন এক ট্রেইনে বা বাসে আপনি আমি কিংবা অন্য নিরপরাধ মানুষজন থাকবে, তখন বোমা ফুটবে, ফুটাবে আমদেরই নতুন প্রজন্মের কোন এক আত্মীয়।
httpv://www.youtube.com/watch?v=bPd1rbPz7_U
@আকাশ মালিক,
এইটা ভালো বলেছেন :))
@আকাশ মালিক,
যথার্থ বলেছেন। ধর্মের আফিম সেবনে বুদ হয়ে ধার্মিকেরা সহজেই বিস্মৃতি হয়ে যান নাফিসই এই কাজে প্রথম পুরুষ নয় তার পূর্বে এ পথে পা মাড়িয়েছে বাংলার আরো কিছু বীর তরুণ। এই নিয়ে প্রথম আলোর একটি রির্পোট দেখি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর এ পর্যন্ত আরও তিনজন বাংলাদেশি প্রায় একই ধরনের সন্ত্রাসী পরিকল্পনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিচারে তাঁদের সবাইকেই কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে। ২০০৪ সালে মোহাম্মদ হোসেন নামের একজন বাংলাদেশি ইমামকে একই ধরনের নাশকতামূলক পরিকল্পনায় গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে অপরাধ স্বীকার করে মোহাম্মদ হোসেন ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী পরিকল্পনার অভিযোগে ২০০৯ সালে এহসানুল সাদেকী নামের এক বাংলাদেশি যুবককে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ম্যাসাচুসেটসে বড় হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রেজওয়ান ফেরদৌস নামের আর এক বাংলাদেশি যুবককে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন আটলান্টার কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
শহীদ হওয়ার খায়েস নিয়ে নাফিসের মত ধর্মান্ধ বাংলাদেশী যুবকের শাস্তি শুধু মার্কিন মুল্লুকেই নয় এই রকম বহু বাংলাদেশী যুবকের শাস্তি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। তবু সত্য স্বীকারে দেখা যায় কিছু লোকের কেমন যেন মিনমিনে ভাব।
@আদিল মাহমুদ,
এমএসএনবিসি তে আমি একটা প্রোগ্রাম দেখতাম To Catch a Predator নামে। যারা অনলাইনে বসে বসে নাবালিকা মেয়েদের সাথে যৌনসম্পর্ক করার জন্য লালায়িত থাকত, তাদের ট্র্যাপে ফেলে জেলে ভরা হত। এমন নয় যে কোন ভাল মানুষকে ‘ফাঁদে ফেলে’ ব্যাপারগুলো করা হত। বরং অনলাইন চ্যাট ফ্যাট বহু স্তর পার হয়ে (প্রতিটি স্তরেই কিন্তু ইঙ্গিতদেয়া হত যে সম্পর্ক করতে ইচ্ছুক মেয়েটা কিন্তু আণ্ডারএজড) যারা খালি বাসায় মেয়ের সাথে দেখা করার লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে চলে আসত তাদের গলাতেই দড়ি পড়তো। নাফিসের ব্যাপারটাও আমার সেরকমই মনে হয়। এটা এমন নয় যে নিরাপরাধ নিষ্পাপ এক হাবা গোবা ছেলেকে ‘কায়দা করে’ ফাঁসানো হয়েছে। বরং এধরণের কেসে যথেষ্ট আলামত পেলেই তারা এগোয়। যে লোক সারাদিন পর্ণ সাইটে গিয়ে কেবল আণ্ডারএজড মেয়ে খুঁজে, কিংবা যে ছেলে ফেসবুকে বা অন্যত্র আমেরিকাকে ধংসের জন্য জিহাদের ডাক দেয়, কিভাবে বোমা যোগাড় করা যায় তার খোঁজ খবর নেয়, একে ওকে ইমেইল করে, তার ধরার পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
@অভিজিৎ,
আগে না পড়ে থাকলে একটু পড়ে নিন-
DISTRICT COURT
EASTERN DISTRICT OF NEW YORK UNITED STATES OF AMERICA
C O M P L A I N T–
@আকাশ মালিক,
হ্যা পড়েছি ওটা। দিগন্ত নীচে লিঙ্ক দিয়েছিলেন সংশপ্তকের সাথে আলোচনায়।
ব্লগে-পত্রিকায় মন্তব্যের ঝড়ে একটা জিনিষ বার বার চোখে পড়ছে যে অনেকেই বলছে কোমলমতি এই তরুন কিছু না বুঝে মাথা গরম করে এই ফাদে পা দিয়েছে। অনেকই বলছে আমেরিকার বিশ্বসন্ত্রাসে প্রকোপে এই মাথা গরম হতেই পারে। আজকে যদি এটা অন্যরকম ঘটনা ঘটতো, কোনো বৌদ্ধ কিশোর বাংলাদেশ মুসলমানদের তান্ডবে মাথা গরম করে ইসলামকে নিয়ে ব্যংগ করে কিছু একটা করতো, তবে কোথায় যেতো এই কোমলমতি’র কথা! লাখে লাখে মানুষ জ্বালাও পোড়াওতে নেমে যেতো ঐ কিশোরের মুন্ডুচ্ছেদের দাবীতে। পাকিস্তানে তো একটা মেন্টালি রিটার্ডেড খ্রীস্টান কিশোরীকে ব্লাসফেমীর জন্যে ফাসানোই হয়েছিলো কদিন আগে। আর উত্তমের বিতর্কিত ঘটনা তো সবারই জানা।
বোমা পেতে মানুষ মারতে যেয়ে হাতে নাতে ধরা পরা ২১ বছরের যুবকের জন্যে মানুষের দরদ দেখার মতো। আর আরিফের মতো একটা তরুন একটা সামান্য কার্টুনের জন্যে জান নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়।
@সফিক,
কার্টুনিষ্ট আরিফের মত নিরীহ ছেলেকে যখন শুধু ১৪০০ বছর আগে বিগত হওয়া কাউকে ব্যাংগ করার সন্দেহের বশতঃ জেল খাটতে হল, মোল্লা তন্ত্রের ভয়ে সবশেষে বেচারাকে দেশই ছাড়তে হল, নিজের অসূস্থ মা যে তাকে বাবা বিহীন অবস্থায় বহু দূঃখ কষ্টে মানুষ করেছিল তার শেষ সময় পাশে থাকতে পারেনি তখন যুক্তিবোধ আর ‘কোমলমতি’র কথা আরবের মরুভূমির খেজুর গাছের ডগায় বন্ধক রাখা ছিল। ব্লগের উচ্চ শিক্ষিত লোকজনকে দেখেছি শুধুমাটর সন্দেহের বশে বেচারের মুন্ডুপাত করতে। এরাই আবার নিজেদের বেলায় সবক দেবে কাউকে আন্দাজি কিছু বলা বা করা আমাদের ধর্মের নিষেধ আছে, ন্যায় বিচারের অনেক উদাহরন আমাদের নবী সাবারা রেখেছে গেছেন……
আরিফের সাথে আমার ফোনে সরাসরি কথা হয়েছে, মোটেও মনে হয়নি তার আসলেই মোহাম্মদ বেড়াল নিয়ে কোন বদ রসিকতার মতলব ছিল। আমার মত চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীর সাথে কথা বলার জন্য সে নিশ্চয়ই প্রতি কথার পরে ইনশাল্লাহ, মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলা প্র্যাক্টিস করেনি।
আরিফের কাটা মুন্ডুও ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে গড়ালে এরা উল্লাসে ভেতরে ভেতরে আল- হামদুলিল্লাহই পড়ত। আরিফের ‘কোমলমতি’ চেহারার যায়গায় তখন আজাজিল শয়তানের চেহারা ফুটে উঠত।
@আদিল মাহমুদ,
বাংলায় আসল শয়তানগুলোকে স্থবির করে দিতে বাঙালীপনার ব্যাপক চর্চার কোন বিকল্প নেই বলেই মনে হয়। বৈশাখ থেকে শুরু করে বাংলার যা কিছু আছে তার সবটা, সবটাই জড়াতে হবে মনে আর গায়ে। উৎসব হোক, উৎসব হোক সবটায়। বাউল, কবি গান, যাত্রা, আর লোক সঙ্গীতের মন মাতানো সুরের মুর্ছনায় ভেসে যাক বাংলা। সবাই আবার বাঙালী হোক (O)
এইগুলা যত দেখি, তত বুঝি ‘বিশ্বাসের ভাইরাস‘ অনুকল্প কত সঠিক ছিল। এই ভাইরাস এখন মহামারীতে রূপ নিয়েছে।
বেহেস্তী প্রেস্কিপশনের কল্যাণে এই আফটার-লাইফ অবসেসড তরুণেরা অচীরেই পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠবে মনে হচ্ছে।
@অভিজিৎ,
তবে নতুন প্রজন্মের কিছু মানুষের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় বলে মনে করি। ওদের সাথে ভূজুং ভাজুং চলবে না। ওরাই হোক আগামীর উজ্জল তারা (O)
যুগপৎ দুটো ঘটনা। পাকিস্তানে মালালা আর আমেরিকায় বাংলাদেশি যুবক নাফিস। বিপরীতধর্মী দুটো চরিত্র। মালালার জন্য পাকিস্তান জুড়ে মোনাজাত। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের জন্য এক উজ্জ্বল ও অনন্য দৃষ্টান্ত আর নাফিসকে নিয়ে আতংক। অপেক্ষায় আছি বাংলাদেশে নাফিসের মুক্তির জন্য কখন কোন পার্টি রাজনৈতিক কি কর্মসূচি দেয়। নাফিস তো আমরা বাংলাদেশে বাসে,ট্রেণে,কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঘাটে- বাজারে হর হামেশা পাই। ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ না করাই তো যেন বোকামি। কিছু কিছু টিভির পর্দায়ও এসব আলোচনা। ইসলামের নামে এসব সন্ত্রাসী চিন্তা দূর করার দায়িত্ব নেওয়ার লোকের অভাব হলেও এ চেতনার সাথে ভাব করার পরামর্শ দেওয়ার লোকের অভাব নেই। মা বাবা, পরিবার, শিক্ষালয় ধর্মের নামে যে বাড়াবাড়ি শিক্ষা দেয় তার প্রভাবে নাফিসই হোক শেষ বলি— এ প্রত্যাশাই করি।
@গীতা দাস,
মালালার জন্য প্রতিবাদ হয়েছে। কট্টর মোল্লা দেশেও মেরুদণ্ড ওয়ালা কিছু মানুষ প্রতিবাদ করেছে ধিক্কার দিয়েছে আর বিশ্বাসীরা করেছে প্রার্থনা। নাফিসের কাজ নিয়ে ধিক্কার দিচ্ছে সাধারনের কয়জনা?
ওই যে ধর্মের নাম শুনলেই শিক্ষিত অশিক্ষিত সাধারণ এক্কেবারে হ্যামদুল্লিয়াহ।
সহজে কি আর তা হবে? তবে নতুন প্রজন্মের কিছু মা বাবাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় বলে মনে করি। ওদের কাছে জারিজুরি খাটবে না।
অনেকদিন পর পেলাম আপনাকে (F) (C)
@গীতা দাস, পাকিস্তানী সমাজ কিন্তু মালালার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র-তত্ত্বটা আবিষ্কার করেই ফেলেছে।
যারা এই চিল্লাচিল্লি করতেছেন,তারা তাদের কথায় আন্তরিক নন, তাদের গোষ্ঠি বাচানো অন্তঃসার শুন্য কথাবার্তা মাত্র।
যদি তারা আন্তরিক হন তাহলে তারা একটি কাজ করে প্রমান করে দিলেই তো সব ঝামেলা চুকে যায়।
আর তা হল কোরানের ঐ সমস্ত অমুসলিম বিদ্বেশী আয়াত এবং নবিজীর হাদিছ গুলীকে একত্র করে,একটি পুস্তক আকারে করে ঘোষনা দিন, এগুলী ১৪০০ বছর পুর্বে নবিজীর সময়ে চালানো সম্ভব হলেও ১৪০০ পরে পৃথিবীতে জীবন যাপনের পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন ঘটে যাওয়ার কারনে এখন অচল,বা বাতিল বা মানছুখ করা হল, আর এ কাজটি নবিজীর ছুন্নাত, কারন তারই জীবনে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রয়োজন হওয়ার কারনে বহু কিছু বাতিল ঘোষনা করতেন। কোরান হাদিছে তার যথেষ্ট প্রমান রয়েছে।
আর সেই পুস্তক খানি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বাধ্যতা মুলক পড়ার সিলেবাসে ঢুকিয়ে দিন।
এবং একটি সিডি তে ঢুকিয়ে দিয়ে আন্তর্জালে দিয়ে দিন। যাতে সারা বিশ্বের ইমান্দার বান্দাগন জানতে পারেন।
বড় বড় লাইব্রেরীতও ঐ পুস্তক ও সিডি বিতরণ করা হউক।
অন্যথায় মনে রাখতে হবে দেহের একটি ছোট্ট বিষ ফোড়াকে যদি এই বলে অগ্রাহ্য করে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয়, যে ওটা আমার দেহের বাঞ্চিত বস্তু নয়,
তাহলে ঐ ছোট্ট বিষ ফোড়াটিই লোকটির মৃত্যুর কারন হয়ে যেতে পারে।
আমি নিজে চোখে দেখতেছি, যে সমস্ত ঈমান্দার বান্দাগন ৯/১১ এর পূর্বে মসজিদকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখতো,মসজিদে নিয়মিত যাইতো,মসজিদ স্থাপনের জন্য অজস্র ডলার ব্যয় করতো, তারা ৯/১১ এর পরে আর মসজিদের নামই শুনতে পরেনা।
আর সেই ঘটনার ধারাবাহিকতা তো কোরান হাদিছের উক্ত নির্দেশ গুলী অনুসারে এখনো অবিরত চলতেছে এবং কোরান হাদিছের নির্দেশ অনুসারে কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে, এর থেকে রেহাই নাই।
এর থেকে নিস্তার পাওয়ার একটিই মাত্র পথ আছে,
আর তা হল ঐ নির্দেশ গুলীকে এই মুহুর্তেই মানছুখ ঘোষনা করিতে হইবে। অন্যথায় শুধু মাত্র মুখে বল্লাম, যে ঐ কার্য গুলী ইসলাম বিরোধি, আবার কোরান হাদিছ থেকে বজ্র কন্ঠে নির্দেশ আসার ব্যবস্থা থাকবে “তোমরা অমুসলিমদেরকে পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাও”
ঐ যে
তাহলে কি করে সন্ত্রাসীদের কাজ ইসলাম বিরোধী হল?
কেন তাদের সন্ত্রাসী ইসলাম বিরোধী হতে যাবে ?
বাবা মা’রাও নিজের অজান্তে ছেলের মধ্যে এই রকম জিহাদি জোশ ডুকিয়ে দিতে পারে। তার উপর রাস্তা ঘাটে যখন বের হয়, তখন কিছু বন্ধু বান্ধব অমুসলিম দেশের নামে নানা রকম কু-কথা রটিয়ে থাকে। আর তার সাথে মসজিদের অষ্টম শ্রেণী পাস করা হুজুর তো আছেই।
তবলীগ নামক মোল্লা সংগঠন টি রাজাকার দের ঢাল হয়েছিল ৭২ রে আজ তারাই ব্রেইন ওয়াশ করছে ছাত্রদের। আমি দেখেছি বুয়েট মেডিকেল এবং সায়েন্সের সাবজেক্টের যে বিভাগগুলো আছে সেখানে মোল্লাদের দৌরাত্ম বেশী। আমার মনে হয় সরকার কে কিছু করা উচিত নয়ত পরে সমস্যা হবে। বাংলাদেশীরা আর ভিসা পাবে না আমেরিকায়।
জাগতিক বোধ-বুদ্ধি, জ্ঞান-গম্যির বিকাশে, ব্লগে এসে শুধু বমি না করে, প্রায়োগিক জীবনে কে কতটা ক্রিয়াশীল; অনুগ্রহ করে তার অভিজ্ঞতার বয়ান দিলে, খুব করে কল্যাণ সাধন হয়। আমি আর কিছু না বুঝি, এটা খুব ভাল করেই জানি, কর্মেই ফল। আমরা নাস্তিকরা সেই কর্মযজ্ঞে কতটা ক্রিয়াশীল, ভাবা উচিত।
ঘটনা প্রত্যাশিত দিকেই মোড় নিচ্ছে। বাংলাদেশে কিছু শিক্ষিত পাবলিককে তাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধীতা চালাতেই হবে, অ্যাট এনি কষ্ট!! তারা কাঠমোল্লার দেশ বললে গোস্বা করে, কিন্তু তারা যে একটি মুসলমান দেশের অধিবাসী, যে দেশের সংবিধান পড়তে গেলে তাকে বিসমিল্লা বলে শুরু করতে হবে, তা ভুলে যায়। এই মুক্তমনাতেই বছরখানেক আগে দেখেছিলাম “ইসলাম ব্যাশিং” এর অভিযোগে কয়েকজন লেখককে তুলোধুনা করতে। ভালই হয়েছে, মুক্তমনা এখন “ইসলাম ব্যাশিং” এর কলংক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। সমাজে ইসলামী মৌলবাদ ধীরে ধীরে চেপে বসছে ইন্টারনেটের সুবাদেই। নাফিসের বাবার না মায়ের কথায় জানলাম সে বেশিরভাগ সময় কাটাত কম্পিউটারে। তাহলে তার ব্রেনওয়াশের সূত্রটাও আশা করা যায় ইসলামী সাইট।
এটা সবে শুরু। এটা কখনোই থামবে না, চলতেই থাকবে। কারন আমেরিকার বিরুদ্ধে জেহাদ শুরু করলে শুধু দাড়িওলা ইমামরা নয়, প্রশংসা মেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তেজী “কমরেডের” থেকেও। যার জ্ঞানের ভান্ডার ইতোমদ্যেই পরিপূর্ন হয়ে গেছে। তো চলতে থাক। আমরা বরং দ্বিতীয় নাফিস যাতে সত্যিই একটা “আসল” ঘটনা ঘটাতে পারে সেদিকে চোখ মেলে অপেক্ষা করে থাকি। আর সেই ঘটনা ঘটার পরে বলব, “রাষ্ট্রই এদের সন্ত্রাসী বানিয়েছে, আমেরিকার দরকার আছে এমন টোটকা।”
২১ বছরের একটা ছেলে যে কয়েক বছর বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গেছে, তাকে সরলপ্রাণা, কোমলমতি ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই। একশ বছর আগে ১৪-১৫ বছরের কিশোরদের অবলীলায় ফাসি দেয়া হতো অপরাধের জন্যে।
এই ছেলেটি মাত্র এই বছর জানুয়ারীতে আমেরিকায় ঢুকেছে। এই ৮ মাসেই এত দূর এগিয়ে গেছে। ছেলেটি একটা টাইম বোমা হয়েই আমেরিকায় ঢুকেছিলো।
@সফিক,
খাটি কথাই বলেছেন। বিশ্বাস করুন আর না করুন বাংলাদেশ সহ প্রতিটি মুসলিম দেশে এমন কি খোদ আমেরিকাতে এ ধরনের নাসিফ শত শত বা হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ আছে। এই হলো ইসলাম যা মানুষকে রোবটে পরিনত করে , স্বাধীন চিন্তা শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়।
স্ট্রীং অপারেশন কি নৈতিক?
১০০%।
গ্যাং ভাংতে এর থেকে ভাল উপায় নেই। ভারতের ইন্টেলিজেন্স এটা করতে পারলে অনেক নাশকতা আটকাতে পারত। ৯/১১ এর পরে আমেরিকাতে একটি ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটে নি-এর কারন অজস্র স্ট্রিং অপারেশন করে, আগেই জিহাদিদের চিহ্নিত করা গেছে। অধুনা, আরো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ইমেল বা লেখা লেখির ওপর প্রেডিক্টিভ কোডিং করে, আগে থেকে বার করার চেষ্টা হচ্ছে কে কে সন্ত্রাসী হতে পারে।
এটাই সব থেকে ভাল। এটা না করলে কি হয়, সন্ত্রাস দমনে ভারত বনাম আমেরিকার সাফল্য তার উজ্জ্বল উদাহরন। এতে অপরাধিও বাঁচে, আমরাও বাঁচলাম।
মানুষ অস্তিত্ববাদি। সে বাঁচতে চাই। ভাল করে বাঁচতে চাইছে। যারা মৃত্যুতে বিশ্বাস করে বা মৃত্যুর কাল্টে বিশ্বাস করে, তাদের ধরতে গেলে স্ট্রিং অপারেশনের থেকে কার্যকর কিছু নেই। আমি আরো বেশী করে স্ট্রিং অপারেশনের পক্ষে যাতে প্রিভেন্টিভ কেয়ার আরো ভাল থাকে, আমরা নিরাপদ থাকি।
আসল অসুখকে আড়াল করে লাভ কি? ধার্মিক আর সন্ত্রাসবাদির মধ্যে পার্থক্য সামান্য, সেটা ছ বছর আগে একটা প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেছিলাম
যেকোন ধার্মিকই ঠিক ঠাক পরিবেশে ( যদি তাকে অস্ত্র আর টাকা দেওয়া হয় অপারেশন সফলের জন্যে) সন্ত্রাসবাদি হয়ে উঠতে পারে। এটাই এক্ষেত্রে হয়েছে।
@বিপ্লব পাল,
অবশেষে অরিন্দাম কহিল বিষাদে!
@আকাশ মালিক,
“এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে”
@বিপ্লব পাল,
এতদিন পর আপনার এ প্রতীতি হওয়াতে আমরা যার পর নাই প্রীত। ঠিক একথাগুলিই এতদিন আমরা বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে আসছিলাম। কিন্তু এতদিন আপনি সব সময় বিবর্তন, বাজার অর্থনীতি হেন তেন নানান কিচ্ছা বলে অন্য রকম মন্তব্য করতেন। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে ইসলাম সম্পর্কে আপনার জানা জোনায় অনেক ফাক আছে। ইসলাম মোটেও অন্য কোন ধর্মের মত নয়। ইসলামে এমন কিছু উপাদান আছে যা যে কোন ধার্মিককে উপযুক্ত পরিবেশে ভয়ংকর সন্ত্রাসীতে পরিনত করতে পারে। এই যে লাদেন যাকে উপরে উপরে বহু তথাকথিত মডারেট মুসলিম নানা রকম নেতিবাচক আখ্যায় আখ্যায়িত করে কিন্তু মনে মনে তাকে বীর জ্ঞান করে। ইসলাম মানুষকে এরক দ্বিচারিতা শিক্ষা দেয়।এখানে আপনার বাজার অর্থনীতি কোন কাজ দেয় না। এটা সম্পূর্নই মানসিক একটা ব্যপার। এর কারন বিশ্লেষণ করাও কঠিন নয়।
@ভবঘুরে,
সেটা সব ধর্মেই আছে। তামিল ইলমরা ছিল হিন্দু সন্ত্রাসবাদি।
কোন ধর্ম অন্য ধর্মর থেকে আলাদা হতে পারে না। ইসলামের যেটা আলাদা সেটা হচ্ছে, ঐতিহাসিক বিবর্তন। বাইবেল এবং গীতা যেকোন ভাবে কোরানের থেকে অনেক বেশী সন্ত্রাসী অস্ত্র হতে পারে। সহিংসাত্মক কথা কোন ধর্মগ্রন্থে নেই [ বৌদ্ধ বা জৈন বাদ দিয়ে]?
ওতে কিছু যায় আসে না। আজকে ইসলামের যা অবস্থা, তা অতীতে হিন্দু এবং খ্রীষ্ঠান দের ও ছিল। বাজার অর্থনীতি এবং শিল্পের সামনে ইসলাম ও আধুনিক ভাবে বাঁচা শিখবে।
@বিপ্লব পাল,
– আমার মনে হয় এটা একটি বেশী জেনারেলাইজড হয়ে গেল। অস্ত্র আর টাকা দিলেই কি আমেরিকায় বসবাসরত একজন ভারতীয় হিন্দু কিংবা থাই বৌদ্ধ বোমা মারতে যাবে নাকি? এমনকি অধিকাংশ মুসলমানও তা করতে যাবে না।
এখানে গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর হল কে সে সমাজকে ব্যাক্তিগত বা জাতিগতভাবে নিজের শত্রু বলে বিশ্বাস করে সেটা। মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসজাত কারনেই বিধর্মী যে কোন সমাজের প্রতিই যে মাত্রাতেই হোক নেগেটিভ এটিচিউড কাজ করে, এর সাথে যোগ হয় মুসলিম জাতিসত্ত্বার আজগুবি রোগ। এর মিলিত ফলাফল হল এসব বোমাবাজি হামলাবাজি।
বীজটা কোন পরিবেশ কতটা অংকুরিত হয়েছে সেটার ওপর নির্ভর করে কতজন এই পথে আসবে সেটা। অনেকেই সরাসরি এসব কর্মকান্ড মন থেকেই সমর্থন করে না, ধর্ম বই পুস্তক আলেম মোল্লারা যাইই ফতোয়া দিক। বড় সংখ্যক মুসলমান ইসলামী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী হলেও কিংবা পশ্চীমা সমাজ, তাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এসব অপছন্দ করলেও বোমাবাজি করা যে চুড়ান্তভাবে সুফল আনবে না সেটা বোঝে, বিশেষ করে নিজের নিরাপদ অবস্থানের ওপর ঝুকি নিতে তারা রাজী নয়। তাদের বীজ সুপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়। টাকা অস্ত্র দিয়ে এদেরও সন্ত্রাসী বানানো যায় না। তবে এ গ্রুপের সমস্যা হল এরা নিজেরা সমর্থন না করলেও যারা এসব করে তাদের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি বোধ করে। যে কারনে লাদেন এখনো বহু মুসলমানেরই সহানুভূতি পায়, নীরবে কিংবা সরবে।
এই গ্রুপের সদস্য বোঝার উপায় হল লাদেন কিংবা জেহাদী সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনায় পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করা। প্রথমে শুরু হবে ইসলামে সন্ত্রাস নেই, নিরীহ মানুষ হত্যা ইসলাম কোনভাবে সমর্থন করে না, লাদেনের সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই…আলোচনা আরো গড়ালে তখন সুর বদলে আসবে ।।আমেরিকাই তো সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী…লাদেনকে আমেরিকাই বানিয়েছে…সে সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী বলা হয়…লাদেনের অপরাধ কোন আদালতে প্রমান হয়নি…
@আদিল মাহমুদ,
এটা পরিস্থিতির জন্য প্রযোজ্য। আমেরিকা যদি ভারতের সাথে শত্রুতা করে, তাহলে সেটা হওয়া বিচিত্র না। তবে ভারত আমেরিকার সম্পর্ক স্বভাব মিত্রের-কারন উভয় দেশই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। কিন্ত কোন হিন্দু শ্রীলংকাতে সন্ত্রাসী হতেই পারে।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে বাংলাদেশে হিন্দু সন্ত্রাসী নেই কেন-কারন ওখানে ত শুনি হিন্দুরা আতংকে থাকে। এর একটা ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। হিন্দুদের মালামালের ভরসা না থাকলে, বাংলাদেশে হিন্দুরা সমাজে ব্রাত্য না-আমি আমার দুই বাংলাদেশী আত্মীয়কে চিনি-একজন ডাক্তার আরেকজন শিক্ষক। এরা মুসলিম শিক্ষক বা ডাক্তারদের থেকে উপায় বেশী করে কারন অনেকেই নাকি বাংলাদেশ হিন্দু শিক্ষক বেশী পছন্দ করে। ভারতে ব্যাপারটা ঠিক এমন না-মুসলিম নাম থাকলে তাকে বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়। শিক্ষা দীক্ষা তাদের তলানি গিয়ে থেকেছে। পশ্চিম বঙ্গে ৩০% মুসলিম আছে, কিন্ত আমি দেখেছি আমার কাছে যত রেজুমে আসে তার মধ্যে ১% মুসলিম ও নেই! এর মূল কারন মুসলিমরা ভারতে ফামিলি প্লানিং করে না ফলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলে মেয়ে মানুষ করার জন্যে টাকা পয়সার ব্যাপারে পিছিয়ে পড়ছে। এর সাথে হিন্দুদের উন্নাসিক মানসিকতা ত আছেই। ফলে ভারতে মুসলমান সন্ত্রাসবাদি বাস্তব। মানুষকে মানুষের সন্মান না দিলে, সে সন্ত্রাসবাদি হতেই পারে। কিন্ত আমেরিকার বিরুদ্ধে যেটা হয় সেটা আমাকে এই জন্যে অবাক করে যে এই দেশটা সবাইকে প্রকৃত সন্মান দেয়। আমি আমেরিকাতে যা পেয়েছি বিদেশী হওয়া সত্ত্বেও ভারতে সেটা পেতাম না। এটা আমার মতন অনেক বিদেশীর জন্যেই সত্য।
@বিপ্লব পাল,
মানুষ প্রতিবাদ আন্দোলনে তো আর সাধ করে নামে না। আপানাদের পূর্বাঞ্চল, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
বাংলাদেশের কোন হিন্দু যদি অত্যাচার ডিস্ক্রিমিনেশনের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশের গোটা সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়, এমনকি গনহারে জেহাদী ষ্টাইলে বোমাবাজি শুরু করে সেক্ষেত্রে যৌক্তিকতা বিবেচনা করা যেতে পারে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তাকে আর কতটা দোষ দেওয়া যাবে? একইভাবে ভারতের মুসলমান, কিংবা আমেরিকার মুসলমান যদি মনে করে যে তাকে ধর্মগত কারনে আমেরিকান সমাজ ঠকাচ্ছে, অত্যাচার করছে যার কোন সহজ সমাধান নেই তবে সেও সন্ত্রাসী হয়ে গেলে যৌক্তিকতা বিবেচনা করা যায়।
মুশকিল হল ৯১১ এর পর থেকে নাফিস জাতীয় অজস্র ঘটনা ঠিক এভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। এখানে ইউনিক বৈশিষ্ট্য রেখেছে ইসলামী ভ্রার্তৃত্ববোধ। আজ আমেরিকা যদি থাইল্যান্ডে বোমা ফেলে মানুষ মারে তবে আমেরিকায় বসবাসরত থাই ইমিগ্র্যান্টরা হয়ত বা ভায়োলেন্ট প্রতিবাদে নামতে পারে, এমনকি বোমা হামলার মত অঘটন ঘটানোও বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে থাইল্যান্ডে বোমা ফেলার দায়ে আমেরিকায় বসবাসরত একজন বাংলাদেশী কিংবা বার্মার বৌদ্ধ বোমাবাজির চিন্তা করবে না, বিবেক সম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রতিবাদে সামিল হতে পারে ঠিকই।
মুসলিম ব্রাদারহুডের কারনে বিশ্বময় মুসলমান মানস এভাবেই ম্যানিপুলেট হয়। তাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে দেশাত্মবোধের প্যারালাল ধর্মীয় জাতীয়তবাবোধ। একে তারা ধর্মগত ভাবে শিক্ষা পায় অপর ধর্মকে অশ্রদ্ধা, সরাসরি ঘৃনা করার, বিধর্মীদের প্রতি জাতিগত বিদ্বেষ পোষন করার কালচার। এসব বিদ্বেষ শুধু ধর্মগতভাবে হালাল করাটা কঠিন, বিশেষ করে আধুনিক যুগে সংশয়বাদী মনে এসবের যৌক্তিকতা নিয়ে সংশয় দেখা দেবেই। এই সংশয় কাটানোর ভাল উপায় হল এসব ঘৃনাবাদের যৌক্তিকতা রাজনৈতিক সমস্যার সাথে মিলিয়ে ধর্মগতভাবে টেনে আনা। আমেরিকা, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাম্রাজ্যবাদী নানান কর্মকান্ড আশীর্বাদের মতই দেখা যায়। এভাবেই মুসলমান দেশগুলিতে আবহ তৈরী করে রাখা হয় যে বিশ্বময় যাবতীয় বিধর্মীরাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকিয়ে যাচ্ছে। নবী মোহাম্মদের সর্বশেষ সিনেমা নিয়ে বিশ্বময় যে তান্ডব হল সেটা কিন্তু চুড়ান্তভাবে মুসলমান বনাম সাধারন ভাবে অমুসলমান দিকে গেছে, শুধু মুসলমান বনাম আমেরিকা কিংবা মুসলমান কিংবা খৃষ্টান/ইহুদীর মধ্যেও থেমে থাকেনি।
আমেরিকা তাকে কিভাবে সম্মান করেছে বা করবে সেটা ব্যাপার না, বড় ব্যাপার হল বিধর্মী আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে তার মুসলমান ভাইদের দেশ দখল করছে কিংবা বোমা মারছে, কাজেই আমেরিকা তার জাতিগতভাবে শত্রু, তার নিজ দেশ হয়ত আমেরিকার আর্থিক কিংবা অন্য কোন সাহায্য পাচ্ছে সেটার কোন গুরুত্ব থাকে না।
এই মানসিকতার সাথে ন্যায় অন্যায় মিলিয়ে ফেললে ভুল হবে। আপাতত অনেকের মনে হতে পারে যে আসলেই তো আমেরিকার নানান অন্যায়ের প্রতিবাদ তো হওয়াই উচিত। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা অন্যায়কারীর কাতারে পড়লেও এই ন্যায় অন্যায়ের হিসেব এত সরল নয়। এটা গোষ্ঠীগত এক ধরনের রেসিজম ছাড়া আর কিছু নয়। এই ন্যায় অন্যায়ের হিসেব বড়ই অদ্ভূত, এ ন্যায় অন্যায়ের ভিত্তি নির্ভর হয় ধর্মীয় আইডেন্টিটির ভিত্তিতে। যেমন বাংলাদেশে ‘৭১ সালে পাকিস্তানীদের ভয়াবহ গনহত্যা/ধর্ষন মুসলমান বিশ্বে কোন প্রতিক্রিয়া ফেলেনি, কারন এখানে আক্রমনকারী পক্ষ ছিল তাদেরই মুসলমান ভাইরা, কাজেই তখন তারা আংগুলে গোনা দুয়েক ব্যাতিক্রম ছাড়া উলটা সে অন্যায় সমর্থন দিয়েছে, কারন বাংগালীরা মুসলিম কওমের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করছে যা মুসলিম উন্মাহর চেতনার বিরোধী। এ রকম উদাহরন আরো আছে। ইরাকে সাদ্দাম লাখে লাখে কুর্দি মুসলমান মেরেছে, তখন পুরো মুসলমান বিশ্ব নীরব দর্শক, সেটা কোন ব্যাপারই ছিল না।
আর মুসলমান দেশগুলিতে যে অমুসলমানদের ওপর চলা নিত্য অত্যাচার/নির্যাতন, ধর্মীয় অধিকার আইন করে ক্ষুন্ন করা নিয়ে তো কোন কথাই তারা শুনতে নারাজ, কারন মনের গভীরে তারা এসব তাদের ধর্মীয় অধিকার মনে করে।
পাঠক, অনুগ্রহ করে চোখ বুলাবেন। যারা সাইফুল ইসলামের বক্তব্যের সুরটা ধরতে পারছেন না, তাদের হয়তো কাজে লাগবে।
http://www.aajkaal.net/report.php?hidd_report_id=183504&show=21835049
সমস্যা কি শুধু নাসিফ বা ধর্ম বিশ্বাস? এর পেছনে কি আর কিছু নেই? এই কিছু কে খুঁজতে গিয়ে সাইফুল রনাঙ্গনে, অনেকটা একা।
সন্দেহ নেই, বিশ্বাস আছে বলেই, জ্ঞানগুরু-র ব্যবসা বাণিজ্যের রমরমা। তাই সবটুকু বিশ্বাসীদের, আর জ্ঞানগুরু নিষ্পাপ ধোয়া তুলসি পাতা – এরকম বিচারের বিরুদ্ধে সাইফুল হয়ে উঠতে পারিনা। হয়তো মধ্যবিত্ত ভয়!
@স্বপন মাঝি,
এতোবড় একটা কাজ গুরুর প্রেরণা ছাড়া হয় কী ভাবে? কিন্তু জ্ঞানগুরুটা কে? অগত্যা তারে যদি না পাওয়া যায়, তার কোন বই-টই থাকলে বলেন। আর কোন নাসিফ যেন সেই বই ছুঁইতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হউক।
@আকাশ মালিক,
আমার মন্তব্য না পড়েই, আপনি মন্তব্য করে বসেছেন। দেখুন দৈনিক আজকাল, লিঙ্ক দিয়েছি, তারপরও যদি চোখে না পড়ে তো আমি নিরুপায়।
আর একটা কথা না বলে পারছি না, শুধু বিশ্বাসই যদি মানদন্ড হয়, তবে পাঠান আমল বা ইংরেজ বা পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি আমলে বিশ্বাসের ভিত অভিন্ন হওয়া স্বত্ত্বেও, তার প্রায়োগিক দিক থেকে এত পার্থক্য তৈরি হচ্ছে কেন, আমাদের ভাবা উচিত। তা’হলে হয়তো আমরা (আমি ও আপনি) যে অভিন্ন স্বপ্নে বিভোর, পার্থক্য স্বত্বেও তীরে পৌঁছেতে পারবো না, সতীর্থ হয়ে ওঠাও হবে না। মাঝখান থেকে হালুয়া রুটি খেয়ে বিশ্বাসী আর জ্ঞানগুরু হরিহর আত্মা হয়ে উঠবে।
@স্বপন মাঝি, আজকাল কাদের মুখপত্র স্বপন বাবু? এসব দলীয় ধারনায় নিমর্জিত পত্রিকার ধারনা কি এমনটাই আশা করা যায় না? বাংলাদেশের সংগ্রাম আর ইনকিলাবে কি এমন কিছুই আসবে না?
@আরিয়ান,
মন্তব্য ঠিক-ঠাক মত বুঝে প্রতিমন্তব্য করুণ, তাতে পথ চলতে পথের দিশা পাবেন। আবারো না-জেনে, না-বুঝে প্রতিমন্তব্য করলে, সাড়া দেব না। ভুল বুঝবেন না। ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
হেঁয়ালিপূর্ণ ভাষা ছেড়ে সোজা ভাষায় অনুবাদ করলে আপনি বলতে চাইছেন জ্ঞানগুরু = আমেরিকা, বিশ্বাসী = নাফিস। বেশ কিছু ভুল আছে এই সরলীকৃত কথায় । বিশ্বাস নয়, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদই আসল সমস্যা। বিশ্বাসী তো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান, জৈন, বাহাই, সব ধর্মেই আছে। কিন্তু এদের কারো মধ্যে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ ধর্মের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত নয়। মুসলীমদের মধ্যেও অনেক কপট বিশ্বাসী আছে যারা ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। ইসলামী সন্ত্রাসবাদের জন্য পৃথিবীর সবাই (অমুসলীমরাও) এয়ারপোর্টে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সবাইকে গচ্চা দিতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকান্ডকে অর্থায়ন করতে। যে টাকা জনকল্যান্মূলক কাজে ব্যয় করা যেত। তাই বিশ্বাস আছে বলেই আমেরিকার ব্যবসা রমরমা সেটা একটা রাবিশ কথা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান, জৈন, বাহাই এদের বিশ্বাস ব্যবহার করে আমেরিকার কি ব্যবসায়িক ফায়দা লুটছে? বিশ্বাসকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার প্রকৃষ্ট উদাহরন তো খোদ বাংলাদেশই। আর সন্ত্রাসবাদ আছে বলে আমেরিকার ব্যবসা রমরম সেটাও একটা রাবিশ কথা। আমেরিকার মূল ব্যবসা অস্ত্র বিক্রী। সেটা রমরমা সৌদীদের আর ইসয়ারীলের কল্যানে। সৌদীরা অস্ত্র কিনছে আমেরিকার কাছ থেকে, নিজেদের স্বার্থেই। ইসরাইলও তাই। অতীতে আমেরিকা আল-কায়েদাকে সাহায্য করেছিল কারণ তখন উভয়ের কমন শত্রু ছিল সমাজতন্ত্রী সোভিএট রাশিয়া। সেখানে আমেরিকার ব্যবসায়িক স্বার্থের চেয়ে কম্যুনিস্ট ঠেকানোই মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমেরিকা ও আল-কায়েদা উভয়ই উভয়কে এক্সপ্লয়েট করেছে। তবে শেষমেষ আল-কায়েদারই জয় হয়েছে এই এক্সপ্লয়েট করার প্রতিযোগিতায়। কিন্তু ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ করার জন্য আমেরিকা আল-কায়েদাকে সাহায্য বা সৃষ্টি করে নি। কাজেই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী আল-কায়দা তথা ইসলামী আদর্শ, আমেরিকা বা আমেরিকার ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়। আল-কায়েদার মূল আদর্শ সোভিয়েট বিরোধিতা ছিল না। ওটা সাময়িক একটা কৌশলগত লক্ষ্য ছিল। বিশ্বব্যাপী জিহাদ ও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করাই তাদের মূল আদর্শ ছিল, থাকবেও। আর শুধু আল-কায়েদারই নয়, ইসলামের আদর্শে কড়া বিশ্বাসী সব মু্সলীমদেরই।
সব কিছুর মধ্যে আমেরিকার/ইসরাইলের ভূত দেখাটা একটা অবসেশন হয়ে গেছে অনেক বামপন্থী “প্রগতিশীল” দের মধ্যে। কিছুদিন আগে ইউটিউবে এক কপ্টিক খ্রীষ্টানের নিজ উদ্যোগে মুহম্মদ বিরোধী এক ভিডিওকে “আমেরিকা/ইসরাইলের” ষড়যন্ত্র বলে চেঁচিয়েছে অনেক, যাদের মধ্য এরকম সিউডো লিবারেলও আছে।
আমেরিকার দোষ ত্রুটি আছে আর সব দেশের মতই। কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। ব্যবসায়িক স্বার্থ সব দেশই দেখে। আমেরিকাও দেখে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গায়ের জোরে আদায় করে না। ব্যতিক্রম আছে। যেমন বুশ ও তার নিওকন গং এরা তেল ও কর্পোরেট আমেরিকার ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য সেক্যুলার ইরাকে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে যে নজীরবিহীন জঘন্য হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল ১৯৯১ থেকে সেটার জন্য তাদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত । কিন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থ শুধু মার্কিন সরকারই বুঝে এটা ভাবা ভুল। বাংলাদেশে আওয়ামী সরকার যেরকম মাফিয়া কায়দায় নিজের দেশকেই লুটপাঠ করে খাচ্ছে, আমেরিকার মত প্রতাপ প্রতিপত্তি থাকলে পারলে অন্যদেশেও যে সেরকম লুটপাটা চালাবেনা সেটা ভাববার কোন কারণ নেই। ইতিমধ্যেই আমেরিকা নয়, বরং চীনকেই বিশ্বের নতুন/হবু কর্পোরেট লুটেরা হিসেবে দেখছে অনেকে।
আর বাংলাদেশ মানে যেমন = আওয়ামী লীগ/বিএনপি নয় , সেরকম আমেরিকা মানে = “রিপাব্লিকান/নিওকন/কর্পোরেট আমেরিকা” নয় এটাও মাথার পেছনে সবসময়ে রাখা দরকার।
@কালযাত্রী,
– অতি সত্য কথা বলেছেন, শুধু আওয়ামী একা নয়, যে কোন বাংলাদেশী দল, স্বৈরাচার সবার ক্ষেত্রেই খাটে। আমেরিকার অপরাধ আসলেই বলে শেষ করার মত নয়, আমিও জানি না প্রতিকার। তবে তারা সাধারনভাবে অন্তত নিজের দেশ প্রকাশ্যে চুষে খায় না, আমাদেরগুলি যেমনটা করে। আমেরিকার মত বাহুবল আজ বাংলাদেশের থাকলে আজ যারা নিজের দেশ তের ভাজা করে খায় তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কি করবে তা অনুমান করা কঠিন নয়। আমেরিকার বদমায়েশির ফিরিস্তি বাংগালীর কাছে শুনলে মজাই লাগে।
আরেকটা খবর হল চীন আসলেই কোনদিন আমেরিকার অবস্থান নিলে তাতে আনন্দিত হবার মত কিছু নেই, দুনিয়ার কপালে আরো বড় খারাবি নেমে আসবে বলেই আমার ধারনা। আমেরিকার অন্তত জনগন সে দেশের নানান অন্যায় অমানবিকতার প্রতিবাদ করে, চীনের সে সামান্য বাধাটুকুও নেই, তারা নিজের দেশেই যেভাবে মৌলিক মানবাধিকার বিনা প্রতিবাদে লঙ্ঘন করতে পারে তাতে বিশ্বমোড়লের অবস্থানে গেলে অন্যদের কি হবে ভাবাটা তেমন স্বস্থিদায়ক নয়।
@কালযাত্রী,
http://www.aajkaal.net/report.php?hidd_report_id=183504&show=21835049
লিঙ্কটা আবারো দিলাম, পড়ে দেখুন। জ্ঞান-গুরু সংক্রান্ত আপনার অভিনব আবিস্কারের অন্ধকার কিছুটা হলেও দূর হবে।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে —
কিসে এই সোনার টুকরার একটা উজ্জল সম্ভাবনাময়ী ছেলেটি মা-বাপ কে কান্নায় ভাসিয়ে দিয়ে এই আত্মঘাতি সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করিল?
কিসে ৯/১১ এ আতা,আলমারী সহ ৫ জনে নিউ ইয়র্কে আত্মঘাতি সন্ত্রাসী হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল?
কিসে ব্রুকলিনের ওবায়দুর রহমানকে আফগানিস্তানে লাদেনের পক্ষে যোগদান করে জিহাদে যেতে উসাহিত করেছিল?
(ঘটনাটি নিউ ইয়র্ক টাইমস তখন এরুপ বর্ণনা করেছিল- নিউ ইয়র্কের ব্রুকলীনে একটি পাকিস্তানী আমেরিকান পরিবারের বৃদ্ধ পিতা মাতার একমাত্র ২৭ বছরের নিউ ইয়র্কে কম্পিউটারে ডিগ্রী প্রাপ্ত আয়ক্ষম ছেলে ছিল সে।
যখন আমেরিকার সংগে আলকায়দা ও তালেবানদের সংগে যুদ্ধ আরম্ভ হল তখন সে মা-বাকে ফেলে রেখে আফগানিস্তানে চলে গেল আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য।
কারন তার দাদা তাদেরকে নাকি বলেছিল “তোরা আমেরিকায় যাচ্ছিস ,যেখানেই থাকিস ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করবি।”
তাই ইসলাম ধর্মকে রক্ষার জন্য মা-বাপকে ও তোয়াক্কা না করে সে আফগানিস্তানে পৌছে সরাসরি লাদেনের সংগে সাক্ষাৎ করে তার বাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছা জানাইল।
লাদেন একজন লোককে ধরিয়ে দিয়ে বলে দিল এর সংগে চলে যাও তোমাকে জায়গা মত পৌছে দিবে।
এদিকে লাদেন সে লোককে বলে দিল ঐ আমেরিকান অধিবাসী এখানে কেন এসেছে জান?
আমেরিকা তাকে আমাদের গোপন তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য পাঠিয়েছে। অতএব সে যেন আর কখনো আমেরিকায় ফেরত না যাইতে পারে।
ওকে পথিমধ্যে কোথাও পিছন হতে মাথায় গুলী করে শেষ করে দিবে।
তাকে তাই ই করা হয়েছিল।)
তাহলে এই হল আমাদের জিহাদ ও শহীদ হওয়া।
কেন কোন একজন হিন্দু, বৌদ্ধ. খৃষ্টান,ইহুদী আরো অনেক ধর্মাবলম্বীরা একাজ করতে উৎসাহিত হননা?
এর একটি মাত্রই উত্তর আছে আর তা হল-
নবিজী নিজেই বলেছেন,
আর আল্লাহ পাকও কোরানে অজস্র জয়গায় একই রুপ নির্দেশ দিয়েছেন।
এবং ওয়াদা করা হয়েছে অমুছলিমদের সংগে যুদ্ধে নিহত হলে শহীদ হয়ে সাথে সাথে বেহেশতে চলে যাওয়া যাবে।
এমন লাভ কোন পাগলে না বুঝে?
কাজেই মুসলমানেরা সঠিক ভাবেই কোরান হাদিছের নির্দেশ পালন করে যাচ্ছেন। তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে?
আর অন্যান্য ধর্মাবলীদের গ্রন্থে এভাবে বিপক্ষ ধর্মাবলম্বীদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশ নাই তাই তারা এটা করতে যায়না। অথবা তারা বিবেক ও বোধ সম্পন্ন।
নীচে কোরানের কিছু স্পষ্ট নির্দেশ লক্ষ করুন।
এটাই সমস্ত সন্ত্রাসীর মূল উৎস।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি তো ভাই একেবারে কোরান হাদিস দিয়ে প্রমান করে দিলেন যে নাসিফ অন্যায় কিছু করে নি একেবারে পাক্কা মুসলমানের যথার্থ দায়িত্বই সে পালন করছিল। তাহলে যারা এখন নানা ভাবে চিল্লা চিল্লি করে প্রমান করতে চাইবে যে না সে ভুল পথে চলছিল , ইসলামকে হাইজ্যাক করে সে ইসলামের ক্ষতি করছিল তাদের উদ্দেশ্যে আপনার কি বয়ান ?
ছোটবেলা থেকেই যদি শেখানো হয় যে, আমাদের ধর্মই সেরা আর অন্য ধর্মগুলা মিথ্যা, তাহলে এই রকম ঘটনা বার বার ঘোটতেই থাকবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক বানানো হচ্ছে।
ধর্ম, বর্ণের বিভেদ নয়, আমরা যে সবাই মানুষ, এই কথা ধর্মান্ধরা কবে বুঝবে ?
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার এই উপমার মধেই তো নিহিত কেন রইসুদ্দি অপরাধী ,
“তারপরে রইসুদ্দি বাপের পোলা প্রমান করতে বৌরে যেই মারতে যাইব এইডার মইধ্যেই দেখবেন মেধাবী খবরদারী পুলিশ লইয়া আইয়া কইব, হল্ট!!”
রইসুদ্দি যদি ভালা মানুস ই হইব তাইলে পুনরায় বৌরে মারতে যাইব কেন? তার বউ যদি আবার অকাম করে তাইলে সে তার বৌরে ডিভোর্স দিতে পারে, কিন্তু আবার মারতে যাব কেন? এই ঘটনা দিয়ে প্রমানিত হয় যে রইসুদ্দিন আসলেই একটা বদমাইস
আর ভাই রে, এই “থট ক্রাইম” আইন যদি না থাকত, তাহলে হয়ত আমাদের ওই বোমা ফাটার পর মৃত দের কবরে সুইয়ে তারপর অপরাধী খুজতে হত, সেটা বেসি ভালো হত কি?
@প্রত্যয়,
আপনার এই লাইন
আর এই লাইনঃ
দুইটা একটা ব্যাপার হিসাবে আনতেছে না যেইটা সবচাইয়া বেশি গুরূত্বপূর্ন। সেইটা হইল, মাঝখানে খবরদারী এফবিআই ভাইয়েদের বিরাট কর্মযজ্ঞ। আমি যে ঘটনার কথা বলছি ঐখান থেকে খবরদারী এফবিআই ভাইয়েদের নাই করে দেন, দেখেন ফলাফল কী আসে? কোন অপরাধ হওয়ার কথা?
@সাইফুল ইসলাম,
প্রবলেম হলো আপনার ফাকা জায়গায় বাস্তবে “এফ বি আই” আর পরিবর্তে “বেকায়দা” র লোকজন চলে আসতে পারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে, এবং আমরা নিশ্চয়ই সেই চিত্র পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারিনা…..এখন যদি আপনি বলেন “বেকেদার” লোকজন আই পৃথিবী তে না, চাঁদের দেশে থাকে তাইলে অবশ অন্য কথা…
@প্রত্যয়,
কে সাহায্যের হাত বাড়াইতে আসব ঐ চিন্তা কইরা আপনার মনে হয় নিদ্রানষ্ট না করলেও চলব। কারন আপনার সমীকরন মিলাইতে বহু বহু “যদি আর হয়ত” বসাইতে হইব। এই সমস্ত যদি আর হয়ত দিয়া আমি আপনারে এইখানে খাড়ার উপরে টেরোরিস্ট নন-ইসলামিস্ট বানাইয়ে দিতে পারুম। কিন্তু তাইলে কেমন হয় কন তো?
@সাইফুল ইসলাম,
সেটাই আমরা নিশ্চিন্তে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই আর সেই ফাকে আপনার মত “ইসলামী সেনারা” দেশে দেশে আতোস বাজি ফুটান আর কি ….
@প্রত্যয়,
একমত। সাইফুল ভাই সমস্যার মাত্রাটা ঠিক উপলব্ধি করতে পারছে বলে মনে হয় না। অসংখ্য নাফিস আমাদের চোখের সামনেই বড় হচ্ছে। প্রচন্ড মৌলবাদী চিন্তা-চেতনার অধিকারী তারা। আম্রিকা-ভারত সহ বিশ্বের তাবত অমুসলিম দেশ (চায়না বাদে) কে পেলে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে তারা। টেররিস্ট গ্রুপের সামান্য ছোয়া পেলেই তারা এক একটা মৌলবাদী মিসাইল হয়ে উঠবে।
আম্রিকা-ইন্ডিয়া-চীন (অবশ্য কি এক অজানা কারনে মৌলবাদীরা চীনরে বাদ দেয়, যদিও চীন অনেক ক্ষেত্রে বেশী সাম্রাজ্যবাদী আর কট্রর মনোভাবের অধিকারী এবং মুসলিম পীড়নেও রয়েছে যাদের নজরকাড়া ইতিহাস) অবশ্যই সাম্রাজ্যবাদী পীড়ন চালায় দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর উপর, তাদের একমাত্র লক্ষ্য ইসলাম নয়, যেখানে স্বার্থ সেখানেই তারা। কিন্তু এর প্রতিকার হিসেবে নাফিসের মত অসংখ্য তরুন তৈরি হতে দেয়া যায় না, কি বলেন সাইফুল ভাই? নাফিসরা যদি রামগড়ুড়ের ছানা ভাইয়ের মত ভাল করে লেখাপড়া শিখে, দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে নিতে পারে, তাহলেই আমরা আম্রিকা-ইন্ডিয়া-চীনের সাম্রাজ্যবাদী রাহু থেকে বেরিয়ে আসতে পারব, কি বলেন সাইফুল ভাই?
@সাইফুল ইসলাম,
আমি যে ঘটনার কথা বলছি ঐখান থেকে খবরদারী এফবিআই ভাইয়েদের নাই করে দেন.
নাই করলাম কিন্তু খবরদারী এফবিআই ভাইয়েদের স্থলে প্রকৃত জঙ্গীকে বসান এইবার চিন্তা করেন.
ও আরেকটা প্রশ্ন ছিল, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঙলাদেশের প্রতি আম্রিকার ভালোবাসার আলাদা নজর পড়ছে ইদানিং পাইক্কাগো ভালোবাইসা পোঁদমারার পরে। নাফিসের ঘটনার সাথে এই ব্যাপারটার কোন সম্পর্ক আছে কী না। কী মনে হয় আপনার?
@সাইফুল ইসলাম,
এইটা খুব ভাল পয়েন্ট কইছেন। আমি হাসিনা আপার তরফে এখনই বলতে পারি যে এই ঘটনার সাথে পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে 😀 ।
@আদিল মাহমুদ,
হাসিনার মতন হাসিনার মুখপাত্ররাও ঘটনার প্যাটার্ন লক্ষ না করলে কিন্তু সমস্যা। পরবর্তিতে কিন্তু ক্ষমতায় যাইতে খবর হইয়া যাইব। :))
@সাইফুল ইসলাম,
আরেকটু ভাইংগাই কই,
ঘটনার মূল পরিকল্পনা নন্দাইলের ইউনুসের, বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন সরকার।
উদ্দেশ্য, আগামী নির্বাচনে সংগ্রামী জনতার রায় ছিনিয়ে নেওয়া…
কবি ভাই, আপনারে আগে একটা উইকির লিঙ্ক দেই।
এইখানে দেখেন। স্টিং অপারেশন। মানে হইল,ধরি আম্রিকায় থাকা এক পাবলিক, নাম রইসুদ্দি।এয় একদিন মেজাজ খিচরাইয়া বৌরে কয়, বৌরে বৌ, আইজকে তোর একদিন কি আমার একদিন। তুই পাশের বাড়ির কদমের লগে ইটিশ পিটিশ করছ, আমারে দিয়া তোর অয় না? হেরপরে বেশ কিছুক্ষন ধুরুম ধারুম পিটাইয়া কইল, আরেকদিন যদি ঐ ভাদাইম্যা কদইম্যার লগে লদকালদকি(কপিরাইটঃ হুমায়ূন আহমেদ) করতে দেহি তোরে আমি জানে মাইরা ফেলমু কইয়া দিলাম। আমি এক বাপের এক পুত। যা কই তা করি!!
এই কথা আবার বাড়ির পাশ যাওয়ার সময় এফবিআই এর এক মেধাবী খবরদারী(ঐ সময়ই হেয় এইহানেই কী করে এইডা জিগাইলে কইতে পারি, খালি আল্লাই না, এফবিআই ও সর্বত্রই উপস্তিত থাকে। ) শুইন্যা ফেলাইল। তারপরেই শুরু হইব স্টিং অপারেশন মতান্ত্বরে অপারেশন দংশন(কপিরাইট গুগল মামার ট্রান্সলেটর ডিপার্টমেন্ট)। হেয় করব কী, একদিকে রইসুদ্দির বৌরে কইব আরে তোমার জামাইডা ভালা না, আমি জানি হেয় তোমগোর পাশের বাড়ির বিউটির লগে টাংকি মারে। আরো কী কী করে আমি কইতে পারমু না(জিভায় কামর দিয়া)। প্রথমে রইসুদ্দির স্বামীঅন্তঃপ্রান(??) বৌ বিশ্বাস করব না, কিন্তু কানের মইধ্যে ফ্যাকর ফ্যাকর করতে থাকলে বিশ্বাস কইরা ফেলাইব। তারপরে বৌ লইব পেরতিশোধ। হেও ভাদাইম্যা কদইম্যার সাথে পুনরায় লদকালদকিতে মনোনিবেশ করব।
এইবার ঐ সর্বত্র উপস্তিত মেধাবী এফবিআই খবরদারী ভাই রইসুদ্দির কাছে হের বৌ আর কদইম্যার নষ্ট ছবি দিবো। তারপরে রইসুদ্দি বাপের পোলা প্রমান করতে বৌরে যেই মারতে যাইব এইডার মইধ্যেই দেখবেন মেধাবী খবরদারী পুলিশ লইয়া আইয়া কইব, হল্ট!! কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না!
ব্যাস, রইসুদ্দি জেলে যাইব বৌরে হত্যা করতে চাওয়া “হিংস্র, জানোয়ার” হিসাবে।
এখন বলেন আপনি কার পক্ষে?
আরো বলেন এই ঘটনার সাথে নাফিসের ঘটনার মৌলিক কোন তফাত পান কী না।
আরেকটা লিঙ্ক এইবারঃ
এইটা হইল থটক্রাইম সোজা বাঙলায় “চিন্তার অপরাধ”(এইটারও কপিরাইট গুগল মামার অনুবাদ বিভাগ)। মানে হইল, আপনি যদি চিন্তা করেন আমি পারলে ইসলামের টেরোরিস্টগুলারে(পড়েন তথাকথিত টেরোরিস্ট) মাইরা ফেলবেন, খালি এই গ্রাউন্ডেই আপনার কাঠগড়ায় বিচার হইব।
এখন বলেন, আপনার কাছে এই ব্যাবস্থা সমর্থনযোগ্য কী না।
আরো বলেন নাফিসের ক্ষেত্রে এই কাহিনী হইছে কী না(কারন নাফিস খালি ইচ্ছা প্রকাশ করছিল। আর সব করছে খবরদারী ভাইয়েরা)। উপরন্তু নাফিস যদি অপরাধ করে তাইলে এফবিআই বা আম্রিকান প্রশাসনও দোষী কী না।
যদি হয় তাইলে নাফিসরে এরপরেও দোষ দিবেন কী না।
আর যদি না হয় তাইলে কেন?
@সাইফুল ইসলাম,
আমেরিকায় অধিকাংশ প্রষ্টিটিঊট কেমনে ধরে জানেন? পুলিশের লোকে কাষ্টোমার সেজে টোপ দেয়…ইউটিউবেই অনেক ভিডিও থাকার কথা। পুরুষ পুলিশে কাষ্টোমার সাজে, মহিলা পুলিশ নিজেই প্রস সেজে কাষ্টোমার ধরে, তারপর কোর্ট যতটুকু দরকার সেই পর্যায়ে ঘটনা গেলেই সিগন্যাল দিয়ে এরেষ্ট করায়। স্টিং অপারেশন ছাড়া এই রকম অনেক কেস হাতে নাতে ধরার কোন উপায় থাকে না, কোর্টে প্রমান করা যায় না। এখন যদি বলি যে পুলিশেই তো নিরীহ মানুষগুলান রে টোপ দেখায়া নষ্ট করল…?
চাইল্ড পর্ন ধরে কেমনে জানেন তো? পুলিশের ব্যাটা বাচ্চা মেয়ে সাইজা ইন্টারনেটে পারভার্টদের সাথে চ্যাট শুরু করে…এমনে কইরা টোপ দিয়া ব্যাটাদেরে ভুলায়া ভালায়া ধরে। এইখানে বিতর্ক করা যায় যে যারে ধরা হইল সে আদৌ কোন বাচ্চা মেয়ের সাথেই কিছু করে নাই, করছে ষাঁড়ের মত মুশকা জোয়ান এক ব্যাটার লগে। তা হইলে চাইল্ড এবিউজ কেস হয় কেমনে??? মূল অভিযোগই মিথ্যা হইয়া গেল না??
আধুনিক আইনী বিচার বাবস্থার একটু সামান্য ভিতরে যান, দেখবেন যে বিচারে ইন্টেনশন একটা বড় বিচার্য বিষয়। আপনের আশে পাশে কেউ যদি থাকে যে কোন কারনে একটা যাত্রীবাহি প্লেন বা জাহাজ ডুবায় দেওয়ার একান্ত ইচ্ছে পোষন করে খালি উপায়ের অভাবে কাজে পরিনত করতে পারতেছে তা তাহলে কি তার আশেপাশে আপনি নিজেরে নিরাপদ মনে করবেন? মনে মনে কইবেন যে ইচ্ছা করছে তো কি হইছে, আগে তো বোমা মারুক, তারপর না দেখা যাইবো?
আপনে হয়ত তেমন ভাবলেও আমি মনে করি যে তারে এট এনি কষ্ট আগে ধরা হোক, এরপর তার শাস্তির মাত্রা নিঃসন্দেহে ভিন্ন হইতে পারে। যে সত্যি সত্যিই বোমা মাইরা হাজার মানুষ মারছে আর যে খায়েশ পোষন করতেছিল খালি উপায়ের অভাবে পারে নাই তার মধ্যে পার্থক্য হইলে হবে শাস্তির পর্যায়ে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যেই উদাহরনগুলা দিছেন ঐগুলার সাথে নাফিসের উদাহরনটা যায়?? আপনার আসলেই মনে হয়?
প্রস্টিটিউট ধরা এক জিনিস, আর ভাত খাইতে না পাইয়া “মাগী অইলেই ভালো হইব, প্যাডে ভাত তো পামু” এইরকম আক্ষেপ করা এক মাইয়ারে মাগীপাড়ায় মাগী বানাইয়া তারপরে পুলিশ হইয়া ধরতে যাওয়া আরেক জিনিস।
আবারও ওই একই ভুল করলেন আদিল ভাই। কারো কথায় ভয় পাওয়া এক জিনিস, আর কাউর ইচ্ছার কথা শুনতে পাইরা তার ঐ কাজে হেল্প কইরা সাফল্যের দোর গোড়ায় যাইয়া পুলিশ হইয়া ধরা আরেক জিনিস। আপনি অনেক জিনিসেই ভয় পাইতে পারেন, আপনার ভয়ের জন্য আরেকজনরে কেন সাফার করাইবেন? নাফিস কী পাবলিকলি ঘোষনা দিয়া রটনা রটাইতে গ্যাছে? ভয় তো আসলে আপনি পান না, ভয় পাইতেছে প্রশাসান। আর কহন ভয় পাইতেছে ? “জিনিসপত্র দিয়া আকাম করানোতে ক্যাপাবেল করার পরে”। কে জানে ঐপোলার হয়ত সাধারন মুসলমানগোর মতই আম্রিকা, আম্রিকার সরকারের উপ্রে ক্ষোভ আছিল, ঐ এফবিআইয়ের সাহায্য না পাইলে এই কাজ হয়ত ফ্যান্টাসিই থাকত? আপনি জানেন নিশ্চিত কইরা? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
ভাবছিলাম আপনে জ্ঞানী মানুষ, বেশী কথা কইতে হইব না, এমনিই বুঝবেন। তয় ষ্টিং নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই ফাঁসার পর দাবী করে যে সে আসলে এমন করতেই পারে না, পুলিশই তারে লোভ দেখায়া কুকর্মে নামাইছে।
উদাহরন কোন সময়েই দুইটা ১০০% মিলে না, তবে অন্তর্নিহিত ভাব মিলে কিনা সেইটা হইল কথা। আপনের যুক্তি হইল যে নাফিস (আসলেই এই ক্ষেত্রে ষ্টিং কিভাবে হইছে আমি জানি না, আপনেও জানেন এমন মনে হয় না, সেই হিসেবে এই নিয়া কথা বলাই সময় নষ্ট) আসলে ক্রাইম করত না, তারে আমরিকান পুলিশই মূলত ফুসলায়া ক্রাইমটা করাইছে। ঠিক কিনা?
এখন প্রস এর কাষ্টোমার একই যুক্তিতে কইতে পারে না যে আমি ক্রাইম করতাম না, খালি একটু ঘশটাঘোষ্টির খায়েশই না করছিলাম সরল মনে। এই রকম খায়েশ কোন ব্যাটায় না করে বুকে হাত দিয়া কউক 🙁 । খায়েশ অনেকেই করে, আর ফাঁসি আমি একা!!আমারে মহিলা পুলিশই টোপ দিয়া তার কাষ্টোমার করাইছে? ঘটনা তো ইনফ্যাক্ট সেইটাই ঘটছে।
প্রথমেই বলি, আপনে ভাবেন যে আপনে যে লাইনে ষ্টিং চিন্তা করেন সেইভাবে চিন্তা করার মতন লোকজন, ডিফেন্স ল’ইয়ার আমেরিকায় নাই? ভাই রে, এইটা বড় কঠিন যায়গা। এই দেশে শুধু বিচারের কেতাবী কোন ছোট আইনের ধারা পুরা মানা হয় নাই এই ছূতায় প্রমানিত অপরাধীও ছাড়া পাইয়া যায় এমন ঘটনাও হয়। ডিফেন্স ল’ইয়াররা মনে করেন আপনের থটক্রাইম থিয়োরী জানে না? ঘটনা এত সোজা না যে আপনে মনে মনে বা এমনই রাস্তার মোড়ে দাঁড়ায় আমি ক্রাইম করব আমি ক্রাইম করব চিল্লাইলেই আপনেরে ধইরা নিয়া জেলে পুরবে।
ষ্টিং আপনের কাছে যত সোজা মনে হইতেছে আদতে অত সোজা না। এইটা প্রমান করা যত সোজা ভাবতেছেন অত সোজা না। আপনের কথা শুনলে মনে হইতেছে আপনে অলরেডি জানেন গোটা ব্যাপারটা ঠিক কিভাবে হইল। মানে পুলিশে কবে এই নিরীহ পোলাটারে কেমনে কিভাবে টোপ দিয়া ফাসাইলো এইসবের ডিটেলস জানেন। আমার মনে হয় না এইসব এখনই মিডিয়ায় আসচে বলে।
যেইকোন ক্রাইম আদালতে প্রমান করতে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস বিয়ন্ড রিজোনেবল ডাউট প্রমান করতে হয়; যেমন ক্রাইমের ইন্টেনশন (সে আসলেই সূস্থ মাথায় স্বেচ্ছায় এই ক্রাইম করতে চাইছিল কিনা, শক্ত ইন্টেনশন না পাইলে কেস অনেক সময় কাইচা যায়, এমনকি প্রমান করা গেলেও শাস্তি লঘু হয়।
এরপর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে আসলেই এই ক্রাইম করার যোগ্য কিনা সেইটাও বিবেচনায় আনা হয়। এক্ষেত্রে আপনের প্রায়োর কোন রেকর্ড থাকলে সেইটা খারাপ সংবাদ, যদিও চুড়ান্তভাবে রেকর্ড না থাকলেও যে পার পাইবেন তা না। শাস্তির সময়ও এইটা বিবেচনায় আসবে।
এইবার গুরুত্বপূর্ন বিষয়, অপরাধের চিন্তা করা আর অপরাধ করা যে এক না তা আপনে ছাড়াও আমেরিকার লোকেও জানে। এইজন্য প্রসিকিউশনরে প্রমান করতে হয় যে ব্যাডায় শুধু ইন্টেনশনই প্রকাশ করে নাই, কামেও নামছিল। শুধু ইন্টেনশন ছিল বইলাই শাস্তি হয় না। এইটা প্রমান এত সোজা না যে আপনি তার ১ মিনিটের একটা ফোন আলাপের রেকর্ড শুনায়া দিলেই কাম ফতে। তখন আবার ডিফেন্স ল’ইয়ার লাফ দিব যে সেইদিন আমার ক্লায়েন্ট ডিপ্রেসড ছিল, কিংবা সে অন্য কন্টেক্সট এ এই কথা কইছে, মোট কথা নানান ছূতা বাইর করতে পারে। এইজন্য ষ্টিং অপারেশন দিনের পর দিন চলে, বহু ধরনের কথাবার্তা ভিডিও ধরা হয়। ফাঁসাইতে চাইলে আমাদের জজ মিয়ার কায়দা অনেক সোজা না? ব্যাটার বাসায় কিছু বোমা গাঁজা রাইখা বাসা রেইড করলেই তো চলে। দিনের পর দিন কত লোকের বেতন/টাইম নষ্ট কইরা ব্যাটার পিছে ষ্টিং মারা কেন?
আপনে ইন্টেনশন দেখাইলেন, এরপর দিনের পর দিন একশন কইরা দেখাইলেন। এরপর আপনে সাধু কারন যার সাথে ক্রাইমের ষড়যন্ত্র করছিলেন সে পুলিশ? পাবলিকরে ঘোষনা নিঃসন্দেহে দেয় নাই। এইসব খবর পুলিশ/এফবিআই দিনে হাজারটা পায়, সবাইরেই ষ্টিং এ ফেলে না, ষ্টিং পর্যন্ত এফোর্ট দিব কিনা সেইটা বহু ভাবে আগে যাচাই করে। আগে ভিতরে ভিতরে বহু রকমের খোঁজ খবর নেয়, শুধু কেউ বোমা মারার খায়েশ পোষন করলেই তারে ষ্টিং দিয়া কোর্টে নিব আমরিকান পুলিশের এত তেল এখনো হয় নাই। এই রকম খায়েশ পোষন করা লোকজন অন্তত শতখানেক আমি নিজেই চিনি। পুলিশেও তাদের কথা ভালই জানে, জানার তাদের নানান সূত্র আছে। তাই বলে তাদের সবাইর পশ্চাতে লাইগা টোপ দিয়া দিয়া ক্রাইম করায় না। যে আসল মাল, তারেই সাধারনত ফাঁসায়। আমরিকার এখনো এত দায় পড়ে নাই যে মুসলমান কমিউনিটির জোয়ান ছেলেগো দ্বারে দ্বারে গিয়া এড দিব, “এইখানে বোমা বানানোয় সাহায্য করা হয়, দলে দলে যোগ দিন”। সোজা কথায় যেই লোকে হিটম্যান খূঁজে, তখনই পুলিশ খবর পাইলে হিটম্যানের বেশে টোপ দেয়। নিজে নিজে কাগজে এড দেয় না যে আমি হিটম্যান, উপযুক্ত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ঝামেলা নামায় দেই।
ষ্টিং আদালতে প্রমানের সময় অবশ্যই প্রমান করতে হয় যে পুলিশ ষ্টিং এ নামার আগেই অপরাধের পাঁয়তারা হইছিল। শুধু পুলিশ নিজ থেকে গিয়া নিরীহ কাউরে দিনের পর দিন উষ্কায়া ক্রাইমে নামাইল, আর আদালত সাজাও দিয়া দিল ঘটনা এত সোজা না।
পুলিশ হেল্প তারে ব্যাক্তিগতভাবে ফাসায় দেওয়ার নিয়তে করে নাই বা করে না। হেল্প করে যাতে কোর্টে প্রমানযোগ্য কেস দাঁড়া করা যায় সেজন্য। এইখানে অবশ্যই এজাম্পশন আসে যে এই লোকে পুলিশের যায়গায় আসল মালের সাথেও একই রকমেরই দোস্তি পাতায় কুকাম করত। এই এজাম্পশন আমার কাছে লজিক্যাল বইলাই মনে হয়। আপনি কাউরে খুন করাইবেন সেইজন্য খুনী খূজতেছেন। এখন আপনে আসল খুনী ভাড়া করলেন নাকি ছদ্মবেশী খুনীর পাল্লায় পড়লেন সেইটা বিচার্য না। যদি প্রমান করতে পারেন যে আসলে আপনে খুনী খুজেন নাই, খুনীই আপনেরে খুইজা খুন করাইতে উদ্ধুদ্ধ করছে সেইটা ভিন্ন কথা। এইজন্যই ষ্টিং বহুদিন ধইরা করা হয় যাতে এইভাবে পিছলাইতে না পারেন। আমার জানা মতে নাফিস মিয়ারে বহুদিন ধইরাই পুলিশ অবজার্ভ করছে, ষ্টিং করছে। আপনে দিনের পর দিন কারো লগে এক টেবিলে বিড়ি সিরকেট খাইতে খাইতে ষড়যন্ত্র পাকাইলেন, এরপর ধরা খাইলে যদি কন যে আসলে ঐ ব্যাডাই আমারে কুপথে নামাইছে তো কেমন শূনায়? এক সিটিং হইলে কথা আছিল।
– প্রথম কথা কেমনে কইলেন বুঝলাম না। প্রসাশনের কামটা কি? ঘটনা ঘটবার পর দায়িত্ব দেখানো? প্রসাশন ভয় অবশ্যই লজিক্যাল। একটা লোকে বিল্ডিং উড়ায়া দিব বোমা মাইরা, বোমাবাজ হায়ার করতেছে তখন প্রশাসনের কি করা উচিত? তার লগে মশকরা করা উচিত? আল্লাহর মাল নিলে আল্লাহয়ই নিয়া যাইবো, আমরা আর কি করুম?
নাকি হওয়ার আগেই যাতে না ঘটে সেইটা নিশ্চিত করা। “ক্যাপাবেল করার পরে” – এটা আশা করি পরিষ্কার হইছে আগেই। এইটার দরকার আদালতে অপরাধ প্রমানের জন্যই লাগে। আপনে নিজে লুলা মানুষ, হুইল চেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারেন না। কাউরে খুনের হুমকি দিলেন, অথচ খুনটা করতে হইলে ২০ তলা সিঁড়ি ঠ্যাঙ্গায় করতে হবে। এখন ষ্টিং ওয়ালারা যতই আপনার ভয়েস/ভিডিও দেখাক খুনের হুমকি দিতেছেন এইটা আদালতে ইন্টেনট টু মার্ডার বিবেচ্য হবে না, বড়জোর আপনারে আদালত সতর্ক করতে পারে। এর কারন আপনি হুমকি দিলে দিছেন, কিন্তু নট ক্যাপেবল অফ ডুইং দ্যাট ক্রাইম ইন কোয়েশ্চন।
@আদিল মাহমুদ,
এইরকম ভুল যার চিন্তা ভাবনা হেয় যে নাফিসের কাহিনী হাচা মনে করব এইডা কি আর শক কিছু নাকি?? :))
যতটুকু বুঝতেছি আপনি বলতে চাইতেছেন দেখা যাউক রায় কী হয়।
ওকে সমস্যা নাই, দেখা যাউক রায় কী হয়।
এর মাঝে এই দুইটা লেখা পড়েনঃ
এইটা
আর এইটা
এর মধ্যে প্রথম লেখাটায় এক বিচারকের কথা কোট করার লোভ সামলাইতে পারলাম নাঃ
এইরকমই এক স্টিং অপারেশনের রায় দেওয়া বিচারক কইছিলঃ
🙂 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
বিচার ব্যাবস্থা গনিতের মত কনক্রিট কিছু না, যে কোন শক্ত বিচার ব্যাবস্থারও ত্রুটি কিছু না কিছু থাকে, ধীরে ধীরে হয়ত সংশোধন হয়, তাও নুতন ত্রুটি পাওয়াই যায়।
ডিএনএ এভিডেন্স বিপ্লব এনে দিলেও সেভাবেই নিরীহ লোকে শাস্তি পেয়ে যায় তেমনও হতে পারে।
the government made them terrorists. ক্ষেত্রে বিশেষে হতেই পারে। তেমনি ডিএনএ বা আধুনিক ফরেন্সিক সায়েন্সকেও ক্ষেত্র বিশেষে গালি দেওয়াই যেতে পারে নিরীহ লোককে ফাঁসিয়ে দেবার জন্য। জেনারেলাইজড মন্তব্য করা যায় না।
ষ্টিং অপারেশন ছাড়া অনেক ঘাগু ঘোড়েল ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমান করা যেত না এমন বহু কেসের কাহিনী দেখেছি।
তবে এইটা বলতে পারি যে ষ্টিং সাধারনত আপনেরা যেমনে ভাবতেছেন যে পুলিশের লোকে যেচে যেচে নিরীহ লোকের কাছে গিয়া বাবা রে বোমাটা বানা না রে ভাই, আমি তো আছি, ক্যান বানাবি না… এইভাবে অপরাধী বানায় তারপরে ধরে এমন ভাবনা ঠিক হইবার চান্স অতি সামান্য।
@আদিল মাহমুদ,
ঘটনা এত সোজা না হলেই ভাল; নাফিস ন্যায় বিচার পাক, তার ভুল শোধরানোর সুযোগ পাক এই কামনাই করি। আপনার মন্তব্য পড়ার আগেই নীচের মন্তব্যটি লিখেছিলাম………
তারুন্যের সারল্য এখনো তার চেহারায়। খুব কি আলাদা সে আমাদের পাশের বাড়ীর ছেলেটির চেয়ে? যে বয়স অনেক বড় স্বপ্ন দেখার সময়, কেন তখন সে সন্ত্রাসবাদের কালো পথে পা বাড়ালো? আমেরিকায় পড়ালেখা করার সুযোগ সে পেয়েছিল, কাজেই বুদ্ধিহীন তাকে বলা যাবে না। সম্ভবত অর্থলোভেও নয়, বরং সে যা করতে চেয়েছিল তা তার ধর্মীয় আবেগের কারনেই। এই বয়সের ছেলেমেয়েরা আদর্শবাদী হয়। আদর্শের নামে এদের ফাঁদে ফেলা খুব সহজ। ধরে নিচ্ছি বাংলাদেশেই ছেলেটি কট্টোর ইসলামী আদর্শবাদে আক্রান্ত হয়। আমেরিকায় এসে সে পরিচিত হয় জিহাদী ভানধরা এফবিআই এজেন্টের সাথে। প্রশ্ন থাকে তার আদর্শবাদকে ধবংসাত্বক পর্যায়ে উস্কিয়ে দিতে এজেন্টটি কি কোন ভূমিকা পালন করেছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে সত্যিকার সন্ত্রাসী হামলা না করা সত্ত্বেও ছেলেটিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে?
আশা করছি ঘটনাটি বাংলাদেশে যথাযথ প্রচার পাবে, আমাদের তরুন-তরুনীরা ধর্মীয় উগ্রতার পরিনতি দেখে শিক্ষা নেবেন এবং আর কেউ এই সর্বনাশা পথে পা বাড়াবেন না।
@মনজুর মুরশেদ,
– কথা এখানেই। তবে তারূন্যের উচ্ছাস রোধ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে তরুনদের থেকেও তাদের নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব বেশী সমাজের। সমাজে যদি এমন সব এলিমেন্ট থাকে যা তাদের এই পথে যেতে উদ্ধুদ্ধ হয় তবে তারা যাবেই। কাজেই তরুনদের ওপর বেশী ভরসা না করে কি কারনে তারা এতটা আবেগ প্রবন হয় সেগুলি চিহ্নিত করে প্রতিরোধের ব্যাবস্থা করতে হবে।
কারনগুলি সনাক্ত করে প্রতিরোধের ব্যাবস্থা করতে না পারলে বাংলাদেশে এই ঘটনার প্রচারে দেখা যাবে উলটা ফলও হতে পারে, আরো কেউ এই পথে যোগ দিতে পারে। কারনগুলি আমাদের চোখের সামনেই আছে, আমরা শুধু ঊটপাখী নীতি অবলম্বন করে কিছুই জানি না এমন ভাব করি।
এই ঘটনায় এফবিআই ঠিক কিভাবে কোন পর্যায় থেকে ফাঁদ পেতেছে সেটা বলতে পারি না, তবে আগেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি যে ব্যাপারটা এমন হবার সম্ভাবনা কম যে এফবিআই এর লোকে নিরীহ মানুষের কাছে নিজ থেকে গিয়ে তার ব্রেন ওয়াশ করিয়ে এমন কাযে নামিয়ে তারপর ফাঁসিয়ে দেয়।
@আদিল মাহমুদ,
এক্ষেত্রে মা-বাবা, আত্নীয়-স্বজন, সমাজ ও সরকার সবাইকেই প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। শিশু-কিশোরদের পাঠ্যসূচীতে ধর্মীয় উগ্রতার কুফল এবং পরমত সহিষ্ণুতার গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা পুরোপুরি বাদ দেয়া না গেলেও এর পাঠ্যসূচীর আধুনিকায়ন করতে হবে, সেইসাথে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করতে হবে (দুঃখিত, চামড়া তুলে নেয়া মিছিলের দাবীদাওয়ার মত শোনাচ্ছে)………ফিরিস্তি আরো দীর্ঘ হতে পারে, বলাও সহজ, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? আজ সকালে প্রথম আলোয় এই রকমই কিছু মন্তব্য করলাম, ছাপালো না!! ওদিকে আবার তারা ঊটপাখী না হবার বিজ্ঞাপন দিতে দিতে পেরেশান……ভয় না ভন্ডামী??
@মনজুর মুরশেদ,
আসলেই বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধার লোক নেই। ধর্ম নিয়ে অবসেশন এমন চুড়ান্ত পর্যায়ে যে এসবের বিরুদ্ধে কথা বলে কেউ বিপদে পড়তে চায় না।
বেড়াল যেদিন বাঘে পরিনত হয়ে যাবে যাকে আর থামানোর উপায় থাকবে না সে পর্যন্তই মনে হয় আত্মপ্রতারনার খেলা চলতে থাকবে। একদিকে ইসলামে কোন ঘৃনাবাদ নাই, আক্রমনাত্মক জেহাদ বলে কিছু নাই…আরেক দিকে নিজেদের শিক্ষা সিলেবাসের ভেতর বিধর্মীদের ঘৃনা করার সরাসরি নির্দেশনা, জেহাদি হবার পবিত্র দায়িত্ব সম্পর্কে সবক প্রদান…
নাফিস জাতীয় আরো দুয়েকটা ঘটনা ঘটলে (ইতোমধ্যেই হয়ত মার্কিনীরা এসবের খবর পেয়েছে) তখন শ্যাম চাচা সরাসরি চাঁটিটা মারবে তখন খবর হবে।
@সাইফুল ইসলাম,
:)) হূনেন, রইসুদ্দি কদমা নাটকে বিয়াফক বিনোদিত হইলাম।
আকাম কুকাম যাই হোক, কত্তা হইলো, বৌ পিটানো চলবো না। বে আইনি। এখন এই যে মারা পিটা কিংবা মজা লুটা, এইগুলার বেনিফিট এনি পার্টি চাইতে পারে। বেনিফিট পাইতে লিগ্যাল সিস্টেমের ভিত্রে দিয়া যাইতে হইব। বিচার যে কেউ চাইতে পারে। যে কেউ যে কাউরে ফাসাইতেও পারে। ইয়েস, যে কেউ; রইসুদ্দি, ওর বৌ, কদমা, প্রতিবেশী, ছদ্মবেশী, এনিবডি। নির্ভর করে কার কি স্বার্থ তার উপ্রে। নালিশ, বিচার, ঘটনা ইত্যাদি সব কিছুর পিছে আছে টাকা, ক্ষমতার খেলা, চালাকি, শোঅফ ব্লা ব্লা ব্লা। কার গিটঠু কিয়ে বান্ধা খালি চোখে দেহা যায় না। ধরা খায় ব্লদা গুলা। যাউজ্ঞাঃ
নাফিস ছদ্মবেশীর সাথে কুতকুত খেল্লো ক্যান? অবস্থাদৃষ্টে দেখা যায় নাফিস মিয়াঁ জানতো না যে ও ভূয়া সন্ত্রাসী আদর্শবাদীর সহায়তা নিতাসে। ভূয়া বোমার মশল্লা নিয়া বোমা বানায়া ফাটানির বোতাম চিপ্পা দিসে। ব্লদা ধরা। অপরাধ ডান।
কে কারে কিয়ে ফাসাইলো? কার গিটঠু কিয়ে বান্ধা খালি চোখে দেহা যায় না। ধরা খায় ব্লদাগুলা :))
সাজানো ব্যপার? তা তো বটেই। তবে এইডা ‘প্রোএক্টিভ’, ঘটনা ঘটবার পর ‘রিএক্টিভ’, …… সরি টু লেট।
অনেকেই জানে না যে, আজ অনেক বাংলাদেশির গর্বে বুক ফুলে উঠছে। শেষ পর্যন্ত এক বাংলাদেশিও আমেরিকার মিডিয়াতে তার জিহাদি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সক্ষম হল? এ তো জাতীয় কৃতিত্ব? এত দিন পাকিস্তানের একচেটিয়া কারবার চলছিল, আজ বাংলাদেশ কিনা সেই মনোপলি বিজনেসের বারোটা বাজিয়ে দিল? এই লোকগুলি তারাই, যারা নাইন ইলেভেনের ঘটনায় উল্লাসে ফেটে পড়েছিল, অন্তত মনে মনে, প্রকাশ্যে সাহস না করলেও। মরবি যদি, বীরের বেশেই মর, শয়তান বধের মরণ যে হাজার রজনীর পুণ্যকেও হার মানায়!
সবচেয়ে ভীতিকর হল, এমন আরও অনেক নাফিস বড় হচ্ছে আমাদের চারপাশেই। এই নাফিসদের ভেতর সচেতনভাবে এমন ধারণা তৈরি করে দেয়া হয়েছে, আমেরিকা একটা শয়তান দেশ, যার একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে ইসলামকে ধ্বংস করা। সুতরাং, আমেরিকা বধই হল ঈমানদার মুসলিম হিসেবে নাফিসদের একমাত্র কাজ। ভাল করে লেখাপড়া শেখা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন, পরিবারের উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন, বৈশ্বিক উন্নয়ন- এগুলোর কোন স্থানই নেই নাফিসদের বইতে। একমাত্র লক্ষ্য আক্রান্ত ধর্মকে রক্ষা এবং ধর্মের দুষমনদের বিলীন করে দেয়া। আমাদের অনেক ধর্মীয় পণ্ডিত অহর্নিশি নাফিসদের কানে ঢালছেন এসব। সমবেত মুসল্লিগণ সৎ মানুষ হল কিনা, পরিবার ও দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করল কিনা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই ঐ ধর্মবেত্তাদের। তাদের একটাই টার্গেট- যে করেই যুদ্ধ ময়দানে নামাতে হবে নাফিসদের।
শুধু ধর্মবেত্তারা নয়, পিতৃদেবদেরও রয়েছে এই কৃতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভাগ (নাকি ভোগ?)। নাফিসদের সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার প্রথম পাঠ হয় পরিবারেই। অনেক ক্ষেত্রেই পিতা নিজের অজান্তেই বিষ-মন্ত্র ঢেলে দেন সন্তানের কর্ণকুহরে, যা আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে নাফিসদের, মরণ নেশায় এক সময় তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে সদর্পে, শয়তান উৎখাতের মহান জিহাদে!
আজকের পিতার কান্না দেখে মনে পড়ে গেল অনেক দিন আগে সচলে লেখা একটা গল্পের কথা। গল্পের বাবা এভাবেই কাঁদছিল নিজের সন্তানের মৌলবাদী কার্যে জড়ানোর সংবাদ পেয়ে। বাবা সবসময় ষড়যন্ত্র থিউরি কপচাতো, তার চিন্তা-ভাবনা ছিল মৌলবাদী ঘরানার। যখন সাংবাদিকেরা তাকে জানায় যে, তার ছেলে বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিল, তখন সে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, ‘আমার নীরিহ ছেলেরে ওরা ব্যবহার করতাছে’। যখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল, ‘ওরা কারা?’, তখন সে পাগলের মত প্রলাপ বকতে থাকে, ‘সব ষড়যন্ত্র! সব ষড়যন্ত্র!’ গল্পটির বিষয়বস্তু এত প্রাসঙ্গিক মনে হল যে, উল্লেখ না করে পারলাম না। অন্য কারো লেখা হলেও উল্লেখ করতাম।
যদি কারো কাছে নিজের গল্পের পাবলিসিটি প্রচেষ্টা মনে হয়ে থাকে, তাদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
রহমান ভাইকে বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ!
@কাজি মামুন,
-ভাবছিলাম আমিই এই ষড়যন্ত্রপ্রিয় বাংগালী জাতির কিছু কথা সময় করে লিখব। মুনতাসির মামুন রাজাকার চরিত বিশ্লেষন করতে গিয়ে লিখেছেন যে এদের কল্পমানস চুড়ান্তভাবে নানান ষড়যন্ত্র তত্ত্বে গিয়ে ঠেকে।
আমার মনে হয় এটা এখন শুধু আর রাজাকার বদর জাতীয় চরমপন্থী লোকের জন্যই নয়, ধীরে ধীরে পুরো জাতিকেই ষড়যন্ত্র ফোবিয়ায় ধরছে।
কেউই কাউকে ন্যূনতম বিশ্বাস করে না, সকলে সকলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পদ্মা ব্রীজের লোন নিয়ে ষড়যন্ত্র/পাল্টা ষড়যন্ত্র, কেউ খুন হলে সে খুনের তদন্ত নিয়ে ষড়যন্ত্র/পাল্টা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব, নির্বাচনের ফল নিয়ে ষড়যন্ত্র, আজ দেখি হল মার্ক কেলেংকারিতে ফেঁসে যাওয়া (আপাতত) এক মহিলা যিনি সরকারী দলের সাথে জড়িত তিনিও দলের ভেতর থেকেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন…
আমরা মনে হয় সবচেয়ে ষড়যন্ত্র প্রিয় জাতি হিসেবে গিনেস বুকে প্রথম স্থান দাবী অনায়াসেই করতে পারি।
@আদিল মাহমুদ,
” পুরো জাতিকেই ষড়যন্ত্র ফোবিয়ায় ধরছে”।
ষড়যন্ত্র জ্বরে কেউ কারো চেয়ে কম যায় না। বাংলাদেশে আওয়ামী পন্থী, বামপন্থীরা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে বুলি কপচানোয় ইসলামীদের চেয়ে কম যায় না। এই শুধু ড: ইউনুস আর বিশ্বব্যাংক নিয়ে গত দুই বছরে কম রংগ তো হয়নি। আর বিএনপি’র তো আছেই মূলমন্ত্র ভারত জুজু। দেশের লোকের কথাবার্তায় মনে হয় তারা মনে করে বিশ্বের ২১৮ টি দেশের মূল লক্ষ্যই হলো যেনোতেনো ভাবে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা।
দেশের লোকের এই ষড়যন্ত্র বিলাসের পর এই ধরনের কেস আসা কোন ই অস্বাভাবিক নয়। ষড়যন্ত্র বিলাস কেবল অলস সময় ক্ষেপন নয়। Words have consequences. দিনরাত ইংমার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মুন্ডুপাত করবো আর তার পরে কোনো একটা গাধা আসলেই বিশ্বাসকে একশনে পরিনত করতে গেলে ছি: ছি: করবো, সেটা হবে না।
@সফিক,
একই ধরনের অভিজ্ঞতা আমারও।
আজকের বিশ্বে প্রতিটি দেশের নিজস্ব স্ট্রাটেজি রয়েছে, অন্য দেশের কাছ থেকে কিভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করে নেয়া যায়, তার জন্য রয়েছে পরিকল্পনা। অনেক দেশ আবার নিজের দেশ বা জাতির স্বার্থে এতই একাট্রা বা মরিয়া যে, অন্য দেশ বা জাতির স্বার্থে আঘাত হানল কি হানল না, তা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথাই নেই। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোর সম্পদ ছলে-বলে-কৌশলে হাতড়ে নিতে তাদের জুড়িও নেই। আজকের পরাশক্তি আম্রিকা বা নব্যশক্তি ভারত যে অনেক ক্ষেত্রেই এমন মরিয়া স্বজাত্যপ্রেম বা স্বদেশপ্রেম দেখিয়ে যাচ্ছে, তাও মিথ্যা নয়।
তবে কথা হচ্ছা, দেশের অনেক মানুষ এমনটাই ভাবে যে, ভারত বা আম্রিকার আর কোন কাজ নেই, মনমোহন আর ওবামার একমাত্র লক্ষ্য হল, কিভাবে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যায়, বাংলাদেশের মানুষের ধর্মকে নষ্ট করা যায়, অহর্নিশি তারা পরিকল্পনা করে যাচ্ছে বাংলাদেশের তেল-গ্যাস হাতিয়ে নিতে।
ব্যাপার এমন হয়েছে, যেকোন ঘটনা জামাত-বিএনপি ঘরানার লোকের বিপক্ষে গেলেই সেখানে আম্রিকা-ভারতকে নিয়ে আসা হয়। যেমন, রামুর বৌদ্ধ মন্দির হামলা- সেতো ভারত করিয়েছে আওয়ামি লীগের অবস্থান শক্ত করার জন্য, সমুদ্র সীমা জয় তো ভারতের প্রভাবে হয়েছে যাতে তারা এর দখল নিতে পারে, একুশে আগস্টের বা ১৭ ই আগস্টের বোমা হামলা মৌলবাদীদের কাজ নয়, ভারত-আম্রিক-আলিগ ঘটাইছে বাংলাদেশকে বিশ্বে মৌলবাদীদের দেশ বানাতে যাতে করে পুতুল আ’লিগকে ক্ষমতায় বসাইতে পারে আর এই মুস্লিম জাতির ধর্ম ও সম্পদ দখলে নিতে পারে।
তাহলে ভাবুন, অবস্থা! আমাদের দেশের অনেক লোকের মনোজগত এভাবেই পরিচালিত হয়। এ নিয়েই অনেক দিন আগে সচলে একটা গল্প লিখেছিলাম, ষড়যন্ত্র! ষড়যন্ত্র! কিন্তু চতুর্দিকে আজ যখন সেই ষড়যন্ত্রেরই প্রতিধ্বনি দেখতে পাচ্ছি, তখন মনে হয়, এসব গল্প-ফল্প লেখা বৃথা। ষড়যন্ত্র থিউরি ছিল, আছে এবং চলতেই থাকবে! কেউ একে রুখতে পারবে না, মনে হয়।
@সফিক,
– ২১৮ না হলেও অন্তত আমেরিকা যে দিন রাত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সদা সর্বত্র নানান ষড়যন্ত্র পাকাতে ব্যাতি ব্যাস্ত আছে তাতে মনে হয় যে কোন রাজনৈতিক বিশ্বাস, ধর্মীয় বিশ্বাস সাপেক্ষে দেশের অধিকাংশ লোকেই মনেপ্রানে বিশ্বাস করে।
এক সময় ধারনা ছিল যে এই ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ধর্মীয় ভাবে গোঁড়া কিংবা আরেক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বামরাই কেবল বিশ্বাস করে। এখন দেখি সে ধারনা সম্পূর্ন ভুল। এমনকি কড়া নাস্তিক প্রকৃতির লোকে যে বামপন্থী নয় সেও এসবে বিশ্বাস করতে পারে।
ইলিয়াস আলী গুম প্রসংগে কিছুদিন আগে বাংলা ব্লগে দেখি চরম প্রগতিশীল নাস্তিক ব্লগারও অনেকটা বিশ্বাস করে যে আমেরিকাই ইলিয়াস আলীকে গুম করিয়েছে, জোরালো প্রমান হল গুমের ঘটনার পর হিলারীর বাংলাদেশ সফর। মানে গুম খুন পর্ব সূচারুভাবে হয়েছে কিনা সেটা সরেজমীনে তদন্ত করতেই হিলারী বাংলাদেশে এসেছিল। উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে নিজেদের তাবেদার সরকার ক্ষমতায় আনা। হাঁসবো না কাদবো ভেবে পাই না।।
@আদিল ভাই,
নীচে শফিক ভাইয়ের করা মন্তব্যের জবাবে লিখেছি, এ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের শেষ নেই। অন্তহীন চলতে থাকবে বাঙ্গালি জাতির মনোজগতে এর নিরাপদ আবাসন।
আজকে যারা নাফিসের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলছে, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক, তারা নাফিসের মতই বিশ্বাস করে না যে, আম্রিকা ইসলাম ধ্বংস করতেছে, তাই তারে বোমা মাইরা উড়ায় দেওন উচিত, বা নাইন ইলেভেনের ঘটনা ঘটাইয়া লাদেন ঠিক কামডাই করছে।
সত্যি বলতে কি, নাফিসের ঘটনাকে আমি মোটেও অবিশ্বাস করি না। এমনটা ঘটা খুবই স্বাভাবিক এবং সামনে আরও ঘটবে। কারণ নাফিসের মানসিকতার অসংখ্য তরুনকে চোখের সামনেই বড় হতে দেখছি, তাদের জীবনে আর কোন লক্ষ্য নেই শয়তান খতম ছাড়া, আর কোন যন্ত্রনা নেই শয়তানের হাতে ধর্মের অপমান ছাড়া। ব্যক্তিগত উন্নয়ন, পরিবার, দেশ বা সমাজ তাদের কাছে একটা মায়া মাত্র। এর বাধন টুটে যাবার জন্য তার দিনরাত মন্ত্র পড়ে যাচ্ছে। সফল হলেই, জিহাদের প্লেনে চড়ার প্রতিক্ষা!
সবচেয়ে দুঃখজনক হল, এই নাফিসদের তৈরি করছে আমাদের ধর্মনেতারা, পিতারা! কোমলমতি শিশুর অন্তরলোকে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বিষবাষ্প! যা পরে প্রবলবেগে বিস্ফোরিত হচ্ছে, কাঁদাচ্ছে এমনকি সেই অদূরদর্শী পিতাকে, চির মমতাময়ী মা-বোনকে, বন্ধুকে, দেশকে!
আমরা কবে যে এই ষড়যন্ত্র তত্ব থেকে বেরুতে পারব, ভাবতে শিখব ব্যক্তি-পরিবার-দেশ-সমাজের উন্নয়ন নিয়ে! এক মিথ্যে মরিচিকার পেছনে আমরা আর কতদিন ছুটব?
@কাজি মামুন,
অথচ এই পিতাই কিছু যাচাই বাছাই না করে পুত্রকে শিখিয়েছে অন্ধ বিশ্বাসনির্ভর ধর্ম। তার তো কান্না শোভা পায় না। এমন পিতার তো পুত্রের জন্য বুক ফুলিয়ে গর্ব করা উচিৎ।
শিশু নির্যাতনকারী মা বাবারা কবে ভালো হবে?
বিষয়টা গুরুতর তবে বিশেষ ব্যখ্যার দাবী রাখে।মা বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকাতে পাঠিয়েছে তার ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা নিতে। সেখানে গিয়ে সে মারাত্মক রকম সন্ত্রাসী কাজে জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টা মোটেও কাকতালীয় নয়। সে দেশে থাকতেই জিহাদী হয়ে গেছে। এমনও হতে পারে দেশে জিহাদী বন্ধু বান্ধবদের সাথে মেলা মেশা করত বলেই তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। যাহোক , বিষয়টা দুই ভাবে দেখা যেতে পারে।
এক. একজন সভ্য মানুষ হিসেবে এত অল্প বয়েসে এ ধরনের কাজে লিপ্ত হয়ে সে মারাত্মক অপরাধ করেছে। মানবতার শত্রু হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।
দুই. একজন সাচ্চা মুসলমান হিসেবে তার কার্যক্রম যথাযথ কি না।
এ ক্ষেত্রে আদিল মাহমুদের ধর্ম শিক্ষার নামে সাম্প্রদায়ীকতা সরল পাঠ বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। আমি আশা করি পাঠক বর্গ এ দ্বিতীয় পয়েন্টে আলোচনা করবেন যে ছেলেটি ইসলামি বিধি অনুযায়ী ঠিক কাজ করেছে কি না।
@ভবঘুরে,
আমারো মনে হয় না যে তার আমেরিকায় এসেই মাত্র ক’মাসে এতটা পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল বলে (যদি আসলেই ঘটনা এমনই হয়)। খুব সম্ভবত দেশেই হাতেখড়ি হয়েছিল, হয়ত পরিবার টেরও পায়নি (তাদের প্রতিক্রিয়ায় তেমনই মনে হচ্ছে)।
নিজেই দেখেছি কানাডাতেই পারিবার টেরও পায়নি কখন তাদের প্রিয় নিরীহ ছেলেটি সত্যের সেনানীদের পাল্লায় পড়ে চরমপন্থী দলে ভিড়ে গেছে, সরলমনা বাবা মা খুশী ছেলে তাদের পরকালের কাজে মন দিয়েছে, মসজিদ ছাড়া এক মুহুর্ত ঘরে টিকতে পারে না। সেই বাবা মাকে কিছুদিন পর দেখেছি আফসোস করে চোখের পানি ফেলতে কোন কুক্ষনে তারা ছেলেকে মসজিদের পথ চিনিয়েছিলেন বলে। এই ঘটনার ছেলেটির জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে নয়, কানাডায়। তারপরেও সে রেহাই পায়নি, জীবনই হয়ে গেছে পুরো অন্যরকম, বহু কষ্টে পুলিশী ঝামেলা থেকে রেহাই পেলেও ক্যারিয়ার বলতে আর কিছুই নেই। আমেরিকা হলে অবশ্য সেটাও হত না, নির্ঘাত ক’বছর হাজতে কাটাতে হত।
এসব ঘটনায় মিডিয়ায় যেটা ঘটবে;
প্রথমে আলোচনা হবে ইসলামী জেহাদের দোহাই দিয়ে এ কাজ হচ্ছিল…তবে এটা চরমপন্থী দলের কাজ যা মূলধারার ইসলাম বা মুসলমান সমাজ অনুমোদন দেয় না।
কয়েকজন আধুনিক আলেম নিয়ে আসা হবে যারা দৃঢ়ভাবে এসব কাজের নিন্দা জানাবেন, ইসলামের সাথে এসবের কোন সম্পর্ক নেই তা জোর গলায় প্রচার করবেন। সাথে ইনসেটে বোল্ড করে কোরানের নমনীয় দুয়েকটি আয়াত হাদিস দেখানো হবে (৯১১ এর পর এমনই হয়েছে)…কিছু কূটিল মনের লোক মিডিয়ায় শোরগোল তোলার কিছু চেষ্টা করবে তবে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস নীতিই জয়ী হবে।
@ভবঘুরে,
উত্তম প্রশ্ন এবং যথোপযুক্ত।
আজকে টিভি তে মতি মিয়াঁ আর আরেক কোন মিয়াঁ তাদের টক শো তে বলেছে “ইহা সহি এছলাম নহে”। সহি এছলামে সন্ত্রাস নাই। বোঝেন এইবার :))
ধর্মের জন্য মানুষের পশু হয়ে যাবার আরেকটি দৃষ্টান্ত। দু:খজনক। মানুষ ধর্ম ও ইশ্বরের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হোক।
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
(C)
আজ সকালে ৭:৩০ বিবিসি বাংলা সংবাদে খবরটা সর্ব প্রথম শুনলাম। বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করছিল। আপনি সাথে সাথে এটা দিয়ে ভাল কাজ করেছেন।
অন্যদের সংগে এবার আমরা বংগালীরাও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা ভুক্ত হয়ে গেলাম।
তবে আমার বিশ্বাষ আগামী কাল শুক্রবার জুমার নামাজে বিশ্বের সমগ্র
মসজিদে তার নিরাপত্তা ও মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা হইবে এবং জুমাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা তার মুক্তির দাবীতে মিছিল বের করতে পারে এবং আমেরিকার দূতাবাস গুলীর উপর আক্রমন ও চালাতে পারে, কারণ সে যা করতে চেয়েছিল তাতো ইসলাম এর নির্দেশেই ইসলামের স্বার্থেই করতে চেয়েছিল।
আমার মনে হয় অতি শীঘ্র আমরা দেখতে পাব ইসলাম বা মুসলমানদের নাম শুনা মাত্র মুসলিম অমুসলিম সবাই ইসলাম কে চরম ঘৃনার চোখে দেখতেছে।
ধন্যবাদ কাজী সাহেব
@আঃ হাকিম চাকলাদার, অলরেডি ইন্টারনেটের কল্যানে বেশ কিছু অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে,বিভিন্ন ব্লগ গুলোতে বেশ অনেকেই জোরগলায় বলছে এফবিআইয়ের পাতা ফাঁদে অনেকটা ট্র্যাপড হয়েই নাকি এইরকম একটা ঘটনায় জড়িয়ে গেছে নাফিস,অনেকের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখছি যে এটা নাকি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটা আমেরিকান ষড়যন্ত্র।এসব দেখে শুনে একটা কথাই বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল —
আমরা সবখানে সবার ষড়যন্ত্র খুজে পাই কিন্তু নিজেদের দোষটা দেখিনা,স্বীকার করতে পারিনা হয়তোবা চাইও না।আজকে নাফিসের পক্ষে অন্তর্জালে লিখা হচ্ছে,কাল হয়তো মিলাদ আর মিছিল হবে।আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের মানসিকতার মেরুকরনটাও বড় অদ্ভুত,এদের একটা বড় অংশের কাছেই কেউ মুসলিম হলেই তার সাত খুন মাফ হয়ে যায়।
দেশের একটা বিশাল অংশ অর্থ আসে বিদেশি রেমিট্যান্স থেকে।এইরকম ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যে অনেকের ঘরের ডাল ভাতের যোগান বন্ধ করে দিবে তা এই কাঠমোল্লা জাতিটাকে বোঝাবে কে??
@নিয়নের আলো,
আমি এই জাতিরই একটা অংশ যার জন্য কথাটা গায়ে লাগল। আপনি ঠিক কোন যুক্তির বসে পুরা জাতিরে কাঠমোল্লা কইলেন এইটা ভাই আমারে একটু বুঝাইতে হইব, নইলে কিন্তু ভাই আমি ছাড়ুম না। আপনি আম্রিকান নিয়নের আলো জ্ঞ্যানের ধাক্কায় অনেক কালো দূর করতে পারেন, অন্যরা না করলেই কাঠমোল্লা হইয়া গেলো? তারউপ্রে পুরা বাঙালি জাতিরে ট্যাগাইয়া দিলেন? এইডার যথাযথ উত্তর চাইতাছি।
@সাইফুল ইসলাম, কথাটাকে কিছুটা ভুলভাবে নিয়েছেন অথবা আমি যে কাঠমোল্লা জাতির কথা বলেছি আমি নিজেও তার অংশ এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ রাখিনা।তবে ভাববেন না যে এই নিয়ে খুব ভালো আছি অথবা গর্ববোধ করি।
কাঠমোল্লা জাতির কয়টা উদাহরন চান আপনি?যে দেশে সামান্য একটা ফেসবুকের ছবি থেকে রামুর মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হতে পারে আবার সে ঘটনায় আসামি হওয়া ছাড়াই রিমান্ডের(উত্তমের মা ও বোন) আবেদন মঞ্জুর হয়ে যেতে পারে ,তাকে আপনি কি বলবেন,কতটুকু সাম্প্রদায়িক হলে এমন করা যায়??কে কোনখানে কি মুভি বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করল,আর সেখানে পুরো ইউটিউবই বন্ধ করে রাখা হল দিনের পর দিন–এসব কি শুধুই প্রতিবাদ নাকি রাষ্ট্র নামক যন্ত্রের সাম্প্রদিয়ক শক্তির কাছে হার একটু ভেবে বলবেন কি??আমাদের স্বাদের দেশটা ধীরে ধীরে হলেও কাঠমোল্লা আর সাম্প্রদায়িক আচরণের কাছে মাথানত করছে এই সত্য মানতে কষ্ট হলেও মিথ্যে নয়।
তবে পুরো জাতির সবাই কাঠমোল্লা এমনটা যে মিন করিনি তা বোধহয় বলতে হবেনা।তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আপনার যদি কিছুতে লেগে থাকে ক্ষমাপ্রার্থী।
@নিয়নের আলো,
আচ্ছা আপনার দেওয়া উদাহরন থিকেই বলি,
এই ঘটনার আগে পিছের কাহিনী কি একটু তলাইয়া দেখবেন? কয়েকদিন আগে ডেইলিস্টারের তদন্ত রিপোর্টটা কি পড়ছেন? দেখছেন যে এইটা একটা নির্দিষ্ট দলের কেরামতি ছিল?
আচ্ছা আমি আপনাকে একটা উদাহরন দেই। কিছুদিন আগে এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রক্টর আর ছাত্রলিগ মিল্লা যে একটা চ্রম শিক্ষা দিছে এই খবর দেখছেন? ঠিক তার পরের দিনই যে যেই নয়জন পিটনা খাইছে ঐ নয় জনরেই বহিস্কার করছে এইটা শুনছেন?
একটু কেমন কেমন না? রামুতে ধরলে যদি ইসলামিক সাম্প্রদায়িকতা হয় তাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঘটনাডা কী? এইখানে কোন সাম্প্রদায়িকতা?
এই ক্ষেত্রেও একটা উদাহরন দেই। ঐ যে বিখ্যাত মোহাম্মদ বিড়ালের কাহিনী মনে আছে? দৈনিক প্যাহেলে রৌশ্নি পত্রিকার ট্যাবলয়েড আলপিনে যে আসছিল? ঐ ঘটনার সাথে এই ঘটনার কী মিল লক্ষ করছেন? সরকার প্রথম আলো যে সব আল্লার বান্দাগোর কাছে মাফ টাফ চাইয়া আসল?
তার বেশ কয়েকমাস আগেই ছাত্র শিবির প্রচারিত মাসিক পত্রিকা “কিশোর কন্ঠ”-এ একই কৌতুক প্রকাশিত হইছিল। তখন কিন্তু বিচি ছাড়া খেজুড়গুলা চিল্লাইয়া ওঠে নাই? কেন ওঠে নাই? আচ্ছা হুজুরগুলার কথা বাদ দিলাম। আমরা সরকারের কথাই কই। সরকার আর বদলে যাও, বদলে দাও এর দাউ দাউ করা স্লোগান দেওয়া আলু পত্রিকাই কেন হুজুরকূলের কাছে মাফ চাইল?
কাস্টোমার আর ভোট ব্যাংক, কথা দুইটার সাথে পরিচিত আপনি? এরা সজ্ঞ্যানে একটা ভোট/কাস্টোমারও ছাড়তে রাজি না।
সবকিছু বাদ দিয়াও যদি আপনার কথা মাইন্যাই নেই যে আমরা বাঙালিরা নাকি কাঠমোল্লা জাতি তাইতেও একটা সিরিকাস প্রশ্ন আমার মনে জাগে। আপনি জাতি বলতে আসলে কারে বুঝাইতেছেন? আম্লিগ? বিএনপি? জামায়াত? কাগোরে? কারন এগোর ছাড়াতো আর কেউই আগের কামগুলার সাথে জড়িত না। তাইলে এই কাঠমোল্লা জাতি কারা? ঝাতি জানতে চায়!!
@সাইফুল ইসলাম, আওয়ামি লীগ,বিএনপি আর জামায়েত তো ভাই এলিয়েন নিয়ে ঘটিত না।আপনি বলছেন এইসব সাম্প্রদায়িক কাজ না করলে তাদের ভোটব্যাংক থাকবেনা।আরে ভাই আমিতো এই কথাটাই বলতে চাচ্ছি।যাদের মন রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক দলের এমনকি সরকারকেও এইসব সাম্প্রদায়িক আচরন করতে হচ্ছে তাদের কে কাঠমোল্লা বললে বেশি বলা হবে বলে মনে করছিনা।
আপনার এবারকার কথা গুলো কনট্রাডিকটরি পেলাম।
ভাল থাকবেন।
@সাইফুল ইসলাম,
জাতি বলতে শুধু আম্লিগ, বিএনপি বা জামাত-জাপা-বামফ্রন্ট বুঝায় না, এটা সঠিক, তবে এও তো সত্য যে, জাতির একটি বৃহদাংশই এদলগুলোর সমর্থক, এছাড়া যে একটি বড় সংখ্যক নিরেপেক্ষ মানুষ রয়েছেন, তারাও এ দল বা জোটগুলোকে পালা করে সমর্থন জানায় নির্বাচনের মাধ্যমে।
সাইফুল ভাই, আমি পুরো বাংলাদেশ জরিপ করিনি। তবে আধুনিক র্যান্ডম স্যামপ্লিংয়ের ভিত্তিতেই তো বেশিরভাগ জরিপ কর্ম সমাধা হয়। সেই আলোকে আমার মাইক্রো অভিজ্ঞতাও জাতির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হল, বাংলাদেশে দিন দিন ধর্মান্ধতা বা মৌলবাদী মানসিকতার মানুষ বা তরুন বাড়ছে। আমি একজন ক্ষুদ্র পরিসরের মানুষ। তবু আমার চারপাশে যে কয়টি বলয় (বন্ধুদের বলয়, সহকর্মীদের বলয়, পরিজনের বলয়, প্রতিবেশিদের বলয় ইত্যাদি) দেখতে পাই, সেখানে প্রায় আশি শতাংশ মানুষই এ ঘরানার। আজ নাফিস সাহস করে তার লালিত বিশ্বাসকে বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে এসেছে, অন্যদের সেই সাহস নেই। এই যা পার্থক্য। তবে আমার বলয়গুলোর আশি শতাংশ মানুষের চিন্তা-চেতনা নাফিসের থেকে পৃথক নয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কোন সন্দেহ নাই 🙂
খবর দেখেছি, তবে অনেকে যেভাবে আশংকা করছেন যে বাংগালী কমিউনিটি ভয়াবহ অপদস্থ হল, কেউ কেউ দাবী করছেন যে ইউরোপ আমেরিকায় নাকি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রতি ঢিঢি পড়ে গেছে এসব অতিরঞ্জন বলেই মনে হয়। পাকিস্তানীদের তুলনায় বাংলাদেশীর এ ক্ষেত্রে অবদান এখনো শূন্যের কোঠায় বলা যায়, সে পাকিস্তানীরাও বদনাম সত্ত্বেও তার মাত্রা এমন নয় যে আমেরিকায় পাকিস্তানী শুনলেই লোকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় বা গালি দেয়। মোদ্দা কথা, পর পর এমন কয়েকটি কেস না হলে সেভাবে বাংলাদেশী বলে বিশেষ প্রোফাইলিং শুরু করবে না।
তবে ঘটনা নিঃসন্দেহে গুরুতর,এবং লজ্জাজনক, কিন্তু আমার কাছে অন্তত মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়, আমার সাম্প্রতিক সিরিজ পড়লে হয়ত বুঝতে পারবেন কেন মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। কিছুদিন আগে নিজের দেশের সেনাবাহিনীর ভেতর ক্যু করার চেষ্টা হয়েছিল যাদের পরিচয় সরকারী প্রেসনোটে এসেছে “সেনাবাহিনীর ধর্মান্ধ অংশ”। এসব অপ্রত্যাশিত বা অবাক হবার মত কি আছে? ছোটবেলা থেকেই মাথার ভেতর আমরাই শ্রেষ্ঠ অপরে নিকৃষ্ট, ইসলামী সমাজ কায়েম করা বাদে মুক্তি নেই, বিশ্ব মুসলিম উম্মার পেছনে অষ্টপ্রহর অপর ধর্মের লোকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নেতৃত্বে শত্রুতা করে চলেছে এসব ঢোকালে ফলাফল কি পাওয়া যেতে পারে? প্রতি মিলিয়নেও ৫ জন করেও এসবে প্রভাবিত হলে ফলাফল হবে মারাত্মক। কার্যক্ষেত্রে তাই হচ্ছে, সামনে দেশে বিদেশে আরো খারাবির জোর আশংকা আছে। এক পর্যায়ে মূল্য দিতে হবে আমাদের সবাইকেই।
‘ধর্মান্ধ অংশ’ গঠন করার দায়িত্ব যে খোদ রাষ্ট্রই নিয়েছে কেন সে প্রশ্ন কে জিজ্ঞাসা করবে?
আশা করি যে অতি বিরল হলেও এফবিআই অন্তত এ ক্ষেত্রে ভুল করেছে। যদিও এদের কার্যপদ্ধুতি খুব ভাল করেই জানি, এরা কেস একেবারে নিশ্চিত না হলে আমাদের ‘জজ মিয়া’ কায়দায় কারো বিরুদ্ধে বেহুদা কেস দেয় না। ছেলের পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় আরো খারাপ লেগেছে, বেচারা একেবারেই আক্ষরিক অর্থে আকাশ থেকে পড়েছে, বিশ্বাসই করতে পারছে না। দেখা যাক তদন্তের আর কি নুতন তথ্য জানা যায়। সকলে দোয়া করি ঘটনা সত্য নয়, কোন না কোন ভূল হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
একেবারে মৌলিক প্রশ্ন। আর অন্ধভক্তি নিয়ে মা বাবারা এই মগজ ধোলাই দিচ্ছে আপন সন্তানদের। দায়ভার ঘর থেকে শুরু। কি অন্ধকারে শুরু একটি নির্মল শিশুর জীবন। দিনে দিনে এর তীব্রতা বাড়ছে। অন্ধ মা বাবারা তাদের সন্তানদের এখনো দেখিয়ে চলেছে যে অন্ধত্বেই আলো। এসবের পরেও আমি কিন্তু আশাবাদী; নতুনদের অনেকে কিন্তু ঠিকই এই সব ধাপ্পাবাজী ধরে ফেলবে।
খবরটা মারাত্মক,সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল দেশে থেকে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে এটা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়,বাংলাদেশের একটা ভাল পরিমাণ যুবকদের মনে এইসব জঙ্গি মনোভাব এখন বেশ সাধারন।
এইরকম অনেক নাফিসকে আমি আমার চারপাশে দেখেছি ,সুযোগের অভাবে যারা পুরোপুরি ভাবে জঙ্গি আর এইরকম হামলার সাথে জড়িত হতে পারছেনা।প্রশ্ন হল,এদের এইরকম শিক্ষার উৎস খোঁজা বেশ ভাবনার খোরাক দেয়,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে পেলেরাও সাধারন কিছু ম্যাগাজিন আর আর্টিকেল পড়ে কিভাবে এইসবের প্রতি ঝুঁকে যায় তা দেখে আমার অবাক লাগে।
দেশের অভ্যন্তরে এইসব টুকটাক ঘটনাকে আরও গুরুত্ব না দিলে এইসব জিহাদি জোশ আরও অল্প কিছুদিনের মধ্যে অনেক দেখা যাবে এই ব্যাপারটা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়।
@নিয়নের আলো,
ইতিমধ্যে নিজ মা বাবার মাধ্যমে মগজ ধোলাই হওয়া তরুণদের তরুণীদের আদর করে দলে টেনেছে মৌলবাদীরা । দলে ভেড়া ওই সব ছেলে মেয়েরা কেউ কেউ তো জিহাদি জোশ নিয়ে একশনের স্বপ্ন দেখবেই। আর বিশেষ করে ওদের স্বপ্ন যখন দেখায় রাষ্ট্র আর মৌলবাদী দলগুলো। আমার ধারনা সবচে আগে নিজের ঘর সামলানো উচিৎ।
@নিয়নের আলো, দাদারা, সীমান্তের অপর পাশে বসে বাঙলাদেশে কেবল গিজগিজ করা জঙ্গীই দেখা যায়। নিজেদেরে দিকে একটু তাকান। বিএসএফকে সামলান।