এ পর্বে আলোচনা করা হবে কে বেশী জ্ঞানী ও শক্তিশালী- মোহাম্মদ নাকি আল্লাহ? প্রকৃতই আল্লাহই বা কে? এবার দেখা যাক নীচের হাদিসটি-
আল বারা বর্ণিত- এ আয়াত নাজিল হলো- “যারা অলস ভাবে বসে থাকে তাদের মর্যাদা যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে তাদের সমান নয় (৪:৯৫)” নবী বললেন, “ যায়েদকে ডাক আর তাকে কালি ও হাড় আনতে বল”। অত:পর তিনি বললেন-“ লেখ ‘যারা অলসভাবে বসে থাকে—–” এবং তখন আমর বিন মাখতুম নামের এক অন্ধ লোক নবীর পিছনে বসে ছিল, সে বলল- “ হে আল্লাহর রসুল! আমার জন্য আপনার হুকুম কি রকম , আমি তো অন্ধ?” সুতরাং উক্ত আয়াতের পরিবর্তে নিচের আয়াত নাজিল হলো:
‘ যারা অক্ষম তারা বাদে যারা ঘরে বসে থাকে তাদের মর্যাদা যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে তাদের সমান নয়(৪:৯৫)’ সহি বোখারি, বই-৬১, হাদিস-৫১২
দেখা যাচ্ছে মুহুর্তের মধ্যে কোরানের আয়াত পাল্টিয়ে ফেলছেন মোহাম্মদ। কোরান যদি আল্লাহর তত্ত্বাবধানে থাকে আর আল্লাহ যদি সর্বজ্ঞানী হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে নিশ্চয়ই সে জিব্রাইলের মাধ্যমে ভূল বা অসম্পূর্ন আয়াত পাঠাতো না।অথচ প্রথমে যে আয়াত নাজিল হয়েছিল তা ছিল ভূল, অন্তত: নিদেন পক্ষে অসম্পূর্ন আয়াত। আর এর অর্থ কোরানের আল্লাহ সর্বজ্ঞানী নয়। আর মোহাম্মদ সাথে সাথেই অসম্পূর্ন আয়াতকে সম্পূর্ন করে তা যায়েদকে লিখে রাখতে বললেন।এতে কি বোঝা যায় না যে মোহাম্মদ আল্লাহর চাইতেও বেশী জ্ঞানী? এবং মূলত: তিনি নিজেই আয়াত বানিয়ে তার সাহাবীদেরকে লিখতে বলেন? অন্য কথায় তিনি নিজে যা বলেছেন সেটাই আসলে কোরানের আয়াত তথা কোরান ?
এছাড়া দেখা যায় কোরানের অনেক আয়াত মোহাম্মদ এমনকি তার সাহাবিদের ইচ্ছার কারনে নাজিল হয়েছে।কোরানের বানীতে বার বার একটা আয়াত দেখা যায় তা হলো তিনি শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী মাত্র, যেমন –
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।সূরা-আল- আরাফ-৭:১৮৮ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? আপনার কাজ তো ভয় প্রদর্শন করাই এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যে পথপ্রদর্শক হয়েছে। সূরা রাদ ১৩:৭ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
আর সম্ভবতঃ ঐসব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট পাঠানো হয়, তার কিছু অংশ বর্জন করবে? এবং এতে মন ছোট করে বসবে? তাদের এ কথায় যে, তাঁর উপর কোন ধন-ভান্ডার কেন অবতীর্ণ হয়নি? অথবা তাঁর সাথে কোন ফেরেশতা আসেনি কেন? তুমিতো শুধু সতর্ককারী মাত্র; আর সব কিছুরই দায়িত্বভার তো আল্লাহই নিয়েছেন।সূরা হুদ-১১:১২ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
আমি আপনাকে সুসংবাদ ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করেছি।সূরা ফুরকান-২৫:৫৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
এবং যেন আমি কোরআন পাঠ করে শোনাই। পর যে ব্যক্তি সৎপথে চলে, সে নিজের কল্যাণার্থেই সৎপথে চলে এবং কেউ পথভ্রষ্ট হলে আপনি বলে দিন, আমি তো কেবল একজন ভীতি প্রদর্শনকারী। সূরা নমল-২৭:৯২(মক্কায় অবতীর্ণ)
তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।সূরা আল আন কাবুত- ২৯:৫০ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।সূরা ছোয়াদ- ৩৮:৬৫(মক্কায় অবতীর্ণ)
বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।সূরা আল মুলক- ৬৭:২৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।সূরা আন নাজিযাত-৭৯:৪৫(মক্কায় অবতীর্ণ)
বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।সূরা হাজ্জ-২২:৪৯ (মদিনায় অবতীর্ণ)
উক্ত আয়াতগুলোতে দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদকে শুধুমাত্র একজন সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করা হয়েছে আর খেয়াল করতে হবে মাত্র একটি বাদে বাকি ৯ টি আয়াতই নাজিল হয়েছে মক্কাতে যখন মোহাম্মদ ছিলেন খুবই দুর্বল আর তার অনুসারী ছিল হাতে গোনা কয়জন মাত্র। কিন্তু মদিনায় গিয়ে যখন মোহাম্মদ শক্তিশালী হলেন, একটা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন তখন তিনি সতর্ককারীর ভূমিকা থেকে আক্রমনকারী ও জোর করে ইসলাম প্রচারকারীতে পরিণত হলেন। এর রহস্য কি ? এর একটাই রহস্য তা হলো – তিনি তার কথিত আল্লাহর চেয়ে বেশী জ্ঞানী ও শক্তিশালী, মক্কায় থাকার সময় তাঁর আল্লাহ তাঁকে যেসব বানী দিয়েছিল তা মক্কায় কোন কাজে লাগেনি। দীর্ঘ ১০ বছর তিনি সতর্কীকরনের বানী নিয়ে মক্কার দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন কোন কাজ হয় নি, উল্টো জুটেছে লাঞ্ছনা, অপমান আর গঞ্জনা। লোকজন তার কথায় সতর্ক হয়ে তাঁর ইসলাম গ্রহণ করে নি। সুতরাং বোঝা গেল যে সতর্ককারীর ভূমিকা ছেড়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করতে হবে।সে ভূমিকাটা হলো ছলে বলে কলে কৌশলে শক্তি অর্জন করতে হবে, বাহিনী গঠন করতে হবে, তারপরে মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়তে হবে জিহাদী জঙ্গী জোশে।মদিনায় গিয়ে মোহাম্মদ ঠিক সে কাজটাই করেন আর ফলাফল আশাতীত। যে মোহাম্মদ ১০ বছর ধরে মক্কাতে তাঁর সতর্কবানী প্রচার করে মাত্র ৬০/৭০ জনও অনুসারী তৈরী করতে পারেন নি , সেই মোহাম্মদ মদিনায় যাওয়ার ১০ বছর পর ১০,০০০ অনুসারী নিয়ে মক্কা দখল করেন।তার অর্থ আল্লাহর পাঠানো সতর্কবানী ছিল ত্রুটিপূর্ণ বা ভুল পদ্ধতি বা শিক্ষা। কিন্তু মহাজ্ঞানী আল্লাহর শিক্ষা পদ্ধতি তো ত্রুটিপূর্ণ বা ভুল হতে পারে না। যদি ভুল হয়, তাহলে সে সর্বজ্ঞানী আল্লাহ নয়।
জোর জবরদস্তি ছাড়াও যে ধর্ম প্রচারিত হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমরা দেখি খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মে। যদিও দুটি ধর্মই ব্যপকভাবে প্রসার পায় যখন ধর্ম দুটি রাজ শক্তির সমর্থন পায়। তারপরেও এ দুটো ধর্মের প্রবর্তকগন যীশু ও গৌতম বুদ্ধ দুজনই জোর জবর দস্তি ছাড়াই তাদের ধর্ম প্রচার করে গেছেন এবং পরবর্তীতে সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ এর অনুসারী হয়।একমাত্র ব্যতিক্রম মোহাম্মদের ইসলাম, তিনি তাঁর ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক দিকে নিজেকে একজন স্রেফ সতর্ককারী হিসাবে দাবী করে পরে জোর জবরদস্তির পন্থা বেছে নেন যা সম্পূর্ণ সতর্কবার্তা প্রচারের বিপরীত এবং তাঁর নিজের তৈরী আল্লাহর বানীকে অস্বীকার করেন। তবে সেটা অস্বীকার করতে যেয়ে আবার আল্লাহর বানীকেই বেছে নিয়েছেন, যেমন- সূরা আত তাওবার জিহাদী আয়াত সমূহ (৯:৫,৯:২৯) আর এটা করে মোহাম্মদ তাঁর আল্লাহর অস্তিত্বকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে প্রকারান্তরে নিজেই আল্লাহর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন।মোহাম্মদের আল্লাহ যদি সর্বজ্ঞ শক্তিমান কোন ঈশ্বর হয়ে থাকে, তার তো জানার কথা যে আরব দেশে সতর্কবানীর মত বার্তা দিয়ে কোন লাভ হবে না, সেখানে দরকার জোর জবরদস্তি, জিহাদি পদ্ধতি। এছাড়া একজন সতর্ককারী কখনো নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার দ্বারা আল্লাহর বানী কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে যেখানে সর্বজ্ঞ আল্লাহ নিজ থেকেই সব জানে কোন বানী কখন কোথায় কার জন্য প্রযোজ্য হবে ও দরকার হবে ? কিন্তু দেখা যায়, মোহাম্মদ এমন কি তার সাহাবীরা পর্যন্ত আল্লাহর বানীকে প্রভাবিত করেছে, অর্থাৎ মোহাম্মদ বা তার সাহাবিরা একটা আয়াত চাওয়ামাত্র তা সাথে সাথে নাজিল হয়ে যাচ্ছে, যেমন-
বারা বিন আযিব বর্ণিত- আল্লাহর রসূল বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল বা সতের মাস নামায পড়লেন কিন্তু তিনি কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামায পড়তে ইচ্ছা পোষণ করতেন, তাই আল্লাহ নাজিল করলেন এ আয়াত – নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। (২:১৪৪) । সহি বুখারি, বই-৮, হাদিস-৩৯২
অতএব নিচের আয়াত নাজিল হয়ে গেল-
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।সূরা আল বারাকা-২:১৪৪
অর্থাৎ কাবা ঘরকে কিবলা বানান যে সঠিক ও আদর্শ বিধান তা আল্লাহ জানত না, আল্লাহ নিজেই জানত না কোন্ দিকে কিবলা করে নামাজ পড়া উত্তম, জানতে পারল তখন, যখন মোহাম্মদ বার বার আকাশের দিকে তাকাতে লাগলেন। আর জানার সাথে সাথেই ওহী নাজিল হয়ে গেল।এ থেকে কি আবারও প্রমানিত হয় না যে মোহাম্মদ হলেন তাঁর আল্লাহর চেয়ে বেশী জ্ঞানী ?
কেন কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে এ প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যায় তা হলো – কাবা ঘর আল্লাহর নির্দেশে তৈরী দুনিয়াতে প্রথম ঘর যা আদম কর্তৃক তৈরী হয়েছিল পরে ইব্রাহীম কর্তৃক পূন: নির্মিত হয়।তো তাই যদি হয় মোহাম্মদকে তাঁর আল্লাহ যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম দিল তখন কেন বলে দিল না যে কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে ? মোহাম্মদ তাঁর মক্কা জীবনের শেষে তাঁর কথিত মিরাজ ভ্রমনের সময় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করেন আর তখন তাঁকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম দেয়।আর কাবা ঘরকে কিবলা বানানর আদেশ হয় এরও কম পক্ষে দেড় বছর পর মদিনাতে।শুধু মোহাম্মদ নয় , তার সাহাবীদের ইচ্ছাতেও ওহী নাজিল হতো, যেমন-
আয়শা বর্ণিত- নবীর স্ত্রীরা প্রাকৃতিক কাজে সাড়া দিতে বাইরে খোলা জায়গায় যেতেন। ওমর নবীকে বলতেন- আপনার স্ত্রীদিগকে পর্দার মধ্যে রাখুন। কিন্তু নবী তা রাখতে বলতেন না। এক রাতে সাওদা প্রাকৃতিক কাজে বাইরে গেলে ওমর তাকে দেখে ফেলে ও বলেন-আমি তোমাকে চিনে ফেলেছি, সওদা। ওমর প্রা্য়ই পর্দা প্রথা বিষয়ক আয়াত নাজিলের ইচ্ছা পোষণ করতেন। সুতরাং আল্লাহ হিজাবের পর্দা বিষয়ক আয়াত সমূহ নাজিল করেন। সহি বুখারি, বই-০৪, হাদিস-১৪৮
আয়াতটা নিম্নরূপ-
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৯
নারীদেরকে যদি পর্দা প্রথা মেনে চলাই আদর্শ প্রথা হয়ে থাকে, তাহলে তা ওমরের ইচ্ছা মোতাবেক নাজিল হবে কেন ? সর্বজ্ঞ আল্লাহ কি জানে না যে কোন প্রথা নারীদের মান সম্মান রক্ষা করবে ? উক্ত হাদিস ও আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ নারীদের জন্য কোন প্রথা ভাল হবে তা জানতো না , এমনকি মোহাম্মদও জানতেন না। তাই ওমরের ইচ্ছা মোতাবেক উক্ত আয়াত নাজিল হয়।এতে এটা আরও পরিস্কার যে, মোহাম্মদ তার আল্লাহর চেয়ে বেশী ক্ষমতাধর কারন আল্লাহ যা জানত না , সেটা ওমরের কাছ থেকে জেনে নিয়ে মোহাম্মদ আল্লাহকে বাধ্য করেছে উক্ত আয়াত নাজিল করতে তথা নিজেই আয়াত নাজিল করেছে শুধুমাত্র ওমরের মত একজন শক্তিশালী সাহাবিকে সন্তুষ্ট করতে।
এখন আমরা যদি আব্রাহামিক ধর্মের অন্য সব নবীদের কাহিনী পড়ি দেখা যাবে তারা কখনই কোন সাহাবির কথায় আল্লাহর কাছ থেকে বানী আনে নি। বরং আল্লাহ তাদেরকে যে সব নির্দেশ দিয়েছে তারা তাদের অনুসারীদেরকে ঠিক সেটাই অনুসরণ করতে বলেছে। যদি তৌরাত কিতাব পড়া হয় সেখানে কখনই দেখা যাবে না ইব্রাহিম বা মূসা নবী কখনই কারও কথা বা চাহিদা শুনে আল্লাহর কাছে কোন আদেশ কামনা করছে।বরং আল্লাহই সময় সময় ইব্রাহিম বা মুসাকে কখন কি করতে হবে তা বলে দিচ্ছে আর তারা শুধুমাত্র সাধ্যমত পালন করার চেষ্টা করছে। যীশু খৃষ্টের গসপেল পড়লে দেখা যাবে তার সাথীরা ঘুনাক্ষরেও কখনো যীশুকে কোন বিধি বিধানের জন্য দাবী জানাত না। যে অনুরোধ করত তা হলো তাদেরকে বিপদে সাহায্য করতে। কারন তাদের বিশ্বাস ছিল মানুষের জন্য যেসব বিধি বিধান দরকার তা যীশু এমনিতেই তাদেরকে সময়মত বলে দেবেন। তারা সম্পূর্ণই নির্ভর করত যীশুর উপদেশ ও বিধানের ওপর। যীশু যে সব উপদেশ ও বিধানের কথা বলত তার অনুসারীরা তা সাধ্যমতো পালন করার চেষ্টা করত। অথচ মোহাম্মদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ন উল্টো নিয়ম।মোহাম্মদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তার আল্লাহ তেমন কিছুই জানে না , বোঝে না, জানে না মোহাম্মদের অনুসারীদের জন্য কি কি বিধি বিধান দরকার।তাকে অপেক্ষা করতে হয় , মোহাম্মদ বা তার সাহাবিদের অনুরোধের অপেক্ষায়।অর্থাৎ অর্ডার মোতাবেক আল্লাহ মোহাম্মদকে ওহী সরবরাহ করে। আর সে ওহী আসে মোহাম্মদ বা তার সাহাবিদের আগে থেকেই করা পছন্দের ওপর ভিত্তি করে। এখন মোহাম্মদ বা তার সাহাবিদের পছন্দই যদি আল্লাহর পছন্দ হয়, তাহলে আল্লাহর সর্বজ্ঞতার পরিচয়টা কোথায়? আর এ ধরনের অজ্ঞ এক আল্লাহর বার্তা নিয়ে মোহাম্মদ মানুষদেরকে আল্লাহর ওহীর নামে সতর্ক করছেন বার বার , এটা কি সত্যিই আল্লাহর বার্তা, নাকি মক্কায় অবস্থান কারী দুর্বল মোহাম্মদের একটা কৌশল মাত্র? বা তার নবুয়ত্বের রিহার্সাল ?
মোহাম্মদের মক্কার জীবন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তখন তিনি আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতেন। যেকারনে যখন কুরাইশরা তাঁকে অপমান অপদস্ত করত তখন তিনি সব বিচার আল্লাহর হাতে সমর্পন করতেন।কারনটাও বোধগম্য। তখন মোহাম্মদের কোন লোকজন ছিল না, নিজের হাতে বিচার বা প্রতিশোধ গ্রহনের কোন উপায় তার ছিল না। সুতরাং আল্লাহর কাছে বিচার সপে দেয়া ছাড়া কোন গতি ছিল না। যেমন-
আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে।সূরা আলাক-৯৬:১৮ (মক্কার ১ম নাজিলকৃত সূরা)
অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না।সূরা কালাম-৬৮:৪৪ (মক্কায় ২য় নাজিলকৃত সূরা)
কাফেররা যখন কোরআন শুনে, তখন তারা তাদের দৃষ্টি দ্বারা যেন আপনাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দিবে এবং তারা বলেঃ সে তো একজন পাগল।অথচ এই কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।সূরা কালাম-৬৮:৫১-৫২ (মক্কায় ২য় নাজিলকৃত সূরা)
মক্কায় নাজিলকৃত দ্বিতীয় সূরাতে দেখা যাচ্ছে- কুরাইশরা তাঁকে পাগল বলে সাব্যাস্ত করেছিল আর তখন অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মোহাম্মদের আল্লাহর বলছে যে কোরানের বানী মানুষের জন্য উপদেশ ছাড়া কিছুই নয়।
কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।বিত্ত-বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন এবং তাদেরকে কিছু অবকাশ দিন।নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।গলগ্রহ হয়ে যায় এমন খাদ্য এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।সূরা মুজাম্মিল-৭৩:১০-১৩ ( মক্কায় ৩য় নাজিলকৃত সূরা)
হে চাদরাবৃত,উঠুন, সতর্ক করুন,(১-২)যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে;সেদিন হবে কঠিন দিন,যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিন।(৮-১১)কখনই নয়! সে আমার নিদর্শনসমূহের বিরুদ্ধাচরণকারী।আমি সত্ত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহণ করাব।(১৬-১৭)আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে!(২০)তঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত করেছে ও মুখ বিকৃত করেছে, অতঃপর পৃষ্ঠপ্রদশন করেছে ও অহংকার করেছে।এরপর বলেছেঃ এতো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়,এতো মানুষের উক্তি বৈ নয়। আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে।আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি?এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না।মানুষকে দগ্ধ করবে।(২২-২৯)।নিশ্চয় জাহান্নাম গুরুতর বিপদসমূহের অন্যতম,মানুষের জন্যে সতর্ককারী। (৩৫-৩৬)প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী;কিন্তু ডানদিকস্থরা,তারা থাকবে জান্নাতে এবং পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।(৩৮-৪০)। সূরা-মুদ্দাসির ( মক্কায় ৪র্থ নাজিলকৃত সূরা)
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। সূরা বাকারা-০২:৬-৭ ( মক্কা ও মদিনা উভয় যায়গাতে নাজিলকৃত)
আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। সূরা বাকারা-২:২৫(মক্কা ও মদিনা উভয় যায়গাতে নাজিলকৃত)
যখন কুরাইশরা তাকে যাদুকর বলছে তখন কিন্তু আল্লাহ স্রেফ তাদেরকে আগুনে পোড়ানোর ভয় দেখাচ্ছে।পক্ষান্তরে যারা মোহাম্মদের কথা শুনবে তাদেরকে জান্নাতের লোভ দেখানো হচ্ছে যেখানে আছে নহর, নানা বিধ সুস্বাদু ফল ও নারী। এভাবে শত শত উদাহরণ দেখানো যাবে মক্কায় নাজিলকৃত সূরা থেকে।আর এসব আয়াতের সারমর্ম হলো দুর্বল মোহাম্মদ কাফেরদের বিচারের ভার তার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন অকাতরে যা করা ছাড়া তার অন্য কোন উপায়ও ছিল না। অর্থাৎ তখন তিনি সত্যি সত্যি একজন সতর্ককারী বানীবাহক ছাড়া আর কিছুই নন।
দৃশ্যপটটা বদলে যায় মোহাম্মদের মদিনাতে প্রবাসী হওয়ার পর থেকেই।তখন আল্লাহর বানীও পাল্টে সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে যায়।মদিনায় যাওয়ার প্রথম দিক কার সূরার মধ্যে মধ্যে দু এক যায়গায় সতর্ককারী হিসাবে তার ভূমিকা উল্লেখ আছে সঙ্গত কারনেই আর তা হলো তখনও মোহাম্মদ মদিনাতে পুরো ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারেন নি।আসলে যা বোঝা যায় তা হলো – মোহাম্মদ ১০ বছর মক্কা জীবনে আল্লাহর ওপর নির্ভর করে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে দেখলেন আসলে আল্লাহ কোন সাহায্যই করে নি।এর ওপর তার ওপর ছাতা ধরে থাকা খাদিজা ও আবু তালিব মারা যায়। তার পক্ষে তখন মক্কাতে থাকা অসম্ভব হয়ে দাড়ায়।আর তখন তার মনোজগতে পরিবর্তন ঘটে যায়। তিনি মক্কা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ঘাটি গাড়ার পায়তারা করেন। সুযোগও এসে যায়। তাঁর কিছু সাহাবী আগে থেকে মদিনাতে হিজরত করেছিল, যারা মদিনার গোত্র সর্দারদের সাথে পরামর্শ করে মোহাম্মদকে মদিনাতে আনার পরিকল্পনা করে।নানা ছলাকলা ও নাটকের সৃষ্টি করে অত:পর মোহাম্মদ মদিনাতে গমন করেন।মোহাম্মদ ও তাঁর দলবল মদিনাতে থাকার সময় সমস্যা দেখা দিল জীবিকা ধারনের উপায় নিয়ে।মদিনাবাসীরা ছিল কৃষিজীবি, কিন্তু মক্কার মোহাম্মদ ও তার দলবল কৃষিকাজ জানত না।মদিনাবাসীরা ছিল গরীব, মোহাম্মদের দলবলকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর মত অবস্থা তাদের ছিল না।মোহাম্মদ চিন্তা করলেন এত লোকের ভরণ পোষণ কেমনে চলবে। উপায়ও বের হয়ে গেল যথারীতি। মদিনার পাশ দিয়ে চলে গেছে মক্কাবাসীদের বানিজ্য করার পথ যা চলে গেছে সিরিয়া অবধি।মোহাম্মদ চিন্তা করলেন তার দল বল নিয়ে উক্ত বানিজ্য পথে ওত পেতে থাকবেন ও সুযোগ মত বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করত: তাদের ধন সম্পদ লুটপাট করবেন।চিন্তা করতে যা দেরী, ওহী নাজিল হতে দেরী হয় নি।দেখা যাক কি কি ওহী নাজিল হলো এ বিষয়ে-
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।সূরা-আল বাকারা- ২: ১৯১
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।সূরা আল বাকারা- ২:১৯২
লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)সূরা আলা বাকারা-২:১৯৩
সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।সূরা আল বাকারা-২:১৯৪
উপরের আয়াত গুলোই প্রথম জিহাদি আয়াত যা মোহাম্মদের নিকট মদিনাতে নাজিল হয়।প্রথমে এ আয়াত দিয়ে মোহাম্মদ ইসলামের নামে অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করার অনুমোদন দেন, তাও খুব সতর্কভাবে, খেয়াল করতে হবে বলা হচ্ছে – আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না– এটুকু পড়লে কিন্তু মনে হতে পারে যে এতে তো কোন অন্যায় নেই।এটা তো আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের কথাই বলছে। অর্থাৎ কেউ যদি আগ বাড়িয়ে মুসলমানদেরকে আক্রমন করে তাহলে মুসলমানরা আত্মরক্ষার স্বার্থে পাল্টা আক্রমন করবে- এটা যে কোন বিধানেই বৈধ ও ন্যয়সঙ্গত। কিন্তু পরের আয়াতেই সূর পাল্টে গেছে। বলা হচ্ছে- আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে– বলা বাহুল্য এ আয়তটা মোটেও আত্মরক্ষামূলক আয়াত নয়। অনেকে বলতে পারে এটা পূর্বোক্ত আত্মরক্ষামুলক আয়াতের ধারাবাহিকতায় বলা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়।কারন হত্যা করতে বলা হচ্ছে একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে আর সেটা হলো- তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে।অর্থাৎ মোহাম্মদ তার সাহাবীদেরকে এই বলে উত্তেজিত করছেন যে তাদেরকে কুরাইশরা মক্কা থেকে বের করে দিয়েছে, তাই পাল্টা হিসাবে তাদেরও উচিত কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদেরকে তাদের ঘরবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা ও হত্যা করা।কিন্তু বিষয়টা কি তাই ? মক্কা থেকে কুরাইশরা কাউকেই বের করে দেয় নি। মোহাম্মদের অনুসারীরা নিজেরাই সেখানে টিকতে না পেরে মদিনা, আবিনিসিয়া ইত্যাদি যায়গায় হিযরত করে চলে যায়।ইতিহাস থেকে জানা যায়, কুরাইশরা ছিল ধর্মীয় ব্যপারে ভীষণ উদার। মক্কা ও তার আশ পাশে ইহুদি ও খৃষ্টানরা শত শত বছর ধরে সহাবস্থান করত অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থায়।মক্কার কাবা ঘর প্রাঙ্গনে হজ্জের সময় যে বিপুল লোকের সমাগম হতো সেখানে অনেক ইহুদি ও খৃষ্টান ব্যবসা করত।কুরাইশরা তাদেরকে কিছুই বলত না।মোহাম্মদ যখন নবুয়ত্ব দাবী করে তাঁর ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন সম্ভ্রান্ত কুরাইশরা তা মেনে নিতে অস্বীকার করে।প্রথম দিকে মোহাম্মদকে পাত্তা না দিলেও আস্তে আস্তে মোহাম্মদ তাদের মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়ায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি করে মোহাম্মদ যখন তাদের কাবা ঘরে যখন তখন ঢুকে তাঁর ইবাদত বন্দেগী করতেন এবং একই সাথে তাদের ধর্মকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন।কুরাইশ সর্দাররা বার বার তাকে কাবা ঘরে ঢুকে এ কাজ করতে নিষেধ করত ও বলত তার ইসলাম সে ঘরে বসেই প্রচার করুক।কিন্তু নাছোড় বান্দা মোহাম্মদ তাঁর প্রভাবশালী চাচা আবু তালিবের প্রশ্রয়ে থেকে এ কান্ড করে যেতেই থাকেন।আর তখনই কুরাইশরা মোহাম্মদ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে একটা বয়কট ঘোষণা করে।তাদের সাথে সব রকম লেন-দেন, বৈবাহিক ও সামাজিক সম্পর্ক বন্দ করে দেয়।এটা করার অধিকার কুরাইশরা রক্ষন করে কারন মোহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা যদি কুরাইশদের ধর্মকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে তাহলে ব্যঙ্গ বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। ঠিক এমতাবস্থায় মোহাম্মদের কিছু অনুসারী মক্কায় টিকতে না পেরে মদিনা আবিনিসিয়াতে চলে যায়। তাহলে কুরাইশরা তাদেরকে তাদের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করল কেমনে ? ঠিক এ বিষয়টাকেই অজুহাত হিসাবে দাড় করিয়ে মোহাম্মদ তাঁর সাথীদেরকে কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন তাঁর আল্লাহর ওহীর মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবে এটা যুদ্ধ নয়। কারন মুসলমানরা বাস করে মদিনাতে আর কুরাইশরা বাস করে মক্কাতে,তাদের মধ্যে দুরত্ব প্রায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার, আর মোহাম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনাতে গমন করাতে কুরাইশরা হাফ ছেড়ে বাঁচে। এখানে খেয়াল করতে হবে আলোচ্য আয়াতগুলো হলো সূরা বাকারার যার অধিকাংশই নাজিল হয়েছিল মক্কাতে, বাকি অংশ মদিনাতে। অর্থাৎ মোহাম্মদের মদিনায় যাওয়ার শুরুর দিকে আয়াতগুলো নাজিল হয়, আর তখনও মোহাম্মদ এমন কিছু শক্তিশালী হন নি যে তিনি হুংকার ছেড়ে মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।তাহলে কোন্ ধরনের যুদ্ধের জন্য মোহাম্মদ উস্কানি দিচ্ছেন?
আসলে এটা কোন যুদ্ধই নয় বরং এটা হলো মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলার ওপর চোরা গোপ্তা হামলা তথা ডাকাতি করার বিষয়।বলাবাহুল্য, পূর্বোক্ত আত্মরক্ষামূলক যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে তার সাথে এ আয়াতের যুদ্ধের কোন সম্পর্কই নেই।অথচ আয়াতগুলো পাশাপাশি রাখা হয়েছে শুধুমাত্র ধোকা দিতে যাতে মানুষকে বোঝানো যায় যে পরবর্তী যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে তা পূর্বোক্ত আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের ধারাবাহিকতা। এত কিছুর পরেও বিষয়টি মদিনাবাসীদের মন:পুত হয় না, কারন তাদের অনেকেরই সম্পর্ক ছিল মক্কাবাসীদের সাথে।তারা মক্কা বাসীদের সাথে এ ধরনের শত্রুতা মূলক অপঘাত মূলক কাজে যেতে রাজি নয়, কোন রকম অজুহাত ছাড়া নিরীহ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করাটা তাদের কাছে নীতি বিগর্হিত মনে হয়েছিল।তাছাড়া তারা মোহাম্মদের মতি গতি সম্পর্কেও অত বেশী অবহিত ছিল না। তাই তারা দোটানায় ভুগছিল।তাছাড়া মক্কাবাসীদের সাথে তাদের কোন পূর্ব শত্রুতাও নেই যে যে কারনে তারা মোহাম্মদের সাঙ্গ পাঙ্গদের সাথে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলা লুট করতে যাবে।অগত্যা মোহাম্মদ মক্কাবাসীদেরকে নিয়েই বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করতে থাকেন। কিন্তু প্রথম কয়টি আক্রমনে সাফল্য আসে না। প্রাথমিক ব্যর্থতায় মোহাম্মদ মরিয়া হয়ে ওঠেন। যে কোন ভাবে হোক মদিনাবাসীদেরকে দলে না নিলে সাফল্য আসছে না। আর ঠিক তখনই শুধুমাত্র মদিনাবাসিদের লক্ষ্য করে নাজিল হয়ে যায় নীচের আয়াত-
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।সূরা আল বাকারা-২:২১৬
কোন রকম ভাণ ভণিতা ছাড়াই আয়াতে বলা হচ্ছে যে নিরীহ বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করার যে প্রক্রিয়া মোহাম্মদ আল্লাহর নামে শুরু করেছেন তা অনেকের কাছেই অপছন্দ।সেই লোকগুলো কারা? সহজেই বোঝা যায় তারা হলো মদিনাবাসী আনসাররা।তারা অনেকেই নও মুসলিম ও মোহাম্মদের মতি গতি অতটা জানতো না।বিনা কারনে তারা মক্কাবাসীর বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করতে ছিল তারা নারাজ। তাই আয়াতে বলছে- তাদের কাছে অপছন্দ হলেও তা আখেরে মঙ্গলজনক। তা তো বটেই বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করলে যে মালামাল দখল করা যাবে তা ভাগাভাগি করে নিলে বেশ আরাম আয়াশে চলা ফিরা করা যাবে, তাই তা মঙ্গলজনক বৈ কি!সুতরাং এর পর দোটানায় থাকা মদিনাবাসীরা মোহাম্মদের দলের সাথে যোগ দিয়ে বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করতে যায়।
এখন লুটপাট করা মালামালকে বৈধ করা দরকার। কিভাবে লুটপাটকৃত মালামাল ভাগাভাগি করতে হবে সেটারও বিধান দরকার।নইলে মক্কাবাসি ও মদিনাবাসিরা মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে পারে।তাই দেখা যাচ্ছে সুরা বাকারার ঠিক পরে নাজিল কৃত সূরা আনফালের আয়াতের একেবারে প্রথমেই তার বর্ণনা আছে অত্যন্ত সুন্দরভাবে।নাজিলের ক্রমিক অনুসারে সূরা বাকারার স্থান ৮৭তম। আর সুরা আনফালের স্থান ৮৮তম।সূরা নাজিলের ক্রমিক আছে এখানে- কোরানের সূরা নাজিলের ক্রমিক(http://www.qran.org/q-chrono.htm)
আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক। সূরা আনফাল-৮:০১
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। সূরা আনফাল-৮:৪১
তার মানে মোহাম্মদ তার চাহিদা অনুযায়ী ওহী পেয়ে যাচ্ছে সাথে সাথেই আল্লাহর কাছ থেকে।অথবা অন্য কথায়,মোহাম্মদ বাধ্য করছেন আল্লাহকে ওহী পাঠাতে।সে ওহীটা কি ? লুটপাটের এক পঞ্চমাংশ পাবে আল্লাহ ও তাঁর রসুল।আল্লাহর তো কোন সম্পদ দরকার নেই, তাই সে অংশও যাবে মোহাম্মদের ভাগে। যদি স্বচ্ছভাবে চিন্তা করা হয়, তাহলে কি এটা সহজেই বোঝা যায় না যে, মোহাম্মদ বস্তুত তার পরিবার চালানোর জন্যই এ বিধান জারী করলেন? কারন তার ঘরে তখন কমপক্ষে কয়েকটা স্ত্রী ছাড়াও আছে ছোট ছোট কয়টি বাচ্চা আর তাদের ভরণপোষণ করা দরকার। অর্থাৎ দুনিয়ার শ্রেষ্ট মানব ও নবী মোহাম্মদের জীবিকা হলো অন্যের লুন্ঠিত সম্পদ।একই সাথে তার অনুসারীদেরও জীবিকা হলো অন্যের লুন্ঠিত সম্পদ। সোজা ভাষায় যাকে ডাকাতি করা বলে।কারন মদিনাতে জীবিকা অর্জনের অন্য কোন উপায়ই তাদের ছিল না। কোন ওয়াজ মাহফিল বা ইসলামি জলসায় বক্তারা কি কখনো এ বিষয়টি উত্থাপন করে? ভুলেও করে না, যদিও বা করে , এভাবে প্রচার করে যে সেসব ছিল যুদ্ধ আর সে যুদ্ধ শুরু করেছিল মক্কাবাসীরাই, মোহাম্মদ শুধুমাত্র আত্মরক্ষা করতে সে সব যুদ্ধ করেছিলেন।বস্তুত: সেসব মোটেও যুদ্ধ ছিল না, ছিল স্রেফ ডাকাতি। যুদ্ধ ও ডাকাতি দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।যদি সত্যি সত্যি কোন ঈশ্বরের কাছ থেকে মোহাম্মদ ওহী পেতেন , সেই ঈশ্বর কি কখনো তার শ্রেষ্ট নবী ও মানবকে ডাকাতি করে তার ওপর জীবিকা নির্বাহ করতে বলতেন ? জীবন ধারনের জন্য ডাকাতি কি আদর্শ পেশা?মোহাম্মদ তার অনুসারীদেরকে আল্লাহর বানীর নামে বিধান দিচ্ছেন ডাকাতি করে জীবন ধারন করতে, এ ডাকাতির নাম হলো আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ ও লুণ্ঠিত মালামালের নাম হলো গণিমতের মাল। আহ কি স্বর্গীয় বিধান আল্লাহর!
মোহাম্মদ যে সব বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করেছিলেন তার তালিকা পাওয়া যাবে – এখানে(http://en.wikipedia.org/wiki/Caravan_raids)
উক্ত ৮:১ ও ৮:৪১ আয়াত দুটি একই বিষয়ের ওপর বক্তব্য রেখেছে।গণিমতের মাল যখন বৈধ হলো তখন তার বন্টনটা কেমন হবে সেটাও সাথে সাথে বলা উচিত ছিল। অথচ দেখা যাচ্ছে ১নং আয়াতের পর ৪০টা আয়াত নাজিল হয়ে গেছে, আবোল তাবোল নানা কথার বর্ণনায়, অত:পর গণিমতের মালের বন্টন পদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছে। এ থেকে এটাও বোঝা যায়,হয় আল্লাহ এলোমেলোভাবে কোরানের আয়াত প্রেরণ করেছে অথবা কোরানের কোন একটি সূরাতে নাজিলকৃত আয়াতসমূহ সময় অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে সংকলন করা হয়নি।এলোমেলো করে যেমন ইচ্ছা খুশি এমনকি হয়তবা এক সূরার আয়াত অন্য আয়াতেও ঢুকে গেছে। আল্লাহই যদি কোরানের বানীর প্রেরক ও সংরক্ষক হতেন, নিশ্চয়ই এমন এলোমেলোভাবে কোরানের বানী প্রেরিত বা সংকলিত হতো না। যদি ইহুদীদের তৌরাত, খৃষ্টানদের গসপেল, হিন্দুদের গীতা এসব কিতাব পরীক্ষা করি, তাহলে দেখা যাবে তাতে এধরনের কোনরকম অসংগতি বা এলো মেলো আগোছালো ভাব নেই।সুন্দর ধারাবাহিকতা বজায় আছে তাতে।এর কারনও সোজা এসব কিতাব যারা রচনা বা সংকলন করেছিল তারা আরবদের মত অশিক্ষিত মূর্খ ছিল না। বিদ্যা বুদ্ধিতে তারা ছিল তাদের আমলে সেরা। তাই তারা তাদের কিতাবকে অসংগতি ও অসামঞ্জস্যতা যতটা সম্ভব এড়িয়ে তা সংকলন বা রচনা করেছে।
মোহাম্মদের আল্লাহ কত দ্রুত তার আয়াতের বক্তব্য পাল্টাতে পারে তার একটা বড় নিদর্শন হলো নিচে:-
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। সূরা আনফাল ৮:৬৫
এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে। সূরা আনফাল ৮:৬৬
৮:৬৫ বলছে বিশ জন মুসলমানকে আল্লাহ দু’শ মানুষের ওপর জয়ী হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে।ঠিক এর পরের আয়াতেই বলছে একশ জন জয়ী হবে দুশ জনের ওপর। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যে কোন মানুষকে যে কোনরকম ক্ষমতা দিতে পারে।সুতরাং সে বিশজন মানুষকে দুশ জন শত্রুর ওপর জয়ী হওয়ার ক্ষমতাও দিতে পারে।অথচ অতি দ্রুত সে প্রতিশ্রুতি আল্লাহ ভুলে গিয়ে বা বাতিল করে দিয়ে পরে বলছে একশ মানুষকে দুশ শত্রুর ওপর জয়ী হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। মনে হয় মানুষের মতই ভীষণ চঞ্চলমতি আল্লাহ, কখন কি বলে তার কোন ঠিক নেই।বিষয়টা অন্য ভাবেও দেখা যেতে পারে।মোহাম্মদ যখন তার অনুসারীদেরকে জিহাদি কাজে উৎসাহিত করতে আল্লাহর বানীর নামে তাদের বিশজনকে দুশ জন শত্রুকে পরাজিত করার কথা বলেছিলেন, সেটা খুব বেশী অবাস্তব ও অতিরঞ্জিত হয়ে গেছিল। তার অনুসারীরা সম্ভবত: বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা করছিল। কারন কোন পাগলে বিশ্বাস করবে যে ঢাল তলোয়ার বর্শা নিয়ে মাত্র বিশজন লোক তাদের মতই দুশজন লোককে পরাজিত করতে পারে ?অর্থাৎ মাত্র একজন মুসলমান পরাজিত করবে তারই মত দশজন শত্রুকে? চতুর মোহাম্মদ বিষয়টি বেশীদুর বাড়তে দেন নি, অতিদ্রুত আল্লাহকে তার বানী পরিবর্তন করে নতুন আয়াত পাঠাতে বলেন। বলতে যা দেরী, নতুন আয়াত নাজিল হতে কিন্তু দেরী হয়নি।সুতরাং পরবর্তী আয়াতে একজন মুসলমানকে দুইজন শত্রুর উপর জয়ী হওয়ার শক্তি দেয়া হলো।এ ধরনের অতি দ্রুত আয়াত পাল্টানো কি প্রমান করে যে মোহাম্মদ আসলে কোন এক আল্লাহর কাছ থেকেই ওহি প্রাপ্ত হতেন?
এত আলোচনার পর এখন পরিশেষে প্রশ্ন হলো – কে বড় , আল্লাহ নাকি মোহাম্মদ? আর মুসলমানরা কার কাছেই বা প্রার্থণা বা উপাসনা করে ?
আগের পর্বে দেখানো হয়েছিল কিভাবে মোহাম্মদ একেশ্বরবাদী ধর্ম প্রচার করার নামে আসলে জড়বাদী ধর্ম প্রচার করেছিলেন অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে।একজন মানুষের মুসলমান হওয়ার প্রথম শর্ত হলো –শাহাদা। শাহাদা হলো আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন শরিক নেই, মোহাম্মদ হলো তার রসূল- এটা স্বীকার করা। আরবীতে- লা ইলাহা ইল্লাহ আল্লাহ , মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। এছাড়া মোহাম্মদের নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে বলতে হবে- সাল্লাহ আল্লাহ আলাইহে ওয়া সাল্লাম। সংক্ষেপে, যেমন- মোহাম্মদ(সা:)। আর এই সা: এর প্রচলিত অর্থ হলো- তাঁর ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইংরেজীতে Mohammad(PBUH- Peace Be Upon Him. কিন্তু আসলে কি এর অর্থ এটা ? এবার বিষয়টা ব্যখ্যা করা যাক।
বাক্যটি আরবীতে নিম্ন রূপে আসে।
صل الله علىه و سلم
তাহলে দেখা যাক বাংলায় অনুবাদ করলে কী দাড়ায়। মূলত এখানে আরবী و (ওয়াও) সংযোগ অব্যয় ব্যবহার করে দুইটি বাক্যকে একত্রে যোগ করা হয়েছে।
অর্থাৎ صل الله علىه (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে) হ’ল প্রথম বাক্য।
তারপর و (অ) হইল সংযোগ অব্যয়। এর অর্থ “এবং”। পরবর্তী বাক্যকে প্রথম বাক্যের সংগে সংযুক্ত করেছে।
দ্বিতীয় বাক্য হইল سلم (ছাল্লামা)
যেমন আমরা বংলায় বলতে পারি “সুমন গোছল করিল এবং ভাত খাইল।”
প্রথম বাক্য- صل الله (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি)-
এখানে صل (ছাল্লা) শব্দটি ক্রীয়াপদ। এটা এসেছে আরবী صلوات (ছালাত) শব্দ থেকে। যার সোজা সাপটা অর্থ হইল নামাজ, প্রার্থনা,প্রশংসা, বড়ত্ব প্রকাশ, মাথা নত করা (যেমন রুকু,ছেজদা তে করা হয়)
এরপরে الله (আল্লাহু) শব্দ টা হইল এই ক্রীয়াটির কর্তা পদ।
এরপর علىه (আলাইহি) যৌগ শব্দটি কর্মপদ, على (আলা অবয়)এবং ه (হি) সর্বনাম যুক্ত হয়ে হয়েছে।
এর অর্থ “তাহার (নবীর)উপর”
অতএব প্রথম বাক্যের পূর্ণ অর্থ দাড়াল “আল্লাহ তাহার (নবীর) উপর صلوات (ছালাত) করুন।
আর দ্বিতীয় বাক্য-
سلم (ছাল্লামা)- অর্থ “শান্তি বর্ষিত করুন”
তাহলে পূর্ণ বাক্যটির সোজা সাপটা অর্থটি এরুপ দাড়াল,
“আল্লাহ তাহার (নবীর) উপর صلوات ছালাত) করুন, ও শান্তি বর্ষিত করুন”
অর্থাৎ – আল্লাহ নবীর ওপর প্রার্থনা করুন ও শা্ন্তি বর্ষন করুন। (অনুবাদক- আ: হাকিম চাকলাদার)
অনেককে প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া গেছে তা হলো – আল্লাহ নবীর ওপর আশীর্বাদ ও শান্তি বর্ষন করুন।
কিন্তু সাল্লাহ অর্থ হলো প্রার্থনা করা , কোনমতেই আশীর্বাদ বর্ষন করা নয়। বারাকা অর্থ হলো আশীর্বাদ। আর উক্ত দোয়াতে সোজা সাপ্টা সাল্লাহ শব্দটিই আছে বারাকা শব্দ নেই। তার অর্থ ইদানিং কিছু কিছু লোক বিষয়টি জানতে পেরে আসল অর্থ পরিবর্তন করার অপচেষ্টায় আছে বোঝা যাচ্ছে।
যাহোক, তার অর্থ স্বয়ং আল্লাহ মোহাম্মদের ওপর প্রার্থনা করছে।এই প্রথম শোনা গেল যে স্বয়ং সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কারও ওপর প্রার্থনা করতে পারে। এতদিন জেনে এসেছি যে আল্লাহর বান্দারাই আল্লাহর ওপর প্রার্থনা করে থাকে। আর আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর আশীর্বাদ বা শান্তি বর্ষায়। এখন যেহেতু আল্লাহ মোহাম্মদের ওপর প্রার্থনা করে তাহলে বড় কে, মোহাম্মদ নাকি আল্লাহ? এছাড়া আর একটা বড় প্রশ্ন- উক্ত বাক্যটির অর্থ শুধুমাত্র তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক এভাবে কেন করা হয় ? বাক্যের প্রথম অংশটির অর্থ গোপন করা হয় কেন ? তাহলে মুসলমানরা কার কাছে প্রার্থনা করে ? মোহাম্মদ বলেছেন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে। মুসলমানরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে , আর আল্লাহ প্রার্থনা করে মোহাম্মদের ওপর, তার অর্থ ইসলাম যদি সত্য ধর্ম হয়, তাহলে এখানে আল্লাহ শুধুমাত্র একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে সকল মুমিন মুসলমানের দোয়া ও প্রার্থনা মোহাম্মদের কাছে পৌছবে আর মোহাম্মদ সর্ব শক্তিমান সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়ে সবার বিচার করবেন কেয়ামতের মাঠে। তাহলে যে বলা হয়- আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় – এর অর্থ কেমন হবে? এটা তো ঠিকই আছে আল্লাহ তো একজনই আর সে হলো মোহাম্মদের কাছে পৌছানোর মাধ্যম।
এছাড়াও আরও একটা ব্যপার আছে, যেমন নিচের আয়াত-
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’ আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।সূরা ফাতিহা-০১:০২
উপরের আয়াতে বলা হচ্ছে- সব প্রশংসাই আল্লাহ তালার।অর্থাৎ অন্য কাউকে প্রশংসা করা যাবে না।একমাত্র আল্লাহই হলো সকল প্রশংসার দাবিদার। এখন মোহাম্মদ অর্থ কি ? মোহাম্মদ শব্দের যে অর্থ পাওয়া গেল তা নিম্নরূপ:
GENDER: Masculine
USAGE: Arabic
OTHER SCRIPTS: محمّد (Arabic)
PRONOUNCED: moo-HAH-med [key]
Meaning & History
Means “praiseworthy”, derived from Arabic حمد (hamid) “to praise”. This was the name of the prophet who founded the Islamic religion in the 7th century. Since his time, it has been very popular in the Muslim word.
সূত্র: http://www.behindthename.com/name/muhammad
বাংলা করলে মোহাম্মদ শব্দের অর্থ দাড়ায় প্রশংসনীয় বা প্রশংসিত অর্থাৎ যে ব্যক্তিকে প্রশংসা করা হয় সেই ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ। তাহলে দুজনকে পাওয়া গেল যাদেরকে প্রশংসা করতে হবে। সকল প্রশংসা যে আল্লাহর এবং কোন ব্যক্তি মানুষকে প্রশংসা করা যাবে না এটার বহু বিবরণ হাদিসে আছে(যারা কোরান হাদিস পড়ে নি তারা এ ধরনের কথা শোনা মাত্রই ক্ষেপে উঠতে পারে কারন তারা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইবে না যে কোন ব্যক্তিকে তার একটা ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করা যাবে না), যেমন-
আবু মুসা বর্নিত: আল্লাহর নবী একজন মানুষকে অপর একজন মানুষ সম্পর্কে প্রশংসা করতে দেখলেন এবং বললেন- তুমি তাকে হত্যা করলে বা তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেললে। সহি মুসলিম, হাদিস -৭১৪১
ঠিক একই রকম হাদিস বর্ণিত আছে- ৭১৩৮,৭১৩৯,৭১৪০,৭১৪২ ও ৭১৪৩ এ। অর্থাৎ বহু সংখ্যক একই রকম হাদিস আছে যা দ্বারা প্রমানিত হচ্ছে এটা শতভাগ সহি হাদিস যাতে কোনই সন্দেহ থাকতে পারে না।
যাহোক, আল্লাহ নিজে দাবী করছে সব প্রশংসাই তার অর্থ আর কারও জন্য প্রশংসা অবশিষ্ট নেই। অন্যদিকে মোহাম্মদ নিজেই প্রশংসিত অর্থাৎ তাকে প্রশংসা করা হয়েছে।এখন যেহেতু সব প্রশংসা আল্লাহর ,অথচ মোহাম্মদ হলেন প্রশংসিত ব্যাক্তি অর্থাৎ আল্লাহর দাবীকৃত সকল প্রশংসার মধ্যে ভাগ বসিয়েছেন তাহলে বিষয়টা দাড়ায়-হয় মোহাম্মদ আল্লাহর শরিক অথবা খোদ মোহাম্মদ নিজেই আল্লাহ।অথচ কোরান বার বার বলেছে আল্লাহর কোন শরিক নেই। তাহলে অবশেষে বিষয়টা কি দাড়াল? হয় মোহাম্মদ আল্লাহর চাইতে বড় কিছু নয়ত মোহাম্মদই কি স্বয়ং আল্লাহ নয় ? এবং মুসলমানরা মূলত: মোহাম্মদের কাছেই প্রার্থনা করে ?
ঠিক একারনেই কি মুসলমানদের কাছে আল্লাহর চেয়ে মোহাম্মদের গুরুত্ব অনেক বেশী? একারনেই আল্লাহকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করলে তারা কিছুই মনে করে না ,কিন্তু মোহাম্মদের সামান্য সমালোচনা করলেই জঙ্গি জোশে ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা লীলা চালিয়ে সব কিছু ধ্বংস করে দিতে চায় ?
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর
বাংলা বাইবেল
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৮
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৭
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৬
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৫
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
@ ভবঘুরে
আফসোস সাহেবের ১৫ নম্বর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনি এরকম একটা লাইন লিখেছেন
লাইনটির রেফারেন্সের ব্যাপারে রাজেশ তালুকদার ও আপনাকে প্রশ্ন করেছিলেন। আপনি অসংখ্য প্রশ্নের ভীড়ে উত্তর দিতে পারেননি। তাই প্রশ্নটি আবার করছি এই লাইনটির রেফারেন্সটি আমাদের দেওয়া যায়?
একটু চক্ষু কর্নের বিবাদ ভঞ্জন করিতাম………
@ছন্নছাড়া,
My reference —- Hadith 34424 Kanezel omall —–
This is from a book called “Kanz Al Umal” (The Treasure of the Workers), in the chapter of “The issues of women”, authored by Ali Ibn Husam Aldin, commonly known as Al-Mutaki Al-Hindi. He based his book on the hadiths and sayings listed in “Al-Jami Al-Saghir,” written by Jalal ul-Din Al-Suyuti.
Narrated by Ibn Abbas:
“I (Muhammad) put on her my shirt that she may wear the clothes of heaven, and I SLEPT with her in her coffin (grave) that I may lessen the pressure of the grave. She was the best of Allah’s creatures to me after Abu Talib”… The prophet was referring to Fatima , the mother of Ali.
@ ভবঘুরে
ভাই আমাকে একটু সাহায্য করেন।
আমার এক বান্ধবী আজকে আমাকে বলল যে,ফ্যাকো সার্জারী নামক সার্জারী নাকি মুহাম্মদ কোরানে বলে গেসে।
তখন আমি তাকে বললাম ফ্যাকো সার্জারী কি?সে বলল “জানিনা”।এই বিষয়ে যদি একটু বলতেন।
সে আরও বলল যে ফিংগার প্রিন্ট নাকি কোরান থেকে আবিষ্কার হইছে।আবিষ্কারক নাকি নিজে এইটা বলছে।আমি এই সম্পরকে জানিনা তাই কিছু বলতে পারি নাই।আপনি যদি কষ্ট করে একটু জানাতেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।
আর একটা কথা।ধার্মিকরা সাধারনত একটা লজিক ব্যবহার করে।তারা বলে যে,তুমি যে তোমার মার পেট থেকে হইছ এইটা কি তুমি দেখছ?বা আমার বাবাই যে আসলে আমার বাবা সেটা আমি কেন বিশ্বাস করি।এইটার জবাব কিভাবে দেয়া যায়?
ভাইয়া একটু কষ্ট করে আমাকে সাহায্য করোন।ভাল থাকবেন।
@অবুঝ,
তাকে বলেন সবই যদি কোরান থেকে আবিস্কার হয়ে থাকে তাহলে ইসলামি পন্ডিতরা কেন কোরান চর্চা করে আমাদেরকে নিত্য নতুন প্রযুক্তি তৈরী করে দিচ্ছে না ? কোরান চর্চা করে কেউ কোন দিন কিছু আবিস্কার করে নি ভাই, এসব ধান্ধাবাজ প্রচারকদের মিথ্যা প্রচারনা। কারন বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধাক্কায় ইসলামের রসাতলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর তা হলে সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়বে সৌদি আরব, কারন তাদের অর্থনীতির বিরাট অংশই আসে লক্ষ লক্ষ মুসল্লির হজ্জ করা থেকে আর তাই তারা কিছু ভাড়াটে পন্ডিত দিয়ে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণতই ব্যবসায়িক, আপনার তা বোঝা উচিত। আধি ভৌতিক অস্পষ্ট কিছু আয়াতকে অপব্যখ্যা করে এসব তৈরী করে তারা। তাদের এ কৌশল অবলম্বন করলে কোরান নয় বরং হিন্দুদের মহাভারত ও রামায়ন থেকে অনেক বেশী প্রযুক্তি আবিস্কার করা যায়। রাবন যে রথে উড়ে বেড়াত , তা জেনে আজকের বিজ্ঞানীরা উড়োজাহাজ তৈরী করেছে, ওদের যে বান নিক্ষেপের বর্ণনা পাওয়া যায় তা জেনে আজকে ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি তৈরী হয়েছে, যে কায়দায় বিদুর অর্জুন ও কৃষ্ণের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের খবরাখবর ধৃতরাষ্ট্রকে বর্ণনা করছিল তা জেনে আজকের বেতার ও টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছে, এরকম বহু পাওয়া যাবে । বুঝেছেন? আর এসব বর্ণনা কোরানের চাইতে অনেক বেশী পরিস্কার। তৌরাত কিতাব থেকেও এরকম বহু বিজ্ঞানের আবিষ্কার করা যেতে পারে। তাই যারা খবরাখবর রাখে না তারা এসবে উচ্ছসিত হতে পারে।
আমাদের মূল বক্তব্য ঈশ্বর আছে কি না তা বিচার করা নয়। ওটা অনেক আগেই বিচার হয়ে গেছে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি বিষয়ক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও তত্ত্ব এবং বিবর্তনবাদ তা সুন্দরভাবে বিচার করেছে আর এ উপসংহারে এসেছে যে বিশ্ব সৃষ্টির জন্য কোন তথাকথিত সৃষ্টিকর্তার দরকার নেই। উপরোক্ত টুটকো যুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে গ্রাম্য অশিক্ষিত মানুষের কাছে। আমাদের মূল বিচার্য মোহাম্মদ নবী কি না , কোরান আল্লার কাছ থেকে এসেছে কি না। যদি যুক্তির খাতিরে ধরেও নেই যে ঈশ্বর আছে, তাহলেই বা কি হল? তা দ্বারা তো মোহাম্মদ আল্লার নবী আর তার কোরান আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এটা প্রমানিত হয় না। তাই তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন উক্ত যুক্তির দ্বারা কিভাবে মোহাম্মদ যে নবী ও কোরান যে আল্লাহর কিতাব তা কিভাবে প্রমানিত হবে ? তাই তাদেরকে পাল্টা বলবেন – আগে মোহাম্মদ আল্লাহর নবী ও কোরান আল্লাহর কিতাব সেটা প্রমান করতে। অন্য যুক্তি শুনতে যান কেন ? পয়েন্টে থাকবেন। ডাইভার্ট করে আসল বিষয় অন্য দিকে ঘুরানো এটা তাদের একটা অপকৌশল। বোঝা গেছে ?
আপনি মুহাম্মদ ও ইসলাম এর সবগুলা পর্ব এক দিন এক রাতে পরে ফেলেছেন?কিভাবে সম্ভব?
ভাইরে আপনারা তো আফসোস সাহেব কে বিপদে ফেলে দিলেন। আজ সারা দিন রাত্রি মিলিয়ে আমি ‘ভবঘুরে’ ভাইএর সবগুলো লেখা পড়ে ফেলেছি। কি আজিব। এত কিছু না জেনেই কত ছোয়াব করে ফেলছি। আমার ঈমানের এখন কি হবে?
আফসোস সাহেব ভাবছিলাম আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিবেন। দেন নাই দেখে আশাহত হয়েছি।
ভবঘুরে ভাই, ‘মৃত্যু’ বিষয়ক কোনো লেখা কি লিখবেন? আমি এই বিষয়টা নিয়ে ভাবিত। কিন্তু জ্ঞ্যানের লেভেল কম বলে বুঝতে পারিনা। দিলে সদয় থাকব।
আফসোস সাহেব, আমিও সবার মতন আপনার উত্তরের আশায় থাকলাম।
‘ধর্ম একটা ব্যবসা’ যাহা বুঝলাম।
@তারা,
ভাই কি মৃত্যূ নিয়ে খুব ভাবিত? তাই যদি হয় কোন শিশু যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন ভাবিত হন না কেন ? মৃত্যূ তো জন্মের মতই একটা অতি সাধারন ঘটনা। তাই নয় কি ? তবে মৃত্যূটা একটু ভাবায় একারনে যে একজন যখন মারা যেতে থাকে তখন আসলে অনেক স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন এসব থাকে, এসব ছেড়ে তাকে চলে যেতে হয়। তখন স্বাভাবিক ভাবে আজগুবি প্রশ্ন আসে মৃত্যুর পর কোন জগত আছে কি না ? এত কিছু স্মৃতি অভিজ্ঞতা না থাকলে কিন্তু এ উদ্ভট প্রশ্ন আসতো না। আর ধর্ম প্রচারকরা সাধারন মানুষের এ দুর্বলতাটা খুব ভালমতো বোঝে। বোঝে বলেই যে কোন ওয়াজ মাহফিলে দেখবেন এই মৃত্যূ নিয়ে কত কাল্পনিক কথা বার্তা কত রং চড়িয়ে বলতে থাকে যাতে মানুষ আরও বেশী ধার্মিক হয় ও তাদের রুজি রুটির পাকা ব্যবস্থা হয়। ভাই আবারও বলছি- মৃত্যু হলো অন্য সকল বিষয়ের মতই সাধারন একটা ঘটনা। আর কিছুই নয়।
@ভবঘুরে,
জি ভাই কিঞ্চিত ভাবিত। আমার মনে যাহা যাহা প্রশ্ন ছিল তাহার সকল উত্তর পাইয়া গিয়াছি। কিন্তু মৃত্যু বিষয়ে এসে সব ছেরাবেরা হয়ে যায়। আমি নাস্তিক দেখে অনেক ধার্মিক ভাই বোন এই বিষয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু ওই যে বললাম জ্ঞানের লেভেল কম থাকার কারনে নিজেকে এবং অন্যদেরকে উত্তর দিতে পারিনা।
আরেকটা কারনে হতে পারে যে খুব কম বয়েসে নিজের বাবাকে হারিয়েছি। সে কোথাই গেল এইটা জানার বড়ই ইচ্ছা। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে নিজে মারা না যাওয়া পর্যন্ত এর উত্তর পাওয়া যাবেনা। আমি নিজেও খুব শিঘ্রই মারা জাবার সম্ভাবনা আছে (আমি বলি নাই ডাক্তার বলছে। এখনো নিশ্চিত না। আরো কিছু পরিক্ষা করলে জানা যাবে) যাই হোক আমি কিন্তু পরিস্কার উত্তর পাই নি।
@অবুঝ,
জি ভাই সম্ভব। কারণ গুলো নিম্নে দেখেনঃ
১। আমি যেখানে থাকি সেইখানে ইন্টারনেট এর গতি বিষয়ক কোনো সমস্যা নাই।
২। আমি রান্না একদিন করে সপ্তাহে ৭ দিন খাই।
৩। সপ্তাহে ৩ দিন ছাড়া বাকি কইদিন আমার কাজ থাকেনা। (এখন ছাত্র কিনা। বাকি ৪ দিন পরাসুনা করতে হয়। সেটা তো যে কোনো কিছুই হতে পারে তাইনা ভাইজান?)
৪। ভবঘুরে ভাই এমন লেখা লিখসে যে আমি সারাদিন বিস্কুট খেয়েই কাটাইছি।
অবুঝ এর জবাব,
@আফসোস
ভাই আফসোস, আপনি বলেছেন-
” তিনি জীবনে একটা বই লিখাতো দূরের কথা কোন বই পড়েননি। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নিরক্ষর। তার জীবনে কখনো পাওয়া যায়না যে, কারো নিকট থেকে একটা শব্দ উনি শিখেছেন। তাহলে তিনি ত্রিশ পারা কোরআন কিভাবে লিখলেন। তখনকার যুগে যোগযোগ ব্যবস্থাও এরকম ছিলোনা যে, টেলিফোনের মাধ্যমে / ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে তিনি কোরআন সংগ্রহ করেছেন।”
আপনি হয়ত জানেননা বা জানলেও ভুলে গেছেন যে নিরক্ষর আর অশিক্ষিত এক জিনিস না।মানুষ নিরক্ষর হলেও শিক্ষিত হতে পারে।মুহাম্মদ জীবনে কারো কাছে কিছু শুনেন নি এ কথাটা একেবারেই ভুল।তিনি তার চাচা আবু তালিব এর সাথে নানা জায়গায় ঘুরে বেরাতেন।এক দেশ থেকে আরেক দেশে বানিজ্য করতে গিয়ে তিনি ঐ সব দেশের সংস্কৃতি,রাজনীতি ও ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন।বহিরা নামক পাদ্রীর কাছ থেকে দর্শন বিষয়ে তার হাতেখরি।তবে তিনি সবচাইতে বেশি জ্ঞান অর্জন করেন আরাকা বিন নওফেল নামক এক পাদ্রীর কাছ থেকে যিনি ছিলেন মুহাম্মদ এর বিবি খাদিজার আত্নীয়।আরাকা বিন নওফেল ছিলেন একাধারে পাদ্রী ও দার্শনিক।মুহাম্মদ নিয়মিত এই দার্শনিক এর কাছে যেতেন ও দর্শন বিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতেন।বস্তুত আরাকা বিন নওফেল এর কাছ থেকেই মুহাম্মদ তৌ্রাত ও ইঞ্জিল শরীফ এ বর্নিত ধর্মীয় কাহিনি শুনতেন এবং বুঝতেন।তৌ্রাত ও ইঞ্জিল এ ইতিমধ্যে ঐ সময়কার জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত জ্ঞানও লিপিবদ্দ হয়ে গেছে।মুহাম্মদ ছিলেন মেধাবী যার ফলে এখান থেকে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কেও প্রভুত জ্ঞান করেন যার প্রভাব আমরা কোরানে দেখতে পাই।কারন কো্রানে জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত ঐ সময়কার ভুল তথ্যই লিপিবদ্দ আছে যা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান এর সাথে সঙ্ঘাতময়।কাজেই আপনি যদি মুহাম্মদকে নিরক্ষর বলেন তবে ঠিক আছে,কিন্তু আপনি যদি নিরক্ষর বলতে অশিক্ষিত বুঝান তাহলে আপনি কিন্তু নিজেই তাকে ছোট করছেন।আসলে আপনি নিজেই মুহাম্মদের জীবনী সম্পর্কে অবগত নন।যতটুকু জানেন তা ঐ লো্কমুখে শুনা কিচ্ছা কাহিনী।উল্লেখ্য যে নিরক্ষর হলেও মানুষ অনেক সুন্দর জ্ঞান সমৃদ্ধ ও দার্শনিক মতবাদ রচনা করতে পারে।আমাদের গর্ব লালন ফকির তার অন্যতম উদাহরন।
আপনারা কোরআন হাদীসকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যা দিতেছেন। যা আদৌ ঠিক নয়।
আপনি বলছেন মক্কায় রাসূল (স) সতর্ককারী ছিলেন। কিন্তু মদিনায় আর সতর্ককারী নন। রাসূল (স) ৬৩ বছর বয়সের মধ্যে ২৩ বছর বয়স ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। যেহেতু মক্কা তাঁর জন্মভূমি তাই তিনি মক্কা থেকেই প্রথম ইসলামের দাওয়াত দেন। তখন হলো ইসলামের প্রাথমিক যুগ। ইসলামের প্রত্যেকটা বিধিবিধান ক্রমান্বয়ে মানুষের উপর আরোপিত হয়। আল্লাহ একবারে সকল বিধিবিধান মানুষকে দেন নি। একজন মানুষ পৃথিবীতে এসেই নামায রোযা পালন করতে হয় না। একটা নির্দিষ্ট বয়স পর পর্যায়ক্রমে প্রথমে ঈমান, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, পর্দা এগুলো ফরজ হয়।
যেহেতু ইসলামের প্রথম অবস্থায় মানুষের ঈমানই ছিল না। ঐসব লোকগুলো জিহাদ করবে কিভাবে? রাসূল (স) সবসমই সতর্ককারী ছিলেন । মোসলমানদের কাজ হলো যখন নামায পড়ার সময় তখন নামায পড়বে, রোযার সময় রোযা রাখবে। যেই সময়ে আল্লাহর যেই হুকুম রয়েছে সে হুকুম পালন করবে এটাই হলো মোসলমানের ইবাদাত।
আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম” (সূরা মায়িদাঃ ৩ দ্বীন যখন পরিপূর্ণ হয়ে গেল তখন থেকেই মোসলমানরা কখনো সতর্ককারী, মুজাহিদ, নামাযি, রোযাদার ইত্যাদি।
সকল প্রশংসা আল্লাহর । তাই বলে কোথাও বলা নাই যে, কারও প্রশংসা করা যাবে না।
এখানে আল্লাহ বলছেন, আল্লাহর রঙে রঙিন হও। এখন আপনারা বলতে পারেন আল্লাহর কি রঙ আছে নাকি আল্লাহর রঙে রঙিন হবে কিভাবে।
এখানে আল্লাহর গায়ের রঙে রঙিন হতে বলেননি। আল্লাহ দয়ালু, আপনাকে দয়ালু হতে বলেছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, আপনাকে ক্ষমাশীল হতে বলেছেন।
একটা কথা আছে না, জীবে দয়াকরে যেই জন সেই জন সেবিছে ইশ্বর।
এখন আপনারা যা বুঝতেছেন তাই বলে যাচ্ছেন।
উপরের হাদিসটিতে মানুষের সামনে প্রশংসা করতে নিষেধ করা হচ্ছে। কারন তাহলে মানুষের মধ্যে অহংকার চলে আসবে। আর অহংকার পতনের মূল।
আল্লাহ বলছেন যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর। তাহলে আপনি আর আমি যে, ঘর বাড়ি বানিয়ে থাকতেছি তাহলে আল্লাহ সম্পদ আমরা কিভাবে ব্যবহার করছি? পিতার সকল সম্পদ সন্তানরা ব্যবহার করতে পারে । তবে কিছু কিছু একান্ত নিজস্ব সম্পদ ছাড়া। আবার ভাববেননাযে আমি আল্লাহকে পিতা বলছি। শুধুমাত্র একটা উদাহরণ মাত্র।
আল্লাহ আমাদের তার খলিফা হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিছুকাল আল্লাহ আল্লাহর সম্পদ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন । তাই আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারছি।
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
প্রশংসার ব্যাপারটাও একই রকম। তবে সকল প্রশংসা মানুষকে করতে পারবো না। মানুষের প্রশংসার সীমবদ্ধতা আছে।
মোসলমানরা কখনোই কাবাকে সেজদা করে না। তারা দিক হিসেবে ওদিক ফিরে সেজদা করে। এটা একটা দিক মাত্র। এখন প্রশ্ন আসতে পার যে, কাবাকেই কেন দিক হিসেবে নিতে হবে? জীবিত মানুষের কথার অভাব নেই। যদি বলা হতো যে, তোমরা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়বে। তাহলে ঐ একই কথা আসতো। মোসলমানরা বাইতুল মোকাদ্দাসকে সেজদা করে।
আর পাথরে চুমু দেওয়ার ব্যাপারটা। চুমু দিলেই যদি সেজদা হয়ে যায়, তাহলে আপনার কথা মতো কোন পিতা আদর করে তার সন্তানকে চুমু দিতে পারবে না। কোরআন হাদীসের কোথাও পাবেন নাযে, পাথরেচুমু দিলে পাথর গুনাহ মাফ করে। পাথরে চুমু দিলে গুনাহ মাফ হয়। গুণাহটা কে মাফ করে পাথরে, না আল্লাহ। পাথরটা হলো আল্লাহর একটা প্রিয় বস্তু। পাথরটা একটা উছিলা মাত্র, এছাড়া আর কিছু না। যেমন, নামায পড়লে গুণাহ মাফ হয়। কিন্তু নামাযতোআর গুণাহ মাফ করে না। গুণাহ মাফ করেন আল্লাহ। নামায হলো উছিলা মাত্র।
যেমন ধরেন- শেখ মজিবুর রহমানের দেয়াল ঝুলিয়ে রাখলে বড় ভালো পদ পাওয়া যায়। অথবা, শেখ মজিবের কবরে ফুল দিলে বড় পদ পাওয়া যায়। এখন শেখ মজিবকি পদ দিবে? না, উনাকে যারা ভালোবাসেন তারা পদ দিবেন? আপনারা হয়তো জানেন কিনা জানি না। আমার একজনপ্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরেকজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কবরে ফুল না দেওয়ার কারনে উনি রাষ্ট্রপতির পদ হারিয়েছিলেন। এখন কথা হলো, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কি কবর থেকে এসে উনার পদ নিয়েছিলেন। নাকি যারা উনাকে ভালোবাসেন তারা উনার পদ নিয়েছিলেন।
আপনি ঈসা (আ) এর জন্ম সম্পর্কে বলেছেন মোহাম্মদ (স) নাকি অস্পষ্ট ও ধোয়সার মধ্যে ছিলেন। আর আপনি হচ্ছেন পুরো পরিষ্কার। মার কাছে মামার বাড়ির গল্প করার মতো।
অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল। সূরা মরিয়াম, ১৯:১৭
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ রূহ বলতে জিব্রাইল (আ) কেই বুঝিয়েছে। এখানে আল্লাহ রূহ রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। যেমন অনেক মা তার সন্তানকে কলিজার টুকরা, সোনামানিক ইত্যাদি অনেক কথা বলে থাকেন।
আপনার যদি একটু বিবেক থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। কোন মা তার সন্তানকে জন্ম দিয়ে তার কাছ থেকে তার সতীত্বের জন্য আশ্রয় চাইবে না। অবশ্য আপনার মা আপনার কাছে চেয়েছে কিনা আমার জানা নাই।
মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। সুরা মারিয়াম, ১৯:১৮
রুহ বলতে আপনি কি বোঝেন আমি জানি না। আপনি আল্লাহকে মানুষের মতো কল্পনা করে বসে আছেন।
তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।সূরা বনী-ইসরাইল-৮৫
আদম (আ) এর ভিতরও আল্লাহ নিজে প্রবেশ করেননি। আল্লাহর হুকুম প্রবেশ কিয়েছেন।
আপনাদের কাছে কোরআন হাদীসের কথা বলা মানে কামারের দোকানে কোরাআন পাঠ করা।
আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।সূরা ইয়াসীন-১১
“আল্লাহ তাআলা এ কিতাবের মাধ্যমে তোমাদের উপর আদেশ নাযিল করেছিলেন যে, তোমরা যখন দেখবে আল্লাহ তাআলার নাযিল করা কোন আয়াত অস্বীকার করা হচ্ছে এবং তার সাথে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা হচ্ছে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসো না, যতক্ষণ না তারা অন্য কোন আলোচনায় লিপ্ত হয়, (এমনটি করলে) অবশ্যই তোমরা তাদের মতো হয়ে যাবে (জেনে রেখো), আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সব কাফের ও মোনাফেকদের জাহান্নামে একত্রিত করে ছাড়বেন” (সূরা নিসাঃ ১৪০
এর পর থেকে আপনারদের সাথে আমার আর কথা না হওয়াটাই ভালো।
যারা ঈমানের পরিবর্তে কুফর ক্রয় করে নিয়েছে, তারা আল্লাহ তা’আলার কিছুই ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি। সূরা আল-ইমরান-১৭৭,১৭৮
আমি জানি আপনাদের সাথে শুধু শুধু পেচাল করছি কোন লাভ হবেনা । কারন আপনাদের কোরআন হাদীস পড়ার সূচনাটাই হয় অবিশ্বাস দিয়ে। তাই আপনারা কোরআন হাদীস পড়ে কোন উপকার পাচ্ছেন না।
আপনারা নিজেদের শক্তিতে ভালো থাকবেন (যদিও আল্লাহর ইচ্ছাছাড়া কারো বেঁচে থাকা সম্ভব না। কেউ বিশ্বাস করুন আর না করুক)। আমি আল্লাহর ইচ্ছায় ভালো থাকার চেষ্টা করবো।
একটা বিষয় আপনার আমাদের জন্য আফসোস করেন। আমরা আপনাদের জন্য আফসোস করি। কিন্তু একটা সময় পর যেকোন একপক্ষের আফসোস সত্যি হয়ে যাবে।
যদি আপনাদের আফসোস সত্যি হয় তাহলে আপনাদের কোন ক্ষতি নাই আমাদেরও কোন ক্ষতি নাই। তবে হয়তো এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনটা বিভিন্ন নিয়মের ভিতর আবদ্ধ থাকবে। এটা আমাদের জন্য কোন ক্ষতির কারন নয়। কোন পশুর পাখির জীবনে কোন নিয়ম শৃঙ্খলা নেই । আমরা মানুষ, সমাজ বদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়।
কিন্তু আমাদের আফসোস সত্যি হলে আমাদের কোন ক্ষতি নাই। কিন্তু আপনারা মহা বিপদে পড়ে যাবেন। যেখানে কেউ সাহায্য করতে পারবে না।
@আফসোস,
ভাই , আপনাকে দুটো সরল প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু সেগুলোর উত্তর না দিয়ে বার বার ইনিয়ে বিনিয়ে কোরান তাফসির শুরু করে দিচ্ছেন, আপনার কি মানসিক সমস্যা আছে ? আপনি কি আমার প্রশ্ন দুটোর উত্তর দিতে পারবেন না ? না দিলে সরল ভাবে বলে দিলেই তো হয়। এত তেনা প্যচানোর তো কোন কারন দেখি না। আবারও প্রশ্ন দুটো করলাম , আজে বাজে প্যচাল না পেড়ে উত্তর দেন-
মোহাম্মদ তার সারাজীবনে কয়টা বিয়ে করেছিলেন? প্রতিটি বিয়ের কারন কি ছিল ?
মোহাম্মদ কি তার দাসিদের সাথে সেক্স করেছেন? করলে কেন করেছেন?
নিচের হাদিসে কোথায় লেখা যে যার প্রশংসা করছিল সে সামনেই দাড়ান ছিল। আর তা ছাড়া কেউ ভাল কাজ করলে তার সামনে প্রশংসা বা তারিফ করা যাবে না , এটা আবার কেন উদ্ভট নিয়ম? বিষয়টা হচ্ছে যেন তোষামোদ না করা হয়। প্রশংসা্ আর তোষামোদ তো ভাল মতই বোঝা যায়। নাকি আপনার নিজের মন মত ইসলাম প্রচার শুরু করলেন ইদানিং।
@আফসোস,
তাইতো আপনার কাছে কিছু জিজ্ঞাস্য আছে ( করা হয়েছে ) । ওই প্রশ্ন গুলোর উত্তর ( আপনার ব্যাখ্যা দেন )..প্রয়োজনে আপনি আলেম দের সহায়তা নেন… তবুও উত্তর দেন… ।। plz…. :-X
মনে রাখবেন একটা মাত্র ভুল পদক্ষেপ ই মোহাম্মদের নবুয়ত্তের জন্য হুমকি স্বরূপ…।
বুঝলাম এখন অনেকে ঈমান এনেছে, তারমানে এখন অন্যদের ইসলামের দাওয়াত দিবে… না মানলে আক্ক্রমন করবে… কর নিবে… ( নইলে ইসলাম অন্যদেশে প্রসারিত হল কেমনে ? অন্যদেশ থেকে কি এসে আরবদের আক্রমন করসিল নাকি? ) হুম মোহাম্মাদ সতরককারি ছিলেন, “তার হাত থেকে বাছার জন্য … তার আনুগত্য স্বীকার করার জন্য… “ 😉
তারমানে কি এখন জিহাদ বাদ ? কই এই ( বাদ ) ব্যাপারে তো পরবর্তীতে কোন আয়াত আসলো না ! দুনিয়ায় শেষ অমুসলিম থাকা পর্যন্তও তো জিহাদ করে জেতে হবে…আল্লাহ্ র জিহাদের ঘোষণা তো to be continued…. :guli:
এটা কি ধরনের কথা? তাইলে ন্যায়বিচারক হলেন কেমনে? যে পুণ্য করবে তাকে তো ক্ষমা করাই উচিৎ। এটা তো হিটলার এর মত কথা হল। :-O
তাই নাকি ? ? ( নতুন মাসালা )। কোরআন ও হাদিসের আলকে ব্যাখ্যা করুন … :lotpot:
একই কথাইত হিন্দু / বৌদ্ধও / ক্রিস্টিয়ান … দাবি করতে পারে। আপনি জমজম কুয়ার পানি খেয়ে সোয়াবের আশা করেন? :-s
ভালই বলছেন। হতে পারে। ঈশা/ মুসা/ সব ইতো এক ই রকমের । অনারা ভাই এক গোয়ালের গুরু ( গরু ) । বুজরুকি নিয়ে কাজ-কারবার।। :rotfl:
ভালো কথা।
কোরআন হাদিস এর ভালো বিষয় থাকতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর অনেক বইয়েই ভালো ভালো কথা আছে। সব ধর্মের বই এই আছে। কিন্তু মানব সমাজের জন্য একটা খারাপ কথাই যথেষ্ট এটার ঐশ্বরিকতা নষট করতে। তাই দয়াকরে কোরআন হাদিস এর সব কিছু নিয়েই আলাপ করেন। বাছাই করা আয়াত নিয়ে নয়। কিছু বিষয় আলেমরা গোপন করে অথবা বিকৃত করে বলে কেন ? :-X
“হুম…। দুষ্ট ছেলেদের সাথে মিশনা। তুমিও দুষ্ট হয়ে যাবে।“ :guru:
ইমানদার দের মনের জোর তো কম হওয়া উচিৎনা। আল্লাহর কি ভয় আছে নাকি যে বেশী আলাপ আলোচনা করলে থলের বেড়াল বের হয়ে যাবে ?? সত্যের তো ভয় থাকা উচিত না। বরং আপনার উচিৎ আপনার ইমান দিয়ে আমাদের আলকিত ( ! ) করা। আপনি আপনার দায়িত্ব এরিয়ে যাচ্ছেন। :guru:
তারমানে আপনিও negatively নিচ্ছেন। হতেওত পারে আপনার সঠিক ব্যাখ্যায় আমাদের অন্তরের মোহর খুলে গেল। আপনি তো ব্যাখ্যাই দিলেন না। আর আমাদের দোষ দিচ্ছেন আমাদের । :-Y
… জানেন; সবাই আমাদের সাথে এমন করে। কেউ আমাদের শিখাতে চায় না। শুধু নিজেরাই বেহেস্তে যেতে চায়। আমাদের দোষ, আমরা প্রশ্ন করি… । ;-(
হায় ।। ৭০ টা হুর miss হয়ে গেল !!! আফসোস……। বরই আফসোস……। :-Y
Whatever, advance congratulation for achieving 70 …….. :clap
@আফসোস,
এখানে দেখুন, আসল ব্যাপারটা যদি এমন হয়! :-s
ভাই জান, আপনারা সবাই ভাল তো। আপনার লেখাটা এখনো পড়ি নি— তবে কিছুদিনের মধ্যে মিডট্রাম পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। তখন আপনার লেখাটা পড়ব। হেড লাইনটা বেশ মজার হয়েছে–
লাইক।
ভাল থাকবেন। (F)
ভাইয়েরা পাগলা গারদ থাকার জায়গানা । ওখানে পাগলদেরকে মানুষ দেখতে যায়। আর দেখা শেষ হলে চলে যায় । এটাই স্বাভাবিক। আমিও আসি দেখতে , দেখি কোন পাগল ভালো হয়েছে কিনা।
@আফসোস,
যারা বিশ্বাস করে নাঃ
মানুষ পিঁপড়ার সাথে কথা বলতে পারে,
সূর্য কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্ত যায়,
বায়ান্ন বছরেও ছ’বছরের শিশুকে বিয়ে করা পরম পুণ্যের কাজ ইত্যাদি,
তাঁরা হচ্ছে পাগল। তাই না?
আফসোস!
@সফ্টডক,
মানুষ যদি প্রাইমেটের সাথে কথা বলতে পারে তো পিপড়ার সাথে কথা বলতে পারবেনা । এটা কেমন কথা বললেন?
আমি এটার ব্যাখ্যা জনাব network কে দিয়েছিলাম। যাক আপনারা যেহেতু সামান্য ব্যাপারটা বুঝতে এতো কষ্ট হচ্ছে। তাহলে একটু কষ্ট করে কক্সবাজার গিয়ে সূর্যাস্তটা দেখে আসবেন। আপনি দেখবেন আপনার কাছে মনে হচ্ছে যে, সূর্যটা যেন বঙ্গোপসাগরের নিচে ডুবে যাচ্ছে।
তা আল্লাহ যদি বলেন সফ্টডক কক্সবাজার গিয়েছিল এবং দেখল সূর্যটা বঙ্গোপসাগরের নিচে ডুবে যাচ্ছে। তাহলে ভুলটা কার জনাব। আপনার না আল্লাহর? কোরআনে বিভিন্ন সময় কোন নবীর ঘটনা, ব্যক্তির ঘটনা, বিভিন্ন আদেশ, উপদেশ, বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। সবগুলোকে একই দৃষ্টিতে দেখলেতো চলবে না।
আপনাদের অবস্থাটা এরকমঃ
ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে মায়েরা বঙ্গানুবাদ শেখাতে গিয়ে যখন বলে, বলো My head মানে আমার মাথা। তখন বাচ্চারা বলে My head মানে আম্মুর মাথা । আসলেই কি My head মানে আম্মুর মাথা! মা বাচ্চাকে বলছে বলো My head মানে আমার মাথা।
আপনারা বাচ্চাদের মতো বুঝতে ভুল করেন ।
আপনারা কিন্তু রাসূল (স) এর বিয়েগুলোকে সামাজিক দৃষ্টিতে বিচার করেন। ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিচার করেননা। সমাজ দিয়ে তো আর ধর্ম চলে না। দেখুন সমাজ দুলাভাই আর শালিকার সাক্ষাৎ অবৈধ বলে না। কিন্তু ধর্ম দুলাভাই আর শালিকার সাক্ষাৎ অবৈধ বলে। কোন ছেলে যদি কোন মেয়ের দিকে তাকায় সমাজ তাকে অপরাধ বলবে না। কিন্তু ধর্ম অপরাধ বলবে। আজকাল পরকীয়া প্রেমের বলীযে কতো পরিবার হয়েছে তার কোন হিসাব নাই। কোন পরিবার যখন ভেঙ্গে যায়, ঐ পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর চাইতে তাদের মাসুম বাচ্চাদের অবস্থা খুবই খারাপ যায়। অবশ্য নাস্তিকদেরতো বিয়েই নাই বিয়ে ভাঙ্গবে কিভাবে। কারন বিয়ে করতে হলেতো ধর্ম লাগবে । তাদেরতো কোন ধর্ম নাই। যানিনা তারা কিভাবে তাদের যৌন চাহিদা মেটায় । নাকি যৌনাঙ্গ কেটে ফেলে দেয়। আর নাহয়তো সারা দুনিয়া টাকে পতিতালয় বানাতে হবে। অবৈধভাবে নারী ভোগ করা ছাড়াতো উপায় নাই। অর্থাৎ জন্তু জানোয়ার হতে হবে।
@আফসোস,
ও’ তাই বুঝি, এ ব্যাপারটা বলার জন্যও ছয়শ’ ডানার জিবরীলকে এত কষ্ট করে মর্ত্যে আসতে হতো! তা না হয় হল। কিন্তু তারপর সূর্য মশাই কোথায় যান, এ ব্যাপারে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যাক আল্লাহর পয়গম্বর থেকেঃ
“আবু যর বর্ণিত- তিনি বলেন একদা সূর্য অস্তমিত হইলে হুযুর আমাকে বলিলেন, তুমি কি জান সূর্য কোথায় গমন করে ? আমি বলিলাম, আল্লাহ আর রসুলই ভাল জানেন। তিনি বলিলেন- উহা যাইতে যাইতে আরশের নীচে পৌছিয়া আল্লাকে সিজদা করতে থাকে, তারপর পূনরায় উদিত হইবার অনুমতি চায় এবং তাহাকে অনুমতি দেওয়া হয়। অচিরেই এক দিন আসিবে যখন সে সিজদা করিবে কিন্তু তাহা গৃহীত হইবে না, সে যথারীতি উদিত হইবার অনুমতি চাহিবে কিন্তু তাহাকে অনুমতি দেওয়া হইবে না। তাহাকে বলা হইবে যে পথে আসিয়াছ সেই পথেই ফিরিয়া যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হইতেই উদিত হইবে। ইহাই হইল আল্লাহতায়ালার এই বানীর মর্ম এবং সূর্য তাহার নির্ধারিত কক্ষ পথে পরিভ্রমন করে, উহাই সর্ব শক্তিমান মহাজ্ঞানী আল্লাহর নির্ধারিত বিধাণ কোরান,৩৬:৩৮)। সহি বুখারি, বই-৫৪, হাদিস-৪২১”
এখানকার ‘My Head’ এর মানে কি, আফসোস সাহেব?
বায়ান্ন বছর বয়সে ছ’বছরের শিশুকে বিয়ে করা কি অনুকরণীয় নাকি নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত, এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিন, দয়া করে ত্যানা প্যাচাবেন না, আফসোস সাহেব।
@সফ্টডক,
ওস্তাদ,
উপযুক্ত জবাব হইছে। তাফছীর ইবনে কাছীরে বর্নিত আছে স্থানীয় শহর বাসীরা এটাও দাবী করেছেন যে তারা সন্ধায় সূর্যটা পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যাওয়ার শব্দটাও পর্যন্ত শুনতে পাইতো যে দিন শহরে কোলাহল কম থাকত।
আবার কেহ কেহ এটাও দাবী করেছেন,জুলকারনাইন সূর্য ডুবার স্থানকেও অতিক্রম করে সূর্যকে পিছনে রেখে আরো বেশী পশ্চিমের দিকে সামনে এগিয়েও গিয়েছিলেন।
এই ধরনের মজার কাহিনী কোরান হাদিছ ছাড়া আর কোথাও পাইবেন?
আর এর পিছনে আমাদেরকে সময় ব্যয় করা লাগে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার সমস্যা হলো আপনি তথ্য গোপন রেখে উদ্বৃতি দেন।
আবার কেহ কেহ এটাও দাবী করেছেন,জুলকারনাইন সূর্য ডুবার স্থানকেও অতিক্রম করে সূর্যকে পিছনে রেখে আরো বেশী পশ্চিমের দিকে সামনে এগিয়েও গিয়েছিলেন।
একথাটা তাফসির ইবনে কাসীরের মধ্যেই বলা আছে যে আহলে কিতাবরা মিথ্যাচার করেছে
@আফসোস,
আপনার যুক্তিযোগ্য এবং সঠিক রেফারেন্স সহ হাকিম ভাই এর প্রশ্নের উত্তর আশা করতেছি । মনে রাখবেন পাগলদের প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে পারবেন, আর প্রশ্নগুলি যে পাগলের এইটা এখানে কেউ বলবেনা । শুধু তাই নয় ব্যাক্তিগত ভাবে এই প্রশ্ন গুলি অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন ।
ভুল মানুষের হতেই পারে, মানুষ তোহ নাকি ? আর যারা ভুল ভাবছেন তাদের ভুল ধরে দেবার দায়িত্ব মানুষের ই । যেহেতু এরা সবাই পাগল আর আপনি সুস্থ্য তাহলে একটু ভুল ধরে দিয়ে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিবেন ।
দয়া করে অন্য দিকে নিয়ে যাবেন না, আপনার এই উত্তরের জন্য কয়েকদিন থেকে আমি এখানে দেখার জন্য আসতেছি । কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনি প্রশ্নটা এড়িয়ে যাচেছন (কেন জানিনা) ।
উত্তরের অপেক্ষায় রউলাম এবং আরো কয়েকজন কে দাওয়াত দিলাম আপনি উত্তর দিবেন এটা দেখার জন্য ।
@আফসোস,
জনাব আফসোস সাহেব, আপনি কি কখনো বুখারী শরীফ পড়ে থাকেন? তাহলে চলে যান মওলানা আজিজুল হকের বাংলা বুখারীর ৭ম খন্ডের ২৪০ পৃষ্ঠায়।
সেখানে কেয়ামতের পূর্বালামত হিসাবে পাইবেন,
“কেয়ামতের পূর্বে কোন একটি রাত্রি তিন রাত্রির সমান হইবে। তার পরের দিন সূর্য পূর্ব দিক হতে উদয় না হয় উদয় হইবে পশ্চিম দিক হইতে………।
নবী যা কিছুই বলেন আল্লাহর কাছ থেকে জেনেই বলেন, নিশ্চয়ই আপনি তা বিশ্বাষ করেন।
পৃথিবীর এক পৃষ্ঠে দিন থাকলে অপর পৃষ্ঠে রাত থাকে।
অন্য ভাবে যদি বাংলা দেশে যদি একটি রাত তিন রাত্রের সমান হয় ঠিক তখনি নিউ ইয়র্কে একটি দিন তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হইবে।
ঠিক একই ভাবে যখন বাংলা দেশে পূর্ব দিক হতে সূর্য উদয় হতে থাকে ঠিক তখনই নিউ ইয়র্কে পশ্চিম দিকে সূর্য ডুবতে থাকে।
অর্থাৎ বাংলাদেশে যদি একটি রাত তিন রাত পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে পশ্চিম হইতে সূর্য উদিত হইতে থাকে ,তাহলে ঠিক ঐ সময়ে নিউ ইয়র্কে একটি দিন তিন দিনের সমান দীর্ঘস্থায়ী হয়ে সন্ধায় নিউ ইয়র্কের পূর্ব দিকে সূর্যটা অস্ত যাইবে।
আপনার নিশচয়ই যথেষ্ঠ ভৌগলিক জ্ঞ্যান আছে । তাহলে আপনি এই ঘটনার ব্যাপারে অবশ্যই একমত হইবেন।
ঐ বানী টাতে এই ঘটনাটি পৃথিবীর কোন দেশের উপর ঘটবে তা উল্লেখ করা হয়নাই।
এটা আপনি আমাদেরকে একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন।
তা নাহলে লোকে মনে করবে নবী যেমনটা পৃথিবীকে স্থির,সমতল,চ্যাপটা মনে করতেন,এবং মনে করতেন, সূর্যটা প্রতিদিন পূর্ব দিক হতে উদয় হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায় ,যেমনটা আমাদের স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয়।
পৃথিবীর অপর পৃষ্ঠায় নিউইয়র্কে যে ঠিক এর বিপরীত সময় চলে এটা তার অজানা ছিল। তাই তার পক্ষে এটা বলা সমভব ছিলনা।
কিন্তু আল্লাহ পাকের তো সব কিছু জানা আছে।
যেহেতু নবীর সমস্ত কথাই আল্লাহর কথা বলে দাবী করেন, কাজেই কথার সঠিকতা,বেঠিকতা, যৌক্তিকতা,ও অযৌক্তিকতা এসবেরই দায়ভারটাও গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আল্লাহর উপর বর্তায়।
তাহলে আল্লাহ পাকের কি পৃথিবীর ভৌগলিক জ্ঞ্যান, পৃথিবী ও সূর্যের পরস্পরের আবর্তনের জ্ঞ্যান নাই যে তিনি ঐরুপ একটি অসম্পূর্ণ ও অসামঞ্জস্য পূর্ণ কথা তিনি বিশ্ব নবীর দ্বারা বলাইলেন?
এভাবে সর্বময় ক্ষমতাধারী,সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহকে ছোট করে দেওয়াটা কি ঠিক?
আপনিই বলুন?
আলোচনায় থাকুন
চলে যান না যেন।
আল্লাহ আপনার সহায় হউন।
@আফসোস,
জনাব আফছোছ সাহেব, আপনি কি নিচের আজগুবী কল্প কাহিনী গুলী মনে প্রানে বিশ্বাষ করেন?
যদি আপনি ঐগুলী মনে প্রানে বিশ্বাষ না করতে পারেন তা হলে কিন্তু আপনিও পাগলে পরিণত হবেন। সাবধান!!
১।পৃথিবী একটি স্থির সমতল বিছানো মাঠ।
২। সূর্য প্রতিদিন পূর্ব দিক হতে শয়তানের মাথার দুই পার্শের মধ্য দিয়ে উদয় ও পশ্চিমে অস্ত যায়। যার জন্য সূর্যদয়ের ও সুর্যাস্তের সময় নামাজ পড়া হারাম করা হয়েছে।
BOKHARI BOOK 54#494
৩। আছমান টি মাথার উপর ঘরের ছাদের আকারে নিরেট ও নিশ্ছিদ্র রয়েছে। কারন ছিদ্র থাকলে আবার উপর থেকে কিছু গড়িয়ে পৃথিবীর উপর ঢুপ-ঢুপ করে পড়তে পারে।
৪। পৃথিবীতে শীত গ্রীস্ম জাহান্নামের শ্বাষ প্রস্বাসের ফলাফল BOKHARI BOOK 54#482
পাগলেরা কি কয় একটু বিবেক ব্যবহার করে শুনুন।
তরপরে বিবেকের দ্বারা সিদ্বান্ত নিন সত্যিকারে পাগল কারা?
এটা না করলে কিন্তু আল্লাহ পাক কেয়ামতের দিন রেহাই দিবেননা ।
তাহলে ঐ শুনুন আল্লাহ পাক কি বলতেছেন–
কাজেই আল্লাহর কথা মান্য করে সব কিছুতে একটু আল্লাহর দেওয়া অমূল্য সম্পদ এই মস্তক টির একটু সদ্ব্যবহার করুন।
আবারো আসুন ও আলোচনায় অংশ গ্রহন করুন।
ধন্যবাদ
আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক।
@আফসোস,
ভাই, একমাত্র পাগলই মনে করে সে নিজে সুস্থ আর বাকী সবাই পাগল।
@ভবঘুরে, (Y)
কানার হাতে কুড়াল দিলে যে সমস্যাটা হয় আরকি। বাগানো ঠিক আছে কুড়ালটাও ঠিক আছে। সমস্যাটাহলো কর্তাটা কানা। যারফলে ভালো গাছ খারাপ গাছ সবকেটে সাফ।
আমি আপনার প্রতি পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি। অতএব, আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের জন্যে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন এবং ওদের মধ্যকার কোন পাপিষ্ঠ কাফেরের আনুগত্য করবেন না। সূরা আদ-দাহর ( মক্কায় অবতীর্ণ)- ২৩, ২৪
আল্লাহতো আপনার সমস্যার সমাধান দিয়েই দিয়েছেন। আল্লাহ পর্যায়ক্রমে অল্প অল্প করে কোরআন নাযিল করেছেন এখানে সমস্যাটা কোথায়? আপনিতো সবচেয়ে বড় ভুলটা ধরতেই ভুলে গিয়েছেন। এটাতো একটা আয়াত মাত্র। আল্লাহতো পুরো কোরান শরীফ নাযিল করেছেন একটু একটু করে । কখনো পরিপূর্ণ সূরা, কখনো কোনো সূরার অংশ। যে কোরআন হাফেজসাবগন রমযানের ২৭দিনে ২০ রাকাত নামাযে খতম করেন, সে কোরআন আল্লাহ নাযিল করেছেন ২৩ বছরে। এখন বলেন আল্লাহ কি সবজানতেন না? আল্লাহতো চাইলে পুরো কোরআন একবারে নাযিল করে দিতে পারতেন(আপনাদের কথা মতো)। আল্লাহ কোরআন নাযিল করেছেন মানুষের পথ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য। কোন সমস্যায় পড়লে কি সমাধান দিতে হবে তা জানার জন্য। তা যদি একবারে নাযিল করে দিতেন, তাহলে মানুষ কিভাবে জানতো কোন সমস্যার জন্য কোন আয়াত নাযিল করা হয়েছে?
এখানে সবার একটাই দাবি আল-কোরআন রাসূল(স) নিজে লিখেছেন। যারা এ দাবি করে তারা রাসূল (স) এর জীবনি সম্পর্কে কিছু না জেনে অযৌক্তিক কিছু দাবি করেছে।
তিনি জীবনে একটা বই লিখাতো দূরের কথা কোন বই পড়েননি। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নিরক্ষর। তার জীবনে কখনো পাওয়া যায়না যে, কারো নিকট থেকে একটা শব্দ উনি শিখেছেন। তাহলে তিনি ত্রিশ পারা কোরআন কিভাবে লিখলেন। তখনকার যুগে যোগযোগ ব্যবস্থাও এরকম ছিলোনা যে, টেলিফোনের মাধ্যমে / ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে তিনি কোরআন সংগ্রহ করেছেন।
আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করেছি, যেমতে আমি এ কোরআন তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছি। তুমি এর আগে অবশ্যই এ ব্যাপারে অনবহিতদের অন্তর্ভূক্ত ছিলে। সূরা ইউসূফ ( মক্কায় অবতীর্ণ ),-৩
তিনি সূরা ইউসূফ কোথায় পেলেন? আগেকারযুগের বিভিন্ন নবী, বিভিন্ন ব্যক্তিদের কথা আল্লাহ কোরআনে বলেছেন। এসব কথা তিনি কার কাছ থেকে সংগ্রহ করলেন?
নাকি ভবঘুর গিয়ে আল্লাহর নবীকে সব দিয়ে এসেছে। বলাতো যায় না ভবঘুরের হয়তো পুনরায় জন্ম হয়েছে? ভবঘুরেতো পূর্বে ছিলো বহুদিন আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক ধরনের সাধারণ পূর্বপুরুষ হিসেবে কথিত প্রাইমেট । হয়তো এখন মানুষের মতো হাত পা হয়েছে। পূর্বে পশম বড় ছিলো এখন পশম ছোট হয়েছে। অবশ্য আমরাতো তাকে দেখিনি, হয়তো আগেরমতোই রয়ে গিয়েছে।
জনাব এই কোরআন আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য নাযিল করেছেন। কোন প্রাইমেটের জন্য নাযিল করেননি। তো প্রাইমেটদের এই কোরআনের অর্থ বুঝার কোন দিন কোন শক্তি হবে না। আগে মানুষ হন তার পরে কোরআন পড়ুন । দেখবেন কত সহজে, কত সুন্দরভাবে আপনি কোরআন বুঝছেন।
এখানেতো বেশির ভাগই প্রাইমেট থেকে বিবর্তন হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছে তাই এরা কোরআন বুঝতেছে না। না বুঝে এরা শুধু বকবক করে। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বানাতে চায়। আর এর নিজেদেরকে জন্তু জানোয়ার বানাতে চায়। আশ্রাফুল মাখলুকাতের আবির্ভাব নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী প্রাইমেট থেকে এসেছে। ওই প্রাণী যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় তো এর বিবর্তন হলো কি করে? বিবর্তনের মাঝপথে এসে যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় তো আর বিবর্তন হয়নি। আসলে সব প্রাইমেটরা বিলুপ্ত হয়নি। কিছু প্রাইমেট মানুষের আকার আকৃতিতে আমাদের সাথে বসবাস করছে। এদেরকে দেখলে চেনা যায় না, কিন্তু এদের কার্যকলাপ দেখলে চেনা যায়।
@আফসোস,
ভাইজান আপনি আমার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করেন নি , কোন পয়েন্টও খন্ডন করেন নি , এর অর্থ কি এই যে আপনার কোন যুক্তি নেই ? বুদ্ধি শুদ্ধি যদি সব আরবের মরুভূমির বালুর নীচে পুতে না রাখেন তাহলে উত্তর দেন।
আপনি তো এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য দিলেন দেখি। এবার আপনার অবস্থা কেমন জানেন? আপনি লাল কাঁচের চশমা চোখে দিয়ে দুনিয়া দেখছেন , তাই সব কিছু লাল মনে হচ্ছে। আপনি প্রথমেই বিশ্বাস করে বসে আছেন মোহাম্মদ হলেন নবী ও কোরান আল্লাহর পাঠানো কিতাব। এর পর নবীর সব রকম অনৈতিক কাজ কামকে আপনি নিজের মনের মাধুরি দিয়ে যুক্তি সিদ্ধ করতে চাইছেন, তাই মোহাম্মদের ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের বন্ধু কন্যা আবু বকরের মেয়ে আয়শাকে বিয়ে করা ও তার ৯ বছর বয়েসে তার সাথে সেক্স করাটার একটা কারন আপনি ঠিকই খুজে পান, খুজে পান মোহাম্মদের পালিত পূত্র বধু জয়নাবকে বিয়ে করার পক্ষে যুক্তি বা খুজে পান তার দাসীদের সাথে সেক্স করার পক্ষে যুক্তি। একই ভাবে কোরানের যতই ব্যকরণগত বা ঐতিহাসিক বা বিজ্ঞানগত ভুল থাকুক না কেন আপনার যুক্তির ( আসলে কুযুক্তির) কোন অভাব হয় না। যখন কুযুক্তিও কোন কাজ দেয় না তখন স্রেফ বলে দেন- এটা আল্লাহর ইচ্ছা। চোখ থেকে লাল চশমাটা খুলে চারদিকে তাকান, দেখবেন সব ফকফকা, পরিস্কার , তখন আর আপনাকে কষ্ট করে কুযুক্তি দিতে হবে না। এটা শুধু মোহাম্মদ বা কোরান সম্পর্কেই নয়, সকল তথাকথিত ধর্মীয় কিতাব ও তাদের নবী বা মহাপুরুষ সম্পর্কেই খাটে।
কেউ দাবি করছে না যে কোরান একসাথে নাজিল হয়েছিল। আসল কথা হলো কোরানের আল্লাহর বানী চিরন্তন নাকি সদা পরিবর্তনশীল। আল্লাহ যেহেতু ভুল করতে পারে না বা সব কিছুই তার জানা , তাহলে তার উপদেশ হবে চিরন্তন, অপরিবর্তনীয়। কিন্তু পর্যায়ক্রমে নাজিল হওয়া কোরানে আমরা প্রায়ই দেখতে পাই আল্লাহ খুব দ্রুত তার বানী পরিবর্তন করে একই বিষয়ে ভিন্ন উপদেশ বা বক্তব্য দিচ্ছে। বিষয়টা কি আল্লাহর সর্বজ্ঞানতার বা শ্বাশ্বত চরিত্রের সাথে বিপরীত নয় ? এখন যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেই যে , ভিন্ন পরিস্থিতির কারনে একই বিষয়ে ভিন্ন রকম বক্তব্য দিতে হয়েছে, তাহলে কিন্তু আরও বিরাট সমস্যার উদ্ভব ঘটে, একবারও কি সেটা ভেবে দেখেছেন ? সেই ১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদের মাত্র ২৩ বছর সময়কালেই যদি এতবার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে আল্লাহকে তার বানীর পরিবর্তন করতে হয়, গত ১৪০০ বছরে তো পরিস্থিতির নজীরবিহীন পরিবর্তন ঘটে গেছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি পাল্টে সম্পূর্ন উল্টো হয়ে গেছে, তাই নয় কি ? তাহলে আল্লাহর বানীর এখন কেন পরিবর্তন হবে না ? কেন এখন আল্লাহ নতুন নতুন পরিস্থিতিতে নতুন নতুন নবী পাঠিয়ে আমাদেরকে নতুন বানী শোনাবে না ? উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বর্তমানে ক্রীতদাস প্রথা নেই, তা নিষেধের কোন সুস্পষ্ট বিধানও কোরান হাদিসে নাই যদিও দাবী করা হয় ইসলামই নাকি ক্রীতদাস প্রথা উচ্ছেদ করেছে, তাহলে কোন মুসলিম দেশে যদি শরিয়া আইন চালু হয় ক্রীতদাস প্রথা কি আবার ফিরে আসবে ? অথবা বা অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়ে তাদের বন্দীনি নারী বা ক্রীতদাসীদের সাথে বিয়ে ছাড়াই সেক্স করা যাবে ? নাবালিকা বিয়ে করাকে এখন অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়, কিন্তু নবীর জীবনের আদর্শ অনুসরণ করে কি তাহলে এখনও নাবালিকা বিয়ে করা যাবে ? কোরান নির্দেশ দিয়েছে- অমুসলিমদের সাথে সব সময়ই যুদ্ধ করতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত তারা ইসলাম গ্রহন না করে ( ৯:২৯) , যদি তারা ইসলাম গ্রহন না করে তাহলে তাদেরকে জিজিয়া কর দিতে হবে মুসলমানদের কাছ থেকে জীবনের নিরাপত্তা পেতে – এখনও কি সেটাই করতে হবে কোন রকম উস্কানি ছাড়া ? এটা যদি মুসলমানরা অব্যহত রাখে তাহলে দুনিয়া ব্যপী কি পরিস্থিতি হবে ? একজন পুরুষ স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই অন্য নারীকে বিয়ে করতে পারে চারটা পর্যন্ত, এখনও কি সেটা করে যেতে হবে ? বলা হয় সব স্ত্রীকে সমান ভাবে দেখতে হবে এ শর্তে। কিন্তু ভাইজান , খোদ মহানবী মোহাম্মদ কি নিজে সব স্ত্রীদের সাথে সমান ভাবে ব্যবহার করতেন ? বহু হাদিস আছে যা পরিস্কার প্রকাশ করে যে মোহাম্মদ তার নাবালিকা স্ত্রী আয়শাকে সবচাইতে বেশী ভালবাসতেন ও তার সাথেই রাত কাটাতে অধীরভাবে অপেক্ষা করতেন, এক পর্যায়ে তার বিধবা স্ত্রী সওদাকে বাধ্য করেন তার পালার দিনে তিনি আয়শার ঘরে রাত কাটাবেন। তিনি নিজে যেটা সঠিকভাবে পালন করতে না পেরেও বহু বিবাহ করেছিলেন , তার অনুসারীরা কেন তা পারবে না ? কারন নবীর আদর্শ অনুসরণ করাই তো প্রতিটি মুমিন বান্দার জন্য সুন্নত , তাই নয় কি ? আর কেন আপনারা গলা ছেড়ে মিথ্যা কথা প্রচার করেন এ বলে যে – মোহাম্মদ তার সব স্ত্রীর সাথে সমান ব্যবহার করতেন ও ভালবাসতেন ? আজ পর্যন্ত কোন ওয়াজ মাহফিলে তো বলতে শুনিনি যে মোহাম্মদ আয়শাকে সব চাইতে বেশী ভালবাসতেন তার স্ত্রীদের মধ্যে, কেন ? এটাও কোন ওয়াজ মাহফিলে শুনিনা যে তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল ১৩, এছাড়াও তিনি দাসীদের সাথে সেক্স করতেন, তিনি তার পালিত পূত্রের বধু জয়নাবকে বিয়ে করেছিলেন, যখন আয়শাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ৫১ আর আয়শার ৬, মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তার দল লুটপাট করত( যাকে আপনারা বলেন আত্ম রক্ষার যুদ্ধ- আতর্কিকে বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে মালামাল লুটপাট করা হলো ইসলামে আত্মরক্ষার যুদ্ধ) – এসব কথা গুলো কেন গোপন করে যান ?
@ভবঘুরে,
কারে কি বোঝান ভাইজান ? :-Y আপনার জন্য আফসোস :lotpot:
@ছন্নছাড়া, (Y) ভাল বলেছেন ভাই ।
@ভবঘুরে,
ভাইজান আপনি যে ভাবে আফসোস সাহেবকে পরিস্কার করে দিয়েছেন ওভাবে এত পরিস্কার করলে উনি তো শীঘ্রই উধাও হয়ে যাবেন। তাহলে আমরা উনাকে শীঘ্রই হারাব।
আমি চাচ্ছি উনি আমাদের সংগে বেশীক্ষন থাকুক। উনার সংগে আমারো কিছু কথা বার্তা রয়েছে।
অবশ্য একটা জরুরী কাজ থাকায় আমাকে একটু পরে আসতে হচ্ছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই আমি আফসোস কে ব্যাক্তি গত ভাবে চিনি… আমরা একি এলাকায় থাকি … উনি খুব সহজ সরল এবং ভাল মানুষ। পাচ অক্ত নামাজ পড়ে। উনি বর্তমানে জব করে এবং দীন নিয়া থাকে।
@ভবঘুরে ভাই,
আফসোস সাহেবের কথাগুলোর মত কথা আগেও অনেকেই বলেছে। আমি বিস্মিত হচ্ছি যে আপনারা নিজেদের মুল্যবান সময় দিয়ে এইসব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন কেন! আফসোস সাহেব আসলেই বুদ্ধি শুদ্ধি গিলে খেয়ে ফেলেছেন, উনার কথাবার্তা থেকে এটা পরিষ্কার। 🙂
@অচেনা,
আফসোস সাহেবের প্রশ্নের উত্তর যে শুধু ওনার জন্য করা হয় তা নয়, অন্য পাঠকরাও তা পড়ে উপকৃত হয় মনে করেই উত্তর দেয়া হয়। অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন তার প্রশ্নের উত্তর কি হবে ।
@ভবঘুরে,
যারে দেখতে না পারি তার চলন বাঁকা। আপনি রাসূল (সা) দেখতে পারেন না। তাই তার কোনো কাজ আপনার ভালো লাগে না। আপনি রাসূল(স) এর জীবনের একটা অংশ নিয়ে আলোচনা করছেন। তাঁর পুরো জীবন নিয়ে লিখুন ।তারপর দেখুন কি হয়। কত কাফের তাঁর জীবনী পড়ে ইসলাম গ্রহন করেছে। কাল একজন নওমুসলিমের ওয়াজ শুনলাম । তিনি শুধু রাসূল(স) এর জীবনী পড়ে ইসলাম গ্রহন করেছেন।
আপনাদের চোখেতো শয়তান কালো চশমা পরিয়ে দিয়েছে তাই সাদা জিনিসটাকেও কালো
দেখছেন।
@আফসোস,
একটা মানুষকে আপনি কিভাবে বিচার করেন ? তার চাল চলন, কাজ কর্ম ও চরিত্র দিয়ে নাকি তার সম্পর্কে শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে ?
আমি নিশ্চিত রাসূলের সেই জীবনী যা পড়ে লোকটা ইসলাম গ্রহন করেছে তাতে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলি ছিল না-
১. মোহাম্মদ কারনে অকারনের একের পর এক ১৩ টা বিয়ে করেছেন, খাদিজা জীবিত থাকতে আর একটাও বিয়ে করতে পারেন নি কারন তখন তিনি খাদিজার সম্পদের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতেন
২. মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে আয়শার বয়স যখন ৯ তখন তার সাথে সেক্স( আসলে হবে ধর্ষণ) করেন
৩. মোহাম্মদ তার পালিত পূত্রবধূ জয়নাবকে নানা ছলা কলা করে বিয়ে করেন
৪. মোহাম্মদ তার মৃত চাচী(আলীর মাতা) এর সাথে কবরের ভিতরে শয়ন ( আসলে সেক্স) করেছেন, কারন এতে করে তিনি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চেয়েছিলেন যাতে সে বেহেস্তে যেতে পারে
৫. মোহাম্মদ দাসীদের/বন্দিনী নারীদের সাথে নিয়মিত সেক্স করতেন বিয়ে ছাড়াই, মারিয়া নামের এক দাসীর গর্ভে বিয়ে করা ছাড়াই ইব্রাহিম নামের এক সন্তান জন্ম দেন
৬. মোহাম্মদ তার মদিনার জীবনের প্রথম দিকে তার দল বল সহ মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে (মূলত: তা ডাকাতি) তাদের সম্পদ দখল করত: তা গণিমতের মাল হিসাবে বিলি বন্টন করে তার ওপর জীবন নির্বাহ করতেন
উপরোক্ত বিষয়ের শুধুমাত্র একটাও যদি উক্ত জীবনীতে থাকত আমি ১০০% নিশ্চিত উক্ত লোকটি ইসলাম গ্রহন করত না। এখন আমি জানতে চাই উক্ত বিষয়গুলো কি মিথ্যা ?
পরিশেষে আর একটা প্রশ্ন- মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে স্কুলে পাঠ্য হিসাবে ইসলাম ধর্ম থাকে। উক্ত বইয়ে নবীর জীবনীও থাকে। তো একজনের জীবনী লিখতে গেলে তার বৈবাহিক ও জীবিকা এ দুটোই উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশে যে সব ইসলাম ধর্মের বই স্কুল লেভেলে পড়ানো হয়, তাতে কি উক্ত বিষয়গুলো সবিস্তারে উল্লেখ থাকে? যতদুর দেখেছি , শুধুমাত্র এটুকু উল্লেখ থাকে যে তিনি খাদিজাকে বিয়ে করেছিলেন আর তিনি হলেন প্রথম মুসলমান। বাকীদের কথা বেমালুম চেপে যাওয়া হয় কেন ভাই? যদি না থাকে , কেন থাকে না ? কেন সে গুলো ছাত্র ছাত্রীদের কাছে গোপন করা হয় ?
উপসংহার : এভাবে মিথ্যা কিচ্ছা কাহিনী দিয়ে একেবারে বাচ্চা বয়সেই তাদের মাথাগুলো আপনারা নষ্ট করে দেন। এর বিচার আল্লাহ একদিন করবেই। কারন এসব করে আপনারা কোটি কোটি মানুষের জীবনকে পঙ্গু করে দিচ্ছেন।
@ভবঘুরে,
আপনার এই রূপ দাবির উৎস কি? একটু খোলাসা করবেন কি?
@ভবঘুরে,
ব্যাপারটা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ আছে, খাদিজার পর বিভিন্ন বয়সের এতগুলো স্ত্রী কখনো গর্ভবতী হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাঁর মধ্যে মারিয়ার পুত্র প্রসব একটু অস্বাভাবিক নয় কি? একটু সিরাত পড়ুন তো, কথা দিচ্ছি অনেক মজার তথ্য পাবেন! আরেকটা পর্বও হয়ে যাবে এ নিয়ে।
@আফসোস,
সালাম ভাইজান, ভাল আছেন তো? তা ভাইজান নওমুসলিম রা আজকাল বেশ সুবিধা পায়।অনেকের চাকরিতে বেতন বাড়ে, সবথেকে বড় কথা হল পাবলিক তাকে হিরোর মর্যাদা দেয়। তা হুজুরের জীবনের কোন জিনিসটি উনাকে ইসলামের দিকে নিয়ে এসেছে? বুড়াকালে বাচ্চা মেয়ে বিবাহ? নাকি ১৩ বউ আর অনেক ক্রীতদাসীর সাথে সম্ভোগ?ভাইজান বিশ্বাস করেন, আমি যদি ধর্মে বিশ্বাস করতাম, আর খ্রিষ্টান হইতাম, তাহলে আমিও ইসলাম গ্রহণ করতাম, কেন জানেন?কারন মরার পরেও ৭৩ খানা হুর।আহা কি আনন্দ! দুনিয়াতেও মউজ মাস্তি ৪ বিবি নিয়া, মরার পরে ১৮ গুন আর সেই সাথে দুনিয়ার বউটাও।খ্রিষ্টান ধর্মে এই ব্যাবস্থা নাই। সত্যি নবীজির দয়া অসীম।বলেন সুবহানাল্লাহ :lotpot:
@আফসোস,
পুত্রবধূ যয়নাবকে বিয়ে করার সময়, আল্লাহ্ বিন্দুমাত্র দেরী করেন না বানী দিতে, ঝটপট এসে যায় বানী, জান্নাতে হয়ে যায় বিয়ে, জিব্রিল হন সাক্ষী। আর আয়েশার ওপর অপবাদ দেয়ার সময় আল্লাহ অপেক্ষা করেন, একমাসেরও বেশী। আয়েশার মাসিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় সর্বজ্ঞ আল্লাহকেও, ছয়শ ডানার জিব্রিলও কোন সাহায্যে আসে না তখন।
আর এসব ‘নিদর্শন’ দেখেও ‘এই কোরআনের অর্থ বুঝার কোন দিন কোন শক্তি হবে না’ ‘আশরাফ উল মাখলুকাত’এর!
সত্যিই আফসোস!
@সফ্টডক,
দারুন একটা পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন দেখি। বিষয়টি তো আমার মাথাতে ছিল না। মনে হচ্ছে এর ওপরে কিছু লিখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে ।
@ভবঘুরে,
আপনি যে চমৎকার সিরিজ শুরু করেছেন, বোধ করি একশ’ পর্বেও তা শেষ হবে না, কোরআন হাদিস, সিরাত এমনই অনন্ত গবেষণার উৎস! এগিয়ে যান, আমরা আছি! (Y)
@আফসোস,
হুজুর উপদেশ বানী দিয়েছে,আর তার সাহাবীরা লিখেছে।আচ্ছা ভাইজান হোমার তো অন্ধ ছিলেন তবু তিনি ইলিয়াড আর অডিসি কিভাবে রচনা করলেন? অনেকটা সেভাবেই মুহাম্মদ কাজ সেরেছে। সমস্যা হল কোরান গদ্যে লেখা। যদিও কোন এক অজানা কারনে আপনারা ওটাকে পদ্য বলে দাবি করেন।
সে যাই হোক না কেন, মুহাম্মদ নিজের মনগড়া বানী আউড়ে যেত আর হাফিয রা মুখস্ত করে রাখত, এইভাবে কোরান মুহাম্মদের দ্বারা রচিত হয়,এটা বুঝা কি এতই কঠিন?
এইসব পুরান প্যাচাল, আপনার আগেও অনেকেই পেড়ে গেছে।উনি যে খ্রিষ্টান আর ইহুদিদের কাছ থেকে বাইবেল শুনতেন সেখান থেকেই তিনি মনে রেখে লিখেছেন।বার বার আপনারা একই কথাগুলও বললে কথাগুলো এমনকি বিনোদনেরও অযোগ্য হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই দয়া করে একই পুরনো আর ভাঙ্গা রেকর্ড বাজান বন্ধ করেন প্লিজ।
@জনাব আফসোস সাহেব,
আপনার মন্তব্য-
আপনি চক্ষুষ্ণান হয়ে নিম্নের আয়াত গুলী হতে উদ্ভুত সমস্যা গুলীর একটু সুরাহা করে দিবেন কি?
সমস্যা গুলী-
১ নং।এই ঘুর্নায়মান গোলাকার পৃথিবীর কোন স্থানটায় সূর্যের উদয়ের স্থান এবং কোন স্থানটা সূর্যের অস্ত যাওয়ার স্থান যেখানটায় জুলকারনাইন পৌছে গিয়েছিলেন?
আপনি কি তাহলে এখনো ঈমান রাখেন যে এই পৃথিবীর একপ্রান্তে প্রতিদিন সকাল বেলায় সূর্য উদয় হয় ও পৃথিবীর অপর প্রান্তে সন্ধাবেলায় পঙ্কিল কাদার ভিতর ডুবে গিয়ে অস্ত যায় আর সেখানে জুলকারনাইনের পক্ষে আল্লাহর সহোযোগিতায় পৌছান সম্ভব হয়?
আমরা কিন্তু এরুপ ঘটনা ঘটার কোনই সম্ভাবনা দেখতে পাইনা।
কী বলেন?
২ নং। এটি আরো মারাত্মক প্রশ্নের বিষয়- এই আয়াতটি নাকি তৌরাত কিতাব হতে হুবহু এই বাক্যই আমদানী করা হয়েছে।
ছাহাবা হযরত কাব (রাঃ) বলেন”যার হাতে আমার জীবন তার সপথ ঠিক ঐ বাক্যটই (وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ ) তৌরাত কিতাবে রহিয়াছে।
আপনি কি ছাহাবাদেরকে মানেন?
এটা আমি নিজে বানিয়ে বলতেছিনা।
আপনি ডঃ মুজিবুর রহমানের বঙ্গানুবাদ তাফছীর ইবনে কাছীরের ১৪ খন্ডের ৯৩ পৃষ্ঠার সর্ব নিম্নে চলে যান।
সেখানে এ হাদিছটা ঠিকই পেয়ে যাবেন।
এবার তহলে আপনি একটু এর ব্যাখ্যা করে আমাদেরকে তৃ্প্ত করে দিন?
আবার হারিয়ে যাবেন নাতো?
ধন্যবাদ আপনাকে আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
:lotpot:
@সফ্টডক,
ভাইজান, আমার বড় দুর্ভাগ্য।
জনাব মামুন সাহেব আমাকে অপেক্ষায় রেখে,এই যে গেলেন আর ফিরলেনইনা। আমি শুধু অপেক্ষায় কাটাইলাম।
আর এই আফসোস সাহেবকেই আগের পর্বে তাফছীর ও অনুবাদ দ্বারা দেখাইয়াছিলাম
১।কোরানে নবীর চন্দ্র বিদীর্ণ স্বীকার করতেছেনা। যেটা তার দাবী ছিল।
২। “তোমরা লক্ষ কর আকাশে কোন ছিদ্র দেখতে পাও কিনা” আমি তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম, যে আল্লাহ খুব ভাল ভাবেই জানেন যে তার বান্দাদের পক্ষে কখনোই আছমান দেখা সম্ভব নয়, সেই আল্লাহ কি করে আছমানে ছিদ্র আছে কিনা তা দেখতে বলতে পারলেন?
দুখের বিষয় উনি ও যে চলে আর ফিরলেননা।
এজন্যই আমি বলেছি আবার হারিয়ে যাবেন নাতো?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হারিয়ে যাবেন না তো কি এখানে বাদর সেজে আপনাদেরকে নাচ দেখাবেন?
যেভাবে আপনি ছাই দিয়ে পাকাল মাছ ধরা শিখে গেছেন অতিদ্রুত ,তাতে আমাকেই না কবে হারিয়ে যেতে হয় সব দায়িত্ব আপনার ঘাড়ে ফেলে দিয়ে।
@ভবঘুরে,
হা হা হা, আনন্দিত।
ভাইজান,
যত গন্ডোগোলের মূল কিন্তু আপনিই। আপনি কোরান হাদিছের অর্থ গুলী যে ভাবে ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করে এর গোপনীয়তা জন সম্মুখে প্রকাশ করে দিচ্ছেন, তাতে কিছু লোক এটাকে পূজি করে যারা কিছু রুজী করে থাকেন তাদের রুজীটা তো নষ্ট করে দিবেন দেখতেছি।
না,না, জনাব আফছোছ সাহেব কখনই উধাও হয়ে যাবেননা। কারণ উনি এক জায়গায় আমাকে বলেছেন “কোরাণে কোনই সমস্যা নাই , বরং আমিই নাকি কোরানকে ব্যাকা চোখে দেখতেছি”।
আমার দৃঢ় বিশ্বাষ উনি অতি শীঘ্রই ব্যাখ্যা সহ আমাদের সামনে হাজির হয়ে যাচ্ছেন।
আমাদেরকে তো তার জন্য কিছুক্ষন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবেতো ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জনাব আপনি প্রশ্ন করার পূর্বেই আমি অগ্রিম আপনাকে উত্তর দিয়েছিলাম । তাই আর উত্তর দেওয়া যৌক্তিকতা খুজে পাইনি। আপনি আমার মন্তব্যটা ভালো করে দেখুন উত্তর পেয়ে যাবেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই আমি চেষ্টা করব উনাকে আবার নিয়ে আসার জন্য, ভাই উনার মনে কোন প্রকার কষ্ট দিয়েন না।
খুবই সহজ সরল মানুষ………
ভাল থাকবেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মামুন- আফসোস, এদের প্রকৃত অস্ত্র হচ্ছে অশ্লীল গালি-গালাজ। এখানে এটা করার সুযোগ নেই বলেই সম্ভবতঃ তাদের আর দেখা যাচ্ছে না।
ইদানিং খোমাখাতায় (ফেসবুক) মুমিন-মুসলমানদের গালি-গালাজের যে বহর দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হয় মানব-মস্তিষ্কে ধার্মিকতা আর অশ্লীলতার কেন্দ্র এক ও অভিন্ন।
দিনে পাঁচবার কেউ যদি প্রার্থনার নামে পরের মুণ্ডপাত করার চর্চা করে, সবসময়ই সে তাই করতে চাইবে, এটাইতো স্বাভাবিক।
@সফ্টডক,
জনাব আপনারা যত প্রাইমেটরা আছেন সবার কমেন্টগুলো দেখে তারপর বলুন। তবে চোখের কালো চশমাটা খুলে নিবেন। নাহলে দেখতে পাবেন না। কারা গালি-গালাজ করে। মোহাম্মদ ও ইসলাম পর্ব ১৮ পড়েছি। এর আগের কথা তেমন জানি না।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে ‘আফসোস’ সাহেব হারিয়েই গেলেন।
‘বিনোদন’ আর রইল না। ;-(
@সফ্টডক,
বার বার উনি মনে হয় আমাদেরকে নিয়ে একটু বিনোদন করতে চান কিন্তু নিজেই শেষে বিনোদনে পরিনত হয়ে আমাদেরকে বিনোদন দেন। তাই মনে হয় এবার আগে ভাগেই কেটে পড়লেন সামান্য একটু আওয়াজ দিয়ে।
@ভবঘুরে,
ভাই উনার ঞ্জানের লেভেল আপনাদের তুলানয় অনেক কম। আপনাদের কথা শুনলে উনি আতঙ্গিত হয়ে জান…… তাই দয়া করে ঊনার মনে কষ্ট দিয়েন না। খুব সহজ সরল মানুষ। আমি চেষ্টা করব উনাকে নিয়ে আসার জন্য।
@মিথুন,
মিথুন তুমি মনে হয় network নামে ছিলে এতো দিন। তোমার জ্ঞান বানানটা দেখে আমার মনে হচ্ছে। কারণ network নামের ব্যক্তিটাও জ্ঞান বানানটা ঞ্জান এভাবে লিখতো।
যাক তুমি আমার জ্ঞানের লেভেল মাফছো, ধন্যবাদ। তবে তার আগে তোমার নিজের জ্ঞানের লেভেলটা মাফলে মনে হয় ভালো হতো।
নিজেদের পরিচয়টা খুব ভালোভাবেই দিয়েছো। আমার সামনে কোন বন্য প্রাণী (প্রাইমেট সদৃশ) চলে এলে অবশ্যই আমি আত্নরক্ষার চেষ্টা করব। কারন আমিতো মানুষ। কোন বন্য প্রাণীর সাথে যুদ্ধ করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
এবার কিছু কথা বলি একটু মন দিয়ে খেয়াল কর। আবার ভাই মন দেখাতে বইলোনা। আমি কিন্তু মন দেখাতে পারবোনা ।তোমরাতো না দেখা জিনিসে বিশ্বাস কর না। যাক অনুরোধ বিশ্বাস করো। অবশ্য প্রাইমেটের সাথে তোমাদের মনও যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় আমার কিছুই করার নেই।
পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের কোননা কোন দিকে দুর্বলতা রয়েছে। মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ন নয়। একজন ডাক্তার যত জ্ঞানের মালিকই হোকনা কেন, সে কোন ভবনের নকশা করতে পারবে না । অর্থাৎ সে প্রকৌশল বিদ্যায় অজ্ঞ। বিশ্বাস কর আর না কর। আবার ডাক্তারদের মধ্যে সকল ডাক্তারগণ সকল রোগের চিকিৎসা করতে পারেন না। যে ডাক্তার যে রোগের বিশেষজ্ঞ সে রোগের চিকিৎসা করেন। ডাক্তার হয়ে ভবন নির্মান অর্থাৎ কোন স্থাপনা নির্মান করাটা নিছক বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। ঐ ভবন জমীনের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে না। ওটা নির্ঘাত ধসে পড়বে।
ভবঘুরে বলো আর আঃ হাকিম চাকলাদার বলো তারা ডাক্তার অথবা কোন বড় প্রকৌশলী অথবা অন্য কোন দিকে তারা বড় জ্ঞান রাখতে পারে । সেটা জানা আমার কোন দরকার নাই। কিন্তু ওরা কোরআন এবং হাদীসের বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখেনা, এই ব্যাপারে আমি ১০০% নিশ্চিত। যে যেই দিকে দক্ষ তার সেদিকেই কথা বলা উচিত । আমার মনে হয় ভবঘুরে বিবর্তন হয়ে মানুষ না হয়ে হয়েছে গাধা। সে যদি বড় জ্ঞানী হয়ে থাকে তাহরে তার জ্ঞানকে ব্যবহার করে দেশ ও জাতীর কল্যানে কাজ করুক। মানুষ বানর থেকে এসেসে না কি থেকে এসেছে এগুলো নিয়ে গবেষণা করে দেশের কি উন্নতি হবে? তারা যে, কোরআন হাদীস নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে তারা কি মনে করে মোসলমানরা সব কোরআন হাদীস ছেড়ে দিবে।
মনে রেখো বানরের সাথে বানরই লাফায়, মানুষ কিন্তু বানরের সাথে লাফয়না । শুধুমাত্র বানরের নাচ দেখে।
মিথুন মন্ডল তুমিতো মোসলমান সমাজে বসবাস কর। সত্যি করে বলো। রাসূলের আদর্শে আদর্শিত কোন ছেলে কোন মেয়েকে টিজ করেছে কিনা। রাসূল (সা) তো কোনো মেয়ের দিকে তাকানোই হারাম বলেছেন টিজ করাতো দুরে থাক।
তোমরা ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করাকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করছো। তোমাদের সরকার ১৮ বছরে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার আইন করেছে। তা ১৮ বছর পর্যন্ত কয়টা মেয়ে কুমারী থাকে সে হিসেবকি জানো? আমার মনে হয় হসপিটাল গুলোতে গেলে এর কিছুটা আগ্রাসন তুমি ধরতে পারবে। আবার কনডমতো রয়েছেই। আকাম কুকামতো সব কনডমের ভিতরই ডুকে যায়।
আসলে ইসলামের কোন সমস্যা নাই। সমস্যা সব তোমাদের। তোমরাতো নাস্তিক । কোন ধর্ম নাই। বিয়ে ও করতে পারবে না। বিয়ে করতে না পারলে যৌন ক্ষুদা মেটাবে কি দিয়ে।
কেটেতো আর ফেলে দিবে না। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে নাই যে, কোন পুং কুকুর পুং কুকুরের সাথে সেক্স করেছে। কিন্তু মানব ইতিহাসে আছে। পুরুষ পুরুষর সাথে, নারী নারীর সাথে। এমনকি তোমরা আইনও করছ। এবার বুঝ মানব চরিত্র এখন কোথায়। শুধুমাত্র ইসলাম না মানার করনেই এটা হচ্ছে।
কোন কুকুর কোন শেয়ালের সাথে সেক্স করে না। কিন্তু মানুষ কুকুরের সাথে, গৃহপালিত পশুর সাথে সেক্স করে।
এ মন্ডল তোমরাতো এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাও। তোমরা পুরো পৃথিবীটাকে পতিতালয় বানাতে চাও। তোমাদের এ কাজে শুধুমাত্র ইসলামই বাধা। তাই তোমরা ইসলামের বিরুদ্ধে এভাবে লেগেছ।
যদি বুদ্ধি সুদ্ধি কিছু থাকে তো বিবেচনা কর। তোমরা মানুষের বুদ্ধি আছে বিশ্বাস করতো। তোমরাতো আবার নাদেখা জিনিস বিশ্বাস করনা। যাক একটু স্ববিরোধিতা কর আরকি। নাকি তোমাদের সবার বুদ্ধি সুদ্ধি সব প্রাইমেটের সাথে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
@আফসোস,
এক বানান দেখে এত কিছু বুঝে ফেলেছেন, আসলেই আপনি মহা ঞ্জানি।
টিজ করব কেমনে , মেয়ে দেখলে তো লজ্জায় মাথা হেড হয়ে যায়।
@মিথুন
আমাকে বিষয়টা ফোন দিয়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। তুমি জান আমার মিডট্রাম পরীক্ষা চলছে তাই আমি কিছু দিন মুক্ত মনায় আসতে পারি নাই। তুমি আর আমি একসাথে অভ্র টাইপ করা শিখেছি, তা তো উনি আর জানেন না। তাই ঞ্জান বানান নিয়ে আফসোসের এত ভাবনা ।
@ আফসোস
অবৈধ বললে তো অবৈধ কে অপমান করা হবে। এটা পৃথবির নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্ট তর জনিত কাজ। “তোমাদের সরকার” এইটা কি ধরণের কথা বললেন। সরকার কি আমাদের কথায় উঠে বসে নাকি। লজ্জা। ভাইজান এই সব উল্টা পাল্টা কি বলতেছেন। আর ১৮ বছর বয়সে কয়টি মেয়ে কুমারী থাকে , এই নিয়ে আপনার এত টেনশন। তাই ছয় বছর বয়েসের একটি মেয়ের বিয়েকে আপনি বৈধ ব্লছেন। ছি আপনার রুচি বোধে ব্যাপক সমস্যা আছে। ভাই জান আপনি মানসিক রোগের ডাক্তার দেখান। ভাইজান আপনিও কি গভেটের মত ছয় বছরেরে মেয়েকে বিয়ে করে, ইসলাম সম্মত ভাবে(গভেটের মত) ৯ বছর বয়সে সেক্স করবেন। ভাইজান আপানর বিয়েতে আমারে আর মিথুন রে দাওয়াত করবেন কিন্তু?
আমিও তো বলি ইসলামের কোন সমস্যা নাই, ইসলাম শব্দ টাই একটা সমস্যা। এই সমস্যার কারনেই তো আজকের পৃথিবির এই ধ্বজ ভঙ্গ অবস্থা।
http://www.porshi.com/_arc_news_details.php?nid=402&rd=y&did=15
http://blog.mukto-mona.com/?p=3041
নিচের দুইটা লিংক ভাল মত পড়েন, তাহলেই বুঝতে পারবেন,পুং কুকুর পুং কুকুরের সাথে সেক্স করেছে , নাকি আপনার মত মানুষ রাই শুধু এই গুলা করে।
মাজা। 😀 :lotpot: :hahahee:
@network,
দেখা যাক আপনার মন্তব্যের পরিসংখ্যানঃ
আপনি এখন পর্যন্ত যেসব নামে মন্তব্য করেছেন সেগুলো এখানে তুলে দিচ্ছিঃ
আপনি সর্বমোট মন্তব্য করেছেন ৯৩ টি।
নেটওয়ার্ক নামেঃ ৩৩টি
NETWORK নামে ৪২টি
network নামে ৮টি
জম নামে ৬টি
মিথুন নামে ৪টি
পরবর্তী নাম কী নিবেন বলে ঠিক করেছেন? একটা নামের পরামর্শ দিতে পারি। নির্জলা নির্লজ্জ কেমন হয়? আমার মনে হয় আপনার স্বভাবের সাথে যায় এটা।
এখানে করা আপনার মন্তব্যটা দেখেই আপনার নিক/নামের নির্লজ্জতার ইতিহাস এখানে দিলাম। বলেছিলেনঃ
আপনার নির্লজ্জতা বজায় থাকুক আর মিড-টার্ম পরীক্ষা ভাল ভাবে দিন এবং প্রথম শ্রেনীতে বেহায়ত্বের সার্টিফিকেট অর্জন করুন এই কামনাই করি। আর একটা প্রবাদ মনে রাখবেন, কোন মনিষী বলেছিল মনে করতে পারছি না, ল্যাঞ্জা is a tough thing to hide।
ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ ও আরেকটা কথা। মুক্তমনায় আর মন্তব্য করতে চাইলে হয় যে নামটা(নির্জলা নির্লজ্জ)বললাম ঐটা না হয় বাবা-মা প্রদত্ত যে নাম ঐটাতে মন্তব্য করবেন, অবশ্যই যদি আপনি Homo sapiens প্রজাতির হয়ে থাকেন আর কী। 🙂
@মুক্তমনা মডারেটর,
(নির্জলা নির্লজ্জ)
এখন থেকে এই নাম দিয়েই আমি আমার মন্তব্য দিব। আর কখনো চেইঞ্জ করব না। তবে একটা কথা মনে রাখবেন মানুষ বিপদে পড়লেই তার স্বভাব বদলায়।
ভাল থাকবেন। (F)
@(নির্জলা নির্লজ্জ), তাহলে সত্যি কি আপনি আর Network সাহেব একই ব্যক্তি? তা বস এত নিকে মন্ত্যব্য করার মাজেজা যদি একটু এই অধম কে বুঝিয়ে বলতেন, উপকার হত। :-X
@আফসোস,
হ্যা ভাই আপনি মানুষ, কিন্তু মানুষের তো মাথায় ঘিলূ থাকে যা তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। আপনার আলোচনায় তো তার কোন নমূনা দেখা যায় না। একটা পয়েন্টেরও তো যুক্তি যুক্ত উত্তর দিতে দেখলাম না। এটা কি বুদ্ধিমান মানুষের পরিচয়?
হ্যা হারাম বলেছেন, তবে বলেছেন যত ইচ্ছা বিয়ে করতে যেন মেয়েরা শুধুমাত্র যৌন সামগ্রী। যত ইচ্ছা খুশী বিয়ে করার বিধান জারি করে তা বাস্তবায়ন করলে কি আর রাস্তাঘাটে টিজ করা লাগে? কুরানের আয়াত বলেছে একসাথে ৪টা বিয়ে স্ত্রী রাখা যাবে। তার মানে প্রতি মাস বা বছরে একটা বা সব কয়টাকে বিদায় করে দিয়ে আরও বিয়ে করা যাবে মরার আগ পর্যন্ত যা কিন্তু স্বয়ং নবী করে দেখিয়ে গেছেন। নবীর সুন্নত ঠিকমতো পালন করলে আসলেই কিন্তু টিজ করা লাগে না। আপনি সত্যি বলেছেন।
তো বাংলাদেশে একসময় টিজ মাত্রা ছাড়া বেড়ে গেছিল। মনে হয় ভারত থেকে হিন্দু ছেলেরা এসে সব টিজ করত , কি বলেন ? ওহ আপনি তো আবার বলবেন- যে সব মুসলমান ছেলেরা টিজ করত তারা কেউ নবীর আদর্শ অনুসরণ করত না। ভাই আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি-তারা কেউই আপনার চেয়ে কম ইমানদার মুসলমান না। ধর্মের নামে জন্ম নিয়ন্ত্রন বন্দ করে দিয়ে দেশে আদম সন্তানে ভরে ফেলবেন, তারপর তাদেরকে ঠিকমতো মানুষ করতে পারবেন না, কাজ দিতে পারবেন না, তারা রাস্তায় বসে টিজ করবে না তো করবে টা কি ? ধর্ম বাদ দিয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রন করে জনসংখ্যা রোধ করুন, সব ছেলে মেয়েদের কাজের নিশ্চয়তা দিন, দেখবেন সবাই বাধ্য সন্তানের মত লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে ভবিষ্যৎ ক্যরিয়ার গঠন নিয়ে , রাস্তায় দাড়িয়ে টিজ করার সময় পাবে না।
তা নেই তবে আল্লাহ কিন্তু পুরুষদের জন্য বেহেস্তে শুধু যৌনবতী হুরই তৈরী করে রাখে নাই, মদ সাপ্লাই দেয়ার জন্য সুদর্শন তরুনদেরও তৈরী করে রেখেছে, এখন বলুন তো এরা মদ সাপ্লাই ছাড়াও আর কি কাম করবে ?
একেবারে হাছা কথা কইছেন ভাই। কিন্তু আপনার যে মহাসমূদ্র পরিমান জ্ঞান আছে তার নমূনা তো দেখি না। আমরা তো বসেই আছি আমাদের ভুল ভ্রান্তিগুলো আপনার কাছ থেকে শুধরে নেব। কিন্তু আপনি তো খালি পিছল খাচ্ছেন। তাহলে আমাদের উপায় ?
আপনাদের নয়া নবী জাকির নায়েক যদি ডাক্তারী পাশ করে ইসলামি পন্ডিত হয়ে আপনাদেরকে মাত করে দিতে পারে, আমাদের মাথায় তো ওর চেয়ে কম ঘিলু নেই, আমরা কেন ইসলামি পন্ডিত হতে পারব না ? আসলে আমরাই সত্যিকারের ইসলামের বন্ধু কারন আমরা সেই ইসলামই প্রচার করছি যা মোহাম্মদ বলে গেছিলেন, কোন সত্য কে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলে চালাচ্ছি না। কিন্তু আপনারা সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে ইসলামের মহা সর্বনাশ করছেন।
উপকার হবে না কে বলল? এতে করে কুসংস্কারমূক্ত আলোকিত মানুষ সৃষ্টি হবে যারা একটা উন্নত ও আধুনিক সমাজ গড়ে তুলবে। আপনাদের মত কাঠ মোল্লাদের দিয়ে তো কিছুই হবে না। আ্পনাদের বিদ্যা বুদ্ধি হলো দোজখের তাপ কত শক্তিশালি, কোরবানি দিলে কত নেকি সোয়াব, অথবা কোন দোয়া পড়ে স্ত্রীর সাথে বা দাসীর সাথে সহবাস করতে হবে, এ ধরনের ফালতু বিষয় পর্যন্ত। এসব জিনিস সমাজ গঠনের কোন কাজে আসবে ?
@ভবঘুরে,
মিথ্যাচার আর কয়দিন চলবে জানি না। আপনাদের জন্য এটা হতে পারে প্রতি মাসে একটা দুটা বউ পরিবর্তন করা সম্ভব। অবশ্য আপনাদেরতো আর বউই নাই। লিভ টুগেদারে বিশ্বাসী। যাকে পছন্দ তার সাথে কদিন রাত কাটাও। বিপরীত না পেলে সমলিঙ্গ দিয়ে সময় সার। ইসলামে কন্টাক্ট মেরিজ জায়েজ নাই । কদিনের জন্য কাউকে বউ হিসেবে নেওয়া অসম্ভব। বিভিন্ন শর্ত মেনে তারপর এক থেকে সর্বোচ্চ চারটা।
আচ্ছা আপনি কি এই পৃথিবীতে বাস করেন? আপনারকি মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র গরিব দেশ? তা সেই দেশে ধর্ষনের ঘটনা কেন ঘটে বলতে পারেন। সেই দেশতো আর মোসলমান রাষ্ট্রও না। ওদেরতো কর্মসংস্থানের অভাব নাই।
এখানে একটু ক্লিক করে দেখুন।
http://hello-today.com/ht/8112
এন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখুন আরও পাবেন।
বেহেশতে সদর্শন বালকরা কি করে আপনার দেখে আসার দাওয়াত রইলো (যদিও কোন পশুপাখি বেহেশতে যাবেনা। তবে কিছু পশু পাখি মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার কারনে বেহেশতে যাবে।) বেহেশত সুন্দর জায়গা সেখানেতো আর কুৎসিত জিনিস রাখা হবে না।
জাকির নায়েক উনি ডাক্তার মানুষ। তিনি যখন কোন বিজ্ঞান সম্মত কথা বলেন সেগুলো গ্রহন করা হলেও। (সবাই সব বিষয়ের পন্ডিত নন) উনার কাছ থেকে কোন মাসলা মাসায়েল গ্রহন করা হয় না। যারা গ্রহন করে তাদের ব্যাপার।
অন্ধকারকে যদি আলো বলা হয় , এক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। যে জীবনে কোন নিয়মকানুন নেই সে জীবন যদি সুন্দর জীবন হয়। তাহলে নিয়ম-কানুন মেনে চলা জীবনকে কি বলা হবে।
কোন চোরকে যদি জেলে নেওয়া হয়। জেল থেকে সে বড় ডাকাত হয়ে বের হয়। আর কোন ডাকাতকে যদি তাবলীগে পাঠানো হয় তাহলে সে সোনার মানুষ হয়ে ফেরত আসে। জানিনা এটা কোন কুসংস্কারের জন্য হয়।
জানিনা কোন কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক সচীব, মন্ত্রী হয়। দেশের গরীব দুখীদের সম্পদ মেরে খাওয়া কোন আলোকিত মানুষের কাজ।
অথছ ইসলাম নামক কুসংস্কার যদি কারো ভিতর থাকে সে একটা কাপ চা কারও কাছথেকে মেরে খেতে পারে না। কারন জাহান্নামের ভয়। সবাইকে ফাকি দেওয়া যাবে একজনকে ফাকি দেওয়া যাবে না। তিনি হলেন আল্লাহ।
@আফসোস,
মিথ্যাচার আমি করছি নাকি আপনি করছেন? কোরানের আল্লাহ বলেছে একসাথে ৪ টা বউ রাখা যাবে। তাহলে একজন ধনী লম্পট যেটা করতে পারে তা হলো – ধরুন বছরের প্রথম মাসে ৪ টা বিয়ে করল, ছয় মাস পর তাদেরকে তালাক দিয়ে আর ৪টা বিয়ে করল। এভাবে সে যতদিন বাচবে যত খুশী তত বিয়ে করতে পারবে। ইসলাম কিন্তু এখানে কোন বিধি নিষেধ আরোপ করে নি। এটাতে মিথ্যাচারের কি হলো? কোরান হাদিস পড়লে দেখা যায়- বিয়ে করার পর স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো তার স্বামীকে যৌন সম্ভোগে খুশী করা ও তার জন্য বাচ্চা পয়দা করা। মূলত: ইসলাম স্ত্রীদেরকে প্রধানত যৌন পুতুল হিসাবে দেখে, পরে সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসাবে দেখে।
এখন আপনি তো খুব সত্যবাদি। দয়া করে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন আশা করি। সেটা হলো-
মোহাম্মদ তার সারাজীবনে কয়টা বিয়ে করেছিলেন? প্রতিটি বিয়ের কারন কি ছিল ?
মোহাম্মদ কি তার দাসিদের সাথে সেক্স করেছেন? করলে কেন করেছেন?
আপনি যদি এ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না দেন তাহলে বুঝব আপনি একটা মাথা মোটা ধান্ধাবাজ।
দাওয়াত না দিয়ে আমি যে প্রশ্ন করেছিলাম অর্থাৎ সুদর্শন বালকদের আর কি কাম সেখানে সেটার উত্তর দিন। পাকাল মাছের মত পিছলে যান কেন ?
তাই নাকি ? তাহলে নিচের আয়াতটার একটা ব্যখ্যা দিন প্লিজ।
উত্তর না দিয়ে যদি চোরের মত পালিয়ে যান , আপনার মাথার ওপর গজব পড়বে কিন্তু বলে দিলাম।
@ভবঘুরে,
কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে পরিপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। আপনাদের সমস্যা হলো কোরআনের কোন একটা বিষয়ের খন্ডাংশ নিয়ে আলোচনা করেন।
হালাল কাজের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল কাজ হলো বউ তালাক দেওয়া।
আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং ১০৭৯]
হাদিস-২
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২]
হাদিস-৩
আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫]
স্ত্রীদের ভালোবাসার কথা নাই কে বললো?
আল্লাহ্ তাআলা মোহরানা আদায় করার আদেশ দিয়ে বলেনঃ
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَرِيئًا
“তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা দিয়ে দাও খুশিমনে। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” (সূরা নিসাঃ ৪)
আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। সূরা বাকারা -২২৮
জনাব বিয়ে করে সেক্সকরাটকেই তো আপনারা অবৈধ বলছেন । কয়টা বিয়ে করেছে তা জেনে আর লাভ কি? দাসীদের ব্যাপারে দেখুন। আর কোন দাসী যারা ঘরে কাজ করে তারা নন। কোন স্বাধীন কাজের মহিলা নন। এখন আর এরকম দাসী নেই।
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
আপনি যদি কোন ফাইভস্টার হোটেলে যান তখন দেখবেন কোর্ট টাই পরা সুদর্শন ছেলেরা এসে জিজ্ঞেস করে স্যার আপনার কি উপকার করতে পারি? তারা কি কাজ করে?
উপেরোক্ত আয়াতে আপনি কন্টাক্ট ম্যারিজের কি পেলেন জানাবেন কি?
@আফসোস
আপনাকে নিচের দুটি প্রশ্ন করেছিলাম উত্তর দেয়ার জন্য , আপনি সেদিকে না গিয়ে হুদা অপ্রাসঙ্গিক প্যচাল পেড়ে গেলেন, বিষয় কি ? আপনার মাথা কি পুরাই গেছে ?
এটা কোথায় বললাম, নিজের কথা অন্যের মুখে দিয়ে তার পর তাকে দোষারোপ করার মোহাম্মদীয় কারবার তো ভালই রপ্ত করেছেন দেখা যায়।
জেনে লাভ নেই মানে ? এটাই তো জানা দরকার আগে আর আপনি কি না বলছেন জেনে লাভ নেই। আপনার হয়ত লাভ নেই , কিন্তু আমাদের আছে। দয়া করে ফালতু প্যচাল না পেড়ে চট জলদি উত্তরটা দেন। আর কি কারনে বিয়ে করলেন সেটাও হাদিস সহ উল্লেখ করবেন।
এখানে ভালবাসার কথা কোথায় পেলেন? আপনি অন্ধ নাকি ? এখানে তো বলা হচ্ছে দুদিনের জন্য বিয়ে করে তার পর তালাক দেয়ার সময় বিয়ের সময় চুক্তি বদ্ধ অর্থ সঠিকভাবে পরিশোধ করতে যাকে আদিখ্যেতা করে বলা হচ্ছে মোহরানা। আপনি একটা নারীকে তিন দিনের জন্য বিয়ে করলেন ৩০০০ টাকা চুক্তিতে(মোহরানায়), তিন দিন ধরে চুটিয়ে তার সাথে যৌন মজা উপভোগ করে আপনার পুরো টাকা উসুল করে পরে পুরো পাওনা টাকাটা উক্ত নারীকে দিয়ে তারপর তালাক দিতে বলছে উক্ত আয়াত। তবে কোন নারী যদি অতিশয় দয়ালু হয় তাহলে হয়ত কিছু টাকা কম রাখতে পারে। ব্যবসায়িক লেনদেনে এরকম হতেই পারে। যার সোজা বাংলা হলো – বেশ্যাবৃত্তির বিধান দিচ্ছে মোহাম্মদ আল্লাহর নামে। কারন তার সাহাবীরা ছিল সব কামুক, নারী সঙ্গ ছাড়া থাকতে পারত না , তাই এ বিধান। নারীদের ওপর পুরুষের শ্রেষ্টত্ব দিয়ে কি ধরনের ভালবাসার নিদর্শন এখানে দেখানো হচ্ছে তা মাথায় ঢুকল না। যাইহোক, উক্ত বাক্যগুলো কিভাবে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসার কথা বোঝায় তা তো বুঝলাম না ভাই। দয়া করে শানে নুযুল সহ একটু ব্যখ্যা দেন।
আপনাকে বললাম দুটো কলা দিতে , আপনি দুটো আমড়া এনে দিলেন আমার হাতে। এ ধরনের উল্টো পাল্টা কাজ করেও আপনার মাথাতে ঢুকছে না যে , আপনি ভুল করেছেন। ঐ যে আগেই মন্তব্য করেছিলাম- একজন পাগল নিজেকে ছাড়া বাকী সবাইকে পাগল মনে করে ।
@আফসোস, ভাইজান আপনার বয়স কম বলে মনে হচ্ছে তাই ধর্মের জন্য আবেগ বেশি যুক্তি কম।যত দূর মনে হচ্ছে আপনি শুধু ইসলাম ধর্মের মধ্যেই মানুষের উদ্ধার দেখতে পান।কেন? একটি ভাল সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কেন ধর্মের দরকার হবে?আমেরিকায় ধর্ষন হলে সেটা আপনার পক্ষে কেন যাবে? সেদিন দেখলাম একজন লিখেছে যে গাড়ির সামনে মাঝে মাঝে কিছু মেয়ে মডেল দাড়িয়ে থাকে তা তিনি তাই দিয়ে আমাদের মত অবিশ্বাসিদের তুলোধুনো করলেন।আপনিও তাই। কিছু ভাল নীতিমালা হলে সুন্দর একটা সমাজ আমরা নিজেরাই বানাতে পারব। চীন জাপান কোরিয়া অথবা কাছের দেশ শ্রিলংকা যেকোন মুস্লিম দেশের চেয়ে হাজার গুনে ভাল ছিল, এখনও আছে এবং থাকবেও। কেন শুধু শুধু ধর্ম পালন করতে হবে? আপনি যদি আরো পড়াশুনা করেন তবে হয়ত একদিন বুঝতে পারবেন ধর্ম পালন (বিশেষ করে যে ধর্মে ঈশ্বর আছে) কেন মানুষের জন্য ই ভয়ঙ্কর।আর যেসব সমস্যা দেখিয়ে আপনি ধর্ম পালন করতে চান তা কি ঠিক কাজ? ধর্ম মানুষের জন্মনিয়ন্ত্রন মানেনা তাই এর ফলাফল কি আপনি জানেন আবার আমেরিকার সমাজে যেসব কারনে ধর্ষন হয় তাও জানেন।আপনি করলেন কি দেখুন…আমেরিকার সমাজের সমস্যাটা আপনার চোখে পড়ল ঠিকই এবং সেটা কে আপনার ধর্ম মানার একটি অস্ত্রও বানিয়েছেন কিন্তু একই সাথে ধর্ম সৃষ্ট সমস্যাটি চোখে পড়ল না। আর আমরা দুটোই দেখি এবং যা কিছু মানুষের জন্য অমঙ্গল আনে তার বিপক্ষে বলি ব্যাস এতটুকুই।
@সাগর, (Y) অসাধারণ বলেছেন।
@ভবঘুরে, দাদা সুপারহিট উত্তর (Y)
@আফসোস,
ঠিক বলেছেন । মুহাম্মদ ও এর বেতিক্রম নয় । মুহাম্মাদ এর দুর্বলতা ছিল নারী । ( হয়ত ৩০ পুরুষের ক্ষমতা থাকায় যৌবন জ্বালায় এমন করত ) :-Y
এক্কে বারে অন্ধ ধারমিক এর মতো কথা। ” অতঃপর উনি নিশ্চিত হলেন… ” :guru:
তাই তো করছেন… অন্ধ বিশ্বাস / ধর্মীয় ক্ষুদ্রতা গুলো তুলেধরার চেষ্টা করছেন।
ভাইজান, আপনার পরিবারে ত ৬-১৮ এর মধ্যের মেয়েরা আছে। ওনাদের কি অবস্থা ? ( সরি, আমি এভাবে বলতে চাই নাই, আপনিই বলতে বাধ্য করছেন। যেভাবে কয়জন কুমারী আছে জিজ্ঞেস করলেন……… আমার পরিবারের মেয়েরা তো এমন নয়। এটা আসলে পারিবারিক/ সামাজিক শিক্ষা, ধর্মীয় ভিতি নয়। )
আমার পরিচিত একজন ৫০ বছরের ধর্মপ্রাণ, সৎ মানুষ আছেন। ওনার ২০ বৎসর এর পুত্র আছে। উনি আরেকটি বিয়ে করবেন বলে বাসনা করেছেন… ( কেন আমি জানিনা ) । দিবেন নাকি আপনার পরিবারের কোন ৬-১৮ বছরের মেয়ের সাথে বিয়ে ?
পারবেন আপনার মেয়ের চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে বলে ৬/৭ বৎসর এই বিয়ে দিয়ে দিতে? ?? নাকি তাকে সামাজিক / পারিবারিক শিক্ষা দিয়ে ঠিক রাখার চেষ্টা করবেন ????
সামাজিক এই ঊশ্রিঙ্খালতার সময়ে আপনার ধর্ম কি বলে ?? নাবালিকা কে বিয়ে দিয়ে দেয়াই ভালো ???
অন্য উপায় ও আছে। “আজল” ( বাইরে , মাল-আউট করা ) ।
সহিহ বুখারি, ভলিউমঃ ৭, বইঃ ৬২, নং ১৩৫, জাবির হইতে বর্ণিত; আল্লাহর রাসুলের জীবদ্দশায় আমরা আজল চর্চা করতাম। এছাড়া ; সহিহ বুখারি, ভলিউমঃ ৫, বইঃ ৫৯, নং ৪৫৯। সহিহ বুখারি, ভলিউমঃ ৭, বইঃ ৬২, নং ১৩৬ ।
:clap
( আপনি বিয়ের আগে কেমনে মিটান বা মিটাইতেন !!! ) :-s
হুম…। চিন্তার বিষয়…।। তবে টাকা থাকলে সমস্যা নাই। সেই সময়ে একটি দাসের মূল্য কত হত, টা জানার জন্য এই হাদিস দেখা যেতে পারে। সুনান আবু দাউদ, ভলিউমঃ ৩, বইঃ ২৯, নং ৩৯৪৬-৩৯৪৭। একটি দাস বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮০০ দিরহাম এবং অনটি ৭০০ দিরহাম। (I)
দাসী পাব কই ??
সরিয়া আইনে যুদ্ধ বন্দিনী আর শিশুদের ক্ষেত্রে কি বলা আছে দেখি; উমর আল-সালিক, আইনঃ ০৯-১৩; যখন কোন শিশু বা নারী কে বন্দী করা হবে। তারা সাথে সাথে দাস হয়ে যাবে এবং নারীরা পূর্বে বিবাহিতা থাকলে সেটাও তাতখনাত নাকচ হয়ে যাবে। (I) (I)
@সফ্টডক,
ওস্তাদ,
না,না, উনি অতিসত্বর আমার ব্যাখ্যা গুলী লয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছেন। ততক্ষন একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
কারণ উনি এক জায়গায় আমাকে বলেছেন “কোরাণে কোনই সমস্যা নাই , বরং আমিই নাকি কোরানকে ব্যাকা চোখে দেখতেছি”।
অতএব উনি অবশ্যই আমার ব্যখ্যা লয়ে অতি শীঘ্রই আসতেছেন।
@আফসোস,
তাহলে এ চিঠিগুলো এলো কোত্থেকে, এগুলোও কি আল্লাহর পাঠানো? :-s
@সফ্টডক,
কেন নিজে লেখা পড়া না জানলে কি আর চিঠি লেখা যায় না ? তাই যদি হয় তো উনি কোরান লিখলেন কেমনে ? জিব্রাইল ফিরিস্তা তো আর লিখে দিয়ে যায় নি, সে তো খালি বলেই খালাস।
@ভবঘুরে,
আলবৎ যায়। কিন্তু অন্যের হাতে লিখালেও তো এটা সম্ভব, নিজে না লিখতে পারলেও কিছু যায় আসে না। এ রকম সামান্য ব্যাপারটুকুও তো আশরাফুল মাখলুকাত ‘আফসোস’ সাহেবের মাথায় ঢুকছে না।
@সফ্টডক,
না ঢোকার কারন হলো ওনার ঘিলু তো ওনার মাথাতে নেই। সেটা তিনি সেই ছোট কালে আরবের মরুভূমিতে কবর দিয়ে এসেছেন।
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
আর আপনার লেখা মানেই তো ফাটাফাটি :guru: :guru: :guru: :guru:
@চিন্তিত সৈকত,
প্রথম বার দ্রুত বলার কারণে হিসাবটা একটু ভূল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের যেমনটা কখনো কখনো হয়ে থাকে। তারপর তার উপর সারাটা বিশ্ব পরিচালনার দায়িত্ব। কাজেই তাতে আর কীই বা তেমন আসে যায়। আর যাই হোক সাথে সাথে তো আবার শুধরিয়েও দিয়েছেন।
@চিন্তিত সৈকত,
এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে।
তা জনাব আয়াতটিকি ভালো করে পড়েছেন। না কি, চিলে কান নিয়ে গিয়েছে শুনে শুধু চিলের পিছনে দৌড়াচ্ছেন? আপনারাতো দেখি সব অন্ধ বিশ্বাসী। এখানে মুসলিমদের ইমানের গভীরতার কথা বলা হচ্ছে। আজকের মুসলিমদের ইমানের গভীরতা অনেক কম। যার কারনে তারা একজন কাফেরের সাথে মোকাবেলা করার শক্তি পাচ্ছে না। বর্তমান যুগে যদি আল্লাহ কোরআন নাযিল করতেন, তাহলে তার উল্লোটা বলতেন। দুইহাজার মিলে দু’শর মোকাবেলা করতে পারবে। বদর যুদ্ধে তিনশত তের জন, (যাদের কাছে তেমন কোন যুদ্ধের সরঞ্জাম ছিলো না) রাসূল (স) একহাজার কাফেরের বিরুদ্ধে (যাদের যুদ্ধে সরঞ্জাম ছিলো পরিপুর্ণ) তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। মোসলমানরা কখনো অস্ত্র, শক্তি দিয়ে জয়লাভ কেরে নি। তাদের একটাই হাতিয়ার ছিল যেটা ঈমান।
@আফসোস,
আপনার জন্য সত্যি আমাদের আফসোস হয়। আপনি এতদিন যত বিদ্যা বুদ্ধি অর্জন করেছেন সবই কি আরবের মরুভুমির নীচে পুতে রেখেছেন ?
বিষয়টা হচ্ছে আল্লাহর চঞ্চলমতিত্ব নিয়ে, তার আচরণ কেন মানুষের মত এত চঞ্চল। আল্লাহর কথা হবে চির শ্বাশ্বত, চিরন্তন, অপরিবর্তনীয় ও সত্য। এখন একটা বলবে কিছুক্ষন পরে অন্যটা বলবে এটা তো চঞ্চলমতি মানুষের চরিত্র। আল্লার চরিত্র যদি ঠিক মানুষের মত হয়, তাহলে সে আর আল্লাহ হলো কেমনে? আল্লাহ যেখানে চাইলেই একজন দশজনের সমান হতে পারে , সেখানে সে একবার সেটা বলে পরে আবার পাল্টিয়ে ফেলে কি করে ? আর যদি সেটা অতিরিক্ত হয়ে যায় তো প্রথমেই বলতে পারত একজন দুজনের সমান হবে।
সর্বজ্ঞানী, অতীত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সব কিছুই আল্লাহর জানা, সে আগে জানতে বা বুঝতে পারেনি যে তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে, আর তাই ভুল করে একজন সমান দশজনের কথা বলেছিল, বা আজগুবি আতিশয্য করে বলেছিল উৎসাহ যোগাতে। পরে দুর্বলতা দেখে তা কমিয়ে একজন সমান দুইজন করেছে। এর ফলে যে আল্লাহ নিজে কতকগুলি নীতি ভঙ্গ করছে-
১. আল্লাহর বানী চিরন্তন না হয়ে খুবই পরিবর্তনশীল হয়ে যাচ্ছে
২. আল্লাহ যে সর্বজ্ঞ তা লংঘিত হচ্ছে
৩.আল্লাহ অপ্রয়োজীয় ও আজগুবিভাবে মানুষকে উৎসাহিত করছে তা তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়, অথচ এ ধরনের অপ্রয়োজনী ও আজগুবি কথা বলা আল্লাহর পক্ষে শোভনীয় নয়
খালি জিতে যাওয়ার পরেই মোহাম্মদ উক্ত যুদ্ধ জয় সম্পর্কে আল্লাহর সাহায্যের কথা বলতেন। আর হেরে গেলে বলতেন যে সাহাবীরা তার কথা শোনে নি তাই তারা হেরে গেছে। পৌত্তলিক আলেক্সান্ডার তো সেই ইউরোপ থেকে একের পর এক যুদ্ধ জয় করে ভারতবর্ষ পর্যন্ত এসেছিল, তার সাথে কয় লক্ষ ফিরিস্তা আল্লাহ যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছিল? খালি মোহাম্মদ যুদ্ধ জয় করলেই তা হয় আল্লাহর সাহায্য?
এটা আপনার ফালতু কথা। আগের চাইতে এখন মানুষের ইমানের গভীরতা বরং অনেক বেশী। সেই সময়ে মোহাম্মদের দীর্ঘ সাহচর্য পাওয়ার পরও শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে হযরত আলী ও মোহাম্মদের স্ত্রী আয়শা যে বিশাল যুদ্ধ সিফফিনে করে তাতে মোহাম্মদের দীর্ঘ সাহচর্য পাওয়া বহু সাহাবী উভয় পক্ষেই ছিল যেমন তালহা ,জোবায়ের এরা। তাদের ইমান যদি এখনকার মানুষের চেয়ে শক্ত হতো এধরনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তারা নিজেরা লিপ্ত হতো না। ১৪০০ বছর পর আজকের মানুষ মোহাম্মদকে শুধুমাত্র বিশ্বাস করে যেভাবে জিহাদি জোশে নিরীহ অমুসলিমদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে. আত্মঘাতী হামলায় যোগ দেয়, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে তা তুলনাবিহীন। সুতরাং আপনার এ ধরনের আবেগপূর্ণ মন্তব্য আপনার জ্ঞানের অপরিপক্কতার লক্ষন।
@ভবঘুরে,
জিতলেই ‘আল্লার রহমতে জিতেছি’ এই রকম? মজার ব্যাপার হোল, হেরে গেলেই মানুষের দোষ। কেউ কিন্তু বলেনা যে ‘আল্লার রহমতে হেরেছি’ :))
@কাজী রহমান,
বলে , নিশ্চয়ই কোন খারাপ কাজ করেছে যার শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তাকে হারিয়েছে।
ভাই , সবই আল্লাহর ইচ্ছা। এই যে আমরা ব্লগে নানা কথা লিখি এটাও আল্লাহর ইচ্ছা।
কপালের লিখন না যায় খন্ডন।
@ভবঘুরে,
উপযুক্ত জবাব হইছে। শুনেছি কোন যুদ্ধে নাকী ইমানদার মুসলমানদের জয়লাভ করানোর জন্য আসমানের উপর থেকে অসংখ্য ফেরেশতা সৈনিক ও পাঠিয়ে ছিলেন। তা ঈমানের জোরেই যদি জয়লাভ করাযায় তাহলে আল্লাহ পাকের খাস সৈন্য পাঠানোর কেন দরকার হল?
আল্লাহ পাক কি কাফেরদের অধিক সৈন্য দেখে ভীত হয়ে পড়েছিলেন নাকি? সর্বনাস!!
আমি আসতেছি জনাব আফসোস সাহেবের সংগে আমার কিছু কথা আছে। আমাকে এখনই একটু বাইরে যেতে হচ্ছে। ফিরে এসে উনাকে লয়ে বসব।
উনি আবার হারিয়ে যাবেন নাতো?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার তো মনে হয় ভাইজান মোহাম্মদের নিজেরই ভাণ্ডারে আরও ৫০০০ ডাকাত ছিল।যা আজ মুসলিম ইতিহাসবিদরা স্বীকার করে না।
@আফসোস,
ভাইজান এটাই যদি সত্য হয় তবু ব্যাপারটা সম্ভব না।বর্তমানে অনেক উন্নত মানের অস্ত্র দিয়ে এটা সম্ভব কিন্তু আগের আমলে সমমানের অস্ত্র যা কিনা ঢাল আর তলোয়ার, তীর ধনুক, ঐসব নিয়ে ১০০ জন ২০০ জনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না,হারানো অনেক দুরের কথা। তাছাড়া সবাই কিন্তু সমগোত্রীয় মানুষ ছিল। কাজেই সবার যুদ্ধ কৌশল এক থাকার কথা। তাই কিভাবে ১ জন ২ জঙ্কে হারাতে পারে সেটাই পরিষ্কার না।
@ভবঘুরে,
ভাইজান ওটা দিয়ে আর লাভ হবেনা।আপনি যা বলেছেন ঠিকই।
খুজে দেখতে পেলাম ওখানকার ঐ ধরনের কালের পরিবর্তন করাটা একটা নিয়মের আওতায় এনে ওটাকে বৈধ করা হয়ে গেছে।
তবে আরো পাওয়া যাবে। পাইলে দিব।
ধন্যবাদ
ভাইজান,
নীচের ৮১:১-১৪
যাদের আরবী ভাষায় কিছুটা জ্ঞান আছে তারা সহজেই ধরতে পারবে, এই ১৪ টার সবগুলী আয়াতের আরবী ভাষার ক্রীয়া গুলীই অতীত কালের। আর এর অর্থ করতে হচ্ছে সব ভবিষ্যতের.কারণ ঘটনা গুলী সব ভবিষ্যতের কেয়ামতের ঘটনা। তাই এগুলী ব্যকরণ অনুসারে যদি অতীত কালের অর্থ করা হয়,তাহলে এই ১৪ টি বাক্যই নিরর্থক হয়ে যাবে।
কারন কেয়ামত তো আর অতীত হয়ে যায় নাই,কাজেই এই ঘটনা গুলীও অতীত হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
তাই অনুবাদকদের এক রকম বাধ্য হয়েই অতীত কালের ক্রীয়ার অর্থ ভবিষ্যৎ কালে জোর করে ঠেলে দিতে হয়েছে।
জনাব আফসোস সাহেব (কোরানের আয়াত দ্বারা) চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন যে “কারো ক্ষমতা থাকেতো কোরানের ছুরার মত একটি ছুরা তৈরী করুকনা? কেউ তা পারবেনা।”
বড় আফছোছের বিষয় যে জনাব আফছোছ সাহেব আজ এখানে উপস্থিত নাই। আজ যদি তিনি উপস্থিত থাকিতেন তাকে এই ছুরাটি দেখাইয়া আমি বলিতাম, “সত্যিই জনাব আফসোস সাহেব কোনই কান্ড জ্ঞ্যান হীন ব্যক্তির পক্ষে এভাবে ভাষার ব্যকরণ কে ধংস করে দিয়ে কোন ছুরাই রচনা করা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ যদি কোন কান্ড জ্ঞান হীন কবী যদি ইচ্ছা করে যে ভাষাকে যে ভাবে খুশী নিয়ম কানুন না মেনে নিজের ইচ্ছা মত ব্যবহার করতে পারবে, তার পক্ষে এভাবে যা খুসি তাই ই রচনা করা সম্ভব।”
ভাইজান এভাবেই কোরানে ভাষার ব্যকরনের না মেনেছে “কাল” (TENSE) না মেনেছে “পুরুষ” (PERSON) না মেনেছে “হ্যা” (POSTIVE” “না” (NEGATIVE) এর নিয়ম কানুন।
আল্লাহ কি কখনো তার বান্দাদের ভাষা কে বিনষ্ট করে দিয়ে আবার বর্বর যুগে ঠেলে দিতে চাইবেন?
এটা তো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবী।
এবার তাহলে আপনি একটু ব্যাখ্যা করুন?
নীচে তাহলে ছুরাটি দেখুন (৮১:১-১৪)
কি করুন দশা!!
إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
01
যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,
وَإِذَا النُّجُومُ انكَدَرَتْ
02
যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে,
وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ
03
যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,
وَإِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ
04
যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে;
وَإِذَا الْوُحُوشُ حُشِرَتْ
05
যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে,
وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ
06
যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
07
যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ
08
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ
09
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?
وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ
10
যখন আমলনামা খোলা হবে,
وَإِذَا السَّمَاء كُشِطَتْ
11
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে,
وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ
12
যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে
وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ
13
এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে,
عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا أَحْضَرَتْ
14
তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান , আপনি যে বললেন উক্ত আয়াতগুলি অতীত কালের ক্রিয়াপদ দিয়ে রচিত, তাহলে উক্ত আয়াতগুলোর সঠিক অনুবাদ কিরকম হবে ? সেটা দয়া করে লিখলে পাঠকবৃন্দ অনেক উপকৃত হতো বলে মনে হয়।
ভবঘুরে ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে ১৯ তম পর্বটির জন্য। এখানে আমার একটি প্রশ্ন ছিল
হ্যাঁ এটি অসম্ভব মনে হয়। কিন্তু মুতার যুদ্ধে নাকি মুহাম্মদের বাহিনী মাত্র ৩০০০ সেনা নিয়ে ১লাখ সেনাকে হারায়? কথাটির কি আসলেই সত্যতা আছে নাকি এটাও মুসলিমদের ভাঁওতাবাজি ইতিহাস নিয়ে?
@অচেনা,
কোন যুদ্ধে জিতলে মোহাম্মদ প্রচার করতেন আল্লাহ ফিরিস্তা পাঠিয়ে জিতিয়েছেন আর হারলে বলতেন সৈন্যরা তার নির্দেশ ঠিকমতো শোনেনি তাই হেরেছে। এটা ছিল মোহাম্মদের একটা বহুল প্রচলিত ধাপ্পাবাজি।
ভাই ভবঘুরে,
আমি কিছুদিন ধরে আপনার লেখা পড়ছি । সাথে সাথে কুরআন এবং মারেফুল কুরআন ও পড়ছি রেফারেন্স গুলো মিলিয়ে দেখার জন্য । যাইহোক, আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে আর সেটা হলো, কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতগুলো পড়লে মাঝে মাঝে মনে হবে যেন কিছু আয়াত জিব্রাইল বলেছেন আবার কিছু মনে হবে মোহাম্মদ বলেছেন আর কিছু আছে যেটা আল্লাহ বলেছেন । আমার প্রশ্ন হলো, কুরআন যদি আল্লাহর বানী হয় তবে এমনটা হবে কেন ? আপনার জ্ঞান দিয়ে এর উত্তরটা বলবেন কি ? ধন্যবাদ ।
@অনীক,
তো রেফারেন্স কি ঠিক ঠাক আছে ? সেটা তো বললেন না ।
এরকম, তার অতি সহজ কারন হলো কোরান আল্লাহর বানী না। এটাও কি বোঝেন না ? আল্লাহর বানী হলে তো এরকম মনে হতো না। আর তখন কোরানে থাকত না কোন অসঙ্গতি , স্ব বিরোধীতা। আমাদেরকেও কষ্ট করে আর নিবন্ধ লিখতে হতো না।
এই সিরিজটা লেখা শেষ হলে বই আকারে বের করার অনুরোধ রইলো। কেনার জন্য আমার মত ফালতু লোকের অভাব হবে না।
@ ভবঘুরে,
ভাইজান , মোহাম্মদকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল হলো- হাদিসে আরব দেশের তৎকালিন বহু মানুষের নাম আছে কিন্তু একটা মানুষেরও নাম মোহাম্মদ নেই। তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগল , যাকে আমরা মহানবী বলি, এ লোকের নাম কি সত্যি সত্যি মোহাম্মদ ছিল নাকি পরে এসে তার নাম মোহাম্মদ করা হয়েছে? বিষয়টা কিন্তু কৌতুহলীদ্দপক। আপনি এ পর্যন্ত হদিস ও তাফসির পড়েছেন, তাতে মোহাম্মদের আমলকার অনেক লোকের নাম উল্লেখ আছে, কখনও কি মহানবী ছাড়া অন্য কোন লোকের নাম মোহাম্মদ দেখেছেন? তার অর্থ মোহাম্মদ যদি তখনকার বহুল বা মোটামুটি প্রচলিত নাম হতো , তা হলে সে নামে অন্য লোকও থাকত। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। আমরা মোহাম্মদ নামের লোকের ছড়াছড়ি দেখি মোহাম্মদ মারা যা্ওয়ার পর থেকে , তার সময়েও না , তার আগের সময়েও না। তাই আমার মনে হয় মহানবীর প্রাথমিক নাম অন্য কিছু ছিল , পরে কোরান হাদিস রচয়িতারা তার নাম মোহাম্মদ হিসাবে বর্ণনা করেছে ও তা করতে গিয়ে যে কি ভুলটা করেছে তা তারা তখন বুঝতে পারে নি।
মোটেই বিচিত্র নয়। তবে এত বড় একটা পরির্তন ঘটিয়ে পার পওয়া তো সহজ হওয়ার কথা নয়।
আরো প্রমানের দরকার।
দেখুন “ব্যকরন” বস্তু টা কি?
এটা মানুষের মনের অভ্যন্তরের সঠিক ইচ্ছাটা বা ভাবটার বহি প্রকাশ মাত্র। ভাষার রুপান্তরের সাথে সাথে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম পরিবর্তন হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
এটা ঘটলে সমাজ বিশৃংখল ও অচল হয়ে যেতে বাধ্য। কারন তখন কারো একটি বাক্যের অর্থ যার যেমন খুসী তেমন টা ধরে লইতে থাকবে।
যারা আরবী ভাসার ব্যকরন কে পৃথক বলতে চায়, তাদরকে কয়েকটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন করুন, তাহলে এই ধুর্তামি টা সহজেই প্রকাশ হয়ে পড়বে। যেমন-
১। আরব দেশের কোর্টে একজন মানুষ হত্যা মামলার আসামী কে বিচারক পশ্ন করিল
“তুমি কি অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছ”?
সে তখন উত্তর দিল “নিশ্চয়ই আমি হত্যা করেছি”
তখন কি আরব দেশের বিচারক কি তাকে মৃত্যু দন্ড দিতে পারবেন?
কখনোই না।
তার আইন জীবি তখন বিচারককে বুঝাবে, আসামী এখানে “আমি” এর অর্থ “সে” বুঝিয়েছেন।
আরব সমাজে কি তাহলে এরুপ চলে নাকি?
আরো একটি উদারণ লক্ষকরুন-
আরবীতে একটি শব্দ আছে لا (লা) =
আরবী গ্রামার অনুসারে এর বাংলায় অর্থ “না” এবং সর্বত্রই না বোধক বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
আমার হঠাৎ একদিন দৃষ্টি পড়ল কোরানের ৫৬:৭৫ ও ৯০:১ আয়াতে। এখানে দেখতে পেলাম
لا (লা) কে হ্যা বোধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আমি আর কিইবা করতে পারি?
আমাদের মসজিদের মাওলানা ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞসা করিলাম। উনি পরিস্কার উত্তর দিলেন لا (লা) শব্দটি আরবী “না” এবং “হা” উভয়ের জ্ন্যই ব্যবহৃত হয়।
এবং এখানে “হ্যা” বাচক হিসাবে ববহৃত হয়েছে। এর উত্তর এই ছাড়া আর কিছু দেওয়ার মতই নাই।
তাহলে আরব দেশে না বোধক ও হ্যা বোধক বাক্যের অর্থ একই দাড়াইল।
এটা কি বাস্তব জীবনে সম্ভব?
সত্যিই যদি আরবী গ্রামারের অবস্থা এটাই হয়-
তাহলে এবার আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন-
আরব দেশের কোর্টে বিচারক দুইজন খুনী আসামীকে তাদের কার্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে একজন ঊতর দিল
“আমি মানুষ খুন করি নাই”
আর একজনে উত্তর দিল,
“আমি মানুষ খুন করিয়াছি”
তাহলে আরবের বিচারকেরা কি উভয় উত্তর দাতাকে একই মাপ কাঠিতে বিচার করেন নাকি?
উনি তিন্তু মওলানা সাহেবের মত উত্তরে বলে সতে পারেন “হ্যা, আরবে এটাই ঘটে”
তাহলে কন্তু সর্বনাস!!
ভাইজান,
ভাষার পরিবর্তনে গ্রামারের পরিবর্তন কখনোই সম্ভব নয়। তাহলে মানব সমাজই ই ভেঙ্গে গিয়ে পশূর সমাজে পরণত হয়ে যেতে বাধ্য।
।
কী বলেন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এ তো ভাই আপনার বক্তব্য, তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতদের বক্তব্য তো ভিন্ন।
আরও একটা ব্যপার আছে, উক্ত ব্যকরণগত ভ্রান্তির বিষয়টি এক পর্যায়ে আরবের খলিফারা বুঝতে পেরেছিল, বোঝার পর তারা এ হুকুম জারি করেছিল যে অত:পর আরবী ভাষার ব্যকরণ রীতি কোরানকে অনুসরণ করেই হবে। এখন আরবী ব্যকরণ নাকি কোরানকে ভিত্তি করেই প্রচলিত, এর ফলে ইসলামি পন্ডিতরা এও দাবী করে , আরবী ব্যকরণ নাকি সব চাইতে শুদ্ধ, কারন তা আল্লাহ কর্তৃক রচিত। এখন প্রশ্ন – আল্লাহ কিভাবে এরকম উদ্ভট ব্যকরণ রীতি রচণা করতে পারে ?
তবে বিষয়টার একটা সমাধান আছে। তা হলো মোহাম্মদ আর যাই হোক বেশী লেখাপড়া জানতেন না, তাই ব্যকরণ কি জিনিস তার জানার কথা না। এমতাবস্থায় , তার পক্ষে শুনে শুনে বাইবেলের কিচ্ছা কাহিনি থেকে উদ্ধৃতি দেয়া সম্ভব ছিল কিন্তু কিভাবে শুদ্ধ ব্যকরণ রীতি ব্যবহার করে তা রচণা করতে হবে তা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল। সে কারনেই কোরানে ব্যকরণের এমন করুন পরিস্থিতি।
@ ভবঘুরে,
মোটেই বিচিত্র নয়। তবে এত বড় একটা পরির্তন ঘটিয়ে পার পওয়া তো সহজ হওয়ার কথা নয়।
আরো প্রমানের দরকার।
দেখুন “ব্যকরন” বস্তু টা কি?
এটা মানুষের মনের অভ্যন্তরের সঠিক ইচ্ছাটা বা ভাবটার বহি প্রকাশ মাত্র। ভাষার রুপান্তরের সাথে সাথে মনের ভাব প্রকাসের মাধ্যম পরিবর্তন হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
এটা ঘটলে সমাজ বিশৃংখল ও অচল হয়ে যেতে বাধ্য। কারন তখন কারো একটি বাক্যের অর্থ যার যেমন খুসী তেমন টা ধরে লইতে থাকবে।
যারা আরবী ভাসার ব্যকরন কে পৃথক বলতে চায়, তাদরকে কয়েকটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন করুন, তাহলে এই ধোকাবজী টা সহজেই প্রকাশ হয়ে পড়বে। যেমন-
১। আরব দেশের কোর্টে একজন মানুষ হত্যা মামলার আসামী কে বিচারক পশ্ন করিল
“তুমি কি অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছ”?
সে তখন উত্তর দিল “নিশ্চয়ই আমি হত্যা করেছি”
তখন কি আরব দেশের বিচারক কি তাকে মৃত্যু দন্ড দিতে পারবেন?
কখনোই না।
তার আইন জীবি তখন বিচারককে বুঝাবে, আসামী এখানে “আমি” এর অর্থ “সে” বুঝিয়েছেন।
আরব সমাজে কি তাহলে এরুপ চলে নাকি?
আরো একটি উদারণ লক্ষকরুন-
আরবীতে একটি শব্দ আছে لا (লা) =
আরবী গ্রামার অনুসারে এর বাংলায় অর্থ “না” এবং সর্বত্রই না বোধক বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
আমার হঠাৎ একদিন দৃষ্টি পড়ল কোরানের ৫৬:৭৫ ও ৯০:১ আয়াতে। এখানে
@ভবঘুরে
হ্যাঁ, তাতে অসুবিধার কি আছে? আল্লাহর মত সত্বার তো দাবী করার অধিকার আছে সমস্ত প্রসংসার। তাতে আর কার কীই বা বলার থাকতে পারে?
আর নবীর নাম শিশু কালে যারা “মোহাম্মদ” রাখিয়াছিলেন,তখন আর অন্য দশটি শিশুর ন্যায় যে কোন একটা নাম রাখার দরকার তাই কোন অর্থের দিকে না তাকিয়েই স্বাভাবিক ভাবেই রেখেছিলেন “মোহাম্মদ” নামটি। এরুপ অশংখ্য “মোহাম্মদ” জন্মেছে।
নবুয়তি পাওয়ার সময় তো আল্লাহ এ নাম দেন নাই।
কাজেই আল্লার “হামদ” (প্রশংসা)এর সংগে তার “হামদ’ (প্রশংসিত) মিল খাওয়া একটা কাকতালীয় ঘটনা মাত্র।
এতে কিছু আসে যায়না।
তবে সুরা ফাতিহায় অন্য প্রকট সমস্যা রয়ে গেছে-যেমন,নীচে লক্ষ করুন:
১নং আয়াত-
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
এখানে কে কার নামে শুরু করতেছে? আল্লাহ কি তহলে নিজেই নিজের নামে শুরু করতেছেন?
২য় আয়াত-
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এটা যদি আল্লাহর নিজের বক্তব্য হয় তাহলে বাক্যটি হতে হবে-
আমিই সমস্ত প্রসংসা পওয়ার একমাত্র উপযুক্ত যেহেতু আমি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
তিনি তো বাদশাহদের ও বাদশাহ। তাই তার নিজের মাহাত্ব ও বড়ত্ব নিজের মধ্য দিয়েই তো প্রকাশ করার যথেষ্ঠ অধিকার রয়ে গেছে। কেন তিনি নিজেকে “তৃতীয় পুরুষ” এর মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেকে দূরে আড়ালে সরিয়ে রাখলেন।
আমরা তো সরাসরি তার নিজ মুখের কথাই তো শুনতে আগ্রহী। তাই নয়কি?
৩ নং
الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ
অত্যন্ত ভাল কথা। তার ই সৃষ্ট বান্দাদের প্রতি তিনি যদি দয়ালু না হন তাহলে আর কেই বা সাহায্য করতে পারে?
৪ নং
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّي
এটাই স্বাভাবিক।
৫নং
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
এখানে আল্লাহ পাক কি (তোমারই) মানে নবীর ইবাদত করেন এবং নবীর কাছেই কি সাহায্য চাচ্ছেন?
এটা বিশ্ব সষ্টার মুখ দিয়ে কি রকম ধরনের কথা বের হল?
তাতো বুঝা মুসকিল।
৬নং
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
আল্লাহ পাক নিজের জন্য নবীকে সরল পথ দেখাতে কি করে বলতে পারলেন?
নবী কি তার প্রভু?
৭নং
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
এখানে ও কেন আললাহ পাক নবীর কাছে একই ভাবে প্রার্থনা করতেছেন?
তাহলে এগুলী একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান , মোহাম্মদকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল হলো- হাদিসে আরব দেশের তৎকালিন বহু মানুষের নাম আছে কিন্তু একটা মানুষেরও নাম মোহাম্মদ নেই। তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগল , যাকে আমরা মহানবী বলি, এ লোকের নাম কি সত্যি সত্যি মোহাম্মদ ছিল নাকি পরে এসে তার নাম মোহাম্মদ করা হয়েছে? বিষয়টা কিন্তু কৌতুহলীদ্দপক। আপনি এ পর্যন্ত হদিস ও তাফসির পড়েছেন, তাতে মোহাম্মদের আমলকার অনেক লোকের নাম উল্লেখ আছে, কখনও কি মহানবী ছাড়া অন্য কোন লোকের নাম মোহাম্মদ দেখেছেন? তার অর্থ মোহাম্মদ যদি তখনকার বহুল বা মোটামুটি প্রচলিত নাম হতো , তা হলে সে নামে অন্য লোকও থাকত। কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না। আমরা মোহাম্মদ নামের লোকের ছড়াছড়ি দেখি মোহাম্মদ মারা যা্ওয়ার পর থেকে , তার সময়েও না , তার আগের সময়েও না। তাই আমার মনে হয় মহানবীর প্রাথমিক নাম অন্য কিছু ছিল , পরে কোরান হাদিস রচয়িতারা তার নাম মোহাম্মদ হিসাবে বর্ণনা করেছে ও তা করতে গিয়ে যে কি ভুলটা করেছে তা তারা তখন বুঝতে পারে নি।
@ভবঘুরে,
কঠিন গবেষণা… :-s
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি তো দেখি কোরানের ব্যকরণে ভুল আবিষ্কার শুরু করলেন।
এ ব্যপারে ইসলামিস্টদের সাথে আলাপ করে জেনেছি- আরবী ভাষাতে নাকি এধরনের বাক্যরীতি প্রচলিত। অর্থাৎ বক্তা কোন সময় 1st person, কোন সময় 2nd person, কোন সময় 3rd person এ নিজের বক্তব্য দেবেন এটা নাকি আরবী ব্যকরণ সিদ্ধ। এখন আপনার কি বক্তব্য ?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জনাব আপনার অনুবাদ দেখলে আমার বাল্যকালের কথা মনে পড়ে যায়।
ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে মায়েরা বঙ্গানুবাদ শেখাতে গিয়ে যখন বলে, বলো My head মানে আমার মাথা। তখন বাচ্চারা বলে My head মানে আম্মুর মাথা । আসলেইকি My head মানে আম্মুর মাথা! মা বাচ্চাকে বলছে বলো My head মানে আমার মাথা। আপনার অনুবাদটা ঠিক এরকমই মনে হচ্ছে। সূরা ফাতিহা টা তো আল্লাহ আমাদের শিক্ষা দিতেছেন। সূরা ফাতিহাটাতো তেলাওয়াত করবো আমরা। আপনি যতটুকু বুঝতেছেন ততটুকুই অনুবাদ করছেন। আপনারতো দোষ নেই দোষ হলো আপনার বুঝার।
কানার হাতে কুড়াল দেওয়ার মতো অবস্থা। আপনাদের অবস্থা দেখলে মনে হচ্ছে সারা পৃথিবীতে সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যেতে পারবে। কারন সকল প্রকার বই বাজারে পাওয়া যায়। তো আমরা এই বইগুলো কিনে পড়ে পড়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যাবো। কোনো কলেজ ভার্সিটির দরকার নেই । কি বলেন?
আমার মনে হচ্ছে আপনি নতুন নতুন আরবি ব্যাকরণ শিখছেন। আপনি গ্রামে ছিলেন কিনা আমি যানি না, নতুন কোন গরুর বাচুর পৃথিবীতে আসলে সে এদিক সেদিন খুব দৌড়া দৌড়ি করে। অথবা, ছোট ছোট বাচ্চারা যখন নতুন হাটা শিখে তখন দেখবেন ওরা কোলে উঠতে চাইবেনা শুধু হাটতে চাইবে, কিন্তু আমরা অল্প রাস্তা হাটতে চাইনা। অর্থাৎ নতুন পাওয়া কোন কিছুর প্রতি সবারই একটু বেশি উৎসাহ উদ্দিপনা থাকে।
আপনিও মনে হয় প্রাইমট থেকে আগত । আপনারা বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের আকার আকৃতিতে আসছেন । কিন্তু মানুষ হননা ই।
নিজের অজান্তে মোহাম্মদ আল্লার চাইতে নিজেরে মহা শক্তিশালী বানাইয়া ফালাইছে ……সে কি আর জানত যে পরবর্তীতে এই ভবঘুরের দলই তার কাহিনী কারৰার ধইরা ফালাইবে? ?? 😕
@অর্বাচীন,
একেবারে হক কথা কইছেন। যারা একনায়ক তারা এরকমই হয়ে থাকে। যদি হিটলার ও মোহাম্মদের জীবনি পড়েন বহু মিল পাবেন।
@অর্বাচীন, ভাইরে আল্লাহ জিনিসটাই কি সেটাই বুঝলাম না আজো।জিবনে আল্লাহ বা মুহাম্মদের একটা ছবিও দেখি নাই। এদিক দিয়ে খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য কাফির রা সৎ আছে পুণ্যাত্মা মুসলিমদের দেখে। এরা অন্তত ঈশ্বর নবী আর দেব দেবীর ছবি দেখাতে পারে।আমার তো মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় যে মুহাম্মদ বলে কেউ ছিল কিনা। যদি থেকেই থাকবে তবে এর কোন ছবি নেই কেন?
@অচেনা,
ভাই, বানানো ঠাকুরের প্রার্থনা ভন্ডামী আর কল্পিত ঈশ্বরের প্রার্থনা নেহাতই বলদামী
(Y)
সুন্দর সুন্দর (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
ধন্যবাদ, আমার অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যার উত্তর আমি দিতে পারিনা ।হয়ত পযার্প্ত জ্ঞানের অভাব ।
যাই হোক ব্যক্তিগত ভাবে আপনারে পাইলে ভাল হত । ভাল থাকবেন আরো পোষ্ট করবেন ।
শুভকামনা রইল (F) (F) (F) (F) (F)
@অর্নিবান,
আশা করা যায় এসব নিবন্ধ পড়ার পর আপনার জ্ঞান কিঞ্চিত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চাহিবা মাত্র আয়াত নাজিলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত রুচিশীল কিছু আয়াত কিন্তু সযত্নে আপনি এড়িয়ে গেছেন যেমন ধরুন ৩৩ নম্বর সুরার ৩৭ নম্বর আয়াত; মোহাম্মাদের মনের ইচ্ছা পুরন করতে আল্লাহ বললেন “আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন, আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন তাকে যিখন আপনি বলেছিলেন তোমার ইস্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করেছিলেন যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোক নিন্দাকে ভয় করছিলেন অথচ আল্লাহকেই বেশী ভয় করা উচিৎ”
এ ঘটনার পরে আয়েশা বলেছিলেন
সহীহ বুখারী ৬ঃ৬০ঃ৩১১।
ঘটনা এখানেই কিন্তু শেষ নয় এই ক্লাইমেক্স যখন চলতেই থাকলো, এক পর্যায়ে যায়েদ সুন্দরী বৌটাকে তালাক দিতে বাধ্য হল।তখন যায়েদের বোউকে বিয়ের ব্যাপারেও আল্লাহ সাথে সাথে আয়াত নামিয়ে দিলেন(৩৩ঃ৩৭)অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলো তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মোমিন্দের পোষ্যপূত্ররা তাদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মোমিনদের কোন অসুবিধা না হয়, আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিনতঃ হয়েই থাকে।
আরে ভাই নবী হতে হলে এমন নবীই তো চাই যখন সমস্যা তখনি সমাধান।
ওস্তাদ একটু পাকামো হয়ে গেলো নাকি??????
@ছন্নছাড়া,
সব যদি আমি বের করে দেই আপনারা কি করবেন ? তাই আপনাদের আবিষ্কারের জন্য কিছু কিছু রেখে দেই।
@ছন্নছাড়া,
আপনি তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে ফেলেছেন। এটা SAVE করা হল। সময়মত এটা কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ
ভাইজান,
আমাকে তো অনুবাদকের পদে উন্নীত করে দিয়েছেন। যাক,অসুবিধা নাই।
হাদিছ টি আমার একটা প্রীয় হাদিছ। এটাকে প্রবন্ধের সর্ব প্রথমে দেখে ও আমার খুব ভাল লাগতেছে।
আমি ও এটার যথেষ্ট প্রয়োগ করে থাকি।
এই হাদিছটির একটি বিশেষত্ব হইল এই যে এই হাদিছটা কোরান আল্লাহর বানী হওয়াকে সরাসরি খন্ডন খন্ডন করে দিয়েছে।
এই কাজটি করার জন্য আল্লাহ বা নবীর শত্রুদের বক্তব্যের ও দরকার পড়েনাই।
আর এ হাদিছটিকে মুছে ফেলে দেওয়ার ও উপায় নাই কারণ এটা কোরানের আয়াতের সংগে জড়িত।
আর আপনি “ছাল্লাল্ল্হু……” এর মূল অর্থের দিকে কি করে দৃষ্টিপাত করতে পারলেন?
আমরা তো সারাটা জীবন ভরে এটা পড়ে ও শুনে কখনোই এই আসল অর্থটির দিকে দৃষ্টি যায় নাই।
তবে জাকির নায়েক সাহেবরা যে কোন মুহৃর্তে যে কোন শব্দের আভিধানিক অর্থকে ওলট পালট করে দিতে পারেন।
এটা সতিই আপনার একটা বড় আবিস্কার!!
কোরানের অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ আয়াতের সমন্বয় হয়েছে। আস্তে আস্তে দেখতে হবে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান , শেষের দিকে আরও একটু যোগ করেছি, হঠাৎ এ পয়েন্ট টা মনে পড়ায়। এটার ওপর আপনার মন্তব্য বাঞ্ছনীয়।
তা পারে , তবে সেক্ষেত্রে কোরানের অর্থ পরিবর্তন করার মত মহা গুরুতর গুনাহর কারনে তাকে দোজখে চিরকাল আগুনে পুড়তে হবে।
ভাই আমার আবিষ্কার নয়, আমি বিভিন্ন মানুষের বিতর্ক ও নিবন্ধ পড়ে সূত্র বের করে তারপর নিজের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করি।
ধণ্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
আসলে জাকির নায়েক এক জন নাস্তিক লোক। সে ধর্মের সকল সমস্যা ই বোঝে কিন্তু ব্যবসার খাতিরে এবং তার ব্যাক্তি গত লাভের কারনে তিনি এই রকম কুকর্ম করে। ঠিক নবিজি ও ছিলেন একজন নাস্তিক লোক, সে তার ব্যক্তি গত লাভের জন্য কুকাজ গুলা করতেন। জাকির নায়েক আর নবিজি এই দুই জনের চরিত্র প্রায় একই। একজন যুদ্ধ বাজ আর এক জন চাপাবাজ। তাদেরই এই কুকিত্তি ধরা এত সহজ না। ধরতে হলে আপনাদের মত যথেষ্ট ঞ্জানের প্রয়োজন অথবা যারা সব সময় কুকিত্তি কাজ করে তারাই ধরতে পারবে।
@জম,
জি ভাইজান সেটা ঠিক কথা। আচ্ছা এই যাকির নায়েক আনুমানিক কত টাকা মাসে ইনকাম করে তার নিজের টিভি চ্যানেল আর চাপাবাজি থেকে এর কোন আইডিয়া কি আপনাদের কারো আছে? থাকলে এই নায়েকের ভক্তদের পচানো সহজ হত। সিরিয়াসলি বলছি। আইডিয়া থাকলে শেয়ার করেন প্লিজ।
@জম,
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। (Y)